arojani
arojani
আরো জানি
31 posts
Welcome Sir! This Is The Official Blog Of আরো জানি || AroJani.com
Don't wanna be here? Send us removal request.
arojani · 7 years ago
Text
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার গল্প।
আরো জানি || AroJani https://ift.tt/2IzGiWp
হ্যামিলিনের বাঁশিওয়ালার গল্পটি পৃথিবীবিখ্যাত। আজ থেকে প্রায় ৭০০ বছরের বেশি আগে জার্মানির ছোট্ট শহর হ্যামিলিনে ঘটেছিল বিখ্যাত এ ঘটনাটি। হ্যামিলিনের গির্জার দেয়ালে আঁকা ছবি থেকে প্রথম এ ঘটনার কথা জানতে পারে মানুষ। পরে এ নিয়ে গল্প-কবিতা লিখেছেন গ্রিম ভ্রাতৃদ্বয় মতো অনেকেই।
এ ঘটনার পেছনে যুক্তি খুঁজতে গিয়ে অনেকে বলেন, জার্মানির উত্তর-পূর্বে স্লাভ অধ্যুষিত দেশগুলোতে উপনিবেশ গড়ে তোলার জন্�� শহর ছেড়েছিল হ্যামিলিনের বেশ কিছু অল্পবয়সী অধিবাসী। তাদের এই দেশান্তরী হওয়ার ঘটনাই পরে গল্প-গাঁথায় উঠে এসেছে। কেউ বলেন, সে সময় ভয়ঙ্কর মরণরোগের শিকার হয়েছিল হ্যামিলিনের খুদে বাসিন্দারা। পরে সেই রোগকেই বাঁশিওয়ালার প্রতীকী রূপ দেয়া হয়।এর সত্যতা নিয়ে অনেকের মধ্যে সন্দেহ আছে বটে, কিন্তু এরপরও পুরো ঘটনাটি বিশ্ব ইতিহাসে কিংবদন্তি হয়ে আছে।
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা
শহরটার নাম হামেলন। সবাই চেনে হ্যামিলন নামে৷ ছোট্ট, সাজানো, সুন্দর শহর হ্যমিলন৷ সেই শহরের মানুষের খুব দুঃখ৷ সেখানে যেন ইঁদুর-বন্যা হয়েছে!
বলছি ১২৮৪ সালের কথা৷ এখন থেকে ৭০০ বছর আগের কথা। হাজারে হাজারে ইঁদুর এখানে-সেখানে। ঘরের মধ্যে যাও সেখানেও ইঁদুর! এই ধরো কোনো বাচ্চা স্কুলে যাবে, ব্যাগ গোছাচ্ছে, দেখা গেল ঐ ব্যাগের মধ্যে গোটা পাঁচেক ইঁদুরছানা৷ কিংবা স্কুলের খেলার মাঠে শিশুদের পা খামচে ধরছে ইঁদুর৷ কী যে যাচ্ছেতাই অবস্থা! শহরের মেয়র পড়েছেন ভারী বিপদে৷ নগর-পিতার ঘুম নেই৷ কী করবেন তিনি?
আরো পড়ুন: আইনিস্টাইনের মস্তিস্ক !
এমনই এক ইঁদুরদিনে হ্যামিলনে এসে পৌঁছালো আজব এক লোক৷
লোকটির পরনে খাটো নানান রঙ্গের আলখাল্লা, মাথায় চোঙ্গার মতো উপরে উঠে ঝুলে পড়া টুপি৷ হাতে লম্বা এক বাঁশি৷ আহা কী সুন্দর করেই না বাঁশি বাজায় লোকটি !
শহরের মধ্যখানে মেয়রের অফিস৷ একসময় সেখানকার রোদে গা জুড়াতো মানুষ। আজ আর সেই অবস্থা নেই৷ লোকজন ঘরে কোনোভাবে দিন কাটায়৷ অফিস-আদালতের কাগজপত্র কেটে-কুটে একাকার করে দিচ্ছে ইঁদুর আর ইঁদুরছানারা৷
শহরের গণ্যমান্য লোক তাই বসেছেন সভায়— কী করা যায় সেই চিন্তায় সকলের কপালে পড়ে গেছে ভাঁজ৷ তখন ঐ সভায় এসে পৌঁছালো সেই অদ্ভুত বাঁশিওয়ালা!
আরো পড়ুন : মৎস কন্যাদের যতো কথা।
‘আমি আপনাদের সমস্যা সমাধান করে দিতে পারি৷ আমি হচ্ছি ইঁদুর শিকারী৷ আমি এই শহর থেকে তাড়িয়ে দিতে পারি সব ইঁদুর।’ বাঁশিওয়ালা বললো।
মেয়র একটু ভ্রূ কুঁচকে বললেন, ‘বিনিময়ে তুমি কী চাও?’
��খনই সমস্বরে সেখানে উপস্থিতরা বলে উঠলেন, ‘তুমি যা চাও আমরা তাই দেবো৷ টাকা চাও, সোনা চাও, জমি চাও, ঘর চাও, বাড়ি চাও সব তোমাকে দেবো, কেবল আমাদের রক্ষা করো৷’
লোকটি একটু হাসলো৷ তারপর বাইরে বের হয়ে নিজের রঙিন আলখাল্লাটার মধ্য থেকে দারুণ একটি বাঁশি বের করলো তারপর সেই বাঁশি বাজাতে বাজাতে ঘুরতে থাকলো হ্যামিলনের পথে৷ সে বাঁশির এক অচেনা সুরের আকর্ষণে শহরের হাজার হাজার ইঁদুর দলবেঁধে ছুটছে লোকটির পেছনে পেছনে৷ নর্দমার গর্ত থেকে, অন্ধকার গলি থেকে, রান্নাঘরের পেছন থেকে দলে দলে বেরিয়ে আসছে ইঁদুর৷ সুরের সম্মোহনে পাগল যেন ইঁদুরের দল!
আরো পড়ুন : VPN কি? কিভাবে কাজ করে?
ঐ শহরের পাশে যে নদী তার নাম ভেজার/ওয়েজার। লোকটি থামলো না— ভেজার নদীর পাশ দিয়ে হাঁটতে শুরু করলো সে৷ আর তাঁর পিছু অদ্ভুত সুরের মূচ্ছর্নায় আসতে থাকলো ইঁদুরের দল৷ একসময় বাঁশিওয়ালার বাঁশির সুর থেমে গেল৷ কী এক চক্রবাঁকে যেন এক উন্মাদনা এসে ভর করলো ইঁদুরের দলে৷ আর সেই উন্মাদনাতেই ইঁদুরেরা দলবেঁধে ঝাঁপিয়ে পড়লো নদীর জলে।
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা এভাবেই ইঁদুরের কবল থেকে রক্ষা করলো শহরবাসীকে৷ কিন্তু এরপর?
ইঁদুর বিদেয় হবার পর শহরের মেয়র আর শহরের গণ্যমান্য লোকদের কাছে এসে চাইলো তার সম্মানী৷ কিন্তু কী হলো তারপর? মেয়র এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা প্রাপ্য সোনাদানা তো দিলই না, বরং ধমকে তাড়িয়ে দিল বাঁশিওয়ালাকে৷
বাঁশিওয়ালা খুবই দুঃখ পেল৷ তার চোখে পানি৷ প্রতিশোধ নেবার বাসনা তার মধ্যে৷
আরো পড়ুন :  জ্যাক ম্যা: হতভাগা বোকা ছাত্র থেকে চীনের শ্রেষ্ঠ ধনী হবার গল্প! 
কিছুদিন পর যখন শহরের লোকজন তাদের গীর্জায় প্রার্থনারত, সেই ক্ষুব্ধ, প্রতারিত বাঁশিওয়ালা ফিরে এল আবার৷ এবার তার মাথায় লম্বা লাল রঙের টোপর৷ গায়ে জড়ানো অদ্ভুত পোশাকটি অনেক লম্বা৷ সেই পোশাক থেকে বের করলো একটি ছোট্ট বাঁশি৷ সেই বাঁশিটি বেজে উঠলো; কিন্তু এবার বাঁশির সুর একেবারেই ভিন্ন৷ সেই সুরে এবার আর ইঁদুর বেরিয়ে এল না; বেরিয়ে এল শহরের সমস্ত শিশুর দল৷ সুরের মূর্চ্ছনায় বাঁশিওয়ালার পেছনে পেছনে সরু পথ থেকে বড় পথ, পাহাড়ের কোল থেকে নদীর কূল পর্যন্ত এগিয়ে যাচ্ছে শিশুর দল৷ এই দলে আছে শহরের মেয়রের আদরের কন্যাও৷ এরপর বাঁশিওয়ালা শিশুদের নিয়ে কোথায় যেন হারিয়ে গেলো৷ এই পাহাড়, ঐ নদী, পাশের শহর সব জায়গা খুঁজেও পাওয়া গেল না সেই শিশুদের; পাওয়া গেল ক��বল দুটি শিশুকে৷ মিছিলের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারার কারণে পিছিয়ে পড়েছিল বলে তাদের ফিরে আসতে হলো৷ তাদের একজন অন্ধ বলে জানতে পারলো না— কোথায় গেল সবাই! আরেকজন বোবা বলে জেনেও কিছু বলতে পারলো না!
এর পর আর কোনোদিন দেখা যায়নি হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালাকে৷।
0 notes
arojani · 7 years ago
Text
মাংসাশী উদ্ভিদ : যেসব গাছ মাংস খেয়ে বাঁচে!
আরো জানি || AroJani http://ift.tt/2FNqEWp
পৃথিবীতে উদ্ভিদ তখন থেকে আছে যখন থেকে পৃথিবীতে প্রাণের সঞ্চার হয়। উদ্ভিদজগৎ না থাকলে আমাদেরও কোনো অস্তিত্ব থাকতো না। প্রাণী জগতের অস্তিত্ব সমগ্র উদ্ভিদ জগতের উপর নির্ভরশীল।আমরা সবাই জানি যে শুধু মানুষ এবং পশুরাই মাংসাশী হয়। কিন্তু পৃথিবীতে এমন কিছু উদ্ভিদ রয়েছে যেগুলি খাদ্যের জন্য অন্য প্রাণীদের উপর নির্ভরশীল। এরা মাংসাশী এবং শিকারি উদ্ভিদ। ভাবার বিষয় হলো যে, যে উদ্ভিদ জাতি আমাদের জীবন দান করে সেই উদ্ভিদ জাতিই কিভাবে মাংসাশী হতে পারে ? ৬০০ টি এরকম উদ্ভিদের প্রজাতি পাওয়া গেছে যেগুলি অন্য প্রাণীদের নিজেদের শিকার বানায়। এরা বিভিন্ন রকম ফাঁদ পেতে ছোট ছোট প্রাণী ও পোকামাকড়দের শিকার করে। আজ আমরা এই পর্বে কথা বলবো বিশ্বের কয়েকটি মাংসাশী উদ্ভিদ এর ব্যাপারে।
Nepenthes
Tumblr media
Nepenthes
এরা ‘মাংকি কাপ’ বা ‘ট্রপিক্যাল পিচার প্ল্যান্ট’ নামেও পরিচিত। ন্যাপেন্থেস গণভুক্ত প্রায় ১৫০টি প্রজাতি ��য়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ভারত, চীন, মাদাগাস্কার, সিচেলেস ও অস্ট্রেলিয়ায় এদের দেখা মেলে। এদের দেহের অংশবিশেষের পিচার বা কলসের মতো গঠনের কারণে এদের পিচার প্ল্যান্ট বলা হয়। এই কলসাকৃতি অংশটিই মূল ফাঁদ। এর ভেতরে জমে থাকা বৃষ্টির পানি প্রায়ই বানররা খেতে আসে বলে এদের এর আরেক নাম হয়েছে মাংকি কাপ।
 Sarracenia
Sarracenia
সারাসিনিয়া উদ্ভিদ বিশেষভাবে উত্তর ও পূর্ব আমেরিকায় পাওয়া যায়। এই গণের অধীনে ১০টি ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতি রয়েছে। এদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হলো এদের নলাকৃতি পাতা ও পাতার মাথায় ছাতার মতো গঠন। এসব উদ্ভিদ ঘ্রাণ, নেকটার রস ও বর্ণ দ্বারা কীট-পতঙ্গকে আকৃষ্ট করে। গ্রীষ্মকালে এদের পাতা গাঢ় লাল ও বেগুনীর মিশ্র বর্ণ ধারণ করে। এতে কীট-পতঙ্গ আরও বেশি করে আকৃষ্ট হয়। কীট-পতঙ্গ পাতায় এসে বসার পরে পিচ্ছিল গাত্র আর সূক্ষ্ম রোমের কারণে আর উড়ে যেতে পারে না। নলাকার পাতার ভেতরে হজমকারী এনজাইমসমৃদ্ধ তরল থাকে। এই তরলে দ্রবীভূত হয়ে শিকার ধীরে ধীরে হজম হয়ে যায়। এটাও লক্ষ্য করা যায় যে, কীট-পতঙ্গের উপর এই তরলের নেশা সৃষ্টিকারী ও অবশকারী প্রভাব আছে। অপরুপ মোহনীয়তায় এভাবেই শিকার ধরে উদরপূর্তি করে সারাসিনিয়া।
Venus Flytrap
Tumblr media
Venus Flytrap
মাংশাসী গাছগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রখ্যাত বলা যায় এই ভেনাস ফ্লাইট্র্যাপকে। সবচেয়ে বেশি গবেষণাও হয়েছে একে নিয়েই। এর অসাধারণ সৌন্দর্যকে বাদ দিয়ে দেখার কোনো অবকাশ নেই। অবিকল মানুষের মুখগহবরের মতো গঠন এর পাতাগুলোর। পাতাগুলোর মাঝ বরাবর দরজার কব্জার মতো ব্যবধায়ক আছে যার মাধ্যমে পাতাগুলো দ্রুত খুলতে ও বন্ধ হতে পারে। এই পাতাগুলোর ভেতরের পৃষ্ঠজুড়ে অনেকগুলো সংবেদনশীল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শক্ত লোমের মতো অঙ্গ থাকে। মাছি, পোকামাকড় বা এই জাতীয় কোনো শিকার এসব লোমের সংস্পর্শে আসা মাত্র অতি দ্রুততার সাথে শিকারসহ পাতার মুখ বন্ধ হয়ে যায়।
আরো পড়ুন: মানুষের মাংস খাওয়ার যতো গল্প!
পাতার অভ্যন্তরীন ক্ষরণে তখন ভেতরে আটকা পড়া শিকারটির শরীরের নরম অংশগুলো খসে পড়তে থাকে। ধীরে ধীরে শিকারের দেহ বিগলিত হয়ে হজম হয়ে যায়। হজম কাজ সম্পন্ন করতে এর প্রায় ১০ দিন সময় লাগে। একবার হজম হয়ে যা���য়ার পর পাতাটি পুনরায় উন্মুক্ত হয়ে যায় নতুন শিকারের অপেক্ষায়। প্র��্ন উঠতে পারে, বৃষ্টির পানি বা শিকার ব্যতীত যাবতীয় কিছু পাতার লোম স্পর্শ করলেও কি পাতা বন্ধ হয়ে যায়? অবশ্যই না। প্রকৃতির রাজ্যে অহেতুক কসরতের ঘটনা খুবই কম। কোনো বস্তু ফ্লাইট্র্যাপের পাতার একটি লোম স্পর্শ করার ২০ সেকেন্ডের মধ্যে যদি আরও দুই বা ততোধিক লোম আলোড়িত হয়, তবেই শুধু পাতাটি বন্ধ হয়ে যায়। নিঃসন্দেহে প্রকৃতির এক অনন্য প্রকৌশল ব্যবস্থা এই ভেনাস ফ্লাইট্র্যাপ।
Pinguicula
Tumblr media
Pinguicula
এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকায় জন্মানো এই পিঙ্গিকুলা গণের অধীনে ৮০টি প্রজাতির মাংশাসী উদ্ভিদ রয়েছে। এরা ‘বাটারওয়ার্ট’ নামেও বহুল পরিচিত। এসব উদ্ভিদের পাতা গ্রন্থিসমৃদ্ধ ও বেশ বড়সড় হয়। এদের পাতার অগ্রভাগ থেকে আঠালো মিউসিলেজ নিঃসরিত হয় যা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তন্তুর ন্যায় অংশে শিকার আটকাতে সাহায্য করে। বেশিরভাগ পিঙ্গিকুলাতে এক ধরণের দুর্গন্ধ থাকে যা শিকারকে আকর্ষণে ভূমিকা রাখে। পিঙ্গিকুলার ফাঁদ প্রকৌশল দুই ধরণের গ্রন্থি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। প্রথমটির নাম পেডানকুলার গ্রন্থি। এটি থেকে মিউসিলেজ ও হজমকারী এনজাইমসহ এক রকম পদার্থ ক্ষরণ করে থাকে যা পাতার উপরে ছোট ছোট তরল কণিকারুপে বিরাজ করে। এই আঠালো তরলের কণাগুলো পোকামাকড়কে আকৃষ্ট করে। যখনই কোনো পোকামাকড় পাতায় বসে, সঙ্গে সঙ্গে পেডানকুলার গ্রন্থি আরও বেশি করে মিউসিলেজ ক্ষরণ করে পোকাটিকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলে। এরপরই সিসাইল নামক দ্বিতীয় গ্রন্থিটি কার্যকর হয়ে একগাদা হজমকারী এনজাইম ক্ষরণ করে যা ধীরে ধীরে পোকাটির দেহকে ভেঙে শোষণ করতে সাহায্য করে। যতটা মোহনীয় এর রুপ, ঠিক ততটাই ভয়ানক এর ফাঁদ।
আরো পড়ুন: IP কি? কিভাবে কাজ করে?
