#জান্নাতের একমাত্র পথ
Explore tagged Tumblr posts
quransunnahdawah · 6 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আল্লাহর মেহমান 
youtube
youtube
youtube
চার ধরনের মানুষ আল্লাহর বিশেষ মেহমান। ১. আল্লাহর পথে জিহাদকারী। ২. হজযাত্রী। ৩. ওমরাহ পালনকারী। ৪. মসজিদে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায়কারী। ইবনে উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেন, আল্লাহর পথে জিহাদকারী, হজযাত্রী ও ওমরাহ যাত্রীরা আল্লাহর প্রতিনিধি। তারা আল্লাহর কাছে দোয়া করলে তিনি তা কবুল করেন এবং কিছু চাইলে তা তাদের দান করেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৮৯৩; নাসাঈ, হাদিস : ২৬২৫)
আলেমরা আল্লাহর রাজকীয় মেহমান
Scholars Are The Royal Guests of Allah
জগতের শ্রেষ্ঠ সন্তান আলেমসমাজ। সাধারণ মানুষ আলেমদের অনুকরণ-অনুসরণকেই আখিরাতের মুক্তির পাথেয় মনে করে। আলেমদের মর্যাদা সম্পর্কে কোরআন-সুন্নাহতে এত এত গুরুত্ব এসেছে যে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ আলেমদের প্রতি মহব্বত রাখা সৌভাগ্য মনে করতে বাধ্য হয়েছে। আলেমদের মর্যাদা সম্পর্কে  রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘শুনে রাখো! যে ব্যক্তি জ্ঞান সংগ্রহে পথ চলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।
কোনো জ্ঞানী যখন জমিনে পা রাখে ফেরেশতারা তার সম্মানে নিজেদের পাখা বিছিয়ে দেন। জ্ঞানীর জন্য প্রতিটি প্রাণী, এমনকি সাগরের মাছ পর্যন্ত আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও কল্যাণ প্রার্থনা করে। লাখো তারার চেয়ে চাঁদের আলো যেমন বেশি উজ্জ্বল, তেমনি ইবাদতে মগ্ন হাজারো ব্যক্তির চেয়ে একজন জ্ঞানী আল্লাহর কাছে অনেক বেশি দামি।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)
আলেমদের চলার পথে ফেরেশতাদের পাখা বিছিয়ে দেওয়া নিয়ে আল্লাহর অলি বলেন, ‘খোদা তাআলার সৃষ্টিরাজ্যে একমাত্র আলেমরাই রাজকীয় মেহমান।
সুরা ফাতিরের ৩২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘জেনে রাখো! আমার বান্দাদের মধ্যে কেবল আলেমসমাজই আমাকে ভয় করে।’
সব কিছুর একটি নির্দিষ্ট সীমানা থাকে। ইসলামেরও একটি সীমানা আছে। কর্মগত, চিন্তাগত সব বিধি-বিধানের আছে সুস্পষ্ট চৌহদ্দি, সুনির্দিষ্ট অবকাঠামো।
এর ভেতরে যা পড়ে তা ইসলাম, যা পড়ে না তা ইসলাম নয়।  তো ইসলামী বিধি-বিধানের এই সীমান্ত যারা পাহারা দেন, যাঁরা ইসলামের মৌল��কত্ব টিকিয়ে রাখেন, তাঁরা ��লেন আহলে ইলম। তাঁরা হলেন নবীদের ওয়ারিশ। ওহি পাঠানোর মাধ্যমে নবী-রাসুলদের আল্লাহ তাআলা সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছেন। নবী-রাসুলদের সেই ওহির ইলমের উত্তরাধিকারী হলেন আলেমরা।
নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আলেমরা নবীগণের উত্তরাধিকারী। নবীরা দিনার বা দিরহামকে উত্তরাধিকার হিসেবে রেখে যাননি, বরং তাঁরা রেখে গিয়েছেন কেবল ইলম। সুতরাং যে ব্যক্তি তা গ্রহণ করেছে, সে বড় কিছু গ্রহণ করেছে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৬৪১)
আলেমদের মর্যাদা বেশি হওয়ার কারণ হলো, তাঁদের কাছেই মানুষ লাভ করে কোরআন-সুন্নাহর জ্ঞান। চিনতে পারে প্রভুকে। মানুষ খুঁজে পায় নিজের আসল পরিচয়। শিখতে পারে আল্লাহর বিধি-বিধান। জানতে পারে হালাল-হারাম। তাঁদের সংস্পর্শে এসেই অন্ধকারজগতের মানুষ সন্ধান পায় আলোকিত জীবনের। মৃত হৃদয়গুলো হয় পুনরুজ্জীবিত। দুনিয়ার ভোগ-বিলাসে উন্মত্ত মানুষ আখিরাতমুখী জীবন ধারণ করে। তাঁরা পৃথিবীর জন্য রহমত। তাঁরা উম্মতের জন্য বরকত। পরমহিতৈষী ও মঙ্গলকামী। তাঁদের কাছে ইসলাম সবার আগে। আল্লাহ তাআলা আলেমদের বানিয়েছেন নিজ একত্ববাদের অন্যতম সাক্ষী হিসেবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ সাক্ষ্য দিয়েছেন যে তিনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই। ফেরেশতারা এবং ন্যায়নিষ্ঠ আলেমরাও সাক্ষ্য দিয়েছেন যে তিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই।’(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৮)
কোরআনে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যের সঙ্গেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আলেমদের আনুগত্য করার জন্য। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! তোমরা আল্লাহর নির্দেশ মান্য করো, অনুসরণ করো রাসুলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা কর্তৃত্বসম্পন্ন (ন্যায়পরায়ণ শাসক ও আলেম) তাদের।’
(সুরা : নিসা, আয়াত : ৫৯)
যেকোনো শরয়ি সমস্যা নিরসনে তাঁদের দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা নিজেই। তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘অতএব, জ্ঞানীদের জিজ্ঞেস করো, যদি তোমাদের জানা না থাকে।’ (সুরা : নাহল আয়াত : ৪৩)
একজন আলেম দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। মূল্যবান সম্পদ হারিয়ে গেলে মানুষ যেমন দিশাহারা হয়ে যায়, ঠিক তেমনি কোনো আলেম চলে গেলে পুরো দেশ ও সমাজ অচল হয়ে পড়ে। তাই আলেমদের প্রতি অবজ্ঞা বা ধৃষ্টতা প্রদর্শন করলে, এর পরিণতিও ভয়ংকর। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহ.) বলেন, ‘আলেমদের গোশত বিষের মতো। যে শুঁকে সে মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়, আর যে খায় সে মারা যায়।’
যাঁদের আল্লাহ সম্মান দিয়েছেন তাঁদেরকে অসম্মান ��রলে আল্লাহ বরদাশত করেন না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোনো অলির সঙ্গে দুশমনি রাখবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করব।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৫০২)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আলেমরা আল্লাহর ��াজকীয় মেহমান
Scholars Are The Royal Guests of Allah
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 6 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আল্লাহর মেহমান 
youtube
youtube
youtube
চার ধরনের মানুষ আল্লাহর বিশেষ মেহমান। ১. আল্লাহর পথে জিহাদকারী। ২. হজযাত্রী। ৩. ওমরাহ পালনকারী। ৪. মসজিদে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায়কারী। ইবনে উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেন, আল্লাহর পথে জিহাদকারী, হজযাত্রী ও ওমরাহ যাত্রীরা আল্লাহর প্রতিনিধি। তারা আল্লাহর কাছে দোয়া করলে তিনি তা কবুল করেন এবং কিছু চাইলে তা তাদের দান করেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৮৯৩; নাসাঈ, হাদিস : ২৬২৫)
আলেমরা আল্লাহর রাজকীয় মেহমান
Scholars Are The Royal Guests of Allah
জগতের শ্রেষ্ঠ সন্তান আলেমসমাজ। সাধারণ মানুষ আলেমদের অনুকরণ-অনুসরণকেই আখিরাতের মুক্তির পাথেয় মনে করে। আলেমদের মর্যাদা সম্পর্কে কোরআন-সুন্নাহতে এত এত গুরুত্ব এসেছে যে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ আলেমদের প্রতি মহব্বত রাখা সৌভাগ্য মনে করতে বাধ্য হয়েছে। আলেমদের মর্যাদা সম্পর্কে  রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘শুনে রাখো! যে ব্যক্তি জ্ঞান সংগ্রহে পথ চলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।
কোনো জ্ঞানী যখন জমিনে পা রাখে ফেরেশতারা তার সম্মানে নিজেদের পাখা বিছিয়ে দেন। জ্ঞানীর জন্য প্রতিটি প্রাণী, এমনকি সাগরের মাছ পর্যন্ত আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও কল্যাণ প্রার্থনা করে। লাখো তারার চেয়ে চাঁদের আলো যেমন বেশি উজ্জ্বল, তেমনি ইবাদতে মগ্ন হাজারো ব্যক্তির চেয়ে একজন জ্ঞানী আল্লাহর কাছে অনেক বেশি দামি।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)
আলেমদের চলার পথে ফেরেশতাদের পাখা বিছিয়ে দেওয়া নিয়ে আল্লাহর অলি বলেন, ‘খোদা তাআলার সৃষ্টিরাজ্যে একমাত্র আলেমরাই রাজকীয় মেহমান।
সুরা ফাতিরের ৩২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘জেনে রাখো! আমার বান্দাদের মধ্যে কেবল আলেমসমাজই আমাকে ভয় করে।’
সব কিছুর একটি নির্দিষ্ট সীমানা থাকে। ইসলামেরও একটি সীমানা আছে। কর্মগত, চিন্তাগত সব বিধি-বিধানের আছে সুস্পষ্ট চৌহদ্দি, সুনির্দিষ্ট অবকাঠামো।
এর ভেতরে যা পড়ে তা ইসলাম, যা পড়ে না তা ইসলাম নয়।  তো ইসলামী বিধি-বিধানের এই সীমান্ত যারা পাহারা দেন, যাঁরা ইসলামের মৌলিকত্ব টিকিয়ে রাখেন, তাঁরা হলেন আহলে ইলম। তাঁরা হলেন নবীদের ওয়ারিশ। ওহি পাঠানোর মাধ্যমে নবী-রাসুলদের আল্লাহ তাআলা সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছেন। নবী-রাসুলদের সেই ওহির ইলমের উত্তরাধিকারী হলেন আলেমরা।
নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আলেমরা নবীগণের উত্তরাধিকারী। নবীরা দিনার বা দিরহামকে উত্তরাধিকার হিসেবে রেখে যাননি, বরং তাঁরা রেখে গিয়েছেন কেবল ইলম। সুতরাং যে ব্যক্তি তা গ্রহণ করেছে, সে বড় কিছু গ্রহণ করেছে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৬৪১)
আলেমদের মর্যাদা বেশি হওয়ার কারণ হলো, তাঁদের কাছেই মানুষ লাভ করে কোরআন-সুন্নাহর জ্ঞান। চিনতে পারে প্রভুকে। মানুষ খুঁজে পায় নিজের আসল পরিচয়। শিখতে পারে আল্লাহর বিধি-বিধান। জানতে পারে হালাল-হারাম। তাঁদের সংস্পর্শে এসেই অন্ধকারজগতের মানুষ সন্ধান পায় আলোকিত জীবনের। মৃত হৃদয়গুলো হয় পুনরুজ্জীবিত। দুনিয়ার ভোগ-বিলাসে উন্মত্ত মানুষ আখিরাতমুখী জীবন ধারণ করে। তাঁরা পৃথিবীর জন্য রহমত। তাঁরা উম্মতের জন্য বরকত। পরমহিতৈষী ও মঙ্গলকামী। তাঁদের কাছে ইসলাম সবার আগে। আল্লাহ তাআলা আলেমদের বানিয়েছেন নিজ একত্ববাদের অন্যতম সাক্ষী হিসেবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ সাক্ষ্য দিয়েছেন যে তিনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই। ফেরেশতারা এবং ন্যায়নিষ্ঠ আলেমরাও সাক্ষ্য দিয়েছেন যে তিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই।’(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৮)
কোরআনে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যের সঙ্গেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আলেমদের আনুগত্য করার জন্য। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! তোমরা আল্লাহর নির্দেশ মান্য করো, অনুসরণ করো রাসুলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা কর্তৃত্বসম্পন্ন (ন্যায়পরায়ণ শাসক ও আলেম) তাদের।’
(সুরা : নিসা, আয়াত : ৫৯)
যেকোনো শরয়ি সমস্যা নিরসনে তাঁদের দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা নিজেই। তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘অতএব, জ্ঞানীদের জিজ্ঞেস করো, যদি তোমাদের জানা না থাকে।’ (সুরা : নাহল আয়াত : ৪৩)
একজন আলেম দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। মূল্যবান সম্পদ হারিয়ে গেলে মানুষ যেমন দিশাহারা হয়ে যায়, ঠিক তেমনি কোনো আলেম চলে গেলে পুরো দেশ ও সমাজ অচল হয়ে পড়ে। তাই আলেমদের প্রতি অবজ্ঞা বা ধৃষ্টতা প্রদর্শন করলে, এর পরিণতিও ভয়ংকর। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহ.) বলেন, ‘আলেমদের গোশত বিষের মতো। যে শুঁকে সে মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়, আর যে খায় সে মারা যায়।’
যাঁদের আল্লাহ সম্মান দিয়েছেন তাঁদেরকে অসম্মান করলে আল্লাহ বরদাশত করেন না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোনো অলির সঙ্গে দুশমনি রাখবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করব।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৫০২)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আলেমরা আল্লাহর রাজকীয় মেহমান
Scholars Are The Royal Guests of Allah
0 notes
ilyforallahswt · 6 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আল্লাহর মেহমান 
youtube
youtube
youtube
চার ধরনের মানুষ আল্লাহর বিশেষ মেহমান। ১. আল্লাহর পথে জিহাদকারী। ২. হজযাত্রী। ৩. ওমরাহ পালনকারী। ৪. মসজিদে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায়কারী। ইবনে উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেন, আল্লাহর পথে জিহাদকারী, হজযাত্রী ও ওমরাহ যাত্রীরা আল্লাহর প্রতিনিধি। তারা আল্লাহর কাছে দোয়া করলে তিনি তা কবুল করেন এবং কিছু চাইলে তা তাদের দান করেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৮৯৩; নাসাঈ, হাদিস : ২৬২৫)
আলেমরা আল্লাহর রাজকীয় মেহমান
Scholars Are The Royal Guests of Allah
জগতের শ্রেষ্ঠ সন্তান আলেমসমাজ। সাধারণ মানুষ আলেমদের অনুকরণ-অনুসরণকেই আখিরাতের মুক্তির পাথেয় মনে করে। আলেমদের মর্যাদা সম্পর্কে কোরআন-সুন্নাহতে এত এত গুরুত্ব এসেছে যে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ আলেমদের প্রতি মহব্বত রাখা সৌভাগ্য মনে করতে বাধ্য হয়েছে। আলেমদের মর্যাদা সম্পর্কে  রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘শুনে রাখো! যে ব্যক্তি জ্ঞান সংগ্রহে পথ চলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।
কোনো জ্ঞানী যখন জমিনে পা রাখে ফেরেশতারা তার সম্মানে নিজেদের পাখা বিছিয়ে দেন। জ্ঞানীর জন্য প্রতিটি প্রাণী, এমনকি সাগরের মাছ পর্যন্ত আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও কল্যাণ প্রার্থনা করে��� লাখো তারার চেয়ে চাঁদের আলো যেমন বেশি উজ্জ্বল, তেমনি ইবাদতে মগ্ন হাজারো ব্যক্তির চেয়ে একজন জ্ঞানী আল্লাহর কাছে অনেক বেশি দামি।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)
আলেমদের চলার পথে ফেরেশতাদের পাখা বিছিয়ে দেওয়া নিয়ে আল্লাহর অলি বলেন, ‘খোদা তাআলার সৃষ্টিরাজ্যে একমাত্র আলেমরাই রাজকীয় মেহমান।
সুরা ফাতিরের ৩২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘জেনে রাখো! আমার বান্দাদের মধ্যে কেবল আলেমসমাজই আমাকে ভয় করে।’
সব কিছুর একটি নির্দিষ্ট সীমানা থাকে। ইসলামেরও একটি সীমানা আছে। কর্মগত, চিন্তাগত সব বিধি-বিধানের আছে সুস্পষ্ট চৌহদ্দি, সুনির্দিষ্ট অবকাঠামো।
এর ভেতরে যা পড়ে তা ইসলাম, যা পড়ে না তা ইসলাম নয়।  তো ইসলামী বিধি-বিধানের এই সীমান্ত যারা পাহারা দেন, যাঁরা ইসলামের মৌলিকত্ব টিকিয়ে রাখেন, তাঁরা হলেন আহলে ইলম। তাঁরা হলেন নবীদের ওয়ারিশ। ওহি পাঠানোর মাধ্যমে নবী-রাসুলদের আল্লাহ তাআলা সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছেন। নবী-রাসুলদের সেই ওহির ইলমের উত্তরাধিকারী হলেন আলেমরা।
নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আলেমরা নবীগণের উত্তরাধিকারী। নবীরা দিনার বা দিরহামকে উত্তরাধিকার হিসেবে রেখে যাননি, বরং তাঁরা রেখে গিয়েছেন কেবল ইলম। সুতরাং যে ব্যক্তি তা গ্রহণ করেছে, সে বড় কিছু গ্রহণ করেছে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৬৪১)
আলেমদের মর্যাদা বেশি হওয়ার কারণ হলো, তাঁদের কাছেই মানুষ লাভ করে কোরআন-সুন্নাহর জ্ঞান। চিনতে পারে প্রভুকে। মানুষ খুঁজে পায় নিজের আসল পরিচয়। শিখতে পারে আল্লাহর বিধি-বিধান। জানতে পারে হালাল-হারাম। তাঁদের সংস্পর্শে এসেই অন্ধকারজগতের মানুষ সন্ধান পায় আলোকিত জীবনের। মৃত হৃদয়গুলো হয় পুনরুজ্জীবিত। দুনিয়ার ভোগ-বিলাসে উন্মত্ত মানুষ আখিরাতমুখী জীবন ধারণ করে। তাঁরা পৃথিবীর জন্য রহমত। তাঁরা উম্মতের জন্য বরকত। পরমহিতৈষী ও মঙ্গলকামী। তাঁদের কাছে ইসলাম সবার আগে। আল্লাহ তাআলা আলেমদের বানিয়েছেন নিজ একত্ববাদের অন্যতম সাক্ষী হিসেবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ সাক্ষ্য দিয়েছেন যে তিনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই। ফেরেশতারা এবং ন্যায়নিষ্ঠ আলেমরাও সাক্ষ্য দিয়েছেন যে তিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই।’(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৮)
কোরআনে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যের সঙ্গেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আলেমদের আনুগত্য করার জন্য। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! তোমরা আল্লাহর নির্দেশ মান্য করো, অনুসরণ করো রাসুলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা কর্তৃত্বসম্পন্ন (ন্যায়পরায়ণ শাসক ও আলেম) তাদের।’
(সুরা : নিসা, আয়াত : ৫৯)
যেকোনো শরয়ি সমস্যা নিরসনে তাঁদের দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা নিজেই। তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘অতএব, জ্ঞানীদের জিজ্ঞেস করো, যদি তোমাদের জানা না থাকে।’ (সুরা : নাহল আয়াত : ৪৩)
