যারা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে তারাই বিচার করবে,এসব ভাঁওতাবাজি:পররাষ্ট্রমন্ত্রী
টপ নিউজ ডেস্কঃ বিএনপির ২৭ দফা কর্মপরিকল্পনার মধ্যে গুম, খুন ও বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের বিচার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যারা দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে তারাই নাকি বিচার করবে এসবের (গুম, খুন ও বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড) । এটা একটা ভাঁওতাবাজি।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট…
View On WordPress
0 notes
৪৪ দিন পর রোববার খুলছে সুপ্রিম কোর্ট
৪৪ দিন পর রোববার খুলছে সুপ্রিম কোর্ট
অবকাশকালীন ছুটি শেষে ৪৪ দিন পর রোববার (১৬ অক্টোবর) থেকে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রমে ফিরছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান রেজিস্টার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী।
গত ২ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) থেকে শনিবার পর্যন্ত এ ছুটি ছিল। খোলার দিন থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে সুনির্দিষ্ট বিচারিক এখতিয়ার দিয়ে গঠিত ৫৫টি বেঞ্চে শুনানির…
View On WordPress
0 notes
হাশরের মাঠে বিচার কেমন হবে? নারী বক্তা সকিনা বেগম mohila der waz mohila ...
0 notes
নিশ্চয়ই আল্লাহ আহকামিল হাকিমীন, তিনি শ্রেষ্ঠতম বিচারক
Surely Allah is Ahkamil Hakimeen, He is the best judge
আল্লাহর বিচার চিরন্তন।
আপনি মানুষের উপর জুলুম করছেন, জমি কেড়ে নিচ্ছেন, মিথ্যা সাক্ষী দিচ্ছেন, খুন করছেন হয়তো সমাজের মাতবরীর জন্য অথবা কিছু জমা-জমি, টাকা-পয়সার জন্য, বা রাজনৈতিক ক্ষমতার জন্য কিন্তু আপনি কি করছেন? আপনি কয়দিন এ ক্ষমতা ভোগ করবেন?
"আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্টতম বিচারক নন?"
-- [সূরা আত-ত্বীন, আয়াত ৮,
তিনি, যিনি এই বিশ্বজগতের প্রতিপালক, পালনকর্তা। যিনি সমস্ত জ্ঞানের মালিক, তিনি প্রশ্ন করছেন আমাদের রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে) এবং প্রশ্নটি আমাদের সবার জন্যই... যিনি সবকিছুই জানেন, আহকামিল হাকিমীন নিজেই যখন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন, তখন কি আমাদেরকে আরেকটু ঝাঁকি দিয়ে উপলব্ধি করিয়ে দেয়ার জন্যই নয়? আমরা কি সন্দিগ্ধ হয়ে পড়েছি শ্রেষ্ঠ বিচারকের ব্যাপারে? আমরা কি ভেবে বসছি দুনিয়ার শাসন, ক্ষমতা, শক্তি যদি ভুল হয় এবং আমরা ভুলে কাউক জুলুম করে বসি, তাহলে প্রতিফল পাবো না? আহকামিল হাকিমীন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদের দুনিয়ার সকল বিচারকের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বিচারক। সবার সবকিছুর পরে তার আদালত, তিনি আমাদের পইপই করে দেখিয়ে দেবেন সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর বিষয়গুলো। সেদিন কেউ পুরষ্কার থেকে বঞ্চিত হবে না; সেদিন অবশ্যই অত্যাচারী, মিথ্যাচারী, যালিম, কাফির, মুশরিকরা তাদের উপযুক্ত শান্তি পাবে পুরষ্কার। নিশ্চয়ই আল্লাহ 'আহকামিল হাকিমীন', তিনি শ্রেষ্ঠ বিচারক; তার বিচার নিপুণ, নিখুঁত, সূক্ষ্ম।
ন্যায়বিচার সম্পর্কে কুরআনের ৮টি আয়াত
পবিত্র কুরআনের দৃষ্টিতে আল্লাহর সকল সৃষ্টি ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং সেখানে অন্যায়, অবিচার ও জুলুমের কোনো স্থান নেই। এমনকি পার্থিব জগতে নবী-রাসূলগণের আবির্ভাবের তিনটি উদ্দেশ্যেরও অন্যতম ছিল ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা। ন্যায়বিচারের মানদণ্ডে প্রতিটি জিনিসকে তার প্রকৃত জায়গায় স্থান দিতে হবে এবং যার যে অধিকার তা তাকে সঠিকভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে।
ন্যায়বিচার হচ্ছে এমন একটি মৌলিক পরিভাষা যা পবিত্র কুরআনের বহু স্থানে নানা ধরনের উদাহরণ, অলঙ্কার ও সত্য ঘটনার আকারে খুলে খুলে বর্ণনা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদেরকে বারবার ন্যায়বিচারের ওপর অটল ও অবিচল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ন্যায় ও ন্যায়বিচারের গুরুত্ব উপলব্ধি করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে বর্ণিত এ সংক্রান্ত আয়াতগুলো বোঝার চেষ্টা করা। পবিত্র কুরআনের এরকম ৮টি আয়াত তুলে ধরব যেখানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ন্যায় ও ন্যায়বিচারের প্রসঙ্গ বর্ণিত হয়েছে:
১- আল্লাহর সকল কাজ ন্যায়বিচারের ওপর প্রতিষ্ঠিত।"আল্লাহ সাক্ষ্য দেন যে, তিনি ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই, ফেরেশতাগণ ও জ্ঞানী ব্যক্তিগণও (এই একই বিষয়ে) সাক্ষ্য প্রদান করেন যে, [আল্লাহর সকল কাজ] ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময় আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন (সত্য) উপাস্য নেই।" [আলে-ইমরান, ১৮]
