#সংবাদ সারাদিন
Explore tagged Tumblr posts
md-eliyas · 4 years ago
Text
সফেদার উপকারীতা,যা জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।
সফেদার উপকারীতা,যা জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।
সংবাদ সারাদিন: মূত্রাশয়ের পাথর অপসারণসহ সফেদার রয়েছে ১৩ স্বাস্থ্য উপকারিতাপুষ্টিমান সমৃদ্ধ, সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী একটি ফল হচ্ছে সফেদা। সফেদা অত্যন্ত মিষ্টি, সুস্বাদু ও সুন্দর গন্ধযুক্ত ফল। সফেদাকে প্রাকৃতিক পুষ্টির দোকান ঘরও বলা হয়ে থাকে।এটি খাদ্যশক্তি কিলোক্যালরি শর্করা, আমিষ, ভিটামিন, ফলেট, ক্যালসিয়াম, আয়রন মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়া, ফসফরা, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ও জিংক এর একটি সমৃধ্য উৎস। এছাড়াও এতে…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
somoysangbad24 · 2 years ago
Text
ঢাকাসহ সারা দেশে সারাদিন ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস
ঢাকাসহ সারা দেশে সারাদিন ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস
সময় সংবাদ রিপোর্ট : ঢাকাসহ সারা দেশে আজ বুধবার সারাদিন বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। বৃষ্টিপাতের প্রবণতা পাঁচদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা গেছে।পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
neon-mine · 3 years ago
Text
বিষয়: তৈমুর লঙের ভারত আক্রমণ ও ভারতের বীর যোদ্ধাদের হাতে তৈমুরের পরাজয় - হিন্দু সমাজের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ
(যুগ: মধ্যযুগ, সময়কাল: ১৩৯৮ - ১৩৯৯ খ্রিস্টাব্দ)
ইতিহাসে আমাদের পড়ানো হয় তৈমুরের ভারত আক্রমণ ও এদেশের মাটিতে তার হত্যালীলার কাহিনি। কিন্তু তৈমুরের শেষ পর্যন্ত কী পরিণতি হয়েছিল সেটা আমাদের পড়ানো হয় না। আমরা কি কোনোদিনও জানতে পেরেছি যে এই ভারতবর্ষের বীর সন্তানদের হাতেই তৈমুরের শোচনীয় পরাজয় ঘটেছিল ?
মধ্য এশিয়ার সমরখন্ডের তুর্কি নেতা আমির তার্ঘির পুত্র তৈমুর লঙের জন্ম হয় ১৩৩৬ খ্রিস্টাব্দে। তৈমুর লঙ ছিল মুঘল আক্রমণকারী বাবরের পিতামহের পিতামহ (great great grandfather) - তাকে মুঘলদের পূর্বপুরুষ বলে মনে করা হয়; তার বংশ ‘তিমুরিদ’ বংশ নামে পরিচিত।
তৈমুর ভারত আক্রমণের পূর্বে ইরাক, ইরান, আফগানিস্তান, আজারবাইজান, মঙ্গোলিয়া প্রভৃতি দেশ আক্রমণ করে ও ধ্বংস করে এবং তৎকালীন পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার পাঁচ শতাংশ বা প্রায় এক কোটি সত্তর লক্ষ মানুষকে হত্যা করে। সবশেষে তার নজর এসে পড়ে সভ্য ও সমৃদ্ধ ভারতবর্ষের উপর।
দিল্লীতে তখন তুঘলক বংশের সুলতানদের শাসনকাল, তুঘলকবংশীয় শেষ সুলতান নাসিরুদ্দিন মাহমুদ শাহের শাসনকালে ১৩৯৮ খ্রিস্টাব্দে তৈমুর দিল্লী আক্রমণ করে ও তুঘলক বংশের পতন হয়। এখানে সে ব্যাপক হত্যালীলা চালায় - তখনকার কোনো কোনো নথি অনুযায়ী পুরুষ, মহিলা, শিশুসহ প্রতিদিন প্রায় এক লক্ষের অধিক মানুষকে তৈমুর নির্বিচারে হত্যা করে! নানা স্থানে মৃতদের খুলির স্তূপ বানানো হয়।
এই ব্যাপক ও নৃশংস গণহত্যা প্রতিরোধ করতে মিরাটের গুর্জর রাজার তত্ত্বাবধানে একটা পঞ্চায়েত গঠিত হয় (যা ‘সর্বখাপ পঞ্চায়েত’ নামেও পরিচিত, এটা ছিল একটা প্রজাতান্ত্রিক সংগঠন ও এর রাজধানী বর্তমানের উত্তরপ্রদেশের মুজাফ্ফর নগরের শোরামে অবস্থিত। এই খাপ পঞ্চায়েত তার ইতিহাস বিভন্ন সময় নানা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে, এর মধ্যে তৈমুর, খলজি, বাবর, নাদির শাহ, আবদালি, মারাঠা এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সংগ্রামও আছে।) ও অধুনা উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা প্রভৃতি অঞ্চল থেকে অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে এক বিশাল অরাজকীয় বাহিনী গড়ে ওঠে।
যোগরাজ সিং পওয়ার এই বাহিনীর সর্বোচ্চ অধিনায়ক নির্বাচিত হন। যোগরাজ ছিলেন সে যুগের এক অতি পরাক্রমশালী বীর যোদ্ধা। বিভিন্ন উপকথা থেকে জানা যায় যে তাঁর উচ্চতা ছিল প্রায় সাত ফুট নয় ইঞ্চি! তাঁর বর্ম ও অস্ত্রশস্ত্র এত ভারী ছিল যে আজকের দিনের কেউ তা তুলতেও পারবে না! তিনি তাঁর ভারী তলোয়ারের এক কোপে তৈমুরের সেনাবাহিনীর বহু সৈন্যের ধর থেকে মাথা নামিয়ে দেন।
ঐ বাহিনীর অপর দুই সেনাপ্রধান ছিলেন ধুলা ভাঙ্গী (বাল্মীকি) ও হরব��র সিং গুলিয়া (জাঠ)।
অন্যান্য সেনানায়কদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য - গজে সিং জাঠ গাটওয়ালা, তুহিরাম রাজপুত, নেধা রাওয়া, সরযূ ব্রাহ্মণ, উমরা তাগা (ত্যাগী), দুর্জনপাল আহীর।
উপসেনাপ্রধানদের মধ্যে ছিলেন - কুন্দন জাঠ, ধারী গাদারিয়া, ভন্ধু সইনি, হুল্লা নাই, ভানা জুলাহা (হরিজন), আমান সিং পান্ডির (রাজপুত), নাথু পরদার (রাজপুত), ধুল্লা (ধান্ধী) জাঠ, যিনি হিসার থেকে দাদরি ও মুলতান পর্যন্ত আক্রমণের দায়িত্বে ছিলেন, মামচাঁদ গুর্জর, ফালওয়া কাহার। এছাড়াও সমাজের বিভিন্ন বর্ণ থেকে আরও কুড়ি জন সহকারী সেনানায়ক নিয়োগ করা হয়েছিল।
এছাড়াও এই বাহিনীতে ছিল রামপেয়ারী চৌহানের (গুর্জর) নেতৃত্বাধীন চল্লিশ হাজার নারীর এক বিশাল প্রমীলা বাহিনী।
দুটি বিশেষ কারণে এই ইতিহাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ -
এক, এইসময় ভারতীয় সমাজের সর্বস্তরের তথা সব বর্ণের মানুষ স্বেচ্ছায় একত্রিত হয়ে ও বাহিনী গঠন করে বহিরাগত বর্বরদের প্রতিরোধ করে।
দুই, সম্ভবত ইতিহাসে এই প্রথম শুধুমাত্র নারীদের দ্বারা গঠিত রামপেয়ারীর নেতৃত্বাধীন চল্লিশ হাজার সদস্যার বাহিনী কোনো লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করে ও বিজয়ও লাভ করে।
কৃতি কবি চন্দ্রভট্ট এই সংগ্রামের কাহিনি লিপিবদ্ধ করেছিলেন।
● দিল্লীর সংঘর্ষ: একবার তৈমুরের বাহিনী দিল্লীতে লুটপাট চালাচ্ছিল এবং পুরুষ, মহিলা, শিশুসহ সবাইকে তলোয়ারের কোপে হত্যা করছিল।
এইসময় মধ্যরাতে যোগরাজের নেতৃত্বাধীন কুড়ি হাজার সেনার বাহিনী তৈমুরের বাহান্ন হাজার সেনার উপর অতর্কিতে আক্রমণ করে ও তাদের নয় হাজার সেনাকে হত্যা করে। যমুনা নদীতে তাদের মৃতদেহ ভেসে যায়। ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে এই বীর বাহিনী শহরের বাইরে চলে যায়। এইভাবে তিনদিন ধরে লড়াই চলে।
তৈমুর এতে অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়, সে কখনও এমন প্রতি-আক্রমণের সম্মুখীন হয়নি; তাই সে এই গেরিলা বাহিনীকে ধ্বংস করতে দিল্লী ছেড়ে মিরাটের দিকে ধেয়ে যায় ।
● মিরাটের সংঘর্ষ: এক লক্ষ সৈন্যের বিশাল বাহিনী ও প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র সমেত তৈমুর মিরাটে উপস্থিত হয়। কিন্তু এখানেও সে প্রচন্ড প্রতি-আক্রমণের মুখে পড়ে। সারাদিন প্রবল যুদ্ধ করার পর রাতে যখনই তৈমুরের বাহিনী বিশ্রাম নেওয়ার জন্য থামত তখনই যোগরাজের সেনা তাদের আক্রমণ করে উৎখাত করত।
রামপেয়ারীর নেতৃত্বাধীন বীরাঙ্গনারা স্বদেশী যোদ্ধাদের খাদ্য ও অস্ত্রের যোগান দিতেন। তাঁরা শত্রুপক্ষের যোগানও লুঠ করতেন।
পাঁচশো অশ্বারোহী সংবাদবাহক ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এই বিশাল বাহিনীর মধ্যে সংবাদ আদান-প্রদানের কাজ করত। তৈমুরের সেনাবাহিনীর কাছে ��াতে কোনো খাদ্য পৌঁছাতে ��া পারে গুর্জর মহিলারা সেটা সুনিশ্চিত করেন।
অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে তৈমুর শেষ পর্যন্ত যোগরাজের জন্মভূমি হরিদ্বারের দিকে গমন করে, উদ্দেশ্য ভারতীয় প্রতিরোধ বাহিনীর শীর্ষনেতাকে হত্যা করা।
● হরিদ্বারের সংঘর্ষ: এবার তৈমুর হরিদ্বারে পৌঁছালে সেখানেও সে গুর্জরদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে। যাইহোক সে হরিদ্বারের পাঁচ কিলোমিটার দক্ষিণে জ্বালাপুরে এসে পৌঁছায়। সেখানে হরিদ্বারের পুণ্যভূমিতে তৈমুর নরাধমের পদার্পণ আটকাতে তিনটে বড় লড়াই হয়।
প্রথমে হরবীর সিং গুলিয়া পঁচিশ হাজার সেনা নিয়ে তৈমুরের সুবিশাল বাহিনীকে আক্রমণ করেন। তৈমুর তার বেশ কয়েকজন সেরা সৈন্য ও অশ্বারোহীদের দ্বারা পরিবৃত ছিল, হরবীর এই বেষ্টনী ভেদ করে তৈমুরের একদম কাছে পৌঁছে যান ও তার বক্ষদেশে বল্লম দ্বারা আঘাত করেন।
তৈমুর তার ঘোড়ার পায়ের তলায় পড়ে যাচ্ছিল, সেসময় তার সেনাপতি খিজরা তাকে রক্ষা করে।
