#স্থায়ী
Explore tagged Tumblr posts
Text
পরকালীন স্থায়ী সৎকর্ম
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
পরকালে যেসব আমলের সওয়াব স্থায়ী হবে
মানুষের মৃত্যুর পর পৃথিবীর সব কিছুর সঙ্গে মৃত ব্যক্তির সব বন্ধন শেষ হয়ে যায়। রক্তের সম্পর্ক কিংবা ধনদৌলতের প্রতাপ কিছুই কাজে আসে না।
কেবল নেক আমলই তার সঙ্গী হয়ে পরকালীন প্রতিটি ধাপে তাকে সাহায্য করবে। এ জন্যই আল্লাহ সন্তান ও সম্পদকে দুনিয়ার সৌন্দর্য হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন আর কঠিন সময়ে সঙ্গদানকারী নেক আমলকে বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্ম বলে উল্লেখ করেছেন।
ইরশাদ হয়েছে, ‘ধনৈশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য এবং স্থায়ী সৎকর্মসমূহ আপনার পালনকর্তার কাছে প্রতিদানপ্রাপ্তি ও আশা লাভের জন্য উত্তম। ’ (সুরা : কাহাফ, আয়াত : ৪৬)
উক্ত আয়াতে বর্ণিত বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্মের বিশ্লেষণ নিয়ে আলেমদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। কেউ বলেছেন, বাকিয়াতুস সালিহাত হলো পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ। যেমনটি হাদিস শরিফে এসেছে, উবায়দুল্লাহ বিন উতবা (রহ.) সাহাবি ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্ম হলো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ।
আরও কয়েকটি সনদে হজরত সাঈদ বিন জুবাইর ও আমর বিন শুরাহবিল (রহ.) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। আরেক দল উলামায়ে কিরাম বাকিয়াতুস সালিহাত-এর ব্যাখ্যায় বলেন, স্থায়ী সৎকর্ম হলো তাসবিহ-তাহলিলের মাধ্যমে আল্লাহর জিকির করা। তারা নিজেদের কথার সমর্থনে নবীজির হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়েছেন। এক বর্ণনায় এসেছে, উমারা ইবনু সাইয়্যাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (রা.)-কে বলতে শুনেছেন, ‘বাকিয়াতুস সালিহাত’ (যা কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে) সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহু আকবারু ওয়া সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ হচ্ছে বাকিয়াতুস সালিহাত। (মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হাদিস : ৪৭৭)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, স্থায়ী সৎকাজ বা যে সৎকাজের পুণ্য স্থায়ী হবে, সে দোয়াটি হচ্ছে এই—‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া সুবহানাল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবারু ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। ’
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, আল্লাহর জন্যই পবিত্রতা, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহর জন্যই যাবতীয় প্রশংসা, পাপকাজ হতে দূরে থাকার এবং পুণ্যকাজ সম্পাদন করার ক্ষ���তা আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কারো নেই। (বুলুগুল মারাম, হাদিস : ১৫৪৫)
আবার কেউ কেউ বলেছেন, স্থায়ী সৎকর্ম হলো উত্তম কথা বলা। (জামেউল বয়ান : ২৮/৩৫)
তবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও ভারসাম্যপূর্ণ মত হলো- সব ধরনের সৎকর্ম, যা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা হয়—এ সব কিছুই বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্মের অন্তর্ভুক্ত।
যেমন—আল্লাহর জিকির দরুদ শরিফ পাঠ করা, রোজা রাখা, নামাজ পড়া, হজ করা, সদকা করা, দাস মুক্ত করা, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা এবং সব ধরনের নেক আমলই বাকিয়াতুস সালিহাত, যা বাকি থাকবে যত দিন আসমান-জমিন থাকবে বান্দাকে জান্নাতে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত।
শেষোক্ত মতটিই অধিকতর নির্ভরযোগ্য। কেননা আল্লাহ তাআলা এর ব্যাখ্যায় আয়াতে এবং নবী করিম (সা.) হাদিসে অন্য সব আমল থেকে নির্দিষ্ট কোনো আমল উল্লেখ করেননি। হাদিসের বিভিন্ন স্থানে নানা ধরনের আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে, সেখানে বোঝানো হয়েছে যে এ সবই হলো স্থায়ী সৎকর্ম। কোথাও এ কথা বলা হয়নি যে শুধু এগুলোই বাকিয়াতুস সালিহাত, বরং হাদিসে যেসব সৎকাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে আর যা উল্লেখ করা হয়নি—সবই স্থায়ী সৎকর্ম।
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে স্থায়ী সৎকর্মের ওপর অটল থাকার তাওফিক দান করুন।
মুমিনের পরকালীন স্থায়ী সৎকর্ম
The Eternal Good Deeds of Believer
মানুষের মৃত্যুর পর পৃথিবীর সব কিছুর সঙ্গে মৃত ব্যক্তির সব বন্ধন শেষ হয়ে যায়। রক্তের সম্পর্ক কিংবা ধনদৌলতের প্রতাপ কিছুই কাজে আসে না। কেবল নেক আমলই তার সঙ্গী হয়ে পরকালীন প্রতিটি ধাপে তাকে সাহায্য করবে। এ জন্যই আল্লাহ সন্তান ও সম্পদকে দুনিয়ার সৌন্দর্য হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন আর কঠিন সময়ে সঙ্গদানকারী নেক আমলকে বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্ম বলে উল্লেখ করেছেন।
ইরশাদ হয়েছে, ‘ধনৈশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য এবং স্থায়ী সৎকর্মসমূহ আপনার পালনকর্তার কাছে প্রতিদান প্রাপ্তি ও আশা লাভের জন্য উত্তম।’ (সুরা : কাহাফ, আয়াত : ৪৬)
উক্ত আয়াতে বর্ণিত বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্মের বিশ্লেষণ নিয়ে আলেমদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। কেউ বলেছেন, বাকিয়াতুস সালিহাত হলো পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ। যেমনটি হাদিস শরিফে এসেছে, উবায়দুল্লাহ বিন উতবা (রহ.) সাহাবি ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্ম হলো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ।
আরো কয়েকটি সনদে হজরত সাঈদ বিন জুবাইর ও আমর বিন শুরাহবিল (রহ.) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
আরেক দল উলামায়ে কিরাম বাকিয়াতুস সালিহাত এর ব্যাখ্যায় বলেন, স্থায়ী সৎকর্ম হলো তাসবিহ-তাহলিলের মাধ্যমে আল্লাহর জিকির করা। তারা নিজেদের কথার সমর্থনে নবীজির হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়েছেন। এক বর্ণনায় এসেছে, উমারা ইবনু সাইয়্যাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (রা.)-কে বলতে শুনেছেন, ‘বাকিয়াতুস সালিহাত’ (যা কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে) সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহু আকবারু ওয়া সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ হচ্ছে বাকিয়াতুস সালিহাত।
(মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হাদিস : ৪৭৭)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, স্থায়ী সৎকাজ বা যে সৎকাজের পুণ্য স্থায়ী হবে, সে দোয়াটি হচ্ছে এই—‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া সুবহানাল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবারু ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।’
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, আল্লাহর জন্যই পবিত্রতা, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহর জন্যই যাবতীয় প্রশংসা, পাপ কাজ হতে দূরে থাকার এবং পুণ্য কাজ সম্পাদন করার ক্ষমতা আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কারো নেই। (বুলুগুল মারাম, হাদিস : ১৫৪৫)
আবার কেউ কেউ বলেছেন, স্থায়ী সৎকর্ম হলো উত্তম কথা বলা। (জামেউল বয়ান : ২৮/৩৫)
তবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও ভারসাম্যপূর্ণ মত হলো সব ধরনের সৎকর্ম, যা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা হয়—এ সব কিছুই বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্মের অন্তর্ভুক্ত।
যেমন—আল্লাহর জিকির দরুদ শরিফ পাঠ করা, রোজা রাখা, নামাজ পড়া, হজ করা, সদকা করা, দাস মুক্ত করা, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা এবং সব ধরনের নেক আমলই বাকিয়াতুস সালিহাত, যা বাকি থাকবে যত দিন আসমান-জমিন থাকবে বান্দাকে জান্নাতে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত।
শেষোক্ত মতটিই অধিকতর নির্ভরযোগ্য। কেননা আল্লাহ তাআলা এর ব্যাখ্যায় আয়াতে এবং নবী করিম (সা.) হাদিসে অন্য সব আমল থেকে নির্দিষ্ট কোনো আমল উল্লেখ করেননি। হাদিসের বিভিন্ন স্থানে নানা ধরনের আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে, সেখানে বোঝানো হয়েছে যে এ সবই হলো স্থায়ী সৎকর্ম। কোথাও এ কথা বলা হয়নি যে শুধু এগুলোই বাকিয়াতুস সালিহাত, বরং হাদিসে যেসব সৎকাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে আর যা উল্লেখ করা হয়নি—সবই স্থায়ী সৎকর্ম।
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে স্থায়ী সৎকর্মের ওপর অটল থাকার তাওফিক দান করুন।
মুমিনের পরকালীন স্থায়ী সৎকর্ম
The Eternal Good Deeds of Believer
0 notes
Text
পরকালীন স্থায়ী সৎকর্ম
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
পরকালে যেসব আমলের সওয়াব স্থায়ী হ��ে
মানুষের মৃত্যুর পর পৃথিবীর সব কিছুর সঙ্গে মৃত ব্যক্তির সব বন্ধন শেষ হয়ে যায়। রক্তের সম্পর্ক কিংবা ধনদৌলতের প্রতাপ কিছুই কাজে আসে না।
কেবল নেক আমলই তার সঙ্গী হয়ে পরকালীন প্রতিটি ধাপে তাকে সাহায্য করবে। এ জন্যই আল্লাহ সন্তান ও সম্পদকে দুনিয়ার সৌন্দর্য হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন আর কঠিন সময়ে সঙ্গদানকারী নেক আমলকে বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্ম বলে উল্লেখ করেছেন।
ইরশাদ হয়েছে, ‘ধনৈশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য এবং স্থায়ী সৎকর্মসমূহ আপনার পালনকর্তার কাছে প্রতিদানপ্রাপ্তি ও আশা লাভের জন্য উত্তম। ’ (সুরা : কাহাফ, আয়াত : ৪৬)
উক্ত আয়াতে বর্ণিত বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্মের বিশ্লেষণ নিয়ে আলেমদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। কেউ বলেছেন, বাকিয়াতুস সালিহাত হলো পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ। যেমনটি হাদিস শরিফে এসেছে, উবায়দুল্লাহ বিন উতবা (রহ.) সাহাবি ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্ম হলো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ।
