#অদ্ভুত চিকিৎসা
Explore tagged Tumblr posts
Text
Assalamualaikum. Do you like politics? Do you want to know anything about world politics? If you want to know updated news about world politics then you can watch my videos
. This video is currently available on youtube. –https://youtu.be/2dAS2QSd34U
This video is currently available on Facebook. - https://fb.watch/maddU5RoYF/
My YouTube Link- https://www.youtube.com/channel/UCCoZdXa-oajWPCllQLulP0g
My facebook link- https://www.facebook.com/Newsbela23
#succession#illustration#lol#health & fitness#beauty#technology#funny#InShot#কম্বল বাবার চিকিৎসা#অদ্ভুত চিকিৎসা#অন্ধ বিশ্বাস ও কুসংস্কার#আধুনিক ও বিজ্ঞানের বিশ্ব#ভুল চিকিৎসায় ছয়লাপ#সঠিক রোগের সঠিক চিকিৎসা#কবিরাজি চিকিৎসা#ডাক্তারি চিকিৎসা#হোমিও চিকিৎসা#ভন্ড বাবার দরবারে#সব পাগলের খেলা#মাজার পূজারী#ভুল ধারণা#ভুয়া ডাক্তারি#টাকা ইনকামের ধান্ধা#ভেলকি বাজী#প্রতারনার ফাঁদ#অবৈধ পন্থা#আজগবি চিকিৎসা
1 note
·
View note
Text
কিভাবে অতি ক্ষুদ্র কণা দ্বারা পারস্পরিক সংঘর্ষ ঘটানো হয়?
বিশ্বের সবচেয়ে জটিল ও বিশাল প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি হলো পার্টিকেল সংঘর্ষকারী মেশিন। এটি মূলত ক্ষুদ্র পরমাণু কণার মধ্যে সংঘর্ষ ঘটিয়ে মহাবিশ্বের অজানা তথ্য উদঘাটন করার চেষ্টা করে। ফ্রান্স এবং সুইজারল্যান্ড সীমান্তে অবস্থিত এই অত্যাধুনিক মেশিন, যেটি মূলত একটি সুবিশাল টানেল, সেই মহাবিশ্বের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণাগুলোকে পরিচালনা করে। চলুন, আমরা জানি কিভাবে এই প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান মিলে এই অদ্ভুত ও জটিল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
youtube
পার্টিকেল সংঘর্ষকারী মেশিন: কীভাবে কাজ করে?
এই প্রকল্পে ব্যবহৃত টানেলটি প্রায় ১০০ মিটারের বেশি গভীরে এবং এর দৈর্ঘ্য প্রায় ২৭ কিলোমিটার। এই বিশাল আকারের টানেলের ভেতর বিজ্ঞানীরা একটি নীল রঙের নল স্থাপন করেছেন, যেটির মধ্যে আরও দুটি পাইপ রয়েছে। এই পাইপগুলোর মধ্য দিয়ে বিজ্ঞানীরা ক্ষুদ্র কণা, যেমন প্রোটন, বিপরীত দিক থেকে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে পাঠান।
কণা সংঘর্ষের বিজ্ঞান
প্রোটন বা পরমাণুর চেয়েও ছোট কণাগুলোকে বিপরীত দিক থেকে নিক্ষেপ করা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে কণাগুলোর গতি ধীরে শুরু হয়, কিন্তু ধীরে ধীরে তা বাড়িয়ে আলো বা লাইটের গতির সমান পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়। যখন এই কণাগুলো সংঘর্ষ ঘটায়, তখন বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হন, যা মহাবিশ্বের জন্ম থেকে শুরু করে এর বর্তমান কাঠামো বোঝার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আসল চ্যালেঞ্জ: কিভাবে সংঘর্ষ ঘটানো হয়?
একটি ছোট্ট উদাহরণ দিলে বুঝতে সহজ হয়, ধরুন, আপনি দূর থেকে একটি ছোট্ট লবণের দানা আরেকজনের দিকে ছুঁড়ছেন, এবং আপনার লক্ষ্য হলো তাদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটানো। এই কাজটা যে কতটা কঠিন হতে পারে, তা সহজেই অনুমান করা যায়। বিজ্ঞানীরা ঠিক এই কাজটিই করেন, কিন্তু তারা একবারে কয়েক বিলিয়ন প্রোটন কণা ছোঁড়েন। বিপরীত দিক থেকে ১০০ বিলিয়ন প্রোটন কণা নিক্ষেপ করা হয় এবং এর মধ্যে খুব কমসংখ্যক সংঘর্ষ ঘটে।
বিজ্ঞানীদের অনুমান অনুযায়ী, বিপরীত দিক থেকে ১০০ বিলিয়ন বনাম ১০০ বিলিয়ন প্রোটন নিক্ষেপ করলে মাত্র ৬০ বার সংঘর্ষ ঘটে। এ কারণেই বিজ্ঞানীরা এই প্রক্রিয়া বারবার পুনরাবৃত্তি করে, যা প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩০ মিলিয়ন বার ঘটে।
কী ধরণের তথ্য পাওয়া যায়?
এই সংঘর্ষ থেকে উদ্ভূত তথ্য ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের মৌলিক উপাদান, অদৃশ্য শক্তি ও প���ার্থের গঠন, এমনকি বিগ ব্যাং-এর পরবর্তী মুহূর্ত সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা পেতে সক্ষম হন। তাদের গবেষণার লক্ষ্য হলো মহাবিশ্বের আদি মুহূর্তগুলোর বোধগম্যতা এবং পদার্থের প্রাথমিক অবস্থান বোঝা।
ভবিষ্যতের গবেষণা ও সম্ভাবনা
এই পার্টিকেল সংঘর্ষের মেশিন আমাদের ভবিষ্যতের গবেষণায় অভাবনীয় সম্ভাবনা তৈরি করেছে। মহাকর্ষ শক্তি, ডার্ক ম্যাটার এবং এমনকি সময়ের ধারণা সম্পর্কেও আরো বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হওয়া যাবে। এই প্রযুক্তি শুধু পদার্থবিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতায় নয়, জীববিজ্ঞান, চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও বিশাল অবদান রাখতে পারে।
উপসংহার
বিজ্ঞানীরা ছোট ছোট কণার মধ্যে সংঘর্ষ ঘটিয়ে বিশাল জ্ঞান সংগ্রহ করে চলেছেন, যা মানবজাতির উন্নতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পার্টিকেল সংঘর্ষকারী প্রযুক্তি বৈজ্ঞানিক জগতে এক বিস্ময়কর উদ্ভাবন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই গবেষণার ফলে আমাদের মহাবিশ্বের উদ্ভব ও তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আরও গভীরভাবে জানার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
এই বিস্ময়কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গল্পগুলো আপনার জন্য যদি আকর্ষণীয় হয়, তাহলে আমাদের সাথে থাকুন এবং আরও আশাবাদী ও শিক্ষামূলক বিজ্ঞান কাহিনী পড়তে থাকুন!
ট্যাগঃ ক্ষুদ্র কণা সংঘর্ষ, পার্টিকেল সংঘর্ষকারী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, মহাবিশ্বের গঠন, লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার, প্রোটন সংঘর্ষ, কণা ত্বরক, পদার্থবিজ্ঞান গবেষণা, বিগ ব্যাং থিওরি, আণবিক গবেষণা, কণা তত্ত্ব, মহাবিশ্বের উৎপত্তি, বিজ্ঞান ব্লগ, পরমাণু কণা গবেষণা, ডার্ক ম্যাটার গবেষণা
আরও দেখুনঃ স্প্লিন্টার কীভাবে শরীর থেকে বের হয়ে যায়: জানুন বিস্তারিত
#ক্ষুদ্র কণা সংঘর্ষ#পার্টিকেল সংঘর্ষকারী#বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি#মহাবিশ্বের গঠন#লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার#প্রোটন সংঘর্ষ#কণা ত্বরক#পদার্থবিজ্ঞান গবেষণা#বিগ ব্যাং থিওরি#আণবিক গবেষণা#কণা তত্ত্ব#মহাবিশ্বের উৎপত্তি#বিজ্ঞান ব্লগ#পরমাণু কণা গবেষণা#ডার্ক ম্যাটার গবেষণা#Youtube
0 notes
Text
Middle Class Abbayi
মিডল ক্লাস মানুষের জন্য একটা সহজ Scope হলো ভালো জীবনের আশায় দেশ থেকে বিদেশে পারি জমানো।
উন্নত বিশ্বে মধ্যবিত্তদের জীবনযাত্রার মান বাংলাদেশের তুলনায় অনেক উচ্চতর। গাড়ি, বাড়ি, শিক্ষা, চিকিৎসা, নিরাপত্তা ইত্যাদির ক্ষেত্রে তাদের অধিকতর সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
উন্নত বিশ্বে সাধারণ জীবনযাপন বাংলাদেশের মিডল ক্লাস লাইফ থেকে হাজারগুণ উন্নত।
কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়! এই সমৃদ্ধ জীবনটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আপনাকে একা উপভোগ করতে হবে। আপনার বাপ-মা, ভাই-বোন দেশে�� থাকবে।
বিদেশে পাড়ি জমানোর মিডল ক্লাস সেন্টিমেন্টের ফ্যামিলি ভ্যালু নিয়ে বড় হওয়া মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের মধ্যে একটি অদ্ভুত মানসিক দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।
একদিকে তারা উন্নত জীবনযাত্রার স্বপ্ন পূরণ করে, অন্যদিকে তারা পরিবার ও দেশের সাথে দূরত্বের কারণে অনুশোচনায় ভোগে।
তারা তাদের প্রিয়জনদের ছেড়ে যাওয়ার জন্য অনুশোচনা করে এবং তাদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য সংগ্রাম করে।
কফিতে চুমুক দিয়ে ইন্সটাগ্রাম স্টোরি দিতে প্রথম সেকেন্ডে ভাল লাগলেও, দ্বিতীয় সেকেন্ডে মনে হবে আমার আম্মা এইখানে থাকলে ভাল হইত।
থার্ড ওয়ার্ল্ড কানট্রিতে জন্ম নেয়ার মত অভিশাপ আর হয় না। আমাদের দেশ বদলে দেয়ার মত বড়বড় হ্যাডমওলা স্বপ্ন নাই।
আমরা শুধু বাপ-মা, ভাইদের নিয়ে এক সাথে একটা সুস্থ স্বাভাবিক সাধারণ জীবন চাই।
যেখানে জীবনের পাঁচটা মৌলিক চাহিদা খুব স্বাভাবিক ভাবে ফুলফিল্ড হবে।
Is it too much to ask?
0 notes
Text
"10টি আকর্ষণীয় মানব-প্রাণী ঘটনা" "10 Fascinating Human-Animal Incidents"
youtube
Here is the most incredible moments between animals and humans, unforgattble moments between animals and humans, read more.............................
Full Video Link : https://youtu.be/efDjsU8m_J4
বাংলাদেশে পশুপ্রেমীরা হল এমন এক নিবেদিতপ্রাণ এবং সহানুভূতিশীল সম্প্রদায় যাদের প্রাণীদের প্রতি গভীর অনুরাগ রয়েছে এবং তাদের কল্যাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই উত্সাহী উকিলরা ঐতিহ্যগত পোষা মালিকানার বাইরে তাদের যত্ন প্রসারিত করে, সারা দেশে প্রাণীদের জীবন উন্নত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে। বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে, তারা বিপথগামী প্রাণীদের উদ্ধার ও পুনর্বাসন করে, দায়িত্বশীল পোষা মালিকানা প্রচার করে এবং পশু অধিকার এবং নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ায়। তাদের প্রচেষ্টা শুধুমাত্র প্রাণীদের তাৎক্ষণিক চাহিদাই পূরণ করে না বরং আরও মানবিক সমাজ গঠনের বৃহত্তর লক্ষ্যে অবদান রাখে। পশু কল্যাণ সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবক এবং সহ নাগরিকদের সাথে সহযোগিতা করে, এই পশুপ্রেমীরা বাংলাদেশের পশুদের চিকিৎসায় সহানুভূতি, সহানুভূতি এবং ইতিবাচক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রাণীদের আচরণ তাদের পরিবেশ, প্রবৃত্তি এবং সামাজিক গতিশীলতার প্রতিক্রিয়া হিসাবে প্রাণীদের দ্বারা প্রদর্শিত ক্রিয়া এবং মিথস্ক্রিয়াগুলির আকর্ষণীয় পরিসরকে অন্তর্ভুক্ত করে। পাখিদের জটিল প্রেমের আচার থেকে শুরু করে শিকারীদের জটিল শিকারের কৌশল পর্যন্ত, প্রাণীদের আচরণ প্রাণীদের তাদের বাস্তুতন্ত্রে কীভাবে খাপ খায় এবং উন্নতি করে তার অন্তর্দৃষ্টি দেয়। এতে যোগাযোগ, সঙ্গম, খাওয়ানো, আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা এবং সামাজিক মিথস্ক্রিয়াগুলির মতো আচরণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রাণীর আচরণ জিনগত কারণ, শেখা অভিজ্ঞতা এবং পরিবেশগত সংকেত দ্বারা প্রভাবিত হয়, যা প্রকৃতি এবং লালনের মধ্যে জটিল ভারসাম্যকে প্রতিফলিত করে। প্রাণীদের আচরণ ��ধ্যয়ন করা প্রাণীদের বেঁচে থাকার, পুনরুত্পাদন এবং তাদের আশেপাশের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বিভিন্ন কৌশলের একটি উইন্ডো প্রদান করে, যা প্রাকৃতিক বিশ্বের জটিলতার জন্য গভীর উপলব্ধি প্রদান করে।
"মজার বিড়ালের ভিডিও" আমাদের বিড়াল সঙ্গীদের আনন্দদায়ক এবং প্রায়শই অপ্রত্যাশিত অ্যান্টিক্স ক্যাপচার করে। এই ভিডিওগুলি কৌতুকপূর্ণ এবং অদ্ভুত আচরণগুলি প্রদর্শন করে যা বিড়ালদেরকে এমন কমনীয় এবং বিনোদনমূলক পোষা প্রাণী করে তোলে৷ সীমাহীন উত্সাহের সাথে একটি পালকের খেলনার পিছনে তাড়া করা থেকে শুরু করে সাহসী লাফ দেওয়ার চেষ্টা করা যা সর্বদা পরিকল্পনা মতো হয় না, এই ভিডিওগুলি বিড়ালদের জগতে একটি হালকা আভাস দেয়৷ তারা নিজেদেরকে মজাদার দুর্দশার মধ্যে নিয়ে যাচ্ছেন বা কেবল তাদের অনন্য ব্যক্তিত্ব প্রদর্শন করছেন, মজার বিড়াল ভিডিও দর্শকদের হাসি এবং হাসি আনতে ব্যর্থ হয় না। এই ক্লিপগুলি তাদের উপাদানে বিড়ালদের পর্যবেক্ষণের আনন্দকে হাইলাইট করে, তাদের কৌতূহলী প্রকৃতি, তত্পরতা এবং আরাধ্য আইডিওসিঙ্ক্র��সিগুলি প্রকাশ করে। এমন একটি বিশ্বে যা কখনও কখনও অপ্রতিরোধ্য হতে পারে, মজার বিড়াল ভিডিওগুলি একটি আনন্দদায়ক পালানোর প্রস্তাব দেয় এবং আমাদের লোমশ বন্ধুরা আমাদের জীবনে নিয়ে আসা সাধারণ আনন্দগুলির একটি অনুস্মারক দেয়৷
কুকুর পালন, কুকুরের লালনপালন বা কুকুরের যত্ন নেওয়া নামেও পরিচিত, কুকুরকে তাদের জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে লালন-পালন করা এবং গাইড করার শিল্প এবং দায়িত্ব। এই সামগ্রিক পদ্ধতির মধ্যে কুকুরদের যথাযথ পুষ্টি, নিয়মিত ব্যায়াম, সাজসজ্জা, চিকিৎসা যত্ন এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করা জড়িত যাতে তাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করা যায়। কুকুর পালন নিছক মালিকানার বাইরে; এটি একটি অর্থপূর্ণ বন্ধন তৈরি করা এবং বিশ্বাস এবং যোগাযোগের উপর ভিত্তি করে একটি সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তোলার বিষয়ে। প্রশিক্ষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, আচরণ এবং সামাজিক দক্ষতা গঠন করে যা কুকুরকে তাদের মানব পরিবার এবং বৃহত্তর সম্প্রদায় উভয়েরই সু-সমন্বিত সদস্য হতে সাহায্য করে। কুকুর পালন হল এমন একটি যাত্রা যার জন্য ধৈর্য, ধারাবাহিকতা এবং এই অনুগত এবং স্নেহময় সঙ্গীদের জন্য অকৃত্রিম ভালবাসা প্রয়োজন। দায়িত্বশীল কুকুর পালনের মাধ্যমে, মালিকরা কেবল তাদের কুকুরের জীবনকে উন্নত করে না বরং মানুষ এবং কুকুরের মধ্যে একটি সুরেলা সহাবস্থানে অবদান রাখে।
Animal lovers in Bangladesh are a dedicated and compassionate community of individuals who have a profound affinity for animals and are committed to their welfare. These passionate advocates extend their care beyond traditional pet ownership, working tirelessly to improve the lives of animals across the country. Through various initiatives, they rescue and rehabilitate stray animals, promote responsible pet ownership, and raise awareness about animal rights and cruelty prevention. Their efforts not only address the immediate needs of animals but also contribute to the larger goal of creating a more humane society. Collaborating with animal welfare organizations, volunteers, and fellow citizens, these animal lovers play a vital role in fostering empathy, compassion, and positive change in Bangladesh's treatment of animals.
