#লালনের গান
Explore tagged Tumblr posts
shamim5436 · 10 months ago
Text
চাঁতক বাচে কেমনে বাংলা গান | How does Chatak live in the rain of clouds? | New fok song | full video parfrmec
Bangla song | Lavli_media_1 | baul song | bissed gan | bissed song | fok song
চাতক বাঁচে কেমনে,চাতক বাঁচে কেমনে মেঘের বরিষণ বিনে,চাতক বাচে কেমনে,বাংলা গান,বাঁচে কেমনে,বাউল গান,চাতক বাঁচে কেমনে লালন ব্যান্ড,চাতক বাঁচে কেমনে mp3 download,চাতক বাঁচে কেমনে মেঘের বরিষন বিনে,চাতক বাঁচে কেমনে - সোহানা,চাতক বাঁচে,চাতক বাঁচে কেমনে - লাল্টু |,লালনের গান,চাতক বাঁচে কেমনে - বিউটি,চাতক বাঁচে কেমনে লিরিক্স,চাতক বাঁচে কেমনে লালন গান,চাঁতক বাঁচে কেমনে,বাংলা বাউল গান,চাঁতক বাঁচে কেমনে সোহানা,লালন গীতি বাংলা গান
1 note · View note
sattokhoborlive · 2 years ago
Text
সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বৈরী যুগে লালনের গান হতে পারে প্রতিবাদের শিল্প-শান্তির প্রতীক: প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ
সত্যখবর ডেস্ক: সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, লালন ফকির বিশ্বাস করেছিলেন, মানুষ শ্রেষ্ঠ। লালনের গানে বিশ্ব-মানবমৈত্রীর উপকরণ আছে। আজ আবার নতুন করে সাম্প্রদায়িকতা-মৌলবাদের উত্থানকালে মনুষ্যত্ব-মানবতার লাঞ্ছনার সময়ে সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বৈরী যুগে লালনের গান হতে পারে প্রতিবাদের শিল্প-শান্তি ও শুভবুদ্ধির প্রতীক। মানুষের প্রতি হারানো বিশ্বাসকে ফিরিয়ে আনার পরম পাথেয়। লালন তার গানে মানুষ…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
unbanglatv · 4 years ago
Video
Lalon Giti_ Vokto Jai Ganer Sagore _ভক্ত যায় জ্ঞানের সাগরে - New Song -2020
0 notes
sohelmusicbangla · 4 years ago
Video
youtube
আমারে কি রাখবেন গুরু চরণের দাসী (লালনের অসাধারন একটি গান) অঞ্জনা সরকার |...
0 notes
cierrapwhite · 3 years ago
Text
Watch "মাটির গান❣️❤️প্রানের গান" on YouTube
আমার চ্যানেল এর আরও সুন্দর 😄👍 সুন্দর ভিডিও পেতে অবশ্যই আমার চ্যানেলটি like এবং subscriber korun.
