#দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
Explore tagged Tumblr posts
Text
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
Do not seek responsibility and power
ক্ষমতা চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মানুষ ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে যায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, রাজ্য জয়ের জন্য, দেশ দখলের জন্য ক্ষমতাপাগল মানুষগুলো দানবের রূপ ধারণ করে। ক্ষমতান্ধদের লড়াইয়ে কেউ না কেউ জয়ী হয়। তবে সব সময় পরাজিত হয় মানবতা ও সাধারণ জনগণ। ক্ষমতার মদমত্ত মানুষগুলো ভুলে যায় ক্ষমতা কোনো চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘এই দিনগুলোর (সুদিন-দুর্দিন ও জয়-পরাজয়) পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৪০)
তিনটি বিষয়ে মানুষ মোহমুক্ত নয়—(ক) হুকুমত তথা ক্ষমতার মোহ। (খ) দৌলত তথা সম্পদের মোহ। (গ) আওরাত তথা নারীর মোহ। অথচ উপদলীয় কোন্দল, বিরোধ ও ক্ষুদ্র স্বার্থের অচলায়তন ভেঙে মদিনা সনদের ধারাবাহিকতায় প্রিয় নবী (সা.) গোত্র শাসিত ২৭৬টি দেশীয় রাজ্যকে একত্র করে প্রায় ১২ লাখ বর্গমাইল এলাকার লোকদের এক পতাকাতলে শামিল করেছিলেন।
প্রিয় নবী (সা.) তিন স্তরবিশিষ্ট প্রশাসন কাঠামো গড়ে তোলেন—কেন্দ্রীয়, প্রাদেশিক ও আঞ্চলিক প্রশাসন। কেন্দ্রীয় প্রশাসনকে বিভিন্ন দপ্তরে ভাগ করে বিশিষ্ট সাহাবিদের দায়িত্ব প্রদান করেন। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য প্রাদেশিক পর্যায়ে নিযুক্ত হন ওয়ালি বা গভর্নর। অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের জন্য আমিল বা আঞ্চলিক প্রশাসকের পদ সৃষ্টি করা হয়।
ইসলামের দৃষ্টিতে ক্ষমতার মালিক মহান আল্লাহ। ‘ইন্নাল আরদা লিল্লাহ...।’ অর্থাৎ ‘নিশ্চয়ই এই পৃথিবী আল্লাহর, তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা এর উত্তরাধিকারী করেন।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১২৮)
৬২৭ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে ঐতিহাসিক খন্দকের যুদ্ধের পটভূমিতে অবতীর্ণ আয়াতে আমরা খুঁজে পাই আল্লাহর বিধানের চিরন্তনতা।
ইরশাদ হয়েছে, ‘বলুন, হে আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজত্ব ছিনিয়ে নাও। যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা করো লাঞ্ছিত...।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ২৬)
ক্ষমতা ও দায়িত্ব আমানতস্বরূপ। এটি আল্লাহর নিয়ামত।
প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা সবাই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেকেই তার দায়িত্বাধীন বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে।’ (বুখারি)
তাই ইসলামের নির্দেশনা হলো, দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নেওয়া যাবে না। আবু মুসা আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর শপথ। আমরা এমন কাউকে ক্ষমতায় নিযুক্ত করব না, যে দায়িত্ব চায় এবং এমন লোককেও না, যে দায়িত্ব লাভের প্রত্যাশা করে।’
আবদুর রহমান ইবনে সামুরা (রা.) বলেন, প্রিয় নবী (সা.) আমাকে বলেছেন, ‘হে আবদুর রহমান, দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিয়ো না। কারণ যদি তোমার চাওয়ার কারণে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে তো তোমাকে নিঃসঙ্গ ছেড়ে দেওয়া হবে (তুমি আল্লাহর সাহায্য থেকে বঞ্চিত হবে)। পক্ষান্তরে যদি না চাইতেই দায়িত্ব ও ক্ষমতা তোমার ওপর অর্পিত হয়, তাহলে তুমি ওই বিষয়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৬২২)
ক্ষমতা ক্ষমতাবানের কাছে আমানতস্বরূপ। এ প্রসঙ্গে প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘কেউ যদি মুসলিম জনগোষ্ঠীর শাসক নিযুক্ত হয়, অতঃপর সে প্রতারক ও আত্মসাত্কারী হিসেবে মারা যায়, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন।’ (বুখারি)
ইসলাম বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হয় আদর্শগত কারণে। প্রিয় নবী (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করে খলিফা ওমর (রা.) হয়ে যান ‘অর্ধপৃথিবীর বাদশাহ’, যাঁর সুশাসনের নজির হলো জেরুজালেম বিজয়ী আমিরুল মুমিনিন টেনে নিচ্ছেন উটের রশি। ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাতের আঁধারে। তিনি বলতেন, ‘ওই ফোরাতের কূলে যদি একটি কুকুরও না খেয়ে মারা যায়, তাহলে আমি ওমরকে আল্লাহর সমীপে জবাবদিহি করতে হবে!’
ক্ষমতা ভোগ-ব্যবহার ও শক্তির মানদণ্ড নয়। মুহাম্মদ ইবনে নাসর স্পেনে তাঁর বসবাসের জন্য ‘আল হামরা’ প্রাসাদের নির্মাণকাজ শুরু করেন। বিজয়ী বেশে গ্রানাডায় প্রবেশকালে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে সমবেত জনতার উল্লাস ধ্বনি ছিল ‘মারহাবান লিন-নাসর অর্থাৎ আল্লাহর কৃপায় বিজয়ীকে স্বাগত।’ জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘লা গালিবা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ যদি আল্লাহ না চান, কেউ বিজয়ী নয়।’
দেখা যায়, ১২০৬ খ্রিস্টাব্দের ২৪ জুন কুতুবুদ্দিন আইবেক দিল্লির স্বাধীন সুলতান হিসেবে অভিষিক্ত হন। ‘সালতানাত’ যুগের প্রথম দিকের শাসনকে ‘মামলুক’ বা ক্রীতদাসের যুগ বলা হতো। এমনকি সম্রাজ্ঞী নুরজাহানও ছিলেন ভারতে বিক্রি হওয়া একজন ইরানি ক্রীতদাসী।
১২০৪-০৫ খ্রিস্টাব্দের শীতকালে ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খলজি ঝাড়খণ্ডের দুর্গম পাহাড়ি বনাঞ্চল দিয়ে দুঃসাহসী অভিযান পরিচালনা করেন, তখন লক্ষ্মণ সেনের পাহারাদাররা স্রেফ ‘ঘোড়া বিক্রেতা’ ছাড়া আর কিছুই তাঁকে মনে করেনি। ইখতিয়ার হলেন বাংলার প্রথম মুসলিম শাসক। এভাবেই ভারতের বুকে সাড়ে ৫০০ বছরের (১২০৪-১৭��৭ খ্রি.) মুসলিম শাসনের অধ্যায় রচিত হয়েছিল।
