#পট
Explore tagged Tumblr posts
Text
খালি পেটে লিচু খেলে যা হয়
মৌসুমি ফল লিচু। ফল মানেই যেমন উপকার, তেমনি রয়েছে কিছু অপকারীতা। নাহলে সাবধান, রয়েছে মৃত্যুঝুঁকি। লিচুতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা রক্তে শর্করার কম করতে পারে, বিশেষ করে খালি পেটে খাওয়া হলে। লিচুর মধ্যে হাইপোগ্লাইসিন এ এবং মেথিলিনসাইক্লোপ্রোপাইল-গ্লাইসিন (এমসিপিজি) টক্সিন রয়েছে যা অতিরিক্ত গ্রহণ করলে অসুস্থ হতে পারে মানুষ। হাইপোগ্লাইসিন এ শরীরকে গ্লুকোজ তৈরি করতে বাধা দেয় এবং যাদের রক্তে…
View On WordPress
0 notes
Text
পাফ পেস্ট্রির সাথে চিকেন পট পাই
পাফ প্যাস্ট্রি সহ চিকেন পট পাই হল ক্লাসিক আরামদায়ক খাবারের একটি সহজ এবং সহজেই তৈরি করা সংস্করণ। ক্রিমযুক্ত মুরগির মাংস এবং শাকসবজির উপরে একটি ফ্ল্যাকি পাফ পেস্ট্রি শীট দিয়ে সোনালি হওয়া পর্যন্ত বেক করা হয়। নীচের ক্রাস্ট ছাড়াই, এই চিকেন পট পাইটি সহজেই রোটিসেরি চিকেন এবং হিমায়িত পাফ প্যাস্ট্রি দিয়ে পৃথক পাত্রে তৈরি করা হয় বা একটি বড় পাই হিসাবে তৈরি করা হয়! পাফ পেস্ট্রি চিকেন পট পাই একটি…
View On WordPress
0 notes
Text
এইখানে এক মুহূর্তকাল সব কিছু স্থির হয়ে থাকে ..কেঁপে ওঠা সংসারের বাতি, শান্তিজল , লক্ষীঘর, আর সহস্র জন্মের কানাগলির অকূলপাথার আলোআঁধারি যেন কালীঘাটের চার আনার বিবর্ণ পট টির মত নৈঃশব্দে নিখুঁত । কার্তিকের বাতাসে তুলসীমঞ্��ে দোলা লাগে , পুব আকাশে দু খানা আকাশপ্রদীপ শুকসারির মত চেয়ে থাকে এদিক পানে ..পেতলের ঘট থেকে একটু করে গঙ্গাজল ঢেলে মা বলতে থাকেন *"ওঁ বৃন্দায়ৈ তুলসী দেবৈ প্রিয়ায়ৈ"*। একখানা তারা ঝরে যায় কোন শৈশবের শনিবারের ভাঙা মেলার দিকে ...মনে পরে সূর্যাস্তবেলায় মাটির প্রদীপ বায়না করে কিনে ফিরেছিলাম ,বাবার হাত ধরে । প্রদীপ বড় মজার জিনিস , সুসময়ে নিভে যায় ।
কেবল বাবা হাত ধরলে এখনো বুঝতে পারি ...রাত হয়েছে ,বাড়ি ফিরতে হবে ।
#Bangla#kolkatadiaries#bangla kobita#বাংলা কবিতা#west bengal#writing#বাংলা#aesthetic#quotes#dark acadamia aesthetic#dark academia#spilled writing#original writing#writers#writers on tumblr#বাংলা গল্প
6 notes
·
View notes
Text
তরুন জাতীয়তাবাদীদের এ ইতিহাস জানতে হবেই।
১৭ই মেঃ শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন
জিয়ার আন্তরিক স্বদিচ্ছায় উনি দেশে ফিরে আসেন। শুধু আসাই না; জিয়া তাঁকে মানিক মিয়া এভিনিউ এ মিটিং থেকে শুরু করে টুঙ্গীপাড়া, সিলেট সফরের সুব্যাবস্থা করেন।
আজ হয়তো আওয়ামীলীগ ঘটা করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করবে কিন্তু যাঁর আন্তরিকতায় তিনি দেশে এলেন তাঁর নামে কটা কুৎসাও করবে।
অনেকে একে জিয়ার জীবনের সবচে বড় ভুল বলে অভিহিত করেন। কিন্তু জিয়া রাজনৈতিক সুবিধার পরোয়া করেননি। তিনি দেশের পিতৃহারা মেয়েকে তাঁর দেশ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য এর মাত্র ১৩ দিন পর জিয়া নিহত হন।
