#২৩
Explore tagged Tumblr posts
alibaba1xk · 2 years ago
Text
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে স্থগিত হওয়া এসএসসি পরীক্ষা ২৩ মে’র পর
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা’র কারণে স্থগিত হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষাগুলো আগামী ২৩ মে’র পর নেওয়া হবে।  সব বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে সুনির্দিষ্ট সময়সূচি পরে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। আজ সোমবার রাজধানীর সরকারি টিচার ট্রেনিং কলেজে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ ২০২৩-এর জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
kanhudas · 2 years ago
Text
Tumblr media
11 notes · View notes
guardianpubs17 · 3 months ago
Text
ইসলামি ফাউন্ডেশন বইমেলা ২০২৪ – যেভাবে আসবেন!
‘ইসলামি ফাউন্ডেশন বইমেলা-২৪’
চলবে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত!
বাইতুল মোকাররম মসজিদের পূর্ব গেইটে আপনাকে স্বাগত!
0 notes
bijaybhgat · 1 year ago
Text
Tumblr media
0 notes
thisisnotmyname · 1 year ago
Text
The police has murdered another garment worker in Bangladesh. They opened fire on a group of protesting garment workers in Gazipur. Over thirty were injured as well.
The victim's name was Anjuara Begum. The police are as usual denying she was killed by their bullets, even though shotgun shots were retrieved from her body. The mainstream media is avoiding words like murder or kill while reporting incidents like this, and some news is not being made available in English. The ongoing garment workers' strike is being ignored as well.
10 notes · View notes
suoxi-hospital · 2 years ago
Text
Tumblr media
Anti-Aging এবং শরীরকে Detox করতে নিয়মিত পান করুন মরিঙ্গা চা
মরিঙ্গা কি?
আপনি কী জানেন সজনে গাছের বৈজ্ঞানিক নাম মরিঙ্গা ওলেইফে, যা ৩০০ ধরনের রোগের সমাধানে একাই একশো? অসম্ভব ঔষধি গুণে ��রপুর থাকার কারণে মরিঙ্গাকে মিরাকেল ট্রি বলা হয়ে থাকে। পুষ্টি বিজ্ঞানীরা মরিঙ্গাকে পুষ্টির ডিনামাইট তথা ন্যাচারাল মাল্টি-ভিটামিন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এই গাছের পাতাকে বলা হয় ‘সুপার ফুড অব নিউট্রিশন’। এটি প্রায় ৩০০ ধরণের রোগের ক্ষেত্রে কার্যকর।
মরিঙ্গা পাতার গুঁড়োর রয়েছে বিশেষ গুণাগুণ। জেনে অবাক হবেন যে, মরিঙ্গার পাতায় রয়েছে কমলার চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি এবং কলার থেকে ১৫ গুণ বেশি পটাসিয়াম রয়েছে, দুধের চেয়েও বেশি ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ও জিংক রয়েছে। এই মরিঙ্গা পাতাকে শাক হিসেবে খাওয়া হয়। এতে শরীরের শ্রমজনিত ক্লান্তি এবং শরীরের ব্যথা থাকলে তা সহজেই দূর হয়।
মরিঙ্গা (সজিনা) গাছ কি?
সজিনা একটি অতি পরিচিত দামি এবং সুস্বাদু সবজি। সজিনার ইংরেজি নাম Drumstick এবং বৈজ্ঞানিক নাম Moringa Oleifera উৎপত্তিস্থল পাক-ভারত উপমহাদেশ হলেও এ গাছ শীত প্রধান দেশ ব্যতীত সারা পৃথিবীতেই জন্মে।
বারোমাসি সজিনার জাত প্রায় সারা বছরই বার বার ফলন দেয়। গাছে সব সময় ফুল, কচি পড দেখা যায়। আমাদের দেশে ২-৩ প্রকার সজিনা পাওয়া যায়। বসতবাড়ির জন্য সজিনা একটি আদর্শ সবজি গাছ।
মরিঙ্গা গাছের বৈশিষ্ট্য
এটি মূলত দ্রুত বর্ধনশীল গাছ এশিয়ান, যদিও আমরা এটি ক্রান্তীয় অঞ্চলে জুড়ে পাই। ইতিহাস সহ এমন একটি গাছ যা এশিয়ান medicineষধে বহু শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি নির্জন অঞ্চলগুলিকে পুনর্নির্মাণের জন্যও ব্যবহৃত হয়, পরিবেশের সাথে এর উচ্চ অভিযোজন এবং তার দ্রুত বৃদ্ধি দেওয়া
পাতাগুলি এবং বীজ উভয়ই উপকারী, এগুলি আমাদের দেহের উন্নতিতে ব্যবহার করা হয়, কারণ বীজগুলি প্রাকৃতিকভাবে জলকে শুদ্ধ করে যে সিনথেটিক পণ্য ব্যবহারের প্রয়োজন নেই যা আমরা বর্তমানে বাজারে পাই।
এর পাতা ছোট এবং গোলাকার হয়। তারা গঠিত হয় প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, বিটা ক্যারোটিন, পটাসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি ইত্যাদি
মরিঙ্গা পাতার গুণাগুণ
বিজ্ঞানীরা মনে করেন সজিনার পাতা পুষ্টিগুণের আঁধার। নিরামিষভোগীরা সজিনার পাতা থেকে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হতে পারেন। পরিমাণের ভিত্তিতে তুলনা করলে একই ওজনের সজিনা পাতায় কমলা লেবুর ৭ গুণ ভিটামিন-সি, দুধের ৪ গুণ ক্যালসিয়াম এবং দুই গুণ আমিষ, গাজরের ৪ গুণ ভিটামিন-এ, কলার ৩ গুণ পটাশিয়াম বিদ্যমান।
বিজ্ঞানীরা আরও বলেন, সজিনা পাতায় ৪২% আমিষ, ১২৫% ক্যালসিয়াম, ৬১% ম্যাগনোসিয়াম, ৪১% পটাশিয়াম, ৭১% লৌহ, ২৭২% ভিটামিন-এ এবং ২২% ভিটামিন-সি সহ দেহের আবশ্যকীয় বহু পুষ্টি উপাদান থাকে। এক টেবিল চামচ শুকনা সজিনা পাতার গুঁড়া থেকে ১-২ বছর বয়সী শিশুদের অত্যবশ্যকীয় ১৪% আমিষ, ৪০% ক্যালসিয়াম ও ২৩% লৌহ  ও ভিটামিন-এ সরবরাহ হয়ে থাকে।
দৈনিক ৬ চামচ সজনে পাতার গুঁড়া একটি গর্ভবর্তী বা স্তন্যদাত্রী মায়ের চাহিদার সবটুকু ক্যালসিয়াম ও আয়রন সরবরাহ করতে সক্ষম।
সজনে-চায়ের উপকারিতাঃ
● সজনে পাতায় দুধের চেয়ে প্রায় চার গুণ বেশি ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। তাই এটি হাড় ও দাঁতের সুস্থতার জন্য উপকারী।
● প্রতি ১০০ গ্রাম সজনে পাতায় একটি কমলার চেয়ে প্রায় সাত গুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে। তাই এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ইনফেকশন কমাতে সাহায্য করে।
● সজনে পাতার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল কার্যকারিতা থাকায় এটি লিভার ও কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
● এ পাতায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। তাই সজনে-চা পান করা হলে তা রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
● মানুষের শরীরে খাদ্যের মাধ্যমে যে অ্যামিনো অ্যাসিডগুলো সরবরাহ করতে হয়, তার প্রায় সব কটিই আছে সজনে পাতায়।
● সজনেপাতা অ্যান্টি–অক্সিডেন্টে ভরপুর। তাই এটি পুরুষের যৌনক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
● সজনে পাতায় প্রচুর ফাইবার থাকে এবং এতে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড থাকে, যা স্বাভাবিকভাবে ওজন কমাতে ও শরীরে জমে থাকা চর্বি কমাতে সাহায্য করে। তাই ওজন কমানোর জন্য সজনে-চা খুব উপকারী ভূমিকা পালন করে।
