#সইও
Explore tagged Tumblr posts
Link
0 notes
Text
কেন ১৯:২৯ সময়টাই বাছলেন মাহি, জানালেন সিএসকে সিইও
কেন ১৯:২৯ সময়টাই বাছলেন মাহি, জানালেন সিএসকে সিইও
[ad_1] চেন্নাই, ১৬ আগস্ট – রিসার্চের জন্য ভবিষ্যতে তাঁর ��িমশীতল মস্তিষ্ক কোনও ল্যাবরেটরিতে কাঁটাছেড়া হবে কীনা জানা নেই, তবে তাঁর সিদ্ধান্তগুলো সবসময় থেকেছে চর্চার শিরোনামে। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সন্ন্যাসটাও এমনভাবে নিলেন শনিবার, তাতে আরও একবার বলতেই হয় ধাঁধাঁর চেয়েও জটিল তুমি মহেন্দ্র সিং ধোনি।
অন্যান্যদের মতো প্রেস কনফারেন্সের ত্রিসীমানাতেও গেলেন না। স্বাভাবিকভাবেই অবসর ঘোষণায় জাঁকজমকের…
View On WordPress
0 notes
Text
অব্যাহত ট্যুইটার-ট্রাম্প সংঘাত, নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য নজরে আনবই, জানালেন ট্যুইটার সিইও
অব্যাহত ট্যুইটার-ট্রাম্প সংঘাত, নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য নজরে আনবই, জানালেন ট্যুইটার সিইও
নয়াদিল্লি:ট্যুইটার-ট্রাম্প সংঘাত এখনও অব্যাহত। এবার এক ধাপ এগিয়ে ট্যুইটার সিইও জ্যাক ডোরসে নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থেকে বললেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হচ্ছে। সেটা নজরে এনে তিনি ঠিকই করেছেন। ডোরসে পাল্টা ট্যুইটে লিখেছেন, ‘‘আমরা নির্বাচন সংক্রান্ত ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য বিশ্বের নজরে আনতেই থাকব। একে “সত্যের সালিশী”
View On WordPress
#Dorsey#Trump Vs Twitter#US president#অবযহত#আনবই#জনলন#টযইটর#টযইটরটরমপ#তথয#নজর#নয#নরবচন#বভরনতকর#সইও#সঘত
0 notes
Text
ছেঁড়া স্টাইলের জিন্স পরে আসা যাবে না! কলকাতার কলেজে পোশাক বিতর্ক
ছেঁড়া স্টাইলের জিন্স পরে আসা যাবে না! কলকাতার কলেজে পোশাক বিতর্ক
ডেস্ক রিপোর্ট : কলেজে টর্ণ বা ছেঁড়া স্টাইলের জিন্স পরে আসা যাবে না। কলেজ কর্তৃপক্ষ আদেশ অমান্য হলেই টিসি ধরিয়ে দেবে। এমনই নোটিস জারি করেছে কলকাতার আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু কলেজ। নোটিসের নিচে অধ্যক্ষের সইও রয়েছে। তবে, এই ঘটনায় অনেকেই কর্ণাটকের হিজাব বিতর্কের গন্ধ খুঁজে পাচ্ছেন। এদিকে এই নোটিস চোখে পড়তেই ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্য়ে অসন্তোষ দেখা গিয়েছে। মুশকিলটা হচ্ছে হালের ডিজিটালাইজেশনের যুগে জিন্সে…
View On WordPress
0 notes
Text
মরক্কো ও ইসরায়েলের মধ্যে তিন চুক্তি
মরক্কো ও ইসরায়েলের মধ্যে তিন চুক্তি
ডিসেম্বরে মরক্কো ও ইসরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু হয়েছে। গত মাসের শেষ দিকে সরাসরি বিমান যোগাযোগও চালু হয়। এখন পর্যন্ত সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে বৃহস্পতিবার মরক্কোতে নিজেদের দূতাবাস উদ্বোধন করবেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াইর লাপিদ। ইতিমধ্যে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে। সেখানে তিনটি চুক্তি সইও হয়েছে। এতে রয়েছে মরক্কো ও ইসরায়েলের মধ্যে বিমান চলাচল সংক্রান্ত চুক্তি এবং…
View On WordPress
0 notes
Photo
New Post has been published on https://paathok.news/122850
সেতুমন্ত্রীর এপিএস পরিচয়ে প্রতারণা, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
.
এমপি-মন্ত্রী-পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সখ্য ছিল ঢাকা কলেজে পড়ার সময়ে ছাত্রলীগ করার কারণে। এরপর তো তিনি দাবি করতেন ছাত্রসংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটিতে আছেন বলেন। এসময় এমপি-মন্ত্রী-পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছবি তুলে তা দিতেন ফেসবুকে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে তোলা একটি গ্রুপ ছবি ‘ভালোবাসার শেষ ঠিকানা…’ ক্যাপশনে একাধিকবার ফেসবুকে পোস্টও করেছেন সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা। সরকারি বিভিন্ন দফতরে গিয়ে নিজেকে পরিচয় দিতেন সেতুমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) হিসেবে। আর এসবের মধ্যেই চলছিল তার তদবির বাণিজ্য ও টেন্ডারবাজি। যার মাধ্যমে মোজাম্মেল হক ইয়াছিন (৩৩) হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এপিএস পরিচয় দিয়ে তার (মন্ত্রীর) সিল ও সই জালিয়াতির ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়েন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক এ সদস্য। এখন শ্রীঘর-ই মোজাম্মেলের ঠিকানা।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের জাউলহাটী চৌরাস্তা এলাকার ৭৭৩ নম্বর বাসায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক মোজাম্মেল হক ইয়াছিনকে (৩৩) গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের কোতয়ালী জোনাল টিম। এই ঘটনায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উচ্চমান সহকারী (প্রশাসন শাখা) এস এম আবুল কালাম বাদী হয়ে রাজধানীর শেরে বাংলানগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। প্রতারক মোজাম্মেল নেত্রকোনার মদন উপজেলার বনতিয়শ্রী গ্রামের আ. রশিদের ছেলে।
গত ১৭ নভেম্বর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সহকারী প্রধান প্রকৌশলী মাহবুব ইমাম মোরশেদ এর কাছে অধিদপ্তরের অস্থায়ী কার্য-সহকারী পদে মো. মাঈন উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির জন্য চাকরির সুপারিশ নিয়ে যায় প্রতারক মোজাম্মেল হক। এক পৃষ্ঠার ওই আবেদনপত্রের উপরে সবুজ কালি দিয়ে লেখা ছিল ‘সদয় বিবেচনা করিয়া অস্থায়ী কার্য-সহকারী পদে চাকরি দেওয়া জন্য জোর সুপারিশ করছি। ’ সেখানে সেতুমন্ত্রীর সই এবং মন্ত্রীর নাম সম্বলিত সিল দেওয়া ছিল। যদিও এই সিল ও সই দুটোই জাল (ভুয়া) ছিল।
