Tumgik
#কৃষ্ণচূড়া
progotirbangla · 1 month
Text
0 notes
biplobice · 1 year
Text
এপিটাফ
বৃষ্টি নেমেছে আজ আকাশ ভেঙ্গে হাঁটছি আমি মেঠো পথে, মনের ক্যানভাসে ভাসছে তোমার ছবি বহুদিন তোমায় দেখি না যে। তোমায় নিয়ে কত স্বপ্ন আজ কোথায় হারায় পুরোনো গানটার সুর আজ মোরে কাঁদায়। তুমি তো দিয়েছিলে মোরে কৃষ্ণচূড়া ফুল আমি তো বসেছিলাম নিয়ে শুধু গানের সুর, তুমি তো দিয়েছিলে মোরে কৃষ্ণচূড়া ফুল চলে গেছ কোথায় আমায় ফেলে বহুদূর…….বহুদূর। সাদা কালো এ জীবনের মাঝে রঙ্গিন ছিলে তুমি শুধু, তোমায় নিয়ে লেখা কত…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
Text
Tumblr media
প্রেম
সেই প্রেম, হাতিবাগানের বন্ধ হয়ে যাওয়া, দেওয়ালে নুনের দাগ ধরা পুরোনো সিনেমাহলের মত, যার উই ধরা কোনো একটা সীটে তোমার আমার নাম কম্পাসে খোদাই করে রাখা.... যেটা ভেঙে ফেলার কথা হচ্ছে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে... যার সামনের কৃষ্ণচূড়া গাছে বহুদিন ফুল হয়না আর। আচ্ছা, সবাই সবকিছু ভেঙে ফেলতে চায় কেন?
7 notes · View notes
mywifeleftme · 8 months
Text
299: Aaarti Mukherjee // ভোরের তারা আধুনিক বাংলা গান [Morning Star]
Tumblr media
ভোরের তারা আধুনিক বাংলা গান [Morning Star] Aarti Mukherjee 1988, His Master's Voice
Far be it from me to claim any expertise on Bengali music, but I love this little late ‘80s compilation of songs by Aarti Mukherjee (listed on the cover as “Arati” Mukherjee) whose title translates to Morning Star. It’s from a fairly obscure series from the Indian bureau of His Master’s Voice for the domestic market called Bengali Modern Songs—a few volumes are listed on Discogs, but I had to add this one myself. Mukherjee is best known as a playback singer whose prime stretched from the ‘60s to the ‘80s, providing the vocals for a generation of leading ladies to lip-synch to in the Bengali-language film industry (Tollywood). As with her peers in the better-known Hindi-language Bollywood system, Mukherjee was insanely prolific, having recorded something like 15,000 songs over the course of her career. Morning Star has only uh eight of those, but they’re all wonderful. Eloquently orchestrated (mostly synth, to my ear), with percussion that sways and wobbles like dub, the approach to melody seems clearly derived from a classical, almost operatic tradition, yet these are also pop songs. Opener “কোথাও একটা পাখী ডেকে চলছে” (“Somewhere a Bird is Calling”) almost sounds like samba, kissed with shakers, synth strings, and quirky whistles, a brief sitar bridge that gives way to a flourish of acoustic guitar. “তুমি কৃষ্ণচূড়া ফোটার দিনে” (“You Are the Day of the Black Peak”) is even better, with one of those smiling through tears melodies the subcontinent seems to specialize in, a perfect showcase for Mukherjee’s precise diction and songbird’s warble. “ভ্রমরে গুঞ্জরে সুরে বিভোর” (“There is a Buzzing Sound,” possibly) has a courtlier disposition, with a snaky rhythm that reminds me of Ottoman classical music, Mukherjee crooning over a sweet sitar riff that fills my head with every sandswept Orientalist trope an Occidental pud can imagine. I really can’t say where Mukherjee stands in the firmament of Indian music, or even where these particular songs stand amid her own unfathomably vast catalogue. But for whatever a recommendation is worth coming from someone only just beginning to explore the genre, Morning Star is superb.
