#২৩
Explore tagged Tumblr posts
alibaba1xk · 2 years ago
Text
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে স্থগিত হওয়া এসএসসি পরীক্ষা ২৩ মে’র পর
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা’র কারণে স্থগিত হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষাগুলো আগামী ২৩ মে’র পর নেওয়া হবে।  সব বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে সুনির্দিষ্ট সময়সূচি পরে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। আজ সোমবার রাজধানীর সরকারি টিচার ট্রেনিং কলেজে ব��্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ ২০২৩-এর জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
kanhudas · 1 year ago
Text
Tumblr media
11 notes · View notes
guardianpubs17 · 4 days ago
Text
ইসলামি ফাউন্ডেশন বইমেলা ২০২৪ – যেভাবে আসবেন!
‘ইসলামি ফাউন্ডেশন বইমেলা-২৪’
চলবে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত!
বাইতুল মোকাররম মসজিদের পূর্ব গেইটে আপনাকে স্বাগত!
0 notes
bijaybhgat · 1 year ago
Text
Tumblr media
0 notes
eshebapoint · 2 years ago
Text
Degree Passed Admission Urgent Notice ডিগ্রি পাশ কোর্সে ভর্তি জরুরী নোটিশ
ডিগ্রি ভর্তি রিলিজ স্লিপ আবেদন রেজাল্ট সম্পর্কিত জরুরী নোটিশ
Degree Admission 2022-23 জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রি পাশ কোর্সে ভর্তি রিলিজ স্লিপ আবেদন করারীদের রেজাল্ট আগামী ১৫ জানুয়ারী বিকাল ৪:০০ টায় প্রকাশিত হবে। Degree Admission 2022-23 আবেদন কারীদের সুবিধার্থে নোটিশ লিংক এবং নোটিশের ছবি দেয় হলো। পিডিএফ নোটিশ দেখতে এখানে ক্লিক করুন আমাদের সাইটে সকল চাকরি খবর দেখতে এখানে ক্লিক করুন
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
thisisnotmyname · 1 year ago
Text
The police has murdered another garment worker in Bangladesh. They opened fire on a group of protesting garment workers in Gazipur. Over thirty were injured as well.
The victim's name was Anjuara Begum. The police are as usual denying she was killed by their bullets, even though shotgun shots were retrieved from her body. The mainstream media is avoiding words like murder or kill while reporting incidents like this, and some news is not being made available in English. The ongoing garment workers' strike is being ignored as well.
10 notes · View notes
suoxi-hospital · 1 year ago
Text
Tumblr media
Anti-Aging এবং শরীরকে Detox করতে নিয়মিত পান করুন মরিঙ্গা চা
মরিঙ্গা কি?
আপনি কী জানেন সজনে গাছের বৈজ্ঞানিক নাম মরিঙ্গা ওলেইফে, যা ৩০০ ধরনের রোগের সমাধানে একাই একশো? অসম্ভব ঔষধি গুণে ভরপুর থাকার কারণে মরিঙ্গাকে মিরাকেল ট্রি বলা হয়ে থাকে। পুষ্টি বিজ্ঞানীরা মরিঙ্গাকে পুষ্টির ডিনামাইট তথা ন্যাচারাল মাল্টি-ভিটামিন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এই গাছের পাতাকে বলা হয় ‘সুপার ফুড অব নিউট্রিশন’। এটি প্রায় ৩০০ ধরণের রোগের ক্ষেত্রে কার্যকর।
মরিঙ্গা পাতার গুঁড়োর রয়েছে বিশেষ গুণাগুণ। জেনে অবাক হবেন যে, মরিঙ্গার পাতায় রয়েছে কমলার চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি এবং কলার থেকে ১৫ গুণ বেশি পটাসিয়াম রয়েছে, দুধের চেয়েও বেশি ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ও জিংক রয়েছে। এই মরিঙ্গা পাতাকে শাক হিসেবে খাওয়া হয়। এতে শরীরের শ্রমজনিত ক্লান্তি এবং শরীরের ব্যথা থাকলে তা সহজেই দূর হয়।
মরিঙ্গা (সজিনা) গাছ কি?
সজিনা একটি অতি পরিচিত দামি এবং সুস্বাদু সবজি। সজিনার ইংরেজি নাম Drumstick এবং বৈজ্ঞানিক নাম Moringa Oleifera উৎপত্তিস্থল পাক-ভারত উপমহাদেশ হলেও এ গাছ শীত প্রধান দেশ ব্যতীত সারা পৃথিবীতেই জন্মে।
বারোমাসি সজিনার জাত প্রায় সারা বছরই বার বার ফলন দেয়। গাছে সব সময় ফুল, কচি পড দেখা যায়। আমাদের দেশে ২-৩ প্রকার সজিনা পাওয়া যায়। বসতবাড়ির জন্য সজিনা একটি আদর্শ সবজি গাছ।
মরিঙ্গা গাছের বৈশিষ্ট্য
এটি মূলত দ্রুত বর্ধনশীল গাছ এশিয়ান, যদিও আমরা এটি ক্রান্তীয় অঞ্চলে জুড়ে পাই। ইতিহাস সহ এমন একটি গাছ যা এশিয়ান medicineষধে বহু শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি নির্জন অঞ্চলগুলিকে পুনর্নির্মাণের জন্যও ব্য��হৃত হয়, পরিবেশের সাথে এর উচ্চ অভিযোজন এবং তার দ্রুত বৃদ্ধি দেওয়া
পাতাগুলি এবং বীজ উভয়ই উপকারী, এগুলি আমাদের দেহের উন্নতিতে ব্যবহার করা হয়, কারণ বীজগুলি প্রাকৃতিকভাবে জলকে শুদ্ধ করে যে সিনথেটিক পণ্য ব্যবহারের প্রয়োজন নেই যা আমরা বর্তমানে বাজারে পাই।
এর পাতা ছোট এবং গোলাকার হয়। তারা গঠিত হয় প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, বিটা ক্যারোটিন, পটাসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি ইত্যাদি
মরিঙ্গা পাতার গুণাগুণ
বিজ্ঞানীরা মনে করেন সজিনার পাতা পুষ্টিগুণের আঁধার। নিরামিষভোগীরা সজিনার পাতা থেকে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হতে পারেন। পরিমাণের ভিত্তিতে তুলনা করলে একই ওজনের সজিনা পাতায় কমলা লেবুর ৭ গুণ ভিটামিন-সি, দুধের ৪ গুণ ক্যালসিয়াম এবং দুই গুণ আমিষ, গাজরের ৪ গুণ ভিটামিন-এ, কলার ৩ গুণ পটাশিয়াম বিদ্যমান।
বিজ্ঞানীরা আরও বলেন, সজিনা পাতায় ৪২% আমিষ, ১২৫% ক্যালসিয়াম, ৬১% ম্যাগনোসিয়াম, ৪১% পটাশিয়াম, ৭১% লৌহ, ২৭২% ভিটামিন-এ এবং ২২% ভিটামিন-সি সহ দেহের আবশ্যকীয় বহু পুষ্টি উপাদান থাকে। এক টেবিল চামচ শুকনা সজিনা পাতার গুঁড়া থেকে ১-২ বছর বয়সী শিশুদের অত্যবশ্যকীয় ১৪% আমিষ, ৪০% ক্যালসিয়াম ও ২৩% লৌহ  ও ভিটামিন-এ সরবরাহ হয়ে থাকে।
দৈনিক ৬ চামচ সজনে পাতার গুঁড়া একটি গর্ভবর্তী বা স্তন্যদাত্রী মায়ের চাহিদার সবটুকু ক্যালসিয়াম ও আয়রন সরবরাহ করতে সক্ষম।
সজনে-চায়ের উপকারিতাঃ
● সজনে পাতায় দুধের চেয়ে প্রায় চার গুণ বেশি ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। তাই এটি হাড় ও দাঁতের সুস্থতার জন্য উপকারী।
● প্রতি ১০০ গ্রাম সজনে পাতায় একটি কমলার চেয়ে প্রায় সাত গুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে। তাই এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ইনফেকশন কমাতে সাহায্য করে।
● সজনে পাতার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল কার্যকারিতা থাকায় এটি লিভার ও কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
● এ পাতায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। তাই সজনে-চা পান করা হলে তা রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
● মানুষের শরীরে খাদ্যের মাধ্যমে যে অ্যামিনো অ্যাসিডগুলো সরবরাহ করতে হয়, তার প্রায় সব কটিই আছে সজনে পাতায়।
● সজনেপাতা অ্যান্টি–অক্সিডেন্টে ভরপুর। তাই এটি পুরুষের যৌনক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
