#অপচয়
Explore tagged Tumblr posts
Text
হালাল উপার্জনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে যেসব কাজ
youtube
youtube
youtube
সহিহ মুসলিমের এক দীর্ঘ বর্ণনায় নবী (সা.) মুসলমানদের অকল্যাণ ও ক্ষতিকর বস্তু থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) দাঁড়ালেন। অতঃপর লোকদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, হে লোক সকল, আল্লাহর শপথ! তোমাদের ব্যাপারে আমার কোনো কিছুর আশঙ্কা নেই।
তবে আল্লাহ তোমাদের জন্য যে পার্থিব সৌন্দর্য ও চাকচিক্যের ব্যবস্থা করে রেখেছেন এ সম্পর্কে তোমাদের ব্যাপারে আমার আশঙ্কা আছে। এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, কল্যাণের পরিণামে কি অকল্যাণও হয়ে থাকে? রাসুলুল্লাহ (সা.) কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কী বলেছিলে? সে বলল, আমি বলেছিলাম, হে আল্লাহর রাসুল! কল্যাণের সঙ্গে কি অকল্যাণ আসবে? রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে লক্ষ্য করে বললেন, কল্যাণ তো অকল্যাণ বয়ে আনে না। তবে কথা হলো, বসন্তকালে যেসব তৃণলতা ও সবুজ ঘাস উৎপন্ন হয় এটা কোনো পশুকে ডায়রিয়ার প্রকোপে ফেলে না বা মৃত্যুর কাছাকাছিও নিয়ে যায় না। কিন্তু চারণভূমিতে বিচরণকারী পশুরা এগুলো খেয়ে পেট ফুলিয়ে ফেলে।
অতঃপর সূর্যের দিকে তাকিয়ে পেশাব-পায়খানা করতে থাকে। অতঃপর জাবর কাটতে থাকে। এগুলো আবার চারণভূমিতে যায় এবং এভাবে অত্যধিক খেতে খেতে একদিন মৃত্যুর শিকার হয়। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি সৎ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে তাকে এর মধ্যে বরকত দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি অসৎ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে, সে অনেক খাচ্ছে; কিন্তু পরিতৃপ্ত হতে পারছে না। (মুসলিম, হাদিস : ২৩১১)
উপরোক্ত হাদিসে নবী করিম (সা.) যখন ধন-সম্পদের ব্যাপারে তাঁর আশঙ্কা ব্যক্ত করেন তখন এক সাহাবি বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞাসা করেন, আমরা তো সৎ পন্থায় যেমন—ব্যবসা, কৃষিকাজ, গনিমত ইত্যাদির মাধ্যমে উপার্জনকারী। এভাবে সম্পদ অর্জন তো ভালো। কারণ ধারকর্জ থেকে মুক্ত হয়ে নিবিড়ভাবে আল্লাহর ইবাদতে মনোনিবেশ করা যায়। তাহলে ভালো জিনিস কিভাবে ক্ষতিকর হয়? এই প্রশ্নের উত্তরে নবীজি (সা.) তখন বলেন, হালাল পন্থায় সম্পদ উপার্জন অবশ্যই ভালো ও উত্তম।
কিন্তু অতিরিক্ত বিলাসিতা কল্যাণকর নয়। ��ারণ এর মাধ্যমে ইবাদতে অনাগ্রহ স��ষ্টি হয়। মাত্রাতিরিক্ত হিসাব-নিকাশে ব্যস্ত থাকার কারণে ইবাদত থেকে মন উঠে যায়।
মূলত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) দুই প্রকার লোকের কথা উল্লেখ করেছেন।
১. বেশি সম্পদ উপার্জনকারী। আর যারা ধন-সম্পদের পেছনে ছুটতে ছুটতে কল্যাণের পথ হারিয়ে ফেলে।
২. মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী। যে ব্যক্তি তার উপার্জিত সম্পদ দুনিয়ার প্রয়োজনমাফিক যথাযথ ব্যয় করে। কোনো ধরনের অপচয় ও কৃপণতা করে না এবং সম্পদের কিছু অংশ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে।
হাদিসবিশারদরা উক্ত হাদিসে উল্লিখিত উপমার ব্যাপারে দীর্ঘ পর্যালোচনা করেছেন এবং এটিকে কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করেছেন।
জাইন ইবনে মুনির (রহ.) বলেন, এই হাদিসে উপমা দেওয়ার মত আরো অভিনব কয়েকটি দিক রয়েছে। যেমন—
ক. সম্পদ উপার্জন ও তার সমৃদ্ধিকে শস্য উৎপাদন ও ফলনের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
খ. সম্পদ উপার্জনের পেছনে আজীবন দৌড়ানোকে খাদ্যের প্রতি চতুষ্পদ জন্তুর আকর্ষিত হওয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
গ. অধিক সম্পদ উপার্জন ও জমানোকে জন্তু-জানোয়ারের উদরপূর্তি করে আহারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
ঘ. সম্পদের লালসা মানুষের মধ্যে কৃপণতা সৃষ্টি করে এবং এর মোহ মানুষকে আচ্ছন্ন করে রাখে। এই লালসা হলো ওই চতুষ্পদ জন্তু ন্যায়, যাদেরকে অতিরিক্ত আহার থেকে জোরপূর্বক দূর করতে হয়। এখানে এই স্বভাবের নিন্দা বোঝানোর জন্য চমকপ্রদ ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
ঙ. পরহেজগারিতাকে ওই জন্তুর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যে পরিমিত আহার করে বিশ্রাম নেয় এবং সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে। যাতে ভালোভাবে হজম হয়।
চ. অসৎ পথে উপার্জিত সম্পদের পরিণামকে অসতর্ক বেখবর জানোয়ারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যাদের উদরপূর্তির সময় হুঁশ থাকে না। ফলে একসময় খাবার তাদের মৃত্যুর কারণ হয়। (ফাতহুল বারি, ইবনে হাজার : ১১/২৪৮)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
হালাল উপার্জনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে যেসব কাজ
হালাল উপার্জন
Acts That Undermine The Dignity of Halal Earnings
#হালাল উপার্জনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে যেসব কাজ#হালাল উপার্জন#হালালউপার্জন#Acts That Undermine The Dignity of Halal Earnings#HalalEarnings#Halal#Earnings#হালাল#উপার্জন#হালালরোজগার#হালালআয়#HalalIncome#Youtube
0 notes
Text
হালাল উপার্জনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে যেসব কাজ
youtube
youtube
youtube
সহিহ মুসলিমের এক দীর্ঘ বর্ণনায় নবী (সা.) মুসলমানদের অকল্যাণ ও ক্ষতিকর বস্তু থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) দাঁড়ালেন। অতঃপর লোকদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, হে লোক সকল, আল্লাহর শপথ! তোমাদের ব্যাপারে আমার কোনো কিছুর আশঙ্কা নেই।
তবে আল্লাহ তোমাদের জন্য যে পার্থিব সৌন্দর্য ও চাকচিক্যের ব্যবস্থা করে রেখেছেন এ সম্পর্কে তোমাদের ব্যাপারে আমার আশঙ্কা আছে। এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, কল্যাণের পরিণামে কি অকল্যাণও হয়ে থাকে? রাসুলুল্লাহ (সা.) কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কী বলেছিলে? সে বলল, আমি বলেছিলাম, হে আল্লাহর রাসুল! কল্যাণের সঙ্গে কি অকল্যাণ আসবে? রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে লক্ষ্য করে বললেন, কল্যাণ তো অকল্যাণ বয়ে আনে না। তবে কথা হলো, বসন্তকালে যেসব তৃণলতা ও সবুজ ঘাস উৎপন্ন হয় এটা কোনো পশুকে ডায়রিয়ার প্রকোপে ফেলে না বা মৃত্যুর কাছাকাছিও নিয়ে যায় না। কিন্তু চারণভূমিতে বিচরণকারী পশুরা এগুলো খেয়ে পেট ফুলিয়ে ফেলে।
অতঃপর সূর্যের দিকে তাকিয়ে পেশাব-পায়খানা করতে থাকে। অতঃপর জাবর কাটতে থাকে। এগুলো আবার চারণভূমিতে যায় এবং এভাবে অত্যধিক খেতে খেতে একদিন মৃত্যুর শিকার হয়। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি সৎ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে তাকে এর মধ্যে বরকত দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি অসৎ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে, সে অনেক খাচ্ছে; কিন্তু পরিতৃপ্ত হতে পারছে না। (মুসলিম, হাদিস : ২৩১১)
উপরোক্ত হাদিসে নবী করিম (সা.) যখন ধন-সম্পদের ব্যাপারে তাঁর আশঙ্কা ব্যক্ত করেন তখন এক সাহাবি বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞাসা করেন, আমরা তো সৎ পন্থায় যেমন—ব্যবসা, কৃষিকাজ, গনিমত ইত্যাদির মাধ্যমে উপার্জনকারী। এভাবে সম্পদ অর্জন তো ভালো। কারণ ধারকর্জ থেকে মুক্ত হয়ে নিবিড়ভাবে আল্লাহর ইবাদতে মনোনিবেশ করা যায়। তাহলে ভালো জিনিস কিভাবে ক্ষতিকর হয়? এই প্রশ্নের উত্তরে নবীজি (সা.) তখন বলেন, হালাল পন্থায় সম্পদ উপার্জন অবশ্যই ভালো ও উত্তম।
কিন্তু অতিরিক্ত বিলাসিতা কল্যাণকর নয়। কারণ এর মাধ্যমে ইবাদতে অনাগ্রহ সৃষ্টি হয়। মাত্রাতিরিক্ত হিসাব-নিকাশে ব্যস্ত থাকার কারণে ইবাদত থেকে মন উঠে যায়।
মূলত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) দুই প্রকার লোকের কথা উল্লেখ করেছেন।
