#বেড়েছে
Explore tagged Tumblr posts
onenews24bd · 1 year ago
Text
সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১০ শতাংশ
গত সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্ববাজারে ৪৩১ কোটি ৩ লাখ ৩০ হাজার ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। ২০২২ সালের একই মাসে পণ্য রপ্তানি হয়েছিল ৩৯০ কোটি কোটি ৫০ লাখ ডলারের। এ হিসেবে গত মাসে রপ্তানি প্রব��দ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৩৭ শতাংশ। রপ্তানি আয় বৃদ্ধির জন্য বিশেষজ্ঞরা গার্মেন্টস পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিকে মূল কারণ বলে মন্তব্য করছেন। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ পরিসংখ্যানে দেখা যায়,…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
banglakhobor · 1 year ago
Text
লাখ লাখ SBI গ্রাহকদের জন্য বড় ধাক্কা! কড়া সিদ্ধান্ত নিল ব্যাঙ্ক, এখনই জানুন
নয়া দিল্লি: দেশের সর্ববৃহৎ সরকারি ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই) গ্রাহকদের জন্য বড় আপডেট দিয়েছে। শনিবার থেকে MCLR বাড়িয়েছে ব্যাঙ্ক। এর ফলে এসবিআই হোম লোন এবং গাড়ি লোন নেওয়া ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে। আপনার বাড়ি এবং গাড়ির ঋণের EMI বৃদ্ধি পাবে। দেশের বৃহত্তম সরকারি ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI) ১৫ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই থেকে MCLR ৫ বেসিস পয়েন্ট (BPS) বাড়িয়েছে।   SBI-এর…
View On WordPress
0 notes
business24bdinfo · 8 days ago
Text
বাড়লো সোনার দাম
টানা চার দফা কমার পর দেশের বাজারে সোনার দাম বেড়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল বুধবার (২০ নভেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এর আগে গত ৫, ৮,…
0 notes
bongreviewbd · 16 days ago
Text
২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়: আমেরিকান রাজনীতিতে ডানপন্থী পরিবর্তনের বিশদ বিশ্লেষণ
২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় মার্কিন রাজনীতিতে ডানপন্থী পরিবর্তনের এক বিশাল নিদর্শন। সাম্প্রতিক সময়ে গ্যালাপের জরিপে দেখা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে যারা রিপাবলিকান হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন বা রিপাবলিকানপন্থী, তাদের সংখ্যা বেড়েছে। ২০০৪ সালের পর প্রথমবারের মতো, একজন রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্প জনপ্রিয় ভোটে বিজয় লাভ করেছেন। এই ঘটনাটি শুধুমাত্র ডানপন্থী রাজনীতির উত্থান নয়, বরং আমেরিকান জনগণের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক চেতনার প্রতিফলন।
youtube
২০২৪ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য পুনরুদ্ধার করেন, যেগুলো ২০২০ সালে জো বাইডেন ডেমোক্র্যাটিক পক্ষে ফিরিয়েছিলেন। এই রাজ্যগুলো, যেগুলোকে "নীল দেয়াল" রাজ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, বহু বছর ধরে ডেমোক্র্যাটিক সমর্থন পেয়ে এসেছে। তবে ২০১৬ সালে ট্রাম্প যখন প্রথমবারের মতো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তখন ��িনি ঐতিহ্যগত ডেমোক্র্যাটিক রাজ্যগুলোতেও ভোটের সমর্থন বাড়াতে সক্ষম হন। ২০২৪ সালের নির্বাচনে, ট্রাম্প শুধু ২০২০ সালে জিতেছিল এমন প্রতিটি রাজ্য ধরে রাখতে পেরেছেন তাই নয়, তিনি নেভাদাও ডেমোক্র্যাটদের কাছ থেকে উল্টে নিতে সক্ষম হয়েছেন।
এছাড়াও, ট্রাম্প এমন রাজ্যগুলোতেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেন যেখানে তিনি পরাজিত হয়েছেন। ডেমোক্র্যাটিক শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত নিউইয়র্ক, ক্যালিফোর্নিয়া এবং কানেকটিকাটে, ট্রাম্প গত এক দশকের মধ্যে যেকোনো রিপাবলিকান প্রার্থীর তুলনায় বেশি ভোট পান। এই ঘটনাগুলো দেখায় যে ট্রাম্পের নেতৃত্বে রিপাবলিকান দল কতটা শক্তিশালী হয়ে উঠেছে এবং মার্কিন নির্বাচনে ডানপন্থী রাজনীতি কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
আমেরিকান ভোটারদের মধ্যে ডানপন্থী পরিবর্তনের কারণ:
অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে ট্রাম্পের ২০২৪ সালের নির্বাচনী বিজয় মূলত ভোটারদের মাঝে ডানপন্থী রাজনৈতিক ঝোঁকের বৃদ্ধি দ্বারা সম্ভব হয়েছে। ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারির সময়, দেশজুড়ে অর্থনৈতিক অস্থিরতা, জনসুরক্ষা এবং সামাজিক আন্দোলনগুলো জনগণের রাজনৈতিক চিন্তাধারাকে প্রভাবিত করেছে। ২০২৪ সালের নির্বাচনে এই বিষয়গুলো আরও প্রাধান্য পায়, যার ফলে অনেক আমেরিকান ভোটার রিপাবলিকান নীতিমালার দিকে ঝুঁকে পড়েন।
অন্যান্য বিষয়গুলোর মধ্যে বর্ডার সুরক্ষা, অভিবাসন সমস্যা, এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মার্কিন জনগণের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে উঠেছে। ট্রাম্পের ক্যাম্পেইন আমেরিকার সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। এর ফলে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায় এবং রিপাবলিকান দলের শক্তি আবারও প্রতিফলিত হয়।
গ্যালাপের জরিপে রিপাবলিকান সমর্থনের উত্থান:
গ্যালাপের তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেওয়া মানুষের সংখ্যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাড়তে দেখা গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমেরিকান ভোটারদের মধ্যে ডানপন্থী চিন্তাধারার উত্থান ট্রাম্পের নির্বাচনী সাফল্যের অন্যতম প্রধান কারণ। ২০০৪ সালে জর্জ ডব্লিউ বুশের পর প্রথমবারের মতো, রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প জনপ্রিয় ভোটে বিজয় অর্জন করেছেন।
এই উত্থান শুধুমাত্র নির্বাচনী ফলাফলে নয়, বরং মার্কিন রাজনীতিতে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে, আমেরিকার অনেক রাজ্যে রিপাবলিকান প্রভাব অনেক বেশি। এই পরিবর্তনের ফলে ভবিষ্যতে আমেরিকান রাজনীতিতে রিপাবলিকান দল কতটা শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারে তা নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে।
ট্রাম্পের নির্বাচনী মানচিত্র এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনা:
ডোনাল্ড ট্রাম্পের তিনটি প্রেসিডেন্ট প্রচেষ্টা তিনটি ভিন্ন ফলাফলে শেষ হয়েছে। প্রথম প্রচেষ্টায় তিনি জয়লাভ করেছিলেন, দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় তিনি পরাজিত হয়��ছিলেন এবং ২০২৪ সালে তৃতীয় প্রচেষ্টায় তিনি পুনরায় বিজয়ী হন। এই ফলাফলগুলো ট্রাম্পের নির্বাচনী মানচিত্রে বিভিন্ন ধরণের রাজ্যগুলোর অবস্থান প্রকাশ করে।
২০২৪ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকানদের জন্য নতুন দিগন্ত উ��্মোচন হয়েছে। ট্রাম্পের বিজয় এবং আমেরিকান ভোটারদের মধ্যে ডানপন্থী রাজনীতির উত্থান রিপাবলিকানদের ভবিষ্যতের জন্য অনেক সম্ভাবনা উন্মোচন করেছে। আমেরিকার ডেমোক্র্যাটিক শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত অনেক রাজ্যেও ট্রাম্পের ভোটের সংখ্যা বেড়েছে।
উপসংহার:
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয় এবং ডানপন্থী রাজনীতির উত্থান আমেরিকান রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। রিপাবলিকান নীতিমালার প্রতি আমেরিকান ভোটারদের আগ্রহ এবং ডেমোক্র্যাটিক ঘাঁটিগুলোতেও ভোটের বৃদ্ধির ফলে ট্রাম্পের বিজয় নিশ্চিত হয়।
