#বরকত
Explore tagged Tumblr posts
Text
'অনুপমা' নিয়ে হয়তো আরও একবার বিরক্ত হবেন বাআ
‘অনুপমা’ নিয়ে হয়তো আরও একবার বিরক্ত হবেন বাআ
অনুপমা আসন্ন স্পয়লার: রূপালী গাঙ্গুলী এবং গৌরব খান্না অভিনীত বর্তমান ‘অনুপমা’ টিআরপি রেকর্ডের শীর্ষে রয়েছে। বর্তমানের স্বাতন্ত্র্যসূচক বাঁক এবং বাঁক অনুগামীদের আটকে রাখে। এই পর্বে, বর্তমানের আসন্ন পর্বের মধ্যে খুব আকর্ষণীয় টুইস্ট ফিরে আসতে চলেছে, যা আপনার চোখকে বড় খোলা যেতে পারে। অনুপমা আপকামিং স্পয়লার এখন পর্যন্ত আপনি হয়তো ‘অনুপমা’-তে দেখেছেন যে নতুন বছরের শুরুটা হয়েছে দারুণ লড়াই আর…
View On WordPress
0 notes
Text
0 notes
Video
youtube
মহানবী সা বলেছেন, মেয়েশিশু বরকত প্রাচুর্য ও কল্যাণের প্রতীক #motivatio...
0 notes
Text
আল-কোরআনের বয়ানে ফিলিস্তিন
youtube
youtube
youtube
ফিলিস্তিনের ভূমি একটি অত্যন্ত বরকতময় এবং পুণ্যময় স্থান। এই ভূমি ঐশী বাণী ও নবুয়তের উৎসস্থল ও ফোয়ারা। এই ভূমিতে অনেক নবী-রাসুল এসেছেন। এই সেই ভূমি, যেখান থেকে মেরাজের শুরু এবং শেষ হয়েছে, এটি আসমানের প্রবেশদ্বার।
আল্লাহ তাআলা ফিলিস্তিনের ভূমিকে পুণ্য ও বরকতময় ভূমিতে পরিণত করেছেন।
(সুরা : আল ইসরা, আয়াত : ১)
ইমাম ইবনে জারির আত তাবারি (রহ.) বলেন : এখানে অনন্ত ও অসীম কল্যাণ ও বরকত থাকবে।
(তাফসিরে তাবারি, খণ্ড ১৪, পৃষ্ঠা ৪৪৮)
আবার কেউ কেউ বলেছেন : বরকতের অর্থ হলো এখানকার নদ-নদী, ফল-ফলাদি, নবী-রাসুল ও ওলিকুল। (ইরাবুল কোরআন, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১৯৭)
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, যে ভূমি সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আমি তার চারপাশকে বরকতময় করেছি’ (আল ইসরা, আয়াত-১) তা দ্বারা ফিলিস্তিন ও জর্দান উদ্দেশ্য।(ফাজায়িলু বাইতিল মাকদাস, পৃষ্ঠা ৪৪১)
উল্লেখ্য, হাদিসে ‘সিরিয়া বা শাম’ বলে যে ভূখণ্ডের কথা বলা হয়েছে তার ভৌগোলিক সীমানা সাম্প্রতিক বিভাজনের প্রেক��ষাপটে সিরিয়া বলতে ফিলিস্তিন, বর্তমান সিরিয়া, জর্দান ও লেবানন অঞ্চল উদ্দেশ্য।
কোরআনে পাঁচ স্থানে ফিলিস্তিনের ভূমিকে পুণ্য ও বরকতময় ভূমি বলা হয়েছে। তার মধ্যে এক আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আর যাদের দুর্বল মনে করা হতো, আমি তাদের সেই দেশের পূর্ব ও পশ্চিমের উত্তরাধিকারী বানালাম, যেথায় আমি বরকত নাজিল করেছিলাম এবং বনি ইসরাঈলের ব্যাপারে তোমার প্রতিপালকের শুভ বাণী পূর্ণ হলো, যেহেতু তারা সবর করেছিল; আর ফিরাউন ও তার সম্প্রদায় যা কিছু বানাত ও যা কিছু চরাত, তা সব আমি ধ্বংস করে দিলাম।’
(সুরা : আল-আরাফ, আয়াত : ১৩৭)
পবিত্র ভূমি
‘আরদে মুকাদ্দাস’ মানে হলো পবিত্র ভূমি।
আল্লামা রাগিব ইস্পাহানি (রহ.) বলেন : বায়তুল মাকদিস হলো শিরক ও কুফর থেকে পবিত্র স্থানের নাম।
(তাফসিরে রাগিব ইস্পাহানি, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৬৩৬)
আল্লামা যুজাজ (রহ.) বলেন : পবিত্র ভূমি বলতে দামেস্ক, ফিলিস্তিন এবং জর্দানের কিছু অংশকে বোঝানো হয়েছে। (মাআনিল কোরআন, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১৬২)
আল্লামা তাকি উসমানি (দা.বা.) বলেন : ‘পবিত্র ভূমি’ দ্বারা শাম ও ফিলিস্তিন অঞ্চলকে বোঝানো হয়েছে। আল্লাহ তাআলা নবী-রাসুল পাঠানোর জন্য এ ভূমিকে বেছে নিয়েছিলেন। তাই একে ‘পবিত্র ভূমি’ বলা হয়েছে।(তাফসিরে তাওযীহুল কোরআন, পৃষ্ঠা ৩৩৪)
হাশরের ভূমি
আল্লাহ তাআলা ফিলিস্তিনের ভূমিকে ‘হাশরের ভূমি’ বলেছেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন : ‘তিনিই কিতাবের অধিকারীদের মধ্যে যারা কাফির তাদের প্রথম সমাবেশেই তাদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেছেন।’
(সুরা : আল হাশর, আয়াত : ২)
এখানে ‘প্রথম সমাবেশ’ বলতে শাম দেশে এই ইহুদিদের সমবেত হওয়াকে বোঝানো হয়েছে, যখন নবী কারীম (সা.) মদিনা থেকে বনু নাজিরকে নির্বাসিত করেছিলেন। (তাফসিরে তাবারি, খণ্ড ২৩, পৃষ্ঠা ২৬২)
আল্লামা জুহরি (রহ.) থেকে বর্ণিত যে প্রথম সমবেতভাবে পৃথিবীতে তাদের নির্বাসন হয়েছিল শামের ভূমিতে। (প্রাগুক্ত)
কোনো বিশেষণ ছাড়াই ফিলিস্তিনের আলোচনা
কোরআনের অনেক জায়গায় ফিলিস্তিনের ভূমির কথা কোনোরূপ বিশেষণ ছাড়াই বলা হয়েছে। এক আয়াতে এসেছে, ‘আমি (আল্লাহ) কিতাবে মীমাংসা দান করে বনি ইসরাঈলকে অবহিত করেছিলাম, তোমরা পৃথিবীতে দুবার বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং ঘোর অহংকার প্রদর্শন করবে।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৪)
আল্লামা শাওকানী (রহ.) এই আয়াতের তাফসিরে বলেছেন যে এখানে ‘পৃথিবী’ বলতে শাম ও বায়তুল মাকদিসকে বোঝানো হয়েছে। (ফাতহুল কাদীর, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ২৪৯)
অন্য আয়াতে এসেছে, শপথ ‘তীন’ (ডুমুর) ও ‘জায়তুন’ (জলপাই) বৃক্ষের এবং সিনাই প্রান্তরস্থ তুর পর্বতের। (সুরা : আত ত্বিন, আয়াত : ১, ২)
অধিকাংশ তাফসিরবিশারদ বলেন : এখানে ‘তীন’ ও ‘জায়তুন’ দ্বারা সে স্থান বোঝানো হয়েছে, যেখানে এ বৃক্ষ প্রচুর পরিমাণ উৎপন্ন হয়। আর সে স্থান হচ্ছে শাম দেশ ও ফিলিস্তিন, যা নবীদের আবাসভূমি। (আদ দুররুল মানসুর, খণ্ড ৮, পৃষ্ঠা ৫৫৪)
ফিলিস্তিনের কতিপয় অঞ্চলের বিবৃতি
কোরআনে ফিলিস্তিনের কতিপয় এলাকার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে, উদাহরণস্বরূপ—
১. এবং আমি মরিয়মের পুত্র ও তার মাকে (অর্থাৎ ঈসা ও মরিয়ম আলাইহিমাস সালামকে) বানিয়েছিলাম এক নিদর্শন এবং তাদের এমন এক উচ্চভূমিতে আশ্রয় দি��়েছিলাম, যা ছিল শান্তিপূর্ণ এবং যেখানে প্রবাহিত ছিল স্বচ্ছ পানি।
(সুরা : আল মুমিনুন, আয়াত : ৫০)
এখানে ‘উচ্চভূমি’ দ্বারা ‘রামলাহ’ উদ্দেশ্য, যা ফিলিস্তিনের একটি অঞ্চলের নাম। (তাফসিরে তাবারি, খণ্ড ১৭, পৃষ্ঠা ৫৩)
��. অতঃপর এই ঘটল যে মরিয়ম সেই শিশুকে গর্ভে ধারণ করল (এবং যখন জন্মের সময় কাছে এসে গেল) তখন সে তাকে নিয়ে দূরে এক নিভৃত স্থানে চলে গেল।
(সুরা : মারইয়াম, আয়াত : ২২)
মুফাসসিররা এ আয়াতের ব্যাখ্যা করেছেন যে মরিয়ম (আ.) গর্ভবতী হলে দূরবর্তী স্থানে চলে যান। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন : তিনি আল আকসা উপত্যকায় গিয়েছিলেন আর এটিই হলো ‘বেথলেহেম’। ‘বেথলেহেম’ এবং ‘ইলিয়া’ এর মধ্যে চার মাইল দূরত্ব রয়েছে। আর ‘ইলিয়া’-এর অপর নাম হলো বায়তুল মাকদিস। (তাফসিরে তাবারি, খণ্ড ১৫, পৃষ্ঠা ৪৯২)
৩. এবং (সেই কথাও স্মরণ করো) যখন আমি বলেছিলাম, এই জনপদে প্রবেশ করো এবং তার যেখান থেকে ইচ্ছা প্রাণভরে খাও। আর (জনপদের) প্রবেশদ্বার দিয়ে নতশিরে প্রবেশ করবে আর বলতে থাকবে, (হে আল্লাহ!) আমরা আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। (এভাবে) আমি তোমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করব এবং পুণ্যবানদের আরো বেশি (সওয়াব) দেব। (সুরা : আল বাকারা, আয়াত : ৫৮)
এই জনপদের ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কে আলেমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ আলেমদের মতে, এখানে ‘জনপদ’ মানে বায়তুল মাকদিস।
(আদ দুররুল মানসুর, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১৭২)