১. বেশি সম্পদ উপার্জনকারী। আর যারা ধন-সম্পদের পেছনে ছুটতে ছুটতে কল্যাণের পথ হারিয়ে ফেলে।
২. মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী। যে ব্যক্তি তার উপার্জিত সম্পদ দুনিয়ার প্রয়োজনমাফিক যথাযথ ব্যয় করে। কোনো ধরনের অপচয় ও কৃপণতা করে না এবং সম্পদের কিছু অংশ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে।
হাদিসবিশারদরা উক্ত হাদিসে উল্লিখিত উপমার ব্যাপারে দীর্ঘ পর্যালোচনা করেছেন এবং এটিকে কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করেছেন।
জাইন ইবনে মুনির (রহ.) বলেন, এই হাদিসে উপমা দেওয়ার মত আরো অভিনব কয়েকটি দিক রয়েছে। যেমন—
ক. সম্পদ উপার্জন ও তার সমৃদ্ধিকে শস্য উৎপাদন ও ফলনের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
খ. সম্পদ উপার্জনের পেছনে আজীবন দৌড়ানোকে খাদ্যের প্রতি চতুষ্পদ জন্তুর আকর্ষিত হওয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
গ. অধিক সম্পদ উপার্জন ও জমানোকে জন্তু-জানোয়ারের উদরপূর্তি করে আহারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
ঘ. সম্পদের লালসা মানুষের মধ্যে কৃপণতা সৃষ্টি করে এবং এর মোহ মানুষকে আচ্ছন্ন করে রাখে। এই লালসা হলো ওই চতুষ্পদ জন্তু ন্যায়, যাদেরকে অতিরিক্ত আহার থেকে জোরপূর্বক দূর করতে হয়। এখানে এই স্বভাবের নিন্দা বোঝানোর জন্য চমকপ্রদ ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
ঙ. পরহেজগারিতাকে ওই জন্তুর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যে পরিমিত আহার করে বিশ্রাম নেয় এবং সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে। যাতে ভালোভাবে হজম হয়।
চ. অসৎ পথে উপার্জিত সম্পদের পরিণামকে অসতর্ক বেখবর জানোয়ারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যাদের উদরপূর্তির সময় হুঁশ থাকে না। ফলে একসময় খাবার তাদের মৃত্যুর কারণ হয়। (ফাতহুল বারি, ইবনে হাজার : ১১/২৪৮)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
হালাল উপার্জনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে যেসব কাজ
হালাল উপার্জন
Acts That Undermine The Dignity of Halal Earnings
#হালাল উপার্জনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে যেসব কাজ#হালাল উপার্জন#হালালউপার্জন#Acts That Undermine The Dignity of Halal Earnings#HalalEarnings#Halal#Earnings#হালাল#উপার্জন#হালালরোজগার#হালালআয়#HalalIncome#Youtube
0 notes
Text
হালাল উপার্জনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে যেসব কাজ
youtube
youtube
youtube
সহিহ মুসলিমের এক দীর্ঘ বর্ণনায় নবী (সা.) মুসলমানদের অকল্যাণ ও ক্ষতিকর বস্তু থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) দাঁড়ালেন। অতঃপর লোকদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, হে লোক সকল, আল্লাহর শপথ! তোমাদের ব্যাপারে আমার কোনো কিছুর আশঙ্কা নেই।
তবে আল্লাহ তোমাদের জন্য যে পার্থিব সৌন্দর্য ও চাকচিক্যের ব্যবস্থা করে রেখেছেন এ সম্পর্কে তোমাদের ব্যাপারে আমার আশঙ্কা আছে। এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, কল্যাণের পরিণামে কি অকল্যাণও হয়ে থাকে? রাসুলুল্লাহ (সা.) কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কী বলেছিলে? সে বলল, আমি বলেছিলাম, হে আল্লাহর রাসুল! কল্যাণের সঙ্গে কি অকল্যাণ আসবে? রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে লক্ষ্য করে বললেন, কল্যাণ তো অকল্যাণ বয়ে আনে না। তবে কথা হলো, বসন্তকালে যেসব তৃণলতা ও সবুজ ঘাস উৎপন্ন হয় এটা কোনো পশুকে ডায়রিয়ার প্রকোপে ফেলে না বা মৃত্যুর কাছাকাছিও নিয়ে যায় না। কিন্তু চারণভূমিতে বিচরণকারী পশুরা এগুলো খেয়ে পেট ফুলিয়ে ফেলে।
অতঃপর সূর্যের দিকে তাকিয়ে পেশাব-পায়খানা করতে থাকে। অতঃপর জাবর কাটতে থাকে। এগুলো আবার চারণভূমিতে যায় এবং এভাবে অত্যধিক খেতে খেতে একদিন মৃত্যুর শিকার হয়। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি সৎ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে তাকে এর মধ্যে বরকত দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি অসৎ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে, সে অনেক খাচ্ছে; কিন্তু পরিতৃপ্ত হতে পারছে না। (মুসলিম, হাদিস : ২৩১১)
উপরোক্ত হাদিসে নবী করিম (সা.) যখন ধন-সম্পদের ব্যাপারে তাঁর আশঙ্কা ব্যক্ত করেন তখন এক সাহাবি বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞাসা করেন, আমরা তো সৎ পন্থায় যেমন—ব্যবসা, কৃষিকাজ, গনিমত ইত্যাদির মাধ্যমে উপার্জনকারী। এভাবে সম্পদ অর্জন তো ভালো। কারণ ধারকর্জ থেকে মুক্ত হয়ে নিবিড়ভাবে আল্লাহর ইবাদতে মনোনিবেশ করা যায়। তাহলে ভালো জিনিস কিভাবে ক্ষতিকর হয়? এই প্রশ্নের উত্তরে নবীজি (সা.) তখন বলেন, হালাল পন্থায় সম্পদ উপার্জন অবশ্যই ভালো ও উত্তম।
কিন্তু অতিরিক্ত বিলাসিতা কল্যাণকর নয়। কারণ এর মাধ্যমে ইবাদতে অনাগ্রহ সৃষ্টি হয়। মাত্রাতিরিক্ত হিসাব-নিকাশে ব্যস্ত থাকার কারণে ইবাদত থেকে মন উঠে যায়।
মূলত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) দুই প্রকার লোকের কথা উল্লেখ করেছেন।
১. বেশি সম্পদ উপার্জনকারী। আর যারা ধন-সম্পদের পেছনে ছুটতে ছুটতে কল্যাণের পথ হারিয়ে ফেলে।
২. মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী। যে ব্যক্তি তার উপার্জিত সম্পদ দুনিয়ার প্রয়োজনমাফিক যথাযথ ব্যয় করে। কোনো ধরনের অপচয় ও কৃপণতা করে না এবং সম্পদের কিছু অংশ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে।
হাদিসবিশারদরা উক্ত হাদিসে উল্লিখিত উপমার ব্যাপারে দীর্ঘ পর্যালোচনা করেছেন এবং এটিকে কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করেছেন।
জাইন ইবনে মুনির (রহ.) বলেন, এই হাদিসে উপমা দেওয়ার মত আরো অভিনব কয়েকটি দিক রয়েছে। যেমন—
ক. সম্পদ উপার্জন ও তার সমৃদ্ধিকে শস্য উৎপাদন ও ফলনের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
খ. সম্পদ উপার্জনের পেছনে আজীবন দৌড়ানোকে খাদ্যের প্রতি চতুষ্পদ জন্তুর আকর্ষিত হওয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
গ. অধিক সম্পদ উপার্জন ও জমানোকে জন্তু-জানোয়ারের উদরপূর্তি করে আহারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
ঘ. সম্পদের লালসা মানুষের মধ্যে কৃপণতা সৃষ্টি করে এবং এর মোহ মানুষকে আচ্ছন্ন করে রাখে। এই লালসা হলো ওই চতুষ্পদ জন্তু ন্যায়, যাদেরকে অতিরিক্ত আহার থেকে জোরপূর্বক দূর করতে হয়। এখানে এই স্বভাবের নিন্দা বোঝানোর জন্য চমকপ্রদ ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
ঙ. পরহেজগারিতাকে ওই জন্তুর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যে পরিমিত আহার করে বিশ্রাম নেয় এবং সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে। যাতে ভালোভাবে হজম হয়।
চ. অসৎ পথে উপার্জিত সম্পদের পরিণামকে অসতর্ক বেখবর জানোয়ারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যাদের উদরপূর্তির সময় হুঁশ থাকে না। ফলে একসময় খাবার তাদের মৃত্যুর কারণ হয়। (ফাতহুল বারি, ইবনে হাজার : ১১/২৪৮)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
হালাল উপার্জনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে যেসব কাজ
হালাল উপার্জন
Acts That Undermine The Dignity of Halal Earnings
#হালাল উপার্জনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে যেসব কাজ#হালাল উপার্জন#হালালউপার্জন#Acts That Undermine The Dignity of Halal Earnings#HalalEarnings#Halal#Earnings#হালাল#উপার্জন#হালালরোজগার#হালালআয়#HalalIncome#Youtube
0 notes
Text
হালাল উপার্জনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে যেসব কাজ
youtube
youtube
youtube
সহিহ মুসলিমের এক দীর্ঘ বর্ণনায় নবী (সা.) মুসলমানদের অকল্যাণ ও ক্ষতিকর বস্তু থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) দাঁড়ালেন। অতঃপর লোকদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, হে লোক সকল, আল্লাহর শপথ! তোমাদের ব্যাপারে আমার কোনো কিছুর আশঙ্কা নেই।