সেতুমন্ত্রীর সুপারিশ দেখেই এলজিইডি অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মাহবুব ইমাম মোরশেদ দ্রুতই আবেদনপত্রটি ফরওয়ার্ড করে দিয়েছিলেন। কিছুদিন পরে প্রতারক প্রকৌশলীকে সেতুমন্ত্রীর এপিএস পরিচয় দিয়ে ফোন করেন। এরপর সন্দেহ জাগলে সেতুমন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেন মাহবুব ইমাম। এরপর তিনি বুঝতে পারেন, মোজাম্মেল হক একজন প্রতারক।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সহকারী প্রধান প্রকৌশলী মাহবুব ইমাম মোরশেদ বলেন, মাসখানেক আগে মোজাম্মেল হক সেতুমন্ত্রীর এপিএস পরিচয় দিয়ে আমার দফতরেই এসেছিলেন। সেতুমন্ত্রীর সুপারিশ করা একটি চাকরির আবেদনপত্র দিয়ে বলেছিলেন, মন্ত্রীমহোদয় এই কাজটি করে দিতে বলেছেন। তার কিছুদিন পর সে মোবাইল ফোনেও এপিএস পরিচয় দিয়ে তদবির করেন। তার চালচলন ও কথাবার্তায় সন্দেহ হলে, সংশ্লিষ্ট দফতরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি এই নামে সেতুমন্ত্রীর কোনো এপিএস নেই। তিনি একজন প্রতারক। পরে তাকে বুঝতে না দিয়ে বিষয়টি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে জানাই। এরপর তদন্ত করে তারা প্রতারক মোজাম্মেল হককে গ্রেফতার করেছে।
গোয়েন্দা পুলিশের তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতারক মোজাম্মেল নিজেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক বলে পরিচয় দিতেন। এছাড়াও ছাত্রলীগের সোহাগ-জাকিরের কমিটিতে তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে স্থান পান বলেও সবার কাছে বলে বেড়াতেন। ২০১৪ সালে মাস্টার্স শেষ করেন তিনি। ঢাকা কলেজে পড়লেও মানুষের কাছে বলতেন সে ঢাকা বিশ্ববিদ্��ালয়ের ছাত্র ও ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। ফেসবুকে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ছবি পোস্ট দিয়ে সবার কাছে নিজেকে ক্ষমতাধর হিসেবে প্রচার শুরু করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দাওয়াত কার্ডের ছবি তুলে সেটিও ফেসবুকে দিয়েছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছবি তুলে তা ফেসবুকে দিতেন এই প্রতারক। এসবের উদ্দেশ্য ছিল ছবিগুলো বিভিন্ন মানুষকে দেখিয়ে তদবির করা। কাজ হওয়ার আগেই মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেন প্রতারক মোজাম্মেল। এভাবে তদবির বাণিজ্য করে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন তিনি। এছাড়াও প্রতারণার মাধ্যমে তদবির করে হাতিয়ে নেওয়া বিপুল অর্থে কামরাঙ্গীরচরে একটি বাড়ির নির্মাণ করছেন।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, প্রতারক মোজাম্মেল হক নিজেকে ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে আসছিলেন। এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সোহাগ-জাকিরের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় গ্রেফতার মোজাম্মেল হক কোনো কমিটিতেই ছিলেন না। তারা আসামি মোজাম্মেল হককে দেখে চিনতেও পারেন নি।
এবিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. সাইফুর রহমান আজাদ বলেন, সেতুমন্ত্রীর সিল ও সই জালিয়াতির ঘটনায় এলজিইডি অধিদপ্তর থেকে পাওয়া একটি অভিযোগে�� ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালিয়ে কামরাঙ্গীরচর এলাকার বাসা থেকে মোজাম্মেলকে গ্রেফতার করি। সে সরকারি বিভিন্ন দফতরে গিয়ে নিজেকে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এপিএস পরিচয় দিতেন। চাকরির সুপারিশ, বদলিসহ বিভিন্ন তদবির করতেন। সর্বশেষ এলজিইডি অধিদপ্তরে এক প্রকৌশলীর কাছে এপিএস পরিচয় দিয়ে চাকরির সুপারিশ করেছিলেন এই প্রতারক। এমনকি ওই সুপারিশের মধ্যে থাকা সেতুমন্ত্রীর সিল ও সইও তারই করা জালিয়াতি ছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর একান্ত সচিব গৌতম চন্দ্র পাল গণমাধ্যমকে বলেন, বুধবার ডিবি পুলিশের একজন কর্মকর্তার কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরেছি। মোজাম্মেল হক ইয়াছিন নামে স্যারের (সেতুমন্ত্রী) কোনো এপিএস নেই। তাদের মাধ্যমেই জেনেছি, ওবায়দুল কাদের স্যারের সিল ও সই জালিয়াতি করেছে এই লোক। যদি তিনি অপরাধ করে থাকেন তবে আইন অনুযায়ী তার সঠিক বিচার হোক এটাই আমরা গোয়েন্দা পুলিশকে বলে দিয়েছি।
0 notes
Text
লালহলুদে বলবন্ত সিং
New Post has been published on https://sentoornetwork.com/balwant-singh-joined-east-bengal/
লালহলুদে বলবন্ত সিং
নিজস্ব সংবাদদাতা: আই লিগের শেষের দিকে বলবন্ত সিংকে নেওয়ার কথা ভাবনার মধ্যে ছিল লালহলুদ কর্তাদের। লকডাউনের মধ্যেই ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তারা দল গোছাতে শুরু করে দিয়েছেন। বেশ কয়েকজন ফুটবলারের সঙ্গে কথাও নাকি হয়েছে বলে জানা গেছে। আগামী মরশুমের জন্য নাকি চূড়ান্ত বলবন্ত সিং। গড়েরমাঠের খবর প্রাথমিক চুক্তিতে নাকি সইও করে দিয়েছেন বলবন্ত সিং। তবে সূত্রের খবর, এটিকের এই স্ট্রাইকার নাকি শর্ত রেখেছেন ইস্টবেঙ্গল আইএসএল খেললে তবেই নাকি তিনি লালহলুদ জার্সি গায়ে দেবেন।
ছবি: গুগল আরও পড়ুন:মুখোশ
0 notes
Photo
ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচতে প্রচুর টাকা ঢেলেছেন রোনালদো! ২০০৯ সালের ধর্ষণ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে প্রায় ১৪ লাখ ডলার খরচ করতে হয়েছিল। কেবল আইনজীবীদের সমন্বয়ে গড়া একটি দলই নিয়েছিল ১০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যেটি ৮ কোটি টাকারও বেশি এদিক দিয়ে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডগুলোর জুড়ি মেলা ভার। বেশ গালভরা নাম দিয়েছে তারা: রন’স আর্মি! ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যে রীতিমতো একটা বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন ধর্ষণ মামলা থেকে নিজেকে বাঁচাতে আর ভাবমূর্তি রক্ষা করতে। তা কে ছিল না সেই বাহিনীতে? আইনজীবী তো সর্বাগ্রে। ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা, চিকিৎসক। এমনকি ছিলেন একজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ। গোয়েন্দা ছিলেন। সংবাদপত্রের ��ুনিয়া ভালো বোঝেন—এমন জনসংযোগ কর্মকর্তাও। এঁদের পেছনে ১০ লাখ ডলার গুনতে হয়েছে রোনালদোকে। আর যাঁকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ, সেই মডেল ক্যাথরিন মায়োরগাকে এর আগে প্রায় পৌনে চার লাখ ডলার দিতে হয়েছিল রোনালদোকে। মিলিয়ন ডলার কামানো ফুটবলারকে আক্কেলসেলামিও মিলিয়ন ডলারেই গুনতে হয় দেখা যাচ্ছে। দ্য মিরর দিয়েছে এই খবর। ট্যাবলয়েডটি লিখেছে, ঘটনা বেগতিক হতে পারে বুঝতে পেরে রোনালদোর শুভাকাঙ্ক্ষীরা অবিশ্বাস্য দ্রুততায় অনেকটা থ্রিলার উপন্যাসের কায়দায় বিশ্বের বাঘা বাঘা লোক জড়ো করতে শুরু করে। ব্রিটেন, আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল, যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই লোকদের মোটা অঙ্কের বিনিময়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। মায়োরগা সে সময় ক্ষতিপূরণ হিসেবে যা পেয়েছেন, এঁরা পেয়েছেন তার তিন গুণ! রিচার্ড ব্রাইট নামের এক আইনজীবী ঘণ্টা মেপে টাকা নিতেন। ঘণ্টায় যে অঙ্কটা ছিল ৪৭৫ ডলার। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ঘণ্টায় নিতেন ৩৫০ ইউরো। একজন চিকিৎসক এককালীন ২ হাজার ৫০০ ডলার নিয়েছেন। এবার খরচের বৃত্তান্তও ফাঁস করে দিল ডার স্পিগেল। কিন্তু তাতেও তো শেষ রক্ষা হলো না। এতে নাকি রোনালদোর মাথায় এখন আগুন। মামলার গতিপ্রকৃতি যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে ���োনালদোর ব্যাংক হিসাব থেকে স্রোতের মতো আরও গুচ্ছের টাকা বের হয়ে যাবে বলেই মনে হচ্ছে। কারণ, ২০০৯ সালে ১৫ লাখ ডলারের কাছাকাছি খরচ করেও রোনালদো পার পাননি। আবার নতুন করে বিষয়টি চলে এসেছে আলোচনায়। আর এই ঘটনায় ধীরে ধীরে রোনালদো-পক্ষের পায়ের নিচ থেকেই মাটি সরে যাচ্ছে। এখন রোনালদোর আইনজীবীরা দাবি করছেন, দুই পক্ষের সমঝোতায় যে যৌন সম্পর্ক হয়, তাকে ধর্ষণ বলা চলে না। জার্মান পত্রিকা ডার স্পিগেল গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে ধর্ষণের এই ঘটনা নিয়ে খবর করে। এও জানানো হয়, মায়োরগা আবার নতুন করে মামলা করছেন। তখন রোনালদোর পক্ষ থেকে এই খবর সর্বৈব মিথ্যা বলে দাবি করা হয়। এমনকি জার্মান পত্রিকার বিরুদ্ধে মানহানি মামলার হুমকিও দেওয়া হয়। কিন্তু পত্রিকাটি নিজেদের খবরে অটল থাকে। শুধু তা-ই নয়, এরপর ২০০৯ সালে রোনালদো ও মায়োরগার আইনজীবীদের মধ্যে সম্পাদিত সমঝোতা চুক্তির নথিও ফাঁস করে দেয়। রোনালদোর আইনজীবীরা এখন দাবি করছেন, এসব প্রমাণপত্র বানোয়াট। ২০০৯ সালে সে সময়ের বিশ্ব রেকর্ড গড়ে দলবদল করে রোনালদো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে রিয়াল মাদ্রিদে চলে আসেন। নতুন ক্লাবে নতুন মিশন শুরুর আগে ফুরফুরে মেজা��ে মৌসুমের আগের ফাঁকা সময়টা তিনি কাটিয়েছেন লাস ভেগাসে। সে বছর ১২ জুন এক নৈশ ক্লাবে দেখা হওয়ার পর পরদিন পামস ক্যাসিনো রিসোর্টে এক পার্টিতে মায়োরগাকে বান্ধবীসহ ডেকে আনেন রোনালদো। দাবি করা হচ্ছে, সেখানেই মায়োরগাকে যৌন হয়রানি ও একপর্যায়ে ধর্ষণ করেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। সে সময় মায়োরগা পুলিশেও অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মায়োরগা তাঁর আইনজীবীর পরামর্শে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণে সমঝোতা করেন। কখনো তিনি এই তথ্য কখনো প্রকাশ করবেন না—এই শর্তে চুক্তিনামায় সইও করেন। তবে বর্তমানে শিক্ষকতার পেশায় যুক্ত মায়োরগার আইনজীবী দাবি করেছেন, নয় বছর ধরেই তাঁর মক্কেলকে পিছু তাড়া করেছে এই ঘটনা। মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে তিনি নাকি আত্মহত্যার চিন্তাও করেছিলেন! এখন সুবিচার চাইতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। মিররের খবরে দাবি করা হয়েছে, রোনালদো নয় বছর আগের এই ঘটনা শেষ পর্যন্ত ধামাচাপা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ওই আইনজীবী দলের ওপর চটেছেন। কম টাকা তো আর তাঁরাও কামাননি। তবে রোনালদোকে এই বলে শান্ত করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, সে সময়ে এমন পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আজকের তারকা ফুটবলার হওয়াই হতো না রোনালদোর। রিয়ালে ক্যারিয়ার শুরুর সময়ে এমন ঝামেলায় জড়িয়ে নেতিবাচক খবরে শিরোনাম হতে থাকলে কে জানে হয়তো ক্যারিয়ারও বরবাদ হয়ে যেতে পারত তাঁর।
0 notes
Text
টেলিভিশন জগৎ থেকে হারিয়ে যাচ্ছেন কপিল শর্মা
কমেডি কিংখ্যাত কপিল শর্মা এখন বিনোদনজগতের এক আলোচিত নাম। তার সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছেনা। ইন্ডিয়ান এক চ্যানেলে প্রচারিত কমেডি শো তে এই বিখ্যাত কমেডিয়ান উপস্থাপনা করেন। কিন্তু বেশ কদিন ধরেই এই উপস্থাপক কে আর নিয়মিত দেখা যাচ্ছেনা। হুট করেই সবার আড়ালে যাওয়া এই অভিনেতা-উপস্থাপক কে ঘিরে তৈরি হয়েছে অনেক কাহিনী। বিনোদনধর্মী দের অনেকেরই ধারণা, টেলিভিশন জগৎ থেকে হারিয়ে যেতে যাচ্ছেন এই কমেডিয়ান কপিল শর্মা। বেশ কয়েকবছর ধরেই কমেডি শো এর কারণে বেশ আলোচিত ছিলেন তিনি। এক অজানা অনাহূত কারণে ব্যাপক সাফল্য পাওয়া এই শো ছেড়ে চলে গেছেন একাধিক তারকা। এই কমেডিয়ানের অনুপস্থিতিতে এই শো এর সঙ্গী হয়েছিলেন আরেক শক্তিশালী কমেডিয়ান ভারতী সিং। কিন্তু বর্তমান গুজব, তিনিও না কি এই আলোচিত শো ছেড়ে দিয়েছেন। গত ১৬ মার্চ অস্ট্রেলিয়া থেকে মুম্বাইগামী একটি ফ্লাইটে এই কমেডিয়ান এক অজানা কারণে সুনীল গ্রোভারকে মারধর ও গালাগালি করেছেন। এ কারণে সামাজিক ও সংবাদমাধ্যমে সমালোচনার শিকার হন। এরপর পুরো ঘটনার জন্য তিনি সবার কাছে ক্ষমা চান। তবে কাজ হয় নি এতে। শো তে ফেরেন নি তার সহকর্মীরা। কপিলের ওই শো বাদ দিয়ে তারা নিজেরা একই চ্যানেলে আরেকটি শোয়ের শুটিং শুরু করেছেন।
