Tumgik
#মাজার নির্মাণ
atique-rejvee · 5 months
Text
কবর মাজার ভেঙে দাও-আল হাদীস
নবীজী( সা:) আলী (রা:) কে যে উঁচু কবর ভেঙ্গে ফেলার জন্য বলেছিলেন সেই কবর গুলো মুশরিকদের কবর ছিলো মুসলিম দের নয়। ওহাবী, খারেজী, সালাফী, জামাত শিবিরসহ ভ্রান্ত মতবাদে বিশ্বাসী কট্টরপন্থীরা যে হাদিস শরীফ দিয়ে মাযার শরীফ ভেঙে ফেলার কথা বলে সরলমনা মুসলমানদের ধোঁকা দিয়ে বিভ্রান্ত করছে তা আমরা একটু বিশ্লেষণ করবো: আমাদের সমাজের অনেকেই নিম্নবর্ণিত হাদীসটির বিকৃত অর্থ করে সরলপ্রাণ মুসলিমগণকে ধোঁকা…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
mosquesofbangladesh · 1 month
Text
Uchail Shankarpasha Shahi Jame Mosjid | উচাইল শংকরপাশা শাহী জামে মসজিদ Location: 8925+WGP
উচাইল শংকরপাশা শাহী জামে মসজিদ বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ, যা পঞ্চদশ শতাব্দীতে নির্মিত হয়। অবস্থান এই শাহী মসজিদটি বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার রাজিউরা ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রামে অবস্থিত।
ইতিহাস উৎকীর্ণ শিলালিপি থেকে জানা যায় যে, ১৫১৩ সালে নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হওয়া এই মসজিদটি নির্মাণ করেন সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহ মজলিশ আমিন; মসজিদের পাশেই আছে তার মাজার।
কালের বিবর্তনে এক সময় মসজিদ সংলগ্ন এলাকা বিরান ভূমিতে পরিণত হয়ে জঙ্গলবেষ্টিত হয়ে পড়লেও পরবর্তীকালে এলাকায় জনবসতি গড়ে উঠলে জঙ্গলে আবাদ করতে গিয়ে বের হয়ে আসে মসজিদটি।
বিবরণ এটি একটি এক চালা ভবন। ভবনটি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ একই মাপের, যা ২১ ফুট ৬ ইঞ্চি। এর সম্মুখের বারান্দাটির প্রস্থ তিন ফুটের সামান্য বেশি। এতে চারটি গম্বুজ রয়েছে; মূল ভবনের উপর একটি বিশাল গম্বুজ এবং বারান্দার উপর রয়েছে তিনটি ছোট গম্বুজ। মসজিদটিতে মোট ১৫টি দরজা ও জানালা রয়েছে যা পরস্পর সমান আকৃতির প্রায়।
পূর্ব-উত্তর-দক্ষিণ - এই তিন দিকের দেয়ালের পুরুত্ব প্রায় পাঁচ ফুট এবং পশ্চিমেরটি প্রায় দশ ফুট। এতে মোট ছয়টি কারুকার্য শোভিত স্তম্ভ আছে প্রধান কক্ষের চারকোণে ও বারান্দার দুই কোণে। উপরের ছাদ আর প্রধান প্রাচীরের কার্নিশ বাঁকানোভাবে নির্মিত। মসজিদের দক্ষিণ পার্শ্বে একটি বড় দীঘি রয়েছে।
মসজিদের ধরণ--সুন্নী মসজিদের স্থাপিত সময়কাল--১৫১৩ দৈর্ঘ ☓প্রস্থ--২১ ফুট ৬ ইঞ্চি প্রত্নতত্ব বিষয় / ধরন--ঐতিহাসিক, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, মুঘল স্থাপনা মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা--সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন গম্বুজ সংখ্যা--৪ টি মিনার--১টি স্থাপত্যশৈলী--ইসলামি স্থাপত্য
0 notes
alaminshorkar76 · 2 years
Text
লালপুরে হাফেজিয়া মাদ্রাসার চারতলা ভবনের নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন
শামসুল ইসলাম, লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধিঃ নাটোরের লালপুরে (৫ জুলাই) মঙ্গলবার মোমিনপুর মাজার শরীফ হাফেজিয়া মাদ্রাসার ৪ তলা বিশিষ্ট ভবনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। মোমিনপুর জামে মসজিদ ও মোমিনপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ-এর সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান সরকারে সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খামার পাথুরিয় মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা আলহাজ মো. শিহাব উদ্দীন, বিশেষ অতিথি হিসেবে ১নং লালপুর…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
Text
সেই ড্রেনের ওপর দেয়াল নির্মাণ
সেই ড্রেনের ওপর দেয়াল নির্মাণ
বিএনএ, চট্টগ্রাম:  চট্টগ্রামে আগ্রাবাদস্থ শেখ মুজিব রোডে আবর্জনায় ভর্তি ড্রেনে পড়ে সাদিয়া(২০) নামে  আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের(আই আইইউসি) প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীর মৃত্যুর পর সিটি করপোরেশন সেই ড্রেনের ওপর দেয়াল নির্মাণ করেছে। গত সোমবার(২৭সেপ্টেম্বর) রাত দশটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিকটস্থ মাজার গেইট এলাকা হতে চশমা কিনে মামার সঙ্গে বাসায় ফিরছিলেন। প্রায় সাড়ে ৪ঘন্টা পর ফায়ার সার্ভিসের…
View On WordPress
0 notes
paathok · 3 years
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/138882
শহীদ জিয়াউর রহমানই বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রত্যাবর্তন করেছেন
.
দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করাই বিএনপির সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার দুপুরে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরস্থ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি দীর্ঘ ৪৩ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করে আজকে ৪৪ তম বছরে পা রেখেছে। ৪৩ বছরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বাংলাদেশের রাজনীতিতে মৌলিক কতগুলো অবদান রেখেছে। এখন বিএনপির সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এদেশে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা এবং গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রত্যাবর্তন করেছেন। পরবর্তীতে গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এদেশে প্রেসিডেন্সিয়াল সরকার ব্যবস্থা থেকে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় এসেছে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান এদেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা, মৌলিক স্বাধীনতা, কথা বলার অধিকার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়ে ছিলেন। তিনি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়ে ছিলেন। অর্থাৎ বহু দলীয় গণতন্ত্রের যে কাঠামো সেই কাঠামো নির্মাণ করেছিলেন। একই সাথে তিনি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মৌলিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলেন। তথা কথিত সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা থেকে একটি মুক্ত অর্থ বাজার সৃষ্টি করেছেন। অর্থাৎ আজকে বাংলাদেশের যত রকম অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে তার মূল ভিত্তি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্যারের হাত ধরে হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার শত্রুরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যা করার পর অনেকে ভেবেছিলো বিএনপি হয়তো শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু তার যোগ্য উত্তরাধিকারী, গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেই স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পতাকা তুলে ধরেছিলেন। সেই পতাকা নিয়ে তিনি আপোষহীনভাবে দীর্ঘ নয় বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন ও গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন। দুর্ভাগ্য এই জাতির আজকের সেই নেত্রী ফ্যাসিবাদের নির্যাতনে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দী হয়ে আছেন।
ফখরুল বলেন, দুর্ভাগ্য এ জাতির বিভিন্ন সময় আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এ জাতি যে অধিকারগুলো পেয়েছিলো আজকে তা হারিয়ে ফেলেছে। আজকে জনগণ ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত। আজকে নির্বাচন হয় না। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। প্রশাসনকে দলীয়করণ করা হয়েছে। বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করা হয়েছে। সার্বিকভাবে একটি ছদ্মবেশী একদলীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তাই এখন বিএনপির সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এদেশে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা ও গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা।
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আব্দুস সালাম, উত্তরের আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
0 notes
bdtodays · 4 years
Text
New Post on BDTodays.com
কর্ণফুলীতে আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে স্থাপনা তৈরির অভিযোগ
Tumblr media
জে. জাহেদ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে জোরপূর্বক পাকা স্থাপনা তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২২ সেপ্টেম্বর দুপুরে উপজেলার শিকলবাহা মাজার গেইটের পাশে চরফরিদ এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। যেখানে প্রতিপক্ষরা একদল সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক জড়ো করে স্থাপনা তৈরিতে বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী...
বিস্তারিত এখানেঃ https://bdtodays.net/%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a3%e0%a6%ab%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%80%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%a4%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6-2/
0 notes
dailynobobarta · 5 years
Text
বগুড়ায় শাহ সুফি ফতেহ আলী মাযার কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
New Post has been published on https://is.gd/Nch3eC
বগুড়ায় শাহ সুফি ফতেহ আলী মাযার কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
Tumblr media
জিএম মিজান, বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ায় হযরত শাহ সুফি ফতেহ আলী আস্কালী (রঃ) মাযার শরীফ’র কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বগুড়ার জেলা প্রশাসক ও মাযার কমিটির সভাপতি ফয়েজ আহাম্মদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আয় ব্যয়ের তথ্য উপস্থাপন করেন মাযার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র সামছুদ্দিন শেখ হেলাল। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ মন্ডল, মাজার কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল খালেক, মোহাম্মদ আবদুল বাসেত, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মোঃ হাফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক লেলিন শেখ, কোষাধক্ষ্য আব্দুল হানিফ শেখ, দপ্তর সম্পাদক মোস্তফা কামাল বিপ্লব, জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আন��য়ার হোসেন রানা প্রমুখ। শাহ ফতেহ আলী শিশু হাসপাতালের জন্য গেট নির্মাণ করা ও আগামী ২২শে বৈশাখ ৫ই মে রোজ মঙ্গলবার মাজারের ২৪৪ তম ওরশ মোবারক পালনের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
0 notes
atique-rejvee · 6 months
Text
ওলীগণ জীবীত
সমস্ত বেলায়াত প্রাপ্ত ওলীরা তাদের স্বীয় কবরে জীবিত রয়েছেনঃ এ বিষয়ে ইমাম সুয়ূতী (রহ) তাঁর লিখিত ‘শরহুস সুদূর’ গ্রন্থে বিস্তারিত আলোকপাত করেছেন। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন- عَن عِكْرِمَة قَالَ قَالَ إِبْنِ عَبَّاس الْمُؤمن يعْطى مُصحفا فِي قَبره يقْرَأ فِيهِ -‘‘মু‘মিনকে (ওলীদেরকে) তার কবরে কুরআন শরীফ দেয়া হয়। তথায় সে পাঠ করে।’’২২৪ তাই বলতে চাই, একজন মু‘মিনের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে…
View On WordPress
0 notes
kalombani · 5 years
Text
কালীগঞ্জের জোড়বাংলা মসজিদ
কালীগঞ্জর বারোবাজার মৌজায় জোড় বাংলা মসজিদটি অবস্থিত। ১৯৯২-৯৩ সালে প্রত্নতত্ব বিভাগ কর্তৃক খননের ফলে আবিষ্কৃত হয়েছে এক গম্বুজ বিশিষ্ট এ মসজিদটি। মসজিদের পাশে রয়েছে কয়েকটি কবর। ছোট ছোট সুন্দর পাতলা ইটে গাঁথা এ মসজিদটি ১০/১১ ফুট উচুঁ প্লাট ফর্মের উপর প্রতিষ্ঠিত।মসজিদে প্রবেশের পথটি উত্তর-পূর্ব কোণে অবস্থিত। এ প্রবেশ পথ থেকে দীঘি পর্যন্ত ইটের তৈরী বিশাল সিঁড়ি নেমে গেছে। বর্গাকৃতি এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি পুনঃ নির্মিত হয়েছে। এখানে নিয়মিত নামাজ আদায় করেন এলাকার মানুস। পশ্চিম দেয়ালে অর্ধবৃত্তাকারে পোড়ামাটির নক্সা ও অলংকরণে ৩টি মেহেরাব আছে। চুন বালির প্লাস্টারের কাজও লক্ষ্য করা যায়। মেহেরাবের দুই পাশেই ছোট পিলার আছে। কেন্দ্রীয় মেহরাবটি ফুল ও লতাপাতা অংকিত ইটের তৈরী। স্থাপত্য শিল্পের সৌন্দর্য ও কারুকার্যময় এ দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি মুসলিম সভ্যতা ও উৎতর্ষের নিদর্শন।সম্ভবত ৮০০ হিজরীতে শাহ সুলতান মাহমুদ ইবনে নুসাই মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। সাদিকপুর মসজিদ, খান জাহান আলী (রাঃ) মাজার সংলগ্ন মসজিদ, ডুমুরিয়ার সারসনগর মসজিদ, অভয়নগরের শুভা���াদা মসজিদ এবং বাগেরহাট বিবি কেরানী মসজিদর নির্মাণ শৈলীর সাথে এ মসজিদের সাদৃশ্য আছে। জোড়বাংলা মসজিদের উত্তরের পুকুরটি অন্ধপুকুর নামে পরিচিত এলাকার সবার কাছে। সুলতান মাহমুদ শাহের শাসনামলে মুসল্লীদের ওযু ও পানীয় জলের প্রয়োজনের কারণে এ পুকুর খনন করা হয়েছিল। মসজিদের উত্তর-পূর্বের প্রবেশ দ্বার থেকে অন্ধপুকুরের তলদেশ পর্যন্ত ইট বাঁধান সিঁড়ির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।গলাকাটা মসজিদ থেকে কয়েকশ গজের মধ্যেই জোড়বাংলা মসজিদের অবস্থান। জোড়বাংলা নামকরণ সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য নেই। তবে প্রচলিত লোককথা মতে ঐ স্থানে একটা জোড়া কুড়ে ঘর ছিল। সে কারনেই এর নাম করন করা হয় জোড়বাংলা। আবার কারো কারো মতে এখানে জোড়া দিঘি ছিল। যার কারণে জোড়বাংলা নামকরণ হয়েছে। ১৯৯২ সালে প্রতœতত্ব বিভাগ খুলনা, মসজিদটির খনন কাজ সম্পন্ন করে। বর্গাকৃতির মসজিদটির প্রবেশপথ উত্তর-পূর্ব পার্শ্বে। উত্তরপার্শ্বের প্রবেশপথ থেকে পার্শ্ববর্তি দিঘির ঘাট পর্যন্ত ইটের রাস্তার সন্ধান মেলে। মুসল্লীদের অযু করার জন্য এই ঘাটটি ব্যবহৃত হতো। সম্প্রতি তৈরি একটি পাকা রাস্তা, ঘাট ও মসজিদটিকে আলাদা করে ফেলেছে। এই এলাকা হতে একটি শিলালিপির কয়েকটি ভগ্নাংশ আবিষ্কৃত হয়। শিলালিপি থেকে সঠিক তথ্য উদঘাটন করা না গেলেও অনুমান করা হয় যে, আলাউদ্দিন হুসাইন শাহের পুত্র সুলতান গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ শাহের শাসনকালে মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল। খননকালে কোন গম্বুজের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। বর্তমানে একটি গম্বুজসহ মসজিদটি পুণঃনির্মিত হয়েছে। কেবলা দেওয়ালে রয়েছে তিনটি অর্ধবৃত্তআকৃতির মেহরাব। যদিও একদা জির্ণ অবস্থায় ছিল তাদের ভেতর দিকে প্যানেল ও বাধন দ্বারা সুসজ্জিত। মেহরাবের দু পাশে দেয়ালের সঙ্গে সংযুক্ত ছোট পিলার অবস্থিত এবং আয়তাকার ফ্রেম দ্বারা প্রান্তসীমা বাধানো।ভিতর থেকে উত্তর ও দক্ষিণ দেওয়ালের প্রতিটিতে দুটি করে মসজিদের দেওয়ালে চারটি ছোট কুলঙ্গি আছে।যা দেখতে খুবই সুন্দর।দুরদুরান্ত থেকে অনেক মানুষ মসজিদ টি দেখতে আসেন। কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার একটি প্রাচীন জনপদ। এটাকে অনেকে বারো আউলিয়ার শহর বলে থাকেন। ইসলাম প্রচারের জন্য বারো আউলিয়া এসেছিলেন এই জনপদে। প্রায় তিন বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে এখানে আছে পুরানো শহর মোহম্মদাবাদ।১৯৯৩ সালে এখানকার মাটি খুড়ে সন্ধান মেলে ১৫ টিরও বেশি মসজিদ। এগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই প্রাচীন শহর মোহাম্মদা বাদের পুরানো ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায়, প্রাচীন কালে বারোবাজারের নাম ছিল ছাপাইনগর।এ নগর ছিল হিন্দু আর বৌদ্ধ শাসকদের রাজধানী। বারো আউলিয়া আসার আগে বৈরাট নগরের বাদশা শাহ সিকান্দার তার সংসর ত্যাগী সন্তানদের কর্মকা- ছিল এই জনপদে। পরবর্তীতে বারোজন সহচর নিয়ে হযরত খাজা খানজাহান আলী (রঃ) এখানে আসেন। সেখান থেকেই এর নাম হয় বারোবাজার।যুদ্ধ কিংবা মহামারিতে ছাপাইনগর ধ্বংস হয়ে যায়। থেকে যায় প্রাচীন ইতিহাস। বারোবাজারের মসজিদ গুলোর সঙ্গে বাগেরহাটের কয়েকটি মসজিদের বেশ মিল খুঁজে পাওয়া যায়।ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের পশ্চিম পাশে বারোবাজার। মহাসড়ক ছেড়ে তাহেরপুর সড়ক ধরে পশ্চিম দিকে যেতে রেল লাইন পেরিয়ে হাতের ডানে শুরুতেই পাওয়া যাবে এক গম্বুজ বিশিষ্ট পাঠাগার মসজিদ। বারোবাজারের সবচেয়ে বড় সাতগাছিয়া আদিনা মসজিদ।৩৫ গম্বুজ বিশিষ্ট প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া এ মসজিদটির ভেতরে এখনো দেখা যায় ৪৮ টি পিলার। লাল ইটের তৈরি এই মসজিদ আকারে ছোট। দীর্ঘদিন মাটি চাপা পড়ে থাকার পর ২০০৭ সালে প্রতœতত্ব অধিদপ্তর মসজিদটি সংস্কার করে।জনশ্রুতি আছে সুলতানী আমলে নির্মিত এই মসজিদ কেন্দ্রীক একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার ছিল। মসজিদের পাশেই বড় আকারের একটি দিঘি, নাম পিঠেগড়া পুকুর। আবারও তাহেরপুর সড়ক ধরে সামনে এগুতে হবে। দুটি বাঁক ঘুরলেই বিশাল দিঘি, নাম পীর পুকুর। পশ্চিম পাড়ের মাঝ বরাবর বেশ বড় আকৃতির মসজিদ পীর পুকুর মসজিদ। এই মসজিদও ছিল মাটির নিচে।