তবে আল্লাহ তোমাদের জন্য যে পার্থিব সৌন্দর্য ও চাকচিক্যের ব্যবস্থা করে রেখেছেন এ সম্পর্কে তোমাদের ব্যাপারে আমার আশঙ্কা আছে। এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, কল্যাণের পরিণামে কি অকল্যাণও হয়ে থাকে? রাসুলুল্লাহ (সা.) কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কী বলেছিলে? সে বলল, আমি বলেছিলাম, হে আল্লাহর রাসুল! কল্যাণের সঙ্গে কি অকল্যাণ আসবে? রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে লক্ষ্য করে বললেন, কল্যাণ তো অকল্যাণ বয়ে আনে না। তবে কথা হলো, বসন্তকালে যেসব তৃণলতা ও সবুজ ঘাস উৎপন্ন হয় এটা কোনো পশুকে ডায়রিয়ার প্রকোপে ফেলে না বা মৃত্যুর কাছাকাছিও নিয়ে যায় না। ��িন্তু চারণভূমিতে বিচরণকারী পশুরা এগুলো খেয়ে পেট ফুলিয়ে ফেলে।
অতঃপর সূর্যের দিকে তাকিয়ে পেশাব-পায়খানা করতে থাকে। অতঃপর জাবর কাটতে থাকে। এগুলো আবার চারণভূমিতে যায় এবং এভাবে অত্যধিক খেতে খেতে একদিন মৃত্যুর শিকার হয়। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি সৎ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে তাকে এর মধ্যে বরকত দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি অসৎ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে, সে অনেক খাচ্ছে; কিন্তু পরিতৃপ্ত হতে পারছে না। (মুসলিম, হাদিস : ২৩১১)
উপরোক্ত হাদিসে নবী করিম (সা.) যখন ধন-সম্পদের ব্যাপারে তাঁর আশঙ্কা ব্যক্ত করেন তখন এক সাহাবি বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞাসা করেন, আমরা তো সৎ পন্থায় যেমন—ব্যবসা, কৃষিকাজ, গনিমত ইত্যাদির মাধ্যমে উপার্জনকারী। এভাবে সম্পদ অর্জন তো ভালো। কারণ ধারকর্জ থেকে মুক্ত হয়ে নিবিড়ভাবে আল্লাহর ইবাদতে মনোনিবেশ করা যায়। তাহলে ভালো জিনিস কিভাবে ক্ষতিকর হয়? এই প্রশ্নের উত্তরে নবীজি (সা.) তখন বলেন, হালাল পন্থায় সম্পদ উপার্জন অবশ্যই ভালো ও উত্তম।
কিন্তু অতিরিক্ত বিলাসিতা কল্যাণকর নয়। কারণ এর মাধ্যমে ইবাদতে অনাগ্রহ সৃষ্টি হয়। মাত্রাতিরিক্ত হিসাব-নিকাশে ব্যস্ত থাকার কারণে ইবাদত থেকে মন উঠে যায়।
মূলত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) দুই প্রকার লোকের কথা উল্লেখ করেছেন।
১. বেশি সম্পদ উপার্জনকারী। আর যারা ধন-সম্পদের পেছনে ছুটতে ছুটতে কল্যাণের পথ হারিয়ে ফেলে।
২. মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী। যে ব্যক্তি তার উপার্জিত সম্পদ দুনিয়ার প্রয়োজনমাফিক যথাযথ ব্যয় করে। কোনো ধরনের অপচয় ও কৃপণতা করে না এবং সম্পদের কিছু অংশ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে।
হাদিসবিশারদরা উক্ত হাদিসে উল্লিখিত উপমার ব্যাপারে দীর্ঘ পর্যালোচনা করেছেন এবং এটিকে কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করেছেন।
জাইন ইবনে মুনির (রহ.) বলেন, এই হাদিসে উপমা দেওয়ার মত আরো অভিনব কয়েকটি দিক রয়েছে। যেমন—
ক. সম্পদ উপার্জন ও তার সমৃদ্ধিকে শস্য উৎপাদন ও ফলনের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
খ. সম্পদ উপার্জনের পেছনে আজীবন দৌড়ানোকে খাদ্যের প্রতি চতুষ্পদ জন্তুর আকর্ষিত হওয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
গ. অধিক সম্পদ উপার্জন ও জমানোকে জন্তু-জানোয়ারের উদরপূর্তি করে আহারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
ঘ. সম্পদের লালসা মানুষের মধ্যে কৃপণতা সৃষ্টি করে এবং এর মোহ মানুষকে আচ্ছন্ন করে রাখে। এই লালসা হলো ওই চতুষ্পদ জন্তু ন্যায়, যাদেরকে অতিরিক্ত আহার থেকে জোরপূর্বক দূর করতে হয়। এখানে এই স্বভাবের নিন্দা বোঝানোর জন্য চমকপ্রদ ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
ঙ. পরহেজগারিতাকে ওই জন্তুর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যে পরিমিত আহার করে বিশ্রাম নেয় এবং সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে। যাতে ভালোভাবে হজম হয়।
চ. অসৎ পথে উপার্জিত সম্পদের পরিণামকে অসতর্ক বেখবর জানোয়ারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যাদের উদরপূর্তির সময় হুঁশ থাকে না। ফলে একসময় খাবার তাদের মৃত্যুর কারণ হয়। (ফাতহুল বারি, ইবনে হাজার : ১১/২৪৮)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
হালাল উপার্জনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে যেসব কাজ
হালাল উপার্জন
Acts That Undermine The Dignity of Halal Earnings
#হালাল উপার্জনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে যেসব কাজ#হালাল উপার্জন#হালালউপার্জন#Acts That Undermine The Dignity of Halal Earnings#HalalEarnings#Halal#Earnings#হালাল#উপার্জন#হালালরোজগার#হালালআয়#HalalIncome#Youtube
1 note
·
View note
Text
হালাল উপার্জনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে যেসব কাজ
youtube
youtube
youtube
সহিহ মুসলিমের এক দীর্ঘ বর্ণনায় নবী (সা.) মুসলমানদের অকল্যাণ ও ক্ষতিকর বস্তু থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) দাঁড়ালেন। অতঃপর লোকদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, হে লোক সকল, আল্লাহর শপথ! তোমাদের ব্যাপারে আমার কোনো কিছুর আশঙ্কা নেই।
তবে আল্লাহ তোমাদের জন্য যে পার্থিব সৌন্দর্য ও চাকচিক্যের ব্যবস্থা করে রেখেছেন এ সম্পর্কে তোমাদের ব্যাপারে আমার আশঙ্কা আছে। এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, কল্যাণের পরিণামে কি অকল্যাণও হয়ে থাকে? রাসুলুল্লাহ (সা.) কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কী বলেছিলে? সে বলল, আমি বলেছিলাম, হে আল্লাহর রাসুল! কল্যাণের সঙ্গে কি অকল্যাণ আসবে? রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে লক্ষ্য করে বললেন, কল্যাণ তো অকল্যাণ বয়ে আনে না। তবে কথা হলো, বসন্তকালে যেসব তৃণলতা ও সবুজ ঘাস উৎপন্ন হয় এটা কোনো পশুকে ডায়রিয়ার প্রকোপে ফেলে না বা মৃত্যুর কাছাকাছিও নিয়ে যায় না। কিন্তু চারণভূমিতে বিচরণকারী পশুরা এগুলো খেয়ে পেট ফুলিয়ে ফেলে।
অতঃপর সূর্যের দিকে তাকিয়ে পেশাব-পায়খানা করতে থাকে। অতঃপর জাবর কাটতে থাকে। এগুলো আবার চারণভূমিতে যায় এবং এভাবে অত্যধিক খেতে খেতে একদিন মৃত্যুর শিকার হয়। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি সৎ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে তাকে এর মধ্যে বরকত দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি অসৎ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে, সে অনেক খাচ্ছে; কিন্তু পরিতৃপ্ত হতে পারছে না। (মুসলিম, হাদিস : ২৩১১)
উপরোক্ত হাদিসে নবী করিম (সা.) যখন ধন-সম্পদের ব্যাপারে তাঁর আশঙ্কা ব্যক্ত করেন তখন এক সাহাবি বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞাসা করেন, আমরা তো সৎ পন্থায় যেমন—ব্যবসা, কৃষিকাজ, গনিমত ইত্যাদির মাধ্যমে উপার্জনকারী। এভাবে সম্পদ অর্জন তো ভালো। কারণ ধারকর্জ থেকে মুক্ত হয়ে নিবিড়ভাবে আল্লাহর ইবাদতে মনোনিবেশ করা যায়। তাহলে ভালো জিনিস কিভাবে ক্ষতিকর হয়? এই প্রশ্নের উত্তরে নবীজি (সা.) তখন বলেন, হালাল পন্থায় সম্পদ উপার্জন অবশ্যই ভালো ও উত্তম।
কিন্তু অতিরিক্ত বিলাসিতা কল্যাণকর নয়। কারণ এর মাধ্যমে ইবাদতে অনাগ্রহ সৃষ্টি হয়। মাত্রাতিরিক্ত হিসাব-নিকাশে ব্যস্ত থাকার কারণে ইবাদত থেকে মন উঠে যায়।
মূলত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) দুই প্রকার লোকের কথা উল্লেখ করেছেন।
১. বেশি সম্পদ উপার্জনকারী। আর যারা ধন-সম্পদের পেছনে ছুটতে ছুটতে কল্যাণের পথ হারিয়ে ফেলে।
২. মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী। যে ব্যক্তি তা�� উপার্জিত সম্পদ দুনিয়ার প্রয়োজনমাফিক যথাযথ ব্যয় করে। কোনো ধরনের অপচয় ও কৃপণতা করে না এবং সম্পদের কিছু অংশ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে।
