#শুক্রাণু কি
Explore tagged Tumblr posts
shafinit · 1 year ago
Text
শুক্রাণু কি ? পুরুষের বন্ধ্যাত্বের লক্ষণ এবং পুরুষের বন্ধ্যাত্ব দূর করার উপায় ?শুক্রাণু বৃদ্ধির উপায় বা বীর্যে শুক্রাণু বৃদ্ধির খাবার ?
শুক্রাণু কি ? পুরুষের বন্ধ্যাত্বের লক্ষণ এবং পুরুষের বন্ধ্যাত্ব দূর করার উপায় ?শুক্রাণু বৃদ্ধির উপায় বা বীর্যে শুক্রাণু বৃদ্ধির খাবার ?
শুক্রাণু কি ?
শুক্রাণু বলতে পুরুষ প্রজনন কোষকে বোঝায় যা অণ্ডকোষে উৎপন্ন হয়। শুক্রাণু এবং ডিম্বানুর মিলনের ফলে গর্ভাবস্থা তৈরী হয়। স্বামী এবং স্ত্রীর মিলনের সময় বীর্যপাতের সঙ্গে বীর্য স্ত্রীর জরায়ুতে প্রবেশ করে সেখান থেকে, শুক্রাণু মহিলাদের ডিম্বাশয় দ্বারা নির্গমনকৃত ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করার জন্য জরায়ুমুখের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করে।
infertility & Health tips এর আপডেট তথ্য পেতে google news” অনুসরণ করুন
শুক্রাণুতে কি কি থাকে ?
পুরুষের শুক্রাণুতে ২৩টি ক্রোমোসোম থাকে এবং নারীর ডিম্বাণুর ২৩টি ক্রোমোসোম থাকে । পুরুষের ২৩ জোড়া এবং নারীর ২৩ জোড়া ক্রোমোসোম  সঙ্গে একত্রিত হয়ে ৪৬টি ক্রোমোসোম বিশিষ্ট ডিপ্লয়েড কোষ তৈরি করে। স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ভিতরে শুক্রাণু এপিডিডিমিসে সঞ্চিত থাকে এবং বীর্যস্খলনের সময় বীর্য নামের তরলের সাহায্যে শুক্রাণু নির্গত হয়।
শুক্রাণু তৈরি হতে কত সময় লাগে?
সাধারণত শুক্রাণু তৈরি করার জন্য প্রায় তিন মাস সময় লাগে। শুক্রাণু তৈরীর প্রক্রিয়া অবিচ্ছিন্ন. অণ্ডকোষ ক্লান্তিহীন শুক্রাণু তৈরী এবং সঞ্চয় করে। একজন পুরুষের শরীরের মধ্যে, পরিপক্ক শুক্রাণু অণ্ডকোষের ভিতরে কয়েক সপ্তাহ বেঁচে থাকতে পারে।
আরও জানুনঃগর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা এবং গর্ভবতী মায়ের খাবার ?
কত বছর বয়সে পুরুষের বীর্য উদ্ভাবন বন্ধ হয় ?
পুরুষের শুক্রাণু সারা জীবন তৈরী হয়। ৩৫ বছরের পর শুক্রাণু তৈরীর পরিমাণ কমতে থাকে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে শুক্রাণুর গতিশীলতা, আয়তন এবং জেনেটিক গুণগত মান কমতে থাকে এবং গর্ভধারণের সম্ভবনা কমতে থাকে।
কত শতাংশ স্পার্ম ৪ দিন বাঁচে ?
শুক্রাণু তার সাথে ডিম্বাণুর বেঁচে থাকার সময় যথাক্রমে 1.4 দিন তার সাথে 0.7 দিন বলে ধারনা করা যায়। শুক্রাণুর ৪.৪ দিনের অধিক বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ৫% এবং ৬.৮ দিনের বেশি বেঁচে থাকার সম্ভাবনা 1% থাকবে।
আরও জানুনঃ গর্ভবতী মায়ের যত্ন কি কি এবং গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা ? গর্ভবতী মায়ের কি কি চেকআপ করা দরকার ?
৫০ বছর বয়সে কি পোলা সন্তান হতে পারে ?
সংক্ষেপে, হ্যাঁ । যদিও বেশিরভাগ পুরুষ ৫০ বছর বয়সে সন্তান ধারণ করতে পারে। কিন্তু ৪০ বছর বয়সের পরে এটি আস্তে আস্তে অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়ে এবং এর অনেকগুলি রিজন রয়েছে, যার ভিতরে রয়েছে: বয়সের সাথে শুক্রাণুর গুণমান কমতে থাকে।
বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যা কত ?
youtube
0 notes
biborun · 1 year ago
Text
অন্ডকোষের শিরায় ব্যাথা ও প্রতিকার কি । রগ ফুলে যাওয়া কারন
অণ্ডকোষ হল পেনিছ বা পুরুষের যৌনাঙ্গের থলি। পুরুষদের এই অণ্ডকোষে দুটি গোলাকার বা ডিম্বাকৃতির অণ্ডকোষ থাকে। এই অণ্ডকোষ লক্ষ লক্ষ শুক্রাণু তৈরি ও সঞ্চয় করে। কিন্তু যদি অন্ডকোষের শিরা ব্যথা করে বা রগ ফুলে যায় এবং ব্যথা অনুভূত হয়, তাহলে এর কার্যকারিতা ব্যাহত হয় যা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করলে পরবর্তীতে তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
আপনি যদি অন্ডকোষের শিরায় ব্যাথা বা রগ ফুলে যাওয়া ব্যথা অনুভব করেন তবে এবং তা কিভাবে প্রতিকার করবে তা জানতে আপনাকে আমাদের নিবন্ধটি পড়তে হবে। আজকের আর্টিকেলে আমরা অন্ডকোষের রগ কেন ফুলে, অন্ডকোষের শিরায় ব্যাথার কারন কি, অন্ডকোষের শিরায় ব্যাথা কমানো উপায় এবং অন্ডকোষের শিরায় ব্যাথা ঔষধ কি কি ইত্যাদি সকল অন্ডকোষের রগ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করব। আশা করি নিবন্ধন মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। চলুন আজকের প্রতিবেদনটি শুরু করা যাক:
0 notes
love23554 · 6 years ago
Text
বিজ্ঞান বলে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ্য পুরুষ একবার সহবাস করলে যে পরিমান বীর্য নির্গত হয় তাতে ৪০ কোটি শুক্রাণু থাকে। তো, লজিক অনুযায়ি মেয়েদের গর্ভে যদি সেই পরিমান শুক্রানু স্থান পেতো তাহলে ৪০ কোটি বাচ্চা তৈরি হতো!
এই ৪০ কোটি শুক্রাণু মায়ের জরায়ুর দিকে পাগলের মত ছুটতে থাকে, জীবিত থাকে মাত্র ৩০০-৫০০ শুক্রাণু। আর বাকিরা? এই ছুটে চলার পথে ক্লান্ত অথবা পরাজিত হয়ে মারা যায়। এই ৩০০-৫০০ শুক্রাণু যেগুলো ডিম্বানুর কাছে যেতে পেরেছে, তাদের মধ্যে মাত্র একটি মহা শক্তিশালী শুক্রাণু ডিম্বানুকে ফার্টিলাইজ করে অথবা ডিম্বানুতে আসন গ্রহন করে। সেই ভাগ্যবান শুক্রাণুটি হচ্ছে আপনি কিংবা আমি অথবা আমরা সবাই।
কখনও কি এই মহাযুদ্ধের কথা মাথায় এনেছেন?
--------------------------------------------------------------
❒ আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন- তখন ছিলোনা কোন চোঁখ হাত পা মাথা, তবুও আপনি জিতেছিলেন।
❒ আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন- তখন আপনার ছিলোনা কোন সার্টিফিকেট, ছিলোনা মস্তিষ্ক তবুও আপনি জিতেছিলেন।
❒ আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন- তখন আপনার ছিলোনা কোন শিক্ষা, কেউ সাহায্য করেনি তবুও আপনি জিতেছিলেন।
❒ আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন- তখন আপনার একটি গন্তব্য ছিলো এবং সেই গন্তব্যের দিকে উদ্দেশ্য ঠিক রেখে একা একাগ্র চিত্তে দৌড় দিয়েছিলেন এবং শেষ অবধি আপনিই জিতেছিলেন।
এরপর-
----------
❒ বহু বাচ্চা মায়ের পেটেই নষ্ট হয়ে যায় কিন্তু আপনি মারা যাননি, পুরো ১০ টি মাস পূর্ণ করতে পেরেছেন।
❒ বহু বাচ্চা জন্মের সময় মারা যায় কিন্তু আপনি টিকেছিলেন।
❒ বহু বাচ্চা জন্মের প্রথম ৫ বছরেই মারা যায় কিন্তু আপনি এখনো বেঁচে আছেন।
❒ অনেক শিশু অপুষ্টিতে মারা যায় কিন্তু আপনার কিছুই হয়নি।
❒ বড় হওয়ার পথে অনেকেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে কিন্তু আপনি এখনো আছেন।
আর আজ-
---------------
আপনি কিছু একটা হলেই ঘাবড়ে যান, নিরাশ হয়ে পড়েন, কিন্তু কেন? কেনো ভাবছেন আপনি হেরে গিয়েছেন? কেন আপনি আত��মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন? এখন আপনার বন্ধু বান্ধব, ভাই বোন, সার্টিফিকেট, সবকিছু আছে। হাত-পা আছে, শিক্ষা আছে, প্ল্যান করার মস্তিষ্ক আছে, সাহায্য করার মানুষ আছে, তবুও আপনি আশা হারিয়ে ফেলেছেন। যখন আপনি জীবনের প্রথম দিনে হার মানেননি। ৪০ কোটি শুক্রাণুর সাথে মরণপণ যুদ্ধ করে ক্রমাগত দৌড় দিয়ে কারো সাহায্য ছাড়াই প্রতিযোগিতায় একাই বিজয়ী হয়েছেন।
তাহলে হতাশা কেনো?
----------------------------
❒ কেনো একজন আপনার লাইফ থেকে চলে গেলে
সেটা মেনে নিতে পারেন না?
❒ কেনো আপনি একটা কিছু হলেই ভেঙে পড়েন?
❒ কেনো বলেন আমি আর বাচতে চাইনা?
❒ কেনো বলেন আমি হেরে গিয়েছি?