আরও কয়েকটি সনদে হজরত সাঈদ বিন জুবাইর ও আমর বিন শুরাহবিল (রহ.) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। আরেক দল উলামায়ে কিরাম বাকিয়াতুস সালিহাত-এর ব্যাখ্যায় বলেন, স্থায়ী সৎকর্ম হলো তাসবিহ-তাহলিলের মাধ্যমে আল্লাহর জিকির করা। তারা নিজেদের কথার সমর্থনে নবীজির হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়েছেন। এক বর্ণনায় এসেছে, উমারা ইবনু সাইয়্যাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (রা.)-কে বলতে শুনেছেন, ‘বাকিয়াতুস সালিহাত’ (যা কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে) সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহু আকবারু ওয়া সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ হচ্ছে বাকিয়াতুস সালিহাত। (মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হাদিস : ৪৭৭)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, স্থায়ী সৎকাজ বা যে সৎকাজের পুণ্য স্থায়ী হবে, সে দোয়াটি হচ্ছে এই—‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া সুবহানাল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবারু ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। ’
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, আল্লাহর জন্যই পবিত্রতা, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহর জন্যই যাবতীয় প্রশংসা, পাপকাজ হতে দূরে থাকার এবং পুণ্যকাজ সম্পাদন করার ক্ষমতা আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কারো নেই। (বুলুগুল মারাম, হাদিস : ১৫৪৫)
আবার কেউ কেউ বলেছেন, স্থায়ী সৎকর্ম হলো উত্তম কথা বলা। (জামেউল বয়ান : ২৮/৩৫)
তবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও ভারসাম্যপূর্ণ মত হলো- সব ধরনের সৎকর্ম, যা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা হয়—এ সব কিছুই বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্মের অন্তর্ভুক্ত।
যেমন—আল্লাহর জিকির দরুদ শরিফ পাঠ করা, রোজা রাখা, নামাজ পড়া, হজ করা, সদকা করা, দাস মুক্ত করা, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা এবং সব ধরনের নেক আমলই বাকিয়াতুস সালিহাত, যা বাকি থাকবে যত দিন আসমান-জমিন থাকবে বান্দাকে জান্নাতে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত।
শেষোক্ত মতটিই অধিকতর নির্ভরযোগ্য। কেননা আল্লাহ তাআলা এর ব্যাখ্যায় আয়াতে এবং নবী করিম (সা.) হাদিসে অন্য সব আমল থেকে নির্দিষ্ট কোনো আমল উল্লেখ করেননি। হাদিসের বিভিন্ন স্থানে নানা ধরনের আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে, সেখানে বোঝানো হয়েছে যে এ সবই হলো স্থায়ী সৎকর্ম। কোথাও এ কথা বলা হয়নি যে শুধু এগুলোই বাকিয়াতুস সালিহাত, বরং হাদিসে যেসব সৎকাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে আর যা উল্লেখ করা হয়নি—সবই স্থায়ী সৎকর্ম।
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে স্থায়ী সৎকর্মের ওপর অটল থাকার তাওফিক দান করুন।
মুমিনের পরকালীন স্থায়ী সৎকর্ম
The Eternal Good Deeds of Believer
মানুষের মৃত্যুর পর পৃথিবীর সব কিছুর সঙ্গে মৃত ব্যক্তির সব বন্ধন শেষ হয়ে যায়। রক্তের সম্পর্ক কিংবা ধনদৌলতের প্রতাপ কিছুই কাজে আসে না। কেবল নেক আমলই তার সঙ্গী হয়ে পরকালীন প্রতিটি ধাপে তাকে সাহায্য করবে। এ জন্যই আল্লাহ সন্তান ও সম্পদকে দুনিয়ার সৌন্দর্য হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন আর কঠিন সময়ে সঙ্গদানকারী নেক আমলকে বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্ম বলে উল্লেখ করেছেন।
ইরশাদ হয়েছে, ‘ধনৈশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য এবং স্থায়ী সৎকর্মসমূহ আপনার পালনকর্তার কাছে প্রতিদান প্রাপ্তি ও আশা লাভের জন্য উত্তম।’ (সুরা : কাহাফ, আয়াত : ৪৬)
উক্ত আয়াতে বর্ণিত বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্মের বিশ্লেষণ নিয়ে আলেমদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। কেউ বলেছেন, বাকিয়াতুস সালিহাত হলো পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ। যেমনটি হাদিস শরিফে এসেছে, উবায়দুল্লাহ বিন উতবা (রহ.) সাহাবি ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্ম হলো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ।
আরো কয়েকটি সনদে হজরত সাঈদ বিন জুবাইর ও আমর বিন শুরাহবিল (রহ.) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
আরেক দল উলামায়ে কিরাম বাকিয়াতুস সালিহাত এর ব্যাখ্যায় বলেন, স্থায়ী সৎকর্ম হলো তাসবিহ-তাহলিলের মাধ্যমে আল্লাহর জিকির করা। তারা নিজেদের কথার সমর্থনে নবীজির হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়েছেন। এক বর্ণনায় এসেছে, উমারা ইবনু সাইয়্যাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (রা.)-কে বলতে শুনেছেন, ‘বাকিয়াতুস সালিহাত’ (যা কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে) সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহু আকবারু ওয়া সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ হচ্ছে বাকিয়াতুস সালিহাত।
(মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হাদিস : ৪৭৭)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, স্থায়ী সৎকাজ বা যে সৎকাজের পুণ্য স্থায়ী হবে, সে দোয়াটি হচ্ছে এই—‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া সুবহানাল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবারু ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।’
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, আল্লাহর জন্যই পবিত্রতা, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহর জন্যই যাবতীয় প্রশংসা, পাপ কাজ হতে দূরে থাকার এবং পুণ্য কাজ সম্পাদন করার ক্ষমতা আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কারো নেই। (বুলুগুল মারাম, হাদিস : ১৫৪৫)
আবার কেউ কেউ বলেছেন, স্থায়ী সৎকর্ম হলো উত্তম কথা বলা। (জামেউল বয়ান : ২৮/৩৫)
তবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও ভারসাম্যপূর্ণ মত হলো সব ধরনের সৎকর্ম, যা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা হয়—এ সব কিছুই বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্মের অন্তর্ভুক্ত।
যেমন—আল্লাহর জিকির দরুদ শরিফ পাঠ করা, রোজা রাখা, নামাজ পড়া, হজ করা, সদকা করা, দাস মুক্ত করা, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা এবং সব ধরনের নেক আমলই বাকিয়াতুস সালিহাত, যা বাকি থাকবে যত দিন আসমান-জমিন থাকবে বান্দাকে জান্নাতে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত।
শেষোক্ত মতটিই অধিকতর নির্ভরযোগ্য। কেননা আল্লাহ তাআলা এর ব্যাখ্যায় আয়াতে এবং নবী করিম (সা.) হাদিসে অন্য সব আমল থেকে নির্দিষ্ট কোনো আমল উল্লেখ করেননি। হাদিসের বিভিন্ন স্থানে নানা ধরনের আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে, সেখানে বোঝানো হয়েছে যে এ সবই হলো স্থায়ী সৎকর্ম। কোথাও এ কথা বলা হয়নি যে শুধু এগুলোই বাকিয়াতুস সালিহাত, বরং হাদিসে যেসব সৎকাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে আর যা উল্লেখ করা হয়নি—সবই স্থায়ী সৎকর্ম।
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে স্থায়ী সৎকর্মের ওপর অটল থাকার তাওফিক দান করুন।
মুমিনের পরকালীন স্থায়ী সৎকর্ম
The Eternal Good Deeds of Believer
0 notes
Text
পরকালীন স্থায়ী সৎকর্ম
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
পরকালে যেসব আমলের সওয়াব স্থায়ী হবে
মানুষের মৃত্যুর পর পৃথিবীর সব কিছুর সঙ্গে মৃত ব্যক্তির সব বন্ধন শেষ হয়ে যায়। রক্তের সম্পর্ক কিংবা ধনদৌলতের প্রতাপ কিছুই কাজে আসে না।
কেবল নেক আমলই তার সঙ্গী হয়ে পরকালীন প্রতিটি ধাপে তাকে সাহায্য করবে। এ জন্যই আল্লাহ সন্তান ও সম্পদকে দুনিয়ার সৌন্দর্য হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন আর কঠিন সময়ে সঙ্গদানকারী নেক আমলকে বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্ম বলে উল্লেখ করেছেন।
ইরশাদ হয়েছে, ‘ধনৈশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য এবং স্থায়ী সৎকর্মসমূহ আপনার পালনকর্তার কাছে প্রতিদানপ্রাপ্তি ও আশা লাভের জন্য উত্তম। ’ (সুরা : কাহাফ, আয়াত : ৪৬)
উক্ত আয়াতে বর্ণিত বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্মের বিশ্লেষণ নিয়ে আলেমদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। কেউ বলেছেন, বাকিয়াতুস সালিহাত হলো পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ। যেমনটি হাদিস শরিফে এসেছে, উবায়দুল্লাহ বিন উতবা (রহ.) সাহাবি ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্ম হলো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ।
আরও কয়েকটি সনদে হজরত সাঈদ বিন জুবাইর ও আমর বিন শুরাহবিল (রহ.) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। আরেক দল উলামায়ে কিরাম বাকিয়াতুস সালিহাত-এর ব্যাখ্যায় বলেন, স্থায়ী সৎকর্ম হলো তাসবিহ-তাহলিলের মাধ্যমে আল্লাহর জিকির করা। তারা নিজেদের কথার সমর্থনে নবীজির হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়েছেন। এক বর্ণনায় এসেছে, উমারা ইবনু সাইয়্যাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (রা.)-কে বলতে শুনেছেন, ‘বাকিয়াতুস সালিহাত’ (যা কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে) সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহু আকবারু ওয়া সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ হচ্ছে বাকিয়াতুস সালিহাত। (মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হাদিস : ৪৭৭)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, স্থায়ী সৎকাজ বা যে সৎকাজের পুণ্য স্থায়ী হবে, সে দোয়াটি হচ্ছে এই—‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া সুবহানাল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবারু ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। ’