হরবীর তৈমুরের বাহিনীর আক্রমণে প্রভূত পরিমাণে আহত হন ও যুদ্ধক্ষেত্রে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে যান। যোগরাজ পরে তাঁকে উদ্ধার করলেও কিছু সময় পর হরবীর দেহত্যাগ করেন।
এরপর দ্বিতীয়বার তৈমুরের বাহিনীর উপর আক্রমণ নেমে আসে হরিদ্বারের জঙ্গলে। ধুলা ধারধী তাঁর নেতৃত্বাধীন মাত্র একশো নব্বইজন সৈন্যের একটা ক্ষুদ্র বাহিনী নিয়ে তৈমুরের সেনাবাহিনীকে আক্রমণ করেন ও তাদের এক বিশাল অংশকে হত্যা করেন। অতি বীরের মত লড়াই করে একশো নব্বইজনই যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যুবরণ করেন।
এরপর তৈমুর শেষবারের মত হরিদ্বার ধ্বংস করার জন্য আক্রমণে উদ্যত হলে সর্বশেষ লড়াইয়ে যোগরাজ, রামপেয়ারী এব�� তাঁদের সহযোদ্ধারা বীরদর্পে সেই আক্রমণ প্রতিহত করেন। তৈমুরের সেনাবাহিনীকে তারা প্রচন্ড শক্তিতে আক্রমণ করেন। তাদের শক্তি দেখে ভীত সন্ত্রস্ত নরাধমরা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যায়।
কথিত আছে, এই সর্বশেষ লড়াইয়ে যোগরাজ দেহে পঁয়তাল্লিশটি আঘাত পান কিন্তু তবুও তিনি মনের জোরে তাঁর সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দেন। এর ফলেই তাঁরা গঙ্গার পবিত্র তীর তৈমুরের স্পর্শ থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হন।
পরাজিত তৈমুর পাহাড়ের পথ দিয়ে পালিয়ে যায়, তার ভারত আক্রমণ ও লুঠের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়।। এই দেশের মাটি থেকে তার নির্গমন নিশ্চিত করতে তার সেনাবাহিনীকে হরিদ্বার থেকে অম্বালা পর্যন্ত ধাওয়া করা হয়। তৈমুর ভবিষ্যতে আর কোনোদিন ফিরে আসেনি এবং পরবর্তী দেড়শো বছর আর কেউ ভারতে আক্রমণের উদ্দেশ্যে আসেনি।
ভারতীয় সেনারা এই যুদ্ধে প্রায় সত্তর হাজার বর্বরকে হত্যা করে।
যে পাঁচ জন সেনানায়ক তৈমুরের যুদ্ধবাজ বাহিনীর সাথে যুদ্ধ শেষে জীবিত ছিলেন তাঁদের মধ্যে যোগরাজ ছিলেন একজন, পরবর্তীকালে তিনি জাবেরা রাজ্যের পত্তন করেন।
তথ্যসূত্র:
১. The Royal Gurjars: Their contribution to India - Naunihal Singh, Anmol Publications
২. History of Origin of Some Clans in India - Mangal Sen Jindal (1992)
৩. Conquest of Tamerlane - Cothburn O'Neal (Avon,1952. ASIN: B000PM1IG8)
৪. Uttarakhand ka Itihaas bhag 4 - Dr. Shiv Prasad Dabral, Veer Gatha Press, Dogadda, Pauri Garhwal
৫. Garwal ka Itihaas - HariKrishna Ratauri
৬. Garwal Ancient and Modern - Dr Pritam
৭. Himalayan Folklore - Oakley & Gairola
৮. Gazetteer of British Garwal - H.G. Walton
৯. Prachin Bharat ka Itihaas - Vimal Chandra
১০. Early Chauhan dynasties - Dhasrath Sharma
১১. Ancient History and Civilization - Shailendra Nath Sen
ছবি পরিচিতি:
১. তৈমুর লঙ
২. যোগরাজ সিং পওয়ার
(প্রত্নতত্ত্ব ও ইতিহাসের বিতর্ক পেজ থেকে সংগৃহীত।)
0 notes
kalernouka · 3 years ago
Text
অরাজনৈতিক সেল্ফি
অরাজনৈতিক সেল্ফি
আমাদের বসবাসের অলিগলি থেকে শুরু করে, লোক চলাচলের চৌহদ্দি থেকে ফেসবুকের ওয়াল জুড়ে শহুরে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর একটা বড়ো অংশই নিজেদের অরাজনৈতিক বলে দাবি করে থাকি। এবং সেই দাবির সপক্ষে থেকেই আমরা কোন রকম রাজনৈতিক আলোচনার পক্ষে বিপক্ষে অংশগ্রহণ করতেও রাজি নই। নিজেদের ওয়ালকে চলমান রাজনীতির প্রভাব থেকে মুক্ত রাখি। এটা অবশ্যই যে কোন স্বাধীন দেশের নাগরিকের মৌলিক অধিকার। সংবিধান স্বীকৃত। আমাদের ভিতর একটা বড়ো অংশই আবার নির্বাচনের দিন নিজেকে বাড়িতে বন্দী করে রাখি। সাধারণের সাথে এক লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে আমাদের ভালোও লাগে না। আমরা এও মনে করে থাকি, আমাদের ভোট দেওয়া না দেওয়ায় দেশের কিছু এসে যাবে না। ফলে দেশ জুড়ে যাই হয়ে যাক। সেটা রাজনীতির বিষয় হলে, আমাদের কিছু যায় আসে না। এই কারণেই আমরা কোন রকম রাজনৈতিক বিষয়ে মাথাও ঘামাতে রাজি নই। বরং সেই সময়ে ফেসবুকের ওয়ালে নান্দনিক শিল্পচর্চায় মশগুল থাকা অনেক ভালো। তাই আমরা কবিতা লিখি। গান গাই। নাচ দেখাই। গল্প বলি। পারলে পরনিন্দা পরচর্চাও করে থাকি। সারাদিন একঘেয়ে জীবনে একটু রিফ্রেশ হওয়ার দরকার আছে বই কি। তাই আমরা ফেসবুকে আসি।নিজেদের অরাজনৈতিক মুখ দেখাতে। নিজেদের সাংস্কৃতিক প্রতিভা বিকশিত করতে। তাতে নিশ্চয় অন্যের গোঁসা হওয়ার কথা নয়। আমাদের কার্যক্রম ভালো না লাগলে তফাৎ যান। আমরা এই কারণেই মাঝে মধ্যে নিজেদের বন্ধুবৃত্তকে ছোট করে আনি। সেলুনে গিয়ে অবাঞ্ছিত চুল কেটে ছেঁটে আসার মতো। বেশ রিফ্রেশড লাগে তখন। কিন্তু তাই বলে কি আমরা নিয়মিত খবর দেখি না? দেখি বই কি। সময় পেলে হেডলাইনে চোখ বুলিয়ে নিই। নিজেদের বিশ্বাস মতো খবরের চ্যানেলগুলিতে নিজেদের বেঁধেও রাখি। খুঁটিতে বাঁধা গোয়ালের গরুর মতো। পার্থক্য শুধু এই, আমরা গরুদের মতো গোয়ালার ��াতে বাঁধা থাকি না। আমরা নিজেদের অজ্ঞতা ও কুসংস্কার এবং সাম্প্রদায়িক বংশ কৌলিন্যের হাতে বাঁধা থাকি। ফলে আমাদের আর কোন অসুবিধা হয় না। ঠিক যেমনটি বিশ্বাস করতে চাই, ঠিক সেই সংবাদটিই সেই মতো ভাবে আমাদেরই জন্য প্রচারিত হয় নিত্যদিন। এবং আমরা যারা অরাজনৈতিক মুখের আড়ালে লুকিয়ে রাখি নিজেদের রাজনৈতিক প্রকৃতি, তারা বেশ একটা ফিল গুড অনুভুতির মধ্যে দিয়েই দিন যাপন করতে থাকি।আমাদের এই ফিল গুড অনুভুতিজাত মুডের পরিস্কার একটা ছবি ভেসে ওঠে ফেসবুক সাম্রাজ্যের দিগন্তে। এই সেই মুড। যার ভিতর দিয়ে আমরা পরস্পরকে চিনে নিতে পারি। বন্ধুবৃত্ত বাড়িয়ে নিতে পারি। এবং অনলাইন থেকে অফলাইন আমাদের আনন্দের উপকরণের কোন অভাব হয় না। পরিযায়ী শ্রমিকরা হাজার হাজার মাইল পথ হাঁটুক। কৃষকরা কনকনে ঠাণ্ডায় মাসাধিককাল রাজপথে পড়ে থাকুক। নিরপেক্ষ সাংবাদিকরা মিথ্যা মামলায় হাজতে পচে মরুক। উলঙ্গ রাজার দিকে আঙুল তোলা শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ঘর ছাড়া হোক। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য লাগাম ছাড়িয়ে যাক। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ভিটেমাটি ছাড়া হোক। রাজনৈতিক নেতারা পুকুরচুরি করে বেড়াক আর দলবদলের খেলা খেলুক। রাজ্য জুড়ে রাজনৈতিক খুনোখুনি চলতে থাকুক। নেতানত্রীদের ভাষা সন্ত্রাস অব্যাহত থাকুক। আমরা অরাজনৈতিক মুখ নিয়ে ঘুরে বেড়াবো। আমরা কবিতা লিখবো। গান বাঁধবো। মঞ্চে উঠে সংবর্ধনা নেবো। গল্প করবো। গল্প শোনাবো।দেশ রসাতলে যাক। সমাজ উচ্ছন্নে যাক। আমরা রাস্তায় নামবো না। আমরা রাজনীতি করবো না। আমরা হাসি মুখের সেল্ফি তুলে লাইক গুনবো। আমরা ফেসবুক মিট করবো। আমরা কবিতার পত্রিকা প্রকাশ করবো নিয়মিত। আমরা বই প্রকাশের মঞ্চে ভিড় করবো। আমরা মেলায় ঘুরবো। আমরা পরস্পরের হাসিমুখের দিকে তাকিয়ে হাত নাড়বো। আমরা ভালো আছি। আমরা বেশ আছি। পেট্রল ডিজেলের দাম বাড়ছে। এ আর নতুন কথা কি? গ্যাসের ভর্তুকি কমছে। সে তো জানাই কথা। সরকার দেশের সম্পত্তি বেচে দিচ্ছে। ভালোই তো। মানুষের উপরে মাথা পিছু দেনার দায় বাড়ছে। তাতে আমাদের কি? আমরা তো বছরে একটা নতুন স্মার্ট ফোন কিনতে পারছি। অসুবিধে কি? ব্যাংকে সুদ কমছে বটে। সে, কি আর করা। তার ভিতরেই অর্থলগ্নীর বিষয়টা ম্যানেজ করে নিতে হবে। কিন্তু তাই বলে রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে, এমন কোন কথা নাই। দেশ দেশের মতোই পড়ে থাকবে। সমাজ সমাজের মতোই সমস্যায় জর্জরিত হয়ে চলতে থাকবে। তার নিজস্ব গতিতে। মানুষ তার নিজের সাধ্যমতো আরামে থাকবে। ক্ষমতায় না কুলালে পড়ে পড়ে মার খাবে। আমার উপর��� নাই ভুবনের ভার।আমরা নিজেরা কিভাবে দিন ��াটাবো। সেটি একান্তই আমাদের বিষয়। সেই বিষয়ে কোন সমালোচনা সহ্য করবো না নিশ্চয়! তাই আমরা সেল্ফি তুলি। কবিতা লিখি। গল্প করি। কাব্যগ্রন্থের প্রকাশমঞ্চ আলোকিত করে তুলি। গল্প গান কবিতা পাঠের আসর জমিয়ে তুলি। বাংলা সংস্কৃতির দিগন্তে আমাদের যে দায়বদ্ধতা, সেই বিষয়টি আমরা কোনদিনও অবহেলা করি না। সংস্কৃতির অঙ্গনে, তা সে অনলাইনেই হোক আর অফলাইনে। আমরা আছি। সচল হয়ে। সক্রিয় হয়। সজীব হয়ে। আমাদের এই সজীবতা ছড়িয়ে থাকে আমাদের সেই ফিল গুড মুডের পরিমণ্ডল জুড়েই।না, কোন রাজনীতিরই সাধ্য কি! আমাদের এই ফিল গুড মুডের বেষ্টনী ভেদ করে খুঁটিতে
