#হওয়ায়
Explore tagged Tumblr posts
quransunnahdawah · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
হাতির গল্প
The Elephant
সুরা ফিল:
আল্লাহ আবাবিল পাখি দিয়ে যেভাবে 'কাবা' ঘর রক্ষা করেছিলেন ☝🏻
https://www.youtube.com/watch?v=9vYsT20WDdM&t=37s
 
ফীল আরবী শব্দ যার অর্থ হস্তী বা হাতি। এ সূরায় হস্তীবাহিনীর ঘটনা সংক্ষেপে বর্ণিত হয়েছে। তারা কা'বা গৃহকে ভূমিসাৎ করার উদ্দেশে হস্তীবাহিনী নিয়ে মক্কায় অভিযান পরিচালনা করেছিল। আল্লাহ্‌ তাআলা নগণ্য পক্ষীকূলের মাধ্যেমে তাদের বাহিনীকে নিশ্চিহ্ন করে তাদের কুমতলবকে ধুলায় মিশিয়ে দেন।
মুহাম্মদ (সা.)–এর জন্মের আগের ঘটনা। তাঁর দাদা আবদুল মুত্তালিব তখন কুরাইশ গোত্রের সরদার। তিনি পবিত্র কাবাঘর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন।
সে সময় আবরাহা ছিলেন ইয়েমে��ের খ্রিষ্টান শাসনকর্তা। তিনি ছিলেন হস্তীবাহিনীর প্রধান। আবরাহা কাবা আক্রমণ করলে আল্লাহ আবাবিল পাখির সাহায্যে কঙ্কর বৃষ্টির দ্বারা তার হস্তীবাহিনীকে ধ্বংস করেন।
কাবাকে ঘিরে মক্কায় ধর্মীয় কেন্দ্র এবং সেই সুবিধায় অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক কেন্দ্রে রূপান্তরিত হওয়ায় আবরাহা ঈর্ষায় ফেটে পড়েন। তিনি কাবার সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করার জন্য ইয়েমেনের রাজধানী সানায় একটি বিশাল গির্জা নির্মাণ করেছিলেন। আশা করেছিলেন, মানুষ এখানে আসবে। নতুন কেন্দ্রে পরিণত হবে ইয়েমেন। কিন্তু তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি কাবা ধ্বংসের উদ্যোগ নেন। তিনি বিশাল বিশাল ৯ থেকে ১৩টি হাতি এবং ৬০ হাজার সৈন্য নিয়ে কাবার অভিমুখে রওনা দেন। এটি এত গুরুত্বপূর্ণ একটা ঘটনা ছিল যে সেই বছরকে হস্তীবাহিনীর বছর নামে ডাকা হয়।
আবরাহার বাহিনী মক্কার উপকণ্ঠে পৌঁছালে মক্কার মানুষ ভয়ে পাহাড়ে আশ্রয় নেয়। মহানবী (সা.)-এর দাদা আবদুল মুত্তালিব আবরাহার কাছে গেলে তিনি বললেন, ‘আমরা কাবাঘর ধ্বংস করতে এসেছি। আর তুমি কেবল তোমাদের উট ফেরত চাইতে এসেছ।’
আবদুল মুত্তালিব বলেন, ‘কাবা আল্লাহর ঘর। তিনিই এর হেফাজতকারী।’
এরপর বাহিনী মিনার ময়দানের কাছাকাছি এলে আল্লাহ একদল পাখি পাঠান। তাদের ঠোঁটে ও পায়ে ছোলার সমান পোড়ামাটির দুটি করে কঙ্কর ছিল। পাখিগুলো ওপর থেকে তা নিক্ষেপ করতে লাগল আর সৈন্যদের শরীর থেকে মাংস খসে পড়তে লাগল। আবরাহাসহ সব সৈন্যের একই পরিণতি হলো।
আল্লাহ আবরাহা ও তার বাহিনীকে আজাব দিয়ে ধ্বংস করেছিলেন। তিনি কুরাইশদের ধ্বংস করেননি, যদিও তারা কাবাকে মূর্তি দিয়ে ভরে ফেলেছিল। কারণ, হস্তীবাহিনীর নিয়ত ছিল কাবাকে ধ্বংস করা।
The story of the elephant
সুরা ফিলের অর্থ এ রকম:
পরম করুণাময় পরম দয়াময় আল্লাহর নামে।
১. তুমি কি দেখোনি তোমার প্রতিপালক হস্তীবাহিনীর প্রতি কী করেছিলেন।
২. তিনি কি ওদের কৌশল ব্যর্থ করে দেননি?
৩. ওদের বিরুদ্ধে তিনি ঝাঁকে ঝাঁকে আবাবিল পাখি পাঠিয়েছিলেন।
 ৪. যারা ওদের ওপর কঙ্কর ফেলেছিল।
 ৫. তারপর তিনি ওদেরকে (জন্তু জানোয়ারের) খাওয়া ভুসির মতো করে ফেলেন।
সুরা ফিলের সারসংক্ষেপ
সুরা ফিল  (হাতি) পবিত্র কোরআনের ১০৫ তম সুরা। মক্কায় অবতী��্ণ। ১ রুকু, ৫ আয়াত। ইয়েমেনে খ্রিষ্টান শাসনকর্তা আবরাহা কাবা আক্রমণ করলে আল্লাহ আবাবিল পাখির সাহায্যে কঙ্কর বৃষ্টির দ্বারা তার হস্তীবাহিনীকে ধ্বংস করেন। সুরাটি ভালোভাবে বোঝার জন্য পটভূমি জানা প্রয়োজন। তৎকালীন ইয়েমেন এর খ্রিষ্টান শাসক ছিল আবরাহা। কাবাকে ঘিরে মক্কায় ধর্মীয় কেন্দ্র ও সেই সুবিধায় অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক কেন্দ্রে রূপান্তরিত হওয়ায় আবরহা ঈর্ষায় ফেটে পড়ে। সে কাবার সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করার জন্য ইয়েমেনের রাজধানী সানায় একটি বিশাল গির্জা নির্মাণ করেছিল এবং আশা করেছিল মানুষ এখানে আসবে ও নতুন কেন্দ্রে পরিণত হবে ইয়েমেন। কিন্তু এই কাজে তেমন কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এ জন্য সে ক্ষুব্ধ হয়ে কাবা ধ্বংসের উদ্যোগ নেয়। যদিও সে এটাকে ধর্মীয় যুদ্ধ হিসাবে দেখাতে চায় কিন্তু তার মনে ছিল অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। সে বিশাল বিশাল হাতি (৯-১৩ টি) ও বিপুল সৈন্য (৬০ হাজার) নিয়ে কাবার অভিমুখে রওনা হয়। এটি এত গুরুত্ব পূর্ণ একটা ঘটনা ছিল যে সেই বছরকে হস্তী বাহিনীর বছর নামে অভিহিত করা হয়। তখন  কুরাইশরাসহ  সকলে এত বড় বাহিনী ও হাতি দেখে ভীত হয়ে দূরে অবস্থান করে।কুরাইশের প্রতি আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহ। আল্লাহর কাছে কাবার মর্যাদা ও সম্মান অনেক বড়! কাবার সঙ্গে জুলুম ও বেয়াদবি করার ইচ্ছা করলেও আল্লাহ ��াকে পাকড়াও করেন।
আল্লাহ আবাবিল পাখি দিয়ে যেভাবে 'কাবা' ঘর রক্ষা করেছিলেন
https://www.youtube.com/watch?v=9vYsT20WDdM&t=37s
 
https://www.youtube.com/watch?v=0346NeCXIf4
 
youtube
youtube
When Birds Defend KAABA (House of Allah) 
কাবা ঘর ধ্বংসের পরিকল্পনাকারীদের পরিণতি! 
youtube
সূরা ফীল ( سورة الفيل ) বাংলা আরবি উচ্চারণ 
youtube
আবাবিল পাখির দ্বারা আল্লাহ কিভাবে কাবাকে রক্ষা করেছেন!💙
How Allah Saved The Kaaba By The Ababeel Bird!💙
2 notes · View notes
mylordisallah · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
হাতির গল্প
The Elephant
সুরা ফিল:
আল্লাহ আবাবিল পাখি দিয়ে যেভাবে 'কাবা' ঘর রক্ষা করেছিলেন ☝🏻
https://www.youtube.com/watch?v=9vYsT20WDdM&t=37s
ফীল আরবী শব্দ যার অর্থ হস্তী বা হাতি। এ সূরায় হস্তীবাহিনীর ঘটনা সংক্ষেপে বর্ণিত হয়েছে। তারা কা'বা গৃহকে ভূমিসাৎ করার উদ্দেশে হস্তীবাহিনী নিয়ে মক্কায় অভিযান পরিচালনা করেছিল। আল্লাহ্‌ তাআলা নগণ্য পক্ষীকূলের মাধ্যেমে তাদের বাহিনীকে নিশ্চিহ্ন করে তাদের কুমতলবকে ধুলায় মিশিয়ে দেন।
মুহাম্মদ (সা.)–এর জন্মের আগের ঘটনা। তাঁর দাদা আবদুল মুত্তালিব তখন কুরাইশ গোত্রের সরদার। তিনি পবিত্র কাবাঘর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন।
সে সময় আবরাহা ছিলেন ইয়েমেনের খ্রিষ্টান শাসনকর্তা। তিনি ছিলেন হস্তীবাহিনীর প্রধান। আবরাহা কাবা আক্রমণ করলে আল্লাহ আবাবিল পাখির সাহায্যে কঙ্কর বৃষ্টির দ্বারা তার হস্তীবাহিনীকে ধ্বংস করেন।
কাবাকে ঘিরে মক্কায় ধর্মীয় কেন্দ্র এবং সেই সুবিধায় অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক কেন্দ্রে রূপান্তরিত হওয়ায় আবরাহা ঈর্ষায় ফেটে পড়েন। তিনি কাবার সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করার জন্য ইয়েমেনের রাজধানী সানায় একটি বিশাল গির্জা নির্মাণ করেছিলেন। আশা করেছিলেন, মানুষ এখানে আসবে। নতুন কেন্দ্রে পরিণত হবে ইয়েমেন। কিন্তু তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি কাবা ধ্বংসের উদ্যোগ নেন। তিনি বিশাল বিশাল ৯ থেকে ১৩টি হাতি এবং ৬০ হাজার সৈন্য নিয়ে কাবার অভিমুখে রওনা দেন। এটি এত গুরুত্বপূর্ণ একটা ঘটনা ছিল যে সেই বছরকে হস্তীবাহিনীর বছর নামে ডাকা হয়।
আবরাহার বাহিনী মক্কার উপকণ্ঠে পৌঁছালে মক্কার মানুষ ভয়ে পাহাড়ে আশ্রয় নেয়। মহানবী (সা.)-এর দাদা আবদুল মুত্তালিব আবরাহার কাছে গেলে তিনি বললেন, ‘আমরা কাবাঘর ধ্বংস করতে এসেছি। আর তুমি কেবল তোমাদের উট ফেরত চাইতে এসেছ।’
আবদুল মুত্তালিব বলেন, ‘কাবা আল্লাহর ঘর। তিনিই এর হেফাজতকারী।’
এরপর বাহিনী মিনার ময়দানের কাছাকাছি এলে আল্লাহ একদল পাখি পাঠান। তাদের ঠোঁটে ও পায়ে ছোলার সমান পোড়ামাটির দুটি করে কঙ্কর ছিল। পাখিগুলো ওপর থেকে তা নিক্ষেপ করতে লাগল আর সৈন্যদের শরীর থেকে মাংস খসে পড়তে লাগল। আবরাহাসহ সব সৈন্যের একই পরিণতি হলো।
আল্লাহ আবরাহা ও তার বাহিনীকে আজাব দিয়ে ধ্বংস করেছিলেন। তিনি কুরাইশদের ধ্বংস করেননি, যদিও তারা কাবাকে মূর্তি দিয়ে ভরে ফেলেছিল। কারণ, হস্তীবাহিনীর নিয়ত ছিল কাবাকে ধ্বংস করা।
The story of the elephant
সুরা ফিলের অর্থ এ রকম:
পরম করুণাময় পরম দয়াময় আল্লাহর নামে।
১. তুমি কি দেখোনি তোমার প্রতিপালক হস্তীবাহিনীর প্রতি কী করেছিলেন।
২. তিনি কি ওদের কৌশল ব্যর্থ করে দেননি?
৩. ওদের বিরুদ্ধে তিনি ঝাঁকে ঝাঁকে আবাবিল পাখি পাঠিয়েছিলেন���
 ৪. যারা ওদের ওপর কঙ্কর ফেলেছিল।
 ৫. তারপর তিনি ওদেরকে (জন্তু জানোয়ারের) খাওয়া ভুসির মতো করে ফেলেন।
সুরা ফিলের সারসংক্ষেপ
সুরা ফিল  (হাতি) পবিত্র কোরআনের ১০৫ তম সুরা। মক্কায় অবতীর্ণ। ১ রুকু, ৫ আয়াত। ইয়েমেনে খ্রিষ্টান শাসনকর্তা আবরাহা কাবা আক্রমণ করলে আল্লাহ আবাবিল পাখির সাহায্যে কঙ্কর বৃষ্টির দ্বারা তার হস্তীবাহিনীকে ধ্বংস করেন। সুরাটি ভালোভাবে বোঝার জন্য পটভূমি জানা প্রয়োজন। তৎকালীন ইয়েমেন এর খ্রিষ্টান শাসক ছিল আবরাহা। কাবাকে ঘিরে মক্কায় ধর্মীয় কেন্দ্র ও সেই সুবিধায় অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক কেন্দ্রে রূপান্তরিত হওয়ায় আবরহা ঈর্ষায় ফেটে পড়ে। সে কাবার সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করার জন্য ইয়েমেনের রাজধানী সানায় একটি বিশাল গির্জা নির্মাণ করেছিল এবং আশা করেছিল মানুষ এখানে আসবে ও নতুন কেন্দ্রে পরিণত হবে ইয়েমেন। কিন্তু এই কাজে তেমন কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এ জন্য সে ক্ষুব্ধ হয়ে কাবা ধ্বংসের উদ্যোগ নেয়। যদিও সে এটাকে ধর্মীয় যুদ্ধ হিসাবে দেখাতে চায় কিন্তু তার মনে ছিল অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। সে বিশাল বিশাল হাতি (৯-১৩ টি) ও বিপুল সৈন্য (৬০ হাজার) নিয়ে কাবার অভিমুখে রওনা হয়। এটি এত গুরুত্ব পূর্ণ একটা ঘটনা ছিল যে সেই বছরকে হস্তী বাহিনীর বছর নামে অভিহিত করা হয়। তখন  কুরাইশরাসহ  সকলে এত বড় বাহিনী ও হাতি দেখে ভীত হয়ে দূরে অবস্থান করে।কুরাইশের প্রতি আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহ। আল্লাহর কাছে কাবার মর্যাদা ও সম্মান অনেক বড়! কাবার সঙ্গে জুলুম ও বেয়াদবি করার ইচ্ছা করলেও আল্লাহ তাকে পাকড়াও করেন।
আল্লাহ আবাবিল পাখি দিয়ে যেভাবে 'কাবা' ঘর রক্ষা করেছিলেন
https://www.youtube.com/watch?v=0346NeCXIf4
 