Heliamphora
Tumblr media
Heliamphora
এই দীর্ঘজীবি, চিরসবুজ ও দ্বিবার্ষিক উদ্ভিদটি দক্ষিণ আমেরিকায় পাওয়া যায়। এর আরেক নাম ‘সান পিচার’, বাংলায় ‘সূর্য কলস’। এদের ফানেলের মতো নলাকৃতি পাতাগুলোতে পানি ভরা থাকে, আর এ পাতাগুলোই শিকার ধরায় ফাঁদের কাজ করে। কীট-পতঙ্গ এসব মোহনীয় পাতার আকর্ষণে কাছে এসে ভেতরে পড়ে গেলে পাতায় জমা পানিতে বিরাজমান ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে এদের দেহ হজম করে নেয় হিলিয়ামফোরা। এদের মূলতন্ত্র অতি উন্নত। হিলিয়ামফোরা গ��ের অধীনে ২৩টি প্রজাতি রয়েছে। এদের মধ্যে মাত্র একটি প্রজাতি ‘হিলিয়ামফোরা টেটেই’ ব্যাকটেরিয়ার সাহায্য নেয় না। এরা হজমের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম নিজেই তৈরি করে।
 Drosera
ড্রসেরা গণের অধীনে প্রায় ২০০টি প্রজাতি রয়েছে। এদের নিঃসন্দেহে মাংশাসী উদ্ভিদ সম্প্রদায়ের রত্ন বলা যায়। সবচেয়ে সুন্দর আর সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফাঁদ ব্যবস্থার অধিকারী ড্রসেরা উদ্ভিদগুলোকে ‘সানডিউ’ বলেও ডাকা হয়। কারন এদের পাতায় সরু কাঠির ন্যায় উপাঙ্গের মাথায় এক ধরণের আঠালো, হজম সহায়ক এনজাইম জমে থাকে। দেখে মনে হয় বিন্দু বিন্দু শিশির জমে আছে। রোদে ঝকমক করা এমন শিশিরভেজা উদ্ভিদ দেখে কারও মনেই কোনো খারাপ আশঙ্কা আসে না। আশঙ্কা পোকামাকড়দেরও আসে না। তাই তারা এগিয়ে আসে, আর আটকা পড়ে যায়। পাতার পৃষ্ঠে আঠালো গ্রন্থি থাকে যা পোকামাকড়দের আটকে ফেলে আর শিশির বিন্দুর ন্যায় এনজাইমগুলো পোকার দেহ হজম করে ফেলে। ড্রসেরা স্ব-পরাগায়ণ ও স্ব-নিষেক করতে সক্ষম।
আরো পড়ুন: দাউদ ইব্রাহিম: অদেখা সম্রাজ্যের রাজা।
Utricularia/ ঝাঁঝি দাম
Utricularia
বাংলাদেশের বিভিন্ন খাল বিলে এর অবাধ অবস্থান। বর্ষার শেষদিকে একটু কম পানিতে জন্মায় এরা। এটি একটি মধ্যম আকারের জলজ বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। তেমন কোনো শেকড় থাকে না এবং পানিতে ভেসে বেড়ায় এই উদ্ভিদগুলো। শেকড়ের বদলে এদের এক ধরণের থলে থাকে। থলের মুখের প্রবেশ পথে খাড়া রোম থাকে। এই রোমগুলোতে কোন জলজ প্রাণী স্পর্শ করলেই এর মুখ খুলে যায় এবং প্রাণীটিকে থলের ভেতর নিয়ে নেয় উদ্ভিদটির গাঢ় কমলা হলুদ রঙের ফুল হয়। হাল্কা সুবাস আছে এতে।
নিয়মিত আপডেট পেতে আরো জানি ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন । 
0 notes
arojani · 7 years ago
Text
পৃথিবীজুড়ে আলোচিত ১০ টি রহস্যময় অদ্ভুত ও অমীমাংসিত ঘটনা!
আরো জানি || AroJani http://ift.tt/2pbeUpA
পৃথিবীতে কত রহস্যই না আজ পর্যন্ত আমাদের কাছে রহস্যই রয়ে গেছে। কিন্তু এর মধ্যে এমন কিছু রহস্য আছে যা আমাদের শরীরকে ঠান্ডা করে দিয়ে যায়। আজ আপনাদের এমন ১০টি রহস্যের কথা জানাব যা শুধু রহস্যেই ঘেরা নয়, ভয়ঙ্কর সব ঘটনাও বটে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
০১)
SS Ourang Medan
১৯৪৭ সালের জুন মাস, একটা জাহাজ মালয়শিয়া যাচ্ছিল। হঠাৎ করেই সেই জাহাজ দিয়ে বিপদ সংকেত পাঠান হয় রেডিওর মাধ্যমে। বিপদ সংকেতে বলা হয়, "সকল অফিসার ক্যাপ্টেন সহ মারা গেছেন, সকলেই জাহাজের ব্রিজে শুয়ে আছে। সম্ভবত জাহাজের সকলেই মারা গেছে।" তারপর কিছুক্ষন কোন শব্দ নেই, হঠাৎ করে শেষ বার্তা এলো, "আমি মারা গেছি"।
 SS Ourang Medan জাহাজ
আমেরিকার একটি জাহাজ "সিলভার ষ্টার", সে সময় বিপদ বার্তা পেয়ে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে। তারা দেখতে পেলেন "SS Ourang Medan" জাহাজের সকল যাত্রী মারা গেছে অদ্ভুত ভাবে। সকলেই ঠান্ডায় জমে মারা গেছে এবং সকলের মুখে ভয়ের চিহ্ন স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাচ্ছিল। তাদের সকলের হাত উঁচু হয়েছিল এবং সকলেই যেন কোন কিছু ধরার জন্য হাত বাড়িয়েছে এমনটাই মনে হচ্ছিল।
Tumblr media
হাত তোলা অবস্থায় জাহাজের ক্রুর ছবি
সিলভার ষ্টার জাহাজটি SS Ourang Medan জাহাজকে বেঁধে পাড়ের দিকে নিয়ে আসতে থাকে। কিন্তু পাড়ের খুব কাছে আসার সাথে সাথে বিকট বিস্ফরন ঘটে SS Ourang Medan জাহাজে এবং জাহাজটি সমুদ্রে ডুবে যায়। আজ পর্যন্ত এই SS Ourang Medan জাহাজের রহস্য কেউ উদ্ঘাটন করতে পারেন নাই। ০২)
ক্যারোলিন ওয়াল্টার
ক্যারোলিন ওয়াল্টার
১৮৬৭ সালে, জার্মানির ফ্রেইবুর্গ শহরে ক্যারোলিন ওয়াল্টার মারা যায় মাত্র ১৬ বছর বয়সে। তার বোনের ইচ্ছার অনুস্বারে ক্যারোলিন ওয়াল্টার কবরের উপরে তার প্রমান আকৃতির তার মত করে একটি মূর্তি স্থাপন করা হয়। বিগত ১৪৮ বছর ধরে কোন কেউ একজন মূর্তিটির হাতের কাছে একই ধরনের একই ফুলের ফুলের তোড়া প্রতিদিন রেখ��� যায় (উপরের ছবিটা দেখুন, হাতের কাছে ফুল)। কিন্তু কে এই ফুলের তোড়া রেখে যাচ্ছে ১৪৮ বছর ধরে তা আজ পর্যন্ত কেউ জানে না। ০৩)
সোডার পরিবারের শিশু
সোডার পরিবারের শিশু
১৯৪৫ সালের বড় দিনের রাতে। হঠাৎ করে আগুন লেগে যায় সোডার পরিবারের বাড়িতে। জর্জ এবং জেনি সোডার তাদের ৪জন সন্তান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারলেও তাদের আরো পাঁচ সন্তান থেকে যায় বাড়ির মধ্যে। আগুন নিভে গেলে বাকি পাঁচ সন্তানের লাশ আর খুঁজে পাওয়া যায় নি। বাড়িটি এত বেশি সময় ধরে আগুন ধরে ছিল না, যে তা মানুষের শরীরকে সম্পূর্ন ছাইয়ে পরিনত করে দিবে।
আরো পড়ুন: আইনিস্টাইনের মস্তিস্ক !
২০ বছর পরে সোডার পরিবারের কাছে একটি বেনামে চিঠি আসে। আর সেই চিঠিতে ছিল ২০ বছর আগে হাড়িয়ে যাওয়া তাদের পাঁচ সন্তানের ছবি। আর ছবির পিছনে লেখা ছিল, "Louis Sodder. I love brother Frankie. Ilil boys. A90132 or 35." তার এ নিয়ে অনেক অনুসন্ধান চালালেও তাদের সেই পাঁচ সন্তানের কোন খোঁজ তারা পাননি। ০৪)
Hinterkaifeck
জার্মানির বার্লিন শহরের ছোট একটি গ্রামে একটি ফার্মে বসবাস করত আন্দ্রিয়াস গ্রুবার, তার স্ত্রী কাজিলিয়া, তাদের বিধবা কন্যা ভিকটরিয়া গ্রাব্রিয়েল এবং ভিক্টরিয়ার দুই সন্তান কাজিলিয়া এবং জোসেফ। আর থাকত তাদের কাজের লোক মারিয়া। রহস্যজনক ভাবে এক রাতে তাদের সকলকে কেউ এক রাতে হত্যা করে।
Tumblr media
হত্যার সময় রেখে যাওয়া কুঠার এবং তাদের মৃৃৃৃতদেহ 
এই হত্যাকান্ডের পূর্বে পরিবারবর্গ সকলেই লক্ষ করেছিল যে বাড়ির আশে-পাশে শিকার চলছে এবং তাদের চালা থেকে অদ্ভুত শব্দ শোনা যাচ্ছিল। এমন কি ঘরের এক সেট ছাবি তারা খুঁজে পাচ্ছিল না। খুনের প্রমান হিসেবে পাওয়া যায় শুধু মাত্র একটি কুড়াল আর আগুনে পুরে যাওয়া কাঠ-কয়লা। যা খুনিকে সারা রাত উষ্ণ রেখেছিল। পুলিশ আরো জানান যে, খুনি সকালে বের হয়ে যাবার পূর্বে ফার্মের সকল পশুকে তাদের দৈনিক খাবার দিয়ে গিয়েছিল।
আরো পড়ুন: মৎস কন্যাদের যতো কথা!
৫।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের কার্টুন
পাশাপাশি রাখা ২০০ সালের প্রকাশিত কার্টুন এবং বর্তমানে ট্রাম্প! 
সিম্পসনস নামের বিখ্যাত কার্টুনটি বেশ কয়েক বছর আগেই ভবিষ্যৎবানী করেছিল যে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসবেন। ২০০০ সালে রসিকতা করে বলা হয়েছিল এই কথা, কে জানত যে সত্যিই এমন হবে! আরও অবাক ব্যাপার হলো কার্টুনের দৃশ্যগুলোর সাথে আসলে অনেক কিছুই মিলে যায়। ০৬)
মানব মশাল
Tumblr media
Benedetto Supino
১৯৮২ সাল, স্পেইনের "Benedetto Supino" নামের বালকটি যখন আনন্দের সাথে স্বাধের কমিক বইটি পরছিল, তখনই হঠাৎ করে তার গায়ের কাপড়ে আগুল লেগে যায়। তার কমিক বইয়ের প্রিয় হিরোর মত তারও অলৌকিক ক্ষমতা এসে যায় কিন্তু কমিকের হিরোর মত সে কিন্তু গায়ের আগুন নিয়ন্ত্রন করতে পারে না। সে যে বিছানায় ঘুমাতো সেই বিছানার চাদরে প্রায়ই আগুন লেগে যেত এবং তার আশে-পাশের কোন ইলেক্ট্রনিক জিনিষ ঠিক মত কাজ করত না। আজ পর্যন্ত বিশেষজ্ঞরা এই রহস্যের কোন কূলকিনারা করতে পারে নি। ০৭)
রহস্যে ঘেরা মৃত্যু
১৯৫৯ সালে, রাশিয়ার একদল অভিজ্ঞ পর্বতরোহীর দল ঠিক করল তারা রাশিয়ার "উরাল পাহাড়" (Ural Mountain) আরোহণ করবে। তারা সকলেই রহস্যজনক ভাবে মারা গেলেন। তাদের তাবু ভিতর দিক থেকে টেনে ছিড়ে ফেলা হয়েছিল এবং তাবু থেকে খালি পায়ে ছাপ বনের দিকে চলে যায়। সেই পায়ের ছাপ অনুসরণ করে দু'জন পর্বতরোহীর মৃত দেহ খুঁজে পাওয়া যায়। রহস্যের কথা হচ্ছে এই শীতের মধ্যে এই দু'জন শুধু মাত্র অন্তর্বাস পরে ছিলেন।
Death of Ural Mountain
ক্যাম্পের এলাকার আশে পাশেই আরো তিন জনার মৃত দেহ খুঁজে পাওয়া যায় এবং সব শেষে দু'মাস পরে বাকি চারজনের মৃত দেহ খুঁজে পাওয়া যায় ক্যাম্প এলাকা থেকে ৭৫ মিটার দূরে। সকলেই নিজেদের অন্তর্বাস পরিহিত অবস্থায় ছিল। আজ পর্যন্ত তাদের মৃত্যুর কারন আর এই কনকনে শীতের মধ্যে কেনই বা তারা তাদের অন্তর্বাস পরে বের হয়ে ছিল তার কোন হদিস মেলে নি।
আরো পড়ুন:  মানুষের মাংস খাওয়ার যত গল্প !
৮।
টাইটানিকের ভবিষ্যৎবাণী
টাইটানিক সিনেমার বদৌলতে বিশাল এই জাহাজের কথা আমরা সবাই জানি, যা আদতেই ডুবে গিয়েছিল। অদ্ভুত ব্যাপার হলো, এই পুরো ঘটনার কথা জানা যায় এমন এক বই থেকে, যা লেখা হয়েছিল টাইটানিক ডুবে যাবার আগেই।
ফিউটাইলিটি
১৮৯৮ সালে, টাইটানিক ডোবার ১৪ বছর আগে মরগান বার্টসন লেখেন “ফিউটাইলিটি”, যাতে বর্ণনা করা হয় দি টাইটান নামের এক জাহাজের ডুবে যাওয়ার ঘটনা। দুটোকেই “আনসিঙ্কেবল” বলা হয়েছিল, কম সংখ্যক লাইফবোট ছিল, আর উত্তর আটলান্টিকে হিমবাহের সাথে সংঘর্ষে ডুবে যায় দুটোই।
আরো পড়ুন: VPN কি? কিভাবে কাজ করে?
০৯)
YOGTZE-Fall
"গান্থার ষ্টল" ছিলেন একজন "খাদ্য প্রকৌশলী"। ১৯৮৪ সালে তার মৃত্যুর পূর্বে তিনি তার স্ত্রীকে প্রায়ই বলতেন, "তারা আমার পিছে লেগে আছে।" তার স্ত্রী কোন দিন তাকে জিজ্ঞাসাও করেন নাই "তারা" কারা আর এ নিয়ে তিনি নূন্যতম চিন্তিত�� ছিলেন না। যে রাতে গান্থার ষ্টল মারা যান সেই রাতে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। হঠাত করেই তিনি চিৎকার করে ওঠেন, "Jetzt geht mir ein Licht auf!" (এখন আমি বুঝে গেছি!), এবং চেয়ারের উপর লিখে রাখেন "YOGTZE"। এরপর তিনি তার গাড়ি নিয়ে বের হয়ে যান।
YOGTZE-Fall
সেই রাতেই, আনুমানিক ৩টার দিকে তার মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায় তার গাড়ির মধ্যে উলঙ্গ অবস্থায়। ময়না তদন্তে ধরা পরে যে, মৃতুর আগে তাকে আঘাত করা হয়েছিল, এমনকি তার গায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালনাও করা হয়। মৃতুর এই রহস্যের থেকেও বড় রহস্য হয়ে এখনও রয়ে গেছে "YOGTZE" শব্দটি। এই শব্দটির মানে এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয় নাই।
আরো জানি: দাউদ ইব্রাহিম: অদেখা সম্রাজ্যের রাজা!
১০।
এডগার অ্যালান পোয়ের টাইম মেশিন
হরর লেখক ছিলেন তিনি। কেন মনে করা হয় তার টাইম মেশিন ছিল? তিনি লেখেন The Narrative of Arthur Gordon Pym of Nantucket নামের ভয়াবহ এক কাহিনী, যেখানে দেখা যায় জাহাজ ডুবে যাবার পর চার নাবিক বেঁচে যায়, বাঁচতে গিয়ে জাহাজের রিচার্ড পার্কার নামের এক ছেলেকে খেয়ে ফেলে ত���রা।
এডগার অ্যালান এবং তার বই
এডগার অ্যালান পো বলেন এই বই একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা। কিন্তু আসলেই এই ঘটনা ঘটে বইটি লেখার ৪৬ বছর পরে। জাহাজ ডুবি হবার পর রিচার্ড পার্কার নামের এক ছেলেকে খেয়ে ফেলে নাবিকেরা। এ থেকেই গুজব রটে যে এডগার অ্যালান পোয়ের টাইম মেশিন ছিল। লিখেছেন: জানা অজানার পথিক এবং AroJani.com নিয়মিত আপডেট পেতে আরো জানি ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন । 
0 notes
arojani · 7 years ago
Text
পৃথিবীর অবাক করা দশটি আশ্চর্য প্রাচীন স্থাপনা!
আরো জানি || AroJani http://ift.tt/2FuPpKa
আমাদের এই পৃথিবীটা যে সত্যিই সুন্দর তা একটু ভালো করে দেখলেই বোঝা যায়। সেই আদ্দিকাল থেকেই কতোই না অবাক করা আশ্চর্য অদ্ভুদ সব বিষয় আশয়, জিনিসপত্র পৃথিবীতে রয়েছে। এর কোনোটা প্রকৃতিই তার আজব খেয়ালে তৈরি করেছে আবার কোনো কোনোটি মানুষ ��ৈরি করেছে। শেষ কথা হলো, এসবের প্রত্যেকটিই মানুষের কাছে আজও বিস্ময়ের, আশ্চর্যের; যে রহস্য আজো উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। প্রকৃতির অদ্ভুত সব সৃষ্টি আর মানুষের বিচিত্র খেয়ালে পৃথিবী সবসময়ের জন্যই সুন্দর। মানুষ পৃথিবীতে যেসমস্ত আশ্চর্য রহস্যঘেরা জিনিস তৈরি করেছে তার অনেক গুলোই আজ আর নেই। এর কোনোটা ধ্বংস হয়ে গেছে আবার কোনোটাকে মানুষ নিজেই ধ্বংস করেছে।
আরো পড়ুন: অটোফজি এবং রোজা কি আসলেই এক ?
বিজ্ঞানীরা মানুষের তৈরি এই সমস্ত আশ্চর্য জিনিসগুলোকে সময়ের হিসেবে কয়েকটি যুগে ভাগ করেছেন। এগুলো হলো, প্রাচীন যুগ, মধ্য যুগ এবং আধুনিক যুগ। আজকে আমরা প্রাচীন যুগের রহস্যঘেরা সেইসব আশ্চর্য নির্মাণের কথাই শুনবো। চলেন তাহলে সেই আর্শ্চয সুন্দর রোমাঞ্চকর প্রাচীন পৃথিবী থেকে খানিক বেড়িয়ে আসি।
অজান্তা গুহ
অজান্তা গুহা
ভারতের আগ্রাবাদ শহর থেকে ১০০ কিঃমিঃ উত্তরপূর্ব কোণে অবস্থিত এই অজান্তা গুহা। এই গুহা গুলি পাহারের চূড়ার অংশ কেটে তৈরি করা হয়েছে এই আবাস্থান। বুদ্ধ ধর্মালম্বিদের তৈরি করা এই আবাসস্থান গুলি তৈরি করা হয় ১ম এবং ২য় খ্রীষ্টপূর্বে। ৫ম এবং ৬ষ্ঠ খ্রীষ্টাব্দে এই গুহা গুলিকে বেশ মূল্যবান সম্পদ দিয়ে আরো বিস্তার ভাবে তৈরি করা হয়। ব্রিটিশ ঐতিহাসিক "William Dalrymple" এর মতে "One of the great wonders of the ancient world"। 
নিউগ্রেজ
নিউগ্রেজ
নিউগ্রেজের (Newgrange) এর আকৃতি বিশাল। UFO আকৃতির বিশাল এই স্থাপনা জেগে উঠেছে আয়ারল্যান্ডে। এই স্থাপনা তৈরি করা হয় নবোপলীয় সময়ে, তা আনুমানিক ৩,২০০ খ্রীষ্টপূর্বে। হিসেবে একটু পটু হলে বুঝেই গেছেন এই স্থাপনার বয়স মিশরের পিরামিডের থেকেও বেশি।
আরো পড়ুন: কেমন ছিলো পৃথিবীর সর্বপ্রথম স্মার্টফোন "সিমন" ?