ক্ষমতা চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মানুষ ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে যায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, রাজ্য জয়ের জন্য, দেশ দখলের জন্য ক্ষমতাপাগল মানুষগুলো দানবের রূপ ধারণ করে। ক্ষমতান্ধদের লড়াইয়ে কেউ না কেউ জয়ী হয়। তবে সব সময় পরাজিত হয় মানবতা ও সাধারণ জনগণ। ক্ষমতার মদমত্ত মানুষগুলো ভুলে যায় ক্ষমতা কোনো চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘এই দিনগুলোর (সুদিন-দুর্দিন ও জয়-পরাজয়) পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৪০)
মহান আল্লাহ উপলব্ধি করার তাওফিক দান করুন।
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সম্মান দেন | আর যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করেন
youtube
আপনি যাকে ইচ্ছা রাজত্ব/সম্মান দান করেন
youtube
নৌকা ডুবে গেছে ক্ষমতা দেখিয়ে ঝুলুম করে বেচে থাকার চেষ্টা করবেন না |
youtube
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
Do not seek responsibility and power
#দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই#Do not seek responsibility and power#Responsibility#Power#দায়িত্ব#ক্ষমতা#Youtube
0 notes
Text
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
Do not seek responsibility and power
ক্ষমতা চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মানুষ ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে যায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, রাজ্য জয়ের জন্য, দেশ দখলের জন্য ক্ষমতাপাগল মানুষগুলো দানবের রূপ ধারণ করে। ক্ষমতান্ধদের লড়াইয়ে কেউ না কেউ জয়ী হয়। তবে সব সময় পরাজিত হয় মানবতা ও সাধারণ জনগণ। ক্ষমতার মদমত্ত মানুষগুলো ভুলে যায় ক্ষমতা কোনো চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘এই দিনগুলোর (সুদিন-দুর্দিন ও জয়-পরাজয়) পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৪০)
তিনটি বিষয়ে মানুষ মোহমুক্ত নয়—(ক) হুকুমত তথা ক্ষমতার মোহ। (খ) দৌলত তথা সম্পদের মোহ। (গ) আওরাত তথা নারীর মোহ। অথচ উপদলীয় কোন্দল, বিরোধ ও ক্ষুদ্র স্বার্থের অচলায়তন ভেঙে মদিনা সনদের ধারাবাহিকতায় প্রিয় নবী (সা.) গোত্র শাসিত ২৭৬টি দেশীয় রাজ্যকে একত্র করে প্রায় ১২ লাখ বর্গমাইল এলাকার লোকদের এক পতাকাতলে শামিল করেছিলেন।
প্রিয় নবী (সা.) তিন স্তরবিশিষ্ট প্রশাসন কাঠামো গড়ে তোলেন—কেন্দ্রীয়, প্রাদেশিক ও আঞ্চলিক প্রশাসন। কেন্দ্রীয় প্রশাসনকে বিভিন্ন দপ্তরে ভাগ করে বিশিষ্ট সাহাবিদের দায়িত্ব প্রদান করেন। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য প্রাদেশিক পর্যায়ে নিযুক্ত হন ওয়ালি বা গভর্নর। অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের জন্য আমিল বা আঞ্চলিক প্রশাসকের পদ সৃষ্টি করা হয়।
ইসলামের দৃষ্টিতে ক্ষমতার মালিক মহান আল্লাহ। ‘ইন্নাল আরদা লিল্লাহ...।’ অর্থাৎ ‘নিশ্চয়ই এই পৃথিবী আল্লাহর, তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা এর উত্তরাধিকারী করেন।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১২৮)
৬২৭ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে ঐতিহাসিক খন্দকের যুদ্ধের পটভূমিতে অবতীর্ণ আয়াতে আমরা খুঁজে পাই আল্লাহর বিধানের চিরন্তনতা।
ইরশাদ হয়েছে, ‘বলুন, হে আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজত্ব ছিনিয়ে নাও। যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা করো লাঞ্ছিত...।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ২৬)
ক্ষমতা ও দায়িত্ব আমানতস্বরূপ। এটি আল্লাহর নিয়ামত।
প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা সবাই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেকেই তার দায়িত্বাধীন বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে।’ (বুখারি)
তাই ইসলামের নির্দেশনা হলো, দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নেওয়া যাবে না। আবু মুসা আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর শপথ। আমরা এমন কাউকে ক্ষমতায় নিযুক্ত করব না, যে দায়িত্ব চায় এবং এমন লোককেও না, যে দায়িত্ব লাভের প্রত্যাশা করে।’
আবদুর রহমান ইবনে সামুরা (রা.) বলেন, প্রিয় নবী (সা.) আমাকে বলেছেন, ‘হে আবদুর রহমান, দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিয়ো না। কারণ যদি তোমার চাওয়ার কারণে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে তো তোমাকে নিঃসঙ্গ ছেড়ে দেওয়া হবে (তুমি আল্লাহর সাহায্য থেকে বঞ্চিত হবে)। পক্ষান্তরে যদি না চাইতেই দায়িত্ব ও ক্ষমতা তোমার ওপর অর্পিত হয়, তাহলে তুমি ওই বিষয়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৬২২)
ক্ষমতা ক্ষমতাবানের কাছে আমানতস্বরূপ। এ প্রসঙ্গে প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘কেউ যদি মুসলিম জনগোষ্ঠীর শাসক নিযুক্ত হয়, অতঃপর সে প্রতারক ও আত্মসাত্কারী হিসেবে মারা যায়, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন।’ (বুখারি)
ইসলাম বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হয় আদর্শগত কারণে। প্রিয় নবী (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করে খলিফা ওমর (রা.) হয়ে যান ‘অর্ধপৃথিবীর বাদশাহ’, যাঁর সুশাসনের নজির হলো জেরুজালেম বিজয়ী আমিরুল মুমিনিন টেনে নিচ্ছেন উটের রশি। ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাতের আঁধারে। তিনি বলতেন, ‘ওই ফোরাতের কূলে যদি একটি কুকুরও না খেয়ে মারা যায়, তাহলে আমি ওমরকে আল্লাহর সমীপে জবাবদিহি করতে হবে!’
