#তাগুতের পরিচয় ও প্রকারভেদ
Explore tagged Tumblr posts
quransunnahdawah · 11 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
তাগুত কি জিনিস.? তাগুত কাকে বলে?
youtube
youtube
তাগুত কি জিনিস কাকে বলে
তাগুত ( আরবি : طاغوت , ṭāġūt; pl. ṭawāġīt ( طواغيت ); ব্যাপকভাবে: "পরিমাপের বাইরে যাওয়া") হল ইসলামী পরিভাষা যা আল্লাহ  ছাড়া অন্য কিছুর উপাসনাকে নির্দেশ করে।
তাগুতের পরিচয় ও প্রকারভেদ
আমি তো প্রত্যেক জাতির মধ্যে এ মর্মে রাসুল পাঠিয়েছি যে তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো ও ‘তাগুত’ বর্জন করো। অতঃপর তাদের মধ্যে কিছুসংখ্যক মানুষকে আল্লাহ সৎ পথে পরিচালিত করেন এবং কিছুসংখ্যকের জন্য বিপথগামিতা অবধারিত হয়ে যায়। সুতরাং তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ করো এবং দেখো, মিথ্যা আরোপকারীদের কী পরিণতি হয়েছিল। [সুরা : নাহল, আয়াত : ৩৬
তাফসির : আলোচ্য আয়াতে বলা হয়েছে, মহান আল্লাহ মানুষের হেদায়েতের জন্য প্রত্যেক জাতির কাছেই প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন।
তাঁদের প্রতি বিশেষভাবে দুটি নির্দেশনা ছিল—এক. মহান আল্লাহর ইবাদত করা। দুই. ‘তাগুত’ বর্জন। পবিত্র কোরআনে মোট আট স্থানে ‘তাগুত’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। একজন মানুষ মুসলমান হওয়ার প্রথম ধাপ হলো ঈমান আনা।
কিন্তু ঈমান আনার আগে তার জন্য জরুরি হলো ‘তাগুত’ বর্জন করা। এদিকে ইঙ্গিত করে প্রথমে ‘তাগুত’ ত্যাগ করতে বলা হয়েছে, পরে ঈমান আনার ��ির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করে ও আল্লাহর ওপর ঈমান আনে, অবশ্যই সে দৃঢ়তর রজ্জু আঁকড়ে ধরে, যা কখনো ছিন্ন হওয়ার নয়...।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৫৬)
‘তাগুত’ শব্দের মূল অর্থ হলো সীমা লঙ্ঘন।
পরিভাষায়, মানুষ আল্লাহ ছাড়া অন্য যা কিছু প্রভু ও উপাস্য হিসেবে গ্রহণ করে, তা-ই ‘তাগুত’। প্রতিটি যুগ, জায়গা ও সমাজে ‘তাগুত’ বিভিন্ন রূপ ধারণ করে আসে। আসে নতুন রং, ভাষা ও পদ্ধতিতে। ‘তাগুতে’র মূল কাজ হলো, মানুষকে ঈমানের পথ থেকে কুফরের দিকে নিয়ে যাওয়া। ইরশাদ হয়েছে, “যারা কুফরি করে, তাদের অভিভাবক হচ্ছে ‘তাগুত’।
এরা তাদের আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়...।” (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৫৭)
মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওয়াহহাব (রহ.) তাঁর ‘মাজমুআহ আততাওহিদ’, পৃষ্ঠা ১৪ ও ১৫-তে লিখেছেন,
‘তাগুত’ প্রধানত পাঁচ প্রকার। এক. শয়তান। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে বনি আদম, আমি কি তোমাদের নির্দেশ দিইনি যে তোমরা শয়তানের দাসত্ব কোরো না...?’ (সুরা : ইয়াসিন, আয়াত : ৬০)
দুই. আল্লাহর বিধান পরিহারকারী অত্যাচারী শাসক। ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি কি তাদের প্রতি লক��ষ করোনি, যারা দাবি করে যে তারা ঈমান এনেছে ওই বিষয়ে, যা তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং তোমার আগে যা অবতীর্ণ হয়েছিল তার প্রতি। অথচ তারা তাগুতের কাছে বিচারপ্রার্থী হতে চায়, যদিও তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা (তাগুত) প্রত্যাখ্যান করার জন্য...।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৬০)
তিন. যে ব্যক্তি আল্লাহর নাজিলকৃত বিধান অনুসারে ফয়সালা করে না। ইরশাদ হয়েছে, ‘...আল্লাহ যা নাজিল করেছেন, সে অনুযায়ী যারা ফয়সালা করে না তারাই কাফির।’ (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৪৪)
চার. যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য ইলমে গায়েব বা অদৃশ্যের সর্বব্যাপ্ত জ্ঞান সাব্যস্ত করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘অদৃশ্যের চাবিগুলো তাঁর কাছেই রয়েছে, তিনি ছাড়া অন্য কেউ তা জানে না। জলে ও স্থলে যা কিছু আছে, তা তিনিই অবগত...।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ৫৯)
পাঁচ. আল্লাহর পরিবর্তে যার উপাসনা করা হয় এবং সে ওই উপাসনায় সন্তুষ্ট থাকে। ইরশাদ হয়েছে, “তাদের মধ্যে যে বলে, ‘তিনি (আল্লাহ) ছাড়া আমিই ইলাহ (উপাস্য)’, তাকে আমি প্রতিফল দেব জাহান্নাম...।” (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ২৯)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
তাগুতের পরিচয় ও প্রকারভেদ
The Ientity and Types of Taghut
1 note · View note
tawhidrisalatakhirah · 11 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
তাগুত কি জিনিস.? তাগুত কাকে বলে?
youtube
youtube
তাগুত কি জিনিস কাকে বলে
তাগুত ( আরবি : طاغوت , ṭāġūt; pl. ṭawāġīt ( طواغيت ); ব্যাপকভাবে: "পরিমাপের বাইরে যাওয়া") হল ইসলামী পরিভাষা যা আল্লাহ  ছাড়া অন্য কিছুর উপাসনাকে নির্দেশ করে।
তাগুতের পরিচয় ও প্রকারভেদ
আমি তো প্রত্যেক জাতির মধ্যে এ মর্মে রাসুল পাঠিয়েছি যে তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো ও ‘তাগুত’ বর্জন করো। অতঃপর তাদের মধ্যে কিছুসংখ্যক মানুষকে আল্লাহ সৎ পথে পরিচালিত করেন এবং কিছুসংখ্যকের জন্য বিপথগামিতা অবধারিত হয়ে যায়। সুতরাং তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ করো এবং দেখো, মিথ্যা আরোপকারীদের কী পরিণতি হয়েছিল। [সুরা : নাহল, আয়াত : ৩৬
তাফসির : আলোচ্য আয়াতে বলা হয়েছে, মহান আল্লাহ মানুষের হেদায়েতের জন্য প্রত্যেক জাতির কাছেই প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন।
তাঁদের প্রতি বিশেষভাবে দুটি নির্দেশনা ছিল—এক. মহান আল্লাহর ইবাদত করা। দুই. ‘তাগুত’ বর্জন। পবিত্র কোরআনে মোট আট স্থানে ‘তাগুত’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। একজন মানুষ মুসলমান হওয়ার প্রথম ধাপ হলো ঈমান আনা।
কিন্তু ঈমান আনার আগে তার জন্য জরুরি হলো ‘তাগুত’ বর্জন করা। এদিকে ইঙ্গিত করে প্রথমে ‘তাগুত’ ত্যাগ করতে বলা হয়েছে, পরে ঈমান আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করে ও আল্লাহর ওপর ঈমান আনে, অবশ্যই সে দৃঢ়তর রজ্জু আঁকড়ে ধরে, যা কখনো ছিন্ন হওয়ার নয়...।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৫৬)
‘তাগুত’ শব্দের মূল অর্থ হলো সীমা লঙ্ঘন।
পরিভাষায়, মানুষ আল্লাহ ছাড়া অন্য যা কিছু প্রভু ও উপাস্য হিসেবে গ্রহণ করে, তা-ই ‘তাগুত’। প্রতিটি যুগ, জায়গা ও সমাজে ‘তাগুত’ বিভিন্ন রূপ ধারণ করে আসে। আসে নতুন রং, ভাষা ও পদ্ধতিতে। ‘তাগুতে’র মূল কাজ হলো, মানুষকে ঈমানের পথ থেকে কুফরের দিকে নিয়ে যাওয়া। ইরশাদ হয়েছে, “যারা কুফরি করে, তাদের অভিভাবক হচ্ছে ‘তাগুত’।