একজন আলেম দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। মূল্যবান সম্পদ হারিয়ে গেলে মানুষ যেমন দিশাহারা হয়ে যায়, ঠিক তেমনি কোনো আলেম চলে গেলে পুরো দেশ ও সমাজ অচল হয়ে পড়ে। তাই আলেমদের প্রতি অবজ্ঞা বা ধৃষ্টতা প্রদর্শন করলে, এর পরিণতিও ভয়ংকর। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহ.) বলেন, ‘আলেমদের গোশত বিষের মতো। যে শুঁকে সে মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়, আর যে খায় সে মারা যায়।’
যাঁদের আল্লাহ সম্মান দিয়েছেন তাঁদেরকে অসম্মান করলে আল্লাহ বরদাশত করেন না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোনো অলির সঙ্গে দুশমনি রাখবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করব।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৫০২)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আলেমরা আল্লাহর রাজকীয় মেহমান
Scholars Are The Royal Guests of Allah
0 notes
myreligionislam · 6 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আল্লাহর মেহমান 
youtube
youtube
youtube
চার ধরনের মানুষ আল্লাহর বিশেষ মেহমান। ১. আল্লাহর পথে জিহাদকারী। ২. হজযাত্রী। ৩. ওমরাহ পালনকারী। ৪. মসজিদে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায়কারী। ইবনে উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেন, আল্লাহর পথে জিহাদকারী, হজযাত্রী ও ওমরাহ যাত্রীরা আল্লাহর প্রতিনিধি। তারা আল্লাহর কাছে দোয়া করলে তিনি তা কবুল করেন এবং কিছু চাইলে তা তাদের দান করেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৮৯৩; নাসাঈ, হাদিস : ২৬২৫)
আলেমরা আল্লাহর রাজকীয় মেহমান
Scholars Are The Royal Guests of Allah
জগতের শ্রেষ্ঠ সন্তান আলেমসমাজ। সাধারণ মানুষ আলেমদের অনুকরণ-অনুসরণকেই আখিরাতের মুক্তির পাথেয় মনে করে। আলেমদের মর্যাদা সম্পর্কে কোরআন-সুন্নাহতে এত এত গুরুত্ব এসেছে যে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ আলেমদের প্রতি মহব্বত রাখা সৌভাগ্য মনে করতে বাধ্য হয়েছে। আলেমদের মর্যাদা সম্পর্কে  রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘শুনে রাখো! যে ব্যক্তি জ্ঞান সংগ্রহে পথ চলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।
কোনো জ্ঞানী যখন জমিনে পা রাখে ফেরেশতারা তার সম্মানে নিজেদের পাখা বিছিয়ে দেন। জ্ঞানীর জন্য প্রতিটি প্রাণী, এমনকি সাগরের মাছ পর্যন্ত আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও কল্যাণ প্রার্থনা করে। লাখো তারার চেয়ে চাঁদের আলো যেমন বেশি উজ্জ্বল, তেমনি ইবাদতে মগ্ন হাজারো ব্যক্তির চেয়ে একজন জ্ঞানী আল্লাহর কাছে অনেক বেশি দামি।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)
আলেমদের চলার পথে ফেরেশতাদের পাখা বিছিয়ে দেওয়া নিয়ে আল্লাহর অলি বলেন, ‘খোদা তাআলার সৃষ্টিরাজ্যে একমাত্র আলেমরাই রাজকীয় মেহমান।
সুরা ফাতিরের ৩২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘জেনে রাখো! আমার বান্দাদের মধ্যে কেবল আলেমসমাজই আমাকে ভয় করে।’
সব কিছুর একটি নির্দিষ্ট সীমানা থাকে। ইসলামেরও একটি সীমানা আছে। কর্মগত, চিন্তাগত সব বিধি-বিধানের আছে সুস্পষ্ট চৌহদ্দি, সুনির্দিষ্ট অবকাঠামো।
এর ভেতরে যা পড়ে তা ইসলাম, যা পড়ে না তা ইসলাম নয়।  তো ইসলামী বিধি-বিধানের এই সীমান্ত যারা পাহারা দেন, যাঁরা ইসলামের মৌলিকত্ব টিকিয়ে রাখেন, তাঁরা হলেন আহলে ইলম। তাঁরা হলেন নবীদের ওয়ারিশ। ওহি পাঠানোর মাধ্যমে নবী-রাসুলদের আল্লাহ তাআলা সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছেন। নবী-রাসুলদের সেই ওহির ইলমের উত্তরাধিকারী হলেন আলেমরা।
নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আলেমরা নবীগণের উত্তরাধিকারী। নবীরা দিনার বা দিরহামকে উত্তরাধিকার হিসেবে রেখে যাননি, বরং তাঁরা রেখে গিয়েছেন কেবল ইলম। সুতরাং যে ব্যক্তি তা গ্রহণ করেছে, সে বড় কিছু গ্রহণ করেছে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৬৪১)
আলেমদের মর্যাদা বেশি হওয়ার কারণ হলো, তাঁদের কাছেই মানুষ লাভ করে কোরআন-সুন্নাহর জ্ঞান। চিনতে পারে প্রভুকে। মানুষ খুঁজে পায় নিজের আসল পরিচয়। শিখতে পারে আল্লাহর বিধি-বিধান। জানতে পারে হালাল-হারাম। তাঁদের সংস্পর্শে এসেই অন্ধকারজগতের মানুষ সন্ধান পায় আলোকিত জীবনের। মৃত হৃদয়গুলো হয় পুনরুজ্জীবিত। দুনিয়ার ভোগ-বিলাসে উন্মত্ত মানুষ আখিরাতমুখী জীবন ধারণ করে। তাঁরা পৃথিবীর জন্য রহমত। তাঁরা উম্মতের জন্য বরকত। পরমহিতৈষী ও মঙ্গলকামী। তাঁদের কাছে ইসলাম সবার আগে। আল্লাহ তাআলা আলেমদের বানিয়েছেন নিজ একত্ববাদের অন্যতম সাক্ষী হিসেবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ সাক্ষ্য দিয়েছেন যে তিনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই। ফেরেশতারা এবং ন্যায়নিষ্ঠ আলেমরাও সাক্ষ্য দিয়েছেন যে তিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই।’(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৮)
কোরআনে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যের সঙ্গেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আলেমদের আনুগত্য করার জন্য। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! তোমরা আল্লাহর নির্দেশ মান্য করো, অনুসরণ করো রাসুলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা কর্তৃত্বসম্পন্ন (ন্যায়পরায়ণ শাসক ও আলেম) তাদের।’
(সুরা : নিসা, আয়াত : ৫৯)
যেকোনো শরয়ি সমস্যা নিরসনে তাঁদের দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা নিজেই। তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘অতএব, জ্ঞানীদের জিজ্ঞেস করো, যদি তোমাদের জানা না থাকে।’ (সুরা : নাহল আয়াত : ৪৩)
একজন আলেম দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। মূল্যবান সম্পদ হারিয়ে গেলে মানুষ যেমন দিশাহারা হয়ে যায়, ঠিক তেমনি কোনো আলেম চলে গেলে পুরো দেশ ও সমাজ অচল হয়ে পড়ে। তাই আলেমদের প্রতি অবজ্ঞা বা ধৃষ্টতা প্রদর্শন করলে, এর পরিণতিও ভয়ংকর। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহ.) বলেন, ‘আলেমদের গোশত বিষের মতো। যে শুঁকে সে মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়, আর যে খায় সে মারা যায়।’
যাঁদের আল্লাহ সম্মান দিয়েছেন ��াঁদেরকে অসম্মান করলে আল্লাহ বরদাশত করেন না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোনো অলির সঙ্গে দুশমনি রাখবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করব।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৫০২)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আলেমরা আল্লাহর রাজকীয় মেহমান
Scholars Are The Royal Guests of Allah
0 notes
mylordisallah · 6 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আল্লাহর মেহমান 
youtube
youtube
youtube
চার ধরনের মানুষ আল্লাহর বিশেষ মেহমান। ১. আল্লাহর পথে জিহাদকারী। ২. হজযাত্রী। ৩. ওমরাহ পালনকারী। ৪. মসজিদে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায়কারী। ইবনে উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেন, আল্লাহর পথে জিহাদকারী, হজযাত্রী ও ওমরাহ যাত্রীরা আল্লাহর প্রতিনিধি। তারা আল্লাহর কাছে দোয়া করলে তিনি তা কবুল করেন এবং কিছু চাইলে তা তাদের দান করেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৮৯৩; নাসাঈ, হাদিস : ২৬২৫)
আলেমরা আল্লাহর রাজকীয় মেহমান
Scholars Are The Royal Guests of Allah
জগতের শ্রেষ্ঠ সন্তান আলেমসমাজ। সাধারণ মানুষ আলেমদের অনুকরণ-অনুসরণকেই আখিরাতের মুক্তির পাথেয় মনে করে। আলেমদের মর্যাদা সম্পর্কে কোরআন-সুন্নাহতে এত এত গুরুত্ব এসেছে যে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ আলেমদের প্রতি মহব্বত রাখা সৌভাগ্য মনে করতে বাধ্য হয়েছে। আলেমদের মর্যাদা সম্পর্কে  রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘শুনে রাখো! যে ব্যক্তি জ্ঞান সংগ্রহে পথ চলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।
কোনো জ্ঞানী যখন জমিনে পা রাখে ফেরেশতারা তার সম্মানে নিজেদের পাখা বিছিয়ে দেন। জ্ঞানীর জন্য প্রতিটি প্রাণী, এমনকি সাগরের মাছ পর্যন্ত আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও কল্যাণ প্রার্থনা করে। লাখো তারার চেয়ে চাঁদের আলো যেমন বেশি উজ্জ্বল, তেমনি ইবাদতে মগ্ন হাজারো ব্যক্তির চেয়ে একজন জ্ঞানী আল্লাহর কাছে অনেক বেশি দামি।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)
আলেমদের চলার পথে ফেরেশতাদের পাখা বিছিয়ে দেওয়া নিয়ে আল্লাহর অলি বলেন, ‘খোদা তাআলার সৃষ্টিরাজ্যে একমাত্র আলেমরাই রাজকীয় মেহমান।
সুরা ফাতিরের ৩২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘জেনে রাখো! আমার বান্দাদের মধ্যে কেবল আলেমসমাজই আমাকে ভয় করে।’
সব কিছুর একটি নির্দিষ্ট সীমানা থাকে। ইসলামেরও একটি সীমানা আছে। কর্মগত, চিন্তাগত সব বিধি-বিধানের আছে সুস্পষ্ট চৌহদ্দি, সুনির্দিষ্ট অবকাঠামো।
এর ভেতরে যা পড়ে তা ইসলাম, যা পড়ে না তা ইসলাম নয়।  তো ইসলামী বিধি-বিধানের এই সীমান্ত যারা পাহারা দেন, যাঁরা ইসলামের মৌলিকত্ব টিকিয়ে রাখেন, তাঁরা হলেন আহলে ইলম। তাঁরা হলেন নবীদের ওয়ারিশ। ওহি পাঠানোর মাধ্যমে নবী-রাসুলদের আল্লাহ তাআলা সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছেন। নবী-রাসুলদের সেই ওহির ইলমের উত্তরাধিকারী হলেন আলেমরা।
নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আলেমরা নবীগণের উত্তরাধিকারী। নবীরা দিনার বা দিরহামকে উত্তরাধিকার হিসেবে রেখে যাননি, বরং তাঁরা রেখে গিয়েছেন কেবল ইলম। সুতরাং যে ব্যক্তি তা গ্রহণ করেছে, সে বড় কিছু গ্রহণ করেছে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৬৪১)
আলেমদের মর্যাদা বেশি হওয়ার কারণ হলো, তাঁদের কাছেই মানুষ লাভ করে কোরআন-সুন্নাহর জ্ঞান। চিনতে পারে প্রভুকে। মানুষ খুঁজে পায় নিজের আসল পরিচয়। শিখতে পারে আল্লাহর বিধি-বিধান। জানতে পারে হালাল-হারাম। তাঁদের সংস্পর্শে এসেই অন্ধকারজগতের মানুষ সন্ধান পায় আলোকিত জীবনের। মৃত হৃদয়গুলো হয় পুনরুজ্জীবিত। দুনিয়ার ভোগ-বিলাসে উন্মত্ত মানুষ আখিরাতমুখী জীবন ধারণ করে। তাঁরা পৃথিবীর জন্য রহমত। তাঁরা উম্মতের জন্য বরকত। পরমহিতৈষী ও মঙ্গলকামী। তাঁদের কাছে ইসলাম সবার আগে। আল্লাহ তাআলা আলেমদের বানিয়েছেন নিজ একত্ববাদের অন্যতম সাক্ষী হিসেবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ সাক্ষ্য দিয়েছেন যে তিনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই। ফেরেশতারা এবং ন্যায়নিষ্ঠ আলেমরাও সাক্ষ্য দিয়েছেন যে তিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই।’(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৮)
কোরআনে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যের সঙ্গেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আলেমদের আনুগত্য করার জন্য। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! তোমরা আল্লাহর নির্দেশ মান্য করো, অনুসরণ করো রাসুলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা কর্তৃত্বসম্পন্ন (ন্যায়পরায়ণ শাসক ও আলেম) তাদের।’
(সুরা : নিসা, আয়াত : ৫৯)
যেকোনো শরয়ি সমস্যা নিরসনে তাঁদের দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা নিজেই। তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘অতএব, জ্ঞানীদের জিজ্ঞেস করো, যদি তোমাদের জানা না থাকে।’ (সুরা : নাহল আয়াত : ৪৩)
একজন আলেম দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। মূল্যবান সম্পদ হারিয়ে গেলে মানুষ যেমন দিশাহারা হয়ে যায়, ঠিক তেমনি কোনো আলেম চলে গেলে পুরো দেশ ও সমাজ অচল হয়ে পড়ে। তাই আলেমদের প্রতি অবজ্ঞা বা ধৃষ্টতা প্রদর্শন করলে, এর পরিণতিও ভয়ংকর। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহ.) বলেন, ‘আলেমদের গোশত বিষের মতো। যে শুঁকে সে মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়, আর যে খায় সে মারা যায়।’
যাঁদের আল্লাহ সম্মান দিয়েছেন তাঁদেরকে অসম্মান করলে আল্লাহ বরদাশত করেন না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোনো অলির সঙ্গে দুশমনি রাখবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করব।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৫০২)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আলেমরা আল্লাহর রাজকীয় মেহমান
Scholars Are The Royal Guests of Allah
0 notes
allahisourrabb · 6 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আল্লাহর মেহমান 
youtube
youtube
youtube
চার ধরনের মানুষ আল্লাহর বিশেষ মেহমান। ১. আল্লাহর পথে জিহাদকারী। ২. হজযাত্রী। ৩. ওমরাহ পালনকারী। ৪. মসজিদে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায়কারী। ইবনে উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেন, আল্লাহর পথে জিহাদকারী, হজযাত্রী ও ওমরাহ যাত্রীরা আল্লাহর প্রতিনিধি। তারা আল্লাহর কাছে দোয়া করলে তিনি তা কবুল করেন এবং কিছু চাইলে তা তাদের দান করেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৮৯৩; নাসাঈ, হাদিস : ২৬২৫)
আলেমরা আল্লাহর রাজকীয় মেহমান
Scholars Are The Royal Guests of Allah
জগতের শ্রেষ্ঠ সন্তান আলেমসমাজ। সাধারণ মানুষ আলেমদের অনুকরণ-অনুসরণকেই আখিরাতের মুক্তির পাথেয় মনে করে। আলেমদের মর্যাদা সম্পর্কে কোরআন-সুন্নাহতে এত এত গুরুত্ব এসেছে যে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ আলেমদের প্রতি মহব্বত রাখা সৌভাগ্য মনে করতে বাধ্য হয়েছে। আলেমদের মর্যাদা সম্পর্কে  রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘শুনে রাখো! যে ব্যক্তি জ্ঞান সংগ্রহে পথ চলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।
কোনো জ্ঞানী যখন জমিনে পা রাখে ফেরেশতারা তার সম্মানে নিজেদের পাখা বিছিয়ে দেন। জ্ঞানীর জন্য প্রতিটি প্রাণী, এমনকি সাগরের মাছ পর্যন্ত আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও কল্যাণ প্রার্থনা করে। লাখো তারার চেয়ে চাঁদের আলো যেমন বেশি উজ্জ্বল, তেমনি ইবাদতে মগ্ন হাজারো ব্যক্তির চেয়ে একজন জ্ঞানী আল্লাহর কাছে অনেক বেশি দামি।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)
আলেমদের চলার পথে ফেরেশতাদের পাখা বিছিয়ে দেওয়া নিয়ে আল্লাহর অলি বলেন, ‘খোদা তাআলার সৃষ্টিরাজ্যে একমাত্র আলেমরাই রাজকীয় মেহমান।
সুরা ফাতিরের ৩২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘জেনে রাখো! আমার বান্দাদের মধ্যে কেবল আলেমসমাজই আমাকে ভয় করে।’
সব কিছুর একটি নির্দিষ্ট সীমানা থাকে। ইসলামেরও একটি সীমানা আছে। কর্মগত, চিন্তাগত সব বিধি-বিধানের আছে সুস্পষ্ট চৌহদ্দি, সুনির্দিষ্ট অবকাঠামো।
এর ভেতরে যা পড়ে তা ইসলাম, যা পড়ে না তা ইসলাম নয়।  তো ইসলামী বিধি-বিধানের এই সীমান্ত যারা পাহারা দেন, যাঁরা ইসলামের মৌলিকত্ব টিকিয়ে রাখেন, তাঁরা হলেন আহলে ইলম। তাঁরা হলেন নবীদের ওয়ারিশ। ওহি পাঠানোর মাধ্যমে নবী-রাসুলদের আল্লাহ তাআলা সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছেন। নবী-রাসুলদের সেই ওহির ইলমের উত্তরাধিকারী হলেন আলেমরা।
নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আলেমরা নবীগণের উত্তরাধিকারী। নবীরা দিনার বা দিরহামকে উত্তরাধিকার হিসেবে রেখে যাননি, বরং তাঁরা রেখে গিয়েছেন কেবল ইলম। সুতরাং যে ব্যক্তি তা গ্রহণ করেছে, সে বড় কিছু গ্রহণ করেছে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৬৪১)
আলেমদের মর্যাদা বেশি হওয়ার কারণ হলো, তাঁদের কাছেই মানুষ লাভ করে কোরআন-সুন্নাহর জ্ঞান। চিনতে পারে প্রভুকে। মানুষ খুঁজে পায় নিজের আসল পরিচয়। শিখতে পারে আল্লাহর বিধি-বিধান। জানতে পারে হালাল-হারাম। তাঁদের সংস্পর্শে এসেই অন্ধকারজগতের মানুষ সন্ধান পায় আলোকিত জীবনের। মৃত হৃদয়গুলো হয় পুনরুজ্জীবিত। দুনিয়ার ভোগ-বিলাসে উন্মত্ত মানুষ আখিরাতমুখী জীবন ধারণ করে। তাঁরা পৃথিবীর জন্য রহমত। তাঁরা উম্মতের জন্য বরকত। পরমহিতৈষী ও মঙ্গলকামী। তাঁদের কাছে ইসলাম সবার আগে। আল্লাহ তাআলা আলেমদের বানিয়েছেন নিজ একত্ববাদের অন্যতম সাক্ষী হিসেবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ সাক্ষ্য দিয়েছেন যে তিনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই। ফেরেশতারা এবং ন্যায়নিষ্ঠ আলেমরাও সাক্ষ্য দিয়েছেন যে তিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই।’(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৮)
কোরআনে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যের সঙ্গেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আলেমদের আনুগত্য করার জন্য। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! তোমরা আল্লাহর নির্দেশ মান্য করো, অনুসরণ করো রাসুলের এবং তোমাদের ���ধ্যে যারা কর্তৃত্বসম্পন্ন (ন্যায়পরায়ণ শাসক ও আলেম) তাদের।’
