#অদৃশ্য শত্রু
Explore tagged Tumblr posts
Link
ইসলামে পুরুষদের ৪টি পর্যন্ত বিবাহের অনুমতি প্রসঙ্গ
পৃথিবীতে অনেক ধর্ম আছে। প্রায় শ-খানেক তো হবেই। ইসলাম পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম। পৃথিবীর প্রত্যেক চার জন মানুষের একজন মুসলমান। মাত্র সারে চোদ্দশ’ বছরে এই ধর্ম সারা পৃথিবীজুড়ে বিস্তৃতি লাভ করেছে। মিডিয়া ও ইসলামের সমালোচকরা এই বলে অপবাদ দেয় যে, ইসলাম নারীদের অধিকার দেয় না, বহু বিবাহ বৈধ করেছে ইত্যাদি। এই বহু বিবাহ নিয়ে কয়েকটি কথা বলা যাক। আল্লাহ তালা বলেন, "বিবাহ কর নারীদের মধ্য হতে যাকে তোমাদের ভালো লাগে, দুই ,তিন আথবা চারটি। আর যদি আশঙ্কা কর যে (স্ত্রীদের মাঝে) সুবিচার করতে পারবে না, তাহলে (মাত্র) একটি (বিবাহ কর)…."(সুরা নিসা ০৩:০৩) এই আয়াতে বোঝা যাচ্ছে যে কোনো মুসলমান ইচ্ছা করলে একের অধিক বিয়ে (চারের বেশি নয়) করতে পারে। কিন্তু তাতে শর্ত হলো তাকে তার স্ত্রীদের মাঝে সুবিচার অর্থাৎ একাই রকম ভালবাসা, খাদ্য, বস্ত্র দিতে হবে এবং তাদের একের উপর অপরকে প্রাধান্য দেওয়া চলবে না। আর যে একাধিক বিয়ে করতে ইচ্ছুক কিন্তু তার মনে হচ্ছে তার স্ত্রীদের মাঝে সুবিচার বা সমতা রাখতে পারবে না তাহলে তাকে একটি বিয়েতেই সন্তুষ্ট থাকতে বলা হচ্ছে। স্ত্রীদের মাঝে সুবিচার করা নিশ্চয় কঠিন কাজ। আল্লহ মানুষকে সাবধান করে বলেছেন, "তোমরা যতই আগ্রহ রাখো না কেন, তোমাদের স্ত্রীদের প্রতি সমান ব্যবহার করতে কখনো সক্ষম হবে না……”
(সুরা নিসা ০৪:১২৭) উপরের দুটি আয়াত থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে ইসলামে চারটি বিবাহ করা বৈধ কিন্তু একটি বিবাহ করতে উপদেশ দেওয়া হয়েছে এবং বহু বিবাহে ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে। যেমন আল্লাহ বলেন, “….তোমরা এক জনের প্রতি সম্পূর্ণরূপে ঝুঁকে পর না ও অপরকে (অপর স্ত্রীকে) ঝুলন্ত অবস্তায় রেখে দিও না …”
( সুরা নিসা ০৩:১২৭) এ ব্যপারে নবী মুহাম্মদ (স:) বলেন, "যে ব্যক্তির দুই জন স্ত্রী আছে, কিন্তু তার মধ্যে এক জনের দিকে ঝুঁকে যায়, এরূপ ব্যক্তি কিয়ামতের দিন অর্ধদেহ ধসা অবস্থায় উপস্থিত হবে।"
(আহমেদ ২/৩৪৭; আসবে সুনান; হাকিম ২/১৮৬) ইবনে হিব্বান ৪১৯) বলা হয়ে থাকে যে, ইসলাম বহু বিবাহ বৈধ করেছে। আসলে ইসলাম বহু বিবাহের একটা সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে, যে কেউ চারটির বেশি বিবাহ করতে পারবে না। কারণ সে যুগে এমনকি আজ থেকে এক দেড়শ বছর আগে এই ভারতেই অনেক মানুষ ৩০-৫০-৮০ এমনকি ১০০ আরো বেশি বিবাহ করত! বিশ্বাস না হলে ইশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের ‘বহু বিবাহ’ ও 'বাল্য বিবাহ’ বই দুটি পড়ে দেখতে পারেন। আপনি যদি রোম সাম্রাজ্যের, গ্রীক সাম্রাজ্যের অথবা পৃথিবীর যে কোনো ইতিহাস পড়েন তাহলে দেখবেন যে সে যুগে মানুষ অনেক স্ত্রী রাখত। সে জন্য ডেভেন্পর্ট বলেছেন যে, “মুহাম্মদ (স) বহু বিবাহকে সীমার বাধনে বেধে ছিলেন।” ইসলাম চারটি বিবাহকে বৈধ বলেছে এবং একটি বিবাহ করতে উপদেশ দিয়েছে। সকল ধর্মেই বহু বিবাহ বৈধ। কিন্তু কোনো সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়নি। অর্থাত আপনি যত ইচ্ছা বিয়ে করতে পারেন কোনো আসুবিধা নেই। পাশ্চাত্��ের বিখ্যাত দার্শনিক লিটনার তার "মহামেদানিসম” বই-এ লিখেছেন, "অপরিমিত বহু বিবাহ প্রথাকে মুহাম্মদ (স) রুখে দিয়ে ছিলেন।” তিনি আরো লিখছেন, “মুহাম্মদ (স) এর আইনের উত্সাহ কিন্তু স্পষ্টতই একটি বিবাহের পক্ষেই।” স্পষ্ট ভাবে জেনে রাখা উচিত, ইসলাম কিন্তু লাগাম ছাড়া বহু বিবাহ প্রথাকে নিষিদ্ধ করেছে। মধ্য যুগে বল্লাল সেন, কলিন্য সেন কৌলিন্য প্রথার মুখোসে যে বহু বিবাহ প্রথার প্রচলন করেছিলেন, সেই প্রথার সুযোগ নিয়ে কুলীন ব্রাহ্মণ শতাধিক বিবাহে মেতে উঠত। বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ ধর্মের নামে বহু কিশোরীকে ভোগ করত। নারীত্বের অপমানের কী চরম পদ্ধতিই না চালু ছিল মধ্যযুগের সেই সমাজে। ভা্রতে কোনো হিন্দু কিংবা আমেরিকা বা ইংলান্ডে কোনো খ্রিস্টান বহু বিবাহ করতে পারবে না, সেটা দেশের সংবিধান কোনো ধর্মীয় আইন নয়। ধর্ম অনুযায়ী তারা বহু বিবাহ করতে পারবে। যখন পৃথিবীর সকল ধর্ম বহু বিবাহকে বৈধ করেছে তখন ইসলামকে নিয়ে সমালোচনা কেন?
ইসলামে একজন পুরুষ কর্তৃক একসাথে চার স্ত্রী রাখার যে বিধান রয়েছে (সূরা ৪: আয়াত ৩) সে বিষয়ে শুধু ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মাঝেই নয় বরং অনেক মুসলমানদের মধ্যেও বিশেষ উদ্বেগ, বিস্ময় ও বিভ্রান্তি লক্ষ্য করা যায়। সাম্প্রতিক কালে এ সংক্রান্ত আলোচনা-সমালোচনা ছাড়িয়ে যেতে বসেছে সঠিক তত্ত্ব, তথ্য ও যুক্তির সমস্ত সীমা-পরিসীমা। অথচ মজার ব্যাপার হচ্ছে পুরুষদের চার বিয়ের স্বীকৃতি দেয়ার পাশাপাশি আল্লাহ তা’য়ালা যে এক বিয়ের প্রতি কিভাবে জোর দিয়েছেন তা অধিকাংশ আলোচনাতেই থেকে যাচ্ছে উহ্য। আল্লাহ পাক খুব পরিষ্কার করেই বলেছেন, অবস্থার প্রেক্ষিতে চারটা পর্যন্ত বিয়ে করা যেতে পারে তবে তা স্ত্রীদের মধ্যে সমতা বজায়ে রাখার শর্তে, যা কিনা মানুষের জন্য দুরূহ, তাই এক বিয়েই উত্তম ও যথেষ্ট (৪:৩, ১২৯)। এটা সহজেই বোধগম্য যে সমাজে যোগ্য কোন নারী যাতে বিবাহহীন না থাকে এটাই এক জন পুরুষকে চারটি পর্যন্ত স্ত্রী রাখার অনুমতি দেয়ার মূল লক্ষ্য। উল্লেখ্য বিগত সব কালের মত আমাদের এই যুগেও বিশ্বব্যাপী প্রতিদিনের সংঘর্ষ-সংঘাত, যুদ্ধ-বিগ্রহ, দুর্ঘটনা-দুর্বিপাকে নারীর চাইতে পুরুষ মারা যাচ্ছে অধিক হারে। মানব প্রজনন বিজ্ঞানও বলে পুরুষের চাইতে নারী ভ্রূণের জন্মহার, স্থায়িত্ব সবই বেশী। এমনকি মানুষের লিঙ্গ নির্ধারক এক্স ও ওয়াই ক্রোমোজোমের বিবর্তন বিজ্ঞানও বলে যে বিশ্বে এক সময় নারীর জন্মহার বেড়ে যাবে অনেক। বিষয়টার গুরুত্ববহ উল্লেখ দেখা যায় রসুলুল্লাহ (সা:)-এর হাদিসেও। কেয়ামত পূর্ব বিশ্ব পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে আল্লাহর রসুল (সা:) বলেছেন, তখন বিশ্বে নারীর সংখ্যা এত বেড়ে যাবে যে কোন কোন বাড়ীতে একজন পুরুষের তত্ত্বাবধানে দেখা যাবে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ জন পর্যন্ত নারীকে (বোখারী, মুসলিম)। আপদকালীন ভবিষ্যতের স্পষ্ট ইঙ্গিতবহ এই হাদিস এবং আল্লাহ কর্তৃক এক বিয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ দ্বারা এটাই প্রমাণ হয় যে একজন যোগ্য পুরুষের চারটি পর্যন্ত বিয়ের অনুমতিটা শুধুমাত্র সংকটকালীন পরিস্থিতির জন্য। কোন অবস্থাতেই যেনতেন প্রকারে নিজের খায়েস পূরণের জন্য নয়। ঐ ধরনের আপদকালীন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল মদিনায় রসুলুল্লাহ (সা:)-এর সময়। তখন মাত্র দশ বছরের মধ্যে মুসলমানদেরকে লড়তে হয়েছিল ২৭টি যুদ্ধ। তাতে পুরুষেরা শহীদ হয়েছিলেন কাতারে কাতারে। তাদের পরিবার-পরিজনদের সহায়তায় সমাজের সক্ষম পুরু���দের একের অধিক বিয়ে ছিল আবশ্যক। শুধু শহীদ হওয়ার কারণেই নয় বরং যুদ্ধে জয়ী হওয়া বাবদও মুসলমানদের হস্তগত হচ্ছিল পরাজিত পক্ষের নারী ও শিশুরা। এ ধরনের যুদ্ধলব্ধ নারী ও শিশুরা সাধারণত: হয়ে থাকে বিজয়ী বাহিনীর গণভোগের শিকার। কিন্তু মানব সভ্যতার ইতিহাসে মুসলিম বাহিনী ছিল এক্ষেত্রে একমাত্র ব্যতিক্রম। শত্রু পক্ষের অসহায় পরিবারগুলোকে সে সময় জুড়ে দেয়া হতো বিভিন্ন মুসলিম পরিবারে সাথে যাতে নিশ্চিত হতো তাদের নিরাপদ জীবন এবং অবারিত হতো নতুন আলোয় তাদের পথ চলা। এমনকি রসুলুল্লাহ (সা:) নিজেও বিয়ে করে যোগ্য সম্মান প্রদান পূর্বক দায়িত্ব নিয়েছিলেন নিহত শত্রু দলপতিদের স্ত্রী জাওয়ারিয়া বিনতে হারিছ বিন আবি জারার ও সাফিয়া বিনতে হাইয়ে বিন আখতাব-এর (সহি হাদিস গ্রন্থসমূহ এবং উইকিপিডিয়া)। সন্তানের পরিচয় নির্ধারণের প্রয়োজনে নারীদের একত্রে বহু স্বামী গ্রহণ নিষিদ্ধঃ
ইদানীং মেয়ে ভ্রূণ মেরে ফেলার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ ভাবে ধারনা করা হচ্ছে যে অদূর ভবিষ্যতে ছেলেরাই হয়তো মেয়ে পাবে না বিয়ে করার জন্য। সেক্ষেত্রে কি একজন নারী একাধিক পুরুষকে বিয়ে করতে পারবে? উল্লেখ্য বর্তমান এই বিশ্বে এমন জনগোষ্ঠী মোটেই বিরল নয় যেখানে নারীর বহুবিবাহ এখনও আইনসিদ্ধ। কিন্তু ইসলামী আইনে অতীতের মত এখন যেমন, ভবিষ্যতেও তেমন, নারী কর্তৃক এক সংগে একাধিক পুরুষকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করা সম্ভব নয়। আল্লাহ পাকের প্রতিটি আইনের মত মানুষের বিবাহ আইনেও লক্ষ্য রাখা হয়েছে দৃশ্যমান এবং অদৃশ্য অগণিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নারীর তুলনায় পুরুষের সংখ্যা কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে করণীয় যেমন এখানে আলোচিত হয়েছে তেমনি সেখানে অতীব গুরুত্বের সাথে লক্ষ্য রাখা হয়েছে মানুষের আত্ম পরিচয়ের (self identity) দিক। এই বিশ্বে জন্ম নেয়া প্রতিটি মানব শিশুর নিজস্ব পরিচয় নিশ্চিত করতে বিশেষ সতর্কতা লক্ষ্য করা যার ইসলামের বিবাহ আইনে। শুধু বাবা অথবা মা নয় বরং উভয়ের পরিচয়ই যে কোন সন্তানের প্রকৃত পরিচয়। এই সত্যটা অতি কার্যকর ভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে ইসলামে। সেজন্যেই এখানে তালাকের পর স্ত্রীদের জন্যে নির্ধারিত রাখা হয়েছে নির্দিষ্ট ‘ইদ্দতকালীন’ সময় যাতে সম্ভাব্য গর্ভজাত সন্তানের পিতৃ পরিচয় নিয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ না থাকে (২:২২৮)। বিষয়টা পরিষ্কার ভাবে বুঝতে একটা বাস্তব উদাহরণ বিবেচনা করা