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, আল্লাহর জন্যই পবিত্রতা, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহর জন্যই যাবতীয় প্রশংসা, পাপকাজ হতে দূরে থাকার এবং পুণ্যকাজ সম্পাদন করার ক্ষমতা আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কারো নেই। (বুলুগুল মারাম, হাদিস : ১৫৪৫)
আবার কেউ কেউ বলেছেন, স্থায়ী সৎকর্ম হলো উত্তম কথা বলা। (জামেউল বয়ান : ২৮/৩৫)
তবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও ভারসাম্যপূর্ণ মত হলো- সব ধরনের সৎকর্ম, যা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা হয়—এ সব কিছুই বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্মের অন্তর্ভুক্ত।
যেমন—আল্লাহর জিকির দরুদ শরিফ পাঠ করা, রোজা রাখা, নামাজ পড়া, হজ করা, সদকা করা, দাস মুক্ত করা, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা এবং সব ধরনের নেক আমলই বাকিয়াতুস সালিহাত, যা বাকি থাকবে যত দিন আসমান-জমিন থাকবে বান্দাকে জান্নাতে পৌঁছে দেও��়া পর্যন্ত।
শেষোক্ত মতটিই অধিকতর নির্ভরযোগ্য। কেননা আল্লাহ তাআলা এর ব্যাখ্যায় আয়াতে এবং নবী করিম (সা.) হাদিসে অন্য সব আমল থেকে নির্দিষ্ট কোনো আমল উল্লেখ করেননি। হাদিসের বিভিন্ন স্থানে নানা ধরনের আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে, সেখানে বোঝানো হয়েছে যে এ সবই হলো স্থায়ী সৎকর্ম। কোথাও এ কথা বলা হয়নি যে শুধু এগুলোই বাকিয়াতুস সালিহাত, বরং হাদিসে যেসব সৎকাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে আর যা উল্লেখ করা হয়নি—সবই স্থায়ী সৎকর্ম।
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে স্থায়ী সৎকর্মের ওপর অটল থাকার তাওফিক দান করুন।
মুমিনের পরকালীন স্থায়ী সৎকর্ম
The Eternal Good Deeds of Believer
মানুষের মৃত্যুর পর পৃথিবীর সব কিছুর সঙ্গে মৃত ব্যক্তির সব বন্ধন শেষ হয়ে যায়। রক্তের সম্পর্ক কিংবা ধনদৌলতের প্রতাপ কিছুই কাজে আসে না। কেবল নেক আমলই তার সঙ্গী হয়ে পরকালীন প্রতিটি ধাপে তাকে সাহায্য করবে। এ জন্যই আল্লাহ সন্তান ও সম্পদকে দুনিয়ার সৌন্দর্য হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন আর কঠিন সময়ে সঙ্গদানকারী নেক আমলকে বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্ম বলে উল্লেখ করেছেন।
ইরশাদ হয়েছে, ‘ধনৈশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য এবং স্থায়ী সৎকর্মসমূহ আপনার পালনকর্তার কাছে প্রতিদান প্রাপ্তি ও আশা লাভের জন্য উত্তম।’ (সুরা : কাহাফ, আয়াত : ৪৬)
উক্ত আয়াতে বর্ণিত বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্মের বিশ্লেষণ নিয়ে আলেমদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। কেউ বলেছেন, বাকিয়াতুস সালিহাত হলো পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ। যেমনটি হাদিস শরিফে এসেছে, উবায়দুল্লাহ বিন উতবা (রহ.) সাহাবি ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্ম হলো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ।
আরো কয়েকটি সনদে হজরত সাঈদ বিন জুবাইর ও আমর বিন শুরাহবিল (রহ.) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
আরেক দল উলামায়ে কিরাম বাকিয়াতুস সালিহাত এর ব্যাখ্যায় বলেন, স্থায়ী সৎকর্ম হলো তাসবিহ-তাহলিলের মাধ্যমে আল্লাহর জিকির করা। তারা নিজেদের কথার সমর্থনে নবীজির হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়েছেন। এক বর্ণনায় এসেছে, উমারা ইবনু সাইয়্যাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (রা.)-কে বলতে শুনেছেন, ‘বাকিয়াতুস সালিহাত’ (যা কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে) সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহু আকবারু ওয়া সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ হচ্ছে বাকিয়াতুস সালিহাত।
(মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হাদিস : ৪৭৭)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, স্থায়ী সৎকাজ বা যে সৎকাজের পুণ্য স্থায়ী হবে, সে দোয়াটি হচ্ছে এই—‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া সুবহানাল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবারু ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।’
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, আল্লাহর জন্যই পবিত্রতা, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহর জন্যই যাবতীয় প্রশংসা, পাপ কাজ হতে দূরে থাকার এবং পুণ্য কাজ সম্পাদন করার ক্ষমতা আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কারো নেই। (বুলুগুল মারাম, হাদিস : ১৫৪৫)
আবার কেউ কেউ বলেছেন, স্থায়ী সৎকর্ম হলো উত্তম কথা বলা। (জামেউল বয়ান : ২৮/৩৫)
তবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও ভারসাম্যপূর্ণ মত হলো সব ধরনের সৎকর্ম, যা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা হয়—এ সব কিছুই বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্মের অন্তর্ভুক্ত।
যেমন—আল্লাহর জিকির দরুদ শরিফ পাঠ করা, রোজা রাখা, নামাজ পড়া, হজ করা, সদকা করা, দাস মুক্ত করা, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা এবং সব ধরনের নেক আমলই বাকিয়াতুস সালিহাত, যা বাকি থাকবে যত দিন আসমান-জমিন থাকবে বান্দাকে জান্নাতে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত।
শেষোক্ত মতটিই অধিকতর নির্ভরযোগ্য। কেননা আল্লাহ তাআলা এর ব্যাখ্যায় আয়াতে এবং নবী করিম (সা.) হাদিসে অন্য সব আমল থেকে নির্দিষ্ট কোনো আমল উল্লেখ করেননি। হাদিসের বিভিন্ন স্থানে নানা ধরনের আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে, সেখানে বোঝানো হয়েছে যে এ সবই হলো স্থায়ী সৎকর্ম। কোথাও এ কথা বলা হয়নি যে শুধু এগুলোই বাকিয়াতুস সালিহাত, বরং হাদিসে যেসব সৎকাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে আর যা উল্লেখ করা হয়নি—সবই স্থায়ী সৎকর্ম।
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে স্থায়ী সৎকর্মের ওপর অটল থাকার তাওফিক দান করুন।
মুমিনের পরকালীন স্থায়ী সৎকর্ম
The Eternal Good Deeds of Believer
0 notes
Text
পরকালীন স্থায়ী সৎকর্ম
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
পরকালে যেসব আমলের সওয়াব স্থায়ী হবে
মানুষের মৃত্যুর পর পৃথিবীর সব কিছুর সঙ্গে মৃত ব্যক্তির সব বন্ধন শেষ হয়ে যায়। রক্তের সম্পর্ক কিংবা ধনদৌলতের প্রতাপ কিছুই কাজে আসে না।
কেবল নেক আমলই তার সঙ্গী হয়ে পরকালীন প্রতিটি ধাপে তাকে সাহায্য করবে। এ জন্যই আল্লাহ সন্তান ও সম্পদকে দুনিয়ার সৌন্দর্য হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন আর কঠিন সময়ে সঙ্গদানকারী নেক আমলকে বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্ম বলে উল্লেখ করেছেন।
ইরশাদ হয়েছে, ‘ধনৈশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য এবং স্থায়ী সৎকর্মসমূহ আপনার পালনকর্তার কাছে প্রতিদানপ্রাপ্তি ও আশা লাভের জন্য উত্তম। ’ (সুরা : কাহাফ, আয়াত : ৪৬)
উক্ত আয়াতে বর্ণিত বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্মের বিশ্লেষণ নিয়ে আলেমদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। কেউ বলেছেন, বাকিয়াতুস সালিহাত হলো পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ। যেমনটি হাদিস শরিফে এসেছে, উবায়দুল্লাহ বিন উতবা (রহ.) সাহাবি ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্ম হলো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ।
আরও কয়েকটি সনদে হজরত সাঈদ বিন জুবাইর ও আমর বিন শুরাহবিল (রহ.) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। আরেক দল উলামায়ে কিরাম বাকিয়াতুস সালিহাত-এর ব্যাখ্যায় বলেন, স্থায়ী সৎকর্ম হলো তাসবিহ-তাহলিলের মাধ্যমে আল্লাহর জিকির করা। তারা নিজেদের কথার সমর্থনে নবীজির হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়েছেন। এক বর্ণনায় এসেছে, উমারা ইবনু সাইয়্যাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (রা.)-কে বলতে শুনেছেন, ‘বাকিয়াতুস সালিহাত’ (যা কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে) সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহু আকবারু ওয়া সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ হচ্ছে বাকিয়াতুস সালিহাত। (মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হাদিস : ৪৭৭)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, স্থায়ী সৎকাজ বা যে সৎকাজের পুণ্য স্থায়ী হবে, সে দোয়াটি হচ্ছে এই—‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া সুবহানাল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবারু ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। ’
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, আল্লাহর জন্যই পবিত্রতা, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহর জন্যই যাবতীয় প্রশংসা, পাপকাজ হতে দূরে থাকার এবং পুণ্যকাজ সম্পাদন করার ক্ষমতা আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কারো নেই। (বুলুগুল মারাম, হাদিস : ১৫৪৫)
আবার কেউ কেউ বলেছেন, স্থায়ী সৎকর্ম হলো উত্তম কথা বলা। (জামেউল বয়ান : ২৮/৩৫)
তবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও ভারসাম্যপূর্ণ মত হলো- সব ধরনের সৎকর্ম, যা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা হয়—এ সব কিছুই বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্মের অন্তর্ভুক্ত।
যেমন—আল্লাহর জিকির দরুদ শরিফ পাঠ করা, রোজা রাখা, নামাজ পড়া, হজ করা, সদকা করা, দাস মুক্ত করা, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা এবং সব ধরনের নেক আমলই বাকিয়াতুস সালিহাত, যা বাকি থাকবে যত দিন আসমান-জমিন থাকবে বান্দাকে জান্নাতে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত।
শেষোক্ত মতটিই অধিকতর নির্ভরযোগ্য। কেননা আল্লাহ তাআলা এর ব্যাখ্যায় আয়াতে এবং নবী করিম (সা.) হাদিসে অন্য সব আমল থেকে নির্দিষ্ট কোনো আমল উল্লেখ করেননি। হাদিসের বিভিন্ন স্থানে নানা ধরনের আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে, সেখানে বোঝানো হয়েছে যে এ সবই হলো স্থায়ী সৎকর্ম। কোথাও এ কথা বলা হয়নি যে শুধু এগুলোই বাকিয়াতুস সালিহাত, বরং হাদিসে যেসব সৎকাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে আর যা উল্লেখ করা হয়নি—সবই স্থায়ী সৎকর্ম।