youtube
youtube
When Birds Defend KAABA (House of Allah) 
কাবা ঘর ধ্বংসের পরিকল্পনাকারীদের পরিণতি! 
youtube
সূরা ফীল ( سورة الفيل ) বাংলা আরবি উচ্চারণ 
youtube
আবাবিল পাখির দ্বারা আল্লাহ কিভাবে কাবাকে রক্ষা করেছেন!💙
How Allah Saved The Kaaba By The Ababeel Bird!💙
2 notes · View notes
pollonegro666 · 2 years ago
Text
Tumblr media
2023/06/02 Paramos en la terraza de un bar para tomar un café frio porque hacía bastante calor.
We stopped on the terrace of a bar to have a cold coffee because it was quite hot.
Google Translation into French: Nous nous sommes arrêtés à la terrasse d'un bar pour prendre un café bien frais car il faisait assez chaud.
Google translation into Italian: Ci siamo fermati sulla terrazza di un bar per prendere un caffè freddo perché faceva abbastanza caldo.
Google Translation into Portuguese: Paramos na esplanada de um bar para tomar um café frio porque estava bastante quente.
Google Translation into German: Wir hielten auf der Terrasse einer Bar an, um einen kalten Kaffee zu trinken, da es ziemlich heiß war.
Google Translation into Albanisch: Ndaluam në një tarracë bari për një kafe të ftohtë pasi ishte mjaft nxehtë.
Google Translation into Armenian: Մենք կանգ առանք բարի պատշգամբում՝ սառը սուրճ խմելու, քանի որ բավականին տաք էր:
Google Translation into Bulgarian: Спряхме на терасата на бара за студено кафе, тъй като беше доста горещо.
Google Translation into Czech: Zastavili jsme se na terase baru na studenou kávu, protože bylo docela horko.
Google Translation into Croatian: Zaustavili smo se na terasi bara na hladnu kavu jer je bilo prilično vruće.
Google Translation into Danish Vi stoppede ved en barterrasse for en kold kaffe, da det var ret varmt.
Google Translation into Slovak: Zastavili sme sa na terase baru na studenú kávu, pretože bolo dosť horúco.
Google Translation into Slovenian: Ustavili smo se na terasi bara na mrzli kavi, saj je bilo precej vroče.
Google Translation into Estonian: Peatusime baariterrassil külma kohvi jooma, kuna see oli üsna kuum.
Google Translation into Suomi: Pysähdyimme baariterassilla kylmälle kahville, koska se oli melko kuuma.
Google Translation into Georgian: ცივი ყავის დასალევად ბარის ტერასაზე გავჩერდით, რადგან საკმაოდ ცხელოდა.
Google Translation into Greek: Σταματήσαμε σε μια βεράντα του μπαρ για έναν κρύο καφέ καθώς ��ταν αρκετά ζεστό.
Google Translation into Dutch: We stopten bij een barterras voor een koude koffie omdat het behoorlijk warm was.
Google Translation into Norwegian: Vi stoppet på en barterrasse for en kald kaffe da det var ganske varmt.
Google Translation into Polish: Zatrzymaliśmy się na tarasie baru na zimną kawę, bo było dość gorąco.
Google Translation into Romanian: Ne-am oprit pe terasa unui bar pentru o cafea rece pentru că era destul de cald.
Google Translation into Russian: Мы остановились на террасе бара, чтобы выпить холодного кофе, так как было довольно жарко.
Google Translation into Serbian: Зауставили смо се на тераси бара да попијемо хладну кафу јер је било прилично вруће.
Google Translation into Swedish: Vi stannade på en barterrass för en kall kaffe eftersom det var ganska varmt.
Google Translation into Turkish: Oldukça sıcak olduğu için soğuk bir kahve içmek için bir bar terasında durduk.
Google Translation into Ukrainian: Ми зупинилися на терасі бару, щоб випити холодної кави, оскільки було досить жарко.
Google Translation into Arabic: توقفنا على شرفة بار لتناول القهوة الباردة حيث كان الجو حارًا جدًا.
Google Translation into Bengali: বেশ গরম হওয়ায় আমরা কোল্ড কফির জন্য একটি বার টেরেসে থামলাম।
Google Translation into Simplified Chinese: 我们在酒吧露台上停下来喝杯冷咖啡,因为天气很热。
Google Translation into Korean: 그것이 꽤 더웠기 때문에 우리는 시원한 커피를 위해 바 테라스에 들렀다.
Google Translation into Hebrew: עצרנו במרפסת בר לשתות קפה קר מכיוון שהיה די חם.
Google Translation into Hindi: हम एक ठंडी कॉफी के लिए बार टैरेस पर रुके क्योंकि यह काफी गर्म थी।
Google Translation into Indonesian: Kami berhenti di teras bar untuk minum kopi dingin karena cukup panas.
Google Translation into Japanese: とても暑かったので、バーテラスで冷たいコーヒーを飲みました。
Google Translation into Kyrgyz: Биз муздак кофе ичүү үчүн бардын террасасына токтодук, анткен�� ал абдан ысык болчу.
Google Translation into Malay: Kami berhenti di teres bar untuk minum kopi sejuk kerana ia agak panas.
Google Translation into Mongolian: Хэт халуун байсан тул бид баарны дэнж дээр зогсоод хүйтэн кофе уув.
Google Translation into Nepali: हामी चिसो कफीको लागि बार टेरेसमा रोक्यौं किनकि यो धेरै तातो थियो।
Google Translation into Panjabi: ਅਸੀਂ ਕੋਲਡ ਕੌਫੀ ਲਈ ਬਾਰ ਟੈਰੇਸ 'ਤੇ ਰੁਕੇ ਕਿਉਂਕਿ ਇਹ ਕਾਫ਼ੀ ਗਰਮ ਸੀ।
Google Translation into Pashtun: موږ د بار چت کې د سړې کافي لپاره ودریدو ځکه چې دا خورا ګرم و.
Google Translation into Persian: ما در تراس بار توقف کردیم تا یک قهوه سرد بخوریم زیرا کاملاً گرم بود.
Google Translation into Sundanese: Urang dieureunkeun dina téras bar keur kopi tiis sakumaha ieu rada panas.
Google Translation into Tagalog: Huminto kami sa isang bar terrace para uminom ng malamig na kape dahil medyo mainit.
Google Translation into Thai: เราหยุดที่ระเบียงบาร์เพื่อดื่มกาแฟเย็นเพราะมันค่อนข้างร้อน
Google Translation into Urdu: ہم ایک بار ٹیرس پر کولڈ کافی کے لیے رکے کیونکہ یہ کافی گرم تھی۔
Google Translation into Uzbek: Biz bar terasida sovuq qahva ichish uchun to'xtadik, chunki u juda issiq edi.
Google Translation into Vietnamese: Chúng tôi dừng lại trên sân thượng của quán bar để uống cà phê lạnh vì trời khá nóng.
3 notes · View notes
mobilemarrt · 3 days ago
Text
ইমাম ও মুহতামিমের সংবাদ ভাইরাল হওয়ায় দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ 
হৃদয় গাজীপুর প্রতিনিধিঃ   গাজীপুরের “শ্রীপুরে তালাকের ফতোয়া জানতে গিয়ে দুই ঘন্টার চুক্তিতে ইমামের পাহাড়াই মুহতামিমের বিয়ে” মসজিদে সহবাস অতঃপর তালাক, এই সংবাদটি দেশ-বিদেশে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। অভিযুক্ত কফিল উদ্দিন ইমাম ও ইসমত আলী আশেকী মুহতামিমের এই ঘটনায় দুইটি পর্বে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। দেশের দায়িত্বশীল গণমাধ্যমগুলো যাচাই-বাছাই পূবক উক্ত সংবাদ প্রচার করে। সংবাদ ভাইরাল হয়ে উঠলে…
0 notes
shishucozy · 11 days ago
Text
ডিসপোজেবল ডায়াপার প্লাস্টিক উপাদানে তৈরি হওয়ায় সহজে পচে না
শিশুদের জন্য #ওয়াশেবল ডায়াপার (Washable Diaper) বা কাপড়ের ডায়াপার ব্যবহারের বেশ কিছু সুবিধা আছে। এগুলো পরিবেশবান্ধব, আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী এবং শিশুর ত্বকের জন্য নিরাপদ। নিচে বিস্তারিত সুবিধাগুলো ব্যাখ্যা করা হলো: শিশু আরামদায়ক Shishu Cozy
১. আর্থিক সাশ্রয়ী
ওয়াশেবল #ডায়াপার একবার কিনে বারবার ব্যবহার করা যায়, তাই এটি এককালীন বিনিয়োগে দীর্ঘমেয়াদী সাশ্রয় নিশ্চিত করে।
বারবার #ডিসপোজেবল ডায়াপার কিনতে যে খরচ হয়, তার তুলনায় অনেক কম খরচে দীর্ঘ সময় ব্যবহার করা যায়। শিশু আরামদায়ক
২. পরিবেশবান্ধব Shishu Cozy ডিসপোজেবল ডায়াপার প্লাস্টিক উপাদানে তৈরি হওয়ায় সহজে পচে না এবং পরিবেশে দূষণ সৃষ্টি করে।
ওয়াশেবল #ডায়াপার ��ুনরায় ব্যবহারযোগ্য হওয়ায় বর্জ্য কমায় এবং পরিবেশ সংরক্ষণে সহায়তা করে। শিশু আরামদায়ক
৩. শিশুর ত্বকের জন্য ভালো ওয়াশেবল ডায়াপার সাধারণত তুলা (Cotton) বা নরম কাপড় দিয়ে তৈরি, যা শিশুর নাজুক ত্বকের জন্য আরামদায়ক।
এতে রাসায়নিক উপাদান কম থাকে বা থাকে না, যা ত্বকের জন্য নিরাপদ এবং #ডায়াপার র‍্যাশ কমায়। শিশু আরামদায়ক
৪. আরামদায়ক এবং শ্বাস-প্রশ্বাসযোগ্য তুলা বা কাপড়ের #ডায়াপার শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া উপাদান দিয়ে তৈরি, যা শিশুর ত্বক শুষ্ক এবং আরামদায়ক রাখে।
অতিরিক্ত গরম বা আর্দ্র পরিবেশে এটি বেশি কার্যকর। শিশু আরামদায়ক
৫. বিভিন্ন আকার এবং নকশা Shishu Cozy ওয়াশেবল ডায়াপার বিভিন্ন আকৃতি, রঙ এবং নকশায় পাওয়া যায়।
অনেক #ডায়াপার সাইজ অ্যাডজাস্টেবল হওয়ায় শিশুর বৃদ্ধির সঙ্গে মানিয়ে যায়। শিশু আরামদায়ক
৬. দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহার সঠিকভাবে ধুয়ে ও যত্ন নিলে একটি #ওয়াশেবল ডায়াপার দীর্ঘ সময় টিকে।
এটি বড় ভাই-বোনের পর ছোট ভাই-বোনের জন্যও ব্যবহারযোগ্য। শিশু আরামদায়ক
৭. সাশ্রয়ী ধোয়া এবং পরিষ্কার করা সহজ Shishu Cozy আধুনিক ওয়াশেবল ডায়াপার মেশিনে ধোয়া যায় এবং দ্রুত শুকিয়ে যায়। শিশু আরামদায়ক
এগুলো সহজেই পুনরায় ব্যবহারযোগ্য, যা অভিভাবকের জন্য সময় এবং শ্রম সাশ্রয়ী। শিশু আরামদায়ক
অতিরিক্ত বিষয় বিবেচনা
শুরুর খরচ: #ওয়াশেবল ডায়াপারের শুরুর খরচ একটু বেশি হতে পারে।
পরিচর্যা: নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হয় এবং সঠিকভাবে শুকাতে হয়।
3. ট্র্যাভেল ফ্রেন্ডলি নয়: বাইরে ব্যবহারের সময় ডিসপোজেবল ডায়াপারের মতো সুবিধাজনক নয়। শিশু আরামদায়ক
উপসংহার: ওয়াশেবল ডায়াপার শিশুর ত্বকের জন্য আরামদায়ক, পরিবেশবান্ধব এবং খরচ সাশ্রয়ী। সঠিকভাবে ব্যবহার ও যত্ন নিলে এটি একটি চমৎকার বিকল্প। #শিশু #আরামদায়ক
SHISHU COZY শিশু আরামদায়ক ১২ নং ভাবখালী, ময়মনসি��হ কল করুন:- 01763 181 607 হোয়াটসঅ্যাপ / ইমু নাম্বার:- 01763 181 607
Tumblr media
0 notes
dinajpurbartanews · 11 days ago
Text
Zakir Hussain Renowned Indian Tabla Player Dies in San Francisco
কিংবদন্তি ভারতীয় তবলা সঙ্গীতজ্ঞ ৭৩ বছর বয়সে মারা গেছেন প্রখ্যাত ভারতীয় তবলা বাদক জাকির হোসেন সান ফ্রান্সিসকোর একটি হাসপাতালে মারা গেছেন নিজস্ব সংবাদদাতা: বিশ্বের অন্যতম সেরা তবলা বাদক জাকির হোসেন (Zakir Hossain) 73 বছর বয়সে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর একটি হাসপাতালে মারা যান। তিনি গত দুই সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এবং তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছিল।…
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 17 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সুরা কাহফ পড়ে জান্নাত লাভের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন
youtube
youtube
youtube
youtube
সূরা আল কাহফের শিক্ষা
আল কাহাফ (আরবি: الكهف, আল-কাহফ; অর্থ: গুহা)। সূরা আল-কাহাফ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফিতনাকে ব্যাখ্যা করে্। এই সুরার গল্পগুলি ঈমানদারের কীভাবে এই পরীক্ষা এবং দুর্দশাগুলির নিকটবর্তী হওয়া উচিত তাঁর রূপরেখা দেয়। সূরা কাহাফ আমাদের শেখায়-  বিজয়ী হতে আমাদের কখনই বিশ্রাম না করা এবং যতটা সম্ভব বেশি নেক আমল করে যাওয়া। একমাত্র আল্লাহর ইবাদাতের মাধ্যমে মুমীন বেশি নেয়ামত অর্জন করতে পারে এবং চিরস্থায়ী পরককালীন জীবনে জান্নাত লাভের জন্য ইহকালেই নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ’। আমরা অবশ্যই আল্লাহ্‌র কাছে প্রত্যাবর্তন করব। অতএব একমাত্র আল্লাহর ইবাদাত করুন।
সুরা কাহাফের চার ঘটনা ও চারটি মূল্যবান শিক্ষা
https://www.youtube.com/watch?v=zAVhId_o0ZA
https://www.youtube.com/watch?v=Oxks6voi56U
https://www.youtube.com/watch?v=7Evr0r9Nw2w
 
 
 