এমন হাজারো কথা তুলে ধরা সম্ভব, কিন্তু আপনি কেনো হতাশ হয়ে পড়েন? আপনি কেন হারবেন? কেন হার মানবেন? আপনি শুরুতে জিতেছেন, শেষে জিতেছেন, মাঝপথেও আপনি জিতবেন। নিজেকে সময় দিন, মনকে প্রশ্ন করুন- কি প্রতিভা আছে আপনার? মনের চাওয়া কে সব সময় মূল্য দিন, সব সময় আল্লাহ কে স্বরণ করুন। দেখবেন আপনি জিতে যাবেন,
শুধু নিজের মনের জোর নিয়ে যুদ্ধ করতে থাকুন, আপনি জিতবেন মনের ভিতর এই কন্ফিডেন্স রাখুন।
1 note · View note
fastnewsassam1 · 3 years ago
Photo
Tumblr media
বিজ্ঞান বলে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ্য পুরুষ একবার সহবাস করলে যে পরিমান বীর্য নির্গত হয় তাতে ৪০ কোটি শুক্রাণু থাকে। লজিক অনুযায়ি মেয়েদের গর্ভে যদি সেই পরিমান শুক্রানু স্থান পেতো তাহলে ৪০ কোটি বাচ্চা তৈরি হতো! এই ৪০ কোটি শুক্রাণু মায়ের জরায়ুর দিকে পাগলের মত ছুঁটতে থাকে, জীবিত থাকে মাত্র ৩০০-৫০০ শুক্রাণু। আর বাকিরা? এই ছুঁটে চলার পথে ক্লান্ত অথবা পরাজিত হয়ে মারা যায়। এই ৩০০-৫০০ শুক্রাণু যেগুলো ডিম্বানুর কাছে যেতে পেরেছে, তাদের মধ্যে মাত্র একটি মহা শক্তিশালী শুক্রাণু ডিম্বানুকে ফার্টিলাইজ করে অথবা ডিম্বানুতে আসন গ্রহন করে। সেই ভাগ্যবান শুক্রাণুটি হচ্ছে আপনি কিংবা আমি অথবা আমরা সবাই। কখনও কি এই মহাযুদ্ধের কথা মাথায় এনেছেন ? ❒ আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন- তখন ছিলনা কোন চোঁখ হাত পা মাথা, তবুও আপনি জিতেছিলেন। ❒ আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন- তখন আপনার ছিলনা কোন সার্টিফিকেট, ছিলোনা মস্তিষ্ক তবুও আপনি জিতেছিলেন। ❒ আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন- তখন আপনার ছিলনা কোন শিক্ষা, কেউ সাহায্য করেনি তবুও আপনি জিতেছিলেন। ❒ আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন- তখন আপনার একটি গন্তব্য ছিল এবং সেই গন্তব্যের দিকে উদ্দেশ্য ঠিক রেখে একা একাগ্র চিত্তে দৌড় দিয়েছিলেন এবং শেষ অবধি আপনিই জিতেছিলেন। ❒ বহু বাচ্চা মায়ের পেটেই নষ্ট হয়ে যায় কিন্তু আপনি মারা যাননি, পুরো ১০ টি মাস পূর্ণ করতে পেরেছেন। ❒ বহু বাচ্চা জন্মের সময় মারা যায় কিন্তু আপনি টিকেছিলেন। ❒ বহু বাচ্চা জন্মের প্রথম ৫ বছরেই মারা যায় কিন্তু আপনি এখনো বেঁচে আছেন। ❒ অনেক শিশু অপুষ্টিতে মারা যায় কিন্তু আপনার কিছুই হয়নি। ❒ বড় হওয়ার পথে অনেকেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে কিন্তু আপনি এখনো আছেন। আর আজ- আপনি কিছু একটা হলেই ঘাবড়ে যান, নিরাশ হয়ে পড়েন, কিন্তু কেন? কেন ভাবছেন আপনি হেরে গিয়েছেন? কেন আপনি আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন? এখন আপনার বন্ধু বান্ধব, ভাই বোন, সার্টিফিকেট, সবকিছু আছে। হাত-পা আছে, শিক্ষা আছে, প্ল্যান করার মস্তিষ্ক আছে, সাহায্য করার মানুষ আছে, তবুও আপনি আশা হারিয়ে ফেলেছেন। যখন আপনি জীবনের প্রথম দিনে হার মানেননি। ৪০ কোটি শুক্রাণুর সাথে মরণপণ যুদ্ধ করে ক্রমাগত দৌড় দিয়ে কারো সাহায্য ছাড়াই প্রতিযোগিতায় একাই বিজয়ী হয়েছেন। তাহলে হতাশা কেন ? ❒ কেন একজন আপনার লাইফ থেকে চলে গেলে সেটা মেনে নিতে পারেন না ? ❒ কেন আপনি একটা কিছু হলেই ভেঙে পড়েন ? ❒ কেন বলেন আমি আর বাঁচতে চাইনা ? ❒ কেন বলেন, আমি হেরে গিয়েছি ? এমন হাজারো কথা তুলে ধরা সম্ভব, কিন্তু আপনি কেন হতাশ হয়ে পড়েন ? আপনি কেন হ��রবেন? কেন হার মানবেন? আপনি শুরুতে জিতেছেন, শেষে জিতেছেন, মাঝপথেও আপনি জিত https://www.instagram.com/p/Cf3PgLRpwKb/?igshid=NGJjMDIxMWI=
0 notes
masud625-blog · 3 years ago
Text
ইরেক্টাইল ডিসফাংশন (লিঙ্গ শিথিলতা) বা লিঙ্গ উত্থান জনিত সমস্যা
🔸আপনি কি যৌন বা সেক্স সমস্যায় ভুগছেন??? •সর্বোত্তম এবং সর্বশ্রেষ্ঠ আয়ুর্বেদিক যৌন বিশেষজ্ঞ। পুরুষের যৌন সমস্যার সমাধান #যৌন_সমস্যা #পুরুষত্বহীনতা #ধাতু_দুর্বলতা #ধ্বজভঙ্গ     ডঃ মোঃ জামান খান   ফোন 01717-499374   🛑 আমাদের অনেকেরই ধারণা যে, #লিঙ্গ হয়তো #বড় করা সম্ভব নয়। কিন্তু সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে লিঙ্গ অবশ্যই পরিমাণমতো বড়, মোটা ও শক্তিশালী করা সম্ভব।বিভিন্ন কারণে লিঙ্গ ছোট হয়ে যেতে পারে। যেমন- ·🛑#হস্তমৈথুনের কারণে লিঙ্গের শিরা-উপশিরাগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে লিঙ্গ শিথিল ও ছোট হয়ে যেতে পারে।· 🛑#প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের সমস্যার কারণে লিঙ্গ ছোট হয়ে যেতে পারে।· 🛑#লিঙ্গে রক্তের চাপ কম আসার কারণে লিঙ্গ ছোট হয়ে যেতে পারে।· 🛑লোহিত রক্তকণিকার স্বল্পতার জন্য লিঙ্গ ছোট হয়ে যেতে পারে।· 🛑 হার্টের শক্তি কমে যাওয়ার মাধ্যমে লিঙ্গে পর্যাপ্ত রক্ত প্রবাহ কমে গেলে লিঙ্গ ছোট হয়ে যেতে পারে। ·🛑 মানসিক সমস্যা ও দুশ্চিন্তার কারণেও লিঙ্গ ছোট হয়ে যেতে পারে। 🚨🛑এছাড়া আরো অনেক কারণে লিঙ্গ ছোট হয়ে যেতে পারে। সঠিক রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে লিঙ্গের ছোট হবার কারণ বের করে উন্নত #হোমিও #চিকিৎসা নিলে অবশ্যই #লিঙ্গের আকার বড় করা সম্ভব। আপনার যদি কোন রকম যৌন বা গুপ্ত সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আমাদের সাথে নির্দ্বিধায় যোগাযোগ করতে পারেন। ✅1️⃣ লিঙ্গ নরম ,দুর্বল একবার স্ট্রং হলে দ্বিতীয় বার স্ট্রং হতে চায় না ✅2️⃣হস্তমৈথুন বা হাত দিয়ে সব শেষ করে ফেলেছেন ✅3️⃣আপনার গোপন অঙ্গ ছোট ও নরম থাকে ✅4️⃣পুরুষলিঙ্গ ১ -২ ইঞ্চি মোটা, স্ট্রং করতে চান ✅5️⃣ অল্প উত্তেজনায় লিঙ্গের মাথায় লালা চলে আসে ✅6️⃣ অসময়ে বীর্যপাত হয়ে যায় ✅7️⃣যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে এক রাতে 2-3 বার মিলন করতে চান ✅8️⃣মিলনে সঙ্গীকে পূর্ন তৃপ্তি দিতে ব্যার্থ ✅9️⃣বীর্য জলের মত পাতলা ✅🔟অতি দ্রুত বীর্যপাত হয় ✅1️⃣1️⃣পুরুষত্বহীনতা ও যৌন দুর্বলতা আছে ✅1️⃣2️⃣লিঙ্গ ঢুকানোর সাথে সাথে আউট হয়ে নেতিয়ে পড়ে, ✅1️⃣3️⃣আগের মতো আর আগ্রহ ���াই। ✅1️⃣4️⃣বার বার মিলন করার ইচ্ছা থাকলেও প্রিয় তমার কাছে যেতে ভয় পাচ্ছেন ✅ পুরুষের যেকোনো যৌন সমস্যার স্থায়ী সমাধান। ✅ ইরেক্টাইল ডিসফাংশন (লিঙ্গ শিথিলতা) বা লিঙ্গ উত্থান জনিত সমস্যা। ✅ পুরুষত্বহীনতা বা যৌন অক্ষমতা। ✅ দ্রুত বীর্যস্খলন/বীর্যপাত বা শীঘ্রপতন। ✅ লিঙ্গ ক্ষুদ্র, বক্র এবং সরু বা চিকন। ✅ স্ত্রী মিলন বা সঙ্গমে অনীহা। ✅ শুক্রতারল্য এবং শুক্রাণু স্বল্পতা। #যৌন_অক্ষমতা #শুক্রতারল্য #লিঙ্গ_শিথিলতা #স্ত্রী_মিলন_বা_সঙ্গমে_অনিহা #পুরুষাঙ্গ_ক্ষুদ্র_বক্র_সরু  #শুক্রানু_স্বল্পতা #লিঙ্গ_শিথিলতা, #ধ্বজভঙ্গ, #শীঘ্রপতন, #পুরুষত্বহীনতা, #যৌন_অক্ষমতা, #স্ত্রী_মিলন_বা_সঙ্গমে_অনিহা, #পুরুষাঙ্গ_ক্ষুদ্র_বক্র_সরু, #স্বপ্নদোষ, #প্রসাবে_ধাতু_ক্ষয়, #প্রস্রাবে_জ্বালাপোড়া, #শুক্রতারল্য, #শুক্রানু_স্বল্পতা #পুরুষের_স্বল্প_শুক্রাণুর_কারণে_বন্ধ্যাত্ব, #ফাইমোসিস #প্যারাফাইমোসিস #সিফিলিস, #গনোরিয়া, #একশি��া এবং #অর্শ প্রভৃতিসহ যেকোনো যৌন বা গুপ্ত সমস্যার আয়ুর্বেদিক ঔষধ এর মাধ্যমে সুচিকিৎসা করা হয়। কোন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই। .
