মৌলভীবাজারে আড়াই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি
টানা ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা উজানি ঢলে আকস্মিক বন্যায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, জুড়ী, কমলগঞ্জ, রাজনগর ও সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের অসংখ্য ঘরবাড়ি, গ্রামীণ সড়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে। এতে কমপক্ষে আড়াই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়া সড়কপথে সিলেটের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে পড়েছে। তবে গত রাত থেকে নদীর পানি কমতে শুরু করেছে, কিন্তু ভাঙন দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে…
0 notes
বন্যার পানি কমতে মিলছে লাশ, ফেনীতে ১৭ মরদেহ উদ্ধার
ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে ফেনী। ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে জেলার ৬টি উপজেলা প্লাবিত হয়। পানিবন্দি হয়ে পড়েন ১০ লাখ মানুষ।
নেমে আসা পানির স্রোতে ভেসে যান অনেকে। যদিও তীব্র স্রোত ও পানির উচ্চতার কারণে তখন তখন মৃতের সংখ্যা সঠিকভাবে বলা যায়নি। তবে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে অনেকের গলিত মরদেহ পাওয়া যাচ্ছে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) রাতে পুলিশের বরাত দিয়ে ফেনী জেলা প্রশাসন…
0 notes
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর, ফসলি ক্ষেত ইত্যাদি। বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পাওয়া গেছে যে এরই মধ্যে গ্রামীণ দোকানপাটগুলোও পানিতে ডুবে আছে। ফলে কেনার মতো শুকনা খাবারেরও সংকট রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে আমাদের উচিত আমাদের ভাইদের সহায়তা করার জন্য নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসা। নিম্নে বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো—
বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার : কিছু কিছু এলাকায় এই পরিমাণ পানি বেড়েছে যে মানুষ তাদের বৃদ্ধ মা-বাবা, নারী ও শিশুদের নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আকস্মিক বন্যার কারণে হঠাৎ করে কোনো নৌকা বা স্পিডবোটও পাওয়া যাচ্ছে না, ফলে বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার অভিযান চালানো আবশ্যক। এতে মহান আল্লাহর রহমত পাওয়া যাবে।
হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্য করে, আল্লাহও ততক্ষণ তার বান্দাকে সাহায্য করেন।’
(আবু দাউদ : ৪৯৪৬)
ত্রাণসামগ্রী বিতরণ : যেহেতু বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে খাদ্যসামগ্রী (চাল, ডাল, তেল, শুকনা খাবার), বিশুদ্ধ খাবার পানি, ওষুধপত্র ইত্যাদির সংকট আছে, তাই সেসব এলাকায় সাধ্যমতো এগুলো পাঠানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। হাদিস শরিফে মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করাকে উত্তম ইসলাম বলা হয়েছে।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করল, ইসলামে কোন জিনিসটি উত্তম? তিনি বলেন, তুমি খাদ্য খাওয়াবে এবং চেনা-অচেনা সবাইকে সালাম দেবে। (বুখারি, হাদিস : ১২)
অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র : বন্যার কারণে পানিবন্দি মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, তাই এই মুহূর্তে তাদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা উচিত। কারো উঁচু দালানে যদি প্রতিবেশী কিংবা আত্মীয়-স্বজন আশ্রয় চায়, তাকে আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। নারীদের পর্দা রক্ষা করে থাকার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। এ সময় অসহায় মানুষের ওপর দয়া করলে, কঠিন বিপদের দিন আমাদের ওপরও আল্লাহ দয়া করবেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাঁর দয়ালু বান্দাদের ওপরই দয়া করেন। (বুখারি, হাদিস : ৭৪৪৮)
চিকিৎসাসেবা : ইখলাসের সঙ্গে মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিয়েও আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়। সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো মুসলমান তার কোনো (রুগ্ণ) মুসলিম ভাইকে দেখতে গেলে সে (যতক্ষণ সেখানে থাকে ততক্ষণ) যেন জান্নাতের ফল আহরণ করতে থাকে। (তিরমিজি, হাদিস : ৯৬৭)