হাদিসবিশারদরা উক্ত হাদিসে উল্লিখিত উপমার ব্যাপারে দীর্ঘ পর্যালোচনা করেছেন এবং এটিকে কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করেছেন।
জাইন ইবনে মুনির (রহ.) বলেন, এই হাদিসে উপমা দেওয়ার মত আরো অভিনব কয়েকটি দিক রয়েছে। যেমন—
ক. সম্পদ উপার্জন ও তার সমৃদ্ধিকে শস্য উৎপাদন ও ফলনের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
খ. সম্পদ উপার্জনের পেছনে আজীবন দৌড়ানোকে খাদ্যের প্রতি চতুষ্পদ জন্তুর আকর্ষিত হওয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
গ. অধিক সম্পদ উপার্জন ও জমানোকে জন্তু-জানোয়ারের উদরপূর্তি করে আহারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
ঘ. সম্পদের লালসা মানুষের মধ্যে কৃপণতা সৃষ্টি করে এবং এর মোহ মানুষকে আচ্ছন্ন করে রাখে। এই লালসা হলো ওই চতুষ্পদ জন্তু ন্যায়, যাদেরকে অতিরিক্ত আহার থেকে জোরপূর্বক দূর করতে হয়। এখানে এই স্বভাবের নিন্দা বোঝানোর জন্য চমকপ্রদ ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
ঙ. পরহেজগারিতাকে ওই জন্তুর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যে পরিমিত আহার করে বিশ্রাম নেয় এবং সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে। যাতে ভালোভাবে হজম হয়।
চ. অসৎ পথে উপার্জিত সম্পদের পরিণামকে অসতর্ক বেখবর জানোয়ারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যাদের উদরপূর্তির সময় হুঁশ থাকে না। ফলে একসময় খাবার তাদের মৃত্যুর কারণ হয়। (ফাতহুল বারি, ইবনে হাজার : ১১/২৪৮)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
হালাল উপার্জনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে যেসব কাজ
হালাল উপার্জন
Acts That Undermine The Dignity of Halal Earnings
#হালাল উপার্জনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে যেসব কাজ#হালাল উপার্জন#হালালউপার্জন#Acts That Undermine The Dignity of Halal Earnings#HalalEarnings#Halal#Earnings#হালাল#উপার্জন#হালালরোজগার#হালালআয়#HalalIncome#Youtube
0 notes
Text
হালাল উপার্জনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে যেসব কাজ
youtube
youtube
youtube
সহিহ মুসলিমের এক দীর্ঘ বর্ণনায় নবী (সা.) মুসলমানদের অকল্যাণ ও ক্ষতিকর বস্তু থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) দাঁড়ালেন। অতঃপর লোকদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, হে লোক সকল, আল্লাহর শপথ! তোমাদের ব্যাপারে আমার কোনো কিছুর আশঙ্কা নেই।
তবে আল্লাহ তোমাদের জন্য যে পার্থিব সৌন্দর্য ও চাকচিক্যের ব্যবস্থা করে রেখেছেন এ সম্পর্কে তোমাদের ব্যাপারে আমার আশঙ্কা আছে। এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, কল্যাণের পরিণামে কি অকল্যাণও হয়ে থাকে? রাসুলুল্লাহ (সা.) কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কী বলেছিলে? সে বলল, আমি বলেছিলাম, হে আল্লাহর রাসুল! কল্যাণের সঙ্গে কি অকল্যাণ আসবে? রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে লক্ষ্য করে বললেন, কল্যাণ তো অকল্যাণ বয়ে আনে না। তবে কথা হলো, বসন্তকালে যেসব তৃণলতা ও সবুজ ঘাস উৎপন্ন হয় এটা কোনো পশুকে ডায়রিয়ার প্রকোপে ফেলে না বা মৃত্যুর কাছাকাছিও নিয়ে যায় না। কিন্তু চারণভূমিতে বিচরণকারী পশুরা এগুলো খেয়ে পেট ফুলিয়ে ফেলে।
অতঃপর সূর্যের দিকে তাকিয়ে পেশাব-পায়খানা করতে থাকে। অতঃপর জাবর কাটতে থাকে। এগুলো আবার চারণভূমিতে যায় এবং এভাবে অত্যধিক খেতে খেতে একদিন মৃত্যুর শিকার হয়। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি সৎ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে তাকে এর মধ্যে বরকত দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি অসৎ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে, সে অনেক খাচ্ছে; কিন্তু পরিতৃপ্ত হতে পারছে না। (মুসলিম, হাদিস : ২৩১১)
উপরোক্ত হাদিসে নবী করিম (সা.) যখন ধন-সম্পদের ব্যাপারে তাঁর আশঙ্কা ব্যক্ত করেন তখন এক সাহাবি বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞাসা করেন, আমরা তো সৎ পন্থায় যেমন—ব্যবসা, কৃষিকাজ, গনিমত ইত্যাদির মাধ্যমে উপার্জনকারী। এভাবে সম্পদ অর্জন তো ভালো। কারণ ধারকর্জ থেকে মুক্ত হয়ে নিবিড়ভাবে আল্লাহর ইবাদতে মনোনিবেশ করা যায়। তাহলে ভালো জিনিস কিভাবে ক্ষতিকর হয়? এই প্রশ্নের উত্তরে নবীজি (সা.) তখন বলেন, হালাল পন্থায় সম্পদ উপার্জন অবশ্যই ভালো ও উত্তম।
কিন্তু অতিরিক্ত বিলাসিতা কল্যাণকর নয়। কারণ এর মাধ্যমে ইবাদতে অনাগ্রহ সৃষ্টি হয়। মাত্রাতিরিক্ত হিসাব-নিকাশে ব্যস্ত থাকার কারণে ইবাদত থেকে মন উঠে যায়।
মূলত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) দুই প্রকার লোকের কথা উল্লেখ করেছেন।
১. বেশি সম্পদ উপার্জনকারী। আর যারা ধন-সম্পদের পেছনে ছুটতে ছুটতে কল্যাণের পথ হারিয়ে ফেলে।
২. মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী। যে ব্যক্তি তার উপার্জিত সম্পদ দুনিয়ার প্রয়োজনমাফিক যথাযথ ব্যয় করে। কোনো ধরনের অপচয় ও কৃপণতা করে না এবং সম্পদের কিছু অংশ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে।
হাদিসবিশারদরা উক্ত হাদিসে উল্লিখিত উপমার ব্যাপারে দীর্ঘ পর্যালোচনা করেছেন এবং এটিকে কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করেছেন।
জাইন ইবনে মুনির (রহ.) বলেন, এই হাদিসে উপমা দেওয়ার মত আরো অভিনব কয়েকটি দিক রয়েছে। যেমন—
ক. সম্পদ উপার্জন ও তার সমৃদ্ধিকে শস্য উৎপাদন ও ফলনের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
খ. সম্পদ উপার্জনের পেছনে আজীবন দৌড়ানোকে খাদ্যের প্রতি চতুষ্পদ জন্তুর আকর্ষিত হওয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
গ. অধিক সম্পদ উপার্জন ও জমানোকে জন্তু-জানোয়ারের উদরপূর্তি করে আহারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
ঘ. সম্পদের লালসা মানুষের মধ্যে কৃপণতা সৃষ্টি করে এবং এর মোহ মানুষকে আচ্ছন্ন করে রাখে। এই লালসা হলো ওই চতুষ্পদ জন্তু ন্যায়, যাদেরকে অতিরিক্ত আহার থেকে জোরপূর্বক দূর করতে হয়। এখানে এই স্বভাবের নিন্দা বোঝানোর জন্য চমকপ্রদ ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
ঙ. পরহেজগারিতাকে ওই জন্তুর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যে পরিমিত আহার করে বিশ্রাম নেয় এবং সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে। যাতে ভালোভাবে হজম হয়।
চ. অসৎ পথে উপার্জিত সম্পদের পরিণামকে অসতর্ক বেখবর জানোয়ারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যাদের উদরপূর্তির সময় হুঁশ থাকে না। ফলে একসময় খাবার তাদের মৃত্যুর কারণ হয়। (ফাতহুল বারি, ইবনে হাজা�� : ১১/২৪৮)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
হালাল উপার্জনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে যেসব কাজ
হালাল উপার্জন
Acts That Undermine The Dignity of Halal Earnings
#হালাল উপার্জনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে যেসব কাজ#হালাল উপার্জন#হালালউপার্জন#Acts That Undermine The Dignity of Halal Earnings#HalalEarnings#Halal#Earnings#হালাল#উপার্জন#হালালরোজগার#হালালআয়#HalalIncome#Youtube
0 notes
Text
শাইনি অবজেক্ট সিন্ড্রোম: এক অদৃশ্য ফাঁদ
আজকের দ্রুত পরিবর্তনশীল এবং প্রযুক্তিনির্ভর দুনিয়ায়, আমরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সুযোগ, ট্রেন্ড এবং আইডিয়ার সম্মুখীন হই। এই আকর্ষণীয় নতুন বিষয়গুলোর প্রতি আমাদের মনোযোগ আকৃষ্ট হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে কখনও কখনও আমরা অতিরিক্তভাবে এগুলোর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যাই, যার ফলে আমাদের চলমান কাজ এবং লক্ষ্যগুলো পিছিয়ে প���়ে। এটাই হলো "শাইনি অবজেক্ট সিন্ড্রোম"।
শাইনি অবজেক্ট সিন্ড্রোম কী?
