#ভাগ্য রজনী
Explore tagged Tumblr posts
aminul7912 · 2 years ago
Text
অর্ধ শা’বান শরীফ উনার রাতটি ‘লাইলাতুল ক্বিসমাহ’ বা ভাগ্য রজনীর রাত, এ রাতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো ফায়ছালা করা হয়
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র ‘সূরা দু’খান’ উনার ৪ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “এটি এমন এক রাত যে রাতে সমস্ত প্রজ্ঞাসম্পন্ন বিষয়গুলো ফায়ছালা করা হয়।”
উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ উনার রাতে ফায়ছালা করা হয় কতজন সন্তান সামনের এক বৎসর জন্মগ্রহণ করবে এবং কতজন সন্তান মৃত্যুবরণ করবে। এ রাত্রিতে বান্দার আমলনামা মহান আল্লাহ পাক উনার সামনে পেশ করা হয় এবং এ রাত্রিতে সমস্ত বান্দার রিযিকের ফায়ছালা করা হয়।” (বাইহাক্বী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত হলো, বরকতময় রজনীতে বা পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ উনার মধ্যে সকল কাজের ফায়ছালা করা হয়। যেমন- হায়াত, মউত, বিবাহ, রিযিক ইত্যাদি যা কিছু মানুষের প্রয়োজন এবং আমলনামারও ফায়ছালা করা হয়।
এজন্য কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, ‘অর্ধ শা’বান শরীফ উনার রাত তথা পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ উনার নামসমূহের মধ্যে একটি নাম হচ্ছে ‘লাইলাতুল ক্বিসমাহ বা ভাগ্য রজনী।’ এ রাত্রিতে রিযিকসমূহ ও তাক্বদীর বা ভাগ্য নির্ধারণ, বণ্টন ও ফায়ছালা করা হয়। সুবহানাল্লাহ!
হযরত আত্বা ইবনে ইয়াসার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘অর্ধ শা’বান শরীফ উনার রাত্রিতে মালাকুল মাউত হযরত আযরাইল আলাইহিস সালাম উনাকে ওই সকল ব্যক্তির নামের একটা অনুলিপি বা তালিকা প্রদান করা হয় যারা এক শা’বান শরীফ থেকে আরেক শা’বান শরীফ উনার মধ্যে ইন্তিকাল করবে।
বিস্তারিত sm40.com
#90DaysMahfil
#রাজারবাগ_দরবার_শরীফ
#শবে_বরাত
Tumblr media
0 notes
mdpialhassan12 · 2 years ago
Text
পবিত্র ২৭শে রজবুল আছম’ শরীফে ইবাদত বন্দেগী করার ফযীলত মুবারক:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عن حضرت سلمان الفارسى رضى الله تعالى عنه عن النبى صلى الله عليه وسلم انه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من احيا ليلة السابعة والعشرين من رجب لم يمت قلبه يوم تموت القلوب وله عند الله دعوة مستجابة فى جميع السنة
অর্থ: “হযরত সালমান ফারসী রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- যে ব্যক্তি পবিত্র ‘রজবুল আছম’ শরীফ মাস উনার ২৭ তারিখ রাতে জেগে ইবাদত-বন্দেগী করবে, তার অন্তর ঐদিন মৃত্যুবরণ করবে না যে দিন সমস্ত অন্তর মরে যাবে। অর্থাৎ ক্বিয়ামতের দিন সমস্ত অন্তর বেহুশ হয়ে যাবে কিন্ত সে বহাল তবিয়তে থাকবে। আর পুরো বছরই তার দোয়া কবূল করা হবে।” সুবহানাল্লাহ! (আনীসুল ওয়ায়েজীন-২৭১ পৃ:)
পবিত্র ২৭শে রজবুল আছম’ শরীফে রোযা রাখার ফযীলত মুবারক:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عن النبى صلى الله عليه و سلم من صام يوم السابع والعشرين من رجب كتب الله له ثواب ستين شهرا
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- যে ব্যক্তি পবিত্র ২৭শে ‘রজবুল আছম’ শরীফ রোযা রাখবে। মহান আল্লাহ পাক তার আমলনামায় ষাট মাসের ছাওয়াব লিখে দিবেন।” সুবহানাল্লাহ! (নুযহাতুল মাজালিস ১/১৪৪)
আরো বর্ণিত রয়েছেন-
