#রাজনৈতিক
Explore tagged Tumblr posts
marketing-tumblar · 2 years ago
Link
0 notes
sonirbochon · 2 years ago
Text
দূয়ারে ৯১১ টাকার গ্যাস
দূয়ারে ৯১১ টাকার গ্যাস
টিভি খুলেই সুখবরটা পাওয়া গেল। এখন থেকে আর ৯০০ টাকার কমে রান্নার গ্যাস কিনতে হবে না। গ্যাসের দাম ৯০০ টাকার গণ্ডী ছাড়িয়ে গেল। এটাকে হাইজাম্প না লংজাম্প বলা যায়। সেটা যার যার তার তার অভিরুচি। তবে ��বকা সাথ সবকা বিকাশের হিটলিস্টে পেট্রল ডিজেল ভোজ্যতেল রান্নার গ্যাস কেউ কারুর থেকে পিছিয়ে নেই। প্রতিটি জিনিসই ভারত মাতার আশীর্বাদে মহার্ঘ্য হয়ে উঠেছে্। যদিও মহার্ঘ্য ভাতার উপরে যাদের ভরসা রাখার মতো…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
wasim-iftekharulhaque · 4 months ago
Text
কোটা বিরোধী আন্দোলনে ইন্ডিয়ান ছাত্ররা
ইন্ডিয়ার অসংখ্য সাধারণ ছাত্র ও এ্যক্টিভিষ্টরা এবার দারুণভাবে আমাদের পালস ধরে ফেলেছেন। ফলে পিপল টু পিপল একটা মৌলিক মেলবন্ধনের সম্ভাবনা প্রবলভাবে দৃশ্যমান। সাধারণ মানুষের এ ধরনের বোঝাপড়া এগিয়ে নিতে পারলে আদতে লাভবান হবে দুই দেশের মানুষ। অন্যদিকে এসব মানবিক সহমর্মিতা, এতদিনের শেখানো বুড়ো ইতিহাসের বয়ানকে ধূলিসাৎ করে দিতে পারবে ভবিষ্যতে। দুই রাষ্ট্রযন্ত্রের মাঝে প্রভুভৃত্যের যে অসম সম্পর্ক কেউ কেউ স্থাপন করেছেন; ইন্ডিয়ান তরুণদের স্লোগান সরাসরি সেই বোঝাপড়াকে চ্যালেঞ্জ করেছে। নির্দিষ্ট স্লোগানটাতে সারবস্তু যথেষ্ট।
Tumblr media
এই বোঝাপড়া এখন খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে। সূচনা মাত্র। এটাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া যায় কিনা; ভাবার আছে। অনা���ুষ্ঠানিক হলেও এই মৌলিক বোধের ঐক্য ধরে রাখতে হবে। রাজনৈতিক ফন্দিফিকিরের বন্ধুত্বের বিপরীতে মানুষের সাথে মানুষের বন্ধুত্ব উপমহাদেশের সহজ মানুষের ভাতৃত্ববোধ বিশ্বাসকে চাঙ্গা করুক। এতদিনের পানির হিস্যা, সীমান্তে ফালানির নিথর দেহ পেড়িয়ে এগিয়ে যাওয়া মোটেও সহজকাজ নয়। তবে শেষ পর্যন্ত মানুষের বোঝাপড়া হলে মানুষই অনেকটা বাঁঁচবে। তারুন্যের বোঝাপড়া চাঙ্গা করতে আপনার আমার সবার কিছুনা কিছু করার আছে।
Tumblr media
🇧🇩🇮🇳
3 notes · View notes
quransunnahdawah · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
হাতির গল্প
The Elephant
সুরা ফিল:
আল্লাহ আবাবিল পাখি দিয়ে যেভাবে 'কাবা' ঘর রক্ষা করেছিলেন ☝🏻
https://www.youtube.com/watch?v=9vYsT20WDdM&t=37s
 
ফীল আরবী শ��্দ যার অর্থ হস্তী বা হাতি। এ সূরায় হস্তীবাহিনীর ঘটনা সংক্ষেপে বর্ণিত হয়েছে। তারা কা'বা গৃহকে ভূমিসাৎ করার উদ্দেশে হস্তীবাহিনী নিয়ে মক্কায় অভিযান পরিচালনা করেছিল। আল্লাহ্‌ তাআলা নগণ্য পক্ষীকূলের মাধ্যেমে তাদের বাহিনীকে নিশ্চিহ্ন করে তাদের কুমতলবকে ধুলায় মিশিয়ে দেন।
মুহাম্মদ (সা.)–এর জন্মের আগের ঘটনা। তাঁর দাদা আবদুল মুত্তালিব তখন কুরাইশ গোত্রের সরদার। তিনি পবিত্র কাবাঘর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন।
সে সময় আবরাহা ছিলেন ইয়েমেনের খ্রিষ্টান শাসনকর্তা। তিনি ছিলেন হস্তীবাহিনীর প্রধান। আবরাহা কাবা আক্রমণ করলে আল্লাহ আবাবিল পাখির সাহায্যে কঙ্কর বৃষ্টির দ্বারা তার হস্তীবাহিনীকে ধ্বংস করেন।
কাবাকে ঘিরে মক্কায় ধর্মীয় কেন্দ্র এবং সেই সুবিধায় অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক কেন্দ্রে রূপান্তরিত হওয়ায় আবরাহা ঈর্ষায় ফেটে পড়েন। তিনি কাবার সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করার জন্য ইয়েমেনের রাজধানী সানায় একটি বিশাল গির্জা নির্মাণ করেছিলেন। আশা করেছিলেন, মানুষ এখানে আসবে। নতুন কেন্দ্রে পরিণত হবে ইয়েমেন। কিন্তু তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি কাবা ধ্বংসের উদ্যোগ নেন। তিনি বিশাল বিশাল ৯ থেকে ১৩টি হাতি এবং ৬০ হাজার সৈন্য নিয়ে কাবার অভিমুখে রওনা দেন। এটি এত গুরুত্বপূর্ণ একটা ঘটনা ছিল যে সেই বছরকে হস্তীবাহিনীর বছর নামে ডাকা হয়।
আবরাহার বাহিনী মক্কার উপকণ্ঠে পৌঁছালে মক্কার মানুষ ভয়ে পাহাড়ে আশ্রয় নেয়। মহানবী (সা.)-এর দাদা আবদুল মুত্তালিব আবরাহার কাছে গেলে তিনি বললেন, ‘আমরা কাবাঘর ধ্বংস করতে এসেছি। আর তুমি কেবল তোমাদের উট ফেরত চাইতে এসেছ।’
আবদুল মুত্তালিব বলেন, ‘কাবা আল্লাহর ঘর। তিনিই এর হেফাজতকারী।’
এরপর বাহিনী মিনার ময়দানের কাছাকাছি এলে আল্লাহ একদল পাখি পাঠান। তাদের ঠোঁটে ও পায়ে ছোলার সমান পোড়ামাটির দুটি করে কঙ্কর ছিল। পাখিগুলো ওপর থেকে তা নিক্ষেপ করতে লাগল আর সৈন্যদের শরীর থেকে মাংস খসে পড়তে লাগল। আবরাহাসহ সব সৈন্যের একই প��িণতি হলো।
আল্লাহ আবরাহা ও তার বাহিনীকে আজাব দিয়ে ধ্বংস করেছিলেন। তিনি কুরাইশদের ধ্বংস করেননি, যদিও তারা কাবাকে মূর্তি দিয়ে ভরে ফেলেছিল। কারণ, হস্তীবাহিনীর নিয়ত ছিল কাবাকে ধ্বংস করা।
The story of the elephant
সুরা ফিলের অর্থ এ রকম:
পরম করুণাময় পরম দয়াময় আল্লাহর নামে।
১. তুমি কি দেখোনি তোমার প্রতিপালক হস্তীবাহিনীর প্রতি কী করেছিলেন।
২. তিনি কি ওদের কৌশল ব্যর্থ করে দেননি?