শাইনি অবজেক্ট সিন্ড্রোম বলতে বোঝায় নতুন ও আকর্ষণীয় কোনো বিষয়ের প্রতি অযৌক্তিকভাবে মনোযোগ দেওয়া, যার ফলে আমাদের আসল কাজ ও লক্ষ্য থেকে মনোযোগ সরে যায়। এটি একটি মানসিক প্রবণতা যেখানে মানুষ অপ্রয়োজনীয় নতুন ধারণা বা ট্রেন্ড অনুসরণ করতে গিয়ে তাদের প্রকৃত অগ্রাধিকার ভুলে যায়।
এই সিন্ড্রোমের লক্ষণ
১. প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শুরু করা: নতুন আইডিয়া বা সুযোগ দেখলেই সেই দিকে ঝুঁকে পড়া এবং পুরোনো প্রকল্প অসম্পূর্ণ রেখে দেওয়া। ২. একাগ্রতার অভাব: কোনো একটি কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে না পারা। ৩. সার্বক্ষণিক অস্থিরতা: মনে হতে থাকে যে অন্য কোনো নতুন কিছুই আপনার সাফল্যের চাবিকাঠি। ৪. সময়ের অপচয়: গুরুত্বপূর্ণ কাজ এড়িয়ে নতুন নতুন কাজের পেছনে সময় ব্যয় করা।
এর প্রভাব
শাইনি অবজেক্ট সিন্ড্রোমের ফলে আপনার কাজের প্রোডাক্টিভিটি কমে যেতে পারে। এটি সময়ের অপচয় ঘটায়, যা শেষ পর্যন্ত হতাশা এবং পেশাগত বা ব্যক্তিগত ব্যর্থতার দিকে নিয়ে যায়।
কীভাবে এড়ানো যায়?
১. সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ: আপনার দীর্ঘমেয়াদী এবং স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্যগুলোর প্রতি মনোযোগ দিন। ২. প্রোডাক্টিভিটি টুল ব্যবহার: টু-ডু লিস্ট এবং ক্যালেন্ডারের মতো সরঞ্জাম ব্যবহার করুন। ৩. অগ্রাধিকার নির্ধারণ: কোন কাজগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তা চিহ্নিত করুন। ৪. নিজেকে প্রশ্ন করুন: নতুন কোনো আইডিয়ায় ঝুঁকে পড়ার আগে নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, এটি কি সত্যিই আপনার জন্য উপকারী? ৫. অর্ধসমাপ্ত কাজ শেষ করুন: নতুন কিছু শুরু করার আগে পুরোনো কাজগুলো শেষ করার চেষ্টা করুন।
উপসংহার
শাইনি অবজেক্ট সিন্ড্রোম আমাদের কর্মজীবন এবং ব্যক্তিগত জীবনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই আমাদের উচিত ধৈর্য ধরে অগ্রাধিকার ঠিক করে কাজ করা। মনে রাখুন, সাফল্য একদিনে আসে না; এটি ধীর এবং ধারাবাহিক প্রচেষ্টার ফল।
1 note
·
View note
Text
পুলিশের জন্য ভারত থেকে আনা হচ্ছে নিম্নমানের গাড়ি, ব্যাপক সমালোচনা
ছাত্র-জনতা গণহত্যার অভিযোগ মাথায় নিয়ে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারী হাসিনার আশ্রয়দাতা দেশ ভারত থেকে বাংলাদেশ পুলিশের জন্য নিম্নমানের মাহিন্��্রা গাড়ি আমদানি করায় সমালোচনার ঝড় বইছে। পুলিশের কাজে গতিশীলতা বাড়ানোর নামে তৃতীয় গ্রেডের এই গাড়িগুলো ক্রয় করা কে কেবলই অর্থের অপচয় হিসেবে দেখছেন নেটিজেনরা। পুলিশের কাজে গতি বাড়া তো দূরের কথা লক্কড়ঝক্কড় এসব গাড়ি আমদানি করা হলে আধুনিক বিশ্বে সেবার মানের…
0 notes
Link
বেশ কিছু প্রকল্প অন্তবর্তী সরকার এর মেয়াদে শে
0 notes
Text
ইসলামের দৃষ্টিতে সময়ের সঠিক ব্যবহার: জীবিকা, পরিবার ও বন্ধুত্বের গুরুত্ব
জীবিকা অর্জন করা, পরিবারের সাথে সময় কাটানো, এবং বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা ইসলামের দৃষ্টিতে সময়ের অপচয় নয়, বরং এসব কাজের পেছনে নিয়ত সঠিক হলে সেগুলো ইবাদতের সমতুল্য হতে পারে। ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা, যা জীবনের প্রতিটি দিককে গুরুত্ব দিয়েছে এবং ভারসাম্য রক্ষা করার উপর জোর দিয়েছে। কিছু বিষয় আছে যা আপনার প্রশ্নের উত্তর পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে: 1. জীবিকা অর্জন করা: জীবিকা…
0 notes
Text
জাতীয় মসজিদে নতুন খতীব।জুমুআর বয়ান।
youtube
সুখ পাওয়ার আমল
youtube
youtube
ভরসা যেন রাখি একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার উপর
youtube
সুখের দিন দীর্ঘস্থায়ী রাখতে মুমিনের দোয়া
youtube
সুখের দিন দীর্ঘস্থায়ী রাখতে মুমিনের দোয়া
মানুষের জীবন আবর্তনশীল। জীবন কখনো খুশিতে উদ্বেলিত, আবার কখনো দুঃখের ভারে জর্জরিত। আবর্তনশীল জীবনে মুমিন সুদিনে প্রস্তুত হয় দুর্দিনের জন্য। সে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা, সম্পদের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ও সংযত জীবনযাপনের মাধ্যমে সুদিন ধরে রাখার চেষ্ট করে।
সুদিন দীর্ঘস্থায়ী করতে ইসলামের নির্দেশনা নিম্নরূপ :
১. সুদিন আমার অর্জন নয় : মুমিন বান্দা সুদিনকে আল্লাহর অনুগ্রহ জ্ঞান করে। সুসময়কে নিজের উপার্জন মনে করে না। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমিই তাদের মধ্যে তাদের জীবিকা বণ্টন করি, পার্থিব জীবনে এবং একজনকে অপরের ওপর মর্যাদায় উন্নত করি, যাতে একে অপরের দ্বারা কাজ করিয়ে নিতে পারে...।’ (সুরা : জুখরুফ, আয়াত : ৩২)
২. আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা : যেহেতু মুমিন বিশ্বাস করে, সুদিন আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ, তাই সে সর্বদা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকে।
বস্তুত এর মাধ্যমে সে নিজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, তোমাদের প্রতিপালক ঘোষণা করেন, তোমরা কৃতজ্ঞ হলে তোমাদেরকে অবশ্যই অধিক দেব আর অকৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই আমার শাস্তি হবে কঠোর।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ৭)
৩. সামর্থ্য অনুযায়ী জীবনযাপন : মুমিন সুদিনেও নিজের জীবনধারাকে সামর্থ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে। সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে জীবনকে বোঝা করে তোলে না।
তার জীবনে থাকে আল্লাহর অনুগ্রহের বহিঃপ্রকাশ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘���ুমি তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের কথা জানিয়ে দাও।’ (সুরা : দুহা, আয়াত : ১১)
৪. সম্পদের সঠিক ব্যবহার : মুমিন সুদিনে অপচয় ও অপব্যয় পরিহার করে সম্পদ আগামীর জন্য সংরক্ষণ করে। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তোমরা খাও ও পান করো; অপচয় কোরো না।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৩১)
৫. সংযত জীবন : সুদিন মুমিনকে অসংযত করে না। ফলে তার জীবন হয় বিনীত। কেননা সে আল্লাহর এই হুঁশিয়ারি ভুলে যায় না—‘কত জনপদকে আমি ধ্বংস করেছি, যার বাসিন্দারা নিজেদের ভোগ-সম্পদের দম্ভ করত। এগুলোই তো তাদের ঘরবাড়ি, তাদের পর এগুলোতে লোকজন সামান্যই বসবাস করেছে।’ (সুরা : কাসাস, আয়াত : ৫৮)
৬. ভালো কাজে জীবনের সমৃদ্ধি : মুমিন সুদিনে উদার মনে ভালো কাজে ব্যয় করে। কল্যাণের কাজে অর্থ ব্যয় সম্পদের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘কে সে, যে আল্লাহকে কর্জে হাসানা প্রদান করবে? তিনি তার জন্য এটা বহু গুণে বৃদ্ধি করবেন।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৪৫)
৭. অন্যের জীবন সুন্দর করা : মুমিন যখন সুদিন লাভ করে, তখন সে অন্যের জীবনও সুন্দর করার চিন্তা করে; বিশেষত আপনজন ও প্রতিবেশীদের ভেতর যারা পিছিয়ে থাকে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আত্মীয়-স্বজনকে দেবে তার প্রাপ্য এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও এবং কিছুতেই অপব্যয় কোরো না।’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ২৬)
৮. সুদিনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা : সুদিনে মুমিন এমন কাজ থেকে বিরত থাকবে, যাতে সম্পদ নষ্ট হয় এবং যা মানুষের জীবনে দুশ্চিন্তার কারণ হয়। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তোমাদের সম্পদ, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য উপজীবিকা করেছেন তা নির্বোধ মালিকদের হাতে অর্পণ কোরো না।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৫)
৯. সুদিন ধরে রাখতে দোয়া করা : মুমিন সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য ও সচ্ছলতা ধরে রাখতে আল্লাহর কাছে দোয়া করে। সে প্রার্থনা করে,
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দাও এবং পরকালে কল্যাণ দাও। আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করো।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২০১)
১০. পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা : সুদিন ও সচ্ছলতার সময় পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা যতটা সহজ, দুর্দিনে তা ততটা সহজ নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যা ভালোবাসো তা থেকে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনো পুণ্য লাভ করবে না। তোমরা যা কিছু ব্যয় করো আল্লাহ অবশ্যই সে সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৯২)
আল্লাহ সবাইকে তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়ার তাওফিক দিন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
সুখ পাওয়ার আমল
সুখ পাওয়ার প্রক্রিয়া
The Process of Getting Happiness
সুখ
