#নারী��ক্রোধ
Explore tagged Tumblr posts
quransunnahdawah · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত
Paradigm of communal harmony in Islam
একটি দেশ বা সমাজে বসবাসরত বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও ভাষাভাষীর মানুষের মধ্যকার ঐক্য, সংহতি ও সহযোগিতার মনোভাবই হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ইসলাম অত্যধিক গুরুত্বারোপ করেছে। কেননা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি মানুষের মধ্যে ধৈর্য, সহনশীলতা, সহমর্মিতা ও শ্রদ্ধাবোধের বিকাশ ঘটায়। কোনোরূপ সহিংসতা, বিবাদ-বিসংবাদের স্থান ইসলামে নেই। ন্যূনতম শান্তিশৃঙ্খলা সম্প্রীতি বিনষ্ট হয় এমন আচরণকেও ইসলাম প্রশ্রয় দেয় না। মূলত  ইসলামের আবির্ভাব হয়েছে শান্তি প্রতিষ্ঠা, মানবকল্যাণ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে।যেখানে মানব সম্প্রদায়ের সবারই অধিকার বিধৃত হয়েছে।
দেশ, জাতি ও ভৌগোলিক সীমারেখার ঊর্ধ্বে ইসলামের পরিধি। সব মানুষই এক আল্লাহর সৃষ্টি, এক ও অভিন্ন জাতির। ইরশাদ হচ্ছে, ‘সব মানুষ ছিল একই জাতিভুক্ত। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা পয়গম্বর পাঠালেন সুসংবাদদাতা ও ভীতি পদর্শনকারী হিসেবে’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২১৩)। তাই সৃষ্টিগতভাবে সমগ্র মানবগোষ্ঠী বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ। অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে, ‘হে মানবমণ্ডলী! আমি তোমাদের একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি। আর তোমাদের বিভিন্ন সম্প্রদায় ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পর পরিচিত হতে পারো’ (সুরা হুজুরাত, আয়াত : ১৩)। রাসুলুল্লাহ  (সা.) ইরশাদ করেন, ‘সব মানুষই আদি পিতা হজরত আদমের বংশধর।’ (জামে তিরমিজি)
ধর্মীয় স্বাধীনতা দানের পাশাপাশি অন্য সব ক্ষেত্রেই সম্প্রীতি রক্ষা করা ইসলামের অতুলনীয় বৈশিষ্ট্য। সম্প্রদায় ভিন্ন হলেও মানুষ একে অপরের সহপাঠী, সহকর্মী, খেলার সাথি, শিক্ষক, প্রতিবেশী কিংবা পরিচিত জন। প্রত্যেকের উচিত পরস্পরের সঙ্গে সর্বদা ভালো ব্যবহার করা এবং কোনোরূপ অন্যায় আচরণ না করা। অমুসলিমদের জান-মাল-ইজ্জত সংরক্ষণের ব্যাপারে রাসুল (সা.) কঠোর সতর্কবাণী দিয়ে বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো চুক্তিবদ্ধ অমুসলিমকে হত্যা করল, সে জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না। অথচ চল্লিশ বছরের দূরত্বে থেকেও জান্নাতের সুঘ্রাণ পাওয়া যায়’ (সহিহ বুখারি)। অন্য হাদিসে নবীজি (সা.) বলেন, ‘সাবধান! যে ব্যক্তি চুক্তিবদ্ধ অমুসলিম নাগরিকের ওপর অত্যাচার করে, অথবা তার অধিকার থেকে কম দেয় কিংবা ক্ষমতা বহির্ভূতভাবে কোনো কিছু চাপিয়ে দেয় বা জোর করে তার কোনো সম্পদ নিয়ে যায় তবে কেয়ামতের দিন আমি সে ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী হব’ (সুনানে আবু দাউদ)। সাম্প্রদায়িকতার নামে যারা বিশৃঙ্খলা করে তাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যারা মানুষকে সাম্প্রদায়িকতার দিকে ডাকে, যারা সাম্প্রদায়িকতার জন্য যুদ্ধ করে এবং সাম্প্র্রদায়িকতার জন্�� জীবন উৎসর্গ করে তারা আমাদের সমাজভুক্ত নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ)
ইসলাম মানুষকে ইনসানে কামেল বা পরিপূর্ণ মানুষ হওয়ার শিক্ষা দেয়। আর সচ্চরিত্র তখনই অর্জিত হয়, যখন ক্রোধশক্তি ও খায়েশ শক্তিকে সমতার পর্যায়ে রাখা হয়। কেননা, কঠোরতা কখনও ক্রোধ থেকে এবং কখনও তীব্র লালসা থেকে উৎপন্ন হয়, কিন্তু নম্রতা সচ্চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। সে ব্যক্তি সহনশীল নয়, যে জুলুমের সময় চুপ থাকে, এরপর সক্ষম হলে প্রতিশোধ নেয়; বরং সহনশীল তাকেই বলা হয়, যে জুলুমের সময় সহ্য করে এবং সক্ষম হলে মাফ করে। যেমন মক্কা বিজয়ের দিন মহানবী (সা.) বিজয়ীবেশে মক্কায় প্রবেশ করলে কুরাইশদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তিনি বিজিত শত্রুদের প্রতি কোনো ধরনের দুর্ব্যবহার করেননি বরং দুশমনদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। সেই দিন তিনি বলেছিলেন, ‘হে কুরাইশগণ! আমি তোমাদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করব বলে তোমরা মনে করো? তারা বলল, ‘আপনি আমাদের প্রতি ভালো ব্যবহার করবেন বলে আমাদের ধারণা। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, আমি তোমাদের সঙ্গে সেই কথাই বলছি, যে কথা হজরত ইউসুফ (আ.) তাঁর ভাইদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘আজ তোমাদের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। যাও তোমরা সকলেই মুক্ত।’
প্রকৃত মুসলমান ওই ব্যক্তি যার মুখ ও হাতের অনিষ্ট থেকে লোকজন নিরাপদ থাকে এবং যার নির্যাতন থেকে মানুষ নিরাপদ তাকে মুমিন বলে। রাসুল (সা.)-এর ঘরে এক ইহুদি মেহমান হয়ে এলো। রাসুল (সা.) তাকে যথাযথ মেহমানদারি করলেন এবং রাতে বিশ্রামের ব্যবস্থা করে দিলেন। ইহুদি মেহমান অসুস্থতাবশত বিছানায় মলমূত্র ত্যাগ করে। প্রিয়নবী (সা.) তাকে কিছু বলবেন এই ভয়ে ��ে প্রভাতের আগেই ঘর থেকে পালিয়ে যায়। ভোরে ওই ময়লাযুক্ত বিছানা দেখে নবীজি (সা.) এ মর্মে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন যে, হায়! আমি ওই ব্যক্তিকে যথাযথ মেহমানদারি করতে পারিনি; হয়তো সে কষ্ট পেয়েছে।
অতঃপর রাসুল (সা.) নিজ হাতে ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত বিছানা পরিষ্কার করলেন এবং ওই ব্যক্তির কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইলেন, ভাই! আপনার নিশ্চয়ই খুব কষ্ট হয়েছে। আমি আপনার কোনো যত্ন করতে পারিনি। এ জন্য আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। তখন ইহুদি লোকটি বলল, অপরাধ করলাম আমি আর ক্ষমা চাচ্ছেন আপনি। ইসলামের আদর্শ তো সত্যিই মহৎ! অতঃপর রাসুলুল্লাহর এমন উদারতা ও আদর্শে মুগ্ধ হয়ে সে ইসলাম গ্রহণ করে। এরূপ উৎকৃষ্টতম আদর্শের মাধ্যমেই বিশ্ব ব্যাপী ইসলামের প্রচার ও জাগরণ ঘটেছে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় বসবাসরত আদিম পৌত্তলিক, ইহুদি এবং নবদীক্ষিত মুসলিম তিন সম্প্রদায়ের সমন্বয়ে, দল-মত নির্বিশেষে মদিনা সনদের মাধ্যমে একটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। যেখানে সামাজিক নিরাপত্তা, পারস্পরিক সম্পর্ক, মদিনার নিরাপত্তার প্রশ্ন এবং মদিনার অর্থনীতি সচল রাখার বিষয়ে সবাই ঐকমত্যে পৌঁছেছিল। সে সময় কারও কোনো অধিকার বিন্দুমাত্র ভূলুণ্ঠিত হয়নি। সব নাগরিক সমান অধিকার পেয়েছে।
রাসুল (সা.)-এর বলিষ্ঠ পদক্ষেপের ফলে তৎকালীন সমাজের গোত্রগুলোর অন্তর্কলহ, রক্তক্ষয়ী দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের অবসানসহ নৈরাজ্যমুক্ত, মানবিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বস্তুত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনুপস্থিতিতে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হয়। সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ সংঘাতের সূত্রপাত ঘটায়, গৃহযুদ্ধেও রূপ নেয়। তাই বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণে রহমাতুল্লিল আলামিন (সা.) উদাত্ত কণ্ঠে বলেছেন, ‘হে মানবমণ্ডলী! তোমাদের আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় এবং তোমাদের আদি পিতাও এক। একজন আরব একজন অনারব থেকে কোনো মতেই শ্রেষ্ঠ নয়। তেমনি একজন আরবের ওপর একজন অনারবেরও কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই। একজন সাদা চামড়ার মানুষ একজন কালো চামড়ার মানুষের চেয়ে শ্রেষ্ঠ নয়, কালোও সাদার চেয়ে শ্রেষ্ঠ নয়। শ্রেষ্ঠত্বের মূল্যায়ন করতে বিচার্য বিষয় হবে, কে তাকওয়াবান তথা আল্লাহ ও বান্দার হক কতদূর আদায় করল। এর দ্বারা আল্লাহর দৃষ্টিতে তোমাদের মধ্যে সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী সেই ব্যক্তি, যিনি সর্বাপেক্ষা বেশি ধর্মপরায়ণ’। (বায়হাকি)
যারা সামাজিক পরিমণ্ডলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ইসলাম কায়েম করতে চায়, তা��া কখনো শান্তির ধর্ম ইসলামের অনুসারী হতে পারে না। ইরশাদ হচ্ছে, ‘পৃথিবীতে শান্তি স্থাপনের পর তাতে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করো না’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ৫৬)। অন্যত্র রয়েছে, ‘ফেতনা হত্যার চেয়েও ভয়াবহ’। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৯১)। রব্বে করিম আমাদেরকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে ইসলামের সুমহান মর্যাদাকে সমুন্নত রাখার তওফিক দান করুন। 
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ইসলামের দেওয়া সেরা সম্পদ
youtube
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ইসলাম
https://www.youtube.com/watch?v=sQzcYlCfnBc
ইসলামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি
https://www.youtube.com/watch?v=WKHW9KtZP_E
ইসলামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত
Paradigm of Communal Harmony in Islam
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত
Paradigm of communal harmony in Islam
একটি দেশ বা সমাজে বসবাসরত বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও ভাষাভাষীর মানুষের মধ্যকার ঐক্য, সংহতি ও সহযোগিতার মনোভাবই হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ইসলাম অত্যধিক গুরুত্বারোপ করেছে। কেননা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি মানুষের মধ্যে ধৈর্য, সহনশীলতা, সহমর্মিতা ও শ্রদ্ধাবোধের বিকাশ ঘটায়। কোনোরূপ সহিংসতা, বিবাদ-বিসংবাদের স্থান ইসলামে নেই। ন্যূনতম শান্তিশৃঙ্খলা সম্প্রীতি বিনষ্ট হয় এমন আচরণকেও ইসলাম প্রশ্রয় দেয় না। মূলত  ইসলামের আবির্ভাব হয়েছে শান্তি প্রতিষ্ঠা, মানবকল্যাণ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে।যেখানে মানব সম্প্রদায়ের সবারই অধিকার বিধৃত হয়েছে।
দেশ, জাতি ও ভৌগোলিক সীমারেখার ঊর্ধ্বে ইসলামের পরিধি। সব মানুষই এক আল্লাহর সৃষ্টি, এক ও অভিন্ন জাতির। ইরশাদ হচ্ছে, ‘সব মানুষ ছিল একই জাতিভুক্ত। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা পয়গম্বর পাঠালেন সুসংবাদদাতা ও ভীতি পদর্শনকারী হিসেবে’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২১৩)। তাই সৃষ্টিগতভাবে সমগ্র মানবগোষ্ঠী বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ। অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে, ‘হে মানবমণ্ডলী! আমি তোমাদের একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি। আর তোমাদের বিভিন্ন সম্প্রদায় ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পর পরিচিত হতে পারো’ (সুরা হুজুরাত, আয়াত : ১৩)। রাসুলুল্লাহ  (সা.) ইরশাদ করেন, ‘সব মানুষই আদি পিতা হজরত আদমের বংশধর।’ (জামে তিরমিজি)
ধর্মীয় স্বাধীনতা দানের পাশাপাশি অন্য সব ক্ষেত্রেই সম্প্রীতি রক্ষা করা ইসলামের অতুলনীয় বৈশিষ্ট্য। সম্প্রদায় ভিন্ন হলেও মানুষ একে অপরের সহপাঠী, সহকর্মী, খেলার সাথি, শিক্ষক, প্রতিবেশী কিংবা পরিচিত জন। প্রত্যেকের উচিত পরস্পরের সঙ্গে সর্বদা ভালো ব্যবহার করা এবং কোনোরূপ অন্যায় আচরণ না করা। অমুসলিমদের জান-মাল-ইজ্জত সংরক্ষণের ব্যাপারে রাসুল (সা.) কঠোর সতর্কবাণী দিয়ে বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো চুক্তিবদ্ধ অমুসলিমকে হত্যা করল, সে জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না। অথচ চল্লিশ বছরের দূরত্বে থেকেও জান্নাতের সুঘ্রাণ পাওয়া যায়’ (সহিহ বুখারি)। অন্য হাদিসে নবীজি (সা.) বলেন, ‘সাবধান! যে ব্যক্তি চুক্তিবদ্ধ অমুসলিম নাগরিকের ওপর অত্যাচার করে, অথবা তার অধিকার থেকে কম দেয় কিংবা ক্ষমতা বহির্ভূতভাবে কোনো কিছু চাপিয়ে দেয় বা জোর করে তার কোনো সম্পদ নিয়ে যায় তবে কেয়ামতের দিন আমি সে ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী হব’ (সুনানে আবু দাউদ)। সাম্প্রদায়িকতার নামে যারা বিশৃঙ্খলা করে তাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যারা মানুষকে সাম্প্রদায়িকতার দিকে ডাকে, যারা সাম্প্রদায়িকতার জন্য যুদ্ধ করে এবং সাম্প্র্রদায়িকতার জন্য জীবন উৎসর্গ করে তারা আমাদের সমাজভুক্ত নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ)
ইসলাম মানুষকে ইনসানে কামেল বা পরিপূর্ণ মানুষ হওয়ার শিক্ষা দেয়। আর সচ্চরিত্র তখনই অর্জিত হয়, যখন ক্রোধশক্তি ও খায়েশ শক্তিকে সমতার পর্যায়ে রাখা হয়। কেননা, কঠোরতা কখনও ক্রোধ থেকে এবং কখনও তীব্র লালসা থেকে উৎপন্ন হয়, কিন্তু নম্রতা সচ্চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। সে ব্যক্তি সহনশীল নয়, যে জুলুমের সময় চুপ থাকে, এরপর সক্ষম হলে প্রতিশোধ নেয়; বরং সহনশীল তাকেই বলা হয়, যে জুলুমের সময় সহ্য করে এবং সক্ষম হলে মাফ করে। যেমন মক্কা বিজয়ের দিন মহানবী (সা.) বিজয়ীবেশে মক্কায় প্রবেশ করলে কুরাইশদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তিনি বিজিত শত্রুদের প্রতি কোনো ধরনের দুর্ব্যবহার করেননি বরং দুশমনদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। সেই দিন তিনি বলেছিলেন, ‘হে কুরাইশগণ! আমি তোমাদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করব বলে তোমরা মনে করো? তারা বলল, ‘আপনি আমাদের প্রতি ভালো ব্যবহার করবেন বলে আমাদের ধারণা। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, আমি তোমাদের সঙ্গে সেই কথাই বলছি, যে কথা হজরত ইউসুফ (আ.) তাঁর ভাইদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘আজ তোমাদের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। যাও তোমরা সকলেই মুক্ত।’
প্রকৃত মুসলমান ওই ব্যক্তি যার মুখ ও হাতের অনিষ্ট থেকে লোকজন নিরাপদ থাকে এবং যার নির্যাতন থেকে মানুষ নিরাপদ তাকে মুমিন বলে। রাসুল (সা.)-এর ঘরে এক ইহুদি মেহমান হয়ে এলো। রাসুল (সা.) তাকে যথাযথ মেহমানদারি করলেন এবং রাতে বিশ্রামের ব্যবস্থা করে দিলেন। ইহুদি মেহমান অসুস্থতাবশত বিছানায় মলমূত্র ত্যাগ করে। প্রিয়নবী (সা.) তাকে কিছু বলবেন এই ভয়ে সে প্রভাতের আগেই ঘর থেকে পালিয়ে যায়। ভোরে ওই ময়লাযুক্ত বিছানা দেখে নবীজি (সা.) এ মর্মে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন যে, হায়! আমি ওই ব্যক্তিকে যথাযথ মেহমানদারি করতে পারিনি; হয়তো সে কষ্ট পেয়েছে।
অতঃপর রাসুল (সা.) নিজ হাতে ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত বিছানা পরিষ্কার করলেন এবং ওই ব্যক্তির কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইলেন, ভাই! আপনার নিশ্চয়ই খুব কষ্ট হয়েছে। আমি আপনার কোনো যত্ন করতে পারিনি। এ জন্য আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। তখন ইহুদি লোকটি বলল, অপরাধ করলাম আমি আর ক্ষমা চাচ্ছেন আপনি। ইসলামের আদর্শ তো সত্যিই মহৎ! অতঃপর রাসুলুল্লাহর এমন উদারতা ও আদর্শে মুগ্ধ হয়ে সে ইসলাম গ্রহণ করে। এরূপ উৎকৃষ্টতম আদর্শের মাধ্যমেই বিশ্ব ব্যাপী ইসলামের প্রচার ও জাগরণ ঘটেছে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় বসবাসরত আদিম পৌত্তলিক, ইহুদি এবং নবদীক্ষিত মুসলিম তিন সম্প্রদায়ের সমন্বয়ে, দল-মত নির্বিশেষে মদিনা সনদের মাধ্যমে একটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। যেখানে সামাজিক নিরাপত্তা, পারস্পরিক সম্পর্ক, মদিনার নিরাপত্তার প্রশ্ন এবং মদিনার অর্থনীতি সচল রাখার বিষয়ে সবাই ঐকমত্যে পৌঁছেছিল। সে সময় কারও কোনো অধিকার বিন্দুমাত্র ভূলুণ্ঠিত হয়নি। সব নাগরিক সমান অধিকার পেয়েছে।