ক্ষমতা ভোগ-ব্যবহার ও শক্তির মানদণ্ড নয়। মুহাম্মদ ইবনে নাসর স্পেনে তাঁর বসবাসের জন্য ‘আল হামরা’ প্রাসাদের নির্মাণকাজ শুরু করেন। বিজয়ী বেশে গ্রানাডায় প্রবেশকালে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে সমবেত জনতার উল্লাস ধ্বনি ছিল ‘মারহাবান লিন-নাসর অর্থাৎ আল্লাহর কৃপায় বিজয়ীকে স্বাগত।’ জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘লা গালিবা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ যদি আল্লাহ না চান, কেউ বিজয়ী নয়।’
দেখা যায়, ১২০৬ খ্রিস্টাব্দের ২৪ জুন কুতুবুদ্দিন আইবেক দিল্লির স্বাধীন সুলতান হিসেবে অভিষিক্ত হন। ‘সালতানাত’ যুগের প্রথম দিকের শাসনকে ‘মামলুক’ বা ক্রীতদাসের যুগ বলা হতো। এমনকি ���ম্রাজ্ঞী নুরজাহানও ছিলেন ভারতে বিক্রি হওয়া একজন ইরানি ক্রীতদাসী।
১২০৪-০৫ খ্রিস্টাব্দের শীতকালে ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খলজি ঝাড়খণ্ডের দুর্গম পাহাড়ি বনাঞ্চল দিয়ে দুঃসাহসী অভিযান পরিচালনা করেন, তখন লক্ষ্মণ সেনের পাহারাদাররা স্রেফ ‘ঘোড়া বিক্রেতা’ ছাড়া আর কিছুই তাঁকে মনে করেনি। ইখতিয়ার হলেন বাংলার প্রথম মুসলিম শাসক। এভাবেই ভারতের বুকে সাড়ে ৫০০ বছরের (১২০৪-১৭৫৭ খ্রি.) মুসলিম শাসনের অধ্যায় রচিত হয়েছিল।
ক্ষমতা চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মানুষ ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে যায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, রাজ্য জয়ের জন্য, দেশ দখলের জন্য ক্ষমতাপাগল মানুষগুলো দানবের রূপ ধারণ করে। ক্ষমতান্ধদের লড়াইয়ে কেউ না কেউ জয়ী হয়। তবে সব সময় পরাজিত হয় মানবতা ও সাধারণ জনগণ। ক্ষমতার মদমত্ত মানুষগুলো ভুলে যায় ক্ষমতা কোনো চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘এই দিনগুলোর (সুদিন-দুর্দিন ও জয়-পরাজয়) পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৪০)
মহান আল্লাহ উপলব্ধি করার তাওফিক দান করুন।
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সম্মান দেন | আর যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করেন
youtube
আপনি যাকে ইচ্ছা রাজত্ব/সম্মান দান করেন
youtube
নৌকা ডুবে গেছে ক্ষমতা দেখিয়ে ঝুলুম করে বেচে থাকার চেষ্টা করবেন না |
youtube
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
Do not seek responsibility and power
#দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই#Do not seek responsibility and power#Responsibility#Power#দায়িত্ব#ক্ষমতা#Youtube
0 notes
Text
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
Do not seek responsibility and power
ক্ষমতা চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মানুষ ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে যায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, রাজ্য জয়ের জন্য, দেশ দখলের জন্য ক্ষমতাপাগল মানুষগুলো দানবের রূপ ধারণ করে। ক্ষমতান্ধদের লড়াইয়ে কেউ না কেউ জয়ী হয়। তবে সব সময় পরাজিত হয় মানবতা ও সাধারণ জনগণ। ক্ষমতার মদমত্ত মানুষগুলো ভুলে যায় ক্ষমতা কোনো চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘এই দিনগুলোর (সুদিন-দুর্দিন ও জয়-পরাজয়) পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৪০)
তিনটি বিষয়ে মানুষ মোহমুক্ত নয়—(ক) হুকুমত তথা ক্ষমতার মোহ। (খ) দৌলত তথা সম্পদের মোহ। (গ) আওরাত তথা নারীর মোহ। অথচ উপদলীয় কোন্দল, বিরোধ ও ক্ষুদ্র স্বার্থের অচলায়তন ভেঙে মদিনা সনদের ধারাবাহিকতায় প্রিয় নবী (সা.) গোত্র শাসিত ২৭৬টি দেশীয় রাজ্যকে একত্র করে প্রায় ১২ লাখ বর্গমাইল এলাকার লোকদের এক পতাকাতলে শামিল করেছিলেন।
প্রিয় নবী (সা.) তিন স্তরবিশিষ্ট প্রশাসন কাঠামো গড়ে তোলেন—কেন্দ্রীয়, প্রাদেশিক ও আঞ্চলিক প্রশাসন। কেন্দ্রীয় প্রশাসনকে বিভিন্ন দপ্তরে ভাগ করে বিশিষ্ট সাহাবিদের দায়িত্ব প্রদান করেন। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য প্রাদেশিক পর্যায়ে নিযুক্ত হন ওয়ালি বা গভর্নর। অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের জন্য আমিল বা আঞ্চলিক প্রশাসকের পদ সৃষ্টি করা হয়।
ইসলামের দৃষ্টিতে ক্ষমতার মালিক মহান আল্লাহ। ‘ইন্নাল আরদা লিল্লাহ...।’ অর্থাৎ ‘নিশ্চয়ই এই পৃথিবী আল্লাহর, তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা এর উত্তরাধিকারী করেন।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১২৮)
৬২৭ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে ঐতিহাসিক খন্দকের যুদ্ধের পটভূমিতে অবতীর্ণ আয়াতে আমরা খুঁজে পাই আল্লাহর বিধানের চিরন্তনতা।
ইরশাদ হয়েছে, ‘বলুন, হে আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা র���জত্ব ছিনিয়ে নাও। যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা করো লাঞ্ছিত...।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ২৬)
ক্ষমতা ও দায়িত্ব আমানতস্বরূপ। এটি আল্লাহর নিয়ামত।
প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা সবাই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেকেই তার দায়িত্বাধীন বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে।’ (বুখারি)
তাই ইসলামের নির্দেশনা হলো, দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নেওয়া যাবে না। আবু মুসা আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর শপথ। আমরা এমন কাউকে ক্ষমতায় নিযুক্ত করব না, যে দায়িত্ব চায় এবং এমন লোককেও না, যে দায়িত্ব লাভের প্রত্যাশা করে।’
আবদুর রহমান ইবনে সামুরা (রা.) বলেন, প্রিয় নবী (সা.) আমাকে বলেছেন, ‘হে আবদুর রহমান, দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিয়ো না। কারণ যদি তোমার চাওয়ার কারণে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে তো তোমাকে নিঃসঙ্গ ছেড়ে দেওয়া হবে (তুমি আল্লাহর সাহায্য থেকে বঞ্চিত হবে)। পক্ষান্তরে যদি না চাইতেই দায়িত্ব ও ক্ষমতা তোমার ওপর অর্পিত হয়, তাহলে তুমি ওই বিষয়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৬২২)
ক্ষমতা ক্ষমতাবানের কাছে আমানতস্বরূপ। এ প্রসঙ্গে প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘কেউ যদি মুসলিম জনগোষ্ঠীর শাসক নিযুক্ত হয়, অতঃপর সে প্রতারক ও আত্মসাত্কারী হিসেবে মারা যায়, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন।’ (বুখারি)
ইসলাম বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হয় আদর্শগত কারণে। প্রিয় নবী (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করে খলিফা ওমর (রা.) হয়ে যান ‘অর্ধপৃথিবীর বাদশাহ’, যাঁর সুশাসনের নজির হলো জেরুজালেম বিজয়ী আমিরুল মুমিনিন টেনে নিচ্ছেন উটের রশি। ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাতের আঁধারে। তিনি বলতেন, ‘ওই ফোরাতের কূলে যদি একটি কুকুরও না খেয়ে মারা যায়, তাহলে আমি ওমরকে আল্লাহর সমীপে জবাবদিহি করতে হবে!’