১৯৯৪ সালে খনন করে বের করা হয়েছে। এই মসজিদে ছাঁদ নেই, শুধু দেয়াল আছে। মসজিদটি লাল ইটের তৈরি। তাহেরপুর সড়ক ধরে সামান্য পশ্চিম দিকে এগুলে হাতের বাঁয়ে একটু ভেতরের দিকে আরেকটি মসজিদের দেখা মিলবে। এর নাম গোড়া মসজিদ। এই মসজিদ চার গম্বুজ বিশিষ্ট।মসজিদের মিহরাব ও দেয়ালে পোড়ামাটির ফুল, লতাপাতা ফলের নকশাসহ নানান কারুকার্য মন্ডিত। বাইরের দেয়ালও লাল ইটে মোড়ানো। ১৯৮৩ সালে এই মসজিদের সন্ধান পায় প্রতœতত্ব অধিদপ্তর। এর পূর্ব পাশেও বড় আকৃতির একটি দিঘি আছে।মসজিদটি খননের সময় একটি কবরের সন্ধান মেলে। জনশ্রুত আছে কবরটি গোড়াই নামে কোন এক দরবেশের। এ থেকেই এর নাম গোড়ার মসজিদ। গোড়ার মসজিদ থেকে আবারও তাহেরপুর সড়কে সামনের দিকে চলতে হবে। সামান্য গেলে সড়কটির উত্তর পাশে আরও একটি মসজিদ।চার গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদের নাম শুনলে ভয় লাগাটাই স্বাভাবিক। নাম ‘গলাকাটা মসজিদ’। প্রায় ২১ ফুট লম্বা ও ১৮ ফুট চওড়া এই মসজিদ খনন করা হয় তোলা হয় ১৯৯৪ সালে। ছয় গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদের পশ্চিম দেয়ালে তিনটি মিহরাব আছে। এর দেয়াল গুলো প্রায় পাঁচ ফুট চওড়া। মাঝখানে আছে লম্বা দুটি কালো পাথর।১৯৯৪ সালে মসজিদের পাশেই পুরো এলাকায় তথা শহর মোহাম্মদাবাদের প্রতœতত্ব নিদর্শন গুলোর নির্দেশনা সম্বলিত হাতে আঁকা একটি মানচিত্র। জনশ্রুতি আছে, বারোবাজারে এক অত্যাচারী রাজা ছিল। প্রজাদের বলি দিয়ে ওই দিঘির মধ্যে ফেলে দিত সে। এ কারণেই এর নাম হয় গলাকাটা। গলাকাটা মসজিদের সামনে শহর মোহাম্মদাবাদের মানচিত্র। বারোবাজারের সবগুলো প্রতœততের¡ নির্দেশনা আছে এতে।গলাকাটা মসজিদ থেকে সামান্য পশ্চিম পাশে, সড়কের বিপরীত দিকে আরেকটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ। নাম জোড় বাংলা। মসজিদটি খনন করা হয় ১৯৯৩ সালে।খননের সময় এখানে একটি ইট পাওয়া যায়, তাতে আরবি অক্ষরে লেখা ছিল, ‘শাহ সুলতান মাহমুদ ইবনে হুসাইন, আটশো হিজরী’। জনশ্রুত আছে মসজিদের পাশে জোড়া কুঁড়েঘর ছিল বলেই এর নাম জোড় বাংলা মসজিদ।এবার পাশের সড়ক ধরে আরও কিছু দূরে এগুলে সাতগাছিয়া আদিনা মসজিদের সাইন বোর্ড চোখে পড়বে। পাকা সড়ক ছেড়ে হাতের ডানে মেঠোপথে সামান্য সামনের দিকে চলতে হবে। এখানেও বড় একটি পুকুরের দক্ষিণ পাশে সাতগাছিয়া আদিনা মসজিদের ধ্বংসাবশেষ।এটির শুধু দেয়াল আর নিচের অংশই অবশিষ্ট আছে। স্থানীয়দের মতে সর্ব প্রথম গ্রামের লোকজনই মাটিচাপা পড়ে থাকা এই মসজিদ উদ্ধার করে। আকারে এ এলাকার সবচেয়ে বড় মসজিদ এটি। প্রায় ৭৭ ফুট লম্বা ও ৫৫ ফুট চওড়া মসজিদের ভেতরে আছে ৪৮টি পিলার। পশ্চিম দেয়ালে লতা-পাতার নকশা সমৃদ্ধ তিনটি মিহরাব আছে।সাতগাছিয়া মসজিদ থেকে এবার চলে আসা যাক পেছনের দিকে। বারোবাজার রেল লাইনের পশ্চিম দিকে বিশাল এক দিঘির পশ্চিম পাড় ধরে একটি সড়ক চলে গেছে হাসিলবাগ গ্রামে। এখানেও একটি বড় দিঘির পশ্চিম পাশে রয়েছে এক গম্বুজ বিশিষ্ট নুনগোলা মসজিদ। বর্গাকৃতির এ মসজিদে তিনটি অর্ধ বৃত্তকার মিহরাব আছে।এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ এটি। স্থানীয়রা একে লবণগোলা মসজিদও বলে থাকেন। তবে এ নামকরণের কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। নুনগোলা মসজিদের সামান্য পশ্চিমে হাসিলবাগ গ্রামে আরও একটি এক গম্বুজ মসজিদ আছে।হাসিলবাগ মসজিদ নামে পরিচিত এ মসজিদের মূল নাম শুকুর মল্লিক মসজিদ। পোড়া মাটির তৈরি মসজিদটি এ অঞ্চলের সবচেয়ে ছোট এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ। এসব স্থাপনাগুলো ছাড়াও বারোবাজারে আছে আরও কিছু প্রসিদ্ধ স্থান।সবের মধ্যে উল্লেখযাগ্য হল ঘোপের ঢিবি কবরস্থান, নামাজগাহ কবরস্থান, জাহাজঘাটা, মনোহর মসজিদ, দমদম প্রতœতত্ব, বাদেডিহি কবরস্থান, খড়ের দিঘি কবরস্থান। via Blogger http://bit.ly/2IsM9yy
0 notes
gnews71 · 6 years
Photo
Tumblr media
পুনরায় দেশ সেবার সুযোগ দানের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পুনরায় দেশ সেবার সুযোগ এবং উন্নয়নের ধারবাহিকতা রক্ষায় নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহ্বানের মাধ্যমে আজ তাঁর নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন। এখানে শেখ লুৎফর রহমান ডিগ্রী কলেজ মাঠে আয়োজিত বিশাল জনসভায় শেখ হাসিনা আসন্ন নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধী, জাতির পিতার খুনী এবং অগ্নি সন্ত্রাসকারীদের নির্বাচনী জোটের বিরুদ্ধে নৌকাকে বিজয়ী করে তাদের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্যও দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান। তিনি দেশবাসীর সাহায্য ও দোয়া কামনা করে বলেন, ‘আমি নৌকা মার্কায় যাকেই, যেখানে প্রার্থী করেছি তাদের সবাইকে ভোট দেবার জন্য আমি দেশবাসীর কাছে আহবান জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘আজকে যারা ঐ মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, যাদের সাজা হয়েছে তাদের দোসরকে নির্বাচনে প্রার্থী করেছে। তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী- স্বাধীনতার শক্রু, গণহত্যা পরিচালনাকারী, অগ্নি সন্ত্রাসকারী-তাদেরকে নিয়ে আজকে নির্বাচনের মাঠে নেমেছে তাদেরকে উপযুক্ত জবাব আপনাদের দিতে হবে, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে।’ শেখ হাসিনা বলেন, তাই কোটালিপাড়াবাসীর মাধ্যমে সমগ্র দেশবাসীকে আমি আহবান জানাবো- ‘আমরা যেখানে ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করবো সেই সময় যেন ঐ যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতাবিরোধী, খুনী, রাজাকার এবং যারা অগ্নিসন্ত্রাসকারী তারা যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে। তাহলে তারা দেশকে ধ্বংস করে দেবে। মুক্তযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে দেবে।’ তিনি আশংকা ব্যক্ত করে বলেন, ‘বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় এলে আবার এদেশ ক্ষুধার্ত হবে, অশিক্ষিত হবে, মানুষের ভাগ্য বিপর্যয় ঘটবে।’ ‘মানুষের ভাগ্য নিয়ে যেন আর তারা ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেইজন্য নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জনগণের সেবাকরার সুযোগ দেয়ার জন্য আমি আহবান জানাচ্ছি,’ যোগ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু এটা আমার প্রথম নির্বাচনী সভা, তাই, এই সভা থেকেই আমি সমগ্র দেশবাসীর কাছে আবেদন জানাই- ‘নৌকা মার্কায় ভোট চাই। জনগণের সেবা করতে চাই। বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, জাতির পিতার স্বপ্ন আমি পূরণ করতে চাই।’ কোটালীপাড়ায় অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনার প্রথম নির্বাচনী বিশাল জনসভায় বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানাও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুভাষ জয়ধরের সভাপতিত্বে সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দীন আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং বিএম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, এসএম কামাল হোসেন অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন। এছাড়াও চলচ্চিত্রাভিনেতা রিয়াজ এবং ফেরদৌস এবং আওয়ামী লীগের স্থানীয় প্রার্থীগণ বক্তৃতা করেন। এরআগে প্রধানমন্ত্রী আজ দুপুরে টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে তাঁর এবং দলের নির্বাচনী প্রচারভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে আগামী নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আখ্যায়িত করে বলেন, আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। জাতির পিতার খুনীদের বিচার করেছি। বাংলাদেশ আজকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাচ্ছে, মুক্তযুদ্ধের সেই চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচ ুকরে দাঁড়িয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই যে বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয় তা আজকে আবার