● সজনে পাতায় আইসো থায়োসায়ানেট থাকে। ফলে নিয়মিত সজনে পাতা খাওয়া হলে তা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমায় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সজনেপাতার চা বেশ উপকারী।
● গর্ভবতী ও প্রসূতিদের জন্য সজনেপাতা খুবই উপকারী। এটি গর্ভকালীন অসুস্থতা, যেমন মাথা ঘোরানো ,বমি বমি ভাব ,খাবারে অরুচি প্রভৃতি সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া নিয়মিত সজনে–চা খাওয়া হলে তা মায়ের দুধ উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে।
● সজনে পাতায় বায়োটিন, ভিটামিন বি সিক্স, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন ই ও ভিটামিন এ থাকে, যা চুল পড়া বন্ধ করে। এ ছাড়া এটি চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুলকে প্রাণবন্ত ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হতে সাহায্য করে।
● সজনে পাতায় ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন ই ইত্যাদি থাকে, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ফলে হৃদ্রোগ, স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। এ ছাড়া এতে ভিটামিন সি থাকে, যা নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদনে সাহায্য করে। এ�� নাইট্রিক অক্সাইড রক্তনালির কার্যক্ষমতা সঠিক রাখে। ফলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে।
সজনে | সাজনা | সজিনা | মরিঙ্গা পাতার উপকারিতা, গুনাগুণ ও ব্যবহার বলে শেষ করা যাবেনা। উপরোক্ত আর্টিকেল এ সাজনা পাতার উপকারিতা, গুনাগুণ ও ব্যবহার বিশদ আলোচিত হলো। তাছাড়া সাজনা পাতার পাঊডার, গুড়া খাওয়ার নিয়ম, ত্বকে সাজনা পাতার ব্যবহার ও উপকারিতা, সাজনা পাতার চা ও এর উপকারিতা বর্ণনা করা হলো। স্থান কাল পাত্র ভেদে সামগ্রিক বিবেচনায় – সাজনা গাছের পাতা, ফুল, ফল, ছাল ইত্যাদির যথাযথ ও পরিমিত ব্যবহার মানুষের জীবনে বহুবিধ কল্যাণ বয়ে আনতে পারে।
5 notes · View notes
weebwhocries · 1 year ago
Text
Begin of #খেরো(Bengali scribble) #medessay(sametype shit as for English)
◆৲৴৲৴| রুবায়েৎ |৲৴৲৴◆
রুবায়েৎকে আমি দেখেছি।
রুবায়েৎকে আমি বৃষ্টিতে ভিজতে দেখেছি যেদিন
সন্ধ্যায় আমি ছাতা মাথায় রাস্তার পাশে ফুটপাথ ধরে
চুপচাপ হেঁটে চলেছিলাম।
রুবায়েৎ আমাকে দেখতে পায়নি।
রুবায়েৎ আমাকে দেখতে পায়নি,
আমার দুচোখের দৃষ্টি-তীর তাকে বারবার করে বিদ্ধ করে চলেছিল নিস্তব্ধে,
রুবায়েৎ বুঝতে পারেনি।
রুবায়েৎ বুঝতে পারেনি, সে দৃষ্টি আমার ভালোবাসার না রাগের না হিংসার না বিরক্তির না লালসার।
আমি বুঝতে দিইনি।
আমি বুঝতে দিইনি রুবায়েৎকে,
বহুদিন ধরে স্বপ্নে ওর কোলে মাথা রেখে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতাম।
যতসব উস্ক তারারা জ্বলে নিভে এক ঝকঝকে আলোর বৃষ্টি নামিয়ে আনতো।
হাওয়ায় কেঁপে ওঠা ঘাসের ওপর সে আলোর ঝলকানি সৃষ্টি করতো ঢেউ।
সে ঢেউয়ে রুবায়েৎকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতাম দূরে
অ-চেতনার পারে, যে পারে আসতো শালিক, সবুজ রঙীন বাগান মালিক, বসতো ডালে।
ইদানিং স্বপ্ন ভুলে দিব্যি আছি, চলছে ভালোই।
রুবায়েৎ তো জানেই না কে-কোথায়-কবে-কী ঘটেছে।
বৃষ্টি আর থামে না, সে সন্ধ্যায় মেঘ অঝোর ধারায় ঝরতে থাকে পিচের ওপর, যে রাস্তার ফুট ধরে আজ হাঁটতে থাকি সুদূর পথে।
আজ আমি রুবায়েৎকে দেখেছি।
- একটা গাধা '২৩
4 notes · View notes
the-kanthasilpi · 33 minutes ago
Text
ভারতের রাজধানী দিল্লি, যেখানে প্রতিটি ভোটেই বদলে যেতে পারে দেশের রাজনৈতিক সমীকরণ! কিন্তু এবারের নির্বাচনে কি আম আদমি পার্টির (AAP) গড়ে ভাঙন ধরছে? সমীক্ষা যা বলছে, তা অবাক করে দেওয়ার মতো! আপনি কি ভাবছেন? ভিডিওটি দেখুন, মতামত দিন এবং চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন!
দিল্লির রাজনীতি আবারও উত্তপ্ত! এবারের বিধানসভা নির্বাচনের সমীক্ষা অনুযায়ী, ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি (AAP) বড় চ্যালেঞ্জের মুখে। অন্যদিকে, ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) আগের তুলনায় শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছেছে।
BJP-এর উত্থানের পেছনে মূল কারণ কী হতে পারে? উন্নয়ন নাকি অন্য কোনো ফ্যাক্টর?
সমীক্ষা অনুযায়ী, দিল্লির নির্বাচনী লড়াই এবার অনেক কঠিন হতে চলেছে। বিজেপির ভোট শেয়ার ৪০ শতাংশের বেশি হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ২০২০ সালে যেখানে তারা মাত্র ৮টি আসনে জিতেছিল, এবার তারা ২৩-২৭টি আসন পেতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলছে। বিজেপির প্রচার কৌশল এবার আরও আগ্রাসী। কেন্দ্রীয় সরকারের নানা উন্নয়ন প্রকল্প ও হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা তাদের প্রচারের মূল অস্ত্র।
AAP কি তাদের পুরনো জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারবে, নাকি ভোটারদের আস্থা কমেছে?
আম আদমি পার্টি ২০১৫ সালে ঐতিহাসিকভাবে ৬৭টি আসনে জিতেছিল, আর ২০২০ সালে পেয়েছিল ৬২টি আসন। কিন্তু এবার সমীক্ষা বলছে, তারা ৪৩-৪৭টি আসনে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে। প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে বিরোধীদের প্রচারযুদ্ধ, নতুন ভোটারদের মনোভাব এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ।
কংগ্রেস দিল্লির রাজনীতি থেকে প্রায় অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে—এটা তাদের ব্যর্থতা, নাকি ভোটারদের নতুন রাজনৈতিক ধারা?
দিল্লির রাজনীতিতে কংগ্রেস অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। তাদের ভোট শেয়ার খুবই কম, এবং তারা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা তো দূরের কথা, এমনকি উল্লেখযোগ্য আসন পেতেও ব্যর্থ হতে পারে। ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লির ৭০টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে, আর ৮ ফেব্রুয়ারি ফলাফল ঘোষণা করা হবে। সমীক্ষার ফল যদি সঠিক হয়, তাহলে দিল্লির রাজনৈতিক সমীকরণে বড়সড় পরিবর্তন আসতে পারে।
"আপনার মতে, দিল্লির নির্বাচনে কার জয় হওয়া উচিত? সমীক্ষা কি বাস্তবে মিলবে? কমেন্টে জানান! যদি এমন গভীর বিশ্লেষণ পছন্দ হয়ে থাকে, তাহলে লাইক দিন, শেয়ার করুন এবং চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন!"