1 note · View note
onnodristy · 3 years ago
Text
আজ সাঁইজি’র ১৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী
আজ সাঁইজি’র ১৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী। লালনের গান প্রসঙ্গে বাউলসাধক কফিল শাহ বলেছেন, লালনের গানে সবার ওপরে রয়েছে মানুষ। সবকিছুর সন্ধান পাই তার গানে। কোরআন, বেদ, মানবধর্ম, জগতের সকল ভাবনার উত্তর। কিন্তু লালনকে বুঝতে পারি না। সারা জীবন ধরে লালনেরই সন্ধান করে চলেছি।
লালনের গান প্রসঙ্গে বাউলসাধক কফিল শাহ বলেছেন, লালনের গানে সবার ওপরে রয়েছে মানুষ। সবকিছুর সন্ধান পাই তার গানে। কোরআন, বেদ, মানবধর্ম, জগতের সকল ভাবনার উত্তর। কিন্তু লালনকে বুঝতে পারি না। সারা জীবন ধরে লালনেরই সন্ধান করে চলেছি। যত দিন যাচ্ছে ফকির লালন সাঁইয়ের জীবন ও গানের ব্যাপ্তি ততই প্রভাব বিস্তার করছে মানুষের মাঝে। ১১৬ বছর বেঁচে ছিলেন, মৃত্যু হয়েছে ১৩১ বছর আগে। এই দীর্ঘ সময়ও বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
kabirbd · 4 years ago
Text
লালনশিল্পী ফরিদা পারভীন করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে
Tumblr media
করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রখ্যাত লালনশিল্পী ফরিদা পারভীন। ফরিদা পারভীনের ছেলে ছেলে ইমাম জাফর নোমানী জানান, সোমবার দুপুরে তাকে ইউনিভার্সেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত ৮ এপ্রিল তকরোনা শনাক্ত হওয়ার পর তিনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এ কয়দিন বাসাতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তিনি বলেন, আমার আম্মা এই কয়েকদিন বাসা থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। কিন্তু, সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট অনুযায়ী আম্মার ফুসফুসের প্রায় ৫০ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছে। ডাক্তারের বিশেষ পরামর্শে খুব দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন। ফরিদা পারভীন লালনের গান গেয়ে দেশে-বিদেশে খ্যাতি পেয়েছেন। ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোর জেলার সিংড়া থানার শাওল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। জন্ম নাটোরে হলেও বড় হয়েছেন কুষ্টিয়ায়। ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুল সংগীত গাইতে শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালের দিকে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সাধক মোকসেদ আলী শাহের কাছে ফরিদা পারভীন লালন সংগীতের তালিম নেন। ১৯৮৭ সালে ফরিদা পারভীন সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পান। এছাড়া ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও পেয়েছেন। সেরা প্লে-ব্যাক গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন ১৯৯৩ সালে। শিশুদের লালন সংগীত শিক্ষায় ‘অচিন পাখি স্কুল’ নামে একটি গানের স্কুল গড়ে তুলেছেন তিনি। Read the full article
0 notes
kousiksinha · 4 years ago
Photo
Tumblr media
••• শুকনো ফুলের ক্ষত বয়ে নিয়ে বুকে কোত্থাও তবু থামেনি কখনো নদী... আরোও একবার ভালো থাকবার জেদে ইচ্ছের সাথে আপোষ করতে যদি... ঝড়ে ভেঙে যায় কত মানুষের ভিটে দু'চোখের বাঁধ ছিটকে কান্না পায়... সে মানুষও তো উঠে দাঁড়ানোর ভোরে গলা ছেড়ে হেসে লালনের গান গায় ••• • Shot On Nikon D5600 with 18-55 lens • ছবি : Kousik Sinhamahapatra লেখা (সংগৃহীত) ======================= #candidchildhood #candid #dailylife #gangani #kings_works #people_infinity_ #fivestars_people #people_vs_camera #faces_of_streets #nikonindia #majestic_people #streetphotographyindia #street_portraits_photography #worldcolours_people #peopleinthe_world #faces_of_our_world #raw_people #coloursofindia #yourshotphotographer #tribesofindia #unique_colours_of_india #portrait_of_humanity #solo_portrait1 #worldbest_portraits #stories_from_lens #streetcollective #ig_respect #photoscapeofthemonth #everydaychildhood #nikon_d5600 @ig_calcutta @wanderlustmag @spmagazineofficial @betterphotography @lonelyplanetmagazineindia @magazine35mm @ipamagazine @asian_photography_magazine @spc.magazine @ig_kolkata @eyeshot_magazine @apfmagazine @oasis_magazine @great_captures_people @creativeimagemagazine @chiizevents @chiizdotcom @natgeo.people @natgeoindia @asia_photo_magazine @americanmagazine @eyephotomagazine @fineartphotographymag @world_photography_magazine @discoverindia.magazine @india.diaries @calcuttaphotozone @all_about_kolkataa @kolkata_oikkotaan @australianphotography_magazine @fishamericanphotographyo @fotorbit_ig @121clicks @365pixofficial @bbc_travel @kolkata.pixel.official @kolkatasillusion_official @camera_obscura___ @portrait_society @colours.of.india @colours_of_bengal @bangladeshi.photo @calcuttacanvas @explore_calcutta @calcuttacanvas @calcutta_aesthetics @kolkata_calcutta_city @ruralindiatourism @kolkata_photography_ @umanuproject @ig_kolkata @linkmagazine_ @all_about_kolkataa @exposure_sop @wanderlustmagazine @nikonindiaofficial @ankhimarik_misti @sree_rishi_ @saikat_sid_pal (at GANGANI-The Grand Canyon of Bengal) https://www.instagram.com/p/CJgmHOrjtuA/?igshid=1v973kwv4915i
0 notes
sattokhoborlive · 3 years ago
Text
গানে গানে মুখরিত কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার লালন আখড়াবাড়ি
গানে গানে মুখরিত কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার লালন আখড়াবাড়ি
বুধবার, ১৬ মার্চ ২০২২ সত্যখবর ডেস্ক:ফকির লালন শাহের গানে গানে মুখরিত কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়ি। লালন স্মরণোৎসব উপলক্ষে লালন শাহের মাজার প্রাঙ্গণ, মাঠ, কালি নদীর পাড়ঘেঁষে বসেছে দূরদূরান্ত থেকে আসা ভক্ত-অনুসারীদের খণ্ডখণ্ড গানের আসর। দিনরাত গান ছাড়াও তারা লালন ফকিরের বাণী নিয়ে একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করছেন। অনেকে আবার লালনের মত ও পথের দীক্ষা নিচ্ছেন। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও কুষ্টিয়া জেলা…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
deshergarjan24 · 4 years ago
Text
সাফল্য ও গৌরবের ১৬ বছরে পদার্পন বৈশাখী টেলিভিশন
সাফল্য ও গৌরবের ১৬ বছরে পদার্পন বৈশাখী টেলিভিশন
গর্জন প্রতিবেদকঃ সাফল্য ও গৌরবের ১৬ বছরে পদার্পন করল জনপ্রিয় বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল বৈশাখী টেলিভিশন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালি সংস্কৃতি লালনের অঙ্গীকার নিয়ে ২০০৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু হয় বৈশাখী টেলিভিশনের। নতুন বছরে পা রাখার গৌরবময় সময়টাকে স্মরণীয় করে রাখতে আজ (২৭ ডিসেম্বর) বৈশাখ���র পর্দা সাজানো হয়েছে গান, নাটক, সিনেমাসহ নানা অনুষ্ঠান দিয়ে। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে সকাল সাড়ে ৮টায়…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
newsbee24 · 4 years ago
Text
১৬ বছরে বৈশাখী টেলিভিশন
১৬ বছরে বৈশাখী টেলিভিশন
কালচারাল ডেস্কঃ দীর্ঘ পথচলার ১৫ বছর পূর্ণ করলো দেশের জনপ্রিয় বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল বৈশাখী টেলিভিশন। ২৭ ডিসেম্বর থেকে চ্যানেলটি শুরু করেছে ১৬ বছরের যাত্রা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালি সংস্কৃতি লালনের অঙ্গীকার নিয়ে ২০০৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু হয় বৈশাখী টেলিভিশনের। নতুন বছরে পা রাখার গৌরবময় সময়টাকে স্মরণীয় করে রাখতে ২৭ ডিসেম্বর বৈশাখীর পর্দা সাজানো হয়েছে গান,নাটক,সিনেমাসহ নানা…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
maraz2015 · 4 years ago
Link
যে পেল সেই রূপের সন্ধান: দুই -ফিরোজ এহতেশাম ...নিজে গান গাইতে গাইতে দেখেছি যে, সাধারণ জ্ঞানের কাজ না এইটা। যাদের পৃথিবীর মধ্যে লোভ রয়ে গেছে, লালসা রয়ে গেছে, পৃথিবীতে আমি কী করব, আমার টাকার দরকার, আমার অমুকের দরকার- এসবগুলা মানুষ না। যারা এটা (লালনের পথ) খুঁজছে তাদের খুব দুর্দিন। তারা অনেক অসহায়। এ ধর্মটা এরকম..