● সজনে পাতায় প্রচুর ফাইবার থাকে এবং এতে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড থাকে, যা স্বাভাবিকভাবে ওজন কমাতে ও শরীরে জমে থাকা চর্বি কমাতে সাহায্য করে। তাই ওজন কমানোর জন্য সজনে-চা খুব উপকারী ভূমিকা পালন করে।
● সজনে পাতায় আইসো থায়োসায়ানেট থাকে। ফলে নিয়মিত সজনে পাতা খাওয়া হলে তা রক্তে গ্��ুকোজের মাত্রা কমায় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সজনেপাতার চা বেশ উপকারী।
● গর্ভবতী ও প্রসূতিদের জন্য সজনেপাতা খুবই উপকারী। এটি গর্ভকালীন অসুস্থতা, যেমন মাথা ঘোরানো ,বমি বমি ভাব ,খাবারে অরুচি প্রভৃতি সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া নিয়মিত সজনে–চা খাওয়া হলে তা মায়ের দুধ উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে।
● সজনে পাতায় বায়োটিন, ভিটামিন বি সিক্স, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন ই ও ভিটামিন এ থাকে, যা চুল পড়া বন্ধ করে। এ ছাড়া এটি চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুলকে প্রাণবন্ত ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হতে সাহায্য করে।
● সজনে পাতায় ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন ই ইত্যাদি থাকে, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ফলে হৃদ্রোগ, স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। এ ছাড়া এতে ভিটামিন সি থাকে, যা নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদনে সাহায্য করে। এই নাইট্রিক অক্সাইড রক্তনালির কার্যক্ষমতা সঠিক রাখে। ফলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে।
সজনে | সাজনা | সজিনা | মরিঙ্গা পাতার উপকারিতা, গুনাগুণ ও ব্যবহার বলে শেষ করা যাবেনা। উপরোক্ত আর্টিকেল এ সাজনা পাতার উপকারিতা, গুনাগুণ ও ব্যবহার বিশদ আলোচিত হলো। তাছাড়া সাজনা পাতার পাঊডার, গুড়া খাওয়ার নিয়ম, ত্বকে সাজনা পাতার ব্যবহার ও উপকারিতা, সাজনা পাতার চা ও এর উপকারিতা বর্ণনা করা হলো। স্থান কাল পাত্র ভেদে সামগ্রিক বিবেচনায় – সাজনা গাছের পাতা, ফুল, ফল, ছাল ইত্যাদির যথাযথ ও পরিমিত ব্যবহার মানুষের জীবনে বহুবিধ কল্যাণ বয়ে আনতে পারে।
5 notes · View notes
weebwhocries · 1 year ago
Text
Begin of #খেরো(Bengali scribble) #medessay(sametype shit as for English)
◆৲৴৲৴| রুবায়েৎ |৲৴৲৴◆
রুবায়েৎকে আমি দেখেছি।
রুবায়েৎকে আমি বৃষ্টিতে ভিজতে দেখেছি যেদিন
সন্ধ্যায় আমি ছাতা মাথায় রাস্তার পাশে ফুটপাথ ধরে
চুপচাপ হেঁটে চলেছিলাম।
রুবায়েৎ আমাকে দেখতে পায়নি।
রুবায়েৎ আমাকে দেখতে পায়নি,
আমার দুচোখের দৃষ্টি-তীর তাকে বারবার করে বিদ্ধ করে চলেছিল নিস্তব্ধে,
রুবায়েৎ বুঝতে পারেনি।
রুবায়েৎ বুঝতে পারেনি, সে দৃষ্টি আমার ভালোবাসার না রাগের না হিংসার না বিরক্তির না লালসার।
আমি বুঝতে দিইনি।
আমি বুঝতে দিইনি রুবায়েৎকে,
বহুদিন ধরে স্বপ্নে ওর কোলে মাথা রেখে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতাম।
যতসব উস্ক তারারা জ্বলে নিভে এক ঝকঝকে আলোর বৃষ্টি নামিয়ে আনতো।
হাওয়ায় কেঁপে ওঠা ঘাসের ওপর সে আলোর ঝলকানি সৃষ্টি করতো ঢেউ।
সে ঢেউয়ে রুবায়েৎকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতাম দূরে
অ-চেতনার পারে, যে পারে আসতো শালিক, সবুজ রঙীন বাগান মালিক, বসতো ডালে।
ইদানিং স্বপ্ন ভুলে দিব্যি আছি, চলছে ভালোই।
রুবায়েৎ তো জানেই না কে-কোথায়-কবে-কী ঘটেছে।
বৃষ্টি আর থামে না, সে সন্ধ্যায় মেঘ অঝোর ধারায় ঝরতে থাকে পিচের ওপর, যে রাস্তার ফুট ধরে আজ হাঁটতে থাকি সুদূর পথে।
আজ আমি রুবায়েৎকে দেখেছি।
- একটা গাধা '২৩
4 notes · View notes
normalweirdoboy · 2 years ago
Text
02-02-23
০২-০২-২৩
My first semester is finally over. It's been a terrific four months at KIIT-DU, Bhubaneswar. I've enjoyed every bit of my newfound college life. Not saying I didn't have my lonely sad-sad days but the happy days probably outweigh them.
I'm 18 now, the first birthday I spent without my parents. This is probably the longest I've been away from my family. I've been through so many new experiences and probably developed as a person too. My social skills have improved. I mean, I can finally go buy a lassi for myself at the foodcourt :) and not forget to take the change back :))) Although UPI helps. Oh yes, I finally know how to use UPI! HEHEHE
I also, finally FINALLY have a stable romantic relationship. Almost five months with my present girlfriend and I want her for lifeeee. My previous romantic ventures weren't so successful as you guys know. I have also been able to move on from my last crush, all thanks to SJ.
I also made some wonderful friends here at KIIT. Funny thing is, I don't know half my own classmates but the class knows me. People I've never talked to are like, "Hey Agni, iska answer bata na" (Hey Agni, what's the answer for this?). And this sudden rise in popularity (I was a fcking loner back in school) is probably because that maths professor made me recite poems in front of the class.
Tumblr media
As far as my academics go... Well, I fcked up my exams. But I HOPEEEE I'll get 70% up?! Pray for me guys ;_;
I mean, I never wanted to join an engineering college in the first place. Yes, I enjoy coding but not the other shit they're teaching here. The new education policy makes us study physics, chemistry, evs, yoga and stuff we'll never require in our professional lives.
Anyways, the campus is being lit up for the Karnival and freshers and it looks beauuuutiful! I mean, it's private college. They needed to use the money extorted from the students somewhere or the other.
Tumblr media Tumblr media Tumblr media
I also visited lots of cool places around here. Sure, Bhubaneswar ain't Kolkata or Mumbai but it sure has some places to see. Like, Shanti Stupa, Nandankanan zoo, Lingaraj, etc etc I've never been outdoors so much 💀
Honestly, the botanical garden ain't much to look at. It might have some endangered species but these people haven't put up name tags for me to recognise. And the Koraput coffee place is overrated and overpriced. Go for it if you're coffee crazy tho... I'll stick to my cheap college cappuccinos, thank you very much.
Anyways, it's already become a second home to me. I do miss Nagaland a lot and Assam too... Brooooo I need to go see the tea gardens againnnn I'm STARVED to see the tea gardens ;;;
Anyways, that's it for now. I'll try to be more regular at posting these but... Well yk, I'm a very busy guy... Need to waste 18 hours a day, then sleep for an hour and attend classes :)
Aight, good day mates!