৩. ওদের বিরুদ্ধে তিনি ঝাঁকে ঝাঁকে আবাবিল পাখি পাঠিয়েছিলেন।
 ৪. যারা ওদের ওপর কঙ্কর ফেলেছিল।
 ৫. তারপর তিনি ওদেরকে (জন্তু জানোয়ারের) খাওয়া ভুসির মতো করে ফেলেন।
সুরা ফিলের সারসংক্ষেপ
সুরা ফিল  (হাতি) পবিত্র কোরআনের ১০৫ তম সুরা। মক্কায় অবতীর্ণ। ১ রুকু, ৫ আয়াত। ইয়েমেনে খ্রিষ্টান শাসনকর্তা আবরাহা কাবা আক্রমণ করলে আল্লাহ আবাবিল পাখির সাহায্যে কঙ্কর বৃষ্টির দ্বারা তার হস্তীবাহিনীকে ধ্বংস করেন। সুরাটি ভালোভাবে বোঝার জন্য পটভূমি জানা প্রয়োজন। তৎকালীন ইয়েমেন এর খ্রিষ্টান শাসক ছিল আবরাহা। কাবাকে ঘিরে মক্কায় ধর্মীয় কেন্দ্র ও সেই সুবিধায় অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক কেন্দ্রে রূপান্তরিত হওয়ায় আবরহা ঈর্ষায় ফেটে পড়ে। সে কাবার সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করার জন্য ইয়েমেনের রাজধানী সানায় একটি ��িশাল গির্জা নির্মাণ করেছিল এবং আশা করেছিল মানুষ এখানে আসবে ও নতুন কেন্দ্রে পরিণত হবে ইয়েমেন। কিন্তু এই কাজে তেমন কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এ জন্য সে ক্ষুব্ধ হয়ে কাবা ধ্বংসের উদ্যোগ নেয়। যদিও সে এটাকে ধর্মীয় যুদ্ধ হিসাবে দেখাতে চায় কিন্তু তার মনে ছিল অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। সে বিশাল বিশাল হাতি (৯-১৩ টি) ও বিপুল সৈন্য (৬০ হাজার) নিয়ে কাবার অভিমুখে রওনা হয়। এটি এত গুরুত্ব পূর্ণ একটা ঘটনা ছিল যে সেই বছরকে হস্তী বাহিনীর বছর নামে অভিহিত করা হয়। তখন  কুরাইশরাসহ  সকলে এত বড় বাহিনী ও হাতি দেখে ভীত হয়ে দূরে অবস্থান করে।কুরাইশের প্রতি আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহ। আল্লাহর কাছে কাবার মর্যাদা ও সম্মান অনেক বড়! কাবার সঙ্গে জুলুম ও বেয়াদবি করার ইচ্ছা করলেও আল্লাহ তাকে পাকড়াও করেন।
আল্লাহ আবাবিল পাখি দিয়ে যেভাবে 'কাবা' ঘর রক্ষা করেছিলেন
https://www.youtube.com/watch?v=9vYsT20WDdM&t=37s
 
https://www.youtube.com/watch?v=0346NeCXIf4
 
youtube
youtube
When Birds Defend KAABA (House of Allah) 
কাবা ঘর ধ্বংসের পরিকল্পনাকারীদের পরিণতি! 
youtube
সূরা ফীল ( سورة الفيل ) বাংলা আরবি উচ্চারণ 
youtube
আবাবিল পাখির দ্বারা আল্লাহ কিভাবে কাবাকে রক্ষা করেছেন!💙
How Allah Saved The Kaaba By The Ababeel Bird!💙
2 notes · View notes
mylordisallah · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
হাতির গল্প
The Elephant
সুরা ফিল:
আল্লাহ আবাবিল পাখি দিয়ে যেভাবে 'কাবা' ঘর রক্ষা করেছিলেন ☝🏻
https://www.youtube.com/watch?v=9vYsT20WDdM&t=37s
ফীল আরবী শব্দ যার অর্থ হস্তী বা হাতি। এ সূরায় হস্তীবাহিনীর ঘটনা সংক্ষেপে বর্ণিত হয়েছে। তারা কা'বা গৃহকে ভূমিসাৎ করার উদ্দেশে হস্তীবাহিনী নিয়ে মক্কায় অভিযান পরিচালনা করেছিল। আল্লাহ্‌ তাআলা নগণ্য পক্ষীকূলের মাধ্যেমে তাদের বাহিনীকে নিশ্চিহ্ন করে তাদের কুমতলবকে ধুলায় মিশিয়ে দেন।
মুহাম্মদ (সা.)–এর জন্মের আগের ঘটনা। তাঁর দাদা আবদুল মুত্তালিব তখন কুরাইশ গোত্রের সরদার। তিনি পবিত্র কাবাঘর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন।
সে সময় আবরাহা ছিলেন ইয়েমেনের খ্রিষ্টান শাসনকর্তা। তিনি ছিলেন হস্তীবাহিনীর প্রধান। আবরাহা কাবা আক্রমণ করলে আল্লাহ আবাবিল পাখির সাহায্যে কঙ্কর বৃষ্টির দ্বারা তার হস্তীবাহিনীকে ধ্বংস করেন।
কাবাকে ঘিরে মক্কায় ধর্মীয় কেন্দ্র এবং সেই সুবিধায় অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক কেন্দ্রে রূপান্তরিত হওয়ায় আবরাহা ঈর্ষায় ফেটে পড়েন। তিনি কাবার সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করার জন্য ইয়েমেনের রাজধানী সানায় একটি বিশাল গির্জা নির্মাণ করেছিলেন। আশা করেছিলেন, মানুষ এখানে আসবে। নতুন কেন্দ্রে পরিণত হবে ইয়েমেন। কিন্তু তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি কাবা ধ্বংসের উদ্যোগ নেন। তিনি বিশাল বিশাল ৯ থেকে ১৩টি হাতি এবং ৬০ হাজার সৈন্য নিয়ে কাবার অভিমুখে রওনা দেন। এটি এত গুরুত্বপূর্ণ একটা ঘটনা ছিল যে সেই বছরকে হস্তীবাহিনীর বছর নামে ডাকা হয়।
আবরাহার বাহিনী মক্কার উপকণ্ঠে পৌঁছালে মক্কার মানুষ ভয়ে পাহাড়ে আশ্রয় নেয়। মহানবী (সা.)-এর দাদা আবদুল মুত্তালিব আবরাহার কাছে গেলে তিনি বললেন, ‘আমরা কাবাঘর ধ্বংস করতে এসেছি। আর তুমি কেবল তোমাদের উট ফেরত চাইতে এসেছ।’
আবদুল মুত্তালিব বলেন, ‘কাবা আল্লাহর ঘর। তিনিই এর হেফাজতকারী।’
এরপর বাহিনী মিনার ময়দানের কাছাকাছি এলে আল্লাহ একদল পাখি পাঠান। তাদের ঠোঁটে ও পায়ে ছোলার সমান পোড়ামাটির দুটি করে কঙ্কর ছিল। পাখিগুলো ওপর থেকে তা নিক্ষেপ করতে লাগল আর সৈন্যদের শরীর থেকে মাংস খসে পড়তে লাগল। আবরাহাসহ সব সৈন্যের একই পরিণতি হলো।
আল্লাহ আবরাহা ও তার বাহিনীকে আজাব দিয়ে ধ্বংস করেছিলেন। তিনি কুরাইশদের ধ্বংস করেননি, যদিও তারা কাবাকে মূর্তি দিয়ে ভরে ফেলেছিল। কারণ, হস্তীবাহিনীর নিয়ত ছিল কাবাকে ধ্বংস করা।
The story of the elephant
সুরা ফিলের অর্থ এ রকম:
পরম করুণাময় পরম দয়াময় আল্লাহর নামে।
১. তুমি কি দেখোনি তোমার প্রতিপালক হস্তীবাহিনীর প্রতি কী করেছিলেন।
২. তিনি কি ওদের কৌশল ব্যর্থ করে দেননি?