(সুরা : নিসা, আয়াত : ৫৯)
যেকোনো শরয়ি সমস্যা নিরসনে তাঁদের দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা নিজেই। তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘অতএব, জ্ঞানীদের জিজ্ঞেস করো, যদি তোমাদের জানা না থাকে।’ (সুরা : নাহল আয়াত : ৪৩)
একজন আলেম দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। মূল্যবান সম্পদ হারিয়ে গেলে মানুষ যেমন দিশাহারা হয়ে যায়, ঠিক তেমনি কোনো আলেম চলে গেলে পুরো দেশ ও সমাজ অচল হয়ে পড়ে। তাই আলেমদের প্রতি অবজ্ঞা বা ধৃষ্টতা প্রদর্শন করলে, এর পরিণতিও ভয়ংকর। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহ.) বলেন, ‘আলেমদের গোশত বিষের মতো। যে শুঁকে সে মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়, আর যে খায় সে মারা যায়।’
যাঁদের আল্লাহ সম্মান দিয়েছেন তাঁদেরকে অসম্মান করলে আল্লাহ বরদাশত করেন না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোনো অলির সঙ্গে দুশমনি রাখবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করব।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৫০২)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আলেমরা আল্লাহর রাজকীয় মেহমান
Scholars Are The Royal Guests of Allah
0 notes
srkshazu · 4 years ago
Text
৬ষ্ঠ রোজার তারাবীহ সুরা আরাফের ১২নং আয়াত থেকে সুরা আনফালের ৪০নং আয়াত পর্যন্ত সংক্ষেপে কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:-
৬ষ্ঠ রোজার তারাবীহ নামাজে পবিত্র কোরআন থেকে সর্বমোট দেড় পারা (অষ্টম পারার শেষ অর্ধেকাংশ এবং সম্পুর্ন নবম পারা ) তেলাওয়াত করা হবে।
এই দেড় পারা থেকে (সুরা আরাফের ১২নং আয়াত থেকে সুরা আনফালের ৪০নং আয়াত পর্যন্ত) সংক্ষেপে কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:-
•হে আদম সন্তান! প্রত্যেক নামাযের সময় সুন্দর পোষাক পরিধান কর; আর খাও ও পান কর এবং অপব্যয় করো না। তিনি অপব্যয়ীদেরকে পছন্দ করেন না। [ সুরা আরাফ-৩১ ]
•যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর��ম করেছে এমন কাউকে আমি তার সামর্থ্যের চাইতে বেশী বোঝা দেই না। তারাই জান্নাতের অধিবাসী। তারা তাতেই চিরকাল থাকবে। [ সুরা আরাফ-৪২ ]
•তারা স্বীয় ধর্মকে তামাশা ও খেলা বানিয়ে নিয়েছিল এবং পার্থিব জীবন তাদেরকে ধোকায় ফেলে রেখেছিল। সুতরাং, আজকে আমি তাদেরকে তেমনিভাবে ভুলে থাকবো; যেমনিভাবে তারা এ দিনের সাক্ষাতকে ভুলে গিয়েছিল এবং আমার আয়াতসমূহকে অবিশ্বাস করত। [ সুরা আরাফ-৫১ ]
•নিশ্চয় তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ। তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর আরশের উপর অধিষ্টিত হয়েছেন। তিনি দিনকে রাত দ্বারা আচ্ছাদিত করেন- যাতে তারা একে অন্যের অনুসরণ করে ত্বরিত গতিতে; সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্র সবাই তার আদেশের অনুগামী। শুনে রেখ, তাঁরই কাজ সৃষ্টি করা এবং আদেশ দান করা। আল্লাহ, বরকতময় যিনি বিশ্বজগতের প্রতিপালক। [ সুরা আরাফ-৫৪ ]
•তোমরা বিনীতভাবে ও সংগোপনে তোমাদের প্রতিপালককে ডাকবে। তিনি সীমা লংঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না। [ সুরা আরাফ-৫৫ ]
•পৃথিবীকে শান্তি শৃঙ্খলা স্থাপনের পর তাতে বিপর্যয় ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করো না। আল্লাহকে ভয়-ভীতি ও আশা-আকাঙ্খার সাথে ডাকো।নিশ্চয় আল্লাহর করুণা সৎকর্মশীলদের নিকটবর্তী। [ সুরা আরাফ-৫৬ ]
•যারা আমার আয়াতসমূহকে এবং আখেরাতের সাক্ষাতকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে, তাদের যাবতীয় আমল ধ্বংস হয়ে যায়। তারা যা করত তদনুযায়ী তাদেরকে প্রতিফল দেয়া হবে। [ সুরা আরাফ-১৪৭ ]
•যারা খারাপ কাজ করলে, তারপর তওবা করে নেয়, এবং ঈমান আনে, তবে নিশ্চয়ই তোমার আল্লাহ তো ক্ষমাকারী, করুণাময়। [ সুরা আরাফ-১৫৩ ]
•বলুনঃ হে মানব মন্ডলী। তোমাদের সবার প্রতি আমি আল্লাহ প্রেরিত রসূল; সমগ্র আসমান ও যমীনে তার রাজত্ব। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কারো উপাসনা নয়। তিনি জীবন ও মৃত্যু দান করেন। সুতরাং তোমরা সবাই বিশ্বাস স্থাপন করো আল্লাহর উপর, তাঁর প্রেরিত উম্মী নবীর উপর। তোমরা তারই অনুসরণ কর-যিনি বিশ্বাস রাখেন আল্লাহ এবং তাঁর সমস্ত কালামের উপর। আশা করা যায় তোমরা সরল পথপ্রাপ্ত হবে। [ সুরা আরাফ-১৫৮ ]
•আর সে সময়ের কথা স্মরণ কর, যখন তোমার পালনকর্তা সংবাদ দিয়েছেন যে, অবশ্যই কেয়ামত দিবস পর্যন্ত ইহুদীদের উপর এমন লোক পাঠাতে থাকবেন যারা তাদেরকে নিকৃষ্ট শাস্তি দান করতে থাকবে। নিঃসন্দেহে তোমার পালনকর্তা শীঘ্র শাস্তি দানকারী এবং তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু। [ সুরা আরাফ-১৬৭ ]
•যারা আল্লাহর কিতাবকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে থাকে এবং ��ামায প্রতিষ্ঠা করে, নিশ্চয়ই আমি বিনষ্ট করব না সৎকর্মশীলদের সওয়াব। [ সুরা আরাফ-১৭০ ]
•আল্লাহ যাকে পথ দেখাবেন, সেই পথপ্রাপ্ত হবে। আর যাকে তিনি পথভ্রষ্ট করবেন, সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত। [ সুরা আরাফ-১৭৮ ]
•আমি বহু জ্বিন ও মানুষকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি। তাদের অন্তর রয়েছে, তার দ্বারা বিবেচনা করে না; তাদের চোখ রয়েছে, তার দ্বারা দেখে না; আর তাদের কান রয়েছে, তার দ্বারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তাদের চেয়েও নিকৃষ্টতর। তারাই হল গাফেল, উদাসীন। [ সুরা আরাফ-১৭৯ ]
•আমি সৃষ্টি করেছি, তাদের মধ্যে এমন এক দলও রয়েছে যারা সত্য পথের দাওয়াত দেয় এবং ন্যায়বিচার করে। [ সুরা আরাফ-১৮১ ]
•আমি তাদেরকে ঢিল দিয়ে থাকি। নিঃসন্দেহে আমার কৌশল সুনিপূণ। [ সুরা আরাফ-১৮৩ ]
•আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন। তার কোন পথপ্রদর্শক নেই। আর আল্লাহ তাদেরকে বিভ্রান্তির মধ্যে উদভ্রান্তের মত অবস্তায় ছেড়ে দিয়ে রাখেন। [ সুরা আরাফ-১৮৬ ]
•আপনাকে জিজ্ঞেস করে, কেয়ামত কখন অনুষ্ঠিত হবে? বলে দিন, এর খবর তো আমার পালনকর্তার কাছেই রয়েছে। তিনিই তা অনাবৃত করে দেখাবেন নির্ধারিত সময়ে। আসমান ও যমীনের জন্য সেটি অতি কঠিন বিষয়। যখন তা তোমাদের উপর আসবে অজান্তেই এসে যাবে। আপনাকে জিজ্ঞেস করতে থাকে, যেন আপনি তার অনুসন্ধানে লেগে আছেন। বলে দিন, এর সংবাদ বিশেষ করে আল্লাহর নিকটই রয়েছে। কিন্তু তা অধিকাংশ লোকই উপলব্ধি করে না। [ সুরা আরাফ-১৮৭ ]
•আপনি বলে দিন, আল্লাহ যা চান তাছাড়া আমি আমার নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই। আর আমি যদি গায়েবের কথা জেনে নিতে পারতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতে পারতাম, ফলে আমার কোন অমঙ্গল কখনও হতে পারত না। আমি তো শুধুমাত্র একজন ভীতি প্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা ঈমানদারদের জন্য। [ সুরা আরাফ-১৮৮ ]
•তারা কি এমন কাউকে শরীক সাব্যস্ত করে, যে একটি বস্তুও সৃষ্টি করেনি, বরং তাদেরকেই সৃষ্টি করা হয়েছে। [ সুরা আরাফ-১৯১ ]
•আল্লাহকে বাদ দিয়ে তোমরা যাদেরকে ডাক, তারা সবাই তোমাদের মতই বান্দা। [ সুরা আরাফ-১৯৪ ]
•তাদের কি পা আছে, যদ্বারা তারা চলাফেরা করে; কিংবা তাদের কি হাত আছে, যদ্বারা তারা ধরে। অথবা তাদের কি চোখ আছে, যদ্বারা তারা দেখতে পায়; কিংবা তাদের কি কান আছে, যদ্বারা শুনতে পায়? বলে দাও, তোমরা ডাক, আল্লাহর সাথে যাদেরকে অংশীদার করেছ, অতঃপর আমার অমঙ্গল কর এবং আমাকে অবকাশ দিও না। [ সুরা আরাফ-১৯৫ ]
•আমার সহায়তো হলেন আল্লাহ, যিনি কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। বস্তুত; তিনিই সাহায্য করেন সৎকর্মশীল বান্দাদের। [ সুরা আরাফ-১৯৬ ]
•আর তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদেরকে ডাক তারা না তোমাদের কোন সাহায্য করতে পারবে, না নিজেদের আত্নরক্ষা করতে পারবে। [ সুরা আরাফ-১৯৭ ]
•আর ক্ষমা করার অভ্যাস গড়ে তোল, সৎকাজের নির্দেশ দাও এবং মূর্খ জাহেলদের থেকে দূরে সরে থাক। [ সুরা আরাফ-১৯৯ ]
•আর যদি শয়তানের প্ররোচনা তোমাকে প্ররোচিত করে, তাহলে আল্লাহ�� শরণাপন্ন হও; তিনিই শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী। [ সুরা আরাফ-২০০ ]
•আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন মনযোগ সহকারে শ্রবণ কর এবং নিরব ও নিশ্চুপ থাক, যাতে তোমাদের উপর রহমত বর্ষিত হয়। [ সুরা আরাফ-২০৪ ]
•আর স্মরণ করতে থাক স্বীয় পালনকর্তাকে আপন মনে ক্রন্দনরত ও ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় এবং এমন স্বরে যা চিৎকার করে বলা অপেক্ষা কম; সকালে ও সন্ধ্যায়। আর বে-খবর থেকো না। [ সুরা আরাফ-২০৫ ]
•তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং নিজেদের অবস্থা সংশোধন করে নাও। আর আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের হুকুম মান্য কর, যদি ঈমানদার হও। [ সুরা আনফাল-১ ]
•যারা ঈমানদার, তারা এমন যে, যখন আল্লাহর নাম নেয়া হয় তখন ভীত হয়ে ��ড়ে তাদের অন্তর। আর যখন তাদের সামনে পাঠ করা হয় আল্লাহর কালাম, তখন তাদের ঈমান বেড়ে যায় এবং তারা স্বীয় পরওয়ারদেগারের প্রতি ভরসা পোষণ করে। [ সুরা আনফাল-২ ]
•যে সমস্ত লোক যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে এবং আমি তাদেরকে যে রুযী দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে- তারাই হল সত্যিকার ঈমানদার! তাদের জন্য রয়েছে স্বীয় পরওয়ারদেগারের নিকট মর্যাদা, ক্ষমা এবং সম্মানজনক রুযী। [ সুরা আনফাল-৩,৪ ]
•হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কাফেরদের সাথে মুখোমুখী হবে, তখন পশ্চাদপসরণ করবে না। [ সুরা আনফাল-১৫ ]
•নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা'আলার নিকট সমস্ত প্রাণীর তুলনায় তারাই মূক ও বধির, যারা উপলদ্ধি করে না। [ সুরা আনফাল-২২ ]
•হে ঈমানদারগণ, খেয়ানত করোনা আল্লাহর সাথে ও রসূলের সাথে এবং খেয়ানত করো না নিজেদের পারস্পরিক আমানতে জেনে-শুনে। [ সুরা আনফাল-২৭ ]
•নিঃসন্দেহে যেসব লোক কাফের, তারা ব্যয় করে নিজেদের ধন-সম্পদ, যাতে করে বাধাদান করতে পারে আল্লাহর পথে। [ সুরা আনফাল-৩৬ ]
0 notes
khutbahs · 4 years ago
Link
জাহান্নাম থেকে মুক্তির ১০ আমল
বিত্র কোরআন ও হাদিসে জাহান্নামের আগুনের উত্তাপের কিছু বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এক আয়াতে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘এটা তো লেলিহান অগ্নি, যা গায়ের চামড়া খসিয়ে দেবে।’ (সুরা মাআরিজ, আয়াত : ১৫-১৬)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘তাদের মাথার ওপর ঢেলে দেওয়া হবে ফুটন্ত পানি, যা দিয়ে তাদের চামড়া ও পেটের ভেতর যা আছে তা বিগলিত করা হবে।’ (সুরা হজ, আয়াত : ১৯-২০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘এক হাজার বছর জাহান্নামকে উত্তপ্ত করা হয়েছে। ফলে তার আগুন রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে। অতঃপর পুনরায় এক হাজার বছর উত্তাপ দেওয়ার ফলে এটি সাদা রং গ্রহণ করেছে। তারপর আরো এক হাজার বছর উত্তাপ দেওয়ার ফলে এর আগুন কৃষ্ণবর্ণ হয়ে গেছে। সুতরাং জাহান্নাম এখন সম্পূণরূপে গাঢ় কালো তমসাচ্ছন্ন।’ (তিরমিজি শরিফ)
মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘জাহান্নামের মধ্যে সেই ব্যক্তির শাস্তি সবচেয়ে হালকা হবে, যার পাদুকাদ্বয় ও জুতার ফিতা হবে আগুনের তৈরি। এর ফলে হাঁড়ির মতো তার মস্তিষ্ক ফুট��ে থাকবে। সে মনে করবে, তার শাস্তিই সর্বাপেক্ষা কঠিন। অথচ তার আজাবই সর্বাপেক্ষা হালকা।’ (বুখারি ও মুসলিম)
জাহান্নামের আগুনের উত্তাপ কখনো প্রশমিত হবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতঃপর তোমরা (আজাব) আস্বাদন করো, আমি তো তোমাদের শাস্তি কেবল বৃদ্ধিই করব।’ (সুরা নাবা, আয়াত : ৩০)
অন্যত্র তিনি বলেন, ‘যখনই তা (জাহান্নামের আগুন) স্তিমিত হবে তখনই আমি তাদের জন্য অগ্নিশিখা বৃদ্ধি করে দেব।’ (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৯৭)
জাহান্নাম হলো পরলোকের এমন একটি বিশাল এলাকা, যেখানে বিভিন্ন ধরনের শাস্তির জন্য ভিন্ন ভিন্ন এলাকা নির্ধারিত আছে। সেগুলোকে প্রধানত সাত ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা—
১. নার তথা আগুন। ২. জাহান্নাম তথা আগুনের গর্ত। ৩. জাহিম তথা প্রচণ্ড উত্তপ্ত আগুন।
৪. সায়ির তথা প্রজ্বলিত শিখা। ৫. সাকার তথা ঝলসানো আগুন। ৬. হুতামাহ তথা পিষ্টকারী।
৭. হাবিয়া তথা অতল গহ্বর।
নিম্নে জাহান্নাম থেকে মুক্তির ১০টি আমল বর্ণনা করা হলো—
১. আসমা বিনতে ইয়াজিদ (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘যে ব্যক্তি তার (মুসলিম) ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার সম্ভ্রম রক্ষা করে, সে আল্লাহর কাছে এ অধিকার পায় যে তিনি তাকে দোজখ থেকে মুক্ত করে দেন।’ (মুসনাদে আহমদ, সহিহুল জামে, হাদিস : ৬২৪০)
২. আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, “আদম সন্তানের মধ্যে প্রত্যেক মানুষকে ৩৬০ গ্রন্থির ওপর সৃষ্টি করা হয়েছে। (আর প্রত্যেক গ্রন্থির পক্ষ থেকে প্রদেয় সদকা রয়েছে।) সুতরাং যে ব্যক্তি ‘আল্লাহু আকবার’ বলল, ‘আল হামদুলিল্লাহ’ বলল, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলল, ‘সুবহানাল্লাহ’ বলল, ‘আসতাগফিরুল্লাহ’ বলল, মানুষ চলার পথ থেকে পাথর, কাঁটা অথবা হাড় সরাল কিংবা ভালো কাজের আদেশ করল অথবা মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করল (এবং সব মিলে ৩৬০ সংখ্যক পুণ্যকর্ম করল), সে ওই দিন এমন অবস্থায় সন্ধ্যা যাপন করল যে সে নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে দূর করে নিল।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস ২২২০)
৩. রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, “কেউ যদি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ‘সুবহানাল্লাহ’ ৩৩ বার, ‘আলহামদুলিল্লাহ’ ৩৩ বার, ‘আল্লাহু আকবার’ ৩৩ বার পাঠ করে, এরপর একবার ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির’ পাঠ করে, ওই ব্যক্তির সব পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে, যদিও তা সাগরের ফেনার সমতুল্য হয়।” (মুসলিম, হাদিস : ১২৩৯)
৪. যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে সে জান্নাতবাসী হবে। (নাসাঈ : ৫/৩৩৯; সিলসিলাহ সহিহাহ : ৯৭২)
৫. রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচ, যদিও খেজুরের এক টুকরো সদকাহ করে হয়। আর যে ব্যক্তি এর সামর্থ্য রাখে না, সে যেন ভালো কথা বলে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৪১৩)
৬. হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘কোনো ব্যক্তি যদি জান্নাতের জন্য আল্লাহর কাছে তিনবার প্রার্থনা করে, তাহলে জান্নাত তখন বলে, হে আল্লাহ! তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান। আর কোনো ব্যক্তি তিনবার জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাইলে জাহান্নাম তখন আল্লাহর কাছে বলে, হে আল্লাহ! তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৫৭২)
৭. রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি ধারাবাহিকভাবে জোহরের আগে চার রাকাত ও পরে চার রাকাত নামাজ আদায় করবে, মহান আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেবেন।’ (ইবনে মাজাহ : ১১৬০, আবু দাউদ, হাদিস : ১��৬৯)
৮. আবু বকর ইবনে শায়বা, আবু কুরায়ব ও ইসহাক ইবনে ইবরাহিম (রহ.)... আবু বকর ইবনে উমর ইবনে রুয়াইবা (রহ.) তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের ও সূর্যাস্তের আগে অর্থাৎ ফজর ও আসরের সালাত আদায় করে, সে কখনো জাহান্নামে প্রবেশ করবে না। তখন বসরার এক ব্যক্তি তাঁকে বলেন, আপনি কি এটা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছ থেকে শুনেছেন? তিনি বলেন হ্যাঁ। তখন ওই ব্যক্তি বলল, আমি এই মর্মে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি নিজ কানে তা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছ থেকে শুনেছি এবং আমার হৃদয়ে তা গেঁথে রেখেছি। (মুসলিম, হাদিস : ১৩১১)
৯. রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, “যে ব্যক্তি একমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলে, কিয়ামতের দিন সে এমনভাবে উপস্থিত হবে যে তার ওপর জাহান্নাম হারাম।” (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৪৬৮২)
১০. আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমি কি তোমাদের জানিয়ে দেব না, কোন ব্যক্তির জন্য জাহান্নাম হারাম এবং জাহান্নামের জন্য কোন ব্যক্তি হারাম?
