#বাচ্চা নষ্ট করার নিয়ম
Explore tagged Tumblr posts
Photo
সন্তান না হওয়ার অনেক গুলো কারণ ও তার সমাধান ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যত্ব এটি একটি গুরুতর সমস্যা। আমাদের দেশে এমন অনেক দম্পতি আছে যাদের ইচ্ছা থাকলেও সন্তান হয় না। বর্তমানে এই রোগের অনেক চিকিৎসা তৈরি হয়েছে এবং বাংলাদেশে এর অনেক ভালো চিকিৎসাও হচ্ছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে এনটিভির স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ১���৪৯তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ল্যাবএইড ফার্টিলিটি সেন্টারের সাবেক সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এম এম মোরতায়েজ আমিন। প্রশ্ন : ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যত্ব বিষয়টি কী এবং সেখানে নারীর অবস্থান কোথায়? উত্তর : যদি এক বছর কোনো দম্পতি একসাথে থাকেন এবং কোনোরকম বাধা ছাড়া (প্রোটেকশন) শারীরিক মেলামেশা করে, এরপরও যদি তাদের সন্তান না হয় তাহলে আমরা বলতে পারি তারা ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যত্ব সমস্যায় ভুগছে। প্রশ্ন : এদের মধ্যে বাংলাদেশের পরিস্থিতি কী এবং বিশেষ করে নারী পুরুষ ভেদটা কেমন? উত্তর : নারী-পুরুষ এখন সমানভাবেই এই সমস্যার জন্য দায়ী বা ভুক্তভোগী। ১০০ জন নিঃসন্তান দম্পতির মধ্যে ৫০টি দম্পতির ক্ষেত্রে পুরুষের সমস্যা আর বাকি ৫০টি দম্পতির ক্ষেত্রে নারীর সমস্যা হয়ে থাকে। এর মধ্যে দুজনেরই সমস্যা আছে এমন দম্পতি রয়েছে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ। বর্তমানে মানুষের এ ব্যাপারে সচেতনতা বেড়েছে, ডাক্তারের সংখ্যা বেড়েছে, প্রযুক্তি উন্নত হচ্ছে তারপরও বাংলাদেশে সমস্যাটি বাড়ছে দিন দিন। এর কিছু কারণও রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান কারণ হলো বাংলাদেশের এখন ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ দেশের বাইরে থাকে। এরমধ্যে ৩০ লাখ মানুষ এমন যারা দু-এক বছর পরপর দেশে আসে, থাকে, আবার চলে যায়। তারা এসেই বিয়ে করে, বিয়ে করে কিছুদিন থেকে আবার চলে যায়। অনেকদিন পর এসে এক মাস বা দুই মাস থাকে। আমি যেমন বলেছি, কম করে হলেও এক বছর একসাথে থাকতে হবে এবং বাচ্চা নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সেটা হয় তো আর হয় না। হয় তো দেখা যাচ্ছে তাদের কোনো সমস্যা নেই। এই দূরে থাকাটাই তখন সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। প্রশ্ন : অনেক সময় পরীক্ষা করে স্বামী-স্ত্রী কারোই সমস্যা পাওয়া যাচ্ছে না কিন্তু সন্তান হচ্ছে না- এর কারণ কী? উত্তর : প্রায় ১০ শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় কোনো সমস্যা নেই তারপরও সন্তান হচ্ছে না। পৃথিবীর সব দেশেই এ ধরনের সমস্যার