২৩ জুন ঐতিহাসিক পলাশী দিবস
২৩ জুন ঐতিহাসিক পলাশী দিবস
টপ নিউজ ডেস্ক : আজ ২৩ জুন, ঐতিহাসিক পলাশী দিবস। উপমহাদেশের মানুষের ট্রাজেডি দিবস হিসেবে পরিচিত এই দিন। বাঙালির ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় এটি।
সুজলা-সুফলা এই দেশকে মীর জাফরের বেঈমানির মাধ্যমে ইংরেজদের হাতে তুলে দিয়ে উপনিবেশিক শাসন কায়েমের দিবস এটি। এখন থেকে ২৬৪ বছর আগে ১৭৫৭ সালের এ দিনে পলাশীর আম বাগানে ইংরেজদের সঙ্গে এক যুদ্ধে বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার পরাজয়ের মধ্য দিয়ে অস্তমিত হয়…
View On WordPress
0 notes
রাজা কৃষ্ণচন্দ্র বাংলার আরেক মীর জাফর
রাজা কৃষ্ণচন্দ্র বাংলার আরেক মীর জাফর
নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা কেন গোপাল ভাঁড়কে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন এবং কেনই বা গোপাল ভাঁড়কে কৃষ্ণনগর ছাড়তে হয়েছিল?
ইতিহাস ভুলে যায় ইতিহাসকে, ইতিহাস হারিয়ে যায় ইতিহাসে। হাস্যরসিক গোপাল ভাঁড়ের নাম শুনেনি পৃথিবীতে এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। সনি আর্ট কর্তৃক প্রচারিত কার্টুন অথবা বয়োবৃদ্ধদের মুখে শোনা গল্পগুজবের মাধ্যমে গোপাল ভাঁড়কে চেনা। আবার কেউবা তার অস্তিত্বের সঠিক ইতিহাস ঘেটে তার…
View On WordPress
0 notes
ইতিহাসের এই দিনে
নিউজনাউ ডেস্ক: আজ ২০ জানুয়ারি, ২০২২ বৃহস্পতিবার। নিউজনাউয়ের পাঠকদের জন্য ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যুসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো:
ঘটনা:
১২৬৫ – ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়।
১৭৫৭ – নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা হুগলি আক্রমণ করেন।
১৮১৭ – কলকাতায় হিন্দু কলেজ স্থাপিত হয়।
১৮৪১ – হংকংব্রিটিশ সাম্রাজ্যের আওতাধীন হয়।
১৮৭০ – বেঙ্গল গেজেট…
View On WordPress
0 notes
সরকারী কলেজ মাঠের সামনের রাস্তা থেকে অজ্ঞাত নারীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
সরকারী কলেজ মাঠের সামনের রাস্তা থেকে অজ্ঞাত নারীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
সত্যখবর ডেস্ক ।। শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২ আশ্বিন ১৪২৮ |
নাটোরের নবাব সিরাজ উদ দৌলা সরকারী কলেজ মাঠের সামনের রাস্তা থেকে অজ্ঞাত (৫৫) এক নারীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে এক অটোচালক রক্তাক্ত অবস্থায় বৃদ্ধাকে দেখতে পেয়ে চিকিৎসার জন্য নাটোর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
নাটোর সদর থানা অফিসার ইনচার্জ মনসুর মোঃ মুনসুর রহমান রহমান বিষয়টি…
View On WordPress
0 notes
পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট ও পলাশির যুদ্ধ
সাজেদ রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক।। ১৭৫৭ সালে পলাশির যুদ্ধে পরাজিত হন বাংলা��� নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা। মুর্শিদাবাদের তখতে বসে তিনি লর্ড ক্লাইভের হাতে তুলে দিয়েছিলেন বাংলার কয়েকটি অঞ্চল। লর্ড ক্লাইভ ছিলেন বাংলার প্রথম ইংরেজ জায়গিরদার। ওই সময় থেকে পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট একটি মহকুমা হিসেবে চিহ্নিত হয়। ইছামতীর নোনতা জল থেকে নুন তৈরি হত তখন। ইছামতী ধারে বর্তমানে সোলাদানার বাগুন্ডি গ্রামে ইংরেজ কোম্পানি ‘সল্ট সুপারিন্টেন্ডেন্ট’ অফিস খুলেছিল। নুন বিকিকিনির এক জমজমাট কেন্দ্র হয়ে ওঠে বসিরহাট।
জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের বিখ্যাত প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিমকি দেওয়ান বা লবণ-কর্তার পদ দিয়ে। তাঁর প্রথম পোস্টিং ছিল সেই বাগুন্ডি। কলকাতার বরানগর ঘাট থেকে ইছামতী দিয়ে তিনি সেখানে যেতেন। থাকতেন টাকির জমিদার মুন্সি কালীনাথ রায়চৌধুরীর বাড়িতে।
পরবর্তীকালে ব্রিটিশ আমলেই ১৮১০ সালে বসিরহাটে রমরমিয়ে নীলের ব্যবসাও শুরু হয়। একই সঙ্গে নীল আর নুনের ব্যবসা করে প্রচুর মুনাফা করত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। ইছামতীর দু’ধারে নীলকুঠি তৈরি হয়। ১৮৪০ সালে এই নদীর ধারে হাট শুরু হয়। বসিরহাটের পুরোনো বাজার চালু হয় ১৯০০ সালে। আর ১৯২২ সালে নতুন বাজারের পথ চলা শুরু হয়েছিল।
স্বাধীনতা সংগ্রামী দীনেশচন্দ্র মজুমদার বসিরহাটে জন্মেছিলেন ১৯০৭-এ। ব্রিটিশ আমলের শেষ দিকে বসিরহাট হয়ে উঠেছিল কৃষকদের তেভাগা আন্দোলনের এক গুরুত্বপূর্ণ প্রাণকেন্দ্র। তবে বসিরহাটের ইতিহাস খুবই প্রাচীন। জায়গাটির নামকরণ কীভাবে হল, তা নিয়েও রয়ে গেছে ধোঁয়াশা। কেউ বলেন, ডক ঘাটের ইজারাদার বসু পরিবারের থেকে ‘বসুর হাট’ অথবা ‘বসুদের হাট’ কথাটি এসেছে।
পরে সেটাই হয়ে গেছে ‘বসিরহাট’। কারো কারো মতে, ‘বসি’ মানে ‘নিচু জমি’।
Read the full article
0 notes
পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট ও পলাশির যুদ্ধ
পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট ও পলাশির যুদ্ধ
সাজেদ রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক।। ১৭৫৭ সালে পলাশির যুদ্ধে পরাজিত হন বাংলার নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা। মুর্শিদাবাদের তখতে বসে তিনি লর্ড ক্লাইভের হাতে তুলে দিয়েছিলেন বাংলার কয়েকটি অঞ্চল। লর্ড ক্লাইভ ছিলেন বাংলার প্রথম ইংরেজ জায়গিরদার। ওই সময় থেকে পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট একটি মহকুমা হিসেবে চিহ্নিত হয়। ইছামতীর নোনতা জল থেকে নুন তৈরি হত তখন। ইছামতী ধারে বর্তমানে সোলাদানার বাগুন্ডি গ্রামে ইংরেজ কোম্পানি ‘সল্ট…
View On WordPress
0 notes
গোয়ালকান্দি ইউপির উদপাড়া গ্রামে ব্যাডমিন্টন টূর্ণামেন্ট উদ্বোধন
গোয়ালকান্দি ইউপির উদপাড়া গ্রামে ব্যাডমিন্টন টূর্ণামেন্ট উদ্বোধন
শাহাদত হোসেন, বাগমারা প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের উদপাড়া আমবাগানে ১১/১/২০২১ইং রোজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় উদপাড়া বাডমিন্টন টূর্ণামেন���ট ২০২১ইং এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।
উদপাড়া যুব সমাজের আয়োজনে উদপাড়া বাডমিন্টন টুর্ণামেন্ট ২০২১ইং ৮টি দলের অংশগ্রহণ এ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
উদপাড়া বাডমিন্টন টূর্ণামেন্ট এর শুভ উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন নাটোর নবাব সিরাজ উদ-দৌলা কলেজ ছাত্রলীগের…
View On WordPress
0 notes
ছোটবেলা থেকে পড়ছি পলাশীর আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয় এবং শুরু হয় বৃটিশদের ঔপনিবেশিক শাসন। কিন্তু এটা সর্বাংশে সত্য নয়। বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অনেকবারই অস্তমিত হয়েছে। তবে ঔপনিবেশিক আমল শুরু হয় মূলত উজবেকিস্তানের সমরখন্দ থেকে আগত মুঘলদের মাধ্যমে। ১৫৭৬ সালের ১২ জুলাই আফঘান বংশোদ্ভূত স্বাধীন সুলতান দাউদ খান কররানীকে পরাজিত করে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলাকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর সুবাহ ঘোষণা করেন। তাঁর ১২টি সুবাহের ১২ নম্বর সুবাহ বাংলার সুবাহদার (Governor) নিয়োগ করেন হোসেন কুলি বেগকে। সুবাহদার সামরিক ও বেসামরিক প্রধান হলেও সমান্তরালে একজন দিওয়ান (Collector) ছিলেন যিনি রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি। রাজধানী দিল্লি থেকে নিয়মিত সুবাহদার - দিওয়ান বদল ও নিয়োগ করা হতো। সুবাহদার ও দিওয়ানদের সমন্বয়ে বাংলা থেকে নিয়মিত রাজস্ব চলে যেত দিল্লিতে যেভাবে গভর্নরদের মাধ্যমে লন্ডনে পাঠানো হতো রাজস্বের অর্থ। মুঘল সাম্রাজ্যের ৫০% জিডিপির যোগান দিতো সুবাহ বাংলা যা বিশ্বের ১২%। কৃষি উৎপাদনের জন্যে সুবাহদারদের নির্দেশে বাংলার জঙ্গল কেটে সাফ করা হয়, অধিক রাজস্ব আদায় করে দিল্লি পাঠাতে যাতে অসুবিধা না হয়। বাংলা, বিহার ও ওডিশার দিওয়ানি লাভ করে বৃটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যখন মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমকে বার্ষিক ২৩ লাখ রুপি এবং ৫৩ লাখ রুপি নবাব নাজিম-উদ-দৌলাকে দিতে রাজি হয়ে যায় তখুনি আমাদের বুঝতে অসুবিধে হয়না যে কোটি টাকার উপরে বার্ষিক রাজস্ব দিল্লিতে পাঠানো হতো। বাংলাকে বৃটেনের ঔপনিবেশিক শাসনের পূর্বেই লুটে নিয়েছিল উজবেক বংশোদ্ভূত মুঘলরা এবং সেই লুটে সহায়তা করেছে তুর্কি, পার্সি, আফঘানি বংশোদ্ভূত সুবাহদাররা যারা কখনোই বাংলাকে নিজের দেশ মনে করেনি, বাংলার উন্নয়নে তেমন মনোযোগ দেয়নি। সুবাহদার আর দিওয়ানদের দিল্লি থেকে পাঠানোই হতো রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য দিয়ে। তবে ভালো দিক এইযে মুঘলরা প্রজাদের না খাইয়ে মারেনি অর্থাৎ তাদের আমলে বড়সড় কোনো দুর্ভিক্ষ হয়নি যা বৃটিশদের দিওয়ানি লাভের কিছুদিনের মধ্যেই হয়েছিল ১৭৭০ সালে। মোদ্দাকথা বাংলার ঔপনিবেশিক শাসন উজবেকিস্তানের মুঘলদের হাত থেকে বৃটেনের ইংলিশদের হাতে সমর্পিত হয়েছিল। মুর্শিদকুলি খান, আলীবর্দি খান বা নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা কেউওই বাঙালি ছিলেন না বা বাংলার সার্বভৌম ও বিশ্বস্বীকৃত শাসক ছিলেন না, তারা ছিলেন স্বঘোষিত স্বাধীন ও বিদ্রোহী সুবাহদার মাত্র। তৃতীয়বারের মতো বাংলায় ঔপনিবেশিক শাসন শুরু করে তথাকথিত দ্বিজাতিতত্ত্বে গঠিত পাকিস্তান। তবে এই ঔপনিবেশিক শাসন মুঘল বা ইংরেজদের মতো দীর্ঘায়িত ছিল না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে পূর্ব ব https://www.instagram.com/p/CJgVztTHdpz/?igshid=1x79yr7pfrets
0 notes
কখনো কি ভেবেছেন, নবাব সিরাজের বংশের কেউ জীবিত ছিলো কি না?
কখনো কি ভেবেছেন, নবাব সিরাজের বংশের কেউ জীবিত ছিলো কি না?