عن حضرت ابى هريرة رضى الله تعالى عنه و حضرت سلمان الفارسى رضى الله تعالى عنه قالا قال النبى صلى الله عليه و سلم ان فى رجب يوما و ليلة من صام ذالك اليوم وقام تلك الليلة كان له من الاجر كمن صام مأة عام وقامها وهى بثلاثة بقين من رجب
অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু এবং হযরত সালমান ফারসী রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু উনাদের থেকে বর্ণিত। উনারা বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- পবিত্র ‘রজবুল আছম’ শরীফ মাসে এমন একটি দিন ও রাত রয়েছে, যে ব্যক্তি সে দিন রোযা রাখবে এবং রাতে ইবাদত করবে। সে ব্যক্তি এ��শত বছর দিনে রোযা রাখার এবং রাতে ইবাদত করার ফযীলত লাভ করবে। আর সে দিন মুবারক হচ্ছে, পবিত্র ‘রজবুল আছম’ শরীফ উনার ২৭ তারিখ।” সুবহানাল্লাহ! (গুনিয়াতুত্ব ত্বালিবীন)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে পবিত্র ‘রজবুল আছম শরীফ’ মাস উনাকে যথাযথ তা’যীম-তাকরীম মুবারক করার এবং এই সম্মানিত মাস উনার আমলসমূহ করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
শবে বরাতের ফযীলত ঃ
ও শবে বরাতে দরবার শরীফে আমাদের মাদ্রাসায় হাজার হাজার লোক রোযা থাকবে, রাত্রি জাগরণ করে দোয়া করবে। শবে বরাত হলো ভাগ্য রজনী । এ রাতে ১ বছরের রিজিক হায়াত মউত আমলের ফায়সালা করা হবে।  মামদুহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম  আমাদের হুজুর তিনি সকলের জন্য দোয়া করবেন। যারা সেই রোযাদারকে ইফতার ও সাহরি করার সৌভাগ্য লাভ করবে তারাই সে দুয়া মুবারক উনার হিচ্ছা লাভ করতে পারবে। যার ১ টি শবে বরাত কবুল হবে তার পূরা জিন্দেগীর ভালো ফায়সালা হবে।  সবাই আর্থিক খেদমতে শরীক থাকবেন।
Tumblr media
0 notes
ranjumiahlove · 3 years ago
Text
শবে বরাত
শবে বরাতের রাতটি কি বিশেষ কিছু? এটি কি সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত?.জ্বী, এই রাতটি ফযিলতপূর্ণ; এর বিশেষত্ব আছে। রাসূল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা মধ্য শাবান (১৪ তারিখ দিবাগত রাত, অর্থাৎ শবে বরাত)-এর রাতে তাঁর সৃষ্টির প্রতি (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষনকারী ব্যতীত সকলকে ক্ষমা করে দেন।’ (সহীহ ইবনে হিব্বান ১২/৪৮১, শায়খ আলবানি, আরনাউত্ব, আওয়ামাসহ মুহাদ্দিসগণ হাদিসটি সহিহ…
View On WordPress
0 notes
khutbahs · 5 years ago
Text
হাজার মাসের চেয়ে উত্তম রাত কদরের রাত।
হাজার মাসের চেয়ে উত্তম রাত কদরের রাত। প্রতিবছর রমজান মাসের শেষ দশকের রাতগুলোর মধ্যে কোনো এক বিজোড় রাত হলো ভাগ্য নির্ধারণ বা লাইলাতুল কদরের রাত। শবে কদর’ কথাটি ফারসি। শব মানে রাত বা রজনী আর কদর মানে সম্মান, মর্যাদা, গুণাগুণ, সম্ভাবনা, ভাগ্য ইত্যাদি। শবে কদর অর্থ হলো মর্যাদার রাত বা ভাগ্যরজনী। শবে কদরের আরবি হলো ��াইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত। যে রাতে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে, সে রাতই লাইলাতুল কদর।
0 notes
faruk-billah-blog · 5 years ago
Text
অনুতপ্তের ন��ষ্পাপ অশ্রু।
শান্ত রজনী,হাস্যোজ্জল একফালি চন্দ্রিমা,রজনী গন্ধার সৌরভী,তারকা রাজীর মিট্ মিট্ লোকচুরী,নীল গগনে ছুটে চলা শুভ্র নীহারিকা,জ্যোৎস্নার অপূর্ব আলোয় প্রাকৃতির ঝলমলানি সবে অসহ্য লাগছিল শিফার।শয্যায় তার কোমল মতি দেহ খানা এপাশ ওপাশ করছিল অবিরাম,নিদ্রা দেবী যেন আজ কোথাও হারিয়ে গেছে তাকে ঝরা ফুলের মতো একা ছুটে ফেলে।
