#২০২০
Explore tagged Tumblr posts
Text
সাপ্তাহিক চাকরির পত্রিকাঃ চাকরির সংবাদ- ২৭ জানুয়ারি ২০২৩-https://mrsohag.blogspot.com/2023/01/blog-post_66.html
2 notes
·
View notes
Text
২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়: আমেরিকান রাজনীতিতে ডানপন্থী পরিবর্তনের বিশদ বিশ্লেষণ
২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় মার্কিন রাজনীতিতে ডানপন্থী পরিবর্তনের এক বিশাল নিদর্শন। সাম্প্রতিক সময়ে গ্যালাপের জরিপে দেখা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে যারা রিপাবলিকান হিসেবে নিজেদের ��রিচয় দেন বা রিপাবলিকানপন্থী, তাদের সংখ্যা বেড়েছে। ২০০৪ সালের পর প���রথমবারের মতো, একজন রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্প জনপ্রিয় ভোটে বিজয় লাভ করেছেন। এই ঘটনাটি শুধুমাত্র ডানপন্থী রাজনীতির উত্থান নয়, বরং আমেরিকান জনগণের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক চেতনার প্রতিফলন।
youtube
২০২৪ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য পুনরুদ্ধার করেন, যেগুলো ২০২০ সালে জো বাইডেন ডেমোক্র্যাটিক পক্ষে ফিরিয়েছিলেন। এই রাজ্যগুলো, যেগুলোকে "নীল দেয়াল" রাজ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, বহু বছর ধরে ডেমোক্র্যাটিক সমর্থন পেয়ে এসেছে। তবে ২০১৬ সালে ট্রাম্প যখন প্রথমবারের মতো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তখন তিনি ঐতিহ্যগত ডেমোক্র্যাটিক রাজ্যগুলোতেও ভোটের সমর্থন বাড়াতে সক্ষম হন। ২০২৪ সালের নির্বাচনে, ট্রাম্প শুধু ২০২০ সালে জিতেছিল এমন প্রতিটি রাজ্য ধরে রাখতে পেরেছেন তাই নয়, তিনি নেভাদাও ডেমোক্র্যাটদের কাছ থেকে উল্টে নিতে সক্ষম হয়েছেন।
এছাড়াও, ট্রাম্প এমন রাজ্যগুলোতেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেন যেখানে তিনি পরাজিত হয়েছেন। ডেমোক্র্যাটিক শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত নিউইয়র্ক, ক্যালিফোর্নিয়া এবং কানেকটিকাটে, ট্রাম্প গত এক দশকের মধ্যে যেকোনো রিপাবলিকান প্রার্থীর তুলনায় বেশি ভোট পান। এই ঘটনাগুলো দেখায় যে ট্রাম্পের নেতৃত্বে রিপাবলিকান দল কতটা শক্তিশালী হয়ে উঠেছে এবং মার্কিন নির্বাচনে ডানপন্থী রাজনীতি কতটা গু��ুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
আমেরিকান ভোটারদের মধ্যে ডানপন্থী পরিবর্তনের কারণ:
অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে ট্রাম্পের ২০২৪ সালের নির্বাচনী বিজয় মূলত ভোটারদের মাঝে ডানপন্থী রাজনৈতিক ঝোঁকের বৃদ্ধি দ্বারা সম্ভব হয়েছে। ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারির সময়, দেশজুড়ে অর্থনৈতিক অস্থিরতা, জনসুরক্ষা এবং সামাজিক আন্দোলনগুলো জনগণের রাজনৈতিক চিন্তাধারাকে প্রভাবিত করেছে। ২০২৪ সালের নির্বাচনে এই বিষয়গুলো আরও প্রাধান্য পায়, যার ফলে অনেক আমেরিকান ভোটার রিপাবলিকান নীতিমালার দিকে ঝুঁকে পড়েন।
অন্যান্য বিষয়গুলোর মধ্যে বর্ডার সুরক্ষা, অভিবাসন সমস্যা, এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মার্কিন জনগণের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে উঠেছে। ট্রাম্পের ক্যাম্পেইন আমেরিকার সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। এর ফলে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায় এবং রিপাবলিকান দলের শক্তি আবারও প্রতিফলিত হয়।
গ্যালাপের জরিপে রিপাবলিকান সমর্থনের উত্থান:
গ্যালাপের তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র�� রিপাবলিকান হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেওয়া মানুষের সংখ্যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাড়তে দেখা গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমেরিকান ভোটারদের মধ্যে ডানপন্থী চিন্তাধারার উত্থান ট্রাম্পের নির্বাচনী সাফল্যের অন্যতম প্রধান কারণ। ২০০৪ সালে জর্জ ডব্লিউ বুশের পর প্রথমবারের মতো, রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প জনপ্রিয় ভোটে বিজয় অর্জন করেছেন।