৩. ওদের বিরুদ্ধে তিনি ঝাঁকে ঝাঁকে আবাবিল পাখি পাঠিয়েছিলেন।
 ৪. যারা ওদের ওপর কঙ্কর ফেলেছিল।
 ৫. তারপর তিনি ওদেরকে (জন্তু জানোয়ারের) খাওয়া ভুসির মতো করে ফেলেন।
সুরা ফিলের সারসংক্ষেপ
সুরা ফিল  (হাতি) পবিত্র কোরআনের ১০৫ তম সুরা। মক্কায় অবতীর্ণ। ১ রুকু, ৫ আয়াত। ইয়েমেনে খ্রিষ্টান শাসনকর্তা আবরাহা কাবা আক্রমণ করলে আল্লাহ আবাবিল পাখির সাহায্যে কঙ্কর বৃষ্টির দ্বারা তার হস্তীবাহিনীকে ধ্বংস করেন। সুরাটি ভালোভাবে বোঝার জন্য পটভূমি জানা প্রয়োজন। তৎকালীন ইয়েমেন এর খ্রিষ্টান শাসক ছিল আবরাহা। কাবাকে ঘিরে মক্কায় ধর্মীয় কেন্দ্র ও সেই সুবিধায় অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক কেন্দ্রে রূপান্তরিত হওয়ায় আবরহা ঈর্ষায় ফেটে পড়ে। সে কাবার সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করার জন্য ইয়েমেনের রাজধানী সানায় একটি বিশাল গির্জা নির্মাণ করেছিল এবং আশা করেছিল মানুষ এখানে আসবে ও নতুন কেন্দ্রে পরিণত হবে ইয়েমেন। কিন্তু এই কাজে তেমন কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এ জন্য সে ক্ষুব্ধ হয়ে কাবা ধ্বংসের উদ্যোগ নেয়। যদিও সে এটাকে ধর্মীয় যুদ্ধ হিসাবে দেখাতে চায় কিন্তু তার মনে ছিল অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। সে বিশাল বিশাল হাতি (৯-১৩ টি) ও বিপুল সৈন্য (৬০ হাজার) নিয়ে কাবার অভিমুখে রওনা হয়। এটি এত গুরুত্ব পূর্ণ একটা ঘটনা ছিল যে সেই বছরকে হস্তী বাহিনীর বছর নামে অভিহিত করা হয়। তখন  কুরাইশরাসহ  সকলে এত বড় বাহিনী ও হাতি দেখে ভীত হয়ে দূরে অবস্থান করে।কুরাইশের প্রতি আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহ। আল্লাহর কাছে কাবার মর্যাদা ও সম্মান অনেক বড়! কাবার সঙ্গে জুলুম ও বেয়াদবি করার ইচ্ছা করলেও আল্লাহ তাকে পাকড়াও করেন।
আল্লাহ আবাবিল পাখি দিয়ে যেভাবে 'কাবা' ঘর রক্ষা করেছিলেন
https://www.youtube.com/watch?v=0346NeCXIf4
 
youtube
youtube
When Birds Defend KAABA (House of Allah) 
কাবা ঘর ধ্বংসের পরিকল্পনাকারীদের পরিণতি! 
youtube
সূরা ফীল ( سورة الفيل ) বাংলা আরবি উচ্চারণ 
youtube
আবাবিল পাখির দ্বারা আল্লাহ কিভাবে কাবাকে রক্ষা করেছেন!💙
How Allah Saved The Kaaba By The Ababeel Bird!💙
2 notes · View notes
brazilbanglatv · 7 months ago
Text
2 notes · View notes
ziaur-rahman · 2 years ago
Text
তরুন জাতীয়তাবাদীদের এ ইতিহাস জানতে হবেই।
১৭ই মেঃ শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন
Tumblr media
জিয়ার আন্তরিক স্বদিচ্ছায় উনি দেশে ফিরে আসেন। শুধু আসাই না; জিয়া তাঁকে মানিক মিয়া এভিনিউ এ মিটিং থেকে শুরু করে টুঙ্গীপাড়া, সিলেট সফরের সুব্যাবস্থা করেন।
আজ হয়তো আওয়ামীলীগ ঘটা করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করবে কিন্তু যাঁর আন্তরিকতায় তিনি দেশে এলেন তাঁর নামে কটা কুৎসাও করবে।
অনেকে একে জিয়ার জীবনের সবচে বড় ভুল বলে অভিহিত করেন। কিন্তু জিয়া রাজনৈতিক সুবিধার পরোয়া করেননি। তিনি দেশের পিতৃহারা মেয়েকে তাঁর দেশ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য এর মাত্র ১৩ দিন পর জিয়া নিহত হন।
আওয়ামিলীগ নেত্রীকে দেশে ফিরতে জিয়া বাঁধা দেননি। বরং জিয়া তাঁর পারিবারিক স্থাবর অস্থাবর সম্পদ ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগী ছিলেন। ছবি ৪-৮
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
(ওপরের কিছু অংশ বৈরাম খান ভাইয়ের লেখা থেকে)
আব্দুর রাজ্জাক ও কামাল হোসেনকে দিল্লি পাঠিয়েছিলেন শেখ হাসিনার দেশে ফেরার প্রয়োজনীয়তা ও পরিস্থিতি বুঝাবার জন্য।
সাথে একটু যুক্ত করতে চাইঃ
তবে এও সত্য ইন্ডিয়া বসে আওয়ামীলীগের বাংলাদেশের রাজনীতি করা অসম্ভব হয়ে পরেছিল। ইন্দিরা'জী, দিল্লীতে বসে হাসিনাকে বাংলাদেশের রাজনীতি করার সুযোগ রেখে জিয়া সরকারকে বিরক্ত/চটাতে চাননি। যার প্রধান কারণ ছিল জিয়া সরকারের "মেরুদণ্ড সোজা" পররাস্ট্র নীতি।
ডকুমেন্ট যুক্ত করলাম, (ছবি ২ ও ৩)
Tumblr media
যা প্রমান করে ইন্ডিয়া বসে বাংলাদেশের রাজনীতি না করার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। সংবাদের শিরোনাম ছিলঃ
"মহিলার উভয় সংকট"
৮ এপ্রিল ১৯৮১
দৈনিক ইত্তেফাক
নয়াদিল্লী থেকে প্রকাশিত পাক্ষিক দ্যা ইন্ডিয়া টুডে, ইন্ডিয়া সরকার বাংলাদেশে আওয়ামীলীগের নির্বাচিত সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে ইন্ডিয়া বসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক কার্যকলাপ পরিচালনা হতে বিরত থাকতে বলেছিল।
Tumblr media
পত্রিকার ঐ সংখ্যা "মহিলার উভয় সংকট" শিরনামে শেখ হাসিনার ওপর নিবন্ধে বলা হয়ঃ
"এই উপমহাদেশের একজন মহিলা নেত্রী আর সম্ভবত উঠতে পারবেন না"।
প্রশ্ন হচ্ছে আজীবন আওয়ামীলীগের শুভাকাঙ্ক্ষী, ইন্ডিয়ান কংগ্রেস তাও খোঁদ ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন সরকার থাকা স্বত্তেও কেন এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল?
