#১৮০
Explore tagged Tumblr posts
mobilemarrt · 9 days ago
Text
মালিকবিহীন ৩১টি ভারতীয় বিভিন্ন মডেলের ব্যবহৃত চোরাই মোবাইল ফোন আটক  
মাহিদুল ইসলাম ফরহাদ  চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি     অদ্য ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ আনুমানিক ০৯:২০ ঘটিকায় অত্র ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের দ��য়া তথ্যের ভিত্তিতে ও দিক নির্দেশনায় তেলকুপি বিওপির নায়েক মোঃ শাখাওয়াত হোসেন এর নেতৃত্বে একটি চৌকষ টহল দল সীমান্ত মেইন পিলার ১৮০ হতে আনুমানিক ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যান্তরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন বিনোদপুর ইউনিয়নের জমিনপুর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে।…
0 notes
business24bdinfo · 18 days ago
Text
বিভিন্ন দেশে আটকে আছে এয়ারলাইনস আয়ের ১৭০ কোটি ডলার
আন্তর্জাতিক এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) জানিয়েছে, অক্টোবর পর্যন্ত এয়ারলাইনস খাতে আয়ের ১৭০ কোটি ডলার আটকে রেখেছিল বিভিন্ন দেশ। অর্থের এ পরিমাণ এপ্রিলের ১৮০ কোটি ডলার থেকে সামান্য কম। এ সময় পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আলজেরিয়া ও ইথিওপিয়ায় পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে মোজাম্বিক, বলিভিয়া ও পশ্চিম আফ্রিকায়। নয়টি দেশে আটকে আছে এ অর্থের ৮৩ শতাংশ বা ১৪৩ কোটি…
0 notes
basicpart · 18 days ago
Text
ভারতে ভাঙা হলো প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো মসজিদের একাংশ
ভারতের উত্তর প্রদেশের ফতেহপুরে প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন একটি মসজিদের একটি অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। শহরের বান্দা-ফতেহপুর সড়কের ওপর মসজিদটির একটি অংশ পড়ায় মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এই কাজ করা হয় বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের। ওই মসজিদটির নাম নূরি জামে মসজিদ। এটি ১৮০ বছরের পুরোনো। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সড়কের ওপর মসজিদের একাংশ পড়ায় মসজিদ কমটিকে নোটিশ দেয়া হয়েছিল। তারপরও সেই অংশ ভাঙেনি…
0 notes
dailycomillanews · 18 days ago
Text
ভারতে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ১৮০ বছরের পুরনো মসজিদ
ভারতের উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুরে ১৮০ বছরের একটি পুরনো মসজিদের একাংশ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে দেশটির স্থানীয় প্রশাসন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে ফতেহপুর জেলার লালৌলি শহরের সদর বাজারে অবস্থিত নূরী জামে মসজিদের পিছনের অংশটি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) অবিনাশ ত্রিপাঠি এবং এএসপি বিজয়শঙ্কর মিশ্রের নেতৃত্বে এই ব্যবস্থা…
0 notes
rapidupdate · 18 days ago
Text
হাইতিতে প্রতিশোধে গ্যাংস্টার বাবার হাতে ১৮০ জন নিহত।
0 notes
quransunnahdawah · 24 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলাম ও অন্যান্য ধর্মের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে তাওহীদ।
youtube
youtube
youtube
তাওহীদ বা একত্ববাদ
ইসলামি পরিভাষায় তাওহীদ হলো সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তার জন্য নির্ধারিত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা।
আল্লাহ্��� একমাত্র সত্য উপাস্য
তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্‌র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্‌র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
আল্লাহ্‌ ছাড়া কোনো 'সত্য উপাস্য' নাই।
তাওহিদ সমস্ত ইসলামী বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু। তাওহিদ হলো এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে ��ৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
তাওহীদ বা একত্ববাদের তাৎপর্য ও গুরুত্ব
সব সদ্‌গুণাবলির অধিকারী ও সর্বশক্তির আধার অবশ্যম্ভাবী সত্তা, যিনি অনাদি অনন্ত, যাঁর শুরু নেই, শেষ নেই, লয়-ক্ষয় ও পরিবর্তন নেই, কিছুই ছিল না, তিনি ছিলেন, সবকিছু ফানা হয়ে যাবে, তিনি থাকবেন, তিনি সব সৃষ্টির খালিক ও মালিক, সৃজন, লালন-পালন, সংরক্ষণ ও ধ্বংস সাধন যাঁর এখতিয়ার, সেই অদ্বিতীয় সত্তার নাম ‘আল্লাহ’। কোরআনে কারিমে সুরা ফাতিহার সূচনায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিজের পরিচয় ও পরিচিতি প্রদান করেছেন। ‘আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা! যিনি জগৎসমূহের প্রতিপালক, যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু, যিনি কর্মফল দিবসের মালিক।’ (সুরা-১ ফাতিহা, আয়াত: ১-৩)।
আল্লাহ তাআলার গুণাবলি বিবেচনায় তাঁর বহু নাম রয়েছে, যা ‘ইসমে সিফাত’ বা গুণবাচক নাম। এগুলোকে ‘আসমাউল হুসনা’ বলা হয়। কোরআন মাজিদে রয়েছে: ‘আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার রয়েছে সুন্দর সুন্দর নামসমূহ। তোমরা তাঁকে সেসব নামে ডাকো।’ (সুরা-৭ আরাফ, আয়াত: ১৮০)। ‘তোমরা আল্লাহ নামে ডাকো অথবা রহমান নামে তাঁকে ডাকো (যে নামেই ডাকো তিনি সাড়া দেবেন)। তাঁর রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ।’ (সুরা-১৭ ইসরা, আয়াত: ১১০)।
আল্লাহকে বিশ্বাস করা মানেই হলো তাঁর জাত ও সিফাত (সত্তা ও গুণাবলি) বিশ্বাস করা।
তাওহিদ বা একত্ববাদ
ইসলামি বিশ্বাসের মৌলিক তিনটি বিষয় হলো তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত। এর মধ্যে তাওহিদ হলো প্রধান ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্পর্যমণ্ডিত। সব নবী–রাসুল (আ.)–গণের কালিমা বা প্রচারের মূলমন্ত্র ছিল এই তাওহিদেরই মর্মবাণী ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’। অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই’। দ্বিতীয় অংশে হলো যুগের নবী–রাসুলের পরিচয় ও স্বীকৃতির ঘোষণা। যেমন ‘আদামু ছফিয়ুল্লাহ’ (আদম আ. আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত), ‘নূহুন নাজিয়ুল্লাহ’ (নূহ আ. আল্লাহ কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত), ‘ইবরাহিমু খলিলুল্লাহ’ (ইবরাহিম আ. আল্লাহর খলিল বা বন্ধু), ‘দাউদু খলিফাতুল্লাহ’ (দাউদ আ. আল্লাহর খলিফা), ‘মুসা কালিমুল্লাহ’ (মুসা আ. আল্লাহর কালামপ্রাপ্ত), ঈসা রুহুল্লাহ’ (ঈসা আ. আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা রুহ), ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল)। লক্ষণীয়, কালিমার দ্বিতীয় অংশ রিসালাতের বিবরণ আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর আগমনের পূর্ব পর্যন্ত যুগে যুগে পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু কালিমার প্রথম অংশ তাওহিদ তথা আল্লাহর জাত ও সিফাতের (সত্তা ও গুণাবলি) বিবৃতি কোনোরূপ পরিবর্তিত হয়নি।
 