এই উত্থান শুধুমাত্র নির্বাচনী ফলাফলে নয়, বরং মার্কিন রাজনীতিতে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে, আমেরিকার অনেক রাজ্যে রিপাবলিকান প্রভাব অনেক বেশি। এই পরিবর্তনের ফলে ভবিষ্যতে আমেরিকান রাজনীতিতে রিপাবলিকান দল কতটা শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারে তা নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে।
ট্রাম্পের নির্বাচনী মানচিত্র এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনা:
ডোনাল্ড ট্রাম্পের তিনটি প্রেসিডেন্ট প্রচেষ্টা তিনটি ভিন্ন ফলাফলে শেষ হয়েছে। প্রথম প্রচেষ্টায় তিনি জয়লাভ করেছিলেন, দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় তিনি পরাজিত হয়েছিলেন এবং ২০২৪ সালে তৃতীয় প্রচেষ্টায় তিনি পুনরায় বিজয়ী হন। এই ফলাফলগুলো ট্রাম্পের নির্বাচনী মানচিত্রে বিভিন্ন ধরণের রাজ্যগুলোর অবস্থান প্রকাশ করে।
২০২৪ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকানদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন হয়েছে। ট্রাম্পের বিজয় এবং আমেরিকান ভোটারদের মধ্যে ডানপন্থী রাজনীতির উত্থান রিপাবলিকানদের ভবিষ্যতের জন্য অনেক সম্ভাবনা উন্মোচন করেছে। আমেরিকার ডেমোক্র্যাটিক শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত অনেক রাজ্যেও ট্রাম্পের ভোটের সংখ্যা বেড়েছে।
উপসংহার:
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয় এবং ডানপন্থী রাজনীতির উত্থান আমেরিকান রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। রিপাবলিকান নীতিমালার প্রতি আমেরিকান ভোটারদের আগ্রহ এবং ডেমোক্র্যাটিক ঘাঁটিগুলোতেও ভোটের বৃদ্ধির ফলে ট্রাম্পের বিজয় নিশ্চিত হয়।
মোটকথা, ট্রাম্পের নির্বাচনী সাফল্য শুধুমাত্র আমেরিকান নির্বাচনে ডানপন্থী রাজনীতির প্রভাবই নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্যও মার্কিন রাজনীতির পরিবর্তনের পূর্বাভাস দেয়।
আরও দেখুনঃ রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিক: রেট্রো স্টাইল থেকে হিমালয়ান অ্যাডভেঞ্চা�� - একটি ঐতিহাসিক যাত্রা
youtube
Tags: #facts #fyp #reels #viral #highlights #DonaldTrump #2024USElection #PresidentialElection2024 #USPolitics #RepublicanVictory #RightWingPolitics #GallupSurvey #BlueWallStates #DemocraticStates #ElectoralMap #AmericanVoters #RightWingShift #Nevada #NewYorkCalifornia #Connecticut #ShiftInAmericanPolitics #ডোনাল্ডট্রাম্প #২০২৪মার্কিননির্বাচন #প্রেসিডেন্টনির্বাচন২০২৪ #মার্কিনরাজনীতি #রিপাবলিকানবিজয় #ডানপন্থীরাজনীতি #গ্যালাপজরিপ #ব্লুওয়ালরাজ্য #ডেমোক্র্যাটিকরাজ্য #নির্বাচনীমানচিত্র #মার্কিনভোটার #ডানপন্থীচিন্তাধারা #নেভাদা #নিউইয়র্কক্যালিফোর্নিয়া #কানেকটিকাট #মার্কিনরাজনীতিরপরিবর্তন #আমেরিকানভোটার ডোনাল্ডট্রাম্প, ২০২৪মার্কিননির্বাচন, প্রেসিডেন্টনির্বাচন২০২৪, মার্কিনরাজনীতি, রিপাবলিকানবিজয়, ডানপন্থীরাজনীতি, গ্যালাপজরিপ, ব্লুওয়ালরাজ্য, ডেমোক্র্যাটিকরাজ্য, নির্বাচনীমানচিত্র, মার্কিনভোটার, ডানপন্থীচিন্তাধারা, নেভাদা, নিউইয়র্কক্যালিফোর্নিয়া, কানেকটিকাট, মার্কিনরাজনীতিরপরিবর্তন, আমেরিকানভোটার, DonaldTrump, 2024USElection, PresidentialElection2024, USPolitics, RepublicanVictory, RightWingPolitics, GallupSurvey, BlueWallStates, DemocraticStates, ElectoralMap, AmericanVoters, RightWingShift, Nevada, NewYorkCalifornia, Connecticut, ShiftInAmericanPolitics
#ডোনাল্ডট্রাম্প#২০২৪মার্কিননির্বাচন#প্রেসিডেন্টনির্বাচন২০২৪#মার্কিনরাজনীতি#রিপাবলিকানবিজয়#ডানপন্থীরাজনীতি#গ্যালাপজরিপ#ব্লুওয়ালরাজ্য#ডেমোক্র্যাটিকরাজ্য#নির্বাচনীমানচিত্র#মার্কিনভোটার#ডানপন্থীচিন্তাধারা#নেভাদা#নিউইয়র্কক্যালিফোর্নিয়া#কানেকটিকাট#মার্কিনরাজনীতিরপরিবর্তন#আমেরিকানভোটার#DonaldTrump#2024USElection#PresidentialElection2024#USPolitics#RepublicanVictory#RightWingPolitics#GallupSurvey#BlueWallStates#DemocraticStates#ElectoralMap#AmericanVoters#RightWingShift#Nevada
0 notes
Text
হ্যারিস নাকি ট্রাম্প, কে হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট?
