#সর্দি কাশি
Explore tagged Tumblr posts
Text
শীতের শুরুতেই : সর্দি-কাশি, জ্বর
***********************************************************************
শীতের শুরুতে তাপমাত্রা কমে আসার সাথে সাথে ধুলাবালির উপদ্রব প্রচন্ড পরিমাণে বেড়ে যায়। এজন্য সৃষ্টি হয় স্বাস্থ্যগত কিছু সমস্যা। আর এজন্যেই বেশিরভাগ মানুষের সর্দি-কাশি জ্বর এ ধরনের কমন উপসর্গগুলো দেখা যায়। চিকিৎসকদের কাছে এটি একটি কমন কোল্ড নামে পরিচিত। তবে এর থেকে পরিত্রাণের জন্য এই শীতে কিছু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করলে, আপনার জীবন সহজ হয়ে যেতে পারে। আজকে এই বিষয়ের উপর আপনাদের কাছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরছি।
আঙ্গিনায় দাঁড়িয়ে মোরা, পৃথিবীর দ্বার খোলো এই স্লোগানকে সামনে রেখে নারীদের নিয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পেতে আমাদের পেজটিকে লাইক করে রাখুন এবং লাইক ও কমেন্টসের মাধ্যমে আপনাদের মূল্যবান মতামত জানান। তাহলে চলুন শুরু করি।
শীতের শুরু হতে না হতেই সর্দি-কাশি ,জ্বর যেন সবারই কমন ব্যাপার। এমন কোন পরিবার খুজে পাওয়া যাবে না যে, শীতের শুরুতে সর্দি-কাশি, জ্বর এই ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যায় না পরে। বিশেষ করে রাতের বেলা নাক বন্ধ থাকা, আর সকাল হলেই নাক থেকে পানি পড়া এটা কমন ব্যাপার হয়ে যায়। সাথে মাথা ব্যথা ও জ্বর এ ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। অনেকের আবার গলা শুকিয়ে গিয়ে শুষ্ক কাশি দেখা দেয়। ফলে কথা বলতেও অনেক সময় অসুবিধা হয়। এ ধরনের কাশি পুরোটা শীত জুড়েই থেকে যায়। অনেক সময় শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। এ রোগটি মূলত ভাইরাস জনিত রোগ। চিকিৎসকদের মতে এ ধরনের ভাইরাস, সর্দি-জ্বরে ভোগাতে পারে দীর্ঘদিন।
অনেকের মতে এটি একটি সাধারণ সমস্যা। তবে ভুক্তভোগীরাই জানেন, সমস্যাটি তাদের জন্য কতটুকু পীড়াদায়োক। তবে সতর্কতা অবলম্বন করলে এই শীতের সময়টি আপনি ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবেন।
সাধারণত ঠান্ডা লাগা বা সর্দিজ্বরের বেশ কিছু সাধারণ উপসর্গ থাকে যেগুলো শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে একই রকম হয়ে থাকে। যেমন নাক বন্ধ হওয়া, সর্দি থাকা, গলা ব্যাথা, মাথা ব্যাথা, মাংসপেশীতে ব্যাথা, কাশ, হাঁচি, জ্বর, কানে ও মুখে চাপ অনুভব করা, স্বাদ ও ঘ্রাণের অনুভূতি কমে আসা।
মূলত এই রোগ গুলো ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলেও অনেক সময় এ ভাইরাস আক্রান্ত দেহের মধ্যে, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও দেখা যায়। বিশেষ করে নাকের সর্দি যদি খুব ঘনো হয় বা কাশির সঙ্গে হলুদাভ কফ আসতে থাকে, তা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণকেই নির্দেশ করে। এ রোগে আক্রান্ত হলে বিশ্রাম, প্রচুর পানীয় ও ফলের রস গ্রহণ করতে হবে। খুব বেশি জ্বর, গলাবেথা, কাশি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
শীতের বাতাসে প্রচুর ধুলাবালি ও পরাগরেণু ছড়িয়ে থাকে। চিকিৎসকদের মতে, এই কারণে অ্যালার্জি দেখা দেয়। অ্যালার্জির দরুণ যে কাশি হয় তা শীত শেষ হওয়ার পরে চলে যেতে পারে। গুরুতরো বা একাধিক অ্যালার্জির ক্ষেত্রে চোখ চুলকায়। সর্দি কম, কাশি বেশি হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতে, অ্যালার্জি হলে কী থেকে হচ্ছে তা খুঁজে বের করতে হবে। তারপর ব্যবস্থা নিতে হবে ভালভাবে। অ্যালার্জি হোক বা ঠান্ডা লাগা, উপসর্গে মিল থাকলেও, চিকিৎসার ধরন কিন্তু আলাদা। তাই ডাক্তার না দেখিয়ে ওষুধ খেতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকরা।