youtube
299/365
2 notes · View notes
24x7newsbengal · 2 years
Text
অনুষ্ঠিত হল স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের অনুষ্ঠান
Tumblr media
নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব বর্ধমান: রক্তের চাহিদা মেটাতে মন্তেশ্বর ভলেন্টিরি ব্লাড ডোনার অ্যাসোসিনের পক্ষ থেকে একটি স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হলো। এই রক্তদান শিবিরের ব্যবস্থাপনায় ছিল মন্তেশ্বর নিউ ইলাহী ভরসা ক্লাব। সংগৃহীত রক্ত বর্ধমান মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকের হাতে তুলে দেওয়া হয় উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে। মন্তেশ্বর কৃষ্ণচূড়া কমপ্লেক্সে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠানটি করা হয়। জানা যায় এদিন রক্তদান শিবিরে ৪০ জন রক্তদাতা স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। উপস্থিত ছিলেন, মন্তেশ্বর ভলেন্টিয়ার ব্লাড ডোনার অ্যাসোসিনের সভাপতি বিশ্বজিৎ মুখার্জি, সম্পাদক রাজীব মুখার্জি, কোষাধক্ষ কবীর হমান মিদ্দা সহ আরও অন্যান্য সদস্য সদস্যাবৃন্দ। Read the full article
0 notes
bengali-natureholic · 5 years
Text
Into this color ,i wanna deep down....😍
Tumblr media
0 notes
usamalabib · 3 years
Text
Madhubasanta Lyrics | মধুবসন্ত লিরিক্স | Aditi Munshi Devotional Song
Madhubasanta Lyrics | মধুবসন্ত লিরিক্স | Aditi Munshi Devotional Song
Madhubasanta Bengali Devotional Song Is Sung by Aditi Munshi. Music Composed by Devjit Roy. Krishna Mane Kalo Jodi Hoy Krishnachura Lal Keno Lyrics In Bengali Written by Avishek Chattopadhyay.Madhubasanta Lyrics | মধুবসন্ত লিরিক্স | Aditi Munshi Devotional Song Madhubasanta Song Madhubasanta Song Details: Song : Modhubosonto Vocal : Aditi Munshi Composition : Devjit Roy Lyrics : Rabindranath…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
50-shade · 5 years
Text
কনে দেখা সন্ধা
Tumblr media
আকাশ কালো করে জমাট মেঘ উড়ে বেড়াচ্ছে। ঝড়ো বাতাসে উপড়ে গিয়েছে একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ। দ্রুতগামী বাসের চাকাতে পিষ্ট হচ্ছে লাল রঙা ফুল। লোকাল বাসের হ্যান্ডেল ধরে ভিজে স্যাঁতস্যাঁতে আমি তবুও ঘামছি অবিরত। ৬.৪৫ বাজে এখন অথচ চামেলিকে বলেছি সারে পাঁচটাতে লালমাটিয়া আড়ং এর গেটে হাজির থাকবো। অন্য কোন মেয়ে হলে অসুবিধে ছিল না, ঝড়-ঝঞ্ঝা আর বাবা-মা'র বাঁধা ডিঙ্গতে বয়েই যায় আজকের অধিকাংশ পলিগ্যামি ডিজিটাল জুস পান করা তরুন তরুনীর।
চামেলি আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে আজ এক মিনিট দেরি করলেও তার সাক্ষাৎ পাবো না আর এই জনমে। চামেলি অবশ্য সব সময় এমন করেই বলে। আমার মত বাউণ্ডুলে কে এহেন হুঁশিয়ারি দেওয়া ছাড়া উপায়-ই বা কি আছে হাতে। বারংবার সময়ের বরখেলাপের পরেও জানি চামেলি চলে আসবে, ঠিক সময় মতই চলে আসবে। আমি দেরি করব জেনেও চামেলি চলে আসবে নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট আগে। চামেলি এমনই, যত গর্জে তত বর্ষে না।
