#শিক্ষা দিবে
Explore tagged Tumblr posts
Text
--------- কবিতা --------
।।ছাত্র না প্রেমিক!।।
ম-রা-দ-শা-র ছাত্র আমি!
বয়স সবে একুশ।
বিশ্ববাসী সবাই মিলে হলো যে বে*হুশ!
প্রেমের জন্য টাকা চাই মা।
দিবে যদি দেয়,
দিবি নাতো তাতে কি মোর,
জা*নটা নিবো তোর!
ত*ন্ত্র-ম*ন্ত্র পড়ার আগেই
শ*য়*তা*ন টাযে হাজির
তাইতো তোমায় বিদায় মা-জি
তাতেই বুঝি প্রেমিকা মোর রাজি!
ম-রা-দ-শা-র ছাত্র আমি,
সব সময়তে মা*রা*রদশায় থাকি।
শিক্ষা যে মোর নানা রঙের ফাকি।
মাকে আমি পিটিয়েছি,
ওরে বেশ বেশ,
প্রচন্ড সেই পিটনিতে -
মায়ের জীবন শেষ!
নৈতিকতার বিদ্যা পিঠে -
আমি পড়ি বেশ,
দুনিয়ার সব ব-দ-মা-শিতে,
আমি ইজ দা বেষ্ট।
নামকাওয়াস্তে-
ভ*ন্ডা*মির সব হচ্ছে হলি খেলা।
দিনশেষেতে মুচকি হেঁসে
দিচ্ছি তোদের ঠেলা।
ডিপ ফ্রিজে মাকে রাখি মহা আনন্দে,
ছিলাম আমি উষ্ণতাতে তোমার জঠরে
তাইতো তোমায় রেখে দিলাম ঠান্ডা কোঠরে।
বলার মত ভাষা নাই,
আমার বিচার আমি চাই।
বিশ্ব বিবেকের দরকার নাই।
- এম এম মজিবুল হক মজিব
- তারিখ ১৫১১২০৪ খ্রীস্টাব্দ
0 notes
Text
আমি ও শিক্ষক
একটা অহংকারবোধ আমারও কাজ করে, শব্দটা ঠিক অহংকার হবে নাকি অন্য কিছু তাও মাথা থেকে বের হয়না। এটা অবশ্যাই আমার শিক্ষকদের ব্যর্থতা!!
যাদের আমি মন থেকে সম্মান করতে পারিনা, তাদের পায়ে ধরে সালাম কিংবা কদমবুচি করতে পারিনা, ইচ্ছাও করেনা। (বক ধার্মিকরা, এখানে ধর্ম নিয়ে বর্ণনা করতে আসবেন না)।
ব্যতিক্রম শুধু আমার প্রাই��ারির শিক্ষকরা, এককথায় আল জাবের ইনস্টিটিউট, আমাকে যারা শিক্ষা দিয়েছেন মানুষ হতে।
যে শিক্ষকরা লাঠি দিয়ে আমার পাছা গরম করছেন, তাঁদের এখনো শ্রদ্ধায় পা ধরে আমি সালাম করি।
খুব খারাপ ছাত্র ছিলাম না, হাতে ২ বেত বা ৫ বেত খেতাম একটা অপরাধে, স্কুলে যেতাম না নিয়মিত।
বিকেল হলে ভুলে যেতাম, সিডিউল মেলাতাম পরের দিন স্কুলে না গিয়ে কোন মাঠে খেলতে যাবো, এটা জানার পরও বেতের সাথে চামড়াও উঠতে পারে।
প্রিয় আলিম স্যার!
চোখের পানিতে এখনও মনে করতে পারি, দৌড়ে গিয়ে চোখের পানি মুছার জন্য টিউবওয়েলের নীচে মুখ ঢাকতে। আপনার বেতের জোরে হয়তো নিয়মিত নামাজ পড়ার চেষ্টা করি, নিয়মিত মন থেকে চোখের জল ফেলতে পারি সবার জন্য দোয়া করতে।
বৃহস্পতিবারের বিভিন্ন নবী/রাসূলদের গল্প আমাকে শিখিয়েছে কেমন মানুষ আমাকে হতে হবে, পরিবার/সমাজ/রাস্ট্রের প্রতি আমার দায়িত্ব বা কর্তব্য।
প্রিয় শিক্ষকরা, আপনারা খারাপ ছিলেন না, আমরা আপনাদের হাত থেকে বেত এর পর জ্ঞান কেড়ে নিয়ে আপনাদের পঙ্গু করে ফেলছি, নিজেদের স্বার্থে!!
আপনারা যদি ভাল জ্ঞান বিতরণ করেন, তাহলে মসজিদ/মন্দির ভাঙবে কে?
জাত-পাত নিয়ে, অপরাধীর পক্ষ নিয়ে অন্যর ঘরে আগুন দিবে কে?
যত দিন বেঁচে থাকবো, আপনাদের দোয়া করে যাবো, আমাকে মানুষ বানানোর চেষ্টা করার জন্য।
ভাল থাকুক, আমার শিক্ষকেরা। যারা শুধু আমাকে দিয়ে গেছেন, বিনিময় চিন্তা না করে।
0 notes
Text
কুরআনের চিঠি
আলহামদুলিল্লাহ!! আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে "কুরআনের চিঠি " বইটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে শেষ করলাম।
বইটির প্রতিটি পাঠেই ছিলো Motivational এক অংশ পড়ার পর অন্য অংশ পড়ার জন্য অধীর আগ্রহের জন্ম নিয়েছে।
আমি আমার জীবনের অনেক বই পড়ছি। প্রতিটি বইয়ের আলাদা কিছু না কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, কিন্তু ❝কুরআনের চিঠি❞ বইটি অন্য সব থেকে আলাদা ছিলো, যা একজন মানুষের জীবনের সকল ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি দিবে ইনশাআল্লাহ।
এই বই টা পড়তে গ���য়ে আমার কাছে মনে হয়েছে এটা কোনো Motivational Speaker এর লিখিত একটি Book. কেননা প্রত্যেকটা অনুচ্ছেদে এবং লাইনে লাইনে লেখক এমন কিছু মনি মুক্তা মাখা ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠানো কিছু চিঠির ব্যাখ্যা,উপলব্ধি ও শিক্ষা ফুটিয়ে তুলেছেন যা এককজন পাঠককে সহজেই motivate করতে সক্ষম।
শুধু তাই নয়,
কোন পাঠক যদি এই বইটি শুধু পাঠ করার জন্যে নয় বরং বইটি পাঠ করে সে অনুযায়ী আমল করার মাধ্যমে নিজের জীবন কে গড়ে তুলতে পারে, আমার বিশ্ব��স নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা তাকে ইহকালে হেদায়েত দান করে পরকালে নাজাত প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত করবেন।
আর এই বই এর একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো লেখক প্রত্যেক টা পাঠ এর শেষে একটি শিক্ষা বা উপদেশ পেশ করেছেন যা এই বই এর মান বহুগুনে বাড়িয়ে তুলেছে।
এক কথায়, ঈমানদীপ্ত প্রজন্ম গঠনে এটি একটি অসাধারণ বই।
১.যদি মানুষ তোমার সম্মান না বোঝে, কৃতিত্ব অস্বীকার করে, তাহলে ভেঙে পড়ো না, রেগেও যেয়ো না। আল্লাহ তায়ালা সম্যক অবগত আছেন, তুমি কে.?
