#বিপদ
Explore tagged Tumblr posts
Text
1 note
·
View note
Text
শীতকালে লোহার খুঁটির সাথে জিহবা আটকে যাওয়ার কারণ ও সমাধান
শীতকালে অনেকেই মজা করে বা অজান্তেই লোহার খুঁটির সাথে জিহবা লাগিয়ে দেন, যা বিপজ্জনক হতে পারে। তবে এর পেছনের বৈজ্ঞানিক কারণগুলো অনেকেই জানেন না। এই লেখায় আমরা আলোচনা করবো কিভাবে জিহবা লোহার সাথে আটকে যায়, এর পেছনের কারণ এবং এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়।
শীতকালে লোহার খুঁটির সাথে জিহবা আটকে যাওয়ার বৈজ্ঞানিক কারণ
শীতকালে বাতাস শুষ্ক এবং ঠান্ডা থাকে, আর লোহার খুঁটি খুব দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যায়। যখন আপনি আপনার গরম এবং আর্দ্র জিহবা ঠান্ডা মেটালের সাথে স্পর্শ করেন, তখন আপনার জিহবায় থাকা লালা দ্রুত জমে যায়। এর কারণ হলো লোহার খুঁটি এত দ্রুত আপনার জিহবা থেকে তাপ শুষে নেয় যে আপনার শরীর সেই তাপ পুনরায় সরবরাহ করতে পারে না।
জিহবার লালা দ্রুত বরফে পরিণত হয়, যার ফলে জিহবা মেটালের সাথে আটকে যায়। এটি শুধু অস্বস্তিকর নয়, বরং যদি সময়মতো সঠিক ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে আপনার জিহবা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
জিহবা আটকে গেলে কীভাবে মুক্তি পাবেন?
জিহবা যদি লোহার খুঁটির সাথে আটকে যায়, তবে প্যানিক করবেন না। এক্ষেত্রে সহজ একটি সমাধান হলো গরম পানি বা অন্য কোনো তরল ব্যবহার করা। গরম পানির সাহায্যে খুঁটি এবং জিহবার মাঝখানে থাকা জমাট লালা ধীরে ধীরে গলে যায় এবং আপনি সহজেই জিহবা মুক্ত করতে পারবেন। অবশ্যই মনে রাখতে হবে, বেশি গরম পানি ব্যবহার করা উচিত নয়, কারণ এতে আপনার জিহবা পুড়ে যেতে পারে।
লোহার খুঁটির সাথে জিহবা আটকে যাওয়া প্রতিরোধ করার উপায়
১. সতর্ক থাকা: শীতকালে কখনোই লোহার কোনো বস্তুতে জিহবা লাগাবেন না। এমনকি মজা করেও নয়।
২. বাচ্চাদের বোঝানো: বাচ্চাদের মধ্যে এটি নিয়ে কৌতূহল থাকতে পারে। তাদেরকে এই বিপদের বিষয়ে সচেতন করতে হবে।
৩. লোহার বস্তু এড়িয়ে চলা: শীতকালে বাইরের লোহার বস্তু যেমন খুঁটি, রেলিং ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো দ্রুত ঠান্ডা হয় এবং তাপ শোষণের ক্ষমতা বেশি থাকে।
উপসংহার
শীতকালে লোহার খুঁটির সাথে জিহবা আটকে যাওয়া একটি বিপজ্জনক ঘটনা। এটি ঘটে প্রধানত তখনই যখন আপনার গরম আর্দ্র জিহবা ঠান্ডা লোহার সাথে স্পর্শ করে এবং লোহা দ্রুত তাপ শুষে নেওয়ার ফলে আপনার জিহবার লালা জমে যায়। এই পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। তবে যদি এমনটি ঘটে, তাহলে হাল্কা গরম পানি বা তরল ব্যবহার করে ধীরে ধীরে বরফ গলিয়ে নিতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতিতে শান্ত থেকে দ্রুত এবং সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণই আপনাকে বিপদ থেকে রক্ষা করবে।
আরও দেখুনঃ কোনো অ্যাকোয়ারিয়ামেই হোয়াইট শার্ক নেই কেনো?
ট্যাগস: শীতকালে লোহার খুঁটি, জিহবা আটকে যাওয়া, শীতকালের বিপদ, লোহার সাথে জিহবা আটকে গেলে করণীয়, শীতকালে জিহবা বিপদ, ঠান্ডা মেটাল, লোহার তাপ শোষণ, শীতকালে লোহার খুঁটি বিপদ, লোহার সাথে জিহবা, জিহবার লালা জমাট, শীতকালে লোহার বিপদ, জিহবা আটকে গেলে করণীয়, ঠান্ডা তাপ শোষণ, শীতকালে বাচ্চাদের বিপদ, জিহবার লালা, শীতকালের সচেতনতা, লোহার খুঁটি এবং জিহবা, শীতকালে নিরাপত্তা, ঠান্ডা মেটাল বিপদ, গরম পানি দ্বারা মুক্তি
#শীতকালে লোহার খুঁটি#জিহবা আটকে যাওয়া#শীতকালের বিপদ#লোহার সাথে জিহবা আটকে গেলে করণীয়#শীতকালে জিহবা বিপদ#ঠান্ডা মেটাল#লোহার তাপ শোষণ#শীতকালে লোহার খুঁটি বিপদ#লোহার সাথে জিহবা#জিহবার লালা জমাট#শীতকালে লোহার বিপদ#জিহবা আটকে গেলে করণীয়#ঠান্ডা তাপ শোষণ#শীতকালে বাচ্চাদের বিপদ#জিহবার লালা#শীতকালের সচেতনতা#লোহার খুঁটি এবং জিহবা#শীতকালে নিরাপত্তা#ঠান্ডা মেটাল বিপদ#গরম পানি দ্বারা মুক্তি
0 notes
Text
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
What to do in case of Danger and Calamity
বালা-মুসিবতে আক্রান্ত হলে করণীয়
বিপদাপদ ও বালা-মুসিবত থেকে বাঁচার অপার্থিব কিছু পদ্ধতি আছে। সেগুলো অনুসরণ করলে বালা-মুসিবত দূর হবে, ইনশাআল্লাহ। তবে মনে রাখতে হবে যে দোয়া ও দাওয়া দুটিই জরুরি। অপার্থিব পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করার পাশাপাশি পার্থিব উপায়-অবলম্বন গ্রহণ করাও ইসলামের বিধান।
বালা-মুসিবত থেকে বাঁচার অপার্থিব পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হলো—
বেশি বেশি ইবাদত করা : বিপদ এলে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগি করা উচিত, যাতে আল্লাহর রহমত নাজিল হয় এবং তিনি দয়াপরবশ হয়ে আপতিত বিপদ থেকে রক্ষা করেন।
বিপদ আপদে পড়লে ৩টি আমল করতে ভুলবেন না |
বিপদ কেন আসে? পরীক্ষা নাকি পাপের শাস্তি
youtube
বিপদে পড়লে ছোট্ট দোয়াটি ১ বার পাঠ করুন
বিপদ যখন নিয়ামাত। বিপদ কাটিয়ে উঠতে যেসব ইসলামী টেকনিক ব্যবহার করবেন।
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে আমাদের করণীয়
youtube
তাঁর মহত্ত্ব ঘোষণা করবে এবং সালাত আদায় করবে ও সদকা করবে।’ (বুখারি, হাদিস : ১০৪৪)
তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করা : আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা অবশ্যই রাতের ইবাদত করবে। কেননা তা তোমাদের পূর্ববর্তী সত্কর্মপরায়ণগণের অভ্যাস, আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জনের উপায়, গুনাহসমূহের কাফফারা এবং পাপ কর্মের প্রতিবন্ধক। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৪৯)
রাসুল (সা.) বলেন, আমাদের রব প্রত্যেক রাতেই নিকটবর্তী আকাশে (প্রথম আকাশে) অবতীর্ণ হন, যখন রাতের শেষ তৃতীয় ভাগ অবশিষ্ট থাকে এবং বলতে থাকেন, কে আছে যে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দে��।
কে আছে যে আমার নিকট কিছু চাইবে, আমি তাকে তা দান করব এবং কে আছে যে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করব। (বুখারি, হাদিস : ১১৪৫; মুসলিম, হাদিস : ৭৫৮)
সুতরাং এ সময়ে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করে আল্লাহর কাছে বালা-মুসিবত থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করলে তিনি তা থেকে মুক্তি দেবেন।
সদকা করা : জান-মালের ওপরে বিপদাপদ ও আল্লাহর অসন্তোষ থেকে পরিত্রাণের অন্যতম উপায় হচ্ছে দান-সদকা করা। আর অন্যের প্রতি অনুগ্রহ করা। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর রহমত সত্কর্মশীলদের অতীব নিকটবর্তী।’ সুরা : আরাফ : ৭/৫৬
তিনি আরো বলেন, ‘বস্তুত সত্কর্মশীলদের বিরুদ্ধে কোনোরূপ অভিযোগ নেই। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াবান।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৯১)
আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে দোয়া করা : আজাব-গজব ও বিপদাপদ থেকে রক্ষার অন্যতম উপায় হচ্ছে আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে দোয়া করা। কাকুতি-মিনতি সহকারে তাঁর কাছে পাপ থেকে ক্ষমা চাওয়া এবং তাঁর সন্তোষ কামনা করা। তাহলে আল্লাহ দোয়া কবুল করবেন এবং পাপীদের ধ্বংস করবেন না। আল্লাহ বলেন, ‘আমরা তোমার আগের সম্প্রদায়সমূহের কাছে রাসুল পাঠিয়েছিলাম। অতঃপর (তাদের অবিশ্বাসের কারণে) আমরা তাদের অভাব-অনটন ও রোগব্যাধি দ্বারা পাকড়াও করেছিলাম, যাতে কাকুতি-মিনতিসহ আল্লাহর প্রতি বিনীত হয়। যখন তাদের কাছে আমাদের শাস্তি এসে গেল, তখন কেন তারা বিনীত হলো না? বরং তাদের অন্তরসমূহ শক্ত হয়ে গেল এবং শয়তান তাদের কাজগুলোকে তাদের কাছে সুশোভিত করে দেখাল।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ৪২-৪৩)
তিনি আরো বলেন, ‘কোনো জনপদে যখন আমরা কোনো নবী পাঠাই, তখন সেখানকার অধিবাসীদের (পরীক্ষা করার জন্য) নানা রকম কষ্ট ও বিপদে আক্রান্ত করি, যাতে তারা অনুগত হয়।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৯৪)
বালা-মুসিবত থেকে পরিত্রাণের দোয়া
ক. দোয়া ইউনুস পড়া : রাসুল (সা.) বলেন, আমি তোমাদের এমন কোনো বিষয়ের সংবাদ দেব যে তোমাদের কারো ওপর যখন দুনিয়াবি কোনো কষ্ট-ক্লেশ অথবা বালা-মুসিবত নাজিল হয়, তখন তার মাধ্যমে দোয়া করলে তা দূরীভূত হয়। তা হলো ইউনুস (আ.)-এর দোয়া—‘লা ইলা-হা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জলেমিন।’ (সহিহুল জামে, হাদিস : ২৬০৫)
খ. আউজু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তাম্মা-তি মিন শাররি মা খলাক্ব। অর্থাৎ আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কলেমাসমূহের মাধ্যমে তাঁর সৃষ্টির যাবতীয় অনিষ্টকারিতা থেকে পানাহ চাচ্ছি। (মুসলিম, হাদিস : ২৭০৮)
আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করা : আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করলে আল্লাহ খুশি হন এবং ক্রন্দনকারীকে রক্ষা করেন। যারা আল্লাহর ভয়ে কাঁদে, তাদের প্রশংসায় আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তারা কাঁদতে কাঁদতে মাটি��ে লুটিয়ে পড়ে এবং তাদের বিনয়চিত্ততা আরো বৃদ্ধি পায়।’ (সুরা : ইসরা/বনি ইসরাঈল, আয়াত : ১০৯)
তাওবা ও ইস্তিগফার করা : পরীক্ষা ও বিপদে পতিত হওয়া গুনাহ থেকে মুক্ত হওয়ার মাধ্যম। তবে শর্ত হলো, ওই পরীক্ষা ও বিপদে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং তার জন্য সওয়াবের আশা পোষণ করতে হবে। সেই সঙ্গে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে এবং তাঁর কাছে তাওবা করতে হবে। কেননা কোরআন-হাদিস প্রমাণ করে যে মানুষের গুনাহর কারণেই বিপদ-মুসিবত আপতিত হয় এবং তাওবা ছাড়া তা দূরীভূত হয় না।
রাসুল (সা.) আরো বলেন, যে ব্যক্তি সর্বদা ক্ষমা চায়, আল্লাহ তাআলা তার জন্য প্রত্যেক সংকীর্ণতা থেকে একটি পথ বের করে দেন এবং প্রত্যেক চিন্তা থেকে তাকে মুক্তি দেন। আর তাকে রিজিক দান করেন এমন স্থান থেকে, যা সে কখনো কল্পনা করে না। (আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ)
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে আমাদের করণীয়
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