প্রাচীন এই স্থাপনায় রয়েছে পাথরের তৈরি বিশাল একটা দরজা আর পথ। ভিতরে রয়েছে অনেকগুলি রুম। এই ঢিবির মধ্যে রয়েছে পাথরের তৈরি দেয়াল আর সেই দেয়ালে আছে নানা রকমের খোঁদাই। এই স্থাপনা নিয়ে বেশ কয়েকটি লোক কথা প্রচলিত আছে। কেন আর কি কাজে এই স্থাপনা ব্যবহৃত হত তা নিয়ে এখন পর্যন্ত সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায় নি। তারপরেও এটি যে ধর্মের কাজে ব্যবহৃত হত এ নিয়ে কোন দ্বিধা নেই। এই স্থাপনার কিছু ছিদ্র আছে যার মধ্যে দিয়ে আলোর প্রবেশ করে এক অবাস্থাব পরিবেশ তৈরি করে এ�� ভিতরে।
ডেরিনকুঊ
Tumblr media
ডেরিনকুঊ
ডেরিনকুঊ (Derinkuyu) বহুতল বিশিষ্ট ভূগর্ভস্ত শহর। এর অবস্থান তুর্কির ডেরিকুঊ অঞ্চলে। বহুতল এই শহরের গভীরতা ২০০ ফুট। এই ভূগর্ভস্ত শহর এতটাই বড় যে এখানে ২০,০০০ লোক খুব সহজেই তাদের জীবন স্বাচ্ছন্দে কাঁটাতে পারবে। এযাবৎ যত গুলি ভূগর্ভস্থ স্থাপনা খুঁজে পাওয়া গেছে তার মধ্যে এটিই সব থেকে বড়।
আরো পড়ুন: দাউদ ইব্রাহিম: অদেখা সম্রাজ্যের রাজা!
এই ভূগর্ভস্থ শহর তৈরি করা হয় ৭-৮ খ্রীষ্টপূর্ব শতাব্দীতে। এই স্থাপনা কেন তৈরি করা হয়েছিল তা নিয়ে রহস্য থাকলেও অধিকাংশের মতে এর স্থাপনা হয়েছিল বাইরের আক্রমন থেকে রক্ষা পাবার জন্য। বিশাল এই শহরের ভিতরে ঢুকার পথ আছে ৬০০টি। এছাড়া বায়ু প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য আছে ১৫,০০০টি ছোট জানালা।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশের শীর্ষ ৫০ টি ওয়েবসাইট ।
আচ্ছা, প্রথমেই বলেছিলাম প্রাচীন পৃথিবীর ১০টি আশ্চর্য স্থাপনা নিয়ে আলোচনা করব। এ পর্যন্ত আলোচনা করেছি তিনটি স্থাপনা নিয়ে। আর বাকি আছে ৭টি স্থাপনা, তাই না? আর এই ৭টি স্থাপনা সম্পর্কে যেহেতু "প্রাচীন পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্য" লেখায় পূর্বেই আলোচনা করা হয়েছে তাই আর লিখলাম না।
গিজার পিরামিড
গিজার পিরামিড
মরুভূমির একটি দেশ "মিশর"। প্রাচীনকালে এই মিশরেই গড়ে উঠেছিলো এক উন্নততর সভ্যতা। প্রাচীন মিশরে ফারাও রাজবংশের রাজারা একসময় রাজত্ব করতেন । সেসময়ে মিশরের মানুষেরা বেশ কিছু অদ্ভুত বিষয়ে বিশ্বাস করতো। তারা বিশ্বাস করতো পৃথিবীতে মানুষের বাস খুব স্বল্প সময়ের জন্য, আর মৃত্যুর পরবর্তী জীবন হলো অনন্ত সুখের। তাদের বিশ্���াস ছিলো, মৃত্যুর পর তাদের মৃতদেহ যদি অক্ষত অবস্থায় সংরক্ষণ করা হয়, তাহলে তারা পরলোকে অনন্ত শান্তির জীবন যাপন করতে পারবে। মিশরীয়রা মৃতদেহ সংরক্ষণের একটি বিশেষ পদ্ধতি আবিস্কার করেছিলো, যাতে করে তারা প্রায় অক্ষত অবস্থাতেই মৃতদেহ সংরক্ষণ করতে পারতো। এই বিশেষ পদ্ধতিতে সংরক্ষিত মৃতদেহকে বলা হয় মমি। এই মমিকে ফারাওরা বিশাল এবং সুরক্ষিত সমাধির মধ্যে রাখতো, যাতে এর সামান্য অংশটুকু ও নষ্ট না হয়। এই সমাধিটি আমাদের কাছে পিরামিড নামে পরিচিত। পিরামিড দেখতে অনেকটা ত্রিভুজের মতো। এই পিরামিডের সবচে বড় এবং প্রাচীনটি স্থাপনাটির নাম হলো- গিজার পিরামিড। গিজার পিরামিডকে ফারাও রাজা খুফুর পিরামিড ও বলা হয়ে থাকে। এই পিরামিডটি তৈরি করা হয়েছিলো প্রায় ৪৫০০ বছর আগে। গিজার পিরামিড এতোটাই বিশাল যে হাজার হাজার শ্রমিকের এটি তৈরি করতে সময় লেগেছিলো প্রায় ২০ বছর । মাত্র ২০০ বছর আগেও গিজার পিরামিডই ছিলো পৃথিবীর স��চাইতে উঁচু স্থাপনা। এটি নির্মাণ করতে লেগেছিলো প্রায় বিশ লক্ষ পাথরের টুকরো, যার একেকটির ওজন প্রায় বর্তমানের একটি গাড়ির সমান। প্রাচীন পৃথিবীর আশ্চর্যগুলোর মধ্যে এই স্থাপনাটিই এখনো টিকে আছে পৃথিবীতে।
আরো পড়ুন: VPN কি? কিভাবে কাজ করে?
ব্যাবিলনের শূন্য উদ্যান
ব্যাবিলনের শূন্য উদ্যান
যেকোনো বাগানে গিয়ে বিভিন্ন রঙের ফুল, প্রজাপতি এসব দেখতে কার না ভালো লাগে! আর বাগানটি যদি হয় মাটি থেকে উঁচুতে, অনেকটা উপরে, তাহলে তো কথাই নেই! এরকমই একটি বাগান হলো ব্যাবিলনের শূন্য উদ্যান। আমরা সবাই জানি ইরাক দেশটির অধিকাংশ জুড়েই রয়েছে মরুভূমি। অনেক দিন আগে এই দেশেই ব্যাবিলন নামে একটি শহর ছিলো। এ শহরটি গড়ে উঠেছিলো ইউফ্রেটিস নদীর তীরে। সেই সময় ব্যাবিলন শহরের রাজা ছিলেন নেবুচ্যাডনেজার, অদ্ভুত নাম তাই না!। তিনি একদিন এক অদ্ভুত পরিকল্পনা করলেন। স্ত্রীর বিনোদনের জন্য মরুভূমির ভিতরেই একটি উদ্যান তৈরির কথা ভাবলেন। আপনারা সবাই জানেন যে, মরুভূমিতে গাছ বাঁচানো এক মহা সমস্যার কথা। কারণটা সেখাকার পানির স্বল্পতা। কাজেই স্বাভাবিকভাবে তো সেখানে বাগান তৈরি করা এক কথায় অসম্ভব। এজন্যই রাজা এক বিশেষ পদ্ধতিতে বাগান তৈরির পরিকল্পনা করলেন। প্রথমেই তিনি পাহাড়ের মতো একটি জায়গা তৈরি করলেন। তারপর এই পাহাড়কে কয়েকটি তলায় ভাগ করে প্রতিটি তলার চারপাশে বারান্দা তৈরি করলেন। এই বারান্দাতেই নানা রঙের ফুল ও শোভবর্ধনকারী গাছ লাগানো হয়েছিলো। এই উদ্যানটি দেখলে মনে হতো যে গাছগুলো সব শূন্যে ভেসে আছে। মরুভূমিতে কোনো গাছ জন্মানো দুঃসাধ্য প্রায়। সেই জায়গায় এমন সুন্দর একটি বাগান তৈরি রীতিমতো আশ্চর্যের বিষয় ছিলো বৈকি। এই বাগানটি অবশ্য অনেক আগেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। কয়েক বছর আগে কিছু বিজ্ঞানী ব্যাবিলনের এই উদ্যানটির কিছু ভাঙা দেয়াল খুঁজে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশের শীর্ষ ৫০ টি ওয়েবসাইট ।
আর্টেমিসের মন্দির
Tumblr media
অার্টেমিসের মন্দির
প্রাচীন যুগে গ্রীস এবং রোমের মানুষরা বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা করতো। প্রাচীন গ্রীসের এক দেবীর নাম ছিলো- আর্টেমিস। রোমানরা আবার তাকে বলতো দেবী ডায়ানা। দেবী আর্টেমিস বা ডায়ানা ছিলেন শিকারের দেবী। সেই যুগে বেশিরভাগ মানুষ শিকার করেই জীবিকা নির্বাহ করতো বলে দেবী আর্টেমিসের গুরুত্ব ছিলো অনেক। এজন্যই গ্রিকরা খ্রীষ্টপূর্ব ৮০০ অব্দে ইফিসাস নগরীতে দেবী আর্টেমিসের মন্দির নির্মাণ করে। এই ইফিসাস নগরীটি বর্তমানে আমাদের কাছে পরিচিত তুরস্ক হিসেবে। তৈরি হবার পর থেকে বহুবার এই মন্দিরটি ধ্বংস হয়ে যায়। আবার প্রতিবারই নতুন করে এটি গড়ে তোলা হয় ঠিক সেই এক জায়গাতে���। প্রথমবার আর্টেমিসের মন্দির তৈরি করতে সময় লেগেছিলো প্রায় ১২০ বছর। আর্টেমিসের মন্দির নিয়ে একটি গল্প প্রচলিত আছে। খ্রীষ্টপূর্ব ৫৫০ অব্দে এক লোক বিখ্যাত হবার লোভে নাকি আর্টেমিসের মন্দিরটি পুড়িয়ে ফেলেছিলো। মন্দির পুড়িয়ে দেবার পর ইফিসাসে আইন করে ঐ লোকের নাম উচ্চারণ করাই নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়। ঐ লোকটির নাম উচ্চারণ করার একটিই শাস্তি ছিলো, তা হলো মৃত্যুদন্ড! নামটা শুনতে ইচ্ছা করছে তাই না? এখন অবশ্য তার নামটি নির্ভয়েই নেয়া যায়, কেউ তো এখন আর মৃত্যুদন্ড দেবে না! লোকটির নাম ছিলো হেরোসট্রেইটাস। খ্রীষ্টপূর্ব ২০০ অব্দে গথ’রা মন্দিরটি ভেঙে দেবার পর আর সেটি নির্মাণ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ভেঙে ফেলার শত শত বছর পর, ১৮০০ খ্রীষ্টাব্দে ব্রিটিশ মিউজিয়ামের একটি অনুসন্ধানী দল মন্দিরটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছিলো।
অলিম্পিয়ার জিউসের মূর্তি
অলিম্পিয়ার জিউসের মূর্তি
গ্রীকদের প্রধান দেবতার নাম জিউস। তিনি সব দেব-দেবীর তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী। খ্রিষ্টপূর্ব ৪৩৫ অব্দে গ্রীকরা অলিম্পিয়া নগরীতে মন্দির নির্মাণ করে সেখানে দেবতা জিউসের একটি বিশাল মূর্তি স্থাপন করে। এটি উচ্চতায় ছিলো প্রায় ৪০ ফুট। এই বিশাল মূর্তিটি দেখতেও ছিলো অসাধারণ। মূর্তিটির বিশালতা ও সৌন্দর্যের কারণেই এটি প্রাচীন পৃথিবীর আশ্চর্যগুলোর মধ্যে একটি। জিউসের মন্দির তৈরির আরো একটি বিশেষ উদ্দেশ্য ছিলো- অলিম্পিক। পৃথিবীর বিশাল এই খেলার আসরটিকে দেবতা জিউসের আশীর্বাদ পুষ্ট করতেই জিউসের এই বিশাল মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছিলো। তবে বর্তমানে মূর্তিটির খুব সামান্য অংশই অবশিষ্ট আছে।
আরো জানি:  জ্যাক ম্যা: হতভাগা বোকা ছাত্র থেকে চীনের শ্রেষ্ঠ ধনী হবার গল্প ১
রোডস এর মূর্তি
রোডস এর মূর্তি
আপনারা তো মহাবীর আলেকজান্ডারের কথা সবাই জানেন। পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ বীর হলেন আলেকজান্ডার। তিনি বেঁচেছিলেন মাত্র ২৩ বছর। এই অল্প সময়েই তিনি পৃথিবীর অনেক অংশ জুড়ে তার রাজ্য বিস্তার করেছিলেন। তার রাজ্যের মধ্যে আটলান্টিক সাগরের মেডিটেরিয়ান অঞ্চলের রোডস দ্বিপটিও ছিলো। রোডস দ্বিপটি ছিলো প্রাচীন গ্রীস দেশের একটি অংশ। এই দ্বিপটি ছিলো ব্যবসা বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু। মহাবীর আলেকজান্ডার অল্প বয়সেই কোন এক পোকার কামড়ে খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০ অব্দে মারা যান। আলেকজান্ডার এর মৃত্যুর পর তার তিন সেনাপতির মধ্যে রোডস দ্বিপটি দখল করা নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। রোডস দ্বীপের মানুষ জেনারেল টলেমির পক্ষে ছিলো। দুর্ভাগ্যবশত জেনারেল টলেমি মিশর দখল করলেও গ্রীসের এই অংশটি দখল করতে পারেন নি। অন্য একজন জেনারেল দ্বীপটির দখল নেন। কিন্তু রোডস দ্বীপের মানুষ এই জেনারেলকে সমর্থন না করায় তিনি বেদম চটে যান। তিনি তার ছেলেকে রোডসের মানুষদেরকে শায়েস্তা করতে বলেন। শায়েস্তা করতে এসে ঐ জেনারেলের ছেলে ব্যর্থ হন। অন্যদিকে জেনারেল টলেমি মিশর থেকে একটি সৈন্য দল পাঠান দ্বীপটিকে শত্রু মুক্ত করতে। তখন রোডসের জনগণ ও সৈন্যবাহিনী মিলে শহরকে শত্রু মুক্ত কর���ন। শত্রুদের ফেলে দেওয়া অস্ত্র ও অন্যান্য ফেলে দেয়া জিনিস গলিয়ে প্রচুর তামা পেয়েছিলো রোডস এর ম��নুষরা। এই তামা দিয়ে তখন তারা সূর্য্য দেবতা হিলিয়াসের এক বিশাল মূর্তি নির্মাণ করে। মূর্তিটি ছিলো ১১০ ফিট উঁচু। এর ভিত্তিপ্রস্তরের উচ্চতা ছিলো ৫০ ফিট। এই সুবিশাল মূর্তিটি তৈরী করতে সময় লেগেছিলো সুদীর্ঘ ১৫ বছর । খ্রীষ্টপূর্ব ২২৯ অব্দে এক ভূমিকম্পে এটি ধ্বংস হয়ে যায়। পরবর্তীতে আর সংস্কার করা হয়নি। এই আশ্চর্য মূর্তিটি শুধু মানুষদের বিস্মিতই করেনি, স্থাপত্যবিদদেরকেও অনুপ্রেরণা দিয়েছিলো। ফলে রোডসের সেই আশ্চর্য মূর্তির ছায়াটি আমরা যেন নিউ ইয়র্কে অবস্থিত স্ট্যাচু অফ লিবার্টির ভিতরে দেখতে পাই।
আলেকজান্দ্রিয়ার বাতিঘর
আলেকজান্দ্রিয়ার বাতিঘর
সমুদ্রের তীরে পাহাড় বা কোন টাওয়ারের উপর বাতিঘর তৈরি করা হয়। জিজ্ঞেস করতেই পারো যে কি কাজ এই বাতিঘরের? বাতিঘরের কাজ হলো রাতের অন্ধকারে কোনো জাহাজকে জাহাজঘাটায় নিরাপদে ভেড়ানোর জন্য পথ দেখানো, যাতে ডুবো পাহাড়ের সঙ্গে জাহাজটি ধাক্কা না খায়। প্রাচীনকালে উঁচু কোনো জায়গায় কাঠ পুড়িয়ে আলো তৈরি করে বাতিঘর নির্মাণ করা হতো। প্রাচীন পৃথিবীর সবচে উঁচু ও বিস্ময়কর বাতিঘরটির নাম হলো আলেকজান্দ্রিয়ার বাতিঘর। কোথায় এটি? শোনেন তবে, ভূমধ্যসাগরের উপকূলে মিশরের ফারোস নামের এক দ্বীপ ছিলো । সেখানে আলেকজান্দ্রিয়ার একটি বিখ্যাত জাহাজঘাটায় খ্রীষ্টপূর্ব ২৯০ অব্দে একটি বিশাল বাতিঘর নির্মিত হয়। বাতিঘরটির উচ্চতা ছিলো প্রায় ৩০০ ফুট। আলেকজান্দ্রিয়ার বাতিঘর শুধু রাতে আসা জাহাজগুলোকে নিরাপদে ঘাটে ভিড়াবার ব্যবস্থাই করতো না, এটি সেই সময় একটি দর্শনীয় জায়গাও ছিলো। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা এটি দেখতে আসতেন। বাতিঘরের নিচতলায় তাদের জন্য খাবারের দোকানও ছিলো। ১৫০০ খ্রীষ্টাব্দের দিকে ভূমিকম্পে বাতিঘরটি পড়ে যায় বলেই বিজ্ঞানীরা মনে করেন। এখনও ডুবুরীরা ভূমধ্যসাগরে এই বাতিঘরের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বেড়ায়।
হ্যালিকারনেসাস এর সমাধি মন্দির
এশিয়া মাইনরের ছোট্ট একটি রাজ্য, রাজা মোসালাস তা শাসন করতেন। সেই রাজ্যের রাজধানীর নাম ছিলো হ্যালিকারনেসাস। রাজা মোসালাসের স্ত্রী ছিলেন রাণী আর্টেমিসিয়া। খ্রীষ্টপূর্ব ৩৫৩ অব্দে রাজা মোসালাস হঠাৎ মারা গেলে রাণী আর্টেমিসিয়া তার স্বামীর জন্য একটি স্মৃতিসৌধ তৈরী করবেন বলে সিদ্বান্ত নেন। তিনি তৈরি করেন পৃথিবীর মধ্যে সবচে চমকপ্রদ স্মৃতিসৌধটি। সম্পূর্ণ মারবেল পাথরের তৈরী এই স্মৃতিসৌধটি ছিলো খুবই সুন্দর ও আর্কষণীয় । অনেক দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এই আশ্চর্য স্মৃতিসৌধটি এক পলক দেখার জন্য আসতেন। এই সমাধিটি উচ্চতায় ছিলো প্রায় ১৩৫ ফুট। এর উপরের দিকে মোট ৩৬ টি স্তম্ভ ছিলো। দুটি স্তম্ভের মাঝে একটি করে মূর্তি ছিলো। আর সমাধিটির ছাদটি ছিলো পিরামিড আকৃতির। সম্ভবত কোনো বড়ো ধরনের ��ূমিকম্পে এটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো। বর্তমানে স্মৃতিসৌধটির মাত্র কয়েকটি টুকরো অবশিষ্ট আছে।
শুনলেন তো প্রাচীন পৃথিবীর দশ অাশ্চার্যময় স্থাপনার কথা। এগুলো আমাদের কাছে এখনও বিস্ময়ের এখনো রহস্যমণ্ডিতই রয়ে গেছে। কি করে তখনকার মানুষজন এতো সুন্দর স্থাপনাগুলো তৈরি করেছিলো, যা আমাদের পক্ষে তৈরি করা এখনও দুঃসাধ্য! এরকম আরো অনেক আশ্চর্যের জিনিস রয়েছে আমাদের এই পৃথিবীতে। সেসব নিয়ে না হয় আরেকদিন গল্প করা যাবে।
লেখকঃ নাজমুল হাসান এবং জানা অজানার পথিক।
নিয়মিত আপডেট পেতে আরো জানি ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন । 
0 notes
arojani · 7 years ago
Text
IP কি? কিভাবে কাজ করে?