ঘামে জলে ভিজে আমি পৌঁছুলাম যখন ঘড়িতে তখন ৭.১২ বাজে। ঘড়ির কাটা অবশ্য ১০ মিনিট এগিয়ে দেয়া আছে। কাটা এগিয়ে দেবার মহান দায়িত্বটা পালন করেছে সেই ব্যক্তি যে হাত ঘড়িটা আমাকে কিনে দিয়েছিল ১১৫০ টাকা খরচ করে। ইন্টার্ণশীপে থাকা সদ্য ডাক্তারের প্রথম বেতন দুর্মূল্য হয়। বন্ধু বান্ধব, বাবা-মা, ভাই-বোন সবারই কিছুনা কিছু হিস্যা থাকে বাড়ির বড় মেয়ের প্রথম বেতনে। এই হিস্যা ঠিক প্রয়োজনের হিস্যা তা নয় বরং অধিকার আর ভালোবাসার স্মৃতি তে জড়িয়ে রাখার হিস্যা। মেয়ে একদিন চলে যাবে নিজের বাড়িতে; রয়ে যাবে স্মৃতি আর প্রথম বেতনে কেনা ভালবাসা।
প্রথম বেতনের টাকা দিয়ে আমাকে ঘড়ি কিনে দেবার কাহিনী টা অবশ্য একেবারে মিথ্যে বলেছিল চামেলি। বুঝতে পারলেও মুখে বলে আর বেচারি কে ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়াতে চাইনি। ১২০০০ টাকা'র প্রথম বেতনে বাসাবাড়ির সবার জন্য কিছু না কিছু কিনে মেয়েরা প্রথম হাজিরা দেয় গাউসিয়া মার্কেটে। চোখে মুখে থাকে তখন বিজয়ের ঝিলিক। ঢাকা শহরে একজন মেয়ের জীবনের সব খরচের এক তৃতীয়াংশ গিলে খেয়ে নেয় এই গাউসিয়া - চাঁদনী চক। তাই চামেলি'র ঐ মিথ্যা ক্ষতিকর মিথ্যা ছিল না। ছিল একজনকে খুশি দেখতে বলা এক ঝলমলে মিথ্যে কথা। ঝলমলে মিথ্যা মোটেও সহি মিথ্যা নয়।
বন্ধুরা বলে আমি নাকি একই সাথে বোকা আর ক্ষেপাটে। ম্যাচ মিক্সিং কোন এজেন্সি কোন দিনই আমার জন্য চামেলিকে খুঁজে দেবে না। বাহ্যিক ভাবে চামেলি অতি গম্ভীর, রাশভারী আর ফর্মাল। আমার মত উড়নচণ্ডী ক্যাজুয়াল লোকের সাথে ভারী ফ্রেম অপটিক্সের চামেলি'র চুটিয়ে প্রেম কেউ ঘুনাক্ষরেও ভাববে না।
অথচ চামেলি আর আমি বহু দিনের সংগী মুখাপেক্ষী। আমার অগোছালো প্রতিদিনে চামেলি সকাল বেলা টেবিল ঘড়ির এলার্মের মত ভয়াবহ অত্যাচারের নাম। মধ্য রাতে যখন আমার দিনের শুরু হয় চামেলি তখন বুঝে যায় এখন তার ঘুমুতে যাবার সময়। এভাবেই কেটে যাওয়া প্রতিদিনের জীবনে আমি আর চামেলি সমার্থক হয়ে উঠতে পারি না তবুও সম্পূরক হয়ে ঠিকই কাঁপন ধরিয়ে দিয়ে যায় কোন গভীর অরণ্যে।
মানিক মিয়া এ্যভিনিউ পার হয়ে ফায়ার ব্রিগেডের সামনে এসে দাঁড়াই আমার মুড়ির টিন বাস। কাঁধের সাইড ব্যাগ সামলে লাফ দিয়ে নেমে পড়ি গতির স্বপক্ষে। নেমে দেখি চামেলি এখানে এগিয়ে এসেই দাঁড়িয়ে আছে আমার জন্য। নিজের দেরীর জন্য এবার লজ্জিত হই আমি। সাহস করে আর সাইড ব্যাগ থেকে লাল কৃষ্ণচুড়ার থোকাটা বের করা হয়ে ওঠে না আমার........অথচ এক গোছা রাঙা কৃষ্ণচূড়া চামেলি'র মন ভালো করে দেবার জন্য যথেষ্ট।