মৃত্যুর ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আল্লাহর ঘোষণা হচ্ছে- ‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে এবং অবশ্যই কিয়ামতের দিন তোমাদের কর্মফল তোমরা পূর্ণমাত্রায় প্রাপ্ত হবে। তারপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে-ই হবে প্রকৃত অর্থে সফলকাম।’ -সূরা আলে ইমরান: ১৮৫
মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পাওয়ার কোনো সুযোগই নেই। এ ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা যেখানেই থাকো না কেন মৃত্যু তোমাদের পাকড়াও করবেই, যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গের ভেতরেও থাকো। ’ -সূরা আন নিসা: ৭৮
এরপরও মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের ব্যাপারে বিশেষ করে মৃত্যুর ব্যাপারে উদাসীন থাকা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বিপদ-আপদে ও প্রিয়জনের বিচ্ছেদে মাত্রাতিরিক্ত কান্নাকাটিকে নিরুৎসাহিত করার কারণ এই যে, আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.) ধৈর্য ও আত্মসংযমের নির্দেশ দিয়েছেন এবং হতাশা ও অসহিষ্ণুতা প্রদর্শন করতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাজ দ্বারা শক্তি অর্জন কর। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন। ... আর আমি অবশ্য অবশ্যই তোমাদের ভয়, ক্ষুধা, সম্পদহানি, প্রাণহানি ও শস্যহানি দ্বারা পরীক্ষা করব। যারা ধৈর্য ধারণ করে, যারা বিপদে পতিত হয়ে বলে যে, আমরা আল্লাহরই জন্য এবং আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব, তাদেরই সুসংবাদ দিয়ে দাও। ’ –সূরা বাকারা: ১৫৩, ১৫৫ ও ১৫৬
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন বান্দার ওপর যে বিপদই আসুক না কেন, এমনকি তার পায়ে যদি একটা কাঁটাও ফোটে তবে তা দ্বারা আল্লাহ তার গোনাহ মুছে দেন। -সহিহ মুসলিম
তিরমিজি শরিফে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো বান্দার সন্তান মারা গেলে আল্লাহ ফেরেশতাদের জিজ্ঞাসা করেন, যখন তোমরা আমার বান্দার সন্তানের প্রাণ সংহার করেছিলে, তখন সে কী বলেছে? ফেরেশতারা বলেন, সে তোমার প্রশংসা করেছে এবং তোমার কাছে তার ফিরে যাওয়ার কথা স্মরণ করেছে। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি তৈরি কর এবং তার নাম রাখ ‘বাইতুল হামদ’ (প্রশংসার বাড়ি)।
হাদিসে কুদসিতে আছে, আল্লাহ বলেন, ‘যখন আমার বান্দার কোনো প্রিয়জনের মৃত্যু হয় এবং সে তাতে ধৈর্য ও সংযম অবলম্বন করে, তখন জান্নাত ছাড়া তাকে দেওয়ার মতো আর কোনো প্রতিদান আমার কাছে থাকে না। ’ সহিহ আল বোখারি
শোক ও সমবেদনা প্রকাশ, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে সান্ত্বনা দান, ধৈয ধারণের উপদেশ দান, তার দুঃখ, শোক ও বিপদের অনুভূতিকে হালকা করার উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে। এটি সৎ কাজের আদেশ দান, অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা এবং সততা ও খোদাভীতির কাজে সহযোগিতার আওতাভুক্ত। সমবেদনা ও সান্ত্বনার সর্বোত্তম ভাষা রাসূলের (সা.) নিম্নোক্ত হাদিস থেকে জানা যায়।
সহিহ বোখারি ও মুসলিমে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর এক কন্যা রাসূলের (সা.) কাছে এই মর্মে খবর পাঠালেন যে, তার এক পুত্র মৃত্যুর মুখোমুখি। রাসূল (সা.) দূতকে বললেন, ‘যাও, ওকে (কন্যাকে) বল যে, আল্লাহ যা নেন, তা তারই জিনিস, আর যা দেন, তাও তারই জিনিস। সবকিছুই বান্দার কাছে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য রয়েছে। তাকে বল, সে যেন ধৈর্যধারণ ও সংযম অবলম্বন করে।
এক সাহাবিকে দরবারে অনুপস্থিত দেখে রাসূল (সা.) তার কথা জিজ্ঞাসা করলেন। এক ব্যক্তি বলল, হে রাসূল (সা.)! তার ছেলে মারা গেছে। রাসূল (সা.) তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার প্রতি সমবেদনা জানালেন। অতঃপর বললেন, ‘শোনো, তোমার ছেলে সারাজীবন তোমার কাছে থাকুক- এটা তোমার বেশি পছন্দনীয়, না সে তোমার আগে গিয়ে জান্নাতের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকুক এবং তুমি মারা গেলে সে তোমার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দিক- এটা পছন্দনীয়? সাহাবি বললেন, সে আমার আগে জান্নাতে গিয়ে আমার জন্য দরজা খুলে দিক- এটাই পছন্দনীয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তাহলে তোমার জন্য সেটিই নির্ধারিত রইল। সাহাবি জিজ্ঞাসা করলেন, এটা কি শুধু আমার জন্য? রাসূল (সা.) বললেন, ‘না, সব মুসলমানের জন্য। ’ –আহমাদ ও নাসায়ি
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
পুনর্বাসন কার্যক্রম :
বন্যা যখন চলে যাবে, তখন আমাদের দায়িত্ব হবে, বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোয় সহযোগিতা করে, একটি সুুন্দর ও স্বাবলম্বী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসা। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পর��ক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো। যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’
(মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮০)
তাই আমাদের ভাইদের বিপদে অনাহারে রেখে শান্তিতে ঘুমানো মুমিনের কাজ হবে না। মহান আল্লাহ আমাদের আক্রান্ত মুমিনদের এই পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
বালা মসিবতে করনীয়
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
What to do in case of Danger and Calamity
0 notes
Text
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
What to do in case of Danger and Calamity
বালা-মুসিবতে আক্রান্ত হলে করণীয়
বিপদাপদ ও বালা-মুসিবত থেকে বাঁচার অপার্থিব কিছু পদ্ধতি আছে। সেগুলো অনুসরণ করলে বালা-মুসিবত দূর হবে, ইনশাআল্লাহ। তবে মনে রাখতে হবে যে দোয়া ও দাওয়া দুটিই জরুরি। অপার্থিব পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করার পাশাপাশি পার্থিব উপায়-অবলম্বন গ্রহণ করাও ইসলামের বিধান।
বালা-মুসিবত থেকে বাঁচার অপার্থিব পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হলো—
বেশি বেশি ইবাদত করা : বিপদ এলে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগি করা উচিত, যাতে আল্লাহর রহমত নাজিল হয় এবং তিনি দয়াপরবশ হয়ে আপতিত বিপদ থেকে রক্ষা করেন।
বিপদ আপদে পড়লে ৩টি আমল করতে ভুলবেন না |
বিপদ কেন আসে? পরীক্ষা নাকি পাপের শাস্তি
youtube
বিপদে পড়লে ছোট্ট দোয়াটি ১ বার পাঠ করুন
বিপদ যখন নিয়ামাত। বিপদ কাটিয়ে উঠতে যেসব ইসলামী টেকনিক ব্যবহার করবেন।
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে আমাদের করণীয়
youtube
তাঁর মহত্ত্ব ঘোষণা করবে এবং সালাত আদায় করবে ও সদকা করবে।’ (বুখারি, হাদিস : ১০৪৪)
তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করা : আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা অবশ্যই রাতের ইবাদত করবে। কেননা তা তোমাদের পূর্ববর্তী সত্কর্মপরায়ণগণের অভ্যাস, আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জনের উপায়, গুনাহসমূহের কাফফারা এবং পাপ কর্মের প্রতিবন্ধক। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৪৯)
রাসুল (সা.) বলেন, আমাদের রব প্রত্যেক রাতেই নিকটবর্তী আকাশে (প্রথম আকাশে) অবতীর্ণ হন, যখন রাতের শেষ তৃতীয় ভাগ অবশিষ্ট থাকে এবং বলতে থাকেন, কে আছে যে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেব।
কে আছে যে আমার নিকট কিছু চাইবে, আমি তাকে তা দান করব এবং কে আছে যে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করব। (বুখারি, হাদিস : ১১৪৫; মুসলিম, হাদিস : ৭৫৮)
সুতরাং এ সময়ে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করে আল্লাহর কাছে বালা-মুসিবত থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করলে তিনি তা থেকে মুক্তি দেবেন।
সদকা করা : জান-মালের ওপরে বিপদাপদ ও আল্লাহর অসন্তোষ থেকে পরিত্রাণের অন্যতম উপায় হচ্ছে দান-সদকা করা। আর অন্যের প্রতি অনুগ্রহ করা। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর রহমত সত্কর্মশীলদের অতীব নিকটবর্তী।’ সুরা : আরাফ : ৭/৫৬
তিনি আরো বলেন, ‘বস্তুত সত্কর্মশীলদের বিরুদ্ধে কোনোরূপ অভিযোগ নেই। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াবান।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৯১)
আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে দোয়া করা : আজাব-গজব ও বিপদাপদ থেকে রক্ষার অন্যতম উপায় হচ্ছে আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে দোয়া করা। কাকুতি-মিনতি সহকারে তাঁর কাছে পাপ থেকে ক্ষমা চাওয়া এবং তাঁর সন্তোষ কামনা করা। তাহলে আল্লাহ দোয়া কবুল করবেন এবং পাপীদের ধ্বংস করবেন না। আল্লাহ বলেন, ‘আমরা তোমার আগের সম্প্রদায়সমূহের কাছে রাসুল পাঠিয়েছিলাম। অতঃপর (তাদের অবিশ্বাসের কারণে) আমরা তাদের অভাব-অনটন ও রোগব্যাধি দ্বারা পাকড়াও করেছিলাম, যাতে কাকুতি-মিনতিসহ আল্লাহর প্রতি বিনীত হয়। যখন তাদের কাছে আমাদের শাস্তি এসে গেল, তখন কেন তারা বিনীত হলো না? বরং তাদের অন্তরসমূহ শক্ত হয়ে গেল এবং শয়তান তাদের কাজগুলোকে তাদের কাছে সুশোভিত করে দেখাল।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ৪২-৪৩)
তিনি আরো বলেন, ‘কোনো জনপদে যখন আমরা কোনো নবী পাঠাই, তখন সেখানকার অধিবাসীদের (পরীক্ষা করার জন্য) নানা রকম কষ্ট ও বিপদে আক্রান্ত করি, যাতে তারা অনুগত হয়।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৯৪)
বালা-মুসিবত থেকে পরিত্রাণের দোয়া
ক. দোয়া ইউনুস পড়া : রাসুল (সা.) বলেন, আমি তোমাদের এমন কোনো বিষয়ের সংবাদ দেব যে তোমাদের কারো ওপর যখন দুনিয়াবি কোনো কষ্ট-ক্লেশ অথবা বালা-মুসিবত নাজিল হয়, তখন তার মাধ্যমে দোয়া করলে তা দূরীভূত হয়। তা হলো ইউনুস (আ.)-এর দোয়া—‘লা ইলা-হা ইল্লা ��নতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জলেমিন।’ (সহিহুল জামে, হাদিস : ২৬০৫)
খ. আউজু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তাম্মা-তি মিন শাররি মা খলাক্ব। অর্থাৎ আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কলেমাসমূহের মাধ্যমে তাঁর সৃষ্টির যাবতীয় অনিষ্টকারিতা থেকে পানাহ চাচ্ছি। (মুসলিম, হাদিস : ২৭০৮)
আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করা : আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করলে আল্লাহ খুশি হন এবং ক্রন্দনকারীকে রক্ষা করেন। যারা আল্লাহর ভয়ে কাঁদে, তাদের প্রশংসায় আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তারা কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তাদের বিনয়চিত্ততা আরো বৃদ্ধি পায়।’ (সুরা : ইসরা/বনি ইসরাঈল, আয়াত : ১০৯)
তাওবা ও ইস্তিগফার করা : পরীক্ষা ও বিপদে পতিত হওয়া গুনাহ থেকে মুক্ত হওয়ার মাধ্যম। তবে শর্ত হলো, ওই পরীক্ষা ও বিপদে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং তার জন্য সওয়াবের আশা পোষণ করতে হবে। সেই সঙ্গে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে এবং তাঁর কাছে তাওবা করতে হবে। কেননা কোরআন-হাদিস প্রমাণ করে যে মানুষের গুনাহর কারণেই বিপদ-মুসিবত আপতিত হয় এবং তাওবা ছাড়া তা দূরীভূত হয় না।
রাসুল (সা.) আরো বলেন, যে ব্যক্তি সর্বদা ক্ষমা চায়, আল্লাহ তাআলা তার জন্য প্রত্যেক সংকীর্ণতা থেকে একটি পথ বের করে দেন এবং প্রত্যেক চিন্তা থেকে তাকে মুক্তি দেন। আর তাকে রিজিক দান করেন এমন স্থান থেকে, যা সে কখনো কল্পনা করে না। (আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ)
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে আমাদের করণীয়
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
মৃত্যুর ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আল্লাহর ঘোষণা হচ্ছে- ‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে এবং অবশ্যই কিয়ামতের দিন তোমাদের কর্মফল তোমরা পূর্ণমাত্রায় প্রাপ্ত হবে। তারপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে-ই হবে প্রকৃত অর্থে সফলকাম।’ -সূরা আলে ইমরান: ১৮৫
মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পাওয়ার কোনো সুযোগই নেই। এ ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা যেখানেই থাকো না কেন মৃত্যু তোমাদের পাকড়াও করবেই, যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গের ভেতরেও থাকো। ’ -সূরা আন নিসা: ৭৮
এরপরও মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের ব্যাপারে বিশেষ করে মৃত্যুর ব্যাপারে উদাসীন থাকা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বিপদ-আপদে ও প্রিয়জনের বিচ্ছেদে মাত্রাতিরিক্ত কান্নাকাটিকে নিরুৎসাহিত করার কারণ এই যে, আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.) ধৈর্য ও আত্মসংযমের নির্দেশ দিয়েছেন এবং হতাশা ও অসহিষ্ণুতা প্রদর্শন করতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাজ দ্বারা শক্তি অর্জন কর। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন। ... আর আমি অবশ্য অবশ্যই তোমাদের ভয়, ক্ষুধা, সম্পদহানি, প্রাণহানি ও শস্যহানি দ্বারা পরীক্ষা করব। যারা ধৈর্য ধারণ করে, যারা বিপদে পতিত হয়ে বলে যে, আমরা আল্লাহরই জন্য এবং আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব, তাদেরই সুসংবাদ দিয়ে দাও। ’ –সূরা বাকারা: ১৫৩, ১৫৫ ও ১৫৬
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন বান্দার ওপর যে বিপদই আসুক না কেন, এমনকি তার পায়ে যদি একটা কাঁটাও ফোটে তবে তা দ্বারা আল্লাহ তার গোনাহ মুছে দেন। -সহিহ মুসলিম
তিরমিজি শরিফে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো বান্দার সন্তান মারা গেলে আল্লাহ ফেরেশতাদের জিজ্ঞাসা করেন, যখন তোমরা আমার বান্দার সন্তানের প্রাণ সংহার করেছিলে, তখন সে কী বলেছে? ফেরেশতারা বলেন, সে তোমার প্রশংসা করেছে এবং তোমার কাছে তার ফিরে যাওয়ার কথা স্মরণ করেছে। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি তৈরি কর এবং তার নাম রাখ ‘বাইতুল হামদ’ (প্রশংসার বাড়ি)।
হাদিসে কুদসিতে আছে, আল্লাহ বলেন, ‘যখন আমার বান্দার কোনো প্রিয়জনের মৃত্যু হয় এবং সে তাতে ধৈর্য ও সংযম অবলম্বন করে, তখন জান্নাত ছাড়া তাকে দেওয়ার মতো আর কোনো প্রতিদান আমার কাছে থাকে না। ’ সহিহ আল বোখারি
শোক ও সমবেদনা প্রকাশ, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে সান্ত্বনা দান, ধৈয ধারণের উপদেশ দান, তার দুঃখ, শোক ও বিপদের অনুভূতিকে হালকা করার উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে। এটি সৎ কাজের আদেশ দান, অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা এবং সততা ও খোদাভীতির কাজে সহযোগিতার আওতাভুক্ত। সমবেদনা ও সান্ত্বনার সর্বোত্তম ভাষা রাসূলের (সা.) নিম্নোক্ত হাদিস থেকে জানা যায়।
সহিহ বোখারি ও মুসলিমে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর এক কন্যা রাসূলের (সা.) কাছে এই মর্মে খবর পাঠালেন যে, তার এক পুত্র মৃত্যুর মুখোমুখি। রাসূল (সা.) দূতকে বললেন, ‘যাও, ওকে (কন্যাকে) বল যে, আল্লাহ যা নেন, তা তারই জিনিস, আর যা দেন, তাও তারই জিনিস। সবকিছুই বান্দার কাছে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য রয়েছে। তাকে বল, সে যেন ধৈর্যধারণ ও সংযম অবলম্বন করে।
এক সাহাবিকে দরবারে অনুপস্থিত দেখে রাসূল (সা.) তার কথা জিজ্ঞাসা করলেন। এক ব্যক্তি বলল, হে রাসূল (সা.)! তার ছেলে মারা গেছে। রাসূল (সা.) তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার প্রতি সমবেদনা জানালেন। অতঃপর বললেন, ‘শোনো, তোমার ছেলে সারাজীবন তোমার কাছে থাকুক- এটা তোমার বেশি পছন্দনীয়, না সে তোমার আগে গিয়ে জান্নাতের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকুক এবং তুমি মারা গেলে সে তোমার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দিক- এটা পছন্দনীয়? সাহাবি বললেন, সে আমার আগে জান্নাতে গিয়ে আমার জন্য দরজা খুলে দিক- এটাই পছন্দনীয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তাহলে তোমার জন্য সেটিই নির্ধারিত রইল। সাহাবি জিজ্ঞাসা করলেন, এটা কি শুধু আমার জন্য? রাসূল (সা.) বললেন, ‘না, সব মুসলমানের জন্য। ’ –আহমাদ ও নাসায়ি
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
পুনর্বাসন কার্যক্রম :
বন্যা যখন চলে যাবে, তখন আমাদের দায়িত্ব হবে, বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোয় সহযোগিতা করে, একটি সুুন্দর ও স্বাবলম্বী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসা। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো। যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’
(মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮০)
তাই আমাদের ভাইদের বিপদে অনাহারে রেখে শান্তিতে ঘুমানো মুমিনের কাজ হবে না। মহান আল্লাহ আমাদের আক্রান্ত মুমিনদের এই পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
বালা মসিবতে করনীয়
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
What to do in case of Danger and Calamity
0 notes
Text
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
What to do in case of Danger and Calamity
বালা-মুসিবতে আক্রান্ত হলে করণীয়
বিপদাপদ ও বালা-মুসিবত থেকে বাঁচার অপার্থিব কিছু পদ্ধতি আছে। সেগুলো অনুসরণ করলে বালা-মুসিবত দূর হবে, ইনশাআল্লাহ। তবে মনে রাখতে হবে যে দোয়া ও দাওয়া দুটিই জরুরি। অপার্থিব পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করার পাশাপাশি পার্থিব উপায়-অবলম্বন গ্রহণ করাও ইসলামের বিধান।
বালা-মুসিবত থেকে বাঁচার অপার্থিব পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হলো—
বেশি বেশি ইবাদত করা : বিপদ এলে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগি করা উচিত, যাতে আল্লাহর রহমত নাজিল হয় এবং তিনি দয়াপরবশ হয়ে আপতিত বিপদ থেকে রক্ষা করেন।
বিপদ আপদে পড়লে ৩টি আমল করতে ভুলবেন না |
বিপদ কেন আসে? পরীক্ষা নাকি পাপের শাস্তি
youtube
বিপদে পড়লে ছোট্ট দোয়াটি ১ বার পাঠ করুন
বিপদ যখন নিয়ামাত। বিপদ কাটিয়ে উঠতে যেসব ইসলামী টেকনিক ব্যবহার করবেন।
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে আমাদের করণীয়
youtube
তাঁর মহত্ত্ব ঘোষণা করবে এবং সালাত আদায় করবে ও সদকা করবে।’ (বুখারি, হাদিস : ১০৪৪)
তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করা : আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা অবশ্যই রাতের ইবাদত করবে। কেননা তা তোমাদের পূর্ববর্তী সত্কর্মপরায়ণগণের অভ্যাস, আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জনের উপায়, গুনাহসমূহের কাফফারা এবং পাপ কর্মের প্রতিবন্ধক। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৪৯)
রাসুল (সা.) বলেন, আমাদের রব প্রত্যেক রাতেই নিকটবর্তী আকাশে (প্রথম আকাশে) অবতীর্ণ হন, যখন রাতের শেষ তৃতীয় ভাগ অবশিষ্ট থাকে এবং বলতে থাকেন, কে আছে যে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেব।
কে আছে যে আমার নিকট কিছু চাইবে, আমি তাকে তা দান করব এবং কে আছে যে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করব। (বুখারি, হাদিস : ১১৪৫; মুসলিম, হাদিস : ৭৫৮)
সুতরাং এ সময়ে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করে আল্লাহর কাছে বালা-মুসিবত থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করলে তিনি তা থেকে মুক্তি দেবেন।
সদকা করা : জান-মালের ওপরে বিপদাপদ ও আল্লাহর অসন্তোষ থেকে পরিত্রাণের অন্যতম উপায় হচ্ছে দান-সদকা করা। আর অন্যের প্রতি অনুগ্রহ করা। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর রহমত সত্কর্মশীলদের অতীব নিকটবর্তী।’ সুরা : আরাফ : ৭/৫৬
তিনি আরো বলেন, ‘বস্তুত সত্কর্মশীলদের বিরুদ্ধে কোনোরূপ অভিযোগ নেই। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াবান।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৯১)
আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে দোয়া করা : আজাব-গজব ও বিপদাপদ থেকে রক্ষার অন্যতম উপায় হচ্ছে আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে দোয়া করা। কাকুতি-মিনতি সহকারে তাঁর কাছে পাপ থেকে ক্ষমা চাওয়া এবং তাঁর সন্তোষ কামনা করা। তাহলে আল্লাহ দোয়া কবুল করবেন এবং পাপীদের ধ্বংস করবেন না। আল্লাহ বলেন, ‘আমরা তোমার আগের সম্প্রদায়সমূহের কাছে রাসুল পাঠিয়েছিলাম। অতঃপর (তাদের অবিশ্বাসের কারণে) আমরা তাদের অভাব-অনটন ও রোগব্যাধি দ্বারা পাকড়াও করেছিলাম, যাতে কাকুতি-মিনতিসহ আল্লাহর প্রতি বিনীত হয়। যখন তাদের কাছে আমাদের শাস্তি এসে গেল, তখন কেন তারা বিনীত হলো না? বরং তাদের অন্তরসমূহ শক্ত হয়ে গেল এবং শয়তান তাদের কাজগুলোকে তাদের কাছে সুশোভিত করে দেখাল।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ৪২-৪৩)