হ্যারিস নাকি ট্রাম্প, কে হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট?। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ৭ দিন। দেশটির ভোটাররা আগামী ৫ নভেম্বর তাদের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে ভোট দেবেন। ২০২০ সালে সর্বশেষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন জো বাইডেন। তিনি এবারও নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ৭ দিন। দেশটির ভোটাররা আগামী ৫ নভেম্বর তাদের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে ভোট দেবেন। ২০২০ সালে সর্বশেষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন জো বাইডেন। তিনি এবারও নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু গত জুলাইয়ে প্রচারণার শেষে এসে তিনি সরে দাঁড়ান ও কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দেন। এখন বড় প্রশ্ন হলো, এবার কি যুক্তরাষ্ট্র ইতিহাসে প্রথমবারের মতো…
0 notes
Text
পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেই ‘ফাস্ট ক্লাস’ পেলেন রাবি শিক্ষার্থী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইতিহাস বিভাগের এক শিক্ষার্থী পরীক্ষা না দিয়েই ফার্স্ট ক্লাস রেজাল্ট পেয়েছেন। গত ১৬ অক্টোবর প্রকাশিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের রেজাল্ট শিট থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিষয়টিকে অনিচ্ছাকৃত ভুল বলছেন পরীক্ষা কমিটির সভাপতি। বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষ প্রথম সেমিস্টার…
0 notes
Text
খাবার দাবারের ছবি ও জীবনের কিছু কথামালা (দুপুরের খাবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪ইং, গ্রামের বাড়ি, মায়ের হাতের রান্না)
ক্বেন শহরে পড়ে আছি জানি না, পুরাই মনের বিপক্ষে। আমার কোলাহল পছন্দ নয়, একা থাকতে পছন্দ করি, আমি শান্ত, আমি মনের চোখে দুনিয়া দেখি, দুনিয়ার আনন্দ নিতে চাই! কিন্তু আমার সব প্লান পোগ্রাম কখনো বাসবায়ন হয় না। আমি ভেবেছি, একটা নিদিষ্ট বয়সের পরে গ্রামে চলে যাব, কিন্তু এখনো সেটা পারি নাই, এবং আর কবে পারবো তাও জানি না, তবে ২০২০ সালের করোনা ভাইরাস আমার পুরা প্লান শেষ করে দিয়েছে, প্রায় ২ বছর পুরাই ঘরে বসে সময়…
View On WordPress
0 notes
Text
পলাশবাড়ী প্রজন্ম তরুণ সংঘ - মানবসেবা করাই যে সংগঠনের কাজ
২০২০ সাল ছিল করোনা মহামারীর বছর। করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বে অনেক লোক মারা যান। এই করোনা মহামারীতে কেউ হারিয়েছেন বাবা, কেউ মা এবং কেউ হারিয়েছেন তার অতি আপনজনকে। এই দেখে কলেজছাত্র আল আমিনের মাথায় ভূত চাপে একটি সেবামূলক সংগঠন করার। যে চিন্তা সেই কাজ। আল আমিন তৈরি করেন 'পলাশবাড়ী প্রজন্ম তরুণ সংঘ' নামে একটি সেবামূলক সংগঠন। ওই বছরের ২৩ জুন থেকে শুরু হয় সংগঠনটির যাত্রা। কিন্তু এই সংগঠনের মূলধন পাবে কোথায়? অর্থ সংগ্রহে হাত বাড়িয়ে দেন। বন্ধুবান্ধবসহ অনেকেই। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণির পেশাজীবী মানুষ আজ এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।
এই সংগঠনটি বর্তমানে একটি জনকল্যাণমূলক সেবা প্রদানকারী সংগঠনে রূপ নিয়েছে। অসহায় মানুষের ভরসার কাণ্ডারি এই ‘পলাশবাড়ী প্রজন্ম তরুণ সংঘ। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়তা থেকে শুরু করে এতিমখানায় এতিমদের খাদ্য যোগান, দুস্থদের মাঝে নানাভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া। যেখানেই অসহায়ত্বের খবর পাচ্ছে সেখানেই পৌঁছে যাচ্ছেন প্রজন্ম তরুণ সংঘের সদস্যরা। খাদ্য সামগ্রী, চিকিৎসা সামগ্রী, শীতবস্ত্র বিতরণ, প্রতিবন্ধীদের হুইল চে��়ার বিতরণ, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা প্রদান, বৃক্ষরোপণ, মসজিদ, মাদ্রাসা উন্নয়নে সহযোগিতা প্রদান । নিজেদের চলার টাকা ও বিত্তবানদের কাছ থেকে পাওয়া সহায়তা সংগঠনের মূল পুঁজি। বর্তমানে সংগঠনের সদস্য সংখ্যা প্রায় ১০০ জন। সংগঠনের উপ-সম্পাদক ফারুক আহমেদ জানান, করোনাকালে সংগঠনের সদস্যরা গরিব অসহায় মানুষদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে। অসহায় মানুষদের চিকিৎসা সহায়তাসহ প্রায় ৭ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক বিতরণ করেছে। রমজানে পুরো মাসব্যাপী এতিমখানাসহ বিভিন্ন রাস্তাঘাটে ইফতার সামগ্রী ও সেহরি বিতরণ করা হয়। ঈদে দুস্থদের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী-পোশাক বিতরণ করা হয়। শীতার্ত মানুষ খুঁজে খুঁজে শীতবস্ত্র উপহার দিয়ে থাকি আমরা।
আরও পড়তে চোখ রাখুন...
ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর জীবনী: সাফল্যের অনন্য কাহিনী – Kaler Kothon
ড. মুহাম্মদ ইউনূস: গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা থেকে নোবেল পুরস্কার জেতার পথ, এক অনন্য সফলতার কাহিনী যা প্রতিটি মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।
স্টিভ জবস: প্রযুক্তির বিপ্লবের পথিকৃৎ – Kaler Kothon
স্টিভ জবসের জীবনীতে জানুন প্রযুক্তি বিপ্লবের পথিকৃৎ ও অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তাঁর অবদান। নতুন দিগন্তের উন্মোচনে তাঁর ভূমিকা।
কন্টেন্ট ক্রেডিট: দৈনিক মানবকন্ঠ - আমাদের ভাষা গণমানুষের
পলাশবাড়ী প্রজন্ম তরুণ সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আল আমিন জানান, ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার সময়ে সিলেটে গিয়ে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছি। এছাড়াও ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লার বন্যার্তদের মাঝে আমরা ত্রাণ বিতরণ করেছি। বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কাজে সহায়তা করেছেন দেশের বিভিন্ন এলাকার হৃদয়বান মানুষ। এছাড়াও এই সংগঠনটি একটি ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার করেছে। এতে করে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পড়বে। বই পড়তে মানুষকে উৎসাহিত করবে। পূর্ব ফরিদপুর গ্রামের মজনু মণ্ডল বলেন, আমাদের এলাকার অসহায় মানুষদের যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকতে দেখছি। জামে মসজিদ এর উন্নয়নকল্পে নগদ অর্থ সহায়তা করেছেন। এতিমখানার শিক্ষক মাহমুদ হাসান বলেন, আমি শুনেছি এই সংগঠনটি আমাদের এতিমখানার বারান্দার কাজের জন্য প্রায় ২৫ হাজার টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। এছাড়াও প্রয়োজন অনুযায়ী আমাদের এতিম বাচ্চাদের জন্য সংগঠনটিকে সবসময় কাছে পাই ।