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত : এখানে ‘দরজা’ বলতে বায়তুল মাকদিসের ‘বাবে হুত্তা’ উদ্দেশ্য।
(তাফসিরে তাবারি, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১০৩)
৪. অতঃপর তালুত যখন সৈন্যদের সঙ্গে রওনা হলো, তখন সে (সৈন্যদের) বলল, আল্লাহ একটি নদীর দ্বারা তোমাদের পরীক্ষা করবেন। (সুরা : আল বাকারা, আয়াত : ২৪৯)
ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন যে এখানে নদী বলতে জর্দান ও ফিলিস্তিনের মধ্যবর্তী নদীকে বোঝানো হয়েছে।
(আদ দুররুল মানসুর, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৭৫৯)
৫. একদিন যখন তারা পিঁপড়ার উপত্যকায় পৌঁছাল, তখন এক পিঁপড়া বলল, ওহে পিঁপড়ারা! নিজ ঘরে ঢুকে পড়ো, পাছে সুলাইমান ও তার সৈন্যরা তাদের অজ্ঞাতসারে তোমাদের যাতে পিষে না ফেলে।
(সুরা : আন নামল, আয়াত : ১৮)
ইমাম রাজি (রহ.) বলেন : এখানে ‘পিঁপড়ার উপত্যকা’ দ্বারা ‘শামের উপত্যকা’কে বোঝানো, যেখানে পিঁপড়ার আধিক্য বেশি আর এটি ‘আসকেলন (Ashkelon)’ উপত্যকার আশপাশে অবস্থিত।
(মাফাতিহুল গায়েব, খণ্ড ২৪, পৃষ্ঠা ৫৪৮)
এই পবিত্র ভূমি, যার পবিত্রতা ও বরকত পবিত্র কোরআনে বারবার বলা হয়েছে, মুসলমান হিসেবে যার উত্তরাধিকার পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ভূমি মুসলমানদের দ্বারা অত্যন্ত বরকতময় ও পবিত্রতার আবরণে শাসিত হয়েছে; কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে আমরা আমাদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ভুলে গেছি, যার কারণে ইসরায়েলের অপবিত্র ইহুদিরা এই পবিত্র ও পুণ্য ভূমি জবরদখল করে এখানকার মুসলিমদের ওপর বর্বর ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞ এবং হামলা চালাচ্ছে। সারা বিশ্বের মুসলমানদের উচিত এর পবিত্রতা বুঝে এই পবিত্র স্থানটি পুনরুদ্ধারের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা। আল্লাহ তাআলা ফিলিস্তিন মুসলিমদের হেফাজত করুন ও বিজয় দান করুন। আমিন।
আল-কোরআনের বয়ানে ফিলিস্তিন
Palestine in the Quran
ফিলিস্তিন কোরআনে
#আল-কোরআনের বয়ানে ফিলিস্তিন#Palestine in the Quran#ফিলিস্তিন কোরআনে#Palestine#ফিলিস্তিন#আলকোরআনেফিলিস্তিন#বায়তুলমাকদিস#আলআকসা#প্যালেস্টাইন#BaitulMaqdis#AlAqsa#Youtube
1 note
·
View note
Text
আল-কোরআনের বয়ানে ফিলিস্তিন
youtube
youtube
youtube
ফিলিস্তিনের ভূমি একটি অত্যন্ত বরকতময় এবং পুণ্যময় স্থান। এই ভূমি ঐশী বাণী ও নবুয়তের উৎসস্থল ও ফোয়ারা। এই ভূমিতে অনেক নবী-রাসুল এসেছেন। এই সেই ভূমি, যেখান থেকে মেরাজের শুরু এবং শেষ হয়েছে, এটি আসমানের প্রবেশদ্বার।
আল্লাহ তাআলা ফিলিস্তিনের ভূমিকে পুণ্য ও বরকতময় ভূমিতে পরিণত করেছেন।
(সুরা : আল ইসরা, আয়াত : ১)
ইমাম ইবনে জারির আত তাবারি (রহ.) বলেন : এখানে অনন্ত ও অসীম কল্যাণ ও বরকত থাকবে।
(তাফসিরে তাবারি, খণ্ড ১৪, পৃষ্ঠা ৪৪৮)
আবার কেউ কেউ বলেছেন : বরকতের অর্থ হলো এখানকার নদ-নদী, ফল-ফলাদি, নবী-রাসুল ও ওলিকুল। (ইরাবুল কোরআন, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১৯৭)
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, যে ভূমি সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আমি তার চারপাশকে বরকতময় করেছি’ (আল ইসরা, আয়াত-১) তা দ্বারা ফিলিস্তিন ও জর্দান উদ্দেশ্য।(ফাজায়িলু বাইতিল মাকদাস, পৃষ্ঠা ৪৪১)
উল্লেখ্য, হাদিসে ‘সিরিয়া বা শাম’ বলে যে ভূখণ্ডের কথা বলা হয়েছে তার ভৌগোলিক সীমানা সাম্প্রতিক বিভাজনের প্রেক্ষাপটে সিরিয়া বলতে ফিলিস্তিন, বর্তমান সিরিয়া, জর্দান ও লেবানন অঞ্চল উদ্দেশ্য।
কোরআনে পাঁচ স্থানে ফিলিস্তিনের ভূমিকে পুণ্য ও বরকতময় ভূমি বলা হয়েছে। তার মধ্যে এক আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আর যাদের দুর্বল মনে করা হতো, আমি তাদের সেই দেশের পূর্ব ও পশ্চিমের উত্তরাধিকারী বানালাম, যেথায় আমি বরকত নাজিল করেছিলাম এবং বনি ইসরাঈলের ব্যাপারে তোমার প্রতিপালকের শুভ বাণী পূর্ণ হলো, যেহেতু তারা সবর করেছিল; আর ফিরাউন ও তার সম্প্রদায় যা কিছু বানাত ও যা কিছু চরাত, তা সব আমি ধ্বংস করে দিলাম।’
(সুরা : আল-আরাফ, আয়াত : ১৩৭)
পবিত্র ভূমি
‘আরদে মুকাদ্দাস’ মানে হলো পবিত্র ভূমি।
আল্লামা রাগিব ইস্পাহানি (রহ.) বলেন : বায়তুল মাকদিস হলো শিরক ও কুফর থেকে পবিত্র স্থানের নাম।
(তাফসিরে রাগিব ইস্পাহানি, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৬৩৬)
আল্লামা যুজাজ (রহ.) বলেন : পবিত্র ভূমি বলতে দামেস্ক, ফিলিস্তিন এবং জর্দানের কিছু অংশকে বোঝানো হয়েছে। (মাআনিল কোরআন, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১৬২)
আল্লামা তাকি উসমানি (দা.বা.) বলেন : ‘পবিত্র ভূমি’ দ্বারা শাম ও ফিলিস্তিন অঞ্চলকে বোঝানো হয়েছে। আল্লাহ তাআলা নবী-রাসুল পাঠানোর জন্য এ ভূমিকে বেছে নিয়েছিলেন। তাই একে ‘পবিত্র ভূমি’ বলা হয়েছে।(তাফসিরে তাওযীহুল কোরআন, পৃষ্ঠা ৩৩৪)
হাশরের ভূমি
আল্লাহ তাআলা ফিলিস্তিনের ভূমিকে ‘হাশরের ভূমি’ বলেছেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন : ‘তিনিই কিতাবের অধিকারীদের মধ্যে যারা কাফির তাদের প্রথম সমাবেশেই তাদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেছেন।’
(সুরা : আল হাশর, আয়াত : ২)
এখানে ‘প্রথম সমাবেশ’ বলতে শাম দেশে এই ইহুদিদের সমবেত হওয়াকে বোঝানো হয়েছে, যখন নবী কারীম (সা.) মদিনা থেকে বনু নাজিরকে নির্বাসিত করেছিলেন। (তাফসিরে তাবারি, খণ্ড ২৩, পৃষ্ঠা ২৬২)
আল্লামা জুহরি (রহ.) থেকে বর্ণিত যে প্রথম সমবেতভাবে পৃথিবীতে তাদের নির্বাসন হয়েছিল শামের ভূমিতে। (প্রাগুক্ত)
কোনো বিশেষণ ছাড়াই ফিলিস্তিনের আলোচনা
কোরআনের অনেক জায়গায় ফিলিস্তিনের ভূমির কথা কোনোরূপ বিশেষণ ছাড়াই বলা হয়েছে। এক আয়াতে এসেছে, ‘আমি (আল্লাহ) কিতাবে মীমাংসা দান করে বনি ইসরাঈলকে অবহিত করেছিলাম, তোমরা পৃথিবীতে দুবার বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং ঘোর অহংকার প্রদর্শন করবে।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৪)
আল্লামা শাওকানী (রহ.) এই আয়াতের তাফসিরে বলেছেন যে এখানে ‘পৃথিবী’ বলতে শাম ও বায়তুল মাকদিসকে বোঝানো হয়েছে। (ফাতহুল কাদীর, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ২৪৯)
অন্য আয়াতে এসেছে, শপথ ‘তীন’ (ডুমুর) ও ‘জায়তুন’ (জলপাই) বৃক্ষের এবং সিনাই প্রান্তরস্থ তুর পর্বতের। (সুরা : আত ত্বিন, আয়াত : ১, ২)
অধিকাংশ তাফসিরবিশারদ বলেন : এখানে ‘তীন’ ও ‘জায়তুন’ দ্বারা সে স্থান বোঝানো হয়েছে, যেখানে এ বৃক্ষ প্রচুর পরিমাণ উৎপন্ন হয়। আর সে স্থান হচ্ছে শাম দেশ ও ফিলিস্তিন, যা নবীদের আবাসভূমি। (আদ দুররুল মানসুর, খণ্ড ৮, পৃষ্ঠা ৫৫৪)
ফিলিস্তিনের কতিপয় অঞ্চলের বিবৃতি
কোরআনে ফিলিস্তিনের কতিপয় এলাকার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে, উদাহরণস্বরূপ—
১. এবং আমি মরিয়মের পুত্র ও তার মাকে (অর্থাৎ ঈসা ও মরিয়ম আলাইহিমাস সালামকে) বানিয়েছিলাম এক নিদর্শন এবং তাদের এমন এক উচ্চভূমিতে আশ্রয় দিয়েছিলাম, যা ছিল শান্তিপূর্ণ এবং যেখানে প্রবাহিত ছিল স্বচ্ছ পানি।
(সুরা : আল মুমিনুন, আয়াত : ৫০)
এখানে ‘উচ্চভূমি’ দ্বারা ‘রামলাহ’ উদ্দেশ্য, যা ফিলিস্তিনের একটি অঞ্চলের নাম। (তাফসিরে তাবারি, খণ্ড ১৭, পৃষ্ঠা ৫৩)