সুরা কাহাফ পবিত্র কোরআনের ১৮তম সুরা। কাহাফ মানে গুহা। আসহাবে কাহাফের বিখ্যাত সাত যুবকের ঘটনা এই সুরায় বর্ণিত হওয়ায় এর নামকরণ করা হয়েছে ‘সুরা কাহাফ’। ১১০ আয়াতের এই সুরায় চারটি ঘটনা রয়েছে। প্রত্যেক ঘটনার সঙ্গে রয়েছে ��ূল্যবান শিক্ষা।
সুরা কাহাফের ৯ থেকে ২৬ আয়াতে আছে আসহাবে কাহাফের ঘটনা। ৩২ থেকে ৪৪ আয়াতে দুটি বাগানের মালিকের ঘটনা রয়েছে। মুসা (আ.) ও খিজির (আ.) ঘটনা এবং জুলকারনাইন সম্পর্কিত ঘটনার উল্লেখ রয়েছে ৬০ থেকে ১০১ আয়াতে। নিচে এসব ঘটনার সঙ্গে মহামূল্যবান শিক্ষা
আসহাবে কাহাফের ঘটনা অবিশ্বাসে ভরা সমাজে কয়েকজন যুবক আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিলেন। বিরূপ পরিস্থিতির শিকার হয়ে তাঁরা একটি গুহায় গিয়ে আশ্রয় নিলেন। সেখানে আল্লাহ তাঁদের সবাইকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ঘুম পাড়িয়ে রাখলেন। ঘুম ভাঙার পর তাঁরা বুঝতেই পারেননি, তাঁদের ঘুমের মধ্যে আল্লাহ অনেকগুলো বছর অতিবাহিত করে ফেলেছেন। এ অবস্থায় তাঁদের একজন খাবার কিনতে শহরে গেলেন। তিনি ভেবেছিলেন, লোকজন তাঁকে চিনে ফেলবে এবং তাঁর ক্ষতি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু অবাক হয়ে দেখলেন, কেউ তাঁকে চেনে না। খাবার কিনে টাকা পরিশোধ করার সময় পুরোনো মুদ্রা দেখে শহরের লোকেরা হতবাক হয়ে গেল।
এ ঘটনার তাৎপর্য একাধিক। যেমন—আল্লাহ তাআলা সৎকর্মশীল বান্দাদেরকে শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করে থাকেন। এছাড়াও দ্বীনকে বাঁচানোর জন্য সবকিছু ছেড়ে অন্যত্র হিজরত করা ও আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনার শিক্ষা রয়েছে এই ঘটনায়।
দুই বাগানের মালিকের ঘটনা এক ব্যক্তির সুন্দর একটি বাগান ছিল। কিন্তু লোকটি ��িলেন অহংকারী। পবিত্র কোরআন আছে, ‘আর তার প্রচুর ধনসম্পদ ছিল, তারপর কথায় কথায় সে তার বন্ধুকে বলল, ধনসম্পদে আমি তোমার থেকে বড় এবং জনবলেও তোমার চেয়ে শক্তিশালী।’ (সুরা কাহাফ: ৩৪) অহংকারী হয়ে আল্লাহর নেয়ামতের কথা ভুলে যাওয়ায় আল্লাহ তাঁর বাগান ধ্বংস করে দেন। ঘটনাটি তাদের জন্য, যারা নিজের অহংবোধে আল্লাহর নেয়ামতের কথা ভুলে যায়। তাঁরা ভুলে যায় যে আল্লাহ চাইলেই মুহূর্তে তাদের কাছ থেকে সবকিছু কেড়ে নিতে পারেন।
মুসা ও খিজির (আ.)-এর ঘটনা খিজির (আ.)–এর সঙ্গে সফর করার সময় তিনটি ঘটনা সংঘটিত হতে দেখেন মুসা (আ.)। প্রথম ঘটনায় খিজির (আ.) একটি নৌকা ছিদ্র করে ফেলেন, অথচ নৌকার মালিক বিনা ভাড়ায় তাঁকে নৌকায় উঠিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ঘটনায় তিনি একটি নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করেন। তৃতীয় ঘটনায় তিনি একটি দেয়াল উঠিয়ে দেন। ঘটনা তিনটি দেখে মুসা (আ.) চুপ থাকতে পারলেন না। তখন খিজির (আ.) ঘটনাগুলোর তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাখ্যা দেন। মুসা (আ.) বুঝতে পারলেন আল্লাহ কীভাবে কাউকে কাউকে অন্তর্দৃষ্টি দেন, যাতে তাঁরা সুদূরপ্রসারী অর্থে এমন কাজ করতে পারেন যাকে আপাতদৃষ্টিতে বোধগম্য বলে মনে হয় না। 
ধৈর্য, আনুগত্য ও শুকরিয়া জ্ঞাপনের শিক্ষা রয়েছে এখানে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হলো-জ্ঞান নিয়ে অহংকার করা অনুচিত। সব জ্ঞানের অধিকারী কেবলই আল্লাহ। খিজির (আ.) নিজেও বলেছেন, ‘আমি আমার ইচ্ছায় কিছুই করিনি।’ (সুরা কাহাফ: ৮২) পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর এ-দেওয়ালটি ছিল শহরের দুই এতিমের। তার নিচে ছিল গুপ্তধন। আর ওদের পিতা ছিল এক সৎকর্মপরায়ণ লোক। সে জন্য তোমার প্রতিপালক ইচ্ছা করলেন যে ওরা যেন সাবালক হয় ও তারপর ওরা ওদের ধন উদ্ধার করে। আমি নিজ থেকে কিছু করিনি। তুমি যে-বিষয়ে ধৈর্য রাখতে পারনি এটাই তার ব্যাখ্যা।’ (সুরা কাহাফ: ৮২)
বাদশাহ জুলকারনাইনের ঘটনা জুলকারনাইন ন্যায়পরায়ণ ও সৎ বাদশাহ ছিলেন। তিনি পশ্চিম থেকে পূর্ব পর্যন্ত সফর করেছিলেন। দুই পর্বতের মাঝখানে তিনি এক জনগোষ্ঠীকে খুঁজে পান। তারা তাঁর কাছে ইয়াজুজ ও মাজুজের হাত থেকে রক্ষা পেতে একটি দেয়াল নির্মাণের আবেদন জানাল। জুলকারনাইন কাজটি করে দিতে সম্মত হলেন। তিনি তাঁর কাজ নিয়ে গর্ব দেখাননি। অর্থাৎ এই ঘটনায় অহংকার পরিত্যাগ করার শিক্ষা রয়েছে।
দেয়াল তৈরির পর তাঁর ভাষণ পবিত্র কোরআনে বর্ণনা করা হয়েছে, ‘এ আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ। যখন আমার প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি পূর্ণ হবে তখন তিনি ওকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দেবে��, আর আমার প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি সত্য।’ (সুরা কাহাফ: ৯৮)
মূল পরীক্ষা চারটি  ওপরের চারটি ঘটনা থেকে চার রকম পরীক্ষার কথা জানা যায়। আসহাবে কাহাফের ঘটনা থেকে ধর্মবোধের পরীক্ষা, দুটি বাগানের মালিকের ঘটনা থেকে সম্পদের ওপর পরীক্ষা, মুসা (আ.) ও খিজির (আ.)-এর ঘটনায় জ্ঞান সম্পর্কে এবং জুলকারনাইনের ঘটনা থেকে ক্ষমতা নিয়ে পরীক্ষা।
সুরা কাহাফে দাওয়াত চারটি  সুরা কাহাফের চার ঘটনায় দাওয়াতের কথা রয়েছে। ১৪ নম্বর আয়াতে যুবকেরা বাদশাহকে দাওয়াত দিয়েছেন (আসহাবে কাহাফের ঘটনা)। ৩৭ নম্বর আয়াতে একজন সঙ্গী আরেক সঙ্গীকে দাওয়াত দিয়েছে (দুটি বাগানের মালিকের ঘটনা)। ৭০ নম্বর আয়াতে একজন শিক্ষক তার ছাত্রকে দাওয়াত দিয়েছে (হজরত মুসা (আ.) এবং জ্ঞানী ব্যক্তির ঘটনা)। ৮৭-৮৮ আয়াতে একজন শাসক তার প্রজাদের দাওয়াত দিয়েছে (জুলকারনাইনের ঘটনা)।
প্রসঙ্গত, জুমার দিন সুরা কাহাফ পাঠের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে, তার (ঈমানের) নূর এই জুমা হতে আগামী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (মেশকাত: ২১৭৫) আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। (সহিহ মুসলিম: ৮০৯; আবু দাউদ: ৪৩২৩) আরেক বর্ণনায় আছে, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের শেষ ১০ আয়াত পড়বে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে রক্ষা পাবে।’ (মুসনাদে আহমদ: ৪৪৬/৬) আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, যেভাবে নাজিল করা হয়েছে, সেভাবে যে ব্যক্তি সুরা কাহাফ পড়বে, তার জন্য সেটা নিজের স্থান থেকে মক্কা পর্যন্ত আলো হবে এবং শেষ ১০ আয়াত পড়লে দাজ্জালের গণ্ডির বাইরে থাকবে আর দাজ্জাল তার ওপর কোনোরূপ প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। (সুনানে নাসায়ি: ১০৭২২)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুরা কাহাফের ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়ার তাওফিক দান করুন। আল্লাহ তাআলার আদেশ যথাযথ মেনে জীবন পরিচালনার তাওফিক দান করুন। আমিন।
সূরা কাহাফ আমাদের শেখায় যে যাই ঘটুক না কেন, আল্লাহ আপনার যত্ন নেবেন । সহীহ মুসলিম, 809. তাই আমরা জানতে পারি যে, সূরা আল-কাহফের শুরু এবং অন্য একটি হাদীসে সূরার প্রথম দশটি আয়াত দাজ্জালের ফিতনা থেকে সুরক্ষা।
সূরা আল কাহফ এতটাই সমৃদ্ধ যে নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং তাঁর অনুসারীদের প্রতি শুক্রবার এটি পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আজ অবধি, মুসলমানদের প্রতি শুক্রবার সূরা আল-কাহফ পড়তে এবং পাঠ করতে উত্সাহিত করা হয় ।
Suratul Kahf | With Bangla subtitle | 
youtube
youtube
youtube
সূরা আল কাহফের শিক্ষা
0 notes
ilyforallahswt · 17 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সুরা কাহফ পড়ে জান্নাত লাভের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন
youtube
youtube
youtube
youtube
সূরা আল কাহফের শিক্ষা
আল কাহাফ (আরবি: الكهف, আল-কাহফ; অর্থ: গুহা)। সূরা আল-কাহাফ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফিতনাকে ব্যাখ্যা করে্। এই সুরার গল্পগুলি ঈমানদারের কীভাবে এই পরীক্ষা এবং দুর্দশাগুলির নিকটবর্তী হওয়া উচিত তাঁর রূপরেখা দেয়। সূরা কাহাফ আমাদের শেখায়-  বিজয়ী হতে আমাদের কখনই বিশ্রাম না করা এবং যতটা সম্ভব বেশি নেক আমল করে যাওয়া। একমাত্র আল্লাহর ইবাদাতের মাধ্যমে মুমীন বেশি নেয়ামত অর্জন করতে পারে এবং চিরস্থায়ী পরককালীন জীবনে জান্নাত লাভের জন্য ইহকালেই নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ’। আমরা অবশ্যই আল্লাহ্‌র কাছে প্রত্যাবর্তন করব। অতএব একমাত্র আল্লাহর ইবাদাত করুন।
সুরা কাহাফের চার ঘটনা ও চারটি মূল্যবান শিক্ষা
https://www.youtube.com/watch?v=zAVhId_o0ZA
https://www.youtube.com/watch?v=Oxks6voi56U
https://www.youtube.com/watch?v=7Evr0r9Nw2w
 
 
 
সুরা কাহাফ পবিত্র কোরআনের ১৮তম সুরা। কাহাফ মানে গুহা। আসহাবে কাহাফের বিখ্যাত সাত যুবকের ঘটনা এই সুরায় বর্ণিত হওয়ায় এর নামকরণ করা হয়েছে ‘সুরা কাহাফ’। ১১০ আয়াতের এই সুরায় চারটি ঘটনা রয়েছে। প্রত্যেক ঘটনার সঙ্গে রয়েছে মূল্যবান শিক্ষা।
সুরা কাহাফের ৯ থেকে ২৬ আয়াতে আছে আসহাবে কাহাফের ঘটনা। ৩২ থেকে ৪৪ আয়াতে দুটি বাগানের মালিকের ঘটনা রয়েছে। মুসা (আ.) ও খিজির (আ.) ঘটনা এবং জুলকারনাইন সম্পর্কিত ঘটনার উল্লেখ রয়েছে ৬০ থেকে ১০১ আয়াতে। নিচে এসব ঘটনার সঙ্গে মহামূল্যবান শিক্ষা
আসহাবে কাহাফের ঘটনা অবিশ্বাসে ভরা সমাজে কয়েকজন যুবক আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিলেন। বিরূপ পরিস্থিতির শিকার হয়ে তাঁরা একটি গুহায় গিয়ে আশ্রয় নিলেন। সেখানে আল্লাহ তাঁদের সবাইকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ঘুম পাড়িয়ে রাখলেন। ঘুম ভাঙার পর তাঁরা বুঝতেই পারেননি, তাঁদের ঘুমের মধ্যে আল্লাহ অনেকগুলো বছর অতিবাহিত করে ফেলেছেন। এ অবস্থায় তাঁদের একজন খাবার কিনতে শহরে গেলেন। তিনি ভেবেছিলেন, লোকজন তাঁকে চিনে ফেলবে এবং তাঁর ক্ষতি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু অবাক হয়ে দেখলেন, কেউ তাঁকে চেনে না। খাবার কিনে টাকা পরিশোধ করার সময় পুরোনো মুদ্রা দেখে শহরের লোকেরা হতবাক হয়ে গেল।
এ ঘটনার তাৎপর্য একাধিক। যেমন—আল্লাহ তাআলা সৎকর্মশীল বান্দাদেরকে শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করে থাকেন। এছাড়াও দ্বীনকে বাঁচানোর জন্য সবকিছু ছেড়ে অন্যত্র হিজরত করা ও আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনার শিক্ষা রয়েছে এই ঘটনায়।
দুই বাগানের মালিকের ঘটনা এক ব্যক্তির সুন্দর একটি বাগান ছিল। কিন্তু লোকটি ছিলেন অহংকারী। পবিত্র কোরআন আছে, ‘আর তার প্রচুর ধনসম্পদ ছিল, তারপর কথায় কথায় সে তার বন্ধুকে বলল, ধনসম্পদে আমি তোমার থেকে বড় এবং জনবলেও তোমার চেয়ে শক্তিশালী।’ (সুরা কাহাফ: ৩৪) অহংকারী হয়ে আল্লাহর নেয়ামতের কথা ভুলে যাওয়ায় আল্লাহ তাঁর বাগান ধ্বংস করে দেন। ঘটনাটি তাদের জন্য, যারা নিজের অহংবোধে আল্লাহর নেয়ামতের কথা ভুলে যায়। তাঁরা ভুলে যায় যে আল্লাহ চাইলেই মুহূর্তে তাদের কাছ থেকে সবকিছু কেড়ে নিতে পারেন।
মুসা ও খিজির (আ.)-এর ঘটনা খিজির (আ.)–এর সঙ্গে সফর করার সময় তিনটি ঘটনা সংঘটিত হতে দেখেন মুসা (আ.)। প্রথম ঘটনায় খিজির (আ.) একটি নৌকা ছিদ্র করে ফেলেন, অথচ নৌকার মালিক বিনা ভাড়ায় তাঁকে নৌকায় উঠিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ঘটনায় তিনি একটি নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করেন। তৃতীয় ঘটনায় তিনি একটি দেয়াল উঠিয়ে দেন। ঘটনা তিনটি দেখে মুসা (আ.) চুপ থাকতে পারলেন না। তখন খিজির (আ.) ঘটনাগুলোর তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাখ্যা দেন। মুসা (আ.) বুঝতে পারলেন আল্লাহ কীভাবে কাউকে কাউকে অন্তর্দৃষ্টি দেন, যাতে তাঁরা সুদূরপ্রসারী অর্থে এমন কাজ করতে পারেন যাকে আপাতদৃষ্টিতে বোধগম্য বলে মনে হয় না। 
ধৈর্য, আনুগত্য ও শুকরিয়া জ্ঞাপনের শিক্ষা রয়েছে এখানে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হলো-জ্ঞান নিয়ে অহংকার করা অনুচিত। সব জ্ঞানের অধিকারী কেবলই আল্লাহ। খিজির (আ.) নিজেও বলেছেন, ‘আমি আমার ইচ্ছায় কিছুই করিনি।’ (সুরা কাহাফ: ৮২) পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর এ-দেওয়ালটি ছিল শহরের দুই এতিমের। তার নিচে ছিল গুপ্তধন। আর ওদের পিতা ছিল এক সৎকর্মপরায়ণ লোক। সে জন্য তোমার প্রতিপালক ইচ্ছা করলেন যে ওরা যেন সাবালক হয় ও তারপর ওরা ওদের ধন উদ্ধার করে। আমি নিজ থেকে কিছু করিনি। তুমি যে-বিষয়ে ধৈর্য রাখতে পারনি এটাই তার ব্যাখ্যা।’ (সুরা কাহাফ: ৮২)
বাদশাহ জুলকারনাইনের ঘটনা জুলকারনাইন ন্যায়পরায়ণ ও সৎ বাদশাহ ছিলেন। তিনি পশ্চিম থেকে পূর্ব পর্যন্ত সফর করেছিলেন। দুই পর্বতের মাঝখানে তিনি এক জনগোষ্ঠীকে খুঁজে পান। তারা তাঁর কাছে ইয়াজুজ ও মাজুজের হাত থেকে রক্ষা পেতে একটি দেয়াল নির্মাণের আবেদন জানাল। জুলকারনাইন কাজটি করে দিতে সম্মত হলেন। তিনি তাঁর কাজ নিয়ে গর্ব দেখাননি। অর্থাৎ এই ঘটনায় অহংকার পরিত্যাগ করার শিক্ষা রয়েছে।
দেয়াল তৈরির পর তাঁর ভাষণ পবিত্র কোরআনে বর্ণনা করা হয়েছে, ‘এ আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ। যখন আমার প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি পূর্ণ হবে তখন তিনি ওকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দেবেন, আর আমার প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি সত্য।’ (সুরা কাহাফ: ৯৮)
মূল পরীক্ষা চারটি  ওপরের চারটি ঘটনা থেকে চার রকম পরীক্ষার কথা জানা যায়। আসহাবে কাহাফের ঘটনা থেকে ধর্মবোধের পরীক্ষা, দুটি বাগানের মালিকের ঘটনা থেকে সম্পদের ওপর পরীক্ষা, মুসা (আ.) ও খিজির (আ.)-এর ঘটনায় জ্ঞান সম্পর্কে এবং জুলকারনাইনের ঘটনা থেকে ক্ষমতা নিয়ে পরীক্ষা।
সুরা কাহাফে দাওয়াত চারটি  সুরা কাহাফের চ���র ঘটনায় দাওয়াতের কথা রয়েছে। ১৪ নম্বর আয়াতে যুবকেরা বাদশাহকে দাওয়াত দিয়েছেন (আসহাবে কাহাফের ঘটনা)। ৩৭ নম্বর আয়াতে একজন সঙ্গী আরেক সঙ্গীকে দাওয়াত দিয়েছে (দুটি বাগানের মালিকের ঘটনা)। ৭০ নম্বর আয়াতে একজন শিক্ষক তার ছাত্রকে দাওয়াত দিয়েছে (হজরত মুসা (আ.) এবং জ্ঞানী ব্যক্তির ঘটনা)। ৮৭-৮৮ আয়াতে একজন শাসক তার প্রজাদের দাওয়াত দিয়েছে (জুলকারনাইনের ঘটনা)।
প্রসঙ্গত, জুমার দিন সুরা কাহাফ পাঠের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে, তার (ঈমানের) নূর এই জুমা হতে আগামী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (মেশকাত: ২১৭৫) আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। (সহিহ মুসলিম: ৮০৯; আবু দাউদ: ৪৩২৩) আরেক বর্ণনায় আছে, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের শেষ ১০ আয়াত পড়বে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে রক্ষা পাবে।’ (মুসনাদে আহমদ: ৪৪৬/৬) আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, যেভাবে নাজিল করা হয়েছে, সেভাবে যে ব্যক্তি সুরা কাহাফ পড়বে, তার জন্য সেটা নিজের স্থান থেকে মক্কা পর্যন্ত আলো হবে এবং শেষ ১০ আয়াত পড়লে দাজ্জালের গণ্ডির বাইরে থাকবে আর দাজ্জাল তার ওপর কোনোরূপ প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। (সুনানে নাসায়ি: ১০৭২২)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুরা কাহাফের ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়ার তাওফিক দান করুন। আল্লাহ তাআলার আদেশ যথাযথ মেনে জীবন পরিচালনার তাওফিক দান করুন। আমিন।
সূরা কাহাফ আমাদের শেখায় যে যাই ঘটুক না কেন, আল্লাহ আপনার যত্ন নেবেন । সহীহ মুসলিম, 809. তাই আমরা জানতে পারি যে, সূরা আল-কাহফের শুরু এবং অন্য একটি হাদীসে সূরার প্রথম দশটি আয়াত দাজ্জালের ফিতনা থেকে সুরক্ষা।
সূরা আল কাহফ এতটাই সমৃদ্ধ যে নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং তাঁর অনুসারীদের প্রতি শুক্রবার এটি পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আজ অবধি, মুসলমানদের প্রতি শুক্রবার সূরা আল-কাহফ পড়তে এবং পাঠ করতে উত্সাহিত করা হয় ।
Suratul Kahf | With Bangla subtitle | 
youtube
youtube
youtube
সূরা আল কাহফের শিক্ষা
0 notes
myreligionislam · 17 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সুরা কাহফ পড়ে জান্নাত লাভের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন
youtube
youtube
youtube
youtube
সূরা আল কাহফের শিক্ষা
আল কাহাফ (আরবি: الكهف, আল-কাহফ; অর্থ: গুহা)। সূরা আল-কাহাফ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফিতনাকে ব্যাখ্যা করে্। এই সুরার গল্পগুলি ঈমানদারের কীভাবে এই পরীক্ষা এবং দুর্দশাগুলির নিকটবর্তী হওয়া উচিত তাঁর রূপরেখা দেয়। সূরা কাহাফ আমাদের শেখায়-  বিজয়ী হতে আমাদের কখনই বিশ্রাম না করা এবং যতটা সম্ভব বেশি নেক আমল করে যাওয়া। একমাত্র আল্লাহর ইবাদাতের মাধ্যমে মুমীন বেশি নেয়ামত অর্জন করতে পারে এবং চিরস্থায়ী পরককালীন জীবনে জান্নাত লাভের জন্য ইহকালেই নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ’। আমরা অবশ্যই আল্লাহ্‌র কাছে প্রত্যাবর্তন করব। অতএব একমাত্র আল্লাহর ইবাদাত করুন।
সুরা কাহাফের চার ঘটনা ও চারটি মূল্যবান শিক্ষা
https://www.youtube.com/watch?v=zAVhId_o0ZA
https://www.youtube.com/watch?v=Oxks6voi56U
https://www.youtube.com/watch?v=7Evr0r9Nw2w
 
