#বদর
Explore tagged Tumblr posts
shortstories7c · 2 years ago
Photo
Tumblr media
সাত কলেজ ক্যাম্পাসের গল্প: ২৭৪ #7cstories #বদরুন্নেসা_কলেজ https://www.instagram.com/p/CmOfXlVSgZZ/?igshid=NGJjMDIxMWI=
0 notes
ridikaislamsblog · 2 months ago
Text
মমেকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ ২৮ ইন্টার্ন চিকিৎসক বহিষ্কার
Tumblr media
মমেকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ ২৮ ইন্টার্ন চিকিৎসক বহিষ্কার
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি  
প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫১
ছবি: সংগৃহীত
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) ক্যাম্পাস ও হোস্টেল এলাকায় চাঁদাবাজি ও মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ ২৮ জন ইর্ন্টান চিকিৎসককে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। 
দৈনিক ইত্তেফাকের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে কলেজ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
 
কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অধ্যাপক ডা. জিম্মা হোসেনকে সভাপতি ও ডা. মো. বদর উদ্দীনকে সদস্য সচিব করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে এই কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত ২৮ জন ইন্টার্ন চিকিৎসককে ক্যাম্পাস ও হোস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন, মমেক ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অনুপম সাহা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হাসান, মাশফিক আনোয়ার, মেহেদী হাসান শি��ুল, অনুপম দত্ত অর্ঘ, মাহিদুল হক অয়ন, জাহিদুল ইসলাম তুষার, মঞ্জুরুল হক রাজিব, রাকিবুল হাসান রুকন, আলমগীর হোসেন, আশিক উদ্দিন, শিপন হাসান, সৈয়দ রায়হান আল আশরাফ, রায়হান ফাগুন, অর্ণব সাহা, কামস আরেফিন, আসিফ রায়হান, দিগন্ত সরকার, কুবের চক্রবর্তী, সিয়াম জাওয়াদ পুষণ, সঞ্জীব সরকার বোনাস, সাইফুল ইসলাম, মুনতাসুর রাতুল, সানজিদ আহমেদ, শাহরিয়ার ইফতেখার সৌমিক, আশিক মাহমুদ রিয়াদ, আসিফ ইকবাল ও মেরাজ হোসেন বাঁধন।
1 note · View note
quransunnahdawah · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
'সত্য ইলাহ' একমাত্র আল্লাহ
একটিই বার্তা 'লা ইলাহা  ইল্লাল্লাহ'               
দ্য মেসেজ সিনেমার বিষয়
চলচ্চিত্রটিতে শেষ নবী মুহাম্মদ সঃ এর মাধ্যমে মক্কায় ইসলামের সূচনার ঘটনাকে অনুসরণ করা হয়েছে, যেখানে মুসলমানগণ তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে অত্যাচারিত হচ্ছিল, এরপর মদিনায় হিজরত, বিভিন্ন যুদ্ধ, চুক্তি ইসলামের প্রসারের মধ্য দিয়ে কাহিনী এগিয়ে গেছে এবং মুসলমানদের মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সমাপ্তি ঘটেছে।
Innocence of Muslim নামের চরম মিথ্যা, বিদ্বেষমূলক সিনেমার জবাব হতে পারে ১৯৭৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিরিয়ান পরিচালক Mostafa Al Akkad পরিচালিত সিনেমা ‘দ্য মেসেজ‘।
দ্য মেসেজ মুভিতে নবীজি মুহাম্মদ (স) এর ইসলাম প্রচারের খন্ড খন্ড চিত্র বর্নিত হয়েছে। নবুয়্যত লাভের পর মক্কার প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ইসলাম প্রচার, অত্যাচারিত হওয়া, পরবর্তীতে মদীনায় হিজরত এবং মক্কা বিজয় – এ সকল বিষয় ফুটে উঠেছে সিনেমাটিতে। এ ছাড়াও ইসলামের ইতিহাসে বিখ্যাত বদরের যুদ্ধ এবং ওহুদের যুদ্ধ দেখানো হয়েছে মুভিতে।
দ্য মেসেজ সিনেমার কাহিনী
দ্য মেসেজ সিনেমার কাহিনী এগিয়েছে ঐতিহাসিক চরিত্র হামযা (রা) যিনি নবীজি (স) এর চাচা ছিলেন, মক্কার কুরাইশদের নেতা আবু সুফিয়ান এবং হামযার কলিজা ভক্ষনকারী হিন্দার বর্ননা অনুসারে। হামজা চরিত্রে Anthony Quinn যিনি এর পূর্বে সেরা পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্য দুবার অস্কার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। এই তিন চরিত্র ছাড়াও ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন হযরত বিলাল (রা), জায়েদ (রা), খালিদ বিন ওয়ালিদ, চাচা আবু তালিব এবং আবু লাহাবের চরিত্র উঠে এসেছে।
দ্য মেসেজ সিনেমায় মুহাম্মদ (স) কিংবা খিলাফাতে রাশেদার চার খলিফাকে জনগনের সামনে প্রকাশ করা হয় নি। তাদের চরিত্র অন্য কোন মানুষ উপস্থাপন করতে পারেন না, তাদের গুনাবলী অন্যান্য সাধারন মানুষদের পক্ষে তুলে ধরা সম্ভব নয়। তবে তাদেরকে উপেক্ষা করে তো আর কাহিনী এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়, তাই বুদ্ধিমত্তার সাথে তুলে ধরা হয়েছে তাদের কার্যাবলী। নবীজি (স) এর বাকানো লাঠি আর কোথাও কোথাও উটনীর মাধ্যমে তাঁকে প্রকাশ করা হয়েছে, কখনোও ক্যামেরাকেই নবীজি (স) হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে তবে তার কন্ঠ কিংবা শরীরের কোন অংশ প্রকাশ করা হয় নি। বদর কিংবা ওহুদ যুদ্ধে মূল নেতৃত্ব নবীজি (স) দিলেও সিনেমায় তার পালিত পুত্র যায়েদ (��) কে নেতৃত্বের আসনে দেখানো হয়েছে, যিনি নবীজি (স) এর নির্দেশানুসারে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আবার আলী (রা) কে প্রকাশ করার জন্য তার দুমাথার তরবারী যুলফিকারকে দেখানো হয়েছে।
কি পরিমান সংগ্রাম,ত্যাগ তিতিক্ষা, অত্যাচার-নির্যাতনের মধ্য দিয়ে প্রিয় রাসূল (স) তার দাওয়াহ মিশন বাস্তবায়ন করেছিলেন তা আর কোন সিনেমায় এত বাস্তবভাবে উঠে আসে নি। রাসূল (স) এর জীবন সম্পর্কে জেনে নেয়ার জন্য এই সিনেমাটি ছোট্ট ভূমিকা পালন করতে পারে। শেয়ার করার মাধ্যমে সকলকে এই সিনেমাটি দেখতে সাহায্য করুন।
কাহিনীসংক্ষেপ
Synopsis
চলচ্চিত্রটিতে শেষ নবী মুহাম্মদ  সঃ এর মাধ্যমে মক্কায় ইসলামের সূচনার ঘটনাকে অনুসরণ করা হয়েছে, যেখানে মুসলমানগণ তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে অত্যাচারিত হচ্ছিল, এরপর মদিনায় হিজরত, বিভিন্ন যুদ্ধ, চুক্তি ইসলামের প্রসারের মধ্য দিয়ে কাহিনী এগিয়ে গেছে এবং মুসলমানদের মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সমাপ্তি ঘটেছে। তৎকালীন সময়ের বেশ কিছু রক্তক্ষয়ী পটভূমি যেমন বদরের যুদ্ধ ও উহুদের যুদ্ধ চলচ্চিত্রটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যার অধিকাংশ দৃশ্যই নবীজী এর চাচা হামজার চরিত্রের(অ্যান্থনি কুইন) দৃষ্টিকোণ থেকে দেখানো হয়েছে। ইসলামী মৌলিকতার উপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্রটিতে নবী করীম মুহাম্মদ কে দেখানো হয় নি, তার কন্ঠেরও অনুকরণ করা হয় নি। তার স্ত্রী, সন্তান ও খলিফাদের ক্ষেত্রেও এই একই মূলনীতি অনুসরণ করা হয়েছে, অর্থাৎ তাদেরকেও চলচ্চিত্রটিতে দেখানো হয়নি।
দ্য মেসেজ মুভি সম্পর্কে যা বললেন...ডঃ জাকির নায়েক
youtube
দ্য মেসেজ THE MESSAGE - Bangla Dubbed 
youtube
দ্য মেসেজ
THE MESSAGE
https://www.youtube.com/watch?v=59eRrEKPQ5s
 
রিসালাতের পরিচয় ও বিষয়বস্তু
রিসালাত আরবি শব্দ। সাধারণ অর্থে যা কিছু প্রেরণ করা হয়, তাকেই রিসালাত বলা হয়। আর আভিধানিক অর্থ হলো, বার্তাবহন, সম্বোধন, লিখিত সহিফা বা বিষয়বস্তু ইত্যাদি (আল-মুজামুল অসিত)।
রিসালাত হলো এমন বক্তব্য, যা কোনো ব্যক্তি অন্যের কাছ থেকে প্রাপ্ত হয়ে বহন করে নিয়ে আসেÑ চাই তা লিখিত হোক বা অলিখিত (মুজামু লুগাতিল ফুকাহা)। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, আল্লাহ তায়ালা বান্দার হিদায়াতের নিমিত্তে তাদের মধ্য থেকে মনোনীত বান্দার মাধ্যমে যে বাণী পাঠান, তাকেই রিসালাত বলা হয়। আর যারা এই রিসালাত বহন করেন, তাদের বলা হয় রসুল। পবিত্র কোরআনে এই মর্মে ইরশাদ হয়েছে, অবশ্যই তারা ছিল আমার মনোনীত উত্তম বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত (সুরা সোয়াদ, আয়াত ৪৭)।
কোনো শিক্ষা, যোগ্যতা বা অর্জনযোগ্য কোনো বিষয়ের নাম রিসালাত নয়। এটা এমন কোনো বিষয়��� নয় যা দক্ষতা, মেধা বা প্রতিভার মাধ্যমে অর্জন বা লাভ করা যায়। অধ্যবসায়, অনুশীলন ও সাধনার মাধ্যমে ইহকাল ও পরকালের বহু বিষয় অর্জন সম্ভব হলেও রিসালাত ও নবুওয়াত অর্জন সম্ভব নয়। এটি সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ তায়ালার মনোনয়ন। তিনি চাইলে এ মনোনয়ন মিলবে আর তিনি না চাইলে কখনো মিলবে না। আর এ মনোনয়ন যাকে-তাকে আল্লাহ মহান প্রদান করেন না।
'সত্য ইলাহ' একমাত্র আল্লাহ
একটিই বার্তা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
'সত্য ইলাহ' একমাত্র আল্লাহ
একটিই বার্তা 'লা ইলাহা  ইল্লাল্লাহ'               
দ্য মেসেজ সিনেমার বিষয়
