#আধুনিক বাংলা কবিতা
Explore tagged Tumblr posts
Text
Poet Tanmoy Bhattacharya
0 notes
Text
বাংলা সাহিত্য জগতে জীবনানন্দ দাস
বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি, লেখক ও প্রাবন্ধিক ছিলেন জীবনানন্দ দাস I তিনি বাংলা কাব্যে আধুনিকতার পথিকৃৎদের মধ্যে অন্যতম৷ তার লেখা কবিতা , গল্প গোটা বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে জীবনানন্দ আজ অপরিসীম জীবনের বেশকিছুটা সময় খুব দারিদ্রে কেটেছিল তার কিন্তু তবুও থামেনি তার হাতের কলমের লেখা I গ্রামবাংলার ঐতিহ্যময় নিসর্গ ও রূপকথা-পুরাণের জগৎ জীবনানন্দের কাব্যে হয়ে উঠেছে চিত্ররূপময়, তাতে তিনি ‘রূপসী বাংলার কবি’ অভিধায় খ্যাত হয়েছেন৷ তার লেখা বনলতা সেন , ঝরাপালক প্রমুখ কবিতা গুলো আজ বাঙালির মনে রয়ে গেছে jibanananda Bengali Poet এ এরকম আরো কিছু লেখা রয়েছে জন্মদিনের অনেক শুভে��্ছা রইলো ভালো I
জীবনানন্দ দাস সম্পর্কে জানতে আরো ক্লিক করুন I
youtube
জন্মদিন উপলক্ষে একটি ভিডিও দেওয়া হলো দেখুন I
0 notes
Link
0 notes
Text
বাংলা গদ্যের বিকাশে বিদ্যাসাগরের অবদান:প্রবাল রায়
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন ও মধ্যযুগের সাহিত্য ছিল কবিতা নির্ভর। বাংলা গদ্যসাহিত্য আধুনিক যুগের সৃষ্টি। ১৫৫৫ সালে কুচবিহারের রাজা আসামের রাজার নিকট একটি পত্র লেখেন। এটাই বাংলা ভাষার গদ্যের প্রথম নিদর্শন। ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ইংরেজদের প্রচেষ্টায় বাংলা গদ্য আস্তে আস্তে উন্নতি সাধন করে। বাংলা গদ্যসাহিত্যের উন্নতিতে যে সমস্ত বাঙালিরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তাঁদের মধ্যে ঈশ্বরচন্দ্র…
View On WordPress
0 notes
Text
আসল কথা (গীতিকবিতা)
ওরে মন ভাবিস যদি সে দেবে ডুব মন সাগরে, তার তো আনাগোনা শুধুমাত্রই শরীর জুড়ে। ওরে মন ভালোবাসা রোজনামচার এক খেলাঘর, যেখানে স্বপ্ন ভাঙে, চোখের জল আর ব্যথার আঁচড়।
সময়ের অলিগলি স্মৃতি মাখা মরীচিকা, ধরা হাত ঠিক ছেড়ে যায় দিনের শেষে সবাই একা। আজ মন স্বপ্ন দেখে চিতার শিখায় শেষের হাসি, সেখানেই নিশ্চিন্তি মিথ্যে কেবল ভালোবাসাবাসি।
–টিনা গৌতম ঘোষ
View On WordPress
0 notes
Photo
রুমকি আনোয়ারের কবিতা- নারী নারী রুমকি আনোয়ার একটা সাপ লকলকিয়ে উঠে গেছে গলাতে বিষ আছে তার বাঁশি, না শুনে না
0 notes
Text
আমরা তো তোমরাই
আমাদেরও উড়বার কথা ছিলো
তোমাদেরকে দিয়ে দিয়েছি সে ডানা
আদতে আমরা তো তোমরাই
সে কথা এখন নয় অজানা।
View On WordPress
#আধুনিক কবিতা#কবিতা#ছবি ও কবিতা#বাংলা#বাংলাকবিতা#মুম#মুম রহমান#মুমরহমান#শ্রেষ্ঠ কবিতা#সমকালীন কবিতা#সেরা কবিতা
1 note
·
View note
Text
আধুনিক ইশ্বর / মুসা আল হাফিজ
আধুনিক ইশ্বর / মুসা আল হাফিজ
