#সাদী
Explore tagged Tumblr posts
Text
Hello There, Im Hammad Sadi Mern Stack Developer. Stay connect my Facebook page for technology tutorial .
#hammadsadi#hammad sadi#sayyidhammadsaadi#sayyidsaadi#developer#sunamganj#sylhet#love#viral#sayyid#react#sayyid hammad saadi#হাম্মাদ সাদী#হাম্মাদ#সাদী
7 notes
·
View notes
Text
জাদুকরদের সাথে খাজা সাহেবের যুদ্ধের ইতিহাস
আজকে আমরা আলোচনা করবো খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী (রহঃ) এর সাথে পৃথীরাজের জাদুকরদের যুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে। পুরো ঘটনাটি জানলে অনেক কিছু জানতে পারবেন যা আগে কোনদিন শুনেননি। তাই পুরো ঘটনাটি শুনার অনুরোধ রইলো।
খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী (রহ”) যখন ভারতবর্ষে আগমন করেন তখন ভারতীয় পৌত্তলিক রাজাদের মধ্য�� পৃথ্বীরাজই ছিল শক্তিশালী এবং তার রাজধানী ছিল আজমিরে। আর খাজা সাহেব তিনিও দিল্লি হয়ে আজমিরে আনা সাগরের পাড়ে এসে আস্তানা গড়েন তিনি ও তাঁর ৪০ জন সঙ্গী দরবেশ। এরপর রাজা পৃথ্বীরাজের নিকট ইসলামের দাওয়াত পৌঁছান। কিন্তু গরীবে নাওয়াজের দাওয়াত প্রত্যাখান করে তাঁর বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন। খাজা সাহেবকে এ এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য করার জন্য প্রয়োজনীয় সব অত্যাচার শুরু করেন।
আনা সাগরের পাড় ঘেষে অজস্র মন্দির। আনা সগরের পানি শুধুমাত্র উচ্চ বর্ণের হিন্দু এবং পুরোহিত সম্প্রদায় ছাড়া অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারতো না। নিম্ন বর্ণের হিন্দুরা এটা তাদের ধর্মীয় বিধান বলে মনে করত। একদিন আনা সাগরে অজু করতে গেলন হজরত খাজা সাহেবের একজন সাগরেদ। পুরোহিতরা তাকে অপমান করে তাড়িয়ে দিলো। সাগরেদ সমস্ত ঘটনা বর্ণনা করলেন খাজা মইনুদ্দিন চিশতী তখন তিনি হযরত খাজা মোহাম্মদ সাদীকে ‘‘আনা সাগর” থেকে এক বদনা পানি আনার নির্দেশ দিলেন। নির্দেশ মত মোহাম্মদ সাদী ‘আনা সাগর’ থেকে এক ঘটি পানি আনতেই দেখা গেলো এক আশ্চর্য দৃশ্য। কোথায় সাগর? সব পানি তার শুকিয়ে গিয়েছে একেবারে।
এক বদনা পানির নেওয়ার পর আনাসাগর শুধু নয় আজমীর শরীফের আশেপাশে সকল পুকুর, জলাশয়, কুপের পানি, সন্তানের মায়ের দুধ ও শুকিয়ে যায়। এরপর আজমীরের লোকজন খাজা সাহেবের কাছে ক্ষমা চাইলে খাজা সাহেব সেই বদনার পানি আবারো সাগেরে ঢালতে বলেন। সাগরেদ পানি সাগরে ঢাললে আবারো সাগর আগের মত পানিতে পূর্ণ হয়ে যায়।
এটি মূলতঃ খাজা গরীবে নাওয়াজের কারামতের বহিঃপ্রকাশ। এঘটনার পর আজমীর ও তার আশেপাশের এলাকা থেকে দলে দলে লোক এসে ইসলাম কবুল করতে লাগলেন। কিন্তু পৃথ্বীরাজ তার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে গরীবে নাওয়াজের বিরুদ্ধে নতুন নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হল। গরীবে নাওয়াজের কারামাতের মোকাবেলায় সে তার জাদুকরদের দিয়ে তার বড় বড় দৈত্য দিয়ে পাহাড়ের উপর থেকে পাথর নিক্ষেপ করা শুরু করলো। কিন্তু খাজা সাহেবের ন্যূনতম ক্ষতি করতে পারলো না। প্রতিটি পাথর গরীবে নাওয়াজের আস্তানায় পড়ার আগেই উল্টো নিক্ষেপকারী দৈত্য-যাদুগরদের আঘাত করত। এর পর হিন্দুস্থানের সেরা যাদুকর পৃথ্বীরাজের ভাই জয়পাল যোগীকে ডাকলো। জয়পাল ছিলো বড় সাধক। লক্ষ লক্ষ মানুষ তাকে অন্ধভাবে অনুসরণ করতো।
জয়পাল যোগী তার সাধনা দ্বারা যে সব অসাধ্য সাধন করতে পারতো, সে - ১। সে তার সাধনার বলে পানির উপর দিয়ে চলতে পারত। ২। তার মুখের ফুঁৎকার�� আগুন নিক্ষিপ্ত হয়ে সামনের বাড়ীঘর, গাছপালা সব পুড়ে ছাড়খার হয়ে যেত। ৩। তার আঙ্গুলের ইশারায় পাথর চলতে থাকত। ৪। যে কোন জীবকে যে কোন আকারে পরিবর্তন করতে পারত। ৫। হাওয়ায় ভর করে আকাশে উড়তে পারত। ৬। যাদু দ্বারা বড় বড় সাপ-অজগর তৈরী করে তার দ্বারা যে কোন ব্যক্তিকে আক্রমণ করতে পারত। ৭। সে নিজে যে কোন আকার ধারন করতে পারত, ইত্যাদি।
রাজা পৃথ্বীরাজ জয়পালকে বিস্তারিত বললে জয়পাল দরবেশকে সেখান থেকে তাড়ানোর ব্যাপারে রাজাকে আশ্বস্ত করে। সব শুনে জয়পাল যোগী রাজাকে বলল, এ সামান্য একটা ব্যাপারে আপনি এভাবে ভেঙ্গে পড়ছেন। রাজা বলল, ব্যাপারটি সামান্য নয়। আপনার মতো করে আরও একজন আমাকে আশ্বাসবাণী শুনিয়েছিল। কিন্তু সেও তাদের সঙ্গ নিয়েছে। হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হয়ে গেছে। ঐ ফকিরকে দান করে দিয়েছে। ঐ ফকির এখন আর আনা সাগরের পাড়ের জঙ্গলের মধ্যে বসবাস করে না। বরং সে এখন তারাগড় পাহাড়েরই পাদদেশে বিশাল আস্তানা বানিয়ে তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। জয়পাল বলল, আপনার সাথে কে এমন বিশ্বাসঘ���তকতা করল? রাজা বললেন, আমার পুরোহিতদের মধ্যে সে ছিল সর্বশ্রেষ্ঠ, পুরোহিত গুরু। জয়পাল বলল, আপনি কি শাদিদেবের কথা বলছেন? রাজা বলল, হ্যাঁ, সেজন্যই চিন্তিত হয়ে পড়েছি। জয়পাল বলল, মহারাজ আপনি কিছু চিন্তা করবেন না। আমাকে কেবল আশ্রমটা দেখিয়ে দিন। তার সাথে আসা বেশ কিছু যোগী সাধক যাদুগীরকে ডেকে বলল তোমরা যাও দেখে এস ঐ বিধর্মীর আশ্রমটা এবং সকলকে নজরবন্দী করে আস কেউ যেন পালাতে না পারে। তারপর আমি দেখছি। হযরত