বাংলার ইতিহাস পরিবর্তনকারী পলাশীর যুদ্ধ সম্পর্কে কম-বেশি ধারণা সবারই আছে। এই যুদ্ধে করুণ পরাজয়ের পরে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা ও তার পরিবারের সদস্যদের করুণ পরিণতিও আমাদের অজানা নয়। পূর্বে বিভিন্ন সময়ে এ নিয়ে লিখেছি।
আজ লিখছি সবার অলক্ষ্যে থাকা একটি বিষয় নিয়ে। কখনো কি ভেবেছেন, নবাব সিরাজের বংশের কেউ জীবিত ছিলো কি না? তার বংশের ধারা কি সেখানেই শেষ হয়ে গিয়েছিলো? ইতিহাসের গৎবাধা পাঠে…
View On WordPress
0 notes
মঞ্চে ইতিহাসের উজ্জ্বল নক্ষত্র নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা বিনোদন ডেস্ক- পলাশী দিবস ২৩ জুন। আর এই 'পলাশী' বাঙালি কারও কাছেই অচেনা কোন স্থান এর নাম নয়। এই পলাশীর কথা কানে আসা মাত্রই যেন সবার শরীর হিম হয়ে হৃদয়ের মাঝে শুরু হতে থাকে বোবা কান্নার খরস্র���ত। যে খরস্রোতের প্রত্যেকটি ঢেউয়ের আঘাতে পাজর ভাঙা ক্ষত-বিক্ষত হৃদয়ে স্মরণ করিয়ে দেয় বিশ্বাসঘাতকতার সেই নির্মম ইতিহাস।
0 notes
আজ সেই পলাশী দিবস
আজ সেই পলাশী দিবস
১.
২৩ জুন, ১৭৫৭ সাল। এদেশের ইতিহাস সম্পর্কে যারা সামান্যও পড়েছেন, তারাও নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা এবং পলাশী যুদ্ধ সম্পর্কে বেশ অবগত আছেন। আমি আজ আবার নতুন করে আজ থেকে ২৬৩ বছর আগে আজকের এই দিনে পলাশীর আম্রকাননে কীভাবে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয় এবং পরবর্তীতে কীভাবে উপমহাদেশকে দু’শো বছর সেই গোলামীর গ্রানি বয়ে বেড়াতে হয়েছে তা নিয়ে আলাপ করবো না।
যুদ্ধের কাহিনী যেহেতু আমাদের সবারই কম বেশি জানা। তাই…
View On WordPress
0 notes
পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট ও পলাশির যুদ্ধ
পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট ও পলাশির যুদ্ধ
সাজেদ রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক।। ১৭৫৭ সালে পলাশির যুদ্ধে পরাজিত হন বাংলার নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা। মুর্শিদাবাদের তখতে বসে তিনি লর্ড ক্লাইভের হাতে তুলে দিয়েছিলেন বাংলার কয়েকটি অঞ্চল। লর্ড ক্লাইভ ছিলেন বাংলার প্রথম ইংরেজ জায়গিরদার। ওই সময় থেকে পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট একটি মহকুমা হিসেবে চিহ্নিত হয়। ইছামতীর নোনতা জল থেকে নুন তৈরি হত তখন। ইছামতী ধারে বর্তমানে সোলাদানার বাগুন্ডি গ্রামে ইংরেজ কোম্পানি ‘সল্ট…
View On WordPress
0 notes
উন্নয়ন কর্মকান্ডে দিশেহ���রা হয়ে বিএনপি চক্রান্ত করছে : মোহাম্মদ নাসিম
উন্নয়ন কর্মকান্ডে দিশেহারা হয়ে বিএনপি চক্রান্ত করছে : মোহাম্মদ নাসিম
আগাম বার্তাডেস্ক: আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডে দিশেহারা হয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে চক্রান্ত করছে।
আজ শনিবার নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারী কলেজ মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসসের।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা…
View On WordPress
0 notes
বাঙালী জাতির ইতিহাসে ভয়াবহ ট্র্যাজিডি; আজ পলাশী দিবস!
১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আমবাগানের তথাকথিত যুদ্ধে বাংলার স্বাধীন নবাব দেশীয় দোসরদের ষড়যন্ত্রে অত্যাচারি বৃটিশদের কাছে পরাজিত হয়। এর ফলে প্রায় ২০০ বছর আজকের বাংলাদেশসহ বিহার, উড়িষ্যা তথা ভারতবর্ষ বৃটিশদের অত্যাচারে জর্জরিত হয়। ১৭৫৭ সালের এইদিনে নদিয়া জেলার পলাশীর প্রান্তরে রবার্ট ক্লাইভ, রায়দুর্লভ, ইয়ার লতিফ, মীর জাফর ও জগৎ শেঠ চক্র এই কালো দিবসের জন্ম দেয়।
বাঙালি জাতির ইতিহাসে ঘৃণিত কলঙ্কজনক এই প্রাসাদ প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের অধ্যায় সৃষ্টির পেছনে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল বিশ্বাসঘাতক জগৎ শেঠ, মীরজাফর, মাহতাব চাঁদ, উমিচাঁদ বা আমির চন্দ, মহারাজা স্বরূপচাঁদ, ইয়ার লতিফ, রায়দুর্লভ, ঘসেটি বেগমের ক্ষমতার লোভ। রাজা রাজবল্লভ, মহারাজ নন্দকুমার, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়, রানী ভবানী প্রমুখের কৌশলী চক্রও এর পেছনে প্রচ্ছন্ন ছিল। যুদ্ধক্ষেত্রে এই স্বার্থান্বেষী ষড়যন্ত্রীদের শিকার ছিলেন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিপাহসালার নবাব সিরাজউদ্দৌলা এবং তার বিশ্বস্ত সেনাপতি বকসী মীরমদন, প্রধান আমাত্য মোহনলাল কাশ্মিরী ও নবে সিং হাজারী।