যেতে পারে। একজন সামর্থ্যবান কৃষকের পক্ষে একাধিক জমি চাষাবাদ করা সম্ভব। কিন্তু নিজের শান্তি ও স্বস্তিময় জীবনাচার এবং সব জমির সব ফসলের প্রতি সমান যত্নের স্বার্থে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও পরিমিত জমিতেই পরিকল্পনা করে বছরব্যাপী চাষাবাদের আয়োজন করে থাকে বিশ্বের কৃষক সমাজ। একটা মাত্র জমিতে একাধিক কৃষক মিলে বিভিন্ন ধরণের বীজ কখনই বপন করে না। যদি সেটা করা হয় তাহলে সব ফসলই যেমন বাতিল হতে বাধ্য তেমনি একই নারীতে একই সাথে একাধিক পুরুষের বীজ থেকেও উৎপন্ন হতে বাধ্য বরবাদ প্রজন্ম। আজকের দুনিয়ার অগণিত আত্মপরিচয়হীন বখে যাওয়া তারুণ্যের কথা একটু চিন্তা করলে খুব সহজেই বোঝা যায় ইসলামের এই অতি সতর্ক বিবাহ নীতির সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। জমি চাষ এবং ফসল উৎপাদনের এই যে ধারা ও পদ্ধতি, যেখানে কর্ষিত মাটিতে বপন করতে হয় বীজ, তা এতটাই সার্বজনীন যে এই বিশ্বজগতের প্রতিটি জীবনকেই তা মেনে চলতে হয়, চাই সেটা তার ভাল লাগুক বা না-ই লাগুক। তাই বিশ্ব জুড়ে আজ এই যে ছয়-সাত শত কোটি আদম সন্তানের ব্যাপক বিস্তার তাকে ব্যাখ্যা করতেও চাষাবাদের এই উপমার চাইতে যথার্থ কোন উপমা আর হতে পারে না। আর ঠিক সেই কাজটাই করা হয়েছে পবিত্র আল-কোরআনে যেখানে নারীদেরকে তুলনা করা হয়েছে ফসলী জমির সাথে যাতে চাষাবাদের মত একই পদ্ধতিতে বপন করতে হয় মানব বীজ (২:২২৩)। অতঃপর তা অন্যসব প্রাণের মতই ধীরে ধীরে সৃষ্টির নির্ধারিত ও সুনির্দিষ্ট স্তরসমূহ একে একে পার করে তবেই হয়ে ওঠে পূর্ণাঙ্গ এক সৃষ্টি, একেকটা মানব শিশু। এহেন সহজ, সরল ও অবধারিত সত্য বর্ণনাও আজকের নারীবাদীদের কাছে অপমানজনক হিসেবে বিবেচিত। অথচ ‘জমি চাষাবাদ’-এর সুপ্রতিষ্ঠিত এই পদ্ধতি ছাড়া তাদের নিজেদের জন্মই যে হয়ে পড়ে অসম্ভব সেই চরম সত্যটা কেন যে এদের একবারে জন্যেও মনে পড়ে না তা বোঝা দুষ্কর। আল্লাহ পাক স্বয়ং মান���ষকে উপর্যুপরি পরামর্শ দিয়েছেন তর্ক করার আগে নিজের জন্মের ব���ষয়ে চিন্তা করতে (৩৬:৭৭~৭৮)। বস্তুত: এই একটা বিষয়ে চিন্তার দ্বারাই মানুষ পেতে পারে তার মনের অসংখ্য প্রশ্ন ও অনুসন্ধিৎসার উত্তর। এ প্রসঙ্গে আমাদের আরও মনে রাখা দরকার যে, সব ধরণের চাবি দিয়ে যেসব তালা খোলা যায় সেগুলোকে কেউ তালা বলে না। সেসব কেউ কখনও তালা হিসেবে ব্যবহারও করে না। তাই সন্তান ধারণ ও জন্ম দানের ক্ষেত্রে সব ধরনের ভাবাবেগ বর্জিত বাস্তবমুখী অতিমাত্রিক সতর্কতাই নিজে ভাল থাকার এবং মানুষের আগামী প্রজন্মকে ভালো রাখার একমাত্র উপায়।
[ এই অংশের জন্য কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ মঈনুল আহসান
সদালাপ ব্লগ থেকে গৃহিত। আল্লাহ লেখকদেরকে উত্তম প্রতিদান দিন।
1 note
·
View note
Text
লড়তে হবে অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে
লড়তে হবে অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে
আধুনিক বিশ্ব যত এগিয়ে চলছে, মানুষের জীবন ততই জটিল আকার ধারণ করছে। প্রতিযোগিতামূলক পৃথিবীতে তাল মিলিয়ে চলতে না পেরে অনেকেই বেছে নিচ্ছে কাপুরুষিত আত্মহত্যার পথ। প্রতিবছর দেশে ১০ হাজারের বেশি মানুষ আত্মহত্যা করছে; যার ঢেউ লেগেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও। বিগত ৩ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়টি হারিয়েছে ১০জন মেধাবী নক্ষত্র। প্রাথমিক অবস্থায় থাকা এই মহামারি নির্মূল করার জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের…
View On WordPress
0 notes
Text
করোনা নিয়ে অনেক ভুল ধারণা ভেঙে দিলেন প্রিয়াঙ্কা
বিশ্বজুড়ে লাশের মিছিল। শোকে স্তব্দ সারা দুনিয়া অদৃশ্য শত্রু করোনাভাইরাসের আক্রমণে। একে প্রতিরোধের নেই কোনো প্রতিষেধক ও প্রতিরোধক। সচেতনতায় করোনা জয়ের চেষ্টা চলছে।
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারতজুড়ে ২১ দিনের জাতীয় লকডাউন ঘোষণা করেছেন। করোনাভাইরাস এই মধ্যেই এখনও পর্যন্ত দেশটিতে ১১ জনের প্রাণ নিয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেম ৬ শতাধিক।
এমন সময়ে অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া করোনাভাইরাস নিয়ে…
View On WordPress
0 notes
Text
ফেসবুকে জানতে পেরে অপারেশন খরচ পাঠিয়ে দিলেন বেনাপোল পৌর মেয়র লিটন
ফেসবুকে জানতে পেরে অপারেশন খরচ পাঠিয়ে দিলেন বেনাপোল পৌর মেয়র লিটন
বেনাপোল প্রতিনিধিঃ এক অভাবিত বিপর্যয়ের সম্মুখীন বিশ্ব। অদৃশ্য এক শত্রু, যে ধনী-দরিদ্র মানে না, রাষ্ট্রের সীমারেখা মানে না, আমাদের ক্রমে গ্রাস করে ফেলছে। এমনই এক আঁধারভরা সময় এখন। কিন্তু ধ্বংসস্তূপেও তো এসে লাগে সকালের সূর্য, আঁধারভরা সময়েও শোনা যায় গান। হোক না আঁধারভরা সময়ের গান, তবু সেই রকম একটি গান হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যথা কষ্ট, দুঃখ জানা। মহামারি করোনায় কাজ না থাকায় এ্যাপেন্টিসাইড…
View On WordPress
0 notes
Text
কবিতা--"পুলিশ" -মোঃ আদিল মাহমুদ|| ভিন্নবার্তা
কবিতা–“পুলিশ” -মোঃ আদিল মাহমুদ|| ভিন্নবার্তা
পুলিশ শান্তির বর্ম, অমিত্র হায়েনা,পুলিশ জনের সখা, নয়তো যন্ত্রণা!পুলিশ মন্দের শত্রু, দৃশ্যত নমুনা, পুলিশ নরের শক্তি, বাস্তব ঘটনা।পুলিশ বিপদগ্রস্ত, বিজ্ঞের গণনা!পুলিশের নিত্য শ্রদ্ধা, স্বর্গীয় ললনা।পুলিশ পুণ্যের স্রোত, অলীক ছলনা,পুলিশের আছে মায়া, সন্তান করুণা।পুলিশ প্রথাসম্মত, অদৃশ্য কামনা,পুলিশ উদার, করো পূরণ বাসনা।পুলিশের ভ্রম হলে, কর্তব্য মার্জনা, পুলিশের গুণে রাখো, নিয়ত ধারণা।পুলিশ অক্লান্ত,…
View On WordPress
0 notes
Text
স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা আছে পর্তুগালের মসজিদগুলো
স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা আছে পর্তুগালের মসজিদগুলো
মেভটাইমস ডেস্ক: অজানা-অদৃশ্য শত্রু করোনা শুধু মান���ষের জীবন নিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, সারাবিশ্বকে করেছে স্থবির। ধর্মীয়় উপাসনালয়গুলোতে রয়েছে সীমিত পরিসরে প্রবেশের অনুমতি। পবিত্র রমজান মাসে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা যেভাবে মসজিদে এবাদত বন্দেগিতে মগ্ন থাকতো, গত দু’বছর তা আর পরিলক্ষিত হচ্ছে না পর্তুগালের মসজিদগুলোতে। বিশেষ করে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের প্রবাসী বাংলাদেশিদের পরিচালনায় দু’টি মসজিদ…
View On WordPress
0 notes
Text
৫ম রোজার তারাবীহ - সুরা মায়েদার ৮৩নং আয়াত থেকে সুরা আরাফের ১১নং আয়াত পর্যন্ত সংক্ষেপে কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:-
���ম রোজার তারাবীহ নামাজে পবিত্র কোরআন থেকে সর্বমোট দেড় পারা (সপ্তম পারা সম্পুর্ন এবং অষ্টম পারার প্রথম অর্ধেকাংশ ) তেলাওয়াত করা হবে।এই দেড় পারা থেকে (সুরা মায়েদার ৮৩নং আয়াত থেকে সুরা আরাফের ১১নং আয়াত পর্যন্ত) সংক্ষেপে কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:-
•যারা কাফের হয়েছে এবং আমার আয়াতসমুহকে মিথ্যা বলেছে, তারা হবে জাহান্নামের অধিবাসী। [ সুরা মায়েদা-৮৬ ]
•আল্লাহ তা'য়ালা যেসব বস্তু তোমাদেরকে দান করেছেন, তম্মধ্য থেকে হালাল ও পবিত্র বস্তু খাও এবং আল্লাহকে ভয় কর -যার প্রতি তোমরা বিশ্বাসী। [ সুরা মায়েদা-৮৮ ]
•হে মুমিনগণ! নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, মূর্তি ইত্যাদি এবং লটারীর তীর -এসব গর্হিত বিষয় ও শয়তানী কাজ ছাড়া আর কিছুই নয়। অতএব, এগুলো থেকে সম্পুর্ন দূরে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও। [ সুরা মায়েদা-৯০ ]
•তিনিই তোমাদেরকে মাটির দ্বারা সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাদের জীবনের জন্য একটি নির্দিষ্টকাল নির্ধারণ করেছেন। তাছাড়া আরো একটি নির্দিষ্টকাল আল্লাহর কাছে নির্ধারিত আছে। তথাপি তোমরা সন্দেহ কর। [ সুরা আন’য়াম-২ ]
•তারা কি দেখেনি যে, আমি তাদের পুর্বে বহু দল ও সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিয়েছি, যাদেরকে আমি পৃথিবীতে এমন প্রতিষ্ঠা দিয়েছিলাম, যা তোমাদেরকে দেইনি। আমি আকাশকে তাদের উপর অনবরত বৃষ্টি বর্ষণ করতে দিয়েছি এবং তাদের তলদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত করে দিয়েছি; অতঃপর আমি তাদেরকে পাপের কারণে ধ্বংস করে দিয়েছি এবং তাদের পরে নতুন নতুন জাতি ও সম্প্রদায়সমূহ সৃষ্টি করেছি। [ সুরা আন’য়াম-৬ ]
•তোমরা পৃথিবীতে পরিভ্রমণ কর, অতঃপর দেখ, মিথ্যা আরোপকারীদের পরিণাম কি হয়েছে? [ সুরা আন’য়াম-১১ ]
•আপনি বলুন, আমি আমার প্রতিপালকের অবাধ্য হতে ভয় পাই কেননা, আমি একটি মহাদিবসের শাস্তিকে ভয় করি। [ সুরা আন’য়াম-১৫ ]
•আর যেদিন আমি তাদের সবাইকে একত্রিত করব, অতঃপর যারা শিরক করেছিল, তাদের বলবঃ যাদেরকে তোমরা আমার অংশীদার বলে ধারণা করতে, তারা এখন কোথায়? [ সুরা আন’য়াম-২২ ]
•আপনি যদি দেখেন, যখন তাদেরকে দোযখের উপর দাঁড় করানো হবে! তারা বলবেঃ কতই না ভাল হত, যদি আমরা পুনঃপ্রেরিত হতাম; তা হলে আমরা স্বীয় পালনকর্তার নিদর্শনসমূহে মিথ্যারোপ করতাম না এবং আমরা ঈমানদার হয়ে যেতাম। [ সুরা আন’য়াম-২৭ ]
•এবং তারা ইতিপূর্বে যা গোপন করত, তা তাদের সামনে প্রকাশ হয়ে পড়েছে। যদি তারা পুনঃপ্রেরিত হয়, তবুও তাই করবে, যা তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছিল। নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী। [ সুরা আন’য়াম-২৮ ]