বাবার সাথে আজ তার বড্ড অভিমান,কেননা সবে এইচ এস সি সমাপনী পরীক্ষা দিয়েছে শিফা,অনেক বড় স্বপ্ন ছিল তার,এই অত্যাধুনিক যুগে উচ্চ অধ্যায়ন করে অমৃত সুনাম অর্জন করবে সে।কিন্তু আজ তার  সব আশা আকাঙ্ক্ষা ধূলি কণা হয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে বাতাসে।
কারণ হটাৎ কি হতে না হতে তার বাবা তার বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল।শত আকুতি মিনতির পরও এই বিয়ে প্রত্যাখান করতে পারল না শিফা।
তাও এক মাদ্রাসা শিক্ষিত ছেলের সাথে,যা কখনো স্বপ্নও ভাবনি সে।এটা তার শিক্ষা সাংস্কৃতির সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে বিপরীত।সে একজন আধুনিকা নারী,নিজের ইচ্ছায় কিছু করা যাবে না।এটা তার কাছে জীবনের সবচেয়ে পরাজয় মনে হচ্ছে।দরকার হয় নিজেকে অকালেই শেষ করে দেবে তবুও মাদ্রাসা শিক্ষিত ছেলের সাথে বিয়ে বসবে না।মাঝে মাঝে সে ফুঁপিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছে, শিফার মা মেয়ের মাথায় হাত বোলায় সান্ত্বনা দেয়,তুই এতো ভেঙ্গে পরিস না,ধৈর্য রাখ্ দেখবি একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে।না মা এটা আমি কখনও মেনে নিতে পারব না,কেউ আমাকে চার দেয়ালে বন্ধী করে রাখবে,দুঃখ করিস না তোর বাবা যেটা করছে তোর মঙ্গলের জন্যই করছে।শিফার মা জানে তার বাবা যে সিদ্ধান্ত নেয় সে কখনও বদলানোর মতো নয়।উদ্বিগ্নর পারাপারে সাঁতরাতে সাঁতরাতে ঘুমের ঘুরে স্তব্ধ হয়ে গেলো তার শরীর খানা।
*দুই*
পূর্ব গগনে এখনো ভোরের আলো পরিপূর্ণ ভাবে বিকশিত হয়নি,অথচ ক্ষুধার্ত বিহঙ্গরা এদিক সেদিন ছুটে চলছে আহারের অনুসন্ধানে,আমজাদ সাহেব ফজরের নামাজ আদায় করে বাড়ির আঙ্গিনায় বসে প্রতিদিনের মতো চায়ের প্রতিক্ষা করছিলেন।আমজাদ সাহেব একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য,তার জীবন ছিল নিতান্তই ব্যক্তিগত,বর্তমান অত্যাধুনিক সভ্যতায় আচ্ছন্ন,ঠিক সেই ভাবেই তার পুরো পরিবারকে তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন।ধর্মীয় অনুসরণ-অনুশাসন তার কাছে গ্রাম্য কালচার বা তুচ্ছ বস্তুর মতো মনে হতো,যা কখনো পালন করার উপযুক্ত মনে করতেন না।অবসরের পর হটাৎ তার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু অনেক কষ্টে তাবলীগ জামাতের সংস্পর্শে ��িয়ে যান তাকে, তিনি একজন উচ্চ শিক্ষিত মানুষ ছিলেন তার সে জ্ঞান কে সামনে রেখে কোরআন কে বুঝতে চেষ্টা করলেন,এটাই তার জীবনের সবচেয়ে অসম প্রাপ্তি।বদলে গেল তাঁর জীবনের ধারা,ইসলামের প্রতিটি আদর্শ এখন তার জীবন চলার নিত্য সঙ্গী, তিনি সতত তাঁর অতীত জীবনের পাপের অনুশোচনায় কাঁদেন মহান আল্লাহর কাছে।এখন তিনি ধর্মীয় প্রতিটি আদর্শ অনুসরণ করেন।আলেম-উলামাদের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে,কিন্তু তার দুঃখ একটাই তিনি তাঁর পুরো পরিবারকে এখনো ধর্মীয় অনুসরণের ছায়া তলে আনতে পারেন নাই।তাঁর দু মেয়ে এক ছেলে,শিফা তাঁর বড় মেয়ে।তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেয়ে কে কোন ইসলামি আদর্শবান ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে তাঁর কৃতকর্মের প্রায়শ্চিত্ত করবেন।যেমন ভেবে ছিলেন ঠিক তেমনই হতে চলেছে তিনি আজ মহা খুশি।
*তিন*