0 notes
srisuvrorkolome · 3 years ago
Text
অনেক অন্ধকার
কখনো মনে হয়, কি লাভ ডিম্বানু নিষিক্ত করে
ঝাঁকে ঝাঁকে শুক্রাণু পাঠিয়ে।
অন্ধকার নিজেদের রাতে বরং পাশাপাশি পড়ে থাকা ভালো।
পরস্পর আলিঙ্গন আশ্লেষ ঘিরে
ভালোবাসার সময় এখনো আসেনি মনে হয়।
শরীরে শরীর শুধু নয়। যৌবন উদ্বৃত্ত হলে
হয়ত ভালোবাসা মধু হয়ে শরীর জুড়াবে
রাতের একান্ত আলোর বুক চিরে।
তবু কি মানব নিষিক্ত হবে ডিম্বাণু শরীরে।
হয়তো বা আমাদেরই ��্রূণে
আমরাই এককোষী স্বার্থের জঠরে।
লোভের আগুন হয়ে লালসার বাতিঘরে
আলো দেব এযুগেরই মতন
আগামীর শতকে।
তার চেয়ে কিছুটা বিন্যস্ত সময়
বরং খুঁজে নেওয়া যাক পরস্পর
রাতের শরীরে।
ডিম্বাণু নিষিক্তের আগে
এবং পরে।।
(১৮/০৫/১২)
0 notes
gonopress-blog · 4 years ago
Text
নিজেই মা ও বাবা হবেন লিঙ্গ পরিবর্তন করে
Tumblr media
নিজেই বাবা, আবার নিজেই মা-ও হবেন তিনি। এমন ইচ্ছেই মনে বইছেন গুজরাতের এক রূপান্তরকামী চিকিৎসক। ২৫ বছরের চিকিৎসক জেসনুর দায়ারা খুব শীঘ্রই লিঙ্গ বদলের অস্ত্রোপচার করাবেন। তবে পুরুষ থেকে নারী হওয়ার আগে তিনি সংগ্রহ করে রাখলেন তাঁর শুক্রাণু। তাঁর আশা, ভবিষ্যতে একজন পূর্ণাঙ্গ নারী হয়ে যখন মা হবেন তিনি, তখন নিজেরই শুক্রাণু ব্যবহার করবেন। একই সঙ্গে সন্তানের বাবা ও মা হওয়ার বিরল ঘটনার সাক্ষী হবেন তিনি। নিজেই মা ও বাবা হবার বিষয়টি চিকিৎসা বিজ্ঞানে আদৌ সম্ভব কি না তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। জানা গিয়েছে, বিষয়টি একেবারে অসম্ভব নয়। তবে নিজেরই শুক্রাণু ব্যবহার করে মা হতে চাইলে, জেসনুর সন্তানকে নিজের গর্ভে পালন করতে পারবেন না। তাঁকে ধারণ করতে ‘অন্য’ মায়ের দ্বারস্থ হতে হবে। শুধু তা-ই নয় নিজের ডিম্বাণুও ব্যবহার করতে পারবেন না ওই চিকিৎসক। সে ক্ষেত্রেও তাঁকে ‘ডোনর’-এর সাহায্য নিতে হবে। অবশ্য এত শর্ত সত্ত্বেও পিছিয়ে আসার পাত্র নন জেসনুর। তরুণ চিকিৎসক জানিয়েছেন, ‘মা’ হওয়া মানে শুধু শিশুকে গর্ভে ধারণ করা নয়। তাঁর কথায়, ‘‘মা গর্ভে নয়, মন থেকে হতে হয়।’’ পুরুষ শরীরে জন্মালেও একটু বড় হতেই নিজেকে অস্বাভাবিক লাগতে শুরু করেছিল জেসনুরের। ‘‘পুরুষ শরীরে আটকে থাকা নারী মনে হত নিজেকে। আমার মা-দিদিদের মতো শাড়ি পরার, ওষ্ঠরঞ্জনী লাগানোর প্রবল ইচ্ছে হতে,’’— অনেক কষ্টে নিজেকে আটকে রাখতেন লুকিয়ে রাখতেন জেসনুর। গুজরাতের পাঁচমহলের গোধরার বাসিন্দা তিনি। সম্প্রতি রাশিয়া থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি নিয়ে ফিরেছেন। জেসনুর জানিয়েছেন, বিদেশে পড়াশোনা করতে যাওয়া তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। শরীরে তিনি এখনও নারী না হলেও নারী হিসেবেই জীবনধারণ করেন। শিক্ষাই এই সাহস আর আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে তাঁকে। এ বছরের শেষেই ভারতীয় মেডি��্যাল Read the full article
0 notes
shafinit · 1 year ago
Text
মেয়েদের ডিম্বাণু বড় করার উপায় ? কি কি খাবার খেলে ডিম্বাণু বড় হয় ?
মেয়েদের ডিম্বাণু বড় করার উপায় ? কি কি খাবার খেলে ডিম্বাণু বড় হয় ?
মেয়েদের ডিম্বাণু কি ?
  ডিম্বানু হচ্ছে মেয়ে প্রজনন কোষ। এগুলো হচ্ছে মানব দেহের বৃহত্তম কোষ এবং এগুলো ডিম্বাশয় এর ভিতরে উৎপাদিত হয়। ডিম্বানু ওভা বা oocytes নামেও পরিচিত। ডিম্বাণু যৌন মিলনের সময় নব মানবজীবন সৃষ্টি করার জন্য এটা শুক্রানুর দ্বারা নিষিক্ত হয়। একজন মহিলার প্রজনন ক্ষমতা প্রধাননত বয়সন্ধিকাল হতে শুরু হয় তার সাথে মনপোজ পর্যন্ত চলতে থাকে। ডিম্বাশয় প্রতিমাসে ১টি পরিপক্ক ডিম্বাণু বের করে যাকে ডিম্বস্ফোটন বলা হয়। অতঃপর নির্গমনকৃত ডিম্বাণু ফ্যালোপিয়ান টিউবের মধ্য দিয়ে অগ্রসর থেকে থাকে তার সাথে এটি নিষিক্তকরণের জন্য শুক্রানুর সম্মুখীন হয়। যদি ডিম্বাণু তার সাথে শুক্রাণু পাশাপাশি মিলিত হয় তাহলে নিষিক্ত ডিম জরায়ুতে প্রবেশ করে এবং গর্ভ সিচুয়েশন চালু হয় অর্থাৎ সন্তান পেটে আসে।
আরও জানুন: পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম কি ? পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম লক্ষণ ?
একটি বিষয় মাথায় রাখা খুবই চাই যে একজন ভদ্র মহিলা সীমিত সংখ্যক ডিম্বাণু নিয়ে জন্মগ্রহণ করে এবং সময়ের সঙ্গে সাথে এর সংখ্যা আস্তে আস্তে কমতে থাকে এবং এর গুণগত মানও হ্রাস পেতে থাকে। মহিলাদের বয়স বাড়ার সাথে সঙ্গে তাদের ডিমের গুণগত মান কমতে থাকে।
মেয়েদের ডিম্বাণু বড় করার উপায় ?
সময় মত সহবাস করা ?
গর্ভধারণের জন্য অবশ্যই সময়মতো সহবাস করা দরকার। যদি ২৮ দিনের চক্র থাকে কিন্তু নিশ্চয়ই ডিম্বাণু উর্বর থাকবে ১৪ তম দিনে। এই ১৪ তম দিনে সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বহু থাকে। এই কারণে ২৮ দিনের চক্রে ১২-১৪ তার সাথে ১৬ তম দিনে সহবাস করার জন্য হবে। এই সময়গুলোতে ঘনঘন সহবাস করলে গর্ভধারণের সমূহ সম্ভাবনা থাকে। ডিম্বাণু বড় করার উপায় নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
আরও জানুনঃ টেস্ট টিউব বেবি কি ? টেস্ট টিউব বেবি কিভাবে হয় ? এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি কাকে বলে এবং এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি কেন হয় ?
আবেদনময় সহবাস করুন ?
যেহেতু সহবাস করার দ্বারাই গর্ভধারণ ঘটে সেহেতু অধিক অধিক সহবাস করায় সবচেয়ে ভালো। গবেষণায় করে দেখা যায় যে সময়টাতে উর্বরতা থাকে না সেই সময়ে সহবাস করলে উর্বরতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা সবচেয়ে অধিক থাকে। এজন্য আপনার স্ত্রীর গর্ভধারণ উর্বরতা কে বাড়ানোর জন্য প্রবল নিয়মিত সহবাস করার হ্যাবিট গড়ে তুলুন এবং আপনার স্ত্রীকে যথেষ্ট পরিমাণ রিলাস্ক প্রদান করুন।
ডিম্বাণু বড় করার উপায় বা পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া
গর্ভধারণের উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য পুষ্টিকর অন্ন খুবই জরুরী। পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে গর্ভধারণের উর্বরতা বৃদ্ধি করা স��্ভব। বিশেষজ্ঞদের মতে গর্ভধারণের উত্তর বৃদ্ধি করার জন্য হাড়ের স্যুপ খাওয়া প্রয়োজন।
আরও জানুনঃ গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা এবং গর্ভবতী মায়ের খাবার ?
youtube
0 notes
biborun · 1 year ago
Text
অন্ডকোষের রগ ফুলে যাওয়া কমানোর উপায়। অন্ডকোষ ব্যাথার ঔষধ
অণ্ডকোষ পুরুষের যৌনাঙ্গে থলি। পুরুষদের এই অণ্ডকোষে দুটি গোলাকার বা ডিম্বাকৃতির অণ্ডকোষ থাকে। এই অণ্ডকোষ লক্ষ লক্ষ শুক্রাণু তৈরি ও সঞ্চয় করে। কিন্তু যদি অন্ডকোষের রগ ফুলে যাওয়া �� ব্যথা অনুভব করেন তবে তার কার্যপ্রণালীতে ব্যাঘাত ঘটে যার ফলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা না নিলে পরবর্তীতে এটি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
আপনি যদি আপনার অন্ডকোষের রগ ফুলে যাওয়া ও ব্যথা অনুভব করেন তবে কী করবেন তা জানতে চাইলে আপনাকে আমাদের নিবন্ধটি পড়তে হবে। আজকের আর্টিকেলে আমরা অন্ডকোষের রগ কেন ফুলে, রগ ফুলার কারন কি, অন্ডকোষের রগ ফুলে যাওয়া কমানো উপায় এবং অন্ডকোষ ব্যাথার ঔষধ কি কি ইত্যাদি সকল অন্ডকোষের রগ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করব। আশা করি নিবন্ধন মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। চলুন আজকের প্রতিবেদনটি শুরু করা যাক :
0 notes
khutbahs · 5 years ago
Link
মানব সৃষ্টি সম্পর্কে ইসলাম ও বিজ্ঞানের ভাষ্য
পৃথিবীর সব কিছু সৃষ্টির মূল উপাদান পানি। এই মৌলিক উপাদান পৃথিবীর সব জীবদেহের মধ্যে বিদ্যমান। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর প্রাণবান সমস্ত কিছু সৃষ্টি করলাম পানি থেকে’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ৩০)। জীববিজ্ঞানের মতে, সাগরের অভ্যন্তরের পানিতে যে প্রটোপ্লাজম বা জীবনের আদিম মূলীভূত উপাদান রয়েছে তা থেকেই সব জীবের সৃষ্টি। আবার সব জীবদেহ কোষ দ্বারা গঠিত। আর এই কোষ গঠনের মূল উপাদান হচ্ছে পানি। ভিন্নমতে, পানি অর্থ শুক্র। (কুরতুবি)
তা ছাড়া আকাশ ও পৃথিবী বন্ধ ছিল, অর্থাৎ আগে আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষিত হতো না এবং জমিনে তরুলতা জন্মাত না। আল্লাহর ইচ্ছায় বৃষ্টি বর্ষিত হলো এবং মাটি তা থেকে উৎপাদন ক্ষমতা অর্জন করে। (ইবনে আব্বাস)