জন্য পরীক্ষা করা হয়। প্রায় একই ধরনের পরীক্ষা থাকে। সেগুলোতে কারোটা ধরা পড়ে আর কারোটা ধরা পড়ে না। এর মধ্যে কোনো কোনো সমস্যার চিকিৎসা করা যায় আবার কোনো কোনো সমস্যার চিকিৎসা করা যায় না। প্রশ্ন : নারীরা প্রধানত কী কারণে বন্ধ্যত্বের সমস্যায় ভোগে থাকে? উত্তর : আমার নিজস্ব একটা মত রয়েছে এ ব্যাপারে। হয় তো অনেকেই আমার কথাটি নাও মানতে পারে। সেটা হলো পলিসিস্টিক ওভারি একটা কারণ হতে পারে। আমি মনে করি, ফলিকুলার সিনড্রম নামে একটি সিনড্রম রয়েছে, যেখানে নারীদের মাসিক নিয়মিতই হচ্ছে, অন্য সবকিছুই স্বাভাবিক, কিন্তু ওই সিন্ড্রমের ফলে যে ডিমটি বের হবে সেই ডিম বের হচ্ছে না এবং এটার হার ২৫ থেকে ৩৫ শতাংশ। যেখানে পলিসিস্টিক ওভারির শতাংশ অনেক কম। তাই সিনড্রম একটা বড় কারণ হতে পারে যা আমরা হয়তো খেয়াল করছি না। আর দ্বিতীয় হচ্ছে পিসিও(পলিসিস্টিক ওভারি) যেখানে অনেক সিস্ট হয় যে সিস্টগুলো পরিণত হয়ে ফেটে ডিম বের হয়। অনেকের এই সিস্ট পরিণত হয়ে ফেটে ডিমে বের হয় না তখনই সন্তান ধারণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে সে। আরেকটা বড় কারণ হচ্ছে, ইউটেরাস যেখানে বাচ্চা থাকে বা বড় হয় সেটার দুই পাশে দুটি নল থাকে আমরা সেটাকে ফেডোপেন টিউব বলে থাকি। এই ফেডোপেন টিউব ওভারির কাছাকাছি গিয়ে শেষ হয়। ওভারি থেকে ডিম ফেডোপেন টিউবে আসে। সেখানে স্পার্ম গিয়ে ফার্টিলাইজেশন করে। অনেক সময় এই ফেডোপেন টিউব বন্ধ হয়ে যায় আর এটার প্রধান কারণ হলো ইনফেকশন। মেয়েদের ইনফেকশন বেশি হয় এবং অনেকেই ঠিকমতো এর চিকিৎসা করে না। সে কারণে টিউবটা বন্ধ হয়ে যায়। আর এর ফলে ডিম আসতে পারে না আবার স্পার্মও যেতে পারে না। এর ফলে বন্ধ্যত্ব সমস্যা দেখা দেয়। প্রশ্ন : এই সমস্যার ক্ষেত্রে নারীদের বয়স কোনো প্রভাব ফেলে কি? উত্তর : মেয়েদের প্রতি মাসে একটা করে ডিম বের হয়। বলা হয়ে থাকে ৩৫ বছররের পর নারীদের এই ক্ষমতা কমতে থাকে। কিন্তু আমি বলব ৩২ বছর পর থেকেই এই সমস্যা শুরু হয়ে থাকে। একটা পরিসংখ্যানের কথা বলি যেখান থেকে সহজেই বুঝে যাবেন বয়সের সাথে ডিমের গুণাগুণ কতটা সম্পর্কযুক্ত। ৩৫ বছর বয়সের মায়েদের ৮০০ সন্তানের মধ্যে ১টা বাচ্চা হবে ডাউন সিনড্রম, যা একটি জেনেটিক রোগ। এই রোগ ভালো হয় না। মায়ের বয়স যদি ৩৮ বছর হয় ডাউন সিনড্রম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে প্রতি ৪০০ জনে একজন, মায়ের বয়স যদি ৪০ হয় ডাউন সিনড্রম প্রতি ২০০ জনে একজন এবং যদি বয়স ৪২ হয় তাহলে প্রতি ১০০টা বাচ্চার মধ্যে একটা ডাউন সিনড্রম হবে। আর যদি বয়স ৪২ এর বেশি হয় তাহলে প্রতি ৫০টা বাচ্চার মধ্যে একটা হবে ডাউন সিনড্রম। আর যাদের সন্তান হয় না তাদের ক্ষেত্রে, ৩৫ বছরের পর প্রথমত ফার্টিলাইজেশন রেট কমে যায়, দ্বিতীয়ত ইনপ্লান্টেশনের রেট কমে যায় অর্থাৎ ভ্রুনটা পাঁচ-ছয়দিন পর এসে ইউটেরাসে জমা হয় তার পরিমাণ কমে যায়। তখন নারীদের বন্ধ্যত্ব সমস্যা দেখা দেয়। প্রশ্ন : ইনফার্টিলিটি সমস্যা যদি নারীদের ক্ষেত্রে হয় তাহলে এ ক্ষেত্রে কী ধরনের চিকিৎসা রয়েছে? উত্তর : এ ক্ষেত্রে বলব, একেকজনের সমস্যা একেক ধরনের হয়। আর এর চিকিৎসা পদ্ধতিও একেক রকমের হয়ে থাকে। তাই প্রথমেই জেনে নিতে হবে কী কারণে এ সমস্যা হচ্ছে এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে। প্রশ্ন : ''টেস্টটিউব বেবি'' কি বাংলাদেশের প্রক্ষাপটে সম্ভব? উত্তর : ''টেস্টটিউব বেবি'' বাংলাদেশে সম্ভব। তবে এ ক্ষেত্রে বলব, সরকারের উচিত একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা। এটা খুবই স্পর্শকাতর একটা ব্যাপার। টেস্টটিউব বেবি সেন্টারের মান কেমন হবে, সেখানে প্রশিক্ষিত ডাক্তার কেমন থাকবে তার ওপর নীতিমালা আরোপ করা দরকার। সেটা ঠিকমতো অভিজ্ঞদের হাতে পরিচালিত হচ্ছে কি না সেদিকেও নজর রাখা উচিত। তথ্যসুত্র: এনটিভি
#১ মাসের বাচ্চা নষ্ট করার উপায়#১ মাসের বাচ্চা নষ্ট করার ঔষধ#Bachcha keno hoi na#Bachcha na hole koronio#Bachcha na howar karon#Bondhatto dur korar upay#এক মাসের বাচ্চা নষ্ট করার ঔষধ#বাচ্চা কেন হয় না#বাচ্চা নষ্ট করার উপায়#বাচ্চা নষ্ট করার ওষুধ#বাচ্চা নষ্ট করার ঔষধ#বাচ্চা নষ্ট করার ঔষধ এর নাম#বাচ্চা নষ্ট করার ঔষধের নাম#বাচ্চা নষ্ট করার ঘরোয়া উপায়#বাচ্চা নষ্ট করার ট্যাবলেট#বাচ্চা নষ্ট করার নিয়ম#বাচ্চা না হওয়া#বাচ্চা না হওয়ার কারন#বাচ্চা না হলে করনিয়#বাচ্চা নেওয়ার সহজ উপায়#রক্তের গ্রুপ এবং বিয়ে বাচ্চা#সন্তান না হওয়া#সন্তান না হওয়ার কারন
0 notes
Photo
সন্তান নিতে ইচ্ছুক নবদম্পতির কিছু করণীয় বিষয় ! একজন পুরুষ এবং মহিলা যখন নতুন সংসার শুরু করেন তখন তারা নানা স্বপ্ন দেখে থাকেন। তার মধ্যে একটা সন্তান যেন তাদের ভালবাসার মূর্ত প্রতীক হয়ে দাড়ায়। তাই প্রত্যেক নবদম্পতিই এই স্বপ্নটি মনে মনে লালন করে চলেন। তাছাড়া এটা সবারই জানা যে, সন্তান ছাড়া একটি পরিবার সম্পূর্ন হয় না। একটি দম্পতি সংসার শুরু করার পরেই সন্তানের অভাববোধ করেন । এটাই জগতের নিয়ম। কিন্তু একটি সংসারে নতুন অতিথি আসার আগে অনেক প্রস্তুতির প্রয়োজন পড়ে । একটি সুস্থ ও সবল বাচ্চার স্বপ্ন দেখে সব দম্পতিরাই। তাই স্বপ্নের সূচনা যেন ভালোভাবে হয়, তাহলে স্বপ্নটি পূরণ হবার সম্ভাবনাও বেশী থাকে। বলা হয়ে থাকে একটি সার্থক গর্ভধারণ,গর্ভধারণ করার আগেই বিভিন্ন প্লানের উপর নির্ভর করে। সব মহিলাই উপকৃত হতে পারেন যদি গর্ভধারণের আগের প্লান সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান থাকে। আসুন জেনে নেওয়া যাক, গর্ভধারণের আগে কি কি প্রস্তুতি নেয়া দরকার। আর্থিক প্রস্তুতি :- যদিও বলা হয়ে থাকে অর্থই অনর্থের মূল।