#ভক্ত যায়
Explore tagged Tumblr posts
gitaacharaninbengali · 11 months ago
Text
17. চার প্রকার ‘ভক্ত’
শ্রীকৃষ্ণের মতে ভক্ত চার প্রকার।
প্রথম ভক্ত জীবনে যে অসুবিধা ও দুঃখের সম্মুখীন হচ্ছেন তা থেকে বেরিয়ে আসতে চান। অন্যরা বস্তুগত সম্পদ এবং পার্থিব সুখ কামনা করে। অধিকাংশ ভক্ত; সংস্কৃতি, লিঙ্গ, বিশ্বাস, স্বীকৃতি ইত্যাদি নির্বিশেষে এই দুই শ্রেণীর মধ্যে পড়ে।
শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন যে এই দুই ধরণের ভক্তরা বিভিন্ন দেবতার কাছে প্রার্থনা করে এবং আচার অনুষ্ঠান করে। তাকে এভাবে বোঝা যায় যে তিনি যে রোগে ভুগছেন তার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যান। শ্রীকৃষ্ণ আরও বলেন, শ্রদ্ধা অনুসারে এই ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়। সংক্ষেপে, এটি উত্সর্গের একটি রূপ।
নিচের উদাহরণটি শ্রদ্ধাকে বুঝতে সাহায্য করবে। দুইজন কৃষক যাদের খামার সংলগ্ন তারা আশেপাশের কৃষকদের মত তাদের খামারে সেচ দেওয়ার জন্য একটি কূপ খননের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথম কৃষক এক বা দুই দিন খনন কর��েন এবং জল না থাকলে জায়গা পরিবর্তন করে নতুন করে খনন শুরু করতেন। অন্য কৃষক একই জায়গায় খনন করতে থাকে। মাসের শেষ নাগাদ প্রথম কৃষকের খামারে অনেক গর্ত থাকে এবং দ্বিতীয়টি কূপ থেকে জল পায়। এমনকি যখন আমাদের ইন্দ্রিয়গুলি বাস্তব কিছু পায় না (যেমন এই ক্ষেত্রে জল), এটি অভ্যন্তরীণ শ্রদ্ধা যা আমাদের চলন্ত রাখে, যেমন অন্য কৃষকের ক্ষেত্রে। শ্রদ্ধা একটি নির্ভীক ইতিবাচক শক্তি এবং সন্দেহ মুক্ত।
শ্রীকৃষ্ণ ইঙ্গিত দেন যে তিনি এই শ্রদ্ধার পিছনে রয়েছেন, যার ফলস্বরূপ সাফল্য আসে। শ্রদ্ধা আমাদের সম্পর্ক, পারিবারিক বন্ধন এবং পেশায় অলৌকিক ঘটনা অর্জন করার ক্ষমতা রাখে।
তৃতীয় প্রকারের ভক্ত হচ্ছেন যারা কামনার সীমা অতিক্রম করছেন। তিনি একজন অনুসন্ধিৎসু ব্যক্তি এবং নিজের জ্ঞানের সন্ধান করছেন। চতুর্থ ভক্ত হলেন একজন জ্ঞানী, যিনি কামনার সীমা অতিক্রম করেছেন, তিনি সবকিছুতে এবং সর্বত্র ভগবানকে দেখেন এবং সর্বশক্তিমানের সাথে একত্ব লাভ করেছেন।
0 notes
dasmoyna · 11 months ago
Text
জেনেনিন কবে পড়েছে শিবরাত্রি
Maha Shivaratri এই দিনটা শিবের ভক্তদের আনন্দের একটা দিন এ দিন পুজো হয় শিবের গোটা দেশ জুড়ে যত তীর্থক্ষেত্র আছে প্রত্যেকটি মন্দিরে আরাধনা করা হয়ে থাকে শিবের কারণ এইদিনটা শিবের জন্মদিন বলে মনে করা হয় এটি শিবপুরাণে প্রোথিত বলে জানা যায় I শিবের সাথে পার্বতীর পুজো করা হয়ে থাকে শিবের পুজোয় অপরাজিতা, ধুতরো, আকন্দ ফুল এবং বেল পাতা ব্যবহার করা হয় উপবাস থাকেন বহু ভক্ত স্নান পর্ব শেষ হলে তবেই প্রসাদ গ্রহণ করা সম্ভব হয় I
Tumblr media
ত��ে কবে পড়েছে শিবরাত্রি 2024 জেনেনিন ক্লিক করে I
youtube
খিদিরপুরে পূজিত হন রক্তকমলেশ্বর এবং কৃষ্ণচন্দ্রেশ্বর। বৃহৎ অখন্ড কষ্টিপাথরে তৈরি এই দুই শিব লিঙ্গ শুধু ভারতে নয়, এশিয়া মহাদেশের মধ্যে বৃহত্তম। তাঁদের অধিষ্ঠান বিখ্যাত ভূ-কৈলাস মন্দিরে। ১৭৮১ খ্রীঃ কলকাতার ঘোষাল বংশের জমিদার রাজা বাহাদুর জয়নারায়ণ ঘোষাল এই মন্দির স্থাপন করেন। সাধক রামপ্রসাদ সেন একবার এই মন্দির দর্শনে এসেছিলেন। এখানে এসে তিনি এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে, তিনিই প্রথম জায়গাটিকে ‘ভূ-কৈলাস’ বলে অভিহিত করেন। মন্দিরের মাহাত্ম্য জানতে দেখুন জিয়ো বাংলার বিশেষ ভিডিয়ো..
0 notes
24x7newsbengal · 1 year ago
Link
0 notes
dhormerbani · 1 year ago
Text
ঈমানদার ভোদা আর সনাতনী বাড়ার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পর্ব ১
লোকালয় থেকে দূরে প্রতন্ত এক গ্রামে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। সারাদিনের কাজ শেষে তাই সবাই ঘড়ে ফিরছে,আর গ্রামের একমাত্র হিন্দু বাড়িতে নিয়মমাফিক তুলসীগাছের পূজা হচ্ছে, পূজো করছেন জিতেন্দ্র দাশ। সাধারণত এই পূজো বাড়ির স্ত্রীরা করে থাকে কিন্তু ওনার স্ত্রী কয়েকবছর ��গে গত হওয়াতে ওনাকেই এখন এটা করতে হয়। স্ত্রী মারা যাওয়াতে এই ছোট্ট মাটির ঘড়ে একমাত্র ছেলেকে নিয়ে থাকেন উনি।
উনি ৫০ বছর বয়সী সনাতনী হিন্দু। জিতেন্দ্র দা কালি দেবির ভক্ত, ঘড়ের এক কোনে কালী দেবীর ছোট্ট একটা মূর্তি রয়েছে। উনি আর ওনার ছেলে গ্রামের বেশিরভাগ মানুষের মতো নিজেদের জমিতে মৌসুম ভিত্তিক চাষাবাদ করেন, আর সারাবছর অনান্য কাজ করেন। তুলসী পূজা শেষ করে ঘড়ে যেতেই জিতেন্দ্র দাশের জরাজীর্ণ পুরোনো মোবাইলটা বেজে ওঠে। উনি ফোন ধরেলেন।
পরের দিনের দুপুর বেলা, রান্নাঘরে রান্না করছে আব্বাস উদ্দিন, তার কপালে একটু চিন্তার ভাজ,কিছু একটা নিয়ে চিন্তিত উনি। হঠাৎ বাড়ির মেইন দর্জার শব্দ ওনার কানে এসে লাগে। উনি তারাতাড়ি গিয়ে দর্জা খুলেলেন বাইরের মানুষকে দেখে আশ্বস্ত হয়ে বললেন” আরে জিতেন্দ্র দা, তোমার মোবাইল বন্ধ ক্যান, আমিতো চিন্তায় পইরা গেচিলাম যে তুমি রাস্তা চিনা আইতে পারব কিনা”।
জিতেন্দ্র দাশ বলল” আরে আর কইয়ো না,পূরান ফোন কহোন কি হয় বুঝি না, তয় আমার কোনো সমস্যা হয়নাই, কাইল সন্দায় আর আজ সকালে তুমিতো কয়েকবার আমারে ঠিকানা কইচো, ভগবানের দয়ায় তাই পথ চিনা চইলা আইচি”। উনি এটা বলে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করলো। এতোবড় বাড়িতে আর কাউকে না দেখে উনি আব্বাস উদ্দিনকে বলল” তুমি তো দেহি অনেক বড় বাড়িতে কাম করো দাদা কিন্তু বাড়িতে তে কুনো মানুষ দেকতাচিনা”।
আব্বাস উদ্দিন বলল” আগে গোসল কইরা খাইয়া নাও তারপর সব কইতাচি”। ওনারা দু’জনে তখন ঘড়ে চেলেন। বিকেল বেলা মসজিদে আযান শুরু হয়, আযানের ধ্বনি সবকিছুকে ছাপিয়ে ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। সেইসময়ে একটি বদ্ধ ঘড়ে একাকী নামাজে দাড়িয়ে যায় এক মুসলিম নারী, নাম তাছফিয়া। মাদ্রাসায় পড়ুয়া আলেমা এবং কুরআনের হাফেজা সে। ধীরস্থির ভাবে নামাজ শেষ করে দোয়া করতে থাকে তাছফিয়া।
বিকেলের চা-নাস্তা করে আব্বাস উদ্দিন জিতেন্দ্র দাশকে নিয়ে বাড়ির ওপর তলাতে যায়। উপরের তলাতে একটা বন্ধ দরজার পাশে গিয়ে আব্বাস মিয়া সালাম অলাইকুম ম্যাডাম বলে একজনকে হাঁক দিলেন। কয়েক মুহূর্ত পর দর্জার ওপাশ থেকে নারীকণ্ঠের একজনের জবাব আসলো। আব্বাস মিয়া তখন বলল” যার কতা কইচিলাম তারে নিয়া আইচি ম্যাডাম”। এটা বলে উনি দাড়িয়ে রইলেন।
Tumblr media
তাছফিয়াও তাতে রাজি হয়েছিলো। আব্বাস উদ্দিন তাই গতকাল সন্ধ্যায় ওনার গ্রামের বন্ধু জিতেন্দ্র দাশকে ফোন করে এখানে আসতে অনুরোধ করে। জিতেন্দ্র দাশও অবসর সময় পার করছিলো বিধায় সে তার ছেলের সাথে আলাপ আলোচনা করে আজ সকালে রওনা হয়ে যায়।যাইহোক, জিতেন্দ্র দাশের কাছে তাছফিয়ার স্বরুপ একদমই অপ্রত্যাশিতো ছিলো। কালো বোরকায় আবৃত তাছফিয়ার হাতেপায়েও ছিলো কালো মোজা পড়া।
আর সবকিছুর ওপর দিয়ে গায়ে জড়ানো ছিলো লম্বা জিলবাব। চোখ দুটোও নিকাবে ঢাকা ছিলো। এমতাবস্থায় তাছফিয়াকে মানুষের আকৃতির এক অন্ধকার অবয়ব মনে হচ্ছিলো। জিতেন্দ্র দাশ এই প্রথম এমনভাবে কোনো নারীকে দেখলো। তবে তাছফিয়ার কাছেও জিতেন্দ্র দাশ অপ্রত্যাশিতো ছিলে । জিতেন্দ্র দাশের ��ড়নে ধুতি কপালে তিলক আর গলায় তুলসীর মালা দেখে তাছফিয়ার আর বুঝতে বাকি ছিলো না যে জিতেন্দ্র দাশ একজন সনাতনী হিন্দু।
আব্বাস উদ্দিন তাছফিয়াকে বলল” ম্যাডাম, এই আমার গেরামের বন্দু জিতেন্দ্র”। জিতেন্দ্র দাশ তাছফিয়াকে নমস্কার জানায়। আব্বাস উদ্দিন জানে যে তাছফিয়া জিতেন্দ্র দাশকে স্বাভাবিক ভাবে নেবে না, তাই তিনি তখন বললেন” ম্যাডাম জিতেন্দ্র আমার অনেক বিশ্বস্ত বন্ধু আর ধার্মিক। আপনার অনুমতি থাকলে এই কয়দিন আমার পরিবর্তে কাজ করবো”৷
আব্বাস উদ্দিন তাছফিয়ার অনেক বিশ্বস্ত হওয়ায় তাছফিয়া ওনাকে অনুমতি দিয়ে দেয় । তাছফিয়া তারপর জিতেন্দ্র দাশের কাছে ওনার নাম ঠিকানা আর কিছু তথ্য জেনে নেয় তারপর আব্বাস মিয়াকে বলে জিতেন্দ্র দাশকে সবকিছু বুঝিয়ে দিতে। আব্বাস মিয়া জিতেন্দ্র দাশকে সবকিছু বুঝিয়ে দিয়ে পরদিন সকালে তার বাড়ির উদ্দেশ্য বেরিয়ে পড়ে হজে যাওয়ার আগে সবার কাছ থেকে বিদায় নিতে।
পরদিন সকাল বেলা, তাছফিয়া ঘড়ের বেলকনিতে তসবি হাতে দাড়িয়ে দিগন্ত দেখছে আর তসবিহ পড়ছে, সবসময়ের মতো পরিপূর্ণ পর্দা করেই বারান্দায় এসেছে সে। তাছফিয়ার বাবা হচ্ছেন নিজ এলাকার একজন শ্রদ্বেয় আলেম এবং একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিনিধি। এলাকার মানুষই ওনাকে ভালোবেসে কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত করেছে।
ওনার নিজের একটি মহিলা মাদ্রাসা আছে, যেটা উনি তাছফিয়া জন্মের পর প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাছফিয়া ঐ মাদ্রসাতেই লেখাপড়া করেই ক��রআনের হাফেজা এবং আলেমা হয়েছে। তাছফিয়া আলেমা হলেও ওর স্বামী আকরাম আহমেদ জেনারেল লাইনে পড়ুয়া ছেলে। ৫ মাস হয়েছে বিবাহ হয়েছে ওদের । নাহিদ গ্র্যাজুয়েট করে তাদের পারিবারিক ব্যবসা সামলাচ্ছে।
বাবা-মা শহরের বাড়িতে থাকলেও নাহিদ স্ত্রী তাছফিয়াকে নিয়ে শহরের কোলাহল থেকে দূরে এই এই বাড়িতে থাকে। তাছফিয়ার শ্বশুর শ্বাশুড়ি তাছফিয়ার মতো এমন পরহেজগার ধার্মিক বউমা পেয়ে খুবই খুশি ছিলো। একা বাড়িতে তাছফিয়ার যেন কোনো সমস্যা না হয় সে জন্য ওনারা ওনাদের বিশ্বস্ত আব্বাস উদ্দিনকে এই বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসেবে রেখেছেন।
Tumblr media
তাছফিয়ার স্বামী আকরাম আহমেদ দুদিন ধরে বাড়িতে না আসায় জিতেন্দ্র দাশের সাথে এখনও দেখা হয়নি। সেইদিন রাতে আকরাম বাড়িতে আসে আর খাওয়াদাওয়ার পর নিচে কাজের লোকের ঘড়ে গিয়ে জিতেন্দ্র দাশের সাথে সাক্ষাত করে। কয়েকদিনের মধ্যে জিতেন্দ্র দাশ বাড়ির সবকিছু বুঝে নেয়।
কিন্তু একটা কৌতূহল ওনার মধ্যে ক্রমেই বাড়ছিলো, প্রথমদিন থেকেই তাছফিয়াকে ওনার কাছে রহস্যময় লাগছে এবং তাছফিয়ার আচার-আচরণ ওনার কৌতুহল আরও বাড়িয়ে তুলছে। আব্বাস উদ্দিন একদিন জিতেন্দ্র দাশকে ফোন করে, দুজন বিভিন্ন কথা বলার পর এক পর্যায়ে জিতেন্দ্র দাশ বললো” আচ্ছা আব্বাস দা ম্যাডামরে অনেক অহংকারী মনে হয়, ম্যাডাম এমন ক্যান”।
আব্বাস উদ্দিন ফোনে বললো” আরে না অহংকারি না, ম্যাডাম অনেক ভালা মানুষ , তুমি ভুল বুঝতাচো। ম্যাডাম পরপুরুষের সামনে প্রয়োজন ছাড়া আসে না আর পরপুরুষের সাথে কুনো কথা কইলেও কঠিন গলায় কথা কয়। এগুলা ধর্মের হুকুমে উনি মাইনা চলে”। জিতেন্দ্র দাশ বললো ” ওহ আমিতো তাইলে ভুলই ভাবচিলাম”।
এরপর কয়েকদিন কেটে গোলো। একদিন সকালে বেলা তাছফিয়া নিচে নেমে জিতেন্দ্র দাশের ঘড়ের দিকে যায়। ��াছফিয়া প্রতিদিন ভোরে জিতেন্দ্র দাশকে বাগানে পানি দিতে দেখলেও আজকে সকালে সে পানি দিতে বাগানে যায়নি, তাই তাছফিয়া ওনার কিছু হয়েছে কিনা সেটা জানার জন্য খোজ নিতে যায়। তাছফিয়ার স্বামী গতকাল গভীর রাতে বাড়ি ফেরায় তখনও ঘুমাচ্ছিলো। তাছফিয়া জিতেন্দ্র দাশের ঘড়ের দর্জাতে টোকা দেয়।
জিতেন্দ্র দাশ দর্জা খুলে তাছফিয়াকে দেখে কিছুটা বিস্মিত হয়।। জিতেন্দ্র দাশ বললো” নমস্কার ম্যাডাম, ভিতরে আসেন ভিতরে আসেন”। তাছফিয়া বাইরে দাড়িয়েই বললো” শরীর খারাপ হয়েছে নাকি, এখনও বের হননি যে”। জিতেন্দ্র দাশ বললো ” হ ম্যাডাম ভোর রাইতে থাইকা একটু খারাপ অসুস্থ লাগতাছে, উনি তারপর আবার তাছফিয়াকে বললেন, “ম্যাডাম আপনে ভিতরে আসেন বাইরে দাড়ায়া ক্যান”।
তাছফিয়া তখন ঘড়ের ভেতরে ঢুকলো, জিতেন্দ্র দাশ তাড়াহুড়ো করে এলোমেলো জিনিসপত্র ঠিক করতে থাকে। তাছফিয়া তখন একপলকে পুরো ঘড়টা একবার দেখে নেয়, ঘড়ে বিশেষ কিছু না থাকলেও ঘড়ের এককোণে রাখা ছোট কালী দেবীর মূর্তিটা তাছফিয়ার নজরে পড়ে। তাছফিয়া ওনাকে বললেন ” আপনাকে এতো ব্যস্ত হতে হবে না, আপনি এখন বিশ্রাম নিন আর বলুন আপনার কি সমস্যা,আমি ডক্টরকে ফোন করে বলছি”।
জিতেন্দ্র দাশ বিছানাতে উঠে বালিশে ঠেকনা দিয়ে বসে বললো” ডাক্তার দিয়ে হইবো না ম্যাডাম, আমার জ্বর ঠান্ডা জন্ডিস এগুলা কিছু হয় নাই এইটা অন্য এক সমস্যা “, তাছফিয়া বললো ” কি সমস্যা”, জিতেন্দ্র দাশ বললেন” এইডা অনেক গুরুতর সমস্যা ম্যাডাম, আপনে আগে বহেন আমি সবকিছু খুইলা কইতাচি”। তাছফিয়া তখন বিছানার এক কোনায় পা মেলে বসে।
Tumblr media
জিতেন্দ্র দাশ বললো” ম্যাডাম এই বাড়িতে আহোনের পর থাইকা একটা জিনিসের চিন্তা আমার মনে মইদ্যে চাইপা বইসে, সবসময় শুধু সেই চিন্তা মাথায় ঘুরঘুর করে, আইজকা ভোর রাইত হইতে সেইটা আরও বেশি কইরা জাইগা উইঠা আমারে একেবারে দূর্বল কইরা দিচে”। তাছফিয়ার কাছে ব্যাপারটা বেশ অদ্ভু�� লাগলো, ও তখন জিতেন্দ্র দাশকে বললো” কিসের চিন্তার কথা বলছেন কি সেটা”।
উনি বললেন ” কইতাচি তয় আপনে কিন্তু কাউরে কইয়েন না”। তাছফিয়া বললো ” না কাইকে বলবো না”। জিতেন্দ্র দাশ তখন একটু উঠে বসে তাছফিয়া��ে বললো ” ম্যাডাম আমি বাড়িতে আহোনের পর থাইকা আপনের বুরকা পরা ভুদার চিন্তা আমার মাথায় মইদ্যে চাইপা বইসে, আপনে আমার হিন্দু বাড়াডা আপনের পর্দাকরা মুশলমানি ভুদাতে গাইথা নিয়া আমার এই পেরেশানি দূর কইরা দেন”।
ওনার এই কথা শুনে তাছফিয়ার পুরো হতভম্ব হয়ে গেলো, ও তৎক্ষনাৎ উঠে দাড়িয়ে জিতেন্দ্রকে বললো” ছি কাকা, কি সব বাজে কথা বলছেন আপনি, আপনি যে এতো নোংরা সেটা আমি কল্পনাতেও ভাবতে পারিনি”। জিতেন্দ্র বললো ” বাজে কথা না ম্যাডাম, আমি সত্যি আপনের পবিত্র ভুদার চিন্তায় অসুস্থ হইয়া পরছি, আমার মনের মইদ্যে সবসময় শুধু আপনের গুপ্ত ভুদার কথা ঘুরঘুর করে।
যেমন এইযে আমি এহোন আপনের দিকে তাকাইয়া কথা কইলেও আমি কিন্তু মনে মনে আপনের বুরকার ভিতরের ভুদার অবস্থাটা কল্পনা করতাচি।উনি তারপর আবার তাছফিয়াকে বললেন” আপনে যহোন বিছানায় বইছিলেন তহোন আমি আহ কইরা উঠছিলাম ক্যান জানেন? কারন আমার মনে হইছিলো আপনে বিছানায় বহাতে আপনের পবিত্র ভুদাটা আপনের বুরকার ভিতর থাইকা আমার বিছানায় চাইপা বইসে, এইটা মনে হইতেই আমার বুকের মধ্যে ছ্যাত কইরা উঠছে “।
তাছফিয়া ওনার এতো নোংরা নোংরা কথা শুনে রেগেমেগে বললো ” আমার জায়গায় অন্যকেউ হলে এতক্ষনে আপনার গালে একটা চড় বসিয়ে দিতো। আপনার এই দুঃসাহসের কথা আমি কাউকে বলবো না, আপনি কাল সকালেই চলে যাবেন, আপনাক আর এ বাড়িতে দেখতে চাই না”। এটা বলেই তাছফিয়া ওনার ঘড় থেকে বেড়িয়ে উপরে চলে যায়। উনি উপলব্ধি করলেন যে বেশ বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে উনি।
রাতে জিতেন্দ্র সবকিছু গুছিয়ে নেয় সকালে বাড়ি চলে যাবার জন্য। সকাল বেলা তাছফিয়ার স্বামী চলে গেলে জিতেন্দ্র দাশ ব্যাগ নিয়ে ওপরের তলাতে যায় আর তাছফিয়ার দর্জার সামনে ম্যাডাম বলে হাক দেয়। তাছফিয়া দর্জা না খুলে ভিতর থেকে জবাব দেয়। জিতেন্দ্র তখন বন্ধ দর্জার বাইরে থেকে বলল” ম্যাডাম আমি চইলা যাইতেছি, তয় যাওয়ার আগে আপনের কাছে মাফ চাইতে আইচি”।
কয়েকমূহুর্ত পর তাছফিয়া দর্জা খুলে দর্জার সামনে দাড়ায়। জিতেন্দ্র দাশ তখন বললো” ম্যাডাম আপনে আমারে ক্ষমা কইরা দেন, আমার প্রতি কুনো ক্ষোভ রাইখেন না”। জিতেন্দ্র দাশকে এভাবে ব্যাগ নিয়ে দাড়িয়ে মিনতি করতে দেখে তাছফিয়ার মন নরম হয়ে যায়। তাছফিয়া ভাবে বুড়ো মানুষ ভুল করেছে আবার ক্ষমাও তো চাচ্ছে।
তাছফিয়া তখন ওনাকে বললো” আপনাকে যেতে হবে না, আল্লাহ ক্ষমাকারীকে ভালোবাসেন, আমি আপনাকে ক্ষমা করে দিয়েছি”। জিতেন্দ্র দাশ খুশি হয়ে বললো ” ভগবান আপনের ভালা করুক ম্যাডাম, আপনের মতোন মানুষ হয় না। আসলে ম্যাডাম আমি আপনের মতোন এমন পর্দানশীল মুসলিমা নারী আগে কোনোদিন দেহিনাই।
আমি এতোদিন ধইরা এই বাড়িতে থাকলেও আমি এহোনও আপনের মুখ তো দূরের কথা চোখ দুইটাও দেহিনাই, আবার আব্বাস কইলো আপনে আমগো লহে শক্ত কন্ঠে কথা কন এইডাও নাকি আপনের পর্দার অংশ। এতোকিছু দেইখা আমার মনে হইলে যে আপনে যদি আপনের চোখমুখ গলার স্বর এতো কঠিন কইরা আড়ালে রাখেন তাইলে আপনের ভুদাটারে আপনে নাজানি কত্ত গু��নে রাহেন।
এই চিন্তা মনে আইদেই আমার মাথায় ঐ খারাপ চিন্তাটা ভর করছে। জিতেন্দ্র দাশ তখন অনুতাপ কন্ঠে তাছফিয়াকে বললো” আমি কিভাবে আপনের পবিত্র ভুদাতে আমার নাপাক বাড়া ঢুকাইনার কথা চিন্তা করলাম ছিছি। আপনের মন অনেক বড় ম্যাডাম, আপনে আমার এতো বড় অপরাধটা ক্ষমা কইরা দিলেন। ভগবান আপনের ভুদাটারেও আপনের মনের মতো বিশাল বড় করুক”।