তিনি আরো বলেন, ‘কোনো জনপদে যখন আমরা কোনো নবী পাঠাই, তখন সেখানকার অধিবাসীদের (পরীক্ষা করার জন্য) নানা রকম কষ্ট ও বিপদে আক্রান্ত করি, যাতে তারা অনুগত হয়।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৯৪)
বালা-মুসিবত থেকে পরিত্রাণের দোয়া
ক. দোয়া ইউনুস পড়া : রাসুল (সা.) বলেন, আমি তোমাদের এমন কোনো বিষয়ের সংবাদ দেব যে তোমাদের কারো ওপর যখন দুনিয়াবি কোনো কষ্ট-ক্লেশ অথবা বালা-মুসিবত নাজিল হয়, তখন তার মাধ্যমে দোয়া করলে তা দূরীভূত হয়। তা হলো ইউনুস (আ.)-এর দোয়া—‘লা ইলা-হা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জলেমিন।’ (সহিহুল জামে, হাদিস : ২৬০৫)
খ. আউজু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তাম্মা-তি মিন শাররি মা খলাক্ব। অর্থাৎ আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কলেমাসমূহের মাধ্যমে তাঁর সৃষ্টির যাবতীয় অনিষ্টকারিতা থেকে পানাহ চাচ্ছি। (মুসলিম, হাদিস : ২৭০৮)
আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করা : আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করলে আল্লাহ খুশি হন এবং ক্রন্দনকারীকে রক্ষা করেন। যারা আল্লাহর ভয়ে কাঁদে, তাদের প্রশংসায় আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তারা কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তাদের বিনয়চিত্ততা আরো বৃদ্ধি পায়।’ (সুরা : ইসরা/বনি ইসরাঈল, আয়াত : ১০৯)
তাওবা ও ইস্তিগফার করা : পরীক্ষা ও বিপদে পতিত হওয়া গুনাহ থেকে মুক্ত হওয়ার মাধ্যম। তবে শর্ত হলো, ওই পরীক্ষা ও বিপদে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং তার জন্য সওয়াবের আশা পোষণ করতে হবে। সেই সঙ্গে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে এবং তাঁর কাছে তাওবা করতে হবে। কেননা কোরআন-হাদিস প্রমাণ করে যে মানুষের গুনাহর কারণেই বিপদ-মুসিবত আপতিত হয় এবং তাওবা ছাড়া তা দূরীভূত হয় না।
রাসুল (সা.) আরো বলেন, যে ব্যক্তি সর্বদা ক্ষমা চায়, আল্লাহ তাআলা তার জন্য প্রত্যেক সংকীর্ণতা থেকে একটি পথ বের করে দেন এবং প্রত্যেক চিন্তা থেকে তাকে মুক্তি দেন। আর তাকে রিজিক দান করেন এমন স্থান থেকে, যা সে কখনো কল্পনা করে না। (আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ)
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে আমাদের করণীয়
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
মৃত্যুর ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আল্লাহর ঘোষণা হচ্ছে- ‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে এবং অবশ্যই কিয়ামতের দিন তোমাদের কর্মফল তোমরা পূর্ণমাত্রায় প্রাপ্ত হবে। তারপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে-ই হবে প্রকৃত অর্থে সফলকাম।’ -সূরা আলে ইমরান: ১৮৫
মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পাওয়ার কোনো সুযোগই নেই। এ ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা যেখানেই থাকো না কেন মৃত্যু তোমাদের পাকড়াও করবেই, যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গের ভেতরেও থাকো। ’ -সূরা আন নিসা: ৭৮
এরপরও মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের ব্যাপারে বিশেষ করে মৃত্যুর ব্যাপারে উদাসীন থাকা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বিপদ-আপদে ও প্রিয়জনের বিচ্ছেদে মাত্রাতিরিক্ত কান্নাকাটিকে নিরুৎসাহিত করার কারণ এই যে, আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.) ধৈর্য ও আত্মসংযমের নির্দেশ দিয়েছেন এবং হতাশা ও অসহিষ্ণুতা প্রদর্শন করতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাজ দ্বারা শক্তি অর্জন কর। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন। ... আর আমি অবশ্য অবশ্যই তোমাদের ভয়, ক্ষুধা, সম্পদহানি, প্রাণহানি ও শস্যহানি দ্বারা পরীক্ষা করব। যারা ধৈর্য ধারণ করে, যারা বিপদে পতিত হয়ে বলে যে, আমরা আল্লাহরই জন্য এবং আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব, তাদেরই সুসংবাদ দিয়ে দাও। ’ –সূরা বাকারা: ১৫৩, ১৫৫ ও ১৫৬
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন বান্দার ওপর যে বিপদই আসুক না কেন, এমনকি তার পায়ে যদি একটা কাঁটাও ফোটে তবে তা দ্বারা আল্লাহ তার গোনাহ মুছে দেন। -সহিহ মুসলিম
তিরমিজি শরিফে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো বান্দার সন্তান মারা গেলে আল্লাহ ফেরেশতাদের জিজ্ঞাসা করেন, যখন তোমরা আমার বান্দার সন্তানের প্রাণ সংহার করেছিলে, তখন সে কী বলেছে? ফেরেশতারা বলেন, সে তোমার প্রশংসা করেছে এবং তোমার কাছে তার ফিরে যাওয়ার কথা স্মরণ করেছে। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি তৈরি কর এবং তার নাম রাখ ‘বাইতুল হামদ’ (প্রশংসার বাড়ি)।
হাদিসে কুদসিতে আছে, আল্লাহ বলেন, ‘যখন আমার বান্দার কোনো প্রিয়জনের মৃত্যু হয় এবং সে তাতে ধৈর্য ও সংযম অবলম্বন করে, তখন জান্নাত ছাড়া তাকে দেওয়ার মতো আর কোনো প্রতিদান আমার কাছে থাকে না। ’ সহিহ আল বোখারি
শোক ও সমবেদনা প্রকাশ, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে সান্ত্বনা দান, ধৈয ধারণের উপদেশ দান, তার দুঃখ, শোক ও বিপদের অনুভূতিকে হালকা করার উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে। এটি সৎ কাজের আদেশ দান, অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা এবং সততা ও খোদাভীতির কাজে সহযোগিতার আওতাভুক্ত। সমবেদনা ও সান্ত্বনার সর্বোত্তম ভাষা রাসূলের (সা.) নিম্নোক্ত হাদিস থেকে জানা যায়।
সহিহ বোখারি ও মুসলিমে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর এক কন্যা রাসূলের (সা.) কাছে এই মর্মে খবর পাঠালেন যে, তার এক পুত্র মৃত্যুর মুখোমুখি। রাসূল (সা.) দূতকে বললেন, ‘যাও, ওকে (কন্যাকে) বল যে, আল্লাহ যা নেন, তা তারই জিনিস, আর যা দেন, তাও তারই জিনিস। সবকিছুই বান্দার কাছে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য রয়েছে। তাকে বল, সে যেন ধৈর্যধারণ ও সংযম অবলম্বন করে।
এক সাহাবিকে দরবারে অনুপস্থিত দেখে রাসূল (সা.) তার কথা জিজ্ঞাসা করলেন। এক ব্যক্তি বলল, হে রাসূল (সা.)! তার ছেলে মারা গেছে। রাসূল (সা.) তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার প্রতি সমবেদনা জানালেন। অতঃপর বললেন, ‘শোনো, তোমার ছেলে সারাজীবন তোমার কাছে থাকুক- এটা তোমার বেশি পছন্দনীয়, না সে তোমার আগে গিয়ে জান্নাতের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকুক এবং তুমি মারা গেলে সে তোমার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দিক- এটা পছন্দনীয়? সাহাবি বললেন, সে আমার আগে জান্নাতে গিয়ে আমার জন্য দরজা খুলে দিক- এটাই পছন্দনীয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তাহলে তোমার জন্য সেটিই নির্ধারিত রইল। সাহাবি জিজ্ঞাসা করলেন, এটা কি শুধু আমার জন্য? রাসূল (সা.) বললেন, ‘না, সব মুসলমানের জন্য। ’ –আহমাদ ও নাসায়ি
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
পুনর্বাসন কার্যক্রম :
বন্যা যখন চলে যাবে, তখন আমাদের দায়িত্ব হবে, বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোয় সহযোগিতা করে, একটি সুুন্দর ও স্বাবলম্বী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসা। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো। যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’
(মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮০)
তাই আমাদের ভাইদের বিপদে অনাহারে রেখে শান্তিতে ঘুমানো মুমিনের কাজ হবে না। মহান আল্লাহ আমাদের আক্রান্ত মুমিনদের এই পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
বালা মসিবতে করনীয়
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
What to do in case of Danger and Calamity
0 notes
Text
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
What to do in case of Danger and Calamity
বালা-মুসিবতে আক্রান্ত হলে করণীয়
বিপদাপদ ও বালা-মুসিবত থেকে বাঁচার অপার্থিব কিছু পদ্ধতি আছে। সেগুলো অনুসরণ করলে বালা-মুসিবত দূর হবে, ইনশাআল্লাহ। তবে মনে রাখতে হবে যে দোয়া ও দাওয়া দুটিই জরুরি। অপার্থিব পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করার পাশাপাশি পার্থিব উপায়-অবলম্বন গ্রহণ করাও ইসলামের বিধান।
বালা-মুসিবত থেকে বাঁচার অপার্থিব পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হলো—
বেশি বেশি ইবাদত করা : বিপদ এলে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগি করা উচিত, যাতে আল্লাহর রহমত নাজিল হয় এবং তিনি দয়াপরবশ হয়ে আপতিত বিপদ থেকে রক্ষা করেন।
বিপদ আপদে পড়লে ৩টি আমল করতে ভুলবেন না |
বিপদ কেন আসে? পরীক্ষা নাকি পাপের শাস্তি
youtube
বিপদে পড়লে ছোট্ট দোয়াটি ১ বার পাঠ করুন
বিপদ যখন নিয়ামাত। বিপদ কাটিয়ে উঠতে যেসব ইসলামী টেকনিক ব্যবহার করবেন।
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে আমাদের করণীয়
youtube
তাঁর মহত্ত্ব ঘোষণা করবে এবং সালাত আদায় করবে ও সদকা করবে।’ (বুখারি, হাদিস : ১০৪৪)
তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করা : আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা অবশ্যই রাতের ইবাদত করবে। কেননা তা তোমাদের পূর্ববর্তী সত্কর্মপরায়ণগণের অভ্যাস, আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জনের উপায়, গুনাহসমূহের কাফফারা এবং পাপ কর্মের প্রতিবন্ধক। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৪৯)
রাসুল (সা.) বলেন, আমাদের রব প্রত্যেক রাতেই নিকটবর্তী আকাশে (প্রথম আকাশে) অবতীর্ণ হন, যখন রাতের শেষ তৃতীয় ভাগ অবশিষ্ট থাকে এবং বলতে থাকেন, কে আছে যে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেব।
কে আছে যে আমার নিকট কিছু চাইবে, আমি তাকে তা দান করব এবং কে আছে যে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করব। (বুখারি, হাদিস : ১১৪৫; মুসলিম, হাদিস : ৭৫৮)
