Don't wanna be here? Send us removal request.
Text
বাঙালির চা
সকালে যখন টিউশন যাচ্ছি, দেখি গোপালকাকার দোকানে হুলোদা চা খাচ্ছে। টিউশন পড়ে যখন ফিরছি, তখনও দেখি হুলোদা গোপালকাকার দোকানেই বসে আছে। এটা একটু অদ্ভুত লাগলো, কারণ এতো সময় ধরে হুলোদাকে একজায়গায় স্থির থাকতে আমরা কোনো দিনও দেখি নি। ডেকে বললাম "হুলোদা, কেমন আছো? আজ কাজে যাবে না?" আমার দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকালো, যেন চিনতেই পারছে না। তারপর বললো "বুঝলি বাবু, চাকে একসময় ওষুধ বলে ধরা হতো, এখন কেন মনে করা হয় না জানিস?" অবাক প্রশ্ন। মাথা চুলকে বললাম "তোমার কি শরীর খারাপ নাকি?" একটু মুখ বেঁকিয়ে হুলোদা বললো "যা বলছি তার জবাব দে না। খালি এতো প্রশ্ন করিস কেন রে?" বুঝলাম কেস জন্ডিস। নিশ্চয়ই কিছু একটা হয়েছে। কিন্তু জবাব না দিলে বলবে না বুঝে একটু ভাবার চেষ্টা করলাম। কিন্তু কিছুতেই বুঝতে পারি না। তাই শেষে হাত তুলে দিলাম "জানি না হুলোদা, তুমিই বলে দাও।" হুলোদা গম্ভীর মুখে আমার দিকে তাকিয়ে বললো "ওষুধ নয় বলে!!" বলে হোহো করে কি হাসি। কিছু বুঝতে না পেরে অবাক হয়ে গোপালকাকার দিকে তাকালাম। উনি আরও গম্ভীর মুখে বললেন "সকাল থেকে এই চলছে। সবাইকে এই পচা জোকস বলছে আর নিজেই হাসছে!" ওহ, তাহলে শরীর ঠিক আছে হুলোদার। ��িশ্চিন্ত হলাম। visit https://bongkonect.com/
0 notes
Text
বাঙালির আড্ডা
মস্ত বড় আবাসনের নিচে জমিয়ে আড্ডা চলছিল। শ্যামের ছেলের অন্নপ্রাশন। শীতকালে কব্জি ডুবিয়ে খেয়ে, সবাই হালকা রোদে বসে। তুলনায় কমবয়সীরা একটু আড়ালে গিয়ে সিগারেট টানছে। বয়স্করা না দেখার ভাণ করে আড্ডা দিচ্ছেন। আড্ডার বিষয় ভুড়িভোজন। কে কত খেতে পারতেন, কোন বিয়েতে কে কটা রসগোল্লা খেয়েছিলেন থেকে শুরু করে আজকের জিনিসপত্রের দাম, খাবারে ভেজাল, হাঁটুর ব্যাথা সব কিছুই চলছিল আড্ডায়। মিত্রবাবুর কণ্ঠস্বর সবচেয়ে উঁচু। উনি বিয়েতে পাঁঠা খাবার গল্প বলেছেন “তারপর দেড় কিলো পাঁঠা খেয়েই ফেললাম। তারপর দশটা রসগোল্লা। আমি আবার মিষ্টি পেলে ছাড়তে পারি না।" রমেন খেয়ে বেরোলো। রমেনকে দেখে মিত্রবাবুর একটু মজা করার ইচ্ছে হলো, হাঁক দিলেন "রমেন শোনো শোনো। খাওয়া হলো?" যদি রমেন বিরক্ত হয়ে থাকে, ওর মুখে তা প্রকাশ পেলো না। হেসেই উত্তর দিলো "হ্যাঁ। আপনাদের খাওয়া হয়েছে তো?" মিত্র: "আমরা খেয়েছি। কিন্তু তুমি কি খেলে? সেদ্ধ কিছু তো ছিল না।" নিজের রসিকতায় নিজেই হো হো করে হাসলেন। রমেন আসলে স্বাস্থ্য সচেতন, জিম করে, পরিমিত আহার করে। রমেন হাসলো জবাব না দিয়ে উল্টো প্রশ্ন করলো "আপনার সুগার কেমন আছে এখন? আর হাঁটুর ব্যাথা? প্রেসারের ওষুধ খাচ্ছেন রোজ?" মিত্রবাবু উত্তর না দিয়ে মুখ গোমড়া করে উঠে গেলেন। visit https://bongkonect.com/
0 notes
Text
বাঙালির সন্ধ্যাবেলায় সিরিয়াল দেখা
সরকারবাড়িতে গুরুতর অবস্থা চলছে। কর্তা-গিন্নি কেউ কোনো কথা বলছেন না। মেয়ে-জামাই এসেছে, তাও অবস্থার উন্নতি হয় নি। জামাই বেচারি একটু ফ্যাসাদে পড়ে গেছে। এই বাড়ির সাথে ততটাও প্রগলভ নয় সে, তার ওপরে এই পরিস্থিতি। সবচেয়ে মুশকিল ঠিক কি নিয়ে ঝগড়া লেগেছে সেটাই বোঝা যাচ্ছে না। কি করবে বুঝে না পেয়ে, ��ামাই টিভি চালালো। টিভি শুরু করতেই কর্তা-গিন্নি প্রায় তেড়ে চলে এলো। কর্তা: "তুমি টিভি দেখো না, দুপুরে খাবার নুন পোড়া হয়ে যাবে।" গিন্নি: "বাবা, যার পয়সায় টিভি চলে, তার কথাই শুনতে হবে। আমি তো ফালতু মানুষ একটা।" কর্তা: "শুরু হয়ে গেলো নাকে কান্না। ওই দেখে শেখা।" একটা জনপ্রিয় বাংলা সিরিয়ালের নাম বললেন। মোটামুটি বুঝতে পারা যাচ্ছিলো। একই সময়ে দুই চ্যানেলে দুটি আলাদা সিরিয়াল হয়। কর্তা- গিন্নির আলাদা পছন্দ। কার সিরিয়াল চলবে তাই নিয়ে ঝামেলা। জামাই হেসে বললো "আপনাদের মোবাইল দুটো দিন তো দেখি।" ফোন এলো। খানিকক্ষণ খুটখুট করে ফোন দুটো ফেরত দিয়ে বললো "এই দেখুন, একটা ওটিটি অ্যাপ ইনস্টল করে দিয়েছি। এটাতে নিজেরা পছন্দ মতো দেখতে পারবেন।" যুদ্ধ থামলো। এখন আর কেউ টিভি চালায় না। দুজনে মোবাইলেই দেখে নেয়। Visit https://bongkonect.com/
1 note
·
View note