খাজাবাবা গরীব নওয়াজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর পবিত্র কাশফ (অন্তর্দৃষ্টি) দ্বারা সমস্ত ব্যাপারটিই অবলোকন করছিলেন। যখন দেখলেন তারাগড় পাহাড়ে উপর থেকে কিছু যোগী নিচে নামছে তখন তিনি তাঁর খাস খাদেমকে বললেন, আমার আছা অর্থাৎ লাঠীটি নিয়ে এসো। খাদেম পবিত্র লাঠিটি তাঁর পবিত্র হাতে দিলেন। তিনি লাঠিটি হাতে নিয়ে তাঁরা যেখানে বসে ছিলেন সেখানে একটি বৃত্তাকার ‘দায়রা’ অর্থাৎ কুন্ডলী তৈরী করে নিজের আসনে এসে অবস্থান নিলেন। হযরত খাজাবাবার লোকজন তাঁর এ কর্ম দেখে একটু বিস্মিত হলেন বটে কিন্তু মুখে কিছু বললেন না। কিন্তু একটু পরে যখন দেখলেন কিছু হিন্দু যোগী হাতের মধ্যে মাটি নিয়ে তার মধ্যে কিছু মন্ত্র পাঠ করছে এবং মুষ্টি ভরা মাটিগুলো আমাদের দিকে ছুঁড়ে মারছে তখন সকলেই বুঝতে পারলেন যে হযরত খাজাবাবা কেন তার পবিত্র লাঠি দ্বারা দাগ টেনেছেন।
জয়পাল যোগীর শাগরীদগণ হযরত খাজা গরীব নওয়াজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর আস্তানার ওপর ধুলি চালান দিয়ে রাজ প্রাসাদে ফিরে গেল। এদিকে যোগীরাজ জয়পালের আজমীরে আ��মন এবং আগমনের উদ্দেশ্যে সংবাদ পার্শ্ববর্তী জেলা সমূহে বিদ্যুতের গতিতে পৌঁছাতে লাগল। যোগীরাজ জয়পাল রাজাকে আশ্বাসের বাণী শুনিয়ে বলল, মহারাজ আপনার এ সামান্য তুচ্ছ কাজের জন্য আমার কোন সময়ই লাগবে না। তবে একটি কাজ করলে খুবই ভাল হয়, আপনি যদি আপনার রাজ্যের সমস্ত প্রজাকে মুসলমানদের এ পরাজয় ও উৎখাতের দৃশ্য দেখাতে পারেন তাহলে ভবিষ্যতে কেউ আর কখনও নিজের ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হতে যাবে না। তার প্রস্তাবটি রাজার নিকট খুবই মনঃপুত হল। সে তৎক্ষণাৎ ঘোষক ও সৈন্যদেরকে ডেকে মুসলমানদের উৎখাত ও বিতাড়িত করার দৃশ্যটি দেখার জন্য লোককে আহ্বান জানাতে বলল। এ অভাবনীয় ও অকল্পনীয় দৃশ্য দর্শন করার জন্য শত শত মাইল দূর থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ আসতে লাগল। আজমীর লোকে লোকারণ্য। হযরত খাজা বাবার উদ্দেশ্যে চিৎকার করে বলা হল - “হে মুসলমান ফকিরদের গুরু আপনি আপনারলোকজন নিয়ে যথাশীঘ্র আজমীর ত্যাগ করে চলে যান নতুবা এখনই আমাদের যোগীরাজ জয়পাল আপনাদের ধুলিস্যাত করে ফেলবে। আমরা আপনাদের চলে যাওয়ার জন্য কিছুক্ষণ সময় দিলাম। চলে যান নাহলে জান যাবে।” জয়পাল যোগী রাজার অনুমুতি নিয়ে তার যাদুর কার্যক্রম শুরু করল।
১। প্রথমে সে তারাগড় পাহাড়ের ওপর থেকে বিশাল সব পাথরের খন্ড গুলোকে হযরত খাজাবাবার আস্তানার উপর পরিচালনা করছিল। হযরত খাজা বাবা রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর পবিত্র হাতের ইশারায় পাথরের চাইগুলোকে সরে যাও বলছিলেন এবং পাথরগুলো তাঁর পবিত্র হাতের ইশারায় সরে যাচ্ছিল। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে হযরত খাজাবাবার হাতের আঙ্গুলের ছাপ এখনও তারাগড় পাহাড়ের উপর পশ্চিম দিকের পাথরের গায়ে বিদ্যমান রয়েছে। দ্বিতীয় আঘাত - সে রাজার সামনে বসেই অগ্নিবান নিক্ষেপ করতে লাগল। সে মন্ত্র পাঠ করে হাতের তালুতে ফুঁক দিয়ে হযরত খাজা বাবার আস্তানার দিকে ছুঁড়ে মারল। সাথে সাথে তৈরী হল আগুনের গোলক এবং চলতে লাগল এবং সেই গোলক চলতে লাগল খাজাবাবার আস্তানার দিকে। কিন্তু যেই মাত্র হযরত খাজাবাবা প্রদত্ত কুন্ডলী রেখা স্পর্শ করল ঠিক তখনই আগুনের গোলকটি নিভে মাটিতে মিশে গেল। কিন্তু জয়পাল যোগী নিরাশ না হয়ে একের পর এক অতি দ্রুত অগ্নিবান নিক্ষেপ করতে লাগল। ঐ বানগুলো যখন জয়পাল খাজাবাবার আস্তানার দিকে নিক্ষেপ করছিল তখন আজমীরের সম্পূর্ণ আকাশ আলোকিত হয়ে উঠছিল। দর্শকগণ ভয়ে দূরে সরে যাচ্ছিল। পুরো আজমীর এই বান নিক্ষেপের ফলে ভয়াবহ রূপ ধারন করছিল। কিন্তু আল্লাহ তায়ালার কী অপার মহিমা ঐ সর্ব প্রকার বানই হযরত খাজাবাবার দেয়া দায়রা (কুন্ডলীর) বরাবর এসে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল। এখন আর কোন প্রকারের বান জয়পালের ঝোলায় নেই। রাজা পৃথ্বিরাজ নিরাশ, দর্শক জনগনও নিরাশ। হায় ! হায় ! এ কেমন হল, একজন মুসলমান ফকিরের নিকট যোগী সম্রাট জয়পালের পরাজয় তথা হিন্দু ধর্মের পরাজয়। কিন্তু না, হুংকার দিয়ে উঠল যোগীরাজ জয়পাল। ঘোষিত হল, ”আপনারা ঘাবড়াবেন না। আমার বহুবিধ শক্তির মধ্যে আমি মাত্র দুটো শক্তি প্রয়োগ করেছি। এখনও আমার কাছে বহু শক্তি বিদ্যমান রয়েছে। আপনারা এখনি দেখতে পাবেন সেইসব ভগবত শক্তির নিদর্শন। দর্শক ও রাজার মনে আশার আলো জ্বলে উঠল। জমে উঠল ভগবত ও ইলাহী শক্তির জমজমাট লড়াই।
খাজাবাবা চাইলে এক নিমিষেই খোদাই শক্তি দ্বারা সব খেলার যবনিকা টানতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। বরং দর্শকগণকে সত্যধর্ম যাচাই করার সুযোগ করে দিচ্ছিলেন।