বাঁধা অসার চেতনায় ধাক্কা দিয়ে যাবে? আমরা সজাগ আছি। সজাগ থাকি। নির্বাচনের দিন, আমাদের খুঁটিতে বাঁধা প্রত্যয় নিয়ে ভোটের লাইনে দাঁড়াই বা নাই দাঁড়াই। আমরা খুঁটি ছাড়া হই না কখনোই। আমরা জানি, খুঁটিতে বাঁধা থাকার সুবিধে অনেক। না শুধুই কি আর আখের গোছানো? সকলেই কি আর আখের গুছিয়ে নিচ্ছি আমরা? না নিশ্চয়। কিন্তু নিজেদেরকে এক একটি বিশ্বাসের খুঁটিতে বেঁধে নিতে পারলে মনের দিক থেকে নিশ্চিন্ত। এর মতো শান্তি আর নাই। নিজের বিশ্বাস মতো সংবাদ চ্যানেলের খবর জেনে নেবো। নিজের বিশ্বাস মতো সেই খবর কানাকানি করবো। যখন যতটুকু দরকার। নিজের বিশ্বাস মতো কোন খবরের দিকে চোখ বুঁজে থাকবো। আবার কোন খবর নিয়ে মাতামাতি করবো। নিজের সেই বিশ্বাসের গড়ে আর কাউকে ফাটল ধরাতে দেবো না নিশ্চয়। সেই গড় মজবুত করে নিয়ে তবেই আমরা অরাজনৈতিক রূপ ধারণ করি। যে রূপে আমাদের সামাজিক পরিচিতি। আমাদের অনলাইন সেল্ফি আর অফলাইন চলাচল।তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে আমরা যত বেশি করে অরাজনৈতিক মুখচ্ছবি নিয়ে চলাচল করবো। তত বেশি করে সমাজটা রাজনীতির হাতের মুঠো‌য় চলে যাবে। সেকথা আমরা মুখে স্বীকার না করলেও বেশ জানি। ভালো করেই জানি। আমরা এও জানি, কিসে আমাদের আজকের সুখ। আর কিসে আমাদের ভবিষ্যতের ভালো। কিন্তু ভবিষ্যতে কি হবে। কি হওয়া উচিত। কি হলে সকলের ভালো হবে। সেসবে আমাদের কিসের স্বার্থ? আজকের এই দিনটিই আসল কথা। আজকের দিনটি আমি কতটা সুখে আছি। সেটাই আমার কাছে প্রথম কথা। প্রাথমিক শর্ত। নিজের স্বার্থের এই দিকটি কেনই বা উপেক্ষা করবো? আমার ভালোটা তো আর অন্য কেউ করে দিয়ে যাবে না। আমার ভালো থাকার ব্যবস্থা যখন আমাকেই করে নিতে হবে, তখন অন্য কোন যুক্তিই গ্রহণযোগ্য নয়। সেই কারণেই এই অরাজনৈতিক থাকার রক্ষাকবচটি ধারণ করে নিতে হয়েছে আমাদেরকে। এই রক্ষাকবচেই আমাদের আজকের ভালো থাকার রেমেডি। সেখান থেকে আমাদের টেনে নামাতে গেলে, আমরা সহ্য করবো কেন? তাই আমরা কখনোই রাজনীতির কোন বিষয়ে মুখ খুলবো না। রাজনীতির প্রসঙ্গ উঠলেই মুখে কুপুপ দিয়ে বসে থাকবো। অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে। আপন ঘরের চৌকাঠের বাইরে যত যাই ঘটে যাক না কেন। আমাদের দরজা জানলা বন্ধ আছে। বন্ধ থাকবে।
১৭ই ফেব্রুয়ারী’ ২০২১কপিরাইট শ্রীশুভ্র কর্তৃক সংরক্ষিত
0 notes
banglarchokhbdnews · 4 years ago
Text
খুলনায় কেজি দরে তরমুজ না কেনার ঘোষণা ক্রেতাদের
খুলনায় কেজি দরে তরমুজ না কেনার ঘোষণা ক্রেতাদের
বাংলার চোখ সংবাদ : খুলনায় ওজনে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। এতে ব্যবসায়ীরা লাভবান হলেও ঠকছে সাধারণ ক্রেতারা। চলমান তাপপ্রবাহ তীব���র আকার ধারণ করেছে খুলনায়। এতে ধর্মপ্রাণ রোজাদারদের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়ছে। সামান্য প্রশান্তি পেতে সারাদিন পর ইফতারে তরমুজে গলা ভেজাতে চাইছেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। কিন্তু আকাশ ছোঁয়া দামের কারণে সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটাতে ব্যর্থ হচ্ছেন অধিকাংশ মানুষ। তরমুজ যেন এখন উচ্চবিত্তের ফল…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
banglashangbad · 4 years ago
Text
শ্রীলঙ্কা সফরে টিম লিডার খালেদ মাহমুদ সুজন
শ্রীলঙ্কা সফরে টিম লিডার খালেদ মাহমুদ সুজন
বাংলা সংবাদ ডেস্ক: তার নামটি বাংলাদেশের ক্রিকেটে অত্যন্ত আলোচিত এবং বিতর্কিতও বটে। কিন্তু এই খালেদ মাহমুদ সুজনই বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতির জন্য সারাদিন খাটেন। যার প্রমাণ পাওয়া গেছে বাংলাদেশের দুই সুপারস্টার সাকিব আল হাসান এবং মাশরাফি বিন মুর্তজার কথায়। দুজনেই সুজনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এবার সেই খালেদ মাহমুদ সুজন হতে যাচ্ছেন শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশ দলের ‘টিম লিডার’। আজ মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কা সিরিজ…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
50-shade · 4 years ago
Text
ফাইনাল কাউন্ট ডাউন
জন্ম'র সময় আর দশটা দেবশিশুর মত সেও চিৎকার করে উঠেছিলো। মেনপোজ শুরুর আগে জন্ম নেয়া একমাত্র নবজাতিকার চিৎকার বাবা-মার বুকে ছন্দ'র মত বাজে। হয়তো সেই ছন্দ'র তালে মেয়েটার নাম রাখা হয়ে ছিল রিদমা। রিদমিক থেকে রিদমা।
আমার চোখেও সে একটা ছন্দ'র নাম। মালকোশ, ভৈরবী বা তিন তালের ছন্দ নয়; পাগল-পারা বৃষ্টি'র মত ছন্দ। রিদমা'র ছোট ছোট সুখ, হাসি, বেদনা আর আবদার গুলো আমার কাছে মুষলধারা বৃষ্টির ছন্দ'র মত ঠেকে। এমনকি অন্যায় আবদার গুলাও।
আজ দিন সাতেক হল আমাদের কথা বন্ধ। ভালোবাসা'র মানুষের সাথে কথা বন্ধ হলেও বার্তা বন্ধ হয় না। আমাদেরও বার্তা বন্ধ হয় না। আজ অবশ্য পরিস্থ��তি গুরুতর। কথা-বার্তা সবই বন্ধ।
আজানের সুর ভেসে আসছে আজাদ মসজিদের মাস্তুল থেকে। আস সালাতু খায়রুম মিনান নাম়্… অথচ রিদমার চোখে ঘুম নেই। ঘুম অপেক্ষা নামাজ উত্তম শোনার পর শুরু হয় তার ঘুমের প্রস্তুতি। বিছানা কম্বল ঝেড়ে, হাত-মুখ ধুয়েমুছে ঘুমের প্রস্তুতি নিলেও ফাঁকে নাস্তা-টা খেয়ে নিত। সকাল ৭ টা বেজে গেলে নাশতা সেরে ফেলাই বুদ্ধিমানের কাজ৷ রিদমা যথেষ্ট বুদ্ধিমতী মেয়ে।
প্রতিটি দিন সমান হয় না। আজকের ভোর-টা যথারীতি অন্যদিনের মত নয়। আমার ঘুম ভাঙল রিদমার গুঙানির শব্দে। কোন রকম হাতরে চশমা পেয়ে গেলাম। চোখে লাগিয়ে রিদমারে ডাকতে শুরু করলাম। না অন্যদিনের মতই সে আমার পাশে নেই। লিভিং রুমে ঢুকতেই দেখি ডিভানে শুয়ে কুকরে যাচ্ছে সে। হাত-পা শরীর ধনুকের মত কিছুটা বেঁকে আসছে। খিচিয়ে থাকা মানুষের মত চোখ মুখ। শরীরের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে গুঙরানির মত শব্দ। যেন জমদূতের সাথে টানানাটি।
আমি গিয়ে ধাক্কা দিলাম ওরে। কি হয়েছে তোমার? ততক্ষণে দু'হাত দিয়ে নিজের মাথার চুল ছিঁড়তে শুরু করেছে। হাতের যে অংশ ঠোঁট বরাবর গিয়েছে সেখানে সজোরে কাম়্ড়ে ধরছে আর ছাড়ছে। আমি আস্ত একটা পুরুষ ওর দুহাত চেপে ধরার সিদ্ধান্ত নিলাম। রিদমার দু'হাতের কব্জি মুষ্টিবদ্ধ করলাম দু'হাতে। কিন্তু তার ধাক্কা আঁটকে দেবার মত শক্তি হল না। ছিটকে গেলাম আমি। ওর হাতে মুঠো ভরা লম্বা চুল উঠে আসছে, কুনুয়ের ওপরে দাঁতাল কামুড়ে ক্ষত। দাঁত যেন চামড়া ভেদ করে মাংসপেশী স্পর্শ করেছে। গলগল করে রক্ত বের হচ্ছে। উঠে গিয়ে আবার চেপে ধরলাম। আবারও ব্যর্থ আমি। যেন অসুরের শক্তি ভর করেছে শরীরে।
ইতিমধ্যে রহিমা খালা হাজির। রহিমা খালা আমাদের বহুদিনের হেল্পিং হ্যান্ড। রিদমার মা'র যখন নতুন সংসার তখন থেকেই আছে পিচ্চি রহিমা খালা। সময় পরিক্রমায় আমাদের বাসাতেও তার সারে তিন বছর পার হয়ে গিয়েছে। রিদমাকে আতুর ঘর থেকেই খালা পেলে-পুষে বড় করেছে। হাও-মাও করে কাঁদতে কাঁদতে খালা এসে আমার সাথে রিদমারে চেপে ধরেছে। যেন তারে নিবৃত করা যায়। দুজনের সম্মিলিত শক্তিও পরাজিত হল তারে থামাতে। মিনিট দুয়েক ধস্তাধস্তির পর একেবারে এলিয়ে গেলাম আমরা। তারে ধরে রাখতে যে শক্তি দরকার তার সিকিভাগও নেই আমার। দেয়ালে হেলান দিয়ে হাঁটু ভেঙে বসে পরি। অজান্তে আমার ��াত চলে গেল মাথায়…
রহিমা খালা বলল বাসাত লাগছে ভায়ে। খারাপ বাসাত..
তখনি ফুটো হয়ে যাওয়া বেলুনের মত শব্দ করে চুপ়্সে যেতে শুরু করল সে। ধনুকের মত বেঁকে যাওয়া হাত-পা স্বাভাবিক হতে লাগলো। দাঁতের কামুড়ে রক্তাক্ত হাতে ব্যথার অনুভূতি ফিরে আসতে শুরু হল।
গিঁট বেঁধে যাওয়া থোকা থোকা চুল আর কামুড়ের ক্ষত দেখে যেন বিষ্ময়ের সীমা রইল না তার। অঝোর কাঁন্নায় পরিবেশ গুমোট হয়ে গেলো।
এগিয়ে গিয়ে তার কপালে হাত রাখতে চাইলাম। দুহাতে টেনে নিয়ে আমারে বুকের আলিঙ্গনে বেঁধে ফেলল সাথে সাথে। আমারও দুচোখ আদ্র হয়ে উঠল। কি যেন এক সুখ সুখ যন্ত্রণার শিস বিঁধতে শুরু হল মগজে। শিসের সুরটা খুব চেনাচেনা। অথচ কিছুতেই মনে পরছে না ঠিক কোথায় যেন শুনেছি...
ভাগ্য একদিকে সুপ্রসন্ন বলতে হয়। সম্পূর্ণ ঘটনা তিন চার মিনিটের বেশি স্থায়ী হল না।
রহিমা খালা এক-গ্লাস ঠাণ্ডা পানি নিয়ে এসেছে। তার মুখে পান। পানের রস ঠোঁট বেয়ে চুয়ে চুয়ে পরছে। খালা বলল বুজচ্ছ নি ভায়ে, ছুড়ুক বেলাত একবার পরীতে নিছিল আমাগের রিদু আফারে। আমাগের একটা কাশা'র কলস ছিল, সেই কলসের পানিতে বদ হাওয়া...