শ্রান্ত দিবামণি অস্তাচলে হারিয়ে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে,সমস্ত নিখিল নীল কেবল ছোট ছোট মেঘের টুকরো গুলো ধীরে ধীরে ভেসে বেড়াচ্ছেন এদিক সেদিন,শুভ্র মেঘের টুকরো গুলো যেন একেকটা চাঁপা ঠোঁটের হাসির টুকরো।পাখিরা কিচির মিচির গুঞ্জনে স্রষ্টার গুণ-গান গাইছে বাঁশ বাগানে।এই শান্ত বিকেলে অশান্ত-উদ্বিগ্নতার স্রোতে ভেসে চলছে রহমান।বেদনার কৃষ্ণ যন্ত্রণা তাঁর কোমল হৃদয়টাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে চলছে।সে কখনও ভাবে নাই তার এই সুন্দর পুষ্পের ন্যায় ফুটফুটে জীবনটা এক বিষাক্ত কালনাগীন এক ছোবলেই নিঃশেষ করে দেবে।তবুও সে প্রভূর কাছে অকৃতজ্ঞ হয়নি,বরঞ্চ আল্লাহর কাছে ক্ষমার প্রার্থনা করেন।রহমান মা-বাবার একমাত্র ছেলে,দাওরায়ে হাদিস (কামিল)পাস করে গ্রামের মাদ্রাসায় সদ্য চাকরি নিয়েছে।তার বাবা শহরে চাকরি করে,মা রহিমা খাতুন বাড়িতে একা,তাই রহিমা খাতুন অনেক বড় আশা করে আদরের ছেলের সূখের জন্য শিফা কে বউ করে ঘরে প্রদীপ জ্বালালেন।
কিন্তু কে জানতো এই প্রদীপ শিখা আলোর পরিবর্তে তার হৃদয়ের টুকরো আদরের দুলাল কে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দগ্ধ করে দেবে।শিফার সাথে রহমানের বিয়ে হয়ে গেলো প্রায় দুই সপ্তাহ,বিয়ের দিন রাতেই শিফা এক কঠিন শর্ত দিয়ে বসে রহমানকে,শিফার বিনা অনুমতিতে যেন রহমান তাকে স্পর্শ না করে।আজ প্রায় দুই সপ্তাহ কেটে গেলো শিফার কোন পরিবর্তন নেই।বার বার ঝগড়াঝাঁটি করার উৎপেতে থাকে সে,
আত্ম সম্মান রক্ষার্থে সব নীরবে সয়ে যাচ্ছে রহমান।
হটাৎ হাতের স্পর্শে চমকে উঠে রহমান,ফিরে তাকায় মায়ের কোমল মতি নিষ্পাপ চাঁদ মুখখানা।পৃথিবীতে কেউ না বুঝলেও মায়ের চোখে সব স্পষ্ট,মায়ের চোখে বিন্দু বিন্দু অশ্রু দেখে মাকে জড়িয়ে ধরে রহমান,সান্ত্বনা দেয়,বিধাতা যেটা করে মানুষের মঙ্গলের জন্যই করেন।হতে পারে এটা আমার জীবনের একটা পরীক্ষা।
পর দিন সকাল হটাৎ রহমানের মা সিদ্ধান্ত নিলেন কিছু দিনের জন্য পিতৃালয়ে যাবেন,মায়ের এমন সিদ্ধান্তে রহমান আরও ভেঙ্গে পড়লেন।শত আকুতির পরও রহিমা খাতুন তার সিদ্ধান্তে অটল।
*চার*
নিশিগন্ধা আজ মলিন,চাঁদমণি উদিত হয়নি,তিমিরাচ্ছন্ন ধরণী,মানব সকল নিদ্রার প্রস্তুতি নিচ্ছে।শিফা শয্যায় শুয়ে আনন্দে আনন্দে গুন গুন করছে,আজ বাড়িতে একা নিশ্চয় রহমান তাঁর প্রাপ্ত অধিকার চাইতে আসবে,এই সযোগে শিফা এমন ঘটনা ঘটাবে যেন সে স্বানন্দে নিজ বাড়িতে প্রস্থান করতে পারে,আর এ বাড়িতে ফিরবে না,আজকেই তার শেষ সুযোগ।শয্যায় উৎপেতে আছে শিফা হটাৎ দরজায় করাঘাত করলো রহমান,সঙ্গে সঙ্গে দ্বার উন্মুক্ত হলো,চার চোখের মিলন ঘটলো,দুটি চোখ দুটি চোখের সম্পূর্ণভাবে বিপরীত,একজনের চোখে ভালোবাসার সিন্ধু অন্য চোখে ঘৃণার বিষ।চোখ ফিরিয়ে নিল রহমান,শান্ত আবেগী কন্ঠে বলল:শিফা আজ বাড়িতে মা নেই,মা আসা পর্যন্ত এই বাড়ির সব দায়িত্ব তোমার,শুয়ে পড়।হ্যাঁ কোন সমস্যা বা কিছুর প্রয়োজন হলে আমায় বলিও।সঙ্কোচ কর না,আমি পাশের কক্ষে আছি,শুভ রাত্রি।এ বলে রহমান চলে গেল পাশের কক্ষে।নির্বাক যেন এক পথরে তৈরি মূর্তি শিফা,এমন একজন সরল মানুষের সাথে নির্মম আচরণ ঠিক হয়নি তার।কঠিন হৃদয় খানা আবেগে আপুলত হয়ে গলে গলে যাচ্ছে শিফার।বিন্দু বিন্দু অশ্রু গড়িয়ে পড়ছিল আর গভীর ভাবনায় ডুবে যাচ্ছিল।সেতো  শুনেছিল ধর্মীয় অনুসারী ব্যক্তিরা নিতান্তই কঠোর হই,ধর্মের অনুশাসনে নারীদের স্বাধীনতা হরণ করে,পরাধীনতার শিখল পরিয়ে দেয়।কিন্তু যা শুনেছে আজ তার কাছে স্পষ্ট সবে মিথ্যা আর গুজব।সে এই কই দিনের মধ্যে যা বুঝতে পেরেছে রহমানের মত আদর্শবান ব্যক্তিকে স্বামী হিসেবে পাওয়া তার পরম ভাগ্য।কিন্তু সে তার সাথে অমানবিক আচরণ করে যাচ্ছে,ভাবতে ভাবতে এক সময় ঘুম এসে যায় তার। রজনী শেষ প্রহর ক্ষীণ কান্নার শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায় শিফার,থর থর কাঁপছিল তার সারা শরীর,অন্ধকারে কেউ যেন তার গলা টিপে ধরেছে, ছটফট করছে বিছানায় সে,অনেক কষ্টে আলো জ্বালালো চারদিক তাকালো নাহ্ কেউতো নেই,ক্ষীণ কান্নার শব্দটা এখনো ভেসে আসছে,কোন বিপদ নইতো?