এবার জয়পাল একটি বাঘের চামড়ায় বসল এবং মানুষের মাথার খুলি হাতে নিলো। মানুষের কংকালের একটি হাতের হাড় নিয়ে মন্ত্র পাঠ করতে লাগল এবং মাথার খুলিতে ফুঁ দিতে লাগল এবং মাথার খুলিটিতে ফুঁ দিতে। মুহূর্তে তৈরী হতে লাগল বিশাল বিশাল বিষধর অজগর সাপ যেগুলোর মুখের এক চোয়াল মাটিতে অপরটি আকাশে। দেখে মনে হয় এক নিমেষেই সব গ্রাস করে ফেলবে। সে মন্ত্র পাঠ করছে আর শত শত অজগর তৈরী হচ্ছে। যাদুই অজগর তৈরী শেষ। এবার চালান দেয়ার পালা। জয়পাল সমস্ত অজগরকে নির্দেশ দিলো অজগরগুলো হযরত খাজাবাবার আস্তানা আক্রমণ করার জন্য। নির্দেশ পাওয়া মাত্র অজগরগুলো একসাথে দ্রুতগতিতে অগ্রসর হতে লাগল হযরত খাজাবাবার আস্তানা আস্তানা আক্রমণ করার জন্য। মুখে বিশাল হা এবং তার মাথা দিয়ে বেরুচ্ছে আগুনের লেলিহান শিখা। সমস্ত দর্শক ঐ বিশাল অজগর দেখে ভয়ে চুপসে গিয়েও নিজেদের জয়কে কল্পনা করে শান্তি পাচ্ছে। রাজা পৃথ্বিরাজ নড়ে চড়ে বসল, মুখে বিজয়ের হাসি। তার অমাত্যব্ররগও অট্টহাসিতে ফেটে পড়ছে। অজগর অগ্রসর হচ্ছে আর দর্শকদের অন্তর দুরুদুরু কাঁপছে। তারা ভাবছে অজগরদের একটা ছোবল মাত্র, তারপরই সব শেষ। কিন্তু না, একি হচ্ছে একি হচ্ছে, সাপের মুখের হা খাজাবাবার দেয়া দায়রা রেখা বরাবর এসে বন্ধ হয়ে গেল এবং মাথা সেজদাবনত হয়ে সব সাপ অদৃশ্য হয়ে হাওয়ায় মিশে গেল।
এ দৃশ্য দেখে রাজা নিজের মাথা ও বুক চাপড়াতে লাগল। রাজার অমাত্যবর্গ নির্বাক হয়ে গেল দর্শকগণ হাউমাউ করে কাঁদতে লাগল। কেউ ভাবতে পারেনি এমন পরাজয়ের কথা। কিন্তু যোগীরাজ জয়পাল ভেঙ্গে পড়েনি, তার হাতে এখনও বহু শক্তি মজুদ আছে।
জয়পাল ভাবল, ঐ ফকির মাটির উপরে কুন্ডলী রেখা টেনেছে। যে রেখা আমার যাদুর শক্তি দ্বারা সৃষ্ট জিনিসগুলো অতিক্রম করতে পারছে না। তাই আমি ভেবেছি আক্রমণ করব এবার আকাশ থেকে। সে বললোআমি এখনই হাওয়ায় ভর করে উপরে যাব এবং সেখান থেকে আমি আমার ভগবত অস্ত্র ব্যবহার করব। এবার আকাশ যুদ্ধের আয়োজনে যোগীরাজ জয়পাল আকাশে গমন করল এবং হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে মন্ত্র পাঠ করতে লাগল।
এবার সে অগ্নিচক্রবান নিক্ষেপ করার জন্য প্রস্তুত হল এবং চক্রবান ছুঁড়ে মারল হযরত খাজাবাবার আস্তানার উপর। পুরো আকাশ লেলিহান শিখায় আলোকিত হয়ে উঠল। লোকজন ভয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে লাগল। কিন্তু খুব বেশিক্ষণে ব্যাপার নয়। সাথে সাথে ��ুন্ডলী পাকানো আগুনের লেলিহান শিখা হযরত খাজা বাবার আস্তানার উপর পতিত হওয়ার জন্য নিচে নামতে লাগল।
হযরত খাজা বাব��� তাঁর পবিত্র (লাঠী) দ্বারা উর্ধ্বে একটি বৃত্ত টানলেন এবং নেমে আসা অগ্নিগোলকগুলো হযরত খাজাবাবার টানা বৃত্তরেখা স্পর্শ করা মাত্র নিভে যেতে লাগল। এভাবে একটার পর একটা যাদুই অগ্নিগোলক নেমে আসছে এবং বৃত্তরেখায় এসে ধ্বংস হচ্ছে। জয়পাল যোগী যখন দেখতে পেল যে তার কোন শক্তিতেই কাজ হচ্ছে না তখন সে ব্রহ্মাস্ত্র মরণবান নিক্ষেপ করল এবং সমস্ত আকাশ সেই বানের লেলিহান শিখায় উজ্জ্বল হয়ে উঠল। মরণবান ধীরে ধীরে নিচে নামতে লাগল এবং সকলেই অপেক্ষা করতে লাগল পরবর্তী অগ্নিগোলক পিন্ডের জন্য। কিন্তু না, এটায়ও কোন কাজ হল না। দর্শকগণ এবং রাজা অপেক্ষা করতে লাগল পরবর্তী অগ্নিগোলক পিন্ডের জন্য। কিন্তু না, আর আসছে না। যোগীপালের ভাণ্ডার শূন্য হয়ে গেছে। জয়পাল যোগী যখন বুঝতে পারল যে মুসলমান ফকিরকে কোন প্রকারেই জব্দ করা সম্ভব নয় তখন সে আকাশ পথেই ভাসতে ভাসতে পালাতে লাগল। এ দৃশ্য যখন খাজা বাবার শাগরীদগণ দেখতে পেলেন তখন তারা হযরত খাজাবাবাকে বিষয়টি জানালেন। হযরত খাজাবাবা তাদের কথা শুনে একটু মুচকি হেসে বললেন, তোমরা দেখতেথাকো এবং জয়পাল তোমাদের দৃষ্টির বাইরে চলে গেলে আমাকে বলবে। এদিকে রাজা পৃথ্বিরাজ নিরাশ, দর্শকগণ নিরাশ ও জনগণ নিরাশ।
খাজাবাবা এবার তাঁর পায়ের জুতা বা খড়মকে নির্দেশ দিলেন, “হে পাদুকা, যাও যোগী জয়পালকে নিচে নামিয়ে আনো।”
জুতা বিদ্যুৎ গতিতে জয়পালের কাছে পৌঁছে গেল এবং জয়পালের মাথায় আঘাত করতে করতে তাকে নিচে নামাতে লাগল। যখনই জয়পাল একটু সুযোগ পাচ্ছে তখনই পালাবার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু খজাবাবার জুতা তাকে এদিক ওদিক থেকে মেরে সরাসরি নিচে নামাচ্ছে। যখন সে দেখল পালাবার কোন পথ নেই তখন নিচে নেমে আসতে লাগল। রাজা পৃথ্বিরাজ,তার অমাত্যবর্গ, সৈন্য সামন্ত এবং জনগণ এই দৃশ্য দেখতে লাগল। জয়পাল মনে মনে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছে গিয়েছিল যে যার পাদুকায় এত জোর তার নিজের শক্তি কতদূর হবে? সে ভাবতে লাগল, প্রকৃতপক্ষে খাজাবাবার ধর্মই সঠিক ও সত্য ধর্ম এবং তাঁর ঈশ্বরই প্রকৃত ঈশ্বর, অনাদি অনন্ত। হযরত খাজাবাবার জুতা জোড়া জয়পালকে খাজাবাবার কদমে এনে নিজের কাজ সমাপ্ত করল।
যোগীরাজ জয়পাল হযরত খাজা বাবার দুই পা জড়িয়ে ধরে কাঁদছিল এবং বলছিল, বাবা মুঝে মাফ কর দিজিয়ে (বাবা আমাকে ক্ষমা করে দিন)। আমি বুঝতে পারছি আপনার ধর্মই সত্য। আপনার ধর্মই সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত। তা নাহলে আমি আমার জীবনে তিলতিল করে সঞ্চয় করা সাধনার ফসল দ্বারা আপনার চুলের আগাও স্পর্শ করতে পারলাম না কেন? সমাজের লোক আমাকে যোগীরাজ বলে। ভারতের বুকে হাজার হাজার শিষ্য রয়েছে আমার, তারা আমাকে গুরুদেব বলে। আমার ক্ষমতার দাপটে যোগী সাধক ও যাদুগীরগণ এক ঘাটে পানি খেত। আজ বুঝতে পারছি আমার সবই ছিল মেকি ও মিথ্যা। প্রকৃত সত্যের সন্ধান তো আপনার চরণতলে।
