#ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিকার
Explore tagged Tumblr posts
helplinebd360 · 3 months ago
Text
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ যা সাধারণত Aedes মশার মাধ্যমে ছড়ায়। রোগটি তীব্র জ্বরের সাথে শুরু হয় এবং কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর অবস্থার কারণ হতে পারে। এখানে ডেঙ্গুর লক্ষণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হলো:
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ:
১. উচ্চ তাপমাত্রা: সাধারণত ১০১-১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৩৮.৩-৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) পর্যন্ত হতে পারে।
২. গা মাথাব্যথা: বিশেষ করে চোখের পেছনে তীব্র মাথাব্যথা।
৩. মাংসপেশি ও জয়েন্টের ব্যথা: ‘ডেঙ্গু ফিভার’-এর অন্যতম প্রধান লক্ষণ, যা "ব্রেকবোন ফিভার" নামেও পরিচিত।
৪. বমি ও পেটের ব্যথা: মাঝে মাঝে বমি এবং পেটের মাঝখানে ব্যথা হতে পারে।
৫. চামড়ায় ফুসকুড়ি: সারা শরীরে লাল দানা বা ফুসকুড়ি দেখা যেতে পারে।
৬. রক্তপাতের লক্ষণ: ঠোঁট, নাক, বা মাড়ি দিয়ে রক্তপাত হতে পারে, এবং অন্যান্য জায়গায়ও রক্তপাত দেখা দিতে পারে।
৭. অবসাদ ও দুর্বলতা: তীব্র ক্লান্তি এবং দুর্বলতা অনুভব হতে পারে।
প্রতিকার ও ব্যবস্থাপনা:
১. চিকিৎসকের পরামর্শ: ডেঙ্গু সন্দেহ হলে বা লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। চিকিৎসক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে সঠিক চিকিৎসা প্রদান করবেন।
২. বিশ্রাম: রোগীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিশ্চিত করা উচিত, যাতে শরীর দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারে।
৩. জলপান: প্রচুর পরিমাণে পানি এবং অন্যান্য তরল খাবার (যেমন, স্যালাইন, সুপ) পান করা উচিত। এটি ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধে সহায়ক।
৪. জ্বর ও ব্যথা কমানো: চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্যারাসিটামল নেওয়া যেতে পারে। অ্যাসপিরিন বা NSAIDs (ননস্টেরয়ডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগ) এড়ানো উচিত কারণ এগুলি রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
৫. মশার হাত থেকে রক্ষা: মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে মশারি ব্যবহার করুন এবং মশার প্রজননস্থল (যেমন, জল জমে থাকা জায়গা) পরিষ্কার রাখুন।
৬. রক্তপরীক্ষা: নিয়মিত রক্তপরীক্ষা করে প্লেটলেটের স্তর পর্যবেক্ষণ করা উচিত, বিশেষত যখন লক্ষণগুলি গুরুতর হতে পারে।
৭. মাল্টিভিটামিন ও পুষ্টিকর খাদ্য: স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিশ্চিত করা।
সতর্কতা:
গুরুতর লক্ষণ: যদি রোগীর অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে, যেমন হঠাৎ করে জ্বরের পরিমাণ কমে যাওয়ার সাথে তীব্র ক্লান্তি, পেটের ব্যথা, বা রক্তপাতের লক্ষণ দেখা দেয়, তবে অবিলম্বে হাসপাতালে যোগাযোগ করা উচিত।
ডেঙ্গুর প্রতিকার ও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মাধ্যমে এবং দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে অনেকাংশে কার্যকর হতে পারে।
Tumblr media
0 notes
thesharktune · 8 months ago
Text
0 notes
parvez007dr · 1 year ago
Text
ডেঙ্গু জ্বর: আপনার যা জানা দরকার
ডেঙ্গু জ্বর মশা দ্বারা সংক্রামিত একটি ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি গুরুতর সংক্রমণ। এটি উচ্চ জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা, পেশী এবং জয়েন্টে ব্যথা, ফুসকুড়ি এবং রক্তপাত হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, এটি শক এবং অঙ্গ ব্যর্থতার মতো জীবন-হুমকির জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। ডেঙ্গু জ্বর বিশ্বের গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং উপক্রান্তীয় অঞ্চলে সাধারণ, যেখানে জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। ডেঙ্গু জ্বরের কোন সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা বা প্রতিকার নেই, তবে প্রাথমিক রোগ নির্ণয় এবং সহায়ক যত্ন উপসর্��ের তীব্রতা কমাতে এবং প্রাণহানি প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
বিস্তারিত জানতে দেখুন--
0 notes
diseasecure · 1 year ago
Text
#ডেংগু। (৪)
#ডেঙ্গু জ্বর হলে কী করবেন : ডেঙ্গু জ্বরের এখন পর্যন্ত কার্যকরী কোনো ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি। তবে আশার কথা হল, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঘরোয়া পদ্ধতির চিকিৎসাতেই ডেঙ্গু জ্বর ভালো হয়ে যায়। ঔষধের পাশাপাশি প্রচুর পরিমানে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি এবং তরল খাবার খেতে হবে। যেমন-লেবুর শরবত, টক জাতীয় ফল ও ফলের জুস, ডাবের পানি এসব খেতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে। রক্তের প্ল্যাটিলেট যাতে বাড়ে এমন খাবার যেমন, বাদাম, কাঠ বাদাম, দই (টক বা মিষ্টি দই), গ্রিন টি, ব্রোকলি, পালং শাক, বেদানা আমলকি, আনারস ইত্যাদি খেতে হবে।
#ডেঙ্গু থেকে প্রতিকার পেতে হলে : এডিস মশার বংশবিস্তার রোধ করার জন্য বসত বাড়ির আশপাশে পানি জমতে দেওয়া যাবে না এবং যতটা সম্ভব বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ফুল গাছের টব, ফুলদানি, পড়ে থাকা গাড়ির পরিত্যক্ত টায়ারে জমে থাকা পানি, এসি'র জমানো পানি, নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। অব্যবহৃত বিভিন্ন টিন বা প্লাস্টিকের কৌটা এবং ডাবের খোসা সরিয়ে ফেলতে হবে।
চলমান.....
0 notes
grabuild77 · 2 years ago
Text
0 notes
dmharunkhan · 4 years ago
Video
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা | dengue fever | ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ | ডে...
