#চিত্রশিল্প
Explore tagged Tumblr posts
bongreviewbd · 2 months ago
Text
The Reflection of Female Rage: An Analysis of Auguste Tomo and 'The Hesitant Fiancé' Painting
Auguste Tomo's (Auguste Tomaud) famous 1866 painting, 'The Hesitant Fiancé,' remains a significant portrayal of feminine emotions and thoughtful expressions in French art. This masterpiece, a shining example of the Realism movement, boldly and simplistically captures the mental state of a woman. In this article, we will explore the history of this painting, the Realism movement, and the depth of Tomo's work.
youtube
Background and Significance of ‘The Hesitant Fiancé’
Painted in 1866, ‘The Hesitant Fiancé’ reflects the mental state and reluctance of a woman. Here, we see a bride who is doubtful and sorrowful about her impending marriage. Her emotions and mental state are clearly shown in her facial expression and body language. From the painting’s title alone, we can understand that it depicts a hesitant bride who feels little excitement about marriage. This portrayal not only reflects the bride's lack of enthusiasm but also questions women’s independence and social subordination.
‘The Hesitant Fiancé’ in the Context of the French Realism Movement
The French Realism movement emerged after the French Revolution and emphasized the realistic depiction of common people's lives, emotions, and experiences. The main objective of this movement was the honest reflection of real life. Works from this period focused on ordinary people, the working class, and their daily struggles.
Auguste Tomo (Auguste Tomaud) was an influential artist within the Realist movement. His work prominently portrays women’s feelings, thoughts, and internal struggles. His paintings particularly emphasize the emotional and contemplative portraits of French women. In ‘The Hesitant Fiancé,’ he illustrates a woman’s reluctance and the pressure surrounding her marriage.
Analysis of ‘The Hesitant Fiancé’ Painting
In the painting, we see a bride whose hands are held by two women. One woman is kissing the bride’s forehead, while the other kneels by her side, possibly trying to comfort her. This scene expresses both the bride's state of mind and becomes a symbol of the fight for women’s freedom.
This artwork represents women’s individuality, independence, and social obligations. The bride's unwavering expression and hesitation raise a profound question: Is marriage a reflection of the bride’s own choice, or is it a social obligation?
‘The Hesitant Fiancé’ and Contemporary Social Context
‘The Hesitant Fiancé’ remains equally relevant in today’s context. It raises significant questions about women’s social status, their wishes, and their rights. In modern times, the importance of women’s independence and self-expression is increasing. Therefore, this painting can contribute to raising awareness about contemporary social conditions and women’s rights.
Now, 157 years later, this painting sheds light on the social pressures and personal crises of women. It has gained unique popularity in social media and meme culture. The bride’s hesitant expression has become a meme, symbolizing various dilemmas, social pressures, and mental states faced by women.
The Depiction of Women in Auguste Tomo’s Other Works
In many of Auguste Tomo’s other paintings, the portrayal of women’s emotions and contemplative thoughts is evident. In his work, he not only emphasizes women’s external beauty but also captures their mental and emotional conflicts with particular importance.
Conclusion: Why This Painting is Still Relevant
Auguste Tomo’s ‘The Hesitant Fiancé’ remains relevant today, evolving in meaning with each generation. This masterpiece of French Realism has become a reflection of women’s resilient mentality, symbolizing the feelings and the fight for women’s freedom across all eras.
Watch More: The Effects of Bee Stings and Venom: Why is a Bee Sting Fatal for the Bee?
youtube
Tags: #facts #fyp #reels #viral #highlights #FemaleRage #AugusteTomo #TheHesitantFiance #RealismArt #FrenchArt #WomenEmpowerment #ReluctantBride #FrenchRevolution #WomenRights #FineArt #FrenchPainting #WomenMentalState #WomenSocialStatus #ArtMovement #Painting #নারীরক্রোধ #অগুস্তটোমো #দ্যহেসিটেন্টফিয়ান্সে #রিয়েলিজমশিল্প #ফরাসিশিল্প #নারীরস্বাধীনতা #বিবাহেরঅনিচ্ছা #ফরাসিবিপ্লব #নারীরঅধিকার #চিত্রকলা #ফরাসিচিত্রশিল্প #নারীরমানসিকঅবস্থা #নারীরসামাজিকঅবস্থান #শিল্পআন্দোলন #চিত্রশিল্প
নারীরক্রোধ, অগুস্তটোমো, দ্যহেসিটেন্টফিয়ান্সে, রিয়েলিজমশিল্প, ফরাসিশিল্প, নারীরস্বাধীনতা, বিবাহেরঅনিচ্ছা, ফরাসিবিপ্লব, নারীরঅধিকার, চিত্রকলা, ফরাসিচিত্রশিল্প, নারীরমানসিকঅবস্থা, নারীরসামাজিকঅবস্থান, শিল্পআন্দোলন, চিত্রশিল্প, FemaleRage, AugusteTomo, TheHesitantFiance, RealismArt, FrenchArt, WomenEmpowerment, ReluctantBride, FrenchRevolution, WomenRights, FineArt, FrenchPainting, WomenMentalState, WomenSocialStatus, ArtMovement, Painting
0 notes
banglakhobor · 1 year ago
Text