তাছফিয়া তখন ওনাকে বললো” এহোন যান, নিজের কাজ করুন গিয়ে “। জিতেন্দ্র দাশ আচ্ছা বলে পরক্ষনেই হঠাৎ বিচলিত হয়ে তাছফিয়াকে বললো” ম্যাডাম আপনের দুপায়ের নিচে তেলাপুকা ঢুকতে দেখলাম। তাছফিয়া এ কথা শুনে ঘাবড়ে গিয়ে একটু সরে গেলো আর নিচে তাকিয়ে দেখলো কিছু নেই।
তাছফিয়া তখন বললো ” কই কিছু নেইতো”, জিতেন্দ্র দাশ বললো ” আমি স্পষ্ট দেখছি তেলাপুকা যাইতে, আপনে দাড়ান আমি দেকতাচি, ” এটা বলে উনি তাছফিয়ার পায়ের কাছে গিয়ে বসে পড়লেন আর দু’হাতে তাছফিয়ার মোজা পড়া পা দুটো ধরে তেলাপোকা খুজতে লাগলেন। তাছফিয়া ওনাকে বললো ” পেয়েছেন কি?,” উনি বললেন পাইনি বলে বললেন এই পাইছি”, তাছফিয়া বললো ” কোথায় দেখি”, উনি তখন বললেন ” আরে যাহ তেলাপুকা পা বাইয়া উপরে উইঠা গেচে”।
তাছফিয়া বললো আতংকিত হয়ে বললো” ছিছি কি বলছেন এটা”। জিতেন্দ্র বললো” ভয় পাইয়েন না ম্যাডাম আমি দেকতাচি”, এটা বলেই জিতেন্দ্র দাশ আচমকা তাছফিয়ার বোরকা কিছুটা উচিয়ে বোরকার ভিতরে মাথা গুজে ভিতরে ঢুকে পড়লেন। তাছফিয়া বললো ” কি করছেন আপনি, ভিতরে ঢুকলেন কেন,”। জিতেন্দ্র বললো” ভিতরে না ঢুকলে তেলাপুকা বাহির করমু ক্যামনে, আপনে দাড়ায়া থাকেন আমি দেকতাচি”।
তাছফিয়া আর কিছু বললো না। জিতেন্দ্র বোরকার ভিতরে তাছফিয়ার দুপায়ের নিচে বসে পায়জামার ওপর দিয়ে দুই পা হাতাতে হাতাতে হঠাৎ পায়জামাটা হাঁটু পর্যন্ত তুলে ফেললো। তাছফিয়া তখন বললো” এটা কি হলো “। উনি বললেন ” সমস্যা নাই ম্যাডাম বোরকার ভিতরে যে অন্ধাকারে আমি তাতে কিছু দেকমু না, এমনে আমার তেলাপুকা খুজতে সুবিধা হইবো”। উনি তখন তাছফিয়ার খোলা উপর নিচে হাতাহাতি করতে লাগলো।
জিতেন্দ্র দাশ তারপর আগাম কিছু না বলে আচমকা তাছফিয়ার কোমড় থেকে পায়জামা টেনে খুলে নিচে নামিয়ে দিলেন । তাছফিয়া ওনার এমন কান্ডে তাজ্জব হয়ে গিয়ে বললো” আপনি এটা কি করলেন, এখনই বের হন বলছি”। জিতেন্দ্র দাশ বললো ” আপনে ভয় পাইতাচেন ক্যান ম্যাডাম, বোরকার ভিত্রে তো ঘুটঘুটে অন্ধকার”। তাছফিয়া বললো ” আমি কিছু শুনতে চাই না, আপনি বের হন”।
জিতেন্দ্র দাশ তখন বোরকার ভিতরেই দাড়িয়ে গিয়ে বোরকার গলা দিয়ে মাথা বের করে দিলো। একই বোরকার কলার দিয়ে মাথা বের করাতে দুজনের মুখ মুখোমুখি হয়ে ছিলো তবে তাছফিয়ার মুখে নিকাব থাকাতে জিতেন্দ্র কিছু দেখতে পারছিলো না। তাছফিয়া ওনাকে বলল ” আপনাকে বেরিয়ে যেতে আপনি ভিতরে দাড়িয়ে গেলেন কেন”।
উনি তখন ওনার ধূতি খুলে ফেললেন আর ওনার শক্ত আকাটা বাড়া সটান করে তাছফিয়ার দুরানের মাঝের পবিত্র ভোদাতে গিয়ে আঘাত করলো, এই আচমকা ঘটনায় দু’জনে শক খেয়ে যায়। তাছফিয়া তখন রেগেমেগে বললো ” আপনি কি করতে চাইছেন, আমি ভেবেছিলাম আপনি ভালো হয়ে গেছেন “।
জিতেন্দ্র দাশ বললো ” আপনের পর্দাকরা ভুদার খেয়াল রাখা আমার দায়িত্ব ম্যাডাম, আমি নিশ্চিত তেলাপুকা আপনের ওযু করা ভুদাতে ঢুইকা গেচে, এইটারে এহোন আমি বাহির করমু”। এটা বলতে না বলতেই উনি তাছফিয়ার কোমড় ধরে তাছফিয়ার মুশলমানি ভোদাতে ওনার নাপাক বাড়া ঢুকিয়ে দেয়, জিতেন্দ্র দাশ আরামে বলে ওঠে” ওহ ভগবান, আপনের ভুদা কি গরম ম্যাডাম”।
তাছফিয়া বোরকার ভিতরে নড়াচড়া করতে না পেরে কাপতে কাপতে বললো ” আমার এমন সর্বনাষ করবেন না, ছাড়ুন আমাকে”। জিতেন্দ্র দাশ দাড়িয়ে দাড়িয়ে তাছফিয়ার ভোদা ঠাপাতে ঠাপাতে বললেন ” সর্বনাশের কতা কইতাচেন ক্যান ম্যাডাম, আমি তো উপকারই করতাচি। আপনের ভুদাতে অপবিত্র তেলাপুকা থাকলে আপনের তো নামাজ হইবো না। আমি আপনের পবিত্র ভুদা থাইকা অপবিত্র তেলাপুকাডা বাহির করতাচি”।
তাছফিয়া কি বলে তাকে আটকাবে সেটা বুঝতে পারে না। উনি তখন বললেন ” ম্যাডাম এমনে দাড়ায়া থাকতে আপনের তো কষ্ট হইতাচে মনে ���য়, চলেন ঘড়ে যাই”। বলে উনি নিজেই তাছফিয়াকে নিয়ে ঘড়ের ভিতর ঢুকে খাটে শুয়ে পড়ে। তাছফিয়া অসহায়ের মতো পড়ে থাকে আর উনি বোরকার ভিতরে তাছফিয়াকে ঠাপাতে থাকে।
উনি তাছফিয়াকে বললেন” ম্যাডাম আমি আপনের মুশলমানি ভুদাতে হিন্দু মাল ছাড়মু এতে তেলাপুকা দম বন্ধ হইয়া আপনের ভুদা থাইকা বাহির হইয়া আইবো, আপনে একটু ভোদা দিয়া আমার বাড়াটারে চাইপা চাইপা ধরেন তাহইলে বেশি মাল ঢালতে পারমু”। এটা বলেই জিতেন্দ্র দাশ জোড়ে জোড়ে তাছফিয়ার ঈমাণদার ভোদাতে কাফের বাড়ার ঠাপ দিতে শুরু করে, এতো জোড়ে ঠাপ খেয়ে তাছফিয়া ব্যথায় আহ করে ওঠে।
জিতেন্দ্র দাশ চিতকার দিয়ে বললো ” আহ্ ম্যাডাম একটু সহ্য করেন, আপনের এতো টাইট আর গরম ভুদাতে তেলাপিকাডা কেমনে ঢুইকা রইচে সেইডা তো আমি বুজতাচিনা, উফ কি টাইট ভুদা আপনের”। জিতেন্দ্র দাশ ইতোমধ্যে বোরকার ভিতরে তাছফিয়ার কামিজ বুকের ওপরে তুলে দিয়ে দুই দুধ টেপা শুরু করেছিলো।
আধাঘন্টা টানা চোদাচুদির পর জিতেন্দ্র দাশ একটা বড় ঠাপ মেরে তাছফিয়ার ভোদাতে বাড়া ঠেসে ধরলেন আর ওনার হিন্দু ত্রিশুলটা তাছফিয়ার আলেমা ভোদার ভিতরে কেপে কেপে উঠে একরাশ বীর্জ ঢেলে দিলো। কিছুসময় পর তাছফিয়া বললো ” নিন আপনার ইচ্ছা তো পূরণ হয়েছে এবার যান”। জিতেন্দ্র দাশ বললো” ইচ্ছে কিসের আবার,আমিতো আপনের ভুতা থাইকা পুকা বাইর করার লাইগা যা করার করচি”।
তাছফিয়া বললো ” ঐসব ছলচাতুরীর কথা বলা বাদ দিন, আপনার মনের ইচ্ছা পূরন করেছেন এবার যান”। জিতেন্দ্র দাশ শয়তানি হাসি দিয়ে বললো” একবারে কি ইচ্চা মিটা যায় নাকি, এইবার আপনেরে কোলচুদা দিমু”। তাছফিয়া বললো ” মানে”। জিতেন্দ্র দাশ বললো ” আপনেরে আমার কোলে চড়াইয়া আপনের ভোদার পানি বাহির করমু। কোলচুদায় খুব সুখ হয়, বাঁড়াটা একবারে আপনের নাড়ির মুখে গিয়া ঘা মারবো”।
তাছফিয়া অনুভব করলো ওনার বাড়াটা পুনরায় ওর ভোদাতে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে, ও তখন বললো ” না না অনেক হয়েছে আর না “। জিতেন্দ্র দাশ তখন বললো ” আচ্ছা ঠিক আছে ঐভাবে পরে করমু এহোন তাইলে ভোদা দিয়া আমার বাড়াটারে কামড়াইয়া ঠান্ডা কইরা দেন”।
তাছফিয়া মূলত চোদাচুদির মাঝে মজা পেয়ে গেলেও লজ্জার কারনে তা প্রকাশ কর��িলো না, আর জিতেন্দ্র দাশ তাছফিয়ার বুকের উপরে উপুড় শুয়ে বক বক করে যাচ্ছিলো তাছফিয়ার এই লজ্জাকে কমিয়ে আনার জন্য। জিতেন্দ্র তারপর পুনরায় তাছফিয়াকে ঠাপাতে শুরু করে আর এবার তাছফিয়া রেসপন্স করে।
উনি বোরকার ভিতরে মাথা নিয়ে তাছফিয়ার দুই দুধ চুষতে চুষতে ঠাপাতে থাকে আর তাছফিয়া আরামে ভোতা দিয়ে ওনার বাড়া আকড়ে আকড়ে ধরতে থাকে। দ্বিতীয় দফায় ঘন্টাখানেক চোদার পর উনি ফের তাছফিয়ার ভোদা বীর্জে ভাসিয়ে দিলেন। ঐদিন থেকে তাছফিয়া ওনার আকাটা বাড়ার মজা পেয়ে যায় আর জিতেন্দ্র প্রতিদি একবার ওপরে গিয়ে তাছফিয়াকে চুদে আসে।
তবে তাছফিয়া তাকে নিজের চেহারা দেখায় না, সে বোরকার ভিতরে ঢুকে যা করার করে। কয়েকদিন পরের ঘটনা শহরের এক জায়গায় হিন্দুদের জমিতে মসজিদ করার অভিযোগে কট্টর হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের সংঘর্ষ ঘটে, প্রতিদিনের মতো সেদিনও তাছফিয়ার স্বামী যথারীতি নিজের গাড়ি নিয়ে অফিসের উদ্দেশ্য বের হয় কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক ভাবে রাস্তায় সে ঐ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কবলে পড়ে আর গুরুতর ভাবে আক্রান্ত হয়।
তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাছফিয়া শ্বশুরের ফোনে খবর পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে পৌছায়, জিতেন্দ্র দাশও সাথে যায়। আকরামকে ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। তাছফিয়ার শ্বাশুড়ির সাথে খালা শ্বাশুড়িও এসেছিলো হাসপাতালে। তাছফিয়ার বাবাও কিছু ঘন্টা খানেক পর হাসপাতালে পৌছায়। আকরামকে ওটি থেকে জরুরি পর্যবেক্ষনে রাখা হয়।
#ভোদা #আকাটা #বাড়া #সনাতনী #পরহেজহার #পর্দানশীল #ঈমানদার #নামাজ
1 note · View note
neon-mine · 1 year ago
Text
|| বিস্মৃতির অন্তরালে ঢাকেশ্বরী মাতা ||
"ঢাকেশ্বরী জগন্মাতঃ ত্বংখলু ভক্ত বৎসলা। স্বস্থানাৎ স্বাগতা চাত্র স্বলীলয়া স্থিরা ভবঃ।।" - অর্থাৎ "হে জগন্মাতা ঢাকেশ্বরী তুমি স্বয়ং ভক্তবৎসলা, তোমাকে স্বাগত জানাচ্ছি, তুমি কৃপা করে এই স্থানে স্বমহিমায় অবস্থান করো।" - 'কলকাতা' নামটির উদ্ভব যেমন 'কালীক্ষেত্র' থেকে তেমনি 'ঢাকা' নামটিরও উদ্ভব জগৎ-জননী 'ঢাকেশ্বরী' মাতার নাম থেকে। দ্বাদশ শতকে অর্থাৎ আদি মধ্যযুগে এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন সেনসম্রাট বল্লাল সেন। পাশাপাশি রাঢ়ের কল্যাণেশ্বরী মন্দির, রাঢ়েশ্বর শিবমন্দির ও গৌড়ের গৌড়েশ্বরী মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতাও তিনি।
লক্ষ‍্যণীয় বিষয়টি হলো সম্পূর্ণ মন্দিরটি চুন বালির গাঁথনিতে নির্মিত - যা তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশের স্থাপত্য শৈলীর সঙ্গে একেবারেই মানানসই নয়! কারণ সেযুগের ভারতীয় স্থাপত্যশিল্পে মর্টার হিসেবে চুন-বালির মিশ্রনের ব্যবহার অজানা ছিলো বলেই মনে করা হয়। অতএব এই স্থাপত্য-নিদর্শনটি নিঃসন্দেহে সমকালীন বঙ্গভূমের সুউন্নত স্থাপত্য-কৌশলেরই ইঙ্গিত বহন করে। মন্দিরের প্রতিষ্ঠা সম্পর্কিত বিষয়ে বহুবিধ মতামত থাকলেও সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য মতানুসারে মোট দুটি তথ্য উঠে আসে -
/ রাজা আদিসুর তাঁর এক রানীকে বুড়িগঙ্গার অরণ্যে নির্বাসন দিলে সেখানেই রানী জন্ম দেন পুত্র বল্লাল সেনকে। শৈশবকালীন দিনগুলি সেখানেই অতিবাহিত করার সময়ে বালক বল্লাল অরণ্যমধ্যে একটি দুর্গামূর্তি আবিষ্কার করেন। এর থেকে তাঁর মধ্যে বিশ্বাস জন্মায় যে জঙ্গলের যাবতীয় বিপদ-আপদ-দুর্বিপাক থেকে এই দেবীই তাঁকে রক্ষ�� করছেন। ফলতঃ রাজসিংহাসনে আসীন হলে নৃপতিশ্রেষ্ঠ বল্লাল উক্ত স্থানটির সংস্কারসাধন করে সেখানে একটি মন্দিরের স্থাপনা করেন। অতঃপর সেখানেই তিনি দেবীবিগ্রহটিকে প্রতিষ্ঠা করেন।
/ মহারাজা বিজয় সেনের শূর বংশীয়া মহিষী বিলাসদেবী লাঙ্গলবন্দ থেকে স্নানকার্য সমাধা করে ফেরার পথেই পরবর্তী রাজনরেশ বল্লাল সেনকে প্রসব করেন। পরে নৃপতি বল্লাল স্বপ্নাদেশ পেয়ে ওই স্থান থেকে মাতৃকা মূর্তিটিকে আবিষ্কার করেন এবং স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী দেবীর ইচ্ছাকে বাস্তবায়িত করতে ও তাঁর জন্মস্থানকে মহিমান্বিত করার জন্য সেখা��ে ওই মন্দিরটির নির্মাণ করান।
মনে করা হয় যে বাংলার সুবেদার থাকাকালীন মুঘল সেনাপতি মানসিংহ মন্দিরটির জরাজীর্ণ অবস্থা দেখে সেটিকে সংস্কারের উদ্যোগ নেন। সংস্কারের সময় তিনি মন্দির প্রাঙ্গনে চারটি শিবলিঙ্গ ও চারটি শিবমন্দিরও নির্মাণ করেন - যদিও এই ঘটনার কোনো সুনির্দিষ্ট নথিবদ্ধ প্রমাণ পাওয়া যায়না। এই ঢাকেশ্বরী মন্দিরকে কেন্দ্র করেই পরবর্তীতে 'ঢাকা' নামক সমৃদ্ধ জনপদটির উদ্ভব হয়। মা ঢাকেশ্বরী এই শহরের রক্ষাকত্রী, অধিষ্ঠাত্রী - তাঁর নামেই এই শহরের 'ঢাকা' নামকরণটি হয়েছে। তিনি ঢাকা'র ঈশ্বরী, তাই 'ঢাকেশ্বরী।' স্বাভাবিকভাবেই এই ঢাকেশ্বরী নামকরণটির পিছনেও উঠে এসেছে একাধিক কিংবদন্তি; যেমন -
/ দেবাদিদেব মহাদেবের তাণ্ডবনৃত্য থামাতে যখন ত্রিলোকেশ্বর শ্রীবিষ্ণু তাঁর সুদর্শন চক্রের সাহায্যে সতীর দেহকে খন্ড-বিখন্ড করছিলেন তখন ৫১টি দেহাংশের মধ্যে সতীর কিরীট বা মুকুটের 'ডাক'(প্রজ্জ্বলিত গহনার অংশবিশেষ)টি ছিন্ন হয়ে পৃথিবীর যে স্থানে পড়ে সেখানে একটি উপপীঠের জন্ম হয়। সতীর শিরোভূষণের এই 'ডাক' থেকেই 'ঢাকেশ্বরী' নামটির উৎপত্তি।
/ 'অরিরাজ নিঃশঙ্ক শঙ্কর' বল্লাল সেনের স্বপ্নে দর্শিত দেবী মূর্তিটি ছিল গুপ্ত বা আচ্ছাদিত, পরে জঙ্গল থেকেও বিগ্রহটিকে ঢাকা বা আচ্ছাদিত অবস্থায় পাওয়া যায়। যেহেতু দেবীমূর্তিটি ছিল ঢাকা অর্থাৎ সুপ্ত অবস্থাপ্রাপ্ত তাই তাঁর নাম হয় ঢাকেশ্বরী। সহজ কথায়, আবিষ্কারকালীন সময়ে দেবীপ্রতিমাটি ঢাকা অবস্থায় ছিলো বলেই তাঁর 'ঢাকা-ঈশ্বরী' বা 'ঢাকেশ্বরী' নামকরণ হয়।
/ ঢাকেশ্বরী দেবীর মূল মন্দির বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত হলেও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামার কারণে দেশভাগের পর ১৯৪৮ সাল নাগাদ বিশেষ বিমানে করে মন্দিরের বিগ্রহটিকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। কলকাতা শোভাবাজারের ধনবান ব্যবসায়ী দেবেন্দ্রনাথ চৌধুরী মহাশয়ের বাড়িতে ঢাকেশ্বরী মাতা নিত্যপুজা পেতেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি কুমোরটুলিতে একটি মন্দির নির্মাণ করে বিগ্রহটিকে সেখানেই প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরিবারের তরফ থেকে নিয়মিত পূজার্চনার ব্যবস্থাও করে যান।
/ 'কালীক্ষেত্র' কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র কুমোরটুলির দুর্গাচারণ স্ট্রিটে অবস্থিত এই ঢাকেশ্বরী মায়ের মন্দির। দেশভাগ পরবর্তী দাঙ্গার জেরে ঢাকেশ্বরী মাতার বিগ্রহটি ক্ষতিগ্রস্ত হবার সমূহ সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। এই আশঙ্কায় হরিহর চক্রবর্তী ও রাজেন্দ্রকিশোর তিওয়ারি (মতান্তরে প্রহ্লাদকিশোর তিওয়ারি) নামক দুই ব্যক্তি তাঁদের বিশেষ উদ্যোগে দেবিমূর্তিটিকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করেন। প্রায় ৮০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন এই ঢাকেশ্বরী মাতা কলকাতায় আগমনের পরবর্তী প্রথম দুটি বছর হরচন্দ্র মল্লিক স্ট্রিটের দেবেন্দ্রনাথ চৌধুরীর বাড়িতেই পূজিতা হন। পরবর্তীতে তিনি কুমোরটুলি অঞ্চলে ঢাকেশ্বরী মা'র জন্য একটি স্বতন্ত্র মন্দির নির্মাণ করে দেন এবং নিত্যসেবার জন্য কিছু দেবোত্তর সম্পত্তিও দান করেন।
/ বলা হয় যে, আজমগড়ের যে তিওয়ারি পরিবারকে মানসিংহ এই মন্দিরের সেবায়েত নিযুক্ত করেছিলেন তাদের বংশধরেরাই পরবর্তীতে কলকাতায় এসে পুনরায় মন্দিরের সেবায়েত নিযুক্ত হন। বাংলাদেশের ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বর্তমানে দেবীর যে বিগ্রহটি রয়েছে সেটি মূল মূর্তির প্রতিরূপ। সিংহবাহিনী মহিষাসুরমর্দিনী মূল দেবী প্রতিমাটির উচ্চতা দেড় ফুটের মতো, যার দুই পাশে অবস্থান করছেন লক্ষ্মী ও সরস্বতী, নিচে কার্তিক ও গণেশ। পরবর্তী সময়ে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে প্রায় অলংকারহীন অবস্থায় দেবীপ্রতিমাটিকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছিলো, যার ছবিও কলকাতার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পাওয়া যায়।
/ বিশ শতকের প্রথম দশকে ভাওয়াল পরগনার রাজা শ্রীযুক্ত রাজেন্দ্র নারায়ণ রায় মন্দিরটির সংস্কারসাধন করে ২০বিঘা জমি দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে নথিভুক্ত করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী খান সেনাদের গোলাগুলিতে মন্দিরটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো। পরবর্তীতে যথাযথ সংস্কারকার্যের মাধ্যমে মন্দিরের হৃতসৌন্দর্য পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয়। অবশ্য দেশভাগ পরবর্তী পূর্ব পাকিস্তানে (পরে বাংলাদেশে) সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদতে দফায় দফায় সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর ব্যাপক হারে শোষণ ও নিপীড়ন শুরু হলে মন্দিরের অনেক সেবায়েত ও পুরোহিত দেশত্যাগ করতে বাধ্য হন।
/ শুধু তাই নয়, ১৯৪৮ সালের 'ভূমি অধিগ্রহণ আইন', ১৯৬৪ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, ভারত-পাক যুদ্ধ, 'শত্রু সম্পত্তি আইন' (১৯৬৯) প্রভৃতির সাহায্যেও মন্দিরের জমি ও সম্পত্তি মাত্রাতিরিক্তভাবে বেদখল করা হয়। ঢাকেশ্বরী মন্দির বাংলাদেশের জাতীয় মন্দির হলেও বাংলাদেশের জাতীয় সরকার ও মৌলবাদী শক্তির প্ররোচনায় সেদেশের অন্যান্য হিন্দু মন্দিরগুলির মতো এটিরও স্থাবর সম্পত্তির সিংহভাগই আজ ��েহাত হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে মন্দিরের মোট ২০ বিঘা জমির ১৪ বিঘাই অপহৃত। বিভিন্ন সময়ে এই বেদখলিকৃত জমি পুনরুদ্ধারের দাবি জানানো হলেও সরকারি তরফে এবিষয়ে কোনো পদক্ষেপই গৃহীত হয়নি। তার ওপরে ১৯৬৯ সালের 'শত্রু সম্পত্তি আইন' (বর্তমানে 'অর্পিত সম্পত্তি আইন') নামক কালা কানুনটির মাধ্যমেও বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের জমি দখলের পথ প্রশস্ত করা হয়েছে।