প্রমাণ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘নৌকায় ভোট দিয়ে আপনারা স্বাধীনতা পেয়েছেন, বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার পেয়েছেন, ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ আজকে বাস্তব, আজকে বাংলাদেশ কাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, আজকে বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, এই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা কেউ যেন বন্ধ করতে না পারে, এই অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে। বিশ্বসভায় বাঙালি জাতি যেন মাথা উঁচু করে চলতে পারে সেই সুযোগ আমি দেশবাসীর কাছে চাই। আর কোটালীপাড়ায় যারা আমার মা-বোনরা আছেন, তাদের কাছে ভোট চাই- তাঁদেরকে আমি বলবো আপনাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যে কাজ আমি করে গিয়েছি- আজকে শিক্ষা-দীক্ষা, কর্মসংস্থান- সবদিক থেকে আপনারা সুযোগ পেয়েছেন কারণ নৌকায় ভোট দিয়ে কেউ কখনও বঞ্চিত হয় না, নৌকায় ভোট দিলে সকলেই সুন্দর জীবন পায়, উন্নত জীবন পায়। আমার এই কথাটা আপনারা সকলের কাছে পৌঁছে দেবেন, বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। প্রধানমন্ত্রী দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের উল্লেখযোগ্য চিত্র তুলে ধরে বলেন, তাঁর সরকারের প্রতিটি কাজই জনকল্যাণের জন্য নিবেদিত। আর একটি শিক্ষিত জাতি পারে একটি দেশকে দারিদ্রমুক্ত করতে, সেইজন্য শিক্ষাকে তাঁর সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। সেইসঙ্গে সরকার দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার নিমিত্তে কারিগরি শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেছে। তিনি বলেন, তাঁর সরকার চায় বাংলাদেশে আর কেউ গরিব থাকবে না, বাংলাদেশ আর কখনও হাত পেতে চলবে না, যে কারণে তাঁর সরকার নি��স্ব অর্থায়ণে প্রণীত বাজেট ৭ গুণ বৃদ্ধি করে দিয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে আজ ২০১৮ সাল পর্যন্ত আমরা সরকারে। আজকে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। যে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছিলাম, খালেদা জিয়া সেটা বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা আবার তা চালু করেছি। আজকে মানুষ বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে, ঔষধ পাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘দেশকে আমি নিরক্ষরতামুক্ত করতে চেয়েছিলাম। সেই প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছিল বিএনপি। আমরা সরকারে এসে আজ তা বাস্তবায়ন করেছি। বাংলাদেশে নিরক্ষরতা দূর করবার পথে আজ আমরা অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছি।’ বিদ্যুতের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। তাঁর সরকারের লক্ষ্যসমূহ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিনি দেশকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবেন। প্রতিটি গ্রামের মানুষ শহরের সুযোগ-সুবিধা পাবে, অর্থাৎ আমার গ্রাম আমার শহর হিসেবে গড়ে উঠবে।’ সেজন্য তাঁর সরকার প্রতিটি স্থানে স্কুল, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, কারিগরি শিক্ষার সুবিধা, রাস্তা-ঘাট, পুল, ব্রীজ নির্মাণ করে যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধা এবং অবকাঠামো উন্নয়ন করে দিচ্ছে। জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করেই তাঁর রাজনীতি এবং ব্যক্তি জীবনে তাঁর চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন এবং তাঁদেরকে উন্নত জীবন দেওয়াই তাঁর রাজনীতির লক্ষ্য। এ সময় বিএনপি-জামাতের নির্বাচন বানচালের জন্য ২০১৪ এবং ১৫ সালের আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, সন্ত্রাস এবং নৈরাজ্যের তীব্র সমালোচনা করে শেখ হাসিনা প্রশ্ন তোলেন এটা কি ধরনের রাজনীতি। প্রধানমন্ত্রী আসন্ন নির্বাচন সম্পর্কে বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন, আমি জাতির পিতার মাজার জিয়ারত করে প্রথম নির্বাচনী সভা আজকে এই কোটালীপাড়ার মাটি থেকেই শুরু করলাম। কারণ আপনারাই আমাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট আমার মা-বাবাসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এমনকি তাদের বিচার যাতে না হয় সেজন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশও জারি করা হয়। খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেয়া হয়। ‘১৯৮১ সালে দেশে ফিরে থানায় গিয়ে মামলা পর্যন্ত করতে পারিনি। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে, পরে ওই ইনডেমনিটি আদেশ বাতিল করে জাতির পিতার খুনিদের বিচার করা হয়। আমরা যুদ্ধাপরাধের বিচার করেছি এবং করছি। অনেকের বিচারের রায়ও কার্যকর হয়েছে’। দেশবাপী ৩শ’ আসনের প্রতিই তাঁর খেয়াল রাখতে হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হয় যে কারণে অন্য প্রার্থীদের মত নিজের নির্বাচনী এলাকায় তিনি সময় দিতে পারেন না। তাই টুঙ্গীপাড়া এবং কোটালীপাড়ার জনগণ তাঁর এই নির্বাচনী এলাকার দায়িত্ব গ্রহণ করায় তিনি এ সময় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, আজ আমি পিতা-মাতা, ভাইহারা, আপনারা দায়িত্ব নিয়েছেন এবং প্রতিবার নির্বাচনে সে দায়িত্ব আপনারাই পালন করেন। আপনারাই ভোট দেন এবং আপনাদের ভোটেই নির্বাচিত হয়ে দেশের সেবা করার সুযোগ পাই। এখনও আমি আপনাদের কাছে সেই দায়িত্ব দিয়ে যাচ্ছি যে, আমার আপনজন বলতে ঐ একটা ছোট বোন (শেখ রেহানা) আছে আর আছেন আপনারা। আপনারাই আমার আপনজন হয়ে এই কোটালীপাড়া-টুঙ্গীপাড়ায় গ্রামে গ্রামে মানুষের কাছে গিয়ে আমাকে নৌকা মার্কায় ভোট প্রদানের জন্য বলবেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমি নৌকা মার্কায় ভোট চাই, কাজেই সেই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে আর একটিবার দেশসেবার সুযোগ করে দেবেন। তিনি বিদায় বেলায় কবির ভাষায় উচ্চারণ করেন ‘নিঃস্ব আমি, রিক্ত আমি, দেবার কিছু নাই, আছে কেবল ভালবাসা দিয়ে গেলাম তাই।’
0 notes
paathok · 4 years
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/123956
মেয়র নির্বাচিত হলে সকল সংস্থার সমন্বয়ে চীরস্থায়ী জলবদ্ধতা নিরসনের উদ্যোগ নেব: ড. শাহাদাত
.
চসিক নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহবায়ক ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বর্তমানে চট্টগ্রামে নাগরিক সুবিধা বলতে কিছুই নাই। বর্ষা মৌসুমে অতি বৃষ্টি ও জোয়ারের কারণে চট্টগ্রাম পানির নিচে তলিয়ে যায়। সেই দৃশ্য আমরা সবাই দেখেছি। বর্ষা মৌসুমে নগর জুড়ে ভয়াবহ জলজট সৃষ্টি হয়। তখন মানুষকে বলতে শুনেছি চট্টগ্রাম অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। চট্টগ্রামে আর বসবাস করা যাবে না। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন একটি মেগাসিটি, স্মার্ট সিটি, নির্মল পরিবেশবান্ধব শহর নগরবাসীর প্রত্যাশা। আমি মেয়র নিবার্চিত হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে  সকল সংস্থার সমন্বয়ে সবার আগে জলাবদ্ধতা নিরসন করবো।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারী) নগরীর ২৪নং উত্তর আগ্রাবাদ ও ২৭ নং দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ডে ধানের শীষ প্রতিকের পক্ষে নির্বাচনী গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন।
নগরীর উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের ���াদামতলী মোড় থেকে গণসংযোগ শুরু হয়ে মৌলভীপাড়া, চৌমুহনী বাজার, হাজিপাড়া, পানওয়ালাপাড়া, আসকারাবাদ, মিয়াবাড়ী, মোল্লাপাড়া, মুহুরীপাড়া, রঙ্গিপাড়া, শান্তিবাগ, বসুন্ধরা হয়ে মুন্সিপাড়া ও দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের হালিশহর শাপলা ক্লাবস্থ জিলানী টাওয়ারের সামনে থেকে শুরু হয়ে বেপারী পাড়া সিডিএ আবাসিক বুডির মাজার, বলির পাড়া, সিডিএ নং রোড, শিশু হাসপাতাল, শিশু পার্ক, আবিদের পাড়া হয়ে লাকি প্লাজার মোড়ে এসে পথসভায় মিলিত হন।
.                   