আরো জানি || AroJani http://ift.tt/2BGfi7s
ইন্টারনেট ব্যাবহার করেন অথচ IP / আইপি শব্দটি একবারও শুনেননি এমন মানুষ খুজে পাওয়া দুষ্কর।
আর যদি এমন কেউ থাকেও তিনি নিশ্চই মানুষ না বরং এলিয়েন। :-P
যাইহোক কাজের কথায় আসি, IP কি?
IP Address / আইপি কি? 
আমরা সমাজে বাস করতে গেলে যেমন আদের একটা পরিচয় দরকার হয় ( যেমন : নাম, ঠিকানা ইত্যাদি) ঠিক তেমনি ইন্টারেনেটও আমাদের সবার একটা নির্দিষ্ট পরিচয় আছে। যার দ্বারা আপনি পৃথিবীর যে প্রান্ত থেকেই ইন্টারনেটে যুক্ত হননা কেন আপনাকে চিনে ফেলা সম্ভব। আর এই ইন্টারনেটের এই পরিচয়টাই হয়ে IP বা ইন্টারনেট IP। 
IP Address এর পূর্নাঙ্গ হচ্ছে Internet Protocol Address. 
ইন্টারনেট ব্যবহারকারি প্রত্যেকের একটি নিজস্ব পরিচিতি থাকে যা সাধারনত কতগুলি নম্বরেরর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়, যেমন-195.23.53.107।
এই সাংকেতিক কোড বা নাম্বারগুলিই IP বা IP address নামে পরিচিত। 
IP address এর প্রথম চারটি নম্বর দেখেই বলে দেওয়া যায় নেটওয়ার্ক টি কি ধরনের এবং এর হোস্ট কে।
IP এর এই চারটি নম্বরকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে IP address তৈরি করা হয়। যেমন :
 Class A: Class A এর IP address সাধারনত খুব বড় আন্তর্জাতিক কোম্পানি ব্যাবহার করে। 
class B: এই ক্লাস এর IP address সাধারনত বড় বড় কলেজ ক্যাম্পাসে ব্যাবহার করা হয়। যার শুরু হয় 128 থেকে 191 এর মধ্যে।
class C: এই ক্লাস এর IP address সাধারনত ছোট থেকে মিডিয়াম সাইজের বিজনেস কম্পানি তাদের সার্ভিসের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। যার শুরু হয় 192 থেকে 223 এর মধ্যে।
class D: এই ক্লাস এর IP address সাধারনত multicasts  এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় যার শুরু হয় 224 এর মধ্যে।
Class E: এই Class এর আইপি শুরু হয় 225 দিয়ে যা সাধারনত গবেষনার ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা হয়।
Loopback : Loopback এর শুরু হয় 127.0.0.1 এ ধরেন কোড দিয়ে। যদি আপনার IP address কখনো 127.0.0.1 হয়ে যায় তবে বুঝবেন আপনার ক্যাটালগ চেকিং করা হচ্ছে।
Broadcast : Broadcast এ সবসময় 255.255.255.255 এই ধরনের IP ব্যবহার করা হয়।
এছাড়াও আপনি চাইলে VPN দিয়ে আপনার ip বদলিয়ে ফেলতে পারেন।
⚫▶VPN কি এবং কিভাবে কাজ করে?
ইন্টারনেটে অনেক টুলস্ আছে যার মাধ্যমে আপনি আপনার আইপি এড্রেস চ্যাক করে নিতে পারবেন। তারা আপনাকে আপনার বর্তমান অবস্থানসহ ইত্যাদি তথ্য দিবে। আপনার ip সম্পর্কে বিস্তারিতো ধারনা পেতে www.iplocation.net ঘুরে আসতে পারেন।
<a href="https://www.arojani.com/2018/01/what-is-VPN.html">VPN কি এবং কিভাবে ব্যাবহার করা হয়? <div style="text-align: left;">
ইন্টারনেটে অনেক টুলস্ আছে যার মাধ্যমে আপনি আপনার আইপি এড্রেস চ্যাক করে নিতে পারবেন। তারা আপনাকে আপনার বর্তমান অবস্থানসহ ইত্যাদি তথ্য দিবে।
আপনার ip সম্পর্কে বিস্তারিতো ধারনা পেতে IPLocation.net ঘুরে আসতে পারেন। 
নিয়মিত আপডেট পেতে আরো জানি ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন । 
0 notes
arojani · 7 years ago
Text
ইন্টারনেটজুড়ে কিছু রহস্যময় ভয়ঙ্কর ওয়েবসাইট!
আরো জানি || AroJani http://ift.tt/2Fdug4C
রহস্যময় ওয়েবসাইট
পৃথিবী সৃষ্টি থেকে আজ, পুরো সময়টাই একটাই রহস্য। কিভাবে সৃষ্টি হলো এ পৃথিবী কিভাবে জীবনের আবির্ভাব ঘটলো এখানে তারও কোন সঠিক উত্তর নেই। এই পৃথিবীটা যতটা অদ্ভুত, এখানকার মানুষের কর্মকান্ডগুলো তারচেয়ে বেশি অদ্ভুত ! নানান সময় ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা দেখে যে কারো এমনটাই মনে হবে। প্রায়ই নানারকম অদ্ভুত‍ু ঘটনাগুলো নিয়ে চলে আলোচনা সমালোচনা। আজকের এই পোস্টে আমরা কথা বলবো এমন কিছু ওয়েবসাইট সম্পর্কে, ইনারনেট জগৎএর যে স্থানগুলোতে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে নানারকম অদ্ভুত কার্যকলাপ !
পৃথিবীর কয়েকটি অদ্ভুত ওয়েবসাইট
ক্রিপি পাস্তা : creepy pasta মূলত একটি ভৌতিক ওয়েবসাইট। সাধারণত সাইকো কিলার বা এধরনের মানুষরাই এই সাইটে তাদের নৃশংস খুনের ঘটনার পুংখানুপংখ বর্নণা করে থাকে। ওয়েবসাইটটিতে প্রতি মাসে প্রায় ৬ লক্ষ ১০ হাজারের মত মানুষ ভিজিট করে। কথিত আছে এ সাইটের মাধ্যমে সাইকো কিলিং এ উৎসাহি ব্রেন ওয়াশ করা হয়! 
হায়ার এ কিলার ডটকম : মানুষ খুন করার জন্য ভাড়াটে খুনির প্রয়োজন? চলে যান Hire a killer ওয়েবসাইটে। এখানে খুনি ভাড়া দেয়া হয়। সাধারন নাগরিক বা পোষা কুকুর হত্যার রেট হচ্ছে ৮০০০ ডলার। যদি একই অর্ডারে দুইজনকে খুন করতে হয় তবে ১২ হাজার ডলারেই কাজ হয়ে যাবে অনেকটা বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি ! সেলিব্রিটি বা কোন ভিআইপিদের হত্যা করতে রেট শুরু হয়েছে ২৪৯৯৯.৫০ ডলার থেকে। পছন্দ মত কিলার পার্সন ভাড়া করতে এই ওয়েব সাইটে রয়েছে কিছু কিলার পার্সন প্রোফাইল, যা থেকে আপ্নি আপ্নার ভাড়াটে খুনির যোগ্যতা জানতে পারবেন। এমন ওয়েবসাইটও যে থাকতে পারে, তা এখনো অনেকেই ধারণার বাইরে। আর এই ধরনের সাইটের পরিচালকরা থেকে যায় অন্তরালে।
মানুষের মাংস রান্নার রেসিপি : কেনিবল বা মানবখেকোদের একটি গোষ্ঠি পৃথিবীতে রয়েছে। জাতিগতভাবে এরা অসভ্য ও বর্বর। কিন্তু শিক্ষিত ও সভ্যদের মধ্যেও মানুষখেকো রয়েছে। শুনে অবাক হয়েছেন নিশ্চয়ই? The Awl ওয়েবসাইট ভিজিট করে একনজর দেখে আসুন। মানুষের মাংস রান্নার রেসিপি পেয়ে যাবেন। আর মানুষখেকোদের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে চলে যান Cannibalism ওয়েবসাইটে !
প্লেন ক্রাশ ইনফো : অদ্ভুত এই ওয়েবসাইট Plane Crush Info থেকে আপনি পৃথিবীর যেকোনো স্থানের বিমান দুর্ঘটনার তথ্য জানতে পারবেন। কেবলমাত্র বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে এখানে লাইভ ওয়েবকাস্ট করা হয়। সাইটটিতে ঢুকলে পুর্বের বহু বিমান দুর্ঘটনার ইতিহাস ও বর্তমান ঘটনা পাওয়া যাবে। ২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন ইউনিক ৬৫ হাজার ভিজিটর এই সাইটে ভিজিট করে থাকে।
নৃশংস ওয়েবসাইট : রক্তাত্ব মানুষ এবং ভয়ানক বিভৎস দৃশ্য  দেখতে চান? গুগলে BestGore লিখে সার্চ করে চলে যান তাদের ওয়েবসাইটে। নিষেধাঞ্জ‍া থাকায় লিংকটি পাঠকদের সাথে শেয়ার করতে পারছিনা। এই সাইটের সদস্যরা মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে ছিড়ে, হাতুড়ির আঘাতে বিচ্ছিন্ন করে আপ্নাকে দেখাবে। এখানে সব নৃশংস ছবি এবং ভিডিও পাবেন, যা সাইটের ভিজিটরদের জন্য তারা প্রস্তুত করে রাখে। দুর্বল চিত্তের কেউ এই সাইটে প্রবেশ করবেন না। এখানে পাবেন বিভিন্ন ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রস্তুত করা নৃশংসতা। প্রতি মাসে ৭ লক্ষ ভিজিটর এই সাইটটিতে ভিজিট করে থাকে।
মানুষের চামড়ার তৈরী পণ্য : মানুষের চামড়া দিয়ে তৈরী পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে Human Leather ! যদিও এদের ওয়েবসাইটটি এই মুহুর্তে ব��্ধ রয়েছে। কারণ আইনগতভাবে তারা দোষী সাব্যাস্ত হয়েছে মানুষের চামড়া দিয়ে পণ্য তৈরী করে বিক্রয়ের জন্য। তবে হ্যা‍ঁ, এরপরেও তারা তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে Bespoke Pricing নামে আরেকটি সাইটে। তাদের কথা হচ্ছে, এটা অবৈধ বিজনেস নয়।
আত্মহত্যার টিপস: আত্মহত্যা প্রতিরোধে আমরা প্রতিনিয়ত ফেসবুকে লেখালেখি করি। অথচ এমন একটা সাইট রয়েছে যেখানে কিনা আত্মহত্যা করার হাজারো রকমের কৌশল শেয়ার করা হয়। Stout’s Guide To Suicide পোর্টালে গিয়ে আত্মহত্যার প্রচুর কৌশল জানতে পারবেন। তবে মজার বিষয় হচ্ছে, সাইটের পরিচালকের মতে, তারা নাকি মানুষকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করতে নয় বরং আত্মহত্যার প্করতি ভয়ভীতি বাড়িয়ে আত্মহত্যা কমাতেই এই সাইটটি পরিচালন‍া করেন।
সার্ভিলেন্স ক্যামেরা সাইট : এমনও ওয়েবসাইট রয়েছে যারা নিজেদের গাটের টাকা খরচ করে বিশ্বের অনেক স্থানে ক্যামেরা বসিয়ে রেখেছে। আর আপনি চাইলেই সেসব স্থানে কি হচ্ছে তা লাইভ দেখতে পারবেন। Insecam সাইটে ঢুকে ক্যাটাগরি থেকে আপ্নার পছন্দের স্থানটি সিলেক্ট করে দেখা শুরু করে দিন।
সতর্কতাঃ
উপরের পোস্টে এমন সব ওয়েবসাইট নিয়ে ক��া বলা হয়েছে যা দুর্বল চিত্তের মানুষদের জন্য নয়। তাই আমরা ঐ সাইটগুলোর লিংক প্রকাশ করিনি। যদি কারো দেখার ইচ্ছে হয় তবে ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে সম্পূর্ণ নিজ দায়িত্বে দেখে নিন। তবে হ্যা, নিরাপত্তাজনীত কারনে সাইটগুলোতে প্রবেশে বিশেষ নিষেধাঞ্জা রয়েছে।
নিয়মিত আপডেট পেতে আরো জানি ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন । 
0 notes
arojani · 7 years ago
Text
VPN কি? কিভাবে কাজ করে?
আরো জানি || AroJani http://ift.tt/2DIuHGD
ইন্টারনেট ব্যাহার করেন তারা সবাই কমবেশী VPN / ভিপিএন নামক শব্দটা শুনেছেন।
অনেকে হয়তোবা প্রথমবার VPN শব্দটা শুনে থ হয়ে দাড়িয়ে গিয়েছিলো।
তাদের মনে সবার প্রথম যে চিন্তাটা আসে সেটা হচ্ছে, VPN/ভিপিএন কি? / কি এই ভিপিএন? এটা দিয়ে কি হয়? কি করে এটা দিয়ে? এমন অদ্ভুত নাম কেন?!
ভিপিএন কি? 
প্রশ্নগুলা হাস্যকর হলেও সত্যিই এগুলাই সর্বপ্রথম মনে আসে।
তো চলুন আজ আপনাদের এই অদ্ভুত শব্দ VPN সম্পর্কে কিছুটা ধারোনা দিই। :-)
VPN/ ভিপিএন কি?
VPN শব্দটা মাত্র ৩ টি শব্দের সংমিশ্রণ হলেও এর একটি পূর্ণাঙ্গ রুপ আছে। 
V= Virtual, P= Private, N= Network, অ��্থাৎ VPN মানে হচ্ছে Virtual Private Network। 
সোজা বংলায় যদি বলি তবে VPN হচ্ছে এমন একটা ব্যাবস্থা যার মাধ্যমে আপনি সম্পূর্ণ ইন্টারনেট জগৎ নিজের পরিচয় আড়াল করে চলতে পারবেন। 
একটু বুঝিয়ে বলি, ধরেন আপনি আপনার পাশের বাসার কোন একটা সুন্দরী মেয়ের সাথে দেখা করার জন্য তার বাসায় যেতে চান। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আপনি নিজে কোনভাবেই নিজের নাম পরিচয় ব্যাবহার করে তার বাসায় যেতে পারবেননা কারন ঐ বাসার দারোয়ান আপনাকে চিনে ফেলবে।
তখন আপনি একটা বুদ্ধি করে একটা বোরকা পরে মেয়ে সেজে ঐ বাসায় কোন বাধা ছাড়াই চলে গেলেন।
এখন উপরের উদাহরনে বোরকা হচ্ছে VPN কারন এটা আপনার নিজের পরিচয় লুকিয়ে রেখে আপনার কাজে সহায়তা করেছে।
VPN/ ভিপিএনের কাজ কি?
এতক্ষনতো বুঝলেন কি এই জিনিস VPN। এবার কথা হচ্ছে কি করে এটা দিয়ে।
VPN দিয়ে অাপনি অাপনার অাইপি চেন্জ করে অন্য একটা আইপি দিয়ে ইন্টারনেটে দিব্যি ঘুরতে পারবেন। যারফলে কেউ আপনার প্রকৃত পরিচয় বা প্রকৃত তথ্য পাবেনা।
যে সকল ওয়েবসাইটে আপনার প্রবেশে বাধা সেগুলি VPN ব্যাবহার করে সহজেই ঘুরে আসতে পারবেন!
এইযে "হ্যাকার" যারাকিনা সাইবার জগৎ এর নেতা তারাও সবাই নিজেদের আড়াল করার জন্য VPN ব্যাবহার করে!
VPN কেমন?
অনেককিছু শুনলেন VPN সম্পর্কে কিন্তু কথা হচ্ছে এই জিনিসটা দেখতে আসলে কেমন?
এটা মূলত একটে সফটওয়ার যা আপনি মোবাইল বা কম্পিউটারে ব্যাবহার করতে পারবেন। সফটওয়ারটির মাধ্যমে আপনি বাংলাদেশে বসে আমেরিকা সিলেক্ট করে গুগলকে বোকা বানাতে পারবেন!
অর্থাৎ গুগল তথা পুরো ইন্টারনেট জগৎ জানবে আপনি আমেরিকা থেকে নেট চালাচ্ছেনন আসলে কিন্তু আপনি বাংলাদেশে! কি অদ্ভুত তাইনা!
এক এক কম্পানির vpn একএক নামে পরিচিত।
VPN-এর কাজ কি?