আওয়ামিলীগ নেত্রীকে দেশে ফিরতে জিয়া বাঁধা দেননি। বরং জিয়া তাঁর পারিবারিক স্থাবর অস্থাবর সম্পদ ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগী ছিলেন। ছবি ৪-৮
(ওপরের কিছু অংশ বৈরাম খান ভাইয়ের লেখা থেকে)
আব্দুর রাজ্জাক ও কামাল হোসেনকে দিল্লি পাঠিয়েছিলেন শেখ হাসিনার দেশে ফেরার প্রয়ো��নীয়তা ও পরিস্থিতি বুঝাবার জন্য।
সাথে একটু যুক্ত করতে চাইঃ
তবে এও সত্য ইন্ডিয়া বসে আওয়ামীলীগের বাংলাদেশের রাজনীতি করা অসম্ভব হয়ে পরেছিল। ইন্দিরা'জী, দিল্লীতে বসে হাসিনাকে বাংলাদেশের রাজনীতি করার সুযোগ রেখে জিয়া সরকারকে বিরক্ত/চটাতে চাননি। যার প্রধান কারণ ছিল জিয়া সরকারের "মেরুদণ্ড সোজা" পররাস্ট্র নীতি।
ডকুমেন্ট যুক্ত করলাম, (ছবি ২ ও ৩)
যা প্রমান করে ইন্ডিয়া বসে বাংলাদেশের রাজনীতি না করার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। সংবাদের শিরোনাম ছিলঃ
"মহিলার উভয় সংকট"
৮ এপ্রিল ১৯৮১
দৈনিক ইত্তেফাক
নয়াদিল্লী থেকে প্রকাশিত পাক্ষিক দ্যা ইন্ডিয়া টুডে, ইন্ডিয়া সরকার বাংলাদেশে আওয়ামীলীগের নির্বাচিত সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে ইন্ডিয়া বসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক কার্যকলাপ পরিচালনা হতে বিরত থাকতে বলেছিল।
পত্রিকার ঐ সংখ্যা "মহিলার উভয় সংকট" শিরনামে শেখ হাসিনার ওপর নিবন্ধে বলা হয়ঃ
"এই উপমহাদেশের একজন মহিলা নেত্রী আর সম্ভবত উঠতে পারবেন না"।
প্রশ্ন হচ্ছে আজীবন আওয়ামীলীগের শুভাকাঙ্ক্ষী, ইন্ডিয়ান ক��গ্রেস তাও খোঁদ ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন সরকার থাকা স্বত্তেও কেন এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল?
হতে পারেঃ
বাংলাদেশে পট পরিবর্তনে ইন্ডিয়ার রাজনৈতিক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছিল। প্রেক্ষাপট ইন্ডিয়া সরকারের নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গিয়েছিল। বিধায় তাদের এই পদক্ষেপে ড্যামেজ কন্ট্রোল হয়।
ইন্দিরা গান্ধী, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামীলীগের ভবিষ্যৎ বিষয়ে সন্দিহান হয়ে পরেছিলেন। শেখ হাসিনার ফিরে আসার মাধ্যমে সাংগঠনিকভাবে আওয়ামীলীগ পুনরায় সংগঠিত হয়। দারুণ ভাবেই হয়।
শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ইন্ডিয়ান ভূখন্ড ব্যাবহারে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে বাংলাদেশ সরকারের কোর্টে বল ঠেলে দেওয়া যে তোমাদের রাজনীতিবিদকে তোমরা হ্যান্ডেল কর। অর্থাৎ আওয়ামীলীগের জন্য নতুন করে প্রস্তুত হবার ক্ষেত্র তৈরি করে দেওয়া।
বাংলাদেশ প্রকৃত গণতান্ত্রিক পথে হাঁটতে যাচ্ছে এবং লেবেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত হচ্ছে বুঝেই শেখ পরিবারের জোষ্ঠ কন্যাকে ফেরৎ পাঠিয়েছিল।