'মামা ৬ নাম্বার রোড যাবেন' - আমাকে অবজ্ঞা করে রিকশা ঠিক করে ফেলে চামেলি। কিছুই হয়নি ভাব করে আমিও লাফ দিয়ে উঠে পরি চামেলি'র রিকশা তে। গম্ভীর মুখে আমার চোখে চোখ রাখতে চেষ্টা করে চামেলি। বলে 'শুনো তোমার মত লোকাল ট্রেন দিয়ে আমার চলবে না, কি ভাব নিজেকে! প্লে বয়? যতটা ভাব ততটা পারদর্শী তুমি না। মেয়ে বলে বলছি না, কখনোই সময় রক্ষা করতে না পারা স্বাভাবিক মানুষের কাজ না।'
চ্যাম তুমি আমার বুকের দিকে তাকিয়ে কথা বলছ কেন, চোখের দিকে তাকাতে পারো না? আমি তো কোন ঊর্বসী ললনা না, তুমিও লেসবো না..." বলেই প্রমোদ গুনতে থাকি আমি।
চামেলিকে আমি 'চ্যাম' বলেই ডাকি।
চ্যাম সব সময় চেষ্টা করে কঠিন কথা গুলো আমার চোখে চোখ রেখে বলতে। কিন্তু বলার সময় লজ্জাবতী'র মত লজ্জাবনত হয়ে পরে সে। তখনি চোখের বদলে তার চোখ গিয়ে পরে বুক বরাবর। এতেই বুঝে যায় এবারের মত মোমবাতি গলে যাচ্ছে। সিরিয়াস ভংগিমা ধরার প্রচেষ্টা হতে খ্যাক খ্যাক করে হেসে উঠি আমি, তখনি ফিক করে হেসে আমার সাদা জামাতে মাথা রাখে ফিঙে রঙা শাড়ি লেপ্টানো বিগলিত চামেলি। আমার বুকের সাথে সংঘর্ষে ভেঙে পরে তার হাতের কয়েকটা হলদে নীল কাঁচের চুড়ি। ভাঙা চুড়ির দিকে কোন ভ্রূক্ষেপ করে না সে। সোনার নোলক, চুড়ি, টিকলি আর বাজুবন্ধ না থাকার কোন আক্ষেপ হয় না টমবয় চ্যামের।
তার শুধু আপনার মানুষটাকে আঁকড়ে ধরে জব্দ করতে পারলেই হয়।।
-------
বৃষ্টিতে প্যাঁচ প্যাঁচে কাদা ঢাকা শহরে। গলি দিয়ে চলছে রিকশা। সন্ধ্যার ভেজা বাতাসে থেকে থেকে শীত শীত লাগছে আমার। চামেলি তার নীল ওড়নাতে আমাকেও ঢেকে নিলে, বেশ হত। নীল ওড়নার মানুষটির শরীরের উষ্ণতা বড্ড তাড়া করছে আমাকে। গম্ভীর চশমাওয়ালী আচানক খামছে আমাকে ছুঁয়ে দেবে, আশা নিয়ে বসে আছি ত্রি-চক্রযানে। আশা- নিরাশার দোলাচলে রিকশা এসে থামলো কাঙ্খিত পুরাতন কফি শপের কাছাকাছি।
ওয়ালেট থেকে রিকশা ভাড়া দিতে দিতে পেছনে শাটার পরার শব্দ শুনলাম। সাঁঝ বাতি জ্বলা মেট্রোপলিটন শহরের লোহার শাটার নয়, চামেলির সেল ফোনে ছবি তোলা শাটার। না সেলফি মার্কা মেয়েলি ছবি আমি তুলি না। হাসি হাসি মুখে ফ্রেমে দাঁড়াতে পুরুষত্বের ইগোতে ভীষণ চোট লাগে। তবুও সব পুরুষের মত আমাকেও আত্মসমর্পণ করতে হয়। কলিজা পুড়া'র গন্ধে মায়ার টানে আলিঙ্গন করতে হয় টমবয় চ্যাম নামের মায়ার পুতুল টাকে।
কখনো দেখি গম্ভীর মেয়ে টা কপোট খোলস ছেড়ে ফোনের ক্যামেরা নিয়ে হঠাৎ দস্যি হয়ে ওঠে। যা পায় সামনে তারই ছবি ওঠাতে থাকে পটপট। ঘামে ভেজা ফেরিওয়ালা, শিল পাটা ধার, টং দোকানের চা ওয়ালা মামা অথবা শ্যামলী নামের কিশোরী ফুলওয়ালি কেউ বাদ পরে না। 'স্মাইল প্লিজ' উৎপাতে ভেটকি মেরে অংশ নেয় সবাই। অবশ্য রাস্তা তে নিজের ছবি নেবার সময় আমাকে কাছাকাছি ঘেঁষতে হয় না। রাস্তার সেলফিতে হবু জামাইকে রাখার নিয়ম নেই, তাতে গৃহস্তের নাকি অকল্যাণ হবার প্রবল সম্ভাবনা থাকে।
তবে মাঝে মাঝে যে আমাকে ফ্রেমে নিমন্ত্রণ করা হয় না তা নয়। তখন মুখ শুকনো করে কাষ্ট হাসিতে অবস্থান গ্রহণ করি আমি। তারপর এক ফ্রেমে বাঁধা পরার সাথে সাথে শান্তির শান্ত একটা বাতাস ছুঁয়ে যায় আমায়, আদ্র হাওয়া ভিজিয়ে দেয় কুঞ্চিত কঠিন কপাল লেখন।