২. অতঃপর এই ঘটল যে মরিয়ম সেই শিশুকে গর্ভে ধারণ করল (এবং যখন জন্মের সময় কাছে এসে গেল) তখন সে তাকে নিয়ে দূরে এক নিভৃত স্থানে চলে গেল।
(সুরা : মারইয়াম, আয়াত : ২২)
মুফাসসিররা এ আয়াতের ব্যাখ্যা করেছেন যে মরিয়ম (আ.) গর্ভবতী হলে দূরবর্তী স্থানে চলে যান। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন : তিনি আল আকসা উপত্যকায় গিয়েছিলেন আর এটিই হলো ‘বেথলেহেম’। ‘বেথলেহেম’ এবং ‘ইলিয়া’ এর মধ্যে চার মাইল দূরত্ব রয়েছে। আর ‘ইলিয়া’-এর অপর নাম হলো বায়তুল মাকদিস। (তাফসিরে তাবারি, খণ্ড ১৫, পৃষ্ঠা ৪৯২)
৩. এবং (সেই কথাও স্মরণ করো) যখন আমি বলেছিলাম, এই জনপদে প্রবেশ করো এবং তার যেখান থেকে ইচ্ছা প্রাণভরে খাও। আর (জনপদের) প্রবেশদ্বার দিয়ে নতশিরে প্রবেশ করবে আর বলতে থাকবে, (হে আল্লাহ!) আমরা আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। (এভাবে) আমি তোমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করব এবং পুণ্যবানদের আরো বেশি (সওয়াব) দেব। (সুরা : আল বাকারা, আয়াত : ৫৮)
এই জনপদের ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কে আলেমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ আলেমদের মতে, এখানে ‘জনপদ’ মানে বায়তুল মাকদিস।
(আদ দুররুল মানসুর, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১৭২)
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত : এখানে ‘দরজা’ বলতে বায়তুল মাকদিসের ‘বাবে হুত্তা’ উদ্দেশ্য।
(তাফসিরে তাবারি, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১০৩)
৪. অতঃপর তালুত যখন সৈন্যদের সঙ্গে রওনা হলো, তখন সে (সৈন্যদের) বলল, আল্লাহ একটি নদীর দ্বারা তোমাদের পরীক্ষা করবেন। (সুরা : আল বাকারা, আয়াত : ২৪৯)
ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন যে এখানে নদী বলতে জর্দান ও ফিলিস্তিনের মধ্যবর্তী নদীকে বোঝানো হয়েছে।
(আদ দুররুল মানসুর, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৭৫৯)
৫. একদিন যখন তারা পিঁপড়ার উপত্যকায় পৌঁছাল, তখন এক পিঁপড়া বলল, ওহে পিঁপড়ারা! নিজ ঘরে ঢুকে পড়ো, পাছে সুলাইমান ও তার সৈন্যরা তাদের অজ্ঞাতসারে তোমাদের যাতে পিষে না ফেলে।
(সুরা : আন নামল, আয়াত : ১৮)
ইমাম রাজি (রহ.) বলেন : এখানে ‘পিঁপড়ার উপত্যকা’ দ্বারা ‘শামের উপত্যকা’কে বোঝানো, যেখানে পিঁপড়ার আধিক্য বেশি আর এটি ‘আসকেলন (Ashkelon)’ উপত্যকার আশপাশে অবস্থিত।
(মাফাতিহুল গায়েব, খণ্ড ২৪, পৃষ্ঠা ৫৪৮)
এই পবিত্র ভূমি, যার পবিত্রতা ও বরকত পবিত্র কোরআনে বারবার বলা হয়েছে, মুসলমান হিসেবে যার উত্তরাধ��কার পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ভূমি মুসলমানদের দ্বারা অত্যন্ত বরকতময় ও পবিত্রতার আবরণে শাসিত হয়েছে; কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে আমরা আমাদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ভুলে গেছি, যার কারণে ইসরায়েলের অপবিত্র ইহুদিরা এই পবিত্র ও পুণ্য ভূমি জবরদখল করে এখানকার মুসলিমদের ওপর বর্বর ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞ এবং হামলা চালাচ্ছে। সারা বিশ্বের মুসলমানদের উচিত এর পবিত্রতা বুঝে এই পবিত্র স্থানটি পুনরুদ্ধারের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা। আল্লাহ তাআলা ফিলিস্তিন মুসলিমদের হেফাজত করুন ও বিজয় দান করুন। আমিন।
আল-কোরআনের বয়ানে ফিলিস্তিন
Palestine in the Quran
ফিলিস্তিন কোরআনে
#আল-কোরআনের বয়ানে ফিলিস্তিন#Palestine in the Quran#ফিলিস্তিন কোরআনে#Palestine#ফিলিস্তিন#আলকোরআনেফিলিস্তিন#বায়তুলমাকদিস#আলআকসা#প্যালেস্টাইন#BaitulMaqdis#AlAqsa#Youtube
0 notes
Text
আল-কোরআনের বয়ানে ফিলিস্তিন
youtube
youtube
youtube
ফিলিস্তিনের ভূমি একটি অত্যন্ত বরকতময় এবং পুণ্যময় স্থান। এই ভূমি ঐশী বাণী ও নবুয়তের উৎসস্থল ও ফোয়ারা। এই ভূমিতে অনেক নবী-রাসুল এসেছেন। এই সেই ভূমি, যেখান থেকে মেরাজের শুরু এবং শেষ হয়েছে, এটি আসমানের প্রবেশদ্বার।
আল্লাহ তাআলা ফিলিস্তিনের ভূমিকে পুণ্য ও বরকতময় ভূমিতে পরিণত করেছেন।
(সুরা : আল ইসরা, আয়াত : ১)
ইমাম ইবনে জারির আত তাবারি (রহ.) বলেন : এখানে অনন্ত ও অসীম কল্যাণ ও বরকত থাকবে।
(তাফসিরে তাবারি, খণ্ড ১৪, পৃষ্ঠা ৪৪৮)
আবার কেউ কেউ বলেছেন : বরকতের অর্থ হলো এখানকার নদ-নদী, ফল-ফলাদি, নবী-রাসুল ও ওলিকুল। (ইরাবুল কোরআন, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১৯৭)
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, যে ভূমি সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আমি তার চারপাশকে বরকতময় করেছি’ (আল ইসরা, আয়াত-১) তা দ্বারা ফিলিস্তিন ও জর্দান উদ্দেশ্য।(ফাজায়িলু বাইতিল মাকদাস, পৃষ্ঠা ৪৪১)
উল্লেখ্য, হাদিসে ‘সিরিয়া বা শাম’ বলে যে ভূখণ্ডের কথা বলা হয়েছে তার ভৌগোলিক সীমানা সাম্প্রতিক বিভাজনের প্রেক্ষাপটে সিরিয়া বলতে ফিলিস্তিন, বর্তমান সিরিয়া, জর্দান ও লেবানন অঞ্চল উদ্দেশ্য।
কোরআনে পাঁচ স্থানে ফিলিস্তিনের ভূমিকে পুণ্য ও বরকতময় ভূমি বলা হয়েছে। তার মধ্যে এক আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আর যাদের দুর্বল মনে করা হতো, আমি তাদের সেই দেশের পূর্ব ও পশ্চিমের উত্তরাধিকারী বানালাম, যেথায় আমি বরকত নাজিল করেছিলাম এবং বনি ইসরাঈলের ব্যাপারে তোমার প্রতিপালকের শুভ বাণী পূর্ণ হলো, যেহেতু তারা সবর করেছিল; আর ফিরাউন ও তার সম্প্রদায় যা কিছু বানাত ও যা কিছু চরাত, তা সব আমি ধ্বংস করে দিলাম।’
(সুরা : আল-আরাফ, আয়াত : ১৩৭)
পবিত্র ভূমি
‘আরদে মুকাদ্দাস’ মানে হলো পবিত্র ভূমি।
আল্লামা রাগিব ইস্পাহানি (রহ.) বলেন : বায়তুল মাকদিস হলো শিরক ও কুফর থেকে পবিত্র স্থানের নাম।
(তাফসিরে রাগিব ইস্পাহানি, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৬৩৬)
আল্লামা যুজাজ (রহ.) বলেন : পবিত্র ভূমি বলতে দামেস্ক, ফিলিস্তিন এবং জর্দানের কিছু অংশকে বোঝানো হয়েছে। (মাআনিল কোরআন, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১৬২)
আল্লামা তাকি উসমানি (দা.বা.) বলেন : ‘পবিত্র ভূমি’ ���্বারা শাম ও ফিলিস্তিন অঞ্চলকে বোঝানো হয়েছে। আল্লাহ তাআলা নবী-রাসুল পাঠানোর জন্য এ ভূমিকে বেছে নিয়েছিলেন। তাই একে ‘পবিত্র ভূমি’ বলা হয়েছে।(তাফসিরে তাওযীহুল কোরআন, পৃষ্ঠা ৩৩৪)
হাশরের ভূমি
আল্লাহ তাআলা ফিলিস্তিনের ভূমিকে ‘হাশরের ভূমি’ বলেছেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন : ‘তিনিই কিতাবের অধিকারীদের মধ্যে যারা কাফির তাদের প্রথম সমাবেশেই তাদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেছেন।’
(সুরা : আল হাশর, আয়াত : ২)
এখানে ‘প্রথম সমাবেশ’ বলতে শাম দেশে এই ইহুদিদের সমবেত হওয়াকে বোঝানো হয়েছে, যখন নবী কারীম (সা.) মদিনা থেকে বনু নাজিরকে নির্বাসিত করেছিলেন। (তাফসিরে তাবারি, খণ্ড ২৩, পৃষ্ঠা ২৬২)
আল্লামা জুহরি (রহ.) থেকে বর্ণিত যে প্রথম সমবেতভাবে পৃথিবীতে তাদের নির্বাসন হয়েছিল শামের ভূমিতে। (প্রাগুক্ত)
কোনো বিশেষণ ছাড়াই ফিলিস্তিনের আলোচনা