তাওহিদ ও শিরক
তাওহিদের বিপরীত হলো শিরক। শিরক অর্থ শরিক বা অংশীদার স্থির করা। ইসলামি পরিভাষায় শিরক হলো আল্লাহর জাত (সত্তা), সিফাত (গুণাবলি) ও ইবাদত (আনুগত্যে) কোনো কাউকে সমকক্ষ, শরিক বা অংশীদার, হকদার তথা উপযুক্ত মনে করা। মহাজ্ঞানী লুকমান (আ.) তাঁর প্রিয় সন্তানকে শিরক বিষয়ে সতর্ক করে বলেছিলেন: ‘হে আমার স্নেহের পুত্র! তুমি আল্লাহর সাথে শরিক করবে না, নিশ্চয়ই শিরক মহা অন্যায়।’ (সুরা-৩১ লুকমান, আয়াত: ১৩)।
তাওহিদ ফিয্যাত
আল্লাহ এক, একক, অদ্বিতীয়, অবিভাজ্য। তিনি ‘লা শরিক’ অংশীবিহীন। কোরআন মাজিদে সুরা তাওহিদে এই বিষয়ের পরিপূর্ণ বিবরণের সারসংক্ষেপ বিবৃত হয়েছে। ‘বলো, আল্লাহ একক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী (স্বনির্ভর), তিনি জনকও নন এবং তিনি জাতও নহেন, আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।’ (সুরা-১১২ ইখলাস, আয়াত: ১-৪)।
তাওহিদ ফিছিছফাত
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ‘সিফাতে কামাল’ বা পরিপূর্ণ গুণাবলির অধিকারী। সৃষ্টির গুণ বা বৈশিষ্ট্য অসম্পূর্ণ। এর ব্যতিক্রম বিশ্বাস হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’ অর্থাৎ কোনো কাউকে কোনো গুণে বা বৈশিষ্ট্যে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করা বা সমান্তরাল ভাবা হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’।
তাওহিদ ফিল ইবাদত
ইবাদত তথা আনুগত্যে ও উপাসনায় তাঁর কোনো শরিক নেই। মহাগ্রন্থ আল–কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘বলো, হে অবিশ্বাসীরা! আমি সেসবের ইবাদত করি না, যেসবের উপাসনা তোমরা করো। এবং তোমরা তাঁর ইবাদতকারী নও, আমি যাঁর ইবাদত করি। আর আমিও ইবাদতকারী নই তাদের, যাদের তোমরা উপাসনা করো। এবং তোমরাও ইবাদতকারী নও তাঁর, যাঁর ইবাদত আমি করি। তোমরা তোমাদের দীন (কর্মফল) ভোগ করবে, আর আমি আমার দীন (পরিণতি) লাভ করব।’ (সুরা-১০৯ কাফিরুন, আয়াত: ১-৬)। এর ব্যত্যয় হলো ‘শির্ক ফিল ইবাদাত’ অর্থাৎ আল্লাহর ইবাদতে শরিক করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
তাওহীদ বা একত্ববাদ
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 24 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলাম ও অন্যান্য ধর্মের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে তাওহীদ।
youtube
youtube
youtube
তাওহীদ বা একত্ববাদ
ইসলামি পরিভাষায় তাওহীদ হলো সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তার জন্য নির্ধারিত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা।
আল্লাহ্‌ একমাত্র সত্য উপাস্য
তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্‌র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্‌র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
আল্লাহ্‌ ছাড়া কোনো 'সত্য উপাস্য' নাই।
তাওহিদ সমস্ত ইসলামী বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু। তাওহিদ হলো এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
তাওহীদ বা একত্ববাদের তাৎপর্য ও গুরুত্ব
সব সদ্‌গুণাবলির অধিকারী ও সর্বশক্তির আধার অবশ্যম্ভাবী সত্তা, যিনি অনাদি অনন্ত, যাঁর শুরু নেই, শেষ নেই, লয়-ক্ষয় ও পরিবর্তন নেই, কিছুই ছিল না, তিনি ছিলেন, সবকিছু ফানা হয়ে যাবে, তিনি থাকবেন, তিনি সব সৃষ্টির খালিক ও মালিক, সৃজন, লালন-পালন, সংরক্ষণ ও ধ্বংস সাধন যাঁর এখতিয়ার, সেই অদ্বিতীয় সত্তার নাম ‘আল্লাহ’। কোরআনে কারিমে সুরা ফাতিহার সূচনায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিজের পরিচয় ও পরিচিতি প্রদান করেছেন। ‘আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা! যিনি জগৎসমূহের প্রতিপালক, যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু, যিনি কর্মফল দিবসের মালিক।’ (সুরা-১ ফাতিহা, আয়াত: ১-৩)।
আল্লাহ তাআলার গুণাবলি বিবেচনায় তাঁর বহু নাম রয়েছে, যা ‘ইসমে সিফাত’ বা গুণবাচক নাম। এগুলোকে ‘আসমাউল হুসনা’ বলা হয়। কোরআন মাজিদে রয়েছে: ‘আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার রয়েছে সুন্দর সুন্দর নামসমূহ। তোমরা তাঁকে সেসব নামে ডাকো।’ (সুরা-৭ আরাফ, আয়াত: ১৮০)। ‘তোমরা আল্লাহ নামে ডাকো অথবা রহমান নামে তাঁকে ডাকো (যে নামেই ডাকো তিনি সাড়া দেবেন)। তাঁর রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ।’ (সুরা-১৭ ইসরা, আয়াত: ১১০)।
আল্লাহকে বিশ্বাস করা মানেই হলো তাঁর জাত ও সিফাত (সত্তা ও গুণাবলি) বিশ্বাস করা।
তাওহিদ বা একত্ববাদ
ইসলামি বিশ্বাসের মৌলিক তিনটি বিষয় হলো তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত। এর মধ্যে তাওহিদ হলো প্রধান ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্পর্যমণ্ডিত। সব নবী–রাসুল (আ.)–গণের কালিমা বা প্রচারের মূলমন্ত্র ছিল এই তাওহিদেরই মর্মবাণী ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’। অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই’। দ্বিতীয় অংশে হলো যুগের নবী–রাসুলের পরিচয় ও স্বীকৃতির ঘোষণা। যেমন ‘আদামু ছফিয়ুল্লাহ’ (আদম আ. আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত), ‘নূহুন নাজিয়ুল্লাহ’ (নূহ আ. আল্লাহ কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত), ‘ইবরাহিমু খলিলুল্লাহ’ (ইবরাহিম আ. আল্লাহর খলিল বা বন্ধু), ‘দাউদু খলিফাতুল্লাহ’ (দাউদ আ. আল্লাহর খলিফা), ‘মুসা কালিমুল্লাহ’ (মুসা আ. আল্লাহর কালামপ্রাপ্ত), ঈসা রুহুল্লাহ’ (ঈসা আ. আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা রুহ), ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল)। লক্ষণীয়, কালিমার দ্বিতীয় অংশ রিসালাতের বিবরণ আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর আগমনের পূর্ব পর্যন্ত যুগে যুগে পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু কালিমার প্রথম অংশ তাওহিদ তথা আল্লাহর জাত ও সিফাতের (সত্তা ও গুণাবলি) বিবৃতি কোনোরূপ পরিবর্তিত হয়নি।
 
তাওহিদ ও শিরক
তাওহিদের বিপরীত হলো শিরক। শিরক অর্থ শরিক বা অংশীদার স্থির করা। ইসলামি পরিভাষায় শিরক হলো আল্লাহর জাত (সত্তা), সিফাত (গুণাবলি) ও ইবাদত (আনুগত্যে) কোনো কাউকে সমকক্ষ, শরিক বা অংশীদার, হকদার তথা উপযুক্ত মনে করা। মহাজ্ঞানী লুকমান (আ.) তাঁর প্রিয় সন্তানকে শিরক বিষয়ে সতর্ক করে বলেছিলেন: ‘হে আমার স্নেহের পুত্র! তুমি আল্লাহর সাথে শরিক করবে না, নিশ্চয়ই শিরক মহা অন্যায়।’ (সুরা-৩১ লুকমান, আয়াত: ১৩)।
তাওহিদ ফিয্যাত