আর কঠিন বিপদে থাকা মানুষদের চিকিৎসাসেবা দিলে আরো বেশি সওয়াবের আশা করা যাবে; ইনশাআল্লাহ।
মানসিক সহায়তা : দুর্গতদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কাউন্সেলিং করা প্রয়োজন। তাদের মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও ধৈর্যের পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। তাদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য বিপদে ধৈর্য ধারণের উত্তম প্রতিদানের সুসংবাদগুলো শোনানো যেতে পারে। কারণ পবিত্র কোরআনে বলা আছে, ‘কষ্টের সঙ্গেই সুখ রয়েছে।’
(সুরা : ইনশিরাহ আয়াত : ৫)
আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘মহাকালের শপথ, প্রত্যেক মানুষ ক্ষতির মধ্যে আছে, তবে তারা ছাড়া, যারা ঈমান এনেছে, সৎ কাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’ (সুরা : আসর, আয়াত : ১-৩)
পুনর্বাসন কার্যক্রম : বন্যা যখন চলে যাবে, তখন আমাদের দ��য়িত্ব হবে, বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোয় সহযোগিতা করে, একটি সুুন্দর ও স্বাবলম্বী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসা। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো। যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’
(মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮০)
তাই আমাদের ভাইদের বিপদে অনাহারে রেখে শান্তিতে ঘুমানো মুমিনের কাজ হবে না। মহান আল্লাহ আমাদের আক্রান্ত মুমিনদের এই পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
বন্যার্তদের সহযোগিতায় আমাদের করণীয়
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
To be done in cooperation with the flood victims
0 notes
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর, ফসলি ক্ষেত ইত্যাদি। বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পাওয়া গেছে যে এরই মধ্যে গ্রামীণ দোকানপাটগুলোও পানিতে ডুবে আছে। ফলে কেনার মতো শুকনা খাবারেরও সংকট রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে আমাদের উচিত আমাদের ভাইদের সহায়তা করার জন্য নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসা। নিম্নে বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো—
বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার : কিছু কিছু এলাকায় এই পরিমাণ পানি বেড়েছে যে মানুষ তাদের বৃদ্ধ মা-বাবা, নারী ও শিশুদের নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আকস্মিক বন্যার কারণে হঠাৎ করে কোনো নৌকা বা স্পিডবোটও পাওয়া যাচ্ছে না, ফলে বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার অভিযান চালানো আবশ্যক। এতে মহান আল্লাহর রহমত পাওয়া যাবে।
হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্য করে, আল্লাহও ততক্ষণ তার বান্দাকে সাহায্য করেন।’
(আবু দাউদ : ৪৯৪৬)
ত্রাণসামগ্রী বিতরণ : যেহেতু বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে খাদ্যসামগ্রী (চাল, ডাল, তেল, শুকনা খাবার), বিশুদ্ধ খাবার পানি, ওষুধপত্র ইত্যাদির সংকট আছে, তাই সেসব এলাকায় সাধ্যমতো এগুলো পাঠানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। হাদিস শরিফে মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করাকে উত্তম ইসলাম বলা হয়েছে।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করল, ইসলামে কোন জিনিসটি উত্তম? তিনি বলেন, তুমি খাদ্য খাওয়াবে এবং চেনা-অচেনা সবাইকে সালাম দেবে। (বুখারি, হাদিস : ১২)
অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র : বন্যার কারণে পানিবন্দি মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, তাই এই মুহূর্তে তাদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা উচিত। কারো উঁচু দালানে যদি প্রতিবেশী কিংবা আত্মীয়-স্বজন আশ্রয় চায়, তাকে আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। নারীদের পর্দা রক্ষা করে থাকার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। এ সময় অসহায় মানুষের ওপর দয়া করলে, কঠিন বিপদের দিন আমাদের ওপরও আল্লাহ দয়া করবেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাঁর দয়ালু বান্দাদের ওপরই দয়া করেন। (বুখারি, হাদিস : ৭৪৪৮)