সেদিন ছিল বৃহ¯পতিবার। কিন্তু তা অন্যসব দিনের চেয়ে ছিল আলাদা। কারণ ওইদিন মুর্শিদাবাদ থেকে ১৫ ক্রোশ দক্ষিণে ভাগিরথী নদীর তীরে পলাশীর আম্রকাননে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যাসহ পুরো উপমহাদেশের স্বাধীনতার কবর রচিত হয়েছিল।
২৩ জুন পলাশীর প্রান্তরে নবাব সিরাজউদ্দৌলা ও লর্ড ক্লাইভের মধ্যে এক যুদ্ধ নাটক মঞ্চায়িত হয়। ইতহাসে যা পলাশীর যুদ্ধ নামে খ্যাত হলেও বাস্তবে তা ছিল দাংগা। ঐতিহাসিকদের মতে নবাববাহিনী একটি করে ঢিল ছুঁড়লেও ইংরেজ সেনারা গুঁড়ো হয়ে যেত, তাদের সংখ্যা এতই কম ছিল। এতে নবাব বাহিনীর পক্ষে সৈন্যসংখ্যা ছিল প্রায় ৬৫ হাজার এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কো¤পানির পক্ষে ছিল মাত্র ৩ হাজার। কামানেও সিরাজদৌলার সংখ্যাধিক্য ছিল। যুদ্ধের ময়দানে নবাব সিরাজউদ্দৌলার প্রধান সেনাপতি মীরজাফর ও তার অনুসারী প্রায় ৪৫ হাজার সৈন্য নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। ফলে যুদ্ধে স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তির পরাজয় অনিবার্য হয়ে দাঁড়ায়। যদিও সাহসী সেনাপতি মীরমদন এবং বিশ্বস্ত দেওয়ান মোহনলাল, ফরাসি সেনাপতি সিনফ্রেকে সাথে নিয়ে প্রাণপণ লড়াই চালান। যুদ্ধে মীরমদন কামানের গোলার আঘাতে মারা যান এবং মোহনলাল আহত হন। মীরমদন মোহনলালের সেনারাই রবার্ট ক্লাইভের বাহিনীকে পর্যুদস্ত করে ফেলেছিল প্রায়। কিন্তু নবাব সিরাজ মীরজাফরের ভুল এবং অসৎ পরামর্শে যুদ্ধ বন্ধ রাখার আদেশ দেন। এতে নবাববাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
ইস্ট ইন্ডিয়া কো¤পানি তাদের সেবাদাসদের সাহায্যে এভাবেই বাংলায় আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। এরপর সাম্রাজ্যবাদী শক্তি দীর্ঘ ১৯০ বছর এদেশে শাসন শোষণ করে। কোটি কোটি টাকার অর্থ স¤পদ ইংল্যান্ডে পাচার করে। বাংলা থেকে লুটকৃত পুঁজির সাহায্যে ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লব ঘটে। আর এককালের প্রাচ্যের স্বর্গ সোনার বাংলা পরিণত হয় শ্মশান বাংলায়, স্থান পায় বিশ্বের দরিদ্রতম দেশে।
এ যুদ্ধের রাজনৈতিক ফলাফল ছিল ধ্বংসাত্মক ও সুদূরপ্রসারী। এ যুদ্ধের পরে বক্সারের যুদ্ধ জয়ের মাধ্যমে ধীরে ধীরে বাংলা ব্রিটিশদের অধিকারে চলে আসে। বাংলা অধিকারের পর ক্রমান্বয়ে ব্রিটিশরা পুরো ভারতবর্ষ এমনকি এশিয়ার অন্যান্য অংশও নিজেদের দখলে নিয়ে আসে। পলাশীর রক্তাক্ত ইতিহাস, পরাধীনতার ইতিহাস, মুক্তিসংগ্রামীদের পরাজয়ের ইতিহাস, ষড়যন্ত্র ও বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস, ট্রাজেডি ও বেদনাময় এক শোক স্মৃতির ইতিহাস। এই নৃশংস ও কলঙ্কজনক ঘটনার মাধ্যমে কলকাতা কেন্দ্রিক একটি নতুন উঠতি পুজিঁপতি শ্রেণী ও রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটে।
ইংরেজ ও তাদের এদেশীয় দালালগোষ্ঠী দেশবাসীর ওপর একের পর এক আগ্রাসন চালায়। ফলে দেশীয় কৃষ্টি-সৃংস্কৃতি, শিল্প ও সামাজিক জীবনে ব্যাপক বিপর্যয় নেমে আসে। বিকাশমান ব্যবসা-বাণিজ্য ও চাকরির ক্ষেত্রে তারা মরণ কামড় দেয়। পলাশী বিপর্যয়ের পর শোষিত বঞ্চিত শ্রেণী একদিনের জন্যও স্বাধীনতা সংগ্রাম বন্ধ রাখেনি। এ জন্যই বৃটিশ কর্তৃপক্ষ সাধারণ জনগণকেই একমাত্র প্রতিপক্ষ মনে করত। ফলে দীর্ঘ দুইশ’ বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রামের ফলে বৃটিশরা লেজ গুটাতে বাধ্য হয়।
পরে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান ও ভারত নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র জন্মলাভ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে নিয়ে নানা রকমের রটনা থাকলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি ছিলেন বাংলা বিহার উড়িষ্যার অন্যতম স্বাধীনচেতা নবাব। যিনি বিশ্বাসঘাতকদের ষড়যন্ত্রের কারণে স্বাধীনতা রক্ষা করতে পারেননি ঠিকই তবে স্বাধীন ভারতবর্ষের জন্য তার মন আজও কাঁদে।
আর তাই ইতিহাসের এই দিনে কবিমনে কাব্য ভাষায় পঠিত এই কবিতা-
মরেনি সিরাজ উদ দৌলা
জেগে আছে বাংলায়
এখনও দেশপ্রেম জ্বালায়
মুখ বুজে কাঁদে; আর বুক থাবড়ায়।
এখনও চিৎকার করে উঠে বাংলার তরে
সাহস যোগায়; বাংলার ঘরে ঘরে।
আর বলে উঠে আজও
সবে জেগে উঠো
সময় হয়েছে আজি
রায় বল্লব-মীর জাফরেরে চড়াবো গলায় ফাঁসি।
ওরা এখনো মরেনি
ষড়যন্ত্রের জাল চলছে এখনও বুনে
নব্য বেনিয়ারে তুলে দিতে দেশ
বসে আছে র্ঘ কোণে!
