#বিরোধী দলের কর্মসূচী
Explore tagged Tumblr posts
mdjahangiralam946 · 1 year ago
Text
Tumblr media
Assalamualaikum. Do you like politics? Do you want to know anything about world politics? If you want to know updated news about world politics then you can watch my videos
. This video is currently available on youtube. – https://youtu.be/phfjh1dJkkg
 This video is currently available on Facebook. - https://fb.watch/m8NuBFA2o0/
My YouTube Link-  https://www.youtube.com/channel/UCCoZdXa-oajWPCllQLulP0g My facebook link- https://www.facebook.com/Newsbela23
1 note · View note
begum-zia · 1 year ago
Text
অকার্যকর সান্ধ্য আইন
Tumblr media
বেগম জিয়া ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের তাগাদা অনুভব করলেন। কিন্তু এও বুঝলেন শক্তির ভারসাম্যে একক ভাবে দাঁড়ানো আপাতত অসম্ভব। সামনে দুটি বিকল্প তখন।
১) ১৫ দলীয় জোটে যুক্তি।
২) নিজেই বিকল্প শক্তি কেন্দ্র হওয়া।
১৫ দলের ১১ দফায় ৭২ সংবিধান পুনরুজ্জীবন ছিল। ফলে এই জোটে যাওয়া সম্ভব নয়। নেত্রী বিকল্প পথে হাঁটলেন। ১৫ দলের বাইরের দল নিয়ে সমান্তরাল ৭ দলীয় জোট গঠন করেন। ফলে বিরোধী দল হিসাবে BNP'র আবয়ব মানুষের কাছে স্পষ্টতর হল।
বেগম জিয়া তখন পর্যন্ত রাজনীতিতে কিছুটা পিছিয়েই ছিলেন। কিন্তু ৭ দলীয় জোট গঠন, ৫ দফা প্রণয়ন ও সমঝোতার ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলন করতে চাওয়ার দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। ফলে দৃশ্যতঃ যে সামান্য পিছিয়ে ছিলেন তা প্রবলভাবে পার হলেন নেত্রী।
এই প্রেক্ষিতে এরশাদ সংলাপ প্রস্তাব করেন। কিন্তু বেগম জিয়ার দল সমঝোতা থোড়াই কেয়ার করে সান্ধ্য কালিন বিক্ষোভ কর্মসূচী বৃদ্ধি করেন। ফলে আরেকদফা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি।
২৮ নভেম্বর ৮৩ তে বিক্ষোভ রাজনীতি বন্ধে সন্ধ্যা থেকে সান্ধ্য আইন জাড়ি হয়। বেগম জিয়া তখন তাঁর প্রতিরোধ পলিসি পালটে ফেলেন। সান্ধ্য আইন কার্যকর শুরু হওয়া সময়ের আগ পর্যন্ত টানা জনসভা, পথসভা করার মাধ্যমে সান্ধ্য আইনকে স্বৈরাচার এরশাদের হরিষে বিষাদে পরিণত করেন।
এই কৌশলী প্রতিবাদে জিয়ার উত্তরসুরী নেত্রী বেগম জিয়ার কারিশমা দেখে আবার আশাবাদী হয়ে ওঠে দেশের মানুষ। Morning Shows The Day.
2 notes · View notes
paathok · 3 years ago
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/150590
দেশে দুর্ভিক্ষের অবস্থা বিরাজ করছে : ডা. শাহাদাত
    .
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলে��েন, দেশে একটা দুর্ভিক্ষের অবস্থা বিরাজ করছে, আর সরকার উন্নয়নসহ নানা ধরনের মন ভুলানো কথা বলছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে মানুষ না খেয়ে, আধপেট খেয়ে দিন যাপন করছে। শুধু নিম্ন ও মধ্যবর্তী মানুষ নয় সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তাও টিসিবির লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। এতে বুঝা যাচ্ছে শুধু দুর্ভিক্ষের ছায়া না, দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতা সরকারের নেই। সরকার হরিলুট ও দুর্নীতির আদর্শে অনুপ্রাণিত। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে জনগণের যে ক্রোধ তা থেকে সরকার রক্ষা পাবে না।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে কেন্দ্র ঘোষিত অনশন কর্মসূচীতে বক্তব্যদানকালে এ কথা বলেন।
সারাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতির প্রতিবাদে দেশব্যাপী ঘোষতি কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি প্রতীকী অনশন কর্মসূচী পালন করেছে।
.
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে অনশন কর্মসূচীতে অংশ নেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা। সেখানে মাঠের দুইপাশে বিএনপির কর্মীরা অবস্থান নিয়ে অনশন করেছেন। এতে সাধারণ মানুষও এসে একাত্মতা প্রকাশ করেন। পরে কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন উপস্থিত হয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন, আবুল হাশেম বক্কর ও আবু সুফিয়ানকে পানি ও ফলের জুস পান করিয়ে অনশন ভঙ্গ করান।
এ সময় ডাক্তার শাহাদাত হোসেন বাজার সিন্ডিকেট করে জিনিসপত্রের দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করে বলেন, আজকে চাল ডাল তেল মরিচসহ নিত্যপণ্যের দাম হুহু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। টিসিবির লাইনে উপচে পড়া ভিড়, কারণ মানুষ চাচ্ছে কম দামে কিছু পেতে। সেখানে দেখা যায় ২/৩ ঘণ্টা পর আর কিছু নেই মানুষ খালি হাতে বাসায় ফিরে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে দেয়া যায় না, আজকে প্রত্যেকটি জায়গায় সিন্ডিকেট মাফিয়ারা নিয়ন্ত্রণ করছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, সোমবারও গ্যাসের দাম ৩৩ দশমিক ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কারণে জিনিসপত্রের দাম আরও বৃদ্ধি পাবে। গ্যাসের সঙ্গে বিভিন্ন জিনিস জড়িত থাকার কারণেই দাম বৃদ্ধি পাবে। জনবিরোধী সরকার জনগণের জন্য কোনো মায়া দরদ নেই ফলে তারা এই কাজগুলো করতে পারে। কারণ তাদের তো জবাবদিহি করতে হয় না। তিনি মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আগামী ২৭ ��ার্চের কালুরঘাট বে���ার কেন্দ্রে শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচী সফল করার আহবান জানান।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে সারাদেশের মানুষের এমনিতেই নাভিশ্বাস উঠে গেছে, হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে যদি আবারও পানি, বিদ্যুত ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়, তাহলে আবার সমস্ত জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাবে। বিএনপি যে কোনো রকমের মূল্য বৃদ্ধির সম্পূর্ণ বিরোধী। এই ধরনের মূল্য বৃদ্ধি গণবিরোধী উদ্যোগ। আমরা কোনো মতেই এটা সমর্থন করি না। তিনি গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের নিন্দা জানিয়ে ওই প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি জানান।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মো. মিয়া ভোলা, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, আবুল হাসেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের শেখ নুরুল্লাহ বাহার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী মো. সালাউদ্দিন, মো. সেকান্দর, আবদুল্লাহ আল হারুন, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, জাহিদ হাসান, হাজী বাদশা মিয়া, জসিম উদ্দিন জিয়া, মো. শাহাবুদ্দীন, নুর হোসাইন, মাইনুদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, রোকন উদ্দীন মাহমুদ, মহানগর মহিলাদলের মনোয়ারা বেগম মনি, জেলী চৌধুরী, যুবদলের সি. সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন, জাসাসের আহবায়ক এম এ মুছা বাবলু, তাতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক হাজী নুরুল হক, চবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহীদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, জমির উদ্দীন নাহিদ, ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সামি��াত আমিন জিসান, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, হাজী নবাব খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, কাজী শামসুল আলম, জমির আহমেদ, মো. ইলিয়াছ, খাজা আলাউদ্দিন, এস এম ফরিদুল আলম, মোশারফ জামাল, হুমায়ুন কবির সোহেল, মো. হারুন, রাসেল পারভেজ সুজন, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আবু, সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, হাজী আবু ফয়েজ, আলী হায়দার, আনোয়ার হোসেন আরজু, মনজুর মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, সাদেকুর রহমান রিপন, মো. হাসা��, হাজী মো. জাহেদ, মামুন আলম প্রমুখ।
0 notes
Text
5 of the great politician of Bangladesh Awamileague who is died
১.বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার পাটগাতি ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা শেখ লুৎফর রহমান গোপালগঞ্জ দায়রা আদালতের সেরেস্তাদার (তিনি আদালতের হিসাব সংরক্ষণ করেন) ছিলেন। মাতা সায়েরা খাতুন। এই দম্পতির চার কন্যা এবং দুই পুত্রের সংসারে মুজিব ছিলেন তৃতীয় সন্তান। তার বড় বোন ফাতেমা বেগম, মেজ বোন আছিয়া বেগম, সেজ বোন হেলেন ও ছোট বোন লাইলী;তার ছোট ভাইয়ের নাম শেখ আবু নাসের।
১৯২৭ সালে ৭ বছর বয়সে শেখ মুজিব গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। ৯ বছর বয়সে ১৯২৯ সালে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন তিনি। এখানে ৫ বছর শিক্ষা জীবন শেষ করে ১৯৩৭ সালে গোপালগঞ্জ মাথুরানাথ ইনস্টিটিউট মিশন স্কুলে সপ্তম শ্রেনীতে ভর্তি হন মুজিব। চোখে জটিল রোগের কারণে সার্জারি কছিলেন তিনি। এ কারণে ১৯৩৪ থেকে ১৯৩৮ পর্যন্ত চার বছর তিনি বিদ্যালয়ের পাঠ চালিয়ে যেতে পারেন নি। ১৯৪১ সালে গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৪৪ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে এইচ.এস.সি এবং ১৯৪৬ সালে বি.এ পাশ করেন। ১৯৪৭ সালে কলকাতা ত্যাগ করে ঢাকা আগমন অতঃপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে "ল" ক্লাশে ভর্তি হন।
১৯৩৮ সালে ১৮ বছর বয়সে বেগম ফজিলাতুন্নেছার সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন শেখ মুজিবুর রহমান। তাদের ২ মেয়ে- শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং তিন ছেলে- শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল।
অল্পবয়স থেকেই তাঁর রাজনৈতিক প্রতিভার প্রকাশ ঘটতে থাকে। ১৯৪০ সালে তিনি নিখিল ভারত মুসলিম লীগের ছাত্র সংগঠন নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগ দেন। কট্টরপন্থী এই সংগঠন ছেড়ে ১৯৪৩ সালে যোগ দেন উদারপন্থী ও প্রগতিশীল সংগঠন বেঙ্গল মুসলিম লীগে। এখানেই সান্নিধ্যে আসেন হুসেইন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর। ১৯৪৮ সালে ৪ জানুয়ারি 'পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ' গঠন করেন। তিনিই ছিলেন এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা । পঞ্চাশের দশক তাঁর রাজনৈতিক উত্থানের কাল। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে উঠেন দূরদর্শীতা এক রাজনৈতিক নেতা। এসময় শেখ মুজিব “মুসলিম লীগ” ছেড়ে দেন এবং হোসেন সোহরাওয়ার্দী এবং মাওলানা ভাসানীর সাথে মিলে গঠন করেন “আওয়ামী মুসলিম লীগ”। তিনি দলের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৩ সালে তিনি দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে যুক্তফ্রন্ট সরকারের কৃষি মন্ত্রী হন মুজিব। ১৯৫৬ সালে কোয়ালিশন সরকারের মন্ত্রিসভায় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান তিনি। ১৯৬৩ সালে হোসেন সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ মুজিবুর রহমান।
ভাষা আন্দোলনের সময় রাজনৈতিক নেতা হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্��পূর্ণ ভূমিকা পালন করেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৪৮ সালে ভাষার প্রশ্নে তাঁর নেতৃত্বেই প্রথম প্রতিবাদ এবং ছাত্র ধর্মঘট শুরু হয় যা চূড়ান্ত রূপ নেয় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে। যার ফলসূতিতে বাঙালি জাতি আজ বাংলা ভাষায় কথা বলছেন।
Tumblr media
৬ দফা:
১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দলসমূহের একটি জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনেই শেখ মুজিব তার ঐতিহাসিক ছয় ৬ দাবী পেশ করেন যাতে পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্ত্বশাসনের পরিপূর্ণ রূপরেখা উল্লেখিত হয়েছিল। শেখ মুজিব এই দাবিকে "আমাদের বাঁচার দাবি" শিরোনামে প্রচার করেছিলেন। এ দাবি আদায়ে শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আন্দোলন হয়েছিল।
১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে শেখ মুজিবুর রহমানকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে উত্থাপিত হয় ১১ দফা দাবি যার মধ্যে ৬ দফার সবগুলো দফায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। লাখো মানুষের এই জমায়েতে শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয় এবং শেখ মুজিবকে রাষ্ট্রপতি করা হয়। তার অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। এ সরকারের অধীনে গঠিত হয় মুক্তিবাহিনী এবং শুরু হয় পাকিস্তানের প্রতিহত করার পালা।
বঙ্গবন্ধুর ডাকে উত্তাল হয়ে ওঠে সারা বাংলা। মুজিবের নেতৃত্বে বাঙ্গালি জাতির এই জাগরণে ভীত ইয়াহিয়া খান সামরিক আইন জারি করেন, ���িষিদ্ধ করেন আওয়ামী লীগকে এবং শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। এরপর ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চরাতের অন্ধকারে নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনারা; শুরু করে অপারেশন সার্চলা��ট নামে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড।অশীতিপর বৃদ্ধ থেকে কোলের শিশু- কেউ রক্ষা পায়না পাক হায়েনাদের নারকীয়তা থেকে। ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ পাক বাহিনী কতৃক ধানমন্ডিস্থ স্বীয় বাসভবন থেকে পাকিস্থান সামরিক বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর, ৩০ লক্ষ বাঙ্গালীর প্রাণের বিনিময়ে অবশেষে আসে বিজয়। ১৬ ডিসেম্বর সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান যেখান থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু, সেখানেই বাংলাদেশ-ভারত মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী। পৃথিবীর মানচিত্রে জন্ম নেয় বাংলাদেশ নামের নতুন একটি দেশ।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মধ্যরাতে একদল বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা হত্যা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের। কেবল তাঁর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সেই সময়ে দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান। সদ্য স্বাধীন হওয়া বাঙালি জাতির জীবনে এক অপূরণীয় ক্ষতি নিয়ে আসে এই জঘন্য হত্যাকাণ্ড। দেশে তৈরি হয় রাজনৈতিক শূণ্যতা, ব্যাহত হয় গণতান্ত্রিক উন্নয়নের ধারা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাঙালি জাতির যে ক্ষতি হয়েছে তা কখনো পূরণীয় নয়।
২.জিল্লুর রহমান