এরা তাদের আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়...।” (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৫৭)
মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওয়াহহাব (রহ.) তাঁর ‘মাজমুআহ আততাওহিদ’, পৃষ্ঠা ১৪ ও ১৫-তে লিখেছেন,
‘তাগুত’ প্রধানত পাঁচ প্রকার। এক. শয়তান। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে বনি আদম, আমি কি তোমাদের নির্দেশ দিইনি যে তোমরা শয়তানের দাসত্ব কোরো না...?’ (সুরা : ইয়াসিন, আয়াত : ৬০)
দুই. আল্লাহর বিধান পরিহারকারী অত্যাচারী শাসক। ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি কি তাদের প্রতি লক্ষ করোনি, যারা দাবি করে যে তারা ঈমান এনেছে ওই বিষয়ে, যা তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং তোমার আগে যা অবতীর্ণ হয়েছিল তার প্রতি। অথচ তারা তাগুতের কাছে বিচারপ্রার্থী হতে চায়, যদিও তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা (তাগুত) প্রত্যাখ্যান করার জন্য...।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৬০)
তিন. যে ব্যক্তি আল্লাহর নাজিলকৃত বিধান অনুসারে ফয়সালা করে না। ইরশাদ হয়েছে, ‘...আল্লাহ যা নাজিল করেছেন, সে অনুযায়ী যারা ফয়সালা করে না তারাই কাফির।’ (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৪৪)
চার. যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য ইলমে গায়েব বা অদৃশ্যের সর্বব্যাপ্ত জ্ঞান সাব্যস্ত করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘অদৃশ্যের চাবিগুলো তাঁর কাছেই রয়েছে, তিনি ছাড়া অন্য কেউ তা জানে না। জলে ও স্থলে যা কিছু আছে, তা তিনিই অবগত...।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ৫৯)
পাঁচ. আল্লাহর পরিবর্তে যার উপাসনা করা হয় এবং সে ওই উপাসনায় সন্তুষ্ট থাকে। ইরশাদ হয়েছে, “তাদের মধ্যে যে বলে, ‘তিনি (আল্লাহ) ছাড়া আমিই ইলাহ (উপাস্য)’, তাকে আমি প্রতিফল দেব জাহান্নাম...।” (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ২৯)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
তাগুতের পরিচয় ও প্রকারভেদ
The Ientity and Types of Taghut
0 notes
ilyforallahswt · 11 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
তাগুত কি জিনিস.? তাগুত কাকে বলে?
youtube
youtube
তাগুত কি জিনিস কাকে বলে
তাগুত ( আরবি : طاغوت , ṭāġūt; pl. ṭawāġīt ( طواغيت ); ব্যাপকভাবে: "পরিমাপের বাইরে যাওয়া") হল ইসলামী পরিভাষা যা আল্লাহ  ছাড়া অন্য কিছুর উপাসনাকে নির্দেশ করে।
তাগুতের পরিচয় ও প্রকারভেদ
আমি তো প্রত্যেক জাতির মধ্যে এ মর্মে রাসুল পাঠিয়েছি যে তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো ও ‘তাগুত’ বর্জন করো। অতঃপর তাদের মধ্যে কিছুসংখ্যক মানুষকে আল্লাহ সৎ পথে পরিচালিত করেন এবং কিছুসংখ্যকের জন্য বিপথগামিতা অবধারিত হয়ে যায়। সুতরাং তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ করো এবং দেখো, মিথ্যা আরোপকারীদের কী পরিণতি হয়েছিল। [সুরা : নাহল, আয়াত : ৩৬
তাফসির : আলোচ্য আয়াতে বলা হয়েছে, মহান আল্লাহ মানুষের হেদায়েতের জন্য প্রত্যেক জাতির কাছেই প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন।
তাঁদের প্রতি বিশেষভাবে দুটি নির্দেশনা ছিল—এক. মহান আল্লাহর ইবাদত করা। দুই. ‘তাগুত’ বর্জন। পবিত্র কোরআনে মোট আট স্থানে ‘তাগুত’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। একজন মানুষ মুসলমান হওয়ার প্রথম ধাপ হলো ঈমান আনা।
কিন্তু ঈমান আনার আগে তার জন্য জরুরি হলো ‘তাগুত’ বর্জন করা। এদিকে ইঙ্গিত করে প্রথমে ‘তাগুত’ ত্যাগ করতে বলা হয়েছে, পরে ঈমান আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করে ও আল্লাহর ওপর ঈমান আনে, অবশ্যই সে দৃঢ়তর রজ্জু আঁকড়ে ধরে, যা কখনো ছিন্ন হওয়ার নয়...।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৫৬)
‘তাগুত’ শব্দের মূল অর্থ হলো সীমা লঙ্ঘন।
পরিভাষায়, মানুষ আল্লাহ ছাড়া অন্য যা কিছু প্রভু ও উপাস্য হিসেবে গ্রহণ করে, তা-ই ‘তাগুত’। প্রতিটি যুগ, জায়গা ও সমাজে ‘তাগুত’ বিভিন্ন রূপ ধারণ করে আসে। আসে নতুন রং, ভাষা ও পদ্ধতিতে। ‘তাগুতে’র মূল কাজ হলো, মানুষকে ঈমানের পথ থেকে কুফরের দিকে নিয়ে যাওয়া। ইরশাদ হয়েছে, “যারা কুফরি করে, তাদের অভিভাবক হচ্ছে ‘তাগুত’।
এরা তাদের আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়...।” (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৫৭)
মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওয়াহহাব (রহ.) তাঁর ‘মাজমুআহ আততাওহিদ’, পৃষ্ঠা ১৪ ও ১৫-তে লিখেছেন,
‘তাগুত’ প্রধানত পাঁচ প্রকার। এক. শয়তান। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে বনি আদম, আমি কি তোমাদের নির্দেশ দিইনি যে তোমরা শয়তানের দাসত্ব কোরো না...?’ (সুরা : ইয়াসিন, আয়াত : ৬০)
দুই. আল্লাহর বিধান পরিহারকারী অত্যাচারী শাসক। ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি কি তাদের প্রতি লক্ষ করোনি, যারা দাবি করে যে তারা ঈমান এনেছে ওই বিষয়ে, যা তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং তোমার আগে যা অবতীর্ণ হয়েছিল তার প্রতি। অথচ তারা তাগুতের কাছে বিচারপ্রার্থী হতে চায়, যদিও তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা (তাগুত) প্রত্যাখ্যান করার জন্য...।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৬০)
তিন. যে ব্যক্তি আল্লাহর নাজিলকৃত বিধান অনুসারে ফয়সালা করে না। ইরশাদ হয়েছে, ‘...আল্লাহ যা নাজিল করেছেন, সে অনুযায়ী যারা ফয়সালা করে না তারাই কাফির।’ (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৪৪)
চার. যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য ইলমে গায়েব বা অদৃশ্যের সর্বব্যাপ্ত জ্ঞান সাব্যস্ত করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘অদৃশ্যের চাবিগুলো তাঁর কাছেই রয়েছে, তিনি ছাড়া অন্য কেউ তা জানে না। জলে ও স্থলে যা কিছু আছে, তা তিনিই অবগত...।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ৫৯)
পাঁচ. আল্লাহর পরিবর্তে যার উপাসনা করা হয় এবং সে ওই উপাসনায় সন্তুষ্ট থাকে। ইরশাদ হয়েছে, “তাদের মধ্যে যে বলে, ‘তিনি (আল্লাহ) ছাড়া আমিই ইলাহ (উপাস্য)’, তাকে আমি প্রতিফল দেব জাহান্নাম...।” (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ২৯)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
তাগুতের পরিচয় ও প্রকারভেদ
The Ientity and Types of Taghut
0 notes
myreligionislam · 11 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
তাগুত কি জিনিস.? তাগুত কাকে বলে?
