#শিরক এমন একটি পাপ যা আল্লাহ ক্ষমা করেন না
Explore tagged Tumblr posts
myreligionislam · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
শিরক ও তার থেকে বাঁচার উপায়।
youtube
youtube
youtube
শিরক কি?
শিরক (আরবি: شرك) ��লতে ইসলাম ধর্মে, পৌত্তলিকতা বা বহুঈশ্বরবাদ চর্চা করার পাপকে বুঝায়। অর্থাৎ শিরক হলো আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে উপাস্য হিসেবে নির্ধারিত করা বা তার উপাসনা করা।
কোরআনে সূরা আন-নিসার আয়াত 48 এবং 116 এ দুবার বলেছে যে একটি ছাড়া আল্লাহ সমস্ত পাপ ক্ষমা করতে পারেন: শিরক । প্রকৃতপক্ষে, আল্লাহ তাঁর সাথে অন্যকে শরীক করা ক্ষমা করেন না, তবে যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শরীক করে সে অবশ্যই বড় গুনাহ করেছে।
শিরক ( আরবি : شِرْك , lit. 'সংসর্গ') ইসলামে একটি পাপ প্রায়ই মোটামুটিভাবে ' মূর্তিপূজা ' বা ' বহুদেবতা ' হিসাবে অনুবাদ করা হয়, তবে আরও সঠিকভাবে অর্থ '[আল্লাহর সাথে]'। এটি সহযোগী হিসাবে আল্লাহর পাশাপাশি অন্যান্য দেবতা বা শক্তিকে গ্রহণ করা বোঝায়।
শিরক কাকে বলে?
ইবাদতের প্রকারসমূহ থেকে কোনো কিছু আল্লাহ ছাড়া অন্যের জন্য সম্পাদন করাকে শিরক বলে। আল্লাহ ছাড়া অন্যের নিকট দু‘আ করা, গাইরুল্লাহর জন্য কুরবানী করা, মানত করা এবং এমন বিষয়ে আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যের নিকট উদ্ধার কামনা করা, যা থেকে উদ্ধার করার ক্ষমতা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ রাখে না। আর তাওহীদ হচ্ছে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্য ইবাদতকে নির্দিষ্ট করা।
শিরক কত প্রকার ও কী কী?
শিরক শব্দের অর্থ অংশীদার সাব্যস্ত করা, একাধিক স্রষ্টা বা উপাস্যে বিশ্বাস করা । ইসলামি পরিভাষায় মহান আল্লাহর সাথে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে শরিক করা কিংবা তাঁর সমতুল্য মনে করাকে শিরক বলা হয় । যে ব্যক্তি শিরক করে তাকে বলা হয় মুশরিক।
আল্লাহ তায়ালার সাথে শিরক চার ধরনের হতে পারে । যথা-
১. আল্লাহ তায়ালার সত্তা ও অস্তিত্বে শিরক করা। যেমন- ঈসা (আ.)-কে আল্লাহর পুত্র মনে করা ।
২. আল্লাহ তায়ালার গুণাবলিতে শিরক করা। যেমন- আল্লাহ তায়ালার পাশাপাশি অন্য কাউকে সৃষ্টিকর্তা বা রিজিকদাতা মনে করা ।
৩. সৃষ্টি জগতের পরিচালনায় কাউকে আল্লাহর অংশীদার বানানো। যেমন- ফেরেশতাদের জগৎ পরিচালনাকারী হিসেবে মনে করা ।
৪. ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার সাথে কাউকে শরিক করা। যেমন- আল্লাহ ব্যতীত কাউকে সিজদাহ করা, কারও নামে পশু জবাই করা ইত্যাদি ।
শিরক থেকে বাঁচার উপায়
কখনো কখনো শয়তান মানুষকে শিরিকের বা আল্লাহর সঙ্গে অংশীদারের কল্পনায় ডুবিয়ে দেয়। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, নবি কারিম (সা.) এরশাদ করেন, শয়তান বলে, এটা কে সৃষ্টি করেছে? অতঃপর তাকে কে সৃষ্টি করেছে? এমনকি বলে, তোমাদের প্রভুকে কে সৃষ্টি করেছে? আল্লাহর রাসূল (সা.) এরূপ কল্পনা মনে এলে তা থেকে উত্তরণের পথ বলে দিয়েছেন। তা হচ্ছে, ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম’। এটা পড়া এবং শিরিকের কল্পনা থেকে নিজেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা। এটা সবার জন্যই শিরকের কল্পনা থেকে বাঁচার ওষুধ। বিশেষভাবে যখনই মনের মাঝে কোনো কুফরি ও শিরিকের কথা আসবে আউজুবিল্লাহ পড়ব। নিজেকে সব সময় এ ভ্রান্ত কল্পনা থেকে দূরে রাখব। শয়তানি কুমন্ত্রণার দিকে মনোযোগী হব না। এ ছাড়া সব সময় পবিত্র অবস্থায় থাকব এবং নামাজ গুরুত্বসহকারে পড়ব। এটা পরম সত্য যারা নামাজের গুরুত্ব দেয় না, তারা পবিত্রতার প্রতি মনোযোগী কম হয়। মনে রাখবেন, শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। নাপাকি অবস্থায় থাকা মানুষদের বেশি বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে শয়তান। তাই সব সময় পবিত্র থাকার চেষ্টা করব।
তথ্যসূত্র : আল কুরআন, সূরা বাকারা, আয়াত নং-২০৮, বুখারি, হাদিস নং-৩২৭৬, কিতাবুল ফাতাওয়া, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-২৭৬।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
শিরক ও তার থেকে বাঁচার উপায়
Shirk and the way to avoid it.
0 notes
quransunnahdawah · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
শিরক ও তার থেকে বাঁচার উপায়।
youtube
youtube
youtube
শিরক কি?
শিরক (আরবি: شرك) বলতে ইসলাম ধর্মে, পৌত্তলিকতা বা বহুঈশ্বরবাদ চর্চা করার পাপকে বুঝায়। অর্থাৎ শিরক হলো আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে উপাস্য হিসেবে নির্ধারিত করা বা তার উপাসনা করা।
কোরআনে সূরা আন-নিসার আয়াত 48 এবং 116 এ দুবার বলেছে যে একটি ছাড়া আল্লাহ সমস্ত পাপ ক্ষমা করতে পারেন: শিরক । প্রকৃতপক্ষে, আল্লাহ তাঁর সাথে অন্যকে শরীক করা ক্ষমা করেন না, তবে যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শরীক করে সে অবশ্যই বড় গুনাহ করেছে।
শিরক ( আরবি : شِرْك , lit. 'সংসর্গ') ইসলামে একটি পাপ প্রায়ই মোটামুটিভাবে ' মূর্তিপূজা ' বা ' বহুদেবতা ' হিসাবে অনুবাদ করা হয়, তবে আরও সঠিকভাবে অর্থ '[আল্লাহর সাথে]'। এটি সহযোগী হিসাবে আল্লাহর পাশাপাশি অন্যান্য দেবতা বা শক্তিকে গ্রহণ করা বোঝায়।
শিরক কাকে বলে?
ইবাদতের প্রকারসমূহ থেকে কোনো কিছু আল্লাহ ছাড়া অন্যের জন্য সম্পাদন করাকে শিরক বলে। আল্লাহ ছাড়া অন্যের নিকট দু‘আ করা, গাইরুল্লাহর জন্য কুরবানী করা, মানত করা এবং এমন বিষয়ে আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যের নিকট উদ্ধার কামনা করা, যা থেকে উদ্ধার করার ক্ষমতা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ রাখে না। আর তাওহীদ হচ্ছে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্য ইবাদতকে নির্দিষ্ট করা।
শিরক কত প্রকার ও কী কী?
শিরক শব্দের অর্থ অংশীদার সাব্যস্ত করা, একাধিক স্রষ্টা বা উপাস্যে বিশ্বাস করা । ইসলামি পরিভাষায় মহান আল্লাহর সাথে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে শরিক করা কিংবা তাঁর সমতুল্য মনে করাকে শিরক বলা হয় । যে ব্যক্তি শিরক করে তাকে বলা হয় মুশরিক।
আল্লাহ তায়ালার সাথে শিরক চার ধরনের হতে পারে । যথা-
১. আল্লাহ তায়ালার সত্তা ও অস্তিত্বে শিরক করা। যেমন- ঈসা (আ.)-কে আল্লাহর পুত্র মনে করা ।
২. আল্লাহ তায়ালার গুণাবলিতে শিরক করা। যেমন- আল্লাহ তায়ালার পাশাপাশি অন্য কাউকে সৃষ্টিকর্তা বা রিজিকদাতা মনে করা ।
৩. সৃষ্টি জগতের পরিচালনায় কাউকে আল্লাহর অংশীদার বানানো। যেমন- ফেরেশতাদের জগৎ পরিচালনাকারী হিসেবে মনে করা ।
৪. ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার সাথে কাউকে শরিক করা। যেমন- আল্লাহ ব্যতীত কাউকে সিজদাহ করা, কারও নামে পশু জবাই করা ইত্যাদি ।
শিরক থেকে বাঁচার উপায়
কখনো কখনো শয়তান মানুষকে শিরিকের বা আল্লাহর সঙ্গে অংশীদারের কল্পনায় ডুবিয়ে দেয়। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, নবি কারিম (সা.) এরশাদ করেন, শয়তান বলে, এটা কে সৃষ্টি করেছে? অতঃপর তাকে কে সৃষ্টি করেছে? এমনকি বলে, তোমাদের প্রভুকে কে সৃষ্টি করেছে? আল্লাহর রাসূল (সা.) এরূপ কল্পনা মনে এলে তা থেকে উত্তরণের পথ বলে দিয়েছেন। তা হচ্ছে, ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম’। এটা পড়া এবং শিরিকের কল্পনা থেকে নিজেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা। এটা সবার জন্যই শিরকের কল্পনা থেকে বাঁচার ওষুধ। বিশেষভাবে যখনই মনের মাঝে কোনো কুফরি ও শিরিকের কথা আসবে আউজুবিল্লাহ পড়ব। নিজেকে সব সময় এ ভ্রান্ত কল্পনা থেকে দূরে রাখব। শয়তানি কুমন্ত্রণার দিকে মনোযোগী হব না। এ ছাড়া সব সময় পবিত্র অবস্থায় থাকব এবং নামাজ গুরুত্বসহকারে পড়ব। এটা পরম সত্য যারা নামাজের গুরুত্ব দেয় না, তারা পবিত্রতার প্রতি মনোযোগী কম হয়। মনে রাখবেন, শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। নাপাকি অবস্থায় থাকা মানুষদের বেশি বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে শয়তান। তাই সব সময় পবিত্র থাকার চেষ্টা করব।
তথ্যসূত্র : আল কুরআন, সূরা বাকারা, আয়াত নং-২০৮, বুখারি, হাদিস নং-৩২৭৬, কিতাবুল ফাতাওয়া, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-২৭৬।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
শিরক ও তার থেকে বাঁচার উপায়
Shirk and the way to avoid it.
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
শিরক ও তার থেকে বাঁচার উপায়।
youtube
youtube
youtube
শিরক কি?
শিরক (আরবি: شرك) বলতে ইসলাম ধর্মে, পৌত্তলিকতা বা বহুঈশ্বরবাদ চর্চা করার পাপকে বুঝায়। অর্থাৎ শিরক হলো আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে উপাস্য হিসেবে নির্ধারিত করা বা তার উপাসনা করা।
কোরআনে সূরা আন-নিসার আয়াত 48 এবং 116 এ দুবার বলেছে যে একটি ছাড়া আল্লাহ সমস্ত পাপ ক্ষমা করতে পারেন: শিরক । প্রকৃতপক্ষে, আল্লাহ তাঁর সাথে অন্যকে শরীক করা ক্ষমা করেন না, তবে যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শরীক করে সে অবশ্যই বড় গুনাহ করেছে।
শিরক ( আরবি : شِرْك , lit. 'সংসর্গ') ইসলামে একটি পাপ প্রায়ই মোটামুটিভাবে ' মূর্তিপূজা ' বা ' বহুদেবতা ' হিসাবে অনুবাদ করা হয়, তবে আরও সঠিকভাবে অর্থ '[আল্লাহর সাথে]'। এটি সহযোগী হিসাবে আল্লাহর পাশাপাশি অন্যান্য দেবতা বা শক্তিকে গ্রহণ করা বোঝায়।
শিরক কাকে বলে?
ইবাদতের প্রকারসমূহ থেকে কোনো কিছু আল্লাহ ছাড়া অন্যের জন্য সম্পাদন করাকে শিরক বলে। আল্লাহ ছাড়া অন্যের নিকট দু‘আ করা, গাইরুল্লাহর জন্য কুরবানী করা, মানত করা এবং এমন বিষয়ে আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যের নিকট উদ্ধার কামনা করা, যা থেকে উদ্ধার করার ক্ষমতা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ রাখে না। আর তাওহীদ হচ্ছে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্য ইবাদতকে নির্দিষ্ট করা।
শিরক কত প্রকার ও কী কী?
শিরক শব্দের অর্থ অংশীদার সাব্যস্ত করা, একাধিক স্রষ্টা বা উপাস্যে বিশ্বাস করা । ইসলামি পরিভাষায় মহান আল্লাহর সাথে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে শরিক করা কিংবা তাঁর সমতুল্য মনে করাকে শিরক বলা হয় । যে ব্যক্তি শিরক করে তাকে বলা হয় মুশরিক।
আল্লাহ তায়ালার সাথে শিরক চার ধরনের হতে পারে । যথা-
১. আল্লাহ তায়ালার সত্তা ও অস্তিত্বে শিরক করা। যেমন- ঈসা (আ.)-কে আল্লাহর পুত্র মনে করা ।
২. আল্লাহ তায়ালার গুণাবলিতে শিরক করা। যেমন- আল্লাহ তায়ালার পাশাপাশি অন্য কাউকে সৃষ্টিকর্তা বা রিজিকদাতা মনে করা ।
৩. সৃষ্টি জগতের পরিচালনায় কাউকে আল্লাহর অংশীদার বানানো। যেমন- ফেরেশতাদের জগৎ পরিচালনাকারী হিসেবে মনে করা ।
৪. ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার সাথে কাউকে শরিক করা। যেমন- আল্লাহ ব্যতীত কাউকে সিজদাহ করা, কারও নামে পশু জবাই করা ইত্যাদি ।
শিরক থেকে বাঁচার উপায়
কখনো কখনো শয়তান মানুষকে শিরিকের বা আল্লাহর সঙ্গে অংশীদারের কল্পনায় ডুবিয়ে দেয়। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, নবি কারিম (সা.) এরশাদ করেন, শয়তান বলে, এটা কে সৃষ্টি করেছে? অতঃপর তাকে কে সৃষ্টি করেছে? এমনকি বলে, তোমাদের প্রভুকে কে সৃষ্টি করেছে? আল্লাহর রাসূল (সা.) এরূপ কল্পনা মনে এলে তা থেকে উত্তরণের পথ বলে দিয়েছেন। তা হচ্ছে, ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম’। এটা পড়া এবং শিরিকের কল্পনা থেকে নিজেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা। এটা সবার জন্যই শিরকের কল্পনা থেকে বাঁচার ওষুধ। বিশেষভাবে যখনই মনের মাঝে কোনো কুফরি ও শিরিকের কথা আসবে আউজুবিল্লাহ পড়ব। নিজেকে সব সময় এ ভ্রান্ত কল্পনা থেকে দূরে রাখব। শয়তানি কুমন্ত্রণার দিকে মনোযোগী হব না। এ ছাড়া সব সময় পবিত্র অবস্থায় থাকব এবং নামাজ গুরুত্বসহকারে পড়ব। এটা পরম সত্য যারা নামাজের গুরুত্ব দেয় না, তারা পবিত্রতার প্রতি মনোযোগী কম হয়। মনে রাখবেন, শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। নাপাকি অবস্থায় থাকা মানুষদের বেশি বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে শয়তান। তাই সব সময��� পবিত্র থাকার চেষ্টা করব।
তথ্যসূত্র : আল কুরআন, সূরা বাকারা, আয়াত নং-২০৮, বুখারি, হাদিস নং-৩২৭৬, কিতাবুল ফাতাওয়া, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-২৭৬।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
শিরক ও তার থেকে বাঁচার উপায়
Shirk and the way to avoid it.
