#সেরা কণ্ঠ
Explore tagged Tumblr posts
Text
অরিজিৎ সিংকে সামনে থেকে দেখার জন্য দিতে হবে ১৬ লক্ষ টাকা!
তাঁর সুরেলা কণ্ঠে আট থেকে আশি সকলেই মুগ্ধ। তাঁর গান যেমন কাউকে আনন্দিত করতে পারে, তেমনি মানুষটির কণ্ঠ স্বর মানুষকে আবেগপ্রবণ করে তোলে। দেশের আকাশ ছোঁয়া গায়কদের মধ্যে তিনি একজন অন্যতম সেরা গায়ক। শুধু দেশেই নয় দেশের বাইরেও খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি। তিনি আর কেউই নন টলিউড ও বলিউড জগতের অন্যতম ’মেলোডি কিং’ অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)। সঙ্গীত জগতে মানুষটির জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। একের পর এক হিট গানে…
View On WordPress
0 notes
Link
0 notes
Link
0 notes
Photo
New Post has been published on https://paathok.news/132594
সোলস-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ড্রামার সুব্রত বড়ুয়া রনি আর নেই
.
দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড সোলস-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও খ্যাতিমান ড্রামার সুব্রত বড়ুয়া রনি মারা গেছেন। দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে আজ বুধবার ( ২৬ মে) ভোর ৫টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
প্রায় দেড় বছর ধরে ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন সোলসের এই খ্যাতিমান ড্রামার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার বড় ভাই শৈবাল বড়ুয়া। এই সংগীত তারকার মৃত্যুতে চট্টগ্রামের সংস্কৃতি অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন তিনি।
সুব্রত বড়ুয়া রনি সংগীতের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন গত পাঁচ দশক ধরে। ১৯৭২ সালে চট্টগ্রামের কয়েকজন গান অন্ত-প্রাণ তরুণ সাজিদ, জিলু, নেওয়াজ, সুব্রত বড়ুয়া রনি �� তাজুল মিলে ‘সুরেলা’ নামে একটি গানের দল গঠন করেন। ১৯৭৩ সালে সেই ব্যান্ডের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘সোলস’।
দীর্ঘ-যাত্রায় সোলস ব্যান্ড ও সুব্রত বড়ুয়া রনির সঙ্গী ছিলেন নকীব খান, পিলু খান, তপন চৌধুরী, নাসিম আলী খান, কুমার বিশ্বজিৎ ও আইয়ুব বাচ্চু। আর এখন আছেন পার্থ বড়ুয়া।
সোলস (Souls) মূলত দেশের একটি জনপ্রিয় পপ মিউজিক ব্যান্ড। এটি চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ঢাকায় চলে আসে। গত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে এই ব্যান্ডটি বেশ কিছু জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছে শ্রোতাদের।
স্বাধীনতার ঠিক পরের বছর, ১৯৭২ সাল। দেশ তখন সবদিক দিয়েই অস্থিরতার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে, শিল্প-সাহিত্য-সংগীতেও অচলাবস্থা। সে সময় চট্টগ্রামের কয়েকজন গানপাগল তরুণ সাজিদ, জিলু, নেওয়াজ, রনি বড়ুয়া ও তাজুল মিলে গানের দল গঠন করে যাবতীয় অচলাবস্থাকে পাশ কাটাতে চাইলেন। তখনকার সনাতনীয় প্রথাগত মিউজিকের বাইরে গিয়ে বিদেশী ব্যান্ডগুলোর অনুপ্রেরণায় ‘ওয়েস্টার্ন রক’ চর্চার এবং রক-মিউজিকের সাথে দেশের তরুণদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার তাগিদ থেকেই তারা অগ্রসর হন।
স্বাভাবিকভাবে তাদের এই কাজে অগ্রসর হওয়া সহজসাধ্য ছিলো না। বাংলা গান তখন সীমাবদ্ধ ছিলো শাস্ত্রীয়-ফোক, রবীন্দ্র-নজরুল, বাউল-লোকগান-আধুনিক মেলোডিয়াস গানের মধ্যে। শুধুমাত্র মনোবলকে পুঁজি করে নতুন কিছু করার স্পৃহা থেকেই চট্টগ্রামে ১৯৭২ সালে প্রাথমিকভাবে ‘সুরেলা’ নামে তারা ব্যান্ডযাত্রা শুরু করেন। তখনকার দিনে বড় বড় ক্লাব-হোটেলে ছাড়া কোথাও গানবাজনা হতো না। আর সেইসব জায়গাতে শুধুমাত্র ইংরেজি গানের কাভার করা হতো, বাংলা গান ছিলো ব্রাত্য। তাই ব্যান্ডগুলোর নামও ইংরেজিতে রাখার চল শুরু হয়েছিলো। এসবকে বিবেচনায় নিয়ে ১৯৭৩ সালে ব্যান্ডের নাম পাল্টে ‘সোলস’ রাখা হলো, বাংলার যার অর্থ হয় ‘আত্মার সমন্বয়ে’।
১৯৭২ সালের শেষদিকে লুলু ব্যান্ড ত্যাগ করায় নকীব খান এই ব্যান্ডে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর নকীবের ছোটো ভাই পিলু খানও যোগ দেন সোলসে। কিছুদিন পর তপন চৌধুরী সোলসে নাম লেখান। তখনও সোলসের তৎপরতা শুধুমাত্র চট্টগ্রামের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো। প্রথম প্রথম শুধু ইংরেজি গান কাভার করলেও তারা একটা সময় নিজেদের গান করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথম গানটি কম্পোজ করেছিলেন নকীব খান নিজেই।
১৯৭৫ সালে বাংলাদেশে পপ মিউজিকের একটি প্রতিযোগিতায় নাম লেখায় ‘সোলস’, জিতেও নিয়েছিলো সেরার পুরস্কার। মূলত সেই থেকেই শুরু হয়েছিলো সোলসের জয়যাত্রা। ১৯৭৭ সালে ব্যান্ডটিতে যোগ দিলেন নাসিম আলী খান। কুমার বিশ্বজিৎ এবং গিটারম্যান আইয়ুব বাচ্চু সেসময় ‘ফিলিংস’ ব্যান্ডে ছিলেন। ১৯৮২ সালে সোলসে যোগ দেন এবি। আইয়ুব বাচ্চুকে ব্যান্ডের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন পিলু খান। এবি শুরুতে ছিলেন একাধারে গিটারিস্ট-ভোকালিস্ট-লিরিসিস্ট-কম্পোজার। আশির দশককে সোলসের স্বর্ণযুগ বলা হয়, কারণ সে সময়ে তাদের ব্যান্ড লাইনআপ ছিলো দুর্দান্ত।