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি 'জিল্লুর রহমান" ১৯২৯ সালের ৯ মার্চ কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম মেহের আলী মিঞা ছিলেন প্রখ্যাত আইনজীবী ও তৎকালীন ময়মনসিংহ লোকাল বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং জেলাবোর্ডের সদস্য।
জিল্লুর রহমান ময়মনসিংহ জেলা শহরে তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু করেন। ১৯৪৫ সালে ভৈরব কেবি হাইস্কুল থেকে তিনি মেট্রিক, ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে আইএ এবং ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে অনার্সসহ এমএ এবং এলএলবি ডিগ্রী লাভ করেন।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ­ ঐতিহাসিক আমতলায় ১৯৫২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এক ছাত্র সমাবেশেজিল্লুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। সেখানেই ২১ ফেব্রুয়ারি কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়। ২০ ফেব্রুয়ারিতে ফজলুল হক ও ঢাকা হলের পুকুর পাড়ে যে ১১ জন নেতার নেতৃত্বে ২১ ফেব্রুয়ারির ১৪৪ ধারা ভঙ্গেরসিদ্ধান্ত নেয়া হয়, সেখানে জিল্লুর রহমান অন্যতম নেতা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
১৯৫৩ সালে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার অপরাধে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হন এবং একই সঙ্গে তাঁর মাস্টার্স ডিগ্রী কেড়ে নেয়া হয়। কিন্তু প্রবল আন্দোলনের মুখ��� বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুনরায় তাঁর মাস্টার্স ডিগ্রী ফিরিয়ে দেয়।
তিনি ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি কিশোরগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন। ষাটের দশকে তিনি ঢাকা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৪৬ সালে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজের ছাত্র থাকাকালে সিলেটে গণভোটের কাজকরার সময় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সান্নিধ্যে আসেন।১৯৬২ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ’৬৬-র ৬ দফা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণআন্দোলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে থেকে তিনি অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য (এমএনএ) নির্বাচিত হন।
মোঃ জিল্লুর রহমান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। তিনি মুজিবনগর সরকার পরিচালিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিচালনা এবং জয় বাংলা পত্রিকার প্রকাশনারসঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই সময় দখলদার পাকিস্তান সরকার তাঁরসংসদ সদস্য পদ বাতিল করে ২০ বছর কারাদ- প্রদান ও তাঁর সকলসম্পত্তি বাজেয়াফত করে।
১৯৭২ সালে তিনি বাংলাদেশ গণপরিষদ সদস্য হিসেবে সংবিধান প্রণয়নে অংশ নেন। ১৯৭৩ ও ১৯৮৬ সালে তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে ৭ম জাতীয় সংসদে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে ২০০১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি তিনি মহান জাতীয় সংসদের উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরী আইন জারির পর ওই বছরের ১৬ জুলাই রাতে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলে তিনি অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে দল পরিচালনা করেন। দীর্ঘ ১১ মাস শেখ হাসিনার জেলজীবন এবং চিকিৎসার জন্য আরও প্রায় ৬ মাস দেশের বাইরে অবস্থানকালেভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জিল্লুর রহমান দলকে ঐক্যবদ্ধরাখেন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল অবদান রাখেন এবং ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অবিস্মরণীয় বিজয় লাভ করে। এই নির্বাচনে তিনি ৬ষ্ঠ বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পূর্ব পর্যন্ততিনি নবম জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালেজাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং জনাব জিল্লুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগেরসাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালে তিনি পুনরায় দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামীলীগের প্রথম সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পর প্রায় চার বছর মোঃ জিল্লুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ সালে সংসদ সদস্য থাকাকালে মোঃ জিল্লুর রহমান আবারও কারাবরণ করেন। ১৯৯২ এবং ১৯৯৭ সালে দলীয় কাউন্সিলে জিল্লুর রহমান পর পর দুইবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন।
জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী বিশিষ্ট নারী নেত্রী বেগম আইভি রহমান ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এ্যাভিন���উর নারকীয় গ্রেনেড হামলায় মারাত্মক আহত হয়ে দু’দিন পর মৃত্যুবরণ করেন। জিল্লুর রহমান ছিলেন এক পুত্র এবং দুই কন্যার জনক।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট বিপুল ভোটে জয়লাভ করলে জিল্লুর রহমান সংসদ উপনেতা হিসেবে নির্বাচিত হন।এর পর তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২০০৯ সালে বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন ।
দীর্ঘদিন রোগে আক্রান্ত হয়ে মহান এই মানুষ টি ১০ ই মার্চ, ২০১৩ তারিখে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে কিডনি ও মূত্রপ্রদাহে আক্রান্তজনিত কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন তিনি। ২০ ই মার্চ, ২০১৩ তারিখে তাঁর দেহাবসান ঘটে। সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মাহবুব উজ জামান স্থানীয় সময় ৬:৪৭ ঘটিকায় জিল্লুর রহমান মৃত্যুবরণ করেছেন বলে সংবাদ সম্মে��নে জানিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পূর্বেই ১৪ মার্চ, ২০১৩ তারিখে জাতীয় সংসদের স্পিকার আব্দুল হামিদ ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
৩.সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৫২ সালের ১লা জানুয়ারি ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা বাংলাদেশের মুজিবনগর অস্থায়ী সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। আশরাফুল ইসলাম ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে মুক্তি বাহিনীর একজন সদস্য ছিলেন। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যখন আব্দুল জলিল গ্রেপ্তার হন, তখন সৈয়দ আশরাফুল আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং পরবর্তীতে ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
জাতীয় চার নেতার অন্যতম সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সৈয়দ নজরুল ইসলাম ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। তার ছেলে সৈয়দ আশরাফ ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী। তিনি ছিলেন কিশোরগঞ্জ-১ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এর পূর্বে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্য তিন জাতীয় নেতার সঙ্গে আশরাফুলের পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছিল। পিতার মৃত্যুর পর সৈয়দ আশরাফুল যুক্তরাজ্যে চলে যান এবং লন্ডনের হ্যামলেট টাওয়ারে বসবাস শুরু করেন।লন্ডনে বসবাস কালে তিনি বাংলা কমিউনিটির বিভিন্ন কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন। সে সময় তিনি লন্ডনস্থ বাংলাদেশ যুব লীগের সদস্য ছিলেন। আশরাফুল সাহেব ফেডারেশন অব বাংলাদেশ ইয়ুথ অর্গানাইজেশন (এফবিওয়াইইউ) এর শিক্ষা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
১৯৯৬ সালে আশরাফুল সাহেব দেশে ফিরে আসেন এবং জুন ১৯৯৬ সালে ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।তিনি ���০০১ সালে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০১ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত তিনি পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০০৯ সালের জানুয়ারি মন্ত্রিসভা গঠিত হলে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।২০১৪ সালের ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং পুনরায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।
২০১৫ সালের ৯ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যহতি দিয়ে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করেন। এক মাস এক সপ্তাহ দপ্তরবিহীন মন্ত্রী থাকার পর ১৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রী নিজের অধীনে রাখা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন।
ব্যক্তিগত জীবনে সৈয়দ আশরাফুল ব্রিটিশ ভারতীয় শীলা ঠাকুরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। শীলা লন্ডনে শিক্ষকতা করতেন। তাদের একটি মেয়ে রয়েছে (রীমা ঠাকুর), যে লন্ডনের এইচএসবিসি ব্যাংকে চাকরি করেন।সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ছিলেন শেখ হাসিনার দুঃসময়ের সহযাত্রী, একজন নির্ভরযোগ্য ও আস্থাভাজন মানুষ।ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী (২০০৭) আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে জিল্লুর রহমানের (প্রয়াত রাষ্ট্রপতি) সঙ্গে মিলিত হয়ে তিনি দলের হাল ধরেছিলেন। দলকে সঠিক পথে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছেন। একই সঙ্গে শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে বিতাড়নের যে খেলা তখন চলেছিল, তার বিরুদ্ধেও সোচ্চার ছিলেন তিনি।
ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে সৈয়দ আশরাফ থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অসুস্থতার কারণে তিনি ২০১৮ সালে ১৮ই সেপ্টেম্বর সংসদ থেকে ছুটি নেন। এই অসুস্থতা নিয়েই ২০১৯ সালের ৩রা জানুয়ারি রাতে (বৃহস্পতিবার) না ফেরার দেশে চলে গিয়েছিলেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি দেশে না থাকলেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলা) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হন। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন দল ও জোটের নেতৃবৃন্দ।
৪.সৈয়দ নজরুল ইসলাম
১৯২৫ সালে কিশোরগঞ্জ জেলার যমোদল দামপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম যিনি ছিলেন মুজিবনগরের অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
Tumblr media
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯��৭ সালে এমএ (ইতিহাস) এবং ১৯৫৩ সালে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৪৬-৪৭ সালে তিনি সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি মুসলিম ছাত্রলীগের সম্পাদক নির্বাচিত হন।
ভাষা আন্দোলন কালে গঠিত সর্বদলীয় অ্যাকশন কমিটির সদস্য হিসেবে ভাষা আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৪৯ সালে পাকিস্তান সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি কর বিভাগে অফিসার পদ লাভ করেন। ১৯৫১ সালে সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজে ইতিহাসের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। পরে তিনি ময়মনসিংহে আইনব্যবসা শুরু করেন। ১৯৫৭ সালে তিনি ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৬৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন এবং তারপর ১৯৭২ সাল পর্যন্ত উক্ত পদে সমাসীন ছিলেন।
১৯৬৬ সাল থেকে ৬-দফা আন্দোলনের তীব্রতা বাড়তে থাকলে আইয়ুব সরকার আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মুজিবসহবহুসংখ্যক নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করে। সেই সঙ্কটময় সময়ে (১৯৬৬-৬৯) সৈয়দ নজরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৯ সালে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ‘ডেমোক্র্যাটিক অ্যাকশন কমিটি’ নামে একটি সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি গঠন করে এবং এর অন্যতম প্রধান নেতা হিসেবে তিনি আইয়ুব বিরোধী গণ-আন্দোলনে (জানুয়ারি-মার্চ, ১৯৬৯) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা নিরসনের লক্ষ্যে রাওয়াল পিন্ডিতে সরকারের সাথে বিরোধী দলগুলোর গোলটেবিল বৈঠকে(২৬ ফেব্রুয়ারি, ১০-১৩ মার্চ, ১৯৬৯) তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১৭ নির্বাচনী এলাকা থেকে তিনি গণপরিষদের সদস্য এবং আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের উপনেতা নির্বাচিত হন।১৯৭১-এর অসহযোগ আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়।
ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ইয়াহিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে (১৯ মার্চ, ১৯৭১) সৈয়দ নজরুল ইসলাম ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অন্যতম সঙ্গী। ২৫ মার্চ (১৯৭১) শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রেফতারের পর সৈয়দ নজরুল ইসলাম দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারগঠিত হয়। নবগঠিত এই সরকারের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি থাকায় তার অনুপস্থিতিতে উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাঙালির মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন।
স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশ সরকারের নতুনমন্ত্রি পরিষদে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। ১৯৭৫ সালের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনিএ দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠনে তিনি নিরলস কাজ করেছেন। ১৯৭২সালে তিনি আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টারি পার্টির উপনেতা নির্বাচিত হন।
১৯৭৩ সালে সাধারণ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-২৮ নির্বাচনী এলাকাথেকে তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব লাভ করেন। তিনি দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় সংসদে দলের উপনেতা নির্বাচিতহন। তিনি শিল্পমন্ত্রী থাকা কালীন শিল্প-কারখানা জাতীয়করণ করাহয়। ১৯৭৫ সালে সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপরাষ্ট্রপতি হন।ওই বছর বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠিত হলে তিনি এর সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর কতিপয় সদস্য কর্তৃক সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হন। এরপর দেশে সামরিক আইন জারি করা হয় এবং খন্দকার মোশতাক আহমদ রাষ্ট্রপতি হয়ে পুরোনো সহকর্মীদের কয়েকজনকে তার মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করেন। কিন্তু সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ চার নেতা (তাজউদ্দিন আহমদ,এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামান) উক্ত মন্ত্রিসভায় যোগদানে অস্বীকৃতি জানালে ২৩ আগস্ট গ্রেফতার হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি হন। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। মহান এই নেতাকে পরে বনানী গোরস্তানে সমাহিত করা হয়।