পলাশবাড়ী প্রজন্ম তরুণ সংঘের প্রধান উপদেষ্টা মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ওরা অসহায়দের মধ্যে চিকিৎসা খাদ্য, হুইল চেয়ার বিতরণ, মুমূর্ষু রোগীকে রক্তদানসহ অনেক সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ডে সবসময়ই ওদের সাথে থাকার চেষ্টা করি যাতে ওরা উৎসাহ পায়। অতি অল্প সময়ের মধ্যে সংগঠনটি মানুষের মন জয় করে নিয়েছে। যেখানেই মানুষের সমস্যার কথা শুনছে সেখানে এই সংগঠনের সদস্যরা সেবাদানের জন্য এগিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি অনেক ব্যবসায়ী, সরকারি চাকরিজীবীসহ বিত্তমান মানুষরা যদি এই সংগঠনটির সঙ্গে যুক্ত থাকে তাহলে হয়ত পলাশবাড়ী প্রজন্ম তরুণ সংঘ একদিন সারা বাংলাদেশে এক নম্বর সেবামুলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে মানুষের মনে জায়গা করে নেবে। পরিশেষে পলাশবাড়ীর আপামর জনতা জানিয়েছেন যে, তাদের মানবকল্যাণের কাজগুলো আমাদের মুগ্ধ করেছে। তাদের সংগঠনের সকল সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদসহ সকলের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করছি।
0 notes
Text
অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষার রুটিন ২০২৪
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষার রুটিন ২০২৪ Honours 1st Year Routine প্রকাশিত হয়েছে। আপনি যদি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের একজন শিক্ষার্থী হন, তাহলে এই লেখাটির মাধ্যমে অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষার রুটিন এর বিস্তারিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা ২১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে দুপুর ১.০০ এ শুরু হবে এবং আগামী ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ এ শেষ হবে৷ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের নিয়মিত ও ২০২০-২০২১, ২০১৯-২০২০, ২০১৮-২০১৯, ২০১৭-২০১৮, ২০১৬-২০১৭, ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের অনিয়মিত, গ্রেড উন্নয়ন ও F গ্রেড প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের জন্য অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষার রুটিন।
একনজরে অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা ২০২৪
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা ১০ অক্টোবর ২০২৪ থেকে ২৭ নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১ টায় শুরু হবে।
পরীক্ষার নাম: অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা ২০২৪
সেশন: ২০২২-২৩ (অনিয়মিত, গ্রেড উন্নয়ন ও F গ্রেড প্রাপ্ত)
পরীক্ষা শুরুর তারিখ: ২১ অক্টোবর ২০২৪
পরীক্ষা শেষ তারিখ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
পরীক্ষা আরম্ভের সময়: প্রতিদিন দুপুর ১টা থেকে শুরু হবে
পরীক্ষার কোড: ২২০১
পরীক্ষার সময়কাল: প্রশ্নপত্রে উল্লেখ��ত সময়
অনার্স ১ম বর্ষ পরীক্ষার রুটিন ২০২৪ ডাউনলোড করুন
এখান থেকে আপনি অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষার রুটিন ছবি এবং পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করতে পারবেন। তাই দেরি না করে একনি অনার্স ১ম বর্স পরীক্ষার রুটিন ডাউনলোড করে ফেলুন এবং পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে থাকুন।
অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষায় অংশগ্রহন করার নিয়ম
অনার্স ১ম বর্ষ পরীক্ষা ২০২৪ এর জন্য মূলত ২০২২-২৩ সেশন এর শিক্ষার্থীরা এছাড়াও ২০২০-২০২১, ২০১৯-২০২০, ২০১৮-২০১৯, ২০১৭-২০১৮, ২০১৬-২০১৭, ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের অনিয়মিত, গ্রেড উন্নয়ন ও F গ্রেড প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরাও অংশ নিতে পারবে।
অনার্স ১ম বর্ষের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের বইয়ের তালিকা ২০২৪
তবে পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন সকল শিক্ষার্থীদের অবশ্যই ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ফি প্রদানের পরে তাদের কলেজ থেকে একটি প্রবেশপত্র এবং একটি রেজিস্ট্রেশন কার্ড স��গ্রহ করতে হবে। পরীক্ষার হলে প্রবেশের জন্য এগুলো দরকার হবে।
পরীক্ষার হলে প্রবেশের আগে যে বিষয়গুলো জেনে রাখুন
পরীক্ষার শুরু হবে মানেই হলো একটা চাপ অনুভব করা বিশেষ করে যারা প্রথমবার পরীক্ষার হলে যাবে। তবে ভালভাবে নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে পারলে সেই উদ্বেগকে কিছুটা উপশম করা যায়।
পরীক্ষার হলে যাওয়ার পূর্বে নিশ্চিত করুন যে আপনার কাছে নিম্নলিখিত আইটেমগুলি আছে:
প্রবেশপত্র: এটি হল আপনার পরীক্ষার হলে প্রবেশের পাস।
স্টুডেন্ট আইডি কার্ড: আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইস্যু করা আইডি কার্ড শনাক্তকরণের উদ্দেশ্যে দরকার হবে।
স্টেশনারি: একাধিক কলম, পেন্সিল, একটি ইরেজার, একটি শার্পনার এবং আপনার প্রয়োজন হতে পারে এমন অন্য কোনো স্টেশনারি আইটেম সাথে করে আনুন৷
ক্যালকুলেটর (যদি অনুমতি দেওয়া হয়): যে বিষয়গুলির জন্য গণনার প্রয়োজন, আপনার ক্যালকুলেটরটি অনুমোদিত এবং সঠিকভাবে কাজ করছে তা নিশ্চিত হয়ে তারপর নিয়ে আসবেন।
0 notes
Text
পারিবারিক পেনশন কে কে পাবে ? বিস্তারিত জানুন ?