২- আল্লাহ তায়ালা বিন্দু পরিমাণ জুলুম বা অন্যায় করেন না।
"নিশ্চয়ই আল্লাহ অণু পরিমাণও অত্যাচার বা অন্যায় করেন না [তাঁর প্রতিটি কাজ ন্যায়ভিত্তিক] এবং যদি কেউ [ওই অণু পরিমাণ] সৎ কাজ করে তাহলে তিনি তা দ্বিগুণ করে দেন এবং স্বীয় পক্ষ হতে ওর মহান প্রতিদান প্রদান করেন।" [নিসা, ৪০]
৩- মানুষের মাঝে ন্যায়ভিত্তিক বিচার করুন। "নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, আমানত তার মালিককে প্রত্যর্পণ করবে। আর যখন তোমরা মানুষের মধ্যে বিচার-কার্য পরিচালনা করবে, তখন ন্যায়পরায়ণতার সাথে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদেরকে যে উপদেশ দেন, তা কত উৎকৃষ্ট! নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।" [নিসা, ৫৮]
৪- অপরের সঙ্গে শত্রুতার কারণে অন্যায় করো না। "হে মুমিনগণ! আল্লাহর উদ্দেশ্যে ন্যায় সাক্ষাদানে তোমরা অবিচল থাকবে কোন সম্প্রদায়ের প্রতি শক্ৰতা তোমাদেরকে যেন সুবিচার বুর্জনে প্ররোচিত না করে। তোমরা সুবিচার করবে, এটা তাকওয়ার অধিকতর নিকটবর্তী। আর তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত।" [মায়েদা, ৮]
৫- মহান আল্লাহ এমনকি জালিমদের ���্রতিও জুলুম করেন না।
"আর যমীনে যা রয়েছে, তা যদি প্রত্যেক যুলুমকারী ব্যক্তির হয়ে যায়, তবে সে মুক্তির বিনিময়ে সেসব দিয়ে দেবে এবং অনুতাপ গোপন করবে যখন তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে। আর তাদের মীমাংসা ন্যায়ভিত্তিক করা হবে এবং তাদের প্রতি যুলুম করা হবে না।" [ইউনূস, ৫৪]
৬- মানুষের অধিকার প্রদান করার ক্ষেত্রে অন্যায় করো না। "হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা ন্যায়সঙ্গতভাবে মাপো ও ওজন করো, লোকদেরকে তাদের প্রাপ্য বস্তু কম দিও না এবং যমীনে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়িও না।" [হুদ, ৮৫]
৭- মানুষকে ন্যায় ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করতে হবে। "নিশ্চয় আমি আমার রাসূলদেরকে স্পষ্ট প্রমাণাদিসহ পাঠিয়েছি এবং তাদের সাথে কিতাব ও (ন্যায়ের) মানদন্ড নাযিল করেছি, যাতে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে।" [হাদিদ, ২৫]
৮- মহান আল্লাহ সুবিচারকারীদের ভালোবাসেন। "তাদের মধ্যে ইনসাফের সঙ্গে ফয়সালা কর আর সুবিচার কর; আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ভালোবাসেন।" [হুজুরাত, ৯]
আল্লাহ কিভাবে ন্যায় বিচার করেন
আল্লাহ তায়ালার দয়া এবং বিচার।
যেভাবে আল্লাহ হাশরের মাঠে বিচার করবেন |
হাশরের মাঠে আল্লাহর উপস্থিতিতে কীভাবে বিচার শুরু হবে? |
বিচার দিবসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
নিশ্চয়ই আল্লাহ আহকামিল হাকিমীন, তিনি শ্রেষ্ঠতম বিচারক
Surely Allah is Ahkamil Hakimeen, He is the best judge
ইসলামের দৃষ্টিতে বিচারক ও বিচারব্যবস্থা
Judges and judiciary in the Sight of Islam
0 notes
নিশ্চয়ই আল্লাহ আহকামিল হাকিমীন, তিনি শ্রেষ্ঠতম বিচারক
Surely Allah is Ahkamil Hakimeen, He is the best judge
আল্লাহর বিচার চিরন্তন।
আপনি মানুষের উপর জুলুম করছেন, জমি কেড়ে নিচ্ছেন, মিথ্যা সাক্ষী দিচ্ছেন, খুন করছেন হয়তো সমাজের মাতবরীর জন্য অথবা কিছু জমা-জমি, টাকা-পয়সার জন্য, বা রাজনৈতিক ক্ষমতার জন্য কিন্তু আপনি কি করছেন? আপনি কয়দিন এ ক্ষমতা ভোগ করবেন?
"আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্টতম বিচারক নন?"
-- [সূরা আত-ত্বীন, আয়াত ৮,
তিনি, যিনি এই বিশ্বজগতের প্রতিপালক, পালনকর্তা। যিনি সমস্ত জ্ঞানের মালিক, তিনি প্রশ্ন করছেন আমাদের রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে) এবং প্রশ্নটি আমাদের সবার জন্যই... যিনি সবকিছুই জানেন, আহকামিল হাকিমীন নিজেই যখন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন, তখন কি আমাদেরকে আরেকটু ঝাঁকি দিয়ে উপলব্ধি করিয়ে দেয়ার জন্যই নয়? আমরা কি সন্দিগ্ধ হয়ে পড়েছি শ্রেষ্ঠ বিচারকের ব্যাপারে? আমরা কি ভেবে বসছি দুনিয়ার শাসন, ক্ষমতা, শক্তি যদি ভুল হয় এবং আমরা ভুলে কাউক জুলুম করে বসি, তাহলে প্রতিফল পাবো না? আহকামিল হাকিমীন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদের দুনিয়ার সকল বিচারকের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বিচারক। সবার সবকিছুর পরে তার আদালত, তিনি আমাদের পইপই করে দেখিয়ে দেবেন সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর বিষয়গুলো। সেদিন কেউ পুরষ্কার থেকে বঞ্চিত হবে না; সেদিন অবশ্যই অত্যাচারী, মিথ্যাচারী, যালিম, কাফির, মুশরিকরা তাদের উপযুক্ত শান্তি পাবে পুরষ্কার। নিশ্চয়ই আল্লাহ 'আহকামিল হাকিমীন', তিনি শ্রেষ্ঠ বিচারক; তার বিচার নিপুণ, নিখুঁত, সূক্ষ্ম।
ন্যায়বিচার সম্পর্কে কুরআনের ৮টি আয়াত