সিরাজ হুংকার ছেড়ে বলে
“আমার রাজ্যে জুলুম চালাও
জালিমের মোটা ঘাড়ে।”
প্রতি রাতের আঁধারে আজও
সিরাজ উদ দৌলা জাগে
নবাবের ভয়ে জালিমের বুক
পালিয়ে পালিয়ে ভাগে।
আজও সিরাজ উদ দৌলা
তরবারী হাতে পলাশীর প্রান্তরে
বাংলা বাঁচাতে রণ সাঁজে সেঁজে
ছুটে চলে ধূম বেগে।
সিরাজ উদ দৌলা মরেনি এখনও,
যে বলেরে সিরাজ নাই
তুই রায় বল্লব, ঘাতক জাফর
হতে পারিস না আমার ভাই।
সিরাজ জেগে উঠে বাংলার পথে ঘাটে
বিহার, উড়িষ্যা, বাংলা সহ
মহাসিন্ধুর মাঠে মাঠে।
খুঁজে ফিরে শুধু বেনিয়ার দল
দাঁত চেপে শুধু কাটে,
খোলা তরবারী হাতে নিয়ে ঘুরে
পলাশীর সেই মাঠে।
সিরাজের ঘোড়ার খুরের ধুবানি
ধুলাতে বাতাস উড়ায়,
সিরাজ উদ দৌলা যুদ্ধের লাগি
সত্য ছড়িয়ে বেড়ায়।
আজও সিরাজের সেনা মীর মর্দান-
মোহন লালেরা কাঁদে
প্রতিশোধ আগুন ধূপ ছাড়া জ্বলে
ফাটায় অগ্নিরোষে।
সিরাজ উদ দৌলা বলে,
দুঃখকে মুচে আমরা সবাই; উঠবো আবার জেগে।
আজও সিরাজ উদ দৌলা রাত জাগা ভোরে
কাত্রে কাত্রে কয়,
শত্রু তাড়াতে সত্যের লাগি
পেয়োনা কখনো ভয়।
তাইতো সিরাজ মরেনি এখনও
এই বাংলায় আজও আছে,
দেশ নিয়ে ভেবো দেখবে তখনি
সিরাজের ঘোড়া ডাকে।
ইতিহাস সূত্র: উইকিপিডিয়া, সম্পাদনা: মুহাম্মদ গাজী তারেক রহমান, কবি, লেখক ও সাংবাদিক, টঙ্গী সরকারি কলেজ।
via Blogger http://bit.ly/2WWP3k7
0 notes
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের গোলাগুলি গুলিবিদ্ধ এক, জেলা সভাপতি সহ আহত ২ নাটোর প্রতিনিধি: অভ্যন্তরিণ কোন্দলকে কেন্দ্র করে নাটোর শহরের বড়গাছা এলাকায় ছাত্রলীগের দুই গ্র“পের সংঘর্ষে শাহরিয়ার হোসেন রিয়ন নামে এক বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান জেমস ও এক ছাত্রলীগ কর্মী রুবেল। শাহরিয়ার হোসেন রিয়নকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহত জেমস ও রুবেলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে তিনটার দিকে বড়গাছা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ শাহরিয়ার হোসেন রিয়ন নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (বহিষ্কৃত)। নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ফরিদুল ইসলাম ও স্থানীয়রা জানান, নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান জেমস ও নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (বহিষ্কৃত) শাহরিয়ার হোসেন রিয়নের দীর্ঘ দিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পূর্বেও বেশ কয়েকবার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এরই জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরে বড়গাছা এলাকায় জেমস ও রিয়ন গ্র“পের সদস্যরা সামনা সামনি হলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এ সময় তাদের মধ্যে কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণের ঘটনাও ঘটে। এতে শাহরিয়ার হোসেন রিয়ন গুলিবিদ্ধ হয়। আহত হয় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জেমস ও এক ছাত্রলীগ কর্মী রুবেল আহমেদ। আহতদের মধ্যে রিয়নকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহত জেমস ও রুবেলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশের দাবী আহতরা সকলেই আশংকামুক্ত রয়েছে।
0 notes
New Post has been published on https://paathok.news/48388
বিশ্ব কুদস-দিবস ও পলাশী বিপর্যয়: ষড়যন্ত্র রুখতে মুসলিম-ঐক্যের শিক্ষা দেয়
.
আজ বিশ্ব কুদস দিবস ও একইসঙ্গে ঐতিহাসিক ২৩ জুন তথা ঐতিহাসিক পলাশী ট্র্যাজেডি দিবস। ৫০ বছর আগে মুসলমানরা ইসরাইলের কাছে হারায় তাদের প্রথম কিবলা কুদস। আর প্রায় ৭০ বছর আগে ব্রিটেনের মদদে গজিয়ে-তোলা ইসরাইল নামক সেই ক্যান্সার এখন বিশ্ব-শান্তি ও সভ্যতার জন্য হয়ে ওঠেছে অন্যতম প্রধান হুমকি।
২৬০ বছর আগে এ দিনে পলাশীর আম বাগানে ইংরেজদের সঙ্গে এক প্রহসনের যুদ্ধে বৃহত্তর ‘বাঙ্গালা’ তথা বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব মির্জা মুহাম্মাদ সিরাজ-উদ-দৌলার পরাজয় ঘটে। ফলে অস্তমিত হয় বৃহত্তর বাংলার স্বাধীনতার শেষ সূর্য।
ইরানি বংশোদ্ভূত এই নবাবের বেদনাদায়ক মৃত্যু হলেও উপমহাদেশের মানুষ নবাবকে আজও শ্রদ্ধা জানায়। তার সঙ্গে যারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল তাদের কারোই স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি।
নানা ইতিহাস থেকে জানা যায়, নবাবের সেনা বাহিনীর তুলনায় ইংরেজদের সেনা সংখ্যা ছিল অনেক কম। সেখানে বিশ্বাসঘাতকতা না হলে নবাবের বিজয় ছিল সুনিশ্চিত।
সে যুগে ইংরেজরা বাণিজ্যের অজুহাতে এবং ছলে-বলে কৌশলে বিশ্বের নানা দেশে সার্বিক কর্তৃত্ব ও উপনিবেশ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছিল। মোঘলদের দুর্বলতার সুযোগে তারা বিনা শুল্কে বাণিজ্য করার অধিকার পায় ভারতে। এরপর অর্থনৈতিক শোষণের পাশাপাশি স্থানীয় রাজনীতিতেও নাক গলাতে থাকে ইংরেজরা। তাদের ষড়যন্ত্রমূলক ও উস্কানিমূলক পদক্ষেপ ক্ষুব্ধ করেছিল স্বাধীনচেতা নবাব সিরাজকে।