খালার কথা শেষ হবার আগেই আরো একবার গুঙরে উঠল রিদমা। আমি ছুটে গেলাম। এবার অবশ্য নিজেই নিজে-রে সামলে নিল সে...
ভেতরে ভেতরে খুব ঘাবড়ে গেলাম। সিদ্ধান্ত নিলাম রিদমা-রে হাসপাতালে এডমিট করিয়ে তারপর অফিস যাবো। কানাডা থেকে সিয়ার্স এসেছে। ওদের সাথে সময় দিতে না পারলে বিপদ। মার্চেন্ডাইজিং বাদ দিয়ে বউ নিয়ে হাসপাতালে থাকলে চাকরি থাকবে না। চাকরি না থাকলে চিকিৎসা হবে-না। মধ্যবিত্ত'র শনির দশা আর কি!
ঢাকা শহরের সব বড় হাসপাতালে নক দিলাম। চেনাজানা ডাক্তারদের ফোন দিলাম। সিম্পটম শুনে সবাই বলে আমরা পাগলের চিকিৎসা করি না। রুগী-রে সোহরাওয়ার্দী নিয়ে যান, ওখানে মানসিক চিকিৎসার ইউনিট আছে। আমার বউ পাগল আমি মানতে পারছি না। যা ঘটার তা মাত্র তিন চার মিনিটের ভেতর শেষ হয়ে যাচ্ছে। বাকি সময় সে স্বাভাবিক। একেবারেই স্বাভাবিক। শুধু ঐ সময় টুকুর রেশে ক্লান্ত বিধ্বস্ত।
ইতিমধ্যে আশেপাশের ফ্লাটের ভাবী-আন্টিরা চলে এসেছে৷ তারা সবাই খুব উত্তেজিত। বাড়িতে একজন পাগল পাওয়া গিয়েছে। যে পাগল এক রাত্রি আগেও তাদের সাথে স্বাভাবিক-ভাবে কথা বলেছে। সেই পাগল সরাসরি লাইভে দেখার সুযোগ কেউ ছাড়তে চাইছে না। আগামী অন্তত এক বছর ভাবী-আন্টিদের ��ল্প আড্ডা আর গিবতের জন্য মুখড়চক ইস্যু পাওয়া গিয়েছে। এমন ইস্যু হাতছাড়া করা আলবত উচিৎ হবে না..
ফোন শেষ হতে রহিমা খালা আবার হাজির। এতক্ষণ সম্ভবত আড়ালে দাঁড়িয়ে আমার কথা শুনছিল। খালা আবার বলল বুজচ্ছ ভায়ে ছুড়ুক বেলাত একবার পরীতে নিছিল আমাগের রিদু আফারে। আমাগের একটা কাশা'র কলস ছিল, সেই কলসের পানিতে বদ হাওয়া…
খালার কথা শেষ হতে না হতে কলিংবেলের আওয়াজ। চড়ুই পাখি কিচিরমিচির করছে। ইয়া লম্বাচওড়া এক হুজুর এসে হাজির। কোন এক ফাঁকে খালা তারে সংবাদ দিয়েছে আসার জন্য। হুজুর আমাকে মোটেও পাত্তা-টাত্তা দিল না। দেয়ালে টাঙানো নারী পোর্টেট দেখে দাঁড়িয়ে গেলেন। দোয়া-দরুদ পরে ছবিতে ফু দিয়ে দিলেন। ফু দেয়া মাত্র ঘোষণা দিল বাড়িতে সমস্যা আছে। সমস্যাটা মূলতঃ বাড়ির দক্ষিণ দিকে। ছবিটাও দক্ষিণমুখী দেওয়ালে আছে। পোর্ট্রেট নামিয়ে ফেলার হুকুম দিলেন হুজুর। বললেন বাড়ির মেয়েছেলের ছবি রঙ করে টাঙিয়ে রাখা বেদাত। এ কারণেই বদ জিনের নজর পরেছে। জুব্বার পকেট থেকে ম্যাগনিফাইং গ্লাস বের করে পোর্টেট আরেকটু ভালো মত পরখ করে নিলেন তিনি। তারপর আমার দিকে স্মিত মুখে তাকালেন। বললেন বড্ড খতরনাক জিন। তবে আপনার স্ত্রী-কে জিন মুক্ত করে ফেলব ইনশাআল্লাহ। আমি বললাম হুজুর ইনি আমার স্ত্রী না। ইনি লিও দ্যার গার্লফ্রেন্ড, নাম মোনা। আমার কথায় হুজুরের সুরমা মাখা চোখ মোটামুটি কপালে উঠে গেলো। কিছুটা বিব্রত হয়েই বোধহয় বলল ছি ছি ছি শিগ়্গির বিবাহ করুন, গার্ল্ফ্রেন্ড নিয়ে থাকেন কেন? বেগানা মহিলা জানলে তো আমি আসতাম না। আচ্ছা এসেই যখন পরেছি নিশ্চয় ওপর ওয়ালার ইশারায় এসেছি। আপনি খেদমতের ব্যবস্থা করুন। আমার সাথে বুজরুক জিন আছে। জিনদের খান-ই-খানান।
রহিমা খালা ইতিমধ্যে সাজিতে পান নিয়ে হুজুরের সামনে হাজির। মাথার ঘোমটা আধা হাত টেনে মুখ ঢাকলো খালা। বুজচ্ছন নি মাওলানা সাপ ছুড়ুক বেলাত একবার পরীতে নিছিল আমাগের রিদু আফারে। আমাগের একটা কাশা'র কলস ছিল, সেই কলসের পানিতে বদ হাওয়া…
হুজুর বলল খামোশ! আমার মারিফতে সব সংবাদ আছে।
ফ্লাটের ক'জন মহিলা রান্নাঘরে ঢুকেছে। কি কি সব জোগান-যন্ত করে রিদমা'র ঘরে চলে গেলো। আমিও পিছু নিলাম। রিদমা বেঘোরে ঘুমচ্ছে। আমার নিষেধাজ্ঞা পরোয়া করা হল না। মুরুব্বী খালাম্মারা আমারে মোটামুটি ধাক্কা দিয়ে ঘরের বাইরে পাঠিয়ে দিল। ভেতর থেকে এখন লক।
কিছুক্ষনের ভেতর রুমের ভেতর থেকে ভারিক্কি ফাটা গলার স্বর আসতে শুরু হল। দরজার নিচের ফাঁকা দিয়ে ঝাঁঝালো গন্ধ। ভেতরে কেউ কেউ কাশছে। শুকনা মরিচ পুড়ার গন্ধে আমিও কাশতে শুরু করলাম। হুজুরের হাঁক ডাক পাওয়া যাচ্ছে, যা ভাগ ভাগ, এক্ষুণি যা, যা যা, খা খা খা পক্ষিলারে খা.. আরো অজিব শব্দমালা। হুজুরের সাথে সাথে রিদমার আওয়াজও আসছে। তবে হুজুরের ধমকের কাছে তা নিতান্তই ছেলেমানুষী।
এর ভেতরে মনে হল আমার নাম ধরে কাঁদছে রিদমা। নিজেরে সংবরণ করতে চেষ্টা করেও পারলাম না। তুমি ডাকছ আমি নিরুত্তর থাকি কিভাবে! দরজা ধাক্কা দিই কিন্তু কেউ খুলে দিচ্ছে না। সে যেন আমার আক্ষেপ বুঝতে পারল। দরজায় দু'হাত রেখে আমিও তার ডাকের উত্তর করছি। লাথি মেরে ভেঙে ফেলতে চাইছি সেগুন কাঠের দরজা। আমি বড্ড অসহায়! দরজা ভেঙে ফেলার শক্তি চেয়ে খোদার কাছে আমার চিৎকার খোদার আরশে পৌঁছুচ্ছে না…
যখন দরজা খুলা হল রিদমা বিধ্বস্ত ভাঙাচুরা এক মানুষ। এই মাত্র কিছুক্ষণ সময়ে যেন তার বয়স এক নক্ষত্র বছর বেড়ে গিয়েছে। সরু চোখে তাকাতে চেষ্টা করছে। আফসোস চোখ খুলে রাখার শক্তি নেই তার।
রহিমা খালা আর মুরুব্বিরা জানাল জিন স্যান্ডেল মুখে নিয়ে পালিয়েছে। প্রমাণ হিসাবে একপার্ট স্যান্ডেল দেখিয়ে বললো অন্য পার্ট জিনেই নিয়ে বারান্দা দিয়ে ভেগেছে। বারান্দায় উঁকি দিয়ে দেখলাম সানসেটে আঁটকে আছে ডান পা'র স্যান্ডেল। সম্ভবত পালানোর সময় সানসেটের বুগি ট্রাপে আটকা পরেছিল জিন।
দুপুরবেলা জেগে উঠলো রিদমা। স্যালাইন দেয়া হয়েছে। মাথার ওপর ষ্টান্ড। চারিদিকে হাসপাতাল টাইপ ফিনাইলের গন্ধ। ফিনাইলের গন্ধে মাদকতা আছে কিনা পরীক্ষা করে জানা দরকার। দুজন সিষ্টার এসেছে শিফট ডিউটি করবে। সিষ্টার পাঠিয়েছে কোম্পানি। তাদের কথা হল বউকে ডাক্তার সিষ্টারের হাতে ছেড়ে দাও, আর নিজেরে ছেড়ে দাও কোম্পানির জন্য। ফ্যামিলির যাবতীয় দায় কোম্পানি নিলে তুমি কেন একশ ভাগ কোম্পানি-কে দিবা না! কে তাদের বুঝাবে আমি কর্পোরেটের রোবট মার্চেন্ট নই। আমি রক্ত মাংস'র এক মানুষ! রিদমাকে টাইগার শ্রিম্পের সুপ দেয়া হয়েছে। সে অতি তৃপ্তি নিয়ে খাচ্ছে। ওর তৃপ্তি দেখতে ভালই লাগছে।
অফিসে গিয়ে কিছুক্ষণ কষ্টিং প্রাইসিং এ মন দিলাম। কিছু আইডেন্টিটিকাল সুতাটুতা লাগবে। সেগুলোর সোর্সিং না করে উপায় নেই। এ সপ্তাহে এগুলো শেষ করে ফেললে কদিনের জন্য ঝাড়া হাত-পা হয়ে যাব। রিদমারে নিয়ে কোথাও ঘুরে আসা যাবে তখন।
দ্বিতীয় দিন কাটল ঝামেলা ছাড়া। আমিও আশ্বস্ত হলাম। তৃতীয় দিন রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ঝামেলা শুরু হল সেদিন। ২/১ বার নয়, ২৪ ঘণ্টায় কমসে কম সাত আটবার খিচ খেল। এবার গোঁদের ওপর বিষফোঁড়া যুক্ত হয়েছে। আগে নিজে শুধু নিজেরে আঘাত করত, এখন সামনে যারা থাকছে ��াদেরকেও আঘাত করছে। ঘরের জিনিসপ��্র ভাঙাচুড়াও হচ্ছে। তবে ইন্টারেষ্টিং যেটা দেখলাম আমি বাসায় উপস্থিত থাকলেই শুধু ঘটনা ঘটছে। আমি ছাড়া অন্য কাউরে আঘাত করেনি।