•পার্থিব জীবন ক্রীড়া ও কৌতুক ব্যতীত কিছুই নয়। পরকালের আবাস পরহেযগারদের জন্যে শ্রেষ্টতর। তোমরা কি চিন্তা ভাবনা করবে না ? [ সুরা আন’য়াম-৩২ ]
•যদি তোমাদের উপর আল্লাহর শাস্তি পতিত হয় কিংবা তোমাদের কাছে কিয়ামত এসে যায়, তবে তোমরা কি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে ডাকবে যদি তোমরা সত্যবাদী হও। [ সুরা আন’য়াম-৪০ ]
•বলুন, আল্লাহ যদি তোমাদের শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নেন এবং তোমাদের অন্তরে মোহর এঁটে দেন, তবে আল্লাহ ব্যতীত এমন উপাস্য কে আছে, যে তোমাদেরকে এগুলো ফিরিয়ে এনে দেবে? [ সুরা আন’য়াম-৪৬ ]
•আপনি বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ধনভান্ডার রয়েছে। তাছাড়া আমি অদৃশ্য বিষয় অবগতও নই। আমি এমন বলি না যে, আমি একজন ফেরেশতা। আমি তো শুধু ঐ ওহীর অনুসরণ করি, যা আমার কাছে আসে। আপনি বলে দিনঃ অন্ধ ও চক্ষুমান কি সমান হতে পারে? তোমরা কেন চিন্তা ভাবনা কর না ? [ সুরা আন’য়াম-৫০ ]
•তোমাদের পালনকর্তা নিজের উপর দয়া ও রহমত করার নীতি বাধ্যতামূলক করে নিয়েছেন। তোমাদের মধ্যে যে কেউ অজ্ঞতা ও মূর্খতা বশতঃ কোন পাপ কাজ করলে, অনন্তর এরপরে তওবা করে নেয় এবং সৎ হয়ে যায়, তবে তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, করুণাময়। [ সুরা আন’য়াম-৫৪ ]
•হুকুমের মালিক আল্লাহ ছাড়া আর কেহ নয়।[ সুরা আন’য়াম-৫৭ ]
•তাঁর কাছেই অদৃশ্য জগতের চাবি রয়েছে। এ গুলো তিনি ব্যতীত কেউ জানে না। স্থলে ও জলে যা আছে, তিনিই জানেন। তার অবগতি ব্যতীত বৃক্ষ হতে একটি পাতাও ঝরে পড়ে না। কোন শস্য কণা মৃত্তিকার অন্ধকার অংশে পতিত হয় না এবং কোন আর্দ্র ও শুস্ক দ্রব্য পতিত হয় না; সমস্ত কিছুই সুস্পষ্ট কিতাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে। [ সুরা আন’য়াম-৫৯ ]
•ঐ দিন আল্লাহই একমাত্র ফয়সালা করবেন এবং তিনিই দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী। [ সুরা আন’য়াম-৬২ ]
•তাদেরকে বর্জন করুন, যারা নিজেদের ধর্মকে ক্রীড়া ও কৌতুকরূপে গ্রহণ করেছে এবং পার্থিব জীবন যাদেরকে ধোঁকায় ফেলে রেখেছে। কোরআন দ্বারা তাদেরকে উপদেশ দিন, যাতে কোন ব্যক্তি স্বীয় কর্মদোষে ধ্বংস হয়ে না যায়। [ সুরা আন’য়াম-৭০ ]
•যেদিন শিঙ্গায় ফুৎকার করা হবে, সেদিন তাঁরই আধিপত্য হবে। তিনি অদৃশ্য বিষয়ে এবং প্রত্যক্ষ বিষয়ে সর্বজ্ঞাত। তিনিই প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ। [ সুরা আন’য়াম-৭৩ ]
•যারা ঈমান আনে এবং স্বীয় বিশ্বাসকে শেরেকীর সাথে মিশ্রিত করে না, তাদের জন্যেই শান্তি এবং তারাই সুপথগামী। [ সুরা আন’য়াম-৮২ ]
•এ কোরআন এমন গ্রন্থ, যা আমি অবতীর্ন করেছি; বরকতময়, পূর্ববর্তী গ্রন্থের সত্যতা প্রমাণকারী; এবং যাতে আপনি মক্কাবাসী ও পাশ্ববর্তীদেরকে ভয় প্রদর্শন করেন। যারা পরকালে বিশ্বাস স্থাপন করে তারা এই কিতাবকেও বিশ্বাস করে এবং তারা নিয়মিতভাবে নিজের নামাযও আদায় করে। [ সুরা আন’য়াম-৯২ ]
•নিশ্চয় আল্লাহই বীজ ও আঁটি থেকে অঙ্কুর সৃষ্টিকারী; তিনি জীবন্তকে প্রানহীন থেকে বের করেন ও প্রানহীনকে জীবন্ত থেকে বের করেন। তিনি তো আল্লাহ, তাহলে তোমরা কোথায় বিভ্রান্ত হচ্ছ? [ সুরা আন’য়াম-৯৫ ]
•তিনিই আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনিই সব কিছুর স্রষ্টা। অতএব, তোমরা তাঁরই এবাদত কর। তিনিই প্রত্যেক বস্তুর কার্যনির্বাহী। [ সুরা আন’য়াম-১০২ ]
•এরা আল্লাহকে ছেড়ে যাদের পূজা অর্চণা করে তোমরা তাদেরকে গালমন্দ করো না । তাহলে তারাও ধৃষ্টতা ও অজ্ঞতাবশতঃ আল্লাহকে গালমন্দ করা শুরু করবে। [ সুরা আন’য়াম-১০৮ ]
•এমনিভাবে আমি প্রত্যেক নবীর জন্যে শত্রু করেছি শয়তান, মানব ও জিনকে। তারা ধোঁকা দেয়ার জন্যে একে অপরকে কারুকার্যখচিত কথাবার্তা শিক্ষা দেয়। [ সুরা আন’য়াম-১১২ ]
•আর যদি আপনি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের কথা মত চলেন, তবে তারা আপনাকে আল্লাহর পথ থেকে বিপথগামী করে দেবে। তারা শুধু অলীক কল্পনার অনুসরণ করে এবং সম্পূর্ণ অনুমান ভিত্তিক কথাবার্তা বলে থাকে। [ সুরা আন’য়াম-১১৬ ]
•যে জন্তুর উপর আল্লাহর নাম নিয়ে জবেহ করা হয়, তা থেকে ভক্ষণ কর। যদি তোমরা আল্লাহর বিধানের উপর ঈমান রাখ। [ সুরা আন’য়াম-১১৮ ]
•যেসব জন্তু আল্লাহর নাম নিয়ে জবেহ করা হয় না, সেগুলো থেকে ভক্ষণ করো না; এগুলো ভক্ষণ করা গোনাহ। নিশ্চয় শয়তান তাদের বন্ধুদের মনে নানাপ্রকার সন্দেহ ও প্রশ্ন সৃষ্টি করে-যাতে তারা তোমাদের সাথে বিতর্ক করতে পারে। যদি তোমরা তাদের আনুগত্য কর, তোমরাও মুশরেক হয়ে যাবে। [ সুরা আন’য়াম-১২১ ]
•আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে অংশীদার করো না, পিতা-মাতার সাথে সদয় ব্যবহার করো, স্বীয় সন্তানদেরকে দারিদ্রের কারণে হত্যা করো না। কেননা আমিই তোমাদেরকে ও তাদেরকে জীবিকা দেই। আর অশ্লীল কাজ ও কথার ধারে কাছেও যেয়ো না, তা প্রকাশ্য হোক কিংবা অপ্রকাশ্য। আর আল্লাহ যার হত্যা করা নিষিদ্ধ করেছেন, যথার্থ কারন ছাড়া তাকে হত্যা করো না। [ সুরা আন’য়াম-১৫১ ]
•এতীমদের ধনসম্পদের কাছেও যেয়ো না; কিন্তু উত্তম পন্থায় যে পর্যন্ত সে বয়ঃপ্রাপ্ত না হয়। ওজন ও মাপ পূর্ণ কর ন্যায় সহকারে। আমি কাউকে তার সাধ্যের অতিরিক্ত কষ্ট দেই না। যখন তোমরা কথা বল, তখন সুবিচার কর, যদি সে আত্নীয়ও হয়। আর আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকার পূর্ণ কর। [ সুরা আন’য়াম-১৫২ ]
•যে একটি সৎকর্ম করবে, সে তার দশগুণ পাবে এবং যে একটি মন্দ কাজ করবে, সে তার সমান শাস্তিই পাবে। বস্তুতঃ তাদের প্রতি জুলুম করা হবে না। [ সুরা আন’য়াম-১৬০ ]
•আপনি বলুনঃ আমার নামায, আমার কোরবাণী এবং আমার জীবন ও মরন শুধুমাত্র বিশ্ব-প্রতিপালক আল্লাহরই জন্য। [ সুরা আন’য়াম-১৬২ ]
•সেদিন (প্রত্যেকের আমল) ন্যায় ও যথার্থভাবে ওজন করা হবে। অতঃপর যাদের (নেক আমলের) পাল্লা ভারী হবে, তারাই সফলকাম ও কৃতকার্য হবে। [ সুরা আরাফ-৮ ]
0 notes
Text
এখনও চরম রূপ দেখায়নি অদৃশ্য শত্রু, ভারতের করোনা পরিস্থিতি কোন পথে?
এখনও চরম রূপ দেখায়নি অদৃশ্য শত্রু, ভারতের করোনা পরিস্থিতি কোন পথে?
ছবি- টুইটার জ্যোতির্ময় রায়: করোনা প্লাবনে দেশের একের পরে এক রাজ্য ভেসে যাচ্ছে। একের পর এক রাজ্যে চিকিৎসার করুণ রূপ সামনে আসছে। করোনার প্রথম ঢেউয়ের পরে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের ‘উদাসীনতা’ যে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য অনেকটা দায়ী, তা প্রতিদিন আরও সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে। দৈনিক সংক্রমণ প্রতিদিন কার্যত বিপজ্জনক মাত্রার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, নিত্যদিন নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারত ব্রাজিলকে পেছনে…
View On WordPress
0 notes
Photo
New Post has been published on https://paathok.news/129962
সম্মিলিত শ��্তি দিয়ে প্রতিহত ও পরাজিত করতে হবে প্রাণঘাতী করোনাকে: কাদের
.
অদৃশ্য শত্রু’ করোনার বিরুদ্ধে ঘরে ঘরে সচেতনতার দুর্গ গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দু�� কাদের। তিনি বলেন, সম্মিলিত শক্তি দিয়ে প্রতিহত ও পরাজিত করতে হবে প্রাণঘাতী করোনাকে।
আজ বুধবার সকালে তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আওয়ামী লীগের পক্ষে দেশের সর্বস্তরের জনগণকে বাংলা নববর্ষ ও পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, করোনা কবলিত বাংলাদেশে আবার এসেছে বাঙালির উৎসবের সবচেয়ে প্রাণবন্ত দিন পহেলা বৈশাখ।
কাদের বলেন, এবারকার বৈশাখ এসেছে প্রাণহীন এক বৈরী পরিবেশে, জীবনের এক নিষ্ঠুর বাতাবরণে।
তিনি চিরচেনা পহেলা বৈশাখকে আজ চেনাই যায় না উল্লেখ করে বলেন, এই দিনের সব রূপ-রস-গন্ধ হারিয়ে গেছে। হারিয়ে গেছে হাসি আনন্দের চিরচেনা বাশির সুর।
সার্বজনীন বৈশাখী আবেগ উচ্ছ্বাস হারিয়ে গেছে মহামারি করোনার আতংকের অন্ধকার উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তবুও নতুন আশার মালা গেঁথে বাঙালির বেঁচে থাকার নিরন্তর লড়াই চলছে।
ওবায়দুল কাদের আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সময়ের সাহসী কান্ডারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজয়ী হই করোনার বিরুদ্ধে,বিজয়ী হই বৈশাখীর চেতনার শত্রু সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ।
0 notes
Text
সম্মিলিত শক্তি দিয়ে পরাজিত করতে হবে করোনাকে; সেতুমন্ত্রী
সম্মিলিত শক্তি দিয়ে পরাজিত করতে হবে করোনাকে; সেতুমন্ত্রী
অদৃশ্য শত্রু’ করোনার বিরুদ্ধে ঘরে ঘরে সচেতনতার দুর্গ গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সম্মিলিত শক্তি দিয়ে প্রতিহত ও পরাজিত করতে হবে প্রাণঘাতী করোনাকে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বুধবার সকালে তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন। তিনি আওয়ামী লীগের পক্ষে দেশের সর্বস্তরের জনগণকে বাংলা নববর্ষ ও পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা…
View On WordPress
0 notes
Text
New Post on BDTodays.com
দিকপ্রান্তে - সুকান্ত ভট্টাচার্য
বিডিটুডেস ডেস্ক: দিকপ্রান্তে – সুকান্ত ভট্টাচার্য ভাঙন নেপথ্য পৃথিবীতে; অদৃশ্য কালের শত্রু প্রচ্ছন্ন জোয়ারে, অনেক বিপন্ন জীব ক্ষয়িষ্ণু খোঁয়াড়ে উন্মুখ নিঃশেষে কেড়ে নিতে, দুর্গম বিষণ্ণ শেষ শীতে। বীভৎস প্রাণের কোষে কোষে নিঃশব্দে ধ্বংসের বীজ নির্দিষ্ট আয়ুতে পশেছে আঁদার রাত্রে- প্রত্যেক স...