আল্লাহ এক, একক, অদ্বিতীয়, অবিভাজ্য। তিনি ‘লা শরিক’ অংশীবিহীন। কোরআন মাজিদে সুরা তাওহিদে এই বিষয়ের পরিপূর্ণ বিবরণের সারসংক্ষেপ বিবৃত হয়েছে। ‘বলো, আল্লাহ একক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী (স্বনির্ভর), তিনি জনকও নন এবং তিনি জাতও নহেন, আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।’ (সুরা-১১২ ইখলাস, আয়াত: ১-৪)।
তাওহিদ ফিছিছফাত
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ‘সিফাতে কামাল’ বা পরিপূর্ণ গুণাবলির অধিকারী। সৃষ্টির গুণ বা বৈশিষ্ট্য অসম্পূর্ণ। এর ব্যতিক্রম বিশ্বাস হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’ অর্থাৎ কোনো কাউকে কোনো গুণে বা বৈশিষ্ট্যে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করা বা সমান্তরাল ভাবা হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’।
তাওহিদ ফিল ইবাদত
ইবাদত তথা আনুগত্যে ও উপাসনায় তাঁর কোনো শরিক নেই। মহাগ্রন্থ আল–কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘বলো, হে অবিশ্বাসীরা! আমি সেসবের ইবাদত করি না, যেসবের উপাসনা তোমরা করো। এবং তোমরা তাঁর ইবাদতকারী নও, আমি যাঁর ইবাদত করি। আর আমিও ইবাদতকারী নই তাদের, যাদের তোমরা উপাসনা করো। এবং তোমরাও ইবাদতকারী নও তাঁর, যাঁর ইবাদত আমি করি। তোমরা তোমাদের দীন (কর্মফল) ভোগ করবে, আর আমি আমার দীন (পরিণতি) লাভ করব।’ (সুরা-১০৯ কাফিরুন, আয়াত: ১-৬)। এর ব্যত্যয় হলো ‘শির্ক ফিল ইবাদাত’ অর্থাৎ আল্লাহর ইবাদতে শরিক করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
তাওহীদ বা একত্ববাদ
0 notes
ilyforallahswt · 24 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলাম ও অন্যান্য ধর্মের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে তাওহীদ।
youtube
youtube
youtube
তাওহীদ বা একত্ববাদ
ইসলামি পরিভাষায় তাওহীদ হলো সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তার জন্য নির্ধারিত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা।
আল্লাহ্‌ একমাত্র সত্য উপাস্য
তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্‌র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্‌র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
আল্লাহ্‌ ছাড়া কোনো 'সত্য উপাস্য' নাই।
তাওহিদ সমস্ত ইসলামী বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু। তাওহিদ হলো এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
তাওহীদ বা একত্ববাদের তাৎপর্য ও গুরুত্ব
সব সদ্‌গুণাবলির অধিকারী ও সর্বশক্তির আধার অবশ্যম্ভাবী সত্তা, যিনি অনাদি অনন্ত, যাঁর শুরু নেই, শেষ নেই, লয়-ক্ষয় ও পরিবর্তন নেই, কিছুই ছিল না, তিনি ছিলেন, সবকিছু ফানা হয়ে যাবে, তিনি থাকবেন, তিনি সব সৃষ্টির খালিক ও মালিক, সৃজন, লালন-পালন, সংরক্ষণ ও ধ্বংস সাধন যাঁর এখতিয়ার, সেই অদ্বিতীয় সত্তার নাম ‘আল্লাহ’। কোরআনে কারিমে সুরা ফাতিহার সূচনায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিজের পরিচয় ও পরিচিতি প্রদান করেছেন। ‘আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা! যিনি জগৎসমূহের প্রতিপালক, যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু, যিনি কর্মফল দিবসের মালিক।’ (সুরা-১ ফাতিহা, আয়াত: ১-৩)।
আল্লাহ তাআলার গুণাবলি বিবেচনায় তাঁর বহু নাম রয়েছে, যা ‘ইসমে সিফাত’ বা গুণবাচক নাম। এগুলোকে ‘আসমাউল হুসনা’ বলা হয়। কোরআন মাজিদে রয়েছে: ‘আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার রয়েছে সুন্দর সুন্দর নামসমূহ। তোমরা তাঁকে সেসব নামে ডাকো।’ (সুরা-৭ আরাফ, আয়াত: ১৮০)। ‘তোমরা আল্লাহ নামে ডাকো অথবা রহমান নামে তাঁকে ডাকো (যে নামেই ডাকো তিনি সাড়া দেবেন)। তাঁর রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ।’ (সুরা-১৭ ইসরা, আয়াত: ১১০)।
আল্লাহকে বিশ্বাস করা মানেই হলো তাঁর জাত ও সিফাত (সত্তা ও গুণাবলি) বিশ্বাস করা।
তাওহিদ বা একত্ববাদ
ইসলামি বিশ্বাসের মৌলিক তিনটি বিষয় হলো তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত। এর মধ্যে তাওহিদ হলো প্রধান ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্পর্যমণ্ডিত। সব নবী–রাসুল (আ.)–গণের কালিমা বা প্রচারের মূলমন্ত্র ছিল এই তাওহিদেরই মর্মবাণী ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’। অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই’। দ্বিতীয় অংশে হলো যুগের নবী–রাসুলের পরিচয় ও স্বীকৃতির ঘোষণা। যেমন ‘আদামু ছফিয়ুল্লাহ’ (আদম আ. আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত), ‘নূহুন নাজিয়ুল্লাহ’ (নূহ আ. আল্লাহ কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত), ‘ইবরাহিমু খলিলুল্লাহ’ (ইবরাহিম আ. আল্লাহর খলিল বা বন্ধু), ‘দাউদু খলিফাতুল্লাহ’ (দাউদ আ. আল্লাহর খলিফা), ‘মুসা কালিমুল্লাহ’ (মুসা আ. আল্লাহর কালামপ্রাপ্ত), ঈসা রুহুল্লাহ’ (ঈসা আ. আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা রুহ), ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল)। লক্ষণীয়, কালিমার দ্বিতীয় অংশ রিসালাতের বিবরণ আখেরি ��বী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর আগমনের পূর্ব পর্যন্ত যুগে যুগে পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু কালিমার প্রথম অংশ তাওহিদ তথা আল্লাহর জাত ও সিফাতের (সত্তা ও গুণাবলি) বিবৃতি কোনোরূপ পরিবর্তিত হয়নি।
 
তাওহিদ ও শিরক
তাওহিদের বিপরীত হলো শিরক। শিরক অর্থ শরিক বা অংশীদার স্থির করা। ইসলামি পরিভাষায় শিরক হলো আল্লাহর জাত (সত্তা), সিফাত (গুণাবলি) ও ইবাদত (আনুগত্যে) কোনো কাউকে সমকক্ষ, শরিক বা অংশীদার, হকদার তথা উপযুক্ত মনে করা। মহাজ্ঞানী লুকমান (আ.) তাঁর প্রিয় সন্তানকে শিরক বিষয়ে সতর্ক করে বলেছিলেন: ‘হে আমার স্নেহের পুত্র! তুমি আল্লাহর সাথে শরিক করবে না, নিশ্চয়ই শিরক মহা অন্যায়।’ (সুরা-৩১ লুকমান, আয়াত: ১৩)।
তাওহিদ ফিয্যাত
আল্লাহ এক, একক, অদ্বিতীয়, অবিভাজ্য। তিনি ‘লা শরিক’ অংশীবিহীন। কোরআন মাজিদে সুরা তাওহিদে এই বিষয়ের পরিপূর্ণ বিবরণের সারসংক্ষেপ বিবৃত হয়েছে। ‘বলো, আল্লাহ একক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী (স্বনির্ভর), তিনি জনকও নন এবং তিনি জাতও নহেন, আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।’ (সুরা-১১২ ইখলাস, আয়াত: ১-৪)।
তাওহিদ ফিছিছফাত
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ‘সিফাতে কামাল’ বা পরিপূর্ণ গুণাবলির অধিকারী। সৃষ্টির গুণ বা বৈশিষ্ট্য অসম্পূর্ণ। এর ব্যতিক্রম বিশ্বাস হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’ অর্থাৎ কোনো কাউকে কোনো গুণে বা বৈশিষ্ট্যে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করা বা সমান্তরাল ভাবা হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’।