1 note · View note
smartupworld · 3 years ago
Text
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ প্রতিকার ও চিকিৎসা - রোগব্যধি
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ প্রতিকার ও চিকিৎসা – রোগব্যধি
রোগব্যধি – ডেঙ্গু লক্ষণ ডেঙ্গুর হালকা উপসর্গগুলি অন্যান্য অসুস্থতার সাথে বিভ্রান্ত হতে পারে যা জ্বর, ব্যথা এবং ব্যথা বা ফুসকুড়ি সৃষ্টি করে। মানবদেহের গ্রাফিক যা ডেঙ্গুর সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গ দেখাচ্ছে তা হল নিম্নোক্ত যেকোনো একটির সাথে জ্বর: চোখের ব্যথা, মাথাব্যথা, পেশী ব্যথা, ফুসকুড়ি, হাড়ের ব্যথা, বমি বমি ভাব/বমি, জয়েন্টে ব্যথা ডেঙ্গুর সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গ হল নিম্নোক্ত যেকোনো একটির সাথে…
View On WordPress
0 notes
jibondharabd · 3 years ago
Text
0 notes
dinbodolbd · 3 years ago
Link
0 notes
bepa19 · 4 years ago
Photo
Tumblr media
আমাদের দেশে বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যায় এবং গত বছর ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যু সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। ডেঙ্গু জ্বর থেকে কিভাবে প্রতিকার পাওয়া যায় এ সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে শীঘ্রই আলোচনা করতে আসবেন আল আমিন খান অনিক। https://www.instagram.com/p/CAcrIW3DIEa/?igshid=11kj2clv263nl
0 notes
mediaplantbd · 5 years ago
Text
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা (Treatment of Dengue)
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা (Treatment of Dengue)
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা (Treatment of Dengue)
অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ
 লেখক : ডীন, মেডিসিন অনুষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
ডেঙ্গু বর্তমান সময়ের সবচেয়ে পীড়াদায়ক রোগের একটি। এই জ্বরে আক্রান্ত একদিকে যেমন দূর্বল হয়ে পড়ে অন্যদিকে এর রেশ শরীরে থেকে যায় দীর্ঘদিন। তবে ডেঙ্গু প্রাণঘাতি কোনো রোগ নয়। বিশ্রাম ও নিয়মমাফিক চললে এ থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
ডেঙ্গু…
View On WordPress
0 notes
gethealthy18-blog · 5 years ago
Text
জ্বর কমানোর উপায় : জ্বরের কারণ, লক্ষণ ও ঘরোয়া উপায়: Fever Home Remedies in Bengali
New Post has been published on http://healingawerness.com/getting-healthy/getting-healthy-women/%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8b%e0%a6%b0-%e0%a6%89%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0/
জ্বর কমানোর উপায় : জ্বরের কারণ, লক্ষণ ও ঘরোয়া উপায়: Fever Home Remedies in Bengali
StyleCraze Hyderabd040-395603080 August 2, 2019
জ্বর জ্বর আর জ্বর। হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তনের সাথে সাথে ডাক্তারখানা, ওষুধের দোকান সব জায়গাতেই জ্বরের রোগীদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। কারোর তাপমাত্রা বেশি, কারও তাপমাত্রা কম। এমনকি হাসপাতালগুলিতেও অধিকাংশ জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়েই রোগীদের ভুগতে দেখা যাচ্ছে। এটিকে মূলতঃ ভাইরাল ফিভার বা ভাইরাল জ্বর হিসেবে মনে করা হচ্ছে কারণ ভাইরাস জনিত কারণেই এটি হচ্ছে। আমাদের এটা মাথায় রাখতে হবে, শরীরে তাপমাত্রা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে অথবা ১০০ হলে জ্বরকে রোগ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। তবে জ্বরকে যেকোনো রোগের সূচনা বলে মনে করা হয়। তাই শুরুতেই তার প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা উচিত। মানব শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৭ ডিগ্রী ফারেনহাইট। এই তাপমাত্রা যখন ১০০ ডিগ্রী পার হয় তখন তাকে জ্বর বলা হয়। এমনকি ১০৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা পার করলে সে ক্ষেত্রে জ্বরকে খুব সতর্কভাবে দেখতে লাগে এবং সাথে সাথে ডাক্তার বা হাসপাতালের শরণাপন্ন হতে হয়। কেননা এটি স্বাভাবিক নয়। তবে সামান্য জ্বরেই যে ডাক্তারের কাছে ছুটতে হবে এমন কোনো ব্যাপার নেই। কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করেও এই ভাইরাস জ্বরকে আয়ত্তে আনা যায়। মূলতঃ ভাইরাসের কারণে জ্বর হলে সে ক্ষেত্রে ওষুধ না খেলেও চলে। কেননা এর মেয়াদ পাঁচ থেকে সাত দিন। ৫-৭ দিন পর এটি এমনিই কমে যাবে। তবে জ্বরে যদি কাবু হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে ঘরোয়া উপায়গুলির মাধ্যমে যদি তা কাজ না করে সে ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন। তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কখনোই ওষুধের দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খাবেন না। এটি আপনার শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে জ্বর কমানোর উপায় হিসেবে কিছু প্রাকৃতিক পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে।
Table Of Contents
জ্বরের কারণ : Causes of Fever in Bengali
জ্বর যেহেতু কোনো না কোনো রোগ বা শারীরিক সমস্যার উপসর্গ তাই জ্বরের নানারকম কারণ হতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক জ্বরের কারণগুলি কি কি:
১) আবহাওয়ার পরিবর্তন
ভাইরাস জ্বর বর্তমানে একটি প্রচলিত স্বাস্থ্য সমস্যা। এটি শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাইকেই নাজেহাল করে ছাড়ে। হঠাৎ করে আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে জ্বর দেখা যেতে পারে। এই সময় জ্বর সাধারণত কাঁপুনি ও শীত শীত অনুভূতির মাধ্যমে আসে। এই সময় ��রীরের তাপমাত্রা সাধারণের তুলনায় অনেকটাই বৃদ্ধি পায়। নির্দিষ্ট সময়ের পর ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে যায়। এই সময়টিতে শরীর তার বাড়তি তাপমাত্রা হারায়।
২) মশার কামড়
মশার কামড় থেকে নানারকমের মারাত্মক অসুখ যেমন ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া, ইত্যাদি হতে পারে। এই ধরণের অসুখগুলির প্রথম লক্ষণ হল জ্বর। অর্থাৎ কোনো কারণে যদি কাঁপুনি, গা-হাত-পা ব্যাথা, বমিভাব ও শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে দেখেন ও ৪ দিনের ওপরে এই তাপমাত্রা নামতে না দেখা যায়, তাহলে তৎক্ষণাৎ রক্ত পরীক্ষা করে দেখুন।
৩) সর্দি, কাশি বা ঠান্ডা লাগা
বর্ষাকালে কোনোভাবে বৃষ্টি ভিজলে বা শীতকালের কনকনে শীতের জন্যে অথবা অত্যন্ত গরমের ঘাম থেকে সর্দি, কাশি বা গলা ব্যাথা দেখা দেয়। এর থেকে শুরু হয় জ্বর।
৪) পেটের সমস্যা