শীতে ঠান্ডা, জ্বর, কাশি থেকে রক্ষা পেতে কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে। ঠান্ডা খাবার ও পানীয় পরিহার করতে হবে। এতে জ্বর ও কাশি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যেতে পারে। এখন থেকেই কুসুম কুসুম গরম পানি পান করার অভ্যেস করে তুলুন। ধুলাবালু এড়িয়ে চলুন। তার জন্য বাইরে বের হলে সব সময় মাক্স পড়ে থাকতে পারেন। ধূমপান এড়িয়ে চলুন। যাদের ধূমপানের অভ্যাস আছে তাদের এই সময়ে কাশি ও হাঁপানি রোগ দেখা দিতে পারে। প্রয়োজন মতো গরম কাপড় পড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ । ঠান্ডা লাগলে, এ ব্যাপারে অলসতা করবেন না। হাতে-পায়ে মোজা, মাথায় টুপি ও গলায় মাফলার ব্যবহার করতে পারেন।
দুপুরের দিকে গোসল সেরে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। ঠান্ডার সময়ে গোসল করবেন না। দ্রুত গোসল শেষ করার চেষ্টা করুন। ঘরের দরজা-জানালা সব সময় বন্ধ না রেখে মুক্ত ও নির্মল বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা ��াখার চেষ্টা করবেন। বিশেষ করে সকাল থেকে বিকেলের আগ পর্যন্ত আলো বাতাস, রোদ প্রবেশ করার সুযোগ দিন।
বয়স্ক ও রোগাক্রান্ত ব্যক্তিরা, শীতের শুরুতেই এলার্জি ও নিউমোনিয়ার টিকা নিয়ে নিতে পারেন। গরম পানি ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার চেষ্টা করবেন।
এছাড়া ঠান্ডা বা সর্দিজ্বর হলে ভিটামিন সি'র ভূমিকা অনেক আগে থেকেই প্রমাণিত। ঠান্ডা পরিবেশে বসবাসকারী মানুষ উচ্চমাত্রায় ভিটামিন সি গ্রহণ করে সর্দিজ্বর বা ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে পারেন বলে প্রমাণিত হয়েছে। ঠান্ডায় আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে তোয়ালে বা গৃহস্থালীতে ব্যবহ্রত তৈজসপত্র শেয়ার করবেন না। সূর্যের আলো বা অন্য কোনো উৎসের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি গ্রহণও শরীরকে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।
তবে যাদের ঠান্ডা বা সর্দি কাশি ধরে গেছে তাদের কিভাবে দ্রুত উপশম লাভ করা সম্ভব সে সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। খুব সামান্য কারণেই ঠান্ডা বা সর্দিজ্বরে আক্রান্ত হতে পারে যে কেউ। সাধারণত কয়েকদিনের মধ্যেই মানুষের সর্দিজ্বর ভালও হয়ে যায়। তবে কয়েকটি উপায়ে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত সময়ে সর্দিজ্বর ভাল করা সম্ভব বলে বলছেন চিকিৎসকরা।
ঘুম মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কাজেই ঠান্ডা বা সর্দিজ্বরের সময় বিশ্রাম নিলে বা বেশি ঘুমালে দ্রুত আরোগ্য লাভ সম্ভব। সর্দিজ্বরের সময় উষ্ণ পরিবেশে থাকা বা উষ্ণ পোশাক পড়ে থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। প্রচুর পরিমাণ পানি বা ফলের রস পানের মাধ্যমে পানিশূন্যতা রোধ করলে ঠান্ডা থেকে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা যেতে পারে। তবে অবশ্যই ঠান্ডা পানীয় নয়।
ঠান্ডার একটি সাধারণ উপসর্গ গলা ব্যাথা। লবণ পানি দিয়ে গড়গড়া করা অথবা লেবু ও মধু দিয়ে হালকা গরম পানীয় তৈরি করে পান করলে গলা ব্যথা দ্রুত উপশম হতে পারে।
ইনফ্লয়েঞ্জা ভাইরাসের লক্ষন এবং এলার্জি ও সর্দিজ্বরের উপসর্গ একই হওয়ায় এই দুই রোগের মধ্যে পার্থক্য করা অনেক সময় অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই দীর্ঘদিন এই সমস্যায় ভুগলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ভিটামিন এ জাতীয় খাবার খেতে পারেন। মিষ্টি আলু, বিটের মূল, কয়েকটি বিশেষ ধরণের কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণ বেটা-ক্যারোটিন থাকে যেটিকে আমাদের দেহ ভিটামিন এ তে রূপান্তরিত করে। ভিটামিন এ আমাদের নাক এবং ফুসফুসের মিউকোসাল লাইনিংকে শক্ত রাখে যা নাক ও ফুসফুসকে ইনফেকশনের হাত থেকে বাঁচায়। পাশাপাশি কমলা, তরমুজসহ লাল ফল একই ধরণের কাজ করে।
এছাড়া খাবারে যথেষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ ও রসুন থাকলেও ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। পেঁয়াজ ও রসুনে এক ধরণের তেল থাকে যা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে।
শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ঊনিশ তিরিশ এর দশোকে ভিটামিন সি ছিল সবচেয়ে প্রচলিত চিকিৎসা। ��টি সত্তরের দশোকে এসে আরো বেশি জনপ্রিয় হয় যখন নোবেল বিজয়ী লিনাস পোলিং গবেষণা করে প্রমাণ করেন যে ভিটামিন সি ঠান্ডাজনিত রোগ উপশমে অনেক বেশি কার্যকর।
টানা সাতদিনের বেশি সর্দিজ্বর থাকলে বা টানা তিনদিনের বেশি সর্দির সাথে উচ্চমাত্রায় জ্বর থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিৎ।
শিশুদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শো নেয়ার ক্ষেত্রে সাতদিন অপেক্ষা না করা। শিশুদের তিনদিনের বেশি সর্দি থাকলেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
শীতে অসুস্থতা এড়াতে ভোরবেলা হাঁটতে বেরোবেন না। ভাসমান ধূলি কনা খুব ঠান্ডা পড়লে বেশি থাকে, সূর্য ওঠার পর তাপমাত্রা বাড়লে বেরোবেন। সান্ধ্যভ্রমণ এড়িয়ে চলুন।
লেখাটি ভালো লাগলে লাইক ও কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আঙ্গিনার সাথেই থাকুন।
#নারীর আঙ্গিনা#Narir Anggina#সর্দি কাশি হলে কি খাওয়া উচিত না#সর্দি কাশি গলা ব্যথার ওষুধ#জ্বর সর্দি হলে কি খাওয়া উচিত#শীতের শুরুতেই সর্দি কাশি জ্বর#সর্দি কাশি জ্বর দূর করার উপায়#Winter Cold#Cough#সর্দি কাশি দূর করার উপায়#সর্দি কাশি#health tips#bangla health tips#বাংলা health টিপস
0 notes
Text
বর্ষায় সর্দি, শুকনো কাশিতে নাজেহাল? আরাম পেতে রইল ঘরোয়া টোটকা
Dry Cough Home Remedies: ডাক্তারের পরামর্শমতো ওষুধ ও পথ্য তো খেতেই হবে। পাশাপাশি সাময়িক আরাম পেতে রয়েছে ঘরোয়া টোটকাও। সেরকমই কিছু টোটকার হদিশ Source link
View On WordPress
#dry cough and cold#home remedies to get rid of cough and cold#ঘরোয়া টোটকা#বর্ষাকালে শুকনো সর্দি কাশি#সর্দিকাশি সারাতে ঘরোয়া টোটকা#সর্দিকাশি হলে কী খাবেন Dry Cough Home Remedies
0 notes
Text
ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে ১০টি তথ্য জেনে নিন
ডেঙ্গুর জ্বর নিয়ে অনেক মানুষের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। কারণ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বা মৃত্যুর সংখ্যা একেবারে কম নয়।
কোন শরীরে কোন লক্ষণ দেখলে আপনি বুঝবেন যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন এবং সেক্ষেত্রে আপনার করণীয় কী হতে পারে?
১. ডেঙ্গুর লক্ষণগুলো কী?
সাধারণভাবে ডেঙ্গুর লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। ১০১ ডিগ্রি থেকে ১০২ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকতে পারে। জ্বর একটানা থাকতে পারে, আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেবার পর আবারো জ্বর আসতে পারে। এর সাথে শরীরে ব্যথা মাথাব্যথা, চেখের পেছনে ব্যথা এবং চামড়ায় লালচে দাগ (র��্যাশ) হতে পারে। তবে এগুলো না থাকলেও ডেঙ্গু হতে পারে।
২. জ্বর হলেই কি চিন্তিত হবেন?
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এবিএম আবদুল্লাহবলছেন, এখন যেহেতু ডেঙ্গুর সময়, সেজন্য জ্বর হল অবহেলা করা উচিত নয়।
জ্বরে আক্রান্ত হলেই সাথে-সাথে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার প��ামর্শ দিচ্ছেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ।
তিনি বলছেন, ''ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, তারা জ্বরকে অবহেলা করেছেন। জ্বরের সাথে যদি সর্দি- কাশি, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কিংবা অন্য কোন বিষয় জড়িত থাকে তাহলে সেটি ডেঙ্গু না হয়ে অন্যকিছু হতে পারে। তবে জ্বর হলেই সচেতন থাকতে হবে।''
৩. বিশ্রামে থাকতে হবে
সরকারের কমিউনিক্যাবল ডিজিজ কন্ট্রোল বা সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ বিভাগের অন্যতম পরিচালক ড. সানিয়া তাহমিনা বলেন, ''জ্বর হলে বিশ্রামে থাকতে হবে। তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন, জ্বর নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করা উচিত নয়। একজন ব্যক্তি সাধারণত প্রতিদিন যেসব পরিশ্রমের কাজ করে, সেগুলো না করাই ভালো। পরিপূর্ণ বিশ্রাম প্রয়োজন।''
৪. কী খাবেন?