হযরত খাজাবাবা বললেন, এবার বলো ত��মি কী করতে চাও? ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমান হবে না ��িজের ধর্মে ফিরে যেতে চাও? জয়পাল যোগী কাঁদতে কাঁদতে বলল সত্যের সন্ধান পেয়ে কেউ কি মিথ্যার মধ্যে ফিরে যায়? বাবা আপনি করুণা করে দয়া পরবশ হয়ে আমাকে আপনার ধর্মে দীক্ষিত করুন। হযরত খাজাসাহেব তাঁকে কালিমা পড়িয়ে মুসলমান বানালেন। জয়পাল যোগী ইসলাম ধর্মগ্রহণ করার পর খাজা বাবা তার নতুন নামকরণ করলেন আবদুল্লাহ। জয়পালের সাথে আসা তার শিষ্যগণ গুরুর সন্ধানে খাজাবাবার আস্তানায় প্রবেশ করে দেখল তাদের গুরু ইসলাম ধর্মে দীক্ষা নিচ্ছে। তারাও আর কাল বিলম্ব না করে কালেমা পড়ে মুসলমান হয়ে গেল। এ দৃশ্য রাজা দেখছে এবং সমস্ত দর্শক জনগণ। জনগণ বুঝতে পারল যে জয়পালের মত যোগী সম্রাট যখন বিনাবাক্যে ইসলাম গ্রহণ করেছে তখন ঐ ধর্মই প্রকৃত ও সত্য ধর্ম। জনগণও স্রোতের মত হযরত খাজাবাবার আস্তানায় প্রবেশ করে কালেমা পড়ে ইসলাম গ্রহণ করতে লাগল। রাজার অমাত্যবর্গের মধ্য থেকেও অনেকে এসে খাজাবাবার দরবারে আগমন করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করে চলে গেল। লোকে লোকারণ্য আজমীর। সকলেই কালেমা পড়ে ঘরে চলে যাচ্ছে। রাজা পৃথ্বিরাজ তার সিঙ্গহাসনে বসে মাথা চাপড়াচ্ছে - “হায়! একি হলো!” লক্ষ লক্ষ লোক এদিন ইসলাম গ্রহণ করে আল্লাহ্র পথে প্রবেশ করেছিল।
বিভিন্ন ইতিহাসগ্রন্থ থেকে জানা যায়,খাজা সাহেবের কাছে ৯০ লক্ষ থেকে এক কোটি মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ।
0 notes
Link
‘মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর’ মামলায় গ্রেফতা
0 notes
Text
ইত্তেফাকুল উলামা বৃহত্তর মোমেনশাহীর সীরাতুন্নবী সম্মেলন অনুষ্ঠিত
হাজী আসাদুজ্জামান স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহে ইত্তেফাকুল উলামা বৃহত্তর মোমেনশাহীর উদ্যোগে এক দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় সীরাতুন্নবী সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে টার দিকে আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দানে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ইত্তেফাকুল উলামা বৃহত্তর মোমেনশাহীর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সাদী। সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া সীরাতুন্নবী সম্মেলন মধ্যরাত পর্যন্ত…
0 notes
Text
youtube
সূরা আল-আসর Ayah: 1 وَٱلۡعَصۡرِ সময়ের শপথ [১] , সূরা সম্পর্কিত তথ্য: ১০৩- সূরা আল-আসর ৩ আয়াত, মক্কী আবদুল্লাহ্ ইবন হিসন আবু মদীনাহ বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবীগণের মধ্যে দু ব্যক্তি ছিল, তারা পরস্পর মিলে একজন অন্যজনকে সূরা আছর পাঠ করে না শুনানো পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হতেন না। [তাবরানী, মু‘জামুল আওসাত ৫১২০, মু‘জামুল কাবীর ২০/৭০, বাইহাকী, শু‘আবুল ঈমান ৯০৫৭, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ১০/২৩৩, ৩০৭] এ সুরায় একথার ওপর সময়ের শপথ খাওয়া হয়েছে যে, মানুষ বড়ই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে এবং এই ক্ষতি থেকে একমাত্র তারাই রক্ষা পেয়েছে যারা চারটি গুণাবলীর অধিকারী: [১] ঈমান, [২] সৎকাজ [৩] পরস্পরকে হকের উপদেশ দেয়া এবং [৪] একে অন্যকে সবর করার উপদেশ দেয়া। ইমাম শাফে‘য়ী রাহেমাহুল্লাহ বলেন, যদি মানুষ এ সূরা সম্পর্কে চিন্তা-গবেষণা করত তবে তা তাদের জন্য যথেষ্ট হতো। সূরা আছর কুরআন পাকের একটি সংক্ষিপ্ত সূরা, কিন্তু এমন অর্থপূর্ণ সূরা যে, ইমাম শাফেয়ী রাহেমাহুল্লাহ-এর ভাষায় মানুষ এ সুরাটিকেই চিন্তা ভাবনা সহকারে পাঠ করলে তাদের দুনিয়া ও আখেরাত সংশোধনের জন্যে যথেষ্ট হয়ে যায়। [বাদায়ি‘উত তাফসীর] -- [১] আয়াতের প্রথমেই সময় বা যুগের শপথ করা হয়েছে। এখানে প্র��িধানযোগ্য বিষয় এই যে, বিষয়বস্তুর সাথে সময় বা যুগের কি সম্পর্ক, যার কসম করা হয়েছে? কসম ও কসমের জওয়াবের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক থাকা বাঞ্ছনীয়। অধিকাংশ তাফসীরবিদ বলেন, মানুষের সব কর্ম, গতিবিধি, উঠাবসা ইত্যাদি সব যুগের মধ্যে সংঘটিত হয়। সূরায় যেসব কর্মের নির্দেশ দেয়া হয়েছে সেগুলোও এই যুগ-কালেরই দিবা-রাত্ৰিতে সংঘটিত হবে। এরই প্রেক্ষিতে যুগের শপথ করা হয়েছে। [সাদী, ইবন কাসীর] কোনো কোনো আলেম বলেন, আল্লাহ্ তা‘আলার মহত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব, প্রজ্ঞা ও কুদরতের প্রমাণ-নিদর্শন সময় বা যুগেই রয়েছে; তাই এখানে সময়ের শপথ করা হয়েছে। [মুয়াসসার, বাদায়িউত তাফসীর] Ayah: 2 إِنَّ ٱلۡإِنسَٰنَ لَفِي خُسۡرٍ নিশ্চয় মানুষ [১] ক্ষতির মাঝে নিপতিত [২], [১] মানুষ শব্দটি একবচন। এখানে মানুষ বলে সমস্ত মানুষই উদ্দেশ্য। কারণ, পরের বাক্যে চারটি গুণ সম্পন্ন লোকদেরকে তার থেকে আলাদা করে নেয়া হয়েছে। তাই এটা অবশ্যি মানতে হবে যে, এখানে মানুষ শব্দটিতে দুনিয়ার সমস্ত মানুষ সমানভাবে শামিল। কাজেই উল্লিখিত চারটি গুণ কোনো ব্যক্তি, জাতি বা সারা দুনিয়ার সমস্ত মানুষ যার-ই মধ্যে থাকবে না সেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এই বিধানটি সর্বাবস্থায় সত্য প্রমাণিত হবে। [আদ্ওয়াউল বায়ান, ফাতহুল কাদীর] [২] আভিধানিক অর্থে ক্ষতি হচ্ছে লাভের বিপরীত শব্দ। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে এ শব্দটির ব্যবহার এমন সময় হয় যখন কোনো একটি সওদায় লোকসান হয়, পুরো ব্যবসাটায় যখন লোকসান হতে থাকে। আবার সমস্ত পুঁজি লোকসান দিয়ে যখন কোনো ব্যবসায়ী দেউলিয়া হয়ে যায় তখনো এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। [ফাতহুল কাদীর] Ayah: 3 إِلَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ وَتَوَاصَوۡاْ بِٱلۡحَقِّ وَتَوَاصَوۡاْ بِٱلصَّبۡرِ কিন্তু তারা নয় [১], যারা ঈমান এনেছে [২] এবং সৎকাজ করেছে [৩] আর পরস্পরকে উপদেশ দিয়েছে হকের [৪] এবং উপদেশ দিয়েছে ধৈর্যের [৫]। [১] এখানে পূর্ববর্তী আয়াতে বর্ণিত মানবজাতি যে অত্যন্ত ক্ষতিগ্ৰস্ততার মধ্যে আছে তার থেকে উত্তরণের পথ বলে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এই ক্ষতির কবল থেকে কেবল তারাই মুক্ত, যারা চারটি বিষয় নিষ্ঠার সাথে পালন করে--- ঈমান, সৎকর্ম, অপরকে সত্যের উপদেশ এবং সবরের উপদেশদান। দীন ও দুনিয়ার ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়ার এবং মহা উপকার লাভ করার চার বিষয় সম্বলিত এ ব্যবস্থাপত্রের প্রথম দুটি বিষয় আত্মসংশোধন সম্পর্কিত এবং দ্বিতীয় দুটি বিষয় অপর মুসলিমদের হেদায়েত ও সংশোধন সম্পর্কিত। [সাদী] [২] এই সূরার দৃষ্টিতে যে চারটি গুণের উপস্থিতিতে মানুষ ক্ষতি মুক্ত অবস্থায় থাকতে পারে তন্মধ্যে প্রথম গুণটি হচ্ছে ঈমান। ঈমান শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে স্বীকৃতি দেয়া। আর শরীয়তের পরিভাষায় এর অর্থ অন্তরে বিশ্বাস, মুখে স্বীকার এবং কাজ-কর্মে বাস্তবায়ন। [মাজমূ ‘ফাতাওয়া ৭/৬৩৮] এখন প্রশ্ন দেখা দেয়, ঈমান আনা বলতে কিসের ওপর ঈমান আনা বুঝাচ্ছে? এর জবাবে বলা যায়, কুরআন মজীদে একথাটি একবারে সুস্পষ্ট ভাষায় বর্ণনা করা হয়েছে। প্রথমত আল্লাহ্কে মানা। নিছক তাঁর অস্তিত্ব মেনে নেয়া নয়। বরং তাকে এমনভাবে মানা যাতে বুঝা যায় যে, তিনি একমাত্ৰ প্ৰভূ ও ইলাহ। তাঁর সর্বময় কর্তৃত্বে কোনো অংশীদার নেই। [৩] ঈমানের পরে মানুষকে ক্ষতি থেকে বাঁচানোর জন্য দ্বিতীয় যে গুণটি অপরিহার্য সেটি হচ্ছে সৎকাজ। কুরআনের পরিভাষায় একে বলা হয় আ‘মাল সালেহা। সমস্ত সৎকাজ এর অন্তর্ভুক্ত। কোনো ধরনের সৎকাজ ও সৎবৃত্তি এর বাইরে থাকে না। কিন্তু কুরআনের দৃষ্টিতে যে কাজের মূলে ঈমান নেই এবং যা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল প্রদত্ত হেদায়াতের ভিত্তিতে সম্পাদিত হয়নি তা কখনো সৎকাজের অন্তর্ভুক্ত হ
#বাংলা কুরআন#العصر#Al-Asr#Bengali Quran#Al Quran Translation#Quran Translations#Translations Of Quran#Quran Translation In Many Language#Quran Recitaion#Beautiful Quran Recitaion#Abdul Aziz Al turky#Al Quran Translation In All Languages#Quran Recitation In Bengali#Translation Of Quran In Bengali#Quran For Kids#Bengali explanations of Qur’an#Quran Bengali Translation#Bengali Translation Of Quran#Quran Translation In Bengali#Al Quran Karim#Quran Majid#Youtube
0 notes
Text
কেমন আছো? - এইতো আছি।
কোথায় থাকো? - কাছাকাছি।
বদলে গেছো? - সবাই বলে।
তারপর সব ? - যাচ্ছে চলে।
বিয়ে - সাদী? - লাভ কি শুনে।
কতদিন হলো? - রাখিনি গুনে।
ছেলে হয়েছে? - একটি মেয়ে।
কোথায় এখন? - ঘুমালো খেয়ে।
নাম কি ওর? - 'সোনা মা' ডাকি।
এই নামটা তো..... - এখন রাখি।
ব্যাস্ত খুবই? - একটু খানি।
বছর পাঁচেক........ - আমি জানি।
এড়িয়ে যাচ্ছো? - এমনটা নয়।
মনে পড়ে না? - পাইনা সময়।
সেদিন যদি........ - থাক সেসব।
ভুলেই গেছো? - যথা সম্ভব।
থাকতো যদি....... - থাকবে কি আর ?
ভুলিনি আমি - যায় আসে কার?
রাখবো এখন? - কিছু কি বাকি?
ভালো থেকো!! - ভালোই থাকি।
এত অভিমান ? - রাখিনি মোটেই।
এখন কাদোঁ?? - অল্প চোটেই?
হ্যাঁ, কাঁদো কি?? -না, কাঁদি না।
বেণি করো চুল...?? - আর বাধি না।
বৃষ্টিতে ছাদে?? - যাই না এখন।
প্রিয় গানগুলো ? - শুনি কিছুক্ষন।
কখন শুনো?? - মন খারাপে।
মন খারাপ হয়?? - ভয়ে তে কাঁপে।
কিসের ভয়ে?? - থাক আপাতত।
কিছুটা আছো?? - আগের মতো?
আবার যদি.... - চাই না আমি।
আপন কে খুব? - অন্তর্যামী।
চাইলে কি দোষ? - হবে বিপরীত।
আমি কেউ না??? - শুধুই অতীত.....
0 notes
Video
youtube
কাছিদা ৬
কবি ও দার্শনিক হযরত শেখ মুসলেহউদ্দীন সাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি একদা নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে চার পক্তির একটি কাছিদা রচনা করছিলেন:
بلغ العلا بكماله বালগাল উলা বিকামালিহি كشف الدجى بجماله কাশাফাদ দোজা বিজামালিহি حسنه جميعه خصاله
হাসুনাত জামি উখিসালিহি কিন্তু ছন্দ মিলিয়ে চতুর্থ পঙ্ক্তিটি আর লিখতে পারলেন না। বহু চিন্তাভাবনা করলেন কিন্তু কবিতাটি পূর্ণতা দিতে পারছেন না। তিনি পেরেশান হয়ে গেলেন। এভাবে তৃতীয় দিন নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি চতুর্থ পক্তি বলেদেন: صلوا عليه واله “সাল্লু আলাইহি ওয়াআলাইহি।" এই কাছিদা শরীফ এখনো বরকতান অনেকেই পাঠ করে থাকেন।
#12shareef #saiyidul_aayaad_shareef #সাইয়্যিদুল_আইয়াদ_শরীফ
0 notes
Video
youtube
মামুনুল হকের মুক্তির জন্য নতুন আন্দোলন ডাক | বিন ইয়ামিন সাদী | Bin Yeasi...
