#সাওয়াব
Explore tagged Tumblr posts
irdfoundation · 1 year ago
Text
ইসলামে গুনাহে জারিয়া: এর পরিণাম ও বাঁচার উপায় | Gunahe Jariya in Islam: Consequences, How to Avoid
ইসলামে গুনাহে জারিয়ার কথা আপনি কতটা জানেন? এই শর্ট ভিডিওতে, এর ভয়াবহ পরিণাম এবং কীভাবে আমরা এটি থেকে বাঁচতে পারি, সে সম্পর্কে জানুন। কুরআন-হাদিসের আলোকে ইসলামী শিক্ষা নিন এবং নিজেকে ও আপনার প্রিয়জনদের রক্ষা করুন। এখনই দেখুন এবং শেয়ার করুন!
এমন আরও হাদিস জানতে ঘুরে আস্তে পারেন, আল হাদিসঃ https://ihadis.com/ এই ওয়েবসাইটিতে।
এছাড়াও ভিজিট করেতে পারেনঃ
কোরআন মাজিদঃ https://quranmazid.com/
দোয়া ও রুকাইয়াঃ https://duaruqyah.com/
IRD Foundation: https://irdfoundation.com/
0 notes
prankyboys · 2 years ago
Text
কুরবানী না দিয়েও কুরবানীর সাওয়াব। Pranky Boys Shorts
0 notes
ynx1 · 4 years ago
Text
জাফর আস-সাদিক রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন :
তাক্বওয়ার চেয়ে বেশি সাওয়াব অর্জনের আর কোন উপায় নেই।নীরবতার চেয়ে ভালো আর কিছু নেই (যখন কথা বলার সময় কোন উপকার নেই)। এবং অজ্ঞতার চেয়ে ক্ষতিকারক আর ক���ন শত্রু নেই।
[ সিরুন আলামু আন-নুবালা ৬/২৬৩ ]
অনুবাদক : তারিক সাফওয়ান
1 note · View note
afrozakhatunworld-blog · 5 years ago
Link
ইসলাম নারী জাতিকে দান করেছে এক বিশেষ মর্যাদা। একমাত্র ইসলামই প্রতিষ্ঠা করেছে নারীর পূর্ণ অধিকার। তাকে দিয়েছে তার নিজস্ব গন্ডিতে ব্যাপক স্বাধীনতা। মহান রবের পক্ষ থেকে নারী পুরুষের মাঝে সাওয়াব ও প্রতিদানের ক্ষেত্রে কোন প্রকার তারতম্য সৃষ্টি করা হয়নি।
1 note · View note
israfil625 · 6 years ago
Text
মৃত্যু পরবর্তী বিদআতী আমলসমূহ
মৃত্যু পরবর্তী বিদআতী��আমলসমূহ
সংকলনেঃ মোহাম্মাদ ইস্রাফিল হোসাইন।
মৃত্যু জন্য ইছালে সাওয়াব এর নামে বিভিন্ন বিদআতী আমল করে থাকে।
আপন জন বিশেষ করে পিতা মাতার প্রতি সবার ভালবাসা থাকে অসীম। তাদের জন্য ভাল কিছু একটা করা সকলের কাম্য বিশেষ করে তাদের মৃত্যুর পর, সংসারে ভাল কোন কাজ হলে বা সংসারে উন্নতী হলে তাদের কথা আরও বেশী মনে পরে। তখন তাদের জন্য কিছু একটা করার অপরিসীম ইচ্ছা জাগে কিন্তু তারা যে আর পৃথিবীতে নেই। তাই তাদের জান্য কিছু…
View On WordPress
2 notes · View notes
khutbahs · 3 years ago
Photo
Tumblr media
বাবা মার জন্য সন্তানের দোয়া ও ১২ করণীয়
দুনিয়ার জীবনে সন্তানের জন্য শ্রেষ্ঠ সম্পদ বাবা-মা। যার বাবা-মা বেঁচে নেই দুনিয়তে ওই ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি অসহায়। বাবা-মার অভাব কখনো ধন-সম্পদ দিয়ে হয় না। বাবা-মার অভাব পূরণে কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনাও চলে না। সে কারণেই বাবা-মার জীবিত থাকুক আর না থাকুক তাদের জন্য সব সময় আল্লাহর কাছে দোয়া করার বিকল্প নেই। আবার মৃত বাবা-মার জন্য কুরআন-সুন্নাহ নির্দেশিত অনেক করণীয় রয়েছে। কী সেই করণীয়?