- normalweirdoboy
3 notes · View notes
bangladeshkhobor · 28 minutes ago
Text
ছাত্র-জনতা হত্যা মামলায় শ্রমিকলীগ নেতা গ্রেপ্তার
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাভারের আশুলিয়া ছাত্র জনতা কে লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। গুলিতে প্রায় অর্ধশতাধিক ছাত্র জনতা নিহত হলে মামলা দায়ের করেন নিহতের পরিবার। এই হত্যা মামলায় শ্রমিক লীগের আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি আকবর হোসেন মৃধাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে তাকে অন্যান্য আসামির সাথে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে আশুলিয়ার…
0 notes
mobilemarrt · 2 hours ago
Text
কালীগঞ্জে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির সন্মেলন অনুষ্ঠিত
সামসুল হক জুয়েল, গাজীপুর থেকে:     বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার আয়োজনে মুজাহিদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ৩ ঘটিকায় কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে মুজাহিদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সন্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি গাজীপুর জেলা…
0 notes
dailycomillanews · 6 hours ago
Text
মাত্র ৪৯ দিনে হাফেজ, ইচ্ছাপূরণ করলেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
মাত্র ৪৯ দিনে হাফেজ হওয়া হাবিবের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ তথ্য জানান। ওই পোস্টে তিনি বলেন, মাত্র ৪৯ দিনে হাফেজ হওয়া হাবিবের সঙ্গে সাক্ষাত করার সৌভাগ্য হলো আজ। মিডিয়া মারফত জানতে পারি, বিরল কৃতিত্বের অধিকারী এই মেধাবী শিশুটি আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চায়। এই খবর দেখামাত্র হাবিবের প্রতি বিশেষ স্নেহ ও ভালোবাসা…
0 notes
speedywonderlandtrash · 7 hours ago
Text
Class 7 Math Annual Exam with Special Model-1 || ৭ম শ্রেণি গণিত বার্ষিক পরীক্ষা স্পেশাল মডেল ১
Tumblr media
Class 7 Math Annual Exam with Special Model-1
গণিত সময় : ৩ ঘণ্টা                    সপ্তম শ্রেণি                     পূর্ণমান : ১০০ ক বিভাগ : নৈর্ব্যক্তিক (২৫ নম্বর) বহুনির্বাচনি প্রশ্ন : (সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ)      ১ × ১৫ = ১৫ ১.  বিট হিসেবে ব্যবহার করা যায় নিচের কোনটি?  (ক) কার্ড       (খ) বাতি (গ) ক ও খ উভয়ই   (ঘ) কোনোটিই নয় ২. কার্ড সংখ্যা ‘n’ হলে মোট কতটি সংখ্যা পাওয়া সম্ভব (০ সহ)? (ক) ২n + ১            (খ) ২n - ১    (গ) ২n                   (ঘ) ২n - ১ ৩.  যে বক্ররেখাটি বৃত্তকে আবদ্ধ করে রাখে তাকে কী বলে? (ক) কেন্দ্র               (খ) পরিধি (গ) ব্যাস                 (ঘ) ব্যাসার্ধ ৪. π এর আসন্ন মান ১৫ ঘর পর্যন্ত সঠিক বের করেন কে? (ক) আইজ্যাক নিউটন        (খ) আর্কিমিডিস (গ) উইলিয়াম জোনস         (ঘ) শ্রীনিবাস রামানুজন Class 7 math exam preparation model ৫. (x2 + 5x + 6) বর্গমিটার ক্ষেত্রফলবিশিষ্ট কোনো আয়তক্ষেত্র���র প্রস্থ  (x + 2) মিটার হলে, এর দৈর্ঘ্য কত?    (ক) (x + 1) মিটার   (খ) (x + 3) মিটার (গ) (x + 4) মিটার    (ঘ) (x + 5) মিটার ৬.  5ab2x2 এবং 10a2by2 এর লসাগু কত?     (ক) 5ab                 (খ) 10 a2b2x2y2     (গ) 5abxy              (ঘ) 10 abx2y2 ৭.   একটি বর্গক্ষেত্রের পরিসীমা ৫২ মিটার হলে, এর ক্ষেত্রফল কত বর্গমিটার? (ক) ১৪৪                 (খ) ১৬৯ (গ) ১৯৬                 (ঘ) ২২৫ ৮.  আয়তাকৃতি ঘনবস্তুর পৃষ্ঠতল কয়টি? (ক) ৬টি                  (খ) ৮টি (গ) ১২টি                 (ঘ) ৪টি ৯.  একটি ঘনকের আয়তন 243 ঘন সেমি হলে, এর কর্ণের দৈর্ঘ্য কত?        (ক) সেমি               (খ)  সেমি (গ) 6 সেমি             (ঘ) 18 সেমি ১০.  কোনো বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল 9 বর্গ মি. হলে, ক্ষেত্রটির এক বাহুর দৈর্ঘ্য কত হবে? (ক) 3 মি.                (খ) 6 মি. (গ) 9 মি.                (ঘ) 1 মি. ১১. = কত? (ক) 6           (খ) 12 (গ) 36                   (ঘ) 60 ৭ম শ্রেণি গণিত বার্ষিক পরীক্ষা -মডেল 5 ১২.     300 × h = 9000 সমীকরণটির সমাধান নিচের কোনটি? (ক) h = 20            (খ) h = 25 (গ) h = 30   (ঘ) h = 35 ১৩.    বিচ্ছিন্ন তথ্যের মূল বৈশিষ্ট্য হলো সময়ের সাথে এগুলো- (ক) পরিবর্তনশীল     (খ) পরিবর্তনশীল নয় (গ) বৃদ্ধি পায়  (ঘ) হ্রাস পায় ১৪.  অবিচ্ছিন্ন তথ্যের গণসংখ্যা নিবেশন সারণি তৈরি করার ক্ষেত্রে কয়টি ধাপ অনুসরণ করা হয়? (ক) ২টি                  (খ) ৩টি (গ) ৪টি                   (ঘ) ৫টি ১৫. Histogram শব্দটি সর্বপ্রথম কে ব্যবহার করেন? (ক) কার্ল পিয়ারসন    (খ) আর. এ. ফিশার (গ) অধ্যাপক বাউলী  (ঘ) কার্ল স্পিয়ারম্যান Class 7 annual math exam practice   এককথায় উত্তর দাও :         ১ × ১০ = ১০ ১৬.    (০ - ৯) পর্যন্ত চিহ্নগুলোকে ইংরেজিতে কী বলে? ১৭.     বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসার্ধের অনুপাত কত? ১৮.     কোন শতকে π এর আসন্ন মান নির্ণয়ে নতুন জোয়ার আসে? ১৯.     (9x4 + 6x3 + 12x2) বর্গ একক ক্ষেত্রফলবিশিষ্ট কোনো আয়তক্ষেত্রের প্রস্থ 3x2 একক হলে এর দৈর্ঘ্য কত? ২০.    আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সূত্র লিখ। ২১.     কোন বস্তুগুলোর শুধুমাত্র দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ বিবেচনা করা হয়? ২২.     x - 4 = 1  সমীকরণের উভয়পক্ষে 4 যোগ করলে কী পাওয়া যাবে? ২৩.    কোনো ব্যক্তি সপ্তাহে 7000 টাকা আয় করলে, একদিনে তার আয় কত? ২৪.     ‘তোমাদের শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১০ জন শিক্ষার্থী ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করে’ পরিসংখ্যানের ভাষায় এটিকে কী বলবে? ২৫.     কোন তথ্যকে বারবার পরিমাপ করলে সংখ্যাগত মানের পরিবর্তন হয় না? খ বিভাগ : সংক্ষিপ্ত ও রচনামূলক (৭৫ নম্বর) ১।       নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :        ২× ১৩ = ২৬ (ক) “RAMANUJAN”    ��ে বাইনারি কোডে রূপান্তরিত করো। (খ)     শিক্ষক গণিত ক্লাসে পড়ানোর সময় শিক্ষার্থীদের বললেন, প্রাচীন যুগে কোনো এক মানবজাতি গণনা ও সংখ্যা তৈরি করতে   এবং   প্রতীক দুটি ব্যবহার করত যা দুই ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতির সাথে সম্পর্কিত। তোমরা যদি ঐ যুগে থাকতে তাহলে ২, ৬, ১১, ১৫, সংখ্যাগুলো কীভাবে প্রকাশ করতে? লিখে দেখাও। (গ)     একটি বৃত্তের ব্যাস ৬ সেমি হলে বৃত্তটির ক্ষেত্রফল নির্ণয় করো। (ঘ)    
Tumblr media
          A - B = কত? (ঙ)    a2 - 16, 3a + 12, a2 + 5a + 4  এর গসাগু নির্ণয় করো। (চ)     a2 + ab, a2 - b2  এর গসাগু নির্ণয় করো। (ছ)     প্যাকেটটির আয়তন নির্ণয় করো।
Tumblr media
(জ)    একটি আয়তাকার ঘনবস্তুর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা যথাক্রমে, 25 সেমি, 20 সেমি এবং 15 সেমি। এর সমগ্রতলের ক্ষেত্রফল ও আয়তন নির্ণয় করো। (ঝ)    সুমি ও রুমির একত্রে 100 টাকা আছে। সুমির টাকা রুমির টাকার 3 গুণ হলে কার কত টাকা আছে? (ঞ)   কত মিটার ফিতাকে ছয় ভাগ করলে প্রত্যেক ভাগের ফিতার দৈর্ঘ্য হবে ১২ মি? (ট)     পরিমাণগত তথ্য কী? পরিমাণগত তথ্যের প্রকারভেদ লিখ। (ঠ)     ২০ জন সহপাঠীর উচ্চতা নিম্নরূপ :           ১২৮, ১২৫, ১৩০, ১৩৫, ১৪০, ১২৯, ১২৮, ১৩৪, ১৪৮, ১৪০, ১৫০, ১৫৫, ১৫২, ১৪০, ১২৮, ১৩০, ১৪০, ১৪২, ১৪৫, ১৪৭           প্রদত্ত উচ্চতার গণসংখ্যার সারণি তৈরি করো। (ড)    বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার একটি ম্যাচে বাংলাদেশ দলের ৪ জন খেলোয়াড়ের রানসংখ্যা পাইচিত্রের মাধ্যমে দেখানো হলো :