পারিবারিক পেনশন কে কে পাবে ?
পেনশন সহজীকরণ আদেশ, ২০২০ এর সংযোজনী-১৯ অনুযায়ী পারিবারিক পেনশন কে কে পাবে এবং কোন সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারি মারা গেলে মৃত ব্যক্তির পেনশন ও অনুতোষিক প্রদান সংক্রান্ত বিধান ও পেনশন প্রদানের উদ্দেশ্যে পরিবারের সংজ্ঞা কি, পেনশনা মারা গেলে তার পারিবারিক পেনশন পরিবারের কোন সদস্যে অগ্রাধিকার পাবে এবং ১ম অগ্রাধিকারী ব্যাক্তি পাওয়া না গেলে তারপর পরিবারের কোন ব্যাক্তি অগ্রাধিকার পাবে , ২য় অগ্রাধিকার ব্যাক্তি পাওয়া না গেলে তারপর পরিবারের কোন সদস্য পেনশন ও অনুতোষিক প্রাপ্য হবে অর্থাৎ মৃত ব্যক্তির পেনশন কে পাবে তার বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই পোস্টে।
মৃত ব্যক্তির পেনশন কে পাবে ?
#কোন সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারি মারা গেলে মৃত ব্যক্তির পেনশন ও অনুতোষিক প্রদান করার জন্য কর্মকর্তা/কর্মচারির পরিবার মৃত ব্যক্তির পেনশন প্রাপ্য হবে। এখানে পরিবার এর সদস্য বলতে বুঝায়:
#পুরুষ কর্মকর্তা/কর্মচারির ক্ষেত্রে স্ত্রী/স্ত্রীগণ;
#মহিলা কর্মকর্তা/কর্মচারির ক্ষেত্রে স্বামী;
#কর্মকর্তা/কর্মচারির সন্তান; এবং
#কর্মকর্তা/কর্মচারির মৃত ছেলের বিধবা স্ত্রী/স্ত্রীগণ এবং সন্তান ।
#সন্তান বলতে বৈধ সন্তান ও সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় আইন অনুযায়ী স্বীকৃত পালক সন্তান ।
#আইনগতভাবে বিচ্ছেদপ্রাপ্ত স্ত্রী বা কর্মচারীর ধর্মীয় বা গোষ্ঠিগত প্রথা অনুযায়ী রক্ষণাবেক্ষণ প্রাপ্য নয় এমন স্ত্রী কর্মচারীর পরিবারের অন্তর্ভুক্ত হবে না। তবে কর্মচারী উক্ত স্ত্রীকে পরিবারের অন্তর্ভুক্ত থাকবে মর্মে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা/অফিস প্রদানকে অবহিত করলে, সে পরিবারের অন্তভুর্ক্ত হবে ।
#স্বামী পরিবারের অন্তর্ভুক্ত হবে না মর্মে স্ত্রী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা/অফিস প্রধানকে অবহিত করলে উক্ত স্বামী মহিলা কর্মচারীর পরিবারের সদস্য হিসাবে গণ্য হবে না । পরিবারের সদস্যদের ছাড়া আত্মীয়বর্গের মধ্যে পেনশন কারা পাবে ?
#আনুতোষিক ও পেনশন প্রদানের উদ্দেশ্যে আত্মীয়বর্গের সংজ্ঞা (পেনশন সহজীকরণ আদেশ, ২০২০ এর সংযোজনী-১ অনুযায়ী কর্মচারীর মৃত্যুতে আনুতোষিক ও মাসিক পেনশন প্রদানের উদ্দেশ্যে কর্মচারীর নিম্নলিখিত আত্মীয়বর্গ অন্তর্ভুক্ত হবে:
#নিজের ভাই;
#নিজের বোন;
# পিতা;
#মাতা।
বিস্তারিত জেনে নিনঃ
0 notes
Text
রাঙা | মাহিন – আল বিরুণী
যখন তোর হাতের স্পর্শ নকশা সাজায়। সবুজ এ মন কবি হয়ে যায়। মেহেদীর রঙ এলে, আঁখি দেয় স্বপ্ন মেলে। ধরে মারিস, দুষ্টু বলে! কাছে আসিস, খোলা চুলে। কথা কথা অনেক কথা। হাতে মিলাস কপাল রেখা। ছেলেটা আমি বাদোর স্বভাব, তোরও দেখি দিদিমণি ভাব। তোর মা আমাকে দেখলে তাড়াই, জানেন সে, আমি যে জামাই। আয় চলে আয় রাঙা হাতে। টিপ দিলে তোকে বউ বউ লাগে।
মার্চ ২০২০। সুলতানাবাদ, রাজশাহী
0 notes
Text
২৪ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫০ কোটি ডলার
গত বছরের ১ থেকে ২৪ জুলাই দেশে বৈধ পথে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৫৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার। চলতি মাসে একই সময়ে এসেছে ১৫০ কোটি ডলার। এর মধ্যে প্রথম ১৮ দিনে এসেছিল ১৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার। আর ১৯ থেকে ২৪ জুলাই ছয় দিনে এসেছে ৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এর আগে গত জুনে ২৫৪ কোটি ডলার আয় দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। জুনে দেশে যে পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছিল, তা একক কোনো মাসের হিসাবে গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বশেষ ২০২০…
0 notes
Text
জনজীবনের ওপর ইন্টারনেটের ঘা
করোনার সময় লিখেছিলাম, ইন্টারনেট নির্ভরতার কাল। ২০২০-২১ সালে করোনাভাইরাসের প্রকোপের সময় ঘরে আবদ্ধ মানুষকে শান্তি দিয়েছিল ইন্টারনেট। কিন্তু এখন মানুষের উভয় সংকট– ঘরে নেই ইন্টারনেট, বাইরে কারফিউ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়ার সুযোগ নেই। ইন্টারনেট না থাকায় ঘরে থেকে বোঝার উপায় নেই, বাইরে কী হচ্ছে। ইন্টারনেটের কল্যাণে সংবাদের যে বহুমুখী প্রবাহ ছিল, তাও বন্ধ। ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার রাত ৯টা…
0 notes
Text
বাইডেন-ট্রাম্প বিতর্কের শ্রোতা ২০২০ থেকে ব্যাপক হ্রাস পেয়েছে
1 note
·
View note
Text
'ফার্স্ট ক্লাস’ পেয়ে স্নাতক পাস করলেন শহীদ আবু সাঈদ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদের স্নাতকের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। তিনি সিজিপিএ ৩.৩০ পেয়ে সম্মিলিত মেধাতালিকায় ১৪ তম স্থান অধিকার করেছেন। রবিবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকত আলীর অনুমোদনক্রমে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ,…
0 notes
Text
Login
সর্বশেষ
রাজনীতি
বাংলাদেশ
অপরাধ
বিশ্ব
বাণিজ্য
মতামত
খেলা
বিনোদন
চাকরি
জীবনযাপন
Eng
By using this site, you agree to our Privacy Policy.