হতে পারেঃ
বাংলাদেশে পট পরিবর্তনে ইন্ডিয়ার রাজনৈতিক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছিল। প্রেক্ষাপট ইন্ডিয়া সরকারের নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গিয়েছিল। বিধায় তাদের এই পদক্ষেপে ড্যামেজ কন্ট্রোল হয়।
ইন্দিরা গান্ধী, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামীলীগের ভবিষ্যৎ বিষয়ে সন্দিহান হয়ে পরেছিলেন। শেখ হাসিনার ফিরে আসার মাধ্যমে সাংগঠনিকভাবে আওয়ামীলীগ পুনরায় সংগঠিত হয়। দারুণ ভাবেই হয়।
শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ইন্ডিয়ান ভূখন্ড ব্যাবহারে নিষেধাজ্ঞা প্রদান ক��ে বাংলাদেশ সরকারের কোর্টে বল ঠেলে দেওয়া যে তোমাদের রাজনীতিবিদকে তোমরা হ্যান্ডেল কর। অর্থাৎ আওয়ামীলীগের জন্য নতুন করে প্রস্তুত হবার ক্ষেত্র তৈরি করে দেওয়া।
বাংলাদেশ প্রকৃত গণতান্ত্রিক পথে হাঁটতে যাচ্ছে এবং লেবেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত হচ্ছে বুঝেই শেখ পরিবারের জোষ্ঠ কন্যাকে ফেরৎ পাঠিয়েছিল।
ঘটনা যায় হোক না কেন শেখ পরিবারের বন্ধু ও শেখ হাসিনার প্রতি স্নেহময়ী ইন্দিরা বাংলাদেশে যে তখন স্থিতিশীল ও গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক পরিবেশ পরিস্থিতি ছিল তা নিশ্চিত না হয়ে অন্তত শেখ হাসিনার প্রবাস রাজনীতির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বাংলাদেশে ফিরে আসার প্রেক্ষাপট তৈরি করতেন না।
দেশে ফেরার পূর্বে দিল্লিতে লীগের সদ্য নির্বাচিত সভানেত্রী শেখ হাসিনার একটি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকার নেন সাংবাদিক মাহাফুজুল্লাহ। Aminul Huq এর সৌজন্যে ঐ সাক্ষাৎকার লিঙ্কে সংযুক্ত করা হলো।
Tumblr media
3 notes · View notes
maroonpaper · 2 years ago
Text
মরক্কোর জাতীয়তাবাদি আন্দোলন ও সুলতান মুহাম্মাদ
Tumblr media
মরক্কো উত্তর আফ্রিকার একটি স্বাধীন ও আরব রাষ্ট্র। এর রাজধানী রাবাত। পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগরের তীরবর্তী অঞ্চল জুড়ে এবং উত্তরে ভূমধ্য সাগরের জিব্রাল্টার প্রনালী পর্যন্ত বিস্তৃত। মরক্কোর পূর্বে আলজেরিয়া, উত্তরে ভূমধ্যসাগর ও স্পেন এবং পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর অবস্থিত। এর দক্ষিণে পশ্চিম সাহারা অবস্থিত।
মরক্কো রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন
মরক্কোর গোড়াপত্তনের ইতিহাস বলে যে, কথা প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে হোমিনিডরা তথা বর্তমান মানুষদের পূর্বসূরীরা কমপক্ষে ৪০০,০০০ বছর আগে এই অঞ্চলে বাস করত। খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম ও ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যে মরোক্কোর উপকূলে ফিনিশীয় উপনিবেশ স্থাপনের আগে প্রায় দুই হাজার বছর ধরে এই অঞ্চলে স্থানীয় বার্বাররা বসবাস করত। এটাই মরক্কোর সভ্যতার প্রথম নথিভুক্ত ইতিহাস।
খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে নগর-রাষ্ট্র কার্থজের আওতায় মরক্কোর উপকূলীয় অঞ্চলও চলে আসে। তারা খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেছিল। এই সময়ে স্থানীয় শাসকরা উপকূল থেকে ভেতরের দিকের অঞ্চলে শাসন পরিচালনা করেছিলেন। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে চল্লিশ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত যখন এই অঞ্চল রোমান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল, স্থানীয় বার্বার রাজারাই এই অঞ্চল শাসন করেছিলেন। খ্রিস্টীয় ৫ম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে এটি জার্মানীয় ভান্ডালদের দখলদারিত্বের শিকার হয়েছিল। কিন্তু বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য ষষ্ঠ শতাব্দীতে মরক্কোকে পুনরুদ্ধার করে।
খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দীর গোড়ার দিকে  এই অঞ্চলটি মুসলমানরা বিজয় করেছিল, তবে ৭৪০ সালের বার্বার বিদ্রোহের পরে উমাইয়া খিলাফত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়  । অর্ধ শতাব্দী পরেই ৭৮৮ খ্রিষ্টাব্দে ইদ্রিস রাজবংশই প্রথম মরোক্কো রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরবর্তীকালে এটি একাধিক স্বাধীন রাজবংশ, আলমোরাভিড এবং আলমোহাদ রাজবংশের অধীনে মরক্কো মা���রেব এবং মুসল��ম স্পেনে আধিপত্য বিস্তার করেছিল।
একাদশ  এবং দ্বাদশ শতাব্দীতে আঞ্চলিক শক্তি হিসাবে মরক্কো শীর্ষে পৌঁছেছিল। সাদি রাজবংশ ১৫৪৯ থেকে ১৬৫৯ সাল পর্যন্ত দেশ শাসন করেছিল, তারপরে  ১৬৬৭ সাল থেকে আলাওয়িরা মরক্কোর শাসক রাজবংশ ছিল।
জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ক্রমবিকাশ
নানা বাঁধা-বিপত্তি, রক্তক্ষয়য়ী সংগ্রামের বিনিময়ে ১৯৫৬ সালের ২ মার্চ মরক্কো ফ্রান্সের থেকে স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করে। এ স্বাধীনতা আন্দোলনে পঞ্চম মুহাম্মদ ও ইশতিকলাল দলের ভূমিকা অবিস্মরনীয়। বিশেষ আফ্রিকার স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মরক্কোর জাতীয়তাবাদী আন্দোলন এক বিশেষ স্থান অর্জন করেছে। মরক্কোর এই জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে বুঝতে হলে আগে আমাদেরকে মরক্কোতে উপনিবেশবাদের সাথে পরিচত হতে হবে।
ভৌগলিকভাবে ইউরোপের সাথে আফ্রিকার বিভাজন হয়েছে জিব্রাল্টার প্রণালীর মাধ্যমে। মাত্র কয়েক কিলোমিটার ব্যবধানে এই মহাদেশ দুটির অবস্থানের কারণে ১৭ শতক থেকেই আলমোরাভিড এবং আলমোহাদ রাজবংশের অধীনে মরোক্কোকে উত্তরে স্প্যানিশ আক্রমণ এবং পশ্চিমদিকে উসমানীয় সাম্রাজ্যের আগ্রাসনের সাথে মুখোমুখি হতে হয়েছে।
ইউরোপে শিল্পায়নের ছোয়া এলে তাদের লোলুপ দৃষ্টি প্রতিবেশিদের ওপর পড়তে শুরু করে। শিল্প বিপ্লবের সাথে সাথে ইউরোপ উত্তর-পশ্চিম আফ্রিয়ায় নিজেদের উপনিবেশ স্থাপনের পায়তারা শুরু করে। এদিক থেকে স্পেন ও ফ্রান্স দুটি দেশেরই ভৌগলিকভাবে নিকটতম প্রতিবেশি মরক্কো নজরে পড়ে। দুটি দেশেরই উপনিবেশ স্থাপনের এক সম্ভাবনাময় আদর্শ অঞ্চল হয়ে ওঠে মরক্কো।