হাশেম খান ও রফিকুন্নবীকে সংবর্ধনা দিলো চারুকলা অনুষদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সম্প্রতি প্রফেসর ইমেরিটাস হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় চারুকলা অনুষদের প্রাচ্যকলা বিভাগের অধ্যাপক চিত্রশিল্প মু. আবুল হাশেম খান এবং অঙ্কন ও চিত্রায়ন বিভাগের অধ্যাপক মো. রফিকুন নবীকে সংবর্ধনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদ। সোমবার (৭ আগস্ট) বিকালে অনুষদের প���্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে…
View On WordPress
0 notes
24x7newsbengal · 2 years ago
Link
0 notes
niruddesh · 8 years ago
Photo
Tumblr media
19.04.2017 - মায়াময় এ পৃথিবী।
1 note · View note
bangladesh-news-agency · 3 years ago
Text
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের জন্মদিন আজ
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের জন্মদিন আজ
বিএনএ, ঢাকা : আজ বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ১০৮তম জন্মদিন। এই গুণী শিল্পী ১৯১৪ সালের এ দিনে তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জ মহুকুমার কেন্দুয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বিংশ শতাব্দীর একজন বিখ্যাত বাঙালি চিত্রশিল্পী জয়নুল আবেদিন। বাংলাদেশে চিত্রশিল্প বিষয়ক শিক্ষার প্রসারে আমৃত্যু প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তিনি। দিনটি উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ আজ থেকে তিন দিনব্যাপী…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
sristybarta · 4 years ago
Text
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী
বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এবং দেশের শিল্পকলা চর্চা ও বিকাশের পথিকৃৎ জয়নুল আবেদিনের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বিশ্ববরেণ্য এই চিত্রশিল্পী ১৯৭��� সালের ২৮ মে ৬২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশের চিত্রকরদের মধ্যে তিনি শিল্পগুরু হিসেবে বিবেচিত। দেশের চিত্রশিল্প আন্দোলনের পুরোধা ব্যাক্তিত্ব জয়নুল আবেদিন ১৯১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বৃহত্তর ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
obaidulkarim · 4 years ago
Text
ভাগ্য আর জীবন
ওবায়দুল করিম
আজ পবিত্র শবে বরাত।ছোট বেলায় তাই জানতাম,এইদিন মানুষের ভাগ্য বা বরাত বণ্টিত হয় ।সবাই এইদিনে তাই, ধর��মীয় কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখছেন।
সমাজের উদ্ভব হয়েছে ভাগ্য বদলানোর উপায় খুজঁতে গিয়ে। পরিবার, সম্পত্তির মালিকানা, রাষ্ট্রের উদ্ভব ঐ একই উদ্দেশ্যে।তবে ভাগ্য বদলানোর এই উপায় সমাজে তৈরি করে বিত্ত, শিক্ষা, মর্যাদা ইত্যাদির ভিত্তিতে স্তরভেদ। ব্যাক্তির ভাগ্য আর স্তরায়িত মানুষের ভাগ্য, সামাজিক কারণে পৃথক হতে শুরু করে। ধনীর ভাগ্য আর গরীবের ভাগ্য সামাজিক কারণেই পৃথক।
ভাগ্য বদলের জন্য প্রাচীন কৌম গোষ্ঠীর মানুষ,গুহাগাত্রে  জীব জন্তুর ছবি উৎকীর্ণ করতো। আধুনিক চিত্রশিল্প সময়ের পরিবর্তনে সেই ভাগ্য পরিবর্তনের কথাই বলে।শিল্পের বাণী বা ম্যাসেজ, ভাগ্য পরিবর্তনের কথাইতো বলে। পিকাসোর ‘ গুয়েরনিকা‘ ঝঞ্জা বিক্ষুব্ধ পৃথিবীতে শান্তির ভাগ্য নিয়ে আসবার কথা বলে।
গ্রীক নাট্যকার সফোক্লিসের ‘ ইডিপাস‘, গণকের ভবিষ্যতবাণী পরিবর্তনের জন্য নিজ শিশুপুত্রকে হত্যা করতে চায় কিন্তু শেষতক গণকের বাণীই সঠিক হয়। দাস সমাজে,এই ম্যাসেজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। মানুষ নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করলেও ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেনা।কারণ ভাগ্য পূর্ব নির্ধারিত। দাসদের ভাগ্যও ঈশ্বর কর্তৃক পূর্ব নির্ধারিত। সুতরাং হাজারো চেষ্টা করেও ভাগ্য পরিবর্তন করা যাবেনা। দাসদের উচিত এই নির্ধারিত ভাগ্য মেনে নেয়া। যদ্দিন দাসেরা এই বিশ্বাস মেনে নিয়েছে, ততদিন দাস ব্যবস্থা টিকেছিলো।
সামন্ত ব্যবস্থায় ভূমির সাথে ভুমিদাসদের ভাগ্য বাঁধা ছিল। ভুমিদাস,তার স্ত্রী,ছেলে-মেয়ে সবাই ভূমিতে কাজ করতে বা��্য ছিল। সামাজিক ব্যবস্থাটাই ছিলো, এমন। ব্যক্তি ভূমিদাসের এর বিপরীতে ভাগ্য বদলানোর আর কোন উপায়ই ছিলোনা।
ইংল্যান্ডের ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির সদস্যরা নিজের ভাগ্য বদলের সাথে খোদ ইংল্যান্ডের ভাগ্যই পরিবর্তন করে দিলো। পুঁজির আদি সঞ্চয় ও পুঁজিবাদের উদ্ভব এই ভাগ্য বদলেরই ফল। শুধু তাই নয়, ১৭৯৩ সালের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত আইনের মাধ্যমে, অনড়,নিশ্চল ভারতের সমাজ ব্যবস্থাটাই বদলে দিলো। সতীদাহ প্রথা রদ হয়ে, স্বামীহারা অনেকেই বাঁচলেন,বিধবাদের ভাগ্যও এতে প্রসন্ন হলো।
ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য ব্যক্তির আদর্শও পরিবর্তন হয়। কট্টর বামপন্থী, উদারপন্থী রাজনীতি ঘুরে এখন কট্টর সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে যুক্ত। মৌসুমী হাওয়া বদলের মতো, রাজনৈতিক দিক বদলের এই ইচ্ছা, ভাগ্য বদলেরই ইচ্ছা ছাড়া অন্য কিছু নয়।
পৃথিবীর সব প্রাণীই প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল। ভাগ্য বদলের কোন উপায় নেই।জীবন তাই ওদের জন্য feast or fast বা ভুঁড়িভোজ অথবা উপবাস। কিন্তু মানুষ প্রকৃতির প্রভু। প্রকৃতিকে বদলাতে পারে। আর এই জন্যই কিছুটা পারে ভাগ্য বদলাতে। আমাদের যত কাজ,সবই এই ভাগ্য পরিবর্তন করবার কারণ ও উপায় থেকে উদ্ভূত।
যাঁর ভাগ্য বদলের সম্ভাবনা নেই,তিনি কখনোই গণকের কাছে যাবেননা। গরিব মানুষ তাই গণককে চেনেননা।  ওঁদের উপায় সংস্কার বা কুসংস্কার মেনে ভাগ্য বদলের চেষ্টা করা। মধ্যবিত্ত আর উচ্চবিত্তের ভাগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা থাকে। তাই, হোক নাস্তিক,কমিউনিস্ট,উদারবাদী, বিজ্ঞানমনস্ক জীবনে হাত দেখাননি বা গণকের কাছে যাননি এমন মানুষ খুব কমই আছেন।
গণক বা জ্যোতিষ নিজেও এ পেশা বেছে নিয়েছেন ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যই। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন সত্ত্বেও, মানুষের ভাগ্য নির্ভরতা যে কি পরিমান গভীরে প্রোথিত তা পত্রিকায় horoscope বা রাশিফলের কলাম দেখলেই বোঝা যায়। ধনী বা দরিদ্র যেমনই হোক অর্থব্যবস্থা, রাশিফল পত্রিকা কাটতির এক বড় উপায়। ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন না থাকলে এমন হয়?  