0 notes
ilyforallahswt · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
শিরক ও তার থেকে বাঁচার উপায়।
youtube
youtube
youtube
শিরক কি?
শিরক (আরবি: شرك) বলতে ইসলাম ধর্মে, পৌত্তলিকতা বা বহুঈশ্বরবাদ চর্চা করার পাপকে বুঝায়। অর্থাৎ শিরক হলো আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে উপাস্য হিসেবে নির্ধারিত করা বা তার উপাসনা করা।
কোরআনে সূরা আন-নিসার আয়াত 48 এবং 116 এ দুবার বলেছে যে একটি ছাড়া আল্লাহ সমস্ত পাপ ক্ষমা করতে পারেন: শিরক । প্রকৃতপক্ষে, আল্লাহ তাঁর সাথে অন্যকে শরীক করা ক্ষমা করেন না, তবে যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শরীক করে সে অবশ্যই বড় গুনাহ করেছে।
শিরক ( আরবি : شِرْك , lit. 'সংসর্গ') ইসলামে একটি পাপ প্রায়ই মোটামুটিভাবে ' মূর্তিপূজা ' বা ' বহুদেবতা ' হিসাবে অনুবাদ করা হয়, তবে আরও সঠিকভাবে অর্থ '[আল্লাহর সাথে]'। এটি সহযোগী হিসাবে আল্লাহর পাশাপাশি অন্যান্য দেবতা বা শক্তিকে গ্রহণ করা বোঝায়।
শিরক কাকে বলে?
ইবাদতের প্রকারসমূহ থেকে কোনো কিছু আল্লাহ ছাড়া অন্যের জন্য সম্পাদন করাকে শিরক বলে। আল্লাহ ছাড়া অন্যের নিকট দু‘আ করা, গাইরুল্লাহর জন্য কুরবানী করা, মানত করা এবং এমন বিষয়ে আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যের নিকট উদ্ধার কামনা করা, যা থেকে উদ্ধার করার ক্ষমতা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ রাখে না। আর তাওহীদ হচ্ছে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্য ইবাদতকে নির্দিষ্ট করা।
শিরক কত প্রকার ও কী কী?
শিরক শব্দের অর্থ অংশীদার সাব্যস্ত করা, একাধিক স্রষ্টা বা উপাস্যে বিশ্বাস করা । ইসলামি পরিভাষায় মহান আল্লাহর সাথে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে শরিক করা কিংবা তাঁর সমতুল্য মনে করাকে শিরক বলা হয় । যে ব্যক্তি শিরক করে তাকে বলা হয় মুশরিক।
আল্লাহ তায়ালার সাথে শিরক চার ধরনের হতে পারে । যথা-
১. আল্লাহ তায়ালার সত্তা ও অস্তিত্বে শিরক করা। যেমন- ঈসা (আ.)-কে আল্লাহর পুত্র মনে করা ।
২. আল্লাহ তায়ালার গুণাবলিতে শিরক করা। যেমন- আল্লাহ তায়ালার পাশাপাশি অন্য কাউকে সৃষ্টিকর্তা বা রিজিকদাতা মনে করা ।
৩. সৃষ্টি জগতের পরিচালনায় কাউকে আল্লাহর অংশীদার বানানো। যেমন- ফেরেশতাদের জগৎ পরিচালনাকারী হিসেবে মনে করা ।
৪. ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার সাথে কাউকে শরিক করা। যেমন- আল্লাহ ব্যতীত কাউকে সিজদাহ করা, কারও নামে পশু জবাই করা ইত্যাদি ।
শিরক থেকে বাঁচার উপায়
কখনো কখনো শয়তান মানুষকে শিরিকের বা আল্লাহর সঙ্গে অংশীদারের কল্পনায় ডুবিয়ে দেয়। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, নবি কারিম (সা.) এরশাদ করেন, শয়তান বলে, এটা কে সৃষ্টি করেছে? অতঃপর তাকে কে সৃষ্টি করেছে? এমনকি বলে, তোমাদের প্রভুকে কে সৃষ্টি করেছে? আল্লাহর রাসূল (সা.) এরূপ কল্পনা মনে এলে তা থেকে উত্তরণের পথ বলে দিয়েছেন। তা হচ্ছে, ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম’। এটা পড়া এবং শিরিকের কল্পনা থেকে নিজেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা। এটা সবার জন্যই শিরকের কল্পনা থেকে বাঁচার ওষুধ। বিশেষভাবে যখনই মনের মাঝে কোনো কুফরি ও শিরিকের কথা আসবে আউজুবিল্লাহ পড়ব। নিজেকে সব সময় এ ভ্রান্ত কল্পনা থেকে দূরে রাখব। শয়তানি কুমন্ত্রণার দিকে মনোযোগী হব না। এ ছাড়া সব সময় পবিত্র অবস্থায় থাকব এবং নামাজ গুরুত্বসহকারে পড়ব। এটা পরম সত্য যারা নামাজের গুরুত্ব দেয় না, তারা পবিত্রতার প্রতি মনোযোগী কম হয়। মনে রাখবেন, শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। নাপাকি অবস্থায় থাকা মানুষদের বেশি বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে শয়তান। তাই সব সময় পবিত্র থাকার চেষ্টা করব।
তথ্যসূত্র : আল কুরআন, সূরা বাকারা, আয়াত নং-২০৮, বুখারি, হাদিস নং-৩২৭৬, কিতাবুল ফাতাওয়া, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-২৭৬।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
শিরক ও তার থেকে বাঁচার উপায়
Shirk and the way to avoid it.
0 notes
mylordisallah · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
শিরক ও তার থেকে বাঁচার উপায়।
youtube
youtube
youtube
শিরক কি?
শিরক (আরবি: شرك) বলতে ইসলাম ধর্মে, পৌত্তলিকতা বা বহুঈশ্বরবাদ চর্চা করার পাপকে বুঝায়। অর্থাৎ শিরক হলো আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে উপাস্য হিসেবে নির্ধারিত করা বা তার উপাসনা করা।
কোরআনে সূরা আন-নিসার আয়াত 48 এবং 116 এ দুবার বলেছে যে একটি ছাড়া আল্লাহ সমস্ত পাপ ক্ষমা করতে পারেন: শিরক । প্রকৃতপক্ষে, আল্লাহ তাঁর সাথে অন্যকে শরীক করা ক্ষমা করেন না, তবে যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শরীক করে সে অবশ্যই বড় গুনাহ করেছে।
শিরক ( আরবি : شِرْك , lit. 'সংসর্গ') ইসলামে একটি পাপ প্রায়ই মোটামুটিভাবে ' মূর্তিপূজা ' বা ' বহুদেবতা ' হিসাবে অনুবাদ করা হয়, তবে আরও সঠিকভাবে অর্থ '[আল্লাহর সাথে]'। এটি সহযোগী হিসাবে আল্লাহর পাশাপাশি অন্যান্য দেবতা বা শক্তিকে গ্রহণ করা বোঝায়।
শিরক কাকে বলে?
ইবাদতের প্রকারসমূহ থেকে কোনো কিছু আল্লাহ ছাড়া অন্যের জন্য সম্পাদন করাকে শিরক বলে। আল্লাহ ছাড়া অন্যের নিকট দু‘আ করা, গাইরুল্লাহর জন্য কুরবানী করা, মানত করা এবং এমন বিষয়ে আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যের নিকট উদ্ধার কামনা করা, যা থেকে উদ্ধার করার ক্ষমতা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ রাখে না। আর তাওহীদ হচ্ছে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্য ইবাদতকে নির্দিষ্ট করা।
শিরক কত প্রকার ও কী কী?
শিরক শব্দের অর্থ অংশীদার সাব্যস্ত করা, একাধিক স্রষ্টা বা উপাস্যে বিশ্বাস করা । ইসলামি পরিভাষায় মহান আল্লাহর সাথে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে শরিক করা কিংবা তাঁর সমতুল্য মনে করাকে শিরক বলা হয় । যে ব্যক্তি শিরক করে তাকে বলা হয় মুশরিক।
আল্লাহ তায়ালার সাথে শিরক চার ধরনের হতে পারে । যথা-
১. আল্লাহ তায়ালার সত্তা ও অস্তিত্বে শিরক করা। যেমন- ঈসা (আ.)-কে আল্লাহর পুত্র মনে করা ।
২. আল্লাহ তায়ালার গুণাবলিতে শিরক করা। যেমন- আল্লাহ তায়ালার পাশাপাশি অন্য কাউকে সৃষ্টিকর্তা বা রিজিকদাতা মনে করা ।
৩. সৃষ্টি জগতের পরিচালনায় কাউকে আল্লাহর অংশীদার বানানো। যেমন- ফেরেশতাদের জগৎ পরিচালনাকারী হিসেবে মনে করা ।
৪. ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার সাথে কাউকে শরিক করা। যেমন- আল্লাহ ব্যতীত কাউকে সিজদাহ করা, কারও নামে পশু জবাই করা ইত্যাদি ।
শিরক থেকে বাঁচার উপায়
কখনো কখনো শয়তান মানুষকে শিরিকের বা আল্লাহর সঙ্গে অংশীদারের কল্পনায় ডুবিয়ে দেয়। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, নবি কারিম (সা.) এরশাদ করেন, শয়তান বলে, এটা কে সৃষ্টি করেছে? অতঃপর তাকে কে সৃষ্টি করেছে? এমনকি বলে, তোমাদের প্রভুকে কে সৃষ্টি করেছে? আল্লাহর রাসূল (সা.) এরূপ কল্পনা মনে এলে তা থেকে উত্তরণের পথ বলে দিয়েছেন। তা হচ্ছে, ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম’। এটা পড়া এবং শিরিকের কল্পনা থেকে নিজেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা। এটা সবার জন্যই শিরকের কল্পনা থেকে বাঁচার ওষুধ। বিশেষভাবে যখনই মনের মাঝে কোনো কুফরি ও শিরিকের কথা আসবে আউজুবিল্লাহ পড়ব। নিজেকে সব সময় এ ভ্রান্ত কল্পনা থেকে দূরে রাখব। শয়তানি কুমন্ত্রণার দিকে মনোযোগী হব না। এ ছাড়া সব সময় পবিত্র অবস্থায় থাকব এবং নামাজ গুরুত্বসহকারে পড়ব। এটা পরম সত্য যারা নামাজের গুরুত্ব দেয় না, তারা পবিত্রতার প্রতি মনোযোগী কম হয়। মনে রাখবেন, শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। নাপাকি অবস্থায় থাকা মানুষদের বেশি বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে শয়তান। তাই সব সময় পবিত্র থাকার চেষ্টা করব।
তথ্যসূত্র : আল কুরআন, সূরা বাকারা, আয়াত নং-২০৮, বুখারি, হাদিস নং-৩২৭৬, কিতাবুল ফাতাওয়া, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-২৭৬।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
শিরক ও তার থেকে বাঁচার উপায়
Shirk and the way to avoid it.
0 notes
allahisourrabb · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
শিরক ও তার থেকে বাঁচার উপায়।
youtube
youtube
youtube
শিরক কি?
শিরক (আরবি: شرك) বলতে ইসলাম ধর্মে, পৌত্তলিকতা বা বহুঈশ্বরবাদ চর্চা করার পাপকে বুঝায়। অর্থাৎ শিরক হলো আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে উপাস্য হিসেবে নির্ধারিত করা বা তার উপাসনা করা।
কোরআনে সূরা আন-নিসার আয়াত 48 এবং 116 এ দুবার বলেছে যে একটি ছাড়া আল্লাহ সমস্ত পাপ ক্ষমা করতে পারেন: শিরক । প্রকৃতপক্ষে, আল্লাহ তাঁর সাথে অন্যকে শরীক করা ক্ষমা করেন না, তবে যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শরীক করে সে অবশ্যই বড় গুনাহ করেছে।
শিরক ( আরবি : شِرْك , lit. 'সংসর্গ') ইসলামে একটি পাপ প্রায়ই মোটামুটিভাবে ' মূর্তিপূজা ' বা ' বহুদেবতা ' হিসাবে অনুবাদ করা হয়, তবে আরও সঠিকভাবে অর্থ '[আল্লাহর সাথে]'। এটি সহযোগী হিসাবে আল্লাহর পাশাপাশি অন্যান্য দেবতা বা শক্তিকে গ্রহণ করা বোঝায়।
শিরক কাকে বলে?
ইবাদতের প্রকারসমূহ থেকে কোনো কিছু আল্লাহ ছাড়া অন্যের জন্য সম্পাদন করাকে শিরক বলে। আল্লাহ ছাড়া অন্যের নিকট দু‘আ করা, গাইরুল্লাহর জন্য কুরবানী করা, মানত করা এবং এমন বিষয়ে আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যের নিকট উদ্ধার কামনা করা, যা থেকে উদ্ধার করার ক্ষমতা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ রাখে না। আর তাওহীদ হচ্ছে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্য ইবাদতকে নির্দিষ্ট করা।
শিরক কত প্রকার ও কী কী?
শিরক শব্দের অর্থ অংশীদার সাব্যস্ত করা, একাধিক স্রষ্টা বা উপাস্যে বিশ্বাস করা । ইসলামি পরিভাষায় মহান আল্লাহর সাথে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে শরিক করা কিংবা তাঁর সমতুল্য মনে করাকে শিরক বলা হয় । যে ব্যক্তি শিরক করে তাকে বলা হয় মুশরিক।
আল্লাহ তায়ালার সাথে শিরক চার ধরনের হতে পারে । যথা-
১. আল্লাহ তায়ালার সত্তা ও অস্তিত্বে শিরক করা। যেমন- ঈসা (আ.)-কে আল্লাহর পুত্র মনে করা ।
২. আল্লাহ তায়ালার গুণাবলিতে শিরক করা। যেমন- আল্লাহ তায়ালার পাশাপাশি অন্য কাউকে সৃষ্টিকর্তা বা রিজিকদাতা মনে করা ।
৩. সৃষ্টি জগতের পরিচালনায় কাউকে আল্লাহর অংশীদার বানানো। যেমন- ফেরেশতাদের জগৎ পরিচালনাকারী হিসেবে মনে করা ।
৪. ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার সাথে কাউকে শরিক করা। যেমন- আল্লাহ ব্যতীত কাউকে সিজদাহ করা, কারও নামে পশু জবাই করা ইত্যাদি ।
শিরক থেকে বাঁচার উপায়
কখনো কখনো শয়তান মানুষকে শিরিকের বা আল্লাহর সঙ্গে অংশীদারের কল্পনায় ডুবিয়ে দেয়। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, নবি কারিম (সা.) এরশাদ করেন, শয়তান বলে, এটা কে সৃষ্টি করেছে? অতঃপর তাকে কে সৃষ্টি করেছে? এমনকি বলে, তোমাদের প্রভুকে কে সৃষ্টি করেছে? আল্লাহর রাসূল (সা.) এরূপ কল্পনা মনে এলে তা থেকে উত্তরণের পথ বলে দিয়েছেন। তা হচ্ছে, ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম’। এটা পড়া এবং শিরিকের কল্পনা থেকে নিজেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা। এটা সবার জন্যই শিরকের কল্পনা থেকে বাঁচার ওষুধ। বিশেষভাবে যখনই মনের মাঝে কোনো কুফরি ও শিরিকের কথা আসবে আউজুবিল্লাহ পড়ব। নিজেকে সব সময় এ ভ্রান্ত কল্পনা থেকে দূরে রাখব। শয়তানি কুমন্ত্রণার দিকে মনোযোগী হব না। এ ছাড়া সব সময় পবিত্র অবস্থায় থাকব এবং নামাজ গুরুত্বসহকারে পড়ব। এটা পরম সত্য যারা নামাজের গুরুত্ব দেয় না, তারা পবিত্রতার প্রতি মনোযোগী কম হয়। মনে রাখবেন, শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। নাপাকি অবস্থায় থাকা মানুষদের বেশি বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে শয়তান। তাই সব সময় পবিত্র থাকার চেষ্টা করব।
তথ্যসূত্র : আল কুরআন, সূরা বাকারা, আয়াত নং-২০৮, বুখারি, হাদিস নং-৩২৭৬, কিতাবুল ফাতাওয়া, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-২৭৬।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
শিরক ও তার থেকে বাঁচার উপায়
Shirk and the way to avoid it.
