#ভালোবাসো না
Explore tagged Tumblr posts
Video
Don't you love me | Shrabanti De |Tumi amay ki valobasho na | তুমি আমায় ...
#youtube#un bangla tv#ইউ এন বাংলা টিভি#unbanglatv#don't you love me#Shrabanti De song#তুমি আমায় কি ভালোবাসো না? song#bangla adhunik song#bangla adhonick song#tumi amay ki valo basho na song#ভালোবাসো না song#ভালোবাসো না#valobasho na#tumi amay ki valo basho na#bangla fairy tales#sun bangla tv serial#bengali fairy tales#2024 new song#new song 2024#new song 2023#তুমি আমায় কি ভালোবাসো না?
0 notes
Text
যে ভালোবাসেনি তাকে তো আর গিয়ে জিজ্ঞাসা করা যায় না আমাকে ভালোবাসো নাই কেন
0 notes
Text
ইচ্ছা করে তোমাকে বলি 'কতোটা চাই তোমাকে! তোমাকে ছাড়া কতোটা খালি খালি লাগে সেটা তোমাকে জানাই!'
ইচ্ছে করে তোমাকে বলি 'কি দরকার ছিলো এইভাবে প্রেমে ফেলার? ঘুম কেড়ে নেওয়ার? কি দরকার ছিলো?'
ইচ্ছে করে তোমাকে বলি 'সকাল ভাল্লাগেনা তোমাকে ছাড়া! আমার সারা বিকাল খালি খালি লাগে তোমাকে ছাড়া!'
ইচ্ছে করে তোমাকে বলি 'অশান্তি কেনো লাগে তুমি কাছে না থাকলে? তোমাকে না পাইলে মেজাজ কেনো খারাপ হয়ে যায় আমার?'
আমার অনেক কিছু বলতে ইচ্ছে করে তোমাকে,তারপর মনে পড়ে 'কি লাভ বলে? দাম আছে কোনো?
————
মনের সকল বাধা উপেক্ষা করে এক পা এগুতেও বোধ করি তুমি আমায় কত তাচ্ছিল্যের চোখে দেখেছো।
তুমি তো সবই জানতে। তাও কেন নিজের মাথার কাছে আমার জন্য লড়াই করলে না? আমি তো চলে এসছি জানতাম আমার মূল্য, আর কিছুদিন থাকলে তোমার পায়ের কাছে চলে যাবে। আচ্ছা তুমি জানো তো? ভালোবাসি বলে কাওকে তোমার সেই ভালোবাসার অযোগ্য মনে করানোর যে দুঃখ তা কতটা কষ্টের হতে পারে?
আমি তো জানতাম আমি এইসবের যোগ্য না। তাও তো তোমাকে সবটা দিয়ে ভালোবেসেছি। ভালোবাসা মানে একজন কেই সব না। ভালোবাসা মানে হাজার মানুষ হাজার অপশন এর মাঝেও ওই একটা মানুষকেই প্রাধান্য দেওয়া। তুমি যেভাবে আমার জন্য দিয়েছ আমিও তোমার জন্য এইরকম সবাই কে উপেক্ষা করে তোমার জন্যই অপেক্ষা করেছি। তাও মাঝে মাঝে জ্বালাতন এর সেই ক্ষুদ্র গল্প গুলো থেকে একদিনের বড় কাহিনী ই আমার এই সুখের সাজানো ঘর ভেঙে দিয়ে গেলো। আর আমি একটা টু শব্দও করিনি। ভেবেছি বাকি সব সময়ের মতো তুমি বুঝে নিবে।
শুনেছি পুরুষ মানুষ নাকি যার সাথে থাকে তার চেয়ে যার সাথে সে থাকতে পারে না তাকে নিয়েই রিগ্রেট করে। তুমি তো তাই প্রমাণ করেছিলে।
তোমার সেই শেষ মুহূর্তের চেষ্টা গুলোই তোমার কাছে মনে হয়েছে তুমি অনেক করেছো। হ্যা প্রথম থেকেই অনেক করেছ তুমি অস্বীকার করিনি।
কিন্তু আমি যে শুরু থেকে নিজের মাঝে বয়ে যাওয়া ঝড় আটকে রেখে দিনকে দিন তোমাকে নিরবে আপন ভেবে গিয়েছি তার চিন্হ পর্যন্ত নেই । আমি যে এখন প্রতিনিয়ত তোমাকে ছেড়ে আগানোর চেষ্টা করি প্রতিনিয়তই তোমার কাছে ফিরে যাই এই সবের কি হবে? তোমাকে তো সুযোগ করে দিলাম আমাকে আরো ঘৃনা করার জন্য আমি কেন আজও তোমাকে ঘৃণার চোখে দেখতে পারি না। কম তো ভালোবাসিনি। কম তো তাচ্ছিল্যের স্বীকার হই নি। কম তো নিজেকে তোমার চোখে ছোট কিংবা 'not enough ' এর অনুভব পাই নি।
জানো আজও তোমায় স্বপ্নে দেখি। গতকাল যা দেখলাম সারা রাত ঘুমাইনি। ঘুম কেড়ে নিয়েছে এই বলদ বাঁদর টা। তাও তো ঘৃণার চোখে দেখতে পারছিনা। মনে হয় আজও একটা ডাক দিলে আমি যেন দৌড়ে শত সমুদ্র পারি দিতে পারব। এটাই কি ভালোবাসা?
তুমি না হয় ঘৃণার চোখেই দেখে যাও আমাকে কিন্তু এক ঝলক হলেও দেখা দিও। শুধু প্রত্যাশা ছিল কোন একদিন হয়ত তুমি বুঝবে। কিন্তু সেটা আর হবে না। জানি আমি তোমার যোগ্য না। জানি আমাকে তুমি আর ভালোবাসো না। ভুলবোনা তোমাকে কিন্তু তোমার জীবনে বাধা হয়ে আমি কখনোই থাকবো না। আমি তোমার খারাপ অতীত হলেও ��ুমি আমার সর্বশেষ প্রধান চরিত্র চরিত্র থাকবে। আমি চাই তুমি অনেক সুখী হও । ���েইগুলো আমি পাই নি আমি জানি সেই সবকিছুই তুমি একদিন অন্য একজনকে দিতে প্রস্তুত থাকবে। পারলে তার সব আব্দার রেখো। কষ্ট দিও না আমার মত এটাই আশা রাখি।
8 notes
·
View notes
Text
তোমার তো জানারই কথা না? আমার এই অনুভুতি নিয়ে? জি হ্যা, তাকে নিয়েই এটা। আমাদের ঘন্টার পর ঘন্টা কথা হয়, তাকে আপনই মনে হয়, তারটা জানি না কিন্তু আমার কাহিনি পুরোই খোলা বইয়ের মতো। সে আমাকে বলেছে যে আমাকে ��ালোবাসে, আমি প্রতিস্রুতিবদ্ধ হতে না চেয়েও আমার মনের বি��ুদ্ধে যেতে পারিনি। তাকে আমিও বলেছি, যে হ্যা, ভালোবাসি। খুবই তাজ্জুবের বিষয় যে তার চোখ আমার এতো ভালো লাগে, মনে হয় যে মিষ্টি রোদের ছোয়া আর তার চোখ যেন ঠান্ডা জীবনটায় আলাদা এক আরাম এনে দেয়। তার চোখের আলাদা ভাষা আছে, বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজির পাশাপাশি ওটাতেও এখন পারদর্শী আমি। তার চোখই বেশি কথা বলে, তা বাদে পাথর হয়ে থাকা মুখে যেন সমুদ্রের গভীরতার থেকেও বেশি গোপনীয়তা। কিন্তু, তার চোখ গুলো যেন সেই একই সমুদ্রের ধেউ। আমি বেশি তাকাই না, মনে হয় যেন দুবে যাব সেই গোপনীয়তায়। আমি ভীতু। আমি তার অপেক্ষায় থাকি, তার সাথে কথা বলার জন্য বসে থাকি, তার সাথে কথা বলতে ভালোবাসি, আর কথা বলতে বলতে, তাকেই ভালোবাসি। এই বয়সে নাকি এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাকে কেন মনে হয় একটু স্বাভাবিক এর চেয়ে বেশিই পছন্দ আমার? যাই হোক, যাকেই ভালোবাসো না কেন, নিজেকে সবার আগে ভালোবাসবে। বৃত্তের মাঝে বিন্দু তো তুমিই।
2 notes
·
View notes
Text
আল্লাহপ্রেমিক সন্তান তৈরির সেরা উপায়
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর প্রিয় হবেন যেভাবে
দুনিয়ার জীবনের সব কাজকর্ম, চেষ্টা-প্রচেষ্টা, সৎ নিয়ত ও সৎকর্ম এবং নেক আমল সবই আল্লাহতায়ালার ভালোবাসা দৃঢ় করার উপলক্ষ মাত্র। আল্লাহর ভালোবাসা ও সন্তুষ্টি অর্জনই মানুষের সর্বোচ্চ মর্যাদার সম্বল।
আল্লাহর ভালোবাসা অর্জনের সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে- আল্লাহর প্রতি নিজেকে সম্পূর্ণভাবে উৎসর্গিত করে দেওয়া। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, 'আল্লাহপাক তাদের ভালোবাসেন এবং তারাও আল্লাহকে ভালোবাসে। ' রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তার রাসূলকে দুনিয়ার সবকিছু থেকে না ভালোবাসেন, তার ইমান আদৌ পূর্ণতা লাভ করে না। এক সাহাবি একবার নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ইমান কী? আল্লাহর নবী উত্তরে বললেন, আল্লাহ এবং তার রাসূলের সঙ্গে সর্বাপেক্ষা অধিক ভালোবাসার নাম ইমান। সে পর্যন্ত কেউই পূর্ণ মুমিন হতে পারে না, যতক্ষণ না সে ��ার পরিবার-পরিজন, ধন-দৌলত এবং নশ্বর দুনিয়ার সব মোহ থেকে আল্লাহ ও তার রাসূলকে অধিক ভালো না বাসে। জনৈক ব্যক্তি রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মহব্বতের দাবি করল। এ কথা শুনে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, দারিদ্র্যের জন্য তৈরি হও। তারপর আবার সে বলল, আল্লাহকে মহব্বত করি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তা হলে বালা-মুসিবত, দুঃখ-কষ্ট সহ্য করার শক্তি সঞ্চয় করো। একবার এক আরবি এসে রাসূলকে জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! কেয়ামত কবে হবে? আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সেদিনের জন্য তুমি কী সংগ্রহ করেছ? আরবি লোকটি বললেন, নামাজ-রোজা বেশি করতে পারিনি। তবে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলকে মহব্বত করি। এ কথা শুনে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, নিশ্চিন্ত থাকো, তুমি যাদেরকে মহব্বত করো, ভালোবাসো, রোজ কিয়ামতে তাদের সঙ্গেই তুমি থাকবে। আবু বকর সিদ্দিক রাযিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, যে একবার আল্লাহর মহব্বতের স্বাদ পায়, সে এই নশ্বর দুনিয়াকে অপছন্দ করে।