Tumblr media
          ৪ জন খেলোয়াড়ের রানসংখ্যা ২৭০ হলে, তামিম এবং মুশফিকের রানসংখ্যা কত? রচনামূলক প্রশ্ন (দৃশ্যপটনির্ভর) : (১০টি থেকে ৭টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ৭)       ৭ × ৭ = ৪৯ ২।       গণিত শিক্ষক ক্লাসে পড়ানোর সময় ২ রোল নম্বরধারী শিক্ষার্থী KARIM  কে বললেন তোমার রোল নম্বর যে ২, একে আমরা ১০ও বলতে পারি। এতে সবাই অবাক হলো। তখন শিক্ষক দুই ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি বুঝিয়ে দিয়ে বললেন যে, তোমাদের নামকেও চাইলে এই পদ্ধতিতে লিখতে পারি। (ক)    দুই ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতিটির নাম কি কারণসহ লেখ।        ১ (খ)     রোল-৭৫ ধারী শিক্ষার্থীর রোলকে বাইনারিতে রূপান্তর করে দেখাও।        ৩ (গ)     KARIM নামের শিক্ষার্থীকে বাইনারিতে প্রকাশ করলে কী হবে? নির্ণয় কর।       ৩ ৩।      চিত্রে একটি চতুর্ভুজ চারটি অর্ধবৃত্ত দ্বারা পরিবেষ্টিত।
Tumblr media
(ক) চতুর্ভুজটির সাহায্যে অর্ধবৃত্তের ব্যাসার্ধ নির্ণয় করো।    ৩ (খ) সমগ্র ক্ষেত্রটির ক্ষেত্রফল বের করো।     ৪ ৪।       দুটি বৃত্তের মধ্যে প্রথম বৃত্তটির পরিধি 12.56 সেমি এবং দ্বিতীয় বৃত্তটির ক্ষেত্রফল 78.5 বর্গ সেমি। (ক)    বৃত্তের পরিধি কাকে বলে?    ১ (খ)     প্রথম বৃত্তটির ব্যাসার্ধ কত?    ৩ (গ)     দ্বিতীয় বৃত্তটির ব্যাস নির্ণয় করো।      ৩ ৫।       P = 3x2 - 16x - 12, Q = 3x2 + 5x + 2, R = 3x2 - x - 2 তিনটি বীজগাণিতিক রাশি। (ক)    উৎপাদকে বিশ্লেষণ বলতে কী বুঝায়?        ১ (খ)     Q এর উৎপাদকগুলো নির্ণয় করো।  ২ (গ)     P, Q, R এর ল.সা.গু নির্ণয় কর।      ৪ ৬।      একটি কাগজের দৈর্ঘ্য 20 সেমি, প্রস্থ 16 সেমি। কাগজটিকে ভাঁজ করে একটি মুখখোলা বাক্স বানানো হলো যেন বাক্সের উচ্চতা 2 সেমি হয়।     (ক)    বাক্সের আয়তন নির্ণয় করবে কিভাবে?        ৩ (খ)     বাক্সের পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল নির্ণয় কর।       ৪ ৭।       নির্দিষ্ট পুরুত্বের কাঠ দিয়ে একটি বাক্স তৈরি করা হলো। বাক্সটির বাই��ের মাপ যথাক্রমে 10 সেমি, 8 সেমি এবং 6 সেমি। বাক্সটির ভিতরের আয়তন 192 ঘন সেমি।   (ক) বাক্সটির ��য়তন কত?   ৩ (খ) বাক্সটি তৈরিতে ব্যবহৃত কাঠের পরিমাণ নির্ণয় করো।   ৪ ৮।      দুইটি সংখ্যার যোগফল 9। ছোটো সংখ্যাটির 5 গুণ বড়ো সংখ্যাটির 4 গুণের সমান। (ক)    প্রদত্ত সমস্যার আলোকে সমীকরণ গঠন করো।      ৩ (খ)     সংখ্যা দুইটির বিয়োগফল নির্ণয় করো।        ৪ ৯।      বাহার ও সোহাগের কাছে 30 টি কলম আছে। বাহারের নিকট সোহাগের চেয়ে 6 টি কলম বেশি আছে। সোহাগের কলম সংখ্যাকে x ধরে একটি সমীকরণ গঠন করা যায়। (ক)    সমীকরণটি গঠন করো।        ১ (খ)     বাহার ও সোহাগের কলম সংখ্যা নির্ণয় করো?       ৩ (গ)     সমীকরণটির সমাধানের সত্যতা যাচাই করে মন্তব্য করো।   ৩ ১০।     একটি সিমেন্ট কারখানায় ৬টি মেশিন আছে। কোন মেশিন দিয়ে কী পরিমাণ সিমেন্ট উৎপাদন হয় তা নিচের চিত্রে দেখানো হলো :
Tumblr media
(ক)    চিত্রটির নাম কী?        ১ (খ)     কোন মেশিন দিয়ে সবচেয়ে বেশি সিমেন্ট এবং কম সিমেন্ট উৎপাদন হয়?        ৩ (গ)     প্রত্যেক মেশিন দিয়ে গড়ে কী পরিমাণ সিমেন্ট উৎপাদন হয়?      ৩ ১১।     কয়েকটি পরিবারের সদস্যদের ওজন (কেজিতে) নিচের দেওয়া হলো :           ৫২.৮, ৬৭.৩, ৩৬.৪, ৬২, ৫৬, ৪৮.৫, ৬৮.২, ১৭.৬, ২২.৩, ৪০.৮, ২৬.৯, ৫৫.৫, ৪৮.৬, ৩৮.৪, ৬৫.৩, ৩২.৮, ৪৫, ১১.৬, ৮.৫, ৩০.২। (ক)    উপযুক্ত শ্রেণিব্যাপ্তি নিয়ে উপাত্তগুলোকে গণসংখ্যা নিবেশন সারণিতে উপস্থাপন করো। ৩ (খ)     উপরোক্ত উপাত্তের ক্ষেত্রে কোন ধরনের লেখচিত্র প্রযোজ্য তা অঙ্কন করে যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করো।          ৪   Read the full article
0 notes
quransunnahdawah · 1 day ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
বন্ধু নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা
Islamic Guidance On Choosing Friends
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
‘জালিম সেদিন নিজের দুই হাত দংশন করতে করতে বলবে, হায় দুর্ভাগ্য, আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম।’ (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ২৮)
ইসলামে বন্ধুত্বের সম্পর্কটা গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। পার্থিব এই জীবনে মূলত সে-ই বেশি সুখী, যার ভালো বন্ধুর সংখ্যা বেশি। বন্ধুত্ব আমাদের একাকিত্বকে যেমন ভুলিয়ে দেয়, ঠিক তেমনি জীবনটাকেও আনন্দে পরিপূর্ণ করে।
যেকোনো মানুষকে চেনা যায় তার বন্ধু কেমন তার মাধ্যমেই, বিপদে যে এগিয়ে আসে, দেখা হলে মহান আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, ভুলত্রুটি যে সংশোধন করে, সে-ই তো প্রকৃত বন্ধু। তাই আমাদের জীবনে যেমন চরিত্রবান বন্ধু প্রয়োজন, ঠিক তেমনি আমাদের ছেলে-মেয়েদের বিকাশের জন্যও প্রয়োজন সৎ ও চরিত্রবান বন্ধু নির্বাচন। বন্ধুর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আমাদের সব সময় প্রভাবিত করে। আমাদের যাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হবে এবং যাদের বর্জন করতে হবে, সে ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক এবং রাসুল (সা.) আমাদের পথ দেখিয়েছেন।
এমনকি নিজের বাবা ও ভাই যদি অবিশ্বাসী হয়, তাহলে তাদের সঙ্গেও বন্ধুত্ব না রাখার আদেশ এসেছে। এই মর্মে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজ পিতা ও ভাইদের অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ কোরো না, যদি তারা ঈমান অপেক্ষা কুফরকে ভালোবাসে।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ২৩)
কোরআনের অন্যত্র এসেছে, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা মুসলমানদের বাদ দিয়ে কাফিরদের বন্ধু বানিয়ো না। তোমরা কি এমনটা করে নিজের ওপর আল্লাহর প্রকাশ্য দলিল কায়েম করে দেবে।
’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৪৪) আবার অন্য ধর্মের লোকদের সঙ্গেও বন্ধুত্ব গ্রহণে ইসলাম সম্পূর্ণ নিষেধ করেছে, মূলত তারা একে অপরের বন্ধু। এই মর্মে ইরশাদ হচ্ছে, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ইহুদি ও খ্রিস্টানদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ কোরো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে। আর আল্লাহ জালিমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।
’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৫১) একজন ঈমানদার যদি ঈমানদার ছাড়া অন্য কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করে, তাহলে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। এই মর্মে ইরশাদ হচ্ছে, ‘মুমিনগণ যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কোনো কাফিরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক থাকবে না।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ২৮)
আমরা যদি মহান আল্লাহকে আমাদের জীবনে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে পারি, তাহলে কোনো ভয় বা চিন্তা আমাদের জীবনে আসবে না। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ তাঁর কালামে পাকে ঘোষণা দিয়েছেন, ‘মনে রেখো, যারা আল্লাহর বন্ধু, তাদের কোনো ভয়ভীতি নেই, তাদের কোনো চিন্তাও নেই।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৬২)