  Powered by Journey Diary.
0 notes
alauddinvuian · 5 years ago
Link
0 notes
bongreviewbd · 2 months ago
Text
নারীর ক্রোধের প্রতিচ্ছবি: অগুস্ত টোমো এবং ‘দ্য হেসিটেন্ট ফিয়ান্সে’ চিত্রকর্মের বিশ্লেষণ
১৮৬৬ সালের অগুস্ত টোমো (Auguste Tomaud) -এর বিখ্যাত চিত্রকর্ম ‘দ্য হেসিটেন্ট ফিয়ান্সে’ (The Hesitant Fiancé) ফরাসি শিল্পকলায় নারীর আবেগময় ও চিন্তাশীল প্রতিকৃতি হিসেবে আজও বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। রিয়েলিজম (Realism) শিল্প আন্দোলনের এক উজ্জ্বল উদাহরণ এই চিত্রকর্মটি নারীর মানসিক অবস্থার সরল ও সাহসী এক চিত্র তুলে ধরেছে। এই নিবন্ধে, আমরা এই চিত্রকর্মের ইতিহাস, রিয়েলিজম শিল্প আন্দোলন, এবং টোমো’র কাজের গভীরতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
youtube
‘দ্য হেসিটেন্ট ফিয়ান্সে’ চিত্রকর্মের পটভূমি ও গুরুত্ব
১৮৬৬ সালে আঁকা ‘দ্য হেসিটেন্ট ফিয়ান্সে’ চিত্রকর্মটি একটি নারীর মানসিক অবস্থা এবং অনিচ্ছার প্রতিফলন ঘটায়। এখানে একজন কনেকে দেখা যায়, যিনি তার আসন্ন বিবাহ সম্পর্কে দ্বিধান্বিত ও দুঃখিত। কনের আবেগ এবং মানসিক অবস্থা তার মুখমণ্ডল ও শরীরভঙ্গিতে স্পষ্ট হয়েছে। চিত্রকর্মটির শিরোনাম থেকেই বোঝা যায় যে, এটি এক দ্বিধাগ্রস্ত কনের ছবি, যার বিবাহের প্রতি কোনও বিশেষ আগ্রহ নেই। এই প্রতিকৃতি শুধুমাত্র কনের বিবাহের অনাগ্রহই নয়, বরং নারীর স্বাধীনতা এবং সামাজিক পরাধীনতার ওপর একটি প্রশ্ন তুলে ধরে।
ফরাসি রিয়েলিজম আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ‘দ্য হেসিটেন্ট ফিয়ান্সে’
ফরাসি রিয়েলিজম (Realism) শিল্প আন্দোলনটি ফরাসি বিপ্লবের পরে প্রবর্তিত হয়েছিল এবং এই ধারাটি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা, আবেগ ও অভিজ্ঞতার দৃশ্যায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছিল। এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল বাস্তবজীবনের সত্য এবং সৎ প্রতিফলন। এ সময়ের শিল্পীদের কাজগুলো সাধারণ মানুষ, কর্মজীবী শ্রেণী এবং তাদের দৈনন্দিন সংগ্রামকে গুরুত্ব দিয়ে উপস্থাপন করেছে।
অগুস্ত টোমো (Auguste Tomaud) ছিলেন এই রিয়েলিস্ট আন্দোলনের একজন প্রভাবশালী শিল্পী। তার কাজের মধ্যে নারীদের অনুভূতি, চিন্তা, এবং আভ্যন্তরীণ সংগ্রামের চিত্রায়ণ দেখা যায়। তার চিত্রকর্মগুলিতে বিশেষত ফরাসি নারীদের আবেগময় এবং চিন্তাশীল প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ‘দ্য হেসিটেন্ট ফিয়ান্সে’-এ, তিনি এক নারীর বিবাহে অনিচ্ছা এবং পারিপার্শ্বিক চাপকে চিত্রায়িত করেছেন।
‘দ্য হেসিটেন্ট ফিয়ান্সে’ চিত্রকর্মের বিশ্লেষণ
চিত্রকর্মটিতে একটি কনেকে দেখা যায় যার হাত দুটি মহিলা ধরে আছেন। একজন কনের কপালে চুমু খাচ্ছেন, আরেকজন তার পাশে হাঁটু গেড়ে বসে আছেন এবং সম্ভবত তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এই চিত্রটি একদিকে যেমন কনের মনোভাব প্রকাশ করছে, তেমনি এটি নারীর স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়েরও একটি প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই চিত্রকর্মটি নারীর স্বতন্ত্রতা, স্বাধীনতা এবং সামাজিক বাধ্যবাধকতার প্রতিফলন। এখানে কনের অবিচল মুখাবয়ব এবং তার অনিচ্ছা একটি গভীর প্রশ্ন তুলে ধরে – বিবাহ কি কনের নিজের ইচ্ছার প্রতিফলন না কি এটি একটি সামাজিক বাধ্যবাধকতা?