পৃথিবীর জীবকোষের মূল উপাদান যেমন পানি, তেমনি এই পানিই মাটির উৎপাদন ক্ষমতা লাভের প্রধান উপাদান। মহান আল্লাহ এই ধরণিতে মাটি থেকে একজন প্রতিনিধি সৃষ্টি করেন এবং তারপর তা থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এই মানবজাতি। মহান আল্লাহর ভাষায়, ‘হে মানবমণ্ডলী! আমি তোমাদের এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি। আর তোমাদের বিভিন্ন বংশ ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যেন তোমরা পরস্পরে পরিচিতি লাভ করতে পারো।’ (সুরা হুজুরাত, আয়াত : ১৩)
আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে ‘মানব ক্লোন’। এই ক্লোন পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম দিতে গেলে পুরুষের জীবকোষের প্রয়োজন। অর্থাৎ একজন পুরুষের জীবকোষ বা শুক্রাণু ব্যতীত একজন নারী সন্তান জন্মদানে অক্ষম। কেননা নারীর ডিম্বাণু ক্রমোজম (XX) ও পুরুষের শুক্রাণু ক্রমোজম (SY) পুত্র-কন্যা সন্তান গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এখানে ঈসা (আ.)-এর জন্ম সম্পর্কে প্রশ্ন হতে পারে, কিন্তু মহান আল্লাহ এ প্রশ্নের সমাধান পবিত্র কোরআনে যথাযথভাবে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নিঃসন্��েহে আল্লাহর কাছে ঈসার দৃষ্টান্ত হচ্ছে আদমেরই মতো। তাকে মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেছিলেন অতঃপর তাকে বলেছিলেন, হয়ে যাও, সঙ্গে সঙ্গে হয়ে গেল।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ৫৯)
আদি মানব-মানবী ও তাদের সন্তান সৃষ্টির পূর্ব ও পরের রহস্য নিয়ে নিম্নে আলোকপাত করার প্রয়াস পাব, ইনশাআল্লাহ।
মানব সৃষ্টির আদি কথা
আদি পিতা আদম (আ.)-এর সৃষ্টি নিয়ে বিভিন্ন বস্তুবাদী গবেষক, দার্শনিক নানা বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েছেন। যেমন—আদি মানব সম্প্রদায় বানর ছিল! কালের আবর্তনে পর্যায়ক্রমে বানর থেকে মানবে রূপান্তরিত হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, বর্তমান যুগে কি বিশ্বের কোথাও একটি বানর মানবে রূপান্তরিত হয়ে জীবন যাপন করছে? কিংবা কোনো বানরের গর্ভ থেকে মানব সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়েছে ও বেঁচে আছে? এর জবাব হলো নেতিবাচক। এটা সকলের জানা। আদি মানব কী বস্তু থেকে সৃষ্টি তা মহাগ্রন্থ আল-কোরআনে মহান আল্লাহ স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছেন যে ‘কাদামাটি থেকে মানব সৃষ্টির সূচনা।’ (সুরা সাজদাহ, আয়াত : ৭),
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘আমি মানবের পচা কাদা থেকে তৈরি বিশুদ্ধ ঠনঠনে মাটি।’ (সুরা হিজর, আয়াত : ২৬)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘পোড়া মাটির মতো শুষ্ক মাটি থেকে (মানুষকে) সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা আর-রহমান, আয়াত : ১৪)
আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা সোয়াদ, আয়াত : ৭৫)
আদম (আ.) মাটির সারাংশ থেকে সৃষ্টি। কিন্তু মা হাওয়া (আ.) কী দিয়ে সৃষ্টি—সে সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘অতঃপর তিনি তার (আদম) থেকে তার যুগল (হাওয়াকে) সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা জুমার, আয়াত : ৬)
আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনি তার (আদম) থেকে তার সঙ্গিনীকে সৃষ্টি করেছেন আর বিস্তার করেছেন তাদের দুইজন থেকে অগণিত নারী-পুরুষ।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১)।
অন্যত্র বলেন, ‘তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সঙ্গিনীকে, তোমাদের জন্যই সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা রুম, আয়াত : ২১)
মহান আল্লাহ আদম (আ.)-এর পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে মা হাওয়াকে সৃষ্টি করেছেন। এ বিষয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নারী জাতিকে পাঁজরের বাঁকা হাড় দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়ের মধ্যে একেবারে ওপরের হাড়টি অধিক বাঁকা। যদি তা সোজা করতে যাও, ভেঙে ফেলবে। আর যদি তা ছেড়ে দাও, তবে সব সময় বাঁকাই থাকবে। সুতরাং তোমরা নারীর সঙ্গে উত্তম ও উপদেশমূলক কথাবার্তা বলবে।’ (বুখারি হাদিস : ৩০৮৫)
পৃথিবীতে প্রথম মানব আদম (আ.) মাটি থেকে এবং প্রথম মানবী হাওয়া (আ.) আদমের পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে সৃষ্টি। এতদ্ব্যতীত সকল মানব-মানবী এক ফোঁটা অপবিত্র তরল পদার্থ (বীর্য) থেকে অদ্যাবধি সৃষ্টি হয়ে চলেছে। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘অতঃপর আমি তোমাদের মাটি থেকে সৃষ্টি করেছি। এরপর বীর্য থেকে, জমাট বাঁধা রক্ত থেকে, এরপর পূর্ণ আকৃতি ও অপূর্ণ আকৃতি বিশিষ্ট গোশতপিণ্ড থেকে, তোমাদের কাছে ��্যক্ত করি।’ (সুরা হজ্জ, আয়াত : ৫)
এভাবে আজও মানব বংশবিস্তার অব্যাহত আছে বিবাহ-বন্ধন ও স্বামী-স্ত্রীর মিলন ব্যবস্থার মাধ্যমে, যাতে মহান আল্লাহর মহৎ উদ্দেশ্য সফল হয়।
মানবীয় মর্যাদার বিভিন্ন দিক
মানবীয় মর্যাদার বিভিন্ন দিক আছে। প্রথমত, যে আকার-আকৃতি ও সামঞ্জস্যপূর্ণ শারীরিক কাঠামো মহান আল্লাহ মানুষকে দান করেছেন, তা অন্য কোনো সৃষ্টবস্তুকে দেওয়া হয়নি। দ্বিতীয়ত, যে জ্ঞান মানুষকে দেওয়া হয়েছে, যার দ্বারা তারা নিজেদের জীবন গতিশীল করার জন্য নিত্যনতুন বস্তু আবিষ্কার করেছে, অন্য কোনো সৃষ্টবস্তুকে তা দেওয়া হয়নি। তৃতীয়ত, মানুষকে আসমানি ওহি দেওয়া হয়েছে। এই জ্ঞান দিয়ে তারা কল্যাণ-অকল্যাণ, উপকারী-অপকারী ও ভালো-মন্দের মধ্যে পার্থক্য করতে সক্ষম। চতুর্থত, মানুষকে একধরনের বিশেষ জ্ঞান দেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে সে আল্লাহর অন্য সৃষ্টবস্তু থেকে উপকৃত হতে ও বশে রাখতে সক্ষম। আল্লাহর কিছু সৃষ্টবস্তু এমন আছে, যেগুলোর শক্তিমত্তার কথা ভেবেও মানুষ কিংকর্তব্যবিমূঢ়। অথচ মহান আল্লাহ সেগুলোও মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত করেছেন। যেমন—চাঁদ, সূর্য, বাতাস, পানি মানুষের বশে নেই, কিন্তু দিব্যি এগুলো মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত।
মানুষের প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ হলো, তিনি তাকে বিশেষ দেহ-কাঠামো দান করেছেন। সুন্দর চেহারা, সুষম দেহ, উপযুক্ত প্রকৃতি ও অঙ্গসৌষ্ঠব আল্লাহর বিশেষ দান। ইরশাদ হয়েছে, ‘অবশ্যই আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতম অবয়বে।’ (সুরা ত্বিন, আয়াত : ৪)
মানুষকে দুই পায়ে সম্পূর্ণ সোজা হয়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছ। হাত দিয়ে খাওয়ার শক্তি দেওয়া হয়েছে। অন্য প্রাণীরা চার পায়ে হাঁটে। মুখ দিয়ে খায়। মানুষকে যে চোখ, কান ও অন্তর দেওয়া হয়েছে, মানুষ এসব সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারে।
গর্ভে সন্তান গঠনের রহস্য
গর্ভে সন্তান গঠনের চক্র সাধারণত দীর্ঘ ২৮০ দিন যাবত চলতে থাকে। যা ৪০ দিন অন্তর সুনির্দিষ্ট সাতটি চক্রে বিভক্ত। নারী-পুরুষের যৌন মিলনের সময় নারীর ডিম্বনালির ফানেলের মতো অংশে ডিম্বাণু নেমে আসে। ওই সময় পুরুষের নিক্ষিপ্ত বীর্যের শুক্রাণু জরায়ু বেয়ে ওপরে উঠে আসে এবং তা ডিম্বনালিতে প্রবেশ করে। প্রথমে একটি শক্তিশালী শুক্রাণু ডিম্বাণুটির দেহে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে তার মধ্যে অন্য কোনো শুক্রাণু প্রবেশ করতে পারে না। এভাবে নারীর ডিম্বাণু নিষিক্ত (Fertilization) হয় এবং নিষিক্ত ডিম্বাণুটি জরায়ুতে নেমে প্রোথিত (Embedded) হয়। (গাইনোকলজি শিক্ষা, পৃষ্ঠা : ২২)
