Tumgik
#মুহাম্মদ গাজী তারেক রহমান
kalombani · 5 years
Text
বাঙালী জাতির ইতিহাসে ভয়াবহ ট্র্যাজিডি; আজ পলাশী দিবস!
১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আমবাগানের তথাকথিত যুদ্ধে বাংলার স্বাধীন নবাব দেশীয় দোসরদের ষড়যন্ত্রে অত্যাচারি বৃটিশদের কাছে পরাজিত হয়। এর ফলে প্রায় ২০০ বছর আজকের বাংলাদেশসহ বিহার, উড়িষ্যা তথা ভারতবর্ষ বৃটিশদের অত্যাচারে জর্জরিত হয়। ১৭৫৭ সালের এইদিনে নদিয়া জেলার পলাশীর প্রান্তরে রবার্ট ক্লাইভ, রায়দুর্লভ, ইয়ার লতিফ, মীর জাফর ও জগৎ শেঠ চক্র এই কালো দিবসের জন্ম দেয়। বাঙালি জাতির ইতিহাসে ঘৃণিত কলঙ্কজনক এই প্রাসাদ প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের অধ্যায় সৃষ্টির পেছনে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল বিশ্বাসঘাতক জগৎ শেঠ, মীরজাফর, মাহতাব চাঁদ, উমিচাঁদ বা আমির চন্দ, মহারাজা স্বরূপচাঁদ, ইয়ার লতিফ, রায়দুর্লভ, ঘসেটি বেগমের ক্ষমতার লোভ। রাজা রাজবল্লভ, মহারাজ নন্দকুমার, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়, রানী ভবানী প্রমুখের কৌশলী চক্রও এর পেছনে প্রচ্ছন্ন ছিল। যুদ্ধক্ষেত্রে এই স্বার্থান্বেষী ষড়যন্ত্রীদের শিকার ছিলেন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিপাহসালার নবাব সিরাজউদ্দৌলা এবং তার বিশ্বস্ত সেনাপতি বকসী মীরমদন, প্রধান আমাত্য মোহনলাল কাশ্মিরী ও নবে সিং হাজারী। সেদিন ছিল বৃহ¯পতিবার। কিন্তু তা অন্যসব দিনের চেয়ে ছিল আলাদা। কারণ ওইদিন মুর্শিদাবাদ থেকে ১৫ ক্রোশ দক্ষিণে ভাগিরথী নদীর তীরে পলাশীর আম্রকাননে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যাসহ পুরো উপমহাদেশের স্বাধীনতার কবর রচিত হয়েছিল। ২৩ জুন পলাশীর প্রান্তরে নবাব সিরাজউদ্দৌলা ও লর্ড ক্লাইভের মধ্যে এক যুদ্ধ নাটক মঞ্চায়িত হয়। ইতহাসে যা পলাশীর যুদ্ধ নামে খ্যাত হলেও বাস্তবে তা ছিল দাংগা। ঐতিহাসিকদের মতে নবাববাহিনী একটি করে ঢিল ছুঁড়লেও ইংরেজ সেনারা গুঁড়ো হয়ে যেত, তাদের সংখ্যা এতই কম ছিল। এতে নবাব বাহিনীর পক্ষে সৈন্যসংখ্যা ছিল প্রায় ৬৫ হাজার এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কো¤পানির পক্ষে ছিল মাত্র ৩ হাজার। কামানেও সিরাজদৌলার সংখ্যাধিক্য ছিল। যুদ্ধের ময়দানে নবাব সিরাজউদ্দৌলার প্রধান সেনাপতি মীরজাফর ও তার অনুসারী প্রায় ৪৫ হাজার সৈন্য নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। ফলে যুদ্ধে স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তির পরাজয় অনিবার্য হয়ে দাঁড়ায়। যদিও সাহসী সেনাপতি মীরমদন এবং বিশ্বস্ত দেওয়ান মোহনলাল, ফরাসি সেনাপতি সিনফ্রেকে সাথে নিয়ে প্রাণপণ লড়াই চালান। যুদ্ধে মীরমদন কামানের গোলার আঘাতে মারা যান এবং মোহনলাল আহত হন। মীরমদন মোহনলালের সেনারাই রবার্ট ক্লাইভের বাহিনীকে পর্যুদস্ত করে ফেলেছিল প্রায়। কিন্তু নবাব সিরাজ মীরজাফরের ভুল এবং অসৎ পরামর্শে যুদ্ধ বন্ধ রাখার আদেশ দেন। এতে নবাববাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ইস্ট ইন্ডিয়া কো¤পানি তাদের সেবাদাসদের সাহায্যে এভাবেই বাংলায় আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। এরপর সাম্রাজ্যবাদী শক্তি দীর্ঘ ১৯০ বছর এদেশে শাসন শোষণ করে। কোটি কোটি টাকার অর্থ স¤পদ ইংল্যান্ডে পাচার করে। বাংলা থেকে লুটকৃত পুঁজির সাহায্যে ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লব ঘটে। আর এককালের প্রাচ্যের স্বর্গ সোনার বাংলা পরিণত হয় শ্মশান বাংলায়, স্থান পায় বিশ্বের দরিদ্রতম দেশে। এ যুদ্ধের রাজনৈতিক ফলাফল ছিল ধ্বংসাত্মক ও সুদূরপ্রসারী। এ যুদ্ধের পরে বক্সারের যুদ্ধ জয়ের মাধ্যমে ধীরে ধীরে বাংলা ব্রিটিশদের অধিকারে চলে আসে। বাংলা অধিকারের পর ক্রমান্বয়ে ব্রিটিশরা পুরো ভারতবর্ষ এমনকি এশিয়ার অন্যান্য অংশও নিজেদের দখলে নিয়ে আসে। পলাশীর রক্তাক্ত ইতিহাস, পরাধীনতার ইতিহাস, মুক্তিসংগ্রামীদের পরাজয়ের ইতিহাস, ষড়যন্ত্র ও বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস, ট্রাজেডি ও বেদনাময় এক শোক স্মৃতির ইতিহাস। এই নৃশংস ও কলঙ্কজনক ঘটনার মাধ্যমে কলকাতা কেন্দ্রিক একটি নতুন উঠতি পুজিঁপতি শ্রেণী ও রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটে। ইংরেজ ও তাদের এদেশীয় দালালগোষ্ঠী দেশবাসীর ওপর একের পর এক আগ্রাসন চালায়। ফলে দেশীয় কৃষ্টি-সৃংস্কৃতি, শিল্প ও সামাজিক জীবনে ব্যাপক বিপর্যয় নেমে আসে। বিকাশমান ব্যবসা-বাণিজ্য ও চাকরির ক্ষেত্রে তারা মরণ কামড় দেয়। পলাশী বিপর্যয়ের পর শোষিত বঞ্চিত শ্রেণী একদিনের জন্যও স্বাধীনতা সংগ্রাম বন্ধ রাখেনি। এ জন্যই বৃটিশ কর্তৃপক্ষ সাধারণ জনগণকেই একমাত্র প্রতিপক্ষ মনে করত। ফলে দীর্ঘ দুইশ’ বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রামের ফলে বৃটিশরা লেজ গুটাতে বাধ্য হয়। পরে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান ও ভারত নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র জন্মলাভ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে নিয়ে নানা রকমের রটনা থাকলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি ছিলেন বাংলা বিহার উড়িষ্যার অন্যতম স্বাধীনচেতা নবাব। যিনি বিশ্বাসঘাতকদের ষড়যন্ত্রের কারণে স্বাধীনতা রক্ষা করতে পারেননি ঠিকই তবে স্বাধীন ভারতবর্ষের জন্য তার মন আজও কাঁদে। আর তাই ইতিহাসের এই দিনে কবিমনে কাব্য ভাষায় পঠিত এই কবিতা-
মরেনি সিরাজ উদ দৌলা জেগে আছে বাংলায় এখনও দেশপ্রেম জ্বালায় মুখ বুজে কাঁদে; আর বুক থাবড়ায়। এখনও চিৎকার করে উঠে বাংলার তরে সাহস যোগায়; বাংলার ঘরে ঘরে।
আর বলে উঠে আজও সবে জেগে উঠো সময় হয়েছে আজি রায় বল্লব-মীর জাফরেরে চড়াবো গলায় ফাঁসি।
ওরা এখনো মরেনি ষড়যন্ত্রের জাল চলছে এখনও বুনে নব্য বেনিয়ারে তুলে দিতে দেশ বসে আছে র্ঘ কোণে!