আল্লাহর ভালোবাসা দুনিয়ার সবকিছুর ঊর্ধ্বে। সুতরাং এই ভালোবাসা সত্যিকারভাবে প্রমাণিত হবে আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাতদের মধ্যে। যাকে ভালোবাসা যায়, জানপ্রাণ দিয়ে তার সন্তুষ্টি সাধন করাই হচ্ছে ভালোবাসার প্রকৃত পরিচয়। এটাই হবে মূলত ভালোবাসার আদর্শ। এ সম্পর্কে রাসূল ল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর ইচ্ছায়, মর্জিতে রাজি-খুশি থাকাই হচ্ছে মহব্বতের বড় দরজা। মহব্বত অতি প্রবল ও খাঁটি হলে অন্য কিছু সেখানে দাঁড়াতে পারে না, মহব্বতই প্রাধান্য লাভ করে। যে আল্লাহর সন্তুষ্টিতে রাজি-খুশি থাকে, সে নিঃসন্দেহে উচ্চ মরতবায় পৌঁছে যায়। কেননা সে তো যে কোনো দুঃখ-কষ্টে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সচেষ্ট থাকে এবং আল্লাহর হুকুম-আহকামগুলো নিখুঁতভাবে পালনের চেষ্টা করে আদায় করে।
একবার বিখ্যাত বুজুর্গ জুনায়েদ বাগদাদি রহমাতুল্লাহিকে জিজ্ঞেস করা হলো, আল্লাহপ্রেমিক ব্যক্তি কখনও কি বালা-মুসিবতে পতিত হয়, হলে কি অস্থির হয়? তিনি জবাবে বললেন, না, তা হয় না। আবার জিজ্ঞেস করা হলো, যদি নিদেনপক্ষে তরবারি দ্বারা ৭০টি আঘাত করা হয়? এ কথায় তিনি হাসিমুখে বললেন, এতেও সে বিন্দুমাত্র অস্থির বা হাঁ-হুতাশ করবে না। অতএব, দুনিয়ার যাবতীয় বালা-মুসিবত, দুঃখ-কষ্ট, ব্যথা-বেদনা সহ্য করতে হবে। কেননা পরকালে আল্লাহর ভালোবাসা ছাড়া অন্য কোনো সম্বল নেই। কাজেই সেই সৌভাগ্যবান, যে দুনিয়ার জীবনে সর্বাবস্থায় আল্লাহর ভালোবাসার রঙে উজ্জ্বল। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, নিজেকে যে পরিশুদ্ধ ও পবিত্র করেছে সেই কল্যাণ ও মঙ্গল লাভ করেছে। আর যে পথভ্রষ্ট হয়েছে সে বিফল মনোরথ হয়েছে। মোটকথা, মানুষের ভালোবাসার একমাত্র লক্ষ্য হলো কেবল আল্লাহ, এক আল্লাহ। এক আল্লাহ ব্যতীত ভালোবাসার উপযুক্ত এই দুনিয়ার সংসারে আর কিছু নেই। তাই যে দুনিয়াকে ভালোবাসে, সে আল্লাহকে ভুলে যায়। তার মতো কপাল পোড়া জাহেল আর কেউ নেই। অন্যদিকে, যে আল্লাহকে ভালোবাসে এবং সেই সঙ্গে অন্য সবাইকে ভালোবাসে সে যথার্থ পথে রয়েছে। পিতা-মাতা, ভাইবোন, আত্মীয়-স্বজন এবং গরিব-দুঃখীজন ও অন্য সবাইকে মানবতার দৃষ্টিতে ভালোবাসে, সে মূলত আল্লাহকেই ভালোবাসে। অতএব আসুন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হুকুম-আহকাম মেনে চলি, ইহকালে-পরকালে সুখ-শান্তি অর্জন করি।
https://www.youtube.com/watch?v=oZ3K0w5ebGY&t=47s
https://www.youtube.com/watch?v=rQMirJIzUMA
https://www.youtube.com/watch?v=8ijksu_pgfo
https://www.youtube.com/watch?v=CQuUz28PMhI&t=17s
https://www.youtube.com/watch?v=aG00Mvgoy44
https://www.youtube.com/watch?v=03gu0kLGSNw
https://www.youtube.com/watch?v=CqSTdxuJ22c&t=1s
আল্লাহপ্রেমিক আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন আল্লাহর ভালোবাসা লাভের উপায়
A Lover of Allah, The Way To Attain The Love Of Allah.
#LoveOfAllah#আল্লাহর ভালবাসা#আল্লাহর প্রিয় হবেন যেভাবে#How To Be Loved By Allah#Allah#BeLoved#আল্লাহরপ্রিয়#Youtube
0 notes
Text
আল্লাহপ্রেমিক সন্তান তৈরির সেরা উপায়
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর প্রিয় হবেন যেভাবে
দুনিয়ার জীবনের সব কাজকর্ম, চেষ্টা-প্রচেষ্টা, সৎ নিয়ত ও সৎকর্ম এবং নেক আমল সবই আল্লাহতায়ালার ভালোবাসা দৃঢ় করার উপলক্ষ মাত্র। আল্লাহর ভালোবাসা ও সন্তুষ্টি অর্জনই মানুষের সর্বোচ্চ মর্যাদার সম্বল।
আল্লাহর ভালোবাসা অর্জনের সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে- আল্লাহর প্রতি নিজেকে সম্পূর্ণভাবে উৎসর্গিত করে দেওয়া। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, 'আল্লাহপাক তাদের ভালোবাসেন এবং তারাও আল্লাহকে ভালোবাসে। ' রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তার রাসূলকে দুনিয়ার সবকিছু থেকে না ভালোবাসেন, তার ইমান আদৌ পূর্ণতা লাভ করে না। এক সাহাবি একবার নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ইমান কী? আল্লাহর নবী উত্তরে বললেন, আল্লাহ এবং তার রাসূলের সঙ্গে সর্বাপেক্ষা অধিক ভালোবাসার নাম ইমান। সে পর্যন্ত কেউই পূর্ণ মুমিন হতে পারে না, যতক্ষণ না সে তার পরিবার-পরিজন, ধন-দৌলত এবং নশ্বর দুনিয়ার সব মোহ থেকে আল্লাহ ও তার রাসূলকে অধিক ভালো না বাসে। জনৈক ব্যক্তি রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মহব্বতের দাবি করল। এ কথা শুনে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, দারিদ্র্যের জন্য তৈরি হও। তারপর আবার সে বলল, আল্লাহকে মহব্বত করি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তা হলে বালা-মুসিবত, দুঃখ-কষ্ট সহ্য করার শক্তি সঞ্চয় করো। একবার এক আরবি এসে রাসূলকে জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! কেয়ামত কবে হবে? আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সেদিনের জন্য তুমি কী সংগ্রহ করেছ? আরবি লোকটি বললেন, নামাজ-রোজা বেশি করতে পারিনি। তবে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলকে মহব্বত করি। এ কথা শুনে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, নিশ্চিন্ত থাকো, তুমি যাদেরকে মহব্বত করো, ভালোবাসো, রোজ কিয়ামতে তাদের সঙ্গেই তুমি থাকবে। আবু বকর সিদ্দিক রাযিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, যে একবার আল্লাহর মহব্বতের স্বাদ পায়, সে এই নশ্বর দুনিয়াকে অপছন্দ করে।
আল্লাহর ভালোবাসা দুনিয়ার সবকিছুর ঊর্ধ্বে। সুতরাং এই ভালোবাসা সত্যিকারভাবে প্রমাণিত হবে আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাতদের মধ্যে। যাকে ভালোবাসা যায়, জানপ্রাণ দিয়ে তার সন্তুষ্টি সাধন করাই হচ্ছে ভালোবাসার প্রকৃত পরিচয়। এটাই হবে মূলত ভালোবাসার আদর্শ। এ সম্পর্কে রাসূল ল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর ইচ্ছায়, মর্জিতে রাজি-খুশি থাকাই হচ্ছে মহব্বতের বড় দরজা। মহব্বত অতি প্রবল ও খাঁটি হলে অন্য কিছু সেখানে দাঁড়াতে পারে না, মহব্বতই প্রাধান্য লাভ করে। যে আল্লাহর সন্তুষ্টিতে রাজি-খুশি থাকে, সে নিঃসন্দেহে উচ্চ মরতবায় পৌঁছে যায়। কেননা সে তো যে কোনো দুঃখ-কষ্টে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সচেষ্ট থাকে এবং আল্লাহর হুকুম-আহকামগুলো নিখুঁতভাবে পালনের চেষ্টা করে আদায় করে।
একবার বিখ্যাত বুজুর্গ জুনায়েদ বাগদাদি রহমাতুল্লাহিকে জিজ্ঞেস করা হলো, আল্লাহপ্রেমিক ব্যক্তি কখনও কি বালা-মুসিবতে পতিত হয়, হলে কি অস্থির হয়? তিনি জবাবে বললেন, না, তা হয় না। আবার জিজ্ঞেস করা হলো, যদি নিদেনপক্ষে তরবারি দ্বারা ৭০টি আঘাত করা হয়? এ কথায় তিনি হাসিমুখে বললেন, এতেও সে বিন্দুমাত্র অস্থির বা হাঁ-হুতাশ করবে না। অতএব, দুনিয়ার যাবতীয় বালা-মুসিবত, দুঃখ-কষ্ট, ব্যথা-বেদনা সহ্য করতে হবে। কেননা পরকালে আল্লাহর ভালোবাসা ছাড়া অন্য কোনো সম্বল নেই। কাজেই সেই সৌভাগ্যবান, যে দুনিয়ার জীবনে সর্বাবস্থায় আল্লাহর ভালোবাসার রঙে উজ্জ্বল। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, নিজেকে যে পরিশুদ্ধ ও পবিত্র করেছে সেই কল্যাণ ও মঙ্গল লাভ করেছে। আর যে পথভ্রষ্ট হয়েছে সে বিফল মনোরথ হয়েছে। মোটকথা, মানুষের ভালোবাসার একমাত্র লক্ষ্য হলো কেবল আল্লাহ, এক আল্লাহ। এক আল্লাহ ব্যতীত ভালোবাসার উপযুক্ত এই দুনিয়ার সংসারে আর কিছু নেই। তাই যে দুনিয়াকে ভালোবাসে, সে আল্লাহকে ভুলে যায়। তার মতো কপাল পোড়া জাহেল আর কেউ নেই। অন্যদিকে, যে আল্লাহকে ভালোবাসে এবং সেই সঙ্গে অন্য সবাইকে ভালোবাসে সে যথার্থ পথে রয়েছে। পিতা-মাতা, ভাইবোন, আত্মীয়-স্বজন এবং গরিব-দুঃখীজন ও অন্য সবাইকে মানবতার দৃষ্টিতে ভালোবাসে, সে মূলত আল্লাহকেই ভালোবাসে। অতএব আসুন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হুকুম-আহকাম মেনে চলি, ইহকালে-পরকালে সুখ-শান্তি অর্জন করি।
https://www.youtube.com/watch?v=oZ3K0w5ebGY&t=47s
https://www.youtube.com/watch?v=rQMirJIzUMA
https://www.youtube.com/watch?v=8ijksu_pgfo
https://www.youtube.com/watch?v=CQuUz28PMhI&t=17s
https://www.youtube.com/watch?v=aG00Mvgoy44
https://www.youtube.com/watch?v=03gu0kLGSNw
https://www.youtube.com/watch?v=CqSTdxuJ22c&t=1s
আল্লাহপ্রেমিক আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন আল্লাহর ভালোবাসা লাভের উপায়
A Lover of Allah, The Way To Attain The Love Of Allah.