/ তবে যাবতীয় সরকারি অসহযোগিতা এবং মৌলবাদী শক্তির মিথ্যা প্ররোচনা ও ক্রমাগত অপচেষ্টা সত্ত্বেও আজও মন্দিরটি সমস্ত বাধা-বিপত্তিকে অতিক্রম করে বহু বঞ্চনা ও গৌরবের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মন্দির প্রাঙ্গনে প্রবেশের জন্য 'নহবতখানা তোরণ' নামক একটি সিংহদুয়ার রয়েছে। সমগ্র মন্দিরাঙ্গনটি একাধিক সৌধ ও পূজামন্ডপ, কয়েকটি অপ্রধান মন্দির, একটি পান্থশালা, প্রশাসনিক ভবন ও গ্রন্থাগার, কি সুন্দর ফুলের বাগান, বেশ কয়েকটি ঘর ও একটি সুবিশাল দীঘির সমন্বয়ে গঠিত। দীঘিটির দক্ষিণ-পূর্ব কোণে একটি সুপ্রাচীন বটগাছ অবস্থিত। দীঘির দুপাশ সুন্দরভাবে বাঁধাই করা, দীঘিতে বিভিন্ন প্রজাতির ছোটোবড়ো মাছের উপস্থিতিও রয়েছে, কাছাকাছি কয়েকটি সমাধিও দৃশ্যমান। বিবিধ জাতের ফুলগাছও মন্দিরটির শোভাবর্ধনে সহায়ক হয়েছে।
পথবিবরণী :- বাংলাদেশের ঢাকেশ্বরী মন্দিরে যাওয়ার পথবিবরণী আপনারা উইকিপিডিয়াতেই পেয়ে যাবেন; তাই এখানে রইলো কলকাতার শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী মাতার মন্দিরে যাওয়ার বিস্তারিত পথনির্দেশিকা। শোভাবাজারে নেমে রবীন্দ্র সরণি দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে কুমোরটুলি সার্বজনীনের পাশেই এই মন্দিরের অবস্থান। এই রাস্তাতেই ডানদিকে পড়ে 'উত্তর কলকাতার গিন্নি' সিদ্ধেশ্বরী মায়ের মন্দির, তারপর বামদিকের গলি দিয়ে হাঁটলেই পড়বে বহুকাঙ্খিত ঢাকেশ্বরী মাতার মন্দির। এটির নিকটেই আছে বাগবাজারের শ্রী শ্রী সর্বমঙ্গলা কালীমাতার মন্দির। ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পুরোহিত মশাইয়ের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় যে সম্প্রতি সেখানে পশুবলি বন্ধ হয়ে গেছে, কেবল দুর্গানবমীর দিন আটটি চালকুমড়ো বলি হয়।
/ হাতে সময় থাকলে এরপরই যাওয়া যেতে পারে নিকটবর্তী বাগবাজারের শ্রী শ্রী সর্বমঙ্গলা কালীমাতার মন্দিরে। এই মন্দিরের পুরোহিত মশাইয়ের সঙ্গে কথোপকথনের মাধ্যমে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী জানা যায় যে বর্তমানে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে পাঁঠাবলির সংখ্যা কমে গেলেও একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি। কালীপুজোয় দীপাবলি অমাবস্যার দিনে একটি পাঁঠা মায়ের উদ্দেশ্যে বলি দেওয়া হয়, কয়েকটি মানতের পাঁঠাও থাকে, নিকটবর্তী অটোস্ট্যান্ডের অটোচালক���াও একটি পাঁঠাবলি দেন।
/ পরিশেষে একথা বলাই যায় যে বাংলাদেশের ঢাকেশ্বরী মন্দিরের মতো কলকাতার ঢাকেশ্বরী মাতার মন্দিরও যথেষ্ট ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও ধর্মীয় তাৎপর্য বহন করে। বাঙালির শক্তিপূজার ইতিহাস অত্যন্ত প্রাচীন ও শক্তিপূজার সংস্কৃতি অবশ্যই বাঙালি জাতির ঐক্যবদ্ধতা ও গণসংস্কৃতির সাক্ষ্য বহনকারী। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন সম্পর্কে আমরা সকলেই কমবেশি ওয়াকিবহাল। তবে কেবলমাত্র জনসচেতনতা নয়, ভারত সরকারের সুচিন্তিত পদক্ষেপ ও সতর্ক হস্তক্ষেপই পারে এই ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক সমস্যার সমাধান করতে। নচেৎ অন্যান্য হিন্দু মন্দিরগুলির মতো বাংলাদেশের ঢাকেশ্বরী মায়ের মন্দিরও ক্রমাগত সাম্প্রদায়িক আগ্রাসন ও অধিগ্রহণের শিকার হতে হতে একসময় কালের করাল গ্রাসে তার অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলবে।
/ জাতির ধর্মীয় পরিচয় তার শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাক্ষ্য বহন করে। তার আরাধ্য উপাস্য ও উপাস্যের আরাধনাস্থল তার স্বাতন্ত্র সত্তা, একতা ও আইডেন্টিটিকে ধারণ করে। তাই শুধু ভাষা দিয়ে নয়, ভাষা-ধর্ম-সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য-বিশ্বাস প্রভৃতি সবকিছুর সমন্বয়েই একটি জাতির জাতিসত্তা নির্মিত হয়, সেই জাতিসত্তার উপর নির্ভর করেই জাগরিত হয় উক্ত জাতির জাতীয়তাবাদ। শাক্ত হিন্দুর অন‍্যতম শক্তিপীঠ এই ঢাকেশ্বরী মায়ের মন্দিরকে যথাযথ নিরাপত্তা দান ও রক্ষণাবেক্ষণের দাবি ভারত সরকারের কাছে সুদৃঢ় ও নিরবিচ্ছিন্নভাবে পেশ করা তাই প্রত‍্যেক সমাজ-সচেতন ও স্বজাতিপ্রেমী বাঙালির অবশ্যকর্তব্য।
#TheGangaridai
0 notes
writetoexpress1 · 1 year ago
Text
লক্ষ্মী পুজোয় লক্ষ্মীর রূপ নয়
ছোটবেলা থেকেই কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো বা বলা ভাল লক্ষ্মী ঠাকুরের প্রতি আমার এক অন্য ভাললাগা আছে। ছিমছাম ছোটখাটো মূর্তি। জাঁকজমক, আড়ম্বরের তেজ নেই। ছিমছাম ঘরোয়া ব্যাপার। নিজের মত দুটো ফল কেটে, একপাতা পাঁচালী পড়লেই পুজো সম্পন্ন হয়ে যায়। দেবী আর ভক্ত দুজনেই খুশি।
এই ভাললাগার আরও একটা কারণ আছে। একমাত্র এই ঠাকুরেরই কোনও লিঙ্গ বৈষম্য হয়না। ভাবছেন কী সব বলছি!
history of west bengal , culture of west bengal , art and culture of west bengal , bengali culture and tradition , ancient history of west bengal ,
Tumblr media
বিনোদনের খবর , পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি ,
Stay connected and follow us for more content like this ! We are active on Facebook, Instagram and YouTube, where you will find a collection full of inspiring posts. Join our community and embark on a journey of cultural exploration and artistic wonder. Be a part of our vibrant online presence by connecting with us today.
Facebook : https://www.facebook.com/JiyoBangla
Instagram : https://www.instagram.com/jiyobangla/?hl=en
YouTube : https://www.youtube.com/c/JiyoBangla
0 notes
Text
[ad_1] Ameristar ক্যাসিনো জন্য ভূমিকা আমেরিস্টার ক্যাসিনো রোমাঞ্চকর জুয়া, সুস্বাদু খাবার, উত্তেজ���াপূর্ণ শো এবং আরামদায়ক থাকার জায়গার জন্য আপনার এক নম্বর উৎস। (অবস্থান সন্নিবেশ করান), আপনি Ameristar ক্যাসিনো পাবেন, যা জুয়া খেলার উত্তেজনাকে বিলাসবহুল সুযোগ-সুবিধা এবং উত্তেজনাপূর্ণ বিনোদনের সাথে মিশ্রিত করে। এই পোস্টে, আমরা আমেরিস্টার ক্যাসিনোকে অবকাশ যাপনকারী এবং জুয়াড়িদের কাছে একইভাবে আকর্ষণীয় করে তোলে তা ঘনিষ্ঠভাবে দেখব। আরো বিস্তারিত জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন ক্যাসিনো খবর. Ameristar ক্যাসিনো ইতিহাস ameristar ক্যাসিনো আমেরিস্টার ক্যাসিনো দীর্ঘকাল ধরে রয়েছে; এটি প্রথম তার দরজা খুলেছিল (এখানে বছর লিখুন)। এটি একটি ছোট ক্যাসিনো হিসাবে শুরু হয়েছিল কিন্তু এখন এটি একটি বিশ্ব-বিখ্যাত বিনোদন কমপ্লেক্সে প্রসারিত হয়েছে। Ameristar ক্যাসিনো একটি উচ্চতর গেমিং অভিজ্ঞতা বজায় রাখার জন্য তার অটল উত্সর্গের জন্য জুয়াড়িদের মধ্যে একটি ভক্ত প্রিয় হয়ে উঠেছে। Ameristar ক্যাসিনোতে গেমিং বিকল্প Ameristar ক্যাসিনোতে গেমগুলি যে কোনো খেলোয়াড়ের রুচি এবং ক্ষমতা অনুসারে তৈরি করা যেতে পারে। খেলোয়াড়রা হাজার হাজার বর্গফুট গেমিং স্পেস জুড়ে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন স্লট মেশিন, টেবিল গেম এবং পোকার রুম থেকে বেছে নিতে পারেন। আপনি একজন পাকা জুয়াড়ি হোন বা সবে শুরু করুন, আপনি Ameristar ক্যাসিনোতে উপভোগ করার জন্য প্রচুর পাবেন। স্লট মেশিনগুলি পুরানো মান থেকে শুরু করে থিমযুক্ত বিনোদনে নতুন পর্যন্ত বিভিন্ন ধরণের অত্যাধুনিক গেম অফার করে৷ খেলোয়াড়রা তাদের পছন্দের বাজির স্তর নির্বাচন করতে পারে এবং উপলব্ধ যেকোনো মূল্যবোধে রিল ঘোরানোর আনন্দদায়ক প্রত্যাশা উপভোগ করতে পারে। Ameristar ক্যাসিনোতে ব্ল্যাকজ্যাক, রুলেট এবং ক্র্যাপস হল প্রথাগত কয়েকটি টেবিল গেম। লাইভ ডিলার এবং একটি প্রাণবন্ত পরিবেশের সাথে একটি বাস্তব ক্যাসিনোর রোমাঞ্চ এবং উত্তেজনা অনুভব করুন। পোকার রুম হল আপনার দক্ষতা দে��ানোর জায়গা, বিভিন্ন টুর্নামেন্ট এবং নগদ গেম থেকে বেছে নেওয়ার জন্য। অ্যামেরিস্টার ক্যাসিনোতে জুজু এলাকাটি সমস্ত দক্ষতার স্তরের খেলোয়াড়দের জন্য প্রতিযোগিতামূলক এবং মজাদার। ডাইনিং অভিজ্ঞতা আমেরিস্টার ক্যাসিনোর রেস্তোরাঁগুলি গর্বের বিষয়, এবং তারা পৃষ্ঠপোষকদের বিভিন্ন ধরণের রান্নার নমুনা দেওয়ার সুযোগ দেয়। ক্যাসিনোতে তার সমস্ত গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে সূক্ষ্ম ডাইনিং প্রতিষ্ঠান থেকে ফাস্ট ফুড জয়েন্ট পর্যন্ত বিভিন্ন ধরণের ডাইনিং বিকল্প রয়েছে। (রেস্তোরাঁর নাম) বিশ্বমানের শেফরা আপনার চমৎকার খাবারের আনন্দের জন্য একটি চমৎকার মেনু তৈরি করেছে। এটি তার পরিশীলিত সাজসজ্জা, মনোযোগী কর্মীদের এবং সুস্বাদু খাবারের জন্য উদযাপনের ডিনার এবং অন্তরঙ্গ তারিখের জন্য আদর্শ। নৈমিত্তিক খাবার (রেস্তোরাঁর নাম) একটি মেনু সহ যেটিতে আমেরিকান মান এবং আন্তর্জাতিক বৈশিষ্ট্য উভয়ই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কোমল বার্গার থেকে তাজা সুশি পর্যন্ত প্রতিটি স্বাদের জন্য একটি থালা রয়েছে। ক্যাসিনোতে অনেকগুলি সুবিধাজনক গ্র্যাব-এন্ড-গো ডাইনিং বিকল্প রয়েছে যাতে পৃষ্ঠপোষকদের কখনই কোনও কিছুর জন্য তাদের গেমিং বা বিনোদনের মজাকে বাধা দিতে না হয়। [embed]https://www.youtube.com/watch?v=3ACm11sFOxo[/embed] বিনোদন এবং নাইটলাইফ গেম খেলা Ameristar ক্যাসিনোতে মজার অংশ মাত্র। সাইটে বিভিন্ন ধরণের বিনোদন পাওয়া যায়, যা অতিথিদের তাদের থাকার সময় জুড়ে বিনোদন দেয়। যে কোনো সময়ে, Ameristar ক্যাসিনো একটি স্ট্যান্ড-আপ কমেডি ইভেন্ট থেকে একটি পূর্ণ-স্কেল মিউজিক্যাল পর্যন্ত যে কোনো কিছু হোস্ট করতে পারে। অত্যাধুনিক পারফরম্যান্স স্পেস কিংবদন্তি পারফরমারদের কাছে থেকে এবং ব্যক্তিগতভাবে দেখার জন্য একটি আদর্শ জায়গা। আমেরিস্টার ক্যাসিনোতে বিনোদনের সময়সূচীতে প্রতিটি ধরণের দর্শক সদস্যদের জন্য কিছু না কিছু রয়েছে। যখন সূর্য অস্ত যায়, তখন Ameristar ক্যাসিনো কার্যকলাপের কেন্দ্রে পরিণত হয়। এখানে অসংখ্য বার এবং লাউঞ্জ রয়েছে যেখানে দর্শকরা ককটেল নিয়ে আরাম করতে পারে বা দক্ষ ডিজেদের শব্দে তাদের খাঁজ পেতে পারে। আবাসন এবং সুযোগ-সুবিধা আমেরিস্টার ক্যাসিনোতে জুয়া খেলা এবং বিনোদনের একটি উত্তেজনাপূর্ণ দিনের পর, ক্যাসিনোর প্লাশ কক্ষগুলির একটিতে বিশ্রাম নিন। হোটেলের কক্ষগুলি বড় এবং রুচিশীলভাবে সজ্জিত, অতিথিদের পরম আরাম এবং বিশ্রামের কথা মাথায় রেখে। অ্যামেরিস্টার ক্যাসিনোতে বিলাসবহুল কক্ষগুলি হল অনেকগুলি উপায়ের মধ্যে একটি যেখানে ভেন্যুটি তার অতিথিদের পূরণ করে৷ অতিথিরা রিসোর্টের পুলে শীতল হতে পারেন এবং রিসোর্টের পুলসাইড কর্মীদের সাহায্যে রোদে আরাম করতে পারেন। স্পাটি ক্লায়েন্টদের জন্য বিভিন্ন ধরনের প���যাম্পারিং ট্রিটমেন্ট এবং থেরাপি প্রদান করে যারা তাদের থাকার সময় জুড়ে বিশ্রাম নিতে এবং রিচার্জ করতে চায়।
যারা আকৃতি বজায় রাখতে পছন্দ করেন তারা সম্পূর্ণভাবে স্টক করা জিমের জন্য তাদের স্বাভাবিক রুটিন চালিয়ে যেতে পারেন। ক্যাসিনোর মধ্যে একটি শপিং আর্কেড রয়েছে যেখানে দর্শকরা তাদের খুচরা থেরাপি ঠিক করতে পারে বা তাদের ভ্রমণের কথা মনে রাখার জন্য একটি অনন্য উপহার নিতে পারে। ইভেন্ট এবং সম্মেলন ameristar ক্যাসিনো Ameristar ক্যাসিনো শুধুমাত্র মজা করার জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা নয়, এটি সম্মেলন এবং অন্যান্য বিশেষ ইভেন্টগুলির জন্য একটি দুর্দান্ত অবস্থান। রিসোর্টে রয়েছে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা এবং বহুমুখী ইভেন্টের স্থান যা যেকোনো আকারের সমাবেশের আয়োজন করতে পারে। Ameristar Casino-এর পেশাদার ইভেন্ট পরিকল্পনাকারীরা আপনার সাথে ব্যবসা মিটিং থেকে শুরু করে বিয়ে থেকে প্রাইভেট পার্টি, ক্ষুদ্রতম বিবরণ পর্যন্ত যেকোনো ধরনের ইভেন্ট আয়োজন করতে আপনার সাথে কাজ করবে। আপনার ইভেন্টের সাফল্য নিশ্চিত করতে তারা আপনাকে বিশেষায়িত মেনু থেকে অত্যাধুনিক AV প্রযুক্তি পর্যন্ত আপনার যা প্রয়োজন তা সরবরাহ করবে। বিশ্বস্ততা প্রোগ্রাম Ameristar ক্যাসিনো তার সবচেয়ে নিবেদিত গ্রাহকদের স্বীকৃতি এবং পুরস্কৃত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ক্যাসিনোর আনুগত্য প্রোগ্রামের সদস্যরা বিশেষ সুবিধা এবং সুবিধাগুলিতে অ্যাক্সেস পান। একটি ব্যবসার অনুগত গ্রাহকদের কম দাম, একচেটিয়া ইভেন্টের আমন্ত্রণ এবং ব্যক্তিগতকৃত প্রচারের মতো সুবিধা দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। বিনামূল্যে থাকা, খাবার ভাউচার, স্পা ট্রিটমেন্ট এবং এমনকি অনন্য ইভেন্ট হল এমন কিছু সুবিধা যা অতিথিরা এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে তাদের পয়েন্ট রিডিম করতে পারে। আনুগত্য প্রোগ্রামের মূল বিষয় হল নিয়মিতদের বিশেষ এবং প্রশংসা অনুভব করা। সুবিধা - অসুবিধা পেশাদার কনস স্লট, টেবিল গেম এবং জুজু সহ গেমিং বিকল্পগুলির বিস্তৃত পরিসর। জুয়ার আসক্তি এবং সংশ্লিষ্ট আর্থিক ঝুঁকির জন্য সম্ভাব্য। দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ সহ বিলাসবহুল এবং ভালভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা সুবিধা। শব্দের মাত্রা এবং জনাকীর্ণ এলাকা, বিশেষ করে পিক আওয়ারে। প্রাঙ্গণের মধ্যে ডাইনিং বিকল্প এবং উচ্চ মানের রেস্টুরেন্ট বিভিন্ন. খাদ্য ও পানীয়ের মূল্য ব্যয়বহুল হতে পারে। মনোযোগী এবং বন্ধুত্বপূর্ণ কর্মীদের সাথে চমৎকার গ্রাহক পরিষেবা। নির্দিষ্ট এলাকায় ধূমপানের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে, যা অধূমপায়ীদের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে। নিয়মিত বিনোদন ইভেন্ট, লাইভ সঙ্গীত, এবং পারফরম্যান্স। সীমিত পার্কিং প্রাপ্যতা, বিশেষ করে ব্যস্ত দিনগুলিতে। আনুগত্য প্রোগ্রাম এবং ঘন ঘন দর্শকদের জন্য পুরস্কার. নির্দিষ্ট টেবিল গেমগুলিতে উচ্চ ন্যূনতম বাজি, কিছু খেলোয়াড়ের জন্য এটি কম অ্যাক্সেসযোগ্য করে ��োলে। কাছাকাছি আকর্ষণ এবং সুযোগ সুবিধার সহজ অ্যাক্সেস সহ সুবিধাজনক অবস্থান। জনপ্রিয় গেম বা রেস্তোরাঁ রিজার্ভেশনের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষার সময়ের সম্ভাবনা। নিরাপদ এবং ভাল-নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ, ন্যায্য গেমপ্লে এবং গ্রাহকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। অ্যালকোহল সেবন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ এবং সম্ভাব্য দ্বন্দ্বের দিকে নিয়ে যেতে পারে। উপসংহার যারা জুয়া এবং বিনোদনের সত্যিই অসাধারণ সন্ধ্যার সন্ধান করছেন তাদের জন্য, আমেরিস্টার ক্যাসিনোর চেয়ে বেশি দূরে তাকান না। আমেরিস্টার ক্যাসিনোর একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, বিভিন্ন ধরনের গেম, চমৎকার রেস্তোরাঁ, বিনোদনমূলক শো, আরামদায়ক রুম এবং অন্যান্য প্রথম-দরের পরিষেবা রয়েছে, যা এটি যেকোনো ধরনের ভ্রমণকারীদের জন্য এক-স্টপ গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। আপনি জুয়া খেলা, গুরমেট রন্ধনপ্রণালী, লাইভ বিনোদন, বা আমেরিস্টার ক্যাসিনোতে কেবলমাত্র ঐশ্বর্যের জন্য আপনার আবেগকে প্রশ্রয় দিতে পারেন। আমেরিস্টার ক্যাসিনো প্রাধান্য পেয়েছে কারণ এটি প্রথম-দরের পরিষেবা প্রদানের জন্য উত্সর্গীকৃত এবং এর পরিপূর্ণতার অন্তহীন সাধনা। জুয়া খেলার রোমাঞ্চ, সূক্ষ্ম রন্ধনপ্রণালীর স্বাদ এবং আমেরিস্টার ক্যাসিনোতে আজীবন স্থায়ী স্মৃতি তৈরির রোমাঞ্চের অভিজ্ঞতা নিন। আপনার জন্য আবিষ্কার করুন কেন এটি এখনও সারা বিশ্বের পর্যটকদের জন্য একটি শীর্ষ পছন্দ যারা গেমিং এবং বিনোদনে আগ্রহী আজকে দেখার পরিকল্পনা করে৷ অন্যান্য গেমের জন্য, পড়ুন ক্যাসিনো ভবিষ্যদ্বাণী সফ্টওয়্যার. FAQs Ameristar ক্যাসিনোতে পৃষ্ঠপোষকদের জন্য একটি (এখানে বয়স সন্নিবেশ করান) ন্যূনতম বয়সের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। দরজায়, আপনাকে আপনার আইডি দেখাতে হবে। ভ্যালেট পার্কিং আমাদের অতিথিদের আরামের জন্য দেওয়া হয়, হ্যাঁ। Ameristar ক্যাসিনোতে ফার্স্ট-টাইমারদের জন্য সর্বদা দুর্দান্ত ডিল পাওয়া যায়। আপনি যদি সবচেয়ে আপ-টু-ডেট তথ্য চান, তাদের সাইটে যান বা তাদের একটি কল দিন। Ameristar ক্যাসিনো বিভিন্ন ব্যক্তিগত ইভেন্ট স্থান এবং বিশেষজ্ঞ ইভেন্ট পরিকল্পনা পরিষেবা প্রদান করে। আপনি সাহায্য বা আরও তথ্যের প্রয়োজন হলে, তাদের ইভেন্ট দলের সাথে যোগাযোগ করুন.