সুতরাং এ সময়ে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করে আল্লাহর কাছে বালা-মুসিবত থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করলে তিনি তা থেকে মুক্তি দেবেন।
সদকা করা : জান-মালের ওপরে বিপদাপদ ও আল্লাহর অসন্তোষ থেকে পরিত্রাণের অন্যতম উপায় হচ্ছে দান-সদকা করা। আর অন্যের প্রতি অনুগ্রহ করা। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর রহমত সত্কর্মশীলদের অতীব নিকটবর্তী।’ সুরা : আরাফ : ৭/৫৬
তিনি আরো বলেন, ‘বস্তুত সত্কর্মশীলদের বিরুদ্ধে কোনোরূপ অভিযোগ নেই। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াবান।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৯১)
আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে দোয়া করা : আজাব-গজব ও বিপদাপদ থেকে রক্ষার অন্যতম উপায় হচ্ছে আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে দোয়া করা। কাকুতি-মিনতি সহকারে তাঁর কাছে পাপ থেকে ক্ষমা চাওয়া এবং তাঁর সন্তোষ কামনা করা। তাহলে আল্লাহ দোয়া কবুল করবেন এবং পাপীদের ধ্বংস করবেন না। আল্লাহ বলেন, ‘আমরা তোমার আগের সম্প্রদায়সমূহের কাছে রাসুল পাঠিয়েছিলাম। অতঃপর (তাদের অবিশ্বাসের কারণে) আমরা তাদের অভাব-অনটন ও রোগব্যাধি দ্বারা পাকড়াও করেছিলাম, যাতে কাকুতি-মিনতিসহ আল্লাহর প্রতি বিনীত হয়। যখন তাদের কাছে আমাদের শাস্তি এসে গেল, তখন কেন তারা বিনীত হলো না? বরং তাদের অন্তরসমূহ শক্ত হয়ে গেল এবং শয়তান তাদের কাজগুলোকে তাদের কাছে সুশোভিত করে দেখাল।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ৪২-৪৩)
তিনি আরো বলেন, ‘কোনো জনপদে যখন আমরা কোনো নবী পাঠাই, তখন সেখানকার অধিবাসীদের (পরীক্ষা করার জন্য) নানা রকম কষ্ট ও বিপদে আক্রান্ত ��রি, যাতে তারা অনুগত হয়।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৯৪)
বালা-মুসিবত থেকে পরিত্রাণের দোয়া
ক. দোয়া ইউনুস পড়া : রাসুল (সা.) বলেন, আমি তোমাদের এমন কোনো বিষয়ের সংবাদ দেব যে তোমাদের কারো ওপর যখন দুনিয়াবি কোনো কষ্ট-ক্লেশ অথবা বালা-মুসিবত নাজিল হয়, তখন তার মাধ্যমে দোয়া করলে তা দূরীভূত হয়। তা হলো ইউনুস (আ.)-এর দোয়া—‘লা ইলা-হা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জলেমিন।’ (সহিহুল জামে, হাদিস : ২৬০৫)
খ. আউজু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তাম্মা-তি মিন শাররি মা খলাক্ব। অর্থাৎ আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কলেমাসমূহের মাধ্যমে তাঁর সৃষ্টির যাবতীয় অনিষ্টকারিতা থেকে পানাহ চাচ্ছি। (মুসলিম, হাদিস : ২৭০৮)
আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করা : আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করলে আল্লাহ খুশি হন এবং ক্রন্দনকারীকে রক্ষা করেন। যারা আল্লাহর ভয়ে কাঁদে, তাদের প্রশংসায় আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তারা কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তাদের বিনয়চিত্ততা আরো বৃদ্ধি পায়।’ (সুরা : ইসরা/বনি ইসরাঈল, আয়াত : ১০৯)
তাওবা ও ইস্তিগফার করা : পরীক্ষা ও বিপদে পতিত হওয়া গুনাহ থেকে মুক্ত হওয়ার মাধ্যম। তবে শর্ত হলো, ওই পরীক্ষা ও বিপদে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং তার জন্য সওয়াবের আশা পোষণ করতে হবে। সেই সঙ্গে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে এবং তাঁর কাছে তাওবা করতে হবে। কেননা কোরআন-হাদিস প্রমাণ করে যে মানুষের গুনাহর কারণেই বিপদ-মুসিবত আপতিত হয় এবং তাওবা ছাড়া তা দূরীভূত হয় না।
রাসুল (সা.) আরো বলেন, যে ব্যক্তি সর্বদা ক্ষমা চায়, আল্লাহ তাআলা তার জন্য প্রত্যেক সংকীর্ণতা থেকে একটি পথ বের করে দেন এবং প্রত্যেক চিন্তা থেকে তাকে মুক্তি দেন। আর তাকে রিজিক দান করেন এমন স্থান থেকে, যা সে কখনো কল্পনা করে না। (আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ)
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে আমাদের করণীয়
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
মৃত্যুর ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আল্লাহর ঘোষণা হচ্ছে- ‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে এবং অবশ্যই কিয়ামতের দিন তোমাদের কর্মফল তোমরা পূর্ণমাত্রায় প্রাপ্ত হবে। তারপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে-ই হবে প্রকৃত অর্থে সফলকাম।’ -সূরা আলে ইমরান: ১৮৫
মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পাওয়ার কোনো সুযোগই নেই। এ ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা যেখানেই থাকো না কেন মৃত্যু তোমাদের পাকড়াও করবেই, যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গের ভেতরেও থাকো। ’ -সূরা আন নিসা: ৭৮
এরপরও মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের ব্যাপারে বিশেষ করে মৃত্যুর ব্যাপারে উদাসীন থাকা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বিপদ-আপদে ও প্রিয়জনের বিচ্ছেদে মাত্রাতিরিক্ত কান্নাকাটিকে নিরুৎসাহিত করার কারণ এই যে, আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.) ধৈর্য ও আত্মসংযমের নির্দেশ দিয়েছেন এবং হতাশা ও অসহিষ্ণুতা প্রদর্শন করতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাজ দ্বারা শক্তি অর্জন কর। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন। ... আর আমি অবশ্য অবশ্যই তোমাদের ভয়, ক্ষুধা, সম্পদহানি, প্রাণহানি ও শস্যহানি দ্বারা পরীক্ষা করব। যারা ধৈর্য ধারণ করে, যারা বিপদে পতিত হয়ে বলে যে, আমরা আল্লাহরই জন্য এবং আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব, তাদেরই সুসংবাদ দিয়ে দাও। ’ –সূরা বাকারা: ১৫৩, ১৫৫ ও ১৫৬
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন বান্দার ওপর যে বিপদই আসুক না কেন, এমনকি তার পায়ে যদি একটা কাঁটাও ফোটে তবে তা দ্বারা আল্লাহ তার গোনাহ মুছে দেন। -সহিহ মুসলিম
তিরমিজি শরিফে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো বান্দার সন্তান মারা গেলে আল্লাহ ফেরেশতাদের জিজ্ঞাসা করেন, যখন তোমরা আমার বান্দার সন্তানের প্রাণ সংহার করেছিলে, তখন সে কী বলেছে? ফেরেশতারা বলেন, সে তোমার প্রশংসা করেছে এবং তোমার কাছে তার ফিরে যাওয়ার কথা স্মরণ করেছে। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি তৈরি কর এবং তার নাম রাখ ‘বাইতুল হামদ’ (প্রশংসার বাড়ি)।
হাদিসে কুদসিতে আছে, আল্লাহ বলেন, ‘যখন আমার বান্দার কোনো প্রিয়জনের মৃত্যু হয় এবং সে তাতে ধৈর্য ও সংযম অবলম্বন করে, তখন জান্নাত ছাড়া তাকে দেওয়ার মতো আর কোনো প্রতিদান আমার কাছে থাকে না। ’ সহিহ আল বোখারি
শোক ও সমবেদনা প্রকাশ, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে সান্ত্বনা দান, ধৈয ধারণের উপদেশ দান, তার দুঃখ, শোক ও বিপদের অনুভূতিকে হালকা করার উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে। এটি সৎ কাজের আদেশ দান, অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা এবং সততা ও খোদাভীতির কাজে সহযোগিতার আওতাভুক্ত। সমবেদনা ও সান্ত্বনার সর্বোত্তম ভাষা রাসূলের (সা.) নিম্নোক্ত হাদিস থেকে জানা যায়।
সহিহ বোখারি ও মুসলিমে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর এক কন্যা রাসূলের (সা.) কাছে এই মর্মে খবর পাঠালেন যে, তার এক পুত্র মৃত্যুর মুখোমুখি। রাসূল (সা.) দূতকে বললেন, ‘যাও, ওকে (কন্যাকে) বল যে, আল্লাহ যা নেন, তা তারই জিনিস, আর যা দেন, তাও তারই জিনিস। সবকিছুই বান্দার কাছে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য রয়েছে। তাকে বল, সে যেন ধৈর্যধারণ ও সংযম অবলম্বন করে।
এক সাহাবিকে দরবারে অনুপস্থিত দেখে রাসূল (সা.) তার কথা জিজ্ঞাসা করলেন। এক ব্যক্তি বলল, হে রাসূল (সা.)! তার ছেলে মারা গেছে। রাসূল (সা.) তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার প্রতি সমবেদনা জানালেন। অতঃপর বললেন, ‘শোনো, তোমার ছেলে সারাজীবন তোমার কাছে থাকুক- এটা তোমার বেশি পছন্দনীয়, না সে তোমার আগে গিয়ে জান্নাতের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকুক এবং তুমি মারা গেলে সে তোমার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দিক- এটা পছন্দনীয়? সাহাবি বললেন, সে আমার আগে জান্নাতে গিয়ে আমার জন্য দরজা খুলে দিক- এটাই পছন্দনীয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তাহলে তোমার জন্য সেটিই নির্ধারিত রইল। সাহাবি জিজ্ঞাসা করলেন, এটা কি শুধু আমার জন্য? রাসূল (সা.) বললেন, ‘না, সব মুসলমানের জন্য। ’ –আহমাদ ও নাসায়ি
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
পুনর্বাসন কার্যক্রম :
বন্যা যখন চলে যাবে, তখন আমাদের দায়িত্ব হবে, বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোয় সহযোগিতা করে, একটি সুুন্দর ও স্বাবলম্বী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসা। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো। যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’
(মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮০)
তাই আমাদের ভাইদের বিপদে অনাহারে রেখে শান্তিতে ঘুমানো মুমিনের কাজ হবে না। মহান আল্লাহ আমাদের আক্রান্ত মুমিনদের এই পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
বালা মসিবতে করনীয়
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
What to do in case of Danger and Calamity
#ToDo#বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়#What to do in case of Danger and Calamity#Danger#Calamity#Youtube
0 notes
Text
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
What to do in case of Danger and Calamity
বালা-মুসিবতে আক্রান্ত হলে করণীয়
বিপদাপদ ও বালা-মুসিবত থেকে বাঁচার অপার্থিব কিছু পদ্ধতি আছে। সেগুলো অনুসরণ করলে বালা-মুসিবত দূর হবে, ইনশাআল্লাহ। তবে মনে রাখতে হবে যে দোয়া ও দাওয়া দুটিই জরুরি। অপার্থিব পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করার পাশাপাশি পার্থিব উপায়-অবলম্বন গ্রহণ করাও ইসলামের বিধান।