তা ছাড়া নারীর ডিম্বাণুর বহিরাবরণে প্রচুর সিয়ালাইল-লুইস-এক্সসিকোয়েন্স নামের চিনির অণুর আঠালো শিকল শুক্রাণুকে যুক্ত করে পরস্পর মিলিত হয়। আর এই শুক্রাণু দে��তে ঠিক মাথা মোটা ঝুলে থাকা জোঁকের মতো। জোঁক যেমন মানুষের রক্ত চুষে খায়, শুক্রাণু ঠিক তেমনি ডিম্বাণুর মধ্যে প্রবেশ করে মায়ের রক্তে থাকা প্রোটিন চুষে বেড়ে ওঠে। নিষিক্ত ডিম্বাণুটি সন্তান জন্মের রূপ নিলে সাধারণত নিম্নে ২১০ দিন ও ঊর্ধ্বে ২৮০ দিন জরায়ুতে অবস্থান করে। ওই সময়ের মধ্যে ডিম্বাশয়ে নতুন করে কোনো ডিম্বাণু প্রস্তুত হয় না। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমরা মানুষকে মাটির সারাংশ থেকে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর আমরা তাকে শুক্রবিন্দুরূপে এক সংরক্ষিত আধারে (জরায়ুতে) স্থাপন করেছি। এরপর শুক্রবিন্দুকে জমাট রক্তরূপে সৃষ্টি করেছি, অতঃপর জমাট রক্তকে গোশতপিণ্ডে পরিণত করেছি, এরপর গোশতপিণ্ড থেকে অস্থি সৃষ্টি করেছি, অতঃপর অস্থিকে গোশত দ্বারা আবৃত করেছি, অবশেষে তাকে নতুনরূপে করেছি।’ (সুরা মুমিনুন, আয়াত : ১২-১৪)
তিনি আরো বলেন, ‘এক নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত, অতঃপর আমরা একে গঠন করেছি পরিমিতভাবে, আমরা কত সুনিপুণ স্রষ্টা।’ (সুরা মুরসালাত, আয়াত : ২২-২৩)।
আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘অতঃপর তিনি তাকে সুষম করেন এবং তাতে রুহ সঞ্চার করেন।’ (সুরা সাজদাহ, আয়াত : ৯)
এখানে মানব সৃষ্টির সাতটি স্তর উল্লেখ করা হয়েছে। স্তরগুলো হলো মাটির সারাংশ, বীর্য, জমাট রক্ত, গোশতপিণ্ড, অস্থি পিঞ্জর, অস্থিতে গোশত দ্বারা আবৃত্তকরণ ও সৃষ্টির পূর্ণত্ব অর্থাৎ রুহ সংহারণ। (তাফসিরে মা’আরেফুল কুরআন, পৃষ্ঠা ৯১৪)
রাসুলুল্লাহ (সা.) মাতৃগর্ভে মানবশিশু জন্মের স্তর সম্পর্কে এভাবে বলেছেন, ‘তোমাদের প্রত্যেকের সৃষ্টির উপাদান আপন মাতৃগর্ভে বীর্যের আকারে ৪০ দিন, জমাট বাঁধা রক্তে পরিণত হয়ে ৪০ দিন, গোশত আকারে ৪০ দিন। এরপর আল্লাহ একজন ফেরেশতাকে পাঠান এবং চারটি বিষয়ে আদেশ দেন যে, তার (শিশুর) আমল, রিজিক, আয়ুষ্কাল ও ভালো না মন্দ—সব লিপিবদ্ধ করো। অতঃপর তার মধ্যে রুহ ফুঁকে দেওয়া হয়।’ (বুখারি, হাদিস : ২৯৬৮)
অন্যত্র এসেছে, ‘আল্লাহ মাতৃগর্ভে একজন ফেরেশতা মোতায়েন করেন। ফেরেশতা বলেন, হে রব! এখনো তো ভ্রূণ মাত্র। হে রব! এখন জমাট বাঁধা রক্তপিণ্ডে পরিণত হয়েছে। হে রব! এবার গোশতের টুকরায় পরিণত হয়েছে। আল্লাহ যদি তাকে সৃষ্টি করতে চান, তখন ফেরেশতাটি বলেন, হে আমার রব! (সন্তানটি) ছেলে না মেয়ে হবে, পাপী না নেককার, রিজক কী পরিমাণ ও আয়ুষ্কাল কত হবে? অতএব এভাবে তার তাকদির মাতৃগর্ভে লিপিবদ্ধ করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি, হাদিস : ৩০৮৭)
নারী ও পুরুষের বীর্যের সংমিশ্রণ ঘুরতে থাকে এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এর চতুর্দিকে একটি আবরণের সৃষ্টি হয়। যাতে করে ভ্রূণটি ধ্বংস হতে না পারে। এরপর আস্তে আস্তে একবিন্দু রক্তকণায় পরিণত হয় এবং সেই রক্তকণা গোশতপিণ্ডে ও অস্থিমজ্জায় পরিণত হয়, এভাবেই সৃষ্টি হয় মানবশিশু। (মুহাম্মাদ নূরুল ইসলাম, বিজ্ঞান না কুরআন, পৃষ্ঠা ১০৯-১১০)
মাতৃগর্ভে শিশুকে সংরক্ষণের জন্য মাতৃজঠরের তিনটি পর্দা বা স্তরের কথা ��োরআনে বলা হয়েছে। যথা—পেট বা গর্ভ, রেহেম বা জরায়ু এবং ভ্রূণের আবরণ বা ভ্রূণের ঝিল্লি গর্ভফুল (Placenta)
(বাইবেল, কুরআন ও বিজ্ঞান, পৃষ্ঠা ২৭৭)
এই তিন স্তর সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের সৃষ্টি করেছেন তোমাদের মাতৃগর্ভে—পর্যায়ক্রমে, একের পর এক ত্রিবিধ অন্ধকারে।’ (সুরা জুমার, আয়াত : ৩৯/৬)
আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের আলোকে পবিত্র কোরআনে যে ‘ত্রিবিধ অন্ধকারের’ কথা বলা হয়েছে। এই তিনটি অন্ধকার হলো, ১. রেহেম, ২. মাশীমা বা গর্ভফুল এবং ৩. মায়ের পেট।
রেহেমে রক্তপিণ্ড ছাড়া সন্তানের আকার-আকৃতি কিছুই তৈরি হয় না। আর গর্ভফুল (Placenta) ভ্রূণ বৃদ্ধি, সংরক্ষণ, প্রতিরোধ ইত্যাদি কাজে অন্যতম ভূমিকা রাখে। গর্ভফুল মায়ের শরীর থেকে রক্তের মাধ্যমে নানা পুষ্টি ভ্রূণের দেহে বহন করে, খুব ধীর গতিতে রেচন পদার্থ মায়ের দেহের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। গর্ভফুলের সাহায্যে ভ্রূণ অক্সিজেন (02) গ্রহণ ও কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) ত্যাগ করে মায়ের ফুসফুসের মাধ্যমে, জীবাণু (Infection) থেকে ভ্রূণকে রক্ষা করে। এ ছাড়া ভ্রূণটি ঠিকমতো জরায়ুতে আটকে রাখা, পুষ্টি সঞ্চয়, সম্পর্ক রক্ষা, হরমোন সৃষ্টি ইত্যাদি কাজে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এভাবে ভ্রূণটি জরায়ুতে বেড়ে উঠতে থাকে ও ১২০ দিন অতিবাহিত হলে শিশুর রুহ ফুঁকে দেওয়া হয়। আর শিশু নড়েচড়ে ওঠে ও আঙুল চুষতে থাকে এবং পূর্ণ-পরিণত হওয়ার পরে সেখান থেকে বাইরে ঠেলে দেওয়া হয়। (সুরা আবাসা, আয়াত : ১৮-২০)
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘ঠেলে দেওয়া হয়।’ অর্থাৎ ২১০ দিন পর একটি শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার উপযুক্ত হয়। আর সন্তানটির যখন ভূমিষ্ঠ হওয়ার উপযুক্ত সময় হয়ে যায়, তখন Overy-Placenta থেকে একধরনের গ্রন্থিরস নিঃসৃত হয়, যা প্রসব পথ পিচ্ছিল ও জরায়ুর মুখ ঢিলা করে দেয়। আর মানব সন্তান ওই সময় বিভিন্নভাবে নড়াচড়া করতে থাকে এবং প্রসব পথ পিচ্ছিল থাকায় বাচ্চা অনায়াসে বেরিয়ে আসে। সবচেয়ে মজার কথা হলো মানবশিশুর যে অঙ্গ সর্বপ্রথম গঠিত হয় তা হলো কর্ণ। আর সন্তান গর্ভে ধারণের ২১০ দিন পর চক্ষু গঠিত হয় এবং একটি পূর্ণাঙ্গ মানবশিশুতে পরিণত হয়।
পুত্র-কন্যাসন্তান সৃষ্টির রহস্য
মহান আল্লাহ বলেন, ‘নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের রাজত্ব আল্লাহরই। তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন, যাকে ইচ্ছা কন্যা এবং যাকে ইচ্ছা পুত্রসন্তান দান করেন। অথবা তাদের পুত্র-কন্যা উভয় দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন। নিশ্চয়ই তিনি সর্বজ্ঞ, ক্ষমতাশীল।’ (সুরা শুরা, আয়াত : ৪৯-৫০)
এ বিষয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পুরুষের বীর্য স্ত্রীর বীর্যের ওপর প্রাধান্য লাভ করলে পুত্রসন্তান জন্ম নেয়। আবার স্ত্রীর বীর্য পুরুষের বীর্যের ওপর প্রাধান্য লাভ করলে কন্যাসন্তান জন্ম নেয়।’ (মুসলিম, মিশকাত, হাদিস : ৪৩৪)
আধুনিক স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের মতে, জরায়ুতে যদি কন্যা ভ্রূণ সৃষ্টি হয়, তাহলে করটিকস কম্পোন্যান্টগুলো (Cortics Componant) বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হতে থাকে এবং মেডুলার কম্পোন্যান্টগুলো (Medullar Componant) কমতে থাকে। পক্ষান্তরে জরায়ুতে যদি পুত্র ভ্রূণ সৃষ্টি হয়, তাহলে করটিকস কম্পোন্যান্টগুলো (Cortics Componant) কমতে থাকে এবং মেডুলার কম্পোন্যান্টগুলো (Medullar Componant) বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হতে থাকে। তা ছাড়া মানুষের প্রতিটি দেহকোষে মোট ২৩ জোড়া ক্রমোজম থাকে। তন্মধ্যে ২২ ঝোড়া অটোজম এবং এক জোড়া সেক্স (Sex) ক্রমোজম। নারীর ডিম্বাণুতে XX ক্রমোজোম এবং পুরুষের শুক্রাণুতে XY ক্রমোজম থাকে। সুতরাং নারীর ডিম্বাণুর X ক্রমোজমকে যদি পুরুষের শুক্রাণুর X ক্রমোজম নিষিক্ত করে, তবে জাইগোটের ক্রমোজম হবে XX এবং কন্যাসন্তানের জন্ম হবে। পক্ষান্তরে নারীর ডিম্বাণুর X ক্রমোজমকে যদি পুরুষের শুক্রাণুর Y ক্রমোজম নিষিক্ত করে, তবে জাইগোটের ক্রমোজম হবে XY এবং পুত্রসন্তান জন্ম হবে। [মাধ্যমিক সাধারণ বিজ্ঞান, জীবকোষের গঠন ও প্রকৃতি অধ্যায়, (ঢাকা : নব পুথিঘর প্রকাশনী), পৃষ্ঠা : ১৬১]
মোদ্দাকথা, যখন ডিম্বাণুর ও শুক্রাণুর জাইগোটের ক্রমোজম একই গোত্রীয় (XX) হয়, তখন কন্যাসন্তান এবং যখন ডিম্বাণুর ও শুক্রাণুর জাইগোটের ক্রমোজম একই গোত্রীয় (XY) না হয়, তখন পুত্রসন্তান জন্ম নেয়। [J.N. Ghoshal, Anatomy Physiology, (Calcata print) P. 479]
অতএব সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ নির্ভর করে পুরুষের দেহে উৎপন্ন শুক্রাণুর ওপর। আর যমজ সন্তান জন্মদানের জন্য সবচেয়ে বেশি ভূমিকা স্ত্রীর।  আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, নারীর ডিম্বাশয় থেকে যখন একটি ডিম্বাণু জরায়ুতে নেমে আসে, তখন একটি শক্তিশালী শুক্রাণু তাতে প্রবেশ করে একটি সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু যদি দুটি ডিম্বাণু জরায়ুতে নেমে আসে, তখন দুটি শক্তিশালী শুক্রাণু তাতে আলাদা আলাদা প্রবেশ করে। ফলে যমজ সন্তানের জন্ম হয়। (গাইনোকলজি শিক্ষা, পৃষ্ঠা ১৫)