১। VPN ব্যবহার করলে আপনার অবস্থান কেউ ট্র্যাক করতে পারবে না। 
২। IP address (Internet Protocol address) হাইড করে রাখে। অর্থাৎ, হ্যাকারদের কবলে পড়ার সম্ভাবনা নাই।
৩। VPN ব্যবহার করার অর্থ হল আপনি ডাটা নিরাপদে আদান প্রদান করতে পারছেন।
৪। আপনার ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী আইপিএস থেকে নেটের ফুল স্পিড পাবেন।
৫। এটি নিরাপদ যোগাযোগ এবং ডাটা encrypt করার একটি পদ্ধতি হিসেবে কাজে লাগে। মানে VPN আপনার মেশিনকে একটি ভার্চুয়াল নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারে এবং আপনার পাঠানো সব data দ্রুততার সঙ্গে encrypt করে ফেলে অর্থাৎ public domain থেকে লুকিয়ে রাখে এবং এটা আপনার browsing history-র কোনো ট্র্যাক রাখে না। কাজেই আপনি অনলাইনে পুরোপুরি নিরাপদ।
৬। VPN দিয়ে আপনি আইএসপি তে ব্লক কর�� সাইট ভিজিট করতে পারবেন। যেমন ধরেন, যদি ইউটিউব আমাদের দেশে বন্ধ করে দেয়া হয়, তাহলেও আপনি VPN ব্যবহার করে ইউটিউবে ঢুকতে পারবেন।
আজ এ পর্যন্তই, Arojani.com এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 
   নিয়মিত আপডেট পেতে আরো জানি ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন । 
0 notes
arojani · 7 years ago
Text
এরিয়া ৫১ : পৃথিবীর সবচেয়ে গোপন ও রহস্যময় জায়গা!
আরো জানি || AroJani http://ift.tt/2q36wwn
এরিয়া ৫১ হচ্ছে আমেরিকান সামরিকবাহিনীর একটা বিশেষ গোপন ঘাটি।
একটা সময় ছিলো যখন আমেরিকান সরকার এই এরিয়া ৫১ এর কথা বা এই জায়গার অবস্থান স্বীকার করতো না। কিন্তু প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে এখন এরিয়া ৫১ এর অনেককিছুই সাধারন মানুষের জানা।
এরিয়া ৫১ এর নোটিশ
কেন এরিয়া ৫১ এতো গোপন?
এটি একটি বিশাল সামরিক বিমান ঘাটি এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য পরীক্ষামূলক বিমান এবং অস্ত্র পদ্ধতি উন্নয়ন এবং পরীক্ষা। তবে এটি যা তা বিমানঘাঁটির মত নয়। এটি সাধারন বিমানঘাঁটি থেকে আলাদা। এরিয়া ৫১ এর ব্লুপ্রিন্টএটি মার্কিন বিমান বাহিনীর একটি বিশাল প্রশিক্ষন (NTTR নেভেদা টেস্ট এন্ড ট্রেনিং রেঞ্জ) কেন্দ্র। অস্থায়ী ভাবে একে বলা হয় নেইলস এয়ার ফোর্স রেঞ্জ (NAFR)। এই ঘাটি পরিচালনা করে নেইলস এয়ার ফোর্স বেসের ৯৯ এয়ার বেস উইং। এর একটি অশং এই বেস থেকে ১৮৬ মাইল (৩০০ কিঃমিঃদূরে মোজাভ মরুভূমিতে অবস্থিত এডওয়ার্ডস বিমান ঘাটিতে অবস্থিত এর নাম এয়ার ফোর্স ফ্লাইট টেস্ট সেন্টার (AFFTC)।
এরিয়া ৫১এই স্থানটি নেলস মিলিটারি অপারেশন এরিয়ার অর্ন্তগত। এই স্থানের চারদিকের আকাশ অন্য সবার জন্য নিষিদ্ধ, এই আকাশসীমা (R-4808N) হিসাবে পরিচিত। পাইলটরা এই এলাকার আকাশকে বলে “দি বক্স” অথবা “দি কনটেইনার”।
এরিয়া ৫১ এর অবস্থান ? 
"এরিয়া ৫১" এক রহস্যে ঘেরা নাম। এটা কোন প্রকৃতির সৃষ্টি রহস্য না বরং মানুষের সৃষ্টি সব থেকে রহস্যজনক স্থান গুলির মধ্যে একটি। (ইংরেজিঃ Area 51) একটি বিশাল (নেলিসের বিমান বাহিনী) সামরিক বাহিনীর অপারেশন ঘাটি, যার আয়তন ২৬,০০০ বর্গকিলোমিটার। এটি পশ্চিমা মার্কিন যুক্তরা��্ট্রের নেভাডা অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে এবং লাস ভেগাস থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিম রেকেল গ্রামের কাছে অবস্থিত। এটি ঠিক গ্রুম হ্রদের দক্ষিণ তীরে অবস্থিত।
স্যাটেলাইট থেকে ধারনকৃত এরিয়া ৫১
এর নাম এরিয়া ৫১ হলেও এর অন্য অনেক গুলি নাম আছে যেমনঃ ড্রিম ল্যান্ড (Dream Land), প্যারাডাইস রেঞ্চ (Pradise Ranch), হোম বেস (Home Base), ওয়াটার টাউন স্ট্রিপ (Watertown Strip), গ্রুম লেক (Groom Lake)। এ ছাড়াও কিছুদিন আগে এর আরো একটি নাম দেয়া হয় হোমি এয়ার পোর্ট (Homey Airport)।
এরিয়া ৫১ এর নিরাপত্তা ব্যাবস্থা।
এরিয়া ৫১ এর নিরাপত্তা ব্যাবস্থা অনেক শক্তিশালী। এই বেসের আনুমানিক ১৫৫ মাইল উত্তর এবং উত্তর পূর্বকোনে ৯৪০০ ফুট উঁচু “বেলডে” নামক একটি পাহাড়ের চূড়ায় বিশাল একটি রাডার স্থাপনা আছে। কিন্ত এই রাডারটি কি ধরনের তা জানা যায়নি। তবে ধারনা করা হয় এটি আকাশ পথ নজরদারী রাডার ARSR 4 (Air Route Surveillance Radar) এই ধরনের রাডার মার্কিন বিমান বাহিনী ব্যাবহার করে।
এটি শুধু একটি রাডার নয় একসাথে অনেক গুলি রাডারের একটি নেটওর্য়াক ব্যাবস্থা। এই রকম আরো একটি রাডার আছে গ্রুম লেকের উওর দিকে আর একটি পাহাড়ের চুড়ায় মাটি থেকে প্রায় ৪৩০০ ফুট উপরে। এই রাডার গুলি পরিচালনা করার জন্য কোন মানুষের প্রয়োজন নেই এই রাডার সাইটের সব স্বয়ংক্রিয়।
এরিয়া ৫১ এ ঢোকার জন্য কোন পিচের রাস্তা নেই। শুধু একটি মাটির রাস্তা আছে যা নেভেদার হাইওয়ে ৩৭৫ সিস্টেমের সাথে সংযোগ করা। এই রাস্তাটি প্রায় ৩৫ মাইল লম্বা, এর মধ্যে পশ্চিম এবং উওর পশ্চিম দিকে ১০ মাইল পড়ে এই রাস্তার এক মাথা বন্দ।
এরিয়া ৫১ এর মূল গেটএরিয়া ৫১ এর মূল গেট ঘাটি থেকে প্রায় ২৫ মাইল দূরে অবস্থিত। এই গেটের কাছে বিশাল এক সাইন বোর্ডে বড় করে সতর্কবাণী সাইন জানায় যে প্রবেশ নিষিদ্ধ এবং "ফোটোগ্রাফি নিষিদ্ধ" এলাকা।
জেনে নেই এই এরিয়া ৫১ এর নিরাপত্তা ব্যাবস্থার একটু ঝলক। এত সুরক্ষিত স্থান, নিরাপত্তাও সর্বাধুনিক। এর এলাকার চারিপাশে না আছে কোন দেয়াল বা কোন বেড়া। শুধু আছে কয়েকটি সাইনবোর্ড। কিন্তু সবার অলক্ষ্যে কাজ করে অনেক প্রযুক্তি। যেমনঃ Mobile CC Camera, Motion detector (নড়াচড়া পর্যবেক্ষক), Laser detector (লেজার পর্যবেক্ষক), Sound detector (শব্দ পর্যবেক্ষক) আর সব থেকে আধুনিক Smell detector (ঘ্রান পর্যবেক্ষক) আর এছাড়া আকাশ পথ দেখার জন্য রয়েছে রাডার। এই ঘ্রান পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে আসে পাশে থাকা যে কোন মানুষ বা বন্য প্রানীর অস্তিত্ব তারা পর্যবেক্ষন করতে পারে। এখন মনে করেন, আপনি কোন ভাবে ঢুকে গেলেন. আর আপনার অস্তিত্ব ধরা পরবে এই সেন্সর গুলিতে ��া নিশ্চিত থাকেন। আর ধরা পড়লেই চলে আসবে সুরক্ষায় নিয়জিত বাহিনী। সুরক্ষায় যারা থাকে তারা আবার পদাতিক বাহিনী (Army) বা বিমান বাহিনীর কোন পোষাক পরা থাকবে না। এরা শুধু মাত্র এরিয়া ৫১ এর সুরক্ষার জন্য নিয়জিত। তবে এদের আচার আচারন সামরিক বাহিনীর লোকদের মতই।
সেন্সর এবং সিসি ক্যামেরা
এখানে অনেক উপরের নীতি নির্ধারকদের অনুমতি বাদে প্রবেশ সম্পুর্ন নিষেধ আর ঢুকলেই তার মৃত্যু অনেকটাই অবধারিত। কেননা ক'দিন আগেও যে স্থানের কোন অস্তিত্ব ছিল না কাগজ কলমে সেখানে সাধারন আইন কানুন মানা হয় না। তাই আপনার কোন বিচার হবে না কোন আদালতে। মাঠেই আপনার বিচার, মাঠেই আপনার শাস্তি। মানবাধিকার এখানে কোন মূল্য রাখে না। এবার ধরুন আপনি কোন মতে এই সব সুরক্ষা ব্যাবস্থাকে কাটিয়ে ভিতরে ঢুকলেন। এবার আরো বড় সমস্যা। মনে রাখবেন এটি মরুভূমির মধ্যে অবস্থিত। আর আপনাকে পারি দিতে হবে প্রচন্ড গরমে শুকিয়ে যাওয়া গ্রুম লেক। এখানে যদি আপনি অবস্থান করতে যান তাহলে দিনে আপনাকে ৪ গ্যালন পানি পান করতে হবে। তা না হলে আপনি ৪ দিনের বেশী টিকে থাকতে পারবেন না। আর রাতের বেলা সম্মুক্ষিন হবেন শীতের। অর্থাৎ এত কিছু নিয়ে কোন ভাবেই আপনি সুরক্ষা দেওয়ার ভেদ করতে পারবেন না। আর ধরুন আপনি একটা গাড়ি নিয়ে কোন এক ভাগ্যের জোরে পার করলেন সব সুরক্ষা ব্যাবস্থা। এখন আপনাকে পারি দিতে হবে এই গ্রুম লেক। গাড়ি চালাচ্ছেন মনের সুখে। ভাবছেন একটানে চলে যাবেন এরিয়া ৫১ এর প্রানকেন্দ্রে। কিন্তু আপনি যাচ্ছেন শুকিয়ে যাওয়া এক লেকের উপর দিয়ে। আপনার পিছে উড়ছে বালি। আর অনেক দূর থেকেই বোঝা যাবে আপনার অবস্থান। এখন বুঝলেন প্রাকৃতিক ভাবেও এই এরিয়া ৫১ কেমন সুরক্ষিত।
এরিয়া ৫১ সর্ম্পকে মার্কিন সরকার ১৪ জুলাই ২০০৩ পর্যন্ত কোন কিছু স্বীকার করেনি। তবে পরবর্তীতে নানান কারনে এবং এরিয়া ৫১ এর বিভিন্ন ছবি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় আমেরিকান সরকার এই স্থানটির কথা স্বীকার করে নেয়। তবে সরকারের মতে এখানে শুধুই বিমান তৈরি এবং এর পরিক্ষামূলক উড্ডয়ন করা হয়। এর বাহিরে আর কি হয় বা এর মানচিত্র বা কেনই এতো গোপন তা জানানো হয়নি। 
এরিয়া ৫১ এর ছবি / মানচিত্র ফাঁসের কিছু কাহিনী। 
মার্কিন সরকারের অবাধ তথ্য অধিকারের সুযোগ নিয়ে ১৯৬০ সালে মার্কিন গোয়েন্দা উপগ্রহ “করোনা” নার সাহায্যে এরিয়া ৫১ এর ছবি তোলে এই ছবিতে ৫১ এর ভিতরকার সবকিছু প্রকাশ হয়ে পড়ে। সাথে সাথে মার্কিন সরকার সেই ছবি মুছে ফেলে।
একই ভাবে মার্কিন “টেরা” উপগ্রহ ৫১ এর অনুরুপ ছবি তুলে তা প্রকাশ করে, মার্কিন সরকার সেই ছবি ২০০৪ সালে মুছে ফেলে। সেই সময় এই ছবি মাইক্রোসফট ও টেরা স্যাটেলাইটের সার্ভারেও ছিল সেখান থেকেও এই ছবি মুছে ফেলা হয়। পরবর্তীতে “নাসার” ল্যান্ডস্যাট ৭ উপগ্রহের সাহায্যে ৫১ এর ছবি তোলা হয়, বর্তমানে এই ছ��িটিই সরকারি ভাবে প্রকাশিত এরিয়া ৫১ এর ছবি।
কিন্তু এত কিছু চেস্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি। রাশিয়ার গোয়েন্দা উপগ্রহ “ইকনস” ও রাশিয়ার বেসামরিক উপগ্রহ আমেরিকা রাশিয়ার ঠান্ডা যুদ্ধের সময় এই এরিয়া ৫১ এর ভিতরে কি হচ্ছে তা জানার জন্য (রাশিয়ার নিজেদের প্রয়োজনে) এর উচ্চ রেজল্যুশনের ছবি তোলে। এই ছবিতে ৫১ এর ভিতরকার প্রায় সবকিছু প্রকাশ হয়ে পড়ে। বর্তমানে এরিয়া ৫১ এর ভিতরকার ছবি আর গোপন নেই নেটে এর প্রায় সব ছবি পাওয়া যায়।
এরিয়া ৫১ এর ভেতরে কেমন? 
রাশিয়ার গোয়েন্দা উপগ্রহ “ইকনস”  যখন গোপনে এরিয়া ৫১ এর ভেতরের ছবি ফাঁস করে দেয় তখনই জানা যায় এর ভেতরের অবস্থা। 
স্যাটেলাপ এর ছবিতে দেখা যায় যে এরিয়া ৫১ এর ভিতরে সাতটি রানওয়ে আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় যে রানওয়ে 14R/32L এটি লম্বায় প্রায় 23,300 feet (7,100 m)। অন্য রানওয়ে গুলি পীচের তৈরী এর মধ্য 14L/32R রানওয়ের দৈর্ঘ্য 12,000 feet (3,700 m), রানওয়ে 12/30 এর দৈর্ঘ্য 5,400 feet (1,600 m)।
অন্যন্য চারটি রানওয়ে সল্ট লেকের মধ্যে অবস্থিত। এর মধ্যে 09L/27R ও 09R/27L রানওয়ের দৈর্ঘ্য প্রায় 11,450 feet (3,490 m), আর অন্য দুইটি 03L/21R ও 03R/21L, দৈঘ্য প্রায় 10,000 feet (3,000 m)। এছাড়াও আছে হেলিপ্যাড।
এরিয়া ৫১ এর ঘাঁটিছবিতে আরো দেখা যায় বড় বড় গুদাম ঘর, আবাসিক এলাকা,ফায়ার স্টেশন,বিশাল আকারের পানির ট্যাংকি, বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রন টাওয়ার, খেলাধুলা করার জন্য টেনিস এবং বেসবল কোর্ট। আরো আছে যোগাযোগের জন্য বেশ কয়েকটি স্যাটেলাইট ডিশ।
এরিয়া ৫১ এ রাডার ডিসসাদা রং করা অনেকগুলি সরকারি ট্রাক ও ভ্যান পার্কিং এরিয়ায় রাখা আছে। বেশ কয়েকটি বোয়িং 737 বিমান রানওয়েতে দাড়িয়ে আছে।খুব সম্ভবত এই বিমানে করে কাজ করার জন্য শ্রমিকদের আনা নেয়া করা হয়।
এরিয়া ৫১ এ জ্বালানি তেলের ট্যাংকঅন্য একটি স্থানে কালো রং করা একটি F 16 যুদ্ধ বিমানকে পার্ক করা অবস্থায় দেখা যায়। এই কালো রং করা যুদ্ধ বিমান মার্কিন বিমান বাহিনী সাধারনত রাত্রি কালিন অভিযানে ব্যাবহার করে। কালো রং করা অনেক গুলি হেলিকপ্টারকে পার্ক করা অবস্থায় দেখা যায়।
নিয়ন্ত্রন টাওয়ারএখানে অন্য আর পাঁচটি সাধারন বিমান ঘাটির মতো বিশাল আকারের হ্যাঙ্গার আছে। ধারনা করা হয় এরিয়া ৫১ এর ভিতরে যে সব অত্যাধূনিক বিমান এবং স্যাটেলাইট তৈরী করা হয় সেগুলিকে মানুষের চোখের আড়ালে এবং মরুভূমির তাপ থেকে রক্ষা করার জন্য এই হ্যাঙ্গারগুলিকে ব্যাবহার করা হয়।
কি কাজ হয় এরিয়া ৫১ এর ভেতরে? 