বাবা মার জন্য দোয়া আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে বাবা-মার জন্য বিশেষ ৩টি দোয়া উল্লেখ করেছেন। বাবা জীবিত থাকুক আর না থাকুক, তাদের জন্য সব সময় কুরআনে বর্ণিত দোয়াগুলো জরুরি। এ সব দোয়ায় আছে নিজেদের জন্য কল্যাণ পাওয়া ঘোষণা। তাহলো- ১. رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا উচ্চারণ : ‘রাব্বির হাম��ুমা কামা রাব্বায়ানি সাগিরা।’ অর্থ : (হে আমাদের) পালনকর্তা! তাদের উভয়ের প্রতি দয়া কর; যেভাবে তারা আমাকে শৈশবে লালন-পালন করেছেন।’ (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ২৪)
২. رَبَّنَا ٱغْفِرْ لِى وَلِوَٰلِدَىَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ ٱلْحِسَابُ উচ্চারণ : ‘রাব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়্যা ওয়া লিলমুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।’ অর্থ : ‘হে আমাদের রব! যেদিন হিসাব কায়েম হবে, সেদিন আপনি আমাকে, আমার বাবা-মাকে ও মুমিনদেরকে ক্ষমা করে দেবেন।’ (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ৪১)
৩. رَّبِّ ٱغْفِرْ لِى وَلِوَٰلِدَىَّ وَلِمَن دَخَلَ بَيْتِىَ مُؤْمِنًا وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَٱلْمُؤْمِنَٰتِ وَلَا تَزِدِ ٱلظَّٰلِمِينَ إِلَّا تَبَارًۢا উচ্চারণ : ‘রাব্বিগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়্যা ওয়া লিমান দাখালা বাইতিয়া মুমিনাও ওয়া লিলমুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত ওয়া লা তাযিদিজ জ্বালিমিনা ইল্লা তাবারা।’ অর্থ : ‘হে আমার রব! আমাকে, আমার বাবা-মাকে, যে আমার ঘরে ঈমানদার হয়ে প্রবেশ করবে তাকে এবং মুমিন নারী-পুরুষকে ক্ষমা করুন আর আপনি জালিমদের ধ্বংস ছাড়া আর কিছুই বাড়িয়ে দেবেন না।’ (সুরা নুহ : আয়াত ২৮)
বাবা-মার জন্য করণীয় দুনিয়ার সবচেয়ে মধুময় শব্দ ‘বাবা ও মা’। শব্দ দুইটির কোনো পরিমাপ বা তুলনা হয় না। কেননা প্রতিটি বাবা-মা সন্তানের জন্য যে অকৃত্রিম ভালো ও শ্রম দেন তা পরিমাপ করার কোনো উপায় নেই। সে কারণে বাবা-মার জন্য সন্তানের রয়েছে বেশ কিছু করণীয়। তাহলো-
১. বাবা-মার জন্য দান-সাদকাহ করা বাবা-মা বেঁচে থাকতে সন্তানের যত্ন নিতে গিয়ে কিংবা কোনো কারণে দান-সাদকাহ করে যেতে পারেননি অথবা বেঁচে থাকলে হয়তো আরও বেশি দান-সদকাহ করতেন। সে জন্য বাবা-মার পক্ষ থেকে সন্তানের উচিত বেশি বেশি দান করা। হাদিসে এসেছে- হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! হঠাৎ করে আমার মা মারা গেছেন এবং কোনো ওয়াসিয়ত করে যেতে পারেননি। আমার মনে হয়- তিনি যদি কথা বলতে পারতেন তাহলে ওয়াসিত করে যেতেন। এখন আমি যদি তার পক্ষ থেকে সাদকাহ করি তাহলে কি তিনি এর সাওয়াব পাবেন? উত্তরে তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ’।’ (মুসলিম)
সুতরাং বাবা-মার জন্য সাদকায়ে জারিয়া করাই উত্তম। তা হতে পারে- পানির কুপ খনন করা, (নলকুপ বসানো), দ্বীনী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা, কুরআন শিক্ষার জন্য মক্তব ও প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, স্থায়ী জনকল্যাণমূলক কাজ করা ইত্যা��ি কাজ করা।
২. মা-বাবার জন্য রোজা রাখা মা-বাবা জীবিত নেই। যদি তাদের কোনো মানতের বা কাজা রোজা থাকে তবে তাদের পক্ষ থেকে এ রোজা পালন করার নির্দেশ রয়েছে হাদিসে। এতে তাদের মানতের ও কাজা রোজা আদায় হয়ে যাবে। এছাড়াও সন্তানরা তাদের উদ্দেশ্যে যে কোনো দিনে রোজা রাখতে পারেন। হাদিসে এসেছে- হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘রোজার কাজা (যিম্মায়) রেখে যদি কোনো ব্যক্তি মারা যায় তবে তার অভিভাবক (রেখে যাওয়া সন্তান বা আপনজন) তার পক্ষ থেকে সওম বা রোজা আদায় করবে।’ (বুখারি)
তবে অনেক ইসলামিক স্কলার বাবা-মার জন্য সন্তানের রোজা রাখার বিষয়ে শুধু ফরজ ও ওয়াজিব রোজা রাখার বিষয়টি নির্ধারণ করেছেন। নফল রোজা রাখার ব্যাপারে কোনো প্রমাণ যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন।
৩. বাবা-মার জন্য হজ ও ওমরাহ করা মা-বাবার পক্ষ থেকে হজ ও ওমরাহ করা। বাবা-মার উদ্দেশ্যে হজ ও ওমরাহ করলে তা আদায় হয়ে যাবে। হাদিসে এসেছে- হজরত ইবনে আববাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, জুহাইনা গোত্রের এক নারী রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বললেন, আমার মা হজের মান্নত করেছিলেন; তবে তিনি হজ করার আগেই ইন্তেকাল করেছেন। আমি কি তার পক্ষ থেকে হজ করতে পারি? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘তার পক্ষ থেকে তুমি হজ আদায় কর। তুমি এ ব্যাপারে কি মনে কর যে, ‘যদি তোমার মার উপর কোনো ঋণ থাকত, তাহলে কি তুমি তা আদায় করতে না?