আবার সন্তানের আকৃতি সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পুরুষ যখন স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করে তখন যদি পুরুষের বীর্য প্রথমে স্থলিত হয়, তাহলে সন্তান পিতার আকৃতি পায়। পক্ষান্তরে যদি স্ত্রীর বীর্য প্রথমে স্থলিত হয়, তাহলে সন্তান মায়ের আকৃতি লাভ করে।’ (বুখারি, হাদিস : ৩০৮৩)
এভাবেই সন্তান সৃষ্টির গূঢ় রহস্য বেরিয়ে এসেছে।
শেষ কথা
আল্লাহ তাআলা সুনিপুণ করে সুন্দর আকৃতিতে মনোরম কাঠামোতে মানুষ সৃষ্টি করেছেন। আধুনিক বিজ্ঞানীরা নতুন নতুন গবেষণা করে আল্লাহর সৃষ্টির নিগূঢ় রহস্য উদ্যাটন করে চলেছে। এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা আবশ্যক। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে চক্ষুষ্মান ব্যক্তিরা! তোমরা গবেষণা ও শিক্ষা গ্রহণ করো।’ (সুরা হাশর, আয়াত : ২)
যুগে যুগে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে মানুষ সৃষ্টির চেয়ে মহাকাশ সৃষ্টিকে অতীব বিস্ময়কর মনে করেছেন। দিন দিন নতুন নতুন তথ্য আবিষ্কারে বিস্মিত হয়েছেন। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘মানুষ সৃষ্টি অপেক্ষা নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের সৃষ্টি কঠিনতর। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষ তা উপলব্ধি করে না।’ (সুরা মুমিন, আয়াত : ৫৭)
আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে গবেষণা করার অনুমতি আছে। আমাদের সবার উচিত আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি গভীর দৃষ্টিপাত করে মহত্ত্ব ঘোষণা করা। বর্তমানে  চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা গবেষণা করে নতুন নতুন তথ্য উদ্ধার করছেন। অথচ অনেক আগেই এই তথ্য মানব কল্যাণে মহান আল্লাহ তাঁর রাসুলের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন। বলা যেতে পারে, কোরআনই সুশৃঙ্খল কল্যাণকর অকৃত্রিম বিস্ময়কর এলাহি বিজ্ঞান এবং রাসুলুল্লাহ (সা.) সর্বকালের যুগশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে তা উপলব্ধি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
পরিমার্��ন ও পুনর্বিন্যাস : মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহThe mystery of Allah's creation
0 notes
benzene-ring-society · 5 years ago
Text
বিবর্তন, সংক্ষেপে পুরোটা ----------   ARNOB ROY Part- 1
বেশ কয়েকটা বইয়ে বিবর্তনের সংজ্ঞা দেওয়া আছে অনেকটা এভাবে [সাবধানবাণী – সংজ্ঞাটা ভুয়া],
‘’যে প্রক্রিয়ায় কোনো জীব বেঁচে থাকার জন্য, প্রকৃতি থেকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য নিজের পরিবর্তন ঘটায়, তাকে বিবর্তন বলে। অথবা, যে প্রক্রিয়ায় সহজতর জীব জটিল জীবে প��িণত হয় / অনুন্নত জীব আরো উন্নত হয়, তাকে বিবর্তন বলে।’’
একটা বুদ্ধিমান বানর (অনেকে যাকে ডারউইনের পূর্বপুরুষ বলে থাকেন) একদিন হাঁটতে হাঁটতে আবিষ্কার করল হেঁটে চলাটা কুঁজো হয়ে চলার চেয়ে সোজা। তার বংশধরেরা হাঁটতে শুরু করল। তারা দেখল লেজের কোনো প্রয়োজন নেই, বিবর্তনের একটা পর্যায়ে লেজ বিলুপ্ত হয়ে গেল।
মরুভূমির প্রাণীরা দেখল, সেখানে বেঁচে থাকার জন্য শরীরে পানি জমা করে রেখে দেওয়ার প্রয়োজন আছে। তাই তাদের পানি রাখার জন্য আলাদা অঙ্গ তৈরি হলো। বিভিন্ন প্রাণী শত্রুর হাত থেকে বাঁচার জন্য ছদ্মবেশ ধারন করল। কোষীয় অঙ্গাণুগুলো কোনো এক জৈবিক প্রক্রিয়ায় বুঝতে পারে তাদের উন্নত হতে হবে। তারা উন্নত হতে শুরু করল। বিবর্তনের বিভিন্ন পর্যায়ে কেউ পেল ফুলকা, কেউ ফুসফুস। কেউ প্রোক্যারিওটিক অবস্থায় থেকে গেল, কেউ ইউক্যারিওটিকে পরিণত হলো।
বির্বতনের প্রতিটি ধাপে জীবগুলো নিজেদের পরিবেশের সাথে উন্নত করে ফেলতে লাগল। যারা পারল না, তারা প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী বিলুপ্ত হয়ে গেল। বানর একসময় মানুষে পরিণত হয়ে গেল, কিছু বানর অবশ্য বানরই থেকে গেল (ছোট্ট একটা কৌতুক: অনেকে বলে, মানুষ বানর থেকে এসেছে। আসলে কিছু কিছু মানুষ এখনও বানরই থেকে গেছে) ।
Tumblr media
উপরের সারমর্মটাকেই অনেকে (প্রায় সবাই) মনে করেন বিবর্তনের ধারণা।
‘’আসলে বির্বতন বলতে এসবের কিছুই বুঝায় না। বিবর্তন পুরোপুরি একটি ভিন্ন প্রক্রিয়া।’’
ছোটবেলায় সম্ভবত ডিসকভারি চ্যানেলে বিবর্তন নিয়ে প্রথম প্রতিবেদন দেখেছিলাম। মনে অনেকবার প্রশ্ন জেগেছিল কোষগুলো, কোষীয় অঙ্গাণুগুলো কীভাবে বুঝে তাদের উন্নত হতে হবে? তারা কীভাবে বুঝে তাদের কী কী উন্নত করতে হবে, কোন অংশটুকু বদলিয়ে ফেলতে হবে? কোষ, জিন কেমন করে নিজেকে বদলিয়ে ফেলে? তা��লে কি কোষ অথবা জিনের স্বতন্ত্র জীবন আছে? তাদের কি বুদ্ধি আছে? হয়তো সেই বুদ্ধি দিয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করছে!
কোনো বইয়ে (সম্ভবত অষ্টম শ্রেণীর সাধারণ বিজ্ঞান বইয়ে) পড়েছিলাম, অথবা কোনো এক স্যার বলেছিল, এই কাজটা প্রকৃতি করছে। প্রকৃতিই ঠিক করছে, কে বেঁচে থাকবে আর কে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। কোন জীবের কী কী অঙ্গাণুর পরিবর্তন ঘটাতে হবে, তাও প্রকৃতিই নির্বাচন করছে। যেহেতু প্রকৃতি তার ইচ্ছেমত এটা করছে, সেহেতু এটা প্রাকৃতিক নির্বাচন। আচ্ছা, প্রকৃতির কি জীবন আছে? প্রকৃতি কিভাবে ঠিক করবে কখন কী করতে হবে? আগে কিছু (এবং এখনও) মানুষ প্রতিবাদ করত, তারা বানর থেকে আসেনি। অবশ্য শুধু ডারউইনের পূর্বপুরুষ বানর হলেও হতে পারে। ইদানিং খুব সম্ভবত বানরেরাও প্রতিবাদ করছে, তাদের থেকে মানুষ কোনোভাবেই আসতে পারে না। মজার ব্যাপার, স্বয়ং ডারউইনও বানরদের প্রতিবাদ মেনে নিয়েছেন, কারণ তিনি বলেননি, মানুষ বানর থেকে এসেছে।
ডারউইন বলেছিলেন, মানুষ আর বানরের পূর্বসূরী এক। এই কথাটাও বিবর্তনের মাধ্যমে যখন আমাদের কানে এসে পৌঁছেছে, তখন আমরা শুনেছি, মানুষ বানর থেকে এসেছে। এই অর্থেও বিবর্তন মানেই পরিবর্তন হওয়া। এবং পরিবর্তন হয়ে কী হবে, সেটা আগে থেকে জানা যাবে না (এখানে জীব নয়, কথারও বিবর্তন হচ্ছে)।
মিউটেশন
বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই রেডিয়েশনের কারণে, ট্রান্সক্রিপশন কিংবা কোষ বিভাজনের সময়ে রেপ্লিকেশনের ফলে জীবের বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন হয়, জীব মারা যায়, বিকলাঙ্গ হয়। মাতৃ জননকোষে মিয়োসিস কোষ বিভাজনের সময় [প্রোফেজ-১] ক্রসিং ওভার ঘটে। অপত্য কোষের ক্রোমোসোমের কিছু অংশে জেনেটিক পরিবর্তন হয়। পরিবর্তনটা কীরকম হবে, আগে থেকে বলা সম্ভব না। কারণ এটি একটি র‍্যান্ডম/দৈব পরিবর্তন। এই দৈব (এবং অপ্রত্যাশিত) পরিবর্তনটাই মিউটেশন।
যখন কোনো একটা কাগজের মূলকপি থেকে ফটোকপি করতে থাকবেন, আবার ওই ফটোকপি থেকে আরেকটা কপি… এভাবে করতে থাকলে দেখবেন প্রতি ধাপে কপি করার সময় ডকুমেন্টের গায়ে অপ্রত্যাশিত কালি যোগ হচ্ছে, কখনো বা উজ্জ্বলতার পরিবর্তন হচ্ছে। একসময় দেখা যাবে n তম রেপ্লিকেশনে বা ফটোকপিতে, মূল কপি থেকে ওই কপির অনেক পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিবর্তনটাকে মিউটেশন বলা যেতে পারে, যার পুরো পরিবর্তনই অপ্রত্যাশিত।
জেনেটিক পরিবর্তন বিভিন্নভাবে হয়ে থাকে। কিন্তু যে পরিবর্তনটা সবচেয়ে বেশী প্রভাব ফেলে, সেটা মাতৃ জননকোষ বিভাজনের সময়। উন্নত জীবে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুতে মিয়োসিস বিভাজন হয়। এই কোষগুলোকে জননকোষ বলা হয়। মিয়োসিস বিভাজনের ফলে জীবের জিনগত বৈশিষ্টের পরিবর্তন হয়। এই জননকোষই পরবর্তীতে জাইগোট সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। অনেক সময় জাইগোটের অস্বাভাবিক বিভাজনের ফলে দেখা যায় দুই মাথাবিশিষ্ট শিশু, চার হাত বিশিষ্ট শিশু জন্ম নিচ্ছে।
কিছু প্রশ্ন / চিন্তার খেলা
ধরে নিলাম, একটা বানর থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে মানুষের সৃষ্টি হলো (যা আসলে সত্যি নয়)। কিন্তু আমরা জানি হেরিডিটির বা বংশক্রমের প্রত্যেকটি ধাপে ভেরিয়েশন সৃষ্টি হয়। তবে উন্নত মানুষ তৈরি করার পর কেন বানরগুলো বদলে যায়নি, বা বিবর্তনের সংজ্ঞা (আপনার জানা সংজ্ঞা) মেনে বানরগুলি বিলুপ্তি হয়ে যায়নি কেন? অথবা মানুষ কেন নিজেকে আরো উন্নত করে ফেলছে না? বছরের পর বছর ধরে দেখছি মানুষেরা একই রকম আছে। যৌন জননে যদি ভেরিয়েশনের সৃষ্টি হয়, তবে কেন তাদের পরিবর্তন ঘটছে না?