#LoveOfAllah#আল্লাহর ভালবাসা#আল্লাহর প্রিয় হবেন যেভাবে#How To Be Loved By Allah#Allah#BeLoved#আল্লাহরপ্রিয়#Youtube
0 notes
Text
আল্লাহপ্রেমিক সন্তান তৈরির সেরা উপায়
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর প্রিয় হবেন যেভাবে
দুনিয়ার জীবনের সব কাজকর্ম, চেষ্টা-প্রচেষ্টা, সৎ নিয়ত ও সৎকর্ম এবং নেক আমল সবই আল্লাহতায়ালার ভালোবাসা দৃঢ় করার উপলক্ষ মাত্র। আল্লাহর ভালোবাসা ও সন্তুষ্টি অর্জনই মানুষের সর্বোচ্চ মর্যাদার সম্বল।
আল্লাহর ভালোবাসা অর্জনের সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে- আল্লাহর প্রতি নিজেকে সম্পূর্ণভাবে উৎসর্গিত করে দেওয়া। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, 'আল্লাহপাক তাদের ভালোবাসেন এবং তারাও আল্লাহকে ভালোবাসে। ' রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তার রাসূলকে দুনিয়ার সবকিছু থেকে না ভালোবাসেন, তার ইমান আদৌ পূর্ণতা লাভ করে না। এক সাহাবি একবার নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ইমান কী? আল্লাহর নবী উত্তরে বললেন, আল্লাহ এবং তার রাসূলের সঙ্গে সর্বাপেক্ষা অধিক ভালোবাসার নাম ইমান। সে পর্যন্ত কেউই পূর্ণ মুমিন হতে পারে না, যতক্ষণ না সে তার পরিবার-পরিজন, ধন-দৌলত এবং নশ্বর দুনিয়ার সব মোহ থেকে আল্লাহ ও তার রাসূলকে অধিক ভালো না বাসে। জনৈক ব্যক্তি রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মহব্বতের দাবি করল। এ কথা শুনে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, দারিদ্র্যের জন্য তৈরি হও। তারপর আবার সে বলল, আল্লাহকে মহব্বত করি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তা হলে বালা-মুসিবত, দুঃখ-কষ্ট সহ্য করার শক্তি সঞ্চয় করো। একবার এক আরবি এসে রাসূলকে জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! কেয়ামত কবে হবে? আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সেদিনের জন্য তুমি কী সংগ্রহ করেছ? আরবি লোকটি বললেন, নামাজ-রোজা বেশি করতে পারিনি। তবে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলকে মহব্বত করি। এ কথা শুনে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, নিশ্চিন্ত থাকো, তুমি যাদেরকে মহব্বত করো, ভালোবাসো, রোজ কিয়ামতে তাদের সঙ্গেই তুমি থাকবে। আবু বকর সিদ্দিক রাযিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, যে একবার আল্লাহর মহব্বতের স্বাদ পায়, সে এই নশ্বর দুনিয়াকে অপছন্দ করে।
আল্লাহর ভালোবাসা দুনিয়ার সবকিছুর ঊর্ধ্বে। সুতরাং এই ভালোবাসা সত্যিকারভাবে প্রমাণিত হবে আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাতদের মধ্যে। যাকে ভালোবাসা যায়, জানপ্রাণ দিয়ে তার সন্তুষ্টি সাধন করাই হচ্ছে ভালোবাসার প্রকৃত পরিচয়। এটাই হবে মূলত ভালোবাসার আদর্শ। এ সম্পর্কে রাসূল ল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর ইচ্ছায়, মর্জিতে রাজি-খুশি থাকাই হচ্ছে মহব্বতের বড় দরজা। মহব্বত অতি প্রবল ও খাঁটি হলে অন্য কিছু সেখানে দাঁড়াতে পারে না, মহব্বতই প্রাধান্য লাভ করে। যে আল্লাহর সন্তুষ্টিতে রাজি-খুশি থাকে, সে নিঃসন্দেহে উচ্চ মরতবায় পৌঁছে যায়। কেননা সে তো যে কোনো দুঃখ-কষ্টে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সচেষ্ট থাকে এবং আল্লাহর হুকুম-আহকামগুলো নিখুঁতভাবে পালনের চেষ্টা করে আদায় করে।
একবার বিখ্যাত বুজুর্গ জুনায়েদ বাগদাদি রহমাতুল্লাহিকে জিজ্ঞেস করা হলো, আল্লাহপ্রেমিক ব্যক্তি কখনও কি বালা-মুসিবতে পতিত হয়, হলে কি অস্থির হয়? তিনি জবাবে বললেন, না, তা হয় না। আবার জিজ্ঞেস করা হলো, যদি নিদেনপক্ষে তরবারি দ্বারা ৭০টি আঘাত করা হয়? এ কথায় তিনি হাসিমুখে বললেন, এতেও সে বিন্দুমাত্র অস্থির বা হাঁ-হুতাশ করবে না। অতএব, দুনিয়ার যাবতীয় বালা-মুসিবত, দুঃখ-কষ্ট, ব্যথা-বেদনা সহ্য করতে হবে। কেননা পরকালে আল্লাহর ভালোবাসা ছাড়া অন্য কোনো সম্বল নেই। কাজেই সেই সৌভাগ্যবান, যে দুনিয়ার জীবনে সর্বাবস্থায় আল্লাহর ভালোবাসার রঙে উজ্জ্বল। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, নিজেকে যে পরিশুদ্ধ ও পবিত্র করেছে সেই কল্যাণ ও মঙ্গল লাভ করেছে। আর যে পথভ্রষ্ট হয়েছে সে বিফল মনোরথ হয়েছে। মোটকথা, মানুষের ভালোবাসার একমাত্র লক্ষ্য হলো কেবল আল্লাহ, এক আল্লাহ। এক আল্লাহ ব্যতীত ভালোবাসার উপযুক্ত এই দুনিয়ার সংসারে আর কিছু নেই। তাই যে দুনিয়াকে ভালোবাসে, সে আল্লাহকে ভুলে যায়। তার মতো কপাল পোড়া জাহেল আর কেউ নেই। অন্যদিকে, যে আল্লাহকে ভালোবাসে এবং সেই সঙ্গে অন্য সবাইকে ভালোবাসে সে যথার্থ পথে রয়েছে। পিতা-মাতা, ভাইবোন, আত্মীয়-স্বজন এবং গরিব-দুঃখীজন ও অন্য সবাইকে মানবতার দৃষ্টিতে ভালোবাসে, সে মূলত আল্লাহকেই ভালোবাসে। অতএব আসুন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হুকুম-আহকাম মেনে চলি, ইহকালে-পরকালে সুখ-শান্তি অর্জন করি।
https://www.youtube.com/watch?v=oZ3K0w5ebGY&t=47s
https://www.youtube.com/watch?v=rQMirJIzUMA
https://www.youtube.com/watch?v=8ijksu_pgfo
https://www.youtube.com/watch?v=CQuUz28PMhI&t=17s
https://www.youtube.com/watch?v=aG00Mvgoy44
https://www.youtube.com/watch?v=03gu0kLGSNw
https://www.youtube.com/watch?v=CqSTdxuJ22c&t=1s
আল্লাহপ্রেমিক আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন আল্লাহর ভালোবাসা লাভের উপায়
A Lover of Allah, The Way To Attain The Love Of Allah.