Animal behavior encompasses the fascinating range of actions and interactions exhibited by animals in response to their environment, instincts, and social dynamics. From the intricate courtship rituals of birds to the complex hunting strategies of predators, animal behavior offers insight into the ways creatures adapt and thrive in their ecosystems. It includes behaviors such as communication, mating, feeding, territorial defense, and social interactions. Animal behavior is influenced by genetic factors, learned experiences, and environmental cues, reflecting the intricate balance between nature and nurture. Studying animal behavior provides a window into the diverse strategies animals employ to survive, reproduce, and interact with their surroundings, offering a deeper appreciation for the intricacies of the natural world.
"Funny cat videos" capture the delightful and often unpredictable antics of our feline companions. These videos showcase the playful and quirky behaviors that make cats such charming and entertaining pets. From chasing after a feather toy with boundless enthusiasm to attempting daring leaps that don't always go as planned, these videos provide a lighthearted glimpse into the world of cats. Whether they're getting themselves into amusing predicaments or simply showcasing their unique personalities, funny cat videos never fail to bring smiles and laughter to viewers. These clips highlight the joy of observing cats in their element, revealing their curious nature, agility, and adorable idiosyncrasies. In a world that can sometimes be overwhelming, funny cat videos offer a delightful escape and a reminder of the simple joys that our furry friends bring into our lives.
Dog rearing, also known as dog parenting or dog caregiving, is the art and responsibility of nurturing and guiding dogs through various stages of their lives. This holistic approach involves providing dogs with proper nutrition, regular exercise, grooming, medical care, and training to ensure their physical and mental well-being. Dog rearing goes beyond mere ownership; it's about creating a meaningful bond and fostering a healthy relationship based on trust and communication. Training is a crucial component, shaping behaviors and social skills that help dogs become well-adjusted members of both their human families and the larger community. Dog rearing is a journey that requires patience, consistency, and a genuine love for these loyal and affectionate companions. Through responsible dog rearing, owners not only enhance their dogs' lives but also contribute to a harmonious coexistence between humans and dogs.
0 notes
Text
অপমান ও বৈরী হৃদয়
শফিউল বারী রাসেল
বুকের বামে খুব যন্ত্রণা
পরছে ঘন নিঃশ্বাস,
দুঃখ আমি একই ছাদে
করি যে বসবাস।
তীব্র ব্যথা হৃদয়টাতে
দারুণ এক হাহাকার,
কোথাও ব্যথার চিহ্ন যে নেই
সে কী অদ্ভুত ব্যাপার।
কষ্ট শুধু অনুভবে
দেখানোর মতো নয়,
আবার সহ্য করার ক্ষেমতা
সেও লুকিয়ে রয়।
এমন করে যায় কী বাঁচা
মৃত্যু অনিবার্য,
অপ্রাপ্তির এই মৃত্যুই বুঝি
আমার জন্য ধার্য্য।
রক্ত মাংসের দেহখানা
কোন বস্তুতে তৈরী?
হৃদয় নামের যন্ত্রটা আজ
কেনো এতো বৈরী।
নিশ্চুপভাবে জ্বলে পুড়ে
অপমান আগুনে,
ক্রমশঃ নিজেকে শেষ করছে
সময় গুনে গুনে।
অপমানের আগুন কেনো
এতোটা হিংস্র হয়?
চন্দ্রগ্রহণেরই মতো
গিলে খায় এ হৃদয়।
অভিমানী হৃদয় শান্তি
খোঁজে তাই মৃত্যুতেই,
কারণ চিকিৎসা বিজ্ঞানে
এর যে চিকিৎসা নেই।
মরন ব্যাধির চেয়েও যে
মারাত্মক এ ব্যাধি,
ধুসর লাগছে সবই এখন
প্রতিক্ষায় সমাধি।
কলংকিত হৃদয় আমার
একটাবার সুযোগ চায়,
রাঙ্গাতে চায় জীবনটাকে
নিবিড় ভালোবাসায়।
অপমানের প্রতিশোধ নয়
সম্মান খুঁজে পেতে,
স্রষ্ঠার কাছে একটাই চাওয়া
চাইনা হেরে যেতে।
1 note
·
View note
Text
সুত্রঃ নবিউল করিম সমাজ ভাই
বলতে ভয় লাগছে এবং অস্বস্তি লাগছে, তবুও বলি। যা বলবো, এই গুলা বলার মতো মানুষ আর নেই প্রায়। ইতিহাস বিকৃত কড়ার উৎসবে কিছু সত্যি কেউ কেউ এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে যাক।
এই মামী এখনো বেঁচে আছেন। বেশ অসুস্থ। উনার জন্য দোয়া করবেন। আর যে ছবিটা দিলাম, চার জনের সামনের জন উনার এই মামীর স্বামী, মানে মামা। হ্যাঁ উনি বেটে ছিলেন। এই মামা ছিলেন তখন মেজর ডাঃ নইমুল ইসলাম, ডাক নাম ছিল বাচ্চু। ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের। ইনার ইচ্ছা ও পরামর্শে কমল মানে জিয়া আর্মিতে আসেন। ৭১'এ গাজিপুর Bangladesh Ordnance Factory তে তখন এই মামা। ঐ দিকে কমল চট্টগ্রামে বিদ্রোহ করে ��্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে আর এই দিকে তার মামা Bangladesh Ordnance Factory তে বিদ্রোহ করে সব অফিসারদের পড়িবারকে রেস্কিউ করে ঢাকায় নিয়ে আসার নেতৃত্ব দিয়ে উত্তরা হয়ে নিকুঞ্জ পাড় হলে, সবার পিছনে থাকা মেজর ডাঃ নইমুল ইসলাম বাচ্চু কে পাক বাহিনীর এক কর্নেল গ্রেফতার করে তখনকার সংসদ ভবনের হেড কোয়ার্টারে নিয়ে যান। ওটাই উনার শেষ ট্রেইস!
সবাই বেঁচে গেলেও উনি শহীদ হয়ে যান দেশের জন্য। এই ইতিহাস স্বাধীনতার ইতিহাসের কনও বইতে নাই বললেই চলে! বড় অদ্ভুত এই দেশের মানুষ। যাইহউক, উনাকে উনার সতির্থরা কিভাবে মেড়ে ফেলেছিলেন বা উনি কি ভাবে দেশের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন, সেটাও না হয় শুনেন।
করাচীতে থাকতে আর্মি হাঁসপাতালে যখন বাঙ্গালী রুগী আসতো রক্ত শুন্যতা কিংবা সল্পতা নিয়ে অথবা জখমের কারনে রক্ত ক্ষরণ নিয়ে তখন, মেজর ডাঃ নইমুল ইসলাম পাঞ্জাবী সৈন্যদের ডেকে তাদের শরীর থেকে রক্ত নিতেন রুগীকে বাঁচাতে। এটা যে পাঞ্জাবীরা ভালো চোখে নেয় নাই, সেটা উনি বুঝলেন যখন গ্রেফতার হলেন ৭১'এর এপ্রিলে। উনার শরীর থেকে রক্ত নিয়ে নিয়ে পাক সেনাদের চিকিৎসা করানো হতো!!! এর বেশী কিছু বলার ক্ষমতা আমার নাই। জানা গেছে উনার দেহ সংসদ ভবনের পিছনে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। এখন যেখানে লেকের অংশ। এটা জানা গেছে স্বাধীনতার অনেক বছর পরে। জী, উনার ডেড বডি পড়িবার আজও পায় নাই।
হ্যাঁ, উনার ছবি দিয়ে সৌজন্য মূলক ডাক টিকেট বেড় করেছিল খালেদা জিয়া'র সরকার ৯৩'তে। উনার নাম স্মরন কড়া আছে পিজি ও সিএমএইচ- এ শ্বেত পাঁথরে শহীদ ডাক্তার হিসাবে। অনেক চেষ্টা করার পরে Bangladesh Ordnance Factory থেকে যে রাস্তাটা বাম দিকে সালনার দিকে গেছে, সেই রাস্তার নাম রাখা হয়েছে এই মাত্র কয়েক বছর আগে। সামনের প্রধান সড়কের নাম উনার নামে করতে দেয় নাই গাজীপুরের আওয়ামী রাজনীতির মোড়লরা। আর হ্যাঁ, এই মামী কিন্তু পুতুলেরও মামী। না, স্বামী কমলের সূত্রে না। নিজ মায়ের সূত্রে।
উনার ঐ ছোট দিদি মণি যার কথা চিঠিতে জানতে চেয়েছিল, সে মারা গেছেন প্রায় ৫ বছর আগে। যেখানে এই চিঠিটা পেয়েছেন, সেখানে আরও একটা চিঠি পাওয়ার কথা। যে চিঠিতে মামাতো বোন পুতুলের কথা আছে। সেটাও বাংলাতেই লেখা যতদূর মনে কোরতে পাড়ছি। ইনিও ( পুতুল) এখনও বেঁচে আছেন। প্লীজ কোন প্রশ্ন করবেন না আমাকে। শ্রেফ জেনে রাখেন য���, এই দেশের জন্য এমন অনেকে প্রাণ দিয়েছে, যাদের কথা জাতীকে জানানো হয় নাই। জানানো হয় না। জাতী স্মরণ করে না।
2 notes
·
View notes
Text
চীনের চেয়ারম্যান, খুব কাছ থেকে.....
মাও সে তুং বা ইংরেজি নাম মাও জেদং চীনের ইতিহাসে অন্যতম প্রধান চর্চিত ব্যক্তি। বলাই বাহুল্য তাকে নিয়ে এদেশে কম চর্চা হয়নি। ভারত চীন যুদ্ধের সময় তাকে নিজের চেয়ারম্যান বলার মতো অভিযোগও উঠেছে এদেশের কিছু রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু যেকোনো বড় বড় ব্যক্তিত্বের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে পরচর্চা করা লোকজন খুবই সযত্নে মাও এর ব্যক্তিগত জীবনের আলোচনা এড়িয়ে গেছে। কারণগুলি একটু খুঁজে নেওয়া যাক।
● মাও এর জীবনে একটি ভালো শখ ছিল, সেটা হলো স্যুইমিং বা ���াঁতার কাটা। কিন্তু তার প্রোপাগান্ডা মন্ত্রকের কথা অনুযায়ী ধরলে, '66 সালে প্রায় 70 বছর বয়সী মাও মাত্র 65 মিনিটের মধ্যে ইয়াংজে নদীতে প্রায় 15 কিমি সাঁতার কেটেছেন, স্পিড 3.87 মিটার বা দশ (ফুটের একটু বেশি) প্রতি সেকেন্ডে, বর্তমান হিসেবে অলিম্পিক গোল্ড মেডেলিস্ট মাইকেল ফেল্পসকে পার করে যায় এই হিসেব। আর চীনা সংবাদ পত্রের কথা সত্য হলে এই অসম্ভবকে সম্ভব করার পরেও মাও নাকি একটুও টায়ার্ড হয়ে যাননি। অবিশ্বাস্য প্রতিভা।
● মাও এর দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত ডাক্তার লি ঝিসুই একটি কথা বলেছেন, সেটি হলো, মাও সমস্ত রকমের মিটিং হয় নিজের বিলাসবহুল বিছানার আরামে অথবা বিশাল স্যুইমিং পুলে জলকেলি করার সময়েই করত এবং তার অফিসে বসে কাজ করার বেশিরভাগ ছবিই সর্বৈব মিথ্যে ও 'স্টেজড' বা সাজানো।
● মাও এর ব্যক্তিগত ফিজিশিয়ান ডক্টর লি বহুদিন ধরেই মাও এর কথামতো তাকে বিছানায় ভালো পারফরম্যান্স রাখার মতো দরকারি ওষুধ দিয়ে গেছেন এবং এর সাথেই নানা ধরনের STDs যেমন গনোরিয়া বা HIV এর মত রোগের বিরুদ্ধে কাজ করার মত ওষুধও দিয়েছেন।
● কেমব্রিজের ভিয়েতনাম ও চীনা ইতিহাসের গবেষক জোনাথন মি রস্কির মতে,
"জিয়ান ক্যুইং কে বিয়ে করার পরেও কমবয়সী মহিলাদের ভক্ষণ করার চাহিদা ছিল প্রখর।"
● মাও ডক্টর লি এর কথা অগ্রাহ্য করে অনেকবার অনেক মহিলার সাথে বেড শেয়ার করেছেন যাদেরকে মাও এর 'নার্স' হিসেবে পরিচিতি দেওয়া হয়েছে। এত ��ড় বড় মানুষদের বড় বড় ব্যাপার হতেই পারে।
● যখন '61 সালের দিকে দুর্ভিক্ষে চীন কাবু, তখনো মাও সপ্তাহে দুইবার করে মহিলা সঙ্গ নিয়ে 'নৃত্যশিল্প' দেখতে ব্যস্ত থাকত। আসলে বেহালা বাজিয়ে সম্রাট নিরোর মন ভালো না হলে রোমের ভালো হবে কীকরে?
