#জাহান্নাম থেকে মুক্তির আমল
Explore tagged Tumblr posts
khutbahs · 5 years ago
Link
জাহান্নাম থেকে মুক্তির ১০ আমল
বিত্র কোরআন ও হাদিসে জাহান্নামের আগুনের উত্তাপের কিছু বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এক আয়াতে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘এটা তো লেলিহান অগ্নি, যা গায়ের চামড়া খসিয়ে দেবে।’ (সুরা মাআরিজ, আয়াত : ১৫-১৬)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘তাদের মাথার ওপর ঢেলে দেওয়া হবে ফুটন্ত পানি, যা দিয়ে তাদের চামড়া ও পেটের ভেতর যা আছে তা বিগলিত করা হবে।’ (সুরা হজ, আয়াত : ১৯-২০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘এক হাজার বছর জাহান্নামকে উত্তপ্ত করা হয়েছে। ফলে তার আগুন রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে। অতঃপর পুনরায় এক হাজার বছর উত্তাপ দেওয়ার ফলে এটি সাদা রং গ্রহণ করেছে। তারপর আরো এক হাজার বছর উত্তাপ দেওয়ার ফলে এর আগুন কৃষ্ণবর্ণ হয়ে গেছে। সুতরাং জাহান্নাম এখন সম্পূণরূপে গাঢ় কালো তমসাচ্ছন্ন।’ (তিরমিজি শরিফ)
মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘জাহান্নামের মধ্যে সেই ব্যক্তির শাস্তি সবচেয়ে হালকা হবে, যার পাদুকাদ্বয় ও জুতার ফিতা হবে আগুনের তৈরি। এর ফলে হাঁড়ির মতো তার মস্তিষ্ক ফুটতে থাকবে। সে মনে করবে, তার শাস্তিই সর্বাপেক্ষা কঠিন। অথচ তার আজাবই সর্বাপেক্ষা হালকা।’ (বুখারি ও মুসলিম)
জাহান্নামের আগুনের উত্তাপ কখনো প্রশমিত হবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতঃপর তোমরা (আজাব) আস্বাদন করো, আমি তো তোমাদের শাস্তি কেবল বৃদ্ধিই করব।’ (সুরা নাবা, আয়াত : ৩০)
অন্যত্র তিনি বলেন, ‘যখনই তা (জাহান্নামের আগুন) স্তিমিত হবে তখনই আমি তাদের জন্য অগ্নিশিখা বৃদ্ধি করে দেব।’ (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৯৭)
জাহান্নাম হলো পরলোকের এমন একটি বিশাল এলাকা, যেখানে বিভিন্ন ধরনের শাস্তির জন্য ভিন্ন ভিন্ন এলাকা নির্ধারিত আছে। সেগুলোকে প্রধানত সাত ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা—
১. নার তথা আগুন। ২. জাহান্নাম তথা আগুনের গর্ত। ৩. জাহিম তথা প্রচণ্ড উত্তপ্ত আগুন।
৪. সায়ির তথা প্রজ্বলিত শিখা। ৫. সাকার তথা ঝলসানো আগুন। ৬. হুতামাহ তথা পিষ্টকারী।
৭. হাবিয়া তথা অতল গহ্বর।
নিম্নে জাহান্নাম থেকে মুক্তির ১০টি আমল বর্ণনা করা হলো—
১. আসমা বিনতে ইয়াজিদ (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘যে ব্যক্তি তার (মুসলিম) ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার সম্ভ্রম রক্ষা করে, সে আল্লাহর কাছে এ অধিকার পায় যে তিনি তাকে দোজখ থেকে মুক্ত করে দেন।’ (মুসনাদে আহমদ, সহিহুল জামে, হাদিস : ৬২৪০)
২. আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, “আদম সন্তানের মধ্যে প্রত্যেক মানুষকে ৩৬০ গ্রন্থির ওপর সৃষ্টি করা হয়েছে। (আর প্রত্যেক গ্রন্থির পক্ষ থেকে প্রদেয় সদকা রয়েছে।) সুতরাং যে ব্যক্তি ‘আল্লাহু আকবার’ বলল, ‘আল হামদুলিল্লাহ’ বলল, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলল, ‘সুবহানাল্লাহ’ বলল, ‘আসতাগফিরুল্লাহ’ বলল, মানুষ চলার পথ থেকে পাথর, কাঁটা অথবা হাড় সরাল কিংবা ভালো কাজের আদেশ করল অথবা মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করল (এবং সব মিলে ৩৬০ সংখ্যক পুণ্যকর্ম করল), সে ওই দিন এমন অবস্থায় সন্ধ্যা যাপন করল যে সে নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে দূর করে নিল।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস ২২২০)
৩. রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, “কেউ যদি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ‘সুবহানাল্লাহ’ ৩৩ বার, ‘আলহামদুলিল্লাহ’ ৩৩ বার, ‘আল্লাহু আকবার’ ৩৩ বার পাঠ করে, এরপর একবার ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির’ পাঠ করে, ওই ব্যক্তির সব পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে, যদিও তা সাগরের ফেনার সমতুল্য হয়।” (মুসলিম, হাদিস : ১২৩৯)
৪. যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে সে জান্নাতবাসী হবে। (নাসাঈ : ৫/৩৩৯; সিলসিলাহ সহিহাহ : ৯৭২)
৫. রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচ, যদিও খেজুরের এক টুকরো সদকাহ করে হয়। আর যে ব্যক্তি এর সামর্থ্য রাখে না, সে যেন ভালো কথা বলে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৪১৩)
৬. হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘কোনো ব্যক্তি যদি জান্নাতের জন্য আল্লাহর কাছে তিনবার প্রার্থনা করে, তাহলে জান্নাত তখন বলে, হে আল্লাহ! তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান। আর কোনো ব্যক্তি তিনবার জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাইলে জাহান্নাম তখন আল্লাহর কাছে বলে, হে আল্লাহ! তাকে জাহান্নাম থেকে মু��্তি দিন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৫৭২)
৭. রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি ধারাবাহিকভাবে জোহরের আগে চার রাকাত ও পরে চার রাকাত নামাজ আদায় করবে, মহান আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেবেন।’ (ইবনে মাজাহ : ১১৬০, আবু দাউদ, হাদিস : ১২৬৯)
৮. আবু বকর ইবনে শায়বা, আবু কুরায়ব ও ইসহাক ইবনে ইবরাহিম (রহ.)... আবু বকর ইবনে উমর ইবনে রুয়াইবা (রহ.) তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের ও সূর্যাস্তের আগে অর্থাৎ ফজর ও আসরের সালাত আদায় করে, সে কখনো জাহান্নামে প্রবেশ করবে না। তখন বসরার এক ব্যক্তি তাঁকে বলেন, আপনি কি এটা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছ থেকে শুনেছেন? তিনি বলেন হ্যাঁ। তখন ওই ব্যক্তি বলল, আমি এই মর্মে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি নিজ কানে তা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছ থেকে শুনেছি এবং আমার হৃদয়ে তা গেঁথে রেখেছি। (মুসলিম, হাদিস : ১৩১১)
৯. রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, “যে ব্যক্তি একমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলে, কিয়ামতের দিন সে এমনভাবে উপস্থিত হবে যে তার ওপর জাহান্নাম হারাম।” (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৪৬৮২)
১০. আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমি কি তোমাদের জানিয়ে দেব না, কোন ব্যক্তির জন্য জাহান্নাম হারাম এবং জাহান্নামের জন্য কোন ব্যক্তি হারাম?