চলচ্চিত্রটিতে শেষ নবী মুহাম্মদ সঃ এর মাধ্যমে মক্কায় ইসলামের সূচনার ঘটনাকে অনুসরণ করা হয়েছে, যেখানে মুসলমানগণ তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে অত্যাচারিত হচ্ছিল, এরপর মদিনায় হিজরত, বিভিন্ন যুদ্ধ, চুক্তি ইসলামের প্রসারের মধ্য দিয়ে কাহিনী এগিয়ে গেছে এবং মুসলমানদের মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সমাপ্তি ঘটেছে।
Innocence of Muslim নামের চরম মিথ্যা, বিদ্বেষমূলক সিনেমার জবাব হতে পারে ১৯৭৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিরিয়ান পরিচালক Mostafa Al Akkad পরিচালিত সিনেমা ‘দ্য মেসেজ‘।
দ্য মেসেজ মুভিতে নবীজি মুহাম্মদ (স) এর ইসলাম প্রচারের খন্ড খন্ড চিত্র বর্নিত হয়েছে। নবুয়্যত লাভের পর মক্কার প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ইসলাম প্রচার, অত্যাচারিত হওয়া, পরবর্তীতে মদীনায় হিজরত এবং মক্কা বিজয় – এ সকল বিষয় ফুটে উঠেছে সিনেমাটিতে। এ ছাড়াও ইসলামের ইতিহাসে বিখ্যাত বদরের যুদ্ধ এবং ওহুদের যুদ্ধ দেখানো হয়েছে মুভিতে।
দ্য মেসেজ সিনেমার কাহিনী
দ্য মেসেজ সিনেমার কাহিনী এগিয়েছে ঐতিহাসিক চরিত্র হামযা (রা) যিনি নবীজি (স) এর চাচা ছিলেন, মক্কার কুরাইশদের নেতা আবু সুফিয়ান এবং হামযার কলিজা ভক্ষনকারী হিন্দার বর্ননা অনুসারে। হামজা চরিত্রে Anthony Quinn যিনি এর পূর্বে সেরা পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্য দুবার অস্কার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। এই তিন চরিত্র ছাড়াও ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন হযরত বিলাল (রা), জায়েদ (রা), খালিদ বিন ওয়ালিদ, চাচা আবু তালিব এবং আবু লাহাবের চরিত্র উঠে এসেছে।
দ্য মেসেজ সিনেমায় মুহাম্মদ (স) কিংবা খিলাফাতে রাশেদার চার খলিফাকে জনগনের সামনে প্রকাশ করা হয় নি। তাদের চরিত্র অন্য কোন মানুষ উপস্থাপন করতে পারেন না, তাদের গুনাবলী অন্যান্য সাধারন মানুষদের পক্ষে তুলে ধরা সম্ভব নয়। তবে তাদেরকে উপেক্ষা করে তো আর কাহিনী এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়, তাই বুদ্ধিমত্তার সাথে তুলে ধরা হয়েছে তাদের কার্যাবলী। নবীজি (স) এর বাকানো লাঠি আর কোথাও কোথাও উটনীর মাধ্যমে তাঁকে প্রকাশ করা হয়েছে, কখনোও ক্যামেরাকেই নবীজি (স) হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে তবে তার কন্ঠ কিংবা শরীরের কোন অংশ প্রকাশ করা হয় নি। বদর কিংবা ওহুদ যুদ্ধে মূল নেতৃত্ব নবীজি (স) দিলেও সিনেমায় তার পালিত পুত্র যায়েদ (আ) কে নেতৃত্বের আসনে দেখানো হয়েছে, যিনি নবীজি (স) এর নির্দেশানুসারে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আবার আলী (রা) কে প্রকাশ করার জন্য তার দুমাথার তরবারী যুলফিকারকে দেখানো হয়েছে।
কি পরিমান সংগ্রাম,ত্যাগ তিতিক্ষা, অত্যাচার-নির্যাতনের মধ্য দিয়ে প্রিয় রাসূল (স) তার দাওয়াহ মিশন বাস্তবায়ন করেছিলেন তা আর কোন সিনেমায় এত বাস্তবভাবে উঠে আসে নি। রাসূল (স) এর জীবন সম্পর্কে জেনে নেয়ার জন্য এই সিনেমাটি ছোট্ট ভূমিকা পালন করতে পারে। শেয়ার করার মাধ্যমে সকলকে এই সিনেমাটি দেখতে সাহায্য করুন।
কাহিনীসংক্ষেপ
Synopsis
চলচ্চিত্রটিতে শেষ নবী মুহাম্মদ  সঃ এর মাধ্যমে মক্কায় ইসলামের সূচনার ঘটনাকে অনুসরণ করা হয়েছে, যেখানে মুসলমানগণ তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে অত্যাচারিত হচ্ছিল, এরপর মদিনায় হিজরত, বিভিন্ন যুদ্ধ, চুক্তি ইসলামের প্রসারের মধ্য দিয়ে কাহিনী এগিয়ে গেছে এবং মুসলমানদের মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সমাপ্তি ঘটেছে। তৎকালীন সময়ের বেশ কিছু রক্তক্ষয়ী পটভূমি যেমন বদরের যুদ্ধ ও উহুদের যুদ্ধ চলচ্চিত্রটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যার অধিকাংশ দৃশ্যই নবীজী এর চাচা হামজার চরিত্রের(অ্যান্থনি কুইন) দৃষ্টিকোণ থেকে দেখানো হয়েছে। ইসলামী মৌলিকতার উপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্রটিতে নবী করীম মুহাম্মদ কে দেখানো হয় নি, তার কন্ঠেরও অনুকরণ করা হয় নি। তার স্ত্রী, সন্তান ও খলিফাদের ক্ষেত্রেও এই একই মূলনীতি অনুসরণ করা হয়েছে, অর্থাৎ তাদেরকেও চলচ্চিত্রটিতে দেখানো হয়নি।
দ্য মেসেজ মুভি সম্পর্কে যা বললেন...ডঃ জাকির নায়েক
youtube
দ্য মেসেজ THE MESSAGE - Bangla Dubbed 
youtube
দ্য মেসেজ
THE MESSAGE
https://www.youtube.com/watch?v=59eRrEKPQ5s
 
রিসালাতের পরিচয় ও বিষয়বস্তু
রিসালাত আরবি শব্দ। সাধারণ অর্থে যা কিছু প্রেরণ করা হয়, তাকেই রিসালাত বলা হয়। আর আভিধানিক অর্থ হলো, বার্তাবহন, সম্বোধন, লিখিত সহিফা বা বিষয়বস্তু ইত্যাদি (আল-মুজামুল অসিত)।
রিসালাত হলো এমন বক্তব্য, যা কোনো ব্যক্তি অন্যের কাছ থেকে প্রাপ্ত হয়ে বহন করে নিয়ে আসেÑ চাই তা লিখিত হোক বা অলিখিত (মুজামু লুগাতিল ফুকাহা)। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, আল্লাহ তায়ালা বান্দার হিদায়াতের নিমিত্তে তাদের মধ্য থেকে মনোনীত বান্দার মাধ্যমে যে বাণী পাঠান, তাকেই রিসালাত বলা হয়। আর যারা এই রিসালাত বহন করেন, তাদের বলা হয় রসুল। পবিত্র কোরআনে এই মর্মে ইরশাদ হয়েছে, অবশ্যই তারা ছিল আমার মনোনীত উত্তম বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত (সুরা সোয়াদ, আয়াত ৪৭)।
কোনো শিক্ষা, যোগ্যতা বা অর্জনযোগ্য কোনো বিষয়ের নাম রিসালাত নয়। এটা এমন কোনো বিষয়ও নয় যা দক্ষতা, মেধা বা প্রতিভার মাধ্যমে অর্জন বা লাভ করা যায়। অধ্যবসায়, অনুশীলন ও সাধনার মাধ্যমে ইহকাল ও পরকালের বহু বিষয় অর্জন সম্ভব হলেও রিসালাত ও নবুওয়াত অর্জন সম্ভব নয়। এটি সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ তায়ালার মনোনয়ন। তিনি চাইলে এ মনোনয়ন মিলবে আর তিনি না চাইলে কখনো মিলবে না। আর এ মনোনয়ন যাকে-তাকে আল্লাহ মহান প্রদান করেন না।
'সত্য ইলাহ' একমাত্র আল্লাহ
একটিই বার্তা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'
0 notes
ilyforallahswt · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
'সত্য ইলাহ' একমাত্র আল্লাহ
একটিই বার্তা 'লা ইলাহা  ইল্লাল্লাহ'               
দ্য মেসেজ সিনেমার বিষয়
চলচ্চিত্রটিতে শেষ নবী মুহাম্মদ সঃ এর মাধ্যমে মক্কায় ইসলামের সূচনার ঘটনাকে অনুসরণ করা হয়েছে, যেখানে মুসলমানগণ তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে অত্যাচারিত হচ্ছিল, এরপর মদিনায় হিজরত, বিভিন্ন যুদ্ধ, চুক্তি ইসলামের প্রসারের মধ্য দিয়ে কাহিনী এগিয়ে গেছে এবং মুসলমানদের মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সমাপ্তি ঘটেছে।
Innocence of Muslim নামের চরম মিথ্যা, বিদ্বেষমূলক সিনেমার জবাব হতে পারে ১৯৭৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিরিয়ান পরিচালক Mostafa Al Akkad পরিচালিত সিনেমা ‘দ্য মেসেজ‘।
দ্য মেসেজ মুভিতে নবীজি মুহাম্মদ (স) এর ইসলাম প্রচারের খন্ড খন্ড চিত্র বর্নিত হয়েছে। নবুয়্যত লাভের পর মক্কার প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ইসলাম প্রচার, অত্যাচারিত হওয়া, পরবর্তীতে মদীনায় হিজরত এবং মক্কা বিজয় – এ সকল বিষয় ফুটে উঠেছে সিনেমাটিতে। এ ছাড়াও ইসলামের ইতিহাসে বিখ্যাত বদরের যুদ্ধ এবং ওহুদের যুদ্ধ দেখানো হয়েছে মুভিতে।
দ্য মেসেজ সিনেমার কাহিনী
দ্য মেসেজ সিনেমার কাহিনী এগিয়েছে ঐতিহাসিক চরিত্র হামযা (রা) যিনি নবীজি (স) এর চাচা ছিলেন, মক্কার কুরাইশদের নেতা আবু সুফিয়ান এবং হামযার কলিজা ভক্ষনকারী হিন্দার বর্ননা অনুসারে। হামজা চরিত্রে Anthony Quinn যিনি এর পূর্বে সেরা পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্য দুবার অস্কার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। এই তিন চরিত্র ছাড়াও ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন হযরত বিলাল (রা), জায়েদ (রা), খালিদ বিন ওয়ালিদ, চাচা আবু তালিব এবং আবু লাহাবের চরিত্র উঠে এসেছে।
দ্য মেসেজ সিনেমায় মুহাম্মদ (স) কিংবা খিলাফাতে রাশেদার চার খলিফাকে জনগনের সামনে প্রকাশ করা হয় নি। তাদের চরিত্র অন্য কোন মানুষ উপস্থাপন করতে পারেন না, তাদের গুনাবলী অন্যান্য সাধারন মানুষদের পক্ষে তুলে ধরা সম্ভব নয়। তবে তাদেরকে উপেক্ষা করে তো আর কাহিনী এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়, তাই বুদ্ধিমত্তার সাথে তুলে ধরা হয়েছে তাদের কার্যাবলী। নবীজি (স) এর বাকানো লাঠি আর কোথাও কোথাও উটনীর মাধ্যমে তাঁকে প্রকাশ করা হয়েছে, কখনোও ক্যামেরাকেই নবীজি (স) হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে তবে তার কন্ঠ কিংবা শরীরের কোন অংশ প্রকাশ করা হয় নি। বদর কিংবা ওহুদ যুদ্ধে মূল নেতৃত্ব নবীজি (স) দিলেও সিনেমায় তার পালিত পুত্র যায়েদ (আ) কে নেতৃত্বের আসনে দেখানো হয়েছে, যিনি নবীজি (স) এর নির্দেশানুসারে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আবার আলী (রা) কে প্রকাশ করার জন্য তার দুমাথার তরবারী যুলফিকারকে দেখানো হয়েছে।