‘দ্য হেসিটেন্ট ফিয়ান্সে’ এবং বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপট
‘দ্য হেসিটেন্ট ফিয়ান্সে’ চিত্রকর্মটি বর্তমান প্রেক্ষাপটেও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। এটি নারীর সামাজিক অবস্থান, তার ইচ্ছা এবং অধিকার নিয়ে এক গভীর প্রশ্ন তোলে। বর্তমান যুগে নারীর স্বাধীনতা এবং নিজস্ব মতামত প্রকাশের গুরুত্ব ক্রমশ বাড়ছে। এই চিত্রকর্মটি তাই আমাদের বর্তমান সামাজিক অবস্থা এবং নারীর অধিকার বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে।
আজ ১৫৭ বছর পর, এই চিত্রকর্মটি নারীর সামাজিক চাপ এবং ব্যক্তিগত সংকটের উপর আলো ফেলছে এবং সোশ্যাল মিডিয়া এবং মিমের দুনিয়ায় এটির অনন্য প্রকাশ ঘটেছে। কনের দ্বিধাগ্রস্ত মুখাবয়ব সামাজিক মাধ্যমে একটি মিম হিসেবে ছড়িয়ে পড়েছে যা নারীর বিভিন্ন দ্বিধা, সামাজিক চাপ এবং মানসিক অবস্থার প্রতিনিধিত্ব করে।
অগুস্ত টোমো-এর অন্যান্য চিত্রকর্মে নারীর প্রতিচ্ছবি
অগুস্ত টোমো-এর অন্যান্য চিত্রকর্মেও নারীর আবেগময় ও চিন্তাশীল চিত্রায়ণ স্পষ্ট। তার বেশিরভাগ চিত্রকর্মেই তিনি নারীদের দৈনন্দিন জীবন এবং আবেগের দিকগু��ো তুলে ধরেছেন। তিনি শুধুমাত্র নারীদের বাহ্যিক সৌন্দর্যই নয় বরং তাদের মানসিক এবং আবেগগত দ্বন্দ্বকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে চিত্রায়ণ করেছেন।
উপসংহার: চিত্রকর্মটি কেন এখনও প্রাসঙ্গিক?
অগুস্ত টোমো-এর ‘দ্য হেসিটেন্ট ফিয়ান্সে’ চিত্রকর্মটি আজও প্রাসঙ্গিক এবং তা যুগের সাথে সাথে নতুন অর্থে সংজ্ঞায়িত হচ্ছে। ফরাসি রিয়েলিজমের এই কীর্তিটি নারীর অবিচল মানসিকতার প্রতিচ্ছবি হয়ে দাঁড়িয়েছে যা প্রতিটি যুগে নারীর অনুভূতি এবং তার স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ের প্রতীক হয়ে রয়ে যাবে।
আরও দেখুনঃ মৌমাছির হুলের বিষ ও এর প্রভাব: মৌমাছির হুল ফোটানো কেন মারাত্মক?
youtube
Tags: #facts #fyp #reels #viral #highlights #FemaleRage #AugusteTomo #TheHesitantFiance #RealismArt #FrenchArt #WomenEmpowerment #ReluctantBride #FrenchRevolution #WomenRights #FineArt #FrenchPainting #WomenMentalState #WomenSocialStatus #ArtMovement #Painting #নারীরক্রোধ #অগুস্তটোমো #দ্যহেসিটেন্টফিয়ান্সে #রিয়েলিজমশিল্প #ফরাসিশিল্প #নারীরস্বাধীনতা #বিবাহেরঅনিচ্ছা #ফরাসিবিপ্লব #নারীরঅধিকার #চিত্রকলা #ফরাসিচিত্রশিল্প #নারীরমানসিকঅবস্থা #নারীরসামাজিকঅবস্থান #শিল্পআন্দোলন #চিত্রশিল্প
নারীরক্রোধ, অগুস্তটোমো, দ্যহেসিটেন্টফিয়ান্সে, রিয়েলিজমশিল্প, ফরাসিশিল্প, নারীরস্বাধীনতা, বিবাহেরঅনিচ্ছা, ফরাসিবিপ্লব, নারীরঅধিকার, চিত্রকলা, ফরাসিচিত্রশিল্প, নারীরমানসিকঅবস্থা, নারীরসামাজিকঅবস্থান, শিল্পআন্দোলন, চিত্রশিল্প, FemaleRage, AugusteTomo, TheHesitantFiance, RealismArt, FrenchArt, WomenEmpowerment, ReluctantBride, FrenchRevolution, WomenRights, FineArt, FrenchPainting, WomenMentalState, WomenSocialStatus, ArtMovement, Painting
0 notes
paathok · 6 years ago
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/73047
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৮তম জন্মবার্ষিকী আজ
.