● এছাড়া ডক্টর লি ও অন্যান্য গবেষকরা মনে করেন উশৃঙ্খল জীবনের কারণে মাও জীবনের মধ্যবর্তী দিনের মধ্যেই নপুংসক, বা সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম হয়ে যায়।
● '62 সাল নাগাদ যখন মাও এর বয়স 69, তখন তার পরিচারিকা মহলে সর্বকনিষ্ঠ যে পরিচারিকার সাথে ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল তাঁর বয়স ছিল মোটে 14 বছর। মহিলাটির নাম ছিল চেন, প্রথম জীবনে চেন মিলিটারি জেনারেলদের আনন্দ দেওয়ার জন্যে বানানো ড্রামা দলে পারফর্ম করতেন ও মাও সেখানেই তাঁকে দেখে মুগ্ধ হয়। যখন তাঁর বাবা জানতে পারেন যে চেনকে রোজ রাতে মাও এর কাছে যেতে হয় মাও এর ব্যক্তিগত চাহিদা পূরণ করার জন্যে, চেনের বাবা মাওকে একটি ক্ষোভ উগড়ে দেওয়া চিঠি লিখতে চেয়েছিলেন, কিন্তু কালচারাল রেভলিউশন বা 'সাংস্কৃতিক বিপ্লব' এর প্রভাব এতটাই ছিল যে নিজের পরিবারের কথা ভেবে তাঁকেও পিছিয়ে আসতে হয়। শেষ অব্দি প্রায় চার পাঁচ বছর পরে নিজের স্ত্রী এর রাগের মুখে পরে মাও চেনকে নিজের জীবন থেকে সরাতে বাধ্য হয়।
● মাও এর লাইফস্টাইল ডিটেলস লেখা প্রতিটা ব্যক্তি একটা কমন দাবী করেছেন যে মাও ব্যক্তিগত ভাবে যথেষ্ট অপরিচ্ছন্ন থাকত। দাঁত মাজতে ভালোবাসত না। মাও এর দাবী ছিল "বনের রাজা বাঘ সিংহ দাঁত না মেজেও এত সুন্দর দাঁতের অধিকারী যদি হতে পারে তাহলে মাও নিজেও এরকম কেন হতে পারবে না?", ফলাফল হিসেবে জীবনের মধ্যভাগের পর থেকেই দাঁতে ভয়ানক সমস্যা দেখা দেয়া শুরু হয়, দাঁত ক্ষয়ে যেতে থাকে ও ইনফেকশন হতে থাকে। ডাক্তারের বারবার জোরাজুরির পরে কালেভদ্রে এক আধদিন দাঁত মাজত মাও।
● মাও যেকোনো রকমের ডেলি রুটিনের বিরুদ্ধে ছিল, তার মনে হতো এরকম রুটিন বানানো হয় মানুষকে বাঁধার জন্যে। বিশুদ্ধ উশৃঙ্খল জীবনযাত্রা মেনে মাও দিনের যেকোনো সময়েই স্নান খাওয়া ঘুম বা যেকোনো রকম কাজ করতে পছন্দ করতো। আর এই জন্যে মাও এর সিকিউরিটি স্টাফদের সারাদিন ঝক্কির শেষ থাকতো না মাও এর সিকিউরিটি ডিটেল নিশ্ছিদ্র করতে গিয়ে।
● স্নান করা মাও এর খুব অপছন্দ ছিল, মাও 'তিনবার স্নান' পছন্দ করতেন, জন্মের পর একবার, বিয়ের আগে একবার এবং ইহলোক ত্যাগ করার পরে 'মাও লোক' পৌঁছনোর আগে একবার।
এক��সাথে মাও এর পেট পরিষ্কার করাটা রীতিমত বিভীষিকার ব্যাপার ছিল তার স্টাফদের কাছে। কয়েকদিন পরে পরে যখন মাও নিজের পেট পরিষ্কার করতেন তখন স্টাফরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচত। এই ব্যাপারে এর বেশি ভদ্রভাবে ডিটেলস আমার পক্ষে দেওয়া সম্ভব না, নীচে দেওয়া রেফারেন্স সাইটগুলোতে আরো ডিটেলস পেয়ে যাবেন।
● নিজের গোপনাঙ্গ পরিষ্কার করার জন্যে মাও মহিলাদের সাথে স্নান করা পছন্দ করতেন। প্রায় প্রতিটি ঐতিহাসিকের মতেই এই ব্যাপারটি মাও রীতিমত এনজয় ও সেলিব্রেট করতেন এবং ব্যাপারটিকে 'মহিলাদের দিয়ে নিজের গা ধোওয়া' হিসেবে অভিহিত করতেন।
● একবার এক মহিলা রিপোর্টারকে ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় কোনোভাবে শরীরে জোঁক লেগে যাওয়ায় মহান নেতা মাও ভেতরের শুধুমাত্র 'চাড্ডি'তে অব্দি নেমে আসেন জোঁক ছাড়াবে বলে।
● লি ঝিসুই এরকমও বলেছেন যে তিনি মাওকে বারবার বলতেন ওষুধ নিতে যাতে তার সাথে একাধিক মহিলা বিছানা শেয়ার করার জন্যে কোনো মেয়ের কোনোভাবে রোগ না ছড়ায়, কিন্তু এই ব্যাপারে মাও এর কথা ছিল "যা আমাকে বিরক্ত করে না বা ভাবায় না, সেটা নিয়ে কারোর ভাবা উচিত না" এবং যেহেতু মাওকে এটা কোনোদিনই ভাবায়নি তাই কয়েকজন মহিলা নিজেরা আক্রান্ত হলেও কেউ ভাবার সাহস পায়নি আর।
● গ্রামের দিকে ডাক্তারের অভাব মেটানোর জন্যেও মাও এর ছিল কিছু 'easy solution'. ঝিসুই এটাও বলেছেন যে মাও কিছু 'খালি পা ডাক্তার' অর্থাৎ চাষি বেসড ফ্যামিলি থেকে উঠে আসা গ্রামের মানুষকে চার থেকে ছয় মাসের ডাক্তারির 'ক্র্যাশ কোর্স' (অল্প কয়েকদিনের মধ্যে কোনোকিছুর মেন দিকগুলোই কেবলমাত্র বুঝিয়ে দেওয়া) করিয়ে গ্রামে গ্রামে পাঠিয়ে দেন চাষিদের চিকিৎসা করাতে।
● রেলপথে মাও এর যাত্রা ততক্ষণই হতো যতক্ষণ মাও জেগে থাকতো। ঘুমিয়ে গেলে ট্রেনের দুলুনিতে সুপ্রিম লিডার আলাদিনের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে দায় নিয়ে প্রাণ দেওয়ার জন্যে কেউ রাজী ছিল না।
● চাষিদের ফসলের ক্ষেতে উপদ্রব করার জন্যে ও রোগ ছড়ানোর অজুহাতে মাও চারটি কীট ও প্রাণীদের নিধনের জন্যে জনসাধারণকে ডাক দেন। এগুলো হলো মশা মাছি ছুঁচো ও চড়াই পাখি। এর মধ্যে চড়াই পাখিকে 'পুঁজিবাদী পাখি' আখ্যা দিয়ে তিনি মতবাদ হিসেবে প্রচার করেছিলেন,
"যতক্ষণ না চড়াইপাখি গুলো আকাশে ঘুরে ঘুরে প্রাণ হারিয়ে মাটিতে না পরছে ততক্ষণ থালা গামলা যা আছে বাজাবেন, ওদের মাটিতে ল্যান্ড করতে দেওয়াই যাবে না"
অর্থাৎ 'থালা বাজিয়ে rogue তাড়ানোর' পাইওনিয়ার এই মাওই।
● '49 সালে মাও যখন স্ট্যালিনের সাথে দেখা করতে সোভিয়েত যায়, তখন ভেবেছিল স্ট্যালিন তাকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানাবে। কিন্তু বাস্তবে ফলাফল হয়েছিল উল্টো, স্ট্যালিন তার সাথে প্রথমে দেখাই করেনি। তাকে একটা বিলাসবহুল হোটেলের ঘরে 'কার্যত বন্দী' করে রাখা হয়। সোভিয়েত স্পাই এজেন্ট ইগোর আতামানেঙ্কোর সোভিয়েত দৈনিক 'কোমোসোমলস্ক্যা প্রভদা'কে দেওয়া ইন্টারভিউ এর মতে হোটেলের সেই ঘরে টয়লেটের নিকাশি ব্যবস্থার সাথে যুক্ত ছিল একটি ল্যাবের কিছু যন্ত্রাংশ যার মাধ্যমে মাও এর বর্জ্য পদার্থ নিয়ে স্ট্যালিন রীতিমতো গবেষণা চালিয়েছিল বন্ধুস্থানীয় মাওকেই ল্যাবের গিনিপিগের মত করে ভেবে। মাওকে প্রচুর খেতে দেওয়া হতো যাতে প্রচুর বর্জ্য পাওয়া যায় এবং এই বর্জ্যে পাওয়া পটাশিয়াম বা এমিনো এসিড বা ট্রিপটোফ্যান কালচার করে (পটাশিয়াম কম থাকলে নার্ভাস বা অস্থির, এমিনো এসিড বেশি থাকলে ধীরস্থির) মাও এর মনস্তত্বের বিভিন্ন দশা বা দোষ সম্��ন্ধে কালচার করার রিপোর্ট নিত স্বয়ং স্ট্যালিন এরকমই অভিযোগ ওঠে আসে। শেষ অব্দি দুই দেশের মধ্যে কোনো উন্নয়ন মূলক চুক্তি অব্দি না করে মাওকে সোভিয়েত থেকে বিদায় জানান। প্রভদার রিপোর্ট অনুযায়ী এই ধরনের কাজকর্মের ল্যাবগুলি স্ট্যালিনের উত্তরসূরী নিকিতা ক্রুশ্চেভ বন্ধ করে দেন। (শুনতে অদ্ভুত লাগলেও সাধারণ জনগণের ব্যবহারের জন্যে 1980 সাল থেকেই জাপান এসব প্রজেক্টের ওপরে রীতিমত কাজ করছে। বর্তমানে এর পোশাকি নাম স্মার্ট টয়লেট)
● অতিথি অভ্যর্থনার ব্যাপারেও মাও ছিল হাতির মত স্মৃতিধর। ওই নিকিতা ক্রুশ্চেভই সাঁতার জানতেন না। তিনি যখন পরে আন্তর্জাতিক পলিসির মিটিংয়ে '58 সাল নাগাদ মাও এর সাথে দেখা করতে চীনে আসেন, তখন ছোটখাটো হাইটের ক্রুশ্চেভকে মাও কোনো মিটিং রুমে না ডেকে নিজের স্যুইমিং পুলে দেখা করতে বলেন। স্যুইমিং পুলের যেদিকে বাচ্চারা স্নান করে সেদিকের কম গভীর জলে ক্রুশ্চেভ নামলে মাও জোরাজুরি করে তাঁকে বড়দের স্নানের গভীর জলের দিকে টেনে আনেন, এই সময়ে ক্রুশ্চেভ রীতিমত অসুবিধেয় পরলে মাও তাঁকে বাচ্চাদের স্যুইমিং পুলে স্নানের জন্যে বরাদ্দ হওয়া ভর্তি বেলুন টাইপের জিনিসগুলো দিয়ে ভেসে থাকার ব্যবস্থা করেন।
পরে ক্রুশ্চেভ এই ব্যাপারে মতামত দেন, "মাও জানতো আমি সাঁতার জানি না, তবু আমাকে একপ্রকার এইভাবে হেনস্থা করা হয় যাতে মিটিংয়ের সময়ে মাও নিজের সুবিধেজনক অবস্থার লাভ ওঠাতে ও আমাকে চাপে রাখতে পারে।"
বস্তুত এই ঘটনার পরপরই সোভিয়েতের সাথে চীনের সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে এবং ইতিহাসে এই বিখ্যাত ঘটনা 'স্যুইমিং পুল ডিপ্লোমেসি' নামে বিখ্যাত।
● মাও এর অন্য পুরুষের স্ত্রী এর ��্রতি সম্মান প্রদর্শনের একটি উদাহরণ হিসেবে বলা যায়,
এভিতা পেরন নামের আর্জেন্টিনার ফার্স্ট লেডি অর্থাৎ প্রেসিডেন্টের স্ত্রীকে মাও '50 এর দশকের শেষের দিকে গিফ্ট হিসেবে দিয়েছিলেন একটি ভীষণ সূক্ষ্ম কারুকার্য করা 'ড্রেসিং কার্টেন', (অর্থাৎ হলিউড সিনেমায় দেখানোর মতো ঠিক যেরকম পর্দা বা কাঠের ফ্রেমের আড়ালে গিয়ে মহিলারা পোশাক পরিবর্তন করে থাকেন)।
তথ্য সূত্র -
The Private Life of Mao - Li Zhisui, 1994 (বই)
BBC, Smithsonian, India Today, Grunge (সাইট)
King of The Mountain - Arnold Ludwig, 2002 (বই)
Smart Toilet Project - Forbes, CNET (সাইট)
'দ্য প্রাইভেট লাইফ অফ মাও' বই এর লেখক লি ঝিসুই,
চিকিৎসক পরিবারে জন্মানো চৈনিক ডক্টর লি-র দুজন পূর্বসূরি লি এর আগেও চীনের প্রধান শাসকদেরই ব্যক্তিগত ডাক্তার ছিলেন এবং ডক্টর লি মাও এর ব্যক্তিগত ডাক্তার হিসেবে নিযুক্ত হোন নিজের 35 বছর বয়সে। অস্ট্রেলিয়ার একটি জাহাজে ডাক্তার হিসেবে কাজ করার সুবাদে তিনি মাঝে মাঝে মাও কে ইংরেজি বলার মতো টুকটাক শিক্ষাও দিতেন। 1950 থেকে 60 সালের মধ্যে ডক্টর লি প্রায় 30-40টি মত ডায়েরিতে মাও এর জীবনযাত্রা নোট করে রেখেছিলেন, কিন্তু কালচারাল রেভলিউশন এর সময়ে প্রাণের ভয়ে তিনি সেগুলো পুড়িয়ে দেন। এর পরে সত্তরের দশকের দিক থেকে সামগ্রিক অবস্থা কিছুটা পক্ষে হওয়ায় তিনি আবার শেষ কিছু ডায়েরির লেখাগুলো মনে করে লিখতে থাকেন। 1988 সাল নাগাদ চীন থেকে তিনি পালাতে বাধ্য হোন, শিকাগোতে গিয়ে অবশিষ্ট জীবনের দেড় দুই বছর মত তিনি কাটান ও এই বইটি লেখার জন্য তাঁর প্রকাশনা সংস্থা Random House কেও চীনা হামলার মুখে পরতে হয়।
(বইটি ইন্টারনেটে উপলব্ধ, কেউ মাও এর আরো বিস্তারিত ডিটেল চাইলে পড়ে নিতে পারেন।)
© Sandipan Mandal
From the wall of Pinaki Paul.