ওদিকে ‘দ্য কপিল শর্মা শো’য়ের পুর���ো পর্বগুলোই প্রচারিত হচ্ছে টিভিতে। কিন্তু এভাবে আর কতদিন? এই পর্যায়ে শো বাঁচাতে এতে অংশগ্রহণ করেন ভারতী সিং। কিন্তু তিনিও নতুন শো-তে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করতে ত্যাগ করলেন কপিল শর্মাকে। নির্ভরযোগ্য সূত্রের খবর, কপিল শর্মা শোতে যুক্ত হওয়ার অনেক আগেই ভারতী সিং সই করেছিলেন আর এক কমেডি রিয়্যালিটি শো ‘কমেডি দঙ্গল’ –এ। ভারতী সিং যখন এই কপিলের এই শো তে নিজেকে যুক্ত করতে চলেছেন তখনি সাইন করা সেই রিয়্যালিটি শোটি অন এয়ার হতে চলেছে। আর তাতেই দেখা যাবে ভারতীকে। এই শোয়ের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বিচারকের ভূমিকায় দেখা যাবে ভারতী সিংকে। শুধু তিনিই নন, তার সঙ্গে থাকবেন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক অনু মালিক। এই প্রসঙ্গে ভারতী সিং বললেন, ‘যত দিন আমার অন্য শো কমেডি দঙ্গল অন এয়ার হয়নি, ততদিন কপিল শর্মার শোয়ে ছিলাম। আমার কাছে প্রথমে কমেডি দঙ্গলের প্রস্তাব আসে। আমি সইও কর��। তারপর কপিল শর্মা শোয়ের জন্য সই করি। তাই দেখতে গেলে আসলে আমি কপিল শর্মা শো ছেড়ে চলে যাচ্ছি না। যদি কমেডি দঙ্গলের জন্য সই না করতাম, তাহলে কপিল শর্মা শোতেই থাকতাম।’ দেখা যাক, বিনোদন জগত কপিল শর্মা কে আবার তার আগের জায়গা দেয় কি না! Click to Post
0 notes
Text
নেপালের এনসেলের ডিরেক্টর নিযুক্ত হলেন রবির সিইও
নেপালের এনসেলের ডিরেক্টর নিযুক্ত হলেন রবির সিইও
[ad_1]
নেপালের শীর্ষ মোবাইল ফোন অপারেটর এনসেলের ডিরেক্টর হিসেবে সম্প্রতি রবির সিইও অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাহতাব উদ্দিন আহমেদকে নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে এনসেল বোর্ড।
এর ফলে নেপালের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর ডিজিটাল নেতৃত্বে মাহতাবের দক্ষতা ও তার সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনাকে কাজে লাগানোর সুযোগ পেল। আজিয়াটা গ্রুপে বাংলাদেশি প্রতিভার উপর আস্থা যে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এ নিয়োগ তারই প্রতিফলন। বাংলাদেশের…
View On WordPress
0 notes
Photo
বিচারকের ভূমিকায় নতুন রূপে “ভারতী সিং” বিচারকের ভূমিকায় নতুন রূপে "ভারতী সিং" কমেডি রিয়্যালিটি শো, 'দ্যা কপিল শর্মা' এর মূল চরিত্র কপিল শর্মা বেশ কয়েকবছর ধরে সকলের কাছেই বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু কিছুদিন আগে কপিল শর্মার সঙ্গে সুনীল গ্রোভারের বিতর্কের কথা সবারই জানা। সেই ঘটনার কারণেই কপিল শর্মা শো ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন অনেক অভিনেতাই। তারা নিজেরা একই চ্যানেলে আরেকটি শোয়ের শুটিং শুরু করেছেন। এবার দ্য কপিল শর্মা শো ছাড়লেন টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় কমেডিয়ান ভারতী সিং। সূত্রের খবর, দ্যা কপিল শর্মা শো-এর অনেক আগেই ভারতী সিং সই করেছিলেন আর এক কমেডি রিয়্যালিটি শো 'কমেডি দঙ্গলে'। এবার সেই রিয়্যালিটি শো-এর অন এয়ার হতে চলেছে। আর তাতেই দেখা যাবে ভারতীকে। এই প্রসঙ্গে ভারতী সিং বললেন, "যত দিন না আমার অন্য কমেডি শো 'কমেডি দঙ্গল' অন এয়ার হচ্ছিল, ততদিন দ্য কপিল শর্মা শো করেছি। আমার কাছে 'কমেডি দঙ্গলে' এর প্রস্তাব আসে প্রথমে, আমি সইও করি তাতে। তারপর কপিল শর্মা শোয়ের জন্য সই করি। তাই দেখতে গেলে আসলে আমি কপিল শর্মা শো ছেড়ে চলে যাচ্ছি না। যদি 'কমেডি দঙ্গলের' জন্য সই না করতাম, তাহলে কপিল শর্মা শোতেই থাকতাম। " প্রসঙ্গত খুব শীঘ্রই আসছে ভারতী সিংয়ের নতুন কমেডি শো কমেডি দঙ্গল। সেখানে বিচারকের ভূমিকায় নতুন রূপে দেখা যাবে ভারতী সিংকে। শুধু তিনিই নন, তার সঙ্গে থাকবেন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক অনু মালিক।
0 notes
Photo
এক সঙ্গেই থাকছেন সালমান-ক্যাটরিনা! খুব সম্প্রতি ক্যাটরিনা নিজের সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন যা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। ‘সাবেক প্রেমিক’ সালমান খানকে পাশে নিয়ে যে ছবি ক্যাটরিনা পোস্ট করেছেন তা দেখে অনেকের ধারণা, আরো এক বার হয়তো দু’জন কাছাকাছি আসছেন! বরফ গলছে সম্পর্কের। আবার কারো মতে এটা নিছকই আলি আব্বাস জাফরের ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ের ফাঁকে তোলা কোনো ছবি যা শেয়ার করেছেন ক্যাট। অনেকেই আবার ভাবছেন, এক সঙ্গে নেই সালমান-ক্যাটরিনা। পুরনো কোনো ছবি শেয়ার করেছেন নায়িকা। কিন্তু সব জল্পনার অবসান হল দুবাইয়ের একটি পাঁচতারা হোটেলের পক্ষ থেকে পোস্ট হওয়া কয়েকটি ছবি সামনে আসার পর। হ্যাঁ, এক সঙ্গেই রয়েছেন সালমান-ক্যাটরিনা। দু’জনেই এখন রয়েছেন দুবাইয়ের আল আইন রোটানা হোটেলে। এই হোটেলের অফিসিয়াল সোশ্যাল পেজে সোমবার রাতে চারটি ছবি পোস্ট করেন আল আইন রোটানা কর্তৃপক্ষ। ছবিগুলি থেকে এটা স্পষ্ট, ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ে এখন ওই হোটেলে উঠেছেন সালমান-ক্যাটরিনা-সহ শুটিং ইউনিটের অনেকেই। হোটেলের অটোগ্রাফের ডায়রিতে ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’র উল্লেখ করে সালমান-ক্যাটরিনার সইও ধরা পড়েছে এই ছবিতে।
0 notes
Text
অশ্বিন যখন অটোগ্রাফ নিলেন মুশফিকের!