আজ ২৫ বৈশাখ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরে ১৫৮তম জন্মবার্ষিকী। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের এই দিনে তিনি পশ্চিমবঙ্গের জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘর আলো করে জন্মগ্রহণ করেন।
রবীন্দ্র বিশেষঞ্জদের মতে, এতকাল পরেও তিনি বাঙালির জীবনে প্রবাদের মতো আছেন, আরো কয়েক দশক পরেও থাকবেন। তিনি চির নতুনের কবি, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের কবি । মৃত্যুহীন অনন্ত জীবনের সাক্ষর বয়ে যাবেন যুগ থেকে যুগান্তরে।
রবীন্দ্রনাথ বাংলার কবি, বাঙালির কবি। তবে তিনি নিজেকে বিশ্বচরাচরের অংশ হিসাবে বিশ্বাস করতেন। বাঙালিদের উদ্দেশ করে তিনি বলেছেন, তুমি নিছক বাঙালি নও, তুমি বিশ্বচরাচরের অংশ।
সকলের সঙ্গে মিলিত হয়ে প্রেমের মধ্যে বাঁচতে বলেছেন রবীন্দ্রনাথ। সঙ্গে যুক্ত করতে বলেছেন প্রণীজগৎ, নিসর্গ, প্রকৃতিকে। শুধু তাই নয়, শিল্পের জগৎ, কল্পনার জগতের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিজের বিস্তার ঘটাতে বলেছেন।
রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, ‘যুক্ত করো হে সবার সঙ্গে, মুক্ত করো হে বন্ধ। সঞ্চার করো সকল কর্মে শান্ত তোমার ছন্দ। চরণপদ্মে মম চিত নিস্পন্দি করো হে। নন্দিত করো, নন্দিত করো, নন্দিত করো হে।’
প্রতিবছরের মতো এবারও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নোবেল বিজয়ী এই বাঙালি কবিকে স্মরণ করবে তার অগুনিত ভক্ত। শুধু দুই বাংলার বাঙালিই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলা ভাষাভাষীরা কবির জন্মবার্ষিকীর দিবসটি উদযান করবে হৃদয় উৎসারিত আবেগ ও শ্রদ্ধায়।
জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এবার বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৮তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘মানবিক বিশ্ব বিনির্মাণে রবীন্দ্রনাথ’।
এ বছর জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান হবে রাজধানী ঢাকায়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আজ বুধবার বিকাল ৩ টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম সিমিন হোসেন রিমি।
বিশেষ বক্তা থাকবেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান এবং রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, লেখক, গবেষক, সংগঠক ও শিক্ষক অধ্যাপক সনজীদা খাতুন। স্বাগত বক্তব্য দেবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আবু হেনা মোস্তফা কামাল। রবীন্দ্র স্মারক বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানস্থলের পাশে এবং পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে তিনদিনব্যাপী কবির চিত্রশিল্প প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এছাড়াও ঢাকাসহ কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়ার শিলাইদহ, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, নওগাঁর পতিসর এবং খুলনার দক্ষিণডিহি ও পিঠাভোগে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় তার ১৫৮তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করা হবে। এ উপলক্ষে রবীন্দ্রমেলা, রবীন্দ্রবিষয়ক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ এখনো কেন প্রাসঙ্গিক-এ ব্যাপারে রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এমিরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, বাঙালির এই কবি এমন এক সময় জন্মগ্রহণ করেছিলেন যখন রাষ্ট্র ছিল পরাধীন, চিন্তা ছিল প্রথাগত ও অনগ্রসর, বাংলাভাষা ছিল অপরিণত।
তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ একাধারে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ্বমানে উন্নীত করার পাশাপাশি জাতির চিন্তা জগতে আধুনিকতার উন্মেষ ঘটিয়েছেন। বাঙালির মানস গঠনে পালন করেছেন অগ্রদূতের ভূমিকা। সত্য, সুন্দর, ন্যায় ও কল্যাণের পথে অভিসারী হয়ে ওঠার প্রেরণা যোগানোর মধ্যদিয়ে বাঙালি মননকে বিশ্বমানে উন্নীত করে জাতিকে আবদ্ধ করে গেছেন চিরকৃতজ্ঞতায়। একশত ৫৮ বছর পেরিয়েও কবি আমাদের মাঝে তাই চিরজাগরূক হয়ে আছেন।
রবীন্দ্রনাথ প্রথম নোবেল বিজয়ী বাঙালি কবি। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলী কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। কবির গান-কবিতা, বাণী এই অঞ্চলের মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তির ক্ষেত্রে প্রভূত সাহস যোগায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে শুধু নয়, চিরকালই কবির রচনাসমূহ প্রাণের সঞ্চার করে। আমাদের প্রতিটি সংগ্রামে�� কবির চিরায়ত রচনাসমগ্র আজীবন স্বরণের র্র্শীষতায় আবিষ্ট হয়ে আছে।