0 notes
Text
স্প্লিন্টার কীভাবে শরীর থেকে বের হয়ে যায়: জানুন বিস্তারিত
শরীরে কোনো স্প্লিন্টার বা কাঁটা ঢুকে গেলে তা খুবই বিরক্তিকর এবং বেদনাদায়ক হতে পারে। এটি সাধারণত ছোট এবং তীক্ষ্ণ বস্তুর টুকরো হয়, যা হাতে বা পায়ে ঢুকে যায়, যেমন কাঠ, বাঁশ, ধাতু, কাঁচ, অথবা অন্য কোনো কঠিন পদার্থের টুকরো। প্রায়শই, এটি নিজে থেকে শরীর থেকে বের হয়ে আসে, কিন্তু কখনও কখনও এটি এমনভাবে ঢুকে যায় যে তা সহজে বের করা সম্ভব হয় না।
youtube
স্প্লিন্টার কীভাবে শরীরে প্রবেশ করে? অত্যন্ত সরু এবং তীক্ষ্ণ বস্তু খুব সহজেই আমাদের ত্বকের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। কাজ করার সময়, হাঁটা চলার সময়, অথবা কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে কাঠের টুকরো বা বাঁশের স্প্লিন্টার হাত বা পায়ে বিঁধে যেতে পারে।
কাঁটা বা স্প্লিন্টার ঢুকে গেলে কি করবেন? প্রথমেই, স্প্লিন্টার শরীরে ঢুকে গেলে তা যত দ্রুত সম্ভব বের করে ফেলা গুরুত্বপূর্ণ। সহজভাবে যদি তা ত্বকের উপরিভাগে থাকে, তবে তা টেনে বের করা সম্ভব। কিন্তু, যদি তা গভীরভাবে প্রবেশ করে এবং সহজে দৃশ্যমান না হয়, তখন কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
প্রাথমিকভাবে কীভাবে স্প্লিন্টার বের করবেন: ক্লিন টুইজার ব্যবহার করুন: যদি স্প্লিন্টার হাত বা পায়ের উপরিভাগে থাকে, তবে এটি টুইজারের সাহায্যে ধীরে ধীরে টেনে বের করা যেতে পারে। সেফটি পিন বা সুচ: যদি টুইজার দিয়ে না বের করা যায়, সেক্ষেত্রে একটি পরিষ্কার সুচ বা সেফটি পিন ব্যবহার করে স্প্লিন্টার বের করার চেষ্টা করা যেতে পারে। মনে রাখবেন, অবশ্যই ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি স্যানিটাইজ করা জরুরি। ইনফেকশনের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন: কখনও কখনও স্প্লিন্টার ঢুকে গেলে সেই জায়গায় ইনফেকশন হতে পারে। ইনফেকশন হলে জায়গাটি ফুলে উঠতে পারে এবং পুঁজ জমা হতে পারে। এর ফলে স্প্লিন্টারটি ধীরে ধীরে ত্বকের উপরের দিকে চলে আসতে পারে এবং শরীর নিজে থেকেই তা বের করে দেয়।
যখন চিকিৎসা নেওয়া জরুরি: যদি স্প্লিন্টার দীর্ঘদিন ধরে ত্বকের ভেতরে থাকে এবং তা নিজে থেকে বের না হয়, তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন। কারণ ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়লে তা শরীরের অন্যান্য অংশেও সমস্যা তৈরি করতে পারে।
শরীর কীভাবে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় স্প্লিন্টার বের করে: মানবদেহের ইমিউন সিস্টেম বা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা খুবই শক্তিশালী। যখন ত্বকের নিচে কোনো বাহ্যিক বস্তু প্রবেশ করে, তখন শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা সেই বস্তুকে চিনতে পারে এবং তার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করে। ইনফেকশন হলে, ত্বকের চারপাশে পুঁজ জমতে শুরু করে, যা প্রাকৃতিকভাবে একটি চাপ তৈরি করে এবং স্প্লিন্টারটি ত্বকের উপরের দিকে উঠতে সাহায্য করে।
সতর্কতা ও পরামর্শ: স্প্লিন্টার ঢুকে গেলে কখনও সেটিকে উপেক্ষা করবেন না। ইনফেকশন হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ঘরে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার আগে অবশ্যই হাত ও যন্ত্রপাতি পরিষ্কার করুন। কখনও কখনও স্প্লিন্টার ক্ষুদ্র হওয়ার কারণে দেখা যায় না। এ ক্ষেত্রে ফ্ল্যাশলাইট বা ম্যাগনিফাইং গ্লাস ব্যবহার করতে পারেন।
উপসংহার: স্প্লিন্টার ঢুকে গেলে তা ছোট একটি সমস্যা মনে হতে পারে, কিন্তু সঠিকভাবে যত্ন না নিলে এটি বড় সমস্যার কারণ হতে পারে। শরীর অনেক সময় নিজে থেকেই এই ধরনের স্প্লিন্টার ��ের করে দিতে সক্ষম, তবে ইনফেকশনের আশঙ্কা থাকলে চিকিৎসা নেওয়া জরুরি। সঠিক প্রক্রিয়া মেনে স্প্লিন্টার সরিয়ে ফেললে অস্বস্তি ও ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আরও দেখুনঃ তোমার রক্তনালীগুলোর দৈর্ঘ্য কত?
ট্যাগ: স্প্লিন্টার বের করার উপায়, ইনফেকশন প্রতিরোধ, প্রাথমিক চিকিৎসা, ত্বকের যত্ন, স্প্লিন্টার ইনফেকশন, স্প্লিন্টার থেকে মুক্তি, স্প্লিন্টার চিকিৎসা, কাঁটা ঢুকে গেলে করণীয়
আরও দেখুনঃ ম্যাকফ্লারির অদ্ভুত চামচের রহস্য
#স্প্লিন্টার বের করার উপায়#ইনফেকশন প্রতিরোধ#প্রাথমিক চিকিৎসা#ত্বকের যত্ন#স্প্লিন্টার ইনফেকশন#স্প্লিন্টার থেকে মুক্তি#স্প্লিন্টার চিকিৎসা#কাঁটা ঢুকে গেলে করণীয়#How to remove splinters#infection prevention#first aid#skin care#splinter infection#getting rid of splinters#splinter treatment#what to do if a thorn gets in#Youtube
0 notes
Text
৭১' এর বন্ধু এক ক্ষ্যপাটে ফরাসীর প্লেন ছিনতাই !
৭১' এর বন্ধু এক ক্ষ্যপাটে ফরাসীর প্লেন ছিনতাই ! আরমান মাহী, নিউজ ডেস্কঃ সময় টা ১৯৭১ এর ডিসেম্বর মাস। মার্চ থেকে শুরু হওয়া পাকিস্থান সেনাবাহিনীর নিরীহ বাঙ্গালীদের উপর নির্মম অত্যাচার আর গণহত্যার কথা তখন সারা পৃথিবীর জানা। শরনার্থী শিবিরে মানুষের কষ্ট..
আরমান মাহী, নিউজ ডেস্কঃ সময় টা ১৯৭১ এর ডিসেম্বর মাস। মার্চ থেকে শুরু হওয়া পাকিস্থান সেনাবাহিনীর নিরীহ বাঙ্গালীদের উপর নির্মম অত্যাচার আর গণহত্যার কথা তখন সারা পৃথিবীর জানা। শরনার্থী শিবিরে মানুষের কষ্ট, দুর্দশা, খাবার, চিকিৎসা, ওষুধের অভাবের মানুষের কাতরতা তখন সারাবিশ্বের মানুষকেই নাড়া দিয়েছিল। নাড়া দিয়েছিল এক ফরাসী ক্ষ্যাপাটে যুবককেও। অদ্ভুত সব কর্মকাণ্ড এবং ক্ষ্যাপামির জন্য ফরাসী দের…
View On WordPress
0 notes
Photo
New Post has been published on https://paathok.news/120780
চট্টগ্রামে ডোরাকাটা দাগ নিয়ে জন্ম নিল বিরল
.
চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং এলাকায় বিরল এক শিশুর জন্ম হয়েছে। যার সারা গায়ে জেব্রার মতো ডোরাকাটা দাগ। বড় নাভি। লাল টুকটুকে চোখ। বিরল এ ধরণের চর্মরোগ নিয়ে জন্ম হয়েছে ছেলে শিশুটির। প্লাস্টিকের মতো পুরু চামড়া দিয়ে ঢাকা নবজাতকটির সারা শরীর; ত্বকের ওপর বাদামি আবরণ।
শনিবার (২১ নভেম্বর) রাতে নগরীর নাজিরপোলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে জন্ম হয় শিশুটির। নগরীর দেওয়ানহাট এলাকার বাসিন্দার ২৫ বছর বয়সী এক মা শিশুটির জন্ম দেন। এটি ওই গৃহবধূর প্রথম সন্তান।
অস্ত্রোপচার করেছেন প্রসূতি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ইশরাত জাহান।
জন্মের পরপরই শিশুটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে শিশু ৪০ সপ্তাহে নিলেও এই শিশুটি জন্মগ্রহণ করেছে ৩৮ সপ্তাহে।
চমেক হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডের প্রধান অধ্যাপক জগদীশ দাশ জানান, নবজাতকটির শরীরে ত্রুটি মারাত্মক। একই ধরনের ত্রুটি নিয়ে এর আগেও নবজাতককে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের শিশুর চর্মরোগের সমস্যা ছাড়াও হাত-পায়ের পেশী দুর্বল হয়। তারা হাত-পা নাড়াতে পারে কম। ভর্তি হওয়া নবজাতকেরও একই সমস্যা আছে।চমেক হাসপাতালের শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক প্রণব কুমার চৌধুরীও শিশুটিকে দেখে এসেছেন।
প্রণব কুমার চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন,‘এটি একটি কলোডিয়ান বেবি। হারলিকুইন ইকথাইয়োসিস নামে এক ধরনের জন্মগত চর্মরোগ আছে, যেগুলো জিনগত ত্রুটির কারণে হয়। সাধারণত কয়েক লাখ নবজাতকের মধ্যে একজন এ ধরনের রোগে আক্রান্ত অবস্থায় জন্ম নেয়। বাবা অথবা মায়ের বংশগত কোনো ত্রুটি থেকে নবজাতক এ রোগে আক্রান্ত থাকে। এ ধরনের শিশুর চেহারাটা অদ্ভুত হয়। চোখ এবং ঠোঁট রক্তবর্ণ হয়। ত্বকের সমস্যা থাকে। ত্বক খসে পড়ে না। চামড়াগুলো মোটা ও পুরু হয়, খসখসে থাকে। একটি শিশুকে পুরু প্��াস্টিক দিয়ে মুড়িয়ে রাখলে যে অবস্থা হয়, সাধারণ কলোডিয়ান বেবি সেরকমই হয়।’ তিনি আরও জানান, কলোডিয়ান বেবিদের ত্বক ও শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ জটিলতা থাকে। পানিশূন্যতাও থাকে। মুখ খুলতে পারে না। এজন্য স্বাভাবিকভাবে তারা খাবারও গ্রহণ করতে পারে না। জন্মের পর মাত্র ১৫ শতাংশ কলোডিয়ান বেবি বেঁচে থাকে। যদি শরীরে জটিলতা মারাত্মক আকারের হয়, তাহলে এ ধরনের শিশু জন্মের প্রথম সপ্তাহেই মারা যায়।ওই দম্পতির দ্বিতীয় সন্তানও একই জিনগত ত্রুটি নিয়ে জন্ম নেবে কি না তা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রসবের আগেই নিরূপণ সম্ভব বলে জানান এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তিনি বলেন, গর্ভকালীন ১৭ থেকে ২১ সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষার মাধ্যমে জানা সম্ভব। তবে দ্বিতীয় বাচ্চা নেওয়ার আগে বাবা–মায়ের জেনেটিক কাউন্সিলিংয়ের প্রয়োজন আছে।
চমেক হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডের প্রধান অধ্যাপক জগদীশ দাশ জানিয়েছেন, নবজাতকটির শরীরে ত্রুটি মারাত্মক। একই ধরনের ত্রুটি নিয়ে এর আগেও নবজাতককে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের শিশুর চর্মরোগের সমস্যা ছাড়াও হাত-পায়ের পেশি দুর্বল হয়। নাড়াতে কম পারে। ভর্তি হওয়া নবজাতকেরও একই সমস্যা আছে।
তিনি আরও জানান, কলোডিয়ান বেবিদের ত্বক ও শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ জটিলতা থাকে। পানিশূন্যতাও থাকে। মুখ খুলতে পারে না। এজন্য স্বাভাবিকভাবে তারা আহারও গ্রহণ করতে পারে না। জন্মের পর মাত্র ১৫ শতাংশ কলোডিয়ান বেবি বেঁচে থাকে। যদি শরীরে জটিলতা মারাত্মক আকারের হয়, তাহলে এ ধরনের শিশু জন্মের প্রথম সপ্তাহেই মারা যায়।
0 notes
Text
লকডাউন ডায়েরি!!