এসময় ধানের শীষের প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন জলবদ্ধতা নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনা নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে উল্লেখ করে বলেন, নগর উন্নয়নে সঠিক পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। যতদিন পর্যন্ত জলাবদ্ধতা নিরসন হবে না ততদিন পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরবাসীর দুঃখ দুর্দশা লাঘব হবে না। নিবার্চিত হলে নালা—নর্দমা, খাল ও নদী খনন করে সার্বক্ষনিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবো। নগরবাসীর এসব প্রত্যাশা পূরণে নিজেকে আত্ননিয়োগ করবো। তাই সিডিএ, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বন্দর, বিটিসিএল, পিডিবি, সিজিডিএলসহ সেবা সংস্থাগুলো নিয়ে সম্মিলিত পরিকল্পনা করে জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী সমাধান করার উদ্যোগ নিব।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নগরীতে অনেক এলাকায় এখনো গ্যাস, সুপেয় পানির সমস্যা রয়েছে৷ সে সব এলাকা চিহ্নিত করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেখানে সুপেয় পানির ব্যবস্থা এবং গ্যাসের সংযোগ প্রদানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। বর্তমানে মশার প্রজনন মৌসুমে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে৷ জনগণ মশার উপদ্রুপে এত বিরক্ত তা জীবন যাপনে কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে মশা নিধনে পর্যাপ্ত বরাদ্দ নেয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সংস্থাসহ সকলের সহযোগিতায় মশার নিধনে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে পরিকল্পিত উন্নয়ন হচ্ছে না, যার যখন যেখানে ইচ্ছে সেটা নির্মাণ করছে। চট্টগ্রামকে আগামী ২০—৫০ বছরের পরিকল্পনা নিয়ে এ শহরের উন্নয়ন করতে হবে। ফ্লাইওভার, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ এসব পরিকল্পিত উন্নয়ন করতে বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় সেবা সংস্থার সমন্বয় করবো। আগামী ৫০ বছর পর গিয়েও যেন আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারে। ব্যক্তি স্বার্থে চট্টগ্রামকে পিছিয়ে না নিয়ে সকল রাজনৈতিক দলের নেতাসহ সকল শ্রেণি— পেশার মানুষ নিয়ে পরামর্শ কমিটি করে পরিকল্পিত, নান্দনিক, বাসযোগ্য নগরী হিসাবে গড়ে তুলবো।
গণসংযোগে অংশ নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর বলেন, উন্নয়নের নামে সরকারের নেতাকর্মীরা শুধু পকেট ভারি করেছে। নগরবাসীর কল্যাণে কোনো কাজ করা হয়নি। শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা থেকেও মানুষ বঞ্চিত। খাদ্য দ্রব্যের দাম অনেক বেশি। এতে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা বেশি সমস্যায় পড়েছেন। আগ্রাবাদ এলাকায় প্রধান সমস্যা মাদক ও সন্ত্রাস। এই সরকারের আমলে এখানে মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসও ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবস্থাও চরম পর্যায়ে ঠেকেছে। ডা. শাহাদাত হোসেন মেয়র হলে এগুলো বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে।
গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন—মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, সদস্য গাজী সিরাজ উল্লাহ, মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, ডবলমুরিং থানা বিএনপির সভাপতি ও কাউন্সিল প্রার্থী মো. সেকান্দর, উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী এস এম ফরিদুল আলম, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী খালেদা বোরহান, নগর বিএনপি নেতা মাহবুবুল হক, মো. ইকবাল হোসেন, সাবের আহমেদ, বুলবুল আহমেদ, মো. জমির আহমদ, লুৎফুর আলম, নগর মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি হাজী মো. হোসেন, দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফয়েজুল ইসলাম, নগর তাতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড বিএনপির সা. সম্পাদক মঞ্জুর মিয়া, বিএনপি নেতা এড. সিরাজুল ইসলাম, সেলিম হাফেজ, ছালেহ জহুর, আব্দুর রহমান কোম্পানী, কামাল উদ্দিন সদার্র, মো: শহীদ, হাসান রুবেল, মিজানুর রহমান মোস্তফা, আব্দুল মাবুদ, নগর যুবদলের সহসভাপতি মিয়া মোহাম্মদ হারুণ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি খাইরুল আলম দিপু, মাঈনুদ্দিন রাশেদ, যুগ্ম সম্পাদক মো. সিরাজ, মো. আলমগীর, ওসমান গণি সিকদার, আবু সৈয়দ কালু, জাহাঙ্গীর আলম মানিক, নগর ছাত্রদল নেতা জাফরুল হাসান রানা, রিয়াদ হোসেন, বিএনপি নেতা ইসমাইল হোসেন, ইদ্রিস আলম, মো. জহুর, মো. সালাউদ্দিন, আলতাফ হোসেন, সিদ্দিক মিয়া, তাজুল ইসলাম রানা, মঞ্জুর আলম মঞ্জু, নাজিম উদ্দিন খান, আব্দুল হাকিম, রেজাউল করিম মিঠু, দীন মোহাম্মদ, ছাদেকুর রহমান রিপন, অঙ্গ সংগঠনের নেতা বজল আহমদ, একরাম সিদ্দিকী, শফি রানা, তাজুল ইসলাম তাজু, জাহাঙ্গীর আলম বাচা, গোলাম শফি দুলু, হেলাল উদ্দিন, আবু নাঈম দুলাল, মো: রাজীব উদ্দীন, মো: আজাদ, মামুনুর রশীদ মামুন, নুরুল আলম মো. রাসেল, মো. মনির, মো. ইমন, মো. রণি, রাসেল খান, মো. লিটন, সাইমন হোসেন, বাকের, আকতার, জনিসহ প্রমুখ
0 notes
a-somnambulist-blog · 6 years
Text
আলমগীরের দরবারে
তথ্যকেন্দ্র ও উত্তরবঙ্গ সংবাদের শারদাঞ্জলি - ২০১৮ তে প্রকাশিত
'टोपियों की सिलाई करके मैंने चार रूपये दो आने जमा किये हैं। यह रक़म महालदार लाइलाही बेग के पास जमा है। इस रक़म से मुझ गुनहगार पापी का कफ़न ख़रीदा जाय।'
উপরের বাক্যের বাংলা তর্জমা করলে মোটামুটি দাঁড়ায় ঃ 'টুপি সেলাই করে আমি চার টাকা দু আনা পয়সা জমিয়েছি। মহলদার লাইলাহী র কাছে এই টাকা জমা আছে। এই টাকা দিয়েই আমার মতো মহাপাপীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হোক।'
এক যুদ্ধনায়কের জীবনের শেষ বয়সে লেখা চিঠি। লেখক কে জানেন? আপনার প্রিয় ফেলুদার 'বাদশাহি আংটি'র বাদশাহ......... আবদুল মুজাফফার মুহি-উদ-দিন মহম্মদ অউরঙ্গজেব। আসমুদ্র হিমাচল কাঁপানো সেই মুঘল সম্রাট অউরঙ্গজেব......ইতিহাস যাকে অত্যাচারী, খুনি, সন্দেহপ্রবন আরও না জানি কত কি বিশেষণে ভূষিত করেছে...... সেই সম্রাট আলমগীর অউরঙ্গজেবের মুখে এই কথা?...... সত্যিই অবিশ্বাস্য। দিল্লিতে হুমায়ুনের সমাধি দেখেছি, সিকান্দ্রাবাদে আকবরের সমাধি, তাজমহলে শাহজাহানের সমাধি --- এঁদের সমাধিগুলির বিশালত্ব ও আড়ম্বর কোথাও গিয়ে তা��দের ব্যাপ্তি ও ক্ষমতাকেই প্রতিফলিত করে। কিন্তু আলমগীর অউরঙ্গজেব? মুঘল সাম্রাজ্যের সবচাইতে ক্ষমতাশীল ও বিত্তবান শাসক.? যার মৃত্যুর পরেই ভারতবর্ষে থাবা বসানোর সাহস পায় ব্রিটিশরা সেই মানুষটির সমাধিটি কোথায়? কেমনই বা তার বিশালত্ব? ভারতবর্ষের মানচিত্রে তাকে শেষমেশ খুঁজে পেলাম একটি নাম না জানা অখ্যাত জায়গায়। ইন্টারনেটে ছবি দেখে হোঁচট খেয়েছিলাম বটে তবে পুরোপুরি তাজ্জব বনে গেলাম মহারাষ্ট্রের খুলদাবাদে সেই সমাধির সামনে দাঁড়িয়ে......না... সৌন্দর্য বা বিশালত্বে নয়........বরং তার সাধারণত্বে। কোনও এক পীর ফকিরের মত খুব সাধারণ একটি মাজার। সম্রাটের নির্দেশ মতোই অতি সাধারণ ভাবেই তাকে সমাধিস্ত করা হয়েছিল খোলা আকাশের নিচে। খুব সামান্য যতটুকু আড়ম্বর দেখলাম তাও তার মৃত্যুর অনেক পরে তৈরি। প্রশ্ন ওঠে এ কোন আলমগীর...? উত্তর থেকে দক্ষিণ...... এত রাজ্য জয়...... এত সম্পত্তি...... এত রক্তপাত...... কিসের জন্য? ইতিহাস আমাকে ভাবায়, ঐতিহাসিক স্থানে গেলে আমি রোমাঞ্চিত হই, অসাধারণ শিল্প- স্থাপত্যশৈলী দেখে মুগ্ধ হই......... কিন্তু সম্রাট অউরঙ্গজেবের সমাধি দেখার অনুভূতি এর সবার চেয়ে আলাদা। সমাধিটাই যেন ইতিহাসের খুব 'চেনা' মানুষটাকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে। কোনও এক শায়রের কয়েকটি পঙক্তি মনে পড়ে যায়......
'জো চন্দ লমহো মে কট জায়ে ওহ ক্যায়া জিন্দগি,
জো আশু মে বেহ জায়ে ওহ ক্যায়া জিন্দগি,
জিন্দগি কা তো ফলসাফা কুছ ঔর হি হ্যাঁয়
জো হর কিসি কো সমঝ আয়ে ওহ ক্যায়া জিন্দগি।'    
এক জিন্দগিতে একবার অন্তত দেখে আসা যায় এই বিতর্কিত সম্রাটের সমাধিটি...... 'আলমগীরের দরবার শহর'...... খুলদাবাদ তথা অউরাঙ্গাবাদে।  