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে স্থায়ী সৎকর্মের ওপর অটল থাকার তাওফিক দান করুন।
মুমিনের পরকালীন স্থায়ী সৎকর্ম
The Eternal Good Deeds of Believer
মানুষের মৃত্যুর পর পৃথিবীর সব কিছুর সঙ্গে মৃত ব্যক্তির সব বন্ধন শেষ হয়ে যায়। রক্তের সম্পর্ক কিংবা ধনদৌলতের প্রতাপ কিছুই কাজে আসে না। কেবল নেক আমলই তার সঙ্গী হয়ে পরকালীন প্রতিটি ধাপে তাকে সাহায্য করবে। এ জন্যই আল্লাহ সন্তান ও সম্পদকে দুনিয়ার সৌন্দর্য হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন আর কঠিন সময়ে সঙ্গদানকারী নেক আমলকে বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্ম বলে উল্লেখ করেছেন।
ইরশাদ হয়েছে, ‘ধনৈশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য এবং স্থায়ী সৎকর্মসমূহ আপনার পালনকর্তার কাছে প্রতিদান প্রাপ্তি ও আশা লাভের জন্য উত্তম।’ (সুরা : কাহাফ, আয়াত : ৪৬)
উক্ত আয়াতে বর্ণিত বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্মের বিশ্লেষণ নিয়ে আলেমদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। কেউ বলেছেন, বাকিয়াতুস সালিহাত হলো পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ। যেমনটি হাদিস শরিফে এসেছে, উবায়দুল্লাহ বিন উতবা (রহ.) সাহাবি ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্ম হলো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ।
আরো কয়েকটি সনদে হজরত সাঈদ বিন জুবাইর ও আমর বিন শুরাহবিল (রহ.) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
আরেক দল উলামায়ে কিরাম বাকিয়াতুস সালিহাত এর ব্যাখ্যায় বলেন, স্থায়ী সৎকর্ম হলো তাসবিহ-তাহলিলের মাধ্যমে আল্লাহর জিকির করা। তারা নিজেদের কথার সমর্থনে নবীজির হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়েছেন। এক বর্ণনায় এসেছে, উমারা ইবনু সাইয়্যাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (রা.)-কে বলতে শুনেছেন, ‘বাকিয়াতুস সালিহাত’ (যা কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে) সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহু আকবারু ওয়া সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ হচ্ছে বাকিয়াতুস সালিহাত।
(মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হাদিস : ৪৭৭)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, স্থায়ী সৎকাজ বা যে সৎকাজের পুণ্য স্থায়ী হবে, সে দোয়াটি হচ্ছে এই—‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া সুবহানাল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবারু ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।’
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, আল্লাহর জন্যই পবিত্রতা, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহর জন্যই যাবতীয় প্রশংসা, পাপ কাজ হতে দূরে থাকার এবং পুণ্য কাজ সম্পাদন ��রার ক্ষমতা আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কারো নেই। (বুলুগুল মারাম, হাদিস : ১৫৪৫)
আবার কেউ কেউ বলেছেন, স্থায়ী সৎকর্ম হলো উত্তম কথা বলা। (জামেউল বয়ান : ২৮/৩৫)
তবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও ভারসাম্যপূর্ণ মত হলো সব ধরনের সৎকর্ম, যা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা হয়—এ সব কিছুই বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্মের অন্তর্ভুক্ত।
যেমন—আল্লাহর জিকির দরুদ শরিফ পাঠ করা, রোজা রাখা, নামাজ পড়া, হজ করা, সদকা করা, দাস মুক্ত করা, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা এবং সব ধরনের নেক আমলই বাকিয়াতুস সালিহাত, যা বাকি থাকবে যত দিন আসমান-জমিন থাকবে বান্দাকে জান্নাতে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত।
শেষোক্ত মতটিই অধিকতর নির্ভরযোগ্য। কেননা আল্লাহ তাআলা এর ব্যাখ্যায় আয়াতে এবং নবী করিম (সা.) হাদিসে অন্য সব আমল থেকে নির্দিষ্ট কোনো আমল উল্লেখ করেননি। হাদিসের বিভিন্ন স্থানে নানা ধরনের আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে, সেখানে বোঝানো হয়েছে যে এ সবই হলো স্থায়ী সৎকর্ম। কোথাও এ কথা বলা হয়নি যে শুধু এগুলোই বাকিয়াতুস সালিহাত, বরং হাদিসে যেসব সৎকাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে আর যা উল্লেখ করা হয়নি—সবই স্থায়ী সৎকর্ম।
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে স্থায়ী সৎকর্মের ওপর অটল থাকার তাওফিক দান করুন।
মুমিনের পরকালীন স্থায়ী সৎকর্ম
The Eternal Good Deeds of Believer
0 notes
Text
পরকালীন স্থায়ী সৎকর্ম
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
পরকালে যেসব আমলের সওয়াব স্থায়ী হবে
মানুষের মৃত্যুর পর পৃথিবীর সব কিছুর সঙ্গে মৃত ব্যক্তির সব বন্ধন শেষ হয়ে যায়। রক্তের সম্পর্ক কিংবা ধনদৌলতের প্রতাপ কিছুই কাজে আসে না।
কেবল নেক আমলই তার সঙ্গী হয়ে পরকালীন প্রতিটি ধাপে তাকে সাহায্য করবে। এ জন্যই আল্লাহ সন্তান ও সম্পদকে দুনিয়ার সৌন্দর্য হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন আর কঠিন সময়ে সঙ্গদানকারী নেক আমলকে বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্ম বলে উল্লেখ করেছেন।
ইরশাদ হয়েছে, ‘ধনৈশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য এবং স্থায়ী সৎকর্মসমূহ আপনার পালনকর্তার কাছে প্রতিদানপ্রাপ্তি ও আশা লাভের জন্য উত্তম। ’ (সুরা : কাহাফ, আয়াত : ৪৬)
উক্ত আয়াতে বর্ণিত বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্মের বিশ্লেষণ নিয়ে আলেমদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। কেউ বলেছেন, বাকিয়াতুস সালিহাত হলো পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ। যেমনটি হাদিস শরিফে এসেছে, উবায়দুল্লাহ বিন উতবা (রহ.) সাহাবি ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্ম হলো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ।
আরও কয়েকটি সনদে হজরত সাঈদ বিন জুবাইর ও আমর বিন শুরাহবিল (রহ.) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। আরেক দল উলামায়ে কিরাম বাকিয়াতুস সালিহাত-এর ব্যাখ্যায় বলেন, স্থায়ী সৎকর্ম হলো তাসবিহ-তাহলিলের মাধ্যমে আল্লাহর জিকির করা। তারা নিজেদের কথার সমর্থনে নবীজির হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়েছেন। এক বর্ণনায় এসেছে, উমারা ইবনু সাইয়্যাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (রা.)-কে বলতে শুনেছেন, ‘বাকিয়াতুস সালিহাত’ (যা কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে) সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহু আকবারু ওয়া সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ হচ্ছে বাকিয়াতুস সালিহাত। (মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হাদিস : ৪৭৭)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, আবু সাঈ�� খুদরি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, স্থায়ী সৎকাজ বা যে সৎকাজের পুণ্য স্থায়ী হবে, সে দোয়াটি হচ্ছে এই—‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া সুবহানাল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবারু ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। ’
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, আল্লাহর জন্যই পবিত্রতা, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহর জন্যই যাবতীয় প্রশংসা, পাপকাজ হতে দূরে থাকার এবং পুণ্যকাজ সম্পাদন করার ক্ষমতা আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কারো নেই। (বুলুগুল মারাম, হাদিস : ১৫৪৫)
আবার কেউ কেউ বলেছেন, স্থায়ী সৎকর্ম হলো উত্তম কথা বলা। (জামেউল বয়ান : ২৮/৩৫)
তবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও ভারসাম্যপূর্ণ মত হলো- সব ধরনের সৎকর্ম, যা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা হয়—এ সব কিছুই বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্মের অন্তর্ভুক্ত।
যেমন—আল্লাহর জিকির দরুদ শরিফ পাঠ করা, রোজা রাখা, নামাজ পড়া, হজ করা, সদকা করা, দাস মুক্ত করা, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা এবং সব ধরনের নেক আমলই বাকিয়াতুস সালিহাত, যা বাকি থাকবে যত দিন আসমান-জমিন থাকবে বান্দাকে জান্নাতে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত।
শেষোক্ত মতটিই অধিকতর নির্ভরযোগ্য। কেননা আল্লাহ তাআলা এর ব্যাখ্যায় আয়াতে এবং নবী করিম (সা.) হাদিসে অন্য সব আমল থেকে নির্দিষ্ট কোনো আমল উল্লেখ করেননি। হাদিসের বিভিন্ন স্থানে নানা ধরনের আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে, সেখানে বোঝানো হয়েছে যে এ সবই হলো স্থায়ী সৎকর্ম। কোথাও এ কথা বলা হয়নি যে শুধু এগুলোই বাকিয়াতুস সালিহাত, বরং হাদিসে যেসব সৎকাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে আর যা উল্লেখ করা হয়নি—সবই স্থায়ী সৎকর্ম।
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে স্থায়ী সৎকর্মের ওপর অটল থাকার তাওফিক দান করুন।
মুমিনের পরকালীন স্থায়ী সৎকর্ম
The Eternal Good Deeds of Believer
মানুষের মৃত্যুর পর পৃথিবীর সব কিছুর সঙ্গে মৃত ব্যক্তির সব বন্ধন শেষ হয়ে যায়। রক্তের সম্পর্ক কিংবা ধনদৌলতের প্রতাপ কিছুই কাজে আসে না। কেবল নেক আমলই তার সঙ্গী হয়ে পরকালীন প্রতিটি ধাপে তাকে সাহায্য করবে। এ জন্যই আল্লাহ সন্তান ও সম্পদকে দুনিয়ার সৌন্দর্য হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন আর কঠিন সময়ে সঙ্গদানকারী নেক আমলকে বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্ম বলে উল্লেখ করেছেন।
ইরশাদ হয়েছে, ‘ধনৈশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য এবং স্থায়ী সৎকর্মসমূহ আপনার পালনকর্তার কাছে প্রতিদান প্রাপ্তি ও আশা লাভের জন্য উত্তম।’ (সুরা : কাহাফ, আয়াত : ৪৬)
উক্ত আয়াতে বর্ণিত বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্মের বিশ্লেষণ নিয়ে আলেমদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। কেউ বলেছেন, বাকিয়াতুস সালিহাত হলো পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ। যেমনটি হাদিস শরিফে এসেছে, উবায়দুল্লাহ বিন উতবা (রহ.) সাহাবি ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্ম হলো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ।