২.আক্রমণাত্মক কথা মানুষকে ঠিক সেভাবেই ক্ষতিবিক্ষত করে, যেভাবে তরবারি আঘাত করে থাকে। সুন্দর কথায় মানুষ তেমনই বিমুগ্ধ হয়, যেভাবে উপঢৌকন পেলে খুশিতে আপ্লূত হয়ে থাকে।
২.১কোনো কথা প্রাঞ্জল ও সর্বজন সমাদৃত হওয়ার জন্য তাতে দুটি বিষয় থাকা জরুরি। এক, সুন্দর বিষয়বস্তু। দুই, চমৎকার উপস্থাপণ।
কিছু বলার সময় এ দুটি বিষয়ের প্রতি অবশ্যই খেয়াল রাখা আবশ্যম্ভাবী। প্রয়োজনে কাউকে কিছু বলার আগে তা নিজের কানে বাজিয়ে নাও। যদি তোমার নিজের কাছে ভালো লাগে, তাহলে বলো, আর মন্দ লাগলে বিরত থাকো। কারণ যা নিজের কাছে ভালো লাগেনি, তা অন্যের ভালো লাগার সম্ভাবনা ও নেই।
ولو كونت فظا غليظ القلب لانفضوا من حولك
যদি তুমি রুঢ় ও কঠোরচিত্ত হতে, তাহলে তারা তোমার আশপাশ থেকে সরে পড়ত। সূরা আল ইমরান ১৫��।।
৩. অপরাধীরা সব সময় আকাঙ্ক্ষা করে,সমাজের ভালো মানুষেরা ও অপরাধ করুক। যাতে মন্দ কাজ করা সহজ হয়ে যায়।
৪. জীবন চলার পথে যদি পরাজয়ের গ্লানি ও হতাশার কালো মেঘ আচ্ছন্ন করে তোমাকে,তাহলে নিজেকে এই বলে সান্ত্বনা দাও- এ পরীক্ষা একান্তই আমার সংশোধনের জন্য : আমাকে কষ্ট দেওয়া আল্লাহর উদ্দেশ্য নয়।
৪.১- কিছু মানুষ তোমাকে অপছন্দ করবে শ্রেষ্ঠত্বের কারণে, দোষের কারণে নয়।তাই নিজের সব কল্যাণের কথা মানুষের কাছে প্রকাশ করতে নেই।কিছু বিষয় নিজের কাছেই গোপন রাখো।কারণ, বাহ্যিক দেখে কখনো অভ্যন্তর নিরুপণ করা যায় না।
৫. ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহ, একবার হাতিম আল আসামকে জিজ্ঞেস করলেন - মানুষের সমালোচনা থেকে বেঁচে থাকার উপায় কি? তিনি বললেন- মানুষকে তোমার সম্পদ দাও; কিন্তু তাদের থেকে কিছু গ্রহণ করো না। তারা তোমাকে কষ্ট দিলও তুমি কষ্ট দিয়ো না। তাদের প্রয়োজন পূরণ করো, তবে তোমার প্রয়োজনে কাউকে ডেকো না।
৬. যার শ্রেষ্ঠত্ব যত বেশি, তাঁর বিনয়-নম্রতাও তত বেশি।
৭.জীবন হলো একটি খাতার মতো। জীবনের প্রতিটি দিন খাতার একেকটি পৃষ্ঠার মতো। তুমি চাইলে প্রত্যেক পৃষ্টা নেক আমল দিয়ে সাজাতে পারো।
আবার তাতে বদ আমলও সন্নিবেশিত করতে পারো। নফস ও শয়তানের ধোকাঁয় যদি কিছু পৃষ্ঠা বদ আমলে ভরে যায়,তাহলে তা মোছার জন্য সাদা কালির ব্যবস্থা ও রয়েছে। আর তা হলো ইস্তেগফার।
৮. আল্লাহর কাছে যার মূল্য যত বেশি, দুনিয়াতে তার বিপদাপদ ও তত বেশি হয়।
অবশেষে, এত সুন্দর বই পাঠকের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বিশেষ কৃতজ্ঞতা গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স, লেখক ও অনুবাদকের প্রতি
চমৎকার এই রিভিউটি লিখেছেন- @Sajibul Islam
#deen#islamiccenter#read#islamicpost#bukuislami#islamicgifts#islamicknowledge#booklover#islamicart#islamicbookshop
0 notes
Text
টিউশন জিনিসটা যে আমার জন্য না সেটা আজকে আরো ভালোভাবে উপলব্ধি করলাম।
আমি আজকে ওই পুরান হেডফোন কুরিয়ার করতে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে যাই। বুঝিয়ে-টুঝিয়ে বলি যে এটা টু-পে সার্ভিসের মাধ্যমে যাবে তাই আমার টাকা-টুকা দেয়া লাগবে না। সব টাকা রকমারি পার্সেল রিসিভ করার সময়ই দিবে। শেষমেশ এই জায়গায় বাক্সের জন্য ৩০ টাকা খরচ হলো।
০৫:০৭ বেজে গেছে মেইন রোড যেতে যেতে। ভাবলাম বাস বোধহয় মিস হয়ে গেলো। একটু দূরে দেখি লাল বাস দেখা যাচ্ছে। দ্রুত রাস্তা ক্রস করে ওই পাড়ে দাঁড়াই। কিন্তু ঠিক সেই গতদিনের ঘটনার মতোই আজকেও আমার জন্য এই ব্যস্ত রাস্তায় বাস থামলো না।
অগত্যা একটা অটোতে ২০, আরেকটা রিকশায় ৪০ দিয়ে হলে ফিরি। ফিরে ১৫ টাকায় বিকেলের নাস্তা করি আর ২০ টাকায় একটা ঠান্ডা পানি কিনি। ঐটা দিয়ে রুমে গিয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা শরবত বানিয়ে খাই।
এরপর সব খরচ-পাতির হিসাব নিয়ে বসি। এই এক কুরিয়ারের জন্য আমার ৯০ টাকা খরচা গেলো। পুরোই লস খেয়ে গেলাম এই হেডফোনের কারণে। একটা শিক্ষা হইছে যদিও। এভাবে বই কেনার অনলাইন সাইট থেকে ইলেকট্রনিকস পণ্য কেনাটা ঠিক হয় নাই। এসব পণ্য সরাসরি দেখে-শুনে-বুঝে কিনতে হয়। কারণ বহুত ডিফেক্ট থাকে। এটা দেখার পর যা বুঝলাম আরকি।
পর পর টানা ২ দিন মাইজদীর দিকে যাওয়া পড়লো। পুরোই ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে গেছি। আমার রুমমেটগুলো যে দুই-তিনটা টিউশন রোজ রোজ কিভাবে করায়, সেটা আল্লাহই খুব ভালো জানেন। জানি, ওদের সেই নিড, ইচ্ছা আর তাগিদ থেকেই যায়। তবুও এই টিউশন ব্যাপারটা বহুত ঝামেলার। অন্তত আমার জন্য। বিকেলের সুন্দর ঘুম ছেড়ে রেডি হও, বাসে সিট ধরো, ব্যস্ত রাস্তায় মানুষের ভিড়ে নেমে যাও, স্টুডেন্টকে পড়া বুঝাও, আবার বাস ধরার জন্য ছুটো, বাস মিস হয়ে গেলে তো কথাই নাই, আরো বহুত প্যারা। এসব আমাকে দিয়ে সম্ভব না। একটা ক্লাস করেই যে অবস্থাটা হয় আমার। আর আমি করাবো টিউশন!
তবে নিঃসন্দেহে টিউশন তাদের পড়াশুনা, অর্থনৈতিক, সামাজিক দিক দিয়ে সাহায্য করতেছে। নিজেদের একটা ইনকাম সোর্স হয়েছে। এতসব ঝামেলা ঠেলে, সব সামলে যাওয়া আর সুন্দরমত ব্যাক করা একটা এচিভমেন্ট আমার কাছে। তবে ওদের ক্লান্ত-শ্রান্ত দেখে খুবই খারাপ লাগে আমার।
যাইহোক, শেষকথা হলো টিউশন জিনিসটা এই মুহূর্তে আমার জন্য না। পরের কথা জানি না।
1 note
·
View note
Text
" ডাক দিয়ে যায় মাহে রমজান "
ঘড়ির কাটা টিকটিক চলছে, নদীর স্রোত নিরবধি বয়ে চলছে, প্রতিটি গ্রহ, উপগ্রহ নিজ নিজ কক্ষপথে আবর্তন করছে, প্রতিটি প্রাণীই চলছে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে, এমনকি যাদেরকে জড়বস্তু হিসেবে আমরা জানি তার ভিতরে থাকা অণু - পরমাণু চলমান রয়েছে।
এভাবে দিন আসে, রাত যায় ; রাত আসে, দিন যায়, আসে সপ্তাহ, পরে আসে মাস, তারপর ধীরে ধীরে দরজার করা নাড়ে বছর।
এর মধ্যেই অতিবাহিত হয়ে যায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিন, সপ্তাহ ও মাস। এরা আসে আমাদের মাঝে আনন্দের বসন্ত ও শীতের মধুরতা নিয়ে ও অন্যান্য। তারই মধ্যে অন্যতম হলো "পবিত্র মাহে রমজান"
এ মাস রহমতের মাস, মাগফিরাতের মাস, নাযাতের মাস, রিজিকের মাস, আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ লাভের মাস, গোনাহ মাফের মাস, আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়ার মাস ইত্যাদি। এর বর্ণনা স্বয়ং রাব্বুল আলামিন প��িত্র গ্রন্থে বলেন, " আমি একে নাজিল করেছি যাতে তোমরা মুত্তাকী হতে পারো।
(সূরা বাকারা, ১৮৩)
রোজার অর্থ হলো - উপবাস থাকা, বিরত থাকা ইত্যাদি।
আভিধানিক অর্থ - আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার উদ্দেশ্যে সমস্ত প্রকার পানাহার ও স্ত্রীসহবাস থেকে বিরত থাকা।
রোজার মাসে সবচেয়ে বড় ইবাদাত হলো রোজা রাখা পাশাপাশি গোনাহ বর্জন করা।
আপনার নিকট হালাল খাবার আছে, আপনার ক্ষুধা আছে কিন্তু আপনি খাচ্ছেন না ; শুধু আল্লাহ ভয়ে। রমাদান আমাদের এই শিক্ষাই দেয়। গোনাহের সরঞ্জাম আছে, গোনাহ করার শক্তি আছে, তারপরও আল্লাহর ভয়ে গোনাহ থেকে বিরত থাকা। এটাই রমজানের প্রকৃত শিক্ষা, এটাই মুত্তাকী হওয়ার আমল।...