পবিত্র কুরআনের দৃষ্টিতে আল্লাহর সকল সৃষ্টি ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং সেখানে অন্যায়, অবিচার ও জুলুমের কোনো স্থান নেই। এমনকি পার্থিব জগতে নবী-রাসূলগণের আবির্ভাবের তিনটি উদ্দেশ্যেরও অন্যতম ছিল ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা। ন্যায়বিচারের মানদণ্ডে প্রতিটি জিনিসকে তার প্রকৃত জায়গায় স্থান দিতে হবে এবং যার যে অধিকার তা তাকে সঠিকভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে।
ন্যায়বিচার হচ্ছে এমন একটি মৌলিক পরিভাষা যা পবিত্র কুরআনের বহু স্থানে নানা ধরনের উদাহরণ, অলঙ্কার ও সত্য ঘটনার আকারে খুলে খুলে বর্ণনা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদেরকে বারবার ন্যায়বিচারের ওপর অটল ও অবিচল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ন্যায় ও ন্যায়বিচারের গুরুত্ব উপলব্ধি করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে বর্ণিত এ সংক্রান্ত আয়াতগুলো বোঝার চেষ্টা করা। পবিত্র কুরআনের এরকম ৮টি আয়াত তুলে ধরব যেখানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ন্যায় ও ন্যায়বিচারের প্রসঙ্গ বর্ণিত হয়েছে:
১- আল্লাহর সকল কাজ ন্যায়বিচারের ওপর প্রতিষ্ঠিত।"আল্লাহ সাক্ষ্য দেন যে, তিনি ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই, ফেরেশতাগণ ও জ্ঞানী ব্যক্তিগণও (এই একই বিষয়ে) সাক্ষ্য প্রদান করেন যে, [আল্লাহর সকল কাজ] ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময় আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন (সত্য) উপাস্য নেই।" [আলে-ইমরান, ১৮]
২- আল্লাহ তায়ালা বিন্দু পরিমাণ জুলুম বা অন্যায় করেন না।
"নিশ্চয়ই আল্লাহ অণু পরিমাণও অত্যাচার বা অন্যায় করেন না [তাঁর প্রতিটি কাজ ন্যায়ভিত্তিক] এবং যদি কেউ [ওই অণু পরিমাণ] সৎ কাজ করে তাহলে তিনি তা দ্বিগুণ করে দেন এবং স্বীয় পক্ষ হতে ওর মহান প্রতিদান প্রদান করেন।" [নিসা, ৪০]
৩- মানুষের মাঝে ন্যায়ভিত্তিক বিচার করুন। "নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, আমানত তার মালিককে প্রত্যর্পণ করবে। আর যখন তোমরা মানুষের মধ্যে বিচার-কার্য পরিচালনা করবে, তখন ন্যায়পরায়ণতার সাথে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদেরকে যে উপদেশ দেন, তা কত উৎকৃষ্ট! নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।" [নিসা, ৫৮]
৪- অপরের সঙ্গে শত্রুতার কারণে অন্যায় করো না। "হে মুমিনগণ! আল্লাহর উদ্দেশ্যে ন্যায় সাক্ষাদানে তোমরা অবিচল থাকবে কোন সম্প্রদায়ের প্রতি শক্ৰতা তোমাদেরকে যেন সুবিচার বুর্জনে প্ররোচিত না করে। তোমরা সুবিচার করবে, এটা তাকওয়ার অধিকতর নিকটবর্তী। আর তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত।" [মায়েদা, ৮]
৫- মহান আল্লাহ এমনকি জালিমদের প্রতিও জুলুম করেন না।
"আর যমীনে যা রয়েছে, তা যদি প্রত্যেক যুলুমকারী ব্যক্তির হয়ে যায়, তবে সে মুক্তির বিনিময়ে সেসব দিয়ে দেবে এবং অনুতাপ গোপন করবে যখন তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে। আর তাদের মীমাংসা ন্যায়ভিত্তিক করা হবে এবং তাদের প্রতি যুলুম করা হবে না।" [ইউনূস, ৫৪]
৬- মানুষের অধিকার প্রদান করার ক্ষেত্রে অন্যায় করো না। "হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা ন্যায়সঙ্গতভাবে মাপো ও ওজন করো, লোকদেরকে তাদের প্রাপ্য বস্তু কম দিও না এবং যমীনে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়িও না।" [হুদ, ৮৫]
৭- মানুষকে ন্যায় ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করতে হবে। "নিশ্চয় আমি আমার রাসূলদেরকে স্পষ্ট প্রমাণাদিসহ পাঠিয়েছি এবং তাদের সাথে কিতাব ও (ন্যায়ের) মানদন্ড নাযিল করেছি, যাতে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে।" [হাদিদ, ২৫]
৮- মহান আল্লাহ সুবিচারকারীদের ভালোবাসেন। "তাদের মধ্যে ইনসাফের সঙ্গে ফয়সালা কর আর সুবিচার কর; আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ভালোবাসেন।" [হুজুরাত, ৯]
আল্লাহ কিভাবে ন্যায় বিচার করেন
আল্লাহ তায়ালার দয়া এবং বিচার।
যেভাবে আল্লাহ হাশরের মাঠে বিচার করবেন |
হাশরের মাঠে আল্লাহর উপস্থিতিতে কীভাবে বিচার শুর��� হবে? |
বিচার দিবসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
নিশ্চয়ই আল্লাহ আহকামিল হাকিমীন, তিনি শ্রেষ্ঠতম বিচারক
Surely Allah is Ahkamil Hakimeen, He is the best judge
ইসলামের দৃষ্টিতে বিচারক ও বিচারব্যবস্থা
Judges and judiciary in the Sight of Islam
0 notes
নিশ্চয়ই আল্লাহ আহকামিল হাকিমীন, তিনি শ্রেষ্ঠতম বিচারক
Surely Allah is Ahkamil Hakimeen, He is the best judge
আল্লাহর বিচার চিরন্তন।
আপনি মানুষের উপর জুলুম করছেন, জমি কেড়ে নিচ্ছেন, মিথ্যা সাক্ষী দিচ্ছেন, খুন করছেন হয়তো সমাজের মাতবরীর জন্য অথবা কিছু জমা-জমি, টাকা-পয়সার জন্য, বা রাজনৈতিক ক্ষমতার জন্য কিন্তু আপনি কি করছেন? আপনি কয়দিন এ ক্ষমতা ভোগ করবেন?
"আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্টতম বিচারক নন?"