Happiness
0 notes
Text
জাতীয় মসজিদে নতুন খতীব।জুমুআর বয়ান।
youtube
সুখ পাওয়ার আমল
youtube
youtube
ভরসা যেন রাখি একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার উপর
youtube
সুখের দিন দীর্ঘস্থায়ী রাখতে মুমিনের দোয়া
youtube
সুখের দিন দীর্ঘস্থায়ী রাখতে মুমিনের দোয়া
মানুষের জীবন আবর্তনশীল। জীবন কখনো খুশিতে উদ্বেলিত, আবার কখনো দুঃখের ভারে জর্জরিত। আবর্তনশীল জীবনে মুমিন সুদিনে প্রস্তুত হয় দুর্দিনের জন্য। সে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা, সম্পদের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ও সংযত জীবনযাপনের মাধ্যমে সুদিন ধরে রাখার চেষ্ট করে।
সুদিন দীর্ঘস্থায়ী করতে ইসলামের নির্দেশনা নিম্নরূপ :
১. সুদিন আমার অর্জন নয় : মুমিন বান্দা সুদিনকে আল্লাহর অনুগ্রহ জ্ঞান করে। সুসময়কে নিজের উপার্জন মনে করে না। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমিই তাদের মধ্যে তাদের জীবিকা বণ্টন করি, পার্থিব জীবনে এবং একজনকে অপরের ওপর মর্যাদায় উন্নত করি, যাতে একে অপরের দ্বারা কাজ করিয়ে নিতে পারে...।’ (সুরা : জুখরুফ, আয়াত : ৩২)
২. আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা : যেহেতু মুমিন বিশ্বাস করে, সুদিন আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ, তাই সে সর্বদা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকে।
বস্তুত এর মাধ্যমে সে নিজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, তোমাদের প্রতিপালক ঘোষণা করেন, তোমরা কৃতজ্ঞ হলে তোমাদেরকে অবশ্যই অধিক দেব আর অকৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই আমার শাস্তি হবে কঠোর।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ৭)
৩. সামর্থ্য অনুযায়ী জীবনযাপন : মুমিন সুদিনেও নিজের জীবনধারাকে সামর্থ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে। সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে জীবনকে বোঝা করে তোলে না।
তার জীবনে থাকে আল্লাহর অনুগ্রহের বহিঃপ্রকাশ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের কথা জানিয়ে দাও।’ (সুরা : দুহা, আয়াত : ১১)
৪. সম্পদের সঠিক ব্যবহার : মুমিন সুদিনে অপচয় ও অপব্যয় পরিহার করে সম্পদ আগামীর জন্য সংরক্ষণ করে। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তোমরা খাও ও পান করো; অপচয় কোরো না।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৩১)
৫. সংযত জীবন : সুদিন মুমিনকে অসংযত করে না। ফলে তার জীবন হয় বিনীত। কেননা সে আল্লাহর এই হুঁশিয়ারি ভুলে যায় না—‘কত জনপদকে আমি ধ্বংস করেছি, যার বাসিন্দারা নিজেদের ভোগ-সম্পদের দম্ভ করত। এগুলোই তো তাদের ঘরবাড়ি, তাদের পর এগুলোতে লোকজন সামান্যই বসবাস করেছে।’ (সুরা : কাসাস, আয়াত : ৫৮)
৬. ভালো কাজে জীবনের সমৃদ্ধি : মুমিন সুদিনে উদার মনে ভালো কাজে ব্যয় করে। কল্যাণের কাজে অর্থ ব্যয় সম্পদের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘কে সে, যে আল্লাহকে কর্জে হাসানা প্রদান করবে? তিনি তার জন্য এটা বহু গুণে বৃদ্ধি করবেন।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৪৫)
৭. অন্যের জীবন সুন্দর করা : মুমিন যখন সুদিন লাভ করে, তখন সে অন্যের জীবনও সুন্দর করার চিন্তা করে; বিশেষত আপনজন ও প্রতিবেশীদের ভেতর যারা পিছিয়ে থাকে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আত্মীয়-স্বজনকে দেবে তার প্রাপ্য এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও এবং কিছুতেই অপব্যয় কোরো না।’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ২৬)
৮. সুদিনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা : সুদিনে মুমিন এমন কাজ থেকে বিরত থাকবে, যাতে সম্পদ নষ্ট হয় এবং যা মানুষের জীবনে দুশ্চিন্তার কারণ হয়। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তোমাদের সম্পদ, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য উপজীবিকা করেছেন তা নির্বোধ মালিকদের হাতে অর্পণ কোরো না।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৫)
৯. সুদিন ধরে রাখতে দোয়া করা : মুমিন সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য ও সচ্ছলতা ধরে রাখতে আল্লাহর কাছে দোয়া করে। সে প্রার্থনা করে,
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দাও এবং পরকালে কল্যাণ দাও। আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করো।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২০১)
১০. পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা : সুদিন ও সচ্ছলতার সময় পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা যতটা সহজ, দুর্দিনে তা ততটা সহজ নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যা ভালোবাসো তা থেকে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনো পুণ্য লাভ করবে না। তোমরা যা কিছু ব্যয় করো আল্লাহ অবশ্যই সে সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৯২)
আল্লাহ সবাইকে তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়ার তাওফিক দিন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
সুখ পাওয়ার আমল
সুখ পাওয়ার প্রক্রিয়া
The Process of Getting Happiness
সুখ
Happiness
0 notes
Text
জাতীয় মসজিদে নতুন খতীব।জুমুআর বয়ান।
youtube
সুখ পাওয়ার আমল
youtube
youtube
ভরসা যেন রাখি একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার উপর
youtube
সুখের দিন দীর্ঘস্থায়ী রাখতে মুমিনের দোয়া
youtube
সুখের দিন দীর্ঘস্থায়ী রাখতে মুমিনের দোয়া
মানুষের জীবন আবর্তনশীল। জীবন কখনো খুশিতে উদ্বেলিত, আবার কখনো দুঃখের ভারে জর্জরিত। আবর্তনশীল জীবনে মুমিন সুদিনে প্রস্তুত হয় দুর্দিনের জন্য। সে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা, সম্পদের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ও সংযত জীবনযাপনের মাধ্যমে সুদিন ধরে রাখার চেষ্ট করে।
সুদিন দীর্ঘস্থায়ী করতে ইসলামের নির্দেশনা নিম্নরূপ :
১. সুদিন আমার অর্জন নয় : মুমিন বান্দা সুদিনকে আল্লাহর অনুগ্রহ জ্ঞান করে। সুসময়কে নিজের উপার্জন মনে করে না। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমিই তাদের মধ্যে তাদের জীবিকা বণ্টন করি, পার্থিব জীবনে এবং একজনকে অপরের ওপর মর্যাদায় উন্নত করি, যাতে একে অপরের দ্বারা কাজ করিয়ে নিতে পারে...।’ (সুরা : জুখরুফ, আয়াত : ৩২)
২. আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা : যেহেতু মুমিন বিশ্বাস করে, সুদিন আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ, তাই সে সর্বদা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকে।
বস্তুত এর মাধ্যমে সে নিজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, তোমাদের প্রতিপালক ঘোষণা করেন, তোমরা কৃতজ্ঞ হলে তোমাদেরকে অবশ্যই অধিক দেব আর অকৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই আমার শাস্তি হবে কঠোর।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ৭)
৩. সামর্থ্য অনুযায়ী জীবনযাপন : মুমিন সুদিনেও নিজের জীবনধারাকে সামর্থ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে। সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে জীবনকে বোঝা করে তোলে না।
তার জীবনে থাকে আল্লাহর অনুগ্রহের বহিঃপ্রকাশ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের কথা জানিয়ে দাও।’ (সুরা : দুহা, আয়াত : ১১)
৪. সম্পদের সঠিক ব্যবহার : মুমিন সুদিনে অপচয় ও অপব্যয় পরিহার করে সম্পদ আগামীর জন্য সংরক্ষণ করে। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তোমরা খাও ও পান করো; অপচয় কোরো না।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৩১)
৫. সংযত জীবন : সুদিন মুমিনকে অসংযত করে না। ফলে তার জীবন হয় বিনীত। কেননা সে আল্লাহর এই হুঁশিয়ারি ভুলে যায় না—‘কত জনপদকে আমি ধ্বংস করেছি, যার বাসিন্দারা নিজেদের ভোগ-সম্পদের দম্ভ করত। এগুলোই তো তাদের ঘরবাড়ি, তাদের পর এগুলোতে লোকজন সামান্যই বসবাস করেছে।’ (সুরা : কাসাস, আয়াত : ৫৮)
৬. ভালো কাজে জীবনের সমৃদ্ধি : মুমিন সুদিনে উদার মনে ভালো কাজে ব্যয় করে। কল্যাণের কাজে অর্থ ব্যয় সম্পদের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘কে সে, যে আল্লাহকে কর্জে হাসানা প্রদান করবে? তিনি তার জন্য এটা বহু গুণে বৃদ্ধি করবেন।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৪৫)
৭. অন্যের জীবন সুন্দর করা : মুমিন যখন সুদিন লাভ করে, তখন সে অন্যের জীবনও সুন্দর করার চিন্তা করে; বিশেষত আপনজন ও প্রতিবেশীদের ভেতর যারা পিছিয়ে থাকে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আত্মীয়-স্বজনকে দেবে তার প্রাপ্য এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও এবং কিছুতেই অপব্যয় কোরো না।’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ২৬)