মোটকথা, ট্রাম্পের নির্বাচনী সাফল্য শুধুমাত্র আমেরিকান নির্বাচনে ডানপন্থী রাজনীতির প্রভাবই নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্যও মার্কিন রাজনীতির পরিবর্তনের পূর্বাভাস দেয়।
আরও দেখুনঃ রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিক: রেট্রো স্টাইল থেকে হিমালয়ান অ্যাডভেঞ্চার - একটি ঐতিহাসিক যাত্রা
youtube
Tags: #facts #fyp #reels #viral #highlights #DonaldTrump #2024USElection #PresidentialElection2024 #USPolitics #RepublicanVictory #RightWingPolitics #GallupSurvey #BlueWallStates #DemocraticStates #ElectoralMap #AmericanVoters #RightWingShift #Nevada #NewYorkCalifornia #Connecticut #ShiftInAmericanPolitics #ডোনাল্ডট্রাম্প #২০২৪মার্কিননির্বাচন #প্রেসিডেন্টনির্বাচন২০২৪ #মার্কিনরাজনীতি #রিপাবলিকানবিজয় #ডানপন্থীরাজনীতি #গ্যালাপজরিপ #ব্লুওয়ালরাজ্য #ডেমোক্র্যাটিকরাজ্য #নির্বাচনীমানচিত্র #মার্কিনভোটার #ডানপন্থীচিন্তাধারা #নেভাদা #নিউইয়র্কক্যালিফোর্নিয়া #কানেকটিকাট #মার্কিনরাজনীতিরপরিবর্তন #আমেরিকানভোটার ডোনাল্ডট্রাম্প, ২০২৪মার্কিননির্বাচন, প্রেসিডেন্টনির্বাচন২০২৪, মার্কিনরাজনীতি, রিপাবলিকানবিজয়, ডানপন্থীরাজনীতি, গ্যালাপজরিপ, ব্লুওয়ালরাজ্য, ডেমোক্র্যাটিকরাজ্য, নির্বাচনীমানচিত্র, মার্কিনভোটার, ডানপন্থীচিন্তাধারা, নেভাদা, নিউইয়র্কক্যালিফোর্নিয়া, কানেকটিকাট, মার্কিনরাজনীতিরপরিবর্তন, আমেরিকানভোটার, DonaldTrump, 2024USElection, PresidentialElection2024, USPolitics, RepublicanVictory, RightWingPolitics, GallupSurvey, BlueWallStates, DemocraticStates, ElectoralMap, AmericanVoters, RightWingShift, Nevada, NewYorkCalifornia, Connecticut, ShiftInAmericanPolitics
0 notes
banglavisiononline · 17 days ago
Link
গত অক্টোবর মাসে বাংলাদেশের রফতা
0 notes
uearnercom · 2 months ago
Text
Tumblr media
সেরা বেটিং সাইট বাছাই করার ৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
অনলাইন বেটিং বাংলাদেশে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, আর এর ফলে সেরা বেটিং সাইট নির্বাচন করার প্রয়োজনীয়তাও বেড়েছে।
0 notes
mylordisallah · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর, ফসলি ক্ষেত ইত্যাদি। বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পাওয়া গেছে যে এরই মধ্যে গ্রামীণ দোকানপাটগুলোও পানিতে ডুবে আছে। ফলে কেনার মতো শুকনা খাবারেরও সংকট রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে আমাদের  উচিত আমাদের ভাইদের সহায়তা করার জন্য নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসা। নিম্নে বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো—
বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার : কিছু কিছু এলাকায় এই পরিমাণ পানি বেড়েছে যে মানুষ তাদের বৃদ্ধ মা-বাবা, নারী ও শিশুদের নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আকস্মিক বন্যার কারণে হঠাৎ করে কোনো নৌকা বা স্পিডবোটও পাওয়া যাচ্ছে না, ফলে বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার অভিযান চালানো আবশ্যক। এতে মহান আল্লাহর রহমত পাওয়া যাবে।
হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্য করে, আল্লাহও ততক্ষণ তার বান্দাকে সাহায্য করেন।’
(আবু দাউদ : ৪৯৪৬)
ত্রাণসামগ্রী বিতরণ : যেহেতু বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে খাদ্যসামগ্রী (চাল, ডাল, তেল, শুকনা খাবার), বিশুদ্ধ খাবার পানি, ওষুধপত্র ইত্যাদির সংকট আছে, তাই সেসব এলাকায় সাধ্যমতো এগুলো পাঠানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। হাদিস শরিফে মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করাকে উত্তম ইসলাম বলা হয়েছে।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করল, ইসলামে কোন জিনিসটি উত্তম? তিনি বলেন, তুমি খাদ্য খাওয়াবে এবং চেনা-অচেনা সবাইকে সালাম দেবে। (বুখারি, হাদিস : ১২)
অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র : বন্যার কারণে পানিবন্দি মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, তাই এই মুহূর্তে তাদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা উচিত। কারো উঁচু দালানে যদি প্রতিবেশী কিংবা আত্মীয়-স্বজন আশ্রয় চায়, তাকে আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। নারীদের পর্দা রক্ষা করে থাকার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। এ সময় অসহায় মানুষের ওপর দয়া করলে, কঠিন বিপদের দিন আমাদের ওপরও আল্লাহ দয়া করবেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাঁর দয়ালু বান্দাদের ওপরই দয়া করেন। (বুখারি, হাদিস : ৭৪৪৮)
চিকিৎসাসেবা : ইখলাসের সঙ্গে মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিয়েও আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়। সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো মুসলমান তার কোনো (রুগ্ণ) মুসলিম ভাইকে দেখতে গেলে সে (যতক্ষণ সেখানে থাকে ততক্ষণ) যেন জান্নাতের ফল আহরণ করতে থাকে। (তিরমিজি, হাদিস : ৯৬৭)
আর কঠিন বিপদে থাকা মানুষদের চিকিৎসাসেবা দিলে আরো বেশি সওয়াবের আশা করা যাবে; ইনশাআল্লাহ।
মানসিক সহায়তা : দুর্গতদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কাউন্সেলিং করা প্রয়োজন। তাদের মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও ধৈর্যের পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। তাদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য বিপদে ধৈর্য ধারণের উত্তম প্রতিদানের সুসংবাদগুলো শোনানো যেতে পারে। কারণ পবিত্র কোরআনে বলা আছে, ‘কষ্টের সঙ্গেই সুখ রয়েছে।’
(সুরা : ইনশিরাহ আয়াত : ৫)
আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘মহাকালের শপথ, প্রত্যেক মানুষ ক্ষতির মধ্যে আছে, তবে তারা ছাড়া, যারা ঈমান এনেছে, সৎ কাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’ (সুরা : আসর, আয়াত : ১-৩)
পুনর্বাস��� কার্যক্রম : বন্যা যখন চলে যাবে, তখন আমাদের দায়িত্ব হবে, বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোয় সহযোগিতা করে, একটি সুুন্দর ও স্বাবলম্বী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসা। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো। যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’
(মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮০)
তাই আমাদের ভাইদের বিপদে অনাহারে রেখে শান্তিতে ঘুমানো মুমিনের কাজ হবে না। মহান আল্লাহ আমাদের আক্রান্ত মুমিনদের এই পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
বন্যার্তদের সহযোগিতায় আমাদের করণীয় 
youtube
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
To be done in cooperation with the flood victims
0 notes