পেটের কোনোরকম সমস্যা যেমন বদহজম, পেটখারাত, গ্যাস বা অম্বল যখন অতিরিক্ত পরিমানে বেড়ে যায়, তখন স্বাভাবিক ভাবেই তা শরীরে অস্বস্তির সৃষ্টি করে। এর থেকে জ্বরের সূত্রপাত হয়। এই ক্ষেত্রে সাধারণ ভাবে তাপমাত্রা না কমলে এন্টি বায়োটিক খাওয়া প্রয়োজন।
হঠাৎ শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে জ্বর হতে দেখা যায়।
৫) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার ফলে
অনেক সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার একটা মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায় জ্বর অর্থাৎ যদি কোন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ হয় তখন শরীর তাপমাত্রা বাড়িয়ে রক্তে অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান তৈরি করে সেটিকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে।
৬) অন্যান্য কারণ
দীর্ঘদিন ধরে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে থাকলেও জ্বর আসতে পারে।
যেকোনো ধরনের অপারেশনের পর কিংবা হার্ট অ্যাটাকের মতন সমস্যার পরেও জ্বর দেখা যায়।
হঠাৎ গভীর কোনও মানসিক আঘাত পেলে কিংবা ভয় পেলে তার থেকেও কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসতে পারে।
হঠাৎ শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বেড়ে গেলে জ্বরের উৎস হয়।
জ্বরের লক্ষণ : Symptoms of Fever in Bengali
জ্বর আসার আগে থেকেই শরীরটা জানান দিতে থাকে। কেননা তার আগে থেকেই খুসখুসে কাশি এবং শরীরে একটা ম্যাজমেজে ভাব দেখা যায়। এক নজরে জেনে নিন জ্বরের লক্ষণ গুলো :
১) তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি লক্ষ্য করা যায়। ২) হঠাৎ কাঁপুনি এবং শীত শীত ভাব অনুভূত হয়। ৩) সারা শরীরের মাংসপেশিতে ব্যথা এবং হাটু হাত কনুই এর মতন জয়েন্ট অংশ গুলিতে ব্যথা লক্ষ্য করা যায়। ৪) মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়। ৫) হঠাৎ করে অত্যধিক ঘাম হতে দেখা যায়। ৬) হৃদযন্ত্রের পারদ বৃদ্ধি পায়। ৭) শরীর গরম হয়ে ওঠে। ৮) চোখ মুখ লাল হয়ে যায়। ৯) চোখে জ্বালা ভাব লক্ষ্য করা যায়। ১০) শরীর দুর্বল হয়ে ওঠে। ১১) খাদ্যে অনীহা লক্ষ্য করা যায়। ১২) বাচ্চাদের মধ্যে একটা ��নছান ভাব লক্ষ্য করা যায়। ১৩) এ ছাড়াও শিশুদের মধ্যে গলা ব্যথা, কাশি, কানে ব্যথা, বমি এবং ডায়রিয়ার মতন সমস্যা লক্ষ্য করা যায়।
জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় : Home Remedies for Fever in Bengali
জ্বর হলেই অনেকের স্বভাব থাকে হুটহাট নিজের সিদ্ধান্ত মত ওষুধ খেয়ে ফেলেন বা হঠাৎ করে ওষুধের দোকানে গিয়ে যে কোন এন্টিবায়োটিক খেয়ে ফেলেন, যেটা একদমই উচিত নয়। কেননা একটা নির্দিষ্ট তাপমাত্রা পর্যন্ত জ্বর শরীর প্রতিরোধ করতে পারে যা কিনা নিজে থেকেই কমে যায়। তাছাড়া যদি একান্তই বাইরে বেরোতে হয় কিংবা কাজের জন্য দৌড়াদৌড়ি করতে হয় সে ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল জাতীয় ট্যাবলেট খেতে পারেন। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না। তাছাড়া তাপমাত্রা যদি স্বল্প বৃদ্ধি পায় সে ক্ষেত্রে এই ঘরোয়া উপায়গুলি অবলম্বন করতে পারেন যা খুব সহজভাবেই আপনার জ্বর কমাতে সাহায্য করবে। এক নজরে জেনে নিন জ্বর কমানোর ঘরোয়া কিছু উপাদান :
১) মাথায় জলপট্টি দেওয়া
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
পরিষ্কার রুমাল – একটি
বাটি – একটি
জল – পরিমাণ মতো
কিভাবে ব্যবহার করতে হবে?
জ্বরের তাপমাত্রা যদি বৃদ্ধি পায় সে ক্ষেত্রে ঘরোয়া উপায়ে জ্বর কমানোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ্ধতি হলো জলপট্টি দেওয়া।
একটি পরিষ্কার রুমাল কে ভাঁজ করে নিয়ে এক বাটি জলে সেটি ভিজিয়ে নিন।
এবার রুমালটিকে কপালে দিয়ে দুই মিনিট চেপে রাখুন।
তারপর দুমিনিট বাদে আবার জলে ডুবিয়ে রুমালের উল্টো দিকটা ভিজিয়ে নিন।
এভাবে কয়েকবার করতে থাকলেই দেখা যাবে মাথা দিয়ে যে তাপটা বের হচ্ছিল সেটা রুমাল শুষে নেবে এবং আস্তে আস্তে শরীরের তাপমাত্রা কমতে থাকবে।
এর ফলে কি হবে?
জ্বর হলে শরীর তার অধিকাংশ তাপমাত্রা মাথা দিয়ে বের করে দিতে চায়। তাই তাপমাত্রা যদি খুব বৃদ্ধি পায় সে ক্ষেত্রে মাথা ধুয়ে দেওয়া উচিত। তবে সেটা যদি সম্ভব না হয় সে ক্ষেত্রে মাথায় জলপট্টি দিতে থাকলে তাপমাত্রা নেমে আসতে সহায়তা করে। জ্বর কমানোর উপায় গুলির মধ্যে এটি অন্যতম।
২) জ্বরের প্রতিকারে তুলসীর ব্যবহার
Shutterstock
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
তুলসী পাতা – ৮ থেকে ১০ টি
গরম জল – অর্ধেক বাটি
কিভাবে ব্যবহার করতে হবে?
আট-দশটি তুলসী পাতাকে ভালো করে জলে ধুয়ে নিন।
এবার অর্ধেক বাটি জল নিয়ে তার মধ্যে তুলসী পাতা গুলো দিয়ে দিন এবং ভালো করে ফুটাতে থাকুন।
জলটা ফুঁটিয়ে এক কাপ করে নিন।
রোজ সকালে এক কাপ করে এটি খান।
তুলসী পাতা জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথার মতন বহু রোগের উপশম কারী উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
এর ফলে কি হবে?
জ্বর কমানোর উপায় গুলির মধ্যে অন্যতম উপাদান হল তুলসী পাতা। তুলসী পাতার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান গুলি ব্রংকাইটিস, ম্যালেরিয়া, জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথার মতন বহু রোগের উপশমে সহায়তা করে। এর মধ্যে থাকা উপাদান গুলি শরীরকে তাপমাত্রা কমাতে এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সহায়তা করে।
৩) জ্বর কমাতে মধুর ব্যবহার
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
মধু – ১ চামচ
পাতিলেবু – অর্ধেক
গরম জল – এক কাপ
কিভাবে ব্যবহার করতে হবে?
��রম জলের মধ্যে মধু এবং লেবু মিশিয়ে একটি ভাল মিশ্রণ তৈরি করে নিন।
এবার এই মিশ্রণটি দিনে দুইবার খান।
মধুর মধ্যে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদানগুলি শরীরের ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করবে যার ফলে ভাইরাস জনিত জ্বর কমতে সহায়তা করবে।
এর ফলে কি হবে?
ভাইরাস জনিত জ্বরের ক্ষেত্রে মধু এবং লেবুর রস একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি ব্যাকটেরিয়া উপশমকারী উপাদান হিসেবে পরিচিত। তাই জ্বরের প্রভাব যদি বৃদ্ধি পায় সে ক্ষেত্রে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে দিনে দুবার করে খেতে পারেন। এটি শরীরকে ভেতর থেকে গরম করবে এবং তাপমাত্রা কমাতে সহায়তা করবে। জ্বর কমানোর উপাদান গুলির মধ্যে মধু অন্যতম।
৪) আদা দিয়েই করুন জ্বরের ঘরোয়া সমাধান
Shutterstock
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
আদা বাটা – আধ চা-চামচ
মধু – ১ চা চামচ
কিভাবে ব্যবহার করতে হবে?