বালা-মুসিবত থেকে বাঁচার অপার্থিব পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হলো—
বেশি বেশি ইবাদত করা : বিপদ এলে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগি করা উচিত, যাতে আল্লাহর রহমত নাজিল হয় এবং তিনি দয়াপরবশ হয়ে আপতিত বিপদ থেকে রক্ষা করেন।
বিপদ আপদে পড়লে ৩টি আমল করতে ভুলবেন না |
বিপদ কেন আসে? পরীক্ষা নাকি পাপের শাস্তি
youtube
বিপদে পড়লে ছোট্ট দোয়াটি ১ বার পাঠ করুন
বিপদ যখন নিয়ামাত। বিপদ কাটিয়ে উঠতে যেসব ইসলামী টেকনিক ব্যবহার করবেন।
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে আমাদের করণীয়
youtube
তাঁর মহত্ত্ব ঘোষণা করবে এবং সালাত আদায় করবে ও সদকা করবে।’ (বুখারি, হাদিস : ১০৪৪)
তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করা : আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা অবশ্যই রাতের ইবাদত করবে। কেননা তা তোমাদের পূর্ববর্তী সত্কর্মপরায়ণগণের অভ্যাস, আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জনের উপায়, গুনাহসমূহের কাফফারা এবং পাপ কর্মের প্রতিবন্ধক। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৪৯)
রাসুল (সা.) বলেন, আমাদের রব প্রত্যেক রাতেই নিকটবর্তী আকাশে (প্রথম আকাশে) অবতীর্ণ হন, যখন রাতের শেষ তৃতীয় ভাগ অবশিষ্ট থাকে এবং বলতে থাকেন, কে আছে যে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেব।
কে আছে যে আমার নিকট কিছু চাইবে, আমি তাকে তা দান করব এবং কে আছে যে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করব। (বুখারি, হাদিস : ১১৪৫; মুসলিম, হাদিস : ৭৫৮)
সুতরাং এ সময়ে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করে আল্লাহর কাছে বালা-মুসিবত থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করলে তিনি তা থেকে মুক্তি দেবেন।
সদকা করা : জান-মালের ওপরে বিপদাপদ ও আল্লাহর অসন্তোষ থেকে পরিত্রাণের অন্যতম উপায় হচ্ছে দান-সদকা করা। আর অন্যের প্রতি অনুগ্রহ করা। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর রহমত সত্কর্মশীলদের অতীব নিকটবর্তী।’ সুরা : আরাফ : ৭/৫৬
তিনি আরো বলেন, ‘বস্তুত সত্কর্মশীলদের বিরুদ্ধে কোনোরূপ অভিযোগ নেই। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াবান।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৯১)
আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে দোয়া করা : আজাব-গজব ও বিপদাপদ থেকে রক্ষার অন্যতম উপায় হচ্ছে আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে দোয়া করা। কাকুতি-মিনতি সহকারে তাঁর কাছে পাপ থেকে ক্ষমা চাওয়া এবং তাঁর সন্তোষ কামনা করা। তাহলে আল্লাহ দোয়া কবুল করবেন এবং পাপীদের ধ্বংস করবেন না। আল্লাহ বলেন, ‘আমরা তোমার আগের সম্প্রদায়সমূহের কাছে রাসুল পাঠিয়েছিলাম। অতঃপর (তাদের অবিশ্বাসের কারণে) আমরা তাদের অভাব-অনটন ও রোগব্যাধি দ্বারা পাকড়াও করেছিলাম, যাতে কাকুতি-মিনতিসহ আল্লাহর প্রতি বিনীত হয়। যখন তাদের কাছে আমাদের শাস্তি এসে গেল, তখন কেন তারা বিনীত হলো না? বরং তাদের অন্তরসমূহ শক্ত হয়ে গেল এবং শয়তান তাদের কাজগুলোকে তাদের কাছে সুশোভিত করে দেখাল।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ৪২-৪৩)
তিনি আরো বলেন, ‘কোনো জনপদে যখন আমরা কোনো নবী পাঠাই, তখন সেখানকার অধিবাসীদের (পরীক্ষা করার জন্য) নানা রকম কষ্ট ও বিপদে আক্রান্ত করি, যাতে তারা অনুগত হয়।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৯৪)
বালা-মুসিবত থেকে পরিত্রাণের দোয়া
ক. দোয়া ইউনুস পড়া : রাসুল (সা.) বলেন, আমি তোমাদের এমন কোনো বিষয়ের সংবাদ দেব যে তোমাদের কারো ওপর যখন দুনিয়াবি কোনো কষ্ট-ক্লেশ অথবা বালা-মুসিবত নাজিল হয়, তখন তার মাধ্যমে দোয়া করলে তা দূরীভূত হয়। তা হলো ইউনুস (আ.)-এর দোয়া—‘লা ইলা-হা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জলেমিন।’ (সহিহুল জামে, হাদিস : ২৬০৫)
খ. আউজু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তাম্মা-তি মিন শাররি মা খলাক্ব। অর্থাৎ আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কলেমাসমূহের মাধ্যমে তাঁর সৃষ্টির যাবতীয় অনিষ্টকারিতা থেকে পানাহ চাচ্ছি। (মুসলিম, হাদিস : ২৭০৮)
আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করা : আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করলে আল্লাহ খুশি হন এবং ক্রন্দনকারীকে রক্ষা করেন। যারা আল্লাহর ভয়ে কাঁদে, তাদের প্রশংসায় আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তারা কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তাদের বিনয়চিত্ততা আরো বৃদ্ধি পায়।’ (সুরা : ইসরা/বনি ইসরাঈল, আয়াত : ১০৯)
তাওবা ও ইস্তিগফার করা : পরীক্ষা ও বিপদে পতিত হওয়া গুনাহ থেকে মুক্ত হওয়ার মাধ্যম। তবে শর্ত হলো, ওই পরীক্ষা ও বিপদে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং তার জন্য সওয়াবের আশা পোষণ করতে হবে। সেই সঙ্গে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে এবং তাঁর কাছে তাওবা করতে হবে। কেননা কোরআন-হাদিস প্রমাণ করে যে মানুষের গুনাহর কারণেই বিপদ-মুসিবত আপতিত হয় এবং তাওবা ছাড়া তা দূরীভূত হয় না।
রাসুল (সা.) আরো বলেন, যে ব্যক্তি সর্বদা ক্ষমা চায়, আল্লাহ তাআলা তার জন্য প্রত্যেক সংকীর্ণতা থেকে একটি পথ বের করে দেন এবং প্রত্যেক চিন্তা থেকে তাকে মুক্তি দেন। আর তাকে রিজিক দান করেন এমন স্থান থেকে, যা সে কখনো কল্পনা করে না। (আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ)
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে আমাদের করণীয়
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
মৃত্যুর ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আল্লাহর ঘোষণা হচ্ছে- ‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে এবং অবশ্যই কিয়ামতের দিন তোমাদের কর্মফল তোমরা পূর্ণমাত্রায় প্রাপ্ত হবে। তারপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে-ই হবে প্রকৃত অর্থে সফলকাম।’ -সূরা আলে ইমরান: ১৮৫
মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পাওয়ার কোনো সুযোগই নেই। এ ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা যেখানেই থাকো না কেন মৃত্যু তোমাদের পাকড়াও করবেই, যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গের ভেতরেও থাকো। ’ -সূরা আন নিসা: ৭৮
এরপরও মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের ব্যাপারে বিশেষ করে মৃত্যুর ব্যাপারে উদাসীন থাকা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বিপদ-আপদে ও প্রিয়জনের বিচ্ছেদে মাত্রাতিরিক্ত কান্নাকাটিকে নিরুৎসাহিত করার কারণ এই যে, আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.) ধৈর্য ও আত্মসংযমের নির্দেশ দিয়েছেন এবং হতাশা ও অসহিষ্ণুতা প্রদর্শন করতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাজ দ্বারা শক্তি অর্জন কর। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন। ... আর আমি অবশ্য অবশ্যই তোমাদের ভয়, ক্ষুধা, সম্পদহানি, প্রাণহানি ও শস্যহানি দ্বারা পরীক্ষা করব। যারা ধৈর্য ধারণ করে, যারা বিপদে পতিত হয়ে বলে যে, আমরা আল্লাহরই জন্য এবং আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব, তাদেরই সুসংবাদ দিয়ে দাও। ’ –সূরা বাকারা: ১৫৩, ১৫৫ ও ১৫৬
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন বান্দার ওপর যে বিপদই আসুক না কেন, এমনকি তার পায়ে যদি একটা কাঁটাও ফোটে তবে তা দ্বারা আল্লাহ তার গোনাহ মুছে দেন। -সহিহ মুসলিম
তিরমিজি শরিফে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো বান্দার সন্তান মারা গেলে আল্লাহ ফেরেশতাদের জিজ্ঞাসা করেন, যখন তোমরা আমার বান্দার সন্তানের প্রাণ সংহার করেছিলে, তখন সে কী বলেছে? ফেরেশতারা বলেন, সে তোমার প্রশংসা করেছে এবং তোমার কাছে তার ফিরে যাওয়ার কথা স্মরণ করেছে। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি তৈরি কর এবং তার নাম রাখ ‘বাইতুল হামদ’ (প্রশংসার বাড়ি)।
হাদিসে কুদসিতে আছে, আল্লাহ বলেন, ‘যখন আমার বান্দার কোনো প্রিয়জনের মৃত্যু হয় এবং সে তাতে ধৈর্য ও সংযম অবলম্বন করে, তখন জান্নাত ছাড়া তাকে দেওয়ার মতো আর কোনো প্রতিদান আমার কাছে থাকে না। ’ সহিহ আল বোখারি
শোক ও সমবেদনা প্রকাশ, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে সান্ত্বনা দান, ধৈয ধারণের উপদেশ দান, তার দুঃখ, শোক ও বিপদের অনুভূতিকে হালকা করার উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে। এটি সৎ কাজের আদেশ দান, অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা এবং সততা ও খোদাভীতির কাজে সহযোগিতার আওতাভুক্ত। সমবেদনা ও সান্ত্বনার সর্বোত্তম ভাষা রাসূলের (সা.) নিম্নোক্ত হাদিস থেকে জানা যায়।
সহিহ বোখারি ও মুসলিমে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর এক কন্যা রাসূলের (সা.) কাছে এই মর্মে খবর পাঠালেন যে, তার এক পুত্র মৃত্যুর মুখোমুখি। রাসূল (সা.) দূতকে বললেন, ‘যাও, ওকে (কন্যাকে) বল যে, আল্লাহ যা নেন, তা তারই জিনিস, আর যা দেন, তাও তারই জিনিস। সবকিছুই বান্দার কাছে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য রয়েছে। তাকে বল, সে যেন ধৈর্যধারণ ও সংযম অবলম্বন করে।
এক সাহাবিকে দরবারে অনুপস্থিত দেখে রাসূল (সা.) তার কথা জিজ্ঞাসা করলেন। এক ব্যক্তি বলল, হে রাসূল (সা.)! তার ছেলে মারা গেছে। রাসূল (সা.) তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার প্রতি সমবেদনা জানালেন। অতঃপর বললেন, ‘শোনো, তোমার ছেলে সারাজীবন তোমার কাছে থাকুক- এটা তোমার বেশি পছন্দনীয়, না সে তোমার আগে গিয়ে জান্নাতের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকুক এবং তুমি মারা গেলে সে তোমার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দিক- এটা পছন্দনীয়? সাহাবি বললেন, সে আমার আগে জান্নাতে গিয়ে আমার জন্য দরজা খুলে দিক- এটাই পছন্দনীয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তাহলে তোমার জন্য সেটিই নির্ধারিত রইল। সাহাবি জিজ্ঞাসা করলেন, এটা কি শুধু আমার জন্য? রাসূল (সা.) বললেন, ‘না, সব মুসলমানের জন্য। ’ –আহমাদ ও নাসায়ি
