#ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য।
Explore tagged Tumblr posts
quransunnahdawah · 22 hours ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
৯৯% হিন্দুই তাঁদের ধর্ম সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানে না 
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহ্‌ একমাত্র 'সত্য উপাস্য'
Similarities between Islam and Hinduism.
Allah is the only 'true God'
আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী এবং মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ।
মুমিনদের উপর কুরআনের অধিকার • বিশ্বাস করার মতো বিশ্বাস করা • যেভাবে পড়ার দাবি কোরআন রাখে, সেভাবে পড়া • যেভাবে বোঝা উচিত, সেভাবে বোঝা • এর উপর আমল করা • অপরকে শেখানো, এর প্রচার ও প্রসার করা  এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ এবং তাঁর অনুসরণ করা।
youtube
হিন্দু ও মুসলমান উভয়েই ঈশ্বর সম্পর্কে কি বিশ্বাস করে?
আব্রাহামিক ধর্ম যেমন ইহুদি, খ্রিস্টান এবং মুসলমানরা সবাই একেশ্বরবাদী। যারা বিশ্বাস করে যে বহু ঈশ্বরে বিশ্বাস করে তাদের বলা হয় বহু ঈশ্বরবাদী। হিন্দুধর্মকে প্রায়শই একটি বহুঈশ্বরবাদী বিশ্বাস হিসাবে বিবেচনা করা হয় কারণ ধর্মে অনেক দেবতা রয়েছে যার প্রত্যেকটিই পরম পরম, ব্রাহ্মণের একটি নির্দিষ্ট দিককে প্রতিনিধিত্ব করে।
ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য।
আল্লাহ্‌ একমাত্র 'সত্য উপাস্য'
Similarities between Islam and Hinduism.
Allah is the only 'true God'
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 22 hours ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
৯৯% হিন্দুই তাঁদের ধর্ম সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানে না 
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহ্‌ একমাত্র 'সত্য উপাস্য'
Similarities between Islam and Hinduism.
Allah is the only 'true God'
আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী এবং মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ।
মুমিনদের উপর কুরআনের অধিকার • বিশ্বাস করার মতো বিশ্বাস করা • যেভাবে পড়ার দাবি কোরআন রাখে, সেভাবে পড়া • যেভাবে বোঝা উচিত, সেভাবে বোঝা • এর উপর আমল করা • অপরকে শেখানো, এর প্রচার ও প্রসার করা  এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ এবং তাঁর অনুসরণ করা।
youtube
হিন্দু ও মুসলমান উভয়েই ঈশ্বর সম্পর্কে কি বিশ্বাস করে?
আব্রাহামিক ধর্ম যেমন ইহুদি, খ্রিস্টান এবং মুসলমানরা সবাই একেশ্বরবাদী। যারা বিশ্বাস করে যে বহু ঈশ্বরে বিশ্বাস করে তাদের বলা হয় বহু ঈশ্বরবাদী। হিন্দুধর্মকে প্রায়শই একটি বহুঈশ্বরবাদী বিশ্বাস হিসাবে বিবেচনা করা হয় কারণ ধর্মে অনেক দেবতা রয়েছে যার প্রত্যেকটিই পরম পরম, ব্রাহ্মণের একটি নির্দিষ্ট দিককে প্রতিনিধিত্ব করে।
ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য।
আল্লাহ্‌ একমাত্র 'সত্য উপাস্য'
Similarities between Islam and Hinduism.
Allah is the only 'true God'
0 notes
ilyforallahswt · 22 hours ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
৯৯% হিন্দুই তাঁদের ধর্ম সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানে না 
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহ্‌ একমাত্র 'সত্য উপাস্য'
Similarities between Islam and Hinduism.
Allah is the only 'true God'
আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী এবং মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ।
মুমিনদের উপর কুরআনের অধিকার • বিশ্বাস করার মতো বিশ্বাস করা • যেভাবে পড়ার দাবি কোরআন রাখে, সেভাবে পড়া • যেভাবে বোঝা উচিত, সেভাবে বোঝা • এর উপর আমল করা • অপরকে শেখানো, এর প্রচার ও প্রসার করা  এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ এবং তাঁর অনুসরণ করা।
youtube
হিন্দু ও মুসলমান উভয়েই ঈশ্বর সম্পর্কে কি বিশ্বাস করে?
আব্রাহামিক ধর্ম যেমন ইহুদি, খ্রিস্টান এবং মুসলমানরা সবাই একেশ্বরবাদী। যারা বিশ্বাস করে যে বহু ঈশ্বরে বিশ্বাস করে তাদের বলা হয় বহু ঈশ্বরবাদী। হিন্দুধর্মকে প্রায়শই একটি বহুঈশ্বরবাদী বিশ্বাস হিসাবে বিবেচনা করা হয় কারণ ধর্মে অনেক দেবতা রয়েছে যার প্রত্যেকটিই পরম পরম, ব্রাহ্মণের একটি নির্দিষ্ট দিককে প্রতিনিধিত্ব করে।
ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য।
আল্লাহ্‌ একমাত্র 'সত্য উপাস্য'
Similarities between Islam and Hinduism.
Allah is the only 'true God'
0 notes
myreligionislam · 22 hours ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
৯৯% হিন্দুই তাঁদের ধর্ম সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানে না 
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহ্‌ একমাত্র 'সত্য উপাস্য'
Similarities between Islam and Hinduism.
Allah is the only 'true God'
আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী এবং মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ।
মুমিনদের উপর কুরআনের অধিকার • বিশ্বাস করার মতো বিশ্বাস করা • যেভাবে পড়ার দাবি কোরআন রাখে, সেভাবে পড়া • যেভাবে বোঝা উচিত, সেভাবে বোঝা • এর উপর আমল করা • অপরকে শেখানো, এর প্রচার ও প্রসার করা  এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ এবং তাঁর অনুসরণ করা।
youtube
হিন্দু ও মুসলমান উভয়েই ঈশ্বর সম্পর্কে কি বিশ্বাস করে?
আব্রাহামিক ধর্ম যেমন ইহুদি, খ্রিস্টান এবং মুসলমানরা সবাই একেশ্বরবাদী। যারা বিশ্বাস করে যে বহু ঈশ্বরে বিশ্বাস করে তাদের বলা হয় বহু ঈশ্বরবাদী। হিন্দুধর্মকে প্রায়শই একটি বহুঈশ্বরবাদী বিশ্বাস হিসাবে বিবেচনা করা হয় কারণ ধর্মে অনেক দেবতা রয়েছে যার প্রত্যেকটিই পরম পরম, ব্রাহ্মণের একটি নির্দিষ্ট দিককে প্রতিনিধিত্ব করে।
ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য।
আল্লাহ্‌ একমাত্র 'সত্য উপাস্য'
Similarities between Islam and Hinduism.
Allah is the only 'true God'
0 notes
allahisourrabb · 23 hours ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
৯৯% হিন্দুই তাঁদের ধর্ম সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানে না 
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহ্‌ একমাত্র 'সত্য উপাস্য'
Similarities between Islam and Hinduism.
Allah is the only 'true God'
আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী এবং মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ।
মুমিনদের উপর কুরআনের অধিকার • বিশ্বাস করার মতো বিশ্বাস করা • যেভাবে পড়ার দাবি কোরআন রাখে, সেভাবে পড়া • যেভাবে বোঝা উচিত, সেভাবে বোঝা • এর উপর আমল করা • অপরকে শেখানো, এর প্রচার ও প্রসার করা  এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ এবং তাঁর অনুসরণ করা।
youtube
হিন্দু ও মুসলমান উভয়েই ঈশ্বর সম্পর্কে কি বিশ্বাস করে?
আব্রাহামিক ধর্ম যেমন ইহুদি, খ্রিস্টান এবং মুসলমানরা সবাই একেশ্বরবাদী। যারা বিশ্বাস করে যে বহু ঈশ্বরে বিশ্বাস করে তাদের বলা হয় বহু ঈশ্বরবাদী। হিন্দুধর্মকে প্রায়শই একটি বহুঈশ্বরবাদী বিশ্বাস হিসাবে বিবেচনা করা হয় কারণ ধর্মে অনেক দেবতা রয়েছে যার প্রত্যেকটিই পরম পরম, ব্রাহ্মণের একটি নির্দিষ্ট দিককে প্রতিনিধিত্ব করে।
ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য।
আল্লাহ্‌ একমাত্র 'সত্য উপাস্য'
Similarities between Islam and Hinduism.
Allah is the only 'true God'
0 notes
mylordisallah · 23 hours ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
৯৯% হিন্দুই তাঁদের ধর্ম সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানে না 
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহ্‌ একমাত্র 'সত্য উপাস্য'
Similarities between Islam and Hinduism.
Allah is the only 'true God'
আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী এবং মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ।
মুমিনদের উপর কুরআনের অধিকার • বিশ্বাস করার মতো বিশ্বাস করা • যেভাবে পড়ার দাবি কোরআন রাখে, সেভাবে পড়া • যেভাবে বোঝা উচিত, সেভাবে বোঝা • এর উপর আমল করা • অপরকে শেখানো, এর প্রচার ও প্রসার করা  এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ এবং তাঁর অনুসরণ করা।
youtube
হিন্দু ও মুসলমান উভয়েই ঈশ্বর সম্পর্কে কি বিশ্বাস করে?