রোজা হলো ঢালস্বরূপ। ঢাল যেভাবে একজন যুদ্ধাকে বিপদে সাহায্যের করে, রোজাও তেমনি রোজাদারকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করবে।
(মুসনাদে আহমাদ: ১৪৬৬৯)।
রোজা একমাত্র ইবাদাত যা শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রাখা হয়। এমন বোকা মানুষ নেই যে মানুষের ভয়ে সারাদিন না খেয়ে থাকবে, মানুষ লজ্জা দিবে তাই রোজা রাখবে। (যদি থাকে বদনসিব তার)।
আমাদের সমস্ত ইবাদত একমাত্র আল্লাহর জন্য। গাইরুল্লার জন্য নয়।...
রাসূল সা. বলেন তিন ব্যক্তি ধ্বংস হবে :
১) যে আমার নাম শুনলো অথচ দুরুদ পড়লো না।
২) যে রমজান পেয়েও গোনাহ মাফ করাতে পারলো না।
৩) যে পিতামাতাকে পেয়েও জান্নাত কা��াই করতে পারলো না।
(বায়হাকী: ১৫৭২)
সুতরাং, আমরা রমাদানে বেশি বেশি নেক কাজ করবো এবং রমাদানের পবিত্রতা রক্ষা করবো।
হে আল্লাহ! আমাদেরকে সুস্থতার সহীত রমজানের রোজাগুলো রাখার তাওফিক দিন, আমীন!
🔰 রোজার অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে তার মধ্যে কিছু উল্লেখ্য করা হলো :
✪ রোজাদারদের জন্য জান্নাত সজ্জিত করা হয়।
✪ একমাত্র রোজাদার বাবু রাইয়ান নামক দরজা দিয়ে জানতে প্রবেশ করবে।
✪ রোজা অনেক রোগের শেফা হিসেবে কাজ করে।
✪ রোজাদারদের দু'আ আল্লাহ কবুল করেন।
✪ রোজাদারদের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর নিকট খুব প্রিয়।
✪ রোজাদারদের জীবনের গোনাহ ক্ষমা করা হয়।
✪ রোজাদারদের পুরষ্কার আল্লাহ নিজ হাতে দেবেন।
✪ রোজাদারদের জন্য সমস্ত প্রাণী দু'আ করে।
✪ রোজাদার আল্লাহর সাথে দেখা করবে।
......
♈ রমাদানের কিছু আমল:
⇨ চাঁদ তালাশ করা।
⇨ রোজা রাখা।
⇨ বেশি বেশি দু'আ করা এবং গোনাহ মাফ চাওয়া।
⇨ ��ফতার খাওয়া এবং অন্য রোজাদারকে খাওয়ানো।
⇨ সাহরী খাওয়া। (সাহরীর সময়ও খেজুর খাওয়া)
⇨ বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করা।
⇨ বেশি বেশি দান-সাদকা করা।
⇨ মিসওয়াক করা।
⇨ তাহাজ্জুদ আদায় করা।
⇨ নফল ইবাদাত বেশি বেশি করা।
⇨ অনর্থক কথাবার্তা বলা ও কাজ করা থেকে বিরত থাকা।
⇨ সমস্ত প্রকার গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা।
⇨ শবে কদর তালাশ করা।
⇨ এয়তেকাফ করা, ইত্যাদি।
.......
(সংক্ষেপিত)
✍️ নুরউদ্দিন হামিদ
0 notes
Text
কারও ঘরে প্রবেশ করার সুন্নতী তারতীব বা নিয়ম
=============================
যারা মুসলমানদের জন্য সম্মানিত কালামুল্লাহ শরীফ ও সম্মানিত সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী সমস্ত আমল করতে হবে। কখনো কাফির-মুশরিক বেদ্বীন বদদ্বীনদের অনুসরণ করা যাবে না। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা কাফির-মুনাফিকদের অনুসরণ করো না।”
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম হচ্ছেন পরিপূর্ণ দ্বীন। সমস্ত বিষয়ের বর্ণনা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে রয়েছে। এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ঘরে প্রবেশ করতে হলে সালাম দিয়ে, অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে হবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
حَتّٰى تَسْتَاْ نِسُوْا وَتُسَلِّمُوْا
অর্থ: “যতক্ষণ পর্যন্ত অনুমতি না পাবে এবং সালাম না করবে। তোমরা প্রবেশ করো না।”
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যামানায় সালাম দিলেই সেটা অনুমতি প্রার্থনা বুঝা যেত। যে কোনো ব্যক্তি এসে সালাম দিলে এর অর্থ দাঁড়াতো, সে অনুমতি চাচ্ছে সাক্ষাৎ করার জন্য। অনুমতি তাকে দেয়া হতো। এরপর মহান আল্লাহ পাক তিনি জানিয়ে দিলেন, সালাম দিয়ে অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে হবে।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “কথা বলার পূর্বে সালাম দিতে হবে।” কেউ যদি বলে, আমি প্রবেশ করতে চাই, আস্সালামু আলাইকুম, এটা অশুদ্ধ হবে। বরং বলবে, আসসালামু আলাইকুম, আমি প্রবেশ করতে চাই। আগে সালাম দিবে। এরপর সে প্রবেশ করার কথা বলবে। এটা সম্মানিত শরীয়ত উনার ফায়সালা।
সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, এক ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, “হযরত কালদাতা ইবনে হাম্বল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, হযরত ছফওয়ান ইবনে উমাইয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি একবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আল্লাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমতে কিছু দুধ পাঠিয়েছিলেন। একটা হরিণের বাচ্চাও তার সাথে পাঠিয়েছিলেন। সাথে কিছু শসা ও খিরাই জাতীয় ফল-ফলাদিও পাঠিয়েছিলেন। তিনি যাকে পাঠিয়েছিলেন, উনি সেটা নিয়ে যখন উপস্থিত হলেন তখন দেখতে পেলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একটি উপত্যকার উপরে বসে আছেন। সেই ছাহাবী কোনো কথা না বলেই, কিছু জিজ্ঞেস না করেই, সালাম না দিয়েই উনি সরাসরি সেগুলো নিয়ে প্রবেশ করেন।
সেটা দেখে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তুমি ফিরে যাও, তুমি ফিরে যাও। ফিরে গিয়ে সালাম দাও এবং অনুমতি প্রার্থনা করো, এরপর প্রবেশ করো।
সেই ছাহাবী তিনি নতুন ছিলেন। উনাকে শিক্ষা দেয়ার জন্য এটা করা হয়েছিলো। উনি ফিরে গেলেন, বের হয়ে গেলেন সেখান থেকে। বের হয়ে সালাম দিলেন, আসসালামু আলাইকুম এবং বললেন اَ َدْخُلُ ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি কি প্রবেশ করবো? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অনুমতি দিলেন, উনি প্রবেশ করলেন। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে ঐ ব্যক্তি সবচাইতে প্রিয়, যে প্রথম সালাম দেয় অর্থাৎ যে সালাম দেয় ��ে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে প্রিয়, সম্মানিত এবং পছন্দনীয়। সুবহানাল্লাহ!
প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হলো সালাম দিয়ে, অনুমতি নিয়ে অন্যের ঘরে প্রবেশ করতে হবে। অনুমতি না পেলে ফিরে আসতে হবে। এটাই সম্মানিত শরীয়ত উনার ফতওয়া।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে সম্মানিত শরীয়ত মুতাবেক আমল করার তাওফীক দান করেন। আমীন!