চিকিৎসাসেবা : ইখলাসের সঙ্গে মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিয়েও আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়। সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো মুসলমান তার কোনো (রুগ্ণ) মুসলিম ভাইকে দেখতে গেলে সে (যতক্ষণ সেখানে থাকে ততক্ষণ) যেন জান্নাতের ফল আহরণ করতে থাকে। (তিরমিজি, হাদিস : ৯৬৭)
আর কঠিন বিপদে থাকা মানুষদের চিকিৎসাসেবা দিলে আরো বেশি সওয়াবের আশা করা যাবে; ইনশাআল্লাহ।
মানসিক সহায়তা : দুর্গতদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কাউন্সেলিং করা প্রয়োজন। তাদের মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও ধৈর্যের পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। তাদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য বিপদে ধৈর্য ধারণের উত্তম প্রতিদানের সুসংবাদগুলো শোনানো যেতে পারে। কারণ পবিত্র কোরআনে বলা আছে, ‘কষ্টের সঙ্গেই সুখ রয়েছে।’
(সুরা : ইনশিরাহ আয়াত : ৫)
আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘মহাকালের শপথ, প্রত্যেক মানুষ ক্ষতির মধ্যে আছে, তবে তারা ছাড়া, যারা ঈমান এনেছে, সৎ কাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’ (সুরা : আসর, আয়াত : ১-৩)
পুনর্বাসন কার্যক্রম : বন্যা যখন চলে যাবে, তখন আমাদের দায়িত্ব হবে, বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোয় সহযোগিতা করে, একটি সুুন্দর ও স্বাবলম্বী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসা। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো। যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’
(মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮০)
তাই আমাদের ভাইদের বিপদে অনাহারে রেখে শান্তিতে ঘুমানো মুমিনের কাজ হবে না। মহান আল্লাহ আমাদের আক্রান্ত মুমিনদের এই পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
বন্যার্তদের সহযোগিতায় আমাদের করণীয়
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
To be done in cooperation with the flood victims
0 notes
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর, ফসলি ক্ষেত ইত্যাদি। বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পাওয়া গেছে যে এরই মধ্যে গ্রামীণ দোকানপাটগুলোও পানিতে ডুবে আছে। ফলে কেনার মতো শুকনা খাবারেরও সংকট রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে আমাদের উচিত আমাদের ভাইদের সহায়তা করার জন্য নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসা। নিম্নে বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো—
বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার : কিছু কিছু এলাকায় এই পরিমাণ পানি বেড়েছে যে মানুষ তাদের বৃদ্ধ মা-বাবা, নারী ও শিশুদের নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আকস্মিক বন্যার কারণে হঠাৎ করে কোনো নৌকা বা স্পিডবোটও পাওয়া যাচ্ছে না, ফলে বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার অভিযান চালানো আবশ্যক। এতে মহান আল্লাহর রহমত পাওয়া যাবে।
হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্য করে, আল্লাহও ততক্ষণ তার বান্দাকে সাহায্য করেন।’
(আবু দাউদ : ৪৯৪৬)
ত্রাণসামগ্রী বিতরণ : যেহেতু বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে খাদ্যসামগ্রী (চাল, ডাল, তেল, শুকনা খাবার), বিশুদ্ধ খাবার পানি, ওষুধপত্র ইত্যাদির সংকট আছে, তাই সেসব এলাকায় সাধ্যমতো এগুলো পাঠানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। হাদিস শরিফে মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করাকে উত্তম ইসলাম বলা হয়েছে।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করল, ইসলামে কোন জিনিসটি উত্তম? তিনি বলেন, তুমি খাদ্য খাওয়াবে এবং চেনা-অচেনা সবাইকে সালাম দেবে। (বুখারি, হাদিস : ১২)
অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র : বন্যার কারণে পানিবন্দি মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, তাই এই মুহূর্তে তাদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা উচিত। কারো উঁচু দালানে যদি প্রতিবেশী কিংবা আত্মীয়-স্বজন আশ্রয় চায়, তাকে আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। নারীদের পর্দা রক্ষা করে থাকার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। এ সময় অসহায় মানুষের ওপর দয়া করলে, কঠিন বিপদের দিন আমাদের ওপরও আল্লাহ দয়া করবেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাঁর দয়ালু বান্দাদের ওপরই দয়া করেন। (বুখারি, হাদিস : ৭৪৪৮)