আব্রাহামিক ধর্ম যেমন ইহুদি, খ্রিস্টান এবং মুসলমানরা সবাই একেশ্বরবাদী। যারা বিশ্বাস করে যে বহু ঈশ্বরে বিশ্বাস করে তাদের বলা হয় বহু ঈশ্বরবাদী। হিন্দুধর্মকে প্রায়শই একটি বহুঈশ্বরবাদী বিশ্বাস হিসাবে বিবেচনা করা হয় কারণ ধর্মে অনেক দেবতা রয়েছে যার প্রত্যেকটিই পরম পরম, ব্রাহ্মণের একটি নির্দিষ্ট দিককে প্রতিনিধিত্ব করে।
ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য।
আল্লাহ্‌ একমাত্র 'সত্য উপাস্য'
0 notes
khutbahs · 4 years ago
Link
ডা. জাকির নায়েকের জীবনী
ভারতীয় ইসলামী চিন্তাবিদ, বক্তা ও লেখক ডাক্তার জাকির নায়েক ১৯৬৫ সালের ১৮ই অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম জাকির আব্দুল করিম নায়েক। পেশাগত জীবনে তিনি একজন ডাক্তার। মহারাষ্ট্র থেকে শল্যচিকিৎসায় ডিগ্রি অর্জন করলেও ১৯৯১ সাল থেকে তিনি ইসলাম ধর্ম প্রচারে মনোনিবেশ করেছেন। বিংশ শতাব্দীর শেষ দশকে তিনি তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বে পণ্ডিত এবং অপরিমেয় স্মৃতিশক্তিধর বক্তা হিসাবে বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জন করেন।
জাকির নায়েক ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন নামক একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা যেটি পিস টিভি নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে থাকে। তিনি বক্তৃতার মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম সম্পর্ক কোরআন ও হাদীসের আলোকে সঠিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করেন। বিভিন্ন ধর্মের তুলনামূলক বিশ্লেষণের মাধ্যমে ইসলামের অধিকতর গ্রহণযোগ্যতা প্রতিষ্ঠা করা তাঁর অন্যতম কৌশল।
মুসলিম বিশ্বে জনপ্রিয় হলেও জাকির নায়েক তাঁর কোন কোন বক্তব্য ও মতের জন্য সমালোচিত হয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিন লাদেন যদি যুক্তরাষ্ট্রের মত সন্ত্রাসী রাষ্ট্রকে সন্ত্রাসের মাধ্যমে হুমকির সম্মুখীন করে তাহলে তিনি বিন লাদেনের পক্ষে। 'ইসলামের শত্রু বা যুক্তরাষ্ট্রকে কোন উপায়ে হুমকির সম্মুখীন করাকে সন্ত্রাস' বলা হলে তিনি প্রত্যেক মুসলিমেরই সন্ত্রাসী হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন। আফগান বংশোদ্ভূত সন্ত্রাসী নাজিবুল্লাহ জাজি জাকির নায়েকের বক্তৃতা শুনে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন।
সংক্ষিপ্ত জীবন ইতিহাস:
জাকির আবদুল করিম নায়েক ১৮ অক্টোবর ১৯৬৫ সালে ভারতের মুম্বাইয়ে জন্ম গ্রহণ করেন । তিনি মুম্বাইয়ের সেন্ট পিটার্স হাই স্কুলের ছাত্র ছিলেন । তারপর তিনি কিশিনচাঁদ চেল্লারাম কলেজে ভর্তি হন । তিনি মেডিসিনের ওপর টোপিওয়ালা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড নাইর হসপিটালে ভর্তি হন । অতঃপর, তিনি ইউনিভার্সিটি অফ মুম্বাই থেকে ব্যাচেলর অফ মেডিসিন সার্জারি বা এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন । তাঁর স্ত্রী ফরহাত নায়েক । তিনি আইআরএফ এর নারীদের শাখায় কাজ করেন । তিনি ১৯৯১ সালে ডাক্তারি পেশায় সবোর্চ্চ ডিগ্রী নেওয়ার পরও ধর্ম শাস্ত্রের একজন অপ্রতিদ্বন্দ্বী পণ্ডিত হয়ে উঠেছেন।[৩][৪] একই সময় তিনি আইআরএফ প্রতিষ্ঠা করেন । ডাঃ জাকির বলেন তিনি আহমেদ দিদাতের দ্বারা অনুপ্রাণিত । ডাঃ জাকির ইসলামের এই প্রখ্যাত দায়ী সাথে ১৯৮৭ সালে সাক্ষাত করেন । (ডাঃ জাকিরকে অনেক সময় ‘’’দিদাত প্লাস’’’ বলা হয়, এই উপাধি দিদাত নিজে দেন ।) ডাঃ জাকির বলেন তাঁর লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষিত মুসলমানরা যারা তাদের নিজ ধর্মকে ত্রুটিপূর্ণ, সেকেলে ��লে মনে করেন । তিনি মনে করেন, প্রত্যেক মুসলিমের উচিত ইসলাম সম্বন্ধে ভুল ধারণা গুলো ভেঙে দেওয়া এবং পশ্চিমা মিডিয়ার ইসলামের ওপর অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো । ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বলতে যুক্তরাষ্ট্রে সেপ্টেম্বর ১১, ২০০১ এর আক্রমণ বা নাইন ইলেভেন এর সাজানো নাটককে তিনি বোঝান । তাঁর কিছু নিবন্ধ ‘’’ইসলামিক ভয়েস’’’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । থমাস ব্লম হানসেন লিখেছেন যে, ডাঃ জাকিরের কুরআন ও হাদিয়াহ মনে রাখার ভঙ্গী একটি সাহিত্য । এ ভঙ্গী বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত । তিনি আরও বলেন, তিনি ধর্ম প্রচারের কাজে নিয়োজিত । তাঁর এ ভঙ্গী বহু মুসলিম ও অমুসলিমদের মাঝে অত্যন্ত জনপ্রিয় । তাঁর অনেক লেকচার রেকর্ড করা হয় এবং ডিভিডি মিডিয়া ও অনলাইনে প্রচারিত হয় । তাঁর লেকচার সাধারণত ইংরেজিতে রেকর্ড করা হয় । তা মুম্বাইতে সপ্তাহান্তে প্রচার করা হয় । তাঁর লেকচার পিস টিভিতেও প্রচার করা হয় । তিনি এই চ্যানেলের সহ- প্রযোজক । বিতর্ক ও সেমিনারে বক্তব্য দেওয়ার সময় বক্তব্যের প্রমাণে তিনি বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে অধ্যায় ও পৃষ্ঠা নম্বর দ্বারা রেফারেন্স দিয়ে থাকেন। তিনি ‘ইসলাম ও আধুনিক বিজ্ঞান’, ‘ইসলাম ও খ্রিস্টান ধর্ম’ এবং ‘ইসলাম ও জড়বাদ’ বিষয়ে লেকচার দেন । পিস টিভি বাংলা সংস্করণ বের করে । এর নাম দেওয়া হয় ‘পিস টিভি বাংলা’ । এখানে ডাঃ জাকিরের লেকচার বাংলায় প্রচার করা হয় । তাছাড়া, বাংলাদেশী চ্যানেল ‘ইসলামিক টিভিতে’ ও তাঁর লেকচার প্রচার করা হয় ।
বক্তৃতা ও বিতর্ক
জাকির নায়েক বিশ্বে অনেক লেকচার দিয়েছেন ও বিতর্ক করেছেন । তাঁর অন্যতম বিখ্যাত বিতর্ক হয় শিকাগোতে উইলিয়াম ক্যাম্পবেলের সাথে । ডাঃ জাকির ২০০০ সালের এপ্রিলে ‘বিজ্ঞানের আলোয় কুরআন ও বাইবেল’ বিষয়ে তাঁর সাথে বিতর্ক করেন। ডাঃ জাকির বলেন, ‘ ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হলেও, সেপ্টেম্বর ২০০১ থেকে জুলাই ২০০২ এর মধ্যে ৩৪,০০০ আমেরিকান ইসলাম গ্রহণ করেছে’। তিনি বলেন, ‘ইসলাম একটি কারণ ও যুক্তির ধর্ম এবং কুরআনে বিজ্ঞান বিষয়ক প্রায় ১০০০ আয়াত আছে। সেখানে তিনি পশ্চিমা কনভার্টের সংখ্যা ব্যাখ্যা করেন। ডাঃ জাকিরের অন্যতম জনপ্রিয় থিম হল বিজ্ঞানের সূত্র দিয়ে কোরআনকে যাচাই করা। ২১ জানুয়ারী ২০০৬ ডাঃ জাকির শ্রী শ্রী রবিসঙ্করের সাথে ‘ইসলাম ও হিন্দু ধর্মে ঈশ্বর’ বিষয়ে ব্যাঙ্গালোরে বিতর্ক করেন। ২০০৮ সালে ইসলামি পণ্ডিত লকনো, সাহার কাজী মুফতি আব্দুল ইরফান মিয়াঁ ফিরিঙ্গি মাহালি ডাঃ জাকিরের বিরুদ্ধে ফতোয়া দেন যে তিনি ওসামা বি লাদেনকে সমর্থন করেন এবং তাঁর পদ্ধতি অ-ইসলামিক ফেব্রুয়ারী ২০১১তে, তিনি ভিডিও লিংকের মাধ্যমে ‘অক্সফোর্ড ইউনিয়ন’ কে পত্র লেখেন। শান্তি সম্মেলন
��ভেম্বর ২০০৭ থেকে ডাঃ জাকির মুম্বাইতে একটি শান্তি সম্মেলন করেন। এখানে তিনি ছাড়াও আরও ২০ জন ইসলামি পণ্ডিত বক্তৃতা করেন। তাঁর অন্যতম লেকচার ২০০৭ সালের শান্তি সম্মেলন । তিনি শিয়া ও সুন্নিদের বিরোধ বিষয়ে কথা বলেন । তখন তিনি খলিফা ইয়াজিদের নামের পর রাদিয়াল্লাহ তা’ আলা (আল্লাহ্‌ তাদের অনুগ্রহ করুন) বলেন (আল্লাহ্‌ তার প্রতি সন্তুষ্ট হোন), তখন তিনি বহু মুসলমান দ্বারা ঘৃণিত হন । বিশেষ করে শিয়াদের দ্বারা । তিনি আরও বলেন, কারাবালার যুদ্ধ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত । উক্ত মন্তব্যটিও যথেষ্ট সমালোচিত হয়েছিল।
অস্ট্রেলিয়ায়ে ও ওয়েলসে ডাঃ জাকির:
‘শুধু ইসলামই নারীকে সমতা দেয়’ এ বিষয়ে ডাঃ জাকির ২০০৪ সালে ‘ইসলামিক ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক অফ অস্ট্রেলিয়া’ এর আমন্ত্রণে মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটিতে বিতর্ক করেন । তিনি আরও বলেন যে, পশ্চিমা জামা- কাপড় মেয়েদের ধর্ষণের অন্যতম কারণ । কারণ, এটা মেয়েদেরকে আকর্ষণীয় করে তোলে পর- পুরুষের কাছে । নিউ এজের সুশি দাস মন্তব্য করেন, নায়েক ইসলামের উপদেশের ও আত্মিক শ্রেষ্ঠত্বের উচ্চ প্রশংসা করেন এবং পশ্চিমা বিশ্বে সাধারণ ভাবে যে বিশ্বাস দেখা যায় তাকে ব্যাঙ্গ করেন ।
যুক্তরাজ্য ও কানাডায় নিষেধাজ্ঞা
ডা. নায়েককে ২০১০-এর জুন মাসে যুক্তরাজ্যে ও কানাডায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তসলিমা নাসরিন সম্পর্কে ডাঃ জাকির