এক কাপ গরম জলে আধ চা চামচ আদা বাটা ভালো করে ফুটিয়ে নিন।
এবার এর মধ্যে মধু মিশিয়ে নিন।
এই মিশ্রণটি দিনে তিন থেকে চার বার পান করুন।
এছাড়াও আধ চা-চামচ আদার রসের সাথে ১ চা চামচ লেবুর রস এবং ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন।
এই মিশ্রণটি দিনে তিন থেকে চার বার খেলে শরীরের তাপমাত্রা কমতে থাকবে, জ্বর নিচের দিকে নামতে থাকবে।
এর ফলে কি হবে?
জ্বর কমানোর উপায় গুলির মধ্যে অন্যতম আদার ব্যবহার। আদা এক ধরনের প্রাকৃতিক অ্যান্টি ভাইরাস। যা দেহের তাপকে কমাতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি এটি দেহের ইমিউন সিস্টেমকে যেকোনো ধরনের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। যার ফলে আদার সাহায্যে দ্রুত শরীরের তাপমাত্রাকে কমানো যায় এবং অতিরিক্ত জ্বর ঘরোয়া উপায়েই কম করা যায়।
৫) তিল তেল দিয়ে ঘরোয়া উপায়ে জ্বর কমান
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
তিল তেল – কয়েক ফোঁটা
গরম জল – এক কাপ
কিভাবে ব্যবহার করতে হবে?
এক কাপ উষ্ণ গরম জলে কয়েক ফোঁটা তিল তেল মিশিয়ে নিন।
এবার এই মিশ্রণটি দিনে দু থেকে তিনবার পান করুন।
এটি শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সহায়তা করবে।
এর ফলে কি হবে?
তিল তেলের মধ্যে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান গুলি শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সহায়তা করে। জ্বর কমানোর উপায় গুলির মধ্যে এটি অন্যতম। এছাড়াও এটি বুকে কফ, সর্দি কাশি, গলা ব্যথার মত সমস্যাগুলির সমাধান করে।
৬) জ্বরের প্রতিকার করুন অ্যাপেল সিডার ভিনিগার দিয়ে
Shutterstock
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার – দু চা-চামচ
মধু – ১ চা চামচ
জল – এক গ্লাস
কিভাবে ব্যবহার করতে হবে?
এক গ্লাস জলে দু চা-চামচ আপেল সিডার ভিনেগার এবং ১ টেবিল চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে নিন।
মিশ্রণটি দিনে একবার পান করুন।
এতে জ্বর কমবে।
এছাড়াও জ্বরের সময় স্নানের জলের মধ্যে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে সেই জল সারা শরীরে ঢালুন।
দেখবেন কুড়ি থেকে পঁচিশ মিনিটের মধ্যে শরীরের তাপমাত্রা কমে যাবে।
এছাড়াও এক টুকরো পরিষ্কার কাপড় তিন ভাঁজ করে নিন।
তার মধ্যে একভাগে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার দিয়ে বাকি দুই ভাগে জল দিয়ে ভিজিয়ে কপালে এবং পেটে জল পট্টি দিলে খুব তাড়াতাড়ি জ্বর কমতে সাহায্য করে।
এর ফলে কি হবে?
জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপাদান গুলির মধ্যে অন্যতম হলো অ্যাপেল সিডার ভিনিগার। ঘরোয়া উপাদান হলেও জ্বরের প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে খুব কার্যকরী। এর মধ্যে থাকা অ্যাসিড ত্বকের ভিতর থেকে তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এর মধ্যে উপস্থিত উপাদান গুলি শরীরে জ্বর কমাতে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করে।
৭) রসুন দিয়ে কমান ভাইরাল জ্বর
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
রসুন – এক কোয়া
গরম জল – এক কাপ
অলিভ অয়েল – ২ টেবিল চামচ
কিভাবে ব্যবহার করতে হবে?
এক কাপ গরম জলে এক কোয়া রসুন কুচি কুচি করে কেটে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
এরপর রসুনের কুচি গুলোকে ছেঁকে তুলে নিয়ে রসুন ভেজানো জল টি চায়ের মত করে খেয়ে ��িন।
দিনে দুবার এই জলটি খান।
এছাড়াও দু’কোয়া রসুন ছেচে নিয়ে তার সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে মিশ্রণটি দুই পায়ের তালুতে ভালো করে লাগিয়ে নিন।
এবার পাতলা কোনও কাপড় দিয়ে সারারাত পা দুটো পেঁচিয়ে রাখুন।
পরদিন সকালে উঠে দেখবেন জ্বর সম্পূর্ণ সেরে গেছে।
তবে এটি গর্ভবতী কিংবা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
এর ফলে কি হবে?
ঘরোয়া পদ্ধতিতে জ্বর কমানোর উপাদান গুলির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো রসুন। রসুন এমনিতে শরীর গরম করে তোলে, কিন্তু জ্বর হলে সেই রসুনই জ্বর কমানোর উপাদান হিসেবে কাজ করে। রসুনের মধ্যে থাকা উপাদানগুলি শরীরকে ভেতর থেকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে, যার ফলে শরীরে ঘামের সৃষ্টি হয় এবং ঘাম এর মধ্য দিয়ে জ্বর কমে যায়। এছাড়াও এটি শরীর থেকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া গুলিকে দূর করতে সাহায্য করে। রসুনের মধ্যে থাকা অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান গুলি দেহের বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ এর সাথে যুদ্ধ করে শরীরকে সুস্থ করে তোলে।
৮) পুদিনা পাতা দিয়ে ঘরে বসে জ্বর সারান
Shutterstock
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
পুদিনা পাতা বাটা – ১ টেবিল চামচ
মধু – ১ টেবিল চামচ
গরম জল – এক কাপ
কিভাবে ব্যবহার করতে হবে?
এক কাপ গরম জলের সাথে এক টেবিল চামচ পুদিনাপাতা বাটা ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে ১০ মিনিট মিশ্রণটি রেখে দিন।
এরপর এই মিশ্রণটির মধ্যে ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে দিন।
এই মিশ্রণটি দিনে তিন থেকে চার বার পান করুন। এক দিনের মধ্যে জ্বর কমে যাবে।
এর ফলে কি হবে?
জ্বর কমানোর উপাদান গুলির মধ্যে অন্যতম হলো পুদিনা পাতা। পুদিনা পাতার মধ্যে জ্বরের প্রাকৃতিক চিকিৎসা করার ক্ষমতা রয়েছে। এটি শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। যার ফলে পুদিনা পাতার এই মিশ্রণটি খেলে শরীরের ভেতর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে এবং জ্বর ছেড়ে গিয়ে শরীর সুস্থ হয়ে ওঠে।
৯) হলুদ দিয়েই করুন জ্বরের ঘরোয়া সমাধান
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
হলুদ – এক টুকরো
পুদিনা পাতা – ৫-৬ টি
দারচিনি – এক টুকরো
কিভাবে ব্যবহার করতে হবে?
প্রথমে হলুদটি ভালো করে বেটে নিন।
উষ্ণ গরম জলে হলুদ পুদিনা পাতা এবং দারচিনি দিয়ে জলটি ১৫ মিনিট ফুঁটিয়ে নিন।
এবার ছাঁকনি দিয়ে মিশ্রণটি ছেঁকে নিন।
চা এর মতন হয়ে গেলে দিনে দুবার মিশ্রণটি পান করুন।
এর ফলে কি হবে?