নকীব খান, পিলু খান, তপন চৌধুরী, নাসিম আলী খান, আইয়ুব বাচ্চু, রনি বড়ুয়া, নেওয়াজ, সাজেদ। নামগুলো পড়লেই তাদের সে সময়ের লাইনআপ সম্পর্কে বুঝতে পারার কথা। এছাড়া বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বেইজিস্ট তানিমও কিছুকাল সোলসে বাজিয়েছেন।
সোল্স-এর বর্তমান লাইন-আপ হলোঃ নাসিম আলী খান (কণ্ঠ) পার্থ বড়ুয়া (লিড গিটার ও কণ্ঠ) এস.কে আহসানুর রহমান আশিক (ড্রামস্) জাকের হাসান রানা (বেজ গিটার) তুষার রঞ্জন দত্ত (পারকিউশন) মীর শাহরিয়ার হোসেন মাসুম (কিবোর্ড)
অ্যালবাম ১৯৮০ সালে বের হয় সোলসের ১ম এ্যালবাম ‘সুপার সোলস’। এটিই ছিলো বাংলাদেশের কোনও ব্যান্ডের প্রথম পূর্ণাঙ্গ অ্যালবাম, প্রথম রক অ্যালবাম। সেই অ্যালবামের ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’, ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’, ‘এই মুখরিত জীবন’ গানগুলো অল-টাইম হিটস।
সোলসের ২য় এ্যালবাম ‘কলেজের করিডোরে’ বের হয় ১৯৮২ সালে। এ্যালবামের ‘কলেজের করিডোরে’, ‘ফরেস্ট হিলের এক দুপুরে’, ‘ফুটবল ফুটবল’ গানগুলো তখন বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো বলে জানা যায়। এই এ্যালবাম করার পরেই নকীব খান ও পিলু খান ব্যান্ড ছেড়ে দিয়ে পরবর্তীতে ‘রেনেসাঁ’ গঠন করেন।
১৯৮৭ সালে ‘মানুষ মাটির কাছাকাছি’ নামে ব্যান্ডের ৩য় এ্যালবাম বের হয়। এই এ্যালবামেই আইয়ুব বাচ্চু প্রথম কোনও গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন। গানের শিরোনাম ছিলো ‘হারানো বিকেলের গল্প বলি’।
‘ইষ্ট এন্ড ওয়েস্ট’ নামে সোলস তাদের ৪র্থ এ্যালবাম বের করে ১৯৮৮ সালে। ৬টি বাংলা গানের পাশাপাশি ৬টি ইংরেজি গানও ছিলো এই এ্যালবামে। সেই বছরেই আইয়ুব বাচ্চুর হাত ধরে সোলসে আগমণ ঘটে পার্থ বড়ুয়ার, যিনি এখনও সোলসের ভোকালিস্ট হিসেবে আছেন। সোলসে আসার আগে পার্থ বড়ুয়া ছিলেন ‘ম্যাসেজ’ ব্যান্ডের কিবোর্ডিস্ট। পার্থ গিটার শিখেছেন এবির কাছেই। ১৯৮৯ সালে আইয়ুব বাচ্চু ব্যান্ড ত্যাগ করে আরেকটা নতুন ব্যান্ড ‘এলআরবি’ গঠন করেন।
কিছুদিন বিরতির পর ১৯৯২ সালে ব্যান্ডের ২০ বছর পূর্তিতে বের হয় তাদের ৫ম স্টুডিও এ্যালবাম ‘এ এমন পরিচয়’। বিগত কয়েক বছর ��রে তপন চৌধুরী একক গান নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তারা খানিকটা অনিয়মত হয়ে পড়েছিলো। এটা ছিলো তপন চৌধুরীর সাথে সোলসের শেষ এ্যালবাম। এরপর তপন চৌধুরী পুরোপুরিভাবে সলো ক্যারিয়ারের দিকে ঝুঁকে পড়েন।
১৯৯৫ সালে সোলস বের করে তাদের ৬ষ্ঠ এ্যালবাম- ‘আজ দিন কাটুক গানে’। এই এ্যালবামের ‘কেন এই নিঃসঙ্গতা’ গানটি সোলসের সবচেয়ে জনপ্রিয় গান বলা যায়। এই এ্যালবাম দিয়ে পার্থ শ্রোতাদের মন জয় করে নিয়েছিলো।
১৯৯৭ সালে সোলসের ৭ম এ্যালবাম ‘অসময়ের গান’ রিলিজ হয়েছিলো। এ্যালবামের ‘আইওনা আইওনা’ গানটি সে সময় বেশ জনপ্রিয় হয়েছিলো।
একুস্টিক ভার্শনে তাদের আগের কিছু গান, কিছু নতুন গান আর জনপ্রিয় কয়েকটা গানের কাভার মিলে ২০০০ সালে বের হয় সোলসের ৮ম এ্যালবাম ‘মুখরিত জীবন’। এ্যালবামের টাইটেল গানটা এখনও বেশ জনপ্রিয়। টিভি লাইভে এই গানটার অনুরোধ তাদেরকে সবচেয়ে বেশি করতে হয়।
২০০২ সালে বের হয় তাদের নবম এ্যালবাম ‘তারার উঠোনে’। দশম এ্যালবাম ‘টু-লেট’ রিলিজ হয় ২০০৫ সালে। তাদের সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার মবিন-এর মৃত্যুর পূর্বের শেষ কাজ এই এ্যালবামটি। ২০০৬ সালে বের হয় তাদের ১১তম এ্যালবাম ‘ঝুট ঝামেলা’।
সোলসের ১২তম এবং সর্বশেষ এ্যালবাম ‘জ্যাম’ বের হয় ২০১২ সালে। এখানে নির্মলেন্দু গুণ নামে একটা গান জনপ্রিয় হয়। তাছাড়া জ্যাম টাইটেল ট্র্যাকটি বাস্তব ইস্যু হওয়াতে খুব আলোচিত হয়।
জনপ্রিয় গান কেন এই নিঃসঙ্গতা আজ দিন কাটুক গানে বাঁশি শুনে আর কাজ নেই আমি আর ভাবনা ব্যস্ততা আমাকে দেয় না মন শুধু মন ছুঁয়েছে কলেজের করিডোরে তুমি রোজ বিকেলে সাগরের ওই প্রান্তরে ভালবাসি ওই সবুজ মেলা
0 notes
Text
মুজিববর্ষ সেরা কন্ঠ, নওগাঁ বাছাই প্রতিযোগিতা ২০২০” এর গ্র্যান্ড ফিনাল আশফির জয়
মুজিববর্ষ সেরা কন্ঠ, নওগাঁ বাছাই প্রতিযোগিতা ২০২০” এর গ্র্যান্ড ফিনাল আশফির জয়
হুমায়ুন আহমেদ, ষ্টাফ রিপোটার, নওগাঁ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ সম্পর্কে জানাতে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে এবং তাদের সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশ ঘটানোর প্রয়াসে আয়োজিত “মুজিববর্ষ সেরা কন্ঠ, নওগাঁ বাছাই প্রতিযোগিতা ২০২০” এর গ্র্যান্ড ফিনাল। সম্প্রতি জেলা প্রশাসন, নওগাঁ আয়োজিত মুজিব বর্ষ সেরা কণ্ঠ, নওগাঁ…
View On WordPress
0 notes
Photo
সাফল্য কোথা খুঁজে পাই?