রাসুল (সা.)-এর বলিষ্ঠ পদক্ষেপের ফলে তৎকালীন সমাজের গোত্রগুলোর অন্তর্কলহ, রক্তক্ষয়ী দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের অবসানসহ নৈরাজ্যমুক্ত, মানবিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বস্তুত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনুপস্থিতিতে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হয়। সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ সংঘাতের সূত্রপাত ঘটায়, গৃহযুদ্ধেও রূপ নেয়। তাই বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণে রহমাতুল্লিল আলামিন (সা.) উদাত্ত কণ্ঠে বলেছেন, ‘হে মানবমণ্ডলী! তোমাদের আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় এবং তোমাদের আদি পিতাও এক। একজন আরব একজন অনারব থেকে কোনো মতেই শ্রেষ্ঠ নয়। তেমনি একজন আরবের ওপর একজন অনারবেরও কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই। একজন সাদা চামড়ার মানুষ একজন কালো চামড়ার মানুষের চেয়ে শ্রেষ্ঠ নয়, কালোও সাদার চেয়ে শ্রেষ্ঠ নয়। শ্রেষ্ঠত্বের মূল্যায়ন করতে বিচার্য বিষয় হবে, কে তাকওয়াবান তথা আল্লাহ ও বান্দার হক কতদূর আদায় করল। এর দ্বারা আল্লাহর দৃষ্টিতে তোমাদের মধ্যে সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী সেই ব্যক্তি, যিনি সর্বাপেক্ষা বেশি ধর্মপরায়ণ’। (বায়হাকি)
যারা সামাজিক পরিমণ্ডলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ইসলাম কায়েম করতে চায়, তারা কখনো শান্তির ধর্ম ইসলামের অনুসারী হতে পারে না। ইরশাদ হচ্ছে, ‘পৃথিবীতে শান্তি স্থাপনের পর তাতে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করো না’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ৫৬)। অন্যত্র রয়েছে, ‘ফেতনা হত্যার চেয়েও ভয়াবহ’। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৯১)। রব্বে করিম আমাদেরকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে ইসলামের সুমহান মর্যাদাকে সমুন্নত রাখার তওফিক দান করুন। 
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ইসলামের দেওয়া সেরা সম্পদ
youtube
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ইসলাম
https://www.youtube.com/watch?v=sQzcYlCfnBc
ইসলামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি
https://www.youtube.com/watch?v=WKHW9KtZP_E
ইসলামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত
Paradigm of Communal Harmony in Islam
0 notes
ilyforallahswt · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত
Paradigm of communal harmony in Islam
একটি দেশ বা সমাজে বসবাসরত বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও ভাষাভাষীর মানুষের মধ্যকার ঐক্য, সংহতি ও সহযোগিতার মনোভাবই হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ইসলাম অত্যধিক গুরুত্বারোপ করেছে। কেননা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি মানুষের মধ্যে ধৈর্য, সহনশীলতা, সহমর্মিতা ও শ্রদ্ধাবোধের বিকাশ ঘটায়। কোনোরূপ সহিংসতা, বিবাদ-বিসংবাদের স্থান ইসলামে নেই। ন্যূনতম শান্তিশৃঙ্খলা সম্প্রীতি বিনষ্ট হয় এমন আচরণকেও ইসলাম প্রশ্রয় দেয় না। মূলত  ইসলামের আবির্ভাব হয়েছে শান্তি প্রতিষ্ঠা, মানবকল্যাণ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে।যেখানে মানব সম্প্রদায়ের সবারই অধিকার বিধৃত হয়েছে।
দেশ, জাতি ও ভৌগোলিক সীমারেখার ঊর্ধ্বে ইসলামের পরিধি। সব মানুষই এক আল্লাহর সৃষ্টি, এক ও অভিন্ন জাতির। ইরশাদ হচ্ছে, ‘সব মানুষ ছিল একই জাতিভুক্ত। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা পয়গম্বর পাঠালেন সুসংবাদদাতা ও ভীতি পদর্শনকারী হিসেবে’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২১৩)। তাই সৃষ্টিগতভাবে সমগ্র মানবগোষ্ঠী বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ। অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে, ‘হে মানবমণ্ডলী! আমি তোমাদের একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি। আর তোমাদের বিভিন্ন সম্প্রদায় ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পর পরিচিত হতে পারো’ (সুরা হুজুরাত, আয়াত : ১৩)। রাসুলুল্লাহ  (সা.) ইরশাদ করেন, ‘সব মানুষই আদি পিতা হজরত আদমের বংশধর।’ (জামে তিরমিজি)
ধর্মীয় স্বাধীনতা দানের পাশাপাশি অন্য সব ক্ষেত্রেই সম্প্রীতি রক্ষা করা ইসলামের অতুলনীয় বৈশিষ্ট্য। সম্প্রদায় ভিন্ন হলেও মানুষ একে অপরের সহপাঠী, সহকর্মী, খেলার সাথি, শিক্ষক, প্রতিবেশী কিংবা পরিচিত জন। প্রত্যেকের উচিত পরস্পরের সঙ্গে সর্বদা ভালো ব্যবহার করা এবং কোনোরূপ অন্যায় আচরণ না করা। অমুসলিমদের জান-মাল-ইজ্জত সংরক্ষণের ব্যাপারে রাসুল (সা.) কঠোর সতর্কবাণী দিয়ে বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো চুক্তিবদ্ধ অমুসলিমকে হত্যা করল, সে জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না। অথচ চল্লিশ বছরের দূরত্বে থেকেও জান্নাতের সুঘ্রাণ পাওয়া যায়’ (সহিহ বুখারি)। অন্য হাদিসে নবীজি (সা.) বলেন, ‘সাবধান! যে ব্যক্তি চুক্তিবদ্ধ অমুসলিম নাগরিকের ওপর অত্যাচার করে, অথবা তার অধিকার থেকে কম দেয় কিংবা ক্ষমতা বহির্ভূতভাবে কোনো কিছু চাপিয়ে দেয় বা জোর করে তার কোনো সম্পদ নিয়ে যায় তবে কেয়ামতের দিন আমি সে ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী হব’ (সুনানে আবু দাউদ)। সাম্প্রদায়িকতার নামে যারা বিশৃঙ্খলা করে তাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যারা মানুষকে সাম্প্রদায়িকতার দিকে ডাকে, যারা সাম্প্রদায়িকতার জন্য যুদ্ধ করে এবং সাম্প্র্রদায়িকতার জন্য জীবন উৎসর্গ করে তারা আমাদের সমাজভুক্ত নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ)
ইসলাম মানুষকে ইনসানে কামেল বা পরিপূর্ণ মানুষ হওয়ার শিক্ষা দেয়। আর সচ্চরিত্র তখনই অর্জিত হয়, যখন ক্রোধশক্তি ও খায়েশ শক্তিকে সমতার পর্যায়ে রাখা হয়। কেননা, কঠোরতা কখনও ক্রোধ থেকে এবং কখনও তীব্র লালসা থেকে উৎপন্ন হয়, কিন্তু নম্রতা সচ্চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। সে ব্যক্তি সহনশীল নয়, যে জুলুমের সময় চুপ থাকে, এরপর সক্ষম হলে প্রতিশোধ নেয়; বরং সহনশীল তাকেই বলা হয়, যে জুলুমের সময় সহ্য করে এবং সক্ষম হলে মাফ করে। যেমন মক্কা বিজয়ের দিন মহানবী (সা.) বিজয়ীবেশে মক্কায় প্রবেশ করলে কুরাইশদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তিনি বিজিত শত্রুদের প্রতি কোনো ধরনের দুর্ব্যবহার করেননি বরং দুশমনদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। সেই দিন তিনি বলেছিলেন, ‘হে কুরাইশগণ! আমি তোমাদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করব বলে তোমরা মনে করো? তারা বলল, ‘আপনি আমাদের প্রতি ভালো ব্যবহার করবেন বলে আমাদের ধারণা। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, আমি তোমাদের সঙ্গে সেই কথাই বলছি, যে কথা হজরত ইউসুফ (আ.) তাঁর ভাইদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘আজ তোমাদের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। যাও তোমরা সকলেই মুক্ত।’
প্রকৃত মুসলমান ওই ব্যক্তি যার মুখ ও হাতের অনিষ্ট থেকে লোকজন নিরাপদ থাকে এবং যার নির্যাতন থেকে মানুষ নিরাপদ তাকে মুমিন বলে। রাসুল (সা.)-এর ঘরে এক ইহ���দি মেহমান হয়ে এলো। রাসুল (সা.) তাকে যথাযথ মেহমানদারি করলেন এবং রাতে বিশ্রামের ব্যবস্থা করে দিলেন। ইহুদি মেহমান অসুস্থতাবশত বিছানায় মলমূত্র ত্যাগ করে। প্রিয়নবী (সা.) তাকে কিছু বলবেন এই ভয়ে সে প্রভাতের আগেই ঘর থেকে পালিয়ে যায়। ভোরে ওই ময়লাযুক্ত বিছানা দেখে নবীজি (সা.) এ মর্মে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন যে, হায়! আমি ওই ব্যক্তিকে যথাযথ মেহমানদারি করতে পারিনি; হয়তো সে কষ্ট পেয়েছে।
অতঃপর রাসুল (সা.) নিজ হাতে ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত বিছানা পরিষ্কার করলেন এবং ওই ব্যক্তির কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইলেন, ভাই! আপনার নিশ্চয়ই খুব কষ্ট হয়েছে। আমি আপনার কোনো যত্ন করতে পারিনি। এ জন্য আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। তখন ইহুদি লোকটি বলল, অপরাধ করলাম আমি আর ক্ষমা চাচ্ছেন আপনি। ইসলামের আদর্শ তো সত্যিই মহৎ! অতঃপর রাসুলুল্লাহর এমন উদারতা ও আদর্শে মুগ্ধ হয়ে সে ইসলাম গ্রহণ করে। এরূপ উৎকৃষ্টতম আদর্শের মাধ্যমেই বিশ্ব ব্যাপী ইসলামের প্রচার ও জাগরণ ঘটেছে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় বসবাসরত আদিম পৌত্তলিক, ইহুদি এবং নবদীক্ষিত মুসলিম তিন সম্প্রদায়ের সমন্বয়ে, দল-মত নির্বিশেষে মদিনা সনদের মাধ্যমে একটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। যেখানে সামাজিক নিরাপত্তা, পারস্পরিক সম্পর্ক, মদিনার নিরাপত্তার প্রশ্ন এবং মদিনার অর্থনীতি সচল রাখার বিষয়ে সবাই ঐকমত্যে পৌঁছেছিল। সে সময় কারও কোনো অধিকার বিন্দুমাত্র ভূলুণ্ঠিত হয়নি। সব নাগরিক সমান অধিকার পেয়েছে।
রাসুল (সা.)-এর বলিষ্ঠ পদক্ষেপের ফলে তৎকালীন সমাজের গোত্রগুলোর অন্তর্কলহ, রক্তক্ষয়ী দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের অবসানসহ নৈরাজ্যমুক্ত, মানবিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বস্তুত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনুপস্থিতিতে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হয়। সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ সংঘাতের সূত্রপাত ঘটায়, গৃহযুদ্ধেও রূপ নেয়। তাই বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণে রহমাতুল্লিল আলামিন (সা.) উদাত্ত কণ্ঠে বলেছেন, ‘হে মানবমণ্ডলী! তোমাদের আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় এবং তোমাদের আদি পিতাও এক। একজন আরব একজন অনারব থেকে কোনো মতেই শ্রেষ্ঠ নয়। তেমনি একজন আরবের ওপর একজন অনারবেরও কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই। একজন সাদা চামড়ার মানুষ একজন কালো চামড়ার মানুষের চেয়ে শ্রেষ্ঠ নয়, কালোও সাদার চেয়ে শ্রেষ্ঠ নয়। শ্রেষ্ঠত্বের মূল্যায়ন করতে বিচার্য বিষয় হবে, কে তাকওয়াবান তথা আল্লাহ ও বান্দার হক কতদূর আদায় করল। এর দ্বারা আল্লাহর দৃষ্টিতে তোমাদের মধ্যে সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী সেই ব্যক্তি, যিনি সর্বাপেক্ষা বেশি ধর্মপরায়ণ’। (বায়হাকি)
যারা সামাজিক পরিমণ্ডলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ইসলাম কায়েম করতে চায়, তারা কখনো শান্তির ধর্ম ইসলামের অনুসারী হতে পারে না। ইরশাদ হচ্ছে, ‘পৃথিবীতে শান্তি স্থাপনের পর তাতে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করো না’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ৫৬)। অন্যত্র রয়েছে, ‘ফেতনা হত্যার চেয়েও ভয়াবহ’। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৯১)। রব্বে করিম আমাদেরকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে ইসলামের সুমহান মর্যাদাকে সমুন্নত রাখার তওফিক দান করুন। 
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ইসলামের দেওয়া সেরা সম্পদ
youtube
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ইসলাম
https://www.youtube.com/watch?v=sQzcYlCfnBc
ইসলামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি
https://www.youtube.com/watch?v=WKHW9KtZP_E
ইসলামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত
Paradigm of Communal Harmony in Islam
0 notes
myreligionislam · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত
Paradigm of communal harmony in Islam
একটি দেশ বা সমাজে বসবাসরত বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও ভাষাভাষীর মানুষের মধ্যকার ঐক্য, সংহতি ও সহযোগিতার মনোভাবই হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ইসলাম অত্যধিক গুরুত্বারোপ করেছে। কেননা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি মানুষের মধ্যে ধৈর্য, সহনশীলতা, সহমর্মিতা ও শ্রদ্ধাবোধের বিকাশ ঘটায়। কোনোরূপ সহিংসতা, বিবাদ-বিসংবাদের স্থান ইসলামে নেই। ন্যূনতম শান্তিশৃঙ্খলা সম্প্রীতি বিনষ্ট হয় এমন আচরণকেও ইসলাম প্রশ্রয় দেয় না। মূলত  ইসলামের আবির্ভাব হয়েছে শান্তি প্রতিষ্ঠা, মানবকল্যাণ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে।যেখানে মানব সম্প্রদায়ের সবারই অধিকার বিধৃত হয়েছে।
দেশ, জাতি ও ভৌগোলিক সীমারেখার ঊর্ধ্বে ইসলামের পরিধি। সব মানুষই এক আল্লাহর সৃষ্টি, এক ও অভিন্ন জাতির। ইরশাদ হচ্ছে, ‘সব মানুষ ছিল একই জাতিভুক্ত। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা পয়গম্বর পাঠালেন সুসংবাদদাতা ও ভীতি পদর্শনকারী হিসেবে’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২১৩)। তাই সৃষ্টিগতভাবে সমগ্র মানবগোষ্ঠী বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ। অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে, ‘হে মানবমণ্ডলী! আমি তোমাদের একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি। আর তোমাদের বিভিন্ন সম্প্রদায় ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পর পরিচিত হতে পারো’ (সুরা হুজুরাত, আয়াত : ১৩)। রাসুলুল্লাহ  (সা.) ইরশাদ করেন, ‘সব মানুষই আদি পিতা হজরত আদমের বংশধর।’ (জামে তিরমিজি)
ধর্মীয় স্বাধীনতা দানের পাশাপাশি অন্য সব ক্ষেত্রেই সম্প্রীতি রক্ষা করা ইসলামের অতুলনীয় বৈশিষ্ট্য। সম্প্রদায় ভিন্ন হলেও মানুষ একে অপরের সহপাঠী, সহকর্মী, খেলার সাথি, শিক্ষক, প্রতিবেশী কিংবা পরিচিত জন। প্রত্যেকের উচিত পরস্পরের সঙ্গে সর্বদা ভালো ব্যবহার করা এবং কোনোরূপ অন্যায় আচরণ না করা। অমুসলিমদের জান-মাল-ইজ্জত সংরক্ষণের ব্যাপারে রাসুল (সা.) কঠোর সতর্কবাণী দিয়ে বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো চুক্তিবদ্ধ অমুসলিমকে হত্যা করল, সে জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না। অথচ চল্লিশ বছরের দূরত্বে থেকেও জান্নাতের সুঘ্রাণ পাওয়া যায়’ (সহিহ বুখারি)। অন্য হাদিসে নবীজি (সা.) বলেন, ‘সাবধান! যে ব্যক্তি চুক্তিবদ্ধ অমুসলিম নাগরিকের ওপর অত্যাচার করে, অথবা তার অধিকার থেকে কম দেয় কিংবা ক্ষমতা বহির্ভূতভাবে কোনো কিছু চাপিয়ে দেয় বা জোর করে তার কোনো সম্পদ নিয়ে যায় তবে কেয়ামতের দিন আমি সে ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী হব’ (সুনানে আবু দাউদ)। সাম্প্রদায়িকতার নামে যারা বিশৃঙ্খলা করে তাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যারা মানুষকে সাম্প্রদায়িকতার দিকে ডাকে, যারা সাম্প্রদায়িকতার জন্য যুদ্ধ করে এবং সাম্প্র্রদায়িকতার জন্য জীবন উৎসর্গ করে তারা আমাদের সমাজভুক্ত নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ)
ইসলাম মানুষকে ইনসানে কামেল বা পরিপূর্ণ মানুষ হওয়ার শিক্ষা দেয়। আর সচ্চরিত্র তখনই অর্জিত হয়, যখন ক্রোধশক্তি ও খায়েশ শক্তিকে সমতার পর্যায়ে রাখা হয়। কেননা, কঠোরতা কখনও ক্রোধ থেকে এবং কখনও তীব্র লালসা থেকে উৎপন্ন হয়, কিন্তু নম্রতা সচ্চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। সে ব্যক্তি সহনশীল নয়, যে জুলুমের সময় চুপ থাকে, এরপর সক্ষম হলে প্রতিশোধ নেয়; বরং সহনশীল তাকেই বলা হয়, যে জুলুমের সময় সহ্য করে এবং সক্ষম হলে মাফ করে। যেমন মক্কা বিজয়ের দিন মহানবী (সা.) বিজয়ীবেশে মক্কায় প্রবেশ করলে কুরাইশদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তিনি বিজিত শত্রুদের প্রতি কোনো ধরনের দুর্ব্যবহার করেননি বরং দুশমনদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। সেই দিন তিনি বলেছিলেন, ‘হে কুরাইশগণ! আমি তোমাদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করব বলে তোমরা মনে করো? তারা বলল, ‘আপনি আমাদের প্রতি ভালো ব্যবহার করবেন বলে আমাদের ধারণা। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, আমি তোমাদের সঙ্গে সেই কথাই বলছি, যে কথা হজরত ইউসুফ (আ.) তাঁর ভাইদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘আজ তোমাদের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। যাও তোমরা সকলেই মুক্ত।’