ধীরে ধীরে দ্বার খোলে বাহিরে আসল শিফা,বিস্��য়-বিস্ফারিত তাঁর দুই চোখ।তার জীবনে এই প্রথম দেখা কোন মানুষ এতো গভীর রাতে দুই হাত তোলে মহান স্রষ্টা আল্লাহর কাছে বুক ভাসা কান্না করছে,তাও শিফার হেদায়ত আর শান্তি কামনা করছে,এমন একজন ফেরেস্তার মতো মানুষের সাথে নির্মম আচরণ তার উচিত হয়নি,সে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারল না আবেগে অনুশোচনায় ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠল,দ্রুত ছুটে গিয়ে স্বামীর পায়ে পড়ল,ক্ষমা চাই কৃত কর্মের জন্য।রহমান তার মাথায় হাতের পরশ দিয়ে সান্ত্বনা দেয়,শিফার আঁখিদয় হতে অঝোর ধারায় গড়িয়ে পড়তে লাগল অনুতপ্তর নিষ্পাপ অশ্রু।
******* ফারুক বিল্লাহ
1 note · View note
banglarchokhbdnews · 3 years ago
Text
লাইলাতুল কদরের ফজিলত ও আমলসমূহ
লাইলাতুল কদরের ফজিলত ও আমলসমূহ
ধর্ম ডেস্ক : শবে কদর (ফার্সি: شب قدر‎‎) বা লাইলাতুল কদর (আরবি: لیلة القدر‎‎) এর অর্থ “অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত” বা “পবিত্র রজনী”। ফার্সি ভাষায় “শাব” ও আরবি ভাষায় “লাইলাতুল” অর্থ হলো রাত্রি বা রজনী, অন্যদিকে ‘কদর’ শব্দের অর্থ সম্মান, মর্যাদা, মহাসম্মান। এ ছাড়া এর অন্য অর্থ হল ভাগ্য, পরিমাণ ও তাকদির নির্ধারণ করা। পবিত্র কুরআনুল কারিম নাযিলের মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এই রাতকে হাজারের…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
sattokhoborlive · 3 years ago
Text
কুষ্টিয়ায় ইবাদত বন্দেগির মধ্যদিয়ে পূণ্যময় রজনী শবে বরাত পালিত
কুষ্টিয়ায় ইবাদত বন্দেগির মধ্যদিয়ে পূণ্যময় রজনী শবে বরাত পালিত
মসজিদে মসজিদে অলোচনা সভা, দোয়া ও ওয়াজ মাহফিল, কবর জিয়ারত শনিবার, ১৯ মার্চ ২০২২ সত্যখবর ডেস্ক : মসজিদে মসজিদে অলোচনাসভা দোয়া মাহফিল, বিভিন্ন স্থানে ওয়াজ মাহফিল, নফল নামাজ আদায়, জিকির আসকার, দরিদ্র ও প্রতিবেশিদের মধ্যে হালুয়া রুটি বিতরণসহ ইবাদত বন্দেগির মধ্যদিয়ে কুষ্টিয়ায় পূণ্যময় রজনী শবে বরাত পালিত হয়েছে। লাইলাতুল অর্থ রাত আর বরাত অর্থ ভাগ্য মোদ্দা কথা ভাগ্যর রাত। মহান আল্লাহ রাব্বিল আলামিন আগামী…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
topnews24online · 3 years ago
Text
আজ প্রবিত্র শবে বরাত
আজ প্রবিত্র শবে বরাত
টপ নিউজ ডেস্কঃ আজ শুক্রবার দিবাগত রাত, পবিত্র শবে বরাত। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এ রাতে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় মহান আল্লাহর রহমত ও সন্তুষ্টি  লাভের আশায় বিভিন্ন নফল ইবাদত যেমনঃ নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজগার করে থাকেন। মুসলিম উম্মাহরা বিশ্বাস করে হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখের দিবাগত এই রাত সৌভাগ্যের রজনী। মহিমান্বিত এই রাতে মহান রাব্বুল আলামিন তাঁর বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন।…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
sristybarta · 3 years ago