#90days mahfil
Sunnat.info
Sm40.com
0 notes
Text
নিউ ইয়র্ক ফায়ার ডিপার্টমেন্ট (FDNY) এর নতুন প্রস্তাবনা — আমরা নতুন শুরুর দ্বারপ্রান্তে
নিউ ইয়র্ক ফায়ার ডিপার্টমেন্ট (FDNY) সকল ভূ-সম্পত্তির মালিকগণকে তাদের ভাড়াটিয়াদের ই-বাইকের লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির বিপদমাত্রা সম্পর্কে জানানো ও শিক্ষা দেয়া বাধ্যতামূলক করেছে। এই বাধ্যবাধকতা শহরের ই-মোবিলিটির সাহসিক বৃদ্ধি সহ আমাদের একাধিক আবাসিক ইউনিটগুলি ব্যাটারির আগুন থেকে নিরাপদ কিনা তা নিশ্চিত রাখার কেবল মাত্র শুরু যা NYC’র প্রয়োজন।
অ্যাডভোকেসি গ্রুপের স্পোকপারসন ‘সেফার চার্জিং’ স্প্যানিশ টেলিভিশনে আবারও ইন্টারভিউ দিয়েছেন এবং পপহুইলসের ফাউন্ডার সাইকেলিং উইকলিতেও FDNY বাধ্যবাধকতা নিয়ে কোট করেছেন। সংক্ষেপে, আমরা মনে করি এটা একটি অসাধারণ শুরু কিন্তু অবশ্যই এটিই যথেষ্ট নয়! আমরা বিশ্বাস করি যে, শহরের প্রতিটি বিক্রি করা ব্যাটারি যাতে নিরাপত্তার প্রত্যয়ন পাওয়া থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে পরিদর্শন করা এবং যতটা সম্ভব আবাসিক এলাকার বিল্ডিং গুলোর বাইরে চার্জ করা হয়। অধিকন্তু শহরটিকে যাতে ব্যাটারি সোয়াপ নেটওয়ার্ক যেমন পপহুইলস এর মত সুবিধা দিতে হবে। বাস্তব অবকাঠামো এবং প্রবিধান সহ এরকম পরিবহন ব্যবস্থা পদ্ধতি গুরুত্ব সহকারে না নেয়া পর্যন্ত শহরে ব্যাটারি অগ্নিকান্ড চলতে থাকবে।
গত সপ্তাহে একটি স্টাডিতে NYC-এ ই-বাইক অ্যাপ ডেলিভারি রাইডার ফ্লিটের আকারের বিশদ পাওয়া গেছে। এখানে সব অ্যাপ মিলিয়ে প্রায় 200,000 নিবন্ধনকৃত ডেলিভারী রাইডার রয়েছে যার মধ্যে 2021 q4 এ রয়েছে 120,000 জন ইউনিক রাইডার। যদি এই মোট অ্যাপগুলো, সংখ্যাগুলো সঠিক হয়ে থাকে, তাহলে এটি হবে NYC এর সবচেয়ে বৃহৎ বেসরকারী নিয়োগ।
স্টাডি আরও দাবী করে ��ে, সিটির গড় ডেলিভারী রাইডাররা বছরে প্রায় 1.7টি ব্যাটারি বিনষ্ট করে থাকে, যেখানে প্রতিটি ব্যাটারির মূল্য $550 হলে, ($935/বছরে)। এর মধ্যে অনেক রাইডারগন মাসে প্রায় $50 খরচ করে কোনো স্টোরে রাত জুড়ে ব্যাটারিগুলো চার্জের জন্য যেহেতু তারা দিনের বেলা কাজ করে। আমাদের ব্যাটারি সোয়াপ নেটওয়ার্ক (ব্যাটারি অদল-বদল নেটওয়ার্ক) উন্নত, নিরাপদ, আরও সাশ্রয়ী এবং আরও টেকসই একটি সার্ভিস দিবে রাইডারগণ বর্তমানে যা পে করছে তারচেয়ে আরও অর্ধেক খরচে।
আমরা সিটি কর্মকর্তাদের সাথে এ বিষয়ে আগাচ্ছি। কাউন্সিল স্পীকার বিলটি নিয়ে বিবেচনার জন্য আমাদের 25 জন স্পন্সর প্রয়োজন এবং আমাদের ইতিমধ্যেই 19 জন রয়েছে। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা বুঝেছেন যে আমাদের দেয়া সমাধাণ হচ্ছে স্মার্ট, সাশ্রয়ী এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, নিরাপদ। আমাদের NYC এর প্রধান জলবায়ু অফিসারের সাথে কিছু দিনের মধ্যেই একটি মিটিং এর সিডিউল করা হয়েছে। তাদের অফিস থেকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিল কারণ তারা জানে আমাদের সমাধানই NYC তে কাজ করতে পারে।
সামনের কিছু সপ্তাহের মধ্যেই আমাদের ব্যাটারির দ্বিতীয় অর্ডারের জন্য আমরা আশা করছি বাকি ফান্ডিংগুলো আমাদের BBB সিরিজ শেয়ারের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবো, এবং ম্যানহাটন এর ব্যস্ত 3টি লোকেশনে ওপেন হতে পারবো। আরও তথ্যের জন্য, অনুগ্রহ করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
আ. মুক্তা
বাংলাদেশী কমিউনিটি ম্যানেজার, Popwheels সদস্য, সেফার চার্জিং অ্যাডভোকেসি গ্রুপ
#new york#brooklyn#new york city#battery#ebike#lithium#safe charging#popwheels.energy#battery swapping network#fdny
1 note
·
View note
Text
লক্ষ্মীপুরে ঝরে পড়া শিশু শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিবে উপনুষ্ঠানিক শিক্ষা বুর্যো
লক্ষ্মীপুরে ঝরে পড়া শিশু শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিবে উপনুষ্ঠানিক শিক্ষা বুর্যো
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি লক্ষ্মীপুরে ঝরে পড়া ৬ হাজার ৩শ’ স্কুল শিশুদের (আউট অব স্কুল চিলড্রেন) শিক্ষা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইড��পি-৪) এর আওতায় জেলার তিনটি উপজেলার উপজেলার ২১০ টি উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাধ্যমে ৪২ মাস এই শিক্ষা কার্যক্রম চলবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে থাকবে একজন করে শিক্ষক। বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ঝড়ে পড়া শিশুদের…
View On WordPress
0 notes
Text
জীবনের কিছু কথা
আমার আম্মুর বিয়ে হয় মাত্র ১৪ বছর বয়সে, সেটা ১৯৯০ সালের দিকে। তখনকার দিনে গ্রামের মেয়েদের অল্প বয়সেই বিয়ে দেওয়া হতো। জামাইয়ের বয়স যতই বেশি হোক বউয়ের বয়সের থেকে, বয়সের অনেক পার্থক্য থাকতো এটা নিয়ে মেয়ের পরিবারের কারো মাথাব্যথা থাকতো না। তাদের ধারণা পুরুষের বয়স বেশি হলেও কোন সমস্যা নেই টাকা পয়সা জমিজমা থাকলে মেয়ে সুখী হবে।
তখন আমার আম্মু ক্লাস এইটে পড়তো তার স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া করবে! সেটা আমার মামাদের জন্য হতে পারেনি। আমার নানা আম্মুকে এক বছরের রেখে পরপারে পাড়ি জমান, মামারা আম্মুকে এটুকু বড় করে এবং লেখাপড়া শিখায় এটাই তারা অনেক বেশি মনে করে! তাই নানী মামাদের মুখের উপর কিছু বলতে পারেনি।
আম্মুর বিয়ের বছর খানিক পর আমার জন্ম হয়। আমি মেয়ে হয়ে জন্ম নেওয়াতে বাবা খুশি হয়নি,
তার স্বপ্ন ছিল তার প্রথম সন্তান ছেলে হবে। আর এদিকে অল্প বয়সে সন্তান ধারণ করার কারণে আমার আম্মু অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ে! তাই আমার বাবা মামাদের খবর দিয়ে আম্মুকে মামার সাথে পাঠিয়ে দেন। আম্মুর চিকিৎসার কোন টাকা পয়সা তিনি দেন না! মামাদেরকে বলেন,
আপনার অসুস্থ বোনকে আমার কাছে বিয়ে দিয়েছেন! একটা বাচ্চা প্রসব করে সে একবারে আধা মরা হয়ে গেছে, এমন মেয়েকে নিয়ে আমি সংসার করতে পারবো না।
মামারা চিকিৎসা করে আম্মুকে ভালো করে দিয়ে আসবে এই কথা বলে নিয়ে আসেন। কিছুদিন পর আম্মু সুস্থ হলে আম্মুকে নিয়ে নানী এবং মামা বাবার কাছে যায়। যেয়ে দেখে তিনি দ্বিতীয় বিবাহ করে ফেলছে, প্রথম স্ত্রী থাকতে তার অনুমতি ব্যাতিত দ্বিতীয় বিয়ে করা অপরাধ! কিছু না জানিয়ে এভাবে বিয়ে করে ফেলবে সেটা কেউ ভাবতে পারেনি। মামা ��খন বাবার সাথে রাগ দেখিয়ে বলে আইন আদালত করবে!