সুতরাং আল্লাহর হক (হজের মান্নত) আদায় করে দাও। কেননা আল্লাহর হকই সবচেয়ে বেশি আদায়যোগ্য।’ (বুখারি)
তবে বাবা-মার পক্ষ থেকে হজ আদায় করার আগে নিজের হজ বা ওমরাহ আদায় করতে হবে। নিজের হজ-ওমরাহ আদায়ের পর বাবা-মার পক্ষ থেকে হজ ও ওমরাহ আদায় করবে।
৪. মা-বাবার জন্য কুরবানি মৃত বাবা-মার জন্য সাওয়াবের উদ্দেশ্যে বাবা-মার পক্ষ থেকে সন্তনরা কুরবানি করতে পারবে। তাতে তারা সাওয়াবের অধিকারী হবে। হাদিসে এসেছে- হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরবানি করার জন্য দুই শিং বিশিষ্ট দুম্বা আনতে আদেশ দেন। যেটি কালোর মধ্যে চলাফেরা করতো (সেটির পায়ের গোড়া কালো ছিল)। কালোর মধ্যে শুইতো (পেটের নিম্নাংশ কালো ছিল)। আর কালোর মধ্য দিয়ে দেখতো (চোখের চারদিকে কালো ছিল)। সেটি আনা হলে তিনি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে বললেন, ‘ছুরিটি নিয়ে এসো। তারপর বললেন, ওটা পাথরে ধার দাও। আমি (হজরত আয়েশা) ধার দিলাম। পরে তিনি সেটি নিলেন এবং দুম্বাটি ধরে শোয়ালেন। অতঃপর সেটা জবেহ করলেন এবং বললেন- بِاسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنْ مُحَمَّدٍ وَآلِ مُحَمَّدٍ وَمِنْ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ অর্থ : আল্লাহর নামে (জবাই করছি)। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মদ, মুহাম্মাদ পরিবার ও তার উম্মাতের পক্ষ থেকে এটা কবুল করে নাও। এরপর এটা কুরবানি করেন।’ (মুসলিম)
৫. বাবা-মার ওসিয়ত পূরণ করা বাবা-মা যদি ইসলামি শরিয়ত সম্মত কোনো ওসিয়ত করে যান তবে তা পূরণ করা সন্তানের ওপর আবশ্যক। হাদিসে এসেছে- হজরত শারিদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, তাঁর মা তাঁকে তাঁর (মায়ের) পক্ষ থেকে এ��জন মুমিন দাসী আজাদ করার জন্য ওসীয়ত করে যান। তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছ উপস্থিত হয়ে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমার মা (তাঁর মৃত্যুর সময়) তাঁর পক্ষে একজন মুমিন দাসী আজাদ করার জন্য ওসিয়ত করে গেছেন। এখন আমার কাছে হাবশের 'নূবিয়্যা' অঞ্চলের একজন দাসী আছে। এরপর আগের হাদিসে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে, তাহলো- ‘তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তাঁকে আমার কাছে নিয়ে আস। রাবি বলেন, তখন আমি তাকে নিয়ে আস। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করেন- আল্লাহ কোথায়? সে বলে, আসমানে। এরপর তিনি জিজ্ঞাসা করেন- আমি কে? সে বলে, আপনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘তাকে আজাদ করে দাও। সে মুমিন।’ (আবু দাউদ)
৬. বাবা-মার বন্ধু-বান্ধবীদের সম্মান করা বাবা-মার বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা, উত্তম আচরণ করা, সম্মান করা এবং তাদেরকে দেখতে যাওয়া ও তাদের জন্য হাদিয়া (উপহার) নেওয়া। হাদিসে এসেছে- হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, মক্কার এক রাস্তায় আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর সঙ্গে এক বেদুঈনের দেখা হলো। আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু তাকে সালাম দিলেন এবং তিনি যে গাধার পিঠে আরোহণ করতেন, সে গাধটি তাকে আরোহণের জন্য দিয়ে দিলেন। তিনি তার মাথার পাগড়ীটিও তাকে দান করলেন।
তখন (উপস্থিত) আব্দুল্লাহ ইবনে দীনার রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাকে বললেন যে, আমরা তাকে বললাম- ‘আল্লাহ আপনার কল্যাণ করুন। বেদুঈনরা তো অল্পেই সন্তুষ্ট হয়ে যায়। (এতো দেওয়ার প্রয়োজন কী ছিল?) তখন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, এ ব্যক্তির (বেদুইনের) বাবা ওমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুর বন্ধু ছিলেন।
আর আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, ‘কোনো ব্যক্তির সর্বোত্তম নেকির কাজ হচ্ছে তার বাবার বন্ধুর সঙ্গে সহমর্মিতার সম্পর্ক বজায় রাখা।’(মুসলিম)
৭. বাবা-মার আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা বাবা-মার আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা সন্তানের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে বিশ্বনবি বলেছেন- مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَصِلَ أَبَاهُ فِي قَبْرِهِ،فَلْيَصِلْ إِخْوَانَ أَبِيهِ بَعْدَهُ ‘যে ব্যক্তি তার বাবার সঙ্গে কবরে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে ভালোবাসে, সে যেন বাবার মৃত্যুর পর তার ভাইদের সাথে সুসম্পর্ক রাখে।’ (ইবন হিববান)
৮. বাবা-মার ঋণ পরিশোধ করা দুনিয়াতে বেঁচে থাকাকালীন সময়ে বাবা-মা কোনো ঋণ করার পর তা পরিশোধ করার আগে মারা গেলে সন্তানের জন্য আবশ্যক বাবা-মার ঋণ পরিশোধ করা। কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঋণ পরিশোধ করার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। হাদিসে এসেছে- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মুমিন ব্যক্তির রূহ তার ঋণের কারণে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে, যতক্ষণ না তা পরিশোধ করা হয়।’ (ইবনে মাজাহ)