সিরাজ হুংকার ছেড়ে বলে “আমার রাজ্যে জুলুম চালাও জালিমের মোটা ঘাড়ে।”
প্রতি রাতের আঁধারে আজও সিরাজ উদ দৌলা জাগে নবাবের ভয়ে জালিমের বুক পালিয়ে পালিয়ে ভাগে।
আজও সিরাজ উদ দৌলা তরবারী হাতে পলাশীর প্রান্তরে বাংলা বাঁচাতে রণ সাঁজে সেঁজে ছুটে চলে ধূম বেগে।
সিরাজ উদ দৌলা মরেনি এখনও, যে বলেরে সিরাজ নাই তুই রায় বল্লব, ঘাতক জাফর হতে পারিস না আমার ভাই।
সিরাজ জেগে উঠে বাংলার পথে ঘাটে বিহার, উড়িষ্যা, বাংলা সহ মহাসিন্ধুর মাঠে মাঠে। খুঁজে ফিরে শুধু বেনিয়ার দল দাঁত চেপে শুধু কাটে, খোলা তরবারী হাতে নিয়ে ঘুরে পলাশীর সেই মাঠে।
সিরাজের ঘোড়ার খুরের ধুবানি ধুলাতে বাতাস উড়ায়, সিরাজ উদ দৌলা যুদ্ধের লাগি সত্য ছড়িয়ে বেড়ায়।
আজও সিরাজের সেনা মীর মর্দান- মোহন লালেরা কাঁদে প্রতিশোধ আগুন ধূপ ছাড়া জ্বলে ফাটায় অগ্নিরোষে।
সিরাজ উদ দৌলা বলে, দুঃখকে মুচে আমরা সবাই; উঠবো আবার জেগে। আজও সিরাজ উদ দৌলা রাত জাগা ভোরে কাত্রে কাত্রে কয়, শত্রু তাড়াতে সত্যের লাগি পেয়োনা কখনো ভয়।
তাইতো সিরাজ মরেনি এখনও এই বাংলায় আজও আছে, দেশ নিয়ে ভেবো দেখবে তখনি সিরাজের ঘোড়া ডাকে।
ইতিহাস সূত্র: উইকিপিডিয়া, সম্পাদনা: মুহাম্মদ গাজী তারেক রহমান, কবি, লেখক ও সাংবাদিক, টঙ্গী সরকারি কলেজ। via Blogger http://bit.ly/2WWP3k7
0 notes
aymanism · 6 years
Text
টাইমলাইন এ রাখা দরকার তাই -
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যে ৫০০টি বই পড়া উচিত বলে মনে করে :
তালিকা তৈরি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া বেশ কিছু শিক্ষার্থীরা । আপনি মিলিয়ে নিতে পারেন ।
---
১. যদ্যপি আমার গুরু - আহমদ ছফা
২. বদলে যান এখনই - তারিক হক
৩. রাজনৈতিক আদর্শ - বার্ট্রান্ড রাসেল
৪. আর্ট অব ওয়ার - সান জু
৫. অন দ্য শর্টনেস অব লাইফ - সেনেকা
৬. বেগম মেরী বিশ্বাস - বিমল মিত্র
৭. কবি - তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
৮. সুবর্ণলতা - আশাপূর্ণা দেবী
৯. নারী - হুমায়ুন আজাদ
১০. প্রদোষে প্রাকৃতজন - শওকত আলী
১১. দ্যা লস্ট সিম্বল - ড্যান ব্রাওন
১২. জননী - শওকত ওসমান
১৩. গোরা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৪. পথের দাবী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১৫. পাক সার জমিন সাদ বাদ - হুমায়ুন আজাদ
১৬. নারী - হুমায়ুন আজাদ
১৭. মা - ম্যাক্সিম গোর্কি
১৮. সংগঠন ও বাঙালি - আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
১৯. গাভী বিত্তান্ত - আহমদ ছফা
২০. দ্য অ্যালকেমিস্ট - পাওলো কোয়েলহো
২১. এইসব দিনরাত্রি - হুমায়ূন আহমেদ
২২. অসমাপ্ত আত্নজীবনী - শেখ মুজিবুর রহমান
২৩. আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর - আবুল মনসুর আহমদ
২৪. বাংলাদেশ রক্তের ঋণ - এন্থনি মাসকারেনহাস
২৫. ছোটদের রাজনীতি ও অর্থনীতি - অধ্যাপক নীহারকুমার সরকার
২৬. বাংলাদেশের ইতিহাস ১৯০৫-১৯৭১ - ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন
২৭. যোগাযোগ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২৮. ফেরা - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
২৯. অগ্নিরথ - সমরেশ মজুমদার
৩০. শিকল অন্তরে- জাঁ পল সার্ত্রে
৩১. আমি বিজয় দেখেছি - এম আর আখতার মুকুল
৩২. কলকাতা কেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবী - এম আর আখতার মুকুল
৩৩. আমার দেখা দেশ, সমাজ ও রাজনীতির তিনকাল - সাদ আহমেদ
৩৪. কবির আত্মবিশ্বাস - আল মাহমুদ
৩৫. জীবনের শিলান্যাস - সৈয়দ আলী আহসান
৩৬.গঙ্গাঋদ্ধি থেকে বাংলাদেশ - মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
৩৭. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে 'র' এবং সিআইএ -মাকসুদুল হক
৩৮. বাঙালী জাতীয়তাবাদ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ -আবদুল হক
৩৯. সুখ - বাট্রার্ন্ড রাসেল
৪০. অনুস্মৃতি - পাবলো নেরুদা
৪১. জোছনা ও জননীর গল্প - হুমায়ূন আহমেদ
৪২. দেয়াল - হুমায়ূন আহমেদ
৪৩. সাতকাহন -সমরেশ মজুমদার
৪৪. উত্তরাধিকার - সমরেশ মজুমদার
৪৫. কালবেলা- সমরেশ মজুমদার
৪৬. কালপুরুষ- সমরেশ মজুমদার
৪৭. দূরবীন - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৪৮. মানবজমিন - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৪৯. যাও পাখি - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৫০.পার্থিব - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৫১. আরণ্যক - বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়
৫২. পথের পাঁচালী - বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়
৫৩. আদর্শ হিন্দু হোটেল- বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়
৫৪. সত্যবতী ট্রিলজি- আশাপূর্ণা দেবী
৫৫. পূর্ব-পশ্চিম - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
৫৬. প্রথম আলো:সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
৫৭. বাদশাহ নামদার - হুমায়ূন আহমেদ
৫৮. মা - আনিসুল হক
৫৯. একাত্তরের দিনগুলি - জাহানারা ইমাম
৬০. বরফ গলা নদী - জহির রায়হান
৬১. বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস : সাম্প্রতিজ বিবেচনা - আহমদ ছফা
৬২. প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ - আরিফ আজাদ
৬৩. তুমিও জিতবে - শিব খেরা
৬৪. ডাকঘর - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৬৫. সেপিয়েন্স - ইউভ্যাল নোয়া হারারি
৬৬. যে গল্পের শেষ নেই - দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়
৬৭. অরিজিন অফ স্পিসিস - চার্লস ডারউইন
৬৮. ক্যাপিটাল - কার্ল মার্ক্স
৬৯. পরিবার, রাষ্ট্র ও ব্যক্তিগত সম্পদের উদ্ভব - ফ্রেড্রিখ এঙ্গেলস
৭০. ওঙ্কার - আহমেদ ছফা
৭১. এক জেনারেলের নীরব সাক্ষী - জেনারেল মঈন আহমেদ
৭২. রক্তাক্ত বাংলাদেশ - ব্রিগেডিয়ার এম সাখাওয়াত হোসেন
৭৩. আহমদ ছফার প্রবন্ধসমগ্র
৭৪. রাইফেল রোটি আওরাত - আনোয়ার পাশা
৭৫. বায়তুল্লাহর মুসাফির - আবু তাহের মিসবাহ
৭৬. ভিঞ্চি কোড - ড্যান ব্রাউন
৭৭. তোমাকে ভালবাসি হে নবী - গুরুদত্ত সিং
৭৮. উইংস অব ফায়ার - এপিজে আবুল কালাম আজাদ
৭৯. তেঁতুল বনে জোৎস্না - হুমায়ূন আহমেদ।
৮০. ধৈর্য ও কৃতজ্ঞতার সুফল - হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী ( রহঃ)
৮১. অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী - আহমদ ছফা
৮২. মহৎ জীবন - লুৎফর রহমান
৮৩. মানব - লুৎফর রহমান
৮৪. উন্নত জীবন - লুৎফর রহমান
৮৫. জলেশ্বরী -ওবায়েদ হক
৮৬. সংস্কৃতি-কথা - মোতাহের হোসেন চৌধুরী
৮৭. Sapiens: A Brief History of Humankind - Yuval Noah Harari
৮৮. অলৌকিক নয় লৌকিক - প্রবীর ঘোষ
৮৯. হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি - গোলাম মুরশিদ
৯০. উল্টো নির্ণয়- মোহাম্মদ তোয়াহা আকবর
৯১. enjoy your life - আব্দুর রহমান আরিফী
৯২. বিশ্ব রাজনীতির ১০০ বছর- তারেক শামসুর রেহমান
৯৩. নয়া বিশ্বব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি - তারেক শামসুর রেহমান
৯৪. সিনিয়র জুনিয়র- খায়রুল ইসলাম
৯৫. কষ্টিপাথর- আরেফিন সিদ্দিক
৯৬. ডাবল স্টান্ডার্ড- আরেফিন সিদ্দিক
৯৭. আরজ আলী সমীপে- আরিফ আজাদ
৯৮. আঙ্কেল টম'স কেবিন - হ্যারিয়েট বিচার স্টো
৯৯. গর্ভধারিণী - সমরেশ মজুমদার
১০০. বিষাদসিন্ধু - মীর মশাররফ হোসেন
১০১. ফেলুদা সমগ্র - সত্যজিৎ রায়
১০২. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা - সৈয়দ আবুল মকসুদ
১০৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস : আদিপর্ব - শিশির ভট্টাচার্য
১০৪. গনতন্ত্র ও উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ - মওদুদ আহমেদ
১০৫. দ্য পার্ল - জন স্টেনবেইক
১০৬. অগ্নিবীণা - কাজী নজরুল ইসলাম
১০৭. বিষের বাঁশী - কাজী নজরুল ইসলাম
১০৮. সাম্যবাদী - ক��জী নজরুল ইসলাম
১০৯. প্রলয় শিখা - কাজী নজরুল ইসলাম
১১০. ছায়ানট - কাজী নজরুল ইসলাম
১১১. মৃত্যুক্ষুধা - কাজী নজরুল ইসলাম
১১২. সিন্ধু-হিন্দোল - কাজী নজরুল ইসলাম
১১৩. বাঙালি বলিয়া লজ্জা নাই - হায়াৎ মামুদ ১১৪. দেবদাস - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১১৫. মুক্তিযুদ্ধের বয়ানে ইসলাম - পিনাকী ভট্টাচার্য
১১৫. প্রেমের কবিতা - নির্মলেন্দু গুণ
১১৬. উপমহাদেশ - আল মাহমুদ
১১৭. কাবিলের বোন - আল মাহমুদ
১১৮. মাতাল হাওয়া - হুমায়ূন আহমেদ
১১৯. ওঙ্কার - আহমদ ছফা
১২০. একজন আলী কেনানের উত্থানপতন - আহমদ ছফা
১২১. আনোয়ারা- নজিবুর রহমান সাহিত্যরত্ন
১২২. ক্রীতদাসের হাসি - শওকত ওসমান
১২৩. পুতুল নাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
১২৪. পদচিহ্ন - সত্যেন সেন
১২৫. আল কুরআন
১২৬. বাইবেল
১২৭. মহাভারত
১২৮. রামায়ণ
১২৯. আল কুরআন, বাইবেল ও বিজ্ঞান - ড.মরিস বুকাইলি
১৩০. অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
১৩১. আনন্দমঠ - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১৩২. গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৩৩. বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ১০০ মনীষীর জীবনী - মাইকেল এইচ হার্ট