youtube
youtube
তাগুত কি জিনিস কাকে বলে
তাগুত ( আরবি : طاغوت , ṭāġūt; pl. ṭawāġīt ( طواغيت ); ব্যাপকভাবে: "পরিমাপের বাইরে যাওয়া") হল ইসলামী পরিভাষা যা আল্লাহ  ছাড়া অন্য কিছুর উপাসনাকে নির্দেশ করে।
তাগুতের পরিচয় ও প্রকারভেদ
আমি তো প্রত্যেক জাতির মধ্যে এ মর্মে রাসুল পাঠিয়েছি যে তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো ও ‘তাগুত’ বর্জন করো। অতঃপর তাদের মধ্যে কিছুসংখ্যক মানুষকে আল্লাহ সৎ পথে পরিচালিত করেন এবং কিছুসংখ্যকের জন্য বিপথগামিতা অবধারিত হয়ে যায়। সুতরাং তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ করো এবং দেখো, মিথ্যা আরোপকারীদের কী পরিণতি হয়েছিল। [সুরা : নাহল, আয়াত : ৩৬
তাফসির : আলোচ্য আয়াতে বলা হয়েছে, মহান আল্লাহ মানুষের হেদায়েতের জন্য প্রত্যেক জাতির কাছেই প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন।
তাঁদের প্রতি বিশেষভাবে দুটি নির্দেশনা ছিল—এক. মহান আল্লাহর ইবাদত করা। দুই. ‘তাগুত’ বর্জন। পবিত্র কোরআনে মোট আট স্থানে ‘তাগুত’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। একজন মানুষ মুসলমান হওয়ার প্রথম ধাপ হলো ঈমান আনা।
কিন্তু ঈমান আনার আগে তার জন্য জরুরি হলো ‘তাগুত’ বর্জন করা। এদিকে ইঙ্গিত করে প্রথমে ‘তাগুত’ ত্যাগ করতে বলা হয়েছে, পরে ঈমান আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করে ও আল্লাহর ওপর ঈমান আনে, অবশ্যই সে দৃঢ়তর রজ্জু আঁকড়ে ধরে, যা কখনো ছিন্ন হওয়ার নয়...।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৫৬)
‘তাগুত’ শব্দের মূল অর্থ হলো সীমা লঙ্ঘন।
পরিভাষায়, মানুষ আল্লাহ ছাড়া অন্য যা কিছু প্রভু ও উপাস্য হিসেবে গ্রহণ করে, তা-ই ‘তাগুত’। প্রতিটি যুগ, জায়গা ও সমাজে ‘তাগুত’ বিভিন্ন রূপ ধারণ করে আসে। আসে নতুন রং, ভাষা ও পদ্ধতিতে। ‘তাগুতে’র মূল কাজ হলো, মানুষকে ঈমানের পথ থেকে কুফরের দিকে নিয়ে যাওয়া। ইরশাদ হয়েছে, “যারা কুফরি করে, তাদের অভিভাবক হচ্ছে ‘তাগুত’।
এরা তাদের আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়...।” (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৫৭)
মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওয়াহহাব (রহ.) তাঁর ‘মাজমুআহ আততাওহিদ’, পৃষ্ঠা ১৪ ও ১৫-তে লিখেছেন,
‘তাগুত’ প্রধানত পাঁচ প্রকার। এক. শয়তান। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে বনি আদম, আমি কি তোমাদের নির্দেশ দিইনি যে তোমরা শয়তানের দাসত্ব কোরো না...?’ (সুরা : ইয়াসিন, আয়াত : ৬০)
দুই. আল্লাহর বিধান পরিহারকারী অত্যাচারী শাসক। ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি কি তাদের প্রতি লক্ষ করোনি, যারা দাবি করে যে তারা ঈমান এনেছে ওই বিষয়ে, যা তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং তোমার আগে যা অবতীর্ণ হয়েছিল তার প্রতি। অথচ তারা তাগুতের কাছে বিচারপ্রার্থী হতে চায়, যদিও তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা (তাগুত) প্রত্যাখ্যান করার জন্য...।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৬০)
তিন. যে ব্যক্তি আল্লাহর নাজিলকৃত বিধান অনুসারে ফয়সালা করে না। ইরশাদ হয়েছে, ‘...আল্লাহ যা নাজিল করেছেন, সে অনুযায়ী যারা ফয়সালা করে না তারাই কাফির।’ (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৪৪)
চার. যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য ইলমে গায়েব বা অদৃশ্যের সর্বব্যাপ্ত জ্ঞান সাব্যস্ত করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘অদৃশ্যের চাবিগুলো তাঁর কাছেই রয়েছে, তিনি ছাড়া অন্য কেউ তা জানে না। জলে ও স্থলে যা কিছু আছে, তা তিনিই অবগত...।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ৫৯)
পাঁচ. আল্লাহর পরিবর্তে যার উপাসনা করা হয় এবং সে ওই উপাসনায় সন্তুষ্ট থাকে। ইরশাদ হয়েছে, “তাদের মধ্যে যে বলে, ‘তিনি (আল্লাহ) ছাড়া আমিই ইলাহ (উপাস্য)’, তাকে আমি প্রতিফল দেব জাহান্নাম...।” (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ২৯)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
তাগুতের পরিচয় ও প্রকারভেদ
The Ientity and Types of Taghut
0 notes
mylordisallah · 11 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
তাগুত কি জিনিস.? তাগুত কাকে বলে?
youtube
youtube
তাগুত কি জিনিস কাকে বলে
তাগুত ( আরবি : طاغوت , ṭāġūt; pl. ṭawāġīt ( طواغيت ); ব্যাপকভাবে: "পরিমাপের বাইরে যাওয়া") হল ইসলামী পরিভাষা যা আল্লাহ  ছাড়া অন্য কিছুর উপাসনাকে নির্দেশ করে।
তাগুতের পরিচয় ও প্রকারভেদ
আমি তো প্রত্যেক জাতির মধ্যে এ মর্মে রাসুল পাঠিয়েছি যে তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো ও ‘তাগুত’ বর্জন করো। অতঃপর তাদের মধ্যে কিছুসংখ্যক মানুষকে আল্লাহ সৎ পথে পরিচালিত করেন এবং কিছুসংখ্যকের জন্য বিপথগামিতা অবধারিত হয়ে যায়। সুতরাং তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ করো এবং দেখো, মিথ্যা আরোপকারীদের কী পরিণতি হয়েছিল। [সুরা : নাহল, আয়াত : ৩৬
তাফসির : আলোচ্য আয়াতে বলা হয়েছে, মহান আল্লাহ মানুষের হেদায়েতের জন্য প্রত্যেক জাতির কাছেই প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন।
তাঁদের প্রতি বিশেষভাবে দুটি নির্দেশনা ছিল—এক. মহান আল্লাহর ইবাদত করা। দুই. ‘তাগুত’ বর্জন। পবিত্র কোরআনে মোট আট স্থানে ‘তাগুত’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। একজন মানুষ মুসলমান হওয়ার প্রথম ধাপ হলো ঈমান আনা।
কিন্তু ঈমান আনার আগে তার জন্য জরুরি হলো ‘তাগুত’ বর্জন করা। এদিকে ইঙ্গিত করে প্রথমে ‘তাগুত’ ত্যাগ করতে বলা হয়েছে, পরে ঈমান আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করে ও আল্লাহর ওপর ঈমান আনে, অবশ্যই সে দৃঢ়তর রজ্জু আঁকড়ে ধরে, যা কখনো ছিন্ন হওয়ার নয়...।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৫৬)
‘তাগুত’ শব্দের মূল অর্থ হলো সীমা লঙ্ঘন।
পরিভাষায়, মানুষ আল্লাহ ছাড়া অন্য যা কিছু প্রভু ও উপাস্য হিসেবে গ্রহণ করে, তা-ই ‘তাগুত’। প্রতিটি যুগ, জায়গা ও সমাজে ‘তাগুত’ বিভিন্ন রূপ ধারণ করে আসে। আসে নতুন রং, ভাষা ও পদ্ধতিতে। ‘তাগুতে’র মূল কাজ হলো, মানুষকে ঈমানের পথ থেকে কুফরের দিকে নিয়ে যাওয়া। ইরশাদ হয়েছে, “যারা কুফরি করে, তাদের অভিভাবক হচ্ছে ‘তাগুত’।
এরা তাদের আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়...।” (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৫৭)
মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওয়াহহাব (রহ.) তাঁর ‘মাজমুআহ আততাওহিদ’, পৃষ্ঠা ১৪ ও ১৫-তে লিখেছেন,
‘তাগুত’ প্রধানত পাঁচ প্রকার। এক. শয়তান। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে বনি আদম, আমি কি তোমাদের নির্দেশ দিইনি যে তোমরা শয়তানের দাসত্ব কোরো না...?’ (সুরা : ইয়াসিন, আয়াত : ৬০)
দুই. আল্লাহর বিধান পরিহারকারী অত্যাচারী শাসক। ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি কি তাদের প্রতি লক্ষ করোনি, যারা দাবি করে যে তারা ঈমান এনেছে ওই বিষয়ে, যা তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং তোমার আগে যা অবতীর্ণ হয়েছিল তার প্রতি। অথচ তারা তাগুতের কাছে বিচারপ্রার্থী হতে চায়, যদিও তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা (তাগুত) প্রত্যাখ্যান করার জন্য...।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৬০)
তিন. যে ব্যক্তি আল্লাহর নাজিলকৃত বিধান অনুসারে ফয়সালা করে না। ইরশাদ হয়েছে, ‘...আল্লাহ যা নাজিল করেছেন, সে অনুযায়ী যারা ফয়সালা করে না তারাই কাফির।’ (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৪৪)
চার. যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য ইলমে গায়েব বা অদৃশ্যের সর্বব্যাপ্ত জ্ঞান সাব্যস্ত করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘অদৃশ্যের চাবিগুলো তাঁর কাছেই রয়েছে, তিনি ছাড়া অন্য কেউ তা জানে না। জলে ও স্থলে যা কিছু আছে, তা তিনিই অবগত...।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ৫৯)
পাঁচ. আল্লাহর পরিবর্তে যার উপাসনা করা হয় এবং সে ওই উপাসনায় সন্তুষ্ট থাকে। ইরশাদ হয়েছে, “তাদের মধ্যে যে বলে, ‘তিনি (আল্লাহ) ছাড়া আমিই ইলাহ (উপাস্য)’, তাকে আমি প্রতিফল দেব জাহান্নাম...।” (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ২৯)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
তাগুতের পরিচয় ও প্রকারভেদ
The Ientity and Types of Taghut
0 notes
allahisourrabb · 11 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
তাগুত কি জিনিস.? তাগুত কাকে বলে?
youtube
youtube
তাগুত কি জিনিস কাকে বলে
তাগুত ( আরবি : طاغوت , ṭāġūt; pl. ṭawāġīt ( طواغيت ); ব্যাপকভাবে: "পরিমাপের বাইরে যাওয়া") হল ইসলামী পরিভাষা যা আল্লাহ  ছাড়া অন্য কিছুর উপাসনাকে নির্দেশ করে।
তাগুতের পরিচয় ও প্রকারভেদ
আমি তো প্রত্যেক জাতির মধ্যে এ মর্মে রাসুল পাঠিয়েছি যে তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো ও ‘তাগুত’ বর্জন করো। অতঃপর তাদের মধ্যে কিছুসংখ্যক মানুষকে আল্লাহ সৎ পথে পরিচালিত করেন এবং কিছুসংখ্যকের জন্য বিপথগামিতা অবধারিত হয়ে যায়। সুতরাং তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ করো এবং দেখো, মিথ্যা আরোপকারীদের কী পরিণতি হয়েছিল। [সুরা : নাহল, আয়াত : ৩৬
তাফসির : আলোচ্য আয়াতে বলা হয়েছে, মহান আল্লাহ মানুষের হেদায়েতের জন্য প্রত্যেক জাতির কাছেই প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন।
তাঁদের প্রতি বিশেষভাবে দুটি নির্দেশনা ছিল—এক. মহান আল্লাহর ইবাদত করা। দুই. ‘তাগুত’ বর্জন। পবিত্র কোরআনে মোট আট স্থানে ‘তাগুত’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। একজন মানুষ মুসলমান হওয়ার প্রথম ধাপ হলো ঈমান আনা।
কিন্তু ঈমান আনার আগে তার জন্য জরুরি হলো ‘তাগুত’ বর্জন করা। এদিকে ইঙ্গিত করে প্রথমে ‘তাগুত’ ত্যাগ করতে বলা হয়েছে, পরে ঈমান আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করে ও আল্লাহর ওপর ঈমান আনে, অবশ্যই সে দৃঢ়তর রজ্জু আঁকড়ে ধরে, যা কখনো ছিন্ন হওয়ার নয়...।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৫৬)
‘তাগুত’ শব্দের মূল অর্থ হলো সীমা লঙ্ঘন।
পরিভাষায়, মানুষ আল্লাহ ছাড়া অন্য যা কিছু প্রভু ও উপাস্য হিসেবে গ্রহণ করে, তা-ই ‘তাগুত’। প্রতিটি যুগ, জায়গা ও সমাজে ‘তাগুত’ বিভিন্ন রূপ ধারণ করে আসে। আসে নতুন রং, ভাষা ও পদ্ধতিতে। ‘তাগুতে’র মূল কাজ হলো, মানুষকে ঈমানের পথ থেকে কুফরের দিকে নিয়ে যাওয়া। ইরশাদ হয়েছে, “যারা কুফরি করে, তাদের অভিভাবক হচ্ছে ‘তাগুত’।
এরা তাদের আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়...।” (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৫৭)
মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওয়াহহাব (রহ.) তাঁর ‘মাজমুআহ আততাওহিদ’, পৃষ্ঠা ১৪ ও ১৫-তে লিখেছেন,
‘তাগুত’ প্রধানত পাঁচ প্রকার। এক. শয়তান। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে বনি আদম, আমি কি তোমাদের নির্দেশ দিইনি যে তোমরা শয়তানের দাসত্ব কোরো না...?’ (সুরা : ইয়াসিন, আয়াত : ৬০)
দুই. আল্লাহর বিধান পরিহারকারী অত্যাচারী শাসক। ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি কি তাদের প্রতি লক্ষ করোনি, যারা দাবি করে যে তারা ঈমান এনেছে ওই বিষয়ে, যা তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং তোমার আগে যা অবতীর্ণ হয়েছিল তার প্রতি। অথচ তারা তাগুতের কাছে বিচারপ্রার্থী হতে চায়, যদিও তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা (তাগুত) প্রত্যাখ্যান করার জন্য...।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৬০)
তিন. যে ব্যক্তি আল্লাহর নাজিলকৃত বিধান অনুসারে ফয়সালা করে না। ইরশাদ হয়েছে, ‘...আল্লাহ যা নাজিল করেছেন, সে অনুযায়ী যারা ফয়সালা করে না তারাই কাফির।’ (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৪৪)
চার. যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য ইলমে গায়েব বা অদৃশ্যের সর্বব্যাপ্ত জ্ঞান সাব্যস্ত করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘অদৃশ্যের চাবিগুলো তাঁর কাছেই রয়েছে, তিনি ছাড়া অন্য কেউ তা জানে না। জলে ও স্থলে যা কিছু আছে, তা তিনিই অবগত...।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ৫৯)
পাঁচ. আল্লাহর পরিবর্তে যার উপাসনা করা হয় এবং সে ওই উপাসনায় সন্তুষ্ট থাকে। ইরশাদ হয়েছে, “তাদের মধ্যে যে বলে, ‘তিনি (আল্লাহ) ছাড়া আমিই ইলাহ (উপাস্য)’, তাকে আমি প্রতিফল দেব জাহান্নাম...।” (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ২৯)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
তাগুতের পরিচয় ও প্রকারভেদ
The Ientity and Types of Taghut
0 notes
nill-sagor · 5 years ago
Text
#আকীদা_বিষয়ক ৫০টি প্রশ্নোত্তর.?
