#��বধ
Explore tagged Tumblr posts
zobairhossain · 7 months ago
Text
আমি নিভৃতে বুনে যাব খেয়ালের জাল
আর ও সব পুড়িয়ে দেবে!
ভালই লাগে।
রাতের উষ্ণতার আরামে যখন খুলে দিয়েছিলে মন তার তরে,
তাকে ঢুকে বাসা বাধতে দিয়েছোও তবে।
দিন থেক বছর হতেই জেনে গেল তোমার সব,
কোন এক অভাগা রাতে সেসবই করবে তোমার বধ।
যা একসময় ওকে বলে লেগেছিল একটু হালকা
এখন তা সব তোমায় ফেরত দেয়া হবে, পেতে নিও হাতটা।
কোন এক রাতে ওইযে বলেছিলে এক কথা,
যা তুমি কখনো কাউকে বলনি
ওগুলো দিয়েই হবে তোমার বধ।
কিন্তু উহু শব্দ করা যাবে না,
ব্যথা আর কাউকে দেখানো যাবে না,
কষ্ট শ্বেতপুজ হয়ে বেরিয়ে আসলেও বলতে হবে,
সুখের সীমান্ত সাদাই তো হয়।
এই মনটা আর কাউকে দেয়াই যাবে না।
লোকাল বাসের অশরীরি গরমেও যাকে মন পড়ে,
সেই তোমার বধ,
যে সব জানে, আর কেউ জানে
সেই তোমার বধ,
যার জন্য রাবন থেকে পাপী হবে,
সেই তোমার বধ।
১ মে, ২০২৪
বিকাল ৬:১০
ঢা��া।
2 notes · View notes
charbaknama · 1 year ago
Text
Hi!
Hi! I am a writer and this post is for my Bengali folks. I am trying to create a blog focusing on culture and politics from a leftist perspective, as there seems to be a vacancy for this type of article. For instance, here is an article critiquing the demonization of naxals in a popular Bengali film. Also, the international version would come pretty soon. If you like the idea, do give me a visit!
4 notes · View notes
sukantakrmondal · 2 months ago
Text
धर्म विजय का प्रतीक है दशहरा! असली राम कौन हैं? जानिए रहस्य || Era Of Sp...
youtube
দশহরার দিন বহুকাল আগে রাম রাবণ কে বধ করে সীতা দেবীকে উদ্ধার করেছিলেন। এখনও রাবণের পুতুল তৌড়ি করে বধ করে উল্লাসী হওয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা তার ব্যাখ্যা করার ও মানসিকতার পরিবর্তন আনার সময় হয়েগেছে। দৌত্যপুরিতে মন্দোদরী আর বিভীষন কি ভাবে পৌঁছে গেলেন? জানার আগ্রহ থাকলে সৎসঙ্গটা দেখার ও বিশ্বাস করে প্রকৃত অবিনাশী পরমেশ্বর পরমপিতার খোঁজে আর সময় নষ্ট করবেন না । 🙏🙏
https://www.jagatgururampalji.org/gyan_ganga_english.pdf
0 notes
quransunnahdawah · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামে যুদ্ধনীতি ও বর্তমান বিশ্ব
মানবতার সবচেয়ে বড় জঘন্যতম অপরাধ হলো যুদ্ধবিগ্রহ। যুদ্ধ মানেই বিভীষিকা, মৃত্যু, ধ্বংস ও অশান্তি। ইসলামে প্রাথমিকভাবে সব যুদ্ধ-বিগ্রহ হারাম। প্রয়োজনসাপেক্ষে ইসলাম যুদ্ধ করার অনুমতি দিয়েছে কিছু শর্তারোপ করে। যা বিদ্যমান থাকলে তবেই যুদ্ধ করা যাবে। প্রথমত, রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ও রাষ্ট্র প্রধানের অনুমতি। রাষ্ট্র অস্তিত্ব ও রাষ্ট্র প্রধানের অনুমতি বা নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে রসুল (স.) বলেন, ‘রাষ্ট্রপ্রধান হলো ঢাল, যাকে সামনে রেখে যুদ্ধ পরিচালিত হবে’ (বুখারি- ২/৫৫৩)। দ্বিতীয়ত, রাষ্ট্র অনিরাপদ বা হুমকির সম্মুখীন হলে। অর্থাৎ শত্রুপক্ষ আক্রমণ করবে বা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নাগরিক নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হলে আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধনীতির অনুমোদন দেয় ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘যুদ্ধের অনুমতি দেওয়া হলো তাদেরকে, যারা আক্রান্ত হয়েছে। কারণ, তাদের প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে।’ (সুরা হজ্জ-৩৯)।
তৃতীয়ত, সন্ধি ও শান্তির সুযোগ গ্রহণ। যে কোনো ধরনের যুদ্ধই ধ্বংস ও অশান্তি সৃষ্টির পথ। মানবজাতিকে যাতে ধ্বংস ও সংকটময় পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়, সেই জন্য ��সলাম যুদ্ধপূর্বে সন্ধি বা শান্তিচুক্তির ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে ও নির্দেশনা দিয়েছে। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তারা যদি সন্ধির প্রতি ঝুঁকে পড়ে, তবে তুমিও তাদের প্রতি ঝুঁকে পড়ো। আর আল্লাহর ওপর নির্ভর কর। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী’ (আনফাল-৬১)। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে হুদাইবিয়ার সন্ধির ঘটনা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, রাষ্ট্রের স্বার্থসংরক্ষণ, দাওয়াতের প্রসার ও দিনের বিজয়ে সন্ধির অবদান ছিল অনেক বেশি। যদিও বাহ্যিক বিচারে সন্ধি ছিল একটু অপমানজনক ও শত্রু পক্ষকে ছাড় দেওয়া কিন্তু এর ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী। ইসলামে কোনো যুদ্ধ, জিহাদ বা অভিযানকে ‘ফাতহুম মুবিন’ বা সুস্পষ্ট বিজয় বলা হয়নি। কিন্তু সন্ধি চুক্তিকে সুস্পষ্ট বিজয় বলে পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে।
চতুর্থত, যোদ্ধাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা। অর্থাৎ যদি যুদ্ধ করা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ না থাকে তাহলে যুদ্ধের ময়দানে যোদ্ধাদের সঙ্গেই-বা যারা অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করতে সামনে আসে তাদের সঙ্গেই যুদ্ধ করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করো তাদের সঙ্গে যারা তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করছে। কিন্তু সীমা লঙ্ঘন করো না। আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না’ (সুরা বাকারা-১৯০)। এখানেও ইসলাম ন্যায়সঙ্গত যুদ্ধ করার কথা বলে। জনগণের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণের নিমিত্তে মাতৃভূমিকে বহিঃশত্রু ও অভ্যন্তরীণ শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য জানমাল ও জ্ঞানবুদ্ধি দ্বারা যে সংগ্রাম করা হয় সেটাই ন্যায়সঙ্গত যুদ্ধ। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকো, যতক্ষণ না ফিতনা দূর হয়’ (সুরা বাকারা-১৯৩)
যুদ্ধক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে সাধারণ নাগরিক, নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা আঘাত প্রাপ্ত না হয়। হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যুদ্ধে তোমরা প্রতারণা বা ধোঁকার আশ্রয় নেবে না, চুক্তিভঙ্গ করবে না, কোনো মানুষ বা প্রাণীর মৃতদেহ বিকৃত করবে না বা অসম্মান করবে না, কোনো শিশু-কিশোরকে হত্যা করবে না, কোনো মহিলাকে হত্যা করবে না, কোনো গির্জাবাসী, সন্ন্যাসী বা ধর্মযাজককে হত্যা করবে না, কোনো বৃদ্ধকে হত্যা করবে না, কোনো অসুস্থ মানুষকে হত্যা করবে না, কোনো বাড়িঘর ধ্বংস করবে না, খাদ্যের প্রয়োজন ছাড়া গরু, উট বা কোনো প্রাণী বধ করবে না, যুদ্ধের প্রয়োজন ছাড়া কোনো গাছ কাটবে না। তোমরা দয়া ও ক��্যাণ করবে, কারণ আল্লাহ দয়াকারী- কল্যাণকারীদেরকে ভালোবাসেন’ (আসসুনানুল কুবরা- ৯/৯০)। ইসলাম সব ধরনের সামরিক আগ্রাসন, নাগরিকদের ওপর বোমা নিক্ষেপ, চরমপন্থা, গণহত্যার বিরোধী। ইসলাম প্রয়োজনসাপেক্ষ যেমন ন্যায়সংগত যুদ্ধের স্বীকৃতি দিয়েছে, তেমনি শান্তিচুক্তি বা সন্ধির বিধানের প্রতি গুরুত্বারোপ করে উত্সাহিত করা হয়েছে। যাতে যুদ্ধ নামক বিভীষিকাময় কাঁটায় মানুষ ক্ষতবিক্ষত না হয়।
ইসলামি পণ্ডিতদের মতে, ইসলামের যুদ্ধনীতির গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো—নারী, শিশু, অযোদ্ধা, বয়োবৃদ্ধ, শ্রমিক, প্রতিবন্ধীর ওপর আক্রমণ করা যাবে না, মৃত যোদ্ধার লাশের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা যাবে না, আত্মসমপর্ণকারীদের প্রতি দয়াশীল হতে হবে, যুদ্ধবন্দিদের সঙ্গে সদাচরণ করতে হবে, প্রয়োজন ছাড়া বৃক্ষ কর্তন করা যাবে না, পশুপাখি হত্যা করা যাবে না, ঘরবাড়ি ধ্বংস করা যাবে না ইত্যাদি।