কি পরিমান সংগ্রাম,ত্যাগ তিতিক্ষা, অত্যাচার-নির্যাতনের মধ্য দিয়ে প্রিয় রাসূল (স) তার দাওয়াহ মিশন বাস্তবায়ন করেছিলেন তা আর কোন সিনেমায় এত বাস্তবভাবে উঠে আসে নি। রাসূল (স) এর জীবন সম্পর্কে জেনে নেয়ার জন্য এই সিনেমাটি ছোট্ট ভূমিকা পালন করতে পারে। শেয়ার করার মাধ্যমে সকলকে এই সিনেমাটি দেখতে সাহায্য করুন।
কাহিনীসংক্ষেপ
Synopsis
চলচ্চিত্রটিতে শেষ নবী মুহাম্মদ  সঃ এর মাধ্যমে মক্কায় ইসলামের সূচনার ঘটনাকে অনুসরণ করা হয়েছে, যেখানে মুসলমানগণ তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে অত্যাচারিত হচ্ছিল, এরপর মদিনায় হিজরত, বিভিন্ন যুদ্ধ, চুক্তি ইসলামের প্রসারের মধ্য দিয়ে কাহিনী এগিয়ে গেছে এবং মুসলমানদের মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সমাপ্তি ঘটেছে। তৎকালীন সময়ের বেশ কিছু রক্তক্ষয়ী পটভূমি যেমন বদরের যুদ্ধ ও উহুদের যুদ্ধ চলচ্চিত্রটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যার অধিকাংশ দৃশ্যই নবীজী এর চাচা হামজার চরিত্রের(অ্যান্থনি কুইন) দৃষ্টিকোণ থেকে দেখানো হয়েছে। ইসলামী মৌলিকতার উপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্রটিতে নবী করীম মুহাম্মদ কে দেখানো হয় নি, তার কন্ঠেরও অনুকরণ করা হয় নি। তার স্ত্রী, সন্তান ও খলিফাদের ক্ষেত্রেও এই একই মূলনীতি অনুসরণ করা হয়েছে, অর্থাৎ তাদেরকেও চলচ্চিত্রটিতে দেখানো হয়নি।
দ্য মেসেজ মুভি সম্পর্কে যা বললেন...ডঃ জাকির নায়েক
youtube
দ্য মেসেজ THE MESSAGE - Bangla Dubbed 
youtube
দ্য মেসেজ
THE MESSAGE
https://www.youtube.com/watch?v=59eRrEKPQ5s
 
রিসালাতের পরিচয় ও বিষয়বস্তু
রিসালাত আরবি শব্দ। সাধারণ অর্থে যা কিছু প্রেরণ করা হয়, তাকেই রিসালাত বলা হয়। আর আভিধানিক অর্থ হলো, বার্তাবহন, সম্বোধন, লিখিত সহিফা বা বিষয়বস্তু ইত্যাদি (আল-মুজামুল অসিত)।
রিসালাত হলো এমন বক্তব্য, যা কোনো ব্যক্তি অন্যের কাছ থেকে প্রাপ্ত হয়ে বহন করে নিয়ে আসেÑ চাই তা লিখিত হোক বা অলিখিত (মুজামু লুগাতিল ফুকাহা)। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, আল্লাহ তায়ালা বান্দার হিদায়াতের নিমিত্তে তাদের মধ্য থেকে মনোনীত বান্দার মাধ্যমে যে বাণী পাঠান, তাকেই রিসালাত বলা হয়। আর যারা এই রিসালাত বহন করেন, তাদের বলা হয় রসুল। পবিত্র কোরআনে এই মর্মে ইরশাদ হয়েছে, অবশ্যই তারা ছিল আমার মনোনীত উত্তম বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত (সুরা সোয়াদ, আয়াত ৪৭)।
কোনো শিক্ষা, যোগ্যতা বা অর্জনযোগ্য কোনো বিষয়ের নাম রিসালাত নয়। এটা এমন কোনো বিষয়ও নয় যা দক্ষতা, মেধা বা প্রতিভার মাধ্যমে অর্জন বা লাভ করা যায়। অধ্যবসায়, অনুশীলন ও সাধনার মাধ্যমে ইহকাল ও পরকালের বহু বিষয় অর্জন সম্ভব হলেও রিসালাত ও নবুওয়াত অর্জন সম্ভব নয়। এটি সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ তায়ালার মনোনয়ন। তিনি চাইলে এ মনোনয়ন মিলবে আর তিনি না চাইলে কখনো মিলবে না। আর এ মনোনয়ন যাকে-তাকে আল্লাহ মহান প্রদান করেন না।
'সত্য ইলাহ' একমাত্র আল্লাহ
একটিই বার্তা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'
0 notes
myreligionislam · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
'সত্য ইলাহ' একমাত্র আল্লাহ
একটিই বার্তা 'লা ইলাহা  ইল্লাল্লাহ'               
দ্য মেসেজ সিনেমার বিষয়
চলচ্চিত্রটিতে শেষ নবী মুহাম্মদ সঃ এর মাধ্যমে মক্কায় ইসলামের সূচনার ঘটনাকে অনুসরণ করা হয়েছে, যেখানে মুসলমানগণ তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে অত্যাচারিত হচ্ছিল, এরপর মদিনায় হিজরত, বিভিন্ন যুদ্ধ, চুক্তি ইসলামের প্রসারের মধ্য দিয়ে কাহিনী এগিয়ে গেছে এবং মুসলমানদের মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সমাপ্তি ঘটেছে।
Innocence of Muslim নামের চরম মিথ্যা, বিদ্বেষমূলক সিনেমার জবাব হতে পারে ১৯৭৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিরিয়ান পরিচালক Mostafa Al Akkad পরিচালিত সিনেমা ‘দ্য মেসেজ‘।
দ্য মেসেজ মুভিতে নবীজি মুহাম্মদ (স) এর ইসলাম প্রচারের খন্ড খন্ড চিত্র বর্নিত হয়েছে। নবুয়্যত লাভের পর মক্কার প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ইসলাম প্রচার, অত্যাচারিত হওয়া, পরবর্তীতে মদীনায় হিজরত এবং মক্কা বিজয় – এ সকল বিষয় ফুটে উঠেছে সিনেমাটিতে। এ ছাড়াও ইসলামের ইতিহাসে বিখ্যাত বদরের যুদ্ধ এবং ওহুদের যুদ্ধ দেখানো হয়েছে মুভিতে।
দ্য মেসেজ সিনেমার কাহিনী
দ্য মেসেজ সিনেমার কাহিনী এগিয়েছে ঐতিহাসিক চরিত্র হামযা (রা) যিনি নবীজি (স) এর চাচা ছিলেন, মক্কার কুরাইশদের নেতা আবু সুফিয়ান এবং হামযার কলিজা ভক্ষনকারী হিন্দার বর্ননা অনুসারে। হামজা চরিত্রে Anthony Quinn যিনি এর পূর্বে সেরা পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্য দুবার অস্কার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। এই তিন চরিত্র ছাড়াও ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন হযরত বিলাল (রা), জায়েদ (রা), খালিদ বিন ওয়ালিদ, চাচা আবু তালিব এবং আবু লাহাবের চরিত্র উঠে এসেছে।
দ্য মেসেজ সিনেমায় মুহাম্মদ (স) কিংবা খিলাফাতে রাশেদার চার খলিফাকে জনগনের সামনে প্রকাশ করা হয় নি। তাদের চরিত্র অন্য কোন মানুষ উপস্থাপন করতে পারেন না, তাদের গুনাবলী অন্যান্য সাধারন মানুষদের পক্ষে তুলে ধরা সম্ভব নয়। তবে তাদেরকে উপেক্ষা করে তো আর কাহিনী এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়, তাই বুদ্ধিমত্তার সাথে তুলে ধরা হয়েছে তাদের কার্যাবলী। নবীজি (স) এর বাকানো লাঠি আর কোথাও কোথাও উটনীর মাধ্যমে তাঁকে প্রকাশ করা হয়েছে, কখনোও ক্যামেরাকেই নবীজি (স) হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে তবে তার কন্ঠ কিংবা শরীরের কোন অংশ প্রকাশ করা হয় নি। বদর কিংবা ওহুদ যুদ্ধে মূল নেতৃত্ব নবীজি (স) দিলেও সিনেমায় তার পালিত পুত্র যায়েদ (আ) কে নেতৃত্বের আসনে দেখানো হয়েছে, যিনি নবীজি (স) এর নির্দেশানুসারে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আবার আলী (রা) কে প্রকাশ করার জন্য তার দুমাথার তরবারী যুলফিকারকে দেখানো হয়েছে।
কি পরিমান সংগ্রাম,ত্যাগ তিতিক্ষা, অত্যাচার-নির্যাতনের মধ্য দিয়ে প্রিয় রাসূল (স) তার দাওয়াহ মিশন বাস্তবায়ন করেছিলেন তা আর কোন সিনেমায় এত বাস্তবভাবে উঠে আসে নি। রাসূল (স) এর জীবন সম্পর্কে জেনে নেয়ার জন্য এই সিনেমাটি ছোট্ট ভূমিকা পালন করতে পারে। শেয়ার করার মাধ্যমে সকলকে এই সিনেমাটি দেখতে সাহায্য করুন।
কাহিনীসংক্ষেপ
Synopsis
চলচ্চিত্রটিতে শেষ নবী মুহাম্মদ  সঃ এর মাধ্যমে মক্কায় ইসলামের সূচনার ঘটনাকে অনুসরণ করা হয়েছে, যেখানে মুসলমানগণ তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে অত্যাচারিত হচ্ছিল, এরপর মদিনায় হিজরত, বিভিন্ন যুদ্ধ, চুক্তি ইসলামের প্রসারের মধ্য দিয়ে কাহিনী এগিয়ে গেছে এবং মুসলমানদের মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সমাপ্তি ঘটেছে। তৎকালীন সময়ের বেশ কিছু রক্তক্ষয়ী পটভূমি যেমন বদরের যুদ্ধ ও উহুদের যুদ্ধ চলচ্চিত্রটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যার অধিকাংশ দৃশ্যই নবীজী এর চাচা হামজার চরিত্রের(অ্যান্থনি কুইন) দৃষ্টিকোণ থেকে দেখানো হয়েছে। ইসলামী মৌলিকতার উপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্রটিতে নবী করীম মুহাম্মদ কে দেখানো হয় নি, তার কন্ঠেরও অনুকরণ করা হয় নি। তার স্ত্রী, সন্তান ও খলিফাদের ক্ষেত্রেও এই একই মূলনীতি অনুসরণ করা হয়েছে, অর্থাৎ তাদেরকেও চলচ্চিত্রটিতে দেখানো হয়নি।
দ্য মেসেজ মুভি সম্পর্কে যা বললেন...ডঃ জাকির নায়েক
youtube
দ্য মেসেজ THE MESSAGE - Bangla Dubbed 
youtube
দ্য মেসেজ
THE MESSAGE
https://www.youtube.com/watch?v=59eRrEKPQ5s
 
রিসালাতের পরিচয় ও বিষয়বস্তু
রিসালাত আরবি শব্দ। সাধারণ অর্থে যা কিছু প্রেরণ করা হয়, তাকেই রিসালাত বলা হয়। আর আভিধানিক অর্থ হলো, বার্তাবহন, সম্বোধন, লিখিত সহিফা বা বিষয়বস্তু ইত্যাদি (আল-মুজামুল অসিত)।