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
গ্রন্থনায়: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
লিসান্স,মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সৌদি আরব, দাঈ ও গবেষক, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদী আরব।
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
بِسْمِ اللَّـهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ
الحمد لله وحده والصلاة والسلام على من لانبي بعده
সুপ্রিয় দ্বীনী ভাই ও বোনেরা,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
অত:পর ‘আকীদা বিষয়ক ৫০টি প্রশ্নোত্তর’ শীর্ষক ছোট্ট এই পুস্তিকাটিতে ইসলামের অত্যন্ত মৌলিক এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে ৫০টি প্রশ্নোত্তর প্রস্তুত করা হয়েছে-যেগুলো সম্পর্কে প্রত্যেক মুসলিমের জন্য জ্ঞান থাকা অপরিহার্য।
এখানে যে সব বিষয় আলোচিত হয়েছে সেগুলো হল:
• মহান আল্লাহর পরিচয়
• ইসলাম এবং তার রোকন সমূহ
• ঈমান ও তার রোকন সমূহ
• তাওহীদ ও তার প্রকারভেদ
• শিরক ও তার প্রকারভেদ।
• কুফরী ও তার প্রকারভেদ
• মুনাফেকি এবং তার প্রকারভেদ
• কালিমার অর্থ এবং শর্তাবলী
• ইবাদতের পরিচয় এবং তা কবুলের শর্তাবলী
• তাগুতের পরিচয় ও তার প্রকারভেদ
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করে জ্ঞানের আলোকিত পথ ধরে জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করুন। আমীন।
-বিনীত, আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
❖ ১ম প্রশ্ন: আমার, আপনার এবং পৃথিবীর সব কিছুর স্রষ্টা ও পালনকর্তা কে?
উত্তর: আমার, আপনার এবং সারা জাহানের একমাত্র স্রষ্টা ও পালনকর্তা হলেন মহান আল্লাহ। তিনি দয়া করে আমাকে সহ পৃথিবীর প্রতিটি বস্তু সৃষ্টি করেছেন এবং সবকিছু লালন-পালন করছেন।
❖ ২য় প্রশ্ন: আমাদের দ্বীন বা জীবন ব্যবস্থার নাম কি?
উত্তর: আমাদের দ্বীন বা জীবন ব্যবস্থার নাম হল ইসলাম। ইসলাম মানে হল, আল্লাহকে ভয় করে, তাঁর প্রতি ভালবাসা রেখে এবং তাঁর কাছেই আশা ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে পরিপূর্ণভাবে তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা।
❖ ৩য় প্রশ্ন: আমরা কিভাবে আল্লাহর পরিচয় লাভ করতে পারি?
উত্তর: আমরা এ বিশাল সৃষ্টি জগতের দিকে তাকালে আল্লাহর পরিচয় পাই। ঐ সুবিশাল আকাশ,এই বিস্তীর্ণ পৃথিবী, চাঁদ, সুরুজ, দিন ও রাতের আবর্তন ইত্যাদির দিকে গভীরভাবে তাকালে বুঝতে পারি এ বিশ্বচরাচর একাকী সৃষ্টি হয়ে যায়নি। বরং এসবের পেছনে রয়েছে একজন সুনিপুণ স্রষ্টার হাত। আর তিনি হলেন,মহান আল্লাহ তা’আলা।
❖ ৪র্থ প্রশ্ন: আল্লাহ কোথায় আছেন?
উত্তর: আল্লাহ তা’আলা সাত আসমানের উপর আরশে আযীমে অবস্থান করেন। তিনি তাঁর সব সৃষ্টি থেকে আলাদা।
❖ ৫ম প্রশ্ন: আল্লাহ কি স্বত্বাগতভাবে আমাদের সাথে থাকেন?
উত্তর: আল্লাহ স্বীয় স্বত্বায় আরশে আযীমের উপর অবস্থান করেন। কিন্তু তাঁর জ্ঞান আমাদেরকে পরিবেষ্টন করে আছে। তিনি সব কিছু দেখছেন। সব কিছু শুনছেন। তার শক্তি এবং ক্ষমতা সব জায়গায় বিরাজমান। আল্লাহ তা’আলা মূসা ও হারুন (আলাইহিমাস সালাম)কে লক্ষ্য করে বলেন, “তোমরা ভয় পেও না। আমি তোমদের সাথে আছি। সব কিছু দেখছি এবং শুনছি।” (সূরা ত্ব-হাঃ ৪৬)
❖ ৬ষ্ঠ প্রশ্ন: আল্লাহর অলি কারা?
উত্তর: অলি শব্দের অর্থ, আল্লাহর প্রিয়পাত্র বা বন্ধু। তারাই আল্লাহর প্রিয়পাত্র হন যারা সত্যিকার ভাবে আল্লাহকে ভয় করে জীবন পরিচালনা করেন, সৎ আমল করেন, তাঁর আদেশগুলো বাস-বায়ন করেন এবং নিষেধ কৃত বিষয়গুলো থেকে নিজেদেরকে বাঁচিয়ে রাখেন এবং কুরআন ও হাদিসকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখেন।
❖ ৭ম প্রশ্ন: কি পদ্ধতিতে আমাদের আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগী করা উচিৎ?
উত্তর: আমাদের কর্তব্য হল, এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগী করব যাতে সবটুকু ইবাদত শুধু তাঁর জন্যই নিবেদিত হয়। অন্য কোন সৃষ্টিকে তাঁর সাথে শরীক বা অংশীদার করা না হয়।
❖ ৮ম প্রশ্ন: কি দায়িত্ব দিয়ে আল্লাহ তা’আলা যুগে যুগে নবীদেরকে প্রেরণ করেছিলেন?
উত্তর: যুগে যুগে সকল নবী ও রসূলগণকে প্রেরণের উদ্দেশ্য হল, তারা মানুষকে এ আহবান করবেন যে, মানুষ যেন কেবল আল্লাহর ইবাদত করে এবং তার সাথে অন্য কাউকে শরীক না করে।
আরও উদ্দেশ্য হল, কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট অজ্ঞতার অজুহাত পেশ করতে না পারে।
❖ ৯ম প্রশ্ন: ইসলাম কাকে বলে?
উত্তর: আল্লাহর একত্ববাদকে মেনে নিয়ে পরিপূর্ণভাবে তার আনুগত্য করা এবং শিরক ও শিরক পন্থীদের থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করাকেই ইসলাম বলে।
❖ ১০ম প্রশ্ন: ইসলামের মূল স্তম্ভ কয়টি ও কি কি?
উত্তর: ইসলামের মূল স্তম্ভ ৫টি। সেগুলো হল:
• ১) ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ’ অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর রাসূল- এ কথার স্বীকৃতি প্রদান করা।
• ২) নামায প্রতিষ্ঠা করা।
• ৩) যাকাত আদায় করা।
• ৪) রামাযান মাসে রোযা পালন করা।
• ৫) যে ব্যক্তি পর্যন্ত পৌঁছতে সক্ষম তার জন্য হজ্জ সম্পাদন করা।
❖ ১১তম প্রশ্ন: ঈমান কাকে বলে?
উত্তর: অন্তরে বিশ্বাস, মুখে স্বীকৃতি এবং কাজে বাস্তবায়নকে ঈমান বলে।
❖ ১২তম প্রশ্ন: ঈমান কি বাড়ে ও কমে?
উত্তর: হ্যাঁ, কথা ও কাজ অনুযায়ী ঈমান বাড়ে ও কমে।
❖ ১৩তম প্রশ্ন: ঈমান বাড়ে ও কমে এ কথার অর্থ কি?
উত্তর: একথার অর্থ হচ্ছে, যে ব্যক্তি যত বেশী আল্লাহর আনুগত্য করবে এবং ভাল কাজ করবে তার ঈমান তত বৃদ্ধি পাবে। আর যে যত পাপ ও অন্যায় কাজে জড়িয়ে পড়বে তার ঈমান তত কমবে।
❖ ১৪তম প্রশ্ন: ঈমানের মূল স্তম্ভ কয়টি ও কি কি?