0 notes
prabirkc · 19 hours ago
Text
বার্ষিক পুনর্মিলন ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
0 notes
banglavisiononline · 4 days ago
Link
স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে রাজধানীর সর
0 notes
quransunnahdawah · 6 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
নামাজ শিক্ষা
নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম 
youtube
youtube
youtube
নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম
আরকান
তাকবীরে তাহরীমা (আল্লাহু আকবার) বলে নামাজ শুরু করা।
দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া।
সুরা ফাতিহার সাথে কুরআন পড়া।
রুকু করা।
দু্ই সিজদা করা।
শেষ বৈঠক করা।
সালাম ফেরানোর মাধ্যমে সালাত শেষ করা।
নামাজে আল্লাহর দিদার
নামাজ সম্পর্কে কোরআনের আয়াত ও হাদিসের আলোচনা
ইসলামের প্রথম বাহ্যিক ইবাদত হলো নামাজ। নামাজ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে নির্দেশনা রয়েছে ৮২ বার। নামাজের উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর স্মরণ। আল্লাহ তাআলা কোরআন কারিমে বলেন, ‘আর তোমরা আমার স্মরণোদ্দেশ্যে নামাজ কায়েম করো।’ (সুরা-২০ তহা, আয়াত: ১৪)।
নামাজ ইসলামের মূল পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ইসলাম পাঁচটি খুঁটির ওপর প্রতিষ্ঠিত। এই সাক্ষ্য দেওয়া যে আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নাই এবং হজরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল, নামাজ কায়েম করা, জাকাত প্রদান করা, হজ করা ও রমজান মাসে রোজা পালন করা।’ (বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, ইমান অধ্যায়, পৃষ্ঠা: ১৬, হাদিস: ৭)।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও মন্দ কর্ম থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা-২৯ আনকাবুত, আয়াত: ৪৫)।
হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হুজুরে কলব (হৃদয়ের উপস্থিতি) ব্যতীত নামাজ প্রকৃত নামাজ হয় না।’ (ফিকহুর রিজা)। হুজুর অর্থ উপস্থিতি, হাজির অর্থ উপস্থিত, কলব মানে দিল, হৃদয়, মন। সফল মুমিনদের পরিচয় পবিত্র কোরআনে এভাবে এসেছে, ‘ওই সকল বিশ্বাসীগণ সফল, যারা তাদের নামাজে আল্লাহর ভয়ে ভীত হয়।’ (সুরা-২৩ মুমিনুন, আয়াত: ১-২)।
প্রিয় নবীজি (সা.)–এর মিরাজে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ চূড়ান্তভাবে ফরজ হয়েছিল। নামাজ মুমিনের মিরাজ। নামাজে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে মিরাজে আল্লাহর সঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর সংলাপের বিশেষ অংশ ‘তাশাহহুদ’ বা আত্তাহিয়্যাতু।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যেভাবে এল
নবী করিম (সা.) আল্লাহর দরবারে আরশে আজিমে উপস্থিত হয়ে বললেন, ‘আমার সকল মৌখিক ইবাদত, সকল ��ারীরিক ইবাদত ও সকল আর্থিক ইবাদত আল্লাহ তাআলার জন্য।’
উত্তরে আল্লাহ তাআলা বললেন, ‘হে নবী (সা.)! আপনার প্রতি সালাম বা শান্তি বর্ষিত হোক এবং আল্লাহর রহমত, দয়া, করুণা ও তাঁর বরকত অবতীর্ণ হোক।’
প্রতি উত্তরে রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের প্রতি।’
এটা শুনে ফেরেশতারা বললেন, ‘আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে এক আল্লাহ ছাড়া আর দ্বিতীয় কোনো মাবুদ বা উপাস্য নাই, আমরা আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি নিশ্চয়ই হজরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও রাসুল।’ (মুসলিম শরিফ)।
নামাজের মধ্যে পবিত্র কোরআনের অংশবিশেষ তিলাওয়াত করা অন্যতম প্রধান ফরজ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা পাঠ করো কোরআন থেকে যা তোমাদের জন্য সহজ হয়।’ (সুরা-৭৩ মুয্যাম্মিল, আয়াত: ২০)।
সুরা ফাতিহা হলো ‘উম্মুল কোরআন’ বা কোরআনের জননী। নামাজে সুরা ফাতিহা পাঠ করা বিশেষভাবে ওয়াজিব।
কোরআন হলো আল্লাহর কালাম, কালাম অর্থ কথা। কোরআন তিলাওয়াত করা মানে আল্লাহর সঙ্গে কথা বলা। নামাজে কোরআন তিলাওয়াত হলো আল্লাহর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কথাবার্তা বলা। আল্লাহ তাআলা বান্দার প্রত্যেক প্রশ্নের জবাব দেন, প্রতিটি আহ্বানে সাড়া দেন, সকল আবেদন মঞ্জুর করেন, সব দোয়া কবুল করেন। (মিশকাত শরিফ)।
সুরা ফাতিহায় আমরা যখন বলি, ‘আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন (সকল প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রভু আল্লাহর জন্যই)’ তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হামিদা নি, আবদি (আমার বান্দা আমার প্রশংসা করল)।’ অতঃপর আমরা যখন বলি ‘আর রাহমানির রাহিম (তিনি পরম করুণাময় অতি দয়ালু)’ তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আছনা আলাইয়া আবদি (আমার বান্দা আমার বিশেষ প্রশংসা করল)।’ এরপর যখন আমরা বলি, ‘মালিকি ইয়াওমিদ্দিন (তিনি বিচারদিনের মালিক)’ তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মাজ্জাদানি আবদি (আমার বান্দা আমাকে সম্মানিত করল)’। এরপর আমরা যখন বলি, ‘ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তায়িন (শুধু আপনারই ইবাদত করি আর শুধু আপনার কাছেই সাহায্য চাই)’ তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হাজা বাইনি ওয়া বাইনা আবদি (এই ফয়সালাই হলো আমার ও আমার বান্দার মাঝে—বান্দা আমার ইবাদত ও আনুগত্য করবে, আমি তাকে সাহায্য–সহযোগিতা করব)।’ আমরা যখন বলি, ‘ইহদিনাছ ছিরাতল মুস্তাকিম, ছিরাতল্লাজিনা আনআমতা আলাইহিম, গয়রিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ্দল্লিন! (আমাদের সঠিক পথ দেখান, তাদের পথ যাদের আপনি নিয়ামত দিয়েছেন; তাদের পথ নয় য��রা পথভ্রষ্ট; আর না যারা অভিশপ্ত)।’ তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘লিআবদি মা ছাআল (আমার বান্দা যা চায়, তার জন্য তা-ই)।’
বিভিন্ন নফল নামাজের পরিচয় ও ফজিলত
বিখ্যাত হাদিসে জিবরাইলে উল্লেখ রয়েছে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘এভাবে ইবাদত করো যে যেন তুমি তাঁকে (আল্লাহকে) দেখতে পাচ্ছ; যদি তুমি তাঁকে দেখতে না-ও পাও, তবে নিশ্চয় তিনি তোমাকে দেখছেন।’ (মুত্তাফাকুন আলাইহি; বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, ইমান অধ্যায়, পৃষ্ঠা: ৩৮, হাদিস: ৪৮)।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
নামাজ শিক্ষা
0 notes
guardianpubs17 · 5 days ago
Text
বইমেলা ঘিরে আমরা শিশুদের জন্য দারুণ কিছু কন্টেন্ট তৈরি করছি।
কিছু কিনতে গেলে নিজেদের জন্য যেমন-তেমন হলেই হয়। কিন্তু, সন্তানের জন্য কিনতে গেলে আমরা নিশ্চিয় বেস্টটা চাই। সবচেয়ে সেরাটা দিতে চাই সন্তানকে।
শিশুদের জন্য ইসলামি বইয়ের কোয়ালিটি একসময় খুবই নিম্নমানের ছিল। শিশুরা পড়তে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করত না। কন্টেন্টও শিশুদের আকৃষ্ট করতে পারত না।
শিশুদের জন্য কাজ করাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং।
তারপরও আমরা চেষ্টা করছি আমাদের পাঠকের সামনে এমন কিছু কন্টেন্ট উপস্থাপন করতে, যা দেখে পাঠক সন্তুষ্ট হতে পারেন।
ইতোমধ্যে শিশুদের নিয়ে গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত বইগুলো পাঠকমহলে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে। এটা আমাদের দায়িত্ববোধ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে৷
যার ফলে একুশে বইমেলায় শিশুদের জন্য আমরা নিয়ে আসছি প্রায় ত্রিশটি কন্টেন্ট। যা শিশুদের ঈমান, আখলাক, ক্যারিয়ার ও চিন্তার জগত বিকশিত করতে সাহায্য করবে।
মা-বাবা যেন তার সন্তানকে কোয়ালিটি কন্টেন্ট উপহার দিতে পারে, এই বইগুলো যেন তাদের জন্য সদকায়ে জারিয়া হতে পারে এই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করেছি।
.
একুশে বইমেলায় শিশুদের জন্য গার্ডিয়ানের প্রকাশিতব্য বইয়ের তালিকা:
আলোর গল্প, ভালোর গল্প সিরিজ ১-৫
১. সাহসী বালক ২. তারা সাতজন ও একটি কুকুর ৩. হলুদ গাভির গল্প ৪. আজব আজাব ৫. আবু তালহার মেহমান
অবাক সৃষ্টি সিরিজ (১-৫ খণ্ড) ৬. পানির দানব তিমি ৭. তুলতুলে জেলিফিশ ৮. সমুদ্রের তারকা ৯. মধুর মালী মৌমাছি ১০. রঙে রাঙা প্রজাপতি
দুআ বিষয়ক:
১১. রব্বানা ১২. ডেইলি দুআ
মাসয়ালা বিষয়ক:
১৩. ছোটোদের মাসয়ালা মাসায়েল
ভ্রমণকাহিনি:
১৪. আল আকসা ভ্রমণ
ইংরেজি বই:
১৫. I am searching, wait a minute! we are searching too ১৬. Mistakes are for learning ১৭. What is fair? ১৮. Work hard dream big ১৯. Are we grateful Enough? ২০. I am curious who created us ২১. I don't care! Wait a moment, we Care!