 
 
সুরা কাহাফ পবিত্র কোরআনের ১৮তম সুরা। কাহাফ মানে গুহা। আসহাবে কাহাফের বিখ্যাত সাত যুবকের ঘটনা এই সুরায় বর্ণিত হওয়ায় এর নামকরণ করা হয়েছে ‘সুরা কাহাফ’। ১১০ আয়াতের এই সুরায় চারটি ঘটনা রয়েছে। প্রত্যেক ঘটনার সঙ্গে রয়েছে মূল্যবান শিক্ষা।
সুরা কাহাফের ৯ থেকে ২৬ আয়াতে আছে আসহাবে কাহাফের ঘটনা। ৩২ থেকে ৪৪ আয়াতে দুটি বাগানের মালিকের ঘটনা রয়েছে। মুসা (আ.) ও খিজির (আ.) ঘটনা এবং জুলকারনাইন সম্পর্কিত ঘটনার উল্লেখ রয়েছে ৬০ থেকে ১০১ আয়াতে। নিচে এসব ঘটনার সঙ্গে মহামূল্যবান শিক্ষা
আসহাবে কাহাফের ঘটনা অবিশ্বাসে ভরা সমাজে কয়েকজন যুবক আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিলেন। বিরূপ পরিস্থিতির শিকার হয়ে তাঁরা একটি গুহায় গিয়ে আশ্রয় নিলেন। সেখানে আল্লাহ তাঁদের সবাইকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ঘুম পাড়িয়ে রাখলেন। ঘুম ভাঙার পর তাঁরা বুঝতেই পারেননি, তাঁদের ঘুমের মধ্যে আল্লাহ অনেকগুলো বছর অতিবাহিত করে ফেলেছেন। এ অবস্থায় তাঁদের একজন খাবার কিনতে শহরে গেলেন। তিনি ভেবেছিলেন, লোকজন তাঁকে চিনে ফেলবে এবং তাঁর ক্ষতি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু অবাক হয়ে দেখলেন, কেউ তাঁকে চেনে না। খাবার কিনে টাকা পরিশোধ করার সময় পুরোনো মুদ্রা দেখে শহরের লোকেরা হতবাক হয়ে গেল।
এ ঘটনার তাৎপর্য একাধিক। যেমন—আল্লাহ তাআলা সৎকর্মশীল বান্দাদেরকে শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করে থাকেন। এছাড়াও দ্বীনকে বাঁচানোর জন্য সবকিছু ছেড়ে অন্যত্র হিজরত করা ও আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনার শিক্ষা রয়েছে এই ঘটনায়।
দুই বাগানের মালিকের ঘটনা এক ব্যক্তির সুন্দর একটি বাগান ছিল। কিন্তু লোকটি ছিলেন অহংকারী। পবিত্র কোরআন আছে, ‘আর তার প্রচুর ধনসম্পদ ছিল, তারপর কথায় কথায় সে তার বন্ধুকে বলল, ধনসম্পদে আমি তোমার থেকে বড় এবং জনবলেও তোমার চেয়ে শক্তিশালী।’ (সুরা কাহাফ: ৩৪) অহংকারী হয়ে আল্লাহর নেয়ামতের কথা ভুলে যাওয়ায় আল্লাহ তাঁর বাগান ধ্বংস করে দেন। ঘটনাটি তাদের জন্য, যারা নিজের অহংবোধে আল্লাহর নেয়ামতের কথা ভুলে যায়। তাঁরা ভুলে যায় যে আল্লাহ চাইলেই মুহূর্তে তাদের কাছ থেকে সবকিছু কেড়ে নিতে পারেন।
মুসা ও খিজির (আ.)-এর ঘটনা খিজির (আ.)–এর সঙ্গে সফর করার সময় তিনটি ঘটনা সংঘটিত হতে দেখেন মুসা (আ.)। প্রথম ঘটনায় খিজির (আ.) একটি নৌকা ছিদ্র করে ফেলেন, অথচ নৌকার মালিক বিনা ভাড়ায় তাঁকে নৌকায় উঠিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ঘটনায় তিনি একটি নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করেন। তৃতীয় ঘটনায় তিনি একটি দেয়াল উঠিয়ে দেন। ঘটনা তিনটি দেখে মুসা (আ.) চুপ থাকতে পারলেন না। তখন খিজির (আ.) ঘটনাগুলোর তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাখ্যা দেন। মুসা (আ.) বুঝতে পারলেন আল্লাহ কীভাবে কাউকে কাউকে অন্তর্দৃষ্টি দেন, যাতে তাঁরা সুদূরপ্রসারী অর্থে এমন কাজ করতে পারেন যাকে আপাতদৃষ্টিতে বোধগম্য বলে মনে হয় না। 
ধৈর্য, আনুগত্য ও শুকরিয়া জ্ঞাপনের শিক্ষা রয়েছে এখানে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হলো-জ্ঞান নিয়ে অহংকার করা অনুচিত। সব জ্ঞানের অধিকারী কেবলই আল্লাহ। খিজির (আ.) নিজেও বলেছেন, ‘আমি আমার ইচ্ছায় কিছুই করিনি।’ (সুরা কাহাফ: ৮২) পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর এ-দেওয়ালটি ছিল শহরের দুই এতিমের। তার নিচে ছিল গুপ্তধন। আর ওদের পিতা ছিল এক সৎকর্মপরায়ণ লোক। সে জন্য তোমার প্রতিপালক ইচ্ছা করলেন যে ওরা যেন সাবালক হয় ও তারপর ওরা ওদের ধন উদ্ধার করে। আমি নিজ থেকে কিছু করিনি। তুমি যে-বিষয়ে ধৈর্য রাখতে পারনি এটাই তার ব্যাখ্যা।’ (সুরা কাহাফ: ৮২)
বাদশাহ জুলকারনাইনের ঘটনা জুলকারনাইন ন্যায়পরায়ণ ও সৎ বাদশাহ ছিলেন। তিনি পশ্চিম থেকে পূর্ব পর্যন্ত সফর করেছিলেন। দুই পর্বতের মাঝখানে তিনি এক জনগোষ্ঠীকে খুঁজে পান। তারা তাঁর কাছে ইয়াজুজ ও মাজুজের হাত থেকে রক্ষা পেতে একটি দেয়াল নির্মাণের আবেদন জানাল। জুলকারনাইন কাজটি করে দিতে সম্মত হলেন। তিনি তাঁর কাজ নিয়ে গর্ব দেখাননি। অর্থাৎ এই ঘটনায় অহংকার পরিত্যাগ করার শিক্ষা রয়েছে।
দেয়াল তৈরির পর তাঁর ভাষণ পবিত্র কোরআনে বর্ণনা করা হয়েছে, ‘এ আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ। যখন আমার প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি পূর্ণ হবে তখন তিনি ওকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দেবেন, আর আমার প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি সত্য।’ (সুরা কাহাফ: ৯৮)
মূল পরীক্ষা চারটি  ওপরের চারটি ঘটনা থেকে চার রকম পরীক্ষার কথা জানা যায়। আসহাবে কাহাফের ঘটনা থেকে ধর্মবোধের পরীক্ষা, দুটি বাগানের মালিকের ঘটনা থেকে সম্পদের ওপর পরীক্ষা, মুসা (আ.) ও খিজির (আ.)-এর ঘটনায় জ্ঞান সম্পর্কে এবং জুলকারনাইনের ঘটনা থেকে ক্ষমতা নিয়ে পরীক্ষা।
সুরা কাহাফে দাওয়াত চারটি  সুরা কাহাফের চার ঘটনায় দাওয়াতের কথা রয়েছে। ১৪ নম্বর আয়াতে যুবকেরা বাদশাহকে দাওয়াত দিয়েছেন (আসহাবে কাহাফের ঘটনা)। ৩৭ নম্বর আয়াতে একজন সঙ্গী আরেক সঙ্গীকে দাওয়াত দিয়েছে (দুটি বাগানের মালিকের ঘটনা)। ৭০ নম্বর আয়াতে একজন শিক্ষক তার ছাত্রকে দাওয়াত দিয়েছে (হজরত মুসা (আ.) এবং জ্ঞানী ব্যক্তির ঘটনা)। ৮৭-৮৮ আয়াতে একজন শাসক তার প্রজাদের দাওয়াত দিয়েছে (জুলকারনাইনের ঘটনা)।
প্রসঙ্গত, জুমার দিন সুরা কাহাফ পাঠের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে, তার (ঈমানের) নূর এই জুমা হতে আগামী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (মেশকাত: ২১৭৫) আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। (সহিহ মুসলিম: ৮০৯; আবু দাউদ: ৪৩২৩) আরেক বর্ণনায় আছে, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের শেষ ১০ আয়াত পড়বে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে রক্ষা পাবে।’ (মুসনাদে আহমদ: ৪৪৬/৬) আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, যেভাবে নাজিল করা হয়েছে, সেভাবে যে ব্যক্তি সুরা কাহাফ পড়বে, তার জন্য সেটা নিজের স্থান থেকে মক্কা পর্যন্ত আলো হবে এবং শেষ ১০ আয়াত পড়লে দাজ্জালের গণ্ডির বাইরে থাকবে আর দাজ্জাল তার ওপর কোনোরূপ প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। (সুনানে নাসায়ি: ১০৭২২)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুরা কাহাফের ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়ার তাওফিক দান করুন। আল্লাহ তাআলার আদেশ যথাযথ মেনে জীবন পরিচালনার তাওফিক দান করুন। আমিন।
সূরা কাহাফ আমাদের শেখায় যে যাই ঘটুক না কেন, আল্লাহ আপনার যত্ন নেবেন । সহীহ মুসলিম, 809. তাই আমরা জানতে পারি যে, সূরা আল-কাহফের শুরু এবং অন্য একটি হাদীসে সূরার প্রথম দশটি আয়াত দাজ্জালের ফিতনা থেকে সুরক্ষা।
সূরা আল কাহফ এতটাই সমৃদ্ধ যে নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং তাঁর অনুসারীদের প্রতি শুক্রবার এটি পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আজ অবধি, মুসলমানদের প্রতি শুক্রবার সূরা আল-কাহফ পড়তে এবং পাঠ করতে উত্সাহিত করা হয় ।
Suratul Kahf | With Bangla subtitle | 
youtube
youtube
youtube
সূরা আল কাহফের শিক্ষা
0 notes
quransunnahdawah · 17 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সুরা কাহফ পড়ে জান্নাত লাভের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন
youtube
youtube
youtube
youtube
সূরা আল কাহফের শিক্ষা
আল কাহাফ (আরবি: الكهف, আল-কাহফ; অর্থ: গুহা)। সূরা আল-কাহাফ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফিতনাকে ব্যাখ্যা করে্। এই সুরার গল্পগুলি ঈমানদারের কীভাবে এই পরীক্ষা এবং দুর্দশাগুলির নিকটবর্তী হওয়া উচিত তাঁর রূপরেখা দেয়। সূরা কাহাফ আমাদের শেখায়-  বিজয়ী হতে আমাদের কখনই বিশ্রাম না করা এবং যতটা সম্ভব বেশি নেক আমল করে যাওয়া। একমাত্র আল্লাহর ইবাদাতের মাধ্যমে মুমীন বেশি নেয়ামত অর্জন করতে পারে এবং চিরস্থায়ী পরককালীন জীবনে জান্নাত লাভের জন্য ইহকালেই নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ’। আমরা অবশ্যই আল্লাহ্‌র কাছে প্রত্যাবর্তন করব। অতএব একমাত্র আল্লাহর ইবাদাত করুন।
সুরা কাহাফের চার ঘটনা ও চারটি মূল্যবান শিক্ষা
https://www.youtube.com/watch?v=zAVhId_o0ZA
https://www.youtube.com/watch?v=Oxks6voi56U
https://www.youtube.com/watch?v=7Evr0r9Nw2w
 
 
 
সুরা কাহাফ পবিত্র কোরআনের ১৮তম সুরা। কাহাফ মানে গুহা। আসহাবে কাহাফের বিখ্যাত সাত যুবকের ঘট��া এই সুরায় বর্ণিত হওয়ায় এর নামকরণ করা হয়েছে ‘সুরা কাহাফ’। ১১০ আয়াতের এই সুরায় চারটি ঘটনা রয়েছে। প্রত্যেক ঘটনার সঙ্গে রয়েছে মূল্যবান শিক্ষা।
সুরা কাহাফের ৯ থেকে ২৬ আয়াতে আছে আসহাবে কাহাফের ঘটনা। ৩২ থেকে ৪৪ আয়াতে দুটি বাগানের মালিকের ঘটনা রয়েছে। মুসা (আ.) ও খিজির (আ.) ঘটনা এবং জুলকারনাইন সম্পর্কিত ঘটনার উল্লেখ রয়েছে ৬০ থেকে ১০১ আয়াতে। নিচে এসব ঘটনার সঙ্গে মহামূল্যবান শিক্ষা
আসহাবে কাহাফের ঘটনা অবিশ্বাসে ভরা সমাজে কয়েকজন যুবক আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিলেন। বিরূপ পরিস্থিতির শিকার হয়ে তাঁরা একটি গুহায় গিয়ে আশ্রয় নিলেন। সেখানে আল্লাহ তাঁদের সবাইকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ঘুম পাড়িয়ে রাখলেন। ঘুম ভাঙার পর তাঁরা বুঝতেই পারেননি, তাঁদের ঘুমের মধ্যে আল্লাহ অনেকগুলো বছর অতিবাহিত করে ফেলেছেন। এ অবস্থায় তাঁদের একজন খাবার কিনতে শহরে গেলেন। তিনি ভেবেছিলেন, লোকজন তাঁকে চিনে ফেলবে এবং তাঁর ক্ষতি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু অবাক হয়ে দেখলেন, কেউ তাঁকে চেনে না। খাবার কিনে টাকা পরিশোধ করার সময় পুরোনো মুদ্রা দেখে শহরের লোকেরা হতবাক হয়ে গেল।
এ ঘটনার তাৎপর্য একাধিক। যেমন—আল্লাহ তাআলা সৎকর্মশীল বান্দাদেরকে শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করে থাকেন। এছাড়াও দ্বীনকে বাঁচানোর জন্য সবকিছু ছেড়ে অন্যত্র হিজরত করা ও আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনার শিক্ষা রয়েছে এই ঘটনায়।
দুই বাগানের মালিকের ঘটনা এক ব্যক্তির সুন্দর একটি বাগান ছিল। কিন্তু লোকটি ছিলেন অহংকারী। পবিত্র কোরআন আছে, ‘আর তার প্রচুর ধনসম্পদ ছিল, তারপর কথায় কথায় সে তার বন্ধুকে বলল, ধনসম্পদে আমি তোমার থেকে বড় এবং জনবলেও তোমার চেয়ে শক্তিশালী।’ (সুরা কাহাফ: ৩৪) অহংকারী হয়ে আল্লাহর নেয়ামতের কথা ভুলে যাওয়ায় আল্লাহ তাঁর বাগান ধ্বংস করে দেন। ঘটনাটি তাদের জন্য, যারা নিজের অহংবোধে আল্লাহর নেয়ামতের কথা ভুলে যায়। তাঁরা ভুলে যায় যে আল্লাহ চাইলেই মুহূর্তে তাদের কাছ থেকে সবকিছু কেড়ে নিতে পারেন।
মুসা ও খিজির (আ.)-এর ঘটনা খিজির (আ.)–এর সঙ্গে সফর করার সময় তিনটি ঘটনা সংঘটিত হতে দেখেন মুসা (আ.)। প্রথম ঘটনায় খিজির (আ.) একটি নৌকা ছিদ্র করে ফেলেন, অথচ নৌকার মালিক বিনা ভাড়ায় তাঁকে নৌকায় উঠিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ঘটনায় তিনি একটি নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করেন। তৃতীয় ঘটনায় তিনি একটি দেয়াল উঠিয়ে দেন। ঘটনা তিনটি দেখে মুসা (আ.) চুপ থাকতে পারলেন না। তখন খিজির (আ.) ঘটনাগুলোর তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাখ্যা দেন। মুসা (আ.) বুঝতে পারলেন আল্লাহ কীভাবে কাউকে কাউকে অন্তর্দৃষ্টি দেন, যাতে তাঁরা সুদূরপ্রসারী অর্থে এমন কাজ করতে পারেন যাকে আপাতদৃষ্টিতে বোধগম্য বলে মনে হয় না। 
ধৈর্য, আনুগত্য ও শুকরিয়া জ্ঞাপনের শিক্ষা রয়েছে এখানে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হলো-জ্ঞান নিয়ে অহংকার করা অনুচিত। সব জ্ঞানের অধিকারী কেবলই আল্লাহ। খিজির (আ.) নিজেও বলেছেন, ‘আমি আমার ইচ্ছায় কিছুই করিনি।’ (সুরা কাহাফ: ৮২) পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর এ-দেওয়ালটি ছিল শহরের দুই এতিমের। তার নিচে ছিল গুপ্তধন। আর ওদের পিতা ছিল এক সৎকর্মপরায়ণ লোক। সে জন্য তোমার প্রতিপালক ইচ্ছা করলেন যে ওরা যেন সাবালক হয় ও তারপর ওরা ওদের ধন উদ্ধার করে। আমি নিজ থেকে কিছু করিনি। তুমি যে-বিষয়ে ধৈর্য রাখতে পারনি এটাই তার ব্যাখ্যা।’ (সুরা কাহাফ: ৮২)
বাদশাহ জুলকারনাইনের ঘটনা জুলকারনাইন ন্যায়পরায়ণ ও সৎ বাদশাহ ছিলেন। তিনি পশ্চিম থেকে পূর্ব পর্যন্ত সফর করেছিলেন। দুই পর্বতের মাঝখানে তিনি এক জনগোষ্ঠীকে খুঁজে পান। তারা তাঁর কাছে ইয়াজুজ ও মাজুজের হাত থেকে রক্ষা পেতে একটি দেয়াল নির্মাণের আবেদন জানাল। জুলকারনাইন কাজটি করে দিতে সম্মত হলেন। তিনি তাঁর কাজ নিয়ে গর্ব দেখাননি। অর্থাৎ এই ঘটনায় অহংকার পরিত্যাগ করার শিক্ষা রয়েছে।
দেয়াল তৈরির পর তাঁর ভাষণ পবিত্র কোরআনে বর্ণনা করা হয়েছে, ‘এ আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ। যখন আমার প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি পূর্ণ হবে তখন তিনি ওকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দেবেন, আর আমার প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি সত্য।’ (সুরা কাহাফ: ৯৮)
মূল পরীক্ষা চারটি  ওপরের চারটি ঘটনা থেকে চার রকম পরীক্ষার কথা জানা যায়। আসহাবে কাহাফের ঘটনা থেকে ধর্মবোধের পরীক্ষা, দুটি বাগানের মালিকের ঘটনা থেকে সম্পদের ওপর পরীক্ষা, মুসা (আ.) ও খিজির (আ.)-এর ঘটনায় জ্ঞান সম্পর্কে এবং জুলকারনাইনের ঘটনা থেকে ক্ষমতা নিয়ে পরীক্ষা।
সুরা কাহাফে দাওয়াত চারটি  সুরা কাহাফের চার ঘটনায় দাওয়াতের কথা রয়েছে। ১৪ নম্বর আয়াতে যুবকেরা বাদশাহকে দাওয়াত দিয়েছেন (আসহাবে কাহাফের ঘটনা)। ৩৭ নম্বর আয়াতে একজন সঙ্গী আরেক সঙ্গীকে দাওয়াত দিয়েছে (দুটি বাগানের মালিকের ঘটনা)। ৭০ নম্বর আয়াতে একজন শিক্ষক তার ছাত্রকে দাওয়াত দিয়েছে (হজরত মুসা (আ.) এবং জ্ঞানী ব্যক্তির ঘটনা)। ৮৭-৮৮ আয়াতে একজন শাসক তার প্রজাদের দাওয়াত দিয়েছে (জুলকারনাইনের ঘটনা)।
প্রসঙ্গত, জুমার দিন সুরা কাহাফ পাঠের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে, তার (ঈমানের) নূর এই জুমা হতে আগামী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (মেশকাত: ২১৭৫) আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। (সহিহ মুসলিম: ৮০৯; আবু দাউদ: ৪৩২৩) আরেক বর্ণনায় আছে, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের শেষ ১০ আয়াত পড়বে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে রক্ষা পাবে।’ (মুসনাদে আহমদ: ৪৪৬/৬) আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, যেভাবে নাজিল করা হয়েছে, সেভাবে যে ব্যক্তি সুরা কাহাফ পড়বে, তার জন্য সেটা নিজের স্থান থেকে মক্কা পর্যন্ত আলো হবে এবং শেষ ১০ আয়াত পড়লে দাজ্জালের গণ্ডির বাইরে থাকবে আর দাজ্জাল তার ওপর কোনোরূপ প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। (সুনানে নাসায়ি: ১০৭২২)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুরা কাহাফের ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়ার তাওফিক দান করুন। আল্লাহ তাআলার আদেশ যথাযথ মেনে জীবন পরিচালনার তাওফিক দান করুন। আমিন।
সূরা কাহাফ আমাদের শেখায় যে যাই ঘটুক না কেন, আল্লাহ আপনার যত্ন নেবেন । সহীহ মুসলিম, 809. তাই আমরা জানতে পারি যে, সূরা আল-কাহফের শুরু এবং অন্য একটি হাদীসে সূরার প্রথম দশটি আয়াত দাজ্জালের ফিতনা থেকে সুরক্ষা।
সূরা আল কাহফ এতটাই সমৃদ্ধ যে নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং তাঁর অনুসারীদের প্রতি শুক্রবার এটি পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আজ অবধি, মুসলমানদের প্রতি শুক্রবার সূরা আল-কাহফ পড়তে এবং পাঠ করতে উত্সাহিত করা হয় ।
Suratul Kahf | With Bangla subtitle | 
youtube
youtube
youtube
সূরা আল কাহফের শিক্ষা
0 notes
mylordisallah · 17 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সুরা কাহফ পড়ে জান্নাত লাভের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন
youtube
youtube
youtube
youtube
সূরা আল কাহফের শিক্ষা
আল কাহাফ (আরবি: الكهف, আল-কাহফ; অর্থ: গুহা)। সূরা আল-কাহাফ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফিতনাকে ব্যাখ্যা করে্। এই সুরার গল্পগুলি ঈমানদারের কীভাবে এই পরীক্ষা এবং দুর্দশাগুলির নিকটবর্তী হওয়া উচিত তাঁর রূপরেখা দেয়। সূরা কাহাফ আমাদের শেখায়-  বিজয়ী হতে আমাদের কখনই বিশ্রাম না করা এবং যতটা সম্ভব বেশি নেক আমল করে যাওয়া। একমাত্র আল্লাহর ইবাদাতের মাধ্যমে মুমীন বেশি নেয়ামত অর্জন করতে পারে এবং চিরস্থায়ী পরককালীন জীবনে জান্নাত লাভের জন্য ইহকালেই নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ’। আমরা অবশ্যই আল্লাহ্‌র কাছে প্রত্যাবর্তন করব। অতএব একমাত্র আল্লাহর ইবাদাত করুন।
সুরা কাহাফের চার ঘটনা ও চারটি মূল্যবান শিক্ষা
https://www.youtube.com/watch?v=zAVhId_o0ZA
https://www.youtube.com/watch?v=Oxks6voi56U
https://www.youtube.com/watch?v=7Evr0r9Nw2w
 