ক্ষমতা ভোগ-ব্যবহার ও শক্তির মানদণ্ড নয়। মুহাম্মদ ইবনে নাসর স্পেনে তাঁর বসবাসের জন্য ‘আল হামরা’ প্রাসাদের নির্মাণকাজ শুরু করেন। বিজয়ী বেশে গ্রানাডায় প্রবেশকালে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে সমবেত জনতার উল্লাস ধ্বনি ছিল ‘মারহাবান লিন-নাসর অর্থাৎ আল্লাহর কৃপায় বিজয়ীকে স্বাগত।’ জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘লা গালিবা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ যদি আল্লাহ না চান, কেউ বিজয়ী নয়।’
দেখা যায়, ১২০৬ খ্রিস্টাব্দের ২৪ জুন কুতুবুদ্দিন আইবেক দিল্লির স্বাধীন সুলতান হিসেবে অভিষিক্ত হন। ‘সালতানাত’ যুগের প্রথম দিকের শাসনকে ‘মামলুক’ বা ক্রীতদাসের যুগ বলা হতো। এমনকি সম্রাজ্ঞী নুরজাহানও ছিলেন ভারতে বিক্রি হওয়া একজন ইরানি ক্রীতদাসী।
১২০৪-০৫ খ্রিস্টাব্দের শীতকালে ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খলজি ঝাড়খণ্ডের দুর্গম পাহাড়ি বনাঞ্চল দিয়ে দুঃসাহসী অভিযান পরিচালনা করেন, তখন লক্ষ্মণ সেনের পাহারাদাররা স্রেফ ‘ঘোড়া বিক্রেতা’ ছাড়া আর কিছুই তাঁকে মনে করেনি। ইখতিয়ার হলেন বাংলার প্রথম মুসলিম শাসক। এভাবেই ভারতের বুকে সাড়ে ৫০০ বছরের (১২০৪-১৭৫৭ খ্রি.) মুসলিম শাসনের অধ্যায় রচিত হয়েছিল।
ক্ষমতা চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মানুষ ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে যায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, রাজ্য জয়ের জন্য, দেশ দখলের জন্য ক্ষমতাপাগল মানুষগুলো দানবের রূপ ধারণ করে। ক্ষমতান্ধদের লড়াইয়ে কেউ না কেউ জয়ী হয়। তবে সব সময় পরাজিত হয় মানবতা ও সাধারণ জনগণ। ক্ষমতার মদমত্ত মানুষগুলো ভুলে যায় ক্ষমতা কোনো চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘এই দিনগুলোর (সুদিন-দুর্দিন ও জয়-পরাজয়) পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৪০)
মহান আল্লাহ উপলব্ধি করার তাওফিক দান করুন।
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সম্মান দেন | আর যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করেন
youtube
আপনি যাকে ইচ্ছা রাজত্ব/সম্মান দান করেন
youtube
নৌকা ডুবে গেছে ক্ষমতা দেখিয়ে ঝুলুম করে বেচে থাকার চেষ্টা করবেন না |
youtube
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
Do not seek responsibility and power
#দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই#Do not seek responsibility and power#Responsibility#Power#দায়িত্ব#ক্ষমতা#Youtube
0 notes
Text
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
Do not seek responsibility and power
ক্ষমতা চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মানুষ ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে যায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, রাজ্য জয়ের জন্য, দেশ দখলের জন্য ক্ষমতাপাগল মানুষগুলো দানবের রূপ ধারণ করে। ক্ষমতান্ধদের লড়াইয়ে কেউ না কেউ জয়ী হয়। তবে সব সময় পরাজিত হয় মানবতা ও সাধারণ জনগণ। ক্ষমতার মদমত্ত মানুষগুলো ভুলে যায় ক্ষমতা কোনো চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘এই দিনগুলোর (সুদিন-দুর্দিন ও জয়-পরাজয়) পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৪০)
তিনটি বিষয়ে মানুষ মোহমুক্ত নয়—(ক) হুকুমত তথা ক্ষমতার মোহ। (খ) দৌলত তথা সম্পদের মোহ। (গ) আওরাত তথা নারীর মোহ। অথচ উপদলীয় কোন্দল, বিরোধ ও ক্ষুদ্র স্বার্থের অচলায়তন ভেঙে মদিনা সনদের ধারাবাহিকতায় প্রিয় নবী (সা.) গোত্র শাসিত ২৭৬টি দেশীয় রাজ্যকে একত্র করে প্রায় ১২ লাখ বর্গমাইল এলাকার লোকদের এক পতাকাতলে শামিল করেছিলেন।
প্রিয় নবী (সা.) তিন স্তরবিশিষ্ট প্রশাসন কাঠামো গড়ে তোলেন—কেন্দ্রীয়, প্রাদেশিক ও আঞ্চলিক প্রশাসন। কেন্দ্রীয় প্রশাসনকে বিভিন্ন দপ্তরে ভাগ করে বিশিষ্ট সাহাবিদের দায়িত্ব প্রদান করেন। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য প্রাদেশিক পর্যায়ে নিযুক্ত হন ওয়ালি বা গভর্নর। অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের জন্য আমিল বা আঞ্চলিক প্রশাসকের পদ সৃষ্টি করা হয়।
ইসলামের দৃষ্টিতে ক্ষমতার মালিক মহান আল্লাহ। ‘ইন্নাল আরদা লিল্লাহ...।’ অর্থাৎ ‘নিশ্চয়ই এই পৃথিবী আল্লাহর, তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা এর উত্তরাধিকারী করেন।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১২৮)
৬২৭ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে ঐতিহাসিক খন্দকের যুদ্ধের পটভূমিতে অবতীর্ণ আয়াতে আমরা খুঁজে পাই আল্লাহর বিধানের চিরন্তনতা।
ইরশাদ হয়েছে, ‘বলুন, হে আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজত্ব ছিনিয়ে নাও। যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা করো লাঞ্ছিত...।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ২৬)
ক্ষমতা ও দায়িত্ব আমানতস্বরূপ। এটি আল্লাহর নিয়ামত।
প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা সবাই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেকেই তার দায়িত্বাধীন বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে।’ (বুখারি)
তাই ইসলামের নির্দেশনা হলো, দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নেওয়া যাবে না। আবু মুসা আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর শপথ। আমরা এমন কাউকে ক্ষমতায় নিযুক্ত করব না, যে দায়িত্ব চায় এবং এমন লোককেও না, যে দায়িত্ব লাভের প্রত্যাশা করে।’
আবদুর রহমান ইবনে সামুরা (রা.) বলেন, প্রিয় নবী (সা.) আমাকে বলেছেন, ‘হে আবদুর রহমান, দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিয়ো না। কারণ যদি তোমার চাওয়ার কারণে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে তো তোমাকে নিঃসঙ্গ ছেড়ে দেওয়া হবে (তুমি আল্লাহর সাহায্য থেকে বঞ্চিত হবে)। পক্ষান্তরে যদি না চাইতেই দায়িত্ব ও ক্ষমতা তোমার ওপর অর্পিত হয়, তাহলে তুমি ওই বিষয়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৬২২)
ক্ষমতা ক্ষমতাবানের কাছে আমানতস্বরূপ। এ প্রসঙ্গে প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘কেউ যদি মুসলিম জনগোষ্ঠীর শাসক নিযুক্ত হয়, অতঃপর সে প্রতারক ও আত্মসাত্কারী হিসেবে মারা যায়, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন।’ (বুখারি)
ইসলাম বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হয় আদর্শগত কারণে। প্রিয় নবী (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করে খলিফা ওমর (রা.) হয়ে যান ‘অর্ধপৃথিবীর বাদশাহ’, যাঁর সুশাসনের নজির হলো জেরুজালেম বিজয়ী আমিরুল মুমিনিন টেনে নিচ্ছেন উটের রশি। ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাতের আঁধারে। তিনি বলতেন, ‘ওই ফোরাতের কূলে যদি একটি কুকুরও না খেয়ে মারা যায়, তাহলে আমি ওমরকে আল্লাহর সমীপে জবাবদিহি করতে হবে!’