ঈমান ও আকিদা বিষয়ক :
২২. সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজছ? চলো আমরাও খুঁজি ২৩. ভুলকে ভয় নয়, ভুল থেকে শিখতে হয় ২৪. জানতে চাই, কে আমাদের সৃষ্টি করেছেন
ক্যারিয়ার ও আত্মোন্নয়ন বিষয়ক:
২৫. স্বপ্ন ছুঁতে চাও? ২৬. আমরা কতটা কৃতজ্ঞ! ২৭. কোনটা ঠিক, কোনটা ভুল? ২৮. বিশ্বাসী হতে চাই
নামাজ বিষয়ক :
২৯. শিশুদের নামাজ শিক্ষা
.
একুশে বইমেলায় বইগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্সের ৫১৭-৫১৮ নম্বর স্টলে
Tumblr media
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 6 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
নামাজ শিক্ষা
নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম 
youtube
youtube
youtube
নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম
আরকান
তাকবীরে তাহরীমা (আল্লাহু আকবার) বলে নামাজ শুরু করা।
দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া।
সুরা ফাতিহার সাথে কুরআন পড়া।
রুকু করা।
দু্ই সিজদা করা।
শেষ বৈঠক করা।
সালাম ফেরানোর মাধ্যমে সালাত শেষ করা।
নামাজে আল্লাহর দিদার
নামাজ সম্পর্কে কোরআনের আয়াত ও হাদিসের আলোচনা
ইসলামের প্রথম বাহ্যিক ইবাদত হলো নামাজ। নামাজ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে নির্দেশনা রয়েছে ৮২ বার। নামাজের উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর স্মরণ। আল্লাহ তাআলা কোরআন কারিমে বলেন, ‘আর তোমরা আমার স্মরণোদ্দেশ্যে নামাজ কায়েম করো।’ (সুরা-২০ তহা, আয়াত: ১৪)।
নামাজ ইসলামের মূল পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ইসলাম পাঁচটি খুঁটির ওপর প্রতিষ্ঠিত। এই সাক্ষ্য দেওয়া যে আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নাই এবং হজরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল, নামাজ কায়েম করা, জাকাত প্রদান করা, হজ করা ও রমজান মাসে রোজা পালন করা।’ (বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, ইমান অধ্যায়, পৃষ্ঠা: ১৬, হাদিস: ৭)।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও মন্দ কর্ম থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা-২৯ আনকাবুত, আয়াত: ৪৫)।
হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হুজুরে কলব (হৃদয়ের উপস্থিতি) ব্যতীত নামাজ প্রকৃত নামাজ হয় না।’ (ফিকহুর রিজা)। হুজুর অর্থ উপস্থিতি, হাজির অর্থ উপস্থিত, কলব মানে দিল, হৃদয়, মন। সফল মুমিনদের পরিচয় পবিত্র কোরআনে এভাবে এসেছে, ‘ওই সকল বিশ্বাসীগণ সফল, যারা তাদের নামাজে আল্লাহর ভয়ে ভীত হয়।’ (সুরা-২৩ মুমিনুন, আয়াত: ১-২)।
প্রিয় নবীজি (সা.)–এর মিরাজে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ চূড়ান্তভাবে ফরজ হয়েছিল। নামাজ মুমিনের মিরাজ। নামাজে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে মিরাজে আল্লাহর সঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর সংলাপের বিশেষ অংশ ‘তাশাহহুদ’ বা আত্তাহিয়্যাতু।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যেভাবে এল
নবী করিম (সা.) আল্লাহর দরবারে আরশে আজিমে উপস্থিত হয়ে বললেন, ‘আমার সকল মৌখিক ইবাদত, সকল শারীরিক ইবাদত ও সকল আর্থিক ইবাদত আল্লাহ তাআলার জন্য।’
উত্তরে আল্লাহ তাআলা বললেন, ‘হে নবী (সা.)! আপনার প্রতি সালাম বা শান্তি বর্ষিত হোক এবং আল্লাহর রহমত, দয়া, করুণা ও তাঁর বরকত অবতীর্ণ হোক।’
প্রতি উত্তরে রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের প্রতি।’
এটা শুনে ফেরেশতারা বললেন, ‘আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে এক আল্লাহ ছাড়া আর দ্বিতীয় কোনো মাবুদ বা উপাস্য নাই, আমরা আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি নিশ্চয়ই হজরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও রাসুল।’ (মুসলিম শরিফ)।
নামাজের মধ্যে পবিত্র কোরআনের অংশবিশেষ তিলাওয়াত করা অন্যতম প্রধান ফরজ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা পাঠ করো কোরআন থেকে যা তোমাদের জন্য সহজ হয়।’ (সুরা-৭৩ মুয্যাম্মিল, আয়াত: ২০)।
সুরা ফাতিহা হলো ‘উম্মুল কোরআন’ বা কোরআনের জননী। নামাজে সুরা ফাতিহা পাঠ করা বিশেষভাবে ওয়াজিব।
কোরআন হলো আল্লাহর কালাম, কালাম অর্থ কথা। কোরআন তিলাওয়াত করা মানে আল্লাহর সঙ্গে কথা বলা। নামাজে কোরআন তিলাওয়াত হলো আল্লাহর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কথাবার্তা বলা। আল্লাহ তাআলা বান্দার প্রত্যেক প্রশ্নের জবাব দেন, প্রতিটি আহ্বানে সাড়া দেন, সকল আবেদন মঞ্জুর করেন, সব দোয়া কবুল করেন। (মিশকাত শরিফ)।
সুরা ফাতিহায় আমরা যখন বলি, ‘আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন (সকল প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রভু আল্লাহর জন্যই)’ তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হামিদা নি, আবদি (আমার বান্দা আমার প্রশংসা করল)।’ অতঃপর আমরা যখন বলি ‘আর রাহমানির রাহিম (তিনি পরম করুণাময় অতি দয়ালু)’ তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আছনা আলাইয়া আবদি (আমার বান্দা আমার বিশেষ প্রশংসা করল)।’ এরপর যখন আমরা বলি, ‘মালিকি ইয়াওমিদ্দিন (তিনি বিচারদিনের মালিক)’ তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মাজ্জাদানি আবদি (আমার বান্দা আমাকে সম্মানিত করল)’। এরপর আমরা যখন বলি, ‘ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তায়িন (শুধু আপনারই ইবাদত করি আর শুধু আপনার কাছেই সাহায্য চাই)’ তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হাজা বাইনি ওয়া বাইনা আবদি (এই ফয়সালাই হলো আমার ও আমার বান্দার মাঝে—বান্দা আমার ইবাদত ও আনুগত্য করবে, আমি তাকে সাহায্য–সহযোগিতা করব)।’ আমরা যখন বলি, ‘ইহদিনাছ ছিরাতল মুস্তাকিম, ছিরাতল্লাজিনা আনআমতা আলাইহিম, গয়রিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ্দল্লিন! (আমাদের সঠিক পথ দেখান, তাদের পথ যাদের আপনি নিয়ামত দিয়েছেন; তাদের পথ নয় যারা পথভ্রষ্ট; আর না যারা অভিশপ্ত)।’ তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘লিআবদি মা ছাআল (আমার বান্দা যা চায়, তার জন্য তা-ই)।’
বিভিন্ন নফল নামাজের পরিচয় ও ফজিলত
বিখ্যাত হাদিসে জিবরাইলে উল্লেখ রয়েছে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘এভাবে ইবাদত করো যে যেন তুমি তাঁকে (আল্লাহকে) দেখতে পাচ্ছ; যদি তুমি তাঁকে দেখতে না-ও পাও, তবে নিশ্চয় তিনি তোমাকে দেখছেন।’ (মুত্তাফাকুন আলাইহি; বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, ইমান অধ্যায়, পৃষ্ঠা: ৩৮, হাদিস: ৪৮)।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
নামাজ শিক্ষা
0 notes
allahisourrabb · 6 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
নামাজ শিক্ষা
নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম 
youtube
youtube
youtube
নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম
আরকান
তাকবীরে তাহরীমা (আল্লাহু আকবার) বলে নামাজ শুরু করা।
দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া।
সুরা ফাতিহার সাথে কুরআন পড়া।
রুকু করা।
দু্ই সিজদা করা।
শেষ বৈঠক করা।
সালাম ফেরানোর মাধ্যমে সালাত শেষ করা।
নামাজে আল্লাহর দিদার
নামাজ সম্পর্কে কোরআনের আয়াত ও হাদিসের আলোচনা
ইসলামের প্রথম বাহ্যিক ইবাদত হলো নামাজ। নামাজ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে নির্দেশনা রয়েছে ৮২ বার। নামাজের উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর স্মরণ। আল্লাহ তাআলা কোরআন কারিমে বলেন, ‘আর তোমরা আমার স্মরণোদ্দেশ্যে নামাজ কায়েম করো।’ (সুরা-২০ তহা, আয়াত: ১৪)।
নামাজ ইসলামের মূল পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ইসলাম পাঁচটি খুঁটির ওপর প্রতিষ্ঠিত। এই সাক্ষ্য দেওয়া যে আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নাই এবং হজরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল, নামাজ কায়েম করা, জাকাত প্রদান করা, হজ করা ও রমজান মাসে রোজা পালন করা।’ (বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, ইমান অধ্যায়, পৃষ্ঠা: ১৬, হাদিস: ৭)।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও মন্দ কর্ম থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা-২৯ আনকাবুত, আয়াত: ৪৫)।
হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হুজুরে কলব (হৃদয়ের উপস্থিতি) ব্যতীত নামাজ প্রকৃত নামাজ হয় না।’ (ফিকহুর রিজা)। হুজুর অর্থ উপস্থিতি, হাজির অর্থ উপস্থিত, কলব মানে দিল, হৃদয়, মন। সফল মুমিনদের পরিচয় পবিত্র কোরআনে এভাবে এসেছে, ‘ওই সকল বিশ্বাসীগণ সফল, যারা তাদের নামাজে আল্লাহর ভয়ে ভীত হয়।’ (সুরা-২৩ মুমিনুন, আয়াত: ১-��)।
প্রিয় নবীজি (সা.)–এর মিরাজে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ চূড়ান্তভাবে ফরজ হয়েছিল। নামাজ মুমিনের মিরাজ। নামাজে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে মিরাজে আল্লাহর সঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর সংলাপের বিশেষ অংশ ‘তাশাহহুদ’ বা আত্তাহিয়্যাতু।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যেভাবে এল
নবী করিম (সা.) আল্লাহর দরবারে আরশে আজিমে উপস্থিত হয়ে বললেন, ‘আমার সকল মৌখিক ইবাদত, সকল শারীরিক ইবাদত ও সকল আর্থিক ইবাদত আল্লাহ তাআলার জন্য।’
উত্তরে আল্লাহ তাআলা বললেন, ‘হে নবী (সা.)! আপনার প্রতি সালাম বা শান্তি বর্ষিত হোক এবং আল্লাহর রহমত, দয়া, করুণা ও তাঁর বরকত অবতীর্ণ হোক।’
প্রতি উত্তরে রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের প্রতি।’
এটা শুনে ফেরেশতারা বললেন, ‘আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে এক আল্লাহ ছাড়া আর দ্বিতীয় কোনো মাবুদ বা উপাস্য নাই, আমরা আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি নিশ্চয়ই হজরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও রাসুল।’ (মুসলিম শরিফ)।
নামাজের মধ্যে পবিত্র কোরআনের অংশবিশেষ তিলাওয়াত করা অন্যতম প্রধান ফরজ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা পাঠ করো কোরআন থেকে যা তোমাদের জন্য সহজ হয়।’ (সুরা-৭৩ মুয্যাম্মিল, আয়াত: ২০)।
সুরা ফাতিহা হলো ‘উম্মুল কোরআন’ বা কোরআনের জননী। নামাজে সুরা ফাতিহা পাঠ করা বিশেষভাবে ওয়াজিব।
কোরআন হলো আল্লাহর কালাম, কালাম অর্থ কথা। কোরআন তিলাওয়াত করা মানে আল্লাহর সঙ্গে কথা বলা। নামাজে কোরআন তিলাওয়াত হলো আল্লাহর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কথাবার্তা বলা। আল্লাহ তাআলা বান্দার প্রত্যেক প্রশ্নের জবাব দেন, প্রতিটি আহ্বানে সাড়া দেন, সকল আবেদন মঞ্জুর করেন, সব দোয়া কবুল করেন। (মিশকাত শরিফ)।
সুরা ফাতিহায় আমরা যখন বলি, ‘আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন (সকল প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রভু আল্লাহর জন্যই)’ তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হামিদা নি, আবদি (আমার বান্দা আমার প্রশংসা করল)।’ অতঃপর আমরা যখন বলি ‘আর রাহমানির রাহিম (তিনি পরম করুণাময় অতি দয়ালু)’ তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আছনা আলাইয়া আবদি (আমার বান্দা আমার বিশেষ প্রশংসা করল)।’ এরপর যখন আমরা বলি, ‘মালিকি ইয়াওমিদ্দিন (তিনি বিচারদিনের মালিক)’ তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মাজ্জাদানি আবদি (আমার বান্দা আমাকে সম্মানিত করল)’। এরপর আমরা যখন বলি, ‘ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তায়িন (শুধু আপনারই ইবাদত করি আর শুধু আপনার কাছেই সাহায্য চাই)’ তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হাজা বাইনি ওয়া বাইনা আবদি (এই ফয়সালাই হলো আমার ও আমার বান্দার মাঝে—বান্দা আমার ইবাদত ও আনুগত্য করবে, আমি তাকে সাহায্য–সহযোগিতা করব)।’ আমরা যখন বলি, ‘ইহদিনাছ ছিরাতল মুস্তাকিম, ছিরাতল্লাজিনা আনআমতা আলাইহিম, গয়রিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ্দল্লিন! (আমাদের সঠিক পথ দেখান, তাদের পথ যাদের আপনি নিয়ামত দিয়েছেন; তাদের পথ নয় যারা পথভ্রষ্ট; আর না যারা অভিশপ্ত)।’ তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘লিআবদি মা ছাআল (আমার বান্দা যা চায়, তার জন্য তা-ই)।’
বিভিন্ন নফল নামাজের পরিচয় ও ফজিলত
বিখ্যাত হাদিসে জিবরাইলে উল্লেখ রয়েছে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘এভাবে ইবাদত করো যে যেন তুমি তাঁকে (আল্লাহকে) দেখতে পাচ্ছ; যদি তুমি তাঁকে দেখতে না-ও পাও, তবে নিশ্চয় তিনি তোমাকে দেখছেন।’ (মুত্তাফাকুন আলাইহি; বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, ইমান অধ্যায়, পৃষ্ঠা: ৩৮, হাদিস: ৪৮)।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
নামাজ শিক্ষা
0 notes
mylordisallah · 6 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
নামাজ শিক্ষা
নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম 
youtube
youtube
youtube
নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম
আরকান
তাকবীরে তাহরীমা (আল্লাহু আকবার) বলে নামাজ শুরু করা।
দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া।
সুরা ফাতিহার সাথে কুরআন পড়া।
রুকু করা।
দু্ই সিজদা করা।
শেষ বৈঠক করা।
সালাম ফেরানোর মাধ্যমে সালাত শেষ করা।
নামাজে আল্লাহর দিদার
নামাজ সম্পর্কে কোরআনের আয়াত ও হাদিসের আলোচনা
ইসলামের প্রথম বাহ্যিক ইবাদত হলো নামাজ। নামাজ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে নির্দেশনা রয়েছে ৮২ বার। নামাজের উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর স্মরণ। আল্লাহ তাআলা কোরআন কারিমে বলেন, ‘আর তোমরা আমার স্মরণোদ্দেশ্যে নামাজ কায়েম করো।’ (সুরা-২০ তহা, আয়াত: ১৪)।
নামাজ ইসলামের মূল পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ইসলাম পাঁচটি খুঁটির ওপর প্রতিষ্ঠিত। এই সাক্ষ্য দেওয়া যে আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নাই এবং হজরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল, নামাজ কায়েম করা, জাকাত প্রদান করা, হজ করা ও রমজান মাসে রোজা পালন করা।’ (বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, ইমান অধ্যায়, পৃষ্ঠা: ১৬, হাদিস: ৭)।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও মন্দ কর্ম থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা-২৯ আনকাবুত, আয়াত: ৪৫)।
হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হুজুরে কলব (হৃদয়ের উপস্থিতি) ব্যতীত নামাজ প্রকৃত নামাজ হয় না।’ (ফিকহুর রিজা)। হুজুর অর্থ উপস্থিতি, হাজির অর্থ উপস্থিত, কলব মানে দিল, হৃদয়, মন। সফল মুমিনদের পরিচয় পবিত্র কোরআনে এভাবে এসেছে, ‘ওই সকল বিশ্বাসীগণ সফল, যারা তাদের নামাজে আল্লাহর ভয়ে ভীত হয়।’ (সুরা-২৩ মুমিনুন, আয়াত: ১-২)।
প্রিয় নবীজি (সা.)–এর মিরাজে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ চূড়ান্তভাবে ফরজ হয়েছিল। নামাজ মুমিনের মিরাজ। নামাজে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে মিরাজে আল্লাহর সঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর সংলাপের বিশেষ অংশ ‘তাশাহহুদ’ বা আত্তাহিয়্যাতু।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যেভাবে এল
নবী করিম (সা.) আল্লাহর দরবারে আরশে আজিমে উপস্থিত হয়ে বললেন, ‘আমার সকল মৌখিক ইবাদত, সকল শারীরিক ইবাদত ও সকল আর্থিক ইবাদত আল্লাহ তাআলার জন্য।’
উত্তরে আল্লাহ তাআলা বললেন, ‘হে নবী (সা.)! আপনার প্রতি সালাম বা শান্তি বর্ষিত হোক এবং আল্লাহর রহমত, দয়া, করুণা ও তাঁর বরকত অবতীর্ণ হোক।’
প্রতি উত্তরে রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের প্রতি।’
এটা শুনে ফেরেশতারা বললেন, ‘আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে এক আল্লাহ ছাড়া আর দ্বিতীয় কোনো মাবুদ বা উপাস্য নাই, আমরা আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি নিশ্চয়ই হজরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও রাসুল।’ (মুসলিম শরিফ)।