যে ব্যক্তি মানুষের কাছাকাছি (জনপ্রিয়), সহজ-সরল, নম্রভাষী ও সদাচারী (তার জন্য জাহান্নাম হারাম)।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৪৮৮)
লেখক : শিক্ষক, দারুল আরকাম, টঙ্গী, গাজীপুর।
0 notes
amarnews · 4 years ago
Text
রাসুল (সা.) রমজানে ৪টি আমল বেশি করতেন - DesheBideshe
রাসুল (সা.) রমজানে ৪টি আমল বেশি করতেন – DesheBideshe
আজ নাজাতের দ্বিতীয় দিন। জাহান্নাম থেকে মুক্তির এই দশক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘রমজানের প্রথম ১০ দিন রহমতের, দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফেরাত লাভের এবং তৃতীয় ১০ দিন জাহান্নাম থেকে নাজাত প্রাপ্তির।’ (মিশকাত) সুতরাং জাহান্নাম থেকে নাজাত লাভের আশায় অবারিত পুণ্যের জন্য নাজাতের দশককে পরিপূর্ণ আমলের মধ্যে কাটানো উচিত। আমরা যদি রহমত, মাগফেরাতের ��র নাজাতের দশকেও গুনাহ…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
kalombani · 6 years ago
Text
চলে যাচ্ছে মাগফেরাত ! ক্ষমা চেয়ে নাও মাওলার দরবারে
কলমবাণী ডেস্ক: রমজান মানে হচ্ছে প্রত্যেক বান্দাহ তার দুনিয়ার সকল প্রকার খারাবি লোভ-লালসা, চাওয়া-পাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রেখে খাঁটি মুমিন হিসেবে তৈরি করে। তখনই বান্দা আল্লাহর মনের অবস্থা বুঝে তাকে রহমত দান করে সিক্ত করেন। সেই রহমতের দশক পেরিয়ে আমরা অতিক্রম করছি মাগফিরাতের দশক। এ দশকের গুরুত্ব অত্যাধিক। প্রথম দশকে আল্লাহ রহমতের ধারা বর্ষণ করেন বান্দার উপর। রহমত লাভে বান্দা যখন নিজেকে আল্লাহমুখী করে; বিনয়-নম্রতা লাভ করে তখনই কেবল আল্লাহর দরবারে স্বাচ্ছন্দে উৎফুল্ল হৃদয় নিয়ে মাগফেরাত কামনা করতে পারে। তাইতো আল্লাহ রোজা ফরজ করার সময়ই বলেছেন- 
হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমনি তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরজ করা হয়েছিল, যাতে তোমরা আল্লাহভীতি অর্জন করতে পারো। (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৩)
এই আয়াতের ভিত্তিতে আল্লাহ তাআলা ৬২৪ খ্রিস্টাব্দ মোতাবেক দ্বিতীয় হিজরিতে রমজান মাসের রোজা পালনের বিধান জারি করেছেন। যার ফলশ্রæতিতে আমরা রমজানের ফরজ বিধান আদায় করছি। আল্লাহ যখন তার প্রিয় বান্দাকে কোনো কিছু দান করার ইচ্ছা পোষন করেন; তখন তাকে পরীক্ষা করেন যে, আল্লাহর প্রতি তার কতটুকু মহব্বত বা আনুগত্য রয়েছে তাও দেখেন।
যেমন পরীক্ষা করেছিলেন হযরত মুসা আলাইহিস সালামকে। আল্লাহ কুরআনে উল্লেখ করেন- ‘মুসা (আলাইহিস সালাম)কে আমি ত���রিশ রাত-দিনের জন্য (সিনাই পর্বতের উপর) ডাকলাম এবং পরের দশ দিন আরও বাড়িয়ে দিলাম। এভাবেতার রবের নির্ধারিত সময় পূর্ণ চল্লিশ দিন হয়ে গেলো। (সুরা আরাফ : আয়াত ১৪২) প্রখ্যাত মুফাস্সির হযরত আবদুল্লাহ ইব্ন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, হযরত মুসা আলাইহিস সালাম জিলক্বদ মাসের ত্রিশ দিন এবং জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন রোজা পালন করে আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হন এবং তাওরাত কিতাব লাভ করেন। 
হযরত সালমান ফারসি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার শা’বানের শেষ দিনে আমাদেরকে উপদেশ দিয়ে বলেন, হে লোক সকল! একটি মহান মাস, একটি কল্যাণবহ মাস তোমাদের কাছে সমাগত, এটি এমন একটি মাস যাতে একটি রাত আছে, যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। আল­াহ তাআলা এই মাসের (দিনের বেলায়) রোজা ফরজ করেছেন এবং (রাতের বেলায়) নামাজ আদায়কে পুণ্যের কাজ বলে ঘোষণা নির্ধারণ করেছেন। যে ব্যক্তি এ মাসে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে একটি নফল কাজ করবে সে ওই ব্যক্তির সমমর্যাদার হবে যে অন্য মাসে সত্তরটি ফরজ আদায় করে। এটি সবর তথা ধৈর্যের মাস, আর ধৈর্যের এমন এক গুণ যায়েছে যার প্রতিদান হলো জান্নাত। এটি পারস্পরিক সহানুভূতির মাস। এটি সেই মাস যাতে মুমিন বান্দার রিজিক বাড়িয়ে দেয়া হয়। এটি এমন এক মাস যার প্রথম অংশ রহমতের, দ্বিতীয় অংশ মাগফিরাতের বা ক্ষমার এবং শেষাংশ জাহান্নাম থেকে মুক্তির। যে ব্যক্তি এই মাসে নিজের অধীনস্থদের কাজ-���র্মকে হালকা করে দেয়, আল্লাহ তায়ালা তাকে মাফ করে দেবেন এবং পরিশেষে তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করবেন। (বায়হাকি)
সুতরাং উপরোক্ত কুরআন হাদিস মোতাবেক আমরা এই মাগফেরাতের দশকে আল্লাহর অধিক নিকর্টবর্তী হয়ে নিজেদেরকে তার প্রিয় বান্দা হয়ে রমজানের কল্যাণ, বরকত, মাগফেরাত ও জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি লাভ করব। আল্লাহ আমাদেরকে মাগফেরাতের দশকে পরিপূর্ণ আমল করার তৌফিক দিন। আমীন।
তথ্যসূত্র : কুরআন, ইবনে কাছীর, তাফহীম, বায়হাকি।
জাগো নিউজ ২৪ ডটকমের সঙ্গে থাকুন। রমজান সম্পর্কিত সুন্দর সুন্দর ইসলামী আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদীস মোতাবেক আমলী জিন্দেগী যাপন করে রমজানের রহমত, বরকত ও মাগফেরাত অর্জন করুন। আমীন, ছুম্মা আমীন।
via Blogger http://bit.ly/2EralQI
0 notes
doinikchoturdik · 6 years ago
Text
মাহে রমজান ও রোযার ফজিলত
মাহে রমজান ও রোযার ফজিলত
শাবান মাসের শেষ দিনে রমজান মাসের মর্যাদা সম্পর্কে এক ভাষণে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন-যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এ মাসে একটি নেক আমল করবে, সে অন্য মাসে একটি ফরয আদায়ের সওয়াব পাবে। (-বাইহাকী)
এ হলো সেই মাস, যাতে মুমিনের রিজিক বর্ধিত করা হয়।  – (বুখারী ও মুসলিম) 
যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে ইফতার করাবে, তার সকল গুনাহ ক্ষমা করা হবে এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তির ব্যবস্থা হয়ে…
View On WordPress
0 notes
gnews71 · 6 years ago
Photo
Tumblr media
সর্ব প্রথম জুমআর খুতবায় মহানবী (স:) যা বলেছিলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা থেকে মদিনায় আসলেন এবং কুবায় সোমবার, মঙ্গলবার, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার এই চার দিন অবস্থান করলেন। কুবার অধিবাসীদের জন্য তাদের মসজিদ নির্মাণ করলেন। জুমআর দিন তিনি কুবা থেকে বের হলেন। বনি সালেম বিন আওফ গোত্রের নিকট আসতেই জুমআর নামাজের সময় হয়ে গেল। সেখানের উপত্যকায় অবস্থিত মসজিদেই তিনি জুমআর নামাজ পড়লেন। এটি ছিল মসজিদে নববি নির্মাণ করার পূর্বের জুমআ আদায় এবং খুতবা প্রদান। প্রথম খুতবা ইবনে ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বপ্রতম যেই খুতবাটি দিয়েছিলেন তা আমার নিকট আবু সালামা বিন আব্দুর রাহমানের সূত্রে পৌঁছেছে। তিনি মুসলমানদের সামনে দাঁড়িয়ে সর্বপ্রথম আল্লাহর প্রশংসা করলেন এবং তাঁর গুণাগুণ বর্ণনা করলেন। অতঃপর তিনি বললেন- হে লোক সকল! তোমরা নিজেদের মুক্তির জন্য আমল কর। আল্লাহর শপথ! তোমরা তখন অবশ্যই (পরকালের উদ্দেশ্যে আমল করার গুরুত্ব সম্পর্কে) জানতে পারবে যখন তোমাদের কেউ (শিঙ্গায় ফুঁক দেয়ার আওয়াজ শুনে) বেহুঁশ হয়ে যাবে। সে তার ছাগলের পালকে রাখাল বিহীন অবস্থায় ছেড়ে চলে যাবে, অতঃপর তার প্রভু তার সাথে কথা বলবেন, তার মাঝে ও তার প্রভুর মাঝে কোনো দোভাষী থাকবে না (সরাসরি কথা হবে) এবং তার মাঝে ও তার প্রভুর মাঝে কোনো পর্দা থাকবে না। তিনি বলবেন, তোমার কাছে কি আমার রাসুল এসে আমার হুকুম-আহকাম পৌঁছে দেয় নি? আমি তোমাকে দুনিয়ার সম্পদ দিয়েছিলাম এবং তোমার উপর অনুগ্রহ করেছিলাম। সুতরাং তুমি নিজের জন্য কি প্রেরণ করেছ? তখন সে ডান দিকে তাকাবে, ব��ম দিকে তাকাবে। কিন্তু সে