#পরিস্থিতি বুঝে
Explore tagged Tumblr posts
Text
নতুন বছরে ‘ওয়েট অ্যান্ড সি পজিশনে’ বিএনপি
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে নিয়মিত জাতীয় নির্বাচনের দাবি করলেও মুখ্যত বিএনপি ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার পক্ষে। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলীয়ভাবে বড় কোনও সিদ্ধান্তেও যাচ্ছে না দলটি। এ ক্ষেত্রে নীতিনির্ধারকরা আরও ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি বুঝে সামনে এগোনোর পক্ষে। নতুন বছরে তাই বিএনপি অনেকটাই ‘ওয়েট অ্যান্ড সি পজিশনে’ রয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য বাংলা ট্রিবিউনকে…
0 notes
Text
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল যাচাই করুন Rubel AR Trader
ভালো মার্কেট চেনার জন্য ট্রেডিংয়ে কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করা জরুরি। মূলত সঠিক মার্কেট নির্বাচন আপনার সফলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো যা আপনাকে ভালো মার্কেট চেনার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে:
১. মার্কেটের ট্রেন্ড বিশ্লেষণ করুন Rubel AR Trader মার্কেটে বর্তমানে কোন ট্রেন্ড চলছে, তা বুঝতে চেষ্টা করুন। বুল মার্কেট (বাজার ঊর্ধ্বমুখী) এবং বেয়ার মার্কেট (বাজার নিম্নমুখী) কোনটি চলছে তা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আপনি চার্ট বিশ্লেষণ করতে পারেন এবং ট্রেন্ড লাইন বা মুভিং এভারেজ ব্যবহার করতে পারেন।
২. ভলিউম দেখুন ভলিউম হলো বাজারে কতটা লেনদেন হচ্ছে তা দেখার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি। বেশি ভলিউম মানে অনেক ব্যবসায়ী ওই মার্কেটে সক্রিয় এবং এটি বাজারের শক্তিশালী হওয়ার একটি সূচক হতে পারে। Rubel AR Trader
৩. ভোলাটিলিটি (উৎকণ্ঠা) পর্যবেক্ষণ করুন যে মার্কেট বেশি পরিবর্তনশীল, সেখানে লেনদেনের সুযোগও বেশি থাকে। তবে, ভোলাটাইল মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণও হতে পারে, তাই আপনাকে সাবধান থাকতে হবে। Trading Master Rubel AR
৪. ম্যাক্রোইকোনমিক ফ্যাক্টর বিবেচনা করুন অর্থনীতির সামগ্রিক পরিস্থিতি যেমন সুদের হার, মুদ্রাস্ফীতি, এবং সরকারী নীতি ট্রেডিং মার্কেটের উপর প্রভাব ফেলে। এই বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করে আপনি একটি ভালো মার্কেট খুঁজে পেতে পারেন।
৫. সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল যাচাই করুন মার্কেটে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল গুরুত্বপূর্ণ। এই লেভেলগুলো মার্কেটের প্রবণতা এবং মোড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়, যা ভালো এন্ট্রি এবং এক্সিট পয়েন্ট নির্ধারণে সহায়ক হতে পারে।
৬. ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস করুন কোন প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে ট্রেড করছেন, তার ভিত্তিমূল্য, আয়, লাভ এবং অন্যান্য মৌলিক ফ্যাক্টর বিশ্লেষণ করা উচিত। এটি আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী ভালো মার্কেট চেনার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। Trading Master Rubel AR
৭. সেন্টিমেন্ট এনালাইসিস বাজারে বিনিয়োগকারীদের মনোভাব বা সেন্টিমেন্টও প্রভাব ফেলে। সামাজিক মিডিয়া, খবর, এবং ব্যবসায়ীদের অনুভূতি বুঝে মার্কেটের দিকনির্দেশনা ধারণা করতে পারেন। Trading Master Rubel AR
৮. রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কৌশল প্রয়োগ করুন মার্কেট যত ভালোই হোক, রিস্ক ম্যানেজমেন্টের কথা মাথায় রাখতে হবে। লস কাটানোর জন্য স্ট��� লস ব্যবহার এবং লাভ নেওয়ার জন্য প্রিপ্ল্যানড টার্গেট ব্যবহার করুন। Rubel AR Trader
এইসব কৌশল প্রয়োগ করে ভালো মার্কেট চেনা এবং সফল ট্রেডিং করা সম্ভব।
0 notes
Link
দাম্পত্যকে টিকিয়ে রাখতে চাইলে একে অপরকে
0 notes
Link
0 notes
Text
অর্ধশতক ধরে নিষেধাজ্ঞা ছিল ভারতের এই গ্রামে, পুলিশি নিরাপত্তায় অবশেষে মন্দিরে ঢুকলেন দলিতরা
চেন্নাই: এই ভারতেই রয়েছে আরও একটি ভারত। প্রায় নিত্যদিনই প্রমাণ মেলে তার। এবার প্রমাণ মিলল তামিলনাড়ুতে। প্রায় অর্ধশতক ধরে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পর, বুধবার সেখানে মন্দিরে প্রবেশের অধিকার পেলেন দলিত সম্প্রদায়ের মানুষজন। তবে খোলা মনে দর্শন হল না। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বুঝে পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করতে হল তাঁদের। সেই খবর ছড়িয়ে পড়েছে মুখে মুখে। (Viral News) তামিলনাড়ুর তিরুআন্নামালাই জেলার…
View On WordPress
#Dalit Community#Mariamman Temple#News#Tamil Nadu News#Viral News#তামিলনাড়ু#দলিত#ভাইরাল খবর#মন্দিরে প্রবেশাধিকার
0 notes
Text
গ্রাহককে আগাম কোনো তথ্য না জানিয়েই ঋণের সুদ বাড়াচ্ছে ব্যাংক
নতুন সুদের হার অনুযায়ী বাড়তি কিস্তি কাটা শুরু করেছে কিছু ব্যাংক। আবার কিছু ব্যাংক অপেক্ষা করছে পরিস্থিতি বুঝে ওঠার জন্য। ঋণের সুদহার বাড়ানো শুরু করেছে ব্যাংকগুলো। গ্রাহক ভেদে ঋণের সুদহার বছরে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ১৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। ইতিমধ্যে নতুন সুদহার আরোপ করে বাড়তি কিস্তিও কাটা শুরু হয়েছে। গ্রাহককে আগাম কোনো তথ্য জানানো হয়নি। প্রতি মাসে ঋণের কিস্তি দিতে হয়, এমন যাঁদের ব্যাংকঋণ রয়েছে, তাঁদের…
View On WordPress
0 notes
Text