 
 
সুরা কাহাফ পবিত্র কোরআনের ১৮তম সুরা। কাহাফ মানে গুহা। আসহাবে কাহাফের বিখ্যাত সাত যুবকের ঘটনা এই সুরায় বর্ণিত হওয়ায় এর নামকরণ করা হয়েছে ‘সুরা কাহাফ’। ১১০ আয়াতের এই সুরায় চারটি ঘটনা রয়েছে। প্রত্যেক ঘটনার সঙ্গে রয়েছে মূল্যবান শিক্ষা।
সুরা কাহাফের ৯ থেকে ২৬ আয়াতে আছে আসহাবে কাহাফের ঘটনা। ৩২ থেকে ৪৪ আয়াতে দুটি বাগানের মালিকের ঘটনা রয়েছে। মুসা (আ.) ও খিজির (আ.) ঘটনা এবং জুলকারনাইন সম্পর্কিত ঘটনার উল্লেখ রয়েছে ৬০ থেকে ১০১ আয়াতে। নিচে এসব ঘটনার সঙ্গে মহামূল্যবান শিক্ষা
আসহাবে কাহাফের ঘটনা অবিশ্বাসে ভরা সমাজে কয়েকজন যুবক আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিলেন। বিরূপ পরিস্থিতির শিকার হয়ে তাঁরা একটি গুহায় গিয়ে আশ্রয় নিলেন। সেখানে আল্লাহ তাঁদের সবাইকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ঘুম পাড়িয়ে রাখলেন। ঘুম ভাঙার পর তাঁরা বুঝতেই পারেননি, তাঁদের ঘুমের মধ্যে আল্লাহ অনেকগুলো বছর অতিবাহিত করে ফেলেছেন। এ অবস্থায় তাঁদের একজন খাবার কিনতে শহরে গেলেন। তিনি ভেবেছিলেন, লোকজন তাঁকে চিনে ফেলবে এবং তাঁর ক্ষতি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু অবাক হয়ে দেখলেন, কেউ তাঁকে চেনে না। খাবার কিনে টাকা পরিশোধ করার সময় পুরোনো মুদ্রা দেখে শহরের লোকেরা হতবাক হয়ে গেল।
এ ঘটনার তাৎপর্য একাধিক। যেমন—আল্লাহ তাআলা সৎকর্মশীল বান্দাদেরকে শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করে থাকেন। এছাড়াও দ্বীনকে বাঁচানোর জন্য সবকিছু ছেড়ে অন্যত্র হিজরত করা ও আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনার শিক্ষা রয়েছে এই ঘটনায়।
দুই বাগানের মালিকের ঘটনা এক ব্যক্তির সুন্দর একটি বাগান ছিল। কিন্তু লোকটি ছিলেন অহংকারী। পবিত্র কোরআন আছে, ‘আর তার প্রচুর ধনসম্পদ ছিল, তারপর কথায় কথায় সে তার বন্ধুকে বলল, ধনসম্পদে আমি তোমার থেকে বড় এবং জনবলেও তোমার চেয়ে শক্তিশালী।’ (সুরা কাহাফ: ৩৪) অহংকারী হয়ে আল্লাহর নেয়ামতের কথা ভুলে যাওয়ায় আল্লাহ তাঁর বাগান ধ্বংস করে দেন। ঘটনাটি তাদের জন্য, যারা নিজের অহংবোধে আল্লাহর নেয়ামতের কথা ভুলে যায়। তাঁরা ভুলে যায় যে আল্লাহ চাইলেই মুহূর্তে তাদের কাছ থেকে সবকিছু কেড়ে নিতে পারেন।
মুসা ও খিজির (আ.)-এর ঘটনা খিজির (আ.)–এর সঙ্গে সফর করার সময় তিনটি ঘটনা সংঘটিত হতে দেখেন মুসা (আ.)। প্রথম ঘটনায় খিজির (আ.) একটি নৌকা ছিদ্র করে ফেলেন, অথচ নৌকার মালিক বিনা ভাড়ায় তাঁকে নৌকায় উঠিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ঘটনায় তিনি একটি নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করেন। তৃতীয় ঘটনায় তিনি একটি দেয়াল উঠিয়ে দেন। ঘটনা তিনটি দেখে মুসা (আ.) চুপ থাকতে পারলেন না। তখন খিজির (আ.) ঘটনাগুলোর তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাখ্যা দেন। মুসা (আ.) বুঝতে পারলেন আল্লাহ কীভাবে কাউকে কাউকে অন্তর্দৃষ্টি দেন, যাতে তাঁরা সুদূরপ্রসারী অর্থে এমন কাজ করতে পারেন যাকে আপাতদৃষ্টিতে বোধগম্য বলে মনে হয় না। 
ধৈর্য, আনুগত্য ও শুকরিয়া জ্ঞাপনের শিক্ষা রয়েছে এখানে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হলো-জ্ঞান নিয়ে অহংকার করা অনুচিত। সব জ্ঞানের অধিকারী কেবলই আল্লাহ। খিজির (আ.) নিজেও বলেছেন, ‘আমি আমার ইচ্ছায় কিছুই করিনি।’ (সুরা কাহাফ: ৮২) পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর এ-দেওয়ালটি ছিল শহরের দুই এতিমের। তার নিচে ছিল গুপ্তধন। আর ওদের পিতা ছিল এক সৎকর্মপরায়ণ লোক। সে জন্য তোমার প্রতিপালক ইচ্ছা করলেন যে ওরা যেন সাবালক হয় ও তারপর ওরা ওদের ধন উদ্ধার করে। আমি নিজ থেকে কিছু করিনি। তুমি যে-বিষয়ে ধৈর্য রাখতে পারনি এটাই তার ব্যাখ্যা।’ (সুরা কাহাফ: ৮২)
বাদশাহ জুলকারনাইনের ঘটনা জুলকারনাইন ন্যায়পরায়ণ ও সৎ বাদশাহ ছিলেন। তিনি পশ্চিম থেকে পূর্ব পর্যন্ত সফর করেছিলেন। দুই পর্বতের মাঝখানে তিনি এক জনগোষ্ঠীকে খুঁজে পান। তারা তাঁর কাছে ইয়াজুজ ও মাজুজের হাত থেকে রক্ষা পেতে একটি দেয়াল নির্মাণের আবেদন জানাল। জুলকারনাইন কাজটি করে দিতে সম্মত হলেন। তিনি তাঁর কাজ নিয়ে গর্ব দেখাননি। অর্থাৎ এই ঘটনায় অহংকার পরিত্যাগ করার শিক্ষা রয়েছে।
দেয়াল তৈরির পর তাঁর ভাষণ পবিত্র কোরআনে বর্ণনা করা হয়েছে, ‘এ আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ। যখন আমার প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি পূর্ণ হবে তখন তিনি ওকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দেবেন, আর আমার প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি সত্য।’ (সুরা কাহাফ: ৯৮)
মূল পরীক্ষা চারটি  ওপরের চারটি ঘটনা থেকে চার রকম পরীক্ষার কথা জানা যায়। আসহাবে কাহাফের ঘটনা থেকে ধর্মবোধের পরীক্ষা, দুটি বাগানের মালিকের ঘটনা থেকে সম্পদের ওপর পরীক্ষা, মুসা (আ.) ও খিজির (আ.)-এর ঘটনায় জ্ঞান সম্পর্কে এবং জুলকারনাইনের ঘটনা থেকে ক্ষমতা নিয়ে পরীক্ষা।
সুরা কাহাফে দাওয়াত চারটি  সুরা কাহাফের চার ঘটনায় দাওয়াতের কথা রয়েছে। ১৪ নম্বর আয়াতে যুবকেরা বাদশাহকে দাওয়াত দিয়েছেন (আসহাবে কাহাফের ঘটনা)। ৩৭ নম্বর আয়াতে একজন সঙ্গী আরেক সঙ্গীকে দাওয়াত দিয়েছে (দুটি বাগানের মালিকের ঘটনা)। ৭০ নম্বর আয়াতে একজন শিক্ষক তার ছাত্রকে দাওয়াত দিয়েছে (হজরত মুসা (আ.) এবং জ্ঞানী ব্যক্তির ঘটনা)। ৮৭-৮৮ আয়াতে একজন শাসক তার প্রজাদের দাওয়াত দিয়েছে (জুলকারনাইনের ঘটনা)।
প্রসঙ্গত, জুমার দিন সুরা কাহাফ পাঠের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে, তার (ঈমানের) নূর এই জুমা হতে আগামী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (মেশকাত: ২১৭৫) আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। (সহিহ মুসলিম: ৮০৯; আবু দাউদ: ৪৩২৩) আরেক বর্ণনায় আছে, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের শেষ ১০ আয়াত পড়বে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে রক্ষা পাবে।’ (মুসনাদে আহমদ: ৪৪৬/৬) আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, যেভাবে নাজিল করা হয়েছে, সেভাবে যে ব্যক্তি সুরা কাহাফ পড়বে, তার জন্য সেটা নিজের স্থান থেকে মক্কা পর্যন্ত আলো হবে এবং শেষ ১০ আয়াত পড়লে দাজ্জালের গণ্ডির বাইরে থাকবে আর দাজ্জাল তার ওপর কোনোরূপ প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। (সুনানে নাসায়ি: ১০৭২২)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুরা কাহাফের ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়ার তাওফিক দান করুন। আল্লাহ তাআলার আদেশ যথাযথ মেনে জীবন পরিচালনার তাওফিক দান করুন। আমিন।
সূরা কাহাফ আমাদের শেখায় যে যাই ঘটুক না কেন, আল্লাহ আপনার যত্ন নেবেন । সহীহ মুসলিম, 809. তাই আমরা জানতে পারি যে, সূরা আল-কাহফের শুরু এবং অন্য একটি হাদীসে সূরার প্রথম দশটি আয়াত দাজ্জালের ফিতনা থেকে সুরক্ষা।
সূরা আল কাহফ এতটাই সমৃদ্ধ যে নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং তাঁর অনুসারীদের প্রতি শুক্রবার এটি পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আজ অবধি, মুসলমানদের প্রতি শুক্রবার সূরা আল-কাহফ পড়তে এবং পাঠ করতে উত্সাহিত করা হয় ।
Suratul Kahf | With Bangla subtitle | 
youtube
youtube
youtube
সূরা আল কাহফের শিক্ষা
0 notes
allahisourrabb · 17 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সুরা কাহফ পড়ে জান্নাত লাভের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন
youtube
youtube
youtube
youtube
সূরা আল কাহফের শিক্ষা
আল কাহাফ (আরবি: الكهف, আল-কাহফ; অর্থ: গুহা)। সূরা আল-কাহাফ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফিতনাকে ব্যাখ্যা করে্। এই সুরার গল্পগুলি ঈমানদারের কীভাবে এই পরীক্ষা এবং দুর্দশাগুলির নিকটবর্তী হওয়া উচিত তাঁর রূপরেখা দেয়। সূরা কাহাফ আমাদের শেখায়-  বিজয়ী হতে আমাদের কখনই বিশ্রাম না করা এবং যতটা সম্ভব বেশি নেক আমল করে যাওয়া। একমাত্র আল্লাহর ইবাদাতের মাধ্যমে মুমীন বেশি নেয়ামত অর্জন করতে পারে এবং চিরস্থায়ী পরককালীন জীবনে জান্নাত লাভের জন্য ইহকালেই নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ’। আমরা অবশ্যই আল্লাহ্‌র কাছে প্রত্যাবর্তন করব। অতএব একমাত্র আল্লাহর ইবাদাত করুন।
সুরা কাহাফের চার ঘটনা ও চারটি মূল্যবান শিক্ষা
https://www.youtube.com/watch?v=zAVhId_o0ZA
https://www.youtube.com/watch?v=Oxks6voi56U
https://www.youtube.com/watch?v=7Evr0r9Nw2w
 
 
 