কিছুই দেখতে পাবে না। অতঃপর সামনে তাকাবে। কিন্তু সে জাহান্নাম ছাড়া কিছুই দেখতে পাবে না। সুতরাং যে ব্যক্তি এক টুকরা খেজুর দান করার বিনিময়ে হলেও জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার সামর্থ্য রাখে সে যেন জাহান্নাম থেকে নিজেকে আত্মরক্ষা করে। আর যে ব্যক্তি তারও ক্ষমতা না রাখে, সে যেন উত্তম কথা বলার মাধ্যমে হলেও জাহান্নাম থেকে বাঁচার চেষ্টা করে। কেননা এর বিনিময়েও নেকির সংখ্যা এক থেকে দশ গুণ আর দশ থেকে সাত শত গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। ওয়াস সসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। দ্বিতীয় খুতবা ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আমি তাঁর প্রশংসা করছি, তাঁর কাছেই সাহায্য চাই, আমরা আমাদের নফসের অকল্যাণ থেকে এবং খারাপ আমল থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। তিনি যাকে হেদায়াত করেন কেউ তাকে গোমরাহ করতে পারেনা। আর যাকে তিনি পথভ্রষ্ট করেন কেউ তাকে সঠিক পথ দেখাতে পারে না। আমি এই সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া সঠিক কোনো উপাস্য নেই। তিনি এক, তার কোনো শরিক নেই। নিশ্চ���ই সর্বোত্তম কথা হচ্ছে আল্লাহর কিতাব। নিশ্চয়ই ঐ ব্যক্তি সফল হবে, যার অন্তুরকে আল্লাহ্ তাআলা কুরআনের মাধ্যমে সৌন্দর্য মণ্ডিত করেছেন এবং কুফরিতে লিপ্ত হওয়ার পর তাকে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় দিয়েছেন। সুতরাং মানুষের কথাগুলো বাদ দিয়ে সে আল্লাহর কালামকে বেছে নিয়েছে। কেননা আল্লাহর কথাই হচ্ছে সর্বোত্তম কথা ও তাঁর বাণীই হচ্ছে সর্বোচ্চ বাণী। আল্লাহ্ যা ভালাবাসেন তোমরা তাই ভালবাস এবং তোমাদের অন্তরসমূহকে আল্লাহর ভালবাসা দিয়ে ভরে দাও। আল্লাহর কালামকে পাঠ করতে এবং আল্লাহকে স্মরণ করতে তোমরা ক্লান্তিবোধ কর না। তোমাদের অন্তর যেন কুরআন থেকে (কুরআন ছেড়ে দিয়ে) পাষাণ না হয়ে যায়। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাআলা সকল সৃষ্টি থেকে উত্তমটিই বাছাই করেন এবং তা নিজের জন্য নির্বাচন করেন। আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের আমলসমূহ থেকে কুরআন তিলাওয়াতকে সর্বোত্তম আমল হিসেবে উল্লেখ করেছেন, বান্দাদের আমল থেকে তা পছন্দ করেছেন, তাকে সর্বোত্তম বাণী বলে ঘোষণা করেছেন এবং তার মাঝে মানুষের জন্য সকল হালাল ও হারাম বিষয় বর্ণনা করেছেন। সুতরাং তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর। তাঁর সাথে কোনো কিছুকে শরিক কর না এবং তাঁকে যথাযথভাবে ভয় কর। তোমরা মুখ দিয়ে যে সমস্ত কথা উচ্চারণ করে থাক, তা থেকে সর্বোত্তম কথার মাধ্যমে আল্লাহর সত্যতার ঘোষণা প্রদান কর। আল্লাহর রহমতের মাধ্যমে পরস্পর ভালবাসার বন্ধন রচনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাঁর সাথে কৃত ওয়াদা ভঙ্গকারীকে মোটেই পছন্দ করেননা। ওয়াস সসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। (যাদুল মাআ’দ থেকে সংগৃহীত) আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মদিনায় প্রদান করা বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রথম জুমআর খুতবাকে নিজেদের জীবনের পাথেয় হিসেবে গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
0 notes
bartatv-blog · 7 years ago
Photo
Tumblr media
রমজানের মধ্যের দশদিন মাগফেরাত হুমায়ুন কবির : রমজান মানে হচ্ছে প্রত্যেক বান্দাহ তার দুনিয়ার সকল প্রকার খারাবি লোভ-লালসা, চাওয়া-পাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রেখে খাঁটি মুমিন হিসেবে তৈরি করে। তখনই বান্দা আল্লাহর মনের অবস্থা বুঝে তাকে রহমত দান করে সিক্ত করেন। সেই রহমতের দশক পেরিয়ে আমরা অতিক্রম করছি মাগফিরাতের দশক। এ দশকের গুরুত্ব অত্যাধিক। প্রথম দশকে আল্লাহ রহমতের ধারা বর্ষণ করেন বান্দার উপর। রহমত লাভে বান্দা যখন নিজেকে আল্লাহমুখী করে; বিনয়-নম্রতা লাভ করে তখনই কেবল আল্লাহর দরবারে স্বাচ্ছন্দে উৎফুল্ল হৃদয় নিয়ে মাগফেরাত কামনা করতে পারে। তাইতো আল্লাহ রোজা ফরজ করার সময়ই বলেছেন- হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমনি তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরজ করা হয়েছিল, যাতে তোমরা আল্লাহভীতি অর্জন করতে পারো। (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৩) এই আয়াতের ভিত্তিতে আল্লাহ তাআলা ৬২৪ খ্রিস্টাব্দ মোতাবেক দ্বিতীয় হিজরিতে রমজান মাসের রোজা পালনের বিধান জারি করেছেন। যার ফলশ্রুতিতে আমরা রমজানের ফরজ বিধান আদায় করছি। আল্লাহ যখন তার প্রিয় বান্দাকে কোনো কিছু দান করার ইচ্ছা পোষন করেন; তখন তাকে পরীক্ষা করেন যে, আল্লাহর প্রতি তার কতটুকু মহব্বত বা আনুগত্য রয়েছে তাও দেখেন। যেমন পরীক্ষা করেছিলেন হযরত মুসা আলাইহিস সালামকে। আল্লাহ কুরআনে উল্লেখ করেন- ‘মুসা (আলাইহিস সালাম)কে আমি ত্রিশ রাত-দিনের জন্য (সিনাই পর্বতের উপর) ডাকলাম এবং পরের দশ দিন আরও বাড়িয়ে দিলাম। এভাবেতার রবের নির্ধারিত সময় পূর্ণ চল্লিশ দিন হয়ে গেলো। (সুরা আরাফ : আয়াত ১৪২) প্রখ্যাত মুফাস্সির হযরত আবদুল্লাহ ইব্ন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, হযরত মুসা আলাইহিস সালাম জিলক্বদ মাসের ত্রিশ দিন এবং জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন রোজা পালন করে আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হন এবং তাওরাত কিতাব লাভ করেন। হযরত সালমান ফারসি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার শা’বানের ��েষ দিনে আমাদেরকে উপদেশ দিয়ে বলেন, হে লোক সকল! একটি মহান মাস, একটি কল্যাণবহ মাস তোমাদের কাছে সমাগত, এটি এমন একটি মাস যাতে একটি রাত আছে, যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। আল­াহ তাআলা এই মাসের (দিনের বেলায়) রোজা ফরজ করেছেন এবং (রাতের বেলায়) নামাজ আদায়কে পুণ্যের কাজ বলে ঘোষণা নির্ধারণ করেছেন। যে ব্যক্তি এ মাসে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে একটি নফল কাজ করবে সে ওই ব্যক্তির সমমর্যাদার হবে যে অন্য মাসে সত্তরটি ফরজ আদায় করে। এটি সবর তথা ধৈর্যের মাস, আর ধৈর্যের এমন এক গুণ যায়েছে যার প্রতিদান হলো জান্নাত। এটি পারস্পরিক সহানুভূতির মাস। এটি সেই মাস যাতে মুমিন বান্দার রিজিক বাড়িয়ে দেয়া হয়। এটি এমন এক মাস যার প্রথম অংশ রহমতের, দ্বিতীয় অংশ মাগফিরাতের বা ক্ষমার এবং শেষাংশ জাহান্নাম থেকে মুক্তির। যে ব্যক্তি এই মাসে নিজের অধীনস্থদের কাজ-কর্মকে হালকা করে দেয়, আল্লাহ তায়ালা তাকে মাফ করে দেবেন এবং পরিশেষে তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করবেন। (বায়হাকি) সুতরাং উপরোক্ত কুরআন হাদিস মোতাবেক আমরা এই মাগফেরাতের দশকে আল্লাহর অধিক নিকর্টবর্তী হয়ে নিজেদেরকে তার প্রিয় বান্দা হয়ে রমজানের কল্যাণ, বরকত, মাগফেরাত ও জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি লাভ করব। আল্লাহ আমাদেরকে মাগফেরাতের দশকে পরিপূর্ণ আমল করার তৌফিক দিন। আমীন। তথ্যসূত্র : কুরআন, ইবনে কাছীর, তাফহীম, বায়হাকি।
0 notes
banshkhalitimes-blog · 7 years ago
Photo
Tumblr media