Ameristar ক্যাসিনো সব সময় দর্শকদের স্বাগত জানায়, গেমিং এবং বিনোদন প্রদান করে। [ad_2] Source link
0 notes
mrmwithacupofcoffee · 2 years ago
Text
সামায়া
- রিফা ম্যাম সম্পর্কে কি জানো?
প্রতিযোগি  সামায়া বলে উঠলো,
- আমি শুধু মনে করে আমি খানিকটা তার মতনই!
এমন প্রশ্নের জবাবে বিচারকের আসনে অধিষ্ঠিত বিচারকের কেউই সন্তুষ্ট হলেন না। জবাবটা যেন অন্যদিকেই চলে গিয়েছিলো।
সোজা সাপটা ভাবে বিচারক বলে দিলেন, এমন পারফর্মার আমরা আশা করি না। ধন্যবাদ তোমাকে!
তবে সামাইয়া মঞ্চ ছাড়তে নারাজ! তাকে একটি সুযোগ দিতেই হবে তার পারফরম্যান্স দেখানোর জন্য!
পরনে অদ্ভুত ধরনের একটি বোরকা, মাথায় পড়েছে হিজাব, এ নিয়ে ফ্যাশন শোতে সামায়া।
সামায়াকে দেখে বিচারক আসনে অধিষ্ঠিত রিফাকে কিছুটা আগ্রহী মনে হল। সে কি করতে চাই তা দেখার জন্য রিফা তাকে একটি সুযোগ দিতে রাজি।
শুরু হল রেম্পওয়ার্ক।  সামায়া  কিছু সময়ের জন্য মঞ্চের পেছনে গেল এরপর সামায়া যখন মন্ঞে ফিরলে  সকলের চোখ তখন থেকেই যেন স্বপ্ত আকাশে!
পরনে লম্বা ��াদা গাউন, মাথায় নেই একটিও চুল পুরোপুরি টাক মাথা নিয়ে হাজির হয়েছে সামায়া। তাকে অদ্ভুত সুন্দর দেখাচ্ছে সাথে মাথায় যে চুল নেই তা কোন কিছুতেই যেন তফাত বা কমতি আনছে না।
রেম্পে হাঁটছে সামায়া তাকে দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিচারক আসনে অধিষ্ঠিত সকলেই।
- তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে তুমি রিফা ম্যামের অনেক বড় ভক্ত! তুমি কি তাকে ইচ্ছে করে নকল করেছ!
- আসলে ম্যাম, ব্যাপারটা তেমন নয়। আসলে একটু আগে যে কথাটা বললাম, "আমি খানিকটা তার মতনই" এটা আসলে তারই প্রতিচ্ছবি!
যাকে নিয়ে এতক্ষণ ধরে কথা হচ্ছে সে হলো,ওয়ার্ল্ড বেস্ট বিউটি, মডেল, ফ্যাশন আইকন "দ্যা রিফা"।
রিফা, এক সময়কার উঠতি মডেল ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে  ধরা পড়ে ক্যান্সারের। তারপরে তার ক্যারিয়ারে লেগে যায় তালা!  কিন্তু মডেল ক্যারিয়ারের প্রতি তার ভালোবাসা কোনভাবে নিজেকে আটকাতে পারছিল না। রিফা, এ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে যেভাবেই হোক ফিরে এলো আবার। এই রাস্তায় রিফার আগের মত সুন্দর ঘন কেশ না থাকলেও ছিল প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস যা নিয়ে সে  এগিয়েছে খঠিন থেকে খঠিন তর রাস্তা। প্রথম দিকে কেউই তাকে গ্রহণ করতে চাইনি। এমন মডেল নিয়ে ভবিষ্যতে কি হতে পারে!
তবে রিফা তাতেও থাকবে না। যেভাবে হোক তার মডেল ক্যারিয়ার তৈরি করবেই! আর এক্ষেত্রে তার প্রথম শর্ত ছিল সে বিনা পারিশ্রমিকের মডেল হবে। 
তারপরও হাতে কাজ নেই! রিফা এই মুহূর্তে হতাশ। এমন সময় এক উঠতি ফটোগ্রাফারের প্রস্তাব পেল রিফা।
আর সেই থেকেই রিফার ক্যারিয়ারের শুরু একের পর এক ছবি ছরিয়ে যেতে থাকে দেশ থেকে বিদেশে।
- হ্যাঁ, তো সামায়া মডেল হতে চাও কেন? 
- শুধু আমার একটিমাত্র ইচ্ছা থেকেই যে আমি আপনাকে আবারো জন্ম দিতে চাই।
- Do you love me that much!
- No, I just want to love myself more than anything.
সময় পেরিয়েছে প্রতিযোগিতার সাত-আট মাস চলছে। সব কিছুই ভালো মত যাচ্ছে। সামায়া ফাইনালে পৌঁছানোর দার প্রান্তে। ইতিমধ্যেই অনেক বড় বড় ফ্যাশন কম্পানির মডেল হয়ে কাজ করে ফেলেছে। 
হ্যাঁ, এখন সামায়া ফাইনালিস্ট। চাওয়া রাফা ম্যামের সাথে একটি মাএ ফটোশুট! 
তবে প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে তা ফাইনালের পরই সম্ভব! আগে থেকে জানা কথা হলেও সামায়া কেন যেন ব্যাকুল। 
আজ ফাইনাল, সবাই ধরেই নিয়েছে সামায়া বিজয়ী। তবে ফাইনালের মঞ্চে সামায়া অনুপস্থিত!
স্বাভাবিক ভাবেই সামায়া ��িসকলিফাই। তবে রাফা ম্যাম তা মানতে নারাজ। 
- সামায়া!
- রাফা ম্যাম!
- তোমার তো আজ এখানে হস্পিটালের বেডে থাকার কথা ছিল না!
পাশে থেকে নার্স বলে উঠলো, 
- সে ও তো চায় নি। আর কয়েকটা দিন বা ঘন্টায় তো আছে!
- সামায়া! এতকিছু?
- হ্যাঁ, ম্যাম আমি পারলাম না!
আমি সব সময় আপনার মতই হতে চেয়েছি। তাহলে আমি কেন পেরে উঠলাম না!
শেষ কাজটার পরই নাহয় যেতাম!
- I knew someone who was finally able to do something. We did a photoshoot together at the hospital. I know a secret part of her. I hope she knows too. 
- ৪ মে, ২০২৩
- মোনালিসা মিতু।
0 notes
bengali-e24bollywood · 2 years ago
Text
বাবিল খান শানাদাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন কঙ্গনা রানাউত 'কালা'-এর ভক্ত হয়ে উঠেছেন
বাবিল খান শানাদাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন কঙ্গনা রানাউত ‘কালা’-এর ভক্ত হয়ে উঠেছেন
কালা অন কঙ্গনা রানাউত: হিন্দি সিনেমার সুপরিচিত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত তার অনবদ্য টাইপের জন্য বোঝা যায়। দেশের প্রতিটি ছোট-বড় চ্যালেঞ্জে নিজের মতামত ধরে রেখেছেন এই অভিনেত্রী। এই সবের মধ্যেই তিনি প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খানের ছেলে বাবিল খানের প্রশংসা করেছেন ‘কালা’ সিনেমার জন্য। কঙ্গনা ‘কালা’-এর পক্ষে সবাই 1 ডিসেম্বর OTT প্ল্যাটফর্ম Netflix-এ চালু হওয়া ‘কালা’ সিনেমার প্রশংসা করছে বলে মনে হচ্ছে।…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
gopaldasa-official · 2 years ago
Text
Tumblr media
নলকূবর-মণিগ্রীব উদ্ধার লীলা থেকে শিক্ষা
→ কুবেরের দুই পুত্র যদিও ছিলেন শিবের মহান ভক্ত, তবুও তিনটি কারণে নারদমুনির প্রতি তাদের আপরাধ হয় এবং পরিণামে তারা অধঃপতিত হয়— (১) দম্ভ বা অহংকার, (২) নেশায় আসক্তি, (৩) যৌন সম্ভোগ ।
১/দন্ত বা অহংকার: অত্যন্ত সুখদায়ক অনুকূল পরিবেশ সর্বদা আমাদের জন্য মঙ্গলজনক নয়। আমরা হয়ত অনেক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে তা কৃষ্ণের কৃপা বলে মনে না করে নিজের কৃতিত্ব বলে মনে করতে পারি। কিন্তু এই ঐশ্বর্য হতে জাত মিথ্যা অহংকার আমাদের পতনের অন্যতম কারণ।
২. নেশায় আসক্তি: কেউ যখন নেশায় আসক্ত হয়, তখন তার আর কোনো হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। মদিরা পান করে নলকূবর ও মণিগ্রীবেরও একই অবস্থা হয়েছিল।
৩/যৌন সম্ভোগ: স্ত্রীসঙ্গ আপাত সুখকর বলে মনে হলেও তা আমাদের ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনে। তাই শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর তার গোদ্রুম ভজনোপদেশে বর্ণনা করেছেন- রমণীজন-সঙ্গসুখক সথে চরমে ভয়দং পুরুষার্থহরম। রমণীর সঙ্গে যে সুধ লাভ হয় তা চরমে অত্যন্ত ভয়ানক এবং তা আমাদের জীবনের পরম লক্ষ্যকে হরণ করে।
কবের পুত্ররা মন্দাকিনীতে (গঙ্গায় গিয়ে কাম মোহিত হওয়ার ফলে গঙ্গাগ্রেন করেও দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। তাই কে কোথায় আছে তাঁর ওপর তার গন্তব্য নিরি হয় না, বরং মনোবৃত্তির ওপরই তার গন্তব্য নির্ণীত হয়। সুতরাং, গঙ্গামন করতে গিয়েও যদি কারো মনোবৃত্তি শুদ্ধ না থাকে, তবে পাপ মুক্তি না হয়ে বরং আরো অপরাধ হয়, যা ভগবভক্তি লাভের প্রতিবন্ধক।
ও ভগবানের শুদ্ধভক্ত বা সদগুরুর কৃপালাভ অত্যন্ত দুর্লভ। সাধুর কৃপাতেই ভগবানের কৃপা লাভ হয়। কিন্তু তাঁর প্রতি অপরাধের ফলে অবশ্যই দণ্ড পেতে হয়। ৬ দেহের সৌন্দর্য, উচ্চকূলে জন্ম এবং বিদ্যা প্রভৃতি উপভোগ্যের বিষয় তথা
মদের মধ্যে ঐশ্বর্য বা ধনমদ সবচেয়ে ক্ষতিকর। কারণ, ধনমদে মত্ত মানুষ অজ্ঞতার
ফলে তাদের ধনসম্পদ দ্বারা স্ত্রীসম্ভোগ, দ্যূতক্রীড়া এবং মদ্যপানে লিপ্ত হওয়ার
অধিক সুযোগ প্রাপ্ত হয়।
+ ঐশ্বর্যের চারটি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে- ১. ইন্দ্রিয়সমূহকে বিক্ষিপ্ত করে ২. অহংকারী করে তোলে ৩. নিষ্ঠুরতা বাড়ায় এবং ৪. হাতে অর্থ থাকার ফলে সহজে জড় বাসনা ��রিতার্থ করতে উদ্বুদ্ধ করে ।
৬ ইন্দ্রিয় তর্পণের জন্য নগ্ন থাকার ফলে বৃক্ষ জন্ম লাভ করতে হয়। ৬ ভক্তের অভিশাপও কৃপায় পর্যবসিত হয়। ধরুন, কোনো সন্তান ঘুমিয়ে আছে। এদিকে তার একটা রোগ সারানোর জন্য ওষুধ খাওয়ার সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। তখন বাবা চিমটি কেটে সন্তানকে ঘুম থেকে তুলে ওষুধ খাওয়ায়। ঠিক তেমনি এখানে নারদমুনি নলকুবের ও মণিগ্রীবের জড় অন্ধত্ব দূর করার জন্য অভিশপ্ত করার মাধ্যমে তাদের আশীর্বাদ দিলেন। তিনি তাদের বৃক্ষযোনি প্রাপ্ত হওয়ার অভিশাপ দিলেন যাতে তারা আর পুনরায় কোনো পাপ কার্যে লিপ্ত হতে না পারে এবং পরে ভগবানের কৃপায় বৃক্ষশরীর থেকে মুক্ত হতে পারে।
নারদমুনির হৃদয়ে অত্যন্ত করুণা ছিল, তাই তিনি অভিশাপ দিতে পেরেছিলেন। কারণ তিনি তাদের প্রকৃতই কল্যাণ চেয়েছিলেন। ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য ক্রোধবশত কখনো কাউকে অভিশাপ দেয়া বা কারো নিন্দা করা উচিত নয়। অবশ্যই অধিকার বুঝে নিন্দা বা সমালোচনা করা উচিত। যদি কেউ কল্যাণের উদ্দেশ্য চিন্তা না করেই সমালোচনা করে, তবে তা তার ধ্বংসের কারণ; যেমনটা হয়েছিল শিশুপালের ক্ষেত্রে।
১. জন্ম, ঐশ্বর্য, শ্রুত, শ্ৰী— কোনোটিই ভগবানকে সাক্ষাৎ দর্শন দান করতে পারে না। ভক্তের করুণার ফলেই কেবল ভগবৎ-দর্শন সম্ভব।
যদি কেউ সরাসরি ভগবানের কাছে না গিয়ে ভক্তের মাধ্যমে ভগবানের কাছে যাওয়ার প্রয়াস করে, তবে সে শীঘ্রই সফল হবে। কারণ, ভগবানকে লাভ করার একমাত্র পন্থা ভক্তি। কিন্তু, ভগবান স্বয়ং সে ভক্তি দান করেন না। তিনি তাঁর ভক্তের দ্বারাই সে ভক্তি দান করেন।
৬ শ্রীমভাগবতে (১/2/26 ) বলা হয়েছে- স্যান্মহৎসেবয়া বিপ্ৰা পূণ্যতীর্থনিষেবণাৎ। অর্থাৎ সব রকমের পাপ থেকে মুক্ত ভগবদ্ভক্তদের সেবা করার ফলেই কেবল মহৎসেবা সাধিত হয়। আবার, শ্রীমদ্ভাগবতে (৫/১২/১২) জড় ভরত মহারাজ রগণকে বলেছেন- “মহাজনের শ্রীপাদপদ্মের ধূলিকণার দ্বারা অভিষিক্ত না হলে তপস্যা, বৈদিক অৰ্চনাদি, সন্ন্যাস পালন, গার্হস্থ্য-ধর্ম পালন, বেদপাঠ অথবা জল-অগ্নি-সূর্যের পূজা দ্বারা কখনোই ভক্তি লাভ করা যায় না।”
ও ভগবান তাঁর অনন্তস্বরূপে অনন্তলীলার মাধ্যমে তাঁর ভক্তকে আনন্দ প্রদান করেন। আমাদের উচিত, ভগবানের এ সকল অমৃতময় লীলা শ্রবণের মাধ্যমে আবার আমাদের চিন্ময় স্বরূপে ভগবানের কাছে ফিরে যাওয়ার প্রয়াসী হওয়া।
#dasagopal105
1 note · View note
whoisjakir · 2 years ago
Text
এলোমেলো ঝাঁকড়া চুলের নগরবাউল জেমস
আমি এখনও গান গাই, এলোমেলো সেই ঝাঁকড়া চুলে। দরাজ কণ্ঠে এমন কথার গানটি যিনি গেয়েছেন তার পুরো নাম ফারুক মাহফুজ আনাম। একটু খটকা লাগছে? যারা ফারুক মাহফুজ আনাম নামের সঙ্গে প‌রি‌চিত নন তাদের মনে খটকা লাগাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু জাতীয় চল‌চ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত জীবন্ত কিংবদন্তী এই ব‌্যান্ড সংগীত তারকার ভক্তরা ঠিকই জানেন যে তি‌নি আর কেউ নন, ত��‌নি হলেন তাদের চির প‌রি‌চিত এলোমেলো ঝাঁকড়া চুলের নগরবাউল জেমস। ভালোবেসে ভক্তরা তাকে গুরু নামেই ডাকেন। দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও তুমুল জন‌প্রিয় রকস্টার‌ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন নওগাঁর ছেলে ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস। কেবল বাংলাদেশেই নয়, ভারতের কলকাতা, মুম্বাইসহ বিশ্বের বি‌ভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে জেমসের অগ‌ণিত ভক্ত।তার পুরো নাম ফারুক মাহফুজ আনাম হলেও জেমস নামেই সবার কাছে বেশি পরিচিত তিনি। বাংলা ব্যান্ড সংগীতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম জেমস যে নক্ষত্র যুগের পর যুগ ধরে আলো বিলিয়ে চলেছেন, যে নক্ষত্র আজও দেদীপ্যমান। সুরের মায়াজালে তিনি নিজেকে পরিণত করেছেন জীবন্ত কিংবদন্তিতে। তার হাত ধরে গড়ে ওঠা নগরবাউল ব্যান্ডও তার মতোই সমান জনপ্রিয় শ্রোতাদের কাছে।
Tumblr media
সুরের ভুবেনে দীর্ঘ পথচলায় শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থায়ী আসন গে‌ড়েছেন নগরবাউল জেমস। তার বাবা মোজাম্মেল হক ছিলেন সরকারী চাকরিজীবী। বাবার চাকরির কারণে দেশের নানা জেলায় শৈশব কেটেছে জেমসের। বহুবার রদবদল এসেছে স্কুল-কলেজে। সবেমাত্র ক্লাস সেভেনে উঠেই গিটার নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু হয় জেমসের। আ‌শির দশকের শুরুর দিকেই ব্যান্ড সংগীতের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। শুরুর দিকে বিভিন্ন ক্লাবে গান-বাজনা চলতো।
Tumblr media