সুরা কাহাফ পবিত্র কোরআনের ১৮তম সুরা। কাহাফ মানে গুহা। আসহাবে কাহাফের বিখ্যাত সাত যুবকের ঘটনা এই সুরায় বর্ণিত হওয়ায় এর নামকরণ করা হয়েছে ‘সুরা কাহাফ’। ১১০ আয়াতের এই সুরায় চারটি ঘটনা রয়েছে। প্রত্যেক ঘটনার সঙ্গে রয়েছে মূল্যবান শিক্ষা।
সুরা কাহাফের ৯ থেকে ২৬ আয়াতে আছে আসহাবে কাহাফের ঘটনা। ৩২ থেকে ৪৪ আয়াতে দুটি বাগানের মালিকের ঘটনা রয়েছে। মুসা (আ.) ও খিজির (আ.) ঘটনা এবং জুলকারনাইন সম্পর্কিত ঘটনার উল্লেখ রয়েছে ৬০ থেকে ১০১ আয়াতে। নিচে এসব ঘটনার সঙ্গে মহামূল্যবান শিক্ষা
আসহাবে কাহাফের ঘটনা অবিশ্বাসে ভরা সমাজে কয়েকজন যুবক আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিলেন। বিরূপ পরিস্থিতির শিকার হয়ে তাঁরা একটি গুহায় গিয়ে আশ্রয় নিলেন। সেখানে আল্লাহ তাঁদের সবাইকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ঘুম পাড়িয়ে রাখলেন। ঘুম ভাঙার পর তাঁরা বুঝতেই পারেননি, তাঁদের ঘুমের মধ্যে আল্লাহ অনেকগুলো বছর অতিবাহিত করে ফেলেছেন। এ অবস্থায় তাঁদের একজন খাবার কিনতে শহরে গেলেন। তিনি ভেবেছিলেন, লোকজন তাঁকে চিনে ফেলবে এবং তাঁর ক্ষতি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু অবাক হয়ে দেখলেন, কেউ তাঁকে চেনে না। খাবার কিনে টাকা পরিশোধ করার সময় পুরোনো মুদ্রা দেখে শহরের লোকেরা হতবাক হয়ে গেল।
এ ঘটনার তাৎপর্য একাধিক। যেমন—আল্লাহ তাআলা সৎকর্মশীল বান্দাদেরকে শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করে থাকেন। এছাড়াও দ্বীনকে বাঁচানোর জন্য সবকিছু ছেড়ে অন্যত্র হিজরত করা ও আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনার শিক্ষা রয়েছে এই ঘটনায়।
দুই বাগানের মালিকের ঘটনা এক ব্যক্তির সুন্দর একটি বাগান ছিল। কিন্তু লোকটি ছিলেন অহংকারী। পবিত্র কোরআন আছে, ‘আর তার প্রচুর ধনসম্পদ ছিল, তারপর কথায় কথায় সে তার বন্ধুকে বলল, ধনসম্পদে আমি তোমার থেকে বড় এবং জনবলেও তোমার চেয়ে শক্তিশালী।’ (সুরা কাহাফ: ৩৪) অহংকারী হয়ে আল্লাহর নেয়ামতের কথা ভুলে যাওয়ায় আল্লাহ তাঁর বাগান ধ্বংস করে দেন। ঘটনাটি তাদের জন্য, যারা নিজের অহংবোধে আল্লাহর নেয়ামতের কথা ভুলে যায়। তাঁরা ভুলে যায় যে আল্লাহ চাইলেই মুহূর্তে তাদের কাছ থেকে সবকিছু কেড়ে নিতে পারেন।
মুসা ও খিজির (আ.)-এর ঘটনা খিজির (আ.)–এর সঙ্গে সফর করার সময় তিনটি ঘটনা সংঘটিত হতে দেখেন মুসা (আ.)। প্রথম ঘটনায় খিজির (আ.) একটি নৌকা ছিদ্র করে ফেলেন, অথচ নৌকার মালিক বিনা ভাড়ায় তাঁকে নৌকায় উঠিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ঘটনায় তিনি একটি নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করেন। তৃতীয় ঘটনায় তিনি একটি দেয়াল উঠিয়ে দেন। ঘটনা তিনটি দেখে মুসা (আ.) চুপ থাকতে পারলেন না। তখন খিজির (আ.) ঘটনাগুলোর তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাখ্যা দেন। মুসা (আ.) বুঝতে পারলেন আল্লাহ কীভাবে কাউকে কাউকে অন্তর্দৃষ্টি দেন, যাতে তাঁরা সুদূরপ্রসারী অর্থে এমন কাজ করতে পারেন যাকে আপাতদৃষ্টিতে বোধগম্য বলে মনে হয় না। 
ধৈর্য, আনুগত্য ও শুকরিয়া জ্ঞাপনের শিক্ষা রয়েছে এখানে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হলো-জ্ঞান নিয়ে অহংকার করা অনুচিত। সব জ্ঞানের অধিকারী কেবলই আল্লাহ। খিজির (আ.) নিজেও বলেছেন, ‘আমি আমার ইচ্ছায় কিছুই করিনি।’ (সুরা কাহাফ: ৮২) পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর এ-দেওয়ালটি ছিল শহরের দুই এতিমের। তার নিচে ছিল গুপ্তধন। আর ওদের পিতা ছিল এক সৎকর্মপরায়ণ লোক। সে জন্য তোমার প্রতিপালক ইচ্ছা করলেন যে ওরা যেন সাবালক হয় ও তারপর ওরা ওদের ধন উদ্ধার করে। আমি নিজ থেকে কিছু করিনি। তুমি যে-বিষয়ে ধৈর্য রাখতে পারনি এটাই তার ব্যাখ্যা।’ (সুরা কাহাফ: ৮২)
বাদশাহ জুলকারনাইনের ঘটনা জুলকারনাইন ন্যায়পরায়ণ ও সৎ বাদশাহ ছিলেন। তিনি পশ্চিম থেকে পূর্ব পর্যন্ত সফর করেছিলেন। দুই পর্বতের মাঝখানে তিনি এক জনগোষ্ঠীকে খুঁজে পান। তারা তাঁর কাছে ইয়াজুজ ও মাজুজের হাত থেকে রক্ষা পেতে একটি দেয়াল নির্মাণের আবেদন জানাল। জুলকারনাইন কাজটি করে দিতে সম্মত হলেন। তিনি তাঁর কাজ নিয়ে গর্ব দেখাননি। অর্থাৎ এই ঘটনায় অহংকার পরিত্যাগ করার শিক্ষা রয়েছে।
দেয়াল তৈরির পর তাঁর ভাষণ পবিত্র কোরআনে বর্ণনা করা হয়েছে, ‘এ আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ। যখন আমার প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি পূর্ণ হবে তখন তিনি ওকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দেবেন, আর আমার প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি সত্য।’ (সুরা কাহাফ: ৯৮)
মূল পরীক্ষা চারটি  ওপরের চারটি ঘটনা থেকে চার রকম পরীক্ষার কথা জানা যায়। আসহাবে কাহাফের ঘটনা থেকে ধর্মবোধের পরীক্ষা, দুটি বাগানের মালিকের ঘটনা থেকে সম্পদের ওপর পরীক্ষা, মুসা (আ.) ও খিজির (আ.)-এর ঘটনায় জ্ঞান সম্পর্কে এবং জুলকারনাইনের ঘটনা থেকে ক্ষমতা নিয়ে পরীক্ষা।
সুরা কাহাফে দাওয়াত চারটি  সুরা কাহাফের চার ঘটনায় দাওয়াতের কথা রয়েছে। ১৪ নম্বর আয়াতে যুবকেরা বাদশাহকে দাওয়াত দিয়েছেন (আসহাবে কাহাফের ঘটনা)। ৩৭ নম্বর আয়াতে একজন সঙ্গী আরেক সঙ্গীকে দাওয়াত দিয়েছে (দুটি বাগানের মালিকের ঘটনা)। ৭০ নম্বর আয়াতে একজন শিক্ষক তার ছাত্রকে দাওয়াত দিয়েছে (হজরত মুসা (আ.) এবং জ্ঞানী ব্যক্তির ঘটনা)। ৮৭-৮৮ আয়াতে একজন শাসক তার প্রজাদের দাওয়াত দিয়েছে (জুলকারনাইনের ঘটনা)।
প্রসঙ্গত, জুমার দিন সুরা কাহাফ পাঠের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে, তার (ঈমানের) নূর এই জুমা হতে আগামী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (মেশকাত: ২১৭৫) আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। (সহিহ মুসলিম: ৮০৯; আবু দাউদ: ৪৩২৩) আরেক বর্ণনায় আছে, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের শেষ ১০ আয়াত পড়বে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে রক্ষা পাবে।’ (মুসনাদে আহমদ: ৪৪৬/৬) আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, যেভাবে নাজিল করা হয়েছে, সেভাবে যে ব্যক্তি সুরা কাহাফ পড়বে, তার জন্য সেটা নিজের স্থান থেকে মক্কা পর্যন্ত আলো হবে এবং শেষ ১০ আয়াত পড়লে দাজ্জালের গণ্ডির বাইরে থাকবে আর দাজ্জাল তার ওপর কোনোরূপ প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। (সুনানে নাসায়ি: ১০৭২২)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুরা কাহাফের ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়ার তাওফিক দান করুন। আল্লাহ তাআলার আদেশ যথাযথ মেনে জীবন পরিচালনার তাওফিক দান করুন। আমিন।
সূরা কাহাফ আমাদের শেখায় যে যাই ঘটুক না কেন, আল্লাহ আপনার যত্ন নেবেন । সহীহ মুসলিম, 809. তাই আমরা জানতে পারি যে, সূরা আল-কাহফের শুরু এবং অন্য একটি হাদীসে সূরার প্রথম দশটি আয়াত দাজ্জালের ফিতনা থেকে সুরক্ষা।
সূরা আল কাহফ এতটাই সমৃদ্ধ যে নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং তাঁর অনুসারীদের প্রতি শুক্রবার এটি পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আজ অবধি, মুসলমানদের প্রতি শুক্রবার সূরা আল-কাহফ পড়তে এবং পাঠ করতে উত্সাহিত করা হয় ।
Suratul Kahf | With Bangla subtitle | 
youtube
youtube
youtube
সুরা কাহফ পড়ে জান্নাত লাভের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন
youtube
youtube
সূরা আল কাহফের শিক্ষা
আল কাহাফ (আরবি: الكهف, আল-কাহফ; অর্থ: গুহা)। সূরা আল-কাহাফ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফিতনাকে ব্যাখ্যা করে্। এই সুরার গল্পগুলি ঈমানদারের কীভাবে এই পরীক্ষা এবং দুর্দশাগুলির নিকটবর্তী হওয়া উচিত তাঁর রূপরেখা দেয়। সূরা কাহাফ আমাদের শেখায়-  বিজয়ী হতে আমাদের কখনই বিশ্রাম না করা এবং যতটা সম্ভব বেশি নেক আমল করে যাওয়া। একমাত্র আল্লাহর ইবাদাতের মাধ্যমে মুমীন বেশি নেয়ামত অর্জন করতে পারে এবং চিরস্থায়ী পরককালীন জীবনে জান্নাত লাভের জন্য ইহকালেই নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ’। আমরা অবশ্যই আল্লাহ্‌র কাছে প্রত্যাবর্তন করব। অতএব একমাত্র আল্লাহর ইবাদাত করুন।
সুরা কাহাফের চার ঘটনা ও চারটি মূল্যবান শিক্ষা
https://www.youtube.com/watch?v=zAVhId_o0ZA
https://www.youtube.com/watch?v=Oxks6voi56U
https://www.youtube.com/watch?v=7Evr0r9Nw2w
 
 
 