কিছুদিন আগে আমার অন্যতম প্রিয় অভিনেতা ড্যানিয়েল ডে লুইস ঘোষণা দিলেন যে তিনি সিনেমার অভিনয়জীবন থেকে অবসর নেবেন। তাঁর বয়স মাত্র ৬০। একজন অভিনেতার জীবনে ৬০ বছর বয়সকে মাত্রই বলা যায়। যেখানে তাঁর সহকর্মীরা ৭০, ৮০, ৯০ বছর বয়স পর্যন্ত দাপটের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন, সেখানে লুইসের বয়স ��ো কিছুই না। অভিনয়জীবনে সাফল্যের বিষয়টা কিঞ্চিৎ আপেক্ষিক। তবে যেভাবেই দেখি, ড্যানিয়েল ডে লুইস নিঃসন্দেহে অন্যতম সফল অভিনেতাদের একজন। তিনি একমাত্র পুরুষ অভিনেতা, যিনি তিন বার অস্কার জিতেছেন। এ ছাড়া আরও তিন বার অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। ২০১২ সালে টাইমস সাময়িকী তাঁকে বিশ্বের সেরা অভিনেতা উপাধি দিয়েছে। অভিনয় অথবা সিনেমা–বোদ্ধাদের যে কাউকে জিজ্ঞাসা করলেই তাঁর নাম প্রথম সারিতে পাওয়া যাবে। তিনি যে সিনেমা–জগৎকে আরও অনেক কিছু দিতে পারেন, এই বিষয়েও নেহাত পাগল না হলে সবাই একমত হবেন। এত কিছুর পরেও তিনি অবসর নিলেন কেন? অনেকেই বলতে পারেন, তিনি যে সাফল্য অর্জন করেছেন, যে কারও জন্যই সেটা যথেষ্ট। অবসর নিতেই পারেন। সেটা বললে আসলে বিতর্ক করা কঠিন। কিন্তু এখানে একটা মজার ব্যাপার আছে। এটা ড্যানিয়েল ডে লুইসের প্রথম অবসর নয়। তিনি এর আগেও একবার পাঁচ বছরের জন্য অভিনয় ছেড়ে দিয়েছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে নিজের হাতে জুতা বানানোর কাজ শিখেছেন। সেই পাঁচ বছর তাঁর হদিস বেশির ভাগ কাছের মানুষও জানত না। এটা তিনি করেন ১৯৯৭ সালে। যদিও তত দিনে ডাকসাইটে অভিনেতা হিসেবে যথেষ্ট পরিচিত। তারপরও এখনকার তুলনায় তাঁর ওই সময়ের খ্যাতি অনেক কম ছিল। বিশ্বের অন্যতম অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার মোক্ষম সময় তিনি ‘হাওয়া’ হয়ে গেলেন জুতা বানানোর শখে। আমার আজকের লেখার বিষয়বস্তু পেশাগত সাফল্য। বিশেষ করে, কখন একজন মানুষ নিজেকে পেশাগতভাবে সফল ভাবতে পারে। আমি নিজে পেশাগত জীবনের মধ্যম পর্যায়ে আছি। সাফল্য নিয়ে ভাববার সময় এখনো হয়নি। কিন্তু অন্য মানুষের উদাহরণ থেকে সাফল্যের বিষয়ে কিছু অনুমান করতে পারি। ড্যানিয়েল ডে লুইসের মতো একজন মানুষকে দেখলে আমার মনে হয় যে আসলে সাফল্য বিষয়টা আসে নিজের ভেতর থেকে। বিষয়টা এ রকমই হওয়া উচিত। খ্যাতি, উপায়ন এসব অবশ্যই একজনকে পেশাগত জীবনে অনুপ্রেরণা দিতে পারে, কিন্তু নিজের মূল্যায়ন এবং নিজের জীবনের মূল্যায়ন আসতে হবে নিজের ভেতর থেকে। নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে যে কতটুকুতে আমি খুশি? কীসে আমি খুশি? দিনের শেষে আমাদেরকে নিজের কাছেই জবাবদিহি করতে হয়। নিজের ভেতর শান্তি বা প্রাপ্তি না থাকলে বাহ্যিক কোনো পুরস্কারই আমাদের খুশি করতে পারবে না। পেশাগত জীবনে আসলে সাফল্যের ভূমিকা কী? অন্যদের কথা জানি না, কিন্তু আমার কাছে অনেক সময়ই বহিরাগত সাফল্যকে পেশাগত জীবনের মাইলফলক মনে হয়েছে। এত বয়সে যদি আমি এত অর্থ উপার্জন করতে পারি, তাহলে আমি সফল। আমার পেশাগত জীবনের এই সময়ের মধ্যে আমি যদি এত খ্যাতি লাভ করতে পারি, তাহলে আমি সফল। সম্প্রতি আমি উপলব্ধি করতে পারছি যে এভাবে ভাবনাটা ��য়তো গঠনমূলক না। এর দুটো প্রধান কারণ। প্রথমত, এভাবে ভাবলে আমি নিজেকে একটা বাহ্যিক ও বিধিবহির্ভূত মানদণ্ডের সঙ্গে বেঁধে ফেলছি। আমার নিজের ব্যক্তিগত আশা–আকাঙ্ক্ষা–ইচ্ছাকে জুতসই গুরুত্ব দিচ্ছি না। দ্বিতীয়ত, সাফল্য নিয়ে আমি যদি শুধুই বাহ্যিকভাবে চিন্তা করি, তাহলে আমি আমার ব্যক্তিগত বিকাশের জায়গাটা বেঁধে ফেলছি। ৩০ বছর বয়সে এত টাকা আয় করব। এটাই যদি আমার সাফল্যের একমাত্র মাপকাঠি হয়ে থাকে, তাহলে সেই উপার্জনের পরে আমার নিজেকে আরও বড় করার কোনো কারণ বা অনুপ্রেরণা থাকে না। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কথা মাথায় আসে। পেশাগত জীবন অনুযায়ী তাঁর বয়স বেশি নয়। এত দিনে তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী পদে দুই বার নির্বাচিত হয়েছেন এবং নোবেল পুরস্কার জয় করেছেন। বাহ্যিক যেকোনো মাপকাঠি অনুযায়ী তাঁর পক্ষে এর চেয়ে সফল হওয়া কঠিন। তিনি যদি সেটা বিশ্বাস করেন, তাহলে তাঁর বাকি জীবন নাকে তেল দিয়ে ঘুমানো উচিত। কিন্তু তিনি সেটা করছেন না। নিজের কাছে যে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলো নিয়ে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কারণ, তাঁর সাফল্যের সংজ্ঞা শুধু বাইরে থেকে না, ভেতর থেকেও আসে। আবারও বলছি। পেশাগত স্পৃহা জাগানোর জন্য বাহ্যিক সাফল্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দিনশেষে আমাদের নিজেদের সাফল্যের মূল্যায়ন আসতে হবে আমাদের নিজেদের ভেতর থেকে। আমরা যখন নিজেদের কাজ করে আনন্দ পাব, নিজেদের কাজে সন্তুষ্টি লাভ করব, তখনই আমাদের নিজেদের সফল ভাবা উচিত। এর