১৩৪. কত অজানারে - শংকর
১৩৫. মূলধারা একাত্তর - মইদুল ইসলাম
১৩৬. গীতা
১৩৭. তাও তে চিং - লাও ৎসে
১৩৮. মুকাদ্দিমা - ইবনে খালদুন
১৩৯. রিপাবলিক - প্লেটো
১৪০. Alchemy of happiness - Imam Gazzali
১৪১. Hamlet - Wiliam Shakespeare
১৪২. Faust - Goethe.
১৪৩. বাংলাদেশ সংবিধান
১৪৪. Outliers- Malcolm Gladwell
১৪৫. How to win friends and influence people - Dale Carnegie
১৪৬. Rich dad poor dad - Robert kiyosaki.
১৪৭. The oldman and the Sea - Ernest Hemingway.
১৪৮. The Globalization of Inequality - Francois Bourguignon
১৪৯. শুভ্রসমগ্র - হুমায়ূন আহমেদ
১৫০. ফেরা - সিহিন্তা শরিফা
১৫১. The God of Small Things - Arundhati Ray
১৫২. লা মিজারেবল - ভিক্টর হুগো
১৫৩. A Glimpse of The World History-Jawharlal Neheru
১৫৪. জননী- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
১৫৫. শেষের কবিতা- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৫৬. The Subtle Art of Not Giving a F*ck - Mark Manson
১৫৭. ক্রাচের কর্নেল - শাহাদুজ্জামান
১৫৮. পুষ্প বৃক্ষ বিহঙ্গ পুরাণ - আহমদ ছফা
১৫৯. সারেং বউ - শহীদুল্লাহ কায়সার
১৬০. শবনম - সৈয়দ মুজতবা আলী
১৬১. সূর্য দীঘল বাড়ি - আবু ইসহাক
১৬২. সব কিছু ভেঙগে পড়ে - হুমায়ুন আজাদ
১৬৩. সপ্তপদী - তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়
১৬৪. গণদেবতা - তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়
১৬৫. জলপুত্র - হরিশংকর জলদাস
১৬৬. জাগরী - সতীনাথ ভাদুরী
১৬৭. ভয়ের সাংস্কৃতি - আলী রিয়াজ
১৬৮. ক্ষুধা - নুট হ্যামসন
১৬৯. ছোটগল্প সমগ্র - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
১৭০. নুন চা – বিমল লামা
১৭১. রাজনগর - অমিয়ভূষণ মজুমদার
১৭২. গড় শ্রীখন্ড - অমিয়ভূষণ মজুমদার
১৭৩. ক্রান্তিকাল - প্রফুল্ল রায়
১৭৪. কেয়াপাতার নৌকা - প্রফুল্ল রায়
১৭৫. মহাস্থবির জাতক - প্রেমাঙ্কুর আতর্থী
১৭৬. আরজ আলি মাতুব্বরের রচনাসমগ্র
১৭৭. গৃহদাহ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১৭৮. দেনাপাওনা- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১৭৯. শ্রীকান্ত- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১৮০. ভোলগা থেকে গঙ্গা - রাহুল সাংকৃত্যায়ন
১৮১. নারী, সৃষ্টি ও বিজ্ঞান - পূরবী বসু
১৮২. ঈশ্বরের বাগান - অতীন বন্দোপাধ্যায়
১৮৩. নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে - অতীন বন্দোপাধ্যায়
১৮৪. আয়না - আবুল মনসুর আহমদ।
১৮৫. ত্রিপিটক - গৌতমবুদ্ধ
১৮৬. গঙ্গা - সমরেশ বসু
১৮৭. প্রজাপতি - সমরেশ বসু
১৮৮. কবি অথবা দন্ডিত অপুরুষ - হুমায়ূন আজাদদ
১৮৯. খেলারাম খেলে যা - সৈয়দ শামসুল হক
১৯০. তিস্তাপারের বৃত্তান্ত - দেবেশ রায়
১৯১. উদ্ধারণপুরের ঘাট - দুলালচন্দ্র মুখোপাধ্যায়
১৯২. বারো ঘর এক উঠোন - জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী
১৯৩. নকশীকাঁথার মাঠ - জসীমউদদীন
১৯৪. বাঙালি মুসলমানের মন - আহমদ ছফা
১৯৫. লৌহকপাট - জরাসন্ধ
১৯৬. অন্তর্লীনা - নারায়ণ সান্যাল
১৯৭. খোয়াবনামা - আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
১৯৮. চিলেকোঠার সেপাই - আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
১৯৯. সঞ্চয়িতা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২০০. সঞ্চিতা - কাজী নজরুল ইসলাম
২০১. মেমসাহেব - নিমাই ভট্টাচার্য
২০২. লালসালু - সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
২০৩. কাঁদো নদী কাঁদো - সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
২০৪. হাজার বছর ধরে - জহির রায়হান
২০৫. দৃষ্টিপাত - যাযাবর
২০৬. তেইশ নম্বর তৈলচিত্র - আলাউদ্দিন আল আজাজ
২০৭. লোটা কম্বল - সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
২০৮. কড়ি দিয়ে কিনলাম - বিমল মিত্র
২০৯. ন হন্যতে - মৈত্রেয়ী দেবী।
২১০. তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ
২১১. ওদের জানিয়ে দাও - শাহরিয়ার কবির
২১২. কেরী সাহেবের মুন্সী - প্রমথনাথ বিশী
২১৩. নিষিদ্ধ লোবান - সৈয়দ শামসুল হক
২১৪. সেই সময় - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
২১৫. নন্দিত নরকে - হুমায়ূন আহমেদ
২১৬. শঙ্খনীল কারাগার - হুমায়ূন আহমেদ
২১৭. জেনারেল ও নারীরা - আনিসুল হক
২১৮. ছাপ্পান্নো হাজার বর্গমাইল - হুমায়ুন আজাদ
২১৯. গোধূলিয়া - নিমাই ভট্টাচার্য
২২০.আগুনপাখি - হাসান আজিজুল হক
২২১. পদ্মা নদীর মাঝি - মানিক বন্দোপাধ্যায়
২২২. নূরজাহান - ইমদাদুল হক মিলন
২২৩. আবদুল্লাহ - কাজী ইমদাদুল হক
২২৪. শেষ বিকেলের মেয়ে - জহির রায়হান।
২২৫. তিথিডোর - বুদ্ধদেব বসু
২২৬. দেশ বিদেশে - সৈয়দ মুজতবা আলী
২২৭. পঞ্চম পুরুষ - বাণী বসু
২২৮. মাধুকরী - বুদ্ধদেব গুহ
২২৯. হাজার চুরাশির মা - মহাশ্বেতা দেবী
২৩০. ঈশ্বর পৃথিবী ভালোবাসা - শিবরাম চক্রবর্তী
২৩২. শাপ মোচন - ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়
২৩৩. আমার মেয়েবেলা - তসলিমা নাসরিন
২৩৪. উতল হাওয়া - তাসলিমা নাসরিন
২৩৫. সংশপ্তক - শহীদুল্লাহ কায়সার
২৩৬. জীবন আমার বোন - মাহমুদুল হক
২৩৭. উপনিবেশ - নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়
২৩৮. অলীক মানুষ - সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ
২৩৯. মরণবিলাস - আহমদ ছফা
২৪০. কালের নায়ক - গাজী তানজিয়া
২৪১. আমি তপু - মুহম্মদ জাফর ইকবাল
২৪২. আকাশ বাড়িয়ে দাও - মুহম্মদ জাফর ইকবাল
২৪৩. আমার বন্ধু রাশেদ - মুহম্মদ জাফর ইকবাল
২৪৪. অনীল বাগচীর একদিন - হুমায়ূন আহমেদ
২৪৫. জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক স্মারকগ্রন্থ
২৪৬. ফুল বউ - আবুল বাশার
২৪৭. নিশি কুটুম্ব - মনোজ বসু
4 notes · View notes
paathok · 3 years
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/138808
ভেদাভেদ ভূলে এক মঞ্চে বিপ্লব-আমিন-নদভী, তুললেন ঐক্যের হাতও
.
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিভিন্ন ইস্যুতে কখনো আমিন-নদভী, কখনো বিপ্লব-নদভী আবার কখনো বিপ্লব-আমিনের মধ্যকার বিরোধ নতুন নয়। দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও এসব বিরোধের কারণে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনে ছিল তিন নেতার অনুসারীদের দ্বিধা বিভক্তি।
নেতায় নেতায় দ্বিধা-দ্বন্দের কারণে দুই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাঠামো নড়-বড়ে হয়ে পড়েছিল। অতীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও ইউপি নির্বাচনে এসব দ্বিধা-দ্বন্দের খেসারত দিতে হয়েছে খোদ দলীয় প্রতিকের মনোনয়ন পাওয়া নৌকার প্রার্থীদেরও।
দলীয় এ কোন্দলের কারণে নৌকার মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীদের ভরাডুবির নজিরও রয়েছে এ দুই উপজেলায়। বিষয়টি দলীয় হাইকমান্ডের নজরে আসার পর দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি ও চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি’র নেতৃত্বে ঢাকায় সমঝোতা বৈঠক করে এসব বিরোধ মিমাংসার উদ্যোগ নেন। কিন্তু এ বৈঠকের পর নেতায়-নেতায় দুরত্ব কমলেও নেতার অনুসারীদের বিরোধ ঠিকই রয়ে যায়। এবার চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি’র মধ্যস্থতায় লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা ও মেজবানে মাঠ পর্যায়ে তিন নেতার অনুসারীদের বিরোধ ও দ্বন্দ মেঠাতে ভেদাভেদ ভুলে তিন নেতা বিপ্লব-আমিন- নদভীকে এক মঞ্চে তুললেন মোছলেম উদ্দিন আহমদ।
মঞ্চে তুললেন ঐক্যের হাতও। তিন নেতার বক্তব্যেও ছিল একই সুর, ডাক দিলেন ঐক্যের। শোক সভা পরিণত হয় জনসভায় এবং ঐক্যের সভায়।
সোমবার (৩০ আগষ্ট) সোমবার দুপুর ১২ টায় স্থানীয় আলহাজ্ব মােস্তাফিজুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভা, ত্রাণ বিতরণ ও মেজবান অনুষ্ঠিত হয়।
.
এ সময় সভার প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি’র নেতৃত্বে একসাথে মঞ্চে উঠেন তিন নেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এবং সাতকানিয়া- লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।
এসময় মঞ্চে উঠেই প্রধান অতিথি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি তিন নেতার হাত তুলে নেতাকর্মীদের অভিবাদন জানান।
লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন হিরুর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য জননেতা মোছলেম উদ্দিন আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এবং সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মাদ নেজামুদ্দীন নদভী। প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।
এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পিপি অ্যাডভোকেট এ. কে. এম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা হারুন লুবনা, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এম. এ মোতালেব সিআইপি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক বিজয় কুমার বড়ুয়া, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জান মোহাম্মদ সিকদার, নুরুচ্ছাফা চৌধুরী, শ্রীনিবাস দাশ সা��র, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাশেম মিয়া, ফরিদ আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান মিন্টু, মুজিবুর রহমান মুজিব, দপ্তর সম্পাদক তৈয়বুল হক বেদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক এমএস মামুন, কলাউজান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী ইছহাক মিয়া, পুটিবিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক ও বড়হাতিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রিটন বড়ুয়া রোনা প্রমুখ।
সভায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ, লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের পাচঁ হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি বলেন, পাকিস্তান সরকার এদেশের মানুষের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে। বাঙ্গালি জাতিকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক করে রেখেছিল। তাদের এ আচরণের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম গ��ে তুলেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙ্গালির মুক্তির ৬দফা দিয়ে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষের মধ্যে জাগরণ সৃষ্টি করেছিলেন। আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের স্বীকৃতি পেয়েছে। ১৯৭০ এর নির্বাচনে নৌকায় ব্যাপক ভোট দিয়েছে।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মোছলেম উদ্দিন আহমদ বলেন, একে অপরের বিরুদ্ধাচারণ করলে দল ও জাতির ক্ষতি হবে। নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে দলের সকলকে ঐক্যদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। নৌকার বিজয় অব্যহত রাখতে হবে। ঐক্যই হচ্ছে আওয়ামী লীগের মুল শক্তি। দলীয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
সভার বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ২২ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কারা হত্যার এই ষড়যন্ত্র করেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট হামলা চালাতে তারেক রহমান, মন্ত্রী লুৎফুর রহমান বাবর, শিক্ষা-উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, মন্ত্রী আলী আহসান মুজাহিদ হাওয়া ভবনে বসে ১৪ আগস্ট নির্দেশ দিয়েছিল। এটি আমার কথা নয়, এই ঘটনার যারা গ্রেফতার হয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু খুনিদের বৈধতা দিতে সেদিন নেপথ্যের নায়ক জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার না করে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করেছিল।
তথ্য প্রযুক্তির কারণে অনেক তথ্য আমাদের সামনে চলে আসছে। বঙ্গবন্ধু খুনিরা ১৯৭৫ সালের ২০ মার্চ জিয়া রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল ষড়যন্ত্রকারীরা। সে সময় জিয়া বলেছিলেন ‘গো অ্যাহেড’।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীন বাংলার বয়স ৫০ বছর হয়েছে। এমন মুহুর্তে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী সারা পৃথিবীতে উদযাপন হচ্ছে। একই সঙ্গে জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকীও উদযাপিত হচ্ছে। কারণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু অভিন্ন সত্ত্বা। বঙ্গবন্ধু কন্যা ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে ফিরে আসলে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে গিয়ে পিতা ও মাতার জন্য কোনো মিলাদ পড়তে দেওয়া হয়নি। সে বন্ধুবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আজকে জনগণের ভোটে তিন বারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। সরকারের বিরুদ্ধে বার বার ষড়যন্ত্র হয়েছে, ষড়যন্ত্র চলছে। বিদেশী মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ও ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট ষড়যন্ত্রকারীরা যে ঘটনা ঘটিয়েছে, তখন মানবাধিকার নামের সংগঠনের সেসব লোকগুলো তখন কোথায় ছিলেন। জিয়াউর রহমান সরকারের আমলে এদেশের মানুষের কোন অধিকার ছিল না। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতন করা হয়েছে। তখন কিন্তু মনবাধিকার নেতারা কোন কথা বলেননি। সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অন্যথায় দল ও দেশের ব্যাপক ক্ষতি হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন বর্তমান বিশ্বের রোল মডেল।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাতকানিয়া- লোহাগাড়ার সংসদ সদস্য অধ্যাপক ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী বলেন, লোহাগাড়া-সাতকানিয়ায় উল্লেখযোগ্য কোন ক্ষোভ-বিক্ষোভ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল না। আগামীতে মনোনয়ন কে পাবে, আর কে পাবে না সেটি বড় কথা নয়। তবে দলের কাজ করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে। লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের এ সমাবেশে সকলের দাবি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দৃঢ় ঐক্য।
জঙ্গীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীদেরকে কাজ করতে হবে, সজাগ থাকতে হবে। জঙ্গীরা দেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, আগামীতেও এ ঐক্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
0 notes
crimebanglacom · 5 years
Text
উত্তরা প্রেস ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,এক মনচে থাকছেন ঢাকা উত্তরের রাজনৈতিক তারকারা
উত্তরা প্রেস ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,এক মনচে থাকছেন ঢাকা উত্তরের রাজনৈতিক তারকারা
মুহাম্মদ গাজী তারেক রহমান: আজ ১৮ এপ্রিল,২০১৯ ঢাকা ১৮ আসনের নব-নির্বাচিত মাননীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নব-নির্বাচিত মেয়র এবং ডিএনসিসিভূক্ত ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণকে সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বৃহত্তর উত্তরার দায়িত্বশীল সাংবাদিকদের সংগঠন ‘ উত্তরা প্রেস ক্লাব সোসাইটি’।
আজ বিকাল ৩টায় উত্তরা ৩ নং সেক্টরের রবীন্দ্র স্বরণীর পশ্চিম মাথা…
View On WordPress
0 notes
paathok · 4 years
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/119804
দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র আজ বিপন্ন: ডা. শাহাদাত
.