0 notes
khutbahs · 4 years ago
Photo
Tumblr media
শিরক: রব ও ইলাহ হিসাবে আল্লাহর সাথে শরীক সাব্যস্ত করার নামই শিরক৷ 
শিরক হলো মূর্তিপূজা বা  বহু ঈশ্বরবাদ বা  শিরকের পরিনাম জাহান্নাম (অর্থাৎ, আল্লাহ ব্যতীত কারও বা দেবতার উপাসনা বা উপাসনা)এর অর্থ আল্লাহর পাশে অংশীদারদের প্রতিষ্ঠা বা প্রতিষ্ঠা করা।) যা তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ব্যের  চুড়ান্ত বিপরীত।
কুরআন বলে শিরক এমন এক মহাপাপ যা আল্লাহ ক্ষমা কর��ন না (৪:৪৮)।
https://www.youtube.com/watch?v=-1MP97ATKXs
0 notes
rangpur-crime-news · 4 years ago
Text
ঈমান ভঙ্গের কারণ সমূহ June 30, 20214 ঈমান ভঙ্গের দশটি কারণ- : সাধারণত আমরা জানি ওযু ভঙ্গের কারণ গুলো , আবার নামায কি কারণে ভঙ্গ হয় তাও আমরা কিন্তু ঈমান ভঙ্গের কারণ সমূহ আমাদের অনেকের জানা নেই। এবার ‘ ঈমান ভঙ্গের কারণ সমূহ’ জানা যাক, একঃ আস শিরকআল্লাহ তা’য়ালার ইবাদতে শরীক করা। এ ব্যাপারে মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ আল্লাহ্ বলেছেন:“নিশ্চয় আল্লাহ্ তাঁর সাথে অংশীদার করা ক্ষমা করেন না। ইহা ব্যতীত অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন; এবং যে কেহ আল্লাহর সাথে শরীক করে সে এক মহা পাপ করে।”(সূরা নিসা ৪: আয়াত ৪৮)”কেহ আল্লাহর সাথে শরীক করলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত অবশ্যেই হারাম করবেন এবং তার আবাস জাহান্নাম। যালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।” (সূরা মায়িদা ৫: আয়াত ৭২)কেউ আল্লাহর সাথে যে বিভিন্ন প্রকার শরীক করতে পারে তার মধ্যে রয়েছে অলিহাহ, আরবাব, আনদাদ ও তাগুত। বর্তমান কালের কয়েকটি বড় বড় শিরক সমূহের মধ্যে রয়েছে মাজার ও কবর পূজা, পীর ও আল্লাহর অলিরা গায়েব জানেন, অসুস্থকে সুস্থ করতে পারেন, বাচ্চা দিতে পারেন, বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারেন কিংবা আমাদের খবর জানেন ইত্যাদি ধারণা পোষণ করা।-আল্লাহ্ একমাত্র আইন ও বিধান দাতা। কুরআন ও সুন্নাহর মাধ্যমে আল্লাহ আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন সমাজ, রাষ্ট্র, শিক্ষা, বিচার ব্যবস্থা, শাস্তি, অর্থনীতি কিভাবে চালাতে হবে এবং এ সমস্ত ব্যাপারে আল্লাহর দেয়া বিধানই প্রত্যেক মুসলিমের একমাত্র সংবিধান। যদি কেউ আল্লাহর দেয়া সংবিধানের উপর নিজেরা আইন তৈরী করে তবে তারা তাগুত(আল্লাহদ্রোহী, সীমালংঘনকারী)-তে পরিণত হবে। যারা তাগুতের তৈরী সংবিধানকে মানবে, তারা মানার বিষয়ে আল্লাহর সাথে শিরক্ করে মুশরিকে পরিণত হবে। এমনিভাবে আল্লাহর দেয়া শরীয়া আইন বাদ দিয়ে যে সমস্ত বিচারক মানুষের তৈরী করা আইন দিয়ে বিচার ফয়সালা করে তারাও তাগুত।এবং যে সকল লোক তাদের কাছে নিজের ইচ্ছার বিচার ফয়সালা নিয়ে যাবে তারাও শিরকের গুনাহতে লিপ্ত হয়ে ইসলাম থেকে বাদ পড়ে যাবে।-দুই:মধ্যস্থতা ধরাযে ব্যক্তি তার নিজের এবং আল্লাহর মধ্যে মধ্যস্থতা ও যোগাযোগের মাধ্যম বানায় এবং তাদের কাছে তার মনোস্কামনা পূরণের(শাফায়া) জন্য আবেদন নিবেদন করে এবং তাদের উপর নির্ভর করে, সে কাফির (অবিশ্বাসী) হয়ে যায়। ইহাই অতীত ও বর্তমানের আলেমদের ইজমা।“তারা আল্লাহকে ব্যতিত যার ইবাদাত করে তা তাদের ক্ষতিও করতে পারে না,উপকারও করতে পারে না। তারা বলে, ‘এইগুলি আল্লাহর নিকট আমাদের সুপারিশকারী।’ বল, ‘তোমরা কি আল্লাহকে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর এমন কিছুর সংবাদ দিবে যা তিনি জানেন না?তিনি মহান, পবিত্র’ এবং তারা যাকে শরীক করে তা হতে তিনি উর্দ্ধে।”(সূরা ইউনুস ১০: আয়াত ১৮)-“জেনে রাখ, অবিমিশ্র আনুগত্য আল্লাহরই প্রাপ্য। যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্যকে অভিভাবকরুপে গ্রহণ করে তারা বলে, ‘আমরা তো এদের পূজা এজন্যই করি যে, ইহারা আমাদেরকে আল্লাহর সান্নিধ্যে নিয়ে যাবে।’ তারা যে বিষয়ে নিজেদের মধ্যে মতভেদ করছে আল্লাহ তার ফয়সালা করে দিবেন। যে মিথ্যাবাদী ও কাফির আল্লাহ তাকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।” (সূরা যুমার ৩৯:আয়াত ৩)-এর একটি স্পষ্ট উদাহরণ হবে যদি কোন ব্যক্তি মৃত বা জীবিত পীর(ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব) বা দরবেশের কাছে সন্তান দেয়ার বা মনের ইচ্ছা পূরণের জন্য প্রার্থনা করে; এছাড়া তাবীজ দিতে বলে আর বিশ্বাস স্থাপন করে পীরবাবার তাবীজে সে সুস্থ হবে অথবা মনের কামনা পূরণ হবে। এসকল কাজ দ্বারা আল্লাহ তা’য়ালা রুবুবিয়াতের সাথে পীরবাবা বা বুজুর্গকে শরীক করা হয়। ইহা সুস্পষ্ট শিরক্ যা কিনা একজন মুসলিমকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়।-তিন: যে ব্যক্তি বহু্ইশ্বরবাদকে প্রত্যখান না করে বা বহুইশ্বরবাদী(মুশরীক) কাফির কিনা এমন সন্দেহ পোষণ করে সে কাফির হয়ে যায়। উদাহরণ স্বরূপ যদি কোন ব্যক্তি বলে যে, সে নিশ্চিত নয় একজন খৃষ্টান কাফির কিনা, তাহলে সে নিজেই কাফির হয়ে যায়। কারণ সে ঈসা(আ)-কে আল্লাহ হিসেবে গ্রহণকারী খৃষ্টানদের প্রত্যাখান করে নি।–চার: যে ব্যক্তি মহানবী(সা) এর পরিপূর্ণতা ও দিক নির্দেশনা বা ফয়সালায় অবিশ্বাস করে সে কাফির। এর কারণ হচ্ছে আল্লাহর রাসূল(সা) ও তার ফয়সালা হচ্ছে সীরাতুল মুসতাক্কিমের উপর। আর যারা তাগুতের কাছে যাওয়া বেশি পছন্দ করে তারা সত্য সঠিক পথ হতে বহু দূরে।
0 notes
gnews71 · 7 years ago
Photo
Tumblr media
ইসলামে ক্ষমার অযোগ্য পাপ কোনটি? ইসলাম ক্ষমার ধর্ম। একজন মানুষ যত অন্যায়ই করুক না কেন ইসলাম তাকে ক্ষমা করার ঘোষণা দিয়েছে। বিভিন্ন কিতাবে আল্লাহপাকের অন��ক গুণের কথা উল্লেখ আছে- সব থেকে বড় যে গুণের কথা উল্লেখ আছে সেটা হচ্ছে ক্ষমা করার গুণ। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন, পৃথিবী ও আকাশে যা কিছু আছে সমস্তই আল্লাহর মালিকানাধীন। যাকে চান মাফ করে দেন এবং যাকে চান শাস্তি দেন। তিনি ক্ষমাশীল ও করুণাময়। (সূরা-আল ইমরান, আয়াত-১২৯) ইসলাম উদারতার ধর্ম। আল্লাহপাক মহান। কিন্তু ইসলামে এমন একটি পাপ আছে যেটা করলে আল্লাহপাক কখনো ক্ষমা করবেন না। সেটা হচ্ছে আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা। অর্থাৎ শিরক করা। পবিত্র কুরআনে আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন, বলো, তিনি আল্লাহ, একক। আল্লাহ কারোর ওপর নির্ভরশীল নন এবং সবাই তার ওপর নির্ভরশীল। তার কোনো সন্তান নেই এবং তিনি কারোর সন্তান নন। এবং তার সমতুল্য কেউ নেই। (সূরা-ইখলাস, আয়াত-১-৪) অন্য একটি আয়াতে আল্লাহপাক আরও ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ অবশ্য শিরককে মাফ করেন না। এছাড়া অন্যান্য যত গুনাহ হোক না কেন তিনি যাকে ইচ্ছা মাফ করে দেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে আর কাউকে শরীক করেছে সেতো এক বিরাট মিথ্যা রচনা করেছে এবং কঠিন গুনাহের কাজ করেছে। (সূরা-নিসা, আয়াত-৪৮) এটা বলতে অদ্ভুত বলে মনে হতে পারে যে, আল্লাহ হলেন সবচেয়ে করুণাময়। আর ইসলাম হলো ক্ষমা করার ধর্ম কিন্তু একটি পাপ ক্ষমা করা হবে না। এই বিষয়ে আল্লাহপাক আরও স্পষ্ট করে ইরশাদ করেছেন, হে নবী! এ কাফেরদের বলে দাও, যদি এখনো তারা ফিরে আসে ,তাহলে যা কিছু আগে হয়ে গেছে তা মাফ করা হবে। কিন্তু যদি তারা আগের আচরণের পুনরাবৃত্তি করে, তাহলে অতীতের জাতিগুলোর সাথে যা কিছু ঘটে গেছে তা সবার জানা। (সূরা-আল আনফাল, আয়াত-৩৮) সুতরাং একথা স্পষ্ট যে, আল্লাহপাক সকল পাপই ক্ষমা করবেন। কিন্তু তার সাথে শরীক করাকে তিনি কখনো ক্ষমা করবেন না। আল্লাহপাক আমাদেরকে এই ধরনের পাপ করা থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করুন। আমীন।
0 notes
bartatv-blog · 7 years ago
Photo
Tumblr media
মার্জনা লাভের এখনই সময় রমজান মাসে আল্লাহ তায়ালার কাছে যে বান্দাই ক্ষমা চায় ক্ষমা পায় ; তিনি বান্দার তওবা কবুল করেন এবং পাপগুলো মার্জনা করেন। আল্লাহ তায়ালা কোরআনের অসংখ্য আয়াতে ক্ষমার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “তোমাদের যা নিষেধ করা হয়েছে তার মধ্যে যা গুরুতর তা থেকে বিরত থাকলে তোমাদের লঘুতর পাপগুলো মোচন করা হবে এবং তোমাদের সম্মানজনক স্থানে দাখিল করব।” (সূরা নিসা : আয়াত : ৩১)। এই আয়াতে ছোট ছোট পাপ মার্জনা করার কথা রয়েছে। কিন্তু বড় কোনো পাপ করার পর অনুতপ্ত হলে এবং এমন কাজের পুনরাবৃত্তি না করার অঙ্গীকার করে তওবা করলে আল্লাহ তায়ালা তা ক্ষমা করে দেন। অন্য একটি আয়াতে তিনি শিরক ব্যতীত সব ধরনের পাপ ক্ষমা করার কথা বলেছেন, “নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সঙ্গে শরিক করাকে ক্ষমা করেন না। এটা ছাড়া সবকিছু যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। আর কেউ আল্লাহর সঙ্গে শরিক করলে সে ভয়��্করভাবে পথভ্রষ্ট হয়।” (সূরা নিসা : আয়াত : ১১৬)। যে পাপে মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ন হয় বা বিনষ্ট হয় সেই ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী ব্যক্তির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং তাকে সন্তুষ্ট করতে হবে। ব্যক্তি মানুষের অধিকার দুই ধরনের : ১. দৃশ্যমান এবং ২. দৃশ্যমান নয়। কাউকে গালিগালাজ করলে বা অপমান করলে যে অধিকার ক্ষুণ্ন হয় তা চোখে দেখা যায় না। কিন্তু টাকা-পয়সা ও অর্থসম্পদের ক্ষতিগুলো দৃশ্যমান। মানুষের অধিকারের ক্ষেত্রে অপরাধ ও পাপ হয়ে গেলে ওই ব্যক্তি থেকে ক্ষমা চাইতে হবে, তার অধিকার আদায় করতে হবে, তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এই ক্ষেত্রে কেবল আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ ক্ষমা করবেন না। কোরআন মাজিদে রয়েছে, “ইউসুফের ভাইয়েরা বলল, আল্লাহর শপথ, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাকে আমাদের ওপর প্রাধান্য দিয়েছেন এবং আমরা তো অপরাধী ছিলাম। তিনি বললেন, আজ তোমাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই, আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করুন, তিনিই শ্রেষ্ঠ দয়ালু।” (সূরা ইউসুফ : আয়াত : ৯১-৯২)। এখানে ইউসুফ (আ.) আগে নিজের ক্ষমা করার কথা বলেছেন, তারপর আল্লাহর ক্ষমা করার কথা উল্লেখ করেছেন। রমজান হলো আল্লাহর ক্ষমা ও সন্তুষ্টি লাভের মাস। এর জন্য আমাদের যা কিছু করা দরকার তা করতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, “যে ব্যক্তি রমজান মাসে ঈমানের সঙ্গে ও সওয়াবের আশা নিয়ে রাত্রি জাগরণ করে নামাজ পড়বে আল্লাহ তায়ালা তার পূর্ববর্তী সব গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন।” (সহিহ বোখারি, হাদিস নং ৩৭) অন্য একটি হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে ও সওয়াবের আশা নিয়ে রমজানের রোজাগুলো রাখবে আল্লাহ তায়ালা তার পেছনের সব গোনাহ মাফ করে দেবেন।” (সহিহ বোখারি, হাদিস নং ৩৮)। রমজান মাসে ক্ষমা পাওয়ার প্রতিশ্রুতি অনেক, শুধু অনুতপ্ত হতে হবে এবং প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে, আমাদের দ্বারা কখনও পাপকর্ম সাধিত হবে না। সহিহ মুসলিমের একটি হাদিস রয়েছে, “পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, এক জুমা থেকে আরেক জুমা এবং এক রমজান থেকে আরেক রমজান মধ্যবর্তী পাপগুলোর মার্জনাকারী, যদি কবিরা গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা যায়।” (হাদিস নং-৫৭৪) আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের মার্জনা লাভের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। আমাদের অবশ্যই মার্জনা লাভ করতে হবে এবং জান্নাত লাভের উপযুক্ত হতে হবে; রমজান মাসই এর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।