তাওহিদ ফিল ইবাদত
ইবাদত তথা আনুগত্যে ও উপাসনায় তাঁর কোনো শরিক নেই। মহাগ্রন্থ আল–কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘বলো, হে অবিশ্বাসীরা! আমি সেসবের ইবাদত করি না, যেসবের উপাসনা তোমরা করো। এবং তোমরা তাঁর ইবাদতকারী নও, আমি যাঁর ইবাদত করি। আর আমিও ইবাদতকারী নই তাদের, যাদের তোমরা উপাসনা করো। এবং তোমরাও ইবাদতকারী নও তাঁর, যাঁর ইবাদত আমি করি। তোমরা তোমাদের দীন (কর্মফল) ভোগ করবে, আর আমি আমার দীন (পরিণতি) লাভ করব।’ (সুরা-১০৯ কাফিরুন, আয়াত: ১-৬)। এর ব্যত্যয় হলো ‘শির্ক ফিল ইবাদাত’ অর্থাৎ আল্লাহর ইবাদতে শরিক করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
তাওহীদ বা একত্ববাদ
0 notes
myreligionislam · 24 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলাম ও অন্যান্য ধর্মের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে তাওহীদ।
youtube
youtube
youtube
তাওহীদ বা একত্ববাদ
ইসলামি পরিভাষায় তাওহীদ হলো সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তার জন্য নির্ধারিত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা।
আল্লাহ্‌ একমাত্র সত্য উপাস্য
তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্‌র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্‌র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
আল্লাহ্‌ ছাড়া কোনো 'সত্য উপাস্য' নাই।
তাওহিদ সমস্ত ইসলামী বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু। তাওহিদ হলো এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
তাওহীদ বা একত্ববাদের তাৎপর্য ও গুরুত্ব
সব সদ্‌গুণাবলির অধিকারী ও সর্বশক্তির আধার অবশ্যম্ভাবী সত্তা, যিনি অনাদি অনন্ত, যাঁর শুরু নেই, শেষ নেই, লয়-ক্ষয় ও পরিবর্তন নেই, কিছুই ছিল না, তিনি ছিলেন, সবকিছু ফানা হয়ে যাবে, তিনি থাকবেন, তিনি সব সৃষ্টির খালিক ও মালিক, সৃজন, লালন-পালন, সংরক্ষণ ও ধ্বংস সাধন যাঁর এখতিয়ার, সেই অদ্বিতীয় সত্তার নাম ‘আল্লাহ’। কোরআনে কারিমে সুরা ফাতিহার সূচনায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিজের পরিচয় ও পরিচিতি প্রদান করেছেন। ‘আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা! যিনি জগৎসমূহের প্রতিপালক, যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু, যিনি কর্মফল দিবসের মালিক।’ (সুরা-১ ফাতিহা, আয়াত: ১-৩)।
আল্লাহ তাআলার গুণাবলি বিবেচনায় তাঁর বহু নাম রয়েছে, যা ‘ইসমে সিফাত’ বা গুণবাচক নাম। এগুলোকে ‘আসমাউল হুসনা’ বলা হয়। কোরআন মাজিদে রয়েছে: ‘আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার রয়েছে সুন্দর সুন্দর নামসমূহ। তোমরা তাঁকে সেসব নামে ডাকো।’ (সুরা-৭ আরাফ, আয়াত: ১৮০)। ‘তোমরা আল্লাহ নামে ডাকো অথবা রহমান নামে তাঁকে ডাকো (যে নামেই ডাকো তিনি সাড়া দেবেন)। তাঁর রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ।’ (সুরা-১৭ ইসরা, আয়াত: ১১০)।
আল্লাহকে বিশ্বাস করা মানেই হলো তাঁর জাত ও সিফাত (সত্তা ও গুণাবলি) বিশ্বাস করা।
তাওহিদ বা একত্ববাদ
ইসলামি বিশ্বাসের মৌলিক তিনটি বিষয় হলো তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত। এর মধ্যে তাওহিদ হলো প্রধান ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্পর্যমণ্ডিত। সব নবী–রাসুল (আ.)–গণের কালিমা বা প্রচারের মূলমন্ত্র ছিল এই তাওহিদেরই মর্মবাণী ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’। অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই’। দ্বিতীয় অংশে হলো যুগের নবী–রাসুলের পরিচয় ও স্বীকৃতির ঘোষণা। যেমন ‘আদামু ছফিয়ুল্লাহ’ (আদম আ. আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত), ‘নূহুন নাজিয়ুল্লাহ’ (নূহ আ. আল্লাহ কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত), ‘ইবরাহিমু খলিলুল্লাহ’ (ইবরাহিম আ. আল্লাহর খলিল বা বন্ধু), ‘দাউদু খলিফাতুল্লাহ’ (দাউদ আ. আল্লাহর খলিফা), ‘মুসা কালিমুল্লাহ’ (মুসা আ. আল্লাহর কালামপ্রাপ্ত), ঈসা রুহুল্লাহ’ (ঈসা আ. আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা রুহ), ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল)। লক্ষণীয়, কালিমার দ্বিতীয় অংশ রিসালাতের বিবরণ আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর আগমনের পূর্ব পর্যন্ত যুগে যুগে পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু কালিমার প্রথম অংশ তাওহিদ তথা আল্লাহর জাত ও সিফাতের (সত্তা ও গুণাবলি) বিবৃতি কোনোরূপ পরিবর্তিত হয়নি।
 
তাওহিদ ও শিরক
তাওহিদের বিপরীত হলো শিরক। শিরক অর্থ শরিক বা অংশীদার স্থির করা। ইসলামি পরিভাষায় শিরক হলো আল্লাহর জাত (সত্তা), সিফাত (গুণাবলি) ও ইবাদত (আনুগত্যে) কোনো কাউকে সমকক্ষ, শরিক বা অংশীদার, হকদার তথা উপযুক্ত মনে করা। মহাজ্ঞানী লুকমান (আ.) তাঁর প্রিয় সন্তানকে শিরক বিষয়ে সতর্ক করে বলেছিলেন: ‘হে আমার স্নেহের পুত্র! তুমি আল্লাহর সাথে শরিক করবে না, নিশ্চয়ই শিরক মহা অন্যায়।’ (সুরা-৩১ লুকমান, আয়াত: ১৩)।
তাওহিদ ফিয্যাত
আল্লাহ এক, একক, অদ্বিতীয়, অবিভাজ্য। তিনি ‘লা শরিক’ অংশীবিহীন। কোরআন মাজিদে সুরা তাওহিদে এই বিষয়ের পরিপূর্ণ বিবরণের সারসংক্ষেপ বিবৃত হয়েছে। ‘বলো, আল্লাহ একক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী (স্বনির্ভর), তিনি জনকও নন এবং তিনি জাতও নহেন, আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।’ (সুরা-১১২ ইখলাস, আয়াত: ১-৪)।
তাওহিদ ফিছিছফাত
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ‘সিফাতে কামাল’ বা পরিপূর্ণ গুণাবলির অধিকারী। সৃষ্টির গুণ বা বৈশিষ্ট্য অসম্পূর্ণ। এর ব্যতিক্রম বিশ্বাস হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’ অর্থাৎ কোনো কাউকে কোনো গুণে বা বৈশিষ্ট্যে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করা বা সমান্তরাল ভাবা হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’।
তাওহিদ ফিল ইবাদত
ইবাদত তথা আনুগত্যে ও উপাসনায় তাঁর কোনো শরিক নেই। মহাগ্রন্থ আল–কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘বলো, হে অবিশ্বাসীরা! আমি সেসবের ইবাদত করি না, যেসবের উপাসনা তোমরা করো। এবং তোমরা তাঁর ইবাদতকারী নও, আমি যাঁর ইবাদত করি। আর আমিও ইবাদতকারী নই তাদের, যাদের তোমরা উপাসনা করো। এবং তোমরাও ইবাদতকারী নও তাঁর, যাঁর ইবাদত আমি করি। তোমরা তোমাদের দীন (কর্মফল) ভোগ করবে, আর আমি আমার দীন (পরিণতি) লাভ করব।’ (সুরা-১০৯ কাফিরুন, আয়াত: ১-৬)। এর ব্যত্যয় হলো ‘শির্ক ফিল ইবাদাত’ অর্থাৎ আল্লাহর ইবাদতে শরিক করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
তাওহীদ বা একত্ববাদ
0 notes