স্বাভাবিক কারনে নিজেরে দোষী মনে হল। সেই আঁটকে যাওয়া শিস-টা মাথার ভেতর ফিরে এলো। অফিস শেষে বাড়ি ফিরতে ভয় ভয় হয়। আমি না থাকলে যেহেতু সমস্যা হয় না তাই বাড়ি ফেরার সময় পিছিয়ে দিলাম। ফলে কাগজে কলমে উন্নতির দেখা পেয়ে নার্স তুলে নিল কোম্পানি।
এভাবে বাড়ি না ফিরে বেঁচে থাকা যায় তবে মানুষ থাকা যায় না। আমারও তাই হল। ক্লাবে, পাবে, বিলিয়ার্ডে কাটতে থাকল আমার মধ্যরাতের সময়। যত কম সময় বাড়ি থাকি তত বেশী সময় ভালো থাকে রিদমা।
সিদ্ধান্ত নিলাম ডাক্তারের চেম্বারে নিয়ে যাব তারে৷ সেখানে পরীক্ষা নিরিক্ষার সুযোগ বেশি। রিদমা'র কাছে চেম্বারের কথা পারতেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো। উত্তেজিত হতে হতে আবারও ধনুকের মত বেঁকে যেতে থাকল। সারাদিন কাজ করে, বাড়ি ফিরেই ক্লান্ত দেহ বিছানায় ছেড়ে এলিয়ে যেতে ইচ্ছা হয়। এসব অশান্তি অসহ্য লাগে। আমি প্রার্থনা করলাম খোদা এরচে বরং আমারে শারীরিক অসুখ দিয়ে শায়েস্তা কর, তবু তারে উন্মাদনা থেকে মুক্ত করে দাও…
এরমাঝে একদিন বিছানার তোষকে ম্যাচ ঠুকে আগুন জ্বালিয়ে দিল সে। আমি আগুন টের পেলাম যখন তীব্র ধোঁয়া খাবার টেবিল অবধি চলে এলো। সে আগুন জ্বালিয়ে শান্ত বালিকার মত আমার কাছে এসে বসেছে। তার দু'চোখ তখন শান্ত, স্বচ্ছ মুখে পরিতৃপ্ত হাসি।
এদফা আর অপেক্ষা করা যাই না। এম্বুলেন্স ডেকে জোর-জবস্তি করে নিয়ে গেলাম বান্ধবীর হাসপাতালে। সমস্যা খুলে বললাম। সে অভয় দিল। না জানিয়ে ডেকে পাঠালো রিদমার বাবা-কাকাদের। আমি কিছুটা বিরক্ত হলাম বটে। আমার পছন্দ না দুজনের সমস্যা অন্য কেউ জানুক।
তার বাবা-মা আসার আগে আমারে সংবাদ পাঠালো ডাক্তার। বলল, চল সামনের কফি শপে বসি। আমি মাথার ভেতর আঁটকে থাকা সেই শিস নিয়ে গেলাম তার সাথে সাথে। আর হুম ইতিমধ্যেই কোম্পানি থেকে দু মাসের অগ্রিম বেতন চলে এসেছে একাউন্টে। সাথে ডিসচার্জ লেটার-ও।
বলল শুনো আমি যা বলি সব মন দিয়ে। প্রশ্ন করবে না কোন, বাড়তি কিছু জানতেও চাইবে না। রিদমা-রে যেভাবে ইঞ্জেকশন পুশ করা হচ্ছে তা দেখে আমার বেশী কষ্ট হচ্ছে কি না জানতে চাইলো। একটা মানুষ-রে ইঞ্জেকশন পুস করতে দুই তিনজন মিলে হাত-পা চেপেও যখন ধরে রাখা যায় না- তখন ভালো লাগবে কিভাবে? - পালটা প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম আমি।
ডাক্তার বলল লিসেন আজ তোমার পেসেন্ট সুস্�� হয়ে যাবে। বাবা-মামারা মানে তোমার শশুরবাড়ির লোকেরা চাইবে আজই রিলিজ নিতে। তুমিও হয়তো রিলিজ-ই প্রেফার করবা। তবে আজ মোটেও রিলিজ নেবে না। অন্তত আজ রাতে তো নয়-ই।
আমি ভ্রুকুঞ্চন করে জিজ্ঞেস করলাম ভেঙে বল। আমি বুঝতে পারছি না।
আমি আগেই বলেছি বাড়তি কিছু জানতে চাইবে না। সে উত্তর দিল।
শুনো রিদমা'র যে অসুখ এর কোন চিকিৎসা আসলে নেই। আবার এই অসুখের অনেক চিকিৎসা প্রচলিত আছে। সেসব ট্রিটমেন্টে কাজ হয় না, তা কিন্তু না। হুম ট্রিটমেন্ট কাজ করে কিন্তু অসুখ ভালো হয় না। বাড়িতে হুজুর এনে যে মরিচ-পুড়া চিকিৎসা দিয়েছিলে সেটাও কিন্তু কার্যকর ছিল। আবার আমার এখানে যে চিকিৎসা হচ্ছে এটাও কার্যকর।
আমি বললাম তুমি কি বলছ নিজেই কি তার মাথামুণ্ড কিছু বুঝছ?
এবার বিদ্রূপাত্মক একটা বাঁকা হাসি সে দিল আমাকে। বলল আমি যা বলছি তা কোন ডাক্তার ইথিকালি পেসেন্ট পার্টি-কে বলে না, বলবেও না। আমি বলছি কারণ আমি আগে বন্ধু তারপর ডাক্তার৷
শুনো হুজুরের মরিচ-পুড়া ট্রিটমেন্ট আরো দু-একদিন চললে হয়তো হাসপাতালে আসতে হত না তোমাদের। আমি শুধু শুকনা মরিচের বিপরীতে মাসলে ডিষ্টিল ওয়াটার পুশ করেছি। ইচ্ছা করেই বেশী বেশী ব্যথা দিতে বলে দিয়েছি ডিউটি ডাক্তারকে৷ খেয়াল করেছ নিশ্চয় কোন সিষ্টার ইঞ্জেক্ট করেনি রিদমারে।
এই রোগ ভালো করতে রোগীর চেয়ে একটু বেশী চতুর হতে হয়, একটু বেশী ধৈর্য ধরতে হয় আর শক্ত হতে হয়৷
বললাম; কিচ্ছু বুঝতে পারছি না আমি। লেডি ডাক্তার বলল, ৩৫০০০ টাকা বিল হবে কাল পর্যন্ত। ডিস্কাউন্ট করার কথা বলে দিয়েছি। থার্টি পার্সেন্ট ডিস্কাউন্ট ইজ ফেরার এনাফ আই থিংক।
তোমার আরেকটা কাজ বাকি থাকছে। রিদমারে কাল বাসায় নিয়ে যাবার আগে তুমি আজকে বাসাতে যাবা। গিয়ে উইথ ব্যাগ এন্ড ব্যগেজেস রহিমা আপারে বিদায় করবে। ইনক্লুডিং দ্যা সো কলড কাজিন। আই মিন রহিমা খালার ছেলে। তাদের ব্যবহার করা যাবতীয় যা আছে সব ধুয়েমুছে দিবা। যেন রহিমারা কেউ কোন দিন ছিলই না কোথাও।
যা বুঝার বুঝে ফেলেছি আমি। সকাল-বেলা বিল পে করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম আমরা। আমি ড্রাইভ করছি পাশে বসেছে রিদমা। তারে আজ অপ্সরাদের মত লাগছে। তবে রহিমা খালা আর তার ছেলেকে অবশ্য বিদায় দিলাম না। কিছুই বলব না মনস্থ করলাম।
ওরে রুমে শুইয়ে দিয়ে একটা চুমু দিলাম ঠোঁটে। তার চোখের জল গড়িয়ে পরছে। আমার হাত-টা ছুঁয়ে বলল I'm sorry..
রুম থেকে বেড়িয়ে খালারে বললাম এক-জগ ঠাণ্ডা পানি দেন আপনার আপারে। তার সাথে কথা��ার্তা বলেন, সময় দেন। খালা আর তার ১৮ বছরের ছেলে দু'জন মিলে রুমে ঢুকে গেলো। আমি পকেট থেকে গুনে গুনে পাঁচটা লাইটার বের করলাম। মোনালিসা পোর্ট্রেটের নিচে রাখা ওভেনের ভেতর গ্যাস লাইটগুলো রেখে টাইট করে ঢেকে দিলাম। ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ড গুলো যতটা সম্ভব ন্যকেড করে দিলাম। কেটে দিলাম গ্যাসের পাইপ। হায়েষ্ট টেম্পারেচার সিলেক্ট করে টাইমার সেট করলাম ওভেনে। ওভেন গরম হতে শুরু করেছে।
আমার গাড়ি ষ্টার্ট নিয়ে নিয়েছে। Dohs পেরিয়ে এয়ারপোর্ট রোডে উঠে এসেছি। ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলো আমার উল্টো পাশ দিয়ে ছুটে চলছে। ওদের গন্তব্য আমার জানা...
ওভার ড্রাইভ এক্টিভ করে মিউজিক সিষ্টেম প্লে করে দিলাম ...Walking Down d Street,
Distant Memories
R Buried In d Past Forever
I Follow D Moskva
Down 2 Gorky Park
Listen 2 d Wind Of Change
Take Me 2 d Magic Of d Moment
On a Glory Night
Where D Children Of Tomorrow
share Their Dreams
With U n Me..
The Future's In d Air
I Can Feel it Every Where
Blowing In D Wind of Change….
মাথার ভেতর আঁটকে যাওয়া সেই হুইসেলের সুর খুঁজে পাওয়া গেছে অবশেষে।।
#বনল
সাঁঝবাতি
১৩ই অক্টোবর
#wasimifekhar
0 notes
paathok · 4 years ago
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/124543
নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে শ্রমিকলীগকে সর্বোচ্চত্যাগের ভূমিকায় মাঠে থাকতে হবে: রেজাউল করিম
.