বিস্তারিত এখানেঃ https://bdtodays.net/%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4-%e0%a6%ad%e0%a6%9f%e0%a7%8d-2/
#bangla news#bangla paper#bangladesh daily newspaper#bangladesh newspaper online#bd news#bd news bangla#bd newspapers#bdnews24#bdtoday#daily bangla newspaper#daily newspaper bd#online news paper#অনলাইননিউজপেপার#অনলাইনপত্রিকা#দিকপ্রান্তে
0 notes
Link
সুওয়ালঃ- জনৈক মাওলানা সাহেব বলেন যে, চুরি-ডাকাতি, যেনা-ব্যাভিচার, গান-বাজনা ইত্যাদি, বান্দা আল্লাহ্ পাক-এর হুকুমে করে থাকে। তার যুক্তি হলো আল্লাহ্ তায়ালার হুকুম ব্যতীত পৃথিবীতে কোন কিছু সংঘটিত হতে পারে না। যদি আল্লাহ্ তায়ালারই হুকুমে সংঘটিত না হতো, তবে আল্লাহ্ পাক তাকে এসব হারাম কাজ করা থেকে বিরত রাখেন না কেন? আরো বলেন যে, তাক্বদীরের ভাল-মন্দের উপর বিশ্বাস করতে হয়। তাই এসব কাজ বান্দার তাক্বদীরেরই লেখা। এটার সঠিক সমাধান দিয়ে ধন্য করবেন। জাওয়াব - আপনার উপরোক্ত প্রশ্নটির বক্তব্য তিন ভাগে বিভক্ত- (ক) সমস্ত কাজ মহান আল্লাহ্ পাক উনার হুকুমেই হয়, এমন কি হারাম বা অবৈধ কাজও। (খ) হারাম কাজে মহান আল্লাহ্ পাক উনার সমর্থন যদি না থাকত, তবে তিনি বান্দাদেরকে হারাম থেকে বিরত রাখেন না কেন? (গ) তাক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি বিশ্বাসের অর্থই হচ্ছে- মহান আল্লাহ্ পাক উনার বান্দাদেরকে চোর-ডাকাত, যিনাকার, শরাবখোর ইত্যাদি হিসে��ে তৈরি করেন। (ক) ��ুরি-ডাকাতি, যেনা-ব্যভিচার, গান-বাজনা ইত্যাদি কাজ বান্দাাহ্ মহান আল্লাহ্ পাক উনার হুকুমে করে, এরূপ বলা কুফুরী। মহান আল্লাহ্ পাক উনার হুকুম ছাড়া পৃথিবীতে কোন কাজ সংঘটিত হয় না, এটা বিশুদ্ধ কথা। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ্ পাক তিনি ইরশাদ করেন, وما تسقط من ورقة الا يعلمها ولا حبة فى ظلمات الارض ولا رطب ولا يابس الا فى كتاب مبين. অর্থঃ- মহান আল্লাহ্ পাক উনার জানা ব্যতীত গাছের কোন পাতা ঝড়ে না বা পড়ে না। আর কোন বীজও যমিনের অন্ধকারে পতিত হয় না এবং কোন ভিজা ও শুকনা জিনিষও পতিত হয় না। (এসব কিছুই) প্রকাশ্য কিতাবে বর্ণিত হয়েছে। (সূরা-আনআম, আয়াত নং-৫৯) তবে তার অর্থ এ নয় যে, হারাম কাজ অর্থাৎ চুরি-ডাকাতি, যেনা-ব্যাভিচার, গান-বাজনা ইত্যাদি বান্দা মহান আল্লাহ্ পাক উনার হুকুমে করে থাকে। বরং এর অর্থ হচ্ছে- ان الله على كل شيئ قدير. অর্থঃ- “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ্ পাক তিনি সমস্ত বিষয়ের উপর সর্ব শক্তিমান।” (সূরা বাক্বারাহ, আয়াত নং-২০) মূলতঃ মানুষ হারাম কাজগুলি করে থাকে নফ্সের তাড়নায় ও শয়তানের ওসওয়াসায়। যার মধ্যে মহান আল্লাহ্ পাক উনার কোন মদদ বা সাহায্য থাকে না। আর মানুষ যখন ভাল কাজ করে, তখন আল্লাহ্ পাক তিনি তাকে গায়েবী মদদ করে থাকেন। সে প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ্ পাক তিনি বলেন, وما اصابك من حسنة فمن الله. অর্থঃ- “(হে লোক সকল) তোমাদের প্রতি যে কল্যাণ বা হাসানাহ পৌঁছে, তা মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে। অর্থাৎ বান্দাদের প্রতি যে ভালাই বা খায়ের পৌঁছে থাকে, তা শুধুমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার রহ্মতের কারণেই পৌঁছে থাকে।” আর মন্দ সম্পর্কে মহান আল্লাহ্ পাক তিনি বলেন, وما اصابك من سينة فمن نفسك. অর্থঃ- “(হে লোক সকল) তোমদের প্রতি যে মন্দ পৌঁছে বা উপস্থিত হয়, তা তোমাদের নিজের (বদ আমলের) কারণে।” (সূরা নিসা, আয়াত নং-৭৯) তিনি আরো বলেন, ظهر الفساد فى البر والبحر بما كسبت ايدى الناس. অর্থঃ- “স্থলভাগে ও পানি ভাগে যে সমস্ত ফিৎনা-ফাসাদ প্রকাশিত হয়, তা মানুষের হাতের কামাই অর্থাৎ বদ্ আমলের কারণ।” (সূরা রুম, আয়াত নং-৪১) আক্বায়েদের কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে- যদি কোন ব্যক্তি আল্লাহ্ পাক-এর রহ্মতকে কোন হারাম কাজের সাথে সংযুক্ত করে, যেমন-যদি কেউ বলে যে, মহান আল্লাহ্ পাক উনার রহ্মতে বান্দা চুরি করে, শরাব পান করে ইত্যাদি, তাহলে সে কাফেরের অন্তর্ভূক্ত হবে। (খ) মহান আল্লাহ্ পাক উনার বান্দাকে পাপ কাজ থেকে বিরত রাখেন না কেন, এ কথা বলাটাও কুফুরী। কেননা আল্লাহ্ পাক কুরআন শরীফে বলেন, الذى خلق الموت والحيوة ليبلوكم ايكم احسن عملا. অর্থঃ-“যিনি (আল্লাহ্ পাক) মউত ও হায়াতকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য, তোমাদের মধ্যে আমলে কে উত্তম।” (সূরা মূলুক, আয়াত নং-২) তিনি আরো বলেন- وهديناه النجدين. অর্থঃ- “আমি তাঁকে (তোমাদেরকে) উভয়পথ (ভাল-মন্দ) প্রদর্শন করেছি।” (সূরা ��ালাদ, আয়াত নং-১০) আল্লাহ্ পাক আরো বলেন- فالهمها فجورها وتقواها. অর্থঃ- “অতঃপর আমি তাকে (তোমাদেরকে) নেক বা তাক্ওয়া, বদী বা পাপ সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছি।” (সূরা শামস্, আয়াত/৮) উপরোক্ত আয়াত সমূহের আলোকে এ কথাই প্রতীয়মান হয় যে, মহান আল্লাহ্ পাক তিনি মানুষকে ভাল-মন্দ উভয় পথ প্রদর্শন করেছেন এবং হায়াত-মউত সৃষ্টি করেছেন, কে আমলে উত্তম বা অধম তা পরীক্ষা করার জন্য। অর্থাৎ মহান আল্লাহ্ পাক বান্দাদেরকে আমল করার ব্যাপারে এখতিয়ার দিয়েছেন। কাজেই যে ব্যক্তি নেক কাজ করবে, মহান আল্লাহ্ পাক তাকে রহ্মত বর্ষণ করবেন। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ্ পাক তিনি বলেন- ان رحمة الله قريب من المحسنين. অর্থঃ- “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ্ পাক উনার রহ্মত নেককারগণের প্রতি।” (সূরা আ’রাফ, আয়াত নং-৫৬) আর যারা বদ্ কাজ করে, তাদেরকে মহান আল্লাহ্ পাক তিনি মদদ বা সাহায্য করেন না। কারণ তারা শাস্তির উপযুক্ত। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ্ পাক তিনি বলেন, ان الفجار لفى جحيم. অর্থঃ- “নিশ্চয়ই পাপী ব্যক্তিরা জাহান্নামে থাকবে।” (সূরা ইনফিতর, আয়াত নং-১৪) যেহেতু মহান আল্লাহ্ পাক তিনি বান্দাদেরকে সৃষ্টি করেছেন পরীক্ষা করার জন্য কে আমলে উত্তম বা অধম, আর জানিয়ে দিয়েছেন- কোনটি ভাল, কোনটি মন্দ। সেহেতু মহান আল্লাহ্ পাক তিনি বান্দাকে এখ্তিয়ার দিয়েছেন আমল করার ব্যাপারে। অতএব বান্দাকে হারাম কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখার প্রশ্নই উঠে না। (গ) হ্যাঁ, ঈমানে মুফাস্সালে রয়েছে- والقدر خيره وشره من الله تعالى. অর্থঃ- “অর্থাৎ তাক্বদীরের ভাল-মন্দ মহান আল্লাহ্ পাক উনার তরফ থেকে।” এর অর্থ হচ্ছে যেমন- ধনী-গরীব, সুস্থ-অসুস্থ, অবসর-ব্যস্ততা, সুখ-দুঃখ, কৃতকার্যতা, অকৃতকার্যতা ইত্যাদি তক্ব্দীরের অন্তর্ভূক্ত, এটা মেনে নিতে হবে। কেননা মহান আল্লাহ্ পাক তিনি বলেন- عسى ان تكر هوا شينا وهو خير لكم وعسى ان تحبوا شيئا وهو شر لكم والله يعلم وانتم لا تعلمون. অর্থঃ- “সম্ভবতঃ তোমরা যা খারাপ মনে কর সেটাই তোমাদের জন্য ভাল, আর যা ভাল মনে কর সেটাই তোমাদের জন্য মন্দ। মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই জানেন কোনটি ভাল এবং কোনটি মন্দ, তোমরা জাননা।” (সূরা বাক্বারাহ্-২১৬) হাক্বীক্বতে মহান আল্লাহ্ পাক বান্দার খারাপ চান না কিন্তু বান্দা না বুঝার কারণে নফ্সের তাড়নায় ও শয়তানের ওসওয়াসায় নিজেরা খারাপ করে থাকে। অর্থাৎ কোনটি ভাল, কোনটি ভাল নয় তা মানুষের জানা নেই। একমাত্র মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই তা জানেন। তাই মানুষের জীবনে এ ধরণের যা কিছুই সংঘটিত হোক না কেন সেটা তাকে মেনে নিতে হবে। সেটা তার ভালোর জন্য, যা তাক্বদীরের অন্তর্ভূক্ত। এর অর্থ এই নয় যে, চুরি-ডাকাতি, যেনা-ব্যাভিচার, গান-বাজনা ইত্যাদি পাপ কাজ করার জন্য আল্লাহ্ পাক তার তাক্বদীরে লিখে দিয়েছেন। তাক্বদীরের অর্থ হচ্ছে- মহান আল্লাহ্ পাক উনার ইল্মে আছে বা রয়েছে। অর্থাৎ মহান আল্লাহ্ পাক তিনি কোন ব্যক্তিকে জান্নাতী বা জাহান্নামী হিসেবে, নেককার বা বদ্কার হিসেবে নির্দিষ্ট করে দেননি। বরং মহান আল্লাহ্ পাক উনার ইল্মে রয়েছে কে জান্নাতি হবে, কে জাহান্নামী হবে, কে নেককার হবে, কে বদ্কার হবে। যেহেতু মহান আল্লাহ্ পাক عالم الغيب والشهادة অর্থঃ- দৃশ্য-অদৃশ্য সব বিষয় সম্পর্কে অবহিত। মূলতঃ সকল মানুষকে সম্মানিত করা হয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ্ পাক তিনি বলেন- لقد كرمنا ��نى ادم অর্থঃ- “আমি বণী আদমকে সম্মানিত করেছি।” (সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত নং-৭০) তিনি আরো বলেন- ولكم فى الارض مشتقرومتاع الى حين. অর্থঃ- “তোমাদের জন্য জমিনে নির্দিষ্ট অবস্থান এবং সম্পদ ভোগ নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত।” উপরোক্ত আয়াতদ্বয় দ্বারা এটাই স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, মহান আল্লাহ্ পাক তিনি বান্দাদেরকে সম্মান দান করেছেন এবং জমিনে নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত অবস্থান করার জন্য সময় দিয়েছেন। আর এ সময়ে বান্দা কি আমল করবে সে প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ্ পাক তিনি বলেন, قل ان كنتم تحبون الله فا تبعونى يحببكم الله وغفرلكم ذنوبكم والله غفور الرحيم. অর্থঃ- “(হে রাসূল) আপনি বলুন, যদি তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত পেতে চাও বা মহব্বত কর, তাহলে তোমরা আমার অনুসরণ কর। তবেই মহান আল্লাহ্ পাক