চিকিৎসাসেবা : ইখলাসের সঙ্গে মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিয়েও আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়। সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো মুসলমান তার কোনো (রুগ্ণ) মুসলিম ভাইকে দেখতে গেলে সে (যতক্ষণ সেখানে থাকে ততক্ষণ) যেন জান্নাতের ফল আহরণ করতে থাকে। (তিরমিজি, হাদিস : ৯৬৭)
আর কঠিন বিপদে থাকা মানুষদের চিকিৎসাসেবা দিলে আরো বেশি সওয়াবের আশা করা যাবে; ইনশাআল্লাহ।
মানসিক সহায়তা : দুর্গতদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কাউন্সেলিং করা প্রয়োজন। তাদের মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও ধৈর্যের পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। তাদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য বিপদে ধৈর্য ধারণের উত্তম প্রতিদানের সুসংবাদগুলো শোনানো যেতে পারে। কারণ পবিত্র কোরআনে বলা আছে, ‘কষ্টের সঙ্গেই সুখ রয়েছে।’
(সুরা : ইনশিরাহ আয়াত : ৫)
আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘মহাকালের শপথ, প্রত্যেক মানুষ ক্ষতির মধ্যে আছে, তবে তারা ছাড়া, যারা ঈমান এনেছে, সৎ কাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’ (সুরা : আসর, আয়াত : ১-৩)
পুনর্বাসন কার্যক্রম : বন্যা যখন চলে যাবে, তখন আমাদের দায়িত্ব হবে, বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোয় সহযোগিতা করে, একটি সুুন্দর ও স্বাবলম্বী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসা। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো। যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’
(মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮০)
তাই আমাদের ভাইদের বিপদে অনাহারে রেখে শান্তিতে ঘুমানো মুমিনের কাজ হবে না। মহান আল্লাহ আমাদের আক্রান্ত মুমিনদের এই পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
বন্যার্তদের সহযোগিতায় আমাদের করণীয়
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
To be done in cooperation with the flood victims
0 notes
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর, ফসলি ক্ষেত ইত্যাদি। বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পাওয়া গেছে যে এরই মধ্যে গ্রামীণ দোকানপাটগুলোও পানিতে ডুবে আছে। ফলে কেনার মতো শুকনা খাবারেরও সংকট রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে আমাদের উচিত আমাদের ভাইদের সহায়তা করার জন্য নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসা। নিম্নে বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো—
বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার : কিছু কিছু এলাকায় এই পরিমাণ পানি বেড়েছে যে মানুষ তাদের বৃদ্ধ মা-বাবা, নারী ও শিশুদের নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আকস্মিক বন্যার কারণে হঠাৎ করে কোনো নৌকা বা স্পিডবোটও পাওয়া যাচ্ছে না, ফলে বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার অভিযান চালানো আবশ্যক। এতে মহান আল্লাহর রহমত পাওয়া যাবে।
হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্য করে, আল্লাহও ততক্ষণ তার বান্দাকে সাহায্য করেন।’
(আবু দাউদ : ৪৯৪৬)
ত্রাণসামগ্রী বিতরণ : যেহেতু বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে খাদ্যসামগ্রী (চাল, ডাল, তেল, শুকনা খাবার), বিশুদ্ধ খাবার পানি, ওষুধপত্র ইত্যাদির সংকট আছে, তাই সেসব এলাকায় সাধ্যমতো এগুলো পাঠানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। হাদিস শরিফে মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করাকে উত্তম ইসলাম বলা হয়েছে।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করল, ইসলামে কোন জিনিসটি উত্তম? তিনি বলেন, তুমি খাদ্য খাওয়াবে এবং চেনা-অচেনা সবাইকে সালাম দেবে। (বুখারি, হাদিস : ১২)
অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র : বন্যার কারণে পানিবন্দি মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, তাই এই মুহূর্তে তাদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা উচিত। কারো উঁচু দালানে যদি প্রতিবেশী কিংবা আত্মীয়-স্বজন আশ্রয় চায়, তাকে আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। নারীদের পর্দা রক্ষা করে থাকার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। এ সময় অসহায় মানুষের ওপর দয়া করলে, কঠিন বিপদের দিন আমাদের ওপরও আল্লাহ দয়া করবেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাঁর দয়ালু বান্দাদের ওপরই দয়া করেন। (বুখারি, হাদিস : ৭৪৪৮)
চিকিৎসাসেবা : ইখলাসের সঙ্গে মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিয়েও আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়। সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো মুসলমান তার কোনো (রুগ্ণ) মুসলিম ভাইকে দেখতে গেলে সে (যতক্ষণ সেখানে থাকে ততক্ষণ) যেন জান্নাতের ফল আহরণ করতে থাকে। (তিরমিজি, হাদিস : ৯৬৭)
আর কঠিন বিপদে থাকা মানুষদের চিকিৎসাসেবা দিলে আরো বেশি সওয়াবের আশা করা যাবে; ইনশাআল্লাহ।
মানসিক সহায়তা : দুর্গতদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কাউন্সেলিং করা প্রয়োজন। তাদের মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও ধৈর্যের পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। তাদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য বিপদে ধৈর্য ধারণের উত্তম প্রতিদানের সুসংবাদগুলো শোনানো যেতে পারে। কারণ পবিত্র কোরআনে বলা আছে, ‘কষ্টের সঙ্গেই সুখ রয়েছে।’
(সুরা : ইনশিরাহ আয়াত : ৫)
আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘মহাকালের শপথ, প্রত্যেক মানুষ ক্ষতির মধ্যে আছে, তবে তারা ছাড়া, যারা ঈমান এনেছে, সৎ কাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’ (সুরা : আসর, আয়াত : ১-৩)
পুনর্বাসন কার্যক্রম : বন্যা যখন চলে যাবে, তখন আমাদের দায়িত্ব হবে, বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোয় সহযোগিতা করে, একটি সুুন্দর ও স্বাবলম্বী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসা। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো। যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’
(মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮০)
তাই আমাদের ভাইদের বিপদে অনাহারে রেখে শান্তিতে ঘুমানো মুমিনের কাজ হবে না। মহান আল্লাহ আমাদের আক্রান্ত মুমিনদের এই পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
বন্যার্তদের সহযোগিতায় আমাদের করণীয়
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
To be done in cooperation with the flood victims
0 notes
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর, ফসলি ক্ষেত ইত্যাদি। বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পাওয়া গেছে যে এরই মধ্যে গ্রামীণ দোকানপাটগুলোও পানিতে ডুবে আছে। ফলে কেনার মতো শুকনা খাবারেরও সংকট রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে আমাদের উচিত আমাদের ভাইদের সহায়তা করার জন্য নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসা। নিম্নে বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো—
বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার : কিছু কিছু এলাকায় এই পরিমাণ পানি বেড়েছে যে মানুষ তাদের বৃদ্ধ মা-বাবা, নারী ও শিশুদের নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আকস্মিক বন্যার কারণে হঠাৎ করে কোনো নৌকা বা স্পিডবোটও পাওয়া যাচ্ছে না, ফলে বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার অভিযান চালানো আবশ্যক। এতে মহান আল্লাহর রহমত পাওয়া যাবে।
হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্য করে, আল্লাহও ততক্ষণ তার বান্দাকে সাহায্য করেন।’
(আবু দাউদ : ৪৯৪৬)