বাবা বলে যা করার করে নেন, আপনার বোন ঠিকমতো সংসার করতে পারেনা এমন মেয়েকে আমার ঘরে পাঠিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করেছেন! আমি দ্বিতীয় বিয়ে করব না তো বসে থাকবো? আপনার বোনকে যদি রেখে যেতে চান আমার কোন আফসোস নেই খাবার দাবারের কোন সমস্যা হবে না।
আম্মু থাকতে না চাইলেও মামারা জোর করে আম্মুকে রেখে আসে। তারপর শুরু হয় আমার আম্মুর উপর অমানুষিক নির্যাতন, সংসারের যাবতীয় কাজ আম্মুকে দিয়ে করায়! আর তার দ্বিতীয় স্ত্রী পায়ের উপর পা তুলে বসে থাকতো। কিছুদিন পর সেই স্ত্রীর পুত্র সন্তান জন্ম নেয়, তখন আমাকে নাকি আমার বাবা দু চোখে দেখতে পারেনা! বলে মেয়েটা হয়েছে মায়ের মত অসুস্থ দেখতে একদম ভালো না এ মেয়েকে আদর করতে ইচ্ছা করে না। এরকম অনেক কথা বলতো আমাকে নিয়ে। আমার আম্মু শুধু চোখের পানি ফেলত বাবার এমন ব্যবহারে। অবহেলা অবজ্ঞা দিন দিন যখন বেড়েই চলে তখন আমার আম্মু সিদ্ধান্ত নিল এখানে আর থাকবে না! আমাকে নিয়ে মামার বাড়িতে চলে আসলো। কিন্তু মামার বাড়িতে কেউ তাকে জায়গা দিতে চাইলো না।
মামীদের কথা তোমাকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছি তুমি স্বামীর বাড়িতে থাকবে, আমরা এখানে রাখবো কেন! তোমার স্বামী বিয়ে করেছে সহ্য করে থেকে যাও মেয়েটার মুখের দিকে চেয়ে। এখানে আসলে তোমার খাবারের পাশাপাশি তোমার মেয়ের খাবারের জোগাড় কে করবে? আমরা পারবো না এত বড় দায়িত্ব নিতে।
আমার বৃদ্ধ নানী ছিল নিরুপায় সে যদি কিছু বলে মামিরা তার খাবার দাবার বন্ধ করে দিবে। আম্মু অনেক ভেবেচিন্তে নানীকে বলল চল আমরা ঢাকা চলে যাই! আমি যে কোন কাজ করব তুমি আমার মেয়েটাকে দেখে শুনে রাখবে, না হলে এখানে আমরা না খেয়ে মরবো। নানীকে নিয়ে আমার আম্মু ঢাকা চলে আসে। আমার মা মানুষের বাসায় কাজ করে আমার নানী আমাকে দেখাশোনা করে। এমনি করে দিন অতিবাহিত হতে চলল। বাবার সাথে আমার মায়ের ডিভোর্স হয়নি এমনিতেই আমার মা চলে আসছে। আমার বয়স যখন ছয় বছর ঢাকার একটা স্কুলে আমাকে ভর্তি করা হলো! আমার মেধা ছিল অনেক বেশি আমার মায়ের এইট পর্যন্ত পড়া ছিল সেই সুবাদে সে আমাকে পড়াতে পারতো। মায়ের কাছ থেকে আমি ছোট থেকে অনেক কিছু শিক্ষা পাই। আমার আম্মু নতুন একটা বাসায় কাজ করে, সেই বাসার মহিলা অত্যধিক ভালো ছিল! সেই আন্টির দুইটা ছেলে আমেরিকাতে লেখাপড়া করে সেখানেই বিয়ে-শাদী করে সেটেল হয়ে গিয়েছে, বাংলাদেশে মা-বাবার কাছে আসে না! তাই আন্টি আংকেলের মনে অনেক কষ্ট। আমি যখন ক্লাস টু তে পড়ি আম্মু আমাকে তাদের বাসায় নিয়ে যায়, আমাকে দেখে সে আন্টিট���র অনেক ভালো লাগে! আঙ্কেলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং আম্মুকে প্রস্তাব দেন তাদের বাসায় আমাকে রাখ��ে, তারা আমার সমস্ত দায়িত্ব নেবে। এতে আম্মু রাজি হয় না তাদেরকে বলে আমাকে ক্ষমা করবেন এই দুনিয়ায় আমার একটা মাত্র সন্তান, আমি যেভাবেই হোক কষ্ট করে তাকে মানুষ করব! আর তো কেউ নেই আমার, যদি আমার আর দুই একটা সন্তান থাকতো একটা না হয় আপনাদের দিতাম, আপনারা আদর সোহাগ করে বড় করতেন। তারা স্বামী স্ত্রী দুইজন কি যেন ভাবে, তখন বলে মেয়েকে ছাড়া তোমার থাকতে হবে না মেয়ে আমাদের বাসায় থাকবে তোমরাও আমাদের বাসায় থাকবে, আমাদের বাসায় কাজও করবে।
আন্টি বলেন, তোমার জীবনের সমস্ত ঘটনা শুনে আমার মনে হল মেয়েটাকে তোমার অনেক বড় করতে হবে। তুমি এভাবে মানুষের বাসায় কাজ করে মেয়েটাকে বস্তিতে রেখে এ সমাজে মানুষ করতে পারবে না। এ শহরে বাবা ছাড়া সন্তান মানুষ করা তাও আবার বস্তিতে রেখে অনেক ঝুঁকি আছে।
আমার আম্মু ভেবেচিন্তে তাদের কথায় রাজি হয়। তারপর আমাকে ভর্তি করানো হয় শহরে স্বনামধন্য স্কুলে। এভাবে চলতে থাকে আমার সুখের জীবন এসএসসি এইচএসসি পাশ করার পর আঙ্কেল আন্টি আমাকে বলল তুমি কোন বিষয় নিয়ে লেখাপড়া করতে চাও? আমি তাদেরকে বললাম আমি চাই এডভোকেট হতে, তারা আমার সেই ইচ্ছায় মেনে নিল। আর এতদিনে আমার নানী না ফেরার দেশে চলে গিয়েছে। আম্মুরও এখন বয়স হয়েছে, আন্টিদের বাসায় টুকটা কাজ করে দেয় সে। এর মধ্যে আমার আম্মু গ্রামে মামাদের বাড়িতে কয়েকবার গিয়েছে! আমি ভালো আছি এলএলবি করতেছি এই কথা শোনার পর মামা-মামী খুব আগ্রহ নিয়ে আমাকে দেখতে চায়। বড় মামা প্রস্তাব দেয় তার ছেলের সাথে আমার বিয়ের, আম্মু তাদেরকে জানিয়ে দেয় আমার বিয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত শুধু আমার আন্টি আঙ্কেল নিবে! যারা আমাকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবেসে এতটা পথ পাড়ি দিয়ে নিয়ে এসেছে। আমার স্বপ্ন পূরণ হয় আমি এডভোকেট হওয়ার পর আঙ্কেল আন্টি আমাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য পাগল হয়ে যায়। আমি বলছিলাম আরো কিছুদিন পর বিয়ে করবো, তখন তারা আমাকে জিজ্ঞেস করে আমার কোন পছন্দের ছেলে আছে কিনা। তখন আমি সিয়ামের কথা বলি, সিয়াম আমার কলেজ লাইফের বন্ধু! আমরা একে অপরকে পছন্দ করতাম কথা ছিল দুজনের লেখাপড়া শেষ করলে পারিবারিকভাবে যেন সিয়াম প্রস্তাব নিয়ে যায়। আর তাকে বলেছি আমার অতীত সম্পর্কে তার পরিবারকে অবগত করতে! আমি কোন বড় লোকের মেয়ে নয় সামান্য একজন কাজের লোকের মেয়ে! এটা যদি তার পরিবার মেনে নেয় তাহলে আমার কোন আপত্তি থাকবে না। আঙ্কেল আন্টি সিয়ামের সাথে কথা বলতে চাইলো আমি সিয়াম কে বললাম তাকে বাসায় আসতে। সিয়ামের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত হলো তার বাবা মাকে নিয়ে আসবে, তার বাবা-মার কোন আপত্তি নেই মেয়ে শিক্ষিত হয়েছে জজ কোর্টের এডভোকেট এর চেয়ে আর কি চাই।
তারপর সিয়ামের সাথে আমার বিয়ে হয়ে গেল। আন্টি বলল এবার যাও নিজের গ্রাম থেকে ঘুরে আসো! সবাইকে দেখিয়ে দাও যাদেরকে মানুষ তুচ্ছ যাচ্ছিল করে আল্লাহ চাইলে তারাও একদিন সফল হয় যেকোন উছিলায়, যে কারো মাধ্যমে আল্লাহ তাকে সফলতা দান করেন। বিয়ের এক মাস পর আম্মুকে ও সিয়ামকে নিয়ে মামার বাড়িতে আসলাম নিজস্ব গাড়িতে করে। আমাদের দেখে তিন মামা ও মামীরা অনেক খুশি আশেপাশের লোকজন সবাই আমাদেরকে দেখতে আসছে। মামা মামীরা গর্ব করে বলতেছে দেখো আমার ভাগ্নি এডভোকেট এবং তার স্বামী ইঞ্জিনিয়ার। তিন দিনের জন্য গ্রামে গিয়েছি অনেক মানুষ আমাদেরকে দেখতে আসছে! যারা ভেবেছিল ন�� খেয়ে হয়তো আমার মা আর আমি মারা যাব, তারা এসে বলতেছে তোমরা যে এমন হবে কখনো কল্পনা করতে পারিনি। আমার খুব ইচ্ছে করছিল বাবা নামক মানুষের চেহারাটা দেখতে! কারণ তার চেহারা আমার মনে নেই আম্মু আমাকে অনেক ছোট নিয়ে চলে আসে। কিন্তু হঠাৎ করে এমন একটা কান্ড ঘটে যাবে আমি জানতাম না। সিয়ামকে নিয়ে বিকেলে গ্রাম দেখতে বেরিয়েছি অসুস্থ প্রায় বয়স্ক একটা মানুষ আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে হাউ মাউ করে কান্না করে দিল। আমি জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে আঙ্কেল কান্না করছেন কেন? সে কোন কথা বলতে পারছে না।