এমন ছায়াশরীর দেখিনি আগে। অন্ধকারের নোংরা জিহ্বানীরবতার গায়ে সাপের মতো ছোবল দিলে বুঝলামছায়াশরীর কথা বলছে। করোনার কাশি থেকে বেরিয়ে আসা বাতাসের চেয়েঅস্বস্থিকর নি:শ্বাস ছেড়েসে আমার দিকে এগিয়ে এলো। তার পেছনে অগণিত ছায়াশরীর।তাবড় তাবড় রাষ্ট্র ও রাজনীতি।যেন সে পরাক্রান্ত কেউ, কালের দাজ্জাল! সবাই বলছে প্রণাম করো, অবনত হও! কিন্তু আমার মাথা তখন সেই বৃক্ষের মতোযার তক্তা দিয়ে বানানো হবে নুহের জাহাজ।সে…
View On WordPress
#adhunik isshor#আধুনিক ইশ্বর#কবিতা#বাংলা কবিতা#মুসা আল হাফিজ#মুসা আল হাফিজের কবিতা#Bangla Kobita#Bengali Poem#kobita#Musa Al Hafij#Musa Al Hafijer kobita#Poem#Poem by Musa Al Hafij
0 notes
Link
Bangla Love Quotes for Lovers: ভালোবাসা এমন বিষয় যা কোথায় প্রকাশ করা যায়না। তাই আপনি যখন কাউকে মন থেকে ভালোবেসে ফেলেন, সে আপনার হাবভাব এ বুঝতে পারে, পছন্দ হলে গ্রহণ করে। হয়তো এটাকেই আসল ��্রেম বলে। তবুও আজকালকার সময়ে ভালোবাসা অনেক পালটে গেছে, ফেইসবুক হোয়াটস্যাপ এর মাধমে ভালোবাসা প্রকাশ করে থাকে অনেকেই। তাই “Best Messages” এক্ষেত্রে আপনার ভালোবাসা প্রকাশ করার সেরা Love Quotes, Love videos, Love poem গুলি খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। এই পেজে দেওয়া আমাদের সেরা Bengali love quotes এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকার কাছে আপনার মনের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারবেন। ভিডিও পাঠানোর জন্য লিংক কপি করুন এবং হোয়াটস্যাপ এর মাধমে পাঠান।
#শ্রেষ্ঠ প্রেমের কবিতা#শ্রেষ্ঠ প্রেমের কবিতা pdf#রোমান্টিক প্রেমের কবিতা#বিদেশি প্রেমের কবিতা#বাংলা প্রেমের কবিতা#পৃথিবীর সেরা প্রেমের কবিতা#আধুনিক প্রেমের কবিতা
0 notes
Text
Welcome to my 1st tumbler post.
U may visit my youtube channel : https://www.youtube.com/channel/UCuD6FGjLylSo6jk66il57Mg
#বাংলা কবিতা#আধুনিক কবিতা#মেঠোভূত#bangla satire#bangla comedy#stand up comedy#bengali poem#best bengali memes
0 notes
Text
#morbid musings#ভাস্কর চক্রবর্তী#colours of blues#বাংলা কবিতা#আধুনিক বাংলা কবিতা#একবিংশ শতাব্দী#coping with loneliness#unsent love letters
0 notes
Photo
+++++++++++++++বাংলা নববর্ষের ইতিকথা, স্বাগত ১৪২৬+++++++++++++++
বাঙালি জীবনের অসাম্প্রদায়িক, সার্বজনীন একটি উৎসব হল পহেলা বৈশাখ, বর্ষবরণের দিন, শুভ নববর্ষ। এদিনটি প্রতিটি বাঙালির জীবনে নিয়ে আসে উৎসব আমেজ আর ফুরফুরে বাতাসের দিন বসন্ত। আলপনা আঁকা শাড়ি আর পাঞ্জাবি ছাড়া যেন এদিনটিকে আর পালন করাই যায় না। সাথে লাল সবুজ আর সাদার মিশেলে হাতে, গালে ফুলকি আঁকা এখন হাল ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছে। প্রতি বছরই