জিলহজ মাসের প্রথম দশদিনের আমল ও ফযিলত জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের ফজিলত ও আমল আরবি বারো মাসের সর্বশেষ মাস জিলহজ মাস। এ মাসটি বছরের চারটি সম্মানিত মাসের একটি। অনেক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী এ মাস। এ মাসে কেউ পবিত্র হজ পালন করে ধন্য হবেন, আবার কেউ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পশু কোরবানি করবেন। অন্যদিকে, আল্লাহর এমন কিছু বান্দা থাকবেন যারা এ দুটি আমলের কোনোটিই করবেন না। সম্পদশালী ব্যক্তি যাদের ওপর হজ ফরজ হয়েছে এ মাসেই তারা সেই হজ সম্পাদন করবেন। হাজী সাহেবান এবং যারা হজ করবেন না তবে কোরবানি করবেন তারাও এ মাসেই কোরবানি করবেন। তাহলে যারা এর কোনোটিই করবেন না তারা কী করবেন? তারা কি এ মাসের ফজিলত থেকে বঞ্চিত হবেন? না, রাহমানুর রাহিম আল্লাহ উল্লিখিত আমল ছাড়াও এমন বিশেষ কিছু ‘আমলের ব্যবস্থা রেখেছেন যা সবার জন্য উন্মুক্ত। জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনে সে ‘আমলগুলো পালন করে তারাও সৌভাগ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। এ দশ দিন সম্পর্কে কুরআন ও হাদিসের আলোকে কিছু তথ্য উপস্থাপন করছি। ১. ক. আল্লাহ তায়ালা ফাজর ও দশ রাতের কসম খেয়েছেন। (অর্থানুবাদ, ফাজর:২)। ইবন কাছিরের ভাষ্যনুযায়ী ইবন ‘আব্বাস, ইবনুজ জুবাইর ও মুজাহিদ প্রমুখের মতে এ দশ রাত হলো জিলহজ মাসের প্রথম দশ রাত। খ. অন্য একস্থানে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন যার অনুবাদার্থ হলো, ‘আর তারা নির্ধারিত দিনে আল্লাহর নাম স্মরণ করে থাকে।’ (হাজ: ২২)। ইবন ‘আব্বাস থেকে বর্ণিত জিলহাজের প্রথম দশদিনকেই ‘নির্ধারিত দশ দিন’ বলা হয়েছে। আবু মুসা আশআরি, মুজাহিদ, ‘আতা ও সাঈদ ইবন জুবাইর থেকেও অনুরূপ বর্ণিত। (ইবন কাছির)। গ. আল্লাহর সান্নিধ্যে মুসা আলাইহিস সালাম যে চল্লিশ দিন তুর পাহাড়ে কাটিয়েছিলেন এ দশ দিন সে দিনগুলোর অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২. ফজিলত: ক. হাদিস গ্রন্থগুলোতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘নেক ‘আমলের ক্ষেত্রে আল্লাহর নিকট এ দিনগুলোর চেয়ে উত্তম অন্য কোনো দিন নেই।’ (অর্থাৎ জিলহজ মাসের এ দশ দিন।) জিজ্ঞাসা করা হলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহর রাহে জিহাদও নয়? তিনি - সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আল্লাহর রাহে জিহাদও নয়। তবে ইতঃপূর্বে যদি কেউ জানমাল নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের উদ্দেশে বেরিয়ে গেছে এবং সে এগুলোর কিছুই নিয়ে ফিরে আসেনি।’ (বুখারি)। অর্থাৎ সে শাহাদত বরণ করেছে। (ফাতহুল বারি)। হাদিস থেকে বুঝা যায় বছরের শ্রেষ্ঠ দশ দিন হলো জিলহজ মাসের এ দশ দিন। খ. এ দশ দিনের একদিন হলো আরাফার দিন যে দিনের কসম খেয়েছেন আল্লাহ পাক তার কালামে। ‘এবং কসম জোড় ও বেজোড়ের’। (অর্থানুবাদ, ফাজর:৩)। এ বেজোড় দিনটি হলো জিলহজ মাসের ৯ তারিখ যা ইয়াওমু ‘আরাফা নামে প্রসিদ্ধ। হাদিসের আলোকে ইয়াওমু আরাফা তথা আরাফার দিনকে সবচাইতে মর্যাদাপূর্ণ দিন বলা হয়েছে। (ইবন হিব্বান: সহিহ)। গ. এ দিনকে জাহান্নাম থেকে মুক্তির দিনও বলা হয়। হাদিসে বর্ণিত, আরাফাতের দিনের চাইতে আর কোনো দিন এমন নেই যেদিন আল্লাহ বান্দাদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন; তিনি সে দিন নিকটবর্তী হন অতঃপর তিনি তাঁর ফেরেশতাগণের সাথে গর্ব প্রকাশ করেন এবং বলেন, তারা কী চায়? (মুসলিম: সহিহ)। ৩. এ দিনগুলোতে যে বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে সেগুলো হলো- এক. খালিস তাওবা করতে হবে এবং বিরত থাকতে হবে যাবতীয় গুনাহ থেকে। কারণ গুনাহে লিপ্ত হওয়া মানুষকে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত করে এবং তার ও মাওলার মাঝে পর্দা টেনে দেয়। দুই. এ সময় সত্য পথে চলার জন্য থাকতে হবে নিষ্ঠা, সততা, আন্তরিক প্রতি��্ঞা ও দৃঢ় প্রত্যয়। যিনি আল্লাহর সাথে সততা ও বিশ্বস্ততার সাথে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবেন অবশ্যই আল্লাহ পাক তাকে তার প্রতিশ্রুতি পালনে সাহায্য করবেন। তিন. ��ারা কোরবানি (ওয়াজিব হোক বা নফল) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা জিলহজ মাসের প্রথম তারিখ থেকে কোরবানি না দেয়া পর্যন্ত নখ-চুল কাটা থেকে বিরত থাকবেন। এ প্রসঙ্গে হাদিসে পাকে বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমরা জিলহজ মাসের চাঁদ দেখলে এবং তোমাদের মধ্যে কেউ কোরবানির নিয়ত করলে সে কোরবানি না করা পর্যন্ত চুল-নখ কাটা থেকে বিরত থাকবে।’ (মুসলিম: সহীহ)। ৪. এ দিনগুলোতে করণীয় আমলসমূহ: এক. পুরুষরা নিয়মিত জামায়াতে এবং মহিলারা সময়মতো ফরজ সালাত আদায় করবে। সকলেই যত বেশি সম্ভব নফল সালাত আদায় করবে। পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, আল্লাহর নিকট নেক ‘আমলের জন্য এর চাইতে উত্তম দিন আর নেই। তা ছাড়া প্রতিটি সাজদার জন্য রয়েছে বিশেষ ফজিলত। দুই. এক থেকে নয় তারিখ পর্যন্ত সাওম পালন করবে। বিশেষ করে নয় তারিখ ইয়াওমু আরাফা বা আরাফার দিন। এ প্রসঙ্গে উম্মুল মু’মিনীন হজরত হাফসা থেকে বর্ণিত যে, ‘নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘আশুরার দিন, (জিলহজের প্রথম) দশ দিন (নয় দিন) এবং প্রতি মাসের তিন দিনের সাওম ছাড়তেন না।’ (আহমাদ: মুসনাদ)। আবদুল্লাহ ইবন ‘উমার এ সাওমগুলো পালন করতেন; জিলহজ মাসের দশ দিনের সাওম সম্পর্কে ইমাম নববীর মতো হলো, এটা অত্যন্তগুরুত্বপূর্ণ একটি মুস্তাহাব আমল।’ তিন. কিয়ামুল লাইল তথা তাহাজ্জুদ সালাতের প্রতি আরো বেশি যতœবান হতে হবে। জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনে সাঈদ ইবন জুবাইর প্রচণ্ড রকমের মেহনত করতেন যে, অনেক সময় মনে হতো, তিনি আর পেরে উঠছেন না। তার থেকে বর্ণিত যে, ‘এ দশ রাতে তোমরা ঘরের বাতি নিভিওনা। চার. বেশি বেশি জিকরে মাশগুল থাকা। যেমন তাকবির (আল্লাহু আকবার) তাহলিল (লা-ইলাহা ইল্লাহ) তাহমিদ (আল-হামদুলিল্লাহ) ও তিলাওয়াতে সময় কাটানো। ইমাম আহমাদ এ প্রসঙ্গে ‘নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে একটি হাদিসের উদ্ধৃতি দেন যে, তিনি বলেছেন, ‘আমলের ক্ষেত্রে আল্লাহর নিকট এ দিনগুলোর চেয়ে প্রিয় ও মর্যাদাপূর্ণ অন্য কোনো দিন নেই। অতএব তোমরা এ দিনগুলোতে বেশি বেশি করে তাহলিল, তাকবির ও তাহমিদের জিকর করো।’ (আহমাদ: মুসনাদ)। পাঁচ. ঘরে বাইরে যেন তাকবির ধ্বনি দেয়া হয়। এ সুন্নাতটি এখন প্রায় বিলুপ্ত। জিলহজ মাসের এ দশ দিন হজরত আবু হুরাইরা ও আবদুল্লাহ ইবন ‘উমার ঘর থেকে বের হয়ে বাজারমুখী হয়ে তাকবির ধ্বনি দিতেন; আর তাদের এ তাকবির ধ্বনির সাথে সাথে অন্যরাও তাকবির ধ্বনি দিত। আমরা শুধু নয় তারিখ থেকে তেরো তারিখ আসর পর্যন্ত প্রতি ফরজ সালাতের পর ওয়াজিব তাকবির আদায় করে থাকি। কিন্তু এক থেকে দশ তারিখ পর্যন্ত যে তাকবির আছে তা শুধু কিতাবেই রয়ে গেছে। আমল করার মানুষ নেই। তাই আসুন, আমরা এ সুন্নাতের প্রচলন করি। যখনই ঘর থেকে বের হবো জোরে তাকবির দেব, যেন তাকবির ধ্বনি শুনে অন্যরাও তাকবির দেয়। আল্লাহ আমাদের তা��ফিক দিন। লেখক : অধ্যাপক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
0 notes
khutbahs · 5 years ago
Link
জাহান্নাম থেকে মুক্তির উপায়-আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ Jahannam Theke Muktir Upay-Abdur Razzak
Get this shortbanglawaz by hitting: জাহান্নাম থেকে মুক্তির উপায় মুক্তির উপায় শায়েখ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ জাহান্নাম থেকে বাঁচার উপায় আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির দোয়া #জাহান্নাম আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান্নার Jahannam Bangla Waz Jannat Jahannam Abdur Razzak Bin Yousuf Sheikh Abdur Razzak Short Bangla Waz Bangla Waz Jahannam Theke Muktir Upay Abdur Razzak   Bangla Waz New Jahannam Jahannam Bangla Jahannam Waz Jahannamer Waz Jahannamer Boyan Jahannam Boyan etc.