0 notes
sohelmediateam · 5 years ago
Video
youtube
লালনের সেরা গান, সময় গেলে সাধন হবে না, রাখী, LALON SONG,SOMOY GELE SADH...
0 notes
debdashmistry · 8 years ago
Text
ধ্রুবপদ ১ ▯ তবু মনে রেখো
▯ ঢালাগান  ▯ বৈতালিক  ▯ মুক্তগ  ▯ রবীন্দ্রমুক্তগ  ▯ টপ্পা   ▯ আলাপ  ▯ ভাটিয়ালি
আমি বড়ো হয়েছি রবীন্দ্রনাথ, নজরুল এবং বিজয় সরকারের গান শুনে। অখণ্ড মনোযোগের সঙ্গে তখন শুনেছি রামপ্রসাদ ও রজনীকান্ত। কখনো-কখনো এমনও হয়েছে, রেডিওতে রবীন্দ্রসঙ্গীতের অনুষ্ঠান শুনবার জন্য কলেজের ক্লাস পর্যন্ত ফাকি দিয়েছি। চারদিকে তখন গান আর গান। রণজিৎ দেবনাথের ছাত্রদের রেওয়াজের কল্যাণে আমরা তখন ভৈরবী আর দরবারি কানাড়ার মেজাজ আলাদা করতে পারতাম। আমি যখনকার কথা বলছি, তখন নামযজ্ঞের এমন চল হয়নি��� পাড়ায়-পাড়ায় তখন কবিগান আর পালাকীর্তন লেগে থাকতো। রাত জেগে বড়োদের সঙ্গে আমরা ছোটোরাও শুনতাম রামায়ণ, গাজিগান আর বেহুলার ভাসান। বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে দিনভর মাইকে বাজত হেমন্ত, মান্না দে, লতা, গীতা, সন্ধ্যা, পান্নালাল থেকে নূরজাহান ও সামসাদ বেগম অব্দি। অঘ্রান-পৌষে বাড়িতে যখন ধান উঠতো, তখন গানের নানারকম উপলক্ষ্য তৈরী হতো- হরির লুট, উজোগারি, ত্রিনাথের মেলা, ঠাকুরের চিনি, আরও কত কী! প্রায় প্রত্যেক পাড়ায় তখন একটা না একটা বাড়ি থাকতো, যেখানে সন্ধ্যায় রসিক বয়স্কজন জড়ো হয়ে বিজয়, তারক, রসিক, অনাদি ও অশ্বিনীকর্তার গান করতো এবং বুক খালি ক’রে কাঁদতো। বিভিন্ন আচার-পার্বণের গানও আমরা কম পাইনি। পৌষসঙ্ক্রান্তি উপলক্ষ্যে আমরা ছোটোরা গড়তাম শুভ্‌রের দল, আর চৈত্রসঙ্ক্রান্তিতে একহাঁটু ধুলো নিয়ে বড়োদের অষ্টকের দলের পিছু-পিছু সারাদিন গ্রাম ঘুরে বেড়াতাম। সে এক গানের সময়! চৈত্রমাসে মা-কাকি-দিদিরা যখন ভাটির গান গেয়ে গ্রামের নদীতে ফুল ভাসিয়ে দিচ্ছে, আমরা তখন নদীর স্রোত কেটে আচারের সেইসব ফুল ধরবার জন্য সাঁতার পাল্লা দিচ্ছি। এখনও মনে পড়ে, সাত-আট বছর বয়স পর্যন্ত মায়ের হাঁটুতে মাথা রেখে তার ভিজে-ভাঙা গলার বিয়ের গান শুনছি: নৌকো খটোরমটোর শুনতেচি,/ বইটেক ঝিকিরমিকির দেকতেচি-/ কান্দেলো সোনার বালি শানে আছাড় খা’য়ে।