প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। যেমন - ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের জুস এবং খাবার স্যালাইন গ্রহণ করা যেতে পারে। এমন নয় যে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে, পানি জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে।
৫. যেসব ঔষধ খাওয়া উচিত নয়
অধ্যাপক তাহমিনা বলেন, ''ডেঙ্গু জ্বর হলে প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে। স্বাভাবিক ওজনের একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন সর্বোচ্চ চারটি প্যারাসিটামল খেতে পারবে।''
চিকিৎসকরা বলছেন, প্যারাসিটামলের সর্বোচ্চ ডোজ হচ্ছে প্রতিদিন চার গ্রাম। কিন্তু কোন ব্যক্তির যদি লিভার, হার্ট এবং কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা থাকে, তাহলে প্যারাসিটামল সেবনের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে গায়ে ব্যথার ��ন্য অ্যাসপিরিন জাতীয় ঔষধ খাওয়া যাবে না। ডেঙ্গুর সময় অ্যাসপিরিন জাতীয় ঔষধ গ্রহণ করলে রক্তক্ষরণ হতে পারে।
৬. প্ল্যাটিলেট বা রক্তকণিকা নিয়ে চিন্তিত?
ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে প্ল্যাটিলেট বা রক্তকণিকা এখন আর মূল ফ্যাক্টর নয় বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক তাহমিনা।
তিনি বলেন, ''প্ল্যাটিলেট কাউন্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন হবার কোন প্রয়োজন নেই। বিষয়টি চিকিৎসকের উপর ছেড়ে দেয়াই ভালো।''
সাধারণত একজন মানুষের রক্তে প্ল্যাটিলেট কাউন্ট থাকে দেড়-লাখ থেকে সাড়ে চার-লাখ পর্যন্ত।
৭. ডেঙ্গু হলেই কি হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়?
ডেঙ্গু জ্বরের তিনটি ভাগ রয়েছে।
এ ভাগগুলো হচ্ছে - 'এ', 'বি' এবং 'সি'।
প্রথম ক্যাটাগরির রোগীরা নরমাল থাকে। তাদের শুধু জ্বর থাকে। অধিকাংশ ডেঙ্গু রোগী 'এ' ক্যাটাগরির।
তাদের হাসপাতালে ভর্তি হবার কোন প্রয়োজন নেই। 'বি' ক্যাটাগরির ডেঙ্গু রোগীদের সবই স্বাভাবিক থাকে, কিন্তু শরীরে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। যেমন তার পেটে ব্যথা হতে পারে, বমি হতে পারে প্রচুর কিংবা সে কিছুই খেতে পারছে না।
অনেক সময় দেখা যায়, দুইদিন জ্বরের পরে শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যায়। এক্ষেত্রে হাসপাতাল ভর্তি হওয়াই ভালো।
'সি' ক্যাটাগরির ডেঙ্গু জ্বর সবচেয়ে খারাপ। কিছু-কিছু ক্ষেত্রে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউ'র প্রয়োজন হতে পারে।
৮. ডেঙ্গুর জ্বরের সময়কাল
সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ থাকে। কারণ এ সময়টিতে এডিস মশার বিস্তার ঘটে।
কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গু জ্বরের সময়কাল আরো এগিয়ে এসেছে। এখন জুন মাস থেকেই ডেঙ্গু জ্বরের সময় শুরু হয়ে যাচ্ছে।
৯. এডিস মশা কখন কামড়ায়
ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী এডিস মশা অন্ধকারে কামড়ায় না। সাধারণত সকালের দিকে এবং সন্ধ্যার কিছু আগে এডিস মশা তৎপর হয়ে উঠে। এডিস মশা কখনো অন্ধকারে কামড়ায় না।
১০. পানি জমিয়ে না রাখা
অধ্যাপক আবদুল্লাহ বলছেন, ''এডিস মশা 'ভদ্র মশা' হিসেবে পরিচিত। এসব মশা সুন্দর-সুন্দর ঘরবাড়িতে বাস করে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এডিস মশা সাধারণত ডিম পাড়ে স্বচ্ছ পানিতে। কোথাও যাতে পানি তিন থেকে পাঁচদিনের বেশি জমা না থাকে।
এ পানি যে কোন জায়গায় জমতে পারে। বাড়ির ছাদে কিংবা বারান্দার ফুলের টবে, নির্মাণাধীন ভবনের বিভিন্ন পয়েন্টে, রাস্তার পাশে পড়ে থাকা টায়ার কিংবা অন্যান্য পাত্রে জমে থাকা পানিতে এডিস মশা বংশবিস্তার করে।
1 note
·
View note
Text
ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গ
ডেঙ্গু জ্বর একটি এডিস মশা বাহিত ভাইরাস জনিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ব্যাধি। এই রোগের বেশ কিছু উপসর্গ রয়েছে যা দেখে এই রোগের প্রভাব সম্পর্কে জানা যায়। নিম্নে তা প্রদান করা হলঃ
হঠাৎ ১০৪-১০৫ ডিগ্রি জ্বর সাথে মাথা ব্যথা।
চোখে বা চোখের পিছনে ব্যথা বা আলোর দিকে তাকাতে সমস্যা হওয়া।
