#বরিশাল জেলা
Explore tagged Tumblr posts
sorkarichakriofficial · 2 years ago
Text
উত্তরা মোটরস লি. (বাজাজ) এ এক্সিকিউটিভ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩
উত্তরা মোটরস লি. (বাজাজ) তাদের প্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্ট সংখ্যক শূন্যপদে এক্সিকিউটিভ/ সিনিয়র এক্সিকিউটিভ-মার্কেটিং ও সেলস (৪ওয়াট এবং ২ওয়াট) নিয়োগের জন্য ৩ জুলাই ২০২৩ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রার্থীকে যেসব কাজের দায়িত্ব পালন করতে হবে– বিক্রয় লক্ষ্য (৪ওয়াট এবং ২ওয়াট) অর্জনের জন্য দায়ী। সম্ভাব্য গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য দায়বদ্ধ। অপারেটিং পরিকল্পনার জন্য বাজারের তথ্য সংগ্রহ,…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
ridikaislamsblog · 3 months ago
Text
অসময়ের অতিবৃষ্টি, বিপদ বাড়াচ্ছে পুবালি বাতাস
Tumblr media
ফলো করুন
ফাইল ছবি: প্রথম আলো
চাঁদপুরে শুক্রবার সারা দিনে ২৮২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এদিন উত্তরের ব্রহ্মপুত্র থেকে শুরু করে পদ্মা অববাহিকার অন্তত ১১ জেলায় বৃষ্টি হয়েছে ১০০ মিলিমিটারের বেশি। বর্ষার এই বিদায়বেলায় খোদ রাজধানীতেও বৃষ্টি ঝরেছে ৭৯ মিলিমিটার। তিন দিন ধরে দেশের বিস্তৃত এলাকাজুড়ে এত প্রবল বৃষ্টির ঘটনাকে ব্যতিক্রম বলছেন আবহাওয়াবিদেরা। এর কারণ হিসেবে অস্বাভাবিক শক্তিশালী পুবালি বাতাস ও মৌসুমি বায়ুকে দায়ী করছেন তাঁরা।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, গত আগস্ট থেকে ওই পুবালি বাতাস অতিমাত্রায় শক্তিশালী আচরণ করছে। ওই বাতাসের সঙ্গে মৌসুমি বায়ুও প্রবল হয়ে উঠেছে। পুবালি বাতাসের সঙ্গে ঘূর্ণি বাতাস যোগ হয়ে তা একেক সময় একেক জেলায় অতি ভারী বৃষ্টি নিয়ে আসছে। এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে এসব এলাকার উজান থেকে আসা ঢল। ফলে এবার রেকর্ড ৯ দফায় দেশের কোথাও না কোথাও বন্যা হয়েছে।
কিছুদিন পরপর অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে আসা ঢলে শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা শহর ডুবে গেছে। এরও আগে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর প্রবল বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। গত এক মাসে দেশের অস্বাভাবিক বৃষ্টি ও বন্যায় বিপদে পড়েছে অন্তত ২০টি ছোট শহর ও জেলা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ বলছে, এমনিতেই এবারের বর্ষা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি শক্তিশালী হয়ে এসেছে। বৃষ্টিও কমপক্ষে ৩০ শতাংশ বেশি হয়েছে। এবারের বর্ষা থাকছেও বেশি সময় ধরে। প্রতিবছর অক্টোবরের শুরুতেই বর্ষা বিদায় নেয়। এবার বর্ষা যেন দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। বিশেষ করে আগস্ট থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বর হয়ে চলতি অক্টোবরে বর্ষা যেন আগ্রাসী রূপ নিয়েছে।
এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা প্রথম আলোকে বলেন, চলমান বৃষ্টি আরও দুই দিন চলতে পারে। তারপর থেমে থেমে বৃষ্টি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলতে পারে। বৃষ্টি বেশি থাকতে পারে রাজধানীসহ দেশের মধ্যাঞ্চলে।
সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণ বলছে, প্রবল বর্ষা আর ভারত থেকে আসা পানির কারণে এবার স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় তিন গুণ বেশিবার বন্যা হয়েছে। এর মধ্যে সিলেটে তিন দফা, ফেনী-কুমিল্লায় তিন দফা, তিস্তাপারে রংপুরে এক দফা, চট্টগ্রামে এক দফা ও সর্বশেষ শেরপুর-নেত্রকোনায় আরেক দফা বন্যা এল। এর বাইরে লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, ঢাকা, পটুয়াখালী, বরিশাল, খুলনা, চাঁদপুর, ময়মনসিংহসহ ২০টি জেলা শহরে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের চারটি জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে আছে। শেরপুর, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ ও জামালপুরের নিম্নাঞ্চলের পর চাঁদপুর, মাদারীপুরসহ দেশের মধ্যাঞ্চলের নিচু এলাকায় পানি জমে গেছে। অমাবস্যার কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে উঁচু জোয়ারে এসব এলাকার চরগুলো ডুবে গেছে।
এ ব্যাপারে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণত গঙ্গা-পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা অববাহিকায় প্রতিবছর একাধিকবার বন্যা হয়। এবার সেখানে বন্যা ও বৃষ্টি কম হয়ে দেশের ছোট ছোট নদ-নদী অববাহিকায় বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। ফেনী, শেরপুর, চাঁদপুর ও সিলেটের মতো ছোট ও মাঝারি জেলায় এ কারণে এবার বন্যা বেশি হচ্ছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর ১১৬টির মধ্যে ৮৫টি পয়েন্টে পানি দ্রুত বাড়ছে। আর ৩১টিতে পানি কমছে। আজও (রোববার) ময়মনসিংহ বিভাগের ভোগাই, কংস, সোমেশ্বরী ও জিঞ্জিরাম নদ–নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবে। তারপর পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে।