allahisourrabb · 24 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলাম ও অন্যান্য ধর্মের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে তাওহীদ।
youtube
youtube
youtube
তাওহীদ বা একত্ববাদ
ইসলামি পরিভাষায় তাওহীদ হলো সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তার জন্য নির্ধারিত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা।
আল্লাহ্‌ একমাত্র সত্য উপাস্য
তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্‌র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্‌র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। ���াওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
আল্লাহ্‌ ছাড়া কোনো 'সত্য উপাস্য' নাই।
তাওহিদ সমস্ত ইসলামী বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু। তাওহিদ হলো এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
তাওহীদ বা একত্ববাদের তাৎপর্য ও গুরুত্ব
সব সদ্‌গুণাবলির অধিকারী ও সর্বশক্তির আধার অবশ্যম্ভাবী সত্তা, যিনি অনাদি অনন্ত, যাঁর শুরু নেই, শেষ নেই, লয়-ক্ষয় ও পরিবর্তন নেই, কিছুই ছিল না, তিনি ছিলেন, সবকিছু ফানা হয়ে যাবে, তিনি থাকবেন, তিনি সব সৃষ্টির খালিক ও মালিক, সৃজন, লালন-পালন, সংরক্ষণ ও ধ্বংস সাধন যাঁর এখতিয়ার, সেই অদ্বিতীয় সত্তার নাম ‘আল্লাহ’। কোরআনে কারিমে সুরা ফাতিহার সূচনায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিজের পরিচয় ও পরিচিতি প্রদান করেছেন। ‘আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা! যিনি জগৎসমূহের প্রতিপালক, যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু, যিনি কর্মফল দিবসের মালিক।’ (সুরা-১ ফাতিহা, আয়াত: ১-৩)।
আল্লাহ তাআলার গুণাবলি বিবেচনায় তাঁর বহু নাম রয়েছে, যা ‘ইসমে সিফাত’ বা গুণবাচক নাম। এগুলোকে ‘আসমাউল হুসনা’ বলা হয়। কোরআন মাজিদে রয়েছে: ‘আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার রয়েছে সুন্দর সুন্দর নামসমূহ। তোমরা তাঁকে সেসব নামে ডাকো।’ (সুরা-৭ আরাফ, আয়াত: ১৮০)। ‘তোমরা আল্লাহ নামে ডাকো অথবা রহমান নামে তাঁকে ডাকো (যে নামেই ডাকো তিনি সাড়া দেবেন)। তাঁর রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ।’ (সুরা-১৭ ইসরা, আয়াত: ১১০)।
আল্লাহকে বিশ্বাস করা মানেই হলো তাঁর জাত ও সিফাত (সত্তা ও গুণাবলি) বিশ্বাস করা।
তাওহিদ বা একত্ববাদ
ইসলামি বিশ্বাসের মৌলিক তিনটি বিষয় হলো তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত। এর মধ্যে তাওহিদ হলো প্রধান ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্পর্যমণ্ডিত। সব নবী–রাসুল (আ.)–গণের কালিমা বা প্রচারের মূলমন্ত্র ছিল এই তাওহিদেরই মর্মবাণী ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’। অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই’। দ্বিতীয় অংশে হলো যুগের নবী–রাসুলের পরিচয় ও স্বীকৃতির ঘোষণা। যেমন ‘আদামু ছফিয়ুল্লাহ’ (আদম আ. আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত), ‘নূহুন নাজিয়ুল্লাহ’ (নূহ আ. আল্লাহ কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত), ‘ইবরাহিমু খলিলুল্লাহ’ (ইবরাহিম আ. আল্লাহর খলিল বা বন্ধু), ‘দাউদু খলিফাতুল্লাহ’ (দাউদ আ. আল্লাহর খলিফা), ‘মুসা কালিমুল্লাহ’ (মুসা আ. আল্লাহর কালামপ্রাপ্ত), ঈসা রুহুল্লাহ’ (ঈসা আ. আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা রুহ), ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল)। লক্ষণীয়, কালিমার দ্বিতীয় অংশ রিসালাতের বিবরণ আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর আগমনের পূর্ব পর্যন্ত যুগে যুগে পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু কালিমার প্রথম অংশ তাওহিদ তথা আল্লাহর জাত ও সিফাতের (সত্তা ও গুণাবলি) বিবৃতি কোনোরূপ পরিবর্তিত হয়নি।
 
তাওহিদ ও শিরক
তাওহিদের বিপরীত হলো শিরক। শিরক অর্থ শরিক বা অংশীদার স্থির করা। ইসলামি পরিভাষায় শিরক হলো আল্লাহর জাত (সত্তা), সিফাত (গুণাবলি) ও ইবাদত (আনুগত্যে) কোনো কাউকে সমকক্ষ, শরিক বা অংশীদার, হকদার তথা উপযুক্ত মনে করা। মহাজ্ঞানী লুকমান (আ.) তাঁর প্রিয় সন্তানকে শিরক বিষয়ে সতর্ক করে বলেছিলেন: ‘হে আমার স্নেহের পুত্র! তুমি আল্লাহর সাথে শরিক করবে না, নিশ্চয়ই শিরক মহা অন্যায়।’ (সুরা-৩১ লুকমান, আয়াত: ১৩)।
তাওহিদ ফিয্যাত
আল্লাহ এক, একক, অদ্বিতীয়, অবিভাজ্য। তিনি ‘লা শরিক’ অংশীবিহীন। কোরআন মাজিদে সুরা তাওহিদে এই বিষয়ের পরিপূর্ণ বিবরণের সারসংক্ষেপ বিবৃত হয়েছে। ‘বলো, আল্লাহ একক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী (স্বনির্ভর), তিনি জনকও নন এবং তিনি জাতও নহেন, আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।’ (সুরা-১১২ ইখলাস, আয়াত: ১-৪)।
তাওহিদ ফিছিছফাত
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ‘সিফাতে কামাল’ বা পরিপূর্ণ গুণাবলির অধিকারী। সৃষ্টির গুণ বা বৈশিষ্ট্য অসম্পূর্ণ। এর ব্যতিক্রম বিশ্বাস হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’ অর্থাৎ কোনো কাউকে কোনো গুণে বা বৈশিষ্ট্যে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করা বা সমান্তরাল ভাবা হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’।
তাওহিদ ফিল ইবাদত
ইবাদত তথা আনুগত্যে ও উপাসনায় তাঁর কোনো শরিক নেই। মহাগ্রন্থ আল–কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘বলো, হে অবিশ্বাসীরা! আমি সেসবের ইবাদত করি না, যেসবের উপাসনা তোমরা করো। এবং তোমরা তাঁর ইবাদতকারী নও, আমি যাঁর ইবাদত করি। আর আমিও ইবাদতকারী নই তাদের, যাদের তোমরা উপাসনা করো। এবং তোমরাও ইবাদতকারী নও তাঁর, যাঁর ইবাদত আমি করি। তোমরা তোমাদের দীন (কর্মফল) ভোগ করবে, আর আমি আমার দীন (পরিণতি) লাভ করব।’ (সুরা-১০৯ কাফিরুন, আয়াত: ১-৬)। এর ব্যত্যয় হলো ‘শির্ক ফিল ইবাদাত’ অর্থাৎ আল্লাহর ইবাদতে শরিক করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
তাওহীদ বা একত্ববাদ
0 notes
mylordisallah · 24 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলাম ও অন্যান্য ধর্মের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে তাওহীদ।
youtube
youtube
youtube
তাওহীদ বা একত্ববাদ
ইসলামি পরিভাষায় তাওহীদ হলো সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তার জন্য নির্ধারিত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা।
আল্লাহ্‌ একমাত্র সত্য উপাস্য
তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্‌র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্‌র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
আল্লাহ্‌ ছাড়া কোনো 'সত্য উপাস্য' নাই।