-- [সূরা আত-ত্বীন, আয়াত ৮,
তিনি, যিনি এই বিশ্বজগতের প্রতিপালক, পালনকর্তা। যিনি সমস্ত জ্ঞানের মালিক, তিনি প্রশ্ন করছেন আমাদের রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে) এবং প্রশ্নটি আমাদের সবার জন্যই... যিনি সবকিছুই জানেন, আহকামিল হাকিমীন নিজেই যখন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন, তখন কি আমাদেরকে আরেকটু ঝাঁকি দিয়ে উপলব্ধি করিয়ে দেয়ার জন্যই নয়? আমরা কি সন্দিগ্ধ হয়ে পড়েছি শ্রেষ্ঠ বিচারকের ব্যাপারে? আমরা কি ভেবে বসছি দুনিয়ার শাসন, ক্ষমতা, শক্তি যদি ভুল হয় এবং আমরা ভুলে কাউক জুলুম করে বসি, তাহলে প্রতিফল পাবো না? আহকামিল হাকিমীন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদের দুনিয়ার সকল বিচারকের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বিচারক। সবার সবকিছুর পরে তার আদালত, তিনি আমাদের পইপই করে দেখিয়ে দেবেন সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর বিষয়গুলো। সেদিন কেউ পুরষ্কার থেকে বঞ্চিত হবে না; সেদিন অবশ্যই অত্যাচারী, মিথ্যাচারী, যালিম, কাফির, মুশরিকরা তাদের উপযুক্ত শান্তি পাবে পুরষ্কার। নিশ্চয়ই আল্লাহ 'আহকামিল হাকিমীন', তিনি শ্রেষ্ঠ বিচারক; তার বিচার নিপুণ, নিখুঁত, সূক্ষ্ম।
ন্যায়বিচার সম্পর্কে কুরআনের ৮টি আয়াত
পবিত্র কুরআনের দৃষ্টিতে আল্লাহর সকল সৃষ্টি ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং সেখানে অন্যায়, অবিচার ও জুলুমের কোনো স্থান নেই। এমনকি পার্থিব জগতে নবী-রাসূলগণের আবির্ভাবের তিনটি উদ্দেশ্যেরও অন্যতম ছিল ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা। ন্যায়বিচারের মানদণ্ডে প্রতিটি জিনিসকে তার প্রকৃত জায়গায় স্থান দিতে হবে এবং যার যে অধিকার তা তাকে সঠিকভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে।
ন্যায়বিচার হচ্ছে এমন একটি মৌলিক পরিভাষা যা পবিত্র কুরআনের বহু স্থানে নানা ধরনের উদাহরণ, অলঙ্কার ও সত্য ঘটনার আকারে খুলে খুলে বর্ণনা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদেরকে বারবার ন্যায়বিচারের ওপর অটল ও অবিচল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ন্যায় ও ন্যায়বিচারের গুরুত্ব উপলব্ধি করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে বর্ণিত এ সংক্রান্ত আয়াতগুলো বোঝার চেষ্টা করা। পবিত্র কুরআনের এরকম ৮টি আয়াত তুলে ধরব যেখানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ন্যায় ও ন্যায়বিচারের প্রসঙ্গ বর্ণিত হয়েছে:
১- আল্লাহর সকল কাজ ন্যায়বিচারের ওপর প্রতিষ্ঠিত।"আল্লাহ সাক্ষ্য দেন যে, তিনি ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই, ফেরেশতাগণ ও জ্ঞানী ব্যক্তিগণও (এই একই বিষয়ে) সাক্ষ্য প্রদান করেন যে, [আল্লাহর সকল কাজ] ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময় আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন (সত্য) উপাস্য নেই।" [আলে-ইমরান, ১৮]
২- আল্লাহ তায়ালা বিন্দু পরিমাণ জুলুম বা অন্যায় করেন না।
"নিশ্চয়ই আল্লাহ অণু পরিমাণও অত্যাচার বা অন্যায় করেন না [তাঁর প্রতিটি কাজ ন্যায়ভিত্তিক] এবং যদি কেউ [ওই অণু পরিমাণ] সৎ কাজ করে তাহলে তিনি তা দ্বিগুণ করে দেন এবং স্বীয় পক্ষ হতে ওর মহান প্রতিদান প্রদান করেন।" [নিসা, ৪০]
৩- মানুষের মাঝে ন্যায়ভিত্তিক বিচার করুন। "নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, আমানত তার মালিককে প্রত্যর্পণ করবে। আর যখন তোমরা মানুষের মধ্যে বিচার-কার্য পরিচালনা করবে, তখন ন্যায়পরায়ণতার সাথে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদেরকে যে উপদেশ দেন, তা কত উৎকৃষ্ট! নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।" [নিসা, ৫৮]
৪- অপরের সঙ্গে শত্রুতার কারণে অন্যায় করো না। "হে মুমিনগণ! আল্লাহর উদ্দেশ্যে ন্যায় সাক্ষাদানে তোমরা অবিচল থাকবে কোন সম্প্রদায়ের প্রতি শক্ৰতা তোমাদেরকে যেন সুবিচার বুর্জনে প্ররোচিত না করে। তোমরা সুবিচার করবে, এটা তাকওয়ার অধিকতর নিকটবর্তী। আর তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত।" [মায়েদা, ৮]
৫- মহান আল্লাহ এমনকি জালিমদের প্রতিও জুলুম করেন না।
"আর যমীনে যা রয়েছে, তা যদি প্রত্যেক যুলুমকারী ব্যক্তির হয়ে যায়, তবে সে মুক্তির বিনিময়ে সেসব দিয়ে দেবে এবং অনুতাপ গোপন করবে যখন তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে। আর তাদের মীমাংসা ন্যায়ভিত্তিক করা হবে এবং তাদের প্রতি যুলুম করা হবে না।" [ইউনূস, ৫৪]
৬- মানুষের অধিকার প্রদান করার ক্ষেত্রে অন্যায় করো না। "হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা ন্যায়সঙ্গতভাবে মাপো ও ওজন করো, লোকদেরকে তাদের প্রাপ্য বস্তু কম দিও না এবং যমীনে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়িও না।" [হুদ, ৮৫]
৭- মানুষকে ন্যায় ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করতে হবে। "নিশ্চয় আমি আমার রাসূলদেরকে স্পষ্ট প্রমাণাদিসহ পাঠিয়েছি এবং তাদের সাথে কিতাব ও (ন্যায়ের) মানদন্ড নাযিল করেছি, যাতে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে।" [হাদিদ, ২৫]
৮- মহান আল্লাহ সুবিচারকারীদের ভালোবাসেন। "তাদের মধ্যে ইনসাফের সঙ্গে ফয়সালা কর আর সুবিচার কর; আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ভালোবাসেন।" [হুজুরাত, ৯]
আল্লাহ কিভাবে ন্যায় বিচার করেন
আল্লাহ তায়ালার দয়া এবং বিচার।
যেভাবে আল্লাহ হাশরের মাঠে বিচার করবেন |
হাশরের মাঠে আল্লাহর উপস্থিতিতে কীভাবে বিচার শুরু হবে? |
বিচার দিবসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
নিশ্চয়ই আল্লাহ আহকামিল হাকিমীন, তিনি শ্রেষ্ঠতম বিচারক
Surely Allah is Ahkamil Hakimeen, He is the best judge
ইসলামের দৃষ্টিতে বিচারক ও বিচারব্যবস্থা
Judges and judiciary in the Sight of Islam
0 notes
নিশ্চয়ই আল্লাহ আহকামিল হাকিমীন, তিনি শ্রেষ্ঠতম বিচারক
Surely Allah is Ahkamil Hakimeen, He is the best judge
আল্লাহর বিচার চিরন্তন।
আপনি মানুষের উপর জুলুম করছেন, জমি কেড়ে নিচ্ছেন, মিথ্যা সাক্ষী দিচ্ছেন, খুন করছেন হয়তো সমাজের মাতবরীর জন্য অথবা কিছু জমা-জমি, টাকা-পয়সার জন্য, বা রাজনৈতিক ক্ষমতার জন্য কিন্তু আপনি কি করছেন? আপনি কয়দিন এ ক্ষমতা ভোগ করবেন?
"আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্টতম বিচারক নন?"
-- [সূরা আত-ত্বীন, আয়াত ৮,
তিনি, যিনি এই বিশ্বজগতের প্রতিপালক, পালনকর্তা। যিনি সমস্ত জ্ঞানের মালিক, তিনি প্রশ্ন করছেন আমাদের রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে) এবং প্রশ্নটি আমাদের সবার জন্যই... যিনি সবকিছুই জানেন, আহকামিল হাকিমীন নিজেই যখন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন, তখন কি আমাদেরকে আরেকটু ঝাঁকি দিয়ে উপলব্ধি করিয়ে দেয়ার জন্যই নয়? আমরা কি সন্দিগ্ধ হয়ে পড়েছি শ্রেষ্ঠ বিচারকের ব্যাপারে? আমরা কি ভেবে বসছি দুনিয়ার শাসন, ক্ষমতা, শক্তি যদি ভুল হয় এবং আমরা ভুলে কাউক জুলুম করে বসি, তাহলে প্রতিফল পাবো না? আহকামিল হাকিমীন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদের দুনিয়ার সকল বিচারকের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বিচারক। সবার সবকিছুর পরে তার আদালত, তিনি আমাদের পইপই করে দেখিয়ে দেবেন সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর বিষয়গুলো। সেদিন কেউ পুরষ্কার থেকে বঞ্চিত হবে না; সেদিন অবশ্যই অত্যাচারী, মিথ্যাচারী, যালিম, কাফির, মুশরিকরা তাদের উপযুক্ত শান্তি পাবে পুরষ্কার। নিশ্চয়ই আল্লাহ 'আহকামিল হাকিমীন', তিনি শ্রেষ্ঠ বিচারক; তার বিচার নিপুণ, নিখুঁত, সূক্ষ্ম।
ন্যায়বিচার সম্পর্কে কুরআনের ৮টি আয়াত
পবিত্র কুরআনের দৃষ্টিতে আল্লাহর সকল সৃষ্টি ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং সেখানে অন্যায়, অবিচার ও জুলুমের কোনো স্থান নেই। এমনকি পার্থিব জগতে নবী-রাসূলগণের আবির্ভাবের তিনটি উদ্দেশ্যেরও অন্যতম ছিল ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা। ন্যায়বিচারের মানদণ্ডে প্রতিটি জিনিসকে তার প্রকৃত জায়গায় স্থান দিতে হবে এবং যার যে অধিকার তা তাকে সঠিকভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে।
ন্যায়বিচার হচ্ছে এমন একটি মৌলিক পরিভাষা যা পবিত্র কুরআনের বহু স্থানে নানা ধরনের উদাহরণ, অলঙ্কার ও সত্য ঘটনার আকারে খুলে খুলে বর্ণনা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদেরকে বারবার ন্যায়বিচারের ওপর অটল ও অবিচল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ন্যায় ও ন্যায়বিচারের গুরুত্ব উপলব্ধি করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে বর্ণিত এ সংক্রান্ত আয়াতগুলো বোঝার চেষ্টা করা। পবিত্র কুরআনের এরকম ৮টি আয়াত তুলে ধরব যেখানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ন্যায় ও ন্যায়বিচারের প্রসঙ্গ বর্ণিত হয়েছে:
১- আল্লাহর সকল কাজ ন্যায়বিচারের ওপর প্রতিষ্ঠিত।"আল্লাহ সাক্ষ্য দেন যে, তিনি ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই, ফেরেশতাগণ ও জ্ঞানী ব্যক্তিগণও (এই একই বিষয়ে) সাক্ষ্য প্রদান করেন যে, [আল্লাহর সকল কাজ] ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময় আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন (সত্য) উপাস্য নেই।" [আলে-ইমরান, ১৮]
২- আল্লাহ তায়ালা বিন্দু পরিমাণ জুলুম বা অন্যায় করেন না।
"নিশ্চয়ই আল্লাহ অণু পরিমাণও অত্যাচার বা অন্যায় করেন না [তাঁর প্রতিটি কাজ ন্যায়ভিত্তিক] এবং যদি কেউ [ওই অণু পরিমাণ] সৎ কাজ করে তাহলে তিনি তা দ্বিগুণ করে দেন এবং স্বীয় পক্ষ হতে ওর মহান প্রতিদান প্রদান করেন।" [নিসা, ৪০]
৩- মানুষের মাঝে ন্যায়ভিত্তিক বিচার করুন। "নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, আমানত তার মালিককে প্রত্যর্পণ করবে। আর যখন তোমরা মানুষের মধ্যে বিচার-কার্য পরিচালনা করবে, তখন ন্যায়পরায়ণতার সাথে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদেরকে যে উপদেশ দেন, তা কত উৎকৃষ্ট! নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।" [নিসা, ৫৮]
৪- অপরের সঙ্গে শত্রুতার কারণে অন্যায় করো না। "হে মুমিনগণ! আল্লাহর উদ্দেশ্যে ন্যায় সাক্ষাদানে তোমরা অবিচল থাকবে কোন সম্প্রদায়ের প্রতি শক্ৰতা তোমাদেরকে যেন সুবিচার বুর্জনে প্ররোচিত না করে। তোমরা সুবিচার করবে, এটা তাকওয়ার অধিকতর নিকটবর্তী। আর তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত।" [মায়েদা, ৮]
৫- মহান আল্লাহ এমনকি জালিমদের প্রতিও জুলুম করেন না।
"আর যমীনে যা রয়েছে, তা যদি প্রত্যেক যুলুমকারী ব্যক্তির হয়ে যায়, তবে সে মুক্তির বিনিময়ে সেসব দিয়ে দেবে এবং অনুতাপ গোপন করবে যখন তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে। আর তাদের মীমাংসা ন্যায়ভিত্তিক করা হবে এবং তাদের প্রতি যুলুম করা হবে না।" [ইউনূস, ৫৪]
৬- মানুষের অধিকার প্রদান করার ক্ষেত্রে অন্যায় করো না। "হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা ন্যায়সঙ্গতভাবে মাপো ও ওজন করো, লোকদেরকে তাদের প্রাপ্য বস্তু কম দিও না এবং যমীনে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়িও না।" [হুদ, ৮৫]