মোদ্দা কথা, ইসলামে সামরিক যুদ্ধনীতি আক্রমণাত্মক নয়, বরং আত্মরক্ষামূলক। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন দেশে যে যুদ্ধ হচ্ছে তার প্রায় সবগুলোই আক্রমণাত্মক যুদ্ধ। সামরিক শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো নিজেদের স্বার্থ ও আধিপত্য বিস্তারে আগ্রাসী যুদ্ধ অভিযান পরিচালনা করছে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আক্রান্ত রাষ্ট্রকে কোণঠাসা করে ফেলছে। এতে সাধারণ নাগরিকদের জীবন বিষণ্ণ হয়ে উঠছে, যা বড় ধরনের মানব অপরাধ। ইসলাম এমন সব কার্যক্রমকে কঠোরভাবে নিষেধ করে। যুদ্ধ যেমন জাতি গোষ্ঠীর অস্তিত্বকে নিশ্চিহ্ন করে, তেমনি প্রাকৃতিক সম্পদ বিনষ্ট করে এবং পৃথিবীর অন্য ভূখণ্ডে বসবাসরত মানুষের জীবনকেও সংকটময় করে তুলে। তাই সব রাষ্ট্রকে এসব জঘন্যতম মানব অপরাধ থেকে বিরত থাকা উচিত।
নবীজি সাঃ এর যুদ্ধনীতি কতটা মানবিক ছিলো !!
youtube
ইসলামে যুদ্ধের নিয়ম-islamic war
youtube
কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ইসলামে যুদ্ধনীতি | 
youtube
youtube
Guidelines in the Quran for Fighting 
youtube
ইসলামে যুদ্ধনীতি ও বর্তমান বিশ্ব
War policy in Islam and the present world
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামে যুদ্ধনীতি ও বর্তমান বিশ্ব
মানবতার সবচেয়ে বড় জঘন্যতম অপরাধ হলো যুদ্ধবিগ্রহ। যুদ্ধ মানেই বিভীষিকা, মৃত্যু, ধ্বংস ও অশান্তি। ইসলামে প্রাথমিকভাবে সব যুদ্ধ-বিগ্রহ হারাম। প্রয়োজনসাপেক্ষে ইসলাম যুদ্ধ করার অনুমতি দিয়েছে কিছু শর্তারোপ করে। যা বিদ্যমান থাকলে তবেই যুদ্ধ করা যাবে। প্রথমত, রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ও রাষ্ট্র প্রধানের অনুমতি। রাষ্ট্র অস্তিত্ব ও রাষ্ট্র প্রধানের অনুমতি বা নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে রসুল (স.) বলেন, ‘রাষ্ট্রপ্রধান হলো ঢাল, যাকে সামনে রেখে যুদ্ধ পরিচালিত হবে’ (বুখারি- ২/৫৫৩)। দ্বিতীয়ত, রাষ্ট্র অনিরাপদ বা হুমকির সম্মুখীন হলে। অর্থাৎ শত্রুপক্ষ আক্রমণ করবে বা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নাগরিক নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হলে আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধনীতির অনুমোদন দেয় ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘যুদ্ধের অনুমতি দেওয়া হলো তাদেরকে, যারা আক্রান্ত হয়েছে। কারণ, তাদের প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে।’ (সুরা হজ্জ-৩৯)।
তৃতীয়ত, সন্ধি ও শান্তির সুযোগ গ্রহণ। যে কোনো ধরনের যুদ্ধই ধ্বংস ও অশান্তি সৃষ্টির পথ। মানবজাতিকে যাতে ধ্বংস ও সংকটময় পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়, সেই জন্য ইসলাম যুদ্ধপূর্বে সন্ধি বা শান্তিচুক্তির ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে ও নির্দেশনা দিয়েছে। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তারা যদি সন্ধির প্রতি ঝুঁকে পড়ে, তবে তুমিও তাদের প্রতি ঝুঁকে পড়ো। আর আল্লাহর ওপর নির্ভর কর। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী’ (আনফাল-৬১)। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে হুদাইবিয়ার সন্ধির ঘটনা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, রাষ্ট্রের স্বার্থসংরক্ষণ, দাওয়াতের প্রসার ও দিনের বিজয়ে সন্ধির অবদান ছিল অনেক বেশি। যদিও বাহ্যিক বিচারে সন্ধি ছিল একটু অপমানজনক ও শত্রু পক্ষকে ছাড় দেওয়া কিন্তু এর ফলাফল ছিল সুদূরপ্র��ারী। ইসলামে কোনো যুদ্ধ, জিহাদ বা অভিযানকে ‘ফাতহুম মুবিন’ বা সুস্পষ্ট বিজয় বলা হয়নি। কিন্তু সন্ধি চুক্তিকে সুস্পষ্ট বিজয় বলে পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে।
চতুর্থত, যোদ্ধাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা। অর্থাৎ যদি যুদ্ধ করা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ না থাকে তাহলে যুদ্ধের ময়দানে যোদ্ধাদের সঙ্গেই-বা যারা অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করতে সামনে আসে তাদের সঙ্গেই যুদ্ধ করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করো তাদের সঙ্গে যারা তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করছে। কিন্তু সীমা লঙ্ঘন করো না। আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না’ (সুরা বাকারা-১৯০)। এখানেও ইসলাম ন্যায়সঙ্গত যুদ্ধ করার কথা বলে। জনগণের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণের নিমিত্তে মাতৃভূমিকে বহিঃশত্রু ও অভ্যন্তরীণ শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য জানমাল ও জ্ঞানবুদ্ধি দ্বারা যে সংগ্রাম করা হয় সেটাই ন্যায়সঙ্গত যুদ্ধ। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকো, যতক্ষণ না ফিতনা দূর হয়’ (সুরা বাকারা-১৯৩)
যুদ্ধক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে সাধারণ নাগরিক, নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা আঘাত প্রাপ্ত না হয়। হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যুদ্ধে তোমরা প্রতারণা বা ধোঁকার আশ্রয় নেবে না, চুক্তিভঙ্গ করবে না, কোনো মানুষ বা প্রাণীর মৃতদেহ বিকৃত করবে না বা অসম্মান করবে না, কোনো শিশু-কিশোরকে হত্যা করবে না, কোনো মহিলাকে হত্যা করবে না, কোনো গির্জাবাসী, সন্ন্যাসী বা ধর্মযাজককে হত্যা করবে না, কোনো বৃদ্ধকে হত্যা করবে না, কোনো অসুস্থ মানুষকে হত্যা করবে না, কোনো বাড়িঘর ধ্বংস করবে না, খাদ্যের প্রয়োজন ছাড়া গরু, উট বা কোনো প্রাণী বধ করবে না, যুদ্ধের প্রয়োজন ছাড়া কোনো গাছ কাটবে না। তোমরা দয়া ও কল্যাণ করবে, কারণ আল্লাহ দয়াকারী- কল্যাণকারীদেরকে ভালোবাসেন’ (আসসুনানুল কুবরা- ৯/৯০)। ইসলাম সব ধরনের সামরিক আগ্রাসন, নাগরিকদের ওপর বোমা নিক্ষেপ, চরমপন্থা, গণহত্যার বিরোধী। ইসলাম প্রয়োজনসাপেক্ষ যেমন ন্যায়সংগত যুদ্ধের স্বীকৃতি দিয়েছে, তেমনি শান্তিচুক্তি বা সন্ধির বিধানের প্রতি গুরুত্বারোপ করে উত্সাহিত করা হয়েছে। যাতে যুদ্ধ নামক বিভীষিকাময় কাঁটায় মানুষ ক্ষতবিক্ষত না হয়।
ইসলামি পণ্ডিতদের মতে, ইসলামের যুদ্ধনীতির গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো—নারী, শিশু, অযোদ্ধা, বয়োবৃদ্ধ, শ্রমিক, প্রতিবন্ধীর ওপর আক্রমণ করা যাবে না, মৃত যোদ্ধার লাশের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা যাবে না, আত্মসমপর্ণকারীদের প্রতি দয়াশীল হতে হবে, যুদ্ধবন্দিদের সঙ্গে সদাচরণ করতে হবে, প্রয়োজন ছাড়া বৃক্ষ কর্তন করা যাবে না, পশুপাখি হত্যা করা যাবে না, ঘরবাড়ি ধ্বংস করা যাবে না ইত্যাদি।
মোদ্দা কথা, ইসলামে সামরিক যুদ্ধনীতি আক্রমণাত্মক নয়, বরং আত্মরক্ষামূলক। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন দেশে যে যুদ্ধ হচ্ছে তার প্রায় সবগুলোই আক্রমণাত্মক যুদ্ধ। সামরিক শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো নিজেদের স্বার্থ ও আধিপত্য বিস্তারে আগ্রাসী যুদ্ধ অভিযান পরিচালনা করছে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আক্রান্ত রাষ্ট্রকে কোণঠাসা করে ফেলছে। এতে সাধারণ নাগরিকদের জীবন বিষণ্ণ হয়ে উঠছে, যা বড় ধরনের মানব অপরাধ। ইসলাম এমন সব কার্যক্রমকে কঠোরভাবে নিষেধ করে। যুদ্ধ যেমন জাতি গোষ্ঠীর অস্তিত্বকে নিশ্চিহ্ন করে, তেমনি প্রাকৃতিক সম্পদ বিনষ্ট করে এবং পৃথিবীর অন্য ভূখণ্ডে বসবাসরত মানুষের জীবনকেও সংকটময় করে তুলে। তাই সব রাষ্ট্রকে এসব জঘন্যতম মানব অপরাধ থেকে বিরত থাকা উচিত।
নবীজি সাঃ এর যুদ্ধনীতি কতটা মানবিক ছিলো !!