রিসালাত হলো এমন বক্তব্য, যা কোনো ব্যক্তি অন্যের কাছ থেকে প্রাপ্ত হয়ে বহন করে নিয়ে আসেÑ চাই তা লিখিত হোক বা অলিখিত (মুজামু লুগাতিল ফুকাহা)। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, আল্লাহ তায়ালা বান্দার হিদায়াতের নিমিত্তে তাদের মধ্য থেকে মনোনীত বান্দার মাধ্যমে যে বাণী পাঠান, তাকেই রিসালাত বলা হয়। আর যারা এই রিসালাত বহন করেন, তাদের বলা হয় রসুল। পবিত্র কোরআনে এই মর্মে ইরশাদ হয়েছে, অবশ্যই তারা ছিল আমার মনোনীত উত্তম বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত (সুরা সোয়াদ, আয়াত ৪৭)।
কোনো শিক্ষা, যোগ্যতা বা অর্জনযোগ্য কোনো বিষয়ের নাম রিসালাত নয়। এটা এমন কোনো বিষয়ও নয় যা দক্ষতা, মেধা বা প্রতিভার মাধ্যমে অর্জন বা লাভ করা যায়। অধ্যবসায়, অনুশীলন ও সাধনার মাধ্যমে ইহকাল ও পরকালের বহু বিষয় অর্জন সম্ভব হলেও রিসালাত ও নবুওয়াত অর্জন সম্ভব নয়। এটি সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ তায়ালার মনোনয়ন। তিনি চাইলে এ মনোনয়ন মিলবে আর তিনি না চাইলে কখনো মিলবে না। আর এ মনোনয়ন যাকে-তাকে আল্লাহ মহান প্রদান করেন না।
'সত্য ইলাহ' একমাত্র আল্লাহ
একটিই বার্তা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'
0 notes
allahisourrabb · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
'সত্য ইলাহ' একমাত্র আল্লাহ
একটিই বার্তা 'লা ইলাহা  ইল্লাল্লাহ'               
দ্য মেসেজ সিনেমার বিষয়
চলচ্চিত্রটিতে শেষ নবী মুহাম্মদ সঃ এর মাধ্যমে মক্কায় ইসলামের সূচনার ঘটনাকে অনুসরণ করা হয়েছে, যেখানে মুসলমানগণ তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে অত্যাচারিত হচ্ছিল, এরপর মদিনায় হিজরত, বিভিন্ন যুদ্ধ, চুক্তি ইসলামের প্রসারের মধ্য দিয়ে কাহিনী এগিয়ে গেছে এবং মুসলমানদের মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সমাপ্তি ঘটেছে।
Innocence of Muslim নামের চরম মিথ্যা, বিদ্বেষমূলক সিনেমার জবাব হতে পারে ১৯৭৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিরিয়ান পরিচালক Mostafa Al Akkad পরিচালিত সিনেমা ‘দ্য মেসেজ‘।
দ্য মেসেজ মুভিতে নবীজি মুহাম্মদ (স) এর ইসলাম প্রচারের খন্ড খন্ড চিত্র বর্নিত হয়েছে। নবুয়্যত লাভের পর মক্কার প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ইসলাম প্রচার, অত্যাচারিত হওয়া, পরবর্তীতে মদীনায় হিজরত এবং মক্কা বিজয় – এ সকল বিষয় ফুটে উঠেছে সিনেমাটিতে। এ ছাড়াও ইসলামের ইতিহাসে বিখ্যাত বদরের যুদ্ধ এবং ওহুদের যুদ্ধ দেখানো হয়েছে মুভিতে।
দ্য মেসেজ সিনেমার কাহিনী
দ্য মেসেজ সিনেমার কাহিনী এগিয়েছে ঐতিহাসিক চরিত্র হামযা (রা) যিনি নবীজি (স) এর চাচা ছিলেন, মক্কার কুরাইশদের নেতা আবু সুফিয়ান এবং হামযার কলিজা ভক্ষনকারী হিন্দার বর্ননা অনুসারে। হামজা চরিত্রে Anthony Quinn যিনি এর পূর্বে সেরা পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্য দুবার অস্কার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। এই তিন চরিত্র ছাড়াও ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন হযরত বিলাল (রা), জায়েদ (রা), খালিদ বিন ওয়ালিদ, চাচা আবু তালিব এবং আবু লাহাবের চরিত্র উঠে এসেছে।
দ্য মেসেজ সিনেমায় মুহাম্মদ (স) কিংবা খিলাফাতে রাশেদার চার খলিফাকে জনগনের সামনে প্রকাশ করা হয় নি। তাদের চরিত্র অন্য কোন মানুষ উপস্থাপন করতে পারেন না, তাদের গুনাবলী অন্যান্য সাধারন মানুষদের পক্ষে তুলে ধরা সম্ভব নয়। তবে তাদেরকে উপেক্ষা করে তো আর কাহিনী এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়, তাই বুদ্ধিমত্তার সাথে তুলে ধরা হয়েছে তাদের কার্যাবলী। নবীজি (স) এর বাকানো লাঠি আর কোথাও কোথাও উটনীর মাধ্যমে তাঁকে প্রকাশ করা হয়েছে, কখনোও ক্যামেরাকেই নবীজি (স) হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে তবে তার কন্ঠ কিংবা শরীরের কোন অংশ প্রকাশ করা হয় নি। বদর কিংবা ওহুদ যুদ্ধে মূল নেতৃত্ব নবীজি (স) দিলেও সিনেমায় তার পালিত পুত্র যায়েদ (আ) কে নেতৃত্বের আসনে দেখানো হয়েছে, যিনি নবীজি (স) এর নির্দেশানুসারে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আবার আলী (রা) কে প্রকাশ করার জন্য তার দুমাথার তরবারী যুলফিকারকে দেখানো হয়েছে।
কি পরিমান সংগ্রাম,ত্যাগ তিতিক্ষা, অত্যাচার-নির্যাতনের মধ্য দিয়ে প্রিয় রাসূল (স) তার দাওয়াহ মিশন বাস্তবায়ন করেছিলেন তা আর কোন সিনেমায় এত বাস্তবভাবে উঠে আসে নি। রাসূল (স) এর জীবন সম্পর্কে জেনে নেয়ার জন্য এই সিনেমাটি ছোট্ট ভূমিকা পালন করতে পারে। শেয়ার করার মাধ্যমে সকলকে এই সিনেমাটি দেখতে সাহায্য করুন।
কাহিনীসংক্ষেপ
Synopsis
চলচ্চিত্রটিতে শেষ নবী মুহাম্মদ  সঃ এর মাধ্যমে মক্কায় ইসলামের সূচনার ঘটনাকে অনুসরণ করা হয়েছে, যেখানে মুসলমানগণ তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে অত্যাচারিত হচ্ছিল, এরপর মদিনায় হিজরত, বিভিন্ন যুদ্ধ, চুক্তি ইসলামের প্রসারের মধ্য দিয়ে কাহিনী এগিয়ে গেছে এবং মুসলমানদের মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সমাপ্তি ঘটেছে। তৎকালীন সময়ের বেশ কিছু রক্তক্ষয়ী পটভূমি যেমন বদরের যুদ্ধ ও উহুদের যুদ্ধ চলচ্চিত্রটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যার অধিকাংশ দৃশ্যই নবীজী এর চাচা হামজার চরিত্রের(অ্যান্থনি কুইন) দৃষ্টিকোণ থেকে দেখানো হয়েছে। ইসলামী মৌলিকতার উপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্রটিতে নবী করীম মুহাম্মদ কে দেখানো হয় নি, তার কন্ঠেরও অনুকরণ করা হয় নি। তার স্ত্রী, সন্তান ও খলিফাদের ক্ষেত্রেও এই একই মূলনীতি অনুসরণ করা হয়েছে, অর্থাৎ তাদেরকেও চলচ্চিত্রটিতে দেখানো হয়নি।
দ্য মেসেজ মুভি সম্পর্কে যা বললেন...ডঃ জাকির নায়েক
youtube
দ্য মেসেজ THE MESSAGE - Bangla Dubbed 
youtube
দ্য মেসেজ
THE MESSAGE
https://www.youtube.com/watch?v=59eRrEKPQ5s
 
রিসালাতের পরিচয় ও বিষয়বস্তু
রিসালাত আরবি শব্দ। সাধারণ অর্থে যা কিছু প্রেরণ করা হয়, তাকেই রিসালাত বলা হয়। আর আভিধানিক অর্থ হলো, বার্তাবহন, সম্বোধন, লিখিত সহিফা বা বিষয়বস্তু ইত্যাদি (আল-মুজামুল অসিত)।
রিসালাত হলো এমন বক্তব্য, যা কোনো ব্যক্তি অন্যের কাছ থেকে প্রাপ্ত হয়ে বহন করে নিয়ে আসেÑ চাই তা লিখিত হোক বা অলিখিত (মুজামু লুগাতিল ফুকাহা)। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, আল্লাহ তায়ালা বান্দার হিদায়াতের নিমিত্তে তাদের মধ্য থেকে মনোনীত বান্দার মাধ্যমে যে বাণী পাঠান, তাকেই রিসালাত বলা হয়। আর যারা এই রিসালাত বহন করেন, তাদের বলা হয় রসুল। পবিত্র কোরআনে এই মর্মে ইরশাদ হয়েছে, অবশ্যই তারা ছিল আমার মনোনীত উত্তম বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত (সুরা সোয়াদ, আয়াত ৪৭)।
কোনো শিক্ষা, যোগ্যতা বা অর্জনযোগ্য কোনো বিষয়ের নাম রিসালাত নয়। এটা এমন কোনো বিষয়ও নয় যা দক্ষতা, মেধা বা প্রতিভার মাধ্যমে অর্জন বা লাভ করা যায়। অধ্যবসায়, অনুশীলন ও সাধনার মাধ্যমে ইহকাল ও পরকালের বহু বিষয় অর্জন সম্ভব হলেও রিসালাত ও নবুওয়াত অর্জন সম্ভব নয়। এটি সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ তায়ালার মনোনয়ন। তিনি চাইলে এ মনোনয়ন মিলবে আর তিনি না চাইলে কখনো মিলবে না। আর এ মনোনয়ন যাকে-তাকে আল্লাহ মহান প্রদান করেন না।
'সত্য ইলাহ' একমাত্র আল্লাহ
একটিই বার্তা 'লাইলাহাইল্লাল্লাহ'
0 notes
mylordisallah · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
'সত্য ইলাহ' একমাত্র আল্লাহ
একটিই বার্তা 'লা ইলাহা  ইল্লাল্লাহ'               
দ্য মেসেজ সিনেমার বিষয়
চলচ্চিত্রটিতে শেষ নবী মুহাম্মদ সঃ এর মাধ্যমে মক্কায় ইসলামের সূচনার ঘটনাকে অনুসরণ করা হয়েছে, যেখানে মুসলমানগণ তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে অত্যাচারিত হচ্ছিল, এরপর মদিনায় হিজরত, বিভিন্ন যুদ্ধ, চুক্তি ইসলামের প্রসারের মধ্য দিয়ে কাহিনী এগিয়ে গেছে এবং মুসলমানদের মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সমাপ্তি ঘটেছে।
Innocence of Muslim নামের চরম মিথ্যা, বিদ্বেষমূলক সিনেমার জবাব হতে পারে ১৯৭৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিরিয়ান পরিচালক Mostafa Al Akkad পরিচালিত সিনেমা ‘দ্য মেসেজ‘।