পরে যদি খ্যাতি–অর্থ আসে, তাহলে আরও ভালো। নিজের পারিবারিক উদাহরণ দিয়ে শেষ করি। আমার বাবা আলী যাকের ও মা সারা যাকের দুজনই অভিনয় এবং ব্যবসায়িক জীবনে যেকোনো বাহ্যিক মাপকাঠি অনুযায়ী সফল মানুষ। চাইলেই অবসর নিতে পারেন। কিন্তু এখনো মঞ্চনাটক নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, যেখানে মঞ্চনাটকের বিকাশ–বৃদ্ধি সারাক্ষণই সংকটের মুখে। বাবার গত বছর বেশ কঠিন অসুখ হয়। তাঁর এই বয়সে এমন অসুখ মোকাবিলা করা কঠিন। সফল একটা জীবন পার করে এসেছি, আর কিছু করার নেই—তিনি যদি এভাবে ভাবতেন, তাহলে হয়তো এই অসুখের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি পেতেন না। আমি জানি, বিভিন্ন জিনিসের মধ্যে মঞ্চে আবার দাঁড়ানোর ইচ্ছা থেকেই লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। চিকিৎসার চাপে যখন কণ্ঠ ক্ষীণ হয়ে এসেছে, তখন আরেকবার ‘জাগো বাহে কোনঠে সবায়’ (নূরলদীনের সারাজীবন নাটকের সংলাপ) বলে হুংকার দেওয়ার স্বপ্ন জিইয়ে রেখেছিলেন। এই জন্যই হয়তো নিজেকে জিইয়ে রাখতে পেরেছেন। এ দেখে বুঝতে পারি যে নিজের জীবনের সাফল্যের মাপকাঠি হয়তো নিজের হৃদয়ের কোনো এক গভীর জায়গা থেকেই আসতে হয়।
1 note
·
View note
Link
0 notes
Link
0 notes
Text
ভারতরত্ন লতা মঙ্গেশকর
New Post has been published on https://sentoornetwork.com/lata-mangeshkars-91st-birthday/
ভারতরত্ন লতা মঙ্গেশকর
শ্যামল কর
মরাঠি নাটকের অভিনেতা ও শাস্ত্রীয় সঙ্গীত অনুরাগী দীননাথ মঙ্গেশকর তাঁর পাঁচ বছরের মেয়ে হেমাকে নিয়ে গিয়েছিলেন ‘ভাব বন্ধন’ নাটকে অভিনয় করানোর জন্য। লতিকা চরিত্রে কন্যার সুঅভিনয় দেখে বাবা হেমার নাম বদলে রাখলেন লতা।লতার মধ্যে অভিনয়প্রতিভার পাশাপাশি ছিল চমৎকার সুরেলা কণ্ঠ। সেইসময়ের বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনেতা কুন্দনলাল সায়গল যাঁর পরিচিতি ছিল কে এল সায়গল নামে, তাঁর গান লতাকে মুগ্ধ করত। বাবা দীননাথও চাইতেন মেয়ে ধ্রুপদী গান নিয়েই থাকুক। আর এক বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেত্রী নুরজাহান-এরও ভক্ত ছিল লতা। সংঙ্গীত জীবনের শুরুতে তাঁকেই অনুকরণ করে গান গাইতেন।পরে ধীরে ধীরে গান গাওয়ার নিজস্ব শৈলী গড়ে তুললেন। তিনি হয়ে উঠেছিলেন বলিউডে সিনেমার গানের লতা মঙ্গেশকর। লতা মঙ্গেশকর মানেই সুরের মূর্ছনা, লতা মঙ্গেশকর মানেই সুরেলা কণ্ঠে সুরের মাধুরী, সুরের জাদুতে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখা, লতা মঙ্গেশকর মানেই কোটি কোটি শ্রোতার হৃদয় জয় করা সঙ্গীত জগতের সর্বোজ্জ্বল নক্ষত্র।
১৯২���-এর ২৮ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে জন্ম লতা মঙ্গেশকরের।শিশুকালেই বাবার সঙ্গে চলে আসেন মহারাষ্ট্রে। ১৩ বছর বয়সে বাবা মারা গেলে সংসারে আর্থিক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরিবারের সব দায়িত্ব এসে পড়ে পাঁচ ভাই-বোনের বড় লতার ওপর। শুরু করেন পেশাদারি গান ও অভিনয়। দু’-একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করলেও গানকেই তিনি বেছে নেন উপার্জনের পথ। মঞ্চে গান গেয়ে তাঁর প্রথম উপার্জন ছিল ২৫ টাকা। ১৯৪৮ সালে সংগীত পরিচালক গোলাম হায়দার লতা মঙ্গেশকরকে নিয়ে যান বলিউডের প্রযোজক শশধর মুখার্জির কাছে। কিন্তু লতার কণ্ঠ অতিরিক্ত চিকন মনে হওয়ায় তিনি কাজ দিতে রাজি হননি। ক্ষুব্ধ গোলাম হায়দার বলেছিলেন, “আজ লতাকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন, কিন্তু আমি যতটুকু সঙ্গীত বুঝি তাতে একদিন প্রযোজক-পরিচালকরা লতার পায়ে লুটিয়ে ভিক্ষা চাইবেন। তাঁদের ছবিতে লতার একটা গান গাওয়ার জন্য। গোলাম হায়দারের কথাটা অক্ষরে অক্ষরে মিলেছিল তার প্রমাণ পাওয়া গেল পরবর্তী কালে। লতা মঙ্গেশকর ছবিতে প্রথম গান গেয়েছিলেন মরাঠি ছবি ‘কিতি হাসাল’-এ। তবে তাঁর গাওয়া সব গান গ্রহণ করা হয়নি। তাঁর কাছে প্রথম বড় সুযোগ আসে হিন্দি ছবি ‘মজবুর’-এ। আর আসমুদ্রহিমাচলে তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে মধুবালা অভিনীত ‘মহল’ ছবির ‘আয়েগা আনেওয়ালা’ গানটি। এরপর হিন্দি ছবির গানে অপরিহার্য হয়ে ওঠেন লতা মঙ্গেশকর। এক হাজারের বেশি ছবিতে তিনি গান গেয়েছেন। বলিউডের প্রায় সব সংগীত পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন। শুধু হিন্দি ছবি নয়, ৩৬টি আঞ্চলিক এবং বিদেশি ভাষায় ২৫ হাজারেরও বেশি গান গাওয়ার একমাত্র রেকর্ড তাঁরই। ১৯৭৪ সালে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বইয়ে তিনি স্থান পেয়েছেন সবথেকে বেশি গানের শিল্পী হিসাবে।১৯৫৯ সালে ফিল্মফেয়ারে সেরা গায়কের পুরস্কার দেওয়ার প্রচলন শুরু হলে, প্রথম পুরস্কারটি লাভ করেন লতা মঙ্গেশকর। পেয়েছিলেন ফিল্মফেয়ার আজীবন সম্মাননা পুরস্কার। তিনি পেয়েছেন– ভারতরত্ন, মহারাষ্ট্রভূষণ, পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ, দাদা সাহেব ফালকে, এনটিআর জাতীয় পুরস্কার, ফ্রান্সের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা অফিসার দ্য নর। আর গতবছর তাঁর জন্মদিনে ভারত সরকার তাঁকে ‘ডটার অফ দ্য নেশন’ খেতাবে ভূষিত করেন।