তাওহিদ সমস্ত ইসলামী বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু। তাওহিদ হলো এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
তাওহীদ বা একত্ববাদের তাৎপর্য ও গুরুত্ব
সব সদ্‌গুণাবলির অধিকারী ও সর্বশক্তির আধার অবশ্যম্ভাবী সত্তা, যিনি অনাদি অনন্ত, যাঁর শুরু নেই, শেষ নেই, লয়-ক্ষয় ও পরিবর্তন নেই, কিছুই ছিল না, তিনি ছিলেন, সবকিছু ফানা হয়ে যাবে, তিনি থাকবেন, তিনি সব সৃষ্টির খালিক ও মালিক, সৃজন, লালন-পালন, সংরক্ষণ ও ধ্বংস সাধন যাঁর এখতিয়ার, সেই অদ্বিতীয় সত্তার নাম ‘আল্লাহ’। কোরআনে কারিমে সুরা ফাতিহার সূচনায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিজের পরিচয় ও পরিচিতি প্রদান করেছেন। ‘আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা! যিনি জগৎসমূহের প্রতিপালক, যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু, যিনি কর্মফল দিবসের মালিক।’ (সুরা-১ ফাতিহা, আয়াত: ১-৩)।
আল্লাহ তাআলার গুণাবলি বিবেচনায় তাঁর বহু নাম রয়েছে, যা ‘ইসমে সিফাত’ বা গুণবাচক নাম। এগুলোকে ‘আসমাউল হুসনা’ বলা হয়। কোরআন মাজিদে রয়েছে: ‘আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার রয়েছে সুন্দর সুন্দর নামসমূহ। তোমরা তাঁকে সেসব নামে ডাকো।’ (সুরা-৭ আরাফ, আয়াত: ১৮০)। ‘তোমরা আল্লাহ নামে ডাকো অথবা রহমান নামে তাঁকে ডাকো (যে নামেই ডাকো তিনি সাড়া দেবেন)। তাঁর রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ।’ (সুরা-১৭ ইসরা, আয়াত: ১১০)।
আল্লাহকে বিশ্বাস করা মানেই হলো তাঁর জাত ও সিফাত (সত্তা ও গুণাবলি) বিশ্বাস করা।
তাওহিদ বা একত্ববাদ
ইসলামি বিশ্বাসের মৌলিক তিনটি বিষয় হলো তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত। এর মধ্যে তাওহিদ হলো প্রধান ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্পর্যমণ্ডিত। সব নবী–রাসুল (আ.)–গণের কালিমা বা প্রচারের মূলমন্ত্র ছিল এই তাওহিদেরই মর্মবাণী ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’। অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই’। দ্বিতীয় অংশে হলো যুগের নবী–রাসুলের পরিচয় ও স্বীকৃতির ঘোষণা। যেমন ‘আদামু ছফিয়ুল্লাহ’ (আদম আ. আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত), ‘নূহুন নাজিয়ুল্লাহ’ (নূহ আ. আল্লাহ কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত), ‘ইবরাহিমু খলিলুল্লাহ’ (ইবরাহিম আ. আল্লাহর খলিল বা বন্ধু), ‘দাউদু খলিফাতুল্লাহ’ (দাউদ আ. আল্লাহর খলিফা), ‘মুসা কালিমুল্লাহ’ (মুসা আ. আল্লাহর কালামপ্রাপ্ত), ঈসা রুহুল্লাহ’ (ঈসা আ. আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা রুহ), ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল)। লক্ষণীয়, কালিমার দ্বিতীয় অংশ রিসালাতের বিবরণ আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর আগমনের পূর্ব পর্যন্ত যুগে যুগে পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু কালিমার প্রথম অংশ তাওহিদ তথা আল্লাহর জাত ও সিফাতের (সত্তা ও গুণাবলি) বিবৃতি কোনোরূপ পরিবর্তিত হয়নি।
 
তাওহিদ ও শিরক
তাওহিদের বিপরীত হলো শিরক। শিরক অর্থ শরিক বা অংশীদার স্থির করা। ইসলামি পরিভাষায় শিরক হলো আল্লাহর জাত (সত্তা), সিফাত (গুণাবলি) ও ইবাদত (আনুগত্যে) কোনো কাউকে সমকক্ষ, শরিক বা অংশীদার, হকদার তথা উপযুক্ত মনে করা। মহাজ্ঞানী লুকমান (আ.) তাঁর প্রিয় সন্তানকে শিরক বিষয়ে সতর্ক করে বলেছিলেন: ‘হে আমার স্নেহের পুত্র! তুমি আল্লাহর সাথে শরিক করবে না, নিশ্চয়ই শিরক মহা অন্যায়।’ (সুরা-৩১ লুকমান, আয়াত: ১৩)।
তাওহিদ ফিয্যাত
আল্লাহ এক, একক, অদ্বিতীয়, অবিভাজ্য। তিনি ‘লা শরিক’ অংশীবিহীন। কোরআন মাজিদে সুরা তাওহিদে এই বিষয়ের পরিপূর্ণ বিবরণের সারসংক্ষেপ বিবৃত হয়েছে। ‘বলো, আল্লাহ একক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী (স্বনির্ভর), তিনি জনকও নন এবং তিনি জাতও নহেন, আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।’ (সুরা-১১২ ইখলাস, আয়াত: ১-৪)।
তাওহিদ ফিছিছফাত
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ‘সিফাতে কামাল’ বা পরিপূর্ণ গুণাবলির অধিকারী। সৃষ্টির গুণ বা বৈশিষ্ট্য অসম্পূর্ণ। এর ব্যতিক্রম বিশ্বাস হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’ অর্থাৎ কোনো কাউকে কোনো গুণে বা বৈশিষ্ট্যে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করা বা সমান্তরাল ভাবা হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’।
তাওহিদ ফিল ইবাদত
ইবাদত তথা আনুগত্যে ও উপাসনায় তাঁর কোনো শরিক নেই। মহাগ্রন্থ আল–কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘বলো, হে অবিশ্বাসীরা! আমি সেসবের ইবাদত করি না, যেসবের উপাসনা তোমরা করো। এবং তোমরা তাঁর ইবাদতকারী নও, আমি যাঁর ইবাদত করি। আর আমিও ইবাদতকারী নই তাদের, যাদের তোমরা উপাসনা করো। এবং তোমরাও ইবাদতকারী নও তাঁর, যাঁর ইবাদত আমি করি। তোমরা তোমাদের দীন (কর্মফল) ভোগ করবে, আর আমি আমার দীন (পরিণতি) লাভ করব।’ (সুরা-১০৯ কাফিরুন, আয়াত: ১-৬)। এর ব্যত্যয় হলো ‘শির্ক ফিল ইবাদাত’ অর্থাৎ আল্লাহর ইবাদতে শরিক করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
তাওহীদ বা একত্ববাদ
0 notes
speedywonderlandtrash · 25 days ago
Text
Class 5 chapter 4 (mathematical symbols) solution
Tumblr media
Mathematical symbols ।। গাণিতিক প্রতীক
  A simple explanation for solving mathematical symbols in Class 5, Chapter 4.,A detailed solution guide for understanding mathematical symbols in Class 5, Chapter 4.,Step-by-step guide on how to solve mathematical symbols problems in Class 5, Chapter 4.,Tips for better understanding of mathematical symbols in Class 5, Chapter 4.,A complete guide to solving all problems related to mathematical symbols in Class 5, Chapter ১.       নিচের বাক্যগুলোকে গাণিতিক বাক্যে প্রকাশ কর এবং খোলা বাক্য ও গাণিতিক বাক্য সনাক্ত কর : (১) ৯ কে ৭ দ্বারা গুণ করলে গুণফল ৮০ হয় (২) ৪২ থেকে ক বিয়োগ করলে ৩৫ হয় (৩) ১২০ কে ৪০ দ্বারা ভাগ করলে ভাগফল ৩ হয় সমাধান : (১) ৯ × ৭ = ৮০ এটি একটি গাণিতিক বাক্য এবং এটি মিথ্যা। (২) ৪২ - ক = ৩৫ এটি একটি খোলা বাক্য কারণ এটি সত্য অথবা মিথ্যা হতে পারে, যা এর মানের উপর নির্ভর করে। (৩)    ১২০ ÷ ৪০ = ৩. এটি একটি গাণিতিক বাক্য এবং এটি সত্য। ২.      নিচের খোলা বাক্যগুলোর অজানা প্রতীকের মান বের কর যেন বাক্যগুলো সত্য হয়। (১) একটি ত্রিভুজের ক বাহু আছে (২) ক টাকায় জিনিস কিনে ৫০ টাকা দিয়ে ২৩ টাকা ফেরত নেওয়া হলো সমাধান : (১) ত্রিভুজের ৩টি বাহু আছে। ⸫ ক এর মান ৩। উত্তর : ৩।    (২) এখানে বিয়োজন হবে ৫০ ৫০ - ক = ২৩ বা, ৫০ - ২৩ = ক বা, ২৭ = ক ⸫ ক এর মান ২৭ উত্তর : ২৭ Class 5 chapter 3 solution  ৩.      বর্গাকৃতির কিছু কাগজ আছে যার একটি বাহুর দৈর্ঘ্য ক সেমি : (১) বর্গাকৃতি কাগজটির পরিসীমা কত? (২) এরকম ৩টি বর্গাকৃতি কাগজের মোট ক্ষেত্রফল কত? সমাধান : (১) দেওয়া আছে, বর্গাকৃতির কাগজটির একটি বাহুর দৈর্ঘ্য ক সেমি। আমরা জানি, বর্গের ৪টি বাহু থাকে এবং প্রত্যেকটি বাহু সমান। ∴ বর্গাকৃতি কাগজটির পরিসীমা = (ক + ক +  ক + ক) সেমি = ৪ক সেমি। উত্তর : ৪ক সেমি। (২) আমরা জানি, বর্গাকার ক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল = বাহু × বাহু একটি বর্গাকৃতি কাগজের ক্ষেত্রফল = ক সেমি × ক সেমি = ক × ক বর্গ সেমি। ⸫ ৩টি বর্গাকৃতি কাগজের ক্ষেত্রফল (ক × ক × ৩) বর্গ সেমি উত্তর : ক × ক × ৩ বর্গ সেমি। ৪.       গাণিতিক বাক্য সত্য করার জন্য ক এর মান নির্ণয় কর : (১) ক + ৯ = ১৫     (২) ক - ১২ = ২৫    (৩) ২ × ক = ২২ (৪) ক ÷ ৮ = ৭       (৫) ৭ × (৮ + ক) = ৬৩    (৬) (ক - ৪) ÷ ৬ = ৬ সমাধান : (১) ক + ৯ = ১৫ বা, ক = ১৫ - ৯ বা, ক = ৬ ⸫ ক এর মান ৬ উত্তর : ৬ (২) ক - ১২ = ২৫ বা, ক = ২৫ + ১২ বা, ক = ৩৭ ⸫ ক এর মান ৩৭ উত্তর : ৩৭ (৩) ২ × ক = ২২ বা, ক = ২২ ÷ ২ বা, ক = ��১ ⸫ ক এর মান ১১ উত্তর : ১১ (৪)  ক ÷ ৮ = ৭ বা, ক = ৭ × ৮ বা, ক = ৫৬ ⸫ ক এর মান ৫৬ উত্তর : ৫৬ (৫)     ৭ × (৮ + ক) = ৬৩ বা, ৮ + ক = ৬৩ ÷ ৭ বা, ৮ + ক = ৯ বা, ক = ৯ - ৮ বা, ক = ১ ⸫ ক এর মান ১ উত্তর : ১ (৬) (ক - ৪)  ৬ = ৬ বা, ক - ৪ = ৬ × ৬ বা, ক - ৪ = ৩৬
Tumblr media
বা, ক = ৩৬ + ৪ বা, ক = ৪০ ⸫ ক এর মান ৪০ উত্তর : ৪০ ৫.      ক প্যাকেট বিস্কুট এবং ১ বোতল পানীয়ের মূল্য একত্রে খ টাকা। ১ প্যাকেট বিস্কুট এর মূল্য ১৮ টাকা এবং ১ বোতল পানীয়ের মূল্য ১২ টাকা : (১) ক এবং খ সম্পর্ক একটি গাণিতিক বাক্যের মাধ্যমে লেখ (২) খ এর মান নির্ণয় কর যখন ক = ১০ (৩) ক এর মান নির্ণয় কর যখন খ = ১২০ সমাধান : (১) ক প্যাকেটের বিক্রয়মূল্য :  ১৮  ×   ক মোট মূল্য :  ১৮  ×  ক   +  ১২  = খ ⸫ ক ও খ সম্পর্কের গাণিতিক প্রতীক : ১৮ × ক + ১২ = খ (২) ক = ১০ হলে- ১৮ × ১০ + ১২ = খ বা, ১৮০ + ১২ = খ বা, ১৯২ = খ ⸫ খ এর মান ১৯২ উত্তর : ১৯২   (৩) খ = ১২০ হলে- ১৮ × ক + ১২ = ১২০ বা, ১৮ × ক = ১২০ - ১২ বা, ১৮ × ক = ১০৮ বা, ক = ১০৮ ÷ ১৮ বা, ক = ৬ ⸫ ক এর মান ৬। উত্তর : ৬ বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর :যোগ্যতাভিত্তিক  ১।  ২ ডজন খাতার দাম ৬০০ টাকা হলে ১টি খাতার দাম কত? এই সমস্যাটির গাণিতিক রূপ কোনটি? √(ক) ৬০০ ÷ (১২ × ২) (খ) ৬০০ ÷ (১২ ÷ ২) (গ) ৬০০ × (১২ ÷ ২) (ঘ) ৬০০ ÷ ২ × ১২ ২।  নিচের কোন রাশিমালাটি (৩৪ + ৫) × ২ এর সমান হবে? √(ক) ২ × (৫ + ৩৪) (খ) (২ × ৫) + ৩৪ (গ) ৩৪ × (৫ × ২) (ঘ) ৩৪ + (৫ × ২) ৩।  নিম্নের গাণিতিক বাক্যের খালি ঘরে নিচের কোন সংখ্যাটি বসালে বাক্যটি সঠিক হবে? ১৫ + ৪০ = ৬৫ - --------- (ক) ৫ √(খ) ১০ (গ) ২০ (ঘ) ২৫ For more math vigit ৪।  নিম্নের গাণিতিক বাক্যটিকে সঠিক করতে খালিঘরে নিচের কোন সংখ্যাটি বসবে? ১৫ +   √(ক) ৫ (খ) ১০ (গ) ২০ (ঘ) ২৫ ৫।  ‘ক’ সংখ্যক আম থেকে ২০ টি আম নষ্ট হয়ে গেল এবং ২৫টি আম ভাল থাকল। সমস্যাটি নিচের কোন খোলা বাক্য প্রকাশ করে? √(ক) ক - ২০ = ২৫ (খ) ২৫ - ক = ২০ (গ) ক + ২০ = ২৫ (ঘ) ২০ - ক = ২৫ ৬।  ২ ডজন কলার দাম ৪৮০ টাকা হলে ১টি কলার দাম কত? এই সমস্যাটির গাণিতিক রূপ কোনটি? (ক) ৪৮০ ÷ (১২ × ২) (খ) ৪৮০ ÷ (২ + ১২) √(গ) ৪৮০ + (১২ ÷ ২) (ঘ) ৪৮০ +  (২ ÷ ১২) ৭।       নিচের কোনটি খোলা বাক্যের উদাহরণ? √(ক) ২ × ক = ১৬ × ৮ (খ) ২ × ৪ = ১৬ × ৮ (গ) ১ + ২ + ৩ + ৪ = ১০ (ঘ) ১০০ ÷ ২ = ৫০ ৮।      নিচের কোনটি খোলা বাক্যের উদাহরণ? √(ক) ৪ × ক = ১৬ × ৮ (খ) ২ × ৪ = ১৬ × ৮ (গ) ১ + ২ + ৩ + ৪ = ১০ (ঘ) ১০০ ÷ ২ = ৫০ ৯।      সম্পর্ক প্রতীক কোনটি? (ক) + (খ) × √(গ)  = (ঘ) ÷ ১০।     (ক - ৫) × ৮ = ৭২; ‘ক’ এর কোন মানের জন্য উক্তিটি সত্য? √(ক) ১৪ (খ) ১৩ (গ) ৮ (ঘ)  ৯ ১১।     কোন সংখ্যাকে ১৫ দ্বারা ভাগ করলে ভাগফল ১১ হবে? সমস্যাটি প্রতীকের সাহায্যে প্রকাশ করলে হয় (ক) ক × ১৫ = ১১ √(খ) ক ÷ ১৫ = ১১ (গ) ক ÷ ১১ = ১৫ (ঘ) ১৫ ÷ ১১ = ক ১২।     কোন সংখ্যার সাথে ১৯ যোগ করলে যোগফল ৭২ হবে? অজানা সংখ্যাটি নির্ণয়ের জন্য কোনটি সঠিক? √(ক)   □   + ১৯ = ৭২ (খ)     □ + ৭২ = ১৯ (গ)    □  = ৭২ + ১৯ (ঘ)  □   - ৭২ = ১৯ ১৩।    নিচের কোন বাক্যটি সঠিক? (ক) ৬ × ৭ (খ) ৪ × ৭ > ২৮ (গ) ৬ × ৩০ > ১৮০ √(ঘ) ৪৫ ÷ ৩ ১৪।     ১৫ ÷ ক = ৯০ এখানে ক এর মান কত? √(ক) ৬ (খ) ৫ (গ) ৭ (ঘ) ৪ ১৫।     (ক ÷ ৫) × ৪ = ৮০ ÷ ( ৫ × ৪) “ক” এর মান কত? (ক) ১০ √(খ) ৫ (গ) ২০ (ঘ) ২৫ ১৬।    নিচের কোন উক্তিটি সত্য (ক) ৭, ৫ ও ২১ এর ল.সা.গু. ২১ (খ) ২১ একটি মৌলিক সংখ্যা √(গ) ১২ ও ১৫ এর গ.সা.গু. ৩ (ঘ) (৪৮ ÷ ৬) × ৫ = ৪৮ ÷ (৬ × ৫) ১৭।     এক হাজার পঁচিশকে পাঁচ দিয়ে ভাগ করে ভাগফলের সাথে দুইশ তিন যোগ করলে কত হবে? (ক) ২০৫ (খ) ৩ (গ) ২০৩ √(ঘ) ৪০৮ ১৮।     ছয়শত নয় ও তিনশত বারোকে গুণ করলে, গুণফল দুই হাজার এগারো অপেক্ষা বড়। সমস্যাটি প্রতীকের সাহায্যে প্রকাশ করলে হয় - √(ক) ৬০৯ × ৩১২ > ২০১১ (খ) ৬০৯ × ৩১২ (গ) ৬০৯ × ৩১২ ≥ ২০১১ (ঘ) ৬০৯ × ৩১২ = ২০১১ ১৯। ২৮ × ক + ক = ৫৮, ক এর কোন মানের জন্য গাণিতিক বাক্য সমান হয়? (ক) ১ √(খ) ২ (গ) ৩ (ঘ) ৫ ২০। (ক ÷ ৫) × ৫ = ৭৫ ÷ (৩ × ৫); এখানে, ক = ? √(ক) ৫ (খ) ১০ (গ) ১৫ (ঘ) ২০ ২১। (ক - ৩) × ৭ = ৯১ ÷ (৪ + ৯); খোলা বাক্যটিতে ক-এর মান কত? (ক) ৩ √(খ) ৪ (গ) ৫ (ঘ) ৬ ২২। (১৫ × ৩) - ক = ৩০ এখানে, ক = ? (ক) ১০ √(খ) ১৫ (গ) ২০ (ঘ) ২৫ ২৩। ক × ৫ + ১০ = ৬০; ক এর মান কত হলে খোলা বাক্যটি সত্য হবে? √(ক) ৫ (খ) ৮ (গ) ১০ (ঘ) ১২ ২৪। ১৫ × ক = ৯০; এখানে ক এর মান কত? √(ক) ৬ (খ) ৫ (গ) ৭ (ঘ) ৪ ২৫। (ক ÷ ৮) + ৯ = ১৫; ক এর মান কত হলে বাক্যটি সত্য হবে? (ক) ৪০ √(খ) ৪৮ (গ) ৫৬ (ঘ) ৬৪ সাধারণ  ২৬।  সংখ্যা প্রতীক কয়টি? (ক) ৫টি (খ) ৮টি (গ) ৯টি √(ঘ) ১০টি ২৭।     সম্পর্ক প্রতীক কয়টি? (ক) ১০টি √(খ) ৮টি (গ) ৬টি (ঘ) ৪টি ২৮।    বড় নয় বুঝাতে কোন প্রতীকটি ব্যবহার করা হয়? (ক) > (খ) Read the full article
0 notes
basicpart · 30 days ago
Text
কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে ১৮০ ছবি, এবার থাকছে না ঢাকাই সিনেমা
আসছে ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (কেআইএফএফ)। প্রতিবছর এ উৎসবে বাংলাদেশ অংশ নেয়। তবে এ তালিকায় এবার নেই বাংলাদেশের কোনো সিনেমা। এবার উৎসবে ১৮০টি সিনেমা দেখানো হবে। রাজনৈতিক অবস্থা ও ভিসা জটিলতার কারণেই এবার বাংলাদেশকে উপেক্ষা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উৎসবের চেয়ারম্যান গৌতম ঘোষ। সম্প্রতি কেআইএফএফের চেয়ারম্যান গৌতম ঘোষ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘আগের বছরগুলোর…