প্রকৃত মুসলমান ওই ব্যক্তি যার মুখ ও হাতের অনিষ্ট থেকে লোকজন নিরাপদ থাকে এবং যার নির্যাতন থেকে মানুষ নিরাপদ তাকে মুমিন বলে। রাসুল (সা.)-এর ঘরে এক ইহুদি মেহমান হয়ে এলো। রাসুল (সা.) তাকে যথাযথ মেহমানদারি করলেন এবং রাতে বিশ্রামের ব্যবস্থা করে দিলেন। ইহুদি মেহমান অসুস্থতাবশত বিছানায় মলমূত্র ত্যাগ করে। প্রিয়নবী (সা.) তাকে কিছু বলবেন এই ভয়ে সে প্রভাতের আগেই ঘর থেকে পালিয়ে যায়। ভোরে ওই ময়লাযুক্ত বিছানা দেখে নবীজি (সা.) এ মর্মে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন যে, হায়! আমি ওই ব্যক্তিকে যথাযথ মেহমানদারি করতে পারিনি; হয়তো সে কষ্ট পেয়েছে।
অতঃপর রাসুল (সা.) নিজ হাতে ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত বিছানা পরিষ্কার করলেন এবং ওই ব্যক্তির কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইলেন, ভাই! আপনার নিশ্চয়ই খুব কষ্ট হয়েছে। আমি আপনার কোনো যত্ন করতে পারিনি। এ জন্য আপনি আমাকে ক্ষ���া করে দিন। তখন ইহুদি লোকটি বলল, অপরাধ করলাম আমি আর ক্ষমা চাচ্ছেন আপনি। ইসলামের আদর্শ তো সত্যিই মহৎ! অতঃপর রাসুলুল্লাহর এমন উদারতা ও আদর্শে মুগ্ধ হয়ে সে ইসলাম গ্রহণ করে। এরূপ উৎকৃষ্টতম আদর্শের মাধ্যমেই বিশ্ব ব্যাপী ইসলামের প্রচার ও জাগরণ ঘটেছে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় বসবাসরত আদিম পৌত্তলিক, ইহুদি এবং নবদীক্ষিত মুসলিম তিন সম্প্রদায়ের সমন্বয়ে, দল-মত নির্বিশেষে মদিনা সনদের মাধ্যমে একটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। যেখানে সামাজিক নিরাপত্তা, পারস্পরিক সম্পর্ক, মদিনার নিরাপত্তার প্রশ্ন এবং মদিনার অর্থনীতি সচল রাখার বিষয়ে সবাই ঐকমত্যে পৌঁছেছিল। সে সময় কারও কোনো অধিকার বিন্দুমাত্র ভূলুণ্ঠিত হয়নি। সব নাগরিক সমান অধিকার পেয়েছে।
রাসুল (সা.)-এর বলিষ্ঠ পদক্ষেপের ফলে তৎকালীন সমাজের গোত্রগুলোর অন্তর্কলহ, রক্তক্ষয়ী দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের অবসানসহ নৈরাজ্যমুক্ত, মানবিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বস্তুত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনুপস্থিতিতে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হয়। সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ সংঘাতের সূত্রপাত ঘটায়, গৃহযুদ্ধেও রূপ নেয়। তাই বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণে রহমাতুল্লিল আলামিন (সা.) উদাত্ত কণ্ঠে বলেছেন, ‘হে মানবমণ্ডলী! তোমাদের আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় এবং তোমাদের আদি পিতাও এক। একজন আরব একজন অনারব থেকে কোনো মতেই শ্রেষ্ঠ নয়। তেমনি একজন আরবের ওপর একজন অনারবেরও কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই। একজন সাদা চামড়ার মানুষ একজন কালো চামড়ার মানুষের চেয়ে শ্রেষ্ঠ নয়, কালোও সাদার চেয়ে শ্রেষ্ঠ নয়। শ্রেষ্ঠত্বের মূল্যায়ন করতে বিচার্য বিষয় হবে, কে তাকওয়াবান তথা আল্লাহ ও বান্দার হক কতদূর আদায় করল। এর দ্বারা আল্লাহর দৃষ্টিতে তোমাদের মধ্যে সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী সেই ব্যক্তি, যিনি সর্বাপেক্ষা বেশি ধর্মপরায়ণ’। (বায়হাকি)
যারা সামাজিক পরিমণ্ডলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ইসলাম কায়েম করতে চায়, তারা কখনো শান্তির ধর্ম ইসলামের অনুসারী হতে পারে না। ইরশাদ হচ্ছে, ‘পৃথিবীতে শান্তি স্থাপনের পর তাতে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করো না’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ৫৬)। অন্যত্র রয়েছে, ‘ফেতনা হত্যার চেয়েও ভয়াবহ’। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৯১)। রব্বে করিম আমাদেরকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে ইসলামের সুমহান মর্যাদাকে সমুন্নত রাখার তওফিক দান করুন। 
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ইসলামের দেওয়া সেরা সম্পদ
youtube
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ইসলাম
https://www.youtube.com/watch?v=sQzcYlCfnBc
ইসলামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি
https://www.youtube.com/watch?v=WKHW9KtZP_E
ইসলামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত
Paradigm of Communal Harmony in Islam
0 notes
allahisourrabb · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত
Paradigm of communal harmony in Islam
একটি দেশ বা সমাজে বসবাসরত বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও ভাষাভাষীর মানুষের মধ্যকার ঐক্য, সংহতি ও সহযোগিতার মনোভাবই হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ইসলাম অত্যধিক গুরুত্বারোপ করেছে। কেননা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি মানুষের মধ্যে ধৈর্য, সহনশীলতা, সহমর্মিতা ও শ্রদ্ধাবোধের বিকাশ ঘটায়। কোনোরূপ সহিংসতা, বিবাদ-বিসংবাদের স্থান ইসলামে নেই। ন্যূনতম শান্তিশৃঙ্খলা সম্প্রীতি বিনষ্ট হয় এমন আচরণকেও ইসলাম প্রশ্রয় দেয় না। মূলত  ইসলামের আবির্ভাব হয়েছে শান্তি প্রতিষ্ঠা, মানবকল্যাণ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে।যেখানে মানব সম্প্রদায়ের সবারই অধিকার বিধৃত হয়েছে।
দেশ, জাতি ও ভৌগোলিক সীমারেখার ঊর্ধ্বে ইসলামের পরিধি। সব মানুষই এক আল্লাহর সৃষ্টি, এক ও অভিন্ন জাতির। ইরশাদ হচ্ছে, ‘সব মানুষ ছিল একই জাতিভুক্ত। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা পয়গম্বর পাঠালেন সুসংবাদদাতা ও ভীতি পদর্শনকারী হিসেবে’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২১৩)। তাই সৃষ্টিগতভাবে সমগ্র মানবগোষ্ঠী বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ। অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে, ‘হে মানবমণ্ডলী! আমি তোমাদের একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি। আর তোমাদের বিভিন্ন সম্প্রদায় ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পর পরিচিত হতে পারো’ (সুরা হুজুরাত, আয়াত : ১৩)। রাসুলুল্লাহ  (সা.) ইরশাদ করেন, ‘সব মানুষই আদি পিতা হজরত আদমের বংশধর।’ (জামে তিরমিজি)
ধর্মীয় স্বাধীনতা দানের পাশাপাশি অন্য সব ক্ষেত্রেই সম্প্রীতি রক্ষা করা ইসলামের অতুলনীয় বৈশিষ্ট্য। সম্প্রদায় ভিন্ন হলেও মানুষ একে অপরের সহপাঠী, সহকর্মী, খেলার সাথি, শিক্ষক, প্রতিবেশী কিংবা পরিচিত জন। প্রত্যেকের উচিত পরস্পরের সঙ্গে সর্বদা ভালো ব্যবহার করা এবং কোনোরূপ অন্যায় আচরণ না করা। অমুসলিমদের জান-মাল-ইজ্জত সংরক্ষণের ব্যাপারে রাসুল (সা.) কঠোর সতর্কবাণী দিয়ে বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো চুক্তিবদ্ধ অমুসলিমকে হত্যা করল, সে জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না। অথচ চল্লিশ বছরের দূরত্বে থেকেও জান্নাতের সুঘ্রাণ পাওয়া যায়’ (সহিহ বুখারি)। অন্য হাদিসে নবীজি (সা.) বলেন, ‘সাবধান! যে ব্যক্তি চুক্তিবদ্ধ অমুসলিম নাগরিকের ওপর অত্যাচার করে, অথবা তার অধিকার থেকে কম দেয় কিংবা ক্ষমতা বহির্ভূতভাবে কোনো কিছু চাপিয়ে দেয় বা জোর করে তার কোনো সম্পদ নিয়ে যায় তবে কেয়ামতের দিন আমি সে ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী হব’ (সুনানে আবু দাউদ)। সাম্প্রদায়িকতার নামে যারা বিশৃঙ্খলা করে তাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যারা মানুষকে সাম্প্রদায়িকতার দিকে ডাকে, যারা সাম্প্রদায়িকতার জন্য যুদ্ধ করে এবং সাম্প্র্রদায়িকতার জন্য জীবন উৎসর্গ করে তারা আমাদের সমাজভুক্ত নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ)
ইসলাম মানুষকে ইনসানে কামেল বা পরিপূর্ণ মানুষ হওয়ার শিক্ষা দেয়। আর সচ্চরিত্র তখনই অর্জিত হয়, যখন ক্রোধশক্তি ও খায়েশ শক্তিকে সমতার পর্যায়ে রাখা হয়। কেননা, কঠোরতা কখনও ক্রোধ থেকে এবং কখনও তীব্র লালসা থেকে উৎপন্ন হয়, কিন্তু নম্রতা সচ্চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। সে ব্যক্তি সহনশীল নয়, যে জুলুমের সময় চুপ থাকে, এরপর সক্ষম হলে প্রতিশোধ নেয়; বরং সহনশীল তাকেই বলা হয়, যে জুলুমের সময় সহ্য করে এবং সক্ষম হলে মাফ করে। যেমন মক্কা বিজয়ের দিন মহানবী (সা.) বিজয়ীবেশে মক্কায় প্রবেশ করলে কুরাইশদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তিনি বিজিত শত্রুদের প্রতি কোনো ধরনের দুর্ব্যবহার করেননি বরং দুশমনদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। সেই দিন তিনি বলেছিলেন, ‘হে কুরাইশগণ! আমি তোমাদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করব বলে তোমরা মনে করো? তারা বলল, ‘আপনি আমাদের প্রতি ভালো ব্যবহার করবেন বলে আমাদের ধারণা। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, আমি তোমাদের সঙ্গে সেই কথাই বলছি, যে কথা হজরত ইউসুফ (আ.) তাঁর ভাইদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘আজ তোমাদের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। যাও তোমরা সকলেই মুক্ত।’
প্রকৃত মুসলমান ওই ব্যক্তি যার মুখ ও হাতের অনিষ্ট থেকে লোকজন নিরাপদ থাকে এবং যার নির্যাতন থেকে মানুষ নিরাপদ তাকে মুমিন বলে। রাসুল (সা.)-এর ঘরে এক ইহুদি মেহমান হয়ে এলো। রাসুল (সা.) তাকে যথাযথ মেহমানদারি করলেন এবং রাতে বিশ্রামের ব্যবস্থা করে দিলেন। ইহুদি মেহমান অসুস্থতাবশত বিছানায় মলমূত্র ত্যাগ করে। প্রিয়নবী (সা.) তাকে কিছু বলবেন এই ভয়ে সে প্রভাতের আগেই ঘর থেকে পালিয়ে যায়। ভোরে ওই ময়লাযুক্ত বিছানা দেখে নবীজি (সা.) এ মর্মে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন যে, হায়! আমি ওই ব্যক্তিকে যথাযথ মেহমানদারি করতে পারিনি; হয়তো সে কষ্ট পেয়েছে।
অতঃপর রাসুল (সা.) নিজ হাতে ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত বিছানা পরিষ্কার করলেন এবং ওই ব্যক্তির কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইলেন, ভাই! আপনার নিশ্চয়ই খুব কষ্ট হয়েছে। আমি আপনার কোনো যত্ন করতে পারিনি। এ জন্য আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। তখন ইহুদি লোকটি বলল, অপরাধ করলাম আমি আর ক্ষমা চাচ্ছেন আপনি। ইসলামের আদর্শ তো সত্যিই মহৎ! অতঃপর রাসুলুল্লাহর এমন উদারতা ও আদর্শে মুগ্ধ হয়ে সে ইসলাম গ্রহণ করে। এরূপ উৎকৃষ্টতম আদর্শের মাধ্যমেই বিশ্ব ব্যাপী ইসলামের প্রচার ও জাগরণ ঘটেছে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় বসবাসরত আদিম পৌত্তলিক, ইহুদি এবং নবদীক্ষিত মুসলিম তিন সম্প্রদায়ের সমন্বয়ে, দল-মত নির্বিশেষে মদিনা সনদের মাধ্যমে একটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। যেখানে সামাজিক নিরাপত্তা, পারস্পরিক সম্পর্ক, মদিনার নিরাপত্তার প্রশ্ন এ���ং মদিনার অর্থনীতি সচল রাখার বিষয়ে সবাই ঐকমত্যে পৌঁছেছিল। সে সময় কারও কোনো অধিকার বিন্দুমাত্র ভূলুণ্ঠিত হয়নি। সব নাগরিক সমান অধিকার পেয়েছে।
রাসুল (সা.)-এর বলিষ্ঠ পদক্ষেপের ফলে তৎকালীন সমাজের গোত্রগুলোর অন্তর্কলহ, রক্তক্ষয়ী দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের অবসানসহ নৈরাজ্যমুক্ত, মানবিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বস্তুত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনুপস্থিতিতে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হয়। সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ সংঘাতের সূত্রপাত ঘটায়, গৃহযুদ্ধেও রূপ নেয়। তাই বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণে রহমাতুল্লিল আলামিন (সা.) উদাত্ত কণ্ঠে বলেছেন, ‘হে মানবমণ্ডলী! তোমাদের আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় এবং তোমাদের আদি পিতাও এক। একজন আরব একজন অনারব থেকে কোনো মতেই শ্রেষ্ঠ নয়। তেমনি একজন আরবের ওপর একজন অনারবেরও কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই। একজন সাদা চামড়ার মানুষ একজন কালো চামড়ার মানুষের চেয়ে শ্রেষ্ঠ নয়, কালোও সাদার চেয়ে শ্রেষ্ঠ নয়। শ্রেষ্ঠত্বের মূল্যায়ন করতে বিচার্য বিষয় হবে, কে তাকওয়াবান তথা আল্লাহ ও বান্দার হক কতদূর আদায় করল। এর দ্বারা আল্লাহর দৃষ্টিতে তোমাদের মধ্যে সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী সেই ব্যক্তি, যিনি সর্বাপেক্ষা বেশি ধর্মপরায়ণ’। (বায়হাকি)
যারা সামাজিক পরিমণ্ডলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ইসলাম কায়েম করতে চায়, তারা কখনো শান্তির ধর্ম ইসলামের অনুসারী হতে পারে না। ইরশাদ হচ্ছে, ‘পৃথিবীতে শান্তি স্থাপনের পর তাতে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করো না’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ৫৬)। অন্যত্র রয়েছে, ‘ফেতনা হত্যার চেয়েও ভয়াবহ’। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৯১)। রব্বে করিম আমাদেরকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে ইসলামের সুমহান মর্যাদাকে সমুন্নত রাখার তওফিক দান করুন। 
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ইসলামের দেওয়া সেরা সম্পদ
youtube
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ইসলাম
https://www.youtube.com/watch?v=sQzcYlCfnBc
ইসলামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি
https://www.youtube.com/watch?v=WKHW9KtZP_E
ইসলামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত
Paradigm of Communal Harmony in Islam
0 notes
mylordisallah · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত
Paradigm of communal harmony in Islam
একটি দেশ বা সমাজে বসবাসরত বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও ভাষাভাষীর মানুষের মধ্যকার ঐক্য, সংহতি ও সহযোগিতার মনোভাবই হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ইসলাম অত্যধিক গুরুত্বারোপ করেছে। কেননা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি মানুষের মধ্যে ধৈর্য, সহনশীলতা, সহমর্মিতা ও শ্রদ্ধাবোধের বিকাশ ঘটায়। কোনোরূপ সহিংসতা, বিবাদ-বিসংবাদের স্থান ইসলামে নেই। ন্যূনতম শান্তিশৃঙ্খলা সম্প্রীতি বিনষ্ট হয় এমন আচরণকেও ইসলাম প্রশ্রয় দেয় না। মূলত  ইসলামের আবির্ভাব হয়েছে শান্তি প্রতিষ্ঠা, মানবকল্যাণ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে।যেখানে মানব সম্প্রদায়ের সবারই অধিকার বিধৃত হয়েছে।
দেশ, জাতি ও ভৌগোলিক সীমারেখার ঊর্ধ্বে ইসলামের পরিধি। সব মানুষই এক আল্লাহর সৃষ্টি, এক ও অভিন্ন জাতির। ইরশাদ হচ্ছে, ‘সব মানুষ ছিল একই জাতিভুক্ত। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা পয়গম্বর পাঠালেন সুসংবাদদাতা ও ভীতি পদর্শনকারী হিসেবে’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২১৩)। তাই সৃষ্টিগতভাবে সমগ্র মানবগোষ্ঠী বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ। অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে, ‘হে মানবমণ্ডলী! আমি তোমাদের একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি। আর তোমাদের বিভিন্ন সম্প্রদায় ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পর পরিচিত হতে পারো’ (সুরা হুজুরাত, আয়াত : ১৩)। রাসুলুল্লাহ  (সা.) ইরশাদ করেন, ‘সব মানুষই আদি পিতা হজরত আদমের বংশধর।’ (জামে তিরমিজি)