এরিয়া ৫১ এর আশপাশের বাসিন্দাদের অনেকে অনেক রকম কথা বলেছে। তাদের অনেকের দাবী এরিয়া ৫১ এর আকাশে ফ্লাইং সসারের মত মত কিছু উড়তে তারা দেখেছেন। আবার অনেকেই নাকি এমন দ্রুতগতির বিমান উড়তে দেখেছেন যার গতি সাধারণ বিমান বা যুদ্ধবিমান কোনোটার সাথেই মিলে না���
তবে এসব বিতর্ককে আরও ঘনীভূত করেছেন এরিয়া ৫১ এ কর্মরত পদার্থ বিজ্ঞানী বব লেজার। এক টিভি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন এরিয়া ৫১ এমন কিছু মৌলিক পদার্থ নিয়ে গবেষণা করা হয় যা আবিষ্কারের ঘোষণা এখনও দেওয়া হয় নি। তিনি অবশ্য কিছু ধোয়াটে বক্তব্য দিয়েছেন একটি মৌলিক পদার্থ নিয়ে। তার মতে সুপারনোভা বা বাইনারি স্টার সিস্টেম থেকেই সম্ভবত একটি মৌল সংগ্রহ করা হয়েছে। যার মাত্র ২.২ পাউন্ড কিন্তু এটি দ্বারা ৪৭টি ১০ মেগাটন হাইড্রোজেন বোমা বানানোর জন্য যথেষ্ট। ওখানে নাকি একটি টাইম মেশিন আছে। টাইম মেশিনে এই মৌলটি রাখা হলে টাইম মেশিনটি সময়কে স্থির করে রাখতে পারে। তারা নাকি সময় স্থির করে রাখার পরীক্ষা চালিয়ে সফলও হয়েছেন। তার মতে  টাইম মেশিনটি ঐ মৌলিক পদার্থটিকে ব্যবহার করে কোন এক ভাবে অ্যান্টিম্যাটার তৈরি করে এবং তারফলে বিপুল শক্তি উৎপাদিত হয়। অ্যান্টিম্যাটার রিয়েক্টরে শক্তি উৎপাদনের ফলে বস্তুর নিজস্ব মহাকর্ষ বলের সৃষ্টি হয় এবং নিজস্ব শক্তিতে তা বিদুৎ বেগে ছুটতে পারে এবং এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নাকি ওখানে ফ্লাইং সসার তৈরির গবেষণা চলছে।
তবে বব সবচেয়ে বড় বোমা ফাটান এই বলে সেখানে নাকি এলিয়েন দের নিজে ধ্বংস হয়ে যাওয়া এক ফ্লাইং সসার আছে। ওখানে এলিয়েনটির ব্যবচ্ছেদ করে নাকি পাওয়া গেছে ঐ প্রাণীটি এসেছে রেটিকুলাম ৪ নামক জ্যোতিষ্ক থেকে। প্রাণীটির উচ্চতা সাড়ে তিন ফুট শরীর রোমহীন কালো বড় বড় চোখ এবং শরীর কৃশকায়। দেহ ব্যবচ্ছেদ করে নাকি ফুসফুস ও হৃৎপিন্ডর বদলে বিশাল এক পতঙ্গ পাওয়া গেছে।
কথিত সেই এলিয়েন
তবে এতসব বিতর্কই শেষ নয়। এরিয়া ৫১ নিয়ে চলমান বিতর্কের সব চেয়ে বড়টি হল মানুষের চাঁদে যাওয়া নিয়ে নাটক। মানুষ চাঁদে গিয়েছে এ নিয়ে নাটকের কি আছে? আপনারা হয়ত তা বলবেন। কিন্তু দুনিয়াতে প্রচুর সন্দেহবাদী যাদের ধারনা মানুষ কখন চাঁদে যায়নি। পুরো নাটকটি সাজানো হয়েছে এই এরিয়া ৫১ এরভিতর। মানুষ প্রথম চাঁদে গিয়েছিল ১৯৬৯ সালে, এর পর আজ পর্যন্ত একবারও কেন মানুষ চাঁদে যায় না? মজার ব্যাপার হচ্ছে এত বিতর্ক চললেও আমেরিকান সরকার এসব কোনোকিছুই স্বীকার করেনি আজ পর্যন্ত। তাতে সন্দেহ না কমে বরং আরো বেড়েছে। এ নিয়ে আরেকটি পোষ্টে বিস্তারিত আলোচনা করব।
এরিয়া ৫১ বিশ্বের কাছে এটি মার্কিন সরকারের এক বিশাল সামরিক বাহিনীর অপারেশন ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হলেও অনেকে এটিকে "এরিয়া অফ কন্সপেরেসি" অথবা "ষড়যন্ত্রের এলাকা" বলে থাকে। ধারণা করা হয়, কোল্ড ওয়ার  বা স্নায়ু যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আমেরিকা লোক চক্ষুর অন্তরালে  উন্নত মানের যুদ্ধ বিমান এবং ��ত্যাধুনিক অস্ত্র  তৈরির গবেষণা এবং পরীক্ষা চলতো এ অঞ্চলে। জায়গাটিতে জনসাধারনের প্রবেশ নিষেধ হলেও "ন্যাশনাল জিওগ্রাফি" এ অঞ্চলের কিছু ছবি প্রকাশ করে।
তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট, hybridknowledge.info
নিয়মিত আপডেট পেতে আরো জানি ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন । 
0 notes
arojani · 7 years ago
Text
অনলাইনে কি আসলেই আয় করা সম্ভব?
আরো জানি || AroJani http://ift.tt/2CEkjdY
শুরুতেই বলে নেই পোস্টটি শুধুম���ত্র নতুনদের জন্য
অনলাইন, বর্তমানে আপনার আমার অর্থাৎ আমাদের সবচেয়ে বেশী পরিচিত জায়গা। নিজেদের ফ্রি সময় ব্যায় করতেই আমরা এখানে আসি।
কিন্তু মাঝেমধ্যে শুনে থাকবেন এই অনলাইন অর্থাৎ ইন্টারনেট জগৎ থেকেও আয় করা যায়! কথাটি শোনার পর যারা এসব ব্যাপারে কিছুই জানেনা তাদের ভ্রু কুচকে যায় আর মনেমনে হয়তো বলে "হুরর হুদাই"।
অনলাইন ইনকাম
অনেকেই মনেকরে আমরাইতো টাকা নষ্ট করে এখানে থাকতে হচ্ছে তাহলে এখান থেকে আবার আয়! যত্তসব গুজব।
এখন যে প্রশ্নটি বাধ্যতামূলক সেটি হচ্ছে আসলেইকি অনলাইন বা ইন্টারনেট জগৎ থেকে ইনকাম হয়?
উত্তরটা হচ্ছে জ্বি হয়।
তবে কথা হচ্ছে এ উত্তর শুনে এতো খুশি হবার কিছু নেই। সত্যি বলছি বেশী খুশি হবেন না, কারন অনলাইনে আয় সবার জন্য না। এর জন্য আপনার কাজ জানা থাকতে হবে, দক্ষ হতে হবে, সময় দিতে হবে প্রচুর, ইনবেস্ট করতে হবে। যদি আপনার কিছুই না থাকে ইনবেস্ট করার মত তবে আপনাকে সামান্য কিছু অর্থ এবং অনেক সময় হলেও ইনবেস্ট করতে হবে। যাইহোক এবার লাইনে আসি।
কিভাবে অনলাইন/ইন্টারনেট জগৎ থেকে আয় করা যায়?
কথা হচ্ছে টাকা জিনিসটা এতো সোজা না যে হুদাই আরেকজনের পকেট থেকে আপনার পকেটে চলে আসবে। একজন দিনমজুর যেমন সারাদিন ঘামঝরানো পরিশ্রম করে দিনশেষে টাকা পায় ঠিক অনলাইন আয়ও তেমন। আপনাকে খাটতে হবে, আপনার ব্রেনকে কাজে লাগতে হবে, রাতের পর রাত জেগে কাটাতে হবে এরপরই হয়তো আপনার অনলাইন আয় আপনার কাছে ধরা দিবে।
কোন কোন জায়গা থেকে আয় করা যায়?
ইন্টারনেট জগৎতো অনেক বিশাল। কতোকিছু আছে এখানে। কত জানা অজানা ব্যাপার কতো কি। তাহলে কথা হচ্ছে আম�� কোথা থেকে আয় করতে পারবো?
আচ্ছা তাহলে বলি, আপনি ফেসবুক চিনেন ফেসবুক? বর্তমান এ যুগে একটা ফেসবুক আইডি নাই এমন মানুষ খুজে পাওয়া মুশকিল। আর আপনি চাইলে এই ফেসবুক থেকেও আয় করতে পারবেন। 
এমনও মানুষ আছে যারা ফেসবুকের মাধ্যমে মাসে কয়েকশ কিংবা কয়েক হাজার ডলারও ইনকাম করে। তবে হ্যা টাকা এতো সহজে তাদের কাছে ধরা দেয়নি। তারা সময় দিয়েছে টাকা ব্যায় করেছে কস্ট করেছে বারবার ব্যার্থ হয়ে এখন তারা সফল।
শুধু ফেসবুক না আপনি চাইলে ইউটিউব, ওয়েবসাইট অথবা ফ্রিলেন্সিং করে আয় করতে পারেন।
তবে এর আগে আপনাকে অবশ্যই কাজ জানতে হবে।
যাইহোক পোস্টটি লেখার উদ্দেশ্য ছিলো আপনাদের অনলাইন আয় সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা দেয়া, আশাকরি সেটা পেরেছি। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে তুলে ধরবো কিভাবে ফেসবুক/ ইউটিউব/ ওয়েবসাই কিংবা ফ্রিলেন্সিং করে আয় করবেন। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন আর আরোজানির সঙ্গে থাকুন। 
নিয়মিত আপডেট পেতে আরো জানি ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন । 
0 notes
arojani · 7 years ago
Text
ফ্রি তে চলবেনা ফেসবুক পেজ!
আরো জানি || AroJani http://ift.tt/2zoWKEY
বিজ্ঞান প্রযুক্তির যুগে এসেছে অনেক পরিবর্তন। যুগের সাথে তাল সিলিয়ে নিজের অবস্থানে টিকে থাকার জন্য দিনদিন পরিবর্তন আনছে সবাই।
ফ্রি তে চলবেনা ফেসবুক পেজ
ফেসবুক যেহেতু বর্তমান যুগের একটি বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সুতরাং এটিও তার বিপরীত নয়। নানান প্রয়োজনে এবং নানান সময় ব্যাবহারকারীদের জন্য এবং নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে ফেসবুক এনেছে নানান পরিবর্তন এবং প্রতিনিয়ত সেই পরিবর্তন চলছে।
আর ঠিক এই মুহূর্তে নিজেরে ব্যাবসার কথা চিন্তা করে ফেসবুক চালু করেছে নতুন এক পদ্ধতি। অার সেটা হচ্ছে,  বিনা পয়সায় কোনো কিছু সরাসরি আর প্রচার করবে না ফেসবুক। 
অর্গানিক রিচড্ হবে মাত্র ৩%
শুধুমাত্র অর্গানিকভাবে পাওয়া যাবে ৩% রিচড্ যেটা খুবই কম। 
বিশেষকরে যারা ফেসবুকে পেজ তৈরি করে বিভিন্ন কম্পানি বা নিজেদের পন্য প্রচার করতো বা বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল খবর প্রচার করেন, সেসব প্রকাশকের জন্য নিউজফিডের সুবিধা রাখছে না ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
এককথায় বলতে গেলে, ফ্রিতে কোন পেজের পোস্টই প্রচার করবেনা ফেসবুক আর প্রচারের জন্য আপনাকে অবশ্যই টাকা/ ডলার খরচ করে প্রমোট করতে হবে। অর্থাৎ, ফেসবুকে কোনো কিছু প্রচার কর���ে হলে অর্থ খরচ করতেই হবে।
আর তাছাড়া টাকার বিনিময়ে পোস্টগুলো নিউজফিডেও দিবেনা ফেসবুক! 
বর্তমানে পরিক্ষামূলকভাবে মোট ৬ টি দেশে পেজের পোস্ট ফ্রিতে দেখানো বন্ধ করে দিয়েছে ফেসবুক। বিষয়টি ইতিমধ্যে পেজ প্রকাশকদের বিপদে ফেলেছে। 
সম্প্রতি ফেসবুক ‘এক্সপ্লোর ফিড’ নামের নতুন একটি ফিচার চালু করেছে। এতে পরীক্ষামূলকভাবে প্রকাশক ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আসা কনটেন্ট মূল ফিড থেকে সরিয়ে ফেলছে ফেসবুক। এসব পোস্ট পৃথকভাবে এক্সপ্লোর ফিডে থাকবে। তবে এক্সপ্লোর ফিডগুলো নিউজফিডে দেখাবে না। আর ভবিষৎ এ প্রমোট করা পেজের পোস্টগুলি ও হোমপেজ বা নিউজফিডে না দেখিয়ে এক্সপ্লোর ফিডে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে ফেসবুক। 
ফেসবুক এক্সফ্লোরার ফিড
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, ব্যবহারকারীদের দুটি ফিড দেখানো হবে। একটিতে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব অর্থাৎ ফেসবুক প্রোফাইলের জন্য ও অন্যটিতে প্রতিষ্ঠান ও প্রকাশকদের বা ফেসবুক পেজের জন্য। 
বর্তমানে শ্রীলঙ্কা, বলিভিয়া, স্লোভাকিয়া, সার্বিয়া, গুয়াতেমালা ও কম্বোডিয়াতে পরীক্ষামূলকভাবে এটি চালু হচ্ছে।
ফেসবুকের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও ফেসবুকের ওপর নির্ভরশীল অনেক প্রতিষ্ঠান আতঙ্কে রয়েছে। কারণ, সচরাচর ফেসবুকের নতুন এক্সপ্লোরার ফিডে সহজে কেউ যায়না । 
কোথায় পাওয়া যাবে  ফেসবুকের এক্সপ্লোরার ফিড?
 ফেসবুকের এক্সপ্লোরার ফিডটি খুজে পেতে হলে আপনাকে যেতে হবে ফেসবুক মেনু বারে তারপর খানিক��া নিচের রয়েছে এক্সপ্লোরার ফিড অপশনটি। 
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেজের বিভিন্ন স্টোরি মূল ফিড থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বড় ধরনের পরিবর্তন। পেজ পোস্টগুলো এক্সপ্লোর ফিডে সরিয়ে দেওয়ায় প্রকাশকদের পোস্টের ‘অর্গানিক রিচ’ দুই তৃতীয়াংশ কমে গেছে। অনলাইন প্রকাশনা প্ল্যাটফর্ম মিডিয়ামের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথক এক্সপ্লোর ফিড ছয়টি দেশে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে ফেসবুক। এটি অন্য দেশে সম্পূর্ণ চালু করার ঘোষণা না এলেও যাঁরা ফেসবুকে খবর প্রচার করেন, তাঁদের জন্য সতর্কবার্তা।
যে দেশগুলোতে এক্সপ্লোর নিয়ে ফেসবুকের পরীক্ষা চলছে, সেখানে নিউজফিডে শুধু বন্ধুদের পোস্ট আর বিজ্ঞাপন দেখানো হচ্ছে। ফলো করা পছন্দের পেজের হালনাগাদ পেতে এক্সপ্লোর ফিডে ক্লিক করা ছাড়া উপায় নেই। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ যা–ই বলুক না কেনো, ফেসবুক পেজের পোস্টগুলোকে পুরোনো নিউজফিডে দেখাতে অর্থ খরচ করা ছাড়া কোনো পথ খোলা রাখছে না ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
ইতিমধ্যে স্লোভিনয়ার বড় ৬০টি মিডিয়া পেজের ইন্টারঅ্যাকশন (লাইক, কমেন্ট, শেয়ার) তলানিতে এসে ঠেকেছে। গুয়াতেমালা ও কম্বোডিয়াতেও একই প্রভাব পড়েছে। পরীক্ষা কত দিন চলবে, ফেসবুক তা ঘোষণা করেনি। স্লোভেনিয়ার সবচেয়ে বড় মিডিয়া সাইটের পাঠক কমে গেছে। নতুন নিউজফিড আসায় ফেসবুক ব্যবহারকারীরা তাদের কোনো পোস্ট ফেসবুকে খুঁজে পাচ্ছেন না। 
নিয়মিত আপডেট পেতে আরো জানি ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন । 
0 notes
arojani · 7 years ago
Text
ফেসবুকে চালু হলো ওয়ান টাইম/ টেম্পরারি পাসোয়ার্ড সুবিধা!
আরো জানি || AroJani http://ift.tt/2zQkR2b
প্রতিনিয়ত ফেসবুক আনছে নতুন নতুন পরিবর্তন, পরিবর্ধন।
ঠিক এবার ব্যাবহারকারীদে নিরাপত্তার ব্যাপারে চিন্তা করে ফেসবুক এনেছে আরো দারুন একটি পরিবর্তন।
আর এবার ফেসবুক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা আরো বাড়ানোর জন্য ‘ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড’ সুবিধা চালু করেছে।
ফেসবুক টেম্পরারি /ওয়ান টাইম পাসোয়ার্ড 
এই ওয়ান টাইম পাসোয়ার্ড সিস্টেমের মাধ্যমে যেকোন ফেসবুক ব্যাবহারকারী চাইলে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটি টেম্পরারি পাসোয়ার্স পেতে পারে যেটা আবার নির্দিষ্ট সময় পর কাজ করবে না। এতা কে যদি কেউ আপনার পাসোয়ার্ডটি জেনেও যায় তবুও সে আপনার আইডিতে লগইন বা এ ধরনের কিছু করতে পারবে না। 
এ ব্যাপারে ফেইসবুক জানিয়েছে, ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের অনেকেই অন্যের কম্পিউটার ব্যবহার করে ফেইসবুকে লগ-ইন করেন। অনেক কম্পিউটারেই বিভিন্ন ধরনের ‘কি লগার’ সফটওয়্যার ইনস্টল করা থাকে, যেগুলো ব্যবহারকারীর পাসওয়ার্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংরক্ষণ করে রাখে। অনেক সময় ব্রাউজারও পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করে। ফলে পরবর্তী সময়ে অন্য ব্যবহারকারী এসব পাসওয়ার্ড দেখার সুযোগ পায়। এ ঝুঁকি থেকে ব্যবহারকারীদের রক্ষা করতে ‘ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড’ ফিচার চালু করা হয়েছে।
ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড কেবল ২০ মিনিটের জন্য কার্যকর থাকবে। ফলে অন্য কেউ পরবর্তী সময়ে এই পাসওয়ার্ড পেয়ে গেলেও ফেইসবুকে লগ-ইন করতে পারবে না। 
কি ভাবে পাবেন ওয়ান টাইম পাসোয়ার্ড?
 ব্যবহারকারীরা নিজের ফেইসবুক একাউন্টের সাথে যুক্ত ফোন নম্বর থেকে G OTP লিখে ৩২৬৬৫ নাম্বারে মেসেজ পাঠালে পাঠালেই ফিরতি এসএমএসে একটি টেমপোরারি পাসওয়ার্ড পাবেন। এবং এতে কোন টাকা কাটবে না। এ পাসওয়ার্ডটি দিয়ে যেকোনো কম্পিউটার থেকেই নিশ্চিন্তে লগ-ইন করতে পারবেন। ব্যবহারকারীদের এ টেমপোরারি পাসওয়ার্ড ২০ মিনিটের জন্য কার্যকর থাকবে।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে শুধুমাত্র বাংলালিংক ব্যবহারকারীরাই এই সুবিধাটি পাচ্ছেন।
তবে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এটি প্রায় সকল সিমেই চালু করা হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। 
নিয়মিত আপডেট পেতে আরো জানি ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন । 
0 notes
arojani · 7 years ago
Text
জ্যাক ম্যা: হতভাগা বোকা ছাত্র থেকে চীনের শ্রেষ্ঠ ধনী হবার গল্প
আরো জানি || AroJani http://ift.tt/2zJxZUw
প্রাচীন রুপকথায় আলী বাবার চিচিঙ ফাঁকের কাহিনী তো সবারই জানা।
ওই যে, চল্লিশ চোরের আস্তানার সামনে দাঁড়িয়ে আলী বাবা চিৎকার করলেন, চি..চি..ঙ ফাঁক। অমনি মড় মড় করে খুলে গেলো গুহার পাথুরে
দরজা। ভেতরে বিশাল রত্নভাণ্ডার। আর সেই ধনরত্ন দিয়েই কাঠুরি আলিবাবা হয়েগেলো বড়লোক।
বলছিলাম প্রাচীন রুপকথা, কিন্তু অাশ্চার্যের বিষয় এই বিংশ শতাব্দীতেও এমন একজন মানুষ সারা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছেন যিনিও কি না আলিবাবা দিয়েই হয়ে উঠেছেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধনীব্যক্তিদের একজন। 
জ্যাক ম্যা
তার নাম জ্যাক ম্যা। বাড়ি চীনের হ্যাঙ্গজুই শহরে। বর্তমানে তার বয়স ৫০। ছাত্রবেলায় তিনি ছিলেন বোকা ছাত্র অর্থাৎ যাকে আমরা ব্যাঙ্গ করে বলি গাধা। 
কিন্তু কে জানতো চীনের এই বোকা ছাত্রটি হয়ে উঠবে চীনের শ্রেষ্ঠ ধনী?