৫.আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু
একজন আদর্শ জনপ্রিয় রাজনীতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও গণমানুষের অতি কাছের মানুষ জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ১৯৪৫ সালের পহেলা মে জন্মগ্রহণ করেছিলেন আনোয়ারা হাইলধর গ্রামে। ধনী পরিবারে জন্মগ্রহণ করা এই ছোট্ট ছেলেটি যে একদিন গরিবের সাথী হবে এবং বাংলা কে করে তুলবে গর্বিত তা কেউ কল্পনাও করেনি তখন।
আইনজীবী এবং তার পাশাপাশি নিজের অঞ্চলের জমিদার ছিলেন তার পিতার নুরুজ্জামান চৌধুরী, তার মাতার নাম খোরশেদা বেগম, যিনি ছিলেন একজন গৃহিনী। ধনী পরিবারের সন্তান মোঃ আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ছোট থেকেই সুশিক্ষায় বড় হয়েছেন। তার বাবা-মা যথেষ্ট আদব কায়দা শিখিয়ে বড় করেছিলেন তাকে।
পড়ালেখা জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ, তাই চৌধুরী বাবু উচ্চমানের শিক্ষা অর্জন করেছিলেন। তিনি ছিলেন খুবই মেধাবী একজন ছাত্র। ১৯৫৮ সালে তিনি পটিয়া হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। ঐ বছরই ঢাকার সুপ্রতিষ্ঠিত নটরডেম কলেজে ভর্তি হন।  পড়ালেখার প্রতি তার আগ্রহ ছিলো বিধায় ইন্টারমিডিয়েট ক্লাসে পড়ার সময় তিনি বৃত্তি পেয়েছিলেন এতে তিনি আমেরিকার ইলিনয় ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতে ভর্তি হন। তারপরে তিনি নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে বিজসেন এডমিনিষ্ট্রেশনে নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ায় ভালো মতো পড়ালেখা শেষ করে গর্বের সাথে ওখান থেকে এসোসিয়েট ডিগ্রি নিয়ে নিজের মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন ১৯৬৪ সালের ডিসেম্বর মাস এ।
তিনি ব্যক্তি জীবনে ৩ পুত্র ও ৪ কন্যা সন্তানের জনক।
তিনি বাংলাদেশের সনামধন্য শিল্পপতি চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর উপজেলার মরহুম আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর দ্বিতীয় কন্যা "নুর নাহার জামান" এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। একজন আদর্শ বাবা এবং স্বামী হিসেবে তিনি তার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে পালন করেছিলেন।
নিজের দেশের প্রতি ছিলো আলাদা এক টান। যার ফলে তিনি মাধ্যমিক এ পড়াকালীন সময়েই ১৯৫৮ সালে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। এই থেকে শুরু হয়েছিলো তার রাজনৈতিক জীবন। তিনি তার যৌবনকাল থেকেই রাজনীতিকে ভালোবাসতেন। তার পড়ালেখা শেষ করে বড় ভাইয়ের সাথে ব্যবসা করতে করতে তিনি আবারো যুক্ত হয়ে যান রাজনীতি তেই। কারণ মনেট টান তো আর কমেনা। যে যেই জিনিসে নেশাভূক্তি ভাগ্য তাকে সেই জিনিসেই টেনে নিয়ে আসে। তাই তিনি ১৯৬৭ সালে যোগ দেন আওয়ামী লীগ এ। এরপর থেকে শুরু হয় স্থায়ীভাবে "আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু"র রাজনৈতিক পথচলা।
১৯৭০ সালে "আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু" সাধারণ নির্বাচনে পশ্চিম পটিয়া এবং আনোয়ারা থেকে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। এই ছিলো তার রাজনৈতিক যাত্রার শুরু। তাছাড়া এর আগে তিনি ১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত হাইলধর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। স্বাধীনতার পরেও তিনি হাইলধর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং থানা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন, তিনি তার পদের দায়িত্ব বেশ ভালোভাবে পরিচালনা করেছিলেন।
তিনি ছিলেন ১৯৭১ সাল এর মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। যখন মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে অসহযোগ আন্দোলন চলছিলো তখন আখতারুজ্জামান চৌধুরী সংগ্রাম কমিটির কর্মকান্ড পরিচালনা করতেন তার পাথরঘাটাস্থ জুপিটার হাউজ থেকে। আখতারুজ্জামান এর নিজ বাসকেন্দ্র থেকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রসহ সব জায়গায় পাঠানো হয় স্বাধীনতার ঘোষণা। জাতির পিতা এবং জাতির নেতা বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা চট্টগ্রাম এ আসার পরে আখতারুজ্জামান এর জুপিটার হাউজ থেকে তা সাইক্লোস্টাইল করে প্রচার করা হয়। 
এছাড়া বিশ্বের মানুষের সাথে বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনি বিলেত এ পাড়ি দেন এবং সফর করেন ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চল গুলোতে। তিনি সর্বপ্রথম লন্ডনে যান। সেখান থেকে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হয়ে আমেরিকায় চলে যান আখতারুজ্জামান।
তিনি ১৯৭০ সালের প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য (এমপিএ) নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই পরিপেক্ষিতেই আখতারুজ্জামান চৌধুরী ১৯৭২ সালে গঠিত বাংলাদেশ গণ পরিষদের সদস্য হন এবং বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নে বেশ ভালো ভূমিকা রাখেন। ১৯৭২ সালের সংবিধানের অন্যতম সংস্কারকারী ছিলেন। 
১৯৭৫ সালে হত্যা করা হয় বাংলার মহান নেতা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। তখন আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন এবং পরবর্তীতে দলের পুনরুজ্জীবন ও পুনর্গঠনে সাহসী ভূমিকা পালন করেন।
তিনি তার যোগ্যতা এবং দক্ষতার কারণে ১৯৯১ সাল এবং ২০০৯ সালে আবারো জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। স্বাধীনতার পর আখতারুজ্জামা��� চৌধুরী বাবু দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তার পাশাপাশি আখতারুজ্জামান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন।
তার সবচেয়ে বড় অবদান হলো আজকের "ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংক ", অনেকে এটাকে UCB ব্যাংক ও বলে থাকে। বাংলাদেশে বেসরকারি ব্যাংকিং সেক্টর প্রতিষ্ঠায় তিনি পথিকৃতের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। তিনি দেশে দ্বিতীয় প্রাইভেট ব্যাংক ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবিএল) এর উদ্যোক্তা এবং প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
২০১২ সাল এর ৪ ই নভেম্বর  সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে কিডনিজনিত জটিলতার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাহসী এবং আদর্শ এই নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু।
বাঙালির সম্মান, গৌরব, মূল্যবোধ ও আত্মমর্যাদা বৃদ্ধিতে যে সকল রাজনীতিবিদ নিজেকে উৎসর্গ করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম থাকবেন আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু।
0 notes
w3ibrahims · 5 years ago
Video
ইসলামের বিরুদ্ধে কূটক্তি একটা ফ্যাশন!
ইসলামের বিরুদ্ধে কূটক্তি একটা ফ্যাশন!
ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ইসলামের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্য ষড়যন্ত্র করছে না: আল ইসা ইসলামের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের নয়া উসকানি; ভয়াবহ পরিণতির আশঙ্কা যুদ্ধাপরাধীর বিচার ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র? ইসলামের বিরুদ্ধে বুদ্ধিবৃত্তিক হামলা... - ওলামায়ে কেরামের ইসলামের বিরুদ্ধে কাফিরদের ষড়যন্ত্রঃ খুটিনাটি বিশ্লেষণ বিশ্বের যে স্থানেই ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র সেটাই ইহুদী 'ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখতে আলেমদের সীমাহীন ভূমিকা রাখতে ইসলামের বিরুদ্ধে কাফিরদের অর্থায়ন: জঙ্গিবাদ ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ইসলামের বিরুদ্ধে যারাই ষড়যন্ত্র করেছিল, তারাই ধ্বংস হয়েছে ইসলামের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র এক ব্রিটিশ গোয়েন্দা ডায়েরী ইসলামের বিরুদ্ধে পশ্চিমা ষড়যন্ত্র : ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ সেনাবাহিনীর লে. কর্ণেল ফাঁস করলেন কিভাবে মানুষকে গুম করা হয়! ( ১৫ মিনিট: প্রথম পর্ব) সব কিছুই ছিলো সাজানো নাটক, নাইমের মা , তবে টাকা পাচ্ছে নাইম ,সামি গোপন চিঠি ফাঁস '15 MINUTES'-এ! বাজারে এলো ইলিয়াছ হোসাইনের নতুন এ্যালবাম! যাদের জন্মে দোষ আছে তারাই এসব করে৷ ভিআইপি কে জনগন নাকি সচিব? সবাইকে স্বাগতম৷ আসল চোরটার নাম বলতে আসলাম৷ কে আসল চোর পার্ট ২ আমাদের নিজেদের ঠিক হওয়া প্রয়োজন আগে৷
In 2011, Ekushey became the first Bangladeshi channel to live stream all its content online to viewers around the globe, through its official website. The channel was considered the most popular TV channel in Bangladesh due to its news and other innovative programs.
elias hossain biography
ekushe tv journalist md elias hossain
elias hossain ekusher chokh
hossain elias pathao
elias hossain 15 minutes
elias hossain youtube
ekushey tv program list
ekushey tv owner
This is MD. Elias Hossain, I was a former reporter of ekushey Television. This is my personal youtube channel where I express freelance journalism.
আমি ওয়াদা করছি, কাশ্মীর স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত লড়াই করবো : ইমরান খান মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, কাশ্মীর স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে সব পদক্ষেপ নেয়া হবে জাতির কাছে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছেন তিনি। সোমবার একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি একথা বলেন। খবর- ডন উর্দূরতিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত কাশ্মীর স্বাধীন না হবে, প্রতিটি ফোরামে আমি এ বিষয়ে সর্বোচ্চ আওয়াজ তুলবো। এটি জাতির সঙ্গে আমার ওয়াদা। এসময় নিজেকে ‘কাশ্মীরি দূত’ আখ্যায়িত করে ইমরান খান।
পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাশ্মীর স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত আমার চেষ্টা চলবে। কাশ্মীরি জনগণের কাছেও আমি ওয়াদা করছি, কাশ্মীর ইস্যুটি নিয়ে আমি সারাবিশ্বে কাজ করব।
তিনি আরও বলেন, কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের মনোভাব বুঝতে পেরেছিলেন। যদি পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা না হতো, তাহলে আমাদের সঙ্গেও সেই আচরণ করা হতো, যা এখন কাশ্মীরি মুসলমানদের সঙ্গে করা হচ্ছে।
ইসলামের বিরুদ্ধে কূটক্তি একটা ফ্যাশন! হজ্ব ও রাসূল (সা.) সম্পর্কে কটূক্তিকারী লতিফ সিদ্দিকীর ফাঁসি দাবি স্টাফ রিপোর্টার : সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী পবিত্র হজ্ব, মুহাম্মদ সা. ও  তাবলিগ জামায়াত নিয়ে কটূক্তি করায় সারাদেশে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে। প্রবাসেও চলছে বিক্ষোভ। সারাদেশে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ বিক্ষোভ মিছিল করেছে। বিক্ষোভে তার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেয়া হয়েছে। লতিফ সিদ্দিকীকে মুরতাদ ঘোষণা করে অবিলম্বে তাকে সরকার থেকে বহিস্কার করে ফাঁসি দেয়ার দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন। তাকে গ্রেফতার করে শাস্তি দেয়া না হলে সরকার অচল করে দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। পবিত্র হজ্বকে অস্বীকার করলে কিংবা হজ্ব নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করলে সে মুসলমান থাকতে পারে না। অনুরূপ রাসূলের প্রতি কটূক্তি করলে সেও মুসলমান থাকতে পারে না। সুতরাং আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে একজন মুরতাদ বলে আখ্যায়িত করেছে আলেম সমাজ। গতকাল মঙ্গলবার সারাদেশে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার প্রতিবাদে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ। রাজধানীতেও বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলন করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন। খেলাফত আন্দোলন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রধান মাওলানা শাহ্ আহমাদুল্লাহ আশরাফ বলেছেন, মহাজোট সরকারের বিতর্কিত মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী কর্তৃক মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সা:, ইসলামের ফরজ ইবাদত পবিত্র হজ্জ ও মহান ধর্ম প্রচারের দাওয়াতি কাফেলা তাবলিগ জামাত ও বিশ্ব ইজতেমার বিরেুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ধৃষ্টতামূলক বক্তব্যে জন সমর্থনহীন বিনা ভোটে নির্বাচিত অগণতান্ত্রিক জবরদখলকারী আওয়ামী মোহাজোট সরকারের দ্বীন ধর্ম, দেশ জনগণের বিরুদ্ধে কুদৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে । তিনি বলেন, লতিফ সিদ্দিকী তার বক্তব্যের দ্বারা নিজেই নিজেকে মুরতাদ ঘোষণা করেছে। এই ধরনের আত্মস্বীকৃত মুরতাদদেরকে রাষ্ট্রদ্রোহীদের মতো মৃত্যুদ- কার্যকর করতে হবে। তিনি অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করে শাস্তি দেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, অন্যথায় জনগণ সরকার অচল করে দিবে। তিনি নাস্তিক মুরতাদদের বিচারের দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভ পালন করার জন্য ধর্মপ্রাণ জনতার প্রতি আহবান জানান। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার সময় রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর জামিয়া নুরিয়া থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে সভাপতির ভাষণে তিনি এই কথাগুলো বলেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের মহা সচিব মাওলানা মুহাম্মাদ জাফরুল্লাহ খান, যুগ্ন মহাসচিব মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজি, সহকারী মহাসচিব ও  ঢাকা মহানগরির আমীর মাওলানা মুজিবর রহমান হামিদী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী ফখরুল ইসলাম প্রমুখ। মাওলানা আশরাফ আরো বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর এই বক্তব্যই আওয়ামী মোহাজোট সরকারের আত্ম প্রকৃতি। যে সরকার সংবিধান থেকে সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ তায়ালার উপর পুর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসকে মুছে দিয়ে শয়তানের প্ররোচনা তথা কথিত ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে তাদের থেকে এই ধরনের ধর্ম বিদ্ধেষী বক্তব্য আশ্চর্যজনক নয়। এই সরকার দ্বীন, দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে যে কত জঘন্য ও বিপদজনক তার চাক্ষুস প্রমাণ। মাওলানা জাফরুল্লাহ খান বলেন, হযরত মুহাম্মাদ সা: পবিত্র হজ্জ ও তাবলিগ জামাত সম্পর্কে কটুক্তি করে লতিফ সিদ্দিকী স্বঘোষিত মুরতাদ হয়ে গেছে। লতিফ সিদ্দিকী একজন অখ্যাত ব্যাক্তি। তাকে বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর বড় ভাই হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে হয়। ধর্ম বিদ্ধেষী বক্তব্য দিয়ে তিনি এখন কুখ্যাত হয়েছেন। হেফাজতে ইসলাম গতকাল হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরীর আহবায়ক আল্লামা নূর হোসেন কাসেমী এক সাংবাদিক সস্মেলনে লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে অতিসত্ত্বর অপসারণ, গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানিয়েছে। সেই সাথে নবী-রাসূল ও ধর্ম অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-ের আইন প্রণয়নের জোর দাবি জানান। অন্যথায় হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট থেকে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দিচ্ছে। উক্ত মিছিল থেকে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা দেয়া হবে বলে তিনি জানান। নূর হোসেন কাসেমী বলেন, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী- প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে বিদেশের মাটিতে মহানবী সা.,  হজ্ব এবং তাবলীগ জামাত সম্পর্কে কটূক্তিপূর্ণ ��গণ্য মন্তব্য করে বিশ্বের সর্বস্তরের মুসলমানের অন্তরে চরম আঘাত দিয়েছেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেছেন- “আব্দুল্লার ছেলে মোহাম্মদ আরবের ডাকাতদের রুটি-রুজির ব্যবস্থা করার জন্য প্রতি বছর হজ্বের ব্যবস্থা করেছেন”। তিনি তার এই বক্তব্যে রীতিমত মহানবী স.কে কটাক্ষ এবং হজ্বকে চরমভাবে অবজ্ঞা করেছেন। হজ্ব ইসলামের পাঁচটি স্তম্বের মাঝে একটি অন্যতম স্তম্ভ। যা সামর্থবান ব্যক্তিদের উপর অবশ্য পালনীয় বিষয়। আল্লাহপাক পবিত্র কালামে এরশাদ করেন- “প্রতিটি সামার্থবান ব্যক্তির উপর বাইতুল্লাহর হজ্ব করা ফরজ। (আলে ইমরান-৯৭) লতিফ সিদ্দিকী আরো বলেন, “আব্দুল্লাহর পুত্র মুহাম্মদ চিন্তা করলো- জাজিরাতুল আরবের লোকেরা কীভাবে চলবে, তারাতো ছিলো ডাকাত, তখন একটা ব্যবস্থা করলো যে, আমার অনুসারীরা প্রতি বছর একবার এক সঙ্গে মিলিত হবে। এরই মধ্যে একটা আয় ইনকামের ব্যবস্থা হবে।” (নাউযুবিল্লাহ) তিনি বলেন, পবিত্র হজ্বকে অস্বীকার করলে কিংবা হজ্ব নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করলে সে মুসলমান থাকতে পারে না। অনুরূপ রাসূলের প্রতি কটূক্তি করলে সেও মুসলমান থাকতে পারে না। সুতরাং আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী একজন মুরতাদ। অবিলম্বে তাকে তাওবা করার আহবান জানানো হয়। এদিকে হেফাজতে ইসলাম লালবাগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। সমাবেশ শেষে মিছিল লালবাগ চৌরাস্তা থেকে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আজিমপুর এতীমখানার সামনে গিয়ে মুনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপ্ত করে। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা লতিফ সিদ্দিকীর একাধিক কুশপুত্তলিকায় অগ্নিসংযোগ করে এবং তার ফাঁসির দাবিতে শ্লোগান দিয়ে রাজপথ প্রকম্পিত করে তুলে। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার অন্যতম সদস্য ও লালবাগ জোন সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ, ঢাকা মহানগর যুগ্ম আহবায়ক মুফতী তৈয়্যেব হোসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও ঢাকা মহানগর যুগ্ম আহবায়ক মাওলানা যুবায়ের আহমদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও ঢাকা মহানগর যুগ্ম আহবায়ক মাওলানা আবু তাহের জেহাদী, মজলিসে শুরার সদস্য ও ঢাকা মহানগর যুগ্ম সদস্য সচিব মাওলানা আবুল কাশেম, ঢাকা মহানগর প্রচার সেলের প্রধান মাওলানা আহলুল্লাহ ওয়াসেল প্রমুখ। সমাবেশ থেকে আগামী শুক্রবার সারা দেশের সকল মসজিদ থেকে মুরতাদ লতিফ সিদ্দিকীর ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। উলামা মাশায়েখ পরিষদ সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের শীর্ষ উলামায়ে কিরাম এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, সরকারের বহিস্কৃত মন্ত্রী লতিফ সিদ্দীকি মহানবী (সা) ও পবিত্র হজ্জ নিয়ে যে কটুক্তি করেছেন তা ক্ষমার অযোগ্য। তিনি আপত্তিকর ও অন্যায় মন্তব্য করে বিশ্বের সকল মুসলমানদের ঈমানের উপর আঘাত দিয়েছেন। ইহা ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী বাতিল চক্রের ধারাবাহিকতার অংশ। বিদ্রƒপাত্মক ভাষায় তাচ্ছিল্য করার স্পর্ধা দেখিয়ে তিনি যে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন তা কেবলমাত্র একজন উগ্র ��াস্তিকের পক্ষেই সম্ভব। তার এহেন ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য ইসলাম প্রিয় তৌহিদী জনতা ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে। তাকে মন্ত্রিসভা থেকে শুধু বহিস্কার করলেই চলবে না, বরং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে বিশ্ব মুসলিমকে শান্ত করুন। নচেৎ ইসলাম প্রিয় তৌহিদী জনতা তাকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে সালমান রুশদী ও তাসলিমা নাসরিনের ভাগ্য বরণ করতে বাধ্য করবে। শীর্ষ উলামায়ে আরো বলেন, জনগণের টাকায় বিদেশ সফরে গিয়ে তিনি কিভাবে কোন সাহসে এ ধরনের মন্তব্য করতে পারেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। এ পর্যন্ত সরকারের বিভিন্ন নীতি নির্ধারক একের পর এক ইসলাম বিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে একটি ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়নি। আমরা সরকারকে হুশিয়ার করে দিতে চাই ইসলামের বিরোধীতা করে এদেশে কেউ চিরস্থায়ী হতে পারেনি কখনও পারবেও না। আলেমগণ মনে করেন দেশকে অস্থিতিশীল করতেই মাঝে মাঝে বাতিলের প্রেতাত্মারা এভাবে বেশামাল হয়ে পড়ে। এ অশুভ চক্র ইসলাম, মানবতা, দেশ ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি স্বরূপ। শীর্ষ উলামায়ে কেরাম কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন ৪৮ ঘন্টার মধ্যে উক্ত মন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে হবে, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি  দিতে হবে এবং তাকে নিঃশর্তভাবে জাতির সামনে তওবা করতে হবে। অন্যথায় আমরা হরতাল-অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দিতে বাধ্য হবো। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- রাবেতা আলম আল-ইসলামীর স্থায়ী সদস্য ও সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের সভাপিত মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রধান আমীরে শরীয়ত মাওলানা শাহ আহমদুল্লাহ আশরাফ, খেলাফত মজলিশের আমীর মাওলানা মোহাম্মাদ ইসহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের আমীর মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, হাফেজ মাওলানা আতাউল্লাহ, মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, মাওলানা মহিউদ্দীন রব্বানী, ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, আন্দরকিল্লা জামে মসজিদে��� খতীব মাওলানা তাহের জাবেরী আল-মাদানী, শাহতলীর পীর ও হক্কানী পীর মাশায়েখ পরিষদের আমীর মাওলানা আবুল বাশার, ফরায়েজী আন্দোলনের আমীর মাওলানা আব্দুল্লাহ মোহাম্মাদ হাসান, মুফতি হাফেজ নুর হোসাইন কাসেমী, জামেয়া এমদাদিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, মাওঃ আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মুফতি আবদুর রহমান চৌধুরী, শর্ষীনার পীর মাওলানা শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী প্রমুখ। Famous presenter Elias Hossain - Greenwatch Dhaka Elias Hossain Profiles | Facebook Ekushey Television - Wikipedia Elias Hossain Bio, Height, Age (Journalist), Wiki, Facts & Net Ekushey TV chairman lands in jail | The Daily Star Md. Elias Hossain | Dr. | University of Rajshahi, Rājshāhi | RU
Launched in April 2000 as the country's first private terrestrial TV channel, Ekushey Television (ETV) covered half the country's population and turned out to be the most popular channel offering quality programmes.[4]
The most notable feature of the channel was introducing a new approach to television journalism. The objective and investigative reports turned its group of young journalists into national stars.
The ETV productions were unique in nature: children's programme Muktokhabor, for instance, was a news-based show in which the child performers would handle news with social relevance. Fifty percent of the young team were from underprivileged families.
ETV played a vital role in promoting talented young artistes the result of which was so obvious—many innovative ideas and commitment produced quality programmes and the channel gained huge popularity within a short time. ETV was an organised and professional media, which was accumulated by professional, creative, talented and committed people. To ensure quality the authority trained up the behind-the-scene people as well as the artistes and performers of a programme.
To name other successful items, entertainment programmes Ekusher Dupur, Priyotomashu, quiz show Shobdo Jabdo, Shofol Jara Kemon Tara, informative programme Ekatturer Ei Diney, Ajker Shongbadpotro, Ei Shoptaher Biswa, talk show Amrao Boltey Chai, cookery show Radhunir Rannaghar, and of course a number of plays by gifted directors.
ETV had been leading the nation's seemingly aimless youth to a healthy and capable citizenship through its promising and unique programme roster. ETV protected the Bangladeshi viewers from the formidable influence of the satellite-culture and steered them gently to the tasteful bouquet of Bangla programmes, discarding the Hindi channels.
After being in operation for two years, on 29 August 2002, Managing Director Simon Dring and three other executives had their work permits cancelled and the station was taken off-air.[5][6] However, permission for the station to continue transmission once more was granted on 14 April 2005, and only satellite transmission was resumed on 1 December 2006 on a test basis. Its official satellite transmission started 29 March 2007 and, started 24-hour transmission on 1 June. Present chairman of ETV is Mohammed Saiful Alam.
ETV also broadcasts a dedicated band for business news everyday from 10 am to 2:30 pm during the trading hours in the Dhaka Stock Exchange with real-time updates, live discussions and breaking news, the first channel in the country to do so.
The channel has developed a reputation for providing current stock market news and incisive discussions on business related issues and is a clear leader in the business news space, setting editorial and production standards for the Bangladesh TV news market.
0 notes
newsbd69-blog · 7 years ago
Photo
Tumblr media
বাংলাদেশ কি একদলীয় রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে? বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা কি দেশটিকে একটি একনায়কতান্ত্রিক বা স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করছে? এমন প্রশ্ন রেখেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। গত ৪ এপ্রিল তারা বাংলাদেশের রাজনীতির নানা দিক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর উপর সরকারি দলের দমন পীড়ন, নেতাকর্মীদের গুম-হত্যা, নির্যাতন নিয়ে এক নাতিদীর্ঘ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। আলজাজিরায় প্রকাশিত সেই প্রতিবেদটি বাংলায় ভাষান্তর করেছে অ্যানালাইসিস বিডি। পাঠকদের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো: বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বিতর্কিতভাবে কারান্তরীণ রাখা এবং বিরোধী মতের উপর রাষ্ট্রীয় নির্যাতন পরবর্তী সংসদীয় নির্বাচনে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশংকাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। ২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনের পুনরাবৃত্তির আশংকা দেখা দিয়েছে। যখন প্রায় সব বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করেছিলো এবং বাংলাদেশে সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ড ছড়িয়ে পড়েছিলো। কারণ ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকারের উপর বিরোধীদলের উপর সম্মিলিত নির্যাতনের অভিযোগ ছিলো। নির্বাচনী বছরে কী ঘটতে চলেছে তা নিয়ে সাধারণ মানুষ অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। কারণ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা জেলে যাওয়ার ভয় বা তার চেয়েও খারাপ পরিণতির আশংকা নিয়েই সরকারের বিরোধীতা করে আসছে। ঢাকার বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা নাদিয়া তাবাসসুম খান আল-জাজিরাকে বলেন, আওয়ামীলীগ বিরোধী সকল মতকে দমন করে রেখেছে যার কারণে তিনি মনে করছেন না কেউ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস করবে। ঢাকার একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির মালিক হাসান হাবিব। তিনি বলেন, দুই নেতৃস্থানীয় রাজনৈতিক দলের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব সুষ্ঠু নির্বাচন বাস্তবায়ন প্রায় অসম্ভব করে ফেলছে। বাংলাদেশের বিরোধী ��লীয় নেত্রী ও দুইবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বিতর্কিতভাবে কারান্তরিণ করার কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে আসা স্বৈরশাসনের অভিযোগ অস্বীকার করা কঠিন হয়ে পড়ছে। খালেদা জিয়ার