কোরআনের অনেক জায়গায় ফিলিস্তিনের ভূমির কথা কোনোরূপ বিশেষণ ছাড়াই বলা হয়েছে। এক আয়াতে এসেছে, ‘আমি (আল্লাহ) কিতাবে মীমাংসা দান করে বনি ইসরাঈলকে অবহিত করেছিলাম, তোমরা পৃথিবীতে দুবার বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং ঘোর অহংকার প্রদর্শন করবে।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৪)
আল্লামা শাওকানী (রহ.) এই আয়াতের তাফসিরে বলেছেন যে এখানে ‘পৃথিবী’ বলতে শাম ও বায়তুল মাকদিসকে বোঝানো হয়েছে। (ফাতহুল কাদীর, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ২৪৯)
অন্য আয়াতে এসেছে, শপথ ‘তীন’ (ডুমুর) ও ‘জায়তুন’ (জলপাই) বৃক্ষের এবং সিনাই প্রান্তরস্থ তুর পর্বতের। (সুরা : আত ত্বিন, আয়াত : ১, ২)
অধিকাংশ তাফসিরবিশারদ বলেন : এখানে ‘তীন’ ও ‘জায়তুন’ দ্বারা সে স্থান বোঝানো হয়েছে, যেখানে এ বৃক্ষ প্রচুর পরিমাণ উৎপন্ন হয়। আর সে স্থান হচ্ছে শাম দেশ ও ফিলিস্তিন, যা নবীদের আবাসভূমি। (আদ দুররুল মানসুর, খণ্ড ৮, পৃষ্ঠা ৫৫৪)
ফিলিস্তিনের কতিপয় অঞ্চলের বিবৃতি
কোরআনে ফিলিস্তিনের কতিপয় এলাকার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে, উদাহরণস্বরূপ—
১. এবং আমি মরিয়মের পুত্র ও তার মাকে (অর্থাৎ ঈসা ও মরিয়ম আলাইহিমাস সালামকে) বানিয়েছিলাম এক নিদর্শন এবং তাদের এমন এক উচ্চভূমিতে আশ্রয় দিয়েছিলাম, যা ছিল শান্তিপূর্ণ এবং যেখানে প্রবাহিত ছিল স্বচ্ছ পানি।
(সুরা : আল মুমিনুন, আয়াত : ৫০)
এখানে ‘উচ্চভূমি’ দ্বারা ‘রামলাহ’ উদ্দেশ্য, যা ফিলিস্তিনের একটি অঞ্চলের নাম। (তাফসিরে তাবারি, খণ্ড ১৭, পৃষ্ঠা ৫৩)
২. অতঃপর এই ঘটল যে মরিয়ম সেই শিশুকে গর্ভে ধারণ করল (এবং যখন জন্মের সময় কাছে এসে গেল) তখন সে তাকে নিয়ে দূরে এক নিভৃত স্থানে চলে গেল।
(সুরা : মারইয়াম, আয়াত : ২২)
মুফাসসিররা এ আয়াতের ব্যাখ্যা করেছেন যে মরিয়ম (আ.) গর্ভবতী হলে দূরবর্তী স্থানে চলে যান। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন : তিনি আল আকসা উপত্যকায় গিয়েছিলেন আর এটিই হলো ‘বেথলেহেম’। ‘বেথলেহেম’ এবং ‘ইলিয়া’ এর মধ্যে চার মাইল দূরত্ব রয়েছে। আর ‘ইলিয়া’-এর অপর নাম হলো বায়তুল মাকদিস। (তাফসিরে তাবারি, খণ্ড ১৫, পৃষ্ঠা ৪৯২)
৩. এবং (সেই কথাও স্মরণ করো) যখন আমি বলেছিলাম, এই জনপদে প্রবেশ করো এবং তার যেখান থেকে ইচ্ছা প্রাণভরে খাও। আর (জনপদের) প্রবেশদ্বার দিয়ে নতশিরে প্রবেশ করবে আর বলতে থাকবে, (হে আল্লাহ!) আমরা আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। (এভাবে) আমি তোমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করব এবং পুণ্যবানদের আরো বেশি (সওয়াব) দেব। (সুরা : আল বাকারা, আয়াত : ৫৮)
এই জনপদের ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কে আলেমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ আলেমদের মতে, এখানে ‘জনপদ’ মানে বায়তুল মাকদিস।
(আদ দুররুল মানসুর, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১৭২)
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত : এখানে ‘দরজা’ বলতে বায়তুল মাকদিসের ‘বাবে হুত্তা’ উদ্দেশ্য।
(তাফসিরে তাবারি, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১০৩)
৪. অতঃপর তালুত যখন সৈন্যদের সঙ্গে রওনা হলো, তখন সে (সৈন্যদের) বলল, আল্লাহ একটি নদীর দ্বারা তোমাদের পরীক্ষা করবেন। (সুরা : আল বাকারা, আয়াত : ২৪৯)
ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন যে এখানে নদী বলতে জর্দান ও ফিলিস্তিনের মধ্যবর্তী নদীকে বোঝানো হয়েছে।
(আদ দুররুল মানসুর, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৭৫৯)
৫. একদিন যখন তারা পিঁপড়ার উপত্যকায় পৌঁছাল, তখন এক পিঁপড়া বলল, ওহে পিঁপড়ারা! নিজ ঘরে ঢুকে পড়ো, পাছে সুলাইমান ও তার সৈন্যরা তাদের অজ্ঞাতসারে তোমাদের যাতে পিষে না ফেলে।
(সুরা : আন নামল, আয়াত : ১৮)
ইমাম রাজি (রহ.) বলেন : এখানে ‘পিঁপড়ার উপত্যকা’ দ্বারা ‘শামের উপত্যকা’কে বোঝানো, যেখানে পিঁপড়ার আধিক্য বেশি আর এটি ‘আসকেলন (Ashkelon)’ উপত্যকার আশপাশে অবস্থিত।
(মাফাতিহুল গায়েব, খণ্ড ২৪, পৃষ্ঠা ৫৪৮)
এই পবিত্র ভূমি, যার পবিত্রতা ও বরকত পবিত্র কোরআনে বারবার বলা হয়েছে, মুসলমান হিসেবে যার উত্তরাধিকার পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ভূমি মুসলমানদের দ্বারা অত্যন্ত বরকতময় ও পবিত্রতার আবরণে শাসিত হয়েছে; কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে আমরা আমাদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ভুলে গেছি, যার কারণে ইসরায়েলের অপবিত্র ইহুদিরা এই পবিত্র ও পুণ্য ভূমি জবরদখল করে এখানকার মুসলিমদের ওপর বর্বর ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞ এবং হামলা চালাচ্ছে। সারা বিশ্বের মুসলমানদের উচিত এর পবিত্রতা বুঝে এই পবিত্র স্থানটি পুনরুদ্ধারের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা। আল্লাহ তাআলা ফিলিস্তিন মুসলিমদের হেফাজত করুন ও বিজয় দান করুন। আমিন।
আল-কোরআনের বয়ানে ফিলিস্তিন
Palestine in the Quran
ফিলিস্তিন কোরআনে
#আল-কোরআনের বয়ানে ফিলিস্তিন#Palestine in the Quran#ফিলিস্তিন কোরআনে#Palestine#ফিলিস্তিন#আলকোরআনেফিলিস্তিন#বায়তুলমাকদিস#আলআকসা#প্যালেস্টাইন#BaitulMaqdis#AlAqsa#Youtube
0 notes
Text
আল-কোরআনের বয়ানে ফিলিস্তিন
youtube
youtube
youtube
ফিলিস্তিনের ভূমি একটি অত্যন্ত বরকতময় এবং পুণ্যময় স্থান। এই ভূমি ঐশী বাণী ও নবুয়তের উৎসস্থল ও ফোয়ারা। এই ভূমিতে অনেক নবী-রাসুল এসেছেন। এই সেই ভূমি, যেখান থেকে মেরাজের শুরু এবং শেষ হয়েছে, এটি আসমানের প্রবেশদ্বার।
আল্লাহ তাআলা ফিলিস্তিনের ভূমিকে পুণ্য ও বরকতময় ভূমিতে পরিণত করেছেন।
(সুরা : আল ইসরা, আয়াত : ১)
ইমাম ইবনে জারির আত তাবারি (রহ.) বলেন : এখানে অনন্ত ও অসীম কল্যাণ ও বরকত থাকবে।
(তাফসিরে তাবারি, খণ্ড ১৪, পৃষ্ঠা ৪৪৮)
আবার কেউ কেউ বলেছেন : বরকতের অর্থ হলো এখানকার নদ-নদী, ফল-ফলাদি, নবী-রাসুল ও ওলিকুল। (ইরাবুল কোরআন, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১৯৭)
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, যে ভূমি সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আমি তার চারপাশকে বরকতময় করেছি’ (আল ইসরা, আয়াত-১) তা দ্বারা ফিলিস্তিন ও জর্দান উদ্দেশ্য।(ফাজায়িলু বাইতিল মাকদাস, পৃষ্ঠা ৪৪১)
উল্লেখ্য, হাদিসে ‘সিরিয়া বা শাম’ বলে যে ভূখণ্ডের কথা বলা হয়েছে তার ভৌগোলিক সীমানা সাম্প্রতিক বিভাজনের প্রেক্ষাপটে সিরিয়া বলতে ফিলিস্তিন, বর্তমান সিরিয়া, জর্দান ও লেবানন অঞ্চল উদ্দেশ্য।
কোরআনে পাঁচ স্থানে ফিলিস্তিনের ভূমিকে পুণ্য ও বরকতময় ভূমি বলা হয়েছে। তার মধ্যে এক আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আর যাদের দুর্বল মনে করা হতো, আমি তাদের সেই দেশের পূর্ব ও পশ্চিমের উত্তরাধিকারী বানালাম, যেথায় আমি বরকত নাজিল করেছিলাম এবং বনি ইসরাঈলের ব্যাপারে তোমার প্রতিপালকের শুভ বাণী পূর্ণ হলো, যেহেতু তারা সবর করেছিল; আর ফিরাউন ও তার সম্প্রদায় যা কিছু বানাত ও যা কিছু চরাত, তা সব আমি ধ্বংস করে দিলাম।’
(সুরা : আল-আরাফ, আয়াত : ১৩৭)
পবিত্র ভূমি
‘আরদে মুকাদ্দাস’ মানে হলো পবিত্র ভূমি।
আল্লামা রাগিব ইস্পাহানি (রহ.) বলেন : বায়তুল মাকদিস হলো শিরক ও কুফর থেকে পবিত্র স্থানের নাম।