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আজ দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন, গণতন্ত্র বিপন্ন, মানবাধিকার নেই। দেশকে স্বাধীনতা করার জন্য যে স্বপ্ন দেখে যুদ্ধ করেছিল আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা। দুর্ভাগ্য তাদের সেই স্বপ্ন বাংলাদেশে এখনো পূরণ হয়নি। স্বাধীনতার মূল যে চেতনা ছিলো গণতান্ত্রিক, তা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে এই আওয়ামী লীগ সরকার। গণতন্ত্রহীন আজকের বাংলাদেশে গভীর সংকট দেখা দিয়েছে। বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকার মানুষের ভোটের অধিকারটা কেড়ে নিয়েছে। দেশের সর্বত্র আইন শৃঙ্খলার অবনতি, গুম, খুন, সরকারি দলের ক্যাডারদের অব্যাহত সন্ত্রাসে জনজীবন অতিষ্ঠ।
তিনি আজ শুক্রবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কালামিয়া বাজার ইপিক টাওয়ারের ১৮ নং পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরন ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
ডা.শাহাদাত হোসেন আরা বলেন, দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী হয়ে গেছে। প্রতিটা পণ্যের দাম চারগুন, পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। লুটপাটের জন্য তারা সিন্ডিকেট তৈরি করেছে এবং সেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে জনগণের টাকা লুটপাট করা হচ্ছে। তাই এ থেকে মুক্তি লাভের জন্য আমাদের যে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বেগবান করতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নাই।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, গণতন্ত্রের মুখোশ পরে এক ব্যক্তির শাসন চলছে। আওয়ামী লীগের সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। শুধুমাত্র জনগণকে বোকা বানানোর জন্য তারা গণতন্ত্রের মুখোশ পরে আছে। বিএনপিই হচ্ছে একমাত্র রাজনৈতিক দল, যে দল গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, আইনের শাসন ফিরিয়ে আনতে সংগ্রাম করে যাচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে কষ্ট করছেন, তারেক রহমান বিদেশে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। শুধুমাত্র গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। আজ মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। ইনশাআল্লাহ বিএনপির বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশে স্বৈরতন্ত্রের অবসান হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান বলেন,ভোটারবিহীন এই সরকার জবরদস্তির মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। তারা গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াকু নেতা-কর্মীদেরকে নির্মমভাবে দমন করছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকে নির্দয় ফ্যাসিবাদী শাসনের যাঁতাকলে পৈশাচিকভাবে পিষ্ট করছে।
১৮ নং পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ছগিরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এসএম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, কামরুল ইসলাম বাকলিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আফতাবুর রহমান শাহীন, নগর বিএনপির সহ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান, হাসেম সওদাগর, আলমগীর নুর, সদস্য আলী ইউসুফ, আব্দু সবুর, মুহাম্মদ ইউসুফ, বাকলিয়া থানা বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলমগীর, মুজিবুর রহমান, মহিলা দল নেত্রী কামরুন নাহার, মনোয়ারা মনু, কোহিনুর বেগম, নগর যুবদল নেতা আসাদুর রহমান টিপু, যুবদল নেতা মোহাম্মদ মুচা, মোহাম্মদ রাজু, মোহাম্মদ ইউনুস, ছাত্রদল নেতা গাজী মোঃ শওকত, এডভোকেট শাহেদ, সাজ্জাদ, মাহবুব, মোহাম্মদ ফারুক, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোহাম্মদ ইসহাক, মোহাম্মদ আলম, সহ বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ ।
0 notes
kalombani · 5 years
Text
প্রতিটি কারবালার পরেই মুসলিমদের বিজয় আসে”
বিশ্বের সবচেয়ে অধিক জনবহুল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ‘গেরুয়া জঙ্গিবাহিনীর উত্থান“’ গেরুয়া হামলা । গণতান্ত্রিক পদ্ধতির পূর্ব অবস্থায় মুসলিমরা ছয়’শ বছর শাসন করেছে ভারতবর্ষ, যা ইতিহাসের পাতায় ‘সম্প্রীতি কাকে বলে?’- এমন দৃষ্টান্ত স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে।
ভারতে ইসলাম ও মুসলিম শাসন : ইতিহাসের আলোকিত হাজার বছর
ইতিহাসে তারও পূর্বে, অর্থ্যাৎ মুসলমানদের ভারত শাসনের আগের শতাব্দীগুলো ছিল ‘ভারতবর্ষে হিন্দুদের অত্যাচার’এর লৌহমর্ষক বর্ণনা। যার কবল থেকে মুক্তি পেতে চেয়েছিল ভারতের বর্ষের কোটি কোটি হিন্দু, বৌদ্ধ ও পৌত্তলিকরা। আর এটিই ছিল ‘উগ্র হিন্দুদের জুলুম-নির্যাতন থেকে সাধারণ হিন্দু-বৌদ্ধদের মুক্তি পাওয়ার হৃদয় বিদারক আকুতি’। যা শেষ পর্যন্ত মহান পালনকর্তা ইতিহাস বিজয়ী বীর ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মন বিন বখতিয়ার খলজির মাধ্যমে সম্পন্ন করেছিলেন।
বখতিয়ার খিলজির বঙ্গ বিজয়
যদি ইতিহাস বলতে যাই, তাহলে আটশ’ খ্রিস্টাব্দের কথা মনে পড়ে যায়। তৎকালীন ভারতবর্ষ তথা সিন্ধু প্রদেশের অত্যাচারী রাজা দাহিরের কবল থেকে বিশাল এ জনপদ উদ্ধারে এসেছিল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লামের দূরদর্শিতার সৈনিক মুহাম্মদ বিন কাসিম রহ.। আর সে উদ্ধার করেছিল এ অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ নির্যাতিত পৌত্তলিকদের।
মুহাম্মদ বিন কাসিম: সিন্ধু বিজয়ের নায়ক
এভাবেই ইসলামের সুমহান বাণী ছড়িয়ে পড়েছে বিশাল ভারতবর্ষে। যা আজকের ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমারসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিশাল ভূখন্ড।
ইসলাম যেভাবে হিন্দুস্তানে আসে
তাই হাজার বেদনা আর রক্তস্রোতের মাঝে আশান্বিত করে এই যে, “প্রতিটি কারবালার পরেই মুসলিমদের বিজয় আসে”।
লেখক- মুহাম্মদ গাজী তারেক রহমান
ই-মেইল: [email protected]
আহ্বায়ক: সু-অধিকার
via Blogger http://bit.ly/2JEfGsa
0 notes
kalombani · 5 years
Text
জঙ্গীদের হুমকিতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই: ওসি
স্টাফ রিপোর্টার: সম্প্রতি উত্তরা পশ্চিম থানার উদ্যোগে উত্তরা ১১ নং সেক্টর কল্যাণ সমিতি কার্যালয়ে গণসংযোগ সপ্তাহ-২০১৯ সম্পন্ন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, উত্তরা বিভাগ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টা ৪৫ মিনিটে উত্তরা ১১ নং সেক্টর কল্যান সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোগল ভূইয়ার সঞ্চালনায় গণসংযোগ সপ্তাহের অনুষ্ঠিনটিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উত্তরা পশ্চিম থানার নব-নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তপন চন্দ্র সাহা। এ সময় তিনি উপস্থিত সেক্টরবাসীদের বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “আমি উত্তরায় ২০০৫ সাল থেকেই বসবাস করছি। সেই সুবাদে আমি আপনাদের এলাকার মানুষের মতই। তাই উত্তরার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখা আমার নৈতিক দায়িত্ব এবং সেই সাথে একজন পুলিশ অফিসার হিসেবে সব সময় অপরাধের বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়া আমার অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য বটে।”
মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবিরোধী গণসংযোগটিতে ওসি তপন চন্দ্র সাহা সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, জঙ্গীরা দেশ, জাতি তথা বিশ্ব মানবতার শত্রু। ইতোমধ্যে আপনারা জেনেছেন যে, ইসলামের নাম করে গড়ে ওঠা তথাকথিত আই এস জঙ্গি গোষ্ঠীরা তাদের ওয়েবসাইটে বাংলায় লিখেছে, “শীঘ্রই আসছি ইনশাআল্লাহ”। এই বার্তার মধ্য দিয়ে তারা এদেশেও অপতৎপরতার ছক কষছে, এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে, আপনাদের এলাকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে বলতে চাই, আপনারা আতঙ্কিত হবেন না বরং সতর্ক হোন। বাড়ি ভাড়া দেওয়ার সময় ভাড়াটিয়ার পূর্ণাঙ্গ জীবন বৃত্তান্ত তথ্য সংগ্রহ করুন এবং থানায় ভাড়াটিয়াদের তথ্য বিবরণী প্রদান করুন। যাতে করে সব সময় আপনাদের এলাকায় জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসমূলক কার্যক্রমরোধে আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ উত্তরা পশ্চিম থানা যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারি। নবনিযুক্ত ওসি তপন চন্দ্র সাহা বলেন, “পুলিশ প্রশাসনের সকল সাফল্যের মূলে জনগণের অবদান অনস্বীকার্য। পুলিশের সাফল্যের পেছনে মূল অবদান জনগণের। আর তাই উত্তরা ১১ নং সেক্টর বাসিন্দাদের প্রতি অনুরোধ রইল আমাদেরকে তথ্য দিয়ে আপনারা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করুন।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তপন চন্দ্র সাহা উপস্থিত বাড়িওয়ালা ও সেক্টরবাসীদের জঙ্গি ও সন্ত্রাস চিহ্নিতকরণ বিভিন্ন তথ্য পরামর্শ প্রদান করে বলেন, “উত্তরা জঙ্গিবাদের কোন ঠাই হবেনা। ভাড়াটিয়াদের মাঝে আলোচ্য উপসর্গ দেখা গেলে, দ্রুত পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করেন তিনি।