স্বামী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামে করা একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২১ মিলিয়ন টাকা অনুদান আত্মসাৎ এর অভিযোগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। তাঁর বড় ছেলে এবং অন্য আরো ৪ জনকে ১০ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। একমাসের কাছাকাছি সময় পর খালেদা জিয়া জামিন পান। কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যেই দেশের সুপ্রীম কোর্ট কোনো ধরণের কারণ দেখানো ছাড়াই জামিন স্থগিত করে এবং ৭২ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে ৮ মে পর্যন্ত কারান্তরিণ রাখার নির্দেশ দেয়, যেদিন জামিন শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে আটক ও পরবর্তিতে জেলে পাঠিয়ে হাসিনা সরকার বিরোধী দলকে রাজনীতির বাইরে রাখার ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবী করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশ ও সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের দেয়া তথ্য মতে খালেদা জিয়ার রায়ের দিন প্রায় ৩০০ বিএনপি নেতাকর্মী আটক হয়। এই বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিরোধী দলের ৩ হাজারেরও অধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করে। হাসিনা এবং খালেদা জিয়া- এই দুই নারী গত ২ দশক ধরে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। বস্তুত, দেশের সর্বাধিক ক্ষমতাশালী এই দুই নারীর মধ্যকার চরম দ্বন্দ্ব বাংলাদেশকে সহিংসতা ও অস্থিতিশিলতার দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি অভিযোগ করেছে, ২০১৪ সাল থেকে এই পর্যন্ত তাদের ৫০০ এর অধিক নেতাকর্মীকে হত্যা এবং প্রায় ৭৫০ নেতাকর্মীকে গুম করেছে পুলিশ। গুম হওয়া নেতাকর্মীদের মধ্যে অন্তত ১৫০ নেতাকর্মীকে হয় বিচারবহির্ভুতভাবে হত্যা করা হয়েছে না হয় গুম করা হয়েছে। প্রধান বিরোধী দল এখনো পর্যন্ত খালেদা জিয়ার রায় নিয়ে কোনো কর্মসুচীর সিদ্ধান্ত নেয়নি। দলটি দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছে। যদিও রাজনৈতিক সভা সমাবেশের অনুমতি না পাওয়ায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী অব্যাহত রাখার বিষয়ে ধৈর্যচ্যুতি ঘটছে দলটির। বড় ধরণের সহিংসতার আশংকা এই বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন ভন্ডুল হওয়ার কারণ হতে পারে। গত সপ্তাহে, জার্মানীর গবেষণা প্রতিষ্ঠান “বার্টেলসম্যান ফাউন্ডেশন” একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেখানে বলা হয় বাংলাদেশ এখন স্বৈরশাসনের কবলে। ১৩টি দেশের তালিকা করা হয় যে দেশগুলোতে রাজনৈতিক অবস্থা বর্তমানে একেবারেই ভঙ্গুর। প্রতিবেদনে বলা হয় এর মধ্যে বাংলাদেশ, লেবানন, মোজাম্বিক, নিকারাগুয়া এবং উগান্ডা- এই ৫টি দেশে গণতন্ত্র ব��রের পর বছর বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং সেখানে গণতন্ত্রের ন্যুনতম বৈশিষ্ট্য অবশিষ্ট নেই। নির্বাচনে সংশয় বাংলাদেশের ভেতরে ও বাইরে রাজনৈতিক গবেষকবৃন্দ হাসিনা সরকারের ব্যাপারে নিন্দা করেছেন বিশেষ করে স্বাধীন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে। ২০১৪ সালে একটি বিতর্কিত ও সংঘাতময় নির্বাচনের মাধ্যমে হাসিনা ২য় বারের মত ক্ষমতায় আসে যা বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো বর্জন করেছিলো। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার ১০ বছরের ক্ষমতায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে বিরোধী মতকে দমন করার অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের মানবাধিকার লংঘনের ব্যাপারে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থা ‘আইন ও শালিস কেন্দ্র’ বলেছে ২০১০ সাল থেকে এই পর্যন্ত ৫১৯ জনকে গুম করা হয়েছে যার মধ্যে ৩শরও অধিক মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছে। কাতার ও ভিয়েতনামের বাংলাদেশী সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামানের মেয়ে শবনম জামান বলেন, “গত ৪ ডিসেম্বর থেকে আমার বাবা নিখোঁজ রয়েছেন”। গত বছরের ডিসেম্বরে ফেসবুকে সরকার বিরোধী পোস্ট দেয়ার অভিযোগে মারুফ জামানকে সাদা পোশাকধারীরা ঢাকা থেকে তুলে নিয়ে যায়। তিনি আল-জাজিরাকে বলেন,পুলিশ আমার বাবার গুম হওয়ার ঘটনা জেনেও তদন্ত বন্ধ করে দিয়েছে”। এ বছরের ১৩ মার্চ জাকির হোসেন নামক এক ছাত্রদল নেতাকে পুলিশের কাস্টডিতে নির্যাতন করে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক প্রতিবেদনে বলা হয় বাংলাদেশ সরকার শতশত মানুষকে গোপনে আটক করছে যার অধিকাংশই হাসিনা সরকারের বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। আওয়ামীলীগ সরকার অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিএনপির অভিযোগ সম্পর্কে আল-জাজিরার পক্ষ থেকে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, বিরোধী দল তাদের গণতান্ত্রিক কর্মসূচী বাস্তবায়নে সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জননিরাপত্তা ইস্যুতে তাদের তৎপরতা চালাবে না। বিএনপি কর্তৃক বর্জন করা ২০১৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচন প্রশ্নে ইনু বলেন, “২০১৪ সালের নির্বাচন সংবিধানের আলোকেই হয়েছে। নির্বাচন বর্জন বিএনপির একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিলো এবং এখন তাঁরা তাদের ভুল বুঝতে পারছে। বাংলাদেশের এই মন্ত্রী আওয়ামীলীগ সরকারকে স্বৈরশাসন আখ্যা দেয়া জার্মান গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনকে প্রত্যাখ্যান করেন এবং তা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন। যে তথ্যের উপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে তিনি তা জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ইনু আরো বলেন, সত্যিকারের গণতন্ত্রের সহায়ক শক্তি হিসেবে গণমাধ্যম ও বিচার বিভাগ এদেশে সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন। সিনিয়র আওয়ালীগ নেতা ফারুক খান বলেন ��ানবাধিকার সংস্থাগুলোর মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো মোটেও সত্য নয়। তিনি বলেন, আমাদের সরকার মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে জায়গা দিয়ে সারা বিশ্বের সামনে মানবাধিকারের এক নজির স্থাপন করেছে। গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত কিন্তু বিশেষজ্ঞ ও মানবাধিকার কর্মীরা সরকারের এই দাবীর সাথে একমত নন। মিনাক্ষি গাঙ্গুলি, যিনি হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়া পরিচালক, তিনি বলেন বাংলাদেশ হয়তো মিয়ানমার থেকে পালিয়া আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরকে আশ্রয় দিয়ে বিশ্বের প্রশংসা কুড়িয়েছে কিন্তু স্থানীয় মানবাধিকারের অবস্থা আশংকাজনক। গাঙ্গুলি আল-জাজিরাকে বলেন, সরকার গুমের বিষয়টি বারবার অস্বীকার করছে। এটা অবশ্যই উপলব্ধি করা প্রয়োজন প্রত্যেককেই আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক আটক করা হয়েছে। যাদের অধিকাংশই বিরোধী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। গাঙ্গুলি আরো বলেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকরা ভীতির মধ্যে আছেন কারণ ফেসবুকে সরকার বিরোধী পোস্ট দেয়ার কারণে অনেককেই শাস্তি দেয়া হয়েছে। আমেরিকার ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আলী রীয়াজ আল-জাজিরাকে বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া সম্ভব নয়। রিয়াজ মনে করেন, যদি বিএনপি ও তার শরীক দলগুলো পরবর্তি সংসদীয় নির্বাচন বর্জনে বাধ্য হয় তাইলে তা ২০১৪ সালের মতোই একটি অন্তঃসারশূন্য নির্বাচন হবে যার কোনো নৈতিক বৈধতা থাকবেনা। ‘বিরোধীদলের উপর ক্রমবর্ধমান অত্যাচার শুধুমাত্র অবিবেচনাপ্রসুতই নয়, বরং তা খুবই খারাপ ফল বয়ে আনবে’ ,রীয়াজ বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, সরকার নিরাপত্তার অজুহাতে বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলোকে র‌্যালী ও বিক্ষোভ মিছিল করার অনুমতির আবেদন প্রত্যাখ্যান করছে। নজরুল বলেন, “সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো যারা ভাবছে তারা একে অপরের প্রতি দায়বদ্ধ নয়, এটি গণতন্ত্রের জন্য ভয়ঙ্কর সংকেত”। আলজাজিরার প্রতিবেদনটির লিংক: Is Bangladesh moving towards one-party state?
0 notes
khabarsamay · 7 years ago
Text
বাঘাযতীন পার্কে অনুষ্ঠান করা নিয়ে তরজা
শিলিগুড়ি, ৬ ফেব্রুয়ারী : শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে মাঝে সবরকম অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু এখন ফের শুরু হয়েছে নানান অনুষ্ঠান। মাঠে গর্ত করে কোনও অনুষ্ঠান কর্মসূচী বন্ধ করা হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে এই পার্কের মাঠে অনুষ্ঠান করা হলেও, তা মাঠকে অক্ষুন্ন রেখেই করা হয়। কিন্তু বাঘাযতীন পার্কের মাঠে বেঙ্গল ট্রাভেল মার্টের অনুষ্ঠানকে নিয়ে শিলিগুড়ি পুরনিগমের শাসক সিপিএম এবং বিরোধী দল তৃণমূলের কাজিয়া ফের প্রকাশ্যে এল। বিরোধীদের অভিযোগ, বাঘাযতীন পার্কের মাঠে গর্ত করে অনুষ্ঠান করা হচ্ছে। কিন্তু পুরনিগমের পক্ষ থেকে এই ধরণের সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছিল। এই অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন পুরনিগমের বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকারের নেতৃত্বে একাধিক কাউন্সিলর মেয়রের সঙ্গে দেখা করেন। রঞ্জন সরকার বলেন, এটা অনৈতিক। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে মাঠ বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাঘাযতীন পার্ক সৌন্দর্যায়নের কাজ করা হয়েছে। সবার জন্য একই নিয়ম থাকা উচিত। কিন্তু গর্ত করে অনুষ্ঠান হলে আমরাও এর বিরোধিতা করব। বিষয়টি নিয়ে মেয়র জানান, বেঙ্গল মার্টের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে ��নুষ্ঠান শেষে তাঁরা মাঠ সংস্কার করবে। Read the full article
0 notes
ektibd · 7 years ago
Photo
Tumblr media
১০ ডিসেম্বর ঢাকাসহ সারাদেশে জেলায় জেলায় মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করবে বিএনপি -কুড়িগ্রামে রুহুল কবির রিজভী আহমেদ সাইফুর রহমান শামীম,কুড়িগ্রামঃ বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে এই মুহুর্তে আমরা ভয়ংকর মানবতা লাঞ্চিত একটি রাজনৈতিক সামাজিক পরিবেশের মধ্যে বসবাস করছি। এই লাঞ্চনার জন্য দায়ী বর্তমান ভোটার বিহীন সরকার। সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেই দেখা যায় সেখানে বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ড অথবা গুমের শিকার হচ্ছেন বিরোধী দলের নেতাকর্মীসহ বিরোধী চিন্তার মানুষ। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার একদলীয় শাসন কায়েম করতে কেউ যাতে বাধা হয়ে না দাড়ায় এজন্য এগুলি করেছেন। এটি করতে গিয়ে ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, সালাউদ্দিন চৌধুরীর মতো জনপ্রতিনিধদের গুম করেছেন। এটি শুধু বিরোধী দল ও মতের প্রতি নয়, সরকারের সাথে কারো যদি মত পার্থক্য হয় তাহলে এই সরকারের দারা গুমের শিকার হচ্ছে, অপহারনের শিকার হচ্ছে অথবা বিচার বহিভুত হত্যার শিকার হচ্ছে। এরকম একটি পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে আগামীকাল ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘ ঘষিত মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ঢাকা, মহানগরসহ সারাদেশে প্রতিটি জেলায় বিএনপি মানববন্ধন পালন করবে। ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সকাল ১১টায় মানববন্ধন পালন করবে বিএনপি। এছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভুইয়া জুয়েলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী ও দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী করেন তিনি। কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সৈয়দ শামসুল হক মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহসভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, সহসভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আব্দুল আজিজ, শফিকুল ইসলাম বেবু, যুগ্ম সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, আলতাফ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক এসএম আশরাফুল হক রুবেল, পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর বিপ্লব, জেলা যুবদল সভাপতি রায়হান কবির, জেলা স্বেচ্ছা সেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ বিপ্লব, জেলা ছাত্রদল সভাপতি আমিমুল ইহসান, সাধারণ সম্পাদক হাসান জোবায়ের হিমেল প্রমুখ।
0 notes
begum-zia · 3 years ago
Text
৯০ এর মাইনফিল্ডে বেগম জিয়া
বেগম জিয়া ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের তাগাদা অনুভব করলেন। কিন্তু এও বুঝলেন শক্তির ভারসাম্যে একক ভাবে দাঁড়ানো আপাতত অসম্ভব। দলের সামনে দুটি বিকল্প তখন।
১) ১৫ দলীয় জোটে যুক্তি।
২) নিজেই বিকল্প শক্তি কেন্দ্র হওয়া।
১৫ দলের ১১ দফার ভেতর ৭২ সংবিধান পুনরুজ্জীবন ছিল। ফলে এই জোটে যাওয়া ইডিওলজিগত ভাবে অসম্ভব। নেত্রী বিকল্প পথে হাঁটলেন। ১৫ দলের বাইরের অন্যান্য দল নিয়ে সমান্তরাল ৭ দলীয় জোট গঠন করেন। ফলে বিরোধী দল হিসাবে BNP'র আবয়ব মানুষের কাছে স্পষ্টতর হল। বেগম জিয়া তখন পর্যন্ত রাজনীতিতে কিছুটা পিছি���েই ছিলেন। কিন্তু ৭ দলীয় জোট গঠন, ৫ দফা প্রনয়ণ ও ১৫ দলের সাথে সমঝোতার ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলন করতে চাওয়ার দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
ফলে দৃশ্যতঃ যে সামান্যটুকু পিছিয়ে ছিলেন তা প্রবলভাবে পার হলেন নেত্রী।
এই প্রেক্ষিতে এরশাদ সংলাপ প্রস্তাব করেন। কিন্তু বেগম জিয়ার দল সমঝোতা থোড়াই কেয়ার করে সান্ধ্য কালিন বিক্ষোভ কর্মসূচী বৃদ্ধি করেন। ফলে আরেকদফা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি।
২৮ নভেম্বর ৮৩ তে বিক্ষোভ রাজনীতি বন্ধে সন্ধ্যা থেকে সান্ধ্য আইন জাড়ি হয়। বেগম জিয়া তখন তাঁর প্রতিরোধ পলিসি পালটে ফেলেন। সান্ধ্য আইন কার্যকর শুরু হওয়া সময়ের আগ পর্যন্ত টানা জনসভা, পথসভা করার মাধ্যমে সান্ধ্য আইনকে স্বৈরাচার এরশাদের হরিষে বিষাদে পরিণত করেন।
এই কৌশলী প্রতিবাদে জিয়ার উত্তরসুরী নেত্রী বেগম জিয়ার কারিশমা দেখে আবার আশাবাদী হয়ে ওঠে দেশের মানুষ। Morning Shows The Day.
Tumblr media
8 notes · View notes
paathok · 3 years ago
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/146543
চট্টগ্রামে বিএনপির মানববন্ধনে পুলিশি হামলা, মামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদ নেতৃবৃন্দের
.