অশ্বিন যখন অটোগ্রাফ নিলেন মুশফিকের!
স্পোর্টস ডেস্ক : হায়দরাদ টেস্টের চতুর্থ দিনে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের উইকেট তুলে নিয়ে রবিচন্দ্রন অশ্বিন গড়েছেন দারুণ একটি রেকর্ড। সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে ২৫০ উইকেট তুলে নেন তিনি। তাই নিজের আড়াইশতম শিকারের সইও রেখে দিলেন এই ভারতীয় স্পিনার।
সোমবার পঞ্চম দিনের শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষ দুই দল যখন ড্রেসিং রুমে ফিরে যাচ্ছিল তখন মুশফিকের দিকে বল এগিয়ে দিয়ে তাতে সই চাইলেন অশ্বিন। বাংলাদেশ…
View On WordPress
0 notes
Photo
New Post has been published on https://paathok.news/78619
এবার মৃত্য বাবার কাছে ব্যারিস্টার তুরিনের খোলা চিঠি
.
এবার মা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মৃত বাবার কাছে খোলা চিঠি লিখেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ��েতু।
এর আগে গত ২০ জুন নিজ বাসায় প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেন তুরিন আফরোজের মা সামসুন নাহার তসলিম ও ভাই শাহনেওয়াজ আহমেদ শিশির।
সংবাদ সম্মেলনে তুরিন আফরোজের মা সামসুন নাহার তসলিম দাবি করেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ প্রশাসনের সহায়তায় জোরপূর্বক তাঁর মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, ‘আমার শরীর ভীষণ খারাপ। কিডনির ৬৫ শতাংশ ড্যামেজ হয়ে গেছে, সঙ্গে প্রেশার ও ডায়াবেটিস আছে। এসবের ওষুধ কেনার পয়সা ভাড়ার টাকা থেকে পেতাম। সেটাও সে (তুরিন আফরোজ) কেড়ে নিয়েছে। দেশে থাকার জায়গা নেই, এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াই।’
‘আমি এই বয়সে কেন আমার দেশ ছেড়ে বিদেশে গিয়ে পড়ে থাকব। আমার জন্মস্থান, আমার ৪৮ বছরের সংসার যেখানে, আমি সেখানেই থাকতে চাই।’ বলছিলেন সামসুন নাহার তসলিম।
এদিকে মা ও ভাইয়ের সংবাদ সম্মেলনের অভিযোগের বিরুদ্ধে মৃত বাবার কাছে দুই পর্বের খোলা চিঠি লিখেছেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। এ বিষয়ে তুরিন আফরোজ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিচারাধীন একটি বিষয় নিয়ে আমি তো রাস্তায় বক্তব্য দিতে পারি না। মৃত বাপীর (বাবা) কাছে চিঠি দিয়ে জানালাম।’
(তুরিন আফরোজের লেখা চিঠি হুবহু তুলে ধরা হলো)
“বাপীর কাছে চিঠি -১
সুপ্রিয় বাপী
তোমার মৃত্যুটা মেনে নেয়া খুব কষ্টকর। তবে তোমার মৃত্যু আমাকে বাস্তবতা শিখিয়েছে। মানুষের আসল রূপ চিনতে বাধ্য করেছে। সেটা যে এতো জঘন্য-নোংরা, সেটা আমি আসলেই জানতাম না। তুমি মারা গেলে ২০১৭ সালের ৩রা জানুয়ারী। শোক সামলে উঠতে না উঠতেই একরাশ দ্বায়ীত্ব আমার ঘাড়ে এসে পড়লো। তোমার অসমাপ্ত কাজগুলো সামলাবার। আমি একা, কারণ তোমার ছেলে তোমার মৃত্যুর ১১ দিন পড়েই পাড়ি জমালো তার দেশে, পড়ে রইলাম আমি আর মামণি।
মামনিকে সামলানো, শোক ভুলাতে তাকে কাজে ব্যস্ত রাখা, “অভিনন্দন” (আমাদের সুখের স্বর্গ) কে দেখে-শুনে রাখা সব দ্বায়ীত্ব এসে পড়লো আমার ঘাড়ে। সাথে আমার দুটো চাকরী, সুমেধা, পড়ালেখা, লেখালেখি, মিডিয়া, সমাজ-সংসার তো আছেই। মাথায় বাজ ভেঙ্গে পড়লো। কী ভাবে কী সামলাই! এতোদিন তো অনেক কিছুই তুমি সামলিয়েছো। তোমার বড় সন্তান হিসেবে এখন তো স্বাভাবিক ভাবেই আমাকে সব দেখতে হবে। তুমি তো আমাকে কোন দিন মেয়ে হিসেবে বড় করোনি। বড় করেছো একজন মানুষ হিসেবে। আমি দ্বায়ীত্ব নিতে ভয় পেলে তো চলবে না, তাই না?