আরেকজন এসে বলতেছে সাইমা এটা তোমার বাবা। আমি এ কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে স্তব্ধ হয়ে গেলাম, যে মানুষটাকে দেখার জন্য আফসোস ছিল সে মানুষটা আমার সামনে! সে কিভাবে জানল আমি তার মেয়ে। আমার কোন কথা মুখ দিয়ে বের হচ্ছে না সে কান্না করতে করতে বলতেছে,
তোদের সাথে আমি খুব অন্যায় করেছি সেই শাস্তি আল্লাহ আমাকে দিয়েছে! তোকে মেয়ে বলে আমি যে অবজ্ঞা করেছি সেই শাস্তি এখন পাচ্ছি। ছেলেকে অনেক আদর করে মানুষ করেছিলাম সেই ছেলে এখন আমাকে মারধর করে, খাবার দিতে চায় না। যাকে বিয়ে করে তোদেরকে কুকুরের মত তাড়িয়ে দিয়েছিলাম সেই মহিলা ছেলের পক্ষ নিয়ে আমাকে দেখতে পারেনা। কৌশলে আমার সব সম্পত্তি লিখে নিয়েছে এখন আমি যদি না খেয়ে পড়ে থাকি তবু তাদের কিছু আসে যায় না! মানুষের কাছ থেকে চেয়ে চেয়ে আমার খাবার খেতে হয়। আমি একজনের কাছ থেকে শুনেছি তুই এসেছিস তাই তোর কাছে ক্ষমা চাইতে চলে আসলাম।
তার এমন কথা শুনে বুকের ভেতর কেমন যেন চিনচিন করে ব্যাথা অনুভব হলো, তবু তো বাবা। আমি জানি আমার মায়ের সাথে আমার সাথে অনেক অন্যায় করেছে সে। আমি কিছু কথা না বলে সিয়ামকে বললাম তাকে তুমি পাঁচ হাজার টাকা দাও সিয়াম বাবার হাতে টাকা দিতে চাইলে সে নিতে চায় না। বলে আমি তোদের টাকা কোন মুখে নেব, শুধু তোর সামনে এসেছি ক্ষমা চাওয়ার জন্য! তুই আমাকে ক্ষমা করে দিস মা, তোর মায়ের সামনে যাওয়ার সাহস আমার নেই। তুই আমার মেয়ে তোর সামনে এসেছি তুই আমাকে ক্ষমা কর আর তোর মাকে বলিস আমাকে ক্ষমা করে দিতে।
আমি তাকে বললাম তুমি টাকাটা নাও আপাতত! এগুলো দিয়ে চলতে থাকো আমার নাম্বার দিয়ে যাব প্রতি মাসে মাসে তোমার জন্য আমি টাকা পাঠিয়ে দেবো। তোমার আর কারো কাছে হাত পাততে হবে না! তুমি ��মাকে মেয়ে বলে অবজ্ঞা করলেও আমি তোমাকে অবজ্ঞা করতে পারবো না, এটা বলে তার সামনে থেকে চলে আসলাম।
মনে মনে ভাবলাম আল্লাহর বিচার কেমন হয় সেটা আজ নিজ চোখে না দেখলে বুঝতাম না।
সমাপ্ত
#জান্নাত_নূর
এরকম আরও গল্প পেতে আমাদের ওয়েব সাইতে ভিজিট করুন:
3 notes
·
View notes
Text
করোনাকথন:
বছর পাঁচেক আগে বইবাজারে এক রোমাঞ্চকর গল্প আলোড়ন তুলেছিল সারাবিশ্বে। ড্যান ব্রাউনের ইনফার্নো। বাংলায়ও সেই গল্প রােমাঞ্চ ছড়িয়েছিল। একটা ভাইরাসের গল্প। ভেক্টর ভাইরাস। ল্যাবরেটরি মেইড। অতি দ্রুত মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয় ভাইরাসটি। দৈবচয়নের ভিত্তিতে পোষক শরীরে সক্রিয় হয়ে সারা পৃথীবির জনসংখ্যা কমানোর রুদ্ধশ্বাস সেই গল্প। কোন স্পয়লার দেইনি, গল্পটি টান টান থ্রিলারই থাকবে যদি পড়তে যান। দেখবেন, গল্পের পরতে পরতে রুদ্ধশ্বাস সব অজানা বাঁক। কিন্তু কোন গল্পেরই সেই ক্ষমতা নেই - গত ১ বছরেরও বেশী সময় ধরে কোভিড-১৯ যে আতঙ্ক, অনিশ্চয়তা আর বিভীষিকা ছড়িয়েছে এই গ্রহে! ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে এখন পর্যন্ত (৭ জানুয়ারি ২০২১) সারাবিশ্বে করোনায় মারা গেছেন ১৮,৯৫,০৮৮ জন, আর সংক্রমিত ৮৭,৮৪৪,২৭৮ জন। ষড়যন্ত্র তত্ত্বে আগ্রহ বিশেষ নেই। তাই করোনা মানবসৃষ্ট নাকি প্রাকৃতিক এই আলোচনা অর্থহীন। কারণ, আমি করোনা সংক্রমিত, কোভিড-১৯ পজেটিভ। টিকে থাকার লড়াই এখন অনেক বেশী প্রাসঙ্গিক। আমার 'স্বাস্থ্য এবং ব্যবস্থা' ভার্সাস করোনা ভাইরাস। এই ভাইরাসের 'ডিজাইন' এমন যে দেখা যাচ্ছে এটি যেন দৈবচয়নের ভিত্তিতেই পোষক দেহে আক্রমণ করছে। বয়স্ক এবং বিভিন্ন রোগে ভোগতে থাকা মানুষ বেশী ঝুঁকিগ্রস্ত করোনায়। আমি ভাইরোলজিস্ট নই। করোনা ভাইরাসের উপর গবেষণাকর্মগুলোও পড়িনি। সম্ভবত যথেষ্ট গবেষণা প্রতিবেদন এখনও প্রকাশিত��� হয় নি। তাই পরিসংখ্যান দেখে অনুমানে কথা বলতে হয়, আর কিছু প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকে। করোনা করুণা করেনা। বয়স, রোগাক্রান্ত-নিরোগ এই সকল সমীকরণ উলোট-পালোট করে দেয়া ঘটনাও ঘটছে। পোষক দেহে সক্রিয় হতে অনেকগুলো অনুঘটক ভূমিকা নিয়ে থাকতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। আপনার স্বাস্থ্য। আপনার ব্যবস্থা। আর কোনটাই একাকী পৃথক পৃথকভাবে কাজ করে না। একটার সাথে আরেকটা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত থাকে। আপনার স্বাস্থ্যর নির্মাণ - খাদ্য, খাদ্যাভ্যাস, ওষুধপাতি, জীবন যাপন প্রণালী এই সবকিছু আপনার স্বাস্থ্যর নির্মাণে অংশ নেয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও তৈরী করে। আর আপনি তো ব্যবস্থার বাইরে এক চুলও নড়তে পারেন না। এই ব্যবস্থায় আপনার স্বাস্থ্যর সাথে অপরাপর সত্ত্বা, প্রাণ, বস্তু, বস্তুকণা, চুক্তি, বন্টন সব কিছুর সম্পর্ক। এমনকি প্রকৃতিতে বসবাসরত ভাইরাসেরও। ভাইরাসটি নিয়ে অতিরিক্ত আতঙ্কিত হয়ে যেমন লাভ নাই, আবার ভয়েরও যথেষ্ট কারন আছে। দেখুন একটা শ্রেণীর কোন কিছুতে কোন ভয় নেই। কোন কিছুই তারা পরোয়া করে না। করোনাকেও তারা অতিরিক্ত অবৈধ মুনাফা অর্জনের মেশিন বানিয়েছে। আর করোনা মহামারী নিজের স্বভাবগতই নতুন বাস্তবতা, বিধি নিষেধ নির্মাণ করে। সেটা কাজে লাগিয়ে অবাধ ক্ষমতা আরও কেন্দ্রীভূত হয়। নজরদারী, নিয়ন্ত্রন, বলপ্রয়োগের হাতিয়ার হয়ে ওঠে। দিনশেষে আমাদের করোনায় ভোগান্তিই বেশী যন্ত্রনাময়। কতখানি বিধ্বংসী হয়েছে মানুষ, সেই খোঁজ যদি থাকে করোনা ভাইরাসের মহামারীতে রূপান্তরিত হওয়ার কার্যকারনও খোঁজে পাওয়া যাবে। সুস্বাস্থ্যবান হওয়ার সকল আয়োজন সম্পন্ন করে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বুস্ট আপ করে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেহুলার বাসরঘর বানিয়েও করোনা সংক্রমন থেকে দূরে থাকা যাবে ভাবলে মহা ভুল হবে। করোনা সবার শরীরে পৌছে যাবে। প্রযুক্তির যন্ত্রাংশে পরিণত হয়ে গেছি প্রায়, এবার স্বাস্থ্যও তুলে দিতে হবে বহুজাতিক কোম্পানির হাতে, কোন উপায় নেই। গুটি কয় মানুষ বা কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ করবে মানুষকে। এমনকি শরীরে কি থাকবে না থাকবে তাও নির্ধারণ করে দিবে। মহামারী করোনা যেহেতু সংক্রমিত করবেই, তার মানে কী স্বাস্থ্যবিধি মানব না? মোটেও তা না। অবশ্যই মানব। সম্ভাব্য সকল প্রস্তুতিই নেব। পাওয়া গেলে ভ্যাকসিনও নিব। কিন্তু কোভিড-১৯ এর সকল গল্প এসে বহুল প্রতিক্ষিত ভ্যাকসিনেই শেষ হবে ভাবলে আবারও ভুল হবে। শরীর সংক্রমিত করে শরীরের একটা রোগমাত্র নয় 'পোস্ট কোভিড-১৯ নি�� নরমাল'। আর একা বিচ্ছিন্নভাবে তো আপনি সংক্রমণ থেকেও বাঁচতে পারবেন না। তাই একা বাঁচা যায় না - এটাই করোনাকান্ডের বড় শিক্ষা। যূথবদ্ধতা শুধু স্বজাতির সাথে আর অন্যের সাথে বৈরিতা এই কৌশলও বাঁচাবে না মানুষকে। মানুষ, প্রাণ প্রতিবেশের বৈচিত্র্য আর ভারসাম্যকে ধারণ করতে পারা আগামী বিশ্বের জন্য, সুস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দৈব চয়ন করে করোনা সক্রিয় তো হবেই, সুস্থ হতে আমাদের সক্রিয় হওয়া বেশী জরুরী।
ফরহাদ
০৭ জানুয়ারি ২০২১
শায়েস্তাগঞ্জ।
2 notes
·
View notes
Text
খুবই_মূল্যবান ৩০টি ছোট হাদিস!