ধর্মীয় স্বাধীনতা দানের পাশাপাশি অন্য সব ক্ষেত্রেই সম্প্রীতি রক্ষা করা ইসলামের অতুলনীয় বৈশিষ্ট্য। সম্প্রদায় ভিন্ন হলেও মানুষ একে অপরের সহপাঠী, সহকর্মী, খেলার সাথি, শিক্ষক, প্রতিবেশী কিংবা পরিচিত জন। প্রত্যেকের উচিত পরস্পরের সঙ্গে সর্বদা ভালো ব্যবহার করা এবং কোনোরূপ অন্যায় আচরণ না করা। অমুসলিমদের জান-মাল-ইজ্জত সংরক্ষণের ব্যাপারে রাসুল (সা.) কঠোর সতর্কবাণী দিয়ে বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো চুক্তিবদ্ধ অমুসলিমকে হত্যা করল, সে জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না। অথচ চল্লিশ বছরের দূরত্বে থেকেও জান্নাতের সুঘ্রাণ পাওয়া যায়’ (সহিহ বুখারি)। অন্য হাদিসে নবীজি (সা.) বলেন, ‘সাবধান! যে ব্যক্তি চুক্তিবদ্ধ অমুসলিম নাগরিকের ওপর অত্যাচার করে, অথবা তার অধিকার থেকে কম দেয় কিংবা ক্ষমতা বহির্ভূতভাবে কোনো কিছু চাপিয়ে দেয় বা জোর করে তার কোনো সম্পদ নিয়ে যায় তবে কেয়ামতের দিন আমি সে ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী হব’ (সুনানে আবু দাউদ)। সাম্প্রদায়িকতার নামে যারা বিশৃঙ্খলা করে তাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যারা মানুষকে সাম্প্রদায়িকতার দিকে ডাকে, যারা সাম্প্রদায়িকতার জন্য যুদ্ধ করে এবং সাম্প্র্রদায়িকতার জন্য জীবন উৎসর্গ করে তারা আমাদের সমাজভুক্ত নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ)
ইসলাম মানুষকে ইনসানে কামেল বা পরিপূর্ণ মানুষ হওয়ার শিক্ষা দেয়। আর সচ্চরিত্র তখনই অর্জিত হয়, যখন ক্রোধশক্তি ও খায়েশ শক্তিকে সমতার পর্যায়ে রাখা হয়। কেননা, কঠোরতা কখনও ক্রোধ থেকে এবং কখনও তীব্র লালসা থেকে উৎপন্ন হয়, কিন্তু নম্রতা সচ্চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। সে ব্যক্তি সহনশীল নয়, যে জুলুমের সময় চুপ থাকে, এরপর সক্ষম হলে প্রতিশোধ নেয়; বরং সহনশীল তাকেই বলা হয়, যে জুলুমের সময় সহ্য করে এবং সক্ষম হলে মাফ করে। যেমন মক্কা বিজয়ের দিন মহানবী (সা.) বিজয়ীবেশে মক্কায় প্রবেশ করলে কুরাইশদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তিনি বিজিত শত্রুদের প্রতি কোনো ধরনের দুর্ব্যবহার করেননি বরং দুশমনদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। সেই দিন তিনি বলেছিলেন, ‘হে কুরাইশগণ! আমি তোমাদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করব বলে তোমরা মনে করো? তারা বলল, ‘আপনি আমাদের প্রতি ভালো ব্যবহার করবেন বলে আমাদের ধারণা। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, আমি তোমাদের সঙ্গে সেই কথাই বলছি, যে কথা হজরত ইউসুফ (আ.) তাঁর ভাইদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘আজ তোমাদের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। যাও তোমরা সকলেই মুক্ত।’
প্রকৃত মুসলমান ওই ব্যক্তি যার মুখ ও হাতের অনিষ্ট থেকে লোকজন নিরাপদ থাকে এবং যার নির্যাতন থেকে মানুষ নিরাপদ তাকে মুমিন বলে। রাসুল (সা.)-এর ঘরে এক ইহুদি মেহমান হয়ে এলো। রাসুল (সা.) তাকে যথাযথ মেহমানদারি করলেন এবং রাতে বিশ্রামের ব্যবস্থা করে দিলেন। ইহুদি মেহমান অসুস্থতাবশত বিছানায় মলমূত্র ত্যাগ করে। প্রিয়নবী (সা.) তাকে কিছু বলবেন এই ভয়ে সে প্রভাতের আগেই ঘর থেকে পালিয়ে যায়। ভোরে ওই ময়লাযুক্ত বিছানা দেখে নবীজি (সা.) এ মর্মে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন যে, হায়! আমি ওই ব্যক্তিকে যথাযথ মেহমানদারি করতে পারিনি; হয়তো সে কষ্ট পেয়েছে।
অতঃপর রাসুল (সা.) নিজ হাতে ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত বিছানা পরিষ্কার করলেন এবং ওই ব্যক্তির কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইলেন, ভাই! আপনার নিশ্চয়ই খুব কষ্ট হয়েছে। আমি আপনার কোনো যত্ন করতে পারিনি। এ জন্য আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। তখন ইহুদি লোকটি বলল, অপরাধ করলাম আমি আর ক্ষমা চাচ্ছেন আপনি। ইসলামের আদর্শ তো সত্যিই মহৎ! অতঃপর রাসুলুল্লাহর এমন উদারতা ও আদর্শে মুগ্ধ হয়ে সে ইসলাম গ্রহণ করে। এরূপ উৎকৃষ্টতম আদর্শের মাধ্যমেই বিশ্ব ব্যাপী ইসলামের প্রচার ও জাগরণ ঘটেছে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় বসবাসরত আদিম পৌত্তলিক, ইহুদি এবং নবদীক্ষিত মুসলিম তিন সম্প্রদায়ের সমন্বয়ে, দল-মত নির্বিশেষে মদিনা সনদের মাধ্যমে একটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। যেখানে সামাজিক নিরাপত্তা, পারস্পরিক সম্পর্ক, মদিনার নিরাপত্তার প্রশ্ন এবং মদিনার অর্থনীতি সচল রাখার বিষয়ে সবাই ঐকমত্যে পৌঁছেছিল। সে সময় কারও কোনো অধিকার বিন্দুমাত্র ভূলুণ্ঠিত হয়নি। সব নাগরিক সমান অধিকার পেয়েছে।
রাসুল (সা.)-এর বলিষ্ঠ পদক্ষেপের ফলে তৎকালীন সমাজের গোত্রগুলোর অন্তর্কলহ, রক্তক্ষয়ী দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের অবসানসহ নৈরাজ্যমুক্ত, মানবিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বস্তুত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনুপস্থিতিতে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হয়। সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ সংঘাতের সূত্রপাত ঘটায়, গৃহযুদ্ধেও রূপ নেয়। তাই বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণে রহমাতুল্লিল আল���মিন (সা.) উদাত্ত কণ্ঠে বলেছেন, ‘হে মানবমণ্ডলী! তোমাদের আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় এবং তোমাদের আদি পিতাও এক। একজন আরব একজন অনারব থেকে কোনো মতেই শ্রেষ্ঠ নয়। তেমনি একজন আরবের ওপর একজন অনারবেরও কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই। একজন সাদা চামড়ার মানুষ একজন কালো চামড়ার মানুষের চেয়ে শ্রেষ্ঠ নয়, কালোও সাদার চেয়ে শ্রেষ্ঠ নয়। শ্রেষ্ঠত্বের মূল্যায়ন করতে বিচার্য বিষয় হবে, কে তাকওয়াবান তথা আল্লাহ ও বান্দার হক কতদূর আদায় করল। এর দ্বারা আল্লাহর দৃষ্টিতে তোমাদের মধ্যে সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী সেই ব্যক্তি, যিনি সর্বাপেক্ষা বেশি ধর্মপরায়ণ’। (বায়হাকি)
যারা সামাজিক পরিমণ্ডলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ইসলাম কায়েম করতে চায়, তারা কখনো শান্তির ধর্ম ইসলামের অনুসারী হতে পারে না। ইরশাদ হচ্ছে, ‘পৃথিবীতে শান্তি স্থাপনের পর তাতে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করো না’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ৫৬)। অন্যত্র রয়েছে, ‘ফেতনা হত্যার চেয়েও ভয়াবহ’। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৯১)। রব্বে করিম আমাদেরকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে ইসলামের সুমহান মর্যাদাকে সমুন্নত রাখার তওফিক দান করুন। 
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ইসলামের দেওয়া সেরা সম্পদ
youtube
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ইসলাম
https://www.youtube.com/watch?v=sQzcYlCfnBc
ইসলামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি
https://www.youtube.com/watch?v=WKHW9KtZP_E
ইসলামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত
Paradigm of Communal Harmony in Islam
0 notes
mdsirome · 5 years ago
Photo
Tumblr media
📖আল-কুরআনের ৭৯টি উপদেশবাণী📖 📗১। তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না। [সূরা বাকারা ২:৪২] 📗২। সৎকার্য নিজে সম্পাদন করার পর অন্যদের করতে বলো। [সূরা বাকারা ২:৪৪] 📗৩। পৃথিবীতে বিবাদ-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করো না। [সূরা বাকারা ২:৬০] 📗৪। কারো মসজিদ যাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করো না। [সূরা বাকারা ২:১১৪] 📗৫। কারো অন্ধানুসরণ করো না। [সূরা বাকারা ২:১৭০] 📗৬। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করো না। [সূরা বাকারা ২:১৭৭] 📗৭। ঘুসে লিপ্ত হয়ো না। [সূরা বাকারা ২:১৮৮] 📗৮। যারা তোমাদের সঙ্গে লড়াই করবে, শুধু তাদের সঙ্গে তোমরা লড়াই করো। [সূরা বাকারা ২:১৯০] 📗৯। লড়াইয়ের বিধি মেনে চলো। [সূরা বাকারা ২:১৯১] 📗১০। অনাথদের রক্ষণাবেক্ষণ করো। [সূরা বাকারা ২:২২০] 📗১১। রজঃস্রাব কালে যৌনসঙ্গম করো না। [সূরা বাকারা ২:২২২] 📗১২। শিশুকে পূর্ণ দুই বছর দুগ্ধপান করাও। [সূরা বাকারা ২:২৩৩] 📗১৩। সৎগুণ দেখে শাসক নির্বাচন করো। [সূরা বাকারা ২:২৪৭] 📗১৪। ��্বিনের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই। [সূরা বাকারা ২:২৫৬] 📗১৫। প্রতিদান কামনা করে দাতব্য বিনষ্ট করো না। [সূরা বাকারা ২:২৬৪] 📗১৬। প্রয়োজনে তাদের সহযোগিতা করো। [সূরা বাকারা ২:২৭৩] 📗১৭। সুদ ভক্ষণ করো না। [সূরা বাকারা ২:২৭৫] 📗১৮। যদি ঋণীঅভাবগ্রস্তহয়তবে তাকে সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত সময় দাও। [সূরা বাকারা ২:২৮০] 📗১৯। ঋণের বিষয় লিখে রাখো। [সূরা বাকারা ২:২৮২] 📗২০। আমানত রক্ষা করো। [সূরা বাকারা ২:২৮৩] 📗২১। গোপন তত্ত্ব অনুসন্ধান করো না এবং পরনিন্দা করো না। [সূরা বাকারা ২:২৮৩] 📗২২। সমস্ত নবির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করো। [সূরা বাকারা ২:২৮৫] 📗২৩। সাধ্যের বাইরে কারো উপর বোঝা চাপিয়ে দিও না। [সূরা বাকারা ২:২৮৬] 📗২৪। তোমরা পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ো না। [সূরা আল-ইমরান ৩:১০৩] 📗২৫। ক্রোধ সংবরণ করো। [সূরা আল-ইমরান ৩:১৩৪] 📗২৬। রূঢ় ভাষা ব্যবহার করো না। [সূরা আল-ইমরান ৩:১৫৯] 📗২৭। এই বিশ্বের বিস্ময় ও সৃষ্টি নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা করো। [সূরা আল-ইমরান ৩:১৯১] 📗২৮। পুরুষ ও নারী উভয়ই তাদের কৃতকর্মের সমান প্র��িদান পাবে। [সূরা আল-ইমরান ৩:১৯৫] 📗২৯। মৃতের সম্পদ তার পরিবারের সদস্যসের মাঝে বন্টন করতে হবে। [সূরা নিসা ৪:৭] 📗৩০। উত্তরাধিকারের অধিকার নারীদেরও আছে। [সূরা নিসা ৪:৭] 📗৩১। অনাথদের সম্পদ আত্মসাৎ করো না। [সূরা নিসা ৪১০] 📗৩২। যাদের সাথে রক্তের সম্পর্ক তাদের বিবাহ করো না। [সূরা নিসা ৪:২৩] 📗৩৩। অন্যায়ভাবে কারো সম্পদ ভক্ষণ করো না। [সূরা নিসা ৪:২৯] 📗৩৪। পরিবারের উপর কর্তৃত্ব চালাবে পুরুষ। [সূরা নিসা ৪:৩৪] 📗৩৫। অন্যদের জন্য সদাচারী হও। [সূরা নিসা ৪:৩৬] (at New York City, Downtown Brooklyn, USA) https://www.instagram.com/p/B4ixzBzBILV/?igshid=13j2pndik5xwb
1 note · View note
love23554 · 6 years ago
Text
কুর'আনের ১০০টি উপদেশবাণী
100 Advices from the Qur'aan
__________
.
● তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না। [সূরা বাকারা, ৪২]
● সৎকার্য নিজে সম্পাদন করার পর অন্যদের করতে বলো। [সূরা বাকারা, ৪৪]
● পৃথিবীতে বিবাদ-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করো না। [সূরা বাকারা, ৬০]
৪। কারো মসজিদ যাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করো না। [সূরা বাকারা, ১১৪]
● কারো অন্ধানুসরণ করো না। [সূরা বাকারা, ১৭০]
● প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করো না। [সূরা বাকারা, ১৭৭]
● ঘুসে লিপ্ত হয়ো না। [সূরা বাকারা, ১৮৮]
● যারা তোমাদের সঙ্গে লড়াই করবে, শুধু তাদের সঙ্গে তোমরা লড়াই করো। [সূরা বাকারা, ১৯০]
● লড়াইয়ের বিধি মেনে চলো। [সূরা বাকারা, ১৯১]
● অনাথদের রক্ষণাবেক্ষণ করো। [সূরা বাকারা, ২২০]
● রজঃস্রাব কালে যৌনসঙ্গম করো না। [সূরা বাকারা, ২২২]
● শিশুকে পূর্ণ দুই বছর দুগ্ধপান করাও। [সূরা বাকারা, ২৩৩]
● সৎগুণ দেখে শাসক নির্বাচন করো। [সূরা বাকারা, ২৪৭]
● দ্বিনের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই। [সূরা বাকারা, ২৫৬]
● প্রতিদান কামনা করে দাতব্য বিনষ্ট করো না। [সূরা বাকারা, ২৬৪]
● প্রয়োজনে তাদের সহযোগিতা করো। [সূরা বাকারা, ২৭৩]
● সুদ ভক্ষণ করো না। [সূরা বাকারা, ২৭৫]
● যদি ঋণীঅভাবগ্রস্তহয়তবে তাকে সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত সময় দাও। [সূরা বাকারা, ২৮০]
● ঋণের বিষয় লিখে রাখো। [সূরা বাকারা, ২৮২]
● আমানত রক্ষা করো। [সূরা বাকারা, ২৮৩]
● গোপন তত্ত্ব অনুসন্ধান করো না এবং পরনিন্দা করো না। [সূরা বাকারা, ২৮৩]
● সমস্ত নবির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করো। [সূরা বাকারা, ২৮৫]
● সাধ্যের বাইরে কারো উপর বোঝা চাপিয়ে দিও না। [সূরা বাকারা, ২৮৬]
● তোমরা পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ো না। [সূরা আল-ইমরান, ১০৩]
● ক্রোধ সংবরণ করো। [সূরা আল-ইমরান, ১৩৪]
● রূঢ় ভাষা ব্যবহার করো না। [সূরা আল-ইমরান, ১৫৯]
● এই বিশ্বের বিস্ময় ও সৃষ্টি নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা করো। [সূরা আল-ইমরান, ১৯১]
● পুরুষ ও নারী উভয়ই তাদের কৃতকর্মের সমান প্রতিদান পাবে। [সূরা আল-ইমরান, ১৯৫]
● মৃতের সম্পদ তার পরিবারের সদস্যসের মাঝে বন্টন করতে হবে। [সূরা নিসা, ৭]
● উত্তরাধিকারের অধিকার নারীদেরও আছে। [সূরা নিসা, ৭]
● অনাথদের সম্পদ আত্মসাৎ করো না। [সূরা নিসা, ১০]
● যাদের সাথে রক্তের সম্পর্ক তাদের বিবাহ করো না। [সূরা নিসা, ২৩]
● অন্যায়ভাবে কারো সম্পদ ভক্ষণ করো না। [সূরা নিসা, ২৯]
● পরিবারের উপর কর্তৃত্ব চালাবে পুরুষ। [সূরা নিসা, ৩৪]
● অন্যদের জন্য সদাচারী হও। [সূরা নিসা, ৩৬]
● কার্পণ্য করো না। [সূরা নিসা, ৩৭]
● বিদ্বেষী হয়ো না। [সূরা নিসা, ৫৪]
● মানুষের সাথে ন্যায়বিচার করো। [সূরা নিসা, ৫৮]
● একে অপরকে হত্যা করো না। [সূরা নিসা, ৯২]
● বিশ্বাসঘাতকদের পক্ষ নিয়ে বিতর্ক করো না। [সূরা নিসা ৪:১০৫]
● ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকো। [সূরা নিসা, ১৩৫]
● সৎকার্যে পরস্পরকে সহযোগিতা করো। [সূরা মায়িদা, ২]
● সীমালঙ্��নের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। [সূরা মায়িদা, ২]
● মৃত পশু, রক্ত ও শূয়োরের মাংসা নিষিদ্ধ। [সূরা মায়িদা, ৩]
● সৎপরায়ণ হও। [সূরা মায়িদা, ৮]
● অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাও। [সূরা মায়িদা, ৩৮]
● পাপ ও অবৈধ জিনিসের বিরুদ্ধে শ্রম ব্যয় করো। [সূরা মায়িদা, ৬৩]
● মাদক দ্রব্য ও আলকোহল বর্জন করো। [সূরা মায়িদা, ৯০]
● জুয়া খেলো না। [সূরা মায়িদা, ৯০]
● ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপাস্যদের গালমন্দ করো না। [সূরা মায়িদা, ১০৮]
● আধিক্য সত্যের মানদণ্ড নয়। [সূরা আন’আম, ১১৬]
● মানুষকে প্রতারণা দেওয়ার জন্য ওজনে কম দিও না। [সূরা আন’আম, ১৫২]
● অহংকার করো না। [সূরা আ’রাফ ৭:১৩]
● পানাহার করো, কিন্তু অপচয় করো না। [সূরা আ’রাফ, ৩১]
● সালাতে উত্তম পোশাক পরিধান করো। [সূরা আ’রাফ, ৩১]
● অন্যদের ত্রুটিবিচ্যুতি ক্ষমা করো। [সূরা আ’রাফ, ১৯৯]
● যুদ্ধে পশ্চাদ্‌মুখী হয়ো না। [সূরা আনফাল, ১৫]
● যারা নিরাপত্তা কামনা করছে তাদের সহযোগিতা করো ও নিরাপত্তা দাও। [সূরা তওবা, ৬]
● পবিত্র থেকো। [সূরা তওবা, ১০৮]
● আল্লাহ্‌ তাআলার অনুগ্রহ হতে নিরাশ হয়ো না। [সূরা ইউসুফ, ৮৭]
● যারা অজ্ঞতাবশত ভুলত্রুটি করে আল্লাহ্‌ তাআলা তাদেরকে ক্ষমা করবেন। [সূরা নাহ্‌ল, ১১৯]
● প্রজ্ঞা ও উত্তম নির্দেশনা দ্বারা আল্লাহ্‌ তাআলার প্রতি আহ্বাব করা উচিত। [সূরা নাহ্‌ল, ১১৯]
● কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না। [সূরা ইসরা, ১৫]
● পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করো। [সূরা ইসরা, ২৩]
● পিতামাতাকে অশ্রদ্ধা করে কোনো কথা বলো না। [সূরা ইসরা, ২৩]
● অর্থ অপচয় করো না। [সূরা ইসরা, ২৯]
● দারিদ্রের আশঙ্কায় সন্তানসন্ততিকে হত্যা করো না। [সূরা ইসরা, ৩১]
● অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত হয়ো না। [সূরা ইসরা, ৩২]
● যে বিষয়ে জ্ঞান নেই তার অনুবর্তী হয়ো না। [সূরা ইসরা, ৩৬]
● শান্তভাবে কথা বলো। [সূরা ত্বা-হা, ৪৪]
● অনর্থ জিনিস থেকে দূরে থেকো। [সূরা মু’মিনুন, ৩]
● অনুমতি ছাড়া কারো গৃহে প্রবেশ করো না। [সূরা নূর, ২৭]