পর্ব ১: সূচনা
আমার বাড়ি মুর্শিদাবাদের একটি ছোট্ট শহরে, নাম রঘুনাথগঞ্জ। আমার প্রথম কলকাতায় আসা বাবার চিকিৎসা এর জন্য ২০০৭ সালে। তারপর এলাম ২০১১ তে, আর ফেরা হয়নি। প্রথমদিকে শহরটাকে বড্ড প্রাণহীন আর রুক্ষ মনে হয়েছিল, তাই সুযোগ পেলেই এই শহর থেকে নিজের শহরে পালিয়ে যেতাম। পরবর্তী সময়ে পারিপার্শ্বিক পরিবেশের চাপে আমার শহরে যাওয়ার প্রবণতা কমে গেলো। কলকাতাও এই কদিনে আমার কাছে নতুন রূপে ধরা দিলো। আস্তে আস্তে এই শহরের সবকিছু আমার কাছে চেনা আপন, ও নিজের হয়ে উঠতে লাগলো।
আজকে আমার চোখে দেখা এই কলকাতার পরিবর্তনের কথা বলবো এক মহা সংকটের সময়ে। যখন চারিদিক থেকে নাগপাশের মতো প্রকৃতি আমাদের জাপটে ধরেছে আষ্টে পৃষ্ঠে।প্রকৃতি যেন তার প্রতি এই সভ্য জাতির করা সমস্ত অবজ্ঞা, অন্যায়ের প্রতিবাদ করছে, যা ঘনীভূত হয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আছড়ে পড়ছে আমাদের ওপর। শুধু কলকাতাবাসী এর ওপর নয়, সমস্ত মানবজাতির ওপর এই ভাবেই আগ্রাসন দেখাচ্ছে প্রকৃতি তথা, প্রকৃতি এর আদিমতম জীব। গোটা বিশ্ব এখন থমকে, তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা হিমশিম খাচ্ছে পরিস্থিতি সামাল দিতে। প্রকৃতিও বুঝিয়ে দিচ্ছে নিজেদের সর্বশক্তিমান ভাবা জীবদের, যে তারাও প্রকৃতির সামনে কতটা ক্ষুদ্র, কতটা তুচ্ছ , কতটা দুর্বল। চীন দেশে প্রথম প্রাদুর্ভাব ঘটে এই আণুবীক্ষণিক জীব টির। জীব বলা ভুল, ছোটবেলায় জীবনবিজ্ঞান বইয়ের ' ইহা এক অদ্ভুত বস্তু ' যা জীব ও জড়ের মাঝামাঝি। পৃথিবী সৃষ্টির প্রাক্কালে এদের উৎপত্তি। চীন দেশে এদের এক নতুন প্রজাতির কথা জানা যায় যেটা কিনা মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ে । এতদিন বার্ডফ্লু , সোইনফ্লু এর বাহক ছিল নিরীহ প্রাণী, সেই সব প্রাণী থেকে ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করতো। মানুষ ব্যাতিত অন্য প্রাণী মূল্যহীন, তাই ওদের মেরে ফেলে রোগ মুক্তি এর পথ বাতলানো হতো। কিন্তু এক্ষত্রে মুশকিল টা হলো বাহক প্রাণীটি মানুষ, তাই তাকে মেরে ফেলে রোগমুক্তি সম্ভব নয়। অতএব ঠিক করা হলো এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রুখতে মানুষে মানুষে মেলামেশা বন্ধ করা হোক। মানুষকে করা হোক গৃহবন্দী। চীন দেশেই প্রথম এই পন্থা প্রয়োগ করা হলো, তাতে সেই দেশের সংক্রমণ কিছুটা আটকানো গেলেও পৃথিবী এর নানা প্রান্তে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়লো। মানুষের দ্রুত গতিতে একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাওয়ার পরিকল্পনা যেকোনো দিন তাদেরই জীবনে বুমেরাং হয়ে ফায়ার আসবে তা ভাবনার বাইরেই ছিল। পৃথিবীর সমস্ত বড় শহর আস্তে আস্তে চলে গেলো এই ভাইরাস এর গ্রাসে। কলকাতা, আমাদের তিলোত্তমা কলকাতায় বাকি রইলো না। একটা স্রোতস্বিনী নদীকে হঠাৎ করে বাঁধ দিয়ে আটকে দিলে যেমন হয় কলকাতা এর ও ঠিক তেমন এ অবস্থা হলো। গলা ফাটিয়ে কাঁদতে থাকা বাচ্চাকে জুজুর ভয় দেখিয়ে জোর করে কান্না থামানোর ন্যায়, কলকাতা এর ও সমস্ত চলাফেরা বন্ধ করে দেয়া হলো এক অজানা বিপদের ভয় দেখিয়ে। ২৩ মার্চের রাতে যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন এবার নোট নয় দেশ বন্দি আগামী একুশ দিনের জন্য সেদিন মানুষ হঠাৎ করেই এক অজানা আতঙ্কে ঝাঁপিয়ে পড়লো বাজারে, কয়েক ঘন্টা এর মধ্যে বাজার ফাঁকা। যাদের সঞ্চিত ধন অধিক, তারা পণ্য সঞ্চয় ও করলো অধিক। সমাজের ধনবৈষম্য যে কতটা এই ঘটনা তা সকলের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো। শীত শুরুর আগে পিঁপড়েরা যেমন খাবার সংগ্রহ করে, আর সেই খাবারের পরিমান এর ওপর নির্ভর করে তাদের শীতকালে বেঁচে থাকা। একুশ দিন এর দেশবন্দি মানুষকে সেই পিঁপড়ের পর্যায়ে নিয়ে গেল. আমার বর্তমান ঠিকানাটি এমন জায়গায় প্রত্যহ যান্ত্রিক পাখিরা উড়ে যায় মাথার ওপর দিয়ে। এই বিমান এরই যান্ত্রিক আর্তনাদে অভ্যস্ত আমার কান। কখনো অবসরে আকাশের দিকে তাকিয়ে শুধু লাইন দিয়ে তাদের আনাগোনা লক্ষ্য করতাম। দেশবন্দীর সুযোগে সেই যান্ত্রিক পাখিগুলি কোথায় উধাও হয়ে গেলো। তার বদলে এলো আকাশে চিল , ফিঙে ,বকদের সারি যারা যান্ত্রিক নয়। মানুষের বন্দী দশা দেখে তারা উড়ে বেড়াতে লাগলো আকাশে। মানুষ স্থলে জলে জঙ্গলে আকাশে বাতাসে কোথাও কারোর জন্য জায়গা ছেড়ে রাখেনি। নির্বিকারে গাছ কেটেছে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বন , দূষিত করেছে জল, অধিকার করেছে আকাশ যান্ত্রিক দানবে। প্রকৃতি আজ সমস্ত কিছু পুনরুদ্ধার করছে। দিন যত এগোলো নিত্যনতুন ঘটনার সাক্ষী হলাম আমি। আমিও বন্দী, সেজন্য আমার অভিজ্ঞতাও বন্দী এবং সীমিত। তবুও এই সীমিত অভিজ্ঞতাই অন্যান্য সাধারণ দিনগুলি এর থেকে অনেক অংশে আলাদা। মেয়াদ বৃদ্ধির সাথে সাথে মানুষের খাদ্যাভাব, অর্থাভাব প্রকট হয়ে উঠতে লাগলো। কেউই এই ��ভূতপূর্ব অবস্থার জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিল না। চারিদিকে অস্ফুট হাহাকার যেন কানে আস্তে লাগলো, 'একমুঠো অন্ন চাই,বাঁচতে চাই'. বহু মানুষই জীবিকার টানে ও অন্যান্য প্রয়োজনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে। এমতবস্থায় তাদের জীবিকা বন্দীর তালিকাভুক্ত হলো, অতয়েব তারা ফিরতে চাইলো নিজের মাটিতে, বাঁচার তাগিদে। কিন্তু সমস্ত চাকার গতি আজ স্তব্ধ, সভ্যতার শুরুতে যে চাকা চলতে শুরু করেছিল এই প্রথমবারের জন্য তা থামলো। অগত্যা শ্রমজীবী মানুষ পায়ে হেঁটেই রওনা দিলো বাড়ির উদ্দেশ্যে। অনাহার ও পায়ে হেঁটে ঘরে ফেরার ধকল সামলে উঠতে পারলো না অনেকেই, মাঝ রাস্তায় মারা গেলো তারা। ট্রেনে চাপা পড়ে , ট্রাকে চাপা পড়ে মারা গেলো আরো অনেকে। সমাজের কঙ্কালসার ভাবমূর্তি বাইরে বেরিয়ে পড়তে লাগলো ক্রমশ। ডারউইন এর ন্যাচারাল সিলেকশন বলে প্রকৃতির প্রকোপ পরীক্ষার মাধ্যমে সর্বশক্তিমান বেছে নেয়। এক্ষেত্রে মানুষ প্রকৃতির সেই পরীক্ষা পদ্ধতিকে মিথ্যে করে টাকা ও ক্ষমতার জোরে অন্য মানুষের অধিকার খর্ব করে উঠে যেতে লাগলো ওপরে।
পর্ব -২: ফিরে এসো প্রকৃতি
জানালার বাইরে তাকালে মনে হয় এ এক কাল্পনিক জগৎ। কলকাতার বায়ুকে যে আমরা দিনে দিনে কতটা বিষাক্ত করে তুলেছি বন্দীদশায় বাইরে তাকালে পার্থক্য করতে কোনও অসুবিধা হয় না। ছাদে গিয়ে দাঁড়ালে যে কংক্রিটের জঙ্গল আধো কুয়াশায় ঢাকা বলে মনে হতো, তা এখন কাঁচের মতো স্বচ্ছ দেখা যায়। উত্তর কলকাতার শহরতলি থেকে অনেক দূরে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলে হাওড়া ব্রিজের মাথা দেখতে পাওয়া যায়। রোজ যেমন ডুবন্ত সূর্য ঝাপসা হয়ে যেত এখন তেমন হয় না, আকাশে রং বেরঙের খেলা দেখায়। সময় আরো কিছুদিন গড়ালে পরিবর্তনটাও আরো স্পষ্ট হতে থাকে। অহরহ পায়ের চেইপ যে তৃণরাশি কখনো মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি, সেই তৃণরাশিই এখন দাঁড়িয়ে সূর্য্য প্রণাম করে,শহর গড়ে ওঠার আগে এই জনপদও একদিন প্রকৃতি এর নিরবিচ্ছিন্ন অঙ্গ ছিল।আমরা মানুষেরাই যে সেই নাড়ির টান অস্বীকার করে দূরে সরে যাচ্ছিলাম, প্রকৃতি সস্নেহে তা বুঝিয়ে দিলো। সন্তান মায়ের ওপর হাজার অত্যাচার করলেও, বিপদে পড়লে মা সন্তানকে যেভাবে আঁকড়ে ধরে বাঁচাতে চায়, তেমনি নিজেকে সন্তানের বাসোপযোগী করে তুলতে চেষ্টা করলো। নেড়া মাঠে সবুজ ঘাসদের বেড়ে ওঠা তারই একটি প্রমান.