ক'টা দিন খুব ব্যাকুল কেটেছে আমাদের। টাকা পয়সার নিদারুণ টানাটানি, দিনমান টন়্টনে টেনশন, রাত জাগা দুটো চোখে কাক ডাকা ভোর। জামিন পাওয়া যাবে কিনা আদৌ! পাওয়া গেলে জেলগেটে ভাটির টান কোন গহীন সমুদ্রে নিয়ে ফেলবে চামেলির আপন মানুষটাকে কে জানে! কোন নিশ্চিত বয়ান চামেলি কে দিতে পারেনি কেউ।
জেলখানার সময় দীর্ঘতর হতে থাকে। কাছের মানুষ গুলো দূরতর হতে থাকে। প্রকৃতির অলিখিত আইন এটাই। তবে নিয়ম ভাঙার জীবন সংগ্রামে জয়ী চ্যামের মাথাতে প্রকৃতি বরাবর অসীম মমতায় হাত বুলিয়ে দেয়। কারা মুক্তি যত দূরবর্তী হচ্ছিল, প্রেমিকা আমার ততই নিকটবর্তী হচ্ছিল।
জেলের অর্ধ বছর সময়ে তাহার নাওয়া খাওয়া ঠিকঠাক হয়নি। গালে হাত দিয়ে মন খারাপ দিন কেটেছে ষ্টেথিস্কোপ ঝুলিয়ে। কত মানুষের অসুখ ভালো করে দেয় সে অথচ প্রেমিকের থেঁতলে যাওয়া পা আর ইলেকট্রিক শক খাওয়া যৌনাঙ্গ অচল হতে থাকে বিনা চিকিৎসাতে।
তবুও দিনে পাঁচ বার বিধাতার দুয়ারে কড়া নাড়তে ভুল হয় নি তার। আমার মত ছিদ্রান্বেষী নামে মাত্র মুসলমানকে সম্পর্কের দিব্বি দিয়ে জায়নামাজে পর্যন্ত টেনে নিয়েছে সে। সব হারানো দিশেহারা ব্যথিত মানুষের হৃদয়েই তো ঈশ্বরের অবাধ যাতায়াত।
কাঠিন্য'র আঁড়ালে চ্যামের মায়াবতী রূপ আমার জানাই হত না জেলের ঘানি টানাটানি না হলে। প্রকৃতি যা কেড়ে নেয় তার থেকে অনেক বেশি ফিরিয়েও দেয়। দীর্ঘ ১৭৩ দিন জীবন থেকে হারিয়ে ফেলে আমি পেয়েছি নতুন চ্যাম'কে। রুক্ষতার আবডালে লুকিয়ে থাকা তুলতুলে কেয়ারিং হৃদয়ের চামেলি কে।
রিকশা বিদায় করে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে যাই আমি। এলবো ভাঁজ করে ৯০ ডিগ্রি ঘুড়িয়ে হাত পেতে নিঃশব্দ আহ্বান করি। তাকে বলতে চাইলাম আমি চলে এসেছি চ্যাম, আর কোন ভয় নেই। এসো আমার হাতটি আঁক়্ড়ে ধর।
আমার আহ্বান বুঝে ফেলে লাজুক প্রেমিকা। দৃঢ় পায়ে এগিয়ে এসে আমার পাশে দাঁড়ায় সে। ঘাড় ঘুড়িয়ে এদিক ওদিক চেয়ে দেখে নেয় টমবয় চ্যাম। অনভ্যস্ত আনারির মত বাহুডোরে আটকা পরে হোঁচট খেতে হয় আমাদের। তবুও সেদিন ঢাকার রাজপথে তাকে বাহুডোরে বেঁধে হেঁটে যাই অনেকটা দূর।
ক্যাফে লাইভের পাশেই ছোট্ট ছিমছাম শপিং মল। ফল ফ্রুট, জিন্স গেঞ্জি পাঞ্জাবী পারফিউম থেকে শুরু করে স্যনেটারি ন্যাপকিন, ব্রা পেন্টি জাঙ্গিয়া সবই পাওয়া যায় এক ছাদের নিচে, ডাক্তার চামেলির ভ্যানিটি ব্যাগের নাগালে।
শূন্য পকেটের আমার জন্য সে কিনে নেয় একটা নীল ডেনিম। নীল শাড়ি পরে বই মেলাতে যাবে সে, সেদিন তার বাহু লগ্ন হয়ে হাঁটবো। প্রেমিকা যখন অটোগ্রাফ দেবে, গর্বিত চোখে তখন বিস্মিত হব আমি। জেলখানার সাক্ষাৎ কক্ষে এমনই কথা ছিল দুজনের।