যে ব্যক্তি মানুষের কাছাকাছি (জনপ্রিয়), সহজ-সরল, নম্রভাষী ও সদাচারী (তার জন্য জাহান্নাম হারাম)।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৪৮৮)
লেখক : শিক্ষক, দারুল আরকাম, টঙ্গী, গাজীপুর।
0 notes
mohammed-umar · 8 years ago
Text
জাহান্নাম থেকে মুক্তির ১৫টি অসাধারন হাদিস- ----------------------------------------------------------- *১- যোহরের ফরয নামাজের পূর্বে ৪ এবং পড়ে ৪ রাকাত নামাজ আদায় করা- উম্মে হাবীবা (রাঃ) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি, “যে ব্যক্তি বরাবর যোহরের পূর্বে চার রাক’আত এবং যোহরের পরে চার রাক’আত ছালাত আদায় করবে আল্লাহ্‌ তাকে জাহান্নামের প্রতি হারাম করে দিবেন ” (ইবনে মাজাহ- ১১৬০, তিরমিযী ৪২৭-২৮, আবূ দাঊদ ১২৬৯, আহমাদ ২৬২৩২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ১১৬৮, সহীহ আবী দাউদ ১১৫২) [অর্থাৎ যোহরের ফরয নামাজের আগে ৪ রাকাত এবং পড়ে ২ রাকাত ২ রাকাত করে ৪ রাকাত এই মোট ৮ রাকাত যেটা আমরা পড়ে থাকি। বেশিরভাগ মানুষ যেহেতু সুন্নত নফল হিসাবে বুঝে থাকে তাদের সুবিধার জন্য বলছি-এই হাদিস অনুযায়ী যোহরের প্রথমে ৪ রাকাত সুন্নত তারপর ৪ রাকাত ফরয তারপর ২ রাকাত সুন্নত এবং শেষে ২ রাকাত নফল, সব মিলে হবে ১২ রাকাত] *২- প্রতিদিন ৩৬০ বার তাসবিহ, তাহলিল, তাকবীর, তাহমিদ আদায় করা- “আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘‘আদম সন্তানের মধ্যে প্রত্যেক মানুষকে ৩৬০ গ্রন্থির উপর সৃষ্টি করা হয়েছে। (আর প্রত্যেক গ্রন্থির পক্ষ থেকে প্রদেয় সাদকা রয়েছে।) সুতরাং যে ব্যক্তি ‘আল্লাহু আকবার’ বলল, ‘আল-হামদুলিল্লাহ’ বলল, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলল, ‘সুবহানাল্লাহ’ বলল, ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বলল, মানুষ চলার রাস্তা থেকে পাথর, কাঁটা অথবা হাড় সরাল, কিম্বা ভাল কাজের আদেশ করল অথবা মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করল, (এবং সব মিলে ৩৬০ সংখ্যক পুণ্যকর্ম করল), সে ঐদিন এমন অবস্থায় সন্ধ্যা করল যে, সে নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে দূর করে নিল।’’(সহিহ মুসলিম হাদিস-২২২০, হাদিস একাডেমী) যদি রাসূল (সাঃ) এর নিম্নে বর্ণিত হাদিসটি লক্ষ্য করেন-- রাসূল (সাঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি যদি প্রত্যেক ফরয স্বলাতের পর- “সুবহা-নাল্লাহ�� (আল্লাহ কতই না পবিত্র-মহান)”«سُبْحَانَ اللَّه ((৩৩ বার “আলহামদুলিল্লাহ” (সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য) الْحَمْدُ لِلَّهِ، (৩৩ বার) “আল্লা-হু আকবার” (আল্লাহ সবচেয়ে বড়)” اللَّهُ أَكْبَرُ (৩৩ বার) তারপর ১ বার নিম্নোক্ত দোয়া বলে « لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ». (লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর)। “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সকল প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।” তাহলে ঐ ব্যক্তির সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনা সমতুল্যও হয়। (সহিহ মুসলিম হাদিস-১২৩৯, হাদিস একাডেমী) আর এ দোয়া না পারলে আর ১ বার “আল্লা-হু আকবার” বলে ১০০ পূর্ণ করবে। #তাহলে দেখা যাচ্ছে, কোন ব্যক্তি ৫ ওয়াক্ত সলাত আদায় করলেই তার ৩৬০ বার নয় ৫০০ বার উপরোক্ত তাসবিহ, তাহলিল, তাকবীর, তাহমিদ আদায় এমনিতেই হয়ে যাচ্ছে তাছাড়া ৫ ওয়াক্ত সলাত আদায়ে আরোও ১টা বিরাট ফযিলত রয়েছে, সেটা হোল- “আবু উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয নামাযের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে সে জান্নাতবাসী হবে। (নাসাই, সহীহ জামে’ ৫/৩৩৯, সিলসিলাহ সহীহাহ্‌ ৯৭২) মানুষের আর কি চাওয়া বাকি থাকতে পারে? [রাসুল (সাঃ) সলাত শেষে একাকী বসে প্রায় ১৭টি দোয়া ও জিকির আদায় করতেন কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের আমরা রাসুল (সাঃ)-এর সুন্নাহর জায়গায় সম্মিলিত মুনাজাতের বিদআত চালু করেছি যার হাদিসে কোন প্রমাণ নেই, একথা অনেকেরই ভালো লাগবে না কিন্তু আপনি যে কাজটা করছেন সেই কাজটা শরীয়তে অনুমোদিত কিনা সেটা কি আপনার জানা উচিত নয়? *৩- ৪০ দিন তাকবীরে উলার সাথে সলাত আদায় করা- রাসুল (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য ৪০ দিন জামাতে সলাত আদায় করবে এবং তাকবীরে তাহরিমা পাবে অর্থাৎ সলাত আরম্ভ হওয়ার সময় উপস্থিত থাকবে আল্লাহ তাকে ২টি জিনিষ হতে মুক্তি দিবেন। ১- জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিবেন এবং ২- মুনাফিকি থেকে মুক্তি দিবেন। (সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] - হাদিস ২৪১, তাকবিরে উলার ফজিলত অধ্যায়) *৪- অসুস্থ অবস্থায় নিম্নের দোয়া পড়া- আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) এবং আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তাঁরা উভয়েই রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর প্রতি সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তিনি বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, অল্লাহু আকবার’ [لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَاللهُ أكْبَرُ] (অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং আল্লাহ সবচেয়ে বড়) বলে, আল্লাহ তার সত্যায়ন করে বলেন, ‘আমি ছাড়া কোন (সত্য) উপাস্য নেই এবং আমি সবচেয়ে বড়।’ আর যখন সে বলে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অহদাহু লা শারীকা লাহ’ [لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَحدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ] (অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোন অংশী নেই), তখন আল্লাহ বলেন, ‘আমি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, আমি একক, আমা��� কোন অংশী নেই।’ আর যখন সে বলে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, লাহুল মুলকু অলাহুল হাম্দ’ [لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ] (অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, সার্বভৌম ক্ষমতা তাঁরই এবং তাঁরই যাবতীয় প্রশংসা), তখন আল্লাহ বলেন, ‘আমি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, সার্বভৌম ক্ষমতা আমারই এবং আমারই যাবতীয় প্রশংসা।’ আর যখন সে বলে, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, অলা হাওলা অলা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ [لاَ إله إِلاَّ اللهُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ باللهِ] (অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন (সত্য) উপাস্য নেই এবং আল্লাহর প্রেরণা দান ছাড়া পাপ থেকে ফিরার এবং সৎকাজ করার বা নড়া-চড়ার শক্তি নেই), তখন আল্লাহ বলেন, ‘আমি ছাড়া কোন (সত্য) উপাস্য নেই এবং আমার প্রেরণা দান ছাড়া পাপ থেকে ফিরার এবং সৎকাজ করার বা নড়া-চড়ার শক্তি নেই।’ নবী (সাঃ) বলতেন, ‘‘যে ব্যক্তি তার অসুস্থ অবস্থায় এটি পড়ে মারা যাবে, জাহান্নামের আগুন তাকে খাবে না।’’ (অর্থাৎ সে কখনো জাহান্নামে যাবে না।) (সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] - ৩৪৩০, দোয়া অধ্যায়) *৫- বেশি-বেশি দান করা- আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেন, “তোমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচো; যদিও খেজুরের এক টুকরো সাদকাহ করে হয়। আর যে ব্যাক্তি এরও সামর্থ্য রাখে না, সে যেন ভাল কথা বলে বাঁচে।(সহিহুল বুখারি- ১৪১৩, তাওহীদ পাবলিকেশন) *৬- জাহান্নামের আজাব থেকে মুক্তি চেয়ে দোয়া করা- আনাস (রাঃ) বলেনঃ, “আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ৩ বার আল্লাহ্‌র নিকট জান্নাত চায়, জান্নাত তখন বলে : “হে আল্লাহ্‌! ঐ ব্যাক্তিকে জান্নাতে প্রবেশ করাও। পক্ষান্তরে যে ব্যাক্তি ৩ বার জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি চেয়ে দোয়া করে, জাহান্নাম বলে; ‘হে আল্লাহ্‌ ঐ ব্যাক্তিকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দাও।” (সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] - ২৫৭২, জান্নাতের বিবরণ অধ্যায়) #জান্নাত চাওয়া ওঁ জাহান্নাম থেকে বাচার দোয়া- «اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ». (আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আ‘উযু বিকা মিনান্নার) “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নাম থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই”। (আবূ দাউদ- ৭৯৩, সলাত অধ্যায়) *৭- গীবত থেকে দূরে থাকা- আসমা বিনতে ইয়াযীদ হতে বর্ণিত, নবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যাক্তি তার (মুসলিম) ভায়ের অনুপস্থিতিতে (তার গীবত করা ও ইজ্জত লুটার সময় প্রতিবাদ করে) তার সম্ভ্রম রক্ষা করে সেই ব্যাক্তি আল্লাহ্‌র নিকট এই অধিকার পায় যে তিনি তাঁকে দোযখ থেকে মুক্ত করে দেন।”(আহমদ, ত্বাবারানী, সহীহুল জামে- ৬২৪০) #কিন্তু এখন অবস্থা তোঁ পুরোই উল্টা, কোথাও কারো নিন্দা করা হলে আমরা প্রতিবাদ না করে বরং নিজেরাই অংশগ্রহন করি তবে নবী (সাঃ)-এর এ হাদিস থেকে তারাই শিক্ষা নিবে যারা জান্নাত যেতে ইচ্ছুক। *৮- মানুষের সাথে সর্বোত্তম ব্যাবহার করা- মহানবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যাক্তি পছন্দ করে যে, তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করানো হোক, তার মৃত্যু যেন আল্লাহ্‌ ও আখেরাতের প্রতি ঈমান রাখা অবস্থায় আসে এবং লোকেদের সঙ্গে সেই রকম ব্যাবহার করে, যে রকম ব্যবহার সে নিজের জন্য পছন্দ করে।” (নাসাঈ, ইবনে মাজাহ) *৯- চোখকে পাপ থেকে হিফাযত করা- রাসুল (সাঃ) বলেন কিয়ামতের দিন জাহান্নাম দেখবে না। ১- এমন চক্ষু যে আল্লাহ্‌র ভয়ে কাঁদে, ২-এমন চক্ষু যে আল্লাহ্‌র রাস্তায় জেগে থাকে, ৩- এমন চক্ষু যে বেগানা মহিলাকে দেখে নিচু হয়ে যায় (শাইখ আলবানি (রঃ) প্রনিত সিলসিলাহ সহীহাহ- হাদিস ১৪৭৭) *১০- ফজর ও আসর সালাত যথাসময়ে আদায় করা- আবু বাকর ইবনু ‘উমারাহ ইবনু রুওয়াইয়াহ হতে তার পিতার সুত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি এমন ব্যাক্তি কখনোই জাহান্নামে যাবে না, যে সূর্যোদয়ের পূর্বে ও সূর্যাস্তের পূর্বে সালাত আদায় করে (অর্থাৎ ফজর ও আসর সালাত)। একথা শুনে বাসরার অধিবাসী একটি লোক তাকে জিজ্ঞেস করলো, তুমি কি নিজে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নিকট একথা শুনেছ? সে বললো, হ্যাঁ! (সহীহ মুসলিম- ১৩১১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন) আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’লার কাছে এই ২ ওয়াক্ত সলাতের রয়েছে আলাদা মর্যাদা আর এই ২ ওয়াক্ত সলাত যথার্থ মর্যাদা দিয়ে তারাই আদায় করতে পারবে যারা ৫ ওয়াক্ত সলাতের ব্যাপারে সচেতন কেননা এই ২ ওয়াক্ত সলাত সবচেয়ে বেশি কষ্টের সময়ে, যারা এই ২ ওয়াক্ত সলাত সঠিক ভাবে আদায় করতে পারে তাদের জন্য বাকি ৩ ওয়াক্ত আদায় করা খুবই সহজ। *১১- আন্তরিকভাবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এর স্বীকৃতি দেওয়া- ইতবান বিন মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যাক্তি একমাত্র আল্লহকে সন্তুষ্ট করার জন্য ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলবে, ক্বিয়ামতের দিন সে এমনভাবে উপস্থিত হবে যে, তার উপর জাহান্নাম হারাম হয়ে গেছে।” (মুসনাদে আহমাদ- হাদিস ১৬৪৮২) এ হাদিসের অর্থ এই নয় যে, শুধু আপনি ১ বার মুখে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বললেন আর জান্নাত চলে গেলেন বরং যে ব্যক্তি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এর স্বীকৃতি দিবে তখনই তার উপর ইসলামের ফরয বিধানগুলো পালন করা আবশ্যক হয়ে যাবে আর এজন্যই মক্কার মুশরিকরা এই স্বীকৃতি দিতো না কারণ তারা জানতো তাওহিদের এই স্বীকৃতি দেওয়ার অর্থই হচ্ছে বহু দেবতার ইবাদত বাদ দিয়ে শুধুমাত্র আল্লাহ্‌র-ই ইবাদত করতে হবে। *১২- কন্যাসন্তানদের ভালভাবে লালন-পালন করা- আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন আমার নিকট একটি মহিলা তার দুটি কন্যাকে সঙ্গে করে ভিক্ষা করতে (গৃহে) প্রবেশ করল। কিন্তু সে আমার নিকট খেজুর ছাড়া আর কিছু পেল না। আমি খেজুরটি তাকে দিলাম সে সেটিকে দুই খণ্ডে ভাগ করে তার দুটি মেয়েকে খেতে দিল। আর নিজে তা হতে কিছুও খেলনা। অতঃপর সে উঠে বের হয়ে গেল। তারপর নবী (সাঃ) আমাদের নিকট এলে আমি ঐ কথা তাঁকে জানালাম। ঘটনা শুনে তিনি বললেন, “যে ব্যাক্তি একাধিক কন্যা নিয়ে সঙ্কটাপন্ন হবে, অতঃপর সে তাদের প্রতি যথার্থ সদ্ব্যবহার করবে, সেই ব্যাক্তির জন্য ঐ কন্যারা জাহান্নাম থেকে অন্তরাল (পর্দা) স্বরূপ হবে।” (সহিহুল বুখারী- ১৪১৮, তাওহীদ পাবলিকেশন) *১৩- ফরয সিয়ামের পাশাপাশি বেশি-বেশি নফল সিয়াম পালন করা- রাসুল (সাঃ) বলেন “রোযা (জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার জন্য ) ঢালস্বরূপ ।” (বুখারী- ১৮৯৪, তাওহীদ পাবলিকেশন) রাসুল (সাঃ) আরও বলেছেন “যে ব্যাক্তি আল্লাহর পথে ১ দিন রোযা রাখবে, আল্লাহ্‌ ঐ ১ দিন রোযার বিনিময়ে তার চেহারাকে জাহান্নাম ��তে ৭০ বছর (পরিমাণ পথ) দূরে রাখবেন।” (বুখারী- ২৮৪০, তাওহীদ পাবলিকেশন) #সহিহ হাদিসে বর্ণিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিয়াম/রোযা পালনের দিনসমূহ (শাওয়াল মাসের রোযা) আবু আইয়ুব আনসারী রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসে রোযা পালন করল অতঃপর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোযা আদায় করল সে যেন সাড়া বছর রোযা পালন করল।’ (মুসলিম : ২৮১৫) (প্রতি মাসে তিন দিন রোযা রাখা) এ তিনটি রোযা আদায় করলে পূর্ণ বছর নফল রোযা আদায়ের সওয়াব লাভের কথা এসেছে। একটি নেক আমলের সওয়াব কমপক্ষে দশগুণ দেয়া হয়। তিন দিনের রোযার সওয়াব দশগুণ করলে ত্রিশ দিন হয়। যেমন আবু কাতাদা রা. হতে বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে— ‘প্রত্যেক মাসে তিনটি রোযা ও এক রমজানের পর পরবর্তী রমজানে রোযা পালন পূর্ণ বছর রোযা পালনের সমান’। (মুসলিম : ২৮০৪) মাসের যে তিন দিন রোযা রাখা হবে সে তিন দিনকে হাদিসের পরিভাষায় বলা হয় ‘আইয়ামুল বিয’। এ তিন দিন হল চান্দ্র মাসের তেরো, চৌদ্দ ও পনেরো তারিখ। বিয শব্দের অর্থ আলোকিত। এ তিন দিনের রাতগুলো শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চাঁদের আলোতে আলোকিত থাকে। আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এ রোযা গুরুত্বসহকারে আদায় করতেন। হাদিসে এসেছে— ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মুসাফির ও মুকিম কোন অবস্থাতেই এ রোযা ত্যাগ করতেন না। (নাসায়ী : ২৩৪৫) (প্রত্যেক সোমবার ও বৃহস্পতিবারের রোযা) আবু হুরায়রা র��. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘সোমবার ও বৃহস্পতিবার বান্দার আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়। কাজেই আমি পছন্দ করি যখন আমার আমল পেশ করা হবে তখন আমি রোযা অবস্থায় থাকব।’ (তিরমিযী : ৭২৫) *১৪- মানুষের সাথে মিলেমিশে থাকা- ইবনে মাসউদ (রাঃ) বর্ণনা করেন, “রাসুলে আকরাম (সাঃ) বলেছেনঃ আমি কি তোমাদের জানাবো না, কোন ব্যাক্তি জাহান্নামের আগুনের জন্যে হারাম অথবা (বলেছেন) কার জন্যে জাহান্নামের আগুন হারাম? (তাহলে জেনে রাখ) জাহান্নামের আগুন এমন প্রতিটি লোকের জন্য হারাম, যে লোকদের কাছাকাছি বা তাদের সাথে মিলেমিশে থাকে; যে কোমলমতি নম্র প্রকৃতির ও মধুর স্বভাব বিশিষ্ট।” (সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] - ২৪৮৮, কিয়ামাত ও মর্মস্পর্শী বিষয় অধ্যায়) ১৫- সন্তান বা আপনজনদের মৃত্যুতে ধৈর্যধারণ করা- আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন এক মহিলা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর নিকট এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! কেবলমাত্র পুরুষেরাই আপনার হাদীস শোনার সৌভাগ্য লাভ করছে। সুতরাং আপনি আমাদের জন্যও একটি দিন নির্ধারিত করুন। আমরা সে দিন আপনার নিকট আসব, আপনি আমাদেরকে তা শিক্ষা দেবেন, যা আল্লাহ আপনাকে শিক্ষা দিয়েছেন।’ তিনি বললেন, ‘‘তোমরা অমুক অমুক দিন একত্রিত হও।’’ অতঃপর নবী (সাঃ) তাদের নিকট এসে সে শিক্ষা দিলেন, যা আল্লাহ তাঁকে শিক্ষা দিয়েছেন। তারপর তিনি বললেন, ‘‘তোমাদের মধ্যে যে কোন মহিলার তিনটি সন্তান মারা যাবে, তারা তার জন্য জাহান্নামের আগুন থেকে আড় হয়ে যাবে।’’ এক মহিলা বলল, ‘আর দু’টি সন্তান মারা গেলে?’ তিনি বললেন, ‘‘দু’টি মারা গেলেও (তাই হবে)।’’ ” (বুখারী- ১০১, তাওহীদ পাবলিকেশন) #দুনিয়াবি কোন বিপদ থেকে বাচার জন্য আমরা কত রকমের উপায় অবলম্বন করে থাকি অথচ আমাদের সবচেয়ে বড় বিপদ জাহান্নাম থেকে বাচার জন্য এই উপায়গুলো সর্বাত্মকভাবে আঁকড়ে ধরা কি আমাদের জন্য জরুরি নয়? আল্লাহ তা’লা আমাদের এই আমলগুলো করার মাদ্ধমে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার তাওফিক দান করুন, আমীন।
2 notes · View notes
sangbadprotidinbd · 4 years ago
Quote
পর্বঃ১মলেখকঃ ফয়সাল আহমেদ শিশিরজান্নাত চিৎকার করছে ....জোরে জোরে চিৎকারও করতে পারতেছে না।জান্নাতের হাত-পা,চোখ-মুখ সব বাধা।তারেকের বাহিনী জান্নাতকে হাত-মুখ বেঁধে গভীর অরণ্যের মাঝখান দিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট নিয়ে যাওয়ার পর। একটা ঘরের মাঝে নিয়ে গেল জান্নাতকে।জান্নাত ভয়ে ভয়ে থম থম করে কাঁপছে।....একটু পরে তারেক ঘরে প্রবেশ করলো....--নাম কি তোর? (তারেক ঘরে ডুকেই জান্নাতকে)--হুমায়রা জান্নাত।--তুই কি জানিস এখানে তোকে কেন নিয়ে এসেছি?--না।--এখানে তোকে ধর্ষণ করার জন্য নিয়ে এসেছি।কথা টা শোনেই জান্নাতের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো...জান্নাতের গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেল..জান্নাত চিৎকার করে কান্না করতে শুরু করলো...--এই চু.....নি,খা...কি চিৎকার করতেছিস কেন?জান্নাত তারেকের পায়ে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে থাকলো।...--প্লিজ ভাইয়া আমার এত বড় সর্বনাশ করবেন না।প্লিজ ভাইয়া প্লিজ। আমি তো আপনার ছোট বোনের মত।আচ্ছা ভাইয়া আপনি কি পারতেন আপনার নিজের ছোট বোনকে ধর্ষণ করতে???......কে শুনে কার কথা।......তারেক জান্নাতের কথায় বিরক্ত হয়ে জান্নাতের কোমল ধবধবে সাদা দুটো গালে কষে দুইটা থাপ্পড় মারলো।থাপ্পড় খেয়ে জান্নাত অজ্ঞান হয়ে গেল।থাপ্পড়ে জান্নাতের গাল দুইটা লাল টকটকে হয়ে গেল....তারেক জানোয়ারের মতো জান্নাতের অজ্ঞান শরীরে ঝাপিয়ে পড়লো।....জান্নাত জ্ঞান ফিরার পর দেখতে পায় যে তার শরীরে কোনো কাপড় নেই এবং শরীরে অজছরো দাগ।....একটু পর তারেক আবার রুমে ডুকলো....তারেক কিছু রুটি আর পানি দিল জান্নাতকে খাবার জন্য।জান্নাত না খেয়ে ঐগুলো জানালা দিয়ে ছুঁড়ে মারলো।...তারেক আবার জান্নাতের উপর ঝাপিয়ে পড়লো।টানা চার বার তারেক জান্নাতকে ধর্ষণ করলো।....জান্নাত এখন হাঁটতে পারছে না।জান্নাত ফ্যানের পাখার সাথে উড়না বাধলো মরে যাওয়ার জন্য।--কি ব্যাপার এখানে তো মরা যাবে না?তোকে এখানে মরে যাবার জন্য তো ধর্ষণ করি নাই।বাড়িতে গিয়ে মরবি,যাতে লজ্জায় সমাজে তোর পরিবার কারো সামনে মুখ দেখাতে না পারে।"--আমার অপরাধ টা কি?--অপরাধ তুই করিস নাই,অপরাধ করছে তোর বাবা।--কি এমন অপরাধ করছে আমার বাবা?যার জন্য আমাকে এত বড় সর্বনাশ করলেন আপনি?--সেটা বাড়িতে গেলেই  বুঝতে পারবি।--আপনি বলেন?--সেটা আমি এখন এই মূহুর্তে বলার কোনো প্রয়োজন মনে করি না।--তাহলে আমার এমন সর্বনাশ টা কেন ?--এই ছেড়ি এই এত কথা বলিস কেন?তারেকের গর্জনে জান্নাত ভয়ে স্থতমত হয়ে গেল.....পরদিন সকালে তারেকের লোকজনেরা জান্নাতকে তার বাড়ির সামনে রেখে আসলো।এবং  পাড়ার সব লোক কে জান্নাতকে ধর্ষণের বিষয়টা জানিয়ে আসলো।..গ্রামের সবাই জান্নাতের বাবা মাকে থুথু দিতে শুরু করলো।..ঘরে ডুকেই জান্নাত দরজা বন্ধ করে পাখায় উড়না পেঁচালো..--কিরে জান্নাত?তুই আত্মহত্যা ��েন করছিস?তুই কি জানিস না আত্মহত্যা মহাপাপ?তুই একটা আলেমা হয়েও এমন জগন্য কাজ করার ভাবনা ভাবলি কিভাবে?তুই আত্মহত্যা করলে তো এই জগৎ ও পেলি না পরের জগৎও হারাবি।(জান্নাতের বিবেক)--আমি কি করবো তাহলে এখন?আমার তো সব কিছু শেষ হয়ে গেছে।আমি সমাজে মুখ দেখাবো কেমনে?(জান্নাত)--এটাই তো আল্লাহর পরীক্ষা।"তোমরা কি মনে কর যে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে? অথচ আল্লাহ এখনো জানেননি তাদেরকে যারা তোমাদের মধ্য থেকে জিহাদ করেছে এবং জানেননি ধৈর্যশীলদেরকে।"(আলে-ইমরান: ১৪২)এই আয়াত টা কি তুই পড়িস নি??আরে বোকা জান্নাত যাওয়া কি এতই সহজ?ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া,সুমাইয়া(রা:) তাদের জীবনী কি তুই পড়িস?"আর তোমরা দুর্বল হয়ো না এবং দুঃখিত হয়ো না, আর তোমরাই বিজয়ী যদি মুমিন হয়ে থাক।"(আলে-ইমরান: ১৩৯)তাহলে ভয় কেন করছিস?এটা তোর উপর আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা ধৈর্য্য ধর ইনশাআল্লাহ একদিন না একদিন তুই সফল হবিই।আর দেখবি এর মাঝেই আল্লাহ তোর জন্য উত্তম কিছু রেখে দিয়েছেন।"জান্নাত এখন গোসল করে এসে তওবা করে আল্লাহর দরবারে হাজির হয়ে দুই রাকাত নামাজের নিয়ত করে সিজদায় লুটিয়ে পড়লো।....একটু পর জান্নাতের বাবা তার রুমে আসলো...--কি হয়েছে,মা?--????(জান্নাত চুপ)--কি হয়েছে?--????(এখনো জান্নাত চুপ করে আছে।)--আরে, মা বলবি তো কি হয়েছে?--?????(এবারও কোনো উত্তর নেই।)জান্নাত এখন তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিল....--আরে মা কাঁদিস কেন?এটা তোর উপর আল্লাহর ঈমানের পরীক্ষা। ধৈর্য্য ধর।দুনিয়া কাফেরের জন্য জান্নাত আর মুমিনের জন্য দোযখ।ধৈর্য্য ধারণ কর মা আল্লাহ তোর জন্য অবস্যই তোর জীবনে ভালো কিছু রেখে দিয়েছেন।একমাত্র আল্লাহই তো উত্তম পরিকল্পনাকারি।"(এতক্ষন ধরে হুদাই পেঁচাল পারতেছি।আসুন আজকে আপনাদের বলি কেন তারেক জান্নাত কে ধর্ষণ করলো?...)জান্নাত একজন অত্যন্ত নম্র-ভদ্র,পরহেজগার এবং আল্লাহর মোত্তাকী বান্দি।শুধু তাই নয় জান্নাত একজন আলেমাও। দুই বোন এক ভাইয়ের মাঝে জান্নাত সবার বড়।জান্নাতের বাবা একজন হক্কানী আলেম-বুজুর্গ।জান্নাতের বাড়ি ভারতের কলকাতা শহরে। জান্নাতের বাবা অল ইন্ডিয়া ইত্তেহীদুল মুসলিহীন দলের একজন একনিষ্ঠ কর্মী।আর, তারেক রাস্তায় জন্ম নেওয়া একজন টোকাই।বাবা-মা কিছুই না।তারেক বিশ্ব-কুখ্যাত সন্ত্রাসী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের একজন কর্মী।জান্নাতের বাবা তার প্রত্যেক টা ওয়াজ মাহফিলে মুসলিম হত্যাকারী বর্বর কুখ্যাত সন্ত্রাসী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে উচ্চ কন্ঠে বক্তব্য দেয়। জান্নাতের বাবার উপর সরকারি দলের লোকেরা বিভিন্ন জেলা-জরিমানা করছে তবুও থামাতে পারে নি।তাই অবশেষে তারেকে দিয়ে জান্নাতকে ধর্ষণ করায়।সকালে, তারেকর লোকজনেরা মহল্লার সবাইকে জান্নাতকে ধর্ষণের কথা বলে দেয়।পাড়ায় পাড়ায় জানাজানি হয়ে যায়।লোকেরা সবাই জান্নাত ও জান্নাতের বাবা কে নিয়ে বাজে মন্তব্য করতে শুরু করে। সবাই থুতু থুতু দেওয়া শুরু করে জান্নাতদেরকে।এসব সহ্য করতে না পেরে জান্নাতের বাবা তাদের পরিবার নিয়ে কোথায় যে চলে যায় কেউ জানে না।....--তারেক কোথায়  আছো তুমি?--এইতো  বস, কোথাও না ক্লাবে বসে আড্ডা দিতেছি।--কাজ কি ঐটা শেষ করছো?--আরে বস এটা কি আবার বলা লাগে নাকি!শেষ করছি মানে ওদেরকে একবারে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি!--ওও তাই নাকি?ধন্যবাদ।কাল দেখা কইরো।--ওকে বস।তারেক মদ খেয়ে মাতাল হয়ে ক্লাব থেকে বের হল বাসায় যাবার জন্য।নির্জন নিরিবিলি নিস্তব্ধ রাস্তা দিয়ে একা একা হাঁটছে তারেক।হঠাৎ, রাস্তার মাঝে কি যেন মধুর একটা বানী শোনতে পেল তারেক!তারেকের কাছে সুর টা যেন ক্রমেই ভালো লাগতে শুরু করলো।কোথায় বাজতেছে এই সুর তারেক খোঁজতে লাগলো??তারেক কন্ঠ টা যতই শুনছে ততই তার কাছে ভালো লাগছে।অবশেষে তারেক খোঁজে পেল এটা কোথায় বাজছে??একটা দোকানে বাজতেছে..হাজারো ব্যথা বেদনার পরে,ফিরে আসো নি তুমি আপন ঘরে,দ্বীনের আলো ছড়িয়ে দিতে, চলে গেলে মদিনায় মক্কা ছেড়ে,,হে রাসূল, তোমাকে ভুলি আমি কেমন করে?হে রাসূল, তোমাকে ভুলি আমি কেমন করে?হাজারো ব্যথা বেদনার পরে,ফিরে আসো নি তুমি আপন ঘরে,দ্বীনের আলো ছড়িয়ে দিতে, চলে গেলে মদিনায় মক্কা ছেড়ে,,হে রাসূল, তোমাকে ভুলি আমি কেমন করে?হে রাসূল, তোমাকে ভুলি আমি কেমন করে?খেয়ে না খেয়ে দ্বীন প্রচারের কাজে নিজেকে দিয়েছো বিলিয়ে।তায়েফের কাফেরা চিনলো না সে আলো,দুষ্ট ছেলেদের পিছু দিল লেলিয়ে।........--কে এই শিল্পী?(তারেক দোকানদারকে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো)দোকানদার তো ভয়ে কাঁপছে.....কারণ তারেক হুজুরদেরকে মোটেও দেখতে পারে না।তারেক এতক্ষন তো শুধু শিল্পীর গান শুনছিল এখন সামনে সরাসরি দেখছে টিভিতে...অপরূপ মায়াবী চেহেরা,তারেক যতই শিল্পীর দিকে তাকাচ্ছে ততই মায়ায় পড়ে যাচ্ছে, যেমন সুর তেমন নূরানী চেহেরা।--এই কাকু বলেন না কেন কে ইনি?--ইনি শিল্পী না ইনি আলেম/বক্তা ওয়াজ করে মানুষ কে হেদায়াতের পথ দেখায়।(দোকানদার এইবার ভয়ে ভয়ে)--ওও তো নাম কি তার??--মিজানুর রহমান আজহারী।তারেক একটু পর দেখতে পায় যে, শিল্পিটি আবার কথাও বলছে তাও ইংরেজি তে।তারেক একটু অবাকই হল--কি ব্যাপার হুজুর রাও আবার ইংরেজি পারে নাকি?তারেক হুজুর/আলেমদের দেখতেই পারে না কিন্তু আজ যেন তারেকের কি হল?সে যতই মিজানুর রহমান আজহারির কন্ঠ শুনছে ততই তার ভালো লাগছে,,,একটুও খারাপ লাগছে না তারেকের।--কাকু আমাকে এই ভিডিওটি দেওয়া যাবে?--দেওয়া যাবে না কেন অবস্যই দেওয়া যাবে।--তাহলে দেন আমাকে?দোকানদার তারেককে মোবাইল থেকে শেয়ার করে দিয়ে দিল ভিডিওটি।তারেক ভিডিও টি নিয়ে বাসায় চলে আসলো।ভিডিও টি ছিল তাওবার ওয়াজ নিয়ে। আপনারা যারা মিজানুর রহমান আজহারিরের শুনেন তারা তো ভালো করেই জানেন যে আজহারি তার সব গুলো ওয়াজের মধ্যে সব থেকে বেশি কান্না করছিল তাওবার ওয়াজে।তারেক ওয়াজ টা শুনছে আর তারেকের চোখ দিয়ে টপ টপ করে জল পড়ছে।খুব অনুতপ্ত হচ্ছে তারেক।তারেক এবার তার নিজের ভুল গুলো বুঝতে পারছে।সারাজীবনের খারাপ কাজ গুলোর জন্য অনুতপ্ত হচ্ছে তারেক।তারেক জন্ম-সূত্রে মূসলিম হলেও তার ধারাবাহিকতা আর রাখে নাই সে ছোট থেকেই টোকাই,উগ্রবাদ হিন্দুদের সাথে চলে চলে তাদের মতোই হয়ে গিয়েছে।এভাবেই তারেক সেদিনের মতো ঘুমিয়ে যায়.....পরদিন সকালে তারেক ঘুম থেকে উঠলো.....তারেকের মন টা একটু ভার তার ভিতর কেমন জানি করছে??কি যেন নাই নাই মনে হচ্ছে???তারেক একটু পর আবার ওই চাচার দোকানে গেল....--কি বাবা সিগারেট লাগবে?--না।--তাহলে, বাবা কি দিব চা নাকি পান?--চাচা এসব কিছুই লাগবে না।--তাহলে, বাবা কিসের জন্য আসছো দোকানে?--চাচা সেদিন যে হুজুরের ওয়াজ দিলেন তার কি আরো ওয়াজ আপনার কাছে আছে??--নাই তবে তুমি Youtube  থেকে নামিয়ে নিতে পারো।--কি লিখে সার্চ দিব কাকা?--মিজানুর রহমান আজহারি ওয়াজ।--ওকে, চাচা আসি।--বসবে না আজ?--না,চাচা।বাসার দিকে রওনা দিল তারেক।..অর্ধেক রাস্তা এসেই আবার তারেক দোকানের দিকে গেল।..--বাসা কোথায় তার??--ইনি আমাদের ভারতীয় বক্তা না, তিনি বাংলাদেশি বক্তা।তার জন্মস্থান বাংলাদেশে।তিনি লেখা পড়া করছেন মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে।--আমি আরো ভাবছিলাম সে আমাদের দেশি (ভারতীয়)--না সে বাংলাদেশি।--লোকটা কিন্তু অনেক স্মার্ট।--হুম, ঠিক বলছো।--আচ্ছা কাকা আজ তাহলে আসি।--চা-পান-বিড়ি-সিগারেট কিচ্ছু খাবা না আজ?--সিগারেট দিয়ে দেন কয়েকটা কাকা।--আচ্ছা এই নাও।