(তাফসিরে রাগিব ইস্পাহানি, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৬৩৬)
আল্লামা যুজাজ (রহ.) বলেন : পবিত্র ভূমি বলতে দামেস্ক, ফিলিস্তিন এবং জর্দানের কিছু অংশকে বোঝানো হয়েছে। (মাআনিল কোরআন, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১৬২)
আল্লামা তাকি উসমানি (দা.বা.) বলেন : ‘পবিত্র ভূমি’ দ্বারা শাম ও ফিলিস্তিন অঞ্চলকে বোঝানো হয়েছে। আল্লাহ তাআলা নবী-রাসুল পাঠানোর জন্য এ ভূমিকে বেছে নিয়েছিলেন। তাই একে ‘পবিত্র ভূমি’ বলা হয়েছে।(তাফসিরে তাওযীহুল কোরআন, পৃষ্ঠা ৩৩৪)
হাশরের ভূমি
আল্লাহ তাআলা ফিলিস্তিনের ভূমিকে ‘হাশরের ভূমি’ বলেছেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন : ‘তিনিই কিতাবের অধিকারীদের মধ্যে যারা কাফির তাদের প্রথম সমাবেশেই তাদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেছেন।’
(সুরা : আল হাশর, আয়াত : ২)
এখানে ‘প্রথম সমাবেশ’ বলতে শাম দেশে এই ইহুদিদের সমবেত হওয়াকে বোঝানো হয়েছে, যখন নবী কারীম (সা.) মদিনা থেকে বনু নাজিরকে নির্বাসিত করেছিলেন। (তাফসিরে তাবারি, খণ্ড ২৩, পৃষ্ঠা ২৬২)
আল্লামা জুহরি (রহ.) থেকে বর্ণিত যে প্রথম সমবেতভাবে পৃথিবীতে তাদের নির্বাসন হয়েছিল শামের ভূমিতে। (প্রাগুক্ত)
কোনো বিশেষণ ছাড়াই ফিলিস্তিনের আলোচনা
কোরআনের অনেক জায়গায় ফিলিস্তিনের ভূমির কথা কোনোরূপ বিশেষণ ছাড়াই বলা হয়েছে। এক আয়াতে এসেছে, ‘আমি (আল্লাহ) কিতাবে মীমাংসা দান করে বনি ইসরাঈলকে অবহিত করেছিলাম, তোমরা পৃথিবীতে দুবার বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং ঘোর অহংকার প্রদর্শন করবে।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৪)
আল্লামা শাওকানী (রহ.) এই আয়াতের তাফসিরে বলেছেন যে এখানে ‘পৃথিবী’ বলতে শাম ও বায়তুল মাকদিসকে বোঝানো হয়েছে। (ফাতহুল কাদীর, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ২৪৯)
অন্য আয়াতে এসেছে, শপথ ‘তীন’ (ডুমুর) ও ‘জায়তুন’ (জলপাই) বৃক্ষের এবং সিনাই প্রান্তরস্থ তুর পর্বতের। (সুরা : আত ত্বিন, আয়াত : ১, ২)
অধিকাংশ তাফসিরবিশারদ বলেন : এখানে ‘তীন’ ও ‘জায়তুন’ দ্বারা সে স্থান বোঝানো হয়েছে, যেখানে এ বৃক্ষ প্রচুর পরিমাণ উৎপন্ন হয়। আর সে স্থান হচ্ছে শাম দেশ ও ফিলিস্তিন, যা নবীদের আবাসভূমি। (আদ দুররুল মানসুর, খণ্ড ৮, পৃষ্ঠা ৫৫৪)
ফিলিস্তিনের কতিপয় অঞ্চলের বিবৃতি
কোরআনে ফিলিস্তিনের কতিপয় এলাকার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে, উদাহরণস্বরূপ—
১. এবং আমি মরিয়মের পুত্র ও তার মাকে (অর্থাৎ ঈসা ও মরিয়ম আলাইহিমাস সালামকে) বানিয়েছিলাম এক নিদর্শন এবং তাদের এমন এক উচ্চভূমিতে আশ্রয় দিয়েছিলাম, যা ছিল শান্তিপূর্ণ এবং যেখানে প্রবাহিত ছিল স্বচ্ছ পানি।
(সুরা : আল মুমিনুন, আয়াত : ৫০)
এখানে ‘উচ্চভূমি’ দ্বারা ‘রামলাহ’ উদ্দেশ্য, যা ফিলিস্তিনের একটি অঞ্চলের নাম। (তাফসিরে তাবারি, খণ্ড ১৭, পৃষ্ঠা ৫৩)
২. অতঃপর এই ঘটল যে মরিয়ম সেই শিশুকে গর্ভে ধারণ করল (এবং যখন জন্মের সময় কাছে এসে গেল) তখন সে তাকে নিয়ে দূরে এক নিভৃত স্থ���নে চলে গেল।
(সুরা : মারইয়াম, আয়াত : ২২)
মুফাসসিররা এ আয়াতের ব্যাখ্যা করেছেন যে মরিয়ম (আ.) গর্ভবতী হলে দূরবর্তী স্থানে চলে যান। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন : তিনি আল আকসা উপত্যকায় গিয়েছিলেন আর এটিই হলো ‘বেথলেহেম’। ‘বেথলেহেম’ এবং ‘ইলিয়া’ এর মধ্যে চার মাইল দূরত্ব রয়েছে। আর ‘ইলিয়া’-এর অপর নাম হলো বায়তুল মাকদিস। (তাফসিরে তাবারি, খণ্ড ১৫, পৃষ্ঠা ৪৯২)
৩. এবং (সেই কথাও স্মরণ করো) যখন আমি বলেছিলাম, এই জনপদে প্রবেশ করো এবং তার যেখান থেকে ইচ্ছা প্রাণভরে খাও। আর (জনপদের) প্রবেশদ্বার দিয়ে নতশিরে প্রবেশ করবে আর বলতে থাকবে, (হে আল্লাহ!) আমরা আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। (এভাবে) আমি তোমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করব এবং পুণ্যবানদের আরো বেশি (সওয়াব) দেব। (সুরা : আল বাকারা, আয়াত : ৫৮)
এই জনপদের ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কে আলেমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ আলেমদের মতে, এখানে ‘জনপদ’ মানে বায়তুল মাকদিস।
(আদ দুররুল মানসুর, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১৭২)
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত : এখানে ‘দরজা’ বলতে বায়তুল মাকদিসের ‘বাবে হুত্তা’ উদ্দেশ্য।
(তাফসিরে তাবারি, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১০৩)
৪. অতঃপর তালুত যখন সৈন্যদের সঙ্গে রওনা হলো, তখন সে (সৈন্যদের) বলল, আল্লাহ একটি নদীর দ্বারা তোমাদের পরীক্ষা করবেন। (সুরা : আল বাকারা, আয়াত : ২৪৯)
ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন যে এখানে নদী বলতে জর্দান ও ফিলিস্তিনের মধ্যবর্তী নদীকে বোঝানো হয়েছে।
(আদ দুররুল মানসুর, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৭৫৯)
৫. একদিন যখন তারা পিঁপড়ার উপত্যকায় পৌঁছাল, তখন এক পিঁপড়া বলল, ওহে পিঁপড়ারা! নিজ ঘরে ঢুকে পড়ো, পাছে সুলাইমান ও তার সৈন্যরা তাদের অজ্ঞাতসারে তোমাদের যাতে পিষে না ফেলে।
(সুরা : আন নামল, আয়াত : ১৮)
ইমাম রাজি (রহ.) বলেন : এখানে ‘পিঁপড়ার উপত্যকা’ দ্বারা ‘শামের উপত্যকা’কে বোঝানো, যেখানে পিঁপড়ার আধিক্য বেশি আর এটি ‘আসকেলন (Ashkelon)’ উপত্যকার আশপাশে অবস্থিত।
(মাফাতিহুল গায়েব, খণ্ড ২৪, পৃষ্ঠা ৫৪৮)
এই পবিত্র ভূমি, যার পবিত্রতা ও বরকত পবিত্র কোরআনে বারবার বলা হয়েছে, মুসলমান হিসেবে যার উত্তরাধিকার পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ভূমি মুসলমানদের দ্বারা অত্যন্ত বরকতময় ও পবিত্রতার আবরণে শাসিত হয়েছে; কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে আমরা আমাদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ভুলে গেছি, যার কারণে ইসরায়েলের অপবিত্র ইহুদিরা এই পবিত্র ও পুণ্য ভূমি জবরদখল করে এখানকার মুসলিমদের ওপর বর্বর ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞ এবং হামলা চালাচ্ছে। সারা বিশ্বের মুসলমানদের উচিত এর পবিত্রতা বুঝে এই পবিত্র স্থানটি পুনরুদ্ধারের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা। আল্লাহ তাআলা ফিলিস্তিন মুসলিমদের হেফাজত করুন ও বিজয় দান করুন। আমিন।
আল-কোরআনের বয়ানে ফিলিস্তিন
Palestine in the Quran
ফিলিস্তিন কোরআনে
#আল-কোরআনের বয়ানে ফিলিস্তিন#Palestine in the Quran#ফিলিস্তিন কোরআনে#Palestine#ফিলিস্তিন#আলকোরআনেফিলিস্তিন#বায়তুলমাকদিস#আলআকসা#প্যালেস্টাইন#BaitulMaqdis#AlAqsa#Youtube
0 notes
Text
আল-কোরআনের বয়ানে ফিলিস্তিন
youtube
youtube
youtube
ফিলিস্তিনের ভূমি ���কটি অত্যন্ত বরকতময় এবং পুণ্যময় স্থান। এই ভূমি ঐশী বাণী ও নবুয়তের উৎসস্থল ও ফোয়ারা। এই ভূমিতে অনেক নবী-রাসুল এসেছেন। এই সেই ভূমি, যেখান থেকে মেরাজের শুরু এবং শেষ হয়েছে, এটি আসমানের প্রবেশদ্বার।
আল্লাহ তাআলা ফিলিস্তিনের ভূমিকে পুণ্য ও বরকতময় ভূমিতে পরিণত করেছেন।
(সুরা : আল ইসরা, আয়াত : ১)
ইমাম ইবনে জারির আত তাবারি (রহ.) বলেন : এখানে অনন্ত ও অসীম কল্যাণ ও বরকত থাকবে।
(তাফসিরে তাবারি, খণ্ড ১৪, পৃষ্ঠা ৪৪৮)