আর বন্ধুত্ব তার সঙ্গেই করতে হবে, যার আছে আল্লাহর ওপর অগাধ বিশ্বাস। এ ব্যাপারে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হচ্ছে, ‘আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের বন্ধু। তারা ভালো কথা শিক্ষা দেয় এবং মন্দ থেকে বিরত রাখে, নামাজ প্রতিষ্ঠা করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করে। এদেরই ওপর আল্লাহ তাআলা দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশীল, সুকৌশলী।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৭১)
বন্ধুত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে মনীষীদেরও দিকনির্দেশনা রয়েছে, ইমাম গাজ্জালি (রহ.) কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হলে তিনটি গুণের দিকে লক্ষ রাখার কথা বলেছেন—১. নেককার ও পুণ্যবান, ২. চরিত্রবান, ৩. জ্ঞানী ও বিচক্ষণ।
হজরত ইমাম জয়নুল আবেদিন তাঁর ছেলে ইমাম মুহাম্মদ আল-বাকিকে উপদেশ দিতে গিয়ে পাঁচ ধরনের মানুষের সঙ্গে বন্ধু নির্বাচন করতে নিষেধ করেছেন—
১. মিথ্যাবাদী, ২. পাপী, ৩. কৃপণ, ৪. বোকা ও আর ৫. যারা স্বজনদের সঙ্গে প্রতারণা করে।
আমাদের প্রত্যেকেরই বন্ধুত্ব করতে হবে পরকালের কল্যাণে মহান আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার নিমিত্তেই। তাই পরকালের কল্যাণের জন্য এ�� দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ বন্ধু নির্বাচন করতে হবে পরিপূর্ণ ঈমানদার দেখে। এ ব্যাপারে কোরআনের নির্দেশ এসেছে, ‘তোমাদের বন্ধু তো আল্লাহ ও তাঁর রাসুল এবং ম���মিনগণ—যারা নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং বিনম্র।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৫৫)
আপনি যার সঙ্গে চলছেন সেই বন্ধুটি ভালো না খারাপ তা নির্ণয় করার কষ্টিপাথর আপনার কাছেই আছে। আসলে কারো সঙ্গে চলার পর যদি ভালো গুণ আপনার ভেতরে আসতে থাকে, তাহলে মনে করতে হবে সে আপনার ভালো বন্ধু। অন্যদিকে যদি খারাপ কিছু আসতে থাকে, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব সেই বন্ধু ত্যাগ করে একাকী জীবন কাটানো এবং ভালো বন্ধু খুঁজে বের করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
তাই বন্ধু নির্বাচনে আমাদের বেশ সতর্ক হতে হবে। আমাদের বন্ধুত্ব করতে হবে একমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। এ জগতে যারা চরিত্রবান, দয়াবান, দেখা হলেই যারা আমাদের মহান আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, যারা সব সময় আমাদের দোষ না খুঁজে বরং সংশোধন করে দেয়, তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের বন্ধন অটুট থাকুক সারাটা জীবন। আমরা আমাদের জীবনে রাসুলে পাক (সা.)-এর হাদিসটি অনুসরণের মাধ্যমে বন্ধুত্ব করে ঈমান পরিপূর্ণ করতে পারি— ‘যে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কাউকে ভালোবাসে এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঘৃণা করে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে দান করে কিংবা না করে, সে তার ঈমান পূর্ণ করে নিল।’ (আবু দাউদ)
The Influence Of Good Company
সৎ মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আল্লাহর রাসুল (সা.) সৎসঙ্গকে আতর বিক্রেতার সঙ্গে তুলনা দিয়ে বলেন, সৎ সঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ মিশক বিক্রেতা ও কর্মকারের হাপরের মতো। আতর বিক্রেতাদের থেকে শূন্য হাতে ফিরে আসবে না। হয়তো তুমি আতর খরিদ করবে, না হয় তার সুঘ্রাণ পাবে। আর কর্মকারের হাপর হয়তো তোমার ঘর অথবা তোমার কাপড় পুড়িয়ে দেবে কিংবা তুমি তার দুর্গন্ধ পাবে। (বুখারি, হাদিস : ২১০১)
উপমার বিশ্লেষণে হাদিসবিশারদরা বলেন, সৎসঙ্গের তুলনা হলো সুগন্ধি বিক্রেতার মতো। সৎসঙ্গে খারাপ অভ্যাস দূর করে, ভুল ক্ষমা করে, দোষ ঢেকে রেখে কল্যাণের কাজে আগ্রহ ও উৎসাহ জোগায়। গুনাহে লিপ্ত হওয়া থেকে বাধা দেয়। এটাই হলো ‘সৎসঙ্গে স্বর্গবাস।’
অন্যদিকে অসৎ সঙ্গ হলো কামারের হাপরের মতো। যার পাশে থাকবে হয়তো কাপড় জ্বালিয়ে  দেবে আর না হয় দুর্গন্ধ ছড়াবে। এই উপমা ওই হতভাগ্য ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য, যে কিয়ামতের দিন কপাল চাপড়ে হা-হুতাশ করবে।
কারণ সে এমন কতক পাপিষ্ঠকে বন্ধু বানিয়েছিল, যারা তাকে ইসলামের আদর্শ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে এবং পাপের পথে টেনে নিয়ে গোমরাহির অতলগহ্বরে ডুবিয়েই ক্ষান্ত হয়েছে। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘জালেম সেদিন নিজের দুই হাত দংশন করতে করতে বলবে—হায় আফসোস! আমি যদি রাসুলের ��ঙ্গে পথ অবলম্বন করতাম। হায়, আমার দুর্ভাগ্য! আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম। আমার কাছে উপদেশ আসার পর সে আমাকে তা থেকে বিভ্রান্ত করেছিল। শয়তান মানুষকে বিপদকালে ধোঁকা দেয়।’ (সুরা : আল ফুরকান, আয়াত : ২৭-২৯)
সৎসঙ্গ প্রসঙ্গে জনৈক জ্ঞানী ব্যক্তি কতই না সুন্দর বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তির ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রথমে তার সঙ্গীর ব্যাপারে খবর নাও। কারণ প্রত্যেক মানুষ তার সাথির অনুসরণ করে থাকে। যখন তুমি একদল লোকের সঙ্গে থাকবে তখন ভালো লোকদের সঙ্গ গ্রহণ করো; মন্দ সঙ্গ নয়। অন্যথায় খারাপদের সঙ্গে মিশে তুমিও খারাপ হয়ে যাবে।’ (মুখতাসারু তারিখে দিমাশক : ২০/৩৫)
আর বন্ধু গ্��হণ ও বন্ধুত্বের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে নবীজি (সা.)-এর চাচা আবু তালিবের মৃত্যুর সময়কার প্রসিদ্ধ ঘটনা তে আজও ইতিহাস হয়ে আছে। সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যাব (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু তালিবের মৃত্যুর সময় উপস্থিত হলে আল্লাহর রাসুল (সা.) তার নিকট আসলেন। তিনি সেখানে আবু জাহল ইবনে হিশাম ও আবদুল্লাহ‌ ইবনে আবু উমায়্যা ইবনে মুগিরাকে উপস্থিত দেখতে পেলেন। (রাবি বলেন) তখন আল্লাহর রাসুল (সা.) আবু তালিবকে লক্ষ্য করে বলেন, চাচাজান, ‘লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু’ কলেমা পাঠ করুন, তাহলে এর অসিলায় আমি আল্লাহর সমীপে আপনার জন্য সাক্ষ্য দিতে পারব। 
আবু জাহল ও ‘আবদুল্লাহ ইবনে আবু উমায়্যা বলে উঠল, ওহে আবু তালিব! তুমি কি আবদুল মুত্তালিবের ধর্ম হতে বিমুখ হবে? অতঃপর আল্লাহর রাসুল (সা.) তার নিকট কলেমা পেশ করতে থাকেন। আর তারা দুজনও তাদের উক্তি পুনরাবৃত্তি করতে থাকে। অবশেষে আবু তালিব তাদের সামনে শেষ কথাটি যা বলল, তা এই যে, সে আবদুল মুত্তালিবের ধর্মের ওপর অবিচল রয়েছে। ‘লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু’ বলতে অস্বীকার করল। এ অবস্থা দেখে আল্লাহর রাসুল (সা.) বললেন, আল্লাহর কসম! তবু আমি আপনার জন্য মাগফিরাত কামনা করতে থাকব, যতক্ষণ না আমাকে তা হতে নিষেধ করা হয়। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা নাজিল করেন, (নবীর জন্য সংগত নয়......)  [সুরা : তাওবা, আয়াত : ১১৩]। (বুখারি, হাদিস : ১৩৬০)
ইমাম ইবনে কায়্যিম (রহ.) বন্ধুত্বকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন। ১. গিজা তথা খাবারের মতো, যা সব সময় জরুরি। তা হলো সৎসঙ্গী। ২. দাওয়া ও ওষুধ। যেকোনো সময় কাজে লাগতে পারে। ভালো-মন্দের মিশেল। ৩. দা বা অসুখ। যা না থাকাই ভালো। অসৎ সঙ্গী। ইমাম মালিক ইবনে দিনার (রহ.) বলেন, সৎ লোকের সঙ্গে পাথর বহন, অসৎ লোকের সঙ্গে বসে খবিস (খেজুর ও ঘি মিশ্রিত এক প্রকার মিষ্টান্ন) আহার করা থেকে উত্তম। (আল্লাহ আমাদের সবাইকে সৎসঙ্গ গ্রহণের তাওফিক দান করুন।)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