কি ভাবছেন? এক সমাধি দেখার জন্যে এই কলকাতা থেকে পাড়ি দেবেন সুদূর মহারাষ্ট্রের অউরাঙ্গাবাদে? খরচা, সময়, ছুটি -- কিছুতেই পোষাচ্ছে না তাই তো? তাহলে দাঁড়ান...... চমকের তো সবে শুরু......। অউরাঙ্গাবাদ বলতেই আপনার নিশ্চয়ই মনে পড়ে গেছে ফেলুদা থুড়ি কৈলাসে কেলেঙ্কারির কথা। 'কৈলাস' অর্থাৎ ইলোরা এবং সঙ্গে অজন্তা। অউরাঙ্গাবাদ থেকে ইলোরার দূরত্ব মাত্র ৩০ কিমি আর অজন্তা ১০০ কিমি। আমার দেড় ছটাক বুদ্ধি বা দু চিমটে মননশীলতা দিয়ে অজন্তা বা ইলোরার ব্যাখ্যা সম্ভব নয়। তাই যাওয়ার আগে শ্রীনারায়ণ স্যানালের 'অপরূপা অজন্তা' বইটি পড়ার অনুরোধ রাখলাম। এটুকু বলতে পারি......... ভারতবর্ষের মানচিত্রে এর থেকে বড় স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন আর নেই। আজ থেকে প্রায় দেড় দু হাজার বছর আগে কোনও এক রাষ্ট্রকূট বংশের রাজাদের নির্দেশে বা কোনও বৌদ্ধ ধর্মগুরুর আদেশে একদঙ্গল লোক ছেনি হাতুড়ি নিয়ে টুক টুক করে পাহাড় কেটে এগুলো বানিয়ে ফেললো...... এটাকে যুক্তিসঙ্গত ভাবে কিছুতেই সাজাতে পারিনি আমি। কোথাও একটা চূড়ান্ত 'ফাঁকি' রয়েছে মশাই.........। হয় ফাঁকি আমাদের 'বোধশক্তির' (?) ......না হয় 'ফাঁকি' আমাদের জানার(?)...... না হলে 'ফাঁকি' আমাদের কল্পনাশক্তির (?)। 'কিংকর্তব্যবিমূঢ়', 'দিশোহারা', 'বাকরহিত' --- এইসব শব্দগুলির বাস্তব প্রতিরূপ যদি আপনি অনুভব করতে চান তাহলে আপনাকে একবার গিয়ে দাঁড়াতেই হবে এই দুটি 'অসম্ভব কীর্তির' সামনে।
ফিরে আসি আলমগীরের দরবারে। অজন্তা বা ইলোরার জৌলুসে যা বেশীরভাগ সময়েই ঢাকা পড়ে যায়। অউরাঙ্গাবাদ শহরের ইতিহাস অউরঙ্গজেবের থেকেও অনেক পুরনো। ভারতবর্ষের প্রায় বারশো বছর আগের ইতিহাসে দেবগিরি পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এই শহরের উল্লেখ পাওয়া যায়..... তৎকালীন নাম দেবগিরি বা বা রাজাতালাকা। পরবর্তী ইতিহাসের পাতায় এই শহর পরিচিত হয় দৌলতাবাদ নামে। উপস্থাপনায়.... ভারতবর্ষের আর এক স্বনামধন্য 'বিতর্কিত' সম্রাট-- মহম্মদ বিন তুঘলক...... হ্যাঁ... ইতিহাসের সেই পাগলা রাজা...... (অবশ্যি আমার তাকে 'পাগলা রাজা' বলাতে ঢের আপত্তি আছে)।  কোনও এক অজ্ঞাত কারণে নিজের রাজধানী দিল্লি থেকে এই দৌলাতাবাদে স্থানান্তরিত করেন এবং দিল্লিবাসীদের বলপূর্বক বাধ্য করেন দাক্ষিণাত্যের এই মালভূমি শহরে এসে বসবাস করতে। তবে প্রচণ্ড জলকষ্টে দু বছরের মধ্যেই আবার রাজধানী দিল্লিতে ফেরত নিয়ে যান। ইতিহাসের এই গল্প প্রায় সবারই জানা। যেটি অপেক্ষাকৃত কম জানা সেটি হল এইখানেই রয়েছে ভারতবর্ষের হয়ত একমাত্র 'অজেয়' দৌলতাবাদ কেল্লা। যাদব বংশের তৈরি এই কেল্লার রক্ষণ ব্যাবস্থা চোখ কপালে তোলার মতো। বহু দূর থেকেই আপনি দেখতে পাবেন অদ্ভুত মসৃণ এক খাড়াই ত্রিভুজাকৃতি পাহাড়ের ওপরের এই কেল্লাটি। গোটা কেল্লার কেবল একটিই মুখ্য ফটক, চারধারে পাহাড় কেটে বানানো প্রায় একশ ফুট গভীর পরিখা, চোরা অন্ধকার গলি, মারণ ফটক, পেল্লাই কামান ...... আর কত বলব। আলাউদ্দিন খিলজি সমেত কত রথী মহারথীরা এই কেল্লা বার বার আক্রমণ করে কেন জিততে পারেননি......সে আপনি কেল্লাটিতে গেলে নিজেই বুঝতে পারবেন। প্রায় ঘণ্টা আড়াই লাগবে আপনার এই গোটা কেল্লাটি ঘুরে দেখতে। খুব সম্ভবত এই কেল্লাটির 'লোভেই' তুঘলক সাহেবের ওই দিল্লি থেকে রাজধানী বদল। কেল্লাটি ছাড়াও আপনি এখানে দেখবেন চাঁদ মিনার ও চিনি মহল। বিন তুঘলক ও বাহমনি শাসকদের হাত ঘুরে এই কেল্লাটি আসে আউরঙ্গজেবের দখলে এবং তারপর কালক্রমে মারাঠা, পেশওয়া এবং শেষে নিজামের অধিনস্ত হয়। কেল্লার প্রত্যেকটি পাথর যেন এক একটি ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে। আর এ ইতিহাস পরীক্ষার হলের সাল সন তারিখ চটকানো খাতা ভরানোর ইতিহাস নয়...... এ হোল মাথা ঘোরানোর ইতিহাস, গায়ে কাঁটা দেওয়ার ইতিহাস। আপনার নিজের হাঁটুজোড়া বিদ্রোহ ঘোষণা করার আগেই 'আক্রমণ' করুন এই কেল্লাটিকে। হলপ করে বলতে পারি 'কেল্লাফতে' আপনার হবেই হবে।
কেল্লাফতের পর সামান্য বিশ্রাম এবং তারপর মধ্যাহ্ন ভোজন। খোঁজ করুন 'নান খালিয়া'-র। লখনউ এর যেমন বিরয়ানী, অউরাঙ্গাবাদের তেমন নান খালিয়া। আলমগীরের দরবারের 'শাহী খানা'। বেশি কিছু বলছি না...... তবে এরকম কিছুর হাতছানি না থাকলে ওই দৌলতাবাদ কেল্লা জয় করা মুশকিল। ডান হাতের কাজটি চটপট সেরে ফেলে তৈরি হয়ে নিন দরবারের দ্বিতীয় পর্বের জন্য। প্রায় গোটা ভারতবর্ষ দখল করার পরেও অউরঙ্গজেবের রাজধানী ছিল এই অউরাঙ্গাবাদ। কারণ একটিই - দাক্ষিণাত্যে মুঘল সাম্রাজ্যের বিস্তারের অভিপ্রায় আর সে অর্থে অউরাঙ্গাবাদ তখন 'Gateway of Decan'। মারাঠাদের আক্রমণ থেকে অউরাঙ্গাবাদকে সুরক্ষিত করার জন্য শহরটিকে ঘিরে ফেলা হয় সুউচ্চ দেওয়ালে এবং প্রায় ৫২ টি ফটকে। যাদের মধ্যে প্রধান চারটি ফটক হল -- উতরের দিল্লি ফটক, দক্ষিণে পৈথান ফটক, পুবে জালনা ফটক আর পশ্চিমে মক্কা ফটক। গোটা শহরটি যেন এক কেল্লার রূপ দেওয়া হয়......। কয়েকটি ফটক কালক্রমে নষ্ট হয়ে গেলেও গোটা শহরে এখনও ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে অনেক গুলি ফটক......... এক ফটক দিয়ে ঢুকবেন আর অন্যটি দিয়ে বেরবেন...... সে এক মজার গোলকধাঁধা। এরকম এক আজব 'কেল্লা শহর' আমি অন্তত ভারতবর্ষে দ্বিতীয়টি দেখিনি। গাড়ি ভাড়া করে শহরে চরকি পাক দিতে দিতেই ঘুরে আসুন আরও দুটি দর্শনীয় স্থান -- প্রথমটি 'বিবি কা মকবারা' আর দ্বিতীয়টি 'অউরাঙ্গাবাদ গুহা'। এতক্ষণে হয়ত আপনার মনে পড়ে গেছে 'নকল তাজমহল' অর্থাৎ 'বিবি কা মকবারা' র কথা...... খুব সম্ভবত যা বানিয়েছিলেন অউরঙ্গজেব (বিতর্কে তাঁর পুত্র পুত্র আজম শাহ্)‌...... তাঁর স্ত্রী অর্থাৎ দিলরাস বানু বেগমের উদ্দেশ্যে। উর্দুতে 'বিবি' শব্দের অর্থ 'স্ত্রী' নয় বরং 'আভিজাত্য সম্পন্ন' এক মহিলা। আগ্রার তাজমহলের সাথে কোনরকম তুলনায় না গিয়ে মন খুলে উপভোগ করুন ওই অসামান্য শিল্পকর্মকে। একটা ছোট্ট তথ্য এখানে দিয়ে রাখাটা দরকার। শাহজাহানের নির্দেশে ১৬৩২ এ তাজমহল নির্মাণ করেন উস্তাদ আহমেদ লাহৌরি। প্রায় তিরিশ বছর পর অউরঙ্গজেবের নির্দেশে আহমেদ লাহৌরির পুত্র আতা-উল্লাহ তৈরি করেন এই 'বিবি কা মকবারা' --- একে বারে যাকে বলে 'পিতা-পুত্র সংবাদ'।      
শেষপাতে অবশ্যই 'অস্থমহাভায় অবলোকিতেশ্বর'....... অর্থাৎ 'অউরাঙ্গাবাদ গুহা'। খুব বেশি লোক যায় না এখানে। গাড়ি ভাড়া করলে অবশ্যই আগে থেকে বলে রাখবেন এই স্পটটির কথা। 'বিবি কা মকবরা' দেখেই চলে আস্তে পারেন এখানে.... দূরত্ব মাত্র দু কিমি। গাড়ি কিছুটা তলায় রেখে পাহাড়ের ওপরে মিনিট পনেরর হাঁটাপথ। ভারতবর্ষের ইতিহাসে অন্যতম প্রাচীন শহর এই অউরাঙ্গাবাদ থুড়ি দেবগিরি। প্রথম কি দ্বিতীয় শতাব্দীর ভারতবর্ষের অন্যতম দুই প্রধান শহর পৈথান এবং উজ্জয়ীনীর সাথে ইউরোপের ব্যাবসা বাণিজ্যের 'Trade Route'-এর গুরুত্বপূর্ণ শহর ছিল এই অউরাঙ্গাবাদ (থুড়ি দেবগিরি বা রাজাতালাকা) এবং অজন্তা। হয়ত এই প্রেক্ষাপটেই তৎকালীন দাক্ষিণাত্যে বৌদ্ধধর্ম প্রচারের তাগিদেই তৈরি হয়েছিল অজন্তা এবং এই অউরাঙ্গাবাদের গুহা...... আনুমানিক দু হাজার বছর আগে। অজন্তা গুহার মতোই এখানেও অনেকগুলি বৌদ্ধ গুহার সমাহার। শিয়াচল পর্বতশ্রেণীতে  প্রায় দু কিলোমিটার বিস্তৃত এবং মোট ১২টি গুহা আর তাতে অপরূপ পাথর খোদাইয়ের শিল্পকর্ম (iconography) -- চৈত্য গৃহ, শায়িত বুদ্ধ মূর্তি., মহানয়না ও হিনয়না স্তুপা, গুহাচিত্র, গর্ভগৃহ, বোধিসত্ত্ব.....সাক্ষ্য বহন করে চলেছে শতাব্দী প্রাচীন বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার কাহিনীর। ধারে ও ভারে অজন্তা গুহার সমতুল্য না হলেও একবার অন্তত চক্ষু সার্থক করে আসুন প্প্রাচীন ভারতবর্ষের অন্যতম 'মিসিং লিঙ্ক' এই পুরনোগুহা গুলির ভেতরে গিয়ে। অজন্তা গুহার মতোই বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারকালের বিভিন্ন অধ্যায়ের প্রতিচ্ছবি পাবেন এখানে। কোনও এক অজ্ঞাত কারণে এই গুহার অনেক কারুকাজই অসম্পূর্ণ...... জানিনা ইতিহাসের কোন প্রতিচ্ছবি লুকিয়ে আছে তার ভেতর।
ভ্রমণ শেষে আলমগীরের দরবারের 'পেশ-এ-খিদমৎ'.... হিমারু সিল্ক ও সেই অতিপ্রাচীন পৈথানী সিল্ক। এই অউরাঙ্গাবাদেই তৈরি হয় এই সিল্ক। হিমারু সিল্ক নাকি এসেছিল সম্রাট তুঘলকের হাত ��রেই। সিল্কের শাড়ি আর শালের ওপর পার্সিয়ান ডিজাইনের জরির অপূর্ব কারুকাজ। আর পৈথানী সিল্ক? প্রায় দুহাজার বছর আগে সাতকর্নি রাজবংশের আমলে এই সিল্ক সেই সুদূর গ্রীস আর রোমের বাজারে লালমোহন বাবুর ভাষায় যাকে বলে 'সেলিং লাইক হট কাচৌরিস।' দিনের শেষে প্রিয়জনের হাতে এই উপহার তুলে দেওয়ার আনন্দটাই হোক আপনার আলমগীরের দরবার থেকে বিদায়ী সুরের 'দরবারী কানাড়া'।  তাহলে শেষমেশ কি দাঁড়ালো? অজন্তা ও ইলোরার অপার্থিব সৌন্দর্যের কথা যদি বাদ দিলেও...... এক অনুতপ্ত পিতা ও দেশের অন্যতম সেরা সম্রাটের নিস্তব্ধ সমাধি, যুদ্ধের পটভূমিকায় বারুদের গন্ধ মেশানো এক দুর্ভেদ্য কেল্লা, এক 'অত্যাচারী' সম্রাটের প্রেমকাহিনীর প্রতিচ্ছবি, দু হাজার বছরের পুরনো বৌদ্ধগুহা এবং একটি ঐতিহাসিক 'কেল্লা শহর' -- খরচা, সময়, ছুটি সব ছাপিয়েও সারাজীবনের স্মৃতির হাতছানি আপনার সামনে।