তিনি তোমাদের মহব্বত করবেন এবং তিনি তোমাদের গুণাহ্ খাতা ক্ষমা করবেন, আর মহান আল্লাহ্ পাক ক্ষমাশীল, অতিশয় দয়ালু।” (সূরা আল ইমরান, আয়াত নং-৩১) মহান আল্লাহ্ পাক তিনি আরো বলেন- يا ايها الذين امنوا ادخلوا فى السلم كافة ولا تتبعوا خطوات الشيطان انه لكم عدو مبين. অর্থঃ- “হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইসলামে পরিপূর্ণভাবে দাখিল হও এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না, নিশ্চয়ই শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।” (সূরা বাক্বারাহ্, আয়াত নং-২০৮) উপরোক্ত আয়াত শরীফদ্বয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দাদেরকে উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম অনুসরণ ও অনুকরণ করতে বলেছেন এবং ইসলামে পরিপূর্ণ দাখিল হতে বলেছেন। আরো বলেছেন, যেন শয়তানের কোনরূপ অনুসরণ না করা হয়। আর হাদীছ শরীফে উল্লেখ রয়েছে- كل مولود يولدعلى الفطرة فابويه يهودانه اوينصر انه اوبمجسائه. (بخارى شريف) অর্থঃ- “প্রত্যেক আদম সন্তান ফিত্রাতের উপরে অর্র্থাৎ ইসলামের উপর জন্মগ্রহণ করে। অতঃপর তার পিতা-মাতা (আত্মীয়-স্বজন, সঙ্গী-সাথী ও প্রতিবেশী ইত্যাদি) তাকে ইহুদী-খৃষ্টান, অগ্নি-উপাসক (নাস্তিক, কাফির, মুরতাদ, চোর,-ডাকাত, যেনাকার, শরাবখোর ইত্যাদি) বানিয়ে দেয়। হাদীছ শরীফে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, “আল্লাহ্ পাক প্রত্যেক বান্দাকে ঈমান ও ইসলামের উপরে জন্মদান করেন। তার পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ইত্যাদিগণ তার ঈমান, আমল-আখলাক, স্বভাব-চরিত্র নষ্ট করে থাকে।” অতএব উপরোক্ত আয়াত শরীফ এবং হাদীছ শরীফ দ্বারা এটাই প্রতীয়মান হয় যে, মহান আল্লাহ্ পাক তিনি উনার বান্দাকে মহান আল্লাহ্ পাক উনার মতে মত এবং উনার রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পথে পথ হওয়ার জন্য আদেশ করেছেন এবং শয়তানের অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু বান্দা নফ্সের তাড়নায় এবং শয়তানের ওসওয়াসায় হারাম ও কুফরী কাজ (চুরি-ডাকাতি, যেনা-ব্যাভিচার, শরাব পান, কুফরী-শেরেকী ইত্যাদি) করে থাকে। কাজেই কেউ যদি বলে মহান আল্লাহ্ পাক উনার হুকুমে বান্দা হারাম ও কুফুরী-শেরেকী কাজ করে, তাহলে সে কাট্টা কাফিরের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাবে। আবা-২৮
0 notes
Link
আসমাউল-হুসনা ► আল্লাহর সুন্দর সুন্দর নামসমূহ
(আল্লাহ ন্যায়-নীতি, পরোপকার ও আত্মীয়-স্বজনদের দান করার হুকুম দেন এবং অশ্লীল-নির্লজ্জতা ও দুষ্কৃতি এবং অত্যাচার-বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদের উপদেশ দেন, যাতে তোমরা শিক্ষালাভ করতে পারো ► নাহল:৯০)
২. আর রহমান -► পরম দয়াময় -► (রাণী বললো, “হে দরবারীরা! আমার প্রতি একটি বড় গুরুত্বপূর্ণ পত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে.. তা সুলাইমানের পক্ষ থেকে এবং আল্লাহ্ রহমানুর রহীমের নামে শুরু করা হয়েছে" ► নামল:৩০)
৩. আর রহিম -► পরম দয়ালু -► (আর সেদিনটি হবে এমন দিন যে���িন আল্লাহ প্রদত্ত বিজয়ে মুসলমানরা আনন্দে উৎফুল্ল হবে। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সাহায্য করেন এবং তিনি পরাক্রমশালী ও মেহেরবান ► রুম:০৫)
৪. আল মালিক -► সর্বাধিকারী, বাদশাহ -► (আসমানে যা আছে এবং যমীনে যা আছে তার সবই আল্লাহর তাসবীহ করছে। তিনি বাদশাহ, অতি পবিত্র এবং মহাপরাক্রমশালী ও জ্ঞানময় ► জুময়া:০১)
৫. আল কুদ্দুস -► নিষ্কলুষ, অতি পবিত্র -► (আসমানে যা আছে এবং যমীনে যা আছে তার সবই আল্লাহর তাসবীহ করছে। তিনি বাদশাহ, অতি পবিত্র এবং মহাপরাক্রমশালী ও জ্ঞানময় ► জুময়া:০১)
৬. আস সালাম -► শান্তি বিধায়ক -► (আল্লাহ-ই সেই মহান সত্তা যিনি ছাড়া কোন মা’বুদ নেই। তিনি বাদশাহ, অতীব পবিত্র, পূর্ণাঙ্গ শান্তি, নিরাপত্তাদানকারী, হিফাযতকারী, সবার ওপর বিজয়ী, শক্তি বলে নিজের নির্দেশ কার্যকরী করতে সক্ষম । এবং সবার চেয়ে বড় হয়েই বিরাজমান থাকতে সক্ষম। আল্লাহ সেই সব শিরক থেকে পবিত্র যা লোকেরা করে থাকে ► হাশর:২৩)
৭. আল মুমিন -► নিরাপত্তা বিধায়ক -► (আল্লাহ-ই সেই মহান সত্তা যিনি ছাড়া কোন মা’বুদ নেই। তিনি বাদশাহ, অতীব পবিত্র, পূর্ণাঙ্গ শান্তি, নিরাপত্তাদানকারী, হিফাযতকারী, সবার ওপর বিজয়ী, শক্তি বলে নিজের নির্দেশ কার্যকরী করতে সক্ষম । এবং সবার চেয়ে বড় হয়েই বিরাজমান থাকতে সক্ষম। আল্লাহ সেই সব শিরক থেকে পবিত্র যা লোকেরা করে থাকে ► হাশর:২৩)
৮. আল মুহায়মিন -► রক্ষাকারী, হিফাযতকারী -► (আল্লাহ-ই সেই মহান সত্তা যিনি ছাড়া কোন মা’বুদ নেই। তিনি বাদশাহ, অতীব পবিত্র, পূর্ণাঙ্গ শান্তি, নিরাপত্তাদানকারী, হিফাযতকারী, সবার ওপর বিজয়ী, শক্তি বলে নিজের নির্দেশ কার্যকরী করতে সক্ষম । এবং সবার চেয়ে বড় হয়েই বিরাজমান থাকতে সক্ষম। আল্লাহ সেই সব শিরক থেকে পবিত্র যা লোকেরা করে থাকে ► হাশর:২৩)
৯. আল আযিয -► প্রবল পরাক্রমশালী -► (তিনি মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় যেভাবে ইচ্ছা তোমাদের আকৃতি গঠন করেন । এই প্রবল পরাক্রান্ত মহাজ্ঞানের অধিকারী সত্তা ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই ► ইমরান:০৬)
১০. আল জাব্বার -► পরাক্রমশীল -► (আল্লাহ-ই সেই মহান সত্তা যিনি ছাড়া কোন মা’বুদ নেই। তিনি বাদশাহ, অতীব পবিত্র, পূর্ণাঙ্গ শান্তি, নিরাপত্তাদানকারী, হিফাযতকারী, সবার ওপর বিজয়ী, শক্তি বলে নিজের নির্দেশ কার্যকরী করতে সক্ষম । এবং সবার চেয়ে বড় হয়েই বিরাজমান থাকতে সক্ষম। আল্লাহ সেই সব শিরক থেকে পবিত্র যা লোকেরা করে থাকে ► হাশর:২৩)
১১. আল মুতাকাব্বির -► অহংকারের ন্যায্য অধিকারী -► (আল্লাহ-ই সেই মহান সত্তা যিনি ছাড়া কোন মা’বুদ নেই। তিনি বাদশাহ, অতীব পবিত্র, পূর্ণাঙ্গ শান্তি, নিরাপত্তাদানকারী, হিফাযতকারী, সবার ওপর বিজয়ী, শক্তি বলে নিজের নির্দেশ কার্যকরী করতে সক্ষম । এবং সবার চেয়ে বড় হয়েই বিরাজমান থাকতে সক্ষম। আল্লাহ সেই সব শিরক থেকে পবিত্র যা লোকেরা করে থাকে ► হাশর:২৩)
১২. আল খালিক -► সৃষ্টিকর্তা -► (সে আল্লাহই -যিনি তোমাদের জন্য এসব করেছেন- তোমাদের রব, সবকিছুর স্রষ্টা, তিনি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। তোমাদেরকে কোন্ দিকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে ? ► মুমিনুন:৬২)
১৩. আল বারী -► উন্মেষকারী -► (সেই পরম সত্তা তো আল্লাহ-ই যিনি সৃষ্টির পরিকল্পনাকারী, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের র্নিদেশ দানকারী এবং সেই অনুপাতে রূপদানকারী। উত্তম নামসমূহ তাঁর-ই। আসমান ও যমীনের সবকিছু তাঁর তাসবীহ বা পবিত্রতা বর্ণনা করে চলেছে। তিনি পরাক্রমশালী ও মহাজ্ঞানী ► হাশর:২৪)
১৪. আল মুসাওবির -► রূপদানকারী -► (সেই পরম সত্তা তো আল্লাহ-ই যিনি সৃষ্টির পরিকল্পনাকারী, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের র্নিদেশ দানকারী এবং সেই অনুপাতে রূপদানকারী। উত্তম নামসমূহ তাঁর-ই। আসমান ও যমীনের সবকিছু তাঁর তাসবীহ বা পবিত্রতা বর্ণনা করে চলেছে। তিনি পরাক্রমশালী ও মহাজ্ঞানী ► হাশর:২৪)
১৫. আল গাফফার -► মহাক্ষমাশীল -► (আমি বলেছি তোমরা নিজেদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা চাও । নিসন্দেহে তিনি অতিশয় ক্ষমাশীল ► নুহ:১০)
১৬. আল কাহহার -► মহাপরাক্রান্ত -► (আল্লাহ যদি কাউকে পুত্র হিসেবে গ্রহণ করতে চাইতেন তাহলে তাঁর সৃষ্টিকুলের মধ্যে যাকে ইচ্ছা বাছাই করে নিতেন। তিনি এ থেকে পবিত্র (যে, কেউ তাঁর পুত্র হবে)। তিনি আল্লাহ। তিনি একক ও সবার ওপর বিজয়ী ► যুমার:০৪)
১৭. আল ওয়াহহাব -► মহাবদান্য -► (এবং বললো, হে আমার রব! আমাকে মাফ করে দাও এবং আমাকে এমন রাজত্ব দান করো যা আমার পরে আর কারো জন্য শোভন হবে না; নিসন্দেহে তুমিই আসল দাতা ► সা'দ:৩৫)
১৮. আর রাজ্জাক -► জীবিকাদাতা -► (আমি তাদের কাছে কোন রিযিক চাই না কিংবা তারা আমাকে খাওয়াবে তাও চাই না। আল্লাহ নিজেই রিযিকদাতা এবং অত্যন্ত শক্তিধর ও পরাক্রমশালী ► যারিয়াত:৫৮)
১৯. আল ফাত্তাহ -► মহাবিচারক -► (বলুন, আমাদের পালনকর্তা আমাদেরকে সমবেত করবেন, অতঃপর তিনি আমাদের মধ্যে সঠিকভাবে ফয়সালা করবেন। তিনি ফয়সালাকারী, সর্বজ্ঞ ► সা'বা:২৬)
২০. আল আলীম -► মহাজ্ঞানী, সর্বজ্ঞ -► (আর যদি কোথাও তোমাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বিগড়ে যাবার আশংকা দেখা দেয় তাহলে পুরুষের আত্মীয়দের মধ্য থেকে একজন সালিশ এবং স্ত্রীর আত্মীয়দের মধ্য থেকে একজন সালিশ নির্ধারণ করে দাও। তারা দুজন সংশোধন করে নিতে চাইলে আল্লাহ তাদের মধ্যে মীমাংসা ও মিলমিশের পরিবেশ সৃষ্টি করে দেবেন । আল্লাহ সবকিছু জানেন , তিনি সর্বজ্ঞ ► নিসা:৩৫)
২১. আল কাবিদ -► সংকোচনকারী -► (তোমাদের মধ্যে কে আল্লাহকে ‘করযে হাসানা’ দিতে প্রস্তুত, যাতে আল্লাহ তা কয়েক গুণ বাড়িয়ে তাকে ফেরত দেবেন ? কমাবার ক্ষমতা আল্লাহর আছে, বাড়াবারও এবং তাঁরই দিকে তোমাদের ফিরে যেতে হবে ► বাকারা:২৪৫)
২২. আল বাসিত -► সম্প্রসারণকারী -► (তোমাদের মধ্যে কে আল্লাহকে ‘করযে হাসানা’ দিতে প্রস্তুত, যাতে আল্লাহ তা কয়েক গুণ বাড়িয়ে তাকে ফেরত দেবেন ? কমাবার ক্ষমতা আল্লাহর আছে, বাড়াবারও এবং তাঁরই দিকে তোমাদের ফিরে যেতে হবে ► বাকারা:২৪৫)
২৩. আল খাফিদ -► অবনমনকারী -► (...................)