উত্তরটা লেখার পরের অংশে দেব।
আসুন বিবর্তনকে অনুভব করি
এতক্ষণ যে কথাগুলো বললাম, সেগুলো বিবর্তনের ধারণাটা বুঝার জন্য প্রয়োজন ছিল। বিবর্তনকে সংজ্ঞায়িত করার চেয়ে বিবর্তন কীভাবে কাজ করে, সেটা আমরা একটু দেখি।
বুঝার সুবিধার্থে একটা বহুকোষী জীব দিয়ে শুরু করা যেতে পারে।
ধরুন, একটা বনের মধ্যে অনেক জীববৈচিত্র্য আছে। বিভিন্ন শিকারী প্রাণী আছে কোনোভাবে অন্য একটা জীব বনের মধ্যে চলে আসলো। সে যখন বংশধরের সৃষ্টি করলো, তখন জেনেটিক কোডের মিউটেশনের কারণেকারণে তার কোনো বংশধর হল লাল রঙের, কেউ সবুজ, কেউ হলুদ, কেউ নীল। কিছুদিন পর কিছু শিকারী প্রাণী এসে জীবগুলোকে খেতে শুরু করল। লাল, নীল জীবগুলি সহজেই ধরা পড়লো। সবুজ আর হ��ুদ জীবগুলোর রঙ গাছের পাতার রংয়ের মতো হওয়ার কারণে তারা সহজে নজরে আসল না। এই ধাপে তারা (সবুজ,হলুদ) বেঁচে গেল। তারা বংশবিস্তার করল। কয়েকদিন পর মনে হবে, বনের ওই প্রজাতির সব জীব শিকারের হাত থেকে বাঁচার জন্য নিজের রঙয়ের পরিবর্তন ঘটিয়ে সবুজ, হলুদ করে ফেলেছে। আসলেই কি তা ঘটেছে? না। তারা নিজের কোন পরিবর্তনই করেনি। তারা দৈব উপায়ে বেঁচে গেছে। যদি গাছের পাতার রঙ নীল হত, তবে হয়ত নীল জীবগুলি বেঁচে যেত।
পরের ধাপে দেখা গেল, সবুজ আর হলুদ রঙয়ের জীবগুলোর মধ্যেও ভ্যারিয়েশনের (বিভিন্নতা/প্রকরণ) সৃষ্টি হল। তাদের কারো পিছনে লেজের মতো কিছু একটা যুক্ত হল, কারো হলো না। কেউ দৃষ্টিশক্তি পেল, কেউ মিউটেশনের কারণে আরো উন্নত কোনো বৈশিষ্ট্য পেল, যদিও সে এখনও জানে না তার এই বৈশিষ্ট্য কোন কাজে লাগবে। যারা লেজ পেল, তারা লেজ দিয়ে পোকামাকড় তাড়িয়ে দিতে পারল। ফলে পরিবেশে যখন পোকামাকড়ের উৎপাত বেড়ে গেল, লেজের সুবিধার কারণে শুধু তারাই বেঁচে গেল।
কিন্তু হঠাৎ করে দেখলে মনে হবে, জীবটা নিজেকে উন্নত করে ফেলেছে। সে চলার জন্য পা সৃষ্টি করে ফেলেছে; লেজ, ফুসফুস/ফুলকা ইত্যাদি অঙ্গ তৈরি করেছে। অর্থাৎ নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে ফেলেছে। আসলে ঘটনাটা এরকম না। বরং ঠিক বিপরীত ঘটনাই ঘটেছে। যাদের এসব অঙ্গ আগে থেকেই ছিল, শুধু তারাই বেঁচে গেছে, বাকিরা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এ প্রক্রিয়াটা লক্ষ লক্ষ ��ছরের প্রক্রিয়া (মাইক্রোস্কোপিক লেভেলে যেটা খুব তাড়াতাড়ি হয়, যেমন HIV Virus), আর প্রক্রিয়াটা ঘটে কোটি কোটি বংশধরদের মধ্যে।
একটা স্যামন (Salmon) মাছ দুই কোটির বেশি ডিম পাড়ে। কিন্তু খুব সম্ভবত কিছু সংখ্যক (শ’খানেক) বেঁচে যায়। যারা র‍্যান্ডম পরিবর্তনের মাধ্যমে পরিবেশের অনুকূলে আগে থেকেই রয়েছে, তারাই বেঁচে যায়। অর্থাৎ দুই কোটি মাছের মধ্যে শুধু শ’খানেক মাছ এমন ছিল, যা পরিবেশের অনুকুলে। অনেকটা লুডুর ছক্কার মত, কী হবে কেউ জানে না।
উল্লেখ্য, অভিযোজন বিবর্তনের একটা ধাপ।
বিবর্তনের আগের ধাপে কী হয়েছিল, বা পরের ধাপে কী হবে, তা বলা সম্ভব না। কারণ পুরো প্রক্রিয়াটাই র‍্যান্ডম। তবে একটা সম্ভবনা নির্ভর করে, তাও শুধুমাত্র আগের বা পরের দু/এক ধাপকে ব্যাখ্যা করার জন্য। আর এটা বিবর্তনের সীমাবদ্ধতা নয়, এটাই বিবর্তন তত্ত্বের সাফল্য। তবে ফসিল উদ্ধারের মাধ্যমে বিবর্তন প্রক্রিয়ার ব্যাখা দেওয়াটা আরো সুবিধাজনক হচ্ছে।
0 notes
islamkingdom9 · 5 years ago
Text
ইহাই একমাত্র পথ : হে সুখ-সৌভাগ্যের অনুসন্ধানী!!
তোমার এ ধরায় অস্তিত্বের পূর্বে তুমি অস্তিত্বহীন ছিলে, আল্লাহ তায়া’লা বলেছেনঃ মানুষ কি স্মরণ করে না যে, আমি তাকে ইতি পূর্বে সৃষ্টি করেছি এবং সে তখন কিছুই ছিল না। (সূরা মারইয়ামঃ ৬৭)
অতপর তিনি মাটি থেকে তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর শুক্রাণু থেকে। অতঃপর তোমাকে শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন করেছেন। আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ মানুষের উপর এমন কিছু সময় অতিবাহিত হয়েছে যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছু ছিল না। আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি মিশ্র শুক্রবিন্দু থেকে,এভাবে যে, তাকে পরীক্ষা করব অতঃপর তাকে করে দিয়েছি শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন। (সূরা দাহরঃ ১-২)
অতঃপর, দুর্বল থেকে আস্তে আস্তে শক্তিশালী হলো, কিন্তু তোমার শেষ গন্তব্য হলো দুর্বল হওয়াই। আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ আল্লাহ তিনি দূর্বল অবস্থায় তোমাদের সৃষ্টি করেন অতঃপর দূর্বলতার পর শক্তিদান করেন, অতঃপর শক্তির পর দেন দুর্বলতা ও বার্ধক্য। তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন এবং তিনি সর্বজ্ঞ,সর্বশক্তিমান। (সূরা রূমঃ ৫৪)
https://www.path-2-happiness.com/bn/শান্তির-পথ-/ইহাই-একমাত্র-পথ/ইহাই-একমাত্র-পথ-হে-সুখ-সৌভাগ্যের-অনুসন্ধানী
0 notes
santahar · 6 years ago
Text
#টেষ্টটিউব_বেবী
পর পুরুষের বীর্য সংমিশ্রণ করে বাচ্চা নেয়া বা বেগানা মহিলার ডিম্বাণু নিয়ে আপনার বীর্য সংমিশ্রণ করে টেষ্টটিউব বেবী নেওয়াটা কি ইসলাম সমত? অাপনি শারিরিক ভাবে অক্ষম এবং বীর্যহীন! এক্ষেত্রে অাপনি অন্য কোন পুরুষের বীর্য টিউবের মধ্যমে অাপনার স্ত্রীর রেহেম ( গর্ভাশয়ে) স্হাপন করে সন্তান জন্ম দিতে পারবেনা! এইটা ইসলামের সমর্থন যগ্যনা! #টেষ্টটিউব পদ্ধতিটি ৩টি রকমে হতে পারে যেমন - 1) বেগানা পুরুষের বীর্য বা বেগানা নারীর বীর্য একত্রিত করে টিউবে জমা করা! 2) মহিলার ডিম্বানু নিয়ে বেগানা পুরুষের বীর্যের সাথে মিশিয়ে তারই জরায়ূতে প্রবেশ করানো! 3) বেগানা পুরুষের শুক্রাণু ও বেগানা মহিলার ডিম্বানু সংগ্রহ করে তৃতীয় কোন মহিলার রেহেমে বা জরায়ূতে প্রবেশ করানো! যাকে সারোগেট মাদার ( surrogete mother) বা ক্ষনস্হায়ী মা বলা হয়! উপর উল্লিখিত সবগুলি ধরনই নাজায়েজ হারাম! এরকম পদ্ধতি গ্রহন করে বা অন্য পুরুষের বীর্য টিউবের মধ্যমে সংগ্রহ করে স্ত্রীর রেহেমে প্রবেশ করিয়ে সন্তান নেয়া হারাম বা নাজায়েজ! যদি এরকম করে সন্তান নেয়া হয় তাহলে সে বাচ্চা বা সন্তানটি জারজ সন্তান বলে গন্য হবে! কারণ আল্লাহ কখন কাকে কি নেয়ামত দিবেন আল্লাহ্ই ভালো জানেন! মণে রাখবেন জম্ম,মৃত্যু,এই গুলো আল্লাহর হুকুমের বাহীরে হয়না! আপনি যদি নিজ ইচ্ছেতে মৃত্যু বরণ করেন এইটা একটা মহাপ��প! ঠিক একিই বাভে আল্লাহর হুকুমের বাহীরে আপনার নিজ ইচ্ছায় অন্যের সাহয্যে বাচ্চা নেওয়টা ও একি মহাপাপ! তাচাড়া সকল প্রকার বেগানা নারী-পুরুষ একে অপরের সাথে যেখানে দেখা করা হারাম! তাহলে তাদের শুক্রাণু ও ডিম্বাণু বীর্যের মধ্যেমে কি বাভে আপনার স্ত্রীর রেহেম ( গর্ভাশয়ে) স্হাপন করবেন???? ঠিক নিজের ইচ্চায় মৃত্যু বরর্ণ করা যেমন পাপ,তেমনি করে অন্যের সাহায্যে মা-বাবা হওয়াটাও পাপ ও আল্লাহর সাথে শেরেকী করার মত গুণাহ! #ইয়া আল্লাহ্ আ��ি সহ সকল মুসলিম জাতীকে সহী বুঝ দান করুন! এবং সকল প্রকার যিনা থেকে হেফাজত করুন! ""আমিন আমিন ইয়া রাব্বুলআলামিন"" ""ইয়া রব,ইয়া রহামান,ইয়া রাহিম"" ""ক্ষমা কর ইয়া আল্লাহ্"" ""ছুম্মাআমিন""
0 notes
gnews71 · 6 years ago
Photo
Tumblr media