youtube
ইসলামে যুদ্ধের নিয়ম-islamic war
youtube
কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ইসলামে যুদ্ধনীতি | 
youtube
youtube
Guidelines in the Quran for Fighting 
youtube
ইসলামে যুদ্ধনীতি ও বর্তমান বিশ্ব
War policy in Islam and the present world
0 notes
ilyforallahswt · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামে যুদ্ধনীতি ও বর্তমান বিশ্ব
মানবতার সবচেয়ে বড় জঘন্যতম অপরাধ হলো যুদ্ধবিগ্রহ। যুদ্ধ মানেই বিভীষিকা, মৃত্যু, ধ্বংস ও অশান্তি। ইসলামে প্রাথমিকভাবে সব যুদ্ধ-বিগ্রহ হারাম। প্রয়োজনসাপেক্ষে ইসলাম যুদ্ধ করার অনুমতি দিয়েছে কিছু শর্তারোপ করে। যা বিদ্যমান থাকলে তবেই যুদ্ধ করা যাবে। প্রথমত, রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ও রাষ্ট্র প্রধানের অনুমতি। রাষ্ট্র অস্তিত্ব ও রাষ্ট্র প্রধানের অনুমতি বা নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে রসুল (স.) বলেন, ‘রাষ্ট্রপ্রধান হলো ঢাল, যাকে সামনে রেখে যুদ্ধ পরিচালিত হবে’ (বুখারি- ২/৫৫৩)। দ্বিতীয়ত, রাষ্ট্র অনিরাপদ বা হুমকির সম্মুখীন হলে। অর্থাৎ শত্রুপক্ষ আক্রমণ করবে বা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নাগরিক নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হলে আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধনীতির অনুমোদন দেয় ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘যুদ্ধের অনুমতি দেওয়া হলো তাদেরকে, যারা আক্রান্ত হয়েছে। কারণ, তাদের প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে।’ (সুরা হজ্জ-৩৯)।
তৃতীয়ত, সন্ধি ও শান্তির সুযোগ গ্রহণ। যে কোনো ধরনের যুদ্ধই ধ্বংস ও অশান্তি সৃষ্টির পথ। মানবজাতিকে যাতে ধ্বংস ও সংকটময় পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়, সেই জন্য ইসলাম যুদ্ধপূর্বে সন্ধি বা শান্তিচুক্তির ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে ও নির্দেশনা দিয়েছে। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তারা যদি সন্ধির প্রতি ঝুঁকে পড়ে, তবে তুমিও তাদের প্রতি ঝুঁকে পড়ো। আর আল্লাহর ওপর নির্ভর কর। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী’ (আনফাল-৬১)। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে হুদাইবিয়ার সন্ধির ঘটনা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, রাষ্ট্রের স্বার্থসংরক্ষণ, দাওয়াতের প্রসার ও দিনের বিজয়ে সন্ধির অবদান ছিল অনেক বেশি। যদিও বাহ্যিক বিচারে সন্ধি ছিল একটু অপমানজনক ও শত্রু পক্ষকে ছাড় দেওয়া কিন্তু এর ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী। ইসলামে কোনো যুদ্ধ, জিহাদ বা অভিযানকে ‘ফাতহুম মুবিন’ বা সুস্পষ্ট বিজয় বলা হয়নি। কিন্তু সন্ধি চুক্তিকে সুস্পষ্ট বিজয় বলে পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে।
চতুর্থত, যোদ্ধাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা। অর্থাৎ যদি যুদ্ধ করা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ না থাকে তাহলে যুদ্ধের ময়দানে যোদ্ধাদের সঙ্গেই-বা যারা অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করতে সামনে আসে তাদের সঙ্গেই যুদ্ধ করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করো তাদের সঙ্গে যারা তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করছে। কিন্তু সীমা লঙ্ঘন করো না। আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না’ (সুরা বাকারা-১৯০)। এখানেও ইসলাম ন্যায়সঙ্গত যুদ্ধ করার কথা বলে। জনগণের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণের নিমিত্তে মাতৃভূমিকে বহিঃশত্রু ও অভ্যন্তরীণ শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য জানমাল ও জ্ঞানবুদ্ধি দ্বারা যে সংগ্রাম করা হয় সেটাই ন্যায়সঙ্গত যুদ্ধ। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকো, যতক্ষণ না ফিতনা দূর হয়’ (সুরা বাকারা-১৯৩)
যুদ্ধক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে সাধারণ নাগরিক, নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা আঘাত প্রাপ্ত না হয়। হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যুদ্ধে তোমরা প্রতারণা বা ধোঁকার আশ্রয় নেবে না, চুক্তিভঙ্গ করবে না, কোনো মানুষ বা প্রাণীর মৃতদেহ বিকৃত করবে না বা অসম্মান করবে না, কোনো শিশু-কিশোরকে হত্যা করবে না, কোনো মহিলাকে হত্যা করবে না, কোনো গির্জাবাসী, সন্ন্যাসী বা ধর্মযাজককে হত্যা করবে না, কোনো বৃদ্ধকে হত্যা করবে না, কোনো অসুস্থ মানুষকে হত্যা করবে না, কোনো বাড়িঘর ধ্বংস করবে না, খাদ্যের প্রয়োজন ছাড়া গরু, উট বা কোনো প্রাণী বধ করবে না, যুদ্ধের প্রয়োজন ছাড়া কোনো গাছ কাটবে না। তোমরা দয়া ও কল্যাণ করবে, কারণ আল্লাহ দয়াকারী- কল্যাণকারীদেরকে ভালোবাসেন’ (আসসুনানুল কুবরা- ৯/৯০)। ইসলাম সব ধরনের সামরিক আগ্রাসন, নাগরিকদের ওপর বোমা নিক্ষেপ, চরমপন্থা, গণহত্যার বিরোধী। ইসলাম প্রয়োজনসাপেক্ষ যেমন ন্যায়সংগত যুদ্ধের স্বীকৃতি দিয়েছে, তেমনি শান্তিচুক্তি বা সন্ধির বিধানের প্রতি গুরুত্বারোপ করে উত্সাহিত করা হয়েছে। যাতে যুদ্ধ নামক বিভীষিকাময় কাঁটায় মানুষ ক্ষতবিক্ষত না হয়।
ইসলামি পণ্ডিতদের মতে, ইসলামের যুদ্ধনীতির গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো—নারী, শিশু, অযোদ্ধা, বয়োবৃদ্ধ, শ্রমিক, প্রতিবন্ধীর ওপর আক্রমণ করা যাবে না, মৃত যোদ্ধার লাশের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা যাবে না, আত্মসমপর্ণকারীদের প্রতি দয়াশীল হতে হবে, যুদ্ধবন্দিদের সঙ্গে সদাচরণ করতে হবে, প্রয়োজন ছাড়া বৃক্ষ কর্তন করা যাবে না, পশুপাখি হত্যা করা যাবে না, ঘরবাড়ি ধ্বংস করা যাবে না ইত্যাদি।
মোদ্দা কথা, ইসলামে সামরিক যুদ্ধনীতি আক্রমণাত্মক নয়, বরং আত্মরক্ষামূলক। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন দেশে যে যুদ্ধ হচ্ছে তার প্রায় সবগুলোই আক্রমণাত্মক যুদ্ধ। সামরিক শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো নিজেদের স্বার্থ ও আধিপত্য বিস্তারে আগ্রাসী যুদ্ধ অভিযান পরিচালনা করছে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আক্রান্ত রাষ্ট্রকে কোণঠাসা করে ফেলছে। এতে সাধারণ নাগরিকদের জীবন বিষণ্ণ হয়ে উঠছে, যা বড় ধরনের মানব অপরাধ। ইসলাম এমন সব কার্যক্রমকে কঠোরভাবে নিষেধ করে। যুদ্ধ যেমন জাতি গোষ্ঠীর অস্তিত্বকে নিশ্চিহ্ন করে, তেমনি প্রাকৃতিক সম্পদ বিনষ্ট করে এবং পৃথিবীর অন্য ভূখণ্ডে বসবাসরত মানুষের জীবনকেও সং��টময় করে তুলে। তাই সব রাষ্ট্রকে এসব জঘন্যতম মানব অপরাধ থেকে বিরত থাকা উচিত।
নবীজি সাঃ এর যুদ্ধনীতি কতটা মানবিক ছিলো !!