#LoveOfAllah#আল্লাহর ভালবাসা#আল্লাহর প্রিয় হবেন যেভাবে#How To Be Loved By Allah#Allah#BeLoved#আল্লাহরপ্রিয়#Youtube
0 notes
Text
আল্লাহপ্রেমিক সন্তান তৈরির সেরা উপায়
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর প্রিয় হবেন যেভাবে
দুনিয়ার জীবনের সব কাজকর্ম, চেষ্টা-প্রচেষ্টা, সৎ নিয়ত ও সৎকর্ম এবং নেক আমল সবই আল্লাহতায়ালার ভালোবাসা দৃঢ় করার উপলক্ষ মাত্র। আল্লাহর ভালোবাসা ও সন্তুষ্টি অর্জনই মানুষের সর্বোচ্চ মর্যাদার সম্বল।
আল্লাহর ভালোবাসা অর্জনের সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে- আল্লাহর প্রতি নিজেকে সম্পূর্ণভাবে উৎসর্গিত করে দেওয়া। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, 'আল্লাহপাক তাদের ভালোবাসেন এবং তারাও আল্লাহকে ভালোবাসে। ' রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তার রাসূলকে দুনিয়ার সবকিছু থেকে না ভালোবাসেন, তার ইমান আদৌ পূর্ণতা লাভ করে না। এক সাহাবি একবার নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ইমান কী? আল্লাহর নবী উত্তরে বললেন, আল্লাহ এবং তার রাসূলের সঙ্গে সর্বাপেক্ষা অধিক ভালোবাসার নাম ইমান। সে পর্যন্ত কেউই পূর্ণ মুমিন হতে পারে না, যতক্ষণ না সে তার পরিবার-পরিজন, ধন-দৌলত এবং নশ্বর দুনিয়ার সব মোহ থেকে আল্লাহ ও তার রাসূলকে অধিক ভালো না বাসে। জনৈক ব্যক্তি রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মহব্বতের দাবি করল। এ কথা শুনে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, দারিদ্র্যের জন্য তৈরি হও। তারপর আবার সে বলল, আল্লাহকে মহব্বত করি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তা হলে বালা-মুসিবত, দুঃখ-কষ্ট সহ্য করার শক্তি সঞ্চয় করো। একবার এক আরবি এসে রাসূলকে জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! কেয়ামত কবে হবে? আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সেদিনের জন্য তুমি কী সংগ্রহ করেছ? আরবি লোকটি বললেন, নামাজ-রোজা বেশি করতে পারিনি। তবে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলকে মহব্বত করি। এ কথা শুনে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, নিশ্চিন্ত থাকো, তুমি যাদেরকে মহব্বত করো, ভালোবাসো, রোজ কিয়ামতে তাদের সঙ্গেই তুমি থাকবে। আবু বকর সিদ্দিক রাযিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, যে একবার আল্লাহর মহব্বতের স্বাদ পায়, সে এই নশ্বর দুনিয়াকে অপছন্দ করে।
আল্লাহর ভালোবাসা দুনিয়ার সবকিছুর ঊর্ধ্বে। সুতরাং এই ভালোবাসা সত্যিকারভাবে প্রমাণিত হবে আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাতদের মধ্যে। যাকে ভালোবাসা যায়, জানপ্রাণ দিয়ে তার সন্তুষ্টি সাধন করাই হচ্ছে ভালোবাসার প্রকৃত পরিচয়। এটাই হবে মূলত ভালোবাসার আদর্শ। এ সম্পর্কে রাসূল ল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর ইচ্ছায়, মর্জিতে রাজি-খুশি থাকাই হচ্ছে মহব্বতের বড় দরজা। মহব্বত অতি প্রবল ও খাঁটি হলে অন্য কিছু সেখানে দাঁড়াতে পারে না, মহব্বতই প্রাধান্য লাভ করে। যে আল্লাহর সন্তুষ্টিতে রাজি-খুশি থাকে, সে নিঃসন্দেহে উচ্চ মরতবায় পৌঁছে যায়। কেননা সে তো যে কোনো দুঃখ-কষ্টে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সচেষ্ট থাকে এবং আল্লাহর হুকুম-আহকামগুলো নিখুঁতভাবে পালনের চেষ্টা করে আদায় করে।
একবার বিখ্যাত বুজুর্গ জুনায়েদ বাগদাদি রহমাতুল্লাহিকে জিজ্ঞেস করা হলো, আল্লাহপ্রেমিক ব্যক্তি কখনও কি বালা-মুসিবতে পতিত হয়, হলে কি অস্থির হয়? তিনি জবাবে বললেন, না, তা হয় না। আবার জিজ্ঞেস করা হলো, যদি নিদেনপক্ষে তরবারি দ্বারা ৭০টি আঘাত করা হয়? এ কথায় তিনি হাসিমুখে বললেন, এতেও সে বিন্দুমাত্র অস্থির বা হাঁ-হুতাশ করবে না। অতএব, দুনিয়ার যাবতীয় বালা-মুসিবত, দুঃখ-কষ্ট, ব্যথা-বেদনা সহ্য ক��তে হবে। কেননা পরকালে আল্লাহর ভালোবাসা ছাড়া অন্য কোনো সম্বল নেই। কাজেই সেই সৌভাগ্যবান, যে দুনিয়ার জীবনে সর্বাবস্থায় আল্লাহর ভালোবাসার রঙে উজ্জ্বল। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, নিজেকে যে পরিশুদ্ধ ও পবিত্র করেছে সেই কল্যাণ ও মঙ্গল লাভ করেছে। আর যে পথভ্রষ্ট হয়েছে সে বিফল মনোরথ হয়েছে। মোটকথা, মানুষের ভালোবাসার একমাত্র লক্ষ্য হলো কেবল আল্লাহ, এক আল্লাহ। এক আল্লাহ ব্যতীত ভালোবাসার উপযুক্ত এই দুনিয়ার সংসারে আর কিছু নেই। তাই যে দুনিয়াকে ভালোবাসে, সে আল্লাহকে ভুলে যায়। তার মতো কপাল পোড়া জাহেল আর কেউ নেই। অন্যদিকে, যে আল্লাহকে ভালোবাসে এবং সেই সঙ্গে অন্য সবাইকে ভালোবাসে সে যথার্থ পথে রয়েছে। পিতা-মাতা, ভাইবোন, আত্মীয়-স্বজন এবং গরিব-দুঃখীজন ও অন্য সবাইকে মানবতার দৃষ্টিতে ভালোবাসে, সে মূলত আল্লাহকেই ভালোবাসে। অতএব আসুন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হুকুম-আহকাম মেনে চলি, ইহকালে-পরকালে সুখ-শান্তি অর্জন করি।
https://www.youtube.com/watch?v=oZ3K0w5ebGY&t=47s
https://www.youtube.com/watch?v=rQMirJIzUMA
https://www.youtube.com/watch?v=8ijksu_pgfo
https://www.youtube.com/watch?v=CQuUz28PMhI&t=17s
https://www.youtube.com/watch?v=aG00Mvgoy44
https://www.youtube.com/watch?v=03gu0kLGSNw
https://www.youtube.com/watch?v=CqSTdxuJ22c&t=1s
আল্লাহপ্রেমিক আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন আল্লাহর ভালোবাসা লাভের উপায়
A Lover of Allah, The Way To Attain The Love Of Allah.
#LoveOfAllah#আল্লাহর ভালবাসা#আল্লাহর প্রিয় হবেন যেভাবে#How To Be Loved By Allah#Allah#BeLoved#আল্লাহরপ্রিয়#Youtube
0 notes
Text
আল্লাহপ্রেমিক সন্তান তৈরির সেরা উপায়
আল্লাহপ্রেমিক সন্তান তৈরির সেরা উপায়
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর প্রিয় হবেন যেভাবে
দুনিয়ার জীবনের সব কাজকর্ম, চেষ্টা-প্রচেষ্টা, সৎ নিয়ত ও সৎকর্ম এবং নেক আমল সবই আল্লাহতায়ালার ভালোবাসা দৃঢ় করার উপলক্ষ মাত্র। আল্লাহর ভালোবাসা ও সন্তুষ্টি অর্জনই মানুষের সর্বোচ্চ মর্যাদার সম্বল।
আল্লাহর ভালোবাসা অর্জনের সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে- আল্লাহর প্রতি নিজেকে সম্পূর্ণভাবে উৎসর্গিত করে দেওয়া। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, 'আল্লাহপাক তাদের ভালোবাসেন এবং তারাও আল্লাহকে ভালোবাসে। ' রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তার রাসূলকে দুনিয়ার সবকিছু থেকে না ভালোবাসেন, তার ইমান আদৌ পূর্ণতা লাভ করে না। এক সাহাবি একবার নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ইমান কী? আল্লাহর নবী উত্তরে বললেন, আল্লাহ এবং তার রাসূলের সঙ্গে সর্বাপেক্ষা অধিক ভালোবাসার নাম ইমান। সে পর্যন্ত কেউই পূর্ণ মুমিন হতে পারে না, যতক্ষণ না সে তার পরিবার-পরিজন, ধন-দৌলত এবং নশ্বর দুনিয়ার সব মোহ থেকে আল্লাহ ও তার রাসূলকে অধিক ভালো না বাসে। জনৈক ব্যক্তি রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মহব্বতের দাবি করল। এ কথা শুনে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, দারিদ্র্যের জন্য তৈরি হও। তারপর আবার সে বলল, আল্লাহকে মহব্বত করি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তা হলে বালা-মুসিবত, দুঃখ-কষ্ট সহ্য করার শক্তি সঞ্চয় করো। একবার এক আরবি এসে রাসূলকে জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! কেয়ামত কবে হবে? আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সেদিনের জন্য তুমি কী সংগ্রহ করেছ? আরবি লোকটি ব���লেন, নামাজ-রোজা বেশি করতে পারিনি। তবে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলকে মহব্বত করি। এ কথা শুনে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, নিশ্চিন্ত থাকো, তুমি যাদেরকে মহব্বত করো, ভালোবাসো, রোজ কিয়ামতে তাদের সঙ্গেই তুমি থাকবে। আবু বকর সিদ্দিক রাযিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, যে একবার আল্লাহর মহব্বতের স্বাদ পায়, সে এই নশ্বর দুনিয়াকে অপছন্দ করে।
আল্লাহর ভালোবাসা দুনিয়ার সবকিছুর ঊর্ধ্বে। সুতরাং এই ভালোবাসা সত্যিকারভাবে প্রমাণিত হবে আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাতদের মধ্যে। যাকে ভালোবাসা যায়, জানপ্রাণ দিয়ে তার সন্তুষ্টি সাধন করাই হচ্ছে ভালোবাসার প্রকৃত পরিচয়। এটাই হবে মূলত ভালোবাসার আদর্শ। এ সম্পর্কে রাসূল ল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর ইচ্ছায়, মর্জিতে রাজি-খুশি থাকাই হচ্ছে মহব্বতের বড় দরজা। মহব্বত অতি প্রবল ও খাঁটি হলে অন্য কিছু সেখানে দাঁড়াতে পারে না, মহব্বতই প্রাধান্য লাভ করে। যে আল্লাহর সন্তুষ্টিতে রাজি-খুশি থাকে, সে নিঃসন্দেহে উচ্চ মরতবায় পৌঁছে যায়। কেননা সে তো যে কোনো দুঃখ-কষ্টে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সচেষ্ট থাকে এবং আল্লাহর হুকুম-আহকামগুলো নিখুঁতভাবে পালনের চেষ্টা করে আদায় করে।
একবার বিখ্যাত বুজুর্গ জুনায়েদ বাগদাদি রহমাতুল্লাহিকে জিজ্ঞেস করা হলো, আল্লাহপ্রেমিক ব্যক্তি কখনও কি বালা-মুসিবতে পতিত হয়, হলে কি অস্থির হয়? তিনি জবাবে বললেন, না, তা হয় না। আবার জিজ্ঞেস করা হলো, যদি নিদেনপক্ষে তরবারি দ্বারা ৭০টি আঘাত করা হয়? এ কথায় তিনি হাসিমুখে বললেন, এতেও সে বিন্দুমাত্র অস্থির বা হাঁ-হুতাশ করবে না। অতএব, দুনিয়ার যাবতীয় বালা-মুসিবত, দুঃখ-কষ্ট, ব্যথা-বেদনা সহ্য করতে হবে। কেননা পরকালে আল্লাহর ভালোবাসা ছাড়া অন্য কোনো সম্বল নেই। কাজেই সেই সৌভাগ্যবান, যে দুনিয়ার জীবনে সর্বাবস্থায় আল্লাহর ভালোবাসার রঙে উজ্জ্বল। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, নিজেকে যে পরিশুদ্ধ ও পবিত্র করেছে সেই কল্যাণ ও মঙ্গল লাভ করেছে। আর যে পথভ্রষ্ট হয়েছে সে বিফল মনোরথ হয়েছে। মোটকথা, মানুষের ভালোবাসার একমাত্র লক্ষ্য হলো কেবল আল্লাহ, এক আল্লাহ। এক আল্লাহ ব্যতীত ভালোবাসার উপযুক্ত এই দুনিয়ার সংসারে আর কিছু নেই। তাই যে দুনিয়াকে ভালোবাসে, সে আল্লাহকে ভুলে যায়। তার মতো কপাল পোড়া জাহেল আর কেউ নেই। অন্যদিকে, যে আল্লাহকে ভালোবাসে এবং সেই সঙ্গে অন্য সবাইকে ভালোবাসে সে যথার্থ পথে রয়েছে। পিতা-মাতা, ভাইবোন, আত্মীয়-স্বজন এবং গরিব-দুঃখীজন ও অন্য সবাইকে মানবতার দৃষ্টিতে ভালোবাসে, সে মূলত আল্লাহকেই ভালোবাসে। অতএব আসুন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হুকুম-আহকাম মেনে চলি, ইহকালে-পরকালে সুখ-শান্তি অর্জন করি।
https://www.youtube.com/watch?v=oZ3K0w5ebGY&t=47s
https://www.youtube.com/watch?v=rQMirJIzUMA
https://www.youtube.com/watch?v=8ijksu_pgfo
https://www.youtube.com/watch?v=CQuUz28PMhI&t=17s
https://www.youtube.com/watch?v=aG00Mvgoy44
https://www.youtube.com/watch?v=03gu0kLGSNw
https://www.youtube.com/watch?v=CqSTdxuJ22c&t=1s
আল্লাহপ্রেমিক আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন আল্লাহর ভালোবাসা লাভের উপায়
A Lover of Allah, The Way To Attain The Love Of Allah.