তারেক সিগারেট গুলো নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হল...রাস্তায় সিগারেট টেনে টেনে আসছে আর ওয়াজ শুনছে।....একটুপর তারেক দেখতে পায় সিগারেট টা যেন তার কাছে আজ আর ওই রকম ভালো লাগছে না।কেমন যেন বিরক্তিকর লাগছে সিগারেট টা।মনে মনে রাগ হলো দোকানদারের উপর, --হয়তো ভাল সিগারেট দেয় নি আজ।কিন্তু আমাকে তো খারাপ সিগারেট দেওয়ার সাহস কারো নেই।(মনে মনে তারেক)এরপর আরেকটা সিগারেট ধরালো...এখনো সেই আগের অবস্থা।সিগারেট যেন আজ তার কাছে মোটেও ভালো লাগছে না।রাগ করে সব সিগারেট ফেলে দিল তারেক।...তারেক নিজেও বুঝতে পারছে না কেন আজ তার সিগারেট ভালো লাগছে না।তার কাছে তো যেকোনো সিগারেটই ভালো তবে আজ কেন ভালো লাগছে না।যাই হোক এসব ভাবতে ভাবতে তারেক বাসায় চলে আসলো।...বাসায় এসে মোবাইল হাতে নিল...মোবাইল হাতে নিয়ে ডুকলো Youtube এ ডুকে আজহারি ওয়াজ লিখে সার্চ করলো.অনেক গুলো ওয়াজ পেয়ে যায় তারেক। বেশ কয়েকটা ওয়াজ ডাওনলোড দিল তারেক....ওয়াজ গুলো যতই শুনছে তারেকের ভিতর টা কেমন জানি হয়ে যাচ্ছে।কি যেন খালি খালি লাগছে তারেকের কোনো কিছু ভালো লাগছে না।ওয়াজ শোনতে শোনতে তারেক কখন যে ঘুমিয়ে যায় নিজেও জানে না।মধ্যে রাতে তারেক হটাৎ এক ভয়ংকর স্বপ্ন দেখতে পায়।....স্বপ্নে,--তারেক মারা গেছে।তারেকের মৃত্যু তে ��েন এলাকায় খুশির রোল পড়ে গেছে।এলাকার সবাই একে অপরকে বলা বলি করছে,"আজ থেকে আমরা মুক্ত আমরা স্বাধীন। আজকের পর থেকে উপর আর কেউ জুলুম করবে না,আমাদের জমি আর কেউ আত্মসাধ করতে আসবে না,আমাদেরকে আর কেউ হত্যা করতে আসবে না, আমাদের স্ত্রী-মেয়েরা আজ ইভটিজিং এর হাত থেকে মুক্ত,আজকের পর থেকে আমরা সকল প্রকার অন্যায়-অত্যাচার থেকে মুক্ত।"কুখ্যাত খুনি,সম্যাডলার,সন্ত্রাসীর মৃত্যু তে সবাই খুশি। এলাকার কেউ নেই যে তারেকের মৃত্যুতে কষ্ট পাচ্ছে...এমনকি যারা তারেকের সহযোগী আছে তারাও খুশি কারন তারেকের পাপের দ্বারা অর্জিত সব সম্পত্তি তারা ব্যবহার করতে পারব��।তারা নিজেরাই এখন সমাজে আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে।কেউ কেউ বলছে... এই পাপী টাকে আগুনে পুড়িয়ে ফেল।একে মাটি দেওয়ার কোনো মানে হয় না।তারেকের বিদেহি আত্মা চোখ বুজে সব সহ্য করে যাচ্ছে কিন্তু কাউকে কিছু বলতে পাচ্ছে না। তারেকের আত্মা শুধু বোবার মতো অঝরে কান্না করে যাচ্ছে।...কিছু কিছু মানুষ বলছে সে সারাজীবন উগ্রবাদী হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে চলছে, আজকে তাকে হিন্দু সম্প্রদায়ের মতো পুড়িয়ে ফেলা হোক।আবার, কেউ কেউ বলছে সে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে চলুক তবুও তো সে মুসলিম ছিল।তাকে মাটি দেওয়া হোক।অবশেষে সিন্ধান্ত আসলো,, তারেক কে মাটি দেওয়া হবে।তারেক কে নিয়ে গেল গোসল করানোর জন্য।কিন্তু কেউ তারেকের গোসল করানোর জন্য রাজি হতে চায় না।অবশেষে, চার পাঁচ জন রাজি হল তারেক কে গোসল করানো জন্য।তারা গোসল খানায় গিয়ে ইচ্ছা মতো তারেকের শরীরে আঘাত করলো আর বলতে লাগলো..সারাজীবন আমাদেরকে জ্বালিয়েছিস।এখন মজা বুঝ। আল্লাহ যেন জীবনে কখনো তোকে জান্নাত না দেয়।তারেকের বিদেহি আত্মা চিৎকার করছে, আর বলছে আমাকে মেরো না আমার খুব কষ্ট হচ্ছে খুব কষ্ট হচ্ছে।ভীষণ ব্যথা পাচ্ছি আমি।কিন্তু তারেকের কান্না তো আর তারা শুনছে না।অবশেষে টেনে হিঁচড়ে খুব কষ্ট দিয়ে তারেক কে গোসল করানো শেষ হল।তারপর কাফন পড়ানো হল তারেক কে...তারপর জানাজা পড়ানোর সময় কেউ তারেকের জানাজা পড়তে চাইলো না।মাত্র তিন চার জন মিলে তারেকের জানাজা শেষ করলো।...দাফন করানোর জন্য যখন তারেক কে এলাকার সামনে দিয়ে নিয়ে আসছিল।তখন এলাকার সবাই তারেক কে ঘৃণা করতে লাগলো।....এবার তারেক কে দাফন করার পালা...এবারও একই অবস্থা তারেক কে দাফন করানোর জন্য কেউ নামতে চাইছে না তার কবরে।তাহলে কি আর করার আছে। দুইজন ধরে উপর থেকে তারেক কে ফেলে দিল কবরে। তারেক প্রচুর ব্যথা অনুভব করলো। কিন্তু কি আর করার আছে সে তো এখন মৃত্যু তার আর কোনো ক্ষমতা নেই।তারেক কে মাটি চাপা দিয়ে সবাই  যার যার বাড়িতে ফিরে গেল।....একটু পর কবরের ভিতর মুনকার নাকির ফেরেস্তা আসলো,,এসে তারেক কে সওয়াল জওয়াব করলো...তারেক কোনো প্রশ্নের উত্তর ওই দিতে পারলো না।ফেরেস্তারাও তারেক কে লানত দিয়ে চলে গেল...ফেরেস্তারা চলে যাওয়ার পর তারেক দেখতে পায় ভয়ংকর বড় বড় বিষধর সাপ বিচু, আগুন তারেকের দিকে ধেয়ে আসছে আর তারেক আরো লক্ষ্য করলো যে, কবরের দু পাশ টা কেমন যেন চাপা হয়ে আসছে। চাপা হতে হতে তারেকের এক পাঁজরের হার আরেক পাঁজরের হারে ডুকে যাচ্ছে।তারেক ব্যথা সহ্য করতে না পেরে অনেক জুড়ে চিৎকার দিল। চিৎকার দিয়ে বসে পড়লো তারেক...তারপর তারেক নিজেকে বিছানার উপর আবিস্কার করলো। সে মারা যায় নি। এসব সে স্বপ্নে দেখছে।....তারপর তারেক রান্না ঘরে গিয়ে পানি খেয়ে আসলো। পানি খেয়ে এসে তারেক এখন প্রচুর ভাবছে...--সারাটা জীবন আমি কি করলাম?আমি তো মৃত্যু কে ভুলেই গিয়েছিলাম।আমি তো ভুলে গিয়েছিলাম যে আমাকেও মরতে হবে।আমার মৃত্যুতে সবাই খুশি হয়। যাদের কে আমি খুব কাছের ভাবছিলাম তারাই আমার সবথেকে দূরের। এসব ভাবতে ভাবতে রাত শেষ হয়ে যায়।তারেক ও স্বপ্নটা ভুলে যায়।সকাল ১০টায় তারেকের বসে ফোন করলো..--হেলো বস।--তারেক তুমি কোথায় আছো?--এইতো বস আমি বাসাতেই আছি।--একটু আমার চেম্বারে আসো তো?--ওকে বস আসতেছি।তারেক বসের সাথে দেখা করার জন্য চেম্বারে গেল।--বস ডাকছেন আমায়?-- হুম-- কি দরকার?--দরকার ছাড়া কি আর তোমাকে ডাকি?--বলে ফেলুন কি দরকার?--নতুন একটা কাজ আসছে।এই কাজ টা করতে পারলে সারাজীবন বসে খেতে পারবা।--কি কাজ?খুন নাকি ধর্ষণ?--খুন।--ওকে বস ছবি আর লোকেশন দেন ক্লাইন্টের?--কাজ টা খুব তাড়াতাড়ি শেষ করতে হবে।--ওই নিয়ে বস আপনার চিন্তা করা লাগবে না।তারেক ছবি টা না দেখেই লোকেশন নিয়ে চলে গেল খুন করতে.....তারেক যখন শুট করবে তখন দেখে এই লোক ও একজন হুজুর।তখন তারেক তাড়াতাড়ি করে হাতের পিক টার দিকে তাকালো...কি সোন্দর চেহেরা, মুখে কুচ কুচে গাল ভর্তি কালো দাঁড়ি,মাথায় টুপি। তারেক পিকটা দেখে যেন হুজুরের প্রেমে পড়ে গেল....মানুষ এত সুন্দর হয় কি করে!! চলবে.....গল্পটা আপনার সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে শেয়ার করুন।ইনশাআল্লাহ আগামী কাল আমাদের পোর্টালে ধর্ষিতা যখন বউ গল্পের ২য় পর্ব পাবেন।এভাবেই প্রতিদিন আমরা আমাদের ওয়েব সাইটে সম্পূর্ণ গল্পটি শেয়ার করবো।
http://www.sangbadprotidin.ml/2020/09/blog-post_358.html
0 notes
quransunnahdawah · 6 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আল্লাহর মেহমান 
youtube
youtube
youtube
চার ধরনের মানুষ আল্লাহর বিশেষ মেহমান। ১. আল্লাহর পথে জিহাদকারী। ২. হজযাত্রী। ৩. ওমরাহ পালনকারী। ৪. মসজিদে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায়কারী। ইবনে উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেন, আল্লাহর পথে জিহাদকারী, হজযাত্রী ও ওমরাহ যাত্রীরা আল্লাহর প্রতিনিধি। তারা আল্লাহর কাছে দোয়া করলে তিনি তা কবুল করেন এবং কিছু চাইলে তা তাদের দান করেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৮৯৩; নাসাঈ, হাদিস : ২৬২৫)
আলেমরা আল্লাহর রাজকীয় মেহমান
Scholars Are The Royal Guests of Allah
জগতের শ্রেষ্ঠ সন্তান আলেমসমাজ। সাধারণ মানুষ আলেমদের অনুকরণ-অনুসরণকেই আখিরাতের মুক্তির পাথেয় মনে করে। আলেমদের মর্যাদা সম্পর্কে কোরআন-সুন্নাহতে এত এত গুরুত্ব এসেছে যে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ আলেমদের প্রতি মহব্বত রাখা সৌভাগ্য মনে করতে বাধ্য হয়েছে। আলেমদের মর্যাদা সম্পর্কে  রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘শুনে রাখো! যে ব্যক্তি জ্ঞান সংগ্রহে পথ চলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।
কোনো জ্ঞানী যখন জমিনে পা রাখে ফেরেশতারা তার সম্মানে নিজেদের পাখা বিছিয়ে দেন। জ্ঞানীর জন্য প্রতিটি প্রাণী, এমনকি সাগরের মাছ পর্যন্ত আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও কল্যাণ প্রার্থনা করে। লাখো তারার চেয়ে চাঁদের আলো যেমন বেশি উজ্জ্বল, তেমনি ইবাদতে মগ্ন হাজারো ব্যক্তির চেয়ে একজন জ্ঞানী আল্লাহর কাছে অনেক বেশি দামি।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)
আলেমদের চলার পথে ফেরেশতাদের পাখা বিছিয়ে দেওয়া নিয়ে আল্লাহর অলি বলেন, ‘খোদা তাআলার সৃষ্টিরাজ্যে একমাত্র আলেমরাই রাজকীয় মেহমান।
সুরা ফাতিরের ৩২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘জেনে রাখো! আমার বান্দাদের মধ্যে কেবল আলেমসমাজই আমাকে ভয় করে।’
সব কিছুর একটি নির্দিষ্ট সীমানা থাকে। ইসলামেরও একটি সীমানা আছে। কর্মগত, চিন্তাগত সব বিধি-বিধানের আছে সুস্পষ্ট চৌহদ্দি, সুনির্দিষ্ট অবকাঠামো।
এর ভেতরে যা পড়ে তা ইসলাম, যা পড়ে না তা ইসলাম নয়।  তো ইসলামী বিধি-বিধানের এই সীমান্ত যারা পাহারা দেন, যাঁরা ইসলামের মৌলিকত্ব টিকিয়ে রাখেন, তাঁরা হলেন আহলে ইলম। তাঁরা হলেন নবীদের ওয়ারিশ। ওহি পাঠানোর মাধ্যমে নবী-রাসুলদের আল্লাহ তাআলা সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছেন। নবী-রাসুলদের সেই ওহির ইলমের উত্তরাধিকারী হলেন আলেমরা।
নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আলেমরা নবীগণের উত্তরাধিকারী। নবীরা দিনার বা দিরহামকে উত্তরাধিকার হিসেবে রেখে যাননি, বরং তাঁরা রেখে গিয়েছেন কেবল ইলম। সুতরাং যে ব্যক্তি তা গ্রহণ করেছে, সে বড় কিছু গ্রহণ করেছে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৬৪১)
আলেমদের মর্যাদা বেশি হওয়ার কারণ হলো, তাঁদের কাছেই মানুষ লাভ করে কোরআন-সুন্নাহর জ্ঞান। চিনতে পারে প্রভুকে। মানুষ খুঁজে পায় নিজের আসল পরিচয়। শিখতে পারে আল্লাহর বিধি-বিধান। জানতে পারে হালাল-হারাম। তাঁদের সংস্পর্শে এসেই অন্ধকারজগতের মানুষ সন্ধান পায় আলোকিত জীবনের। মৃত হৃদয়গুলো হয় পুনরুজ্জীবিত। দুনিয়ার ভোগ-বিলাসে উন্মত্ত মানুষ আখিরাতমুখী জীবন ধারণ করে। তাঁরা পৃথিবীর জন্য রহমত। তাঁরা উম্মতের জন্য বরকত। পরমহিতৈষী ও মঙ্গলকামী। তাঁদের কাছে ইসলাম সবার আগে। আল্লাহ তাআলা আলেমদের বানিয়েছেন নিজ একত্ববাদের অন্যতম সাক্ষী হিসেবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ সাক্ষ্য দিয়েছেন যে তিনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই। ফেরেশতারা এবং ন্যায়নিষ্ঠ আলেমরাও সাক্ষ্য দিয়েছেন যে তিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই।’(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৮)
কোরআনে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যের সঙ্গেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আলেমদের আনুগত্য করার জন্য। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! তোমরা আল্লাহর নির্দেশ মান্য করো, অনুসরণ করো রাসুলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা কর্তৃত্বসম্পন্ন (ন্যায়পরায়ণ শাসক ও আলেম) তাদের।’
(সুরা : নিসা, আয়াত : ৫৯)
যেকোনো শরয়ি সমস্যা নিরসনে তাঁদের দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা নিজেই। তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘অতএব, জ্ঞানীদের জিজ্ঞেস করো, যদি তোমাদের জানা না থাকে।’ (সুরা : নাহল আয়াত : ৪৩)
একজন আলেম দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। মূল্যবান সম্পদ হারিয়ে গেলে মানুষ যেমন দিশাহারা হয়ে যায়, ঠিক তেমনি কোনো আলেম চলে গেলে পুরো দেশ ও সমাজ অচল হয়ে পড়ে। তাই আলেমদের প্রতি অবজ্ঞা বা ধৃষ্টতা প্রদর্শন করলে, এর পরিণতিও ভয়ংকর। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহ.) বলেন, ‘আলেমদের গোশত বিষের মতো। যে শুঁকে সে মরণব্যাধ���তে আক্রান্ত হয়, আর যে খায় সে মারা যায়।’
যাঁদের আল্লাহ সম্মান দিয়েছেন তাঁদেরকে অসম্মান করলে আল্লাহ বরদাশত করেন না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোনো অলির সঙ্গে দুশমনি রাখবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করব।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৫০২)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আলেমরা আল্লাহর রাজকীয় মেহমান
Scholars Are The Royal Guests of Allah
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 6 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আল্লাহর মেহমান 
youtube
youtube
youtube
চার ধরনের মানুষ আল্লাহর বিশেষ মেহমান। ১. আল্লাহর পথে জিহাদকারী। ২. হজযাত্রী। ৩. ওমরাহ পালনকারী। ৪. মসজিদে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায়কারী। ইবনে উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেন, আল্লাহর পথে জিহাদকারী, হজযাত্রী ও ওমরাহ যাত্রীরা আল্লাহর প্রতিনিধি। তারা আল্লাহর কাছে দোয়া করলে তিনি তা কবুল করেন এবং কিছু চাইলে তা তাদের দান করেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৮৯৩; নাসাঈ, হাদিস : ২৬২৫)
আলেমরা আল্লাহর রাজকীয় মেহমান
Scholars Are The Royal Guests of Allah
জগতের শ্রেষ্ঠ সন্তান আলেমসমাজ। সাধারণ মানুষ আলেমদের অনুকরণ-অনুসরণকেই আখিরাতের মুক্তির পাথেয় মনে করে। আলেমদের মর্যাদা সম্পর্কে কোরআন-সুন্নাহতে এত এত গুরুত্ব এসেছে যে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ আলেমদের প্রতি মহব্বত রাখা সৌভাগ্য মনে করতে বাধ্য হয়েছে। আলেমদের মর্যাদা সম্পর্কে  রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘শুনে রাখো! যে ব্যক্তি জ্ঞান সংগ্রহে পথ চলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।