এমনকি ঋণ পরিশোধ না করার কারণে জান্নাতের ��াওয়ার পথও বন্ধ হয়ে যায়; যদি সে আল্লাহর রাস্তায় শহিদও হয়। হাদিসে এসেছে- ‘যতক্ষণ পর্যন্ত বান্দার ঋণ পরিশোধ না করা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’ (নাসাঈ, তাবরানি, মুসতাদরাকে হাকেম)
৯. বাবা-মার কাফফারা আদায় করা শপথ, ভুলকৃত হত্যাসহ যে কোনো কারণে যদি বাবা-মার কাফফারা বাকি থাকে তবে তা আদায় করা সন্তানের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য। হাদিসে এসেছে- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে গভীর রাত পর্যন্ত দেরি করে (ইশার নামাজ পড়ে)। এরপর তার পরিবারের কাছে গিয়ে দেখে যে, বাচ্চারা ঘুমিয়ে পড়েছে। তার স্ত্রী তার খাবার নিয়ে এলে সে সন্তানদের কারণে কসম করলো যে, সে খাবে না। পরে তার ভাবান্তর ঘটলো এবং সে খেয়ে নিল। তারপর সে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে আসে ও তাঁকে এ ঘটনা বলে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, যে ব্যক্তি কোনো বিষয়ে কসম করে, পরে তার বিপরীতটিকে তা থেকে উত্তম মনে করে, সে যেন তা করে ফেলে এবং নিজের কসমের কাফফারা দেয়।’ (মুসলিম)
কাফফারার এ বিধান জীবিত-মৃত সবার জন্য সমভাবে প্রযোজ্য। যদি কোনো বাবা-মার এ রকম কোনো কাফফারা বাকি থাকে তবে সন্তানের ওপর তা আদায় করা আবশ্যক।
১০. বাবা-মার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা মা-বাবার জন্য আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করা গুরুত্বপূর্ণ আমল। সন্তান মা-বাবার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাআলা তাদের মর্যাদা বাড়িয়ে দেন। হাদিসে এসেছে- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, মৃত্যুর পর কোনো বান্দাহর মর্যাদা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। তখন সে বলে- হে আমার রব! আমি তো এতো মর্যাদার আমল করিনি, কীভাবে এ আমল এলো? তখন বলা হবে- তোমার সন্তান তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করায় এ মর্যাদা তুমি পেয়েছ।’ (আদাবুল মুফরাদ)
১১. বাবা-মার কবর জিয়ারত করা বাবা-মার কবর জিয়ারত করা সন্তানের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য। এর মাধ্যমে সন্তান এবং মা-বাবা উভয়ই উপকৃত হয়। হাদিসে এসেছে- হজরত সুলাইমান ইবনে বুরাইদা রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তার বাবার সূত্রে বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমি তোমাদের কবর জিয়ারাত করতে নিষেধ করেছিলাম। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তার মায়ের কবর জিয়ারত করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সুতরাং তোমরা কবর জিয়ারত কর। কেননা, তা পরকালের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।’ (তিরমিজি)
তবে কবর জিয়ারতে কোনো দিনকে নির্দিষ্ট না করা উত্তম। কবর জিয়ারত করার সময় এ দোয়া পড়া- السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ لَلَاحِقُونَ أَسْأَلُ اللَّهَ لَنَا وَلَكُمْ الْعَافِيَةَ উচ্চারণ :‘ আস-সালামু আলাইকুম আহলাদদিয়ারি মিনাল মুমিনিনা ওয়াল মুসলিমনিা ওয়া ইন্না ইনশাআল্লাহু লা লাহিকুনা আসআলুল্লাহু লানা ওয়া লাকুমুল আফিয়াতি।’ অর্থ : ‘হে ক্ববরবাসী ঈমানদার মুসলিমগণ! তোমাদের প্রতি শান্তি ব��্ষিত হোক। আল্লাহর ইচ্ছায় আমরাও তোমাদের সাথে মিলিত হব। আমি ��মাদের ও তোমাদের জন্য আল্লাহর কাছে নিরাপত্তার আবেদন জানাচ্ছি।’ (মুসলিম)
১২. কোনো গোনাহের কাজ করে গেলে তা বন্ধ করা বাবা-মা বেঁচে থাকতে কোনো গোনাহের কাজের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলে বা চালু করে গেলে তা বন্ধ করা আবশ্যক। হাদিসে এসেছে- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে লোক সঠিক পথের দিকে ডাকে তার জন্য সে পথের অনুসারীদের প্রতিদানের সমান প্রতিদান রয়েছে। এতে তাদের প্রতিদান হতে সামান্য ঘাটতি হবে না। আর যে লোক বিভ্রান্তির দিকে ডাকে তার উপর সে রাস্তার অনুসারীদের পাপের অনুরূপ পাপ বর্তাবে। এতে তাদের পাপরাশি সামান্য হালকা হবে না।’ (মুসলিম)
অল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জীবিত-মৃত বাবা-মার জন্য বেশি বেশি দোয়া করা। বাবা-মার মৃত্যুর পর হাদিসে নির্দেশিত করণীয়গুলো যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
https://www.youtube.com/watch?v=1Gpjw5aBoOQ
https://www.youtube.com/watch?v=sqwGeG_Lp0Y
https://www.youtube.com/watch?v=A-PK1pX0hGs
https://www.youtube.com/watch?v=g1aAvbfymAU
https://www.youtube.com/watch?v=e7-CF_VPldw
0 notes
evergreen-bangladesh · 3 years ago
Text
বিসমিল্লাহির রহমানুর রহিম,
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ,,
আলহামদুলিল্লাহ সমাজ কল্যাণ সংগঠনের আরো একটি নতুন সদস্য মোঃ দবির হোসেন । আল্লাহতালা মোঃ দবির হোসেন ভাইকে মানবতার কল্যাণে কেউ কবুল করুক আমীন।
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন লোককে সৎ কাজের দিকে আহ্বান করবে, তার জন্যও সে পরিমাণ সাওয়াব রয়েছে যা তার অনুসারীদের জন্য রয়েছে, অথচ তাদের সাওয়াবের কোন অংশ একটুও কমবে না। [মিশকাতঃ ১৫৮]
Tumblr media
0 notes
rajshahitimes · 4 years ago
Text
ভালো কাজের উপদেশ দিলেই কি সাওয়াব হয়?