ক্রমশ বাড়ছে বর্ষবরণের আমেজ। স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলের সরাসরি সম্প্রচারের কল্যানে এখন রমনার বটমূল থেকে পুরো ঢাকা হয়ে প্রতিটি বিভাগীয় শহর, জেলা শহর, উপজেলা, ইউনিয়ন, গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে ঘটা করে নববর্ষ পালনের সংস্কৃতি। শুধু গ্রাম নয় শহর উপশহর রাজধানীর ঢাকারও বিভিন্ন অলিগলিতে বসে বৈশাখি মেলা। পান্তা- ইলিশ, বাঁশি, ঢাক -ঢোলের বাজনায় আর মঙ্গল শোভাযাত্রায় পূর্নতা পাচ্ছে বাঙালির এ উৎসব মুখরতা। কিন্তু যদি বলি এই নববর্ষের ইতিহাস কত দিনের ? হয়ত অনেকে বলবেন সেই অনেক বছর আগের ইতিহাস থেকে চলে আসছে বর্ষবরণ। আবার অনেকে হয়ত জান���ন এর প্রকৃত ঠিকুজি কুষ্ঠি (ইতিহাস)। তারপরেও একটু ফিরে দেখা বাংলা নববর্ষের পথচলার ইতিহাসের দিকে।
বাংলা নববর্ষের ইতিহাসঃ হিন্দু সৌর পঞ্জিমতে, বাংলায় বারোটি মাস অনেক আগে থেকেই পালন হয়ে আসছে। কিন্তু গ্রেগরীয় পঞ্জিকায় দেখা যায়, এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় এই সৌর বছর গণনা শুরু হত। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায়, ভারত বর্ষে মোঘল সাম্রাজ্য শুরুর পর থেকে আরবী বছর হিজরী পঞ্জিকা অনুযায়ী তারা কৃষিপণ্যের খাজনা আদায় করত। কিন্তু হিজরী সাল চাঁদের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় কৃষি ফলনের সাথে এর কোন মিল পাওয়া যেত না। আর তখনই সম্রাট আকবর এর সুষ্ঠু সমাধানের জন্য বাংলায় বর্ষপঞ্জি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করেন। সম্রাটের আদেশ অনুযায়ী সে সময়কার বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ আমীর ফতেহউল্লাহ সিরাজী সৌর বছর ও আরবী হিজরী সালেরও ওপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম তৈরীর কাজ শুরু করেন। বাংলা বছর নির্ধারন নিয়ে লেখা বিভিন্ন বইয়ের প্রাপ্ত তথ্যমতে, ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১০ ই মার্চ বা ১১ ই মার্চ থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে পরীক্ষামূলক এই গননা পদ্ধতিকে কার্যকর ধরা হয় ১৫৫৬ সালের ৫ নভেম্বর তারিখ থেকে অর্থাৎ সম্রাট আকবরের সিংহাসন আরোহনের তারিখ থেকে। প্রথমে ফসলি সন বলা হলেও পরে বঙ্গাব্দ বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিতি পেতে শুরু করে।
বাংলা মাসের নামকরণঃ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলা মাসের নামগুলো বিভিন্ন তারকারাজির নাম থেকে নেয়া হয়েছে। যেমনঃ বিশাখা থেকে বৈশাখ, জেষ্ঠ্যা থেকে জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়া থেকে আষাঢ়, শ্রবণা থেকে শ্রাবণ, ভাদ্রপদ থেকে ভাদ্র, কৃত্তিকা থেকে কার্তিক, অগ্রইহনী থেকে অগ্রহায়ণ, পূষ্যা থেকে পৌষ, মঘা থেকে