খ্রিস্টীয় ১৭৫৬ সনের ২০ জুন সিরাজ-উদ-দৌলা ইংরেজদের শিক্ষা দিতে ও তাদের দম্ভ কমাতে ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ দখল করেন। কারণ, সামরিক আস্তানায় পরিণত হওয়া এ দুর্গ হয়ে পড়েছিল বাংলার স্বাধীনতার প্রতি মারাত্মক হুমকি। এ দুর্গের সামরিকীকরণের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছিলেন নবাব। কিন্তু ইংরেজকে তার এই আপত্তিকে অগ্রাহ্য করায় দুর্গটি দখল করতে বাধ্য হন নবাব সিরাজ।
এ সময় জন জেপানিয়াহ হলওয়েল নামের এক ধূর্ত ইংরেজ ‘কোলকাতার অন্ধকূপ হত্যা’ নামের একটি আষাঢ়ে গল্প বানিয়ে নবাবকে গণহত্যাকারী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করে। এই গাঁজাখুরি কাহিনীতে বলা হয় যে, ১৪৬ জন ইংরেজকে ১৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪ ফুট প্রস্থের একটি গর্তে রাখায় তারা শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছে। হলওয়েল নিজে ওই ঘটনায় বেঁচে যায় বলে দাবি করে। গবেষক ও ঐতিহাসিকরা এই কাহিনীকে একটি পুরোপুরি মিথ্যা কাহিনী হিসেবে অস্বীকার করে আসছেন। ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার তার লেখা “”An Advanced History of India”” শীর্ষক বইয়ে অন্ধকূপ হত্যা বা ‘ব্ল্যাক হোল স্টোরি’-কে পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছেন।
ব্রিটিশ পণ্ডিত ও গবেষক জে.এইচ লিটলও “ঞযব ‘ইষধপশ ঐড়ষব’—”The ‘Black Hole’—The Question of Holwell’s Veracity” বা ‘অন্ধকূপ হত্যা- হলওয়েলের বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্ন’ শীর্ষক প্রবন্ধে হলওয়েলের বর্ণিত এই কাহিনীকে ‘বড় ধরনের ধোঁকা’ বলে মন্তব্য করেছেন। ভারতবর্ষে সামরিক হস্তক্ষেপের অজুহাত তৈরি করতে ও এই লক্ষ্যে ব্রিটেনের লোকদের ক্ষেপিয়ে তোলার উদ্দেশ্যেই এই কাহিনী রচনা করা হয়েছিল বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
আলীবর্দী খাঁর পর তার দৌহিত্র সিরাজউদ্দৌলা ১৭৫৬ সালের ১০ এপ্রিল বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার সিংহাসনে বসেন। তখন তার বয়স মাত্র ২২ বা মতান্তরে ১৮ বছর। ইংরেজরা ছাড়াও তরুণ নবাবের শত্রু ছিলেন রাজ সিংহাসনের জন্য লালায়িত মীর জাফর ও খালা ঘষেটি বেগম। ইংরেজরা তাদের সাথে যোগাযোগ করে নবাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা পাকাপোক্ত করে।
ষড়যন্ত্র কার্যকর করতে ইংরেজ সেনাপতি লর্ড ক্লাইভ রাজদরবারের অভিজাত সদস্য উমিচাঁদকে ‘এজেন্ট’ নিযুক্ত করেন। এ ষড়যন্ত্রের নেপথ্য নায়ক মীর জাফর তা আঁচ করতে পেরে নবাব তাকে প্রধান সেনাপতির পদ থেকে অপসারণ করে আব্দুল হাদীকে সেনাপতি করেন। কিন্তু কূটচালে পারদর্শী মীর জাফর পবিত্র কুরআন শরীফ ছুঁয়ে শপথ করায় নবাবের মন গলে যায় এবং মীর জাফরকে প্রধান সেনাপতি পদে পুনর্বহাল করেন। সমসাময়িক ঐতিহাসিকদের মতে, এই ভুল সিদ্ধান্তই নবাব সিরাজের জন্য ‘কাল’ হয়ে দাঁড়ায়।
ইংরেজ কর্তৃক পূর্ণিয়ার শওকত জঙ্গকে সাহায্য করা, মীরজাফরের সিংহাসন লাভের বাসনা ও ইংরেজদের পুতুল নবাব বানানোর পরিকল্পনা, ঘষেটি বেগমের সাথে ইংরেজদের যোগাযোগ, নবাবের নিষেধ সত্ত্বেও ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ সংস্কার, বিদ্রোহী কৃষ্ণ বল্লভকে ফোর্ট উইলিয়ামে আশ্রয় দান প্রভৃতি কারণে ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন ভাগীরথী নদীর তীরে পলাশীর আমবাগানে সকাল প্রায় ৮ টার দিকে ইংরেজ ও নবাবের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
মীর মর্দান ও মোহন লালের বীরত্ব সত্ত্বেও জগৎশেঠ, রায় দুর্লভ, উমিচাঁদ, ইয়ার লতিফ প্রমুখ কুচক্রী প্রাসাদ ষড়যন্ত্রকারীদের বিশ্বাসঘাতকতার ফলে নবাবের পরাজয় ঘটে। ফলে বাংলার স্বাধীনতা প্রায় দু’শ বছরের জন্য অস্তমিত হয়।
নবাবের পক্ষে ছিল ৫০ হাজার বা মতান্তরে এক লাখ সেনা আর ইংরেজদের পক্ষে মাত্র ৩ হাজার সৈন্য। কিন্তু প্রাসাদ ষড়যন্ত্রকারী ও কুচক্রী মীরজাফর, রায় দুর্লভ ও খাদেম হোসেনের অধীনে নবাব বাহিনীর একটি বিরাট অংশ পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কার্যত কোনো অংশগ্রহণই করেনি।
ঐতিহাসিক ড. রমেশ চন্দ্র লিখেছেন, ‘নবাব ষড়যন্ত্রকারীদের গোপন ষড়যন্ত্রের কথা জানার পর যদি মীর জাফরকে বন্দি করতেন, তবে অন্যান্য ষড়যন্ত্রকারী ভয় পেয়ে যেতো এবং ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হলে পলাশীর যুদ্ধ হতো না।’
ঘৃণ্য মীর জাফরের কুষ্ঠরোগে মারা যায়। ইংরেজরা প্রথমদিকে ইয়ার লতিফকে হাত করে তাকে নবাব বানাতে চেয়েছিল। কিন্তু পরে তারা মীরজাফরকেই তাদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য বেশি উপযোগী ভেবে মীরজাফরের নেতৃত্বে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে এগিয়ে যায়।
বাংলাপিডিয়ায় পলাশীর যুদ্ধের পটভূমি ও যুদ্ধের বিবরণ সম্পর্কে লেখা হয়েছে:
“১৭৫৬ সালের এপ্রিল মাসে সিরাজউদ্দৌলার ক্ষমতা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে নওয়াব এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে বিরোধ অনিবার্য হয়ে পড়ে। নবীন নওয়াব প্রথম বারের মত বাংলায় কোম্পানির অবৈধ কার্যক্রমের তীব্র প্রতিবাদ জানান। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে তাঁর তিনটি প্রধান অভিযোগ ছিল: অনুমতি ব্যতীত ফোর্ট উইলিয়মে প্রাচীর নির্মাণ ও সংস্কার, ব্যক্তিগত অবৈধ ব্যবসা এবং কোম্পানির কর্মচারীদের দ্বারা দস্তকের নির্লজ্জ অপব্যবহার এবং নওয়াবের অবাধ্য প্রজাদের বেআইনিভাবে আশ্রয় প্রদান। উল্লিখিত অভিযোগসমূহের মীমাংসার জন্য পদক্ষেপ নিতে নওয়াব ব্রিটিশদের আহবান জানান এবং শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ নিরসনের জন্য কলকাতায় অনেক প্রতিনিধিদল পাঠান। নওয়াব কোম্পানির নিকট কৃষ্ণদাসকে তাঁর হাতে সমর্পণের দাবি করেন এবং নতুন প্রাচীর ভেঙে ফেলতে ও কলকাতার চারদিকের পরিখা ভরাট করতে নির্দেশ দেন। নওয়াবের যে বিশেষ দূত এ সকল দাবি সম্বলিত চিঠি নিয়ে কলকাতায় যান ইংরেজরা তাকে অপমানিত করে। কলকাতার ইংরেজ গভর্নর রজার ড্রেক যে চরম অপমানজনকভাবে নওয়াবের প্রতিনিধি নারায়ণ সিংহকে বিতাড়িত করে তা সবিস্তার শুনে নওয়াব অত্যন্ত রাগান্বিত হন। নওয়াব তৎক্ষণাৎ কাসিমবাজার কুঠি অবরোধের আদেশ দেন। কুঠির প্রধান আত্মসমর্পণ করে কিন্তু কলকাতার ইংরেজ গভর্নর অবাধ্যতা ও একগুঁয়েমি প্রদর্শন করেন। ফলে নওয়াব কলকাতা অভিযান করে তা দখল করে নেন। এ পরাজয়ের পর বাংলায় কোম্পানির পুনঃপ্রতিষ্ঠা দুই উপায়ে করা সম্ভবপর ছিল, হয় নবাবের নিকট আত্মসমর্পণ নচেৎ পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে বল প্রয়োগ। বাংলায় যে সকল ব্রিটিশ ছিল তারা অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর জন্য মাদ্রাজের ফোর্ট সেন্ট জর্জে জরুরি খবর পাঠায়। সেখান হতে রবার্ট ক্লাইভ ও এডমিরাল ওয়াটসনের অধীনে একদল ব্রিটিশ সৈন্য বাংলায় পাঠানো হয়। তারা ১৭৫৭ সালের জানুয়ারি মাসে কলকাতা পুনরুদ্ধার করে এবং নওয়াবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। সিরাজউদ্দৌলা ইংরেজদের সঙ্গে আলীনগরের সন্ধি স্বাক্ষর করতে বাধ্য হন। …
কিন্তু ইংরেজরা সন্ধির শর্তাদি অগ্রাহ্য করতে থাকায় যুদ্ধের চাপা উত্তেজনা চলতে থাকে। তারা নওয়াবের প্রতি বিরূপ পারিষদদের নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। মুর্শিদাবাদ দরবারে কিছু প্রভাবশালী অমাত্য নওয়াব সিরাজউদ্দৌলার প্রতি যে অসন্তুষ্ট ছিল তা অস্বীকার করা যায় না। নওয়াবকে উৎখাত করার উদ্দেশ্যে তারা ষড়যন্ত্র শুরু করে। তবে ব্রিটিশগণ সক্রিয়ভাবে এ ষড়যন্ত্রে জড়িত না হলে আদৌ কোন পলাশী ‘বিপ্লব’ সংঘটিত হওয়া সম্ভব হতো কিনা তা বিশেষভাবে খতিয়ে দেখা দরকার। ….
অনেক ঐতিহাসিক যদিও দৃঢ়ভাবে মত পোষণ করেন যে, ভারতীয় ষড়যন্ত্রকারীগণই সহযোগিতা লাভের আশায় পরিকল্পিত ‘বিপ্লব’ ঘটানোর জন্য ব্রিটিশদের সঙ্গে যোগাযোগ করে, তবুও দলিলাদির সঠিক ও সতর্ক বিশ্লেষণে সন্দেহাতীত ভাবে প্রতীয়মান হয় যে, ব্রিটিশরাই তাদের পরিকল্পিত ‘বিদ্রোহ’ বাস্তবায়নের জন্য নওয়াব দরবারের বিরুদ্ধবাদীদের সমর্থন আদায়ের জন্য যোগাযোগ করার ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
১৭৫৭ সালের ২৩ জুন সকাল ৮টার দিকে যুদ্ধ আরম্ভ হয়। মীর মর্দান, মোহন লাল, খাজা আব্দুল হাদী খান, নব সিং হাজারী প্রমুখের অধীন নওয়াব সেনা বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ চালায়, অন্যদিকে মীরজাফর, ইয়ার লতিফ এবং রায় দুর্লভরামের অধীন নওয়াবের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ সেনা নিষ্ক্রিয়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকে ও পরিস্থিতি অবলোকন করে। এমনকি বেশ কয়েক ঘণ্টা যুদ্ধের পরও চূড়ান্ত কিছু ��টে নি��� ক্লাইভ এমন প্রতিরোধ পাবেন আশা করেন নি এবং এই মর্মে জানা যায় যে, ‘দিনে যথাসম্ভব তীব্র যুদ্ধ চালিয়ে’ ক্লাইভ রাতের অন্ধকারে কলকাতা পালিয়ে যাওয়ার চিন্তা করছিলেন। কিন্তু বেলা তিনটার দিকে কামানের গোলা মীর মর্দানকে আঘাত হানে এবং এতে তাঁর মৃত্যু হয়।
মীর মর্দানের মৃত্যুতে হতভম্ব নওয়াব মীরজাফরকে ডেকে পাঠান এবং তাঁর জীবন ও সম্মান রক্ষার জন্য তাকে সনির্বন্ধ অনুরোধ করেন। মীরজাফর নওয়াবকে ঐ দিনের মতো যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং পরদিন সকালে নতুন উদ্যমে যুদ্ধ শুরু করার পরামর্শ দেয়, আর এ খবর শীঘ্র ক্লাইভের নিকট পৌঁছানো হয়। পরামর্শমত নওয়াবের সেনানায়কেরা পিছুতে থাকলে ইংরেজ সেনারা নতুন করে প্রচণ্ড আক্রমণ চালায় এবং ফলে নওয়াব বাহিনী বিশৃঙ্খলভাবে যত্রতত্র পালিয়ে যায়। অপরাহ্ণ ৫টার দিকে যুদ্ধ শেষ হয়ে যায় এবং বিজয়ী ক্লাইভ বীরদর্পে তখনই মুর্শিদাবাদ যাত্রা করেন। জন উড নামে জনৈক ব্রিটিশ সৈন্য পলাশীর যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত ছিল, তার মতে ‘এটাই ছিল সেই বিশিষ্ট ও চূড়ান্ত যুদ্ধ যেখানে কোন ব্যাপক আক্রমণ ছাড়াই রাজ্য জয় করা হয়’।