● যারা শুধু আল্লাহ্‌ তাআলার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেন তিনি তাদেরকে নিরাপত্তা দেন। [সূরা নূর, ৫৫]
● বিনা অনুমতিতে পিতামাতার ব্যক্তিগত ঘরে প্রবেশ করো না। [সূরা নূর, ৫৮]
● বিনয় সহকারে ভূপৃষ্ঠে বিচরণ করো। [সূরা ফুরকান, ৬৩]
● এই পৃথিবীতে তুমি তোমার অংশকে উপেক্ষা করো না। [সূরা কাসাস, ৭৭]
● আল্লাহ্‌র সাথে অন্য কোনো বাতিল উপাস্যকে ডেকো না। [সূরা কাসাস, ৮৮]
● সমকামিতায় লিপ্ত হয়ো না। [সূরা আন্‌কাবুত, ২৯]
● সৎকার্যের আদেশ করো এবং অসৎকার্য হতে নিষেধ করো। [সূরা লোকমান, ১৭]
● দম্ভভরে ভুপৃষ্ঠে বিচরণ করো না। [সূরা লোকমান, ১৮]
● কণ্ঠস্বর অবনমিত রেখো। [সূরা লোকমান, ১৯]
● নারীরা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে। [সূরা আহ্‌যাব, ৩৩]
● আল্লাহ্‌ তাআলা যাবতীয় পাপ মোচন করে দিতে পারেন। [সূরা যুমার, ৫৩]
● আল্লাহ্‌ তাআলার অনুগ্রহ হতে নিরাশ হয়ো না। [সূরা যুমার, ৫৩]
● ভালো দ্বারা মন্দ ��্রতিহত করো। [সূরা হা-মিম সাজদা, ৩৪]
● যেকোনো বিষয়ে পরামর্শের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নাও। [সূরা শূরা, ৩৮]
● মানুষের সাথে মানিয়ে চলার চেষ্টা করো। [সূরা হুজরাত, ৯]
● কাউকে পরিহাস করো না। [সূরা হুজরাত, ১১]
● সন্দেহ থেকে বিরত থেকো। [সূরা হুজরাত, ১২]
● পরনিন্দা করো না। [সূরা হুজরাত, ১২]
● সবচেয়ে আল্লাহ্‌ভীরু ব্যক্তি সবচেয়ে সম্মাননীয়। [সূরা হুজরাত, ১৩]
● অতিথির সম্মান করো। [সূরা যারিয়াত, ২৬]
● দাতব্যকার্যে অর্থ ব্যয় করো। [সূরা হাদিদ, ৭]
● দ্বিনের মধ্যে বৈরাগ্যের কোনো স্থান নেই। [সূরা হাদিদ, ২৭]
● জ্ঞানীজনকে আল্লাহ্‌ তাআলা সুউচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করবেন। [সূরা মুজাদালাহ্‌ , ১১]
● অমুসলিমদের সাথে সদয় ও ন্যায় আচরণ করো। [সূরা মুমতাহিনাহ্‌, ৮]
● লোভ-লালসা থেকে সুরক্ষিত থেকো। [সূরা তাগাবুন, ১৬]
● আল্লাহ্‌ তাআলার নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করো। তিনি মহাক্ষমাশীল ও অসীম দয়ালু। [সূরা মুযযাম্মিল, ২০]
● ভিক্ষুককে ধমক দিও না। [সূরা দ্বোহা, ১০]
● অভাবগ্রস্তকে খাদ্যদানের প্রতি উৎসাহ প্রদান করো। [সূরা মা’ঊন, ৩]
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
1 note · View note
masud625-blog · 3 years ago
Text
পুরুষদের যৌন অক্ষমতা:-চিকিৎসা ও সচেতনতা।
পুরুষদের যৌন অক্ষমতা:-চিকিৎসা ও সচেতনতা। #পুরুষের_যৌন_সমস্যা; যৌন সমস্যা বা যৌন অক্ষমতা বলতে এমন সমস্যাকে বোঝায় যা যৌন প্রতিক্রিয়া চক্রের যেকোন ধাপে ঘটবার কারণে পরিপূর্ণ যৌন তৃপ্তি থেকে সঙ্গীকে বঞ্চিত রাখে। যৌন প্রতিক্রিয়া চক্রের চারটি ধাপ রয়েছে। উত্তেজনা, প্লেট, প্রচণ্ড উত্তেজনা (অর্গাজম), এবং রেজোল্যুশন। বিভিন্ন গবেষণার তথ্যমতে ৪৩ শতাংশ নারী ও ৩১ শতাংশ পুরুষ কোনো না কোনো মাত্রার যৌন অক্ষমতায় ভোগেন। এই বিষয়টি এমন একটি বিষয় যা নিয়ে আলোচনা করতে অনেকেই বিব্রত বোধ করেন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই সমস্যা চিকিৎসায় সেরে যায়। তাই যারা এমন সমস্যায় ভোগেন তাদের উচিত খোলামেলাভাবে বিষয়টি নিয়ে সঙ্গী বা ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করা। • কী কারণে পুরুষের যৌন সমস্যা হয়ে থাকে? পুরুষের শারীরিক বা মানসিক সমস্যার ফলাফল হিসেবে যৌন সমস্যা হয়ে থাকতে পারে। #শারীরিক_কারণ: অনেক ধরণের শারীরিক কারণে যৌন সমস্যা তৈরি হতে পারে। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, রক্তনালী সংক্রান্ত রোগ, স্নায়ু রোগ, হরমোন ভারসাম্যহীনতা, দুরারোগ্য ব্যাধি যেমন কিডনি বা লিভারের রোগ এবং অতিরিক্ত মদ্যপান, নিয়মিত মাদক নেওয়া ও ঔষধের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার ইত্যাদি। এছাড়াও, কিছু অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ড্রাগসহ কয়েকটি নির্দিষ্ট ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যৌন ইচ্ছা এবং ক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। #মানসিক_কারণ: কর্মস্থলে চাপ ও অস্থিরতা, যৌন সক্ষমতা নিয়ে অতিমাত্রায় উদ্বিগ্ন বা দুশ্চিন্তায় থাকা, সম্পর্ক নিয়ে জটিলতা, ডিপ্রেশন, অপরাধবোধ এবং অতীতের কোন ঘটনা বা সেক্সুয়াল ট্রমার প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি মানসিক কারণে যৌন সমস্যায় ভুগতে পারেন যেকোনো পুরুষ। • যৌন সমস্যায় কারা ভোগে? যৌন সমস্যায় নারী-পুরুষ উভয়ই ভুগতে পারেন। প্রাপ্তবয়স্ক যে কারো যেকোনো বয়সে যৌন সমস্যা হতে পারে। • যৌন সমস্যা কীভাবে ��ুরুষদের ভোগায়? পুরুষদের সাধারণত যেসব যৌন সমস্যাটি বেশি হয়ে থাকে সেগুলো হলো অনিয়ন্ত্রিত বীর্যপাত, লিঙ্গ উত্থিত না হওয়া এবং যৌন ইচ্ছা না জাগা। • অনিয়ন্ত্রিত বীর্যপাত কী? অনিয়ন্ত্রিত বীর্যপাতের কয়েকটি ধরণ রয়েছে। যেমন: #দ্রুত_বীর্যপাত: পেনিট্রেশন বা সঙ্গম শুরুর আগেই বা কিছুক্ষণ পরই বীর্যপাত হয়ে যাওয়াকেই দ্রুত বা অকাল বীর্যপাত বলা হয়। #মন্থর_বীর্যপাত: খুবই মন্থর বীর্যপাত হওয়া বা বীর্যপাতের ইচ্ছা না জাগাই এ ধরণের সমস্যা। #বিপরীতমুখী_বীর্যপাত (রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশন): পুরুষের বীর্যপাতের সময় বীর্য মূত্রনালি দিয়ে বের হয়ে আসে। তবে যৌন সমস্যার কারণে যদি মূত্রনালি দিয়ে বীর্য বেরিয়ে না এসে উল্টো চলে যায় অর্থাৎ মূত্রথলিতে প্রবেশ করে তবে তাকে রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশন বা বিপরীতমুখী বীর্যপাত বলে। কিছু ক্ষেত্রে অকাল ও দ্রুত বীর্যপাত ঘটে মানসিক কারণে। যৌনতা সম্পর্কে অপরাধবোধে ভোগা যেমন কঠোর ধর্মীয় অনুশাসনে যারা বড় হয়েছেন তারা অনেকেই যৌনতাকে পাপ মনে করেন। তাদের ক্ষেত্রে এমনটা হতে পারে। এছাড়া সঙ্গীর প্রতি কম আকর্ষণ অনুভব এবং অতীতের কোনো সেক্সুয়াল ট্রমার কারণেও এমনটা হতে পারে। পুরুষের সবচেয়ে বেশি যে সমস্যাটি হয়, তা হলো অকাল বীর্যপাত। সঙ্গমে নিজের সক্ষমতা বা ভালো সঙ্গম করার জন্য অতিমাত্রার তাগিদ থেকেও এমনটা হয়ে থাকে। এছাড়া কিছু ড্রাগস নেওয়ার কারণেও এমনটা হতে পারে। সাধারণত যারা ডায়াবেটিক রোগে ভোগেন তাদের মধ্যে বিপরীতমুখী বীর্যপাতের সমস্যা দেখা যায়। ডায়াবেটিসের কারণে স্নায়ু ধীরে ধীরে কর্মক্ষমতা হারায়। মুত্রথলীর স্নায়ু দুর্বল বা কর্মক্ষমতা যদি হারায় তবে এই সমস্যায় ভুগে থাকেন পুরুষরা। ডায়াবেটিক ছাড়া যাদের এ সমস্যা হয় তাদের সাধারণত ব্লাডার নেকে বা পাকস্থলীতে অস্ত্রোপচারের কারণে হয়ে থাকে। এছাড়া কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার দরুন এটা হতে পারে; যেমন ক্রোধ সংবরণের জন্য ঔষধ গ্রহণের কারণে এমনটা ঘটতে পারে। #লিঙ্গ_উত্থিত_না_হওয়ার_সমস্যা (ইরেকটাইল ডিসফাংশন) কী? ইরেকটাল ডিসফাংশনকে সরাসরি যৌন অক্ষমতা বলা হয়। যৌন মিলনের জন্য পুরুষের লিঙ্গ উত্থিত না হওয়া বা উত্থান হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী না হওয়াকে ইরেকটাল ডিসফাংশন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। রক্ত সঞ্চালনের সমস্যাজনিত রোগ, স্নায়ুবিক সমস্যা, মানসিক কারণ- যেমন চাপ, অবসাদ এবং যৌন সক্ষমতা নিয়ে দুশ্চিন্তা, লিঙ্গে কোন ধরণের আঘাতের কারণে, দুরারোগ্য কোন ব্যাধি, নির্দিষ্ট কিছু ড্রাগ নেওয়াসহ ইত্যাদি কারণে এ সমস্যা হয়ে থাকে পুরুষের। এছাড়া পিরোনির রোগের (লিঙ্গে ত্রুটিযুক্ত টিস্যুর কারণে সমস্যা) কারণে ইরেকটাইল ডিসফাংশন হতে পারে। #যৌন_আকাঙ্ক্ষা_না_জাগা_কী? যৌন আকাঙ্ক্ষা না জাগা বলতে যৌন ক্রিয়ায় সাড়া না দেওয়ার প্রবণতাকে বা কামশক্তি হারিয়ে ফেলা বা কম যৌন ইচ্ছাকে বোঝায়। এ সমস্যা মানসিক �� শারীরিক কারণে ঘটতে পারে। এটি টেস্টোস্টেরন হরমোনের কম নির্গত হওয়ার কারণে হয়। কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে এমনটা হতে পারে। এছাড়া সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কে জটিলতার কারণেও এ সমস্য হয় অনেক পুরুষের। #পুরুষের_যৌন_অক্ষমতার_চিকিৎসা: বেশিরভাগ যৌন অক্ষমতার চিকিৎসা শারীরিক ও মানসিক চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে সারিয়ে তোলা যায়। পুরুষের শারীরিক কোন সমস্যার কারণে যদি যৌন অক্ষমতার সমস্যা ঘটে তবে চিকিৎসার মাধ্যমে তা সারিয়ে তোলা হয়। এছাড়া, লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যার জন্য কিছু ঔষধ যেমন সিয়ালিস, লেভিট্রা, স্ট্যাক্সিন, স্টেন্ড্রা বা ভায়াগ্রাও প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। এসব ঔষধ লিঙ্গে রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে যৌন সঙ্গমের জন্য উত্থিত হতে সাহায্য করে। এছাড়া প্রোমেসেন্ট নামের এক ধরণের ঔষধ অকাল বীর্যপাত রোধে কাজ করে।  লিডোকেনসমৃদ্ধ এ ঔষধটি সঙ্গমের আগে লিঙ্গে সরাসরি স্প্রে করতে হয়। এটি দীর্ঘস্থায়ী বীর্যধারনে সাহায্য করে। ♦️তবে আপনাদের বলে রাখি এগুলোতে কিন্তু প্রচন্ড পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া আপনারা কোন রকম ঔষধ নিজে থেকে ব্যবহার করবেন না। এছাড়া হরমোন চিকিৎসাও করা হয়। পুরুষের যৌন ইচ্ছা জাগানোর জন্য দায়ী টেস্টোস্টেরন হরমোন। এ হরমোনজনিত থেরাপি যেমন টেস্টোস্টেরন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (টিআরটি) করে পুরুষের যৌন সমস্যার সমাধান করা হয়। মানসিক থেরাপি দিয়েও অনেক যৌন সমস্যার সমাধান হয়। প্রশিক্ষিত কাউন্সেলরের সাহায্য নিয়ে উদ্বেগ, ভয় বা অপরাধবোধের কারণে সৃষ্ট যৌন সমস্যার সমাধান করা যায়। এছাড়া যান্ত্রিক উপকরণ ব্যবহার করে যৌন সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। যেমন ভ্যাকুয়াম ডিভাইস ও পেনাইল ইমপ্লিমেন্ট এর মাধ্যমে পুরুষের লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। তবে সব চিকিৎসাই চিকিৎসকের পরামর্শমতে গ্রহণ করতে হবে। যৌন শিক্ষা ও যোগাযোগের মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব। যৌনতার ব্যাপারে আচরণ ও সাড়া দেওয়ার বিষয়ে যথাযথ শিক্ষা একজন পুরুষকে যৌনতা সম্পর্কে নানা অনিশ্চয়তা ও ভয় কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। এ ধরণের সমস্যায় পুরুষের উচিত সঙ্গীর সঙ্গে তার যৌন চাহিদা ও উদ্বেগ সম্পর্কে আলোচনা করা। এতে করে যৌন  জীবনের অনেক সমস্যাই কেটে যায় ও একটি স্বাস্থ্যসম্মত যৌন জীবন উপভোগ করতে পারেন। যৌন সমস্যার স্থায়ী সমাধান আছে কি না এমনটা অনেকেই জানতে চান। মূলত যে মূল সমস্যার কারণে যৌন সমস্যাটি হয় তার ওপর নির্ভর করে যৌন চিকিৎসার সফলতা। চিকিৎসা সম্ভব এমন সমস্যার ক্ষেত্রে ভাল সফলতা পাওয়া যায়। এছাড়া মৃদু অক্ষমতা যেগুলো সাধারণত মানসিক চাপ, ভয় বা যৌন সক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তার কারণে হয়ে থাকে তা কাউন্সেলিং, যৌন শিক্ষা ও সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়ে যায়। • যৌন সমস্যা প্রতিরোধ করা যায় কী না? সব যৌন সমস্যা চাইলেই প্রতিরোধ করা যায় না। তবে যৌন সমস্যার জন্য মূল কারণটি সম্পর্কে জানা ও আগে থেকেই চিকিৎসার মাধ্যমে সারিয়ে তুললে যৌন সমস্যা প্রতিরোধ সম্ভব। ��াল যৌন জীবনের জন্য যৌন স্বাস্থ্য নিয়ে একজন পুরুষ নানাভাবে সচেতন থাকতে পারেন।  যেমন- যেকোন চিকিৎসা নেওয়ার সময় আপনার ডাক্তারের পরামর্শ পুরোপুরি অনুসরণ করুন। অ্যালকোহল গ্রহণের পরিমাণ সীমিত করুন। ধূমপান ছেড়ে দিন। যেকোন ধরণের মানসিক বা আবেগী বিষয় যেমন চাপ, অবসাদ, উদ্বেগ থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে চিকিৎসা নিন। • সঙ্গীর সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করুন। যৌন অক্ষমতার সমস্যা হলে কখন ডাক্তার দেখাব ? অনেক পুরুষের নানা সময় যৌন সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি তা কয়েকদিন স্থায়ী হয় তবে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। যদি কয়েকদিন পর পর যৌন সমস্যা অনুভব করেন তবে অবহেলা না করে ডাক্তার দেখান। মারাত্মক যৌন অক্ষমতার কারণে সঙ্গীর সাথে সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আগেই চিকিৎসা নেওয়া উচিত। 🔸আপনি কি কোন রকম যৌন বা গুপ্ত সমস্যা ভুগছেন!? যৌন সমস্যা হোমিও ঔষধের মাধ্যমে স্থায়ী চিকিৎসা সম্ভব কোন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই। তাই আপনার যদি কোনরকম যৌন সমস্যা থেকে থাকে আপনি আপনার কাছাকাছি কোন আয়ুর্বেদিক যৌন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন। ∆ অথবা আমাদের সাথেও নির্দ্বিধায়, নিঃসংকোচে যোগাযোগ করতে পারেন। আমাদের ক্লিনিকে সরাসরি আসতে পারেন অথবা অনলাইনেও পরামর্শ নিতে পারেন। . ♀️♂️ বাংলাদেশে সর্বোত্তম এবং সর্বশ্রেষ্ঠ হোমিও যৌন বিশেষজ্ঞ। #লিঙ্গ_শিথিলতা, #ধ্বজভঙ্গ, #শীঘ্রপতন, #পুরুষত্বহীনতা, #যৌন_অক্ষমতা, #স্ত্রী_মিলন_বা_সঙ্গমে_অনিহা, #পুরুষাঙ্গ_ক্ষুদ্র_বক্র_সরু, #স্বপ্নদোষ, #প্রসাবে_ধাতু_ক্ষয়, #প্রস্রাবে_জ্বালাপোড়া, #শুক্রতারল্য, #শুক্রানু_স্বল্পতা #পুরুষের_স্বল্প_শুক্রাণুর_কারণে_বন্ধ্যাত্ব, #ফাইমোসিস #প্যারাফাইমোসিস #সিফিলিস, #গনোরিয়া, #একশিরা এবং #অর্শ প্রভৃতিসহ যেকোনো যৌন বা গুপ্ত সমস্যার আয়ুর্বেদিক ঔষধ এর মাধ্যমে সুচিকিৎসা করা হয়। কোন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই। • এ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য কল করুন 👇 ফোন 01717-499374 ডঃ মোঃ জামান খান চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ জার্মান হোমিও হল
0 notes
islam-jindabad · 4 years ago
Text
কুর'আনের ১০০টি উপদেশবাণী
● তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না। [সূরা বাকারা, ৪২]
● সৎকার্য নিজে সম্পাদন করার পর অন্যদের করতে বলো। [সূরা বাকারা, ৪৪]
● পৃথিবীতে বিবাদ-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করো না। [সূরা বাকারা, ৬০]
৪। কারো মসজিদ যাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করো না। [সূরা বাকারা, ১১৪]
● কারো অন্ধানুসরণ করো না। [সূরা বাকারা, ১৭০]
● প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করো না। [সূরা বাকারা, ১৭৭]
● ঘুসে লিপ্ত হয়ো না। [সূরা বাকারা, ১৮৮]
● যারা তোমাদের সঙ্গে লড়াই করবে, শুধু তাদের সঙ্গে তোমরা লড়াই করো। [সূরা বাকারা, ১৯০]
● লড়াইয়ের বিধি মেনে চলো। [সূরা বাকারা, ১৯১]
● অনাথদের রক্ষণাবেক্ষণ করো। [সূরা বাকারা, ২২০]
● রজঃস্রাব কালে যৌনসঙ্গম করো না। [সূরা বাকারা, ২২২]
● শিশুকে পূর্ণ দুই বছর দুগ্ধপান করাও। [সূরা বাকারা, ২৩৩]
● সৎগুণ দেখে শাসক নির্বাচন করো। [সূরা বাকারা, ২৪৭]
● দ্বিনের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই। [সূরা বাকারা, ২৫৬]
● প্রতিদান কামনা করে দাতব্য বিনষ্ট করো না। [সূরা বাকারা, ২৬৪]
● প্রয়োজনে তাদের সহযোগিতা করো। [সূরা বাকারা, ২৭৩]
● সুদ ভক্ষণ করো না। [সূরা বাকারা, ২৭৫]
● যদি ঋণীঅভাবগ্রস্তহয়তবে তাকে সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত সময় দাও। [সূরা বাকারা, ২৮০]
● ঋণের বিষয় লিখে রাখো। [সূরা বাকারা, ২৮২]
● আমানত রক্ষা করো। [সূরা বাকারা, ২৮৩]
● গোপন তত্ত্ব অনুসন্ধান করো না এবং পরনিন্দা করো না। [সূরা বাকারা, ২৮৩]
● সমস্ত নবির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করো। [সূরা বাকারা, ২৮৫]
● সাধ্যের বাইরে কারো উপর বোঝা চাপিয়ে দিও না। [সূরা বাকারা, ২৮৬]
● তোমরা পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ো না। [সূরা আল-ইমরান, ১০৩]
● ক্রোধ সংবরণ করো। [সূরা আল-ইমরান, ১৩৪]
● রূঢ় ভাষা ব্যবহার করো না। [সূরা আল-ইমরান, ১৫৯]
● এই বিশ্বের বিস্ময় ও সৃষ্টি নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা করো। [সূরা আল-ইমরান, ১৯১]
● পুরুষ ও নারী উভয়ই তাদের কৃতকর্মের সমান প্রতিদান পাবে। [সূরা আল-ইমরান, ১৯৫]
● মৃতের সম্পদ তার পরিবারের সদস্যসের মাঝে বন্টন করতে হবে। [সূরা নিসা, ৭]