OK
ছবি
ভিডিও
ভিডিও
বাংলাদেশ
জলবায়ুর টাকায় সড়কে বাতি বসানোর হিড়িক
পাঁচ বছরে সড়কবাতির প্রকল্প ২০৯টি, ব্যয় ৩৩৮ কোটি টাকা। মোট প্রকল্পের ৬৫% নেওয়া হয়েছে সড়কবাতি বসাতে।
আরিফুর রহমান
ঢাকা
আপডে��: ২৮ মার্চ ২০২৪, ১০: ৪৭
ফলো করুন

চারদিকে পানি; কিন্তু সে পানি পান করার উপায় নেই, লোনা। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার উপকূলের নারীদের তাই বহুদূর থেকে সুপেয় পানি সংগ্রহ করতে হয়।
শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের আড়পাঙ্গাসিয়া গ্রামের শ্রাবণী বিশ্বাস (৩৯) বলছিলেন, তাঁকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে প্রতিদিন দুইবার যাওয়া-আসা করতে হয় সুপেয় পানির জন্য। বাড়ির কাছে একটা ব্যবস্থা হলে এত কষ্ট তাঁকে করতে হতো না।
শ্রাবণীর মতো জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগের শিকার নারীদের জন্য সরকারের একটি তহবিল আছে। নাম ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট (বিসিসিটি)’, যা জলবায়ু তহবিল নামেও পরিচিত। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত, তাঁদের জীবনে বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বিভিন্ন প্রকল্প নিতে এই তহবিল গঠন করা হয় ২০০৯ সালে।
জলবায়ু তহবিলের টাকায় ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৩২২টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২০৯টি সড়কবাতি বসানোর প্রকল্প, যা মোট প্রকল্পের ৬৫ শতাংশ।
আশ্চর্যজনক বিষয় হলো, এই তহবিলের টাকায় এক���র পর এক সৌরবিদ্যুতের সড়কবাতি বসানোর প্রকল্প নেওয়া হয়েছে গত পাঁচ বছরে। যদিও সড়কবাতি বসানোর সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। সরকারও এ ধরনের প্রকল্পকে অগ্রাধিকারে রাখেনি। অন্যদিকে সড়কে জলবায়ু তহবিলের টাকায় বসানো সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল ও বাতি বেশি দিন টিকছেও না।
জলবায়ু তহবিলের টাকায় ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৩২২টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২০৯টি সড়কবাতি বসানোর প্রকল্প, যা মোট প্রকল্পের ৬৫ শতাংশ। এসব প্রকল্পে বরাদ্দ ৩৩৮ কোটি টাকা। ২৩টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে নর্দমা নির্মাণের জন্য। এতে ব্যয় হবে ৪১ কোটি টাকা।
বাকি ৯০টি প্রকল্পের মধ্যে ইকো-ট্যুরিজম, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, মাটির ক্ষয়রোধ, উর্বরতা শক্তির হ্রাস ঠেকানো, জলাশয়ে সবজি ও মসলা চাষ, সারা দেশে বনায়নের লক্ষ্যে চারা উৎপাদন, পরিবেশবান্ধব জলবায়ু-সহনীয় গৃহনির্মাণ, জাতীয় উদ্যানের জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ, নিরাপদ পানি সরবরাহ ইত্যাদি বিষয়ে প্রকল্প রয়েছে।
জলবায়ু তহবিলটি গঠন করা হয়েছিল মূলত অভিযোজনের (জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো) ওপর গুরুত্ব দিয়ে। কিন্তু সড়কবাতি ও নর্দমা নির্মাণের সঙ্গে অভিযোজনের কোনো সম্পর্ক নেই।
সাবের হোসেন চৌধুরী, পরিবেশমন্ত্রী
ADVERTISEMENT
সব মিলিয়ে ২০১৯ সাল থেকে নেওয়া ৩২২টি প্রকল্পে মোট ব্যয় কত তা জান��� সম্ভব হয়নি। তহবিল পরিচালনাকারী ব্যক্তিরা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলছেন না। তবে জানা গেছে, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত তহবিলটির মাধ্যমে ৯৬৯টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ৯৬৮ কোটি টাকা।
জলবায়ু তহবিলের টাকায় কীভাবে সড়কবাতি বসানো ও নর্দমা নির্মাণের মতো প্রকল্প নেওয়া হলো জানতে চাইলে পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, অতীতে যা হয়েছে, তা নিয়ে তিনি মন্তব্য করবেন না। তবে ভবিষ্যতে জলবায়ু তহবিলের টাকায় কোনো সড়কবাতি ও নর্দমা প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, জলবায়ু তহবিলটি গঠন করা হয়েছিল মূলত অভিযোজনের (জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো) ওপর গুরুত্ব দিয়ে। কিন্তু সড়কবাতি ও নর্দমা নির্মাণের সঙ্গে অভিযোজনের কোনো সম্পর্ক নেই।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতির শিকার শীর্ষ দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। অলাভজনক সংস্থা জার্মান ওয়াচের ২০২১ সালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার ১০টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ৭ নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ।
জলবায়ুর টাকায় সড়কবাতি বসানোর এত আগ্রহের কারণ জানতে জলবায়ু পরিবর্তন তহবিল কার্যালয়ের অন্তত পাঁচ কর্মকর্তা ও প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলেন, ‘খাতিরের ভিত্তিতে’ এ ধরনের প্রকল্প দেওয়া হয়। অর্থছাড় পেতে অবৈধ লেনদেন হয়। প্রকল্পের বাস্তবায়নও সহজ। সাধারণ মানের সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল কিনে একটি খুঁটি গেড়ে সেটি বসিয়ে দিলেই হলো। কাজ সহজ হলেও মুনাফা অনেক বেশি। অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজনবিষয়ক প্রকল্প নিতে প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করা ঝামেলাপূর্ণ। বাস্তবায়ন করাও কঠিন। কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একেকটি সড়কবাতি বসাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছিল বছরভেদে সোয়া লাখ টাকা থেকে পৌনে দুই লাখ টাকা। ভালোমানের সৌর প্যানেল, ব্যাটারি ও খুঁটির দাম এখন ৬০ হাজার টাকার আশপাশে।