0 notes
khutbahs · 5 years ago
Link
বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশকারীদের কিছু আমল সমূহ - শায়খ আব্দুল কাইয়ুম
জাহান্নাম থেকে মুক্তির ১০ আমল
পবিত্র কোরআন ও হাদিসে জাহান্নামের আগুনের উত্তাপের কিছু বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এক আয়াতে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘এটা তো লেলিহান অগ্নি, যা গায়ের চামড়া খসিয়ে দেবে।’ (সুরা মাআরিজ, আয়াত : ১৫-১৬)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘তাদের মাথার ওপর ঢেলে দেওয়া হবে ফুটন্ত পানি, যা দিয়ে তাদের চামড়া ও পেটের ভেতর যা আছে তা বিগলিত করা হবে।’ (সুরা হজ, আয়াত : ১৯-২০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘এক হাজার বছর জাহান্নামকে উত্তপ্ত করা হয়েছে। ফলে তার আগুন রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে। অতঃপর পুনরায় এক হাজার বছর উত্তাপ দেওয়ার ফলে এটি সাদা রং গ্রহণ করেছে। তারপর আরো এক হাজার বছর উত্তাপ দেওয়ার ফলে এর আগুন কৃষ্ণবর্ণ হয়ে গেছে। সুতরাং জাহান্নাম এখন সম্পূণরূপে গাঢ় কালো তমসাচ্ছন্ন।’ (তিরমিজি শরিফ)
মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘জাহান্নামের মধ্যে সেই ব্যক্তির শাস্তি সবচেয়ে হালকা হবে, যার পাদুকাদ্বয় ও জুতার ফিতা হবে আগুনের তৈরি। এর ফলে হাঁড়ির মতো তার মস্তিষ্ক ফুটতে থাকবে। সে মনে করবে, তার শাস্তিই সর্বাপেক্ষা কঠিন। অথচ তার আজাবই সর্বাপেক্ষা হালকা।’ (বুখারি ও মুসলিম)
জাহান্নামের আগুনের উত্তাপ কখনো প্রশমিত হবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতঃপর তোমরা (আজাব) আস্বাদন করো, আমি তো তোমাদের শাস্তি কেবল বৃদ্ধিই করব।’ (সুরা নাবা, আয়াত : ৩০)
অন্যত্র তিনি বলেন, ‘যখনই তা (জাহান্নামের আগুন) স্তিমিত হবে তখনই আমি তাদের জন্য অগ্নিশিখা বৃদ্ধি করে দেব।’ (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৯৭)
জাহান্নাম হলো পরলোকের এমন একটি বিশাল এলাকা, যেখানে বিভিন্ন ধরনের শাস্তির জন্য ভিন্ন ভিন্ন এলাকা নির্ধারিত আছে। সেগুলোকে প্রধানত সাত ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা—
১. নার তথা আগুন। ২. জাহান্নাম তথা আগুনের গর্ত। ৩. জাহিম তথা প্রচণ্ড উত্তপ্ত আগুন।
৪. সায়ির তথা প্রজ্বলিত শিখা। ৫. সাকার তথা ঝলসানো আগুন। ৬. হুতামাহ তথা পিষ্টকারী।
৭. হাবিয়া তথা অতল গহ্বর।
নিম্নে জাহান্নাম থেকে মুক্তির ১০টি আমল বর্ণনা করা হলো—
১. আসমা বিনতে ইয়াজিদ (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘যে ব্যক্তি তার (মুসলিম) ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার সম্ভ্রম রক্ষা করে, সে আল্লাহর কাছে এ অধিকার পায় যে তিনি তাকে দোজখ থেকে মুক্ত করে দেন।’ (মুসনাদে আহমদ, সহিহুল জামে, হাদিস : ৬২৪০)
২. আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, “আদম সন্তানের মধ্যে প্রত্যেক মানুষকে ৩৬০ গ্রন্থির ওপর সৃষ্টি করা হয়েছে। (আর প্রত্যেক গ্রন্থির পক্ষ থেকে প্রদেয় সদকা রয়েছে।) সুতরাং যে ব্যক্তি ‘আল্লাহু আকবার’ বলল, ‘আল হামদুলিল্লাহ’ বলল, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলল, ‘সুবহানাল্লাহ’ বলল, ‘আসতাগফিরুল্লাহ’ বলল, মানুষ চলার পথ থেকে পাথর, কাঁটা অথবা হাড় সরাল কিংবা ভালো কাজের আদেশ করল অথবা মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করল (এবং সব মিলে ৩৬০ সংখ্যক পুণ্যকর্ম করল), সে ওই দিন এমন অবস্থায় সন্ধ্যা যাপন করল যে সে নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে দূর করে নিল।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস ২২২০)
৩. রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, “কেউ যদি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ‘সুবহানাল্লাহ’ ৩৩ বার, ‘আলহামদুলিল্লাহ’ ৩৩ বার, ‘আল্লাহু আকবার’ ৩৩ বার পাঠ করে, এরপর একবার ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির’ পাঠ করে, ওই ব্যক্তির সব পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে, যদিও তা সাগরের ফেনার সমতুল্য হয়।” (মুসলিম, হাদিস : ১২৩৯)
৪. যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে সে জান্নাতবাসী হবে। (নাসাঈ : ৫/৩৩৯; সিলসিলাহ সহিহাহ : ৯৭২)
৫. রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচ, যদিও খেজুরের এক টুকরো সদকাহ করে হয়। আর যে ব্যক্তি এর সামর্থ্য রাখে না, সে যেন ভালো কথা বলে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৪১৩)
৬. হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘কোনো ব্যক্তি যদি জান্নাতের জন্য আল্লাহর কাছে তিনবার প্রার্থনা করে, তাহলে জান্নাত তখন বলে, হে আল্লাহ! তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান। আর কোনো ব্যক্তি তিনবার জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাইলে জাহান্নাম তখন আল্লাহর কাছে বলে, হে আল্লাহ! তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৫৭২)
৭. রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি ধারাবাহিকভাবে জোহরের আগে চার রাকাত ও পরে চার রাকাত নামাজ আদায় করবে, মহান আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেবেন।’ (ইবনে মাজাহ : ১১৬০, আবু দাউদ, হাদিস : ১২৬৯)
৮. আবু বকর ইবনে শায়বা, আবু কুরায়ব ও ইসহাক ইবনে ইবরাহিম (রহ.)... আবু বকর ইবনে উমর ইবনে রুয়াইবা (রহ.) তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের ও সূর্যাস্তের আগে অর্থাৎ ফজর ও আসরের সালাত আদায় করে, সে কখনো জাহান্নামে প্রবেশ করবে না। তখন বসরার এক ব্যক্তি তাঁকে বলেন, আপনি কি এটা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছ থেকে শুনেছেন? তিনি বলেন হ্যাঁ। তখন ওই ব্যক্তি বলল, আমি এই মর্মে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি নিজ কানে তা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছ থেকে শুনেছি এবং আমার হৃদয়ে তা গেঁথে রেখেছি। (মুসলিম, হাদিস : ১৩১১)
৯. রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, “যে ব্যক্তি একমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলে, কিয়ামতের দিন সে এমনভাবে উপস্থিত হবে যে তার ওপর জাহান্নাম হারাম।” (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৪৬৮২)
১০. আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমি কি তোমাদের জানিয়ে দেব না, কোন ব্যক্তির জন্য জাহান্নাম হারাম এবং জাহান্নামের জন্য কোন ব্যক্তি হারাম?
যে ব্যক্তি মানুষের কাছাকাছি (জনপ্রিয়), সহজ-সরল, নম্রভাষী ও সদাচারী (তার জন্য জাহান্নাম হারাম)।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৪৮৮)
লেখক : শিক্ষক, দারুল আরকাম, টঙ্গী, গাজীপুর।
0 notes
gnews71 · 6 years ago
Photo
Tumblr media