আবার কেউ কেউ বলেছেন : বরকতের অর্থ হলো এখানকার নদ-নদী, ফল-ফলাদি, নবী-রাসুল ও ওলিকুল। (ইরাবুল কোরআন, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১৯৭)
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, যে ভূমি সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আমি তার চারপাশকে বরকতময় করেছি’ (আল ইসরা, আয়াত-১) তা দ্বারা ফিলিস্তিন ও জর্দান উদ্দেশ্য।(ফাজায়িলু বাইতিল মাকদাস, পৃষ্ঠা ৪৪১)
উল্লেখ্য, হাদিসে ‘সিরিয়া বা শাম’ বলে যে ভূখণ্ডের কথা বলা হয়েছে তার ভৌগোলিক সীমানা সাম্প্রতিক বিভাজনের প্রেক্ষাপটে সিরিয়া বলতে ফিলিস্তিন, বর্তমান সিরিয়া, জর্দান ও লেবানন অঞ্চল উদ্দেশ্য।
কোরআনে পাঁচ স্থানে ফিলিস্তিনের ভূমিকে পুণ্য ও বরকতময় ভূমি বলা হয়েছে। তার মধ্যে এক আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আর যাদের দুর্বল মনে করা হতো, আমি তাদের সেই দেশের পূর্ব ও পশ্চিমের উত্তরাধিকারী বানালাম, যেথায় আমি বরকত নাজিল করেছিলাম এবং বনি ইসরাঈলের ব্যাপারে তোমার প্রতিপালকের শুভ বাণী পূর্ণ হলো, যেহেতু তারা সবর করেছিল; আর ফিরাউন ও তার সম্প্রদায় যা কিছু বানাত ও যা কিছু চরাত, তা সব আমি ধ্বংস করে দিলাম।’
(সুরা : আল-আরাফ, আয়াত : ১৩৭)
পবিত্র ভূমি
‘আরদে মুকাদ্দাস’ মানে হলো পবিত্র ভূমি।
আল্লামা রাগিব ইস্পাহানি (রহ.) বলেন : বায়তুল মাকদিস হলো শিরক ও কুফর থেকে পবিত্র স্থানের নাম।
(তাফসিরে রাগিব ইস্পাহানি, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৬৩৬)
আল্লামা যুজাজ (রহ.) বলেন : পবিত্র ভূমি বলতে দামেস্ক, ফিলিস্তিন এবং জর্দানের কিছু অংশকে বোঝানো হয়েছে। (মাআনিল কোরআন, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১৬২)
আল্লামা তাকি উসমানি (দা.বা.) বলেন : ‘পবিত্র ভূমি’ দ্বারা শাম ও ফিলিস্তিন অঞ্চলকে বোঝানো হয়েছে। আল্লাহ তাআলা নবী-রাসুল পাঠানোর জন্য এ ভূমিকে বেছে নিয়েছিলেন। তাই একে ‘পবিত্র ভূমি’ বলা হয়েছে।(তাফসিরে তাওযীহুল কোরআন, পৃষ্ঠা ৩৩৪)
হাশরের ভূমি
আল্লাহ তাআলা ফিলিস্তিনের ভূমিকে ‘হাশরের ভূমি’ বলেছেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন : ‘তিনিই কিতাবের অধিকারীদের মধ্যে যারা কাফির তাদের প্রথম সমাবেশেই তাদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেছেন।’
(সুরা : আল হাশর, আয়াত : ২)
এখানে ‘প্রথম সমাবেশ’ বলতে শাম দেশে এই ইহুদিদের সমবেত হওয়াকে বোঝানো হয়েছে, যখন নবী কারীম (সা.) মদিনা থেকে বনু নাজিরকে নির্বাসিত করেছিলেন। (তাফসিরে তাবারি, খণ্ড ২৩, পৃষ্ঠা ২৬২)
আল্লামা জুহরি (রহ.) থেকে বর্ণিত যে প্রথম সমবেতভাবে পৃথিবীতে তাদের নির্বাসন হয়েছিল শামের ভূমিতে। (প্রাগুক্ত)
কোনো বিশেষণ ছাড়াই ফিলিস্তিনের আলোচনা
কোরআনের অনেক জায়গায় ফিলিস্তিনের ভূমির কথা কোনোরূপ বিশেষণ ছাড়াই বলা হয়েছে। এক আয়াতে এসেছে, ‘আমি (আল্লাহ) কিতাবে মীমাংসা দান করে বনি ইসরাঈলকে অবহিত করেছিলাম, তোমরা পৃথিবীতে দুবার বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং ঘোর অহংকার প্রদর্শন করবে।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৪)
আল্লামা শাওকানী (রহ.) এই আয়াতের তাফসিরে বলেছেন যে এখানে ‘পৃথিবী’ বলতে শাম ও বায়তুল মাকদিসকে বোঝানো হয়েছে। (ফাতহুল কাদীর, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ২৪৯)
অন্য আয়াতে এসেছে, শপথ ‘তীন’ (ডুমুর) ও ‘জায়তুন’ (জলপাই) বৃক্ষের এবং সিনাই প্রান্তরস্থ তুর পর্বতের। (সুরা : আত ত্বিন, আয়াত : ১, ২)
অধিকাংশ তাফসিরবিশারদ বলেন : এখানে ‘তীন’ ও ‘জায়তুন’ দ্বারা সে স্থান বোঝানো হয়েছে, যেখানে এ বৃক্ষ প্রচুর পরিমাণ উৎপন্ন হয়। আর সে স্থান হচ্ছে শাম দেশ ও ফিলিস্তিন, যা নবীদের আবাসভূমি। (আদ দুররুল মানসুর, খণ্ড ৮, পৃষ্ঠা ৫৫৪)
ফিলিস্তিনের কতিপয় অঞ্চলের বিবৃতি
কোরআনে ফিলিস্তিনের কতিপয় এলাকার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে, উদাহরণস্বরূপ—
১. এবং আমি মরিয়মের পুত্র ও তার মাকে (অর্থাৎ ঈসা ও মরিয়ম আলাইহিমাস সালামকে) বানিয়েছিলাম এক নিদর্শন এবং তাদের এমন এক উচ্চভূমিতে আশ্রয় দিয়েছিলাম, যা ছিল শান্তিপূর্ণ এবং যেখানে প্রবাহিত ছিল স্বচ্ছ পানি।
(সুরা : আল মুমিনুন, আয়াত : ৫০)
এখানে ‘উচ্চভূমি’ দ্বারা ‘রামলাহ’ উদ্দেশ্য, যা ফিলিস্তিনের একটি অঞ্চলের নাম। (তাফসিরে তাবারি, খণ্ড ১৭, পৃষ্ঠা ৫৩)
২. অতঃপর এই ঘটল যে মরিয়ম সেই শিশুকে গর্ভে ধারণ করল (এবং যখন জন্মের সময় কাছে এসে গেল) তখন সে তাকে নিয়ে দূরে এক নিভৃত স্থানে চলে গেল।
(সুরা : মারইয়াম, আয়াত : ২২)
মুফাসসিররা এ আয়াতের ব্যাখ্যা করেছেন যে মরিয়ম (আ.) গর্ভবতী হলে দূরবর্তী স্থানে চলে যান। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন : তিনি আল আকসা উপত্যকায় গিয়েছিলেন আর এটিই হলো ‘বেথলেহেম’। ‘বেথলেহেম’ এবং ‘ইলিয়া’ এর মধ্যে চার মাইল দূরত্ব রয়েছে। আর ‘ইলিয়া’-এর অপর নাম হলো বায়তুল মাকদিস। (তাফসিরে তাবারি, খণ্ড ১৫, পৃষ্ঠা ৪৯২)
৩. এবং (সেই কথাও স্মরণ করো) যখন আমি বলেছিলাম, এই জনপদে প্রবেশ করো এবং তার যেখান থেকে ইচ্ছা প্রাণভরে খাও। আর (জনপদের) প্রবেশদ্বার দিয়ে নতশিরে প্রবেশ করবে আর বলতে থাকবে, (হে আল্লাহ!) আমরা আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। (এভাবে) আমি তোমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করব এবং পুণ্যবানদের আরো বেশি (সওয়াব) দেব। (সুরা : আল বাকারা, আয়াত : ৫৮)
এই জনপদের ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কে আলেমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ আলেমদের মতে, এখানে ‘জনপদ’ মানে বায়তুল মাকদিস।
(আদ দুররুল মানসুর, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১৭২)
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত : এখানে ‘দরজা’ বলতে বায়তুল মাকদিসের ‘বাবে হুত্তা’ উদ্দেশ্য।
(তাফসিরে তাবারি, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১০৩)
৪. অতঃপর তালুত যখন সৈন্যদের সঙ্গে রওনা হলো, তখন সে (সৈন্যদের) বলল, আল্লাহ একটি নদীর দ্বারা তোমাদের পরীক্ষা করবেন। (সুরা : আল বাকারা, আয়াত : ২৪৯)
ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন যে এখানে নদী বলতে জর্দান ও ফিলিস্তিনের মধ্যবর্তী নদীকে বোঝানো হয়েছে।
(আদ দুররুল মানসুর, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৭৫৯)
৫. একদিন যখন তারা পিঁপড়ার উপত্যকায় পৌঁছাল, তখন এক পিঁপড়া বলল, ওহে পিঁপড়ারা! নিজ ঘরে ঢুকে পড়ো, পাছে সুলাইমান ও তার সৈন্যরা তাদের অজ্ঞাতসারে তোমাদের যাতে পিষে না ফেলে।
(সুরা : আন নামল, আয়াত : ১৮)
ইমাম রাজি (রহ.) বলেন : এখানে ‘পিঁপড়ার উপত্যকা’ দ্বারা ‘শামের উপত্যকা’কে বোঝানো, যেখানে পিঁপড়ার আধিক্য বেশি আর এটি ‘আসকেলন (Ashkelon)’ উপত্যকার আশপাশে অবস্থিত।
(মাফাতিহুল গায়েব, খণ্ড ২৪, পৃষ্ঠা ৫৪৮)