দ্য মেসেজ মুভিতে নবীজি মুহাম্মদ (স) এর ইসলাম প্রচারের খন্ড খন্ড চিত্র বর্নিত হয়েছে। নবুয়্যত লাভের পর মক্কার প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ইসলাম প্রচার, অত্যাচারিত হওয়া, পরবর্তীতে মদীনায় হিজরত এবং মক্কা বিজয় – এ সকল বিষয় ফুটে উঠেছে সিনেমাটিতে। এ ছাড়াও ইসলামের ইতিহাসে বিখ্যাত বদরের যুদ্ধ এবং ওহুদের যুদ্ধ দেখানো হয়েছে মুভিতে।
দ্য মেসেজ সিনেমার কাহিনী
দ্য মেসেজ সিনেমার কাহিনী এগিয়েছে ঐতিহাসিক চরিত্র হামযা (রা) যিনি নবীজি (স) এর চাচা ছিলেন, মক্কার কুরাইশদের নেতা আবু সুফিয়ান এবং হামযার কলিজা ভক্ষনকারী হিন্দার বর্ননা অনুসারে। হামজা চরিত্রে Anthony Quinn যিনি এর পূর্বে সেরা পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্য দুবার অস্কার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। এই তিন চরিত্র ছাড়াও ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন হযরত বিলাল (রা), জায়েদ (রা), খালিদ বিন ওয়ালিদ, চাচা আবু তালিব এবং আবু লাহাবের চরিত্র উঠে এসেছে।
দ্য মেসেজ সিনেমায় মুহাম্মদ (স) কিংবা খিলাফাতে রাশেদার চার খলিফাকে জনগনের সামনে প্রকাশ করা হয় নি। তাদের চরিত্র অন্য কোন মানুষ উপস্থাপন করতে পারেন না, তাদের গুনাবলী অন্যান্য সাধারন মানুষদের পক্ষে তুলে ধরা সম্ভব নয়। তবে তাদেরকে উপেক্ষা করে তো আর কাহিনী এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়, তাই বুদ্ধিমত্তার সাথে তুলে ধরা হয়েছে তাদের কার্যাবলী। নবীজি (স) এর বাকানো লাঠি আর কোথাও কোথাও উটনীর মাধ্যমে তাঁকে প্রকাশ করা হয়েছে, কখনোও ক্যামেরাকেই নবীজি (স) হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে তবে তার কন্ঠ কিংবা শরীরের কোন অংশ প্রকাশ করা হয় নি। বদর কিংবা ওহুদ যুদ্ধে মূল নেতৃত্ব নবীজি (স) দিলেও সিনেমায় তার পালিত পুত্র যায়েদ (আ) কে নেতৃত্বের আসনে দেখানো হয়েছে, যিনি নবীজি (স) এর নির্দেশানুসারে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আবার আলী (রা) কে প্রকাশ করার জন্য তার দুমাথার তরবারী যুলফিকারকে দেখানো হয়েছে।
কি পরিমান সংগ্রাম,ত্যাগ তিতিক্ষা, অত্যাচার-নির্যাতনের মধ্য দিয়ে প্রিয় রাসূল (স) তার দাওয়াহ মিশন বাস্তবায়ন করেছিলেন তা আর কোন সিনেমায় এত বাস্তবভাবে উঠে আসে নি। রাসূল (স) এর জীবন সম্পর্কে জেনে নেয়ার জন্য এই সিনেমাটি ছোট্ট ভূমিকা পালন করতে পারে। শেয়ার করার মাধ্যমে সকলকে এই সিনেমাটি দেখতে সাহায্য করুন।
কাহিনীসংক্ষেপ
Synopsis
চলচ্চিত্রটিতে শেষ নবী মুহাম্মদ  সঃ এর মাধ্যমে মক্কায় ইসলামের সূচনার ঘটনাকে অনুসরণ করা হয়েছে, যেখানে মুসলমানগণ তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে অত্যাচারিত হচ্ছিল, এরপর মদিনায় হিজরত, বিভিন্ন যুদ্ধ, চুক্তি ইসলামের প্রসারের মধ্য দিয়ে কাহিনী এগিয়ে গেছে এবং মুসলমানদের মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সমাপ্তি ঘটেছে। তৎকালীন সময়ের বেশ কিছু রক্তক্ষয়ী পটভূমি যেমন বদরের যুদ্ধ ও উহুদের যুদ্ধ চলচ্চিত্রটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যার অধিকাংশ দৃশ্যই নবীজী এর চাচা হামজার চরিত্রের(অ্যান্থনি কুইন) দৃষ্টিকোণ থেকে দেখানো হয়েছে। ইসলামী মৌলিকতার উপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্রটিতে নবী করীম মুহাম্মদ কে দেখানো হয় নি, তার কন্ঠেরও অনুকরণ করা হয় নি। তার স্ত্রী, সন্তান ও খলিফাদের ক্ষেত্রেও এই একই মূলনীতি অনুসরণ করা হয়েছে, অর্থাৎ তাদেরকেও চলচ্চিত্রটিতে দেখানো হয়নি।
দ্য মেসেজ মুভি সম্পর্কে যা বললেন...ডঃ জাকির নায়েক
youtube
দ্য মেসেজ THE MESSAGE - Bangla Dubbed 
youtube
দ্য মেসেজ
THE MESSAGE
https://www.youtube.com/watch?v=59eRrEKPQ5s
 
রিসালাতের পরিচয় ও বিষয়বস্তু
রিসালাত আরবি শব্দ। সাধারণ অর্থে যা কিছু প্রেরণ করা হয়, তাকেই রিসালাত বলা হয়। আর আভিধানিক অর্থ হলো, বার্তাবহন, সম্বোধন, লিখিত সহিফা বা বিষয়বস্তু ইত্যাদি (আল-মুজামুল অসিত)।
রিসালাত হলো এমন বক্তব্য, যা কোনো ব্যক্তি অন্যের কাছ থেকে প্রাপ্ত হয়ে বহন করে নিয়ে আসেÑ চাই তা লিখিত হোক বা অলিখিত (মুজামু লুগাতিল ফুকাহা)। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, আল্লাহ তায়ালা বান্দার হিদায়াতের নিমিত্তে তাদের মধ্য থেকে মনোনীত বান্দার মাধ্যমে যে বাণী পাঠান, তাকেই রিসালাত বলা হয়। আর যারা এই রিসালাত বহন করেন, তাদের বলা হয় রসুল। পবিত্র কোরআনে এই মর্মে ইরশাদ হয়েছে, অবশ্যই তারা ছিল আমার মনোনীত উত্তম বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত (সুরা সোয়াদ, আয়াত ৪৭)।
কোনো শিক্ষা, যোগ্যতা বা অর্জনযোগ্য কোনো বিষয়ের নাম রিসালাত নয়। এটা এমন কোনো বিষয়ও নয় যা দক্ষতা, মেধা বা প্রতিভার মাধ্যমে অর্জন বা লাভ করা যায়। অধ্যবসায়, অনুশীলন ও সাধনার মাধ্যমে ইহকাল ও পরকালের বহু বিষয় অর্জন সম্ভব হলেও রিসালাত ও নবুওয়াত অর্জন সম্ভব নয়। এটি সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ তায়ালার মনোনয়ন। তিনি চাইলে এ মনোনয়ন মিলবে আর তিনি না চাইলে কখনো মিলবে না। আর এ মনোনয়ন যাকে-তাকে আল্লাহ মহান প্রদান করেন না।
'সত্য ইলাহ'একমাত্রআল্লাহ
একটিই বার্তা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'
0 notes
shameemsayedee · 8 months ago
Text
Tumblr media
وَلَقَدْ نَصَرَكُمُ اللَّهُ بِبَدْرٍ وَأَنتُمْ أَذِلَّةٌ ۖ فَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
বস্তুতঃ আল্লাহ বদরের যুদ্ধে তোমাদের সাহায্য করেছেন, অথচ তোমরা ছিলে দুর্বল। কাজেই আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হতে পারো ।
১৭ রমাদান, ঐতিহাসিক বদর দিবস ।
ইতিহাসে যতোগুলো যুদ্ধ মুসলমানদের সাথে বিভিন্ন সম্প্রদায় বা জাতিগোষ্ঠীর কিংবা বিধর্মীদের সাথে সংঘটিত হয়েছে, তার মধ্যে বদরের যুদ্ধ ছিল মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । কারণ, বদরের যুদ্ধের তাৎপর্য ঐতিহাসিক । এ যুদ্ধটি ছিল ইতিহাস নির্ধারণকারী একটি লড়াই । বদরের যুদ্ধে যদি মুসলমানেরা পরাজিত হতেন, তাহলে দ্বীন ইসলামে মহান আল্লাহকে ডাকার মতো কোনো লোক এই পৃথিবীতে থাকতো কি না তা কেবল সেই মহান সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কারো জানা ছিলো না । শত্রুদের দৃষ্টিতে বদরের যুদ্ধ ছিলো, সবে চারা গজাচ্ছে- সেই ইসলাম ধর্ম নামক অঙ্কুরকে আল্লাহর জমিন থেকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার যুদ্ধ । বদরের যুদ্ধের অপর একটি তাৎপর্য হলো, দ্বীন ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ ﷺকে একজন সেনাপতির দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে । বদরের যুদ্ধের তৃতীয় তাৎপর্য হলো, মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা অনেকটাই অদৃশ্যমানভাবে তাঁর প্রিয় বান্দাদের বিপদে কিভাবে সাহায্য করেন, তার জ্বলন্ত প্রমাণ এই যুদ্ধে বিদ্যমান ।
‘বদর’ নামক স্থানের পরিচিতি
বদরের যুদ্ধ হয়েছিল হিজরি দ্বিতীয় সালের ১৭ রমজান; 'বদর' পবিত্র মক্কা থেকে কিছুটা উত্তরে, পবিত্র মদিনা থেকে কিছুটা দক্ষিণ-পশ্চিমে । প্রায় চৌদ্দ শ’ একত্রিশ কিংবা বত্রিশ বছর আগে ওই আমলের আরব দেশে মক্কা নগরীর কুরাইশদের সাথে যে বাণিজ্য হতো, সেই বাণিজ্যের কাফেলাগুলো চলাচল করার যে পথ ছিল, সেটি ‘বদর’ নামক জায়গার পাশ দিয়েই যেতো ।
যুদ্ধের প্রেক্ষাপট : মক্কাবাসীর চিন্তা
মহানবী বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ ﷺ মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করে চলে এলেন । তারপর মদিনাতে নতুন একটি নগররাষ্ট্র, নতুন সভ্যতা, সংস্কৃতি, স্বকীয়তা এবং দ্বীন ইসলামের মূল কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছিলেন । এটা দেখে মক্কার কুরাইশরা ঈর্ষান্বিত হলো । দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে তারা নানা ষড়যন্ত্রের পথ খুঁজতে লাগলো । কুরাইশরা চিন্তা করলো, আমরা তো সবাই মিলে মক্কায় আহমাদে মুসৃতফা মুহাম্মদ ﷺকে দমন করে রাখতে পেরেছিলাম, কিন্তু এখন মদিনায় গিয়ে তিনি নতুনরূপে বাধাহীনভাবে ইসলাম প্রচার করে চলেছেন । যদি এরূপ অত্যাচার চলতে থাকে আর তার এই সংগ্রাম অগ্রসর হতে থাকে, তাহলে অচিরেই মদিনার মুসলিমগণ মক্কার লোকজনের প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়াবে । অতএব, অঙ্কুরেই তাদের বিনাশ করা প্রয়োজন ।
যুদ্ধের প্রেক্ষাপট : মদিনাবাসীর চিন্তা