নিজে পড়ুনঃ
অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন "ইনশাআল্লাহ্" !
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
:
:
১। রাসূল (সা:)বলেছেন আমার কথা (অন্যদের কাছে) পৌছিয়ে দাও, তা যদি একটি আয়াতও হয়। (সহীহ বুখারীঃ ৩২১৫)
:
২। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, কোন ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটকুই যথেষ্ঠ যে, সে যা শোনে (যাচাই ব্যতীত) তাই বলে বেড়ায়। (সহীহ মুসলিম, মুকাদ্দামা, অনুচ্ছেদ ৩)
:
৩।রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করবে সে জাহান্নামে যাবে। (দেখুন সহীহ বুখারীঃ ১০৭,১০৯,১০৯,১১০,১১১ সহীহ মুসলিম, মুকাদ্দামা)
:
৪।পিতা-মাতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহ্ সন্তুষ্ট আর পিতা-মাতার অসন্তুষ্টে আল্লাহ্ অসন্তুষ্ট। (তিরমিযী, সনদ হাসান, মিশকাত হা/৪৭১০)
:
৫। পাঁচ ওয়াক্ত সলাত আদায় করলে পঞ্চাশ ওয়াক্ত সলাতের সওয়াব পাওয়া যায় (সহীহ বুখায়, মুসলিম ও তিরমিযীঃ ২১৩)
:
৬। ব্যক্তি এবং শিরক ও কুফরের মাঝখানে সলাত ছেড়ে দে��য়াই হচ্ছে ব্যবধান। (সহীহ মুসলিমঃ ১৫৪,১৫৫, মিশকাত)
:
৭। ক্বিয়ামতের দিন বান্দার কাজসমূহের মধ্যে সর্বপ্রথম সলাতের হিসাব নেওয়া হবে। (সহীহ তিরমিযীঃ ৪১৩, ইবনু মাযাহঃ ১৪২৫,১৪২৬)
:
৮। যে ব্যক্তি ফজর ও আসরের নামায আদায় করবে সে জান্নাতে যাবে। (সহীহ বুখারীঃ ৫৪৬)
:
৯। আল্লাহ্ তা'আলার নিকট প্রিয় ঐ আমল যা নিয়মিত করা হয় যদিও তা অল্প হয়। (সহীহ বুখারীঃ ৪১,৬০২০)
:
১০। যে ব্যক্তি (পুরুষ) পায়ের টাখনুর নিচে কাপড় ঝুলিয়ে পরবে, সে জাহান্নামী। (সহীহ বুখারীঃ৫৩৭১, মিশকাত, হা/৪১২৫)
:
১১। কালিজিরায় মৃত্যু ছাড়া আর সকল রোগের চিকিৎসা রয়েছে। (বুখারী, হা/৫২৮৬ ও মুসলিম)
:
১২। নবী করীম (সাঃ) মিষ্টি ওমধু খুব ভালো বাসতেন। (বুখারী, হা:৫২৮০)
:
১৩। যারা আমার সুন্নতের প্রতি বিরাগ পোষন (অনিহা প্রকাশ) করবে, তারা আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। (সহীহ বুখারীঃ ৪৬৯৭)
:
১৪। যে ব্যক্তি বিদআত সৃষ্টি করবে ও আশ্রয় দিবে তার উপর আল্লাহ্ তা'আলার, ফেরেশতা ও সকল মানব সম্প্রদায়ের লানত । (সহীহ বুখারীঃ ৬৮০৮)
:
১৫। যার অন্তরে সরিষা সমপরিমাণ ঈমান আছে, সে জাহান্নামে যাবে না। আর যার অন্তরে সরিষা সমপরিমাণ অহংকার আছে সে জান্নাতে যাবে না। (মুসলিম, মিশকাত হা/৫১০৮)। সরিসা পরিমান ইমানের পরিচয় হল ৫ ওয়াক্ত নামাজ পরা। যে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পরে না অর্থাৎ ৪,৩,২,১ ওয়াক্ত নামাজ পরে সে চিরকাল জাহান্নামে থাকবে।যেমন থাকবে ইহুদি,নাসারা,হিন্দু,আর ও অন্ন ধমে'র লোকেরা চিরস্থায়ী জাহান্নামে তেমনি থাকবে বেনামাজি,৪,৩,২,১ ওয়াক্ত নামাজিরা।আল্লাহ ৫ ওয়াক্ত নামাজি কে নামাজি গন্ন করেন।৪,৩,২,১ ও বেনামাজি কে আল্লাহ নামাজি মনে করেন না।
:
১৬। যে ঘরে কুকুর ও (প্রাণীর) ছ��ি থাকে,সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না। (সহীহ বুখারীঃ ২৯৯৮, ৫৫২৫, মিশকাত হাঃ৪২৯৮)
:
১৭। তিন ব্যক্তির দিকে কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তাদের দিকে করুণার দৃষ্টি দিবেন না ও তাদের জন্য কঠিন শাস্তি (ক) গিঁটের নিচে কাপড় পরিধানকারী পুরুষ (খ) খোঁটাদানকারী (গ) মিথ্যা কসমে পণ্য বিক্রয়কারী। (মুসলিম, মিশকাত হা/২৬৭৩)
:
১৮। "যে ব্যক্তি মারা গেল অথচ জিহাদ করেনি এমনকি জিহাদের আকাঙ্ক্ষাও ব্যক্ত করেনি, সে মুনাফিকের ন্যায় মৃত্যুবরণ করল। " (সহীহ মুসলিমঃ ৪৭৭৯, নাসায়ীঃ ৩০৯৯)
:
১৯। আত্নীয়ের সাথে ভালো ব্যবহার করলে রিযিক ও হায়াত বৃদ্ধি পায়। (সহীহ বুখারীঃ ৫৫৫৯,৫৫৬০)
:
২০। কেউ সওয়াল থেকে পবিত্র থাকতে চাইলে আল্লাহ্ তাকে পবিত্র রাখেন। যে অমুখাপেক্ষী থাকতে চায়, আল্লাহ্ তাকে অমুখাপেক্ষী রাখেন এবং যে ধৈর্য ধারণ করতে চায়, আল্লাহ্ তাকে তাই দান করেন। ধৈর্যের চায়ে অধিক ব্যাপক কিছু দান করা হয়নি। (সহীহ বুখারী, হা/১৪৬৯, সহীহ মুসলিম , সহীহ আবু দাউদ, হা/১৬৪৪)
:
২১। বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবে (সত্তর হাজার) ওসব লোক যারা অশুভ অমঙ্গল চিহ্ন মানে না,যারা ঝাড়-ফুক করায় না, যারা মন্ত্রতন্ত্রের ধার ধারে না এবং আগুনে পোড়া লোহার দাগ লাগায় না ; বরং সদা সর্বদা তাদের পরোয়ারদেগারের উপর পূর্ণ ভরসা রাখে। (সহীহ বুখারী, হাদিস ৫৩৪১,৬২৮,৬০৯৯)
:
২২। যে ব্যক্তি নিষ্ঠার সাথে শহীদি মৃত্যু কামনা করে, আল্লাহ্ তাকে শহীদদের মর্যাদায় পৌছিয়ে দিবেন, যদিও সে তার বিছানায় মৃত্যুবরণ করে। (সহীহ মুসলিমঃ ৪৭৭৮)
:
২৩। যখন কোন ব্যক্তি তার ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার জন্য দু'আ করে, তখন ফেরেশতাগণ বলেন, আমীন, এবং তোমার জন্যও অনুরুপ হবে। (সহীহ মুসলিম ও আবু দাউদ,হাঃ১৫৩৪)
:
২৪। কোন ব্যক্তির মন্দ হওয়ার জন্য অশ্লীল বাকচারী ও কৃপণ হওয়াই যথেষ্ট। (আহমাদ, মিশকাত হা/৪৬৯৩)
:
২৫। রাসূল বলেছেন: “যে ব্যক্তি প্রতি ফরয নামায শেষে আয়াতুল কুরসী পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোন কিছু বাধা হবে না। (সহীহ আল্ জামে :৬৪৬৪, নাসায়ী, ইবনে হিব্বান, ত্বাবরানী, আল্লামা আলবানী রহ. এর সিলসিলাতুল আহাদিস আস-সহীহা খণ্ড দুই হাদিস নং-৯৭২)