তারপরও অর্থ ছাড়া জীবন অচল। তাই আপনার পরিবারে কোন নতুন অতিথিকে আনতে চাইলে তার ভবিষ্যতটা যতটা পারেন সুরক্ষিত করার চেষ্টা করবেন। কেননা সন্তান পালন বর্তমান যুগে অনেক ব্যয়সাপেক্ষ। তাই গর্ভধারণ করার ইচ্ছা থাকলে আগে অর্থনৈতিক দিকটাও ভেবে দেখবেন। একটা প্লানও করে নিতে পারেন। একটা ফিক্সড ডিপোজিট অথবা ইন্সুরেন্স করিয়ে নিতে পারেন গর্ভধারণের আগে।এতে আপনার অনাগত সন্তানের ভবিষ্যত সিকিউর থাকবে। এছাড়া একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমানো উচিত্ গর্ভধারণের চেষ্টাকালীন সময়ে। কেননা গর্ভাবস্থায়,বাচ্চা প্রসবকালীন ও বাচ্চা জন্মদানের পরবর্তী অবস্থায় অর্থের দরকার হয়। মানসিক প্রস্তুতি :- আপনি ও আপনার স্বামী যখন গর্ভধারণের চেষ্টা করবেন,তখন মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিবেন, আপনারা এখন সন্তান চান কিনা? সন্তানের দেখভাল করার মত লোকজন ও পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় আছে কিনা? ক্যারিয়ারের গঠনের মাঝে সন্তান নিলে সামলাতে পারবেন কিনা? দু জনের মাঝে ভালো বোঝাপড়া আছে কিনা? মানসিকভাবে বর্তমানে আপনি বিপর্যস্ত কিনা? এই প্রশ্নগুলো নিজেকে করুন। যদি হ���যাঁবাচক উত্তর পান তবে বুঝ���ে হবে যে আপনি মানসিকভাবে প্রস্তুত। যদি না বাচক উত্তর পান তবে গর্ভধারণের চেষ্টা করার আগে আরও ভালোমতো ভেবে নিন। শারীরিক প্রস্তুতি :- মেডিকেল চেকআপ :আপনি কি খুব শ্রীঘ্রই বাচ্চা নিতে চাচ্ছেন?যদি বাচ্চা নিতে চান তবে গর্ভধারণের জন্য একটা বিশেষ সময়ের পরিকল্পনা করুন। এরপর মেডিকেল চেকআপ করুন।এতে করে আপনি জানতে পারবেন যে,বাচ্চা নেয়ার জন্য আপনার শরীর প্রস্তুত কিনা? কেনোনা একটি স্বাস্থ্যবান বাচ্চা জন্মদেওয়া একটি সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান মায়ের উপর নির্ভর করে। এজন্য প্রি কন্সেপসন, প্রি প্রেগনেন্সি চেক আপ বা গর্ভধারণ করার আগের চেকআপটা করে নেওয়া উচিত্। কেনোনা কিছু মেডিকেল কন্ডিশন ও জীবনযাত্রার মান গর্ভধারণকে প্রভাবিত করে, এমনকি গর্ভধারণ করার ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করে। কি কি চেকআপ করাবেন :- যদি আপনি সন্তানধারণের চেষ্টা করেন এবং আগে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনার চিকিত্সককে বলুন কবে নাগাদ তা বন্ধ করবেন? সাধারণত গর্ভধারণ করার চেষ্টা করার কিছু মাস আগে থেকেই জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিটি বন্ধ করতে বলেন ডাক্তাররা। আপনার কিছু স্বাভাবিক মাসিক হওয়া দরকার গর্ভধারণের আগে।এতে করে গর্ভধারণ পরবর্তী বাচ্চা প্রসবের সময় নির্ধারণ করতে সুবিধা হয়। স্বাস্থ্য ও অন্যান্য পরীক্ষা করুন।