এই পবিত্র ভূমি, যার পবিত্রতা ও বরকত পবিত্র কোরআনে বারবার বলা হয়েছে, মুসলমান হিসেবে যার উত্তরাধিকার পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ভূমি মুসলমানদের দ্বারা অত্যন্ত বরকতময় ও পবিত্রতার আবরণে শাসিত হয়েছে; কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে আমরা আমাদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ভুলে গেছি, যার কারণে ইসরায়েলের অপবিত্র ইহুদিরা এই পবিত্র ও পুণ্য ভূমি জবরদখল করে এখানকার মুসলিমদের ওপর বর্বর ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞ এবং হামলা চালাচ্ছে। সারা বিশ্বের মুসলমানদের উচিত এর পবিত্র���া বুঝে এই পবিত্র স্থানটি পুনরুদ্ধারের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা। আল্লাহ তাআলা ফিলিস্তিন মুসলিমদের হেফাজত করুন ও বিজয় দান করুন। আমিন।
আল-কোরআনের বয়ানে ফিলিস্তিন
Palestine in the Quran
ফিলিস্তিন কোরআনে
#আল-কোরআনের বয়ানে ফিলিস্তিন#Palestine in the Quran#ফিলিস্তিন কোরআনে#Palestine#ফিলিস্তিন#আলকোরআনেফিলিস্তিন#বায়তুলমাকদিস#আলআকসা#প্যালেস্টাইন#BaitulMaqdis#AlAqsa#Youtube
0 notes
Text
আল-কোরআনের বয়ানে ফিলিস্তিন
youtube
youtube
youtube
ফিলিস্তিনের ভূমি একটি অত্যন্ত বরকতময় এবং পুণ্যময় স্থান। এই ভূমি ঐশী বাণী ও নবুয়তের উৎসস্থল ও ফোয়ারা। এই ভূমিতে অনেক নবী-রাসুল এসেছেন। এই সেই ভূমি, যেখান থেকে মেরাজের শুরু এবং শেষ হয়েছে, এটি আসমানের প্রবেশদ্বার।
আল্লাহ তাআলা ফিলিস্তিনের ভূমিকে পুণ্য ও বরকতময় ভূমিতে পরিণত করেছেন।
(সুরা : আল ইসরা, আয়াত : ১)
ইমাম ইবনে জারির আত তাবারি (রহ.) বলেন : এখানে অনন্ত ও অসীম কল্যাণ ও বরকত থাকবে।
(তাফসিরে তাবারি, খণ্ড ১৪, পৃষ্ঠা ৪৪৮)
আবার কেউ কেউ বলেছেন : বরকতের অর্থ হলো এখানকার নদ-নদী, ফল-ফলাদি, নবী-রাসুল ও ওলিকুল। (ইরাবুল কোরআন, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১৯৭)
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, যে ভূমি সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আমি তার চারপাশকে বরকতময় করেছি’ (আল ইসরা, আয়াত-১) তা দ্বারা ফিলিস্তিন ও জর্দান উদ্দেশ্য।(ফাজায়িলু বাইতিল মাকদাস, পৃষ্ঠা ৪৪১)
উল্লেখ্য, হাদিসে ‘সিরিয়া বা শাম’ বলে যে ভূখণ্ডের কথা বলা হয়েছে তার ভৌগোলিক সীমানা সাম্প্রতিক বিভাজনের প্রেক্ষাপটে সিরিয়া বলতে ফিলিস্তিন, বর্তমান সিরিয়া, জর্দান ও লেবানন অঞ্চল উদ্দেশ্য।
কোরআনে পাঁচ স্থানে ফিলিস্তিনের ভূমিকে পুণ্য ও বরকতময় ভূমি বলা হয়েছে। তার মধ্যে এক আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আর যাদের দুর্বল মনে করা হতো, আমি তাদের সেই দেশের পূর্ব ও পশ্চিমের উত্তরাধিকারী বানালাম, যেথায় আমি বরকত নাজিল করেছিলাম এবং বনি ইসরাঈলের ব্যাপারে তোমার প্রতিপালকের শুভ বাণী পূর্ণ হলো, যেহেতু তারা সবর করেছিল; আর ফিরাউন ও তার সম্প্রদায় যা কিছু বানাত ও যা কিছু চরাত, তা সব আমি ধ্বংস করে দিলাম।’
(সুরা : আল-আরাফ, আয়াত : ১৩৭)
পবিত্র ভূমি
‘আরদে মুকাদ্দাস’ মানে হলো পবিত্র ভূমি।
আল্লামা রাগিব ইস্পাহানি (রহ.) বলেন : বায়তুল মাকদিস হলো শিরক ও কুফর থেকে পবিত্র স্থানের নাম।
(তাফসিরে রাগিব ইস্পাহানি, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৬৩৬)
আল্লামা যুজাজ (রহ.) বলেন : পবিত্র ভূমি বলতে দামেস্ক, ফিলিস্তিন এবং জর্দানের কিছু অংশকে বোঝানো হয়েছে। (মাআনিল কোরআন, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১৬২)
আল্লামা তাকি উসমানি (দা.বা.) বলেন : ‘পবিত্র ভূমি’ দ্বারা শাম ও ফিলিস্তিন অঞ্চলকে বোঝানো হয়েছে। আল্লাহ তাআলা নবী-রাসুল পাঠানোর জন্য এ ভূমিকে বেছে নিয়েছিলেন। তাই একে ‘পবিত্র ভূমি’ বলা হয়েছে।(তাফসিরে তাওযীহুল কোরআন, পৃষ্ঠা ৩৩৪)
হাশরের ভূমি
আল্লাহ তাআলা ফিলিস্তিনের ভূমিকে ‘হাশরের ভূমি’ বলেছেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন : ‘তিনিই কিতাবের অধিকারীদের মধ্যে যারা কাফির তাদের প্রথম সমাবেশেই তাদ���র ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেছেন।’
(সুরা : আল হাশর, আয়াত : ২)
এখানে ‘প্রথম সমাবেশ’ বলতে শাম দেশে এই ইহুদিদের সমবেত হওয়াকে বোঝানো হয়েছে, যখন নবী কারীম (সা.) মদিনা থেকে বনু নাজিরকে নির্বাসিত করেছিলেন। (তাফসিরে তাবারি, খণ্ড ২৩, পৃষ্ঠা ২৬২)
আল্লামা জুহরি (রহ.) থেকে বর্ণিত যে প্রথম সমবেতভাবে পৃথিবীতে তাদের নির্বাসন হয়েছিল শামের ভূমিতে। (প্রাগুক্ত)
কোনো বিশেষণ ছাড়াই ফিলিস্তিনের আলোচনা
কোরআনের অনেক জায়গায় ফিলিস্তিনের ভূমির কথা কোনোরূপ বিশেষণ ছাড়াই বলা হয়েছে। এক আয়াতে এসেছে, ‘আমি (আল্লাহ) কিতাবে মীমাংসা দান করে বনি ইসরাঈলকে অবহিত করেছিলাম, তোমরা পৃথিবীতে দুবার বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং ঘোর অহংকার প্রদর্শন করবে।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৪)
আল্লামা শাওকানী (রহ.) এই আয়াতের তাফসিরে বলেছেন যে এখানে ‘পৃথিবী’ বলতে শাম ও বায়তুল মাকদিসকে বোঝানো হয়েছে। (ফাতহুল কাদীর, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ২৪৯)
অন্য আয়াতে এসেছে, শপথ ‘তীন’ (ডুমুর) ও ‘জায়তুন’ (জলপাই) বৃক্ষের এবং সিনাই প্রান্তরস্থ তুর পর্বতের। (সুরা : আত ত্বিন, আয়াত : ১, ২)
অধিকাংশ তাফসিরবিশারদ বলেন : এখানে ‘তীন’ ও ‘জায়তুন’ দ্বারা সে স্থান বোঝানো হয়েছে, যেখানে এ বৃক্ষ প্রচুর পরিমাণ উৎপন্ন হয়। আর সে স্থান হচ্ছে শাম দেশ ও ফিলিস্তিন, যা নবীদের আবাসভূমি। (আদ দুররুল মানসুর, খণ্ড ৮, পৃষ্ঠা ৫৫৪)
ফিলিস্তিনের কতিপয় অঞ্চলের বিবৃতি
কোরআনে ফিলিস্তিনের কতিপয় এলাকার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে, উদাহরণস্বরূপ—
১. এবং আমি মরিয়মের পুত্র ও তার মাকে (অর্থাৎ ঈসা ও মরিয়ম আলাইহিমাস সালামকে) বানিয়েছিলাম এক নিদর্শন এবং তাদের এমন এক উচ্চভূমিতে আশ্রয় দিয়েছিলাম, যা ছিল শান্তিপূর্ণ এবং যেখানে প্রবাহিত ছিল স্বচ্ছ পানি।
(সুরা : আল মুমিনুন, আয়াত : ৫০)
এখানে ‘উচ্চভূমি’ দ্বারা ‘রামলাহ’ উদ্দেশ্য, যা ফিলিস্তিনের একটি অঞ্চলের নাম। (তাফসিরে তাবারি, খণ্ড ১৭, পৃষ্ঠা ৫৩)
২. অতঃপর এই ঘটল যে মরিয়ম সেই শিশুকে গর্ভে ধারণ করল (এবং যখন জন্মের সময় কাছে এসে গেল) তখন সে তাকে নিয়ে দূরে এক নিভৃত স্থানে চলে গেল।
(সুরা : মারইয়াম, আয়াত : ২২)
মুফাসসিররা এ আয়াতের ব্যাখ্যা করেছেন যে মরিয়ম (আ.) গর্ভবতী হলে দূরবর্তী স্থানে চলে যান। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন : তিনি আল আকসা উপত্যকায় গিয়েছিলেন আর এটিই হলো ‘বেথলেহেম’। ‘বেথলেহেম’ এবং ‘ইলিয়া’ এর মধ্যে চার মাইল দূরত্ব রয়েছে। আর ‘ইলিয়া’-এর অপর নাম হলো বায়তুল মাকদিস। (তাফসিরে তাবারি, খণ্ড ১৫, পৃষ্ঠা ৪৯২)
৩. এবং (সেই কথাও স্মরণ করো) যখন আমি বলেছিলাম, এই জনপদে প্রবেশ করো এবং তার যেখান থেকে ইচ্ছা প্রাণভরে খাও। আর (জনপদের) প্রবেশদ্বার দিয়ে নতশিরে প্রবেশ করবে আর বলতে থাকবে, (হে আল্লাহ!) আমরা আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। (এভাবে) আমি তোমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করব এবং পুণ্যবানদের আরো বেশি (সওয়াব) দেব। (সুরা : আল বাকারা, আয়াত : ৫৮)
এই জনপদের ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কে আলেমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ আলেমদের মতে, এখানে ‘জনপদ’ মানে বায়তুল মাকদিস।
(আদ দুররুল মানসুর, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১৭২)