1 note · View note
barisalnews · 4 months ago
Text
বরিশাল বিভাগ ও বরিশাল জেলা
বরিশাল বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের একটি প্রধান শহর। এটি বরিশাল বিভাগের অন্তর্গত ও একই সাথে জেলা ও বিভাগীয় সদর ��প্তর। কীর্তনখোলা নদীর তীরে মোগল আমলে স��থাপিত লবণচৌকি গিরদে বন্দর কে কেন্দ্র করে এ শহর গড়ে ওঠে ও ১৮০১ সালে বরিশালে তৎকালীন বাকেরগঞ্জ জেলার সদর দপ্তর স্থাপিত হলে, শহর হিসেবে এর ব্যাপক গুরুত্ব বাড়ে। দেশের খাদ্যশস্য উৎপাদনের একটি মূল উৎস এই বৃহত্তর বরিশাল। বরিশালে একটি নদীবন্দর রয়েছে যেটি দেশের অন্যতম প্রাচীন, দ্বিতীয় বৃহত্তম ও গুরুত্বপূর্ণ একটি নদীবন্দর। ডিজিটাল জনশুমারী ও গৃহগণনা-২০২২ অনুযায়ী বরিশাল আয়তনে দেশের ১০ম এবং জনসংখ্যায় ১২তম বৃহত্তর মহানগর।
0 notes
banglavisiononline · 7 months ago
Link
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি শনিবার (২৫ মে)
0 notes
gyanbitan · 1 year ago
Text
বরিশাল কিসের জন্য বিখ্যাত
বরিশাল কিসের জন্য বিখ্যাত তা জানার জন্য অনেকেই ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকেন। তাদের কথা ভেবে খুব সহজেই তথ্য আহরণের উদ্দেশ্য নিয়ে আজকের পোস্টটি লিখতে শুরু করছি। প্রিয় পাঠক, সঠিক এবং উপযুক্ত তথ্য জানার জন্য সাথেই থাকুন। বাংলাদেশের অনন্য একটি জেলা বরিশাল। শুধু জেলা হিসেবেই নয় বরং একটি বিভাগ হিসেবেও এর আত্মপ্রকাশ অনেক গর্বের। চলুন আমরা মূল আলোচনা শুরু করি। বরিশাল কিসের জন্য বিখ্যাত বরিশাল তার অপরূপ…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
samayeralo · 1 year ago
Text
বরিশাল বাকেরগঞ্জে স্ত্রীকে দিয়ে সাজানো রেপ। কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে এল সাপ
বরিশাল বাকেরগঞ্জে রাসেল বেপারী স্ত্রীক শারমিন আক্তার (২৮) কে বাদী করে সাজানো এক রেপ কেসের আসামি করেন মিরাজ গাজী (৩৩) নামের এক যুবককে মিথ্যা মামলার বর্ণনা বাদী মোসাঃ শারমিন আক্তার(২৮) স্বামী রাসেল বেপারী, পিতা মোঃ হাবিব মোল্লা, মাতা মোসাঃ নাসিমা বেগম, স্থায়ী ঠিকানা, গ্রাম পূর্ব মহেশপুর বাংলাবাজার সংলগ্ন, ডাকঘর বড় পুই য়াউটা, থানা বাকেরগঞ্জ, জেলা বরিশাল। আসামি মোঃ মিরাজ গাজী(৩৩) পিতা বাবুল…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
sattokhoborlive · 2 years ago
Text
গৌরনদীতে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স থেকে ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় লাশবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্সে তল্লাশি চালিয়ে ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। বার্থী বাসস্��্যান্ডে সোমবার সকালে বরিশাল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে এ তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সচালক ও তাঁর সহকারীকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় গৌরনদী মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। বরিশাল জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) কাজ�� ওবায়দুল…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
alibaba1xk · 2 years ago
Text
হেরেছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত মেয়রসহ ১১ কাউন্সিলর প্রার্থী
দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হওয়ায় ১৯ জনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছিল বিএনপি। এর মধ্যে আট জন কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। তবে মেয়রসহ ১১ জন হেরেছেন। পাশাপাশি কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হওয়া জামায়াতের চার জনের মধ্যে একজন নির্বাচিত হয়েছেন। ২৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত হওয়া এই কাউন্সিলর হলেন মনিরুজ্জামান তালুকদার। সোমবার (১২ জুন) রাতে জেলা…
View On WordPress
0 notes
somoysangbad24 · 2 years ago
Text
বিএমপির মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত
সময় সংবাদ রিপোর্টঃ   বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় জেলা পুলিশ লাইনের ড্রিল সেডে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএমপি কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম। সভার শুরুতে বিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের বিবিধ কল্যাণে বিগত মাসের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন পর্যালোচনা এবং চলতি মাসে বিভিন্ন সদস্যদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন কল্যাণমূলক সিদ্ধান্ত নেন পুলিশ…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