0 notes
khutbahs · 4 years ago
Link
শিরক জঘন্য, নিকৃষ্টতম, চূড়ান্ত ক্ষমাহীন পাপ, তওবা ছাড়া তা হয়না মাফ
রব ও ইলাহ হিসাবে আল্লাহর সাথে আর কাউকে শরীক সাব্যস্ত করার নামই শিরক
৷ 
ইসলাম ধর্মে, শির্ক (পৌত্তলিকতা বা বহুঈশ্বরবাদ চর্চা করার পাপকে বুঝায় অর্থাৎ শির্‌ক হল আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে উপাস্য হিসেবে সাব্যস্ত করা বা তার উপাসনা করা। শাব্দিকভাবে এর দ্বারা এক বা একাধিক কোন কিছুকে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব ও কর্তৃত্বের অংশীদার সাব্যস্ত করাকে বুঝায়। এটি তাওহীদের পরিপন্থী একটি বিষয়। ইসলামে শির্ক হল একটি অমার্জনীয় অপরাধ যদি না মৃত্যু নিকটবর্তী হব���র পূর্বে আল্লাহর নিকট এই অপরাধের জন্যে ক্ষমা চেয়ে না নেয়া হয় শিরক প্রধানত তিন প্রকার(এক) আল্লাহর সত্তার সাথে শিরক করা (তাওহিদে রুবুবিয়াহর বিপরীত)। যেমন: আল্লাহর স্ত্রী, পুত্র, কন্যা আছে বলে বিশ্বাস করা।(দুই) আল্লাহর ইবাদতে শিরক করা (তাওহীদে উলুহিয়াহর বিপরীত)। উপাসনার নিয়তে কাউকে সিজদা করা শিরকের অন্তর্ভুক্ত।(তিন) আল্লাহর গুণাবলিতে শিরক করা (তাওহীদে আসমা ওয়াস সিফাতের বিপরীত)। যেমন: নবী, রাসূল ও আওলিয়াগণ নিজে থেকে গায়েব জানেন বলে মনে করা ,কারণ গায়েবের জ্ঞান শুধু আল্লাহ জানেন।
কুরআন-সুন্নাহর বর্ণনায় শিরকের গোনাহ ও শাস্তি
আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের অনেক জায়গায় বারবার শিরক করা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। শিরকে বড় জুলুম বলে আখ্যায়িত করেছেন। আল্লাহ তাআলার সঙ্গে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে অংশীদার সাব্যস্ত করার ব্যাপারে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ বলেন- ‘যখন লোকমান উপদেশস্বরূপ তার ছেলেকে বলল- হে ছেলে! আল্লাহর সাথে শরিক করো না। নিশ্চয় আল্লাহর সাথে শরিক করা মহা অন্যায়।’ (সুরা লোকমান : আয়াত ১৩)
আল্লাহর অধিকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব গোনাহ মাফ করলেও তার সঙ্গে শিরক তথা অংশীদার স্থাপন করার গোনাহ কখনো মাফ করবেন না। আর যারা আল্লাহর সঙ্গে অন্যকে অংশীদার স্থাপন করবে তাদের শাস্তিও মারাত্মক। কুরআনে শিরকের যে গোনাহ ও শাস্তির কথা বলা হয়েছে, তাহলো-
>> নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরিক তথা অংশীদার সাব্যস্ত করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। আর যে লোক অংশীদার সাব্যস্ত করল আল্লাহর সাথে, সে যেন আল্লাহকে অপবাদ দিলো।’ (সুরা নিসা : আয়াত ৪৮)
>> তারা কাফের, যারা বলে যে, মরিময়-তনয় মসীহ (ঈসা)-ই আল্লাহ; অথচ মসীহ বলেন, হে বনি ইসরাঈল! তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর, যিনি আমার পালন কর্তা এবং তোমাদেরও পালনকর্তা। নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অংশীদার সাব্যস্ত করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার বাসস্থান হয় জাহান্নাম। আর অত্যাচারীদের কোনো সাহায্যকারী নেই।’ (সুরা মায়েদা : আয়াত ৭২)
>> আহলে-কিতাব ও মুশরেকদের মধ্যে যারা আল্লাহকে অস্বীকারকারী, তারা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। সৃষ্টির মধ্যে তারাই নিকৃষ্ট।’ (সুরা বাইয়্যেনাহ : আয়াত ৬)
শিরক মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষকে ৭টি ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বেঁচে থাকতে বলেছেন। আর তাহলো-
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা ৭টি ধ্বংসকারী বস্তু থেকে বেঁচে থাকো। তারা জানতে চাইলেন, হে আল্লাহর রাসুল! সে���ুলো কী? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- ‘আল্লাহর সঙ্গে শিরক তথা অংশীদার স্থাপন করা।’ জাদু করা, কারণ ছাড়া কাউকে হত্যা করা, আল্লাহ যা হারাম করেছেন, সুদ খাওয়া, ইয়াতিমের মাল খাওয়া, জেহাদ থেকে পলায়ন করা, সতি নারীর প্রতি অপবাদ দেয়া।’ (বুখারি)
>> হজরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন ৩ বার বলেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে বড় (কবিরা) গোনাহ সম্পর্কে অবহিত করবো না? সবাই বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! অবশ্যই বলুন। তিনি বললেন- ‘আল্লাহর সঙ্গে শিরক বা অংশীদার স্থাপন করা।’ আর পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া। তিনি হেলান দিয়ে বসেছিলেন; এবার সোজা হয়ে বসলেন এবং বললেন, শুনে রাখ! মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া, এ কথাটি তিনি বার বার বলতে থাকলেন। এমনকি আমরা বলতে লাগলাম, আর যদি তিনি না বলতেন। (বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি)
কুরআন ও হাদিসের বর্ণনায় শিকর কবিরা গোনাহ। আল্লাহ তাআলা শিরকের গোনাহ কখনো ক্ষমা করবেন না। এ গোনহের ফলে মানুষের জন্য জান্নাত হারাম হয়ে যায়। জাহান্নাম অবধারিত।
সুতরাং শিরকমুক্ত থাকতে হজরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু পড়া সে দোয়াটি নিয়মিত পড়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া জরুরি। আ তাহলো-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, একদিন হজরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে এমন একটি দোয়া কথা বলুন, যা আমি সকাল-সন্ধ্যায় পাঠ করব। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি বল- اَللَّهُمَّ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَطِرَ السَّمَوَاتِ وَ الْاَرْضِ رَبَّ كُلِّ شَيئٍ وَ مَلِيْكِهِ أَشْهَدُ أنْ لَّا اِلَهَ اِلَّا اَنْتَ أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِىْ وَ مِنْ سَرِّ الشَيْطَانِ وَ شِرْكِهِ উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা আলিমাল গাইবি ওয়াশ শাহাদাতি ফাত্বিরাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি রাব্বা কুল্লি শাইয়িন ওয়া মালিকিহ, আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লা আংতা আউজুবিকা মিন শাররি নাফসি ওয়া মিন শাররি শায়ত্বানি ওয়া শিরকিহি।’
অর্থ : হে আল্লাহ! (আপনি) দৃশ্য-অদৃশ্য সব বিষয় অবগত; আসমান-জমিনের সৃষ্টিকর্তা; প্রত্যেক বস্তুর প্রতিপালক ও মালিক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই। আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই- আমার মনের (নফসের) অনিষ্টতা থেকে, শয়তানের অনিষ্টতা থেকে এবং শিরক থেকে।’- এ দোয়াটি সকাল-সন্ধ্যায় এবং শয্যায় (ঘুমাতে) যাওয়ার সময়ও বলবে।’ (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, মিশকাত)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তার অস্তিত্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব কিছু থেকে শিরকমুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। আম���ন।
0 notes
khutbahs · 5 years ago
Link
শিরক: ক্ষমার অযোগ্য পাপ, পবিত্র কোরআন কি বলে?
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার একটি  গুণবাচক নাম হলো গফুর বা ক্ষমাশীল।
মহান আল্লাহ তায়ালা চাইলে তার বান্দার সকল গুনাহ মাফ করে দিতে পারেন। কিন্তু কিছু গুনাহ আছে যেগুলো মহান আল্লাহ তায়ালা কখনই মাফ করবেন না, এমন একটি গুনাহ হলো শিরক।
শিরক অর্থ হলো মহান আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা করা। মহান আল্লাহ ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা মূর্তির উপাসনা করা, সিজদা করা। শিরকের পরিনাম সর্ম্পকে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনুল কারিমে উল্লেখ করেছেন-
إن الله لايغفر ان يشرك به ويغفر مادون ذلك يشاء ج ومن يشرا اك بالله فقد افترى اثما عظيما
অর্থ: আল্লাহ তায়ালা শিরকের গুনাহ কখনই ক্ষমা করবেন না; এছাড়া অপরাপর গুনাহ যাকে ইচ্ছা মাফ করবেন। এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে শরীক করে সে মহা অপরাধ করল। (সূরা: নিসা, আয়াত: ৪৮)
পবিত্র কোরআনের অপর এক জায়গায় মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন-
انه  يشرا بِمناللَّهِ فَقَد تم اللَّهُ عَلَي الجنّة فَأَرَاهُ النَّارُ وَمَا لِللَّمِينَ مِنْ أَنْصَار
অর্থ: যারা আল্লাহর সঙ্গে শরীক স্থাপন করে, নিঃসন্দেহে আল্লাহ তায়ালা তাদের জন্য বেহেস্তকে হারাম করে দেন। দোযখই তাদের আবাসস্থল। এ জালেমদের জন্য কোনো সাহায্যকারী হবে না। (সূরা: মায়েদা, আয়াত: ৭২)
প্রত্যেক মুসলমানের উচিত শিরক সম্বন্ধে অবগত হওয়া এবং তা হতে বেঁচে থাকতে প্রাণপণ চেষ্টা করা। শিরক সর্ম্পকে ছেরাজুছ ছালেকীন কিতাব থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হলো।
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা ব্যতীত অন্য কোনো বস্তুকে মাবুদ বলে স্বীকার থাকার কথা অথবা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে এবাদতের যোগ্য বলে গ্রহণ করার নাম শিরক। হজরত শাহ অলিউল্লাহ মুহাদ্দিছে দেহলবী ফরমায়েছেন- যে সিফাত (গুণাবলী) শুধুমাত্র মহান আল্লাহর জন্য ঐগুলো অন্য কারও প্রতি আরোপ করলে শিরক হবে। যথা: আল্লাহ সর্বজ্ঞানী, এখন যদি অন্য কাউকে মহান আল্লাহর মত সর্বজ্ঞানী বলে স্বীকার করে তবে তা হবে শিরক।
মহান আল্লাহ সর্বশক্তিমান, অপর কাউকেও তদ্রুপ সর্বশক্তিমান ধারণা করলে এবং মহান আল্লাহর কার্যক্ষমতা ও কার্যপ্রণালীকে অন্য কোনো শক্তির কার্যক্ষমতা ও কার্যপ্রণালীর ন্যায় ধারণা করলে শিরক হবে। কোনো কোনো গোনাহে কবীরাকেও মহান আল্লাহ তায়ালা শিরক বলেছেন।
হাদিসে আছে; যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোনো বস্তুর কসম করল সে ব্যক্তি অবশ্যই শিরক করল।  তাই যাদুমন্ত্র করাও শিরক। যে যে এবাদত মহান আল্লাহ তায়ালার জন্য নিদিষ্ট ঐগুলো আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো জন্য করলে শিরক হয়।
এবাদতের উদ্দেশ্যে বস্তু বা ব্যক্তির জিকির করা শিরক। আপদ, বালা, মুসিবত দূর করার নিমিত্ত মহান আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা শিরক। এলেম, হায়াত, রিজিক ও স্বাস্থ���য ইত্যাদির জন্য মহান আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকেও ডাকা শিরক। মহান আল্লাহর ক্ষমতার সঙ্গে অপর কারও এলেম ও ক্ষমতার তুলনা করা শিরক। যথা: যদি কেউ বলে যে, যা মহান আল্লাহ এবং তোমার ইচ্ছা তাই ঘটবে, তাহলে সে বক্তি শিরক করল।
বুজুর্গানেদীন যে সমস্ত গোনাহকে শিরক ও কুফর বলে প্রকাশ করেছেন নিম্নে তার কতগুলো উল্লেখ করা যাচ্ছে। মহান আল্লাহ তায়ালাকে জালেম ও অত্যাচার বলা, মহান আল্লাহ ও রাসূল (সা.)-এর কোনো হুকুমকে মন্দ জানা, গণক, ভবিষ্যৎ বক্তা বা যার নিকট জ্বিন হাসেল করা আছে এমন ব্যক্তির নিকট হতে কোনো কথা জানতে চাওয়া বা সাহায্য প্রার্থনা করা।
মহান আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো সৃষ্টি বস্তুকে তার লাভ-লোকসানের কারণ ধারণা করা, মহান আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও নিকট রুজী আওলাদ ও মকছুদ চাওয়া, পীর বা কোনো ব্যক্তি বস্তুকে সেজদা করা-ইবাদাতের বা তাজীমের হোক তা হারাম ও কুফরী।