quransunnahdawah · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর, ফসলি ক্ষেত ইত্যাদি। বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পাওয়া গেছে যে এরই মধ্যে গ্রামীণ দোকানপাটগুলোও পানিতে ডুবে আছে। ফলে কেনার মতো শুকনা খাবারেরও সংকট রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে আমাদের  উচিত আমাদের ভাইদের সহায়তা করার জন্য নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসা। নিম্নে বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো—
বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার : কিছু কিছু এলাকায় এই পরিমাণ পানি বেড়েছে যে মানুষ তাদের বৃদ্ধ মা-বাবা, নারী ও শিশুদের নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আকস্মিক বন্যার কারণে হঠাৎ করে কোনো নৌকা বা স্পিডবোটও পাওয়া যাচ্ছে না, ফলে বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার অভিযান চালানো আবশ্যক। এতে মহান আল্লাহর রহমত পাওয়া যাবে।
হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্য করে, আল্লাহও ততক্ষণ তার বান্দাকে সাহায্য করেন।’
(আবু দাউদ : ৪৯৪৬)
ত্রাণসামগ্রী বিতরণ : যেহেতু বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে খাদ্যসামগ্রী (চাল, ডাল, তেল, শুকনা খাবার), বিশুদ্ধ খাবার পানি, ওষুধপত্র ইত্যাদির সংকট আছে, তাই সেসব এলাকায় সাধ্যমতো এগুলো পাঠানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। হাদিস শরিফে মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করাকে উত্তম ইসলাম বলা হয়েছে।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করল, ইসলামে কোন জিনিসটি উত্তম? তিনি বলেন, তুমি খাদ্য খাওয়াবে এবং চেনা-অচেনা সবাইকে সালাম দেবে। (বুখারি, হাদিস : ১২)
অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র : বন্যার কারণে পানিবন্দি মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, তাই এই মুহূর্তে তাদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা উচিত। কারো উঁচু দালানে যদি প্রতিবেশী কিংবা আত্মীয়-স্বজন আশ্রয় চায়, তাকে আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। নারীদের পর্দা রক্ষা করে থাকার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। এ সময় অসহায় মানুষের ওপর দয়া করলে, কঠিন বিপদের দিন আমাদের ওপরও আল্লাহ দয়া করবেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাঁর দয়ালু বান্দাদের ওপরই দয়া করেন। (বুখারি, হাদিস : ৭৪৪৮)
চিকিৎসাসেবা : ইখলাসের সঙ্গে মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিয়েও আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়। সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো মুসলমান তার কোনো (রুগ্ণ) মুসলিম ভাইকে দেখতে গেলে সে (যতক্ষণ সেখানে থাকে ততক্ষণ) যেন জান্নাতের ফল আহরণ করতে থাকে। (তিরমিজি, হাদিস : ৯৬৭)
আর কঠিন বিপদে থাকা মানুষদের চিকিৎসাসেবা দিলে আরো বেশি সওয়াবের আশা করা যাবে; ইনশাআল্লাহ।
মানসিক সহায়তা : দুর্গতদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কাউন্সেলিং করা প্রয়োজন। তাদের মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও ধৈর্যের পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। তাদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য বিপদে ধৈর্য ধারণের উত্তম প্রতিদানের সুসংবাদগুলো শোনানো যেতে পারে। কারণ পবিত্র কোরআনে বলা আছে, ‘কষ্টের সঙ্গেই সুখ রয়েছে।’
(সুরা : ইনশিরাহ আয়াত : ৫)
আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘মহাকালের শপথ, প্রত্যেক মানুষ ক্ষতির মধ্যে আছে, তবে তারা ছাড়া, যারা ঈমান এনেছে, সৎ কাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’ (সুরা : আসর, আয়াত : ১-৩)
পুনর্বাসন কার্যক্রম : বন্যা যখন চলে যাবে, তখন আমাদের দায়িত্ব হবে, বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোয় সহযোগিতা করে, একটি সুুন্দর ও স্বাবলম্বী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসা। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো। যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’
(মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮০)
তাই আমাদের ভাইদের বিপদে অনাহারে রেখে শান্তিতে ঘুমানো মুমিনের কাজ হবে না। মহান আল্লাহ আমাদের আক্রান্ত মুমিনদের এই পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
বন্যার্তদের সহযোগিতায় আমাদের করণীয় 
youtube
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
To be done in cooperation with the flood victims
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর, ফসলি ক্ষেত ইত্যাদি। বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পাওয়া গেছে যে এরই মধ্যে গ্রামীণ দোকানপাটগুলোও পানিতে ডুবে আছে। ফলে কেনার মতো শুকনা খাবারেরও সংকট রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে আমাদের  উচিত আমাদের ভাইদের সহায়তা করার জন্য নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসা। নিম্নে বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো—
বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার : কিছু কিছু এলাকায় এই পরিমাণ পানি বেড়েছে যে মানুষ তাদের বৃদ্ধ মা-বাবা, নারী ও শিশুদের নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আকস্মিক বন্যার কারণে হঠাৎ করে কোনো নৌকা বা স্পিডবোটও পাওয়া যাচ্ছে না, ফলে বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার অভিযান চালানো আবশ্যক। এতে মহান আল্লাহর রহমত পাওয়া যাবে।
হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্য করে, আল্লাহও ততক্ষণ তার বান্দাকে সাহায্য করেন।’
(আবু দাউদ : ৪৯৪৬)
ত্রাণসামগ্রী বিতরণ : যেহেতু বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে খাদ্যসামগ্রী (চাল, ডাল, তেল, শুকনা খাবার), বিশুদ্ধ খাবার পানি, ওষুধপত্র ইত্যাদির সংকট আছে, তাই সেসব এলাকায় সাধ্যমতো এগুলো পাঠানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। হাদিস শরিফে মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করাকে উত্তম ইসলাম বলা হয়েছে।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করল, ইসলামে কোন জিনিসটি উত্তম? তিনি বলেন, তুমি খাদ্য খাওয়াবে এবং চেনা-অচেনা সবাইকে সালাম দেবে। (বুখারি, হাদিস : ১২)
অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র : বন্যার কারণে পানিবন্দি মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, তাই এই মুহূর্তে তাদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা উচিত। কারো উঁচু দালানে যদি প্রতিবেশী কিংবা আত্মীয়-স্বজন আশ্রয় চায়, তাকে আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। নারীদের পর্দা রক্ষা করে থাকার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। এ সময় অসহায় মানুষের ওপর দয়া করলে, কঠিন বিপদের দিন আমাদের ওপরও আল্লাহ দয়া করবেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাঁর দয়ালু বান্দাদের ওপরই দয়া করেন। (বুখারি, হাদিস : ৭৪৪৮)
চিকিৎসাসেবা : ইখলাসের সঙ্গে মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিয়েও আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়। সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো মুসলমান তার কোনো (রুগ্ণ) মুসলিম ভাইকে দেখতে গেলে সে (যতক্ষণ সেখানে থাকে ততক্ষণ) যেন জান্নাতের ফল আহরণ করতে থাকে। (তিরমিজি, হাদিস : ৯৬৭)