0 notes
ridikaislamsblog · 3 months ago
Text
ধেয়ে আসছে হারিকেন মিল্টন
Tumblr media
channelionline.comএক দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের দিকে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী হারিকেন ‘মিল্টন’। পাঁচ ক্যাটাগরির ওই হারিকেনের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়াবিদরা।
আজ (৮ অক্টোবর) মঙ্গলবার একটি প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, সময়ের সাথে সাথে মিল্টনের শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়াবিদরা।বুধবার নাগাদ হারিকেন মিল্টন ফ্লোরিডা উপকূলে আঘাত হানতে পারে। সেসময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার। ফ্লোরিডায় এরইমধ্যে বিভিন্ন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কয়েকদিন আগে ফ্লোরিডায় আঘাতহানা হারিকেন হেলেন এর মাত্রা ছিলো চার।
1 note · View note
bongreviewbd · 3 months ago
Text
পৃথিবীর মাঝখান দিয়ে গর্ত খুঁড়ে লাফ দিলে কী হতে পারে? — বাস্তবতা ও কল্পনা
মানুষের কল্পনাশক্তি অসীম, এবং এই অসীম কল্পনা থেকেই উঠে আসে চমৎকার কিছু প্রশ্ন। তেমনই একটি প্রশ্ন হলো, “যদি পৃথিবীর মাঝখান দিয়ে একটি গর্ত খুঁড়ে সেখানে কেউ লাফ দিত, তাহলে কী হতো?” এটি নিঃসন্দেহে একটি রোমাঞ্চকর কল্পনা, তবে এর পেছনে কিছু বিজ্ঞান ও পদার্থবিজ্ঞানের বাস্তব ধারণাও রয়েছে। যদিও বাস্তবে এটি করা সম্ভব নয়, এই প্রশ্নটি আমাদেরকে পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ এবং অভ্যন্তরীণ ��ঠন সম্পর্কে ভাবতে বাধ্য করে। এই প্রবন্ধে আমরা সেই কল্পনাটিকে বিজ্ঞানের আলোকে বিশ্লেষণ করব।
youtube
পৃথিবীর ভেতর দিয়ে গর্ত খোঁড়া: বাস্তবতা বনাম কল্পনা
পৃথিবীর ভেতর দিয়ে গর্ত খুঁড়লে এবং সেই গর্তে লাফ দিলে আপনি পৃথিবীর কেন্দ্রে পৌঁছাবেন এবং সেখান থেকে অপর প্রান্তে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। এই কল্পনা নিছক মজার হলেও, বাস্তবে এটি করা সম্ভব নয়। কারণ পৃথিবীর কেন্দ্রে যেতে হলে অনেক বৈজ্ঞানিক এবং প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে। ১৯৭০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর গর্ত খোঁড়ার চেষ্টা করেছিল, যার নাম কোলা সুপারডিপ বোরহোল। এই গর্তের গভীরতা ছিল মাত্র ১২.২ কিলোমিটার, যা পৃথিবীর ভূত্বকের এক-তৃতীয়াংশেরও কম। কিন্তু তাদের খনন কাজ বন্ধ করতে হয়েছিল প্রচণ্ড তাপমাত্রার কারণে।
মধ্যাকর্ষণ শক্তি এবং গতির সমীকরণ
গর্তের প্রাথমিক অংশে লাফ দিলে, আপনি পৃথিবীর কেন্দ্রীয় মধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে ক্রমশ দ্রুতগতিতে নিচের দিকে যেতে থাকবেন। য��ন আপনি মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবের কারণে পৃথিবীর কেন্দ্রীয় অংশে পৌঁছাবেন, তখন আপনার গতি সর্বোচ্চ হবে। সুতরাং, আপনার মনে হতে পারে আপনি দ্রুত অপর প্রান্তে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন। কিন্তু মজার বিষয় হলো, যখন আপনি পৃথিবীর কেন্দ্রে পৌঁছাবেন, তখন মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আপনাকে চারদিক থেকে সমানভাবে টানতে থাকবে, ফলে আপনি কেন্দ্রে একধরনের ভারহীন অবস্থায় চলে যাবেন।
২১ মিনিটের কল্পনার যাত্রা
পৃথিবীর কেন্দ্রে পৌঁছানোর পর আপনার গতি শূন্যের কাছাকাছি চলে আসবে। কিন্তু, পৃথিবীর কেন্দ্রে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সমান টান থাকায়, আপনি আবারও গতিতে ভূপৃষ্ঠের দিকে ফিরে যেতে থাকবেন। এইভাবে আপনি পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে দোল খেতে থাকবেন, ঠিক যেনো একটি পেন্ডুলামের মতো। বিজ্ঞানীরা অনুমান করেন যে, এই পুরো যাত্রাটি প্রায় ৪২ মিনিট সময় নেবে, যেহেতু একবার যাওয়া এবং ফেরত আসার মোট সময় লাগে ২১ মিনিট।
পৃথিবীর কেন্দ্রের বিপদজনক তাপমাত্রা
পৃথিবীর গভীরে গর্ত খোঁড়ার এই কল্পনা সত্যি হলে, আপনার সবচেয়ে বড় বাধা হবে প্রচণ্ড তাপমাত্রা। কোলা সুপারডিপ বোরহোল প্রকল্পের সময়, প্রকৌশলীরা যখন ১২ কিলোমিটার গভীরে পৌঁছান, তখন তাপমাত্রা ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এটি এতটাই বিপজ্জনক যে, ড্রিলের মাথা গলে যেতে শুরু করেছিল। এই প্রকল্পটি ভূ-তাত্ত্বিক গবেষণার জন্য একটি মাইলফলক হলেও, এর মাধ্যমে বোঝা গেছে যে, বর্তমান প্রযুক্তি দিয়ে পৃথিবীর গভীর গঠন খনন করা খুবই কঠিন।
পৃথিবীর গঠন এবং পদার্থবিজ্ঞান
পৃথিবীর অভ্যন্তর নিয়ে এই ধরনের কল্পনা আমাদের পদার্থবিজ্ঞান ও মাধ্যাকর্ষণ সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করতে সাহায্য করে। যেমন, আমরা জানি যে পৃথিবীর কেন্দ্র ক্রমান্বয়ে কঠিন এবং গলিত পদার্থের মিশ্রণ। পৃথিবীর কেন্দ্রের আশেপাশে গলিত লোহা এবং নিকেলের স্তর আছে, যা একটি গর্ত খোঁড়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এছাড়া, পৃথিবীর আবহাওয়াগত এবং ভৌগোলিক গঠন পৃথিবীর গভীরে খননকাজকে প্রায় অসম্ভব করে তোলে।
ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা
যদিও পৃথিবীর মাঝখান দিয়ে গর্ত খোঁড়ার ধারণা আজ শুধুই কল্পনা, তবুও এটি আমাদের প্রযুক্তি এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার উন্নয়নের নতুন চ্যালেঞ্জ প্রদান করে। ভবিষ্যতে, যদি আমরা আরও উন্নত ড্রিলিং প্রযুক্তি এবং বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি আবিষ্কার করতে পারি, তাহলে হয়তো একদিন পৃথিবীর গভীরের অনেক রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হবে। এছাড়া, এই ধরনের কল্পনা আমাদের মধ্যাকর্ষণ, পদার্��ের গঠন, এবং মহাকাশ অনুসন্ধানের ক্ষেত্রেও নতুন চিন্তার সুযোগ করে দেয়।
উপসংহার
পৃথিবীর মধ্য দিয়ে গর্ত খুঁড়ে অপর প্রান্তে যাওয়ার ধারণাটি শুধুই কল্পনা হলেও, এটি আমাদের বিজ্ঞান এবং প্রকৃতির শক্তিগুলো সম্পর্কে ভাবতে বাধ্য করে। যদিও বাস্তবে এটি করা সম্ভব নয়, তবুও এই ধারণা আমাদেরকে পৃথিবীর গভীরের অজানা রহস্যগুলো নিয়ে আরও ভাবার এবং ভবিষ্যতের বৈজ্ঞানিক উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ করে দেয়।
আপনি যদি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী বা ভূতাত্ত্বিক গবেষণার ভক্ত হন, তাহলে এই ধরনের কল্পনা এক অসীম প্রেরণার উৎস হতে পারে। মাধ্যাকর্ষণ, পদার্থবিজ্ঞান, এবং পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ গঠন নিয়ে চিন্তা করতে এই প্রশ্ন আপনাকে আরও গভীরে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করবে।
আরও দেখুনঃ রোবট কেনো নর্মাল টেস্ট পাস করতে পারে না? Why Can’t Robots Pass The Test?
0 notes
bikelovers-net · 3 months ago
Video
youtube
New Honda Hornet 2.0 Now in BD |সেরা ১৮০ সিসি বাইক | Bike Lovers
0 notes