Text
আজ পবিত্র শবে বরাত
আজ পবিত্র শবে বরাত
আজ শুক্রবার পবিত্র শবে বরাত। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় শুক্রবার দিবাগত রাতে মহান আল্লাহর রহমত কামনায় ‘নফল ইবাদত-বন্দেগীর’ মধ্যদিয়ে পবিত্র শবে বরাত পালন করবেন। হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত সৌভাগ্যের রজনী। মহিমান্বিত এ রাতে মহান রা��্বুল আলামিন তার বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এ রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
aminul7912 · 2 years ago
Text
পবিত্র লাইলাতুম মুবারাকাহ বা ‘লাইলাতুল বরাত’ কি কি নামে পরিচিত
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পবিত্র সূরা ‘আদ দুখান’ শরীফ উনার ৩, ৪ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফে ‘শবে বরাত’কে ‘লাইলাতিম মুবারকাতি��’ (বরকতপূর্ণ রাত) হিসেবে উল্লেখ করে ইরশাদ মুবারক করেন- “নিশ্চয়ই আমি উহা (পবিত্র কুরআন শরীফ) এক বরকতপূর্ণ রাত্রিতে নাযিল করেছি। অর্থাৎ নাযিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী, ওই পবিত্র রাত্রিতে সমস্ত হিকমত পূর্ণ কাজসমূহের বণ্টন করা হয় তথা বণ্টনের ফায়ছালা করা হয়।”
এই পবিত্র রাত্রির আরো অনেক নাম মুবারক রয়েছে। যেমন-
(১) লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান অর্থাৎ অর্ধ শা’বানের রজনী।
(২) লাইলাতুল ক্বিসমাহ অর্থাৎ ভাগ্য রজনী বা ভাগ্য বণ্টনের রাত্রি।
(৩) লাইলাতুত তাকফীর অর্থাৎ গুনাহখতা ক্ষমা বা কাফফারার রাত্রি।
(৪) ‘লাইলাতুল ইজাবাহ’ অর্থাৎ দোয়া কবুলের রাত্রি।
(৫) লাইলাতুল হায়াহ অর্থাৎ হায়াত বা আয়ু বৃদ্ধির রাত্রি।
(৬) লাইলাতু ঈদিল মালায়িকাহ অর্থাৎ হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের ঈদের রাত্রি।
(৭) লাইলাতুল বারাআহ অর্থাৎ মুক্তির রাত্রি বা নাযাত বা সৌভাগ্যলাভের রাত্রি ।
(৮) লাইলাতুত তাজবীয অর্থাৎ বিধান সাব্যস্ত করার রাত্রি।
(৯) লাইলাতুল ফায়ছলাহ অর্থাৎ সিদ্ধান্ত নেয়ার রাত্রি।
(১০) লাইলাতুছ ছক্ক অর্থাৎ ক্ষমা স্বীকৃতি দানের রাত্রি।
(১১) লাইলাতুল জায়িযাহ অর্থাৎ মহা পুরস্কারের রাত্রি।
(১২) লাইলাতুর রুজহান অর্থাৎ পরিপূর্ণ প্রতিদানের রাত্রি।
(১৩) লাইলাতুত তা’যীম অর্থাৎ সম্মান হাছিলের রাত্রি।
(১৪) লাইলাতুত তাক্বদীর অর্থাৎ তক্বদীর নির্ধারণের রাত্রি বা ভাগ্য নির্ধারণের রাত্রি।
(১৫) লাইলাতুল গুফরান অর্থাৎ ক্ষমা প্রাপ্তির রাত্রি।
(১৬) লাইলাতুল ইতক্বি মিনান্ নার অর্থাৎ জাহান্নামের আগুন থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার রাত্রি।
(১৭) লাইলাতুল আফউয়ি অর্থাৎ অতিশয় ক্ষমা লাভের রাত্রি।
(১৮) লাইলাতুল কারাম অর্থাৎ অনুগ্রহ হাছিলের রাত্রি।
(১৯) লাইলাতুত তাওবাহ অর্থাৎ তওবা কবুলের রাত্রি।
(২০) লাইলাতুন নাদাম অর্থাৎ কৃত গুনাহ স্মরণে লজ্জিত হওয়ার রাত্রি।
(২১) লাইলাতুয্ যির্ক অর্থাৎ যিকির আযকার করার রাত্রি।
(২২) লাইলাতুছ ছলাহ অর্থাৎ নামায আদায়ের রাত্রি।
(২৩) লাইলাতুছ ছদাক্বাহ অর্থাৎ দানের রাত্রি।
(২৪) লাইলাতুল খইরাত অর্থাৎ নেক কাজ সম্পাদনের রাত্রি।
(২৫) লাইলাতু ইনযালির রহমাহ অর্থাৎ রহমত নাযিলের রাত্রি।
(২৬) লাইলাতু ছলাতিউঁ ওয়া সালামিন আলা সাইয়্যিদিল মুরসালীনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ছলাত ও সালাম মুবারক পাঠের রাত্রি।
এছাড়াও ‘পবিত্র ��বে বরাত’ উনার আরো অনেক নাম মুবারক রয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