‘মোখা’র পরিস্থিতি বুঝে এসএসসি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উদ্ভূত পরিস্থিতি বুঝে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডর চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। শুক্রবার (১২ মে) দুপুরে এ কথা জানান তিনি। এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ মে) ট্রেজারি, থানা ও পরীক্ষা কেন্দ্রে রক্ষিত পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল গোপনীয় মালামাল নিরাপদ ও সতর্কতার সঙ্গে সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেওয়া…
View On WordPress
0 notes
Text
'পরিস্থিতি বুঝে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়া হবে' : মাহবুব আলী
‘পরিস্থিতি বুঝে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়া হবে’ : মাহবুব আলী
টপ নিউজ ডেস্ক : করোনা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রয়োজন হলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়া হবে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। আজ সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা মহড়া অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।�� প্রতিমন্ত্রী জানান, বেসামরিক বিমান পরিবহন, স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র ��ন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে করোনা পরিস্থিতি…
View On WordPress
0 notes
Text
পরিস্থিতি বুঝে নভেম্বর বা ডিসেম্বরে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা
পরিস্থিতি বুঝে নভেম্বর বা ডিসেম্বরে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা
করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নভেম্বরের শেষে বা ডিসেম্বরের শুরুতে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম উপস্থিত ছিলেন। সরকারি সিদ্ধান্ত…
View On WordPress
0 notes
Text
পরিস্থিতি বুঝে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানঃ প্রধানমন্ত্রী
পরিস্থিতি বুঝে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানঃ প্রধানমন্ত্রী
সিনিয়র করসপন্ডেন্ট, ঢাকাঃ করোনা ভাইরাসের কারণে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা অবস্থা বুঝে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকে লক্ষ্য রেখে কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান তিনি। মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের চলতি বছরের প্রথম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালে আমরা…
View On WordPress
0 notes
Text
নোট দিয়ে যায় চেনা
নোট দিয়ে যায় চেনা
ভারতীয় অর্থনীতির ইতিহাসে নতুন চমক! বাতিল ৫০০ ও ১০০০ টাকার প্রচলিত সব নোট। সাধু উদ্যোগ! বলছেন অনেকেই। অনেকেই শুনে বলছেন। অনেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের সমর্থনে বলছেন। করণ ভারতে লেনদেন হওয়া কালো টাকা রুখতে এবং বাজারে ছড়িয়ে পড়া জাল ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের প্রভাবকে স্তব্ধ করে দিতেই এই উদ্যোগ। উদ্যোগ সাধু বলেই মনে করছেন- যাঁরা জীবনে কখনো কালোটাকা চোখে দেখেননি তাঁদের অধিকাংশই। অনেকেরই আশা এইবার কোটি কোটি কালোটাকা উদ্ধার হবে। অনেকেই জানাচ্ছেন বাজার থেকে জালটাকা ��রে গেলেই মুদ্রাস্ফীতির হার কম হবে। আর সেই তত্বের উপর ভিত্তি করেই অধিকাংশ মানুষের আশা, যদি এবার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যস্তর হ্রাস পায়। আবার অনেকেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন এইভাবে যে এইযে কদিন ব্যংক ও এটিএম পরিষেবা বন্ধ থাকবে তাতে তাদের কোন অসুবিধা হবেই না। তাঁরা তো আর নগদটাকায় কারবার করেন না। এবং অনেকেই নিশ্চয়ই মুচকি মুচকি হাসছেন। যাঁদের হিসাব বহির্ভূত টাকা কখনোই নগদে থাকে না। কিংবা থাকলেও তা থাকে সুইস ব্যংকের নিশ্চিত ভল্টে। যেখানে ভারতীয় সুপ্রীমকোর্টের হাতও গিয়ে পৌঁছায় না। তাহলে কাঁদছেন কারা? এইটাই এখন লাখটাকার প্রশ্ন। ভারতীয় গণতন্ত্রের মূল চেহারাটা দেখতে গেলে এখন খুঁজতে হবে তাঁদেরকেই। তবে প্রশ্ন হলো এই যে যাঁরা এই খবরে কেঁদে ভাসাচ্ছেন, তাদের সংখ্যা শতাংশের হিসাবে কত? এবং আরও বড়ো প্রশ্ন হলো তাঁদের চোখের জলে কি দেশের সব কালো টাকাই ধুয়ে যাবে এবার? বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার যে এক লক্ষ ছিয়াশী হাজার কোটি টাকা বিদেশ থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার করেছিল, এই উদ্যোগে কি সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের কোন সম্ভাবনা তৈরী হলো? এইসমস্ত প্রশ্নই এখন সাধারণ মানুষের মনে ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু সমস্যায় পড়েছেন তাঁরাই যাদের কাছে এই মুহূর্ত্তে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের সংখ্যাই বেশি। কিভাবে এতগুলো বাতিল অথচ কস্টার্জিত টাকা আবার সচল টকায় বদলিয়ে নেবেন সেই ভেবেই উৎকণ্ঠায় বহু মানুষ। দুদিন পর ব্যাংক খুললেই যে সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে, বিষয়টি তেমনটি নয়। জানেন অনেকেই। বাতিল টাকাগুলিকে সরকারী ব্যাংক ও পোস্টঅফিসের কাউন্টার থেকে বদলিয়ে নেওয়ার যে যে নিয়মগুলি বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সেগুলি মোটেই খুব একটা সুখকর নয়। এইরকম শতকোটির দেশে এই কাজটি যে মসৃন ভাবে হবে না সে কথা দেশবাসী মাত্রেই বুঝতে পারছেন। জনগণকে যে কোন রকমের বিপদ ও কষ্টকর অভিজ্ঞতা থেকে সুরক্ষা দেওয়ার বদলে, বিপদ ও কষ্টের মধ্যে ঠেলে দেওয়ার এই রকমের উদ্যোগের বিরোধীতায় সরবও হয়েছেন অনেকে। বিশেষত সরকার বিরোধী পক্ষগুলি, যারা পরবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতার কেন্দ্রের চাবিকাঠিটি হস্তগত করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তলায় তলায়। তাদের বক্তব্য জনগণের হয়রানি ঘটানো কোন