ঘটনা যায় হোক না কেন শেখ পরিবারের বন্ধু ও শেখ হাসিনার প্রতি স্নেহময়ী ইন্দিরা বাংলাদেশে যে তখন স্থিতিশীল ও গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক পরিবেশ পরিস্থিতি ছিল তা নিশ্চিত না হয়ে অন্তত শেখ হাসিনার প্রবাস রাজনীতির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বাংলাদেশে ফিরে আসার প্রেক্ষাপট তৈরি করতেন না।
দেশে ফেরার পূর্বে দিল্লিতে লীগের সদ্য নির্বাচিত সভানেত্রী শেখ হাসিনার একটি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকার নেন সাংবাদিক মাহাফুজুল্লাহ। Aminul Huq এর সৌজন্যে ঐ সাক্ষাৎকার লিঙ্কে সংযুক্ত করা হলো।
3 notes
·
View notes
Text
Geo Gardening Bag Price in Bangladesh
জিও পট হল টিন ও প্লাস্টিক টবের বিকল্প, যা পানিতে সহজে নষ্ট হয় না এবং এটি পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় বাড়ির ছাদে ব্যবহার উপযোগী। এতে ছোট বড় সব ধরনের গাছ লাগানো যায়।
2 notes
·
View notes
Link
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থনে ক্ষমতাচ্যূত হওয়া শেখ হা
0 notes
Link
0 notes
Text
নরম খিচুড়ি হেব্বি লাগে
গরু বা মুরগির মাংসের বাঁশি তরকারি দিয়ে নরম খিচুড়ি হেব্বি লাগে। আজ রান্নাঘরের বিভিন্ন পট পরিষ্কার করতে করতে একটা পটে দুই মুট তুলসীমালা চাল পেলাম চটজলদি মাথায় আইডিয়া চলে এলো গতকালের মুরগির তরকারি দিয়ে আজ নতুন করে আর কিছুই রান্না করিনি দুপুরের জন্য Md Daloare Hossain ভাইয়ার তুলসীমালা চাল ...
1 note
·
View note
Text
তাপসী লাহা
প্রায়ান্ধকার এ এক আঁধার যার সম্পন্ন ফুল থেকে অচিরে খসে পড়ে নির্বিবাদের পাপড়ি। হাতছানি দেয় বাসন্তী মেঘ ইস্কাবনের জানালা খুলে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে যায় প্রাণ পাখি এটি মূলতই আধার যার নামখানায় ঘন ঘন কুয়াশা ওঠে লুপ্ত মুখের দাগ খসে পড়ে, চিহ্ন থেকে যায় পূর্বপুরুষের গালে হাতের চেটো থেকে লক্ষ্মী র পট আঁকা পড়ে রঙের সোহাগ জুড়ে অনাবিল বাতাস ছুঁয়ে আশ্লেষে মেলায় গভীর দগ্ধতার বিকিকিনি। অসতর্ক…
View On WordPress
0 notes
Link
0 notes
Text
কালাপানি
কালাপানি
সময়ের হলদেটে ছোপ পড়েছে ছবিটির উপর। আরো ধূসর লাগে ঘামে ভেজা -ধূলো ময়লা বসে যাওয়া গাত্রত্বকের মালিন্য।
কিন্তু ছবি যে সবসময় সত্যি কথা বলেনা ! যিনি ছবি তোলেন তিনি বড়জোর মানুষটির ছবিই তোলেন --- ছবির মানুষটি কে কতটুকু পাওয়া যায় তার মাঝে ! ** ছবিটির একেবারে বাঁদিকে যিনি -- কত বয়েস হবে বলুন তো ? মনে তো হয় আশির কাছাকাছি। অনেকটা যেন সুকুমার রায়ের আঁকা "বুড়ির বাড়ি "-র প্রধান চরিত্রটি। নাম... ধরুন ' অম্রুতা মাঈ '। গম্ভীর মুখে মেয়ে-নাতনিদের সাথে বসে আছেন --তবে মাথার ওই ব্যান্ডেজের পট্টিটা কেমন যেন বেমানান !