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
পুনর্বাসন কার্যক্রম :
বন্যা যখন চলে যাবে, তখন আমাদের দায়িত্ব হবে, বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোয় সহযোগিতা করে, একটি সুুন্দর ও স্বাবলম্বী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসা। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো। যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’
(মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮০)
তাই আমাদের ভাইদের বিপদে অনাহারে রে��ে শান্তিতে ঘুমানো মুমিনের কাজ হবে না। মহান আল্লাহ আমাদের আক্রান্ত মুমিনদের এই পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
বালা মসিবতে করনীয়
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
What to do in case of Danger and Calamity
0 notes
Text
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
What to do in case of Danger and Calamity
বালা-মুসিবতে আক্রান্ত হলে করণীয়
বিপদাপদ ও বালা-মুসিবত থেকে বাঁচার অপার্থিব কিছু পদ্ধতি আছে। সেগুলো অনুসরণ করলে বালা-মুসিবত দূর হবে, ইনশাআল্লাহ। তবে মনে রাখতে হবে যে দোয়া ও দাওয়া দুটিই জরুরি। অপার্থিব পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করার পাশাপাশি পার্থিব উপায়-অবলম্বন গ্রহণ করাও ইসলামের বিধান।
বালা-মুসিবত থেকে বাঁচার অপার্থিব পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হলো—
বেশি বেশি ইবাদত করা : বিপদ এলে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগি করা উচিত, যাতে আল্লাহর রহমত নাজিল হয় এবং তিনি দয়াপরবশ হয়ে আপতিত বিপদ থেকে রক্ষা করেন।
বিপদ আপদে পড়লে ৩টি আমল করতে ভুলবেন না |
বিপদ কেন আসে? পরীক্ষা নাকি পাপের শাস্তি
youtube
বিপদে পড়লে ছোট্ট দোয়াটি ১ বার পাঠ করুন
বিপদ যখন নিয়ামাত। বিপদ কাটিয়ে উঠতে যেসব ইসলামী টেকনিক ব্যবহার করবেন।
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে আমাদের করণীয়
youtube
তাঁর মহত্ত্ব ঘোষণা করবে এবং সালাত আদায় করবে ও সদকা করবে।’ (বুখারি, হাদিস : ১০৪৪)
তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করা : আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা অবশ্যই রাতের ইবাদত করবে। কেননা তা তোমাদের পূর্ববর্তী সত্কর্মপরায়ণগণের অভ্যাস, আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জনের উপায়, গুনাহসমূহের কাফফারা এবং পাপ কর্মের প্রতিবন্ধক। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৪৯)
রাসুল (সা.) বলেন, আমাদের রব প্রত্যেক রাতেই নিকটবর্তী আকাশে (প্রথম আকাশে) অবতীর্ণ হন, যখন রাতের শেষ তৃতীয় ভাগ অবশিষ্ট থাকে এবং বলতে থাকেন, কে আছে যে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেব।
কে আছে যে আমার নিকট কিছু চাইবে, আমি তাকে তা দান করব এবং কে আছে যে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করব। (বুখারি, হাদিস : ১১৪৫; মুসলিম, হাদিস : ৭৫৮)
সুতরাং এ সময়ে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করে আল্লাহর কাছে বালা-মুসিবত থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করলে তিনি তা থেকে মুক্তি দেবেন।
সদকা করা : জান-মালের ওপরে বিপদাপদ ও আল্লাহর অসন্তোষ থেকে পরিত্রাণের অন্যতম উপায় হচ্ছে দান-সদকা করা। আর অন্যের প্রতি অনুগ্রহ করা। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর রহমত সত্কর্মশীলদের অতীব নিকটবর্তী।’ সুরা : আরাফ : ৭/৫৬
তিনি আরো বলেন, ‘বস্তুত সত্কর্মশীলদের বিরুদ্ধে কোনোরূপ অভিযোগ নেই। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াবান।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৯১)
আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে দোয়া করা : আজাব-গজব ও বিপদাপদ থেকে রক্ষার অন্যতম উপায় হচ্ছে আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে দোয়া করা। কাকুতি-মিনতি সহকারে তাঁর কাছে পাপ থেকে ক্ষমা চাওয়া এবং তাঁর সন্তোষ কামনা করা। তাহলে আল্লাহ দোয়া কবুল করবেন এবং পাপীদের ধ্বংস করবেন না। আল্লাহ বলেন, ‘আমরা তোমার আগের সম্প্রদায়সমূহের কাছে রাসুল পাঠিয়েছিলাম। অতঃপর (তাদের অবিশ্বাসের কারণে) আমরা তাদের অভাব-অনটন ও রোগব্যাধি দ্বারা পাকড়াও করেছিলাম, যাতে কাকুতি-মিনতিসহ আল্লাহর প্রতি বিনীত হয়। যখন তাদের কাছে আমাদের শাস্তি এসে গেল, তখন কেন তারা বিনীত হলো না? বরং তাদের অন্তরসমূহ শক্ত হয়ে গেল এবং শয়তান তাদের কাজগুলোকে তাদের কাছে সুশোভিত করে দেখাল।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ৪২-৪৩)
তিনি আরো বলেন, ‘কোনো জনপদে যখন আমরা কোনো নবী পাঠাই, তখন সেখানকার অধিবাসীদের (পরীক্ষা করার জন্য) নানা রকম কষ্ট ও বিপদে আক্রান্ত করি, যাতে তারা অনুগত হয়।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৯৪)
বালা-মুসিবত থেকে পরিত্রাণের দোয়া
ক. দোয়া ইউনুস পড়া : রাসুল (সা.) বলেন, আমি তোমাদের এমন কোনো বিষয়ের সংবাদ দেব যে তোমাদের কারো ওপর যখন দুনিয়াবি কোনো কষ্ট-ক্লেশ অথবা বালা-মুসিবত নাজিল হয়, তখন তার মাধ্যমে দোয়া করলে তা দূরীভূত হয়। তা হলো ইউনুস (আ.)-এর দোয়া—‘লা ইলা-হা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জলেমিন।’ (সহিহুল জামে, হাদিস : ২৬০৫)
খ. আউজু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তাম্মা-তি মিন শাররি মা খলাক্ব। অর্থাৎ আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কলেমাসমূহের মাধ্যমে তাঁর সৃষ্টির যাবতীয় অনিষ্টকারিতা থেকে পানাহ চাচ্ছি। (মুসলিম, হাদিস : ২৭০৮)
আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করা : আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করলে আল্লাহ খুশি হন এবং ক্রন্দনকারীকে রক্ষা করেন। যারা আল্লাহর ভয়ে কাঁদে, তাদের প্রশংসায় আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তারা কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তাদের বিনয়চিত্ততা আরো বৃদ্ধি পায়।’ (সুরা : ইসরা/বনি ইসরাঈল, আয়াত : ১০৯)
তাওবা ও ইস্তিগফার করা : পরীক্ষা ও বিপদে পতিত হওয়া গুনাহ থেকে মুক্ত হওয়ার মাধ্যম। তবে শর্ত হলো, ওই পরীক্ষা ও বিপদে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং তার জন্য সওয়াবের আশা পোষণ করতে হবে। সেই সঙ্গে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে এবং তাঁর কাছে তাওবা করতে হবে। কেননা কোরআন-হাদিস প্রমাণ করে যে মানুষের গুনাহর কারণেই বিপদ-মুসিবত আপতিত হয় এবং তাওবা ছাড়া তা দূরীভূত হয় না।
রাসুল (সা.) আরো বলেন, যে ব্যক্তি সর্বদা ক্ষমা চায়, আল্লাহ তাআলা তার জন্য প্রত্যেক সংকীর্ণতা থেকে একটি পথ বের করে দেন এবং প্রত্যেক চিন্তা থেকে তাকে মুক্তি দেন। আর তাকে রিজিক দান করেন এমন স্থান থেকে, যা সে কখনো কল্পনা করে না। (আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ)
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে আমাদের করণীয়
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
মৃত্যুর ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আল্লাহর ঘোষণা হচ্ছে- ‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে এবং অবশ্যই কিয়ামতের দিন তোমাদের কর্মফল তোমরা পূর্ণমাত্রায় প্রাপ্ত হবে। তারপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে-ই হবে প্রকৃত অর্থে সফলকাম।’ -সূরা আলে ইমরান: ১৮৫
মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পাওয়ার কোনো সুযোগই নেই। এ ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা যেখানেই থাকো না কেন মৃত্যু তোমাদের পাকড়াও করবেই, যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গের ভেতরেও থাকো। ’ -সূরা আন নিসা: ৭৮
এরপরও মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের ব্যাপারে বিশেষ করে মৃত্যুর ব্যাপারে উদাসীন থাকা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বিপদ-আপদে ও প্রিয়জনের বিচ্ছেদে মাত্রাতিরিক্ত কান্নাকাটিকে নিরুৎসাহিত করার কারণ এই যে, আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.) ধৈর্য ও আত্মসংযমের নির্দেশ দিয়েছেন এবং হতাশা ও অসহিষ্ণুতা প্রদর্শন করতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাজ দ্বারা শক্তি অর্জন কর। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন। ... আর আমি অবশ্য অবশ্যই তোমাদের ভয়, ক্ষুধা, সম্পদহানি, প্রাণহানি ও শস্যহানি দ্বারা পরীক্ষা করব। যারা ধৈর্য ধারণ করে, যারা বিপদে পতিত হয়ে বলে যে, আমরা আল্লাহরই জন্য এবং আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব, তাদেরই সুসংবাদ দিয়ে দাও। ’ –সূরা বাকারা: ১৫৩, ১৫৫ ও ১৫৬
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন বান্দার ওপর যে বিপদই আসুক না কেন, এমনকি তার পায়ে যদি একটা কাঁটাও ফোটে তবে তা দ্বারা আল্লাহ তার গোনাহ মুছে দেন। -সহিহ মুসলিম
তিরমিজি শরিফে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো বান্দার সন্তান মারা গেলে আল্লাহ ফেরেশতাদের জিজ্ঞাসা করেন, যখন তোমরা আমার বান্দার সন্তানের প্রাণ সংহার করেছিলে, তখন সে কী বলেছে? ফেরেশতারা বলেন, সে তোমার প্রশংসা করেছে এবং তোমার কাছে তার ফিরে যাওয়ার কথা স্মরণ করেছে। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি তৈরি কর এবং তার নাম রাখ ‘বাইতুল হামদ’ (প্রশংসার বাড়ি)।
হাদিসে কুদসিতে আছে, আল্লাহ বলেন, ‘যখন আমার বান্দার কোনো প্রিয়জনের মৃত্যু হয় এবং সে তাতে ধৈর্য ও সংযম অবলম্বন করে, তখন জান্নাত ছাড়া তাকে দেওয়ার মতো আর কোনো প্রতিদান আমার কাছে থাকে না। ’ সহিহ আল বোখারি
শোক ও সমবেদনা প্রকাশ, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে সান্ত্বনা দান, ধৈয ধারণের উপদেশ দান, তার দুঃখ, শোক ও বিপদের অনুভূতিকে হালকা করার উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে। এটি সৎ কাজের আদেশ দান, অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা এবং সততা ও খোদাভীতির কাজে সহযোগিতার আওতাভুক্ত। সমবেদনা ও সান্ত্বনার সর্বোত্তম ভাষা রাসূলের (সা.) নিম্নোক্ত হাদিস থেকে জানা যায়।