পড়ালেখায় খুব বেশি মনোযোগ ছিল না জেমসের। অথচ তার বাবা ছিলেন চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ। ঢাকা ‌শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ও সেকেন্ডারি হায়ার এডুকেশনের ডিরেক্টর জেনারেল পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন জেমসের বাবা মোজাম্মেল হক। পড়ালেখার চেয়ে গানের দিকেই জেমসের বেশি ঝোঁক ছিল। ছেলের গানের ঝোঁক একদমই পছন্দ করতেন না মোজাম্মেল হক। গানের নেশায় কৈশোরেই পড়ালেখা ছাড়েন জেমস। শুধু তাই নয়, সুরের টানে ঘরও ছাড়েন তিনি। তখনও চট্টগ্রামে বাবা-মায়ের সঙ্গেই ছিলেন জেমস। কিন্তু বদলি হওয়ায় ঢাকায় চলে আসতে হয় জেমসের বাবাকে। বাবা-মা চট্টগ্রাম ছাড়লেও জেমস কিন্তু সেখানেই থেকে যান। পরবর্তী সময়ে জেমস সুরের ভুবনে সাফল্যের চূড়া স্পর্শ করলেও তার কিছুই দেখে যেতে পারেননি তার বাবা-মা। আশির দশকের শেষদিকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় চলে আসেন জেমস। ঢাকায় আসার পর প্রকাশ করেন ‘স্টেশন রোড’ অ্যালবামটি। এর মধ্য দিয়ে পুরোদমে সুরের জগতে পথচলা শুরু হয় জেমস নামের এক স্ফুলিঙ্গের যা ধীরে ধীরে রীতিমতো দাবানলে পরিণত হয়। আশির দশক থেকে গানের জগতে যাত্রা শুরু হলেও জেমস ব্যাপকভাবে পরিচিতি পান নব্বইয়ের দশকে। তরুণ প্রজন্মের কাছে রীতিমতো ক্রেজে পরিণত হন এলোমেলো স্বভাবের এই খ্যাপাটে রকস্টার। তাকে ঘিরে রীতিমতো উন্মাদনা শুরু হয়ে যায় তার অগণিত ভক্তের মাঝে। কিন্তু তারকাখ্যাতি পাওয়ার জন্য কখনোই গান গাননি জেমস। তারকা হবেন- এমন প্রত্যাশাও তার ছিল না। বাবা বদলি হয়ে চট্টগ্রাম ছেড়ে ঢাকায় চলে গেলেও জেমস থেকে যান তার প্রিয় শহর‌ চট্টলাতেই। আগ্রাবাদে পাঠানটুলীর আজিজ বোর্ডিংয়ে শুরু হয় তার সংগ্রামী জীবন। আজিজ বোর্ডিংয়ের ১২ফুট/১২ ফুট দৈর্ঘ্যের ছোট্ট একটি ঘরে একটি ক্যাসেট প্লেয়ার আর ক্যাসেটের সাম্রাজ্য নিয়ে থাকতে শুরু করেন জেমস। ছোট্ট সেই ঘরের ভেতরেই শুয়ে-বসে গান তুলতেন কণ্ঠে। আজিজ বোর্ডিংয়ের সামনেই ছিল ছোট্ট একটি রেস্টুরেন্ট। সেখানেই খাওয়া-দাওয়া সারতেন জেমস। সন্ধ্যা হলেই চলে যেতেন আগ্রাবাদ হোটেলে, শো করতেন নাইট ক্লাবে। শুরুতে ইংরেজি কভার মিউজিক করার পাশাপাশি বিভিন্ন নাইট ক্লাবে গিটার বাজাতেন। গানের টানে, প্রাণের টানে ঠাঁই নেন তিনি আজিজ বো‌র্ডিংয়ে। গান আর আড্ডা দিতে দিতে সেখানেই ভবিষ্যতের ভিতটা রচনা করে ফেলেন তিনি। আজিজ বোর্ডিংয়ের দিনগুলো তার স্মৃতির পাতা থেকে কখনোই মুছবার নয়।
Tumblr media
আজিজ বোর্ডিংয়ের সংগ্রামী জীবন নিয়ে ‌‌‌'আমি তোমাদেরই লোক' অ্যালবামে 'আজিজ বোর্ডিং' শিরোনামে গান গেয়েছেন জেমস। গানটির শুরুতেই তিনি স্মৃতি রোমন্থন করে ছোট্ট এক টুকরো বক্তব্যে বলেন, সেই আশির দশকের মাঝামাঝির কথা। গানের টানে, প্রাণের টানে আমি চট্টগ্রামে। ঠাঁই হলো আজিজ বোর্ডিংয়ে। গান বাঁধি, গান করি আর স্বপ্ন দেখি। সেই স্মৃতিময় আজিজ বোর্ডিং স্মরণে এই গান : ছোট্ট একটি ঘর ছোট্ট একটি খাট ছোট্ট একটি টেবিল একটি পানির জগ। ছিল এক চিলতে আকাশ আমার আর সেই প্রিয় গিটার রুম নাম্বার ছ‌ত্রিশে ছিল আমার বসবাস। প্রিয় আজিজ বোর্ডিং… ছিল ব্যাচেলর সংসার আমার ছিল অগোছাল জীবন আমার রাত করে ঘরে ফেরার বাউন্ডুলে দিনভর। কত স্বপ্নের পায়রা ছুঁয়ে গেছে মন শত স্মৃতির কিংখাবে বন্দী সেদিন এখন। ছিল গান আর গিটার আমার ছিল স্ট্রাগল লাইফ আমার ব্যান্ডের বন্ধুরা মিলে গীত রচনা সেই নাইট ক্লাবে জিম মরিসন বাজাতাম ডিলান বব মার্লে।
Tumblr media
১৯৮৬ সালে প্রিয় চট্টগ্রাম ছেড়ে ঢাকায় এসে নিজের সৃষ্টিশীল কাজে ডুবে যান জেমস। সেসময় একবারের জন্যও ভাবেননি নিজের অজান্তেই দেশের ব্যান্ড সংগীত ইতিহাসের মহা তারকা হওয়ার পথে ছুটছেন তিনি। শুধুই গান করার জন্য গান করতেন তিনি। নিজের ভালোলাগা থেকে মেতে ওঠেন গান সৃষ্টিতে। সম্পূর্ণ স্বকীয় ধারায় স্বকীয় গায়কী ঢং‌য়ে স্বকীয় কণ্ঠে শ্রোতাদের উপহার দিতে থাকেন ��কের পর এক হৃদয়কাড়া সব গান। এভাবে জেমসের সংগীতে বিমো‌��িত হতে থাকেন শ্রোতারা। ধীরে ধীরে তার অগণিত ভক্ত জুটে যায়। জেমসের ভিন্নধারার গানে বিমোহিত হতে থাকেন তারা।
Tumblr media
জেমস মনে করেন, তার ভিন্নধারার গান কিংবা গায়কী কোনোটাই সচেতনভাবে হয়‌নি। তার মতে, অতীত জীবনের সংগ্রাম, বাবার চাক‌রিসূত্রে বিভিন্ন জায়গায় ঘোড়াঘু‌ড়ি আর ভেতরে জন্ম নেয়া অনুভূ‌তিগুলোই তার গানে গানে বিমূর্ত হয়ে ও‌ঠে। ব‌লিউডে প্লেব‌্যাক জেমসের সংগীত জীবনে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে বলে মত দিয়েছেন জেমস নিজেই। প্রতিবেশী দেশটির শক্তিশালী চলচ্চিত্র মাধ্যমটিতে কাজ করে সম্পূর্ণ নতুন এক অ‌ভিজ্ঞতা স‌ঞ্চিত হয়েছে তার ঝুলিতে। ‌জেমস হিন্দি ভাষায় গান গেয়ে ব্যাপক সাফল‌্য পেলেও ভাষাটি তি‌নি নিজে ঠিকমতো বলতেও পারেন না। সব‌মি‌লিয়ে ব‌লিউডে যুক্ত হওয়াটা তার জন্য ছিলো একটা অ‌্যাড‌ভেঞ্চারের মতোই।
Tumblr media
জেমস কখনোই অনেক বে‌শি ভেবে‌চিন্তে কাজ করার পক্ষপাতী নন। কোনো গান নিজের কাছে ভালো লাগলে কিংবা পছন্দ হয়ে গেলে সর্বোপরি গানটি নিয়ে তার ভেতরে তৃপ্তি‌বোধ কাজ করলেই হলো। সামনে-পেছনে চিন্তা না করে গানটি গেয়ে ফেলেন তি‌নি। গান উপহার দেয়াটাই তার মূল কাজ। পরবর্তী সব দায়-দা‌য়িত্ব তি‌নি তুলে দেন শ্র��াতাদের হাতে। শ্রোতারা জেমসের গান শোনেন, প্রতি‌ক্রিয়া দে‌ন। বে‌শিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা ভালোবাসায় সিক্ত করেন জেমসকে। তার ভক্তরা শুধু গান শুনেই ক্ষান্ত হন না, গুরুকে অন্ধের মতো অনুসরণ ক‌রারও চেষ্টা করেন। গুরুর মতোই ঝাঁকড়া চুল রাখেন, হাতা গু‌টিয়ে পাঞ্জা‌বি কিংবা পা গু‌টি‌য়ে জিন্সের প‌্যান্ট পরেন, গলায় চাদর ঝোলান।
Tumblr media
ভক্তদের এই অকৃত্রিম প্রেমই হলো জেমসের সৃ‌ষ্টিশীলতার মূল অনুপ্রেরণা। ভক্তদের এই অকৃ‌ত্রিম প্রেমই জেমসকে ধাবিত করে নতুন করে সৃষ্টি সুখের উল্লাসে মেতে ওঠার জন্য, শ‌ক্তি জোগায় নতুন নতুন গান বাঁধার। জেমস নিজেকে পুরোদস্তুর গানের মানুষ বলেই মা‌নেন। এই গান কারিগরের জীবনের অপ‌রিহার্য অংশ গানের চর্চা। রোজকার জীবনে খাবার গ্রহণ আর ঘুমের মতো গানের চর্চাও তার কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ।
Tumblr media
শুধু ব্যক্তি জেমসেই নন, তার অনেক সৃ‌ষ্টিই কালীক সীমারেখা অ‌তিক্রম করে‌ গেছে। জীবন্ত এই কিংবদন্তীর অনেক গানই অমর হয়ে থাকবে সংগীতের ই‌তিহাসের পাতায়। জীবদ্দশাতেই সংগীতের ই‌তিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়ে গেছে এই জাত‌ শিল্পীর নাম। বর্তমান প্রজন্মের মতো আগামী প্রজন্মও নিশ্চয়ই বুঁদ হ���ে জেমসের অসাধারণ গায়কী, বাণী ও সুরনির্ভর গানে। জেমস ম‌নে করেন, কালজয়ী হওয়াটা ভীষণ ক‌ঠিন। তার জীবনে যে আকাশছোঁয়া সাফল‌্য আর প্রা‌প্তি এসেছে তা নিয়ে তার কোনো মাথা ব্যথা নেই। তার সব ভাবনা ভ‌বিষ‌্যৎ‌কেন্দ্রীক। গানের মাধ‌্যমেই অগ‌ণিত শ্রোতা আর ভক্তের প্রেমে সিক্ত হ‌য়েছেন জেমস। গানে গানে তাদের হৃদয় জ‌মিনে প্রবেশ করার পথটি তার নখদর্পণে। তাই গানের মধ্য দিয়ে কীভাবে মানু‌ষের হৃদমাঝারে চিরটাকাল বাস করবেন সেই ভাবনাতেই সদা ডুবে থাকেন গানের এই নিপুণ কা‌রিগর।
Tumblr media
বিশ্বজুড়ে তুমুল জনপ্রিয় হার্ড রক গান। দেশে এই গানের বিকাশ ও জনপ্রিয়তার পেছনে ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে জেমসের। এছাড়া দেশে তিনিই প্রথম সাইকাডেলিক রক গান শ্রোতাদের উপহার দেন। এই হিসেবে দেশে সাইকাডেলিক রক গানের প্রবর্তক বলা যায় তাকে। ১৯৬৪ সালের ২ অক্টোবর নওগাঁ জেলায় জন্ম হয় জেমসের। তার বাবা মোজাম্মেল হক সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। বাবার চাক‌রিসূত্রে শৈশবে দেশের নানা অঞ্চলে ঘুরে বে‌ড়ানোর সুযোগ পেয়েছেন জেমস। এভাবে ঘুরতে ঘুরতে একটা সময়ে চট্টগ্রামের মা‌টিতে পা রাখেন জেমস। তার বাবা চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন। তার বাবা চেয়ে‌ছিলেন ছেলে লেখাপড়া শিখে অনেক বড় মানুষ হবে। কিন্তু ছেলের মাথায় তখদিনে ঢুকে গেছে গা‌ন পোকা। লেখাপড়ায় একটুও মন নেই। সারা‌দিন শুধু গান আর গান। জেমসের প‌রিবারের কেউই গানের সঙ্গে যুক্ত নন। তাই স্বভাবতই ছেলের গান পাগলামিকে মেনে নিতে পারেনি বাবা। শেষমেষ গানের টানে স্বেচ্ছায় বা‌ড়ি ছাড়েন জেমস। শুরু হয় তার সংগ্রামী জীবন।
Tumblr media
আ‌শির দশকের শুরুর দিকে চট্টগ্রামে ফিলিংস ব্যঅন্ডদল গড়ে তোলেন জেমস। সেসময় ব‌্যান্ড‌টির অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন প্যাবলো (ভোকাল ও পিয়ানো), ফান্টি (ড্রামস) এবং স্বপন (বেজ গিটার)। শুরুর দিকে বব মা‌র্লে, জিম মরিসন, এরিক ক্ল‌্যাপটনের মতো বিখ্যাত শিল্পী‌দের ইং‌রে‌জি গান কভার করত ফি‌লিংস। একটা সময়ে স্বপন ও পাবলো ফিলিংস ছেড়ে দেন। এরপর আ‌শির দশকের মাঝামা‌ঝিতে ফান্টিকে নিয়ে জেমস চট্টগ্রাম ছেড়ে ঢাকায় চলে আসেন। তখন ফিলিংস ব‌্যান্ডে যোগ দেন বেজ গিটা‌রিস্ট বাবু এবং কিবোর্ডিস্ট তানভীর। ফিলিংস ব্যান্ডের প্রথম অ‌্যালবাম 'স্টেশন রোড' মু‌ক্তি পায় ১৯৮৭ সালে। অ‌্যালবা‌মটির পাঁচটি গান লেখেন জেমস নিজেই। গানের সুরগুলো অবশ্য মৌলিক নয়, বি‌ভিন্ন ইং‌রে‌জি গান থেকে ধার করা। ব‌্যবসা‌য়িকভা‌বে তেমন একটা সাফল‌্য পায়নি 'স্টেশন রোড'। তবে অ্যালবামের কয়েক‌টি গান বেশ জনপ্রিয় হয়। ১৯৮৮ সালে সলো অ‌্যালবাম 'অনন্যা' ‌উপহার দেন জেমস। অ্যালবামটি সুপারহিট হয়, পায় তুমুল জনপ্রিয়তা। এরপর দুই বছর বির‌তি দেন জেমস। ১৯৯০ সালে বাজারে আসে ফিলিংস ব্যান্ডের সাড়াজাগানো অ্যালবাম 'জেল থেকে বলছি'। অ‌্যালবামটি রীতিমতো হইচই ফেলে দেয় চারদিকে।
Tumblr media
১৯৯১ সালের নভেম্বর মাসে জেমস ভালোবেসে ঘর বাঁধেন মডেল, আনন্দ বিচিত্রা ফটোসুন্দরী ও ‘অবুঝ মন’ ছবির না‌য়িকা রথিকে। প্রায় এক দশকের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনে পরবর্তী সময়ে জেমস বিয়ে করেন হাঁটুর বয়সী প্রেমিকা বেনজির সাজ্জাদকে। বেনজিরের সাথে জেমসের প্রথম প‌রিচয় হয়ে‌ছিল একটি কনসার্টে। পরিচয় থেকে প্রেম, অতঃপর বিয়ে। ২০০২ সালে বেন‌জিরকে বিয়ে ক‌রায় জে‌লও খাটতে হ‌য় 'জেল থেকে বলছি' গানের কারিগর জেমসকে। তিন সন্তানের বাবা এই রক লিজেন্ড। ছেলের নাম দানেশ আর দুই মেয়ে জান্নাত ও জাহান। নগরবাউল (১৯৯৬) , লেইস ফিতা লেইস (১৯৯৮) এবং কালেকশন অব ফিলিংস (১৯৯��) অ্যালবামগুলো প্রকাশিত হয় ফিলিংস ব্যান্ড থেকে। পরবর্তী সময়ে ফি‌লিংস ব‌্যা‌ন্ডের নাম পাল্টে নগরবাউল রাখেন জেমস। এই ব‌্যা‌ন্ডের দু‌টি অ‌্যালবাম 'দুষ্টু ছেলের দল' ও 'বিজলি'।
Tumblr media
ব‌্যা‌ন্ডের পাশাপা‌শি ৮টি একক অ‌্যালবাম উপহার দিয়েছেন জেমস। তার একক অ‌্যালবামগু‌লো হলো: অনন্যা (১৯৮৮), পালাবি কোথায় (১৯৯৫), দুঃখিনী দুঃখ করোনা (১৯৯৭), ঠিক আছে বন্ধু (১৯৯৯), আমি তোমাদেরই লোক (২০০৩), জনতা এক্সপ্রেস (২০০৫), তুফান (২০০৬) ও কাল যমুনা (২০০৮)। বাংলা চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েও ব্যাপক সাফল‌্য পেয়েছেন জেমস। সফল প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে স্বীকৃ‌তি মিলেছে জাতীয় পর্যায়েও। দুই বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঝুলিতে ভরেছেন তি‌নি। ২০১৪ সালে 'দেশা- দ্য লিডার' ছ‌বির 'দেশা আসছে' ও ২০১৭ সালে 'সত্ত্বা' ছবির 'তোর প্রেমেতে অন্ধ' গানে কণ্ঠ দিয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তি‌নি।
Tumblr media
'ওয়ার্নিং' সিনেমার 'এত কষ্ট কষ্ট লাগে', 'সুইটহার্ট' সিনেমার 'বিধাতা', 'লাল‌টিপ' সিনেমার 'ভোলা মনরে', 'মনের সাথে যুদ্ধ' সিনেমার 'আসবার কালে আসলাম একা', 'মাটির ঠিকানা' সিনেমার 'মাটির ঠিকানা' ও 'জিরো ডিগ্রি' সিনেমার 'প্রেম ও ঘৃণা' গানে জেমসের দরাজ কণ্ঠ প্রশং‌সিত হয়েছে বিভিন্ন মহলে। হি‌ন্দি চল‌চ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েও ব‌্যাপক জন‌প্রিয়তা পেয়ে‌ছেন জেমস। ব্যান্ড তারকা হিসেবে ভারতেও জনপ্রিয় এক নাম জেমস। ২০০৪ সালে ব‌লিউডের বিখ‌্যাত সংগীত পরিচালক বাঙা‌লি প্রীতম চক্রবর্তীর সঙ্গে জেমসের সাক্ষাৎ হয়। ২০০৫ সালে প্রীত‌মের সংগীত প‌রিচালনায় বলিউডের 'গ্যাংস্টার' সিনেমায় প্লেব্যাক করে হইচই ফেলে দেন জেমস।
Tumblr media
জেমসের গাওয়া 'ভিগি ভিগি' গানটি তুমুল জনপ্রিয় হয়। বলিউডে প্লেব্যাক অভিষেকে দুর্দান্ত সাফল্যের পর ২০০৬ এবং ২০০৭ সালে 'ও লামহে' সিনেমার 'চল চলে' ও 'লাইফ ইন এ মেট্রো' ছ‌বির 'রিশতে এবং 'আলবিদা (রিপ্রাইস)' গানে কণ্ঠ দেন জেমস। কয়েকবছর বিরতির পর ২০১৩ সালে 'ওয়ার্নিং থ্রিডি' সিনেমায় ব‌লিউডের তুমুল জন‌প্রিয় সংগীত প‌রিচালকত্রয়ী মিট ব্রোস অঞ্জনসের সংগী‌ত প‌রিচালনায় 'বেবাসি' গা‌নে কণ্ঠ দিয়ে আবার মাত করেন জেমস। জেমসের গাওয়া প্রতি‌টি হি‌ন্দি গানই ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে। তার দরাজ কণ্ঠে গাওয়া চমৎকার সুরেলা গান শুনে বিমোহিত হন বি-টাউনের বা‌সিন্দারা। 'লাইফ ইন এ মেট্রো' ছ‌বির 'রিশতে' গানে কণ্ঠ দেয়ার পাশাপা‌শি রকস্টার চরিত্রে গানের দৃশ্যে অভিনয়ও করেন জেমস। নিজের গানের সঙ্গে ঠোঁট মেলান তিনি। পরবর্তী সময়ে 'ওয়ার্নিং' ছ‌বি‌র 'বেবাসি' গানের ভিডিওতেও রকস্টার চরিত্রে অ‌ভিনয় করেন তিনি।
Tumblr media
সফল গায়ক, গীতিকার, সুরকার ও গিটারবাদক পরিচয়ের পাশাপাশি ব্যবসায়ী ও আ‌লোক‌চিত্রী হিসেবেও নিজেকে সফল প্রমাণ করেছেন জেমস। তার ভিন্ন ধরনের মডেল ফটোগ্রা‌ফি প্রশংসা কুড়িয়েছে বিভিন্ন মহলের। জয়া আহসান, মি‌থিলার মতো জনপ্রিয় নায়িকাদের ছ‌বি তুলে বাজবা পেয়েছেন জেমস। মডেল ফটোগ্রা‌ফি ছাড়াও প্রকৃ‌তি ও নাগরিক জীবনকেও জেম‌স ক‌্যামেরাবন্দী করেছেন আনকোড়া নতুন আঙ্গিকে।
Tumblr media
নিতান্তই শখের বসে ছবি তোলেন জেমস। তারপরও তার তোলা তোলা প্রাণবন্ত সেসব ছবি দেখে মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই। দেশে কিংবা দেশের বাইরে যেখানেই যান ‌না কেন তার সঙ্গে থাকে ক্যামেরা। সাগরের ঢেউ থেকে শুরু করে জলের বুকে শহরের প্রতিচ্ছ‌বি, সূর্যাস্ত, ফুল, পাহাড়, বরফঘেরা পর্বতসহ নানা ধরনের নৈস‌র্গিক সৌন্দর্য ভিন্নভাবে বন্দী হয়েছে ক্যামেরায়। প্রায় সময়েই নিজের তোলা সেসব ছবি সোশ্যাল মি‌ডিয়ায় শেয়ার করে ভক্তদের চমকে দেন নগরবাউল জেমস। লেখক : তানভীর খালেক Read the full article
0 notes
suryyaskiran · 2 years ago
Text
ভাৰতৰ এই ৫ টা ঠাইত কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উদযাপন কৰা হয়...