youtube
ইসলামে যুদ্ধের নিয়ম-islamic war
youtube
কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ইসলামে যুদ্ধনীতি | 
youtube
youtube
Guidelines in the Quran for Fighting 
youtube
ইসলামে যুদ্ধনীতি ও বর্তমান বিশ্ব
War policy in Islam and the present world
0 notes
myreligionislam · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামে যুদ্ধনীতি ও বর্তমান বিশ্ব
মানবতার সবচেয়ে বড় জঘন্যতম অপরাধ হলো যুদ্ধবিগ্রহ। যুদ্ধ মানেই বিভীষিকা, মৃত্যু, ধ্বংস ও অশান্তি। ইসলামে প্রাথমিকভাবে সব যুদ্ধ-বিগ্রহ হারাম। প্রয়োজনসাপেক্ষে ইসলাম যুদ্ধ করার অনুমতি দিয়েছে কিছু শর্তারোপ করে। যা বিদ্যমান থাকলে তবেই যুদ্ধ করা যাবে। প্রথমত, রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ও রাষ্ট্র প্রধানের অনুমতি। রাষ্ট্র অস্তিত্ব ও রাষ্ট্র প্রধানের অনুমতি বা নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে রসুল (স.) বলেন, ‘রাষ্ট্রপ্রধান হলো ঢাল, যাকে সামনে রেখে যুদ্ধ পরিচালিত হবে’ (বুখারি- ২/৫৫৩)। দ্বিতীয়ত, রাষ্ট্র অনিরাপদ বা হুমকির সম্মুখীন হলে। অর্থাৎ শত্রুপক্ষ আক্রমণ করবে বা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নাগরিক নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হলে আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধনীতির অনুমোদন দেয় ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘যুদ্ধের অনুমতি দেওয়া হলো তাদেরকে, যারা আক্রান্ত হয়েছে। কারণ, তাদের প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে।’ (সুরা হজ্জ-৩৯)।
তৃতীয়ত, সন্ধি ও শান্তির সুযোগ গ্রহণ। যে কোনো ধরনের যুদ্ধই ধ্বংস ও অশান্তি সৃষ্টির পথ। মানবজাতিকে যাতে ধ্বংস ও সংকটময় পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়, সেই জন্য ইসলাম যুদ্ধপূর্বে সন্ধি বা শান্তিচুক্তির ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে ও নির্দেশনা দিয়েছে। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তারা যদি সন্ধির প্রতি ঝুঁকে পড়ে, তবে তুমিও তাদের প্রতি ঝুঁকে পড়ো। আর আল্লাহর ওপর নির্ভর কর। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী’ (আনফাল-৬১)। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে হুদাইবিয়ার সন্ধির ঘটনা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, রাষ্ট্রের স্বার্থসংরক্ষণ, দাওয়াতের প্রসার ও দিনের বিজয়ে সন্ধির অবদান ছিল অনেক বেশি। যদিও বাহ্যিক বিচারে সন্ধি ছিল একটু অপমানজনক ও শত্রু পক্ষকে ছাড় দেওয়া কিন্তু এর ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী। ইসলামে কোনো যুদ্ধ, জিহাদ বা অভিযানকে ‘ফাতহুম মুবিন’ বা সুস্পষ্ট বিজয় বলা হয়নি। কিন্তু সন্ধি চুক্তিকে সুস্পষ্ট বিজয় বলে পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে।
চতুর্থত, যোদ্ধাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা। অর্থাৎ যদি যুদ্ধ করা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ না থাকে তাহলে যুদ্ধের ময়দানে যোদ্ধাদের সঙ্গেই-বা যারা অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করতে সামনে আসে তাদের সঙ্গেই যুদ্ধ করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করো তাদের সঙ্গে যারা তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করছে। কিন্তু সীমা লঙ্ঘন করো না। আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না’ (সুরা বাকারা-১৯০)। এখানেও ইসলাম ন্যায়সঙ্গত যুদ্ধ করার কথা বলে। জনগণের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণের নিমিত্তে মাতৃভূমিকে বহিঃশত্রু ও অভ্যন্তরীণ শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য জানমাল ও জ্ঞানবুদ্ধি দ্বারা যে সংগ্রাম করা হয় সেটাই ন্যায়সঙ্গত যুদ্ধ। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকো, যতক্ষণ না ফিতনা দূর হয়’ (সুরা বাকারা-১৯৩)
যুদ্ধক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে সাধারণ নাগরিক, নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা আঘাত প্রাপ্ত না হয়। হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যুদ্ধে তোমরা প্রতারণা বা ধোঁকার আশ্রয় নেবে না, চুক্তিভঙ্গ করবে না, কোনো মানুষ বা প্রাণীর মৃতদেহ বিকৃত করবে না বা অসম্মান করবে না, কোনো শিশু-কিশোরকে হত্যা করবে না, কোনো মহিলাকে হত্যা করবে না, কোনো গির্জাবাসী, সন্ন্যাসী বা ধর্মযাজককে হত্যা করবে না, কোনো বৃদ্ধকে হত্যা করবে না, কোনো অসুস্থ মানুষকে হত্যা করবে না, কোনো বাড়িঘর ধ্বংস করবে না, খাদ্যের প্রয়োজন ছাড়া গরু, উট বা কোনো প্রাণী বধ করবে না, যুদ্ধের প্রয়োজন ছাড়া কোনো গাছ কাটবে না। তোমরা দয়া ও কল্যাণ করবে, কারণ আল্লাহ দয়াকারী- কল্যাণকারীদেরকে ভালোবাসেন’ (আসসুনানুল কুবরা- ৯/৯০)। ইসলাম সব ধরনের সামরিক আগ্রাসন, নাগরিকদের ওপর বোমা নিক্ষেপ, চরমপন্থা, গণহত্যার বিরোধী। ইসলাম প্রয়োজনসাপেক্ষ যেমন ন্যায়সংগত যুদ্ধের স্বীকৃতি দিয়েছে, তেমনি শান্তিচুক্তি বা সন্ধির বিধানের প্রতি গুরুত্বারোপ করে উত্সাহিত করা হয়েছে। যাতে যুদ্ধ নামক বিভীষিকাময় কাঁটায় মানুষ ক্ষতবিক্ষত না হয়।
ইসলামি পণ্ডিতদের মতে, ইসলামের যুদ্ধনীতির গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো—নারী, শিশু, অযোদ্ধা, বয়োবৃদ্ধ, শ্রমিক, প্রতিবন্ধীর ওপর আক্রমণ করা যাবে না, মৃত যোদ্ধার লাশের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা যাবে না, আত্মসমপর্ণকারীদের প্রতি দয়াশীল হতে হবে, যুদ্ধবন্দিদের সঙ্গে সদাচরণ করতে হবে, প্রয়োজন ছাড়া বৃক্ষ কর্তন করা যাবে না, পশুপাখি হত্যা করা যাবে না, ঘরবাড়ি ধ্বংস করা যাবে না ইত্যাদি।
মোদ্দা কথা, ইসলামে সামরিক যুদ্ধনীতি আক্রমণাত্মক নয়, বরং আত্মরক্ষামূলক। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন দেশে যে যুদ্ধ হচ্ছে তার প্রায় সবগুলোই আক্রমণাত্মক যুদ্ধ। সামরিক শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো নিজেদের স্বার্থ ও আধিপত্য বিস্তারে আগ্রাসী যুদ্ধ অভিযান পরিচালনা করছে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আক্রান্ত রাষ্ট্রকে কোণঠাসা করে ফেলছে। এতে সাধারণ নাগরিকদের জীবন বিষণ্ণ হয়ে উঠছে, যা বড় ধরনের মানব অপরাধ। ইসলাম এমন সব কার্যক্রমকে কঠোরভাবে নিষেধ করে। যুদ্ধ যেমন জাতি গোষ্ঠীর অস্তিত্বকে নিশ্চিহ্ন করে, তেমনি প্রাকৃতিক সম্পদ বিনষ্ট করে এবং পৃথিবীর অন্য ভূখণ্ডে বসবাসরত মানুষের জীবনকেও সংকটময় করে তুলে। তাই সব রাষ্ট্রকে এসব জঘন্যতম মানব অপরাধ থেকে বিরত থাকা উচিত।
নবীজি সাঃ এর যুদ্ধনীতি কতটা মানবিক ছিলো !!