আর কঠিন বিপদে থাকা মানুষদের চিকিৎসাসেবা দিলে আরো বেশি সওয়াবের আশা করা যাবে; ইনশাআল্লাহ।
মানসিক সহায়তা : দুর্গতদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কাউন্সেলিং করা প্রয়োজন। তাদের মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও ধৈর্যের পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। তাদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য বিপদে ধৈর্য ধারণের উত্তম প্রতিদানের সুসংবাদগুলো শোনানো যেতে পারে। কারণ পবিত্র কোরআনে বলা আছে, ‘কষ্টের সঙ্গেই সুখ রয়েছে।’
(সুরা : ইনশিরাহ আয়াত : ৫)
আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘মহাকালের শপথ, প্রত্যেক মানুষ ক্ষতির মধ্যে আছে, তবে তারা ছাড়া, যারা ঈমান এনেছে, সৎ কাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’ (সুরা : আসর, আয়াত : ১-৩)
পুনর্বাসন কার্যক্রম : বন্যা যখন চলে যাবে, তখন আমাদের দায়িত্ব হবে, বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোয় সহযোগিতা করে, একটি সুুন্দর ও স্বাবলম্বী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসা। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো। যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’
(মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮০)
তাই আমাদের ভাইদের বিপদে অনাহারে রেখে শান্তিতে ঘুমানো মুমিনের কাজ হবে না। মহান আল্লাহ আমাদের আক্রান্ত মুমিনদের এই পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
বন্যার্তদের সহযোগিতায় আমাদের করণীয় 
youtube
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
To be done in cooperation with the flood victims
0 notes
ilyforallahswt · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর, ফসলি ক্ষেত ইত্যাদি। বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পাওয়া গেছে যে এরই মধ্যে গ্রামীণ দোকানপাটগুলোও পানিতে ডুবে আছে। ফলে কেনার মতো শুকনা খাবারেরও সংকট রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে আমাদের  উচিত আমাদের ভাইদের সহায়তা করার জন্য নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসা। নিম্নে বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো—
বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার : কিছু কিছু এলাকায় এই পরিমাণ পানি বেড়েছে যে মানুষ তাদের বৃদ্ধ মা-বাবা, নারী ও শিশুদের নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আকস্মিক বন্যার কারণে হঠাৎ করে কোনো নৌকা বা স্পিডবোটও পাওয়া যাচ্ছে না, ফলে বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার অভিযান চালানো আবশ্যক। এতে মহান আল্লাহর রহমত পাওয়া যাবে।
হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্য করে, আল্লাহও ততক্ষণ তার বান্দাকে সাহায্য করেন।’
(আবু দাউদ : ৪৯৪৬)
ত্রাণসামগ্রী বিতরণ : যেহেতু বন্যাকবলিত এলাকাগুল��তে খাদ্যসামগ্রী (চাল, ডাল, তেল, শুকনা খাবার), বিশুদ্ধ খাবার পানি, ওষুধপত্র ইত্যাদির সংকট আছে, তাই সেসব এলাকায় সাধ্যমতো এগুলো পাঠানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। হাদিস শরিফে মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করাকে উত্তম ইসলাম বলা হয়েছে।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করল, ইসলামে কোন জিনিসটি উত্তম? তিনি বলেন, তুমি খাদ্য খাওয়াবে এবং চেনা-অচেনা সবাইকে সালাম দেবে। (বুখারি, হাদিস : ১২)
অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র : বন্যার কারণে পানিবন্দি মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, তাই এই মুহূর্তে তাদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা উচিত। কারো উঁচু দালানে যদি প্রতিবেশী কিংবা আত্মীয়-স্বজন আশ্রয় চায়, তাকে আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। নারীদের পর্দা রক্ষা করে থাকার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। এ সময় অসহায় মানুষের ওপর দয়া করলে, কঠিন বিপদের দিন আমাদের ওপরও আল্লাহ দয়া করবেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাঁর দয়ালু বান্দাদের ওপরই দয়া করেন। (বুখারি, হাদিস : ৭৪৪৮)
চিকিৎসাসেবা : ইখলাসের সঙ্গে মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিয়েও আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়। সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো মুসলমান তার কোনো (রুগ্ণ) মুসলিম ভাইকে দেখতে গেলে সে (যতক্ষণ সেখানে থাকে ততক্ষণ) যেন জান্নাতের ফল আহরণ করতে থাকে। (তিরমিজি, হাদিস : ৯৬৭)
আর কঠিন বিপদে থাকা মানুষদের চিকিৎসাসেবা দিলে আরো বেশি সওয়াবের আশা করা যাবে; ইনশাআল্লাহ।
মানসিক সহায়তা : দুর্গতদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কাউন্সেলিং করা প্রয়োজন। তাদের মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও ধৈর্যের পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। তাদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য বিপদে ধৈর্য ধারণের উত্তম প্রতিদানের সুসংবাদগুলো শোনানো যেতে পারে। কারণ পবিত্র কোরআনে বলা আছে, ‘কষ্টের সঙ্গেই সুখ রয়েছে।’
(সুরা : ইনশিরাহ আয়াত : ৫)
আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘মহাকালের শপথ, প্রত্যেক মানুষ ক্ষতির মধ্যে আছে, তবে তারা ছাড়া, যারা ঈমান এনেছে, সৎ কাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’ (সুরা : আসর, আয়াত : ১-৩)
পুনর্বাসন কার্যক্রম : বন্যা যখন চলে যাবে, তখন আমাদের দায়িত্ব হবে, বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোয় সহযোগিতা করে, একটি সুুন্দর ও স্বাবলম্বী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসা। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো। যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’
(মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮০)
তাই আমাদের ভাইদের বিপদে অনাহারে রেখে শান্তিতে ঘুমানো মুমিনের কাজ হবে না। মহান আল্লাহ আমাদের আক্রান্ত মুমিনদের এই পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
বন্যার্তদের সহযোগিতায় আমাদের করণীয় 
youtube
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
To be done in cooperation with the flood victims
0 notes
myreligionislam · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর, ফসলি ক্ষেত ইত্যাদি। বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পাওয়া গেছে যে এরই মধ্যে গ্রামীণ দোকানপাটগুলোও পানিতে ডুবে আছে। ফলে কেনার মতো শুকনা খাবারেরও সংকট রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে আমাদের  উচিত আমাদের ভাইদের সহায়তা করার জন্য নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসা। নিম্নে বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো—
বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার : কিছু কিছু এলাকায় এই পরিমাণ পানি বেড়েছে যে মানুষ তাদের বৃদ্ধ মা-বাবা, নারী ও শিশুদের নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আকস্মিক বন্যার কারণে হঠাৎ করে কোনো নৌকা বা স্পিডবোটও পাওয়া যাচ্ছে না, ফলে বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার অভিযান চালানো আবশ্যক। এতে মহান আল্লাহর রহমত পাওয়া যাবে।
হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্য করে, আল্লাহও ততক্ষণ তার বান্দাকে সাহায্য করেন।’
(আবু দাউদ : ৪৯৪৬)
ত্রাণসামগ্রী বিতরণ : যেহেতু বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে খাদ্যসামগ্রী (চাল, ডাল, তেল, শুকনা খাবার), বিশুদ্ধ খাবার পানি, ওষুধপত্র ইত্যাদির সংকট আছে, তাই সেসব এলাকায় সাধ্যমতো এগুলো পাঠানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। হাদিস শরিফে মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করাকে উত্তম ইসলাম বলা হয়েছে।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করল, ইসলামে কোন জিনিসটি উত্তম? তিনি বলেন, তুমি খাদ্য খাওয়াবে এবং চেনা-অচেনা সবাইকে সালাম দেবে। (বুখারি, হাদিস : ১২)
অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র : বন্যার কারণে পানিবন্দি মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, তাই এই মুহূর্তে তাদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা উচিত। কারো উঁচু দালানে যদি প্রতিবেশী কিংবা আত্মীয়-স্বজন আশ্রয় চায়, তাকে আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। নারীদের পর্দা রক্ষা করে থাকার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। এ সময় অসহায় মানুষের ওপর দয়া করলে, কঠিন বিপদের দিন আমাদের ওপরও আল্লাহ দয়া করবেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাঁর দয়ালু বান্দাদের ওপরই দয়া করেন। (বুখারি, হাদিস : ৭৪৪৮)
চিকিৎসাসেবা : ইখলাসের সঙ্গে মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিয়েও আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়। সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো মুসলমান তার কোনো (রুগ্ণ) মুসলিম ভাইকে দেখতে গেলে সে (যতক্ষণ সেখানে থাকে ততক্ষণ) যেন জান্নাতের ফল আহরণ করতে থাকে। (তিরমিজি, হাদিস : ৯৬৭)
আর কঠিন বিপদে থাকা মানুষদের চিকিৎসাসেবা দিলে আরো বেশি সওয়াবের আশা করা যাবে; ইনশাআল্লাহ।
মানসিক সহায়তা : দুর্গতদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কাউন্সেলিং করা প্রয়োজন। তাদের মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও ধৈর্যের পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। তাদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য বিপদে ধৈর্য ধারণের উত্তম প্রতিদানের সুসংবাদগুলো শোনানো যেতে পারে। কারণ পবিত্র কোরআনে বলা আছে, ‘কষ্টের সঙ্গেই সুখ রয়েছে।’
(সুরা : ইনশিরাহ আয়াত : ৫)
আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘মহাকালের শপথ, প্রত্যেক মানুষ ক্ষতির মধ্যে আছে, তবে তারা ছাড়া, যারা ঈমান এনেছে, সৎ কাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’ (সুরা : আসর, আয়াত : ১-৩)
পুনর্বাসন কার্যক্রম : বন্যা যখন চলে যাবে, তখন আমাদের দায়িত্ব হবে, বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোয় সহযোগিতা করে, একটি সুুন্দর ও স্বাবলম্বী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসা। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা �� সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো। যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’
(মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮০)
তাই আমাদের ভাইদের বিপদে অনাহারে রেখে শান্তিতে ঘুমানো মুমিনের কাজ হবে না। মহান আল্লাহ আমাদের আক্রান্ত মুমিনদের এই পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
বন্যার্তদের সহযোগিতায় আমাদের করণীয় 
youtube
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
To be done in cooperation with the flood victims
বন্যার্তদেরসহযোগিতা
floodvictims
0 notes
business24bdinfo · 3 months ago
Text
নারীদের অ্যাকাউন্ট বেশি এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে, সঞ্চয় কম
যেখানে ব্যাংকের শাখা নেই, সেখানে বেশ জনপ্রিয় এজেন্ট ব্যাংকিং। কম খরচে ও দ্রুত সময়ে ব্যাংকের প্রায় সব সেবাই মিলছে এজেন্ট বুথে। ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে গ্রাহক ও আমানত। ঋণ বিতরণেও হচ্ছে বড় প্রবৃদ্ধি। গত জুন শেষে এ সেবায় গ্রাহক ২ কোটি ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে। গত এক বছরে গ্রাহক বেড়েছে প্রায় ৩২ লাখ। আর আমানত ও ঋণ বিতরণে প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে প্রায় ২০ শতাংশ ও ৪৪ শতাংশ। পুরুষের চেয়ে নারীরা এ সেবায়…
0 notes
allahisourrabb · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানো ঈমানি দায়িত্ব
বন্যায় প্লাবিত হয়ে আছে। লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অনেক জায়গায় পানিবাহিত রোগ-ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি এতটাই বিপদসঙ্কুল যে, চোখে না দেখলে মানুষের দুর্বিষহ অবস্থা বোঝা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Advertisement
এ ধরনের পরিস্থিতিতে মুসলিম হিসেবে আমাদের ওপর অনেক দায়িত্ব বর্তায়। কোনো পরিবারে কেউ অসুস্থ বা উপার্জনহীন হয়ে পড়লে যেমন অন্যদের ওপর সেবা-শুশ্রূষা ও দুস্থের প্রয়োজন পূরণের দায়িত্ব বর্তায়- তেমনি গোটা মানবজাতি, বিশেষত গোটা মুসলিমসমাজ এক পরিবারের মতো। 
আল্লাহ তাআলা বলেন, নিশ্চয়ই মুমিনরা একে অন্যের ভাই। (সূরা হুজরাত, আয়াত ১০) বন্যার্ত বিপদগ্রস্তরাও আমাদেরই ভাই। তাদের কথা ভাবলে কষ্টে বুক ফেটে যায়। তাই আমরা যারা সামর্থ্যবান আছি, আমাদের জন্য একান্ত কর্তব্য হলো বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। 
মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা, যে অর্থ তোমরা উপার্জন করেছ এবং যা কিছু আমি জমিন থেকে তোমাদের জন্য বের করে দিয়েছি, তা থেকে উত্কৃষ্ট অংশ আল্লাহর পথে ব্যয় করো। তার পথে ব্যয় করার জন্য তোমরা সবচেয়ে খারাপ জিনিস বাছাই করার চেষ্টা করো না...’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৬৭)
সহযোগিতা যখন ধর্মীয় দায়িত্ব:
সমাজের বন্যাকবলিত বা দুঃখ দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা শুধু সামাজিক দায়িত্বই নয় এটা একজন মুসলিমের ধর্মীয় দায়িত্বও বটে।
মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর তাদের ধন-সম্পদে আছে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতদের অধিকার।' (সুরা: জারিয়াত, আয়াত:১৯) 
রাসুল (সা.) বলে গেছেন, যে ব্যক্তির অতিরিক্ত বাহনজন্তু বা বাহনের খালি জায়গা আছে, সে যেন বাহনহীন ব্যক্তিকে তা দিয়ে সাহায্য করে। কোনো ব্যক্তির যদি অতিরিক্ত পাথেয় থাকে, সে যেন পাথেয়হীন ব্যক্তিকে তা দিয়ে সাহায্য করে।
বর্ণনাকারী বলেন, নবীজি এভাবে আরও বহু সম্পদের কথা বলেছেন, তাতে আমাদের মনে হতে লাগল যে, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদে আমাদের কোনো অধিকার নেই।  (মুসলিম, হাদিস: ৪৪০৯)