সর্ব প্রথম জুমআর খুতবায় মহানবী (স:) যা বলেছিলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা থেকে মদিনায় আসলেন এবং কুবায় সোমবার, মঙ্গলবার, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার এই চার দিন অবস্থান করলেন। কুবার অধিবাসীদের জন্য তাদের মসজিদ নির্মাণ করলেন। জুমআর দিন তিনি কুবা থেকে বের হলেন। বনি সালেম বিন আওফ গোত্রের নিকট আসতেই জুমআর নামাজের সময় হয়ে গেল। সেখানের উপত্যকায় অবস্থিত মসজিদেই তিনি জুমআর নামাজ পড়লেন। এটি ছিল মসজিদে নববি নির্মাণ করার পূর্বের জুমআ আদায় এবং খুতবা প্রদান। প্রথম খুতবা ইবনে ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বপ্রতম যেই খুতবাটি দিয়েছিলেন তা আমার নিকট আবু সালামা বিন আব্দুর রাহমানের সূত্রে পৌঁছেছে। তিনি মুসলমানদের সামনে দাঁড়িয়ে সর্বপ্রথম আল্লাহর প্রশংসা করলেন এবং তাঁর গুণাগুণ বর্ণনা করলেন। অতঃপর তিনি বললেন- হে লোক সকল! তোমরা নিজেদের মুক্তির জন্য আমল কর। আল্লাহর শপথ! তোমরা তখন অবশ্যই (পরকালের উদ্দেশ্যে আমল করার গুরুত্ব সম্পর্কে) জানতে পারবে যখন তোমাদের কেউ (শিঙ্গায় ফুঁক দেয়ার আওয়াজ শুনে) বেহুঁশ হয়ে যাবে। সে তার ছাগলের পালকে রাখাল বিহীন অবস্থায় ছেড়ে চলে যাবে, অতঃপর তার প্রভু তার সাথে কথা বলবেন, তার মাঝে ও তার প্রভুর মাঝে কোনো দোভাষী থাকবে না (সরাসরি কথা হবে) এবং তার মাঝে ও তার প্রভুর মাঝে কোনো পর্দা থাকবে না। তিনি বলবেন, তোমার কাছে কি আমার রাসুল এসে আমার হুকুম-আহকাম পৌঁছে দেয় নি? আমি তোমাকে দুনিয়ার সম্পদ দিয়েছিলাম এবং তোমার উপর অনুগ্রহ করেছিলাম। সুতরাং তুমি নিজের জন্য কি প্রেরণ করেছ? তখন সে ডান দিকে তাকাবে, বাম দিকে তাকাবে। কিন্তু সে কিছুই দেখতে পাবে না। অতঃপর সামনে তাকাবে। কিন্তু সে জাহান্নাম ছাড়া কিছুই দেখতে পাবে না। সুতরাং যে ব্যক্তি এক টুকরা খেজুর দান করার বিনিময়ে হলেও জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার সামর্থ্য রাখে সে যেন জাহান্নাম থেকে নিজেকে আত্মরক্ষা করে। আর যে ব্যক্তি তারও ক্ষমতা না রাখে, সে যেন উত্তম কথা বলার মাধ্যমে হলেও জাহান্নাম থেকে বাঁচার চেষ্টা করে। কেননা এর বিনিময়েও নেকির সংখ্যা এক থেকে দশ গুণ আর দশ থেকে সাত শত গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। ওয়াস সসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। দ্বিতীয় খুতবা ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আমি তাঁর প্রশংসা করছি, তাঁর কাছেই সাহায্য চাই, আমরা আমাদের নফসের অকল্যাণ থেকে এবং খারাপ আমল থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। তিনি যাকে হেদায়াত করেন কেউ তাকে গোমরাহ করতে পারেনা। আর যাকে তিনি পথভ্রষ্ট করেন কেউ তাকে সঠিক পথ দেখাতে পারে না। আমি এই সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া সঠিক কোনো উপাস্য নেই। তিনি এক, তার কোনো শরিক নেই। নিশ্চয়ই সর্বোত্তম কথা হচ্ছে আল্লাহর কিতাব। নিশ্চয়ই ঐ ব্যক্তি সফল হবে, যার অন্তুরকে আল্লাহ্ তাআলা কুরআনের মাধ্যমে সৌন্দর্য মণ্ডিত করেছেন এবং কুফরিতে লিপ্ত হওয়ার পর তাকে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় দিয়েছেন। সুতরাং মানুষের কথাগুলো বাদ দিয়ে সে আল্লাহর কালামকে বেছে নিয়েছে। কেননা আল্লাহর কথাই হচ্ছে সর্বোত্তম কথা ও তাঁর বাণীই হচ্ছে সর্বোচ্চ বাণী। আল্লাহ্ যা ভালাবাসেন তোমরা তাই ভালবাস এবং তোমাদের অন্তরসমূহকে আল্লাহর ভালবাসা দিয়ে ভরে দাও। আল্লাহর কালামকে পাঠ করতে এবং আল্লাহকে স্মরণ করতে তোমরা ক্লান্তিবোধ কর না। তোমাদের অন্তর যেন কুরআন থেকে (কুরআন ছেড়ে দিয়ে) পাষাণ না হয়ে যায়। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাআলা সকল সৃষ্টি থেকে উত্তমটিই বাছাই করেন এবং তা নিজের জন্য নির্বাচন করেন। আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের আমলসমূহ থেকে কুরআন তিলাওয়াতকে সর্বোত্তম আমল হিসেবে উল্লেখ করেছেন, বান্দাদের আমল থেকে তা পছন্দ করেছেন, তাকে সর্বোত্তম বাণী বলে ঘোষণা করেছেন এবং তার মাঝে মানুষের জন্য সকল হালাল ও হারাম বিষয় বর্ণনা করেছেন। সুতরাং তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর। তাঁর সাথে কোনো কিছুকে শরিক কর না এবং তাঁকে যথাযথভাবে ভয় কর। তোমরা মুখ দিয়ে যে সমস্ত কথা উচ্চারণ করে থাক, তা থেকে সর্বোত্তম কথার মাধ্যমে আল্লাহর সত্যতার ঘোষণা প্রদান কর। আল্লাহর রহমতের মাধ্যমে পরস্পর ভালবাসার বন্ধন রচনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাঁর সাথে কৃত ওয়াদা ভঙ্গকারীকে মোটেই পছন্দ করেননা। ওয়াস সসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। (যাদুল মাআ’দ থেকে সংগৃহীত) আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মদিনায় প্রদান করা বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রথম জুমআর খুতবাকে নিজেদের জীবনের পাথেয় হিসেবে গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
0 notes
gnews71 · 6 years ago
Photo
Tumblr media
জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেতে চাইলে মাগরিবের নামাজের পর এই দোয়াটি পাঠ করুন! আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা মাগারিবের নামাজ শেষ করে নফল আমল না করেই মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসেন। আবার অনেকেই বিভিন্ন নফল আমলে মগ্ন থাকেন। তবে যারা কোন নফল ইবাদত জানেন না। তারা ছোট্ট এই দোয়াটি জেনে নিয়তিম পাঠ করবেন। ফজিলত : হজরত মুসলিম ইবনে হারেস তামিমি [রা.] বলেন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে কানে কানে বললেন, যখন মাগরিবের নামাজের সালাম ফেরাবে, তখন কারো সঙ্গে কথা বলার আগে এই দোয়াটি সাত বার পড়বে। যদি তুমি পড় আর ওই রাতেই তুমি মারা যাও তাহলে তোমার জাহান্নাম থেকে মুক্তির ফায়সালা লিখে দেয়া হবে। ফজরের নামাজের পরও এ দোয়াটি একই নিয়মে সাতবার পড়বে। যদি তুমি পড়ে থাক আর ওই দিনেই তুমি মারা যাও তাহলে তোমার জন্য জাহান্নাম থেকে মুক্তির ফায়সালা লিখে দেয়া হবে। [আবু দাউদ-৫০৮১ নাসায়ি সুনানে কুবরা-৯৯৩৯ সহি ইবনে হিব্বান-২০২২] দোয়াটি হলো : (সাত বার): اللَّهُمَّ أَجِرْنِى مِنَ النَّارِ বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান নার। বাংলা অর্থ : “হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দাও”
0 notes
gnews71 · 6 years ago
Photo
Tumblr media
জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেতে ছোট্ট এই দোয়াটি পাঠ করুন ! আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা মাগারিবের নামাজ শেষ করে নফল আমল না করেই মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসেন। আবার অনেকেই বিভিন্ন নফল আমলে মগ্ন থাকেন। তবে যারা কোন নফল ইবাদত জানেন না। তারা ছোট্ট এই দোয়াটি জেনে নিয়তিম পাঠ করবেন। দোয়াটি হলো : (সাত বার): اللَّهُمَّ أَجِرْنِى مِنَ النَّارِ বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান নার। অর্থ : “হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দাও ফজিলত ও পড়ার নিয়ম: হজরত মুসলিম ইবনে হারেস তামিমি [রা.] বলেন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে কানে কানে বললেন, যখন মাগরিবের নামাজের সালাম ফেরাবে, তখন কারো সঙ্গে কথা বলার আগে এই দোয়াটি সাত বার পড়বে। যদি তুমি পড় আর ওই রাতেই তুমি মারা যাও তাহলে তোমার জাহান্নাম থেকে মুক্তির ফায়সালা লিখে দেয়া হবে। ফজরের নামাজের পরও এ দোয়াটি একই নিয়মে সাতবার পড়বে। যদি তুমি পড়ে থাক আর ওই দিনেই তুমি মারা যাও তাহলে তোমার জন্য জাহান্নাম থেকে মুক্তির ফায়সালা লিখে দেয়া হবে। [আবু দাউদ-৫০৮১ নাসায়ি সুনানে কুবরা-৯৯৩৯ সহি ইবনে হিব্বান-২০২২] আরও পড়ুন: বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রঃ) যে ভাবে শয়তানকে বোকা বানিয়েছিলেন! একবার এক মরুপ্রান্তরে হযরত বড়পীর (রহ.) ভ্রমণ করছিলেন। ইবাদত-বন্দেগী ও ধ্যানসাধনার এক বিশেষ ক্ষণে অদৃশ্য থেকে আওয়াজ এলো! হে আবদুল কাদের আমি তোমার প্রতি সন্তুষ্ট। সাধনার মাধ্যমে তুমি আজ এমন এক পর্যায়ে উপনীত হয়েছ যে, আমি আল্লাহ তোমার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে গিয়েছি। অতএব, এখন থেকে শরীয়তের কোন বিধান তোমার উপর বাধ্যতামূলক নেই। তুমি ইবাদত কর বা না কর, এতে কিছু আসবে যাবে না। যে কোন ধরনের কাজে তুমি এখন থেকে স্বাধীন। এ ধরনের কথা শুনে হযরত জিলানী (রহ.) খুব দৃঢ়তার সাথে ‘লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ পড়লেন। অদৃশ্য আওয়াজটি বন্ধ হয়ে গেল। তিনি বলতে লাগলেন হে অভিশপ্ত শয়তান, তোর কুমন্ত্রণা থেকে আমি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করি। তোর এ প্রস্তাব শুনেই আমি বুঝতে পেরেছি যে, এ তোর ভয়াবহ কৌশল। আমকে পথচ্যুত করার এক মারাত্মক কূটচাল। কেননা, পবিত্র কোরআনে আছে, আল্লাহ কোন মানব সন্তানের সাথে সরাসরি কথা বলেন না। তাছাড়া