মাংসপেশী ও হাড়ের সংযোগস্থলে প্রচণ্ড ব্যথা হওয়া।
শরীরের চামড়ায় লালচে ছোপ বা র্যাশ ওঠা।
বমিভাব, বমি হওয়া ও খাওয়ার অরুচি হওয়া।
ব্রাশ করতে গিয়ে মুখ ও দাঁতের গোড়া এবং নাক দিয়ে রক্ত পড়া।
ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হওয়া।
চার-পাঁচদিনের মধ্যে জ্বর সেরে যাওয়া।
প্ল্যাটিলেট কমে যাওয়া।
তবে এইবারের ডেঙ্গু জ্বরের চিত্রটা অনেকটাই ভিন্ন। দেখা যাচ্ছে, জ্বরের তাপমাত্রা খুব বাড়ছে না, শরীরের ব্যথাও তেমন হচ্ছে না। সাধারণ জ্বর, সর্দি, কাশি, মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা। অথচ এক দুইদিন পর শরীরের অবস্থার অবনতি ঘটছে। অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর পাল্স পাওয়া যায় না, ব্লাড প্রেসার কমে যায়, প্রভাব হয় না, কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি রোগী অজ্ঞানও হয়ে যায়। ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গগুলি সাধারণত তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে দেখা দেয় এবং প্রায় এক সপ্তাহের মধ্যে শিথিল হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর মৃদু বা গুরুতর ফর্ম দেখা যেতে পারে, যা জীবনঘাতীও হতে পারে।
See More: ডেঙ্গু থেকে বাচার উপায় জানুন
বাংলাদেশের অন্যতম আকুপাংচার �� পেইন এন্ড প্যারালাইসিস বিশেষজ্ঞ ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম ঔষধ বিহীন চিকিৎসা প্রদান করে আসছেন। বিভিন্ন রকমের ব্যথার চিকিৎসায় ব্যপক সফলতা অর্জন করেছে। তিনি বাংলাদেশের সেরা ব্যথার ডাক্তার (Best Pain Doctor) হিসেবেও পরিচিত। দেশ সহ বিদেশেও ব্যপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন Dr. Shahidul Islam। বর্তমানে তিনি শান্তিনগর শশী হাসপাতালে চীফ ভিজিটিং কনসাল্টেন্ট হিসেবে কর্মরত আছেন।
0 notes
Text
ডাঃ দীলরুবা সুলতানা
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য) এসিপিএস (শিশু রোগ)নবজাতক, শিশু ও কিশোর রোগ বিশেষজ্ঞ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চেম্বার বায়োল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টারসময়: শনি থেকে বৃহস্পতি: বিকাল ৩টা – রাত ৯টা সিরিয়ালের জন্য কল করুন: 01317-823580 যে সকল রোগের চিকিৎসা প্রদান করবেন শিশুদের জ্বর, সর্দি-কাশি শিশুদের নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট শিশুদের হজম জনিত সমস্যা শিশুদের আচরণে সমস্যা শিশুদের খিটখিটে…
View On WordPress
0 notes
Text
গর্ভাবস্থায় কাশি হলে করণীয় । গর্ভাবস্থায় কাশির সিরাপ খাওয়া যাবে কি
গর্ভাবস্থায় কাশি হলে করণীয় কি জানতে পাঠকদের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক কৌতূহল। গর্ভাবস্থায় সর্দি-কাশি মূলত একটি ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি উপরের শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা যা আপনার স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। গর্ভাবস্থায় মহিলাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আগের তুলনায় কম থাকে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাধারণ জ্বর, সর্দি, কাশির সমস্যা দেখা দেয়। গর্ভাবস্থায় সর্দি বেশি সমস্যা এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করে। এ সময় সহজে কোনো ওষুধ খাওয়া যায় না। কাশি এবং হাঁচি ছাড়াও, সাধারণ সর্দি নাক বন্ধ, সর্দি, গলা ব্যথা এবং হাঁচির মতো আরও অনেক সমস্যার কারণ হতে পারে। গর্ভাবস্থায় সর্দি কাশি বিষয়গুলো ছোট হলেও বিষয়গুলো খুবই গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকের আর্টিকেলে আমরা গর্ভাবস্থায় কাশি হলে করণীয় কি, গর্ভাবস্থায় কাশির সিরাপ খাওয়া যাবে কি, গর্ভাবস্থায় কাশি হলে বাচ্চার কি ক্ষতি হয় এবং গর্ভাবস্থায় যে সকল কাশির সিরাপ এড়িয়ে চলবেন ইত্যাদি গর্ভাবস্থায় সর্দি-কাশি সংক্রান্ত সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। চলুন তাহলে শুরু করা যাক:
0 notes
Link
বর্তমান আবহাওয়া যেন যুৎসই নয়। এই
0 notes
Link
0 notes
Text
সর্দির সাথে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ?