cryptonews256 · 2 years ago
Text
ঝালকাঠিতে বিএনপির পথসভা ও প্রচারপত্র বিলি
আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে ঝালকাঠি জেলা বিএনপির উদ্যোগে পথসভা এবং প্রচারপত্র বিলি করা হয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ১০ দফা দাবি আদায়ে বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশে যোগদানের আমন্ত্রণ জানিয়ে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঝালকাঠি জেলা জজকোর্ট এলাকা থেকে প্রচার পত্র বিলি শুরু করে বিএনপি।  প্রচার পত্র বিলি করার সময় উপস্থিত ছিলেন- ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট…
View On WordPress
0 notes
sorkarichakriofficial · 2 years ago
Text
আরএফএল গ্রুপ এ ট্রেইনি এক্সিকিউটিভ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩
আরএফএল গ্রুপ তাদের প্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্ট সংখ্যক শূন্যপদে ট্রেইনি এক্সিকিউটিভ-ডিপো অ্যাকাউন্টস নিয়োগের জন্য ২ জুলাই ২০২৩ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রার্থীকে যেসব কাজের দায়িত্ব পালন করতে হবে– ডিপো/ফ্যাক্টরির সমস্ত নগদ ও ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত লেনদেন বজায় রাখা। গ্রুপ পলিসি অনুযায়ী বিভিন্ন বিলের সময়মত পেমেন্ট চেক করা এবং নিশ্চিত করা। ERP সফ্টওয়্যারে প্রয়োজনীয় অ্যাকাউন্টিং এন্ট্রি পাস করা…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
bangladesh-news-agency · 3 years ago
Text
লঞ্চে আগুন, বরগুনায় নেয়া হলো ৩৩ মরদেহ
লঞ্চে আগুন, বরগুনায় নেয়া হলো ৩৩ মরদেহ
বিএনএ ঝালকাঠি: ঝালকাঠির সুগন্ধ নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে ৩৩ জনের মরদেহ নি��ে বরগুনায় নেয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে বরগুনা জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে বরিশাল থেকে সেখানে নেয়া হয়। বরগুনা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. মেহেদী হাসান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে ঘটনাস্থল থেকে ৩৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ঝালকাঠি হাসপাতালে এবং বরিশাল শের-ই বাংলা…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
barisalnews · 4 months ago
Text
বরিশাল বিভাগ ও বরিশাল জেলা
https://barisalsangbad.com/14466
বরিশাল বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের একটি প্রধান শহর। এটি বরিশাল বিভাগের অন্তর্গত ও একই সাথে জেলা ও বিভাগীয় সদর দপ্তর। কীর্তনখোলা নদীর তীরে মোগল আমলে স্থাপিত লবণচৌকি গিরদে বন্দর কে কেন্দ্র করে এ শহর গড়ে ওঠে ও ১৮০১ সালে বরিশালে তৎকালীন বাকেরগঞ্জ জেলার সদর দপ্তর স্থাপিত হলে, শহর হিসেবে এর ব্যাপক গুরুত্ব বাড়ে। দেশের খাদ্যশস্য উৎপাদনের একটি মূল উৎস এই বৃহত্তর বরিশাল। বরিশালে একটি নদীবন্দর রয়েছে যেটি দেশের অন্যতম প্রাচীন, দ্বিতীয় বৃহত্তম ও গুরুত্বপূর্ণ একটি নদীবন্দর। ডিজিটাল জনশুমারী ও গৃহগণনা-২০২২ অনুযায়ী বরিশাল আয়তনে দেশের ১০ম এবং জনসংখ্যায় ১২তম বৃহত্তর মহানগর।
1 note · View note
abdullahamtali · 3 years ago
Text
Tumblr media
নজরুল: একজন বিপ্লবী ছাত্রনেতা।। ভূমিকা মৃত্যুকে শাসাই-বলি, তোর মরে যাওয়া ভাল, যেমন মরেছে সাদা ঘাসের সকল প্রেম। নিজের লেখা কবিতার মত মৃত্যুকে শাসাতে পারেননি। বরং সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখতে গিয়ে, স্বপ্ন দেখাতে গিয়ে নিজেই একদিন স্বপ্নের দ্রুবতাঁরা হয়ে গেলেন। হা, আমি বরিশাল বিএম কলেজের একজন বিপ্লবী ছাত্রনেতা এবং আপোষহীন সাংবাদিক দৈনিক ইত্তেফাকের বরিশাল সংবাদদাতা নজরুল ইসলামের কথা বলছি। নজরুল একজন ছাত্রনেতা হিসাবে, একজন সাহসী সাংবাদিক হিসাবে ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচন এবং ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধে ছাত্র জনতাকে সংগঠিত করার জন্য, মুক্তির সংগ্রামে সামীল করার জন্য ঘুরে বেড়িয়েছেন গোটা দক্ষিনাঞ্চল। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তখন জাসদ ছাত্রলীগের জয়জয়কার,সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিপ্লবী চেতনায় তরুণ প্রজম���ম উজ্জীবিত। তারুণ্যের এ হাওয়া দক্ষিনাঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও লেগেছিল। এ অঞ্চলের ছাত্র -জনতাকে সমাজ পরিবর্তনের বিপ্লবী আদর্শে উদ্দীপ্ত করার অন্যতম সংগঠক নজরুল। জম্ম ও পারিবারিক জীবন নজরুলের জম্ম ১৯৫৩ সনের ২৯ জুলাই বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার চাওড়া চন্দ্রা গ্রামের এক রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক পরিবারে। বাবা আলী হোসেন হাওলাদার ছিলেন একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি এবং সৌখিন থিয়ে��ার অভিনেতা।