মাঘ, ফল্গুনি থেকে ফাল্গুণ এবং চিত্রা থেকে চৈত্র। আগেকার দিনে অগ্রহায়ণ মাসে ধান কাটা শুরু হত বলে এই মাসকে বছরের প্রথম মাস ধরা হত। তাই এ মাসের নামই রাখা হয় অগ্রহায়ণ। অগ্র অর্থ প্রথম আর হায়ন অর্থ বর্ষ বা ধান। সম্রাট আকবরের সময়ে একটি বিষয় ছিল অত্যন্ত কষ্ট সাধ্য, তা হল মাসের প্রত্যেকটি দিনের জন্য আলাদা আলাদা নাম ছিল। যা কিনা প্রজা সাধারণের মনে রাখা খুবই কষ্ট হত। তাই সম্রাট শাহজাহান ৭ দিনে সপ্তাহ ভিত্তিক বাংলায় দিনের নামকরণের কাজ শুরু করেন। ইংরেজী বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় ইংরেজি ৭ দিনের নামের কিছুটা আদলে বাংলায় ৭ দিনের নামকরণ করা হয়। য���মন : সানডে- রবিবার। সান অর্থ রবি বা সূর্য আর ডে অর্থ দিন। এভাবে বর্ষ গণনার রীতিকে বাংলায় প্রবর্তনের সংস্কার শুরু হয় মোঘল আমলে।
বর্ষ বরণের প্রবর্তিত রুপঃ তখনকার দিনে শুধু কৃষিকাজ করার তাৎপর্যকে ধারণ করেই বাংলায় বছর গণনার রীতি চালু হয়। কিন্তু বহির্বিশ্বের সাথে বাঙালিদের যোগাযোগ নিরবিচ্ছিন্ন রাখার সুবিধার্থে বাংলাদেশের সব জায়গাতেই খ্রিষ্ট্রীয় সন ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৪ ই এপ্রিল নববর্ষ পালিত হয়। বাংলা একাডেমী কর্তৃক নির্ধারিত পঞ্জিকা অনুসারে এ দিনটিকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। বাংলা দিনপঞ্জির সাথে হিজরী ও খ্রিষ্ট্রীয় সনের মৌলিক কিছু পার্থক্�� রয়েছে। তা হলো হিজরী সাল চলে চাঁদের সাথে আর খ্রিষ্ট্রীয় সাল চলে ঘড়ির সাথে। একারণে হিজরী সনের নতুন তারিখ শুরু হয় সন্ধ্যায় নতুন চাঁদের আগমনের মধ্য দিয়ে, ইংরেজি দিন শুরু হয় মধ্যরাতে আর বাংলা সনের শুরু হয় ভোরের সূর্য ওঠার সাথে সাথে।
নতুন বছর বরণে বাঙালি আয়োজনঃ বাংলাদেশে বর্ষবরণের মূল আয়োজন মূলত ঢাকার রমনা পার্কের বটমূলকে (অনেকে বলেন অশ্মথ মূল) ঘিরেই। সেই আনন্দ আয়োজন আর পান্তা ইলিশের বাঙালিয়ানায় পুরো জাতি নিজেকে খুঁজে ফিরে ফেলে আসা গত দিনগুলোর স্মৃতি রোমন্থন আর নতুন অনাগত সময়কে বরনের ব্যস্ততায়। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি জাতিই নিজেদের ইতিহাস সংস্কৃতিকে বরনের জন্য বিশেষ বিশেষ দিনকে স্মরণীয় করে রাখে।
যেমন প্রাচীন আরবীয়রা ‘ওকাজের মেলা’, ইরানী’রা ‘নওরোজ উৎসব’ ও প্রাচীন ভারতীয়রা ‘দোলপূর্ণিমায়’ নববর্ষ উদযাপন করে থাকত। ( উল্লেখ্য, ইরানী’রা এখনো অনেক ঘটা করেই নওরোজ উৎসব পালন করে থাকে)। এখানে বলে রাখা ভাল, পূর্বপাকিস্তান সব সময়ই বাঙালি সংস্কৃতিকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করত। রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও গান প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারীর প্রতিবাদে ১৯৬৫ সাল ( ১৩৭৫ বঙ্গাব্দে) ছায়ানট নামের একটি সংগঠন রমনা পার্কে পহেলা বৈশাখ বর্ষবরণ উৎসব পালনের আয়োজন করে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এসো হে বৈশাখ......