আরো কয়েকটি সনদে হজরত সাঈদ বিন জুবাইর ও আমর বিন শুরাহবিল (রহ.) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
আরেক দল উলামায়ে কিরাম বাকিয়াতুস সালিহাত এর ব্যাখ্যায় বলেন, স্থায়ী সৎকর্ম হলো তাসবিহ-তাহলিলের মাধ্যমে আল্লাহর জিকির করা। তারা নিজেদের কথার সমর্থনে নবীজির হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়েছেন। এক বর্ণনায় এসেছে, উমারা ইবনু সাইয়্যাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (রা.)-কে বলতে শুনেছেন, ‘বাকিয়াতুস সালিহাত’ (যা কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে) সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহু আকবারু ওয়া সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ হচ্ছে বাকিয়াতুস সালিহাত।
(মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হাদিস : ৪৭৭)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, স্থায়ী সৎকাজ বা যে সৎকাজের পুণ্য স্থায়ী হবে, সে দোয়াটি হচ্ছে এই—‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া সুবহানাল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবারু ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।’
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, আল্লাহর জন্যই পবিত্রতা, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহর জন্যই যাবতীয় প্রশংসা, পাপ কাজ হতে দূরে থাকার এবং পুণ্য কাজ সম্পাদন করার ক্ষমতা আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কারো নেই। (বুলুগুল মারাম, হাদিস : ১৫৪৫)
আবার কেউ কেউ বলেছেন, স্থায়ী সৎকর্ম হলো উত্তম কথা বলা। (জামেউল বয়ান : ২৮/৩৫)
তবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও ভারসাম্যপূর্ণ মত হলো সব ধরনের সৎকর্ম, যা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা হয়—এ সব কিছুই বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্মের অন্তর্ভুক্ত।
যেমন—আল্লাহর জিকির দরুদ শরিফ পাঠ করা, রোজা রাখা, নামাজ পড়া, হজ করা, সদকা করা, দাস মুক্ত করা, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা এবং সব ধরনের নেক আমলই বাকিয়াতুস সালিহাত, যা বাকি থাকবে যত দিন আসমান-জমিন থাকবে বান্দাকে জান্নাতে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত।
শেষোক্ত মতটিই অধিকতর নির্ভরযোগ্য। কেননা আল্লাহ তাআলা এর ব্যাখ্যায় আয়াতে এবং নবী করিম (সা.) হাদিসে অন্য সব আমল থেকে নির্দিষ্ট কোনো আমল উল্লেখ করেননি। হাদিসের বিভিন্ন স্থানে নানা ধরনের আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে, সেখানে বোঝানো হয়েছে যে এ সবই হলো স্থায়ী সৎকর্ম। কোথাও এ কথা বলা হয়নি যে শুধু এগুলোই বাকিয়াতুস সালিহাত, বরং হাদিসে যেসব সৎকাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে আর যা উল্লেখ করা হয়নি—সবই স্থায়ী সৎকর্ম।
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে স্থায়ী সৎকর্মের ওপর অটল থাকার তাওফিক দান করুন।
মুমিনের পরকালীন স্থায়ী সৎকর্ম
The Eternal Good Deeds of Believer
0 notes
Text
পরকালীন স্থায়ী সৎকর্ম
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
পরকালে যেসব আমলের সওয়াব স্থায়ী হবে
মানুষের মৃত্যুর পর পৃথিবীর সব কিছুর সঙ্গে মৃত ব্যক্তির সব বন্ধন শেষ হয়ে যায়। রক্তের সম্পর্ক কিংবা ধনদৌলতের প্রতাপ কিছুই কাজে আসে না।
কেবল নেক আমলই তার সঙ্গী হয়ে পরকালীন প্রতিটি ধাপে তাকে সাহায্য করবে। এ জন্যই আল্লাহ সন্তান ও সম্পদকে দুনিয়ার সৌন্দর্য হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন আর কঠিন সময়ে সঙ্গদানকারী নেক আমলকে বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্ম বলে উল্লেখ করেছেন।
ইরশাদ হয়েছে, ‘ধনৈশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য এবং স্থায়ী সৎকর্মসমূহ আপনার পালনকর্তার কাছে প্রতিদানপ্রাপ্তি ও আশা লাভের জন্য উত্তম। ’ (সুরা : কাহাফ, আয়াত : ৪৬)
উক্ত আয়াতে বর্ণিত বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্মের বিশ্লেষণ নিয়ে আলেমদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। কেউ বলেছেন, বাকিয়াতুস সালিহাত হলো পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ। যেমনটি হাদিস শরিফে এসেছে, উবায়দুল্লাহ বিন উতবা (রহ.) সাহাবি ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্ম হলো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ।
আরও কয়েকটি সনদে হজরত সাঈদ বিন জুবাইর ও আমর বিন শুরাহবিল (রহ.) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। আরেক দল উলামায়ে কিরাম বাকিয়াতুস সালিহাত-এর ব্যাখ্যায় বলেন, স্থায়ী সৎকর্ম হলো তাসবিহ-তাহলিলের মাধ্যমে আল্লাহর জিকির করা। তারা নিজেদের কথার সমর্থনে নবীজির হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়েছেন। এক বর্ণনায় এসেছে, উমারা ইবনু সাইয়্যাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (রা.)-কে বলতে শুনেছেন, ‘বাকিয়াতুস সালিহাত’ (যা কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে) সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহু আকবারু ওয়া সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ হচ্ছে বাকিয়াতুস সালিহাত। (মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হাদিস : ৪৭৭)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, স্থায়ী সৎকাজ বা যে সৎকাজের পুণ্য স্থায়ী হবে, সে দোয়াটি হচ্ছে এই—‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া সুবহানাল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবারু ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। ’
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, আল্লাহর জন্যই পবিত্রতা, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহর জন্যই যাবতীয় প্রশংসা, পাপকাজ হতে দূরে থাকার এবং পুণ্যকাজ সম্পাদন করার ক্ষমতা আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কারো নেই। (বুলুগুল মারাম, হাদিস : ১৫৪৫)
আবার কেউ কেউ বলেছেন, স্থায়ী সৎকর্ম হলো উত্তম কথা বলা। (জামেউল বয়ান : ২৮/৩৫)
তবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও ভারসাম্যপূর্ণ মত হলো- সব ধরনের সৎকর্ম, যা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা হয়—এ সব কিছুই বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্মের অন্তর্ভুক্ত।
যেমন—আল্লাহর জিকির দরুদ শরিফ পাঠ করা, রোজা রাখা, নামাজ পড়া, হজ করা, সদকা করা, দাস মুক্ত করা, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা এবং সব ধরনের নেক আমলই বাকিয়াতুস সালিহাত, যা বাকি থাকবে যত দিন আসমান-জমিন থাকবে বান্দাকে জান্নাতে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত।
শেষোক্ত মতটিই অধিকতর নির্ভরযোগ্য। কেননা আল্লাহ তাআলা এর ব্যাখ্যায় আয়াতে এবং নবী করিম (সা.) হাদিসে অন্য সব আমল থেকে নির্দিষ্ট কোনো আমল উল্লেখ করেননি। হাদিসের বিভিন্ন স্থানে নানা ধরনের আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে, সেখানে বোঝানো হয়েছে যে এ সবই হলো স্থায়ী সৎকর্ম। কোথাও এ কথা বলা হয়নি যে শুধু এগুলোই বাকিয়াতুস সালিহাত, বরং হাদিসে যেসব সৎকাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে আর যা উল্লেখ করা হয়নি—সবই স্থায়ী সৎকর্ম।
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে স্থায়ী সৎকর্মের ওপর অটল থাকার তাওফিক দান করুন।
মুমিনের পরকালীন স্থায়ী সৎকর্ম
The Eternal Good Deeds of Believer
মানুষের মৃত্যুর পর পৃথিবীর সব কিছুর সঙ্গে মৃত ব্যক্তির সব বন্ধন শেষ হয়ে যায়। রক্তের সম্পর্ক কিংবা ধনদৌলতের প্রতাপ কিছুই কাজে আসে না। কেবল নেক আমলই তার সঙ্গী হয়ে পরকালীন প্রতিটি ধাপে তাকে সাহায্য করবে। এ জন্যই আল্লাহ সন্তান ও সম্পদকে দুনিয়ার সৌন্দর্য হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন আর কঠিন সময়ে সঙ্গদানকারী নেক আমলকে বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্ম বলে উল্লেখ করেছেন।
ইরশাদ হয়েছে, ‘ধনৈশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য এবং স্থায়ী সৎকর্মসমূহ আপনার পালনকর্তার কাছে প্রতিদান প্রাপ্তি ও আশা লাভের জন্য উত্তম।’ (সুরা : কাহাফ, আয়াত : ৪৬)
উক্ত আয়াতে বর্ণিত বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্মের বিশ্লেষণ নিয়ে আলেমদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। কেউ বলেছেন, বাকিয়াতুস সালিহাত হলো পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ। যেমনটি হাদিস শরিফে এসেছে, উবায়দুল্লাহ বিন উতবা (রহ.) সাহাবি ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্ম হলো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ।
আরো কয়েকটি সনদে হজরত সাঈদ বিন জুবাইর ও আমর বিন শুরাহবিল (রহ.) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
আরেক দল উলামায়�� কিরাম বাকিয়াতুস সালিহাত এর ব্যাখ্যায় বলেন, স্থায়ী সৎকর্ম হলো তাসবিহ-তাহলিলের মাধ্যমে আল্লাহর জিকির করা। তারা নিজেদের কথার সমর্থনে নবীজির হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়েছেন। এক বর্ণনায় এসেছে, উমারা ইবনু সাইয়্যাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (রা.)-কে বলতে শুনেছেন, ‘বাকিয়াতুস সালিহাত’ (যা কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে) সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহু আকবারু ওয়া সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ হচ্ছে বাকিয়াতুস সালিহাত।
(মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হাদিস : ৪৭৭)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, স্থায়ী সৎকাজ বা যে সৎকাজের পুণ্য স্থায়ী হবে, সে দোয়াটি হচ্ছে এই—‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া সুবহানাল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবারু ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।’