0 notes
Text
ডাঃ রাকিব সাদী
এমবিবিএস,বিসিএস(স্বাস্থ্য),এমডি(ইন্টারনাল মেডিসিন),বিএসএমএমইউমেডিসিন বিশেষজ্ঞরাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ,রাজশাহী। চেম্বার রাজশাহী জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসময়: দুপুর ২ টা থেকে রাত ৯টা পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রাজশাহীসময়: বিকাল ৪:০০ টা-রাত ৯টা (শুক্রবার বন্ধ) সিরিয়ালের জন্য কল করুন: 01317-823580
View On WordPress
0 notes
Text
বিভিন্ন পরীক্ষায় বার বার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এগুলোই আসে:
০১ ) ‘ অভিরাম ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ সুন্দর ।
০২ ) ‘ নীপ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ কদম ।
০৩ ) ‘ অর্বাচীন ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ নির্বোধ ।
০৪ ) ‘ সারমেয় ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ কুকুর ।
০৫ ) ‘ হর্ষ ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ আনন্দ ।
০৬ ) ‘ কাদম্বিনী ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ মেঘমালা ।
০৭ ) ‘ অপলাপ ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ অস্বীকার ।
০৮ ) ‘ বীজন ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ পাখা ।
০৯ ) ‘ সনাতন ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ চিরন্তন ।
১০ ) ‘ কুটুম্ব ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ আত্মীয় ।
১১ ) ‘ সুধাকর ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ চন্দ্র ।
১২ ) ‘ যুগপৎ ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ একই সময়ে ।
১৩ ) ‘ বিহঙ্গ ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ পাখি ।
১৪ ) ‘ জঙ্গম ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ গতিশীল ।
১৫ ) ‘ সদন ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ নিবাস ।
১৬ ) ‘ অলীক ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ মিথ্যা।
১৭ ) ‘ অবলা ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ নারী ।
১৮ ) ‘ শোণিত ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ রক্ত ।
১৯ ) ‘ নিনাদ ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ শব্দ ।
২০ ) ‘ অন্তরায় ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ বাধা ।
২১ ) ‘ আধার ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ আশ্রয় ।
২২ ) ‘ রসাল ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ আম ।
২৩ ) ‘ নীপবৃক্ষ ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ কদমগাছ ।
২৪ ) ‘ বারিধি ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ সমুদ্র ।
২৫ ) ‘ প্রসবণ ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ ধরনা ।
২৬ ) ‘ আততায়ী ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ গুপ্তঘাতক ।
২৭ ) ‘ চরিতার্থ ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ সফল ।
২৮ ) ‘ জণয়িতা ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ জন্মদাতা ।
২৯ ) ‘ জিগর ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ হৃদয় , মণ , প্রাণ ।
৩০ ) ‘ আঁটশে ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ মাছের আশের গন্ধযুক্ত ��
৩১ ) ‘ মীন সন্তান ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ মাছ ।
৩২ ) ‘ ধোঁয়াশা ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ ধোঁয়া ও কুয়াশার মিলিত ফল ।
৩৩ ) ‘ ওয়াগণ ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ মালগাড়ি ।
৩৪ ) ‘ কল্কি ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ তামাক ভরে তাতে আগুন দেওয়া হয় এমন পাত্র ।
৩৫ ) ‘ জনান্তিকে ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ সংগোপনে / জনগণের আড়ালে ।
৩৬ ) ‘ পাটাতন ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ নৌকা বা জাহাজের কাঠের মেঝে ।
৩৭ ) ‘ পতন্জলি ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ পাণিণি ব্যাকরণের ভাস্যকর ।
৩৮ ) ‘ আরক্ত ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ লালছে ।
৩৯ ) ‘ বর্ষীয়সী ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ অতিশয় বৃদ্ধা ।
৪০ ) ‘ রায়ট ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ দাঙ্গা ।
৪১ ) ‘ এল নিনি ও ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ ক্ষুদে শিশু ।
৪২ ) ‘ বামেতর ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ ডান ।
৪৩ ) ‘ কনক ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ স্বর্ণ ।
৪৪ ) ‘ দিনমনি ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ সূর্য ।
৪৫ ) ‘ কিরীট ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ মুকুট ।
৪৬ ) ‘ হেমহর্ম ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ স্বনির্মিত অট্টালিকা ।
৪৭ ) ‘ আবিল ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ কলুষিত ।
৪৮ ) ‘ শৃঙ্গধর ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ পর্বত ।
৪৯ ) ‘ অবলেপে ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ সগর্বে / সদর্পে ।
৫০ ) ‘ কৌমুদি ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ জ্যোৎনা ।
৫১ ) ‘ কুমুদ ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ পদ্ম ।
৫২ ) ‘ কুন্জর ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ হাতি ।
৫৩ ) ‘ সাদী ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ অশ্বারোহী সেনা ।
৫৪ ) ‘ শূর ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ বীর ।
৫৫ ) ‘ মকর ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ সমুদ্র ।
৫৬ ) ‘ প্রভন্জ ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ প্রবল ��ায়ু ।
৫৭ ) ‘ নিগর ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ শৃঙ্খল ।
৫৮ ) ‘ বীতংস ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ পাখি ধরার ফাঁদ ।
৫৯ ) ‘ ভাল ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ কপাল ।
৬০ ) ‘ বারীন্দ্র ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ সমুদ্র ।
৬১ ) ‘ নীবার ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ উড়িধান / তৃণধান্য ।
৬২ ) ‘ আতপ ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ সূর্য কিরণ ।
৬৩ ) ‘ বহুব্যীহি ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ বহুধান ।
৬৪ ) ‘ কেওয়াট ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ কপাট ।
৬৫ ) ‘ বিরাগী ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ উদাসীন ।
৬৬ ) ‘ প্রাকৃত ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ স্বাভাবিক ।
৬৭ ) ‘ জঙ্গম ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ গতিশীল ।
৬৮ ) ‘ প্রথিত ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ বিখ্যাত ।
৬৯ ) ‘ শ্মশ্রু ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ গোঁফদাড়ি ।