আপনার সুবিধার্থে একটা ট্যুর প্ল্যান করে দিলাম। প্রথমে আপনাকে যেতে হবে ভুসওয়াল। হাওড়া থেকে ট্রেন আছে প্রচুর -- গীতাঞ্জলী এক্সপ্রেস, জ্বানেশ্বরী এক্সপ্রেস বা আজাদ হিন্দ এক্সপ্রেস। তবে সবথেকে ভালো বোধহয় হাওড়া- মুম্বাই দুরন্ত এক্সপ্রেস...... ভোরবেলায় পৌঁছে দেবে ভুসওয়াল। ব্রেকফাস্ট সেরে বাস বা গাড়িতে সোজা চলে আসুন অউরাঙ্গাবাদ....সময় নেবে ঘণ্টা চারেকের মত। স্নান খাওয়া সেরে অল্প বিশ্রাম নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন শহর দেখতে। দ্বিতীয় দিন একটা গাড়ি ভাড়া করে সারাদিন ধরে দেখুন আউরঙ্গজেবের সমাধি, দৌলাতাবাদ কেল্লা, বিবি কা মকবরা, অউরাঙ্গাবাদ গুহা। তৃতীয় দিনটা থাকুক ইলোরার জন্যে। আর চতুর্থ দিন সকালে ব্রেকফাস্ট সেরে হোটেল চেক আউট করে বেরিয়ে পড়ুন অজন্তার উদ্দেশ্যে। সারাদিন অজন্তা গুহাতে কাটিয়ে ভুসওয়াল থেকে রাতের হাওড়া- মুম্বাই দুরন্ত এক্সপ্রেস ধরে ফিরে আসুন। ট্রেনের টিকিট কাটার আগে দিন গুলো একটু দেখে নেবেন কারণ হাওড়া- মুম্বাই দুরন্ত এক্সপ্রেস সপ্তাহে চারদিন চলে। আর বিমানে যেতে চাইলে কাছাকাছি এয়ারপোর্ট মুম্বাই... সেখান থেকে গাড়িতে বা বাসে অউরাঙ্গাবাদ। অউরাঙ্গাবাদে প্রচুর হোটেল......অনলাইনে বুকিং পেয়ে যাবেন। তবে অউরাঙ্গাবাদে না থেকে অভিরুচি অনুযায়ী আপনি ইলোরাতেও থাকতে পারেন -- হোটেল কৈলাস -- একেবারে ইলোরা গুহার সামনে। 'কৈলাসে কেলেঙ্কারি' তে ফেলুদাও কিন্তু এখানেই ছিলেন।
0 notes
sylhetnews-blog · 6 years
Text
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান ৩ সমস্যা........
http://www.surmatimes.com/?p=79603 স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন দোড়গোড়ায়। প্রার্থীরা শেষ সময়ে ভোটারদের মনজয়ের চেষ্ঠা চালাচ্ছেন। অতীতের উন্নয়ন ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বাসযোগ্য মডেল নগরী গড়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ভোটারদের। আর ভোটাররা হিসেব কষছেন, প্রার্থীদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি কতোটা বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে। সিলেট নগরীর বাসিন্দারা জানান, জলাবদ্ধতা, যানজট আর বিশুদ্ধ খাবার পানি এই তিন সমস্যাকে যিনি গুরুত্ব দিবেন, তিনিই পরতে পারেন বিজয়মাল্য। এছাড়া নগরীতে রয়েছে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাব, পরিবহন সংকট, হকার সমস্যাসহ অন্যান্য নানা সমস্যা। এ সকল সমস্যা দূরীকরণে মেয়র প্রার্থীরা কে কি করছেন তার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সম্ভাবনার কথাও নগরবাসীর চিন্তায় রয়েছে। সাধারণ ভোটারদের দাবি, সম্মোহনী বক্তব্য নয়, নগরীর উন্নয়নে আন্তরিক প্রার্থীকে বিজয়ী করা হবে। অনেকে দলীয় প্রতীকের নির্বাচনকে দলের নির্বাচন বললে, সাধারণ ভোটারদের কথা প্রতীক নয়, উন্নয়নে প্রার্থীর আন্তরিকতা দেখেই তারা ভোট দেবেন। সরকারি দল কিংবা বিরোধী দলের প্রার্থী যেই হোক না কেনো বাজেট পাশ করতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের আন্তরিকতার অভাব নেই। নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী কিংবা আওয়ামী লীগ প্রার্থী বদর উদ্দিন কামরান যেই পাশ করুন না কেনো সিলেটের উন্নয়নে বরাদ্দ দিতে অতীতের মতো এবারো অর্থমন্ত্রীর কার্পণ্য থাকবে না। ২০১৩ সালের নির্বাচনে আরিফ ও কামরান প্রার্থী হয়ে সিলেট নগরীর যানজট নিরসন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, সাইবার সিটি গড়া, সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পানীয় জলের সমস্যার সমাধান, পরিবহন সংকট দূরীকরণ, শিক্ষার উন্নয়ন, হকার পূনর্বাসন, নগর বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, চিত্তবিনোদনের সুযোগ দেওয়া, প্রবাসী সেবাকেন্দ্র স্থাপন ও শিশুদের খেলার মাঠসহ পরিচ্ছন্ন ও আদর্শ সিলেট নগরী উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। জনসমর্থন আদায়ে তাদের সম্মোহনী বক্তব্য মন কেড়েছিল ভোটারের। তবে কামরান দু’মেয়াদে ও আরিফ এক মেয়াদে নগরভবনে আসীন হলেও ভোটারদের দেওয়া প্রধান প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিমত ভোটারদের। এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে সিসিকের ৪র্থ নির্বাচন। ৩০ জুলাই কে বসছেন সিসিকের মসনদে। কামরান না আরিফ ? এমন প্রশ্ন এখন জনমনে। তাইতো নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও বিএনপির দলীয় প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। তবে এবার সচেতন ভোটাররাও। আরিফ-কামরানের অতীত পর্যালোচনা করছেন তারা। গত ৩ বারের নির্বাচনে তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়ন করেছেন সে হিসেব কষছেন ভোটাররা। ২০০৩ সালের প্রথম সিটি নির্বাচনের ইশতেহারে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান নগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, নাগরিকদের সেবা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবা ও চিত্তবিনোদনের সুযোগ তৈরি, হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার���হ নগরীর অন্যান্য মাজার উন্নয়ন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শশান সংস্কার ও উন্নয়ন, শহীদ মিনার সংস্কার ও নির্মাণ, নগরীর সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার, ড্রেন সংস্কার, ফুটপাত নির্মাণ ও সংস্কার, হকার পুণর্বাসন, পানীয়জল সরবরাহ এবং নগরীর সৌন্দর্য বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেন। আর ২০০৮ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নির্বাচনে কারাগারে থাকাবস্থায় কোন ইশতেহার দেননি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। নির্বাচনের সময় দেওয়া বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতিই বাস্তবায়ন করতে পারেননি কামরান; এমনটা অভিমত ভোটারদের। স্থানীয়দের অভিযোগ, পানীয় জলের ব্যবস্থা, চিত্তবিনোদনের সুযোগ তৈরি, যানজট ও জলজট নিরসনসহ বিভিন্ন আশ^াস পুরণে ব্যর্থ হয়েছেন কামরান । তবে এ ব্যাপারে বদরউদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর সিংহভাগ প্রতিশ্রুতিই আমি বাস্তবায়ন করতে পেরেছিলাম। যে প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণ করা সম্ভব হয়নি তা পূরণ করতে গত নির্বাচনের ইশতেহারে সংযুক্ত করেছিলাম। কিন্তু পরাজিত হওয়ায় তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। তিনি দাবি করেন, বর্তমানে সিসিকের যে উন্নয়ন হয়েছে এর সবই আমার সময়কার পরিকল্পনার অংশ। এদিকে বিএনপি সমর্থিত আরিফুল হক চৌধুরীর ২০১৩ সালের নির্বাচনে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র পদে বিজয়ী হওয়া অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিলো- সিলেটকে সাইবার সিটিতে পরিণত করা। নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও জনবহুল স্থান ওয়াইফাইয়ের আওতায় নিয়ে আসার কথাও দিয়েছিলেন আরিফ। তবে মেয়াদ শেষ হলেও ইশতেহারের এই কথা রাখতে পারেননি তিনি। আরিফের নির্বাচনে আরিফের ১৪ দফার ইশতেহারে ছিল- সিটি করপোরেশনকে জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়া, নগরীর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন, নিজস্ব আয় বৃদ্ধি, পানীয় জলের সমস্যার সমাধান, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, যানজট ও পরিবহন সংকট দূরীকরণ, শিক্ষা উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন নগরী গঠন ও প্রবাসী সেবাকেন্দ্র স্থাপন। আরিফুল হক চৌধুরী আরো কথা দিয়েছিলেন তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে সিলেট নগরীর জন্য মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করবেন। সিলেট কারাগারের জায়গায় আধুনিক সাইবার সিটি গড়ে তুলবেন। পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের সময় নেয়া উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে নগরীর প্রতিটি ঘরে সুপেয় খাবার