আপনার কোন রোগ থাকলে তা সারিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন। এমনকি আপনার স্বামীর কোন অসুখ থাকলেও তার চিকিত্সা করাতে হবে। এরপর ডাক্তার আপনার শারীরিক কিছু পরীক্ষা যেমন ওজন, রক্তচাপ ও আপনার নিতম্ব স্বাস্থ্যবান কিনা তা পরীক্ষা করবেন। কেননা খুব ছোট ও চাপা নিতম্বে বাচ্চা জন্মের সময় জটিলতা দেখা দেয়।তাই আগে থেকেই পরীক্ষা করা থাকলে প্রসবকালে আপনার ডাক্তার সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন। এরপর ডাক্তারটা পরীক্ষা করবেন যে, আপনি সন্তান ধারণ করতে পারবেন কিনা? মানে বন্ধ্যা কি না তা পরীক্ষা করেন।অনেক কারণে একটি দম্পতি বন্ধ্যা হতে পারে। মহিলা ,পুরুষ উভয় ই এর জন্য দায়ী হতে পারে। এজন্য যথাযথ পরীক্ষা করে সমস্যা ধরা পড়লে, যার সমস্যা তার চিকিত্সা করাতে হবে। প্যাপ টেস্ট করাতে হবে,জরায়ুমুখে কোন সমস্যা আছে কিনা তা জানার জন্য। কেনোনা একটি সার্থক প্রসব সুস্থ জরায়ু ও গর্ভাশয়ের উপর নির্ভর করে। এছাড়াও ডায়াবেটিস,উচ্চরক্তচাপ আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে। কারণ এইসব অসুখ মারাত্মক সমস্যা করে গর্ভাকালীন ও পরবর্তী সময়ে।তাই গর্ভধারণের আগেই এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করুন ও ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন। এছাড়া HIV ও herpes এই টেস্ট গুলো করা ভালো কেনোনা এগুলো থাকলে গর্ভধারণ করা ঝুকিপূর্ণ। এছাড়াও আপনি যদি দ্বিতীয় বারের মত মা হতে যান এবং আপনার যদি আগের গর্ভকালীন অবস্থায় নিম্নোক্ত সমস্যা হয়ে থাকে, বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়া জন্মের সময় বাচ্চা মরে যাওয়া অকালে বাচ্চা হওয়া বাচ্চার শারিরীক গঠনে সমস্যা থাকা এইসব হয়ে থাকলে পরবর্তী বাচ্চা নেওয়ার সময় আপনাকে আরো সচেতন হতে হবে ও চিকিত্সকের পরামর্শমত গর্ভধারণ করতে হবে। আপনার ও আপনার স্বামীর পরিবারে কোন জেনেটি�� সমস্যার কারণে কারো অসুখ হলে, একজন জেনেটিক কাউন্সিলারের সাথে পরামর্শ অবশ্যই করবেন। এজমা, ডায়াবেটিস, ডিপ্রেসনের ও অন্যান্য কোন ওসুধ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে গর্ভধারণের চেষ্টা করার সময়ই এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। কেননা এতে সন্তান বিকলাঙ্গ হবার চান্স থাকে। রুবেলা, চিকেন পক্স এর টিকা আগেই নিয়ে রাখুন। এছাড়া ১৫ বছরের পর সব মেয়েরি টিটি টিকা নেওয়া উচিত্। যে কোন ভ্যাক্সিন নেয়ার কমপক্ষে ১ মাস অপেক্ষা করুন গর্ভধারণের চেষ্টা করার জন্য। দাঁতের যত্ন নিন। দাঁতের সমস্যা হলে একজন ডেন্টিস্ট কে দেখান।