Tumblr media
জন্মাষ্টমী 2022: যদি আপুনি এই জন্মাষ্টমীত পৰিয়ালৰ সৈতে ঘূৰি ফুৰিবলৈ পৰিকল্পনা কৰি আছে, তেন্তে আপুনি ভগৱান কৃষ্ণৰ সৈতে সম্পৰ্কিত ঠাইলৈ যাব পাৰে। এইবোৰ ঠাই য'ত পৃথিৱীৰ আটাইতকৈ ডাঙৰ জন্ম জয়ন্তী উদযাপন কৰা হয়। কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী ২০২২: কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী এই বছৰৰ ১৮ আৰু ১৯ আগষ্টত উদযাপন কৰা হ'ব। এই উৎসৱটোত এটা দীঘলীয়া সপ্তাহান্ত আছে। এনে পৰিস্থিতিত, বহুলোকে ঘূৰি ফুৰাৰ পৰিকল্পনা কৰিছে। যদি আপুনি সেইবোৰৰ সৈতে জড়িত, তেন্তে আপুনি ভগৱান কৃষ্ণৰ বিশাল জন্ম জয়ন্তী চাবলৈ যাব পাৰে। আমি আপোনাক এনে পাঁচখন ঠাইৰ বিষয়ে ক'বলৈ গৈ আছোঁ য'ত বিশাল আৰু অতিপ্ৰাকৃতিক জন্ম বাৰ্ষিকী উদযাপন কৰা হয়। য'ত ভক্ত, ভক্তি আৰু ঈশ্বৰৰ সংগম আছে। এইবোৰ ঠাই য'ত আপুনি পৰিয়াল বা বন্ধুবৰ্গৰ সৈতে যিকোনো লোকৰ সৈতে যাব পাৰে                     মথুৰা ভগৱান কৃষ্ণৰ জন্মস্থান মথুৰাৰ জন্মাষ্টমী ঐশ্বৰিক। ইয়াত জন্ম বাৰ্ষিকী দুটা ভাগত উদযাপন কৰা হয়। ঝুলনোৎসৱ আৰু ঘাট। ঝুলনোৎসৱত, মথুৰাৰ লোকসকলে তেওঁলোকৰ ঘৰত দোলনা ৰাখে। তেওঁলোকে কৃষ্ণৰ মূৰ্তিবোৰ সেই দোলনাত ৰাখে। ৰাতিপুৱা, মূৰ্তিটো গাখীৰ, দৈ, মৌ আৰু ঘিউৰে স্নান কৰা হয়। নতুন কাপোৰ আৰু গহনা পিন্ধা হয়। দ্বিতীয় অনুশীলন ঘাটত, চহৰখনৰ সকলো মন্দিৰ একে ৰঙেৰে সজোৱা হয়। কৃষ্ণৰ জন্মৰ সময়ত, এই মন্দিৰবোৰত একেলগে উপাসনা কৰা হয়। পৰম্পৰাগত শংখ, মন্দিৰৰ ঘণ্টা আৰু মন্ত্ৰভজনৰ শব্দৰ প্ৰতিধ্বনিয়ে আপোনাক এক বেলেগ পৃথিৱীলৈ লৈ যায়। বাঙ্কে বিহাৰী, দ্বাৰকাধিশ, কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দিৰ আৰু ইস্কন মন্দিৰ ইয়াত যথেষ্ট বিখ্যাত।    
Tumblr media
                গৰুৰ জাক মথুৰাত জন্ম হোৱাৰ পিছত, ভগৱান কৃষ্ণক গোকুললৈ লৈ যোৱা হৈছিল। জন্মাষ্টমী ক ইয়াত গোকুলাষ্টমী বুলি জনা যায়। দেশৰ বাকী অংশত জন্মাষ্টমী উদযাপন কৰাৰ এদিন পিছত ইয়াত গোকুলাষ্টমী উৎসৱ অতি ধুমপানেৰে উদযাপন কৰা হয়। ইয়াৰ আঁৰৰ কাৰণ টো হ'ল যে কৃষ্ণক মথুৰাত জন্মৰ পিছত মাজনিশা গোকুললৈ অনা হৈছিল। ইয়ালৈ অহা তীৰ্থযাত্ৰীসকলে ৰাধা ৰমন মন্দিৰ আৰু ৰাধা দামোদৰ মন্দিৰ দৰ্শন কৰিব পাৰে। বৃন্দাবন বিশ্বাস কৰা হয় যে কৃষ্ণ বৃন্দাবনৰ প্ৰতিটো কণাত বহি আছে। মথুৰাৰ পৰা প্ৰায় 15 কিলোমিটাৰ দূৰত, এইটো সেই একেই ঠাই য'ত ভগৱান কৃষ্ণ ডাঙৰ-দীঘল হৈছিল, গোপীসকলৰ সৈতে ৰাসলীলা কৰিছিল, ৰাধা ৰাণীক ভাল পাইছিল। ইয়াত জন্ম বাৰ্ষিকীক আটাইতকৈ ডাঙৰ বুলি গণ্য কৰা হয়। জন্মাষ্টমী উৎসৱ বৃন্দাবনত ১০ দিন আগতে আৰম্ভ হয়। এনে পৰিস্থিতিত, আপুনি ইয়াত জন্মাষ্টমী বন্ধত উৎসৱ উদযাপন কৰিব পাৰে। বৃন্দাবনৰ গোবিন্দ দেৱ মন্দিৰ ভাৰতৰ আটাইতকৈ পুৰণি মন্দিৰসমূহৰ ভিতৰত এটা। নিধি ভান, ৰংনাথজী মন্দিৰ, ৰাধাৰমণ মন্দিৰ আৰু ইস্কন মন্দিৰ ইয়াৰ পৰা আটাইতকৈ বিখ্যাত মন্দিৰবোৰৰ ভিতৰত অন্যতম।    
Tumblr media
                দ্বাৰকা বৰ্তমান গুজৰাটত আছে। এই চহৰখনৰ যথেষ্ট ধৰ্মীয় গুৰুত্ব আছে। দ্বাৰকাক কৃষ্ণৰাজ্য হিচাপে চিনাক্ত কৰা হয়। এইটো সেই একেই ঠাই য'ত কৃষ্ণই মথুৰা এৰি যোৱাৰ পিছত প্ৰায় পাঁচ হাজাৰ বছৰ ইয়াত বাস কৰিছিল বুলি বিশ্বাস কৰা হয়। জনশ্ৰুতি অনুসৰি, এই চহৰখন কৃষ্ণৰ ডাঙৰ ভায়েক বলৰামাই নিৰ্মাণ কৰিছিল। এইটোও বিশ্বাস কৰা হয় যে দ্বাৰকা ছয়বাৰ পুনৰ নিৰ্মাণ কৰা হৈছিল। বৰ্তমানৰ দ্বাৰকা হৈছে সপ্তম। জন্মাষ্টমীক ইয়াত আটাইতকৈ বিশেষ বুলি গণ্য কৰা হয়। ইয়াত, জন্ম বাৰ্ষিকীৰ সময়ত, চহৰখনৰ সকলো ঠাইতে ঐশ্বৰিক আৰু অতিপ্ৰাকৃতমঙ্গল আৰতি পৰিৱেশন কৰা হয়। ভজন, ৰাস নৃত্য আৰু গৰ্বা কাৰ্যসূচী গোটেই ৰাতি চলি থাকে।  
Tumblr media
                    মুম্বাই মুম্বাইৰ দহি-হাণ্ডি কোনে ভাল নাপায়? যদি আপুনি জন্মাষ্টমী ভ্ৰমণ কৰাৰ পৰিকল্পনা কৰি আছে আৰু এই উৎসৱটো আড়ম্বৰপূৰ্ণভাৱে উদযাপন কৰিব বিচাৰে, তেন্তে মুম্বাই হৈছে সৰ্বশ্ৰেষ্ঠ স্থান। ইয়াত দহি-হাণ্ডি ৰীতি-নীতি সমগ্ৰ বিশ্বতে বিখ্যাত। বহু সংখ্যক লোকে এই অনুষ্ঠানত অংশগ্ৰহণ কৰে। মানুহে বতাহত বান্ধি থোৱা মাটিৰ পাত্ৰটো পাবলৈ আৰু ভাঙিবলৈ পিৰামিড গঠন কৰে। উৎসৱটো ৱৰ্লি, থানে আৰু যোগেশ্বৰীত অনুষ্ঠিত হয়। ইয়ালৈ আহি, আপুনি জন্মাষ্টমী উদযাপন কৰিবলৈ জুহুত অৱস্থিত ইস্কন মন্দিৰলৈও যাব পাৰে। Read the full article
0 notes
neon-mine · 1 year ago
Text
|| বি���্মৃতির অন্তরালে ঢাকেশ্বরী মাতা ||
"ঢাকেশ্বরী জগন্মাতঃ ত্বংখলু ভক্ত বৎসলা। স্বস্থানাৎ স্বাগতা চাত্র স্বলীলয়া স্থিরা ভবঃ।।" - অর্থাৎ "হে জগন্মাতা ঢাকেশ্বরী তুমি স্বয়ং ভক্তবৎসলা, তোমাকে স্বাগত জানাচ্ছি, তুমি কৃপা করে এই স্থানে স্বমহিমায় অবস্থান করো।" - 'কলকাতা' নামটির উদ্ভব যেমন 'কালীক্ষেত্র' থেকে তেমনি 'ঢাকা' নামটিরও উদ্ভব জগৎ-জননী 'ঢাকেশ্বরী' মাতার নাম থেকে। দ্বাদশ শতকে অর্থাৎ আদি মধ্যযুগে এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন সেনসম্রাট বল্লাল সেন। পাশাপাশি রাঢ়ের কল্যাণেশ্বরী মন্দির, রাঢ়েশ্বর শিবমন্দির ও গৌড়ের গৌড়েশ্বরী মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতাও তিনি।
লক্ষ‍্যণীয় বিষয়টি হলো সম্পূর্ণ মন্দিরটি চুন বালির গাঁথনিতে নির্মিত - যা তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশের স্থাপত্য শৈলীর সঙ্গে একেবারেই মানানসই নয়! কারণ সেযুগের ভারতীয় স্থাপত্যশিল্পে মর্টার হিসেবে চুন-বালির মিশ্রনের ব্যবহার অজানা ছিলো বলেই মনে করা হয়। অতএব এই স্থাপত্য-নিদর্শনটি নিঃসন্দেহে সমকালীন বঙ্গভূমের সুউন্নত স্থাপত্য-কৌশলেরই ইঙ্গিত বহন করে। মন্দিরের প্রতিষ্ঠা সম্পর্কিত বিষয়ে বহুবিধ মতামত থাকলেও সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য মতানুসারে মোট দুটি তথ্য উঠে আসে -
/ রাজা আদিসুর তাঁর এক রানীকে বুড়িগঙ্গার অরণ্যে নির্বাসন দিলে সেখানেই রানী জন্ম দেন পুত্র বল্লাল সেনকে। শৈশবকালীন দিনগুলি সেখানেই অতিবাহিত করার সময়ে বালক বল্লাল অরণ্যমধ্যে একটি দুর্গামূর্তি আবিষ্কার করেন। এর থেকে তাঁর মধ্যে বিশ্বাস জন্মায় যে জঙ্গলের যাবতীয় বিপদ-আপদ-দুর্বিপাক থেকে এই দেবীই তাঁকে রক্ষা করছেন। ফলতঃ রাজসিংহাসনে আসীন হলে নৃপতিশ্রেষ্ঠ বল্লাল উক্ত স্থানটির সংস্কারসাধন করে সেখানে একটি মন্দিরের স্থাপনা করেন। অতঃপর সেখানেই তিনি দেবীবিগ্রহটিকে প্রতিষ্ঠা করেন।
/ মহারাজা বিজয় সেনের শূর বংশীয়া মহিষী বিলাসদেবী লাঙ্গলবন্দ থেকে স্নানকার্য সমাধা করে ফেরার পথেই পরবর্তী রাজনরেশ বল্লাল সেনকে প্রসব করেন। পরে নৃপতি বল্লাল স্বপ্নাদেশ পেয়ে ওই স্থান থেকে মাতৃকা মূর্তিটিকে আবিষ্কার করেন এবং স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী দেবীর ইচ্ছাকে বাস্তবায়িত করতে ও তাঁর জন্মস্থানকে মহিমান্বিত করার জন্য সেখানে ওই মন্দিরটির নির্মাণ করান।
মনে করা হয় যে বাংলার সুবেদার থাকাকালীন মুঘল সেনাপতি মানসিংহ মন্দিরটির জরাজীর্ণ অবস্থা দেখে সেটিকে সংস্কারের উদ্যোগ নেন। সংস্কারের সময় তিনি মন্দির প্রাঙ্গনে চারটি শিবলিঙ্গ ও চারটি শিবমন্দিরও নির্মাণ করেন - যদিও এই ঘটনার কোনো সুনির্দিষ্ট নথিবদ্ধ প্রমাণ পাওয়া যায়না। এই ঢাকেশ্বরী মন্দিরকে কেন্দ্র করেই পরবর্তীতে 'ঢাকা' নামক সমৃদ্ধ জনপদটির উদ্ভব হয়। মা ঢাকেশ্বরী এই শহরের রক্ষাকত্রী, অধিষ্ঠাত্রী - তাঁর নামেই এই শহরের 'ঢাকা' নামকরণটি হয়েছে। তিনি ঢাকা'র ঈশ্বরী, তাই 'ঢাকেশ্বরী।' স্বাভাবিকভাবেই এই ঢাকেশ্বরী নামকরণটির পিছনেও উঠে এসেছে একাধিক কিংবদন্তি; যেমন -
/ দেবাদিদেব মহাদেবের তাণ্ডবনৃত্য থামাতে যখন ত্রিলোকেশ্বর শ্রীবিষ্ণু তাঁর সুদর্শন চক্রের সাহায্যে সতীর দেহকে খন্ড-বিখন্ড করছিলেন তখন ৫১টি দেহাংশের মধ্যে সতীর কিরীট বা মুকুটের 'ডাক'(প্রজ্জ্বলিত গহনার অংশবিশেষ)টি ছিন্ন হয়ে পৃথিবীর যে স্থানে পড়ে সেখানে একটি উপপীঠের জন্ম হয়। সতীর শিরোভূষণের এই 'ডাক' থেকেই 'ঢাকেশ্বরী' নামটির উৎপত্তি।
/ 'অরিরাজ নিঃশঙ্ক শঙ্কর' বল্লাল সেনের স্বপ্নে দর্শিত দেবী মূর্তিটি ছিল গুপ্ত বা আচ্ছাদিত, পরে জঙ্গল থেকেও বিগ্রহটিকে ঢাকা বা আচ্ছাদিত অবস্থায় পাওয়া যায়। যেহেতু দেবীমূর্তিটি ছিল ঢাকা অর্থাৎ সুপ্ত অবস্থাপ্রাপ্ত তাই তাঁর নাম হয় ঢাকেশ্বরী। সহজ কথায়, আবিষ্কারকালীন সময়ে দেবীপ্রতিমাটি ঢাকা অবস্থায় ছিলো বলেই তাঁর 'ঢাকা-ঈশ্বরী' বা 'ঢাকেশ্বরী' নামকরণ হয়।
/ ঢাকেশ্বরী দেবীর মূল মন্দির বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত হলেও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামার কারণে দেশভাগের পর ১৯৪৮ সাল নাগাদ বিশেষ বিমানে করে মন্দিরের বিগ্রহটিকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। কলকাতা শোভাবাজারের ধনবান ব্যবসায়ী দেবেন্দ্রনাথ চৌধুরী মহাশয়ের বাড়িতে ঢাকেশ্বরী মাতা নিত্যপুজা পেতেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি কুমোরটুলিতে একটি মন্দির নির্মাণ করে বিগ্রহটিকে সেখানেই প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরিবারের তরফ থেকে নিয়মিত পূজার্চনার ব্যবস্থাও করে যান।
/ 'কালীক্ষেত্র' কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র কুমোরটুলির দুর্গাচারণ স্ট্রিটে অবস্থিত এই ঢাকেশ্বরী মায়ের মন্দির। দেশভাগ পরবর্তী দাঙ্গার জেরে ঢাকেশ্বরী মাতার বিগ্রহটি ক্ষতিগ্রস্ত হবার সমূহ সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। এই আশঙ্কায় হরিহর চক্রবর্তী ও রাজেন্দ্রকিশোর তিওয়ারি (মতান্তরে প্রহ্লাদকিশোর তিওয়ারি) নামক দুই ব্যক্তি তাঁদের বিশেষ উদ্যোগে দেবিমূর্তিটিকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করেন। প্রায় ৮০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন এই ঢাকেশ্বরী মাতা কলকাতায় আগমনের পরবর্তী প্রথম দুটি বছর হরচন্দ্র মল্লিক স্ট্রিটের দেবেন্দ্রনাথ চৌধুরীর বাড়িতেই পূজিতা হন। পরবর্তীতে তিনি কুমোরটুলি অঞ্চলে ঢাকেশ্বরী মা'র জন্য একটি স্বতন্ত্র মন্দির নির্মাণ করে দেন এবং নিত্যসেবার জন্য কিছু দেবোত্তর সম্পত্তিও দান করেন।
/ বলা হয় যে, আজমগড়ের যে তিওয়ারি পরিবারকে মানসিংহ এই মন্দিরের সেবায়েত নিযুক্ত করেছিলেন তাদের বংশধরেরাই পরবর্তীতে কলকাতায় এসে পুনরায় মন্দিরের সেবায়েত নিযুক্ত হন। বাংলাদেশের ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বর্তমানে দেবীর যে বিগ্রহটি রয়েছে সেটি মূল মূর্তির প্রতিরূপ। সিংহবাহিনী মহিষাসুরমর্দিনী মূল দেবী প্রতিমাটির উচ্চতা দেড় ফুটের মতো, যার দুই পাশে অবস্থান করছেন লক্ষ্মী ও সরস্বতী, নিচে কার্তিক ও গণেশ। পরবর্তী সময়ে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে প্রায় অলংকারহীন অবস্থায় দেবীপ্রতিমাটিকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছিলো, যার ছবিও কলকাতার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পাওয়া যায়।
/ বিশ শতকের প্রথম দশকে ভাওয়াল পরগনার রাজা শ্রীযুক্ত রাজেন্দ্র নারায়ণ রায় মন্দিরটির সংস্কারসাধন করে ২০বিঘা জমি দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে নথিভুক্ত করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী খান সেনাদের গোলাগুলিতে মন্দিরটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো। পরবর্তীতে যথাযথ সংস্কারকার্যের মাধ্যমে মন্দিরের হৃতসৌন্দর্য পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয়। অবশ্য দেশভাগ পরবর্তী পূর্ব পাকিস্তানে (পরে বাংলাদেশে) সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদতে দফায় দফায় সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর ব্যাপক হারে শোষণ ও নিপীড়ন শুরু হলে মন্দিরের অনেক সেবায়েত ও পুরোহিত দেশত্যাগ করতে বাধ্য হন।
/ শুধু তাই নয়, ১৯৪৮ সালের 'ভূমি অধিগ্রহণ আইন', ১৯৬৪ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, ভারত-পাক যুদ্ধ, 'শত্রু সম্পত্তি আইন' (১৯৬৯) প্রভৃতির সাহায্যেও মন্দিরের জমি ও সম্পত্তি মাত্রাতিরিক্তভাবে বেদখল করা হয়। ঢাকেশ্বরী মন্দির বাংলাদেশের জাতীয় মন্দির হলেও বাংলাদেশের জাতীয় সরকার ও মৌলবাদী শক্তির প্ররোচনায় সেদেশের অন্যান্য হিন্দু মন্দিরগুলির মতো এটিরও স্থাবর সম্পত্তির সিংহভাগই আজ বেহাত হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে মন্দিরের মোট ২০ বিঘা জমির ১৪ বিঘাই অপহৃত। বিভিন্ন সময়ে এই বেদখলিকৃত জমি পুনরুদ্ধারের দাবি জানানো হলেও সরকারি তরফে এবিষয়ে কোনো পদক্ষেপই গৃহীত হয়নি। তার ওপরে ১৯৬৯ সালের 'শত্রু সম্পত্তি আইন' (বর্তমানে 'অর্পিত সম্পত্তি আইন') নামক কালা কানুনটির মাধ্যমেও বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের জমি দখলের পথ প্রশস্ত করা হয়েছে।
/ তবে যাবতীয় সরকারি অসহযোগিতা এবং মৌলবাদী শক্তির মিথ্যা প্ররোচনা ও ক্রমাগত অপচেষ্টা সত্ত্বেও আজও মন্দিরটি সমস্ত বাধা-বিপত্তিকে অতিক্রম করে বহু বঞ্চনা ও গৌরবের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মন্দির প্রাঙ্গনে প্রবেশের জন্য 'নহবতখানা তোরণ' নামক একটি সিংহদুয়ার রয়েছে। সমগ্র মন্দিরাঙ্গনটি একাধিক সৌধ ও পূজামন্ডপ, কয়েকটি অপ্রধান মন্দির, একটি পান্থশালা, প্রশাসনিক ভবন ও গ্রন্থাগার, কি সুন্দর ফুলের বাগান, বেশ কয়েকটি ঘর ও একটি সুবিশাল দীঘির সমন্বয়ে গঠিত। দীঘিটির দক্ষিণ-পূর্ব কোণে একটি সুপ্রাচীন বটগাছ অবস্থিত। দীঘির দুপাশ সুন্দরভাবে বাঁধাই করা, দীঘিতে বিভিন্ন প্রজাতির ছোটোবড়ো মাছের উপস্থিতিও রয়েছে, কাছাকাছি কয়েকটি সমাধিও দৃশ্যমান। বিবিধ জাতের ফুলগাছও মন্দিরটির শোভাবর্ধনে সহায়ক হয়েছে।