জানেন কি কান্ড বাঁধিয়েছিল ওই বুড়ি ? কত্তোদিন আগের ঘটনা -- সেই ১৮৫৩ সালের শেষদিকের। বুড়িমার দেশগাঁও ছিল বিহারের আরা মহকুমায়।সেবার ফসল ভাল হয়নি --ফসল মানে নীল চাষ। কুঠির গোরা সেপাইরা এসে ঘরে ঘরে চালাচ্ছিল লাঠি আর চাবুক। বুট পড়া পা দিয়ে গুঁড়িয়ে দিচ্ছিল ঠাকুরের পট আর লক্ষ্মীর ঘট। পুরুষরা পালাল না-মর্দের মতো....মেয়েগুলো রইল আকুতি আর কান্না নিয়ে। আর ছিলেন মাঈ -- কাঠ চেরানোর দা-খানা নিয়ে ! দুই গোরার দুখানা পা -- ধানের গোলায় লাথিমারার জন্য আর সংসারের পোষা পল্টন-কুকুরটার মাথাঁ ছেঁচে দেবার জন্য -- আরেক আধবুড়ো গোরা- পল্টনের বারো-আনা গর্দান -- আলাদা হয়েছিল। তারপর বহুদিন সেই অঞ্চলে নীলকুঠীর সেপাই পা রাখেনি.... যদিও অম্রুতা মাঈ তার পরের দিনই কলকাতার আলিপুর জেলে চালান হয়ে যান -- Dangerous Female Criminal এর মণিহার পরে । **
বুড়ির মাথার পিছনে যিনি দাঁড়িয়ে আছেন --তাকে দেখুন। মাথায় ঘোমটা... তাকানোয় জড়তা নেই... সপ্রতিভ, সুশ্রী । " দেবী "।
কাশীর কাছেই পরতাপগড় - সেখানেই ছিল দেবীর সশুরাল। স্বামী ইংরেজদের সেপাই -- সম্পন্ন ঘর-গেরস্থালি। দেবী খানিক লেখাপড়াও করেছে -- সংস্কৃত...গণিত... একটু ইংরেজিও। দুই মেয়ে, এক ছেলের মা। বয়স হয়ত ছাব্বিশ সাতাশ। ঘরে ডাকাত পড়ল -- ১৮৫৫ সালের এক শীতের রাতে। সোনা-রূপো-কোম্পানির কাগজ তো গেলই.... কিশোরী কন্যার সামনে লুণ্ঠিত হলো নিজে -- ধারাবাহিক ভাবে। বেরিয়ে যাবার সময়, দেবীর পুঁথি-সেলেটের পুঁটুলিখানা যখন সর্দার ডাকাত লাথি মেরে উনোনের পেটের ভিতর সেঁধিয়ে দিতে উদ্যত -- বিস্রস্ত বিবস্ত্র মা-টি দু হাতের, মনের আর মননের সব শক্তি জড় করে, সেই তোলা উনুনটি উপুড় করে দিল লুটেরার ওপর -- আর বে-আব্রু বেরিয়ে এসে ঘরটি বন্ধ করে দিল বাইরে থেকে। সবক'টা অমানুষ পুড়ে মরেছিল সে রাতে। দগ্ধে নয়, মাথা উঁচু করে দেবী এসেছিল আলিপুরের "জেনানা ফটকে "। **
বুড়ি মাঈ-য়ের বাঁ-পাশের মেয়েটি। কালোকুলো, মাথাভরা চুলের মাঝে মোটা সিঁথি কাটা। চেহারায় অঞ্চলপ্রাধান্য স্পষ্ট। সাঁওতাল পরগণার গণ্যমান্য ' ক্রিমিনাল ' --- "মানুয়া "! ��েলের খাতায় সাহেবরা পরিচয় করিয়েছেন এভাবেই। কি করেছিলেন উনি ? আরো দুটি বান্ধবীর সাথে জঙ্গল থেকে মধু-কাঠ ইত্যাদি নিয়ে ঘরমুখো হয়েছিল এক বিকেলে। সামনে পড়ে গেছিল তহশিলদারের ব্যাটা আর তার বন্ধু দু-তিনটে ফিরিঙ্গি ইয়ারবকশি। বিদেশী কুকুর ছিল একটা। মজা দেখার জন্য