ক্ষমতা ভোগ-ব্যবহার ও শক্তির মানদণ্ড নয়। মুহাম্মদ ইবনে নাসর স্পেনে তাঁর বসবাসের জন্য ‘আল হামরা’ প্রাসাদের নির্মাণকাজ শুরু করেন। বিজয়ী বেশে গ্রানাডায় প্রবেশকালে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে সমবেত জনতার উল্লাস ধ্বনি ছিল ‘মারহাবান লিন-নাসর অর্থাৎ আল্লাহর কৃপায় বিজয়ীকে স্বাগত।’ জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘লা গালিবা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ যদি আল্লাহ না চান, কেউ বিজয়ী নয়।’
দেখা যায়, ১২০৬ খ্রিস্টাব্দের ২৪ জুন কুতুবুদ্দিন আইবেক দিল্লির স্বাধীন সুলতান হিসেবে অভিষিক্ত হন। ‘সালতানাত’ যুগের প্রথম দিকের শাসনকে ‘মামলুক’ বা ক্রীতদাসের যুগ বলা হতো। এমনকি সম্রাজ্ঞী নুরজাহানও ছিলেন ভারতে বিক্রি হওয়া একজন ইরানি ক্রীতদাসী।
১২০৪-০৫ খ্রিস্টাব্দের শীতকালে ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খলজি ঝাড়খণ্ডের দুর্গম পাহাড়ি বনাঞ্চল দিয়ে দুঃসাহসী অভিযান পরিচালনা করেন, তখন লক্ষ্মণ সেনের পাহারাদাররা স্রেফ ‘ঘোড়া বিক্রেতা’ ছাড়া আর কিছুই তাঁকে মনে করেনি। ইখতিয়ার হলেন বাংলার প্রথম মুসলিম শাসক। এভাবেই ভারতের বুকে সাড়ে ৫০০ বছরের (১২০৪-১৭৫৭ খ্রি.) মুসলিম শাসনের অধ্যায় রচিত হয়েছিল।
ক্ষমতা চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মানুষ ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে যায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, রাজ্য জয়ের জন্য, দেশ দখলের জন্য ক্ষমতাপাগল মানুষগুলো দানবের রূপ ধারণ করে। ক্ষমতান্ধদের লড়াইয়ে কেউ না কেউ জয়ী হয়। তবে সব সময় পরাজিত হয় মানবতা ও সাধারণ জনগণ। ক্ষমতার মদমত্ত মানুষগুলো ভুলে যায় ক্ষমতা কোনো চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘এই দিনগুলোর (সুদিন-দুর্দিন ও জয়-পরাজয়) পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৪০)
মহান আল্লাহ উপলব্ধি করার তাওফিক দান করুন।
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সম্মান দেন | আর যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করেন
youtube
আপনি যাকে ইচ্ছা রাজত্ব/সম্মান দান করেন
youtube
নৌকা ডুবে গেছে ক্ষমতা দেখিয়ে ঝুলুম করে বেচে থাকার চেষ্টা করবেন না |
youtube
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
Do not seek responsibility and power
#দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই#Do not seek responsibility and power#Responsibility#Power#দায়িত্ব#ক্ষমতা#Youtube
0 notes
Text
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
Do not seek responsibility and power
ক্ষমতা চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মানুষ ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে যায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, রাজ্য জয়ের জন্য, দেশ দখলের জন্য ক্ষমতাপাগল মানুষগুলো দানবের রূপ ধারণ করে। ক্ষমতান্ধদের লড়াইয়ে কেউ না কেউ জয়ী হয়। তবে সব সময় পরাজিত হয় মানবতা ও সাধারণ জনগণ। ক্ষমতার মদমত্ত মানুষগুলো ভুলে যায় ক্ষমতা কোনো চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘এই দিনগুলোর (সুদিন-দুর্দিন ও জয়-পরাজয়) পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৪০)
তিনটি বিষয়ে মানুষ মোহমুক্ত নয়—(ক) হুকুমত তথা ক্ষমতার মোহ। (খ) দৌলত তথা সম্পদের মোহ। (গ) আওরাত তথা নারীর মোহ। অথচ উপদলীয় কোন্দল, বিরোধ ও ক্ষুদ্র স্বার্থের অচলায়তন ভেঙে মদিনা সনদের ধারাবাহিকতায় প্রিয় নবী (সা.) গোত্র শাসিত ২৭৬টি দেশীয় রাজ্যকে একত্র করে প্রায় ১২ লাখ বর্গমাইল এলাকার লোকদের এক পতাকাতলে শামিল করেছিলেন।
প্রিয় নবী (সা.) তিন স্তরবিশিষ্ট প্রশাসন কাঠামো গড়ে তোলেন—কেন্দ্রীয়, প্রাদেশিক ও আঞ্চলিক প্রশাসন। কেন্দ্রীয় প্রশাসনকে বিভিন্ন দপ্তরে ভাগ করে বিশিষ্ট সাহাবিদের দায়িত্ব প্রদান করেন। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য প্রাদেশিক পর্যায়ে নিযুক্ত হন ওয়ালি বা গভর্নর। অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের জন্য আমিল বা আঞ্চলিক প্রশাসকের পদ সৃষ্টি করা হয়।
ইসলামের দৃষ্টিতে ক্ষমতার মালিক মহান আল্লাহ। ‘ইন্নাল আরদা লিল্লাহ...।’ অর্থাৎ ‘নিশ্চয়ই এই পৃথিবী আল্লাহর, তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা এর উত্তরাধিকারী করেন।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১২৮)
৬২৭ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে ঐতিহাসিক খন্দকের যুদ্ধের পটভূমিতে অবতীর্ণ আয়াতে আমরা খুঁজে পাই আল্লাহর বিধানের চিরন্তনতা।
ইরশাদ হয়েছে, ‘বলুন, হে আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজত্ব ছিনিয়ে নাও। যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা করো লাঞ্ছিত...।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ২৬)
ক্ষমতা ও দায়িত্ব আমানতস্বরূপ। এটি আল্লাহর নিয়ামত।
প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা সবাই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেকেই তার দায়িত্বাধীন বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে।’ (বুখারি)
তাই ইসলামের নির্দেশনা হলো, দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নেওয়া যাবে না। আবু মুসা আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর শপথ। আমরা এমন কাউকে ক্ষমতায় নিযুক্ত করব না, যে দায়িত্ব চায় এবং এমন লোককেও না, যে দায়িত্ব লাভের প্রত্যাশা করে।’
আবদুর রহমান ইবনে সামুরা (রা.) বলেন, প্রিয় নবী (সা.) আমাকে বলেছেন, ‘হে আবদুর রহমান, দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিয়ো না। কারণ যদি তোমার চাওয়ার কারণে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে তো তোমাকে নিঃসঙ্গ ছেড়ে দেওয়া হবে (তুমি আল্লাহর সাহায্য থেকে বঞ্চিত হবে)। পক্ষান্তরে যদি না চাইতেই দায়িত্ব ও ক্ষমতা তোমার ওপর অর্পিত হয়, তাহলে তুমি ওই বিষয়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৬২২)
ক্ষমতা ক্ষমতাবানের কাছে আমানতস্বরূপ। এ প্রসঙ্গে প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘কেউ যদি মুসলিম জনগোষ্ঠীর শাসক নিযুক্ত হয়, অতঃপর সে প্রতারক ও আত্মসাত্কারী হিসেবে মারা যায়, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন।’ (বুখারি)
ইসলাম বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হয় আদর্শগত কারণে। প্রিয় নবী (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করে খলিফা ওমর (রা.) হয়ে যান ‘অর্ধপৃথিবীর বাদশাহ’, যাঁর সুশাসনের নজির হলো জেরুজালেম বিজয়ী আমিরুল মুমিনিন টেনে নিচ্ছেন উটের রশি। ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাতের আঁধারে। তিনি বলতেন, ‘ওই ফোরাতের কূলে যদি একটি কুকুরও না খেয়ে মারা যায়, তাহলে আমি ওমরকে আল্লাহর সমীপে জবাবদিহি করতে হবে!’