এটিই ফিতরাত । এটিই ইসলামের শিক্ষা। দুঃখী মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসা, বিপদগ্রস্ত লোকদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হল ফিতরাত। এটিই মানুষের স্বভাবজাত প্রকৃতি। সে-ই প্রকৃত মানুষ, যে অন্য মানুষের দুঃখে দুঃখী হয়। বিপদগ্রস্তের কষ্ট লাঘবে এগিয়ে আসে।
তাই দুঃখী-দরদী মানুষের সেবায় সহযোগিতায় এগিয়ে আসা মানুষের ফিতরাত তথা স্বভাবজাত বিষয়। 
ইসলাম যেহেতু ‘দ্বীনে ফিতরত’ তথা স্বভাবজাত ধর্ম, তাই মানবতার সর্বোচ্চ শিক্ষা রয়েছে ইসলামে। ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন মানবতার মুক্তির দূত ও রহমাতুল লিল আলামীন। 
তিনি নিজে যেমন পরোপকারে সর্বাগ্রে থাকতেন তেমনি মুসলমানদের জন্য রেখে গেছেন কল্যাণকামিতা ও সহমর্মিতায় উদ্বুদ্ধকারী অনেক অমীয় বাণী।
যেমন এক হাদিসে তিনি ইরশাদ করেছেন, দয়া, মায়া ও হৃদ্যতায় মুমিনদেরকে দেখবে এক দেহের মতো। কোনো এক অঙ্গ আক্রান্ত হলে তার সারা শরীর নির্ঘুম ও জ্বরাক্রান্ত হয়ে পড়ে।  (বুখারি, হাদিস ৬০১১)
আল্লাহর দিকে রুজু হওয়া:
বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধ্যানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি আমাদের আল্লাহর দিকে রুজু হওয়াও জরুরি। গুনাহ ও পাপাচার থেকে তওবা করে আল্লাহ তাআলার কাছে বিনীত সমর্পিত হওয়া ঈমানের দাবি। 
অন্যের দুঃখ-কষ্ট থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া, নিজের ও পরিবার-পরিজনের জন্য আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ প্রার্থনা করাও আমাদের আশু কর্তব্য।
কতভাবেই তো মানুষের জীবনে বিপদ আসতে থাকে। যে কোনো বিপদই কষ্টের। কাজেই আসুন আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, নিরাপত্তা প্রার্থনা করি আর সাধ্যানুযায়ী আমাদের বিপদগ্রস্ত ভাই-বোনের পাশে দাঁড়াই।
 আল্লাহ তাআলা ��মাদের তাওফিক দিন, আমিন।
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
To Be Done In Cooperation With the Flood Vctims
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর, ফসলি ক্ষেত ইত্যাদি। বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পাওয়া গেছে যে এরই মধ্যে গ্রামীণ দোকানপাটগুলোও পানিতে ডুবে আছে। ফলে কেনার মতো শুকনা খাবারেরও সংকট রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে আমাদের  উচিত আমাদের ভাইদের সহায়তা করার জন্য নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসা। নিম্নে বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো—
বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার : কিছু কিছু এলাকায় এই পরিমাণ পানি বেড়েছে যে মানুষ তাদের বৃদ্ধ মা-বাবা, নারী ও শিশুদের নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আকস্মিক বন্যার কারণে হঠাৎ করে কোনো নৌকা বা স্পিডবোটও পাওয়া যাচ্ছে না, ফলে বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার অভিযান চালানো আবশ্যক। এতে মহান আল্লাহর রহমত পাওয়া যাবে।
হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্য করে, আল্লাহও ততক্ষণ তার বান্দাকে সাহায্য করেন।’
(আবু দাউদ : ৪৯৪৬)
ত্রাণসামগ্রী বিতরণ : যেহেতু বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে খাদ্যসামগ্রী (চাল, ডাল, তেল, শুকনা খাবার), বিশুদ্ধ খাবার পানি, ওষুধপত্র ইত্যাদির সংকট আছে, তাই সেসব এলাকায় সাধ্যমতো এগুলো পাঠানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। হাদিস শরিফে মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করাকে উত্তম ইসলাম বলা হয়েছে।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করল, ইসলামে কোন জিনিসটি উত্তম? তিনি বলেন, তুমি খাদ্য খাওয়াবে এবং চেনা-অচেনা সবাইকে সালাম দেবে। (বুখারি, হাদিস : ১২)
অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র : বন্যার কারণে পানিবন্দি মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, তাই এই মুহূর্তে তাদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা উচিত। কারো উঁচু দালানে যদি প্রতিবেশী কিংবা আত্মীয়-স্বজন আশ্রয় চায়, তাকে আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। নারীদের পর্দা রক্ষা করে থাকার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। এ সময় অসহায় মানুষের ওপর দয়া করলে, কঠিন বিপদের দিন আমাদের ওপরও আল্লাহ দয়া করবেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাঁর দয়ালু বান্দাদের ওপরই দয়া করেন। (বুখারি, হাদিস : ৭৪৪৮)
চিকিৎসাসেবা : ইখলাসের সঙ্গে মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিয়েও আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়। সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো মুসলমান তার কোনো (রুগ্ণ) মুসলিম ভাইকে দেখতে গেলে সে (যতক্ষণ সেখানে থাকে ততক্ষণ) যেন জান্নাতের ফল আহরণ করতে থাকে। (তিরমিজি, হাদিস : ৯৬৭)
আর কঠিন বিপদে থাকা মানুষদের চিকিৎসাসেবা দিলে আরো বেশি সওয়াবের আশা করা যাবে; ইনশাআল্লাহ।
মানসিক সহায়তা : দুর্গতদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কাউন্সেলিং করা প্রয়োজন। তাদের মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও ধৈর্যের পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। তাদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য বিপদে ধৈর্য ধারণের উত্তম প্রতিদানের সুসংবাদগুলো শোনানো যেতে পারে। কারণ পবিত্র কোরআনে বলা আছে, ‘কষ্টের সঙ্গেই সুখ রয়েছে।’
(সুরা : ইনশিরাহ আয়াত : ৫)
আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘মহাকালের শপথ, প্রত্যেক মানুষ ক্ষতির মধ্যে আছে, তবে তারা ছাড়া, যারা ঈমান এনেছে, সৎ কাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’ (সুরা : আসর, আয়াত : ১-৩)
পুনর্বাসন কার্যক্রম : বন্যা যখন চলে যাবে, তখন আমাদের দায়িত্ব হবে, বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোয় সহযোগিতা করে, একটি সুুন্দর ও স্বাবলম্বী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসা। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো। যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’
(মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮০)
তাই আমাদের ভাইদের বিপদে অনাহারে রেখে শান্তিতে ঘুমানো মুমিনের কাজ হবে না। মহান আল্লাহ আমাদের আক্রান্ত মুমিনদের এই পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
বন্যার্তদের সহযোগিতায় আমাদের করণীয় 
youtube
#বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
#To be done in cooperation with the flood victims
#বন্যার্তদেরসহযোগিতা
floodvictims
 
বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়ানো ঈমানি ও মানবিক দায়িত্ব।
youtube
youtube
মুমিনের ঈমান যতো শক্ত তার জন্য পরীক্ষা ততোধিক কঠিন
youtube
যেভাবে আমরা ঈমান হারাই -
youtube
কিভাবে বুঝবেন আপনার ঈমান এখনো ঠিক আছে 
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
To Be Done In Cooperation With the Flood Vctims
0 notes
gadgetain · 4 months ago
Text
1 note · View note