উপনিবেশবাদের গোড়াপত্তন
সাদি রাজবংশের পতনের সময় রাজনৈতিক বিভাজন এবং সংঘাতের পরে আলাউই সুলতান আল-রশিদ, ১৬৬০ এর দশকের শেষের দিকে পুনরায় মরক্কোকে একত্রিত করেছিলেন। স্থানীয় উপজাতির বিরোধিতার বিরুদ্ধে ইসমাইল ইবনে শরীফ একটি একক রাষ্ট্র গঠন শুরু করেন। বিভিন্ন সময়ে স্প্যানিশ, ইংরেজদের অতর্কিত হামলা, দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তার রিফিয়ান আর্মি ইংরেজদের কাছ থেকে ট্যাঙ্গিয়ার দখল পুনরুদ্ধার করেছিল এবং ১৬৮৯  সালে স্প্যানিশদের লারাচে থেকে  তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। পর্তুগিজরাও ১৭৬৯ সালে মরোক্কোতে তাদের শেষ অঞ্চল মাজাগাও ত্যাগ করে। তবে এই প্রতিরোধ বেশিদিন টিকে থাকতে পারেনি।মরক্কোর স্বাধীনতা বেহাত হয় স্প্যানিশদের  বিরুদ্ধে ‘মেলিলার অবরোধ’ ১৭৭৫ সালে পরাজয়ের মাধ্যমে।
এই সময়ে আটলান্টিক সাগরে আমেরিকান জাহাজগুলো হর-হামেশাই বার্বার জলদস্যুদের আক্রমণের শিকার হতো। মরক্কোর তৃতীয় সুলতান মোহাম্মাদ আমেরিকান জাহাজগুলোকে বার্বার দস্যুদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা প্রদান করেন। ১৭৮৬ সালেই আমেরিকা-মরক্কো বন্��ুত্ব চুক্তি সাক্ষরিত হয়। সেই থেকে আমেরিকা ও মরক্কো একে অপরের দিকে সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়।
মরক্কোর প্রতিবেশী আলজেরিয়ায় আগেই ফ্রান্স উপনিবেশ স্থাপন করেছিল। সেই সুবাদে তারা মরক্কোতে খুব কাছ থেকেই নজর রাখছিল। ১৮৩০ সালের শুরুর দিকে সর্ব প্রথম ফ্রান্স মরক্কো দখলের পায়তারা শুরু করে। একই সময়ে স্পেনের সাথে মরক্কোর দীর্ঘদিনের কোন্দল ধীরে ধীরে মাথাচাড়া দেয়া শুরু করে। ১৮৬০ সালে সেউতা ছিটমহল নিয়ে বিরোধের কারণে স্পেন মরক্কোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এই যুদ্ধে সেউতাসহ আরো একটি ছিটমহল দখল করে নেয় স্পেন। কার্যত ১৮৮৪ সালে মরক্কোর উপকূলীয় অঞ্চলে স্পেনই উপনিবেশ গড়ে তোলে। ফ্রান্সই সর্বপ্রথম উপনিবেশ করার পায়তারা করলেও, এক্ষেত্রে স্পেনই প্রথম সফল হয়।
১৯০৪ সাল থেকে ফ্রান্স ও স্পেন মরক্কোতে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার শুরু করে। হাজার হাজার ইউরোপীয় মরক্কোতে অনুপ্রবেশ করে জমাজমি কেনা শুরু করে। শিল্পোন্নয়ের নামে তারা বিভিন্ন দ্বীপ, খনিতে প্রভাব খাটানো শুরু করে। তাদের এহেন কাজকর্মে সুবিধার জন্য ফ্রান্সকে চাপ দেয়া শুরু করে মরক্কোকে বাগে আনতে। ফ্রান্স মরক্কোকে বাগে রাখতে ফ্রান্স-মরক্কো সহযোগিতামূলক কার্যক্রম শুরু করতে সক্ষম হয়। পরবর্তিতে তারা বিভিন্নভাবে মরক্কোর ওপর প্রভাব বিস্তার শুরু করে।
মরক্কোতে ফ্রান্সের এহেন প্রভাব বিস্তারে যুক্তরাজ্য সম্মতি ছিল। তবে মরক্কোর পুরনো মিত্র আমেরিকা এসময় মরক্কোকে কূটনৈতিক সহযোগিতা প্রদান করে।
১৯০৫ সালে পরাশক্তি গুলোর মাঝে একটি সংকট দেখা দেয়। ১৯১১ সালে ‘আপাদির সংকট’ ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মাঝে উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে।
১৯১২ সালে মরক্কোর সুলতান আবদুল হাফিজের সঙ্গে ‘ফেজ চুক্তি’ স্বাক্ষর করে ফ্রান্স। এ চুক্তি অনুযায়ী মরক্কোকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। উত্তর উপকূলীয় অঞ্চল, দক্ষিণ- পশ্চিম অঞ্চল ও পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে স্পেনের দখল প্রতিষ্ঠিত হয় আর বাকি অংশ চলে যায় ফরাসীদের অধীনে। এ চুক্তির মধ্য দিয়েই মরক্কোকে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি ফরাসি ‘আশ্রিত ভূখণ্ড’ বানানো হয়। এর পরের বছরগুলোতে ফ্রাস সেখানে উপনিবেশ স্থাপন করে বসে। স্পেনীয় অঞ্চলে একজন হাইকমিশনার এবং ফরাসি অঞ্চলে একজন আবাসিক জেনারেল শাসন করতেন।
জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ও গাজী আব্দুল করিম
ফরাসীরা মরক্কোতে তাদের উপনিবেশ কায়েম করে তাদের আশ্রিত অঞ্চল হিসেবে শাসন কার্য পরিচালনা শুরু করে। ফলে জনগণ তাদের ওপর ধীরে ধীরে ক্ষুব্ধ হতে থাকে। ১৯১২ সালে মরক্কোর জাতীয়তাবাদী নেতা গাজী আব্দুল করিম উপজাতীদের সঙ্ঘবদ্ধ করে ফরাসী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ফেজ নগর পুনরুদ্ধার করে নেয়। ১৯২৬ সালে ফরাসীরা গাজী আব্দুল করিমকে পরাজিত করে এবং নির্বাসনে পাঠায়। ফরাসীরা মরক্কোর সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করলেও মরক্কোবাসী বিদেশী আধিপত্যকে কখনোই মেনে নিতে পারেনি।
প্র��ম বিশ্বযুদ্ধ থেকেই মরক্কোতে উপনিবেশবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। মরক্কোর জাতীয়তাবাদী নেতা আব্দুল করিমের নেতৃত্বে প্রগতিশীল জনগণ ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে আবার আন্দোলন শুরু করেন। এই আন্দোলনে স্পেনীর উপনিবেশের পতন ঘটে। আব্দুল করিম বিজয়ী হয়ে “বিজা প্রজাতন্ত্র” গঠন করেন। তবে ১৯২৭ সালে স্পেন ও ফ্রান্স জোটবদ্ধ হয়ে আব্দুল করিমকে পরাজিত করে। ফরাসীদের কঠোর দমননীতি মরক্কোবাসীদের ভেতরে পুনরায় জাতীয়তাবাদকে জাগিয়ে তোলে। ১৯৩০ সালে দাহিব নামক এক নির্যাতনমূলক আইন জারি করলে দেশের জনগণ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন শুরু করে।
১৯২০ সালে মরক্কোতে একটি বিদ্রোহ দমন করছে ফরাসী বাহিনী। ছবিঃ বিবিসি
সুলতান মুহাম্মাদ বিন ইউসুফ(পঞ্চম মুহাম্মদ) জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকারীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে ফরাসী উৎখাতের সংগ্রাম শুরু করেন। জাতীয়তাবাদী নেতারা দেশের স্বাধীনতার জন্য জোরেশোরেই সংগ্রাম শুরু করে। ১৯৩৪ সালে ফরাসী কর্তৃপক্ষের নিকট একটি সংস্কারমূলক প্রস্তাব পেশ করা হয়। ১৯৩৭ সালে এই প্রস্তাবের সাথে আরো কিছু দাবি যুক্ত করা হয়। এসব দাবীর মধ্যে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান, বিচার বিভাগের সংস্কার অন্যতম। স্বাধীনতাকামীরা প্রথমে ন্যাশনাল একশন কমিটি এবং পরবর্তীতে নিউ ইশতিকলাল দলের মাধ্যমে দাবি আদায়ের আন্দ���লন শুরু করে। আব্দুল খালেক তোরণের ‘আল ইসলাহ’ এওবং মক্কা আল নাসিরের ‘মরক্কো ইউনিট” দল জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে শামিল হলে আন্দোলন আরো বেগবান হয়। এ সময় পঞ্চম মুহাম্মদের প্রচারণায় মরক্কোর স্বাধীনতা আন্দোলন চুড়ান্ত রূপ ধারণ করে।