২৪. আর রাফি -► উন্নয়নকারী -► (...................)
২৫. আল মুইয্য -► সম্মানদাতা -► (���লোঃ হে আল্লাহ ! বিশ্ব –জাহানের মালিক! তুমি যাকে ��াও রাষ্ট্রক্ষমতা দান করো এবং যার থেকে চাও রাষ্ট্রক্ষমতা ছিনিয়ে নাও। যাকে চাও মর্যাদা ও ইজ্জত দান করো এবং যাকে চাও লাঞ্জিত ও হেয় করো। কল্যাণ তোমরা হাতেই নিহিত । নিসন্দেহে তুমি সবকিছুর ওপর শক্তিশালী ► ইমরান:২৬)
২৬. আল মুযিল্ল -► হেয়কারী -► (বলোঃ হে আল্লাহ ! বিশ্ব –জাহানের মালিক! তুমি যাকে চাও রাষ্ট্রক্ষমতা দান করো এবং যার থেকে চাও রাষ্ট্রক্ষমতা ছিনিয়ে নাও। যাকে চাও মর্যাদা ও ইজ্জত দান করো এবং যাকে চাও লাঞ্জিত ও হেয় করো। কল্যাণ তোমরা হাতেই নিহিত । নিসন্দেহে তুমি সবকিছুর ওপর শক্তিশালী ► ইমরান:২৬)
২৭. আস সামী -► সর্বশ্রোতা -► (কাজেই সত্য বলতে কি, তোমরা তাদেরকে হত্যা করনি বরং আল্লাহই তাদেরকে হত্যা করেছেন। আর তোমরা নিক্ষেপ করনি বরং আল্লাহ নিক্ষেপ করেছেন। (আর এ কাজে মুমিনদের হাত ব্যবহার করা হয়েছিল) এ জন্য যে আল্লাহ মুমিনদেরকে একটি চমৎকার পরীক্ষার মধ্য দিয়ে সফলতার সাথে পার করে দেবেন। অবশ্যি আল্লাহ সবকিছু শুনেন ও জানেন ► আনফাল:১৭)
২৮. আল বাসির -► সর্বদ্রষ্টা -► (আল্লাহ যদি তাঁর সব বান্দাদেরকে অঢেল রিযিক দান করতেন তাহলে তারা পৃথিবীতে বিদ্রোহের তুফান সৃষ্টি করতো। কিন্তু তিনি একটি হিসাব অনুসারে যতটা ইচ্ছ নাযিল করেন। নিশ্চয়ই তিনি তাঁর বান্দাদের সম্পর্কে অবহিত এবং তাদের প্রতি লক্ষ্য রাখেন ► শুরা:২৭)
২৯. আল হাকাম -► মিমাংসাকারী, বিচারক -► (আল্লাহ কিয়ামতের দিন তোমাদের মধ্যে সেসব বিষয়ে ��ায়সালা করে দেবেন ► হাজ্জ:৬৯)
৩০. আল আদল -► ন্যায়নিষ্ঠ -► (...................)
৩১. আল লাতীফ -► সূক্ষ্ণ দক্ষতাসম্পন্ন -► (আর লুকমান ২৭ বলেছিল ) “ হে পুত্র! কোন জিনিস যদি সরিষার দানা পরিমাণও হয় এবং তা লুকিয়ে থাকে পাথরের মধ্যে , আকাশে বা পৃথিবীতে কোথাও , তাহলে আল্লাহ তা বের করে নিয়ে আসবেন। ২৮ তিনি সূক্ষ্মদর্শী এবং সবকিছু জানেন ► লুকমান:১৬)
৩২. আল খাবীর -► সর্বজ্ঞ -► (যদি আল্লাহ তোমার কোন ধরনের ক্ষতি করেন তাহলে তিনি ছাড়া আর কেউ নেই যে তোমাকে ঐ ক্ষতি থেকে বাঁচাতে পারে। আর যদি তিনি তোমার কোন কল্যাণ করেন, তাহলে তিনি সবকিছুর ওপর শক্তিশালী। তিনি নিজের বান্দাদের ওপর পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন এবং তিনি জ্ঞানী ও সবকিছু জানেন ► আন’আম:১৮)
৩৩. আল হালীম -►সহিষ্ণু -► (তোমরা অনিচ্ছায় যেসব অর্থহীন শপথ করে ফেলো সেগুলোর জন্য আল্লাহ তোমাদের পাকড়াও করবেন না, কিন্তু আন্তরিকতার সাথে তোমরা যেসব শপথ গ্রহণ করো সেগুলোর জন্য অবশ্যি পাকড়াও করবেন। আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল ও সহিষ্ণু ► বাকারা:২২৫)
৩৪. আল আজীম -► মহিমাময় -►(আসমান ও যমীনে যা আছে সবই তাঁর । তিনি সর্বোন্নত ও মহান ► শুরা:০৪)
৩৫. আল গাফুর -► ক্ষমাশীল -► (যারা তোমাদের শত্রু আল্লাহ তাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে সম্ভবতঃ বন্ধুত্ব সৃষ্টি করে দেবেন। আল্লাহ সবই করতে পারেন এবং আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়। ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন। আল্লাহ কেবল ��াদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন, যারা ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেছে এবং বহিস্কারকার্যে সহায়তা করেছে। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে তারাই জালেম ► মুমতাহিনা:০৭)
৩৬. আশ শাকুর -► গুণগ্রাহী -► (যদি তোমরা আল্লাহকে করযে হাসানা দাও তাহলে তিনি তোমাদেরকে তা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেবেন এবং তোমাদের ভূল-ত্রুটি ক্ষমা করবেন। আল্লাহ সঠিক মূল্যায়ণকারী ও অতিব সহনশীল ► তাগাবুন:১৭)
৩৭. আল আলী -► অত্যুচ্চ -► (এ সবকিছু এ কারণে যে, আল্লাহই হচ্ছেন সত্য এবং তাকে বাদ দিয়ে অন্য যেসব জিনিসকে এরা ডাকে তা সবই মিথ্যা, আর ( এ কারণে যে, ) আল্লাহই সমুচ্চ ও শ্রেষ্ঠ ► লুকমান:৩০)
৩৮. আল কাবীর -► বিরাট/ মহৎ -► (তিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যমান প্রত্যেক জিনিসের জ্ঞান রাখেন। তিনি মহান ও সর্বাবস্থায় সবার ওপর অবস্থান করেন ► রা’দ:০৯)
৩৯. আল হাফীজ -► মহা রক্ষক -► (যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নিতে চাও তাহলে ফিরিয়ে নাও, কিন্তু যে পয়গাম দিয়ে আমাকে তোমাদের কাছে পাঠানো হয়েছিল তা আমি তোমাদের কাছে পৌঁছিয়ে দিয়েছি। এখন আমার রব তোমাদের জায়গায় অন্য জাতিকে বসাবেন এবং তোমরা তাঁর কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। অবশ্যি আমার রব প্রতিটি জিনিসের সংরক্ষক ► হুদ:৫৭)
৪০. আল মুকিত -►আহার্যদাতা -► (...................)
৪১. আল হাসীব -► মহা পরিক্ষক -►((এ হচ্ছে আল্লাহর নিয়ম তাদের জন্য) যারা আল্লাহর বাণী পৌঁছিয়ে থাকে, তাঁকেই ভয় করে এবং এক আল্লাহকে ছাড়া আর কাউকে ভয় করে না আর হিসেব গ্রহণের জন্য কেবলমাত্র আল্লাহই যথেষ্ট ► আহযাব:৩৯)
৪২. আল জালিল -► প্রতাপশালী -► ( রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান ও প্রতাপশালী আল্লাহ বলেন, “হে আদম সন্তান! নিশ্চয়ই বার্ধক্য আমার নূরসমূহের একটি নূর। আমার নূরকে আমি আমার আগুন দিয়ে শাস্তি দিতে লজ্জা বোধ করি ► হাদীসে কুদসী)
৪৩. আল কারীম -► মহামান্য -► (হে মানুষ ! কোন জিনিষ তোমাকে তোমার মহান রবের ব্যাপারে ধোঁকায় ফেলে রেখেছে ► ইনফিতার:০৬)
৪৪. আর রাকীব -► নিরীক্ষণকারী -► (হে মানব জতি ! তোমাদের রবকে ভয় করো। তিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন একটি প্রাণ থেকে । আর সেই একই প্রাণ থেকে সৃষ্টি করেছেন তার জোড়া । তারপর তাদের দুজনার থেকে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছেন বহু পুরুষ ও নারী । ১ সেই আল্লাহকে ভয় করো যার দোহাই দিয়ে তোমরা পরস্পরের কাছ থেকে নিজেদের হক আদায় করে থাকো এবং আত্মীয়তা ও নিকট সম্পর্ক বিনষ্ট করা থেকে বিরত থাকো। নিশ্চিতভাবে জেনে রাখো, আল্লাহ তোমাদের ওপর কড়া নজর রেখেছেন ► নিসা:০১)
৪৫. আল মুজিব -► প্রার্থনা গ্রহণকারী -► (আর সামুদের কাছে আমি তাদের ভাই সালেহকে পাঠালাম সে বললো, “হে আমার কওমের লোকেরা! আল্লাহর বন্দেগী করো। তিনি ছাড়া তোমাদের আর কোন ইলাহ ��েই। তিনিই তোমারে যমীন থেকে পয়দা করেছেন এবং এখানেই তোমাদের বসবাস করিয়েছেন। কাজেই তোমরা তাঁর কাছে ক্ষমা চাও এবং তাঁর দিকে ফিরে এসো। নিশ্চয়ই আমার রব নিকটে আছেন তিনি ডাকের জবাব দেন ► হুদ:৬১)
৪৬. আল ওয়াসি -► সর্বব্যাপী -► (হে নবী ! তাদের বলে দাও, ‘‘গ্রহন ও মর্যাদা আল্লাহর ইখতিয়ারভুক্ত, যাকে ইচ্ছা তিনি তা দান করেন। তিনি ব্যাপক দৃষ্টির অধিকারী ► ইমরান:৭৩)
৪৭. আল হাকীম -► বিচক্ষণ -► (যমীন ও আসমানসমূহের প্রতিটি জিনিসই আল্লাহর তাসবীহ করেছে। তিনি মহা পরাক্রমশালী ও অতিশয় বিজ্ঞ ► হাদীদ:০১)
৪৮. আল ওয়াদুদ -► প্রেমময় -► (আসলে তোমার রবের পাকড়াও বড় শক্ত। তিনিই প্রথমবার সৃষ্টি করেন আবার তিনিই দ্বিতীয় বার সৃষ্টি করবেন। তিনি ক্ষমাশীল , প্রেমময় .. ► বুরুজ:১৪)
৪৯. আল মাজীদ -► গৌরবময় -► (ফেরেশতারা বললোঃ “আল্লাহর হুকুমের ব্যাপারে অবাক হচ্ছো? ৮২ হে ইবরাহীমের গৃহবাসীরা! তোমাদের প্রতি তো রয়েছে আল্লাহর রহমত ও বরকত, আর অবশ্যি আল্লাহ অত্যন্ত প্রশংসাই এবং বড়ই শান শওকতের অধিকারী ► হুদ:৭৩)
৫০. আল বাঈছ -► পুনরুথানকারী -► (আর এ (একথার প্রমাণ) যে, কিয়ামতের সময় অবশ্যই আসবে, এতে কোনো প্রকার সন্দেহের অবকাশ নেই এবং নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদেরকে উঠাবেন যারা কবরে চলে গেছে ► হাজ্জ:০৭)
৫১. আশ শাহীদ -► প্রত্যক্ষকারী -► (আল্লাহই তো সে মহান সত্তা যিনি তাঁর রসূলকে হিদায়াত ও সত্য দীন দিয়ে পাঠিয়েছেন যেন তাকে সমস্ত দীনের ওপর বিজয়ী করে দেন। আর এ বাস্তবতা সম্পর্কে আল্লাহর সাক্ষই যথেষ্ট ► ফাতহ:২৮)
৫২. আল হাক্ক -► সত্য -► (এসব কিছু এজন্য যে, আল্লাহ সত্য, তিনি মৃতদেরকে জীবিত করেন এবং তিনি সব জিনিসের ওপর শক্তিশালী ► হাজ্জ:০৬)
৫৩. আল ওয়াকীল -► তত্ত্বাবধায়ক -► (মূসা বললেন, আমার ও আপনার মধ্যে এই চুক্তি স্থির হল। দু’টি মেয়াদের মধ্য থেকে যে কোন একটি পূর্ণ করলে আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকবে না। আমরা যা বলছি, তাতে আল্লাহর উপর ভরসা ►কাসাস:২৮)
৫৪. আল কাও’য়্যি -► শক্তিশালী -► (আল্লাহ লিখে দিয়েছেন যে, তিনি এবং তাঁর রসূল অবশ্যই বিজয়ী হবেন। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ মহা শক্তিমান ও পরাক্রমশালী ► মুজাদালাহ:২১)
৫৫. আল মাতীন -► দৃঢ়তা সম্পন্ন -► (আমি তাদের কাছে কোন রিযিক চাই না কিংবা তারা আমাকে খাওয়াবে তাও চাই না। আল্লাহ নিজেই রিযিকদাতা এবং অত্যন্ত শক্তিধর ও পরাক্রমশালী ► যারিয়াত:৫৮)