জ্যাক ম্যা তার জীবনের প্রথম ভর্তি পরিক্ষায় ফেল করেন টানা ২ বার। বিসমিল্লাহতেই গলদ করেই এই ছাত্র বহু কস্টে শিক্ষাজীবনে ১৭ বার ফেল করে গিয়েছিলো কলেজ পর্যন্ত।
কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় পর পর দুইবার ফেল করে সবশেষে এই অভিশপ্ত শিক্ষাজীবন ত্যাগ করতে বাধ্য হন। বাধ্য হয়েও তিনি জীবনের হাল ছাড়েননি।
বোকা ফেল্টুস ছাত্র হয়েও তিনি পড়তে চেয়েছিলেন হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের মত পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কলেজের একটি। সেখানেও ব্যার্থ হন তিনি। একবার না টানা ১০ বার চেস্টা চালিয়েছিলেন হার্ভাডে পড়ার জন্য কিন্তু ভগ্য সবার সহায় হয়না।
এই কপালপোড়া মানুষটার শিক্ষাজীবন শুধুমাত্র দুর্দশায় যায়নি, KFC যখন চীনে তাদের ব্যাবসার জন্য আসে তখন জ্যাক ম্যা সহ ২৪ জন kfc তে চাকরির জন্য আবেদন করেন।
সেখানে ২৩ জনের চাকরি হলেও বাদ পড়ে যান হতভাগা ম্য।
এমন ব্যার্থতার গ্লানি বইতে বইতে ক্লান্ত হয়ে  পড়া লেখা ছেড়ে শিক্ষকতার প্রশিক্ষণ নেনন জ্যা মা । এক বন্ধুর পরামর্শে মা ইয়ান থেকে তিনি ধারণ করেন নতুন নাম, জ্যাক মা। পরে ইংরেজীর শিক্ষক হিসাবে মাত্র ১০ ইয়েনের (চীনের মুদ্রার নাম ইয়েন) চেয়েও কম বেতনে শিক্ষকতার চাকরি নেন জ্যা ম্যা ।
অভাব অনটনে চলতে থাকে দিন। এর মধ্যে একবার যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে যান ম্যা। সময়টা ছিলো ১৯৯৫ সাল। সেখানে দেখেন অনেকেই ইন্টারনেটভিত্তিক নানা ধরনের ব্যবসা করছেন। তার মনেও এ ধরনের চিন্তা আসে। তিনি হিসাব করে দেখেন, সামনের দিনগুলোতে ইন্টারনেটের সম্ভাবনা ব্যাপক।
দেশে ফিরে ম্যা পণ্য কেনা বেচার একটি ওয়েবসাইট খুলে বসেন। যার নাম দেন  ‘আলী বাবা ডট কম’। হয়তো তিনি কখনোই জানতেননা যে তার এই আলিবাবা একদিন তাকে চি চিং ফাকের মত করেই এক অভাগা বোকা ছাত্র থেকে করে তুলবে চীনের শ্রেষ্ঠ ধনী জ্যাক ম্যা তে। 
আলিবাবা ডট কম / Alibaba.com
যাইহোক, তার এ ব্যবসার দিকে ঝুঁক তৈরি হওয়ার পেছনে আরো একটি কারণ আছে। ম্যা জানান, তিনি হলিউডের গাম্প ফরেস্ট সিনেমার প্রধান চরিত্রকে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। লোকটি চাল চলনে, পোশাকে আশাকে মোটেও স্মার্ট ছিলো না। আর আহামরি ধরনের মেধাও ছিলো না তার। কিন্তু তিনি এক নাগারে পরিশ্রম করতে পারেন। সিনেমার সেই চরিত্রের পরিশ্রম দেখেই উদ্বুদ্ধ হয়েছেন ম্যা। তিনিও আলী বাবার পেছনে ব্যাপক শ্রম ঢালতে লাগলেন। আর কথায় আছে, লেগে থাকলে মেগে খায় না। তিনি
এখন চীনের ধনী লোকদের একজন। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ আরো অনেক অনেক দেশে তার কেনাবেচার জাল ছড়িয়ে পড়েছে। এখন তার এই ওয়েবসাইটটির মূল্য, প্রায় ১৪০ বিলিয়ন ইয়েন।
কি এমন সেবা দেয় ওয়েবসাইটটি?
ম্যার এই আলী বাবা ওয়েবসাইটটির প্রধান সেবা হলো অনলাইনে কেনা কাটা। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সারা বিশ্ব থেকে চীনে উৎপাদিত যে কোনো পণ্য কেনা যাবে। এর কারণে এটি চীনের বড় একটি কেনাকাটার ওয়েবসাইটে পরিণত
হয়েছে। 
এটি টুইটারের চীনা ভার্সন হিসাবে সামাজিক যোগাযোগের কাজও করে। ইউটিউবের মতো সেবা আছে এদের। ভিডিওর জন্য চীনে বহুলব্যবহৃত এই আলী বাবা। আলী বাবা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের বিভিন্ন তথ্য ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করে। এবং এ ওয়েবসাইটটি থেকে চলচ্চিত্রও প্রযোজনা করা হয়।
বর্তমানে জ্যাক ম্যা চীনের শ্রেষ্ঠ ধনী এবং পৃথিবীর ৩৩ নাম্বার ধনী ব্যাক্তি।
জ্যাক ম্যার জীবনের গল্প আমাদের বুঝিয়ে দেয় জীবনে হাল ছেড়ে না দিয়ে বারবার চেষ্টা করলে সফলতা অাসবেই।
হয়তোবা কারো আজ অথবা কারো কাল। 
নিয়মিত আপডেট পেতে আরো জানি ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন । 
0 notes
arojani · 7 years ago
Text
মানুষের মাংস খাওয়ার যত গল্প !
আরো জানি || AroJani http://ift.tt/2yrC3up
আলিফ লায়লা, হাতিম, টারজান এবং অন্যন্য সিরিজগুলো যদি দেখে থাকেন তবে নিশ্চই মানুষের মাংস খাওয়ার ব্যাপারগুলো আপনার চোখে পড়েছে। প্রাচীন রুপকথায় বিভিন্ন দৈত্য দানব বা অদ্ভুদ প্রানীরা মানুষের মাংস খাওয়ার কাহিনী উঠে এসেছে। এটা কেবল রুপকথাই। কিন্তু যদি এমন হয় যে স্বয়ং মানুষ হয়েও মানুষের মাংস খায় তবে চোখ কপালে উঠা অস্বাভাবিক কিছু না।
ক্যানিবালিজম: মানুষ যখন মানুষ খায়! 
জ্বি, এটা কোন রুপকথা না। বর্তমান এবং অতীতে এমন অনেক ঘটনা আছে যেগুলা জানান দেয় স্বয়ং মানুষ মানুষের মাংস খায়। কখনোবা মৃতদের মাংস কখনোবা হিংস্রতার সীমা ছাড়িয়ে জীবিতদের মাংস!
বিভিন্ন বই বা কাহিনীতে মানুষখেকোদের বর্ণনা থাকলেও একবিংশ শতাব্দিতেও পৃথিবী থেকে এদের অস্তিত্ব মিলিয়ে যায়নি। বিশ্বে বেশ কিছু দুর্গম স্থান এখনও রয়েছে, যেখানে সভ্যতার আলো পৌঁছায়নি। আবার কোথাও কোথাও এই ভয়ানক ব্যাপারটির অবসান ঘটেছে মাত্রই। আজ আলোচনা করব এমন কিছু জায়গা, ঘটনা এবং সম্প্রদায় নিয়ে। ১. ভারত:  ভারতের বারাণসীতে এখনও একটি সম্প্রদায়ের মধ্যে মানুষ খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। আঘোরি সাধু নামে বিশেষ এক সন্নাসী সম্প্রদায় রয়েছে যারা মৃত মানুষের মাংস খেয়ে থাকে। শুধু মৃত মানুষের মাংসই নয় যত খারাপ এবং নিম্নপর্যায়ের খাদ্যবস্তু আছে সবই খায় এরা। ময়লা আবর্জনা থেকে শুরু করে মৃত ��ানুষের মাংস পর্যন্ত। বর্নিত আছে এটা মৃত মানুষের দেহের উপর বসে ধ্যান করে এবং তাদের শরীরের মাংস খায়।
অঘোরি সাধু
২. পাপুয়া নিউগিনি: দেশটির পশ্চিমে কোরোয়াই উপজাতির মানুষেরা প্রতিশোধ হিসেবে মানুষের মাংস খেয়ে থাকে। ইন্দোনেশিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলটিতে এখনও এই সম্প্রদায়ের অন্তত ৩ হাজার মানুষ রয়েছে। ভিন্ন সম্প্রদায়ের সাথে সংঘাত ঘটলে নিজেরে ক্ষমতা দেখাতে এরা অন্য সম্প্রদায়ের লোকেদের ধরে এনে তাদের মাংস খায়। মাঝে মাঝে দলনেতা খাওয়ার মতো মানুষের সন্ধান না পেলে নিজেদের আত্মীয়-স্বজনের মাংসও খেয়ে থাকে। এর মাঝে এরা নিজেদের মধ্যে নিজেদের ক্ষমতা জাহিরের প্রচেষ্টা চালায়।
কোরোয়াই উপজাতির
৩. সিগাটোকা, ফিজি: দেশটিতে একসময় মানুষখেকোরা থাকলেও এখন তাদের দেখা পাওয়া যায় না। ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে এই অঞ্চলে চন্দন ব্যবসায়ীরা আসা যাওয়া শুরু করলে আদিবাসীদের মাঝেও সভ্যতার আলো পৌঁছা���ে থাকে। যদিও বলা হয় এই দ্বীপাঞ্চলটির কোথাও কোথাও এখনও মানুষ খাওয়ার প্রবণতা মিলিয়ে যায়নি। তবে এটা এখন কেবল কল্পনা মাত্র। তবে হ্যা, সিগাটোকার নাইহেহে গুহায় যেসব নিদর্শন মিলেছে, তাতে স্পষ্টই বোঝা গেছে যে মানুষখেকোরা আসলে মিলিয়ে যায়নি।
৪. কঙ্গো: আফ্রিকার মধ্যাঞ্চলীয় দেশটির আদিবাসীদের মাঝে এখনও মানুষ খাওয়ার প্রবনতা মিলিয়ে যায়নি। প্রকাশ্যে না হলেও গোপনে মানুষের মাংস খাওয়ার অভ্যাস আছে তাদের। ২০০৩ সালের গোড়ার দিকে কঙ্গোর বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মানুষ খাওয়ার অভিযোগ তোলে খোদ জাতিসংঘ। দ্বিতীয় কঙ্গো যুদ্ধের পর সরকারের এক প্রতিনিধি তাদের কর্মীদের জীবন্ত ছিড়ে খাওয়ার জন্য বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পর্যন্ত তোলেন। ৫. জার্মানি: আশ্চর্য হলেও সত্যি, জার্মানিতে মানুষের মাংস খাওয়া কোনো অপরাধ নয়। আর সেজন্যই ২০০১ সালের মার্চে আর্মিন মাইভাস নামের এক জার্মান নাগরিক রীতিমতো বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষ খেলেও তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা ছাড়া কোনো অভিযোগ আনেনি পুলিশ। মানুষ খাওয়ার উদ্দেশে ‘দি ক্যানিবাল ক্যাফে’ নামের একটি ওয়েবসাইটে সুঠামদেহী, জবাইযোগ্য এবং আহার হতে চাওয়া মানুষের সন্ধান চেয়ে বিজ্ঞাপন দেন আর্মিন। অনেকে আগ্রহী হলেও বার্ন্ড জুর্গেন ব্রান্ডিসকে পছন্দ করেন আর্মিন। এরপর জার্মানির ছোট্ট গ্রাম রটেনবার্গে দুজনে মিলিত হন। একপর্যায়ে ব্রান্ডিসকে হত্যা করে প্রায় ১০ মাস তার মাংস খান আর্মিন মাইভাস। ২০০২ সালে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিচারে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। এটাতো গেলে ঘটনা। তবে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন কমান্ডো ফোর্সকে দূর্গম অঞ্চলে টিকে থাকার জন্য কাচা মাংস খাওয়ার ট্রেনিং দেয়া হয়ে থাকে।
0 notes
arojani · 7 years ago
Text
২০১৮ তে রাজত্ব করবে যেসব স্মার্টফোন। (সেরা ২১)
আরো জানি || AroJani http://ift.tt/2xnRyUV
আসছে নতুন বছর। এই বছরকে সামনে রেখে প্রতিযোগিতা চলছে বিশ্ব বাজারে। প্রতিটি খাতের মতো করে প্রযুক্তি খাতে উন্নয়ন চলছে দারুন গতিতে। আর এই নতুন বছরকে সামনে রেখে প্রযুক্তি বাজারে আসছে বিশাল পরিবর্তন। বিশেষ করে নিত্য ব্যাবহার করা স্মার্টফোনের কথাতো না বললেই নয়। ২০১৭ তে স্মার্টফোনের বাজারে রাজত্ব করেছে apple এর iphone, Samsung, google pixel, htc, OnePlus, Huawei এছাড়াও আরো নামী দামি ব্রান্ড।
২০১৭ এর সেরা ১০ টি স্মার্টফোন।
ঠিক সেই সফলতা কাজে লাগিয়ে নতুন বছরে তাদের সুনাম এবং শীর্ষ স্থান ধরে রাখতে অনেক ব্রান্ড ই বাজারে আনতে যাচ্ছে অসাধারন সব স্মার্টফোন।
২০১৮ তে রাজত্ব করবে যেসব স্মার্টফোন
চলুন যেনে নেয়া যাক এবাবের ২০১৮ তে স্মার্টফোনের বাজারে রাজত্ব করবে কোন ফোনগুলি।
Apple iPhone X– Best Smartphone 2018
Samsung Galaxy S8 – Best Android Smartphone 2018
Google Pixel Phone
Apple iPhone 7 Plus – Best Apple Smartphone
Samsung Galaxy S7 – Best Android Smartphone
Apple iPhone 7
OnePlus 3T
Samsung Galaxy S7 Edge
HP Elite x3 – Best HP Smartphone
Samsung Galaxy Note 5
Apple iPhone SE– Best Budget Smartphone
Moto X Pure Edition Smartphone – Best Cheap Smartphone
Google Pixel 2
Huawei Mate 10
Huawei P11
LG G7
LG V30
Microsoft Surface Phone
Nokia 9
Samsung Galaxy S8 mini
Samsung Galaxy S9 & Galaxy S9+
নানান জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের তথ্যমতে উপরের উল্লেখ্যিত ফোনগুলো রাজত্ব করবে পুরো ২০১৮ জুড়ে।
কেমন ছিলো পৃথিবীর সর্বপ্রথম স্মার্টফোন "সিমন"? 