ত্রাণসামগ্রী বিতরণ : যেহেতু বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে খাদ্যসামগ্রী (চাল, ডাল, তেল, শুকনা খাবার), বিশুদ্ধ খাবার পানি, ওষুধপত্র ইত্যাদির সংকট আছে, তাই সেসব এলাকায় সাধ্যমতো এগুলো পাঠানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। হাদিস শরিফে মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করাকে উত্তম ইসলাম বলা হয়েছে।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করল, ইসলামে কোন জিনিসটি উত্তম? তিনি বলেন, তুমি খাদ্য খাওয়াবে এবং চেনা-অচেনা সবাইকে সালাম দেবে। (বুখারি, হাদিস : ১২)
অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র : বন্যার কারণে পানিবন্দি মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, তাই এই মুহূর্তে তাদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা উচিত। কারো উঁচু দালানে যদি প্রতিবেশী কিংবা আত্মীয়-স্বজন আশ্রয় চায়, তাকে আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। নারীদের পর্দা রক্ষা করে থাকার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। এ সময় অসহায় মানুষের ওপর দয়া করলে, কঠিন বিপদের দিন আমাদের ওপরও আল্লাহ দয়া করবেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাঁর দয়ালু বান্দাদের ওপরই দয়া করেন। (বুখারি, হাদিস : ৭৪৪৮)
চিকিৎসাসেবা : ইখলাসের সঙ্গে মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিয়েও আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়। সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো মুসলমান তার কোনো (রুগ্ণ) মুসলিম ভাইকে দেখতে গেলে সে (যতক্ষণ সেখানে থাকে ততক্ষণ) যেন জান্নাতের ফল আহরণ করতে থাকে। (তিরমিজি, হাদিস : ৯৬৭)
আর কঠিন বিপদে থাকা মানুষদের চিকিৎসাসেবা দিলে আরো বেশি সওয়াবের আশা করা যাবে; ইনশাআল্লাহ।
মানসিক সহায়তা : দুর্গতদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কাউন্সেলিং করা প্রয়োজন। তাদের মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও ধৈর্যের পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। তাদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য বিপদে ধৈর্য ধারণের উত্তম প্রতিদানের সুসংবাদগুলো শোনানো যেতে পারে। কারণ পবিত্র কোরআনে বলা আছে, ‘কষ্টের সঙ্গেই সুখ রয়েছে।’
(সুরা : ইনশিরাহ আয়াত : ৫)
আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘মহাকালের শপথ, প্রত্যেক মানুষ ক্ষতির মধ্যে আছে, তবে তারা ছাড়া, যারা ঈমান এনেছে, সৎ কাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’ (সুরা : আসর, আয়াত : ১-৩)
পুনর্বাসন কার্যক্রম : বন্যা যখন চলে যাবে, তখন আমাদের দায়িত্ব হবে, বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোয় সহযোগিতা করে, একটি সুুন্দর ও স্বাবলম্বী সমাজ গঠনে এগিয়ে আসা। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো। যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’
(মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮০)
তাই আমাদের ভাইদের বিপদে অনাহারে রেখে শান্তিতে ঘুমানো মুমিনের কাজ হবে না। মহান আল্লাহ আমাদের আক্রান্ত মুমিনদের এই পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
বন্যার্তদের সহযোগিতায় আমাদের করণীয়
বন্যার্তদের সহযোগিতায় করণীয়
To be done in cooperation with the flood victims
বন্যার্তদেরসহযোগিতা
floodvictims
0 notes
১১ হাজার কোটি টাকার কাজ শেষের দিকে, তবু ডুবে যাচ্ছে নগরী
টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ডুবে গেছে সড়কের আশপাশের দোকানপাট। নগরীর কোথাও কোমরপানি, কোথাও হাঁটুপানি। পানিবন্দি কয়েক হাজার পরিব��র। অনেকের ঘরের চুলাও জ্বলছে না। পানি ঢুকেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বহদ্দারহাটের বাসায়। তার বাসার সামনের সড়কে কোমরপানি। এ ছাড়া নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে…
View On WordPress
0 notes
সাড়ে ৪ হাজার মোবাইল টাওয়ার অচল
সাড়ে ৪ হাজার মোবাইল টাওয়ার অচল
দেশের মূল ভূখণ্ডে আঘাত করে অবশেষে দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। কিন্তু দেশের উপকূল অতিক্রমের আগে ছয় জেলায় ১৪ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। সিত্রাংয়ের প্রভাবে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন উপকূলীয় এলাকার লাখ লাখ মানুষ।
0 notes
বৃষ্টিতেই পানিবন্দি হয়ে পড়ে ধুনট সরকারি ডিগ্রী কলেজ
বৃষ্টিতেই পানিবন্দি হয়ে পড়ে ধুনট সরকারি ডিগ্রী কলেজ
ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা:
ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানিবন্দি হয়ে পড়ে বগুড়ার ধুনট সরকারি ডিগ্রী কলেজ। এতে ওই কলেজের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-কর্মচারীদের দূর্ভোগ পোহাতে হয় নিয়মিতই। সম্প্রতি এসএসসি পরীক্ষার্থীদেরকেও এই দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ধুনট সরকারি ডিগ্রী কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্রে।
গতকাল ধুনট সরকারি ডিগ্রী কলেজে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের সামনের মাঠটি বৃষ্টির…
View On WordPress
0 notes
২ কিলোমিটার সাঁতরে ৬ দিন পর পানিবন্দি বোনকে উদ্ধার করল ভাই
নানা প্রতিবন্ধকতা জয় করে ২ কিলোমিটার সাঁতার কেটে ফুলগাজী উপজেলাতে ছয় দিন ধরে পানিবন্দি থাকা বোনকে উদ্ধার করে সোনাগাজীতে নিয়ে আসেন মানিক ভাদুড়ি।
বোনকে উদ্ধারে মানিকের পথটি মোটেই মসৃণ ছিল না। দীর্ঘ ৪০ কিলোমিটার পানিতে তলিয়ে থাকা সড়ক পাড়ি দিয়ে সোনাগাজী থেকে ফুলগাজীতে যেতে সময় লেগেছে ৮ ঘণ্টা। কখনো পায়ে হেটে, কখনো ট্রাক্টরে, কখনো নৌকাতে পথ অতিক্রম করতে হয়েছে তাদের।
জানা গেছে, সোনাগাজী উপজেলার…
0 notes
নোয়াখালীতে টানা বৃষ্টি ও উজানের পানিতে বন্যা
0 notes
পানিবন্দি হয়ে রয়েছে বটিয়াঘাটায় ৩০ টি পরিবার দীর্ঘ তিন মাস
পানিবন্দি হয়ে রয়েছে বটিয়াঘাটায় ৩০ টি পরিবার দীর্ঘ তিন মাস
পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৩০টি পরিবার। বটিয়াঘাটা উপজেলা বারোআড়িয়া বাজার সংলগ্ন ত্রিশটি পরিবার পানিবন্দি হয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে। চরম ঝুঁকিপূর্ণ মধ্যেদিয়ে প্রতিদিন ছেলেমেয়ে পরিজন নিয়ে দূষিত পানির মধ্যে দিয়ে পার হতে হচ্ছে তাদের।
পানিবন্দি পরিবারের মধ্যে রয়েছে শেখ বাড়ি, গাজি বাড়ি, মোল্লাবাড়ি। ৩০ টি পরিবারের শতাধিক লোকের বসবাস এখানে। এখানে রয়েছে একটি পারিবারিক কবরস্থান। সেটাও পানিতে…
View On WordPress
0 notes
New Post on BDTodays.com
শিবচরে পানিবন্দি ৮ হাজার মানুষ, ৭টি ইউনিয়নে বেড়েছে ভাঙন
রেজাউল করিম রেজা, মাদারীপুর: মাদারীপুরের শিবচরের পদ্মা নদীতে অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চরাঞ্চলের তিনটি ইউনিয়নসহ ৭টি ইউনিয়নে নদী ভাঙনের ব্যাপকতা বেড়েছে। ইতিমধ্যে পাঁচ শতাধিক বসতঘর অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়েছে একটি মাদ্রাসাসহ প্রায় তিন শতাধিক বসতঘর। উপজেলা প্...
বিস্তারিত এখানেঃ https://bdtodays.net/%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%9a%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a6%bf-%e0%a7%ae-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%b0/
0 notes
কিশোরগঞ্জে ৪ হাওরসহ ১০ উপজেলার দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি
কিশোরগঞ্জে ৪ হাওরসহ ১০ উপজেলার দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি
কিশোরগঞ্জের ৪ হাওরসহ ১০ উপজেলার ৬৪টি ইউনিয়নের ২২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার দেড় লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এরইমধ্যে ১৩ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।
বানের জলে ভেসে গেছে, শতশত মাছের ঘের ও পুকুর। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গবাদি পশু। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গতদের জন্য ১৪০ মেট্রিক টন চাল, দুই হাজার শুকনা খাবারের প্যাকেট ও নগদ ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া…
View On WordPress
0 notes
সিলেটে আবারও বন্যা, পানিবন্দি লাখো মানুষ
সিলেট ব্যুরো: আগের বন্যার পানি নামার এখনও মাস পেরোয়নি। এরই মাঝে ভারী বৃষ্টি আর উজানের পাহাড়ি ঢলে আবারও ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়তে যাচ্ছে সিলেট। ইতোমধ্যে জেলার নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৩ শতাধিক গ্রামের ৩ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের অবস্থা সর্বশেষ বন্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
নগরের প্রায় ৫০টি এলাকার বাসা-বাড়ি ও সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।…
View On WordPress
0 notes