সর্দির সাথে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ স্বাভাবিক ঘটনা হলেও যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে অবশ্যই সিরিয়াসলি নিতে হবে। ঠাণ্ডা-কাশি,সর্দি-কাশি, ঠাণ্ডা লাগা বা সর্দি-জ্বর এক ধরনের ভাইরাসঘটিত সংক্রামক রোগ যা মানবদেহের ঊর্ধ্ব শ্বাসপথ বিশেষ করে নাকে আক্রমণ করে থাকে। এছাড়া এই রোগে গলবিল, অস্থিগহ্বর ও স্বরযন্ত্রও আক্রান্ত হতে পারে। ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হবার দুই দিন পর বা তারও আগেই এই রোগের লক্ষণ ও উপসর্গগুলি…
View On WordPress
0 notes
Link
1 note
·
View note
Link
করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের নতুন একটি উপধরনের মাঝে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এ অবস্থায় ওই ভাইরাসটিকে ‘আগ্রহের বিষয়’ হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বুধবার রাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেএন-১ নামের ওই ধরনটি ভারত, চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের অনেক দেশেই পাওয়া গেছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করে, এই ভাইরাসটি ভ্যাকসিন নেওয়া মানুষদের জন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তারপরও এই শীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি। উত্তর গোলার্ধে ইতিমধ্যেই সর্দি-কাশি, শ্বাসযন্ত্রে ভাইরাস সংক্রমণসহ শিশুদের নিউমোনিয়ার প্রবণতা বেড়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার জন্য দায়ী কোভিড-১৯ ভাইরাস সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমাগত পরিবর্তিত হয় এবং কখনো কখনো এটি নতুন রূপের বিকাশ ঘটায়। উদাহরণস্বরূপ—ওমিক্রন ধরনটির কথাই ধরা যাক। মহামারির শেষের দিকে এটি করোনার শক্তিশালী ধরন হিসেবে বিশ্বজুড়ে আত্মপ্রকাশ করেছিল। সেই ওমিক্রনেরই উপধরন জেএন-১। মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও নিরাময় কেন্দ্রের তথ্য অনুসারে—দেশটিতে বর্তমানে জেএন-১ ধরনটিই সবচেয়ে দ্রুত এবং বেশি হারে ছড়াচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২৯ শতাংশ মানুষই এই ধরনে আক্রান্ত হয়েছেন। চলমান শীতের মধ্যে এটি বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তা ছাড়া এখন পর্যন্ত যেসব ভ্যাকসিন নেওয়া হয়েছে সেগুলো এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর—সেই বিষয়ে প্রমাণ এখনো সীমিত। এ অবস্থায় নতুন ভাইরাসটিকে এড়ানোর জন্য কিছু পরামর্শও দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জনসাধারণের ভিড় এবং আবদ্ধ স্থানগুলোতে মুখে মাস্ক পরিধান করা ছাড়াও হাঁচি-কাশি ঢেকে রাখা, প্রতিদিন হাত পরিষ্কার করা, আপডেট ভ্যাকসিনগুলো নেওয়া, অসুস্থ হলে বাড়িতে থাকা এবং সন্দেহ হলে পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।!function(f,b,e,v,n,t,s) if(f.fbq)return;n=f.fbq=function()n.callMethod? n.callMethod.apply(n,arguments):n.queue.push(arguments); if(!f._fbq)f._fbq=n;n.push=n;n.loaded=!0;n.version='2.0'; n.queue=[];t=b.createElement(e);t.async=!0; t.src=v;s=b.getElementsByTagName(e)[0]; s.parentNode.insertBefore(t,s)(window,document,'script', 'https://connect.facebook.net/en_US/fbevents.js'); fbq('init', '789528345043763'); fbq('track', 'PageView'); #করনর #নতন #ধরনট #আমল #নয়ছ #বশব #সবসথয #সসথ #সরকষর #পরমরশ
0 notes
Text
শিশুর নিউমোনিয়া ঠেকাতে যা করবেন
নিউমোনিয়া হলো শ্বাসনালি ও ফুসফুসের সংক্রমণ। ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার কারণে হতে পারে এই সংক্রমণ। বিশ্বে প্রতিবছর লাখ লাখ নবজাতক ও শিশু নিউমোনিয়ায় মারা যায়। বাংলাদেশেও শিশুমৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ এই প্রতিরোধযোগ্য রোগ।