সুরা কাহাফ পবিত্র কোরআনের ১৮তম সুরা। কাহাফ মানে গুহা। আসহাবে কাহাফের বিখ্যাত সাত যুবকের ঘটনা এই সুরায় বর্ণিত হওয়ায় এর নামকরণ করা হয়েছে ‘সুরা কাহাফ’। ১১০ আয়াতের এই সুরায় চারটি ঘটনা রয়েছে। প্রত্যেক ঘটনার সঙ্গে রয়েছে মূল্যবান শিক্ষা।
সুরা কাহাফের ৯ থেকে ২৬ আয়াতে আছে আসহাবে কাহাফের ঘটনা। ৩২ থেকে ৪৪ আয়াতে দুটি বাগানের মালিকের ঘটনা রয়েছে। মুসা (আ.) ও খিজির (আ.) ঘটনা এবং জুলকারনাইন সম্পর্কিত ঘটনার উল্লেখ রয়েছে ৬০ থেকে ১০১ আয়াতে। নিচে এসব ঘটনার সঙ্গে মহামূল্যবান শিক্ষা
আসহাবে কাহাফের ঘটনা অবিশ্বাসে ভরা সমাজে কয়েকজন যুবক আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিলেন। বিরূপ পরিস্থিতির শিকার হয়ে তাঁরা একটি গুহায় গিয়ে আশ্রয় নিলেন। সেখানে আল্লাহ তাঁদের সবাইকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ঘুম পাড়িয়ে রাখলেন। ঘুম ভাঙার পর তাঁরা বুঝতেই পারেননি, তাঁদের ঘুমের মধ্যে আল্লাহ অনেকগুলো বছর অতিবাহিত করে ফেলেছেন। এ অবস্থায় তাঁদের একজন খাবার কিনতে শহরে গেলেন। তিনি ভেবেছিলেন, লোকজন তাঁকে চিনে ফেলবে এবং তাঁর ক্ষতি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু অবাক হয়ে দেখলেন, কেউ তাঁকে চেনে না। খাবার কিনে টাকা পরিশোধ করার সময় পুরোনো মুদ্রা দেখে শহরের লোকেরা হতবাক হয়ে গেল।
এ ঘটনার তাৎপর্য একাধিক। যেমন—আল্লাহ তাআলা সৎকর্মশীল বান্দাদেরকে শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করে থাকেন। এছাড়াও দ্বীনকে বাঁচানোর জন্য সবকিছু ছেড়ে অন্যত্র হিজরত করা ও আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনার শিক্ষা রয়েছে এই ঘটনায়।
দুই বাগানের মালিকের ঘটনা এক ব্যক্তির সুন্দর একটি বাগান ছিল। কিন্তু লোকটি ছিলেন অহংকারী। পবিত্র কোরআন আছে, ‘আর তার প্রচুর ধনসম্পদ ছিল, তারপর কথায় কথায় সে তার বন্ধুকে বলল, ধনসম্পদে আমি তোমার থেকে বড় এবং জনবলেও তোমার চেয়ে শক্তিশালী।’ (সুরা কাহাফ: ৩৪) অহংকারী হয়ে আল্লাহর নেয়ামতের কথা ভুলে যাওয়ায় আল্লাহ তাঁর বাগান ধ্বংস করে দেন। ঘটনাটি তাদের জন্য, যারা নিজের অহংবোধে আল্লাহর নেয়ামতের কথা ভুলে যায়। তাঁরা ভুলে যায় যে আল্লাহ চাইলেই মুহূর্তে তাদের কাছ থেকে সবকিছু কেড়ে নিতে পারেন।
মুসা ও খিজির (আ.)-এর ঘটনা খিজির (আ.)–এর সঙ্গে সফর করার সময় তিনটি ঘটনা সংঘটিত হতে দেখেন মুসা (আ.)। প্রথম ঘটনায় খিজির (আ.) একটি নৌকা ছিদ্র করে ফেলেন, অথচ নৌকার মালিক বিনা ভাড়ায় তাঁকে নৌকায় উঠিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ঘটনায় তিনি একটি নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করেন। তৃতীয় ঘটনায় তিনি একটি দেয়াল উঠিয়ে দেন। ঘটনা তিনটি দেখে মুসা (আ.) চুপ থাকতে পারলেন না। তখন খিজির (আ.) ঘটনাগুলোর তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাখ্যা দেন। মুসা (আ.) বুঝতে পারলেন আল্লাহ কীভাবে কাউকে কাউকে অন্তর্দৃষ্টি দেন, যাতে তাঁরা সুদূরপ্রসারী অর্থে এমন কাজ করতে পারেন যাকে আপাতদৃষ্টিতে বোধগম্য বলে মনে হয় না। 
ধৈর্য, আনুগত্য ও শুকরিয়া জ্ঞাপনের শিক্ষা রয়েছে এখানে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হলো-জ্ঞান নিয়ে অহংকার করা অনুচিত। সব জ্ঞানের অধিকারী কেবলই আল্লাহ। খিজির (আ.) নিজেও বলেছেন, ‘আমি আমার ইচ্ছায় কিছুই করিনি।’ (সুরা কাহাফ: ৮২) পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর এ-দেওয়ালটি ছিল শহরের দুই এতিমের। তার নিচে ছিল গুপ্তধন। আর ওদের পিতা ছিল এক সৎকর্মপরায়ণ লোক। সে জন্য তোমার প্রতিপালক ইচ্ছা করলেন যে ওরা যেন সাবালক হয় ও তারপর ওরা ওদের ধন উদ্ধার করে। আমি নিজ থেকে কিছু করিনি। তুমি যে-বিষয়ে ধৈর্য রাখতে পারনি এটাই তার ব্যাখ্যা।’ (সুরা কাহাফ: ৮২)
বাদশাহ জুলকারনাইনের ঘটনা জুলকারনাইন ন্যায়পরায়ণ ও সৎ বাদশাহ ছিলেন। তিনি পশ্চিম থেকে পূর্ব পর্যন্ত সফর করেছিলেন। দুই পর্বতের মাঝখানে তিনি এক জনগোষ্ঠীকে খুঁজে পান। তারা তাঁর কাছে ইয়াজুজ ও মাজুজের হাত থেকে রক্ষা পেতে একটি দেয়াল নির্মাণের আবেদন জানাল। জুলকারনাইন কাজটি করে দিতে সম্মত হলেন। তিনি তাঁর কাজ নিয়ে গর্ব দেখাননি। অর্থাৎ এই ঘটনায় অহংকার পরিত্যাগ করার শিক্ষা রয়েছে।
দেয়াল তৈরির পর তাঁর ভাষণ পবিত্র কোরআনে বর্ণনা করা হয়েছে, ‘এ আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ। যখন আমার প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি পূর্ণ হবে তখন তিনি ওকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দেবেন, আর আমার প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি সত্য।’ (সুরা কাহাফ: ৯৮)
মূল পরীক্ষা চারটি  ওপরের চারটি ঘটনা থেকে চার রকম পরীক্ষার কথা জানা যায়। আসহাবে কাহাফের ঘটনা থেকে ধর্মবোধের পরীক্ষা, দুটি বাগানের মালিকের ঘটনা থেকে সম্পদের ওপর পরীক্ষা, মুসা (আ.) ও খিজির (আ.)-এর ঘটনায় জ্ঞান সম্পর্কে এবং জুলকারনাইনের ঘটনা থেকে ক্ষমতা নিয়ে পরীক্ষা।
সুরা কাহাফে দাওয়াত চারটি  সুরা কাহাফের চার ঘটনায় দাওয়াতের কথা রয়েছে। ১৪ নম্বর আয়াতে যুবকেরা বাদশাহকে দাওয়াত দিয়েছেন (আসহাবে কাহাফের ঘটনা)। ৩৭ নম্বর আয়াতে একজন সঙ্গী আরেক সঙ্গীকে দাওয়াত দিয়েছে (দুটি বাগানের মালিকের ঘটনা)। ৭০ নম্বর আয়াতে একজন শিক্ষক তার ছাত্রকে দাওয়াত দিয়েছে (হজরত মুসা (আ.) এবং জ্ঞানী ব্যক্তির ঘটনা)। ৮৭-৮৮ আয়াতে একজন শাসক তার প্রজাদের দাওয়াত দিয়েছে (জুলকারনাইনের ঘটনা)।
প্রসঙ্গত, জুমার দিন সুরা কাহাফ পাঠের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে, তার (ঈমানের) নূর এই জুমা হতে আগামী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (মেশকাত: ২১৭৫) আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। (সহিহ মুসলিম: ৮০৯; আবু দাউদ: ৪৩২৩) আরেক বর্ণনায় আছে, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের শেষ ১০ আয়াত পড়বে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে রক্ষা পাবে।’ (মুসনাদে আহমদ: ৪৪৬/৬) আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, যেভাবে নাজিল করা হয়েছে, সেভাবে যে ব্যক্তি সুরা কাহাফ পড়বে, তার জন্য সেটা নিজের স্থান থেকে মক্কা পর্যন্ত আলো হবে এবং শেষ ১০ আয়াত পড়লে দাজ্জালের গণ্ডির বাইরে থাকবে আর দাজ্জাল তার ওপর কোনোরূপ প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। (সুনানে নাসায়ি: ১০৭২২)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুরা কাহাফের ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়ার তাওফিক দান করুন। আল্লাহ তাআলার আদেশ যথাযথ মেনে জীবন পরিচালনার তাওফিক দান করুন। আমিন।
সূরা কাহাফ আমাদের শেখায় যে যাই ঘটুক না কেন, আল্লাহ আপনার যত্ন নেবেন । সহীহ মুসলিম, 809. তাই আমরা জানতে পারি যে, সূরা আল-কাহফের শুরু এবং অন্য একটি হাদীসে সূরার প্রথম দশটি আয়াত দাজ্জালের ফিতনা থেকে সুরক্ষা।
সূরা আল কাহফ এতটাই সমৃদ্ধ যে নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং তাঁর অনুসারীদের প্রতি শুক্রবার এটি পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আজ অবধি, মুসলমানদের প্রতি শুক্রবার সূরা আল-কাহফ পড়তে এবং পাঠ করতে উত্সাহিত করা হয় ।
Suratul Kahf | With Bangla subtitle | 
youtube
সূরা আল কাহফের শিক্ষা
0 notes
basicpart · 29 days ago
Text
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের ৯ নির্দেশনা
শিক্ষার্থীদের সংঘাতে না জড়াতে স্কুল-কলেজে নির্দেশনা দিয়ে কো-কারিকুলার কার্যক্রমের একটি তালিকা নমুনা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে নমুনা হিসেবে ৯টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়গুলো জানানো হয়। শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে যে…
0 notes
bongreviewbd · 1 month ago
Text
সিরিয়াল কিলারদের অপ্রত্যাশিত চাকরি: আশ্চর্যজনক বাস্তবতা
সিরিয়াল কিলারদের জীবন কেবল তাদের ভয়াবহ অপরাধের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না; অনেকেই আমাদের সাধারণ জীবনের অংশ হিসেবে পরিচিত পেশায় কাজ করতেন। এই পেশাগুলো তাদের অপরাধমূলক কাজ ঢেকে রাখার পাশাপাশি অনেক ক্ষেত্রে তাদের শিকার বেছে নেওয়ায় সাহায্য করত। আসুন, সিরিয়াল কিলারদের এমন কিছু পেশা এবং তাদের কুখ্যাত কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানি।
youtube
এইচ. এইচ. হোমস: ফার্মাসিস্ট থেকে "মার্ডার ক্যাসেল" নির্মাতা
এইচ. এইচ. হোমস, যাকে প্রথম আমেরিকান সিরিয়াল কিলার হিসেবে ধরা হয়, ফার্মাসিস্ট হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। এই পেশার আড়ালে তিনি শিকার বেছে নেওয়ার সুযোগ পেতেন। পরে তিনি শিকাগোতে একটি তিনতলা ভবন নির্মাণ করেন, যা "মার্ডার ক্যাসেল" নামে পরিচিত। এখানে তিনি গোপন কক্ষ, গ্যাস চেম্বার এবং লাশ নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ চুক্তি তৈরি করেন, যা তাকে ২০০ জন পর্যন্ত মানুষ হত্যা করার সুযোগ দেয়। তার কর্মকাণ্ডের বিশদ তদন্তে জানা যায়, তিনি মানুষ হত্যা করে তাদের দেহাংশ মেডিকেল কলেজগুলোতে বিক্রি করতেন এবং জীবনবিমার টাকা আত্মসাৎ করতেন​The Lineup​ Crime Museum।
জেফরি ডাহমার: চকলেট কারখানার কর্মী থেকে ক্যানিবাল
জেফরি ডাহমার চকলেট কারখানার কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। এই পেশার আড়ালে তিনি তার অপরাধ লুকিয়ে রাখতে পারতেন। প্রাক্তন সামরিক চিকিৎসাকর্মী হিসেবে তার প্রশিক্ষণ তাকে শিকার দেহাংশ সংরক্ষণে সাহায্য করত। ডাহমার ১৭ জনকে হত্যা করেন এবং পরে তাদের দেহাংশ খাওয়ার মতো নৃশংস কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েন​
The Lineup​ Crime Museum।
চার্লস কুলেন ও লুসি লেটবি: চিকিৎসা ক্ষেত্রে "এঞ্জেল অফ ডেথ"
চার্লস কুলেন এবং লুসি লেটবির মতো সিরিয়াল কিলাররা নার্স বা চিকিৎসা কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। এই পেশা তাদের সহজেই অসহায় রোগীদের শিকার বানানোর সুযোগ করে দেয়। চার্লস কুলেন তার কর্মজীবনে ৪০ জনের বেশি রোগীকে হত্যা করেন এবং লুসি লেটবিকে শিশু হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়​
The Lineup।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে সিরিয়াল কিলারদের উপস্থিতি
রবার্ট লি ইয়েটস কারাগার রক্ষী হিসেবে কাজ করতেন, আর গোল্ডেন স্টেট কিলার জোসেফ ডি'অ্যাঞ্জেলো প্রাক্তন পুলিশ অফিসার ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে কাজ করার ফলে তারা অপরাধের তদন্ত থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখতে পারতেন এবং সহজেই শিকার বেছে নিতে পারতেন​
The Lineup।
সম্মানজনক পেশা ও সিরিয়াল কিলারদের মুখোশ
সম্প্রতি ধরা পড়া লং আইল্যান্ড সিরিয়াল কিলার রেক্স হিউরম্যান একজন সফল আর্কিটেক্ট এবং ব্যবসায়ী ছিলেন। জন ওয়েন গেসি পার্টি ক্লাউন হিসেবে কাজ করতেন, যা তাকে শিশুদের কাছাকাছি আসতে সাহায্য করত। এই চাকরিগুলো তাদের চেহারায় এক ধরনের বিশ্বাসযোগ্যতা এনে দেয়, যা তাদের অপরাধের জন্য ঢাল হিসেবে কাজ করত​
Crime Museum।
উপসংহার
সিরিয়াল কিলারদের পেশাগুলো আমাদের সাধারণ জীবনের অংশ হওয়ায় তাদের চেনা ছিল অনেক কঠিন। তাদের ভয়ঙ্কর ইতিহাস আমাদের শেখায় যে বাইরের চেহারা দেখে কাউকে বিচার করা যায় না। আপনি এই বিষয়ে আর কি জানেন বা আপনার মতামত কী? মন্তব্যে জানান।
আরও দেখুনঃ শক্তিশালী হারিকেন মিল্টন: ফ্লোরিডা ও কেনেডি স্পেস সেন্টারে প্রভাব এবং ইউরোপা ক্লিপারের উৎক্ষেপণ
youtube
Tags: #serialkillers #HHHolmes #JeffreyDahmer #CharlesCullen #LucyLetby #LongIslandSerialKiller #GoldenStateKiller #JohnWayneGacy #MurderCastle #healthcaremurders #সিরিয়ালকিলার #এইচএইচহোমস #জেফরিডাহমার #চার্লসকুলেন #লুসিলেটবি #লংআইল্যান্ডসিরিয়ালকিলার #গোল্ডেনস্টেটকিলার #জনওয়েনগেসি #মার্ডারক্যাসেল #চিকিৎসাখুন
সিরিয়ালকিলার, এইচএইচহোমস, জেফরিডাহমার, চার্লসকুলেন, লুসিলেটবি, লংআইল্যান্ডসিরিয়ালকিলার, গোল্ডেনস্টেটকিলার, জনওয়েনগেসি, মার্ডারক্যাসেল, চিকিৎসাখুন, serialkillers, HHHolmes, JeffreyDahmer, CharlesCullen, LucyLetby, LongIslandSerialKiller, GoldenStateKiller, JohnWayneGacy, MurderCastle, healthcaremurders
0 notes
jahid80 · 2 months ago
Text
নদী ও খালের প্রয়োজনীয়তা
নদী ও খাল আমাদের পরিবেশ এবং সমাজের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রাচীনকাল থেকেই এসব জলাশয় মানুষের জীবনে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে আসছে। নদী ও খালের প্রয়োজনীয়তা আজও অপরিসীম এবং নানাভাবে আমাদের জীবনে প্রভাব ফেলে। নিচে এই প্রয়োজনীয়তাগুলো তুলে ধরা হলো,
কৃষি উৎপাদনে ভূমিকা,
নদী ও খালের জল কৃষিকাজের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সেচের জন্য নদী ও খালের পানি ব্যবহার করা হয়, যা ফসল উৎপাদনের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে। এর ফলে খাদ্য উৎপাদন বাড়ে এবং অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
পানি সরবরাহ ও মিঠা পানির উৎস,
নদী ও খাল থেকে আমরা সহজে মিঠা পানি পেতে পারি। এই পানি ব্যবহৃত হয় গৃহস্থালির কাজে, শিল্পকারখানায় এবং পানীয় হিসেবে। মানুষের দৈনন্দিন পানির চাহিদা মেটাতে নদী ও খালের ভূমিকা অপরিসীম।
পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা,
নদী ও খাল আমাদের দেশে প্রাচীনকাল থেকে পরিবহন ও যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। নৌপথে পণ্য পরিবহন সহজ এবং সস্তা হওয়ায় এটি ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে। অনেক অঞ্চলে নৌপথ এখনো যোগাযোগের অন্যতম সহজ মাধ্যম।
মৎস্যসম্পদ,
নদী ও খাল বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রধান আবাসস্থল। মাছ বাংলাদেশের মানুষের অন্যতম প্রধান খাদ্য এবং দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এসব জলাশয় মৎস্যসম্পদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
জীববৈচিত্র্য রক্ষা,
নদী ও খাল বিভিন্ন উদ্ভিদ, প্রাণী এবং জলজ জীবের জন্য আবাসস্থল হিসেবে কাজ করে। এগুলো জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং আমাদের পরিবেশকে স্বাস্থ্যকর রাখে।
পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখা,
নদী ও খাল বায়ু ও জল চক্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলো বৃষ্টিপাত, মাটির ক্ষয়রোধ এবং পরিবেশের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়ক। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং কার্বন নিরপেক্ষতায়ও এগুলোর অবদান রয়েছে।
অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা,
নদী ও খাল পর্যটন, বাণিজ্য এবং অন্যান্য ব্যবসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনেক মানুষ নদী ও খালের ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করে, যেমন নৌকার মাঝি, জেলে এবং অন্যান্য স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য,
বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলেই নদী ও খাল মানুষের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমাদের সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যে নদী ও খালের প্রভাব স্পষ্টভাবে দেখা যায়। বিভিন্ন উৎসব ও অনুষ্ঠান নদীকে ঘিরেই পালিত হয়।
বিপদাপন্ন অবস্থায় সহায়তা,
