#narir anggina
Explore tagged Tumblr posts
Video
youtube
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে “নারীর আঙ্গিনার” পক্ষ থেকে কিছু কথা
0 notes
Text
0 notes
Text
শীতের শুরুতেই : সর্দি-কাশি, জ্বর
***********************************************************************
শীতের শুরুতে তাপমাত্রা কমে আসার সাথে সাথে ধুলাবালির উপদ্রব প্রচন্ড পরিমাণে বেড়ে যায়। এজন্য সৃষ্টি হয় স্বাস্থ্যগত কিছু সমস্যা। আর এজন্যেই বেশিরভাগ মানুষের সর্দি-কাশি জ্বর এ ধরনের কমন উপসর্গগুলো দেখা যায়। চিকিৎসকদের কাছে এটি একটি কমন কোল্ড নামে পরিচিত। তবে এর থেকে পরিত্রাণের জন্য এই শীতে কিছু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করলে, আপনার জীবন ��হজ হয়ে যেতে পারে। আজকে এই বিষয়ের উপর আপনাদের কাছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরছি।
আঙ্গিনায় দাঁড়িয়ে মোরা, পৃথিবীর দ্বার খোলো এই স্লোগানকে সামনে রেখে নারীদের নিয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পেতে আমাদের পেজটিকে লাইক করে রাখুন এবং লাইক ও কমেন্টসের মাধ্যমে আপনাদের মূল্যবান মতামত জানান। তাহলে চলুন শুরু করি।
শীতের শুরু হতে না হতেই সর্দি-কাশি ,জ্বর যেন সবারই কমন ব্যাপার। এমন কোন পরিবার খুজে পাওয়া যাবে না যে, শীতের শুরুতে সর্দি-কাশি, জ্বর এই ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যায় না পরে। বিশেষ করে রাতের বেলা নাক বন্ধ থাকা, আর সকাল হলেই নাক থেকে পানি পড়া এটা কমন ব্যাপার হয়ে যায়। সাথে মাথা ব্যথা ও জ্বর এ ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। অনেকের আবার গলা শুকিয়ে গিয়ে শুষ্ক কাশি দেখা দেয়। ফলে কথা বলতেও অনেক সময় অসুবিধা হয়। এ ধরনের কাশি পুরোটা শীত জুড়েই থেকে যায়। অনেক সময় শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। এ রোগটি মূলত ভাইরাস জনিত রোগ। চিকিৎসকদের মতে এ ধরনের ভাইরাস, সর্দি-জ্বরে ভোগাতে পারে দীর্ঘদিন।
অনেকে�� মতে এটি একটি সাধারণ সমস্যা। তবে ভুক্তভোগীরাই জানেন, সমস্যাটি তাদের জন্য কতটুকু পীড়াদায়োক। তবে সতর্কতা অবলম্বন করলে এই শীতের সময়টি আপনি ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবেন।
সাধারণত ঠান্ডা লাগা বা সর্দিজ্বরের বেশ কিছু সাধারণ উপসর্গ থাকে যেগুলো শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে একই রকম হয়ে থাকে। যেমন নাক বন্ধ হওয়া, সর্দি থাকা, গলা ব্যাথা, মাথা ব্যাথা, মাংসপেশীতে ব্যাথা, কাশ, হাঁচি, জ্বর, কানে ও মুখে চাপ অনুভব করা, স্বাদ ও ঘ্রাণের অনুভূতি কমে আসা।
মূলত এই রোগ গুলো ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলেও অনেক সময় এ ভাইরাস আক্রান্ত দেহের মধ্যে, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও দেখা যায়। বিশেষ করে নাকের সর্দি যদি খুব ঘনো হয় বা কাশির সঙ্গে হলুদাভ কফ আসতে থাকে, তা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণকেই নির্দেশ করে। এ রোগে আক্রান্ত হলে বিশ্রাম, প্রচুর পানীয় ও ফলের রস গ্রহণ করতে হবে। খুব বেশি জ্বর, গলাবেথা, কাশি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