���০১৭ সালের ৩১শে জানুয়ারী (মঙ্গলবার) – তোমার মৃত্যুর পর তোমার প্রথম জন্মদিন। এমনিতেই মনটা ভীষণ খারাপ সেদিন। তোমার কথা খুব মনে পড়ছিল। তুমি তোমার জন্মদিনের কেক খাওয়ার জন্য বসে থাকতে! এতো ডায়াবেটিস থাকতো তোমার কিন্তু তাও মানতে না। দু-তিন পিস না খেলে তোমার চলতো না। মামণিরও নিশ্চয়ই মন খারাপ ছিল সেদিন। তুমি চলে যাওয়ার পর সেও তো একা হয়ে গেছে। অন্তত ঝগড়া করার সাথীটা তো আর তার বেঁচে নেই। হঠাৎ মনে হোল, ফেব্রুয়ারি মাসের ভাড়া তুলতে হবে। ঠিক করলাম, মামনিকে এই দ্বায়ীত্ব দিলে কেমন হয়। আমার কাজও একটু কমে, আবার মামনিও ব্যস্ত থাকতে পারবে।
যেই ভাবা সেই কাজ। একটা নোটিশ লিখে ফেললাম সব ভাড়াটিয়াদের কাছে। যেখানে লিখলাম,
“জনাব
আপনারা সকলেই অবগত আছেন যে গত ৩রা জানুয়ারী ২০১৭ তারিখে আমার পিতা – জনাব তসলিম উদ্দিন আহমেদ পরলোকগত হয়েছেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়াইন্নালিল্লাহে রাজিউন)। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত আমার পিতা আমার পক্ষে ‘অভিনন্দন’, বাড়ি ১৫, রোড ১১, সেক্টর ৩, উত্তরা ঢাকাস্থ বাড়ির সকল ভাড়া ও যাবতীয় বিল আপনাদের সকলের থেকে নিয়মিত সংগ্রহ করতেন এবং বিল সমূহ নির্দিশট সময়ের মধ্যে আমার নিযুক্ত কর্মচারী মোঃ আমির হোসেন, পিতা- মোঃ সেলিম হাওলাদার, ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পরিশোধের ব্যাবস্থা করতেন। এছাড়াও মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত আমার পিতা আমার পক্ষে এই বাড়ির সকল উন্নয়ন ও মেরামতের কাজও তত্ত্বাবধায়ন করতেন।
বর্তমানে, আমার পিতার মৃত্যুর পর, আমার বিধবা মাতা, জনাবা সামসুন নাহার তসলিম, এখন থেকে আমার পক্ষে ‘অভিনন্দন’, বাড়ি ১৫, রোড ১, সেক্টর ৩, উত্তরা ঢাকাস্থ বাড়ির সকল ভাড়া ও যাবতীয় বিল আপনাদের সকলের থেকে নিয়মিত সংগ্রহ করবেন এবং বিল সমূহ নির্দিশট সময়ের মধ্যে পরিশোধের ব্যাবস্থা করবেন।
তবে উল্লেখ্য যে, আমার মাতার সাময়িক অনুপস্থিতিতে, ‘অভিনন্দন’, বাড়ি ১৫, রোড ১, সেক্টর ৩, উত্তরা ঢাকাস্থ বাড়ি সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন।
আপনাদের সকলের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।
বিনীত
-সই-
ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ …”
সকল ভাড়াটিয়ারা সেই নোটিশ পেয়ে আমার কপিতে নিজেদের স্বীকার প্রাপ্তি হিসেবে সইও করে দিলেন। নীচে সেই চিঠির ছবি দিলাম। তুমি দেখে নাও ঠিক আছে তো? বানান ভুল করলে আবার বকা দিতে এসোনা। তোমার তো আবার সব পারফেক্ট হওয়া চাই।
কিন্তু বাপী, আজ সারাদিন ধরে মিডিয়াতে শুনলাম আমি নাকি তোমার মৃত্যুর পর মামনিকে ভাড়া তুলতে বাধা দিয়েছি। বাড়ি দখল করেছি। ভাড়াটিয়াদের বলেছি সব টাকা আমার হাতে তুলে দিতে।
বাপী, বলোতো, এসব কেন আমার বিরূদ্ধে বলা হচ্ছে? জানি তোমার এসব শুনে কষ্ট হচ্ছে। আমারও বাপী, সুমেধারও। সুমেধাও তো আর ছোট নেই। ও এখন অ-নে-�� কিছু বুঝে। যখন দেখে যারা এসব কথা মিডিয়াতে বলছে, তারা ওর চেনা মুখ। তখন ওর কষ্টগুলো আরও বেড়ে যায়। আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। আমি কী উত্তর দিব? তোমার আদরের সুমেধাকে তুমি একটু বুঝিয়ে বলোতো। আমি সুমেধাকে কাছে বসিয়ে বোঝাই, সত্যকে সব সময় চোখ দিয়ে দেখা যায়না। সত্যকে মাঝে মাঝে খুঁজতে হয়।
বাপী, আজ আসি। কাল আবার চিঠি লিখব। ইতি তোমার সেতু
বাপীর কাছে চিঠি – ২
সুপ্রিয় বাপী মামনি আর শিশিরের আমার বিরুদ্ধে ডাকা প্রেস কনফারেন্স মিডিয়াতে দেখলাম। মামনি কাঁদছিল – বাপী, মামনির কান্না দেখে খারাপ লাগছিল। মামনি কাঁদবে কেন? আমি না হয় তার যোগ্য সন্তান হতে পারিনি। আমার সাথে মামনি সম্পর্ক শেষ করেছে তোমার মৃত্যুর কয়েক মাস পরই। কথা বলাও বন্ধ করে দিয়েছে তখন থেকেই। আমার অপরাধ?
তুমি যখন ধানমন্ডির ল্যাব এইড হসপিটালে লাইফ সাপোর্টে ছিলে তখন সেই হসপিটালের সকল দর্শনার্থীদের সামনে মামনি আর তার সৈয়দপুরের বোন-বোন জামাই আমাকে বললো, “তোর বাবা কষ্টে মরবে না ক্যানো? সে একটা বেঈমান।“ বাপী, আমি নিতে পারিনি কথাটা। তুমি তো তখনো শ্বাস নিচ্ছিলে। বাপী, আমার আর সুমেধার জীবনে তুমি ছাড়া আর কে ছিল বল? আর ওই মুহূর্তে তুমি আমাদের ফেলে চলে যাচ্ছিলে। আমি তোমাকে বাঁচাবার চেষ্টা করছিলাম যেন কোন অলৌকিক ভাবে তুমি বেঁচে যেতে পারো। হ্যা, ��াপী, আমি তোমার অপমান মেনে নিতে পারিনি। চীৎকার করে প্রতিবাদ করেছিলাম। ছোট কাকু, কাকী আর তার বোনও ছিল সেখানে। আমার বডিগার্ডও ছিল। তারা আমাকে সরিয়ে নিয়ে যায় যাতে লোকজনের সামনে নাটক না বাড়ে। কিন্তু বাপী, আমার জায়গাতে অন্য মেয়ে থাকলেও কি একই ভাবে প্রতিবাদ করতো না?