সহিহ বোখারি ও মুসলিমে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর এক কন্যা রাসূলের (সা.) কাছে এই মর্মে খবর পাঠালেন যে, তার এক পুত্র মৃত্যুর মুখোমুখি। রাসূল (সা.) দূতকে বললেন, ‘যাও, ওকে (কন্যাকে) বল যে, আল্লাহ যা নেন, তা তারই জিনিস, আর যা দেন, তাও তারই জিনিস। সবকিছুই বান্দার কাছে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য রয়েছে। তাকে বল, সে যেন ধৈর্যধারণ ও সংযম অবলম্বন করে।
এক সাহাবিকে দরবারে অনুপস্থিত দেখে রাসূল (সা.) তার কথা জিজ্ঞাসা করলেন। এক ব্যক্তি বলল, হে রাসূল (সা.)! তার ছেলে মারা গেছে। রাসূল (সা.) তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার প্রতি সমবেদনা জানালেন। অতঃপর বললেন, ‘শোনো, তোমার ছেলে সারাজীবন তোমার কাছে থাকুক- এটা তোমার বেশি পছন্দনীয়, না সে তোমার আগে গিয়ে জান্নাতের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকুক এবং তুমি মারা গেলে সে তোমার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দিক- এটা পছন্দনীয়? সাহাবি বললেন, সে আমার আগে জান্নাতে গিয়ে আমার জন্য দরজা খুলে দিক- এটাই পছন্দনীয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তাহলে তোমার জন্য সেটিই নির্ধারিত রইল। সাহাবি জিজ্ঞাসা করলেন, এটা কি শুধু আমার জন্য? রাসূল (সা.) বললেন, ‘না, সব মুসলমানের জন্য। ’ –আহমাদ ও নাসায়ি
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
পুনর্বাসন কার্যক্রম :
বন্যা যখন চলে যাবে, তখন আমাদের দায়িত্ব হবে, বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোয় সহযোগিতা করে, একটি সুুন্দর ও স্বাবলম্বী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসা। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো। যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’
(মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮০)
তাই আমাদের ভাইদের বিপদে অনাহারে রেখে শান্তিতে ঘুমানো মুমিনের কাজ হবে না। মহান আল্লাহ আমাদের আক্রান্ত মুমিনদের এই পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
বালা মসিবতে করনীয়
youtube
বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবতে করণীয়
What to do in case of Danger and Calamity
0 notes
Text
Meta’s Facebook, Instagram Acted Against Over 1 Cr ‘Child Endangerment’ Content Pieces in 2023 - News18
মেটা, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মূল সংস্থা, 2023 সালে নগ্নতা, শারীরিক নির্যাতন এবং যৌন শোষণের পরিপ্রেক্ষিতে শিশু বিপদের সাথে সম্পর্কিত 1 কোটিরও বেশি সামগ্রীর বিরুদ্ধে কাজ করেছে। তথ্য প্রযুক্তি (ইন্টারমিডিয়ারি গাইডলাইনস অ্যান্ড ডিজিটাল মিডিয়া এথিক্স কোড) বিধিমালা, 2021-এর অধীনে Meta’s India মাসিক রিপোর্ট অনুসারে, জানুয়ারী 2023 থেকে ডিসেম্বর 2023 পর্যন্ত এই ধরনের 1,21,80,300 কোটি কন্টেন্টের…
View On WordPress
0 notes
Video
youtube
অর্থ সম্পদ আর বিপদ | আল্লামা হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী | allama habibullal mahmud kasemi
#youtube#অর্থ সম্পদ আর বিপদ#আল্লামা হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী#allama habibullah mahmud kasemi#বেস্ট ইসলামি জীবন#best islami jibon
0 notes
Text
1 note
·
View note
Text
অনেকে হয়তো জনপ্রিয় সিটকম 'The big bang theory ' দেখেছেন। ৪ উলটা চরিত্র বন্ধুর কাহিনি। তবে মূল কাহিনি গড়ে উঠে শেলডন কুপারকে নিয়ে। এই সিরিজের প্রিকুয়েল Young Sheldon. নাহ সিরিজ নিয়ে রিভিউ দিবো না। এই সিরিজের একটা ইমোশনাল সিন আছে। সেটার কথা বলছি। ভালোবাসা কেমন হওয়া উচিত তা আবার নতুন করে রিয়ালাইজ করলাম আরকি।
জর্জ কুপার, শেলডনের বাবা মারা যায়। জর্জের মরনোত্তম অনুষ্ঠানে সবাই আসে জর্জের স্মৃতি রোমহন্থনে। ম্যারি কথা শেষ করার আগে কান্নায় ভেঙে পড়ে। ম্যারিকে সামলানোর জন্য তার মা, জর্জের শাশুড়ি উঠে। সে তখন জর্জের কাহিনি বলে।
বলে রাখা ভালো, ম্যারির কোনো ভাই নেই। ছোটোবেলা থেকে ম্যারি বেশ ধার্মিক ছিল। জর্জ ম্যারিকে পছন্দ করত প্রায় ম্যারির বাসায় যেত। কিন্তু জর্জ ছিল বেশ সিম্পল একটা ছেলে, ম্যারির মায়ের ভালো লাগত না। তাই জর্জকে খারাপ বানানোর জন্য কিংবা তার দৃষ্টি ম্যারি থেকে সরানোর জন্য জর্জ যখনি ম্যারির বাসায় যেত ম্যারির মা ম্যারির সুন্দরী, ফ্লার্টি বান্ধবীকে ডাকত।
দেখা গেল, জর্জের চোখ ম্যারি থেকে সরত না, ওই বান্ধবী খোলামেলা থাকলেও জর্জ বোকা ম্যারির দিকেই মোহগ্রস্ত থাকত। আর এই মোহগ্রস্ত ছিল মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। জর্জ বেশ অল্প বয়সে মারা যায়। আমরা যারা দেখছি big bang এ ম্যারিকে, তারা জানি, ম্যারি তখনো সিংগেল ছিল।
ভালোবাসা কমিটমেন্ট ছাড়া কিছু না। এটা বিশ্বাস ও না, মায়া ও না। এটা হলো কমিটমেন্ট। আমি কাওকে ভালোবাসছি মানেই আমি তার কাছে চুক্তিবদ্ধ। আমার সমস্ত ফোকাস, বিশ্বাস, মায়া সে পাবে।
এ যুগে ভালোবাসার মধ্যে সব আছে। কমিটমেন্ট নাই। তাই ভালোবাসা হারিয়ে যায় যখন সম্পর্ক ও ডিভোর্সের রূপ নেই। যখন কমিটমেন্ট থাকে ভালোবাসা হারানোর পরও সম্পর্ক থাকে, আবার নতুন করে ভালোবাসা আসে।
ম্যারি-জর্জ young sheldon এ বারবার এটা বলছে। ইভেন জর্জকে মোটা বললে ম্যারি ভয়াবহ ক্ষেপে যেত। অপরদিকে জর্জকে দেখা যায় যত বিপদ আসত, তা ম্যারিকে ছোঁয়ার আগেই সে সামনে দাঁড়াতো। ম্যারি অসুস্থ হলে রান্নাবান্না করতো,বাচ্চাদের সামলাতো।
আমরা একটু বেশি আত্মকেন্দ্রিকতা প্রমোট করছি। 'নিজেকে ভালোবাসুন' বুলি আওড়াতে আওড়াতে একটা সেলফিশ প্রজন্ম হচ্ছি। ভালোবাসা গিভ এন্ড টেইকের বিষয় না। ���০-৫০ এর ও বিষয় না। এটা এর থেকে বেশি কিছু। এটা হল যখন আমার কেউ থাকবে না, আমিও আমার থাকবে না, তখন কেউ আমার থাকবে--এটাই ভালোবাসা।
���️ এম. জে. বাবু
2 notes
·
View notes
Video
youtube
#breakingnews ভয়াবহ যুদ্ধের শঙ্কা! যুক্তরাষ্ট্র ইতালি গ্রিস স্পেনের দূতা...
যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, গ্রিস এবং স্পেনের দূতাবাস বন্ধ ইউক্রেনে বিপদ সংকেত ভয়াবহ যুদ্ধের আশঙ্কা!
ইউক্রেন সংকট: যুদ্ধের শঙ্কা, দূতাবাস বন্ধ, এবং বিশ্ব পরিস্থিতি উত্তপ্ত!
🌍 তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনা? বিশ্ব এখন একটি চরম উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশের দূতাবাস বন্ধ! রাশিয়ার সাথে ক্রমবর্ধমান সংঘাত, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি, এবং ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে পড়া আতঙ্ক—সবকিছুই আজ বিশ্বকে নিয়ে এসেছে এক ভয়াবহ দ্বন্দ্বের দ্বারপ্রান্তে।
👉 এই ভিডিওতে যা জানবেন: 1️⃣ কিয়েভে দূতাবাস বন্ধের আসল কারণ। 2️⃣ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বর্তমান অবস্থা। 3️⃣ পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকির পেছনের বিশ্লেষণ। 4️⃣ যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো এবং ইউরোপের ভূমিকা। 5️⃣ এই উত্তেজনা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা।
💥 বিশ্ব রাজনীতির অজানা দিক: রাশিয়ার হাইব্রিড যুদ্ধ কৌশল, ইউরোপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, এবং মধ্যপ্রাচ্যে প্রক্সি যুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে বিশদ আলোচনা। এছাড়া, ইসরাইল-গাজা সংঘাতের প্রভাব এবং বিশ্বনেতাদের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কেও থাকছে বিস্তারিত।
📌 কেন এই ভিডিওটি দেখবেন? বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি বুঝতে এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হতে এই ভিডিওটি দেখুন। রাশিয়া, ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র, এবং ইউরোপের উত্তপ্ত রাজনীতির এমন বিশ্লেষণ কোথাও পাবেন না!
📢 আপনার মতামত জানান: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি সত্যিই আসন্ন? এই সংঘাত থামানোর জন্য বিশ্ব কী করতে পারে? আপনার মতামত কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না!
🔔 সাবস্ক্রাইব করুন: বিশ্ব রাজনীতি, যুদ্ধ, এবং বর্তমান ইস্যু নিয়ে আরও বিশ্লেষণ পেতে আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন। নতুন ভিডিও আপলোড হলে নোটিফিকেশন পেতে বেল আইকনটি অন করুন।
🎯 হ্যাশট্যাগ: #UkraineCrisis #RussiaUkraineWar #WorldWar3 #NuclearThreat #GlobalPolitics #BreakingNews
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ, কিয়েভ দূতাবাস বন্ধ, পারমাণবিক অস্ত্র, রাশিয়ার হুমকি, ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্ব রাজনীতি, রাশিয়া ন্যাটো সম্পর্ক, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া সংঘাত, যুদ্ধের খবর, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, বিশ্ব নিরাপত্তা, মধ্যপ্রাচ্য সংকট, গাজা সংঘাত, বিশ্বযুদ্ধ, RussiaUkraineWar, WorldWar3, KyivEmbassyClosed, NuclearThreat, RussiaNATOConflict, UkraineCrisis, GlobalPolitics, USRussiaTension, WarNews, InternationalRelations, WorldSecurity, MiddleEastConflict, GazaConflict, HybridWar, BreakingNews
0 notes
Video
youtube
আল আকসা মসজিদ থেকে হঠাৎ একি বেরিয়ে এলো ! ইস’রাইলে ইহুদিরা এবার চরম বিপদ...
0 notes
Text
❀๑▬▬▬๑ ﷽ ๑▬▬▬๑❀
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুনাময় ও দয়াময়।
فَاَتۡبَعُوۡهُمۡ مُّشۡرِقِيۡنَ
৬০) সকাল হতেই তারা এদের পিছু নিয়ে বের হয়ে পড়লো।
فَلَمَّا تَرَآءَ الۡجَمۡعَانِ قَالَ اَصۡحٰبُ مُوۡسٰٓى اِنَّا لَمُدۡرَكُوۡنَ
৬১) দু’দল যখন পরস্পরকে দেখতে পেলো তখন মূসার সাথীরা চিৎকার করে উঠলো, “আমরা তো পাকড়াও হয়ে গেলাম।”
قَالَ كَلَّآ ۚ اِنَّ مَعِىَ رَبِّىۡ سَيَهۡدِيۡنِ
৬২) মূসা বললো, “কখখনো না, আমার সাথে আছেন আমার রব, তিনি নিশ্চয়ই আমাকে পথ দেখাবেন।”
(সূরা আশ শুআরাঃ ৬০-৬২)
বাখ্যাঃ
অর্থাৎ এ বিপদ থেকে উদ্ধার পাবার পথ আমাকে জানাবেন।
#surahAsSuara60to62
#QuranMajeed
#DailyQuran
#Quran26ঃ60to62
#Quran
#MdNomanulAhasan
#NuhadNurNuammir
#MihadNurMuammar
https://www.facebook.com/share/p/19iax6VFah/
0 notes