৫৬. আল ওয়ালী -► অভিভাবক -► (আল্লাহর মোকাবিলায় তারা তোমরা কোন কাজেই আসতে পারে না। ২৪ জালেমরা একে অপরের বন্ধু এবং মুত্তাকীনদের বন্ধু আল্লাহ ► জাসিয়া:১৯)
৫৭. আল হামীদ -► প্রশংসিত -► (আর মূসা বললো, “যদি তোমরা কুফরী করো এবং পৃথিবীর সমস্ত অধিবাসীও কাফের হয়ে যায় তাহলে আল্লাহর কিছুই আসে যায় না এবং তিনি আপন সত্তায় আপনি প্রশংসিত।” ► ইবরাহীম:০৮)
৫৮. আল মুহসী -► হিসাব গ্রহণকারী -► (রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- আমার উম্মতের হিসাব আমার উপর ন্যাস্ত করার জন্য আমি মহান আল্লাহর সমীপে আরয করলাম, যাতে তারা অপরাপর উম্মতের সামনে লাঞ্ছিত না হয়, তখন মহান ও পরাক্রমশালী রব আমার প্রতি প্রত্যাদেশ করলেন, ���হে মুহাম্মদ! আমি তাদের হিসাব গ্রহণ করব। অনন্তর তাদের যদি কোন ক্রটি হয়, আমি তোমার কাছেও তা গোপন রাখাব, যাতে তারা তোমার কাছেও অপদস্থ না হয় ► হাদীসে-কুদসী)
৫৯. আল মুবদী -► আদি স্রষ্টা -► (তাদেরকে জিজ্ঞেস করো, তোমাদের তৈরী করা, শরীকদের মধ্যে কেউ আছে কি যে সৃষ্টির সুচন করে আবর তার পুনরাবৃত্তিও করে? -বলো, একমাত্র আল্লাহই সৃষ্টির সূচনা করে এবং তার পুনরাবৃত্তির ঘটনা, কাজেই তোমরা কোন উল্টো পথে চলে যাচ্ছো ? ► ইউনুস:৩৪)
৬০. আল মুঈদ -► পুনঃসৃষ্টিকারী -► (এরা কি কখনো লক্ষ করেনি আল্লাহ কিভাবে সৃষ্টির সূচনা করেন তারপর তার পুনরাবৃত্তি করেন? নিশ্চয়ই এ (পুনরাবৃত্তি ) আল্লাহর জন্য সহজতর ► আনকাবুত:১৯)
৬১. আল মুহয়ী -► জীবনদাতা -► (বৃষ্টিবাহী বায়ু আমিই পাঠাই। তারপর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করি এবং এ পানি দিয়ে তোমাদের পিপাসা মিটাই। এ সম্পদের ভাণ্ডার তোমাদের হাতে নেই। জীবন ও মৃত্যু আমিই দান করি এবং আমিই হবো সবার উত্তরাধিকারী ► হিজর:২৩)
৬২. আল মুমীত -► মরণদাতা -► (হে ঈমানদারগণ ! কাফেরদের মতো কথা বলো না। তাদের আত্মীয়স্বজনরা কখনো সফরে গেলে অথবা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলে ( এবং সেখানে কোন দুর্ঘটনায় পতিত হলে) তারা বলে, যদি তারা আমাদের কাছে থাকতো তাহলে মারা যেতো না এবং নিহত হতো না । এ ধরনের কথাকে আল্লাহ তাদের মানসিক খেদ ও আক্ষেপের কারণে পরিণত করেন । নয়তো জীবন –মৃত্যু তো একমাত্র আল্লাহই দান করে থাকেন এবং তোমাদের সমস্ত কার্যকলাপের ওপর তিনি দৃষ্টি রাখেন । ► ইমরান:১৫৬)
৬৩. আল হায়্যু -► চিরঞ্জীব -► (আল্লাহ এক চিরঞ্জীব ও শাশ্বত সত্তা, যিনি বিশ্ব –জাহানের সমগ্র ব্যবস্থাপনাকে ধারণ করে আছেন, আসলে তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই ► ইমরান:০২)
৬৪. আল কায়্যুম -► স্বয়ং স্থিতিশীল -► (লোকদের মাথা চিরঞ্জীব ও চির প্রতিষ্ঠিত সত্তার সামনে ঝুঁকে পড়বে, সে সময় যে জুলুমের গোনাহের ভার বহন করবে সে ব্যর্থ হবে ► ত্বাহা:১১১)
৬৫. আস সাবুর -► ধৈর্য্যশীল -► (The Patient One► হাদীসে কুদসী)
৬৬. আল ওয়াজিদ -► অবধারক -► (The Self-Sufficient, The All-Perceiving)
৬৭. আল মাজিদ -► মহান -► (The Glorified)
৬৮. আল ওয়াহিদ -► একক -► (সারিবদ্ধভাবে দণ্ডায়মানদের কসম, তারপর যারা ধমক ও অভিশাপ দেয় তাদের কসম, তারপর তাদের কসম যারা উপদেশবাণী শুনায়, তোমাদের প্রকৃত মাবুদ মাত্র একজনই ► সফফাত:০৪)
৬৯. আস সামাদ -► অভাবমুক্ত -► (আল্লাহ কারোর ওপর নির্ভরশীল নন এবং সবাই তাঁর ওপর নির্ভরশীল ► ইখলাস:০২)
৭০. আল ক্বাদীর -► শক্তিশালী -► (অতপর তা মাংসপিণ্ডে পরিণত হয়। তারপর আল্লাহ তার সুন্দর দেহ বানালেন এবং তার অংগ-প্রতংগগুলো সুসামঞ্জস্য করলেন। তারপর তা থেকে নারী ও পুরুষ দু"রকম মানুষ বানালেন। সেই স্রষ্টা কি মৃতদের পুনরায় জীবিত করতে সক্ষম নন? ► ক্বিয়ামাহ:৪০)
৭১. আল মুক্তাদির -► প্রবল/ পরাক্রম -► (ফেরাউনের অনুসারীদের কাছেও সাবধান বাণীসমূহ এসেছিল। কিন্তু তারা আমার সবগুলো নিদর্শনকে অস্বীকার করলো। অবশেষে আমি তাদেরকে পাকড়াও করলাম। যেভাবে কোন মহা -পরাক্রমশালী পাকড়াও করে ► ক্বামার:৪২)
৭২. আল মুকাদ্দিম -► অগ্রবর্ত্তীকারী -► (The Expediter)
৭৩. আল মুয়াখখির -► পশ্চাদবর্ত্তীকারী, অবকাশপ্রদানকারী -► (আল্লাহ তোমাদের গোনাহ মাফ করে দেবেন এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তোমাদের অবকাশ দেবেন। প্রকৃত ব্যাপার হলো, আল্লাহর নির্ধারিত সময় যখন এসে যায় তখন তা থেকে বাঁচা যায় না। আহ্! যদি তোমরা তা জানতে ► নুহ:০৪)
৭৪. আল আওয়াল -► অনাদী, প্রথম -► (তিনিই আদি তিনি অনন্ত এবং তিনিই প্রকাশিত তিনিই গোপন । তিনি সব বিষয়ে অবহিত ► হাদীদ:০৩)
৭৫. আল আখির -► অনন্ত -► (তিনিই আদি তিনি অনন্ত এবং তিনিই প্রকাশিত তিনিই গোপন । তিনি সব বিষয়ে অবহিত ► হাদীদ:০৩)
৭৬. আল জাহির -► প্রকাশ্য -► (তিনিই আদি তিনি অনন্ত এবং তিনিই প্রকাশিত তিনিই গোপন । তিনি সব বিষয়ে অবহিত ► হাদীদ:০৩)
৭৭. আল বাতিন -► গুপ্ত -► (তিনিই আদি তিনি অনন্ত এবং তিনিই প্রকাশিত তিনিই গোপন । তিনি সব বিষয়ে অবহিত ► হাদীদ:০৩)
৭৮. আল ওয়ালী -► কার্য্য নির্বাহক (হাদীসে কুদসী)
৭৯. আল মুতা’আলী -► সুউচ্চ, The Most Exalted -► (আল্লাহ প্রত্যেক গর্ভবতীর গর্ভ সম্পর্কে জানেন। যা কিছু তার মধ্যে গঠিত হয় তাও তিনি জানেন এবং যাকিছু তার মধ্যে কমবেশী হয় সে সম্পর্কেও তিনি খবর রাখেন। তাঁর কাছে প্রত্যেক জিনিসের জন্য একটি পরিমাণ নির্দিষ্ট রয়েছে। তিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যমান প্রত্যেক জিনিসের জ্ঞান রাখেন। তিনি মহান ও সর্বাবস্থায় সবার ওপর অবস্থান করেন ► রা’দ:০৯)
৮০. আল বার্র -► ন্যায়বান -► (তারা বলবে আমরা প্রথমে নিজের পরিবারের লোকদের মধ্যে ভয়ে ভয়ে জীবন যাপন করতাম। পরিশেষে আল্লাহ আমাদের ওপর মেহেরবানী করেছেন এবং দগ্ধকারী আযাব থেকে আমাদের রক্ষা করেছেন। অতীত জীবনে আমরা তাঁর কাছেই দোয়া করতাম সত্যিই তিনি অতি বড় উপকারী ও দয়াবান ► তুর:২৮)
৮১. আত তাওয়াব -► তওবা গ্রহণকারী -►(হে ঈমানদাগণ, বেশী ধারণা ও অনুমান করা থেকে বিরত থাকো কারণ কোন কোন ধারণা ও অনুমান গোনাহ। দোষ অন্বেষন করো না। আর তোমাদের কেউ যেন কারো গীবত না করে। এমন কেউ কি তোমাদের মধ্যে আছে, যে তার নিজের মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া পছন্দ করবে ? দেখো, তা খেতে তোমাদের ঘৃণা হয়। আল্লাহকে ভয় করো। আল্লাহ অধিক পরিমাণে তাওবা কবুলকারী এবং দয়ালু ► হুজরাত:১২)
৮২. আল মুনতাকিম -► প্রতিশোধ গ্রহণকারী -► (যেদিন আমি বড় আ���াত করবো, সেদিন আমি তোমাদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করবো। আমি এর আগে ফেরাউনের কওমকেও এই পরীক্ষায় ফেলেছিলাম । তাদের কাছে একজন সম্ভ্রান্ত রসূল এসেছিলেন ► দুখান:১৬)
৮৩. আল আফউ -► ক্ষমাকারী -► (এতো হচ্ছে তাদের অবস্থা, আর যে ব্যক্তি প্রতিশোধ নেয় ঠিক যেমন তার সাথে করা হয়েছে তেমনি এবং তারপর তার ওপর বাড়াবাড়িও করা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে আল্লাহ অবশ্যই তাকে সাহায্য করবেন, আল্লাহ গোনাহমাফকারী ও ক্ষমাশীল ► হাজ্জ্ব:৬০)
৮৪. আর রাউফ -► কোমল হৃদয় -►(আল্লাহ নবীকে মাফ করে দিয়েছেন এবং অত্যন্ত কঠিন সময়ে যে মুহাজির ও আনসারগণ নবীর সাথে সহযোগীতা করেন তাদেরকেও মাফ করে দিয়েছেন। যদিও তাদের মধ্যে থেকে কিছু লোকের দিল বক্রতার দিকে আকৃষ্ট হতে যাচ্ছিল (কিন্তু তারা এ বক্রতার অনুগামী না হয়ে নবীর সহযোগী হয়েছেন।ফলে) আল্লাহ তাদেরকে মাফ করে দিয়েছেন। নিসন্দেহে এ লোকদের প্রতি তিনি স্নেহশীল ও মেহেরবান ► তাওবা:১১৭)
৮৫. মালিক-উল-মুলক -► রাজ্যের মালিক -► (বলোঃ হে আল্লাহ ! বিশ্ব –জাহানের মালিক! তুমি যাকে চাও রাষ্ট্রক্ষমতা দান করো এবং যার থেকে চাও রাষ্ট্রক্ষমতা ছিনিয়ে নাও। যাকে চাও মর্যাদা ও ইজ্জত দান করো এবং যাকে চাও লাঞ্জিত ও হেয় করো। কল্যাণ তোমরা হাতেই নিহিত । নিসন্দেহে তুমি সবকিছুর ওপর শক্তিশালী । ► ইমরান:২৬)
৮৬. যুল জালাল ওয়াল ইকরাম -► মহিমান্বিত ও মাহাত্ম্যপূর্ণ -► (ঐ সব জান্নাতবাসী সবুজ গালিচা ও সুক্ষ্ম পরিমার্জিত অনুপম ফরাশের ওপর হেলান দিয়ে বসবে। তোমাদের রবের কোন্ কোন্ দান তোমরা অস্বীকার করবে? তোমার মহিমান্বিত ও দাতা রবের নাম অত্যন্ত কল্যাণময়। ► আর-রহমান:২৭)
৮৭. আল মুকসিত -► ন্যায়পরায়ণ -► (আল্লাহ নিজেই সাক্ষ দিয়েছেন , তিনি ছাড়া আর কোন ইলাই নেই। আর ফেরেশতা ও সকল জ্ঞানবান লোকই সততা ও ন্যায়পরায়ণতার সাথে এ সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, সেই প্রবল পরাক্রান্ত ও জ্ঞানবান সত্তা ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই ► ইমরান:১৮)
৮৮. আল জামি -► একত্রীকরণকারী -► (হে আমাদের রব! অবশ্যি তুমি সমগ্র মানব জাতিকে একদিন একত্রে সমবেত করবে, যে দিনটির আগমনের ব্যাপারে কোন সন্���েহ নেই। তুমি কখনো ওয়াদা থেকে বিচ্যুত হও না।’’ ► ইমরান:০৯)