পথবিবরণী :- বাংলাদেশের ঢাকেশ্বরী মন্দিরে যাওয়ার পথবিবরণী আপনারা উইকিপিডিয়াতেই পেয়ে যাবেন; তাই এখানে রইলো কলকাতার শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী মাতার মন্দিরে যাওয়ার বিস্তারিত পথনির্দেশিকা। শোভাবাজারে নেমে রবীন্দ্র সরণি দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে কুমোরটুলি সার্বজনীনের পাশেই এই মন্দিরের অবস্থান। এই রাস্তাতেই ডানদিকে পড়ে 'উত্তর কলকাতার গিন্নি' সিদ্ধেশ্বরী মায়ের মন্দির, তারপর বামদিকের গলি দিয়ে হাঁটলেই পড়বে বহুকাঙ্খিত ঢাকেশ্বরী মাতার মন্দির। এটির নিকটেই আছে বাগবাজারের শ্রী শ্রী সর্বমঙ্গলা কালীমাতার মন্দির। ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পুরোহিত মশাইয়ের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় যে সম্প্রতি সেখানে পশুবলি বন্ধ হয়ে গেছে, কেবল দুর্গানবমীর দিন আটটি চালকুমড়ো বলি হয়।
/ হাতে সময় থাকলে এরপরই যাওয়া যেতে পারে নিকটবর্তী বাগবাজারের শ্রী শ্রী সর্বমঙ্গলা কালীমাতার মন্দিরে। এই মন্দিরের পুরোহিত মশাইয়ের সঙ্গে কথোপকথনের মাধ্যমে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী জানা যায় যে বর্তমানে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে পাঁঠাবলির সংখ্যা কমে গেলেও একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি। কালীপুজোয় দীপাবলি অমাবস্যার দিনে একটি পাঁঠা মায়ের উদ্দেশ্যে বলি দেওয়া হয়, কয়েকটি মানতের পাঁঠাও থাকে, নিকটবর্তী অটোস্ট্যান্ডের অটোচালকরাও একটি পাঁঠাবলি দেন।
/ পরিশেষে একথা বলাই যায় যে বাংলাদেশের ঢাকেশ্বরী মন্দিরের মতো কলকাতার ঢাকেশ্বরী মাতার মন্দিরও যথেষ্ট ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও ধর্মীয় তাৎপর্য বহন করে। বাঙালির শক্তিপূজার ইতিহাস অত্যন্ত প্রাচীন ও শক্তিপূজার সংস্কৃতি অবশ্যই বাঙালি জাতির ঐক্যবদ্ধতা ও গণসংস্কৃতির সাক্ষ্য বহনকারী। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন সম্পর্কে আমরা সকলেই কমবেশি ওয়াকিবহাল। তবে কেবলমাত্র জনসচেতনতা নয়, ভারত সরকারের সুচিন্তিত পদক্ষেপ ও সতর্ক হস্তক্ষেপই পারে এই ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক সমস্যার সমাধান করতে। নচেৎ অন্যান্য হিন্দু মন্দিরগুলির মতো বাংলাদেশের ঢাকেশ্বরী মায়ের মন্দিরও ক্রমাগত সাম্প্রদায়িক আগ্রাসন ও অধিগ্রহণের শিকার হতে হতে একসময় কালের করাল গ্রাসে তার অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলবে।
/ জাতির ধর্মীয় পরিচয় তার শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাক্ষ্য বহন করে। তার আরাধ্য উপাস্য ও উপাস্যের আরাধনাস্থল তার স্বাতন্ত্র সত্তা, একতা ও আইডেন্টিটিকে ধারণ করে। তাই শুধু ভাষা দিয়ে নয়, ভাষা-ধর্ম-সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য-বিশ্বাস প্রভৃতি সবকিছুর সমন্বয়েই একটি জাতির জাতিসত্তা নির্মিত হয়, সেই জাতিসত্তার উপর নির্ভর করেই জাগরিত হয় উক্ত জাতির জাতীয়তাবাদ। শাক্ত হিন্দুর অন‍্যতম শক্তিপীঠ এই ঢাকেশ্বরী মায়ের মন্দিরকে যথাযথ নিরাপত্তা দান ও রক্ষণাবেক্ষণের দাবি ভারত সরকারের কাছে সুদৃঢ় ও নিরবিচ্ছিন্নভাবে পেশ করা তাই প্রত‍্যেক সমাজ-সচেতন ও স্বজাতিপ্রেমী বাঙালির অবশ্যকর্তব্য।
#TheGangaridai
0 notes
tatkatotka · 3 years ago
Text
নুহাশ পল্লী ট্যুর » আদার ব্যাপারী
নুহাশ পল্লী ট্যুর » আদার ব্যাপারী
লেখক হুমায়ূন আহমেদ এর একজন ভক্ত হিসেবে তাঁর স্মৃতি বিজরিত নুহাশ পল্লী (Nuhash Polli) আমাকে বেশ টানে। সেই টানে ছুটে যাই নুহাশ পল্লীতে। বৃষ্টিবিলাস, লীলাবতী দিঘি, ভুতবিলাস আর ট্রি হাউজ এবং নুহাশ পল্লির সবুজ! আহা!! কি শান্তি। টিকেট কেটে ভেতরে ঢুকেই একটা শান্তি কাজ করলো। চারিদিকে সবুজাভ একটা পরিবেশ। ভেতরে ঢুকে হাতের ডান দিকে রয়েছে একটি সুইমিংপুল এবং তার পাশেই ছোট করে বসার জায়গা। আর চোখ আটকে যায়…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
swarupgoswamis-blog · 3 years ago
Text
মহাসাধিকা রাঙ্গামা (পর্ব-১)
ত্রিলােকের অধিশ্বরী ব্রহ্মময়ী তারামায়ের এক আনন্দরূপা অমৃত স্বরূপা প্রাণবন্ত লীলাবিগ্রহ হলেন মহাসাধিকা রাঙ্গামা। বাংলা ১৩৩৪ সনে (ইং ১৯২৮) এক প্রসন্ন প্রভাতে কলকাতা থেকে রাঙ্গামা স্থূলদেহে সর্বপ্রথম তারাপীঠে এলেন। সাথে
তার জাগতিক স্বামী রামনাথ নাগ এবং চিত্তরঞ্জন মুখােপাধ্যায় প্রভৃতি কয়েকজন ভক্ত। রাঙ্গামা বামদেবের স্নেহধন্য শচী পাণ্ডার বাড়ীতে উঠলেন। রাঙ্গামা জন্মসিদ্ধা। তাই তার বহিরঙ্গে আনুষ্ঠানিক ক্রিয়াকর্ম দেখা যায় না। তার সবই অন্তর্মুখীন। তবে তারাপীঠ মহাশ্মশানের ঘাের জঙ্গলের মধ্যে গভীর রাতে তিনি আপন মনে ঘুরে বেড়ান। কখনাে তারামায়ের শ্রীপাদপদ্মের সামনে ধ্যানমগ্না
হয়ে কাটিয়ে দেন সারা রাত। এভাবে অনেক রাত তিনি অতিবাহিত করেন। তারামায়ের অমােঘ আকর্ষণের প্রচণ্ড বেগ তিনি সহ্য করতে পারেন না। ব্রহ্মময়ী তারামায়ের মন্দিরে গেলেই তার মন তারামায়ের মধ্যে লীন হয়ে যায়। তিনি সমাধিস্থ হয়ে পড়েন।
দীর্ঘ পনের দিন সমাধিতে একভাবে তিনি মগ্ন থাকেন। তাই তারামায়ের মন্দিরে তিনি খুব কমই যান। বিশেষ করে শনি মঙ্গলবারে। তারামায়ের তীব্র ঐশী আকর্ষণ মহাসাধিকা
রাঙ্গামাকে পাগলিনী করে দেয়। অনেক কষ্টে তিনি নিজেকে সংযত করেন। মনকে নাম��য়ে এনে জাগতিক কাজ কর্মের মধ্যে ব্যস্ত থাকেন। ক্রমে রাঙ্গামার নাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। মহাসাধিকা রাঙ্গামা জানেন যে তারামা তাকে কেন্দ্র করে তারাপীঠে অসংখ্য লীলা অনুষ্ঠিত করবেন।
সুদীর্ঘ পয়তাল্লিশ বছরের ওপর ১৩৩৪-১৩৮০ সাল এই বিরাট লীলা অনুষ্ঠিত হবে। তাই রাঙ্গামা তারাপীঠে একটি স্থায়ী আশ্রম করবার সংকল্প গ্রহণ করেন। প্রথমে পনের টাকা দিয়ে দেড়কাঠা জমি কেনা হ’ল। এই জমিতে রাঙ্গামা’র ভক্ত তারাপীঠ
নিবাসী রাজেন্দ্রনাথ পালের সহযােগিতায় তারামায়ের সাধনকুটীর ও ভক্তদের থাকবার ব্যবস্থা হয়। পরবর্তীকালে আরাে কিছু জমি
কিনে আশ্রমটিকে বড় ও মনােরম করা হয়।
রাঙ্গামা সম্পূর্ণ প্রচারবিমুখ। নিজেকে এক গভীর রহস্যের আবরণে ঢেকে রাখেন। সাধারণ সধবার বেশে থাকেন। গৌরবর্ণা, লালপেড়ে শাড়ী পরা। কপালে সিঁদুরের ফোটা, মুখে দিব্য হাসি। তিনি যে সবার মা। এটাই তার পরিচয়। রাঙ্গামা পার্থিব জীবনে সংসারী। কিন্তু সংসারে থেকেও নেই। তবু জাগতিক জীবনে কলকাতায় হাজরা রােডে তার গৃহাশ্রম। স্বামী, সন্তান ও ভক্তবৃন্দ নিয়ে তাঁর অধ্যাত্ম জীবন বয়ে চলে। রাঙ্গামা’কে কেউ সাধনা করতে দেখেননি। কলকাতায়
অবস্থানকালে কালীঘাটে প্রতিদিন মঙ্গল আরতির সময় (ভাের চারটেয়) তিনি মা কালীর সামনে উপস্থিত থাকেন। সুদীর্ঘ পঞ্চাশ বছর ধরে এই উপস্থিতি অব্যাহত থাকে। কালীঘাটে আর তারাপীঠে কালীমা আর তারামা —এই দুই মহাপীঠকে, এই দুই মহাবিদ্যাকে রাঙ্গামা সারাজীবন ধরে
একসূত্রে বেঁধে রাখেন। একই ব্রহ্মশক্তি দুই রূপে দুদিক দিয়ে রাঙ্গামাকে অমােঘ আকর্ষণ করলেন অসংখ্য লীলার মধ্য দিয়ে। তাই
কালীঘাট আর তারাপীঠ সারা জীবন ধরে যাতায়াত করলেন রাঙ্গামা অফুরন্ত লীলার মধ্য দিয়ে।
তবে তারাপীঠই তার বিশাল ঐশীলীলার সর্বশ্রেষ্ঠ ক্ষেত্র। মহাপীঠ তারাপীঠ সম্পর্কে বিভিন্ন সময়ে রাঙ্গামা তার প্রিয় শিষ্য ভক্তদের বলেছেন, “একেবারে খাস দরবারে বসে আছেন মা। গেলেই দর্শন হয়।”
তারামা শ্মশানবাসিনী কেন এই প্রশ্নের উত্তরে রাঙ্গামা বলেন, “হরিনাম শােনবার জন্যই তাে মা আমার শ্মশানবাসিনী। হরিনামে শুদ্ধ হয়ে না এলে তাে মা কোলে নেবে না।”
তারাপীঠ পরম ব্রহ্মক্ষেত্র। এই মহাজাগ্রত ক্ষেত্রে রাঙ্গামা এলে যেন তার আত্মস্বরূপ লাভ করেন। কামনা বাসনাশূন্য এই মহাশূন্য ক্ষেত্রে এসে রাঙ্গামা যেন পূর্ণ হয়ে ওঠেন। উচ্ছ্বসিত হয়ে বার বার তারাপীঠ প্রসঙ্গে বলেন, “এখানে সাক্ষাত ভগবান দর্শন হয়।” তারাপীঠের বিশিষ্ট সাধকগণ রাঙ্গামাকে সাক্ষাত তারামা জ্ঞানে শ্রদ্ধাভক্তি করেন। তাদের মধ্যে শ্রীশ্রীবামাক্ষ্যাপার শিষ্য
ও সেবক প্রবীন নগেন বাগচী, সুখানন্দ, জানগুরু বাবা, নাপিত গোঁসাই প্রভৃতি অন্যতম। সুপ্রাচীন মহাপীঠ তারাপীঠ প্রসঙ্গে রাঙ্গামা
শিষ্য ভক্তদের বার বার সচেতন করে সশ্রদ্ধ চিত্তে বলেছেন, “এখানে বশিষ্টদেব ও বামাক্ষ্যাপা সিদ্ধিলাভ করেছেন। রামকৃষ্ণদেবও এসেছেন। আরাে কত সাধু এসেছে।” যুগাবতার শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সর্বশ্রেষ্ঠ শিষ্য বিশ্ববিজয়ী বিবেকানন্দ যৌবনে তারাপীঠে এসেছিলেন।শ্রীশ্রীবামাক্ষ্যাপার দর্শন ও আশীর্বাদ লাভ করেছিলেন (দ্রষ্টব্য ২য় খণ্ড।) কিন্তু যুগাবতার শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবও তারাপীঠে
এসেছিলেন—একথা তারামায়ের অভেদ স্বরূপিনী মহাসাধিকা রাঙ্গামা-ইসর্বপ্রথম প্রকাশ্যে বলেন। সত্যদ্রষ্টা বাসিদ্ধা রাঙ্গামা’র কথা তাই যথার্থ সত্য। শ্রীরামকৃষ্ণদেব যখন এসেছিলেন তখন শিবাবতার শ্রীশ্রীবামাক্ষ্যাপা তারাপীঠে বিরাজ করছিলেন। উভয়ের সাক্ষাত হওয়া স্বাভাবিক। তারাপীঠের তারিণী আর দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মূলত একই ব্রহ্মময়ী তারা। তাই তাঁরই অভেদ
স্বরূপ শিবাবতার শ্রীশ্রীবামাক্ষ্যাপা এবং বিষ্ণুবতার শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব পরস্পরের সাথে সাক্ষাত ও ভাব বিনিময় করবেন
এটাই স্বাভাবিক, না হওয়াটাই অস্বাভাবিক। সাধারণত উচ্চ কোটির মহাপুরুষগণ পরস্পরের মধ্যে সূক্ষ্ম সাক্ষাত করেন বহু দূরে অবস্থান করেও। আবার প্রয়ােজন অনুসারে জগৎকল্যাণ ও লােকশিক্ষার জন্য স্কুলেও সাক্ষাত করেন। বিশেষ করে একই ভাবসাধনার পথের পথিক হলে। শ্রীশ্রীবামাক্ষ্যাপা ও শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব একই ভাব সাধনার পথিক। উভয়েই মাতৃসাধক রূপে সুচিহ্নিত। তাই জগৎ কল্যাণে আবির্ভূত মহাশক্তির পূজারী এই দুই দেবমানবের সাক্ষাত হওয়াটাই স্বাভাবিক। মহাপীঠ তারাপীঠের মহাশ্মশান প্রসঙ্গে রাঙ্গামা গভীর শ্রদ্ধার সাথে মহাশ্মশানে বসে শিষ্য ভক্তদের বলেন, “এখানে।মহাপুরুষেরা এক একটি গাছের রূপ ধরে আছেন। এখানকার কুকুর বিড়ালকেও ঘৃণা করবি না।” একথা বলতে বলতে তিনি ভাবস্থ হয়ে যান।
তারাপীঠে রাঙ্গামা’র সাথে যখন ভগবতী স্বরূপা আনন্দময়ী মা’র সাক্ষাত ঘটে তখন এক দিব্য আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। উভয়ে উভয়কে প্রণাম করছেন বার বার পরম আনন্দে। রাঙ্গামা মহানন্দে আনন্দময়ী মাকে দেখিয়ে উপস্থিত ভক্তদের বলছেন, “ইনি বড়।”
আনন্দময়ী মা দিব্য আনন্দে রাঙ্গামাকে জড়িয়ে ধরে সবাইকে বলেন “উনি বড়।” উভয়ের শিষ্য ভক্তগণ, তারাপীঠের সাধনরত সাধকগণ তারাপীঠের প��ণ্ডা ও স্থানীয় অধিবাসীগণ অশেষ আনন্দভরে এই
দিব্যদৃশ্য উপভােগ করতে লাগলেন।
তারাপীঠে রাঙ্গামায়ের সাথে আনন্দময়ী মায়ের বহুবছর ধরে বহুবার সাক্ষাত হয়েছে। সুদীর্ঘ পঁয়তাল্লিশ বছরের ওপর উভয়েই তারাপীঠে আসা যাওয়া করেছেন এবং আশ্রম স্থাপন করেছেন (পরবর্তী অধ্যায়ে আনন্দময়ী মা’র কথা বর্ণিত হবে)। অনন্ত.ভাবময়ী লীলাময়ী ব্রহ্মময়ী তারামায়ের এই দুই লীলা বিগ্রহ রাঙ্গামা ও আনন্দময়ী মা প্রায় অর্ধশতাব্দী কাল ধরে অসংখ্য লীলা তারাপীঠে অনুষ্ঠিত করে তারামায়ের নিত্য লীলা নিকেতন মহাপীঠ তারাপীঠকে করেছেন আরাে প্রাণবন্ত আরাে আনন্দময় আরাে অমৃতময়।
তারাপীঠের প্রাণ পুরুষ শিবস্বরূপ ব্রহ্মস্বরূপ শ্রীবামসূর্যের অপার লীলামণ্ডিত স্থূল লীলা বিগ্রহের বিরহের উত্তাপে যখন সমগ্র তারাপীঠ জর্জরিত ও তৃষিত তখন অপার করুণাময়ী তারামা তাঁর অনন্ত অফুরন্ত মাতৃস্নেহের অমৃতধারা দিয়ে স্নিগ্ধ অভিসিক্ত করলেন তারাপীঠকে তার এই দুই লীলাময়ী রূপ রাঙ্গামা ও আনন্দময়ী মার মাধ্যমে। এই দুই মাতৃ মূর্তির চন্দ্রমার স্নিগ্ধধারায় তারাপীঠ হল সুশীতল। নবরূপে নবরাগে উজ্জীবিত হ’ল তারাপীঠের সাধক,
ভক্ত, পান্ডা ও স্থানীয় অধিবাসীগণ।
মহাসাধিকা রাঙ্গামা’র দীর্ঘ জীবন কাহিনী যেমন অলৌকিক শক্তিমণ্ডিত তেমনি বিশাল বৈচিত্র্যময়। গৌরবর্ণ সুঠাম দেহী অপরূপ এই মাতৃমূর্তির অলৌকিক অমােঘ আকর্ষণের সামনে ভারতের চারদিক থেকে যে এসেছে
সেই ‘মা’ বলে ডেকে তার মাতৃ স্নেহের বাঁধনে আবদ্ধ হয়েছে। সে সাধক, ভক্ত, গৃহী, সন্ন্যাসী যেই হােন।
এই মহিয়সী নারী রাঙ্গামা’র আবির্ভাব ঘটে বাংলা ১৩০০ সনে ফাঙ্গুন মাসে শুক্লপক্ষে বৃহস্পতিবার। তার আবির্ভাব ক্ষেত্র হ’ল পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার অন্তর্গত বাগনানের কাছে বাঙ্গালপুর গ্রামের এক শুদ্ধসত্ব পরিবারে। রাঙ্গামার পিতার নাম
শ্রীমহেশচন্দ্র দত্ত এবং মাতার নাম গিরিবালা। পিতামাতা উভয়েই ছিলেন অশেষ ধর্মপ্রাণ ও অতিথি পরায়ণ। গৃহদেবী সিংহবাহিনী। তাছাড়া লক্ষ্মী নারায়ণ বিগ্রহ এবং শালগ্রাম শিলা নিত্য পূজিত হত। রাঙ্গামা তার পিতামাতার অষ্টম গর্ভের সন্তান। তার
আবির্ভাবের পূর্বেই তার ধর্ম প্রাণ সাধক প্রবর পিতা মহেশচন্দ্র দত্ত স্বপ্নে দেখেন এক বিরাট জটাজুটমণ্ডিত সন্ন্যাসী তাকে বলছেন, “মহেশচন্দ্র, তুমি শিঘ্রই বাড়ী ফিরে যাও। সেখানে তােমার কন্যারূপে একজন বিশেষ কেউ জন্ম নিচ্ছেন। তুমি কন্যাটিকে যত্ন সহকারে পালন করবে। তাকে মাতৃদুগ্ধ পান করতে দিও না। গাে দুগ্ধ পান করাবে।” এই দিব্য দর্শনের পর রাঙ্গামায়ের আবির্ভাব ঘটে। তাই পিতা মাতার সবিশেষ আদর ভালবাসা ও সাত ভাই বােনদের