জনদরদী সরকারের কাজ হতে পারে না। তাই বর্তমান সরকারের ��নদরদী ভাবমূর্ত্তির আড়ালে লুকিয়ে থাকা আসল মুখটিকে বেআব্রু করতেই তারা শান দিচ্ছেন যুক্তিতে। কিন্তু সে তো গেল নির্বাচনমুখী ধনতান্ত্রিক আর্থনীতির ক্ষমতা দখলের রাজনৈতিক লড়াইয়ের ণত্ব ষত্ব। সাধারণ মানুষেকে এই পরিস্থিতিতে ঠিক কি রকম অবস্থায় পড়তে হলো, সেটাই বরং দেখে নেওয়া যেতে পারে সবার আগে। পরপর দুদিন ব্যাংক ও এটিএম পরিসেবা বন্ধ। দোকান বাজারে অচল ৫০০ ও ১০০০ টকার নোট। মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছে না সহজে। বাসে ট্রেনে কোথাও ভাঙানো যাচ্ছে না এই টাকা। বিশেষ করে যারা বিদেশ থেকে এসেছেন তাদের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। পকেট ভর্ত্তি ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকরা নোটের বাণ্ডিল নিয়েও সারাদিন না পারছেন খিদের মুখে খাবার কিনে খেতে, না পারছেন ঠিকমত গন্তব্যে গিয়ে পৌঁছাতে। আরও বেকায়দায় পড়েছেন তাঁরা যাঁরা অসুস্থ রুগী নিয়ে এদেশে এসেছেন বেসরকারী হাসপাতলে চিকিৎসা করাতে। জরুরী চিকিৎসাই গিয়েছে আটকিয়ে। বিদেশে এসে হঠাৎ এই বিপর্যয়ের সামনে পড়ে স্বভাবতঃই দিশেহারা সকলেই। চারিদিকে ১০০ টাকার নোটের জন্যে হাহাকার। মওকা বুঝে একদল মানুষে ১০০০ টাকার নোট ভাঙিয়ে দিচ্ছেন ৮০০ টাকায়। একটা নোটেই ২০০ টাকার লাভের মুখ দেখা। জরুরী ওষুধপত্তর কিনতে গিয়ে নাজেহাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, কটা দিন এই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হলেও ক্রমে স্বাভাবিক হয়ে আসবে পরিস্থিতি। জনগণকে এই কষ্টটুকু মেনে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে জানানো হচ্ছে, কালোটাকার দৌরাত্ম রুখতে ও জালটাকা ঠেকাতে এই দওয়াইটিই জরুরী ছিল। এবং দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তুলতে এর নাকি সুদূরপ্রসারী ফল ফলবে। তাই আজকের কষ্ট কালকের আরাম। এই আশ্বাসই দেওয়া হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। আর সেইটাকেই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলে অভিনন্দিত করছেন কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকেরা। আসুন এবার দেখে নেওয়া যাক, পরশু ব্যংক খুললে সাধারণ মানুষ কিভাবে এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পেতে পারেন। বলা হচ্ছে, ব্যাংক খুললেই আপনার হাতে যত ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বা নোটের বাণ্ডিল থাকুক না কেন, আপনি আপনার প্রয়োজন মতোই কোন উর্দ্ধসীমা ছাড়াই আপনার ব্যাংক কিংবা পোস্ট
অফিসের একাউন্টে তা জমা করে দিতে পারবেন। তবে যাঁদের কেওয়াইসি করা নাই, তাঁদের ক্ষেত্রে টাকা জমা দেওয়ার উর্দ্ধসীমা থাকছে। এবং সেটি ৫০ হাজার। এটি অবশ্যই একটি ভালো কথা। আপনি এই অচল টাকাগুলির তোড়া থেকে মুক্তি পেলেন। কিন্তু নগদ সব টাকা ব্যাংকের একাউন্টে থাকলেই তো আর আপনার দিন চলবে না! আপনাকে সচল টাকা নগদে হাতে রাখতেই হবে ন��ত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য থেকে ওষুধপত্র ইত্যাদি খাতে ব্যায় করার জন্যে। হ্যাঁ মহামান্য সরকার সেই জন্যে’ই আপনাকে এককালীন ১০ হাজার ও সারা সপ্তাহে মোট ২০ হাজার টাকা তুলতে দেবে আপনার নিজস্ব সেভিংস একাউন্ট থেকে। এবং এই নিয়মাবলী আগামী কিছুদিন বহাল থাকলেও পরে নতুন টাকার যোগান বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে অনেকটাই শিথীল হতে পারে। আর এই সুযোগ আপনি পাবেন আগামি ৩০শে ডিসেম্বর পর্য্যন্ত। তার পরেও আপনার অচল টাকাগুলি সচল করতে হলে একমাত্র রিজার্ভ ব্যাংকের অনুমোদিত শাখাতেই নির্দিষ্ট মুচলেকার বিনিময়ে একই সুবিধে আপনি পেতে পারেন সামনের বছরের ৩১শে মার্চ অব্দি। কিন্তু যদি ধরা যাক, আপনার এখনো কোন ব্যাংক একাউন্টই নাই? তহলে কি উপায়? সেক্ষেত্রে যে কোন সরকারী ব্যাংক বা স্থানীয় পোস্ট আফিসে আপনি আপনার নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র দেখিয়ে এককালীন চার হাজার টাকা অব্দি এই বাতিল ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটগুলিকে সচল করে নিতে পারবেন পর্যায়ক্রমে। অর্থাৎ সরকারী দাবি মোতাবেক আপনার শাদা টাকা মার যাওয়ার কোন রাস্তা নাই। এবং সকলকেই সরকার থেকে আতঙ্কিত না হওয়ার আর্জি জানানো হচ্ছে ঠিক এই কারণেই। সেও ভালো কথা। কিন্তু তাহলে সরকারের বয়ান অনুযায়ী কারুরই কি আতংকিত হওয়ার কোন কারণ নাই? ধরা যাক তোলাবাজির ৫০০ কি ১০০০ টাকার নোটের বাণ্ডিলগুলি যাদের ঘর আলো করে থাকে সাধারণত কিছুদিনের জন্যে, অর্থাৎ নোটগুলি যতক্ষণ না সম্পদে কিংবা ভোগ্যপণ্যে কি পরিসেবায় গোত্রান্তরিত হচ্ছে। তাঁদেরও কি আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নাই? সেরকমটাই কি ধরে নিতে হবে? আমাদের! হ্যাঁ সে তোলাবাজীর টাকাই হোক আর ঘুষের টাকাই হোক, জুলুমবাজী করে হাতানো টাকাই হোক কিংবা চুরি জোচ্চোরি করে জোগাড় করা টাকার বাণ্ডিলই হোক, ৫০০ কিংবা ১০০০ টাকার নোটের তোড়ায় থাকলে, সেই টাকা আজ থেকেই অচল কাগজে পরিণত হয়ে গেল কিন্তু। আপনি ঐ টাকা আর কোন কিছুইতেই ইনভেস্ট করতে পারবেন না। কিন্তু এমন নগদ নারায়ণ কতজনের বাড়িতে আছে এখন? আছে অনেকজনের বাড়িতেই আছে। কারণ দেশটার নাম ভারতবর্ষ। আর দেশটার নাম ভারতবর্ষ বলেই সেই নগদ নারায়ণেরও একটা বড়ো অংশ কোন না কোন ফাঁকফোঁকর দিয়ে যে আবারও শাদা টাকায় ভোল বদলিয়ে ফেলবে না, সে কথা কি জোর দিয়ে বলা যায়? যেখানে নির্বাচিত বিধা���কদেরকেও নগদ টাকায় রাজনীতির হাটে কেনা বেচা হয় অবাধে? তাই বিষয়টি যতটা সহজ বলে ভাবছেন অনেকে, আদৌ কিন্তু সেরকম নয়। এবার দেখা যাক, তথাকথিত কালোটাকার বিরুদ্ধে সরকারী এই প্রতিষেধকের আওতার বাইরে রয়ে গেলেন কারা? এটা এখন প্রায় সকলেরই জানা যে ভারতীয় কালোটাকার