হলুদের মধ্যে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান গুলি শরীর থেকে ভাইরাস জনিত জ্বর কমাতে সাহায্য করে। জ্বর কমানোর উপায় গুলির মধ্যে অন্যতম উপাদান হল হলুদ। এছাড়াও পাতা ও দারুচিনি শরীরকে ভেতর থেকে শীতলতা দান করে শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
১০) ভাইরাল জ্বর কমাতে গ্রিন টির ব্যবহার
Shutterstock
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
গ্রিন টি ব্যাগ – একটি
উষ্ণ গরম জল – এক কাপ
কিভাবে ব্যবহার করতে হবে?
এক কাপ জল ভালো করে গরম করে নিন।
এবার এর মধ্যে গ্রিন টি ব্যাগটি ভিজিয়ে রাখুন ১০ মিনিটের জন্য।
এরপর চা টি খেয়ে নিন।
এছাড়াও এই গ্রিনটি তে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
এতেও শরীরে ভেতর থেকে তাপটা বের হতে সাহায্য করবে। এছাড়াও জ্বর কমাতে সহায়তা করবে।
এর ফলে কি হবে?
জ্বর কমানোর উপায় গুলির মধ্যে অন্যতম উপাদান গ্রীন টি। গ্রীন টির মধ্যে আছে শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ উপাদানসমূহ। যেগুলি শরীরকে ভিতর থেকে রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন কোষ গুলিতে শক্তি সঞ্চয় করে। যেকোনো ধরনের ভাইরাল ফিভার কিংবা ব্যাকটেরিয়া জনিত কারণে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে সে ক্ষেত্রে গ্রিন টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তাই হঠাৎ করে যদি শরীর দুর্বল ক��ংবা জ্বর জ্বর ভাব মনে হয় প্রথমেই এক কাপ গ্রিন টি খেয়ে নিন। এতে জ্বর বেড়ে যাওয়ার আগে শরীর তার প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারবে।
১১) যষ্টিমধু দিয়ে করুন জ্বরের ঘরোয়া সমাধান
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
যষ্টিমধু – এক টুকরো
কিভাবে ব্যবহার করতে হবে?
এক টুকরো যষ্টিমধু নিয়ে সেটা ভালো করে গা থেকে ছাল গুলো ছাড়িয়ে নিন।
এবার সেই টুকরোটি মুখে নিয়ে ভালো করে চিবিয়ে খান।
এটি শরীর থেকে অতিরিক্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করবে এবং জ্বর খুব দ্রুত কমাবে।
এর ফলে কি হবে?
যষ্টিমধুর মধ্যে আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং একটি অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান সমূহ। এটি শরীরের যেকোনো ধরনের ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ কে কমাতে সহায়তা করে। মূলত কোন রকম অস্ত্রোপচারের পরে বা কোন রোগ ভোগের পরে যদি জ্বর আসে সে ক্ষেত্রে জ্বর কমানোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ হলো যষ্টিমধু। এর মধ্যে থাকা পেপাইডাইড নামক উপাদান ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে শরীরে প্রোটিন তৈরি করতে সহায়তা করে। যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরকে প্রতিরক্ষা প্রদান করে। এছাড়াও এটি যে কোন ধরনের শারীরিক ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়াই করতে সহায়তা করে। জ্বর কমানোর উপাদান গুলির মধ্যে এটি অন্যতম।
১২) জ্বর কমাতে দারচিনির ভূমিকা
Shutterstock
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
দারচিনির গুঁড়ো – ১ চামচ
মধু – ১ টেবিল চামচ
কিভাবে ব্যবহার করতে হবে?
দারচিনির গুঁড়োর সাথে মধু মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন।
এবার এই মিশ্রণটি দিনে দুই থেকে তিনবার খান।
এটি জ্বর এর পাশাপাশি ঠান্ডা লেগে গলা ব্যথা এবং সর্দি কাশি কমাতে সহায়তা করবে।
এর ফলে কি হবে?
দারচিনির মধ্যে অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান সমূহ রয়েছে।জ্বর কমানোর উপাদান গুলির মধ্যে দারচিনি অন্যতম। এর মধ্যে থাকা উপাদান শরীরে ভাইরাস জনিত সংক্রমণ কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি গলা ব্যথা, ঠাণ্ডা লাগা, সর্দি কাশি, কফের সমস্যা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপাদান গুলির মধ্যে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ��লো দারচিনি। এটি ব্যবহারে খুব শীঘ্রই শরীর সুস্থ হয়ে উঠবে।
জ্বর সারানোর আরো কিছু উপায় : Other Tips For Fever in Bengali
বর্তমান সময়ে ভাইরাস জ্বর শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলকেই নাজেহাল করে চলেছে। অধিকাংশ ভাইরাস জ্বরই নিজে থেকেই সেরে যায়। এর মেয়াদ পাঁচ থেকে সাত দিন। এক্ষেত্রে বিশেষ ওষুধের প্রয়োজন পড়ে না। তবে কয়েকটি ঘরোয়া উপাদানের সাহায্যে আমরা এই অল্প জ্বর নিয়ন্ত্রন করতে পারি। ইতিমধ্যেই ঘরোয়া উপাদান গুলি সম্পর্কে আমরা আলোচনা করে নিয়েছি। তবে অবস্থা যদি খুব খারাপ হয় সে ক্ষেত্রে তো ওষুধ খেতেই হবে এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কিছু বিষয় রয়েছে যে গুলো মেনে চললে ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করার পাশাপাশি শরীরকে খুব দ্রুত সুস্থ করে তোলা যাবে। আসুন জেনে নিন ঘরোয়া পদ্ধতিতে জ্বর সারানোর আরো কিছু উপায় :
১) শরীর আর্দ্র রাখুন
জ্বর হলে অর্থাৎ শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে শরীর থেকে জল কমে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। তাই শরীরকে আর্দ্র রাখার চেষ্টা করুন। যদি কোন প্রকার শক্ত খাবার খেতে অসুবিধা হয় সে ক্ষেত্রে দিনের অধিকাংশ সময় তরল জাতীয় খাবার খান এবং এর সাথে সাথে জল খাওয়ার পরিমাণটা বাড়িয়ে নিন। কেননা শরীর যদি শুষ্ক হয়ে পড়ে সে ক্ষেত্রে শরীরের সংক্রমণ আরো বৃদ্ধি পাবে এবং তাপমাত্রাও ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে জ্বর হওয়া অবস্থায় অবশ্যই ��্রচুর পরিমাণে জল খাবেন এবং তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কেননা শরীর যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না পায় সে ক্ষেত্রে ভাইরাল ইনফেকশনের বৃদ্ধি পাওয়ার প্রবণতা থাকে। কেননা শরীর তখন ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়াই করতে পারে না, ফলে শরীর আরো দুর্বল হয়ে ওঠে।
২) নিজে সুরক্ষিত থাকুন
ভাইরাস জ্বর হলে প্রথমেই দেখা যায় রোগী প্রচন্ড দুর্বল হয়ে পড়ে এবং তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। যার ফলে অন্যান্য রোগের সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই এই সময় যতটা সম্ভব ঘরে থাকার চেষ্টা করুন। এমন কোনও কাজ করবেন না যাতে আরো গভীরভাবে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নিজের সুরক্ষা নিজে বজায় রাখুন এবং নিজেকে সুস্থ করার জন্য চেষ্টা করুন। জ্বর কমানোর উপায় গুলির মধ্যে এটি অন্যতম।
৩) বিশ্রাম নিন
ভাইরাস জনিত জ্বর হলে বৃদ্ধ থেকে শিশু সকলেরই বিশ্রাম নেওয়া আবশ্যক। কেননা শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেলে এই সময় আরো দুর্বল হয়ে উঠবে। ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমনের ফলে শরীর এমনিতেই ক্লান্ত হয়ে ওঠে, যার ফলে যদি যথাযথ বিশ্রাম না নেওয়া হয় শরীর সে ক্ষেত্রে স্বাভাবিক কার্যক্রমে পুনরায় ফিরে আসতে সময় নেবে। তাছাড়াও আপনার থেকে জ্বর অপর জনের মধ্যে ছড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যেতে পারে। তাই যথাসম্ভব নিজের ঘরে বিছানায় বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করুন। এতে শরীরও খুব শীঘ্রই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলে জ্বর কমাতে সহায়তা করবে।