শিশিরের কথা বলতে পারি না। তোমার তিনবার হার্ট এট্যাক হল – কই একবারও তো শিশির আর মামনি লন্ডন আর কানাডা থেকে আসলো না? সেই প্রথমবার তোমার হার্ট এটাক ২০০৮ সালে। সুমেধার তখন মাত্র ৮/৯ মাস। আমি টানা তিন দিন এক কাপড়ে ধানমন্ডির ল্যাব এইড হসপিটালে আই সি ইউ-র সামনে মাটিতে বসে কাটিয়েছি। কেউ সরাতে পারেনি। যখন তোমার জ্ঞান ফিরেছে, তারপর উঠেছি। ছোট কাকু, ডঃ আমজাদ মামা, সবাই আমাকে বুঝিয়েছে। সুমেধা কেমন আছে তার কথাও মনে আসেনি। বাপী, একই ঘটনা-ই তো ঘটলো পরের দুবার। না বাপী, আমি প্রেস কনফারেন্স করিনি কারো বিরুদ্ধে কষ্টের কথাগুলো বলতে।
বাপী, তুমি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করার আগেই মামনি আর শিশির তোমার কেনা গাড়ি বিক্রি করলো। তোমার বিছানা, পড়ার টেবিল, চেয়ার, সোফা, বইয়ের তাক, অফিস টেবিল, ��ফিস চেয়ার সব বিক্রি করে দিল। তোমার শখের লাইব্রেরীর দেয়াল ভাঙল যাতে সেটা আর লাইব্রেরী না থাকে। বাপী, তোমার শেষ দিনগুলোতে তোমার জ্ঞান ছিলোনা। বাড়িতে যারাই আসতো, তোমার বন্ধুরা, প্রতিবেশীরা, ভাড়াটিয়ারা তারা এসব কাণ্ড দেখে স্তম্ভিত হয়ে যেত। বাপী, তোমার ব্রীফকেস টাও উঠোনে বিক্রির জন্য রাখা ছিল। আমি পাগলের মত যা পেয়েছি তিন তলায় উঠিয়ে নিয়ে এসেছি। না বাপী, আমি প্রেস কনফারেন্স করিনি কারো বিরুদ্ধে কষ্টের কথাগুলো বলতে।
মামণি প্রেস কনফারেন্স করে কাঁদছে কেন? তার সুপুত্র তো তার সাথেই রয়েছে। শিশির কি তাহলে তার যত্ন নিতে পারছেনা? তার দেখা শোনা ঠিক মত করতে পারছেনা? তার সুপুত্র থাকতে তাকে ওষুধ না খেয়ে রাস্তায় ঘুরতে হচ্ছে কেন?
বাপী, প্রেস কনফারেন্সে মামনি কেঁদে বললো, তুমি মারা যাওয়ার ৫৮ দিন পর আমি নাকি মামনিকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছি।
বাপী, তুমি আসল ঘটনাই জানোনা। আমি কাউকেই বাড়ি থেকে বের করে দেইনি। শিশিরই আমাকে তুমি মারা যাওয়ার ৫৮ দিন পর বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলে।
তুমি মারা গেলে ২০১৭ সালের ৩রা জানুয়ারী। ২০১৭ সালের ২রা মার্চ হয় তোমার মারা যাওয়ার ৫৮ দিন। দিনটি শিশিরের জন্মদিন – তোমার ছেলের জন্মদিন। আর সেই দিনই কানাডা থেকে শিশির আমাকে আর সুমেধাকে উচ্ছেদ করার নোটিশ দিল ইমেইল করে। নীচে সেই চিঠির ছবি দিলাম।
শিশির আমাকে কথা বলতে শুরু করার পর থেকেই “দাদা” বলে ডাকতো এটা তো তুমি জানোই। ২০১৭ সালের ২রা মার্চ –এর সেই নোটিশে কি লিখলো শিশির?
“প্রিয় দাদা আমরা তোমাকে কাছে পেয়ে খুব আনন্দ পেয়েছি, কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে আমি আমার বাড়ি ফেরত চাই এবং মার্চ মাসের মধ্যে তোমাকে এই বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার জন্য বলতে বাধ্য হচ্ছি। যদি কোন বৈধ কারণে এই তারিখটি তোমার জন্য অসুবিধাজনক হয়ে থাকে, তবে তুমি আমাকে সুবিধাজনক একটি তারিখ জানাবে। আমি তোমাকে বেশ কয়েকবার ফোন করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু পাইনি।
দয়া করে বাড়ি ১৫, রোড ১১, সেক্টর ৩, উত্তরা থেকে তোমার সকল ব্যাক্তিগত জিনিস পত্র সরিয়ে ফেলবে এবং ছাদের চাবি সহ বাড়ির সকল চাবি মামনি অথবা রাশিকে ফেরত দিবে। আমি তোমার তিন তলার ফ্ল্যাটের পরিদর্শনের ব্যাবস্থা করব যেন তুমি সব কিছু ঠিক মত রেখে যাচ্ছ। আর চলে যাওয়ার পরদিন (অর্থাৎ ১লা এপ্রিল শনিবার) আমি পরিষ্কারের ব্যাবস্থা করব।
একই সাথে তোমার সরকার কর্তৃক নিযুক্ত নিরাপত্তা কর্মীবৃন্দ যারা বর্তমানে গ্যারেজ অথবা নীচের উঠানে অবস্থান করছে তাদেরকে জায়গা খালি করতে বলবে এবং তারা যেন একি তারিখের মধ্যে রক্ষিত অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চলে যায়।
দয়া করে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারী এবং মার্চ-এর গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ইত্যাদি সব বিল পরিশোধ করে যাবে। …
প্রিয় বোন, আমি তোমাকে আর আমার বাড়িতে রাখতে সক্ষম না। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এটা আমাদের ��কলের জন্য ভাল হবে। আমি তোমাকে শুভ কামনা জানাই তুমি যেন তোমার নতুন পরিবেশে গিয়ে ভাল থাক যেখানে তোমার আর আমার সাহায্যের প্রয়োজন পড়বে না।
ইতি শিশির”
বাপী, বাড়ি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করল কে আর কে প্রেস কনফারেন্স করে কাঁদছে!