৭- মানুষকে ন্যায় ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করতে হবে। "নিশ্চয় আমি আমার রাসূলদেরকে স্পষ্ট প্রমাণাদিসহ পাঠিয়েছি এবং তাদের সাথে কিতাব ও (ন্যায়ের) মানদন্ড নাযিল করেছি, যাতে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে।" [হাদিদ, ২৫]
৮- মহান আল্লাহ সুবিচারকারীদের ভালোবাসেন। "তাদের মধ্যে ইনসাফের সঙ্গে ফয়সালা কর আর সুবিচার কর; আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ভালোবাসেন।" [হুজুরাত, ৯]
আল্লাহ কিভাবে ন্যায় বিচার করেন
আল্লাহ তায়ালার দয়া এবং বিচার।
যেভাবে আল্লাহ হাশরের মাঠে বিচার করবেন |
হাশরের মাঠে আল্লাহর উপস্থিতিতে কীভাবে বিচার শুরু হবে? |
বিচার দিবসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
নিশ্চয়ই আল্লাহ আহকামিল হাকিমীন, তিনি শ্রেষ্ঠতম বিচারক
Surely Allah is Ahkamil Hakimeen, He is the best judge
ইসলামের দৃষ্টিতে বিচারক ও বিচারব্যবস্থা
Judges and judiciary in the Sight of Islam
0 notes
নিশ্চয়ই আল্লাহ আহকামিল হাকিমীন, তিনি শ্রেষ্ঠতম বিচারক
Surely Allah is Ahkamil Hakimeen, He is the best judge
আল্লাহর বিচার চিরন্তন।
আপনি মানুষের উপর জুলুম করছেন, জমি কেড়ে নিচ্ছেন, মিথ্যা সাক্ষী দিচ্ছেন, খুন করছেন হয়তো সমাজের মাতবরীর জন্য অথবা কিছু জমা-জমি, টাকা-পয়সার জন্য, বা রাজনৈতিক ক্ষমতার জন্য কিন্তু আপনি কি করছেন? আপনি কয়দিন এ ক্ষমতা ভোগ করবেন?
"আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্টতম বিচারক নন?"
-- [সূরা আত-ত্বীন, আয়াত ৮,
তিনি, যিনি এই বিশ্বজগতের প্রতিপালক, পালনকর্তা। যিনি সমস্ত জ্ঞানের মালিক, তিনি প্রশ্ন করছেন আমাদের রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে) এবং প্রশ্নটি আমাদের সবার জন্যই... যিনি সবকিছুই জানেন, আহকামিল হাকিমীন নিজেই যখন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন, তখন কি আমাদেরকে আরেকটু ঝাঁকি দিয়ে উপলব্ধি করিয়ে দেয়ার জন্যই নয়? আমরা কি সন্দিগ্ধ হয়ে পড়েছি শ্রেষ্ঠ বিচারকের ব্যাপারে? আমরা কি ভেবে বসছি দুনিয়ার শাসন, ক্ষমতা, শক্তি যদি ভুল হয় এবং আমরা ভুলে কাউক জুলুম করে বসি, তাহলে প্রতিফল পাবো না? আহকামিল হাকিমীন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদের দুনিয়ার সকল বিচারকের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বিচারক। সবার সবকিছুর পরে তার আদালত, তিনি আমাদের পইপই করে দেখিয়ে দেবেন সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর বিষয়গুলো। সেদিন কেউ পুরষ্কার থেকে বঞ্চিত হবে না; সেদিন অবশ্যই অত্যাচারী, মিথ্যাচারী, যালিম, কাফির, মুশরিকরা তাদের উপযুক্ত শান্তি পাবে পুরষ্কার। নিশ্চয়ই আল্লাহ 'আহকামিল হাকিমীন', তিনি শ্রেষ্ঠ বিচারক; তার বিচার নিপুণ, নিখুঁত, সূক্ষ্ম।
ন্যায়বিচার সম্পর্কে কুরআনের ৮টি আয়াত
পবিত্র কুরআনের দৃষ্টিতে আল্লাহর সকল সৃষ্টি ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং সেখানে অন্যায়, অবিচার ও জুলুমের কোনো স্থান নেই। এমনকি পার্থিব জগতে নবী-রাসূলগণের আবির্ভাবের তিনটি উদ্দেশ্যেরও অন্যতম ছিল ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা। ন্যায়বিচারের মানদণ্ডে প্রতিটি জিনিসকে তার প্রকৃত জায়গায় স্থান দিতে হবে এবং যার যে অধিকার তা তাকে সঠিকভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে।
ন্যায়বিচার হচ্ছে এমন একটি মৌলিক পরিভাষা যা পবিত্র কুরআনের বহু স্থানে নানা ধরনের উদাহরণ, অলঙ্কার ও সত্য ঘটনার আকারে খুলে খুলে বর্ণনা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদেরকে বারবার ন্যায়বিচারের ওপর অটল ও অবিচল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ন্যায় ও ন্যায়বিচারের গুরুত্ব উপলব্ধি করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে বর্ণিত এ সংক্রান্ত আয়াতগুলো বোঝার চেষ্টা করা। পবিত্র কুরআনের এরকম ৮টি আয়াত তুলে ধরব যেখানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ন্যায় ও ন্যায়বিচারের প্রসঙ্গ বর্ণিত হয়েছে:
১- আল্লাহর সকল কাজ ন্যায়বিচারের ওপর প্রতিষ্ঠিত।"আল্লাহ সাক্ষ্য দেন যে, তিনি ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই, ফেরেশতাগণ ও জ্ঞানী ব্যক্তিগণও (এই একই বিষয়ে) সাক্ষ্য প্রদান করেন যে, [আল্লাহর সকল কাজ] ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময় আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন (সত্য) উপাস্য নেই।" [আলে-ইমরান, ১৮]
২- আল্লাহ তায়ালা বিন্দু পরিমাণ জুলুম বা অন্যায় করেন না।
"নিশ্চয়ই আল্লাহ অণু পরিমাণও অত্যাচার বা অন্যায় করেন না [তাঁর প্রতিটি কাজ ন্যায়ভিত্তিক] এবং যদি কেউ [ওই অণু পরিমাণ] সৎ কাজ করে তাহলে তিনি তা দ্বিগুণ করে দেন এবং স্বীয় পক্ষ হতে ওর মহান প্রতিদান প্রদান করেন।" [নিসা, ৪০]
৩- মানুষের মাঝে ন্যায়ভিত্তিক বিচার করুন। "নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, আমানত তার মালিককে প্রত্যর্পণ করবে। আর যখন তোমরা মানুষের মধ্যে বিচার-কার্য পরিচালনা করবে, তখন ন্যায়পরায়ণতার সাথে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদেরকে যে উপদেশ দেন, তা কত উৎকৃষ্ট! নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।" [নিসা, ৫৮]