ডঃ জাকির নায়েক বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরিনের "লজ্জা" নামক বইকে কেন্দ্র করে ভারতের মুম্বাইয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের দ্বারা আয়োজিত একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। তিনি বইটি থেকে ইসলামকেন্দ্রিক বিভিন্ন উদ্ধৃতিকে ভূল ব্যাখ্যা ও বিভ্রান্তি হিসেবে তুলে ধরেন। এছাড়াও, উক্ত অনুষ্ঠানে তিনি তসলিমা নাসরিনের উদ্দেশ্যে তার সাথে সরাসরি বিতর্কে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ ব্যক্ত করেন। অভ্যর্থনা, পুরষ্কার, উপাধি এবং সম্মাননা। তার উল্লেখযোগ্য পুরষ্কারের মধ্যে রয়েছে-
সাল
পুরষ্কার বা সম্মাননার নাম
পুরষ্কার প্রদানকারী সংস্থা বা সরকার
২০১৩
Islamic Personality of 2013
Shaikh Mohammed bin Rashid Al Maktoum Award for World Peace
২০১৩
Distinguished International Personality Award
Agong, Tuanku Abdul Halim Mu’adzam Shah, Head of state of Malaysia
২০১৩
Sharjah Award for Voluntary Work
Sultan bin Mohamed Al-Qasimi, Ruler of Sharjah
২০১৪
Insignia of the Commander of the National Order of the Republic of The Gambia
President of The Gambia Yahya Jammeh
২০১৪
অনারারি ডক্টরেট (ডক্টর অব হিউম্যান লেটারস)
গাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
২০১৫
বাদশাহ ফয়সাল আন্তর্জাতিক পুরস্কার
সৌদি আরব
বক্তৃতা ও বইসমুহ ডা. জাকির নায়েক বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য রেখেছেন। তাঁর বক্তৃতায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের আমন্ত্রিত ও অনামন্ত্রিত শ্রোতাগণ অংশগ্রহণ করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য বক্তৃতা পরবর্তীতে মূল ইংরেজি সহ একাধিক ভাষায় বই হিসাবে প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো-
১। ইসলাম বিষয়ে অমুসলিমদের কিছু সাধারণ প্রশ্নের জবাব। ২। কোর'আন ও আধুনিক বিজ্ঞান। ৩। কোর'আন কি ঈশ্বরের বাণী? ৪। আমিষ খাদ্য কি মানুষের পক্ষে ক্ষতিকর? ৫। বিশ্বভ্রাতৃত্ববোধ। ৬। প্রধান প্রধান ধর্মে ঈশ্বরের অস্তিত্ব। ৭। বিজ্ঞানের আলোকে কোর'আন ও বাইবেল। ৮। হিন্দু ও ইসলাম ধর্মের অন্তরনিহিত সাদৃশ্য। ৯। সন্ত্রাসবাদ ও জিহাদ। ১০। ইদলামের কেন্দ্রবিন্দু। ১১। সন্ত্রাসবাদ কি কেবল মুসলিমদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? ১২। প্রশ্নোত্তোরে ইসলামে নারীর অধিকার। ১৩। কেন ইসলাম গ্রহণ করছে পশ্চিমারা? ১৪। ইসলামে নারীর অধিকার আধুনিক নাকি সেকেলে? ১৫। সুদমুক্ত অর্থনীতি। ১৬। ইসলাম ও খ্রিস্টধর্মের সাদৃশ্য। ১৭। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ সমুহের আলোকে হিন্দুধর্ম ও ইসলাম। ১৮। আলকোর'আন বুঝে পড়া উচিত। ১৯। রসুলুল্লাহর নামায(সালাত)। ২০। চাঁদ ও কুর'আন। ২১। মিডিয়া ও ইসলাম। ২২। সুন্নত ও বিজ্ঞান। ২৩। পোশাকের নিয়মাবলী। সংগ্রহ- উইকিপিডিয়া
0 notes
mdnoraalam · 8 years ago
Photo
Tumblr media
বাঙ্গালি মুসলমানের ঐতিহ্য ও আজকের প্রেক্ষাপট-(দ্বিতীয় পর্ব) September 17, 2016 আমাদের বুধবার হায়দার আকবর খান রনো :: কোন বিশেষনের প্রয়োজন নেই আহমদ ছফা’র । তিনি মৃত্যুবরণ করেন ২০০১ সালের ২৮ জুলাই । তাঁর ��্মরণে আহমদ ছফা রাষ্ট্রসভা যে স্মৃতিবক্তৃতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল, সে বক্তৃতাটির বক্তা অর্থাৎ লেখকের অনুমতিক্রমে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। দার্শনিক হেগেল ভারতবর্ষ সম্পর্কে বলেছিলেন যে ভারতবর্ষের কোন ইতিহাস নেই। একথা দ্বারা তিনি বুঝিয়েছেন যে, সমাজ নিশ্চল ছিল, সময়ের সঙ্গে কোন পরিবর্তন ঘটেনি। ‘এশীয় স্বৈরতন্ত্র’ সম্পর্কিত মার্কসের বক্তব্য সঠিকভাবে বুঝতে না পারার কারণে ���নেক ভারতীয় মার্কসবাদীও অনেকটা হেগেলের মতই অনুধাবনযোগ্য মনে করতেন। ভারতের বিখ্যাত মার্কসবাদী ইতিহাসবিদ, গণিতজ্ঞ ও পন্ডিত দামোদর ধর্মানন্দ কোসাম্বী এই মতের কড়া সমালোচনা করে দেখিয়েছেন যে ভারতের সমাজের মধ্যেও তীব্র শ্রেণীসংগ্রাম ছিল। হয়তো তা ইউরোপের মতো নয়। কিন্তু সমাজ একেবারে নিশ্চল, অপরিবর্তনীয় ছিল এমনটা মনে করা হবে খুবই বড় ভুল ও অনৈতিহাসিক। ‘ভারতবর্ষের ইতিহাস পড়ার ভূমিকা’ (An Introduction to the Study of Indian History) গ্রন্থটির একেবারে প্রথম প্যারাতেই কোসাম্বী এই রকম ভুল ধারণা খন্ডন করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘ভারতবর্ষের বৃত্তান্তে কিছু ঘটনা পরস্পর আছে, কোন ইতিহাস নেই’ (India has some episodes but no history)-এই সিদ্ধান্তকে কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। গোটা বইয়ে অসংখ্য ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি দেখিয়েছেন, কিভাবে শ্রমজীবী মানুষ শ্রেণীসংগ্রাম করেছে এবং ইতিহাস নির্মাণ করেছে। শুধু ইউরোপেই না, ভারতবর্ষেও। (D. D. Kosambi, An Introduction to the Study of Indian History (Bombay: Popular Prakashan, 1956). আমরা দেখছি, আর্যদের দখলে চলে যাবার পর এই ভূখন্ডের আদিবাসী অর্থাৎ আমাদের পূর্বপুরুষেরা বর্ণাশ্রমের শিকার হতে বাধ্য হয়েছিল। সেটি ছিল বিরাট ঐতিহাসিক পরাজয়। আহমদ ছফা লিখেছেন, ‘হিন্দু বর্ণাশ্রম প্রথাই এ দেশের সাম্প্রদায়িকতার আদিতম উৎস।’ (ঐ, পৃষ্ঠা ৩৪।) এর সঙ্গে দ্বিমত করার কিছুই নাই। হিন্দু সমাজে এখনও জাতপাত প্রথা বিষফোড়ার মতো টিকে আছে। সেই প্রসঙ্গ নিয়ে আমরা এখন আলোচনা করছি না। আমাদের আলোচ্য বিষয় হিন্দু-মুসলমানের মধ্যকার সাম্প্রদায়িক বিভাজন এবং বর্তমানের ইসলামী মৌলবাদী জঙ্গিবাদ। আহমদ ছফা আবার একই সঙ্গে লিখেছেন, ‘বাংলার আদিম কৌম সমাজের মানুষেরা সর্বপ্রকারে যে ঐ বিদেশী উন্নত শক্তিকে বাধা দিয়েছিলেন-ছড়াতে, খেলার বোলে তার অজস্র প্রকাশ ছড়ানো আছে। এই অঞ্চলের মানুষদের বাগে আনতে অহংপুষ্ট আর্যশক্তিকেও যে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে, তাতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। (ঐ পৃষ্ঠা ৩৩) আহমদ ছফার এই বক্তব্যই প্রমাণ করে যে, এই অঞ্চলের মানুষ স্বাধীনচেতা ও সংগ্রামী। সেই ঐতিহ্য পরবর্তীতেও আমাদের পূর্বপুরুষরা বহন করে এসেছেন বংশানুক্রমিকভাবে। বৌদ্ধধর্ম ছিল আর্যশাসনের বিরুদ্ধে অর্থাৎ শোষকশ্রেণীর বিরুদ্ধে শোষিত জনগণের প্রতিবাদ ও বিদ্রোহের একটি রূপ। প্রাচীন যুগে রাজনৈতিক দল ছিল না। তখন বিদ্রোহ অনেক ক্ষেত্রে ধর্মের আবরণে আত্মপ্রকাশ করত। তা পশ্চিম এশিয়ায় যেমন খ্রিস্টান ও ইসলাম ধর্মের ক্ষেত্রে সত্য, তেমনি ভারতবর্ষে বৌদ্ধধর্মের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। বাংলায় পাল রাজবংশের উৎপত্তি ছিল জনগণের বিদ্রোহের ফলস্বরূপ। পাল রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা গোপাল ছিলেন জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত। পাল রাজারা বৌদ্ধ হলেও জনদরদী শাসক ছিলেন, এমনটা মনে করা সঠিক নয়। সেই প্রাচীন বা মধ্যযুগে রাজাবাদশা শাসক মাত্রই ছিলেন নিষ্ঠুর ও অত্যাচারী। পাল রাজাদের বিরুদ্ধে কৈবর্ত বিদ্রোহ আরেকবার প্রমাণ করে যে এই জনপদের সাধারণ শ্রমজীবী ও কৃষকরা ছিলেন সংগ্রামী মনোভাবাপন্ন। মার্কসবাদী রাজনীতিবিদ লেখক সত্যেন সেনের একটি উপন্যাস আছে কৈবর্ত বিদ্রোহ ভিত্তি করে। উপন্যাসের নামও ‘বিদ্রোহী কৈবর্ত’। (সত্যেন সেন, বিদ্রোহী কৈবর্ত) কৈবর্ত রাজারা (দিব্যক, রুদ্রক, ভীম) গৌড়ে কয়েক বছর রাজত্ব করেন। পরে পালরা মগধ থেকে এসে আবার গৌড় দখল করেছিলেন। ১১২০ সালে কর্ণাটক থেকে আসা সেনরা বাংলা দখল করেন এবং তাঁরা ব্রাহ্মণ্যধর্ম পুনপ্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। জাতিভেদ প্রথা আবার চাপিয়ে দেয়া হল এবং বৌদ্ধদের নিশ্চিহ্ন করার ব্যবস্থা করা হল। বৌদ্ধ ভিক্ষুরা এবং বুদ্ধের বাণী যারা প্রচার করতেন তাঁরা আত্মগোপনে গেলেন। তাঁরা কিভাবে ‘আন্ডারগ্রাউন্ড’ একটিভিটি চালাতেন, তার একটি বিবরণ পাওয়া যায় শওকত আলীর ‘প্রদোষে প্রাকৃতজন’ উপন্যাসে। ঠিক একইভাবে ইতিহাসের একটি পর্বে রোমান সাম্প্রাজ্যও খ্রিস্টধর্মের প্রচারকগণ আত্মগোপনে থেকে ধর্মমত প্রচার করতেন। এইসব ছিল শ্রেণী সংগ্রামের এক একটি রূপ। রবীন্দ্রনাথের একটি কবিতায় দেখা যায়, ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দু রাজারা কিভাবে বৌদ্ধ প্রচারক ও বুদ্ধভক্তদের হত্যা করত। ‘অজাতশত্রু করেছে রচনা স্তুপে যে করিবে অর্ঘ্যরচনা শূলের উপরে মরিবে সে জনা অথবা নির্বাসনে।’ (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ‘পূজারিনি’-কথা কাব্যগ্রন্থ, সঞ্চয়িতায় সংকলিত) এটি উত্তর ভারতের ক্ষেত্রেও যেমন, তেমনি বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও সত্য ছিল। আহমদ ছফা বলেছেন, ‘বাঙ্গালি মুসলমান শুরু থেকেই তাদের আর্থি��, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দুর্দশার হাত থেকে আত্মরক্ষার তাগিদে ক্রমাগত ধর্ম পরিবর্তন করে আসছিল।’ (ঐ পৃষ্ঠা ৩৪) কিন্তু আমরা ধর্মান্তরিত হবার ব্যাপারটিকে অন্যভাবেও ব্যাখ্যা করতে পারি। এই জনগোষ্ঠী একবার বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেছিল, পরবর্তীতে মুসলমান হয়েছিল। কিন্তু ইংরেজ শাসনামলে তো তারা খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেনি। বরং ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সংগ্রামী মনোভাব দেখিয়ে আসছে। বাংলার সাধারণ মানুষ যে দলে দলে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছিল তা তাদের প্রতিবাদী মনেরই পরিচয় বহন করে। সেন রাজাদের নিষ্ঠুর দমনের কারণে প্রকাশ্যে বৌদ্ধধর্ম অবলুপ্ত হল। আর ঠিক সেই সময়ই এল ইসলাম ধর্ম ও বিজয়ী মুসলমান শাসকরা। এমনই পরিস্থিতিতে বাংলার নিম্নবর্ণের শ্রমজীবী মানুষের বিরাট অংশ দলে দলে মুসলমান হয়ে গেল। একদিকে হিন্দুধর্মের জাতিভেদ প্রথা, অন্যদিকে ইসলাম ধর্মের তুলনামূলক উদার দৃষ্টিভঙ্গি ও কিছুটা সামাজিক সাম্যের আদর্শ (এই সাম্য অর্থনৈতিক সাম্য নয়) এই মানুষদের আকৃষ্ট করেছিল। এই সকল ঘটনা প্রমাণ করে যে বাংলার মানুষ নতুন আদর্শকে, তুলনামূলক প্রগতিশীল আদর্শকে সহজেই গ্রহণ করতে পারে অর্থাৎ তারা চরিত্রগতভাবে রক্ষণশীল নয়। এই জনপদের মানুষের চিন্তা করার ক্ষমতা নেই, এমন অপবাদ মেনে নেয়া যায় না। ঐতিহাসিক সুজিত আচার্য বলেছেন, ইসলাম ধর্ম এই দেশে তরবারির জোরে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তিনি যুক্তি দিয়েছেন, ইসলাম তরবারির জোরে প্রতিষ্ঠিত হলে, উত্তর ভারতে মুসলিম শাসনের রাজধানী দিল্লি আগ্রার আশেপাশের অঞ্চলের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা সংখ্যাগুরু হত না। (সুজিত আচার্য, বাংলায় ইসলাম ধর্মের আদিপর্ব) তবে একথা সত্য যে মুসলমানদের হাতে রাজদন্ড থাকায় ইসলাম ধর্ম প্রচার সহজ হয়েছিল। বাংলায় যারা ইসলাম ধর্ম প্রচার করেছিলেন তারা ছিলেন সুফি মতবাদের অনুসারী, মানবতাবাদী ও উদারপন্থী। কট্টর মৌলবাদী ও শরিয়তপন্থীদের থেকে সুফি সাধকদের জীবনদর্শন ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। সুফি ধর্ম-প্রচারকদের জীবন-প্রণালীও এই দেশের নিম্নবর্ণের খেটেখাওয়া মানুষকে আকৃষ্ট করেছিল। তাই আশরাফদের তুলনায় আতরাফ বা নিচু জাতের মুসলমান, যারা আবার ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠ, তারা ছিলেন বরাবরই অসাম্প্রদায়িক ও মানবতাবাদী। ধর্মীয় গোঁড়ামি তাদের কখনও স্পর্শ করেনি। আমাদের এই জনপদে বহু প্রাচীনকালেই বেদবিরোধী একটি লোকায়ত দর্শন ছিল। বাংলায় বৌদ্ধধর্মের যে সংস্করণটি জনপ্রিয় হয়েছিল তা সহজিয়া ধর্ম নামে পরিচিত। সহজিয়া ধর্মের মধ্যে মানবিক দিক অনেক বেশি ছিল। সহজিয়া ধর্মের সাহিত্যে বৈদিক ধর্ম, পৌরাণিক পূজাপদ্ধতি, এমনকি বৌদ্ধধর্মের অনেক আচার-নিষ্ঠাকে কটাক্ষ করা হয়েছিল। ‘সহজিয়া’ মতবাদ কেবল বৌদ্ধধর্মের ব্যাপার ছিল না। ইসলামের আবির্ভাবের বহু ��গেই হিন্দু সমাজের এক বড় অংশের মধ্যে তার প্রভাব ছিল। ইসলাম ধর্মপ্রচারকদের সুফি মতবাদের সঙ্গে সহজিয়া মতবাদের অনেক সাদৃশ্য খুঁজে পেয়েছিল মধ্যযুগের নিম্নবর্ণের হিন্দুরা। তাই তারা খুব সহজে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। সহজিয়া ঐতিহ্যের দুইটি ধারা-সগুণ ও নির্গুণ। মধ্যযুগে জন্মগ্রহণকারী (১৪৮৬ সালে) শ্রীচৈতন্য নিজে ব্রাহ্মণ হলেও জাতিভেদ প্রথার বিরোধী ছি��েন এবং মানবতাবাদী ছিলেন। তাঁর অনেক মুসলমান শিষ্যও ছিল। বৈষ্ণবধর্মের প্রবর্তক শ্রীচৈতন্য এবং কবি চন্ডীদাস ছিলেন সগুণ ধারার শ্রেষ্ঠ প্রবক্তা। (চন্ডীদাস-‘সবার উপর মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই’) অন্যদিকে নির্গুণ পথের পথিক বাউল সাধকরা ছিলেন অধিকতর মানবিক এবং হিন্দু-মুসলমানের ঐক্যের পক্ষে। মধ্যযুগে বাংলাদেশে এবং উত্তর ভারতে নিম্নবর্ণের হিন্দু ও গরিব মুসলমানদের মধ্যে অনেক প্রতিভাবান কবি ও সমাজ সংস্কারকের উদ্ভব ঘটেছিল যাঁরা ছিলেন প্রচলিত সামাজিক ও ধর্মীয় অনুশাসনের বিরুদ্ধে এবং হিন্দু-মুসলমানের ঐক্যের পক্ষে। তাঁরা ছিলেন ধর্মনিরপেক্ষ ও মানবতাবাদী। তাঁদের অনেকেই ছিলেন গরিব ও শ্রমজীবী-যথা কবীর (মুসলমান ও তাঁতি), শোন (নাপিত), রামদাস (মুচি), ধন (শূদ্র) প্রমুখ। মধ্যযুগে বাংলায় পাচালি, যাত্রা, সঙ্গীত প্রভৃতি রচনা ও অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বেশ সমৃদ্ধ সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল। কোন কোন রচনায় ধর্মের আবরণ বা রাজরাজড়ার কাহিনী থাকলেও (শেক্সপিয়ারের নাটকেও রাজারাজড়া ও ভূতপ্রেতের কাহিনী আছে) তা মানবতাবাদী গুণেও সমৃদ্ধ ছিল। এই যে জনপ্রিয় সাহিত্য গড়ে উঠেছিল তা অসাম্প্রদায়িক পরিবেশ গড়ে তুলতেও সাহায্য করেছিল। যে মানুষ এমন সংস্কৃতি নির্মাণ করতে পারে, তাদের ছোট করে দেখা হবে অনৈতিহাসিক। সগুণ ধারার তুলনায় নির্গুণ সহজিয়া ধারার প্রবক্তাগণ অর্থাৎ বাউলরা ইসলাম ধর্মের সুফি মতবাদের প্রতি অধিক সহিষ্ণু ছিলেন। অন্যদিকে শরিয়তপন্থী কট্টর মোল্লাতন্ত্র হিন্দুধর্মকে যেভাবে শত্রুতার মনোভাব নিয়ে দেখেছে, সুফি সাধকদের মনোভাবের সঙ্গে তার দুস্তর তফাৎ ছিল। আমাদের সৌভাগ্য যে বাংলায় ইসলাম ধর্মের আবির্ভাব ঘটেছে সুফি মতবাদের সাধকদের হাত দিয়ে। তাই অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রথম থেকেই শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে বিরাজ করেছে। এর সবচেয়ে বড় প্রকাশ মিলবে বাউল সাধকদের মধ্যে (তাঁদের সঙ্গীতেও)। মুহম্মদ মনসুর উদ্দিন বাউল গানের সংকলন প্রকাশ করেছিলেন ১৯২৭ সালে ‘হারামণি’ নামক গ্রন্থে। সেই সংকলনের ভূমিকায় রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন: আমাদের দেশে যারা নিজেদের শিক্ষিত বলেন, তারা প্রয়োজনের তাড়নায় হিন্দু-মুসলমানের মিলনের নানা কৌশল খুঁজে বেড়াচ্ছেন। … কিন্তু আমাদের দেশের ইতিহাস আজ পর্যন্ত প্রয়োজনের মধ্যে নয়, পরন্ত মানুষের অন্তরতর গভীর সত্যের মধ্যে মিলনের সাধনাকে বহন করে এসেছে। বাউল সাহিত্যে বাউল সম্প্রদায়ের মধ্যে সেই সাধনা দেখি-এ জিনিস হিন্দু-মুসলমানের উভয়েরই, একত্র হয়েছে, ��থচ কেউ কাউকে আঘাত করেনি। এই মিলনে সভা-সমিতি প্রতিষ্ঠা হয়নি, এই মিলনে গান জেগেছে, সেই গানের ভাষা ও সুর অশিক্ষিত মাধুর্যে সরস। এই গানের ভাষায় ও সুরে হিন্দু-মুসলমানের কণ্ঠ মিলেছে। কোরান-পুরাণ ঝগড়া বাধেনি। এই মিলনেই ভারতের সভ্যতার সত্য পরিচয়, বিবাদ-বিরোধে বর্বরতা। বাংলাদেশের গ্রামের গভীর চিত্তে উচ্চ সভ্যতার প্রেরণা স্কুল কলেজের অগোচরে আপনা-আপনি কি রকম কাজ করে এসেছে, হিন্দু ও মুসলমানের জন্য এক আসন রচনার চেষ্টা করেছে, এই বাউল গানে তার পরিচয় পাওয়া যায়। (মুহম্মদ মনসুর উদ্দিন, হারামনি)এই জনপদের গরিব শ্রমজীবী, যারা ছিলেন নিম্নবর্ণের হিন্দু এবং যাদের অধিকাংশ ইতিহাসের এক কালপর্বে দলে দলে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলেন, তারা ঐতিহ্যগতভাবে ছিলেন অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক। এইটুকু বললেই যথেষ্ট বলা হল না। তারা ইতিহাসে সক্রিয় ভূমিকাও পালন করেছেন, সমৃদ্ধ সাহিত্য-সংস্কৃতি যেমন নির্মাণ করেছেন, তেমনি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন ইসলাম ধর্ম গ্রহণের আগে এবং পরে। কৈবর্ত বিদ্রোহের কথা একটু আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। সেটা ছিল এদেশে ইসলামের অভ্যুদয়ের আগের ঘটনা। কিন্তু পরেও আমরা হিন্দু মুসলমানের মিলিত সংগ্রাম দেখব, মিলিত সাহিত্য-সংস্কৃতি নির্মাণও দেখব। মধ্যযুগে যে সকল বাঙ্গালি কবির সাক্ষাৎ আমরা পাই তাঁদের মধ্যে ছিলেন মুকুন্দরাম, দৌলত কাজী, আলাউল, ভারতচন্দ্র, রামপ্রসাদ প্রমুখ। নাম শুনেই বুঝতে পারছেন