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবসের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে পুলিশের ন্যাক্কারজনক হামলা, বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন, আবুল হাশেম বক্কর ও আবু সুফিয়ানসহ ৭৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা এবং ৪৯ জন নিরাপরাধ নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মীর মো. নাছির উদ্দীন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বেগম রোজী কবির, গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ৫ জানুয়ারি ভোটাধিকার হরণ ও গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। দেশের একজন নাগরিক হিসেবে প্রত্যেক ব্যক্তির ও দলীয়ভাবে প্রতিটি দলের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংবিধান স্ব���কৃত অধিকার। কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, বুধবারের এই শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে পুলিশ অত্যন্ত ন্যাক্কারজনকভাবে হামলা চালিয়েছে। হামলায় অনেক নেতাকর্মী গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। মানববন্ধনে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দিয়ে কর্মসূচী সমাপ্ত করে চলে যাওয়ার অনেক পরে সমাবেশস্থলের বাইরের এলাকা থেকে বাড়ী ফিরার পথে নিরিহ নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সামান্য ঘটনায় ৪৯ জনকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের সময় পুলিশের অতি উৎসাহী কিছু কর্মকর্তার আচরণ ছিল মারমূখী। তারা অনেকটা ইচ্ছা করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা মনে করি, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, বিদেশে উন্নত চিকিৎসা ও গণতন্ত্র পূনঃউদ্ধার আন্দোলন বন্ধ করতে সরকার পুলিশকে দিয়ে এই দমন পীড়ন চালাচ্ছে। আমরা সরকার এবং প্রশাসনের এই ফ্যাসিবাদী আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার বিএনপিসহ বিরোধী পক্ষকে ঘায়েল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর সভা সমাবেশ করার গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছে। সরকারের বর্বরতা, স্বৈরাচারী আচরণ, মামলা হামলা, লুট, নৈরাজ্য অতীতের সব স্বৈরাচারী শাসকদের হার মানিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা ও কারামুক্তির দাবি ও গণতন্ত্র হত্যা দিবসের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের বর্বর লাঠিচার্জ, মামলা এবং গ্রেফতারের মাধ্যমে সরকার প্রমাণ করেছে তারা বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেও ভয় পায়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জোর করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলকারী বর্তমান সরকার দেশব্যাপী বিএনপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে ভয়াবহ দুঃশাসনের এক জঘন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সরকার নিজেদের কর্তৃত্ববাদী শাসন পাকাপোক্ত করতেই বিরোধী মতের নেতাকর্মী ও জনগণের ওপর হিংস্র আচরণ অব্যাহত রেখেছে। বিভিন্ন বাহিনীকে অন্যায়ভাবে নিজেদের হীন স্বার্থে অপব্যবহার করে সরকার তাদেরকে জনগণের মুখোমুখী দাঁড় করাচ্ছে। মানুষের কল্যাণে কাজ না করে ক্ষমতার দাম্ভিকতায় ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে গভীর সঙ্কটে নিপতিত করছে। সারাদেশে বিরোধীদলের উপর নির্যাতন চালিয়ে দেশকে ত্রাসের রাজ্যে পরিণত করেছে।
নেতৃবৃন্দ এধরনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে পুলিশের অতর্কিত হামলা, গ্রেফতার ও মামলা দায়েরের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। অবিলম্বে ডা. শাহাদাত হোসেন, আবুল হাশেম বক্কর, আবু সুফিয়ানসহ বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানান।
পুলিশের মিথ্যা মামলায় যুবদলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদঃ
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম এ আজিজ, নাজিমুর রহমান, ক��জী বেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন. সাইফুল ইসলাম, শরীফুৃল ইসলাম তুহিন, মোহাম্মদ আলী সাকী, মোহাম্মদ গুলজার হোসেন, এইচ এম নুরুল হুদা ও শওকত আকবর সোহাগসহ ৭৫ জন নেতৃবৃন্দের নামে কোতোয়ালী থানায় মিথ্যা মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান জসিম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজগর, এস এম মুরাদ চৌধুরী।
এক যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ৫ জানুয়ারী গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচিতে পুলিশের ন্যাক্কারজনক হামলা করে ৪৯ জন নেতাকর্মী গ্রেফতার এবং চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের নামে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে ৭৫ জনের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের আওয়ামী সরকারের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার নীল নকশার অংশ।
সারাদেশে যখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে সুচিকিৎসা এবং নি:শর্ত মুক্তির দাবীতে মহা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে সরানোর জন্য বিরোধী দলের সমাবেশের উপর ১৪৪ ধারা জারী ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের শত শত রাউন্ড গুলি বর্ষণ এবং গতকাল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে পুলিশের হামলা একই সূত্রে গাঁথা। সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন, চার বারের প্রধানমন্ত্রী ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখে হত্যার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আজ তিনি গুরুতর অসুস্থ,বর্তমান সময় সংকটময় ও সমস্যাদীর্ণ গণতন্ত্রের সময় কিন্তু মানুষ আর বসে থাকছে না, জেলায় জেলায় ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে বেরিয়ে আসছে মানুষ। বিএনপি যেখানেই সমাবেশ দিচ্ছে সেখানেই মানুষের ঢল নামছে। কর্তৃত্ববাদী হিংস্র শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দেশের মানুষ কঠিন সংগ্রামে অঙ্গীকারাবদ্ধ। পুলিশের অতর্কিত লাঠিচার্জে খুলশী থানা যুবদলের সদস্য মিজানুর রহমানসহ বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের অসংখ্য নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন।
নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রশাসনকে উদাত্ত আহবান জানান দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে আইন অনুযায়ী নিজেদের স্বীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের জন্য। অনতিবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে আইন অনুযায়ী গ্রেফতারকৃত ৪৯ জন নেতাকর্মীদের মুক্তি দিন। অন্যথায় রাজপথেই ফয়সালা হবে। ভোটারবিহীন সরকারের দিন শেষ, ভোট ডাকাতির দিন শেষ। বংলাদেশের জনগণ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজপথে নেমে গেছে। বিশ্ববিবেক জেগে উঠেছে। যেভাবে অবরুদ্ধের খবর আসছে তাতে অনেক ��ন্ত্রী এমপি ও আমলাদের বিদেশে পালানোর রাস্তাও আর খোলা নেই। গণতন্ত্রের জয় অবশ্যম্ভাবী।
0 notes
masud-love · 7 years ago
Photo
Tumblr media
নেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি : সাংগঠনিকভাবে দূর্বল হয়ে পড়ছে যুবলীগ-যুবদল মোঃ সাইফুল ইসলাম সায়েম : দুর্বল হয়ে পড়েছে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের প্রধান দুই সহযোগী সংগঠন তথা যুবলীগ ও যুবদল। যে কোন সময় দলের যে কোন কঠিন মুহুর্তে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য দুই সহযোগী সংগঠন হিসাবে যুবলীগ ও যুবদলের খ্যাতি রয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যুবলীগের সৃষ্টি হলেও তার কিছুটা পরে যুবদলের সৃষ্টি। দেশব্যাপী যুবলীগ ও যুবদলের যে নাম বা ভুমিকা ছিল তাতে বরাবরই নারায়ণগঞ্জ যুবলীগ-যুবদল গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতো। কিন্তু বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের বেহাল দশায় আছে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির এই দুই সহযোগী সংগঠন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনগুলোর মধ্যে আওয়ামী যুবলীগকে সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে ধরা হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ১৯৭২ সালের ১১ই নভেম্বর শেখ ফজলুল হক মনি কর্তৃক বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। যে কোন ক্রান্তিলগ্ন সময়ে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে যে সকল সংগঠন ভুমিকা রেখেছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ অন্যতম। বাংলাদেশে আশি ও নব্বই দশকে স্বৈরাচার বিরোধী ও আওয়ামীলীগের সরকার বিরোধী আন্দোলনে বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদল ছিল স্বতন্ত্র ভুমিকায় সক্রিয়। এরই ধারাবাহিতকায় নারায়ণগঞ্জ যুবদলও সেই কঠিন মুহুর্তগুলোতে রেখেছিল গুরুত্বপূর্ণ এবং উল্লেখযোগ্য ভুমিকা। পাশাপাশি যে কোন আন্দোলন সংগ্রামে নারায়ণগঞ্জ যুবদলের আলাদা ভাবমুর্তি ছিল যা আজ নেই বললেই চলে। জেলা যুবলীগের যে কমিটি রয়েছে তার সাধারণ সম্পাদক কিছুদিন পূর্বেই জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে পদন্নোতি লাভ করেন, পাশাপাশি জেলা যুবলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল কাদিরও থাকতে পারতেন মহানগর আওয়ামীলীগের কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে। তবে আইভী ও কাদিরের ঘনিষ্ঠ সুত্রমতে, প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমানের রোষানলে পরে গুরুত্বপূর্ণ কোন পদ পাওয়া হয়নি আব্দুল কাদিরের তবে কিছুদিন পূর্বে আংশিকভাবে ঘোষিত হওয়া জেলা কমিটির পূর্নাঙ্গ কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পাচ্ছেন জেলা যুবলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল কাদির। তাই জেলা যুবলীগ এখন অনেকটা নিস্ক্রীয়। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের অবস্থা অনেকটা নড়বড়ে। শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু ও সাধারন সম্পাদক আহম্মদ আলী উজ্জল দু’জনই দুই মেরুর চিহ্নিত নেতা। দুই মেরুর বাসীন্দা হওয়ায় যেমনি সফল কোন কর্মসূচী পালন করতে ব্যর্থ হচ্ছে ঠিক তেমনি বর্তমানে তাদের সাংগঠনিক অবস্থাও কিছুটা দুর্বল বলে মনে করছেন মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মীরা। তবে পদ ধরে রাখতে দু’জনই তাদের লবিং চালিয়ে যাচ্ছে বলে নেতা কর্মীরা মনে করছেন। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে তৃনমুলের একটাই দাবী যত দ্রুত সম্ভব মহানগর যুবলীগের কমিটি ঘোষণার মাধ্যমে নারায়নগঞ্জের স্বাধীণতার স্বপক্ষের শক্তিদের হাতকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী রাজণীতিকে আরো বেশী চাঙ্গা করার প্রতি জোর দেন। আর কেন্দ্র থেকে বলা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই আসছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটি এমনটাই জানিয়েছে নির্ভরযোগ্য সুত্র। তবে এই কমিটিতে চমক থাকবে বলেও জানা যায়। নতুন ও পুরাতনদের মিশ্রনের মাধ্যমে এবং সুশৃঙ্খল ব্যালেন্সের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী ও যুগোপযোগী কমিটি উপহার দেয়া হবে বলে জানা যায়। অপরদিকে ব্যক্তিকেন্দ্রীক আর পকেট কমিটির বেড়াজালে আটকে থাকা নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর যুবদলের কার্যক্রম এখন অনেকটাই নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে। দলীয় কর্মসূচিসহ নানা কর্মকান্ডে ফুটে উঠছে তাদের সাংগঠনিক জীর্ণদশা। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকেও নেয়া হচ্ছে না কার্যকরী কোন পদক্ষেপ। ফলে এক সময়কার দুর্দান্ত প্রভাবশালী বিএনপির এই অঙ্গ-সংগঠন এখন রাজনীতির মাঠে ফুরিয়ে যাওয়া রেসের ঘোড়ার মতোই খুড়িয়ে চলছে। যুবদল সূত্র জানিয়েছে, বিশেষ সুবিধার মাধ্য কেন্দ্রীয় যুবদল ৭ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি ঘোষণা করে। যাদের মাঠের কার্যক্রম বিগত ৫ বছরে নেই বললেই চলে। এছাড়া মহানগর যুবদলের ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হলেও দ্বন্দ-সংঘাতে জড়িয়ে তাদেরও অবস্থাও অনেকটা লেজে-গোবর। তবে, মহানগর যুবদল কমিটি দীর্ঘদিন যাবৎ-ই ব্যক্তি কেন্দ্রীক হয়ে আছে। জেলা যুবদলের সাবেক ও বর্তমান বেশ ক’জন নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৩ সালের প্রথম দিকে হঠাৎ করেই পূর্বের কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটির আংশিক ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষাণা করে। ঘোষিত কমিটিতে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেনকে সভাপতি, সোনারগাঁওয়ের শাহ আলম মুকুল সাধারন সম্পাদক, ফতুল্লার একরামুল কবির মামুন সাংগঠনিক সম্পাদক, আড়াইহাজারের সালাহউদ্দিন ও রূপগঞ্জের আব্দুল কাদিরকে সহ-সভাপতি এবং আরো দুইজনকে যুগ্ম সম্পাদক করা হয়। তবে, এ কমিটিকে গত ৪ বছরেও পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে পারেনি সংশিষ্ট নেতৃবৃন্দ। গত ৪ বছরের সরকার বিরোধী আন্দোলনে ফটোসেশন ছাড়া রাজনীতির মাঠে তাদের বিশেষ কোন অবদান ছিলো না। ওয়ার্ড থেকে শুরু করে ইউনিয়ন, থানা, পৌরসভা কোন একটি কমিটিরও সন্মেলন করতে পারেনি ওই কমিটি। বরং সভাপতি, সাধারন সম্পাদকের পকেট কমিটি হিসেবে জেলা যুবদলের এই কমিটি পরিচিতি পায়। যা জেলা যুবদলের রাজনীতিতে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উৎস। এদিকে মহানগর যুবদলের ২৮ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয় ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারীতে। এ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের ভাই মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে আহবায়ক কমিটির আহবায়ক করা হয়। যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় সানোয়ার হোসেন, মমতাজ উদ্দিন মন্তু, মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, মনোয়ার হোসেন শোখন, রানা মুজিব, জুয়েল রানা ও আনোয়ার হোসেন আনুকে। ২০ জনকে অন্তর্ভক্ত করা হয় ওই কমিটিতে। পরবর্ত���তে আরো ৫ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে সংযুক্ত করা হয়। সব মিলিয়ে ৩৩ জনের ওই আহ্বায়ক কমিটি আগামী ফেব্রুয়ারীতে চার বছর পূর্ণ করবে। তবে খুব শীঘ্রই যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি আসছে বলে জানা গেছে। যেখানে বলয়মুক্ত নেতাদের নিয়ে একটি স্বচ্ছ ও শক্তিশালী জেলা-মহানগর কমিটি করা হবে বলেও জানা যায়।
0 notes
ruposhibangla-blog · 7 years ago
Photo
Tumblr media
অনগ্রসরদের প্রতি বিজেপির মনোভাব না বদলালে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণের হুঁশিয়ারি মায়াবতীর আজমগড়: দলিত, আদিবাসী ও অনগ্রসর শ্রেণীর প্রতি বিজেপির মনোভাবের বদল না হলে ভীমরাও আম্বেডকরের মতো তিনি হিন্দু ধর্ম ছেড়ে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করবেন বলে হুঁশিয়ারি বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর। উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ে দলের এক জনসভায় মায়াবতী বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন, ‘দলিত, আদিবাসী ও অনগ্রসর শ্রেণী ও ধর্মান্তরিতদের প্রতি শাসক দল তাদের জাতিবাদী ও সাম্প্রদায়িক মনোভাব না বদলালে আমি বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করব’। সংবিধান প্রণেতা আম্বেডকরের প্রসঙ্গও এ ক্ষেত্রে উল্লেখ করেছেন মায়াবতী। তিনি বলেছেন, হিন্দু ধর্মে বর্ণ ব্যবস্থায় বৈষম্য অম্বেডকরকে ব্যথিত করেছিল। তিনি শঙ্করাচার্য ও সন্তদের এই বৈষম্য সংশোধনের আর্জি জানিয়েছিলেন। তা না হওয়ায় মৃত্যু আগে আম্বেডকর নাগপুরে নিয়ে নিজের অনুগামীদের নিয়ে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। বিএসপি নেত্রী বলেছেন, তিনিও শঙ্করাচার্য ও ধর্মীয় নেতা এবং বিজেপির সঙ্গে যুক্তদের তাঁদের মানসিকতার পরিবর্তনের সুযোগ দিচ্ছেন। না হলে তিনিও নিজের সমর্থকদের সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করবেন। আরএসএসের ‘জাতিবাদী’ কর্মসূচী বিজেপি এগিয়ে নিয়ে চলেছে বলে অভিযোগ করেছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যা ও গুজরাতের উনায় দলিতদের মারধরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিজেপিকে তোপ দেগেছেন। ভোট কথা মাথায় রেখে বিজেপি আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত একজন দলিতকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করেছিল বলে অভিযোগ করেছেন মায়াবতী। তিনি বলেছেন, এ জন্যই কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলিও একজন দলির প্রার্থীকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী করেছিল। *News Searching By Abp Ananda*
0 notes
pirshaheb-blog · 8 years ago
Text
জিয়াউর রহমানের রহস্যময় জীবন !