/ ভাইডির দন্যি [জন্যি] আমার জ্ব’লে যায়,/ বুনডির দন্যি আমার পুড়ে যায়-/ কান্দেলো সোনার বালি... ।। এই শোনাটুকুই আমার সঙ্গীতপুঁজি। সঙ্গীত বিষয়ে পড়ার পুঁজি যা আছে, তা যৎসামান্য, যার মধ্য থেকে করুণাময় গোস্বামীর ‘সঙ্গীতকোষ’-এর নাম না নিলে, বোধ করি, অপরাধী থেকে যাব। সঙ্গীতে অধিকার বলতে যা বোঝায়, তা হয়তো আমার নেই; তবু একজন একনিষ্ঠ শ্রোতা হওয়ার কারণে আমার মনে এই প্রতীতি জন্মেছে যে, রবীন্দ্রনাথ তাঁর গানে কোনো ধরণের বাড়াবাড়ি পছন্দ করতেন না। সরল সমর্পণই তাঁর গানের প্রাণ। এমন মধুর আত্মনিবেদন বিশ্বসঙ্গীতের আর কারো গানে আছে কি না, আমি জানি না। একটু কান পাতলেই বোঝা য়ায়, বাণী ও সুরের এক অভূতপূর্ব দাম্পত্য-সংযম তাঁর সঙ্গীতকে ক’রে তুলেছে স্ব��ন্ত্র। এখানে কেউ কাউকে ছাপিয়ে নিজের কর্তৃত্ব স্থাপন করে না। এখানে দোহে মিলে একপ্রাণ। আর সব এহ বাহ্য। রবীন্দ্রনাথের কানে, আমার কেনো জানি মনে হয়, তালও কখনো-কখনো কোলাহলের মতো বাজতো। তাই তিনি হয়তো সারাজীবন তাল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন, নিজেও ছয়টি তাল তৈরি করেছেন- অবশ্য উল্টোষষ্ঠীকে ষষ্ঠী থেকে ভিন্ন ধরলে সঙ্খ্যাটি হবে সাত, এবং শেষ জীবনে এসে তিনি নিজের টপ্পাঙ্গের গানগুলিকে ঢালালয়ে গেয়ে সঙ্গীতকে তালের কোলাহলমুক্ত করেছেন। গোড়াতে এই গানগুলি আড়াঠেকা, একতাল, ত্রিতাল, ঠুঙরি, তেওরা ইত্যাদি তালে বাঁধা হয়েছিলো। পরবর্তীতে রবীন্দ্রনাথের প্রশ্রয়ে এগুলি ঢালারূপ নেয়। কবির কণ্ঠে আপনারা হয়তো ‘তবু মনে রেখো’ গানটি শুনে থাকবেন। কী ঐকান্তিক সঙ্গীতায়োজন! কোনো তাল নেই, কোনো যন্ত্রানুসঙ্গ নেই, কোনো শ্রোতা নেই। শুধু তুমি আর আমি। তোমাকে একান্তে ব্যথা জানাব ব’লেই এই অনুষ্ঠান। এই ধরণের গানকে পণ্ডিতেরা ব’লে থাকেন ঢালাগান। আমি এগুলিকে বলি মুক্তগ। আমার সকল নিয়ে ব’সে আছি, তোমায় নতুন ক’রে পাব ব’লে, শুধু তোমার বাণী নয়গো, মেঘের পরে মেঘ জমেছে, সার্থক জনম আমার, আহা তোমার সঙ্গে প্রাণের খেলা, যদি প্রেম দিলে না প্রাণে, আমি রূপে তোমায় ভোলাব না ইত্যাদি গান সাধারণত মুক্তগ ঢঙে গাওয়া হয়। তালমুক্ত গান হওয়ায় এদেরকে কেউকেউ বৈতালিক ব’লে ভুল ক’রে থাকেন। বৈতালিক আদৌ কোনো গানের ধরণ নয়- বৈতালিক