৪- অপরের সঙ্গে শত্রুতার কারণে অন্যায় করো না। "হে মুমিনগণ! আল্লাহর উদ্দেশ্যে ন্যায় সাক্ষাদানে তোমরা অবিচল থাকবে কোন সম্প্রদায়ের প্রতি শক্ৰতা তোমাদেরকে যেন সুবিচার বুর্জনে প্ররোচিত না করে। তোমরা সুবিচার করবে, এটা তাকওয়ার অধিকতর নিকটবর্তী। আর তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত।" [মায়েদা, ৮]
৫- মহান আল্লাহ এমনকি জালিমদের প্রতিও জুলুম করেন না।
"আর যমীনে যা রয়েছে, তা যদি প্রত্যেক যুলুমকারী ব্যক্তির হয়ে যায়, তবে সে মুক্তির বিনিময়ে সেসব দিয়ে দেবে এবং অনুতাপ গোপন করবে যখন তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে। আর তাদের মীমাংসা ন্যায়ভিত্তিক করা হবে এবং তাদের প্রতি যুলুম করা হবে না।" [ইউনূস, ৫৪]
৬- মানুষের অধিকার প্রদান করার ক্ষেত্রে অন্যায় করো না। "হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা ন্যায়সঙ্গতভাবে মাপো ও ওজন করো, লোকদেরকে তাদের প্রাপ্য বস্তু কম দিও না এবং যমীনে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়িও না।" [হুদ, ৮৫]
৭- মানুষকে ন্যায় ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করতে হবে। "নিশ্চয় আমি আমার রাসূলদেরকে স্পষ্ট প্রমাণাদিসহ পাঠিয়েছি এবং তাদের সাথে কিতাব ও (ন্যায়ের) মানদন্ড নাযিল করেছি, যাতে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে।" [হাদিদ, ২৫]
৮- মহান আল্লাহ সুবিচারকারীদের ভালোবাসেন। "তাদের মধ্যে ইনসাফের সঙ্গে ফয়সালা কর আর সুবিচার কর; আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ভালোবাসেন।" [হুজুরাত, ৯]
আল্লাহ কিভাবে ন্যায় বিচার করেন
আল্লাহ তায়ালার দয়া এবং বিচার।
যেভাবে আল্লাহ হাশরের মাঠে বিচার করবেন |
হাশরের মাঠে আল্লাহর উপস্থিতিতে কীভাবে বিচার শুরু হবে? |
বিচার দিবসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
নিশ্চয়ই আল্লাহ আহকামিল হাকিমীন, তিনি শ্রেষ্ঠতম বিচারক
Surely Allah is Ahkamil Hakimeen, He is the best judge
ইসলামের দৃষ্টিতে বিচারক ও বিচারব্যবস্থা
Judges and judiciary in the Sight of Islam
0 notes
নিশ্চয়ই আল্লাহ আহকামিল হাকিমীন, তিনি শ্রেষ্ঠতম বিচারক
Surely Allah is Ahkamil Hakimeen, He is the best judge
আল্লাহর বিচার চিরন্তন।
আপনি মানুষের উপর জুলুম করছেন, জমি কেড়ে নিচ্ছেন, মিথ্যা সাক্ষী দিচ্ছেন, খুন করছেন হয়তো সমাজের মাতবরীর জন্য অথবা কিছু জমা-জমি, টাকা-পয়সার জন্য, বা রাজনৈতিক ক্ষমতার জন্য কিন্তু আপনি কি করছেন? আপনি কয়দিন এ ক্ষমতা ভোগ করবেন?
"আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্টতম বিচারক নন?"
-- [সূরা আত-ত্বীন, আয়াত ৮,
তিনি, যিনি এই বিশ্বজগতের প্রতিপালক, পালনকর্তা। যিনি সমস্ত জ্ঞানের মালিক, তিনি প্রশ্�� করছেন আমাদের রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে) এবং প্রশ্নটি আমাদের সবার জন্যই... যিনি সবকিছুই জানেন, আহকামিল হাকিমীন নিজেই যখন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন, তখন কি আমাদেরকে আরেকটু ঝাঁকি দিয়ে উপলব্ধি করিয়ে দেয়ার জন্যই নয়? আমরা কি সন্দিগ্ধ হয়ে পড়েছি শ্রেষ্ঠ বিচারকের ব্যাপারে? আমরা কি ভেবে বসছি দুনিয়ার শাসন, ক্ষমতা, শক্তি যদি ভুল হয় এবং আমরা ভুলে কাউক জুলুম করে বসি, তাহলে প্রতিফল পাবো না? আহকামিল হাকিমীন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদের দুনিয়ার সকল বিচারকের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বিচারক। সবার সবকিছুর পরে তার আদালত, তিনি আমাদের পইপই করে দেখিয়ে দেবেন সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর বিষয়গুলো। সেদিন কেউ পুরষ্কার থেকে বঞ্চিত হবে না; সেদিন অবশ্যই অত্যাচারী, মিথ্যাচারী, যালিম, কাফির, মুশরিকরা তাদের উপযুক্ত শান্তি পাবে পুরষ্কার। নিশ্চয়ই আল্লাহ 'আহকামিল হাকিমীন', তিনি শ্রেষ্ঠ বিচারক; তার বিচার নিপুণ, নিখুঁত, সূক্ষ্ম।
ন্যায়বিচার সম্পর্কে কুরআনের ৮টি আয়াত
পবিত্র কুরআনের দৃষ্টিতে আল্লাহর সকল সৃষ্টি ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং সেখানে অন্যায়, অবিচার ও জুলুমের কোনো স্থান নেই। এমনকি পার্থিব জগতে নবী-রাসূলগণের আবির্ভাবের তিনটি উদ্দেশ্যেরও অন্যতম ছিল ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা। ন্যায়বিচারের মানদণ্ডে প্রতিটি জিনিসকে তার প্রকৃত জায়গায় স্থান দিতে হবে এবং যার যে অধিকার তা তাকে সঠিকভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে।