পরে উত্তরা ১১ নং সেক্টর কল্যান সমিতির সভাপতি ডাঃ মঈন উদদীন আহমদ ও সাধারণ স¤পাদক ৫১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ শরীফুর রহমান আগত অতিথিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অত্র গণসংযোগ সপ্তাহের কার্য সমাপ্ত ঘোষণা করেন। এর আগে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে রুঁখে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করে ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন বলে জানান উপস্থিত সেক্টরবাসীরা। এসময় ডিএমপি’র সচেতনতামূলক গণসংযোগ সপ্তাহ-২০১৯ এ অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, উত্তরা পশ্চিম থানার তদন্ত কর্মকর্তা কাজী আবুল কালাম, অপারেশন অফিসার আলমগীর গাজী, উত্তরা পশ্চিম থানা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান আকন্দ স্বপন, উত্তরা ১১নং সেক্টর কল্যাণ সমিতির দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবদুর রাজ্জাক, ক্রীড়া ও সা���স্কৃতিক সম্পাদক এবিএম আতিকুর রহমান মুরাদসহ সেক্টরের বাসিন্দাগণ।
/মুহাম্মদ গাজী তারেক রহমান
via Blogger http://bit.ly/2H34SkH
0 notes
kalombani · 5 years
Text
জঙ্গি প্রতিরোধে বাড়িওয়ালাদের সতর্ক হতে হবে: এডিসি
স্টাফ রিপোর্টার: ৩০ এপ্রিল, মঙ্গলবার উত্তরা পশ্চিম থানার উদ্যোগে উত্তরা ১১ নং সেক্টর কল্যাণ সমিতি কার্যালয়ে গণসংযোগ সপ্তাহ-২০১৯ সম্পন্ন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, উত্তরা বিভাগ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টা ৪৫ মিনিটে উত্তরা ১১ নং সেক্টর কল্যান সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোগল ভূইয়ার সঞ্চালনায় গণসংযোগ সপ্তাহের অনুষ্ঠিনটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন ডিএমপি উত্তরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার কামরুজ্জামান সরদার।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ উত্তরা পশ্চিম থানা কর্তৃক আয়োজিত গণসংযোগ সপ্তাহ ২০১৯ এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএমপি উত্তরা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার কামরুজ্জামান সরদার সন্ত্রাস ও জঙ্গিবিরোধী গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করে বলেন, “দেশের জনগণকে মনে রাখতে হবে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ বাংলাদেশের একক সমস্যা নয় বরং এটি আজ বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তাই আমাদেররও কাজের সময় হয়েছে। আপনারা যারা উত্তরাসহ সারা দেশের সম্মানিত নাগরিক রয়েছেন, আপনাদের কাছ থেকে আমরা শুধুমাত্র তথ্য সহযোগিতা চাই। যাতে করে ঢাকাসহ সারাদেশের সকল স্থানেই সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারি। এজন্য আমরা পুলিশ ও জনগণ আগের দিনগুলোর মত কাঁধে কাধ মিলিয়ে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ্।
ইতোপূর্বে জঙ্গি ও সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ড প্রতিরোধে বাড়ীওয়ালাদের প্রশংসা করে এডিসি কামরুজ্জামান সরদার বলেন, “চট্টগ্রামে সংগঠিত জঙ্গী কর্মকা- রুঁখে দিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছিল ওই বাড়ির মালিক। এজন্য উত্তরায় বসবাসরত সকল বাড়িওয়ালাকেও বাড়ি ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে।” তিনি বলেন, “আপনার বাড়িতে কোন প্রকার অনৈতিক, সন্ত্রাসী ও জঙ্গীমূলক কর্মকা- যাতে না ঘটে এজন্য বাড়িওয়ালাদের উচিত, ভাড়াটিয়াদের উপর সুদৃষ্টি রাখা এবং সেই সাথে নির্দিষ্ট সময় পর পর ফ্ল্যাট পরিদর্শন করা। ফলে আপনার বাড়িতে সকল প্রকার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার ঝুঁকিমুক্ত থাকবে।”
পরে উত্তরা ১১ নং সেক্টর কল্যান সমিতির সভাপতি ডাঃ মঈন উদদীন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক ৫১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ শরীফুর রহমান আগত অতিথিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অত্র গণসংযোগ সপ্তাহের কার্য সমাপ্ত ঘোষণা করেন। এর আগে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে রুঁখে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করে ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন বলে জানান উপস্থিত সেক্টরবাসীরা। এসময় ডিএমপি’র সচেতনতামূলক গণসংযোগ সপ্তাহ-২০১৯ এ অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, উত্তরা পশ্চিম থানার তদন্ত কর্মকর্তা কাজী আবুল কালাম, অপারেশন অফিসার আলমগীর গাজী, উত্তরা পশ্চিম থানা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান আকন্দ স্বপন, উত্তরা ১১নং সেক্টর কল্যাণ সমিতির দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবদুর রাজ্জাক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবিএম আতিকুর রহমান মুরাদসহ সেক্টরের বাসিন্দাগণ।
/মুহাম্মদ গাজী তারেক রহমান
via Blogger http://bit.ly/2LndMOe
0 notes
kalombani · 5 years
Text
রোজা পালনে গৃহকর্মীদের পর্যাপ্ত সুযোগ করে দিতে হবে: মাও. নাজমুল হাসান দা.বা.
স্টাফ রিপোর্টার: পবিত্র রমজান মাসে বাসা-বাড়িতে নিয়োজিত গৃহকর্মীদের রমজান পালনে সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য  সারাদেশের গৃহকর্তাদের আহ্বান জানিয়েছেন উত্তরা ১২ নং সেক্টরের বাইতুন নূর জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব ও জামিয়া বারিধারার ভাইস প্রিন্সিপাল খ্যাতনামা মুফাস্সির-এ-কুরআন হাফেজ মাওলানা নাজমুল হাসান দা.বা.। ৩ মে, ২০১৯ শুক্রবার পবিত্র জুম্মার নামাজের বয়ানে তিনি এ বিষয়ে হাজার হাজার মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে এ বয়ান পেশ করেন। জুমু’আর নামাজের রমজান বিষয়ক বয়ানে তিনি বলেন, “আসছে রমজান মাস মানবজাতির জন্য এক বরকত পূর্ণ মাস, রহমতের মাস। তাই এই মাসে মহান আল্লাহ্ পাকের বরকত, রহমত ও ক্ষমা গ্রহণ করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ। কল্যাণ অর্জনের এই মাসে আল্লাহ্তাআলা বরাবরই ধনী-গরীবের মাঝে কোন ভেদাভেদ রাখেননি বরং সকল মুসলিমের জন্য রাব্বুল আলামিনের ইবাদতে বেশি বেশি নেকি ও কল্যাণ দান করেছেন। এজন্য আমাদের উচিত পবিত্র রমজান মাসে বেশি বেশি আল্লাহ্র ইবাদতের মাধ্যমে পরবর্তী ১১ মাস ও মৃত্যুর পরের জীবনকে সুখময় করে তোলা। আর তাই যাদের বাসা বাড়িতে গৃহকর্মী (কাজের বুয়া, গাড়ি চালক, দারোয়ান, অফিস পিয়ন) রয়েছে, সেসব গৃহকর্মীদের জন্য রমজানের আমল পালনের পরিপূর্ণ ব্যবস্থা করে দিতে হবে। যাতে করে তারাও রমজানের কল্যাণ অর্জন করতে পারে।” এসময় মুফাসসির-এ-কুরআন হাফেজ মাওলানা নাজমুল হাসান দা.বা. বর্তমান সময়ে শ্রমিক/গৃহকর্মীদের ন্যায্য অধিকার বিষয়ে অত্যন্ত কষ্টবিজরিত কণ্ঠে বলেন, “আমার কাছে এই জীবনে গৃহকর্মীরা তাদের অধিকারের বিষয়ে অনেক অভিযোগ এসেছে। গৃহকর্তা অথবা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ (বাড়ির মালিক, গাড়ীর মালিক, অফিসের বস) অধীনস্থদের রোজার মাসেও নানারকম কাজের চাপে রাখার ফলে অধীনস্থরা সঠিকভাবে নামাজ পালন করতে পারেনা। ফলে প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকা সত্ত্বেও এইসব অধীনস্থরা রমজান মাসের নামাজ ও রোজা সঠিকভাবে আদায় করতে ব্যর্থ হয়। একজন মুসলিম দ্বারা অপর মুসলিমের জন্য কখনোই এরকমটা কাম্য হতে পারেনা।” এসময় তিনি এরকম উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের প্রতি আল্লাহ্র সতর্ক টেনে বলেন, “মহান আল্লহ্পাক পবিত্র রমজান মাসে গোলামসহ সকল অধীনস্থ কর্মচারী-কর্মকর্তাদের প্রতি সদয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে করে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে সাথে অধীনস্থরাও রমজানের কল্যান নিজ নিজ জীবনে বয়ে আনতে পারে। আর যারা রমজান মাসে অধীনস্থদেরকে আল্লাহর ইবাদতে নানাভাবে বাধা সৃষ্টি করে, তাদের ব্যাপারে আল্লাহর ফায়সালাও কঠিন। কেননা কিয়ামতের ময়দানে অধীনস্থদের হিসাবের ক্ষেত্রে উর্ধ্বতনরা আল্লাহ পাকের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ হবে। আর তাই প্রত্যেক মুসলিম উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে গৃহপরিচালকদের উচিত গৃহকর্মী ও অধীনস্থদের অন্তত রমজান মাসে সু-অধিকার নিশ্চিত করা। এতে করে গৃহপরিচালক/উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গৃহকর্মী/অধিনস্থগণ উভয়েই দুনিয়া এবং আখিরাতে লাভবান হবেন।” পরে জুমু’আর নামাজের শেষে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের মানুষের কল্যাণ কামনায় মহান আল্লাহ্র দরবারে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসা ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র নিস্তেজ-নির্জীবতা চেয়ে মহান আল্লাহ্ রব্বুল আলামিনের নিকট দোয়া আবেদন করা হয়। এর আগে তিনি পবিত্র জুমুআ’র নামাজের বয়ানে বলেন, “বাংলাদেশের দেশের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’, যা আমাদের দেশের তুলনায় বড়। এটি আমাদের দেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ বিধায়, মহান আল্লাহ্ পাকের দরবারে আমরা অত্যন্ত গোলামীর স্বরে দোয়া করি, যাতে করে এই ভয়ানক ঘূর্ণিঝড়ের কবল হতে আল্লাহ্ পাক আমাদের বাংলাদেশসহ গোটা মানবজাতিকে রক্ষা করেন। পরে মোনাজাতে বলেন, “হে আল্লাহ্, আমাদের দেশের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’কে আপনি আপনার কুদরতী ইশারায় নিস্তেজ-নির্জীব করে দিন। ঘূর্ণিঝড়ের ধ্বংস হতে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মানবজাতিকে রক্ষা করুন। হে আল্লাহ্, মানবজাতির উপর আপনি রহম করুন।”