অপর দিকে, সবেমাত্র জন্ম নেয়া মদিনা নামক নগররাষ্ট্র তথা ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত্তি ক্রমবর্ধমান হলেও মহানবী সাইয়েদুল মুরসালীন মুহাম্মদ ﷺ এবং তার সাথীরা চিন্তা করলেন, আমরা মক্কা থেকে বের হয়ে এসেছি ঠিকই; কিন্তু মক্কার হুমকি থেকে আমরা এখনো মুক্ত হতে পারিনি । আমরা এখনো তেমন শক্তি অর্জন করতে পারিনি । তাই আগে আমাদের শক্তি সঞ্চয় করা প্রয়োজন এবং আল্লাহর দ্বীনকে তার জমিনে প্রতিষ্ঠা করতে হলে শত্রুদের মোকাবেলা করার কোনো বিকল্প নেই । মোটামুটি এ ধরনের চিন্তাভাবনার পরই মক্কা ও মদিনা- এ দুই শহরকেন্দ্রিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে একটি যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠেছিলো । তা ছাড়া পরোক্ষভাবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার পক্ষ থেকে নির্দেশ এসেছিল যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করার ।
প্রস্তুতি পর্ব:
অবশেষে রাসূলে আকরাম ﷺ-এর নেতৃত্বে মদিনা থেকে মুসলমানদের একটি দল বের হলো । তাদের উদ্দেশ্য ছিল মক্কা নগরীর আরবদের বাণিজ্য কাফেলা, যেটা সিরিয়া থেকে ধনসম্পদ নিয়ে মক্কায় ফেরত যাবে তাদের মোকাবেলা এবং তাদের কাছ থেকে কিছু সংগ্রহ করা । সেজন্য তারা চলাচলের রাস্তার পাশে ওঁৎ পেতে ছিলেন । অপর দিকে ধনসম্পদ নিয়ে মক্কা নগরীর ব্যবসায়ীদের কাফেলা সিরিয়া থেকে ফেরত আসার সময় সংবাদ পেল যে, এই পথ ধরে গেলে পথিমধ্যে তাদের বিপদে পড়ার আশঙ্কা আছে । তাই তারা সবার সিদ্ধান্তক্রমে তাদের গতিপথ একটু পরিবর্তন করে মক্কায় যাওয়ার জন্য নতুন পথ আবিষ্কার করলো এবং সেই পথ ব্যবহার করে তারা মক্কার কাছাকাছি চলে গেল । কিন্তু ইতোমধ্যে অন্য একটি ঘটনার উদ্ভব হলো । বাণিজ্য কাফেলার অনুরোধে মক্কা থেকে একদল সৈন্য অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রওনা দিয়েছিলো কাফেলাকে এগিয়ে আনার জন্য । মক্কা থেকে উত্তর দিকে যে পথ ধরে বাণিজ্য কাফেলা আসছে সেই পথ ধরে, যাতে পথিমধ্যে বাণিজ্য কাফেলার ওপর কোনো বিপদ-আপদ এলে তারা সাহায্য-সহযোগিতা করতে পারে । কিন্তু বাণিজ্য কাফেলা মদিনার মুসলমানদের দৃষ্টি এড়িয়ে চলে গেলো । এমনকি মক্কা থেকে আসা সাহায্যকারী লোকদেরও দৃষ্টির অগোচরে চলে গেলো । মক্কা থেকে আগত সাহায্যকারী দল যখন বদর নামক স্থানে এসে অবস্থান করছিলো তখন তারা সংবাদ পেলো মুসলমানেরা তাদের আশপাশে আছে । মুসলমানেরা বদর নামক স্থানটির কাছেই অবস্থান করছিলো । ফলে তারাও জানতে পারলো, মক্কা থেকে আগত এবং অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত একদল সৈন্যবাহিনী তাদের পাশেই অবস্থান করছে । যুদ্ধটি চূড়ান্তরূপে দেখা দিলো । 'বদর' নামক স্থানে কাফেররা এক দিকে অবস্থান নিলো, অন্য দিকে মুসলমানেরা অবস্থান নিলো । মুসলমানবাহিনী যে স্থানটিতে অবস্থান নিলো, সেখানে একটি পানির কূপ ছিল; পানি আহরণের জন্য কুয়ায় সহজে যাওয়া যেত । যেহেতু পানির কূপটি মুসলমানদের দখলে, সেহেতু কাফেররা পানির সঙ্কট অনুভব করলো । কূপের পাশেই একটি পাহাড়, সেখানে মুসলমানদের সদর দফতর স্থাপন করা হলো । একটি তাঁবুর বন্দোবস্ত করা হলো, সেখানে রাসূলে পাক ﷺ অবস্থান নিলেন । এলাকাটি ছিলো সমতল, কিন্তু তিন দিকে পাহাড়বেষ্টিত ।
যুদ্ধক্ষেত্রের অবস্থান ও পরিবেশ
যুদ্ধক্ষেত্রটির অবস্থান ও পরিবেশের বর্ণনা দেয়া অবশ্যই প্রয়োজন । যে স্থানটিতে মুসলমানেরা অবস্থান নিয়েছিলেন, সেখানে সূর্যের তেজ সরাসারি তাদের মুখের ওপর পতিত হয় । কিন্তু কাফেরদের মুখে দিনের বেলায় সূর্যের আলো পড়ে না । মুসলমানেরা যেখানে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করবেন, সেখানে মাটি নরম এবং বালুর আধিক্য যা যুদ্ধক্ষেত্রের জন্য উপযুক্ত নয় । অপর দিকে কাফেররা যেখানে অবস্থান নিয়েছিল, সেখানে মাটি শক্ত এবং যুদ্ধের জন্য স্থানটি উপযুক্ত । কিন্তু অবস্থান নেয়ার ফলে অবশেষে কী হলো ? সেই রাত্রিতে সাহবীরা অবস্থান করছেন ! রমজান মাসের ১৬ তারিখ দিনটি শেষ, মাগরিবের পর তারিখ বদলে গেল, অতঃপর ১৭ রমজান শুরু হলো । সেই রাতে উৎকণ্ঠিত মুসলমানেরা এবং উৎকণ্ঠিত কাফেররা নিজ নিজ ক্যাম্পে অবস্থান করছে । সেই রাতে মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট সিজদায় পড়ে সাহায্য প্রার্থনা করছেন মানবতার মুক্তির দূত হযরত মুহাম্মদ ﷺ। কেঁদে কেঁদে বলেছিলেন অনেকটা এ রকম : ‘হে দয়াময় আল্লাহ, আগামীকালের নীতিনির্ধারণী যুদ্ধে তোমার সাহায্য আমাদের অতি প্রয়োজন । এই যুদ্ধে আমরা তোমার সাহায্য ছাড়া বিজয় লাভ করতে পারবো না । আর আমরা যদি পরাজিত হই, তোমাকে সিজদা করার কিংবা তোমার নাম ধরে ডাকার লোক এই পৃথিবীতে আর নাও থাকতে পারে । অতঃপর তুমি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করো কী করবে । কারণ, তুমিই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার মালিক । আমরা আমাদের জীবন দিয়ে প্রাণপণ যুদ্ধ চালিয়ে যাবো । আমরা আমাদের জীবন তোমার পথে উৎসর্গ করলাম । বিনিময়ে তোমার দ্বীনকে আমরা তোমার জমিনে প্রতিষ্ঠা করতে চাই । তুমি আমাদেরকে বিজয় দান করো । আমরা তোমার কাছে সাহায্য চাই ।’ রাসূলুল্লাহ ﷺএর আন্তরিক কাকুতি-মিনতি মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট কবুল হয়ে গেলো । হযরত জিব্রাইল আ:-এর মাধ্যমে আল্লাহর পক্ষ থেকে জবাব এলো, সাহায্য আসবে । তোমরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও । তোমাদের শির��ে উঁচু করো এবং দৃৃঢ় পদক্ষেপে দাঁড়াও ।
ঐশী সাহায্যের একাধিক উদাহরণ
পবিত্র কুরআনের সূরা আনফা��ের ৯ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা এ ঘোষণাটি দিয়েছেন । ওই রাতে মরুভূমিতে প্রবল বৃষ্টি হলো, যা একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা । বৃষ্টি মুসলমানদের উপকারে এলো । কারণ, বৃষ্টির কারণে কাফেরদের যুদ্ধের মাঠের শক্ত মাটি কাদায় ভরে পিচ্ছিল হয়ে গেলো । অপর দিকে মুসলমানদের যুদ্ধের বালুমাঠ শক্ত হয়ে গেল । বৃষ্টির কারণে আবহাওয়া শীতল হলো । উৎকণ্ঠিত-উদ্বিগ্ন মুসলমানদের চোখে তন্দ্রাচ্ছন্নভাবে প্রশান্তি এসে যায় । অপর একটি ঘটনা, যেটি মহান আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা ঘটিয়েছেন, তা হলো- কাফেররা যখন মুসলমানদের ক্যাম্পের দিকে তাকাচ্ছিল, ঠিক তখন কাফেরদের চোখে মুসলমানদের ক্যাম্প অনেক বড় মনে হচ্ছিল । তারা চিন্তায় পড়ে গেল, এতো মুসলমান কোত্থেকে এলো !? অপরপক্ষে, মুসলমানেরা যখন কাফেরদের ক্যাম্পের দিকে তাকাচ্ছিল, তখন কাফেরদের ক্যাম্প মুসলমানদের চোখে অনেক ছোট মনে হচ্ছিলো এবং তারা ভাবতে লাগলো, কাফেররা তো তেমন বেশি না; আগামীকালকের যুদ্ধে এদেরকে আমরা পরাজিত করতে পারবো ইনশাআল্লাহ । অতঃপর এমন মনে হচ্ছিল, মুসলমানদের চোখে দেখা দিয়েছিল অন্য এক স্বপ্ন যে, আমরা তাদের সমানে সমান । আর এ ধরনের চিন্তা-চেতনা মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে মুসলমানদের মনে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছিলো, যাতে করে মুসলমানেরা তাদের মনোবল হারিয়ে না ফেলেন । দিনের বেলায় যুদ্ধ শুরু হলো । প্রথমে তিনজন করে উভয় পক্ষ থেকে এলো এবং কাফেরদের তিনজনই মৃত্যুবরণ করলো । অতঃপর, কথা মোতাবেক উন্মুক্ত প্রান্তরে উন্মুক্তভাবে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলো । সেই আমলের যুদ্ধের অস্ত্র ছিলো তরবারি, তীর-ধনুক, বর্ম, বল্লম ইত্যাদি । মুসলমানেরা প্রাণপণ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন । আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা তার প্রতিশ্রুতি মোতাবেক মুসলমানদের সাহায্যের জন্য ফেরেশতা পাঠিয়ে দিলেন । সাধারণত ফেরেশতারা মানুষের চোখের অদৃশ্য থাকে । কিন্তু যুদ্ধের পর সাহাবীগণ সাক্ষী দিলেন যে, আমরা মানুষ দেখিনি তথা পরিচালনাকারী দেখিনি, কিন্তু আমরা দেখেছি দীর্ঘ আকৃতির তরবারি, যেগুলো শত্রুপক্ষকে ঘায়েল করছিলো ।
আরেকটি পর্যায়ে যুদ্ধ চলাকালে জিব্রাইল আ: এসে আখেরীনবী মুহাম্মাদ ﷺকে জানালেন, হে আল্লাহর রাসূল ! আপনি আপনার হাতে একমুষ্টি ধুলো নিন আর শাহাদাত আঙুল ইশারা করে কাফেরদের দিকে ছুড়ে দিন । রাসূল ﷺ একমুষ্টি ধুলো তাঁর হাতে নিলেন এবং শত্রুপক্ষের দিকে নিক্ষেপ করলেন । বিষয়টি আসলেই বিস্ময়ের । আমরা চাইলেই একমুষ্টি ধুলো কিংবা বালু হাতে নিয়ে এ কাজটি করতে পারি । শিশুরা খেলার মাঠে দুষ্টুমিবশত এ কাজটি করে থাকে । কিন্তু চিন্তা করার বিষয় হলো, একমুঠো ধুলো যদি কেউ কারো দিকে ছুড়ে দেয়, তাহলে তা কত দূর উড়ে যাবে ? কিন্তু অসংখ্য বর্ননায় এসেছে, সেই বদরের মাঠে আল আমিন মুহাম্মাদ ﷺএর ছুড়ে দেয়া ধুলো সেদিন অনেক দূর পর্যন্ত গিয়েছে এবং সব কাফেরের চোখে মুখে নাকে গিয়ে লেগেছে । এ ছাড়া পবিত্র কুরআনের সূরার মা��্যমে মহান আল্লাহ তায়ালা সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন, ‘হে রাসূল ! সেদিন সেই ধুলো আমি সবার চোখে পৌঁছে দিয়েছি । আপনি কেবল নিক্ষেপ করেছেন । এর কারণ ছিল কাফেররা যেন ভালোভাবে তাদের যুদ্ধের অবস্থান না দেখতে পায় এবং অতি দ্রুত ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় । এমনকি বলা হয়েছে, তারা তাদের হাতের অস্ত্র ছেড়ে চোখ কচলাতে শুরু করেছিলো ।’ একটু চিন্তা করলে দেখা যায়, যদিও আমরা জাগতিক দৃষ্টিতে দেখলাম ধুলোগুলো রাসূল ﷺ তাঁর হাত দিয়ে ছুড়েছেন, কিন্তু এই একমুষ্টি ধুলো কিভাবে শত্রুবাহিনীর চোখে গেল ? তাই বলতে হচ্ছে, এটা স্বাভাবিক দৃষ্টিতে সম্ভব নয়, এটা হয়েছে অস্বাভাবিক দৃষ্টিতে, যা স্বয়ং আল্লাহ ঘটিয়েছেন । আর এটাই হলো ঐশী বা গায়েবি সাহায্য ।