youtube
ইসলামে যুদ্ধের নিয়ম-islamic war
youtube
কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ইসলামে যুদ্ধনীতি | 
youtube
youtube
Guidelines in the Quran for Fighting 
youtube
ইসলামে যুদ্ধনীতি ও বর্তমান বিশ্ব
War policy in Islam and the present world
0 notes
allahisourrabb · 4 months ago
Text
Tumblr media
ইসলামে যুদ্ধনীতি ও বর্তমান বিশ্ব
মানবতার সবচেয়ে বড় জঘন্যতম অপরাধ হলো যুদ্ধবিগ্রহ। যুদ্ধ মানেই বিভীষিকা, মৃত্যু, ধ্বংস ও অশান্তি। ইসলামে প্রাথমিকভাবে সব যুদ্ধ-বিগ্রহ হারাম। প্রয়োজনসাপেক্ষে ইসলাম যুদ্ধ করার অনুমতি দিয়েছে কিছু শর্তারোপ করে। যা বিদ্যমান থাকলে তবেই যুদ্ধ করা যাবে। প্রথমত, রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ও রাষ্ট্র প্রধানের অনুমতি। রাষ্ট্র অস্তিত্ব ও রাষ্ট্র প্রধানের অনুমতি বা নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে রসুল (স.) বলেন, ‘রাষ্ট্রপ্রধান হলো ঢাল, যাকে সামনে রেখে যুদ্ধ পরিচালিত হবে’ (বুখারি- ২/৫৫৩)। দ্বিতীয়ত, রাষ্ট্র অনিরাপদ বা হুমকির সম্মুখীন হলে। অর্থাৎ শত্রুপক্ষ আক্রমণ করবে বা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নাগরিক নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হলে আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধনীতির অনুমোদন দেয় ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘যুদ্ধের অনুমতি দেওয়া হলো তাদেরকে, যারা আক্রান্ত হয়েছে। কারণ, তাদের প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে।’ (সুরা হজ্জ-৩৯)।
তৃতীয়ত, সন্ধি ও শান্তির সুযোগ গ্রহণ। যে কোনো ধরনের যুদ্ধই ধ্বংস ও অশান্তি সৃষ্টির পথ। মানবজাতিকে যাতে ধ্বংস ও সংকটময় পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়, সেই জন্য ইসলাম যুদ্ধপূর্বে সন্ধি বা শান্তিচুক্তির ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে ও নির্দেশনা দিয়েছে। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তারা যদি সন্ধির প্রতি ঝুঁকে পড়ে, তবে তুমিও তাদের প্রতি ঝুঁকে পড়ো। আর আল্লাহর ওপর নির্ভর কর। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী’ (আনফাল-৬১)। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে হুদাইবিয়ার সন্ধির ঘটনা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, রাষ্ট্রের স্বার্থসংরক্ষণ, দাওয়াতের প্রসার ও দিনের বিজয়ে সন্ধির অবদান ছিল অনেক বেশি। যদিও বাহ্যিক বিচারে সন্ধি ছিল একটু অপমানজনক ও শত্রু পক্ষকে ছাড় দেওয়া কিন্তু এর ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী। ইসলামে কোনো যুদ্ধ, জিহাদ বা অভিযানকে ‘ফাতহুম মুবিন’ বা সুস্পষ্ট বিজয় বলা হয়নি। কিন্তু সন্ধি চুক্তিকে সুস্পষ্ট বিজয় বলে পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে।
চতুর্থত, যোদ্ধাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা। অর্থাৎ যদি যুদ্ধ করা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ না থাকে তাহলে যুদ্ধের ময়দানে যোদ্ধাদের সঙ্গেই-বা যারা অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করতে সামনে আসে তাদের সঙ্গেই যুদ্ধ করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করো তাদের সঙ্গে যারা তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করছে। কিন্তু সীমা লঙ্ঘন করো না। আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না’ (সুরা বাকারা-১৯০)। এখানেও ইসলাম ন্যায়সঙ্গত যুদ্ধ করার কথা বলে। জনগণের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণের নিমিত্তে মাতৃভূমিকে বহিঃশত্রু ও অভ্যন্তরীণ শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য জানমাল ও জ্ঞানবুদ্ধি দ্বারা যে সংগ্রাম করা হয় সেটাই ন্যায়সঙ্গত যুদ্ধ। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকো, যতক্ষণ না ফিতনা দূর হয়’ (সুরা বাকারা-১৯৩)
যুদ্ধক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে সাধারণ নাগরিক, নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা আঘাত প্রাপ্ত না হয়। হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যুদ্ধে তোমরা প্রতারণা বা ধোঁকার আশ্রয় নেবে না, চুক্তিভঙ্গ করবে না, কোনো মানুষ বা প্রাণীর মৃতদেহ বিকৃত করবে না বা অসম্মান করবে না, কোনো শিশু-কিশোরকে হত্যা করবে না, কোনো মহিলাকে হত্যা করবে না, কোনো গির্জাবাসী, সন্ন্যাসী বা ধর্মযাজককে হত্যা করবে না, কোনো বৃদ্ধকে হত্যা করবে না, কোনো অসুস্থ মানুষকে হত্যা করবে না, কোনো বাড়িঘর ধ্বংস করবে না, খাদ্যের প্রয়োজন ছাড়া গরু, উট বা কোনো প্রাণী বধ করবে না, যুদ্ধের প্রয়োজন ছাড়া কোনো গাছ কাটবে না। তোমরা দয়া ও কল্যাণ ���রবে, কারণ আল্লাহ দয়াকারী- কল্যাণকারীদেরকে ভালোবাসেন’ (আসসুনানুল কুবরা- ৯/৯০)। ইসলাম সব ধরনের সামরিক আগ্রাসন, নাগরিকদের ওপর বোমা নিক্ষেপ, চরমপন্থা, গণহত্যার বিরোধী। ইসলাম প্রয়োজনসাপেক্ষ যেমন ন্যায়সংগত যুদ্ধের স্বীকৃতি দিয়েছে, তেমনি শান্তিচুক্তি বা সন্ধির বিধানের প্রতি গুরুত্বারোপ করে উত্সাহিত করা হয়েছে। যাতে যুদ্ধ নামক বিভীষিকাময় কাঁটায় মানুষ ক্ষতবিক্ষত না হয়।
ইসলামি পণ্ডিতদের মতে, ইসলামের যুদ্ধনীতির গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো—নারী, শিশু, অযোদ্ধা, বয়োবৃদ্ধ, শ্রমিক, প্রতিবন্ধীর ওপর আক্রমণ করা যাবে না, মৃত যোদ্ধার লাশের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা যাবে না, আত্মসমপর্ণকারীদের প্রতি দয়াশীল হতে হবে, যুদ্ধবন্দিদের সঙ্গে সদাচরণ করতে হবে, প্রয়োজন ছাড়া বৃক্ষ কর্তন করা যাবে না, পশুপাখি হত্যা করা যাবে না, ঘরবাড়ি ধ্বংস করা যাবে না ইত্যাদি।
মোদ্দা কথা, ইসলামে সামরিক যুদ্ধনীতি আক্রমণাত্মক নয়, বরং আত্মরক্ষামূলক। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন দেশে যে যুদ্ধ হচ্ছে তার প্রায় সবগুলোই আক্রমণাত্মক যুদ্ধ। সামরিক শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো নিজেদের স্বার্থ ও আধিপত্য বিস্তারে আগ্রাসী যুদ্ধ অভিযান পরিচালনা করছে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আক্রান্ত রাষ্ট্রকে কোণঠাসা করে ফেলছে। এতে সাধারণ নাগরিকদের জীবন বিষণ্ণ হয়ে উঠছে, যা বড় ধরনের মানব অপরাধ। ইসলাম এমন সব কার্যক্রমকে কঠোরভাবে নিষেধ করে। যুদ্ধ যেমন জাতি গোষ্ঠীর অস্তিত্বকে নিশ্চিহ্ন করে, তেমনি প্রাকৃতিক সম্পদ বিনষ্ট করে এবং পৃথিবীর অন্য ভূখণ্ডে বসবাসরত মানুষের জীবনকেও সংকটময় করে তুলে। তাই সব রাষ্ট্রকে এসব জঘন্যতম মানব অপরাধ থেকে বিরত থাকা উচিত।
নবীজি সাঃ এর যুদ্ধনীতি কতটা মানবিক ছিলো !!