পীর-পারপয়গম্বর কারও নামে রোজা রাখা ও নামাজ পড়া, ���ারও নামে কোনো প্রানীকে মুক্ত করা, কাউকে জিন, ভূত, পেত ইত্যাদি ধরলে তা দূর করার জন্য গরু, বকরী, হাঁস, মোরগ ইত্যাদি উৎসর্গ করে দেয়া। শিরক ছাড়াও মা-বাবার মনে যে ব্যক্তি কষ্ট দেয় তাকেও মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা মাফ করেন না। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
ﺃﻟَﺎ ﺃﻧَﺒِﺌﻜُﻢْ ﺑِﺄﻛْﺒَﺮِ ﺍﻟﻜَﺒَﺎﺋﺮِ؟ ﻗُﻠْﻨَﺎ ﺑَﻠَﻰ ﻳَﺎﺭَﺳُﻮْﻝَ ﺍﻟﻠﻪ . ﻗﺎَﻝَ ﺍﻟْﺈﺷْﺮَﺍﻙُ ﺑِﺎﻟﻠﻪ ﻭَﻋُﻘُﻮْﻕُ ﺍﻟْﻮَﺍﻟِﺪَﻳْﻦِ
‘আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে বড় কবীরা গোনাহের সংবাদ দিব না? আমরা বললাম- জ্বী, অবশ্যই হে আল্লাহর রাসূল ! তিনি বললেন, আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা এবং পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া।’
শিরক হলো স্পষ্ট জুলুম ও অন্যায় এবং মা-বাবা অবাধ্যতা হয়াও এর থেকে কম অপরাধ নয়।
0 notes
khutbahs · 5 years ago
Photo
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
শিরক কি ? এ সম্পর্কে জানতে চাই
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
শিরক কি ? এ সম্পর্কে জানতে চাই উত্তর :যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।শিরকের সংজ্ঞা: রব ও ইলাহ হিসাবে আল্লাহর সহিত আর কাউকে শরীক সাব্যস্ত করার নামই শিরক৷অধিকাংশ ক্ষেত্রে উলুহিয়াত তথা ইলাহ হিসাবে আল্লাহর সাথে শরীক করা হয়৷ যেমন আল্লাহর সাথে অন্য কারো নিকট দোয়া করা কিংবা বিভিন্ন প্রকার ইবাদাত যেমন যবেহ, মান্নাত, ভয়, আশা, মহব্বত ইত্যাদির কোন কিছু গায়রুল্লাহর উদ্দেশ্যে নিবেদন করা৷আল্লাহকে ডাকার মত অন্যকে ডাকা, আল্লাহকে ভয় করার মত অন্যকে ভয় করা, তাঁর কাছে কামনা করা হয়, অন্যের কাছে তা কামনা করা। তাঁকে ভালোবাসার মত অন্যকেও ভালোবাসা।“মানুষের মধ্যে এমন একদল লোক আছে যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যদেরকে শরীক বানিয়েছে এবং তাদেরকে এমনভাবে ভালবাসে যেমন আল্লাহকে ভালোবাসা উচিত, আর যারা ঈমান এনেছে তারা আল্লাহকেই সর্বাধিক ভালবাসে”। (সূরা আল বাকারা: ১৬৫) আল্লাহর জন্যে ��ম্পাদনযোগ্য ইবাদতসমূহের যে কোন একটি গাইরুল্লাহর উদ্দেশ্যে সম্পাদন করা।শিরকের ভয়াবহ পরিণাম :শিরকের মাধ্যমে সৃষ্টিকে স্রষ্টার আসনে বসানো হয়, যা মহা অপরাধ এবং রীতি মত অবিচার।আল্লাহ বলেন:“নিশ্চয়ই শিরক একটি মস্ত বড় অন্যায়” (সুরা লোকমান: ১৩)আল্লাহ তা’আলা শিরকের গুনাহ তওবা ছাড়া ক্ষমা করবেন না।আল্লাহ বলেন-• “নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা তার সাথে শিরক করার অপরাধ ক্ষমাকরবেন না। এ ছাড়া অন্য সকল গুনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেদিবেন” (সুরা নিসা: ৪৮)আল্লাহ তা’আলা মুশরিকদের জন্যে জান্নাত হারাম বলে ঘোষণা করেছেন:• “নিশ্চয় যে আল্লাহ’র সাথে শিরক করবে আল্লাহ তার উপর জান্নাত হারাম করে দেবেন এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। জালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই।” (সূরা মায়িদাহ: ৭২)শিরক সমস্ত আমলকে বিনষ্ট করে দেয়। আল্লাহ বলেন,• “আর যদি তারা শিরক করে তাহলে তাদের সকল আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে।” (সুরা আনআম: ৮৮)• আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের পতি প্রত্যাদেশ হয়েছে, যদি আল্লাহর শরীক স্থির করেন, তবে আপনার কর্ম নিষ্ফল হবে এবং আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের একজন হবেন। (সূরা যুমার: ৬৫) আল্লাহ তাআলা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলে দিয়েছেন, শিরক করার পর যে ব্যক্তি তা থেকে তওবা করবেনা, তিনি তাকে ক্ষমা করবেন না৷ আল্লাহ বলেন:• নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। আর যে লোক অংশীদার সাব্যস্ত করল আল্লাহর সাথে, সে যেন অপবাদ আরোপ করল। (সূরা নিসা ৪৮)শিরকই হল সবচেয়ে বড় গুনাহ। নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,# “আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে বড় গুনাহ সম্পর্কে অবহিত করব না? আর তা হল, আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করা।” (বুখারি-মুসলিম)শিরকের প্রকারভেদ:শিরক দুই প্রকার।শিরকে আকবর বা বড় শিরক। শিরকে আসগর বা ছোট শিরক। ১. শিরকে আকবার(বড় শিরক) :যা বান্দাকে মিল্লাতের গন্ডী থেকে বের করে দেয়৷ এ ধরণের শিরকে লিপ্ত ব্যক্তি যদি শিরকের উপরই মৃতু্যবরণ করে, এবং তা থেকে তওবা না করে থাকে, তাহলে সে চিরস্থায়ী ভাবে দোজখে অবস্থান করবে৷শিরকে আকবর হলো গায়রুল্লাহ তথা আল্লাহ ছাড়া যে কোন ব্যক্তি, প্রাণী বা বস্তুর উদ্দেশ্যে কোন ইবাদত আদায় করা, গায়রুল্লাহর উদ্দেশে কুরবানী করা, মান্নাত করা, কোন মৃত ব্যক্তি কিংবা জি্বন অথবা শয়তান কারো ক্ষতি করতে পারে কিংবা কাউকে অসুস্থ করতে পারে, এ ধরনের ভয় পাওয়া, প্রয়োজন ও চাহিদা পূর্ণ করা এবং বিপদ দূর করার ন���যায় যে সব ব্যাপারে আল্লাহ ছাড়া আর কেউ ক্ষমতা রাখেনা সে সব ব্যাপারে আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছে আশা করা৷আজকাল আওলিয়া ও বুযুর্গানে দ্বীনের কবরসমূহকে কেন্দ্র করে এ ধরনের শিরকের প্রচুর চর্চা হচ্ছে৷ এদিকে ইশারা করে আল্লাহ বলেন:• ‘তারা আল্লাহর পরিবর্তে এমন বস্তুর ইবাদত করে, যা না তাদের কোন ক্ষতি সাধন করতে পারে, না করতে পারে, কোন উপকার৷ আর তারা বলে, এরা তো আল্লাহর কাছে আমাদের সুপারিশকারী৷’ (সূরা ইউনুস ১৮)২.শিরকে আসগার (ছোট শিরক) শিরক আসগার বান্দাকে মুসলিম মিল্লাতের গন্ডী থেকে বের করে দেয়না, তবে তার একত্ববাদের আক্বীদায় ত্রুটি ও কমতির সৃষ্টি করে৷ এটি শিরকে আকবারে লিপ্ত হওয়ার অসীলা ও কারণ৷ এ ধরনের শিরক দু’প্রকার:প্রথম প্রকার: স্পষ্ট শিরকএ প্রকারের শিরক কথা ও কাজের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে৷কথার ক্ষেত্রে শিরকের উদাহরণ:আল্লাহর ব্যতীত অন্য কিছুর কসম ও শপথ করা৷ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:# রাসূল (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে শপথ করে, সে কুফরী করে অথবা শিরক করে।”[তিরমিযী]অনুরূপভাবে এমন কথা বলা যে, ”আল্লাহ এবং তুমি যেমন চেয়েছ” কোন এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ”আল্লাহ এবং আপনি যেমন চেয়েছেন” কথাটি বললে তিনি বললেন, ”তুমি কি আমাকে আল্লাহর সাথে সমকক্ষ স্থির করলে? বরং বল, আল্লাহ এককভাবে যা চেয়েছেন৷”আর একথাও বলা যে, ”যদি আল্লাহ ও অমুক ব্যক্তি না থাকত” ৷ উপরোক্ত ক্ষেত্রদ্বয়ে বিশুদ্ধ হল নিম্নরূপে বলা – ”আল্লাহ চেয়েছেন, অতঃপর অমুক যেমন চেয়েছে” ”যদি আল্লাহ না থাকতেন, অতঃপর অমুক ব্যক্তি না থাকত” । তাই ”এবং ” শব্দের বদলে “তারপর” কিংবা “অতঃপর শব্দের ব্যবহার বান্দার ইচ্ছাকে আল্লাহর ইচ্ছার অধীনস্ত করে দেয়৷ যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন:•‘তোমরা বিশ্বজগতের প্রভু আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কোন কিছুরই ইচ্ছা করতে পারনা৷’ ( সূরা তাক'ওয়ীর : ২৯)কাজের ক্ষেত্রে শিরকের উদাহরণ:যেমন বিপদাপদ দূর করার জন্য কড়ি কিংবা দাগা বাঁধা, বদনজর থেকে বাঁচার জন্য তাবীজ ইত্যাদি লটকানো৷ এসব ব্যাপারে যদি এ বিশ্বাস থাকে যে, এগুলো বলাথ-মসীবত দূর করার মাধ্যম ও উপকরণ, তাহলে তা হবে শিরকে আসগার৷ কেননা আল্লাহ এগুলোকে সে উপকরণ হিসাবে সৃষ্টি করেননি৷ পক্ষান্তরে কারো যদি এ বিশ্বাস হয় যে, এসব বস্তু স্বয়ং বালা- মুসীবত দূর করে, তবে তা হবে শিরক আকবর৷ কেননা এতে গায়রুল্লাহর প্রতি সেই ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে যা শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট৷দ্বিতীয় প্রকার: গোপন শিরকএ প্রকার শিরকের স্থান হলো ইচ্ছা, সংকল্প ও নিয়্যাতের মধ্যে৷ যেমন লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে ও প্রসিদ্ধি অর্জনের জন্য কোন আমল করা৷ অর্থাৎ আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায় এমন কোন কাজ করে তা দ্বারা মানুষের প্রশংসা লাভের ইচ্ছা করা৷ যেমন সুন্দর ভাবে নামায আদায় করা, কিংবা সদকা করা এ উদ্দেশ্যে যে, মানুষ তার প্রশংসা করবে, অথবা সশব্দে যিকির- আযকার পড়া ও সুকন্ঠে তেলাওয়াত করা যাতে তা শুনে লোকজন তার গুণগান করে৷ যদি কোন আমলে রিয়া তথা লোক দেখানোর উদ্দেশ্য সংমিশ্রিত থাকে, তাহলে আল্লাহ তা বাতিল করে দেন৷ আল্লাহ বলেন:• ‘অতএব যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন সত্কর্ম সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার ইবাদতে কাউকে শরীক না করে’ ( সূরা কাহফ: ১১০)# রাসূল (সাঃ) বলেন, “যে বিষয়ে আমি তোমাদের উপরে সবচেয়ে বেশি ভয় করি, তা হল ছোট শিরক”। সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! ছোট শিরক কি? তিনি বলিলেন, “ছোট শিরক হচ্ছে রিয়া (লোক দেখানো ইবাদত।)”[মুসলিম]পার্থিব লোভে পড়ে কোন আমল করাও এ প্রকার শিরকের অন্তর্গত৷ যেমন কোন ব্যক্তি শুধু মাল- সম্পদ অর্জনের জন্যেই হজ্জ করে, আযান দেয় অথবা লোকদের ইমামতি করে, কিংবা শরয়ী জ্ঞান অর্জন করে বা জিহাদ করে৷ইমাম ইবনুল কাইয়েম (র) বলেন সংকল্প ও নিয়্যাতের শিরক হলো এমন এক সাগর সদৃশ যার কোন কূল- কিনারা নেই৷ খুব কম লোকই তা থেকে বাঁচতে পারে৷ অতএব যে ব্যক্তি তার আমল দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি ছাড়া অন্য কিছু ও গায়রুল্লার কাছে ঐ আমলের প্রতিদান প্রত্যাশা করে, সে মূলতঃ উক্ত আমল দ্বারা তার নিয়ত ও সংকল্প নিয়্যত খালেছ ভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টি উদ্দেশ্যে করা৷ এটাই হলো সত্যপন্থা তথা ইব্রাহীমের মিল্লাত, যা অনুসরণ করার জন্য আল্লাহ তাঁর সকল বান্দাদের নির্দেশ দিয়েছেন এবং এতদ্ব্যতীত তিনি কারো কাছ থেকে অন্য কিছু কবুল করবেন না৷ আর এ সত্য পন্থাই হলো ইসলামের হাকীকত৷উপরের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বাবে বুঝা যাচ্ছে যে, শিরকে আকবার ও শিরকে আসগারের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে৷সেগুলো হল:কোন ব্যক্তি শিরকে আকবারে লিপ্ত হলে সে মুসলিম মিল্লাত থেকে বের হয়ে যায়৷ পক্ষান্তরে শিরকে আসগারের ফলে সে মুসলিম মিল্লাত থেকে বের হয় না৷ শিরকে আকবরে লিপ্ত ব্যক্তি চিরকাল জাহান্নামে অবস্থান করবে৷ পক্ষান্তরে শিরকে আসগারে লিপ্ত ব্যক্তি জাহান্নামে গেলে চিরকাল সেখানে অবস্থান করবেনা৷ শিরকে আকবার বান্দার সমস্ত আমল নষ্ট করে দেয়, কিন্তু শিরকে আসগার সব আমল নষ্ট করেনা৷ বরং রিয়া ও দুনিয়া অর্জনের উদ্দেশ্যে কৃত আমল শুধু তত্সংশ্লিষ্ট আমলকেই নষ্ট করে৷ শিরকে আকবারে লিপ্ত ব্যক্তির জান-মাল মুসলমানদের জন্য হালাল৷ পক্ষান্তরে শিরকে আসগারে লিপ্ত ব্যক্তির জান-মাল কারো জন্য হালাল নয়। প্রচলিত কিছু শিরকী কথা:মানুষের মাঝে একটা স্বভাব রয়েছে আর তাহলো তার চেয়ে ভাল অবস্থায় কেউ থাকলে বা তার নিজস্ব অবস্থানের চেয়ে কাউকে বড় দেখলে সে তাকে তার মনের মাঝে এমন একটা জায়গায় স্থান দিতে শুরু করে যে ধীরে ধীরে সে নিজের অজান্তে শিরকে জড়িয়ে পরে। আমাদের অনেকেই প্রায়ই এই ধরণের কথা বলে থাকিঃআপনি ছিলেন বলেই আজকে রক্ষা পেলাম! আমি আপনার উপরই ভরসা করছি! আপনি ছাড়া আর কে সাহায্য করবে! আপনি যদি থাকতেন তাহলে কাজটা এরকম হতো না! ভাই সাহায্য করেন, আপনিই একমাত্র পারেন আমাকে সাহায্য করতে! হ্যালো, ভাই কেমন আছেন! কঠিন বিপদে আছি উদ্ধার করেন ভাই! (মোবাইল কথোপকথন) হে দয়ার নবী রক্ষা ��র মোরে! হে দয়ার নবী রক্ষা যদি না কর বেহেশতে যেতে পারব না! হে অমুক মাজারবাসী আমার অমুক আশাটা পূরণ করে দেন! কেবলাবাবাই ভরসা! দয়ালবাবা, বাবা ভান্ডারী রক্ষা কর মোরে! আমি মোটামুটি কিছু প্রচলিত কথা তুলে ধরলাম, যার চর্চা করার মাধ্যমে আমরা প্রতিনিয়ত শিরক করে চলছি! যা মোটেই উচিত নয়, একজন মুসলিম হিসেবে এই বিষয়ে স্পষ্ট একটা ধারণা থাকা প্রয়োজন। কারণ, আল্লাহ তাআলা শিরকের গুনাহ ক্ষমা করবেন না।:
রব ও ইলাহ হিসাবে আল্লাহর সহিত আর কাউকে শরীক সাব্যস্ত করার নামই শিরক৷
অধিকাংশ ক্ষেত্রে উলুহিয়াত তথা ইলাহ হিসাবে আল্লাহর সাথে শরীক করা হয়৷ যেমন আল্লাহর সাথে অন্য কারো নিকট দোয়া করা কিংবা বিভিন্ন প্রকার ইবাদাত যেমন যবেহ, মান্নাত, ভয়, আশা, মহব্বত ইত্যাদির কোন কিছু গায়রুল্লাহর উদ্দেশ্যে নিবেদন করা৷
আল্লাহকে ডাকার মত অন্যকে ডাকা, আল্লাহকে ভয় করার মত অন্যকে ভয় করা, তাঁর কাছে কামনা করা হয়, অন্যের কাছে তা কামনা করা। তাঁকে ভালোবাসার মত অন্যকেও ভালোবাসা।“মানুষের মধ্যে এমন একদল লোক আছে যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যদেরকে শরীক বানিয়েছে এবং তাদেরকে এমনভাবে ভালবাসে যেমন আল্লাহকে ভালোবাসা উচিত, আর যারা ঈমান এনেছে তারা আল্লাহকেই সর্বাধিক ভালবাসে”। (সূরা আল বাকারা: ১৬৫) আল্লাহর জন্যে সম্পাদনযোগ্য ইবাদতসমূহের যে কোন একটি গাইরুল্লাহর উদ্দেশ্যে সম্পাদন করা।
শিরকের ভয়াবহ পরিণাম :
শিরকের মাধ্যমে সৃষ্টিকে স্রষ্টার আসনে বসানো হয়, যা মহা অপরাধ এবং রীতি মত অবিচা���।
আল্লাহ বলেন:
“নিশ্চয়ই শিরক একটি মস্ত বড় অন্যায়” (সুরা লোকমান: ১৩)
আল্লাহ তা’আলা শিরকের গুনাহ তওবা ছাড়া ক্ষমা করবেন না।
আল্লাহ বলেন-
• “নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা তার সাথে শিরক করার অপরাধ ক্ষমা
করবেন না। এ ছাড়া অন্য সকল গুনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে
দিবেন” (সুরা নিসা: ৪৮)
আল্লাহ তা’আলা মুশরিকদের জন্যে জান্নাত হারাম বলে ঘোষণা করেছেন:
• “নিশ্চয় যে আল্লাহ’র সাথে শিরক করবে আল্লাহ তার উপর জান্নাত হারাম করে দেবেন এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। জালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই।” (সূরা মায়িদাহ: ৭২)
শিরক সমস্ত আমলকে বিনষ্ট করে দেয়। আল্লাহ বলেন,
• “আর যদি তারা শিরক করে তাহলে তাদের সকল আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে।” (সুরা আনআম: ৮৮)
• আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের পতি প্রত্যাদেশ হয়েছে, যদি আল্লাহর শরীক স্থির করেন, তবে আপনার কর্ম নিষ্ফল হবে এবং আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের একজন হবেন। (সূরা যুমার: ৬৫)
আল্লাহ তাআলা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলে দিয়েছেন, শিরক করার পর যে ব্যক্তি তা থেকে তওবা করবেনা, তিনি তাকে ক্ষমা করবেন না৷ আল্লাহ বলেন:
• নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। আর যে লোক অংশীদার সাব্যস্ত করল আল্লাহর সাথে, সে যেন অপবাদ আরোপ করল। (সূরা নিসা ৪৮)
শিরকই হল সবচেয়ে বড় গুনাহ। নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
# “আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে বড় গুনাহ সম্পর্কে অবহিত করব না? আর তা হল, আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করা।” (বুখারি-মুসলিম)
শিরকের প্রকারভেদ:
শিরক দুই প্রকার।
শিরকে আকবর বা বড় শিরক।
শিরকে আসগর বা ছোট শিরক।
১. শিরকে আকবার(বড় শিরক) :
যা বান্দাকে মিল্লাতের গন্ডী থেকে বের করে দেয়৷ এ ধরণের শিরকে লিপ্ত ব্যক্তি যদি শিরকের উপরই মৃতু্যবরণ করে, এবং তা থেকে তওবা না করে থাকে, তাহলে সে চিরস্থায়ী ভাবে দোজখে অবস্থান করবে৷
শিরকে আকবর হলো গায়রুল্লাহ তথা আল্লাহ ছাড়া যে কোন ব্যক্তি, প্রাণী বা বস্তুর উদ্দেশ্যে কোন ইবাদত আদায় করা, গায়রুল্লাহর উদ্দেশে কুরবানী করা, মান্নাত করা, কোন মৃত ব্যক্তি কিংবা জি্বন অথবা শয়তান কারো ক্ষতি করতে পারে কিংবা কাউকে অসুস্থ করতে পারে, এ ধরনের ভয় পাওয়া, প্রয়োজন ও চাহিদা পূর্ণ করা এবং বিপদ দূর করার ন্যায় যে সব ব্যাপারে আল্লাহ ছাড়া আর কেউ ক্ষমতা রাখেনা সে সব ব্যাপারে আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছে আশা করা৷
আজকাল আওলিয়া ও বুযুর্গানে দ্বীনের কবরসমূহকে কেন্দ্র করে এ ধরনের শিরকের প্রচুর চর্চা হচ্ছে৷ এদিকে ইশারা করে আল্লাহ বলেন:
• ‘তারা আল্লাহর পরিবর্তে এমন বস্তুর ইবাদত করে, যা না তাদের কোন ক্ষতি সাধন করতে পারে, না করতে পারে, কোন উপকার৷ আর তারা বলে, এরা তো আল্লাহর কাছে আমাদের সুপারিশকারী৷’ (সূরা ইউনুস ১৮)
২.শিরকে আসগার (ছোট শিরক)
শিরক আসগার বান্দাকে মুসলিম মিল্লাতের গন্ডী থেকে বের করে দেয়না, তবে তার একত্ববাদের আক্বীদায় ত্রুটি ও কমতির সৃষ্টি করে৷ এটি শিরকে আকবারে লিপ্ত হওয়ার অসীলা ও কারণ৷
এ ধরনের শিরক দু’প্রকার:
প্রথম প্রকার: স্পষ্ট শিরক
এ প্রকারের শিরক কথা ও কাজের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে৷
কথার ক্ষেত্রে শিরকের উদাহরণ:
আল্লাহর ব্যতীত অন্য কিছুর কসম ও শপথ করা৷ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
# রাসূল (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে শপথ করে, সে কুফরী করে অথবা শিরক করে।”[তিরমিযী]
অনুরূপভাবে এমন কথা বলা যে, ”আল্লাহ এবং তুমি যেমন চেয়েছ”
কোন এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ”আল্লাহ এবং আপনি যেমন চেয়েছেন” কথাটি বললে তিনি বললেন, ”তুমি কি আমাকে আল্লাহর সাথে সমকক্ষ স্থির করলে? বরং বল, আল্লাহ এককভাবে যা চেয়েছেন৷”
আর একথাও বলা যে, ”যদি আল্লাহ ও অমুক ব্যক্তি না থাকত” ৷ উপরোক্ত ক্ষেত্রদ্বয়ে বিশুদ্ধ হল নিম্নরূপে বলা – ”আল্লাহ চেয়েছেন, অতঃপর অমুক যেমন চেয়েছে” ”যদি আল্লাহ না থাকতেন, অতঃপর অমুক ব্যক্তি না থাকত” । তাই ”এবং ” শব্দের বদলে “তারপর” কিংবা “অতঃপর শব্দের ব্যবহার বান্দার ইচ্ছাকে আল্লাহর ইচ্ছার অধীনস্ত করে দেয়৷ যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন:
•‘তোমরা বিশ্বজগতের প্রভু আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কোন কিছুরই ইচ্ছা করতে পারনা৷’ ( সূরা তাক'ওয়ীর : ২৯)
কাজের ক্ষেত্রে শিরকের উদাহরণ:
যেমন বিপদাপদ দূর করার জন্য কড়ি কিংবা দাগা বাঁধা, বদনজর থেকে বাঁচার জন্য তাবীজ ইত্যাদি লটকানো৷ এসব ব্যাপারে যদি এ বিশ্বাস থাকে যে, এগুলো বলাথ-মসীবত দূর করার মাধ্যম ও উপকরণ, তাহলে তা হবে শিরকে আসগার৷ কেননা আল্লাহ এগুলোকে সে উপকরণ হিসাবে সৃষ্টি করেননি৷ পক্ষান্তরে কারো যদি এ বিশ্বাস হয় যে, এসব বস্তু স্বয়ং বালা- মুসীবত দূর করে, তবে তা হবে শিরক আকবর৷ কেননা এতে গায়রুল্লাহর প্রতি সেই ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে যা শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট৷
দ্বিতীয় প্রকার: গোপন শিরক
এ প্রকার শিরকের স্থান হলো ইচ্ছা, সংকল্প ও নিয়্যাতের মধ্যে৷ যেমন লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে ও প্রসিদ্ধি অর্জনের জন্য কোন আমল করা৷ অর্থাৎ আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায় এমন কোন কাজ করে তা দ্বারা মানুষের প্রশংসা লাভের ইচ্ছা করা৷ যেমন সুন্দর ভাবে নামায আদায় করা, কিংবা সদকা করা এ উদ্দেশ্যে যে, মানুষ তার প্রশংসা করবে, অথবা সশব্দে যিকির- আযকার পড়া ও সুকন্ঠে তেলাওয়াত করা যাতে তা শুনে লোকজন তার গুণগান করে৷ যদি কোন আমলে রিয়া তথা লোক দেখানোর উদ্দেশ্য সংমিশ্রিত থাকে, তাহলে আল্লাহ তা বাতিল করে দেন৷ আল্লাহ বলেন:
• ‘অতএব যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন সত্কর্ম সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার ইবাদতে কাউকে শরীক না করে’ ( সূরা কাহফ: ১১০)
# রাসূল (সাঃ) বলেন, “যে বিষয়ে আমি তোমাদের উপরে সবচেয়ে বেশি ভয় করি, তা হল ছোট শিরক”। সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! ছোট শিরক কি? তিনি বলিলেন, “ছোট শিরক হচ্ছে রিয়া (লোক দেখানো ইবাদত।)”[মুসলিম]
পার্থিব লোভে পড়ে কোন আমল করাও এ প্রকার শিরকের অন্তর্গত৷ যেমন কোন ব্যক্তি শুধু মাল- সম্পদ অর্জনের জন্যেই হজ্জ করে, আযান দেয় অথবা লোকদের ইমামতি করে, কিংবা শরয়ী জ্ঞান অর্জন করে বা জিহাদ করে৷
ইমাম ইবনুল কাইয়েম (র) বলেন সংকল্প ও নিয়্যাতের শিরক হলো এমন এক সাগর সদৃশ যার কোন কূল- কিনারা নেই৷ খুব কম লোকই তা থেকে বাঁচতে পারে৷ অতএব যে ব্যক্তি তার আমল দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি ছাড়া অন্য কিছু ও গায়রুল্লার কাছে ঐ আমলের প্রতিদান প্রত্যাশা করে, সে মূলতঃ উক্ত আমল দ্বারা তার নিয়ত ও সংকল্প নিয়্যত খালেছ ভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টি উদ্দেশ্যে করা৷ এটাই হলো সত্যপন্থা তথা ইব্রাহীমের মিল্লাত, যা অনুসরণ করার জন্য আল্লাহ তাঁর সকল বান্দাদের নির্দেশ দিয়েছেন এবং এতদ্ব্যতীত তিনি কারো কাছ থেকে অন্য কিছু কবুল করবেন না৷ আর এ সত্য পন্থাই হলো ইসলামের হাকীকত৷
উপরের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বাবে বুঝা যাচ্ছে যে, শিরকে আকবার ও শিরকে আসগারের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে৷
সেগুলো হল:
কোন ব্যক্তি শিরকে আকবারে লিপ্ত হলে সে মুসলিম মিল্লাত থেকে বের হয���ে যায়৷ পক্ষান্তরে শিরকে আসগারের ফলে সে মুসলিম মিল্লাত থেকে বের হয় না৷
শিরকে আকবরে লিপ্ত ব্যক্তি চিরকাল জাহান্নামে অবস্থান করবে৷ পক্ষান্তরে শিরকে আসগারে লিপ্ত ব্যক্তি জাহান্নামে গেলে চিরকাল সেখানে অবস্থান করবেনা৷
শিরকে আকবার বান্দার সমস্ত আমল নষ্ট করে দেয়, কিন্তু শিরকে আসগার সব আমল নষ্ট করেনা৷ বরং রিয়া ও দুনিয়া অর্জনের উদ্দেশ্যে কৃত আমল শুধু তত্সংশ্লিষ্ট আমলকেই নষ্ট করে৷
শিরকে আকবারে লিপ্ত ব্যক্তির জান-মাল মুসলমানদের জন্য হালাল৷ পক্ষান্তরে শিরকে আসগারে লিপ্ত ব্যক্তির জান-মাল কারো জন্য হালাল নয়।
প্রচলিত কিছু শিরকী কথা:
মানুষের মাঝে একটা স্বভাব রয়েছে আর তাহলো তার চেয়ে ভাল অবস্থায় কেউ থাকলে বা তার নিজস্ব অবস্থানের চেয়ে কাউকে বড় দেখলে সে তাকে তার মনের মাঝে এমন একটা জায়গায় স্থান দিতে শুরু করে যে ধীরে ধীরে সে নিজের অজান্তে শিরকে জড়িয়ে পরে। আমাদের অনেকেই প্রায়ই এই ধরণের কথা বলে থাকিঃ
আপনি ছিলেন বলেই আজকে রক্ষা পেলাম!
আমি আপনার উপরই ভরসা করছি!
আপনি ছাড়া আর কে সাহায্য করবে!
আপনি যদি থাকতেন তাহলে কাজটা এরকম হতো না!
ভাই সাহায্য করেন, আপনিই একমাত্র পারেন আমাকে সাহায্য করতে!
হ্যালো, ভাই কেমন আছেন! কঠিন বিপদে আছি উদ্ধার করেন ভাই! (মোবাইল কথোপকথন)
হে দয়ার নবী রক্ষা কর মোরে!
হে দয়ার নবী রক্ষা যদি না কর বেহেশতে যেতে পারব না!
হে অমুক মাজারবাসী আমার অমুক আশাটা পূরণ করে দেন!
কেবলাবাবাই ভরসা!
দয়ালবাবা, বাবা ভান্ডারী রক্ষা কর মোরে!