ঝুঁকিতে যেসব শিশু
যে নবজাতককে জন্মের পরপর শালদুধ খাওয়ানো হয়নি।
বুকের দুধের পরিবর্তে যে শিশুকে কৌটার দুধ খাওয়ানো হয়।
পুষ্টিহীনতায় ভোগা শিশু।
যাদের ভিটামিন এ-র অভাব আছে।
সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির আওতাধীন টিকাগুলো (বিসিজি, ডিপিটি, নিউমোনিয়া ও হাম) যে শিশুকে দেওয়া হয়নি।
জন্মগতভাবে যে শিশুর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম।
হামে আক্রান্ত শিশু। হামের সবচেয়ে বড় জটিলতা হলো নিউমোনিয়া।
নিউমোনিয়ার লক্ষণ
শিশুর সর্দি, কাশি, সামান্য জ্বর, নাকে বা বুকে কিছু শব্দ হলেই মনে করবেন না নিউমোনিয়া হয়েছে। সর্দি, জ্বর, কাশি শিশুদের হরহামেশাই হয়, এর বেশির ভাগই ফ্লু, তাই ঘাবড়াবেন না। যেকোনো শিশু বছরে চার থেকে পাঁচবার ঠান্ডায় আক্রান্ত হতে পারে, বিশেষ করে শহরের শিশু।
তবে শিশুর জ্বর, সর্দি, কাশি বা শ্বাসকষ্ট হলে খেয়াল করুন বুকের পাঁজরের নিচের অংশ ভেতর দিকে দেবে যাচ্ছে কি না, অথবা শিশু দ্রুত শ্বাস নিচ্ছে কি না। এই লক্ষণগুলো থাকলে বুঝতে হবে শিশুর নিউমোনিয়া হয়েছে। আরও কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যেমন বমি বমি ভাব, খাবারে অনীহা, নিস্তেজ হয়ে পড়া, শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি বেড়ে যাওয়া।
নিউমোনিয়া ছাড়াও আরও যেসব কারণে শিশুর কাশি হয়
ভাইরাসজনিত ব্রঙ্কিওলাইটিস
ফরেন বডি শ্বাসনালিতে ঢুকে পড়া
শ্বাসনালির জন্মগত সমস্যা
যক্ষ্মা
হুপিং কাশি। যক্ষ্মায় ও হুপিং কাশিতে সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী কাশি থাকে
নিউমোনিয়ার চিকিৎসা
সব সর্দি-কাশিই নিউমোনিয়া নয়। সাধারণ সর্দি-কাশির জন্য কোনো অ্যান্টিবায়োটিক লাগে না। কিন্তু অনেক সময় মা-বাবা নিকটস্থ ফার্মেসি থেকে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে শিশুকে খাওয়ান বা আগে কখনো দেওয়া হয়েছিল, সেটা আবার কিনে খাওয়ান। এই প্রবণতা শিশুর জন্য ক্ষতিকর। পরবর্তী সময় অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করে না। তাই শিশুর ঠান্ডা-জ্বর-কাশি হলে অস্থির হবেন না। জেনে নিন প্রথমে বাড়িতে কী করবেন—
জ্বর থাকলে প্যারাসিটামল খাইয়ে দিন।
নরম কাপড় ভিজিয়ে শরীর মুছে দিন।
নাক বন্ধ থাকলে লবণ পানির ড্রপ দিয়ে নাক পরিষ্কার করে দিন। এই ড্রপ কিনতে পাওয়া যায়।
সামান্য কাশির জন্য কোনো ওষুধের প্রয়োজন নেই। শিশুর বয়স ছয় মাসের বেশি হলে গরম পানি, মধু ও লেবু অথবা তুলসীপাতার রসে মধু মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন।
যদি কাশির সঙ্গে শব্দ হয় বা রাতের বেলা কাশি বাড়ে, তাহলে সালবিউটামল–জাতীয় সিরাপ দিতে পারেন। সঙ্গে বুকের দুধের পাশাপাশি বাসার সব ধরনের খাবার খেতে দিতে হবে।
অনেকের ধারণা, কলা বা অন্য��ন্য ফল খেলে শিশুর ঠান্ডা বেড়ে যাবে, ধারণাটি সত্যি নয়।
শিশুকে ��্রতিদিন কুসুমগরম পানি দিয়ে গোসল করান।
ঘরের দরজা–জানালা খুলে রাখুন যেন ঘরে পর্যাপ্ত আলো–বাতাস প্রবেশ করতে পারে।
ছোট শিশুকে বারবার মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
নাক বন্ধ থাকলে অনেক মা-বাবা নেবুলাইজ করান। ডাক্তারও নেবুলাইজ করতে বলেন। এই পদ্ধতিতে যে ওষুধ ব্যবহার করা হয়, তা আসলে ফুসফুসে কাজ করে। বন্ধ নাক বা গলায় শব্দ হলে নেবুলাইজেশনে কাজ হয় না। শুধু শিশুর কাশি বেশি হলে বা শিশু কাশির জন্য ঘুমাতে না পারলে বা বমি হলে নেবুলাইজ করতে হয়, যাকে বাবা–মায়েরা সচরাচর বলেন গ্যাস দেওয়া।
কখন হাসপাতালে নিতে হবে
শিশু নিস্তেজ হয়ে যেতে থাকলে খেতে না পারলে খিঁচুনি হলে কোঁকাতে থাকলে হাত–পা নীল হয়ে গেলে
কোনোভাবেই কান্না থামাতে না পারলে