ইশতিকলাল দল গঠন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মরক্কোর জাতীয়তাবাদী আন্দোলন এক নতুন মাত্রা বেগবান হয়। ১৯৪৩ সালে মরক্কর জাতীয়তাবাদী নেতারা প্রথমবারের মত ইশতিকলাল নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করে। অনেকগুলো ছোট ছোট দলের সমন্বয়ে গঠিত এ দলটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে মরক্কোবাসীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করে। সুলতান নিজেও এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানান। ফলে নির্বিঘ্নে এ আন্দোলন চলতে থাকে। ১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত দেশের ভেতরে ব্যাপক সমর্থন লাভ করে এবং কায়রো ও নিউইয়র্কে তাদের বিদেশ অফিস চালু করা হয়।
আরো পড়ুনঃ পশতুনিস্তান সমস্যা ও সমাধান
১৯৫২ সালের ডিসেম্বরে তিউনিশিয়ার শ্রমিক নেতা ফারহাত হাচেদের হত্যার প্রতিবাদে কাসাব্লাঙ্কায় ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়; এই ঘটনা মরোক্কোর রাজনৈতিক দল এবং ফরাসি কর্তৃপক্ষের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি পরিস্থিতি দাড় করায়। দাঙ্গার পরে, ফরাসী সরকার মরোক্কোর কমিউনিস্ট পার্টি ও ইস্তিকলাল পার্টিকে বে-আইনি ও নিষিদ্ধ  ঘোষণা করে এবং দলের বহু নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে।
সুলতান পঞ্চম মুহাম্মদের নির্��াসন ও ষষ্ঠ মুহাম্মদের ক্ষমতায় আরোহন
মরক্কোর জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে ফরাসীরা কঠোরভাবে দমন করার চেষ্টা করে। আর সুলতান পঞ্চম মুহাম্মদ জাতীয়তাবাদী নেতাদের প্রতি সমর্থণ ও সহানুভূতি জ্ঞাপন এবং বিশেষ ভূমিকার কারণে তিনি ফরাসী সরকারের বিরাগভাজন হন।
মরক্কোর স্বাধীনতা আন্দোলনে ভীত ফরাসি সরকার ১৯৫৩ সালের ২০ আগস্ট ঈদ উল আজহায় সুলতান পঞ্চম মোহাম্মদকে সপরিবারে কর্সিয়ায় নির্বাসনে পাঠায়। এসময় ফরাসিরা মোহাম্মদ বেন আরাফাকে কাঠের পুতুল হিসেবে ক্ষমতায় বসায়। সুলতান আরাফা মরক্কোতে ‘ফরাসি সুলতান নামে পরিচিতি পান। ১৯৫৪ সালের জানুয়ারীতে পঞ্চম মোহাম্মদকে মাদাগাস্কারে সরিয়ে নেয় ফরাসি সরকার। এই নির্বাসন ও পুতুল শাসক আরাফার  আগমন মরক্কোর জাতীয়তাবাদী ও ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। উভয় পক্ষই ফরাসীদের এই কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে।  সুলতান মুহাম্মদের ক্যারিশমাটিক নেতৃতে মুগ্ধ মরক্কোবাসী তাকে জাতীয় নেতা হিসেবে গ্রহণ করেন। মরক্কোর স্বাধীনতাকামী জনগণ সুলতান মুহাম্মদের দিকনির্দেশনায় আন্দোলন চালিয়ে যায় তার অনুপস্থিতেই।  
ফরাসীদের দমননীতি
ফরাসীরা পঞ্চম মুহাম্মদকে সরিয়ে ষষ্ঠ মুহাম্মদকে ক্ষমতায় বসালে প্রতিশোধ হিসাবে, মুহাম্মদ জারকতুনি সেই বছরের  ক্রিসমাসে ইউরোপীয় ভিলে নুভেলের কাসাব্লাঙ্কার মার্চে সেন্ট্রালে  বোমা  হামলা করেছিলেন। যাইহোক, ফরাসিদের মদদে ষষ্ঠ মুহাম্মদ ক্ষমতায় এসে এক নতুন শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। তার এ শাসন ব্যবস্থায় মরক্কোর স্বার্থবিরোধী কতগুলো সুযোগ-সুবিধা ফরাসীদের জন্য প্রণয়ন করা হয়। যেমনঃ
রাজা নিজের ইচ্ছায় দেশ পরিচালনা না করে মরক্কোকে আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করবে।
ভবিষ্যতে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করে ফরাসী ও সুলতানি শাসন রক্ষা করবে।
বিচারকদের একই সাথে শাসন ও বিচারের ক্ষমতা প্রদান করা হবে।
শ্রমিকদের জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করবে।
নাগরিক অধিকার প্রদান করা হবে যদিও তখন পর্যন্ত দেশে সামরিক শাসন জারি ছিল।
ফরাসীদের দমননীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম
মরক্কোর স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতীয়তাবাদি নেতাদের সহায়তা করার জন্য ফরাসী কর্তৃপক্ষের অভ্যন্তরে বিরোধ দেখা দেয়। ফরাসীরা নতুন সুলতানের মাধ্যমে মরক্কোর নাগরিক অধিকার খর্ব করে। স্বাধীনতাকামী নেতারা কারাগারেই বিক্ষোভ শুরু করে। ফলে মরক্কোর বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করলে সুলতান ও ফরাসীরা কঠোর হস্তে আন্দোলন দমন করা শুরু করে। এতে বহুসংখ্যক নাগরিক মারা যায় আন্দোলনে সমর্থন করার দায়ে।
এর দুই বছর পরে, আন্দোলনকারীদের সমর্থন করার অভিযোগে পঞ্চম মুহাম্মদকে ক্ষমতাচ্যুত করার দ্বিতীয় বার্ষিকীতে সমগ্র দেশে বিক্ষোভ হয়। সুলতানের প্রত্যাবর্তনের জন্য মরোক্কোর ঐক্যবদ্ধ দাবি ওঠে এবং মরক্কোতে ক্রমবর্ধমান সহ��ংসতার পাশাপাশি আলজেরিয়াতেও পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হয়। এছাড়াও পুনরায় ফরাসী কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি দেয়া হয়।
সুলতান মুহাম্মাদ নির্বাসন থেকে ফিরছেন। ছবিঃ মরক্কো ওয়ার্ল্ড নিউজ
ইসতিকলাল দল, ট্রেড ইউনিয়ন ও অন্যান্য জাতীয়তাবাদী দলগুলো পুনরায় পঞ্চম মুহাম্মদকে ক্ষমতায় বসানোর প্রচেষ্টা চালায়। মরক্কোর স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের আন্দোলন পার্শ্ববর্তি লিবিয়া, আলিজেরিয়া, মিশরের জনসাধারনেরও সমর্থণ পায়। তারা পঞ্চম মুহাম্মদের নামে মসজিদে মসজিদে খুৎবা পাঠ করতে শুরু করে। কিন্তু তিনি আশ্রিত সুলতান হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণে অস্বীকার করেন। পরিস্থিতি অনুধাবণ করে শেষ পর্যন্ত উভয় সংকটের মুখোমুখি হয়ে ফরাসি সরকার শর্ত প্রত্যাহার করে তাকে দেশে ফিরে আসার আহবান জানায় এবং পঞ্চম মোহাম্মদকে মরক্কোতে ফিরিয়ে আনে। অবশেষে ১৯৫৫ সালের ১৬ নভেম্বর সুলতান বিজয়ীর বেশে দেশে ফিরে আসেন। এবং পরের বছর উভয়পক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হয় যা মরক্কোর স্বাধীনতার দিকে ধাবিত হয়।
মরক্কোর স্বাধীনতা ঘোষণা