ক্ষমতা ভোগ-ব্যবহার ও শক্তির মানদণ্ড নয়। মুহাম্মদ ইবনে নাসর স্পেনে তাঁর বসবাসের জন্য ‘আল হামরা’ প্রাসাদের নির্মাণকাজ শুরু করেন। বিজয়ী বেশে গ্রানাডায় প্রবেশকালে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে সমবেত জনতার উল্লাস ধ্বনি ছিল ‘মারহাবান লিন-নাসর অর্থাৎ আল্লাহর কৃপায় বিজয়ীকে স্বাগত।’ জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘লা গালিবা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ যদি আল্লাহ না চান, কেউ বিজয়ী নয়।’
দেখা যায়, ১২০৬ খ্রিস্টাব্দের ২৪ জুন কুতুবুদ্দিন আইবেক দিল্লির স্বাধীন সুলতান হিসেবে অভিষিক্ত হন। ‘সালতানাত’ যুগের প্রথম দিকের শাসনকে ‘মামলুক’ বা ক্রীতদাসের যুগ বলা হতো। এমনকি সম্রাজ্ঞী নুরজাহানও ছিলেন ভারতে বিক্রি হওয়া একজন ইরানি ক্রীতদাসী।
১২০৪-০৫ খ্রিস্টাব্দের শীতকালে ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খলজি ঝাড়খণ্ডের দুর্গম পাহাড়ি বনাঞ্চল দিয়ে দুঃসাহসী অভিযান পরিচালনা করেন, তখন লক্ষ্মণ সেনের পাহারাদাররা স্রেফ ‘ঘোড়া বিক্রেতা’ ছাড়া আর কিছুই তাঁকে মনে করেনি। ইখতিয়ার হলেন বাংলার প্রথম মুসলিম শাসক। এভাবেই ভারতের বুকে সাড়ে ৫০০ বছরের (১২০৪-১৭৫৭ খ্রি.) মুসলিম শাসনের অধ্যায় রচিত হয়েছিল।
ক্ষমতা চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মানুষ ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে যায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, রাজ্য জয়ের জন্য, দেশ দখলের জন্য ক্ষমতাপাগল মানুষগুলো দানবের রূপ ধারণ করে। ক্ষমতান্ধদের লড়াইয়ে কেউ না কেউ জয়ী হয়। তবে সব সময় পরাজিত হয় মানবতা ও সাধারণ জনগণ। ক্ষমতার মদমত্ত মানুষগুলো ভুলে যায় ক্ষমতা কোনো চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘এই দিনগুলোর (সুদিন-দুর্দিন ও জয়-পরাজয়) পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৪০)
মহান আল্লাহ উপলব্ধি করার তাওফিক দান করুন।
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সম্মান দেন | আর যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করেন
youtube
আপনি যাকে ইচ্ছা রাজত্ব/সম্মান দান করেন
youtube
নৌকা ডুবে গেছে ক্ষমতা দেখিয়ে ঝুলুম করে বেচে থাকার চেষ্টা করবেন না |
youtube
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
Do not seek responsibility and power
#দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই#Do not seek responsibility and power#Responsibility#Power#দায়িত্ব#ক্ষমতা#Youtube
0 notes
Text
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
Do not seek responsibility and power
ক্ষমতা চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মানুষ ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে যায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, রাজ্য জয়ের জন্য, দেশ দখলের জন্য ক্ষমতাপাগল মানুষগুলো দানবের রূপ ধারণ করে। ক্ষমতান্ধদের লড়াইয়ে কেউ না কেউ জয়ী হয়। তবে সব সময় পরাজিত হয় মানবতা ও সাধারণ জনগণ। ক্ষমতার মদমত্ত মানুষগুলো ভুলে যায় ক্ষমতা কোনো চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘এই দিনগুলোর (সুদিন-দুর্দিন ও জয়-পরাজয়) পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৪০)
তিনটি বিষয়ে মানুষ মোহমুক্ত নয়—(ক) হুকুমত তথা ক্ষমতার মোহ। (খ) দৌলত তথা সম্পদের মোহ। (গ) আওরাত তথা নারীর মোহ। অথচ উপদলীয় কোন্দল, বিরোধ ও ক্ষুদ্র স্বার্থের অচলায়তন ভেঙে মদিনা সনদের ধারাবাহিকতায় প্রিয় নবী (সা.) গোত্র শাসিত ২৭৬টি দেশীয় রাজ্যকে একত্র করে প্রায় ১২ লাখ বর্গমাইল এলাকার লোকদের এক পতাকাতলে শামিল করেছিলেন।
প্রিয় নবী (সা.) তিন স্তরবিশিষ্ট প্রশাসন কাঠামো গড়ে তোলেন—কেন্দ্রীয়, প্রাদেশিক ও আঞ্চলিক প্রশাসন। কেন্দ্রীয় প্রশাসনকে বিভিন্ন দপ্তরে ভাগ করে বিশিষ্ট সাহাবিদের দায়িত্ব প্রদান করেন। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য প্রাদেশিক পর্যায়ে নিযুক্ত হন ওয়ালি বা গভর্নর। অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের জন্য আমিল বা আঞ্চলিক প্রশাসকের পদ সৃষ্টি করা হয়।
ইসলামের দৃষ্টিতে ক্ষমতার মালিক মহান আল্লাহ। ‘ইন্নাল আরদা লিল্লাহ...।’ অর্থাৎ ‘নিশ্চয়ই এই পৃথিবী আল্লাহর, তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা এর উত্তরাধিকারী করেন।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১২৮)
৬২৭ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে ঐতিহাসিক খন্দকের যুদ্ধের পটভূমিতে অবতীর্ণ আয়াতে আমরা খুঁজে পাই আল্লাহর বিধানের চিরন্তনতা।
ইরশাদ হয়েছে, ‘বলুন, হে আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দা�� করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজত্ব ছিনিয়ে নাও। যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা করো লাঞ্ছিত...।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ২৬)
ক্ষমতা ও দায়িত্ব আমানতস্বরূপ। এটি আল্লাহর নিয়ামত।
প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা সবাই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেকেই তার দায়িত্বাধীন বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে।’ (বুখারি)
তাই ইসলামের নির্দেশনা হলো, দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নেওয়া যাবে না। আবু মুসা আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর শপথ। আমরা এমন কাউকে ক্ষমতায় নিযুক্ত করব না, যে দায়িত্ব চায় এবং এমন লোককেও না, যে দায়িত্ব লাভের প্রত্যাশা করে।’
আবদুর রহমান ইবনে সামুরা (রা.) বলেন, প্রিয় নবী (সা.) আমাকে বলেছেন, ‘হে আবদুর রহমান, দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিয়ো না। কারণ যদি তোমার চাওয়ার কারণে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে তো তোমাকে নিঃসঙ্গ ছেড়ে দেওয়া হবে (তুমি আল্লাহর সাহায্য থেকে বঞ্চিত হবে)। পক্ষান্তরে যদি না চাইতেই দায়িত্ব ও ক্ষমতা তোমার ওপর অর্পিত হয়, তাহলে তুমি ওই বিষয়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৬২২)
ক্ষমতা ক্ষমতাবানের কাছে আমানতস্বরূপ। এ প্রসঙ্গে প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘কেউ যদি মুসলিম জনগোষ্ঠীর শাসক নিযুক্ত হয়, অতঃপর সে প্রতারক ও আত্মসাত্কারী হিসেবে মারা যায়, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন।’ (বুখারি)
ইসলাম বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হয় আদর্শগত কারণে। প্রিয় নবী (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করে খলিফা ওমর (রা.) হয়ে যান ‘অর্ধপৃথিবীর বাদশাহ’, যাঁর সুশাসনের নজির হলো জেরুজালেম বিজয়ী আমিরুল মুমিনিন টেনে নিচ্ছেন উটের রশি। ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাতের আঁধারে। তিনি বলতেন, ‘ওই ফোরাতের কূলে যদি একটি কুকুরও না খেয়ে মারা যায়, তাহলে আমি ওমরকে আল্লাহর সমীপে জবাবদিহি করতে হবে!’
ক্ষমতা ভোগ-ব্যবহার ও শক্তির মানদণ্ড নয়। মুহাম্মদ ইবনে নাসর স্পেনে তাঁর বসবাসের জন্য ‘আল হামরা’ প্রাসাদের নির্মাণকাজ শুরু করেন। বিজয়ী বেশে গ্রানাডায় প্রবেশকালে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে সমবেত জনতার উল্লাস ধ্বনি ছিল ‘মারহাবান লিন-নাসর অর্থাৎ আল্লাহর কৃপায় বিজয়ীকে স্বাগত।’ জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘লা গালিবা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ যদি আল্লাহ না চান, কেউ বিজয়ী নয়।’
দেখা যায়, ১২০৬ খ্রিস্টাব্দের ২৪ জুন কুতুবুদ্দিন আইবেক দিল্লির স্বাধীন সুলতান হিসেবে অভিষিক্ত হন। ‘সালতানাত’ যুগের প্রথম দিকের শাসনকে ‘মামলুক’ বা ক্রীতদাসের যুগ বলা হতো। এমনকি সম্রাজ্ঞী নুরজাহানও ছিলেন ভারতে বিক্রি হওয়া একজন ইরানি ক্রীতদাসী।
১২০৪-০৫ খ্রিস্টাব্দের শীতকালে ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খলজি ঝাড়খণ্ডের দুর্গম পাহাড়ি বনাঞ্চল দিয়ে দুঃসাহসী অভিযান পরিচালনা করেন, তখন লক্ষ্মণ সেনের পাহারাদাররা স্রেফ ‘ঘোড়া বিক্রেতা’ ছাড়া আর কিছুই তাঁকে মনে করেনি। ইখতিয়ার হলেন বাংলার প্রথম মুসলিম শাসক। এভাবেই ভারতের বুকে সাড়ে ৫০০ বছরের (১২০৪-১৭৫৭ খ্রি.) মুসলিম শাসনের অধ্যায় রচিত হয়েছিল।
ক্ষমতা চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মানুষ ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে যায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, রাজ্য জয়ের জন্য, দেশ দখলের জন্য ক্ষমতাপাগল মানুষগুলো দানবের রূপ ধারণ করে। ক্ষমতান্ধদের লড়াইয়ে কেউ না কেউ জয়ী হয়। তবে সব সময় পরাজিত হয় মানবতা ও সাধারণ জনগণ। ক্ষমতার মদমত্ত মানুষগুলো ভুলে যায় ক্ষমতা কোনো চিরস্থায়ী বস্তু নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘এই দিনগুলোর (সুদিন-দুর্দিন ও জয়-পরাজয়) পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৪০)
মহান আল্লাহ উপলব্ধি করার তাওফিক দান করুন।
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সম্মান দেন | আর যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করেন
youtube
আপনি যাকে ইচ্ছা রাজত্ব/সম্মান দান করেন
youtube
নৌকা ডুবে গেছে ক্ষমতা দেখিয়ে ঝুলুম করে বেচে থাকার চেষ্টা করবেন না |
youtube
দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই
Do not seek responsibility and power
#দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিতে নেই#Do not seek responsibility and power#Responsibility#Power#দায়িত্ব#ক্ষমতা#Youtube
0 notes
Photo
New Post has been published on https://paathok.news/123556
কংগ্রেস ভবনে ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডব: আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া
.
আমেরিকার আইনসভা কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটল-এ অস্ত্রধারী ট্রাম্প সমর্থকদের ঢুকে পড়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা।
এ ঘটনায় বিস্মিত ও স্তব্ধ হওয়ার প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন বিশ্বের রাজনৈতিক নেতারা। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এ ঘটনাকে “লজ্জাজনক দৃশ্য” বলে উল্লেখ করেছেন। সেই সাথে “শান্তিপূর্ণ এবং সুশৃঙ্খল ক্ষমতা হস্তান্তরের” আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেন, “ট্রাম্প এবং তার সমর্থকদের উচিত শেষ পর্যন্ত আমেরিকার ভোটারদের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া এবং গণতন্ত্রের পদদলন না করা।”
এক বিবৃতিতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ বলেছেন, “এটা পুরোপুরি অসুস্থ এবং হৃদয়বিদারক দৃশ্য। রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল কোন দেশে এ ধরণের ঘটনার মাধ্যমে নির্বাচনের ফলকে বিতর্কিত করা হয়- আমাদের গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে এর কোন স্থান নেই।”
এক বিবৃতিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, ইতিহাস সঠিকভাবেই ক্যাপিটলের উপর এই আক্রমণকে মনে রাখবে, আর সেটি হচ্ছে “এই মুহূর্তটি প্রচণ্ড অসম্মান এবং এই জাতির জন্য লজ্জাজনক।”
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, “গণতন্ত্রের উপর এই আঘাতের ঘটনায়” “কানাডিয়ানরা প্রচন্ড বিরক্ত”।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্ন্দান্দেজ জো বাইডেনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন এবং সহিংসতার ঘটনার প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন।
একইভাবে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভান দোকে সহিংসতাকে প্রত্যাহার করে কংগ্রেসের সদস্যদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
চিলির প্রেসিডেন্ট সেবাস্টিয়ান পিনেরা “গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্র��্ত করার পদক্ষেপের” নিন্দা জানিয়েছেন।
“আজ একটি কালো দিন ছিল” বলেন পেন্স সহিংসতার পরও সেনেটে অধিবেশন শুরু হওয়ার পর ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে আজকের দিনটি একটি কালো দিন হিসেবে উল্লেখ থাকবে।”
এর আগে ভাইস-প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র বলেছিলেন যে, হামলার সময়েও ক্যাপিটল হিল ছেড়ে যাননি পেন্স।
সেনেটের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা পেন্স সব সময়ই কংগ্রেসের নেতৃত্ব, পুলিশ এবং বিচার ও প্রতিরক্ষা বিভাগের সাথে যোগাযোগ রেখেছেন যাতে “ক্যাপিটলকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কংগ্রেস আবার শুরু করা যায়।”
পরে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেন, “যারা আজ ক্যাপিটলে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছেন, আপনার জয়ী হতে পারেননি।”