নামাজের মধ্যে পবিত্র কোরআনের অংশবিশেষ তিলাওয়াত করা অন্যতম প্রধান ফরজ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা পাঠ করো কোরআন থেকে যা তোমাদের জন্য সহজ হয়।’ (সুরা-৭৩ মুয্যাম্মিল, আয়াত: ২০)।
সুরা ফাতিহা হলো ‘উম্মুল কোরআন’ বা কোরআনের জননী। নামাজে সুরা ফাতিহা পাঠ করা বিশেষভাবে ওয়াজিব।
কোরআন হলো আল্লাহর কালাম, কালাম অর্থ কথা। কোরআন তিলাওয়াত করা মানে আল্লাহর সঙ্গে কথা বলা। নামাজে কোরআন তিলাওয়াত হলো আল্লাহর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কথাবার্তা বলা। আল্লাহ তাআলা বান্দার প্রত্যেক প্রশ্নের জবাব দেন, প্রতিটি আহ্বানে সাড়া দেন, সকল আবেদন মঞ্জুর করেন, সব দোয়া কবুল করেন। (মিশকাত শরিফ)।
সুরা ফাতিহায় আমরা যখন বলি, ‘আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন (সকল প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রভু আল্লাহর জন্যই)’ তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হামিদা নি, আবদি (আমার বান্দা আমার প্রশংসা করল)।’ অতঃপর আমরা যখন বলি ‘আর রাহমানির রাহিম (তিনি পরম করুণাময় অতি দয়ালু)’ তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আছনা আলাইয়া আবদি (আমার বান্দা আমার বিশেষ প্রশংসা করল)।’ এরপর যখন আমরা বলি, ‘মালিকি ইয়াওমিদ্দিন (তিনি বিচারদিনের মালিক)’ তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মাজ্জাদানি আবদি (আমার বান্দা আমাকে সম্মানিত করল)’। এরপর আমরা যখন বলি, ‘ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তায়িন (শুধু আপনারই ইবাদত করি আর শুধু আপনার কাছেই সাহায্য চাই)’ তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হাজা বাইনি ওয়া বাইনা আবদি (এই ফয়সালাই হলো আমার ও আমার বান্দার মাঝে—বান্দা আমার ইবাদত ও আনুগত্য করবে, আমি তাকে সাহায্য–সহযোগিতা করব)।’ আমরা যখন বলি, ‘ইহদিনাছ ছিরাতল মুস্তাকিম, ছিরাতল্লাজিনা আনআমতা আলাইহিম, গয়রিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ্দল্লিন! (আমাদের সঠিক পথ দেখান, তাদের পথ যাদের আপনি নিয়ামত দিয়েছেন; তাদের পথ নয় যারা পথভ্রষ্ট; আর না যারা অভিশপ্ত)।’ তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘লিআবদি মা ছাআল (আমার বান্দা যা চায়, তার জন্য তা-ই)।’
বিভিন্ন নফল নামাজের পরিচয় ও ফজিলত
বিখ্যাত হাদিসে জিবরাইলে উল্লেখ রয়েছে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘এভাবে ইবাদত করো যে যেন তুমি তাঁকে (আল্লাহকে) দেখতে পাচ্ছ; যদি তুমি তাঁকে দেখতে না-ও পাও, তবে নিশ্চয় তিনি তোমাকে দেখছেন।’ (মুত্তাফাকুন আলাইহি; বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, ইমান অধ্যায়, পৃষ্ঠা: ৩৮, হাদিস: ৪৮)।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
নামাজ শিক্ষা
0 notes
hab-tv-online · 7 days ago
Text
Tumblr media
আলজাজিরার বিশেষ প্রতিবেদন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পুনরুদ্ধার সম্ভব? ১৬ জুলাই ২০২৪, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ছাত্রনেতা আবু সাঈদ। তখন এক অদ্ভুত দৃশ্যের অবতারণা হয় রাজধানী, ঢাকায়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও সরকারের মন্ত্রী আবদুর রহমান তার অফিসে বসে স্থানীয় এক কবির কবিতা আবৃত্তি উপভোগ করেন। সেদিনের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আবদুর রহমান তার চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে আছেন, ডান গালে হাত দিয়ে মন্ত্রমুগ্ধের মতো সেই কবিতা পাঠ শুনছেন। কবিতা শেষে তার মন্তব্য ‘অসাধারণ।’ ঠিক সেই সময় তাকে জানানো হয় রংপুরে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদের মৃত্যুর সংবাদ। তিনি সব উদ্বেগ উড়িয়ে দিয়ে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বলেন ‘আরে কিছুই হবে না। নেত্রী (হাসিনা) সব সামাল দেবেন।’ পুলিশের বন্দুকের সামনে আবু সাঈদের বুক পেতে দেওয়ার ওই ভিডিও মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। রাস্তায় রাস্তায় নেমে আসে ছাত্ররা। পরিস্থিতি সামাল দিতে সারা দেশে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সরকার। কিন্তু এর ঠিক তিন সপ্তাহের কম সময় পর কর্তৃত্ববাদ ও বর্বরতার অভিযোগে অভিযুক্ত হাসিনা ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে ভারত পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এই সময়ে সরকারের আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা ৮৩৪ জনকে হত্যা করে। নারী ও শিশুসহ আরও ২০ হাজারেরও বেশি আহত হন। তীব্র গণঅভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে শেষ হয় তার ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন। এখন ৫ মাস পর তার দলের রাজনৈতিক অবস্থান কী। বাংলাদেশের জন্মের আগে প্রতিষ্ঠা পাওয়া এই দলটি ক�� পুনরায় ফিরতে পারবে স্বকীয় রাজনীতিতে। দলের মধ্য ও নিন্ম স্তরের নেতাকর্মীরা কি আর বিশ্বাস করতে পারবেন শীর্ষ নেতাদের। ৭৫ বছর বয়সি এই রাজনৈতিক দলটি কীভাবে মোকাবেলা করছে এসব। দলটির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎই বা কী? শেখ হাসিনাকে অপসারণের পাঁচ মাস পরও বিভক্ত আওয়ামী লীগ। কিছু নেতা ক্ষমা চাইবেন না বলে জানিয়েছেন। কিন্তু তৃণমূল আওয়ামী লীগ কর্মীরা দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে এসবের হিসাব চায়।   বিভক্ত দল আওয়ামী লীগের অনেক নেতা দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছেন। দলটির যুগ্ম-সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম গত ১৬ জানুয়ারি অজ্ঞাত স্থান থেকে ফোনে আল জাজিরাকে বলেন, ‘আমরা একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার; এটা শিগগিরই প্রমাণিত হবে।’ অবশ্য তিনি কাকে অভিযুক্ত করছেন তা উল্লেখ করেননি। এ ব্যাপারে বিশ্লেষকরা মনে করেন, নাসিমের এই ধরনের দাবিগুলি নেতৃত্বের ব্যর্থতা এবং জনগণের অভিযোগের সমাধানে অক্ষমতার অস্বীকারকে তুলে ধরে। এর ফলে, দলের তৃণমূল সদস্যরা বিচ্ছিন্ন হচ্ছেন। যাদের অনেকেই এখন আত্মগোপনে রয়েছেন বা হত্যাকাণ্ডের জন্য আইনি প্রতিক্রিয়ার ভয়ে রয়েছেন। তারা জনসাধারণের সঙ্গে যুক্ত একটি সংগঠন থেকে পার্টির রূপান্তরের জন্য বিলাপ করছে কিন্তু জনগণের অনুভূতি বুঝতে পারছেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খুলনার এক ছাত্রলীগ নেতা জানান, ‘যখন শেখ হাসিনার নাটকীয় পালানোর ঘটনা টিভিতে প্রচার হচ্ছিল, তখনও আমি কিছু নেতাকর্মী নিয়ে খুলনার রাস্তায় ছিলাম। আমি আমাদের সিনিয়র নেতা, স্থানীয় সংসদ সদস্যকে ফোন করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু তার ফোন বন্ধ ছিল। সেই মুহূর্তে, আমি নিজেকে প্রতারিত বোধ করেছি।’ ২৩ অক্টোবর ২০২৪, নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে। খুলনার একসময়ের প্রভাবশালী ছাত্রলীগ নেতা নিরাপত্তার জন্য তার কষ্টকর যাত্রার কথা বর্ণনা করে বলেন, ‘আমি আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ফোন নম্বর এবং সবকিছু পরিবর্তন করেছি। আমি বেঁচে থাকার জন্য একটি ছোট ব্যবসা শুরু করেছি। দল আমাদের ছেড়ে দিয়েছে। আমি আর কখনো রাজনীতিতে ফিরব না।’ অনেক সদস্য নীরব থাকলেও আওয়ামী লীগ সমর্থক সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহ-সম্পাদক সামিউল বশির সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সোচ্চার হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কর্মীদের বছরের পর বছর ধরে সাইডলাইন করা হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে, সুবিধাবাদী এবং স্থানীয় আইন প্রণেতাদের পরিবারের সদস্যরা তৃণমূলে দলীয় কাঠামোতে আধিপত্য বিস্তার করেছে, যা দলটিকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে গেছে।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগপন্থি চিকিৎসক সমিতির এক নেতা হতাশার কথা বলেন, ‘যারা দলের মুখ হয়ে উঠেছে তাদের কাজ এবং কথাগুলো বিপর্যয়কর হয়েছে, বিশেষ করে গত কয়েক বছরে। এটি একটি কঠোর বাস্তবতা ছিল যে আমাদের দল সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য গোয়েন্দা প্রতিবেদনের উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। আমি অনেক শীর্ষ নেতাকে দেখেছি- কীভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে আর কারা সেগুলি নিচ্ছে সে সম্পর্কে তারা কিছু জানে না।’ বিশ্লেষকরা বলছেন, গণতান্ত্রিক চর্চার অভাবও দলটিকে বিশৃঙ্খলার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। গত এক দশক ধরে, ঢাকা মহানগর এলাকায় আওয়ামী লীগের সব তৃণমূল ইউনিট এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলো, উদাহরণস্বরূপ, পুরানো কমিটিগুলো নিয়ে কাজ করছে, কোনও পরিবর্তন ছাড়াই একই পুরানো সদস্যদের উপর নির্ভর করে। অনুশোচনা নেই ‘জুলাই আন্দোলন’ হত্যাকাণ্ড চালালেও আওয়ামী লীগ এখনও এর জন্য আনুষ্ঠানিক ক্ষমা বা কোনো বিবৃতি জারি করেনি। পরিবর্তে, দলটি বারবার আন্দোলনকে প্রত্যাখ্যান করেছে। যেমন যুবলীগ তাদের ১০ জানুয়ারির একটি প্রেস রিলিজে বলেছে - এটি একটি ‘সন্ত্রাসী বিদ্রোহ’ ছিল যা দেশকে ‘পাকিস্তানের’ দিকে ঠেলে দেওয়ার লক্ষ্যে সংগঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। আল জাজিরার সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টার কথোপকথনে নাসিম আওয়ামী লীগের পতনের পেছনে বাংলাদেশ জামায়াত-ই-ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে দায়ী করেন। তিনি জানান, কোটা বিরোধী আন্দোলনের আড়ালে শিক্ষার্থীদের ‘বিভ্রান্ত’ করার পেছনে ছিল ছাত্রশিবির। আওয়ামী লীগের সাম্প্রতিক নেতৃত্বে জামায়াতের পাঁচ শীর্ষ নেতা এবং প্রধান বিরোধী দল বিএনপি একজন সিনিয়র নেতাকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। বিএনপি ও জামায়াত উভয়ই হাসিনা সরকারের অধীনে ব্যাপকভাবে গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ কঠোর দমন-পীড়নের মুখোমুখি হয়েছে। এ ব্যাপারে নাসিম আল জাজিরাকে স্বীকার করেছেন যে তার দল ‘কৌশলগত ভুল’ করেছে। কিন্তু এই ব্যর্থতার জন্য প্রাথমিকভাবে ‘গোয়েন্দা ত্রুটি’ কে দায়ী করেন তিনি। এদিকে হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং সরকার অপসারণ পর্যন্ত ১১ বছর ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা আসাদুজ্জামান খান কামাল ভারতীয় একটি প্রধান সংবাদপত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাত্কারে দাবি করেন, আওয়ামী লীগ ‘আওয়ামী লীগ’ এর শিকার হয়েছে। যৌথ অভ্যুত্থান ‘ইসলামী সন্ত্রাসী এবং সেনাবাহিনী’ দ্বারা পরিচালিত। যদিও এ ব্যাপারে দলের ঘনিষ্ঠ অন্যরা একমত নন। বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ দলের মধ্যে জবাবদিহির অভাবকে সরকার পতনের কারণ হিসেবে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে অন্যায়, নিপীড়ন, দুর্নীতি, কোটি কোটি টাকা লুণ্ঠন ও পাচারের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। আমি এখনও কোনো নেতাকে আত্ম-উপলব্ধি, আত্ম-সমালোচনা বা অপরাধ স্বীকার করতে দেখিনি।’ আল মাসুদ হাসানুজ্জামান, একজন বিশ্লেষক এবং ঢাকার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক এ ব্যাপারে বলেন, পার্টির কট্টরপন্থী অবস্থান এবং সিদ্ধান্ত জনগণের ক্ষোভকে উস্কে দিয়েছিল, বিদ্রোহের সাফল্যের পথ প্রশস্ত করেছিল। ধর্মান্ধ পদক্ষেপগুলি শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তাকে আঘাত করেছে। তার পদত্যাগকে এক দাবিতে পরিণত করেছে।’ পুনরুত্থান ও একটি কঠিন যুদ্ধ নির্বাসিত বা প্রত্যাবর্তনের অভিজ্ঞতা হাসিনার নতুন নয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার নেতা শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে হত্যার পর, তার কন্যা হাসিনা কয়েক বছর ভারতে অবস্থান করেছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে ফিরে আসেন তিনি। এরপর দলকে পুনর্গঠন করতে এবং ক্ষমতায় ফিরে আসতে তার ২১ বছর লেগেছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষক হাসানুজ্জামান আওয়ামী লীগের পুনরুত্থান নিয়ে বলছেন, ‘এবার অবশ্য ভিন্ন; দলটি সামরিক সমর্থিত একটি রক্তক্ষয়ী ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহের মুখে পড়ে এবং একজন নেতা হিসেবে শেখ হাসিনার ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হওয়ার পর তিনি দেশ ছেড়েছেন।’ তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ তীব্র ভাবমূর্তি ও নেতৃত্বের সংকটের সম্মুখীন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ছাড়া দল পুনর্গঠন করা চ্যালেঞ্জিং হবে এবং অভ্যন্তরীণ বিভক্তির সম্ভাবনা রয়েছে। বিএনপি এবং জামায়াত, দেশের অন্য দুটি প্রধান রাজনৈতিক শক্তি, উভয়ই বলেছে যে তারা গত জুলাই ও আগস্টে নাগরিক হত্যার সাথে জড়িত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিচারের মুখোমুখি করতে চায়। তবে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ভাগ্য দেশের জনগণই নির্ধারণ করবে বলে তাদের যুক্তি। যাইহোক, হাসিনাকে সরানোর জন্য যে ছাত্ররা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিল তারা অবশ্য আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক বেশি আপসহীন অবস্থান নিয়েছে। ২৫ জানুয়ারি এক পথসভায় অন্তর��বর্তীকালীন ইউনূস সরকারের উপদেষ্টা ও ছাত্র আন্দোলনের একজন প্রধান নেতা মাহফুজ আলম বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, ‘আমাদের ফোকাসের মধ্যে রয়েছে খুন, গুম ও ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার করা এবং সংস্কার বাস্তবায়ন এবং বাংলাদেশপন্থি সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা।’ আওয়ামী লীগের দৃষ্টিকোণ থেকে নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করেন হাসানুজ্জামান, ‘আ.লীগ যদি নির্বাচনে অংশ নিতে পারে, তাহলে দলটির ফিরে যাওয়ার জায়গা তৈরি হবে। তবুও, নেতৃত্ব, সংগঠন এবং তৃণমূল সংযোগের মাধ্যমে জনগণের আস্থা পুনর্গঠন ছাড়া আওয়ামী লীগের জন্য রাজনৈতিক পুনরুত্থান খুবই কঠিন।’ রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক আলী রিয়াজ চারটি শর্তের রূপরেখা দিয়েছেন যা আওয়ামী লীগকে সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তনের সুযোগের জন্য পূরণ করতে হবে: যার মধ্যে রয়েছে তার ১৬ বছরের ক্ষমতায় থাকাকালে সংঘটিত অপরাধের জন্য দ্ব্যর্থহীন ক্ষমা চাওয়া, বিশেষ করে ২০২৪ সালের অভ্যুত্থান।; তার বর্তমান মতাদর্শ পরিত্যাগ; হাসিনার পরিবারের কোনো সদস্য যাতে আবার দলকে নেতৃত্ব দিতে না পারে তা নিশ্চিত করা; এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধসহ জঘন্য অপরাধ সংঘটনের জন্য বিচারের সম্মুখীন হওয়া। রিয়াজ বলেন, ‘শেখ হাসিনাসহ জুলাইয়ের গণজাগরণের সময় নৃশংসতার জন্য যারা সরাসরি দায়ী তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এই শর্তগুলি পূরণ হলেই তাদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে কোনও আলোচনা হতে পারে।’ তারপরও, আওয়ামী লীগের অনেক কর্মী হাসিনার প্রতি আস্থা রেখেছেন, যদিও তারা মাঝে মাঝে ব্যক্তিগতভাবে তার পরিবারের দ্বারা ক্ষমতার অপব্যবহারের সমালোচনাও করেন। এর মধ্যে দেশের বাইরে অবস্থান করা বেশ কিছু আওয়ামী লীগের নেতারা টক শোতে অংশ নিয়ে দলকে পুনরায় সংগঠিত করার আহ্বান জানাচ্ছেন। তাদের দাবি ইউনূস সরকার ব্যর্থ হওয়ার পথে। তবে এটা দলীয় কর্মীদের কাছে খুব একটা গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না। তাদের দাবি নির্বাসিত নেতাদের পক্ষে বিদেশে থেকে কথা বলা সহজ, কারণ দেশের পরিস্থিতি ভিন্ন। এখানে এখনও নেতাকর্মীদের লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে। কেননা, খুলনার সাবেক এই ছাত্রনেতার মতো তাদের অনেকেই নিজেদের পরিচয় প্রকাশ্যে আনতে ভয় পান। যাতে পরিষ্কার রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তন খুব একটা সহজ হবে না আওয়ামী লীগের। সূত্র: আল জাজিরা What Happened to Awami League After Sheikh Hasina’s Removal? On July 16, 2024, student leader Abu Sayeed was shot and killed by police in Rangpur while protesting against the then Prime Minister Sheikh Hasina’s government. This led to an unusual scene in the capital, Dhaka, where Abdul Rahman, a senior leader of the ruling Awami League and the Minister of Fisheries and Livestock, was seen enjoying a poetry recital in his office while the tragedy unfolded. In a video that emerged from that day, Abdul Rahman is seen leaning back in his chair, listening to the poetry with his hand on his cheek. After the recital, he comments “extraordinary” but then is informed of Abu Sayeed’s death. Dismissing the news, he confidently states, “Nothing will happen. The leader (Hasina) will handle everything.” The video of Abu Sayeed’s death spread worldwide. Students took to the streets, demanding justice. The government responded by cutting off internet services nationwide to control the unrest. However, within three weeks, Sheikh Hasina, accused of authoritarianism and brutality, was forced to flee to India after facing intense pressure from the student movement. In the wake of Hasina’s departure, law enforcement agencies killed 834 people, with over 20,000 injured, including women and children. On August 5, Hasina fled the country, ending her 16-year-long rule. Now, five months later, the Awami League is in disarray. The party, established before the birth of Bangladesh, faces a major political crisis, and its future remains uncertain. Can it return to its previous political position, and will the lower-level workers continue to trust the leadership? The Fragmented Awami League Even five months after Hasina’s removal, the Awami League remains divided. Some leaders refuse to apologize, and grassroots party members are demanding accountability from the top leadership. Many leaders, including Joint Secretary AFM Bahauddin Nasim, have denied responsibility for the downfall, instead blaming an international conspiracy. Nasim, in a phone conversation with Al Jazeera, claimed, “We are the victims of an international conspiracy, which will soon be proven,” though he did not specify who was behind it. Political analysts suggest that Nasim’s statements reflect the failure of leadership and an inability to address the public’s grievances. As a result, many grassroots members have become disillusioned and some are even in hiding due to fear of legal repercussions. One former student leader from Khulna explained, “When Sheikh Hasina’s dramatic escape was aired on TV, I was on the streets with some other leaders. I tried calling our senior leader, the local MP, but his phone was off. In that moment, I felt betrayed.” The party’s loss of support and the violence that ensued have left many members despondent. Some, like former Student League leaders, have renounced politics entirely and gone into hiding, while others have turned to small businesses for survival. The Party’s Political Future Even as some members remain silent, the Awami League’s supporter organizations, such as the Bangladesh Krishak League, have voiced their discontent on social media. Samiul Bashir, a co-secretary of the Krishak League, expressed frustration, saying, “For years, dedicated workers have been sidelined. Since 2014, opportunists and the families of local lawmakers have dominated the party’s grassroots, leading it towards disaster.” Others, like a leader of the Awami League-affiliated medical association, have criticized the party’s direction, particularly in recent years. They argue that the party has become too dependent on intelligence reports and that many leaders are out of touch with reality. Analysts suggest that the absence of democratic practices within the party has led to chaos. Over the past decade, the Awami League in Dhaka has relied on outdated committees and the same old members, leaving no room for new leadership or ideas. No Apology Despite the killings during the July movement, the Awami League has yet to issue an official apology or statement. Instead, the party has repeatedly rejected the movement. The youth wing of the party, the Juba League, described the protests as a “terrorist uprising” aimed at pushing the country toward “Pakistan.” In a conversation with Al Jazeera, Nasim blamed the Bangladesh Jamaat-e-Islami’s student wing, Islami Chhatra Shibir, for manipulating students during the protests. However, analysts argue that the government’s actions, including the enforced disappearances and extrajudicial killings, were the real causes of the crisis. Nasim also admitted that the party had made “strategic mistakes” but blamed these on intelligence errors. Meanwhile, Asaduzzaman Khan Kamal, a close associate of Hasina who served as Home Minister for 11 years, recently claimed that the Awami League fell victim to a joint coup led by Islamic terrorists and the military. However, many in the party disagreed with his view. Tanzim Ahmed Sohel Taj, the son of Bangladesh’s first Prime Minister, Tajuddin Ahmed, blamed the lack of accountability within the party for its downfall. He stated, “The Awami League owes an apology to the people of Bangladesh for its injustices, oppression, corruption, and the plundering of billions of dollars.” Revival and a Tough Battle Ahead Hasina’s experience with exile is not new. After the assassination of her father, Sheikh Mujibur Rahman, and most of her family in 1975, Hasina spent several years in India before returning to Bangladesh in 1981. It took her 21 years to rebuild the party and return to power. Political analysts suggest that the Awami League’s revival now faces a different challenge. The party is dealing with a bloody student-led rebellion and the tarnished image of Sheikh Hasina’s leadership. The party faces a severe leadership and image crisis, and rebuilding without Hasina will be difficult. The two main opposition parties, BNP and Jamaat, have indicated that they will push for justice for those involved in the killings of citizens during the July and August uprisings. Ultimately, they argue, the fate of the Awami League will depend on the people of Bangladesh. Despite this, the student leaders who led the uprising remain resolute. Mahfuz Alam, a key leader of the student movement and an adviser to the interim Yunus government, stated, “In the upcoming elections, Awami League will not be allowed to participate.” The political future of the Awami League remains uncertain. For the party to make a comeback, it must address the deep divisions within, earn the trust of its grassroots members, and make significant reforms. Without a genuine apology and accountability for its actions, the Awami League’s political resurrection will remain a difficult and distant possibility.   এতো রক্তপাতের পর আ.লীগ কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে?
0 notes