তার লেখা ‘আমার সোনার বাংলা/আমি তোমায় ভালোবাসি’ বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও প্রেরণা যুগিয়েছিল তার অনেক গান। -বাসস
0 notes
nath07230 · 4 years ago
Text
সুমন কুমার ভূঞ্যার চিত্রশিল্প | অর্বাচীন
0 notes
niruddesh · 8 years ago
Photo
Tumblr media
05.04.2017 - ছদ্মবেশী।
1 note · View note
provatibarta · 5 years ago
Text
লাতিন আমেরিকার জাদুবাস্তবতা | আলেহো কার্পেন্তিয়ের | শেষ পর্ব
  এভাবে জাদুবাস্তব বা বাস্তব অতিক্রান্ত বিষয়কে ইচ্ছে করে বানানোর ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হলো এতে স্বপ্ন-কারিগরির আমলাতান্ত্রিকতার মধ্যে পড়তে হয়। সনাতন এইসব ফরমুলা মেনে চিত্রশিল্প কিছু ক্ষেত্রে হয়ে দাঁড়িয়েছে জীর্ণ তৈজসের ভাগাড়, যেমন—চিনির পলেস্তারামাখা ঘড়ি, দর্জিবুড়ির পোশাকের ডামি, অথবা অবোধ্য কোনো শিশ্ন-ভাস্কর্য। ইউরোপের এই জাদুবাস্তব যেন আটকে গেছে কোনো এক ছাতার শলাকায়, অথবার চিংড়ির করাত-কাঁটায়, অথবা…
View On WordPress
0 notes
dhaka18 · 5 years ago
Text
আজ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের জন্মদিন
আজ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের জন্মদিন
বিনোদন ডেস্ক: জয়নুল আবেদিন, বিংশ শতাব্দীর একজন বিখ্যাত বাঙালি চিত্রশিল্পী।
পূর্ববঙ্গে তথা বাংলাদেশে চিত্রশিল্প বিষয়ক শিক্ষার প্রসারে আমৃত্যু প্রচেষ্টার জন্য তিনি শিল্পাচার্য অভিধা লাভ করেন।
আজ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের ১০৬তম জন্মদিন।
জয়নুল আবেদিন ব্যক্তিগত জীবনে জাহানারা আবেদিনের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন।
বাংলাদেশে চিত্রশিল্প বিষয়ক শিক্ষার প্রসারে আমৃত্যু প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তিনি।
শিল্পাচ…
View On WordPress
0 notes
dailynobobarta · 5 years ago
Text
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন এর ১০৫তম জন্মবার্ষিকী আজ
New Post has been published on https://is.gd/43zJ3c
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন এর ১০৫তম জন্মবার্ষিকী আজ
আজ ২৯ ডিসেম্বর, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন এর ১০৫তম জন্মবার্ষিকী। চিত্রশিল্প বিষয়ক শিক্ষার প্রচার- প্রসারে জয়নুল আবেদিনের পরিশ্রম ও অবদান অতুলনীয়। চিত্রশিল্পে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ‘শিল্পাচার্য’ অভিধা লাভ করেন। ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দের ২৯ ডিসেম্বর তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জ মহকুমার কেন্দুয়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবার নাম তমিজউদ্দিন আহমদ। তিনি ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। তার মায়ের নাম জয়নাবুন্নেছা। তার নয় ভাইবোনের মধ্যে জয়নুল আবেদিন ছিলেন সবার বড়। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছবি আঁকতে পছন্দ করতেন। তার উল্লেখযোগ্য চিত্রকর্মের মধ্যে রয়েছে দুর্ভিক্ষ চিত্রমালা, সংগ্রাম, সাঁওতাল রমণী, ঝড়, বিদ্রোহী, কাক, সাধারণ নারী। ১৯৪৮ সালে ঢাকায় চারুকলা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা তার জীবনের এক মহান কীর্তি। শুধু ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা নয়, শিল্প শিক্ষার একটি উন্নত প্রতিষ্ঠান হিসেবে একে গড়ে ত��লতেও নিরলস কাজ করেছেন তিনি। পুরো জাতির মধ্যে তিনি শিল্পশিক্ষার যে বীজ বুনেছিলেন তা আজ পরিণত মহীরুহে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সরকারের সহযোগিতায় ১৯৭৫ সালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে প্রতিষ্ঠা করেন ‘লোকশিল্প জাদুঘর’ এবং একই বছর ময়মনসিংহে প্রতিষ্ঠা করেন ‘ময়মনসিংহ জয়নুল সংগ্রহশালা’। আমৃত্যু দেশের চিত্রকলার নেতৃত্বে ছিলেন জয়নুল আবেদীন। বাংলাদেশের চিত্রশিল্পের অন্যতম এই পথিকৃৎ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের জন্মদিন উপলক্ষে আজ বিশেষ ডুডল তৈরি করেছে গুগল। অতুলনীয় এই শিল্পীর হাত দিয়েই বিশ্বঅঙ্গনে পরিচিতি পায় দেশের চিত্রকলা। জয়নুল আবেদীন ইনস্টিটিউট অব আর্টস অ্যান্ড ক্রাফটস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশে আধুনিক শিল্প আন্দোলনের পুরোধা। রোববার আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অসাধারণ প্রতিভাবান বাংলাদেশি এই শিল্পীর ১০৫তম জন্মবার্ষিকী। তাকে ঘিরেই গুগলের বিশেষ আয়োজন। বাংলাদেশ থেকে ব্রাউজারের মাধ্যমে গুগলে (www.google.com) গেলে কিংবা সরাসরি (www.google.com.bd) ঠিকানায় ঢুকলে