“সহিংসতা কখনো বিজয়ী হয় না। স্বাধীনতা বিজয়ী হয় এবং এটা এখনো জনগণের হাউজ। আমরা যেহেতু আবার এই চেম্বার শুরু করছি, বিশ্ব আবার একবার দেখবে যে, অভূতপূর্ব সহিংসতা এবং ভাংচুরের মধ্যেও আমাদের গণতন্ত্রের দৃঢ়তা এবং শক্তি কতটা মজবুত।”
“যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আবার একত্রিত হয়েছেন।”
রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেন, “আজকের এই অস্থির জনতা ছাড়াও মার্কিন কংগ্রেস এর চেয়ে অনেক বড় হুমকি মোকাবেলা করেছে।”
“তারা আমাদের গণতন্ত্রকে বিঘ্নিত করতে চেয়েছিল, তারা পারেনি, তারা পরাজিত হয়েছে।”
তিনি বলেন, পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বৈধতা দেয়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হবে।
ডেমোক্রেটিক সেনেটর চাক শুমার বলেন, “৬ই জানুয়ারিকে এখন আমরা আমেরিকার ইতিহাসের সেই অল্প কয়েকটি তারিখের সাথে যুক্ত করতে পারি যেগুলো কুখ্যাত হয়ে থাকবে।”
সহিংসতায় এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় শোকও জানিয়েছেন তিনি।
“এটি আমাদের গণতন্ত্রের উপর এমন একটি দাগ যা ধোয়ার পরও সহজে যাবে না। ৪৫তম প্রেসিডেন্টের সর্বশেষ, ভয়াবহ এবং লাগামহীন শাসনের উদাহরণ- সন্দেহাতীতভাবে তিনি ছিলেন সবচেয়ে নিকৃষ্ট।”
শুমার বলেন, এই হামলাকারীদের বিক্ষোভকারী বলা যায় না। তারা “অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী” যারা “আমেরিকার প্রতিনিধিত্ব করে না।”
এদিকে ক্যাপিটলে সহিংসতার জের ধরে হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সারাহ ম্যাথিউ পদত্যাগ করেছেন।
“ট্রাম্প প্রশাসনের সেবা করার সুযোগ আমার জন্য সম্মানের ছিল এবং যে নীতি আমরা বাস্তবায়ন করেছি সেগুলোর জন্যও আমি গর্বিত,” তিনি বলেন।
“কংগ্রেসের হলে যেহেতু আমার কাজ করার সুযোগ হয়েছে তাই আজ আমাকে যা দেখতে হয়েছে তার জন্য আমি খুব বিরক্ত।”
ম্যাথিউ জানিয়েছেন যে তার পদত্যাগ তাৎক্ষণি��ভাবে কার্যকর হবে। সেই সাথে তিনি বলেন যে, “আমাদের দেশে ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর দরকার।”
এর আগে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের চিফ অব স্টাফ এবং ট্রাম্পের সাবেক প্রেস সেক্রেটারি স্টিফানি গ্রিশাম এই হট্টগোলের মধ্যেই পদত্যাগ করেন। কিন্তু ক্যাপিটলের উপর হামলার সাথে এর কোন যোগসূত্র আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
কী ঘটেছিল? আমেরিকার আইন-প্রণেতারা যখন নভেম্বরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করার জন্য অধিবেশনে বসেছিল��ন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শত শত সমর্থক তখন আমেরিকার আইনসভা কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটল-এ ঢুকে পড়ে।
কয়েক ঘণ্টা ভবন কার্যত দখল করে রাখার পর বিক্ষোভকারীরা ধীরে ধীরে ক্যাপিটল প্রাঙ্গণ ছেড়ে বাইরে চলে যেতে থাকে।
রাজধানী ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১২ ঘণ্টার কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু সান্ধ্য আইন শুরু হবার পরও শত শত বিক্ষোভকারীকে রাজপথে জটলা পাকাতে দেখা গেছে।
দুপুরের পরই আমেরিকার রাজধানীতে নাটকীয় দৃশ্যে দেখা যায় – শত শত বিক্ষোভকারী ভবনটিতে ঢুকে পড়ছে আর পুলিশ কংগ্রেস সদস্যদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছে। জো বাইডেন ঘটনাকে একটি ‘বিদ্রোহ’ বলে আখ্যায়িত করেন, আর মি. ট্রাম্প একটি ভিডিও বার্তায় তার সমর্থকদের বাড়ি ফিরে যেতে অনুরোধ করেন।
এই শোরগোলের মধ্যে মি. বাইডেনের জয় অনুমোদন করার জন্য কংগ্রেস অধিবেশন স্থগিত করা হয়। এটি ছিল আমেরিকার সংসদের দুই কক্ষ – হাউস অফ রেপ্রেসেন্টেটিভ বা প্রতিনিধি সভা এবং সেনেট-এর যৌথ অধিবেশন।
কংগ্রেস নেতারা বলছেন, ক্যাপিটল ভবন নিরাপদ হওয়ায় স্থানীয় সময় রাত ৮টায় তারা যৌথ অধিবেশন আবার শুরু করবেন এবং জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করবেন।
নারী গুলিবিদ্ধ হামলা চলাকালে ভবনের ভেতরে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করার খবর পাওয়া গেছে এবং অন্তত একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। একজন নারী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে এবং বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন বলছে, গুলিবিদ্ধ নারী মারা গেছেন।
হাউস অফ রেপ্রেসেন্টেটিভ এর সভাকক্ষের প্রবেশদ্বারে অস্ত্র তাক করার দৃশ্য দেখা গেছে। কাঁদানে গ্যাসও ব্যবহার করা হয়েছে।
ভবনের ভেতরে বিক্ষোভকারীদের ”আমরা ট্রাম্পকে ভালোবাসি’ শ্লোগান দিতে দিতে মিছিল করতে দেখা গেছে। একজন ট্রাম্প সমর্থকের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে যেখানে সে সেনেট-এর সভাপতির আসনে বসে আছে।
‘নজিরবিহীন আক্রমণ’ মি. ট্রাম্প তার ভিডিওতে তার সমর্থকদের বাড়ি ফেরার অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি আবারো দাবী করেন জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাট দল নির্বাচন চুরি করেছে যদিও তিনি ��োন প্রমাণ দিতে পারেন নি।
”আমি তোমাদের বেদনা বুঝি, আমি জানি তোমরা কষ্ট পেয়েছ,” তিনি বলেন. ”তোমাদের এখন বাড়ি ফিরতে হবে, আমাদের শান্তি দরকার, আমরা চাইনা কেউ আহত হোক।”
জো বাইডেন বলেন এই বিক্ষোভ ‘একটি বিদ্রোহের সমতুল্য এবং এখনই তার অবসান হওয়া উচিত।”
”এই সময় আমাদের গণতন্ত্র এক নজিরবিহীন আক্রমণের মুখে,” মি. বাইডেন বলেন।
দিনের শুরুতে হাজার হাজার ট্রাম্প সমর্থক ”আমেরিকা বাচাও” নামক একটি গণজমায়েতে অংশ নিতে ওয়াশিংটনে আসে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই জনসভায় ভাষণ দিয়ে জো বাইডেনের বিজয় অনুমোদন করার বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন।
0 notes