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, আল্লাহর জন্যই পবিত্রতা, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহর জন্যই যাবতীয় প্রশংসা, পাপ কাজ হতে দূরে থাকার এবং পুণ্য কাজ সম্পাদন করার ক্ষমতা আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কারো নেই। (বুলুগুল মারাম, হাদিস : ১৫৪৫)
আবার কেউ কেউ বলেছেন, স্থায়ী সৎকর্ম হলো উত্তম কথা বলা। (জামেউল বয়ান : ২৮/৩৫)
তবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও ভারসাম্যপূর্ণ মত হলো সব ধরনের সৎকর্ম, যা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা হয়—এ সব কিছুই বাকিয়াতুস সালিহাত তথা স্থায়ী সৎকর্মের অন্তর্ভুক্ত।
যেমন—আল্লাহর জিকির দরুদ শরিফ পাঠ করা, রোজা রাখা, নামাজ পড়া, হজ করা, সদকা করা, দাস মুক্ত করা, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা এবং সব ধরনের নেক আমলই বাকিয়াতুস সালিহাত, যা বাকি থাকবে যত দিন আসমান-জমিন থাকবে বান্দাকে জান্নাতে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত।
শেষোক্ত মতটিই অধিকতর নির্ভরযোগ্য। কেননা আল্লাহ তাআলা এর ব্যাখ্যায় আয়াতে এবং নবী করিম (সা.) হাদিসে অন্য সব আমল থেকে নির্দিষ্ট কোনো আমল উল্লেখ করেননি। হাদিসের বিভিন্ন স্থানে নানা ধরনের আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে, সেখানে বোঝানো হয়েছে যে এ সবই হলো স্থায়ী সৎকর্ম। কোথাও এ কথা বলা হয়নি যে শুধু এগুলোই বাকিয়াতুস সালিহাত, বরং হাদিসে যেসব সৎকাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে আর যা উল্লেখ করা হয়নি—সবই স্থায়ী সৎকর্ম।
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে স্থায়ী সৎকর্মের ওপর অটল থাকার তাওফিক দান করুন।
মুমিনের পরকালীন স্থায়ী সৎকর্ম
The Eternal Good Deeds of Believer
0 notes
Text
0 notes
Text
सरकारी नौकरी पाने का शानदार मौका, 2500 से ज्यादा पद के लिए इस दिन तक होंगे आवेदन
সরকারি চাকরি: সরকারি চাকরি পাওয়ার দারুণ সুযোগ, আজ পর্যন্ত 2500-এর বেশি পদের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে। Source link
View On WordPress
#mahatransco.in#চাকরি 2023#চাকরির খবর#মহাট্রান্সকো#মহাট্রান্সকো চাকরি#মহাট্রান্সকো নিয়োগ#মহাট্রান্সকো নিয়োগ 2023#মহাট্রান্সকো নিয়োগ 2023 2541 পদের জন্য#মহাট্রান্সকো নিয়োগ 2023 রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে#মহাট্রান্সকো শূন্যপদ#সরকারি চাকরি#স্থায়ী কাজ#স্থায়ী চাকরি#হিন্দিতে কর্মসংস্থানের খবর#হিন্দিতে চাকরির খবর
0 notes
Text
অনুষ্ঠিত হয়েছে রাসিকের অর্থ ও সংস্থাপন স্থায়ী কমিটির সভা
অনুষ্ঠিত হয়েছে রাসিকের অর্থ ও সংস্থাপন স্থায়ী কমিটির সভা
টপ নিউজ ডেস্কঃ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের অর্থ ও সংস্থাপন স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে নগরভবনের সরিৎ দত্ত গুপ্ত সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। সভায় ১৭.৯.২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্তসমূহ পাঠ ও দৃঢ়করণ, জুলাই-২০২২ হতে নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত প্রকৃত আয় ও ব্যয় পর্যালোচনা করা হয়।…
View On WordPress
0 notes
Text
"ইংল্যান্ডের 'ডলস অফ দা মুল': পুতুলের কবরস্থানে অদ্ভুত অভিজ্ঞতা"
ইতিহাস জুড়ে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা হ'ল জনসংখ্যা, যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি স্থান বা এলাকা ক্রমবর্ধমান জনবসতিহীন হয়ে পড়ে, যার ফলে এটি শেষ পর্যন্ত পরিত্যক্ত হয়। এই ঘটনাটি দূরবর্তী অবস্থান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং মনুষ্যসৃষ্ট দুর্ঘটনা সহ বিভিন্ন কারণ দ্বারা চালিত হতে পারে এবং এটি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল এবং তাদের বাসিন্দাদের জন্য উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। প্রত্যন্ত অঞ্চল: প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলি তাদের বিচ্ছিন্নতা এবং মৌলিক সুযোগ-সুবিধা এবং অর্থনৈতিক সুযোগগুলিতে সীমিত অ্যাক্সেসের কারণে প্রায়শই জনসংখ্যার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। উন্নত জীবনযাত্রা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং চাকরির সম্ভাবনার সন্ধানে লোকেরা এই অঞ্চলগুলি থেকে দূরে সরে যাওয়ার প্রবণতা রাখে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবকাঠামো এবং পরিষেবার অভাব জীবনকে চ্যালেঞ্জিং করে তুলতে পারে, সময়ের সাথে সাথে মানুষের উপস্থিতি হ্রাস পেতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনসংখ্যা ধীরে ধীরে হতে পারে কারণ সম্প্রদায়গুলি আকার এবং প্রভাবে হ্রাস পাচ্ছে। অবশেষে, এই এলাকাগুলি ভূতের শহরে পরিণত হতে পারে, পরিত্যক্ত বিল্ডিং এবং বাতাসে ঝুলন্ত জনশূন্যতার অনুভূতি সহ। প্রত্যন্ত জনবহুল অঞ্চলগুলিও তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং ঐতিহ্যগত জী��নধারা হারাতে পারে কারণ তরুণ প্রজন্ম দূরে সরে যায়, অন্যত্র আরও সংযুক্ত এবং সুবিধাজনক অস্তিত্বের সন্ধান করে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়: প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন ভূমিকম্প, বন্যা, হারিকেন এবং দাবানল ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সর্বনাশ ঘটাতে পারে, যার ফলে প্রায়ই জনসংখ্যা হয়। যখন একটি অঞ্চল বারবার এই ধরনের দুর্যোগে আক্রান্ত হয়, তখন লোকেরা নিজেদের এবং তাদের পরিবারকে রক্ষা করার জন্য নিরাপদ এলাকায় স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বাড়িঘর, অবকাঠামো এবং জীবিকা ধ্বংস অভিবাসনের জন্য একটি শক্তিশালী প্রেরণা হতে পারে। একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরের ঘটনা একটি সম্প্রদায়ের উপর গভীর প্রভাব ফেলে, এটি জনসংখ্যার পুনর্গঠন এবং টিকিয়ে রাখা চ্যালেঞ্জ করে। কিছু ক্ষেত্রে, অতীতের বিপর্যয়ের স্মৃতি মানুষকে তাদের পূর্বের বাড়িতে ফিরে যেতে, জনসংখ্যাকে স্থায়ী করতে বাধা দিতে পারে। মানবসৃষ্ট দুর্ঘটনা: শিল্প বিপর্যয়, পারমাণবিক দুর্ঘটনা এবং পরিবেশ দূষণ সহ মনুষ্যসৃষ্ট দুর্ঘটনা একটি এলাকাকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলতে পারে। যখন এই দুর্ঘটনা ঘটে, সরকারী সংস্থাগুলি প্রায়ই তাদের নিরাপত্তার জন্য বাসিন্দাদের সরিয়ে দেয়। ঘটনার তীব্রতার উপর নির্ভর করে, এই স্থানান্তরগুলি অস্থায়ী বা স্থায়ী হতে পারে। মনুষ্যসৃষ্ট দূর্ঘটনা শুধুমাত্র মানুষকে তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য করে না বরং দূষণ ও পরিবেশের অবনতির একটি স্থায়ী উত্তরাধিকারও রেখে যায়। এই অঞ্চলগুলি বছরের পর বছর বা এমনকি শতাব্দী ধরে জনবসতিহীন থাকতে পারে, কারণ ভূমি এবং জলের উত্সগুলি মানুষের বসবাসের জন্য অনিরাপদ থাকতে পারে। জনসংখ্যার প্রভাব: জনসংখ্যার ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা এবং তাদের বাসিন্দাদের জন্য বিভিন্ন পরিণতি রয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে, জনবসতিপূর্ণ অঞ্চলগুলি অর্থনৈতিক কার্যকলাপে হ্রাস পেতে পারে, যার ফলে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায় এবং স্থানীয় সরকারগুলির জন্য একটি কম করের ভিত্তি। এর ফলে, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবার মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলির জন্য তহবিল হ্রাস হতে পারে। সাংস্কৃতিকভাবে, জনসংখ্যার কারণে ঐতিহ্যগত রীতিনীতি, ভাষা এবং অনুশীলনগুলি হারিয়ে যেতে পারে যা আর তরুণ প্রজন্মের কাছে চলে যায় না। এটি ঐতিহাসিক স্থান এবং ভবন পরিত্যাগের ফলে একটি সম্প্রদায়ের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যকে মুছে ফেলতে পারে। উপসংহারে, জনসংখ্যা হল ভৌগলিক বিচ্ছিন্নতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং মানবসৃষ্ট দুর্ঘটনা সহ বিভিন্ন কারণের দ্বারা চালিত একটি জটিল ঘটনা। যদিও কিছু এলাকা ধীরে ধীরে জনসংখ্যার সম্মুখীন হতে পারে, অন্যরা আকস্মিক বিপর্যয়মূলক ঘটনার কারণে হঠাৎ করে পরিত্যক্ত হতে পারে। জনসংখ্যার কারণ ও পরিণতি বোঝা নীতিনির্ধারক এবং সম্প্রদায়ের জন্য এর প্রভাবগুলিকে মোকাবেলা এবং প্রশমিত করার জন্য কৌশল বিকাশের জন্য অপরিহার্য, যাতে মানব বসতিগুলির দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা যায়। আরও পড়ুন…
9 notes
·
View notes
Text
"প্রাণীদের তাদের মালিকদের সাথে সংযোগের আন্তরিক মুহূর্ত" "Animals' Heartfelt Moments of Connection with Their Owners"
youtube
dog emotional story , Persian cat , Read more
"কুকুর ইমোশনাল স্টোরি" হল একটি মর্মস্পর্শী এবং মর্মস্পর্শী আখ্যান যা কুকুরদের সমৃদ্ধ এবং জটিল আবেগময় জীবনকে তুলে ধরে। গল্পের এই সংকলনটি অটুট আনুগত্য এবং সীমাহীন আনন্দ থেকে শুরু করে গভীর সহানুভূতি এবং স্বস্তিদায়ক সান্ত্বনা পর্যন্ত বিস্তৃত আবেগ অনুভব করার জন্য কুকুরের অসাধারণ ক্ষমতাকে তুলে ধরে।
সংগ্রহের মধ্যে প্রতিটি গল্প একটি কুকুরের একটি অনন্য আবেগময় যাত্রার একটি আভাস দেয়, যা মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর সাথে গভীর সংযোগ স্থাপনের তাদের সহজাত ক্ষমতা প্রকাশ করে। কষ্টের সময়ে কুকুরের অটল সাহচর্যের গল্প হোক বা মানুষের দয়ার অঙ্গভঙ্গির প্রতি তাদের হৃদয়স্পর্শী প্রতিক্রিয়া, এই আখ্যানগুলি কুকুরের আবেগময় জগতের বহুমুখী প্রকৃতিকে আলোকিত করে।
এই হৃদয়স্পর্শী গল্পগুলির মাধ্যমে, "কুকুরের আবেগঘন গল্প" কুকুর আমাদের জীবনে যে আবেগের গভীরতা এবং সত্যতা নিয়ে আসে তা প্রদর্শন করে। এটি একটি অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে যে কুকুরগুলি কেবল পোষা প্রাণী নয়, তবে আমাদের পরিবারের লালিত সদস্য, গভীর মানসিক সমর্থন দিতে এবং আমাদের মানবিক অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করতে সক্ষম। এই সংগ্রহটি মানুষ এবং কুকুরের মধ্যে অনন্য বন্ধন উদযাপন করে, তাদের অটল ভালবাসার স্থায়ী প্রভাব এবং তারা আমাদের হৃদয় ��্পর্শ করে এমন অসংখ্য উপায়ে জোর দে��়
"ডগ মোটিভেশনাল স্টোরি" হল আখ্যানগুলির একটি অনুপ্রেরণাদায়ক সংগ্রহ যা কুকুরের অসাধারণ যাত্রাকে স্পটলাইট করে কারণ তারা চ্যালেঞ্জগুলি অতিক্রম করে, স্থিতিস্থাপকতা প্রদর্শন করে এবং মানুষের জন্য প্রেরণামূলক পাঠ হিসাবে কাজ করে এমন গুণাবলীকে মূর্ত করে। এই সংকলনের প্রতিটি গল্প কুকুরেরা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নিয়ে আসা অটুট চেতনা এবং সংকল্প প্রদর্শন করে।