৮. সুদিনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা : সুদিনে মুমিন এমন কাজ থেকে বিরত থাকবে, যাতে সম্পদ নষ্ট হয় এবং যা মানুষের জীবনে দুশ্চিন্তার কারণ হয়। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তোমাদের সম্পদ, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য উপজীবিকা করেছেন তা নির্বোধ মালিকদের হাতে অর্পণ কোরো না।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৫)
৯. সুদিন ধরে রাখতে দোয়া করা : মুমিন সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য ও সচ্ছলতা ধরে রাখতে আল্লাহর কাছে দোয়া করে। সে প্রার্থনা করে,
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দাও এবং পরকালে কল্যাণ দাও। আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করো।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২০১)
১০. পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা : সুদিন ও সচ্ছলতার সময় পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা যতটা সহজ, দুর্দিনে তা ততটা সহজ নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যা ভালোবাসো তা থেকে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনো পুণ্য লাভ করবে না। তোমরা যা কিছু ব্যয় করো আল্লাহ অবশ্যই সে সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৯২)
আল্লাহ সবাইকে তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়ার তাওফিক দিন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
সুখ পাওয়ার আমল
সুখ পাওয়ার প্রক্রিয়া
The Process of Getting Happiness
সুখ
Happiness
0 notes
Text
জাতীয় মসজিদে নতুন খতীব।জুমুআর বয়ান।
youtube
সুখ পাওয়ার আমল
youtube
youtube
ভরসা যেন রাখি একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার উপর
youtube
সুখের দিন দীর্ঘস্থায়ী রাখতে মুমিনের দোয়া
youtube
সুখের দিন দীর্ঘস্থায়ী রাখতে মুমিনের দোয়া
মানুষের জীবন আবর্তনশীল। জীবন কখনো খুশিতে উদ্বেলিত, আবার কখনো দুঃখের ভারে জর্জরিত। আবর্তনশীল জীবনে মুমিন সুদিনে প্রস্তুত হয় দুর্দিনের জন্য। সে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা, সম্পদের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ও সংযত জীবনযাপনের মাধ্যমে সুদিন ধরে রাখার চেষ্ট করে।
সুদিন দীর্ঘস্থায়ী করতে ইসলামের নির্দেশনা নিম্নরূপ :
১. সুদিন আমার অর্জন নয় : মুমিন বান্দা সুদ���নকে আল্লাহর অনুগ্রহ জ্ঞান করে। সুসময়কে নিজের উপার্জন মনে করে না। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমিই তাদের মধ্যে তাদের জীবিকা বণ্টন করি, পার্থিব জীবনে এবং একজনকে অপরের ওপর মর্যাদায় উন্নত করি, যাতে একে অপরের দ্বারা কাজ করিয়ে নিতে পারে...।’ (সুরা : জুখরুফ, আয়াত : ৩২)
২. আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা : যেহেতু মুমিন বিশ্বাস করে, সুদিন আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ, তাই সে সর্বদা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকে।
বস্তুত এর মাধ্যমে সে নিজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, তোমাদের প্রতিপালক ঘোষণা করেন, তোমরা কৃতজ্ঞ হলে তোমাদেরকে অবশ্যই অধিক দেব আর অকৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই আমার শাস্তি হবে কঠোর।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ৭)
৩. সামর্থ্য অনুযায়ী জীবনযাপন : মুমিন সুদিনেও নিজের জীবনধারাকে সামর্থ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে। সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে জীবনকে বোঝা করে তোলে না।
তার জীবনে থাকে আল্লাহর অনুগ্রহের বহিঃপ্রকাশ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের কথা জানিয়ে দাও।’ (সুরা : দুহা, আয়াত : ১১)
৪. সম্পদের সঠিক ব্যবহার : মুমিন সুদিনে অপচয় ও অপব্যয় পরিহার করে সম্পদ আগামীর জন্য সংরক্ষণ করে। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তোমরা খাও ও পান করো; অপচয় কোরো না।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৩১)
৫. সংযত জীবন : সুদিন মুমিনকে অসংযত করে না। ফলে তার জীবন হয় বিনীত। কেননা সে আল্লাহর এই হুঁশিয়ারি ভুলে যায় না—‘কত জনপদকে আমি ধ্বংস করেছি, যার বাসিন্দারা নিজেদের ভোগ-সম্পদের দম্ভ করত। এগুলোই তো তাদের ঘরবাড়ি, তাদের পর এগুলোতে লোকজন সামান্যই বসবাস করেছে।’ (সুরা : কাসাস, আয়াত : ৫৮)
৬. ভালো কাজে জীবনের সমৃদ্ধি : মুমিন সুদিনে উদার মনে ভালো কাজে ব্যয় করে। কল্যাণের কাজে অর্থ ব্যয় সম্পদের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘কে সে, যে আল্লাহকে কর্জে হাসানা প্রদান করবে? তিনি তার জন্য এটা বহু গুণে বৃদ্ধি করবেন।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৪৫)
৭. অন্যের জীবন সুন্দর করা : মুমিন যখন সুদিন লাভ করে, তখন সে অন্যের জীবনও সুন্দর করার চিন্তা করে; বিশেষত আপনজন ও প্রতিবেশীদের ভেতর যারা পিছিয়ে থাকে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আত্মীয়-স্বজনকে দেবে তার প্রাপ্য এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও এবং কিছুতেই অপব্যয় কোরো না।’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ২৬)
৮. সুদিনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা : সুদিনে মুমিন এমন কাজ থেকে বিরত থাকবে, যাতে সম্পদ নষ্ট হয় এবং যা মানুষের জীবনে দুশ্চিন্তার কারণ হয়। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তোমাদের সম্পদ, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য উপজীবিকা করেছেন তা নির্বোধ মালিকদের হাতে অর্পণ কোরো না।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৫)
৯. সুদিন ধরে রাখতে দোয়া করা : মুমিন সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য ও সচ্ছলতা ধরে রাখতে আল্লাহর কাছে দোয়া করে। সে প্রার্থনা করে,
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দাও এবং পরকালে কল্যাণ দাও। আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করো।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২০১)
১০. পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা : সুদিন ও সচ্ছলতার সময় পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা যতটা সহজ, দুর্দিনে তা ততটা সহজ নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যা ভালোবাসো তা থেকে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনো পুণ্য লাভ করবে না। তোমরা যা কিছু ব্যয় করো আল্লাহ অবশ্যই সে সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৯২)
আল্লাহ সবাইকে তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়ার তাওফিক দিন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
সুখ পাওয়ার আমল
সুখ পাওয়ার প্রক্রিয়া
The Process of Getting Happiness
সুখ
Happiness
0 notes
Text
জাতীয় মসজিদে নতুন খতীব।জুমুআর বয়ান।
youtube
সুখ পাওয়ার আমল
youtube
youtube
ভরসা যেন রাখি একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার উপর
youtube
সুখের দিন দীর্ঘস্থায়ী রাখতে মুমিনের দোয়া
youtube
সুখের দিন দীর্ঘস্থায়ী রাখতে মুমিনের দোয়া
মানুষের জীবন আবর্তনশীল। জীবন কখনো খুশিতে উদ্বেলিত, আবার কখনো দুঃখের ভারে জর্জরিত। আবর্তনশীল জীবনে মুমিন সুদিনে প্রস্তুত হয় দুর্দিনের জন্য। সে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা, সম্পদের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ও সংযত জীবনযাপনের মাধ্যমে সুদিন ধরে রাখার চেষ্ট করে।
সুদিন দীর্ঘস্থায়ী করতে ইসলামের নির্দেশনা নিম্নরূপ :
১. সুদিন আমার অর্জন নয় : মুমিন বান্দা সুদিনকে আল্লাহর অনুগ্রহ জ্ঞান করে। সুসময়কে নিজের উপার্জন মনে করে না। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমিই তাদের মধ্যে তাদের জীবিকা বণ্টন করি, পার্থিব জীবনে এবং একজনকে অপরের ওপর মর্যাদায় উন্নত করি, যাতে একে অপরের দ্বারা কাজ করিয়ে নিতে পারে...।’ (সুরা : জুখরুফ, আয়াত : ৩২)
২. আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা : যেহেতু মুমিন বিশ্বাস করে, সুদিন আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ, তাই সে সর্বদা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকে।
বস্তুত এর মাধ্যমে সে নিজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, তোমাদের প্রতিপালক ঘোষণা করেন, তোমরা কৃতজ্ঞ হলে তোমাদেরকে অবশ্যই অধিক দেব আর অকৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই আমার শাস্তি হবে কঠোর।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ৭)