কারণ এটা প্রমাণিত যে দাঁতের মাড়ীতে কোন অসুখ থাকলে কমওজনের ও অকালে জন্ম হয় শিশুর। একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :- আপনার যদি ২৮ দিন অন্তর রেগুলার মাসিক হয় তাহলে মাসিক হওয়ার ১০ তম দিন থেকে ১৮ তম দিনে গর্ভধারণের চেষ্টা করলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে আর যাদের অনিয়মিত মাসিক হয় তারা তাদের সবচেয় কম সময় যেই মাসিক হয় সেই সময়ের সাথে ১৮ বিয়োগ করে ও সবচেয়ে বেশী সময়ে যে মাসিক হয় তার সাথে ১০ বিয়োগ করে তার ওভুলেশন ডেট গণনা করতে পারে । যেমন কারো যদি ২৬ থেকে ৩১ দিন অন্তর অন্তর মাসিক হয় তাহলে ২৬-১৮=৮ এবং ৩১-১০=২১ অর্থাত্ তার মাসিক হবার ৮তম দিন থেকে ২১ তম দিনে গর্ভধারণের চেষ্টা করলে তা সফল হবার সম্ভাবনা বেশী থাকে । এছাড়াও আপনার ডাক্তারকে কিছু প্রশ্ন অবশ্যই জিজ্ঞাসা করবেন , কখন জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি বন্ধ করবেন ? ওভুলেশনের ডেট ক্যালকুলেট করে নিবেন । কি কি উপসর্গ দেখে বুঝবেন যে আপনি প্রেগন্যান্ট ।
0 notes
Photo
New Post has been published on https://paathok.news/38742
বাচ্চা নিতে ইচ্ছুক মায়েদের জন্য অতি জরুরী কিছু পরামর্শ
আমাদের সামাজিক জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো পরিবার।একজন মহিলা ও পুরুষ যখন নতুন সংসার শুরু করে তখন তারা নানা স্বপ্ন দেখে।সন্তান ছাড়া একটি পরিবার সম্পূর্ন হয় না।একটি দম্পতি সংসার শুরু করার পরেই সন্তানের অভাববোধ করেন।এটাই জগতের নিয়ম। কিন্তু একটি সংসারে নতুন অতিথি আসার আগে অনেক প্রস্তুতির প্রয়োজন পড়ে।একটি সুস্থ ও সবল বাচ্চার স্বপ্ন দেখে সব দম্পতিরাই ।তাই স্বপ্নের সূচনা যেন ভালোভাবে হয়, তাহলে স্বপ্নটি পূরণ হবার সম্ভাবনাও বেশী থাকে।
বলা হয়ে থাকে একটি সার্থক গর্ভধারণ,গর্ভধারণ করার আগেই বিভিন্ন প্লানের উপর নির্ভর করে। সব মহিলাই উপকৃত হতে পারেন যদি গর্ভধারণের আগের প্লান সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান থাকে।আসুন জেনে নেওয়া যাক, গর্ভধারণের আগে কি কি প্রস্তুতি নেয়া দরকার।
মানসিক প্রস্তুতি:
আপনি ও আপনার স্বামী যখন গর্ভধারণের চেষ্টা করবেন,তখন মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিবেন, আপনারা এখন সন্তান চান কিনা? সন্তানের দেখভাল করার মত লোকজন ও পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় আছে কিনা? ক্যারিয়ারের গঠনের মাঝে সন্তান নিলে সামলাতে পারবেন কিনা? দু জনের মাঝে ভালো বোঝাপড়া আছে কিনা?মানসিকভাবে বর্তমানে আপনি বিপর্যস্ত কিনা? এই প্রশ্নগুলো নিজেকে করুন।যদি হ্যাঁবাচক উত্তর পান তবে বুঝতে হবে যে আপনি মানসিকভাবে প্রস্তুত।যদি না বাচক উত্তর পান তবে গর্ভধারণের চেষ্টা করার আগে আরও ভালোমতো ভেবে নিন।