তাঁদের মধ্যে হিন্দু-মুসলমান দুই ধর্মেরই কবিরা ছিলেন। তাঁরা ছিলেন গরিব। তাঁদের কবিতায় শোষিত মানুষের ক্ষোভ ও দীর্ঘশ্বাস শোনা যায়। তবে পরবর্তীতে উনবিংশ-বিংশ শতাব্দীতে বাংলা সাহিত্য মুসলমানের অবদান হিন্দুর তুলনায় কম হল কেন? এই প্রশ্নটি আহমদ ছফা উত্থাপন করেছেন। সেই প্রসঙ্গে আমরা একটু পরেই আসছি। আমরা আরও দেখব নিম্নবর্ণের হিন্দু ও ধর্মান্তরিত মুসলমান অর্থাৎ গরিব শ্রমজীবী মানুষ অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে বারবার সংগ্রাম করেছে, বিদ্রোহ করেছে। দুই একটি উদাহরণ দেয়া থাক। সুলতান আলাউদ্দিনের রাজত্বকালে স্থানীয় কোতোয়ালের অত্যাচারের বিরুদ্ধে হাজি মোল্লা নামক জনৈক কোষাগার রক্ষীর নেতৃত্বে স্থানীয় হিন্দু-মুসলমান জনগণ বিদ্রোহ করেছিল। যশোরের জমিদার কেদার রায়ের রাজত্বকালে নোওয়াপাড়ার কৃষক জনগণ বিদ্রোহ করেছিল। দেখা যাবে, অত্যাচারী শাসক ও জমিদারদের মধ্যে যেমন হিন্দু-মুসলমান উভয় ধর্মের লোক ছিল তেমনি বিদ্রোহী জনগণের মধ্যেও দুই ধর্মেরই মানুষ ছিল। আসা যাক ব্রিটিশ যুগে। ‘বাঙ্গালি মুসলমানের মন’ প্রবন্ধে তিতুমীরের ওয়াহাবি আন্দোলন ও দুদুমিয়ার নেতৃত্বাধীন ফরায়েজি আন্দোলন ছাড়া অন্য কোন গণ আন্দোলনে বাঙ্গালি মুসলমানের অংশগ্রহণ দেখতে পেলেন না আহমদ ছফা। (ঐ পৃ. ৩৬) কিন্তু ইংরেজ শাসকের ক্ষমতা হাতে নেওয়ার পরপরই বাংলাদে��ে যে অসংখ্য সশস্ত্র কৃষক বিদ্রোহ হয়েছিল, তাতে হিন্দু-মুসলমান উভয় ধর্মাবলম্বী বিদ্রোহীরা ছিলেন। ফকির সন্যাসী বিদ্রোহ কৃষক বিদ্রোহের সবচেয়ে বড় উদাহরণ। ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ (১৮৫৭) ছিল হিন্দু-মুসলমানের মিলিত যুদ্ধ। উনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে যে নীলবিদ্রোহ ও প্রজাবিদ্রোহ হয়েছিল, সেখানেও হিন্দু-মুসলমানের মিলিত সংগ্রাম আমরা দেখব। তবে একথা ঠিক যে বিংশ শতাব্দীর শুরুতে যে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন ও স্বদেশী আন্দোলন বিকাশ লাভ করেছিল তাতে সাধারণভাবে মুসলমানদের অংশগ্রহণ কম ছিল। সাম্প্রদায়িক বিভাজন যে স্বদেশী আন্দোলনের একটি বড় দুর্বলতা তা রবীন্দ্রনাথ ‘ঘরে-বাইরে’ উপন্যাসে দেখিয়েছেন। কিন্তু বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনেও কয়েকজন মুসলমান বুদ্ধিজীবীর নাম উল্লেখ করা যেতে পারে যাঁরা আন্দোলনের পক্ষে জোরালো ভূমিকা রেখেছিলেন। যেমন ব্যারিস্টার আবদুল রসুল (তিনি চরমপন্থী বলেও পরিচিত), লিয়াকত হোসেন (তিনিও চরমপন্থী বলে পরিচিত), মৌলবী আবুল কাশেম, আবদুল হালিম গজনভী প্রমুখ। তথাকথিত ‘সন্ত্রাসবাদী’ (সশস্ত্র জাতীয়তাবাদী) আন্দোলনে অবশ্য বাঙ্গালি মুসলমানের অংশগ্রহণ ছিল না বললেই চলে। তার কারণ এই সকল গোপন দলের নেতারা মুসলমানদের দলে নিতে চাননি। তবে বিপ্লবী সূর্যসেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক সশস্ত্র অভ্যুত্থানের প্রতি যে স্থানীয় মুসলমান কৃষকদের সহানুভূতি ছিল একথা আমাকে বলছিলেন সূর্যসেনের এক কিশোর শিষ্য (পরবর্তীতে কমিউনিস্ট নেতা) প্রয়াত শরবিন্দু দস্তিদার। নেতাজী সুভাষ বসুর আজাদ হিন্দ ফৌজে হিন্দু-মুসলমান-শিখ সকলেই ছিলেন, অফিসার হিশাবে, সেনাপতি হিশাবে এবং সাধারণ সৈন্য হিশাবেও। ১৯৪৬ সালের ঐতিহাসিক নৌ বিদ্রোহ ছিল হিন্দু-মুসলমান নাবিকদের ঐক্যবদ্ধ বিদ্রোহ। আজাদ হিন্দ ফৌজের সদস্যদের বিচার শুরু করে হলে কলকাতায় রশীদ আলী দিবসকে কেন্দ্র করে যে গণ অভ্যুত্থান হয়েছিল সেখানে বাঙ্গালি হিন্দু ও বাঙ্গালি মুসলমান কাঁধে কাঁধ রেখে লড়াই করেছেন। সেই লড়াই যে ভিত্তি করে মানিক বন্দোপাধ্যায় ‘চিহ্ন’ নামে একটি উপন্যাস লিখেছিলেন। সেখানে সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী যে চরিত্রগুলি দেখি তার মধ্যে হিন্দুও আছে, মুসলমানও আছে। ১৯৪৬ সালে যে ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দ��লন গ্রাম বাংলাকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল তার মধ্যে হিন্দু ও মুসলমান উভয় ধর্মের কৃষকরা ছিল। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন কমরেড মুজফ্ফর আহ্মদ। তিনি নিম্নমধ্যবিত্ত বাঙ্গালি মুসলিম পরিবার থেকেই এসেছিলেন। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির আদি গঠনপর্বে বাংলাদেশে যে সামান্য কয়জন উদ্যোগী ভূমিকা নিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে কমরেড আবদুল হালিম ও কমরেড আবদুর রাজ্জাক খানের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বাঙ্গালি মুসলমানের সংগ্রামী ঐতিহ্য তুলে ধরার মানে এই নয় যে, এই জনগোষ্ঠীর দুর্বলতাকে আড়াল করতে চাই। আহমদ ছফা দুর্বলতার দি��টাই তুলে ধরেছেন অত্যন্ত তীক্ষ্ম ভাষায়। সেই দিকটার প্রতি এবার আমি দৃষ্টিপাত করার চেষ্টা করব। আহমদ ছফা যথার্থই বলেছেন যে বাংলা সাহিত্যে নজরুল ও জসিম উদ্দিন-মাত্র দুইজন মুসলমান কবির নাম করা যায় যাঁরা ‘কাব্যের ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।’ ছফা আরও লিখেছেন, ‘এই দুই কবির প্রথম পৃষ্ঠপোষক ও গুণগ্রাহী ছিল হিন্দুসমাজ, মুসলমান সমাজ নয়।’ (আহমদ ছফা, ঐ, পৃষ্ঠা ৩৭) সত্যি তো আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম পর্বের (এবং এখনও) দিকপাল কারা? ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, কাজী নজরুল ইসলাম। মুসলমানের সংখ্যা এত কম কেন? আমরা এখন সেই আলোচনায় প্রবেশ করব।
0 notes
quransunnahdawah · 27 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না।
youtube
youtube
youtube
আহলে কিতাব কারা
আহলে কিতাব বা আহলে কিতাব ( আরবি : أهل الكتاب ), ইসলামে সেই ধর্মের অনুসারীদের জন্য একটি শ্রেণিবিন্যাস যা মুসলমানরা সাধারণত একটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আকারে আল্লাহর কাছ থেকে একটি ঐশ্বরিক ওহী পেয়েছে বলে মনে করে। . শ্রেণীবিভাগ প্রধানত প্রাক-ইসলামিক আব্রাহামিক ধর্মকে বোঝায়।
এসো, কমন বিষয়ে কথা বলি !
মক্কী ও মাদানী গ্রুপের প্রথম জোড়ার দ্বিতীয় সুরা, সুরা আলে ইমরান। জোড়া হিসাবে দুটি সুরা, অর্থাৎ সুরা বাক্বারার সাথে এর অনেক মিল রয়েছে, যা আগেই বলা হয়েছে। শুরু হতে যাচ্ছে সুরা আলে ইমরানের প্রথমাংশের তৃতীয় উপভাগের ৩৮ আয়াত। যার মিল রয়েছে, সুরা বাক্বারার প্রথমাংশের তৃতীয় উপভাগের চারটি রুকু ১৫,১৬,১৭, ও১৮ এর সাথে। ওখানে যেমন ছিল, ক্বাবার কথা, হজরত ইব্রাহীম আঃ এর কথা, শেষ নবীর প্রতি ইমান আনার কথা। এখানেও তেমনটি রয়েছে। ওখানের শুরুটি ছিল, ‘ইয়া বনি ইস্রাইল’ বলে, এখানের শুরুটি একটু আলাদা, ‘ইয়া আহলাল কিতাব’ বলে শুরু হয়েছে। ওখানে শুধু নাসারাদের বলা হয়েছিল, এখানে সব কিতাবী দের বলা হচ্ছে, অর্থাৎ ইহুদী ও নাসারা উভয় কে বলা হচ্ছে।
বলুনঃ ‘হে আহলে-কিতাবগণ! এসো সেই কথায় যা তোমাদের ও আমাদের মধ্যে এক ! যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করবনা, তার সাথে কোন শরিক সাব্যস্ত করবনা এবং একমাত্র আল্লাহকে ছাড়া কাউকে পালনকর্তা বানাবনা, তার পর তারা যদি স্বীকার না করে, তাহলে বলেদিন যে, স্বাক্ষী থাকো আমরা নিশ্চয়ই অনুগত। (সূরা আল ইমরান, আয়াত ৬৪)
আহলে কিতাব বলতে যাদের আসমানী কিতাব দেওয়া হয়েছে যেমন, ইহুদী, নাসারা ও মুসলীম। যেহেতু প্রতি কিতাবীদের শরিয়তের মূল বিষয় গুলি কমন, তাই আল্লাহ তায়ালা সেই কমন বিষয়গুলির মাধ্যমে সকলকে একত্র হতে বলছেন। সব কিতাবেই আল্লাহ এক, অদ্বিতীয়, একমাত্র তারই ইবাদত বন্দেগী করতে হবে, তার সাথে কাউকে অংশিদার করা যাবেনা। যে কাজগুলির ব্যাপারে আল্লাহর ছাড়া আর কারও হাত নেই, সেই কাজের জন্য অন্যের স্মরণাপন্ন হওয়া। আল্লাহর বিধান ব্যাতিত অন্যের বিধান মোতাবেক কাজ করা বা প্রাধান্য দেওয়াও শিরকের অন্তর্ভুক্ত।
বিখ্যাত মনিষী হাতেম তাঈ এর পুত্র, আলী ইবনে হাতেম রসুলের কাছে ইমান এনেছিলেন। তিনি একদিন রসুল সঃ এর কাছে জানতে চাইলেন যে, নাসারাগন অন্যকে ‘রব’ বানিয়েছে, এমন কথা কোরআন বলছে, কিন্তু আমিতো তেমন কিছু দেখিনা। রসুল সঃ বল্লেন, নাসাদের প্রীষ্ট বা পোপ যে আইন কানুন বানায় যেমন, কোনটি হালাল, কোনটি হারাম, তা তারা মেনে নেয় কিনা? সাহাবী আলী ইবনে হাতেম এ কথায় সম্মতি জানালে রসুল বললেন, এ ইখতেয়ার শুধুমাত্র আল্লাহরই আছে। এখানে হস্তক্ষেপ করাই শিরক।
.