বন্ধু নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা
Islamic Guidance On Choosing Friends
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 1 day ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
বন্ধু নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা
Islamic Guidance On Choosing Friends
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
‘জালিম সেদিন নিজের দুই হাত দংশন করতে করতে বলবে, হায় দুর্ভাগ্য, আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম।’ (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ২৮)
ইসলামে বন্ধুত্বের সম্পর্কটা গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। পার্থিব এই জীবনে মূলত সে-ই বেশি সুখী, যার ভালো বন্ধুর সংখ্যা বেশি। বন্ধুত্ব আমাদের একাকিত্বকে যেমন ভুলিয়ে দেয়, ঠিক তেমনি জীবনটাকেও আনন্দে পরিপূর্ণ করে।
যেকোনো মানুষকে চেনা যায় তার বন্ধু কেমন তার মাধ্যমেই, বিপদে যে এগিয়ে আসে, দেখা হলে মহান আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, ভুলত্রুটি যে সংশোধন করে, সে-ই তো প্রকৃত বন্ধু। তাই আমাদের জীবনে যেমন চরিত্রবান বন্ধু প্রয়োজন, ঠিক তেমনি আমাদের ছেলে-মেয়েদের বিকাশের জন্যও প্রয়োজন সৎ ও চরিত্রবান বন্ধু নির্বাচন। বন্ধুর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আমাদের সব সময় প্রভাবিত করে। আমাদের যাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হবে এবং যাদের বর্জন করতে হবে, সে ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক এবং রাসুল (সা.) আমাদের পথ দেখিয়েছেন।
এমনকি নিজের বাবা ও ভাই যদি অবিশ্বাসী হয়, তাহলে তাদের সঙ্গেও বন্ধুত্ব না রাখার আদেশ এসেছে। এই মর্মে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজ পিতা ও ভাইদের অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ কোরো না, যদি তারা ঈমান অপেক্ষা কুফরকে ভালোবাসে।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ২৩)
কোরআনের অন্যত্র এসেছে, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা মুসলমানদের বাদ দিয়ে কাফিরদের বন্ধু বানিয়ো না। তোমরা কি এমনটা করে নিজের ওপর আল্লাহর প্রকাশ্য দলিল কায়েম করে দেবে।
’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৪৪) আবার অন্য ধর্মের লোকদের সঙ্গেও বন্ধুত্ব গ্রহণে ইসলাম সম্পূর্ণ নিষেধ করেছে, মূলত তারা একে অপরের বন্ধু। এই মর্মে ইরশাদ হচ্ছে, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ইহুদি ও খ্রিস্টানদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ কোরো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে। আর আল্লাহ জালিমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।
’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৫১) একজন ঈমানদার যদি ঈমানদার ছাড়া অন্য কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করে, তাহলে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। এই মর্মে ইরশাদ হচ্ছে, ‘মুমিনগণ যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কোনো কাফিরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক থাকবে না।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ২৮)
আমরা যদি মহান আল্লাহকে আমাদের জীবনে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে পারি, তাহলে কোনো ভয় বা চিন্তা আমাদের জীবনে আসবে না। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ তাঁর কালামে পাকে ঘোষণা দিয়েছেন, ‘মনে রেখো, যারা আল্লাহর বন্ধু, তাদের কোনো ভয়ভীতি নেই, তাদের কোনো চিন্তাও নেই।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৬২)
আর বন্ধুত্ব তার সঙ্গেই করতে হবে, যার আছে আল্লাহর ওপর অগাধ বিশ্বাস। এ ব্যাপারে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হচ্ছে, ‘আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের বন্ধু। তারা ভালো কথা শিক্ষা দেয় এবং মন্দ থেকে বিরত রাখে, নামাজ প্রতিষ্ঠা করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করে। এদেরই ওপর আল্লাহ তাআলা দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশীল, সুকৌশলী।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৭১)
বন্ধুত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে মনীষীদেরও দিকনির্দেশনা রয়েছে, ইমাম গাজ্জালি (রহ.) কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হলে তিনটি গুণের দিকে লক্ষ রাখার কথা বলেছেন—১. নেককার ও পুণ্যবান, ২. চরিত্রবান, ৩. জ্ঞানী ও বিচক্ষণ।
হজরত ইমাম জয়নুল আবেদিন তাঁর ছেলে ইমাম মুহাম্মদ আল-বাকিকে উপদেশ দিতে গিয়ে পাঁচ ধরনের মানুষের সঙ্গে বন্ধু নির্বাচন করতে নিষেধ করেছেন—
১. মিথ্যাবাদী, ২. পাপী, ৩. কৃপণ, ৪. বোকা ও আর ৫. যারা স্বজনদের সঙ্গে প্রতারণা করে।
আমাদের প্রত্যেকেরই বন্ধুত্ব করতে হবে পরকালের কল্যাণে মহান আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার নিমিত্তেই। তাই পরকালের কল্যাণের জন্য এই দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ বন্ধু নির্বাচন করতে হবে পরিপূর্ণ ঈমানদার দেখে। এ ব্যাপারে কোরআনের নির্দেশ এসেছে, ‘তোমাদের বন্ধু তো আল্লাহ ও তাঁর রাসুল এবং মুমিনগণ—যারা নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং বিনম্র।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৫৫)
আপনি যার সঙ্গে চলছেন সেই বন্ধুটি ভালো না খারাপ তা নির্ণয় করার কষ্টিপাথর আপনার কাছেই আছে। আসলে কারো সঙ্গে চলার পর যদি ভালো গুণ আপনার ভেতরে আসতে থাকে, তাহলে মনে করতে হবে সে আপনার ভালো বন্ধু। অন্যদিকে যদি খারাপ কিছু আসতে থাকে, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব সেই বন্ধু ত্যাগ করে একাকী জীবন কাটানো এবং ভালো বন্ধু খুঁজে বের করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
তাই বন্ধু নির্বাচনে আমাদের বেশ সতর্ক হতে হবে। আমাদের বন্ধুত্ব করতে হবে একমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। এ জগতে যারা চরিত্রবান, দয়াবান, দেখা হলেই যারা আমাদের মহান আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, যারা সব সময় আমাদের দোষ না খুঁজে বরং সংশোধন করে দেয়, তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের বন্ধন অটুট থাকুক সারাটা জীবন। আমরা আমাদের জীবনে রাসুলে পাক (সা.)-এর হাদিসটি অনুসরণের মাধ্যমে বন্ধুত্ব করে ঈমান পরিপূর্ণ করতে পারি— ‘যে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কাউকে ভালোবাসে এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঘৃণা করে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে দান করে কিংবা না করে, সে তার ঈমান পূর্ণ করে নিল।’ (আবু দাউদ)
The Influence Of Good Company
সৎ মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আল্লাহর রাসুল (সা.) সৎসঙ্গকে আতর বিক্রেতার সঙ্গে তুলনা দিয়ে বলেন, সৎ সঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ মিশক বিক্রেতা ও কর্মকারের হাপরের মতো। আতর বিক্রেতাদের থেকে শূন্য হাতে ফিরে আসবে না। হয়তো তুমি আতর খরিদ করবে, না হয় তার সুঘ্রাণ পাবে। আর কর্মকারের হাপর হয়তো তোমার ঘর অথবা তোমার কাপড় পুড়িয়ে দেবে কিংবা তুমি তার দুর্গন্ধ পাবে। (বুখারি, হাদিস : ২১০১)
উপমার বিশ্লেষণে হাদিসবিশারদরা বলেন, সৎসঙ্গের তুলনা হলো সুগন্ধি বিক্রেতার মতো। সৎসঙ্গে খারাপ অভ্যাস দূর করে, ভুল ক্ষমা করে, দোষ ঢেকে রেখে কল্যাণের কাজে আগ্রহ ও উৎসাহ জোগায়। গুনাহে লিপ্ত হওয়া থেকে বাধা দেয়। এটাই হলো ‘সৎসঙ্গে স্বর্গবাস।’