● উত্তরাধিকারের অধিকার নারীদেরও আছে। [সূরা নিসা, ৭]
● অনাথদের সম্পদ আত্মসাৎ করো না। [সূরা নিসা, ১০]
● যাদের সাথে রক্তের সম্পর্ক তাদের বিবাহ করো না। [সূরা নিসা, ২৩]
● অন্যায়ভাবে কারো সম্পদ ভক্ষণ করো না। [সূরা নিসা, ২৯]
● পরিবারের উপর কর্তৃত্ব চালাবে পুরুষ। [সূরা নিসা, ৩৪]
● অন্যদের জন্য সদাচারী হও। [সূরা নিসা, ৩৬]
● কার্পণ্য করো না। [সূরা নিসা, ৩৭]
● বিদ্বেষী হয়ো না। [সূরা নিসা, ৫৪]
● মানুষের সাথে ন্যায়বিচার করো। [সূরা নিসা, ৫৮]
Tumblr media
0 notes
banglakosh · 6 years ago
Text
বিখ্যাত মনীষী ও লেখকদের ১০০ বাণী বাণী চিরন্তনীঃ
1) শক্তিশালী সে , যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। _হযরত মোহাম্মদ সাঃ 2) অনেক কিছু ফিরে আসে, ফিরিয়ে আনা যায়, কিন্তু সময়কে ফিরিয়ে আনা যায় না _আবুল ফজল 3) অভাব যখন দরজায় এসে দাঁড়ায়, ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায় । _শেক্সপিয়র 4) ভবিষ্যতে যার কাছ থেকে তুমি সবচেয়ে বড় কষ্টটি পাবে, আজ সে তোমার সবচেয়ে কাছের কোন একজন। _রেদোয়ান মাসুদ 5) অসৎ আনন্দের চেয়ে পবিত্র বেদনা ভালো। _হোমার 6) অসহায়কে অবজ্ঞা করা উচিত নয়, কারণ মানুষ মাত্রেই জীবনের কোন না কোন সময় অসহায়তার শিকার হবে । _গোল্ড স্মিথ 7) মিথ্যার দাপট ক্ষণস্থায়ী সত্যর দাপট চিরস্থায়ী। _হজরত সোলাইমান(আঃ) 8) কিছু কিছু মানুষ সত্যি খুব অসহায়। তাদের ভালোলাগা মন্দলাগা, ব্যথা বেদনা গুলো বলার মত কেউ থাকে না। তাদের কিছু অবাক্ত কথা মনের গভীরেই রয়ে যায়, আর কিছু কিছু স্মৃতি - এক সময় পরিনত হয় দীর্ঘশ্বাসে। _হুমায়ূন আহমেদ 9) স্বপ্ন তাকে নিয়েই দেখ যে শুধু স্বপ্ন দেখায় না বাস্তবায়নও করে, কিন্তু এমন কাউকে নিয়ে স্বপ্ন দেখ না যে স্বপ্ন দেখিয়ে নিজেই হারিয়ে যায়। _রেদোয়ান মাসুদ 10) যে ব্যক্তি একজন মুসলমানের দোষ গোপন করবে , আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন করবেন। _হযরত মোহাম্মদ সাঃ 11) আমার বন্ধুর জন্যে সবচেয়ে বেশি যা করতে পারি তা হলে শুধু বন্ধু হয়ে থাকা। তাকে দেয়ার মতো কোন সম্পদ আমার নেই। সে যদি জানে যে আমি তাকে ভালবেসেই সুখী, সে আর কোন পুরস্কারই চাইবে না��� এক্ষেত্রে বন্ধুত্ব কি স্বর্গীয় নয়। _হেনরি ডেভিড থিওরো
12) আমি আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভয় পাই। তারপর সেই মানুষকে ভয় পাই যে আল্লাহকে মোটেই ভয় পায় না। _শেখ সাদী
13) কাউকে সারা জীবন কাছে পেতে চাও? তাহলে প্রেম দিয়ে নয় বন্ধুত্ব দিয়ে আগলে রাখো। কারণ প্রেম একদিন হারিয়ে যাবে কিন্তু বন্ধুত্ব কোনদিন হারায় না _উইলিয়াম শেক্সপিয়র
14) মৃত্যুর যন্ত্রণার চেয়ে বিরহের যন্ত্রণা যে কতো কঠিন, মৃত্যুর যন্ত্রণার চেয়ে বিরহের যন্ত্রণা যে কতো কঠিন, কতো ভয়ানক তা একমাত্র ভুক্তভুগিই অনুভব করতে পারে | _কাজী নজরুল ইসলাম
15) আমি তোমাদের বলেছি যে তোমরা মিনিটের খেয়াল রাখো, তাহলে দেখবে ঘন্টাগুলো আপনা থেকেই নিজেদের খেয়াল রাখছে _চেষ্টারফিল্ড
16) আমি ব্যর্থতা কে মেনে নিতে পারি কিন্তু আমি চেষ্টা না করাকে মেনে নিতে পারিনা। _মাইকেল জর্ডান
17) স্বপ্ন সেটা নয় যেটা মানুষ, ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখে; স্বপ্ন সেটাই যেটা পূরনের প্রত্যাশা, মানুষকে ঘুমাতে দেয় না। _এ পি জে আব্দুল কালাম
18) উচ্চাশা যেখানে শেষ হয়, সেখান থেকেই শান্তির শুরু হয় _ইয়ং
19) এই পৃথিবী কখনো খারাপ মানুষের খারাপ কর্মের জন্য ধ্বংস হবে না , যারা খারাপ মানুষের খারাপ কর্ম দেখেও কিছু করেনা তাদের জন্যই পৃথিবী ধ্বংস হবে _আইনস্টাইন
20) একজন আহত ব্যক্তি তার যন্ত্রনা যত সহজে ভুলে যায়, একজন অপমানিত ব্যক্তি তত সহজে অপমান ভোলে না । _জর্জ লিললো
21) একজন ঘুমন্ত মানুষ আরেকজন ঘুমন্ত মানুষকে জাগাতে পারেনা। _শেখ সাদী
22) একজন বিশ্বস্ত বন্ধু দশ হাজার আত্মীয়ের সমান _ইউরিপিদিস [গ্রীক নাট্যকার]
23) একজন মহান ব্যক্তির মহত্ব বোঝা যায় ছোট ব্যক্তিদের সাথে তার ব্যবহার দেখে। _কার্লাইল
24) পৃথিবীতে কঠিন বাস্তবের মধ্যে একটি বাস্তব হলোঃ মানুষ যখন সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌছায় আর তখনই তার প্রিয় মানুষটি হারিয়ে যায়”। _রেদোয়ান মাসুদ
25) পৃথিবীতে অনেক ধরনের অত্যাচার আছে। ভালবাসার অত্যাচার হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ানক অত্যাচার। এ অত্যাচারের বিরুদ্ধে কখনো কিছু বলা যায় না, শুধু সহ্য করে নিতে হয়। _হুমায়ূন আহমেদ
26) কখনো কোন বন্ধুকে আঘাত করো না, এমনকি ঠাট্টা করেও না। _সিসেরো
27) কৃতজ্ঞ কুকুর অকৃতজ্ঞ মানুষ অপেক্ষা শ্রেয় _শেখ সাদী।
28) কথা-বার্তায় ক্রোধের পরিমান খাবারের লবনের মত হওয়া উচিত। পরিমিত হলে রুচিকর, অপরিমিত হলে ক্ষতিকর। _প্লেটো
29) কাউকে দুঃখ দিয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে দুঃখ নিয়ে বেঁচে থাকা অনেক ভাল। কারণ নিজের কষ্টের জন্য কারো কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। কিন্তু অন্যকে কষ্ট দিলে জীবন ভরে তার অভ��শাপ মাথায় নিয়ে চলতে হয়"।
_রেদোয়ান মাসুদ
30) কারো অতীত জেনোনা, বর্তমানকে জানো এবং সে জানাই যথার্থ । _এডিসন
31) কিভাবে কথা বলতে হয় না জানলে অন্তত কিভাবে চুপ থাকতে হয় তা শিখে নাও। _অজানা
32) কে আমাদের একশবার রসগোল্লা খাইয়েছিল তা আমরা ভুলে যাই। কিন্তু কে কবে একবার কান মুচড়ে দিয়েছিল তা মনে রাখি। _আবদুল্লাহ আবু সাঈদ
33) কোন মানুষই অপ্রয়োজনীয় নয় যতোক্ষন তার একটিও বন্ধু আছে। _রবার্ট লুই স্টিভেন্স
34) গরীব খোঁজে খাদ্য, আর ধনী খোঁজে ক্ষিধে। _হিন্দি প্রবাদ
35) গোপন কথা তোমার গোলাম। ফাঁস করে দিলে তুমি তার গোলাম। _আরবি প্রবাদ
36) যে থাকবেনা তাকে যত ভাবেই আটকে রাখতে চাওনা কেন কোন লাভ হবে না, কারন সে ইতিমধ্যে তোমার প্রতি তার সকল মায়া ত্যাগ করে ফেলেছে। হয়তোবা তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে মাঝে মাঝে ভালবাসার অভিনয় করবে, কিন্তু তুমি তাকে এতই ভালবেসে ফেলেছ যে তার সামান্য একটু অভিনয়েই তাকে ফিরে পাওয়ার স্বপ্নে অস্থির হয়ে গেছ। আসলে এ স্বপ্নই তোমাকে আরো বেশি কষ্ট দিবে, যা তুমি কল্পনাও করতে পারবে না"। _রেদোয়ান মাসুদ
37) ছেলেরা পাবার ভেতর দিয়ে মেয়েদের দেয়। আর মেয়েরা দেবার ভেতর দিয়ে ছেলেদের পায়। _অজানা
38) জ্ঞানীলোকের কানটা বড় আর জিভটা ছোট হয়। _চীনা প্রবাদ
39) জন্মদিনে এত উল্লসিত হবার কিছু নেই। মনে রেখ, তুমি মৃত্যুর দিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলে। _অজানা
40) জীবনকে এক পেয়ালা চায়ের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। যতই তৃপ্তির সাথে আমরা তা পান করি ততই দ্রুত তলার দিকে অগ্রসর হতে থাকি। _ক্রিনেট
41) জীবনে যে অকৃতকার্য হয় নাই, সে কোনদিন সম্পদশালী হতে পারে না _সি. এইচ. স্পারজন।
42) জীবনের প্রতিটি সিঁড়িতে পা রেখে ওপরে ওঠা উচিত। ডিঙ্গিয়ে উঠলে পড়ে যাবার সম্ভাবনা বেশি _ হুইটিয়ার
43) তার জন্য কাঁদ যে তোমার চোখের জল দেখে সেও কেঁদে ফেলে, কিন্তু এমন কারো জন্য কেদোনা যে তোমার চোখের জল দেখে উপহাস করে"। _রেদোয়ান মাসুদ
44) বাস্তবতা এতই কঠিন যে কখনও কখনও বুকের ভিতর গড়ে তোলা বিন্দু বিন্দু ভালবাসাও অসহায় হয়ে পড়ে।
_হুমায়ূন আহমেদ
45) দুঃখ নিজেই নিজের খেয়াল রাখতে পারে, কিন্তু আনন্দের পুরোটা উপভোগ করতে চাইলে অবশ্যই তোমাকে তা কারো সঙ্গে ভাগ করে নিতে হবে _মার্ক টোয়েন
46) দুর্ভাগ্যবান তারাই যাদের প্রকৃত বন্ধু নেই _অ্যারিস্টটল
47) দেশপ্রেমিকের রক্তই স্বাধীনতা বৃক্ষের বীজ স্ব��ূপ _টমাস ক্যাম্পবেল।
48) ধৈর্যশীল ব্যক্তির ক্রোধ থেকে সাবধান _ড্রাইডেন
49) নুড়ি হাজার বছর ঝরণায় ডুবে থেকেও রস পায় না _কাজী নজরুল ইসলাম
50) কাউকে কখনও বেশি আপন করে নিও না, তাহলে তার কাছে তোমার নিজের অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়বে।" _রেদোয়ান মাসুদ
51) নদীতে স্রোত আছে তাই নদী বেগবান, জীবনে দ্বন্দ্ব আছে তাই জীবন বৈচিত্র্যময় _টমাস মুর।
52) আমি সবসময় নিজেক সুখী ভাবি, কারণ আমি কখনো কারো কাছে কিছু প্রত্যাশা করি না, কারো কাছে কিছু প্রত্যাশা করাটা সবসময়ই দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ায় _উইলিয়াম শেক্সপিয়র
53) নিচ লোকের প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে অশ্লীল বাক্য _হযরত আলী (রা)
54) নিয়তি তোমার আত্মীয় বেছে দেয়, আর তুমি বেছে নাও তোমার বন্ধু _জ্যাক দেলিল ১৭৩৮-১৮১৩], ফরাসী কবি
55) প্রত্যেককে বিশ্বাস করা বিপদজনক, কিন্তু কাউকে বিশ্বাস না করা আরো বেশী বিপদজনক _আব্রাহাম লিংকন।
56) পরের উপকার করা ভাল কিন্তু নিজেকে পথে বসিয়ে নয় _এডওয়ার্ড ইয়ং।
57) বই ভালো সঙ্গী। এর সঙ্গে কথা বলা যায়। বই সব উপদেশই দেয় কিন্তু কোন কাজ করতেই বাধ্য করে না _হেনরী ওয়ার্ড বিশার
58) স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন _বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
59) বুদ্ধিহীনের সুখ্যাতি ও সম্পদ ভয়ংকর সম্পদ বিশেষ _ডেমোক্রিটাস।
60) বন্ধু কি ? এক আত্মার দুইটি শরীর। _এরিস্টটল
61) বন্ধুত্ব একবার ছিঁড়ে গেলে পৃথিবীর সমস্ত সুতো দিয়েও রিপু করা যায় না। _কার্লাইল
62) বন্ধুত্ব একমাত্র সিমেন্ট যা সবসময় পৃথিবীকে একত্র রাখতে পারবে। _উইড্রো উইলসন
63) বন্ধুদের মধ্যে সবকিছুতেই একতা থাকে । _প্লেটো
64) বুলেট ব্যতীত বিপ্লব হয় না _চে গুয়েভারা।
65) বিদ্রোহী মানে কাউকে না মানা নয়। যা বুঝিনা তা মাথা উঁচু করে বুঝি না বলা। _কাজী নজরুল ইসলাম
66) বিধাতার নিকট আমার প্রার্থণা এই যে আমাকে তুমি বন্ধু দিও না, শত্রু দিও, যাতে আমি আমার ভূলগুলো ধরতে পারি। _জন ম্যাকি
67) যে জাতি তার বাচ্চাদের বিড়ালের ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়ায়, তারা সিংহের সাথে লড়াই করা কিভাবে শিখবে? _শেরে ���াংলা এ. কে. ফজলুল হক
68) ভবিষৎকে জানার জন্যই আমাদের অতীত জানা উচিত। _জন ল্যাক হন
69) ভাগ্য সবার দুয়ারে আসার জন্যই অপেক্ষা করে, কিন্তু উপযাচক হয়ে আসে না, ডেকে আনতে হয়। _ইলা অলড্রিচ
70) ভীরুরা মরার আগে বারে বারে মরে। সাহসীরা ম���ত্যুর স্বাদ একবারই গ্রহণ করে। _শেক্সপীয়ার
71) মা সকল ক্ষেত্রে সকল পরিবেশেই মা _লেডি বার্নার্ড।
72) "যে ভালবাসার মাঝে না পাওয়ার ভয় থাকে আর সেই কথা মনে করে দু'জনেই কাদে, সে ভালবাসা হচ্ছে প্রকৃত ভালবাসা"। _রেদোয়ান মাসুদ
73) মানুষের সর্বোৎকৃষ্ট শিক্ষকই হল মহৎ ব্যক্তিদের আত্নজীবনী ও বাণী _ওরসন স্কোরার ফাউলার
74) মানুষের সর্বোচ্চ সাফল্য সবটুকু করতে পারায় নয়, সাধ্যমত করতে পারায়। _অজানা
75) যদি তুমি মানুষকে বিচার করতে যাও তাহলে ভালবাসার সময় পাবে না। _মাদার তেরেসা
76) যারা আমাকে সাহায্য করতে মানা করে দিয়েছিল আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ, কারন তাদের ‘না’ এর জন্যই আজ আমি নিজের কাজ নিজে করতে শিখেছি। _আইনস্টাইন
77) যারা বন্ধুদের অপমান করে, বন্ধুদের অপমানিত হতে দেখে কাপুরুষের মতো নীরব থাকে তাদের সঙ্গে সংসর্গ করো না । _সিনেকা
78) যারা বলে অসম্ভব, অসম্ভব তাদের দুয়ারেই বেশি হানা দেয়। _জন সার্কল
79) যে ইচ্ছাপূর্বক বন্ধুকে ঠকায়, সে তার খোদাকেও ঠকাতে পারে । _লাভাটাব
80) যে একজনও শত্রু তৈরি করতে পারেনি সে কারো বন্ধু হতে পারে না। _আলফ্রেড টেনিস
81) কোনকালে একা হয়নিকো জয়ী, পূরুষের তরবারী; প্রেরনা দিয়েছে, শক্তি দিয়াছে, বিজয়ালক্ষী নারী ” _কাজী নজরুল ইসলাম
82) যে নদীর গভীরতা বেশি, তার বয়ে যাওয়ার শব্দ কম। _জন লিভগেট
83) ক্ষমাই যদি করতে না পারো, তবে তাকে ভালোবাসো কেন? ” _রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
84) যে নিজেকে অক্ষম ভাবে, তাকে কেউ সাহায্য করতে পারে না। _জন এন্ডারসন
85) যে নিজেকে অক্ষম ভাবে, তাকে কেউ সাহায্য করতে পারে না। _জন এন্ডারসন
86) যে নিজের মর্যাদা বোঝে না অন্যেও তার মর্যাদা দেয় না! _হযরত আলী (রাঃ)
87) যে বিজ্ঞানকে অল্প জানবে সে নাস্তিক হবে, আর যে ভালো ভাবে বিজ্ঞানকে জানবে সে অবশ্যই ঈশ্বরে বিশ্বাসী হবে । _ফ্রান্সিস বেকন
88) যে মাথা নোয়াতে জানে, সে কখনো মাথা খোয়ায় না। _লাউতজে
89) যে সৎ হয় নিন্দা তার কোন অনিষ্ট করতে পারে না! _শেখ সাদী
90) যে সম্পদ কারো চোখে পড়ে না তা-ই মানুষকে সুখী ও ঈর্ষাতীত করে তোলে _বেকন।
91) যেখানে পরিশ্রম নেই সেখানে সাফল্য ও নেই _উইলিয়াম ল্যাংলয়েড
92) রাগকে শাসন না করলে রাগই সম্পূর্ণ মানুষটিকে শাসন করে। _সেফটিস বারী
93) শত্রু মরে গেলে আনন্দিত হবার কারন নেই। শত্রু সৃষ্টির কারনগুলো এখনও মরেনি। _ওল পিয়ার্ট
94) শিক্ষার শেকড়ের স্বাদ তেঁতো হলেও এর ফল মিষ্টি _এরিস্টটল।
95) শিয়ালের মতো একশো বছর জীবন ধারণ করার চাইতে সিংহের মতো একদিন বাঁচাও ভাল । _টিপু সুলতান
96) সৎ হতে হবে অথবা সৎ লোকের অনুসন্ধান করতে হবে। _ডেমিক্রিটাস
97)যারা কাপুরুষ তারাই ভাগ্যের দিকে চেয়ে থাকে, পুরুষ চায় নিজের শক্তির দিকে। তোমার বাহু, তোমার মাথা তোমাকে টেনে তুলবে, তোমার কপাল নয়॥ ” _ডঃ লুৎফর রহমান।
98) _সব লোকের ঘাড়েই মাথা আছে, কিন্তু মস্তিষ্ক আছে কিনা সেটাই প্রশ্ন। জুভেনাল
99) _সবচে' জ্ঞানী ব্যক্তিটিও উত্তর জানেনা এমন হাজার প্রশ্ন করতে পারে শিশুরা । জে এবট
100) _সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে যে কথা বলে সে ব্যক্তিত্বহীন । মার্ক টোয়াইন
101)কিছু মানুষের কষ্ট চোখ দিয়ে ঝরে কিছু মানুষের কষ্ট মেজাজ দিয়ে প্রকাশ করে কিছু মানুষের কষ্ট হৃদয়ের মাঝে শুকিয়ে মরে তবে কষ্টকে যারা প্রকাশ করতে না পারে, তারাই জীবনে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করে। _রেদোয়ান মাসুদ
102) সময় দ্রুত চলে যায়, এর সদ্ব্যবহার যারা করতে পারে, তারাই সফল ও সার্থক বলে পরিচিত হয় _বেকেন বাওয়ার
103) হ্যাঁ' এবং 'না' কথা দুটো সবচে' পুরনো এবং সবচে' ছোট । কিন্তু এ কথা দু'টো বলতেই সবচে' বেশি ভাবতে হয়। _পীথাগোরাস
104) সর্বোৎকৃষ্ট আয়না হলো একজন পুরনো বন্ধু । _জর্জ হার্বাট
105) সত্য একবার বলতে হয়; সত্য বারবার বললে মিথ্যার মতো শোনায়। মিথ্যা বারবার বলতে হয়; মিথ্যা বারবার বললে সত্য ৰলে মনে হয়॥ _হুমায়ূন আজাদ। 106) আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেইস্বপ্নে আস্থা ছিল। আর আমি কাজটা ভালোবাসতাম। ফেসবুক বিফল হলেও আমার ভালোবাসাটা থাকত। জীবনে একটা স্বপ্ন থাকতে হয়, সেই স্বপ্নকে ভালোও বাসতে হয়॥ ” _মার্ক জুকারবার্গ 107)আইন ভাঙ্গার জন্যই তৈরী হয় । _জন উইলসন। 108) আমার দোষ তুমি আমাকেই বল। _ইমাম গাজ্জালী
0 notes
gnews71 · 6 years ago
Photo
Tumblr media