আয়াতে শেষে বলা হয়েছে; যদি তারা কমন ব্যাপার গুলিতে একাত্মতা প্রকাশ না করে তবে তাদের বলে দিন, তোমরা স্বাক্ষী হয়ে থাক যে, আমরা উক্ত ব্যাপার গুলিতে আল্লাহর প্রতি অনুগত হয়েছি।
বলুন, হে নবী, হে আহলে কিতাবগণ! আসুন আমরা সাধারণ কথায় আসি: আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না, তার সাথে কাউকে শরীক করব না এবং আল্লাহর পরিবর্তে একে অপরকে প্রভু হিসেবে গ্রহণ করব না। অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বল, ‘��োমরা সাক্ষ্য দাও যে, আমরা একমাত্র আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করেছি।
কমন বিষয়
বলুন, হে কিতাবের জনগোষ্ঠী, (অথবা: কিতাবের পরিবার, অর্থাৎ ইহুদি ও খ্রিস্টানরা) আমাদের এবং তোমাদের মধ্যে একটি স্তরের কথা এসেছে যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করি না এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করি না। , এবং আমাদের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যকে (আক্ষরিক অর্থে: কিছু "অন্য") প্রভু হিসাবে গ্রহণ করি না।" অতএব, যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বল, "সাক্ষী থাক আমরা মুসলমান।" (আক্ষরিক অর্থে: আমরা "আল্লাহর কাছে" আত্মসমর্পণ করেছি)। আল কুরআন, সূরা আলে ইমরান অধ্যায় 3 আয়াত 64
youtube
youtube
youtube
ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য।
আল্লাহ্‌ একমাত্র 'সত্য উপাস্য'
আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী এবং মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ।
মুমিনদের উপর কুরআনের অধিকার • বিশ্বাস করার মতো বিশ্বাস করা • যেভাবে পড়ার দাবি কোরআন রাখে, সেভাবে পড়া • যেভাবে বোঝা উচিত, সেভাবে বোঝা • এর উপর আমল করা • অপরকে শেখানো, এর প্রচার ও প্রসার করা  এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ এবং তাঁর অনুসরণ করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না।
We will worship none but Allah.
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 27 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না।
youtube
youtube
youtube
আহলে কিতাব কারা
আহলে কিতাব বা আহলে কিতাব ( আরবি : أهل الكتاب ), ইসলামে সেই ধর্মের অনুসারীদের জন্য একটি শ্রেণিবিন্যাস যা মুসলমানরা সাধারণত একটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আকারে আল্লাহর কাছ থেকে একটি ঐশ্বরিক ওহী পেয়েছে বলে মনে করে। . শ্রেণীবিভাগ প্রধানত প্রাক-ইসলামিক আব্রাহামিক ধর্মকে বোঝায়।
এসো, কমন বিষয়ে কথা বলি !
মক্কী ও মাদানী গ্রুপের প্রথম জোড়ার দ্বিতীয় সুরা, সুরা আলে ইমরান। জোড়া হিসাবে দুটি সুরা, অর্থাৎ সুরা বাক্বারার সাথে এর অনেক মিল রয়েছে, যা আগেই বলা হয়েছে। শুরু হতে যাচ্ছে সুরা আলে ইমরানের প্রথমাংশের তৃতীয় উপভাগের ৩৮ আয়াত। যার মিল রয়েছে, সুরা বাক্বারার প্রথমাংশের তৃতীয় উপভাগের চারটি রুকু ১৫,১৬,১৭, ও১৮ এর সাথে। ওখানে যেমন ছিল, ক্বাবার কথা, হজরত ইব্রাহীম আঃ এর কথা, শেষ নবীর প্রতি ইমান আনার কথা। এখানেও তেমনটি রয়েছে। ওখানের শুরুটি ছিল, ‘ইয়া বনি ইস্রাইল’ বলে, এখানের শুরুটি একটু আলাদা, ‘ইয়া আহলাল কিতাব’ বলে শুরু হয়েছে। ওখানে শুধু নাসারাদের বলা হয়েছিল, এখানে সব কিতাবী দের বলা হচ্ছে, অর্থাৎ ইহুদী ও নাসারা উভয় কে বলা হচ্ছে।
বলুনঃ ‘হে আহলে-কিতাবগণ! এসো সেই কথায় যা তোমাদের ও আমাদের মধ্যে এক ! যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করবনা, তার সাথে কোন শরিক সাব্যস্ত করবনা এবং একমাত্র আল্লাহকে ছাড়া কাউকে পালনকর্তা বানাবনা, তার পর তারা যদি স্বীকার না করে, তাহলে বলেদিন যে, স্বাক্ষী থাকো আমরা নিশ্চয়ই অনুগত। (সূরা আল ইমরান, আয়াত ৬৪)
আহলে কিতাব বলতে যাদের আসমানী কিতাব দেওয়া হয়েছে যেমন, ইহুদী, নাসারা ও মুসলীম। যেহেতু প্রতি কিতাবীদের শরিয়তের মূল বিষয় গুলি কমন, তাই আল্লাহ তায়ালা সেই কমন বিষয়গুলির মাধ্যমে সকলকে একত্র হতে বলছেন। সব কিতাবেই আল্লাহ এক, অদ্বিতীয়, একমাত্র তারই ইবাদত বন্দেগী করতে হবে, তার সাথে কাউকে অংশিদার করা যাবেনা। যে কাজগুলির ব্যাপারে আল্লাহর ছাড়া আর কারও হাত নেই, সেই কাজের জন্য অন্যের স্মরণাপন্ন হওয়া। আল্লাহর বিধান ব্যাতিত অন্যের বিধান মোতাবেক কাজ করা বা প্রাধান্য দেওয়াও শিরকের অন্তর্ভুক্ত।
বিখ্যাত মনিষী হাতেম তাঈ এর পুত্র, আলী ইবনে হাতেম রসুলের কাছে ইমান এনেছিলেন। তিনি একদিন রসুল সঃ এর কাছে জানতে চাইলেন যে, নাসারাগন অন্যকে ‘রব’ বানিয়েছে, এমন কথা কোরআন বলছে, কিন্তু আমিতো তেমন কিছু দেখিনা। রসুল সঃ বল্লেন, নাসাদের প্রীষ্ট বা পোপ যে আইন কানুন বানায় যেমন, কোনটি হালাল, কোনটি হারাম, তা তারা মেনে নেয় কিনা? সাহাবী আলী ইবনে হাতেম এ কথায় সম্মতি জানালে রসুল বললেন, এ ইখতেয়ার শুধুমাত্র আল্লাহরই আছে। এখানে হস্তক্ষেপ করাই শিরক।
.
আয়াতে শেষে বলা হয়েছে; যদি তারা কমন ব্যাপার গুলিতে একাত্মতা প্রকাশ না করে তবে তাদের বলে দিন, তোমরা স্বাক্ষী হয়ে থাক যে, আমরা উক্ত ব্যাপার গুলিতে আল্লাহর প্রতি অনুগত হয়েছি।
বলুন, হে নবী, হে আহলে কিতাবগণ! আসুন আমরা সাধারণ কথায় আসি: আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না, তার সাথে কাউকে শরীক করব না এবং আল্লাহর পরিবর্তে একে অপরকে প্রভু হিসেবে গ্রহণ করব না। অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বল, ‘তোমরা সাক্ষ্য দাও যে, আমরা একমাত্র আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করেছি।
কমন বিষয়
বলুন, হে কিতাবের জনগোষ্ঠী, (অথবা: কিতাবের পরিবার, অর্থাৎ ইহুদি ও খ্রিস্টানরা) আমাদের এবং তোমাদের মধ্যে একটি স্তরের কথা এসেছে যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করি না এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করি না। , এবং আমাদের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যকে (আক্ষরিক অর্থে: কিছু "অন্য") প্রভু হিসাবে গ্রহণ করি না।" অতএব, যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বল, "সাক্ষী থাক আমরা মুসলমান।" (আক্ষরিক অর্থে: আমরা "আল্লাহর কাছে" আত্মসমর্পণ করেছি)। আল কুরআন, সূরা আলে ইমরান অধ্যায় 3 আয়াত 64
youtube
youtube
youtube
ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য।
আল্লাহ্‌ একমাত্র 'সত্য উপাস্য'
আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী এবং মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ।
মুমিনদের উপর কুরআনের অধিকার • বিশ্বাস করার মতো বিশ্বাস করা • য���ভাবে পড়ার দাবি কোরআন রাখে, সেভাবে পড়া • যেভাবে বোঝা উচিত, সেভাবে বোঝা • এর উপর আমল করা • অপরকে শেখানো, এর প্রচার ও প্রসার করা  এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ এবং তাঁর অনুসরণ করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না।
We will worship none but Allah.
0 notes
ilyforallahswt · 27 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না।
youtube
youtube
youtube
আহলে কিতাব কারা
আহলে কিতাব বা আহলে কিতাব ( আরবি : أهل الكتاب ), ইসলামে সেই ধর্মের অনুসারীদের জন্য একটি শ্রেণিবিন্যাস যা মুসলমানরা সাধারণত একটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আকারে আল্লাহর কাছ থেকে একটি ঐশ্বরিক ওহী পেয়েছে বলে মনে করে। . শ্রেণীবিভাগ প্রধানত প্রাক-ইসলামিক আব্রাহামিক ধর্মকে বোঝায়।
এসো, কমন বিষয়ে কথা বলি !
মক্কী ও মাদানী গ্রুপের প্রথম জোড়ার দ্বিতীয় সুরা, সুরা আলে ইমরান। জোড়া হিসাবে দুটি সুরা, অর্থাৎ সুরা বাক্বারার সাথে এর অনেক মিল রয়েছে, যা আগেই বলা হয়েছে। শুরু হতে যাচ্ছে সুরা আলে ইমরানের প্রথমাংশের তৃতীয় উপভাগের ৩৮ আয়াত। যার মিল রয়েছে, সুরা বাক্বারার প্রথমাংশের তৃতীয় উপভাগের চারটি রুকু ১৫,১৬,১৭, ও১৮ এর সাথে। ওখানে যেমন ছিল, ক্বাবার কথা, হজরত ইব্রাহীম আঃ এর কথা, শেষ নবীর প্রতি ইমান আনার কথা। এখানেও তেমনটি রয়েছে। ওখানের শুরুটি ছিল, ‘ইয়া বনি ইস্রাইল’ বলে, এখানের শুরুটি একটু আলাদা, ‘ইয়া আহলাল কিতাব’ বলে শুরু হয়েছে। ওখানে শুধু নাসারাদের বলা হয়েছিল, এখানে সব কিতাবী দের বলা হচ্ছে, অর্থাৎ ইহুদী ও নাসারা উভয় কে বলা হচ্ছে।
বলুনঃ ‘হে আহলে-কিতাবগণ! এসো সেই কথায় যা তোমাদের ও আমাদের মধ্যে এক ! যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করবনা, তার সাথে কোন শরিক সাব্যস্ত করবনা এবং একমাত্র আল্লাহকে ছাড়া কাউকে পালনকর্তা বানাবনা, তার পর তারা যদি স্বীকার না করে, তাহলে বলেদিন যে, স্বাক্ষী থাকো আমরা নিশ্চয়ই অনুগত। (সূরা আল ইমরান, আয়াত ৬৪)
আহলে কিতাব বলতে যাদের আসমানী কিতাব দেওয়া হয়েছে যেমন, ইহুদী, নাসারা ও মুসলীম। যেহেতু প্রতি কিতাবীদের শরিয়তের মূল বিষয় গুলি কমন, তাই আল্লাহ তায়ালা সেই কমন বিষয়গুলির মাধ্যমে সকলকে একত্র হতে বলছেন। সব কিতাবেই আল্লাহ এক, অদ্বিতীয়, একমাত্র তারই ইবাদত বন্দেগী করতে হবে, তার সাথে কাউকে অংশিদার করা যাবেনা। যে কাজগুলির ব্যাপারে আল্লাহর ছাড়া আর কারও হাত নেই, সেই কাজের জন্য অন্যের স্মরণাপন্ন হওয়া। আল্লাহর বিধান ব্যাতিত অন্যের বিধান মোতাবেক কাজ করা বা প্রাধান্য দেওয়াও শিরকের অন্তর্ভুক্ত।
বিখ্যাত মনিষী হাতেম তাঈ এর পুত্র, আলী ইবনে হাতেম রসুলের কাছে ইমান এনেছিলেন। তিনি একদিন রসুল সঃ এর কাছে জানতে চাইলেন যে, নাসারাগন অন্যকে ‘রব’ বানিয়েছে, এমন কথা কোরআন বলছে, কিন্তু আমিতো তেমন কিছু দেখিনা। রসুল সঃ বল্লেন, নাসাদের প্রীষ্ট বা পোপ যে আইন কানুন বানায় যেমন, কোনটি হালাল, কোনটি হারাম, তা তারা মেনে নেয় কিনা? সাহাবী আলী ইবনে হাতেম এ কথায় সম্মতি জানালে রসুল বললেন, এ ইখতেয়ার শুধুমাত্র আল্লাহরই আছে। এখানে হস্তক্ষেপ করাই শিরক।
.