৭০ ) ‘ শ্বশ্রু ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ শাশুড়ি ।
৭১ ) ‘ গন্ডগ্রাম ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ বৃহৎ গ্রাম ।
৭২ ) ‘ নির্মোক ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ সাপের খোলস ।
৭৩ ) ‘ অভিনিবেশ ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ মনোযোগ ।
৭৪ ) ‘ কপোল ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ গন্ডোদেশ ।
৭৫ ) ‘ মার্জার ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ বিড়াল ।
৭৬ ) ‘ শম ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ শান্তি ।
৭৭ ) ‘ আহব ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ যুদ্ধ ।
৭৮ ) ‘ কুন্ডুয়ান ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ কুন্ডলী পাকান ।
৭৯ ) ‘ আকাল ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ দুভিক্ষ ।
৮০ ) ‘ ওদন ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ ভাত ।
৮১ ) ‘ উর্ণনাভ ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ মাকড়সা ।
৮২ ) ‘ গবাক্ষ ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ জানালা ।
৮৩ ) ‘ পল্লবগ্রহিতা ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ ভাসা ভাসা জ্ঞান ।
৮৪ ) ‘ কুন্ডলিক ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ অন্যের লেখা চুরি করে নজের নামে যে চালায় ।
৮৫ ) ‘ অভিধান ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ শব্দার্থ ।
৮৬ ) ‘ বিবর্ধন ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫উত্তেজনা ।
৮৭ ) ‘ বীচী ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ তরঙ্গ ।
৮৮ ) ‘ শম্বর ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ হরিণ ।
৮৯ ) ‘ মকমক ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ ব্যাঙের ডাক ।
৯০ ) ‘ খপোত ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ উড়োজাহাজ ।
৯১ ) ‘ হায়দর ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ ব্যাঘ্র / সিংহ ।
৯২ ) ‘ বহিত্র ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ নৌকা ।
৯৩ ) ‘ অদ্রি ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ পর্বত ।
৯৪ ) ‘ শরণি ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ সড়ক / পথ ।
৯৫ ) ‘ শীকর ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ জলকন্যা ।
৯৬ ) ‘ শীল ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ চরিত্র ।
৯৭ ) ‘ আভরণ ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ অলংকার ।
৯৮ ) ‘ দামিনী ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ বিদ্যুৎ ।
৯৯ ) ‘ বেসাতি ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ কেনাবেচা ।
১০০ ) ‘ সৎকার ’ শব্দের অর্থ কি ? ➫ সমাদর / আপ্যায়ন
2 notes
·
View notes
Text
youtube
সূরা আল-মাউন Ayah: 1 أَرَءَيۡتَ ٱلَّذِي يُكَذِّبُ بِٱلدِّينِ আপনি কি দেখেছেন [১] তাকে, যে দীনকে [২] অস্বীকার করে? সূরা সম্পর্কিত তথ্য: ১০৭- সূরা আল-মাউন ৭ আয়াত, মক্কী এ সূরায় বেশ কয়েকটি বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। এতিম ও মিসকিনদেরকে খাদ্য দানে উৎসাহিত করা হয়েছে; সালাত আদায়ের ক্ষেত্রে গুরুত্ব ও মনোযোগ দিতে বলা হয়েছে; ইখলাসের সাথে সালাত ও অন্যান্য ইবাদত পালনের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে; ছোট-খাটো জিনিস ধার দেয়ার মাধ্যমে মানুষের উপকার করার কথা বলা হয়েছে। কেননা যারা এগুলো করে না, এ-সূরায় তাদেরকে আল্লাহ্ তা‘আলা তিরস্কৃত করেছেন। [সাদী] ------------------------ [১] এখানে বাহ্যত সম্বোধন করা হয়েছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে। কিন্তু কুরআনে বর্ণনাভঙ্গী অনুযায়ী দেখা যায়, এসব ক্ষেত্রে সাধারণত প্রত্যেক জ্ঞান-বুদ্ধি ও বিচার-বিবেচনা সম্পন্ন লোকদেরকেই এ সম্বোধন করা হয়ে থাকে। ��র দেখা মানে চোখ দিয়ে দেখাও হয়। কারণ সামনের দিকে লোকদের যে অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে তা প্রত্যেক প্রত্যক্ষকারী স্বচক্ষে দেখে নিতে পারে। আবার এর মানে জানা, বুঝা ও চিন্তা-ভাবনা করাও হতে পারে। [ফাতহুল কাদীর] [২] এ আয়াতে “আদ-দীন” শব্দটির অর্থ আখেরাতে কর্মফল দান এবং বিচার। অধিকাংশ মুফাসসির এমতটিই গ্ৰহণ করেছেন। [ইবন কাসীর, কুরতুবী, মুয়াসসার] Arabic explanations of the Qur’an: Ayah: 2 فَذَٰلِكَ ٱلَّذِي يَدُعُّ ٱلۡيَتِيمَ সে তো সে-ই, যে ইয়াতীমকে রূঢ়ভাবে তাড়িয়ে দেয় [১] [১] এখানে يدعُّ বলা হয়েছে। এর অর্থ, রূঢ়ভাবে তাড়ানো, কঠোরভাবে দূর করে দেয়া। এতিমদের প্রতি অসদাচরণ করা, তাদের প্রতি দয়া না করে কঠোরভাবে ধিক্কার ও যুলুম করা, তাদেরকে খাদ্য দান না করা এবং তাদের হক আদায় না করাই এখানে উদ্দেশ্য। [মুয়াসসার, ইবন কাসীর, তাবারী] জাহিলিয়াতের যুগে এতিম ও নারীদের উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হত আর বলা হত, যারা তীর-বর্শা নিক্ষেপ করে এবং তরবারী দিয়ে যুদ্ধ করে তারাই শুধু সম্পত্তি পাবে। কিন্তু পরবর্তীতে ইসলাম এ ধরনের প্রথা বাতিল করে দিয়েছে। [কুরতুবী] Ayah: 3 وَلَا يَحُضُّ عَلَىٰ طَعَامِ ٱلۡمِسۡكِينِ আর সে উদ্ধুদ্ধ করে না [১] মিসকীনদের খাদ্য দানে। [১] لَا يَحُضُّ শব্দের মানে হচ্ছে, সে নিজেকে উদ্ধুদ্ধ করে না, নিজের পরিবারের লোকদেরকেও মিসকিনের খাবার দিতে উদ্ধুদ্ধ করে না এবং অন্যদেরকেও এ ব্যাপারে উৎসাহিত করে না যে, সমাজে যেসব গরীব ও অভাবী লোক অনাহারে মারা যাচ্ছে তাদের হক আদায় করো এবং তাদের ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য কিছু করো। কারণ, তারা কৃপণ এবং আখেরাতে অবিশ্বাসী। [ফাতহুল কাদীর] Ayah: 4 فَوَيۡلٞ لِّلۡمُصَلِّينَ কাজেই দুর্ভোগ সে সালাত আদায়কারীদের, Ayah: 5 ٱلَّذِينَ هُمۡ عَن صَلَاتِهِمۡ سَاهُونَ যারা তাদের সালাত সম্বন্ধে উদাসীন, Ayah: 6 ٱلَّذِينَ هُمۡ يُرَآءُونَ যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে [১] [১] এটা মুনাফিকদের অবস্থা। তারা লোক দেখানোর জন্যে এবং মুসলিম হওয়ার দাবী সপ্রমাণ করার জন্য সালাত পড়ে। কিন্তু সালাত যে ফরয, এ বিষয়ে তারা বিশ্বাসী নয়। ফলে সময়ের প্রতিও লক্ষ্য রাখে না এবং আসল সালাতেরও খেয়াল রাখে না। লোক দেখানোর জায়গা হলে পড়ে, নতুবা ছেড়ে দেয়। আর সালাত আদায় করলেও এর ওয়াজিবসমূহ, শর্ত ইত্যাদি পূর্ণ করে না। আসল সালাতের প্রতিই ভ্ৰক্ষেপ না করা মুনাফিকদের অভ্যাস এবং ساهون শব্দের আসল অর্থ তাই। সালাতের মধ্যে কিছু ভুল-ভ্ৰান্তি হয়ে যাওয়ার কথা এখানে বোঝানো হয়নি। কেননা এজন্যে জাহান্নামের শাস্তি হতে পারে না। এটা উদ্দেশ্য হলে عَن صَلَاتِهِمۡ এর পরিবর্তে فِىْ صَلَا تِهِمْ বলা হত। সহীহ হাদীস সমূহে প্রমাণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনেও একাধিকবার সালাতের মধ্যে ভুলচুক হয়ে গিয়েছিল। [কুরতুবী, ইবন কাসীর] Ayah: 7 وَيَمۡنَعُونَ ٱلۡمَاعُونَ এবং মা‘উন [১] প্ৰদান করতে বিরত থাকে। [১] ماعون শব্দের অর্থ অধিকাংশ মুফাসসিরদের নিকট যৎকিঞ্চিৎ ও সামান্য উপকারী বস্তু। মূলতঃ মাউন ছোট ও সামান্য পরিমাণ জিনিসকে বলা হয়। এমন ধরনের জিনিস যা লোকদের কোনো কাজে লাগে বা এর থেকে তারা ফায়দা অর্জন করতে পারে। অধিকাংশ তাফসীরকারের মতে, সাধারণত প্রতিবেশীরা একজন আর একজনের কাছ থেকে দৈনন্দিন যেসব জিনিস চেয়ে নিয়ে থাকে, যেগুলোর পারস্পরিক লেন-দেন সাধারণ মানবতারূপে গণ্য হয়; যথা কুড়াল, কোদাল অথবা রান্না-বান্নার পাত্ৰ এ সবই মাউনের অন্তরভুক্ত। প্রয়োজনে এসব জিনিস প্রতিবেশীর কাছ থেকে চেয়ে নেয়া দোষণীয় মনে করা হয় না। কেউ এগুলো দিতে অস্বীকৃত হলে তাকে বড় কৃপণ ও নীচ মনে করা হয়। আবার কারও কারও মতে আলোচ্য আয়াতে ماعون বলে যাকাত বোঝানো হয়েছে। যাকাতকে ماعون বলার কারণ সম্ভবত এই যে, যাকাত পরিমাণে আসল অর্থের তুলনায় খুবই কম (অর্থাৎ চল্লিশ ভাগের এক ভাগ) হয়ে থাকে। ব্যবহার্য জিনিসপত্র অপরকে দেয়া খুব সও