youtube
ইসলামে যুদ্ধের নিয়ম-islamic war
youtube
কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ইসলামে যুদ্ধনীতি | 
youtube
youtube
Guidelines in the Quran for Fighting 
youtube
ইসলামে যুদ্ধনীতি ও বর্তমান বিশ্ব
War policy in Islam and the present world
0 notes
mylordisallah · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামে যুদ্ধনীতি ও বর্তমান বিশ্ব
মানবতার সবচেয়ে বড় জঘন্যতম অপরাধ হলো যুদ্ধবিগ্রহ। যুদ্ধ মানেই বিভীষিকা, মৃত্যু, ধ্বংস ও অশান্তি। ইসলামে প্রাথমিকভাবে সব যুদ্ধ-বিগ্রহ হারাম। প্রয়োজনসাপেক্ষে ইসলাম যুদ্ধ করার অনুমতি দিয়েছে কিছু শর্তারোপ করে। যা বিদ্যমান থাকলে তবেই যুদ্ধ করা যাবে। প্রথমত, রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ও রাষ্ট্র প্রধানের অনুমতি। রাষ্ট্র অস্তিত্ব ও রাষ্ট্র প্রধানের অন���মতি বা নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে রসুল (স.) বলেন, ‘রাষ্ট্রপ্রধান হলো ঢাল, যাকে সামনে রেখে যুদ্ধ পরিচালিত হবে’ (বুখারি- ২/৫৫৩)। দ্বিতীয়ত, রাষ্ট্র অনিরাপদ বা হুমকির সম্মুখীন হলে। অর্থাৎ শত্রুপক্ষ আক্রমণ করবে বা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নাগরিক নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হলে আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধনীতির অনুমোদন দেয় ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘যুদ্ধের অনুমতি দেওয়া হলো তাদেরকে, যারা আক্রান্ত হয়েছে। কারণ, তাদের প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে।’ (সুরা হজ্জ-৩৯)।
তৃতীয়ত, সন্ধি ও শান্তির সুযোগ গ্রহণ। যে কোনো ধরনের যুদ্ধই ধ্বংস ও অশান্তি সৃষ্টির পথ। মানবজাতিকে যাতে ধ্বংস ও সংকটময় পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়, সেই জন্য ইসলাম যুদ্ধপূর্বে সন্ধি বা শান্তিচুক্তির ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে ও নির্দেশনা দিয়েছে। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তারা যদি সন্ধির প্রতি ঝুঁকে পড়ে, তবে তুমিও তাদের প্রতি ঝুঁকে পড়ো। আর আল্লাহর ওপর নির্ভর কর। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী’ (আনফাল-৬১)। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে হুদাইবিয়ার সন্ধির ঘটনা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, রাষ্ট্রের স্বার্থসংরক্ষণ, দাওয়াতের প্রসার ও দিনের বিজয়ে সন্ধির অবদান ছিল অনেক বেশি। যদিও বাহ্যিক বিচারে সন্ধি ছিল একটু অপমানজনক ও শত্রু পক্ষকে ছাড় দেওয়া কিন্তু এর ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী। ইসলামে কোনো যুদ্ধ, জিহাদ বা অভিযানকে ‘ফাতহুম মুবিন’ বা সুস্পষ্ট বিজয় বলা হয়নি। কিন্তু সন্ধি চুক্তিকে সুস্পষ্ট বিজয় বলে পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে।
চতুর্থত, যোদ্ধাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা। অর্থাৎ যদি যুদ্ধ করা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ না থাকে তাহলে যুদ্ধের ময়দানে যোদ্ধাদের সঙ্গেই-বা যারা অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করতে সামনে আসে তাদের সঙ্গেই যুদ্ধ করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করো তাদের সঙ্গে যারা তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করছে। কিন্তু সীমা লঙ্ঘন করো না। আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না’ (সুরা বাকারা-১৯০)। এখানেও ইসলাম ন্যায়সঙ্গত যুদ্ধ করার কথা বলে। জনগণের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণের নিমিত্তে মাতৃভূমিকে বহিঃশত্রু ও অভ্যন্তরীণ শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য জানমাল ও জ্ঞানবুদ্ধি দ্বারা যে সংগ্রাম করা হয় সেটাই ন্যায়সঙ্গত যুদ্ধ। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকো, যতক্ষণ না ফিতনা দূর হয়’ (সুরা বাকারা-১৯৩)
যুদ্ধক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে সাধারণ নাগরিক, নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা আঘাত প্রাপ্ত না হয়। হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যুদ্ধে তোমরা প্রতারণা বা ধোঁকার আশ্রয় নেবে না, চুক্তিভঙ্গ করবে না, কোনো মানুষ বা প্রাণীর মৃতদেহ বিকৃত করবে না বা অসম্মান করবে না, কোনো শিশু-কিশোরকে হত্যা করবে না, কোনো মহিলাকে হত্যা করবে না, কোনো গির্জাবাসী, সন্ন্যাসী বা ধর্মযাজককে হত্যা করবে না, কোনো বৃদ্ধকে হত্যা করবে না, কোনো অসুস্থ মানুষকে হত্যা করবে না, কোনো বাড়িঘর ধ্বংস করবে না, খাদ্যের প্রয়োজন ছাড়া গরু, উট বা কোনো প্রাণী বধ করবে না, যুদ্ধের প্রয়োজন ছাড়া কোনো গাছ কাটবে না। তোমরা দয়া ও কল্যাণ করবে, কারণ আল্লাহ দয়াকারী- কল্যাণকারীদেরকে ভালোবাসেন’ (আসসুনানুল কুবরা- ৯/৯০)। ইসলাম সব ধরনের সামরিক আগ্রাসন, নাগরিকদের ওপর বোমা নিক্ষেপ, চরমপন্থা, গণহত্যার বিরোধী। ইসলাম প্রয়োজনসাপেক্ষ যেমন ন্যায়সংগত যুদ্ধের স্বীকৃতি দিয়েছে, তেমনি শান্তিচুক্তি বা সন্ধির বিধানের প্রতি গুরুত্বারোপ করে উত্সাহিত করা হয়েছে। যাতে যুদ্ধ নামক বিভীষিকাময় কাঁটায় মানুষ ক্ষতবিক্ষত না হয়।
ইসলামি পণ্ডিতদের মতে, ইসলামের যুদ্ধনীতির গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো—নারী, শিশু, অযোদ্ধা, বয়োবৃদ্ধ, শ্রমিক, প্রতিবন্ধীর ওপর আক্রমণ করা যাবে না, মৃত যোদ্ধার লাশের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা যাবে না, আত্মসমপর্ণকারীদের প্রতি দয়াশীল হতে হবে, যুদ্ধবন্দিদের সঙ্গে সদাচরণ করতে হবে, প্রয়োজন ছাড়া বৃক্ষ কর্তন করা যাবে না, পশুপাখি হত্যা করা যাবে না, ঘরবাড়ি ধ্বংস করা যাবে না ইত্যাদি।
মোদ্দা কথা, ইসলামে সামরিক যুদ্ধনীতি আক্রমণাত্মক নয়, বরং আত্মরক্ষামূলক। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন দেশে যে যুদ্ধ হচ্ছে তার প্রায় সবগুলোই আক্রমণাত্মক যুদ্ধ। সামরিক শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো নিজেদের স্বার্থ ও আধিপত্য বিস্তারে আগ্রাসী যুদ্ধ অভিযান পরিচালনা করছে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আক্রান্ত রাষ্ট্রকে কোণঠাসা করে ফেলছে। এতে সাধারণ নাগরিকদের জীবন বিষণ্ণ হয়ে উঠছে, যা বড় ধরনের মানব অপরাধ। ইসলাম এমন সব কার্যক্রমকে কঠোরভাবে নিষেধ করে। যুদ্ধ যেমন জাতি গোষ্ঠীর অস্তিত্বকে নিশ্চিহ্ন করে, তেমনি প্রাকৃতিক সম্পদ বিনষ্ট করে এবং পৃথিবীর অন্য ভূখণ্ডে বসবাসরত মানুষের জীবনকেও সংকটময় করে তুলে। তাই সব রাষ্ট্রকে এসব জঘন্যতম মানব অপরাধ থেকে বিরত থাকা উচিত।
নবীজি সাঃ এর যুদ্ধনীতি কতটা মানবিক ছিলো !!