শ্রুতলিপিকার: মুহাম্মদ গাজী তারেক রহমান ২৮ শে শাবান, ১৪৪০। শুক্রবার। উত্তরা, ঢাকা-১২৩০। Email: [email protected]
via Blogger http://bit.ly/2VcdIFs
0 notes
kalombani · 5 years
Text
‘ফণী’র ভয়াবহতা হতে রক্ষা পেতে মসজিদে মসজিদে দোয়া
মুহাম্মদ গাজী তারেক রহমান: বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসা ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র নিস্তেজ-নির্জীব চেয়ে মহান আল্লাহ্ রব্বুল আলামিনের নিকট দোয়া করেছেন উত্তরা ১২নং সেক্টর বাইতুন নূর জামে মসজিদ এর খতিব খ্যাতনামা মুফাস্সির-এ-কুরআন হাফেজ মাওলানা হযরত নাজমুল হাসান দা.বা। এসময় তিনি পবিত্র জুমুআ’র নামাজের বয়ানে বলেন, “বাংলাদেশের দেশের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’, যা আমাদের দেশের তুলনায় বড়। এটি আমাদের দেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ বিধায়, মহান আল্লাহ্ পাকের দরবারে আমরা অত্যন্ত গোলামীর স্বরে দোয়া করি, যাতে করে এই ভয়ানক ঘূর্ণিঝড়ের কবল হতে আল্লাহ্ পাক আমাদের বাংলাদেশসহ গোটা মানবজাতিকে রক্ষা করেন (আমিন)।
উত্তরা ১২নং সেক্টর বাইতুন নূর জামে মসজিদে হাজার হাজার মুসল্লির অংশগ্রহণে পবিত্র জুমু’আর নামাজ শেষে মহান আল্লাহ্ রব্বুল আলামিনের দরবারে মোনাজাতের হাত তুলেন অত্র মসজিদের সম্মানিত খতিব হাফেজ মাওলানা হযরত নাজমুল হাসান দা.বা। এসময় মোনাজাতে বলেন, “হে আল্লাহ্, আমাদের দেশের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’কে আপনি আপনার কুদরতী ইশারায় নিস্তেজ-নির্জীব করে দিন। ঘূর্ণিঝড়ের ধ্বংস হতে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মানবজাতিকে রক্ষা করুন। হে আল্লাহ্, মানবজাতির উপর আপনি রহম করুন।”
সর্বপরি, দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় আজ শুক্রবার উত্তরার অন্যান্য সেক্টরগুলোতে জুমা’আর নামাজ শেষে মসজিদে মসজিদে দোয়া সম্পন্ন হয়।
via Blogger http://bit.ly/2PPmt2s
0 notes
kalombani · 5 years
Text
নুসরাত ধর্ষিতা নয়, নুসরাত ‘শহীদ’: ছড়াকার মহিউদ্দিন আকবর
মুহাম্মদ গাজী তারেক রহমান: চলমান সময়ে বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট ছড়াকার মহিউদ্দিন আকবর সদ্য ইন্তেকাল হওয়া নুসরাত জাহান রাফি’কে ‘ধর্ষিতা’ না বলার জন্য দেশবাসীকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন। সম্প্রতি এক বার্তায় তিনি তাঁর সকল ভক্ত ও দেশবাসীর উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই বার্তা প্রকাশ করেন। বার্তাটিতে তিনি নুসরাতকে শহীদ হিসেবে উল্লেখ করে সকলের উদ্দেশ্যে জানান-“বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম। শহীদ নুসরাতকে ধর্ষিতা বলে উল্লেখ করে যারা পোস্ট করেছেন, তাদের প্রতি বিনয়ের সাথে অনুরোধ করছি দয়া করে তওবা করুন। নি¯পাপ মেয়েটির চরিত্রে কালিমা লেপনকারী গুনাহ থেকে নিজেকে মুক্ত করুন । আল্লাহ্ আপনাদের ক্ষমা করুন- আমীন। আসলে শহীদ নুসরাতকে ওই জানোয়ারটা শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছিলো। মহান রাব্বুল আলামিন নুসরাতকে হেফাজত করেছেন। সেজন্য মালিকে শুকরিয়া আদায় করি। আলহামদুলিল্লাহ। নিঃসন্দেহে শহীদ নুসরাত পুত-পবিত্র ছিল। মহান মালিক তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করুন। আমরা বিচার চাইছি শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা এবং তাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করার। আসুন এই দাবিকে আমরা আরশে আজিম পর্যন্ত পৌঁছে দেই হৃদয়ের কান্না ভরা দুটি চোখে; দুটি হাত আকাশের দিকে তুলে। সবার উদ্দেশ্যে এই আকুল আবেদন পৌছে দিলাম। মানা বা নামানার স্বাধীনতা আপনার ওপরই রইল। বিনীত নিবেদক মহিউদ্দিন আকবর।” via Blogger http://bit.ly/2Is51zm
0 notes
kalombani · 6 years
Text
উত্তরা অফিসার্স ক্লাবে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আলোচনা
মুহাম্মদ গাজী তারেক রহমান: ১৬ই মার্চ ২০১৯ সকাল ১০.০০ টায় উত্তরা অফিসার্স ক্লাব মহিলা উপ-কমিটির উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০১৯ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। ‘জাগো নারী জাগো’ সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় উক্ত নারী দিবসের বিশেষ সভার উদ্বোধন। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন উত্তরা অফিসার্স ক্লাবের জ্যোষ্ঠ সহ-সভাপতি ও সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ। বিশ্ব নারী দিবসকে কেন্দ্র করে উক্ত অনুষ্ঠানটির মূল প্রতিপাদ্য ছিল “সবাই মিলে ভাবো, নতুন কিছু করো, নারী-পুরুষ সমতায় নতুন বিশ্ব গড়ো”।
উত্তরা ১৫ নং সেক্টর অবস্থিত উত্তরা অফিসার্স ক্লাব, ঢাকার মহিলা উপ-কমিটির উদ্যোগে পরিচালিত এই নারী দিবসের অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হারুন উর রশিদ বলেন, “আজকের নারীদের সমান অধিকারের বিষয়টি অনেকটা এলোমেলো হয়ে গেছে। যারফলে সমান অধিকার জিনিসটাই অনেকের কাছে স্পষ্ট নয়। নারীদের সমান অধিকার কেবলমাত্র পুরুষের সমান হওয়ার মানসিকতার মধ্যে নয়, বরং যোগ্যতার ভিত্তিতে নারীদের সম-অধিকার নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ হওয়া উচিত।”
এসময় ড. হারুন উর রশিদ আরও বলেন, একজন নারীর মধ্যে প্রকৃতিগতভাবে যেজিনিসগুলো বিদ্যমান রয়েছে, তা কখনো একজন পুরুষের মধ্যে নেই, আবার একজন পুরুষের মধ্যে প্রকৃতিগতভাবে যেজিনিসগুলো বিদ্যমান তা নারীদের কখনোই অর্জন করা সম্ভব নয়। আর তাই সমান অধিকারের প্রশ্নে আমি বলতে চাই, মেধা ও যোগ্যতা প্রাধন্য দিয়ে সমান অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমেই নারী-পুরুষ উভয়ের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আর এরফলেই নারী-পুরুষের মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকবে বলে আমি আশা করি।”
উত্তরার বিশিষ্ট নারীদের নিয়ে পরিচালিত অনুষ্ঠানটিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ইয়াসমিন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, “বিশ্বে নারী অধিকার আদায়ে জাতিসংঘ কর্তৃক ১৯৭৫ সালে যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল, তা আজও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আমাদের বাংলাদেশে নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত মুসলিম তথা সমস্ত বাঙালী নারী সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে মানস ব্যক্ত রচনা করেছিলেন সেই চেতনা থেকেই আজকের নারী সমাজ নিজ নিজ অধিকার আদায়ে প্রেরণা পেয়ে যাচ্ছে। বাঙালী নারীদের অগ্রযাত্রায় সত্যিই বেগম রোকেয়ার অবদান অনস্বীকার্য। আর তাই নারীদের পিছিয়ে থাকার কোন সুযোগ নেই। আমরা যারা নারী সকলের এই দৃঢ় সংকল্প করা উচিত যে, আমরা আর পিছিয়ে থাকবো না।”
তিনি আরও বলেন, “আজকের অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য বিষয়ের সাথে সুর মিলিয়ে আমি বলতে চাই, আমরা যারা নারী সমাজ আছি, আসুন আমরা এগিয়ে যাই, পিছিয়ে না থেকে ভবিষ্যৎ পৃথিবীকে নারীদের জন্য নিরাপদ স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে সকলে মিলেমিশে কাজ করি।”
উত্তরা অফিসার্স ক্লাবের সহ-সভাপতি লতিফ ম-ল বলেন, “নারীদের অধিকার আদায়ে শুধুমাত্র নারীদের নয়, বরং পুরুষদেরকেও এগিয়ে আসা উচিত। কারণ পুরুষ ছাড়া নারী যেমনি চলতে পারেনা, ঠিক তেমনিভাবে নারী ছাড়াও পুরুষ চলতে পারেনা। নারী পুরুষের সমন্বয়েই মানবসভ্যতা এগিয়ে চলছে। তাই আমাদের উচিত নারী অধিকার রক্ষা করা, নারীদেরকেও সম-মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করা। এসময় তিনি বলেন, পবিত্র কুরআনে নারীদের মর্যাদার বিষয়ে কথা বলা হয়েছে। কুরআন হাদিসের কোথাও নারীদেরকে অবহেলার দৃষ্টিতে তাকানো হয়নি। বরং একমাত্র ইসলামেই নারীর মর্যাদা সবচেয়ে বেশি। এক্ষেত্রে নারী কোথাও মায়ের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন, কখনো বোনের মায়া- ¯েœহের তুল্য হয়েছেন, আবার স্ত্রী-রূপী নারীর সম্মানের কথাও বলা হয়েছে। আর তাই কোন অবস্থাতেই নারীদের অবহেলা, অযতœ করা একেবারেই উচিত নয়।”
উত্তরা অফিসার্স ক্লাব, ঢাকা মহিলা উপ-কমিটি আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আলোচনায় উত্তরার বিশিষ্ট নারী প্রফেসর ড. তাসলিমা আক্তার বলেন, “আমি মনে করি গত ১০০ বছরেও নারী অধিকার বাস্তবায়ন করা হয়নি। আজও বিশ্বে নারীরা অবহেলিত, নিপীড়িত, নির্যাতিত। আমাদের দেশে নারীদের অধিকার সুরক্ষায় নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও, নানাভাবেই নারীরাও আজও নির্যাতনের শিকার। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় নারীদের অবহেলার চোখে দেখার প্রচলিত ধারণা এখনও আমাদের সমাজে বিদ্যমান। এক্ষেত্রে পুরুষদের মনে রাখা উচিত, পুরুষ ছাড়া নারীরা যেমনি চলতে পারেনা, ঠিক তেমনি পুরুষেরাও নারীদের ব্যতিত চলতে অক্ষম। আর তাই প্রকৃত পুরুষদের উচিত নারীদের সম্মান করা। নারীর অধিকার খর্ব হয় এমন কাজ হতে বিরত থাকা। তাহলেই একট��� সুন্দর পৃথিবী গড়ে তোলা সম্ভব।” তিনি বলেন, “সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকেই পুরুষের পাশাপাশি নারীরা সমানভাবে সভ্যতার পর সভ্যতায় বিরাজ করে আসছে। এক্ষেত্রে পুরুষেরা যেমনিভাবে কায়িক শ্রমে পারদর্শী ঠিক তেমনিভাবে নারীরাও সন্তান জন্মদান, সন্তান লালন-পালন, কৃষি কাজ সহ ঘরোয়া পরিবেশ নিশ্চিত করতে যা যা প্রয়োজন তার সবই করে আসছে। ফলে নারী-পুরুষ উভয়ের সমন্বয়েই পৃথিবী এ পর্যন্ত আসতে পেরেছে।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশে শতকরা ১০-১৫ শতাংশ নারীরা এগিয়ে যাওয়ার মানে এই নয় যে, দেশের পুরো নারী সমাজই এগিয়ে গেছে। আমরা চাই, বাংলাদেশের সর্বস্থানের নারীরাই সম-মর্যাদার অধিকারী হোক।”
আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০১৯ এর আলোচনা সভায় উপস্থিত উত্তরা অফিসার্স ক্লাব, ঢাকার সাধারণ সম্পাদক খান মোহাম্মদ বেলাল বলেন, “আমাদের ক্লাবে নারীদের অধিকার নিশ্চিতকরণের মহিলা উপ-কমিটি গঠন একটি বড় সাফল্য বলে আমি মনে করি। আমি ক্লাবের সকল পুরুষ সদস্যদের অনুরোধ করবো, সকলেই যেন নিজ নিজ স্ত্রী’দেরকে মহিলা উপ-কমিটিতে নিয়ে আসেন। যাতে করে নারীরাও সমাজের সকল কর্মকান্ডে বিশেষ অবদান রাখতে পারেন।”
এসময় তিনি বলেন নারী দিবসের আলোচনা সভায় বলেন, “নারীদের অধিকার আদায় ও নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার বিশেষ অবদান রেখেছেন। বিশেষ করে নারী ও শিশু আইন নারী অধিকারকে সুসংগঠিত করেছে। ফলে সমাজে নারীদের অবস্থানও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন, “সমাজে নারী অধিকার আরও প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে নারীদেরকে তিনটি স্থানে আরও শক্তিশালী হতে হবে। যথাক্রমে রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্জন, প্রান্তিক নারীদের ক্ষমতা বৃদ্ধি, নারীর সম্মান সুরক্ষা। এই তিনটি জিনিসকে নিয়ন্ত্রন করা গেলেই আমাদের সমাজে নারীদের অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়ে উঠবে।”
সমাজে নারী নির্যাতন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সমাজে অনেক ক্ষেত্রে নারীরাই নারীদের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছে। বিশেষ করে ঘরে নতুন বউকে শাশুড়িরা নির্যাতন করে। আবার শাশুড়ি বৃদ্ধ হলে বউয়েরা শাশুড়িদের উপর নির্যাতন চালায়। আমাদের সমাজে বর্তমানে এই কাজটি সবচেয়ে বেশি। আর তাই নারীদের অধিকার রক্ষায় নারীদেরকেই সর্বপ্রথম এগিয়ে আসতে হবে। তাইলে বিশ্বে সত্যিকারের নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে।”
এসময় অনুষ্ঠানটিতে নারীর অধিকার ও মর্যাদা বিষয়ক উজ্জীবিতমূলক লিখিত বক্তব্য পেশ করেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব ও বিশিষ্ট নারী অধিকার নেত্রী ফরহাদ ভানু চৌধুরী।
উত্তরা অফিসার্স ক্লাব, ঢাকা মহিলা উপ-কমিটির বিশিষ্ট নারী অধিকার নেত্রী শাহনেওয়াজ দিলরুবা খানের উপস্থাপনায় বিশ্ব নারী দিবস-২০১৯ এর আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটিতে কবিতা আবৃত্তি করেন কমিটির সদস্য মিসেস রওশন, মিসেস তাহমিনা হক রুবি, নারী দিবসের পটভূমি তুলে ধরেন মিসেস আতিয়া বদরুল। এসময় মিসেস লুৎফুন্নাহার সাখাওয়াত বাংলাদেশের ইতিহাস, ইসলামে নারীর মর্যাদা, নারী অধিকার বিষয়ের নৈতিক শিক্ষার পুস্তকাদিসহ ক্লাবের লাইব্রেরির জন্য নগদ দশ হাজার টাকা উপহার দেন।
আয়োজনটির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর্বে সংগীত পরিবেশন করেন উত্তরাস্থ মাইলস্টোন কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান সাহেদা বেগম ও তাঁর দল। এছাড়াও একক নৃত্য পরিবেশন করেন উত্তরার বিশিষ্ট নৃত্যকার অনামিকা পিউ ও সংগীত উপস্থাপন করেন ক্ষুদে কণ্ঠশিল্পী চৌধুরী সাদিয়া তাসনিম অনন্যা।
অত্র নারী দিবসের আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন উত্তরা ১১ নং সেক্টর কল্যাণ সমিতি সভাপতি ও উত্তরার বিশিষ্ট সমাজ সেবক ড. মঈন আহমেদ। এসময় তিনি বলেন, “নারীর অধিকারকে নিশ্চিত করতে নারীর অধিকার খর্ব হয় এমন সমস্যাগুলোকে যথাযথভাবে চিহ্নিত করতে হবে এবং সমস্যা সমাধানে নারীদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই একটি সুন্দর নারীবান্ধব পরিবেশের দিকে আমাদের সমাজ অনেকাংশেই এগিয়ে যাবে বলে আমি মনে করি।”
আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটির বক্তব্য পর্বে উত্তরা অফিসার্স ক্লাবের সম্মাণিত সদস্য জনাব আমিনুল ইসলাম বলেন, “প্রকৃতপক্ষে নারীর অধিকার রক্ষায় পুরুষদেরকেই সোচ্চার হওয়া জরুরী। একজন স্বামীপ্রেমিক নারী পুরুষ জীবনের অমূল্য সম্পদ। নারীর ভালোবাসাই পুরুষের জন্য সবচেয়ে বড় পাওয়া বলে আমি মনে করি। আর তাই নারীর অধিকার রক্ষায় পুরুষদের এগিয়ে আসা বর্তমান সময়ের অন্যতম দাবী। এসময় তিনি বলেন, দেখুন গতকাল নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে যে সন্ত্রাসী হামলায় অধশত মুসলমান নিহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে একজন নারী হচ্ছেন বাংলাদেশের হোসনে আরা পারভিন। যিনি স্বামীকে মসজিদের ভেতরে রেখে পাশে নারীদের জন্য নির্মিত আলাদা মসজিদে নামাজ পড়তে যান। কিন্তু নামাজ শুরুর কিছুক্ষণ পরপরই মুহুর্মুহু গুলির শব্দ শুনে দৌঁড়ে বের হয়ে আসেন স্বামীকে বাঁচাতে। আর সেখানেই তিনি সন্ত্রাসীর ছোড়া গুলিতে প্রাণ হারান! মূলত স্বামীর জন্য উদ্বিগ্নচিত্তে ছুটে এসে মৃত্যুর মুখোমুখো এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার এই ঘটনা, নারীর প্রেম-ভালোবাসার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। যা বাংলাদেশের সিলেট জেলার হোসনে আরা পারভিন জীবন দিয়ে আমাদের পুরুষ সমাজকে দেখিয়ে দিয়েছেন পুরুষের জন্য নারীর কর্তব্য কতটা মহৎ হতে পারে। যে নারীরা পুরুষদেরকে জীবনের চাইতেও বেশি ভালোবাসে, আমাদের পুরুষদেরও উচিত নারীদেরকে হৃদয় থেকে ভালোবাসা। তাহলেই নারী-পুরুষের পবিত্র ভালোবাসায় একটি সুন্দর সম-অধিকার পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়ে উঠবে।”
উত্তরা অফিসার্স ক্লাব, ঢাকা মহিলা উপ-কমিটির উদ্যোগে পরিচালিত আন্তর্জাতিক নারী দিবস বিষয়ক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ক্লাব সহ-সভাপতি ও সাবেক সচিব এম আব্দুল লতিফ ম-ল, সাধারণ সম্পাদক ও অতিরিক্ত সচিব খান মোহাম্মদ বেলাল, প্রফেসর তাসলিমা বেগম, মিসেস নাসরিন আক্তার, মিসেস ফরিদা ভানু চৌধুরী, আতিয়া বদরুল, রওশন ইসলাম, প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আহমেদ, একেএম বদরুল মজিদ, ইঞ্জি. মোঃ ইউনুস আলী, ডা. মঈন উদ্দীন আহমেদ, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। বেলা ১২:৩০ মিনিটে সমাপনী সংগীতের মাধ্যমে নারী দিবসের এই বিশেষ আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত ঘোষনা করা হয়। পরে ক্লাবের দ্বিতীয় তলায় শিশুদের মাঝে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
via Blogger https://ift.tt/2Oc9hE4
0 notes
kalombani · 6 years
Text
শতকরা ৯৯ ভাগ মানুষ ভালো, অপরাধীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিন
মুহাম্মদ গাজী তারেক রহমান: ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হাবিব হাসানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে উত্তরা প্রেস ক্লাব সোসাইটি’র নেতৃবৃন্দগণ। বুধবার সন্ধ্যা ৭:৪০ মিনিটে উত্তরা ৩নং সেক্টরে অবস্থিত হাবিব হাসানের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎকার ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের কাছে ‘উত্তরা প্রেস ক্লাব সোসাইটি’র প্রচারপত্র তুলে ধরেন ক্লাবের সাংগঠনিক উপদেষ্টা বিশিষ্ট সাংবাদিক বদরুল আলম মজুমদার। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থিত সাংবাদিকগণ স্ব-স্ব পরিচয় প্রদান করেন।
এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে আলহাজ্ব হাবিব হাসান বলেন, “উত্তরার সাংবাদিক হিসেবে আপনারা সকলেই আমার পূর্ব পরিচিত। আপনাদের পাশে আমি পূর্বেও ছিলাম আর এখনও আছি। আপনারা নিষ্ঠার সাথে আপনাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন এটাই আমার অনুরোধ। এতে করে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে বলে আমি মনে করি।”
এসময় তিনি ভুইফোঁড় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে বলেন, “আওয়ামীলীগ করলে আওয়ামীলীগের নিয়ম-কানুন আমাদের মানতে হবে। শেখ হাসিনা ক্ষমতা এনে দিবে, আর ভূইফোঁড় নেতারা দেশে লুটপাট করে খাবে, এটা কখনোই কাম্য নয়। বরং এগুলো শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধতার দিকেই ঠেলে দেয়। আওয়ামীলীগের ভেতর হোক কিংবা বাহির হোক এধরনের নেতাকর্মীদের কোনরকমই ছাড় দেয়া যাবে না। আপনারা সাংবাদিক হিসেবে সকল প্রকার অন্যায় তুলে ধরুন।” 
হাবিব হাসান বলেন, “সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে আমি শরীরের রক্ত ঝড়লেও তাতে প্রস্তুত আছি কিন্তু কোন অসত্যকে প্রশয় দিতে আমি রাজি নই। আপনারা যাঁরা সাংবাদিকতার মতো মহান পেশায় নিয়োজিত আছেন, দেশ ও জাতির কল্যাণে সত্যকে আপনারা তুলে ধরুন। এক্ষেত্রে যদি আমার কোন ভুলও আপনাদের চোখে লক্ষণীয় হয়, সেটিও তুলে ধরুন। যাতে করে সংশোধন হয়ে ভালো পথে ধাবিত হতে পারি। অন্যথায় যদি শুধুমাত্র বাহবা আর আমার চোখে ভালো সাজার জন্য সালামের পর সালাম দিয়ে যাচ্ছেন, তাহলে কিন্তু দিন দিন আমার অপরাধেও মাত্রাও বেড়ে যাবে। এজন্য আপনারা যাঁরা সাংবাদিক আছেন, আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ সত্যকে তুলে ধরুন।” 
ঢাকা মহানগর উত্তরের আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের অভয় দিয়ে বলেন, “অন্যায়ের বিরুদ্ধে লিখতে গিয়ে আপনাদের যতটুকু সমর্থন প্রয়োজন, তা আমি দিয়ে যাবো আপনাদের।” তিনি বলেন, আমি আরও স্পষ্ট করে বলতে চাই, আপনারা ভয় পাবেন না। ক্ষমতাসীন দলের কেউ অপরাধ করে থাকলেও, তাদেরকেও ছাড় দিবেন না, বস্তুনিষ্ঠভাবে সেগুলোও তুলে ধরুন। আপনাদের কোন ভয় নেই।”