উত্তর: ঈমানের মূল স্তম্ভ ৬টি। যথা:
• ১) আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস
• ২) ফেরেশতাগণের প্রতি বিশ্বাস
• ৩) আসমানি কিতাব সমূহের প্রতি বিশ্বাস
• ৪) নবী ও রসূলগণের প্রতি বিশ্বাস
• ৫) পরকালের প্রতি বিশ্বাস
• ৬) ভাগ্যের ভাল মন্দের প্রতি বিশ্বাস।
❖ ১৫তম প্রশ্ন: আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের অর্থ কি?
উত্তর: আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের অর্থ হচ্ছে, এ বিশ্বাস করা যে আল্লাহ তা’আলা রিজিক দা��া, সৃষ্টিকর্তা, সব কিছুর পরিচালক, আসমান ও জমিনের সমস্ত রাজত্ব এবং কর্তৃত্ব তাঁর হাতে। সমস্ত সৃষ্টি তাঁর মুখাপেক্ষী। তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। তিনি যাবতীয় ইবাদত পাওয়ার একমাত্র অধিকারী; অন্য কেউ নয়। তাঁর রয়েছে অনেক সুন্দর সুন্দর নাম এবং তিনি অসংখ্য পরিপূর্ণগুণের অধিকারী।
❖ ১৬তম প্রশ্ন: ফেরেশতা কারা?
উত্তর: তাঁরা আল্লাহর এমন এক সৃষ্টি যাদেরকে তিনি নূর (আলো) দ্বারা সৃষ্টি করেছে। আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে যে কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন বা যে সব কাজ করতে আদেশ করেছেন তা পরিপূর্ণভাবে পালন করেন। তাতে বিন্দুমাত্র অবাধ্যতা করেন না।
❖ ১৭তম প্রশ্ন: আসমানি গ্রন্থসমূহের প্রতি এবং নবী-রসূলগণের প্রতি বিশ্বাসের অর্থ কি?
উত্তর: নবী রসূলগণের প্রতি বিশ্বাসের অর্থ হল, আল্লাহ তা’আলা যুগে যুগে অনেক নবী প্রেরণ করেছেন যেমন, নূহ, ইবরাহীম, মূসা, ঈসা, (আলাইহিমুস সালাম) প্রমুখ । তাদের প্রতি আল্লাহ তা’আলা মানবজাতির দিকনির্দেশনার জন্য আসমানি গ্রন্থ নাজিল করেছেন। যেমন, তাওরাত, ইনজিল, জবুর,ইত্যাদি। নবীগণ তাদের সমসাময়িক মানবগোষ্ঠীকে এক আল্লাহর দাসত্ব করার জন্য আহবান করেছেন এবং শিরক করা থেকে নিষেধ করেছেন।
নবী-রাসূলদের ধারাবাহিকতার সব শেষে আগমন করেছেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তাঁর প্রতি আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করেছেন আল কুরআন। এ কুরআনের মাধ্যমে পূর্ববর্তী সকল আসমানি গ্রন্থকে বিলুপ্ত করা হয়েছে। তিনি এ কুরআনকে পরিপূর্ণভাবে বাস্ববায়ন করে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন তাঁর দীর্ঘ ২৩ বছরের নবুওয়তী যিন্দেগীতে। তাই যে কোন ইবাদত অবশ্যই হতে হবে কুরআনের শিক্ষা এবং নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুন্নাহ তথা তাঁর নির্দেশিত পদ্ধতি অনুসারে।
❖ ১৮তম প্রশ্ন: পরকালে বিশ্বাসের অর্থ?
উত্তর: পরকালে বিশ্বাসের অর্থ হল, একথা বিশ্বাস করা যে, মহান স্রষ্টা আল্লাহ তা’আলা প্রতিটি জিনিসের একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ দিয়েছেন। সে মেয়াদ শেষ হলে সবাইকে অবশ্যই মৃত্যু বরণ করতে হবে। এরপর আল্লাহ সকলকে কবর থেকে পুনরুত্থিত করবেন এবং কৃতকর্মের হিসাব-নিকাশ নেয়ার পর প্রত্যেককে তাদের কাজের যথোপযুক্ত প্রতিদান দিবেন। ভাল কাজের বিনিময়ে তাদেরকে দেয়া হবে ভাল প্রতিদান। আর পাপ ও অন্যায়ের বিনিময়ে প্রদান করবেন কঠিন শাস্তি।
আমাদেরকে এ বিশ্বাস রাখতে হবে যে, যে মহান স্রষ্টা এ সুন্দর দেহাবয়বকে যেমনিভাবে প্রথমবার সৃজন করেছেন তিনি পুণরায় তাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম।
❖ ১৯তমঃ ভাগ্যের ভাল-মন্দের প্রাত বিশ্বাসের অর্থ কী?
এর অর্থ হল, এ জীবনে ভাল-মন্দ যাই ঘটুক না কেন এ বিশ্বাস রাখতে হবে যে, তা অবশ্যই আল্লাহ তা’আলার ইচ্ছা ও পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হয়েছে। কারণ, মহাপ্রজ্ঞাবান আল্লাহ তা’আলা প্রতিটি বিষয় অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে অনেক পূর্বেই নির্ধারণ করে রেখেছেন।
❖ ২০তম প্রশ্ন: “লা-ইলাহা ইল্লালাহ” এর ব্য��খ্যা কী?
উত্তর: ‘লা ইলাহা ইল্লালাহ’ অর্থ হল, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নাই। বরং যাবতীয় ইবাদত ও উপাসনা পাওয়ার একমাত্র হকদার তিনি। তিনি ব্যতিরেকে যত কিছুর ইবাদত করা হচ্ছে সবই মিথ্যা এবং ভ্রান্ত।
❖ ২১তম প্রশ্ন: ‘মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ এর ব্যাখ্যা কি?
‘মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ এর ব্যাখ্যা হল, নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নির্দেশগুলো বাস্তবায়ন করা। তিনি যে সকল সংবাদ ও তথ্য দান করেছেন সেগুলোকে নির্ভুল ও সত্য বলে মেনে নেয়া। তিনি যেসকল বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন বা সতর্ক করেছেন সেগুলো থেকে বিরত থাকা এবং তাঁর দেখানো পদ্ধতি ব্যতিরেকে ইবাদত না করা।
❖ ২২তম প্রশ্ন: ‘লা ইলাহা ইল্লালাহ’ এর কোন শর্ত আছে কি?
উত্তর: তাওহীদের স্বীকৃতি জ্ঞাপক এই মহান বাণীটির জন্য ৮টি শর্ত রয়েছে। সে শর্তগুলো হল:
• ১) ‘লা ইলাহা ইল্লালাহ’ এর অর্থ জেনে-বুঝে স্বীকৃতি দেয়া। এর অর্থ বা তাৎপর্য না বুঝে পাঠ করলে কোন লাভ হবে না।
• ২) দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে স্বীকৃতি দেয়া। এতে কোন সন্দেহ ও অস্পষ্টতা রাখা যাবে না।
• ৩) নির্ভেজাল মনে স্বীকৃতি দেয়া। কোন শিরকী ধ্যান-ধারণা নিয়ে পাঠ করলে কোন লাভ নেই।
• ৪) সত্য মনে করে স্বীকৃতি দেয়া। কপটতা থেকে মুক্ত থাকা অপরিহার্য।
• ৫) ভালবাসা সহকারে স্বীকৃতি দেয়া। মনের মধ্যে ঘৃণা বা ক্রোধ জমা রেখে স্বীকৃতি দিলে কোন উপকার হবে না।
• ৬) পূর্ণ আনুগত্যের মন-মানসিকতা নিয়ে স্বীকৃতি দেয়া। পরিত্যাগ করার বা অমান্য করার মানসিকতা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
• ৭) মনেপ্রাণে নিঃশর্ত ভাবে গ্রহণ করা। এ বিষয়ে কোন প্রতিবাদ করা বা প্রশ্ন তোলা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
• ৮) আল্লাহ ছাড়া অন্য যত কিছুর ইবাদত করা হচ্ছে সব অস্বীকার করা।
❖ ২৩তম প্রশ্ন: আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে যে সব বিষয়ের নির্দেশ দিয়েছেন সেগুলোর মধ্যে কোন বিষয়টি সবচেয়ে বড়?