তারেক রহমান সকল বিএনপির নেতা কর্মীদের ইতিহাস বিষয়ক ২২টি বিষয় জানা থাকা প্রয়োজন বলে ছবক দিচ্ছেন। অনলাইনে সেই ছবক কে বিএনপির নেতা কর্মীরা সগর্বে প্রচার করছে। তারেক রহমান যখন ইতিহাসের ছবক দেন তখন অবাক হইনা। অবাক হই তখনি যখন দেখি উচ্চ শিক্ষিত লোক যাদের সাথে জিয়াউর রহমানের পরিচয় ছাড়া তারেক রহমানের বসার যোগ্যতা রাখেন না তারা তার বন্ধনা,অর্চনা ও স্তুতি গাইতে থাকেন। তারেক রহমান যে বিষয় গুলা জানার প্রয়োজন বলে বিএনপির নেতা কর্মীদের বলেছেন তার সাথে আমি কিছু যোগ করলাম বিএনপির নেতা কর্মীদের জন্য: ১. শেখ মুজিবকে হত্যার পর বাকশাল নেতা মোশতাক রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেন। গঠন করেন মন্ত্রীসভা। শেখ মুজিবের মন্ত্রীসভার প্রায় সকলেই মোশতাকের মন্ত্রীসভার সভায় শপথ নেন। জানা প্রয়োজন :: মীর জাফর ও তার সহযোগীরা কিন্তু সিরাজ-উদ-দৌলার আপনজন ছিল। তাই বলে সিরাজ-উদ-দৌলা আর মীর জাফর এক সমান হন না। ২. মোশতাক সারাদেশে সামরিক আইন জারি করেন। ঐ সময় সেনাপ্রধান ছিলেন শফিউল্লাহ। জানা প্রয়োজন :: হত্যা কান্ডের পর সেনাপ্রধান শফিউল্লাহ ছিলেন কার্যত ফারুক রশিদদের হাতে জিম্মি। ১৫ আগস্টের পর সেনাবাহিনীর কমান্ড চলে যায় ফারুক রশিদদের হাতে যার নেপথ্যের নায়ক ছিলেন ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ জিয়াউর রহমান, যা ফারুক রশিদ বিবিসির সাক্ষাতকারে বলেছেন। এ ক্ষেত্রে সেনাপ্রধান হিসেবে শফিউল্লাহ ছিলেন ব্যর্থ। ৩. শহীদ জিয়া সেই সময় ছিলেন ��েনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ। জানা প্রয়োজন :: ফারুক রশিদ এর বিবিসির সাক্ষাতকারের আলোকে বলা যায় সামরিক আইনের ৩১নং ধারার ৩ উপ ধারায় উপপ্রধান সেনাপতি হিসেবে জিয়ার দায়িত্ব ও কর্তব্য ছিল অভ্যুত্থানের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ষড়যন্ত্রকারীদের আটক করা। সামরিক আইনের ৩১নং ধারার ৩ উপধারা লংগন করায় জিয়াউর রহমান এর কোর্ট মার্শাল হওয়া উচিত ছিল । [[ সামরিক আইনের ৩১নং ধারার ৩ উপধারা : " এ ধরনের কোন বিদ্রোহের অস্তিত্ব অথবা এ ধরণের বিদ্রোহের কোন অভিলাষ কিংবা এ ধরণের কোন ষড়যন্ত্রের কথা জানা সত্ত্বেও বা অস্তিত্ব আছে বলে মনে করার কারণ থাকা সত্ত্বেও বস্তুত বিলম্ব না করে তার কমান্ডিং অফিসারকে অথবা অপর কোন উর্ধ্বতন অফিসারকে খবর না দিলে কোর্ট মার্শালের বিচারে তার প্রাণদন্ড দেয়া হবে।" ]] ৪. শেখ মুজিবের হত্যাকাণ্ডের পরে মোশতাকের মন্ত্রীসভার শপথ অনুষ্ঠানে যাননি জিয়াউর রহমান। বিজয়ীর বেশে গিয়েছিল তাহের-ইনু বাহিনী এবং তৎকালীন মুজিব বিরোধী নেতারা। জানা প্রয়োজন :: তাহের-ইনু কারা ? তাহের-ইনু হলেন জিয়াউর রহমানের পুনর্জন্ম দাতা। ৩রা নভেম্বর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ কর্তৃক জিয়াউর রহমান বন্দী হন, বিচ্ছিন্ন করা হয় টেলিফোন সংযোগ। ভুল বসত: বেড রুমের লাইনটি সচল থাকায় জিয়া তাহেরকে বলেন " Taher you are save my life "। এই একটি কথার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ কালীন বন্ধু জিয়াকে মুক্ত করার জন্য গণবাহিনী দিয়ে পাল্টা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মুক্ত করেন। ৫. শেখ মুজিব হত্যাকান্ডের পর আরো কমপক্ষে দশ দিন, অর্থাৎ ২৪ শে আগস্ট পর্যন্ত জেনারেল শফিউল্লাহ ছিলেন সেনা প্রধান। জানা প্রয়োজন :: হত্যা কান্ডের পর সেনাপ্রধান শফিউল্লাহ ছিলেন কার্যত ফারুক রশিদদের হাতে জিম্মি। ১৫ আগস্টের পর সেনাবাহিনীর কমান্ড চলে যায় ফারুক রশিদদের হাতে যার নেপথ্যের নায়ক ছিলেন ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ জিয়াউর রহমান, যা ফারুক রশিদ বিবিসির সাক্ষাতকারে বলেছেন । এ ক্ষেত্রে সেনাপ্রধান হিসেবে শফিউল্লাহ ছিলেন ব্যর্থ । ৬. রাষ্ট্রদূত হিসাবে সরকারি চাকুরী কনফার্ম করার পর সেনা প্রধানের পদ ছাড়েন শফিউল্লাহ। এরপর যথা নিয়মে ডেপুটি চীফ অব স্টাফ থেকে প্রমোশন পেয়ে ২৫শে আগস্ট সেনাপ্রধান হন জিয়াউর রহমান। জানা প্রয়োজন :: রাষ্ট্রদূত হিসাবে সরকারি চাকুরী কনফার্ম করার বিষয় নয় । সেনাপ্রধান শফিউল্লাহ যদি খুনি মোস্তাক গংদের পছন্দের হতেন বা তাদের দলের সংশ্লিষ্ট হতেন তাহলে সেনাপ্রধানের পদ ছাড়তে হত না। উনাকে বাধ্য করা হয়েছে। আর যথা নিয়মে যদি ডেপুটি চীফ অব স্টাফ থেকে প্রমোশন পেয়ে ২৫শে আগস্ট জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান হতেন তাহলে যথা নিয়মে উপ রাষ্টপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম রাষ্টপতি হতেন, মোশতাক নয় । কোন অভ্যুত্থানের পর অভ্যুত্থান কারীরা তাদের গ্রুপের ছাড়া কাউকে কোন দায়িত্ব দেবেনা, বিশেষ করে সেনা প্রধানের দায়িত্ব । ৭ . সেনাপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব নেয়ার পর রক্ষী বাহিনীর প্রভাবমুক্ত একটি শক্তিশালী পেশাদার ও সেনাবাহিনী গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন শহীদ জিয়া। জানা প্রয়োজন :: রক্ষী বাহিনীর প্রভাবমুক্ত সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে নিজের জীবন রক্ষাকারী পঙ্গু কর্নেল তাহের সহ ১১৪৩ জন মুক্তিযুদ্ধা অফিসারকে ২/৩ মাসের মধ্যে সামরিক ট্রাইবুনালে ফাসি দেন । ৮. জিয়াকে মেনে নিতে পারেননি ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফ। তিনি ভেতরে ভেতরে জিয়াউর রহমানকে সরানোর চক্রান্ত শুরু করেন। জানা প্রয়োজন :: জিয়াকে নয়, ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফ মেনে নিতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর ঘাতক চক্রকে, যারা মোস্তাকের মাধ্যমে পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশ পরিচালনা শুরু করে। ৯. চক্রান্তের অংশ হিসেবে খালেদ মোশারফ ১৯৭৫ সালের ২রা নভেম্বর সেনা প্রধান জিয়াউর রহমানকে ক্যান্টনমেন্টে বন্দী করেন। জানা প্রয়োজন :: ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফ বুঝতে পারেন যে মোসতাক নয়, জিয়াই খুনি চক্রের নেতা। তাই জিয়াকে বন্দী করে বঙ্গভবনকে খুনি চক্রের হাত থেকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন। খালেদ মোশারফ যদি সেদিন ক্ষমতা চাইতেন তাহলে মোসতাক এবং জিয়াকে হত্যা করে নিজে রাষ্ট্রপতি হতেন, প্রধান বিচারপতিকে রাষ্ট্রপতি করতেন না । ১০. ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফ ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মোশতাকের অনুমোদন নিয়ে মেজর জেনারেল হিসেবে নিজেই নিজের প্রমোশন নেন এবং এরপর প্রশাসন চলে খালেদ মোশারফের ইশারায়। জানা প্রয়োজন :: উপরের জানা প্রয়োজন জবাব দেয়া আছে ১১. ১৯৭৫ সালের ৫ই নভেম্বর রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন মোশতাক। তার আগে মোশতাক এবং খালেদ মোশারফ বিচারপতি সায়েমকে রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব দেন ৬ই নভেম্বর। বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধান বিচারপতি। শেখ মুজিব পাকিস্তানী পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে ফেরত আসেন ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারী। এর দুই দিন পর ১২ই জানুয়ারী সায়েমকে প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিয়োগদেয়া হয়। জানা প্রয়োজন :: বঙ্গবন্ধুর ঘাতক চক্রকে মেনে নিতে পারেন নি বলে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফ ১৯৭৫ সালের ২রা নভেম্বর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনা প্রধান জিয়াউর রহমানকে ক্যান্টনমেন্টে বন্দী করেন। যারা মোস্তাকের মাধ্যমে পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশ পরিচালনা শুরু করেছিলেন তাদের হাত থেকে আবার নিয়ে আসা হয় মুক্তিযুদ্ধের ধারায়। শেখ মুজিব পাকিস্তানী পাসপোর্ট নিয়ে নয়, মুক্তিলাভের পর বঙ্গবন্ধুকে লন্ডন নেয়া হয় পিআইএর বিশেষ বিমানে। লন্ডন থেকে দেশে ফিরতে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ডও বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করে। ৮ জানুয়ারী থেকে ১০ জানুয়ারী পর্যন্ত এ সফরে পাসপোর্ট প্রসঙ্গই অবান্তর। পাকিস্তানের করাচিতে জন্ম নিয়ে এদেশে রাজনীতি করলে, নিজের দাদা দাদির কবরের কথা, জন্মস্তানের কথা যে মনে পড়বেই । এটা যে নাড়ির টান । ১২ . ১৫ই আগস্ট থেকে মোশতাক-শফিউল্লাহর জারী করা সামরিক আইন বহাল থাকায় রাষ্ট্রপতি সায়েম একাধারে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের ও দায়িত্ব পালন করেন। উল্লেখ্য, ৭ই নভেম্বর সংঘটিত হয় সিপাহী- জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব। শহীদ জিয়াকে বের করে আনা হয় বন্দীদশা থেকে। জানা প্রয়োজন :: মোশতাক - শফিউল্লাহর জারী করা সামরিক আইন [[২৪শে আগস্ট পর্যন্ত জেনারেল শফিউল্লাহ ছিলেন সেনা প্রধান। ]] শফিউল্লাহ পদত্যাগ করার পর মোশতাক - জিয়া, সায়েম - জিয়া, এবং একক ভাবে জিয়া সেটাকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত বলবৎ রাখেন । আকাশ থেকে বিপ্লব হয়না। ৭ ই নভেম্বর সংঘটিত বিপ্লব এর নায়ক কর্নেল তাহেরকে ফাসি দিয়েছিলেন জিয়া। অপরাধ ছিল একটি বৈধ সরকারকে উত্খাত। অর্থাৎ ২রা নভেম্বর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী খালেদ মোশারফ-সায়েম সরকার। যে সরকার জিয়াকে বন্দী করেছিল সেই সরকার উত্খাতের জন্য জিয়া তাহেরকে ফাসি দেন । ১৩ . ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর জেলের মধ্যে সংঘটিত হয় ৪ নেতা হত্যাকান্ড। আবার ৬ই নভেম্বর পাল্টা ক্যু’তে নিহত হন খালেদ মোশারফ। ১৯৭৭ সালের ২০শে এপ্রিল পর্যন্ত রাষ্ট্রপ্রতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিচারপতি সায়েম। জানা প্রয়োজন :: ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফ অভ্যুত্থান করার সাথে সাথে বঙ্গবন্ধুর ঘাতক চক্র পূর্বে নেয়া সিদ্ধান্ত মোতাবেক জেল হত্যা কান্ড ঘটায় । ১৪. এ সময়কালে জিয়া ছিলেন সেনা প্রধান এবং উপ- প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক। জানা প্রয়োজন :: ৬ই নভেম্বর পাল্টা ক্যু’তে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফ, মেজর হায়দারদের হত্যার মাধ্যমে জিয়াকে আবার সেনা প্রধান এবং উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয় । ১৫. ১৯৭৭ সালের ২০শে এপ্রিল প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করেন বিচারপ্রতি সায়েম। এরপর প্রেসিডেন্ট এবং উত্তরাধিকারী হিসেবে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দাযিত্ব নেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। জানা প্রয়োজন :: প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বিচারপতি সায়েম পদত্যাগ করেন নাই। তাকে বন্ধুকের নল দ্বারা পদত্যাগ এ বাধ্য করা হয়েছিল । প্রেসিডেন্ট এর উত্তরাধিকারী কিন্তু সেনা প্রধান নয় । ১৬. ১৯৭৮ সালের ৩রা জুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবার গৌরব অর্জন করেন প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়া। ঐ নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন ১০ জন। জানা প্রয়োজন :: জিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার যোগ্যতা ছিল নাঃ ৯ই এপ্রিল ১৯৭৯ সালে গেজেট নোটিফিকেশন নং ৭/৮ডি-১/১৭৫-২৭০ অনুযায়ী আগের নোটিফিকেশন বাতিল করে আবার নতুন ভাবে নিজেকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে উন্নীত করেন যা ২৮ শে এপ্রিল ১৯৭৯ সালে কার্যকর হবে। আবার ৯ই এপ্রিল ১৯৭৯ সালে অন্য একটি নোটিফিকেশন নং ৭/৮/ডি-১/১৭৫-২৭১; অনুযায়ী তিনি নিজেকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদ থেকে অবসর গ্রহন করান, যা কার্যকর হবে ২৯-৪-১৯৭৮ সালে। অর্থাৎ এই অবৈধ কর্মকে বৈধ করার জন্য তিনি আর একটি অবৈধ কাজ করেন। তা হলো পরের বছর অর্থাৎ ৭৯ সালে ২৮ এপ্রিল মাসে back date দিয়ে ৭৮ সালে ২৯ এপ্রিল থেকে নিজেকে অবসরপ্রাপ্ত দেখিয়ে একটি অধ্যাদেশ জারি করেন ১৭. ১৯৭৯ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারী জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিএনপি ২৬০টি এবং আওয়ামীলীগ ৩৯টি আসন লাভ করে। নির্বাচনে মোট ২৯টি দল অংশ নেয়। জানা প্রয়োজন : জিয়া রাষ্টপতি, প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক, লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে থেকে নির্বাচন দিয়ে ছিলেন । অতএব যা হবার তাই হয়ছে । ১৮. ১৯৭৮ সালের মে মাসে শহীদ জিয়া ১৯ দফা কর্মসূচী ঘোষনা করেন। জানা প্রয়োজন :: জিয়া ১৯ দফা কর্মসূচীর প্রধান দফা ছিল খাল কাটা কর্মসূচী ছিনতাই করে নিজের বলে চালিয়ে দেন। যে খাল কাটা কর্মসূচী শুরু করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে খুলনার পাইক পাড়ায়। ১৯. এই কর্মসূচীর উপর জনগনের আস্থা আছে কিনা সেটি যাচাইয়ের জন্য ১৯৭৮ সালের ৩০শে মে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। জানা প্রয়োজন :: গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় জিয়াউর রহমান ছিলেন একাধারে রাষ্টপতি, প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক, আবার নিজেকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে উন্নীত করে সেনা প্রধান । প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী থেকে নির্বাচন করা যায় না । ২০. জিয়াউর রহমান সামরিক আইন জারি করেননি। ১৫ই আগস্ট সামরিক আইন জারী করেন মোশতাক। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর বরং তিনি সামরিক আইনপ্রত্যাহার করেন। জানা প্রয়োজন :: উপরের জানা প্রয়োজন জবাব দেয়া আছে ২১. জিয়াউর রহমান ইনডিমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেননি। ইনডিমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল মোশতাক সরকার ১৯৭৫ সালের ২���শে সেপ্টেম্বর। জানা প্রয়োজন :: জিয়াউর রহমান ইনডিমনিটি অধ্যাদেশকে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে পবিত্র সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেন । সকল খুনিদের বিভিন্ন দুতাবাসে চাকরি দেন আর সেই চাকরির এপয়েন্টমেন্ট লেটার তৈরী করে নিয়ে যান আজকের বিএনপির নেতা শমশের মবিন চৌধরী । ২২. জিয়াউর রহমান দালাল আইন বাতিল করেন নি। ১৯৭৫ সালের ৩১শে ডিসেম্বর দালাল আইন বাতিল করেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম,যে কিনা বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলো শেখ মুজিব কর্তৃক। জানা প্রয়োজন :: উপরে আমার লেখা " জানা প্রয়োজন " স্পষ্টত যে বঙ্গবন্ধুর ঘাতক চক্রের প্রধান নেতা ছিলেন জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট থেকে ১৯৮১ সালের ৩০ মে পর্যন্ত [[ ১৯৭৫ সালের ৩ রা নভেম্বর থেকে ৬ ই নভেম্বর বাদে ]] রহস্যময় জিয়া ছিলেন সকল অপকর্মের হোতা। ১৯৭৫ সালের ৩১শে ডিসেম্বর “দালাল আইন” বাতিলের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডসহ সাজা প্রাপ্ত ৭৫২ জন এবং বিচারের জন্য অপেক্ষমাণসহ মোট ১১ হাজার পাকিস্তানি দালাল আর মানবতা বিরোধী অপরাধীকে জিয়া মুক্ত করে দিয়ে তাদের অনেককে নিয়ে তিনি পরবর্তী কালে বিএনপি গঠন করেন। তাঁদের একজন শাহ আজিজ, যাঁকে জিয়া পরবর্তীকালে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। আর মশিউর রহমান যাদু মিয়াকে বানিয়েছিলেন সিনিয়র মন্ত্রী। বি : দ্র : সাড়ে ১৬ দলীয় জোট ভুক্ত কেউ কি আছেন আমার সাথে " জানা প্রয়োজন " লেখার সাথে দ্বিমত পোষণ করে কথা বলতে । © Miah Mohammed Helal