পর্ব -৩: রাত
যখন গ্রামের বাড়িতে থাকতাম, রাতের আকাশ আমাকে খুব টানতো। সেই ��ময় আমাদের গ্রামে বৈদ্যুতিক আলো ছিল না, তাই আকাশের থালা ভরা তারা দেখে অনেকটা সময় কাটিয়ে দিতাম।কলকাতায় বৈদ্যুতিক আলোর আধিক্যে এবং বায়ুদূষণের সুবাদে সেই সুযোগ প্রায় নেই বললেই চলে। হাতে গোনা কয়েকটা তারা দেখতে পাওয়া যায় কখনো কখনো কোনো বৃষ্টিস্নাত রাত্রে। আকাশটাও এই সুযোগে মুছে চকচকে করে দিয়েছে ধরিত্রী মা। এই কয়েক বছরে যা অভিজ্ঞতা হয়েছে তাতে আমাদের কলকাতা রাত্রে বেলাতেও সমান প্রানোচ্ছল থাকে। ছোট-বড়ো গাড়ির শব্দ, দূরে কোথাও মাইকের আওয়াজ, মাঝে মধ্যে আকাশে দৈত্যাকার বিমানের গর্জন প্রতি রাত্রেই শোনা যায়। কিন্তু কয়েক মাস ধরে সবই কেমন যেন নিস্তুপ, থমথমে। এই মহানগরীর এমন নিস্তব্ধ শান্তরূপ আজ অবধি আমি প্রতক্ষ্য করিনি। দিগন্ত বিস্তৃত ইট কাঠ পাথরের বাড়িঘর গুলো দাঁড়িয়ে আছে একদম চুপচাপ। মাঝে মাঝে অনেক্ষন তাকিয়ে থাকলে ভয় হয় যেন এই শব্দহীন নগরী আমাকে গ্রাস করতে আসছে। ইচ্ছে করে চিৎকার করে ঘুম ভাঙাই আমার শহরের। কিন্তু পরমুহূর্তেই ভাবাবেগ চেপে সেই ইচ্ছে দমন করে ফিরে আসি জানলার পাশ থেকে। এই কদিন যাবৎ জানলাটাই আমার বাহির জগতের সাথে একমাত্র যোগাযোগ।
পর্ব ৪: ঝড় আসার আগে
এরকম ভাবেই দিনগুলি কেটে যাচ্ছে ,যতদিন অতিবাহিত হচ্ছে আলোয় মোড়া কলকাতা গভীর অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছে। সেই অন্ধকারের ভেতর থেকে ভেসে আসছে কিছু মানুষের পায়ের শব্দ, আ�� বাঁচতে চেয়ে আর্তনাদ। ভাইরাস এর করাল গ্রাস আরো প্রকট হয়ে উঠলো সারাবিশ্বে। ইতালি, স্পেন আমেরিকা ,ফ্রান্স রাশিয়া এর মতো বিশ্বের প্রথম সারির উন্নত দেশ গুলি এই একুশ শতকেও এক ক্ষুদ্র ভাইরাস এর পদানত হয়ে যেতে লাগলো, মৃত্যুমিছিল থামবার নয়। আমার শহর ও আস্তে আস্তে মারণ ভাইরাস এর কবলে যেতে লাগলো। ভাইরাস এর ক্রমবর্ধমান প্রাদুর্ভাবের ফলে ২১ দিনের বন্দীদশার মেয়াদ ধাপে ধাপে বাড়ানো হলো। এতদিনে অনেকটা অভ্যেস হয়ে গিয়েছিলো এই শহরের এমন ব্যবস্থাপনা। পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য অনেক মানুষের সাহায্যের হাত ও এগিয়ে এসেছিলো। ঘরবন্দী একা জীবনেও মানুষ ছোট ছোট আনন্দের মুহূর্ত খুঁজে নিচ্ছিলো,একে অপরের পাশে দাড়াচ্ছিলো।
পর্ব ৫: ঝড়
মানুষ যখন ক্রমশ এই অভূতপূর্ব পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিচ্ছে কলকাতার বুকে নেমে এলো আর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঘূর্ণিঝড় আমফান। কলকাতার জেগে ওঠার মুহূর্তে পুনরায় আঘাত করে মেরুদন্ডটা দ্বিতীয়বারের জন্য ভেঙে দিয়ে গেলো। এবার সবথেকে বেশি আঘাত সহ্য করতে হলো সেই সব মানুষ কে যারা এতদিন জীবিকা হারিয়েছে, খা��্যাভাবে দিন কাটাচ্ছে। তাদের শেষ সম্বল, মাথা গোঁজার ঠাঁই টুকুও আর অবশিষ্ট থাকলো না। প্রাণটুকু সম্বল করে এসে দাঁড়ালো খোলা আকাশের নিচে। যারা ভিন রাজ্য থেকে হাজার বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে এসে পৌঁছেছিল তাদের ঠিকানায়, তারা দেখলো তাদের বাড়িঘর সমস্ত ধুয়ে মুছে গিয়েছে এই ঝড়ে।এর আগেও অনেকবার অন্য বিভিন্ন নাম নিয়ে ঘূর্ণিঝড় তান্ডব চালিয়েছে কোলকাতার বুকে, প্রতিবারই ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এই মহানগরী, কিন্তু এবারের তীব্রতা অনেকটাই বেশি ছিল। একবিংশ শতাব্দীর সমস্ত উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা কয়েক মুহূর্তের মধ্যে অকেজো করে, মানুষে মানুষে খবরাখবর বিচ্ছিন্ন করে দিলো কয়েকদিনের জন্য।বাঁধ ভেঙে বহু মানুষের বাড়ি ঘরে চলে গেলো জলের তলায়। কলকাতার অলি গলিও চলে গেলো এক কোমর ,কোথাও বা এক গলা জলের নিচে। অনেকদিন পর কোলকাতার মানুষ বিদ্যুৎ ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো। এই দীর্ঘ অবকাশে দূরভাষ যন্ত্র, গণকযন্ত্র, দূরদর্শন ছেড়ে বাইরে তাকানো এর সুযোগ পেলো, তাকালো কলকাতার দিকে।বাইরে তাকিয়ে চোখের সামনে ভেসে উঠলো কলকতার নগ্ন রূপ। সমস্ত দামী দামী পোশাক, ঝলমলে আলোর গহনা ছেড়ে কলকাতা ধরা দিলো আগল গায়ে। প্রকৃতি মানুষকে আরো কাছাকাছি নিয়ে এলো।
পর্ব ৬: শেষ থেকে শুরু
ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে কলকাতা এর আগেও অনেকবার প্রকৃতির কোপে পড়েছে, সেই বিপদ অতিক্রম করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সময়ের সাথে সাথে এবারও ঘুরে দাঁড়াবে। আমি যখন এই প্রবন্ধ লিখছি তখন ঝড়ে ভেঙে পড়া অনেক বাড়ি ঘর আবার উঠে দাঁড়াতে শুরু করেছে। এই সময় যাবৎ যে ক্ষত সৃষ্টি হলো কলকাতার বুকে সে ক্ষত হয়তো সেরে যাবে কিন্তু এর ক্ষত চিহ্ন যেন কলকাতাকে এই সময়ের কথা বার বার মনে করিয়ে দেয় । প্রকৃতির সাথে নাড়ির যোগ সম্পূর্ণরূপে ছিন্ন করার কথা যখনই মানুষের মনে আসবে এই ক্ষতচিহ্ন তাকে ভুলতে না দেয় দিনের শেষে ঘরে ফেরার রাস্তা। এই ভাবেই হয়তো আমিও মনে রাখবো আমার ঘরে ফেরার রাস্তা, একদিন হয়তো ফিরে যাবো আমার শেকড়ে, আমার বাড়িতে - মুর্শিদাবাদে।
-------উদ্দালক বিশ্বাস ১০/০৬/২০২০
0 notes
Text
জিয়ার কাছে খোলা চিঠি
প্রিয় জিয়া,
যত দূর জানি, তাঁকে ভালোবেসে আবদ্ধ হয়ে ছিলেন চির বন্ধনে। টুনাটুনির সংসারে প্রেমিক যুগলের ফ্রেমে বাঁধা ছবিগুলো নজরে এলে, অদ্ভুত ভাললাগা সঞ্চালিত হয়। ��র্ষান্বিত হয়ে ওঠে দাম্ভিক পরশ্রীকাতরেরা।
আপনাদের ভালোবাসার কাছে স্বয়ং কিউপিড পর্যন্ত ক্ষেই হারিয়ে তীর ছুড়তে ভুল যান। ভর করে অর্ফিয়াসের বাসরীতে।
অথচ প্রিয় মেজর; মার্চের সেই দিনে আপনি তাঁদের ফেলে রেখে গেলেন করুণাময়ের ভরসাতে। আমরা আপনার সে সমর যাত্রার প্রতি স্যালুট নিবেদন করি, ত্যাগের মহিমাতে ভাস্বর করি, গান কবিতার বোল ফোঁটাই। অথচ ছোট্ট দুই সন্তান আর মা'এর একাকিত্বের কথা বলি না।
এখানেই তো শেষ নয়। এই একাকী নারীকে দীর্ঘ ফেরারি জীবন পেরতে হয়েছে। এ বাড়ি থেকে সে বাড়ি, গরুর গাড়ি, এক হাটু কাদাজল ভেঙে দুই সন্তান নিয়ে পালিয়ে থাকা। আজ থেকে ৫১ বছর আগে কতটা যন্ত্রণাদায়ক ছিলো ভাবুন তো একবার।
প্রিয় জেনারেল: মার্চের সেই দিনে তাঁদের যদি সাথে নিতেন তবে পাক সেনাদের হাতে বন্দী হয়ে এতটা যন্ত্রণা নিগ্রহ, দুই সন্তান ও মা'কে পোহাতে হত না। মুক্তির এত বছর পরে এসে ৭১ এর ত্যাগের মহিমাতে উজ্জ্বল বন্দী জীবন নিয়ে বাংলাদেশ বিরোধী শক্তির অশালীন কটু বাক্য শুনতে হত না।
ডিয়ার জেনারেল, মাতৃভূমির প্রতি আপনার ত্যাগ, একটা মানুষের জীবনকে কতটা অসহ্য করে দিতে পারে বুঝতেন; যদি প্রাণে বেঁচে থাকতেন!
মান্যবর জিয়া, নিজ নিরাপত্তার প্রতি উদাসী ছিলেন আপনি। যত্রতত্র চলে যেতেন। আমরা বাহবা দিতাম, হাত তালি দিতাম। কলার ঝাঁকিয়ে বলতাম 'দেখ শালা প্রেসিডেন্ট কাকে বলে'।
নিয়তির উপহাস দেখুন প্রিয় প্রেসিডেন্ট, নিরপত্তা অবহেলায় প্রাণ বলীদান দিলেন। দুই সন্তান দেশ আর দলকে দ্রুতগামী এক্সপ্রেস ওয়ের মধ্যবাঁকে আচমকা গতিহীন করে চলে গেলেন। সে দায় পর্যন্ত মিটাতে হল সেই নিগৃহীত বিধবা কে।
আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী, কমরেডদের সাথে সাথে আপনার মৃত্যুতে ভেঙে পরলো দল। সেই দলের লালন পালনের গুরু দায়িত্ব বর্তে গেল সেই একজন বিধবার হাতে। কোথায় প্রেসিডেন্ট, আপনার এত দিনের বন্ধুরা সেদিন কোথায় লুকালেন?
আপনার ভেঙে পড়া দল, আপনার স্বাধীন করা দেশ, আপনার ৭১, আপনার সন্তান, আপনার প্রেম, আপনার ললাটে জ্বলজ্বলমান রাজ তিলক - এসবের ভার যিনি নেবেন তাকে সেই দায়ভার বয়ে বেড়ানোর দীক্ষাটুকুন আপনি দেন নি। চলার পথে কষ্টার্জিত জটিলতা, অভিজ্ঞতা থেকে ঠেকে ঠেকে শিখতে হয়েছে তাঁকে। তবুও একটি দিন, একটি মূহুর্তের জন্যও তাঁর মুখায়বে বিষাদের ছায়া দেখিনি। কর্তব্য পালনে কমতি দেখিনি।
প্রিয় চেয়ারম্যান আপনি জানলেন না একজন সৈনিক, যোদ্ধা ও রাষ্ট্রনায়ক হিসাবে দেশের যত আনাচে আনাচে আপনার পদচিহ্ন পরেছে তার থেকে বাংলার ধুলা মাটি জল পায়ে হেঁটে কম চলেন নি সেই নারী। যে দুপা সম্বল করে তিনি চষে বেড়িয়েছেন সমগ্র বাংলাদেশ সেই পা দুটি বড্ড বিষাদে আজ শ্রান্ত। অথচ সামান্য বিপদে আপদে আমরা অচল নির্বোধেরা মুখ লুকাই তাঁর আঁচলে, রক্ষা করি নিজেকে।
প্রিয় যোদ্ধা, এমন নির্বোধ, আহাম্মক, ভীতু সন্তানদের জিম্মাতে তাঁকে রেখে গিয়েছিলেন আপনি! ভরসা করেছিলেন আমাদের ওপর! আপনি না দূরদর্শী ছিলেন প্রেসিডেন্ট!
দুঃখিত Zia: The Patriot - দ্যা প্যাট্রিয়ট। সেই যোগ্যতা আমাদের হয়নি। আমাদের সামনে থেকে, আমাদের নাকের ডগা দূরত্বে দাঁড়িয়েও তাঁকে নির্যাতিত হতে হয়, আহত হতে হয়, অপমানিত ও লাঞ্ছিত হতে হয়। আমরা প্রতিবাদ করিনা, গর্জে উঠিনা। তলোয়ার হইয়াছে লাঙ্গলের ফলা।
তাঁকে গৃহহারা হয়ে অপমানে চোখের জলে স্নান করতে দেখেছি। কারাগারে ১৪ শিকে একাকী, অন্ধকার স্যাঁতস্যাঁতে ঘরে ঔষধ বিহীন, চিকিৎসা বিহীন মানবেতরে দিনপাত করে অন্ধত্বের পানে, পংগুত্বের পানে এগিয়ে যেতে দেখেছি। আমরা তাকে রক্ষা করতে পারিনি। বাঁধা হতে পারিনি, উদ্ধার করতে পারিনি। ন্যায়বিচারের পতাকা উড়িয়ে মুক্তির দাবীতে সোচ্চার হতে পারিনি। রাজপথে পিচ গলিয়ে দিতে পারিনি। দেশের পতকা ঊর্ধে তুলে জয়গান গাইতে পারিনি। ফ্যসিষ্টের পশ্চাতে লাথি মেরে আগুন জ্বালাতে পারিনি।
হ্যালো প্রেসিডেন্ট ; শুনতে পারছেন কি?
#wasimiftekhar #Repost
শুভ জন্মদিন নেত্রী
0 notes
Text
করোনা আক্রান্তের শরীরে জীবাণুনাশক প্রবেশ করানোর পরামর্শ ট্রাম্পের, ক্ষুব্ধ বিশেষজ্ঞরা
করোনাভাইরাসের চিকিৎসার কার্যকর পদ্ধতি উদ্ভাবনের জন্য বিজ্ঞানীদের মরিয়া প্রচেষ্টার মধ্যে এক অদ্ভুত পরামর্শ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ভাইরাসে আক্রান্তদের শরীরে জীবাণুনাশক প্রবেশ করিয়ে চিকিৎসা করা যায় কিনা গবেষকদের তা খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। আক্রান্তদের শরীরে অতিবেগুনি রশ্মির আলো প্রবেশ করিয়ে দেখারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে…
View On WordPress
0 notes
Text
সাবিত্রীর জন্মের সময় বাড়িতে উঠেছিল কান্নার রোল, শাঁখ বাজেনি
New Post has been published on https://sentoornetwork.com/sabitri-chatterjee-is-an-indian-actress-of-bengali-theatre-and-cinema/
সাবিত্রীর জন্মের সময় বাড়িতে উঠেছিল কান্নার রোল, শাঁখ বাজেনি
কমলেন্দু সরকার