ধীরে ধীরে দুজন ঢুকে যাই ক্যাফে লাইভের দক্ষিণ কোনের ছোট্ট টেবিলটাতে। বার টেন্ডারের মত উঁচু চেয়ারে বসে টেবিলে কুনুই ঠেকিয়ে কোনাকুনি ছুঁয়ে যায় দুজনের দুটি হাত। আঙুলে আঙুলের স্পর্শে কেমিষ্ট্রি খেলা করতে শুরু করে। বহু দিনের অভুক্ত আমি আড়মোড়া ভেঙে জেগে উঠতে চাই তখন। কোন ফাঁকে টেবিলে হাজির হয় ধূমায়িত কড়া কফি আর পেস্তা স্বাদের দুখানা ব্রাউন চকলেট। ধূমায়িত কফির ধোঁয়া আর হৃদয় কেমিষ্ট্রির উষ্ণতাতে মেঘ জমে ওঠে দক্ষিণা কোন টেবিলের বিষুব রেখা বরাবর। ভালোবাসার মেঘগুলো ধোঁয়া হয়ে জমিয়ে তোলে দুজনের চড়ুইভাতি। চামেলি হয়তো অস্থির হয়ে ওঠে আত্মসমর্পনে। তবুও বিবেকের কার্নিভাল পেরিয়ে যাওয়া হয় না আমাদের।
সেলফোন বেজে ওঠে চামেলি'র। কর্কশ স্বরে ওপাশ হতে কেউ একজন দিতে শুরু করে বাড়ি ফেরার তাড়া। পৃথিবীর সব মায়েরাই বুঝি কন্যার সূর্যাস্ত'র পর ঘরের বাইরে থাকাতে অসহ্য বোধ করেন। ধূমায়িত কফির সাথে হৃদয় কেমিষ্ট্রির খেলা মা'কে বোঝানোর সক্ষমতা পৃথিবীর কোন মেয়েরই হয় নি। ডাক্তার চ্যাম প্রেমিকা হলেও সবার আগে তো একজনের আদরের রাজকন্যা। চ্যম কি পারবে আজকের কন্যা দেখার আয়োজন ভন্ডুল করে দিতে❕ না কি বুদ্ধিমতী'র মত বেছে নেবে নিরাপদ নিশ্চিত জীবন❔
2 notes · View notes
ghassanmk · 2 years
Video
The Summer Colour - Krishnachura ।  কৃষ্ণচূড়া  ।
flickr
The Summer Colour - Krishnachura । কৃষ্ণচূড়া । by Anowarul Haq
0 notes
Text
আমি তো দিয়েছিলাম তোমায় কৃষ্ণচূড়া ফুল
তুমি তো গেয়েছিলেন সেই নতুন গানের সুর।
Tumblr media
0 notes
riajur-rahman · 2 years
Photo
Tumblr media
কৃষ্ণচূড়া🥰 (at Companiganj, Chittagong, Bangladesh) https://www.instagram.com/p/Cdp60mqPRDc/?igshid=NGJjMDIxMWI=
0 notes
currylangs · 7 years
Text
Bengali Vocab: Spring
বসন্ত bôshonto - spring
ঋতু ritu - season
ফাল্গুন phalgun - mid-February to mid-March
চৈত্র coitro - mid-March to mid-April
মহাবিষুব môhabishub - spring equinox
পুনর্জাগরণ punorjagoron - rebirth, renaissance, renewal
পাতা pata - leaf
ঘাস ghash - grass
ফুল phul - flower
কৃষ্ণচূড়া krishnocuṛa - royal poinciana (Delonix regia)
গোলাপ golap - rose
পরাগ pôrag - pollen
অঙ্কুর ongkur - blossom, sprout, seedling
ফোটা phoṭa - to bloom, to blossom
গজানো gôjano - to grow
গাছ gach - tree
পাখি pakhi - bird
পাখির বাসা pakhir basha - bird’s nest
প্রজাপতি projapoti - butterfly
মৌমাছি moumachi - bee
প্রকৃতি prokriti - nature
বৃষ্টি brishṭi - rain
বৃষ্টি পরা brishṭi pôra - to rain
আকাশ akash - sky
মেঘ megh - cloud
দখিন হাওয়া dokhin haoa - south wind
রংধনু rôngdhonu - rainbow (Bangladesh)
রামধনু ramdhonu - rainbow (West Bengal)
রঙিন rongin - colorful
সবুজ shobuj - green
মেলা mêla - festival
89 notes · View notes
paathok · 3 years
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/148643
আজ বসন্ত, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস
.