রেসকিউ কুকুরের গল্প থেকে যারা সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে জয়লাভ করে এমন পরিষেবা কুকুরের বিবরণ যা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অমূল্য সহায়তা প্রদান করে, বইটি কুকুরদের অনুপ্রাণিত এবং উন্নীত করার অসাধারণ ক্ষমতার উপর জোর দেয়। তাদের ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে, কুকুররা সাহস, অভিযোজন, আনুগত্য এবং সহানুভূতির মতো গুণাবলীর উদাহরণ দেয়, মূল্যবান জীবনের পাঠ দেয় যা পাঠকদের সাথে অনুরণিত হতে পারে।
"ডগ মোটিভেশনাল স্টোরি" এর আখ্যানগুলি কুকুর আমাদের জীবনে যে সহজাত ইতিবাচকতা এবং শক্তি নিয়ে আসে তা উদযাপন করে। তাদের অধ্যবসায়, পার্থক্য তৈরি এবং আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা তুলে ধরে, গল্পগুলি পাঠকদের তাদের নিজস্ব জীবনযাত্রায় অনুরূপ গুণাবলী গ্রহণ করতে উত্সাহিত করে। সংগ্রহটি একটি অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে যে জীবনের চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে, আমরা আমাদের চার পায়ের সহচরদের অবিশ্বাস্য গল্প থেকে অনুপ্রেরণা এবং প্রেরণা পেতে পারি। আপনি একজন কুকুর প্রেমিক হোক না কেন উন্নতির গল্প খুঁজছেন বা কেউ তাদের জীবনকে ইতিবাচকতার সাথে ঢেলে দিতে চাইছেন, "ডগ মোটিভেশনাল স্টোরি" বর্ণনার একটি আকর্ষণীয় সংগ্রহ অফার করে যা স্থিতিস্থাপকতা এবং সংকল্পের শক্তির উদাহরণ দেয়।
একটি বিড়াল পোষার কাজ একটি সাধারণ মিথস্ক্রিয়া ছাড়িয়ে অনেক দূরে প্রসারিত; এটি বিড়াল এবং এই আরামদায়ক অঙ্গভঙ্গিতে জড়িত ব্যক্তি উভয়ের জন্য ইতিবাচক প্রভাবের আধিক্য নিয়ে আসে। একটি বিড়াল পোষা অক্সিটোসিনের নিঃসরণকে ট্রিগার করে, "ভাল-ভাল" হরমোন, শিথিলতা প্রচার করে এবং মানুষ এবং বিড়াল উভয়ের মধ্যে চাপের মাত্রা হ্রাস করে। এই শারীরিক সংযোগটি এন্ডোরফিন উত্পাদনকেও উদ্দীপিত করে, একটি উন্নত মেজাজ এবং সামগ্রিক সুস্থতার অনুভূতিতে অবদান রাখে।
শারীরবৃত্তীয় সুবিধার বাইরেও, একটি বিড়াল পোষা উভয়ের মধ্যে মানসিক বন্ধনকে শক্তিশালী করে, বিশ্বাস, সাহচর্য এবং সংযোগের গভীর অনুভূতি বৃদ্ধি করে। এই পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া সান্ত্বনা প্রদান করে, একাকীত্বের অনুভূতি হ্রাস করে এবং বিড়াল এবং তার মানব সঙ্গী উভয়ের জন্য জীবনের সামগ্রিক গুণমানকে উন্নত করে।
উপরন্তু, একটি বিড়াল পোষা একটি মননশীল অভ্যাস হতে পারে, মুহূর্তে উপস্থিতি প্রয়োজন এবং দৈনন্দিন চাপ থেকে একটি থেরাপিউটিক পরিত্রাণ হিসাবে পরিবেশন করা। নিয়মিত পেটিং সেশনগুলি ঘুমের গুণমান উন্নত করতে অবদান রাখ���ে পারে, কারণ এই মিথস্ক্রিয়া দ্বারা প্ররোচিত শিথিলতা বিশ্রামের ঘুমের মধ্যে নিয়ে যায়।
সংক্ষেপে, একটি বিড়ালকে পোষার কাজটি বিড়াল এবং তার মানব প্রতিপক্ষ উভয়ের শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা উভয়ই উন্নত করার একটি সহজ তবে শক্তিশালী উপায়। এটি বন্ধনকে লালন করে, সান্ত্বনা দেয় এবং মানুষ এবং তাদের বিড়াল সঙ্গীদের মধ্যে ভাগ করা গভীর সংযোগের একটি বাস্তব অভিব্যক্তি প্রদান করে।
বা
বা
ফার্সি বিড়াল, কমনীয়তা এবং করুণার প্রতীক, একটি স্বতন্ত্র এবং লালিত জাত হিসাবে দাঁড়িয়েছে। এর স্বাক্ষর দীর্ঘ, প্রবাহিত কোট যা রঙ এবং নিদর্শনগুলির একটি অ্যারেতে আসে, পারস্য বিড়াল তার আকর্ষণীয় সৌন্দর্যে হৃদয়কে মোহিত করে। তার বড়, অভিব্যক্তিপূর্ণ চোখ এবং সমতল মুখের জন্য স্বীকৃত, এই জাতটি একটি অনন্য মুখের গঠন নিয়ে গর্ব করে যা এর কবজ যোগ করে।
তার শারীরিক আকর্ষণের বাইরে, পার্সিয়ান বিড়ালটি একটি মৃদু এবং স্নেহপূর্ণ মেজাজের অধিকারী যা বিশ্বব্যাপী বিড়াল উত্সাহীদের কাছে এটিকে পছন্দ করে। প্রাচীন পারস্য থেকে উদ্ভূত, এখন ইরান, এই বিড়ালগুলির একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে যা কয়েক শতাব্দী আগেকার। তাদের রাজকীয় উপস্থিতি এবং শান্ত আচরণ তাদের আভিজাত্যের মধ্যে প্রিয় করে তোলে এবং 1600 এর দশকে তাদের জনপ্রিয়তা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে।
পার্সিয়ান বিড়ালের শান্ত স্বভাব এটিকে গৃহমধ্যস্থ জীবনযাপনের জন্য উপযুক্ত করে তোলে, যেখানে এটি নির্মল পরিবেশে বিকাশ লাভ করে। যাইহোক, এর লম্বা কোট এর সৌন্দর্য বজায় রাখতে এবং জট রোধ করতে নিয়মিত সাজের দাবি রাখে। যদিও তাদের স্বতন্ত্র চেহারা মনোযোগ আকর্ষণ করে, এটি তাদের স্নেহময় প্রকৃতি এবং আনুগত্য যা লালন সহচর হিসাবে তাদের মর্যাদাকে দৃঢ় করে।
সারমর্মে, পার্সিয়ান বিড়াল চাক্ষুষ কমনীয়তা এবং মানসিক সাহচর্য উভয়ই ধারণ করে। এর অত্যাশ্চর্য চেহারা এবং নির্মল আচার-আচরণ এটিকে পরিবারের একজন প্রিয় সদস্য করে তোলে, যারা এই সূক্ষ্ম বিড়ালের সাথে তাদের জীবন ভাগ করে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট ভাগ্যবানদের আরাম, সৌন্দর্য এবং একটি স্থায়ী বন্ধন প্রদান করে।
"Dog Emotional Story" is a poignant and touching narrative that delves into the rich and complex emotional lives of dogs. This collection of stories highlights the extraordinary capacity of dogs to experience a wide range of emotions, from unwavering loyalty and boundless joy to profound empathy and comforting solace.
Each story within the collection offers a glimpse into a unique emotional journey of a dog, revealing their innate ability to form deep connections with humans and other animals. Whether it's a tale of a dog's unwavering companionship during times of hardship or their heartwarming response to human gestures of kindness, these narratives illuminate the multifaceted nature of a dog's emotional world.
Through these heart-touching stories, "Dog Emotional Story" showcases the emotional depth and authenticity that dogs bring to our lives. It serves as a reminder that dogs are not just pets, but cherished members of our families, capable of offering profound emotional support and enriching our human experiences. This collection celebrates the unique bond between humans and dogs, emphasizing the lasting impact of their unwavering love and the myriad ways in which they touch our hearts.
"Dog Motivational Story" is an inspiring collection of narratives that spotlight the remarkable journeys of dogs as they overcome challenges, exhibit resilience, and embody qualities that serve as motivational lessons for humans. Each story within this compilation showcases the unwavering spirit and determination that dogs bring to various situations.
From stories of rescue dogs who triumph against all odds to accounts of service dogs that provide invaluable support to individuals with disabilities, the book underscores the extraordinary capacity of dogs to motivate and uplift. Through their actions, dogs exemplify qualities such as courage, adaptability, loyalty, and empathy, offering valuable life lessons that can resonate with readers.
The narratives within "Dog Motivational Story" celebrate the innate positivity and strength that dogs bring into our lives. By highlighting their ability to persevere, make a difference, and spread joy, the stories encourage readers to adopt similar qualities in their own life journeys. The collection serves as a reminder that amidst life's challenges, we can find inspiration and motivation from the incredible stories of our four-legged companions. Whether you're a dog lover seeking uplifting tales or someone looking to infuse their life with positivity, "Dog Motivational Story" offers a compelling collection of narratives that exemplify the power of resilience and determination.
The act of petting a cat extends far beyond a simple interaction; it brings a plethora of positive effects for both the cat and the person engaging in this comforting gesture. Petting a cat triggers the release of oxytocin, the "feel-good" hormone, promoting relaxation and reducing stress levels in both humans and cats. This physical connection also stimulates the production of endorphins, contributing to an improved mood and an overall sense of well-being.
Beyond the physiological benefits, petting a cat strengthens the emotional bond between the two, fostering trust, companionship, and a deep sense of connection. This mutual interaction provides comfort, lessens feelings of loneliness, and enhances the overall quality of life for both the cat and its human companion.
Additionally, petting a cat can be a mindful practice, requiring presence in the moment and serving as a therapeutic escape from daily stresses. Regular petting sessions can contribute to improved sleep quality, as the relaxation induced by these interactions carries over into restful sleep.
In essence, the act of petting a cat is a simple yet powerful way to enhance both the physical and emotional well-being of both the cat and its human counterpart. It nurtures the bond, offers comfort, and provides a tangible expression of the profound connection shared between humans and their feline companions.
The Persian cat, an epitome of elegance and grace, stands out as a distinct and cherished breed. With its signature long, flowing coat that comes in an array of colors and patterns, the Persian cat captivates hearts with its striking beauty. Recognized for its large, expressive eyes and flat face, this breed boasts a unique facial structure that adds to its charm.