mylordisallah · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানো ঈমানি দায়িত্ব
বন্যায় প্লাবিত হয়ে আছে। লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অনেক জায়গায় পানিবাহিত রোগ-ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি এতটাই বিপদসঙ্কুল যে, চোখে না দেখলে মানুষের দুর্বিষহ অবস্থা বোঝা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Advertisement
এ ধরনের পরিস্থিতিতে মুসলিম হিসেবে আমাদের ওপর অনেক দায়িত্ব বর্তায়। কোনো পরিবারে কেউ অসুস্থ বা উপার্জনহীন হয়ে পড়লে যেমন অন্যদের ওপর সেবা-শুশ্রূষা ও দুস্থের প্রয়োজন পূরণের দায়িত্ব বর্তায়- তেমনি গোটা মানবজাতি, বিশেষত গোটা মুসলিমসমাজ এক পরিবারের মতো। 
আল্লাহ তাআলা বলেন, নিশ্চয়ই মুমিনরা একে অন্যের ভাই। (সূরা হুজরাত, আয়াত ১০) বন্যার্ত বিপদগ্রস্তরাও আমাদেরই ভাই। তাদের কথা ভাবলে কষ্টে বুক ফেটে যায়। তাই আমরা যারা সামর্থ্যবান আছি, আমাদের জন্য একান্ত কর্তব্য হলো বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। 
মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা, যে অর্থ তোমরা উপার্জন করেছ এবং যা কিছু আমি জমিন থেকে তোমাদের জন্য বের করে দিয়েছি, তা থেকে উত্কৃষ্ট অংশ আল্লাহর পথে ব্যয় করো। তার পথে ব্যয় করার জন্য তোমরা সবচেয়ে খারাপ জিনিস বাছাই করার চেষ্টা করো না...’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৬৭)
সহযোগিতা যখন ধর্মীয় দায়িত্ব:
সমাজের বন্যাকবলিত বা দুঃখ দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা শুধু সামাজিক দায়িত্বই নয় এটা একজন মুসলিমের ধর্মীয় দায়িত্বও বটে।
মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর তাদের ধন-সম্পদে আছে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতদের অধিকার।' (সুরা: জারিয়াত, আয়াত:১৯) 
রাসুল (সা.) বলে গেছেন, যে ব্যক্তির অতিরিক্ত বাহনজন্তু বা বাহনের খালি জায়গা আছে, সে যেন বাহনহীন ব্যক্তিকে তা দিয়ে সাহায্য করে। কোনো ব্যক্তির যদি অতিরিক্ত পাথেয় থাকে, সে যেন পাথেয়হীন ব্যক্তিকে তা দিয়ে সাহায্য করে।
বর্ণনাকারী বলেন, নবীজি এভাবে আরও বহু সম্পদের কথা বলেছেন, তাতে আমাদের মনে হতে লাগল যে, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদে আমাদের কোনো অধিকার নেই।  (মুসলিম, হাদিস: ৪৪০৯)
এটিই ফিতরাত । এটিই ইসলামের শিক্ষা। দুঃখী মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসা, বিপদগ্রস্ত লোকদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হল ফিতরাত। এটিই মানুষের স্বভাবজাত প্রকৃতি। সে-ই প্রকৃত মানুষ, যে অন্য মানুষের দুঃখে দুঃখী হয়। বিপদগ্রস্তের কষ্ট লাঘবে এগিয়ে আসে।
তাই দুঃখী-দরদী মানুষের সেবায় সহযোগিতায় এগিয়ে আসা মানুষের ফিতরাত তথা স্বভাবজাত বিষয়। 
ইসলাম যেহেতু ‘দ্বীনে ফিতরত’ তথা স্বভাবজাত ধর্ম, তাই মানবতার সর্বোচ্চ শিক্ষা রয়েছে ইসলামে। ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন মানবতার মুক্তির দূত ও রহমাতুল লিল আলামীন। 
তিনি নিজে যেমন পরোপকারে সর্বাগ্রে থাকতেন তেমনি মুসলমানদের জন্য রেখে গেছেন কল্যাণকামিতা ও সহমর্মিতায় উদ্বুদ্ধকারী অনেক অমীয় বাণী।
যেমন এক হাদিসে তিনি ইরশাদ করেছেন, দয়া, মায়া ও হৃদ্যতায় মুমিনদেরকে দেখবে এক দেহের মতো। কোনো এক অঙ্গ আক্রান্ত হলে তার সারা শরীর নির্ঘুম ও জ্বরাক্রান্ত হয়ে পড়ে।  (বুখারি, হাদিস ৬০১১)
আল্লাহর দিকে রুজু হওয়া:
বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধ্যানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি আমাদের আল্লাহর দিকে রুজু হওয়াও জরুরি। গুনাহ ও পাপাচার থেকে তওবা করে আল্লাহ তাআলার কাছে বিনীত সমর্পিত হওয়া ঈমানের দাবি। 
অন্যের দুঃখ-কষ্ট থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া, নিজের ও পরিবার-পরিজনের জন্য আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ প্রার্থনা করাও আমাদের আশু কর্তব্য।
কতভাবেই তো মানুষের জীবনে বিপদ আসতে থাকে। যে কোনো বিপদই কষ্টের। কাজেই আসুন আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, নিরাপত্তা প্রার্থনা করি আর সাধ্যানুযায়ী আমাদের বিপদগ্রস্ত ভাই-বোনের পাশে দাঁড়াই।
 আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফিক দিন, আমিন।
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
To Be Done In Cooperation With the Flood Vctims
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো—
বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার : কিছু কিছু এলাকায় এই পরিমাণ পানি বেড়েছে যে মানুষ তাদের বৃদ্ধ মা-বাবা, নারী ও শিশুদের নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আকস্মিক বন্যার কারণে হঠাৎ করে কোনো নৌকা বা স্পিডবোটও পাওয়া যাচ্���ে না, ফলে বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার অভিযান চালানো আবশ্যক। এতে মহান আল্লাহর রহমত পাওয়া যাবে।
হাদিস:‘বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্য করে, আল্লাহও ততক্ষণ তার বান্দাকে সাহায্য করেন।’
(আবু দাউদ : ৪৯৪৬)
ত্রাণসামগ্রী বিতরণ : যেহেতু বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে খাদ্যসামগ্রী (চাল, ডাল, তেল, শুকনা খাবার), বিশুদ্ধ খাবার পানি, ওষুধপত্র ইত্যাদির সংকট আছে, তাই সেসব এলাকায় সাধ্যমতো এগুলো পাঠানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। হাদিস শরিফে মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করাকে উত্তম ইসলাম বলা হয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করল, ইসলামে কোন জিনিসটি উত্তম? তিনি বলেন, তুমি খাদ্য খাওয়াবে এবং চেনা-অচেনা সবাইকে সালাম দেবে।
(বুখারি, হাদিস : ১২)
অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র : বন্যার কারণে পানিবন্দি মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, তাই এই মুহূর্তে তাদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা উচিত। কারো উঁচু দালানে যদি প্রতিবেশী কিংবা আত্মীয়-স্বজন আশ্রয় চায়, তাকে আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। নারীদের পর্দা রক্ষা করে থাকার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। এ সময় অসহায় মানুষের ওপর দয়া করলে, কঠিন বিপদের দিন আমাদের ওপরও আল্লাহ দয়া করবেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাঁর দয়ালু বান্দাদের ওপরই দয়া করেন।
(বুখারি, হাদিস : ৭৪৪৮)
চিকিৎসাসেবা : ইখলাসের সঙ্গে মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিয়েও আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়। সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো মুসলমান তার কোনো (রুগ্ণ) মুসলিম ভাইকে দেখতে গেলে সে (যতক্ষণ সেখানে থাকে ততক্ষণ) যেন জান্নাতের ফল আহরণ করতে থাকে। (তিরমিজি, হাদিস : ৯৬৭)
আর কঠিন বিপদে থাকা মানুষদের চিকিৎসাসেবা দিলে আরো বেশি সওয়াবের আশা করা যাবে; ইনশাআল্লাহ।
নসিক সহায়তা : দুর্গতদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কাউন্সেলিং করা প্রয়োজন। তাদের মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও ধৈর্যের পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। তাদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য বিপদে ধৈর্য ধারণের উত্তম প্রতিদানের সুসংবাদগুলো শোনানো যেতে পারে। কারণ পবিত্র কোরআনে বলা আছে, ‘কষ্টের সঙ্গেই সুখ রয়েছে।’