শয়তান ইবলিসের অংশগ্রহণ
মক্কাবাসী কাফেরদের পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য অভিশপ্ত ইবলিসও এসেছিলো সেদিন । আর ইবলিস এসেছিলো সোরাকা নামক এক ব্যক্তির আকৃতি ধরে । কিন্তু যুদ্ধের মাঠে নেমে যখন ইবলিস দেখলো, আল্লাহর ফেরেশতারা মুসলমানদের পক্ষ হয়ে যুদ্ধের মাঠে বিদ্যমান, ঠিক তখনই সে পালিয়ে যেতে লাগলো । কাফেরদের মধ্য থেকে কেউ একজন বলে উঠল, সোরাকা, তুমি কোথায় যাচ্ছ ? সোরাকা, তুমি কি বলোনি যে, তুমি আমাদের সাহায্য করবে এবং আমাদের কাছ থেকে দূরে সরে যাবে না ? সে সময় ইবলিস (ছদ্মবেশে সোরাকা) বললোঃ এখানে এমন কিছু দেখতে পাচ্ছি, যা তোমরা দেখতে পাও না । আল্লাহকে আমার ভয় হচ্ছে, তিনি কঠোর শাস্তিদাতা ।’ এরপর ইবলিস আত্মগোপন করেছিলো ।
ফেরেশতাদের অংশগ্রহণ
এ যুদ্ধের আরেকটি ঘটনা হলো আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদেরকে সাহায্য করেছিলেন ফেরেশতা দিয়ে । বুখারি শরিফের হাদিস মোতাবেক, যুদ্ধের শেষে সাহাবিদের মধ্য থেকে কেউ কেউ সাক্ষী দিয়েছেন, আমরা সাদা পোশাক পরিহিত কিছু ব্যক্তিকে আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করতে দেখেছি । তাদেরকে আমরা যুদ্ধের আগে কখনো দেখিনি, এমনকি যুদ্ধের পরও দেখিনি । আবার কিছুসংখ্যক সাহাবি বলেছেন, আমরা তরবারি ব্যবহারকারীকে দেখছি না, কিন্তু তরবারিটি দেখছি । তাদের তরবারিগুলো আমাদের তরবারির চেয়ে দৈর্ঘ্যে অনেক লম্বা এবং সেগুলো শত্রুপক্ষকে ঘায়েল করছিলো । সেদিন সাদা পোশাক পরিহিত ফেরেশতাদের আকৃতি কারো চোখে দেখা গিয়েছিল, আবার কারো চোখে দেখা যায়নি । মূলত তারা ছিল আল্লাহর প্রেরিত ফেরেশতা । মুসলমানদের হয়ে বদরের প্রান্তরে তারা যুদ্ধ করেছিলো ।
সৈন্য সংখ্যা ও হতাহত সংখ্যা
বদরের যুদ্ধে মুসলমানদের সৈন্যসংখ্যা আর কাফেরদের সৈন্য সংখ্যা সম্পর্কে ছোটখাটো মতপার্থক্য আছে । তবে যে মতামতটি জোরালোভাবে গ্রহণযোগ্য সেটা এ রকম : মুসলমানেরা ছিলেন ৩১৩ জন, অপরপক্ষে কাফেরদের সংখ্যা ছিল এক হাজার । মুসলমানদের ৩১৩ জন সাহাবির মধ্যে ৮৫ জন ছিলেন মুহাজির সাহাবি, বাকি সবাই ছিলেন মদিনার আনসার । আনসারদের মধ্যে ৬১ জন আওস গোত্রের আর ৬৯ জন ছিলেন খাজ��াজ গোত্রের । পুরো ৩১৩ জনের দলে উট ছিল ৭০টি আর ঘোড়া ছিল মাত্র দু’টি । অপরপক্ষে, কাফেরদের এক হাজারের দলের ৬০০ জনের কাছে ছিল দেহ রক্ষাকারী বর্ম এবং তাদের কাছে ঘোড়া ছিল ২০০ এবং উট ছিলো ৬০০টি । যুদ্ধ শেষে দেখা গেলো, কাফেরদের মধ্য থেকে ৭০ জন নিহত হয়েছে এবং ৭০ জন হয়েছে বন্দী । মুসলমানদের মধ্য থেকে শহীদ হয়েছিলেন ১৪ জন, তার মধ্যে ছয়জন ছিলেন মুহাজির সাহাবা, অপর আটজন ছিলেন আনসার সাহাবা ।
উপসংহার ও শিক্ষণীয়
বদরের যুদ্ধ ছিল মুসলমানদের জন্য প্রথম সমন্বিত এবং যতোটুকু সম্ভব, পরিকল্পিত যুদ্ধ । যুদ্ধের ময়দানে সুবিধাজনক অবস্থান নেয়া, পানির উৎস নিয়ন্ত্রণে রাখা, সূর্যের আলোর কথা বিবেচনা করে সৈন্যদের দাঁড় করানো এবং যুদ্ধের আগে শত্রুদলের চারপাশ পর্যবেক্ষণে রাখা ইত্যাদি বিষয় শিক্ষণীয় । সবচেয়ে বড় শিক্ষণীয় বিষয় ছিলো, অজাগতিক তথা সব কিছুর জন্য আল্লাহর ওপর ভরসা বা তাওয়াক্কুল করা । সংখ্যার আধিক্যকে নয়, শত্রু বিরুদ্ধে একাগ্র মনোনিবেশ করা ।
নিজের দ্বারা সম্ভব সর্বপ্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করা, কিন্তু সাফল্যের জন্য সে প্রস্তুতির ওপর নির্ভর করা যাবে না । নির্ভর করতে হবে একমাত্র আল্লাহ তায়ালার ওপর । বদরের যুদ্ধে মুসলমানেরা জয়ী না হলে কী হতে পারতো, সেটা কল্পনা করার প্রয়োজন নেই । আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার অসীম দয়া আর মেহেরবানির বদৌলতে মুসলমানদের অগ্রযাত্রার ভিত্তি সুদৃঢ় হয়েছিলো এবং বদরের যুদ্ধের মাধ্যমে তিনি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন । আজ চৌদ্দ শ’ আটত্রিশ বছর পর বিশ্বের সর্বস্তরের মুসলমান সেই অকুতোভয় সৈনিকদের স্মরণ করবেন এবং প্রয়োজনে বদরের মতো যুদ্ধক্ষেত্রে যাতে যেতে পারেন, সেই মানসিকতায় বলীয়ানরূপে নিজেদেরও সজ্জিত করবেন বলে আশা করি । তবে বদরের যুদ্ধ যেমন ছিল আত্মরক্ষার্থে, তেমনি মুসলমানদের যুদ্ধ হবে আত্মরক্ষার্থে, সত্যের অনুকূলে, নির্যাতিত-নিপীড়িত, মজলুমদের অনুকূলে এবং কল্যাণ কামনায় ।
শামীম সাঈদী
চেয়ারম্যানঃ আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশন
0 notes
shortstories7c · 2 years ago
Photo
Tumblr media
সাত কলেজ ক্যাম্পাসের গল্প: ২৬৯ #7cstories #বদরুন্নেসা_কলেজ https://www.instagram.com/p/CmEFI0kyXsZ/?igshid=NGJjMDIxMWI=
0 notes
zonaeid · 1 year ago
Text
Tumblr media
সম্মানিত বদর জিহাদ মূলত: খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনা�� খাছ গায়েবী মদদের ঘটনা। যারা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ অনুযায়ী চলেন, খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার উপর পূর্ণ তাওয়াক্কুল করেন, উনারাই গায়েবী মদদের অধিকারী হন। আর যারা সন্ত্রাসী হামলা চালায় ও সন্ত্রাসবাদ লালন করে তারা মুরতাদ ও জাহান্নামী। সন্ত্রাসীদের উপর খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত। সন্ত্রাসী আর মুজাহিদ কখনও এক নয়। সন্ত্রাসী হামলা আর জিহাদ কখনও এক নয়।)
গত ২৫শে শাহরুল আ’যম শরীফের পর:
=============================
প্রসিদ্ধ তারিখ ও সীরত গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে, হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আবূ জেহেলকে সন্ধান করার জন্য নির্দেশ মুবারক দিয়ে বলে দিয়েছিলেন যে, আবূ জেহেলকে শনাক্ত করতে যদি আপনাদের অসুবিধা হয় তাহলে আপনারা তার হাঁটুতে একটা পুরাতন যখমের চিহ্ন দেখবেন। ঘটনা হচ্ছে, বাল্যকালে আমি এবং আবূ জেহেল একদিন আব্দুল্লাহ ইবনে জাদআনের বৈঠকখানায় কোনো একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে থাকি। একপর্যায়ে সে আমার সম্পর্কে এলোমেলো কথা বলে। কথার একপর্যায় তাকে ধাক্কা দিলে সে উপুড় হয়ে পড়ে যায় এবং তার এক হাঁটুর চামড়া ছিঁড়ে যায়। সেই যখমের চিহ্ন তার হাঁটুতে আজ পর্যন্ত রয়েছে। ফক্বীহুল উম্মত হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, “আমি বদর ময়দানে আবূ জেহেলকে দেখে চিনলাম। তখনো তার প্রাণ শেষ হয়ে যায়নি। আমি তার ঘাড়ের উপর পা রাখলাম। আমি তাকে সম্বোধন করে বললাম, হে মহান আল্লাহ পাক উনার দুশমন! মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাকে লাঞ্ছিত করেছেন। আবূ জেহেল আমাকে জিজ্ঞেস করলো, আজকের বিজয় কোন দলের? আমি বললাম, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের জন্যই আজকের বিজয়।
অন্য বর্ণনায় রয়েছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি যখন আবূ জেহেলকে হত্যা করে তার মাথা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে নিয়ে আসলেন, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জিজ্ঞেস করলেন, “এটা কার মাথা”? আমি বললাম, আবূ জাহিলের মাথা। তার কথা-বার্তাও আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট পৌঁছে দিলাম। তিনি তাকবীর ধ্বনি মুবারক দিলেন এবং বললেন, “এ ছিলো আমার এবং আমার উম্মতের মাঝে ফিরআউন। যার অপকর্ম ও ফিতনা হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সময়ের ফিরআউনের অপকর্ম ও ফিতনা থেকে অনেক বেশি। ফিরআউন সে তার মৃত্যুকালে কালিমা শরীফ পড়তে চেয়েছিলো কিন্তু এ উম্মতের ফিরআউন সে তার মৃত্যু কালেও কুফরী ও অহংকারের বাক্য উচ্চারণ করেছে। এই কাট্টা কাফির আবূ জাহিল মূলত কুফরী ও অপকর্মে সমস্ত উম্মত অপেক্ষা অগ্রগামী। মৃত্যুকালে তার জ্ঞানচক্ষু খুলেনি। মৃত্যু যন্ত্রণায় তার কুফরী ও অহংকারে কাঁপন ধরেনি, বরং মৃত্যুর সময় তার কুফরী ও অহংকার বৃদ্ধি পেয়েছিলো”। নাউযুবিল্লাহ!