অন্যদিকে অসৎ সঙ্গ হলো কামারের হাপরের মতো। যার পাশে থাকবে হয়তো কাপড় জ্বালিয়ে  দেবে আর না হয় দুর্গন্ধ ছড়াবে। এই উপমা ওই হতভাগ্য ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য, যে কিয়ামতের দিন কপাল চাপড়ে হা-হুতাশ করবে।
কারণ সে এমন কতক পাপিষ্ঠকে বন্ধু বানিয়েছিল, যারা তাকে ইসলামের আদর্শ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে এবং পাপের পথে টেনে নিয়ে গোমরাহির অতলগহ্বরে ডুবিয়েই ক্ষান্ত হয়েছে। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘জালেম সেদিন নিজের দুই হাত দংশন করতে করতে বলবে—হায় আফসোস! আমি যদি রাসুলের সঙ্গে পথ অবলম্বন করতাম। হায়, আমার দুর্ভাগ্য! আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম। আমার কাছে উপদেশ আসার পর সে আমাকে তা থেকে বিভ্রান্ত করেছিল। শয়তা��� মানুষকে বিপদকালে ধোঁকা দেয়।’ (সুরা : আল ফুরকান, আয়াত : ২৭-২৯)
সৎসঙ্গ প্রসঙ্গে জনৈক জ্ঞানী ব্যক্তি কতই না সুন্দর বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তির ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রথমে তার সঙ্গীর ব্যাপারে খবর নাও। কারণ প্রত্যেক মানুষ তার সাথির অনুসরণ করে থাকে। যখন তুমি একদল লোকের সঙ্গে থাকবে তখন ভালো লোকদের সঙ্গ গ্রহণ করো; মন্দ সঙ্গ নয়। অন্যথায় খারাপদের সঙ্গে মিশে তুমিও খারাপ হয়ে যাবে।’ (মুখতাসারু তারিখে দিমাশক : ২০/৩৫)
আর বন্ধু গ্রহণ ও বন্ধুত্বের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে নবীজি (সা.)-এর চাচা আবু তালিবের মৃত্যুর সময়কার প্রসিদ্ধ ঘটনা তে আজও ইতিহাস হয়ে আছে। সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যাব (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু তালিবের মৃত্যুর সময় উপস্থিত হলে আল্লাহর রাসুল (সা.) তার নিকট আসলেন। তিনি সেখানে আবু জাহল ইবনে হিশাম ও আবদুল্লাহ‌ ইবনে আবু উমায়্যা ইবনে মুগিরাকে উপস্থিত দেখতে পেলেন। (রাবি বলেন) তখন আল্লাহর রাসুল (সা.) আবু তালিবকে লক্ষ্য করে বলেন, চাচাজান, ‘লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু’ কলেমা পাঠ করুন, তাহলে এর অসিলায় আমি আল্লাহর সমীপে আপনার জন্য সাক্ষ্য দিতে পারব। 
আবু জাহল ও ‘আবদুল্লাহ ইবনে আবু উমায়্যা বলে উঠল, ওহে আবু তালিব! তুমি কি আবদুল মুত্তালিবের ধর্ম হতে বিমুখ হবে? অতঃপর আল্লাহর রাসুল (সা.) তার নিকট কলেমা পেশ করতে থাকেন। আর তারা দুজনও তাদের উক্তি পুনরাবৃত্তি করতে থাকে। অবশেষে আবু তালিব তাদের সামনে শেষ কথাটি যা বলল, তা এই যে, সে আবদুল মুত্তালিবের ধর্মের ওপর অবিচল রয়েছে। ‘লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু’ বলতে অস্বীকার করল। এ অবস্থা দেখে আল্লাহর রাসুল (সা.) বললেন, আল্লাহর কসম! তবু আমি আপনার জন্য মাগফিরাত কামনা করতে থাকব, যতক্ষণ না আমাকে তা হতে নিষেধ করা হয়। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা নাজিল করেন, (নবীর জন্য সংগত নয়......)  [সুরা : তাওবা, আয়াত : ১১৩]। (বুখারি, হাদিস : ১৩৬০)
ইমাম ইবনে কায়্যিম (রহ.) বন্ধুত্বকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন। ১. গিজা তথা খাবারের মতো, যা সব সময় জরুরি। তা হলো সৎসঙ্গী। ২. দাওয়া ও ওষুধ। যেকোনো সময় কাজে লাগতে পারে। ভালো-মন্দের মিশেল। ৩. দা বা অসুখ। যা না থাকাই ভালো। অসৎ সঙ্গী। ইমাম মালিক ইবনে দিনার (রহ.) বলেন, সৎ লোকের সঙ্গে পাথর বহন, অসৎ লোকের সঙ্গে বসে খবিস (খেজুর ও ঘি মিশ্রিত এক প্রকার মিষ্টান্ন) আহার করা থেকে উত্তম। (আল্লাহ আমাদের সবাইকে সৎসঙ্গ গ্রহণের তাওফিক দান করুন।)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
বন্ধু নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা
Islamic Guidance On Choosing Friends
0 notes
ilyforallahswt · 1 day ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
বন্ধু নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা
Islamic Guidance On Choosing Friends
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
‘জালিম সেদিন নিজের দুই হাত দংশন করতে করতে বলবে, হায় দুর্ভাগ্য, আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম।’ (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ২৮)
ইসলামে বন্ধুত্বের সম্পর্কটা গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। পার্থিব এই জীবনে মূলত সে-ই বেশি সুখী, যার ভালো বন্ধুর সংখ্যা বেশি। বন্ধুত্ব আমাদের একাকিত্বকে যেমন ভুলিয়ে দেয়, ঠিক তেমনি জীবনটাকেও আনন্দে পরিপূর্ণ করে।
যেকোনো মানুষকে চেনা যায় তার বন্ধু কেমন তার মাধ্যমেই, বিপদে যে এগিয়ে আসে, দেখা হলে মহান আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, ভুলত্রুটি যে সংশোধন করে, সে-ই তো প্রকৃত বন্ধু। তাই আমাদের জীবনে যেমন চরিত্রবান বন্ধু প্রয়োজন, ঠিক তেমনি আমাদের ছেলে-মেয়েদের বিকাশের জন্যও প্রয়োজন সৎ ও চরিত্রবান বন্ধু নির্বাচন। বন্ধুর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আমাদের সব সময় প্রভাবিত করে। আমাদের যাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হবে এবং যাদের বর্জন করতে হবে, সে ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক এবং রাসুল (সা.) আমাদের পথ দেখিয়েছেন।
এমনকি নিজের বাবা ও ভাই যদি অবিশ্বাসী হয়, তাহলে তাদের সঙ্গেও বন্ধুত্ব না রাখার আদেশ এসেছে। এই মর্মে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজ পিতা ও ভাইদের অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ কোরো না, যদি তারা ঈমান অপেক্ষা কুফরকে ভালোবাসে।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ২৩)
কোরআনের অন্যত্র এসেছে, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা মুসলমানদের বাদ দিয়ে কাফিরদের বন্ধু বানিয়ো না। তোমরা কি এমনটা করে নিজের ওপর আল্লাহর প্রকাশ্য দলিল কায়েম করে দেবে।
’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৪৪) আবার অন্য ধর্মের লোকদের সঙ্গেও বন্ধুত্ব গ্রহণে ইসলাম সম্পূর্ণ নিষেধ করেছে, মূলত তারা একে অপরের বন্ধু। এই মর্মে ইরশাদ হচ্ছে, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ইহুদি ও খ্রিস্টানদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ কোরো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে। আর আল্লাহ জালিমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।
’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৫১) একজন ঈমানদার যদি ঈমানদার ছাড়া অন্য কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করে, তাহলে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। এই মর্মে ইরশাদ হচ্ছে, ‘মুমিনগণ যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কোনো কাফিরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক থাকবে না।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ২৮)
আমরা যদি মহান আল্লাহকে আমাদের জীবনে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে পারি, তাহলে কোনো ভয় বা চিন্তা আমাদের জীবনে আসবে না। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ তাঁর কালামে পাকে ঘোষণা দিয়েছেন, ‘মনে রেখো, যারা আল্লাহর বন্ধু, তাদের কোনো ভয়ভীতি নেই, তাদের কোনো চিন্তাও নেই।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৬২)