ভালো কাজের উপদেশ দিলেই কি সাওয়াব হয়?
ইসলামীক ডেক্সঃ কল্যাণের দিকে আহ্বানকারীর প্রতিদান কী? ভালো উপদেশ দেয়া ব্যক্তির প্রাপ্যই বা কী? কাউকে ভালো কাজের দিকে ডাকলে কিংবা উপদেশ দিলে কি কোনো অতিরক্তি সাওয়াব হবে? এ সম্পর্কে ইসলামের দিকনির্দেশনাই বা কী? ‘হ্যাঁ’, কল্যাণকর যে কোনো কাজের দিকে ডাকলে কিংবা উপদেশ দিলেই মিলবে সাওয়াব বা উত্তম প্রতিদান। শুধু নামমাত্র প্রতিদানই নয়, বরং যে ব্যক্তি কারো আহ্বানে বা উপদেশে সাড়া দিয়ে ভালো কাজ…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
bartabuzz · 4 years ago
Text
জান্নাতের লাভের পথ সুগম করার জন্য ১০ টি জিকির
জান্নাতের লাভের পথ সুগম করার জন্য ১০ টি জিকির
জান্নাতের লাভের পথ সুগম করার জন্য ১০ টি জিকির
১ নং জিকিরঃ ‘‘সুবহান আল্লাহ্’’
Tumblr media
প্রতিদিন ১০০ বার ‘সুবহান আল্লাহ্’ পাঠ করলে ১০০০ সাওয়াব লিখা হয় এবং ১০০০ গুনাহ মাফ ক���া হয়। [সহীহ মুসলিম-৪/২০৭৩]
২ নং জিকিরঃ ‘‘আলহামদুলিল্লাহ’’
Tumblr media
‘আলহামদুলিল্লাহ’ মীযানের পাল্লাকে ভারী করে দেয় এবং সর্বোত্তম দোআ। [তিরমিযী-৫/৪৬২,ইবনে মাযাহ-২/১২৪৯,হাকিম-১/৫০৩,সহীহ আল জামে-১/৩৬২]
৩ নং জিকিরঃ ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’’
Tumblr media
‘লা…
View On WordPress
0 notes
khutbahs · 5 years ago
Link
সূরা কাওসার ও কোরবানী
সুরা কাউসার: দোজাহানের অফুর��্ত কল্যাণের সুখবর
পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু (১)    নিশ্চয় আমি আপনাকে কাউসার দান করেছি। (২)    অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কোরবাবি করুন। (৩)    যে আপনার শত্রু, সে-ই তো লেজকাটা, নির্বংশ।
সূরা আল কাউসার এর  ফজিলত
যে মুহূর্তে সূরা আল কাউসার নাজিল হয় সে মুহূর্তে প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের চেহরা মোবারকে হাসির নূরানি ঝটা দেখতে পান সাহাবায়ে কেরামগণ।   ছোট এই সূরা পাঠে রয়েছে অসংখ্য সাওয়াব ও ফজিলত। সূরা আল কাউসার পবিত্র মক্কায় অবতীর্ণ হয়। আয়াত সংখ্যা ৩।  মহাগ্রন্থ আল কোরআনের ৩০ তম পারার ১০৮ তম সূরা -সূরা আল কাউসার, যার অর্থ হচ্ছে প্রভূত কল্যাণ। এ সূরাকে সূরা নাহারও বলা হয়।  সূরা কাউসারের বিভিন্ন অর্থ বর্ণিত হয়েছে। তবে বিভিন্ন অর্থের সঙ্গে সাদৃশ্য হয়ে যায় এমন এক অর্থ ‘প্রভূত কল্যাণ’ যা হজরত ইবনে কাসীর (র.) প্রাধান্য দিয়েছেন।
এই সূরার রুকুর সংখ্যা ১, এর পূর্ববর্তী সূরা আল মাউন এবং পরবর্তী সূরা হচ্ছে সূরা কাফিরুন। সূরা কাউসার হচ্ছে দোজাহানের অফুরন্ত কল্যাণের সুখবর! এই সূরা হতে জানা যায় হাউজে কাউসার সম্পর্কে, যা কিয়ামতের মাঠে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামকে প্রদান করা হবে। হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, একদিন মসজিদে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম আমাদের সামনে উপস্থিত হলেন। হঠাৎ মহানবীর (সা.) মাঝে তন্দ্রা অথবা একধরনের অচেতনতার ভাব দৃশ্যমান হলো। এরপর নবীজি (সা.) হাসিমুখে মস্তক উত্তোলন করলেন। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনার হাসির কারণ কী?’ তিনি বললেন, ‘এই মুহূর্তে আমার নিকট একটি সূরা অবতীর্ণ হয়েছে’। অতঃপর তিনি বিসমিল্লাহসহ সূরা কাউসার পাঠ করলেন এবং বললেন, ‘তোমরা জান, কাউসার কী?’ আমরা বললাম, ‘আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসূল ভালো জানেন’। তিনি বললেন, ‘এটা জান্নাতের একটি নহর। আমার পালনকর্তা আমাকে এটা দেবেন বলে ওয়াদা করেছেন।