সি��হ ভাগই দেশের বাইরে খাটে। বিশেষ করে সুইস ব্যাংকের সুরক্ষিত লকারে যা সুদে আসলে বাড়তেই থাকে। এই টাকাগুলির মালিকরা নিশ্চয়ই সরকারী ব্যাংকের টাকা ভাঙানোর লাইনে দাঁড়িয়ে ১০০ টাকায় কি নতুন ৫০০ কিংবা ২০০০ টাকায় সেই কালোটাকা ভাঙিয়ে নেবেন না! এদের বাইরে কালোটাকার পরবর্তী সিংহ ভাগ খাটে স্থায়ী সম্পদের লগ্নীতে। এই যেমন রিয়েলএস্টেটের ব্যবসায়ে। সেই সব ইনভেস্টমেন্টে কালোটাকার কার কত ভাগ তার হিসাব নিয়েও কেউ সরকারী দপ্তরে গিয়ে ধর্ণা দেবেন না নিশ্চয়ই। বাকি থাকল সোনা রূপো হীরেজহরতে লগ্নী করা কালোটাকার সিংহভাগ। সেই সব কালোসোনা নিশ্চয়ই কেউ সরকারের কোষাগারে জমা দিতেও ছুটবেন না। আর আমরা সবাই জানি, এইসব ক্ষেত্রেই কালোটাকার সিংহভাগ সুরক্ষিত ভাবে গচ্ছিত থাকে। যেখানে কোন সরকারী দাওয়াই গিয়ে পৌঁছায় না। ফলে কালোটাকা উদ্ধার- বাজারে চালু ৫০০ ও ১০০০ টাকা নোট বাতিল করে যে সম্ভব নয় সে কথা বুঝতে অর্থনীতির অআকখ না জানলেও চলে। তাহলে বাকি থাকল জালটাকাকে অচল করে দেওয়ার যুক্তিটি। বেশ, সরকারী এই দওয়াইতে বাজারে চালু সব জালটাকা আটকিয়ে গেল। মেনে নেওয়া গেল সেকথাও। কিন্তু আমাদের স্মরণে থাকতে পারে, সাম্প্রতিক অতীতে বাজারে যখন ৫০০ টাকার নোট প্রথমে চালু হয়, তখনই সেই নোটের জাল সংস্করণে বাজার ছেয়ে গিয়েছিল। ফলে এই মাসে যে নতুন ৫০০ টাকার নোট বাজারে আসছে সেও যে রাতারাতি জাল করা হবে না, সে নিশ্চয়তা কে দেবে? লক্ষ্যনীয় বিষয়, গতকালের সরকারী বিবৃতিতেও কিন্তু সেরকম কোন নিশ্চয়তা দেওয়া হয় নি দেশবাসীকে। অনেকেই ভাবতে পারেন, এবার নিশ্চয়ই এমন আটঘাট বেঁধে নতুন নোট বাজারে ছাড়া হবে, যা জাল করা সহজ কাজ হবে না। কথায় বলে আশায় বাঁচে চাষা। অবশ্যই আমরাও সে কথা বিশ্বাস করতেই চাইব। কিন্তু আগের বারেও ৫০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়ার সময় সরকার নিশ্চয়ই সেরকমই কোন ব্যবস্থা নিয়েছিল যাতে সেই নোট কেউ জাল করতে না পারে। কিন্তু তার ভবিষ্যৎ কি হলো সেটাই তো এখন ইতিহাস। ফলে সেই ইতিহাসেরও যে আবার পুনরাবৃত্তি হবে না সে কথা কে বলতে পারে। হলে তখনও কি আবার এই ভাবেই হঠাৎ
বাতিল করে দেওয়া হবে বেশ কিছু নোট? এর শেষ কোথায়? এবার আসা যাক পাকিস্তান ও চীন থেকে জালনোট ভারতের বাজারে ছড়িয়ে দিয়ে এদেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের প্রচলিত যুক্তিটিতে। যে যুক্তিতে তারা ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট জাল করে এদেশে ছড়িয়ে দিতে পারে, সেই একই যুক্তিতে ১০০ টাকার নোটও তো জাল করে ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে, ভারতীয় অর্থনীতিকে ধ্বংস করার জন্যে। সরকারপ্রেমীরা যদিও যুক্তি দিচ্ছেন, না সেরকম হবে না কেন না, ১টা ৫০০ টাকার নোট জাল করে যে লাভ সম্ভব, ৫টা ১০০ টাকার নোট জাল করে সেই লাভ করা সম্ভব নয়। অর্থাৎ তাদের কথা অনুযায়ী পাকিস্তান ও চীনে ১০০ টাকার জাল নোট তৈরীর সম্ভবানা নাই কারণ তাতে তাদের পরতায় পোষাবে না। কিন্তু দুটি বিদেশী রাষ্ট্র যখন পরিকল্পনা করে অপর একটি তৃতীয় রাষ্ট্রের সর্বনাশ করতে উঠে পড়ে লাগে, তখন তারা সেই ক্ষতিটাকেই সর্বোচ্চ করার চেষ্টা করবে, না লাভের পরতার হিসাব করবে? এই সামান্য য়ুক্তিটুকুও অনেকেই শুনতে রাজী নন। কারণ কাউকে সমর্থন করার কিছু দায়বদ্ধতা তো থেকেই যায়। যেখানে সব যুক্তিই ধরতে গেলে চলে না। তাই না? ফলত হঠাৎ বাজার থেকে সব ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট তুলে নিলেও কালোটাকা ও জালনোটের সমাধান হয়ে যাবে যারা ভাবছেন, তারা সত্যই আইভরী টাওয়ারে গদীয়ান। আর যারা সে কথা ভাবাচ্ছেন, তারা কিন্তু নির্দিষ্ট কোন পরিকল্পনাকে সফল করতেই তা করছেন। তবে কি সেই পরিকল্পনা সেটি বুঝতে হয়তো অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন। ৯ই নভেম্বর’ ২০১৬ কপিরাইট শ্রীশুভ্র কর্তৃক সংরক্ষিত
1 note
·
View note
Text
স্বাধীনতার ৫০ বছর: প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা
দেখতে দেখতে পঞ্চাশ বছর পর, যৌবনের দ্বার প্রান্তে দাঁড়িয়ে মধ্যবয়সের দিকে উকি দেয়া স্বাধীন বাঙলার তৃতীয় প্রজন্ম আপনা হতেই দায়িত্ব পায় স্বাধীনতাত্তোর হিসেব নিকেশ কষার। এমন গুরু দায়িত্বের ভারে নুজ্ব্য যুবা ব্যাতিব্যস্ত হয়ে পড়তে হয় সকল প্রাপ্তির নথিপত্র খুজে বের করতে। দু’য়ে দু’য়ে চার মেলে, কিন্তু কি বিচিত্র প্রাপ্তির হিসেব মেলে না। বাসন্তী বাতাসে তাই চায়ের কাপে দু চুমুক দিয়ে, গালমন্দটাই করতে ইচ্ছে করে বেশি। তবু বিক্ষিপ্ত গালমন্দে না গিয়ে সরাসরি সোজা সাপ্টা প্রাপ্তির চুলচেরা বিশ্লেষণটা কষ্ট সাধ্য হলেও, বাংলাদেশের সেটা আমাদের কাছে প্রাপ্য। আমাদের বাপ চাচারা যুদ্ধ দেখলো, দাদারা যুদ্ধ করলো আর আমরা স্বাধীনতার মশালবাহকদের উত্তরসূরী হয়ে কিছু বক্তব্যইতো পেশ করার প্রয়াস জ্ঞাপন করি।
যে মশালের আগুনে ৭১-এ দাহ হয়েছিলো অবাঙালী শাসকের দল সে মশালে আগুন লেগেছিলো সেই ৫২’তে। বাঙালী জাতি নি��� সংস্কৃতির মুক্তি লক্ষ্যে ত্যাগ স্বীকারে একমাত্র নির্দশন। আর আজ, নিজ হাতে নিজের সংস্কৃতি আমরা হত্যা করছে।