0 notes
Text
সারিয়া আফরিন স্বর্ণার ১০টি কবিতা
New Post has been published on https://is.gd/zQYABr
সারিয়া আফরিন স্বর্ণার ১০টি কবিতা
মা
মায়ের মতো হয় না কেউ আর হবে না কেউ আপন, মা ছাড়া কেউ বুঝবে না কো ঐ সন্তানের মন।
স্নেহ দিয়ে আগলে রাখে মা যে আপন বুকে, মাকে কেউ কষ্টটা দিলে মরবে ধুকে ধুকে।
মায়ের আদর ভালোবাসা যায় না পাওয়া ভাড়া, মায়ের উষ্ণ ছোঁয়া ছাড়া জীবন ছন্নছাড়া।
মাকে কখনো কাঁদিয়ে সুখ পাবে না মনে, মায়ের তুলনা দিও না দিও না কারো সনে।
মা ছাড়া বোঝে না কেউ যে সন্তানের কি লাগে, মা যে যখন থাকে পাশে মনে ভরসা জাগে।
সন্তানের সাফল্যে মা যে কি যে হাসি হাসে, সেই মায়েরই মুখের মাঝে কত স্বপ্ন ভাসে।
কত উপদেশ দেবে যে সকাল বিকাল সাঝে, সারা দুনিয়ার সুখ পাওয়া মায়ের খুশির মাঝে।
বাবা
বাবার হাত ধরে প্রথম পথচলা বাবা হচ্ছে এক গভীর ভালোবাসা বাবার কাছেই প্রথম শিখা চলন বলন কথা বাবার হাতেই হাতেখড়ি শিখেছি অ আ বাবার গলা জড়িয়ে ধরে কেটেছে ছোটবেলা বাবার চোখেই দেখেছি গোটা বিশ্বের সব বাবাই বুঝিয়েছেন ভালো মন্দ সব বাবার কাছেই হয়েছে পূরণ সকল চাওয়া পাওয়া বাবার কাঁধে মাথা রেখে কমেছে সকল ব্যথা তাইতো এই পৃথিবীতে বাবাই সবার সেরা।
মধুর ছেলেবেলা
খুব ছোটবেলার কথা বারবার মনে পড়ে কি অদ্ভুত রকমের সময় ছিলো যা কিনা এখন আর ফিরে পাওয়া সম্ভব না কত দুরন্তপনার শৈশব ছিলো কত দুষ্টুমি মারামারি কত শত নালিশ আসতো মায়ের কাছে মারেরও কমতি হতো না আর মার খাবোই না কেনো অলস দুপুরে সবাই যখন ঘুমে চুপটি করে বের হয়ে রৌদ্রে দৌঁড়ে বেড়াতাম পাখির ছানা, ঘাসফড়িং এর পিছনে লেগে থাকতাম বিকেল হলে গাঁয়ের ছেলেমেয়েরা মিলে রঙিন কত ঘুড়ি উড়াতাম কী মধুর সময় ছিলো যা আজ স্মৃতির পাতায় বারবার ভেসে ওঠে সেই চঞ্চল ছেলেবেলা আর কভু ফিরে আসবে না তবে সেই মধুর ছেলেবেলা মনের এক কোণে সব সময় উঁকি দিয়ে যাবে।
প্রকৃতি
প্রকৃতি তার অপরূপ সৌন্দর্য কত নির্দ্বিধায় বিলিয়ে দিয়েছে আমাদের আঁখি মেললেই চারপাশ জুড়ে দেখি প্রকৃতির সাজ, প্রকৃতির মায়া মন ভরে যায় এক নিমিষে প্রকৃতি কোনো কমতি করে না আমাদের দিতে আমরা দু চোখ ভরে দেখি প্রকৃতির খেলা কখনো চারপাশ জুড়ে সবুজের সমারোহ কখন বা পানি থই থই কখনো রৌদ্রময় দিন কখনো বা এক পশলা বৃষ্টি কখনো বা ছায়া কি অপরূপ তার খেলা প্রকৃতি ক�� না বাসে ভালো প্রকৃতির মাঝেই খুঁজে ফিরে সুখ দুঃখের নানা গল্প প্রকৃতি তার অপার সৌন্দর্যে আমাদের করে রেখেছে বিমুগ্ধ প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে কে না চায় প্রকৃতি ভালোবাসে না এমন মানুষ বিরল।
স্বপ্ন
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি স্বপ্নে কত জায়গায় বিচরণ করি গভীর রাত তখন মনে হয় সাগরের ধারে হেটে বেড়াচ্ছি কি ঠাণ্ডা বাতাস নির্জনতা চারিপাশে দু একটা রাত জাগা তারা খানিকটা টুপটাপ শব্দ দূর থেকে ভেসে আসছে মিষ্টি গান ভরাট সুরেলা কণ্ঠ আলো-ছায়ায় কি নিবিড় খেলা ঝিরিঝিরি বাতাস লাগছে গায়ে কী শান্তি কী সুখ তাই স্বপ্নই আমার প্রিয় স্বপ্নেই আমার বাস।
প্রিয়জন
আকাশ পানে চেয়ে মুগ্ধ হই বারবার কারণ তোমার যে আকাশ ভীষণ প্রিয় আকাশ পানে মুগ্ধতা নিয়ে তাকাই সে আকাশে আমি তোমাকেই খুঁজে পাই। তোমায় ভালোবাসি ভীষণ আকাশের মতো বিশাল আমার ভালোবাসা কিন্তু তুমি আমায় অবহেলা দিয়ে ফিরিয়ে দাও বারংবার। তোমার অবহেলা আমার কাছে একরাশ ভালোবাসা যে মানুষ প্রিয় হয় তার অবহেলাও নাকি ভীষণ ভালো লাগে তাই তো তোমার অবহেলা নিয়েই তোমার প্রিয় আকাশে আমি তোমাকেই খুঁজে ফিরি। আকাশের মাঝেই আমি তোমার ভালোবাসা খুঁজি
শেষ বিকেলের বৃষ্টি
মনে পড়ে শেষ বিকেলের বৃষ্টির কথা নিশ্চয়ই ভুলে গেছো যেই ভুলো মন তোমার জানো আজ বিকেল থেকেই প্রচন্ড বৃষ্টি আমার কিন্তু সব মনে আছে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে আছি ভাবছি সেই দিনটার কথা বৃষ্টি দেখলে তুমি কত পাগলামি করতে আজ কি আর বৃষ্টি দেখলে উচ্ছাসিত হওনা? খুব জানতে ইচ্ছে হয় কিজানি আমি অহেতুক কতকিছু ভাবছি তুমি হয়তো ভুলেই গেছো সব আমিও ভুলেই থাকতে চেয়েছিলাম হঠাৎ করে এই বৃষ্টি এসে সব মনে করিয়ে দিলো যাইহোক তুমি তোমার মতোই থেকো আমি এমন হঠাৎ বৃষ্টিতে মনে করবো সেই স্মৃতিগুলো।
হতাশা