আয়াতে শেষে বলা হয়েছে; যদি তারা কমন ব্যাপার গুলিতে একাত্মতা প্রকাশ না করে তবে তাদের বলে দিন, তোমরা স্বাক্ষী হয়ে থাক যে, আমরা উক্ত ব্যাপার গুলিতে আল্লাহর প্রতি অনুগত হয়েছি।
বলুন, হে নবী, হে আহলে কিতাবগণ! আসুন আমরা সাধারণ কথায় আসি: আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না, তার সাথে কাউকে শরীক করব না এবং আল্লাহর পরিবর্তে একে অপরকে প্রভু হিসেবে গ্রহণ করব না। অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বল, ‘তোমরা সাক্ষ্য দাও যে, আমরা একমাত্র আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করেছি।
কমন বিষয়
বলুন, হে কিতাবের জনগোষ্ঠী, (অথবা: কিতাবের পরিবার, অর্থাৎ ইহুদি ও খ্রিস্টানরা) আমাদের এবং তোমাদের মধ্যে একটি স্তরের কথা এসেছে যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করি না এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করি না। , এবং আমাদের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যকে (আক্ষরিক অর্থে: কিছু "অন্য") প্রভু হিসাবে গ্রহণ করি না।" অতএব, যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বল, "সাক্ষী থাক আমরা মুসলমান।" (আক্ষরিক অর্থে: আমরা "আল্লাহর কাছে" আত্মসমর্পণ করেছি)। আল কুরআন, সূরা আলে ইমরান অধ্যায় 3 আয়াত 64
youtube
youtube
youtube
ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য।
আল্লাহ্‌ একমাত্র 'সত্য উপাস্য'
আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী এবং মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ।
মুমিনদের উপর কুরআনের অধিকার • বিশ্বাস করার মতো বিশ্বাস করা • যেভাবে পড়ার দাবি কোরআন রাখে, সেভাবে পড়া • যেভাবে বোঝা উচিত, সেভাবে বোঝা • এর উপর আমল করা • অপরকে শেখানো, এর প্রচার ও প্রসার করা  এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ এবং তাঁর অনুসরণ করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না।
We will worship none but Allah.
0 notes
myreligionislam · 27 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না।
youtube
youtube
youtube
আহলে কিতাব কারা
আহলে কিতাব বা আহলে কিতাব ( আরবি : أهل الكتاب ), ইসলামে সেই ধর্মের অনুসারীদের জন্য একটি শ্রেণিবিন্যাস যা মুসলমানরা সাধারণত একটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আকারে আল্লাহর কাছ থেকে একটি ঐশ্বরিক ওহী পেয়েছে বলে মনে করে। . শ্রেণীবিভাগ প্রধানত প্রাক-ইসলামিক আব্রাহামিক ধর্মকে বোঝায়।
এসো, কমন বিষয়ে কথা বলি !
মক্কী ও মাদানী গ্রুপের প্রথম জোড়ার দ্বিতীয় সুরা, সুরা আলে ইমরান। জোড়া হিসাবে দুটি সুরা, অর্থাৎ সুরা বাক্বারার সাথে এর অনেক মিল রয়েছে, যা আগেই বলা হয়েছে। শুরু হতে যাচ্ছে সুরা আলে ইমরানের প্রথমাংশের তৃতীয় উপভাগের ৩৮ আয়াত। যার মিল রয়েছে, সুরা বাক্বারার প্রথমাংশের তৃতীয় উপভাগের চারটি রুকু ১৫,১৬,১৭, ও১৮ এর সাথে। ওখানে যেমন ছিল, ক্বাবার কথা, হজরত ইব্রাহীম আঃ এর কথা, শেষ নবীর প্রতি ইমান আনার কথা। এখানেও তেমনটি রয়েছে। ওখানের শুরুটি ছিল, ‘ইয়া বনি ইস্রাইল’ বলে, এখানের শুরুটি একটু আলাদা, ‘ইয়া আহলাল কিতাব’ বলে শুরু হয়েছে। ওখানে শুধু নাসারাদের বলা হয়েছিল, এখানে সব কিতাবী দের বলা হচ্ছে, অর্থাৎ ইহুদী ও নাসারা উভয় কে বলা হচ্ছে।
বলুনঃ ‘হে আহলে-কিতাবগণ! এসো সেই কথায় যা তোমাদের ও আমাদের মধ্যে এক ! যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করবনা, তার সাথে কোন শরিক সাব্যস্ত করবনা এবং একমাত্র আল্লাহকে ছাড়া কাউকে পালনকর্তা বানাবনা, তার পর তারা যদি স্বীকার না করে, তাহলে বলেদিন যে, স্বাক্ষী থাকো আমরা নিশ্চয়ই অনুগত। (সূরা আল ইমরান, আয়াত ৬৪)
আহলে কিতাব বলতে যাদের আসমানী কিতাব দেওয়া হয়েছে যেমন, ইহুদী, নাসারা ও মুসলীম। যেহেতু প্রতি কিতাবীদের শরিয়তের মূল বিষয় গুলি কমন, তাই আল্লাহ তায়ালা সেই কমন বিষয়গুলির মাধ্যমে সকলকে একত্র হতে বলছেন। সব কিতাবেই আল্লাহ এক, অদ্বিতীয়, একমাত্র তারই ইবাদত বন্দেগী করতে হবে, তার সাথে কাউকে অংশিদার করা যাবেনা। যে কাজগুলির ব্যাপারে আল্লাহর ছাড়া আর কারও হাত নেই, সেই কাজের জন্য অন্যের স্মরণাপন্ন হওয়া। আল্লাহর বিধান ব্যাতিত অন্যের বিধান মোতাবেক কাজ করা বা প্রাধান্য দেওয়াও শিরকের অন্তর্ভুক্ত।
বিখ্যাত মনিষী হাতেম তাঈ এর পুত্র, আলী ইবনে হাতেম রসুলের কাছে ইমান এনেছিলেন। তিনি একদিন রসুল সঃ এর কাছে জানতে চাইলেন যে, নাসারাগন অন্যকে ‘রব’ বানিয়েছে, এমন কথা কোরআন বলছে, কিন্তু আমিতো তেমন কিছু দেখিনা। রসুল সঃ বল্লেন, নাসাদের প্রীষ্ট বা পোপ যে আইন কানুন বানায় যেমন, কোনটি হালাল, কোনটি হারাম, তা তারা মেনে নেয় কিনা? সাহাবী আলী ইবনে হাতেম এ কথায় সম্মতি জানালে রসুল বললেন, এ ইখতেয়ার শুধুমাত্র আল্লাহরই আছে। এখানে হস্তক্ষেপ করাই শিরক।
.
আয়াতে শেষে বলা হয়েছে; যদি তারা কমন ব্যাপার গুলিতে একাত্মতা প্রকাশ না করে তবে তাদের বলে দিন, তোমরা স্বাক্ষী হয়ে থাক যে, আমরা উক্ত ব্যাপার গুলিতে আল্লাহর প্রতি অনুগত হয়েছি।
বলুন, হে নবী, হে আহলে কিতাবগণ! আসুন আমরা সাধারণ কথায় আসি: আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না, তার সাথে কাউকে শরীক করব না এবং আল্লাহর পরিবর্তে একে অপরকে প্রভু হিসেবে গ্রহণ করব না। অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বল, ‘তোমরা সাক্ষ্য দাও যে, আমরা একমাত্র আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করেছি।
কমন বিষয়
বলুন, হে কিতাবের জনগোষ্ঠী, (অথবা: কিতাবের পরিবার, অর্থাৎ ইহুদি ও খ্রিস্টানরা) আমাদের এবং তোমাদের মধ্যে একটি স্তরের কথা এসেছে যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করি না এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করি না। , এবং আমাদের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যকে (আক্ষরিক অর্থে: কিছু "অন্য") প্রভু হিসাবে গ্রহণ করি না।" অতএব, যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বল, "সাক্ষী থাক আমরা মুসলমান।" (আক্ষরিক অর্থে: আমরা "আল্লাহর কাছে" আত্মসমর্পণ করেছি)। আল কুরআন, সূরা আলে ইমরান অধ্যায় 3 আয়াত 64
youtube
youtube
youtube
ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য।
আল্লাহ্‌ একমাত্র 'সত্য উপাস্য'
আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী এবং মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ।
মুমিনদের উপর কুরআনের অধিকার • বিশ্বাস করার মতো বিশ্বাস করা • যেভাবে পড়ার দাবি কোরআন রাখে, সেভাবে পড়া • যেভাবে বোঝা উচিত, সেভাবে বোঝা • এর উপর আমল করা • অপরকে শেখানো, এর প্রচার ও প্রসার করা  এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ এবং তাঁর অনুসরণ করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না।
We will worship none but Allah.
0 notes
allahisourrabb · 27 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না।
youtube
youtube
youtube
আহলে কিতাব কারা
আহলে কিতাব বা আহলে কিতাব ( আরবি : أهل الكتاب ), ইসলামে সেই ধর্মের অনুসারীদের জন্য একটি শ্রেণিবিন্যাস যা মুসলমানরা সাধারণত একটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আকারে আল্লাহর কাছ থেকে একটি ঐশ্বরিক ওহী পেয়েছে বলে মনে করে। . শ্রেণীবিভাগ প্রধানত প্রাক-ইসলামিক আব্রাহামিক ধর্মকে বোঝায়।
এসো, কমন বিষয়ে কথা বলি !