সাধনার কোন পর্যায়েই ইবাদত-বন্দেগীর দায়িত্ব কারো উপর থেকে তুলে নেয়া হয় না। শরীয়ত অমান্য করার নির্দেশ আল্লাহ কখনও কোন ব্যক্তিকে দেন না। তোর আওয়াজ শোনামাত্রই আমি বুঝতে পেরেছি যে, এমন বাণী আল্লাহর পক্ষ থেকে আসতে পারে না। এ নিশ্চয়ই শয়তানের কৌশল। এ কথা শুনে শয়তান বলল, এ ধরনের কথা বলে এর আগে আমি এই প্রান্তরেই অন্তত ২৭ জন সাধকের সর্বনাশ করেছি। আজ আপনি নিজ প্রজ্ঞা, জ্ঞান ও উচ্চপর্যায়ের সাধনাবলেই রক্ষা পেয়ে গেলেন, হে যুগশ্রেষ্ঠ ওলী। তখন এ কথা শুনে হযরত জিলানী (রহ.) আবার পড়লেন ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়���তা ইল্লা বিল্লাহ’। অর্থাৎ আল্লাহর খাস রহমত ছাড়া ধূর্ত প্রতারক শয়তান থেকে বেঁচ�� থাকার কোন শক্তি ও ক্ষমতা আমার নেই। শয়তানের প্ররোচনা থেকে রক্ষা পাওয়ারও দোয়া আল্লাহর প্রিয় নবী (সা.) আমাদের শিক্ষা দিয়ে গিয়েছেন। হযরত জিলানী (রহ.) এ দোয়া পড়ে বলতে লাগলেন, ঘটনার শেষ অংশে এসে তুই আমাকে নতুন করে আবার ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা করছিস হে বিতাড়িত শয়তান। তুই বুঝাতে চাইছিস যে, আমার জ্ঞান ও প্রজ্ঞার দ্বারা আমি রক্ষা পেয়েছি। অথচ আমি যে দোয়াটি পড়েছি, এতে বলা আছে ‘আল্লাহর সাহায্য ও করুনা ছাড়া রক্ষার কোন উপায় বান্দার নেই। এ মন্তব্য শুনে শয়তান বলল, সত্যিই আপনি আল্লাহর প্রকৃত খাস বান্দা। কোনভাবেই আমি আপনাকে খোদাবিমুখ করতে পারলাম না। একথা বলে শয়তান ব্যর্থ হয়ে দূরে সরে গেল।
0 notes
gnews71 · 6 years ago
Photo
Tumblr media
জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের ফজিলত ও আমল আরবি বারো মাসের সর্বশেষ মাস জিলহজ মাস। এ মাসটি বছরের চারটি সম্মানিত মাসের একটি। অনেক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী এ মাস। এ মাসে কেউ পবিত্র হজ পালন করে ধন্য হবেন, আবার কেউ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পশু কোরবানি করবেন। অন্যদিকে, আল্লাহর এমন কিছু বান্দা থাকবেন যারা এ দুটি আমলের কোনোটিই করবেন না। সম্পদশালী ব্যক্তি যাদের ওপর হজ ফরজ হয়েছে এ মাসেই তারা সেই হজ সম্পাদন করবেন। হাজী সাহেবান এবং যারা হজ করবেন না তবে কোরবানি করবেন তারাও এ মাসেই কোরবানি করবেন। তাহলে যারা এর কোনোটিই করবেন না তারা কী করবেন? তারা কি এ মাসের ফজিলত থেকে বঞ্চিত হবেন? না, রাহমানুর রাহিম আল্লাহ উল্লিখিত আমল ছাড়াও এমন বিশেষ কিছু ‘আমলের ব্যবস্থা রেখেছেন যা সবার জন্য উন্মুক্ত। জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনে সে ‘আমলগুলো পালন করে তারাও সৌভাগ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। এ দশ দিন সম্পর্কে কুরআন ও হাদিসের আলোকে কিছু তথ্য উপস্থাপন করছি। ১. ক. আল্লাহ তায়ালা ফাজর ও দশ রাতের কসম খেয়েছেন। (অর্থানুবাদ, ফাজর:২)। ইবন কাছিরের ভাষ্যনুযায়ী ইবন ‘আব্বাস, ইবনুজ জুবাইর ও মুজাহিদ প্রমুখের মতে এ দশ রাত হলো জিলহজ মাসের প্রথম দশ রাত। খ. অন্য একস্থানে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন যার অনুবাদার্থ হলো, ‘আর তারা নির্ধারিত দিনে আল্লাহর নাম স্মরণ করে থাকে।’ (হাজ: ২২)। ইবন ‘আব্বাস থেকে বর্ণিত জিলহাজের প্রথম দশদিনকেই ‘নির্ধারিত দশ দিন’ বলা হয়েছে। আবু মুসা আশআরি, মুজাহিদ, ‘আতা ও সাঈদ ইবন জুবাইর থেকেও অনুরূপ বর্ণিত। (ইবন কাছির)। গ. আল্লাহর সান্নিধ্যে মুসা আলাইহিস সালাম যে চল্লিশ দিন তুর পাহাড়ে কাটিয়েছিলেন এ দশ দিন সে দিনগুলোর অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২. ফজিলত: ক. হাদিস গ্রন্থগুলোতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘নেক ‘আমলের ক্ষেত্রে আল্লাহর নিকট এ দিনগুলোর চেয়ে উত্তম অন্য কোনো দিন নেই।’ (অর্থাৎ জিলহজ মাসের এ দশ দিন।) জিজ্ঞাসা করা হলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহর রাহে জিহাদও নয়? তিনি – সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আল্লাহর রাহে জিহাদও নয়। তবে ইতঃপূর্বে যদি কেউ জানমাল নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের উদ্দেশে বেরিয়ে গেছে এবং সে এগুলোর কিছুই নিয়ে ফিরে আসেনি।’ (বুখারি)। অর্থাৎ সে শাহাদত বরণ করেছে। (ফাতহুল বারি)। হাদিস থেকে বুঝা যায় বছরের শ্রেষ্ঠ দশ দিন হলো জিলহজ মাসের এ দশ দিন। খ. এ দশ দিনের একদিন হলো আরাফার দিন যে দিনের কসম খেয়েছেন আল্লাহ পাক তার কালামে। ‘এবং কসম জোড় ও বেজোড়ের’। (অর্থানুবাদ, ফাজর:৩)। এ বেজোড় দিনটি হলো জিলহজ মাসের ৯ তারিখ যা ইয়াওমু ‘আরাফা নামে প্রসিদ্ধ। হাদিসের আলোকে ইয়াওমু আরাফা তথা আরাফার দিনকে সবচাইতে মর্যাদাপূর্ণ দিন বলা হয়েছে। (ইবন হিব্বান: সহিহ)। গ. এ দিনকে জাহান্নাম থেকে মুক্তির দিনও বলা হয়। হাদিসে বর্ণিত, আরাফাতের দিনের চাইতে আর কোনো দিন এমন নেই যেদিন আল্লাহ বান্দাদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন; তিনি সে দিন নিকটবর্তী হন অতঃপর তিনি তাঁর ফেরেশতাগণের সাথে গর্ব প্রকাশ করেন এবং বলেন, তারা কী চায়? (মুসলিম: সহিহ)। ৩. এ দিনগুলোতে যে বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে সেগুলো হলো- এক. খালিস তাওবা করতে হবে এবং বিরত থাকতে হবে যাবতীয় গুনাহ থেকে। কারণ গুনাহে লিপ্ত হওয়া মানুষকে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত করে এবং তার ও মাওলার মাঝে পর্দা টেনে দেয়। দুই. এ সময় সত্য পথে চলার জন্য থাকতে হবে নিষ্ঠা, সততা, আন্তরিক প্রতিজ্ঞা ও দৃঢ় প্রত্যয়। যিনি আল্লাহর সাথে সততা ও বিশ্বস্ততার সাথে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবেন অবশ্যই আল্লাহ পাক তাকে তার প্রতিশ্রুতি পালনে সাহায্য করবেন। তিন. যারা কোরবানি (ওয়াজিব হোক বা নফল) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা জিলহজ মাসের প্রথম তারিখ থেকে কোরবানি না দেয়া পর্যন্ত নখ-চুল কাটা থেকে বিরত থাকবেন। এ প্রসঙ্গে হাদিসে পাকে বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমরা জিলহজ মাসের চাঁদ দেখলে এবং তোমাদের মধ্যে কেউ কোরবানির নিয়ত করলে সে কোরবানি না করা পর্যন্ত চুল-নখ কাটা থেকে বিরত থাকবে।’ (মুসলিম: সহীহ)। ৪. এ দিনগুলোতে করণীয় আমলসমূহ: এক. পুরুষরা নিয়মিত জামায়াতে এবং মহিলারা সময়মতো ফরজ সালাত আদায় করবে। সকলেই যত বেশি সম্ভব নফল সালাত আদায় করবে। পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, আল্লাহর নিকট নেক ‘আমলের জন্য এর চাইতে উত্তম দিন আর নেই। তা ছাড়া প্রতিটি সাজদার জন্য রয়েছে বিশেষ ফজিলত। দুই. এক থেকে নয় তারিখ পর্যন্ত সাওম পালন ক���বে। বিশেষ করে নয় তারিখ ইয়াওমু আরাফা বা আরাফার দিন। এ প্রসঙ্গে উম্মুল মু’মিনীন হজরত হাফসা থেকে বর্ণিত যে, ‘নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘আশুরার দিন, (জিলহজের প্রথম) দশ দিন (নয় দিন) এবং প্রতি মাসের তিন দিনের সাওম ছাড়তেন না।’ (আহমাদ: মুসনাদ)। আবদুল্লাহ ইবন ‘উমার এ সাওমগুলো পালন করতেন; জিলহজ মাসের দশ দিনের সাওম সম্পর্কে ইমাম নববীর মতো হলো, এটা অত্যন্তগুরুত্বপূর্ণ একটি মুস্তাহাব আমল।’ তিন. কিয়ামুল লাইল তথা তাহাজ্জুদ সালাতের প্রতি আরো বেশি যতœবান হতে হবে। জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনে সাঈদ ইবন জুবাইর প্রচণ্ড রকমের মেহনত করতেন যে, অনেক সময় মনে হতো, তিনি আর পেরে উঠছেন না। তার থেকে বর্ণিত যে, ‘এ দশ রাতে তোমরা ঘরের বাতি নিভিওনা। চার. বেশি বেশি জিকরে মাশগুল থাকা। যেমন তাকবির (আল্লাহু আকবার) তাহলিল (লা-ইলাহা ইল্লাহ) তাহমিদ (আল-হামদুলিল্লাহ) ও তিলাওয়াতে সময় কাটানো। ইমাম আহমাদ এ প্রসঙ্গে ‘নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে একটি হাদিসের উদ্ধৃতি দেন যে, তিনি বলেছেন, ‘আমলের ক্ষেত্রে আল্লাহর নিকট এ দিনগুলোর চেয়ে প্রিয় ও মর্যাদাপূর্ণ অন্য কোনো দিন নেই। অতএব তোমরা এ দিনগুলোতে বেশি বেশি করে তাহলিল, তাকবির ও তাহমিদের জিকর করো।’ (আহমাদ: মুসনাদ)। পাঁচ. ঘরে বাইরে যেন তাকবির ধ্বনি দেয়া হয়। এ সুন্নাতটি এখন প্রায় বিলুপ্ত। জিলহজ মাসের এ দশ দিন হজরত আবু হু��াইরা ও আবদুল্লাহ ইবন ‘উমার ঘর থেকে বের হয়ে বাজারমুখী হয়ে তাকবির ধ্বনি দিতেন; আর তাদের এ তাকবির ধ্বনির সাথে সাথে অন্যরাও তাকবির ধ্বনি দিত। আমরা শুধু নয় তারিখ থেকে তেরো তারিখ আসর পর্যন্ত প্রতি ফরজ সালাতের পর ওয়াজিব তাকবির আদায় করে থাকি। কিন্তু এক থেকে দশ তারিখ পর্যন্ত যে তাকবির আছে তা শুধু কিতাবেই রয়ে গেছে। আমল করার মানুষ নেই। তাই আসুন, আমরা এ সুন্নাতের প্রচলন করি। যখনই ঘর থেকে বের হবো জোরে তাকবির দেব, যেন তাকবির ধ্বনি শুনে অন্যরাও তাকবির দেয়। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দিন।