ছেড়ে দিয়েছিল সেটা। তাদের জানার কথা নয় --- মানুয়াদের নিজস্ব সারমেয়কূল ছিল নেকড়ের মতো ভয়ংকর আর পায়ে পায়েই ফিরতো তারা। একটি মাত্র ইশারায় চামড়ার সাদা-কালো ঘুচিয়ে দিয়ে সাম্যের লাল রঙ প্রকটিত হল। দুজন সেখানেই প্রাণহীন প'রে রইল.... তৃতীয়টি ব্যারাক পর্যন্ত টিকেছিল। মানুয়া নিজেই ধরা দিয়েছিল --তিনটি সাহেব খুনের সাংঘাতিক আসামী হয়ে। নাহ, মানুষী আর সারমেয় বন্ধুদের কথা সে সাজা লাঘবের জন্যও কাউকে বলেনি।
*** তখনকার দিনের ধারার বিপরীতে ভারি আধুনিক নাম ছিল দুই বোনের -- সুপ্রিয়া আর সোমিয়া। বাবা নাকি পাটনার কাছে কোন সংস্কৃত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। মেয়েরা স্বাক্ষর তো বটেই, কালিদাস -ভতৃহরি-পানিনিতেও অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতো না। দুই বোনের বিয়েও হয়েছিল একই পরিবারে। গোমতীর ধার ঘেঁসে গ্রাম। বর্ষার রুদ্ররোষ ছাড়া সখীর মতো তার বয়ে যাওয়া। তখন দানিপুরে ( এখনকার দানাপুর) ছিল বিরাট সেনা ছাউনি। গোরা পল্টন মাঝে মাঝেই নৌকো নিয়ে গোমতী বেয়ে চলে আসে সেই গ্রামে। মাছ, ভুট্টা, তরমুজ আর অল্পবয়সী বৌ-ঝিদের নৌকো বোঝাই করে নিয়ে চলে যেত। প্রতিবাদ করলে ধানের গোলায় আগুন লাগতো, পুরুষগুলোর ঠিকানা হতো গুমঘর। মানুষ গুলো অপেক্ষা করতো কোন না দেখা "দেওতা - ফরিস্তার" --- যে এসে গোরাদের মেরে ফেলবে...গ্রামে শান্তি ফেরাবে। সে আসে নি... আসবেও না হয়ত। আরো একদিন পল্টনরা এলো। পাড়ে নেমে শুরু করলো শস্য আর নারী লুন্ঠন। দুই বোন --সুপ্রিয়া আর সমিয়া -- সেদিন ঠিক করেই রেখেছিল কি করতে হবে। ডুব সাঁতারে নৌকোর তলায় পৌঁছে ভুট্টা-মকাই পেষা হাতে বড়সড় ফুটো করল দ্রুত... যতটা নি:শব্দে সম্ভব। একসাথে বারোজন গোরা ডুবে মরেছিল সেই শেষ বিকেলে -- তার মধ্যে ছিল অতি অভিজ্ঞ তিন গো��ন্দাজ। লুঠ হওয়া ��ারটি মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে ধরা পড়ল দুই বোন। পঞ্চাশ টাকা ইনাম পেয়েছিল গ্রামের দুই প্রৌঢ় । সে বোধহয় ১৮৮৪ সালের গ্রীষ্মকাল। ওই যে তাঁরা -- একজনের হাত ধরে রেখেছে অপরজন।
** জেল-দস্তাবেজের ধূলো ঘেঁটে যা জানা যায়, সেই ১৮৫০ -৫৫ সালেও আলিপুর জেলে কিছু মহিলা-বন্দী ছিলেন --- সাকুল্যে পঞ্চাশ-ষাট জন তো বটেই। তবে তারা প্রায় সবাই ছিলেন যাকে বলে "পেটি কেসের (Petty & Paltry Cases) চালান "। চুরি- দেহজীবিকা- চোলাই পাচার - শিশুচালান... এই সব আর কি! কিন্তু আমাদের এই পঞ্চকন্যা ছিলেন অনন্যা। তাদের নামের পাশে বড় বড় করে লেখা থাকতো একটি কথাই -- সাহেব খুনের আসামী ( Killed Europeans ) । তার থেকে বড় অপরাধ তখন আর কিচ্ছু হতে পারতো না। তাদের রাখা হতো আলাদা করে...