৪) স্বাস্থ্যকর খাবার খান
জ্বর হলে বা কোনরকম সংক্রমণ জনিত রোগ হলে এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। বাইরের খাবার, প্যাকেটজাত পানীয় থেকে দূরে থাকাই এই সময় ভালো। কেননা ঘরের পুষ্টিকর খাদ্য আপনার শরীরকে ভেতর থেকে পুষ্টি প্রদান করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সৃষ্টি করবে। এছাড়াও এই সময় খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার রাখার চেষ্টা করুন। এই ভিটামিনগুলো শরীরকে পুনরুদ্ধারে সাহায্য করবে এবং এর পাশাপাশি রোগ নিরাময়ে সাহায্য করবে।
৫) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলুন
জ্বরের সময় এমন খাবার খান যাতে ভিতর থেকে শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে। খাদ্যতালিকায় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন জাতীয় খাদ্য রাখার চেষ্টা করুন। যদি সরাসরি খাবার খেতে না পারেন সেক্ষেত্রে তরল জাতীয় খাদ্য খেয়ে শরীর কে শক্তি সঞ্চয় করুন। যাতে শরীর ভেতর থেকে দুর্বল না হয়ে পড়ে।
৬) ভেষজ চা খান
জ্বরের সময় পানীয় হিসেবে ভেষজ চা খেতে পারেন। এটি আপনি ঘরে নিজের ইচ্ছামত উপকরন দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন, নিজের পছন্দ অনুযায়ী। তবে এক্ষেত্রে মাথায় রাখবেন যদি আপনি প্রসূতি হন কিংবা শিশুদের যদি জ্বর হয় সে ক্ষেত্রে ভেষজ চা খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। কেননা সব সময় ভেষজ চা সকলের ক্ষেত্রে সমান কার্যকরী নাও হতে পারে।
৭) স্নান করুন
জ্বর হয়েছে বলে স্নান করবো না এই ধারণাটা আমাদের অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। কিন্তু এটা সর্বোপরি ভুল ধারণা। কেননা শরীরের তাপমাত্রা যখন বৃদ্ধি পায়, সে ক্ষেত্রে আমরা যদি পনেরো-কুড়ি মিনিট ধরে উষ্ণ গরম জলে স্নান করি সে ক্ষেত্রে তাপমাত্রা কমতে সহায়তা করে। ��দি অবস্থা খুব খারাপ থাকে যে রোগী বিছানা থেকে উঠে বাথরুমে যেতে পারবেনা, সে ক্ষেত্রে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে গা পন্জ করে দেওয়া যেতে পারে। এর ফলে শরীর তার ওপর থেকে তাপমাত্রা কমতে সহায়তা করে এবং জ্বরের মাত্রা হ্রাস পায়। যে কারণে জ্বরের সময় অবশ্যই স্নান করবেন। স্নান না করে থাকলে পরে শরীরে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ আরো বৃদ্ধি পাবে।
৮) তরল ও গরম খাবার খান
জ্বর হলে অনেকেই খেতে চান না কিংবা খাওয়া বন্ধ করে দেন কিন্তু এই ধারণাটা আমাদের সকলেরই ভুল। কেননা এই সময় শরীরের আরও অতিরিক্ত পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজন হয়। তাই যদি শক্ত জাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছা না করে সে ক্ষেত্রে তরল জাতীয় খাবার খেতে পারেন। যেকোনো ধরনের সুপ তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে। তবে খাবারটি যেন অবশ্যই গরম হয়, সেইদিকে মাথায় রাখবেন। কেননা গরম স্যুপ খেলে আমাদের গলা যেরকম আরাম পাবে। সর্দি কাশির সমস্যা হলে সে ক্ষেত্রে যেমন আরাম পাওয়া যাবে, তা ছাড়া শরীর ভেতর থেকে তাপমাত্রা কমাতে সহায়তা করবে।
৯) শুয়ে থাকবেন না
জ্বর হয়েছে বলে সারাদিন চাদর গায়ে চাপা দিয়ে শুয়ে রইলাম এই টি কখনোই করবেন না। কেননা যত শুয়ে থাকবেন তাপমাত্রা তত বৃদ্ধি পেতে থাকবে। তাই ঘরে অল্প পরিসরের মধ্যে হাঁটাচলা করার চেষ্টা করুন। তা না হলে বেশি শুয়ে থাকলে মাথা ভার হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে নিজেকে আরও দুর্বল বলে মনে হবে। তাই যদি সম্ভব হয় উঠে অল্পবিস্তর হাঁটাচলা করুন এবং আবার এসে খাটে বসে পড়ুন।
১০) রোদে বেরোবেন না
শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে অর্থাৎ জলের পরিমাণ যদি একটু বেশি থাকে সে ক্ষেত্রে রোদে না বেরোনো ভালো। কেননা শরীর এমনিতেই গরম। তার মধ্যে যদি বাইরের উত্তাপ শরীরে লাগে সেটি শরীরের ক্ষতি করে এবং ব্যাকটেরিয়া গুলিকে উদ্দীপিত করে তোলে। তাই যথাসম্ভব জ্বর হলে ঘরে থাকার চেষ্টা করুন।
১১) ফ্রিজের খাবার খাবেন না
জ্বর থাকাকালিন শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি সর্দি কাশি, বুকে কফ, গলা ব্যথা, নাক বন্ধের সমস্যা লেগেই থাকে। তাই এই সময় ফ্রিজ থেকে বের করে সরাসরি কোন খাবার খাবেন না। চেষ্টা করবেন ফ্রিজে থেকে বের করে গরম করা খাবার না খেতে। কেননা ফ্রিজে যখন আমরা খাবারটি রাখি তখন তার মধ্যে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হয়, যেটি জ্বর অবস্থায় খেলে শরীরের ক্ষতি করে। কেননা শরীর এই সময় দুর্বল থাকে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। তাই এক্ষেত্রে অন্য ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমনের সম্ভা��না থেকেই যায়। তাই জ্বর হলে পরে কিংবা জ্বর কমে যাওয়ার ৪-৫ দিনের মধ্যে ফ্রিজের খাবার না খাওয়াই ভালো।
১২) ধূমপান বন্ধ
জ্বর হলে পরে এই সময় ধূমপান না করাই ভালো। এর পাশাপাশি মদ্যপানও না করাই উচিত। কেননা ধূমপান এবং মদ্যপান শরীরকে আরো উত্তেজিত করে তোলে। জ্বর থাকাকালীন অবস্থায় এগুলি তাই একেবারেই ঠিক নয়। তাই জ্বর হলে ধূমপান এবং মদ্যপানকে কঠোরভাবে বন্ধ করা উচিত।
হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে এখন ঘরে ঘরে ভাইরাল ফিভারের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। হঠাৎ করে গা হালকা গরম ভাব, চোখে জ্বালা করে জ্বরটা আসছে। তাই এটির অবহেলা না করে শুরু থেকেই যদি উপরিউক্ত ঘরোয়া বিষয় গুলি মেনে চলতে পারেন তাহলে সহজেই জ্বরের প্রতিকা�� করা সম্ভব হবে। এর পাশাপাশি ঘরোয়া উপাদান গুলির পাশাপাশি যদি আমরা এই ছোটখাটো বিষয় গুলি মাথায় রাখি সে ক্ষেত্রে আমাদের শরীর হয়তো খারাপ হবে না কিংবা শরীরের সংক্রমণ থেকেও আমরা দূরে থাকতে পারব। তাই আর অপেক্ষা কিসের যদি নিজেকে কোনরকম অসুস্থ বলে মনে হয় কিংবা জ্বর আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে হয় সেক্ষেত্রে আজ থেকেই তার প্রতিকারের ব্যবস্থা করুন এবং ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করার চেষ্টা করুন। দেখবেন তাহলে খুব বেশি বাড়াবাড়ি হবে না এবং অল্পতেই এর থেকে আপনি নিস্তার পাবেন। এবং নিজেকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করুন। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই এই জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে। তাই নিজের খেয়াল রাখার পাশাপাশি নিজের ঘরের আপন লোকজনদেরও খেয়াল রাখুন। নিজে সুস্থ থাকুন, সকলকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করুন।
আমাদের পোস্ট আশা করি আপনার জন্যে খুব উপকারী হবে। আপনার কি জানা আছে আরো কোনো জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়? জানান আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে।
The following two tabs change content below.