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত : এখানে ‘দরজা’ বলতে বায়তুল মাকদিসের ‘বাবে হুত্তা’ উদ্দেশ্য।
(তাফসিরে তাবারি, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১০৩)
৪. অতঃপর তালুত যখন সৈন্যদের সঙ্গে রওনা হলো, তখন সে (সৈন্যদের) বলল, আল্লাহ একটি নদীর দ্বারা তোমাদের পরীক্ষা করবেন। (সুরা : আল বাকারা, আয়াত : ২৪৯)
ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন যে এখানে নদী বলতে জর্দান ও ফিলিস্তিনের মধ্যবর্তী নদীকে বোঝানো হয়েছে।
(আদ দুররুল মানসুর, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৭৫৯)
৫. একদিন যখন তারা পিঁপড়ার উপত্যকায় পৌঁছাল, তখন এক পিঁপড়া বলল, ওহে পিঁপড়ারা! নিজ ঘরে ঢুকে পড়ো, পাছে সুলাইমান ও তার সৈন্যরা তাদের অজ্ঞাতসারে তোমাদের যাতে পিষে না ফেলে।
(সুরা : আন নামল, আয়াত : ১৮)
ইমাম রাজি (রহ.) বলেন : এখানে ‘পিঁপড়ার উপত্যকা’ দ্বারা ‘শামের উপত্যকা’কে বোঝানো, যেখানে পিঁপড়ার আধিক্য বেশি আর এটি ‘আসকেলন (Ashkelon)’ উপত্যকার আশপাশে অবস্থিত।
(মাফাতিহুল গায়েব, খণ্ড ২৪, পৃষ্ঠা ৫৪৮)
এই পবিত্র ভূমি, যার পবিত্রতা ও বরকত পবিত্র কোরআনে বারবার বলা হয়েছে, মুসলমান হিসেবে যার উত্তরাধিকার পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ভূমি মুসলমানদের দ্বারা অত্যন্ত বরকতময় ও পবিত্রতার আবরণে শাসিত হয়েছে; কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে আমরা আমাদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ভুলে গেছি, যার কারণে ইসরায়েলের অপবিত্র ইহুদিরা এই পবিত্র ও পুণ্য ভূমি জবরদখল করে এখানকার মুসলিমদের ওপর বর্বর ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞ এবং হামলা চালাচ্ছে। সারা বিশ্বের মুসলমানদের উচিত এর পবিত্রতা বুঝে এই পবিত্র স্থানটি পুনরুদ্ধারের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা। আল্লাহ তাআলা ফিলিস্তিন মুসলিমদের হেফাজত করুন ও বিজয় দান করুন। আমিন।
আল-কোরআনের বয়ানে ফিলিস্তিন
Palestine in the Quran
#আল-কোরআনের বয়ানে ফিলিস্তিন#Palestine in the Quran#ফিলিস্তিন কোরআনে#Palestine#ফিলিস্তিন#আলকোরআনেফিলিস্তিন#বায়তুলমাকদিস#আলআকসা#প্যালেস্টাইন#BaitulMaqdis#AlAqsa#Youtube
0 notes
Text
তুনিশা শর্মার পরিবার নিয়ে মুকেশ খান্না বিরক্ত
তুনিশা শর্মার পরিবার নিয়ে মুকেশ খান্না বিরক্ত
তুনিশা শর্মা মারা যাচ্ছেন: মুকেশ খান্না ‘শক্তিমান’ এবং ‘ভীষ্ম পিতামহ’-এর মতো চরিত্রে অংশ নিয়ে একটি পারিবারিক পরিচয় তৈরি করেছেন। একই সময়ে, অভিনেতাদের বাস��তবে আধুনিক পয়েন্টগুলিতে তাদের মতামত দিয়ে লাইমলাইট সংগ্রহ করতে দেখা যায়। এই পর্বে, অভিনেতা তুনিশা শর্মার মৃত্যুতে তার প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। একই সময়ে, এটিকে ‘শিশু’ আখ্যা দিয়ে প্রয়াত অভিনেত্রীর সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে। তুনিশা শর্মার��
View On WordPress
0 notes
Text
#“আপনি যত দান করবেন#আল্লাহ তত বেশি ফিরিয়ে দেবেন আপনাকে – দানের অসীম বরকত“দান ইসলামিক_উপদেশ আল্লাহর_প্রতিশ্রুত���
0 notes
Video
youtube
রজব শাবানে বরকত দাও, রমজান মাসে গুণা ঝড়াও। Mizanur Rahman Azhari #shorts...
0 notes
Video
youtube
মহানবী সা বলেছেন, মেয়েশিশু বরকত প্রাচুর্য ও কল্যাণের প্রতীক #motivatio...
0 notes
Text
Islami Shorts 18.11.24
আল্লাহ আপনার উপর রেগে আছেন বুঝবেন কিভাবে? মাও মুস্তাফিজ রাহমানী #waz #dawah #islamiclectures #shorts
সীমা লঙ্ঘনকারীদের উপর আল্লাহ্ অসন্তুষ্ট মাও মুস্তাফিজ...
আল্লাহ্'র নিয়ামত অস্বীকার কারী মাও মুস্তাফিজ রাহমানী #...
অহংকারী মানুষদের উপর আল্লাহ্ অসন্তুষ্ট মাও মুস্তাফিজ ..
বিপদে অসন্তুষ্ট হওয়া যাবে না মাও মুস্তাফিজ রাহমানী #waz
আল্লাহ কোন মানুষের উপর জুলুম করেন না মাও মুস্তাফিজ...
আল্লাহ যখন বরকত উঠিয়ে নেন : মাও মুস্তাফিজ রাহমানী #waz
আল্লাহ যাকে খারাপ বলবেন
1 note
·
View note
Text
নিয়মিত শুকরিয়া আদায় করলে আল্লাহ আরও বরকত দান করেন 🌸
youtube
#islam#islamdaily#islamist#islamic#islamification#islamiyet#isalam#islamicreminders#islamislove#Youtube
0 notes
Text
❀๑▬▬▬๑ ﷽ ๑▬▬▬๑❀
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুনাময় ও দয়াময়।
كَذٰلِكَؕ وَاَوۡرَثۡنٰهَا بَنِىۡۤ اِسۡرآءِيۡلَ
৫৯) এসব ঘটেছে তাদের সাথে আর (অন্যদিকে) আমি বনী ইসরাঈলকে ঐ সব জিনিসের উত্তরাধিকারী বানিয়ে দিয়েছি।
(সূরা আশ শুআরাঃ ৫৯)
বাখ্যাঃ
কোন কোন তাফসীরকার এ আয়াতের অর্থ এভাবে গ্রহণ করেছেনঃ যেসব উদ্যান, ন��ী, ধনভাণ্ডার ও উন্নত আবাসগৃহ ত্যাগ করে এ জালেমরা বের হয়েছিল মহান আল্লাহ বনী ইসরাঈলকে সেগুলোরই ���য়ারিশ বানিয়ে দেন। এ অর্থ যদি গ্রহণ করা হয়, তাহলে অবশ্যই মেনে নিতে হবে যে, ফেরাউনের ডুবে মরার পর বনী ইসরাঈল আবার মিসরে পৌঁছে যাবে এবং ফেরাউনের বংশধরদের সমস্ত ধন-দৌলত এবং শক্তি, পরাক্রম ও গৌরবের অধিকারী হবে। কিন্তু এ জিনিসটি প্রথমত ইতিহাস থেকেও প্রমাণিত নয় এবং দ্বিতীয়ত কুরআনের অন্যান্য জায়গায় বিস্তারিত বিবরণও আয়াতের এ অর্থ গ্রহণের অনুকূল নয়। সূরা বাকারাহ, মায়েদাহ, আ’রাফ ও তা-হা-তে যে ইতিবৃত্ত বর্ণনা করা হয়েছে তা থেকে পরিষ্কার জানা যায়, ফেরাউনের ডুবে মরার পর বনী ইসরাঈল মিসরে ফিরে আসার পরিবর্তে নিজেদের অভীষ্ট মনজিলের (ফিলিস্তীন) দিকেই এগিয়ে যেতে থাকে। তারপর থেকে দাউদের আমল (খৃঃ পূঃ ৯০৩-১০১৩) পর্যন্ত তাদের ইতিহাসের সব ঘটনাই আজকের পৃথিবীতে সিনাই উপদ্বীপ, উত্তর আরব, পূর্ব জর্দান (ট্রান্সজর্ডান) ও ফিলিস্তীন নামে পরিচিত এলাকায় ঘটেছে। তাই এর সঠিক ব্যাখ্যা হচ্ছে, আল্লাহ একদিকে ফেরাউনের বংশধরদেরকে এসব নিয়ামত থেকে বঞ্চিত করেন এবং অন্যদিকে বনী ইসরাঈলকে এসব নিয়ামতই দান করেন। অর্থাৎ তারা ফিলিস্তীন ভূখণ্ডে বাগ-বাগীচা, নদ-নদী, ধনভাণ্ডার ও উত্তম আবাসিক ভবন সমূহের অধিকারী হয়। সূরা আ'রাফের নিন্মোক্ত আয়াতে এ ব্যাখ্যার প্রতি সমর্থন পাওয়া যায়ঃ
“তখন আমি তাদের থেকে প্রতিশোধ নিলাম এবং তাদেরকে সাগরে ডুবিয়ে দিলাম। কারণ তারা আমার নিদর্শনসমূহকে মিথ্যা আখ্যায়িত করেছিল এবং তা থেকে বেপরোয়া হয়ে গিয়েছিল। আর তাদের পরিবর্তে আমি যাদেরকে দুর্বল করে রাখা হয়েছিল তাদেরকে এমন একটি দেশের পূর্ব ও পশ্চিমের ওয়ারিস বানিয়ে দিলাম যাকে আমি সমৃদ্ধিতে ভরে দিয়েছিলাম।” (১৩৬-১৩৭ আয়াত)
এ সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ দেশের উপমা কুরআন মজীদে সাধারণত ফিলিস্তীনের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। যখন কোন এলাকার নাম না নিয়ে এ গুণটি বর্ণনা করা হয় তখন এ থেকে এ এলাকার কথা বলা হয়েছে বলে মনে করা হয়। যেমন সূরা বনী ইসরাঈলে বলা হয়েছেঃ “আরবী.............)”
এবং সূরা আম্বিয়ায়ে বলা হয়েছেঃ
আরো বলা হয়েছেঃ
এভাবে সূরা সাবা-এ বলা হয়েছে (আরবী............) এ সবগুলো আয়াতে বরকত শব্দ ফিলিস্তীনের জনপদগুলোর সম্পর্কেই ব্যবহৃত হয়েছে।
#surahAsSuara59
#QuranMajeed
#DailyQuran
#Quran26ঃ59
#Quran
#MdNomanulAhasan
#NuhadNurNuammir
#MihadNurMuammar
https://www.facebook.com/share/p/19cdeMLNCd/
1 note
·
View note