এতে অজস্র কল্যাণ আছে এবং এই হাউজে কেয়ামতের দিন আমার উম্মত পানি পান করতে যাবে। এর পানি পান করার পাত্র সংখ্যা আকাশের তারকাসম হবে। তখন কতক লোককে ফেরেশতাগণ হাউজ থেকে হটিয়ে দেবে। আমি বলবো, পরওয়ারদেগার, সে তো আমার উম্মত। আল্লাহ তায়ালা বলবেন, আপনি জানেন না, ��পনার পরে সে কী নতুন মত ও পথ অবলম্বন করেছিল?’ (হাদিসে সহিহ বোখারি, মুসলিম শরিফ, আবু দাউদ, নাসায়ী)। ফজিলত পূর্ণ এই সূরা আল কাউসার পাঠের অন্যতম একটি ফজিলত হচ্ছে এটি পাঠে শত্রুর অনিষ্ট হতে মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের রক্ষা করে থাকেন। নামাজের সঙ্গে পড়ার লক্ষ্যেও ছোট এই সূরা শিখে নেয়া অনেক সহজ।
0 notes
bdbanglanews24 · 5 years ago
Link
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। হে প্রিয় আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত এবং ইচ্ছায় আপনারা সবাই ভাল আছেন। আমার চ্যানেল এর মুসলিম ভাই ও বোনের আজ আপনাদের জন্য এই ভিডিওর মাধ্যমে রমাজান মাসের একটি গুরুত্বপূন আমল নিয়ে এসেছি। রমজান মাসের প্রতিটি মুহূর্তকে যেন কাজে লাগানো যায়, সে প্রচেষ্টা চালানো উচিত। কেননা এ মাস আমলের মাস। ইবাদতের মাস। এটি ইবাদতের বসন্তকাল। এই মাসের ইবাদত এর সোয়াব অনেক বেশি। আজ আমি যেই আমলটি সম্পকে আপনাদের কে জানাবো সেই আমলটি আপনাকে করতে হবে ইফতার এবং মাগরিবের নামাজ পড়ার পর। আপনি রমজান মাসের পরও এই ইবাদতটি করতে পারবেন। রমজান মাসে যদি আপনি আমলটি মাগরিব এর নামাজ এর পর ১০ বার পড়েন তাহলে আপনি পাবের ৭০০ বার পড়ায় সোওয়াব। (সুবাহানআল্লাহ) কারন আমরা সবাই জানি, রমজানে প্রতিটি ইবাদতের সাওয়াব ৭০ গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এই দোয়ার বিশাল ৪ টি ফজিলত রয়েছে। বন্ধুরা আসুন জেনে নেই এই ৪ টি ফজিলত সম্পকে বিস্তারিত। এরপর জেনে নিবো আমরা আমলটির উচ্চারণ এবং অর্থ। ফজিলত নাম্বার ১: পৃথিবীতে যতো শয়তান রুপী মানুষ আছে বা মানুষ রূপী শয়তান আছে কেউ আপনার ক্ষতি করতে পারবেনা। জীন রা আমাদের মাঝে মাঝে ক্ষতি করতে চায় তার থেকেও রক্ষা করবে এই আমলটি। ফজিলত নাম্বার ২: মাগরিব এর নামাজ এর পর আপনি এই দোয়াটি পাঠ করলে ফজর পযন্ত পাহারা দিবে ফেরেশতা আপনাকে। আল্লাহ নিজে আপনার জন্য এই ফেরেশতা পাঠাবে এবং সেই ফেরেশতা হেফাজত করবে আপনাকে। ফজিলত নাম্বার ৩: এই আমলটি করলে আল্লাহ আপনার পাপের বোঝা থেকে ১০টি ছগিরা গুনগা কে কেটে দিবে এবং নেক আমলে যোগ করে দিবে ১০ টি পূন। আপনি ঐ গুনহার জন্য ক্ষমা পেয়ে যাবেন। ফজিলত নাম্বার ৪: ১০ জন ঈমানদার গোলাম মুক্ত করার সোওয়াব পেয়ে যাবেন এই দোয়াটি পাঠের মাধ্যমে। বিস্তারিত এবং সহজ ভাষায় বলতে গেলে দান সদকার থেকে শত গুন বেশি সোওয়াব পেয়ে যাবেন আপনি। রেফারেন্স :(তিরমিজি শরীফ ৩৫৩৪নং হাদিস) হাদিসটি হলো হয়রত উমারাহ ইবনে সাবিব আস সাবারি রা: থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল সা আ: বলেছেন মাগরিব এর নামাজের পরে ১০ বার পরবেন এই দোয়া টি। যে লোক এই দোয়াটি মাগরিব এর পড়বে তার সুরক্ষার জন্য আল্লাহ তাল্লাহ ফেরেশতা পাঠাবেন। যারা তাকে শয়তান এর ক্ষতি হতে বাচাবে ভোর পযন্ত। আল্লাহ তার আমল থেকে ১০টি গুনহা কাটবেন আর ১০ টি আমল লিখে দেন এবং তাকে ১০ জন ঈমানদার দাস মুক্ত করার সোওয়াব দান করা হয়। মজার বিষয় হলো আপনি এই আমল রোজায় করলে আপনি ৭০ গুন সোওয়াব পাবেন তাহলে দেরি না করে আজই শুরু করেন কারন রমজান শেষের পথে। আমল: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু। লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু। ইউহ্ই ওয়োমিত ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কদির। অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। তিনি একক। তার কোনো শরিক নেই। সার্বভৌমত্বের মালিক তিনি। সকল প্রশংসা তার। তিনি সবকিছুর ওপর সামর্থ্যবান। বন্ধুরা এই আমলটি আপনি রোজ মাগরিব এর ফরজ নামাজের শেষে ১০ বার পড়ুন। এই দোয়াটি যখন পড়বেন তখন আপনার দিল নরম করে অশ্রুসিক্ত নয়নে পাঠ করবেন। বন্ধুরা কেমন লাগলো আজকের ভিডিও অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আমাদের চ্যানেল কে subscribe করতে একদম ভুলবেনা না।