কড়া পাহারায়। অত্যাচারের মাত্রা পুরুষ কয়েদীদের থেকে বিশেষ কম হতো না। মেয়ে ওয়ার্ডেন থাকলেও, মারধর করার জন্য পুরুষ সেপাই-সান্ত্রীই মজুত থাকতো --আদিমতম কারণেই। তবে এদের সম্মান-খাতিরও ছিল। এমনকি পুরুষ বন্দীরা নাকি প্রণামও করতো! **
এবার আসি ছবিটার কথায়। কাগজ ঘেঁটে জানা গেল, ROBERT SCHLAGINTWEIT নামের একজন ইউরোপিয়ান ফোটোগ্রাফার সেই সময় ভারতের বিভিন্ন জেলের (এবং আবাসিকদের) ছবি তুলেছিলেন। আলিপুর জেলের ভিতরের কিছু ছবি উনি তোলেন ১৮৫৬ সালে। ছবিটির পিছনে উনি নোট দিয়েছেন : Bengali Hindoo Women Prisoners in Alipore Jail, 1856. :
সাহেব হলেই যে সর্বজ্ঞ হবে, তার কোন মানে নেই। যেমন কারণ নেই এদের Bengali ধরে নেওয়ার। হিন্দু হলেও বাঙ্গালি নয় --একথা বুঝতে Indian Penal Code মুখস্থ করতে হয়না। **
আচ্ছা পাঠক, আপনার মনে প্রশ্ন ওঠেনি -- ছবিতে আশি বছরের অম্রুতা মাঈ য়ের মাথায় ব্যান্ডেজ কেন? বলি সেকথা। লাল লংকা পিষে মশলা বানাচ্ছিল বালা আর তেলপিয়া নামের দুটি মেয়ে কয়েদী। মাঈ লংকাগুঁড়ো সরিয়ে রাখছিলেন সাথে সাথে। হঠাৎ, দুটি ছোকরা ফিরিঙ্গী সেপাই এসে মেয়ে দুটির শারীরিক নিগ্রহ শুরু করলো। আপত্তি করায় কপালে জুটলো বেদম চাবুকের মার। অম্রুতা মাঈ ধীরপায়ে এগিয়ে এসে বেশ খানিকটা লংকার গুঁড়ো ছিটিয়ে দিল একটার চোখে। আরেকটার ব্যাটনের এক ঘায়ে মাথা দুফাঁক হয়েছিল। কিন্তু দুই বেটিকে বুঝিয়ে দিতে ভুল হয়নি... এবার মারণ কামড় টা দিতে হবে। জাঁতার দুটো পাথর ছ'খানা হাতের জোরের কাছে পেরে ওঠেনি.... লংকার বদলে গোরা সেপাইয়ের মাথা চূর্ণীত হয়েছিল। এই ছবি তোলার কয়েকদিন মাত্র আগের ঘটনা তো ... হয়তো ব্যান্ডেজের রক্ত শুকোয়নি তখনো বুড়ির !
আসলে, তখন মেয়ে কয়েদীদের ফাঁসি দিতে হলে রাজা - রাণীর অনুমতি লাগতো.... সে ছিল বিরাট হ্যাপা ! তাছাড়া আলীপুর জেলে তখনো মেয়েদের ফাঁসী দেবার বন্দোবস্তও ছিলনা। নাহলে.... এদের যে এতোদিন বাঁচিয়ে রাখা হত না --- তাইতে সাহেব গবেষকরাও নিশ্চিত ছিলেন। *** এভাবেই যাপিত হচ্ছিল ছবির মানুষগুলির জীবন। তার মধ্যেই হঠাৎ ১৮৫৭ সালের ১০ ই মে, মেরাঠে শুরু হয়ে গেল সিপাহি বিদ্রোহ। পরের দিনগুলোর কথা অনেক বলা হয়েছে... অনেক শোনাও। আমরা চলে যাই ১৮৫৮ সালে। উত্তর প্রদেশ, বিহার, ওড়িশা আর বঙ্গদেশের আবাধ্য সেপাইদের রাখার মতো কারাগার কম পড়ে যাওয়ায়, ঠিক হয়েছিল দুর্গম সাগরের মাঝের আন্দামান দ্বীপে চালান করা হবে। বন্দীদের মাঝে যারা অতি দুর্দমনীয়, এই কালাপানি পারের প্রথম কিস্তিতে যাবে তারাই।