কষ্টের চেয়ে হতাশা অনেক বেশি ভয়ংকর কষ্ট মানুষকে সাময়িক ব্যথা দিলেও তা কাটিয়ে ওঠে সামনে যাওয়া যায় কিন্তু হতাশা মানুষকে ভেঙেচুরে দেয় হতাশায় মানুষ না পারে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারে কারো সাথে সেটা নিয়ে বলতে হতাশা মানুষের সুন্দর জীবনটাকে বিষিয়ে তোলে বেড়ে যায় অস্থিরতা এলোমেলো করে দেয় সব কিছু হতাশা কাটিয়ে উঠতে প্রয়োজন আপনজনের ভালোবাসা, কাছে থাকা একটা বিশ্বস্ত কাঁধ যা পারে হতাশা থেকে তুলে আনতে এর উল্টো হলে জীবন হারিয়ে যায় অতল গহ্বরে, এক সমুদ্রে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এ জীবন হতাশা মানুষকে নিঃশেষ করে দেয় এক নিমিষে।
দুজনে
��কদিন হঠাৎ করে আমাদের দে��া হবে মুখোমুখি আমরা দু'জন মনে পড়বে পুরনো সেই স্মৃতি যখন দিন ছিলো শুধু তোমার আমার আচ্ছা যে দিন গেছে তা কি আর ফিরে আসে নাকি আমরা বদলে যাই অচেনা ডাকে বুকের ভেতর পাহাড়সম কষ্ট নিয়ে তাকাবো দুজন দুজনার পানে বলতে ইচ্ছে হবে অনেক কথায় কিন্তু দুজনের মধ্যে থাকবে যোজন যোজন দূরত্ব চলে যেতে হবে সব জমানো কথা মনের মধ্যে লুকিয়ে রেখে আবারো কখনো হলেও হতে পারে দেখা যেখানে শেষ হয়ে গিয়েছিলো দুজনার কথা।
স্মৃতি
স্মৃতি দুই অক্ষরের ছোট শব্দ তবে এর গভীরতা অনেক সবার জীবনেই থাকে নানা স্মৃতি যা মনের মধ্যে সবসময়ই থেকে যায় কিছু স্মৃতি হাসায় আবার কিছু স্মৃতি কাঁদায় কিছু স্মৃতি আবার জীবন বিষিয়ে তোলো স্মৃতি জীবনের একটা বড় অধ্যায় যে অধ্যায় জুড়ে থাক��� নানা মানুষ নানা সময় কত রকম হাসি কান্না সেসব স্মৃতি মনের এক কোণে উঁকি দিয়ে যায় সারাজীবনই জীবনের একটা সময় যখন একলা হয়ে যেতে হয় সবাই থেকেও যখন পাশে কাউকে পাওয়া যায় না তখন সেই সময়টা স্মৃতির সাথেই বসবাস হয় আমাদের জীবনের সেই বাকি সময়টুকু দিব্যি একা স্মৃতি নিয়েই কাটে।
রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ।
0 notes
Text
কণ্ঠের জন্য পুরস্কার জিতলেন জয়া
কণ্ঠের জন্য পুরস্কার জিতলেন জয়া ।। বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান নিজের সু-অভিনয়ের জন্য বরাবরই প্রশংসিত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে তিনি কলকাতার বাংলা সিনেমাতেও সেরা অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান নিজের সু-অভিনয়ের জন্য বরাবরই প্রশংসিত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে তিনি কলকাতার বাংলা সিনেমাতেও সেরা অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।
দুই বাংলার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী নিজের অভিনয়ের জন্য কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন। এবার টলিউডের ‘কণ্ঠ’ সিনেমায় অভিনয় করে এ সিনেমার জন্য ফিল্মস অ্যান্ড ফ্রেমস ডিজিটাল অ্যাওয়ার্ডে ‘ট্রেন্ডসেটিং পারফরম্যান্স অব দ্য…
View On WordPress
0 notes
Photo
নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি (জন্মঃ ১৩ ডিসেম্বর ১৯৮৭) একজন বাংলাদেশী সংগীতশিল্পী। ন্যান্সির বাড়ি নেত্রকোনার সাতপাইতে। ২০০৫ সালে হৃদয়ের কথা ছবির গানে কণ্ঠ দিয়ে মিডিয়ায় যাত্রা শুরু হয় ন্যান্সির। একই বছরে বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলেও অভিষেক হয় তাঁর। পরের বছরে ২০০৬ সালে আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা ছবির ‘পৃথিবীর যত সুখ যত ভালোবাসা’ গানটির মাধ্যমে রাতারাতি আলোচনায় আসেন ন্যান্সি। ২০০৯ সালে সংগীতা থেকে বের হয় ন্যান্সির প্রথম একক অ্যালবাম ভালোবাসা অধরা। তিন বছর পর ডেডলাইন মিউজিক থেকে বের হয় দ্বিতীয় একক রং। নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি এ সময়ের একজন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী। ২০০৯, ২০১০, ২০১১ আর ২০১২—পর পর চারবার তিনি ‘মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার’ পেয়েছেন। ২০১০ সালেও ন্যান্সি মেরিল-প্রথম আলো তারকা জরিপে সেরা গায়িকার পুরস্কার পেয়েছিলেন। ২০১১ সালের মেরিল-প্রথম আলো তারকা জরিপে ‘পাগল তোর জন্য’ গানটির কণ্ঠশিল্পী হিসেবে সেরা গায়িকার পুরস্কার জে��েন ন্যান্সি। প্রথমবারের মতো সংগীতে ২০১১ সালের জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন মুনিরা ন্যান্সি। ন্যান্সি মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের প্রজাপতি চলচ্চিত্রের গানের জন্য সেরা কণ্ঠশিল্পী ও সেরা গীতিকার হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন। ২০১২ সালে মেরিল-প্রথম আলো তারকা জরিপে দেহরক্ষী ছবির ‘ভালোবাসি তোমায়’ গানটির জন্য পুরস্কার পেয়েছেন। আজতার জন্মদিন। শুভ হোক জন্মদিন... https://www.instagram.com/p/B5_uQtUlWrss50MSrkFRSTcgxoJjtHBeOTsLm40/?igshid=qwecdlp44r71
0 notes
Photo