উল্লেখ্য যে, আবূ জেহেলের প্রকৃত নাম ছিলো আবুল হাকাম। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাকে আবূ জাহিল বলে সম্বোধন করেছিলেন। তখন থেকে সে আবূ জেহেল বা মূর্খের পিতা নামে ��শহূর হয়। যতদিন সে জীবিত ছিলো, তার থেকে সর্বপ্রকার মূর্খতা ও কুফরীর জন্ম নিয়েছিলো। নাউযুবিল্লাহ!
-আল্লামা মুহম্মদ জাহাঙ্গীর হুসাইন।
আরোও জানতে ক্লিক করুন : https://sm40.com/post/50979_a-a-a-a-a-a-a-a-a-a.html
#12shareef
#90DaysMahfil
0 notes
atikurrashid · 1 year ago
Video
youtube
Gaza tul HInd
নূরে মুজাস্সাম হাবিবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  একদিন পুর্ব দিকে তাকিয়ে বড় বড় নিশ্বাস নিচ্ছিলেন। এমন সময় এক সাহাবী নূরে মুজাস্সাম হাবিবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনাকে জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ ইয়া হাবিবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  আপনি এমন করছেন কেন? নূরে মুজাস্সাম হাবিবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনি বললেন, আমি পুর্ব দিকে বিজয়ের গন্ধ পাচ্ছি। সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ ইয়া হাবিবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  আপনি কিসের বিজয়ের গন্ধ পাচ্ছেন? নূরে মুজাস্সাম হাবিবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  বললেন, পুর্ব দিকে মুসলিম ও মুশ*রিকদের (যারা মুর্তি*পুজা করেন) তাদের সাথে যু*দ্ধ শুরু হবে। যুদ্ধটা হবে অসম। মুসলিম সেনাবাহিনী থাকবে সংখ্যায় সীমিত কিন্তু মুশরিক সেনাবিহিনী থাকবে সংখ্যায় অধিক। ঐ যুদ্ধে মুসলিমরা এত বেশি মারা যাবে যে রক্তে মুসলিমদের পায়ের টাকুনি পর্যন্ত ডুবে যাবে। ঐ যুদ্ধে মুসলিমরা তিন ভাগে বিভক্ত থাকবে: এক ভাগ বিশাল মুশরিক বাহিনী দেখে ভয়ে পালিয়ে যাবে তারাই হলো জাহান্নামী। আর এক ভাগ সবাই যুদ্ধে শহীদ হবেন। শেষ ভাগ আল্লাহর ওপর ভরসা করে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে এবং শেষ পর্যন্ত জয় লাভ করবেন। নূরে মুজাস্সাম হাবিবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনি বলললেন,  এই যুদ্ধ বদর যুদ্ধ সমতুল্য (সুবহানাল্লাহ) তিনি আরো বলেছেন ঐ সময় মুসলিমরা যে যেখানেই থাকুক না কেন তারা যেন সেই যুদ্ধে শরিক হন। (নাসায়ী শরীফ ৩১৭৬ সুনানে আবু দাউদ শরীফ খন্ড ০৬,পৃষ্টা ৪২)
0 notes
alibaba1xk · 2 years ago
Text
সুদান থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ৫২ বাংলাদেশি
যুদ্ধকবলিত সুদান থেকে জেদ্দা হয়ে দেশে ফিরেছেন আরো ৫২ বাংলাদেশি। বৃহস্পতিবার সকা‌ল সা‌ড়ে ১০টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে দে‌শে ফেরে‌ন তারা। এর আগে বুধবার ১৭৬ বাংলা‌দে‌শি পোর্ট সুদান থে‌কে সুদানের বদর এয়ারলাইনসের বি‌শেষ ফ্লাই‌টে জেদ্দায় পৌঁছান, যাদের মধ্যে ৫২ জন দে‌শে ফি‌রে এলেন আজ।  রিয়া‌দের বাংলা‌দেশ দূতাবা‌সের দেওয়া তথ‌্য অনুযায়ী, আজকের ম‌ধ্যে কাতার এয়ারলাইনসে আরো…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
ndtvbd24 · 2 years ago
Text
সুদান থেকে দেশে ফিরলেন আরো ৫২ বাংলাদেশী
সঙ্ঘাতপূর্ণ সুদান থেকে জেদ্দা হয়ে দেশে ফিরেছেন আরো ৫২ বাংলাদেশী। আজ সকা‌ল সা‌ড়ে ১০টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে দে‌শে ফেরে‌ন তারা। এর আগে বুধবার ১৭৬ বাংলা‌দে‌শী পোর্ট সুদান থে‌কে সুদানের বদর এয়ারলাইন্সের বি‌শেষ ফ্লাই‌টে জেদ্দায় পৌঁছান, যাদের মধ্যে আজ ৫২ জন দে‌শে ফি‌রলেন। রিয়া‌দের বাংলা‌দেশ দূতাবা‌সের দেয়া তথ‌্য অনুযায়ী, আজকের ম‌ধ্যে কাতার এয়ারলাইন্সে আরো ১৩০ জন এবং মদিনা থেকে…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
somoysangbad24 · 2 years ago
Text
সুদান থেকে ফিরেছেন আরও ৫২ বাংলাদেশি
সময় সংবাদ রিপোর্টঃ যুদ্ধকবলিত সুদান থেকে সৌদি আরবের জেদ্দা হয়ে দেশে ফিরেছেন আরও ৫২ বাংলাদেশি। আজ বৃহস্প‌তিবার সকা‌ল সা‌ড়ে ১০টার পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। এর আগে গতকাল বুধবার পোর্ট সুদান থে‌কে সুদানের বদর এয়ারলাইন্সের বি‌শেষ ফ্লাই‌টে জেদ্দায় পৌঁছান ১৭৬ বাংলা‌দে‌শি। তা‌দের ম‌ধ্যে থে‌কে আজ ৫২ জন দে‌শে ফি‌রে আসেন। রিয়া‌দের…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
aqidahofficial · 2 years ago
Text
আজ ২১ রমজান ইসলামের চতুর্থ খলিফা শেরে খোদা হযরত আলী (রা )'র ওফাত দিবস!
#শুভ_বেলাদতঃ
১৩ রজব হিজরতের ২৩ বছর পূর্বে ১৭ মার্চ, ৫৯৯ সনে পবিত্র মক্কার কাবাগৃহে জন্মগ্রহণ করেন।
#হযরত আলী বিন আবী তালিব (রাঃ) হলেন ইসলামের চতুর্থ খলিফা, আহলে বায়াতের সদস্য, বালায়তের সম্রাট, নবী করিম ﷺ'র চাচাতো ভাই ও জামাতা। বালকদের মধ্যে তিনি সর্ব প্রথম নবুয়তের ডাকে সাড়া দিয়ে মাত্র ১০ বছর বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন অকুতভয় যোদ্ধা। বদর যুদ্ধে বিশেষ বীরত্বের জন্য হযরত মুহাম���মদ ﷺ তাঁকে "জুলফিকার" নামক তরবারি উপহার দিয়েছিলেন। খাইবারের সুরক্ষিত কামূস দুর্গ জয় করলে মহানবী (ﷺ) তাঁকে "আসাদুল্লাহ" বা আল্লাহর সিংহ উপাধী দেন।
হযরত আলী (রাঃ) সম্পর্কে রাসুল ﷺ এরশাদ করেছেন, আলী সব সময়ই হকের পথে থাকবে। “আলী (রা.)-কে মহব্বত করা ঈমান, আর আলী(রা.)’র সঙ্গে শত্রুতা করা মুনাফেকী” (মুসলিম, ১ম খণ্ড, পৃ-৪৮)
“আমি জ্ঞানের শহর, আলী তার দরজা”
(সহি তিরমিজি, ৫ম খণ্ড, পৃ;২০১)
“যে আলীকে দোষারোপ করল, সে আমাকে দোষারোপ করল, আর যে আমাকে দোষারোপ করল সে খোদাকে দোষারোপ করল। আল্লাহ তাকে মুখ নিচু করে দোজখে নিক্ষেপ করবেন।”
(সহি বুখারী-দ্বিতীয় খণ্ড, সহি মুসলিম- দ্বিতীয় খণ্ড, সহি তিরমিজি, ৫ম খণ্ড)।
“আমি যার মাওলা আলীও তার মাওলা। হে খোদা যে আলীর সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখে তুমিও তার সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখ, যে আলীর সাথে শত্রুতা রাখে তুমিও তার সাথে শত্রুতা রাখ।”
(সহিহ মুসলিম, ২য় খণ্ড, পৃ-৩৬২, মুসনাদে
ইমাম হাম্বল, ৪র্থ খণ্ড, পৃ-২৮১)
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছন, আমি যার বন্ধু, আলীও তার বন্ধু।
(তিরমিযীঃ৩৭১৩)
রাসুল ﷺ আরো অনেক হাদিছে হযরত আলী (রাঃ)'র বীরত্ব, ন্যায় পরায়ন, সাহসীকতা সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছেন। ওনার ইবাদতকে সমগ্র তারকারাজির সাথে তুলনা করেছেন। উপরে বর্ণিত হাদিছ, “আমি জ্ঞানের শহর, আলী তার দরজা” এর ব্যাখ্যায় অনেক সূফী-আলেমগণ বলেছেন যে, যেহেতু রাসুল (দঃ)'র আওলাদগণ কিয়ামত পর্যন্ত হযরত আলীর মাধ্যমে বেলায়তের ধারক হয়ে মানুষকে ইসলামের সঠিক পথ প্রদর্শন করবেন, তাই জ্ঞানের শহরের দার হিসেবে তুলনা করেছেন।
#শাহাদাত_বরণঃ
"১৯ শে রমজান সালাতরত অবস্থায় আবদুর র��মান ইবনে মুলজিম নামক এক খারেজীর আক্রমনে তিনি মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে তিন দিন পর ২১ শে রমজান ৪০ হিজরি মোতাবেক ২৭ জানুয়ারী শাহাদাত বরণ করেন। ইরাকের নজফে ওনার মাযার শরীফ অবস্থিত।"
#মুশকিলে আ-ছান ফরমা রঞ্জ ও গম্ ছব্ দূর কর্
ছাহেবে জূ-দ ও ছখা শেরে খোদাকে ওয়াস্তে...
#আমিন..
Tumblr media
1 note · View note