সবার যোগে রূপসী চট্টগ্রাম মহানগর গড়ার ইশতেহা�� ঘোষনার মধ্য দিয়ে আজ শনিবার নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত চসিক মেয়র পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে জনাকীর্ণ পরিবেশে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি ৩৭দফার ইশতেহার পাঠ করেন সকাল ১১:৩০ টায়।
এরপর দুপুর ১টায় তিনি যান, সদরঘাট থানা ঘাট ও গুদাম শ্রমিক লীগের সমাবেশে। শ্রমিক সমাবেশে রাখা বক্তব্যে রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, জাতীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধির শিখরে পৌঁছাতে চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার মহাপরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়নে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সকল শ্রমিক ভাইসহ চট্টগ্রাম মহানগরের সকল ভোটারের কাছে নৌকা প্রতীকে মূল্যবান ভোট প্রত্যাশা করছি। কৃষক ও শ্রমিকদের ঘামে গড়া আমাদের অর্থনীতি। তাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বাংলার কৃষক ও শ্রমিকদের প্রতি সংবেদনশীল ছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের জীবন মানের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আগামী ২৭জানুয়ারী সকালে প্রথমেই নিজেদের ভোটটি স্বাধীনতার প্রতীক নৌকায় দিয়ে পরিবার ও প্রতিবেশীদের উদ্বুদ্ধ করতে শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীদের সারাদিন মাঠে থাকতে হবে। প্রসঙ্গক্রমে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের স্বাধীনতা আনতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী মানুষের অপরিসীম ত্যাগের কথা তুলে ধরে বলেন, নয় মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারাসহ কোটি কোটি মানুষকে অনেক বেলা উপোস থেকে ও আধাপেট খেয়ে না খেয়ে থেকেছে। চসিক নির্বাচনের ইতিহাসে স্বাধীনতার প্রতীক নৌকা নিয়ে ভোটের যুদ্ধ জিততেও সর্বোচ্চ ত্যাগের ভূমিকা নিয়ে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে শ্রমিক লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মাঠে থাকতে হবে। মেয়র নির্বাচিত হলে শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে শ্রমিক ও মালিকদের সাথে পরামর্শ করে নীতিমালা প্রনয়নে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহন করব।
সর্বোপরি সকল শ্রেণী পেশার লোকেদের পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে আমার আপনার সকলের প্রিয় রূপসী চট্টগ্রামকে উন্নত নাগরিক সেবাসম্পন্ন করে আরো অপরূপা করে সাজিয়ে তুলতে কাজ করব।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের মতো শ্রমনিবিড় উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে শ্রমিক ও মালিকের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা ও হৃদ্যতা বজায় র���খা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। চট্টগ্রাম মহানগরীর শ্রমিক কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি আদায়ে যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই। তাই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত রেজাউল করিম চৌধুরীকে বিজয়ী করে শ্রমিকের উন্নত সুন্দর জীবন নিশ্চিত করার সুযোগ সৃষ্টি দিতে হবে।
জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন,
ইদ্রিস হাওলাদের সভাপতিত্বে ও নাসির উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়া, সহসভাপতি তোফায়েল আহমেদ, মুশিকুর রহমান, আশকার ইবনে শায়েক খাজা, যুগ্ম সম্পাদক বিএম মো. জাফর, সুলতান আহম্মদ, মো. মহিউদ্দিন লুৎফর রহমান, বেসিক ইউনিয়ন সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব মিরণ হোসেন মিলন, যুগ্ম আহবায়ক উজ্জ্বল বিশ্বাস, মো. জাহাঙ্গীর, নুরুল আলম লেদু, হারুণুর রশিদ রণি,জাহাঙ্গীর বেগ,শাহ আলম ভুঁইয়া,ওমর ফারুক প্রমুখ।
0 notes
md-eliyas · 3 years ago
Text
দলত্যাগ-বিরোধী মামলায় আদালতে, গরহাজির মুকুল, চিঠি তৃণমূলের।
দলত্যাগ-বিরোধী মামলায় আদালতে, গরহাজির মুকুল, চিঠি তৃণমূলের।
সংবাদ সারাদিন: দলত্যাগ অভিযোগের শুনানিতে এলেন না মুকুল রায়। শুনানির বৈঠকে তাঁর না আসার কারণ জানিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ। আর সেই চিঠিকেই নিজেদের অভিযোগের স্বপক্ষে ‘বড় হাতিয়ার’ বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার স্পিকারের কাছে মুকুলের দলত্যাগ-বিরোধী মামলার শুনানি ছিল। দুপুর একটা নাগাদ স্পিকারের ঘরে পৌঁছন বিরোধী দলনেতা-সহ…
Tumblr media
View On WordPress
1 note · View note
pranerbangla · 7 years ago
Photo
Tumblr media
চা ও নচিকেতা বাংলা গানের জগতে নচিকেতা এক ঝড়ের নাম। গিটার হাতে এক বিদ্রোহীর ছবি, গান গাইছেন প্রথম প্রেমিকার নাম ধরে, ‘সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা’। কলকাতার এই গায়গ তার গান আর জীবনাচারণে সহযাত্রীদের চাইতে অনেকটাই আলাদা। এবার সেই নচিকেতা গানের বাইরে এসে একটি চায়ের দোকানকে ঘিরে আবারও ঝড় তুললেন। দোকানের নামই হচ্ছে ‘চা ও নচিকেতা’। দোকানের ভিতর বাজছে ��ায়কের গানের কলি সঙ্গে সাদা-কালো-রঙিনে মিলিয়ে গায়কের অন্তত ২০টি ছবি। কলকাতা শহরের যাদবপুর এলাকায় গত ১৮ জানুয়ারি পাঁচ পূর্ণ করেছে সাড়ে তিন বাই চার ফুট দোকান ‘চা ও নচিকেতা’। ওই দিন বিকেলে নচিকেতা নিজে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে গান গেয়েছেন। ‘চা ও নচিকেতা’র শুরুটা খুব অদ্ভুত। বলা যায় বেশ অনেকটাই রূপকথার গল্প। নেশার জগতের সঙ্গে জড়িয়ে জীবন থেকেই খসে পড়ার জোগাড় হয়েছিলো যুবকগৌরব গুহ‘র। তিন মাস পুনর্বাসন কেন্দ্রে কাটিয়ে নেশা থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন গৌরব। কিন্তু, জীবন বড় নিষ্ঠুর। একজন নেশাখোরের আবার সুস্থ জীবনে ফেরাটা কঠিন কাজ। চাকরির চেষ্টা করে করে একটা সময় হাল ছেড়ে দেন গৌরব। তাকে কে কাজ দেবে? অতঃপর চায়ের দোকান। সারাদিন গান শোনা আর চা বিক্রি। কথাটা নচিকেতার কানে পৌঁছতে দেরি হয়নি। একদিন নিজেই হাজির হয়ে যান গৌরবের চায়ের দোকানে। জানতে পারেন, ক্লাস ফোর থেকে গৌরব তাঁর গানের অন্ধ ভক্ত। তাঁর গানই নেশার চক্রব্যূহ থেকে গৌরবকে টেনে বের করেছে। এরপর যতবার যাদবপুর দিয়ে অনুষ্ঠান করতে গিয়েছেন নচিকেতা গৌরবের দোকানে চা খেয়েছেন। নীলাঞ্জনার প্রথম প্রেমিকের নামে এবার কলকাতা শহরে দ্বিতীয় চায়ের দোকান হচ্ছে পাটুলি নামে জায়গায়। দোকানের মালিক সেই গৌরব। আগামীকাল বুধবার নচিকেতা নিজে উদ্বোধন করলেন এই ‘বুটিক’ চায়ের স্টল। শিল্পী জানালেন, “আমি আমার অনুরাগীদের পাপে আছি, আবার পুণ্যেও আছি। এই বিশ্বাস নিয়েই গান-বাজনা করছি।” গৌরবও এই অনুপ্রেরণাতেই ‘চা ও নচিকেতা’কে শহরে ছড়িয়ে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। জানালেন, সবসময় ভালো চা খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। বিকেল তিনটে থেকে শুরু হবে পাটুলির ‘চা ও নচিকেতা’। চলবে রাত বারোটা পর্যন্ত। গৌরবের মতো ‘প্রাক্তন’ মাদকাসক্তরাই এই দোকানে কাজ করবেন। বিনোদন ডেস্ক তথ্যসূত্র ও ছবিঃ সংবাদ প্রতিদিন, কলকাতা
1 note · View note
neon-mine · 3 years ago
Text
চীনের চেয়ারম্যান, খুব কাছ থেকে.....
মাও সে তুং বা ইংরেজি নাম মাও জেদং চীনের ইতিহাসে অন্যতম প্রধান চর্চিত ব্যক্তি। বলাই বাহুল্য তাকে নিয়ে এদেশে কম চর্চা হয়নি। ভারত চীন যুদ্ধের সময় তাকে নিজের চেয়ারম্যান বলার মতো অভিযোগও উঠেছে এদেশের কিছু রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু যেকোনো বড় বড় ব্যক্তিত্বের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে পরচর্চা করা লোকজন খুবই সযত্নে মাও এর ব্যক্তিগত জীবনের আলোচনা এড়িয়ে গেছে। কারণগুলি একটু খুঁজে নেওয়া যাক।
● মাও এর জীবনে একটি ভালো শখ ছিল, সেটা হলো স্যুইমিং বা সাঁতার কাটা। কিন্তু তার প্রোপাগান্ডা মন্ত্রকের কথা অনুযায়ী ধরলে, '66 সালে প্রায় 70 বছর বয়সী মাও মাত্র 65 মিনিটের মধ্যে ইয়াংজে নদীতে প্রায় 15 কিমি সাঁতার কেটেছেন, স্পিড 3.87 মিটার বা দশ (ফুটের একটু বেশি) প্রতি সেকেন্ডে, বর্তমান হিসেবে অলিম্পিক গোল্ড মেডেলিস্ট মাইকেল ফেল্পসকে পার করে যায় এই হিসেব। আর চীনা সংবাদ পত্রের কথা সত্য হলে এই অসম্ভবকে ��ম্ভব করার পরেও মাও নাকি একটুও টায়ার্ড হয়ে যাননি। অবিশ্বাস্য প্রতিভা।
● মাও এর দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত ডাক্তার লি ঝিসুই একটি কথা বলেছেন, সেটি হলো, মাও সমস্ত রকমের মিটিং হয় নিজের বিলাসবহুল বিছানার আরামে অথবা বিশাল স্যুইমিং পুলে জলকেলি করার সময়েই করত এবং তার অফিসে বসে কাজ করার বেশিরভাগ ছবিই সর্বৈব মিথ্যে ও 'স্টেজড' বা সাজানো।
● মাও এর ব্যক্তিগত ফিজিশিয়ান ডক্টর লি বহুদিন ধরেই মাও এর কথামতো তাকে বিছানায় ভালো পারফরম্যান্স রাখার মতো দরকারি ওষুধ দিয়ে গেছেন এবং এর সাথেই নানা ধরনের STDs যেমন গনোরিয়া বা HIV এর মত রোগের বিরুদ্ধে কাজ করার মত ওষুধও দিয়েছেন।
● কেমব্রিজের ভিয়েতনাম ও চীনা ইতিহাসের গবেষক জোনাথন মি রস্কির মতে,
"জিয়ান ক্যুইং কে বিয়ে করার পরেও কমবয়সী মহিলাদের ভক্ষণ করার চাহিদা ছিল প্রখর।"
● মাও ডক্টর লি এর কথা অগ্রাহ্য করে অনেকবার অনেক মহিলার সাথে বেড শেয়ার করেছেন যাদেরকে মাও এর 'নার্স' হিসেবে পরিচিতি দেওয়া হয়েছে। এত বড় বড় মানুষদের বড় বড় ব্যাপার হতেই পারে।
● যখন '61 সালের দিকে দুর্ভিক্ষে চীন কাবু, তখনো মাও সপ্তাহে দুইবার করে মহিলা সঙ্গ নিয়ে 'নৃত্যশিল্প' দেখতে ব্যস্ত থাকত। আসলে বেহালা বাজিয়ে সম্রাট নিরোর মন ভালো না হলে রোমের ভালো হবে কীকরে?