আমাদের সবকিছু কেমন যেন একটা কৃত্রিমতার ছাপ চলে এসেছে। আমাদের এক একটা সাংস্কৃতিক সৃষ্টিগুলো এখন এক একটা শ্রেণীর বা এক একটা বিশেষ গোষ্ঠীর জন্য তৈয়ার হয়। আমজনতার জন্য কোন সাহিত্য নেই, কোন চলচ্চিত্র নেই, কোন সংগীত নেই, আমাদের নতুন প্রজন্ম আদতে কিছুই পাচ্ছে না। আমাদের মামা-চাচারা কিশোর বয়সে আমাদের নিয়ে একত্রে বসে বাংলা নাটক দেখাতেন, বাংলা ব্যান্ডের গান শোনাতেন আর আমরা এখন আমাদের ভাতিজা-ভাগিনাদের শোনাই গুচি গ্যাং আর দেখাই হিন্দি সিরিয়াল। এখানেই শেষ নয় ভালগার কন্টেন্ট-এর পরিমান এতটাই বেড়েছে যে এখন একসাথে বসে বিনোদন নেয়াটা স্মৃতিরোমন্থন মাত্র। সস্তা বিনোদনের সহজলভ্যতায় গণমাধ্যমের গুণগতমান আরো একদশক আগে কমে গিয়েছে। এছাড়াও মিডিয়াগুলোর রাজনৈতিক মেরুকরণ আর অরাজনৈতিক মিডিয়াগুলোর হলুদ সাংবাদিকতা মানুষকে দেশীয় গণমাধ্যমবিমুখী করে দিয়েছে। পরিবর্তন হবে, সামাজিক আচার রীতি বিবর্তিত হবে এটাই নিয়ম। কিন্তু পরিস্থিতি যা দাড়িয়েছে আজ থেকে আরো পাঁচ দশক পর বাঙলা সংস্কৃতির নিদর্শন প্রদর্শিত হবে জাদুঘরে। টিকেট কেটে বাঙালী নিজেই যাবে এসব জাদুঘরে নিজেদের খুজে বেড়াতে। আর এখনতো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আমরা বাঙালীরাই নিজেদের কথা বলার অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছি। এখন আর কেউ তাই সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করে না, কেউ এখন ক্ষমতাসীনদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সাহস দেখায় না। মানুষ দেখেও না দেখার ভান করে চুপ করে থাকছে। যে দেশের মানুষ নিজের ভাষার জন্য প্রাণ দিলো সে দেশের মানুষের এখন মনের কথা খুইলা কওয়ার অধিকার নাই। এই আইনের ধ্বংসাত্মক হাতির মাহুত সরকার একা নয়, এর পেছনে আছে মৌলবাদী নামক হিংস্র মানুষরূপী পশুগুলো।
এই দেশে মৌলবাদের চর্চার ইতিহাস লিখতে গেলে গোটা ২০ দিস্তা কাগজ হয়তো যথেষ্ট হবে না কিন্ত কিছু কথা না বললেই নয়। উপক্রমনিকায় বলতে হবে বৃটিশ রাজের কথা। আমাদের ধর্মীয় আচার ব্যবহার রীতি রেওয়াজ যতটা না ধর্মগুরুরা নির্ধারন করে দিয়েছেন তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন আমাদের “বিটিশ” স্যারেরা। যে ধর্মীয় বিদ্বেষের বীজ এই গোটা উপমহাদেশে বপন করে গিয়েছে তারা, তা এখন ম��ীরুহ। এই মহীরুহ ব্যবহার করে যারা দেশে দাংগা ফ্যাসাদ বহাল রেখেছে, না চাইতেও বলতে হয় তারা বাঙালী সত্ত্বেও আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম পরিচয় বিরোধী এবং এদের প্রচেষ্টা আগামীতেও বজায় থাকবে। কাদের দোষ দেবেন? মুসলিমদের? দোষ দেয়া যায়, কারণ মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র আমাদের। কিন্তু একজন ছাত্র ক্লাসে দুষ্টোমি করলো দেখে শিক্ষকের গোটা ক্লাসকে দোষারোপ করটা অন্যায় ক্ষমতা প্রদর্শন, বরং দুষ্ট ছাত্রের যথার্থ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়াটা তার কর্তব্য। আমাদের এই রাষ্ট্রে বর্তমানে সর্বাপেক্ষা উৎকৃষ্ট প্রহসন হলো আইনপ্রয়োগকারী বাহীনির কার্যক্রম। কখন কাকে ধরে নিয়ে যায়, কখন কার নামে কি মামলা হয়, কখন কার মৃত্যুদন্ড হয় কোনো ঠিকঠিকানা নাই। এমনকি কোন অপরাধের জামিন হবে আর কোন অপরাধের জামিন নামঞ্জুর হবে এটাও বলা মুশকিল।
আমাদের স্বাধীনতার পর আইন, বিধিনিষেধ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণীত হলেও; কোন আইন কার জন্য প্রযোজ্য এ সংক্রান্ত কোন নীতিমালা আমরা পাইনি। অবস্থা বর্তমানে এমন যে এই যুগের কাজী নজরুল ইসলাম কে ধরে গুম করা হতো, নয়তো ক্রসফায়ারে দেয়া হতো আর নাইলে রিমান্ডে নিতে নিতে এক্কেবারে পগার পার করে দেয়া হতো। আমাদের বিচার আমাদের আইন সাধারণ জনগণের জন্য নয়, ক্ষমতাবানদের জন্য। এই দেশে ন্যায়বিচার চড়া দামে বাজারে বিক্রি হয়, যা আমজনতার ক্রয় সীমার উর্ধ্বে।
এই দেশে একটা দুর্ঘটনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে কাছাকাছি যেকোন হাসপাতালে নিলে হাসপাতালগুলো চিকিৎসা দিতে চায় না। এটা কেন? কোন হাসপাতালের সামনে কিন্তু সিটিজেন চার্টারে লেখা নাই, এখানে দুর্ঘটনাকবলিত রোগীর চিকিৎসা হয় না, রোগীকে নির্দিষ্ট চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যান। মানুষজন সরকারী হাসপাতালে যেতে চায় না, এর কারণ কি? একমাত্র নিরুপায় লোকজনের ভিড় পাবেন সরকারী চিকিতসাকেন্দ্রগুলোতে। এর উপর নির্ধারিত ফি প্রদান করে পাবেন না চিকিৎসা। চিকিৎসকগুলো যে রামগুড়ুরের ছানা তা কিন্তু নয়। দেখবেন এই সব হাসপাতালের ডাক্তার আপনাকে রেফার করবে কোনো না কোনো ক্লিনিক কিংবা প্রাইভেট চেম্বারে (লেখকের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আছে)। একটা বেড নিবেন রোগীর জন্য? দালাল না ধরলে পাবেন না। এ যেন এক অলিখিত নিয়ম, না মানলে পড়ে পড়ে মরে পচে যান, তাকাবেও না। আরেকটা ব্যাপার পরিলক্ষিত হয়, কোনো কারণে চিকিৎসা ভূলে বা এমনি রোগী হাসপাতালে মারা গেলে লোকজন হাসপাতাল ভাংচুর করা শুরু করেন। এতে ক্ষতিটা কার হয়? আবার এই ভাংচুর না করে যাবে কই? বিচার দেবে? বিচার ব্যবস্থার তলদেশতো এমনিতেই ফুটো। তবু এতো ভুল চিকিৎসা হবে কেন? সরকারী হাসপাতালগুলোতে এত কোটি টাকার মেশিনপাতি কেনার পরেও এখনো টেস্ট করতে ক্লিনিকে কেন পাঠায়? এইদিকে দেশের বড় বড় নেতারা, গুণীমানী ব্যক্তিবর্গ দেশের বাইরে কিংবা প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নেন কেন? টাকার গরম হবে নিশ্চয়।
দালাল প্রথা সরকারী অফিসে দরবারেও প্রচলিত। এত এত টাকা বেতন পায় এই কর্মকর্তা কর্মচারীরা এত এত সুযোগ সুবিধা তারপরো হাত পেতে বসে থাকে। ইদানিংকালে সরকার এদের বেতন বাড়িয়েছে বহুগুণ। একজন সরকারী কর্মচারীর সমপদে একজন বেসরকারী কর্মচারীর বেতন অর্ধেকপ্রায়। বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর কোন নির্ধারিত সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো নাই, নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা মানে না, কর্মঘণ্টার অতিরিক্ত কর্মসম্পাদনে কোন পে আউট নাই, বছর শেষে প্রফিট বোনাস নাই। যারা দেয় তাদের কর্মচারীরা কোম্পানির টাকা মারার ধান্দায় থাকে। সবাই নিজের আখের গোছাতে গিয়ে সকলেই ভুক্তভোগী। তবু আশার আলো আমাদের দেশটা নাকি মধ্য আয়ের। পার ক্যাপিটা ইনকাম মাসে প্রায় ১২০০০ টাকা, ছাপিয়ে দিয়েছি আমাদের প্রতিবেশী ভারতকেও। তাও আবার এই পরিসংখ্যান যাচাই বাছাই করলে দেখা যায় রুপির ডিভ্যালুশন এর কারণে এই রকমটা ঘটছে। আমরা ১৯৯১,১৯৯২ এবং ১৯৯৩-তেও ভারতকে পার ক্যাপিটা ইনকামে ছাপিয়ে গিয়েছিলাম।