আর বন্ধুত্ব তার সঙ্গেই করতে হবে, যার আছে আল্লাহর ওপর অগাধ বিশ্বাস। এ ব্যাপারে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হচ্ছে, ‘আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের বন্ধু। তারা ভালো কথা শিক্ষা দেয় এবং মন্দ থেকে বিরত রাখে, নামাজ প্রতিষ্ঠা করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করে। এদেরই ওপর আল্লাহ তাআলা দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশীল, সুকৌশলী।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৭১)
বন্ধুত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে মনীষীদেরও দিকনির্দেশনা রয়েছে, ইমাম গাজ্জালি (রহ.) কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হলে তিনটি গুণের দিকে লক্ষ রাখার কথা বলেছেন—১. নেককার ও পুণ্যবান, ২. চরিত্রবান, ৩. জ্ঞানী ও বিচক্ষণ।
হজরত ইমাম জয়নুল আবেদিন তাঁর ছেলে ইমাম মুহাম্মদ আল-বাকিকে উপদেশ দিতে গিয়ে পাঁচ ধরনের মানুষের সঙ্গে বন্ধু নির্বাচন করতে নিষেধ করেছেন—
১. মিথ্যাবাদী, ২. পাপী, ৩. কৃপণ, ৪. বোকা ও আর ৫. যারা স্বজনদের সঙ্গে প্রতারণা করে।
আমাদের প্রত্যেকেরই বন্ধুত্ব করতে হবে পরকালের কল্যাণে মহান আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার নিমিত্তেই। তাই পরকালের কল্যাণের জন্য এই দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ বন্ধু নির্বাচন করতে হবে পরিপূর্ণ ঈমানদার দেখে। এ ব্যাপারে কোরআনের নির্দেশ এসেছে, ‘তোমাদের বন্ধু তো আল্লাহ ও তাঁর রাসুল এবং মুমিনগণ—যারা নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং বিনম্র।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৫৫)
আপনি যার সঙ্গে চলছেন সেই বন্ধুটি ভালো না খারাপ তা নির্ণয় করার কষ্টিপাথর আপনার কাছেই আছে। আসলে কারো সঙ্গে চলার পর যদি ভালো গুণ আপনার ভেতরে আসতে থাকে, তাহলে মনে করতে হবে সে আপনার ভালো বন্ধু। অন্যদিকে যদি খারাপ কিছু আসতে থাকে, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব সেই বন্ধু ত্যাগ করে একাকী জীবন কাটানো এবং ভালো বন্ধু খুঁজে বের করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
তাই বন্ধু নির্বাচনে আমাদের বেশ সতর্ক হতে হবে। আমাদের বন্ধুত্ব করতে হবে একমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। এ জগতে যারা চরিত্রবান, দয়াবান, দেখা হলেই যারা আমাদের মহান আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, যারা সব সময় আমাদের দোষ না খুঁজে বরং সংশোধন করে দেয়, তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের বন্ধন অটুট থাকুক সারাটা জীবন। আমরা আমাদের জীবনে রাসুলে পাক (সা.)-এর হাদিসটি অনুসরণের মাধ্যমে বন্ধুত্ব করে ঈমান পরিপূর্ণ করতে পারি— ‘যে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কাউকে ভালোবাসে এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঘৃণা করে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে দান করে কিংবা না করে, সে তার ঈমান পূর্ণ করে নিল।’ (আবু দাউদ)
The Influence Of Good Company
সৎ মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আল্লাহর রাসুল (সা.) সৎসঙ্গকে আতর বিক্রেতার সঙ্গে তুলনা দিয়ে বলেন, সৎ সঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ মিশক বিক্রেতা ও কর্মকারের হাপরের মতো। আতর বিক্রেতাদের থেকে শূন্য হাতে ফিরে আসবে না। হয়তো তুমি আতর খরিদ করবে, না হয় তার সুঘ্রাণ পাবে। আর কর্মকারের হাপর হয়তো তোমার ঘর অথবা তোমার কাপড় পুড়িয়ে দেবে কিংবা তুমি তার দুর্গন্ধ পাবে। (বুখারি, হাদিস : ২১০১)
উপমার বিশ্লেষণে হাদিসবিশারদরা বলেন, সৎসঙ্গের তুলনা হলো সুগন্ধি বিক্রেতার মতো। সৎসঙ্গে খারাপ অভ্যাস দূর করে, ভুল ক্ষমা করে, দোষ ঢেকে রেখে কল্যাণের কাজে আগ্রহ ও উৎসাহ জোগায়। গুনাহে লিপ্ত হওয়া থেকে বাধা দেয়। এটাই হলো ‘সৎসঙ্গে স্বর্গবাস।’
অন্যদিকে অসৎ সঙ্গ হলো কামারের হাপরের মতো। যার পাশে থাকবে হয়তো কাপড় জ্বালিয়ে  দেবে আর না হয় দুর্গন্ধ ছড়াবে। এই উপমা ওই হতভাগ্য ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য, যে কিয়ামতের দিন কপাল চাপড়ে হা-হুতাশ করবে���
কারণ সে এমন কতক পাপিষ্ঠকে বন্ধু বানিয়েছিল, যারা তাকে ইসলামের আদর্শ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে এবং পাপের পথে টেনে নিয়ে গোমরাহির অতলগহ্বরে ডুবিয়েই ক্ষান্ত হয়েছে। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘জালেম সেদিন নিজের দুই হাত দংশন করতে করতে বলবে—হায় আফসোস! আমি যদি রাসুলের সঙ্গে পথ অবলম্বন করতাম। হায়, আমার দুর্ভাগ্য! আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম। আমার কাছে উপদেশ আসার পর সে আমাকে তা থেকে বিভ্রান্ত করেছিল। শয়তান মানুষকে বিপদকালে ধোঁকা দেয়।’ (সুরা : আল ফুরকান, আয়াত : ২৭-২৯)
সৎসঙ্গ প্রসঙ্গে জনৈক জ্ঞানী ব্যক্তি কতই না সুন্দর বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তির ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রথমে তার সঙ্গীর ব্যাপারে খবর নাও। কারণ প্রত্যেক মানুষ তার সাথির অনুসরণ করে থাকে। যখন তুমি একদল লোকের সঙ্গে থাকবে তখন ভালো লোকদের সঙ্গ গ্রহণ করো; মন্দ সঙ্গ নয়। অন্যথায় খারাপদের সঙ্গে মিশে তুমিও খারাপ হয়ে যাবে।’ (মুখতাসারু তারিখে দিমাশক : ২০/৩৫)
আর বন্ধু গ্রহণ ও বন্ধুত্বের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে নবীজি (সা.)-এর চাচা আবু তালিবের মৃত্যুর সময়কার প্রসিদ্ধ ঘটনা তে আজও ইতিহাস হয়ে আছে। সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যাব (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু তালিবের মৃত্যুর সময় উপস্থিত হলে আল্লাহর রাসুল (সা.) তার নিকট আসলেন। তিনি সেখানে আবু জাহল ইবনে হিশাম ও আবদুল্লাহ‌ ইবনে আবু উমায়্যা ইবনে মুগিরাকে উপস্থিত দেখতে পেলেন। (রাবি বলেন) তখন আল্লাহর রাসুল (সা.) আবু তালিবকে লক্ষ্য করে বলেন, চাচাজান, ‘লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু’ কলেমা পাঠ করুন, তাহলে এর অসিলায় আমি আল্লাহর সমীপে আপনার জন্য সাক্ষ্য দিতে পারব। 
আবু জাহল ও ‘আবদুল্লাহ ইবনে আবু উমায়্যা বলে উঠল, ওহে আবু তালিব! তুমি কি আবদুল মুত্তালিবের ধর্ম হতে বিমুখ হবে? অতঃপর আল্লাহর রাসুল (সা.) তার নিকট কলেমা পেশ করতে থাকেন। আর তারা দুজনও তাদের উক্তি পুনরাবৃত্তি করতে থাকে। অবশেষে আবু তালিব তাদের সামনে শেষ কথাটি যা বলল, তা এই যে, সে আবদুল মুত্তালিবের ধর্মের ওপর অবিচল রয়েছে। ‘লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু’ বলতে অস্বীকার করল। এ অবস্থা দেখে আল্লাহর রাসুল (সা.) বললেন, আল্লাহর কসম! তবু আমি আপনার জন্য মাগফিরাত কামনা করতে থাকব, যতক্ষণ না আমাকে তা হতে নিষেধ করা হয়। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা নাজিল করেন, (নবীর জন্য সংগত নয়......)  [সুরা : তাওবা, আয়াত : ১১৩]। (বুখারি, হাদিস : ১৩৬০)
ইমাম ইবনে কায়্যিম (রহ.) বন্ধুত্বকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন। ১. গিজা তথা খাবারের মতো, যা সব সময় জরুরি। তা হলো সৎসঙ্গী। ২. দাওয়া ও ওষুধ। যেকোনো সময় কাজে লাগতে পারে। ভালো-মন্দের মিশেল। ৩. দা বা অসুখ। যা না থাকাই ভালো। অসৎ সঙ্গী। ইমাম মালিক ইবনে দিনার (রহ.) বলেন, সৎ লোকের সঙ্গে পাথর বহন, অসৎ লোকের সঙ্গে বসে খবিস (খেজুর ও ঘি মিশ্রিত এক প্রকার মিষ্টান্ন) আহার করা থেকে উত্তম। (আল্লাহ আমাদের সবাইকে সৎসঙ্গ গ্রহণের তাওফিক দান করুন।)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
বন্ধু নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা
Islamic Guidance On Choosing Friends
0 notes