তৎকালীন পূর্ববঙ্গের হাজিগঞ্জের স্টেশনমাস্টার ছিলেন শশধর চট্টোপাধ্যায়। শশধর চট্টোপাধ্যায়ের নিবাস ছিল ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের এক গ্রামে। হাজিগঞ্জ শশধরের রেল কোয়ার্টারে সেদিন খুশির আবহাওয়া। সময়টা ১৯৩৭-এর ২১ ফেব্রুয়ারি। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর আবহাওয়া গেল বদলে। বাংলার গ্রামেগঞ্জে নিয়ম হল সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরই শঙখধ্বনি হয়। কিন্তু চট্টোপাধ্যায় পরিবারে উঠল কান্নার রোল। কারণ, তাঁদে�� দশম সন্তানও কন্যা। সদ্যোজাত কন্যাসন্তানটির মা ইচ্ছাময়ীদেবীর আগের ন’টিও ছিল কন্যাসন্তান। আঁতুড়ঘরে আবার কন্যাসন্তানের খবর শুনে মূর্ছা গেছিলেন ইচ্ছাময়ীদেবী।তবে সাবিত্রী কোনওদিনই অবহেলিত ছিলেন না পরিবারে। বরং দিদিদের চেয়ে একটু বেশিই প্রশ্রয় পেয়েছিলেন বাবা-মায়ের কাছে। তাই যেদিন সাবিত্রী বায়না কলকাতা আসার জন্য সেদিন না-করতে পারেননি তাঁর বাবা-মা। সাবিত্রীর কাছে কলকাতা ছিল এক স্বপ্নের জগৎ। তিনি কলকাতা এসেছিলেন এক পড়শির সঙ্গে। সেই প্রতিবেশী কলকাতা এসেছিলেন তাঁদের সন্তানের চিকিৎসা করাতে। তবে সাবিত্রীর বাবা সেই প্রতিবেশীকে বললেন, আপনারা গিয়ে ওর দুই দিদির যে-কোনও একজনের কাছে দিয়ে আসবেন। সাবিত্রী কলকাতা এসে উঠেছিলেন বরানগরের দিদির বাড়ি। সেই দিদির শ্বশুরমশাই ছিলেন বরানগর থানার ওসি। পরবর্তী সময়ে তিনি হয়েছিলেন টালিগঞ্জ থানার ওসি। সাবিত্রীও হলেন টালিগঞ্জের বাসিন্দা। একদিন তৎকালীন পূর্ববঙ্গের পাট চোকাতে হল চট্টোপাধ্যায় পরিবারের। তাঁরাও সম্পত্তির বিনিময়ে এসে উঠেছিলেন টালিগঞ্জ। এই টালিগঞ্জই পরবর্তী কালে কর্মক্ষেত্র হয়ে উঠল সাবিত্রীর। জানা যায়, সাবিত্রীর অভিনয়জীবন শুরু ১৯৪৮-এ ঢাকার কমলাপুর ড্রামাটিক অ্যাসোসিয়েশনের ‘টিপু সুলতান’ নাটকে। সোফিয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।তিনি নাকি পূর্ববঙ্গের শৌখিন নাটকের প্রথম মহিলা শিল্পী। সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় একটা সময় একস্ট্রার কাজের জন্য টালিগঞ্জ স্টুডিয়োপাড়ায় গিয়ে লাইন দাঁড়িয়েছিলেন। স্কুলে পড়ার সময় সাবিত্রীর অদ্ভুত এক শখ ছিল রাংতা মোড়া পান খাওয়া। রাসবিহারী মোড়ের এক পানের দোকানে থেকে পান খেতেন। সাবিত্রী দেখতেন তাঁকে রোগা মতো এক ভদ্রলোক খুব লক্ষ করেন। তিনি ছিলেন সাম্যময় বন্দ্যোপাধ্যায়। সিনেমা করতেন ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় নামে। হ্যাঁ, ইনিই বাংলা ছবির কমেডিয়ান ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়। ভানুর সঙ্গেই আসা অভিনয় করতে আসা সাবিত্রীর। নাটকের নাম ‘নতুন ইহুদি’। নাট্যকার সলিল সেন। পরিচালক কানু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গেই রিহার্সাল দিতে আসতেন চেতলায় ‘উত্তর সারথি’র রিহার্সাল রুমে। একদিন রিহার্সাল দিতে যাওয়ার পথে সাবিত্রীর খালি-পা দেখে জুতো কিনে দিয়েছিলেন ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়।
‘নতুন ইহুদি’র রিহার্সাল রুমে একদিন এসেছিলেন পরিচালক সুধীর মুখোপাধ্যায়ের সহকারী বিনু বর্ধন। সুধীর মুখোপাধ্যায় সেইসময় ‘পাশের ছবি’টি করবেন বলে ঠিক করেছেন। তা জানা গেছিল বিনু বর্ধনের কাছে। তখন ভানু বললেন, ‘তুই কটকটিরে লইয়া যা সুধীরদার কাছে।’ কটকটি নামটি শুনে বুঝতে পারলেন না। সবাই মুখ চাওয়াচাওয়ি করছে। তখন ভানুই পর্দা ফাঁস করলেন। বললেন, ‘আমি সাবিত্রীরে কটকটি বইলা ডাকি।’ তারপর একদিন রাধা ফিল্মস স্টুডিয়োয় গিয়ে টেস্ট দিলেন সাবিত্রী। পাশ করলেন তিনি। বহুদিন পর ‘পাশের বাড়ি’র শুটিং শুরু ���য়েছিল দক্ষিণশ্বরের ইস্টার্ন টকিজ স্টুডিয়োয়। সাবিত্রীর পারিশ্রমিক হল মাসে দু’শো টাকা। অ্যাডভান্স একশো। শুটিং প্যাক আপ হতেই বাড়ি ফিরে আগে বাবার হাতে টাকাটা তুলে দিয়েছিলেন সাবিত্রী। বাবা-মেয়ে দু’জনের চোখেই জল টলটল করে উঠেছিল সেদিন। ‘পাশের বাড়ি’ বক্স-অ��িসের সাফল্যে সাবিত্রীর অভিনয়জীবনে ছবির বন্যা বয়েছিল। সে বছরই পাঁচটি ছবি করলেন সাবিত্রী। পরের বছর ঠিক এর দ্বিগুণ। দশটি ছবি করলেন। আর পিছন ফিরে তাকাতে হল না তাঁকে। সাবিত্রী-উত্তম জুটি আজ বাংলা ছবির ইতিহাস। অভিনয়ের সর্বত্র তাঁর স্বচ্ছন্দ চলাফেরা। দু’শোরও বেশি ছবিতে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় অভিনয় করেছেন। চমৎকার কমেডি করতে পারেন তিনি। উত্তমকুমার একবার বলেছিলেন, ‘আমি সেটে দু’জনকে সমীহ করে চলতাম। একজন বুড়ো (ভাই তরুণকুমার) অন্যজন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। এরা কখন যে মেরে বেরিয়ে তা কেউই বলতে পারবে না। তাই ওদের সঙ্গে সতর্ক হয়ে অভিনয় করতাম।’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি পেশাদার মঞ্চেও প্রায় নিয়মিত অভিনয় করেছেন। ‘শ্যামলী’ নাটকে কেন্দ্রীয় চরিত্র এবং ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’-র পদ্মঝি আজও মনে রেখেছেন বর্ষীয়ান দর্শকেরা। ভবানীপুরে উত্তমকুমারের নাটকের দল ‘কৃষ্টি ও সৃষ্টি’ তিনি ‘আজকাল’, ‘কানাগলি’ ইত্যাদি নাটকে অভিনয় করেছেন। তিনি এখনও কর্মক্ষম। বাংলা টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করতে দেখা যায় সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়কে।
1 note
·
View note
Text
এক হৃদয়স্পর্শী হজ্জের গল্প . সাঈদ জেদ্দাহ এয়ারপোর্টের ওয়েটিংরুমে বসে ছিলেন। তার পাশে আরো একজন ছিলেন, তিনিও হজ্জ সম্পন্ন করেছেন। নীরবতা ভেঙে মানুষটি বললেন, "আমি একজন ঠিকাদার হিসেবে কাজ করি এবং আল্লাহ আমাকে ১০তম হজ্জ পালন করার সৌভাগ্য দিয়েছেন।" সাঈদ বললেন, "হজ্জ মাবরুর! আল্লাহ আপনাকে কবুল করুন এবং গুনাহ সমূহ ক্ষমা করুন।" . মানুষটি মুচকি হাসলেন এবং সাঈদের দুআর সাথে আমীন বললেন। এরপর বললেন , "আপনি কি এর আগে হজ্জ করেছেন?" সাঈদ বলতে ইতস্ততঃ করলেন। কিছুক্ষণ পর বললেন, "ওয়াল্লাহি! এটা অনেক দীর্ঘ গল্প। আমি চাইনা আমার কথায় আপনার মাথা ব্যাথা হোক! লোকটি বললেন, দয়া করে আমাকে বলুন, আমাদের তো এখানে অপেক্ষা করা ছাড়া এমনিতেই কিছু করার নেই।" . সাঈদ হাসলেন, বললেন “হ্যা, অপেক্ষা দিয়েই আমার গল্পের শুরু! হজ্জে যাবার জন্য আমি অনেক বছর যাবত অপেক্ষা করছিলাম। ফিজিওথেরাপিস্ট হিসেবে ৩০ বছর একটা প্রাইভেট হাসপাতালে কাজ করার পর আমি হজ্জের জন্য যথেষ্ট টাকা জমাতে পেরেছিলাম। যেদিন আমি টাকা তুলতে গিয়েছিলাম সেইদিনই হঠাৎ এক মায়ের দেখা পেলাম যার প্যারালাইজড সন্তানের চিকিৎসা আমি করেছিলাম। সেদিন সেই মা'কে খুব চিন্তিত মনে হলো। তিনি বললেন, "আল্লাহ আপনাকে রক্ষা করুন ভাই সাঈদ। এটা আমাদের হাসপাতালে শেষদিন।" . আমি তার কথা শুনে অবাক হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম তিনি আমার চিকিৎসায় খুশি নন। তাই তিনি তার সন্তানকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন। বিষয়টা আমি উনাকে বলেই ফেললাম। কিন্তু মহিলাটি বললেন, "না ভাই সাঈদ, আল্লাহ সাক্ষী যে আপনি আমার ছেলের সাথে পিতার মত আচরণ করেছেন এবং চিকিৎসা দিয়ে তাকে সাহায্য করেছেন যখন আমরা আশা হারিয়ে ফেলেছিলাম।" এরপর তিনি বিষন্নভাবে চলে গেলেন। . পাশে থাকা মানুষটি কথার মাঝখানে বাধা দিয়ে বললেন, "ব্যাপারটা অদ্ভুত! যদি তিনি আপনার চিকিৎ��ায় সন্তুষ্ট হয়ে থাকেন আর তার ছেলের উন্নতিও হচ্ছিল, তবে কেন তিনি চলে গিয়েছিলেন?" সাঈদ বললেন, "সেটা আমিও ভেবেছিলাম।তাই কি ঘটেছে তা জানার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়েছিলাম। তারা আমাকে বলেছিল যে ছেলেটার বাবার চাকরি চলে গিয়েছিল, তাই তার ছেলের চিকিৎসার খরচ চালাতে পারছিলেন না।" . পাশে বসা মানুষটি বললেন, "আল্লাহ ছাড়া কারো কোন শক্তি,সামর্থ্য নেই। তাদের কত দুর্ভোগ! আপনি কিভাবে ব্যাপারটা সুরাহা করেছিলেন?" সাঈদ বললেন, "আমি ম্যানেজারের কাছে গেলাম এবং হাসপাতালের খরচে ছেলেটার চিকিৎসা করাতে যুক্তিতর্ক করলাম।কিন্তু সে তৎক্ষণাৎ আমার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল এবং বলল, 'এটা একটা প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান, দাতব্য সংস্থা না।'" আমি পরিবারটির জন্য দুঃখ-ভারাক্রান্ত মনে অফিস ত্যাগ করলাম। . তখন হঠাৎ আমার পকেটে হাত রাখলাম, সেখানে আমার হজ্জের জন্য প্রস্তুতকৃত টাকাগুলো ছিল। আমি আমার জায়গায় কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়ালাম , আসমানে দিকে মাথা তুলে আমার রবকে বললাম, "ও আল্লাহ! আপনি জানেন এই মুহুর্তে আমার মনের অবস্থা কেমন! আপনার ঘরে যাওয়া ও হজ্জ করা এবং আপনার রাসূলের মসজিদে যাওয়ার চেয়ে আমার কাছে অধিক প্রিয় কিছুই নেই। আপনি জানেন আমি সারাটি জীবন এই মূহূর্তের জন্য কাজ করেছি।কিন্তু আমি এই দরিদ্র মহিলা ও তার সন্তানকে নিজের উপর প্রাধান্য দিচ্ছি।তাই আপনার অনুগ্রহ থেকে আমাকে বঞ্চিত করবেন না।" আমি হিসাবের ডেস্কে গেলাম এবং ছেলেটার চিকিৎসার জন্য আমার কাছে থাকা সমস্ত টাকা দিয়ে দিলাম।যা পরবর্তী ছয়মাসের জন্য যথেষ্ট ছিল। আমি হিসাবরক্ষককে অনুনয় করে বললাম যেন মহিলাটিকে বলা হয়, বিশেষ অবস্থার কারণে চিকিৎসার খরচ হাসপাতাল থেকে দেয়া হচ্ছে। . হিসাবরক্ষক এর দ্বারা প্রভাবিত হলেন, তার চোখে পানি এসে গেল। বললেন ‘বারাক আল্লাহ ফিক।’ পাশে বসা মানুষটি বললেন, "আপনি যদি আপনার সমস্ত টাকা দান করে থাকেন,তাহলে আপনি কিভাবে হজে এলেন?" সাঈদ বললেন, "সেদিন বিষন্ন মনে ঘরে ফিরে এলাম, হজ্জে যাওয়ার সুযোগ হারানোর কারণে মন খুব খারাপ ছিল। কিন্ত আমার মন আনন্দে ভরে উঠেছিল এই কারণে যে আমি এক মহিলা ও তার সন্তানের দুঃখ দূর করেছিলাম। আমি সেই রাতে ঘুমাতে গেলাম অশ্রুসিক্ত অবস্থায়। স্বপ্নে দেখলাম আমি কাবা ঘর তাওয়াফ করছি এবং মানুষেরা আমাকে সালাম দিচ্ছিল। তারা আমাকে বলেছিল, "হজ্জ মাবরুর, হে সাঈদ! কারণ তুমি পৃথিবীতে হজ্জ করার আগেই নভোমণ্ডলে হজ করেছ।" . আমি তাৎক্ষণিকভাবে জেগে উঠলাম এবং অবর্ণনীয় আনন্দ অনুভব করলাম।সবকিছুর জন্য আল্লাহর প্রশংসা করলাম এবং তার সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট ছিলাম। যখন ঘুম থেকে জেগে উঠলাম আমার ফোন বেজে উঠল।হাসপাতালের ম্যানেজারের ফোন। তিনি আমাকে বললেন, "হাসপাতালের মালিক এ বছর হজ্জে যেতে চাচ্ছেন এবং তিনি ব্যক্তিগত থেরাপিস্ট ছাড়া সেখানে যাবেন না। কিন্তু তার থেরাপিস্টের স্ত্রী গর্ভবতী এবং তিনি গর্ভাবস্থার অন্তিম পর্যায়ে পৌছেছেন। তাই সে তার স্ত্রীকে ছেড়ে যেতে পারছে না। আপনি কি আমার একটা উপকার করবেন? আপনি কি তাকে তার হজ্জে সঙ্গ দিতে পারেন?" . আমি শুকরিয়ার সিজদা করলাম। আপনি আজকে আমাকে এখানে দেখছেন, আল্লাহ তার ঘরে যাওয়ার জন্য আমাকে কবুল করলেন কোন অর্থব্যয় ছাড়া। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর।হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী আমাকে কিছু দিতে জিদ করলেন। আমি তখন তাকে সেই মহিলা আর তার ছেলের গল্প তাকে শুনালাম। তিনি নিজ খরচে ছেলেটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে চাইলেন। আর নিঃস রোগীদের জন্য হাসপাতালে একটা দানবাক্সের কথা ভাবলেন। তার উপর তিনি ছেলেটির বাবাকে তারই একটা কোম্পানিতে চাকরি দিয়েছিলেন। এমনকি তিনি সে টাকাগুলোও ফেরত দিয়েছিলেন যা আমি ছেলেটার চিকিৎসার জন্য দিয়েছিলাম। আপনি কি আমার রবের অনুগ্রহের চেয়ে বড় অনুগ্রহ আর দেখেছেন? সুবহানআল্লাহ!" . পাশে বসা মানুষটি তাকে জড়িয়ে ধরলেন এবং বললেন আমি কখনো আজকের মত লজ্জা অনুভব করিনি। আমি একবছর অন্তর হজ পালন করতাম আর ভাবতাম আমি মহৎ কোনো কাজ করছি। আর ফলাফলস্বরূপ আল্লাহর কাছে আমার অবস্থান উন্নত হবে। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি আপনার হজ্জ আমার হাজার হজ্জের সমতুল্য। . আমি আল্লাহর ঘরে গিয়েছিলাম, কিন্তু আল্লাহ তাঁর ঘরে আপনাকে আমন্ত্রণ করেছেন। আল্লাহ আপনার হজ্জ কবুল করুন!" সীরাত পাবলিকেশন [সংগৃহীত ও সম্পাদিত]