ইসলাম আমার হৃদয়ের স্পন্দন :নওমুসলিম আমিনা পবিত্রতা ও শান্তি-পিয়াসি মানুষ ধর্মমুখি হচ্ছেন। ধর্ম মানুষের প্রকৃতিগত বিষয়। তাই তা ইতিহাস ও ভৌগোলিক সীমারেখার গণ্ডিতে সীমিত নয়। বরং ধর্ম নানা জাতি, গোত্র ও শ্রেণীর মধ্যে গড়ে তোলে ��ক্য ও সম্পর্ক। তাই যারা নিজের সত্য-পিয়াসি প্রকৃতির দিকে ফিরে যেতে চান ধর্ম তাদেরকে ফিরিয়ে দেয় পবিত্রতা ও শান্তি। আর এমনই পবিত্রতা ও শান্তি পাচ্ছেন সর্বশেষ এবং পরিপূর্ণ ঐশী ধর্ম ইসলামের মধ্যে ‘আমিনা অ্যাসিলিমি’-র মত সত্য-পিয়াসি পশ্চিমা নাগরিকরা। পেশায় সাংবাদিক মিসেস ‘আমিনা অ্যাসিলিমি’ ছিলেন একজন গোঁড়া খ্রিস্টান ও খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারক। পড়াশুনার পাশাপাশি তিনি প্রচার করতেন খ্রিস্ট ধর্ম। তিনি মনে করতেন ইসলাম একটি কৃত্রিম ধর্ম এবং মুসলমানরা হল অনুন্নত ও পশ্চাদপদ একটি জাতি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটারের একটি ভুল তার জীবনের মোড় পুরোপুরি বদলে দেয়। বর্তমানে তিনি বিশ্ব মুসলিম নারী সমিতির সভানেত্রী হিসেবে মুসলিম মহিলাদের অধিকার রক্ষার কাজে মশগুল। খবর প্যরিস টুডে। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর মার্কিন নও-মুসলিম ‘আমিনা অ্যাসিলিমি’ এখন সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের মানুষ। এক সময়ের খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারক এই নারী আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বহু মানুষের মনে জ্বালাতে পেরেছেন ইসলামের প্রোজ্জ্বল ও প্রদীপ্ত আলোর শিখা। তিনি বলেছেন, “ইসলাম আমার হৃদয়ের স্পন্দন ও আমার শিরা-উপশিরায় প্রবাহিত রক্ত-ধারা এবং আমার সমস্ত প্রেরণার উৎস হলো এই ইসলাম। এ ধর্মের সুবাদে আমার জীবন হয়েছে অপরূপ সুন্দর ও অর্থপূর্ণ। ইসলাম ছাড়া আমি কিছুই নই।” মার্কিন নও-মুসলিম ‘আমিনা অ্যাসিলিমি’ কম্পিউটারের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নতুন টার্মের ক্লাসে ভর্তি হওয়ার জন্য নিবন্ধন করতে গিয়ে একটি ভুল বিষয়ের ক্লাসে ভর্তি হন। কিন্তু এ সময় সফরে থাকায় তিনি তার ওই ভুল বুঝতে পারেননি। পরে যখন এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তখন জানতে পারেন যে ওই বিষয়ের ক্লাসে যোগ দেয়া ছাড়া তার জন্য অন্য কোনো উপায় নেই। আর ওই ক্লাসের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই আরব মুসলমান। যদিও মিসেস অ্যাসিলিমি আরব মুসলমানদের ঘৃণা করতেন কিন্তু বৃত্তির অর্থ বাঁচানোর জন্য তাদের সহপাঠী হওয়া ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা ছিল না তার। এ অবস্থায় তার মন খুব বিষণ্ণ হয়ে পড়ে। কিন্তু তার স্বামী যখন বললেন, হয়ত স্রস্টা এটাই চেয়েছিলেন এবং তিনি হয়তো তোমাকে আরব মুসলমানদের মধ্যে খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারের জন্য মনোনীত করেছেন; তখন খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্য নিয়েই মিসেস অ্যাসিলিমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই ক্লাসে গেলেন। মার্কিন নও-মুসলিম ‘আমিনা অ্যাসিলিমি’ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলমান সহপাঠীদের সঙ্গে যোগাযোগ হলেই নানা অজুহাতে তাদের কাছে খ্রিস্ট ধর্মের দাওয়াত দিতেন মিসেস অ্যাসিলিমি। তিনি তাদের বলতেন, ঈসা মাসিহ’র অনুসরণের মাধ্যমে তারা যেন নিজেদের মুক্তি নিশ্চিত করেন। কারণ, ঈসা মাসিহ মানুষকে মুক্তি দেয়ার জন্যই নিজেকে উতসর্গ করেছেন। অবশ্য তারাও অর্থাত আরব মুসলিম শিক্ষার্থীরাও বেশ ভদ্রতা ও সম্মান দেখিয়ে মিসেস অ্যাসিলিমির কথা শুনতেন। কিন্তু তাদের মধ্যে এইসব কথার কোনো প্রভাব পড়ত না। এ অবস্থায় মিসেস অ্যাসিলিমি ভিন্ন পথ ধরতে বাধ্য হন। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “আমি সিদ্ধান্ত নিলাম মুসলমানদের বই-পুস্তক দিয়েই তাদের কাছে এ ধর্মের ভুল চিন্তা-বিশ্বাস প্রমাণ করব। এই উদ্দেশ্যে আমার বন্ধুদের বললাম তারা যেন আমার জন্য পবিত্র কুরআনের একটি কপিসহ কিছু ইসলামী বই-পুস্তক নিয়ে আসেন যাতে এটা দেখানো যায় যে ইসলাম ধর্ম একটি মিথ্যা ধর্ম এবং তাদের নবীও আল্লাহর ��্রেরিত পুরুষ নয়।” এভাবে মার্কিন সাংবাদিক মিসেস অ্যাসিলিমি বন্ধুদের কাছ থেকে পাওয়া পবিত্র কুরআন পড়া শুরু করেন। শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে পাওয়া দুটি ইসলামী বইও পড়েন তিনি। এ সময় তিনি ইসলামী বই-পুস্তক পড়ায় এত গভীরভাবে নিমজ্জিত হন যে দেড় বছরের মধ্যে তিনি ১৫টি ইসলামী বই পড়েন ও পবিত্র কুরআনও দুই বার পড়া শেষ করেন। চিন্তাশীল হয়ে ওঠা মিসেস অ্যাসিলিমি বদলে যেতে থাকেন। মদপান ও শুকরের মাংস খাওয়া ছেড়ে দেন তিনি। সব সময়ই পড়া-শুনায় মশগুল থাকতেন এবং নারী ও পুরুষের অবাধ-মেলামেশার সুযোগ থাকত এমন সব পার্টি বা উৎসব অনুষ্ঠান বর্জনের চেষ্টা করতেন। সে সময়কার অবস্থা প্রসঙ্গে মিসেস অ্যাসিলিমি বলেছেন, “কখনও ভাবিনি যে ইসলাম সম্পর্কে পড়াশুনা করতে গেলে বিশেষ ঘটনা ঘটবে এমনকি আমার প্রাত্যহিক জীবন-ধারাও বদলে যাবে। সে সময়ও এটা কল্পনাও করতে পারিনি যে খুব শিগগিরই আমি আমার হৃদয়ের প্রশান্তির পাখাগুলো ও ঘুমিয়ে থাকা ঈমান নিয়ে ইসলামী বিশ্বাসের সৌভাগ্যের আকাশে উড্ডয়ন করব।” এর পরের ঘটনা বলতে গিয়ে মিসেস অ্যাসিলিমি বলেছেন, আমার আচরণে কিছু পরিবর্তন আসা সত্ত্বেও নিজেকে তখনও খ্রিস্টানই মনে করতাম। একদিন একদল মুসলমানের সঙ্গে সংলাপের সময় আমি যতই তাদের প্রশ্ন করছিলাম তারা অত্যন্ত দৃঢ়তা ও দক্ষতার সঙ্গে সেসবের জবাব দিচ্ছিলেন। পবিত্র কুরআন সম্পর্কে আমার অদ্ভুত সব মন্তব্য ও বক্তব্যের জন্য তারা আমাকে একটুও পরিহাস করেননি। এমনকি ইসলাম সম্পর্কে আমার তীব্র আক্রমণাত্মক বক্তব্য শুনেও তারা মোটেও দুঃখিত ও ক্রুদ্ধ হননি। তারা বলতেন, জ্ঞান মুসলমানের হারানো সম্পদ। আর প্রশ্ন হল জ্ঞান অর্জনের একটি পথ। তারা যখন চলে গেলেন মনে হল আমার ভেতরে যেন কিছু একটা ঘটে গেছে। এরপর থেকে মুসলমানদের সঙ্গে মার্কিন সাংবাদিক মিসেস অ্যাসিলিমির যোগাযোগ বাড়তে থাকে। আমি যখনই নতুন কোনো প্রশ্ন করতাম তখনই তারা আমার কাছে আরো কিছু নতুন প্রসঙ্গ তুলে ধরতেন। এ অবস্থায় একদিন একজন মুসলিম আলেমের সামনে সাক্ষ্য দিলাম: “আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।–আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া কোনো প্রভু বা উপাস্য নেই এবং আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মাদ (সা.) তাঁর রাসূল।” মুসলমান হওয়ার পর হিজাব বা পর্দা বেছে নেন মিসেস অ্যাসিলিমি। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের ও সন্তানের মালিকানারও প্রশ্ন চলে আসে। এমনকি বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। বিচারক তাকে তার দুই সন্তান ও ইসলামের মধ্যে যে কোনো একটিকে বেছে নিতে বললে মহাদ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়েন মিসেস অ্যাসিলিমি। একজন মমতাময়ী মায়ের জন্য সন্তানের দাবী ত্যাগ করা তো দূরের কথা, তাদের কাছ থেকে একদিনের জন্য দূরে থাকাও অশেষ কঠিন। কিন্তু তা সত্ত্বেও ইসলামের প্রতি ও মহান আল্লাহর প্রতি ভালবাসার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন মার্কিন নও-মুসলিম মিসেস অ্যাসিলিমি। আসলে ওই অবস্থায় দুই বছর ধরে ইসলাম সম্পর্কে তার গবেষণা ও আল্লাহর ওপর নির্ভরতাই তাকে শক্তি যুগিয়েছে। তার মনে পড়ে কুরআনে উল্লেখিত হযরত ইব্রাহীম (আ.)’র সন্তান কুরবানি দেয়ার জন্য আল্লাহর নির্দেশ পালনের ঘটনা। মনে পড়ে কুরআনের এই আয়াত: “যে ব্যক্তি আল্লাহর ইচ্ছার অনুগত, সে কি ঐ ব্যক্তির সমান হতে পারে, যে আল্লাহর ক্রোধ অর্জন করেছে? বস্তুতঃ তার ঠিকানা হল দোযখ। আর তা কতইনা নিকৃষ্ট অবস্থান!” মার্কিন নও-মুসলিম মিসেস অ্যাসিলিমি মুসলমান হওয়ার পর আমেরিকায় ইসলাম প্রচারে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। কয়েক বছরের প্রচেষ্টার মাধ্যমে তিনি মুসলমানদের জন্য আরবী ভাষায় ঈদের শুভেচ্ছার সরকারি স্ট্যাম্প প্রকাশ করতে মার্কিন সরকারকে সম্মত করেন। মিসেস আমিনা অ্যাসিলিমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ও শহরে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে তার অনুভূতি তুলে ধরে বক্তব্য বা ভাষণ দিয়েছেন। হৃদয়ের গভীর থেকে উঠে-আসা এইসব ভাষণ শ্রোতাদের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। এইসব প্রচেষ্টার অন্যতম সুফল হিসেবে একদিন তার দাদী ইসলাম ধর্ম গ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেন। এরপর তার বাবা, মা ও বোনও মুসলমান হন। এর কিছু কাল পর তার সাবেক স্বামীও জানান যে তিনি চান তাদের মেয়েরা মায়ের ধর্মই অনুসরণ করুক। তিনি মেয়েদেরকে কেড়ে নেয়ার জন্য সাবেক স্ত্রী তথা অ্যাসিলিমির কাছে ক্ষমাও চান। আর অ্যাসিলিমিও তাকে ক্ষমা করে দেন। এভাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের অপরাধে একদিন যারা তাকে ত্যাগ করেছিল তারা সবাই তাদের ভুল বুঝতে সক্ষম হয় ও সত্যকে স্বীকার করে নেয়। প্রাণপ্রিয় সন্তানদের ফিরে পাওয়াকে অ্যাসিলিমি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে তার জন্য আরও একটি বড় বিজয় বলে মনে করেন। এভাবে আল্লাহ যাকে চান তাকে ঈমানের মহাসম্পদে সমৃদ্ধ করেন। তিনি জানেন কারা সত্যের ও আল্লাহর প্রেমিক।
0 notes
bartatv-blog · 7 years ago
Photo
Tumblr media
বিবাহিত দম্পতির জন্য ৭টি টিপস বিবাহিত জীবনে যৌনতা নিয়ে কিসের এত লজ্জ্বা? যখন বিধাতা সঙ্গমকে স্বর্গীয় বন্ধন বলে ঘোষনা দিয়েছেন। আপনার যৌন জীবনের রুটিনে পরিবর্তন আনুন, সঙ্গমকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখুন। আপনার যৌন সঙ্গির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করুন। যৌনতা কেবল মাত্র পুরুষের কামনাই চরিতার্থ করেনা। নারীরও দৈহিক ও মানসিক ভারসাম্য রক্ষা করে। আপনার সংসারে যদি আপনার কর্তৃত্ব বজায় রাখতে চান তাহলে আপনার সঙ্গীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন। যৌন সঙ্গী আপনার কাছে কিরকম ব্যবহার আশা করে এখানে তেমন কয়েকটি সূত্র দেওয়া হলো। তবে অবশ্যই তার প্রতি আপনার ও আপনার প্রতি তাঁর বোঝাপড়া এখানে মূখ্য ভূমিকা পালন করে। ১. মিলনে দীর্ঘক্ষন সময় নিন যখন সঙ্গীর কাছে যাবেন তখন সময় নিয়ে যান। সঙ্গীর দেহের সাথে আপনার দেহের ঊষ্ঞতা উপভোগ করুন দীর্ঘ সময় যাবত। সঙ্গীকে বুঝতে চেষ্টা করুন। এটা এমন নয় যে, আপনি এবং আপনার সঙ্গীকে পরিস্থিতি এমন সম্পর্কে উপনীত করেছে। বরং পরিস্থিতিকে আপনারা নিয়ন্ত্রণ করুন ও সঙ্গীকে ভালবাসুন। ২. হালকা গতিতে যৌন মিলন করুন যারা যৌথ পরিবারে বাস করে বা সংসারে অধিক সন্তান থাকে এবং ��হুরে জীবনে অল্প জায়গায় বাস করে তাদের জন্য। যৌন মিলন অনেক ক্ষেত্রে অসম্ভব হয়ে পড়ে। কেননা বিবাহিত দম্পতিরা তাদের নিজেদের জন্য একান্ত কিছু সময় কামনা করে। কিন্তু ঘরে একাধিক মানুষের উপস্থিতি ও স্থানাভাব তাদের এই চাওয়া অনেক সয়ম সফল হয়ে উঠে না। তাই তারা একটু সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। যখনই আপনার সঙ্গীর কাছ থেকে এমন কোন ইশারা পাবেন তাকে সময় দেয়ার চেষ্টা করুন। এতে আপনাদের মধ্যে ভালবাসার গভীরতা বাড়বে। অনেক সময়ই আমাদের দেশের মেয়েরা শ্বশুর শ্বাশুড়ীর সাথে বসবাস করতে চায়না। তার একটা মূল কারন কিন্তু এই একান্ত জীবন। কারন প্রতিটা মানুষেরই ব্যক্তিগত জীবন আছে। যেহেতু আমাদের সমাজ ব্যবস্থা ও পারিবারিক জীবন এতো খোলামেলা নয় তাই আমাদের মেয়েরা অনেক সময় লজ্জ্বার কারণে তার সঙ্গীর ইশারায় সাড়া দেয়না । এতি হিতেবিপরীত হয়। পুরুষ সঙ্গীটি শারীরিক ভাবে তার স্ত্রীর সান্নিধ্য কামনা করলেও সে যখন তাকে পায় না । তখন সে অন্য কোন উপায়ে তার এই শারীরিক চাহিদা পূরণ করতে চায়। তখন সে হয়তো বা ধর্ষণের মতো অপরাধে জড়িয়ে যেতে পারে। তাই নারী সঙ্গীর উচিত লজ্জ্বা না পেয়ে তাদের অধিকারকে বাস্তবায়ন করা। ৩. সঙ্গীকে মিলনে উদ্বুদ্ধ করতে হস্তমৈথুন করুন আপনি হয়তো বলবেন যে আপনার সঙ্গীর সামনে মৈথুন করার চেয়ে ৫ হাজার মানুষের সামনে বক্তৃতা দেয়া অনেক সহজ। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন, বেশির ভাগ পুরুষেরই পছন্দ তার সঙ্গী যেন তাকে বিভিন্ন ভাবে যৌন অঙ্গভঙ্গীর মাধ্যমে তাকে মিলনের জন্য আহ্বান জানায়। আপনার সঙ্গীর সাথে আপনার সম্পর্ক যেমনই হোক না কেন ? শীতল বা উষ্ঞ। আপনার সঙ্গীকে আপনার প্রতি দূর্বল করার হাতিয়ার হচ্ছে তাকে আপনার সাথে মিলনে উদ্ধুদ্ধ করা। আপনার সাথে মিলনের সাথে সাথেই আপনার প্রতি সব ধরনের ক্রোধ-অভিযোগ সব বিলীন হয়ে যাবে। তাই সূত্রটি কাজে লাগান, সুখী দাম্পত্য জীবনে প্রবেশ করুন। ৪. যৌন উদ্দীপনায় সঙ্গীকে সহায়তা করা কিছু কিছু মানুষ প্রকৃতপক্ষেই স্ত্রী সঙ্গীকে অনেক বেশি যৌন উন্মাদনায় ভাসাতে চায়। তারা তাদের যৌন তৃপ্তির জন্য সঙ্গীর সাথে বিভিন্ন আসনে যৌন সঙ্গম করতে চায়। আমাদের দেশের মেয়েরা যেহেতু অনেক বেশি লাজুক প্রকৃতির তাই তারা অনেক সময় পুরুষ সঙ্গীটিকে বুঝতে পারে না। যৌনতা যেহেতু মানুষের মন ও দেহের একটি প্রাকৃতিক চাহিদা তাই সঙ্গীটি অন্য কোন উপায়ে তার সেই কৌতুহলকে মিটাতে অনেক ক্ষেত্রে খারাপ নারীর সঙ্গ নিতে পারে। এতে আপনার সুখের সংসারে ভয়ংকর বিপদ নেমে আসতে পারে। হয়তো কোন বিপজ্জনক রোগ বহনকারী নারীর সাথে মিলনে পুরুষ সঙ্গীটি কোন মারাত্মক রোগ বহন করে নিয়ে আসতে পারে । ৫. যৌনতার সময় আত্মসমর্পন করুন আমাদের সঙ্গীদের মধ্যে ভালো বোঝাপড়া থাকলে যৌন জীবনে তেমন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু দম্পতি যদি হয় আনাড়ী তাহলে পুরুষ সঙ্গীটিকেই দেখা যায় এই কর্মে বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে। নারী সঙ্গীটি এই ক্ষেত্রে অনেক ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয় থাকে অথবা জোড়াজুড়ি করে আদায় করতে হয়। এমন ক্ষেত্রে উচিত হবে সঙ্গীকে সঙ্গ দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক সময় আত্ম সমর্পন করতে হতে পারে। ৬. নারীকে সক্রিয় যৌনকাজে সহায়তা করা আমরা মনে করি যৌনতা একচেটিয়া পুরুষের কামনার বিষয়। কিন্তু সত্যিকার অর্থে পুরুষের মত নারী সঙ্গীরও শা���ীরিক ও দৈহিক যৌন চাহিদা আছে। নারী সঙ্গীটি যখন উত্তেজিত হবে তখন পুরুষ সঙ্গীটির উচিত তার নারী সঙ্গীর যৌন কাজে সহায়তা করা। এতে আপনার প্রতি তার শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার বিশ্বাসের অমর্যাদা সে কখনোই করবেনা। ৭. আরামদায়ক জায়গায় যৌন মিলন করুন যৌন কর্ম প্রাণী জগতের টিকে থাকার এক অমোঘ বিধান। আমাদের টিকে থাকার জন্য ও বংশ বৃদ্ধির জন্য যৌন কর্মের কোন বিকল্প নাই। তাই যৌন বিষয়ক বিষয়গুলোকে এড়িয়ে না গিয়ে আমাদের উচিত আমাদের সঙ্গীর সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা। যেসব বিষয় সঙ্গীটি পছন্দ করে তা তাকে দেয়া এবং যা অপছন্দ করে তা থেকে বিরত থাকা। এটা মনে করলে ভূল করবেন যে, আপনি বিয়ে করেছেন তাই ঐ নারীর সাথে যে কোন ভাবেই আপনি যৌন আচরন করতে পারেন। এই ধারণা ভূল। আপনার সঙ্গী আপনার নামে নারী নির্যাতনের দায়ে আইনের আশ্রয় নিতে পারে। তাই সঙ্গীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকুন সঙ্গীকে ভালবাসুন। সুখী দাম্পত্য জীবন গড়ে তুলুন।
0 notes
sillywastelandpoetry-blog · 7 years ago
Photo
Tumblr media
জেনে নিন, যেভাবে ঘুমালে আপনার ত্বকে ভাঁজ পড়তে পারে  ত্বকে রিংকেল বা ভাঁজ পড়া এটা এখন আর কেউ চান না। বিশেষ করে নারীরাতো চান ত্বক যেন থাকে ভাঁজ বা রিংকেল মুক্ত। আর যাদের অনাকাঙ্ক্ষিত রিংকেল পড়ছে তাদের অনেকে বটক্স, ফিলার নামক ইনজেকশনের মাধ্যমে ত্বকের ভাঁজ ঠিক করতে চান। এমনকি সত্তুরোর্ধ্ব নারী-পুরুষ, রাজনীতিবিদ, সেলিব্রেটি সবাই চান তারুণ্য। আর এ জন্য অনেকে বেছে নেন বটক্স, ফিলার ইত্যাদি। কিন্তু আমরা অনেকেই ভাবি না কেন ত্বকে রিংকেল পড়ে। শুধু কি বয়স বাড়ার কারণেই রিংকেল তৈরি হয় তাই নয়। ত্বকের ভাঁজ পড়ার রয়েছে নানা কারণ। আর এ ব্যাপারে রিডার্স ডাইজেস্ট একটি চমৎকার তথ্য দিয়েছে। আর তা হচ্ছে যারা কাত হয়ে বা মাথা নিচু করে ঘুমান তাদের কপালে-মুখের ত্বকে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে রিংকেল পড়ে। আর এর পেছনে বিশেষজ্ঞদের যুক্তি হচ্ছে কাত হয়ে বা মুখ নিচের দিক করে শোয়ার কারণে মুখের এক পাশে চাপা পড়ে এবং এতে ক্রমান্বয়ে মুখ ও কপালের ত্বকে ভাঁজ পড়তে শুরু করে।  ডার্স ডাইজেস্ট-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে- যারা চিৎ হয়ে ঘুমান তাদের তুলনামূলকভাবে মুখ ও কপালের ত্বকে রিংকেল কম পড়ে। অপর একটা গবেষণা তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, যারা কারণে-অকারণে হঠাৎ রেগে যান এবং বার বার কপাল কুচকান তাদেরও কম বয়সে ত্বকে রিংকেল পড়ে। তাই ওষুধ, বটক্স, ফিলার ছাড়া যারা রিংকেল মুক্ত থাকতে চান তাদের অবশ্যই ক্রোধ এবং ঘুমের ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে এমন অভিমত বিশেষজ্ঞদের।
0 notes
love23554 · 6 years ago
Text
কুর'আনের ১০০টি উপদেশবাণী
100 Advices from the Qur'aan
__________
.
● তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না। [সূরা বাকারা, ৪২]
● সৎকার্য নিজে সম্পাদন করার পর অন্যদের করতে বলো। [সূরা বাকারা, ৪৪]
● পৃথিবীতে বিবাদ-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করো না। [সূরা বাকারা, ৬০]
৪। কারো মসজিদ যাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করো না। [সূরা বাকারা, ১১৪]
● কারো অন্ধানুসরণ করো না। [সূরা বাকারা, ১৭০]
● প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করো না। [সূরা বাকারা, ১৭৭]
● ঘুসে লিপ্ত হয়ো না। [সূরা বাকারা, ১৮৮]
● যারা তোমাদের সঙ্গে লড়াই করবে, শুধু তাদের সঙ্গে তোমরা লড়াই করো। [সূরা বাকারা, ১৯০]
● লড়াইয়ের বিধি মেনে চলো। [সূরা বাকারা, ১৯১]
● অনাথদের রক্ষণাবেক্ষণ করো। [সূরা বাকারা, ২২০]
● রজঃস্রাব কালে যৌনসঙ্গম করো না। [সূরা বাকারা, ২২২]
● শিশুকে পূর্ণ দুই বছর দুগ্ধপান করাও। [সূরা বাকারা, ২৩৩]
● সৎগুণ দেখে শাসক নির্বাচন করো। [সূরা বাকারা, ২৪৭]
● দ্বিনের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই। [সূরা বাকারা, ২৫৬]
● প্রতিদান কামনা করে দাতব্য বিনষ্ট করো না। [সূরা বাকারা, ২৬৪]
● প্রয়োজনে তাদের সহযোগিতা করো। [সূরা বাকারা, ২৭৩]
● সুদ ভক্ষণ করো না। [সূরা বাকারা, ২৭৫]
● যদি ঋণীঅভাবগ্রস্তহয়তবে তাকে সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত সময় দাও। [সূরা বাকারা, ২৮০]
● ঋণের বিষয় লিখে রাখো। [সূরা বাকারা, ২৮২]
● আমানত রক্ষা করো। [সূরা বাকারা, ২৮৩]
● গোপন তত্ত্ব অনুসন্ধান করো না এবং পরনিন্দা কর�� না। [সূরা বাকারা, ২৮৩]
● সমস্ত নবির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করো। [সূরা বাকারা, ২৮৫]
● সাধ্যের বাইরে কারো উপর বোঝা চাপিয়ে দিও না। [সূরা বাকারা, ২৮৬]
● তোমরা পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ো না। [সূরা আল-ইমরান, ১০৩]
● ক্রোধ সংবরণ করো। [সূরা আল-ইমরান, ১৩৪]
● রূঢ় ভাষা ব্যবহার করো না। [সূরা আল-ইমরান, ১৫৯]
● এই বিশ্বের বিস্ময় ও সৃষ্টি নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা করো। [সূরা আল-ইমরান, ১৯১]
● পুরুষ ও নারী উভয়ই তাদের কৃতকর্মের সমান প্রতিদান পাবে। [সূরা আল-ইমরান, ১৯৫]
● মৃতের সম্পদ তার পরিবারের সদস্যসের মাঝে বন্টন করতে হবে। [সূরা নিসা, ৭]
● উত্তরাধিকারের অধিকার নারীদেরও আছে। [সূরা নিসা, ৭]
● অনাথদের সম্পদ আত্মসাৎ করো না। [সূরা নিসা, ১০]
● যাদের সাথে রক্তের সম্পর্ক তাদের বিবাহ করো না। [সূরা নিসা, ২৩]
● অন্যায়ভাবে কারো সম্পদ ভক্ষণ করো না। [সূরা নিসা, ২৯]
● পরিবারের উপর কর্তৃত্ব চালাবে পুরুষ। [সূরা নিসা, ৩৪]
● অন্যদের জন্য সদাচারী হও। [সূরা নিসা, ৩৬]
● কার্পণ্য করো না। [সূরা নিসা, ৩৭]
● বিদ্বেষী হয়ো না। [সূরা নিসা, ৫৪]
● মানুষের সাথে ন্যায়বিচার করো। [সূরা নিসা, ৫৮]
● একে অপরকে হত্যা করো না। [সূরা নিসা, ৯২]
● বিশ্বাসঘাতকদের পক্ষ নিয়ে বিতর্ক করো না। [সূরা নিসা ৪:১০৫]
● ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকো। [সূরা নিসা, ১৩৫]
● সৎকার্যে পরস্পরকে সহযোগিতা করো। [সূরা মায়িদা, ২]
● সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। [সূরা মায়িদা, ২]
● মৃত পশু, রক্ত ও শূয়োরের মাংসা নিষিদ্ধ। [সূরা মায়িদা, ৩]
● সৎপরায়ণ হও। [সূরা মায়িদা, ৮]
● অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাও। [সূরা মায়িদা, ৩৮]
● পাপ ও অবৈধ জিনিসের বিরুদ্ধে শ্রম ব্যয় করো। [সূরা মায়িদা, ৬৩]
● মাদক দ্রব্য ও আলকোহল বর্জন করো। [সূরা মায়িদা, ৯০]
● জুয়া খেলো না। [সূরা মায়িদা, ৯০]
● ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপাস্যদের গালমন্দ করো না। [সূরা মায়িদা, ১০৮]
● আধিক্য সত্যের মানদণ্ড নয়। [সূরা আন’আম, ১১৬]
● মানুষকে প্রতারণা দেওয়ার জন্য ওজনে কম দিও না। [সূরা আন’আম, ১৫২]
● অহংকার করো না। [সূরা আ’রাফ ৭:১৩]
● পানাহার করো, কিন্তু অপচয় করো না। [সূরা আ’রাফ, ৩১]
● সালাতে উত্তম পোশাক পরিধান করো। [সূরা আ’রাফ, ৩১]
● অন্যদের ত্রুটিবিচ্যুতি ক্ষমা করো। [সূরা আ’রাফ, ১৯৯]
● যুদ্ধে পশ্চাদ্‌মুখী হয়ো না। [সূরা আনফাল, ১৫]
● যারা নিরাপত্তা কামনা করছে তাদের সহযোগিতা করো ও নিরাপত্তা দাও। [সূরা তওবা, ৬]
● পবিত্র থেকো। [সূরা তওবা, ১০৮]
● আল্লাহ্‌ তাআলার অনুগ্রহ হতে নিরাশ হয়ো না। [সূরা ইউসুফ, ৮৭]
● যারা অজ্ঞতাবশত ভুলত্রুটি করে আল্লাহ্‌ তাআলা তাদেরকে ক্ষমা করবেন। [সূরা নাহ্‌ল, ১১৯]
● প্রজ্ঞা ও উত্তম নির্দেশনা দ্বারা আল্লাহ্‌ তাআলার প্রতি আহ্বাব করা উচিত। [সূরা নাহ্‌ল, ১১৯]
● কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না। [সূরা ইসরা, ১৫]
● পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করো। [সূরা ইসরা, ২৩]
● পিতামাতাকে অশ্রদ্ধা করে কোনো কথা বলো না। [সূরা ইসরা, ২৩]
● অর্থ অপচয় করো না। [সূরা ইসরা, ২৯]
● দারিদ্রের আশঙ্কায় সন্তানসন্ততিকে হত্যা করো না। [সূরা ইসরা, ৩১]
● অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত হয়ো না। [সূরা ইসরা, ৩২]
● যে বিষয়ে জ্ঞান নেই তার অনুবর্তী হয়ো না। [সূরা ইসরা, ৩৬]
● শান্তভাবে কথা বলো। [সূরা ত্বা-হা, ৪৪]
● অনর্থ জিনিস থেকে দূরে থেকো। [সূরা মু’মিনুন, ৩]
● অনুমতি ছাড়া কারো গৃহে প্রবেশ করো না। [সূরা নূর, ২৭]
● যারা শুধু আল্লাহ্‌ তাআলার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেন তিনি তাদেরকে নিরাপত্তা দেন। [সূরা নূর, ৫৫]
● বিনা অনুমতিতে পিতামাতার ব্যক্তিগত ঘরে প্রবেশ করো না। [সূরা নূর, ৫৮]
● বিনয় সহকারে ভূপৃষ্ঠে বিচরণ করো। [সূরা ফুরকান, ৬৩]
● এই পৃথিবীতে তুমি তোমার অংশকে উপেক্ষা করো না। [সূরা কাসাস, ৭৭]
● আল্লাহ্‌র সাথে অন্য কোনো বাতিল উপাস্যকে ডেকো না। [সূরা কাসাস, ৮৮]
● সমকামিতায় লিপ্ত হয়ো না। [সূরা আন্‌কাবুত, ২৯]
● সৎকার্যের আদেশ করো এবং অসৎকার্য হতে নিষেধ করো। [সূরা লোকমান, ১৭]
● দম্ভভরে ভুপৃষ্ঠে বিচরণ করো না। [সূরা লোকমান, ১৮]
● কণ্ঠস্বর অবনমিত রেখো। [সূরা লোকমান, ১৯]
● নারীরা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে। [সূরা আহ্‌যাব, ৩৩]
● আল্লাহ্‌ তাআলা যাবতীয় পাপ মোচন করে দিতে পারেন। [সূরা যুমার, ৫৩]
● আল্লাহ্‌ তাআলার অনুগ্রহ হতে নিরাশ হয়ো না। [সূরা যুমার, ৫৩]
● ভালো দ্বারা মন্দ প্রতিহত করো। [সূরা হা-মিম সাজদা, ৩৪]
● যেকোনো বিষয়ে পরামর্শের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নাও। [সূরা শূরা, ৩৮]
● মানুষের সাথে মানিয়ে চলার চেষ্টা করো। [সূরা হুজরাত, ৯]
● কাউকে পরিহাস করো না। [সূরা হুজরাত, ১১]
● সন্দেহ থেকে বিরত থেকো। [সূরা হুজরাত, ১২]
● পরনিন্দা করো না। [সূরা হুজরাত, ১২]
● সবচেয়ে আল্লাহ্‌ভীরু ব্যক্তি সবচেয়ে সম্মাননীয়। [সূরা হুজরাত, ১৩]
● অতিথির সম্মান করো। [সূরা যারিয়াত, ২৬]
● দাতব্যকার্যে অর্থ ব্যয় করো। [সূরা হাদিদ, ৭]
● দ্বিনের মধ্যে বৈরাগ্যের কোনো স্থান নেই। [সূরা হাদিদ, ২৭]
● জ্ঞানীজনকে আল্লাহ্‌ তাআলা সুউচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করবেন। [সূরা মুজাদালাহ্‌ , ১১]
● অমুসলিমদের সাথে সদয় ও ন্যায় আচরণ করো। [সূরা মুমতাহিনাহ্‌, ৮]
● লোভ-লালসা থেকে সুরক্ষিত থেকো। [সূরা তাগাবুন, ১৬]
● আল্লাহ্‌ তাআলার নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করো। তিনি মহাক্ষমাশীল ও অসীম দয়ালু। [সূরা মুযযাম্মিল, ২০]
● ভিক্ষুককে ধমক দিও না। [সূরা দ্বোহা, ১০]
● অভাবগ্রস্তকে খাদ্যদানের প্রতি উৎসাহ প্রদান করো। [সূরা মা’ঊন, ৩]
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
1 note · View note
gnews71 · 6 years ago
Photo
Tumblr media
“দেরিতে বিয়ে হলে যেসব সমস্যায় ভোগেন নারীরা” সমাজে এখনও একজন নারীর শেষ গন্তব্য ও সাফল্য বিবেচনা করা হয় বিয়ে ও সংসারকেই। একটি নির্দিষ্ট বয়সের মাঝে বিয়ে না হলে বেশিরভাগ নারীই কিছু মানসিক সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন। এমনকি যারা ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন নারী, তাদের মাঝেও দেখা যায় কিছু কিছু ব্যাপার। কখনও কাজ করে ঈর্ষা, কখনও সামাজিক চাপ, কখনও একাকীত্ব। সব মিলিয়ে অনেকেই নিজের মাঝে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। জেনে নিন এমন কিছু সমস্যা সম্পর্কে, যেগুলো তৈরি হয় বিয়ে দেরিতে হলে। সমস্যাগুলি চিহ্নিত করা গেলে সেটা থেকে বের হয়ে আসাও সহজ। একাকীত্ব: সমবয়সী সকল বোন বা বান্ধবীদের বিয়ে হয়ে গেছে, আর স্বভাবতই বিয়ের পর সকলেই নিজের পৃথিবী নিয়ে একটু বেশিই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এক্ষেত্রে যার বিয়ে হয়নি, তিনি হয়ে পড়েন একলা। আর সেই বিষণ্ণতা থেকেই মনের মাঝে জন্ম নেয় হতাশা ও শূন্যতা। নিজেকে অযোগ্য মনে করা : সমবয়সী সকলে নিজের জীবন সঙ্গী পেয়ে গেছেন এমনটা ভেবে অনেকেই নিজেকে অযোগ্য মনে করতে শুরু করেন। ঈর্ষা হওয়া: এটাও খুব সাধারণ একটা আবেগ। আমরা মানুষ, এমনটা হতেই পারে আমাদের সাথে। খুব কাছের বোন বা বান্ধবীটি হয়তো এখন আর আপনাকে সেভাবে সময় দিতে পারেন না, নিজের সংসার নিয়েই ব্যস্ত ও সুখী। এমন অবস্থায় ঈর্ষার একটা বোধ খোঁচা দিতেই পারে আপনাকে। এক্ষেত্রে নিজেকে বিষয়টা বোঝান। প্রথমত এটা ভাবুন যে তার জীবনে মোটেও আপনার গুরুত্ব কমেনি। আর দ্বিতীয়ত, একদিন আপনারও এমন চমৎকার একজন জীবনসঙ্গী হবে, তাই মন খারাপের কিছুই নেই। নিজেকে হাস্যকর করে ফেলা: অনেক নারীই এই কাজটি করে ফেলেন নিজের অজান্তেই। আর তা হল, একটি বিয়ে করার জন্য ডেস্পারেট হয়ে যান। ক্রমাগত সামাজিক ও পারিবারিক চাপ থেকে এটা হয়। মনের মাঝে ক্রমাগত ঘুরতে থাকে যে বয়স পার হয়ে যাচ্ছে! আর এই পার হয়ে যাওয়া বয়সকে টেক্কা দিতে একজন জীবনসঙ্গীর জন্য আকুল হয়ে ওঠেন অনেকেই। বারবার ঘটকের কাছে যাওয়া, অফিসে বা পরিচিত মহলে নিজেকে পাত্রী হিসাবে উপস্থাপন ইত্যাদি করতে গিয়ে নিজেকে হাসি ও করুণার পাত্রে পরিণত করে ফেলেন তারা। ভুল মানুষকে বেছে নেওয়া: ক্রমাগত পারিবারিক ও সামাজিক চাপের কারণে অনেক নারীই ভুল মানুষটিকে বেছে নেন বিয়ের জন্য। ব্যাপারটা এমন হয়ে দাঁড়ায় যে, যাকে সামনে পেলাম, তাকেই বিয়ে করে ফেললাম। কারও ভালো সহ্য করতে না পারা: এটাও একটি সাধারণ সমস্যা, যা অনেকের মাঝেই দেখা যায়। যখন বিয়ে না হবার কারণে একজন মানুষ ক্রমাগত হয়রানির শিকার হতে থাকেন। তখন স্বভাবতই তার মাঝে জন্ম নেয় ক্ষোভ ও ক্রোধ। আর এই ক্ষোভ ও ক্রোধের কারণেই বিবাহিত সকলকে মনে হতে থাকে শত্রু। নিজের অজান্তেই একজন খিটখিটে মানুষে পরিণত হয়ে যাই আমরা, যার কাছে পৃথিবীর কারও ভালোটা ভালো লাগে না। কারও সাফল্য বা সুখ সহ্য হয় না। এই ব্যাপারটা দূর করার জন্য কাউন্সিলিং ভালো কাজ দিতে পারে। আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলা: যে সমাজে একজন মেয়ের সফলতা বা বিফলতা নির্ভর করে তার স্বামী ও সংসারের স্ট্যাটাসের ওপরে এবং সঠিক সময়ে বিয়ে না হলে মেয়েটি হয়ে ওঠে সকলের চক্ষুশূল, সেই সমাজে বিয়েতে দেরি হলে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। যখন ক্রমাগত নিজের কাছের মানুষেরাই বলতে থাকে যে তুমি এত অযোগ্য যে পাত্র জোটে না, তখন অনেক নারীই নিজের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেন আর ক্রমশ গুটিয়ে নিতে থাকেন জীবন থেকে। ভুলেও এই কাজটি করবেন না। জীবন আপনার। আর আপনার জীবনে মাথা উঁচু করে আপনাকেই বাঁচতে হবে। একবার ঘাড় নুইয়ে ফেললেই পরাজিত আপনি। প্রসঙ্গত, বলা হয়ে থাকে ৩০ এর মাঝেই নারী পুরুষ উভয়েরই বিয়ে করে ফেলা উচিত। তবে সেটা নারীদের ক্ষেত্রে আরও কিছুটা আগে হলে ভালো। মানব দেহের অনেক জটিলতা রয়েছে। মানব যৌবন বেশিদিন স্থায়ী হয় না এটা আমরা সবাই জানি। এ কারণে বিয়ে যদি দেরিতে করা হয় তাহলে নারী পুরুষ উভয়েরই কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া সামাজিক জটিলতা হয়েই থাকে। মেয়ের অনেক বয়স হয়ে যাচ্ছে এটা যেমন সমাজের চোখে একটু দৃষ্টিকটু ঠিক তেমনি বয়স্কা মেয়ের জন্য উপযুক্ত পাত্র খুঁজে পেতেও বেশ জটিলতা তৈরি হয়।
0 notes