0 notes
mohammed-umar · 8 years ago
Text
অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফযর ও মাগরিব সালাতের পর কী কী যিকর ও দু'আগুলো করতেন। এখানে বিশেষ কিছু দু'আ ও যিকর দেয়া হল।। এগুলো কখনই মিস করবেন না ইনশাআল্লাহ। সবগুলোই অথেনন্টিক হাদিস অনুসারে, নিশ্চিন্তে আ'মাল করতে পারেন। ১. আয়াতুল কুরসী ১ বার। ফযরের পর পড়লে মাগরিব পর্যন্ত, মাগরিবেরর পর পড়লে ফযর পর্যন্ত জ্বীন থেকে হিফাযাতে থাকবে। প্রত্যেক ফরযের পর পড়লে জান্নাতি হবে। ২. أللهم أجرني من النار "আল্লাহুম্মা আজিরনী মিনান নার" ৭ বার, ফযর ও মাগরিবের পর। সে দিন বা সে রাতে মারা গেলে আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করবেন। ৩. সূরা ইখলাস, ফালাক্ব ও সূরা নাস, প্রত্যেকটি ৩ বার করে, ফযর ও মাগরিবের পর। রাসূল (সা.) বলেন, সকাল-সন্ধ্যায় এগুলো পড়লে তোমার আর কিছুরই দরকার হবে না। ৪. দরুদ শরীফ ১০ বার, ফযর ও মাগরিবের পর। কিয়ামাতের দিন রাসূলের সা. শাফা'আত অর্জন করবে। ৫. حسبي الله لا إلاه إلا هو عليه توكلت وهو رب العرش العظيم "হাসবিয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুওয়া 'আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হু ওয়া রাব্বুল 'আরশিল 'আযীম" ৭ বার, ফযর ও মাগরিবের পর। সকল দুশ্চিন্তা, উৎকণ্ঠা ও সমস্যা মিটে যাবে। ৬. رضيت بالله ربا وبالإسلام دينا وبمحمد نبيا "রাদ্বীতু বিল্লাহি রাব্বা, ওয়াবিল ইসলামি দ্বীনা, ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা" ৩ বার, ফজর ও মাগরিবের পর। রাসূলুল্লাহ (সা.) হাত ধরে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আল্লাহ উক্ত ব্যক্তিকে সন্তুষ্ট করবেন। ৭. يا حي يا قيوم برحمتك أستغيث أصلح لي شأني كله ولا تكلني إلي نفسي طرفة عين "ইয়া হাইয়ু ইয়া ক্বাইয়ূমু বিরাহমাতিকা আসতাগীস, আসলিহ লী শানি কুল্লাহু, ওয়ালা তাকিলনী ইলা নাফসী তরাফাতা 'আইন" ১ বার, ফযর ও মাগরিবের পর। এটি রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর প্রিয় মেয়ে ফাতিমা (রা.) কে পড়তে ওসীয়ত করেছিলেন। ৮. سبحان الله وبحمده عدد خلقه ورضى نفسه وزنة عرشه ومداد كلمته "সুবহানাল্লাহি ও�����বি হামদিহী, 'আদাদা খালক্বিহী, ওয়া রিদ্বা নাফসিহী, ওয়া যিনাতা 'আরশিহী, ওয়া মিদা দা কালিমাতিহি" ৩ বার, ফযর ও মাগরিবের পর। বিশাল সওয়াব। ৯. بسم الله الذي لا يضر مع اسمه شيئ في الأرض ولا في السماء وهو السميع العليم "বিসমিল্লা হিল্লাযি লা ইয়াদ্বুররু মা'আসমিহী শাইউন ফিল আরদ্বি ওয়ালা ফিস সামা ই ওয়া হুওয়াস সামীঊল 'আলীম" ৩ বার, ফযর ও মাগরিবের পর। কোনোকিছুই ক্ষতি করতে পারবে না। ১০. "সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি" সকালে ১০০ বার ও সন্ধ্যায় ১০০ বার পড়লে কিয়ামাতের দিন তার চেয়ে বেশী সাওয়াব আর কারো হবে না। ১১. সায়্যিদুল ইস্তিগফার ১ বার, ফযর ও মাগরিবের পর। অর্থের প্রতি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস রেখে পড়লে জান্নাতি হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দু'আ। ইস্তিগফার এবং দু'আগুলোর অর্থসহ উচ্চারণের জন্য ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ্) স্যারের লেখা 'রাহে বেলায়েত - রাসূলুল্লাহর সা. যিকর-ওযীফা' বইটি কিনতে পারেন। রেফরেন্স - (১) তাবারানি, হাকিম, হাইসামী, সহীহুত তারগীব, নাসাঈ (২) আবু দাঊদ, ইবনে হিব্বান, আযকার, সহীহাহ (৩) তিরমিযি, সহীহুত তারগীব (৫) আবু দাঊদ, তারগীব, আযকার (৬) হাইসামী, সহীহাহ, সহীহুত তারগীব, আহমাদ (৭) হাকিম, হাইসামী, সহীহুত তারগীব (৮) মুসলিম (৯) তিরমিযি, হাকিম, হাইসামী (১০) সহীহ মুসলিম (১১) বুখারী আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তাআলা প্রত্যেককে আ'মালগুলো নিয়মিত করার তাঊফীক দিন।