শীতের বাতাসে প্রচুর ধুলাবালি ও পরাগরেণু ছড়িয়ে থাকে। চিকিৎসকদের মতে, এই কারণে অ্যালার্জি দেখা দেয়। অ্যালার্জির দরুণ যে কাশি হয় তা শীত শেষ হওয়ার পরে চলে যেতে পারে। গুরুতরো বা একাধিক অ্যালার্জির ক্ষেত্রে চোখ চুলকায়। সর্দি কম, কাশি বেশি হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতে, অ্যালার্জি হলে কী থেকে হচ্ছে তা খুঁজে বের করতে হবে। তারপর ব্যবস্থা নিতে হবে ভালভাবে। অ্যালার্জি হোক বা ঠান্ডা লাগা, উপসর্গে মিল থাকলেও, চিকিৎসার ধরন কিন্তু আলাদা। তা�� ডাক্তার না দেখিয়ে ওষুধ খেতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকরা।
শীতে ঠান্ডা, জ্বর, কাশি থেকে রক্ষা পেতে কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে। ঠান্ডা খাবার ও পানীয় পরিহার করতে হবে। এতে জ্বর ও কাশি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যেতে পারে। এখন থেকেই কুসুম কুসুম গরম পানি পান করার অভ্যেস করে তুলুন। ধুলাবালু এড়িয়ে চলুন। তার জন্য বাইরে বের হলে সব সময় মাক্স পড়ে থাকতে পারেন। ধূমপান এড়িয়ে চলুন। যাদের ধূমপানের অভ্যাস আছে তাদের এই সময়ে কাশি ও হাঁপানি রোগ দেখা দিতে পারে। প্রয়োজন মতো গরম কাপড় পড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ । ঠান্ডা লাগলে, এ ব্যাপারে অলসতা করবেন না। হাতে-পায়ে মোজা, মাথায় টুপি ও গলায় মাফলার ব্যবহার করতে পারেন।
দুপুরের দিকে গোসল সেরে নেওয়ার চে��্টা করবেন। ঠান্ডার সময়ে গোসল করবেন না। দ্রুত গোসল শেষ করার চেষ্টা করুন। ঘরের দরজা-জানালা সব সময় বন্ধ না রেখে মুক্ত ও নির্মল বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখার চেষ্টা করবেন। বিশেষ করে সকাল থেকে বিকেলের আগ পর্যন্ত আলো বাতাস, রোদ প্রবেশ করার সুযোগ দিন।
বয়স্ক ও রোগাক্রান্ত ব্যক্তিরা, শীতের শুরুতেই এলার্জি ও নিউমোনিয়ার টিকা নিয়ে নিতে পারেন। গরম পানি ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার চেষ্টা করবেন।
এছাড়া ঠান্ডা বা সর্দিজ্বর হলে ভিটামিন সি'র ভূমিকা অনেক আগে থেকেই প্রমাণিত। ঠান্ডা পরিবেশে বসবাসকারী মানুষ উচ্চমাত্রায় ভিটামিন সি গ্রহণ করে সর্দিজ্বর বা ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে পারেন বলে প্রমাণিত হয়েছে। ঠান্ডায় আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে তোয়ালে বা গৃহস্থালীতে ব্যবহ্রত তৈজসপত্র শেয়ার করবেন না। সূর্যের আলো বা অন্য কোনো উৎসের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি গ্রহণও শরীরকে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।
তবে যাদের ঠান্ডা বা সর্দি কাশি ধরে গেছে তাদের কিভাবে দ্রুত উপশম লাভ করা সম্ভব সে সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। খুব সামান্য কারণেই ঠান্ডা বা সর্দিজ্বরে আক্রান্ত হতে পারে যে কেউ। সাধারণত কয়েকদিনের মধ্যেই মানুষের সর্দিজ্বর ভালও হয়ে যায়। তবে কয়েকটি উপায়ে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত সময়ে সর্দিজ্বর ভাল করা সম্ভব বলে বলছেন চিকিৎসকরা।