৮৯. আল গানী -► সম্পদশালী -► (দেখো, তোমাদেরকে আল্লাহর পথে অর্থ-সম্পদ ব্যয় করতে আহ্বান জানানো হচ্ছে অথচ তোমাদের মধ্যকার কিছু লোক কৃপণতা করেছে। যারা কৃপণতা করে তারা প্রকৃতপক্ষে নিজের সাথেই কৃপণতা করছে। আল্লাহ যারা কৃপণতা করে তারা প্রকৃতপক্ষে নিজের সাথেই কৃপণতা করছে। আল্লাহ তো অভাব শূন্য। তোমরাই তার মুখাপেক্ষী। তোমরা যদি মুখ ফিরিয়ে নাও তাহলে আল্লাহ তোমাদের স্থানে অন্য কোন জাতিকে নিয়ে আসবেন। তারা তোমাদের মত হবে না ► মুহাম্মাদ:৩৮)
৯০. আল মুগনি -► অভাব মোচনকারী -► (হে ঈমানদারগণ! মুশরিকরা তো অপবিত্র, কাজেই এ বছরের পর তারা যেন আর মসজিদে হারামের কা��ে না আসে। ২৫ আর যদি তোমাদের দারিদ্রের ভয় থাকে, তাহলে আল্লাহ চাইলে তার নিজ অনুগ্রহে শীঘ্র�� তোমাদের অভাবমুক্ত করে দেবেন । আল্লাহ সবকিছু জানেন ও তিনি প্রজ্ঞাময় ► তাওবা:২৮)
৯১. আল মানি -► প্রতিরোধকারী -► (The Preventer of harm ► হাদীসে কুদসী)
৯২. আদ দারর -► অকল্যাণকর্তা -► (The Afflicter► হাদীসে কুদসী)
৯৩. আন নাফি -► কল্যাণকর্তা -► (The Benefiter► হাদীসে কুদসী)
৯৪. আন নূর -► জ্যোতি -► (আল্লাহ আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর আলো । (বিশ্ব-জাহানে) তাঁর আলোর উপমা যেন একটি তাকে একটি প্রদীপ রাখা আছে, প্রদীপটি আছে একটি চিমনির মধ্যে, চিমনিটি দেখতে এমন যেন মুক্তোর মতো ঝকঝকে নক্ষত্র, আর এ প্রদীপটি যয়তুনের এমন একটি মুবারক গাছের তেল দিয়ে উজ্জল করা হয়, যা পূর্বেরও নয়, পশ্চিমেরও নয়। যার তেল আপনা আপনিই জ্বলে ওঠে, চাই আগুন তাকে স্পর্শ করুক বা না করুক । (এভাবে ) আলোর ওপরে আলো (বৃদ্ধির সমস্ত উপকরণ একত্র হয়ে গেছে) আল্লাহ যাকে চান নিজের আলোর দিকে পথনির্দেশ করেন । তিনি উপমার সাহায্যে লোকদের কথা বুঝান। তিনি প্রত্যেকটি জিনিস খুব ভালো করেই জানেন ► নুর:৩৫)
৯৫. আল হাদী -► পথ প্রদর্শক -►((হে নবী!) আমি তোমার কাছে অহীর মাধ্যমে যে কিতাব পাঠিয়েছি সেটিই সত্য, সত্যায়িত করে এসেছ তার পূর্বে আগত কিবাতগুলোকে। অবশ্যই আল্লাহ নিজের বান্দাদের অবস্থা অবগত আছেন এবং সব জিনিসের প্রতি দৃষ্টি রাখেন ► ফাতির:৩১)
৯৬. আল বাদী -► অভিনব সৃষ্টিকারী -► (তিনি আকাশসমূহ ও পৃথিবীর স্রষ্টা । তিনি যে বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেন সে সম্পর্কে কেবলমাত্র হুকুম দেন ‘হও’ , তাহলেই তা হয়ে যায় ► বাকারা:১১৭)
৯৭. আল বাকী -► চিরস্থায়ী -► (এ ভূপৃষ্ঠের প্রতিটি জিনিসই ধ্বংস হয়ে যাবে এবং তোমার মহীয়ান ও দয়াবান রবের সত্তাই অবশিষ্ট থাকবে ► আর রহমান:২৭)
৯৮. আল ওয়ারিছ -► উত্তরাধিকারী -► (বৃষ্টিবাহী বায়ু আমিই পাঠাই। তারপর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করি এবং এ পানি দিয়ে তোমাদের পিপাসা মিটাই। এ সম্পদের ভাণ্ডার তোমাদের হাতে নেই। জীবন ও মৃত্যু আমিই দান করি এবং আমিই হবো সবার উত্তরাধিকারী ► আর হিজর:২৩)
৯৯. আল রাশীদ -► সত্যদর্শী -► (The Guide► হাদীসে কুদসী) সঙ্কলনে : তাফহিমুল-কুরআন (ফেসবুক)
#What is Asmaul Husna?#আসমাউল হুসনা কাকে বলে#Asmaa waas Sifaat#আসমাউল-হুসনা#Tawhid ul Asma was Sifat#আল্লাহর সুন্দর সুন্দর নামসমূহ#আল্লাহ্র সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী#Allah's most beautiful name and perfect attributes#আল্লাহ্র সুন্দরতম নাম#Allah's Most Beautiful Name#The Most Beautiful Name and Perfect Attributes of Allah#আল্লাহ্ তায়ালার সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী#The Most Beautiful Names of Allah SWT#আল্লাহ্ তায়ালার সুন্দরতম নাম#Allah's most beautiful name and perfect qualities#আসমাউল হসনা#The Most Beautiful name and perfect attributes of Allah SWT#আল্লাহ্ তায়ালার সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলীসমুহ#আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলীর মাধ্য���ে।#আল্লাহর 99 নাম#99 Names of Allah SWT#99 Names of Allah#Know Allah through His Names and Attributes#Allah must be known by His Most Beautiful name and Perfect Qualities#Allah SWT must be known by His Most Beautiful Name and Perfect Attributes
0 notes
Text
মাদারীপুরে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ৫১, মোট ৫৪৮
New Post has been published on https://is.gd/qJH7Yx
মাদারীপুরে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ৫১, মোট ৫৪৮
মাদারীপুরে ‘রেড জোন’ এলাকাগুলোতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৫১ জন। এ নিয়ে জেলায় কোভিডে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৫৪৮। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৯ জন। আজ শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. শফিকুল ইসলাম। স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৬টি নমুনার ফলাফল হাতে পায় স্বাস্থ্য বিভাগ। এর মধ্যে ৫১ জনের শরীরে ধরা পড়ে কোভিড-১৯। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ৩৫ জন, রাজৈরে ৭ জন, কালকিনিতে ৫ জন এবং শিবচর উপজেলায় ৪ জন রোগী রয়েছেন। নতুন ৫১ জন আক্রান্তসহ জেলায় মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৪৮ জনে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলো ১৪৫ জন। জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছেন ৩৪৩জন। মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, মোট ৪ হাজার ৬৫২টি নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। তার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৬টিসহ মোট ৪ হাজার ১২৫টির নমুনার রিপোর্ট হাতে পাওয়া যায়। এর মধ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৫৪৮জন। উল্লেখ্য, দেশে প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয় মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের আপাসী গ্রামে। পরে বেশ কয়েকজন রোগী শনাক্ত হয় শিবচর উপজেলায়। এরপরে দেশের বিভিন্ন জেলায় ধরা পড়ে অদৃশ্য শত্রু এই করোনা ভাইরাস। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ায় মাদারীপুরের ৪টি পৌরসভার ২০টি ওয়ার্ড ও জেলার ২২টি ইউনিয়নকে 'রেড জান' ঘোষণা করে স্বাস্থ্য বিভাগ। এদিকে এসব এলাকায় বিধি-নিষেধ আরোপ করে বুধবার জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন। এতে বলা হয় বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা ��র্যন্ত কাঁচাবাজার, ২টা পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান ও সার্বক্ষণিক ওষুধের দোকানসহ জরুরি সেবা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যা, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এই লকডাউন বহাল থাকবে।
0 notes
Photo
ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নাফিউল করিম নাফা। ইবনে সাঈদ অঙ্কুর। কালের খবর। ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানেই খুশি।ধর্ম যার যার উৎসব সবার। ঈদ মূলত মুসলিম উম্মার জন্য ধর্মীয় রীতি। এ সময়ে ভেদাভেদ ভুলে সবাই মিলিত হয় মানবতার কাতারে, একে অপরকে মনে করেন পরম বন্ধু । ছোট বড় সবার মাঝেই বয়ে আনে অনাবিল ঈদ আনন্দ । ঈদকে সামনে রেখে মুসলিম অধুষ্যিত দেশগুলো বাণিজ্যকভাবে একধাপ এগিয়ে যায়। এর আনন্দ উপভোগ করে ধনী-গরিব মিলে সবাই। তবে জানি না এবারের করোনাবেষ্টিত ঈদ মানুষের ভাগ্যে কী রেখেছেন। কিন্তু আফসোসের বাণী বৈশ্বিক করোনা নামের অদৃশ্য শত্রু যখন আঘাত হেনেছে তখন আনন্দ মানেই বিষাদের অতৃপ্তি সাদ। যে আনন্দ না পাওয়া সন্তান এবার বাবাকে কাঁদাবে। সন্তান ও পরিবার কাঁদবে হয়তো অপ্রাপ্তির বেশ ধরে। তবুও কিছু পরিবার হয়তো এ নিয়তি মেনেই শুধু বেঁচে থাকার সামান্য স্বস্তি খু্ঁজছেন।তবে থেমে থেকেই বা কি হওয়ার,তাই ঈদের আনন্দকে এবার শক্তি হিসেবে ধরে এগিয়ে চলতে হবে সামনের দিকে।ঘুচে দিতে হবে সব জড়া। প্রত্যেক শ্রেণির পরিবারের মাঝে বয়ে যাক অদম্য উচ্ছাস এবং ঈদ আনন্দের রঙিন ছোঁয়া।
0 notes
Text
অদৃশ্য শত্রু করোনা, দৃশ্যমান শত্রু বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
অদৃশ্য শত্রু করোনা, দৃশ্যমান শত্রু বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ঢাকা: গণতন্ত্রের বুলি মুখে নিয়ে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির লালন-পালনকারী দল বিএনপি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।বিএনপিকে মুখোশের আড়ালে বহুরূপী দানব বলেও মন্তব্য করেন তিনও। বৃহস্পতিবার সকালে তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব মন্তব্য করেন। দেশে এখন অদৃশ্য ও দৃশ্যমান দুইটি শত্রু বিরাজমান উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অদৃশ্য শত্রু হচ্ছে করোনা আর…
View On WordPress
0 notes