আল্লাহর প্রিয়
#LoveOfAllah#আল্লাহর ভালবাসা#আল্লাহর প্রিয় হবেন যেভাবে#How To Be Loved By Allah#Allah#BeLoved#আল্লাহরপ্রিয়#Youtube
0 notes
Text
আল্লাহপ্রেমিক সন্তান তৈরির সেরা উপায়
আল্লাহপ্রেমিক সন্তান তৈরির সেরা উপায়
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর প্রিয় হবেন যেভাবে
দুনিয়ার জীবনের সব কাজকর্ম, চেষ্টা-প্রচেষ্টা, সৎ নিয়ত ও সৎকর্ম এবং নেক আমল সবই আল্লাহতায়ালার ভালোবাসা দৃঢ় করার উপলক্ষ মাত্র। আল্লাহর ভালোবাসা ও সন্তুষ্টি অর্জনই মানুষের সর্বোচ্চ মর্যাদার সম্বল।
আল্লাহর ভালোবাসা অর্জনের সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে- আল্লাহর প্রতি নিজেকে সম্পূর্ণভাবে উৎসর্গিত করে দেওয়া। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, 'আল্লাহপাক তাদের ভালোবাসেন এবং তারাও আল্লাহকে ভালোবাসে। ' রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তার রাসূলকে দুনিয়ার সবকিছু থেকে না ভালোবাসেন, তার ইমান আদৌ পূর্ণতা লাভ করে না। এক সাহাবি একবার নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ইমান কী? আল্লাহর নবী উত্তরে বললেন, আল্লাহ এবং তার রাসূলের সঙ্গে সর্বাপেক্ষা অধিক ভালোবাসার নাম ইমান। সে পর্যন্ত কেউই পূর্ণ মুমিন হতে পারে না, যতক্ষণ না সে তার পরিবার-পরিজন, ধন-দৌলত এবং নশ্বর দুনিয়ার সব মোহ থেকে আল্লাহ ও তার রাসূলকে অধিক ভালো না বাসে। জনৈক ব্যক্তি রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মহব্বতের দাবি করল। এ কথা শুনে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, দারিদ্র্যের জন্য তৈরি হও। তারপর আবার সে বলল, আল্লাহকে মহব্বত করি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তা হলে বালা-মুসিবত, দুঃখ-কষ্ট সহ্য করার শক্তি সঞ্চয় করো। একবার এক আরবি এসে রাসূলকে জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! কেয়ামত কবে হবে? আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সেদিনের জন্য তুমি কী সংগ্রহ করেছ? আরবি লোকটি বললেন, নামাজ-রোজা বেশি করতে পারিনি। তবে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলকে মহব্বত করি। এ কথা শুনে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, নিশ্চিন্ত থাকো, তুমি যাদেরকে মহব্বত করো, ভালোবাসো, রোজ কিয়ামতে তাদের সঙ্গেই তুমি থাকবে। আবু বকর সিদ্দিক রাযিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, যে একবার আল্লাহর মহব্বতের স্বাদ পায়, সে এই নশ্বর দুনিয়াকে অপছন্দ করে।
আল্লাহর ভালোবাসা দুনিয়ার সবকিছুর ঊর্ধ্বে। সুতরাং এই ভালোবাসা সত্যিকারভাবে প্রমাণিত হবে আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাতদের মধ্যে। যাকে ভালোবাসা যায়, জানপ্রাণ দিয়ে তার সন্তুষ্টি সাধন করাই হচ্ছে ভালোবাসার প্রকৃত পরিচয়। এটাই হবে মূলত ভালোবাসার আদর্শ। এ সম্পর্কে রাসূল ল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর ইচ্ছায়, মর্জিতে রাজি-খুশি থাকাই হচ্ছে মহব্বতের বড় দরজা। মহব্বত অতি প্রবল ও খাঁটি হলে অন্য কিছু সেখানে দাঁড়াতে পারে না, মহব্বতই প্রাধান্য লাভ করে। যে আল্লাহর সন্তুষ্টিতে রাজি-খুশি থাকে, সে নিঃসন্দেহে উচ্চ মরতবায় পৌঁছে যায়। কেননা সে তো যে কোনো দুঃখ-কষ্টে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সচেষ্ট থাকে এবং আল্লাহর হুকুম-আহকামগুলো নিখুঁতভাবে পালনের চেষ্টা করে আদায় করে।
একবার বিখ্যাত বুজুর্গ জুনায়েদ বাগদাদি রহমাতুল্লাহিকে জিজ্ঞেস করা হলো, আল্লাহপ্রেমিক ব্যক্তি কখনও কি বালা-মুসিবতে পতিত হয়, হলে কি অস্থির হয়? তিনি জবাবে বললেন, না, তা হয় না। আবার জিজ্ঞেস করা হলো, যদি নিদেনপক্ষে তরবারি দ্বারা ৭০টি আঘাত করা হয়? এ কথায় তিনি হাসিমুখে বললেন, এতেও সে বিন্দুমাত্র অস্থির বা হাঁ-হুতাশ করবে না। অতএব, দুনিয়ার যাবতীয় বালা-মুসিবত, দুঃখ-কষ্ট, ব্যথা-বেদনা সহ্য করতে হবে। কেননা পরকালে আল্লাহর ভালোবাসা ছাড়া অন্য কোনো সম্বল নেই। কাজেই সেই সৌভাগ্যবান, যে দুনিয়ার জীবনে সর্বাবস্থায় আল্লাহর ভালোবাসার রঙে উজ্জ্বল। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, নিজেকে যে পরিশুদ্ধ ও পবিত্র করেছে সেই কল্যাণ ও মঙ্গল লাভ করেছে। আর যে পথভ্রষ্ট হয়েছে সে বিফল মনোরথ হয়েছে। মোটকথা, মানুষের ভালোবাসার একমাত্র লক্ষ্য হলো কেবল আল্লাহ, এক আল্লাহ। এক আল্লাহ ব্যতীত ভালোবাসার উপযুক্ত এই দুনিয়ার সংসারে আর কিছু নেই। তাই যে দুনিয়াকে ভালোবাসে, সে আল্লাহকে ভুলে যায়। তার মতো কপাল পোড়া জাহেল আর কেউ নেই। অন্যদিকে, যে আল্লাহকে ভালোবাসে এবং সেই সঙ্গে অন্য সবাইকে ভালোবাসে সে যথার্থ পথে রয়েছে। পিতা-মাতা, ভাইবোন, আত্মীয়-স্বজন এবং গরিব-দুঃখীজন ও অন্য সবাইকে মানবতার দৃষ্টিতে ভালোবাসে, সে মূলত আল্লাহকেই ভালোবাসে। অতএব আসুন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হুকুম-আহকাম মেনে চলি, ইহকালে-পরকালে সুখ-শান্তি অর্জন করি।
https://www.youtube.com/watch?v=oZ3K0w5ebGY&t=47s
https://www.youtube.com/watch?v=rQMirJIzUMA
https://www.youtube.com/watch?v=8ijksu_pgfo
https://www.youtube.com/watch?v=CQuUz28PMhI&t=17s
https://www.youtube.com/watch?v=aG00Mvgoy44
https://www.youtube.com/watch?v=03gu0kLGSNw
https://www.youtube.com/watch?v=CqSTdxuJ22c&t=1s
আল্লাহপ্রেমিক আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন আল্লাহর ভালোবাসা লাভের উপায়
A Lover of Allah, The Way To Attain The Love Of Allah.