আমি মোটামুটি কিছু প্রচলিত কথা তুলে ধরলাম, যার চর্চা করার মাধ্যমে আমরা প্রতিনিয়ত শিরক করে চলছি! যা মোটেই উচিত নয়, একজন মুসলিম হিসেবে এই বিষয়ে স্পষ্ট একটা ধারণা থাকা প্রয়োজন। কারণ, আল্লাহ তাআলা শিরকের গুনাহ ক্ষমা করবেন না।
0 notes
khutbahs · 5 years ago
Link
শিরক কি ? এ সম্পর্কে জানতে চাই
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
শিরকের সংজ্ঞা:
রব ও ইলাহ হিসাবে আল্লাহর সহিত আর কাউকে শরীক সাব্যস্ত করার নামই শিরক৷
অধিকাংশ ক্ষেত্রে উলুহিয়াত তথা ইলাহ হিসাবে আল্লাহর সাথে শরীক করা হয়৷ যেমন আল্লাহর সাথে অন্য কারো নিকট দোয়া করা কিংবা বিভিন্ন প্রকার ইবাদাত যেমন যবেহ, মান্নাত, ভয়, আশা, মহব্বত ইত্যাদির কোন কিছু গায়রুল্লাহর উদ্দেশ্যে নিবেদন করা৷
আল্লাহকে ডাকার মত অন্যকে ডাকা, আল্লাহকে ভয় করার মত অন্যকে ভয় করা, তাঁর কাছে কামনা করা হয়, অন্যের কাছে তা কামনা করা। তাঁকে ভালোবাসার মত অন্যকেও ভালোবাসা।“মানুষের মধ্যে এমন একদল লোক আছে যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যদেরকে শরীক বানিয়েছে এবং তাদেরকে এমনভাবে ভালবাসে যেমন আল্লাহকে ভালোবাসা উচিত, আর যারা ঈমান এনেছে তারা আল্লাহকেই সর্বাধিক ভালবাসে”। (সূরা আল বাকারা: ১৬৫) আল্লাহর জন্যে সম্পাদনযোগ্য ইবাদতসমূহের যে কোন একটি গাইরুল্লাহর উদ্দেশ্যে সম্পাদন করা।
শিরকের ভয়াবহ পরিণাম :
শিরকের মাধ্যমে সৃষ্টিকে স্রষ্টার আসনে বসানো হয়, যা মহা অপরাধ এবং রীতি মত অবিচার।
আল্লাহ বলেন:
“নিশ্চয়ই শিরক একটি মস্ত বড় অন্যায়” (সুরা লোকমান: ১৩)
আল্লাহ তা’আলা শিরকের গুনাহ তওবা ছাড়া ক্ষমা করবেন না।
আল্লাহ বলেন-
• “নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা তার সাথে শিরক করার অপরাধ ক্ষমা
করবেন না। এ ছাড়া অন্য সকল গুনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে
দিবেন” (সুরা নিসা: ৪৮)
আল্লাহ তা’আলা মুশরিকদের জন্যে জান্নাত হারাম বলে ঘোষণা করেছেন:
• “নিশ্চয় যে আল্লাহ’র সাথে শিরক করবে আল্লাহ তার উপর জান্নাত হারাম করে দেবেন এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। জালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই।” (সূরা মায়িদাহ: ৭২)
শিরক সমস্ত আমলকে বিনষ্ট করে দেয়। আল্লাহ বলেন,
• “আর যদি তারা শিরক করে তাহলে তাদের সকল আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে।” (সুরা আনআম: ৮৮)
• আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের পতি প্রত্যাদেশ হয়েছে, যদি আল্লাহর শরীক স্থির করেন, তবে আপনার কর্ম নিষ্ফল হবে এবং আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের একজন হবেন। (সূরা যুমার: ৬৫)
আল্লাহ তাআলা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলে দিয়েছেন, শিরক করার পর যে ব্যক্তি তা থেকে তওবা করবেনা, তিনি তাকে ক্ষমা করবেন না৷ আল্লাহ বলেন:
• নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। আর যে লোক অংশীদার সাব্যস্ত করল আল্লাহর সাথে, সে যেন অপবাদ আরোপ করল। (সূরা নিসা ৪৮)
শিরকই হল সবচেয়ে বড় গুনাহ। নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
# “আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে বড় গুনাহ সম্পর্কে অবহিত করব না? আর তা হল, আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করা।” (বুখারি-মুসলিম)
শিরকের প্রকারভেদ:
শিরক দুই প্রকার।
শিরকে আকবর বা বড় শিরক।
শিরকে আসগর বা ছোট শিরক।
১. শিরকে আকবার(বড় শিরক) :
যা বান্দাকে মিল্লাতের গন্ডী থেকে বের করে দেয়৷ এ ধরণের শিরকে লিপ্ত ব্যক্তি যদি শিরকের উপরই মৃতু্যবরণ করে, এবং তা থেকে তওবা না করে থাকে, তাহলে সে চিরস্থায়ী ভাবে দোজখে অবস্থান করবে৷
শিরকে আকবর হলো গায়রুল্লাহ তথা আল্লাহ ছাড়া যে কোন ব্যক্তি, প্রাণী বা বস্তুর উদ্দেশ্যে কোন ইবাদত আদায় করা, গায়রুল্লাহর উদ্দেশে কুরবানী করা, মান্নাত করা, কোন মৃত ব্যক্তি কিংবা জি্বন অথবা শয়তান কারো ক্ষতি করতে পারে কিংবা কাউকে অসুস্থ করতে পারে, এ ধরনের ভয় পাওয়া, প্রয়োজন ও চাহিদা পূর্ণ করা এবং বিপদ দূর করার ন্যায় যে সব ব্যাপারে আল্লাহ ছাড়া আর কেউ ক্ষমতা রাখেনা সে সব ব্যাপারে আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছে আশা করা৷
আজকাল আওলিয়া ও বুযুর্গানে দ্বীনের কবরসমূহকে কেন্দ্র করে এ ধরনের শিরকের প্রচুর চর্চা হচ্ছে৷ এদিকে ইশারা করে আল্লাহ বলেন:
• ‘তারা আল্লাহর পরিবর্তে এমন বস্তুর ইবাদত করে, যা না তাদের কোন ক্ষতি সাধন করতে পারে, না করতে পারে, কোন উপকার৷ আর তারা বলে, এরা তো আল্লাহর কাছে আমাদের সুপারিশকারী৷’ (সূরা ইউনুস ১৮)
২.শিরকে আসগার (ছোট শিরক)
শিরক আসগার বান্দাকে মুসলিম মিল্লাতের গন্ডী থেকে বের করে দেয়না, তবে তার একত্ববাদের আক্বীদায় ত্রুটি ও কমতির সৃষ্টি করে৷ এটি শিরকে আকবারে লিপ্ত হওয়ার অসীলা ও কারণ৷
এ ধরনের শিরক দু’প্রকার:
প্রথম প্রকার: স্পষ্ট শিরক
এ প্রকারের শিরক কথা ও কাজের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে৷
কথার ক্ষেত্রে শিরকের উদাহরণ:
আল্লাহর ব্যতীত অন্য কিছুর কসম ও শপথ করা৷ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
# রাসূল (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে শপথ করে, সে কুফরী করে অথবা শিরক করে।”[তিরমিযী]
অনুরূপভাবে এমন কথা বলা যে, ”আল্লাহ এবং তুমি যেমন চেয়েছ”
কোন এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ”আল্লাহ এবং আপনি যেমন চেয়েছেন” কথাটি বললে তিনি বললেন, ”তুমি কি আমাকে আল্লাহর সাথে সমকক্ষ স্থির করলে? বরং বল, আল্লাহ এককভাবে যা চেয়েছেন৷”
আর একথাও বলা যে, ”যদি আল্লাহ ও অমুক ব্যক্তি না থাকত” ৷ উপরোক্ত ক্ষেত্রদ্বয়ে বিশুদ্ধ হল নিম্নরূপে বলা – ”আল্লাহ চেয়েছেন, অতঃপর অমুক যেমন চেয়েছে” ”যদি আল্লাহ না থাকতেন, অতঃপর অমুক ব্যক্তি না থাকত” । তাই ”এবং ” শব্দের বদলে “তারপর” কিংবা “অতঃপর শব্দের ব্যবহার বান্দার ইচ্ছাকে আল্লাহর ইচ্ছার অধীনস্ত করে দেয়৷ যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন:
•‘তোমরা বিশ্বজগতের প্রভু আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কোন কিছুরই ইচ্ছা করতে পারনা৷’ ( সূরা তাক'ওয়ীর : ২৯)
কাজের ক্ষেত্রে শিরকের উদাহরণ:
যেমন বিপদাপদ দূর করার জন্য কড়ি কিংবা দাগা বাঁধা, বদনজর থেকে বাঁচার জন্য তাবীজ ইত্যাদি লটকানো৷ এসব ব্যাপারে যদি এ বিশ্বাস থাকে যে, এগুলো বলাথ-মসীবত দূর করার মাধ্যম ও উপকরণ, তাহলে তা হবে শিরকে আসগার৷ কেননা আল্লাহ এগুলোকে সে উপকরণ হিসাবে সৃষ্টি করেননি৷ পক্ষান্তরে কারো যদি এ বিশ্বাস হয় যে, এসব বস্তু স্বয়ং বালা- মুসীবত দূর করে, তবে তা হবে শিরক আকবর৷ কেননা এতে গায়রুল্লাহর প্রতি সেই ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে যা শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট৷
দ্বিতীয় প্রকার: গোপন শিরক
এ প্রকার শিরকের স্থান হলো ইচ্ছা, সংকল্প ও নিয়্যাতের মধ্যে৷ যেমন লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে ও প্রসিদ্ধি অর্জনের জন্য কোন আমল করা৷ অর্থাৎ আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায় এমন কোন কাজ করে তা দ্বারা মানুষের প্রশংসা লাভের ইচ্ছা করা৷ যেমন সুন্দর ভাবে নামায আদায় করা, কিংবা সদকা করা এ উদ্দেশ্যে যে, মানুষ তার প্রশংসা করবে, অথবা সশব্দে যিকির- আযকার পড়া ও সুকন্ঠে তেলাওয়াত করা যাতে তা শুনে লোকজন তার গুণগান করে৷ যদি কোন আমলে রিয়া তথা লোক দেখানোর উদ্দেশ্য সংমিশ্রিত থাকে, তাহলে আল্লাহ তা বাতিল করে দেন৷ আল্লাহ বলেন:
• ‘অতএব যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন সত্কর্ম সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার ইবাদতে কাউকে শরীক না করে’ ( সূরা কাহফ: ১১০)
# রাসূল (সাঃ) বলেন, “যে বিষয়ে আমি তোমাদের উপরে সবচেয়ে বেশি ভয় করি, তা হল ছোট শিরক”। সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! ছোট শিরক কি? তিনি বলিলেন, “ছোট শিরক হচ্ছে রিয়া (লোক দেখানো ইবাদত।)”[মুসলিম]
পার্থিব লোভে পড়ে কোন আমল করাও এ প্রকার শিরকের অন্তর্গত৷ যেমন কোন ব্যক্তি শুধু মাল- সম্পদ অর্জনের জন্যেই হজ্জ করে, আযান দেয় অথবা লোকদের ইমামতি করে, কিংবা শরয়ী জ্ঞান অর্জন করে বা জিহাদ করে৷
ইমাম ইবনুল কাইয়েম (র) বলেন সংকল্প ও নিয়্যাতের শিরক হলো এমন এক সাগর সদৃশ যার কোন কূল- কিনারা নেই৷ খুব কম লোকই তা থেকে বাঁচতে পারে৷ অতএব যে ব্যক্তি তার আমল দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি ছাড়া অন্য কিছু ও গায়রুল্লার কাছে ঐ আমলের প্রতিদান প্রত্যাশা করে, সে মূলতঃ উক্ত আমল দ্বারা তার নিয়ত ও সংকল্প নিয়্যত খালেছ ভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টি উদ্দেশ্যে করা৷ এটাই হলো সত্যপন্থা তথা ইব্রাহীমের মিল্লাত, যা অনুসরণ করার জন্য আল্লাহ তাঁর সকল বান্দাদের নির্দেশ দিয়েছেন এবং এতদ্ব্যতীত তিনি কারো কাছ থেকে অন্য কিছু কবুল করবেন না৷ আর এ সত্য পন্থাই হলো ইসলামের হাকীকত৷
উপরের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বাবে বুঝা যাচ্ছে যে, শিরকে আকবার ও শিরকে আসগারের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে৷
সেগুলো হল:
কোন ব্যক্তি শিরকে আকবারে লিপ্ত হলে সে মুসলিম মিল্লাত থেকে বের হয়ে যায়৷ পক্ষান্তরে শিরকে আসগারের ফলে সে মুসলিম মিল্লাত থেকে বের হয় না৷
শিরকে আকবরে লিপ্ত ব্যক্তি চিরকাল জাহান্নামে অবস্থান করবে৷ পক্ষান্তরে শিরকে আসগারে লিপ্ত ব্যক্তি জাহান্নামে গেলে চিরকাল সেখানে অবস্থান করবেনা৷
শিরকে আকবার বান্দার সমস্ত আমল নষ্ট করে দেয়, কিন্তু শিরকে আসগার সব আমল নষ্ট করেনা৷ বরং রিয়া ও দুনিয়া অর্জনের উদ্দেশ্যে কৃত আমল শুধু তত্সংশ্লিষ্ট আমলকেই নষ্ট করে৷
শিরকে আকবারে লিপ্ত ব্যক্তির জান-মাল মুসলমানদের জন্য হালাল৷ পক্ষান্তরে শিরকে আসগারে লিপ্ত ব্যক্তির জান-মাল কারো জন্য হালাল নয়।
প্রচলিত কিছু শিরকী কথা:
মানুষের মাঝে একটা স্বভাব রয়েছে আর তাহলো তার চেয়ে ভাল অবস্থায় কেউ থাকলে বা তার নিজস্ব অবস্থানের চেয়ে কাউকে বড় দেখলে সে তাকে তার মনের মাঝে এমন একটা জায়গায় স্থান দিতে শুরু করে যে ধীরে ধীরে সে নিজের অজান্তে শিরকে জড়িয়ে পরে। আমাদের অনেকেই প্রায়ই এই ধরণের কথা বলে থাকিঃ
আপনি ছিলেন বলেই আজকে রক্ষা পেলাম!
আমি আপনার উপরই ভরসা করছি!
আপনি ছাড়া আর কে সাহায্য করবে!
আপনি যদি থাকতেন তাহলে কাজটা এরকম হতো না!
ভাই সাহায্য করেন, আপনিই একমাত্র পারেন আমাকে সাহায্য করতে!
হ্যালো, ভাই কেমন আছেন! কঠিন বিপদে আছি উদ্ধার করেন ভাই! (মোবাইল কথোপকথন)
হে দয়ার নবী রক্ষা কর মোরে!
হে দয়ার নবী রক্ষা যদি না কর বেহেশতে যেতে পারব না!
হে অমুক মাজারবাসী আমার অমুক আশাটা পূরণ করে দেন!
কেবলাবাবাই ভরসা!
দয়ালবাবা, বাবা ভান্ডারী রক্ষা কর মোরে!
আমি মোটামুটি কিছু প্রচলিত কথা তুলে ধরলাম, যার চর্চা করার মাধ্যমে আমরা প্রতিনিয়ত শিরক করে চলছি! যা মোটেই উচিত নয়, একজন মুসলিম হিসেবে এই বিষয়ে স্পষ্ট একটা ধারণা থাকা প্রয়োজন। কারণ, আল্লাহ তাআলা শিরকের গুনাহ ক���ষমা করবেন না।
0 notes
khutbahs · 5 years ago
Link
শিরক ও এর বিভিন্ন রুপ
মানব জীবনে সবচেয়ে বড় গুনাহ হচ্ছে শিরক। আল্লাহ পাক বলেন- (إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيم��) আর্থাৎ, নিশ্চয় শিরক হচ্ছে সবচেয়ে বড় অপরাধ।(সূরা লোক্বমান; ১৩) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রশ্ন করা হলো, সবচেয়ে বড় গুনাহ কোনটি? তিনি বললেন,“ তুমি কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ নির্ধারণ করবে; অথচ তিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন।” (বুখারী ও মুসলিম) আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘য়ালা বলেনঃ“তোমরা আল্লাহর ইবাদত করবে এবং তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক্ করবে না।” (সূরা, নিসা-৪:৩৬) এ আলোচনায় আমরা তাওহীদ এর বিপরীত শিরক সম্পর্কে আলোচনা করেছি সেই সত্যানুসন্ধানীদের জন্য যারা বর্তমান জাহিলিয়্যাতের এ অন্ধকারে নিজে তাওহীদের চেতনা নিয়ে একজন মুসলিম হিসাবে বাঁচতে চান এবং পরিবার, সমাজ তথা আল্লাহর এ যমীন থেকে শিরকের কলুষ কালিমাকে মুছে দিয়ে তাওহীদের আলোয় আলোকিত করতে চান। আর আল্লাহর খলিফা হিসাবে এটাই আমাদের অন্যতম দায়িত্ব । মূলত শিরক হল তাওহীদের পরিপন্থি বিষয়, এ জন্য শিরকের আলোচনার পূর্বে তাওহীদ বা আল্লাহ পাকের একত্ববাদ নিয়ে সম্যক আলোচনা করাটা সমীচীন মনে করছি, যাতে করে শিরকের বিষয়টা আমাদের সামনে পরিস্কার হয়ে যায়।
শিরক্- শিরক শব্দের আভিধানিক অর্থ- অংশীদারিত্ব, অংশীবাদ, মিলানো, সমকক্ষ করা, অংশীস্থির করা, সমান করা, ভাগাভাগি, সম্পৃক্ত করা। ইংরেজীতে Poytheism (একাধিক উপাস্যে বিশ্বাস), Sharer, Partner, Associate।
শিরক পরিচিতিঃ যেহেতু শিরক্ তাওহীদের সম্পূর্ণ বিপরীত কাজেই, শিরক্ সম্পর্কে জানতে হলে সর্বপ্রথম তাওহীদ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