নিউমোনিয়ায় যেসব জটিলতা হতে পারে
হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতা কমে যাওয়া।
অক্সিজেন–স্বল্পতার কারণে খিঁচুনি।
অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
প্রতিরোধ
আগেই বলা হয়েছে নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করা যায়। প্রতিরোধের জন্য শিশুর জন্মের পরপরই শালদুধ খেতে দিন এবং ছয় মাস পর্যন্ত শুধু বুকের দুধ খাওয়ান। বোতল দিয়ে কৌটার দুধ খাওয়াবেন না। ছয় মাস পর থেকে বুকের দুধের পাশাপাশি বাসায় বানানো সুষম খাবার শিশুকে খেতে দিন। খাবারে সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল রাখুন যেন শিশুর ভিটামিন এ-এর অভাব না হয়।
শিশুকে সময়মতো রোগপ্রতিরোধী টিকা দিন। শিশুর সামনে ধূমপান করবেন না, পরোক্ষ ধূমপান শিশুর ফুসফুসের ক্ষতি করে, বাড়িয়ে দেয় নিউমোনিয়ার আশঙ্কা।
লেখক: অধ্যাপক ও শিশুরোগবিশেষজ্ঞ
0 notes
Text
দীর্ঘ সময় ধরে সর্দি-কাশি কতটা বিপজ্জনক হতে পারে? জানেন কি
কাশির জন্য কি আমাদের লাইফস্টাইল দায়ী? অতিরিক্ত কাশি থেকে কী কী সমস্যা হতে পারে? কাফ এটিকেট এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কেন? শুকনো কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া পদ্ধতি কী কী হতে
পারে? কাশি ও শ্বাসযন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যায় পরামর্শ দিলেন ডাঃ দোলনচাঁপা দাশগুপ্ত (Dolanchampa Dasgupta, General Chest Practitioner
কাশি , হাঁচি , কাফ এটিকেট , লাইফস্টাইল , শুকনো কাশি , ঘরোয়া পদ্ধতি , শ্বাসযন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যা , ডাঃ দোলনচাঁপা দাশগুপ্ত , ইনহেলার, যক্ষা প্রতিরোধ ,
youtube
��িনোদনের খবর , পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি ,
Stay connected and follow us for more content like this ! We are active on Facebook, Instagram and YouTube, where you will find a collection full of inspiring posts. Join our community and embark on a journey of cultural exploration and artistic wonder. Be a part of our vibrant online presence by connecting with us today.
Facebook : https://www.facebook.com/JiyoBangla
Instagram : https://www.instagram.com/jiyobangla/?hl=en
YouTube : https://www.youtube.com/c/JiyoBangla
0 notes
Video
youtube
শীতের শুরুতেই সর্দি কাশি জ্বর | সর্দি কাশি জ্বর দূর করার উপায় | Winter ...
0 notes
Video
youtube
Honey
এখন #ঋতু এবং আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে। #শীত কালের আমেজ শুরুহতে যাচ্ছে। পরিবেশ এ সময় রুক্ষ হতে থাকে। আমাদের মাঝে এ সময় কিছু কমন সমস্যা দেখা যায় তাহলো, ঠান্ডা লাগা, সর্দি, কাশি, গলা ব্যাথা। এ সমস্যা থেকে পরিত্রান পেতে হলে আমরা একটি সুন্দর অথচ কার্যকরী, ন্যাচারাল ব্যবস্থা নিতে পারি আর তা হচ্ছে গরম পানি মধু দিয়ে পান করা। আপনারা জানেন মধু একটি #সুন্নতি খাবার মহান আল্লাহ্ পাক এর মধ্যে অনেক শেফা রেখেছেন। আপনি খাঁটি মধু পাবেন কোথায়। আপনি খাঁটি মধু পেতে হলে sunnat.info ইনফো থেকে ওয়ার্ডার করতে পারেন। এখানে এ ছাড়াও নানা প্রকার সুন্নতি সামগ্রি পাওয়া যায়। সময় থাকলে এখনই ঘুড়ে আশুন।
0 notes
Text
নবজাতকের বুকে ঠান্ডা লাগলে করণীয় ঘরোয়া উপায়
প্রিয় পাঠক, আজ আমি আপনাদের নবজাতক শিশুদের সমস্যার সমাধান নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের আর্টিকেলে আমরা নবজাতকের বুকে ঠান্ডা লাগলে করণীয় এবং নবজাতক শিশুর সর্দি কাশি হলে করণীয় কি তা নিয়ে আলোচনা করব। আশা করি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি আপনার নবজাতক শিশুর সমস্যার সমাধান পাবেন। তো চলুন নিবন্ধটি শুরু করা যাক:-
0 notes