0 notes
gnews71 · 7 years ago
Photo
Tumblr media
জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন মাগরিবের নামাজের পর এই দোয়াটি পাঠ করুন আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা মাগারিবের নামাজ শেষ করে নফল আমল না করেই মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসেন। আবার অনেকেই বিভিন্ন নফল আমলে মগ্ন থাকেন। তবে যারা কোন নফল ইবাদত জানেন না। তারা ছোট্ট এই দোয়াটি জেনে নিয়তিম পাঠ করবেন। ফজিলত : হজরত মুসলিম ইবনে হারেস তামিমি [রা.] বলেন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে কানে কানে বললেন, যখন মাগরিবের নামাজের সালাম ফেরাবে, তখন কারো সঙ্গে কথা বলার আগে এই দোয়াটি সাত বার পড়বে। যদি তুমি পড় আর ওই রাতেই তুমি মারা যাও তাহলে তোমার জাহান্নাম থেকে মুক্তির ফায়সালা লিখে দেয়া হবে। ফজরের নামাজের পরও এ দোয়াটি একই নিয়মে সাতবার পড়বে। যদি তুমি পড়ে থাক আর ওই দিনেই তুমি মারা যাও তাহলে তোমার জন্য জাহান্নাম থেকে মুক্তির ফায়সালা লিখে দেয়া হবে। [আবু দাউদ-৫০৮১ নাসায়ি সুনানে কুবরা-৯৯৩৯ সহি ইবনে হিব্বান-২০২২] দোয়াটি হলো : (সাত বার): اللَّهُمَّ أَجِرْنِى مِنَ النَّارِ বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান নার। বাংলা অর্থ : “হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দাও”
0 notes
bartatv-blog · 7 years ago
Photo
Tumblr media
জেনে নিন রমযানে কিভাবে কুরআন পাঠ শেষ করবেন? রমজানে যা করনীয় আমরা যখন এ মাসের গুরুত্ব অনুভব করলাম তখন আমাদের কর্তব্য হয়ে দাঁড়াল কীভাবে এ মাসের প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগানো যায় সে প্রচেষ্টা চালানো। এ মাসে হেদায়াতের আলোকবর্তিকা আল-কোরআন নাজিল হয়েছে। এ মাসে জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়। এ মাসে জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। শয়তানকে শৃঙ্খলে আবদ্ধ করা হয়। একজন ঘোষণাকারী ভাল কাজের আহ্বান জানাতে থাকে ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে বলে। সাথে সাথে এটা হল মাগফিরাতের মাস, জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস। এ মাসে রয়েছে লাইলাতুল কদর যা হাজার মাস থেকে শ্রেষ্ঠ। আমাদের অনেকের ধারণা রমজান মাস সিয়াম পালন ও তারাবীহ আদায়ের মাস। ব্যাস ! আর কীসের আমল ? দিনের বেলা পানাহার থেকে বিরত থাকছি এটা কম কি? না, ব্যাপারটা শুধু এ টুকুতে সীমিত নয়। রমজান একটি বিশাল বিদ্যাপীঠ। এ রমজানে আমরা কি কি নেক আমল করতে পারি তার মধ্যে একটি আমাল হল আল-কোরআন অর্থসহ বুঝে বুঝে খতম বা তিলাওয়াত করা। নাবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :— الصيام والقرآن يشفعان للعبد يوم القيامة . . . সিয়াম ও কোরআন কেয়ামতের দিন মানুষের জন্য সুপারিশ করবে…। হাদিসে এসেছে, রমজানে জিবরাইল রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে কোরআন পাঠ করে শোনাতেন। আর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পূর্ণ কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে জিবরাইলের কাছে তুলে ধরতেন। আল-কোরআন তিলাওয়াত হল সর্বশ্রেষ্ঠ জিকির। সিয়াম পালনকারী এ জিকির থেকে বঞ্চিত থাকতে পারেন না। আর তাই যারা এই পবিত্র মাস রামাদানে আল কুরআন খতম ও তিলাওয়াত করতে চান তারা প্রতিদিন কিভাবে এবং কতটুকু করে পড়লে পবিত্র মাস রামাদানে আল্লাহর পবিত্র কালাম আল কুরআন পাঠ শেষ করতে পারবেন, সেই বিষয়ে একটি সুন্দর কৌশল শিখাবো।আশাকরি আমাদের এই ছোট্ট প্রচেষ্টা আপনাদের উপকারে আসবে ইনশাহআল্লাহ। উদ্দেশ্য: রামাদান পুরা কুরআন অর্থ সহ বুঝে পড়া বা তেলাওাত করা। কি ভাবে করবেনঃ প্রতিদিন ৪ পৃষ্ঠা করে প্রত্যেক নামাযের পরে পড়ুন। অবশ্যই চেষ্টা করবেন বুঝে পড়ার। ৫ ওয়াক্ত নামায x ৪ পৃষ্ঠা = ২০ পৃষ্ঠা। ২০ পৃষ্ঠা = ১ পারা। ১ পারা x ৩০ দিন = পুরা কুরআন শরিফ খতম। দেখেছেন কত সহজ। অনেকেই প্রতিদিন একপারা করে তিলাওয়াত করে রামাদান মাস এ আল-কোরআন খতম ও তিলাওয়াত করে থাকেন। তাই নিম্নে কুরআনের প্রতিটি পারা ভাগ করে দেয়া হয়েছেঃ পারা ১ – সূরা ফাতিহা ১ – সূরা বাকারাহ ১৪১ পারা ২ – সূরা বাকারাহ ১৪২ – সূরা বাকারাহ ২৫২ পারা ৩ – সূরা বাকারাহ ২৫৩ – সূরা আল ইমরান ৯২ পারা ৪ – সূরা আল ইমরান ৯৩ – সূরা আন নিসা ২৩ পারা ৫ – সূরা আন নিসা ২৪ – সূরা আন নিসা ১৪৭ পারা ৬ – সূরা আন নিসা ১৪৮ – সূরা আল মায়েদা ৮১ পারা ৭ – সূরা আল মায়েদা ৮২- সূরা আল আনাম ১১০ পারা �� – সূরা আল আনাম ১১১ – সূরা আল আরাফ ৮৭ পারা ৯ – সূরা আল আরাফ ৮৮ – সূরা আল আনফাল ৪০ পারা ১০ – সূরা আল আনফাল ৪১ – সূরা আত তাওবা ৯২ পারা ১১ – সূরা আত তাওবা ৯৩ – সূরা আল হুদ ৫ পারা ১২ – সূরা আল হুদ ৬ – সূরা ইউসুফ ৫২ পারা ১৩ – সূরা ইউসুফ ৫৩ – সূরা ইব্রাহীম ৫২ পারা ১৪ – সূরা আল হিজর ১ – সূরা আন নাহল ১২৮ পারা ১৫ – সূরা বানি ইসরাইল ১- সুরা আল কাহফ ৭৪ পারা ১৬ – সুরা আল কাহফ ৭৫ – সূরা তাহা ১৩৫ পারা ১৭ – সূরা আল আনবিয়া ১ – সূরা আল হাজ্জ ৭৮ পারা ১৮ – সুরা আল মুমিনুন ১ – সূরা আলা ফুরকান ২০ পারা ১৯ – সূরা ফুরকান ২১ – সূরা আন নামল ৫৫ পারা ২০ – সূরা আন নামল ৫৬ – সূরা আল আঙ্কাবুত ৪৫ পারা ২১ – সূরা আল আঙ্কাবুত ৪৬- সূরা আল আযহাব ৩০ পারা ২২ – সূরা আল আযহাব ৩১ – সূরা ইয়াসীন ২৭ পারা ২৩ – সূরা ইয়াসীন ২৮ – সূরা আয যুমার ৩১ পারা ২৪ – সূরা আয যুমার ৩২ – সূরা ফুসিলাত ৪৬ পারা ২৫ – সূরা ফুসিলাত ৪৭ – সূরা আল জাথিয়া ৩৭ পারা ২৬ – সূরা আল আহকাফ ১ – সূরা আয যারিয়াত ৩০ পারা ২৭ – সূরা আয যারিয়াত ৩০ – সূরা আল হাদিদ ২৯ পারা ২৮ – সূরা আল মুজাদিলা ১ – সূরা আত তাহ্রিম ১২ পারা ২৯ – সূরা আল মুল্ক ১ – সূরা আল মুরসালাত ৫০ পারা ৩০ – সূরা আন নাবা ১ – সূরা আন নাস ৬
0 notes
gnews71 · 7 years ago
Photo
Tumblr media
জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের জন্য মাগরিব ও ফজরের নামাজের পর এই দোয়াটি পাঠ করুন আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা মাগারিবের নামাজ শেষ করে নফল আমল না করেই মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসেন। আবার অনেকেই বিভিন্ন নফল আমলে মগ্ন থাকেন। তবে যারা কোন নফল ইবাদত জানেন না। তারা ছোট্ট এই দোয়াটি জেনে নিয়তিম পাঠ করবেন। দোয়াটি হলো : (সাত বার): اللَّهُمَّ أَجِرْنِى مِنَ النَّارِ বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান নার। অর্থ : “হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দাও ফজিলত ও পড়ার নিয়ম: হজরত মুসলিম ইবনে হারেস তামিমি [রা.] বলেন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে কানে কানে বললেন, যখন মাগরিবের নামাজের সালাম ফেরাবে, তখন কারো সঙ্গে কথা বলার আগে এই দোয়াটি সাত বার পড়বে। যদি তুমি পড় আর ওই রাতেই তুমি মারা যাও তাহলে তোমার জাহান্নাম থেকে মুক্তির ফায়সালা লিখে দেয়া হবে। ফজরের নামাজের পরও এ দোয়াটি একই নিয়মে সাতবার পড়বে। যদি তুমি পড়ে থাক আর ওই দিনেই তুমি মারা যাও তাহলে তোমার জন্য জাহান্নাম থেকে মুক্তির ফায়সালা লিখে দেয়া হবে। [আবু দাউদ-৫০৮১ নাসায়ি সুনানে কুবরা-৯৯৩৯ সহি ইবনে হিব্বান-২০২২]
0 notes