বিস্তারিত sm40.com
#90DaysMahfil
#90_Days_Long_Mahfil
#রাজারবাগ_দরবার_শরীফ
#শবে_বরাত
Tumblr media
0 notes
bd-news-corner · 3 years ago
Text
আজ পবিত্র শবে বরাত
আজ পবিত্র শবে বরাত
আজ শুক্রবার পবিত্র শবে বরাত। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় আজ দিবাগত রাতে মহান আল্লাহর রহমত কামনায় ‘নফল ইবাদত-বন্দেগীর’ মধ্যদিয়ে পবিত্র শবে বরাত পালন করবেন। হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত সৌভাগ্যের রজনী। মহিমান্বিত এ রাতে মহান রাব্বুল আলামিন তাঁর বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা এ রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত,…
View On WordPress
0 notes
dailyresultbd · 3 years ago
Text
পবিত্র শবে বরাত আজ
পবিত্র শবে বরাত আজ
পবিত্র শবে বরাত আজ। আজ শুক্রবার পবিত্র শবে বরাত। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় শুক্রবার দিবাগত রাতে মহান আল্লাহর রহমত কামনায় ‘নফল ইবাদত-বন্দেগীর’ মধ্যদিয়ে পবিত্র শবে বরাত পালন করবেন।হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত সৌভাগ্যের রজনী। মহিমান্বিত এ রাতে মহান রাব্বুল আলামিন তার বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন।ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এ রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
khulnabazar · 3 years ago
Text
আজ পবিত্র শবে বরাত
নিউজনাউ ডেস্ক: আজ (শুক্রবার) পবিত্র শবে বরাত। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় মহান আল্লাহর রহমত কামনায় ‘নফল ইবাদত-বন্দেগির’ মধ্য দিয়ে পবিত্র শবে বরাত পালন করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত সৌভাগ্যের রজনী। মহিমান্বিত এ রাতে মহান রাব্বুল আলামিন তার বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এ রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
dainikkalyan · 3 years ago
Text
আজ পবিত্র শবে বরাত
কল্যাণ ডেস্ক: আজ শুক্রবার পবিত্র শবে বরাত। ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় মহান আল্লাহর রহমত কামনায় ‘নফল ইবাদত-বন্দেগির’ মধ্য দিয়ে পবিত্র শবে বরাত পালন করবেন। হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত সৌভাগ্যের রজনী। মহিমান্বিত এ রাতে মহান রাব্বুল আলামিন তার বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এ রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত,…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
mevtimes · 4 years ago
Text
কাল পবিত্র লাইলাতুল কদর
কাল পবিত্র লাইলাতুল কদর
লাইলাতুল কদর এর অর্থ অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত ��াত বা পবিত্র রজনী। আরবি ভাষায় ‘লাইলাতুল’ অর্থ হলো রাত্রি বা রজনী এবং ‘কদর’ শব্দের অর্থ সম্মান, মর্যাদা, মহাসম্মান। এ ছাড়া এর অন্য অর্থ হলো—ভাগ্য, পরিমাণ ও তাকদির নির্ধারণ করা। রমজানের শেষ ১০ দিনের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ। এরমধ্যে কদরের রাত আছে যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম বলা হয়েছে। মানবজাতির সম্মানে এ রাতে আকাশের ফেরেশতারা ভূপৃষ্ঠে নেমে আসেন।…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
khutbahs · 4 years ago
Link
লাইলাতুল কদর কিভাবে পালন করবেন জেনে নিন |
আলহামদু লিল্লাহ।.