ইতিমধ্যে অনেক স্মার্টফোনের ফিচার লিক হয়েছে আবার কিছু কম্পানি অফিসিয়ালি তাদের ফোনগুলির ফিচার ঘোষনা করেছে।
বিঃদ্রঃ উপরের লিস্ট টি শুধুমাত্র সাজানো এবং পড়ার সুবিধার জন্য,  রেঙ্ক বা সিরিয়াল হিসেবে নয়। 
0 notes
arojani · 7 years ago
Text
আমিনা থেকে এভ্রিল, আড়ালে যত কীর্তি কুকীর্তি।
আরো জানি || AroJani http://ift.tt/2xURA68
গরীব পরিবার। নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। পুরো পরিবারের ভরন পোষনে হিমশিম খায় পরিবারে একমাত্র কর্নধার কৃষক পিতা। আর সেই গরীবের ঘরেই কোল আলো করে জন্ম নেয় এক কন্যা শিশু। মুসলিম পিতা ইসলামের আদর্শ মেনে মেয়ের নাম রাখ���ন "জান্নাতুল নাঈম আমিনা"। কিন্তু পিতাকি জানতো কোনদিন বাবার এই সপ্ন ভেঙ্গে নগ্ন দেহের নাচ দেখাবে তার মেয়ে? জ্বি আজ আমরা জানবো এমনই একজনের সম্বন্ধে নাম যার "জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল"। জান্নাতুল নাঈম আমিনা ওরফে জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল সর্বপ্রথম সবার সামনে আসে বাইক চালানো এবং সোশাল মিডিয়ায় তার ছবির মাধ্যমে। নিজেকে দাবি করেন বাংলাদেশের সেরা লেডি বাইকার। কিন্তু এই রং চকচকে DSLR ক্যামেরার সামনে আসার আগেরর অতীতগুলো বড়ই উশৃঙ্খল এবং একটি পররিবাবের জন্য বেদনাদায়ক। চলুন তবে জানা যাক।
জান্নাতুল নাঈম আমিনা /এভ্রিলের অতীত বর্তমান 
এভ্রিলের প্রকৃত নাম জন্নাতুল নাঈম আমিনা
১৯৯০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর আমেনার জন্ম চট্টগ্রামের চন্দনাইশের সেবন্দী গ্রামের একটি
দরিদ্র কৃষক পরিবারে। তার বাবার নাম তাহের মিয়া। বাবা সামান্য একজন কৃষক এবং এর পাশাপাশি একটি সেচ পাম্প চালিয়ে গোটা পরিবারের হাল ধরে আছেন। এভ্রিলের দুই ভাই, দুই বোন। পড়াশোনা করেছের চন্দনাইশ বড়মা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। SSC পরীক্ষার পর এলাকার কোন এক সম্ভ্রান্ত ব্যাবসায়ির চোখে ভালো লাগে আমিনা ওরফে এভ্রিলকে।
বিয়ের অনুষ্ঠানে জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল/আমিন
নাম যার মনজুর উদ্দিন রানা। আমিনাকে ভালো লাগার পর ব্যাপারটি তার পরিবারকে জানায় রানা। দুই পরিবারের সম্মতিতেই ২০১৩ সালের ১১ জুন বিয়ে হয় আমিনা এবং রানার।
বিয়ের আসরে বর রানার সাথে জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল ওরফে আমিনা
সংসার জীবন ভালোই কাটছিলো তাদের। বিয়ের কয়েকমাস পর হঠাৎ করেই গায়েব হয়ে যায় কথিত এই জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল। অনেক খোজাখোজির পর জানা যায় প্রেমিকের হাত ধরে কক্সবাজার পাড়ি জমিয়েছেন এভ্রিল। এরপর দুই পরিবার মিলেই চিটাগাং লালদীঘির পাড়ে ফৌজিয়া হোটেলে ডিভোর্স দেয়া হয় এভ্রিলকে। কাবিনের টাকা দিয়ে ততদিনে ভালোই চলছিলো এভ্রিল। কিন্তু রং চকচকে মিডিয়ার জগৎতের টানে কক্সবাজার ছেড়ে ঢাকায় আসে এভ্রিল। ততদিনে নিজের নাম পুরোপুরি বদলে আমিনা থেকে এভ্রিল হয়ে গেছে "জান্নাতুল নাঈম"। আস্তে আস্তেই মিডিয়ার সাথে জড়ায় এভ্রিল। মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় ২৫০০০ প্রতিযোগীদের মত নিজেও আবেদন করে এভ্রিল। এরপরের কাহিনীতো আপনাদেরই জানা। এভ্রিলের বাবার মতে তার আমিনা নামের একটি মেয়ে ছিলো যে আজ বেচে থেকেও তার কাছে মৃত। এলাকায় রয়েছে এভ্রিলের নানান খেতাব। কেউবা প্রতারক কেউবা নানা বাজে খেতাবে ডাকে এভ্রিলকে। কথিত আছে, কোন এক সময় নাকি চট্টগ্রামেরর কোন এক হোটেল রেড দেয়ার সময় ধরাও পড়েছিলেন এভ্রিল। তবে সেটার আদো কোন ��াক্ষী নেই তাই আমিও জোর গলায় কিছু বলছি না। শহরেরও এভ্রিলের চলাফেরা উশৃঙ্খল। ছেলেদের সাথে আপত্তিকর মেলামেশা ছাড়া নানান কথা আছে এভ্রিলের নামে।
0 notes
arojani · 7 years ago
Text
আরো জানি || AroJani http://ift.tt/2y08jVp
সবাই তাকে ভয় পায়, তার নামে বাঘে-মহিষে এক ঘাটে জলও খায়। এফবিআই এবং ইন্টারপোলের মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল লিস্টে তার নামটা সবসময় শীর্ষে থাকে। তিনি হচ্ছেন দাউদ ইব্রাহিম।  ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ হন্যে হয়ে খোজে তাকে, কখনো সে অমুক জায়গায় আছে, তমুক জায়গায় আছে, অথচ তার খোঁজে সেখানে হানা দিলে লোকটার চুলের নাগালও পাওয়া যায় না। শুধুকি ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা? সয়ং ইন্টারপোল এবং আমিরিকান শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা FBI কে পর্যন্ত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে আড়ালে রাজত্ব করে যাচ্ছে দাউদ। তবে ভারতের অভিযোগ দাউদ ইব্রাহিমকে প্রতক্ষভাবে সহায়তা করছে পাকিস্তান এবং পাকিস্তানি সামরিক এবং গোয়েন্দা বিভাগ। চলুন যেনে নেই কে এই দাউদ ইব্রাহিম? নাম তার দাউদ ইব্রাহিম, ভারত থেকে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্যের আন্ডারগ্রাউন্ডের অবিসংবাদিত কিং।  ‘ডন’ শব্দটা যার নামের পাশে সবচেয়ে মানানসই! দাউদের জন্ম ১৯৫৫ সালে ভারতের মুম্বাইয়ের ডংরিতে। দাউদ ইইব্রাহিমের বাবা ইব্রাহিম কসকর ছিলেন অত্যন্ত সৎ একজন পুলিশ কনস্টেবল। ইব্রাহিম কসকর ছিলের ভীষণ ধর্মভীরু। যার কারনে নবী দাউদ (আঃ) এর নামে ছেলের নাম রেখেছিলেন তিনি। সেই দাউদ ইব্রাহিম আজ  হয়ে উঠেছেন জগদ্বিখ্যাত এবং কুখ্যাতই মাফিয়া । দাউদ ইব্রাহিমের পরিবার। দাউদের স্ত্রীর নাম মবজবীন ওরফে জুবিনা জরিন।  একমাত্র ছেলে মোইন নওয়াজ। দাউদের তিন মেয়ে ১: মাহরুখ  ২: মারহীন ৩: মারিয়া (মারিয়া ১৯৯৮ সালে মারা যায়) দাউদ ইব্রাহীমের জীবনি দাউদ সর্বপ্রথম  অপরাধ জগতে আসে করিম লালা গ্যাংয়��র হাত ধরে। করিম লালা ছিলো তখনকার মুম্বইয়ের কুখ্যাত ডন। কিন্তু আশির দশকে আন্ডারওয়ার্ল্ডের কুখ্যাত নাম হয়ে যায় দাউদ ইব্রাহিম। মুম্বাই রেলস্টেশনে এক লোকের টাকা ছিনতাইয়ের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় দাউদ ইব্রাহিমের অপরাধ জগৎ। বড় ভাই শাবির ইব্রাহিমের হাত ধরে এই জগতে আরো ঘনিষ্ঠভাবে প্রবেশ করে দাউদ। তৎকালীন ��ফগানিস্তান থেকে আসা পাঠান গ্যাঙের সঙ্গে দাউদের দলের লোকেদের প্রায়ই ঝামেলা হয়। পাঠানদের ভাড়া করা গ্যাংস্টার মানিয়া সুব্রের হাতে খুন হলো দাউদের ভাই সাবির ইব্রাহিম কাসকার। শুরু হলো রক্তের খেলা।  দাউদ মরিয়া হয়ে মাঠে নামলো ভাইয়ের খুনের বদলা নিতে, মুম্বাই সাক্ষী হলো ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী গ্যাংস্টার ফাইটের। সেই রক্তক্ষয়ী গ্যাংদের যুদ্ধে পাঠান আর সুব্রে গ্যাঙের প্রায় সব সদস্যকে দাউদ মুম্বাইছাড়া করেছিল। প্রাণ বাঁচাতে তাদের কেউ কেউ যোগ দিয়েছিল দাউদের দলে। পুলিশকে প্রচুর টাকা খাইয়ে মানিয়ে সুব্রেকে এনকাউন্টারে হত্যা করায় দাউদ। মুম্বাইতে দুই নম্বরী কিছু করতে গেলে দাউদের অনুমতি নিয়ে করা লাগতো , নাইলে কখন যে ঘাড় থেকে মাথাটা আলাদা হয়ে যাবে সেটা দাউদ ছাড়া কেউ জানবেও না! দাউদের দেশ পলায়ন। আশির দশকের শেষদিকে মুম্বাইতে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়। ছিছকে চোর থেকে শুরু করে  শীর্ষ ক্যাডারদের পর্যন্ত  ধরা পড়তে হয়েছিলো পুলিশের জালে। অবস্থা বুঝে ভারত ছাড়লো দাউদ, পাড়ি দিলো মাফিয়াদের অভয়ারণ্য দুবাইতে। দেশের বাহিরে থেকে আন্ডারগ্রাউন্ড নিয়ন্ত্রন করতো এই দাউদ ইব্রাহিম। দাউদের এ সম্রাজ্য পরিচালনা করতো তার ডান হাত খ্যাত "ছোট শাকিল" এবং তার বোন "হাসিনা" দাউদ ইব্রাহিমের অদেখা সম্রাজ্য। ভারত ছেড়ে দুবাই চলে যাওয়ার পর দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় অপরাধ সিন্ডিকেট "ডি কোম্পানি" গড়ে তোলেন দাউদ ইব্রাহিম। জানা যায় তার এই "ডি কম্পানি" তে প্রায় ৫ হাজার সক্রিয় সদস্য কাজ করতো। খুন, চাঁদাবাজি, অস্ত্র পাচার, মাদক চোরাচালান, গুম এবং ম্যাচ ফিক্সিং পর্যন্ত চলতো দাউদের এই "ডি কম্পানির" হাত ধরে। এছাড়াও নামে বেনামে বেটিং ও বলিউডের ছবি প্রযোজনা করত দাউদ ইব্রাহিম। বলিউডের অনেক সিনেমায় দাউদ নামে বেনামে অর্থ বিনিয়োগ করেছিলেন বলে শোনা যায়। সালমান খানের শুরুর দিককার বলে একটি সিনেমা ‘চোরি চোরি চুপকে চুপকে’ দাউদের প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছিল বলে গুজব আছে। বলিউডের অনেক নায়িকার সঙ্গে তার অন্তরঙ্গতার গুজবও শোনা গেছে নানা সময়ে। ধারনা করা হয় ভারত-পাকিস্তান আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গেই সুসম্পর্ক ছিল তার, দাউদের হয়ে ম্যাচে ফিক্সিং করেছেন অনেক ক্রিকেটারই, কেউ স্বেচ্ছায়, কেউবা বাধ্য হয়ে। শিপিং, এয়ারলাইন্স কিংবা রিয়েল এস্টেট ব্যবসা, প্রতিটা জায়গাতে টাকা খাটিয়েছে সে, তুলে নিয়েছে মুনাফা। ফুলেফেঁপে উঠেছে তার ব্যাংক ব্যালেন্স। তার বর্তমান সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৭.৫ হাজার ��োটি রুপী। (তথ্য সূত্র : ইউকিপিডিয়া) অপরাধ জগৎ এ দাউদের যত রেকর্ড দাউদ আছে ইনাটারপোলের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায়। মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস-এর বিশ্বের শীর্ষ পলাতক অপরাধীদের ২০১১ এর তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন দাউদ ইব্রাহিম। (২০০৮ সালেও তিনি ফোর্বস-এর তালিকায় চতুর্থ স্থানে ছিলেন।) এছাড়া ভারতীয় পুলিশের পলাতক অপরাধীদের তালিকায়ও তার নাম শীর্ষে। (তথ্যসূত্র : ইউকিপিডিয়া) দাউদকে ধরতে যত ব্যার্থ প্রচেস্টা দাউদকে ধরতে নানান সময়ে নানায় জায়গায় অভিযান চালিয়েছিলো ভারতীয় সামরিক বাহিনী, ইন্টারপোল এবং FBI. কিন্তু কখনো দাউদকে ধরাতো দূরে থাক দাউদের কাছেও ঘেষতে পারিনি তারা! দাউদের মেয়ে মাহরুখ ইব্রাহিমের বিয়ে হয়েছিল পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াদাদের ছেলে জুনাইদ মিয়াদাদের সঙ্গে।  এই বিয়েতে ইন্টারপোল, এফবিআইয় এবং "র" এর তীক্ষ্ণ নজরদারী ছিল। সবাই জানতো দাউদ অবশ্যই আসবেন এখানে। সক্রিয় ছিল FBI, ইন্টারপোল এবং ভারতের গোয়েন্দা বিভাগের প্রায় দুইশোর বেশী এজেন্টও। কিন্ত আন্ডারগ্রাউন্ডের এই রাজাকে ধরাকি এতই সোজা?! সবার অগোচরে পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের সহায়তায় দাউদ এসে তার মেয়ে আর মেয়ে জামাইকে আংটি পরিয়ে চলে গিয়েছিল, তার নাগালে ঘেঁষা তো দূরের কথা, দাউদ এসেছে এমন খবরটাও সঙ্গে সঙ্গে পায়নি এদের কেউ! দাউদকে নিয়ে যত ছবি। দাউদ ইব্রাহিমের অপরাধ জীবনের ঘটনা নিয়ে বলিউডে কয়েকটি চলচ্চিত্রও নির্মাণ করা হয়েছে। যাদের মধ্যে আছে
ব্ল্যাক ফ্রাইডে (২০০৪) ডি (২০০৫) শূটআওট অ্যাট লোখান্ডওয়ালা (২০০৭) ওয়ান্স আপন অ্য টাইম ইন মুম্বাই (২০১০) ওয়ান্স অ্যাপন অ্য টাইম ইন মুম্বাই দোবারা (২০১২) শ্যূাটআউট অ্যাট ওয়াড়ালা (২০১৩) 
0 notes
arojani · 7 years ago
Text
মৎস কন্যাদের যতো কথা।
আরো জানি || AroJani http://ift.tt/2xQ9dDh
সমুদ্রের বড়বড় ঢেউ ভেঙ্গে জাহাজ ছুটে চলছিলো। হাতে এক কাপ গরম চা নিয়ে জাহাজের ছুটে চলা দেখছিলেন জহাজের ক্যাপটেন। হঠাৎ তিনি দেখতে পান জাহাজের একটু দূরে একটি মেয়ে সাতরে বেড়াচ্ছে যারর অর্ধেক মাছ এবং অর্ধেক মেয়ে!
মৎস কন্যাদের যতো কথা। 
জানি আপনি হয়তো ভাবছেন এটা কোন গল্পের অংশ। কিন্তু না, এটা বিশ্ববিখ্যাত নাবিক কলাম্বাসের অভিজ্ঞতা যা তিনি তার নোটবুকে লিখে গেছেন। আজকে আমরা জানবো নাবিক কলাম্বাসের দেখা সেই অর্ধ মানুষ এবং মাছের মত দেখা অদ্ভুদ প্রাণীটিকে নিয়ে। কি সেই প্রাণী যার অর্ধেক মাছ এবং অর্ধেক মানুষ !? তাহলে চলুন জেনে নিই। অর্ধমানবী অর্ধমাছ দেখতে প্রাণীটিকে বলা হয় মৎসকন্যা। দেখতে যাদের উপরের অর্ধেক হল অপরুপ যুবতী।  প্রাচীন বিভিন্ন উপকথায় মৎসকন্যাদের সম্পর্কে জানা যায়। মৎসকন্যাদের নিয়ে প্রথম বর্ননা পাওয়া যায় প্রাচীন অ্যাসিরিয়াতে। অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ১০০০ খিঃ পূর্বে!
প্রাচীন অ্যাসিরিয়াতের বর্ননা থেকে জানা যায় "দেবী অ্যাটারগাটিস ভূল করে যখন তার মানব প্রেমিক কে হত্যা করে ফেলেন লজ্জায় দুঃখে পানিতে পানি ঝাপঁ দেন আত্নহত্যা করার জন্য। কিন্তু দেবী অ্যাটারগাটিস এত সুন্দরী ছিলেন যে সমুদ্র দেবতা পসাইডন তাকে মৃত্যর বাজ্যে যেতে না দিয়ে অর্ধমানবী অর্ধমাছ রুপে নব জীবন দান করেন। একই বর্ননা পাওয়া যায় ব্যাবিলনীয় উপকথায় দেবী “ইয়া” কে নিয়ে। গ্রীক উপকথায় এই অ্যাটারগাটিসই আবার “আফ্রোদিতি” নামে পরিচিত।
এটা আমার বানানো গল্প নয় এটা Wikipedia এর তথ্য। 
উপকথাগুলো থেকে জানা যায় মৎসকন্যাদের গানের গলা এতই চমৎকার ছিল যে সেই গান নাবিকদের কানে পৌঁছালে নাবিকরা সেই গানের উৎসের দিকেই ধাবমান হতো। আর বেশীরভাগ গানের উৎস থাকতো আশেপাশের কোন দূর্গম দ্বীপ। নাবিকরা যখন গানের উৎসের দিকে ছুটতো তখন দ্বিপে ধাক্কা লেগে তাদের জাহাজ চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে সাগরে পতিত। কোন কোন উপকথা অনুযায়ী এই মৎসকন্যারা মানুষদের প্রতি ভীষন বিদ্বেষপূর্ন আবার কোথাও কোথাও কোথাও প্রেমময়।
তবে যাই হোক না কেন, যেসব নাবিকেরা এই মৎসকন্যানের ফাঁদে একবার পড়তো শেষ পর্যন্ত তারা মারা যেতো।  সহজে ব��তে গেলে মৎসকন্যারা ছিলো বর্তমান যুগের মেয়েদের মত ডেন্জারাস। :-P একারনেই বলি ভাই এদের ফাঁদে পাঁ দিবেন না, দিলে জীবন শেষ।  বর্তমান সময়ে মৎসকন্যা দেখার দাবী:
 রুপকথা তো অনেক শুনলেন। এখন দেখি এই কল্পনাকে উঁকি দিয়ে বর্তমানে বা নিকট অতীতে কে কে এই মৎসকন্যাদের দেখেছিলেন বলে দাবী করেছেন? কাহিনী ১:  ১৮১১, অক্টোবর ২৯ ক্যাম্পবেল টাউন, সাগর কুলে ছোট্ট এক স্কটিশ গ্রাম জন মেসিইক ছুটতে ছুটতে শেরিফ কে এসে বলেন এইমাত্র সে সমুদ্রতটে এক মৎসকন্য বসে থাকতে দেখেছে। কাহিনী ২: এ গল্প এডিনবর্গ ইউনিভার্সিটির ন্যাচারাল হিষ্ট্রির প্রফেসর ম্যাক্লিহানকে শুনান এডমন্ডসন নামে এক জাহাজের কাপ্তান। ১৮৩৩, আইল অভ ইয়েল, ছয়জন জেলে নাকি এক মেয়ে কে তাদের জালে আটকায়, তিনফুট লম্বা ওই মেয়ে নাকি জেলেদের নৌকায় উঠার পর তিন ঘন্টা ছিল, সে নাকি জেলেদের সাথে কোন প্রতিরোধ এ যায়নি। শুধু আস্তে আস্তে ফোপাচ্ছিল। ওই মেয়ের নাকি কোন মাছের মত লেজ ছিল না। কিন্ত তার দেহে সামান্য আঁশ ছিল। জেলেরা মারাত্নক ভয় পেয়ে যায় নৌকা আর সাগরের মধ্যে তারা আর প্রতিবন্ধকাতা তৈরি করেনা ইশারায় মেয়েটিকে চলে যেতে বলে। কৃতজ্ঞতার দৃষ্টি হেনে মেয়েটি নিখুত এক লাফ দিয়ে সাগরে চলে যায়। সাগরে নেমে কিছুক্ষন পর আবার ঊঠে ঢেউ এর উপর ভেসে ভেসে তাদের কৃতজ্ঞতা জানায় এবং এক সময় সাগরে হারিয়ে যায়। কাহিনী ৩: ক্রিস্টোফার কলম্বাস এর লগ বুক থেকে জানা যায় তিনি যখন ক্যারিবিয়ান দ্বীপের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন নাকি এক অর্ধমানবী অর্ধমাছ কে সমুদ্রবেলায় বসে থাকতে দেখেছেন। কাহিনী ৪: ১৮৫৭ সালের জুন ৪, ব্রিটিশ শিপিং গ্যাজেট এ লেখা আছে এক স্কটিশ নাবিক নাকি সাগরে মধ্যে ঢেউ এর উপর এক কিশোরী কে বসে থাকতে দেখেছে। কাহিনী ৫: ১৯৪৭ সালে ৮০ বছর বয়স্ক একজন জেলে নাকি উপকুল থেকে ২০ গজ দূরে এক মৎসকন্যা দেখেছিলেন যে নাকি গলদা চিংড়ির দাড়া দিয়ে চুল আচড়াচ্ছিলো, কিন্ত যখনই ওই মৎসকন্যা বুজতে পারল কেউ তাকে দেখছে ওমনি টুপ করে পানির মধ্যে তলিয়ে যায়। এই ছিলো আজকের মৎস কন্যা নিয়ে আমার লেখা। 
0 notes