৩. সামর্থ্য অনুযায়ী জীবনযাপন : মুমিন সুদিনেও নিজের জীবনধারাকে সামর্থ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে। সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে জীবনকে বোঝা করে তোলে না।
তার জীবনে থাকে আল্লাহর অনুগ্রহের বহিঃপ্রকাশ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের কথা জানিয়ে দাও।’ (সুরা : দুহা, আয়াত : ১১)
৪. সম্পদের সঠিক ব্যবহার : মুমিন সুদিনে অপচয় ও অপব্যয় পরিহার করে সম্পদ আগামীর জন্য সংরক্ষণ করে। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তোমরা খাও ও পান করো; অপচয় কোরো না।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৩১)
৫. সংযত জীবন : সুদিন মুমিনকে অসংযত করে না। ফলে তার জীবন হয় বিনীত। কেননা সে আল্লাহর এই হুঁশিয়ারি ভুলে যায় না—‘কত জনপদকে আমি ধ্বংস করেছি, যার বাসিন্দারা নিজেদের ভোগ-সম্পদের দম্ভ করত। এগুলোই তো তাদের ঘরবাড়ি, তাদের পর এগুলোতে লোকজন সামান্যই বসবাস করেছে।’ (সুরা : কাসাস, আয়াত : ৫৮)
৬. ভালো কাজে জীবনের সমৃদ্ধি : মুমিন সুদিনে উদার মনে ভালো কাজে ব্যয় করে। কল্যাণের কাজে অর্থ ব্যয় সম্পদের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘কে সে, যে আল্লাহকে কর্জে হাসানা প্রদান করবে? তিনি তার জন্য এটা বহু গুণে বৃদ্ধি করবেন।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৪৫)
৭. অন্যের জীবন সুন্দর করা : মুমিন যখন সুদিন লাভ করে, তখন সে অন্যের জীবনও সুন্দর করার চিন্তা করে; বিশেষত আপনজন ও প্রতিবেশীদের ভেতর যারা পিছিয়ে থাকে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আত্মীয়-স্বজনকে দেবে তার প্রাপ্য এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও এবং কিছুতেই অপব্যয় কোরো না।’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ২৬)
৮. সুদিনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা : সুদিনে মুমিন এমন কাজ থেকে বিরত থাকবে, যাতে সম্পদ নষ্ট হয় এবং যা মানুষের জীবনে দুশ্চিন্তার কারণ হয়। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তোমাদের সম্পদ, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য উপজীবিকা করেছেন তা নির্বোধ মালিকদের হাতে অর্পণ কোরো না।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৫)
৯. সুদিন ধরে রাখতে দোয়া করা : মুমিন সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য ও সচ্ছলতা ধরে রাখতে আল্লাহর কাছে দোয়া করে। সে প্রার্থনা করে,
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দাও এবং পরকালে কল্যাণ দাও। আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করো।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২০১)
১০. পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা : সুদিন ও সচ্ছলতার সময় পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা যতটা সহজ, দুর্দিনে তা ততটা সহজ নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যা ভালোবাসো তা থেকে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনো পুণ্য লাভ করবে না। তোমরা যা কিছু ব্যয় করো আল্লাহ অবশ্যই সে সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৯২)
আল্লাহ সবাইকে তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়ার তাওফিক দিন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
সুখ পাওয়ার আমল
সুখ পাওয়ার প্রক্রিয়া
The Process of Getting Happiness
0 notes
Text
জাতীয় মসজিদে নতুন খতীব।জুমুআর বয়ান।
youtube
সুখ পাওয়ার আমল
youtube
youtube
ভরসা যেন রাখি একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার উপর
youtube
সুখের দিন দীর্ঘস্থায়ী রাখতে মুমিনের দোয়া
youtube
সুখের দিন দীর্ঘস্থায়ী রাখতে মুমিনের দোয়া
মানুষের জীবন আবর্তনশীল। জীবন কখনো খুশিতে উদ্বেলিত, আবার কখনো দুঃখের ভারে জর্জরিত। আবর্তনশীল জীবনে মুমিন সুদিনে প্রস্তুত হয় দুর্দিনের জন্য। সে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা, সম্পদের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ও সংযত জীবনযাপনের মাধ্যমে সুদিন ধরে রাখার চেষ্ট করে।
সুদিন দীর্ঘস্থায়ী করতে ইসলামের নির্দেশনা নিম্নরূপ :
১. সুদিন আমার অর্জন নয় : মুমিন বান্দা সুদিনকে আল্লাহর অনুগ্রহ জ্ঞান করে। সুসময়কে নিজের উপার্জন মনে করে না। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমিই তাদের মধ্যে তাদের জীবিকা বণ্টন করি, পার্থিব জীবনে এবং একজনকে অপরের ওপর মর্যাদায় উন্নত করি, যাতে একে অপরের দ্বারা কাজ করিয়ে নিতে পারে...।’ (সুরা : জুখরুফ, আয়াত : ৩২)
২. আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা : যেহেতু মুমিন বিশ্বাস করে, সুদিন আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ, তাই সে সর্বদা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকে।
বস্তুত এর মাধ্যমে সে নিজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, তোমাদের প্রতিপালক ঘোষণা করেন, তোমরা কৃতজ্ঞ হলে তোমাদেরকে অবশ্যই অধিক দেব আর অকৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই আমার শাস্তি হবে কঠোর।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ৭)
৩. সামর্থ্য অনুযায়ী জীবনযাপন : মুমিন সুদিনেও নিজের জীবনধারাকে সামর্থ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে। সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে জীবনকে বোঝা করে তোলে না।
তার জীবনে থাকে আল্লাহর অনুগ্রহের বহিঃপ্রকাশ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের কথা জানিয়ে দাও।’ (সুরা : দুহা, আয়াত : ১১)
৪. সম্পদের সঠিক ব্যবহার : মুমিন সুদিনে অপচয় ও অপব্যয় পরিহার করে সম্পদ আগামীর জন্য সংরক্ষণ করে। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তোমরা খাও ও পান করো; অপচয় কোরো না।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৩১)
৫. সংযত জীবন : সুদিন মুমিনকে অসংযত করে না। ফলে তার জীবন হয় বিনীত। কেননা সে আল্লাহর এই হুঁশিয়ারি ভুলে যায় না—‘কত জনপদকে আমি ধ্বংস করেছি, যার বাসিন্দারা নিজেদের ভোগ-সম্পদের দম্ভ করত। এগুলোই তো তাদের ঘরবাড়ি, তাদের পর এগুলোতে লোকজন সামান্যই বসবাস করেছে।’ (সুরা : কাসাস, আয়াত : ৫৮)
৬. ভালো কাজে জীবনের সমৃদ্ধি : মুমিন সুদিনে উদার মনে ভালো কাজে ব্যয় করে। কল্যাণের কাজে অর্থ ব্যয় সম্পদের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘কে সে, যে আল্লাহকে কর্জে হাসানা প্রদান করবে? তিনি তার জন্য এটা বহু গুণে বৃদ্ধি করবেন।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৪৫)
৭. অন্যের জীবন সুন্দর করা : মুমিন যখন সুদিন লাভ করে, তখন সে অন্যের জীবনও সুন্দর করার চিন্তা করে; বিশেষত আপনজন ও প্রতিবেশীদের ভেতর যারা পিছিয়ে থাকে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আত্মীয়-স্বজনকে দেবে তার প্রাপ্য এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও এবং কিছুতেই অপব্যয় কোরো না।’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ২৬)
৮. সুদিনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা : সুদিনে মুমিন এমন কাজ থেকে বিরত থাকবে, যাতে সম্পদ নষ্ট হয় এবং যা মানুষের জীবনে দুশ্চিন্তার কারণ হয়। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তোমাদের সম্পদ, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য উপজীবিকা করেছেন তা নির্বোধ মালিকদের হাতে অর্পণ কোরো না।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৫)
৯. সুদিন ধরে রাখতে দোয়া করা : মুমিন সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য ও সচ্ছলতা ধরে রাখতে আল্লাহর কাছে দোয়া করে। সে প্রার্থনা করে,
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দাও এবং পরকালে কল্যাণ দাও। আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করো।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২০১)
১০. পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা : সুদিন ও সচ্ছলতার সময় পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা যতটা সহজ, দুর্দিনে তা ততটা সহজ নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যা ভালোবাসো তা থেকে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনো পুণ্য লাভ করবে না। তোমরা যা কিছু ব্যয় করো আল্লাহ অবশ্যই সে সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৯২)
আল্লাহ সবাইকে তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়ার তাওফিক দিন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
সুখ পাওয়ার আমল
সুখ পাওয়ার প্রক্রিয়া
The Process of Getting Happiness
Happiness
0 notes