তখনকার সময়ে আমতলীর আর্থ-সামাজিক বাস্তবতায় হিন্দু জমিদার,ব্যবসায়ী এবং ধনাঢ্য ব্যক্তিরাই ছিলেন শিল্প-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক এবং এ কারনেই শিল্প-সাংস্কৃতিক অঙ্গন ছিল হিন্দু প্রভাবিত। এরমধ্যেও আমতলীর যে কজন মুসলিম পরিবারের সদস্য শিল্প-সংস্কৃতির সাথে যুক্ত হয়েছিলেন আলী হোসেন হাওলাদার তাদের অন্যতম। তিনি যুক্ত ছিলেন আমতলীর শিল্প সংস্কুতি চর্চার কেন্দ্র বিন্দু নুরজাহান ক্লাব এবং পাকিস্থান আর্টস কাউন্সিলের সাথে। নজরুল ইসলাম ছিলেন বাবা মায়ের ৬ ছেলে এবং ৪ মেয়ের মধ্যে দ্বিতীয়। বড় ভাই শাহজাহান তার সাথেই আমতলী একে হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করে সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে এইচএসসি পড়ছিল এবং সেজভাই শওকত আলী চুন্নুকে ভর্তি করিয়েছিলেন বরিশাল বিএম স্কুলে। কিন্তু নজরুল মারা যাওয়ার পর তারা পালিয়ে আসেন। এমনকি তার মামা আনোয়ার হোসেন আকন বিএম কলেজে অর্থনীতি বিভাগে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে পড়তেন এবং একই রুমে থাকতেন। সেও বরিশাল শহর ছাড়তে বাধ্য হন এবং এক বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। বর্তমানে সে আমতলী সরকারী কলেজে প্রভাষক হিসাবে দায়িত্ব পালন শেষে অবসরে আছেন। নজরুলের ৩ ভাই এবং ৪ বোন রয়েছে। ৪র্থ ভাই মো: মহসীন বরিশাল বিএম কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন করেছেন এবং আমতলীতে আইন ব্যবসা করছেন। সে ১৯৯৭-২০০৩ মেয়াদে চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে এবং বরগুনা জেলা বার এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি (আমতলী) দায়িত্ব পালন করেছেন। ৫ম ভাই মহিউদ্দিন খোকন বরিশাল বিএম কলেজ থেকে হিসাব বিজ্ঞানে অনার্স করেছেন। বর্তমানে চাওড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। নজরুলের ছোট ভাই এ্যাডভোকেট শাহাবুদ্দিন পাননাও বরিশাল বিএম কলেজ থেকে বাংলা সাহিত্যে মাস্টার্স করেন। তার পথ ধরেই দৈনিক ইত্তেফাকে আমতলী উপজেলা সংবাদদাতা হিসাবে কাজ করছে এবং Bangladesh Sangbad Sangstha -BSS, The Bangladesh Observer ও The Daily Observer এর বরগুনা জেলা সংবাদদাতা হিসাবে দীর্ঘদিন কাজ করেছে এবং নজরুলের স্মৃতি রক্ষার্থে প্রতিষ্ঠিত নজরুল স্মৃতি সংসদ-এনএসএস এর নির্বাহী পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে। ৪ বোনের মধ্যে হেলেনা বেগম, জাকিয়া আক্তার বুলা, ইসরাত জাহান কানন আমতলীতেই বসবাস করেন।ছোট বোন ফাইজুন নাহার কিসমতও বরিশাল বিএম কলেজ থেকে সমাজবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স করে বরিশালেই বসবাস করেন। মা রিজিয়া বেগম ৩রা আগস্ট,১৯৯৬ সনে এবং বাবা আলী হোসেন হাওলাদার ৩রা ডিসেম্বর, ২০০০ সনে ইন্তেকাল করেন। শিক্ষা জীবন নজরুলের শিক্ষা জীবন শুরু হয় পারিবারি�� পরিমন্ডল থেকে। প্রাথমিক শিক্ষা পূর্ব পাতাকাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ১৯৬২ সনে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে ১৯৬৩ সনে ৬ষ্ট শ্রেণীতে ভর্তি হন আমতলী একে হাই স্কুলে। ১৯৬৮ সনে নজরুল আমতলী একে হাই স্কুল থেকে মানবিক শাখায় ৫৯৪ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় বিভাগে এসএসসি পাশ করেন। শিক্ষা বর্ষ ১৯৬৬-১৯৬৭, রেজি নং ৫৭১৩, রোল নম্বর ছিল বরগুনা-৩৭৮। ২৪ জুলাই ১৯৬৮ সনে ভর্তি হন প্রাচ্যের অক্সফোর্ট বরিশাল বিএম কলেজে রোল নম্বর ছিল ৬৭৩ সেকশন বি। ১৯৭০ সনে বরিশাল বিএম কলেজ থেকে মানবিক বিভাগ থেকে ৫৩১ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় বিভাগে এইচএসসি পাশ করেন রোল নম্বর ছিল বরি- ৯৫১।১৭ সেপ্টম্বের, ১৯৭০ সনে তৎকালীন অধ্যক্ষ ইমদাদুল হক মজুমদার এবং অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর পরে বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হানিফ এর উৎসাহে অর্থনীতি বিভাগে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে ভর্তি হন। রোল নম্বর ছিল ৬২৮ । রাজনৈতিক জীবন ১৯৬৮ সন। তখন গোটা দেশ
টালমাটাল। একদিকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিরুদ্ধে ফুসে উঠছে ছাত্র-জনতা। অন্যদিকে ১১ দফার ভিত্তিতে জোটবদ্ধ হচ্ছে ছাত্র সংগঠনগুলো। স্কুল জীবন থেকেই আইউব বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত থাকলেও বিএম কলেজে ভর্তি হওয়ার পর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত হয়ে ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। অসাধারণ বক্তৃতা, সাধারণ জীবন-যাপন এবং অত্যন্ত মিশুক প্রকৃতির মানুষটি খুব সহজেই সাধারণ ছাত্র এবং নেতাদের প্রিয়ভাজন হয়ে উঠেন। এই অস্থির সময়ে অনুষ্ঠিত হয় বরিশাল বিএম কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্থান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আসম আবদুর রব স্বাক্ষরিত ২৮ ডিসেম্বর ১৯৬৯ তারিখের চিঠিতে ভিপি খান আলতাফ হোসেন ভুলু, জিএস শংকর চন্দ্র কর্মকার এবং এজিএস হিসাবে নজরুল ইসলামকে মনোনয়ন দেয়া হয় । ছাত্র সংসদ নির্বাচনে আলতাফ-শংকর- নজরুল প্যানেল নির্বাচিত হন এবং নির্বাচনের পরপরই শংকর চন্দ্র কর্মকার উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশের বাইরে গেলে নজরুল জিএস হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে যে প্রগতিশীল অংশ ৬২’র নিউক্লিয়াসের সাথে যুক্ত হয়ে স্বাধীন সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছিলেন বরিশালে এ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্নার নেতৃত্বে নজরুল এই ধারার সাথে যুক্ত হন। ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র জনতাকে সংগঠিত করার জন্য তিনি গোটা দক্ষিনাঞ্চল ঘুরে বেড়ান। ১৯৭০ সনের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর পক্ষে তার ভূমিকা ছিল অসাধারণ।যদিও প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ের কারনে উপকুলীয় অঞ্চলে জাতীয় পরিষদের ৯টি এবং প্রাদেশিক পরিষদের ২১টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭১ সনের ১৭ জানুয়ারী। ১৯৭১ সনের মার্��ের উত্তাল দিনগুলোতে ছাত্র জনতাকে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে নজরুল সাহসী ভূমিকা রাখেন। সারাদেশের মত একাত্তরের উত্তাল দিনগুলোতে বরিশালেও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি চলছিল। এ সময় বিএম কলেজের ছাত্রদের ভুমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ভিতরে ভিতরে সংগঠিত হচ্ছে বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স (বিএলএফ)বা মুজিব বাহিনী । নজরুল তখন বিএম কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত এজিএস এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত জিএস। ছাত্রনেতা আসম ফিরোজ,খান আলতাফ হোসেন ভুলু, এ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্নার সাথে নজরুলও মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রদের সংগঠিত করার ক্ষেত্রে বিএম কলেজ থেকে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেন। একাত্তরের ৩ মার্চ ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহবান করা হলেও হঠাৎ করে ১লা মার্চ বেলা ১টায় রেডিওতে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করলে বেলা ২টায় নজরুলের নেতৃত্বেই বিএম কলেজ থেকে প্রথম প্রতিবাদ মিছিলটি বের হয় । দেশ স্বাধীন হলে অন্যদের মত নজরুলও ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন। ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত হয়ে আবার শুরু করেন ছাত্র রাজনীতি। তখন ছাত্রলীগের আভ্যন্তরীণ বিরোধ প্রায় প্রকাশ্য। ১৯৭২ সনের মে মাসেই মূলত ছাত্রলীগ দুভাগ হয়ে যায়। একদিকে সিরাজুল আলম খানের নেতেৃত্বে আসম আবদুর রব এবং শাজাহান সিরাজ অন্যদিকে শেখ ফজলুল হক মনির নেতৃত্বে নুরে আলম সিদ্দিকী এবং আবদুস কুদ্দুস মাখন। ১৯৭২ সনের ২১-২৩ জুলাই উভয় গ্রুপ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন আহবান করে । রব-সিরাজ গ্রুপ পল্টন ময়দানে এবং নুরে আলম- মাখন গ্রুপ সোহরাওযার্দী উদ্যানে। উভয় গ্রুপের সম্মেলনে প্রধান অতিথি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। যদিও ২১ জুলাই সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সোহরাওযার্দী উদ্যানের সম্মেলন উদ্বোধন করেন ।বরিশালের রাজনীতির পালেও এ হাওয়া লা���ে। আবদুল বারেক, এনায়েত হোসেন চৌধুরী, ডা: আজিজ রহিম, এ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও নজরুল ইসলাম ছাত্রলীগ রব-সিরাজ গ্রুপে যুক্ত হন। পরে নজরুল জাসদ সমর্থিত ছাত্রলীগের বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ১৯৭৩ সনে নজরুল বরিশাল বিএম কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জাসদ সমর্থিত ছাত্রলীগ থেকে নজরুল-জাফর-রফিক পরিষদে ভিপি নির্বাচন করেন। এ নির্বাচনে নজরুল-জাফর-রফিক প্যানেল বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষনা করতে পারেনি। তবে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের হৃদয়ে নজরুল বিএম কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি’র জায়গাটি দখল করে নেন। নজরুল-জাফর-রফিক প্যানেলে জিএস পদে নির্বাচন করেন একেএম রফিকুল ইসলাম জাফর। তার বাড়ি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার বারোগরিয়া গ্রামে।১৯৭১ সনে রণাঙ্গনের সাহসী এই মুক্তিযোদ্ধা ১৯৭৪ সনের ১৭ মার্চ জাসদ কর্তৃক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও কর্মসুচিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এজিএস পদে নির্বাচন করেন গাজী রফিকউদ্দিন আহমেদ। তার বাড়ি বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলা���। তিনি সরকারী কর্মকর্তা হিসাবে অবসর গ্রহণ করে বর্তমানে আমতলীতে ঔষধ ব্যবসার পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ডে যুক্ত আছেন। রাজনৈতিক দর্শন ১৯১৭ সনে রুশ বিপ্লব এবং পরবর্তী সময়ে মার্ক্স-এঙ্গেলস-লেনিন বাদে উজ্জীবিত হয়ে বিশ্বব্যাপী কৃষক শ্রমিক ছাত্র-যুবকরা সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা বির্নিমানের