আল্লাহর প্রিয়
youtube
youtube
youtube
#LoveOfAllah#আল্লাহর ভালবাসা#আল্লাহর প্রিয় হবেন যেভাবে#How To Be Loved By Allah#Allah#BeLoved#আল্লাহরপ্রিয়#Youtube
0 notes
Text
ঘুটঘুটে অন্ধকার
বিশাল পরিত্যাক্ত দালান
বিবর্ণ বস্ত্র পড়ে মার্বেলের মেঝেতে
একটা ছোট মেয়ে বসে আছে
বয়স ৬/৭
তার চোখ রক্তিম
ঘুমহীণ
তার চুল এলোমেলো
কাছে যেতেই সে চমকে উঠে
চোখ ভর্তি ভয়
ডাকতেই মুখ ফ্যাকাশে হয়ে যায়
চোখের পলকে সে মিলিয়ে যায়
অথচ রাতে যখন ঘুমাতে যাই
সে দরজার খিলকি ধরে ধাক্কা দেয়
অশীরিরি শব্দ আসে জানালার পাশ দিয়ে
খিলখিল করে হেসে দৌড়ে পালিয়ে যায়
এই শিশুর প্রেতাত্মা আমায় তাড়িয়ে বেড়ায়
এই শিশুকে অনেক আগেই মেরে ফেলা হয়েছে
সবাই ষড়যন্ত্র করে মেরে ফেলেছে
ওর বেঁচে থাকলে আমাদের সমস্যা
ওকে পিটিয়ে মেরে ফেল
ওর গলা টিপে ধর
ওর শ্বাসরোধ কর
ওর পা ভেঙ্গে দে
ওকে ধরে হ্যাঁচকা টান দে
তার অতৃপ্ত আত্মা রয়ে গিয়েছে
দস্যি মেয়েটা যারা মেরে ফেললো
তাদের কে আর বশ করেনি
সে বশ করেছে তার বেড়ে ওঠা শরীরকেই
তার রাগ এখানেই
অন্যরা তো মারবেই
তুই নিজেকে মারলি ক্যান?
এর জবাব তোর দিতেই হবে
না দেওয়া পর্যন্ত তোকে আমি ভর করে থাকবো
সব সম্পর্কে
সব পেশায়,
সব নেশায়
।
।
।
আমার নিজের ওপর ঘেন্না হয়
নিজের শরীরের দিকে তাকালে ঘেন্না হয়
নিজের অবয়বের দিকে তাকালে ঘেন্না হয়
নিজের লেখার দিকে তাকালে ঘেন্না হয়
নিজের লেখা অন্যদেরকে দেওয়া সান্ত্বনাবাণী দেখলে ঘেন্না হয়
যেই মানুষটা অন্যদের বলে নিজেকে ভালোবাসো
তোর নিজের ভালোবাসা কই ছিলো
যেই মানুষটা অন্যদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় তাদের মুল্য, তাদের নিজেদের মর্ম
তোর নিজের মর্ম কই ছিলো
যেই মানুষটা পরম আদরে অন্যদের জড়িয়ে ধরে আর ধরতে চায়
তোর নিজের মমত্ব কই ছিলো
আয়নায় আমি দেখি এক ভন্ডের প্রতিচ্ছবি
এক শিশু খুনির বেহায়া অবয়া
মুখ নাড়ালে এক মিথ্যুক কথা কয়
সত্য সুন্দরম
আর তুই মিথ্যা কুৎসিতরম
ভুতুড়ে যেই দালানে মেয়েটা লুকিয়ে থাকে
সে মানুষ ভয় পায়
কিন্তু সে শুধু তোকেই পিছু করে
তার হিসাব খালি তোর সাথে
সে দেখায় ভয়ংকর সব দুঃস্বপ্ন
স্বপ্ন দুঃস্বপ্নের অসংখ্য মেলায়
সর্বদা আমাকে লেলিয়ে রাখে
এত এত সিমুলেশনে আমাকে ঘুরায়
আমি থাকিনা এই জগতে, থাকিনা বর্তমানে
আমি পড়ে থাকি অতীতের কোন মিথ্যা বাণী আঁকড়ে ধরে
বা অসম্ভব কোন ভবিষ্যতের আশায়
আমার ঘেন্না হয়
শহরের দেয়ালে লেখা সংস্কারের ভুয়া প্রতিশ্রুতির মতন
আমার ঘেন্না হয়
'
'
' রি
০৫/১২/২৪
০৩ঃ০৩ রাত
0 notes
Text
ভালোবাসলেই হয় না; ভালোবেসে যেতে হয়। প্রথমদিকের উপচে পড়া ভালোবাসা না , প্রতিদিন ভালোবেসে না গেলে ভালোবাসা একদিন সত্যি সত্যি মরে যায়। তখনই আমাদের অবচেতন মন বিকল্প কারো সন্ধান করে এবং একসময় হয়ত পেয়েও যায়।
সে যখন জিজ্ঞাসা করে , তুমি আমাকে ভালোবাসো কিনা, সে মুখস্ত নামতার মত বলে দেয়, অনেক ভালোবাসি। হৃদয় থেকে আসে নি; এটি আসলে মস্তিস্কের প্রোগ্রামিং করা জবাব।
ভালোবাসা অনেকটা গাছের মত। শুধু ভালবাসলেই হয় না, প্রতিদিন এর যত্ন নিতে হয়। একটা গাছের চারা রোপণ করলেই হয় না, প্রতিদিন নিয়ম করে জল না দিলে একদিন গাছটি যেমন মরে যাবে ; মানুষের ক্ষেত্রেও তাই।
তাহলে বৃদ্ধরা ? তারা তো একে অন্যকে ভালোবেসেই এতটা বছর আগলে রেখেছে, কিন্তু তারা তো যৌবনকালের মত পাগলামি করে বেড়ায় না। কতকাল হয়ে গেল তারা সমুদ্রের পাড়ে হাত ধরে আকাশ দেখে নি !
এইসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলেও গাছের দিকে তাকাতে হয়। গাছটি যখন অনেক বড় হয়ে যায় তখন আর প্রতিদিন জল দেবার দরকার পড়ে না। তার শিকড় মাটির এত গভীরে পৌঁছে যায় যে সে নিজ থেকেই মাটি থেকে জল নিতে শিখে ফেলে।
ভালোবাসলেই হয় না, ভালোবেসে যেতে হয়। ভালোবাসার প্রশস্ত শিকড় যখন হৃদপিণ্ডে গিয়ে পৌঁছাবে , তখন তোমাকে আর ভালোবেসে যেতে হবে না; হৃদয়ের পিঞ্জিরা থেকে আপনা আপনিই বের হয়ে আসবে শুদ্ধতম ভাল��বাসা ।
0 notes
Text
তসলিমা নাসরিন ভালবেসে বিয়ে করেছিল কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহকে। তবে একাধিক প্রেমের অভিযোগে এক সময় তসলিমা ছেড়ে যায় রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহকে। তসলিমার সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের ৪ বছর পরে ১৯৯১ সালে রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ মারা যায়। অতিরিক্ত মাদক সেবনকে তার অকাল মৃত্যুর জন্যে দায়ী করা হয়। রুদ্রের মৃত্যুর পরে তার "আমার ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে" কবিতা পাওয়া যায় যেটি পরবর্তীতে বিখ্যাত হয়ে উঠে। অনেকেই বলে থাকেন এটি তসলিমা নাসরিনকে উদ্দেশ্য করে তিনি লিখেছিলেন। এর জবাবে তসলিমা নাসরিনও একটি কবিতা লেখেন যেখানে তিনি রুদ্রর প্রতি তার ভালবাসার কথা লেখেন ও একই সাথে রুদ্রর একাধিক প্রেমের কথা তোলেন।
রুদ্র'র গান
আমার ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে
আছো তুমি হৃদয় জুড়ে
ঢেকে রাখে যেমন কুসুম
পাপড়ির আবডালে ফসলের ঘুম
তেমনি তোমার নিবিড় চলা
মরমের মূল পথ ধরে
পুষে রাখে যেমন ঝিনুক
খোলসের আবরণে মুক্তোর সুখ
তেমনি তোমার গভীর চ্নোয়া
ভিতরের নীল বন্দরে
ভালো আছি, ভালো থেকো
আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো
দিও তোমার মালা খানি
বাউল এর এই মন টা রে
তসলিমা নাসরিনের জবাব
প্রিয় রুদ্র,
প্রযত্নে, আকাশ
তুমি আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখতে বলেছিলে। তুমি কি এখন আকাশ জুড়ে থাকো? তুমি আকাশে উড়ে বেড়াও? তুলোর মতো, পাখির মতো? তুমি এই জগৎসংসার ছেড়ে আকাশে চলে গেছো। তুমি আসলে বেঁচেই গেছো রুদ্র। আচ্ছা, তোমার কি পাখি হয়ে উড়ে ফিরে আসতে ইচ্ছে করে না? তোমার সেই ইন্দিরা রোডের বাড়িতে, আবার সেই নীলক্ষেত, শাহবাগ, পরীবাগ, লালবাগ চষে বেড়াতে? ইচ্ছে তোমার হয় না এ আমি বিশ্বাস করি না, ইচ্ছে ঠিকই হয়, পারো না। অথচ এক সময় যা ইচ্ছে হতো তোমার তাই করতে। ইচ্ছে যদি হতো সারারাত না ঘুমিয়ে গল্প করতে - করতে। ইচ্ছে যদি হতো সারাদিন পথে পথে হাটতে - হাটতে। কে তোমাকে বাধা দিতো? জীবন তোমার হাতের মুঠোয় ছিলো। এই জীবন নিয়ে যেমন ইচ্ছে খেলেছো। আমার ভেবে অবাক লাগে, জীবন এখন তোমার হাতের মুঠোয় নেই। ওরা তোমাকে ট্রাকে উঠিয়ে মিঠেখালি রেখে এলো, তুমি প্রতিবাদ করতে পারোনি।
আচ্ছা, তোমার লালবাগের সেই প্রেমিকাটির খবর কি, দীর্ঘ বছর প্রেম করেছিলে তোমার যে নেলী খালার সাথে? তার উদ্দেশ্যে তোমার দিস্তা দিস্তা প্রেমের কবিতা দেখে আমি কি ভীষণ কেঁদেছিলাম একদিন ! তুমি আর কারো সঙ্গে প্রেম করছো, এ আমার সইতো না। কি অবুঝ বালিকা ছিলাম ! তাই কি? যেন আমাকেই তোমার ভালোবাসতে হবে। যেন আমরা দু'জন জন্মেছি দু'জনের জন্য। যেদিন ট্রাকে করে তোমাকে নিয়ে গেলো বাড়ি থেকে, আমার খুব দম বন্ধ লাগছিলো। ঢাকা শহরটিকে এতো ফাঁকা আর কখনো লাগেনি। বুকের মধ্যে আমার এতো হাহাকারও আর কখনো জমেনি। আমি ঢাকা ছেড়ে সেদিন চলে গিয়েছিলাম ময়মনসিংহে। আমার ঘরে তোমার বাক্সভর্তি চিঠিগুলো হাতে নিয়ে জন্মের কান্না কেঁদেছিলাম। আমাদের বিচ্ছেদ ছিলো চার বছরের। এতো বছর পরও তুমি কী গভীর করে বুকের মধ্যে রয়ে গিয়েছিলে ! সেদিন আমি টের পেয়েছি।
আমার বড়ো হাসি পায় দেখে, এখন তোমার শ'য়ে শ'য়ে বন্ধু বেরোচ্ছে। তারা তখন কোথায় ছিলো? যখন পয়সার অভাবে তুমি একটি সিঙ্গাড়া খেয়ে দুপুর কাটিয়েছো। আমি না হয় তোমার বন্ধু নই, তোমাকে ছেড়ে চলে এসেছিলাম বলে। এই যে এখন তোমার নামে মেলা হয়, তোমার চেনা এক আমিই বোধ হয় অনুপস্থিত থাকি মেলায়। যারা এখন রুদ্র রুদ্র বলে মাতন করে বুঝিনা তারা তখন কোথায় ছিলো?