মক্কী ও মাদানী গ্রুপের প্রথম জোড়ার দ্বিতীয় সুরা, সুরা আলে ইমরান। জোড়া হিসাবে দুটি সুরা, অর্থাৎ সুরা বাক্বারার সাথে এর অনেক মিল রয়েছে, যা আগেই বলা হয়েছে। শুরু হতে যাচ্ছে সুরা আলে ইমরানের প্রথমাংশের তৃতীয় উপভাগের ৩৮ আয়াত। যার মিল রয়েছে, সুরা বাক্বারার প্রথমাংশের তৃতীয় উপভাগের চারটি রুকু ১৫,১৬,১৭, ও১৮ এর সাথে। ওখানে যেমন ছিল, ক্বাবার কথা, হজরত ইব্রাহীম আঃ এর কথা, শেষ নবীর প্রতি ইমান আনার কথা। এখানেও তেমনটি রয়েছে। ওখানের শুরুটি ছিল, ‘ইয়া বনি ইস্রাইল’ বলে, এখানের শুরুটি একটু আলাদা, ‘ইয়া আহলাল কিতাব’ বলে শুরু হয়েছে। ওখানে শুধু নাসারাদের বলা হয়েছিল, এখানে সব কিতাবী দের বলা হচ্ছে, অর্থাৎ ইহুদী ও নাসারা উভয় কে বলা হচ্ছে।
বলুনঃ ‘হে আহলে-কিতাবগণ! এসো সেই কথায় যা তোমাদের ও আমাদের মধ্যে এক ! যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করবনা, তার সাথে কোন শরিক সাব্যস্ত করবনা এবং একমাত্র আল্লাহকে ছাড়া কাউকে পালনকর্তা বানাবনা, তার পর তারা যদি স্বীকার না করে, তাহলে বলেদিন যে, স্বাক্ষী থাকো আমরা নিশ্চয়ই অনুগত। (সূরা আল ইমরান, আয়াত ৬৪)
আহলে কিতাব বলতে যাদের আসমানী কিতাব দেওয়া হয়েছে যেমন, ইহুদী, নাসারা ও মুসলীম। যেহেতু প্রতি কিতাবীদের শরিয়তের মূল বিষয় গুলি কমন, তাই আল্লাহ তায়ালা সেই কমন বিষয়গুলির মাধ্যমে সকলকে একত্র হতে বলছেন। সব কিতাবেই আল্লাহ এক, অদ্বিতীয়, একমাত্র তারই ইবাদত বন্দেগী করতে হবে, তার সাথে কাউকে অংশিদার করা যাবেনা। যে কাজগুলির ব্যাপারে আল্লাহর ছাড়া আর কারও হাত নেই, সেই কাজের জন্য অন্যের স্মরণাপন্ন হওয়া। আল্লাহর বিধান ব্যাতিত অন্যের বিধান মোতাবেক কাজ করা বা প্রাধান্য দেওয়াও শিরকের অন্তর্ভুক্ত।
বিখ্যাত মনিষী হাতেম তাঈ এর পুত্র, আলী ইবনে হাতেম রসুলের কাছে ইমান এনেছিলেন। তিনি একদিন রসুল সঃ এর কাছে জানতে চাইলেন যে, নাসারাগন অন্যকে ‘রব’ বানিয়েছে, এমন কথা কোরআন বলছে, কিন্তু আমিতো তেমন কিছু দেখিনা। রসুল সঃ বল্লেন, নাসাদের প্রীষ্ট বা পোপ যে আইন কানুন বানায় যেমন, কোনটি হালাল, কোনটি হারাম, তা তারা মেনে নেয় কিনা? সাহাবী আলী ইবনে হাতেম এ কথায় সম্মতি জানালে রসুল বললেন, এ ইখতেয়ার শুধুমাত্র আল্লাহরই আছে। এখানে হস্তক্ষেপ করাই শিরক।
.
আয়াতে শেষে বলা হয়েছে; যদি তারা কমন ব্যাপার গুলিতে একাত্মতা প্রকাশ না করে তবে তাদের বলে দিন, তোমরা স্বাক্ষী হয়ে থাক যে, আমরা উক্ত ব্যাপার গুলিতে আল্লাহর প্রতি অনুগত হয়েছি।
বলুন, হে নবী, হে আহলে কিতাবগণ! আসুন আমরা সাধারণ কথায় আসি: আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না, তার সাথে কাউকে শরীক করব না এবং আল্লাহর পরিবর্তে একে অপরকে প্রভু হিসেবে গ্রহণ করব না। অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বল, ‘তোমরা সাক্ষ্য দাও যে, আমরা একমাত্র আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করেছি।
কমন বিষয়
বলুন, হে কিতাবের জনগোষ্ঠী, (অথবা: কিতাবের পরিবার, অর্থাৎ ইহুদি ও খ্রিস্টানরা) আমাদের এবং তোমাদের মধ্যে একটি স্তরের কথা এসেছে যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করি না এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করি না। , এবং আমাদের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যকে (আক্ষরিক অর্থে: কিছু "অন্য") প্রভু হিসাবে গ্রহণ করি না।" অতএব, যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বল, "সাক্ষী থাক আমরা মুসলমান।" (আক্ষরিক অর্থে: আমরা "আল্লাহর কাছে" আত্মসমর্পণ করেছি)। আল কুরআন, সূরা আলে ইমরান অধ্যায় 3 আয়াত 64
youtube
youtube
youtube
ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য।
আল্লাহ্‌ একমাত্র 'সত্য উপাস্য'
আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী এবং মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ।
মুমিনদের উপর কুরআনের অধিকার • বিশ্বাস করার মতো বিশ্বাস করা • যেভাবে পড়ার দাবি কোরআন রাখে, সেভাবে পড়া • যেভাবে বোঝা উচিত, সেভাবে বোঝা • এর উপর আমল করা • অপরকে শেখানো, এর প্রচার ও প্রসার করা  এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ এবং তাঁর অনুসরণ করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না।
We will worship none but Allah.
0 notes
mylordisallah · 27 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না।
youtube
youtube
youtube
আহলে কিতাব কারা
আহলে কিতাব বা আহলে কিতাব ( আরবি : أهل الكتاب ), ইসলামে সেই ধর্মের অনুসারীদের জন্য একটি শ্রেণিবিন্যাস যা মুসলমানরা সাধারণত একটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আকারে আল্লাহর কাছ থেকে একটি ঐশ্বরিক ওহী পেয়েছে বলে মনে করে। . শ্রেণীবিভাগ প্রধানত প্রাক-ইসলামিক আব্রাহামিক ধর্মকে বোঝায়।
এসো, কমন বিষয়ে কথা বলি !
মক্কী ও মাদানী গ্রুপের প্রথম জোড়ার দ্বিতীয় সুরা, সুরা আলে ইমরান। জোড়া হিসাবে দুটি সুরা, অর্থাৎ সুরা বাক্বারার সাথে এর অনেক মিল রয়েছে, যা আগেই বলা হয়েছে। শুরু হতে যাচ্ছে সুরা আলে ইমরানের প্রথমাংশের তৃতীয় উপভাগের ৩৮ আয়াত। যার মিল রয়েছে, সুরা বাক্বারার প্রথমাংশের তৃতীয় উপভাগের চারটি রুকু ১৫,১৬,১৭, ও১৮ এর সাথে। ওখানে যেমন ছিল, ক্বাবার কথা, হজরত ইব্রাহীম আঃ এর কথা, শেষ নবীর প্রতি ইমান আনার কথা। এখানেও তেমনটি রয়েছে। ওখানের শুরুটি ছিল, ‘ইয়া বনি ইস্রাইল’ বলে, এখানের শুরুটি একটু আলাদা, ‘ইয়া আহলাল কিতাব’ বলে শুরু হয়েছে। ওখানে শুধু নাসারাদের বলা হয়েছিল, এখানে সব কিতাবী দের বলা হচ্ছে, অর্থাৎ ইহুদী ও নাসারা উভয় কে বলা হচ্ছে।
বলুনঃ ‘হে আহলে-কিতাবগণ! এসো সেই কথায় যা তোমাদের ও আমাদের মধ্যে এক ! যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করবনা, তার সাথে কোন শরিক সাব্যস্ত করবনা এবং একমাত্র আল্লাহকে ছাড়া কাউকে পালনকর্তা বানাবনা, তার পর তারা যদি স্বীকার না করে, তাহলে বলেদিন যে, স্বাক্ষী থাকো আমরা নিশ্চয়ই অনুগত। (সূরা আল ইমরান, আয়াত ৬৪)
আহলে কিতাব বলতে যাদের আসমানী কিতাব দেওয়া হয়েছে যেমন, ইহুদী, নাসারা ও মুসলীম। যেহেতু প্রতি কিতাবীদের শরিয়তের মূল বিষয় গুলি কমন, তাই আল্লাহ তায়ালা সেই কমন বিষয়গুলির মাধ্যমে সকলকে একত্র হতে বলছেন। সব কিতাবেই আল্লাহ এক, অদ্বিতীয়, একমাত্র তারই ইবাদত বন্দেগী করতে হবে, তার সাথে কাউকে অংশিদার করা যাবেনা। যে কাজগুলির ব্যাপারে আল্লাহর ছাড়া আর কারও হাত নেই, সেই কাজের জন্য অন্যের স্মরণাপন্ন হওয়া। আল্লাহর বিধান ব্যাতিত অন্যের বিধান মোতাবেক কাজ করা বা প্রাধান্য দেওয়াও শিরকের অন্তর্ভুক্ত।
বিখ্যাত মনিষী হাতেম তাঈ এর পুত্র, আলী ইবনে হাতেম রসুলের কাছে ইমান এনেছিলেন। তিনি একদিন রসুল সঃ এর কাছে জানতে চাইলেন যে, নাসারাগন অন্যকে ‘রব’ বানিয়েছে, এমন কথা কোরআন বলছে, কিন্তু আমিতো তেমন কিছু দেখিনা। রসুল সঃ বল্লেন, নাসাদের প্রীষ্ট বা পোপ যে আইন কানুন বানায় যেমন, কোনটি হালাল, কোনটি হারাম, তা তারা মেনে নেয় কিনা? সাহাবী আলী ইবনে হাতেম এ কথায় সম্মতি জানালে রসুল বললেন, এ ইখতেয়ার শুধুমাত্র আল্লাহরই আছে। এখানে হস্তক্ষেপ করাই শিরক।
.
আয়াতে শেষে বলা হয়েছে; যদি তারা কমন ব্যাপার গুলিতে একাত্মতা প্রকাশ না করে তবে তাদের বলে দিন, তোমরা স্বাক্ষী হয়ে থাক যে, আমরা উক্ত ব্যাপার গুলিতে আল্লাহর প্রতি অনুগত হয়েছি।
বলুন, হে নবী, হে আহলে কিতাবগণ! আসুন আমরা সাধারণ কথায় আসি: আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না, তার সাথে কাউকে শরীক করব না এবং আল্লাহর পরিবর্তে একে অপরকে প্রভু হিসেবে গ্রহণ করব না। অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বল, ‘তোমরা সাক্ষ্য দাও যে, আমরা একমাত্র আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করেছি।
কমন বিষয়
বলুন, হে কিতাবের জনগোষ্ঠী, (অথবা: কিতাবের পরিবার, অর্থাৎ ইহুদি ও খ্রিস্টানরা) আমাদের এবং তোমাদের মধ্যে একটি স্তরের কথা এসেছে যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করি না এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করি না। , এবং আমাদের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যকে (আক্ষরিক অর্থে: কিছু "অন্য") প্রভু হিসাবে গ্রহণ করি না।" অতএব, যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বল, "সাক্ষী থাক আমরা মুসলমান।" (আক্ষরিক অর্থে: আমরা "আল্লাহর কাছে" আত্মসমর্পণ করেছি)। আল কুরআন, সূরা আলে ইমরান অধ্যায় 3 আয়াত 64
youtube
youtube
youtube
ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য।
আল্লাহ্‌ একমাত্র 'সত্য উপাস্য'
আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী এবং মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ।
মুমিনদের উপর কুরআনের অধিকার • বিশ্বাস করার মতো বিশ্বাস করা • যেভাবে পড়ার দাবি কোরআন রাখে, সেভাবে পড়া • যেভাবে বোঝা উচিত, সেভাবে বোঝা • এর উপর আমল করা • অপরকে শেখানো, এর প্রচার ও প্রসার করা  এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ এবং তাঁর অনুসরণ করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না।
We will worship none but Allah.
0 notes
banglaappsstore-blog · 8 years ago
Link
ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য
0 notes
ilyforallahswt · 1 year ago
Text
Tumblr media
ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য।
আল্লাহ্‌ একমাত্র 'সত্য উপাস্য'
Similarities between Islam and Hinduism.
Allah is the only 'true God'
আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী এবং মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ।
মুমিনদের উপর কুরআনের অধিকার • বিশ্বাস করার মতো বিশ্বাস করা • যেভাবে পড়ার দাবি কোরআন রাখে, সেভাবে পড়া • যেভাবে বোঝা উচিত, সেভাবে বোঝা • এর উপর আমল করা • অপরকে শেখানো, এর প্রচার ও প্রসার করা  এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ এবং তাঁর অনুসরণ করা।
youtube
ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য।
আল্লাহ্‌ একমাত্র 'সত্য উপাস্য'
Similarities between Islam and Hinduism.
Allah is the only 'true God'
0 notes