এসো , এসো....গানের মাধ্যমে তারা স্বাগত জানাতে শুরু করে নতুন বছরকে।বর্ষবরন এগিয়ে যায় আরো এক ধাপ। বিস্তৃত হতে শুরু করে ছায়ানট নামের সংগঠনটির। যা এখন বাংলাদেশের সংস্কৃতির ক্ষেত্রে একটি মহিরূহে পরিণত হয়েছে। ১৯৭২ সালের পর থেকে রমনা বটমূলে বর্ষবরণ জাতীয় উৎসবের স্বীকৃতি পায়। ১৯৮০ সালে বৈশাখী মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে এক ধাপ বাড়তি ছোঁয়া পায় বাংলা নববর্ষ বরণের অনুষ্ঠান। ছড়িয়ে পড়ে সবার অন্তরে অন্তরে। প্রতি বছরই তাই কোটি বাঙালির অপেক্ষা থাকে কবে আসবে ��াংলা নববর্ষ।
আধুনিকতার ছোয়ায় বর্ষবরনের অনুষ্ঠান মালা : বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর কল্যাণে এখন ভোরে রমনা বটমূলে শুরু হওয়া বর্ষ বরণের অনুষ্ঠান উপভোগ করে কয়েক কোটি বাঙ্গালি। ছায়ানটের শিল্পীদের পরিবেশনায় বৈশাখকে বরণের সব প্রস্তুতি করা হয় আগেভাগে। পহেলা বৈশাখের দিন ভোরেই শুরু হয় বিভিন্ন স্থানে উম্মুক্ত কনসার্ট, বাউল, লালন, জারী-সারি, মুর্শেদী গানের আসর । আর শহুরে এ্যামিউজমেন্ট পার্কের স্বাদ থাকলেও পহেলা বৈশাখের দিন অন্তত নাগর দোলায় চড়তে চায় অনেক শিশুই।
পান্তা ইলিশ:
বর্ষবরণের অন্যতম অনুসঙ্গ হল পান্তা-ইলিশ । যেন এই পান্তা-ইলিশ না হলে আর পহেলা বৈশাখের কোন আমেজই থাকে না। বেশ তো এই সুযোগে রমনার লেকের পাড়েই অনেকে বসে পড়েন ইলিশ পান্তা খেতে। সাথে থাকে কাঁচা মরিচ। মানে সম্পূর্ণ ভাবেই বাঙালিয়ানার পরিচয় দিতে যেন ব্যস্ত সবাই।
মঙ্গলশোভা যাত্রাঃ
বর্ষবরণের অনুষ্ঠান মালায় ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। ১৯৮৯ সালে এই শোভাযাত্রার প্রচলন শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা। পহেলা বৈশাখের দিন সকাল গড়িয়ে যখন রমনা টি.এস.সি শাহবাগে মানুষের উপচে পরা ভিড় থাকে, তখন শুরু হয় মঙ্গলশোভা যাত্রা।
বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এখানে পশু পাখির মুখাকৃতির ছবিসহ গ্রামীণ ঐতিহ্যের নানা অনুসঙ্গকে ফুটিয়ে তোলা হয় নানা রং বেরং-এর মুখোশ ও আলপনার মাধ্যমে। ছেলে বুড়ো সবাই তখন মেতে ওঠে বর্ষবরণের মঙ্গলশোভা যাত্রার আনন্দে।
মেলা: বৈশাখ মাস বলতে তো মেলার মাসকেই বোঝায়। একসময় শুধু গ্রাম গঞ্জে মেলা হলেও এখন এর পরিধি বিছিয়েছে শহরের বড়সর এপার্টমেন্ট ও হাই-সোসাইটিতেও। তবে পার্থক্য থাকে গ্রামের আর শহুরে মেলার। বাঁশের বেতের তৈজষ আর নানা জাতের খেলার সামগ্রী, নারকেল মুড়কিসহ আরো কত কি থাকে এসব মেলায়- তার ইয়ত্তা নেই। মেলার সময়ে নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা, কুস্তির আসর বসে। এখনও