শেষদিকে তুমি শিমুল নামের এক মেয়েকে ভালোবাসতে। বিয়ের কথাও হচ্ছিলো। আমাকে শিমুলের সব গল্প একদিন করলে। শুনে ... তুমি বোঝোনি আমার খুব কষ্ট হচ্ছিলো। এই ভেবে যে, তুমি কি অনায়াসে প্রেম করছো ! তার গল্প শোনাচ্ছো ! ঠিক এইরকম অনুভব একসময় আমার জন্য ছিলো তোমার ! আজ আরেকজনের জন্য তোমার অস্থিরতা। নির্ঘুম রাত কাটাবার গল্প শুনে আমার কান্না পায় না বলো? তুমি শিমুলকে নিয়ে কি কি কবিতা লিখলে তা দিব্যি বলে গেলে ! আমাকে আবার জিজ্ঞেসও করলে, কেমন হয়েছে। আমি বললাম, খুব ভালো। শিমুল মেয়েটিকে আমি কোনোদিন দেখিনি, তুমি তাকে ভালোবাসো, যখন নিজেই বললে, তখন আমার কষ্টটাকে বুঝতে দেইনি। তোমাকে ছেড়ে চলে গেছি ঠিকই কিন্তু আর কাউকে ভালোবাসতে পারিনি। ভালোবাসা যে যাকে তাকে বিলোবার জিনিস নয়।
আকাশের সঙ্গে কতো কথা হয় রোজ ! কষ্টের কথা, সুখের কথা। একদিন আকাশভরা জোৎস্নায় গা ভেসে যাচ্ছিলো আমাদের। তুমি দু চারটি কষ্টের কথা বলে নিজের লেখা একটি গান শুনিয়েছিলে। "ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি দিও"। মংলায় বসে গানটি লিখেছিলে। মনে মনে তুমি কার চিঠি চেয়েছিলে? আমার? নেলী খালার? শিমুলের? অনেক দিন ইচ্ছে তোমাকে একটা চিঠি লিখি। একটা সময় ছিলো তোমার। একটা সময় ছিলো তোমাকে প্রতিদিন চিঠি লিখতাম। তুমিও লিখতে প্রতিদিন। সেবার আরমানিটোলার বাড়িতে বসে দিলে আকাশের ঠিকানা। তুমি পাবে তো এই চিঠি? জীবন এবং জগতের তৃষ্ণা তো মানুষের কখনো মেটে না, তবু মানুষ আর বাঁচে ক'দিন বলো? দিন তো ফুরোয়। আমার কি দিন ফুরোচ্ছে না? তুমি ভালো থেকো। আমি ভালো নেই।
ইতি,
সকাল
পুনশ্চঃ আমাকে সকাল বলে ডাকতে তুমি। কতোকাল ঐ ডাক শুনি না। তুমি কি আকাশ থেকে সকাল, আমার সকাল বলে মাঝে মধ্যে ডাকো? নাকি আমি ভুল শুনি?
সংগৃহীত
ছবি: তসলিমা নাসরিন, রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ
5 notes
·
View notes
Text
জাতীয় মসজিদে নতুন খতীব।জুমুআর বয়ান।
youtube
সুখ পাওয়ার আমল
youtube
youtube
ভরসা যেন রাখি একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার উপর
youtube
সুখের দিন দীর্ঘস্থায়ী রাখতে মুমিনের দোয়া
youtube
সুখের দিন দীর্ঘস্থায়ী রাখতে মুমিনের দোয়া
মানুষের জীবন আবর্তনশীল। জীবন কখনো খুশিতে উদ্বেলিত, আবার কখনো দুঃখের ভারে জর্জরিত। আবর্তনশীল জীবনে মুমিন সুদিনে প্রস্তুত হয় দুর্দিনের জন্য। সে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা, সম্পদের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ও সংযত জীবনযাপনের মাধ্যমে সুদিন ধরে রাখার চেষ্ট করে।
সুদিন দীর্ঘস্থায়ী করতে ইসলামের নির্দেশনা নিম্নরূপ :
১. সুদিন আমার অর্জন নয় : মুমিন বান্দা সুদিনকে আল্লাহর অনুগ্রহ জ্ঞান করে। সুসময়কে নিজের উপার্জন মনে করে না। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমিই তাদের মধ্যে তাদের জীবিকা বণ্টন করি, পার্থিব জীবনে এবং একজনকে অপরের ওপর মর্যাদায় উন্নত করি, যাতে একে অপরের দ্বারা কাজ করিয়ে নিতে পারে...।’ (সুরা : জুখরুফ, আয়াত : ৩২)
২. আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা : যেহেতু মুমিন বিশ্বাস করে, সুদিন আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ, তাই সে সর্বদা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকে।
বস্তুত এর মাধ্যমে সে নিজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, তোমাদের প্রতিপালক ঘোষণা করেন, তোমরা কৃতজ্ঞ হলে তোমাদেরকে অবশ্যই অধিক দেব আর অকৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই আমার শাস্তি হবে কঠোর।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ৭)
৩. সামর্থ্য অনুযায়ী জীবনযাপন : মুমিন সুদিনেও নিজের জীবনধারাকে সামর্থ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে। সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে জীবনকে বোঝা করে তোলে না।
তার জীবনে থাকে আল্লাহর অনুগ্রহের বহিঃপ্রকাশ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের কথা জানিয়ে দাও।’ (সুরা : দুহা, আয়াত : ১১)
৪. সম্পদের সঠিক ব্যবহার : মুমিন সুদিনে অপচয় ও অপব্যয় পরিহার করে সম্পদ আগামীর জন্য সংরক্ষণ করে। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তোমরা খাও ও পান করো; অপচয় কোরো না।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৩১)
৫. সংযত জীবন : সুদিন মুমিনকে অসংযত করে না। ফলে তার জীবন হয় বিনীত। কেননা সে আল্লাহর এই হুঁশিয়ারি ভুলে যায় না—‘কত ��নপদকে আমি ধ্বংস করেছি, যার বাসিন্দারা নিজেদের ভোগ-সম্পদের দম্ভ করত। এগুলোই তো তাদের ঘরবাড়ি, তাদের পর এগুলোতে লোকজন সামান্যই বসবাস করেছে।’ (সুরা : কাসাস, আয়াত : ৫৮)
৬. ভালো কাজে জীবনের সমৃদ্ধি : মুমিন সুদিনে উদার মনে ভালো কাজে ব্যয় করে। কল্যাণের কাজে অর্থ ব্যয় সম্পদের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘কে সে, যে আল্লাহকে কর্জে হাসানা প্রদান করবে? তিনি তার জন্য এটা বহু গুণে বৃদ্ধি করবেন।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৪৫)
৭. অন্যের জীবন সুন্দর করা : মুমিন যখন সুদিন লাভ করে, তখন সে অন্যের জীবনও সুন্দর করার চিন্তা করে; বিশেষত আপনজন ও প্রতিবেশীদের ভেতর যারা পিছিয়ে থাকে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আত্মীয়-স্বজনকে দেবে তার প্রাপ্য এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও এবং কিছুতেই অপব্যয় কোরো না।’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ২৬)
৮. সুদিনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা : সুদিনে মুমিন এমন কাজ থেকে বিরত থাকবে, যাতে সম্পদ নষ্ট হয় এবং যা মানুষের জীবনে দুশ্চিন্তার কারণ হয়। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তোমাদের সম্পদ, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য উপজীবিকা করেছেন তা নির্বোধ মালিকদের হাতে অর্পণ কোরো না।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৫)
৯. সুদিন ধরে রাখতে দোয়া করা : মুমিন সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য ও সচ্ছলতা ধরে রাখতে আল্লাহর কাছে দোয়া করে। সে প্রার্থনা করে,
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দাও এবং পরকালে কল্যাণ দাও। আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করো।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২০১)
১০. পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা : সুদিন ও সচ্ছলতার সময় পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা যতটা সহজ, দুর্দিনে তা ততটা সহজ নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যা ভালোবাসো তা থেকে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনো পুণ্য লাভ করবে না। তোমরা যা কিছু ব্যয় করো আল্লাহ অবশ্যই সে সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৯২)
আল্লাহ সবাইকে তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়ার তাওফিক দিন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
সুখ পাওয়ার আমল
সুখ পাওয়ার প্রক্রিয়া
The Process of Getting Happiness
সুখ
Happiness
0 notes
Text
জাতীয় মসজিদে নতুন খতীব।জুমুআর বয়ান।
youtube
সুখ পাওয়ার আমল
youtube
youtube
ভরসা যেন রাখি একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার উপর
youtube
সুখের দিন দীর্ঘস্থায়ী রাখতে মুমিনের দোয়া
youtube
সুখের দিন দীর্ঘস্থায়ী রাখতে মুমিনের দোয়া
মানুষের জীবন আবর্তনশীল। জীবন কখনো খুশিতে উদ্বেলিত, আবার কখনো দুঃখের ভারে জর্জরিত। আবর্তনশীল জীবনে মুমিন সুদিনে প্রস্তুত হয় দুর্দিনের জন্য। সে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা, সম্পদের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ও সংযত জীবনযাপনের মাধ্যমে সুদিন ধরে রাখার চেষ্ট করে।
সুদিন দীর্ঘস্থায়ী করতে ইসলামের নির্দেশনা নিম্নরূপ :
১. সুদিন আমার অর্জন নয় : মুমিন বান্দা সুদিনকে আল্লাহর অনুগ্রহ জ্ঞান করে। সুসময়কে নিজের উপার্জন মনে করে না। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমিই তাদের মধ্যে তাদের জীবিকা বণ্টন করি, পার্থিব জীবনে এবং একজনকে অপরের ওপর মর্যাদায় উন্নত করি, যাতে একে অপরের দ্বারা কাজ করিয়ে নিতে পারে...।’ (সুরা : জুখরুফ, আয়াত : ৩২)
২. আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা : যেহেতু মুমিন বিশ্বাস করে, সুদিন আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ, তাই সে সর্বদা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকে।
বস্তুত এর মাধ্যমে সে নিজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, তোমাদের প্রতিপালক ঘোষণা করেন, তোমরা কৃতজ্ঞ হলে তোমাদেরকে অবশ্যই অধিক দেব আর অকৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই আমার শাস্তি হবে কঠোর।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ৭)