পানি পৌঁছে দিবেন। বেসরকারি উদ্যোগে নগর বাস সার্ভিস আরও সম্প্রসারণ এবং বিআরটিসি বাস ও ট্যাক্সি ক্যাব সার্ভিস চালু করবেন। পথচারীদের নিরাপদ পারাপারের জন্য ওভারজ ও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ফ্লাইওভার নির্মাণ করবেন। নগরীর শিক্ষার উন্নয়ন ও প্রসারে নগর বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করবেন। এ ছাড়া বিদেশের সঙ্গে লিঙ্ক প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রফেশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট স্থাপন করবেন। স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে স্যাটেলাইট ক্লিনিক স্থাপন করবেন। কিন্তু গত ৫ বছরে তার ইশতেহারে কথা দিলেও সব কথা তিনি রাখতে পারেননি। এখনো সুপেয় পানি সঙ্কট, জলাবদ্ধতা, যানজট, গণপরিবহন সঙ্কট- নগরীর প্রধান সমস্যা হয়ে রয়ে গেছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে কিছু উদ্যোগ নিলেও অল্প বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। নগর বিশ^বিদ্যালয়, ফ্লাইওভার, ফুটওভার ব্রিজের করার কথা দিলেও বাস্তবায়নে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। ইশতেহারের পূর্ণ বাস্তবায়ন না করতে পারা প্রসঙ্গে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আমি মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার পর একে একে সবগুলো প্রতিশ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিন পরই নানা ষড়যন্ত্র আর মামলার মাধ্যমে আমার উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যাহত হয়। প্রায় আড়াই বছর আমাকে কারাগারে আটকে রেখে নগরবাসীকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তারপরও যেটুকু সময় পেয়েছি সেই সময়ে নগরবাসীর জন্য কাঙ্খিত উন্নয়ন করতে চেষ্টা করছি। নগরবাসী আবার আমাকে মূল্যায়ণ করলে বাকীগুলোও বাস্তবায়ন করবো।
0 notes
amadernikli · 6 years
Text
হাটহাজারীতে প্রতিপক্ষের কাঠের আঘাতে নির্মাণ শ্রমিক নিহত
হাটহাজারীতে প্রতিপক্ষের কাঠের আঘাতে নির্মাণ শ্রমিক নিহত
মাহমুদ আল আজাদ, হাটহাজারী প্রতিনিধি ।।
কথা কাটাকাটির জের ধরে প্রতিপক্ষের কাঠের আঘাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আলী আকবর নামের এক নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। রোববার (৬ মে ২০১৮) রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত আলী আকবর ফতেপুর হাঁচি মোস্তার শাহ মাজার সংলগ্ন শামসু বাড়ির মৃত ফয়েজ আহমেদের পুত্র। ঘাতক সোহেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলারহাট খাইর বাড়ির আবদুস…
View On WordPress
0 notes
dailynobobarta · 5 years
Text
সিলেট নগরীতে চালু হলো ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ লাইন
New Post has been published on https://is.gd/oLvBbr
সিলেট নগরীতে চালু হলো ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ লাইন
তারের জঞ্জাল কমিয়ে নগরীকে একটি স্মার্ট ডিজিট্যাল সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে একধাপ এগিয়ে গেলো সিলেট সিটি কর্পোরেশন। চালু হলো ভূগর্ভস্থ বিদ্যুতের লাইন। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের হযরত শাহজালাল (রাঃ) মাজার এলাকায় পূর্ণাঙ্গ ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ লাইনের সরবরাহ শুরু হয়। সেই সাথে এই এলাকার বিদ্যুতের খুটিসহ অন্যান্য সার্ভিস লাইনের তারও অপসারন করা হয়। রবিবার সকালে পূর্নাঙ্গ সরবরাহ ও বিদ্যুতের খুটি অপসারনের কাজ পরিদর্শন করেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিসিকের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ তৌকিুল হাদী, দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব, বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা ও শাহজালাল দরগাহ এলাকার ব্যবসায়ীবৃন্দ। সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, হযরত শাহজালাল (রাঃ) মাজার এলাকা থেকে ভূগর্ভস্থ বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের সফল সরবরাহ চালু হয়েছে। উন্নত রাষ্ট্রের আদলে দেশের প্রথম ভূ গর্ভে বিদ্যুৎ লাইন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। তুলে নেয়া হচ্ছে রাস্তার দুপাশের বিদ্যুতের খুঁটি ও অন্যান্য সার্ভিসেস লাইনের তার। ফলে তারের ঝঞ্জাল থেকে মুক্ত হয়েছে শাহজালাল মাজার এলাকা। বেড়েছে এই এলাকার সৌন্দয্য। মেয়র বলেন, গত ১৫-২০ দিন ধরে পরিক্ষামূলক সরবরাহ পর্যবেক্ষনের পর আজ থেকে পূর্ণ সরবরাহ চালু করা হয়েছে।শাহজালাল মাজার এলাকা থেকে কোর্ট পয়েন্ট পর্যন্ত পাইলট প্রকল্পে ভূগর্ভস্থ বিদ্যুতের লাইন চালু করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সব এলাকায় বাস্তবায়ন করা হবে এই সুবিধা। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, এখন থেকে কোন ব্যক্তি বা সার্ভিসেস প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ বিভাগ ও সিটি কর্পোরেশনকে অবিহিত না করে ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ লাইন গিয়েছে এমন রাস্তা খুড়াখুড়ি করতে পারবেন না। যাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখা যায় তার জন্য সকলের সহযোগিতা চান সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ তৌফিকুল হাদি বলেন, সিলেট নগরীকে ডিজিট্যাল নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সিসিক এক ধাপ এগিয়ে গেল। ভূগর্ভস্থ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিলো। প্রকল্পটি এই ওয়ার্ড থেকে শুরু করায় সিসিক কতৃপক্ষ তথা সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব বলেন, দেশের প্রথম এই প্রকল্প সিলেটে বাস্তবায়ন করায় আমরা খুশি। দ্রুততম সময়ে ভূগর্ভস্থ বিদ্যুতায়ন চালু করায় সিলেট চেম্বারের পক্ষ থেকে সিটি কর্পোরেশন, বিদ্যুৎ বিভাগ তথা সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানান তিনি। তিনি বলেন, শাহজালাল মাজার এলাকা সব সময় পর্যটক, ভক্ত-আশেকানদের পদচারনায় মূখর থাকে। ভূ গর্ভে বিদ্যুৎ লাইন চলে যাওয়ায় শাহজালাল (রাঃ)মাজার এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বিদ্যুৎ লাইন সহ অন্যান্য সার্ভিস্ লাইনের তারে জঞ্জাল মুক্ত হয়েছে। সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ নূর আজিজুর রহমান বলেন, ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ লাইন চালু করা একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল। যা অত্যান্ত সফলতার সাথে বিদ্যুৎ বিভাগ, সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় সম্পন্ন করতে পেরেছে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন করতে বিদ্যুৎ বিভাগকে সার্বক্ষনিক নজরদারী রাখতে হবে। এর জন্য সিলেট সিটি কর্পোরেশন সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ও সিলেট সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে প্রায় ৫৫ কোটি টাকা ব্যায়ে পাইলট পকল্পে নগরীতে ১১ কেভি ২৫ কিলোমিটার, শূন্য দশমিক ৪ কেভি ১৮ কিলোমিটার ও ৩৩ কেভি ২ সার্কিট কিলোমিটার ভূ-গর্ভস্থ বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ করা হবে। নগরীর ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই এলাকার বিদ্যুৎ সাব স্টেশন কেন্দ্র থেকে ভূ-গর্ভস্থ বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইন আম্বরখানা হয়ে যাবে চৌহাট্টায়। চৌহাট্টা থেকে একটি লাইন যাবে নগরীর জিন্দাবাজার-কোর্ট পয়েন্টে হয়ে সিলেট সার্কিট হাউজ পর্যন্ত। আরেকটি লাইন চৌহাট্টা থেকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পর্যন্ত যাবে।
0 notes
atique-rejvee · 3 years
Text
উঁচু কবর ভেঙে ফেলো, গুড়িয়ে দাও
কবর ভাঙার হাদিস এবং প্রাসঙ্গিক কথা —————————————– যে হাদিসের উপর আমল করতে গিয়ে ওই অজ্ঞ নাদান ওহাবীরা এভাবে ইসলামের ইতিহাস আর ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে চলেছে দেখা যাক হাদিসটি পর্যালোচনা করলে কি দাঁড়ায়। হাদিসটি নিম্নরূপঃ আবুল হাইয়াজ হাইয়ান ইবনে হুসাইন হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আলী ইবনে আবি তালিব (রা) আমাকে বললেন, “তোমাকে সে কাজের জন্য পাঠাবো না কি, যে কাজের জন্য আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি…
View On WordPress
0 notes