স্বপ্ন দেখছিল। বন্দুকের নলই সমাজ পরিবর্তনের মূলমন্ত্র স্লোগান দিয়ে ১৯৪৯ সনে চিনে চেয়ারম্যান মাওসেতুং এর সশস্ত্র বিপ্লবের তত্ত্ব, কিউবায় ফিদেল ক্যাস্ত্রো ও চেগুয়েভারার সশস্ত্র বিপ্লব চারু মজুমদার, নকশাল বাড়ি আন্দোলন এবং সমাজ পরিবর্তনের বিপ্লবী আদর্শ দেশে দেশে কৃষক শ্রমিক ছাত্র-যুবকদের ব্যাপক ভাবে অনুপ্রাণিত করে। লাল বই হয়ে উঠে তাদের নিত্য সঙ্গী। ৯ অক্টোবর,১৯৬৭ সনে বলিভিয়ার জঙ্গলে বিপ্লবী চেগুয়েভারাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলে বিপ্লবী চেগুয়েভারাহয়ে উঠে বিপ্লবী ছাত্র- যুবকদের আইডল। সমাজ পরিবর্তনের লক্ষ্যে সশস্ত্র বিপ্লবে ছাত্র-যুবকদের বাধভাংগা জোয়ারের মত এগিয়ে আসার প্রেক্ষাপটে উনবিংশ শতাব্দির প্রথম দিকে জর্জ বার্নাডশ একবার বলেছিলেন, যৌবনে যে প্রেমে পরে না, আর মার্ক্সবাদে দীক্ষা নিয়ে সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখে না-দুজনই অস্বাভাবিক। যৌবনে নজরুলও সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। ১৯৬৮ সনে বিএম কলেজে ভর্তি হয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত হলেও ধীরে ধীরে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে যে প্রগতিশীল অংশ ৬২’র নিউক্লিয়াসের সাথে যুক্ত হয়ে সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে স্বাধীন সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছিলেন। ১৯৭০ সনে বলাকা ভবনে ছাত্র লীগের যে সভায় স্বপন চৌধুরী স্বাধীন বাংলাদেশের প্রস্তাব করছিলেন নজরুলও সে সভায় উপস্থিত ছিলেন এবং জোরালো ভাবে স্বপন চৌধুরীর প্রস্তাব সমর্থন করেছিলেন। নজরুল সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, জাসদের তাত্ত্বিক নেতা সিরাজুল আলম খান এবং ৬২’র নিউক্লিয়াসের অন্যতম নেতা কাজী আরেফ আহমেদের অত্যন্ত ঘনিষ্ট ছিলেন এবং তাদের অনুপ্রেরণায় নজরুল সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন এবং মার্ক্স-এঙ্গেলস-লেনিনবাদে উজ্জীবিত হন। চেয়ারম্যান মাওসেতুং, ফিদেল ক্যাস্ত্রো, এন্থনী গ্রামসী, হো চি মিন এবং চেগুয়েভারার বিপ্লবী আন্দোলন তাকেও ব্যাপকভাবে আকৃষ্ট করে। অন্যদিকে নজরুলের ঘনিষ্ট বন্ধু সদরুল আলম ভূইয়া ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী এবং তাত্বিক নেতা। সদরুলও অর্থনীতি বিভাগে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে পড়তেন এবং যতদুর জানা যায় তার বাড়ি ফেনি জেলার দাগনভুইয়া উপজেলায়। সদরুল জাসদ সমর্থিত ছাত্রলীগের বরিশাল জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। সমরেশ কুমার মৃধা ছাত্রলীগের বরিশাল জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন। রসায়ন বিভাগে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে পড়তেন । তার বাড়ি পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলায়। সদরুল প্রচার বিমূখ এবং নিভৃতচারী হলেও তার বিপ্লবী আদর্শ নজরুলকে মারাত্মক��াবে প্রভাবিত করে। নজরুল মনে প্রাণেই বিশ্বাস করতেন দেশ স্বাধীন হলেও বিদ্যমান পুজিবাদী সমাজ ব্যবস্থায় শ্রেণী বৈষম্য টিকিয়ে রেখে কোনভাবেই কৃষক- শ্রমিক-মেহনতি মানুষের মুক্তি আসবে না। এ প্রক্রিয়ায় রার্ষ্ট্রীয় সম্পদ লুন্ঠন বাড়বে, শোষন বৈষম্য বাড়বে, ধনী আরো ধনী হবে। দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থনেতিক মুক্তির জন্য প্রয়োজন কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে একটি সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ।তবে নজরুল সশস্ত্র বিপ্লবের চেয়ে গণসংগ্রামকে বেশী গুরুত্ব দিতেন । সাহিত্য-শিল্প সংস্কৃতি ১৯ শতকের প্রথমার্ধের কবি সাহিত্যিক Théophile Gautier তার উপন্যাস Miss Mopin এর মুখবন্ধে L’art pour L’art কিংবা Art for Art’s sake শিল্পদর্শন তুলে ধরেন এবং Walter Peter, Oskar Wild, Arther Simon. Edgar Allan Poe এর মত ফরাসী ও ইংল্যান্ডের বিখ্যাত কবি সাহিত্যিকরা এ শিল্প দর্শন অনুসরণ করলেও নজরুল কখনো এ শিল্প দর্শনে বিশ্বাস করতেন না। মার্কসীয় ভাষায় সংস্কৃতি উপরিকাঠামো (Super stucture) এবং এন্থনী গ্রামসী, পাবলো নেরুদা, জর্জ বার্ণাডশ, পাবলো পিকাসো, জন লেনন, বব ডিলান, কাজী নজরুল ইসলাম,সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, মানিক বন্দোাধ্যায়, সুকান্ত ভট্টাচার্য , পাওলো ফ্রেইরী, মাইকেল এঞ্জেলো ও নোয়াম চমস্কিসহ আধুনিক চিন্তাাবিদ, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী সাহিত্যিক ,সমাজ বিজ্ঞানীদের ভাষায় সংস্কৃতি হচ্ছে সমাজ বদলের অন্যতম