ন্যায়বিচার হচ্ছে এমন একটি মৌলিক পরিভাষা যা পবিত্র কুরআনের বহু স্থানে নানা ধরনের উদাহরণ, অলঙ্কার ও সত্য ঘটনার আকারে খুলে খুলে বর্ণনা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদেরকে বারবার ন্যায়বিচারের ওপর অটল ও অবিচল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ন্যায় ও ন্যায়বিচারের গুরুত্ব উপলব্ধি করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে বর্ণিত এ সংক্রান্ত আয়াতগুলো বোঝার চেষ্টা করা। পবিত্র কুরআনের এরকম ৮টি আয়াত তুলে ধরব যেখানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ন্যায় ও ন্যায়বিচারের প্রসঙ্গ বর্ণিত হয়েছে:
১- আল্লাহর সকল কাজ ন্যায়বিচারের ওপর প্রতিষ্ঠিত।"আল্লাহ সাক্ষ্য দেন যে, তিনি ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই, ফেরেশতাগণ ও জ্ঞানী ব্যক্তিগণও (এই একই বিষয়ে) সাক্ষ্য প্রদান করেন যে, [আল্লাহর সকল কাজ] ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময় আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন (সত্য) উপাস্য নেই।" [আলে-ইমরান, ১৮]
২- আল্লাহ তায়ালা বিন্দু পরিমাণ জুলুম বা অন্যায় করেন না।
"নিশ্চয়ই আল্লাহ অণু পরিমাণও অত্যাচার বা অন্যায় করেন না [তাঁর প্রতিটি কাজ ন্যায়ভিত্তিক] এবং যদি কেউ [ওই অণু পরিমাণ] সৎ কাজ করে তাহলে তিনি তা দ্বিগুণ করে দেন এবং স্বীয় পক্ষ হতে ওর মহান প্রতিদান প্রদান করেন।" [নিসা, ৪০]
৩- মানুষের মাঝে ন্যায়ভিত্তিক বিচার করুন। "নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, আমানত তার মালিককে প্রত্যর্পণ করবে। আর যখন তোমরা মানুষের মধ্যে বিচার-কার্য পরিচালনা করবে, তখন ন্যায়পরায়ণতার সাথে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদেরকে যে উপদেশ দেন, তা কত উৎকৃষ্ট! নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।" [নিসা, ৫৮]
৪- অপরের সঙ্গে শত্রুতার কারণে অন্যায় করো না। "হে মুমিনগণ! আল্লাহর উদ্দেশ্যে ন্যায় সাক্ষাদানে তোমরা অবিচল থাকবে কোন সম্প্রদায়ের প্রতি শক্ৰতা তোমাদেরকে যেন সুবিচার বুর্জনে প্ররোচিত না করে। তোমরা সুবিচার করবে, এটা তাকওয়ার অধিকতর নিকটবর্তী। আর তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত।" [মায়েদা, ৮]
৫- মহান আল্লাহ এমনকি জালিমদের প্রতিও জুলুম করেন না।
"আর যমীনে যা রয়েছে, তা যদি প্রত্যেক যুলুমকারী ব্যক্তির হয়ে যায়, তবে সে মুক্তির বিনিময়ে সেসব দিয়ে দেবে এবং অনুতাপ গোপন করবে যখন তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে। আর তাদের মীমাংসা ন্যায়ভিত্তিক করা হবে এবং তাদের প্রতি যুলুম করা হবে না।" [ইউনূস, ৫৪]
৬- মানুষের অধিকার প্রদান করার ক্ষেত্রে অন্যায় করো না। "হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা ন্যায়সঙ্গতভাবে মাপো ও ওজন করো, লোকদেরকে তাদের প্রাপ্য বস্তু কম দিও না এবং যমীনে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়িও না।" [হুদ, ৮৫]
৭- মানুষকে ন্যায় ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করতে হবে। "নিশ্চয় আমি আমার রাসূলদেরকে স্পষ্ট প্রমাণাদিসহ পাঠিয়েছি এবং তাদের সাথে কিতাব ও (ন্যায়ের) মানদন্ড নাযিল করেছি, যাতে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে।" [হাদিদ, ২৫]
৮- মহান আল্লাহ সুবিচারকারীদের ভালোবাসেন। "তাদের মধ্যে ইনসাফের সঙ্গে ফয়সালা কর আর সুবিচার কর; আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ভালোবাসেন।" [হুজুরাত, ৯]
আল্লাহ কিভাবে ন্যায় বিচার করেন
আল্লাহ তায়ালার দয়া এবং বিচার।
যেভাবে আল্লাহ হাশরের মাঠে বিচার করবেন |
হাশরের মাঠে আল্লাহর উপস্থিতিতে কীভাবে বিচার শুরু হবে? |
বিচার দিবসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
নিশ্চয়ই আল্লাহ আহকামিল হাকিমীন, তিনি শ্রেষ্ঠতম বিচারক
Surely Allah is Ahkamil Hakimeen, He is the best judge
ইসলামের দৃষ্টিতে বিচারক ও বিচারব্যবস্থা
Judges and judiciary in the Sight of Islam
ইসলামের দৃষ্টিতে বিচারক ও বিচারব্যবস্থা
0 notes
স্বামীর জ্বালায় পুলিশের কাছে বিচার দিলো। তাসলিমা সরকার।।স্বামীর ভাত খাব ...
0 notes
নাচে গানে দর্শকদের মন ভরালে সীতা বিশ্বাস । কালিয়ার জলে যাওয়ার জাতের বি...
0 notes
বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা হারালে খারাপ সময়ের অপেক্ষা করতে হবে
অবসরে যাচ্ছেন দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যাবেন। তবে সুপ্রিম কোর্টের শরৎকালীন অবকাশ (ছুটি) শুরু হওয়ায় বিচারপতি হিসেবে আজই (বৃহস্পতিবার) শেষ কর্মদিবস তার। ফলে এদিন শেষবারের মতো এজলাসে বসবেন তিনি।
বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে তাকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ সময় তিনি বিদায়ী বার্তা দেন সবার জন্য।
বিচার বিভাগকে জনগণের মৌলিক অধিকারের রক্ষক ও…
View On WordPress
0 notes
হাশরের মাঠে কঠিন বিচার কি ভয়াবহ হবে ✅মহিলা বক্তার ওয়াজ ✅ mohila waz ✅ ...
0 notes
রোজহাশরে আল্লাহ আমায় করো না বিচার ‼ Tarek Monoware | তারেক মনোয়ার new wa...
0 notes
হাশরের ময়দানের ভয়াবহতা ও বিচার ব্যবস্থা যেমন হবে শুনুন, আল্লামা তারেক ...
0 notes
তারেক মনোয়ার ও আবু ত্বহা আদনানের মাহফিলে হা-ম-লা আল্লাহ বিচার করবেই ইনশা...
0 notes