উত্তর: সে বিষয়টি হল তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদ।
❖ ২৪তম প্রশ্ন: তাওহীদ কি?
উত্তর: তাওহীদ হল, একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা, তাঁর সাথে কাউকে শরীক না করা এবং আল্লাহ তা’আলা নিজে কুরআনে বা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে তার যে সকল নাম ও গুণাবলীর কথা উল্লেখ করেছেন সেগুলোকে কোনরূপ ব্যাখ্যার আশ্রয় না নিয়ে সহজভাবে মেনে নেয়া।
❖ ২৫তম প্রশ্ন: তাওহীদ কত প্রকার?
উত্তর: তাওহীদ তিন প্রকার। যথা:
• ১) প্রকার: রুবূবিয়া
• ২) তাওহীদুল উলূহিয়া
• ৩) তাওহীদুল আসমা ওয়াস্‌ সিফাত।
❖ ২৬ তম প্রশ্ন: ‘তাওহীদুর রুবূবিয়া’ কাকে বলে?
উত্তর: সৃষ্টি করা, রিজিক দান করা, বৃষ্টি বর্ষণ, জীবন দান, মৃত্যু দান ইত্যাদি কার্যক্রমের ক্ষেত্রে আল্লাহকে এক মনে করাকে তাওহীদে রুবূবিয়া বলা হয়।
❖ ২৭তম প্রশ্ন: ‘তাওহীদুল উলূহিয়া’ কাকে বলে?
উত্তর: নামায, রোযা, যাকাত, হজ্জ, দু’আ, মানত ইত্যাদি বান্দার যত প্রকার ইবাদত-বন্দেগী হতে পারে সবকিছুর একমাত্র অধিকারী আল্লাহকে মনে করাকে তাওহীদে উলূহিয়া বলা হয়।
❖ ২৮তম প্রশ্ন: ‘তাওহীদুল আসমা ওয়াস সিফাত’ কাকে বলে?
উত্তর: আল্লাহ তা’আলা নিজে কুরআনে অথবা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাদিসে আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে যে সব কথা বলেছেন সেগুলো মনে প্রাণে মেনে নেয়া। এ ক্ষেত্রে আল্লাহর কোন গুণকে অস্বীকার করা যাবে না বা তাতে কোন শব্দগত বা অর্থগত ব��কৃতি সাধন করা যাবে না। কিংবা সেগুলোর কোন ধরণ বা আকৃতি কল্পনা করা যাবেনা। বরং এ বিশ্বাস পোষণ করতে হবে যে, এ সমস্ত গুণাবলী অবশ্যই সত্য কিন্তু তা মহান আল্লাহর জন্য যেমন হওয়া উচিৎ তেমনই।
❖ ২৯তম প্রশ্ন: ইবাদত বলতে কী বুঝায়?
উত্তর: আল্লাহ তা’আলা যে সমস্ত কথা বা কাজে খুশী হন চাই তা প্রকাশ্য হোক বা অপ্রকাশ্য হোক তাকে ইবাদত বলে।
❖ ৩০তম প্রশ্ন: ইবাদতের কোন শর্ত আছে কি?
উত্তর: ইবাদতের কয়েকটি শর্ত রয়েছে। সেগুলো হল:
• ১) ইখলাস থাকা অর্থাৎ যে কোন কাজ নির্ভেজাল চিত্তে কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় কাজ করা।
• ২) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দেখানো পদ্ধতি অনুসারে সে কাজটি করা।
❖ ৩১তম প্রশ্ন: ইবাদতের কতিপয় উদাহরণ দিন।
উত্তর: নামায রোযা, হজ্জ, যাকাত, ভয়, আশা, সাহায্য চাওয়া, বিপদ থেকে উদ্ধার কামনা ইত্যাদি যে সব কাজ আল্লাহ তা’আলা আমদেরকে করার জন্য আদেশ প্রদান করেছেন সবই আল্লাহর ইবাদত।
❖ ৩২তম প্রশ্ন: আল্লাহ তা’আলা আমদেরকে যে সব কাজ থেকে নিষেধ করেছেন সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ কোনটি?
উত্তর: সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এবং মারাত্মক হচ্ছে আল্লাহর সাথে শিরক করা।
❖ ৩৩তম প্রশ্ন: শিরক কী?
উত্তর: কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করা শিরক। যেহেতু মহান আল্লাহ তো আমাকে, আপনাকে তথা সমগ্র বিশ্বকে একাই সৃষ্টি করেছেন।
❖ ৩৪তম প্রশ্ন: শিরক কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর: শিরক তিন প্রকার। যথা:
• ১) বড় শিরক
• ২) ছোট শিরক
• ৩) গোপন শিরক।
❖ ৩৫তম প্রশ্ন: বড় শিরক বলতে কী বুঝায়?
উত্তর: কোন ইবাদত যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন কিছুর নামে করা হয় তবে সেটা হল বড় শিরক। কোন মুসলমান এ শিরক করলে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যায় এবং তার পূর্বের সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে যায়। এমনকি তওবা না করে এ অবস্থায় মৃত্যু বরণ করলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
❖ ৩৬তম প্রশ্ন: বড় শিরক কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর: বড় শিরক চার প্রকার। তা হল:
• ১) দু’আর ক্ষেত্রে শিরক করা। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নিকট কিছু চাওয়া বা বিপদাপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দুআ করা বড় শিরক।
• ২) নিয়তের ক্ষেত্রে শিরক করা। ইবাদত করতে গিয়ে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়ত করা।
• ৩) ইবাদতের ক্ষেত্রে শিরক। আল্লাহর আদেশ বাস্তবায়ন করার পরিবর্তে কোন পীর, অলী-আউলিয়া বা অন্য কোন সৃষ্টির উপাসনা করা।
• ৪) ভালোবাসার ক্ষেত্রে শিরক। যে ক্ষেত্রে একমাত্র আল্লাহ তা’আলা ভালবাসা পাওয়ার উপযুক্ত সে ক্ষেত্রে তাকে বাদ দিয়ে অন্য কারো প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করা।
❖ ৩৭তম প্রশ্ন: ছোট শিরক কি?
উত্তর: যে কাজ করলে বড় শিরকে পতিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেটাই ছোট শিরক। যেমন, লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে বা মানুষের প্রশংসা পাওয়ার জন্যে কিংবা দুনিয়াবি কোন স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে কোন নেক কাজ করা হলে তা ছোট শিরকে রূপান্তরিত হয়।
এ জাতীয় কাজ করলে ইসলামের গণ্ডি থেকে বের হবে না বটে কিন্তু সে অবশ্যই একটি বড় ধরণের পাপ সম্পাদন করল। এ জন্য যে কোন ভাল কাজ করার আগে নিয়তকে পরিশুদ্ধ করার ব্যাপারে ইসলাম অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করেছে।
❖ ৩৮তম প্রশ্ন: গোপন শিরক কি?
উত্তর: আল্লাহ তা’আলা কর্তৃক নির্ধা��িত তকদীরের ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করাই হল গোপন শিরক।
❖ ৩৯তম প্রশ্ন: গোপন শিরকের প্রমাণ কি?
উত্তর: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “গভীর রাতে একখণ্ড কালো পাথরের উপর দিয়ে একটি কালো পিঁপড়া হেঁটে গেলে তার পায়ের যে আওয়াজ হয় তার চেয়ে আরও বেশী নীরবে আমার উম্মতের মধ্যে গোপন শিরক প্রবেশ করবে।”
❖ ৪০তম প্রশ্ন: গোপন শিরক কি?
উত্তর: আল্লাহ তা’আলা কর্তৃক নির্ধারিত তকদীরের ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করাই হল গোপন শিরক।
❖ ৪১তম প্রশ্ন: গোপন শিরকের প্রমাণ কি?
উত্তর: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “গভীর রাতে একখণ্ড কালো পাথরের উপর দিয়ে একটি কালো পিঁপড়া হেঁটে গেলে তার পায়ের যে আওয়াজ হয় তার চেয়ে আরও বেশী নীরবে আমার উম্মতের মধ্যে গোপন শিরক প্রবেশ করবে।”
❖ ৪২তম প্রশ্ন: কুফরী কয় প্রকার ও কি কি?