২০২০ সালের নভেম্বরে সাতটি প্রকল্প নিয়ে এক গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) জানায়, ওই সাত প্রকল্পের অর্থের ৫৪ শতাংশের বেশি অর্থ আত্মসাৎ ও অপচয় হয়েছে। সাতটি প্রকল্পই রাজনৈতিক সুপারিশের ভিত্তিতে অনুমোদন পেয়েছে। এর মধ্যে তিনটি প্রকল্প অনুমোদনে তৎকালীন একজন মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারীকে ১০ শতাংশ অর্থ অগ্রিম ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
জয়বায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় প্রকল্প নিতে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থে জলবায়ু তহবিল গঠন করে। তহবিল পরিচালনায় পরের বছর একটি আইন করা হয়।
১০ মন্ত্রী, ৫ সচিবের বোর্ডে অনুমোদন
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতির শিকার শীর্ষ দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। অলাভজনক সংস্থা জার্মান ওয়াচের ২০২১ সালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার ১০টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ৭ নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ।
জয়বায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় প্রকল্প নিতে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থে জলবায়ু তহবিল গঠন করে। তহবিল পরিচালনায় পরের বছর একটি আইন করা হয়। আইনের আওতায় তহবিল পরিচালনায় একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডের চেয়ারম্যান পরিবেশমন্ত্রী। সদস্য হিসেবে অর্থমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রীসহ ১০ জন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঁচজন সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরও রয়েছেন ওই বোর্ডে। তহবিলের আওতায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয় এই বোর্ড।
দরকার ছিল বলেই সড়কবাতির প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
শাহাব উদ্দিন, বিগত পরিবেশমন্ত্রী
২০২৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ট্রাস্ট্রি বোর্ডের একটি সভা হয়। এতে ৬৯টি প্রকল্প অনুমোদন পায়। যার মধ্যে ৫৭টি ছিল সড়কবাতির। সড়কবাতির প্রকল্পগুলোতে মোট ব্যয় হবে ৮৫ কোটি টাকা। সর্বশেষ বৈঠকটি হয় গত অক্টোবরে। সেখানে অনুমোদন দেওয়া হয় ৪৭টি প্রকল্প, যার ৩২টি সড়কবাতির। এসব সড়কবাতির প্রকল্পের ব্যয় ৫২ কোটি টাকা।
জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জয়নাল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের কাজ প্রকল্পগুলো ট্রাস্টি বোর্ডের বৈঠকে তোলা। কোন প্রকল্প অনুমোদন পাবে, তা ঠিক করে বোর্ড।
বিগত সরকারে পরিবেশমন্ত্রী ছিলেন শাহাব উদ্দিন। তিনি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর মেয়াদকালেই সড়কবাতির প্রকল্প বেশি নেওয়া হয়েছে। কেন জানতে চাইলে তিনি বুধবার (২০ মার্চ) প্রথম আলোকে বলেন, দরকার ছিল বলেই সড়কবাতির প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সড়কবাতি বসানো ও নর্দমা নির্মাণের কোনো সম্পর্ক নেই। বিগত পাঁচ বছরে সড়কবাতি ও নর্দমার বহু প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, যা অনুমোদন করাই উচিত হয়নি।
আইনুন নিশাত, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও জলবায়ুবিশেষজ্ঞ
অবশ্য জলবায়ু তহবিলের টাকা কোথায় খরচ হবে তা ২০০৯ সালে করা জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল ও কর্মপরিকল্পনায়ই (বিসিসিএসএপি) বলা আছে। সেখানে অভিযোজনের পাঁচটি খাতে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। অগ্রাধিকার পাওয়া খাতগুলো হলো খাদ্যনিরাপত্তা, সামাজিক সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য, সমন্বিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো, গবেষণা ও জ্ঞান ব্যবস্থাপনা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি। কম গুরুত্ব দেওয়া হয় কার্বন নিঃসরণ কমানোসহ প্রশমনে, অর্থাৎ জলবায়ু পরিবর্তন কমানোর কাজে।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় অভিযোজন বলতে বাঁধ নির্মাণ, সুপেয় পানি সরবরাহ, লবণসহিষ্ণু ফসলের বীজ উৎপাদন, ভাসমান সবজি চাষের মতো প্রকল্প এবং প্রশমন বলতে সড়কব��তি, রেস্ট হাউস, নর্দমা নির্মাণের মতো প্রকল্পকে বোঝানো হয়। প্রশমনকে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়। যদিও দেখা যাচ্ছে, প্রকল্পের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাচ্ছে প্রশমন।