কার্ল স্যেগানঃ(১ম পর্ব) "বিশ্বব্রহ্মাণ্ড হচ্ছে, যা কিছু বর্তমান, যা অতীতে ছিলো, বা ভবিষ্যতে আসবে। বিশ্বব্রহ্মাণ্ড নিয়ে আমাদের ভাবনা, আমাদেরকে অভিভূত করে,যেন শিরশির করে ওঠে মেরুদণ্ড, রোধ হয়ে আসে কণ্ঠ। এক ক্ষীণ অনুভূতি, যেন বিশাল উচ্চতা থেকে লাফ দেয়ার সুদূর অতীতের স্মৃতি। উপলব্ধি আসে, যেন আমরা সর্বোচ্চ রহস্যের ভেতরে ঢুকে পড়ছি। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের আয়তন বা বয়স মামুলি মানুষের জ্ঞানের সীমার বাইরে। এই বিশাল আর অসীম শূন্যতার কোথাও লুকিয়ে আছে আমাদের বসতি, এই পৃথিবী। প্রথমবারের মত আমাদের হাতে এসেছে, এই পৃথিবীর ও নিজেদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা। সময়টা খুবই নাজুক। কিন্তু আমাদের প্রজাতি এখনো তরুণ, কৌতুহলী, এবং সাহসী! ব্যাপারটা আশাব্যঞ্জক! গত কয়েক হাজার বছরে, আমরা চোখ ধাঁধানো এবং অপ্রত্যাশিত কিছু আবিষ্কার করেছি – এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড এবং এর মধ্যে আমাদের অবস্থানের ব্যাপারে। আমার বিশ্বাস, আমাদের ভবিষ্যৎ অনেকাংশে নির্ধারিত হবে আমরা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে কতটুকু বুঝি, তার ওপর… যে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে আমরা ভেসে আছি, সকালের আকাশে ধূলোর একটা কণার মত করে।"......... ১৯৮০ সালে জনপ্রিয় বিজ্ঞান বিষয়ক টেলিভিশন সিরিজ "কসমস: অ্য পারসোনাল ভয়েজ" এর সুচনা পর্বে এমন কথা গুলো দ্বারা বিশ্বের কোটি মানুষকে জ্যোতির্বিজ্ঞানে মোহ��ত করেন এর উপস্থাপক,সহ-পরিচালক,অভিনেতা কার্ল স্যেগান !! তাকে বলা হয় "মহাকাশের স্বপ্নদর্শী বরপুত্র" । বর্তমান প্রজন্মের জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়ক উপস্থাপকদের মধ্যে সেরা হলেন নেইল ডে-গ্রেস টাইসন , ব্রায়ান গ্রিনি, ব্রায়ান কক্স , মিশিও কাকু , বিল নাইয়ি । এই বাঘা বাঘা জ্যোতির্বিদদের যিনি পথ দেখিয়েছেন, তাদের স্বপ্ন পুরনে আশা ও সাহস যুগিয়েছেন , ভ্রান্ত ধারনা কুসংস্কার ও ধর্মের গোঁড়ামির বিপরীতে যিনি মানুষকে আকাশে তার সত্ত্বা খোঁজার প্রেরণা যুগিয়েছেন তিনি হলেন কার্ল স্যেগান !! ডিসেম্বর ১০, ১৯৭৫(শনিবার) নেইল ডে-গ্রেস টাইসন তখন ১৭ বছরের এক উদ্যমী ও স্বপ্নবাজ কিশোর । কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য তিনি রচনা লিখলেন। লিখেছিলেন তিনি বিজ্ঞানী(জ্যোতির্বিদ) হতে চান,মহাকাশ নিয়ে তার আগ্রহ ও ইচ্ছে নিয়ে লিখেন । মহাকাশের প্রতি এই কিশোরের গভীর অনুরাগ চোখে পরে তৎকালীন জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক কার্ল স্যেগানের। তিনি নেইলকে তখন শনিবারের ছুটির দিনে তার সাথে সময় কাটানোর জন্য আমন্ত্রন জানিয়েছিলেন । নেইল তার সাথে দেখা করতে এলে কার্ল তার হাতে তার স্বাক্ষরিত "The Cosmic Connection" বইটি তুলে দেন। বইটিতে লেখা ছিল " নেইল টাইসনের জন্য আমার সবটুকু ভালবাসা, যে ভবিষ্যতের জ্যোতির্বিদ ।''সারাদিন সময় কাটানোর পর নেইলকে কার https://www.instagram.com/p/B4nbxChnjkN/?igshid=ie7uspejhtdk
0 notes
Link
0 notes
Photo
New Post has been published on https://paathok.news/56764
চট্টগ্রামের ছেলে রবিন যেভাবে আইয়ুব বাচ্চু হয়ে উঠলেন
.
১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের চট্টগ্রামের এক বনেদী হাজী পরিবারে জন্ম রবিনের (আইয়ুব বাচ্চুর ডাক নাম)। সঙ্গীত চর্চার জন্য খুব একটা অনুকূল পরিবেশ যে তিনি পেয়েছিলেন তা কিন্তু নয়। সেই ছোটবেলা থেকেই সংসারে থেকেও বোহেমিয়ান রবিন। বাউন্ডুলে স্বভাবের জন্য সংসারের কিছুই যেন স্পর্শ করতে পারছিল না তাকে।
ঘরের সকলেই খুব ভালভাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার লড়াইয়ে ব্যস্ত। কিন্তু রবিনের মন বলে অন্য কথা। তার মনে বাজে যেন অন্য সুর। নয়টা-পাঁচটা চাকরি করার পেছনে ছোটার জন্য যেন জন্ম হয়নি রবিনের। অন্যকিছু যেন অপেক্ষা করছে তার জন্যে। কিন্তু এতো সহজ ছিল না সেই পথ চলা। জোয়ারের বিপরীতে দ্বার টেনে নিয়ে যাওয়ার মতো সাহস এবং সামর্থ্য সকলের থাকে না। কিন্তু রবিন থেমে থাকার পাত্র নয়। তাকে যে জীবনের দুর্গম পথটিই বেছে নিতে হবে। সংসারের সবার কাছে ছেলে গোল্লায় গেছে শুনতে শুনতে প্রায় অতিষ্ট রবিন।
এমন সময় একদিন টিভিতে গানের একটি প্রোগ্রামে দেখলেন পপ সম্রাট আজম খানকে। অনেক আগে থেকেই আজম খানের ভক্ত রবিন। মুগ্ধ হয়ে শুনছিলেন পপ সম্রাটের গান। পাশে ঝাঁকড়া চুলে বোতাম খোলা শার্টে একজন গিটার বাজাচ্ছেন অসাধারণ দক্ষতায়। সেই প্রথম পরিচয় গিটারে দক্ষ হাতের খেলা। হবেই না বা কেন? বাজাচ্ছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম কিংবদন্তী গিটারিস্ট ‘নয়ন মুন্সি’। এই লোকটি বাংলাদেশের গিটার জগতে এক অনন্য নাম। সে সময়কার অনেক পরিচিত গান, যেমন- এই নীল মনিহার, মন শুধু মন ছুঁয়েছে, ��েলায় যাই রে, আবার এলো যে সন্ধ্যা প্রভৃতি কালজয়ী গানের গিটারিস্ট তিনি। তার এই অনবদ্য বাজনা শুনে রবিন ঠিক করে ফেললেন, জীবনে আর কিছু চান না, শুধু এমন অসাধারণভাবে গিটার বাজাতে চান। সেই থেকেই গিটারের পিছে ছোটা, যা আজও শেষ হয়নি।
.