youtube
ইসলামে যুদ্ধের নিয়ম-islamic war
youtube
কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ইসলামে যুদ্ধনীতি | 
youtube
youtube
Guidelines in the Quran for Fighting 
youtube
ইসলামে যুদ্ধনীতি ও বর্তমান বিশ্ব
War policy in Islam and the present world
0 notes
mitallimondal · 6 months ago
Text
কবীর পরমেশ্বর-ই নরসিংহ রূপ ধারণ করে প্রহ্লাদের রক্ষা করেছিলেন আর তার পিতা হিরণ্যকশিপুর কে বধ করেছিলেন। কবীর পরমেশ্বর-ই প্রতিটা মুহূর্তে নিজের দৃঢ় ভক্তদের রক্ষা করেন।
कबीर परमेश्वर ने ही नरसिंह रूप धारण करके प्रहलाद की रक्षा की थी और उसके पिता हिरण्यकशिपु का वध किया था। कबीर परमेश्वर ही पल-पल अपने दृढ़ भक्तों की रक्षा करते हैं।
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
0 notes
banglavisiononline · 6 months ago
Link
ব্যাটিং, বোলিং কিংবা ক্যাচিং-সব দিয়ে যেন আজ (শনি
0 notes
gitaacharaninbengali · 6 months ago
Text
28. পরমাত্মা সাথে এক হওয়া
শ্রীকৃষ্ণ স্বধর্ম (2.31-2.37) এবং পরধর্ম (3.35) সম্পর্কে বলেন এবং শেষে সমস্ত ধর্ম ত্যাগ করে ঈশ্বরের সাথে এক হওয়ার পরামর্শ দেন (18.66)।
অর্জুনের বিষাদ তার ভয় থেকে উদ্ভূত হয়েছিল যে তিনি যুদ্ধে লিপ্ত হলে এবং তার ভাইদের বধ করলে তার খ্যাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শ্রীকৃষ্ণ তাকে বলেন যে যুদ্ধ থেকে পালিয়ে গেলেও সে তার সুনাম নষ্ট করবে, কারণ যুদ্ধ তার স্বধর্ম। সবাই অনুভব করবে যে অর্জুন যুদ্ধে যোগ দিতে ভয় পায় এবং যুদ্ধের ভয় একজন ক্ষত্রিয়ের জন্য মৃত্যুর চেয়েও খারাপ (2.34-2.36)।
শ্রীকৃষ্ণ আরও ব্যাখ্যা করেছেন যে স্বধর্ম, যদিও ত্রুটিপূর্ণ বা গুণহীন, পরধর্মের চেয়ে উত্তম এবং স্বধর্মের পথে মৃত্যু উত্তম, কারণ পরধর্ম ভীতিকর (3.35)।
বাইরের দিকে তাকানো ইন্দ্রিয়গুলি পরধর্মকে সহজ এবং ভাল খুঁজে পায়, বিশেষত যখন আমরা সফল ব্যক্তিদের দেখি, যেখানে অভ্যন্তরীণ স্বধর্মের জন্য শৃঙ্খলা এবং কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় এবং ধীরে ধীরে আমাদের মধ্যে উন্মোচন করতে হয়। সাধারণত আমাদের স্ব-মূল্যবোধ অন্যের সাথে নিজেদের তুলনা করার মাধ্যমে আসে। এই তুলনার মধ্যে রয়েছে, অন্যান্য বিষয়গুলির মধ্যে, আমরা যে মর্যাদাপূর্ণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি, স্কুলে গ্রেড, চাকরি বা পেশায় ভাল উপার্জন এবং আমাদের পথে আসা শক্তি/খ্যাতি। এই ধরনের তুলনা করে আমরা নিজেকে অন্যদের থেকে ভালো করার চেষ্টা করি। কিন্তু শ্রী কৃষ্ণের জন্য প্রত্যেকেই অনন্য এবং স্বধর্ম অনুসারে স্বতন্ত্রভাবে প্রস্ফুটিত হবে। তিনি বলেন যে যদিও অব্যক্ত সকলের মধ্যে একই, প্রতিটি উদ্ভাসিত সত্তা অনন্য।
অবশেষে, শ্রীকৃষ্ণ আমাদের উপদেশ দেন সকল ধর্ম পরিত্যাগ করতে এবং তাঁর শরণাপন্ন হতে কারণ তিনি আমাদের সকল পাপ থেকে মুক্ত করবেন (18.66)। এটা ভক্তিযোগে আত্মসমর্পণের অনুরূপ এবং এটি আধ্যাত্মিকতার অন্যতম ভিত্তি।
নদী যেমন সমুদ্রের অংশ হয়ে গেলে তার স্বধর্ম হারায়, তেমনি পরমাত্মার সাথে এক হতে হলে আমাদের অহং ও স্বধর্ম হারাতে হবে।
0 notes
mellowsoulwizard · 1 year ago
Text
#পৰমাত্মা_চাৰিওযুগত_আহে
কবীৰ পাৰ্মেশ্বৰ জীয়ে সত্যুগত ভক্ত প্ৰহ্লাদক ৰক্ষা কৰিবলৈ নৰসিংহ ৰূপ লৈ হিৰণ্যকশিপুৰ বধ কৰিছিল।
Kabir Is Supreme God
Tumblr media
0 notes
allahisourrabb · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামে যুদ্ধনীতি ও বর্তমান বিশ্ব
মানবতার সবচেয়ে বড় জঘন্যতম অপরাধ হলো যুদ্ধবিগ্রহ। যুদ্ধ মানেই বিভীষিকা, মৃত্যু, ধ্বংস ও অশান্তি। ইসলামে প্রাথমিকভাবে সব যুদ্ধ-বিগ্রহ হারাম। প্রয়োজনসাপেক্ষে ইসলাম যুদ্ধ করার অনুমতি দিয়েছে কিছু শর্তারোপ করে। যা বিদ্যমান থাকলে তবেই যুদ্ধ করা যাবে। প্রথমত, রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ও রাষ্ট্র প্রধানের অনুমতি। রাষ্ট্র অস্তিত্ব ও রাষ্ট্র প্রধানের অনুমতি বা নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে রসুল (স.) বলেন, ‘রাষ্ট্রপ্রধান হলো ঢাল, যাকে সামনে রেখে যুদ্ধ পরিচালিত হবে’ (বুখারি- ২/৫৫৩)। দ্বিতীয়ত, রাষ্ট্র অনিরাপদ বা হুমকির সম্মুখীন হলে। অর্থাৎ শত্রুপক্ষ আক্রমণ করবে বা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নাগরিক নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হলে আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধনীতির অনুমোদন দেয় ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘যুদ্ধের অনুমতি দেওয়া হলো তাদেরকে, যারা আক্রান্ত হয়েছে। কারণ, তাদের প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে।’ (সুরা হজ্জ-৩৯)।
তৃতীয়ত, সন্ধি ও শান্তির সুযোগ গ্রহণ। যে কোনো ধরনের যুদ্ধই ধ্বংস ও অশান্তি সৃষ্টির পথ। মানবজাতিকে যাতে ধ্বংস ও সংকটময় পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়, সেই জন্য ইসলাম যুদ্ধপূর্বে সন্ধি বা শান্তিচুক্তির ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে ও নির্দেশনা দিয়েছে। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তারা যদি সন্ধির প্রতি ঝুঁকে পড়ে, তবে তুমিও তাদের প্রতি ঝুঁকে পড়ো। আর আল্লাহর ওপর নির্ভর কর। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী’ (আনফাল-৬১)। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে হুদাইবিয়ার সন্ধির ঘটনা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, রাষ্ট্রের স্বার্থসংরক্ষণ, দাওয়াতের প্রসার ও দিনের বিজয়ে সন্ধির অবদান ছিল অনেক বেশি। যদিও বাহ্যিক বিচারে সন্ধি ছিল একটু অপমানজনক ও শত্রু পক্ষকে ছাড় দেওয়া কিন্তু এর ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী। ইসলামে কোনো যুদ্ধ, জিহাদ বা অভিযানকে ‘ফাতহুম মুবিন’ বা সুস্পষ্ট বিজয় বলা হয়নি। কিন্তু সন্ধি চুক্তিকে সুস্পষ্ট বিজয় বলে পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে।