আজ পয়লা ফাল্গুন। বিপুল ঐশ্বর্যধারী ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন আজ। নিরাভরণ বৃক্ষে কচি কিশলয় জেগে উঠবার আভাসে আর বনতলে কোকিলের কুহুতান জানান দিচ্ছে ‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে..।’ আজি দখিন দুয়ার খোলা/এসো হে এসো হে এসো হে আমার বসন্ত’—কবি কণ্ঠের এ প্রণতির মাহেন্দ লগন এলো। গণমানুষের কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ভাষায় ‘ফুল ফুটুক না ফুটুক/ আজ বসন্ত… গোলাপের সুবাস আজ না ছড়াক/ কুসুমকলি আজ না হোক জীবন, তবু আজ বসন্ত..।’ শীতের স্পর্শে ঘুমিয়ে পড়া, বিবর্ণ জারুল-পারুল, মাধবী-মালতী-রজনীগন্ধা, পলাশ-জবা, কৃষ্ণচূড়া-দোপাটি, কনকচাঁপার গুচ্ছ আড়মোড়া ভেঙে আন্দোলিত হবে দখিনা বাতাসে নবজীবনের স্পন্দনে।
আমাদের ঋতুরাজ বসন্তের আবাহন আর পাশ্চাত্যে খ্রিস্টান ধর্মীয় ভ্যালেন্টাইন-ডে যেন এক বৃন্তের দুটি কুসুম। এ যেন এক সুতোয় গাঁথা দুই সংস্কৃতির এক দ্যোতনা।
মানুষের মতোই এ সময় পাখিরাও প্রণয়ী খোঁজে। বাসা বাঁধে। রচনা করে নতুন পৃথিবী। দুই বছর আগে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে সংশোধনের কারণে এখন থেকে বাংলা ফাল্গ~ন মাসের প্রথম দিন আর ভালোবাসা দিবস একই দিনে পড়ছে।
শীতের রুক্ষ, রিক্ত, হিমেল দিনের অবসান ঘটিয়ে বসন্ত আসার কথা থাকলেও দেশ থেকে এখনো শৈত্যপ্রবাহ বিদায় নেয়নি। তবুও আজ যেন কিসের শিহরিত স্পর্শ, অবাক ছোঁয়া, যেন সোঁদা মাটি আর বহেরা ফুলের গন্ধ মেশানো। পুরো প্রকৃতিতে চলছে ‘মনেতে ফাগুন এলো..’ আবহ। কচি পাতায় আলোর নাচনের মতোই বাঙালি তরুণ মনে লাগে দোলা। হূদয় হয় উচাটন। ‘ফুলের বনে যার পাশে যাই তারেই লাগে ভালো..’ কবিগুরুর এই পুলকিত পঙ্ক্তিমালা বসন্তেই কি সকলের বেশি মনে পড়ে? কৃষ্ণচূড়া লাল হয়েছে ফুলে ফুলে, তুমি আসবে বলে …। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায়, ‘ফাগুন এলো বুঝি মহুয়া-মালা গলে/চরণ-রেখা তার পিয়াল-তরুতলে/পরাগ-রাঙা চেলি অশোক দিল মেলি’। বসন্ত বাতাসে পুলকিত ভাটিবাংলার কণ্ঠ শাহ আবদুল করিম গেয়ে ওঠে, ‘বসন্ত বাতাসে..সই গো/বসন্ত বাতাসে/বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে…’।
বসন্তের বন্দনা করে একটি পঙ্ক্তিও লেখেননি, এমন বাঙালি কবি খুঁজে পাওয়া যাবে না। ঋতুরাজ বসন্তের দিনগুলো অপার্থিব মায়াবী এক আবেশ ঘিরে রাখবে বৃক্ষ, লতা, পাখ-পাখালী আর মানুষকে। মন রাঙিয়ে গুনগুন করে অনেকেই গেয়ে উঠবেন—‘মনেতে ফাগুন এলো..’।
বসন্ত মানেই পূর্ণতা। বসন্ত মানেই নতুন প্রাণের কলরব। বাঙালি জীবনে বসন্তের আগমন বার্তা নিয়ে আসে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’। এ বসন্তেই ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালির স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়েছিল। বসন্তেই বাঙালি মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিল। তাই কেবল প্রকৃতি আর মনে নয়, বাঙালির জাতীয় ইতিহাসেও বসন্ত আসে এক বিশেষ মাহাত্ম্য নিয়ে। তবে এখন শহরের যান্ত্রিকতার আবেগহীন সময়ে বসন্ত যেন কেবল বৃক্ষেই শোভিত হয়, মানুষের আবেগে নাড়া দেয় কম। করোনার পরিস্হিতির কারণেও এবার সীমিত অনুষ্ঠানমালার আয়োজন হবে ঢাকাসহ সারা দেশে।