তাওহীদ- শুধু তাওহীদ বলতে তাওহীদে মুতলাক বা অবিভক্ত তাওহীদ কে বুঝায়। যার অর্থ- এককত্ব বা একত্বে ভূষিত করা। সালফে সালেহীনগণ তাওহীদকে বিভিন্ন সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করেছেন। ১. তাওহীদ হল- কায়মনোবাক্যে এ সুদৃঢ় বিশ্বাস পোষন করা যে, সকল বিষয়েই আল্লাহ এক ও একক, অদ্বিতীয়, নিরুপম, সমকক্ষহীন, তুলনাহীন। তিনি ব্যক্তি সত্বা, কর্মরাজি, সুন্দর নামসমূহ ও গুনাবলী এবং ইবাদতের সার্বভৌম অধিকারে সম্পূর্ন এক ও একক। তেমনিভাবে তিনি একত্বের অধিকারী সৃষ্টিকর্মে ও নির্দেশদানে। (শরহুল আক্বিদাহ আত্ তাহাবিয়্যাহ) ২. তাওহীদ হচ্ছে- আল্লাহর লেশমাত্র দোষহীন পরিপূর্ন গুনরাজিতে আল্লাহর একত্বের হৃদয়গত ইলম ও বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকৃতি ও ইবাদতের ক্ষেত্রে তাঁর একত্ব প্রতিষ্ঠা করা। (কিতাবুত তাওহীদ) ৩. তাওহীদ হচ্ছে- একমাত্র সত্য মা’বুদের জন্যে একমাত্র সত্য দ্বীন ও ঈমানের পথে একাভিমুখী বান্দাহ হয়ে যাওয়া। (ইবনুল কাইয়্যেম রহঃ) ৪. তাওহীদ হচ্ছে- ইবাদত তথা ইসতিয়ানাত তথা দাসত্ব ও সাহায্য প্রার্থনা একমাত্র আল্লাহর সাথে বিশেষিত করা। (কিতাবুত তাওহীদ লি ইবনে তাইমিয়্যাহ রহঃ)
পারিভাষিক পরিচিতি- • “শরীয়তের পরিভাষায় যেসব গুনাবলী কেবল আল্লাহ্র জন্য নির্ধারিত সেসব গুনে অন্য কাউকে গুনান্বিত ভাবা বা এতে অন্য কারো অংশ আছে বলে মনে করাই শিরক্।” • “শিরক্ হচ্ছে বান্দাহ্র আল্লাহর সাথে তাঁর রুবুবিয়্যাত সংক্রান্ত কর্ম কিংবা তাঁর জাত ও আসমা ওয়াস সিফাতে তথা নাম ও গুনাবলী অথবা উলুহিয়্যাতে (ইবাদতে) কাউকে শরীক করা”। (মিরাসিল আম্বিয়া, পৃঃ ৮) • শিরক্ হচ্ছে আল্লাহর সাথে এমন বিষয়ে সমকক্ষ স্থির করা যেটা আল্লাহর জন্যই প্রযোজ্য। যেমন- আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করা, অন্য কারো নিকট আশা করা, আল্লাহর চাইতে অন্য কাউকে বেশী ভালবাসা, অর্থাৎ আল্লাহর ইবাদতের কোন একটি অন্যের দিকে সম্বোধন করাকে শিরক্ বলে। • তাওহীদুল্লাহ হচ্ছে আল্লাহর সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পর্কযুক্ত মানুষের সকল বিশ্বাস, কথা ও কাজে আল্লাহর এককত্বের উপলব্দি ও মেনে চলা। পক্ষান্তরে শিরক্ হচ্ছে এর সম্পূর্ণ বিপরীত। • ইমাম কুরতুবী বলেন, শিরক্ হল আল্লাহর নিরংকুশ প্রভূত্বে কারো অংশীদারিত্বের আক্বীদা পোষণ করা। • আক্বীদার পরিভাষায়, শিরক্ হচ্ছে আল্লাহর সাথে সংশ্লিষ্ট ও সীমাবদ্ধ কোন বিষয় আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো জন্য করা। • “শিরকের ক্ষেত্রে একটা বিষয় লক্ষ্যনীয় যে, এতে দু‘শরীকের অংশ সমান হওয়া আবশ্যক নয়। বরং শতভাগের একভাগের অংশীদার হলেও তাকে অংশীদার বলা হয়। তাই আল্লাহতা‘য়ালার হকের সামান্যতম অংশ অন্যকে দিলেই তা শিরকে পরিণত হবে।এতে আল্লাহর অংশটা যতই বড় রাখা হোক না কেন।”
বড় শিরক : যা আল্লাহ কক্ষনো ক্ষমা করবেন না। এ শিরক এর সাথে অনুষ্ঠিত কোন সৎকাজ আল্লাহ তা‘আলা কবুল করেন না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: “নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সাথে শিরক করাকে ক্ষমা করবেন না, তবে শিরক ব্যতীত (শির্কের চেয়ে নিচু পর্যায়ের) যত গুনাহ আছে তা তিনি যাকে ইচ্ছা করেন ক্ষমা করে দেবেন। আর যে আল্লাহর সাথে শিরক করলো সে পথভ্রষ্টতায় অনেকদূর এগিয়ে গেল (বেশী বিপথগামী হলো)।” [সূরা আন্‌-নিসা: ১১৬] তিনি আরও বলেন: “অথচ মসীহ (ঈসা আলাইহিস্‌সালাম) বলেছেন: হে ইস্‌রায়েলের বংশধরগণ! তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর, যিনি আমার প্রভু, তোমাদের প্রভু, নিশ্চয়ই যদি কেউ আল্লাহর সাথে শরিক করে পরিণামে আল্লাহ তার উপর জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন, তার আস্তানা হবে জাহান্নাম, আর অত্যাচারীদের কোন সাহায্যকারী নেই”। [সূরা আল-মায়েদা: ৭২] তিনি আরও বলেন: “আর আমি তারা যা আমল করেছে সেগুলোর দিকে ধাবিত হয়ে সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় রূপান্তরিত করে দিয়েছি”। [সূরা আল-ফুরকান: ২৩] আরও বলেন: “আপনি যদি শিরক করেন তবে অবশ্যই আপনার আমলকে নষ্ট করে দেব এবং নিশ্চয়ই আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবেন।” [সূরা আয্‌-যুমার: ৬৫] আরও বলেন: “যদি তারা শিরক করে তবে অবশ্যই তারা যা আমল করেছে তা নষ্ট হয়ে যাবে।” [সূরা আল-আন‘আম ১৮৮]
বড় শিরক এর প্রকারাদি এক: দোয়ায় শিরক করা : এর দলিল আল্লাহর বাণী : “অতঃপর যখন তারা নৌকায় চড়ে তখন দীনকে নিষ্ঠা সহকারে একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট করে তাঁকে ডাকতে থাকে কিন্তু যখন তিনি তাদেরকে ডাঙ্গায় নিয়ে পরিত্রাণ দেন তখনই তারা তার সাথে শিরক (অংশীদার) করে।” [সূরা আল আনকাবুত: ৬৫] দুই: নিয়্যাত ও সংকল্পে শিরক করা : এর প্রমাণ আল্লাহর বাণী : “যারা পার্থিব জীবন ও তার চাকচিক্য পেতে চায় আমি তাদেরকে তাদের কার্যাদির প্রতিফল তাতেই (পার্থিব জীবনেই) পরিপূর্ণভাবে দিয়ে দেব, তাদের এতে কম দেয়া হবেনা, তাদের জন্য পরকালে জাহান্নাম ছাড়া আর কিছুই থাকবে না, তারা দুনিয়ায় যা করেছে তা নষ্ট হয়ে গেছে, আর যে সমস্ত (নেক) কার্যাদি তারা করেছে তা বাতিল হয়ে যাবে।” [সূরা হুদ: ১৫, ১৬] তিন: আদেশ, নিষেধ প্রতিপালন বা বশ্যতায় শিরক করা : এর প্রমাণ আল্লাহর বাণী: “তারা আল্লাহ ছাড়া তাদের ‘আরবাব’ তথা আলেম, ‘আহবার’ তথা আবেদদের (পীর-দরবেশদের)-কে তাদের জন্য হালাল হারাম-কারী বানিয়ে নিয়েছে এবং মরিয়ম পুত্র মসিহ্‌-কেও, অথচ তাদেরকে শুধু এক মা’বুদ এর ইবাদত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল, তিনি ব্যতীত আর কোন হক মা’বুদ নেই। তার সাথে যাদের শরিক করছে তাদের থেকে তিনি কতইনা পবিত্র!” [সূরা আত্‌তাওবাঃ ৩১] “আরবাব” শব্দের তাফসীর বা ব্যাখ্যা হলো আলেমদেরকে পাপ কাজে অনুসরণ করা, এর অর্থ তাদেরকে ডাকা নয়; কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রখ্যাত সাহাবী ‘আদি ইব্‌ন হাতিম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর প্রশ্নের উত্তরে এ প্রকার ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। কারণ তিনি যখন বললেন : আমরা তাদের ইবাদত (উপাসনা) করি না, উত্তরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন : “তাদের উপাসনা হলো পাপ কাজে তাদের আদেশ নিষেধ মান্য করা।” চার: ভালবাসায় শিরক করা: এর প্রমাণ আল্লাহর বাণী : “আর মানুষের মাঝে এমনও আছে যারা আল্লাহ ছাড়া তার অনেক সমকক্ষ (সমপর্যায়ের ভালবাসা পাওয়ার অধিকারী, ভালবাসার পাত্র) নির্ধারণ করে সেগুলোকে আল্লাহর ন্যায় ভালবাসে, অথচ যারা ইমানদার তারা আল্লাহকে সর্বাধিক ভালবাসে।” [সূরা আল-বাকারাহ: ১৬৫]
২। ছোট শিরক: আর তা হলো (সামান্য) লোক দেখানোর নিয়তে নেক কাজ করা। এর প্রমাণ আল্লাহর বাণী : “সুতরাং যে আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে সে যেন নেক কাজ করে এবং তাঁর প্রভুর ইবাদতের সাথে অন্য কাউকে শরিক না করে।” [সূরা আল-কাহ্‌ফ: ১১০]
৩। গোপন (সূক্ষ্ম) শিরক: এর প্রমাণ হলো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী : “এ [মুসলিম] জাতির মধ্যে শিরক অন্ধকার রাত্রিতে কালো পাথরের উপর কালো পিপড়ার বেয়ে উঠার মতই সূক্ষ্ম বা গোপন।”
শিরকের ভয়াবহতা : শিরকের পরিণাম ভয়াবহ। এটি মানুষের চুড়ান্ত ধ্বংস ডে��ে আনে। আল কোরআন ও সহীহ হাদীস থেকে এর ভয়াবহতার স্বরূপ তুলে ধরব ইনশাআল্লাহ্। শিরক্ সবচেয়ে বড় অপরাধ-বড় গুনাহ-
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতা‘য়ালা বলেনঃ “আল্লাহর সাথে শরীক করো না। নিশ্চয়ই শিরক চরম যুলম।” (সূরা, লুকমান ৩১:১৩) ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন এক ব্যক্তি বলল, “হে আল্লাহর রাসুল সবচেয়ে বড় গোনাহ কোনটি?” রাসুল(সঃ) বললেন, “আল্লাহর সাথে শরীক করা, অথচ আল্লাহই তোমাকে সৃষ্টি করেছেন।” (সহীহ বুখারী, মুসলিম)
শিরক্ এর অপরাধ/ গুনাহ আল্লাহ্ ক্ষমা করবেন না- আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতা‘য়ালা বলেনঃ “নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করা ক্ষমা করেন না। এটি ছাড়া অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। এবং কেহ আল্লাহর শরীক্ করলে সে এক মহাপাপ আরোপ করে।” (সুরা, নিসা-৪:৪৮) “নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাঁর সাথে শরীক্ করা ক্ষমা করেন না। এটি ছাড়া অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। এবং কেহ আল্লাহর শরীক্ করলে ভীষণভাবে পথভ্রষ্ট হয়।” (সুরা, নিসা-৪:১১৬) জাবির বিন আবদুল্লাহ হতে বর্ণিত, নবী (সঃ) বলেছেন- “বান্দার জন্য সর্বদাই ক্ষমা রয়েছে যতক্ষন পর্যন্ত হিযাব বা পর্দা পতিত না হয়।” বলা হলো, “হে আল্লাহর রাসুল! হিযাব বা পর্দা কি?” তিনি বললেন, “আল্লাহর সাথে শরীক্ করা।” (মুসনাদে আহমদ, ইবনু কাছীর ১ম খন্ড ৬৭৮পৃঃ)
শিরক্ করলে জান্নাত হারাম এবং জাহান্নাম অবধারিত- আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘য়ালা বলেনঃ “হে বনী ইসরাইল! তোমরা আমার রব এবং তোমাদের রব আল্লাহর ইবাদত কর। কেউ আল্লাহর শরীক করলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত অবশ্যই হারাম করবেন এবং তার আবাস জাহান্নাম।” (সূরা, মায়েদা-৫:৭২) রাসুল (সঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি কোন কিছুকে আল্লাহর সাথে শরীক্ করা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে, সে জাহান্নামে যাবে।” (মুসলিম) শিরক্ করলে সব আমল বাতিল হয়ে যায় এবং ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যায়- আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘য়ালা বলেনঃ “তোমার প্রতি এবং তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবশ্যই এই ওহী হয়েছে তুমি আল্লাহর সাথে শরীক্ করলে তোমার আমল নিষ্ফল হয়ে যাবে এবং অবশ্য তুমি হবে ক্ষতিগ্রস্থ।” (সূরা যুমার, ৩৯:৬৫) সূরা আনফালের ৮৩-৮৭ আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘য়লা ১৮ জন নবীর নাম নিয়ে তাদের ব্যাপারে বলেছেন- “এটি আল্লাহর হেদায়েত, নিজ বান্দাহদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তিনি এটি দ্বারা সৎপথে পরিচালিত করেন। তারা যদি শিরক্ করতো তবে তাদের কৃতকর্ম নিস্ফল হত।” (সূরা, আন‘আম-৬:৮৮) আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘য়লা আরও বলেনঃ “আমি তাদের আমলের প্রতি মনোনিবেশ করব, অতঃপর সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধুলিকনায় পরিণত করে দেব।” (সূরা, ফোরক্বান-২৫:২৩)
শিরককারী ধ্বংসে এবং বিপর্যয়ে পতিত হয়- আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতা‘য়ালা বলেনঃ “যে কেউ আল্লাহর শরীক করে সে যেন আকাশ থেকে পড়ল, কিংবা বায়ু তাকে উড়িয়ে নিয়ে এক দূরবর্তী স্থানে নিক্ষেপ করল।” (সূরা, হাজ্জ ২২:৩১) আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘য়ালা আরও বলেনঃ “যারা আল্লাহর সাথে অপর ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে, সুতরাং শীঘ্রই ওরা (মুশরিকরা) এর পরিনতি জানতে পারবে।” (সূরা, হিজর ১৫ঃ৯৬) আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী (সঃ) থেকে বর্ণনা করেন, নবী (সঃ) বলেন- “তোমরা সাতটি ধ্বংসাত্মক বস্তু থেকে বেঁচে থাকবে।” সাহাবাগণ বললেন, “হে আল্লাহর রাসুল সেগুলো কি?” রাসুল (সঃ) বলেলেন, ‘‘আল্লাহর সাথে শরীক করা এবং যাদু———-।” (বুখারী ও মুসলিম) শিরককারী মুশরিক অপবিত্র-তার জন্য দোয়া করা যাবে না, এরা সৃষ্টির অধম- আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘য়ালা বলেনঃ “নিশ্চয়ই মুশরিকরা অপবিত্র।” (সূরা, তাওবাহ-৯:২৮) আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘য়ালা বলেনঃ “আত্মীয়-স্বজন হলেও মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা নবী ও মু‘মিনদের সংগত নয়, এ বিষয়টি সুস্পষ্ট হওয়ার পর যে তারা জাহান্নামী।” (সূরা, তাওবাহ ৯:১১৩) আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘য়ালা আরও বলেনঃ “আহলে কিতাব ও মুশরিক কাফেররা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। তারাই সৃষ্টির অধম।” (সূরা, বাইয়্যেনাহ ৯৮:৬)
শিরক্ করলে কাফের-মুশরিকে পরিণত হয়ে যায়- ঈমান আনার পরেও কেউ যদি আল্লাহর সাথে শিরক্ করে তবে সে কাফের এবং মুশরিক হয়ে যায়। ইসলামী শরী‘য়া অনুযায়ী তাকে ‘মুর্তাদ’ বলা হয়। তার হুদুদ (শাস্তি) মৃত্যুদন্ড। রাসুল (সঃ) বললেন- “তোমরা সাতটি ধ্বংসাত্মক ও সর্বনাশা গুনাহ থেকে বিরত থাক।’’ অত:পর শিরকের কথা বললেন। অত:পর বললেন- যে ব্যক্তি নিজের দ্বীনকে পরিবর্তন করে(অর্থাৎ ইসলামকে ত্যাগ করে) তাকে হত্যা কর।” (বুখারী, আহমাদ, কবীরা গুনাহ-বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার পৃঃ৭) আল্লাহ সুবতানাহু ওয়���তা‘য়ালা বলেনঃ “যদি তোমরা তাদের (মুশরিকদের) কথামত চল তবে তোমরা অবশ্যই মুশরিক হবে।” (সূরা, আন‘আম ৬ঃ১২১) উপরোক্ত আয়াতে আল্লাহ সুবতানাহু ওয়াতা‘য়ালা মুসলিমদেরকে সাবধান করে দিয়েছেন যদি তারা মুশরিকদের আক্বীদা-বিশ্বাস, কাজ-কর্মে আনুগত্য করে তাহলে তারা মুশরিক হয়ে যাবে।
শিরক থেকে বাঁচার দোয়া:  اللَّهُمَّ إنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ أَنْ أُشْرِكَ بِكَ شَيْئاً وَأَنَا أَعْلَمُ، وَأَسْتَغْفِرُكَ مِنَ الذَّنْبِ الَّذِيْ لا أَعْلَمُ. অর্থাৎ : “হে আল্লাহ আমি জেনে-শুনে তোমার সাথে কোন কিছুকে শরিক করা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, আর আমার অজ্ঞাত গুনাহরাজি থেকে আমি ক্ষমা চাচ্ছি।”
আসুন, আমরা সকলে ঈমানী দায়িত্ব পালন করি। মানুষকে শিরক মুক্ত ঈমানের উদাত্ত আহ্বান জানাই।
শিরক ও এর বিভিন্ন রুপ
1 note · View note