কোনো জ্ঞানী যখন জমিনে পা রাখে ফেরেশতারা তার সম্মানে নিজেদের পাখা বিছিয়ে দেন। জ্ঞানীর জন্য প্রতিটি প্রাণী, এমনকি সাগরের মাছ পর্যন্ত আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও কল্যাণ প্রার্থনা করে। লাখো তারার চেয়ে চাঁদের আলো যেমন বেশি উজ্জ্বল, তেমনি ইবাদতে মগ্ন হাজারো ব্যক্তির চেয়ে একজন জ্ঞানী আল্লাহর কাছে অনেক বেশি দামি।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)
আলেমদের চলার পথে ফেরেশতাদের পাখা বিছিয়ে দেওয়া নিয়ে আল্লাহর অলি বলেন, ‘খোদা তাআলার সৃষ্টিরাজ্যে একমাত্র আলেমরাই রাজকীয় মেহমান।
সুরা ফাতিরের ৩২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘জেনে রাখো! আমার বান্দাদের মধ্যে কেবল আলেমসমাজই আমাকে ভয় করে।’
সব কিছুর একটি নির্দিষ্ট সীমানা থাকে। ইসলামেরও একটি সীমানা আছে। কর্মগত, চিন্তাগত সব বিধি-বিধানের আছে সুস্পষ্ট চৌহদ্দি, সুনির্দিষ্ট অবকাঠামো।
এর ভেতরে যা পড়ে তা ইসলাম, যা পড়ে না তা ইসলাম নয়।  তো ইসলামী বিধি-বিধানের এই সীমান্ত যারা পাহারা দেন, যাঁরা ইসলামের মৌলিকত্ব টিকিয়ে রাখেন, তাঁরা হলেন আহলে ইলম। তাঁরা হলেন নবীদের ওয়ারিশ। ওহি পাঠানোর মাধ্যমে নবী-রাসুলদের আল্লাহ তাআলা সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছেন। নবী-রাসুলদের সেই ওহির ইলমের উত্তরাধিকারী হলেন আলেমরা।
নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আলেমরা নবীগণের উত্তরাধিকারী। নবীরা দিনার বা দিরহামকে উত্তরাধিকার হিসেবে রেখে যাননি, বরং তাঁরা রেখে গিয়েছেন কেবল ইলম। সুতরাং যে ব্যক্তি তা গ্রহণ করেছে, সে বড় কিছু গ্রহণ করেছে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৬৪১)
আলেমদের মর্যাদা বেশি হওয়ার কারণ হলো, তাঁদের কাছেই মানুষ লাভ করে কোরআন-সুন্নাহর জ্ঞান। চিনতে পারে প্রভুকে। মানুষ খুঁজে পায় নিজের আসল পরিচয়। শিখতে পারে আল্লাহর বিধি-বিধান। জানতে পারে হালাল-হারাম। তাঁদের সংস্পর্শে এসেই অন্ধকারজগতের মানুষ সন্ধান পায় আলোকিত জীবনের। মৃত হৃদয়গুলো হয় পুনরুজ্জীবিত। দুনিয়ার ভোগ-বিলাসে উন্মত্ত মানুষ আখিরাতমুখী জীবন ধারণ করে। তাঁরা পৃথিবীর জন্য রহমত। তাঁরা উম্মতের জন্য বরকত। পরমহিতৈষী ও মঙ্গলকামী। তাঁদের কাছে ইসলাম সবার আগে। আল্লাহ তাআলা আলেমদের বানিয়েছেন নিজ একত্ববাদের অন্যতম সাক্ষী হিসেবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ সাক্ষ্য দিয়েছেন যে তিনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই। ফেরেশতারা এবং ন্যায়নিষ্ঠ আলেমরাও সাক্ষ্য দিয়েছেন যে তিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই।’(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৮)
কোরআনে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যের সঙ্গেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আলেমদের আনুগত্য করার জন্য। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! তোমরা আল্লাহর নির্দেশ মান্য করো, অনুসরণ করো রাসুলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা কর্তৃত্বসম্পন্ন (ন্যায়পরায়ণ শাসক ও আলেম) তাদের।’
(সুরা : নিসা, আয়াত : ৫৯)
যেকোনো শরয়ি সমস্যা নিরসনে তাঁদের দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা নিজেই। তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘অতএব, জ্ঞানীদের জিজ্ঞেস করো, যদি তোমাদের জানা না থাকে।’ (সুরা : নাহল আয়াত : ৪৩)
একজন আলেম দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। মূল্যবান সম্পদ হারিয়ে গেলে মানুষ যেমন দিশাহারা হয়ে যায়, ঠিক তেমনি কোনো আলেম চলে গেলে পুরো দেশ ও সমাজ অচল হয়ে পড়ে। তাই আলেমদের প্রতি অবজ্ঞা বা ধৃষ্টতা প্রদর্শন করলে, এর পরিণতিও ভয়ংকর। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহ.) বলেন, ‘আলেমদের গোশত বিষের মতো। যে শুঁকে সে মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়, আর যে খায় সে মারা যায়।’
যাঁদের আল্লাহ সম্মান দিয়েছেন তাঁদেরকে অসম্মান করলে আল্লাহ বরদাশত করেন না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোনো অলির সঙ্গে দুশমনি রাখবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করব।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৫০২)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আলেমরা আল্লাহর রাজকীয় মেহমান
Scholars Are The Royal Guests of Allah
0 notes
ilyforallahswt · 6 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আল্লাহর মেহমান 
youtube
youtube
youtube
চার ধরনের মানুষ আল্লাহর বিশেষ মেহমান। ১. আল্লাহর পথে জিহাদকারী। ২. হজযাত্রী। ৩. ওমরাহ পালনকারী। ৪. মসজিদে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায়কারী। ইবনে উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেন, আল্লাহর পথে জিহাদকারী, হজযাত্রী ও ওমরাহ যাত্রীরা আল্লাহর প্রতিনিধি। তারা আল্লাহর কাছে দোয়া করলে তিনি তা কবুল করেন এবং কিছু চাইলে তা তাদের দান করেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৮৯৩; নাসাঈ, হাদিস : ২৬২৫)
আলেমরা আল্লাহর রাজকীয় মেহমান
Scholars Are The Royal Guests of Allah
জগতের শ্রেষ্ঠ সন্তান আলেমসমাজ। সাধারণ মানুষ আলেমদের অনুকরণ-অনুসরণকেই আখিরাতের মুক্তির পাথেয় মনে করে। আলেমদের মর্যাদা সম্পর্কে কোরআন-সুন্নাহতে এত এত গুরুত্ব এসেছে যে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ আলেমদের প্রতি মহব্বত রাখা সৌভাগ্য মনে করতে বাধ্য হয়েছে। আলেমদের মর্যাদা সম্পর্কে  রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘শুনে রাখো! যে ব্যক্তি জ্ঞান সংগ্রহে পথ চলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।
কোনো জ্ঞানী যখন জমিনে পা রাখে ফেরেশতারা তার সম্মানে নিজেদের পাখা বিছিয়ে দেন। জ্ঞানীর জন্য প্রতিটি প্রাণী, এমনকি সাগরের মাছ পর্যন্ত আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও কল্যাণ প্রার্থনা করে। লাখো তারার চেয়ে চাঁদের আলো যেমন বেশি উজ্জ্বল, তেমনি ইবাদতে মগ্ন হাজারো ব্যক্তির চেয়ে একজন জ্ঞানী আল্লাহর কাছে অনেক বেশি দামি।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)
আলেমদের চলার পথে ফেরেশতাদের পাখা বিছিয়ে দেওয়া নিয়ে আল্লাহর অলি বলেন, ‘খোদা তাআলার সৃষ্টিরাজ্যে একমাত্র আলেমরাই রাজকীয় মেহমান।
সুরা ফাতিরের ৩২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘জেনে রাখো! আমার বান্দাদের মধ্যে কেবল আলেমসমাজই আমাকে ভয় করে।’
সব কিছুর একটি নির্দিষ্ট সীমানা থাকে। ইসলামেরও একটি সীমানা আছে। কর্মগত, চিন্তাগত সব বিধি-বিধানের আছে সুস্পষ্ট চৌহদ্দি, সুনির্দিষ্ট অবকাঠামো।
এর ভেতরে যা পড়ে তা ইসলাম, যা পড়ে না তা ইসলাম নয়।  তো ইসলামী বিধি-বিধানের এই সীমান্ত যারা পাহারা দেন, যাঁরা ইসলামের মৌলিকত্ব টিকিয়ে রাখেন, তাঁরা হলেন আহলে ইলম। তাঁরা হলেন নবীদের ওয়ারিশ। ওহি পাঠানোর মাধ্যমে নবী-রাসুলদের আল্লাহ তাআলা সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছেন। নবী-রাসুলদের সেই ওহির ইলমের উত্তরাধিকারী হলেন আলেমরা।
নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আলেমরা নবীগণের উত্তরাধিকারী। নবীরা দিনার বা দিরহামকে উত্তরাধিকার হিসেবে রেখে যাননি, বরং তাঁরা রেখে গিয়েছেন কেবল ইলম। সুতরাং যে ব্যক্তি তা গ্রহণ করেছে, সে বড় কিছু গ্রহণ করেছে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৬৪১)
আলেমদের মর্যাদা বেশি হওয়ার কারণ হলো, তাঁদের কাছেই মানুষ লাভ করে কোরআন-সুন্নাহর জ্ঞান। চিনতে পারে প্রভুকে। মানুষ খুঁজে পায় নিজের আসল পরিচয়। শিখতে পারে আল্লাহর বিধি-বিধান। জানতে পারে হালাল-হারাম। তাঁদের সংস্পর্শে এসেই অন্ধকারজগতের মানুষ সন্ধান পায় আলোকিত জীবনের। মৃত হৃদয়গুলো হয় পুনরুজ্জীবিত। দুনিয়ার ভোগ-বিলাসে উন্মত্ত মানুষ আখিরাতমুখী জীবন ধারণ করে। তাঁরা পৃথিবীর জন্য রহমত। তাঁরা উম্মতের জন্য বরকত। পরমহিতৈষী ও মঙ্গলকামী। তাঁদের কাছে ইসলাম সবার আগে। আল্লাহ তাআলা আলেমদের বানিয়েছেন নিজ একত্ববাদের অন্যতম সাক্ষী হিসেবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ সাক্ষ্য দিয়েছেন যে তিনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই। ফেরেশতারা এবং ন্যায়নিষ্ঠ আলেমরাও সাক্ষ্য দিয়েছেন যে তিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই।’(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৮)
কোরআনে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যের সঙ্গেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আলেমদের আনুগত্য করার জন্য। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! তোমরা আল্লাহর নির্দেশ মান্য করো, অনুসরণ করো রাসুলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা কর্তৃত্বসম্পন্ন (ন্যায়পরায়ণ শাসক ও আলেম) তাদের।’
(সুরা : নিসা, আয়াত : ৫৯)
যেকোনো শরয়ি সমস্যা নিরসনে তাঁদের দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা নিজেই। তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘অতএব, জ্ঞানীদের জিজ্ঞেস করো, যদি তোমাদের জানা না থাকে।’ (সুরা : নাহল আয়াত : ৪৩)
একজন আলেম দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। মূল্যবান সম্পদ হারিয়ে গেলে মানুষ যেমন দিশাহারা হয়ে যায়, ঠিক তেমনি কোনো আলেম চলে গেলে পুরো দেশ ও সমাজ অচল হয়ে পড়ে। তাই আলেমদের প্রতি অবজ্ঞা বা ধৃষ্টতা প্রদর্শন করলে, এর পরিণতিও ভয়ংকর। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহ.) বলেন, ‘আলেমদের গোশত বিষের মতো। যে শুঁকে সে মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়, আর যে খায় সে মারা যায়।’
যাঁদের আল্লাহ সম্মান দিয়েছেন তাঁদেরকে অসম্মান করলে আল্লাহ বরদাশত করেন না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোনো অলির সঙ্গে দুশমনি রাখবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করব।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৫০২)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আলেমরা আল্লাহর রাজকীয় মেহমান
Scholars Are The Royal Guests of Allah
0 notes
myreligionislam · 6 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আল্লাহর মেহমান 
youtube
youtube
youtube
চার ধরনের মানুষ আল্লাহর বিশেষ মেহমান। ১. আল্লাহর পথে জিহাদকারী। ২. হজযাত্রী। ৩. ওমরাহ পালনকারী। ৪. মসজিদে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায়কারী। ইবনে উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, মহ���নবী (সা.) বলেন, আল্লাহর পথে জিহাদকারী, হজযাত্রী ও ওমরাহ যাত্রীরা আল্লাহর প্রতিনিধি। তারা আল্লাহর কাছে দোয়া করলে তিনি তা কবুল করেন এবং কিছু চাইলে তা তাদের দান করেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৮৯৩; নাসাঈ, হাদিস : ২৬২৫)
আলেমরা আল্লাহর রাজকীয় মেহমান
Scholars Are The Royal Guests of Allah
জগতের শ্রেষ্ঠ সন্তান আলেমসমাজ। সাধারণ মানুষ আলেমদের অনুকরণ-অনুসরণকেই আখিরাতের মুক্তির পাথেয় মনে করে। আলেমদের মর্যাদা সম্পর্কে কোরআন-সুন্নাহতে এত এত গুরুত্ব এসেছে যে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ আলেমদের প্রতি মহব্বত রাখা সৌভাগ্য মনে করতে বাধ্য হয়েছে। আলেমদের মর্যাদা সম্পর্কে  রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘শুনে রাখো! যে ব্যক্তি জ্ঞান সংগ্রহে পথ চলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।
কোনো জ্ঞানী যখন জমিনে পা রাখে ফেরেশতারা তার সম্মানে নিজেদের পাখা বিছিয়ে দেন। জ্ঞানীর জন্য প্রতিটি প্রাণী, এমনকি সাগরের মাছ পর্যন্ত আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও কল্যাণ প্রার্থনা করে। লাখো তারার চেয়ে চাঁদের আলো যেমন বেশি উজ্জ্বল, তেমনি ইবাদতে মগ্ন হাজারো ব্যক্তির চেয়ে একজন জ্ঞানী আল্লাহর কাছে অনেক বেশি দামি।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)
আলেমদের চলার পথে ফেরেশতাদের পাখা বিছিয়ে দেওয়া নিয়ে আল্লাহর অলি বলেন, ‘খোদা তাআলার সৃষ্টিরাজ্যে একমাত্র আলেমরাই রাজকীয় মেহমান।
সুরা ফাতিরের ৩২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘জেনে রাখো! আমার বান্দাদের মধ্যে কেবল আলেমসমাজই আমাকে ভয় করে।’
সব কিছুর একটি নির্দিষ্ট সীমানা থাকে। ইসলামেরও একটি সীমানা আছে। কর্মগত, চিন্তাগত সব বিধি-বিধানের আছে সুস্পষ্ট চৌহদ্দি, সুনির্দিষ্ট অবকাঠামো।
এর ভেতরে যা পড়ে তা ইসলাম, যা পড়ে না তা ইসলাম নয়।  তো ইসলামী বিধি-বিধানের এই সীমান্ত যারা পাহারা দেন, যাঁরা ইসলামের মৌলিকত্ব টিকিয়ে রাখেন, তাঁরা হলেন আহলে ইলম। তাঁরা হলেন নবীদের ওয়ারিশ। ওহি পাঠানোর মাধ্যমে নবী-রাসুলদের আল্লাহ তাআলা সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছেন। নবী-রাসুলদের সেই ওহির ইলমের উত্তরাধিকারী হলেন আলেমরা।
নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আলেমরা নবীগণের উত্তরাধিকারী। নবীরা দিনার বা দিরহামকে উত্তরাধিকার হিসেবে রেখে যাননি, বরং তাঁরা রেখে গিয়েছেন কেবল ইলম। সুতরাং যে ব্যক্তি তা গ্রহণ করেছে, সে বড় কিছু গ্রহণ করেছে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৬৪১)
আলেমদের মর্যাদা বেশি হওয়ার কারণ হলো, তাঁদের কাছেই মানুষ লাভ করে কোরআন-সুন্নাহর জ্ঞান। চিনতে পারে প্রভুকে। মানুষ খুঁজে পায় নিজের আসল পরিচয়। শিখতে পারে আল্লাহর বিধি-বিধান। জানতে পারে হালাল-হারাম। তাঁদের সংস্পর্শে এসেই অন্ধকারজগতের মানুষ সন্ধান পায় আলোকিত জীবনের। মৃত হৃদয়গুলো হয় পুনরুজ্জীবিত। দুনিয়ার ভোগ-বিলাসে উন্মত্ত মানুষ আখিরাতমুখী জীবন ধারণ করে। তাঁরা পৃথিবীর জন্য রহমত। তাঁরা উম্মতের জন্য বরকত। পরমহিতৈষী ও মঙ্গলকামী। তাঁদের কাছে ইসলাম সবার আগে। আল্লাহ তাআলা আলেমদের বানিয়েছেন নিজ একত্ববাদের অন্যতম সাক্ষী হিসেবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ সাক্ষ্য দিয়েছেন যে তিনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই। ফেরেশতারা এবং ন্যায়নিষ্ঠ আলেমরাও সাক্ষ্য দিয়েছেন যে তিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই।’(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৮)