প্রকৃতপক্ষে একশ্রেণির গায়ক, যারা জাতকের কাহিনি বা কোনো বৌদ্ধ গাঁথা গানের মাধ্যমে পরিবেশন করতো, অথবা যারা স্তুতিপাঠ ক’রে রাজারানিদের ঘুম ভাঙাতো। আপনারা হয়তো জানেন, ছান্দসিকরা কবিতার এক বিশেষ ধরণকে ‘মুক্তক’ অভিধা দিয়েছেন। নামটি সম্ভবত প্রবোধচন্দ্র সেন মহাশয়ের দেওয়া। কিন্তু অভিধাটি ব্যাকরণসিদ্ধ নয়। শব্দটি হবে মুক্তগ। মুক্তগ অর্থ ‘যে মুক্ত গতিতে চলে’ বা ‘মুক্ত গমন যার’। যে-সমস্ত কবিত�� নিয়মিত সমপার্বিক ছন্দের শাসনমুক্ত কিন্তু জোড়চলনে সততই গতিশীল, সেগুলিই মুক্তগ। বাঙলা আধুনিক থিয়েটারের জনক গিরিশচন্দ্র ঘোষের নাট্যসংলাপের মধ্যে এই ছন্দের বীজ সুপ্ত থাকলেও রবীন্দ্রনাথই প্রকৃতপক্ষে মুক্তগের প্রতিপালক ও অভিভাবক। পরবর্তীতে জীবনানন্দ দাশের কবিতায় আমরা দেখতে পাই ছন্দটির এক নিপুণ কারিগরি। কবিতার মতো গানেও রবীন্দ্রনাথ মুক্তগের প্রতিপালক। গানকে তিনি তালের বন্ধনমুক্ত ক’রে নতুনভাবে প্রেয়কে আস্বাদনের চেষ্টা করেছেন। সৃষ্টির ��্রয়োজনে প্রথা ভাঙায় তাঁর জুড়ি নেই। একদিকে তিনি যেমন বাঙলা গদ্যকবিতার জনক, অন্যদিকে তেমন গদ্যকে সুরে গেয়ে তিনি গদ্যগানের জন্ম দিয়েছেন। এমন অসাধারণ দক্ষতায় তিনি গদ্যকে সঙ্গীত ক’রে তুলেছেন যে, শ্রোতাকে পূর্বভাগে ব’লে না দিলে তার খেয়ালই হবে না, গানটির বাণী গদ্য ছিল। আমি কতো-কতো দিন তাঁর ‘মন মোর মেঘের সঙ্গী,/ উড়ে চলে দিগ্‌দিগন্তের পানে/ নিঃসীম শূন্যে শ্রাবণসঙ্গীতে/ রিমিঝিম রিমিঝিম রিমিঝিম’ শুনেছি, অথচ বোধেই আসেনি গানটি অন্ত্যমিলশূন্য। কী অনির্বচনীয় শিল্পচাতুর্য! ‘চণ্ডালিকা’য় মা যখন নিখুঁত সুর-তাল-লয়ে প্রকৃতিকে প্রশ্ন করছে, “পোড়া কপাল আমার!/ কে বলেছে তোকে ‘জল দাও’!”, তখন কানের বুঝে উঠতে কষ্ট হয়, নিছক একখণ্ড গদ্যকে রবীন্দ্রনাথ গানের নাম ক’রে চালিয়ে দিলেন। এখানে একটি প্রশ্ন আসে, রবীন্দ্রমুক্তগ কোন সঙ্গীতাদর্শে গ’ড়ে উঠেছে- আলাপ, টপ্পা, না ভাটিয়ালির? ভাঙাটপ্পাগুলি বাদে কবিগুরুর টপ্পাঙ্গের বাকি গানগুলি যেহেতু মুক্তগ হয়ে উঠেছে এবং গানগুলির নতুন সংস্করণেও গিটকারি [পরস্পর-ঘনিষ্ঠ স্বরগুচ্ছের দ্রুত উচ্চারণ] বা স্বরঘেষের ব্যবহার যেহেতু টপ্পানুগ, রবীন্দ্রমুক্তগের সঙ্গে টপ্পার সম্পর্ক সেহেতু জন্মসূত্রীয়, ফলে