উত্তর: কুফরী দু প্রকার। যথা:
• ১) বড় কুফরী। যেমন, কেউ আল্লাহ অসি-ত্বকে অস্বীকার করলে বা ইসলামী আদর্শকে ঘৃণা করলে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে। এ জাতীয় কুফুরী করার কারণে মানুষ ইসলামের গণ্ডি থেকে বের হয়ে কাফের হয়ে যায়।
• ২) ছোট কুফরী। যেমন, কেউ আল্লাহকে অস্বীকার করল না কিন্তু সে আল্লাহর কোন অবদানকে অস্বীকার করল। এ ক্ষেত্রে সে ইসলাম থেকে বের হবে না কিন্তু তা অবশ্যই বিরাট গুনাহের কাজ করল।
❖ ৪৩তম প্রশ্ন: বড় কুফরি কয় প্রকার?
উত্তর: বড় কুফরি পাঁচ প্রকার। যথা:
• ১) অস্বীকার করার মাধ্যমে কুফরি করা। আল্লাহ, রাসূল, ফেরেশতা, ইসলামী কোন বিধান যেমন, নামায, পর্দা ইত্যাদি বিষয়কে সরাসরি অস্বীকার করা বড় কুফুরী। যার কারণে একজন মানুষ নিজেকে মুসলিম হিসেবে দাবী করার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলে।
• ২) অহংকারের মাধ্যমে কুফুরী করা। যেমন, ইসলাম একটি ‘চিরন্তন সত্য জীবন ব্যবস্থা’ এ কথা জানার পরও অহংকার বশত: ইসলাম বা ইসলামের রীতি-নীতিকে এড়িয়ে চলা।
• ৩) সন্দেহ পোষণ করা।
• ৪) অবাধ্যতা করার মাধ্যমে কুফরি করা।
• ৫) মুনাফেকি করা তথা মনের মধ্যে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ লুকিয়ে রেখে বাহ্যিক ভাবে ইসলাম প্রকাশ করা। এটা জঘন্যতম কুফর।
❖ ৪৪তম প্রশ্ন: মুনাফেকি কয় প্রকার?
উত্তর: দু প্রকার। যথা: ১) বিশ্বাসগত ও ২) কর্মগত।
❖ ৪৫তম প্রশ্ন: বিশ্বাসগত মুনাফেকির অর্থ কি? তা কয় প্রকার ও কি কি?
উত্তর: বিশ্বাসগত মুনাফেকির অর্থ হল, মূলত সে ইসলামকে বিশ্বাসই করেনা। বরং বাহ্যিক ভাবে ইসলামকে মেনে চলে মনে হলেও বিশ্বাসগতভাবে সে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষী। ইসলামের ক্ষতি করার জন্য সে এ বেশ ধারণ করেছে।
বিশ্বাসগত মুনাফেকি ৬ প্রকার। যথা:
• ১) আল্লাহ ও রাসূলকে অস্বীকার করা।
• ২) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আনিত জীবনাদর্শ ইসলাম এবং ইসলামের মৌলগ্রন্থ কুরআনকে অস্বীকার করা।
• ৩) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে ঘৃণা করা।
• ৪) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আনিত জীবনাদর্শকে ঘৃণা করা।
• ৫) ইসলামকে অপমান করা হলে বা ইসলামের পতন হলে মনে মনে আনন্দিত হওয়া।
• ৬) ইসলামের বিজয় বা ইসলামের বিস্তার লাভ করাকে অপছন্দ করা।
❖ ৪৬তম প্রশ্নঃ কর্মগত মুনাফেকীর বৈশিষ্টগুলো কী কী?
উত্তর: কর্মগত মুনাফেকীর চারটি বৈশিষ্ট রয়েছে। সেগুলো হলঃ
• ১) কথায় কথায় মিথ্যা বলা।
• ২) ওয়াদা ভঙ্গ করা বা কথা দিয়ে কথা না রাখা।
• ৩) আমানতের খেয়ানত করা।
• ৪) ঝগড়া করলে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করা।
❖ ৪৭তম প্রশ্ন: শিরকে লিপ্ত থাকা অবস্থায় কি কোন আমল গ্রহণযোগ্য হবে?
উত্তর: শিরকে লিপ্ত থাকা অবস্থায় আল্লাহ তা’আলার কাছে কোন আমল গ্রহণযোগ্য হবে না। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন: “তারা যদি শিরক করত তবে তারা যত আমল করেছিল সব বরবাদ হয়ে যেত।” (সূরা আন’আ��ঃ ৮৮)
আল্লাহ আরও বলেন, “আল্লাহ তা’আলা তাঁর সাথে শিরক করাকে অবশ্যই ক্ষমা করবেন না এবং এর নিন্মোস্তরের যে কোন অপরাধ যাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমা করবেন। যে শিরক করল সে (হেদায়েতের পথ থেকে) অনেক দূরে ছিটকে পড়ল।” (সূরা নিসা: ১১৬)
❖ ৪৮তম প্রশ্ন: ইসলাম ভঙ্গকারী বিষয় কয়টি ও কি কি?
উত্তর: ইসলাম ভঙ্গকারী বিষয় দশটি। যথা:
• ১) ইবাদতে ক্ষেত্রে শিরক করা।
• ২) মুশরিকদেরকে মুশরিক মনে না করা বা তাদের কুফরির ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করা কিংবা তাদেরকে সঠিক পথের অনুসারী মনে করা।
• ৩) আল্লাহ তা’আলার নিকট পৌঁছার উদ্দেশ্যে কোন ‘মাধ্যম’ ধরে তার নিকট দুআ করা বা তার নিকট সুপারিশ প্রার্থনা করা অথবা তার উপর পরকালে নাজাত পাওয়ার ভরসা করা।
• ৪) এ বিশ্বাস পোষণ করা যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদর্শের চেয়ে অন্য কোন ব্যক্তির মতাদর্শ উত্তম বা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আনিত জীবন ব্যবস্থার চেয়ে অন্য কোন ধর্ম বা মতবাদ শ্রেয়।
• ৫) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নির্দেশিত কোন বিষয়কে মনে মনে ঘৃণা করা যদিও সে তা পালন করে।
• ৬) দ্বীন-ইসলামের কোন বিষয়কে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা বা হেয় মনে করা।
• ৭) যাদু করা অথবা যাদু-তাবিজ ইত্যাদির মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিক-প্রেমিকার মনের মিলন কিংবা বিচ্ছেদ ঘটানো।
• ৮) মুসলমানদের বিরুদ্ধে অমুসলিমদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা করা।
• ৯) এ বিশ্বাস করা যে, বিশেষ কিছু ব্যক্তি রয়েছে যারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শরীয়ত মেনে চলতে বাধ্য নন।
• ১০) ইসলাম থেকে মুখ ফিরিয়ে চলা, ইসলাম শিক্ষা না করা এবং ইসলাম অনুযায়ী আমল না করা।
❖ ৪৯তম প্রশ্ন: এমন তিনটি বিষয় রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা প্রতিটি মুসলমানের জন্য আবশ্যক। সে বিষয় তিনটি কি?
উত্তর: সে তিনটি বিষয় হল:
• ১) আল্লাহ সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা
• ২) দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা
• ৩) নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা।
❖ ৫০তম প্রশ্ন: তাগুত কাকে বলে?
উত্তর: আল্লাহ ছাড়া যত কিছুর ইবাদত করা হয় সবই তাগুতের অন্তর্ভুক্ত।
❖ প্রশ্ন: তাগুত কতটি এবং মূল তাগুতগুলো কি কি?
উত্তর: তাগুতের সংখ্যা অনেক। তবে সেগুলোর মধ্যে প্রধান হল ৫টি।
❖ প্রশ্ন: প্রধান প্রধান তাগুতগুলো কি কি?
উত্তর: সেগুলো হল:
• ১) শয়তান।
• ২) যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করা হলেও তার কোন প্রতিবাদ করেনা বা তাকে ঘৃণা করেনা বরং তাতে রাজি থাকে।
• ৩) যারা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদতের দিকে মানুষকে আহবান করে এবং এজন্য কাজ করে।
0 notes