ঘুম মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কাজেই ঠান্ডা বা সর্দিজ্বরের সময় বিশ্রাম নিলে বা বেশি ঘুমালে দ্রুত আরোগ্য লাভ সম্ভব। সর্দিজ্বরের সময় উষ্ণ পরিবেশে থাকা বা উষ্ণ পোশাক পড়ে থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। প্রচুর পরিমাণ পানি বা ফলের রস পানের মাধ্যমে পানিশূন্যতা রোধ করলে ঠান্ডা থেকে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা যেতে পারে। তবে অবশ্যই ঠান্ডা পানীয় নয়।
ঠান্ডার একটি সাধারণ উপসর্গ গলা ব্যাথা। লবণ পানি দিয়ে গড়গড়া করা অথবা লেবু ও মধু দিয়ে হালকা গরম পানীয় তৈরি করে পান করলে গলা ব্যথা ��্রুত উপশম হতে পারে।
ইনফ্লয়েঞ্জা ভাইরাসের লক্ষন এবং এলার্জি ও সর্দিজ্বরের উপসর্গ একই হওয়ায় এই দুই রোগের মধ্যে পার্থক্য করা অনেক সময় অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই দীর্ঘদিন এই সমস্যায় ভুগলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ভিটামিন এ জাতীয় খাবার খেতে পারেন। মিষ্টি আলু, বিটের মূল, কয়েকটি বিশেষ ধরণের কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণ বেটা-ক্যারোটিন থাকে যেটিকে আমাদের দেহ ভিটামিন এ তে রূপান্তরিত করে। ভিটামিন এ আমাদের নাক এবং ফুসফুসের মিউকোসাল লাইনিংকে শক্ত রাখে যা নাক ও ফুসফুসকে ইনফেকশনের হাত থেকে বাঁচায়। পাশাপাশি কমলা, তরমুজসহ লাল ফল একই ধরণের কাজ করে।
এছাড়া খাবারে যথেষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ ও রসুন থাকলেও ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। পেঁয়াজ ও রসুনে এক ধরণের তেল থাকে যা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে।
শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ঊনিশ তিরিশ এর দশোকে ভিটামিন সি ছিল সবচেয়ে প্রচলিত চিকিৎসা। এটি সত্তরের দশোকে এসে আরো বেশি জনপ্রিয় হয় যখন নোবেল বিজয়ী লিনাস পোলিং গবেষণা করে প্রমাণ করেন যে ভিটামিন সি ঠান্ডাজনিত রোগ উপশমে অনেক বেশি কার্যকর।
টানা সাতদিনের বেশি সর্দিজ্বর থাকলে বা টানা তিনদিনের বেশি সর্দির সাথে উচ্চমাত্রায় জ্বর থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিৎ।
শিশুদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শো নেয়ার ক্ষেত্রে সাতদিন অপেক্ষা না করা। শিশুদের তিনদিনের বেশি সর্দি থাকলেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
শীতে অসুস্থতা এড়াতে ভোরবেলা হাঁটতে বেরোবেন না। ভাসমান ধূলি কনা খুব ঠান্ডা পড়লে বেশি থাকে, সূর্য ওঠার পর তাপমাত্রা বাড়লে বেরোবেন। সান্ধ্যভ্রমণ এড়িয়ে চলুন।
লেখাটি ভালো লাগলে লাইক ও কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আঙ্গিনার সাথেই থাকুন।
#নারীর আঙ্গিনা#Narir Anggina#সর্দি কাশি হলে কি খাওয়া উচিত না#সর্দি কাশি গলা ব্যথার ওষুধ#জ্বর সর্দি হলে কি খাওয়া উচিত#শীতের শুরুতেই সর্দি কাশি জ্বর#সর্দি কাশি জ্বর দূর করার উপায়#Winter Cold#Cough#সর্দি কাশি দূর করার উপায়#সর্দি কাশি#health tips#bangla health tips#বাংলা health টিপস
0 notes
Text
0 notes