1 note · View note
israfil625 · 4 years ago
Text
ইছালে সাওয়াব কেন্দ্রিক বিদআত
ইছালে সাওয়াব কেন্দ্রিক বিদআত
ইছালে সাওয়াব কেন্দ্রিক বিদআত
সংকলনেঃ মোহাম্মাদ ইস্রাফিল হোসাইন।
***  ইছালে সাওয়াব কি?
ইছালে সাওয়াব একটা ফারসী শব্দ যার আরবি হবে ‘ঈসালুস সওয়াব’। আমাদের সমাজে মৃত ব্যক্তির জন্য সওয়াব পৌঁছে দেয়ার জন্য যে অনুষ্ঠান করা হয় তাকে ইছালে সাওয়াব বলা হয়। কাজেই মৃত ব্যক্তির সওয়াব পৌঁছে দেয়াকে ইছালে সাওয়াব। অনেকে ইহাকে ‘সওয়াব রেসানী বা সওয়াব বখশে দেয়াও বলে থাকে। 
পরিভাষায় ইছালে সাওয়াব হল, মৃত…
View On WordPress
0 notes
btn24bd · 5 years ago
Text
জুমআর দিনের ১ আমলে হাজার বছরের নামাজ-রোজার সাওয়াব মেলে
জুমআর দিনের ১ আমলে হাজার বছরের নামাজ-রোজার সাওয়াব মেলে
বিটিএন২৪ প্রতিবেদক: জুমআর দিনের আমলের অনেক ফজিলত হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু জুমআর দিনের এমন একটি আমল রয়েছে, যা পাঁচটি শর্ত মেনে আদায় করলে হাজার হাজার বছরের নফল নামাজ ও রোজার সাওয়াব পাওয়া যায়।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমআর দিন ৫ কাজ করার মাধ্যমে ১টি আমল করবে। অর্থাৎ জামআর নামাজ পড়তে আসবে। আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তির মসজিদে আসার প্রতি কদমে ১…
View On WordPress
0 notes
gnews71 · 6 years ago
Photo
Tumblr media
এই দোয়া পাঠ করলে ফেরেশতারা সওয়াব লেখার প্রতিযোগিতা করেন সালাত হল ইসলাম ধর্মের প্রধান ইবাদত। তাই তো মুসলমানেরা প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত (নির্দিষ্ট নামাযের নির্দিষ্ট সময়) নামাজ আদায় করে সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করতে মরিয়া হয়ে মনোযোগের সহিত ইবাদত করে। নামাজ প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক বা ফরজ। নামায ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। এই নামাজের মধ্যে এমন একটি দোয়া রয়েছে যেটা পাঠ করলে ফেরেশতারা ওই পাঠকারীর জন্য সওয়াব লেখার প্রতিযোগিতা শুরু করে। তাহলে নিচের হাদিসটি পরুন এবং দোয়াটি মুখুস্থ করে আমল করুন। আবূদুল্লাহ্ ইবনু মাসলামা (রহঃ) রিফা’আ ইবনু রিফি’ যুরাকী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আমরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিছনে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলাম। তিনি যখন রুকূ’ থেকে মাথা উঠিয়ে ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদা’ বললেন, তখন পিছন থেকে এক সাহাবী ‘রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ, হামদান কাসিরান তাইয়িবান মুবারাকান ফিহ’ বললেন। সালাত (নামায/নামাজ) শেষ করে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কে এরূপ বলেছিল? সে সাহাবী বললেন, আমি। তখন তিনি বললেনঃ আমি দেখলাম ত্রিশ জনের বেশী ফিরিশতা এর সাওয়াব কে আগে লিখবেন তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করছেন। (সহিহ বুখারি:৭৬৩)
0 notes
mbsunny15 · 7 years ago
Photo
Tumblr media
যে আমল দ্বারা জুমার দিনে ১০ হাজার বছরের রোযার সাওয়াব ও প্রতি পদক্ষেপে ১ বছরের নফল নামাজ ও রোজার সওয়াব পাওয়ার সুযোগ রয়েছে : http://ift.tt/2CTZYRH
0 notes