চতুর্থত, যোদ্ধাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা। অর্থাৎ যদি যুদ্ধ করা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ না থাকে তাহলে যুদ্ধের ময়দানে যোদ্ধাদের সঙ্গেই-বা যারা অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করতে সামনে আসে তাদের সঙ্গেই যুদ্ধ করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করো তাদের সঙ্গে যারা তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করছে। কিন্তু সীমা লঙ্ঘন করো না। আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না’ (সুরা বাকারা-১৯০)। এখানেও ইসলাম ন্যায়সঙ্গত যুদ্ধ করার কথা বলে। জনগণের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণের নিমিত্তে মাতৃভূমিকে বহিঃশত্রু ও অভ্যন্তরীণ শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য জানমাল ও জ্ঞানবুদ্ধি দ্বারা যে সংগ্রাম করা হয় সেটাই ন্যায়সঙ্গত যুদ্ধ। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকো, যতক্ষণ না ফিতনা দূর হয়’ (সুরা বাকারা-১৯৩)
যুদ্ধক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে সাধারণ নাগরিক, নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা আঘাত প্রাপ্ত না হয়। হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যুদ্ধে তোমরা প্রতারণা বা ধোঁকার আশ্রয় নেবে না, চুক্তিভঙ্গ করবে না, কোনো মানুষ বা প্রাণীর মৃতদেহ বিকৃত করবে না বা অসম্মান করবে না, কোনো শিশু-কিশোরকে হত্যা করবে না, কোনো মহিলাকে হত্যা করবে না, কোনো গির্জাবাসী, সন্ন্যাসী বা ধর্মযাজককে হত্যা করবে না, কোনো বৃদ্ধকে হত্যা করবে না, কোনো অসুস্থ মানুষকে হত্যা করবে না, কোনো বাড়িঘর ধ্বংস করবে না, খাদ্যের প্রয়োজন ছাড়া গরু, উট বা কোনো প্রাণী বধ করবে না, যুদ্ধের প্রয়োজন ছাড়া কোনো গাছ কাটবে না। তোমরা দয়া ও কল্যাণ কর��ে, কারণ আল্লাহ দয়াকারী- কল্যাণকারীদেরকে ভালোবাসেন’ (আসসুনানুল কুবরা- ৯/৯০)। ইসলাম সব ধরনের সামরিক আগ্রাসন, নাগরিকদের ওপর বোমা নিক্ষেপ, চরমপন্থা, গণহত্যার বিরোধী। ইসলাম প্রয়োজনসাপেক্ষ যেমন ন্যায়সংগত যুদ্ধের স্বীকৃতি দিয়েছে, তেমনি শান্তিচুক্তি বা সন্ধির বিধানের প্রতি গুরুত্বারোপ করে উত্সাহিত করা হয়েছে। যাতে যুদ্ধ নামক বিভীষিকাময় কাঁটায় মানুষ ক্ষতবিক্ষত না হয়।
ইসলামি পণ্ডিতদের মতে, ইসলামের যুদ্ধনীতির গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো—নারী, শিশু, অযোদ্ধা, বয়োবৃদ্ধ, শ্রমিক, প্রতিবন্ধীর ওপর আক্রমণ করা যাবে না, মৃত যোদ্ধার লাশের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা যাবে না, আত্মসমপর্ণকারীদের প্রতি দয়াশীল হতে হবে, যুদ্ধবন্দিদের সঙ্গে সদাচরণ করতে হবে, প্রয়োজন ছাড়া বৃক্ষ কর্তন করা যাবে না, পশুপাখি হত্যা করা যাবে না, ঘরবাড়ি ধ্বংস করা যাবে না ইত্যাদি।
মোদ্দা কথা, ইসলামে সামরিক যুদ্ধনীতি আক্রমণাত্মক নয়, বরং আত্মরক্ষামূলক। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন দেশে যে যুদ্ধ হচ্ছে তার প্রায় সবগুলোই আক্রমণাত্মক যুদ্ধ। সামরিক শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো নিজেদের স্বার্থ ও আধিপত্য বিস্তারে আগ্রাসী যুদ্ধ অভিযান পরিচালনা করছে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আক্রান্ত রাষ্ট্রকে কোণঠাসা করে ফেলছে। এতে সাধারণ নাগরিকদের জীবন বিষণ্ণ হয়ে উঠছে, যা বড় ধরনের মানব অপরাধ। ইসলাম এমন সব কার্যক্রমকে কঠোরভাবে নিষেধ করে। যুদ্ধ যেমন জাতি গোষ্ঠীর অস্তিত্বকে নিশ্চিহ্ন করে, তেমনি প্রাকৃতিক সম্পদ বিনষ্ট করে এবং পৃথিবীর অন্য ভূখণ্ডে বসবাসরত মানুষের জীবনকেও সংকটময় করে তুলে। তাই সব রাষ্ট্রকে এসব জঘন্যতম মানব অপরাধ থেকে বিরত থাকা উচিত।
নবীজি সাঃ এর যুদ্ধনীতি কতটা মানবিক ছিলো !!
youtube
ইসলামে যুদ্ধের নিয়ম-islamic war
youtube
কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ইসলামে যুদ্ধনীতি | 
youtube
youtube
Guidelines in the Quran for Fighting 
youtube
ইসলামে যুদ্ধনীতি ও বর্তমান বিশ্ব
War policy in Islam and the present world
0 notes
soreet · 1 year ago
Text
Tumblr media
#পৰমাত্মা_চাৰিওযুগত_আহে
কবীৰ পৰমেশ্বৰে নৰসিংহ ৰূপ ধাৰণ কৰি প্ৰহ্লাদৰ ৰক্ষা কৰিছিল আৰু তেওঁৰ পিতা হিৰণ্যকশিপুক বধ কৰিছিল। কবীৰ পৰমেশ্বৰে পলে পলে নিজৰ দৃঢ় ভকতক ৰক্ষা কৰে।
Kabir Is Supreme God
0 notes
Text
#কবীর_পরমেশ্বরের_চমৎকার
কবীর পরমাত্মা আধ্যাত্বিক গূঢ় রহস্যের পর্দা ফাঁস করে বলেছেন,ভক্তিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আমি দ্রৌপদীর বস্ত্র বাড়িয়েছিলাম আর আমি হিরণ্যকশিপু তথা কংসকে বধ করেছিলাম ।
God Kabir Prakat Diwas 4 June
Tumblr media
0 notes