বন্যা, খরা, এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে নদী ও খাল প্রায়ই সহায়ক ভূমিকা পালন করে। যেমন বন্যার সময় অতিরিক্ত পানি ধারণ করে নদী ও খাল কিছুটা হলেও ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে পারে। সর্বোপরি, নদী ও খাল শুধুমাত্র প্রাকৃতিক সম্পদ নয়, এটি আমাদের জীবনযাত্রার অংশ। সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবহারের মাধ্যমে এগুলোর প্রয়োজনীয়তাকে আরও বেশি কার্যকরভাবে কাজে লাগানো সম্ভব। তাই আমাদের সবার উচিত নদী ও খালকে রক্ষা করা এবং এগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য সচেতন হওয়া।
0 notes
tradingmasterrubelar24 · 2 months ago
Text
ট্রেডিং সারসংক্ষেপে ক্যান্ডেলস্টিক অধ্যয়ন করার পদ্ধতি:
ট্রেডিংয়ে ক্যান্ডেলস্টিক অধ্যয়ন করার উপায়
এই প্রবন্ধে, আমি ট্রেডিংয়ে ক্যান্ডেলস্টিক অধ্যয়ন করার উপায় নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রবন্ধের অংশ হিসাবে, আমরা ট্রেডিংয়ে ক্যান্ডেলস্টিক সম্পর্কিত নিম্নলিখিত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো। Trading Master Rubel AR
ক্যান্ডেলস্টিক কী?
ক্যান্ডেলস্টিকগুলি ক্রেতা ও বিক্রেতারা কী করছে তার প্রতিফলন। তারা কতটা মূল্য পরিবর্তন করে এবং এই পরিবর্তনের পেছনের শক্তি কতটা তা দেখায়। ক্যান্ডেল আপনাকে কে নিয়ন্ত্রণ করছে তা বলে, কিন্তু এই পরিবর্তনের পেছনের ক্রেতা বা বিক্রেতাদের শক্তি সম্পর্কে বলে না; ভলিউম সহ ক্যান্ডেল সেটি দেখায়। #Rubel #AR #Trader
ওপেন:
ওপেন মূল্য আমাদের জানান দেয় সেই সময়ের ওপেনিং-এ ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে ভারসাম্য। ওপেনিং মূল্য দিনটির প্রথম লেনদেন। ট্রেডাররা রাতারাতি বাজার পর্যালোচনা করার পর, ওপেনটি দিনটি শুরু করার জন্য বিনিয়োগকারীদের কাঙ্ক্ষিত অবস্থান উপস্থাপন করে। পূর্ববর্তী ক্লোজ থেকে ওপেনে পরিবর্তন নতুন অনুভূতি প্রকাশ করে। এছাড়াও, সংস্থাগুলি বেশিরভাগ সময় বড়, সর্বাধিক তরল লেনদেন হওয়ায় শেয়ারের সংখ্যা সংগ্রহ (বা বিতরণ) করতে চাইলে প্রায়ই ওপেনে অর্ডার দেয়। এভাবে, ওপেনিংটি সম্ভবত বড় স্টক পরিমাণ সংগ্রহ/ বিতরণ করার মধ্যে অন্যতম সেরা সময় হতে পারে যাতে স্টকের মূল্যে প্রভাব কমানোর প্রচেষ্টা করাও সম্ভব। Trading Master Rubel AR
হাই:
হাই হল সেশন চলাকালীন স্টক যে সর্বোচ্চ পয়েন্টে লেনদেন হয়েছে। হাই হল সেই সর্বাধিক পয়েন্ট যেখানে ষাঁড়গুলি স্টককে উত্তোলন করতে পেরেছে যতক্ষণ না বিক্রেতারা নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করে স্টককে নীচে ঠেলে দেয়। হাই বিক্রেতাদের জন্য একটি শক্ত স্থল এবং ক্রেতাদের জন্য একটি প্রতিরোধ এলাকা নির্দেশ করে। একটি ব্যতিক্রম আছে: যখন স্টক হাই-এ বন্ধ হয়, এটি বিক��রেতাদের থেকে কোনও প্রকৃত প্রতিরোধের সম্মুখীন হয় না। ক্রেতারা শুধুমাত্র সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল। Trading Master Rubel AR
��ো:
লো হল সেশন চলাকালীন স্টক যে সর্বনিম্ন পয়েন্টে লেনদেন হয়েছে। লো হল সেই সর্বাধিক পয়েন্ট যেখানে ভাল্লুকগুলি স্টককে নীচে ঠেলে দিয়েছে যতক্ষণ না ক্রেতারা নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করে স্টককে উপরে ঠেলে দেয়। লো এমন একটি এলাকা যেখানে মূল্য কমানো থেকে রোধ করতে যথেষ্ট চাহিদা বিদ্যমান। ব্যতিক্রম হল যখন সুরক্ষা লো-তে বন্ধ হয়। যখন স্টক লো-তে বন্ধ হয়ে যায়, তখন এটি কোনও ক্রয় সমর্থন পায়নি। বরং, ষাঁড়গুলি সেশন এর সমাপ্তি ঘণ্টা দ্বারা বাঁচানো হয়েছিল। #Trading #Master #Rubel #AR
সমাপ্তি:
সমাপ্তি মূল্য আমাদের বলে যে একটি নির্দিষ্ট সময়ের শেষে ভারসাম্য বিন্দু কোথায় ছিল। সমাপ্তি হল সর্বশেষ মূল্য যা ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে সম্মত হয়েছে, এবং এটি ট্রেডিং সেশন শেষ করে। সমাপ্তি বাজারের চূড়ান্ত মূল্যায়ন। একটি সমাপ্তি এবং পরবর্তী সমাপ্তির মধ্যে অনেক কিছু ঘটতে পারে। সমাপ্তি দিনের শেষে বিনিয়োগকারীদের অনুভূতি এবং আস্থার প্রতিনিধিত্ব করে। এটি এমন একটি অবস্থান যা বিনিয়োগকারীরা দিনের শেষে ধরে রাখতে চান যখন পরবর্তী সেশন খোলা না হওয়া পর্যন্ত তারা তারল্যের সাথে বাণিজ্য করতে পারেন না। সমাপ্তি মূল্য হল প্রথম (প্রায়শই একমাত্র) মূল্য যা বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী জানতে চান। Trading Master Rubel AR
পরিবর্তন:
পরিবর্তন হল সমাপ্তি এবং সমাপ্তির মধ্যে পার্থক্য। এক দিনের সমাপ্তি মূল্য এবং পরবর্তী দিনের সমাপ্তি মূল্যের মধ্যে পার্থক্য। যখন এই পার্থক্য ইতিবাচক হয়, এটি আমাদের বলে যে চাহিদা সরবরাহকে ছাড়িয়ে গেছে। যখন এই পার্থক্য নেতিবাচক হয়, এটি আমাদের বলে যে সরবরাহ চাহিদার চেয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিবর্তন সম্ভবত সবচেয়ে বেশি অনুসন্ধান করা আর্থিক তথ্য।
পরিসীমা:
পরিসীমা হল সেই মানের সূচি যার মধ্যে সারা দিন স্টক বাণিজ্য করে। পরিসীমা বারের সবচেয়ে উঁচু পয়েন্ট এবং একই বারের সবচেয়ে নিচু পয়েন্টের মধ্যে বিস্তৃত। এটি বারের শীর্ষ থেকে মাপা হয়, যেখানে প্রতিরোধ কম এবং সমর্থন আসে। পরিসীমার আকার আমাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয় যে কীভাবে সহজে চাহিদা স্টকের দাম বাড়াতে পারে বা সরবরাহ দাম কমাতে বাধ্য করে। যত বেশি পরিসীমা, তত সহজে সরবরাহ ও চাহিদার শক্তি স্টকের দাম সরাতে পারে।
বুলিশ ক্যান্ডেলস্টিক
এটি কিছুই নয়, কেবল তখনই বর্তমান ক্যান্ডেল বন্ধ হয়, এটি আগের ক্যান্ডেলের ক্লোজের উপরে থাকে।
বেয়ারিশ ক্যান্ডেলস্টিক
যখন বর্তমান ক্লোজ আগের ক্যান্ডেলের ক্লোজের নিচে থাকে
ক্যান্ডেলস্টিকের সঠিক বোঝাপড়া থাকলে, আপনি কাছাকাছি ভবিষ্যতে কী ঘটতে যাচ্ছে তা পূর্বানুমান করতে পারেন
#প্রো টিপস: আমরা (বিপণনকারী) বাজারকে সরাতে পারি না, তাই প্রতিটি ক্যান্ডেল দেখায় কী বুদ্ধিমান টাকা দেখাতে চেষ্টা করছে। সুতরাং তাদের পদক্ষেপ ফাঁদ বা প্রকৃত কিনা তা শুধুমাত্র ভলিউম দ্বারা যাচাই হয়
#প্রো টিপস: ক্যান্ডেলস্টিক অর্ধেক তথ্য দেখায়, এবং অন্য অর্ধেক তথ্য ভলিউম দ্বারা প্রদর্শিত হয় Rubel AR Trader
উদাহরণ
আমাদের কী বলছে?
SENIMATE = বুলিশ, ২টি ধারাবাহিক উচ্চতর ক্লোজ ক্যান্ডেল। চলেন এই ক্যান্ডেলে ভলিউম যোগ করি
২য় ক্যান্ডেলের সীমা ১ম ক্যান্ডেলের চেয়ে ছোট
২য় ক্যান্ডেলের ভলিউম ১ম ক্যান্ডেলের চেয়ে বেশি
ভাবুন কেন ভলিউম ১ম ক্যান্ডেলের চেয়ে বেশি।
আমি আপনাকে ব্যাখ্যা করি।
উচ্চ ভলিউম সহ সংকীর্ণ বিস্তার ক্যান্ডেল। দুটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা
যদি ভলিউম ক্রয়কে প্রতিনিধিত্ব করত, তাহলে বিস্তার কীভাবে সংকীর্ণ হতে পারে?
অথবা পেশাদার অর্থ ক্রয়ে বিক্রি করছে, নিকট ভবিষ্যতে সম্ভাব্য উল্টোদিকে
বামে একটি ট্রেডিং রেঞ্জ রয়েছে, এবং পেশাদার অর্থ এই পুরানো ট্রেডিং রেঞ্জে লক হওয়া ট্রেডারদের বিক্রয় গ্রহণের জন্য প্রস্তুত। আমি বলতে চাইছি, ব্রেক আউট হতে পারে।
চলেন চার্টটি বুঝি।
যদি পরবর্তী বারটি নিচে যায় এবং এর নিম্নস্থানে বন্ধ হয়, এটি প্রফেশনাল বিক্রি নিশ্চিত করে
কম ভলিউম নিচে ক্যান্ডেল মাঝামাঝি বা শীর্ষে বন্ধ হওয়া দেখায় স্মার্ট মানি সরবরাহ পরীক্ষা করছে এবং আর কোন সরবরাহ উপলব্ধ নেই ২য় ক্যান্ডেল ছিল ক্রেতার ভলিউম যদি পরবর্তী ক্যান্ডেল বর্তমান ক্যান্ডেলের উপরে বন্ধ হয়
ট্রেডিং এ ক্যান্ডেলস্টিক বিশ্লেষণের জন্য ৬টি বৈশিষ্ট্য
প্রথম নীতি: যেকোনো উইকের দৈর্ঘ্য, যা মোমবাতির উপরের বা নিচের দিকে থাকে, সর্বদাই প্রথম ফোকাস হতে হবে কারণ এটি তাৎক্ষণিকভাবে শক্তি, দুর্বলতা এবং অনিশ্চয়তা দেখায়, এবং সর্বোপরি, যেখানে স্মার্ট-মানি প্রবেশ করে তা নির্দেশ করে।
দ্বিতীয় নীতি: যদি কোনো উইক তৈরি না হয়, এটি বাজারের সমাপ্তি মূল্য সম্পর্কে শক্তিশালী মনোভাব নির্দেশ করে। সেখানে স্মার্ট-মানি সক্রিয় থাকে।
তৃতীয় নীতি: একটি চওড়া শরীর শক্তিশালী বাজারমুখী মনোভাব নির্দেশ করে, এবং একটি সরু শরীর দুর্বল বাজারমুখী মনোভাব প্রকাশ করে। একটি সরু শরীর এবং ভারী ভলিউম হয় স্মার্ট মানি ক্রমাগত গতির জন্য পর্যবেক্ষণ করে বা বিপরীত দিকে স্মার্ট মানি প্রবেশ করে।
নিয়ম চার:
একই ধরনের মোমবাতি মূল্য প্রবণতার কোথায় দেখা যাচ্ছে তার উপর ভিত্তি করে সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থ বহন করবে। প্রবণতার শুরুতে, মাঝামাঝি বা শেষে, সমর্থন বা প্রতিরোধস্থলে, অথবা সংহতি পর্যায়ে। মোমবাতি বিশ্লেষণ করা উচিত চালনার প্রেক্ষাপটে। কখনই বিচ্ছিন্নভাবে এক দিনের ক্রিয়াকলাপ দেখে বাজার জানা চেষ্টা করবেন না। ধাপে ধাপে বাজার পড়ুন এবং এরপর সাম্প্রতিক দিনের ক্রিয়াকলাপ সেই ধাপে বিবেচনা করুন। Rubel AR Trader
নিয়ম পাঁচ:
ভলিউম মূল্যের সত্যতা নিশ্চিত করে। প্রথমে দেখুন মোমবাতি কি বলছে, তারপর ভলিউম দ্বারা নিশ্চিত করুন। এটি কি মোমবাতির মূল্য প্রবণতার সাথে নিশ্চিত করছে কিনা?
নিয়ম ছয়: যখন একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার কোন মানে দাঁড়ায় না, তখন বৃহত্তর ছবি বা চালনার মাইক্রোস্ট্রাকচারের জন্য পরবর্তী উচ্চতর সময়সীমায় যান অথবা নিম্নতর সময়সীমায় যান।
ট্রেডিং সারসংক্ষেপে ক্যান্ডেলস্টিক অধ্যয়ন করার পদ্ধতি:
ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন অধ্যয়ন করা একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা যা প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণে বাজারের অনুভূতি এবং সম্ভাব্য মূল্য পরিবর্তন সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে। ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন পড়া এবং ব্যাখ্যা করার শিক্ষার জন্য এখানে পদক্ষেপ-বাই-পদক্ষেপ পদ্ধতি দেওয়া হল:
১. মৌলিক বিষয়গুলি বুঝুন
ক্যান্ডেলস্টিকের গঠন: প্রতিটি ক্যান্ডেলস্টিক সাধারণত এক দিনের ট্রেডিং প্রতিনিধিত্ব করে এবং একটি বডি ও উইকস (বা শেডো) নিয়ে গঠিত হয়। বডি খোলা এবং বন্ধ মূল্যের প্রদর্শন করে, যখন উইকস উচ্চ এবং নিম্ন মূল্য প্রদর্শন করে।
রঙ কোডিং:
ক্যান্ডেলস্টিক সাধারণত মূল্যের পরিবর্তন প্রতিফলিত করতে রঙিন হয়। একটি সাধারণ স্কিম হল খোলার মূল্য থেকে কম বন্ধ মূল্যের জন্য লাল (বিয়ারিশ) এবং খোলার মূল্য থেকে বেশি বন্ধ মূল্যের জন্য সবুজ (বুলিশ)।
২. একক ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন শিখুন
দোজি: উদ্বোধনী ও সমাপনী মূল্য প্রায় সমান হলে সিদ্ধান্তহীনতা নির্দেশ করে।
হ্যামার এবং হ্যাংগিং ম্যান: ছোট বডি এবং লম্বা নিম্ন উইক, যা সম্ভাব্য বিপরীতমুখী সংকেত প্রদান করে। Rubel AR Trader
ইনভার্টেড হ্যামার এবং শুটিং স্টার: ছোট বডি এবং লম্বা ঊর্ধ্ব উইক, যা বিপরীত দিকে সম্ভাব্য বিপরীতমুখী সংকেত প্রদান করে।
৩. বহুক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন অন্বেষণ করুন
বুলিশ ইনগালফিং: একটি ছোট বিয়ারিশ ক্যান্ডলের পরে একটি বড় বুলিশ ক্যান্ডল যা পূর্বের ক্যান্ডলকে 'ইনগালফ' করে, যা সম্ভাব্য উর্ধ্বমুখী পরিবর্তনের সূচনা নির্দেশ করে।
বেয়ারিশ ইনগালফিং: বুলিশ ইনগালফিং-এর বিপরীত, যা সম্ভাব্য নিম্নমুখী পরিবর্তন নির্দেশ করে।
মর্নিং স্টার এবং ইভনিং স্টার: একটি তিন-ক্যান্ডলের প্যাটার্ন যা বর্তমান প্রবণতাকে উল্টে দেয়।
থ্রি হোয়াইট সোলজারস এবং থ্রি ব্ল্যাক ক্রোস: একই রঙের একাধিক ধারাবাহিক দীর্ঘ শরীরের ক্যান্ডল, যা সেই রঙের দিকে শক্তিশালী গতিবেগ নির্দেশ করে।
৪. প্রসঙ্গ অধ্যয়ন করুন
ক্যান্ডলস্টিক প্যাটার্নসমূহ একক অবস্থানে সংঘটিত হয় না; এদের গুরুত্ব বৃদ্ধি পায় যখন তারা গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা বা প্রতিরোধ স্তর, ট্রেন্ড লাইন, বা ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট স্তরে প্রদর্শিত হয়।
ভলিউমও গুরুত্বপূর্ণ—যে প্যাটার্নগুলি উচ্চতর ভলিউম রিডিং দ্বারা নিশ্চিত হয় তারা বেশি নির্ভরযোগ্য।
৫. প্যাটার্ন স্বীকৃতির অনুশীলন করুন
ক্যান্ডলস্টিক প্যাটার্নগুলি স্বীকৃতি দিতে অনুশীলন করার জন্য ঐতিহাসিক চার্টগুলির ব্যবহার করুন। বেশিরভাগ ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম এই কাজে সহায়ক টুল সরবরাহ করে।
কিছু ব্যবসায়ী ফ্ল্যাশকার্ড বা প্যাটার্ন স্বীকৃতি সংক্রান্ত অনুশীলনের জন্য ডিজাইন করা অ্যাপ ব্যবহারকে সহায়ক মনে করেন।
৬. ব্যাক-টেস্টিং
একবার আপনি প্যাটার্নগুলির সাথে পরিচিত হয়ে গেলে, সেগুলি ব্যাক-টেস্ট করুন। ঐতিহাসিক ডেটা দেখুন যে প্যাটার্নগুলি দেখা দেওয়ার পরে স্টকের দাম কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে।
প্রতিটি প্যাটার্নের সাফল্যের হার ��বং কোন বাজার পরিস্থিতিতে সেগুলি সবচেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য তা বুঝুন। Trading Master Rubel AR
৭. একটি সিমুলেটর দিয়ে শুরু করুন
রিয়েল টাকার ঝুঁকি না নিয়ে ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্নগুলির সাথে ট্রেডিং অনুশীলন করার জন্য একটি ট্রেডিং সিমুলেটর ব্যবহার করুন।
এটি আপনাকে বাস্তব সময়ের বাজার পরিস্থিতিতে এই প্যাটার্নগুলি কীভাবে কাজ করে তা বুঝতে সাহায্য করতে পারে।
৮. অন্যান্য বিশ্লেষণ প্রণালী সংযুক্ত করুন Rubel AR Trader
সংকেত নিশ্চিত করতে ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্নকে অন্যান্য টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ সরঞ্জাম, যেমন ইন্ডিকেটর এবং অস্কিলেটরের সাথে মিলিয়ে নিন।
কোনও প্যাটার্নই নির্ভুল নয়। ক্যান্ডেলস্টিককে অন্যান্য বিশ্লেষণ স্ট্রাটেজিের সাথে মিলিয়ে নেওয়া আপনার ট্রেডকে নিশ্চিত করতে সাহায্য করতে পারে।
৯. শেখা চালিয়ে যান
ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্নগুলি টেকনিক্যাল বিশ্লেষণের একটি অংশ মাত্র। চার্ট প্যাটার্ন, টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর এবং ওয়েভ থিওরি সম্পর্কে আপনার জ্ঞান বাড়ান।
টেকনিক্যাল বিশ্লেষণের যেকোনো নতুন গবেষণা বা পদ্ধতির সাথে আপডেট থাকুন।
১০. ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা প্রয়োগ করুন
ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্নের উপর ভিত্তি করে ট্রেডিং শুরু করার সময় সর্বদা সঠিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা প্রয়োগ করুন। আপনার মূলধন রক্ষার জন্য স্টপ-লস অর্ডারগুলি ব্যবহার করুন।
বুঝে নিন যে ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্নগুলি সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়, নিশ্চিততার নয়। সর্বদা প্রস্তুত থাকুন যে প্যাটার্নটি প্রত্যাশিত হিসাবে না হতে পারে। Rubel AR Trader
১১. আপনার ট্রেডগুলির ওপর প্রতিফলন করুন
যে ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্নগুলির সাথে ট্রেড করছেন, তার প্রেক্ষাপট, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া এবং ফলাফলগুলি নথিভুক্ত করে একটি ট্রেডিং জার্নাল রাখুন।
সাফল্য এবং ভুলগুলি থেকে শেখার জন্য নিয়মিত আপনার জার্নালটি পর্যালোচনা করুন।
মোমবাতির প্যাটার্নগুলি একজন ব্যবসায়ীর অস্ত্রাগারের একটি শক্তিশালী সরঞ্জাম হতে পারে, যা বাজারের মনস্তত্ত্ব সম্পর্কে মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। তবে, সেগুলি একটি ব্যাপক ট্রেডিং স্ট্রাটেজিের অংশ হওয়া উচিত যা সঠিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা চর্চা এবং ধারাবাহিক শিক্ষার সাথে রয়েছে।
পরবর্তী পৃষ্ঠায়, আমি ট্রেডিংয়ে মোমবাতি বিশ্লেষণ আলোচনা করব। আমি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করব কিভাবে ট্রেডিংয়ে মোমবাতি অধ্যয়ন করবেন। আমি আশা করি আপনি এই মোমবাতি অধ্যয়ন পাঠ উপভোগ করবেন। Rubel AR Trader
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
0 notes