এখন চিন্তা করুন দেশের চিত্র কিন্তু এরূপ নয়। অনেক মানুষ বেতন পাচ্ছে ১০০০০ টাকার নিচে। আবার এই টাকাকেও যদি বেতন হিসেবে ধরেন তবু একটা মানুষ শহরে ব্যাচেলর বাসা ছাড়া থাকতে পারে না। এরপর বছর বছর যোগ হচ্ছে মুদ্রাস্ফীতি। ইমব্যালান্সটা কিন্তু একটু মনোযোগ দিলেই বুঝে যাবেন। পাল্লার দুইদিক, একদিকে লোক কম কিন্তু ক্যাপিটাল বেশি আর আরেক দিকে আপামর আমজনতা কিন্তু অতি সামান্য নুন পান্তার টাকা। এইদিকে গার্মেন্টস শিল্প নিয়ে আমরা এত গর্বিত, একবার কি ভেবেছি এই কোটি টাকার রপ্তানির পেছনে কত কোটি টাকার আমদানী আমাদের করতে হয়? ৪৭-এ দেশভাগ পরবর্তী সময়ে আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি ছিলো পাট। সেই পাটশিল্পকে আমরা তিলে তিলে মেরে ফেলেছি। নিকট ভবিষ্যতে আমাদের সংস্কৃতির সাথে পাটের দেখা মিলবে জাদুঘরে।
গণমাধ্যমের বাহিরে যোগাযোগের জন্যে দেশে নানা রাস্তাঘাট, সেতু হয়েছে, হচ্ছে। ট্যাক্স দিয়েছি দিচ্ছি, টোল দিচ্ছি। তারপর এই কাজে আমাদের নেতারা টাকা মেরে দিচ্ছেন। কেউ কাচামাল খারাপ দিয়ে টাকা মারছে , কেউ অন্য কাউকে কাজ বেচে দিয়ে টাকা খাচ্ছে, কেউ কাজ না করে কাজের টাকা তুলে নিয়ে খেয়ে ফেলেছে। তারপর সেই রাস্তায় যখন কোন মন্ত্রী এমপি যায় তখন সেই রাস্তা জনগণের জন্য বন্ধ। নিরাপত্তার খাতিরে করা লাগে ঠিক আছে। তো তেনাদের দিনের ব্যস্ততম সময়তেই কেন শহরের এ মাথা ও মাথা করা লাগে? রেলে প্রতিবছর ব্ল্যাকে যেনো টিকেট না যায় সেজন্য নেয়া হয় নানা ব্যবস্থা। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস অভিনব সব প্রক্রিয়ায় টিকেট সেই ব্ল্যাকেই বিক্রয় হয় আর নাহলে ভেতরে পরিচিত লোক দিয়ে নির্দিষ্ট দামে কেনা লাগে। রেলের ভেতর পানি বিক্রি হয় বোতলের গায়ের দামের চেয়ে বেশি, খাবারের দাম আলাদা আর বলতে। সড়কপথে যেখানে গাড়ি থামে বিরতির জন্য সেখানে অতিরিক্ত দামে খাবার খাওয়া লাগে। এক রমজানের মাসের গল্প, ঢাকা থেকে নোয়াখালী যাবো, পথে ইফতারের সময় হলে আমাদের বাস কুমিল্লার একটা রেস্তোরায় দাড়ালো। খুব যে বিশাল হইচই মার��কা রেস্তোরা ছিলো না, সাদামাটা সিমছাম। আমাদের বাসের মত গোটা দশেক বাস দাড়িয়েছে। ভেতরে ঢুকে দেখি একটা টেবিলে ছয়টা করে চেয়ার লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। যে যেখানে জায়গা পেলো বসে গেলো। প্লেটে করে ইফতার হাজির। সবার সামনে একই ইফতার। তিন টেবিল চামচ ছোলাবুট, একটা পেয়াজু, একটা বেগুনী, একটা খেজুর, একটা জিলেপী আর সাথে একটা ছোট্ট ফ্রুটো। আমি ফ্রুটোর বোতল খুলি নি বাসা থেকে আনা শরবত ছিল সাথে। খাবার শেষে বিল চাইলাম। একজন ওয়েটার, তার হাতে লোকল বাসের কন্ডাকটরের মত একগুচ্ছ টাকা এগিয়ে এসে বললো ১০০ টাকা প্রতি প্লেট আর ফ্রুটো ৩০ টাকা। আমার পাশে বসেছিলেন একজন গ্রাম্য বৃদ্ধ ও তার দুই পরিবারের সদস্য, তারা ভেবলার মত চেয়ে রইলো ওয়েটারের দিকে। কিচ্ছু করার নেই, আমি ১০০ টাকা দিয়ে উঠে চলে আসতে বাধ্য হলাম বাস ছেড়ে দেবার তাড়ায়। আসার আগে দেখলাম বৃদ্ধ তার সাথে কি বোঝাপড়া করছেন আর সে ক্ষিপ্ত হয়ে বাতাসে হাত নাড়ছে। রোজার মাসে বাঙালী আরো চরম পর্যায়ে হেনেস্তা হয়। কয়েক বছর পর এ মৌসুমে শুধু ধনীরাই সিয়াম সাধন করবেন আর আমরা সাধারণ জনগণ খেতে না পেয়ে ভিক্ষা খুজবো।
বছর বছর ট্যাক্স বাড়ে তবু জনগণ সুষ্ঠ সরকারী সেবা পায় না কেন? আচ্ছা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা যেসব জিনিসপত্র ব্যবহার করি তার অধিকাংশ কিন্তু আমদানীকৃত দ্রব্য। আমরা আমাদের দেশজ পণ্য ব্যবহার করি না কারণ, আমরা জানি এই পণ্যের মান ভালো নয়, পণ্য দীর্ঘস্থায়ী নয় নতুবা আমাদের দেশে এই পণ্য তৈয়ার হয় না। খাদ্যদ্রব্যের কথা বলবেন? পেয়াজ বিদেশী, ডাউল বিদেশী, গরু বিদেশ থেকে আমদানী হয়, আদা বিদেশী, ভোজ্য তৈলের কাঁচামাল বিদেশী। মোট কথা দেশে যা কিছু হয় তা দিয়ে শুকনো ভাত খাওয়া লাগবে। ইদানিংকালে দেশী কাজগুলো বিদেশে রপ্তানী হয়ে যাচ্ছে, আমদানী হচ্ছে লোকবল। হওয়ার যথাযথ কারণ আছে, আমাদের দেশে প্রশিক্ষিত লোকের অভাব, যারা আছে তাদের উপর আমরা ভরসা পাই না, দেশি লোক না জানি কেমন বাজে কাজ করে। তাইলে বেহুদা এদের শিক্ষার পেছনে সরকার সময় এবং পয়সা খরচ করবে কেন? সরকারের করা দরকার করছে; আদতে যুক্তি সংগত কোন বিনিয়োগ পরিকল্পনা বলতে কোন কিছু নাই। এত বছর পর বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় পর্যায়ে আইসিটি-এর মত যুগোপযোগী শিক্ষা বাধ্যতামূলক হওয়ার পরেও, অধিকাংশ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাবের অভাব রয়ে গেছে। বড় কথা উপযুক্ত শিক্ষকইতো নাই। এমনো মহাবিদ্যালয় আছে ��েখানে আইসিটি ক্লাস নেন ইংরেজী শিক্ষক। শিক্ষকদের ব্যাপারে অভিযোগ আছে তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে পরিশ্রম করেন বেশি। একজন শিক্ষক যে বেতন পান সেই বেতনে আর যাইহোক সংসার চলে না। সেই শিক্ষকের দোষ কি তিনি যদি বাইরে ৮-১০টা ছাত্র পড়ান? বিশ্ববিদ্যালয়ে চিত্র একটু অন্যরকম। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে চাকরি মেলে না, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও সিট স্বল্প আবার এমন কিছু বিভাগ আছে যেগুলোতে পড়লে শেষমেশ চাকরি মিলবে না। বেসরকারিতে পড়েও চাকরি হবে না শুধু বাপের লাখ দশেক টাকা খরচ।
যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লে চাকরি হবে ভবিষ্যত ভালো, যেসব বিভাগে পড়লে চাকরি হবে ভবিষ্যত ভালো সেগুলো বাদ দিয়ে বাকিগুলো বাতিল করলেই হতো। দরকার কি এত শিক্ষিত বেকার প্রতিবছর প্রডিউস করার। একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট আমাদের দেখতে হবে; সেশনজট। সেশনজটের গেড়কেলে ইদানিং কিছু কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পিষ্ট হতে দেখা যাচ্ছে। এরপর ছাত্ররাজনীতির অপছায়া। ছাত্ররাজনীতি একসময় এদেশের প্রেস্টিজিয়াস ঐতিহাসিক সৈনিক থেকে ঘৃণিত অপবাদে পরিণি��� হচ্ছে।