● এছাড়া ডক্টর লি ও অন্যান্য গবেষকরা মনে করেন উশৃঙ্খল জীবনের কারণে মাও জীবনের মধ্যবর্তী দিনের মধ্যেই নপুংসক, বা সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম হয়ে যায়।
● '62 সাল নাগাদ যখন মাও এর বয়স 69, তখন তার পরিচারিকা মহলে সর্বকনিষ্ঠ যে পরিচারিকার সাথে ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল তাঁর বয়স ছিল মোটে 14 বছর। মহিলাটির নাম ছিল চেন, প্রথম জীবনে চেন মিলিটারি জেনারেলদের আনন্দ দেওয়ার জন্যে বানানো ড্রামা দলে পারফর্ম করতেন ও মাও সেখানেই তাঁকে দেখে মুগ্ধ হয়। যখন তাঁর বাবা জানতে পারেন যে চেনকে রোজ রাতে মাও এর কাছে যেতে হয় মাও এর ব্যক্তিগত চাহিদা পূরণ করার জন্যে, চেনের বাবা মাওকে একটি ক্ষোভ উগড়ে দেওয়া চিঠি লিখতে চেয়েছিলেন, কিন্তু কালচারাল রেভলিউশন বা 'সাংস্কৃতিক বিপ্লব' এর প্রভাব এতটাই ছিল যে নিজের পরিবারের কথা ভেবে তাঁকেও পিছিয়ে আসতে হয়। শেষ অব্দি প্রায় চার পাঁচ বছর পরে নিজের স্ত্রী এর রাগের মুখে পরে মাও ��েনকে নিজের জীবন থেকে সরাতে বাধ্য হয়।
● মাও এর লাইফস্টাইল ডিটেলস লেখা প্রতিটা ব্যক্তি একটা কমন দাবী করেছেন যে মাও ব্যক্তিগত ভাবে যথেষ্ট অপরিচ্ছন্ন থাকত। দাঁত মাজতে ভালোবাসত না। মাও এর দাবী ছিল "বনের রাজা বাঘ সিংহ দাঁত না মেজেও এত সুন্দর দাঁতের অধিকারী যদি হতে পারে তাহলে মাও নিজেও এরকম কেন হতে পারবে না?", ফলাফল হিসেবে জীবনের মধ্যভাগের পর থেকেই দাঁতে ভয়ানক সমস্যা দেখা দেয়া শুরু হয়, দাঁত ক্ষয়ে যেতে থাকে ও ইনফেকশন হতে থাকে। ডাক্তারের বারবার জোরাজুরির পরে কালেভদ্রে এক আধদিন দাঁত মাজত মাও।
● মাও যেকোনো রকমের ডেলি রুটিনের বিরুদ্ধে ছিল, তার মনে হতো এরকম রুটিন বানানো হয় মানুষকে বাঁধার জন্যে। বিশুদ্ধ উশৃঙ্খল জীবনযাত্রা মেনে মাও দিনের যেকোনো সময়েই স্নান খাওয়া ঘুম বা যেকোনো রকম কাজ করতে পছন্দ করতো। আর এই জন্যে মাও এর সিকিউরিটি স্টাফদের সারাদিন ঝক্কির শেষ থাকতো না মাও এর সিকিউরিটি ডিটেল নিশ্ছিদ্র করতে গিয়ে।
● স্নান করা মাও এর খুব অপছন্দ ছিল, মাও 'তিনবার স্নান' পছন্দ করতেন, জন্মের পর একবার, বিয়ের আগে একবার এবং ইহলোক ত্যাগ করার পরে 'মাও লোক' পৌঁছনোর আগে একবার।
একইসাথে মাও এর পেট পরিষ্কার করাটা রীতিমত বিভীষিকার ব্যাপার ছিল তার স্টাফদের কাছে। কয়েকদিন পরে পরে যখন মাও নিজের পেট পরিষ্কার করতেন তখন স্টাফরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচত। এই ব্যাপারে এর বেশি ভদ্রভাবে ডিটেলস আমার পক্ষে দেওয়া সম্ভব না, নীচে দেওয়া রেফারেন্স সাইটগুলোতে আরো ডিটেলস পেয়ে যাবেন।
● নিজের গোপনাঙ্গ পরিষ্কার করার জন্যে মাও মহিলাদের সাথে স্নান করা পছন্দ করতেন। প্রায় প্রতিটি ঐতিহাসিকের মতেই এই ব্যাপারটি মাও রীতিমত এনজয় ও সেলিব্রেট করতেন এবং ব্যাপারটিকে 'মহিলাদের দিয়ে নিজের গা ধোওয়া' হিসেবে অভিহিত করতেন।
● একবার এক মহিলা রিপোর্টারকে ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় কোনোভাবে শরীরে জোঁক লেগে যাওয়ায় মহান নেতা মাও ভেতরের শুধুমাত্র 'চাড্ডি'তে অব্দি নেমে আসেন জোঁক ছাড়াবে বলে।
● লি ঝিসুই এরকমও বলেছেন যে তিনি মাওকে বারবার বলতেন ওষুধ নিতে যাতে তার সাথে একাধিক মহিলা বিছানা শেয়ার করার জন্যে কোনো মেয়ের কোনোভাবে রোগ না ছড়ায়, কিন্তু এই ব্যাপারে মাও এর কথা ছিল "যা আমাকে বিরক্ত করে না বা ভাবায় না, সেটা নিয়ে কারোর ভাবা উচিত না" এবং যেহেতু মাওকে এটা কোনোদিনই ভাবায়নি তাই কয়েকজন মহিলা নিজেরা আক্রান্ত হলেও কেউ ভাবার সাহস পায়নি আর।
● গ্রামের দিকে ডাক্তারের অভাব মেটানোর জন্যে��� মাও এর ছিল কিছু 'easy solution'. ঝিসুই এটাও বলেছেন যে মাও কিছু 'খালি পা ডাক্তার' অর্থাৎ ��াষি বেসড ফ্যামিলি থেকে উঠে আসা গ্রামের মানুষকে চার থেকে ছয় মাসের ডাক্তারির 'ক্র্যাশ কোর্স' (অল্প কয়েকদিনের মধ্যে কোনোকিছুর মেন দিকগুলোই কেবলমাত্র বুঝিয়ে দেওয়া) করিয়ে গ্রামে গ্রামে পাঠিয়ে দেন চাষিদের চিকিৎসা করাতে।
● রেলপথে মাও এর যাত্রা ততক্ষণই হতো যতক্ষণ মাও জেগে থাকতো। ঘুমিয়ে গেলে ট্রেনের দুলুনিতে সুপ্রিম লিডার আলাদিনের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে দায় নিয়ে প্রাণ দেওয়ার জন্যে কেউ রাজী ছিল না।
● চাষিদের ফসলের ক্ষেতে উপদ্রব করার জন্যে ও রোগ ছড়ানোর অজুহাতে মাও চারটি কীট ও প্রাণীদের নিধনের জন্যে জনসাধারণকে ডাক দেন। এগুলো হলো মশা মাছি ছুঁচো ও চড়াই পাখি। এর মধ্যে চড়াই পাখিকে 'পুঁজিবাদী পাখি' আখ্যা দিয়ে তিনি মতবাদ হিসেবে প্রচার করেছিলেন,
"যতক্ষণ না চড়াইপাখি গুলো আকাশে ঘুরে ঘুরে প্রাণ হারিয়ে মাটিতে না পরছে ততক্ষণ থালা গামলা যা আছে বাজাবেন, ওদের মাটিতে ল্যান্ড করতে দেওয়াই যাবে না"
অর্থাৎ 'থালা বাজিয়ে rogue তাড়ানোর' পাইওনিয়ার এই মাওই।
● '49 সালে মাও যখন স্ট্যালিনের সাথে দেখা করতে সোভিয়েত যায়, তখন ভেবেছিল স্ট্যালিন তাকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানাবে। কিন্তু বাস্তবে ফলাফল হয়েছিল উল্টো, স্ট্যালিন তার সাথে প্রথমে দেখাই করেনি। তাকে একটা বিলাসবহুল হোটেলের ঘরে 'কার্যত বন্দী' করে রাখা হয়। সোভিয়েত স্পাই এজেন্ট ইগোর আতামানেঙ্কোর সোভিয়েত দৈনিক 'কোমোসোমলস্ক্যা প্রভদা'কে দেওয়া ইন্টারভিউ এর মতে হোটেলের সেই ঘরে টয়লেটের নিকাশি ব্যবস্থার সাথে যুক্ত ছিল একটি ল্যাবের কিছু যন্ত্রাংশ যার মাধ্যমে মাও এর বর্জ্য পদার্থ নিয়ে স্ট্যালিন রীতিমতো গবেষণা চালিয়েছিল বন্ধুস্থানীয় মাওকেই ল্যাবের গিনিপিগের মত করে ভেবে। মাওকে প্রচুর খেতে দেওয়া হতো যাতে প্রচুর বর্জ্য পাওয়া যায় এবং এই বর্জ্যে পাওয়া পটাশিয়াম বা এমিনো এসিড বা ট্রিপটোফ্যান কালচার করে (পটাশিয়াম কম থাকলে নার্ভাস বা অস্থির, এমিনো এসিড বেশি থাকলে ধীরস্থির) মাও এর মনস্তত্বের বিভিন্ন দশা বা দোষ সম্বন্ধে কালচার করার রিপোর্ট নিত স্বয়ং স্ট্যালিন এরকমই অভিযোগ ওঠে আসে। শেষ অব্দি দুই দেশের মধ্যে কোনো উন্নয়ন মূলক চুক্তি অব্দি না করে মাওকে সোভিয়েত থেকে বিদায় জানান। প্রভদার রিপোর্ট অনুযায়ী এই ধরনের কাজকর্মের ল্যাবগুলি স্ট্যালিনের উত্তরসূরী নিকিতা ক্রুশ্চেভ বন্ধ করে দেন। (শুনতে অদ্ভুত লাগলেও সাধারণ জনগণের ব্যবহারের জন্যে 1980 সাল থেকেই জাপান এসব প্রজেক্টের ওপরে রীতিমত কাজ করছে। বর্তমানে এর পোশাকি নাম স্মার্ট টয়লেট)
● অতিথি অভ্যর্থনার ব্যাপারেও মাও ছিল হাতির মত স্মৃতিধর। ওই নিকিতা ক্রুশ্চেভই সাঁতার জানতেন না। তিনি যখন পরে আন্তর্জাতিক পলিসির মিটিংয়ে '58 সাল নাগাদ মাও এর সাথে দেখা করতে চীনে আসেন, তখন ছোটখাটো হাইটের ক্রুশ্চেভকে মাও কোনো মিটিং রুমে না ডেকে নিজের স্যুইমিং পুলে দেখা করতে বলেন। স্যুইমিং পুলের যেদিকে বাচ্চারা স্নান করে সেদিকের কম গভীর জলে ক্রুশ্চেভ নামলে মাও জোরাজুরি করে তাঁকে বড়দের স্নানের গভীর জলের দিকে টেনে আনেন, এই সময়ে ক্রুশ্চেভ রীতিমত অসুবিধেয় পরলে মাও তাঁকে বাচ্চাদের স্যুইমিং পুলে স্নানের জন্যে বরাদ্দ হওয়া ভর্তি বেলুন টাইপের জিনিসগুলো দিয়ে ভেসে থাকার ব্যবস্থা করেন।
পরে ক্রুশ্চেভ এই ব্যাপারে মতামত দেন, "মাও জানতো আমি সাঁতার জানি না, তবু আমাকে একপ্রকার এইভাবে হেনস্থা করা হয় যাতে মিটিংয়ের সময়ে মাও নিজের সুবিধেজনক অবস্থার লাভ ওঠাতে ও আমাকে চাপে রাখতে পারে।"
বস্তুত এই ঘটনার পরপরই সোভিয়েতের সাথে চীনের সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে এবং ইতিহাসে এই বিখ্যাত ঘটনা 'স্যুইমিং পুল ডিপ্লোমেসি' নামে বিখ্যাত।
● মাও এর অন্য পুরুষের স্ত্রী এর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের একটি উদাহরণ হিসেবে বলা যায়,
এভিতা পেরন নামের আর্জেন্টিনার ফার্স্ট লেডি অর্থাৎ প্রেসিডেন্টের স্ত্রীকে মাও '50 এর দশকের শেষের দিকে গিফ্ট হিসেবে দিয়েছিলেন একটি ভীষণ সূক্ষ্ম কারুকার্য করা 'ড্রেসিং কার্টেন', (অর্থাৎ হলিউড সিনেমায় দেখানোর মতো ঠিক যেরকম পর্দা বা কাঠের ফ্রেমের আড়ালে গিয়ে মহিলারা পোশাক পরিবর্তন করে থাকেন)।
তথ্য সূত্র -
The Private Life of Mao - Li Zhisui, 1994 (বই)
BBC, Smithsonian, India Today, Grunge (সাইট)
King of The Mountain - Arnold Ludwig, 2002 (বই)
Smart Toilet Project - Forbes, CNET (সাইট)
'দ্য প্রাইভেট লাইফ অফ মাও' বই এর লেখক লি ঝিসুই,
চিকিৎসক পরিবারে জন্মানো চৈনিক ডক্টর লি-র দুজন পূর্বসূরি লি এর আগেও চীনের প্রধান শাসকদেরই ব্যক্তিগত ডাক্তার ছিলেন এবং ডক্টর লি মাও এর ব্যক্তিগত ডাক্তার হিসেবে নিযুক্ত হোন নিজের 35 বছর বয়সে। অস্ট্রেলিয়ার একটি জাহাজে ডাক্তার হিসেবে কাজ করার সুবাদে তিনি মাঝে মাঝে মাও কে ইংরেজি বলার মতো টুকটাক শিক্ষাও দিতেন। 1950 থেকে 60 সালের মধ্যে ডক্টর লি প্রায় 30-40টি মত ডায়েরিতে মাও এর জীবনযাত্রা নোট কর��� রেখেছিলেন, কিন্তু কালচারাল রেভলিউশন এর সময়ে প্রাণের ভয়ে তিনি সেগুলো পুড়িয়ে দেন। এর পরে সত্তরের দশকের দিক থেকে সামগ্রিক অবস্থা কিছুটা পক্ষে হওয়ায় তিনি আবার শেষ কিছু ডায়েরির লেখাগুলো মনে করে লিখতে থাকেন। 1988 সাল নাগাদ চীন থেকে তিনি পালাতে বাধ্য হোন, শিকাগোতে গিয়ে অবশিষ্ট জীবনের দেড় দুই বছর মত তিনি কাটান ও এই বইটি লেখার জন্য তাঁর প্রকাশনা সংস্থা Random House কেও চীনা হামলার মুখে পরতে হয়।
(বইটি ইন্টারনেটে উপলব্ধ, কেউ মাও এর আরো বিস্তারিত ডিটেল চাইলে পড়ে নিতে পারেন।)
© Sandipan Mandal
From the wall of Pinaki Paul.