সুলতান পঞ্চম মুহাম্মদ ১৯৫৫ সালের শেষের দিকে ফরাসি-মরোক্কোর পারস্পরিক নির্ভরশীলতার কাঠামোর মধ্যে মরোক্কোর স্বাধীনতা ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধারের জন্য আলোচনা করতে সফল হন, যা রাজা এবং জনগণের বিপ্লব নামে পরিচিতি লাভ করে। সুলতান এমন পরিবর্তনগুলি বাস্তবায়নে সম্মতি দিয়েছিলেন যা মরক্কোকে একটি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার সাথে একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্রে পরিণত করবে। ১৯৫৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে মরক্কোকে সীমিত পরিসরে স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়েছিল।
১৯৫৬ সালের ২ মার্চ প্যারিসে স্বাক্ষরিত ফরাসি-মরোক্কো চুক্তি হয়। ১৯৫৬ সালের ৭ এপ্রিল, ফ্রান্স আনুষ্ঠানিকভাবে মরক্কোস্থত উপনিবেশ ত্যাগ করে। ১৯৫৬ সালের ২৯ শে অক্টোবর ট্যানজিয়ার প্রোটোকল স্বাক্ষরের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকীকৃত শহর ট্যানজিয়ার পুনরায় মরক্কোর সাথে সংযুক্ত হয়েছিল।
স্পেন কর্তৃক মরোক্কোর স্বাধীনতার স্বীকৃতি এবং স্প্যানিশ উপনিবেশ বিলুপ্তি পৃথকভাবে আলোচনা করা হয়েছিল এবং ১৯৫৬ সালের এপ্রিলের যৌথ ঘোষণায় চূড়ান্ত করা হয়েছিল। তবে, স্পেনের সাথে এই চুক্তি এবং ১৯৫৮ সালে পৃথক আরেকটি চুক্তির মাধ্যমে কিছু স্প্যানিশ-শাসিত অঞ্চলে মরক্কোর নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করা করা সম্ভব হলেও সামরিক পদক্ষেপের মাধ্যমে অন্যান্য স্প্যানিশ উপনিবেশগুলো দাবি করার প্রচেষ্টা  ততটা সফল হয়েছিল।
১৯৫৬ ও ১৯৫৮ সালে সাক্ষরিত ফরাসি-মরোক্কো ও স্প্��ানিশ -মরোক্কো চুক্তিগুলোর মাধ্যমে স্পেন ও ফরাসী সৈন্যরা চলে যেতে শুরু করে। এবং শেষ পর্যন্ত স্পেনীয়  ও ফরাসীদের বিতাড়িত করার মাধ্যমে পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে মরক্কো।
সুলতান পঞ্চম মুহাম্মদের অবদান
মাত্র সতের বছর বয়সে মরক্কোর সিংহাসনে বসেন সুলতান পঞ্চম মুহাম্মদ। তার বলিষ্ঠ নেতৃতের কারণেরি মরক্কোবাসী স্পেন ও ফরাসীদের দখলদারীত্বের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে সক্ষম হয়েছিল। ফরাসীরা মুহাম্মদকে তাদের অনুগত ভৃত্য হিসেবে সিং হাসনে বসালেও তিনি তাদের আনুগত্য মেনে নেননি। যারফলে ফরাসীদের রোষানলে পড়েন এবং নির্যাতিত হন। বিদেশী শাসনে মরক্কোর জনগণ যখন নিষ্পেষিত এবং একজন জাতীয় নেতার অভাব অনুভব করছিল ঠিক তখনই পঞ্চম মুহাম্মদ ক্ষমতায় আসেন এবং দেশের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালান এবং স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারে সফল হন।
স্বাধীনতার কয়েক মাসের মধ্যেই পঞ্চম মোহাম্মদ একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের অধীনে একটি আধুনিক সরকারী কাঠামো তৈরি করতে অগ্রসর হন  যেখানে সুলতান একটি সক্রিয় রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করবেন। তিনি সতর্কভাবে ইস্তিকলালকে তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং একদলীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা থেকে বিরত রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন।তিনি ১৯৫৭ সালের ১১ আগস্ট রাজতন্ত্র গ্রহণ করেন এবং সেই তারিখ থেকে দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে ‘মরক্কো কিংডম’ নামে পরিচিতি লাভ করে। মরক্কোর স্বধীনতা পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে সুলতান মোহাম্মদের অবদান, নিঃস্বার্থ ত্যাগ ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য মরক্কোবাসীর নিকট জাতীয় বীর হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
মরক্কোর স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল উত্তর আফ্রিকার ইতিহাসে এক অবিস্মরণিয় অধ্যায়। মরক্কোবাসীরা দীর্ঘ প্রত্যাশিত স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে মহুমুখী ত্যাগতিতিক্ষা ও লড়াইয়ের বিনিময়ে। এ অর্জনে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল সুলতাবন পঞ্চম মুহাম্মদের ত্যাগ, সংগ্রাম। ফরাসীদের মনোনীত শাসক হলেও দেশের গণমানুষের জন্য তিনি সব স্বার্থকে তুচ্ছ করে সংগ্রাম করেছেন ফরাসীদের বিরুদ্ধে। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কাছে ফরাসীরা পরাজিত হয় এবং ১৯৫৬ সালে মরক্কো স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়। মরক্কোর এই সংগ্রাম আফ্রিকার অন্যান্য দেশগুলোর জন্য এক অনুকরণিয় আদর্শ।
1 note · View note
dailycomillanews · 2 days ago
Text
ছাত্রলীগকে গণধোলাই দিয়ে থানায় সোপর্দের আহ্বান ওসির
ছাত্রলীগকে গণধোলাই দিয়ে থানায় সোপর্দের আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রামের দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি আহসান হাবিব খান। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নে স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেছেন। ওসির এমন রাজনৈতিক বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা শুরু হয়। এটিকে অপেশাদার আচরণ বলছেন পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা। ভিডিওতে ওসিকে বলতে দেখা…
0 notes
bd442 · 5 days ago
Text
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার যুক্ত ও রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিধান চান আন্দালিভ পার্থ
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে অবশ্যই ফেরানো উচিত বলে মনে করেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ। তিনি বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগের নৈতিকভাবে রাজনীতি করার অধিকার নেই মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার বিধান সংবিধানে রাখতে হবে। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়��নে আজ শনিবার বিকেলে…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
banglavisiononline · 5 days ago
Link
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন ইমিগ্রান্টস ইন্টারন্যা