Latest posts by StyleCraze (see all)
জ্বর কমানোর উপায় : জ্বরের কারণ, লক্ষণ ও ঘরোয়া উপায়: Fever Home Remedies in Bengali – August 2, 2019
ஆலிவ் எண்ணெயின் நன்மைகள், பயன்கள், பக்க விளைவுகள் – Olive Oil Benefits, Uses and Side Effects in Tamil – August 2, 2019
রসুনের উপকারিতা, ব্যবহার এবং অপকারিতা – Garlic (Lahsun) Benefits and Side Effects in Bengali – August 2, 2019
মেথির উপকারিতা, ব্যবহার এবং ক্ষতিকর দিক – Fenugreek Seeds (Methi) Benefits, Uses and Side Effects in Bengal – August 1, 2019
আলুর ২৫ টি উপকারিতা এবং অপকারিতা – Potato Benefits in Bengali – August 1, 2019
StyleCraze
Source: https://www.stylecraze.com/bengali/jor-komanor-ghoroa-upay-in-bengali/
0 notes
ridoybangla-blog · 5 years ago
Link
ডেঙ্গু জ্বর | ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা
0 notes
paathok · 7 years ago
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/34212
চিকুনগুনিয়া'র লক্ষণ ও প্রতিকার
Tumblr media Tumblr media
নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ পঞ্চাশ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের পরামর্শদাতা ডা. কামরুল হাসান (বিসিএস স্বাস্থ্য) বলেন, “বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চিকুনগুনিয়া ভাইরাস নিশ্চিতভাবে সনাক্ত করার স্থান হল রাজধানীর মহাখালিতে অবস্থিত রোগ তত্ত্ব, নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট আইইডিসিআর। এই গবেষণা কেন্দ্রে ‘সেলোরজি’ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস সনাক্ত করা সম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, “ভাইরাসটি এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড়ানো মশাটি সুস্থ কাউকে কামড়ালে তার শরীরেও চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ ঘটে।”
রোগের লক্ষণ সম্পর্কে এই চিকিৎসক বলেন, “চিকুনগুনিয়া জ্বরের লক্ষণগুলো অন্যান্য সকল ভাইরাল জ্বরের মতোই। হাড়ের জোড়ায় তীব্র ব্যথাই এই রোগের একমাত্র স্বতন্ত্র উপসর্গ। সঙ্গে মাথাব্যথা, চোখ জ্বালাপোড়া, বমিভাব, শারীর���ক দুর্বলতা, সর্দি-কাশি, র‌্যাশ ইত্যাদি তো আছেই।”
“বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তিন থেকে চার দিনের মধ্যে জ্বর সেরে যায়। তবে হাড়ের জোড়ের ব্যথা নাছোড়বান্দায় রূপ নেয়। ব্যথার তীব্রতাও প্রচণ্ড। ফলে রোগীর স্বাভাবিক হাঁটাচলা, হাত দিয়ে কিছু ধরা এমনকি হাত মুঠ করতেও বেশ কষ্ট হয়। আর শরীর প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে পড়ে।” বললেন ডা. কামরুল।
পরামর্শ
একটানা তিন দিন জ্বর ও হাড়ের জোড়ে প্রচণ্ড ব্যথা থাকলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এই রোগের বিশেষ কোনো ওষুধ বা টিকা নেই। প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা পর কিংবা তিনবেলা প্যারাসিটামল খেতে পারেন। তবে কোনো ওষুধই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত নয়।
অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে কোনো উপকার নেই। বরং অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
এছাড়া প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার পাশাপাশি ডাবের পানি, স্যালাইন, লেবুর সরবত ইত্যাদি গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়া রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইআডিসিআর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, তাদের ওয়েবসাইটে চিকুগুনিয়া নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে।
যা নিচে দেওয়া হল।
চিকুনগুনিয়া একটি ভাইরাস জনিত জ্বর যা আক্রান্ত মশার কামড়ের মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়। এ রোগ ডেঙ্গু, জিকা’র মতোই এডিস প্রজাতির মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। রোগটি প্রথম ১৯৫২ সালে আফ্রিকাতে দেখা যায়। পরবর্তীতে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ যেমন- ভারত, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, মায়ানমার এবং ইন্দোনেশিয়াতে এর বিস্তার দেখা যায়।
বাংলাদেশে প্রথম ২০০৮ সালে রাজশাহী ও চাঁপাই নবাবগঞ্জে প্রথম এ ভাইরাসের প্রার্দুভাব দেখা যায়। পরবর্তীতে ২০১১ সালে ঢাকার দোহার উপজেলায় এই রোগ দেখা যায়। তবে এর পরে বিচ্ছিন্ন দুএকটি রোগী ছাড়া এ রোগের বড় ধরনের কোনো বিস্তার আর বাংলাদেশে লক্ষ করা যায়নি।
বর্ষার পর পর যখন মশার উপদ্রব বেশি হয় তখন এ রোগের বিস্তার বেশি দেখা যায়।
চিকুনগুনিয়া ভাইরাস কী? চিকুনগুনিয়া ভাইরাস টোগা ভাইরাস গোত্রের ভাইরাস। মশাবাহিত হওয়ার কারণে একে আরবো ভাইরাসও বলে। ডেঙ্গু ও জিকা ভাইরাস ও একই মশার মাধ্যমে ছড়ায় এবং প্রায় একই রকম রোগের লক্ষণ দেখা যায়।
রোগের লক্ষণ সমূহ (১) হঠাৎ জ্বর আসা সঙ্গে প্রচণ্ড গিঁটে গিঁটে ব্যথা। অন্যান্য লক্ষণ সমুহের মধ্যে- (২) প্রচণ্ড মাথাব্যথা (৩) শরীরে ঠাণ্ডা অনুভূতি (Chill) (৪) বমি বমি ভাব অথবা বমি (৫) চামড়ায় লালচে দানা (Skin Rash) (৬) মাংসপেশিতে ব্যথা (Muscle Pain)
সাধারণত রোগটি এমনি এমনিই সেরে যায়, তবে কখনও কখনও গিঁটের ব্যথা কয়েক মাস এমনকি কয়েক বছরের বেশি সময় থাকতে পারে।