:
২৬। যে ব্যক্তি উযূ করে এবং উযূকে পূর্ণাঙ্গরুপে সম্পন্ন করে, তারপর কালেমা শাহাদাত পাঠ করে,তার জন্য জান্নাতের ৮(আট)টি দরজা খুলে যায় । সে যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে । (সহিহ মুসলিমঃ ৪৬০, তিরমিযীঃ৫৫, ইবনু মাযাহঃ ৪৭০)
:
২৭। যে ব্যক্তি দিবসে ১ বার ও রাতে ১ বার আন্তরিকতার সাথে সােয়্যদুল ইস্তেগফার পাঠ করে যদি সে দিন বা রাতে মারা যায়, তাহলে ওই ব্যক্তি জান্নাতি । ( সহিহ বুখারী-৫৮৬৭)
:
২৮। ওযু করার সময় কেউ যদি উত্তমরূপে ওযু করে তাহলে তার শরীরের সব গুণাহ বের হয়ে যায়। এমনকি তার নখের নিচের গুণাহও বের হয়ে যায়। (সহীহ মুসলিমঃ ৪৮৪,৪৮৫)
:
২৯। রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তি সর্বোত্তম যে কুরান শিখে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়। (সহীহ বুখারীঃ ৪৬৬১,৪৬৬২)
:
৩০। কুরআন পাঠে দক্ষ ব্যক্তি উচ্চ মর্যাদা ফিরিশতাদের সঙ্গী হবে। আর যে ব্যক্তি কুরাআন পড়ার সময় আটকে যায় এবং কষ্ট করে তিলাওয়াত করে তার জন্য রয়েছে দ্বিগুণ সওয়াব। (সহীহ বুখারী-৪৯৩৭, মুসলিম আবু দাউদ ১৪৫)
2 notes
·
View notes
Text
ভালো মানুষের সংখ্যা বাড়ানোর আন্দোলন চাই
ড. মুহম্মদ মাসুম চৌধুরী সমগ্র পৃথিবী দ্রুত উন্নতি হচ্ছে, হবে, হতেই থাকবে কিন্তু মানুষের নৈতিক উন্নতি হচ্ছে না। ভেজালের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। মাছ ভেজাল, মাংস ভেজাল, সবজী ভেজাল, ঔষধ ভেজাল,পরিবেশ ভেজাল, এমন কী ফরমালিনও ভেজাল হয়ে পড়েছে। ‘ফরমালিন’ নামক ক্যামিকেলটির ভালো একটা দাম থাকার কারণে খাদ্যে এটি ব্যবহার না করে লাশ না পচার ক্যামিকেল ব্যবহার করা হচ্ছে। যে শিক্ষক নৈতিকতা শিক্ষা দিবে তাদের নিকট…
View On WordPress
0 notes
Text
শুক্রবার, ৪ নভেম্বর ২০২২
গত কয়েকদিন ধরে আমি ঠিক নাই। দুইদিন পর ঠিকমত চুল আঁচড়ালাম। সকালে তো চিন্তা আর টেনশনে দম বন্ধ হয়ে আসছে প্রায় অবস্থা।
বেশি বিপদের থাকলে মধ্যে আমি আবার ফেসবুকে বেশি পোস্ট শেয়ার দিয়ে ফেলি। এই কয়েকদিনেও তাই করেছি।
চিন্তাটা হলো আমি সম্ভবত ইয়ারফোনের ছোট রাবারটা কোনভাবে বাম কানের খুব ভিতরে ঢুকায়ে ফেলছি। আঙ্গুল গভীরে দিলে হালকা ফিল করতে পারি। পুরোনো ইয়ারফোনের হবে, ঐটা আমি ভালোমত চেক না করে ফেলে দিছিলাম। শিওর না। এখন যদি ঐটাই হয় তবে আমি জানি না আমার কানের কি হবে।
গতকাল কানের ডাক্তারের কাছে গিয়ে ৮৫০ টাকা খরচ করে আসলাম। ডাক্তার বলতেছে এটা ইয়ারফোন না, দুইকানে বেশি ময়লা জমছে সেজন্য নাকি। ৫ দিন পরে গেলে কান ওয়াশ করায়ে দিবে।
এখন আমি খুব ভয়ে আছি। রাতে স্বপ্নে কান আর ইয়ারফোন ই দেখি। বাসায়ও জানাই নাই। জীবনেও আর ইয়ারফোন ইউজ করবো না। অনেক শিক্ষা হইছে।
এখন যদি সত্যিই ইয়ারফোন হয়ে থাকে তবে এটা ভালোয় ভালোয় বের করতে পারলেই হয়। আল্লাহ��� জানে কি ঘটবে, এর পিছনে কত দিন, কত চিন্তা আর কত টাকা খরচ হবে!
তবে জুহির সাথে যাওয়ায় এ কয়েকদিন হাউজিং, বালুর মাঠ, পুকুর পাড়ে ঘুরা হইছে। অনেক খাবারও খেলাম। ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, ভেলপুরী, টুইস্ট করা আলু ভাজা, স্পেশাল ঝালমুড়ি এসব।
কি যে অদ্ভুত কান্ড ঘটালাম। নিজেকে লিভিং মিম মনে হচ্ছে।
আবার আরেকদিকে যাকে পছন্দ করি, সে আর কোন খোঁজ-খবর নেয় না। আমিও নেই না। কেমন যেন লাগতেছে।
এখন মনের শান্তি মিলবে এই জিনিস কানের থেকে বের করতে পারলে। সবাই বলে ঢুকে থাকলেও বের করা যাবে। ডাক্তার ই বুঝতেছে না। এখন ৫ দিন পর গিয়ে আবার ভালোমত বুঝাতে হবে। ওয়াশ করে বের হয়ে আসলেও চলবে।
আল্লাহ রক্ষা করার মালিক।
1 note
·
View note
Text
What does Life teaches us ?
Nothing is yours. Allah send us for a short time to test. Can we take a single thing with us when we die? The answer is no without only Good Deeds. So keep doing good to Muslims and non muslims - this is the teaching of our beloved Prophet Muhammad ( Saw).
জগতের কোন কিছুই আমাদের না। আল্লাহ সুবহানাল্লাহুতাআলা আমাদেরকে কিছু সময়ের জন্য পরীক্ষা দিতে পাঠিয়েছেন। মৃত্যুর সময় কি আমরা সাথে করে কিছু নিয়ে যাবো? না কিছুই সাথে যাবে না একমাত্র সৎ কর্ম ছাড়া। তাই মুসলিম অমুসলিম সকলের প্রতি ভালো/ সৎ কাজ করতে থাকি, ইনশাআল্লাহ এটার পুরস্কার আল্লাহ স্বয়ং দিবে। নবী মুহাম্মদ সাঃ আমাদের এই শিক্ষা দেয়।
1 note
·
View note
Text
যুক্তরাজ্য ৩ লাখ ৬০ হাজার প্রান্তিক শিশুর শিক্ষার জন্য ৩৮.৫ মিলিয়ন পাউন্ড দিবে
যুক্তরাজ্য সরকার আট বছরে বাংলাদেশে ১ হাজার ৩০০টি শিক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে ২ লাখ ১০ হাজারেরও বেশি বালিকাসহ ৩ লাখ ৬০ হাজার প্রান্তিক শিশুকে শিক্ষা প্রদানের জন্য ৩৮.৫ মিলিয়ন পাউন্ড দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ইউনিসেফ-এর মাধ্যমে ‘এডুকেট দ্য মোস্ট ডিসঅ্যাডভান্টেজড চিলড্রেন (ইএমডিসি)’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন এ প্রকল্পে অর্থায়ন করবে। প্রকল্পটি ২০২৮ সালের মধ্যে শেষ হবে। বুধবার…
View On WordPress
0 notes