তিন বাবা-মায়ের মিলিত সন্তান!শিশু জন্মদানের… দু’জন নারীর ডিম্বাণু ও একজন পুরুষের শুক্রাণু ব্যবহার করে শিশু জন্মদানের পদ্ধতিটি এবার ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞ প্যানলের সমর্থন পেয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় শিশুর দুরারোগ্য ব্যধি নিয়ে জন্মগ্রহণ ঠেকানো যাবে বলে বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস। ‘থ্রি পেরেন্ট ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ)' নামের এ পদ্ধতি ব্রিটিশ সরকারের অনুমোদন পেলে আগামী দুই বছরের মধ্যে বিশ্বের প্রথম শিশুটির জন্ম হতে পারে, যার বাবা-মা হবে তিনজন। নিজেদের জিনগত ত্রুটির কারণে যেসব দম্পতি সন্তান নিতে ভয় পাচ্ছেন, এ চিকিৎসা পদ্ধতি তাঁদের জন্য খুলে দেবে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে গত কয়েক বছর ধরে এ পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা চললেও আইনি বিধি নিষেধ থাকায় কখনোই জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে কোনো মানব শিশুর জন্ম দেয়া হয়নি। ব্রিটিশ সরকার গত বছর প্রথমারের মতো এ পদ্ধতিকে আইনি ছাড়পত্র দেয়ার উদ্যোগ নেয়। তার অংশ হিসাবেই এ বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করে নীতিমালা তৈরির কাজ শুরু হয়। এ পদ্ধতি যথেষ্ট নিরাপদ কি না তা খতিয়ে দেখতে যুক্তরাষ্ট্রেও একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে। প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরেছে ডয়চে ভেলে। প্রতিবেদনে আরও তুলে ধরা হয়েছে- ভ্রুণের মাইটোকন্ড্রিয়ায় যে ধরনের ত্রুটি থাকলে সন্তান হৃৎপিণ্ড, যকৃত, চোখ, পেশিতন্ত্র বা মস্তিষ্কে বড় ধরনের জটিলতা বা অসুস্থতা নিয়ে জন্ম নিতে পারে – সে মাইটোকন্ড্রিয়া সরিয়ে ফেলে অন্য একটি সুস্থ ভ্রুণের মাইটোকন্ড্রিয়া প্রতিস্থাপন করা হয় এ পদ্ধতিতে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রতি বছর সারা বিশ্বে জন্ম নেয়া প্রতি ৬ হাজার শিশুর মধ্যে একটি এ ধরনের জটিলতা বা ত্রুটি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্য অধ্যাপক পিটার ব্রোডা বলেন, এ পর্যন্ত যেসব তথ্যপ্রমাণ তাঁরা দেখেছেন, তাতে ‘থ্রি পেরেন্ট আইভিএফ' পদ্ধতির কোনো ঝুঁকি তাঁরা দেখতে পাননি। বরং জিনগত সমস্যায় ভুগছেন এমন দম্পতির জন্য এটি একটি কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি হতে পারে। কেউ কেউ এ পদ্ধতির সমালোচনায় বলছেন, ‘থ্রি পেরেন্ট আইভিএফ' শেষ ��র্যন্ত বাবা-মায়ের চাহিদা মাফিক শিশু ‘তৈরির' দিকে নিয়ে যেতে পারে। তবে এ নিয়ে কাজ করা বিজ্ঞানীরা বলছেন, জিন প্রকৌশল সম্পর্কে যে ধারণা প্রচলতি, তা এই পদ্ধতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। অর্থাৎ ‘থ্রি পেরেন্ট আইভিএফ' ব্যবহার করে বাবা-মায়ের বৈশিষ্টের চেয়ে বেশি সুদর্শন, চৌকস, বুদ্ধিমান বা শক্তিমান শিশুর জন্ম দেয়া সম্ভব নয়। ব্রিটেনের নিউ ক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দুইভাবে ‘থ্রি পেরেন্ট আইভিএফ' করার বিষয়ে কাজ করছেন। তাঁরা বলছেন, মায়ের জিনের ত্রুটি ভ্রুণের মাধ্যমে শিশুর দেহে সঞ্চারিত হয়। এ কারণে ভ্রুণ থেকে ক্রুটিপূর্ণ মাইটোকন্ড্রিয়া প্রতিস্থাপন করতে প্রয়োজন হবে অন্য কোনো নারীর সুস্থ ডিম্বাণু। প্রথম পদ্ধতিতে দুই নারীর দুটি ডিম্বাণু হবু বাবার শুক্রাণুর মাধ্যমে নিষিক্ত করা হবে। এরপর দুটি ভ্রুণ থেকেই নিউক্লিয়াস সরিয়ে নেয়া হবে। দাতার ডিম্বাণু থেকে তৈরি ভ্রুণের নিউক্লিয়াসটি নষ্ট করে ফেলে সেখানে বসানো হবে হবু মায়ের ডিম্বাণু থেকে তৈরি ভ্রুণের নিউক্লিয়াস। এতে করে ভ্রুণের জিন কেবল বাবা ও মায়ের বৈশিষ্ট ধারণ করবে। কিন্তু মায়ের মাইটোকন্ড্রিয়ার ত্রুটি এতে থাকবে না। এই ভ্রুণটিই পরে মায়ের জরায়ুতে স্থাপন করা হবে। দ্বিতীয় পদ্ধতিতে নিউক্লিয়াস প্রতিস্থাপনের কাজটি করা হবে নিষিক্ত করার আগেই। অর্থাৎ, দুই নারীর দুটি ডিম্বাণু থেকে নিউক্লিয়াস সরিয়ে নেয়া হবে। দাতার ডিম্বাণু থেকে নেয়া নিউক্লিয়াসটি নষ্ট করে ফেলে সেখানে বসানো হবে হবু মায়ের ডিম্বাণু থেকে নেয়া নিউক্লিয়াসটি। এতে ডিম্বাণুটির জিন কেবল মায়ের বৈশিষ্ট ধারণ করবে। কিন্তু মায়ের মাইটোকন্ড্রিয়ার ত্রুটি এতে থাকবে না। এরপর হবু বাবার শুক্রাণুর মাধ্যমে নিষিক্ত করে সেটি হবু মায়ের জরায়ুতে স্থাপন করা হবে।
0 notes
shafinit · 1 year ago
Text
ওভুলেশন কি ? ওভুলেশন কিভাবে হয় ? ডিম্বাণু কত দিন জীবিত থাকে|গর্ভধারণের জন্য সবচাইতে উপযুক্ত সময় বোঝার উপায়?
ওভুলেশন কি ? ওভুলেশন কিভাবে হয় ? ডিম্বাণু কত দিন জীবিত থাকে|গর্ভধারণের জন্য সবচাইতে উপযুক্ত সময় বোঝার উপায়?
ওভুলেশন কি ?
ডিম্বাশয়  থেকে মাসিকের ১৩-১৬ তম দিনের মধ্যে ( যাদের নিয়মিত মাসিক হয় ) ডিম্বাণু  বের হয় এই ঘটনাকে ওভুলেশন বলে। এই সময় শুক্রাণু ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করার সুযোগ পায় এবং গর্ভধারণ সম্ভম হয়। ডিম্বানু ফেলপিয়ান টিউব থেকে বের হওয়ার পর ১২-২৪ ঘন্টা বেঁচে থাকে । এই সময় শুক্রানু ফেলপিযান টিউবে আসলে নিষেক ক্রিয়া সম্পন্ন হয় । এই সময় নিয়মিত মেলামেশা করলে গর্ভধারণ সম্ভবনা অনেক বেড়ে যায় । কোন দিন থেকে মেলামেশা করতে হবে অথাৎ ওভুলেশন বোঝার উপায়  তা নিম্নের ছকে দেওয়া হলো :
আপনার মাসিক কত দিনে
কোন দিন  থেকে মেলামেশা শুরু করবেন
২১দিনের
৬ তম দিন  থেকে
২২দিনের
৬ তম দিন  থেকে
২৩দিনের
৭ দিন  থেকে
২৪ দিনের
৭ তম দিন  থেকে
২৫দিনের
৮ তম দিন  থেকে
২৬ দিনের
৯তম দিন  থেকে
২৭ দিনের
১০ তম দিন  থেকে
২৮ দিনের
১১ তম দিন  থেকে
২৯ দিনের
১২ তম দিন  থেকে
৩০ দিনের
১৩তম দিন  থেকে
৩১ দিনের
১৪তম দিন  থেকে
৩২ দিনের
১৫ তম দিন  থেকে
৩৩ দিনের
১৬তম দিন  থেকে
৩৪  দিনের
১৭তম দিন  থেকে
৩৫ দিনের
১৮ তম দিন  থেকে
৩৬ দিনের
১৯ তম দিন  থেকে
৩৭ দিনের
২০ তম দিন  থেকে
৩৮ দিনের
২১ তম দিন  থেকে
৩৯ দিনের
২২ তম দিন  থেকে
৪০ দিনের
৩০ তম দিন  থেকে
বিস্তারিত জেনে নিন ।
youtube
0 notes
bartatv-blog · 6 years ago
Photo
Tumblr media
পুত্র না কন্যা সন্তান চাই? নির্ধারণ করবে দম্পতি নিজেই! ছেলে চাই না মেয়ে চাই সেটা নির্ধারণের একচ্ছত্র অধিপতি সৃষ্টিকর্তা।পৃথিবীর শেষ সময়ে এসেও মানুষ স্রষ্টার এ ইচ্ছাতে নিজের কোনোরকম মতামতও দিতে পারেনি। তবে গর্ভস্থ সন্তান ছেলে কি মেয়ে তা আল্ট্রাসোনিক শব্দ তরঙ্গের মাধ্যমে জেনে নিতে পেরেছে মাত্র। কিন্তু যদি মা-বাবা নিজেরাই নির্ধারণ করে নেন যে তাদের পুত্র না কন্যা সন্তান চাই তাহলে বিষয়টা কেমন হবে? তেমনটাই দাবি করছেন একদল ব্রিটিশ গবেষক। একেবারে নিশ্চিত হবার তেমন কোনো প্রক্রিয়া আবিস্কার করতে না পারলেও ব্রিটিশ গবেষকগণ একটি প্রাকৃতিক কৌশল বাতলে দিয়েছেন তাদের প্রতিবেদনে। ভ্রুন বিজ্ঞান বলে, X ক্রোমোজোম বিশিষ্ট শুক্রাণু দ্বারা ডিম্ব নিষিক্ত হবার কারণে সন্তান মেয়ে হয় আর Y ক্রোমোজোমের কারণে ডিম্ব নিষিক্ত হলে সন্তান ছেলে হয়। প্রতিবেদনটি মূলত এই বিষয়টাকেই সামনে রেখে স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক মিলনের সময়ের ওপরে নির্ভর করেছে। বিজ্ঞানীরা বলেন, মাতৃদেহে ওভিউলেশন বা ডিম্বপাত প্রক্রিয়া কীভাবে কাজ করে ও পিতৃদেহের স্পার্ম বা শুক্রাণু কীভাবে একে প্রভাবিত করে সেটাই ঠিক করে দিবে আগত সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে হবে। সেক্ষেত্রে বিজ্ঞানীদের গবেষণালব্ধ ফলাফল হচ্ছে প্রতি মাসে পাঁচ দিনের একটি সময়সীমায় মাতৃ দেহের ডিম্বাপাত ঘটে। এ ডিম্বপাতের তিন দিন আগে থেকে শুরু করে এক দিন পর পর্যন্ত হল গর্ভধারণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। ডিম্ব কার্যকরী থাকে মাত্র ২৪ ঘণ্টা। কিন্তু শুক্রাণু নারীর শরীরে পাঁচ দিন পর্যন্ত কার্যকরী থাকতে পারে। এভাবে জেনে নেয়া যেতে পারে নারীর গর্ভধারণের সম্ভাব্য সময়। এবার প্রয়োজন শুধু এ সময়ের মাতৃ দেহের X ক্রোমোজোমটি পুরুষ দেহের Y দ্বারা নিষিক্ত হবে নাকি X ক্রোমোজোম দ্বারা সেটি নিয়ন্ত্রন করা। বিজ্ঞান বলে, Y শুক্রাণু তুলনামূলকভাবে অনেক ছোট, কিন্তু বেশ দ্রুতগামী। তারা খুব বেশিক্ষণ জীবিত থাকে না। এ দিকে X শুক্রাণু বেশ বড় এবং ধীরগতির, কিন্তু তারা Y এর তুলনায় দীর্ঘজীবি। এবার সন্তান হিসেবে ছেলে চাইলে Y শুক্রাণু যাতে খুব দ্রুত ডিম্বের কাছাকাছি যেতে পারে এর জন্য মাতৃ দেহের যেদিন ডিম্বপাত হচ্ছে সে দিনেই মিলিত হওয়াটা জরুরি। না হলে শুক্রানুটি আর তেমন কার্যকরী থাকবে না। আবার দম্পত্তি যদি কন্যা সন্তান চান তবে ডিম্বপাতের দুই থেকে তিন দিন আগে মিলিত হতে হবে। এতে ডিম্বপাত হবার আগেই সব Y শুক্রাণু মারা যাবে, ফলে সন্তান ছেলে হবার সম্ভাবনা কমে যাবে অনেকটাই। বেঁচে থাকবে শুধু মাত্র X শুক্রাণুগুলি। ফলে কন্যা সন্তান হবার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে। তবে ব্রিটিস বিজ্ঞানীদের মতে, এটা শুধুই একটা চালাকি মাত্র। এটা কোনো আবিস্কার নয়। তারা আরও বলেন, প্রতিবেদনটি কোনোভাবেই ইচ্ছাধীনভাবে কন্যা বা পুত্র সন্তান জন্ম দেওয়ার বিষয়টিকে উৎসাহিত করার জন্যে নয়। এটি একটি গবেষণালব্ধ তত্ব।
0 notes