মার্চ মাসের একটি ঝকঝকে সকালে প্লুটো নামের এক বিশাল জাহাজে ( এটি আগে একবার আন্দামান থেকে ঘুরেও এসেছে) সেপাই-সান্ত্রী-ডাক্তার - পাদ্রী - অত্যাচারের বিবিধ উপচার -- ফাঁসি কাঠ, দড়ি সহ ফাঁসুড়ে আর ১৭০ জন কয়েদী রওয়ানা হলো।
তার মধ্যে পাওয়া গেছে এই সাতজন মহিলা কয়েদীর নামও।
*** এইখানে একটা ধন্দ আছে। এই ছবিটিকে আবার এক-দুজন বৃটিশ জেল বিশারদ বলেছেন -- আন্দামানে পাঠানো প্রথম পাঁচজন মহিলা কয়েদীর ছবি -- তোলাও হয়েছে রস আইল্যান্ডে। প্রথম মহিলা কয়েদীর শিরোপা জুটেছে তো বটেই, তবে ছবিটি যে ওখানকার পান্ডব বর্জিত পটভূমিকায় তোলা নয়, তা তো সুস্পষ্ট। ** রস আয়ল্যান্ডের দীপান্তর কারাগারে মেয়েদের প্রথমেই ন্যাড়া করে শিকলে বেঁধে রাখা হতো। অত্যাচারের কুড়ি বছর ভালভাবে --ভদ্রভাবে কাটালে মিলতো সংসার করার অনুমতি। সেখানেই.... দেশে ফিরে নয়। কে ফিরেছে, কে নয় --- জেলের খাতায় তার হিসেব ইচ্ছাকৃত ভাবেই রাখা হত না ।
*** নাহ, তাদের আর কোন খবর পাওয়া যায় না। শুধু এটুকু জানা যায়, প্রথম দু বছরের মধ্যে সাতাশ জনের ফাঁসি হয় --- তার মধ্যে তিন জন মহিলা।
কোন তিন জন ? মহাকাল জানলেও, তাদের নামটি সিন্দুকের বাইরে আনেন নি।
*** রস আইল্যান্ডের সেই ভাঙ্গা জেলখানাটি এখন হাঁটুগেঁড়ে ক্ষমাপ্রার্থীর মতো বসে পড়েছে যেন। পাহাড় চূড়োর সেই ফাঁসিঘরের ইঁটপাথরে নাকি পাখিরা বাসা বেঁধেছে --- ওখানকার লেকেরা বলে ' তারা পাখি '! কুচকুচে কালো, উজ্জ্বল চোখের চঞ্চল চাউনি.... পাঁচটা, সাতটা পাখি সন্ধ্যে হওয়ার মুখে আলো আঁধারিয়ায় উড়ে এসে বসে বিষাদ মঞ্চের ওপর --- সাতটি তারার তিমির যেন অনন্ত স্পর্ধার ছবি আঁকে।
** ছবিটির কোথাও ROBERT SCHLAGINTWEIT সাহেব লিখে রাখেননি কে কোন জন। আমার মন তাদের নামের ছাঁচে বসিয়ে নিয়েছে। যেভাবে, " বালা " আর "তালপিয়া" কে বসাতেই পারেনি কোথাও.... ছবির মহিলারা যে সংখ্যায় মাত্র পাঁচ জন !
তা বলে কি তারা ছিলেন না ? আমাদের এই নিরুত্তাপ মেরুদণ্ড হীন বেঁচে থাকা নিয়ে ওই জ্বলন্ত চোখগুলোর দিকে তাকিয়ে বলুন তো একবার -- তোমরা মিথ্যে !
© সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়
This one is claimed by Sidhartha Mukhopadhyay
0 notes
Text
আলেখ্য।
সাদা কালো বা রঙিন এক প্রতিমূর্তি,সবুজ স্নিগ্ধ স্তবকে লিখিত দারুন স্তুতি।মনস্তাত্ত্বিক আবেদনে গভীরভাবে বন্দি,বাস্তবতা আর আলেখ্য যেন নয় প্রতিদ্বন্দ্বী।স্তরে স্তরে সাজানো এক অনিন্দ্য সুন্দর চিত্র,পরতে পরতে গড়া যতনে বুনন করা মিত্র।শব্দের কপটতা ছুঁতে পারবে না সে জনে,ঔষ্ঠ্যগত নয় তবু ঔদ্ধাত্য ছড়িয়ে ও দু’নয়নে।পটভূমি আর পট রচনা দৃষ্টিগোচর হয় না,স্তব��ধ সব জল্পনা সম্মুখে ধরা সত্যের আয়না।থমকে যায়…
View On WordPress
1 note
·
View note
Text
গ্রিলড পটেটো স্যান্ডউইচ, ঝট পট তৈরি কোরে ফেলি স্যান্ডউইচ টিফিন
গ্রিলড পটেটো স্যান্ডউইচ, ঝট পট তৈরি কোরে ফেলি স্যান্ডউইচ টিফিন
ধাপে ধাপে ছবি সহ গ্রিলড পটেটো স্যান্ডউইচ রেসিপি। পেঁয়াজ এবং আলু মশলায় লেপা হয় এবং একটি স্যান্ডউইচের ভিতরে গ্রিল করে স্টাফ করা হয়। গ্রিলড পটেটো স্যান্ডউইচ রেসিপি আমি প্রাতঃরাশ, দুপুরের খাবার, রাতের খাবার বা দেরীতে হালকা নাস্তা হিসাবে স্যান্ডউইচ তৈরি করতে পছন্দ কর��। এটা সব সময়ের খাবার আমার যেতে. প্রতিবার আমি তাদের চারপাশে খেলি এবং কিছু উজ্জ্বল রেসিপি নিয়ে আসি। এখানে সব স্যান্ডউইচ রেসিপি…
View On WordPress
0 notes
Text
পরিবেশ বান্ধব ছাদ কৃষি পট ব্যবহার করার উপকারিতা-
পরিবেশ বান্ধব ছাদ কৃষি পট ব্যবহার করার উপকারিতা- 🌲 ৫০০ ও ৬০০ জিএসএমের মোটা ফেব্রিক্স হওয়ার ব্যাগ ছেদ করে শিকড় বের হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই। 🌲অতিরিক্ত তাপেও অফ হোয়াইট ও গ্রে কালার ব্যাগ গরম হয় না, যার ফলে মাটির ময়েশ্চার ঠিক থাকে। 🌲ছাদের অভার লোড প্রতিরোধ করতে জিও গ্রো ব্যাগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 🌲অফ হোয়াইট ও গ্রে কালার ব্যাগের স্থায়িত্ব কাল ১০--২০ বছর। 🌲ব্লাক কালার ব্যাগের স্থায়িত্ব কাল ৩--৮ বছর। 🌲ফাইবারের অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র দিয়ে অক্সিজেন সরবারহ হয় এবং অতিরিক্ত পানিটাও ব্যালেন্স হয়ে বের হয়ে যায়।।যার কারণে উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ হয় এবং মশা জন্মানোর কোন ভয় থাকে না। 🌲প্রচন্ড রকমের রোদ অথবা বৃষ্টিতে কোন প্রকারের ক্ষতি হয়ার সম্ভাবনা নেই।কারণ উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে জিও ব্যাগ প্রচন্ড রকমের প্রাকৃতিক প্রতিকূল অবস্থাতেও সুন্দর ভাবে ব্যালেন্স করে নেয়। 🌲মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং ব্যাগের মাটি পরিবর্তনের ঝামেলা নেই। 🌲ব্যাগের দুই পাশে সরাসরি মোটা ফেব্রিক্স হাতল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে,যা টেনে ছেঁড়া একেবারেই অসম্ভব। শুধুমাত্র কাটা ছাড়া এর হাতল ছিঁড়বে না। 🌲স্থানান্তরের জন্য সবচেয়ে বেশি সুবিধাজনক অফ হুয়াইট ও গ্রে কালার ব্যাগ। আনুমানিক স্থায়ীত্ত কাল। ২৫০ জি এস এম = ৩ থেকে ৮ বছর। ৫০০ জি এস এম = ১০ থেকে ১৫ বছর। ৬০০ জি এস এম = ১৫ থেকে ২০ বছর।
1 note
·
View note
Link
এ বছর মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিলো বাংলা
0 notes
Link
0 notes