চোখে পড়বে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনকে নিয়ে করা ডুডলটি। গুগলের বিশেষ এই ডুডলে দেখা যাচ্ছে- একটি গাছের নিচে বসে তুলি হাতে কিছু আঁকছেন জয়নুল আবেদিন। তার তুলির আঁচড়ে শৈল্পিক রূপে ইংরেজি হরফে ফুটে উঠছে ‘গুগল’ নামটি। পাশ দিয়ে দ্রুত হেঁটে যাচ্ছে কাঁধে কলস বহনকারী এক ব্যক্তি, যার পোশাকে ধরা পড়ে দুর্ভিক্ষের ছাপ। বিশেষ দিন, ঘটনা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা জানাতে বা স্মরণ করতে গুগল নিজেদের হোমপেজে বিশেষ লোগো প্রদর্শন করে। এটা ডুডল হিসেবে পরিচিত। গুগল সার্চের মূল পাতায় প্রদর্শিত লোগোটির নিচে থাকে সার্চ বার। এক বিস্ময়ের নাম জয়নুল আবেদিন : জয়নুল আবেদিনের স্বপ্ন ছিল একটি সংগ্রহশালার, স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি যোগ্য শিল্পী সমাজ গড়ার। যার প্রয়োজনে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে গড়ে তুলেছেন চারুকলা ইন্সটিটিউট ও সোনারগাঁও লোকশিল্পের সংগ্রহশালা। তিনি নিজে এ দেশের গ্রাম-গ্রামান্তরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হারিয়ে যাওয়া শিল্পকর্ম সংগ্রহ করে সংগ্রহশালাকে সমৃদ্ধ করে গেছেন। তিনি ভাবতেন প্রতিনিয়ত মা, মাটি ও আমাদের সবুজ দেশের কথা। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন এ দেশের সুন্দর প্রতিষ্ঠায় অগ্রদূতের ভূমিকা পালন করেছেন। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন (১৯১৪-১৯৭৬) চিত্রকলার মুকুটহীন সম্রাট ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী। তিনি আমাদের অহঙ্কার। বাঙালির শিল্প-সংস্কৃতির অহঙ্কার। দেশ, মাটি ও মানুষের মঙ্গলার্থে আজীবন যারা রক্তঘাম ঝরান তাদের কথা যে��নি সত্যিকার দেশপ্রেমিক কখনো ভোলেন না। তেমনি দেশপ্রেমিক চিত্রশিল্পী জয়নুল আবেদিনের কথাও এ দেশবাসী কখনো ভুলবে না। কারণ, তিনি আজীবন লড়াই করে রক্ত ঝরিয়েছেন এ দেশের শিল্পচর্চার প্রতিকূল পরিবেশ, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন, মুক্তিযুদ্ধসহ সব অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে। শিল্পী জয়নুল বিশ্বযুদ্ধকালীন দুর্ভিক্ষের চিত্র এঁকে যেমনি বিশ্ববিবেকের সম্মুখে মাতৃভূমির করুণ দৃশ্যাবলী ফুটিয়ে তুলে আন্তর্জাতিক বলয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন; ঠিক তেমনি তিনি মুক্তিকামী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মধ্যপ্রাচ্য সফর করে ফিলিস্তিনিদের শক্তি-সাহস জুগিয়েছেন তারই বলিষ্ঠ রঙতুলির আঁচড়ে আঁকা চিত্রকর্মের মাধ্যমে। ১৯৪৮ সালে ঢাকায় আর্ট ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে চিত্রশিল্পী তৈরির তিনি যে মহৎ উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তারই ফলে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে আজকের নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বগুড়ার চারুকলা ইন্সটিটিউটসহ অসংখ্য ছবি আঁকার প্রতিষ্ঠান। যার মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে প্রচুর চিত্রশিল্পী, যারা আজ সারাবিশ্ব থেকে সুনাম কুড়িয়ে দেশের চিত্রশিল্পীকে আলোড়িত করে তুলেছেন। মূলত জয়নুল আবেদিনকে বলা হয় একজন সফল শিল্পাচার্য। দেশ থেকে রুচির দুর্ভিক্ষ দূর করে দেশের চিত্র তথা শিল্পকর্ম আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে দেয়ায় তিনি অত্যন্ত সফলতার পরিচয় দিয়েছেন, আর এর পেছনে কাজ করেছে তার দূরদর্শিতা চিন্তাচেতনাসহ কঠোর ত্যাগ ও পরিশ্রম। চিত্রশিল্পী জয়নুল আবেদিন বিশ্বাস করতেন, জীবনবোধ ও বাস্তব অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করেই প্রকৃত শিল্প সৃষ্টি হয়। তার বিশ্বাস, যে রীতিতেই শিল্পকলা নির্মিত হোক না কেন, তার সৃজনশীলতা থাকতে হবে নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাসহ সমাজ সংসার, পরিবেশ কিংবা পরিম-লের সঙ্গে। জয়নুল মানবতার শিল্পী। সব মানুষই সমানভাবে তার শিল্পকর্মের রস আহরণ করতে পেরেছে এবং পারে। সমাজে অবহেলিত চাষী, মজুর, জেলে, মাঝি, গাড়োয়ান, সাঁওতাল কন্যা, বেদেনী, মা ইত্যাদি শিরোনামে তার শিল্পকর্মের মুখ্য ভূমিকা পালন করে চলেছে। জয়নুল আবেদিনের আঁকা চিত্রগুলো যেন তার দিনলিপি। তিনি যা কিছু অবলোকন করেছেন তারই প্রতিচিত্র হয়ে ধরা পড়েছে তার কাগজ-ক্যানভাসের চিত্রকলার জনজীবনের সঙ্গে। যাদের একাত্মতাÑ আঁকার বিষয় তাদের কখনো খুঁজতে হয় না, যেমন জয়নুলের খুঁজতে হয়নি। নবান্ন, জলোচ্ছ্বাস, মুক্তিযুদ্ধ, ঘাটের পথে গাঁয়ের বধূরা, ম্যাডোনা-১৩৫০, মইটানা, গুনটানা, ঝড়, বিদ্রোহী, মনপুরা-৭০, সাঁওতাল কন্যা, মাছ ধরে ঘরে ফেরার মতো ছবিগুলো