0 notes
Text
#হিরো_আলম_ও_একজন_ছক্কা_ছয়ফুর
ইতিহাসে আর কখনো এমন মানুষের জন্ম হবে কি না সন্দেহ! তাঁর নাম ছয়ফুর রহমান। পেশায় ছিলেন বাবুর্চি। খুব নামিদামি বাবুর্চি এমন নয়। সিলেটের সালুটিকর নামের একেবারেই গ্রাম্য বাজারের পাশের ছাপড়া ঘরের দিন আনি দিন খাই বাবুর্চি। তাঁর দ্বিতীয় পেশা ছিল ঠেলাগাড়ি চালনা। যখন বাবুর্চিগিরি করে আয় রোজগার হতো না তখন ঠেলাগাড়ি চালাতেন। কিন্তু এই লোকটির ছিল অসম সাহস। যেকোনো ইস্যুতে তিনি একেবারেই জনসম্পৃক্ত রাজনীতি করতেন। ধরুন সালুটিকর থেকে শহরে আসার বাসভাড়া আটআনা বেড়ে গেছে। ছয়ফুর রহমান কোর্ট পয়েন্টে একটা মাইক বেঁধে নিয়ে ওইদিন বিকালে প্রতিবাদ সভা করবেনই করবেন।
বক্তা হিসেবে অসম্ভব রসিক লোক ছিলেন। ছড়ার সুরে সুরে বক্তৃতা করবেন। তারপর মূল ইস্যু নিয়ে অনেক রসিকতা করবেন; কিন্তু দাবি তাঁর ঠিকই থাকবে। তার বক্তৃতা শুনতে সাধারণ শ্রমজীবি মানুষের ভিড় হতো। তো বক্তৃতা শেষ হওয়ার পরেই তিনি একটুকরো কাপড় বের করে সামনে রাখতেন। তারপর সবাইকে সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় বলতেন, ‘আমি এই যে আপনাদের জন্য আন্দোলন করতেছি, আমার মাইকের খরচ দিবে কে? মাইকের খরচ দেন।’
অদ্ভুত ব্যাপার হল, কোনোদিনই মাইকের খরচ উঠতে দেরি হয়েছে এমনটা হয়নি। দুই টাকা, এক টাকা করে তার সামনের কাপড়টি ভরে উঠত। তারপর যখন তিনশ’ টাকা হয়ে গেল তখন মাইকের খরচ উঠে গেছে; তিনি তার কাপড়টি বন্ধ করে দিতেন। অনেক সময় তার লেখা বই বিক্রি করেও জনসভার খরচ তুলতেন। অদ্ভ��ত কয়েকটি চটি সাইজের বই ছিল তার। একটির নাম ‘বাবুর্চি প্রেসিডেন্ট হতে চায়’। সেই বইটির পেছনে তার দাত-মুখ খিচানো একটা সাদাকালো ছবি, নিচে লেখা ‘দুর্নীতিবাজদেরকে দেখলেই এরকম ভ্যাংচি দিতে হবে’।
ছয়ফুর রহমান প্রথম দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আশির দশকের শুরুতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে। তখন দেশে সরাসরি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতেন। তো সব প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর নিরাপত্তার জন্যই সঙ্গে পুলিশ দেওয়া হলো। ছয়ফুর তাঁর নিরাপত্তার জন্য দেিয়া পুলিশ প্রত্যাখ্যান করে বললেন, ‘এদেরকে খাওয়ানোর সাধ্য আমার নাই’। তবু সরকারি চাপাচাপিতে তাকে নূন্যতম দুইজন পুলিশ সঙ্গে নিতে হলো।
সে সময় দেখা যেত রিক্সায় দুইপাশে দুই কনেস্টবল আর ছয়ফুর রহমান রিক্সার মাঝখানে উঁচু হয়ে বসে কোথাও যাচ্ছেন। নির্বাচনে খারাপ করেননি। সেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি ৬০-৬৫ জন প্রার্থীর মাঝে ৮ নম্বর হয়েছিলেন। তারপর এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমি দেশের ৮ নম্বর প্রেসিডেন্ট। ইলেকশনের দিন বাকি ৭ জন মরে গেলে আমি প্রেসিডেন্ট হতে পারতাম।’
অদ্ভুত এবং মজাদার সব নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল তাঁর। যেমন, দেশের কোনো রাস্তাঘাট পাকা করার দরকার নেই! রাস্তা তুলে দিয়ে সেখানে খাল করে ফেলতে হবে! নদীমাতৃক দেশে সেই খাল দিয়ে নৌকায় লোকজন চলাচল করবে! খালের পানিতে সেচ হবে-সব সমস্যার সহজ সমাধান। তাঁর দলের নাম ছিল ‘ইসলামি সমাজতান্ত্রিক দল’। সেই দলে কোনো সদস্য নেওয়া হতো না। এমনকি উনার স্ত্রীকেও সদস্য করেননি। তিনি বলতেন, ‘একের বেশি লোক হলেই দল দুইভাগ হয়ে যাবে’।
ছক্কা ছয়ফুর বেশ কয়েকবার নির্বাচন করেছেন। কখনোই তাঁকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি; সবাই মজার ক্যান্ডিডেট হিসেবেই নিয়েছিল। কিন্তু তিনি ১৯৯০ সালের উপজেলা নির্বাচনে সিলেট সদর উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। সে এক কাণ্ড ছিল বটে। যথারীতি ছয়ফুর রহমান প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর প্রতীক-ডাব। তিনি একটা হ্যান্ডমাইক বগলে নিয়ে একা একা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। পোস্টার লিফলেট কিছুই নেই। কিন্তু বক্তৃতা তীর্যক। বাকি প্রার্থীদেরকে তুলাধুনা করে ফেলছেন। এরকম এক সন্ধ্যায় সিলেটের টিলাগড়ে তার উপর অন্য এক প্রার্থীর কয়েকজন পান্ডা হামলা করে বসল।
পরের দিন সেই খবর গোটা শহরে ছড়িয়ে পড়ল। সাধারণ মানুষ বিরক্ত হলো। আহা! একেবারেই সাধারণ একটা মানুষ, তাঁর সঙ্গে গুন্ডামি করার কী দরকার ছিল?
ওইদিন বিকালে স্কুল ছুটির পর প্রথম মিছিল বের হলো সিলেট পাইলট স্কুলের ছাত্রদের উদ্যোগে। মিছিল লালদিঘীর রাস্তা হয়ে বন্দরবাজারে রাজাস্কুলের সামনে আসার পর রাজাস্কুলের ছেলেরাও যোগ দিল। ব্যস, বাকিটুকু ইতিহাস। মুহূর্তেই যেন সারা শহরে খবর হয়ে গেল। সন্ধ্যার মধ্যেই পাড়া-মহল্লা থেকে মিছিল শুরু হলো ছয়ফুরের ডাব মার্কার সমর্থনে। একেবারেই সাধারণ নির্দলীয় মানুষের মিছিল। পাড়া মহল্লার দোকানগুলোর সামনে আস্ত আস্ত ডাব ঝুলতে থাকল। রিক্সাওয়ালারা ট্রাফিক জ্যামে আটকেই জোরে জোরে ‘ডাব, ডাব’ বলে চিৎকার শুরু করে! সেই স্লোগান ম্যাক্সিকান ওয়েভসের মতো প্রতিধ্বনি হয়ে এক রাস্তা থেকে আরেক রাস্তায় চলে যায়। অনেক প্রেসমালিক নিজেদের সাধ্যমতো হাজার দুইহাজার পোস্টার ছাপিয়ে নিজেদের এলাকায় সাঁটাতে থাকলেন। পাড়া-মহল্লার ক্লাব-সমিতিগুলো নিজেদের উদ্যোগে অফিস বসিয়ে ক্যাম্পেইন করতে থাকল।
অবস্থা এমন হলো যে, ছয়ফুর রহমানকে নির্বাচনী সভায় আনার এপয়েন্টমেন্ট পাওয়াই মুশকিল হয়ে গেল। ছয়ফুর রহমান ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ তাঁদের অফিস ছেড়ে দিল ছয়ফুরের নির্বাচনী প্রচার অফিস হিসেবে। পাড়ায় পাড়ায় ছেলেরা তাঁর নির্বাচনী জনসভার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু সেখানে আনতে হলেও আগে মূল অফিসে গিয়ে ৫০০ টাকা এডভান্স করে আসতে হয়, নইলে ছয়ফুর রহমান আসেন না! কারণ, তাঁর বাবুর্চিগিরি বন্ধ হয়ে গেছে। ফুলটাইম নির্বাচন করতে হলে সংসার খরচ দরকার। আমার মনে হয় তিনিই একমাত্র প্রার্থী, যাকে তাঁরই নির্বাচনী জনসভায় নিয়ে আসার জন্য উল্টো টাকা দিতে হচ্ছে।
নির্বাচনের দিন জনগণ এক মহ-বিস্ময় প্রত্যক্ষ করল। আওয়ামীলীগে�� প্রার্থী ইফতেখার হোসেন শামীম জামানত রক্ষা করেছিলেন। আর মেজর জিয়ার দল সহ বাকি সবারই জামানত বাজেয়াপ্ত হলো। ডাব প্রতীকে ছয়ফুর পেয়েছিলেন ৫২ হাজার ভোট আর চাক্কা প্রতীকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ইফতেখার হোসেন শামীম পেয়েছিলেন ৩০ হাজার ভোট। দক্ষিণ সুরমার এক কেন্দ্রে ছয়ফুর রহমানের ডাব পেয়েছিল ১৮০০+ ভোট! ওই কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রজাপতি মার্কা পেয়েছে ১ ভোট।
আরও অবাক করা একটি ব্যাপার ঘটে নির্বাচনের দিন। প্রায় ভোটকেন্দ্রে জনগণ ডাব মার্কার ব্যালেটের সাথে টাকাও ব্যালেটবাক্সে ঢুকিয়ে দেয়। নির্বাচনের পরে ছয়ফুর রহমানের নাম পড়ে গেল ছক্কা ছয়ফুর। তিনি হাসিমুখে সেই উপাধি মেনে নিয়ে বললেন, ‘নির্বাচনে ছক্কা পিটানোয় মানুষ এই নাম দিয়েছে’। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ছক্কা ছয়ফুর সফল ছিলেন। তাঁর মূল ফোকাস ছিল প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষা ঠিক করা। হুটহাট যেকোনো প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রাইমারি স্কুলে ঢুকে পড়তেন। শিক্ষক অনুপস্থিত থাকলেই শোকজ করে দিতেন। সেই সময় প্রাইমারি স্কুলগুলো উপজেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণে ছিল অনেকটাই।
তবে ছয়ফুর রহমানকে চ্যালেঞ্জ নিতে হয় বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কারণে। ইউনিয়ন পরিষদের দুর্নীতি বন্ধে তিনি ছিলেন আপসহীন। এতে ক্ষিপ্ত চেয়ারম্যানরা একজোট হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দিলে যতদূর মনে পড়ে তাঁর উপজেলা চেয়ারম্যানশিপ স্থগিত করে মন্ত্রণালয়। পরে ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে উপজেলা পরিষদ বাতিল করে দিলে ছক্কা ছয়ফুরের স্বল্পমেয়াদী জনপ্রতিনিধিত্বের চিরতরে ইতি ঘটে।
এক নির্বাচনে খরচের জন্য তিনি কিছু টাকা সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু নির্বাচন কোনো কারণে হয়নি। কিন্তু ছয়ফুর জনগণের টাকা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে সেই ঐতিহাসিক কোর্টপয়েন্টে আবার আসলেন। এসে বলেলেন, ‘আপনারা তো আমাকে নির্বাচনে খরচ চালানোর জন্য কিছু টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু যেহেতু নির্বাচন হচ্ছে না; তাই আমি আপনাদের টাকাগুলো ফেরত দিতে চাই।’ লোকজন অনেক খুশি হয়ে বলল, ‘আমরা টাকা ফেরত নিতে চাই না; এগুলো আপনি নিয়ে নিন’।
তিনি যখন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হলেন তখন রেজিষ্টারি মাঠে তার প্রথম জনসভা ছিল। হাজার হাজার মানুষের ঢল। তিল ধারণের ঠাঁই নেই। তিনি তার বক্তব্যে প্রথমেই সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘আমার নির্বাচনের শুরুতে আমার দুইটা ঠেলাগাড়ি ছিল। সংসার চলে না তাই একটি বেছি লাইছি। আর আমার বাড়িতে আপনারার বসাবার জায়গা ও নাই। পয়লা যখন রিলিফের চালান পাইমু সেখান থেকে কিছু বেছিয়া আপনারার বসাবার জায়গা করবো যদি আপনারা অনুমতি দেন।’ তখন হাজার হাজার জনগণ একসাথে ��েসে উঠে বলল, ‘অনুমতি দিলাম’। তিনি ছোট ছোট কয়েকটি বইও রচনা করেন। ‘বার্বুচি প্রেসিডেন্ট হতে চায়’, ‘পড়, বুঝাে, বল’ তার আলোচিত বই।
জীবনের শেষ সময়ে এই মহান মানুষটি সিলেট ডিসি অফিসের বারান্দায় চিকিৎসা খরচের দাবীতে অনশন করেছিলেন এবং দাবী আদায়ও করেছিলেন।
হিরো আলম দেখতে খারাপ এইতো, যে দেশে ইয়াবা ব্যাবসায়ী এমপি হয় সেই দেশে হিরো আলমদের জন্মানো পাপ।
পাচ বছর পর পর শুধু আমরা দল পাল্টাই নীতি পাল্টাইনা আর চায়ের দোকানে লম্বা ডায়লগ সরকার ভালো না। আগে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন , আর সৎ নেতৃত্বের গন্ধ ছক্কা ছয়ফুর, হিরো আলমদের মাঝ থেকেই আসে, ব���যানার ফেস্টুনে ময়দা মাখা ছবি দিয়ে পার্লামেন্টে বসা যায়, জনগনের নেতা হওয়া যায় না। আর এসব ব্যাবসায়ী নেতারা ও তাদের চ্যালারা চায় না ভাল মানুষ নেতা হউক।
তাই দল নয়, ব্যাক্তি দেখে নেতা নির্বাচিত করুন।
(বিদ্র: ছক্কা ছয়ফুরের নীতি, আদর্শ, ত্যাগ হয়তো কারো সাথে মিলবে না , আর হিরো আলমের সাথে তার তুলনা করাটাও যৌক্তিক নয়,কিন্তু তিনি যে চমক সৃষ্টি করেছেন তা হিরো আলম না হয়ে অন্য কারোর মধ্যে ঘটলে অবাক হবো না, তবে দেশের এই জীর্ন রাজনীতিতে একটা চমক, সময়ের দাবী, ৪৭ বছরে অনেক মহাগুরু পন্ডিতই দেশকে বার বার দূর্নিতিতে চ্যাম্পিয়ান করেছেন, এবার না হয় সাদামাটা সৎ রাজনীতির দেখা মিলুক, সেটা যে কারোর মাধ্যমে হতে পারে, হিরো আলমই হবেন এমন নয়, সু দিনের স্বপ্ন দেখতে তো আর পয়সা লাগেনা!
0 notes