বাংলাদেশের চট্টগ্রামে লালদীঘীর ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় জব্বারের বলি খেলা। আর বর্ষবরণের এই মেলা প্রবাসীদের জন্য হয় মিলন মেলা। দীর্ঘ ব্যস্ততার অবসরে বৈশাখী মেলা প্রবাসী বাঙালিদের দেয় অফুরন্ত আনন্দ। জাপানে প্রতি বছরই অনেক ঘটা করে বিশাল পরিসরে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলা। জাপান প্রবাসীদের এ মিলন মেলার রেশটা থাকে সারা বছর জুড়ে। এছাড়া নিউইয়র্ক, লন্��নসহ বিশ্বের অন্যান্য বড় বড় শহরগুলোতে বসে বৈশাখী মেলার আয়োজন।
হালখাতাঃ
প্রাচীন বর্ষবরণের রীতির সাথে অঙ্গাঅঙ্গি ভাবেই জড়িত একটি বিষয় হল হালখাতা। তখন প্রত্যেকে চাষাবাদ বাবদ চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করে দিত। এরপর দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ ভূমির মালিকরা তাদের প্রজা সাধারণের জন্য মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়নের ব্যবস্থা রাখতেন। যা পরবর্তিতে ব্যবসায়িক পরিমন্ডলে ছড়িয়ে পড়ে। দোকানীরা সারা বছরের বাকীর খাতা সমাপ্ত করার জন্য পহেলা বৈশাখের দিনে নতুন সাজে বসে দোকানে। গ্রাহকদের মিষ্টিমুখ করিয়ে শুরু করেন নতুন বছরের ব্যবসার সূচনা। এ উৎসব গুলো সামাজিক রীতির অংশ হিসেবে পরিণত হয়েছে প্রতিটি বাঙালির ঘরে। এখনো গ্রাম গঞ্জে নববর্ষে হালখাতার হিড়িক পড়ে বাজার, বন্দর ও গঞ্জে।
আধুনিক নববর্ষের সূচনাঃ আধুনিক নববর্ষ পালনের তত্ত্ব তালাশ করতে গিয়ে জানা গেল ১৯১৭ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্ত্তণ ও পূজার আয়োজন করা হয়েছিল। এরপরে ১৯৮৩ সালে একই ভাবে ভাল কিছু উদ্যোগ নেয়া হয় নববর্ষ পালনের জন্য। মোদ্দা কথা ১৯৬৭ সালের আগে ঘটা করে পহেলা বৈশাখ পালন করা হয়নি। এরপর থেকে প্রতিবছরই বাড়তে থাকে পহেলা বৈশাখ বরণের সাড়ম্বরতা।
বৈশাখ এলেই এর সাথে আসে কালবৈশাখীল তান্ডবের কথা। প্রলয়ংকরী ঝড়ে লন্ডভন্ড করে বসত ভিটা, জমি জিরেত, তারপরেও আবারো ফিরে দাঁড়ায় ঝড়ঝঞ্জার সাথে লড়াই করা প্রতিটি বাঙালি। নতুন করে বাঁচার স্বপ্নে শুরু হয় ঘর বাঁধা। এসব দুঃখ-দূর্যোগকে ভুলে পুরো জাতিই মেতে ওঠে পহেলা বৈশাখের নববর্ষ পালনের আনন্দে। জাতীয় এই উৎসবটি এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসবে পরিণত হয়েছে। এদিনে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই বাংলা বছরের প্রথম দিনকে বরণের আন্দদে থাকে মাতোয়ারা। উৎসব প্রিয় বাঙালিরা জাতীয় উন্নয়নে এসব পার্বন থেকে নতুন সঞ্জিবণী শক্তি নিয়ে দেশের জন্য কাজ করলেই আর পিছিয়ে থাকবেনা আমার প্রিয় স্বদেশ, বাংলাদেশ। স্বাগতম বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। সকল অশুভ শক্তিকে পেছনে ফেলে নতুনের দিনের শুভ সূচনা হোক, জাতি খুঁজে নিবে নতুন মুক্তির দিশারী।...