(সুরা : ইনশিরাহ আয়াত : ৫)
আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘মহাকালের শপথ, প্রত্যেক মানুষ ক্ষতির মধ্যে আছে, তবে তারা ছাড়া, যারা ঈমান এনেছে, সৎ কাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’ (সুরা : আসর, আয়াত : ১-৩)
পুনর্বাসন কার্যক্রম : বন্যা যখন চলে যাবে, তখন আমাদের দায়িত্ব হবে, বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোয় সহযোগিতা করে, একটি সুুন্দর ও স্বাবলম্বী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসা। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো। যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’
(মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮০)
তাই আমাদের ভাইদের বিপদে অনাহারে রেখে শান্তিতে ঘুমানো মুমিনের কাজ হবে না। মহান আল্লাহ আমাদের আক্রান্ত মুমিনদের এই পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়ানো ঈমানি ও মানবিক দায়িত্ব।
youtube
youtube
মুমিনের ঈমান যতো শক্ত তার জন্য পরীক্ষা ততোধিক কঠিন
youtube
যেভাবে আমরা ঈমান হারাই -
youtube
কিভাবে বুঝবেন আপনার ঈমান এখনো ঠিক আছে 
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
To Be Done In Cooperation With the Flood Vctims
0 notes
quransunnahdawah · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ক্ষমতাধর তিন জালিম শাসকের পরিণতি
The Fate of Three Powerful Tyrants
পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকেই আল্লাহ তাআলা মানুষের প্রতি কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করেছেন, যা সর্বযুগে সমানভাবে প্রযোজ্য, যার পরিবর্তন কখনো ঘটেনি। তেমনি মহান সত্তা আল্লাহ তাআলা নিজেও তার ওপর কিছু বিষয় নিষিদ্ধ ও হারাম করেছেন, যার অন্যতম একটি—কারো প্রতি জুলুম বা অত্যাচার না করা।
হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে আমার বান্দারা! আমি আমার নিজ সত্তার ওপর অত্যাচারকে হারাম করে নিয়েছি এবং তোমাদের মধ্যেও তা হারাম বলে ঘোষণা করছি। অতএব, তোমরা একে অপরের ওপর অত্যাচার কোরো না। (মুসলিম, হাদিস : ৬৪৬৬)
এর পরও যারা আল্লাহর বিধান লঙ্ঘন করে অন্যের প্রতি জুলুম করেছে, আল্লাহর শাস্তি তাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়নি। ইতিহাসের পাতায় তাদের সেই জুলুম এবং ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণের শাস্তির কথা পরবর্তীদের জন্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। এখানে ক্ষমতাধর তিন অত্যাচারী শাসকের ভয়াবহ শাস্তির কথা তুলে ধরা হলো—
নমরুদের জুলুম ও তার ভয়াবহ শাস্তি
পৃথিবীর ইতিহাসে আল্লাহর সঙ্গে প্রথম ধৃষ্টতা প্রদর্শনকারী ও নিজ সম্প্রদায়ের প্রতি চরম অত্যাচারী হিসেবে পরিচিত ছিল নমরুদ। আল্লাহকে নিঃশেষ করার জন্য আসমান অভিমুখে টাওয়ার নির্মাণ এবং নিজেকে প্রভু দাবি করার দুঃসাহস করেছে এই জালিম।
দীর্ঘ ৪০০ বছরের শাসনামলে সে পৃথিবীতে ঔদ��ধত্য প্রদর্শন করেছিল চরমপর্যায়ে। অবশেষে আল্লাহ তাআলা শাস্তিস্বরূপ একটি মশা তার নাকে প্রবেশ করান। মশার অসহ্যকর জ্বালা-যন্ত্রণা থেকে নিজেকে বাঁচাতে মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত পর্যন্ত করে; কিন্তু এতেও তার শেষরক্ষা হয়নি, বরং শাস্তির মাত্রা আরো বহুগুণ বেড়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি কি ওই ব্যক্তির অবস্থা চিন্তা করোনি, যাকে আল্লাহ রাজত্ব দান করার কারণে সে নিজ প্রতিপালকের (অস্তিত্ব) সম্পর্কে ইবরাহিমের সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হয়? যখন ইবরাহিম বলল, তিনি আমার প্রতিপালক, যিনি জীবনও দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান।
তখন সে বলল, আমিও তো জীবন দান করি ও মৃত্যু ঘটাই। ইবরাহিম বলল, আচ্ছা, আল্লাহ তো সূর্যকে পূর্ব থেকে উদিত করেন, তুমি তা পশ্চিম থেকে উদিত করো তো! এ কথায় সেই কাফির নিরুত্তর হয়ে গেল। আর আল্লাহ এরূপ জালিমদের হেদায়াত করেন না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৫৮)
ফেরাউনের ঔদ্ধত্য ও প্রভু দাবি
মুসা (আ.) ও তাঁর সম্প্রদায়ের ওপর ফেরাউনের উদ্ধত আচরণ এবং নিষ্ঠুর অত্যাচারের কথা কে না জানে! স্বয়ং আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে তার অত্যাচারের চিত্র এভাবে তুলে ধরেছেন, ‘ফেরাউন জমিনে ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করেছিল এবং সে তার অধিবাসীদের বিভিন্ন দলে বিভক্ত করেছিল। তাদের একটি শ্রেণিকে সে অত্যন্ত দুর্বল করে রেখেছিল, যাদের পুত্রদের সে জবেহ করত ও নারীদের জীব��ত রাখত। প্রকৃতপক্ষে সে ছিল বিপর্যয় সৃষ্টিকারী।’ (সুরা : কাসাস, আয়াত : ৪)
তার উদ্ধত আচরণের মাত্রা এত বেশি ছিল যে একবার নিজ সম্প্রদায়ের কাছে নিজেকে ‘শ্রেষ্ঠ প্রতিপালক’ দাবি করে বসল। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর সে বলল, আমিই তোমাদের শ্রেষ্ঠ প্রতিপালক। পরিণামে আল্লাহ তাকে পাকড়াও করলেন আখিরাত ও দুনিয়ার শাস্তিতে। যে ভয় করে তার জন্য অবশ্যই এতে রয়েছে শিক্ষা।’ (সুরা : নাজিয়াত, আয়াত : ২৪-২৬)
নিজ সম্প্রদায়ের ওপর সীমাহীন অত্যাচার এবং প্রভু দাবি করায় আল্লাহ তাআলা তাকে এত কঠিন শাস্তি দিলেন যে পৃথিবীর মানুষের জন্য তা বিরাট এক শিক্ষণীয় উদাহরণ হয়ে আছে। কোরআন মজিদে তার শাস্তির কথা এভাবে তুলে  ধরা হয়েছে, ‘ফেরাউন ও তার বাহিনী জমিনে অন্যায় অহমিকা প্রদর্শন করেছিল। তারা মনে করেছিল, তাদেরকে আমার কাছে ফিরে আসতে হবে না। সুতরাং আমি তাকে ও তার সেনাদের পাকড়াও করলাম এবং সাগরে নিক্ষেপ করে ডুবিয়ে মারলাম। এবার দেখো, জালিমদের পরিণতি কী হয়ে থাকে!’ (সুরা : কাসাস, আয়াত : ৩৯-৪০)
কারুনের দাম্ভিকতা ও করুণ পরিণতি
সুরা কাসাসে আল্লাহ তাআলা কারুনের জুলুম ও তার শেষ পরিণতির কথা এভাবে তুলে ধরেন, ‘কারুন ছিল মুসা (আ.)-এর সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি। কিন্তু সে তাদেরই প্রতি জুলুম করল। আমি তাকে এমন ধনভাণ্ডার দিয়েছিলাম, যার চাবিগুলো বহন করা একদল শক্তিমান লোকের পক্ষেও কষ্টকর ছিল। স্মরণ করো, তার সম্প্রদায় তাকে বলেছিল, দম্ভ কোরো না, নিশ্চয় আল্লাহ দাম্ভিকদের পছন্দ করেন না। সে বলল, এসব তো আমি আমার জ্ঞানবলে লাভ করেছি। সে কি জানত না যে আল্লাহ তার আগে এমন বহু মানবগোষ্ঠীকে ধ্বংস করেছিলেন, যারা শক্তিতেও তার অপেক্ষা প্রবল ছিল এবং লোকবলেও বেশি ছিল? অপরাধীদের তাদের অপরাধ সম্পর্কে জিজ্ঞেসও করা হয় না। পরিণামে আমি তাকে তার প্রাসাদসহ ভূগর্ভে ধসিয়ে দিলাম। তার সপক্ষে এমন কোনো দল ছিল না, যারা আল্লাহর শাস্তি থেকে তাকে সাহায্য করতে পারত এবং সে নিজেও পারল না আত্মরক্ষা করতে। ওই পরকালীন নিবাস তো আমি সেই সব লোকের জন্যই নির্ধারণ করব, যারা পৃথিবীতে ঔদ্ধত্য দেখাতে ও ফাসাদ সৃষ্টি করতে চায় না। শেষ পরিণাম তো মুত্তাকিদেরই অনুকূল থাকবে।’ (সুরা : কাসাস, আয়াত : ৭৬-৮৩)
মহান আল্লাহ সদাসর্বদা আমাদের জীবন জুলুমমুক্ত রাখুন।
নিরপরাধ মানুষ হত্যার পরিনাম কতটা ভয়াবহ খুনীরা যদি জানতো?
youtube
ক্ষমতাধর তিন জালিম শাসকের পরিণতি
The Fate of Three Powerful Tyrants
0 notes