অনস্বীকার্য। তবে টপ্পার বাইরের কিছু গানও ইদানিং মুক্তগ ঢঙে গাওয়া হচ্ছে- যেমন, আজি ঝড়ের রাতে তোমার অভিসার। উল্লেখ্য, এই গানটি কবিগুরুর নিজের তৈরী তাল ঝম্পকে বাঁধা। এবার আসা যাক আলাপ প্রসঙ্গে। আলাপ যেহেতু অনিবদ্ধ বা তালবন্ধনমুক্ত একধরণের ধ্যানগম্ভীর বিলম্বিত রাগরূপ, সেহেতু রবীন্দ্রমুক্তগের সঙ্গে এর সম্পর্কের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তবে টপ্পায় ঢালালয় ব্যবহারের ব্যাপারে আলাপ রবীন্দ্রমানসে কতোটা প্রভাব রেখেছিলো, তা আজ বলা বেশ মুশকিলের। আলাপের মতো ভাটিয়ালিও হতে পারে রবীন্দ্রমুক্তগের প্রেরণা। ভাটিয়ালি বাঙালির নাড়ির সুর। আলাপের মতো তারও রয়েছে একটি ধীর নাতিচঞ্চল প্রবাহ, কিন্তু সে-প্রবাহ আলাপের চেয়ে ঢের করুণ ও হাহাকারময়। একগুচ্ছ অক্ষর পরপর উচ্চারণের পর ভাটিয়াল যখন ওই অক্ষরগুচ্ছের শেষ স্বরটি ধ’রে লম্বা সুরে টান দেয়, তখন চারদিকে ফুটে ওঠে এক শান্ত নির্জনতা। জগৎ-সংসারে তখন ভাটিয়াল আর তার অনামা দরদি ছাড়া কেউই থাকে না। সেইসঙ্গে হঠাৎ যখন ভাটিয়ালের কণ্ঠস্বর মুদরা থেকে তারায় পৌঁছায়, তখন নিমিষেই একটি বুকফাটা হাহাকার ছড়িয়ে পড়ে সারা আকাশময়। ভাটিয়ালির মুখ্য উদ্দ্যেশ্য তাই শ্রোতারঞ্জন নয়। একান্তে কেঁদে হালকা হওয়ার জন্য এই গান। এইখানেই ভাটিয়ালির সঙ্গে রবীন্দ্রমুক্তগের সাদৃশ্য। রবীন্দ্রমুক্তগেও ভাটিয়ালির মতো পরপর একগুচ্ছ অক্ষর উচ্চারণের পর রয়েছে একটি প্রলম্বিত স্বর, এবং গানের মাঝে-মাঝে এখানে কান্নার মতো ডুকরে ওঠে টপ্পার গিটকারি। রবীন্দ্রমুক্তগ তাই একান্তে কাঁদবার আয়োজন। পরিশেষে আমার একটি স্বপ্নের কথা বলবো। আমি স্বপ্ন দেখি এমন একজন কবির, যাঁর মুক্তগ আবৃত্তির সময়ে ভাষার শ্রেষ্ঠ বাকশিল্পী পর্যন্ত ভয়ে-শ্রদ্ধায় সচেতন হয়ে উঠবেন পাছে কবির কাব্যের নীরবতা ভেঙে পড়ে, এবং এমন একজন সঙ্গীতকারের অপেক্ষায় আছি, যাঁর মুক্তগ ভাটিয়ালির কান্না হয়ে নিরাবেগ পৃথিবীকে অশ্রুর আনন্দ ফিরিয়ে দেবে। আর তবেই হবে ছন্দের ও তালের কোলাহল থেকে কাব্য এবং সঙ্গীতের যথার্থ মুক্তি। পুনশ্চবাঙালির নিজস্ব সঙ্গীতের কথা উঠলে যে-নামটি সর্বপ্রথম আসে, সেটি ভাটিয়ালি। এরপর আসে কীর্তন। নদীমাতৃক বাঙলাদেশে অর্থাৎ একসময়কার পূর্ববঙ্গে ভাটিয়ালির জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। আমার বাড়ি বাঙলাদেশের বৃহত্তর যশোর-খুলনা অঞ্চলে। এখানকার সাধারণ মানুষ তাদের নিত্যকার কাজকর্মের মধ্যে কিম্বা অবসরে নিজেদের অজান্তে যে সাধারণ সুরটি প্রায়ই গুনগুন ক’রে গেয়ে ওঠে, সেটি বস্তুত ভাটিয়ালি। তাদের এই গুনগুনানি হয়তো কিছু অর্থহীন অক্ষরমাত্র, কিন্তু হাহাকারটি সঙ্ক্রামক ও মর্মভেদী। বিখ্যাত কবিয়াল বিজয় সরকারের সমস্ত ধুয়া ও বিচ্ছেদী গান এই সুরের কারণে বিশিষ্ট। তাঁর বাড়িও পূর্ববঙ্গে। সামান্য খেয়াল ক’রে আমরা যদি দুই বাঙলার বাউলসঙ্গীত শুনি, তবে সহজেই আমরা পশ্চিমবঙ্গের বাউল থেকে পূর্ববঙ্গের বাউলের কিছু পার্থক্য আলাদা করতে পারবো। ঝুমুরের চাঞ্চল্য ও ঢপকীর্তনের সুরমাধুর্য পশ্চিমবঙ্গের বাউলকে করেছে গতিশীল। এই পশ্চিমবঙ্গেই একদিন কীর্তনের জন্ম হয়েছিলো, এবং কালে তার প্লাবন ছড়িয়ে পড়ে সারা বাঙলায়। বাঙলাদেশের বাউলেও তাই কীর্তন ক্রিয়াশীল। কিন্তু এখানকার ভাটিয়ালির নিমগ্নতাকে সে পুরোপুরি ভাঙতে পারিনি। এই ভাটিয়ালির গুণেই বাউলসম্রাট লালনের আমি অপার হয়ে ব’সে আছি, আমি একদিনও না দেখিলাম তারে, রাখিলেন সাঁই কূপজল ক’রে, আকার কি নিরাকার সাঁই রব্বানা, আর আমারে মারিসনে মা ইত্যাদি গান এমন ঐকান্তিক ও হাহাকারময়। জয়তু ভাটিয়ালি! দেবদাস মিস্ত্রি
ঋতুসার। ১ অগ্রহায়ণ ১৪২২। ১৫ নভেম্বর ২০১৫। রবিবার। খুলনা
1 note · View note
channelrupkotha · 5 years ago
Video
অন্ধ কাজলী এবার গাইলেন লালনের গান | Kajoli Bangla song 2020
0 notes
pranerbangla · 5 years ago
Text
সুরের পথের ওই সুরেলা পঞ্চবটী
সুরের পথের ওই সুরেলা পঞ্চবটী
শিল্পী কনকচাঁপা এবার গানের পাশাপাশি প্রাণের বাংলার পাতায় নিয়মিত লিখছেন তার জীবনের কথা। কাটাঘুড়ির মতো কিছুটা আনমনা সেসব কথা, হয়তো কিছুটা অভিমানিও। কিছুটা রৌদ্রের মতো, খানিকটা উজ্জ্বল হাসির মতো।
গান গাইতে গিয়ে নিজের সাধনা ছাড়া গান নিয়ে হোমওয়ার্ক আমি খুব কমই করেছি।যে যেমন ডেকেছে আমি কর্মজীবির মতো গেয়ে দিয়েছি।যার জন্য লম্বা সময় ধরে ক্যাসেটের জগতে হারানো দিনের গান, নজরুল সংগীত লালনের গান পল্লীগীতি…
View On WordPress
0 notes