আমাদের দেশের রাজনীতি জনগণ থেকে কেমনে কেমনে যেনো ক্ষমতাবানদের আর ক্ষমতাপ্রত্যাশীদের হয়ে গেলো। আমাদের সরকারের পরিবর্তনের পর প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তিত হন, বিরোধী দল পরিবর্তিত হন। দেশ যেমন ছিলো তেমনি থাকে। আমাদের রাজনীতি লোভের, হিংসার আর অহংকারের। বৃহত্তর স্বার্থ বলতে রাজনীতিকরা বুঝে, অদূর ভবিষ্যতে বৃহত্তর মুনাফা পকেটস্থ হবে। এইদেশে যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় যায় দেশটা যেন তার হয়ে যায়। প্রতি পাঁচ বছরে দেশটা যেন ঠিকায় যায়। আর সেই ঠিকা থেকে লাভ ক্ষমতাসীনদেরই হয়। বিরোধীদলের বিরোধীতার নামে হারামীপনা দেখে জনগণ মজা নেয়। কোন দলই তার বাইরের আর কোন মতাদর্শের কাউকে দেখতে পারেনা, এ যেনো কবিরা গুনা, নিষিদ্ধ পাপ, ট্যাবু। সামাজিক গণমাধ্যমকে প���থিবীর মানুষ নিজের মতামত প্রকাশের নিরাপদতম মাধ্যম হিসেবে পরিগণিত করে।
সেখানেও কারো মতাদর্শের বিপক্ষে গেলে আপনার নামে এত মানুষের মাঝে গোটা দশেক কতল পারোয়না ঘোষণার প্রজ্ঞাপন পাবেন, আর কপাল ফেরে সেই পারোয়ানা কার্যকর হয়ে যেতেও পারে। গণতান্ত্রিক চর্চা বলতে কিচ্ছু নাই। এই দেশের মানুষকে রাজনৈতিকভাবে মূর্খ করে রাখা হয়েছে; এদের যদি সুষ্ঠ নির্বাচনে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে দেয়া হয় এরা যোগ্য ব্যক্তিটিকে নির্বাচিত করতে পারবেন না। জাতীয়তাবোধের অ আ ক খ আমাদের জানা নেই। এটাতো অতিসাধারণ কথা আপনি যে রাজনৈতিক মতাদর্শের হয়ে থাকুন, জাতিগত উতকর্ষ আপনার নিকট সর্বদা সবার আগে। এই কারণে যখন কোন বিদেশী গণমাধ্যম আমাদের দেশের নামে কুৎসা রটায় আমরা পক্ষ নিই বিদেশী গণমাধ্যমের।
একটু খেয়াল করলে দেখা যায় আমাদের সবকিছু কেমন যেনো অন্তঃসম্পর্কিত। আমাদের একথা অকপটে স্বীকার করতে হবে, যা কিছু দিয়ে হতাম মোরা বিশ্বে অনন্য, একমাত্র; তিলে তিলে তা করেছি নিধন, হচ্ছি সর্বস্বান্ত। আমাদের মারাত্মক হুজুগ। হুজুগের লেভেলটা এরূপ যে, কাল যদি কেউ বলে কাচা মল খেলে তার আর হার্টের ব্যারাম হইবো না, তাইলে আবাল বৃদ্ধি বনিতা, সাক্ষর নিরক্ষর নির্দ্বিধায় কাচা মল খাওনের লাইন লাগাইবো আর একদল উচ্চ দামে সেটা সিন্ডিকেট বানায়া বেচবো। ভাবতে খুব অবাক লাগে, কাটা কল্লা ব্রিজের নির্মাণ কাজে লাগে, এটা মানুষের মাথায় ঢুকলো কেমনে! জহির রায়হান যদি বেচে থাকতেন তাইলে মনে হয় “সময়ের প্রয়োজনে”- ছোট গল্পের নাম বদলে রাখতেন “হুজুগে”। আধুনিক বাঙালীর রসবোধের অভাব প্রকট আকার ধারণ করেছে, তাই ইদানিং হালকা রসের কথা বলতে গেলে সেখানেও আইএসও স্ট্যান্ডার্ডে মেপে মেপে বলা লাগে।
পরিশেষে, মনুষত্বহীন মানুষের খোলশে বাঙালী তকমা লাগিয়ে ঘুরে বেড়ানো পোটলা হয়ে গিয়েছি আমরা। যে নিপীড়ন অবাঙালী ��াসকেরা শতাব্দী থেকে শতাব্দী করেছিলো তা এখন নিজের স্বজাতি ভাই করে। কথা কইতে দেয় না, খাইতে দেয় না, হাটবার জায়গা দেয় না, পড়তে দেয় না, কাটা ঘায়ে ব্যান্ডেজ লাগাতে দেয় না, মাথার উপর ছাতা ধরতে দেয় না। বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত নই পাঁচ দশকে দাঁড়িয়ে আমার লজ্জা হয় নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে। আমি গর্বিত হওয়ার মতো কিছু নাই; এই দেশের সকল প্রাপ্তি হয়তোবা কোনো ব্যক্তির, নয়তো কোনো দলের, নয়তো কোনো পরিবারের। এই দেশে ক্ষমতায় পরিচিত কোনো লোক আপনার নাই, এদিক ঐদিক টাকা ফেলার সামর্থ্য নাই তাইলে সরকারি কোন সুযোগ সুবিধা, রাষ্ট্রীয় অধিকার আপনার জন্য একদম নিষিদ্ধ। এই স্বাধীনতা দিয়ে কি করবো আমরা এইটাই এখনো বুঝে উঠতে পারি নাই। স্বাধীনতার পঞ্চাশটি বছরে প্রাপ্তি হচ্ছে একগাদা প্রশ্ন, যার উত্তর মেলে না। অতি শীঘ্র এই স্বাধীনতা দিয়ে করবো কি সেটা ফিগার আউট করতে হবে। বাঙালীর জাতিগত উতকর্ষের মনোভাব প্রদর্শন চর্চা করতে হবে। সবাইকে নিয়ে একসাথে সামনে এগুতে হবে। না’হলে দেখা যাবে এইভাবে চলে যাবে স্বাধীনতার এক শতাব্দী, আর সেদিন প্রাপ্তি ও প্রত্যাশার ফিরিস্তি দিতে গিয়ে আবার ক্ষোভ আর ক্লেশ ঝাড়ার জন্য বাঙালী সত্ত্বাটাই থাকবে না। ভালো থাকুক আমার সোনার বাংলা, সবুজ-সুফলা, শস্য-শ্যামলা সোনার বাংলাদেশ।
(Photo Credits: Encyclopaedia Britanica, Shutterstock, Times of India, Dhaka Tribune, Reporter Sans Frontier)
#bengali#bengali spirit#bengali_spirit#bangladesh#bengali_nationalism#nationalism#freedom of speech#right to protest
2 notes
·
View notes
Text
বাঙালির সন্ধ্যাবেলায় সিরিয়াল দেখা
সরকারবাড়িতে গুরুতর অবস্থা চলছে। কর্তা-গিন্নি কেউ কোনো কথা বলছেন না। মেয়ে-জামাই এসেছে, তাও অবস্থার উন্নতি হয় নি। জামাই বেচারি একটু ফ্যাসাদে পড়ে গেছে। এই বাড়ির সাথে ততটাও প্রগলভ নয় সে, তার ওপরে এই পরিস্থিতি। সবচেয়ে মুশকিল ঠিক কি নিয়ে ঝগড়া লেগেছে সেটাই বোঝা যাচ্ছে না। কি করবে বুঝে না পেয়ে, জামাই টিভি চালালো। টিভি শুরু করতেই কর্তা-গিন্নি প্রায় তেড়ে চলে এলো। কর্তা: "তুমি টিভি দেখো না, দুপুরে খাবার নুন পোড়া হয়ে যাবে।" গিন্নি: "বাবা, যার পয়সায় টিভি চলে, তার কথাই শুনতে হবে। আমি তো ফালতু মানুষ একটা।" কর্তা: "শুরু হয়ে গেলো নাকে কান্না। ওই দেখে শেখা।" একটা জনপ্রিয় বাংলা সিরিয়ালের নাম বললেন। মোটামুটি বুঝতে পারা যাচ্ছিলো। একই সময়ে দুই চ্যানেলে দুটি আলাদা সিরিয়াল হয়। কর্তা- গিন্নির আলাদা পছন্দ। কার সিরিয়াল চলবে তাই নিয়ে ঝামেলা। জামাই হেসে বললো "আপনাদের মোবাইল দুটো দিন তো দেখি।" ফোন এলো। খানিকক্ষণ খুটখুট করে ফোন দুটো ফেরত দিয়ে বললো "এই দেখুন, একটা ওটিটি অ্যাপ ইনস্টল করে দিয়েছি। এটাতে নিজেরা পছন্দ মতো দেখতে পারবেন।" যুদ্ধ থামলো। এখন আর কেউ টিভি চালায় না। দুজনে মোবাইলেই দেখে নেয়। Visit https://bongkonect.com/