0 notes
ishratjahanmishublog-blog · 8 years ago
Photo
Tumblr media
সদর রোড ছেড়ে সাগরদী জসিম, মাঠ দখলে সুমন-রাজ্জাক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বরিশালে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন উপলক্ষে গতকাল বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বরিশাল নগরীর সদর রোড সহ আশপাশের সড়কগুলোতে ছিলো উৎসবের আমেজ। মহানগর ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ একই সময়ে সদর রোড বিবির পুকুরের দক্ষিন পাড় সোহেল চত্বর থেকে পৃথক শোভাযাত্রা আহ্বান করায় গত কয়েকদিন ধরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে অস্থিরতা চলছিল। সংঘাত-সংঘর্ষের আশংকায় গতকাল বিপুল সংখক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদর রোড ও আশপাশের সড়কে অবস্থান নেয়। তবে গতকাল মহানগরের সভাপতি জসিম উদ্দিন গ্রুপ কোন কর্মসূচী পালন না করায় শান্তিপূর্নভাবে জসিম বিরোধী মহানগর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কর্মসূচী পালিত হয়। নগরীর সদর রোড দখলে ছিল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন রেসনিয়াবাত ও সাধারন সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক এবং মহানগর ছাত্রলীগ নেতা রইজ উদ্দিন। আর কর্মসূচি দিয়ে নগরীতে কোন কর্মসূচী পালন করেনি মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম অনুসারীরা। জসিম উদ্দিন গত ৩ জানুয়ারী রাত ১০ টায় তার নিজস্ব এলাকা নগরীর সাগরদীতে ব্যক্তিগত অফিসে বসে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে কেক কাটেন। গতকাল বুধবার (০৪ জানুয়ারী) সকাল ৯ টায় নগরীর সোহেল চত্বরে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন বঙ্গবন্ধুর অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে কর্মসূচি শুরু হয়। এসময় বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন সেরনিয়াবাত, সম্পাদক আঃ রাজ্জাকসহ জেলা, মহানগর ও ওযার্ড ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন সেরনিয়াবাতের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস এমপি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, ছাত্রলীগের নাম বাদ দিয়ে বাংলাদেশের নাম বলা যাবেনা। বাংলাদেশ সৃষ্ঠির নেপথ্যে ছাত্রলীগের অগ্রগামী ভূমিকা ছিল সবার আগে। তিনি বলেন, দেশের ভিতর এখনো ষড়যন্ত্র চলছে, তাই সকল অপশক্তির বিরোদ্বে ছাত্রলীগকে সোচ্ছার হতে হবে সেই সাথে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ছাত্রলীগকে গড়তে হবে। ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে আ. লীগের এই সাংসদ বলেন, দলের ভিতর এমন কোন কাজ করা যাবে না যাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়। এছাড়াও বিকালে জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে জেলা ও মহানগর দলীয় কার্যলয়ের সামনে দোয়া মোনাজাত সহ অনুষ্ঠিত হবে কেক কাটা।সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. এ কে এম জাহাঙ্গীর, যুগ্ন সধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সধারণ সম্পাদক হেমায়েত উদ্দিন, জেলা আ. লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন চুন্নু, আওয়ামীলীগ নেতা এ্যাড. মুনসুর আহমেদ, মহানগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু, সদস্য ও সাবেক ল কলেজ ভিপি এ্যাড. রফিকুল ইসলাম খোকন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিলন ভূইয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, গাজী আতাউর রহমান শুভ প্রমুখ। পরে বেলা ১১টায় দলীয় কার্যলয়ের সামনে থেকে নগরীতে বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালি বের হয়। ফেস্টুন, ব্যানার, প্লেকার্ড হাতে নিয়ে র‌্যালিয়ে অংশ নেয় জেলা, মহানগর ও ওয়ার্ড আ. লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ সহযোগী সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা। র‌্যালিতে দৃষ্টি নন্দন ভাবে সাজিয়ে হাতি যুক্ত করায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে অন্যরকম আনন্দ যোগ হয়। এছাড়া বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা র‌্যালিতে অংশ নেওয়ায় জনসমুদ্রে পরিনত হয় বরিশাল ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবাষির্কীর এই আনন্দ র‌্যালি। র‌্যালিটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সোহেল চত্বরস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। এছাড়াও বিকালে জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে জেলা ও মহানগর দলীয় কার্যলয়ের সামনে দোয়া মোনাজাত সহ অনুষ্ঠিত হবে কেক কাটা।
0 notes
paathok · 4 years ago
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/128741
বহদ্দারহাটে যুবদলের মিছিলে আ’লীগের হামলা: আহত ৮
.
চট্টগ্রাম মহানগরীর বহদ্দার হাট এলাকায় যুবদল ছাত্রদলের মিছিলে হামলা চালিয়ে ৮ নেতাকর্মীকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লগের বিরুদ্ধে।
আজ রবিবার (২৮ মার্চ) বিকাল ৩ টার দিকে বহদ্দারহাট মোড় থেকে মিছিল বের করে আরাকান সড়কের বালতী কোম্পানি মোড়ে গেলে আওয়ামীলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আক্রমণ করে ৮/১০ জন নেতা কর্মীদের আহত করেছে বলে জানান নগর বিএনপি।
রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচীতে ঢাকাসহ সারাদেশে নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল সারাদেশে থানায় থানায় কেন্দ্রঘোষিত প্রতিবাদ মিছিল কর্মসূচী পালন করছিল। এর অংশ হিসাবে চাঁন্দগাও থানা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল যৌথভাবে মিছিল বের করে ছাত্রলীগ যুবলীগ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা মিছিলে হামলা চালায়। এতে গুরুত্বরভাবে আহতরা হয়েছেন চাঁন্দগাও থানা যুবদলের আহবায়ক গুলজার হোসেন, নগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি সাজিদ হাসান রনি, যুগ্ম সম্পাদক মো. শহিদুজ্জামান, যুবদলনেতা মো. আজম, নুর মোহাম্মদ ৮/১০ জন। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করে নেতাকর্মীদের আহত করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, বেগম রোজী কবির, এস এম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম ও সদস্য সচিব শরি���ুল ইসলাম তুহিন।
এক যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর দিনে দেশবাসী যখন স্বাধীনতা দিবস পালন করছে তখন অন্য দিকে এই অবৈধ সরকার তার পুলিশ বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা রাজপথ রক্তাক্ত করেছে। ঐদিনে বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজের পরে একটি সংগঠনের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিনা উসকানিতে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় শত শত সাধারণ মুসল্লিদের মারাত্মকভাবে গুলিবিদ্ধ ও আহত করেছে। এর প্রতিবাদে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপরে পুলিশের নৃশংশ হামলা ও নির্বিচারে গুলি চালানোয় কমপক্ষে ৭ জন নিহত ও অসংখ্য আহত হয়েছে। এই হতাহতের ঘটনার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে বহদ্দারহাটে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে।  আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মিছিল সমাবেশ  ও সভা অনুষ্ঠান করা আমাদের সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক অধিকার। এই জঘণ্য হামলার মধ্য দিয়ে সরকার তাদের ফ্যাসীবাদী খুন, গুম নির্যাতনের মাধ্যমে বিরোধী দল এবং ভিন্নমতকে দমন করে চলেছে। সকল রাষ্ট্র যন্ত্র ব্যবহার করে কর্তৃতৃবাদী শাসন চিরস্থায়ী করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে।  প্রকান্তরে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়।  মহান স্বাধীনতা দিবসে ৫০ বৎসর পূরনের এই সময়ে এই হামলার ঘটনা জাতির জীবনে এক কলংকজনক অধ্যায়। নেতৃবৃন্দ শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপরে হামলাকারী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
0 notes
paathok · 5 years ago
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/99488
ভাঙ্গা হাত নিয়েই আন্দোলনে ভিপি নূর
.
ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদ জানাতে ভাঙা হাতেই শিক্ষার্থীদের সাথে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর। সোমবার (৬ জানুয়ারি) ধর্ষণের প্রতিবাদে শাহবাগ অবরোধ করে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীরা। এতে যোগ দেন ঢাবির সাধারণ শিক্ষার্থীরাও।
শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচী শুরু হয় বেলা ১২টায়। এর কিছুক্ষণ পর হাতে ব্যান্ডেজ করা অবস্থাতেই সমাবেশস্থলে আসেন ভিপি নুর। এসময় ভিপি নুরকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাটতে দেখা গেছে। এসময় নুরুল হক নুর বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক রাশেদ খানের ঘারে ভর দিয়ে হাটছিলেন। একটু পর পর নুরকে ব্যথায় কাতরাতে দেখা গেছে নুরকে।
বিক্ষোভ কর্মসূচীতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নুর বলেন, ধর্ষকদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা সকল শিক্ষার্থীর প্রাণের দাবি। একটা কথা বলা হয় যে, স্পিকার, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা নারী। এটাকে বলা হচ্ছে নারীর ক্ষমতায়ন। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে এখনও নারীরা, আমার বোনরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ঘর থেকে বের হলেই তাদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা কাজ করে।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি বিরোধী দলের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার কারণে চার সন্তানের জননী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। সেই ঘটনায় সারাদেশ উত্তাল হলেও মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছিল সরকার। পরে ওই ঘটনার বিচার করেনি। ডাকসুতে যখন হামলা হল সরকার বলল- তারা হার্ডলাইনে কিন্তু যারা ওই হামলার মূল কারিগর তারা কিন্তু মামলার আসামিও হয়নি। আমাদের দাবি থাকবে যেকোনো ঘটনায় যারাই প্রকৃত অপরাধী তাদের গ্রেফতার করুন। মনে রাখবেন আজ ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় কিন্তু ঢাবি শিক্ষার্থীরা জেগে উঠেছে।
ডাকসু ভিপি বলেন, ঢাবির ছাত্রী ধর্ষণের ওই এলাকায় নিশ্চয় পুলিশের বক্স থাকার কথা। ওই এলাকায় যতদূর জানি অহরহ ছিনতাই, ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। তার মধ্যে এমন ঘটনা ঘটল। এতে বোঝা যাচ্ছে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বিকার রয়েছে। মানুষ রাস্তায় নামলে উত্তপ্ত হয় রাজপথ, তখন সবার মধ্যে একটা তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। পরে যা-তাই। আমরা আর বিচারহীনতা চাই না। এই ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কেউ যেন আন্দোলন থেকে সরে না যায়।
শুধু ভিপি নুরই নয় বিক্ষোভ সমাবেশে ভাঙা হাত নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ফারুক হাসানও। ভাঙা হাত নিয়ে প্রতিবাদে আসার কারণ জানতে চাইলে ফারুক হাসান বলেন, আমি যখন থেকে ধর্ষণের খবর পেয়েছি তখন থেকেই আমার মধ্যে এক ধরণের ক্ষোভ কাজ করেছে। আমি ঘরে বসে থাকতে পারিনি। নৈতিক দায়িত্ববোধের কারণেই ভাঙা হাত নিয়ে প্রতিবাদ করতে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেই দেশে ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে। রাজধানীর মত জায়গায় যদি একজনকে ধরে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটানো হয় তাহলে পুরো দেশের চিত্র কতটা ভয়াবহ তা সহজেই অনুমান করা যায়। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যদি দোষীদের গ্রেপ্তার না করা হয় তাহলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পদত্যাগ করা উচিৎ বলেও জানান তিনি।
বিক্ষোভ কর্��সূচীতে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন শামসুন নাহার হল সংসদের ভিপি শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি. সাধারণ ছাত্র পরিষদের আহবায়ক হাসান আল মামুন, ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
0 notes