AL69
1 note
·
View note
Text
যে অভ্যাসে বাড়ে স্মৃতিশক্তি
Currently 0/5
1
2
3
4
5
গড় রেটিং: 0/5 (0 টি ভোট গৃহিত হয়েছে)
আপডেট : ০৩-০৫-২০১৯
যে অভ্যাসে বাড়ে স্মৃতিশক্তি
বাড়ির কোনো দায়িত্ব হোক, নিজের কাজ কিংবা প্রিয়জনকে দেয়া কথা রাখা সব কিছুর জন্যই মনে রাখাটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ ভুলে গিয়ে কাজের ক্ষতি কে-ই বা করতে চায়।
একটা সময় ধারণা ছিল, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কমে স্মৃতিশক্তি। কিন্তু আধুনিক জীবনযাপনের চাপে অনেক কম বয়স থেকেই কমতে থাকে স্মৃতিশক্তি।
আধুনিক গবেষণা বলছে, ব্যায়াম ও কিছু কিছু অ্যারোবিক্স মস্তিষ্ককে সচল রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু সব সময়ে এই নিয়ম আমরা মেনে চলতে পারি না। তা হলে উপায়? এমন কোনো অভ্যাস কি আছে যার মাধ্যমে মস্তিষ্ক সচল রাখা যায়।
যে সময়ে অবসরে থাকেন সে সময়েই ক্রশওয়ার্ড বা শব্দছক মেলানোর চেষ্টা করুন। বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে শব্দছক থাকে। এসব সমাধানের জন্য মস্তিষ্ককে কাজ করতে হয় এবং শব্দের ভাণ্ডারও বাড়ে। শিশুদের বুদ্ধিমান করে তুলতে হলেও ভাষার উপর তাদের দখল বাড়াতে গেলে এই পদ্ধতি খুবই কার্যকর।
গবেষণা বলছে, কল্পনাশক্তি শুধু মনকেই নরম করে না, স্মৃতিকেও শক্ত করে। তাই শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান এবং তাদের কল্পনার জগত, রূপকথার গল্প বা বিভিন্ন গল্পের বই পড়ার ফাঁকে নিজের কল্পনাকেও ঝালাই করে নিন। এতে মস্তিষ্ক সক্রিয় হবে ও মনে রাখা সহজ হবে।
অভিধান পড়ার অভ্যাস করুন। বাংলা হোক বা ইংরেজি, অভিধান পড়ে প্রতিদিন দশটি করে শব্দ লিখে রাখুন খাতায়। দিনের শেষে তার কতগুলো মনে রাখতে পারছেন দেখুন। না পারলে আবার পড়ুন, তারপর লিখে ফেলুন শব্দগুলো।
প্রথম দিকে না পারলেও এই অভ্যাসের ফলে পরে দেখবেন মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে সবগুলোই মনে রাখতে পারছে। শিশুদের ক্ষেত্রে এই অভ্যাস ভাষাজ্ঞান বাড়ায়, মস্তিষ্ককে সক্রিয় করে ও শব্দের ভাণ্ডার বাড়ায়।
গান বা কবিতা ভালোবাসেন? তা হলে পছন্দের একটি তালিকা বানান। এবার সেই গান বা কবিতা কোনটা কোন বই থেকে নেয়া বা কোন সিনেমায় ব্যবহার হয়েছে তা ভাবুন। না পারলে জেনে নিয়ে লিখে রাখুন এবং না দেখে বলার চেষ্টা করুন। এতেও মস্তিষ্ককে অনেক পরিশ্রম করতে হয়।
পাজল বোর্ড সমাধান করার অভ্যাস তৈরি করুন। শিশুকেও এতে ব্যস্ত রাখুন। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে এই উপায় অনেক উপকারি। এখন বেশ কিছু অ্যাপেও এমন পাজল বা ধাঁধা রয়েছে।
1 note
·
View note
Text
0 notes
Photo
রুমকি আনোয়ারের কবিতা- মরু মরু রুমকি আনোয়ার তিমির আঁধারে প্রেম খুঁজে ফিরে - তৃষিত এক প্রেমিক- হৃদয়ে গাঁথা আছে প্রোথিত স্বপ্ন ,
0 notes
Text
0 notes