আর্থিক প্রস্তুতি : যদিও বলা হয়ে থাকে অর্থই অনর্থের মূল।তারপরও অর্থ ছাড়া জীবন অচল।তাই আপনার পরিবারে কোন নতুন অতিথিকে আনতে চাইলে তার ভবিষ্যতটা যতটা পারেন সুরক্ষিত করার চেষ্টা করবেন।কেননা সন্তান পালন বর্তমান যুগে অনেক ব্যয়সাপেক্ষ।তাই গর্ভধারণ করার ইচ্ছা থাকলে আগে অর্থনৈতিক দিকটাও ভেবে দেখবেন।একটা প্লানও করে নিতে পারেন।একটা ফিক্সড ডিপোজিট অথবা ইন্সুরেন্স করিয়ে নিতে পারেন গর্ভধারণের আগে।এতে আপনার অনাগত সন্তানের ভবিষ্যত সিকিউর থাকবে।এছাড়া একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমানো উচিত্ গর্ভধারণের চেষ্টাকালীন সময়ে।কেননা গর্ভাবস্থায়,বাচ্চা প্রসবকালীন ও বাচ্চা জন্মদানের পরবর্তী অবস্থায় অর্থের দরকার হয়।
শারীরিক প্রস্তুতি:
মেডিকেল চেকআপ :আপনি কি খুব শ্রীঘ্রই বাচ্চা নিতে চাচ্ছেন?যদি বাচ্চা নিতে চান তবে গর্ভধারণের জন্য একটা বিশেষ সময়ের পরিকল্পনা করুন। এরপর মেডিকেল চেকআপ করুন।এতে করে আপনি জানতে পারবেন যে,বাচ্চা নেয়ার জন্য আপনার শরীর প্রস্তুত কিনা? কেনোনা একটি স্বাস্থ্যবান বাচ্চা জন্মদেওয়া একটি সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান মায়ের উপর নির্ভর করে।এজন্য প্রি কন্সেপসন,প্রি প্রেগনেন্সি চেক আপ বা গর্ভধারণ করার আগের চেকআপটা করে নেওয়া উচিত্।কেনোনা কিছু মেডিকেল কন্ডিশন ও জীবনযাত্রার মান গর্ভধারণকে প্রভাবিত করে, এমনকি গর্ভধারণ করার ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করে।
কি কি চেকআপ করাবেন? যদি আপনি সন্তানধারণের চেষ্টা করেন এবং আগে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনার চিকিত্সককে বলুন কবে নাগাদ তা বন্ধ করবেন? সাধারণত গর্ভধারণ করার চেষ্টা করার কিছু মাস আগে থেকেই জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিটি বন্ধ করতে বলেন ডাক্তাররা।আপনার কিছু স্বাভাবিক মাসিক হওয়া দরকার গর্ভধারণের আগে।এতে করে গর্ভধারণ পরবর্তী বাচ্চা প্রসবের সময় নির্ধারণ করতে সুবিধা হয়।
স্বাস্থ্য ও অন্যান্য পরীক্ষা করুন।আপনার কোন রোগ থাকলে তা সারিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন।এমনকি আপনার স্বামীর কোন অসুখ থাকলেও তার চিকিত্সা করাতে হবে।এরপর ডাক্তার আপনার শারীরিক কিছু পরীক্ষা যেমন ,ওজন ,রক্তচাপ ,ও আপনার নিতম্ব স্বাস্থ্যবান কিনা তা পরীক্ষা করবেন।কেননা খুব ছোট ও চাপা নিতম্বে বাচ্চা জন্মের সময় জটিলতা দেখা দেয়।তাই আগে থেকেই পরীক্ষা করা থাকলে প্রসবকালে আপনার ডাক্তার সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন।
এরপর ডাক্তারটা পরীক্ষা করবেন যে,আপনি সন্তান ধারণ করতে পারবেন কিনা?মানে বন্ধ্যা কি না তা পরীক্ষা করেন।অনেক কারণে একটি দম্পতি বন্ধ্যা হতে পারে।মহিলা ,পুরুষ উভয় ই এর জন্য দায়ী হতে পারে।এজন্য যথাযথ পরীক্ষা করে সমস্যা ধরা পড়লে,যার সমস্যা তার চিকিত্সা করাতে হবে।