এ কথা প্রমাণ করে। ন��জের প্রকৃতি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ��রিবেশের সঙ্গে মিল রেখে ছবি আঁকতে তিনি বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। বিদেশি আঙ্গিক গ্রহণ তার কাছে দূষণীয় ছিল না, তবে বিদেশি আঙ্গিকের সঙ্গে শিল্পীর কাছে মেধা, মনন ও আবেগ মিশিয়ে দেশীয়করণেই তার ঝোঁক ছিল প্রবল। সুকর্ম থেকে শিল্পকলার জন্ম হওয়ার কারণে শিল্পী হন সুন্দরের পূজারি। জয়নুল আবেদিন এ বোধ দ্বারা চালিত হয়ে, শিল্পচর্চার মাধ্যমে তিনি নিজেকে যেমনি সুন্দর করে তৈরি করতে চেয়েছিলেন, তেমনি চেয়েছিলেন শিল্পীর পারিপার্শ্বিক জগৎ ও তার মানুষকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে। জয়নুলের এই সৌন্দর্যবোধই তাকে প্রকৃতিপ্রেমিক, মানবিক ও দেশপ্রেমিক তৈরিতে সাহায্য করেছিল। তিনি প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে ছবি এঁকেছেন। তিনি ছবি এঁকেছেন প্রকৃতির সৌন্দর্যকে তুলে ধরার জন্য, জীবনে যা সুন্দর এবং জীবনে যা সুন্দর নয় তাকেও দেখার জন্য। জীবনে সুন্দরের যে শক্তি বিরোধিতা করে তাকেও চিহ্নিত করার জন্য। যে ছবি মানুষকে সুন্দরের দিকে নিয়ে যেতে পারে, সেটাই হচ্ছে মহৎ ছবি। আর সেই শিল্পীই হচ্ছেন মহৎ শিল্পী। জয়নুল আবেদিন নিজে ছবি এঁকে যতোটা আনন্দ পেতেন, তার চেয়ে বেশি আনন্দ পেতেন শিল্পকে সুপ্রতিষ্ঠিত হতে দেখে, নিজের শিল্পকর্মকে জীবনে প্রবিষ্ট হতে দেখে। ১৯৩৮ সালে জাতীয় চিত্রপ্রদর্শনীতে ছয়টি জলরং ছবির জন্য তিনি পেলেন সম্মানজনক পুরস্কার গভর্নরের স্বর্ণপদক। সেই সময় এই পদক ছিল শিল্পীদের জন্য বিরল সম্মানের ব্যাপার। ছাত্রাবস্থাতেই অঙ্কন শিল্পী হিসেবে জয়নুল সুনাম পেয়েছেন। কয়েকটি ঘটনাকে বিষয় করে আঁকা তার ছবি পৃথিবীর শিল্পী রসিকদের মুগ্ধ করেছিল। ‘দুর্ভিক্ষ’ এ শিরোনামে তিনি সিরিজ ছবি আঁকেন। ১৯৪৪ সালে ছবিগুলোর প্রদর্শনী হয়। ছবিগুলোতে তিনি আঁকলেন কাক ও কুকুরের সঙ্গে বুুভুক্ষু মানুষ ডাস্টবিন থেকে খাবার খাচ্ছে। মানুষের লাশের ওপর বসে মাংস খাচ্ছে কাক ও শকুন। তিনি আঁকলেন ফুটপাতে, রাস্তায় পড়ে থাকা নিরন্ন ক্ষুধার্ত মানুষের ছবি। ১৯৭০ সালে গ্রামবাংলার উৎসব নিয়ে আঁকেন ৬৫ ফুট দীর্ঘ তার বিখ্যাত ছবি ‘নবান্ন’। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর দেশে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস হয়। এর ব্যাপক মানবিক ক্ষতি শিল্পীকে ব্যথিত করে। তিনি আঁকেন ৩০ ফুট দীর্ঘ ‘মনপুরা-৭০’ ছবিটি। জয়নুল আবেদিনের স্বপ্ন ছিল একটি সংগ্রহশালার, স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি যোগ্য শিল্পী সমাজ গড়ার। যার প্রয়োজনে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে গড়ে তুলেছেন চারুকলা ইন্সটিটিউট ও সোনারগাঁও লোকশিল্পের সংগ্রহশালা। তিনি নিজে এ দেশের গ্রাম-গ্রামান্তরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হারিয়ে যাওয়া শিল্পকর্ম সংগ্রহ করে সংগ্রহশালাকে সমৃদ্ধ করে গেছেন। তিনি ভাবতেন প্রতিনিয়ত মা, মাটি ও আমাদের সবুজ দেশের কথা। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন এ দেশের সুন্দর প্রতিষ্ঠায় অগ্রদূতের ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি এ দেশেরই শিল্পী এ দেশের শিল্পের উত্তরসূরি। তার হাত ধরে এ দেশের সব শিল্পীর যাত্রা। শিল্পীর মর্যাদাসহ তার সব শিল্পকর্মের যথাযথ সংরক্ষণসহ মর্যাদা রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। তিনি ১৯৫৮ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের সবচেয়ে বড় খেতাব হেলাল-ই-ইমতিয়াজ, ১৯৬৮ সালে ঢাকা আর্ট কলেজের ছাত্রদের তরফ থেকে 'শিল্পার্চা��' উপাধি এবং ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে জাতীয় অধ্যাপকের সম্মান লাভ করেন। ১৯৩৮ সালে চিত্র প্রদর্শনীতে তিনি নিখিল ভারত স্বর্ণপদক লাভ করেন। জয়নুল আবেদিন ১৯৭৬ সালের ২৮ মে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
0 notes
dailyresultbd · 5 years ago
Text
১৬ তম শিক্ষক নিবন্ধন কলেজ পর্যায়ের প্রশ্ন সমাধান ২০১৯
১৬ তম শিক্ষক নিবন্ধন কলেজ পর্যায়ের প্রশ্ন সমাধান ২০১৯
১৬ তম শিক্ষক নিবন্ধন কলেজ পর্যায়ের প্রশ্ন সমাধান ২০১৯ . আজকে ৩০ আগষ্ট অনুষ্ঠিত বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা কলেজ পর্যায় এর সাধারণ জ্ঞান অংশের সমাধান 1.বীর প্রতীক কত জন–426 জন 2.সংবিধান রচনা কমিটির মহিলা ��দস্য–বেগম রাজিয়া বানু 3.বৃহত্তম উপজেলা–শ্যামনগর 4.মনপুরা-70 কি-চিত্রশিল্প 5.সংবিধান কয়টি ভাষায় রচিত-২ ৬.কোন জেলা দুই দেশের সীমানা দ্বারা বেষ্টিত—রাঙামাটি 7.মহাস্থানগড়-বগুড়া 8.নদী ছাড়া…
View On WordPress
0 notes