৩. সামর্থ্য অনুযায়ী জীবনযাপন : মুমিন সুদিনেও নিজের জীবনধারাকে সামর্থ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে। সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে জীবনকে বোঝা করে তোলে না।
তার জীবনে থাকে আল্লাহর অনুগ্রহের বহিঃপ্রকাশ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের কথা জানিয়ে দাও।’ (সুরা : দুহা, আয়াত : ১১)
৪. সম্পদের সঠিক ব্যবহার : মুমিন সুদিনে অপচয় ও অপব্যয় পরিহার করে সম্পদ আগামীর জন্য সংরক্ষণ করে। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তোমরা খাও ও পান করো; অপচয় কোরো না।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৩১)
৫. সংযত জীবন : সুদিন মুমিনকে অসংযত করে না। ফলে তার জীবন হয় বিনীত। কেননা সে আল্লাহর এই হুঁশিয়ারি ভুলে যায় না—‘কত জনপদকে আমি ধ্বংস করেছি, যার বাসিন্দারা নিজেদের ভোগ-সম্পদের দম্ভ করত। এগুলোই তো তাদের ঘরবাড়ি, তাদের পর এগুলোতে লোকজন সামান্যই বসবাস করেছে।’ (সুরা : কাসাস, আয়াত : ৫৮)
৬. ভালো কাজে জীবনের সমৃদ্ধি : মুমিন সুদিনে উদার মনে ভালো কাজে ব্যয় করে। কল্যাণের কাজে অর্থ ব্যয় সম্পদের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘কে সে, যে আল্লাহকে কর্জে হাসানা প্রদান করবে? তিনি তার জন্য এটা বহু গুণে বৃদ্ধি করবেন।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৪৫)
৭. অন্যের জীবন সুন্দর করা : মুমিন যখন সুদিন লাভ করে, তখন সে অন্যের জীবনও সুন্দর করার চিন্তা করে; বিশেষত আপনজন ও প্রতিবেশীদের ভেতর যারা পিছিয়ে থাকে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আত্মীয়-স্বজনকে দেবে তার প্রাপ্য এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও এবং কিছুতেই অপব্যয় কোরো না।’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ২৬)
৮. সুদিনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা : সুদিনে মুমিন এমন কাজ থেকে বিরত থাকবে, যাতে সম্পদ নষ্ট হয় এবং যা মানুষের জীবনে দুশ্চিন্তার কারণ হয়। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তোমাদের সম্পদ, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য উপজীবিকা করেছেন তা নির্বোধ মালিকদের হাতে অর্পণ কোরো না।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৫)
৯. সুদিন ধরে রাখতে দোয়া করা : মুমিন সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য ও সচ্ছলতা ধরে রাখতে আল্লাহর কাছে দোয়া করে। সে প্রার্থনা করে,
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দাও এবং পরকালে কল্যাণ দাও। আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করো।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২০১)
১০. পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা : সুদিন ও সচ্ছলতার সময় পরকালের পাথেয় সং��্রহ করা যতটা সহজ, দুর্দিনে তা ততটা সহজ নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যা ভালোবাসো তা থেকে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনো পুণ্য লাভ করবে না। তোমরা যা কিছু ব্যয় করো আল্লাহ অবশ্যই সে সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৯২)
আল্লাহ সবাইকে তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়ার তাওফিক দিন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
সুখ পাওয়ার আমল
সুখ পাওয়ার প্রক্রিয়া
The Process of Getting Happiness
সুখ
Happiness
0 notes
Text
জাতীয় মসজিদে নতুন খতীব।জুমুআর বয়ান।
youtube
সুখ পাওয়ার আমল
youtube
youtube
ভরসা যেন রাখি একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার উপর
youtube
সুখের দিন দীর্ঘস্থায়ী রাখতে মুমিনের দোয়া
youtube
সুখের দিন দীর্ঘস্থায়ী রাখতে মুমিনের দোয়া
মানুষের জীবন আবর্তনশীল। জীবন কখনো খুশিতে উদ্বেলিত, আবার কখনো দুঃখের ভারে জর্জরিত। আবর্তনশীল জীবনে মুমিন সুদিনে প্রস্তুত হয় দুর্দিনের জন্য। সে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা, সম্পদের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ও সংযত জীবনযাপনের মাধ্যমে সুদিন ধরে রাখার চেষ্ট করে।
সুদিন দীর্ঘস্থায়ী করতে ইসলামের নির্দেশনা নিম্নরূপ :
১. সুদিন আমার অর্জন নয় : মুমিন বান্দা সুদিনকে আল্লাহর অনুগ্রহ জ্ঞান করে। সুসময়কে নিজের উপার্জন মনে করে না। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমিই তাদের মধ্যে তাদের জীবিকা বণ্টন করি, পার্থিব জীবনে এবং একজনকে অপরের ওপর মর্যাদায় উন্নত করি, যাতে একে অপরের দ্বারা কাজ করিয়ে নিতে পারে...।’ (সুরা : জুখরুফ, আয়াত : ৩২)
২. আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা : যেহেতু মুমিন বিশ্বাস করে, সুদিন আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ, তাই সে সর্বদা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকে।
বস্তুত এর মাধ্যমে সে নিজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, তোমাদের প্রতিপালক ঘোষণা করেন, তোমরা কৃতজ্ঞ হলে তোমাদেরকে অবশ্যই অধিক দেব আর অকৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই আমার শাস্তি হবে কঠোর।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ৭)
৩. সামর্থ্য অনুযায়ী জীবনযাপন : মুমিন সুদিনেও নিজের জীবনধারাকে সামর্থ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে। সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে জীবনকে বোঝা করে তোলে না।
তার জীবনে থাকে আল্লাহর অনুগ্রহের বহিঃপ্রকাশ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের কথা জানিয়ে দাও।’ (সুরা : দুহা, আয়াত : ১১)
৪. সম্পদের সঠিক ব্যবহার : মুমিন সুদিনে অপচয় ও অপব্যয় পরিহার করে সম্পদ আগামীর জন্য সংরক্ষণ করে। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তোমরা খাও ও পান করো; অপচয় কোরো না।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৩১)
৫. সংযত জীবন : সুদিন মুমিনকে অসংযত করে না। ফলে তার জীবন হয় বিনীত। কেননা সে আল্লাহর এই হুঁশিয়ারি ভুলে যায় না—‘কত জনপদকে আমি ধ্বংস করেছি, যার বাসিন্দারা নিজেদের ভোগ-সম্পদের দম্ভ করত। এগুলোই তো তাদের ঘরবাড়ি, তাদের পর এগুলোতে লোকজন সামান্যই বসবাস করেছে।’ (সুরা : কাসাস, আয়াত : ৫৮)
৬. ভালো কাজে জীবনের সমৃদ্ধি : মুমিন সুদিনে উদার মনে ভালো কাজে ব্যয় করে। কল্যাণের কাজে অর্থ ব্যয় সম্পদের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘কে সে, যে আল্লাহকে কর্জে হাসানা প্রদান করবে? তিনি তার জন্য এটা বহু গুণে বৃদ্ধি করবেন।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৪৫)
৭. অন্যের জীবন সুন্দর করা : মুমিন যখন সুদিন লাভ করে, তখন সে অন্যের জীবনও সুন্দর করার চিন্তা করে; বিশেষত আপনজন ও প্রতিবেশীদের ভেতর যারা পিছিয়ে থাকে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আত্মীয়-স্বজনকে দেবে তার প্রাপ্য এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও এবং কিছুতেই অপব্যয় কোরো না।’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ২৬)
৮. সুদিনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা : সুদিনে মুমিন এমন কাজ থেকে বিরত থাকবে, যাতে সম্পদ নষ্ট হয় এবং যা মানুষের জীবনে দুশ্চিন্তার কারণ হয়। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তোমাদের সম্পদ, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য উপজীবিকা করেছেন তা নির্বোধ মালিকদের হাতে অর্পণ কোরো না।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৫)
৯. সুদিন ধরে রাখতে দোয়া করা : মুমিন সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য ও সচ্ছলতা ধরে রাখতে আল্লাহর কাছে দোয়া করে। সে প্রার্থনা করে,
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দাও এবং পরকালে কল্যাণ দাও। আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করো।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২০১)
১০. পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা : সুদিন ও সচ্ছলতার সময় পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা যতটা সহজ, দুর্দিনে তা ততটা সহজ নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যা ভালোবাসো তা থেকে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনো পুণ্য লাভ করবে না। তোমরা যা কিছু ব্যয় করো আল্লাহ অবশ্যই সে সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৯২)
আল্লাহ সবাইকে তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়ার তাওফিক দিন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
সুখ পাওয়ার আমল
সুখ পাওয়ার প্রক্রিয়া
The Process of Getting Happiness
সুখ
Happiness
0 notes