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য
এক: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমজানেরশেষদশকেনামায, কুরআন তেলাওয়াত ও দোয়ার মধ্যে এত বেশীসময় দিতেন যা অন্য সময়ে দিতেন না।আয়েশা (রাঃ) থেকেইমামবুখারীওমুসলিমবর্ণনাকরেছেনযে,রমজানেরশেষদশরাত্রিশুরুহলেনবী(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)রাত জেগে ইবাদত করতেন তাঁর পরিবারবর্গকে জাগিয়ে তুলতেন এবংস্ত্রী-সহবাসথেকেবিরতথাকতেন।ইমাম আহমাদও মুসলিমবর্ণনাকরেছেনযে: “তিনিরমজানের শেষদশকেএত বেশীইবাদত করতেনযাঅন্যসময়েকরতেননা।”
দুই:
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈমানের সাথেওসওয়াব পাওয়ারআশায়রাতজেগে নামায আদায় করতেউদ্বুদ্ধকরেছেন।আবুহুরায়রা (রাঃ) থেকেবর্ণিতযেনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ��লেছেন:“যে ব্যক্তিঈমানেরসাথেওসওয়াবের নিয়তে ভাগ্য রজনীতেজেগে নামায আদায়করবেতারঅতীতেরসমস্তগুনাহক্ষমাকরেদেয়াহবে।”[সহীহবুখারীওসহীহ মুসলিম]এই হাদীস প্রমাণ করে যে, ভাগ্য রজনীতেজেগেনামাযআদায় করা ইসলামি বিধান।
তিন:
ভাগ্য রজনীতেপঠিতব্য সবচেয়েভালো দোয়া হচ্ছে-যানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আয়েশা(রাঃ) কে শিক্ষা দিয়েছেন। যেটি তিরমিযি আয়েশা (রাঃ) থেকে সংকলন করেছে এবং সহীহ আখ্যায়িত করেছে: তিনি বলেন:আমিবললাম,“হেআল্লাহর রাসূল! যদি আমি জানতে পারি কোন রাতটি ভাগ্য রজনী তবেসে রাতে আমি কী পড়ব? তিনিবললেন,তুমি বলবে:
اللهمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
“আল্লাহুম্মাইন্নাকা‘আফুউউনতুহিব্বুল‘আফওয়াফা ‘ফুউ ‘আন্নী (অর্থ: হেআল্লাহআপনিক্ষমাশীল, ক্ষমা করাকেআপনি ভালবাসেন, অতএবআমাকেক্ষমাকরেদিন।)
চার:
রমজানের বিশেষ কোন একটি রাত্রিকেভাগ্য রজনী হিসেবে সুনির্দিষ্ট করতে হলে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টদলীলের প্রয়োজন।কিন্তুশেষদশকেরবেজোড়রাতগুলোতে ভাগ্য রজনী হওয়াঅন্যরাতগুলোতে ভাগ্য রজনী হওয়ারচেয়েবেশিসম্ভাবনাময়এবংরমজানের সাতাশতমরাতভাগ্য রজনীহওয়ারসম্ভাবনাসবচেয়ে বেশি।এবিষয়ে বর্ণিত হাদিসগুলো আমরাযা উল্লেখ করেছি সেটাই প্রমাণকরে।
পঞ্চমত:
কস্মিনকালেও বিদ‘আত (দ্বীনের মধ্যে নতুন প্রবর্তিত বিষয়) করা জায়েয নেই। রমজানের মধ্যেও না, রমজানের বাইরেও না। রাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতেপ্রমাণিতহয়েছেযেতিনিবলেছেন:“যেব্যক্তি আমাদেরএইশরিয়তে এমনকিছুপ্রবর্তনকরলযাএর অন্তর্ভুক্তনয়তাপ্রত্যাখ্যাত।”অন্যএকরেওয়ায়েতেআছে, “যেব্যক্তি এমন কোনকাজকরলযাআমাদেরশরিয়তেরঅন্তর্ভুক্তনয়, তাপ্রত্যাখ্যাত।”
রমজানের নির্দিষ্ট কিছু রাতে অনুষ্ঠান উদযাপনের কোন ভিত্তি আমাদের জানা নেই। উত্তম আদর্শ হচ্ছে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরআদর্শএবংসবচেয়েনিকৃষ্টহচ্ছে- বিদআত (নতুনপ্রবর্তিতবিষয়সমূহ)।
আল্লাহই তাওফিকদাতা।
ফাতাওয়াল্‌ লাজনাহ আদ্‌দায়িমা (ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির ফতোয়াসমগ্র) (১০/৪১৩)
সূত্র: ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব
0 notes