হাতিয়ার। নজরুল রাজনৈতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি গল্প, প্রবন্ধ এবং কবিতার মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন, বাঙালী জাতির স্বপ্ন ও মুক্তির আকাঙ্খা তুলে ধরেন। নজরুল অনেকটা পাবলো নেরুদা, মানিক বন্দোপাধ্যায়,কাজী নজরুল ইসলাম এবং সুকান্ত ভট্টাচার্য দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন। তার লেখা প্রবন্ধ কবিতা বিএম কলেজের বার্ষিক ম্যাগাজিনসহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। আমতলী থেকে প্রকাশিত সৃষ্টি সুখের উল্লাসে, শোক নয় শক্তি’র কয়েকটি সংখ্যায় তার কবিতা এবং ছোট গল্প প্রকাশিত হয়েছে । যদিও নজরুলের লেখা ১৮টি গল্প ও কবিতার বই, ১০টি ডায়রীর কোন হদিস পাওযা যায়নি । নজরুল একাধারে ছাত্রনেতা,-সাহিত্যিক ও সংস্কৃতি মনা একজন মানুষ । অবসর সময়ে বসতেন হারমোনিয়াম তবলা নিয়ে। সবাইকে নিয়ে গাইতেন দেশের গান, নজরুল-রবীন্দ্র সঙ্গীত। তার প্রিয় গান জাতীয় সঙ্গীতের পুরোটা, ডিএল রায়ের ধনধান্য পুষ্পভরা ও কবিগুরু রবীন্ত্রনাথ
ঠাকুরের আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণ ধূলার পরে। দরাজ গলায় সবাইকে নিয়ে আবৃত্তি করতেন কারার ঐ লোহ কপাট ভেংগে ফেল কররে লোপাট রক্ত জমাট শিকল পুজার পাষান বেধী, সুকান্তের বিপ্লব স্পন্দিত বুকে মনে হয় আমিই লেনিন।ফটোগ্রাফিতে ছিল নজরুলের প্রচন্ড শখ এবং অসাধারণ দক্ষতা। তার তোলা অসংখ্য ছবি দৈনিক ইত্তেফাকে গুরুত্ব সহকারে ছাপা হয়েছে। সাংবাদিকতা ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি নজরুল লেখালেখি করতেন এবং জড়িয়ে পরেন সাংবাদিকতায়। নজরুল বিশ্বাস করতেন, শোষিত বঞ্চিত মানুষের দু:খ কষ্টের কথা তুলে ধরে সমাজের শোষন বঞ্চনার বিরুদ্ধে মানুষকে জাগিয়ে তুলতে হবে।তিনি মনে করতেন, রণাঙ্গনের হাতিয়ারের মত লেখনিও রুখবে পাকিস্থানী হানাদার আর দেশীয় দোসরদের। ১৯৬৮ সনের শেষ দিকে ইত্তেফাকের বরিশাল সংবাদদাতা ও বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম উচ্চ শিক্ষার জন্য বরিশাল ত্যাগ করলে নজরুল ইসলাম ইত্তেফাকের বরিশাল সংবাদদাতা হিসাবে যোগদান করেন। ১৯৭০ সনের ১২ নভেম্বরের প্রয়লংকারী বন্যায় সাংবাদিক হিসাবে নজরুল উপকুলের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কথা তুলে ধরেন��বং ১৯৭১ সনে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৯ নং সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব:) এম.এ জলিলের সাথে থেকে রণাঙ্গনের সংবাদ সংগ্রহ করেন। ইত্তেফাক তখন অনিয়মিত প্রকাশনা থাকায় বিভিন্ন সংবাদপত্রে তা প্রকাশ করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দৈনিক ইত্তেফাকের বরিশাল জেলা সংবাদদাতা হিসাবে কর্মরত ছিলেন এবং বরিশাল প্রেসক্লাবের সদস্য ছিলেন। বরিশাল প্রেসক্লাব প্রতি বছর ১৯ জুন স্বজন স্মরণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নজরুলসহ হারিয়ে যাওয়া সাংবাদিকদের স্মরণ করেন, শ্রদ্ধা জানান। মৃত্যু ১৯৭৩ সনের ১০ আগস্ট রাত অনুমান ১০ টা। বাইরে ঘুট ঘুটে অন্ধকার, অল্প অল্প বৃষ্টি হচ্ছে। একজন পরিচিত যুবক সদরুল আপনাকে ডাকে বলে বিএম কলেজের ডিগ্রী হোস্টেলের ২০৫ নম্বর রুম থেকে নজরুলকে ডেকে নিয়ে গেলেন। নজরুলের কথা বলে ইন্টারমিডিয়েট (মুসলিম ) হোস্টেল থেকে সদরুলকে এবং কলেজ রোড থেকে সমরেশকে ডেকে নিয়ে একদল দুস্কৃতিকারী তাদেরকে গুম করে। যদিও কেউ কেউ বলেন ঐদিন রাত ৮ টার স্টীমারে সদরুলের নোয়াখালী যাওয়ার কথা। তাকে স্টীমার থেকেই ধরে নিয়ে আসা হয় । একটি প্যারাসিটামল ও বা পায়ের স্যান্ডেল ১১ আগস্ট সকাল ১০ টা। ক্যাম্পাস বা কেন্টিনে না পেয়ে হঠাৎ করেই নজরুলের খোজ পরে। ক্যাম্পাস থেকে বন্ধু বান্ধব, কলেজ কর্তৃপক্ষ, রাজনৈতিক ও সাংবাদিক মহলে জানাজানি হলে সবাই ছুটে আসেন বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে । অধ্যক্ষ ইমদাদুল হক মজুমদার বার বার মাইকে উত্তেজিত ছাত্র-জনতাকে শান্ত হওয়ার আশ্বাস দিলেও পরিস্থিতি ক্রমশ অশান্ত হতে থাকে ।এরমধ্যে খবর আসে নতুল্লাবাদ বাস স্টান্ডের কাছে একটি চামরার স্যান্ডেল ও একটি প্যারাসিটামল ট্যাবলেট পাওয়া গেছে । উত্তেজিত ছাত্র-জনতা ছুটে যান নতুল্লাবাদ । নজরুলের মামা আনোয়ার হোসেন আকন সনাক্ত করেন স্যান্ডেলটি নজরুলের।গ্যাসট্রিকের সমস্যা থাকায় নজরুল প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খেতেন। ঐদিন রাতেও খাওয়ার জন্য একটি ট্যাবলেট হাতে নিয়েছিলেন । কিন্তু পরিচিত এক যুবকের ডাকে না খেয়ে ট্যাবলেট হাতে নিয়েই বের হয়েছিলেন। নজরুল -সদরুল -সমরেশকে না পেয়ে মিছিল স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠে বিএম কলেজ ক্যাম্পাস।কান্নায় ভেংগে পরেন ছাত্র -ছাত্রীসহ সাধারণ মানুষ প্রিয় নেতা হারানোর আশংকায় ছাত্র-জনতার উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে গোটা বরিশাল শহরে। শুধু বিএম কলেজ কিংবা বরিশাল শহর নয়, নজরুল-সদরুল-সমরেশ ছিল তখনকার সময়ে দক্ষিনাঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের মুখে সবচেয়ে উচ্চারিত নাম।