0 notes
hypercipher · 3 years
Photo
Tumblr media
Thursday 2856 ওই যে ছেলেটাকে দেখছ, পছন্দ মতো ফুল ফুটল না বলে মাটি থেকে উপড়ে ছুঁড়ে ফেলে দিলো গাছটাকে? ছেলেটার ভীষণ জেদ , ও কখনও প্রেমিক হতে পারবে না। এই তো সেদিন কাঁচের জানালা দিয়ে রোদ ঢুকছিল বলে কাঁচওয়ালার বাড়িতে গিয়ে তাঁকে কী বকা! কাঁচওয়ালাতো থ’! সাদা কাঁচে রোদ ঢুকবে না এমন আবার হয়! ছেলেটার খুব জেদ, ও শুধু দেখে আর চেনে বুঝতে জানে না। প্রেমিক হতে গেলে ঋতু বুঝতে হয় যেমন কোন ঋতুটার বুক ভরতি বিষ কোন ঋতুটা ভীষণ একা একা, কোন ঋতুটা প্লাবন কোন ঋতুতে খুব কৃষ্ণচূড়া ফোটে ছেলেটা ঋতুই জানে না ও শুধু দেখে আর চেনে, বুঝতে জানে না। প্রেমিক হতে গেলে ~ রুদ্র গোস্বামী #claustrophobia #papercups #drawinginacup #art #drawing #today #everyday #visualdiary #abstraction #colour #habit #arthabit #love #artist #awesome #instagood #handmade #instadaily #goodmorning #design #bestoftheday #like #coronarender #postcoronavirus @jitbiswa @biswa5jit @wesmalltown #interesting https://www.instagram.com/p/CVlF4fiPjzU/?utm_medium=tumblr
0 notes
dilyshabdonagor · 3 years
Text
"ভাবুক প্রেম" -সোনালী আদক
“ভাবুক প্রেম” -সোনালী আদক
  ভাবসাগরের ঘোলা জলে সাঁতার কেটেছি উথালপাথাল মোহের খেলায় দোঁহে মেতেছি। জীবন নদী বহমানে তলিয়ে গেছে মন প্রান ভ্রমরা প্রেম কুঠুরিতে করলো সমর্পণ। মেহেন্দী রঙা ভালোবাসায় আটকা পড়েছি হৃদ চাতালে তাজমহল সম ইমারত গড়েছি। আসমানী কৃষ্ণচূড়া রবে সাক্ষীর মাস্তুল বিষন্ন বিভীষিকা মাঙ্গে অক্সিজেনের শ্বাসমূল। শ্রাবণেরী বারিধারায় মন মেতেছে ময়ুরী পাগলপারা বর্ষাধারায় বাতায়নে সায়েরী। দুরূহ কালের মরীচিকায়…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
asombarta · 3 years
Text
কাকপথাৰ বৰমেচাই হিমলুগুৰিত বৃক্ষৰূপণ
Tumblr media
সংবাদদ��তা, কাকপথাৰ : তিনিচুকীয়া জিলাৰ টঙনা থানাৰ অন্তৰ্গত ১ নং বৰমেচাই আৰু ২ নং হিমলুগুৰি যুৱকসংঘৰ যৌথ উদ্যোগত  গাঁও দুখনৰ মূল পথটোৰ দুয়োকাষে প্ৰায় তিনিশ  (৩��০) গছপুলি ৰূপণ কৰা হয়। গাঁৱৰ বয়োজ্যেষ্ঠৰ পৰা শিশুলৈ বহুসংখ্যক লোকে বৃক্ষৰূপণ কাৰ্যসূচীত অংশগ্ৰহণ কৰে। উঠি অহা প্ৰজন্মক বৃক্ষৰূপণৰ প্ৰতি  আকৰ্ষিত কৰা আৰু গাঁৱৰ মূলপথটিৰ দুয়োকাষ ধুুণীয়া কৰাৰ উদ্দেশ্যে সোণাৰু, আজাৰ, বকুল, কৃষ্ণচূড়া, নাহৰ ইত্যাদি গছপুলি ৰূপন কৰে। বৃক্ষৰূপণ কাৰ্যসূচীত অতিথিৰূপে সহযোগ কৰে টঙনা থানাৰ ভাৰপ্ৰাপ্ত আৰক্ষী বিষয়া বিনোদ কোঁচ, কঁপাহতলি সেনা চাউনীৰ সেনা বিষয়া দেৱানন্দ দেউৰী, অসম মৰাণ সভাৰ দিৰাক আঞ্চলিক সমিতিৰ নৱনিৰ্বাচিত সভাপতি মৃদুল নেওগ আৰু দিৰাক আঞ্চলিক মৰাণ ছাত্ৰ সন্থাৰ সদস্যবৃন্দই। Read the full article
0 notes