অপরাধীদের সংখ্যা শতকরা ১ ভাগ উল্লেখ করে আলহাজ্ব হাবিব হাসান বলেন, “সমাজে শতকরা ৯৯ ভাগ মানুষই সাধারণ মানুষ। তারা অপরাধের সাথে জড়িত নয়। অন্যদিকে মাত্র ১ভাগ মানুষ অপরাধের সাথে জড়িত। আপনারা যদি ৯৯ ভাগ মানুষকে সাথে নিয়ে কাজ করেন, তাহলে ১ ভাগ অপরাধীরা কখনও আপনাদের উপর বিজয়ী হতে পারবে না।”
সবশেষ তিনি উত্তরা প্রেস ক্লাব সোসাইটির উপস্থিত নেতৃবৃন্দের প্রতি শুভকামনা জানিয়ে সকলকে মিষ্টিমুখ করান। এসময় উত্তরা প্রেস ক্লাব সোসাইটি’র নেতৃবৃন্দদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক উপদেষ্টা বদরুল আলম মজুমদার, সভাপতি রাসেল খান,  সিনিয়র সহ-সভাপতি আশরাফ হোসেন ডালী, সাধারন সম্পাদক মাহাফুজুল আলম খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন রানা সোহেল, আবু তাহের ও মুহাম্মদ গাজী তারেক।
via Blogger http://bit.ly/2tlBI8D
0 notes
kalombani · 6 years
Text
অপরাধীকে ছাড় দিবেন না: সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে হাবিব হাসান
মুহাম্মদ গাজী তারেক রহমান: ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হাবিব হাসানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে উত্তরা প্রেস ক্লাব সোসাইটি’র নেতৃবৃন্দগণ। বুধবার সন্ধ্যা ৭:৪০ মিনিটে উত্তরা ৩নং সেক্টরে অবস্থিত হাবিব হাসানের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎকার ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের কাছে ‘উত্তরা প্রেস ক্লাব সোসাইটি’র প্রচারপত্র তুলে ধরেন ক্লাবের সাংগঠনিক উপদেষ্টা বিশিষ্ট সাংবাদিক বদরুল আলম মজুমদার। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থিত সাংবাদিকগণ স্ব-স্ব পরিচয় প্রদান করেন।
এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে আলহাজ্ব হাবিব হাসান বলেন, “উত্তরার সাংবাদিক হিসেবে আপনারা সকলেই আমার পূর্ব পরিচিত। আপনাদের পাশে আমি পূর্বেও ছিলাম আর এখনও আছি। আপনারা নিষ্ঠার সাথে আপনাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন এটাই আমার অনুরোধ। এতে করে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে বলে আমি মনে করি।”
এসময় তিনি ভুইফোঁড় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে বলেন, “আওয়ামীলীগ করলে আওয়ামীলীগের নিয়ম-কানুন আমাদের মানতে হবে। শেখ হাসিনা ক্ষমতা এনে দিবে, আর ভূইফোঁড় নেতারা দেশে লুটপাট করে খাবে, এটা কখনোই কাম্য নয়। বরং এগুলো শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধতার দিকেই ঠেলে দেয়। আওয়ামীলীগের ভেতর হোক কিংবা বাহির হোক এধরনের নেতাকর্মীদের কোনরকমই ছাড় দেয়া যাবে না। আপনারা সাংবাদিক হিসেবে সকল প্রকার অন্যায় তুলে ধরুন।” 
হাবিব হাসান বলেন, “সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে আমি শরীরের রক্ত ঝড়লেও তাতে প্রস্তুত আছি কিন্তু কোন অসত্যকে প্রশয় দিতে আমি রাজি নই। আপনারা যাঁরা সাংবাদিকতার মতো মহান পেশায় নিয়োজিত আছেন, দেশ ও জাতির কল্যাণে সত্যকে আপনারা তুলে ধরুন। এক্ষেত্রে যদি আমার কোন ভুলও আপনাদের চোখে লক্ষণীয় হয়, সেটিও তুলে ধরুন। যাতে করে সংশোধন হয়ে ভালো পথে ধাবিত হতে পারি। অন্যথায় যদি শুধুমাত্র বাহবা আর আমার চোখে ভালো সাজার জন্য সালামের পর সালাম দিয়ে যাচ্ছেন, তাহলে কিন্তু দিন দি��� আমার অপরাধেও মাত্রাও বেড়ে যাবে। এজন্য আপনারা যাঁরা সাংবাদিক আছেন, আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ সত্যকে তুলে ধরুন।” 
ঢাকা মহানগর উত্তরের আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের অভয় দিয়ে বলেন, “অন্যায়ের বিরুদ্ধে লিখতে গিয়ে আপনাদের যতটুকু সমর্থন প্রয়োজন, তা আমি দিয়ে যাবো আপনাদের।” তিনি বলেন, আমি আরও স্পষ্ট করে বলতে চাই, আপনারা ভয় পাবেন না। ক্ষমতাসীন দলের কেউ অপরাধ করে থাকলেও, তাদেরকেও ছাড় দিবেন না, বস্তুনিষ্ঠভাবে সেগুলোও তুলে ধরুন। আপনাদের কোন ভয় নেই।”
অপরাধীদের সংখ্যা শতকরা ১ ভাগ উল্লেখ করে আলহাজ্ব হাবিব হাসান বলেন, “সমাজে শতকরা ৯৯ ভাগ মানুষই সাধারণ মানুষ। তারা অপরাধের সাথে জড়িত নয়। অন্যদিকে মাত্র ১ভাগ মানুষ অপরাধের সাথে জড়িত। আপনারা যদি ৯৯ ভাগ মানুষকে সাথে নিয়ে কাজ করেন, তাহলে ১ ভাগ অপরাধীরা কখনও আপনাদের উপর বিজয়ী হতে পারবে না।”
সবশেষ তিনি উত্তরা প্রেস ক্লাব সোসাইটির উপস্থিত নেতৃবৃন্দের প্রতি শুভকামনা জানিয়ে সকলকে মিষ্টিমুখ করান। এসময় উত্তরা প্রেস ক্লাব সোসাইটি’র নেতৃবৃন্দদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক উপদেষ্টা বদরুল আলম মজুমদার, সভাপতি রাসেল খান,  সিনিয়র সহ-সভাপতি আশরাফ হোসেন ডালী, সাধারন সম্পাদক মাহাফুজুল আলম খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন রানা সোহেল, আবু তাহের ও মুহাম্মদ গাজী তারেক।
via Blogger http://bit.ly/2IdhPLp
0 notes
kalombani · 6 years
Text
উত্তরায় বাসে তরুণীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা, নিপীড়কের হাত কেটে দিতে বললো তরুণী
মুহাম্মদ গাজী তারেক রহমান: রাজধানীর ওয়ারী থেকে বাসে করে উত্তরাতে আসার পথে বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া এক তরুণীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়ায় এক মধ্যবয়সী যুবককে আটক করেছে বাসযাত্রীরা। পরে উত্তরার হাউস বিল্ডিং ট্রাফিক কার্যালয়ে দায়িত্বরত পুলিশদের হাতে ওই যুবককে তুলে দেন ওই তরুণী সহ তার অন্যান্য বন্ধুরা মিলে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই তরুণী জানায়, ১২ ফেব্রুয়ারি ওয়ারী থেকে উত্তরার আসার পথে নতুন বাজার থেকে ওই ব্যক্তি আমার পাশে এসে দাঁড়ায়। সে দাঁড়িয়ে থেকে আমার বডির সাথে কুরুচিপূর্ণ অঙ্গনা চালনা করছিল। আমি তাকে সরে দাঁড়াতে বললে, সে আমার পিছনের সীটে গিয়ে বসে এবং সিটের মাঝ দিয়ে হাত ঢুকিয়ে আমার বডিতে টাচ করে। আমি কয়েকবার নিষেধ করার পরও সে বার বার এ কাজে উদ্যত হলে বাসে থাকা বন্ধুরা মিলে আমরা ওকে আটক করি এবং উত্তরায় নিয়ে আসি। উপর্যুক্ত বিচারের জন্য আমরা এখন পুলিশের কাছে এসেছি।
এ বিষয়ের প্রতিবাদ জানিয়ে ওই ছাত্রীর সহপাঠি মাহফুজ জানায়, ওর উচিত শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। ওদের মত মানুষদের জন্যই আজ নারীরা পদে পদে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। প্রতিদিনই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। এদের শাস্তি দিলেই নিপীড়নে উদ্বুদ্ধ অন্যান্যরাও অপরাধ থেকে দূরে সরে আসবে।
উপস্থিত এক পথচারী জানান, মা-বোনেরা আজ কোথাও নিরাপদ নয়। এসব নরপিশাচের কারণে আজ পুরো পুরুষ জাতি মা জাতির কাছে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছে। এদের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।
তবে, নিপীড়নের শিকার তরুণীর দাবি এই জানোয়ার যে হাত দিয়ে আমাদের দেহে স্পর্শ করেছে, ওর সেই হাত কেটে ফেলা উচিত। যাতে করে ভবিষ্যতে ও নিজেও এই কাজ করতে না পারে এবং অন্য কেউই যাতে পরবর্তীতে এরকম খারাপ কাজ করার সাহস না পায়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ওই তরুণী দুঃখ প্রকাশ করে বলে, আমাদের দেশে অনেক ধরনের আইন থাকলেও এদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়না, যার ফলে দিন দিন সমাজে এসব ঘৃণ্য ঘটনা সৃষ্টি হচ্ছে।
সুমন নামের ওই যৌন নিপীড়ককে হাতে পেয়ে উপস্থিত এক পুলিশ কর্মকর্তার মন্তব্য এই যে, যদি অপরাধীর বিরুদ্ধে উনারা থানায় মামলা করে তবেই আমরা ওকে এখান থেকে নিয়ে যাবো। নতুবা আমরা তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবো না।
via Blogger http://bit.ly/2I82iMX
0 notes
kalombani · 6 years
Text
মুহাম্মদ গাজী তারেক রহমান: গতকাল দুপুর আনুমানিক ১টায় উত্তরাস্থ আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল সামগ্রী ও দুপুরের খাবার বিতরণ করেন ঢাকা ১৮ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্র, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এম,পি। ঢাকা লায়ন্স ক্লাব এর উদ্যোগে এই স্কুল সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। উক্ত স্কুল সামগ্রী ও দুপুরের খাবার বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা লায়ন্স ক্লাবের ডিজি হাবিবা হাসান, ক্লাব প্রেসিডেন্ট জাহানারা মান্নান, আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ঢাকা জেলা শ্রেষ্ঠ বিদ্যুৎসাহী পুরস্কারে ভূষিত বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ইসমে আরা হানিফ সহ আরও অনেকে।
এসময় আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল সামগ্রী বিতরণ শেষে আজমপুর দারুল উলূম মাদ্রাসার শিশুদের মাঝে দুপুরের খাবার বিতরণ এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এম,পি। পরে আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর মিলনায়তনে এক মধ্যাহ্নভোজ শেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নেন সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এম,পি।
সবশেষে, বিদ্যালয়টি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, ঢাকা জেলা শ্রেষ্ঠ বিদ্যুৎসাহী খেতাবে ভূষিত ইসমে আরা হানিফ আয়োজনটি সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হওয়ায় উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
সূত্র: উত্তরা নিউজ টোয়েন্টিফর ডটকম।
এখন থেকে সাপ্তাহিক উত্তরা নিউজের পাতায় নিয়মিত পড়ুন ‘সাহিত্য পাতা কলমবাণী’
via Blogger https://ift.tt/2O3KjcZ
0 notes