#বাংলা কুরআন#الفيل#Al-Maun#Bengali Quran#Al Quran Translation#Quran Translations#Translations Of Quran#Quran Translation In Many Language#Quran Recitaion#Beautiful Quran Recitaion#Abdul Aziz Al turky#Al Quran Translation In All Languages#Quran Recitation In Bengali#Translation Of Quran In Bengali#Quran For Kids#Bengali explanations of the Qur’an#Quran Bengali Translation#Bengali Translation Of Quran#Quran Translation In Bengali#Al Quran Karim#Quran Majid#Youtube
0 notes
Text
এশিয়ার সেরা ১০০ মেধাবী তরুণের তালিকায় নাটোরের তামিম
এশিয়ার সেরা ১০০ মেধাবী তরুণের তালিকায় নাটোরের তামিম
সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২ সত্যখবর ডেস্ক : এশিয়ার সেরা ১০০ মেধাবী তরুণের তালিকায় উঠে এসেছে নাটোরের সিংড়া উপজেলার মেধাবী তরুণ সাদী মুহাম্মদ তামিমের নাম। সমাজে অসামান্য অবদান এবং অনুপ্রেরণামূলক জীবন গল্পের কারণে যাচাই-বাছাই শেষে ‘মনস্টা এশিয়া’ কর্তৃক ‘দ্য এশিয়া ইয়াং ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ডস’ এর জন্য নির্বাচিত হন সাদী মুহাম্মদ তামিম। বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত ১০ জনের মধ্যে তামিম একজন। এছাড়া ‘মনস্টা এশিয়া’র…
View On WordPress
0 notes
Text
বিস্তারিত দেখুনঃ-
Hanif
sm40.com
# 12_Shareef
# Sunnat.info
# 90days_mahfil
# ৯০দিনব্যাপী_মাহফিল
# সাইয়্যিদুল_আইয়াদ_শরীফ
# Saiyidul_Aayaad_Shareef
# পবিএ_রাজারবাগ_দরবার_শরীফ
ওহাবী গুরু ইবনে তাইমিয়া ও আব্দুল ওহাব নজদীর ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষে ফতোয়া
=================================================
বর্তমানে যারা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারাই স্বীকার করবে তাদের একমাত্র পছন্দনীয় ইমাম হচ্ছে ইবনে তাইমিয়া ও আব্দুল ওহাব নজদী। এরা ইমামে আযম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে শুরু করে সকল ইমাম মুস্তাহিদ আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগন উনাদের বিরোধীতা করলেও ইবনে তাইমিয়া ও আব্দুল ওহাব নজদীর কোন বিরোধীতা করে না। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে তাদের কোন ফতোয়া যদি নিজেদের মন মত না হয় তবে সেটা সযত্নে গোপন করে রাখে। কিন্তু সত্য কি গোপন রাখা যায়?
ওহাবীদের গুরু ইবনে তাইমিয়া (১২৬৩খৃঃ –১৩২৮খৃঃ) তার “ইক্ত��দায়ে সিরাতে মুস্তাকীম” কিতাবে লিখেছে,
“যদি মিলাদ মাহফিল নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ভালবাসা ও সম্মান প্রদর্শনের জন্য করা হয়ে থাকে তবে মহান আল্লাহ পাক এ মুহাব্বত ও সম্মান প্রদর্শনের কারণে সওয়াব বা প্রতিদান দেবেন।” (দলীলঃ ইক্তিদায়ে সিরাতে মুস্তাকীম পৃঃ ৩১৩)।
একই কিতাবের অন্যত্র সে লিখেছে, “বরং ঐ দিনে (রাসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্মদিনে) পরিপূর্ণরূপে অনুষ্ঠান করা এবং এ দিনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা, উত্তম নিয়ত এবং হুজুরে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি মুহাব্বত প্রদর্শন বড় প্রতিদানের কারন হবে।” (দলীলঃ ইক্তিদায়ে সিরাতে মুস্তাকীম পৃঃ ৩১৫)।
ওহাবীদের নেতা মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওহাব নজদী (১৭০৩খৃঃ-১৭৯২খৃঃ) তার কিতাব “মুখতাসার সিরাতে রাসুল” এ লিখেছে, “কট্টর কাফির আবু লাহাব রাসুলে কারিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র জন্মের সুসংবাদ শুনে মনের খুশীতে নিজ দাসী সুয়ায়বা রদ্বিয়াল্লাহু আনহা কে মুক্তি দেয়ার কারনে সে প্রতি সোমবার (নবীজীর বেলাদত শরীফের দিন) দোযখে থেকেও শান্তিদায়ক পানীয় পেয়ে থাকে।
উল্লেখ্য , আব্দুল ওহাব নজদী আবু লাহাবের শাস্তি হ্রাসের বিষয় উল্লেখ করে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের গুরুত্বের কথা স্বীকার করে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, সে শামসুদ্দীন নাসের দামিস্কির কিতাব ‘মওরদুস সাদী ফি মওলদিল হাদী’ থেকে এ ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে এবং সেখানে দামিস্কি রহমতুল্লাহি আলাইহি এর রচিত শেরটি ও হুবহু উদ্ধৃত করেছে।
বিরোধিতাকারীদের কাছে জানতে চাই , আপনারা কুরআন শরীফের দলীল মানেন না…তাফসিরের দলীল মানেন না … হাদীস শরীফ এর দলীল মানেন না…ইমাম মুস্তাহিদের ঐক্যমত্যের দলীল মানেন না…. মানবেন না এটাই স্বাভাবিক। কারন অস্বীকার কারী দুনিয়াতে সব সময়ই ছিলো, কিয়ামত পর্যন্ত থাকবে।তাই বলে কি এখন নিজেদের মুরুব্বীদের ফতোয়াও মানবেন না ? তাহলে মানবেন কাকে ?
#12shareef
#Saiyidul_Aayaad_Shareef
#সাইয়্যিদুল_আইয়াদ_শরীফ
0 notes
Text
নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হলেন বাংলাদেশী চিকিৎসক রায়ান সাদী
নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হলেন বাংলাদেশী চিকিৎসক রায়ান সাদী
অনলাইন ডেস্ক: চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন বাংলাদেশি চিকিৎসক রায়ান সাদী। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) কে-৪০ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। শনিবার (১ অক্টোবর) বিকেলে ডা. দীপু মনি তার ফেসবুক ভেরিফাইড পেজে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে ডা. দীপু মনি লিখেছেন, আমাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজের কে-৪০ ব্যাচের বন্ধু রায়ান সাদী এমডি, এমপিএইচ, চেয়ারম্যান ও…
View On WordPress
0 notes
Link
নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) সাবেক শিক্ষার্থী ডা. রায়ান সাদী। তিনি ঢামেকের কে-৪০ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন
0 notes
Text
ঠাকুরগাঁও গড়েয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জরিমানা
ঠাকুরগাঁও গড়েয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জরিমানা
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার অভিযানে ২ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ৬ ���েপ্টেম্বর মঙ্গল বার সদর উপজেলার গড়েয়া হাটের প্রতিষ্ঠান সমূহকে জরিমানা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শেখ সাদী।জানা যায়, ওই দিন সদর উপজেলার গড়েয়া হাটের চালের দোকান মেসার্স রাবেয়া চাল স্টোর প্রোপাইটার…
View On WordPress
0 notes