কোরআনে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যের সঙ্গেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আলেমদের আনুগত্য করার জন্য। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! তোমরা আল্লাহর নির্দেশ মান্য করো, অনুসরণ করো রাসুলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা কর্তৃত্বসম্পন্ন (ন্যায়পরায়ণ শাসক ও আলেম) তাদের।’
(সুরা : নিসা, আয়াত : ৫৯)
যেকোনো শরয়ি সমস্যা নিরসনে তাঁদের দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা নিজেই। তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘অতএব, জ্ঞানীদের জিজ্ঞেস করো, যদি তোমাদের জানা না থাকে।’ (সুরা : নাহল আয়াত : ৪৩)
একজন আলেম দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। মূল্যবান সম্পদ হারিয়ে গেলে মানুষ যেমন দিশাহারা হয়ে যায়, ঠিক তেমনি কোনো আলেম চলে গেলে পুরো দেশ ও সমাজ অচল হয়ে পড়ে। তাই আলেমদের প্রতি অবজ্ঞা বা ধৃষ্টতা প্রদর্শন করলে, এর পরিণতিও ভয়ংকর। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহ.) বলেন, ‘আলেমদের গোশত বিষের মতো। যে শুঁকে সে মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়, আর যে খায় সে মারা যায়।’
যাঁদের আল্লাহ সম্মান দিয়েছেন তাঁদেরকে অসম্মান করলে আল্লাহ বরদাশত করেন না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোনো অলির সঙ্গে দুশমনি রাখবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করব।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৫০২)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আলেমরা আল্লাহর রাজকীয় মেহমান
Scholars Are The Royal Guests of Allah
0 notes
mylordisallah · 6 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আল্লাহর মেহমান 
youtube
youtube
youtube
চার ধরনের মানুষ আল্লাহর বিশেষ মেহমান। ১. আল্লাহর পথে জিহাদকারী। ২. হজযাত্রী। ৩. ওমরাহ পালনকারী। ৪. মসজিদে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায়কারী। ইবনে উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেন, আল্লাহর পথে জিহাদকারী, হজযাত্রী ও ওমরাহ যাত্রীরা আল্লাহর প্রতিনিধি। তারা আল্লাহর কাছে দোয়া করলে তিনি তা কবুল করেন এবং কিছু চাইলে তা তাদের দান করেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৮৯৩; নাসাঈ, হাদিস : ২৬২৫)
আলেমরা আল্লাহর রাজকীয় মেহমান
Scholars Are The Royal Guests of Allah
জগতের শ্রেষ্ঠ সন্তান আলেমসমাজ। সাধারণ মানুষ আলেমদের অনুকরণ-অনুসরণকেই আখিরাতের মুক্তির পাথেয় মনে করে। আলেমদের মর্যাদা সম্পর্কে কোরআন-সুন্নাহতে এত এত গুরুত্ব এসেছে যে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ আলেমদের প্রতি মহব্বত রাখা সৌভাগ্য মনে করতে বাধ্য হয়েছে। আলেমদের মর্যাদা সম্পর্কে  রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘শুনে রাখো! যে ব্যক্তি জ্ঞান সংগ্রহে পথ চলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।
কোনো জ্ঞানী যখন জমিনে পা রাখে ফেরেশতারা তার সম্মানে নিজেদের পাখা বিছিয়ে দেন। জ্ঞানীর জন্য প্রতিটি প্রাণী, এমনকি সাগরের মাছ পর্যন্ত আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও কল্যাণ প্রার্থনা করে। লাখো তারার চেয়ে চাঁদের আলো যেমন বেশি উজ্জ্বল, তেমনি ইবাদতে মগ্ন হাজারো ব্যক্তির চেয়ে একজন জ্ঞানী আল্লাহর কাছে অনেক বেশি দামি।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)
আলেমদের চলার পথে ফেরেশতাদের পাখা বিছিয়ে দেওয়া নিয়ে আল্লাহর অলি বলেন, ‘খোদা তাআলার সৃষ্টিরাজ্যে একমাত্র আলেমরাই রাজকীয় মেহমান।
সুরা ফাতিরের ৩২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘জেনে রাখো! আমার বান্দাদের মধ্যে কেবল আলেমসমাজই আমাকে ভয় করে।’
সব কিছুর একটি নির্দিষ্ট সীমানা থাকে। ইসলামেরও একটি সীমানা আছে। কর্মগত, চিন্তাগত সব বিধি-বিধানের আছে সুস্পষ্ট চৌহদ্দি, সুনির্দিষ্ট অবকাঠামো।
এর ভেতরে যা পড়ে তা ইসলাম, যা পড়ে না তা ইসলাম নয়।  তো ইসলামী বিধি-বিধানের এই সীমান্ত যারা পাহারা দেন, যাঁরা ইসলামের মৌলিকত্ব টিকিয়ে রাখেন, তাঁরা হলেন আহলে ইলম। তাঁরা হলেন নবীদের ওয়ারিশ। ওহি পাঠানোর মাধ্যমে নবী-রাসুলদের আল্লাহ তাআলা সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছেন। নবী-রাসুলদের সেই ওহির ইলমের উত্তরাধিকারী হলেন আলেমরা।
নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আলেমরা নবীগণের উত্তরাধিকারী। নবীরা দিনার বা দিরহামকে উত্তরাধিকার হিসেবে রেখে যাননি, বরং তাঁরা রেখে গিয়েছেন কেবল ইলম। সুতরাং যে ব্যক্তি তা গ্রহণ করেছে, সে বড় কিছু গ্রহণ করেছে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৬৪১)
আলেমদের মর্যাদা বেশি হওয়ার কারণ হলো, তাঁদের কাছেই মানুষ লাভ করে কোরআন-সুন্নাহর জ্ঞান। চিনতে পারে প্রভুকে। মানুষ খুঁজে পায় নিজের আসল পরিচয়। শিখতে পারে আল্লাহর বিধি-বিধান। জানতে পারে হালাল-হারাম। তাঁদের সংস্পর্শে এসেই অন্ধকারজগতের মানুষ সন্ধান পায় আলোকিত জীবনের। মৃত হৃদয়গুলো হয় পুনরুজ্জীবিত। দুনিয়ার ভোগ-বিলাসে উন্মত্ত মানুষ আখিরাতমুখী জীবন ধারণ করে। তাঁরা পৃথিবীর জন্য রহমত। তাঁরা উম্মতের জন্য বরকত। পরমহিতৈষী ও মঙ্গলকামী। তাঁদের কাছে ইসলাম সবার আগে। আল্লাহ তাআলা আলেমদের বানিয়েছেন নিজ একত্ববাদের অন্যতম সাক্ষী হিসেবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ সাক্ষ্য দিয়েছেন যে তিনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই। ফেরেশতারা এবং ন্যায়নিষ্ঠ আলেমরাও সাক্ষ্য দিয়েছেন যে তিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই।’(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৮)
কোরআনে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যের সঙ্গেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আলেমদের আনুগত্য করার জন্য। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! তোমরা আল্লাহর নির্দেশ মান্য করো, অনুসরণ করো রাসুলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা কর্তৃত্বসম্পন্ন (ন্যায়পরায়ণ শাসক ও আলেম) তাদের।’
(সুরা : নিসা, আয়াত : ৫৯)
যেকোনো শরয়ি সমস্যা নিরসনে তাঁদের দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা নিজেই। তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘অতএব, জ্ঞানীদের জিজ্ঞেস করো, যদি তোমাদের জানা না থাকে।’ (সুরা : নাহল আয়াত : ৪৩)
একজন আলেম দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। মূল্যবান সম্পদ হারিয়ে গেলে মানুষ যেমন দিশাহারা হয়ে যায়, ঠিক তেমনি কোনো আলেম চলে গেলে পুরো দেশ ও সমাজ অচল হয়ে পড়ে। তাই আলেমদের প্রতি অবজ্ঞা বা ধৃষ্টতা প্রদর্শন করলে, এর পরিণতিও ভয়ংকর। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহ.) বলেন, ‘আলেমদের গোশত বিষের মতো। যে শুঁকে সে মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়, আর যে খায় সে মারা যায়।’
যাঁদের আল্লাহ সম্মান দিয়েছেন তাঁদেরকে অসম্মান করলে আল্লাহ বরদাশত করেন না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোনো অলির সঙ্গে দুশমনি রাখবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করব।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৫০২)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আলেমরা আল্লাহর রাজকীয় মেহমান
Scholars Are The Royal Guests of Allah
0 notes
allahisourrabb · 6 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আল্লাহর মেহমান 
youtube
youtube
youtube
চার ধরনের মানুষ আল্লাহর বিশেষ মেহমান। ১. আল্লাহর পথে জিহাদকারী। ২. হজযাত্রী। ৩. ওমরাহ পালনকারী। ৪. মসজিদে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায়কারী। ইবনে উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেন, আল্লাহর পথে জিহাদকারী, হজযাত্রী ও ওমরাহ যাত্রীরা আল্লাহর প্রতিনিধি। তারা আল্লাহর কাছে দোয়া করলে তিনি তা কবুল করেন এবং কিছু চাইলে তা তাদের দান করেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৮৯৩; নাসাঈ, হাদিস : ২৬২৫)
আলেমরা আল্লাহর রাজকীয় মেহমান
Scholars Are The Royal Guests of Allah
জগতের শ্রেষ্ঠ সন্তান আলেমসমাজ। সাধারণ মানুষ আলেমদের অনুকরণ-অনুসরণকেই আখিরাতের মুক্তির পাথেয় মনে করে। আলেমদের মর্যাদা সম্পর্কে কোরআন-সুন্নাহতে এত এত গুরুত্ব এসেছে যে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ আলেমদের প্রতি মহব্বত রাখা সৌভাগ্য মনে করতে বাধ্য হয়েছে। আলেমদের মর্যাদা সম্পর্কে  রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘শুনে রাখো! যে ব্যক্তি জ্ঞান সংগ্রহে পথ চলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।
কোনো জ্ঞানী যখন জমিনে পা রাখে ফেরেশতারা তার সম্মানে নিজেদের পাখা বিছিয়ে দেন। জ্ঞানীর জন্য প্রতিটি প্রাণী, এমনকি সাগরের মাছ পর্যন্ত আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও কল্যাণ প্রার্থনা করে। লাখো তারার চেয়ে চাঁদের আলো যেমন বেশি উজ্জ্বল, তেমনি ইবাদতে মগ্ন হাজারো ব্যক্তির চেয়ে একজন জ্ঞানী আল্লাহর কাছে অনেক বেশি দামি।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)
আলেমদের চলার পথে ফেরেশতাদের পাখা বিছিয়ে দেওয়া নিয়ে আল্লাহর অলি বলেন, ‘খোদা তাআলার সৃষ্টিরাজ্যে একমাত্র আলেমরাই রাজকীয় মেহমান।
সুরা ফাতিরের ৩২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘জেনে রাখো! আমার বান্দাদের মধ্যে কেবল আলেমসমাজই আমাকে ভয় করে।’
সব কিছুর একটি নির্দিষ্ট সীমানা থাকে। ইসলামেরও একটি সীমানা আছে। কর্মগত, চিন্তাগত সব বিধি-বিধানের আছে সুস্পষ্ট চৌহদ্দি, সুনির্দিষ্ট অবকাঠামো।
এর ভেতরে যা পড়ে তা ইসলাম, যা পড়ে না তা ইসলাম নয়।  তো ইসলামী বিধি-বিধানের এই সীমান্ত যারা পাহারা দেন, যাঁরা ইসলামের মৌলিকত্ব টিকিয়ে রাখেন, তাঁরা হলেন আহলে ইলম। তাঁরা হলেন নবীদের ওয়ারিশ। ওহি পাঠানোর মাধ্যমে নবী-রাসুলদের আল্লাহ তাআলা সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছেন। নবী-রাসুলদের সেই ওহির ইলমের উত্তরাধিকারী হলেন আলেমরা।
নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আলেমরা নবীগণের উত্তরাধিকারী। নবীরা দিনার বা দিরহামকে উত্তরাধিকার হিসেবে রেখে যাননি, বরং তাঁরা রেখে গিয়েছেন কেবল ইলম। সুতরাং যে ব্যক্তি তা গ্রহণ করেছে, সে বড় কিছু গ্রহণ করেছে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৬৪১)
আলেমদের মর্যাদা বেশি হওয়ার কারণ হলো, তাঁদের কাছেই মানুষ লাভ করে কোরআন-সুন্নাহর জ্ঞান। চিনতে পারে প্রভুকে। মানুষ খুঁজে পায় নিজের আসল পরিচয়। শিখতে পারে আল্লাহর বিধি-বিধান। জানতে পারে হালাল-হারাম। তাঁদের সংস্পর্শে এসেই অন্ধকারজগতের মানুষ সন্ধান পায় আলোকিত জীবনের। মৃত হৃদয়গুলো হয় পুনরুজ্জীবিত। দুনিয়ার ভোগ-বিলাসে উন্মত্ত মানুষ আখিরাতমুখী জীবন ধারণ করে। তাঁরা পৃথিবীর জন্য রহমত। তাঁরা উম্মতের জন্য বরকত। পরমহিতৈষী ও মঙ্গলকামী। তাঁদের কাছে ইসলাম সবার আগে। আল্লাহ তাআলা আলেমদের বানিয়েছেন নিজ একত্ববাদের অন্যতম সাক্ষী হিসেবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ সাক্ষ্য দিয়েছেন যে তিনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই। ফেরেশতারা এবং ন্যায়নিষ্ঠ আলেমরাও সাক্ষ্য দিয়েছেন যে তিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই।’(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৮)
কোরআনে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যের সঙ্গেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আলেমদের আনুগত্য করার জন্য। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! তোমরা আল্লাহর নির্দেশ মান্য করো, অনুসরণ করো রাসুলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা কর্তৃত্বসম্পন্ন (ন্যায়পরায়ণ শাসক ও আলেম) তাদের।’
(সুরা : নিসা, আয়াত : ৫৯)
যেকোনো শরয়ি সমস্যা নিরসনে তাঁদের দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা নিজেই। তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘অতএব, জ্ঞানীদের জিজ্ঞেস করো, যদি তোমাদের জানা না থাকে।’ (সুরা : নাহল আয়াত : ৪৩)
একজন আলেম দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। মূল্যবান সম্পদ হারিয়ে গেলে মানুষ যেমন দিশাহারা হয়ে যায়, ঠিক তেমনি কোনো আলেম চলে গেলে পুরো দেশ ও সমাজ অচল হয়ে পড়ে। তাই আলেমদের প্রতি অবজ্ঞা বা ধৃষ্টতা প্রদর্শন করলে, এর পরিণতিও ভয়ংকর। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহ.) বলেন, ‘আলেমদের গোশত বিষের মতো। যে শুঁকে সে মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়, আর যে খায় সে মারা যায়।’
যাঁদের আল্লাহ সম্মান দিয়েছেন তাঁদেরকে অসম্মান করলে আল্লাহ বরদাশত করেন না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোনো অলির সঙ্গে দুশমনি রাখবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করব।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৫০২)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আলেমরা আল্লাহর রাজকীয় মেহমান
Scholars Are The Royal Guests of Allah
0 notes