1 note
·
View note
Link
0 notes
Text
বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০২২
দুইদিন আগে যে সিত্রাং এসে সব উড়ায়ে নিয়ে গেলো সেটা আজকের ঝলমলে রোদ দেখে বোঝার কোনো উপায় নাই। উপকূলীয় এলাকার অবস্থা হয়তো এখনো খারাপ। ঠিক জানি না।
তো আজকে আমার ক্লাসের ঘটনা বলি। দুইদিন পর প্রেজেন্টেশন। এখন গ্রুপ লিডার কে হবে, স্লাইড কে রেডি করবে এসব প্যানপ্যানানি শুরু সবার।
আমার তো কষ্মিনকালেও কোন ইচ্ছা ছিল না গ্রুপ লিডার হবার। ওরা জোর করে বানাতো। এবার আমি বদ্ধপরিকর যে এসব গ্রুপ লিডার-ফিডার আমি হতে পারবো না, ব্যাস।
পাশেই অমিতাভ বসে ছিল, সাথে আনিকা আর তাসনিম। আমি একটা মিম পোস্ট শেয়ার দিয়েছিলাম, how to make friends, লিখা talk to people. যেটা আমার ভিতর থেকে আসে না। তো আনিকা এ ব্যাপারে বলতেছিলো, আমি ওকে বুঝায়ে বললাম মিমটা।
পাশ থেকে অমিতাভ বলতেছে, রাফা আগে অনেক একটিভ ছিল। অনেক কাজ-টাজ করতো। এখন সেই রাফা আর নাই। তাই সে একটা গান লিখবে আর গাইবে, গানটার নাম হবে, "সেই রাফা।"
আমি বলছি, ঠিক আছে লিখ।
সবাই আমার এই পরিবর্তন টা খেয়াল করছে। আমি ক্লাসে স্যারের লেকচার না শুনে, কানে ইয়ারফোন গুঁজে গান শুনি, এটা কমবেশি সবাই ই খেয়াল করছে।
আমার না সত্যিই কিছু ভালো লাগে না। বাসায় কিছু ঠিক নাই, আম্মুর অসুখ, আমার মুখের অবস্থা, যাকে পছন্দ করি সে পাত্তা দেয় না, এসব ভাবলে মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়। আমি জানি সবার জীবনেই খারাপ কিছু পরিস্থিতি চলতেছে। তাও সবাই কি সুন্দর সবার সাথে হাসি হাসি মুখ, ফ্রেন্ডলি-এনার্জেটিক ভাইব নিয়ে চলতেছে।
এই আমিই পারি না, এতসব পিছনে ঠেলে একটু একটিভ হতে, সবার সাথে মিশতে।
খুবই অকওয়ার্ড লাগে, অস্বস্তি লাগে।
মাঝে-মধ্যে মনে হয় তাসনিম আমাকে বুঝে। তাই এখন একটু সঙ্গ দেয়, ভালো বিহেভ করে। এভাবে আমার পাশে থাকলে তো ভালোই। আমার ক্লাসের টাইমটাও কাটে কোনোমতে।
যা চলছে, যেভাবে চলছে, চলুক। এই সময়গুলো কেটে যাক।
0 notes
Text
সিংগাইরে শেষ সময়ে দুর্গাপূজার প্রতিমার গায়ে রং আর তুলির আঁচড় দিতে ব্যস্ত মূর্তি কারিগররা
সাইফুল ইসলাম তানভীর, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ আগামী ১ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে বাঙালি হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে এ উৎসব শেষ হবে ৫ অক্টোবর। এ উপলক্ষে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে প্রতিমা তৈরি শেষ করে এখন চলছে রংতুলির আঁচড়ে সাজিয়ে নেওয়া ও সাজসজ্জার শেষ পর্যায়ের কাজ। এসব কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন মূর্তির কারিগররা। পূজা উদযাপনের সঙ্গে জড়িত অনেকেই মনে করছেন এ বছর করোনার বিধি নিষেধ না থাকলেও বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারের বিধিনিষেধের কারণে আলোকসজ্জায় কিছুটা ঘাটতি থাকলেও আনন্দের কোনো ঘাটতি থাকবে না। জানা গেছে এবছর উপজেলায় ৬৭টি মন্ডুপে পূজা উদ্যাপন করা হবে। গত দুই বছর করোনার কারণে বিধিনিষেধের মধ্য দিয়ে সীমিত পরিসরে উৎসবটি পালন করা হয়। তাই এবারের আয়োজন হচ্ছে বেশ ঘটা করে। এক মাস ধরে মন্ডুপগুলোতে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। এন্ডুপে মন্ডুপে দুর্গাদেবীর প্রতিমার সঙ্গে শোভা পাচ্ছে গণেশ, সরস্বতী, লক্ষ্মী, অসুর, সিংহ, মহিষ, মহাদেব ও কার্তিকের প্রতিমা। সিংগাইরের বিভিন্ন মন্দিরে প্রতিমায় রংসহ অন্যান্য কাজ করছেন নিরাঞ্জন অরুন, নিমাই চন্দ্র ও দেবাশিষ ও তাঁর সহযোগীরা। কথা বলার ফুরসত নেই তাঁদের। এরপরও তারা জানান- আমরা প্রতি বছর প্রতিমা তৈরির কাজ করে থাকি। এ বছর করোনা পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় সবাই ��েশ ভালোভাবেই পূজার প্রস্তুুতি নিয়েছেন। সে কারণে প্রতিমা তৈরির কাজও বেড়েছে। এবার বেশ কয়েকটি মন্দিরের প্রতিমা তৈরি করছি। এছাড়াও লক্ষ্য করা গেছে সিংগাইরে স্থানীয় কারিগর ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত কারিগররা প্রতিমা তৈরি করছেন। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. ইতি রানী সাহা বলেন- করোনার কারণে গত দুই বছর সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সীমিত আকারে দুর্গাপূজা করেছি। এবার যেহেতু করোনার তেমন প্রকোপ নেই, তাই ভালোভাবেই দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুুতি নিয়েছি। দুর্গাপূজা উদযাপন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যে সিংগাইরে গত ২৪ সেপ্টেম্বর এক মতবিনিময় সভা করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান। ওই সভায় তিনি জানিয়েছেন- না বুঝে মিথ্যা বক্তব্য ফেসবুকে, টুইটারে ও হোয়াট'সঅ্যাপে সংবাদ প্রকাশ করলে এবং তা যদি মিথ্যা প্রমানিত হয় সে দায়িত্ব তার নিতে হবে। আমরা বিন্দু মাত্র ছাড় দিব না। কেউ গুজবে কান দিবেন না। মসজিদ, মন্দিরে হামলা করে কেউ বেহেস্তে যেতে পারে না। আপনারা সন্দুর, সুষ্ঠ, মনোরম পরিবেশে আপনারা পূজা উদযাপন করবেন । এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ সফিকুল ইসলাম মোল্যা বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন করতে পারেন সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। টহল পুলিশ, পোশাকধারী পুলিশ ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এছাড়া প্রতিটি মন্দিরে পুলিশের পাশাপাশি আনসার ও গ্রামপুলিশ মোতায়েন করা হবে। Read the full article
0 notes