0 notes
sonirbochon · 2 years ago
Text
গুড় বাতাসার রাজনীতি
দেশের রাজনীতি জুড়ে শুধুই রাজনৈতিক দলগুলির পারস্পরিক জমি দখলের লড়াই। আর সেই লড়াইয়ে নেতা নেত্রীদের কাজিয়া। মাঝখানে পড়ে সাধারণ মানুষ। মানুষের জীবনের কোন একটি প্রধান সমস্যা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির কোন রকম মাথাব্যাথা দেখা যায় না। যেটা দেখা যায়, সেটিকে বিশুদ্ধ বাংলায় কুমীরের কান্না বলা যায়। একই দল বিরোধী পক্ষে থাকলে এক ভাষয় কথা বলে। সরকার গঠন করলেই তার ভাষা যায় সম্পূর্ণ পাল্টিয়ে। কুমীরের…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
akaderneon · 8 days ago
Text
সুইস মানসিকতা
সুইস মানসিকতা: স্থায়ী আর্থিক সফলতার জন্য ৭টি অভ্যাস সুইজারল্যান্ড তার মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য, বিলাসবহুল ঘড়ি এবং চকলেটের জন্য বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত। তবে আরেকটি পরিসংখ্যান এই ছোট ইউরোপীয় দেশটিকে আলাদা করে তোলে: সুইস প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রতি ৭ জনে ১ জন মিলিয়নিয়ার। এটি যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ বেশি। কিভাবে সুইসরা এই অসাধারণ আর্থিক সফলতা অর্জন করে? এটা শুধু ব্যাংকিং বা রাজনৈতিক…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
bdprimetv · 8 days ago
Video
youtube
গণতন্ত্র কি? গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রয়োজন কেন? What is democracy?
গণতন্ত্র কেন প্রয়োজন? জানুন আমাদের সমাজের শক্তিশালী ভিত্তি কি?
গণতন্ত্র একটি শক্তিশালী শাসনব্যবস্থা যা পৃথিবীজুড়ে কোটি কোটি মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে। কিন্তু কেন গণতন্ত্র আমাদের জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ? কীভাবে এটি আমাদের অধিকার রক্ষা করে, স্বাধীনতা দেয়, এবং সমাজে শান্তি ও সমতা প্রতিষ্ঠা করে? এই ভিডিওতে আমরা আলোচনা করবো গণতন্ত্রের প্রকৃতি, এর প্রয়োজনীয়তা এবং কেন আমাদের সমাজের জন্য এটি অপরিহা��্য।
গণতন্ত্র কেবল একটি শাসনব্যবস্থা নয়, এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে। এই ভিডিওতে জানতে পারবেন:
গণতন্ত্র কী এবং এটি কিভাবে কাজ করে? কেন জন���ণের মতামত ও অংশগ্রহণ গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি? গণতন্ত্র আমাদের মৌলিক অধিকারগুলো কীভাবে রক্ষা করে? একটি গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কিভাবে দুর্নীতি রোধ করে এবং প্রশাসনকে স্বচ্ছ রাখে? কেন গণতন্ত্র সমাজে সমতা ও সামাজিক শান্তি নিশ্চিত করে? গণতন্ত্রের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা একটি উন্নত এবং সমৃদ্ধ সমাজ তৈরি করতে পারি। তবে এর জন্য প্রয়োজন জনগণের সচেতনতা, সুশাসন, এবং আইনের শাসন। এই ভিডিওটি দেখুন এবং জানুন কেন গণতন্ত্র আমাদের জীবনযাত্রার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
👉 আপনার মতামত দিন: আপনি কি গণতন্ত্রের গুরুত্ব সম্পর্কে আরও জানতে চান? কমেন্টে আপনার ধারণা শেয়ার করুন! 👉 শেয়ার করুন: এই ভিডিওটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন, যাতে তারা জানে গণতন্ত্রের শক্তি কী। 👉 সাবস্ক্রাইব করুন: আরও শিক্ষা এবং সমাজবিষয়ক ভিডিওর জন্য আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।
#গণতন্ত্র #Democracy #গণতন্ত্রেরগুরুত্ব #SocialJustice #HumanRights #Equality #PoliticalSystem #VotingRights #Governance #DemocraticValues #CitizensRights #GovtByThePeople #RuleOfLaw
এই বর্ণনা এসইও-ফ্রেন্ডলি এবং ভাইরাল হওয়ার জন্য কার্যকর। এতে জনপ্রিয় কীওয়ার্ড যেমন "গণতন্ত্র", "Democracy", "Human Rights", "Equality", "Voting Rights" সহ আরও অনেক সংশ্লিষ্ট শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যা ইউটিউব সার্চে সহায়ক হতে পারে।
গণতন্ত্র, গণতন্ত্রের গুরুত্ব, গণতান্ত্রিক শাসন, গণতন্ত্র কি, গণতন্ত্রের প্রয়োজন, জনগণের অধিকার, রাজনৈতিক শাসনব্যবস্থা, আইনের শাসন, ভোটের অধিকার, সমতা, স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, জনগণের মতামত, গণতান্ত্রিক সমাজ, সুশাসন, শাসন ব্যবস্থা, সামাজিক শান্তি, রাজনৈতিক সচেতনতা, democracy, importance of democracy, democratic system, what is democracy, need for democracy, citizens' rights, political system, rule of law, voting rights, equality, freedom, justice, human rights, citizens' opinion, democratic society, good governance, political awareness, social peace
0 notes
mobilemarrt · 10 days ago
Text
শ্রীপুরে সর্বস্তরের মানুষের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা
হাজ্বীঃ আসাদুজ্জামান স্টাফ রিপোর্টার:     গাজীপুরের শ্রীপুরে সরকারী কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক ও স্হানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত থেকে মতবিনিময় করেছেন গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব নাফিসা আরেফীন।সোমবার(১৮ নভেম্বর) সকালে শ্রীপুর উপজেলা হল রুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা…
0 notes
dailycomillanews · 3 days ago
Text
জানুয়ারিতে আসছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন-ঘোষিত এক দফায় ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের দাবি তোলা হয়েছিল। গণ-অভ্যুত্থানের সফলতার পর নিজেরাই এ দাবি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম থেকে আরও একধাপ এগিয়ে এবার নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের দিকে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধীরা। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকা নাহিদ ইসলামকে নেতৃত্বে রেখে দল গঠনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সবকিছু…
0 notes