0 notes
joborkhobor · 4 years ago
Video
tumblr
Satire Series (বিদ্রূপ সিরিজ) - Episode - 3 ⭐Source: https://www.earki.co/news/article/4611/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE-%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%A1%E0%A6%AB%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9A-%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87⭐ 📰 একবারেই হেডফোনের প্যাঁচ খুলতে পারায় খুশিতে আত্মহারা হয়ে সারাদিন স্যার মাহফুজের গান শুনলেন জনৈক তরুণ। চাঞ্চল্যকর এ��� ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের এক গ্রামে। খুশিতে তিনি গ্রামে মিষ্টি বিতরণ করেছেন বলেও জানা গেছে। অবশ্য আমরা সঙবাদ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কোনো মিষ্টি পাইনি। কপালে না থাকলে যা হয় আরকি! ছেলেটার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ছেলেটির রুম বন্ধ। অভিভাবকের দেওয়া তথ্য মতে, ছেলেটি গতকাল সারাদিন কিছু খায়নি। প্যাঁচ খোলার খুশিতে দরজা বন্ধ রেখেছে। তাঁর আর স্যার মাহফুজের মাঝখানে তিনি কাউকে আসতে দিতে চান না। অনেকক্ষণ হাত নাড়িয়ে ইশারায় অনুরোধ করার পর তিনি কান থেকে হেডফোন খুলতে রাজি হলেন। তবে হেডফোন কান থেকে খুলেও যেন তিনি সঙ্গীতের জগতেই হারিয়ে রইলেন, গুনগুন করে গাইলেন, ‘হেডফোনের প্যাঁচ খুলতে পারি না আমি সারারাত ধরে, বুকের ভেতরটা হাহাকার করে…’ঠিক কী হয়েছিল আপনার সাথে, জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, 'একটা প্যাচায় যাওয়া রিলেশন এক ধাক্কায় ঠিক হয়ে গেলে কেমন লাগতো আপনার? হেডফোনের প্যাঁচ খোলা তো তার চেয়ে হাজারগুণ কঠিন। এক চান্সে কখনও হেডফোনের প্যাঁচ খুলে যাবে, সত্যিই ভাবতে পারিনি। আর এই তো, তারপর থেকেই স্যারের গান শুনতেছি।' তবে এরপরই তিনি ব্যাপারটা একটু খোলাসা করেন, ‘আসলে এক চান্সে কখনও হেডফোনের প্যাঁচ খুলতে পারলে নিজেকে একটা ডিয়ার দেবো ভেবেছিলাম। বলতে পারেন সেইটারই অংশ।’ কিন্তু ব্যাপারটা নিজের প্রতি বেশি অমানবিক হয়ে গেলো না? এমনটা বলতেই তিনি দ্বিমত প্রকাশ করেন, ‘এটা বলতে পারেন, একরকম গিলটি প্লেজার। তা��াড়া মনটা এতই ভালো লাগছে, গানগুলো তেমন খারাপ মনে হচ্ছে না। শুনেন না, শুনে দেখেন একটু। দাঁড়ান, লাইডস্পিকারে ছাড়ি…’ এই পর্যায়ে আমাদের প্রতিবেদক তাড়াহুড়া করে নার্ভাস হয়ে জানালা দিয়েই পালিয়ে যান।📰 🎬 Jobor Khobor is the pioneer in providing all the latest trendy and crazy facts around the globe. Tune into Jobor Khobor to never miss a beat! 🎬 👍 LIKE ➡ 📱 SHARE ➡ ❤️ SUBSCRIBE Subscribe to our Channel 🔔 - https://youtube.com/c/JoborKhobor Follow us on Facebook 👉 - https://ift.tt/2LyLugZ Follow us on Twitter 🐦- https://twitter.com/JKhobor Follow us on Linkedin 👔 - https://ift.tt/2ZkI9Ki 🎤 Voiceover Artists: 🥰 Shariful Islam (Rahimullah) 😍 Muhammad Ashraful Anam (Rahimullah) 🎬 Showrunner: 🤩 Abdullah 🖼️ Images Courtesy: 🔎 Google, twitter.com, ubergizmo.com, scoopwhoop.com, realclearpolitics.com, i.ytimg.com/vi/zgeeOmi1p2U/maxresdefault.jpg, facebook.com, halids.com, i.ytimg.com/vi/_zS0AfAIZ7w/maxresdefault.jpg, bini08.files.wordpress.com/2008/09/ch5.jpg, daily-sun.com, cdn-az.allevents.in ========================================== ⚠️ COPYRIGHT NOTICE ⚠️ 👉 If any part of the contents of this channel is that your property (as a musician, label, image distributor or artist), please send me a personal message and your content will be removed within 24 hours. 📮 CONTACT US: [email protected] 🔊 LIKE ➡ SHARE ➡ SUBSCRIBE 💵 This video has been sponsored by BYTE EGNYTE - WEB SOLUTIONS THAT BUILD BUSINESSES: https://byte-egnyte.com 💵 #মাহফুজস্যারেরগান #হেডফোনেরপ্যাঁচ #জবরখবর #বাংলাখবর #ঢাকানিউজ #বাংলারখবর #ক্রিকেট #সদ্যপাওয়া #ব্রেকিংনিউজ
0 notes
banglarchokhbdnews · 4 years ago
Text
ইফতারে স্বাস্থ্যকর চিকেন মোমো
ইফতারে স্বাস্থ্যকর চিকেন মোমো
বাংলার চোখ সংবাদ : ইফতারে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার এবং ভাজা-পোড়া জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সারাদিন পেট খালি থাকার কারণে ইফতারে এমন কোনো খাবার খাওয়া যাবে না, যা গ্যাস্ট্রিকসহ অন্যান্য সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই এসময় অতিরিক্ত মশলাদার খাবারও এড়িয়ে চলুন। ইফতারে স্বাস্থ্যকর কিছু খেতে চাইলে তৈরি করতে পারেন চিকেন মোমো। অল্প মশলা দিয়ে ভাপে তৈরি এই খাবার খেতেও সুস্বাদু। জেনে নিন…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
eimohurte · 5 years ago
Text
পরিস্থিতি সঙ্কটাপূর্ণ, তবুও লড়াই চালাব: ব্রিটেনের চিকিৎসক
কলকাতায় চিকিৎসকদের অনেকেই কোভিড-১৯ অতিমারীর প্রেক্ষিতে বেশ সমস্যার মধ্যে। সংবাদ মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি, সারাদিন হাসপাতালে লড়াই করে বাড়িতে ফিরে আসার পরে তাদের কারোর কপালে জুটছে হাউজিং স��সাইটির তরফে হুমকি, কারোর বাড়িওয়ালা তাকে তাড়ানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। কারণ একটাই, চিকিৎসকের মাধ্যমেই যদি ঘটে যায় সংক্রমণ! ভারতের অন্যত্রও ছবিটা খুব আলাদা নয়, এমন খবরও পাচ্ছি। বিশ্বময় এই লড়াইয়ে যারা অগ্রবর্তী সৈনিক,…
View On WordPress
0 notes
dhaka18 · 5 years ago
Text
১৬ ডিসেম্বর ১৬ টাকায় প্লেনের টিকিট!
১৬ ডিসেম্বর ১৬ টাকায় প্লেনের টিকিট!
নিউজ ডেস্ক : মহান বিজয় দিবসে মাত্র ১৬ টাকায় এয়ার টিকিট বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে অনলাইন টিকিট এজেন্সি ২৪ টিকিট ডটকম।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর সারাদিন ২৪ ঘণ্টার জন্য পাওয়া যাবে ‘বিজয় উল্লাস অফার’।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুধু অভ্যন্তরীণ রুটে এয়ার টিকিট কেনার ক্ষেত্রে প্রতি ১৬ জনের একজন ১৬ টাকায় টিকিট কিনতে পারবেন।
বিকাশ, ডিমানি, সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, ইবিএল, লংকা-বাংলাসহ আরও…
View On WordPress
0 notes
paathok · 4 years ago
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/123064
বিএনপি সারাদিন সরকারের বিষোদগার করে সন্ধ্যায় বলে কথা বলার অধিকার নেই: তথ্যমন্ত্রী
.
আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, টেলিভিশনের টক-শোগুলো শুনুন, সেখানে সরকারকে কি ভাষায় সমালোচনা করা হয়। আমরা মনে করি এই সমালোচনা থাকতে হবে। সমালোচনা না থাকলে গণতন্ত্র নষ্ট হয়, গণতন্ত্রের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। গঠনমূলক সমালোচনা হচ্ছে বিউটি অব ডেমোক্রেসি এবং সেই সমালোচনাকে সমাদৃত করার মানসিকতা থাকতে হয়।
তিনি মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এখন দেখবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সকাল বেলা কড়া ভাষায় সরকারের সমালোচনা করেন, আবার সেটার সাথে প্রতিযোগিতা করে দুপুরে রিজভী আহমেদ আরেকটি সংবাদ সম্মেলন করে আরো কড়া ভাষায় সরকারের সমালোচনা করেন। পাশাপাশি প্রেস ক্লাবে গিয়ে গয়শ্বর চন্দ্র রায় কিংবা অন্য কেউ আরেকবার বক্তৃতা দিয়ে বলেন, আমাদের কথা বলার কোন অধিকার নাই। বিএনপি নেতারা সারাদিন সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে সন্ধ্যায় বলেন আমাদের কথা বলার অধিকার নেই।
প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে ও যুগ্ন সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান ও কলিম সরওয়ার, সহসভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজা, বিএফইউজে’র সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সমালোচনাকে সমাদৃত করার সংস্কৃতি লালন করেন। আমি যখন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলাম, তখন যেই পত্রিকা ব্যঙ্গ করে আমার কার্টুন ছাপিয়েছিল প্রথম পাতায়, সেই পত্রিকাকে জাতীয় পরিবেশ পদক দেয়ার জন্য আমি নিজেই নাম প্রস্তাব করেছিলাম এবং তারা পেয়েছিল। কারণ আমরা মনে করি দায়িত্বে থাকলে সমালোচনা হবে এবং সেই সমালোচনা সহ্য করার মানসিকতা দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের থাকতে হয়। না হয় বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে না।
তিনি বলেন, অনেক সমালোচনা হচ্ছে, রাত বারটার পরে যদি টক-শো শোনেন, সবগুলো টক-শো যদি কারো উপসংহারে আসে তাহলে মনে হবে দেশে কোন কিছুই হচ্ছে না। কিন্তু বাস্তবতাটা হচ্ছে ব্লুমবার্গ করোনা নিয়ে যেই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেখানে বলছে করোনা মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় সবগুলো দেশের উপরে বাংলাদেশের অবস্থান এবং পুরো পৃথিবীতে বাংলাদেশের অবস্থান ২০ তম। জনবহুল বাংলাদেশে মানুষের ঘনত্ব পৃথিবীতে সর্বোচ্চ, মাথাপিছু কৃষি জমির পরিমাণ পৃথিবীতে সর্বনিম্ন।
যখন ভালো কাজের প্রশংসা হয় না অহেতুক সমালোচনা হয়, তখন কিন্তু যারা ভালো কাজ করেন তারা হতাশ হন। তখন মানুষ ভালো কাজ করার জন্য উৎসাহিত হন না। অবশ্যই সমালোচনা হবে, সমালোচনা থাকবে, এটির পাশাপাশি ভালো কাজের প্রশংসাও দরকার। না হয় রাষ্ট্র সমাজ এগুবে না – বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে গণমাধ্যম হচ্ছে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। রাষ্ট্রের যদি কোন একটি স্তম্ভ সঠিকভাবে কাজ না করে তাহলে রাষ্ট্রের ভিত নষ্ট হয়ে যায়। এটি মাথায় রেখে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের সাথে যুক্তরা যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন এবং স্বাচ্ছন্দে জীবন-যাপন করতে পারেন সেক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছেন।
তিনি বলেন, করোনাকালে সবকিছু যখন বন্ধ হয়ে গেছে তখন সাংবাদিকদের কলম বন্ধ হয়নি। আমরা লক্ষ্য করেছি দেশে কিংবা পৃথিবীতে যখন কোন সঙ্কটময় পরিস্থিতি তৈরি হয় তখন একটি মহল সেটিকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে সমাজের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি করা যায়, ভয়ভীতির সঞ্চার করা যায়, গুজব রটিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে সমাজে অস্থিরতা তৈরি করা যায় সেজন্য ওঁৎ পেতে থাকে। এই করোনাকালের শুরুতেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু যাতে গুজব রটাতে না পারে ও মিথ্যা সংবাদের মাধ্যমে সমাজে অস্থিরতা তৈরি না হয়, সে ব্যাপারে মূলধারার গণমাধ্যমগুলো অত্যন্ত যত্নশীল ছিল এবং কঠোরভাবে কাজ করেছে। এ কারণে এই করোনাকালে গুজব কিংবা মিথ্যা সংবাদ খুব বেশি কাজে আসেনি। এজন্য গণমাধ্যমের সাথে যুক্তদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
0 notes