ষড়যন্ত্র এবং পরবর্তীকালে ‘পলাশী-বিপ্লব’ ইংরেজদের দ্বারা শুধু উদ্ভাবিত ও উৎসাহিতই হয় নি, বরং যুদ্ধের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত তারা দেশিয় ষড়যন্ত্রকারীদের ব্রিটিশ পরিকল্পনা সমর্থন করতে প্রলুব্ধ করে। সাধারণ ধারণা – ষড়যন্ত্রটি ছিল ভারতজাত, এর পেছনে ব্রিটিশদের পরিকল্পিত কোন কূটকৌশল ছিল না, ষড়যন্ত্রের মূলে বা এর উত্তরণে তাদের অতি সামান্য ভূমিকা ছিল কিংবা কোন ভূমিকাই ছিল না, এটি ছিল বাংলার ‘অভ্যন্তরীণ সমস্যা’ যা ‘অবশ্যম্ভাবীভাবে ব্রিটিশদের জড়ায়’ এবং বাংলায় ব্রিটিশ বিজয় ছিল প্রায় সম্পূর্ণ আকস্মিক, এ কথাগুলি এখন ধোপে টেকে না। ইংরেজরা তাদের ষড়যন্ত্রের জোরে ও সিরাজউদ্দৌলার সভাসদদের বিশ্বাসঘাতকতার দরুণ পলাশীতে বিজয়ী হয়। নওয়াবের পরাজয় ছিল রাজনৈতিক, সামরিক নয়।”
পলাশীর বিপর্যয়ের ফলে গোটা ভারতবর্ষে ব্রিটেনের উপনিবেশ প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়। ভারতে নানা সময়ে ব্রিটেনের দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ এবং শত্রুতামূলক নানা নীতির কারনে কোটি কোটি বাঙ্গালীসহ অন্তত দশ কোটি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। দেশীয় শিল্প, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, শিক্ষা ও সমাজ-ব্যবস্থারও হয়েছে অপূরণীয় ক্ষতি। বিশেষ করে, মুসলমানরা হয়ে পড়ে সবচেয়ে দরিদ্র ও অনগ্রসর। অথচ তৎকালীন বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ শহর বাংলার মুর্শিদাবাদসহ ভারতের নানা শহরের সম্পদ লুট করে ইংরেজরা সংগ্রহ করেছে তাদের দেশকে সম্পদশালী করার নানা উপাদান।
ইতিহাসের একটি বড় শিক্ষা হল এই ইতিহাস থেকে যুগে যুগে খুব কম মানুষই শিক্ষা নিয়েছে। যে ব্রিটেন ও ব্রিটিশের ষড়যন্ত্রে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য এবং পরে পর্যায়ক্রমে পুরো ভারতের মুসলিম শাসনের অবসান ঘটেছিল সেই ব্রিটেনের ষড়যন্ত্রেই ফিলিস্তিনের বুকে গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ রাষ্ট্র ইহুদিবাদী ইসরাইল। পলাশী ষড়যন্ত্রে শরিক ছিল স্থানীয় কিছু লোভী আর বিশ্বাসঘাতক হিন্দু ও মুসলিম আমির-ওমরাহ বা পুঁজিপতি। তেমনি ফিলিস্তিনে অবৈধ ইহুদিবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সহযোগী হয়েছিল সৌদি-ওয়াহাবি শাসকগোষ্ঠীসহ কিছু বিশ্বাসঘাতক আরব নেতা। এদের বিশ্বাসঘাতকতাপূর্ণ ও আপোষকামী চরিত্র আজও বদলায়নি। এদের ষড়যন্ত্রেই বিলুপ্ত হয়েছে বিশাল ওসমানি খিলাফত।
এ্কই ধরনের ষড়যন্ত্র ও অনৈক্যের কারণে বিলুপ্ত হয়েছিল স্পেনে প্রায় ৮০০ বছরের মুসলিম শাসন। অথচ স্পেনের কোনো কোনো মুসলিম নেতা সে সময় মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় মুসলিম রাষ্ট্রের কাছে সাহায্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল। কিন্তু সে সময় দুই বড় মুসলিম রাষ্ট্র প্রধান স্পেনের দিকে দৃষ্টি না দিয়ে নিজেদের মধ্যে দেশদখলের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ব্যস্ত ছিলেন। একই ধরনের ভুল আর অনৈক্যের কারণে ক্রুসেডের হামলায় ও মোঙ্গল হামলায় বিপর্যন্ত হয়েছিল মুসলিম বিশ্ব। কিন্তু এতোসব বিপর্যয়ের পরও ঐক্যবদ্ধ হয়নি মুসলিম বিশ্ব।
স্থানীয় বিশ্বাসঘাতকদের চক্রান্তে ও বিজাতীয়দের যোগসাজশেই এখনকার ইরান থেকে অন্তত ৫ গুণ বড় ইরানি সাম্রাজ্য বিপর্যয়ের শিকার হয় কাজার শাসনামলে। অথচ কাজার শাসনামলেই তাদের পক্ষ থেকে ভারতের বীর মুসলিম শাসক টিপু সুলতানকে ইংরেজদের বিরুদ্ধে সহয়তার জন্য পাঠানো হয়েছিল তিন হাজার ইরানি সেনা। তা করা হয়েছিল টিপুর সাহায্যের আবেদনে সাড়া দিয়ে। দুঃখজনকভাবে এই সেনারা সাগর-পথে যখন মহিশুরের কাছে পৌঁছে ততক্ষণে পরাজিত ও শহীদ হন বীর টিপু সুলতান।
তাই নানা যুগে ও বার বার ঘটে-যাওয়া একই ধরনের বিপর্যয়ের ঘটনাগুলো থেকে শিক্ষা নিতে হবে মুসলিম উম্মাহকে। মুসলিম বিশ্বে গজিয়ে-ওঠা নতুন মীরজাফরদের সনাক্ত করতে হবে এবং মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ রেখেই বিজাতীয়দের চক্রান্ত মোকাবেলা করতে হবে মুসলমানদেরকে। আজ যখন ফিলিস্তিনি সংগ্রামীদের সবচেয়ে বড় সহায়তাকারী হওয়ার কারণে ইসলামী ইরানের ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে একতরফা মার্কিন ও পশ্চিমা নানা নিষেধাজ্ঞা তখন কেন অন্য বড় বড় মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সরকার ও নেতৃবৃন্দ তার বিরোধিতা করেন না? ফিলিস্তিনি সংগ্রামীদের আর্থিক সহায়তা দিতে গিয়ে বিপদগ্রস্ত হয়েছিল লিবিয়ার গাদ্দাফি এবং এখন কাতারও সেই একই শক্তির রোষানলের শিকার হয়েছে। অথচ বিশ্ব কুদস দিবসের প্রবক্তা ইমাম খোমেনী (র) বলেছিলেন, আরবরা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে সম্মিলিতভাবে এক বালতি করেও পানি ঢালতো তাহলে ইহুদিবাদী ইসরাইল ভেসে যেত!
0 notes