বাপী, জানো, আমি নোটিশ পেয়েই মামনির সাথে দেখা করতে চাইলাম এক তলায়। কিন্তু রাশি বলল, মামনি আমার সাথে কথা বলবে না, দেখা ও করবে না। আমি আবার উপরে এসে শিশিরকে তার ইমেইল এর জবাব দিলাম। নীচে আমার সেই ইমেইল এর জবাব এর ছবি দিয়েছি। দেখে নিও।
শিশির কে লিখলাম ওই একই দিনে, মানে তোমার মৃত্যুর ৫৮ দিনের দিন (২রা মার্চ ২০১৭) –
“প্রিয় শিশির তোর ইমেইলের প্রাপ্তি স্বীকার করছি।
তুই তোর ইমেইলের প্রথম প্যারা তে লিখেছিস –
“আমরা তোমাকে কাছে পেয়ে খুব আনন্দ পেয়েছি, কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে আমি আমার বাড়ি ফেরত চাই এবং মার্চ মাসের মধ্যে তোমাকে এই বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার জন্য বলতে বাধ্য হচ্ছি। যদি কোন বৈধ কারণে এই তারিখটি তোমার জন্য অসুবিধাজনক হয়ে থাকে, তবে তুমি আমাকে সুবিধাজনক একটি তারিখ জানাবে।“
এই ব্যাপারে আমার বক্তব্য –
(১) বাড়ি ১৫, রোড ১১, সেক্টর ৩, উত্তরার ঠিকানাতে আমি অন্য কারো বাড়ি দখল করে নেই। সুতরাং ২০১৭ সালের মার্চের মধ্যে বাড়ি অথবা চাবি ফেরত দেয়ার প্রশ্ন আসে না।
(২) উপরন্তু, বাড়ি ১৫, রোড ১১, সেক্টর ৩, উত্তরা বাড়ির মালিকানা নির্ধারণের বিষয়টি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। যতক্ষণ না পর্যন্ত আদালতের মাধ্যমে এই বাড়ির মালিকানা নিরূপিত হচ্ছে, আমি এই বাড়ি ত্যাগ করতে বাধ্য নই।
প্রিয় ভাই, তুই আরো লিখেছিস – “প্রিয় বোন, আমি তোমাকে আর আমার বাড়িতে রাখতে সক্ষম না। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এটা আমাদের সকলের জন্য ভাল হবে। আমি তোমাকে শুভ কামনা জানাই তুমি যেন তোমার নতুন পরিবেশে গিয়ে ভাল থাক যেখানে তোমার আর আমার সাহায্যের প্রয়োজন পড়বে না।“
(৩) আমি আশ্চর্য হচ্ছি, এই বাড়িতে থাকার সময় তুই আমাকে কখন সাহায্য করেছিস!!! সব কিছুই পরিষ্কার হবে যখন মাননীয় আদালত এই বাড়ি নিয়ে মালিকানা বিরোধ নিষ্পত্তি করবে। আমরা তখন সবাই জানতে পারবো এত বছর ধরে কে কাকে সাহায্য করে আসছে!!!
শুভেচ্ছান্তে, দাদা”
বাপী, আমি কি ভুল কিছু করেছি? আমি কি কাউকে বাড়ি থেকে বের করেছি তোমার মৃত্যুর ৫৮ দিনের দিন? উল্টো তোমার মৃত্যুর ৫৮ দিনের দিন আমাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার পদক্ষেপ নেয়া হল।
না বাপী, আমি এসব নিয়ে প্রেস কনফারেন্স করিনি। আমি ক্ষমতা দেখাতে যাইনি। আমি বড় আপু, ছোট আপু, পুলিশ, র্যাব , ডিজিএফআই কারো ধমকী দেইনি। আমি একজন সাধারণ নাগরিকের মত পারিবারিক সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজেছি আপোষের মাধ্যমে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে যা করা সম্ভব তা-ই করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছি।
তাহলে বাপী, আমি তোমার মৃত্যুর ৫৮ দিনের দিন মামনিকে বের করে দিলাম কিভাবে? বরং তোমার মৃত্যুর ৫৮ দিনের দিন আমাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার নোটিশ জারী করা হল।
সেদিন ইমেইল লেখার পর কি হয়েছিল সেটা কালকের চিঠিতে লিখব। সেটা জানলে তুমি হতভম্ব হয়ে যাবে! কত বড় মিথ্যার সাথে লড়াই করছে তোমার মেয়ে তুমি ভাবো!
বাপী, তুমি শি��িয়েছ, সত্য সূর্যের মত। তাকে বেশী দিন আড়াল করে রাখা যায় না। কালকের চিঠিতে আরও সত্যের কথা বলব।
ইতি তোমার সেতু”
0 notes
Text
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরানো শুরু
New Post has been published on https://sentoornetwork.com/us-withdraw-troops-from-afghanistan/
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরানো শুরু
বিশেষ সংবাদদাতা : শান্তি চুক্তি মেনে আফগানিস্তান থেকে সেনা সরানোর কাজ শুরু করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তালিবানদের সঙ্গে আমেরিকার চুক্তি অনুযায়ী ১২ হাজার মার্কিন সেনা থাকে কমিয়ে ৮,৬০০ জন করা হবে। চুক্তি সইয়ের পর ১৩৫ দিনের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। এই চুক্তিতে আফগান সরকার কোনও পক্ষ হতে চায়নি। সইও করেনি। গত ১২৯ ফেব্রুয়ারি চুক্তি সই হয়। প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি ফের নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আগে ��োষণা করেন চুক্তি সই হলেও সরকার বন্দি পাঁচ হাজার তালিবানকে মুক্তি দেবে না। দ্বিতীয় বার নির্বাচিত হয়ে তিনি মনোভাব পরিবর্তন করেছেন বলে জানা গেছে। এ সপ্তাহে এক হাজার বন্দি তালিবানকে মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ডিগ্রি জারি করবেন।
এর আগে শান্তি চুক্তি ভেস্তে যেতে বসে তালিবান এলাকায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায়। হেলমন্দ প্রদেশে আফগান সেনাদের ওপর তালিবানি হামলার জবাবে এই পাল্টা আক্রমণ করে আমেরিকা। এরপরই শান্তি চুক্তি রূপায়ণে জোর পড়ে।
0 notes
Photo
“আকাশে ড্রোন দেখলেই গুলির নির্দেশ ট্রাম্পের” আমেরিকার আকাশে ব্যক্তিগত ড্রোন দেখলেই গুলি করে ধ্বংসের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি বিলে সইও করেছেন তিনি। যদিও এরইমধ্যে বিলটি সমালোচনার মুখে পড়েছে। বিরোধীরা বলছেন, নতুন আইনের অপব্যবহারের জোরালো আশঙ্কা রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট গত শুক্রবার (৫ অক্টোবর) এ বিলে সই করেন। বিলটিতে সাতটি ধারা রয়েছে। যার মাধ্যমে মার্কিন বিমান চলাচল ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক করা হবে। এর একটি ধারা হচ্ছে ব্যক্তিগত ড্রোন সংক্রান্ত যাতে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তিগত বা কোনও বেসকারকারি ড্রোনকে হুমকি বলে মনে হলে তা গুলি করে ধ্বংস করা যাবে। এ জন্য কোনও পূর্ব ঘোষণা বা পরোয়ানার দরকার হবে না। আগেই এ বিলের বিরোধিতা করেছে আমেরিকান সিভিল লিবারটিস ইউনিয়ন। সংগঠনটি বলছে, অনেক সময় সাংবাদিকরা কিংবা বড় বড় ব্যবসায়ী ড্রোন ব্যবহার করেন। এ গুলোর গায়ে লেখা থাকে না যে কোন ড্রোন কী কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বিনা অনুমতিতে বা কোনও পরোয়ানা ছাড়াই গুলি করার অনুমতি দেওয়া হলে এ আইনের মারাত্মক অপব্যবহার হতে পারে। ক্যালিফোর্নিয়ার মানবাধিকার সংগঠন ইলেকট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশনও একই ধরনের কথা বলেছে।
0 notes