1 note · View note
samayeralo · 2 years ago
Text
তুচ্ছ ঘটনায় আওয়ামী লীগ কর্মীকে কুপিয়ে যখন
সংগৃহীত প্রকাশ: শনিবার, ১৭ ই মার্চ ২০২৩ ইং, ০৪:৪০পিএম, অনলাইন সংস্করণ বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধ পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে মিন্টু মৃধা(৪০) নামক এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করা হয় বরিশাল জেলা বাকেরগঞ্জ থানার অন্তর্গত ১২ নং ইউনিয়নের বিহারী পুর গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী মোঃ মিন্টু মীরদা কে কুপিয়ে জখম করেন দুর্বৃত্তরা সূত্রে জানা যায় বরিশাল জেলা বাকেরগঞ্জ থানা ১২ নং রঙ্গশ্রী…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
muhibd · 4 years ago
Text
পটুয়াখালী দক্ষিনাঞ্চলের অর্থনৈতিক রাজধানী
১৯৬৯ সালের ০১ জানুয়ারী প্রতিষ্ঠিত পটুয়াখালী বাংলাদেশের অন্যতম প্রসিদ্ধ একটি জেলা। প্রাচীন চন্দ্রদ্বীপের রাজধানী ছিলো পটুয়াখালী। জেলার নামকরণ নিয়ে বিভিন্ন মত থাকলেও পটুয়ার খাল থেকে পটুয়াখালী শব্দের উৎপত্তিকে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ধরা হয়। বরিশাল বিভাগের অন্তর্গত নয়টি উপজেলা ও পাঁচটি পৌরসভার সমন্বয় গঠিত এই জেলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। পটুয়াখালীর বুক চিরে বয়ে গেছে অনেকগুলো ছোট বড় নদী। পায়রা, বিশখালী, লাউকাঠী, লোয়ালিয়া, কাজল, আগুনমুখা আর কত কিযে নাম। নদীতে ঢেউয়ের তালে তালে পাল তোলা নৌকার ছুটে চলা, খেয়া পারাপার, জেলেদের মাছধরা সবই আছে এখানে। আছে সমুদ্রে আছরে পরা নদীর মোহনার কোল ঘেষে অসংখ্য ছোট বড় দ্বীপ চর, দখিনা ঢেউ খেলানো দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ, রাখালের বাশির সুর, কৃষকের ভাটিয়ালি টান। বিশ্বের শ্রেষ্ট ম্যানগ্রভ বনাঞ্চল সুন্দরবনের অংশও আছে এখানে। এছাড়াও ছোট বড় কৃত্রিম অকৃত্রিম বনাঞ্চলতো আছেই। পটুয়াখালীর প্রধান আকর্ষণ সূর্য উদয় অস্তের সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। অতিথি পা��িদের আনাগোনায় ভরপুর সৈকত সমৃদ্ধ কৃত্রিম ম্যানগ্রভের সোনারচরও কম আকর্ষণীয় নয়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি পটুয়াখালী ইতিহাস ঐতিহ্যেও সমৃদ্ধ। পটুয়াখালীর বাউফলে ছিল প্রাচীন চন্দ্রদ্বীপের রাজধানী শহর, কেচ্ছা কাহিনীর সেই আলোচিত কমলা রানীর দিঘী ও কানাই বলাইর দিঘী। মির্জাগঞ্জের মজিদবাড়িয়া শাহী মসজিদ হলো মোঘল আমলের নিদর্শন। এছাড়াও আছে কিছু পুরানো ছোট বড় জমিদার বাড়ি ও বৌদ্ধ বিহার। ঐতিহ্যগত প্রাচীন কালাইয়া বন্দর যাকে রিচেস হাট বলা হয়। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা বিপ্লবী সত্যেন সেনের বাড়ি পটুয়াখালী। এখানে শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের পৈতৃক নিবাস  ও মহাত্মা অশ্বিনী কুমারের জন্ম। দক্ষিণ অঞ্চলের সুপরিচিত আধ্যাত্মিক সুফী সাধক ইয়ারউদ্দিন খলিফা রহঃ সাহেব ছিলেন পটুয়াখালীর মানুষ। পটুয়াখালী একটি সুন্দর শহর। তিন দিকে নদী বেষ্টিত সবুজ গাছপালা সমৃদ্ধ নির্মল বাতাস আর যানযট মুক্ত এই শহরটি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বসবাস উপযোগী শহর। ১৮৭১ সালে শহরের গোড়াপত্তন হলেও ১৮৯২ সালে পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে পটুয়াখালী শিক্ষা চিকিৎসা ক্ষেত্রে দেশের দক্ষিনাঞ্চলের মধ্যে উন্নত একটা জেলা। এখানে আছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি মেডিকেল কলেজ, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হসপিটাল(৫০০ শয্যা প্রস্তাবিত), সরকারি পলিটেকনিক কলেজ, সরকারি কলেজসহ অনেকগুলো স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, হসপিটাল ও ক্লিনিক। এছাড়াও আছে নির্মানাধীন ক্যাডেট কলেজ। প্রস্তাবিত মেরিন একাডেমি। পটুয়াখালীতে আছে কোস্টগার্ডের ট্রেনিং সেন্টার সিজি বেইজ অগ্রযাত্রা, নির্মানাধীন শেখ হাসিনা ক্যান্টনমেন্ট, শেরেবাংলা নৌঘাটি, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মেগা প্রজেক্ট পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর। এছাড়াও আছে নির্মানাধীন পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ ছোট বড় চারটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। পটুয়াখালী অর্থনৈতিকভাবে একটি সম্ভাবনাময় জেলা। নির্মিত, নির্মানাধীন ও প্রস্তাবিত অনেকগুলো ব্রীজ নদী বিধৌত এই অঞ্চলের সম্ভাবনা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। এখানে সরকার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণা করেছে৷ ভবিষ্যতে পটুয়াখালী হবে অর্থনৈতিকভাবে একটি সমৃদ্ধশালী জেলা। প্রধানমন্ত্রীর কথায় দক্ষিণ অঞ্চলের অর্থনৈতিক রাজধানী। 
1 note · View note