বাহক: এডিস ইজিপ্টি ((Ades aegypti) এবং এডিস এলবোপিকটাস (Ades albopictus) মশার মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। মশাগুলোর শরীরের ও পায়ের সাদা কালো ডোরাকাটা দাগ দেখে সহজেই চেনা যায়।
কারা ঝুঁকির মুখে: এ মশাগুলো সাধারণত পরিষ্কার বদ্ধ পানিতে জন্মায় এবং যাদের আশপাশে এ রকম মশা বৃদ্ধির জায়গা আছে, সে সব মানুষেরা বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে।
কীভাবে ছড়ায়: প্রাথমিকভাবে চিকুনগুনিয়া ভাইরাসে আক্রান্ত এডিস ইজিপ্টাই অথবা এডিস অ্যালবুপিক্টাস মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এ ধরনের মশা সাধারণত দিনের বেলা (ভোর বেলা অথবা সন্ধ্যার সময়) কামড়ায়। এছাড়াও চিকুনগুনিয়া ভাইরাস আক্রান্ত রক্তদাতার রক্ত গ্রহণ করলে এবং ল্যাবরেটরীতে নমুনা পরীক্ষার সময়ে অসাবধানতায় এ রোগ ছড়াতে পারে।
সুপ্তিকাল: ৩-৭ দিন (তবে ২-২১ পর্যন্ত হতে পারে)।
প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ: এ রোগ প্রতিরোধের কোনো টিকা নাই। ব্যক্তিগত সচেতনতাই চিকুনগুনিয়া ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের প্রধান উপায়।
মশার কামড় থেকে সুরক্ষা: মশার কামড় থেকে সুরক্ষাই চিকুনগুনিয়া থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভালো উপায়। শরীরের বেশির ভাগ অংশ ঢাকা রাখা (ফুল হাতা শার্ট এবং ফুল প্যান্ট পরা), জানালায় নেট লাগানো, প্রয়োজন ছাড়া দরজা জানালা খোলা না রাখা, ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা, শরীরে মশা প্রতিরোধক ক্রিম ব্যবহার করার মাধ্যমে মশার কামড় থেকে বাঁচা যায়।
শিশু, অসুস্থ রোগী এবং বয়স্কদের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
মশার জন্মস্থান ধ্বংস করা: আবাসস্থল ও এর আশপাশে মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করতে হবে। বাসার আশপাশে ফেলে রাখা মাটির পাত্র, কলসী, বালতি, ড্রাম, ডাবের খোলা ইত্যাদি যেসব জায়গায় পানি জমতে পারে, সেখানে এডিস মশা প্রজনন করতে পারে। এসব স্থানে যেন পানি জমতে না পারে সে ব্যাপারে লক্ষ রাখা এবং নিয়মিত বাড়ির আশপাশে পরিষ্কার করা। সরকারের মশা নিধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা।
যেহেতু এ মশা আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত থেকে জীবাণু নিয়ে অন্য মানুষকে আক্রান্ত করে, কাজেই আক্রান্ত ব্যক্তিকে যাতে মশা কামড়াতে না পারে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া।
রোগ নির্ণয়: উপরোল্লিখিত উপসর্গগুলো দেখা দিলে, ওই ব্যক্তির চিকুনগুনিয়া ভাইরাস সংক্রমণের আশংকা থাকে। উপসর্গগুলো শুরুর এক সপ্তাহের মধ্যে চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে ভাইরাসটি (Serology Ges এবং RT-PCR) পরীক্ষার মাধ্যমে সনাক্ত করা যায়।
বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিটিউট (আইইডিসিআর)-এ চিকুনগুনিয়া রোগ নির্ণয়ের সকল পরীক্ষা করা হয়।
চিকিৎসা: চিকুনগুনিয়া ভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসা মূলত উপসর্গ ভিত্তিক। এর কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিশ্রাম নিতে হবে, প্রচুর পানি ও তরলজাতীয় খাবার খেতে হবে এবং প্রয়োজনে জ্বর ও ব্যথার ��ন্য প্যারাসিটামল ট্যাবলেট এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে ওষুধ খেতে হবে।
গিটের ব্যথার জন্য গিঁটের উপরে ঠাণ্ডা পানির স্যাঁক এবং হালকা ব্যায়াম উপকারী হতে পারে। তবে প্রাথমিক উপসর্গ ভালো হওয়ার পর যদি গিঁটের ব্যথা ভালো না হয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে হবে। কোনো কারণে রোগীর অবস্থা অবনতি হলে দ্রুত নিকটস্থ সরকারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে হবে।
0 notes
dailynobobarta · 7 years ago
Photo
Tumblr media
চোখ লাল হওয়ার কারণ ও প্রতিকার চোখের সাদা অংশে রক্ত জমে যাওয়ার সমস্যাকে বলে সাবকনজাংটিভাল হেমোরেজ। নানা কারণে এই রক্তক্ষরণ হতে পারে। চোখ ওঠা, অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস, ইউভাইটিস ইত্যাদির সঙ্গে এর পার্থক্য হলো এতে প্রদাহ হয়ে লাল হয় না, বরং রক্ত জমে থাকতে দেখা যায়। হঠাৎ অতিরিক্ত কাশি, বমি, প্রচুর হাঁচি ইত্যাদি কারণে স্ট্রেইন পড়লে চোখে রক্তক্ষরণ হতে পারে। কখনো আঘাত পেলে, চোখের ভেতর কিছু ঢুকলে বা খুব জোরে চোখ ঘষলেও এমন হতে পারে। অনেক সময় কিছু ভাইরাস জ্বর, যেমন ডেঙ্গু ও অন্যান্য হেমোরেজিক জ্বরে চোখে রক্তক্ষরণ হতে দেখা যায়। যাঁরা রক্ত জমাট বাঁধতে সমস্যা বা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান তাঁদের এই সমস্যা বেশি হয়। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের বেশি ঝুঁকি থাকে। সাধারণত এই জমাট রক্ত দু-এক সপ্তাহের মধ্যে শোষিত হয়ে যায় এবং আর দেখা যায় না। সুস্পষ্ট কোনো কারণ জানা থাকলে (যেমন আঘাত বা কাশি) তার চিকিৎসা করলেই চলবে। জ্বরের সঙ্গে চোখে রক্তপাত হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। অ্যাসপিরিন বা ওয়ারফেরিন গোত্রের কোনো ওষুধ খেয়ে থাকলে তা চিকিৎসককে অবহিত করুন। এই সমস্যার সঙ্গে চোখ বা মাথায় প্রচণ্ড ব্যথা থাকলে চিকিৎসকের সাহায্য নিন। চোখে সাধারণ অস্বস্তি দূর করতে টিয়ার ড্রপ ব্যবহার করা যায়।
0 notes
dmharunkhan · 4 years ago
Video
ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা | dengue fever treatment | ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কি কি
1 note · View note