Beyond its physical allure, the Persian cat possesses a gentle and affectionate temperament that endears it to cat enthusiasts worldwide. Originating from ancient Persia, now Iran, these cats have a rich history that dates back centuries. Their regal presence and calm demeanor made them favorites among nobility, and their popularity spread to Europe in the 1600s.
The Persian cat's tranquil disposition makes it well-suited for indoor living, where it thrives in serene environments. However, its long coat demands regular grooming to maintain its beauty and prevent tangles. While their distinctive appearance draws attention, it's their affectionate nature and loyalty that solidify their status as cherished companions.
In essence, the Persian cat encapsulates both visual elegance and emotional companionship. Its stunning appearance and serene demeanor make it a beloved member of households, offering comfort, beauty, and a lasting bond to those fortunate enough to share their lives with this exquisite feline.
#dog lover#persian cat#petting cat#emotional dog#cat price in bd#dog lover bd#cat lover bd#perswian cat in bd#kataban cat#Youtube
2 notes
·
View notes
Text
সুইস মানসিকতা
সুইস মানসিকতা: স্থায়ী আর্থিক সফলতার জন্য ৭টি অভ্যাস সুইজারল্যান্ড তার মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য, বিলাসবহুল ঘড়ি এবং চকলেটের জন্য বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত। তবে আরেকটি পরিসংখ্যান এই ছোট ইউরোপীয় দেশটিকে আলাদা করে তোলে: সুইস প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রতি ৭ জনে ১ জন মিলিয়নিয়ার। এটি যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ বেশি। কিভাবে সুইসরা এই অসাধারণ আর্থিক সফলতা অর্জন করে? এটা শুধু ব্যাংকিং বা রাজনৈতিক…
View On WordPress
0 notes
Text
মশার উপদ্রব থেকে বাঁচার সহজ উপায়
মশা শুধু একটি বিরক্তিকর কীট নয়, বরং এটি বিভিন্ন রোগের বাহক হিসেবে পরিচিত। গ্রীষ্মকাল এলেই মশার উপদ্রব বাড়তে শুরু করে। এই সময়, বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে, মশার উপদ্রব মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যায়। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, জিকা, চিকুনগুনিয়া এই সব রোগের জন্য দায়ী হচ্ছে বিশেষ কিছু মশার প্রজাতি। বিরক্তিকর উপদ্রবের পাশাপাশি তারা রোগজীবাণু সংক্রামণ করে। এই মশা অনেক সময় মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
মশার উপদ্রব বাড়ার কারণ
মশার উপদ্রব বাড়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। বিশেষ করে আবহাওয়া ও পরিবেশের পরিবর্তন মশার প্রজননের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে। গ্রীষ্ম ও বর্ষা মৌসুমে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায়, যা মশার জীবনচক্রকে ত্বরান্বিত করে। মশার উপদ্রব বৃদ্ধির অন্যতম কারণগুলো হলোঃ
জলাশয়
জলাশয় মশার প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত। স্বচ্ছ জলাধারে মশা ডিম পাড়ে, যা পরে দ্রুত বেড়ে ওঠে। এই জলাশয়ে জমে থাকা পানি, পাতা ও অন্যান্য জৈব পদার্থ মশার জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে। বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি জমে গিয়ে জলাশয়ের সংখ্যা বেড়ে যায়, ফলে মশার উপদ্রবও বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত জলাশয়, পর��চ্ছন্নতার অভাব এবং কাদা মাটির উপস্থিতি মশার বৃদ্ধি এবং রোগের সংক্রমণকে সহজতর করে। এ কারণে মশার উপদ্রব থেকে বাচতে জলাশয়ের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অপরিহার্য।
আবহাওয়া
মশার উপদ্রব বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ হল পরিবর্তিত আবহাওয়া। বর্ষার মৌসুমে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত মশার প্রজননের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে। উচ্চ তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা মশার বংশবিস্তারে সহায়তা করে। এছাড়া উষ্ণ আবহাওয়ার মধ্যে মশার বংশবৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। তাই, আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সচেতনতা বাড়ানো জরুরি।
জীবনযাত্রার পরিবর্তন
জীবনযাত্রার পরিবর্তন মশার উপদ্রব বৃদ্ধির প্রধান কারণ। শহরের দ্রুত নগরায়ন, স্থায়ী জলাধার সৃষ্টি এবং অব্যবস্থাপনা মশার বংশবিস্তারকে উৎসাহিত করে। মানুষের অব্যবস্থাপনা ও পরিচ্ছন্নতার অভাব, যেমন আবর্জনা ফেলে রাখা এবং জল জমে থাকা,যা মশার জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে। এছাড়াও, জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও বর্ষা বাড়ার কারণে মশার প্রজনন বৃদ্ধি পায়। এসব কারণে মশার উপদ্রব বাড়ছে, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
পরিবেশগত পরিবর্তন
বর্তমান সময়ে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে পরিবেশগত পরিবর্তনের কারণে। জলবায়ু পরিবর্তন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং বৃষ্টিপাতের অভাব মশার প্রজনন বৃদ্ধিতে সহায়ক হচ্ছে। শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাব এবং নোংরা জল জমে থাকা স্থানগুলি মশার বংশবিস্তারের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করছে। এছাড়া, বনভূমি ধ্বংস ও নগরায়ণ মশার আবাসস্থল বৃদ্ধি করছে, যা তাদের বিস্তারকে আরো ত্বরান্বিত করছে। এই সব কারণ মিলিয়ে মশার উপদ্রব আমাদের স্বাস্থ্য এবং জীবনযাত্রায় গুরুতর প্রভাব ফেলছে।
মশা প্রতিরোধক উপকরণের অভাব
মশার উপদ্রব বাড়ার আরো একটি প্রধান কারণ হলো মশা প্রতিরোধক উপকরণের অভাব। শহর ও গ্রামে অনেক পরিবারে মশা তাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, স্প্রে বা মশারি নেই। ফলে মশার উপদ্রব বেড়ে যায়, যা ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া মতো রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। মশার বংশবিস্তারে প্রতিরোধক উপকরণের ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি। সঠিক সময়ের মধ্যে মশা প্রতিরোধের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে, আমাদের স্বাস্থ্য ও জীবনমানের উপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
See more..
0 notes
Text
যারা খেলাধুলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না: আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক খেলা চলছে বাংলাদেশে। এই খেলাধুলা যারা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না। এই বিএনপি সেই বিএনপি নয়। এই বিএনপি অনেক শক্তিশালী অবস্থানে আছে। এর শিকড় অনেক গভীরে চলে গেছে। এই বিএনপিকে টলানোর সাধ্য কারও নেই।’ আজ সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’…
View On WordPress
0 notes
Text
আকবর শাহ খান নাজিবাবাদীর ইতিহাস – অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দের মুগ্ধতার কারণ
ইতিহাসের জগতে আকবর শাহ খান নাজিবাবাদী একজন অসাধারণ নাম। তাঁর ইতিহাস সংক্রান্ত লেখনী শুধু তথ্যসমৃদ্ধ নয়, বরং এর মধ্যে রয়েছে এমন গভীরতা ও জ্ঞানের ভাণ্ডার যা একজন পাঠকের মনের গভীরে স্থায়ী ছাপ ফেলে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ নাজিবাবাদীর বই পড়ে এতটাই মুগ্ধ হয়েছেন যে, তিনি সেই বইটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এই ভিডিওতে আমরা আকবর শাহ খান নাজিবাবাদীর লেখা ও তাঁর লেখনী সম্পর্কে আলোচনা করেছি এবং দেখিয়েছি কীভাবে এই বইগুলি শিক্ষার্থীদের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দের মতে, এই বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠা আমাদের অতীতের সঙ্গে পরিচিত করানোর জন্য যথেষ্ট, যা ইসলামের ইতিহাসের নানা প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরে। তাঁর এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে ইসলামী ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি তাঁর গভীর শ্রদ্ধা এবং ইসলামী ইতিহাসে ছাত্রদের অভ্যন্তরীণ বোঝাপড়া গড়ে তোলার প্রতি তাঁর অঙ্গীকার।
নাজিবাবাদীর লেখা শুধুমাত্র ইসলামী ইতিহাসই নয় বরং প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় ইতিহাসের ওপর একটি বিশাল পরিধির আলো ফেলেছে। তাঁর গবেষণা ও তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া, অতীতের ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ, এবং ভাষার ব্যঞ্জনায় যা তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন, তা সত্যিই অনন্য। এই বইটি ছাত্রদের কাছে শুধু একটি পাঠ্যপুস্তক নয়, বরং একটি জ্ঞানের কল্পলোক।
এ ভিডিওটির মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থী, গবেষক, এবং ইতিহাসপ্রেমী সবার জন্য এই মূল্যবান রত্নটি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি, এই ভিডিও দেখার মাধ্যমে আকবর শাহ খান নাজিবাবাদীর লেখা সম্পর্কে আপনি আরও জানতে পারবেন এবং অনুপ্রাণিত হবেন ইতিহাসের এই মহাকাব্যের দিকে। ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দের মতামত ও তাঁর সিলেবাস অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে একটি শিক্ষণীয় উদাহরণ।
ভিডিওটি দেখে আপনার মতামত জানান এবং আকবর শাহ খান নাজিবাবাদীর ইতিহাসের প্রতি আপনার ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা শেয়ার করুন।
#AkbarShahKhanNajibabadi#ইতিহাস#IslamicHistory#ProfessorMahfuzurRahmanAkhond#রাজশাহীবিশ্ববিদ্যালয়#সিলেবাসভুক্ত#IslamicCulture#HistoryOfIslam#islamicknowledge#deen#read#islamicpost#islamicgifts#bukuislami#islamiccenter#booklover#islamicart#islamicbookshop
0 notes
Text
🌍 জাতিসংঘ: আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতার কেন্দ্র
জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রপুঞ্জ একটি আন্তঃসরকারি সংস্থা, যার মূল লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা, বিভিন্ন দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং বৈশ্বিক সহযোগিতা নিশ্চিত করা। বিশ্বের বৃহত্তম এই সংস্থার সদর দফতর নিউ ইয়র্ক শহরে অবস্থিত, আর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দফতর রয়েছে জেনেভা, নাইরোবি, ভিয়েনা ও হেগ শহরে।
ইতিহাস: ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর ৫১টি দেশ জাতিসংঘ সনদ স্বাক্ষর করে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করে, যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর গঠিত লীগ অব নেশন্সের স্থলাভিষিক্ত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সংঘাত রোধের লক্ষ্যে বিজয়ী মিত্রশক্তির উদ্যোগে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সংস্থার সাংগঠনিক কাঠামোতে সেই সময়ের বিশ্ব রাজনীতির প্রভাব এখনও বিদ্যমান।
নিরাপত্তা পরিষদ: জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৫টি স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া ও চীন, যাদের বিশেষ ভেটো ক্ষমতা রয়েছে।
🌐 #জাতিসংঘ #শান্তি #আন্তর্জাতিকসম্পর্ক #UNDay #GlobalPeace
0 notes