সােহাগের মধ্য দিয়ে এই দেবশিশুকন্যা ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। পিতামাতা এই দেবশিশু কন্যার নাম রাখেন সুধামুখী। পিতা
মহেশচন্দ্র দত্ত পরম বৈষ্ণব ও অতিথি সেবা পরায়ণ। তার আর্থিক স্বচ্ছলতা যথেষ্ট। এই অর্থকে তিনি পরমার্থসেবায় নিয়ােজিত
করেন। দেবসেবা ও নরনারায়ণ সেবার মধ্যেই তিনি নিজেকে নিয়ােজিত করেন। পাঁচ বছরের অপরূপ সুন্দরী কন্যা সুধামুখী গৃহদেবী সিংহবাহিনীর প্রতি অসীম আকর্ষণ অনুভব করে। দেবী সিংহবাহিনী তাকে যেন ডাকেন। বালিকা সুধামুখী ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরে, মা সিংহবাহিনীর কোলে আনন্দে আত্মহারা হয়। আরেক দিন সুধামুখীর মনে হ’ল মা সিংহবাহিনীকে সে স্নান করাবে। এক ঘড়া জল মা সিংহবাহিনীর মূর্তিতে ��েলে দিল।
তারপর সুধামুখী সবিস্ময়ে দেখলাে যে মা সিংহবাহিনী দুর্গা মানবীর রূপে বেরিয়ে এসে সাদরে তাকে জড়িয়ে ধরলেন। এই দিব্য বন্ধনে অনেকক্ষণ কেটে যায়। তারপর দিব্য আনন্দে ছুটতেছুটতে ঘরে এসে খাটে শুয়ে পড়ে জ্ঞান হারা হ'ল। সুধামুখীর মা গিরিবালা দেবী তাই দেখে ঘরে ঢুকে চিৎকার করে উঠলেন। গিরিবালা দেবী দেখলেন যে কন্যা সুধামুখী
শয্যায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। আর তার মাথার কাছে এক বিরাট বিষধর সাপ ফণা মেলে ফোস ফোস করছে। এই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে বাড়ীর সবাই আতঙ্কিত। যে কোন মুহূর্তে সাপের দংশনে মৃত্যু ঘটবে অথবা ঘটেছে ইতিমধ্যে। কাছে যেতেও কারাে সাহস
নেই। একটু পরে আশ্চর্যভাবে সাপটি অন্তর্হিত হ’ল। সুধামুখীও জ্ঞান ফিরে উঠে বসলাে। বাড়ীর সবাই আনন্দে ঘিরে ধরলাে সুধামুখীকে।পরবর্তীকালে রাঙ্গামা ভক্তদের কাছে এই ঘটনা সম্পর্কে বলেন, “সাপটি এভাবে কেন আমাকে আগলে ছিল জানাে? সিংহবাহিনীকে চান করাবার সময় আমি মা’র মধ্যে (মা দুর্গার মধ্যে ঢুকে গিয়েছিলাম। মা-ই কে ধরে এনে বিছানায় শুইয়ে দেন। আর সাপের রূপ ধরে আমাকে পাহারা দিয়েছিলেন। তখনি তিনি আমাকে দীক্ষা দিয়েছিলেন। ঐ সময় আমাকে যাতে কেউ স্পর্শ না করে তাই মা সাপের রূপ ধরে আমাকে আগলে ছিলেন। ঐ সময় আমাকে কেউ স্পর্শ করলে, আমার দেহ নষ্ট হয়ে
যেত।” বালিকা সুধামুখীর খুব ভাের বেলা উঠে ঠাকুরের জন্য ফুল তােলার অভ্যাস। তখন একটি এলােকেশী অপূর্ব মুখশ্রীর
কালাে মেয়ে সুধামুখীর কাছে আসে। সুধামুখীর সাথে কত কথা বলে। কখনাে ফুল তুলে দেয়। সুধামুখী তাঁকে জিজ্ঞেস করে, “তুমি কোথায় থাক?” মেয়েটি দূরের মাঠ দেখিয়ে বলে সে সেখানে থাকে। ফুল তুলতে বিলম্ব দেখে একদিন সুধামুখীর মা
গিরিবালা দেবী এই বিলম্বের কারণ জিজ্ঞেস করলে বালিকা সুধামুখী তার এই ‘সই’ এর কথা বলে। গিরিবালা দেবী বিশ্বাস করলেন না। তিনি দেখতে চাইলেন সুধামুখীর ‘সই’ কে। কিন্তু সেদিন সই’ এলাে না।
পরদিন একা সুধামুখী যেতেই তার সেই কালাে মেয়ে সই এল। সুধামুখী তাকে বললে যে কেন সে মায়ের সামনে এল, তখন কালাে মেয়েটি বললাে, “তােমার মা কোন দিনই আমার দেখা পাবে না।”একথা শুনে সুধামুখী আশ্চর্য হ’ল। সে সইয়ের দেখা পাবে অথচ তার মা পাবে না —এই বৈষম্য কেন? সইকে তা জিজ্ঞেস করলে তখন সই ‘দেখবি’ –এই বলে মা কালীর রূপ ধারণ করে সুধামুখীকে দর্শন দিলেন। তারপর
বললেন, “তুই আর এখানে আসিস না। আমি তাের ভেতরেই থাকবাে। তাের যখন ইচ্ছে হবে তখনই তুই আমাকে দেখতে পাবি।”এই বলে অদৃশ্য হয়ে গেলেন। এই ঘটনার কিছুকাল পর একদিন এক জটাজুটমণ্ডিত ত্রিশূলধারী সন্ন্যাসী সিংহবাহিনীর মন্দিরে এলেন। বালিকা সুধামুখী ঠাকুরের জন্য মালা গাঁথছে। সাধু এক দৃষ্টিতে সুধামুখীকে দেখতে লাগলেন। হঠাৎ সাধু অট্টহাসি হেসে দু’হাত বাড়িয়ে সুধামুখীকে বললেন, “এসেছিস মা আয়।” সাধুকে দেখে মন্দিরে ভীড় জমে গেল। সুধামুখীর পিতা মহেশচন্দ্র দত্ত এসে সাধুকে প্রণাম করলেন। সাধু প্রসন্ন বদনে মহেশচন্দ্রকে বললেন, “তাের অনেক সুকৃতি অনেক জন্মের তপস্যার ফল তাই তাের ঘরে এই মেয়ে জন্মেছে। একে কখনাে অবহেলা করবি না। গায়ে কখনাে আঘাত করবি না। উচ্ছিষ্ট খেতে দিবি না। অতি আদরে যত্নে ওকে প্রতিপালন করবি। ও মেয়ে সাক্ষাত ভগবতী। ওকে বিয়ে দিবি না। বিয়ে দিলে মার খুব কষ্ট হবে।”
পরবর্তীকালে সেই সত্যদ্রষ্টা সাধুর কথাই সত্য হ'ল। সমাজের চাপে পড়ে মাত্র দশ বছর বয়সে সুধামুখীকে বিয়ে দিতে হ’ল। পিতা মহেশচন্দ্র দেহত্যাগ করলে পর বড় ছেলে বৈদ্যনাথ দত্ত সমাজের চাপের কাছে বাধ্য হয়ে নতি স্বীকার করে কনিষ্ঠা
ভগিনী সুধামুখীর বিয়ে দিলেন।
সুধামুখীর বয়স তখন মাত্র দশ বছর। আর তার বরের বয়স চল্লিশ বছর। প্রথম স্ত্রী’র মৃত্যুর পর দ্বিতীয়বার দার পরিগ্রহ করলেন সুধামুখীকে। বরের নাম শ্রীরামনাথ নাগ। বিয়ের কিছুকাল পর স্বামীর একান্নবর্তী পরিবারের সাথে বালিকা বধু কোলকাতায় কালীঘাটে নকুলেশ্বর তলায় এলেন। এদ���কে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটে। সুধামুখীর বিয়ের মাত্র সাতদিন পর তার পিতৃ গৃহ থেকে সিংহবাহিনী দেবী মূর্তি, লক্ষ্মী-নারায়ণ
বিগ্রহ এবং শালগ্রাম শিলা সহ সকল দেবমূর্তি আশ্চর্যভাবে অন্তর্হিত হয়। যাহােক, কালীঘাটে নকুলেশ্বর তলায় স্বামী গৃহে অধ্যাত্মভাব বিহুলা সুধামুখীর অশেষ দুঃখ লাঞ্ছনা গঞ্জনা শুরু হ’ল। বিশেষ করে এক বিধবা ননদ সর্বক্ষণ লাঞ্ছনা গঞ্জনা আঘাত
অপমান করতে লাগলাে সুধামুখীকে।
সংসারে কোন আসক্তি নেই সুধামুখীর। তবু কর্তব্য বােধে কর্ম করেন। কিন্তু মন পড়ে থাকে চৈতন্যের জগতে। এই অর্ধবাহ্য দশায় ভাত তরকারী মাছ রান্না করা সম্ভব নয়। পুড়ে যায় সব। তখন ননদেরা তার ওপর শুধু কটু মন্তব্যই করে না, দৈহিক আঘাতও করে নির্বিচারে।
একদিন রেগে গিয়ে লােহার ছ্যাকা দিয়ে পরীক্ষা করে দেখে যে সত্যিই সে ঈশ্বর ভাবে বিভোের না ঢং করছে। কিন্তু সুধামুখীর কোন দেহ বােধই ছিল না তখন। লােহার ছ্যাকায় সুধামুখীর পবিত্র দেহের এক অংশ পুড়ে কালাে হয়ে যায় এবং ক্ষতস্থানে দগদগে ঘা হয়ে যায় মাংস পুড়ে। সুধামুখীর স্বামীও তাকে বহুবার দৈহিক নির্যাতন করেন, পরে স্বপ্নে নির্দেশ পেয়ে অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চান। করুণাময়ী -
সুধামুখী সবাইকেই ক্ষমা করেন। এমনি প্রতিকূল পরিবেশে দিন মাস বছর কাটতে থাকে। ষােল বছর বয়সে তার প্রথম পুত্র জন্মগ্রহণ করেন। পুত্রের নাম রাখা হ’ল দুলালচন্দ্র। পরবর্তী কালে তাঁর আরেক পুত্র জন্মগ্রহণ করে। তার নাম রাখা হ’ল চণ্ডীচরণ। কিন্তু সংসারে আসক্তিহীন হয়ে সুধামুখী তার কর্তব্য যথারীতি করতে লাগলেন। এই সময় থেকে তাকে কেন্দ্র করে নানান অলৌকিক ঘটনা ঘটতে লাগলাে। সুধামুখী হলেন রাঙ্গামা। রাঙ্গামা প্রতিদিন।
কালীঘাটের কালীমন্দিরে যান রাত তিনটার সময় মঙ্গল আরতি দর্শনের জন্য। সেই সময়ে কালীঘাট ছিল ঘন জঙ্গলপূর্ণ। এই প্রসঙ্গে রাঙ্গামা বলেন, “আমি যখন ১৯০৪ সালে প্রথম প্রথম নকুলেশ্বরতলা লেনের বাড়ী থেকে কালীবাড়ী যেতুম তখন কালী
বাড়ীর আশে পাশে মােটে পাঁচ ছয় খানা বাড়ী ছিল। সরু রাস্তার ওপর ইট পাতা ছিল। তার ওপর দিয়ে কালী মন্দিরে যেতে হত। কালী বাড়ী থেকে করুণাময়ীতলা অব্দি জঙ্গল ছিল। আমি 'হেঁটে চলে যেতুম।
কালীঘাটে কালী মন্দিরে গিয়ে রাঙ্গামা দিব্য ভাবে বিভাের থাকতেন। তাঁর দিব্য ভাব ও দিব্য রূপ ও দিব্য কথাবার্তা ক্রমশঃ তার অধ্যাত্ম স্বরূপকে কালীঘাটের সাধক ভক্ত সমাজে প্রকাশ করে দেয়। তাঁর কাছে একে একে আসতে থাকে ভক্তবৃন্দ।
প্রথম যিনি তাঁর চরণে আশ্রয় নেন তাঁর নাম সূর্যকুমার মুখােপাধ্যায়। তিনিই নাম দেন রাঙ্গামা। রাঙ্গামার গৌরবর্ণ মুখমণ্ডল দিব্যআভায় সর্বদা প্রদীপ্ত থাকতে বলে ভক্ত সূর্যকুমার নাম দেন রাঙ্গামা। সেই থেকে সবার কাছে তিনি চিরতরে রাঙ্গামা হয়ে গেলেন। তারপর একে একে আসতে থাকেন প্রকাশচন্দ্র মুখােপাধ্যায়, চিত্তরঞ্জন মুখােপাধ্যায়, কমলাকান্ত মুখােপাধ্যায়, সুশীল চট্টোপাধ্যায়, জীবেন্দ্রচন্দ্র নাগ, বিষ্ণুপদ ভট্টাচার্য, সাধক সুধীন কুমার মিত্র, মনুজেন্দ্র দত্ত প্রভৃতি। এঁদের ঘিরে রাঙ্গামার অসংখ্য অলৌকিক লীলা কালীঘাটে ও তারাপীঠে এবং অন্যান্য স্থানে অনুষ্ঠিত হয়। তারাপীঠে রাঙ্গামা’র প্রথম শিষ্য জগদীশ মজুমদার। পরবর্তী কালে তিনি কঙ্কালী বাবা নামে প্রসিদ্ধ হন। তাঁর সাধিকা স্ত্রী
কালীদাসী দেবীও আজীবন রাঙ্গামা’র চরণাশ্রয়ে অতিবাহিত করেন। তারাপীঠে রাঙ্গামা অনেককে দীক্ষা দেন। কালীঘাটে মা কালীকে কেন্দ্র করেও রাঙ্গামা’র দিব্য লীলা প্রকাশ পেতে থাকে। যৌবনেই তাঁর দিব্য লীলা প্রকাশ পেতে থাকে। এই তেজদৃপ্তা অপরূপ সুন্দরী জ্যোতির্ময়ী নারী যে বাসিদ্ধা এবং অলৌকিক শক্তি সম্পন্না তা ক্রমশ কালীঘাটের
সাধকগণ পাণ্ডাগণ ও সাধারণ ভক্ত নরনারী উপলব্ধি করতে লাগলেন।
সর্বভূতে ব্রহ্মদর্শন রাঙ্গামা’র এক পরম বৈশিষ্ট্য ভাব। তাই রাঙ্গামা বলেন, “আমি আলু বেগুনের মধ্যেও নারায়ণ দেখি।” রাঙ্গামা’র একনিষ্ঠ ভক্ত সূর্য কুমার মুখােপাধ্যায়ের জননী চার বছর ধরে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় পড়েছিলেন। রাঙ্গামা কালীঘাটের মা কালীর নির্দেশে মা কালীর চরণামৃত এনে খাইয়ে দিলেন। সাতদিনের মধ্যে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ সবল হলেন।
ক্রমশ:……………
মহাপীঠ তারাপীঠ পঞ্চম খণ্ড, লেখক শ্রদ্ধেয় শ্রীবিপুল কুমার গঙ্গোপাধ্যায়
0 notes
mrmwithacupofcoffee · 2 years ago
Text
সামায়া
- রিফা ম্যাম সম্পর্কে কি জানো?
প্রতিযোগি  সামায়া বলে উঠলো,
- আমি শুধু মনে করে আমি খানিকটা তার মতনই!
এমন প্রশ্নের জবাবে বিচারকের আসনে অধিষ্ঠিত বিচারকের কেউই সন্তুষ্ট হলেন না। জবাবটা যেন অন্যদিকেই চলে গিয়েছিলো।
সোজা সাপটা ভাবে বিচারক বলে দিলেন, এমন পারফর্মার আমরা আশা করি না। ধন্যবাদ তোমাকে!
তবে সামাইয়া মঞ্চ ছাড়তে নারাজ! তাকে একটি সুযোগ দিতেই হবে তার পারফরম্যান্স দেখানোর জন্য!
পরনে অদ্ভুত ধরনের একটি বোরকা, মাথায় পড়েছে হিজাব, এ নিয়ে ফ্যাশন শোতে সামায়া।
সামায়াকে দেখে বিচারক আসনে অধিষ্ঠিত রিফাকে কিছুটা আগ্রহী মনে হল। সে কি করতে চাই তা দেখার জন্য রিফা তাকে একটি সুযোগ দিতে রাজি।
শুরু হল রেম্পওয়ার্ক।  সামায়া  কিছু সময়ের জন্য মঞ্চের পেছনে গেল এরপর সামায়া যখন মন্ঞে ফিরলে  সকলের চোখ তখন থেকেই যেন স্বপ্ত আকাশে!
পরনে লম্বা সাদা গাউন, মাথায় নেই একটিও চুল পুরোপুরি টাক মাথা নিয়ে হাজির হয়েছে সামায়া। তাকে অদ্ভুত সুন্দর দেখাচ্ছে সাথে মাথায় যে চুল নেই তা কোন কিছুতেই যেন তফাত বা কমতি আনছে না।
রেম্পে হাঁটছে সামায়া তাকে দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিচারক আসনে অধিষ্ঠিত সকলেই।
- তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে তুমি রিফা ম্যামের অনেক বড় ভক্ত! তুমি কি তাকে ইচ্ছে করে নকল করেছ!
- আসলে ম্যাম, ব্যাপারটা তেমন নয়। আসলে একটু আগে যে কথাটা বললাম, "আমি খানিকটা তার মতনই" এটা আসলে তারই প্রতিচ্ছবি!
যাকে নিয়ে এতক্ষণ ধরে কথা হচ্ছে সে হলো,ওয়ার্ল্ড বেস্ট বিউটি, মডেল, ফ্যাশন আইকন "দ্যা রিফা"।
রিফা, এক সময়কার উঠতি মডেল ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে  ধরা পড়ে ক্যান্সারের। তারপরে তার ক্যারিয়ারে লেগে যায় তালা!  কিন্তু মডেল ক্যারিয়ারের প্রতি তার ভালোবাসা কোনভাবে নিজেকে আটকাতে পারছিল না। রিফা, এ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে যেভাবেই হোক ফিরে এলো আবার। এই রাস্তায় রিফার আগের মত সুন্দর ঘন কেশ না থাকলেও ছিল প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস যা নিয়ে সে  এগিয়েছে খঠিন থেকে খঠিন তর রাস্তা। প্রথম দিকে কেউই তাকে গ্রহণ করতে চাইনি। এমন মডেল নিয়ে ভবিষ্যতে কি হতে পারে!
তবে রিফা তাতেও থাকবে না। যেভাবে হোক তার মডেল ক্যারিয়ার তৈরি করবেই! আর এক্ষেত্রে তার প্রথম শর্ত ছিল সে বিনা পারিশ্রমিকের মডেল হবে। 
তারপরও হাতে কাজ নেই! রিফা এই মুহূর্তে হতাশ। এমন সময় এক উঠতি ফটোগ্রাফারের প্রস্তাব পেল রিফা।
আর সেই থেকেই রিফার ক্যারিয়ারের শুরু একের পর এক ছবি ছরিয়ে যেতে থাকে দেশ থেকে বিদেশে।
- হ্যাঁ, তো সামায়া মডেল হতে চাও কেন? 
- শুধু আমার একটিমাত্র ইচ্ছা থেকেই যে আমি আপনাকে আবারো জন্ম দিতে চাই।
- Do you love me that much!
- No, I just want to love myself more than anything.
সময় পেরিয়েছে প্রতিযোগিতার সাত-আট মাস চলছে। সব কিছুই ভালো মত যাচ্ছে। সামায়া ফাইনালে পৌঁছানোর দার প্রান্তে। ইতিমধ্যেই অনেক বড় বড় ফ্যাশন কম্পানির মডেল হয়ে কাজ করে ফেলেছে। 
হ্যাঁ, এখন সামায়া ফাইনালিস্ট। চাওয়া রাফা ম্যামের সাথে একটি মাএ ফটোশুট! 
তবে প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে তা ফাইনালের পরই সম্ভব! আগে থেকে জানা কথা হলেও সামায়া কেন যেন ব্যাকুল। 
আজ ফাইনাল, সবাই ধরেই নিয়েছে সামায়া বিজয়ী। তবে ফাইনালের মঞ্চে সামায়া অনুপস্থিত!
স্বাভাবিক ভাবেই সামায়া ডিসকলিফাই। তবে রাফা ম্যাম তা মানতে নারাজ। 
- সামায়া!
- রাফা ম্যাম!
- তোমার তো আজ এখানে হস্পিটালের বেডে থাকার কথা ছিল না!
পাশে থেকে নার্স বলে উঠলো, 
- সে ও তো চায় নি। আর কয়েকটা দিন বা ঘন্টায় তো আছে!
- সামায়া! এতকিছু?
- হ্যাঁ, ম্যাম আমি পারলাম না!
আমি সব সময় আপনার মতই হতে চেয়েছি। তাহলে আমি কেন পেরে উঠলাম না!
শেষ কাজটার পরই নাহয় যেতাম!
- I knew someone who was finally able to do something. We did a photoshoot together at the hospital. I know a secret part of her. I hope she knows too. 
- ১লা অক্টোবর, ২০২২
- মোনালিসা মিতু।
0 notes