বোর্ডের সদস্যদের একজন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও জলবায়ুবিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সড়কবাতি বসানো ও নর্দমা নির্মাণের কোনো সম্পর্ক নেই। বিগত পাঁচ বছরে সড়কবাতি ও নর্দমার বহু প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, যা অনুমোদন করাই উচিত হয়নি।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৯ সালের আগে সুপেয় পানি ও বাঁধ নির্মাণের মতো অভিযোজন খাতের প্রকল্পগুলো গুরুত্ব পেত। এরপর থেকে সড়কবাতি ও নর্দমা নির্মাণের মতো প্রকল্প বেশি নেওয়া হচ্ছে। সুপেয় পানির সংকট কাটানোর মতো প্রকল্প কম। যেমন সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট রয়েছে। তবে উপজেলা দুটিতে সেই সংকট দূর করতে পাঁচ বছরে জলবায়ু তহবিলের আওতায় কোনো প্রকল্প নেওয়া হয়নি।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া আতা���ল হক গত শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, শ্যামনগরে সুপেয় পানির সংকট দূর করার প্রকল্পের জন্য জলবায়ু তহবিল থেকে টাকা পেতে অনেক চেষ্টা করেছি। তবে টাকা পাইনি। তিনি বলেন, সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি সুপেয় পানির প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
বাতি জ্বলে না
জলবায়ু তহবিলের টাকায় বসানো সড়কবাতি কতটা আলো দিচ্ছে, তা দেখতে প্রথম আলোর ছয় প্রতিনিধি ছয়টি পৌরসভা ঘুরে দেখেন—চুয়াডাঙ্গা, যশোরের চৌগাছা, কক্সবাজার, নোয়াখালী, নওগাঁ ও পিরোজপুর। সেসব স্থানে দেখা যায়, কোথাও কোথাও বছর না ঘুরতেই সৌরবিদ্যুতের প্যানেল অকেজো হয়ে গেছে। অনেক বাতি জ্বলে না। কোথাও সূর্যাস্তের পর বাতি জ্বলে উঠলেও কয়েক ঘণ্টা পর তা নিভে যায়। যদিও সৌরবিদ্যুতের প্যানেল পাঁচ বছর টেকার কথা। বাতি সারা রাত জ্বলার কথা।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় ২০১৯ ও ২০২২ সালে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কবাতি বসানোর দুটি প্রকল্প নেওয়া হয়। পৌরসভাটি ঘুরে দেখা যায়, ইস্পাতের খুঁটি, সৌর প্যানেল, ব্যাটারি ও বাতি আছে। তবে বেশির ভাগ বাতি জ্বলে না, আলো পাওয়া যায় না। পৌরসভাটির মেয়র জাহাঙ্গীর আলম সড়কবাতি নিয়ে হতাশা জানিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, অনেক বাতি অচল। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য অনেকাংশেই ব্যাহত হয়েছে।
কক্সবাজার পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডে দুই বছর আগে সৌরবিদ্যুতের ১৫০টি বাতি বসানো হয়েছিল। এর মধে৵ ৩০টির বেশি সৌর প্যানেল এখন অকেজো। বাতি জ্বলে না।
কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সমিতিপাড়া জামে মসজিদের সামনে গিয়ে গত শনিবার দেখা যায়, ফটকের পাশে বসানো সৌর প্যানেলটি অকেজো। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আকতার কামাল প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর এলাকায় আটটি সৌর প্যানেল স্থাপন করা হয়। চারটি অচল হয়ে আছে। বরাদ্দ না থাকায় (মেরামতের টাকা) সচল করা যাচ্ছে না।
২০২০ সালে গোপালগঞ্জ পৌর এলাকায় সৌরবিদ্যুতের সড়কবাতি বসানোর প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রকল্পটি সরেজমিন দেখতে যান জলবায়ু পরিবর্তন তহবিলের সহকারী পরিচালক মোস্তফা রায়হান। তিনি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) অনুমোদিত নকশা ও মানদণ্ড অনুযায়ী সড়কবাতি বসানো হয়নি। পরীক্ষা করে দেখা গেছে, বাতিগুলোর সক্ষমতা নির্দিষ্ট মানের অর্ধেক।
মোস্তফা রায়হান প্রতিবেদনে আরও লিখেছেন, অনেক জায়গায় বাতি চুরি হয়ে গেছে, কোথাও সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল খুলে অন্যত্র লাগানো হয়েছে, কোথাও ছায়ার মধ্যে বসানো হয়েছে, কোথাও বাতি জ্বলে না।
বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছিলেন মুহিত
জলবায়ু তহবিলের টাকায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৫ সালের এপ্রিলে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের সব সদস্যের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘তহবিলটি যেভাবে চলছে, তাতে এটি আর রাখার কোনো যৌক্তিকতা দেখি না।’
যদিও পরে তহবিল বন্ধ না করে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে তহবিলটিতে বছরে ৫০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হতো। ২০১৫ সালের পর থেকে তা কমিয়ে ৫০-১০০ কোটি টাকায় আনা হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ১০০ কোটি টাকা।
সরকারের তহবিল, শত শত প্রকল্প, সড়কবাতি—এসব সম্পর্কে জানেন না শ্যামনগরের শ্রাবণী বিশ্বাস। তিনি শুধু জানেন, সন্তানদের পানি পান করাতে তাঁকে প্রতিদিন তিন কিলোমিটার দূরে যেতে হবে। শ্রাবণী প্রথম আলোকে বলছিলেন, ১৩ বছর ধরে তিনি পানি টানছেন। দিনে গড়ে পাঁচ ঘণ্টা সময় যায়। তাঁর প্রশ্ন, ‘তাহলে কও দেখি (পানি টানার পেছনে) জীবন থেকে কত বছর চলে গেল।’
[প্রতিবেদনটি তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার ও নোয়াখালী, প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা, নওগাঁ ও পিরোজপুর এবং যশোর অফিস।]
1 note
·
View note