প্যাপ টেস্ট করাতে হবে,জরায়ুমুখে কোন সমস্যা আছে কিনা তা জানার জন্য।কেনোনা ��কটি সার্থক প্রসব সুস্থ জরায়ু ও গর্ভাশয়ের উপর নির্ভর করে।এছাড়াও ডায়াবেটিস,উচ্চরক্তচাপ আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে।কারণ এইসব অসুখ মারাত্মক সমস্যা করে গর্ভাকালীন ও পরবর্তী সময়ে।তাই গর্ভধারণের আগেই এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করুন ও ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন।এছাড়া HIV ও herpes এই টেস্ট গুলো করা ভালো কেনোনা এগুলো থাকলে গর্ভধারণ করা ঝুকিপূর্ণ।
এছাড়াও আপনি যদি দ্বিতীয় বারের মত মা হতে যান এবং আপনার যদি আগের গর্ভকালীন অবস্থায় নিম্নোক্ত সমস্যা হয়ে থাকে, .বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়া .জন্মের সময় বাচ্চা মরে যাওয়া .অকালে বাচ্চা হওয়া .বাচ্চার শারিরীক গঠনে সমস্যা থাকা
এইসব হয়ে থাকলে পরবর্তী বাচ্চা নেওয়ার সময় আপনাকে আরো সচেতন হতে হবে ও চিকিত্সকের পরামর্শমত গর্ভধারণ করতে হবে।
আপনার ও আপনার স্বামীর পরিবারে কোন জেনেটিক সমস্যার কারণে কারো অসুখ হলে,একজন জেনেটিক কাউন্সিলারের সাথে পরামর্শ অবশ্যই করবেন।
এজমা,ডায়াবেটিস,ডিপ্রেসনের ও অন্যান্য কোন ওসুধ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে গর্ভধারণের চেষ্টা করার সময়ই এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।কেননা এতে সন্তান বিকলাঙ্গ হবার চান্স থাকে।
রুবেলা,চিকেন পক্স এর টিকা আগেই নিয়ে রাখুন।এছাড়া ১৫ বছরের পর সব মেয়েরি টিটি টিকা নেওয়া উচিত্।যে কোন ভ্যাক্সিন নেয়ার কমপক্ষে ১ মাস অপেক্ষা করুন গর্ভধারণের চেষ্টা করার জন্য।
দাঁতের যত্ন নিন।দাঁতের সমস্যা হলে একজন ডেন্টিস্ট কে দেখান।কারণ এটা প্রমাণিত যে দাঁতের মাড়ীতে কোন অসুখ থাকলে কমওজনের ও অকালে জন্ম হয় শিশুর।
একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
আপনার যদি ২৮ দিন অন্তর রেগুলার মাসিক হয় তাহলে মাসিক হওয়ার ১০ তম দিন থেকে ১৮ তম দিনে গর্ভধারণের চেষ্টা করলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে আর যাদের অনিয়মিত মাসিক হয় তারা তাদের সবচেয় কম সময় যেই মাসিক হয় সেই সময়ের সাথে ১৮ বিয়োগ করে ও সবচেয়ে বেশী সময়ে যে মাসিক হয় তার সাথে ১০ বিয়োগ করে তার ওভুলেশন ডেট গণনা করতে পারে ।যেমন কারো যদি ২৬ থেকে ৩১ দিন অন্তর অন্তর মাসিক হয় তাহলে ২৬-১৮=৮ এবং ৩১-১০=২১ অর্থাত্ তার মাসিক হবার ৮তম দিন থেকে ২১ তম দিনে গর্ভধারণের চেষ্টা করলে তা সফল হবার সম্ভাবনা বেশী থাকে ।
এছাড়াও আপনার ডাক্তারকে কিছু প্রশ্ন অবশ্যই জিজ্ঞাসা করবেন , ১.কখন জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি বন্ধ করবেন ? ২.ওভুলেশনের ডেট ক্যালকুলেট করে নিবেন । ৩.কি কি উপসর্গ দেখে বুঝবেন যে আপনি প্রেগন্যান্ট ।
সাধারণত মাসিক না হওয়া ,স্তন বড় হয়ে যাওয়া ,সকালে বমি বমি ভাব হওয়া এগুলো দেখে বুঝা যায় ।এরপর সিউর হওয়ার জন্য প্রেগনেন্সি টেস্ট করাতে হবে ।
আপনার দেখা স্বপ্নটি বাস্তবায়নের জন্য সচেতন হন ।জানুন ।এবং মেনে চলুন ।
0 notes