গিটারের কিংবদন্তি তারকা শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু। যিনি তরুণ প্রজন্মের এলআরবি। দেশীয় ব্যান্ডসংগীতের তিনি মধ্যমণি। এলআরবি-র পথ চলার ২৭ বছরে শ্রোতাদের উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান।
আইয়ুব বাচ্চুর জন্ম চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় তিনি ১৬ আগস্ট ১৯৬২ সালে পটিয়ার খরণা ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। ডাক নাম রবিন। পরিবারের তেমন কেউ গানের সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি তার ঝোঁক। আধুনিক-লোকগীতি-ক্ল্যাসিক্যালের পাশাপাশি শুনতেন প্রচুর ওয়েস্টার্ন গান। নিজেও একসময় গাইতে চেষ্টা করেন। স্কুলে পড়াকালীন চট্টগ্রামের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। আর তখন থেকেই ওয়েস্টার্ন মিউজিক ভালো লাগতে শুরু করে। শুরু করেন গিটার চর্চা। জিমি হেন্ডরিক্স, জো স্যাটরিনি, স্টিভ মুর হয়ে ওঠেন তার অনুপ্রেরণার উৎস। কলেজে পড়ার সময় বন্ধুদের নিয়ে একটা ব্যান্ডদল গঠন করেন। প্রথমে ব্যান্ডের নাম রাখা হয় ‘গোল্ডেন বয়েজ’, পরে নাম পাল্টিয়ে রাখা হয় ‘আগলি বয়েজ’। বিয়েবাড়ি, জন্মদিন আর ছোটখাট নানা অনুষ্ঠানে এই ব্যান্ডদল নিয়ে গান করতেন বাচ্চু।
স্কুল-কলেজের ছেলেমানুষি ভুলে বন্ধুরা যে যার মতো একেক দিকে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু আইয়ুব বাচ্চু মিউজিক নিয়েই থাকলেন। চট্টগ্রামের বিভিন্ন অভিজাত হোটেলে ‘ফিলিংস’ নামের একটি ব্যান্ডে গান করতেন। ফিলিংসের সঙ্গে আইয়ুব বাচ্চু জড়িত ছিলেন কিছুদিন। ১৯৮০ সালে যোগ দেন ‘সোলস’ ব্যান্ডে। সোলসের লিডগিটার বাজানোর দায়িত্বে ছিলেন টানা ১০ বছর। ১৯৯১ সালের ৫ এপ্রিল গড়ে তুললেন নতুন ব্যান্ড এলআরবি।
মজার ব্যাপার হলো, এলআরবি দিয়ে শুরুতে বোঝানো হয়েছিল ‘লিটল রিভার ব্যান্ড’। কিন্তু কিছুদিন পর এক প্রবাসী বন্ধু জানান এই নামে অস্ট্রেলিয়ায় একটি ব্যান্ড আছে। তাই প্রয়োজন হয় দলের নাম পাল্টাবার। এলআরবি আদ্যাক্ষর ঠিক রেখে ব্যান্ডের নতুন নাম রাখা হয় ‘লাভ রানস ব্লাইন্ড’। শুরুতেই এলআরবি চমক সৃষ্টি করে ডবলস ডেব্যু অ্যালবাম বের করার মধ্য দিয়ে। ‘এলআরবি- ১ ও ২’ নামের এই ডবলসের পর একে একে এ পর্যন্ত ব্যান্ডের আরো ১০টি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। ২০০৮ সালে বের হয়েছিল সর্বশেষ অ্যালবাম ‘স্পর্শ’।
এলআরবিকে বেশি সরব দেখা গেছে দেশ-বিদেশের কনসার্টে। যে কোনো স্টেজ শোতে অংশ নেওয়ার আগে আইয়ুব বাচ্চু পুরো দল নিয়ে প্র্যাকটিস করতে কখনও ভুল করেন না। সারা দিন সময় না পেলে মধ্যরাতে হলেও তিনি প্র্যাকটিস করেন। ইউরোপ-আমেরিকা-মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের প্রায় ২৫টি দেশের কনসার্টে এলআরবি পারফর্ম করেছে। অংশ নিয়েছে দেড় হাজারেরও বেশি কনসার্টে।
গানের পাশা পাশি গিটারেও তিনি ছিলেন অনন্য। ১৯৭৫ সালের কথা। সবে ক্লাস সেভেনে উঠেছেন। পরীক্ষার ফল খুব ভালো হওয়ায় বাবাও তার ওপর বেজায় খুশি। তিনি একটি কালো রঙের গিটার উপহার দিলেন। শুরু হলো লেখাপড়ার পাশাপাশি জীবনের নতুন একটি অধ্যায়। তারপর দীর্ঘ সময় এই গিটার ও গানের সঙ্গেই তার বসবাস।
তার কণ্ঠ দেয়া প্রথম গান ‘হারানো বিকেলের গল্প’। এটির কথা লিখেছিলেন শহীদ মাহমুদ জঙ্গী। ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সালে তিনি ‘সোলস’ ব্যান্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন। আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম অ্যালবাম ‘রক্তগোলাপ’ প্রকাশ হয়েছিলো ১৯৮৬ সালে। এই অ্যালবামটি তেমন একটা সাফল্য পায়নি।
আইয়ুব বাচ্চুর সফলতার শুরু তার দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘ময়না’ (১৯৮৮) দিয়ে। এরপর ১৯৯১ সালে বাচ্চু ‘এলআরবি’ ব্যান্ড গঠন করেন। এই ব্যান্ডের সঙ্গে তার প্রথম ব্যান্ড অ্যালবাম ‘এলআরবি’ প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে। এটি বাংলাদেশের প্রথম দ্বৈত অ্যালবাম। এই অ্যালবামের ‘শেষ চিঠি কেমন এমন চিঠি’, ‘ঘুম ভাঙ্গা শহরে’, ‘হকার’ গানগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলো।
১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে তার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ব্যান্ড অ্যালবাম ‘সুখ’ ও ‘তবুও’ বের হয়। ‘সুখ’ অ্যালবামের ‘সুখ’, ‘চলো বদলে যাই’, ‘রূপালি গিটার’, ‘গতকাল রাতে’ পুরো দেশে আলোড়ন তৈরি করে। এর মধ্যে ‘চলো বদলে যাই’ গানটি বাংলা সঙ্গীতের ইতিহাসে অন্যতম জনপ্রিয় গান। গানটির কথা লিখেছেন ও সুর করেছেন বাচ্চু নিজেই।
১৯৯৫ সালে তিনি বের করেন তৃতীয় একক অ্যালবাম ‘কষ্ট’। সর্বকালের সেরা একক অ্যালবামের একটি বলে অভিহিত করা হয় এটিকে। এই অ্যালবামের প্রায় সবগুলো গানই জনপ্রিয়তা পায়। বিশেষ করে ‘কষ্ট কাকে বলে’, ‘কষ্ট পেতে ভালোবাসি’, ‘অবাক হৃদয়’, ও ‘আমিও মানুষ’। একই বছর তার চতুর্থ ব্যান্ড অ্যালবাম ‘ঘুমন্ত শহরে’ প্রকাশিত হয়। সেটিও সাফল্য পায়। আইয়ুব বাচ্চুর সর্বশেষ তথা ১০ম অ্যালবাম ‘জীবনের গল্প’ প্রকাশ হয় ২০১৫ সালে।
আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া কিছু গান এখনো সমানভাবে জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘আমি বারো মাস তোমায় ভালোবাসি’, ‘সেই তুমি কেন এতো অচেনা হলে’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘এক আকাশের তারা তুই’, ‘উড়াল দেবো আকাশে’ উল্লেখযোগ্য।
শুধু অডিও গানে নয়, প্লেব্যাকেও তিনি ��নপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। তার গাওয়া প্রথম প্লেব্যাক ‘অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে’ বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় গান। এছাড়া ‘আম্মাজান’ সিনেমার শিরোনাম গানটি তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো।
0 notes
Text
আসমা বাসার আনসার ভিডিপি অর্কেস্ট্রারের সেরা গায়িকাদের একজন
বি,এম স্কুলের স্কাউট ভবনে কি চলছে?
গোলাম মোস্তফা রাঙ্গা।।গান-আবৃত্তি-অভিনয়সহ শিল্পের স��� শাখায় যার দীপ্ত পদচারণা তিনি হলেন নিভৃতচারিণী এক সংস্কৃতিসেবী আ��সার ভিডিপি অর্কেস্ট্রারের অন্যতম সেরা শিল্পী আসমা বাসার। সাংস্কৃতিক অঙ্গনের যিনি আসমা দেবযানী নামে ব্যাপক পরিচিত। সংগীতজ্ঞ বাবা কাজী আবুল বাশারের হাত ধরে ছোটবেলা থেকেই তার সঙ্গীতচর্চা শুরু। এরপর কেটে গেছে অনেকটা সময়। এরই মধ্যে তিনি ১৫৮ সিনেমার গানে কণ্ঠ দিলেও রয়ে গেছেন…
View On WordPress
0 notes